Thursday, March 22, 2018

প্রথম পুরুষ

প্রথম পুরুষ
,,,,,,,ঋষি
*****************************************
আমি সেই মহিলাকে চিনি
যে তার হাজবেন্ডের মাঝে নিজের বাবাকে খোঁজে।
আমি সেই প্রেমিকাকে চিনি
যে তার প্রেমিকের মাঝে তার বাবাকে খোঁজে।
আমি সেই নারীকে চিনি
যে তার স্বপ্নে, আবেগে তার বাবাকে দেখতে পায়।

সময়
শৈশবের বেনী ছেড়ে কখন যেন শাড়ি জড়িয়ে ফেলে।
অতীত
কখন যেন ফ্রক ছেড়ে হাতা, খুন্তিতে ব্যাস্ত।
ভবিষ্যত
কখন যেন নিজের ভালো থাকা ছেড়ে সন্তান পালনে ব্যাস্ত।
আর সময়ের পা
সে রান্নাঘরের ছোট আঙিনায় সংসার করতে ব্যাস্ত।
খোলা আকাশ
সে শুধু মুক্তির খোঁজ,শুধুই আগামীর স্বপ্ন।
কিন্তু বাবা
শৈশবের চোখে প্রথম পুরুষ,যা স্মৃতি আগলানো।

তাই  তো
সেই মহিলা তার হাজবেন্ডের মাঝে নিজের বাবাকে খোঁজে।
সেই প্রেমিকা তার প্রেমিককে বলে
তুমি না কেমন বাবার মত আমাকে আগলে রাখো।
আর  নারী
যে  খুব যত্নে লালন করে তার বুকের গভীরে জন্মের প্রথম পুরুষকে।

প্রমিথিউস

প্রমিথিউস
,,,,,,,ঋষি
*********************************************
প্রমিথিউস কখনো পাগল ছিল না
কিন্তু মানুষের ভালো করতে করতে আজ শিকল বন্দী।

তোমার গুড নাইট কলটা আজ দশটার বদলে রাত আটটায়
প্যান্ডোরা উপাখ্যান সেই বোকা বাক্স বন্দী আশা।
আর মনের রোগ,
নেক্সি বলে পাখিটা এখনো পৃথিবী তৈরীতে ব্যাস্ত।

গ্রীক মাইথোলজি
পৃথিবী সৃষ্টির সাথে মানুষ তৈরীতে ভয়।
আগুন চুরির অপরাধ দেবরাজ জিউসের শয়তানের চোখ
কিন্তু আমার বুকের আগুন, তোমার নরম বুকে কালো দাগ।
কি করবেন দেবররাজ?
আমিও শিকল বন্দী প্রমিথিউসের মতো অপেক্ষায় মুক্তির।
তোমার গুডনাইট কলটা শুধু মাত্র সময়ের পৃথিবীর
আমিও শপথ করছি দেবরাজ তোমার ধ্বংস নিশ্চিত।

আগুনের ক্ষমতা
ঈশ্বরের বাগানে শেষ ফুলটা সময়ের প্রমিথিউসের।
তোমার গুডনাইট কলটা আজ সারারাত চিৎকার করবে
জন্ম নেবে হারকিউলিস।
আজ নয়তো কাল নেক্সি বলে পাখিটার ডিম ফুটে জন্মাবে
আকাশ আর পৃথিবী,প্রমিথিউস তুমি অমর মানুষের প্রেমে।

সারাবেলা

সারাবেলা
,,,,,,,ঋষি
*****************************************
আমি পথচলতি অজস্র নারীর  প্রেমে পরি
রেস্তোরায়,কফি শপে কফির প্রতি চুমুকে প্রেমে পরি।
আমি শহরের বুকে পথচলতে, বৃষ্টি ভেজা দিনে
আকাশের কল্পনায় প্রেমে পরি।
প্রেমে পরি পাখীর চোখে দেখা লাল লিপস্টিক ঠোঁট
আদুরে কোমড়, তীরের চোখে।

প্রেম শব্দের সহবস্থানে দেখি
রাতের আদরের শেষে অপাংক্তেয় আবেগের কোরকে জন্ম নেয়
আদরের সন্তান,বারংবার ফিরে আসে নগ্ন কোন গ্রীস ভাস্কর্য।
পদ্মকাঁটায় স্থায়ী হয় প্রেমিকার বিষজন্ম,জানলার পরদায় শিরশিরানি
দূরে ক্রমশ অস্পষ্ট আদুরে ঘামের ভীড়।
আমি প্রেমে পরি আবার ঈশ্বর জানেন চাঁদের লজ্জার ইতিহাস
কিন্তু আমার কোন লজ্জা নেই।
কবিতার কলমে বিজাতীয় নপুংসকের দেশে
আমার রোমান হরফে লেখা প্রেম শব্দে কোন লজ্জা নেই।

