Saturday, November 30, 2013

RISHI026@GMAIL.COM


### : বেওয়ারিশ শব্দ " ###
লেখক : ঋষি
********************************
জীবিত জীবনে অনর্থক শব্দের ভিড়
সব মূল্যহীন রক্তিম হাতছানি।
শব্দের কোলাহলে হলাহল পৃথিবীর ভাঁজে
শব্দগুলো সব জ্যান্ত বর্শা।
চিঁড়ে দিয়ে ঢুকে যায় মস্তিষ্ক নিউরনে
অনর্থক উদ্রিত বিষ পুড়িয়ে দেয়।
জীবন্ত সকালের রৌদ্র
কেড়ে নেই অজান্তে মনুষত্বের হিসেব।
কি দরকার এমন অনর্থক শব্দ
কি দরকার এমন বিষ কানে ঢালার।
বিংশ শতাব্দীর গুরুগম্ভীর পদধ্বনি
যদি শব্দ হয় চেতনায়,
কি দরকার চেতনা বিষময় করার।
এমনসব শব্দ বাতাসে মেশায় বিষ
কান পাতা দায় গলির মোড়ে মোড়ে।
সিগারেট দুষিত নেশাময় বিকেলে
রঙিন পৃথিবীর স্বাদ  জিভের ডগায়
কি দরকার এই বেওয়ারিশ শব্দের।
********************************

RISHI026@GMAIL.COM


### " নতুন আলো " ###
লেখক : ঋষি
***************************************
এক অন্য রাত্রে ছিঁড়ে দিয়েছি জানলার পৃথিবীর পর্দা
আমি ধন্য করেছি নিজেকে বদলানো জানলার শার্সিতে।
কয়েক গ্যালন বন্দী রক্তে চান করে
আমি নিজেকে করেছি তুচ্ছ এই জানলার আলোতে।
সকালের সূর্যের প্রেমে আমি রৌদ্র জড়ায়
জড়িয়ে  ধরি তোমায়,কিন্তু জানো
খবরকাগজওয়ালার  ছড়ানো চেতনার আলোয়।
আমি অন্ধকার দেখি দিন দুপরে জগতে
আজ পর্যন্ত আমার বিছানার চাদরে যত ভাঁজ।
তার থেকে বেশি ভাঁজ পরে আমার মনে
যখন অদৃশ্য চেতনায় দেখি ধর্ষিত মাতা।
যখন বাজার দরে দেখি কালোবাজারী
অগ্নিমূল্যের সম  পৃথিবীর আঁধারে দেখি
মিশে গেছি আমি দুহাত জমি বা শ্মশানের আগুনে।
তবু জানো রোজ রাত্রি হয় ,সকাল আসে
আবার আমি জানলার পর্দা ছিঁড়ে ফেলি
আমি হৃদয় আঁধারে নতুন আলোর খোঁজে।
***************************************

Wednesday, November 27, 2013

RISHI026@GMAIL.COM


### " তুই জানিস " ###
লেখক : ঋষি
**************************************
তুই জানিস ,তোর একটা চুমুর জন্য
আমি ছুটে যেতে পারি কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিনে।
নন্দন চত্তরে ,ভিক্টোরিয়ার মাঠে
যখন কোকিল ডাকে
তখন তার মাঝখানে আমি শুনি তোর গলা।
তুমুল বৃষ্টিতে যখন কলকাতা একগলা জলে
আমি দাঁড়িয়ে থাকি একলা তোর অপেক্ষায়।
শুনশান শীতের স্মশানে আগুনের ছাই
তার মাঝে আমি প্রেম খুঁজি
খুঁজি তোকে দিনে রাতে পাগলের মতো।

এ এক অদ্ভুত সত্য
এ এক অদ্ভুত ভালো লাগা প্রেম।
খোলা নীল  আকাশে ঘুড়ির মত উড়তে থাকে
পাখির মত চলে যায় হৃদয়ের ওপারে।
কেমন যেন একটা আবছা ছায়া
একটা তৃতীয় কেউ  অন্তর গহ্বরে।
অগ্নুপাতের লাভার থেকে পবিত্র
এক অকিত্রিম ঢেউ হৃদয়  আঁধারে।
বর্ণনাহীন  অচিন্তন আকাঙ্খার ওপারে
তুই জানিস ,বড় নিস্তব্ধ তুই।
****************************************

RISHI026@GMAIL.COM


#### " অনিদ্রিত অস্তিত্ব " ####
লেখক : ঋষি
****************************
রাতবিরাতে শব্দের সৌন্দর্য্যমালা
নৃত্য করে মশারির ছাদে।
আটকে থাকা নাকের নিঃশ্বাসে
কিছু শব্দ খাবি খায় গলার কাছে।
যাদের তরঙ্গিত ঢেউ মস্তিষ্কের ফাঁকে ফাঁকে
কথায় রাখি ধরে এমনসব দৈত্য
কোনটা স্মৃতি আর জীবনের বৈচিত্র।

শৈশবের পরে থাকা জীর্ণ খাতায়
কিছু অশৈশবীয় চেতনার ছুড়ি।
চিরে যায় যৌবনের দিনগুলি
অদৃশ্য অস্তিত্ব অনিদ্রার সাথে।
জমা মেঘে বৃষ্টিহীন রাত
চেতনার সাথে মনুষত্বের বাস
সব খাবি খায় অন্ধকার রাতে।

অস্তিত্ব করাল অস্তিত্ব ছায়া
জীবনের সাথে মোড়া পোড়া দাগ।
জ্বলতে থাকে অদৃশ্য আকাশের তারা
কত আশা কোনো বৃষ্টিবিহীন রাতে।
আবার দেওয়ালের গায়ে কাটাকুটি লেগে
কপালের দাগ হাতের রেখার সাথে
অনিদ্রিত স্পন্দন খাবি খায় সময়ের সাথে।
*****************************

RISHI026@GMAIL.COM


### " অদৃশ্য ক্রন্দন " ###
লেখক : ঋষি
**************************************
নিজেকে ভোলাবার আগে
শেষ বারের মত আমি শুনতে চাই সেই ডাকটা।
মাঘ মাসে অলিন্দ শীতে
বুকের উপর দিয়ে হেঁটে যায় ভারী বুটের শব্দ।
বিষাক্ত অন্ধকারাছন্ন কুয়াসায়
নেমে আসে আকাশের পরীরা ভিক্ষার থালা হাতে।
সংখায় গোনা যায় না
গোনা যায় বুকের চাদরে বিছানো দাগগুলো।
স্নেহময়ী মায়ের অনাবৃত স্থনে কুকুরের দাঁত
হামলে পরে চুসে  নিতে চায় তৃপ্তির হিংস্রতা।
খিদে পায় যখন মা বলেন
ঘুমিয়ে পর খোকা না হলে খিদে আসবে।
আর তখনি
গর্জে ওঠে মানুষ ইতিহাসে অমানবিক বন্দুকের  চিত্কার।
ছিটকে পরা  কয়েক বিন্দু রক্তের দাগ মানুষের হাতে
আর আমি তাদের মাঝে একবিন্দু পাঁক।
শুনতে চাই
সোনালী  দিনের আকাঙ্খিত পদশব্দ।
*****************************************

