Wednesday, January 30, 2019

ঈশ্বরমুখী


ঈশ্বরমুখী
.......... ঋষি
============================================
তুমি যখন গল্পের ছলে সময় বলো
আমি ক্লান্ত শিশু তোমার স্তনে ঠোঁট রেখে ঈশ্বরমুখী।
তুমি যখন স্বার্থপর বলো তখন  আমার বুকে জল গড়ায়
আমি ভিজে যায় সময়ের যন্ত্রনায়।
তুমি যখন আদর করে মাথার চুলে আঁকিবুকি কাটো
আমার মনে হয় এই তো সময়।
.
সবজান্তা সময়
শুধু কখন যেন  হয়ে দাঁড়িয়ে পরে তোমার জানলায়।
এলোমেলো একটা স্পর্শ ছুঁয়ে যায়
বাতাসে তখন গর্ভবতী হাসনুহানা থেকে মধু রঙের আলো।
চুঁয়ে নামে
আমার স্পর্শ ছুঁয়ে তোমার গন্ধ সময়ের গায়ে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী যখন দূরত্ব নির্ভরশীলতা
রাস্তায় একলা পথে তখন বিষন্নতা।
 চিরুনির দাঁতের মত লম্বা লম্বা  লাইটপোস্টের আলো
পিন হয়ে ফুটিয়ে চলে সময়ের গায়ে ।
সময় তখন ভীষণ নগ্ন
আমার পায়ের পাতা এলোমেলো,ঠিক তোমার মতো ।
সাজানো সিমেন্টের ব্লক; ভিজে চকচকে; পিচরাস্তা
শহরের  ট্যানড্‌  চামড়ায় অন্যমস্কতার ভিড় ।
.
তুমি যখন গল্পের মতো আমাকে জড়িয়ে থাকো
তখন আমি যেন ঈশ্বরের দরজায় অনবরত ঘন্টা বাজিয়ে চলি।
তুমি যখন আমাকে অভিমানে ক্ষতবিক্ষত করো
আকাশ থেকে তখন নেমে আসে দেবদূত।
সময়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে এগিয়ে চলে অধিকারের দিকে
কিন্তু তুমি যে সর্বত্র জুড়ে তখনও।   

কুছ না কহো

কুছ না কহো
..............  ঋষি
===========================================
পুরোনো কবিতার ছেঁড়া পাতা
এলোমেলো ভাবনা ,শুধু দরাজ হাসি ,উত্তরের হাওয়া।
জ্যাকেটের গায়ে পুরোনো শিমুলের ধ্বংসাশেষ
গল্পগুলো এমনি নিরিবিলি আনমোনা।
স্মৃতির পাথরে বসে জ্যাকেটের পকেটে হাত ঢোকানো
নিজেকে জড়ানো পেটের কাছে উষ্ণতায়।
..
অভ্যাস
অনবরত শব্দ যন্ত্রনা যখন কবিতায়।
প্রেম চুল এলোমেলো করে মনে করিয়ে যায়
মুহূর্ত ,গভীরতায়।
......................... কুছ  না কহো ,কুছ  ভি না কহো
লম্বা ড্রপসিন নেমে আসে চোখের আলোতে।
আলো নির্ভর জীবন
যেন কোনো ট্রেনের জানলার  ধারে সিট্
আর সরতে থাকা সময়।
এলোমেলো হাওয়া তোমার স্পর্শ ছুঁয়ে
কখন যেন খুব একার।
.
কবিতা এলোমেলো বয়ে যাওয়া
ব্যস্ত মহানগরে লুকোনো অনন্ত গল্পের সব হাসছে।
গতরাতে চাঁদে পাওয়া চন্দ্রমল্লিকা আজ সূর্য মল্লিকের ঘরে
রোদ ও হাওয়ার ,কনকনে উত্তরের আদর ।
হাওয়াদের ছেলেমেয়েগুলো ঝরাপাতা নিয়ে খেলে
হলুদ পাতার সাথে উড়ে যায় মানুষের মন।  