আমি পাশের ছাদে দড়িতে ঝোলানো অন্তরবাসের প্রেমে পরি
প্রেমে পরি কলেজ ফেরতা সেই বছর একুশের ললনার।
আমি বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষারত সেই মহিলার প্রেমে পরি
যার ঠোঁটের কোনে তিল কিংবা চোখে লুকোনো লজ্জা।
আসলে চলন্তিকা আমি প্রেমে পরি বারংবার তোমার
কারন তোমার খোঁজে আমার সারাবেলা একলা।

Wednesday, March 21, 2018

দিল চাহতা হ্যা

দিল চাহতা হ্যা
.........ঋষি
.....................................................................
"কুছ ঠোকর হামনে চুনলিয়া
ফিরবি কুছ বাতে সেহলানেকো দিল চাহতা হ্যা"
.
দিল চাহতা হ্যা
কিছুক্ষন যদি তোমার, আমার,শুধুই আমাদের
তনহায়ি।
না বলা দিনের যাপন  ধারা বয়ে যায় , বয়ে যায়,নিরালায়
গভীরতা ভিজে বালিতে, চোখের কিনারায় জলের ছোপ
থেকে থাকা বালিশএর বুকে নিরুদ্দেশে অভিনয়।
না বলা শব্দ রা সুতোয় এলোমেলো দুলতে থাকে
উইন্ড চারমে তোমার বারান্দার টুংটাং শব্দের সাথে।
.
দিল চাহতা হ্যা
আমি রোদ্দুর গুঁজে রাখি তোমার খোঁপার আদলে
তনহায়ি।
মনমর্জি মেঘ লুকোছুপি খেলে তোমার শহরের দরজা খুলে
আমার ফুটপাথ জুড়ে গড়িয়ে নামে ঘাম।
হারিয়ে ফেলার অসম্ভব ভয়ে মোহদের চেপে ধরি বুকের পাঁজরে
মিলন বেলার চুইংগাম চিবিয়ে আলোর বিচ্ছুরণ ভালোবাসা হয়ে
আদর ছড়িয়ে দেয় আমার অলকবন্ধনে।
.
"কুছ বাতে তুম নে লিখ দিয়া
ফিরবি ওর কুছ বদলনেকো দিল চাহতা হ্যা"।

নতুন উপন্যাস

নতুন উপন্যাস
.....ঋষি
..........................................................................
বিছানার উপর শুয়ে আছে আমার কবিতার নারী
চলন্তিকা কোন লুকোন সম্ভাবনা।
চোখের বাসি কাজলে লুকোনো কিছু ঘনঘোর
চলন্তিকা আমি তোমাকে জড়াতে চাই।
সামনে ছেঁড়া তোয়ালে,শাওয়ারের জলে রক্তের লাল স্রোত
চলন্তিকা আমি সত্যি স্বপ্ন দেখতে চাই।

শূন্য দিয়ে গড়া গান্ধর্ব চিত্রকলায় কেবলি প্রেমিকার মুখ
বুঝি গভীরতম  নিঃস্ব হচ্ছে সময়।
আমার মন সে তো হাওয়ার গতিতে তোমাকে ছুঁতে চায়
আয়োজন হাওয়া বইছে আর প্রয়োজন সে তুমি জানো চলন্তিকা।
এলোমেলো এ শহরের অনিদ্রার রাত, তবু কৃষ্ণচূড়ার পাতা
ধুলোয় ভেজান সমস্তক্ষন।
বসন্ত লেগে থাকা প্রজাপতির  ডানায় শঙ্খচিলের চোখ
শামুক  দিয়ে আঁকা কবিতারা খুব গম্ভীর।
অথচ আমার ডাইরির পাতায় ঘুমন্ত অক্ষরদের হিজিবিজি
অসময় তবু স্বপ্নরা এখনো তেজপাতা রাঙা।

স্বপ্নের আলো আঁধারিতে তোমার শব্দে আমার কবিতারা জীবিত
প্রেমের রঙ  কেমন জানি না,কিন্তু অন্ধকারে শুধুই তুমি।
হয়তো তুমি ছুঁয়ে দেওয়া নদীর জলের পিপাসা
যেখানে বয়ে আসা বিষাদরা পলাশ রঙের উচ্ছল ঝরনাধারা।
শহরের ধুলোঝড় স্থির সব তবু তুমি জানো তোলপাড় তরঙ্গ
সেতু বাঁধছে নতুন উপন্যাসে অপেক্ষার সাথে।

Tuesday, March 20, 2018

মিসেস পরকীয়া(৯)