RISHI026@GMAIL.COM


### " তোমার দুরত্ব " ###
লেখক : ঋষি
*************************************
কলেজ গেটে হাফ মিনিট দেখা
আর কলেজের পরে কতক্ষণ।
সময়ের উপর সময় তার উপর সময়
চলে যায় ,দূর  থেকে দুরে।
আর আমি দাঁড়িয়ে থাকি কলেজ গেটে
কি জানি কি হয়।

সব বোধ ,নিষেধ আর আমন্ত্রনের দরজা ডিঙিয়ে
আমি গিয়ে দাঁড়ায় তোমার সামনে।
কানে বাজে দমকলের শব্দ
হৃদয়ের ঘরে তুলকালাম ঝর বৃষ্টি।
আমার গা গরম,মনে হয় জ্বর আসে
তোমায় সামনে পেলে।
আমি বৃষ্টিতে ভিজি নিস্তব্ধ রাত্রে
তোমাকেও ভেজায় আমি আমার সাথে।
তোমার চুল বেয়ে বৃষ্টির জল
তোমার শরীর বেয়ে বৃষ্টির জল গভীর থেকে গভীরে।
আমার হৃদয় কোনে নাচে প্রেমের বৃষ্টি

আমি ভিজতে থাকি তখনও  কলেজ গেটে।
তুমি আসতে থাকো আমার দিকে
মাঝের দুরত্ব ফুরোয় না
ফুরোয় না আমার চোখের দুরত্ব।
শুধু সময়ের উপর সময় তার উপর সময়
আর আমি দাঁড়িয়ে কলেজ গেটে।
**********************************

RISHI026@GMAIL.COM


### " মুখোমুখি " ###
লেখক : ঋষি
******************************
টেবিলে মুখোমুখি আমি আর প্রেম
সামনে গড়িয়ে পরা কফি পেয়ালায় উষ্ণতা।
সঙ্গে আরো আছে
গরম গরম সিঙ্গারা আর তুমি।
পায়ে পায়ে ছুয়ে দি তোমায়
দূর এক হাত দুরে তো তুমি বসে।
মাঝে টেবিল আর দুই হাঁটু মন
সে এক শীতল দিনের আলোয়ান মোরা প্রেম।
প্রেম হাতছানি দেই
চুপটি করে চোখে চোখে প্রেম।
গরম কফির ধোঁয়ায় আবৃত অনাবৃত প্রেম
মেঘনা নদীর জল ,করে টলমল।
ধুর মেঘনা নদী কি ? ও তো জগ
জগের ভিতর জল ,খুব শীতল।
ঠান্ডা লাগলো  ,কেঁপে গেল খোলা বোতামে বুকটা
আচ্ছা ওপারে বুকটা কাঁপে।
টেবিলের মুখো মুখি আমি আর প্রেম
আর সময় যায় থেমে।
*******************************

Monday, November 25, 2013

rishi026@gmail.com


### " তোদের কথা " ###
লেখক : ঋষি
**************************
এই মেয়ে আবার আশা করলি
বারণ করেছি না।
জানিস না
আশায় মরে চাষা।

এটা তো বাঁধা ধরা কপাল লেখন
ছোটো থেকে বড়
বড় থেকে বাড়ন্ত হতে
কতবার শুনলি না আর না
এটাই মেনে নিতে হয়।

সমাজ আর সমাজের বন্য পাঁকে
তোরা হলি ফুলের কলি।
ফুটবি ,হাসবি,আলো ছড়াবি
তারপর পচে মরবি
কিন্তু তোদের বাঁচতে হবে।

তোরা বাঁচবি তবে না নতুন ফুল
নতুন কলি চটকাবার সুযোগ।
তাদের শরীরে কতজনের সোহাগ
কত জনের দরকারী তুই
তুই না হলে চলবে না।

কিন্তু মুখ খুলিস না
পচে মর,জ্বলে মর, পুড়ে মর.
কিন্তু কাউকে বলিস না
মনের কথা ,অস্তিত্বের কথা
শুধু বাঁচ তা হলেই চলবে।

এই মেয়ে তোদের আশা নেই
তোদের জীবন নেই ,নেই স্বপ্ন।
ভুলে যাস না
অন্যের বাঁচা হলো তোদের বাঁচা।
***************************

rishi026@gmail.com


### " বারংবার" ###
লেখক : ঋষি
***********************************
কতবার তো বলেছি আর কতবার বলবো
জানি না।
পূর্নিমার চাঁদে লেগে থাকা ঠাকুমার ঝুলি
আর সাতসাগর আর তের নদীর পারে।
বেঙ্গমা বেঙ্গমির দেশের সাথে জুড়ে
আমার রাজকন্যা আর আমি রাজপুত্র।
পক্ষীরাজে চেপে একি দেশে
এই নিরালায় এই আটশো স্কোয়ার ফিটে।

মন তোমায় তো কতবার বলেছি
এক একটা ব্যস্ত দিনের পর তোমার আশ্রয়ে।
তোমাকে আঁকড়ে ধরে নিদ্রা,অনিদ্রায়
ঝগড়া ঝাটি ,কান্না কাটি সবকিছুর পরে।
কোনো বিশেষ ক্ষণে তোমার প্রশ্রয়ে
আমি তোমায় ভালোবাসি।
আর জানি না কতবার বলবো
মন তোমাকে আমার মনের কথা।
**************************************

rishi026@gmail.com


### " নিরুপায় " ###
লেখক -ঋষি
******************************
তুমি বললে সব কিছু ছেড়ে দেও
দিলাম ছেড়ে।
তুমি বললে বলে সকালের রৌদ্রে
নিজের অস্তিত্ব শুকিয়ে নিলাম।
ছিঁড়ে দিলাম গলার কাছে জমানো
অস্তিত্বের মালা।
তুমি বললে বলে একগলা জলে নেমে
ভাসিয়ে দিলাম স্বপ্নের বাড়িঘর।
নিজের অন্তর আত্মার কাছে
নিজেকে দিলাম বলি।
কিন্তু আজ কি বললে তুমি
কিভাবে বললে ,বলতে পারলে ?
কাঁচের মাঝে চির ধরলে জোড়া যায় না
ভাঙ্গা বাঁশি সুরেলা সুরে বাজানো যায় না।
জমানো ক্ষোভ উগরে দিলে বাঁধন ভাঙ্গে
মানা যায় না।
আর যাই হোক
তুমি বললে বলে তোমাকে হ্যা তোমাকে ,
কিছুতেই একা ছাড়া যায় না।
**********************************