Friday, January 25, 2019

আকাঙ্ক্ষায় প্রেম




আকাঙ্ক্ষায় প্রেম
....ঋষি
============================================
অনতিদীর্ঘ এক বারান্দায় পায়চারিরত প্রেম
নির্ভরশীল রেলিঙে দিয়ে উঁকি মারা আকাশ।
আসলে এই  পৃথিবীর ভার হলো প্রেম
একাকিত্বের চাপের নিচে ,অসন্তোষের বোঝার নিচে
ক্রমশঃ পাষান ,
অথচ আমরা আকাশ দেখতে ভালোবাসি।
.
কে অস্বীকার করতে পারে
স্বপ্নে প্রেম শরীর স্পর্শ করতে চায় আরো গভীরে।
চিন্তায় অলৌকিকতায় প্রেম ধরা দেয়
যেন অন্য পৃথিবী।
 কল্পনায় মানুষকে ব্যথিত  করে,হৃদয় পেরিয়ে
পুড়ে চলা সময়  শুদ্ধি অর্জনে,কারণ জীবনের নির্ভরশীলতা প্রেম।
কিন্তু আমরা এই ভার ক্রমশ  ক্লান্তিকর,
তাই বিশ্রাম চায় সময়।
ভালোবাসার সমান্তরাল পথে বিশ্রাম নিতেই হয়,
প্রেমের হাতে সমর্পণে।
.
অনতিদীর্ঘ এক বারান্দার উপর পায়চারিরত প্রেম
রেলিঙের বাইরে দাঁড়ানো আত্মারা নির্ভরশীল।
প্রেম ব্যতিক্রম নেই কোনও স্থিরতা ,
প্রেমের স্বপ্ন ছাড়া  নিদ্রাহীনতা, উন্মাদ এই সময়।
দেবদূতদের নিয়ে অন্ধকার আবৃত রাতপরী ,
অন্তিম আকাঙ্ক্ষায় প্রেম।

Thursday, January 24, 2019

ছকবন্দী খেলা


ছকবন্দী খেলা
....ঋষি
===========================================
জীবনের বিরক্তিগুলো সময়ের ফুটেজে
আজকাল দাগ টেনে যায়।
সময় পেরিয়ে পালাবার লোভ সব ছকবন্দী খেলা
মিথ্যা হারানোর শোক।
মিথ্যা জীবনের দিনলিপি ,কটূক্তি সামাজিকতায় নির্ভরশীলতা
ভাঙা কবিতার ছত্রে ,অজস্র রক্ত ক্ষরণ।
.
মধ্যস্থতায় জীবন
কাঁচের দেওয়ালে ঘষে যাওয়া স্বভাব।
অজস্র সরতে  থাকা মুখ ,বদলানো সম্পর্কের রিমিকি দেমাক
জীবন সত্বায় চিতাকাঠ।
সব মিথ্যা বোধহয় ,অজস্র খননে শ্রমিকের দগ্ধ যন্ত্রনা
সামাজিক চলচিত্রে শুধু আহা ,উহু।
সত্যির উপর দাঁড়িয়ে অতিক্রান্ত ভিটে মাটি
আবারো একাকী দাঁড়িয়ে।
আকাশে চাঁদের মুখ ,আমার প্রিয় নারী
ভুল করে এঁকে ফেলা খানিকের বোঝাবুঝি ,বোঝা এখন।
আর আকাশের চাঁদে লেগে যাওয়া
দাগ টানা কালি।
.
জীবনের বিরক্তিগুলো সময়ের ফুটেজে
আবারও তথাস্তু জীবন।
সময় ভাঙা নিরিবিলি রক্ত ,মাংস খুঁড়ে আত্মার আত্মিকতা
মিথ্যা যখন।
আমি দাঁড়িয়ে ক্লান্ত কোনো সামাজিকতায় সময়ের দরজায়
দিশাহারা নির্ভরশীলতায়।