মিসেস পরকীয়া(৯)
,,,,,,,ঋষি
********-*****-***-**------********************
মিসেস পরকীয়া শুনেছি নাকি
বারংবার রিফিউস হতে হতে আপনি নাকি বেবুন হয়ে গেছেন।
বেবুনের মতো আপনার শেষপ্রান্তে ঝুলে থাকা স্তনাগ্রে
আজকাল কাকপক্ষীও ঠোঁট রাখে না।
ভাববেন না ম্যাডাম,এই সব সময়ের খেলা
এখনো চান্স আসে, নিজের পোস্টারে বেশি করে চুনকাম করুন।

মিসেস পরকীয়া আপনার বাড়ি অনেকদিন যাইনি
বোগেনভেলিয়ার সাথে বেগুনি সংলাপে একেকটা বিকাল অনেকদিন রংহীন।
আপনার অগণিত ফায়ার মুহূর্ত আর আপনার উরুর চামড়া
কানাঘোষায় শোনা ফলের রেকাবিতে সাজানো বেদানা, শবেদা, আঙুর।
মিসেস পরকীয়া আপনি উন্মুক্ত ব্যাবিলন কিংবা থর মরুভুমি
আপনার  কোনো প্রতীক নেই, শুধু শরীরের খিদে।
আজ অবধি আপনার হিট লিস্টে পুরুষের সংখ্যা কতো?
তারমধ্যে বাচ্চা থেকে বুড়োহাবড়া কেউ কি বাদ গেছে।
মনে পরে আপনার বিয়ের দিন, একবার তাকিয়ে দেখুন পিছনে
ম্যাডাম শরীর সব নয়,কাম শুধু নয়, মন যে দরকারী।
জানি পৃথিবী জুড়ে শুধু ল্যাভেন্ডার ফুল নেই
পুরুষ নামক তিন পা ওয়ালা কুকুরও উপস্থিত।

মিসেস পরকীয়া আমি নিতান্ত কবি
আমার ক্ষমতা নেই কোন বেবুনের কাওতালি লেখার।
কিংবা আপনার জলন্ত ওই শুকনো জংগলে সভ্যতার বীজ বোনার
মাপ করবেন, কাঁদবেন না,আমি আমার কলমের আদরে সুখেই আছি।
একদিন ঠিক আপনার বাড়িতে যাবো
যেদিন আপনার ল্যাভেন্ডার ফুলে আপনার অস্তিত্ব জন্ম নেবে।

Saturday, March 17, 2018

তুমুল বৃষ্টি

তুমুল বৃষ্টি
,,,,,,,,,ঋষি
★*****************-*******************************★
আমার শহরে সারারাত বৃষ্টি
বৃষ্টি মানে আকাশ ছাড়িয়ে মেঘের গভীরে অভিমান।
ঘুম আসে নি, ঘুম আসবে না জানি
চোখের পাতায় পর্ণমোচী বিষণ্ণতা,মনের ভিতর কলরব।
শুনতে পারবে না কেউ, কিন্তু আমার শহর জানে
এই বিষন্নতা শুধু তোর বুকে আমার নিয়মিত আদর।

অভিমান
বড় যত্নে রাখা পুরনো ডাইরীর পাতায় লুকোন শোক।
অজস্র মুখ,অজস্র সময়ের তুলির টান
হাতের আঙুল গলে ছড়িয়ে পড়ছে অন্ধকার।
সিলিঙ এ মুখ তুলে  চেয়ে দেখি কষ্টের দাগ,অজস্র শোক
চাওয়া না পাওয়া অভ্যস্ত জীবনে নিরাসক্ত বাঁচা।
শেষ ঘ্রাণ মিশে যায় বালুকনায়,আকাশের অবসরে
ফসিলের আওতায় দাগ ছেড়ে যাওয়া অজস্র স্পন্দন।
যারা স্টিল ফোটোগ্রাফে সাজানো হাসি মেখে
প্রথাগত ফিরে যায় রাতের কাছে নতজানু হয়ে।

আমার শহরে সারারাত বৃষ্টি
বৃষ্টি মানে আকাশের বুক চিরে নামতে থাকা শোক।
ঘুম আসে নি,ঘুম আসবে না জানি
শুধু মাথার ভিতর অনবরত শুকনো পাতাদের ভীড়।
জানতে পারবে না কেউ এই তুমুল বৃষ্টির মানে
বুকের জংলী আবদারে অনবরত তোর হেঁটে চলা।

Friday, March 16, 2018

সভ্য নাগরিক

সভ্য নাগরিক
,,,,,,,,,ঋষি
*****************************************************
যে অন্য আমিকে সকলে আবিষ্কার করতে চায়
সে তো মাটির নিচে শুয়ে কোন শুকিয়ে যাওয়া ফসিল।
যার চোখের তারায় বেঁচে থাকে চলন্তিকা
যার হৃদয়ের ভাঁজে চিৎকার করে সময়,,,,,, মৃত প্রতিবাদ।
প্রতিবাদ আটকে আছে গলার কাছে ক্যান্সারের মতো
তাই তো এই বেঁচে থাকায় কোন কম্পন নেই।