Sunday, November 24, 2013

RISHI026@GMAIL.COM


 ### " পুরনো চিঠি " ###
লেখক : ঋষি
***********************************
একটা সময় চিঠির  খবর ভরিয়ে দিয়েছে
হৃদয়  আর হৃদয়ের বাইরে।
আজ তো আর চিঠি নেই
চিঠি গুলো পুরনো খামে বইয়ের ভিতর।
কিন্তু জানো চিঠিগুলো আজ আটকে
মনের গভীরে কোথাও ,
এ যেন কোনো শৃঙ্খলিত হৃদয় আটক কারাগারে।

চিঠির  ভিতর থেকে মাঝে মাঝে আমি চলে যায়
সেই রাসবিহারীর মেট্রো স্টেশনের বাইরে।
আমি দেখতে পাই সেই ছেলেটাকে
মুখে অযত্নের দাঁড়ি ,,বুকে রাস ধোঁয়া।
সাথে দাঁড়িয়ে তুমি
হ্যা তুমি ,তোমার আঁচল বাঁধা একমুঠো  স্বপ্ন ,
ব্যস্ত রাজপথে আমি ,তুমি হাত ধরে।

বেশ ছিল সেই চিঠির দিনগুলো
আমার তোমার প্রমের আতরে মাখা স্বপ্নগুলো।
আজ তো তুমি কাছে ,আমার পাশে
শুধু চিঠিগুলো লুকোনো সেলফে।
কোনো বিবর্ণ বইয়ের ফাঁকে
সবকিছু কেমন বদলে গেছে জানো ,
কিন্তু চিঠি তুমি আলাদা সুরভি মাখা।
***************************************

Saturday, November 23, 2013

RISHI026@GMAIL.COM


## " প্রশ্নগুলো " ##
লেখক : ঋষি
*************************************
কখন যেন ঝরা পাতার অর্থ বুঝতে লেগেছি
কখন যেন বদলানো সম্পর্কের মানে গুলো পরিষ্কার ।
আকাশের এপারে যদি রৌদ্র থাকে
ওপারে রাত্রি হয় আমি আজ জানি।
জানি ফেলে আসা সময়ের আর্তনাদ।

জানি ভৌগলিক দূরত্বে থাকা অন্তর হৃদয়ের
চাপা কান্নার লুকোনো ঢোঁক গেলা  কেমন হয়।
কেমন হয় নিস্তব্ধ শীতল মৃত্যুর মানে।

আসলে সবকিছু কেমন বদলে যায়
বদলে যায় সময়ের মানে।
বেঁচে থাকার অদ্ভুত জীবনের সপ্তসুর
বদলে যাওয়া সময়ের বদলানো মুখগুলো
আমি চিনি আগুনের স্পর্শে সুখ।

আমি বুঝি স্বপ্নের সুখী গৃহকোণ
একটা পাখির বাসায় আমি তুমি আর প্রেম।
আমি বুঝি নতুন করে পাওয়ার মানে
অন্তর গৃহের অনন্ত শব্দগুলো
আমি হাড়ে হাড়ে  বুঝি বেঁচে থাকা শব্দটাকে।

বুঝি জীবনের ছেঁড়া তারের মূল্য
অমূল্য কিছু স্মৃতির চারদেওয়ালে একলা থাকা
আর ফেলে আসা অতীতের মানে।

তবু জানো আমি জানি না
কেন বদলে সময় আর সময়ের মুখ
জানি সম্পর্কের অন্তর্নিহিত রহর্ষ
আমরা বলি প্রেম
এই প্রেমের মানে আমি আজও জানি না
**************************************

RISHI026@GMAIL.COM


### নতুন সকাল " ###
লেখক : ঋষি
*****************************
কয়েক লক্ষ অন্ধকারের মেঘ সরিয়ে
এক চিলতে আশার পৃথিবী।
চলতে থাকা পথের উপর
ঝরে পরা অদৃশ্য সীসার বৃষ্টি
তবু মিষ্টি সকালের শিশির।

জ্বলে যায় ,ভেঙ্গে যায় বুকের ভিতর
এক শুন্য নিস্তব্ধ শান্তির স্বপ্ন।
একটা আদুরে পৃথিবীর গাল
একটুকরো স্বপ্নের চুমু
তাইতো অপেক্ষায়।

মুখ  টিপে হাসে
চোখে চোখ রাখে
এ চোখে জল ,ও চোখে স্বপ্নের কাল।
তাইতো  পৃথিবীর পথ  চলা
তাইতো প্রতিদিন নতুন সকাল।
******************************

rishi026@gmail.com


### " গন্ডারের চামড়া " ###
লেখক : ঋষি
***************************************
আমার উচ্চতার থেকে আমি উঁচুতে উঠে দেখেছি
একলিঙ্গ গন্ডারের চামড়ায়
অতিদির্ঘ্য বর্শার প্রচেষ্টা পারাপার।

আমি স্বপ্নের ধার ঘেঁসে হেঁটে দেখেছি
স্বপ্নের আনন্দে হারাবার অনিদ্রা।

এমনি তো একমাত্র শেষ রাত্রিরের আশায়
আমি দাঁড়িয়ে থেকেছি কতবার
বাঁশ বনের উপর ফালি চাঁদ।
পেটের  ভিতরে দুচারটে অক্ষরের লেনদেন
কিছু পাই নি।
শুধু অপেক্ষায় থেকেছি।

নীলনদের জোয়ারে আকন্ঠ ডুবে থেকে
স্বপ্নের চাঁদে মিশরের ফ্যারাও।
আমি দেখেছি
কিন্তু রৌদ্রের চাদরে চোখের পাতায়
মিথ্যা হয়ে গেছি
বারবার শুধু হারিয়ে ফেলেছি নিজেকে।

আমি জীবনের উষ্ণতায় প্রেম পুড়িয়েছি
কিন্তু প্রেমের আগুনে নিজেই পুড়েছি।

আমার উচ্চতার থেকে ওপরে ওঠার প্রচেষ্টায়
কতবার যুদ্ধ করেছি নিজের সাথে ,
কিন্তু গন্ডারের চামড়া বদলাতে পারি নি।
*******************************************

Friday, November 22, 2013

RISHI026@GMAIL.COM


## " অচেনা আমি " ##
লেখক : ঋষি
*******************************
আরেকটা দিন মুক্তিহীন নীল আকাশে
ডেস্কটপের পর্দায় সাদা পায়রা।
জীবনের দরজায় বিবর্ণ সাদা পালক
নেমে আসে ওপর থেকে নিচে বিজ্ঞান মেনে।
আমি ও নামতে থাকি নিচে
নিজের কাছে।