আমার কবিতা

আমার কবিতা
......... ঋষি
==================================================
হঠাৎ অন্ধকার ঘরে আমি আর আমার আত্মীয়রা
সকলের হাত পিছ মোড়া করে বাঁধা।
আমার হাতে কলম
সময় আমাকে প্রশ্ন করে ,এ কি ,তুমি কবি হয়ে মানুষ মারবে  ?
আমার অন্তরাত্মা চিৎকার করে চাপা গলায়
মানুষ খুঁজে পাচ্ছি কই। স্বার্থপর  সব।
.
তারপর আলো জ্বলে
আমার সামনে আমার আত্মজ ,আমার প্রিয় সময় ,প্রিয় নারী।
হঠাৎ এক শয়তানি বুদ্ধি আমার মাথায়
সকলকে এগিয়ে দি একটা করে সাদা পাতা ,বলি কবিতা লিখতে।
আমিও লিখতে থাকি টানলের কবিতা
আমার পালাবার কবিতা।
টাইম এন্ড ,সকলের হাত থেকে টেনে নি কবিতার পাতা
এক এক করে পড়তে থাকি।
আমার সন্তানের লেখায় শুধু আঁকড়ানো আঙ্গুল
জীবনের পাতায় শুধু আগুনের কবিতা।
প্রিয় নারীটি কবিতায় শুধু গুঁটি ভাঙা প্রজাপতি স্বপ্ন
আর সময়ের কবিতায় বয়ে চলা।
আর আমার কবিতা
শুধু পালানোর ফিকির।
.
আমি এক এক করে সকলের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়
প্রশ্ন করি কবিতা মানে কি।
সকলের উত্তর একটাই ,কবিতা শুধু যন্ত্রনা
আর কবিতার জন্ম সে হলো সময়।
আমি চিৎকার করি আমি কেন কবিতা লিখি
শুধু সময় মুচকি হেসে সরে যায়।

আদিম শোক

আদিম শোক
........... ঋষি
==========================================
সাতশ কোটি মানুষ একসাথে কাঁদছে
অদ্ভুত  এক বদহজমের  শঙ্খসুরে ডুবে যাচ্ছে  পৃথিবী।
 ডুবে যাচ্ছে  জন্মপিতা আদমের শোক
আর মাতা ইভের গর্ভে ক্রমাগত জন্ম নিচ্ছে আদিম পাপ।
লেখাটা ঠিক এইভাবে শুরু হলে বেশ হতো
কিন্তু হলো না বৃদ্ধ আদম ,ইভ এখন শুধু কাঁদতে পারে।
.
পড়ার টেবিলে একগ্লাস জল
ভাবনার সমান তালে পৃথিবী এগোচ্ছে ভাইরালের দিকে।
ক্রমাগত কোঁকাচ্ছে মেয়েটা
একের পর এক হিংস্র পুরুষ ঝাঁপিয়ে পড়ছে।
যে আব্রু জন্ম শহরের জন্ম দাগ
ক্রমাগত জোর করে লুঠ করে চলেছে ইভের সন্তানরা।
আমি স্তব্ধ ,পৃথিবী স্তব্ধ ,সাতশো কোটি স্তব্ধ
শুধু মেয়েটার গোঙানির শব্দ।
রক্তে ভেসে যাচ্ছে মাটি ,উরুর মাঝে মুখ লুকোচ্ছে পৃথিবী
আর সময় দুষছে পিতার বীর্যকে।
.
 চোখ সইয়ে আনি ভাইরাল থেকে
জলের কাঁচের গ্লাসটির দিকে আমি গভীর মনোযোগ দি। 
গ্লাসের ওই জলটুকুর ভিতর সমাচ্ছন্ন হয়ে যাই
শরীর কাঁপিয়ে জ্বর আসে।
মোবাইল থেকে তোলা ভাইরাল
কাঁপা কাঁপা, ঘোলাটে, দীর্ঘ একটি ধর্ষণের  ভিডিও চলছে।

Sili hawa chhu gayi.....

Sili hawa chhu gayi
Sila badan chhil gaya........
.
যেমন কুয়াশা লেগে থাকে গায়ে
যেমন অনবরত জীবন যাপন তোমার অস্ফুট চাহুনি।
ছুঁয়ে যায় ক্রমাগত কিছু বাঁচা
সমুদ্রের ওপাশে তোমার চোখের মাঝে  নীরবতা ,
আমি শুনতে পাই ক্রমাগত
সমুদ্রের শব্দ।
.
শব্দরা সব এমনি হয়
কখনো কবিতার পাতায় ,আমার বদলানো প্রেমিকার ম্যানিফেষ্টো।
কবিতার প্যামফ্লেটগুলো স্বপ্ন ছুঁয়ে প্রেম
প্রেম শব্দটা বদলাতে বদলাতে কখন যেন স্পর্শ হয়ে যায়।
স্পর্শ জুড়ে বাঁচা
অনুভবে সমুদ্রের গভীর ঢেউ।
আর হয়তো দেখা হবে না কোনোদিন আকাশ ,সমুদ্র সাঁঝে
রঙ মহলে জমবে না মোমবাতির কালো।
তবে সৃষ্টি হবে প্রেম
যেমন আজ ,কাল ,পরশু আর তুমি।
.
যেমন কুয়াশা লেগে থাকে ঘুম ভাঙ্গায়
দূরে কোথাও উঁকি মারে সেই পাহাড়ের দিনগুলো।
পাহাড়ি ঢেউগুলো ,সমুদ্রের সাথে মেশা
তোমার চোখে লুকোনো ইচ্ছাদের আমি ছুঁয়ে যায়।
তাইতো মনে পরে তোমাকে
অচেনা বেলায়।   