ডেসিবেলের নিচে শুয়ে একটা রাষ্ট্র,
একটা গোটা সমাজ কখন যেন বাজারী বেশ্যা হয়ে গেলো।
আর রাষ্ট্রপিতারা মুনাফায়
সময় শুধু আজ পার্টি ম্যাগাজিনে প্রতিবাদ আঁকে।
শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি নন্দন, একাডেমীতে রোমান্স করে
অথছ লেনিনকে ভেঙে,গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
সময় বলে সত্যি বলতে নেই,সমাজ বলে সত্যির গলায় পা
অথছ মানুষ বোঝে না,মানুষ চোখ ঘুরিয়ে নেয়
পথচলতি সময়কে ধড়ষন করে গলা টিপে হত্যা করতে দেখে।

বেশ্যা বিছানা বদল করে
পার্টি মাইকে শোনা যায় দিন বদলের রঙ।
রাজা আসে রাজা যায়,আসামী তবু কাঠগড়ায়
বেশ্যার গোঙানি শোনা যায় কিন্তু প্রতীবাদের গলা নয়।
জজ সাহেব টেবিল থাবড়ে আগামী শুনানির দিন ঘোষনা করে
আর মানুষ অভ্যস্ত সভ্য নাগরিকের ভুমিকায়।

তুই আমার বুকে বৃষ্টি

তুই আমার বুকে বৃষ্টি
,,,,,,, ঋষি
*****************-******************-***********-*****-
কোনদিন চলন্তিকা তোকে আমি বলবো
কিছু দূরত্ব পেরোনো যায় না ঠিক কিন্তু দূরত্ব কি সত্যি থাকে।
তুই বলবি দূরত্ব তো মাইলস্টোনের, দূরত্ব তো অভাব
স্পর্শের বাইরেই থেকে যাওয়া চাওয়া, পাওয়া,,,,নিছক অভাব।
যেমন  আকাশ কখনো মানুষকে ছুঁয়ে থাকে না
অথচ মানুষ কতো কাছের আকাশের।

একদিন একটা গোটা শহর যখন গরমে নাজেহাল
তুই আমাকে বলবি চল আগুনের উপর দিয়ে হাঁটি।
আমি হাসবো পাগলের মতো, বলবো
আগুন তো আমার বুকের ভিতর,যার দাবানলে ছত্রভঙ্গ সময়।
আকাশের বুকে একটা ধ্রুবতারা,অথচ লুকোনো
কিন্তু চলন্তিকা এ শহরের কিছু এসে যায় না,কারন শহর ব্যাস্ত।
তুই হাসবি,আমার বুক ঘেঁষে তোর ঠোঁট ছুঁয়ে যাবে
আমাকে কানে কানে বলবি "তোর বুকের সমস্ত আগুন আমার"
আমি চুপপপ।

কোনদিন তোকে আমি বলবো
তোর চোখে আমার স্বপ্ন,তোর চোখের কাজলে আমি থাকি।
তুই বলবি চোখ তো শুধু সময়ের,চোখ তো শুধু একলা
ইচ্ছা লেগে যাবে আমার আস্তিনে,আর চোখে একবিন্দু জল।
তোর কপালে চুমু খেয়ে বলবো
তোর জন্য আমি আকাশ হতে পারি,তুই আমার বুকে বৃষ্টি।

জলের জীবন

জলের জীবন
.........ঋষি
***********************************************
জানিস চলন্তিকা কাল আবার সেই স্বপ্নটা দেখলাম
জলের হাজার মাইল নীচে শুয়ে আছি আমি মৃতদেহ।
অজস্র সময়ের ঝরনায় তুই আর আমি
অনেক খুঁজেছি জলের চোখে জীবন দিয়ে জলের কবিতায়,, তুই।
বাঁচার পরে সত্যি কি আমার মৃতদেহ আরো বেশি বেঁচে স্রোতের অনেক নীচে
কিন্তু তুই ছাড়া ঘনঘোর শ্যাওলার স্বপ্নের  মজঝিম আমি মৃতদেহ।

ভাবতে পারছিলাম কই
শুয়ে আছি, জলের ভিতরে জলের ঘাম ঝরে পড়ছে।
ভুলছিলাম কই তোর যোনিদেশে, খুব প্রিয় সঙ্গম
একদিন যেভাবে ঘাম হয়ে মিশে যায় নিরালা কোন দিনে।
যেভাবে সমস্ত তোর কথারা কখন যেন কবিতা বলে
বুকের ভিতর জমানো রক্তফোঁটা  আসলে শুধু তুই।
ঘুম ভেঙে গেলো
রাতের ভিতরে হাতের দশটি আঙুল ঢুকিয়ে দেখি কামনাময় রেত।
আসলে জলের নীচে শুয়ে যে শরীর সে শুধু মৃতদেহ
আর এই জন্মে আলো হয়ে একসাথে ... আমাদের মৃত দেহ।