অবিজ্ঞান সঙ্গত পৃথিবীর ডাক
কানে আমার কুহক লেগে।
এটাই তো পৃথিবীর অনন্ত সত্য
আমি তো মিথ্যা পাগলাটে বাউল।
আমার হিসেবের খাতা ,পেন্সিল ,স্কেলের বাইরে
একটা পৃথিবী আমায় ডাকে।

ক্যাল্কুলেটারের তন্দ্রাহীন শব্দ আমার মাথায়
হামাগুড়ি দেয় ,আমাকে কামড়ায় ,
দিনে রাতে ,শব্দহীন পৃথিবীর খোঁজে
একবস্তা লুকোনো ভাবনার মাঝে।
আমার তৃপ্তি ,আমার প্রেম ,আমার মুক্তি
আমায় ডাকে।

রাতের  পর দিন এক জানা পথে
অচেনা এক ভিনদেশী আমি।
চারিদিক ভীষণ চেনা অচেনা পথে
একলা আমি।
ভীষণ একলা ,অচেনা আমি
নিজের কাছে।
***********************************

RISHI026@GMAIL.COM


## " প্রেমের গন্ধ " ##
লেখক : ঋষি
*******************************
প্রেম দেখেছি তোমার সাথে
তুমি হাঁটো প্রেম ঝরে।
প্রেম তুমি জড়িয়ে পরো তোমার শরীরে
ওই যে শেউলা রঙের প্রেমটা ,,দারুন।
তোমার চুলের সুবাসে
প্রেমের গন্ধ।
তোমার চোখের তারায়
তির তিরে প্রেম।
তুমি  হাসো মনে হয়
হৃদয় নাচছে আনন্দে ,
তুমি মুর্তিময়ী প্রেম আমার সম্মুখে।

তোমায় দেখি আজকাল
আমার আবার প্রেমে পড়তে ইচ্ছে হয়।
ইচ্ছেডানার স্বপ্নের সাত রং
আমায় আবার রাঙায় তোমার প্রেমে।
সেদিন পথের ধারে প্রেমের গন্ধ
বুঝে গেলাম তুমি আসছো  ধেয়ে।
যথারীতি আমি প্রেমের নৌকা
ভেসে গেলাম তোমার স্রোতে।
আজকাল মাঝে মাঝে এমন হয়
আমার কেমন প্রেম পায় ,
তখনি আমি তোমায় দেখি।
********************************

Thursday, November 21, 2013

RISHI026@GMAIL.COM


### " এরা কারা " ###
লেখক : ঋষি
**************************
সাম্রাজ্য থেকে শোষনের দাস।
সংখ্যা জানি না
বাঁচা অভ্যাস।
শ্মশানের গায়ে সোনালী ছাই
দুহাত মাটিতে মুক্তি চায়।
এরা কারা।

পোড়াব ,মারবো ,শৃঙ্খল চায়
উন্নতির নামে  মৃত্যু চায়।
লোহার আগুনে পুড়তে পুড়তে
শ্মশান সমাজে বাঁচতে চায়।
এরা করা।

অগ্ন্যুপাতের কড়াই ফুঁটছে
মিথ্যা আশায় গা ভাসায়।
সাম্রাজ্য সব ভেঙ্গে পরে যায়
জীবন তবে আছে কোথায়।
এরা কারা।

সিংহাসনে মাথা নিচু করে
বুঝতে জানে না
বাঁচে  কোথায় ।
সোনালী দিনের আশা নিয়ে বাঁচে
স্বপ্ন ধরার সাহস কোথায়।
এরা কারা।
***************************

RISHI026@GMAIL.COM


### " আসা যাওয়া " ###
লেখক : ঋষি
****************************
পায়ে পায়ে ত্রস্ত পায়ে
এগিয়ে যাওয়া।
ছুটে আসা সময়ের  বুকে
অন্য হাওয়া।

আজ  কাল পরশুর গল্প লিখে
লিখে ফেলি একটা জীবন
কত বেশ আয়ু !!!

দাঁড়িপাল্লার মুখে ওঠা পরা
একটা স্তব্ধ সকালের হাওয়া।

ক্লান্ত বিকেল  ,গম্বীর রাত
ঘুম নেই ,ঘুমের খোঁজ।

আজ ব্ল্যাক আউট চারিদিক
অন্ধকারে বুলেটের বুকে ছাপ
লাল রক্ত বীজ রোয়া।

নিশ্চিন্ত ল্যাম্পপোস্ট
একাকী ফুটপাথের সাথী
জীবন দাঁড়ায় যদি মহামিছিল ,বাঁচি !!!

মিছিলের সারি ,সারি মিছিল
যাওয়া আসা জীবনের ক্ষণে অর্বাচীন।
নিয়ম মাফিক কিছু পাওয়া
আর নীরবে  চলে যাওয়া।
******************************

RISHI026@GMAIL.COM


### " ধোঁয়া ছায়া " ###
লেখক : ঋষি
*****************************
সিগারেটের চুমুকে তুমুল আলোড়ন
একগাদা ধোঁয়ার মাঝে অস্তিত্ব।
কম্পিত হৃদয়ের চিরে দেওয়া আলোয়
একটা মুখ ,বোধহয় মৃত্যুর হাতছানি।
হয়ত বা  তুমুল অন্তরিত প্রেম
একটু দ্বিধায় ,একটু আবেগে।
তবু চাই ,তোমায়।

মুখে তামাকের আলাদা স্বাদ
জীবনের শিরায় শিরায় জলপ্রপাত।
তার জলে ভিজি আমি
ভেজায় তোমায় কখনো প্রেম বর্ষায়  .
এক মুখ ধোঁয়া হৃদয় গভীরে
কখনো পূর্ণ ,কখনো বা শুন্য।
তবু চাই ,তোমায়।

বয়স বাড়ছে ,বাড়ছে সময়ের ভার
একচিলতে আগুনের ঢেউ।
সিগেরেট বা তুমি বা অন্য কেউ
বড় জ্বালায় বুকে।
একটা অতৃপ্তি কুঁড়ে কুঁড়ে খায়
মৃত্যুর দূরত্বে অন্য কেউ ,জানি।
তবু চাই, তোমায়।
******************************

RISHI026@GMAIL.COM



### " অদৃশ্য স্পর্শ "###
লেখক : ঋষি
******************************
অদৃশ্য হাতের সন্ধানে বাড়ানো হাত
শীতের কুয়াসায় হিমেল স্পর্শ।
লোমকূপে লেগে থাকা অদৃশ্য তুমি
আর তোমাকে ছুঁতে চাওয়া আমি।