স্পর্ধা

স্পর্ধা
................ ঋষি
================================================
২৪ সে জানুয়ারি
কিছু মহান নয় ,কিন্তু বড় দুর্বল দিন আমার কাছে।
এই দিনটা থেকে অদূরে সেই শুকনো পাতা ঝরা পথটা দেখা যায়
দেখা যায় কিছু অনিয়মিত পদচারণা চেতনায়।
ফিরে আসতে হয়
দূরে জায়েজ অন্ত্ৰছায়ায় অনবরত বমিভাব।
.
হরিতকি মুখে দি ,একটু লবঙ্গ
মাথা ছিঁড়ে পরে যাওয়ার জোগাড় ,রাতের অতৃপ্ত ঘুম।
কিছুই স্থির নয়
অস্থির পদচারণায় ভাঙ্গতে থাকি তোমার আসবাব।
ফিরে আসতে হয়
কবিতার পাতায় উড়ে যায় কাগজের এরোপ্লেন,
ছেলে ভোলানো দিন।
চুপ করে ভাবি হঠাৎ দুঃখগুলো চেপে ধরে
অনিয়মিত চুক্তি।
বুকের স্পর্ধা ,দেওয়াল ভাঙার লোভ ,বাঁচার আগুন
বুকের আকুতি সব ছড়িয়ে আছে আমার চারপাশে।
.
২৪ সে জানুয়ারি
পৃথিবী আজ থেকে বৃহত্তর জ্যোতির্ময় আমার কাছে।
এই দিনটার অদূরে শুনতে পাই প্রিয় কণ্ঠ ,প্রিয় নারী
উতলে ওঠে বুকের বাঁধনভাঙা ঢেউ।
ফিরে আসতে হয় ঢেউ ভেঙে নিজের কাছে
কারণ সুখ তৃষ্ণা অসুখ তৃষ্ণা অগ্নি তৃষ্ণা অধর তৃষ্ণা।

এস্যাইলাম

এস্যাইলাম
........ ঋষি
===========================================
জায়গা বদলে দাঁড়ালাম
এতদিন আন্দাজ করেছি তোমার পাললিক ঠিকানা।
বুকের পাথর ভাঙার লোভ
ঈশ্বর বিশ্বাসি স্বত্বারা ।
ঐশ্বরিক প্রলেপ
আজকাল তোমাকে ছুঁতে পারি না চলন্তিকা।
.
বহুদূর ,দূরে উড়তে থাকা সমস্যারা
খুব কাছ থেকে নিজেদের বাড়তে থাকা দূরত্বরা।
 দরজা খুঁজে পাচ্ছি না, কেবল এস্যাইলামের দরজা খুলে যাচ্ছে
জ্বর ঠোস মুখে তিতো খুব সম্পর্ক।প্রজাপতি উড়ছে।
 ঠিক দেখতে কেমন স্বপ্নের দিনগুলো ,বসন্তের দিনযাপন
একটু সময় করে বলে যেও চলন্তিকা।
ভালো থাকাটা অভ্যাস
স্বপ্নের ভিতর রবীন্দ্রসংগীত ,তোমার শেষ তোলা গানটা।
অন্যমনস্কতায় ফুটে উঠছে যাপন। .জীবিত।
ফুটে উঠছে ঠোঁটে;অস্পষ্ট ক্ষীণ হতে থাকা গলার স্বর
ভালো থেকো চলন্তিকা।
.
জায়গা বদলে দাঁড়ালাম
পঞ্চরিপুর সবকটাকে সেলাই করে ঠোঁট বন্ধ।
মুখে  চেপে ধরছি  হেডফোন
আমাদের ফোনালাপ ছিটকে আসছে বিরক্তি।
ঐশ্বরিক প্রলেপ
তুমি সেই ধীর ,স্থির ,স্বল্পভাষী  কানে আঙুল রেখেছ।