আমাদের মৃত দেহ, চলন্তিকা আর আমি
তবু স্বপ্নের ভিতর হাজারো সাপ আমাকে জড়িয়ে ধরছে।
রঙিন মাছেরা খুঁটে খাচ্ছে আমার মৃত শব
জীবন তো আসলে অনেক রঙিন,শুধু অন্ধকার জলের তলায় আমি।
জলের নীচে জলহীন, আমার চোখে,আমার সুখে
যত জড়ানো  ম্যাজিকের দিন, হাজার মহাকাল তলে একসাথে আমরা।

Thursday, March 15, 2018

বৃষ্টি সংবাদ

বৃষ্টি সংবাদ
,,,,,,,,ঋষি
*********************************************
যে অস্তিত্ব কাল পাহাড়ের মতো একলা দাঁড়য়ে
ঝড় সামলাছিল,
আড্ডা মারছিল আকাশের সাথে গত হওয়া বৃষ্টিকে নিয়ে,
সে আর নেই।
বলা নেই কওয়া নেই, সময় পাঠালো তাকে আচমকা হাতচিরকুট,
বদলে যাও বাছা,বদলানো নিয়ম।
,
গোধূলির আলোতে দেখা বৃষ্টি সংবাদ
মিলিয়ে যাওয়া মেঘেরা  রাতের কালোতে অদৃশ্য কাহিনী।
অস্তিত্ব  বদলাচ্ছিল
আলোর থেকে আরও বেশি কিছু,ঢেউহীন  অনন্ত স্বপ্নের গভীরে
যার পরে আর কিছু নেই ।
শুধু ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি ফোঁটা,মন ভেজা আসবাবপত্র
তবু নিয়মিত অনিয়ম।
,
সময়ের চিরকুট পড়ে বৃষ্টি পাগল অস্তিত্ব  আকাশকে বললো,
এইটুকু মনে রাখিস, কেউ তোকে স্পর্ধা করেছিলো ছোঁয়ার।
আকাশ দুঃখ প্রকাশ করলো
সময় দিয়ে রাঙিয়ে দিলো অস্তিত্বকে জীবনের ঘামে,অন্য নামে।
তারপর ফিসফিস করে বললো, ‘ বৃষ্টি শুধু তোমার নয় সকলের
অস্তিত্ব  দেখতে দেখতে মিলিয়ে গেলো সময়ে।
,
সময় যথারীতি দুহাতে জাপ্টে ধরলো অস্তিত্বকে
আকাশ অনেকক্ষণ চেয়ে রইলো তার যাওয়ার দিকে, তারপর লুকোনো  মেঘেদের বললো
দে বৃষ্টি ঝেঁপে,,,,,,,,
চারদিক কালো করে খুব বৃষ্টি নামলো, আর অস্তিত্ব একা
কিন্তু তারপর থেকে যখনি বৃষ্টি নামে,,,,বৃষ্টি সেও ভীষন একা।

Wednesday, March 14, 2018

মনখারাপের ডাইরি

মনখারাপের ডাইরি
,,,,,,,,ঋষি
*****************************************************
সিঁথি ভরে গাঢ় লাল রঙের সিঁদুর,হাতের শাঁখারা কথা বলে
বেনারসি শাড়ী,একটা হাত,দুটি হাত,হাতে হাত,ক্রমশ আরও।
চৌকাঠ পেরিয়েছিলে একদম ঠিকঠাক সংসার, গোছানো
অনেক বছর পর..বুকের  ভিতর তৃষ্ণা,তারপর মরুভুমি।
এখন..ও,,,,,কখনো,,,কখনো ভুল হয়
সত্যি একটা জীবন এমনি কেটে যায়।
জীবন শব্দটার মাটি জরিপ করে বুঝি,আসলে একটা স্বপ্ন
ক্লান্ত হয়ে হারাতে হারাতে ঘুমিয়ে পরে।
,
রাত আড়াইটের সময় একটা কুকুর ঘৌ করে ডাকবে
ঘুম ভাঙবে তোমার,আমার।
না ঘুমোনো কোকিল রাত্রি চিরে কুহু ডাকবে
পৃথিবী কতটা নিশ্চুপ এই সময় বোঝা যাবে,বুঝবে আমরা কতো বোবা।
এতগুলো বছর পর অনুভবে স্বপ্নের হাতছানি
সত্যি কতো কমদামী আমরা।
চৈত্রের বোবা বাতাসে তখন ফিসফিস সংলাপ
আদতে এই সংলাপে  লুকোনো বাঁচা।
,
এরপর তোমার লাল সিঁদুর,বেনারসি শাড়ী, হাতের শাঁখারা
খুলে বসবে মনখারাপের ডাইরি।
তাতে লেখা হবে আমি এখনো এই পৃথিবীতেই থাকি
ভাঙা খেলনারা তো আলাদা করে খেলাঘরে যায়না।
আমার রাতে ঘুম আসেনা,
আমার শরীরে আর কোনো হলুদ ফুল ফোটেনা।
দিনের বেলা রাত্রি ভেবে ঘুমিয়ে পড়ি
আর  তোমার স্বপ্নিল আদর,গন্ধ আমাকে ঘুম পাড়িয়ে দেয়।