মেঘের ওপারে অনিদ্রার দেশে
তুমি এসেছিলে সুবর্ণ নদীর ধরে।
খোলা চুল ,খোলা অরণ্যে
এক ফোঁটা  শিশির মেখে গায়ে।
আমি অচিন্তন আলিঙ্গনে
তোমার হাতে হাত ছোঁয়াবো
আবার তোমায় ছুঁয়ে দেব।
গহীন অন্তরে স্তব্ধ অন্তরালে
অনিদ্রার দেশে মেঘের আড়ালে।

আবার ভালোবেসে রৌদ্র মাখা তুমি
তোমার সোনালী শাড়ির ঢেউ
হৃদয় সাগরে ঢেউ।
পথেঘাটে ছড়ানো তুমি
ছুঁয়ে দিতে পারি যখন তখন
কিন্তু এযে গভীর হৃদয়ের রক্তক্ষরণ।
অনন্ত ভাবনার ওপারে দাঁড়ানো তুমি
অস্পৃশ্য প্রেমের চিন্ময়ী
আর আমি স্পর্ধিত হৃদয়ের ধ্বনি।

অদৃশ্য হাতের সন্ধানে আমি
সে যে স্বর্গীয় প্রেমের চুম্বন।
এ হাতে লেগে আছে প্রেমের পরাগ
আর চোখের আড়ালে তুমি।
*******************************



Wednesday, November 20, 2013

rishi026@gmail.com


## " বৃষ্টি এলো " ##
লেখক : ঋষি
***************************
এই পথের মোড়ে  পথ সরে গেল
বৃষ্টি এলো ,বৃষ্টি এলো।
অন্ধকারে চোখে আবছা ছায়া
নিজের ছায়া ,বিষের  ছায়া।
মিশে থাকা প্রেমে আঠালো ছায়া
ছুঁয়ে দিল ভিজিয়ে দিল
জানো তো ,
এই মাত্র বৃষ্টি এলো।

ভিজে যাওয়া শরীর, ভিজে ঠোঁট সব
অর্থহীন প্রেম কলরব।
সকাল  সন্ধ্যা হৃদয় গড়া
তোমার শব্দ ,তোমার মায়া।
একটা আকাশ ,মেঘের বাহার
বৃষ্টি  এলো, আকাল আড়াল ,
সব সামনে তুমি ,আমি
ভিজে সারা বৃষ্টি এলো।

এই পথের মোড়ে হৃদয় মরে
প্রেমের শব বৃষ্টি জলে।
শরীর বেয়ে প্রেমের জ্বালা
মহা জ্বালা ,বৃষ্টি এলো।
অন্ধকার পথ যে পরে
প্রেম গেল ,চলেই গেল।
আমি আছি বৃষ্টি ভিজে
আরো জোরে বৃষ্টি এলো।
*******************************

rishi026@gmail.com


### " জোত্স্না তুমি ###
লেখক : ঋষি
*******************************
জানলার ওপারে জোত্স্না এসে ছুঁয়ে দিল
হাসির কলরবে আমি ক্ষুদ্র কবি।
রাতে আকাশে তারা গুনি সন্ধিক্ষণে
রাখি স্বপ্নের কালক্ষন ধরে
আমি ছুয়ে দি তারে।

একহাত চুবিয়ে জোত্স্নায়
তুলে আনি একটা মুখ।
এক সরল রেখা ধরে
স্বপ্নের গভীরে হেঁটে যায় অনন্ত  পথে ,
আমি ছুঁয়ে দি তারে।

তার হাতে হাত ,চোখের তারা ছুঁয়ে
আমি জোত্স্নার আলো ছুঁয়ে যায়।
একঝুড়ি মিষ্টি স্বপ্ন জুড়ে
অন্ধকার থকে আলোতে হেঁটে যায় ,
আমি ছুঁয়ে দি তারে।

জোত্স্নার গন্ধে আকুল বাতাসে ঢেউ
আমি দিশাহীন নিস্তব্ধ সাগর।
গুরুগম্ভীর ঢেউ আছড়ে পরে বুকে
ঢেউয়ের পরে ঢেউ ,জোত্স্না রাতে ,
যদি  ছুঁয়ে দি তারে।
********************************

RISHI026@GMAIL.COM


### " আমরা সবাই " ###
লেখক : ঋষি
****************************
পায়ের তলায় মাটি আছে
কাঁচ থাকুক তাতে কি ?
জুতো তো আছে।

চোখ বেঁধে স্বপ্নে দেখি
স্বপ্নের বাড়িঘর।
মিথ্যা স্বপ্ন ,তাতে  কি ?
বেঁচে তো আছি।

অলক্ষে ধর্ষিত চোখের জল
অন্তরে মনুষত্বের কোলাহল।
অন্তর দহন ,তাতে কি?
আমি ভালো আছি।

বাজার জুড়ে ত্রাহি ত্রাহি রব
সোনার পকেটে মাটির কলরব।
প্রতিবাদহীন মেরুদন্ড  ,তাতে কি ?
সেই তো বেঁচে আছি।

আগুনের পথে মহর্ষিদের গালি
গলায় তাদের চেতনা খালি।
বলে যাক ,তাতে কি ?
একি তো আছি।

জীবন চলেছে কেঁচোর মতো
মাটি খুঁড়ে সভ্য আমি ,তাতে কি ?
আমার মতো আরো আছে।
**********************************

RISHI026@GMAIL.COM


###  " হাওয়া বদল " ###
লেখক : ঋষি
***************************
সহজ ভাবে নিজেকে নিতে গিয়ে
হাত বাড়িয়ে ছুঁয়েছি  তোমায়।
তোমার নিতম্বে হাত রেখে দেখেছি
চলে যাওয়া কোনো রূপসী নারী।

আহা লাবণ্যময়ী শরীর
আহা অদ্ভুত অন্ধকার রাখা নাভি মুলে।
শত সহস্র পদ্মের বেথ্যা
শত সহস্র নারীর কাদা।

অলংকার থেকে বোকা বাক্সে
উগরে ওঠা মস্তিস্ক পীড়ন
যুগের  হাওয়া  শরীর আদল।

অহংকৃত গয়নার নগ্নতা
ঠোঁটে ছুঁয়ে থাকা লিপষ্টিকের আদল।
চোখের কোনে জমানো কালি
যুগের হাওয়ায় অদলবদল।

ছুঁয়ে  দিয়েছে স্থন বৃন্ত
মেখে নিয়েছে সহজ লজ্জা।
চোখের জন্য জগৎ সাজানো
আর নারীর জন্য শরশয্যা।
*****************************

Sunday, November 17, 2013

rishi026@gmail.com


### " মৃত্যুর আগে " ###
লেখক : ঋষি
************************************
রাত তিনটের চাঁদের জ্যোত্স্নায়
রৌদ্র লেগে থাকে
বুঝিনি আগে।