Saturday, January 19, 2019

সবুজ

সবুজ
............ ঋষি
=========================================
সমস্ত অধিকারে আজকাল রোদ এসে পরে
বিকেল আসে ক্লিন বোল্ড আমি।
তুমি ডেকেছিলে চলন্তিকা ?
সেই ডাক তোলপাড় করে সময়ের গভীরে কোলাহল ।
উত্তপ্ত রোদে ঠোঁট কাঁপে ,প্রাণ  ছোঁয়ার আকুতি
 ভাষা নেই আর তৃষ্ণা  ,শুধু সংশ্লেষে সবুজ।
..
আমি উপস্থিতির ঘুম ভাঙাই
জীবিত করি আমার মানুষসত্তা।
তারপর অস্পষ্ট স্বরলিপি ,মানুষ মাত্র মৃত্যুশীল
ক্রিয়াগুলি শুধু  চড়ুই পাখি,ফুড়ুৎ ফুড়ুৎ।
নগ্ন হয়েই সকলে আসে এখানে
তারপর লজ্জা ,নিরিবিলি  স্নানের প্রশ্রয়ে উদাসীনতা
নগ্নতাই থেকে যায় ,বুকের ভিতর ,মৃত্যু লোভ।
ধামসা মাদলের তালে ইচ্ছাগুলো ধ্যানমগ্ন
স্বভাব  ছুঁয়ে বাঁচার তাগিদ
তোমাকে ছুঁয়ে যায় রোদ মাখা শুভেচ্ছা।
.
সমস্ত অধিকারে আজকাল রোদ এসে পরে
মৃত আকাঙ্ক্ষারা যেন চড়ুই পাখি জীবনের দালানে।
তুমি ডেকেছিলে চলন্তিকা ?
কোনো অদ্ভুত ধ্যানে আমি গাছের ছায়ায় অভ্যেসে।
চারিপাশে ঝরে পড়া ছায়া ,অজস্র কোলাহল
শুধু নিস্তব্ধতা আর আমার সামনে সবুজ তুমি চিরকাল।

Friday, January 18, 2019

মিস মোনিকা

মিস মোনিকা
........... ঋষি
===============================================
মিস মোনিকা সম্পর্ক বদলানো রোগ
সামিল হাওয়াতে ভেসে চলা আত্মিকতা বড় নিভৃতে।
লাজুক হাসি ,দোলানো শরীর ,বুকের সরতে  থাকা কাপড়
পুরুষের চোখে লোভ।
অনির্দিষ্টকালীন কারফিউতে গলতে থাকা শহর
মোমের শরীরে অজস্র কামার্ত সংসার।
.
ফুরিয়ে যায় মিস মোনিকা
পিছনে ফিরে দেখো না বোধহয় সময়ের আর্তি।
তোমার বোধহয় সমস্ত সুখ জুড়ে
নিরিবিলি কাম।
বিশ্বাসের প্রশ্ন?গোলাপি মাংস খসে যায়
সময় ভেজানো  জল  শুধু পুরুষকে হাতছানি।
জল মোছার সহানুভূতির চেয়ে, খুঁচিয়ে বের করো লালা
মৃত্যু,সে শুধু তোমার নয় ,সাথে অজস্র সংসার।
মানুষ নিভে যায় অশনি হাওয়ায়।শহর বোবা তখন
 সুতোধোঁয়া বিনবিন করে মিস মোনিকা তোমার চিতায়।
আশ্বাসের মত জ্বলে নাছোড় ফুলকি
সংসারে স্ত্রী ,সন্তানরা ব্রাত্য তখন।
সময়  ছিঁড়ে নিলে  দগদগে ঘা আরো উন্নাসিকতায়
নষ্ট সময় ,নষ্ট তুমি মিস মোনিকা।
.
মিস মোনিকা আর কতো
লুকোনো হাসি ,লুকোনো মজা ,তোফা তোফা ,হাততালি।
হয়তো সময়ের আঁচলে ধ্বংস পুরুষ তখন
তার হারানো সংসারের অন্ধকারে  ঢাকে।
আর অন্ধকার রমণী তুমি তখন পিশাচিনী
তোমার ঠোঁটের লিপস্টিকে রক্তের দাগ।