Tuesday, March 6, 2018

অহং

অহং
,,,,,ঋষি
-------+-------+-------+--------+--------+--------+------+-------
আমার মৃত্যু তোমায় জড়িয়ে তোলা থাক
কারন আমার বাঁচা অনেকটা বাকী।
আমার চাবি হারানোর সাহস তোমার জন্য থাক
আমি, তুমি হাঁটি যেন পাশাপাশি কবিতায়।
যদি সময় ফুরিয়ে অসময় আসে
চলন্তিকা আমার কবিতা জীবিত,তোমার প্রেমে।

তুমি বল অহং
আমি জানি আমার মৃত্যুর শোকে ধংসস্থুপ আয়না।
আয়নার কুচি কুচি কাঁচ
তোমার কাছ থেকে শেখা আগুন পাড়িয়ে হাঁটা।
তবু জানতে ইচ্ছে হয়
হে সভ্যতা,প্রেম কি শুধু চাবি হারানোর খেলা?
চলন্তিকা তবু জানতে ইচ্ছে হয়
আমার ঠোঁটে লেগে থাকা আগুন তা কি শুধু নীরবতা?
শুনতে পারছো চিৎকার,
নৃসিংহদেবের মত সময় আমার বুক চিরে শুষে নিচ্ছে,
ছিনিয়ে নিতে চাইছে অধিকার।

আমার মৃত্যু অসম্ভব যতক্ষন তুমি
আর অহং, তা শুধু গড়িয়ে নামা আমার জন্মজ পাপ।
আমার হারিয়ে যাওয়া চাবি জানি তোমার কাছে
আর সাহস তোমাকে তোমাকে জড়িয়ে আগামীর জন্মের।
তবুও যদি সময় ফুরিয়ে যায়
একটু দম দিয়ে দিও,চাবিটা তো আছে তোমার কাছে।

মন খারাপের গল্প

মন খারাপের গল্প
.........ঋষি
........................................................................
ঘুমন্ত শহরের বুকে আলো নিভে যাচ্ছে
অন্য আমি ...।
নিজস্ব আয়নায় আজকাল পাচ্ছি না খুঁজে কোন অনুরণন
চলন্তিকা মন খারাপ।
চেনা প্রহরের দিকে, কয়েকশো চেনা ক্যানভাসে ঢুকে যাচ্ছে অন্ধকার রাত
যেখানে সব রঙের উর্ধে, শুধু ডুবে থাকা স্বপ্নে।

চলন্তিকা বালিকা বেলা
সামনে সকালে সুরজকা সাতমা ঘোড়া,নতুন জীবন।
আজকাল কবিতারা কথা হয়ে গেছে
আজকাল কথারা তোমার শহরে হারিয়ে যাওয়া মুসাফির।
আর আমি মাটির তলায় শুয়ে বুঝতে পারে অনবরত না বলা
বুঝতে পারি সময়ের যোগফলে কিছু আমি শুধু শহরের গল্প।
ঢাল, তলোয়ারহীন নিধিরাম ভেবেছিল কিছু তো আছে বাঁচা
বাকী লুকোনো সব মনখারাপের গল্প।

ঘুমন্ত শহরের বুকে আলোরা আর কিছুক্ষন
অন্য তুমি.....চলন্তিকা।
তোমার আয়নায় চোখের কাজল,ঠোঁটের লিপস্টিক
লুকোনো  কষ্ট, মন খারাপ।
অচেনা প্রহরের দিকে,হাজারো তুবড়ির ফুলকি সাক্ষী
তোমার হাঁপিয়ে ওঠা আমার কাছে অচেনা।

Monday, March 5, 2018

ব্যাস্ত শহর

ব্যাস্ত শহর
,,,,  ঋষি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,  ,  ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,  ,,, 
বিকলাঙ্গ একটা দিন
স্থবির বৃদ্ধের পাথুরে ঘষা যন্ত্রনা।
শেষ আটচল্লিশ ঘন্টায়, পঞ্চাশবার তোকে মনে করার পর
উপনীত উপপাদ্য হাতের মুঠোফোনের ওপাড়ে শোনা ব্যস্ততা।
শহরগুলো ব্যাস্ত হতে হতে
কখন যেন আমার বুকে তোর দাঁতের দাগ।