পাঁচতলার ঘরের উপরে শালিখের বাসা
কবে যে সময় গড়ে গেছে
দেখিনি আগে।

বারন্দার ব্যালকনিতে সূর্যস্নাত জ্যোত্স্না
ক্যাকটাসের উপর আদুরে  হাত
দিই  নি আগে।

রেলিঙের ওপারে অন্য নিস্তব্ধ পৃথিবী
রাতজাগা পেঁচার শকুনের দৃষ্টি
পাই নি আগে।

বারান্দার চেয়ারে অন্য স্বপ্নে ঘুমিয়েছি
কিন্তু আকাশে মেঘের চাদরে স্বপ্ন
বুনি নি আগে।

হাত বাড়িয়ে জোত্স্না ছুঁয়েছি হৃদয় সম্বলে
আঁকি বাকি মাটির উপর অন্ধকার পৃথিবী
বলি নি আগে।

বারান্দার ওপারে  স্নেহময়ী রৌদ্র গায়ে মেখে
নিচে নেমেছি আগেও ,কিন্তু এত নিচে
নামি নি আগে।
**********************************

RISHI026@GMAIL.COM


### " শান্তি বার্তা " ###
লেখক : ঋষি
***********************************
অন্ধকার ঠেলে আমি আসছি
চোখ তুলে দেখো
বন্য ময়ুরের নাচ ,রঙিন স্বপ্ন।

শতাব্দীর শেষ ছায়ায়
যেদিন রৌদ্র উপরে মেঘ,
যেদিন অনিদ্রার পৃথিবীর বৃষ্টিহীন চোখ।
আমি বদলে দেব সব
শত বত্সরের সাম্রাজের পাঁচিল ভেঙ্গে ,
তুবড়ে দেব ,মিশিয়ে দেব জমানো পাপ
ভেঙ্গে দেব রক্তবীজের অন্তর করে জল।

অন্ধকার শবাগারে মৃত মানুষের চোখ খুবলে
আমি প্রশ্ন করবো ,
কি করলে একটা জীবন
কোথায় কাটালে তোমরা ,,,এখানে।
আমি হাসতে হাসতে বদলে দেব সব
আনবো শান্তি ,গড়ব পৃথিবী
পৃথিবীর পথে যিশুর আবাহন।

অন্ধকার ঠেলে আমি আসছি
চোখ তুলে দেখো
পথের শিশুর মুখে হাসি।
***************************************

Saturday, November 16, 2013

RISHI026@GMAIL.COM



### "অন্তর দহন " ###
লেখক : ঋষি
*********************************
থরে থরে সাজানো চেতনার ভিড়ে
একটুকরো আবিরে ঢেউ।
কিছুটা মানুষত্ব আর সত্যি মিশিয়ে
তৈরী এই ঠুনকো  সমাজ।
সবাই তো ভালো চাই
তবু হয় না ভালো।

নোঙরা নর্দমার গন্ধ মাখা পোশাকি রং
সংখ্যায় যায় না গোনা।
কিছুটা নেশার রঙে সমাজ এগিয়ে
মেতে আছে পায়ে পায়ে লোভের সাথে।
সবাই তো ভালো হে চাই
কজন পারে ভালো হতে।

ভালো খুব ভালো হয়
যদি সমাজের মানুষের রঙিন মুখোসের ,
সময়ের দাপটে বদলানো সময়ের
বদল হয় থরে থরে সাজানো চেতনার।
সবাই তো ভালো থাকতে চাই
ভালো থাকতে কজন পারে।
************************************

RISHI026@GMAIL.COM


## " বিপ্লব " ##
লেখক : ঋষি
********************************
রাইটার্স বিল্ডিংএর মাথায় বসে দেখি
বিপ্লব এক বদল।
জানি না এই বিপ্লব কত দূর আছে
কখন কোথায় রাখা আছে।

দূর থেকে শুধু  দেখি
মৃত মায়ের যোনিতে হায়নার লালা লেগে।
দেখি কোনো এক অনাথের বিস্মিত দৃষ্টি
অনিদ্রিত মানুষের চোখে  দেখি ভয়।
বিস্ময় যদি বদল হয়।

রাস্তার ধুলোমাখা আঁচলে বিপ্লবের বাস
রক্তমাখা অদৃশ্য বিপ্লব শুয়ে  চেতনার সাথে।
ঘুম ভাঙ্গে না
ভাঙ্গে না ঘুম
এই বিপ্লব তার যদি বদল হয়।

আমি দূর থেকে দেখি বিপ্লব কাঁদছে
মানুষের চোখে ,মুখে আগুনের লাভা
ঘুমন্ত বিপ্লব শব্দহীন হয়।,
কিন্তু দীর্ঘজীবী নয়।
**********************************

Friday, November 15, 2013

RISHI026@GMAIL.COM


### " কবি " ###
লেখক : ঋষি
**********************************
হাট করে খোলা জানলার ওপাশে
এক বিশাল একলা ছায়া।
ধু ধু মাঠ ,ধু ধু রৌদ্রে
নিশ্চিন্ত বেশ নিশ্চিন্ত
আমি বসে ভাবনার ওপারে।

চাই না ছুঁয়ে দিক কেউ
ছো মেরে নিয়ে যাক আমার শান্তির ভাবনা।
আমি একা তবু একা নয়
মশা ,মাছি ,রৌদ্র ,বৃষ্টি ,মাটি
প্রকৃতি   তো আছে।
আমি একলা কই
আর আছে এক মাথা ভাবনা।
ভাবনার আগুনে ,আগুনের প্রেমে
আমি হাবুডুবু খাই ।

সময় যায় ঋতু বয়
জমে থাকা মেঘ আলগা হয়।
সময়ের সাথে
খোলা জানলার এপারে আমি।
ওপারে সেই কবি থেকে যায় ,,, একলা।
************************************

RISHI026@GMAIL.COM


### "  ডানা কাটা পরী " ###
লেখক : ঋষি
********************************
নিস্তরঙ্গ শরীর অবয়বে মেঘলা ছায়া
আয়নার সামনে নগ্ন তুমি।
কি জেনো বেশ
এক ডানা কাটা পরী.
কচি খুব কচি মিহিন কাঁচের চুঁড়ি
সিঁথির আড়ালে আমায় লুকিয়ে রাখো।
এক মুহুর্তের পাগলপারা অন্তর দহন
অন্তরীক্ষে এক অজানার পথে ,
সেই যে সাত সাগরার পাড়ে
এক অচিন স্বপ্ন পরী ,
তোমার হাত ধরে হাতে।