Thursday, January 17, 2019

দগ্ধতা

দগ্ধতা
............. ঋষি
============================================
বিশ্বাস খুঁজছে
নিঃশর্ত অলিগলি ঘুরে অনির্বান শব্দ।
প্রেম যেখানে কুঞ্জ বনে রাসলীলার মতো স্বাভাবিক
সেখানে মাছি উড়ছে ভনভন করে।
মাংস খুবলে গড়িয়ে নামছে নিত্যকার রসায়ন
বড় অস্বাভাবিক বিশ্বাস এই সময়।
.
ভ্রূ কুঞ্চনে লেগে আছে চলন্তিকা
নির্ভীক সময়ের দরজায় অসহায়তা অনন্ত মানুষের।
দুর্বলতা সম্পর্কের ভীত
অনির্দিষ্টকালীন সাইরেনের শব্দ
খরস্রোতে ভেসে যাওয়া বিশ্বাস স্বাভাবিক।
পঞ্চ রিপু থেকে লোভ মাথা ছাড়া দেওয়া
ছোবল মারছে নীলকণ্ঠকে।
এই কবিতা আমাকে ছুঁয়ে নয় ,না তোমাকে ছুঁয়ে
শুধু সময়ের শর শয্যায় অসংখ্য বিশ্বাস।
আশ্বাসের মত পুড়ছে  নাছোড় ফুলকি,
 আঙুল চিপে ছিঁড়ে নিলে নেওয়াই এই সময়।
উপচে আসে সস্নেহ ফুসফুস
পোড়া দগ্ধতা।
.
বিশ্বাস খুঁজছে
মজলিসে মানুষ হাসছে মানুষের ঠকে যাওয়ায়।
প্রেম যেখানে বিষাক্ত কোনো দিনে বড়ো  একলা
সেখানে কবিতা হেঁটে চলেছে এলোমেলো।
দ্রবীভূত সময়ের মতো অসুখ দুর্বলতা
বিশ্বাস শুধু কাঁচের গুঁড়োতে।

Tuesday, January 15, 2019

অন্য হাওয়া

অন্য হাওয়া
..... ঋষি
===========================================
উৎসবের গল্প বলছি
সাদা রেশমি একটা আলোর রেশ হৃদয়ের উপর।
ক্রিয়াপদ বলে কিছু নেই
শুধু কৌশলে বিনুনির গল্পে হাসা।
তোমার শহরে ফিরে আসা ,অন্ধকার ফ্ল্যাট থেকে
পাহাড়গুলো যেন কেমন একটা হারাতে থাকা।
.
ভালোবাসার আলো
একটা ক্ষীণ আলোকরশ্মি আকাশ ছিঁড়ে আছড়ে পরে
 পাহাড়ের চূড়োয় বরফ গলানো লোভ।
আসলে কি জান তোমার বয়সের সাথে
ঠোঁটের মিষ্টি হাসিটা আরো বেশি ভিজে আমার কাছে।
সন্ধ্যে ৬.২০
মেসেঞ্জারে চমকে ওঠা তোমার ফিরে আসা।
আসলে গল্পগুলো পুরোনো হলেও
খুব গভীরে কোথাও কষ্টের কিছু খুঁজতে থাকা।
সত্যি তাই ভোলা যায় না
একটা ডাইগোনাল অভ্যেস বরফের স্পর্শে।
.
উৎসবের গল্প বলছি
ঈশ্বরের আলো তোমার পাহাড় চূড়ায় আচমকা।
হঠাৎ ভেসে ওঠা তোমার মুখ
ক্রিয়াপদে জীবন সর্বস্ব ব্যস্ততায় শীতল হাওয়া।
তোমার শহরে ফিরে আসা ,আমার কাছে কৌশল
তোমার দেখা পাহাড়ের আদর ছুঁয়ে অন্য হাওয়া।  