মন্থনে উঠে আসা বিষ
আমার কবিতায় জন্মোজ প্রতীক্ষা,খুব রিয়ালেস্টিক সুর
যখন নীরবে, দূরে দাঁড়াও এসে,
যাচ্ছেতাই গলার কাছে আটকে গেছে রক্ত,চিৎকার।
চুপ, সামাজিক
তবু শেষ আটচল্লিশ ঘন্টায় পঞ্চাশবার তুই।
উপর থেকে দেখা,দেবতার চোখ কাটতে থাকা সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা
কিন্তু তারপর দেবতা টিকটিকির মত ডেকে ওঠে।
দেওয়াল বায়,মনের দেওয়ালে অক্সিজেন ফ্লেবার
আর বাইরে আমার হাতে প্রচুর কালি,মুখে রক্ত।

বিকলাঙ্গ একটা দিন
স্থবির বৃদ্ধের খিদের প্রলাপ দেবতার নামে যদি কিছু।
শেষ আটচল্লিশ ঘন্টায় পঞ্চাশবার তোকে মিস করার পর
ভুল উপপাদ্য,শুন্যতে শুন্য,তবু মুঠোফোনে চোখ,অন্তর দাহ্য।
শহরগুলো ব্যাস্ত খুব
কিন্তু তোর কাজল চোখে থেবড়ানো কালি।

Sunday, March 4, 2018

ডুবসাঁতারের কবিতা

ডুবসাঁতারের কবিতা
,,,,,ঋষি
.................................................................
এই যে কবিতা
যাকে তুমি অক্লেশে পান করে নেশাগ্রস্থ হও,
যার বুকে মাথা রেখে ডুবে যায় তোমার রমনীয়  রমণ সুখ,
তাকে একবার সহ্য করে দেখো
নেশাগ্রস্ত মৃত্যু।

অক্লেশে খুলে পরা বুকের কাপড়
তোমার বুকের ডানদিকে তিলটা সজাগ প্রতি চুমুকে।
নির্ভেজাল বেণীমাধব তোমার বাড়ি যাবো
একাকী আলিঙ্গনে চেপে ধরবো সহ্য,অসহ্য একাকী।
মানিয়ে যায় আখরোট ঠোঁট, মানানো  তোয়ালের ঘাম
হাতের আঙুলে লেগে সুখের ক্রনিকাল ক্রিম।

যুদ্ধ গুনতে গুনতে ক্রুদ্ধ হয়ে উঠছে তিন পুরুষের পুরুষাঙ্গ
অচল ভবিষ্য সাক্ষী থাকবে।
দু একটা মুহুর্মুহু আস্পর্ধা
জানি আমায় দিয়ে দাঁড়াবে না,তবু নেড়ে ঘেঁটে  চেষ্টা, বিফল সাইক্লোন।
মন খারাপের গল্পগুলো তোমার রেলিঙ ধরে ধ্রুপদী ছন্দে
একবার নয়,নয় দুবার,একডজনের গল্প।

একটা দিনের ভেতর ঢুকে যায় গোটা রাত্রি
এক স্টেশন থেকে নাম না জানা গন্তব্য।
কাদা জল মেখে গায়ে গতরে দুধ উথলে উঠে, আমার দুইহাতে মাইল ফলক।
মাতাল নদী ফুসলে ওঠে নৌকোর মাঝি দাঁড় টানে।
ঘাড়ের কাছে আবহাওয়ার খবর বৃষ্টি  আসছে।
কলকাতার কলেজস্ট্রীট এক বুক জল, ডুবসাঁতারের কবিতা
মাথায় ঝরঝর বৃষ্টি,ঘামজল গড়িয়ে নামে।

এই যে কবিতা
যাকে তুমি নিত্য পান করে তৃষিত হয়ে ওঠো।
যার নেশায় তুমি বুঝতে চেষ্টা করো সময়ের চিৎকার
তাকে একবার সহ্য করে দেখো,দেখবে
তুমিও ঠিক আমারি মতো আদিম

দুসরা দুনিয়া

দুসরা দুনিয়া
,,,,,,,,ঋষি
.....................................................................
আমরা দুজন প্রেমিক
একজন নাভিঃ শব্দে ভুলে যায় ঘুরতে যাবার কথা।
অন্যজন চেয়ে থাকে আকাশের দিকে
আকাশ থেকে নেমে আসে চিল,চোখ তুলে নিতে চায়।

শব্দ আসে,শব্দ যায়
আকাশ গভীর হতে হতে হারিয়ে যায়,নিঃসহায়।
একজন একমনে আঁকে প্রেমিকার মুখ
অন্যজন নিজের আয়নায় খুঁজে পায় জীবনের গভীর প্রেম।
একজন শুধু বয়ে চলা ক্লান্ত পথ
অন্যজন পথিক,পথের খোঁজ,শেষ শব্দে স্পন্দন চুমু।
শব্দের ভীড়,ঠাসা জনপদ
ক্লান্ত পথ মুখ থুবড়ে পড়ে,অন্যজন যেন আকাশ,চিলের চোখ।
জীবনের প্রেম,বাঁচার তাগিদ,একশো কোটি দেবতা
সেখানে চিল?