আল্পনার শাড়িতে নিজেকে ভিজিয়ে
সুন্দর করে সাজিয়ে রাখো।
তপ্ত নি:শ্বাসে অন্তর দৃষ্টিতে
আমাকে জড়িয়ে রাখো। ,
পায়ের নুপুরে রুনঝুন রুনঝুন
যাতে ভাঙ্গা কাঁচ না লাগে
আমি তো আছি
চলার পথে গোলাপ  বিছিয়ে
কাঁটা গুলো যে  সরিয়ে  রাখে।
বেশ না
আমার দানা কাটা পরী।
**********************************

RISHI026@GMAIL.COM


### " প্রকৃতির অন্তরালে " ###
লেখক : ঋষি
*****************************************
ওরে দাঁড়া দাঁড়া
কি হলো তুই কাঁদিস কেন মেয়ে।
বলিস না তোর পোড়া যৌবন
ওমা ওকি তোর  বুকে কিসের ছেঁকা।
পুড়ে যাওয়া যৌবনে সাপের ছোবল
বিষ আর বিষ।

বিষে ঝলসানো তোর সতীত্ব
তুই কোথায় থাকিস মেয়ে।
সমাজের শেষ কিনারায় কুপমন্ডুক তোর পৃথিবী
শোন মেয়ে তুই কাঁদিস না।
সকালের রৌদ্রের মতো  তোর হৃদয়
হোক না তোর কপালে সিঁদুরে মেঘ।
ঢেকে দিক না যতো অস্তত্ব কালি
জানিস বৃষ্টি আসে।
ঠিক এমন দিনে প্রকৃতির প্রতিবাদে।
তোর নারীত্ব তো বলি যুগে যুগে
গোপন আর গহীন রাতে।

ভুলে যা মেয়ে তোর অস্তিত্ব
তুই মেয়ে।
শুধু মনে রাখ
তোকে বৃষ্টিতে ভিজতে হবে।
ধুয়ে দিয়ে উঠে দাঁড়া মেয়ে
সমাজের মুখে বিষ।
******************************************

RISHI026@GMAIL.COM


### " অভুক্ত অন্তর দাহ " ###
লেখক : ঋষি
********************************
কিছু উপহার রেখে যাব।
সোনালী রৌদ্রে ধানে আগুনের ছাপ
ছড়ানো নি:শ্বাসে অতিরিক্ত চাপ।
কোনটা পাপ ,কোনটা পুণ্য
জেনে রেখো সব আমি ছেড়ে যাব।

ফুটপাথে রাখা অভুক্ত পিঞ্জরে বন্দী
কিছু প্রাণ।
আর প্রেম
বলো না আর বলো না
প্রানের আগুনে আনন্দের পোড়া দাগ।
যাই হোক না কেন
আমি সব ছেড়ে চলে যাব।

বিস্তীর্ণ তীরে সুখের ঢেউ
আর তার পর
শব্দহীন ক্লান্ত চরণে
অনুভূতিহীন রক্তের দাগ।
আর ভালো লাগে না
জেনে রেখো আমি ঠিক ভুলে যাব।
আর কিছু ছেড়ে যাব।

কি হবে জেনে ছেড়ে যাওয়া কষ্ট
মনে রেখে।
আমি চাই তোমরাও ভুলে যেও
এ পৃথিবীর পথে ধুলোমাখা শরীরটা ,
আমি সাথে নিয়ে যাব ,জেনো রেখো।
*********************************

RISHI026@GMAIL.COM


### " গলন্ত মোমবাতি " ###
লেখক : ঋষি
*******************************
স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে রাবনের সিঁড়িতে
মোমবাতির ভিজে ভিজে শুভ্র জ্বালা।
অদৃশ্য আগুনে পোড়া গোটা শৈশব
গলন্ত মোমবাতির আবছা ছায়া।

হৃদয় গহীনে এক অনন্ত বিশ্বাস
মনের বাহিরে অদূর বর্তমান।
দূরত্ব কম না বেশি
কিছু পথ পরে আরো পথ কমবেশি  .

আবার এক সন্ধ্যাতে
হৃদয় জানলায় দেখা পুরনো পথ।
একি ভুল যৌবনের আগুনে
একা হয়ে জ্বলতে থাকা।

আরো কিছু পথ পরে
পথের উপর অন্য পথে।
পথ হারিয়ে বহুদূরে স্বপ্ন দেশে
মোমবাতির ছায়া আর বিবেকহীন হায়া।

স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে রাবনের সিঁড়িতে
কিছুটা পুরানো ,কিছুটা হারানো।
হাজারো  মায়া  ,আর বাকি
গলন্ত মোমবাতির আবছা ছায়া।
*****************************

RISHI026@GMAIL.COM


## " হে মানব তোমার পৃথিবী " ##
লেখক : ঋষি
*************************************
কতোবার  দগ্ধ করো তোমরা নিজেদের
সভ্যতার আগুনে আজ স্বপ্নের মায়া ,
কতোবার  পারো হে মানব।

তোমাদের সভ্যতায় সুমেরু থেকে কুমেরু
গোলকের প্রতি ইঞ্চি জমিতে কালোর হাতছানি।
কতোবার  লজ্জার  আড়ালে রাখো তিন হাত জমির আকুতি
কতোবার  পারো বলতে ভালো আছি।

সকালের সোনালী রৌদ্র ভেদ করে কালো কালি
পরে আছে জীর্ণ ফুটপাথে বিকৃতি পৃথিবী।
যিশুর রক্তক্ষরণ লেগে আছে পুন্যের পথে
কজন দেখো মুখ তুলে পৃথিবীর কষ্ট।

ফিরে আসা পাখির বাসায় শুন্যতা ছড়ানো
রক্তলোলুপ হিংস্রতা আজ  অরণ্যের ছায়ায়।
প্রেম ,পুণ্য সব আছে স্বপ্নে
কতোবার  কান পেতে শোনো পাখির কলরব।

হে মানব ঈশ্বরের কৃপায় বিশ্বাস রাখো
নিজের বিশ্বাস সুদুর আঁধারে।
একবার নিজেকে বদলে দেখো
কতোবার  লজ্জিত তুমি আয়নার আলিঙ্গনে।

কতোবার  বলো কতোবার
তুমি ভাবো সভ্যতার আগামী সকাল ,
সত্যি বলো কতোবার।
**************************************

Thursday, November 14, 2013

RISHI026@GMAIL.COM



### " আবছায়া দূরত্ব " ###
লেখক : ঋষি
*************************************
আমি আর  আমাদের মাঝে এক ঢেউ লেগে আছে
একটা আঠালো জেদ,
একটা শব্দহীন নিস্তব্ধ অন্ধকার।