সম্পর্কের টেক্সচার


সম্পর্কের টেক্সচার
...... ঋষি
=================================================
সম্পর্ক একটা অন্তরঙ্গ অভ্যেস
ভাঙাচোরা কিছু বেঁচে থাকার নীরব আকুতি।
গভীর খনিতে শ্রমের নিশ্চয়তা
জুড়ে থাকা কিংবা জোড়া সেজে থাকা সামাজিকতায়।
স্পাইরালি অস্থিরতা
কিছুটা বুঝেও না বোঝা পায়চারি।
.
চলন্তিকা
তোমার ছেলে  ভোলানো হাওয়া সম্পর্কের রোগ।
আছড়ে পড়া তোমার ৩৬ সাইজের বুকে
আমার অদৃশ্য হাতের ছাপ।
 ...কি নাম ?
অদ্ভুত  রসায়ন
গেঁথে রাখা উৎসব ,স্নায়বিক আলফা নিউমোরিকাল আদান প্রদান।
শব্দের ঘোর ,নেশার শহর
কবিতার সম্পর্ক আমার ঘুম চোরা রোগ নীরব রাতে।
আমি ,তুমি চলন্তিকা ,আরও আছে
না শেষ হওয়া কোনো অধ্যায়ের জীবনের রুপোর কাঠি ,পক্ষীরাজ।
আকাশ খুলতে খুলতে বড়ো হয়ে যাচ্ছে
আমার লেখার টেবিলে আছড়ে পড়ছে কাঁচের বিছানা ,বালিশ
গুঁড়ো গুঁড়ো সম্পর্ক।
.
সম্পর্ক গভীর হৃদয়ে লেখা বাঁচার রোগ
শান্তির  জ্যামিতি ,খরখরে টেক্সচারে কিছু শব্দের নাম।
হৃদয়ের খননে উঠতে থাকা হিরে ,মতি ,কালো কয়লা
সব সম্পর্কের নাম।
অনবরত অস্থরতা
সম্পর্কের দূরে থাকা কিংবা খুব কাছে।

Friday, January 4, 2019

বরফ স্পর্শ

বরফ স্পর্শ 
......... ঋষি 
==============================================
পাহাড়ের ঢেউ,
ছুঁয়ে আছে ট্রেনের কামরার ওপারে। 
তার চোখে হাসি 
জ্বলে ওঠা নিভে যাওয়া বাতি সুইচ অফ মস্তিষ্কের ঘ্রানে। 
হওয়ার  সাই সাই কথা বলা 
এসি কামরার কাঁচের ওপারে চলন্ত জীবনী। 
.
এটা বোধহয়  ঈশ্বরের দেশ 
একচোখা ঐশ্বরিক অন্ত্র ,তন্ত্র একলা দাঁড়িয়ে নগ্ন এই সময়ে। 
মৃত্যুর কেশ রাশি ,ছন্নছাড়া জৈবিক রক্ত চমকে 
ভুলতে পারি না চলন্তিকা। 
একা বিষন্নতা ,সমস্ত ফোকাস সহ  আত্মার ছেঁড়া মুখাভিনয় 
সামনে দাঁড়ানো ঈশ্বর দুর্বল আততায়ী। 
ভিড় করা থকথকে মাংস সম্বল ,রমণীয় স্তূপ 
যেন উন্নত স্তনের উপরে বরফের মৃত শহর। 
সূর্য ছেঁকা 
কোনো ধোঁয়া মোছা সভ্যতার ডাইরি। 
কর্তব্যহীন রেল যেমন বেঞ্চি দেয় সময়কে
 ফুটে ওঠার জন্য যথেষ্ঠ সম্ভবনার নঘন্টা নজির হীন। 
.
বড় ক্ষুদ্র   
আমাদের হৃদয়ের  রমনী এখন বরফ স্পর্শে।  
তার ঠোঁটে ব্যস্ততা 
বাতাসের হৃদয়ে  টুং টাং ইচ্ছাদের স্মাইলিং জোন।  
অনন্ত জীবনের উপর ঈশ্বরের ইচ্ছা 
শূন্যতার কবিতায় বরফ স্পর্শ। 

কেউ কারো নয়

হঠাৎ করে কেউ হারায় না যে মেয়েটা বাড়িতে রোজ শাঁখ বাজিয়ে পুজো করে তার ও ইচ্ছে করে আকাশ ছোঁয়ার, ব্যাগ ভর্তি স্বপ্ন নিয়ে যে ছেলেটা বাজারে এসে দা...