আমরা দুজন প্রেমিক
দুটো পথ,আলাদা আয়নায় দেখা নিজের অন্য মুখ।
আমার প্যাকিং শেষ,যাত্রা শুরু
চিলের চোখে দেখা দুসরা দুনিয়া।

যদি তোমাকে


যদি তোমাকে
,,,,,,ঋষি
...................................................................
আমার কোন গন্তব্য নেই
শুধুই পরে থাকা পথ,আসলে আমার কোন পথও নেই।
আমার কোন শহর নেই
শুধু শহরের বাসিন্দা আমি,বন্ধ জানলা দরজা,এক চিলতে ঘর।
আমার কোন ঘর নেই
শুধু ঘরের মতো দেখতে এই জীবন,পথ চলা।

যতটুকু থেমে থাকা, যতটুকু ভালোবাসা
কেবল চলার পথে উত্তাপের খোঁজ।
প্রতিদিন চোখ পড়ে দুপুর-উদাসী জানালাতে
কাজল টানা চোখ, পৌরুষের ভিটে,তুমি একা, বড় একা।
সামনে রৌদ্রমাখা পথ, বসন্তের উত্তাপে সেঁকতে থাকা জীবন
একলা দাঁড়ান রোদে।
তোমার জানলা জুড়ে কবিতার নির্যাস
তোমার জানলা ডাকে,ডাকে নাম না জানা নীল পাখিটা।
তোমার শহর বলে, কাছে এসো,পথ মিশে যেতে চায়
নীল পাখিটা ডেকে ওঠে।

আমার গন্তব্য নেই, আজ কেন কখনো ছিল না
তবু আমি তোমার দরজায় দু দন্ড দাঁড়াই,ঘড়ির কাঁটা।
সরতে থাকা নরম কিছু মায়া,টিক টিক কানের কাছে
অসহ্য একলা দুপুর তারপর  মায়াবী বিকেল।
শহরের অলি গলি যত
আমি পথ খুঁজি, খুঁজি ঘর,যদি পাই তোমাকে।

Friday, March 2, 2018

আমার আকাশ

আমার আকাশ
,,,,,,,,ঋষি
**********************-*******************
চলন্তিকা তুমি আকাশ হতে পারো?
হতে পারো না গভীর কোন রঙিন নক্ষত্র অন্ধকার রাতে।
সামনে পরে আছে রঙিন স্নানঘর
তোমার ত্বকের সে নতুন ঘ্রাণ, সুস্বাদু স্বেদ, সেইসব মদিরা বসন্ত আহা।
স্নানঘরে যত রঙ ধুয়েছিলে
যেন বর্ণিল , যেন ফিরে আসা বসন্তের আমন্ত্রন।

বিপন্ন আমার রঙঋতু
বিপন্ন মানবিকতার আয়নায় অন্য মানুষ।
আকাশের নক্ষত্র ফুল যদি বৃষ্টি হয়ে নেমে আসে মধ্যরাতে
আমি তুলি ধরে আকাশ আঁকতে ব্যাস্ত তখন।
আমার আদরের ক্ষত, তোমার শাঁওতালী নাচ
সুরের তালে পুড়ে যাওয়া ন্যাড়া পোড়া সেই আদরের ঘর।
মাটির ঘ্রান,রবি ঠাকুরের গান
লিখতে পারি নি উপস্থিতি,আকাশের নক্ষত্র স্পন্দন।
শব্দরা বিলকুল ছেড়ে চলে গেলে, আর কি পড়ে থাকে
মনে পড়ে স্মৃতির  আরাধনা চলন্তিকা।
আবিরের আদরের , শরীরের অববাহিকায় বসন্তের সুখ
কিছু তবু পড়ে থাকে অনুভূতি।

চলন্তিকা তুমি আদর হতে পারো
হতে পারো না কোন আগামী নক্ষত্রে লাল,নীল ফাগের রঙ।
বসন্তের কুহু, নিস্তব্ধ লাল পলাশে ঢাকা পথ
তুমি পথ চলেছো, পাশে আমি।
আর কিছু নয়, নতুন রঙ, নক্ষত্রখচিত আকাশ
অনুভবে হেরে যাওয়া সব অনুভব, আমার আকাশ।

.একটা কবিতা আমি তুমি

আমার কবিতা পেলেই আমি তুমি হয়ে যাই তোমার মতো আটপৌরে শাড়ি পরি, হাতে কলম কোমড়ে আঁচলটা গুঁজে তোমার মতো উনুনে আঁচ দি  হাঁড়িতে পরিমাণ মত শব্দ, জল...