জানো তো শব্দ আর নিস্তব্ধ মাঝের দুরত্ব
অনেকটা জন্ম আর মৃত্যুর মতো।
আমাদের মাঝের দুরত্ব সেই কবেকার
যেদিন প্রথম আলোয় তোমার মুখ ,
যেদিন লজ্জায় রাঙানো লাল মুখ
যেদিন সানায়ের সুর হৃদয় অলিন্দে।
যেদিন জড়িয়ে ধরি তোমায়
সাত জন্মের আকাঙ্খার বুকে ,
আমি শুনেছিলাম ঢেউ- এর শব্দ
বড় নিস্তব্ধ গম্ভীর অন্ধকারে।
হৃদয়ের ঢেউ হৃদয় গভীর থেকে গভীরে
আজও  শোনা যায় ,
সেই ঢেউ-এর শব্দ নিস্তব্ধ জীবনে।
আজ ঢেউ ওঠে জীবনে রঙিন সাজে
আজ তুমি আছো  ,আমি আছি
শুধু সেই আবছায়া দূরত্বটা  থেকেই যায়।

আমি আর আমাদের মাঝে এক ঢেউ
একটা অস্তিত্ব গভীর মনে
ভাঙ্গে আবার জুড়ে যায়।
*************************************

Sunday, November 10, 2013

RISHI026@GMAIL.COM


### " কবিতার জন্য " ###
লেখক : ঋষি
___________________________
আমি নিজেকে পোড়াতেই  পারি
হাজার হাজার কবিতার জতুগৃহে।
কবিতার সাথে চলে যেতে পারি
ধান সিঁড়ির ওপারে নক্সী কাঁথার দেশে।

কবিতার প্রেমে আমি ছুঁয়ে দিতে পারি
নীরা ,বনলতা আরো কত নারী হৃদয়।
আমি করতেই পারি পরকীয়া প্রেম
কারণ জানো  আমার লজ্জাহীন হৃদয়।

আমাকে তোমারা ধরে নিতে পারো আত্মার মত
 জানো আমি নিজেকে পাই না নিজের মাঝে।
কবিতা আমায় হাসায়  ,কখনো যে কাঁদায়
আমাকে কোলে তুলে নেয় মায়ের মত।

জানো আমার নিদ্রিত চোখে কবিতা আসে
নগ্ন করে আমি তাকে  জড়িয়ে ধরি।
চুমু খাই কবিতার ঠোঁটে ,স্তন বৃন্তে
দিনে রাতে হাজার বার আমি একি কারণে মরি।

কবিতার আমার প্রকৃতিতে আসে
বৃষ্টির জলে ভিজি আমি ,রৌদ্রে পুড়ি।
শীতের সকালে ঘুমের রৌদ্রে
নীল আকাশে কবিতা ঘুড়ি ।

কবিতার সাথে আমি চলে যেতে পারি আগুনের পথে
যখন সকালের পাখিদের কলরব ,
তখন আমি কবিতার চাদরে তর্পণ করি
কবিতার স্বপ্ন দেখি ঘুমের ঘোরে।
_____________________________

RISHI026@GMAIL.COM


### " পাথরে জীবন " ###
লেখক : ঋষি
********************************
আনন্দের সাথে কাটাতে পারি একটা জীবন
মন তোমার কাছে হাঁটু গেড়ে বসে।
যদি তোমার  হৃদয় চাই
কি দেবে তো ?

অন্তর গভীরে আরো গভীরে
যখন খুলে ফেলি তোমার শেষ সুতোর টুকরো
 জানি  মন তুমি হেংলা ভাবো
হিংস্র জন্তুর জান্তব চিত্কারে তুমি কি ভাবো ?
সার্থপর বেহায়া পশু।
মন তুমি বোঝো না আমি ঢুকতে চাই
তোমার গভীর থেকে গভীরে।

সকালে আলোয় দেখি
মন তোমার মুখ।
তোমার মন্দিরে পুজো করে আমার জীবন
আমি স্বপ্নের ফেরিওয়ালা।
মন তোমার কাছে
আমি ভীষণ ক্ষুদ্র এক পাথরের টুকরো
পাথরে জীবন তুমি।

আনন্দের সাথে চলে যেতে পারি মৃত্যুর ওপারে
যদি তুমি একবার বোলো।
তুমি চেন না আমায় ,বোঝো না
জানো মন আমি মরে যেতে পারি।
********************************

RISHI026@GMAIL.COM


### " প্রেমে এমনও হয়  ......." ###
লেখক : ঋষি
***********************************
মাঝরাতে স্বপ্নে দেখি গড়িয়াহাটার মোড়
সুনসান রাস্তায় তোমার মুখ।
ঘুম ভেঙ্গে যায় ,
বাথরুমে যায়
আয়নার সামনে চেনা মুখ।
মুখে জল ,মুখে ঘাম
প্রেমে এমনও হয়  .......

সেদিন দুপুরে খা খা রৌদ্রে তৃষ্ণা
দেখি রাস্তা পার হয়ে আসা ভিখারীর চোখে তৃষ্ণা।
সোজা ডাব ওয়ালার ডাবে  জিভ ডোবায়
চোখ খুলে ভালো করে দেখি।
খা খা ওয়েলিংটন
হু হু করে মনের মাঝে
প্রেমে এমনও হয়  .......

বিকেলের পথে বুকে শিয়ালদার ট্রেন ছাড়ার শব্দ
আমি ভীষণ  জব্দ।
দেখি সস্তার ম্যাগাজিনে তোমার মুখ
ছো মেরে তুলে নি শিকারী বাজ।
এ মুখ শুধু আমার
মাথায় ঢোকে না হৃদয়ের কলরব
প্রেমে এমনও হয়  .......
**********************************

Saturday, November 9, 2013

RISHI026@GAMAIL.COM


### " আমার শহর (১২) "###
লেখক : ঋষি
*******************************
মৃত্তিকার ঘ্রাণ নেব বলে
খালি পায়ে শত জীর্ণ কলকাতার রাজপথে।
এক মুঠো সোনালী ধুলোর মাঝে আমি
এক অস্তিত্ব পৃথিবীর পথে।
এ পথে পদশব্দ গৌতম বুদ্ধের
এ পথে জয়ধ্বনি হিংস্র শাবকের।
শত সহস্র ধংসের মাঝে
এই পৃথিবীর অবাক শহর
আমার কলকাতা।

নির্বাক পৃথিবীর অর্থহীন কালি ধোঁয়া
বাজারী পণ্যের করাল ছায়া।
এ যুগ থেকে ও যুগের পথে
কিছুই  পিছু ছাড়ে নি.
লোভ ,ধ্বংস ,হিংস্রতা
মন্নত্তর থেকে দেশ ভাগ।
সব ছুঁয়ে আছে
এক মুঠো হাসি জড়ানো রাজপথে,
আমার শহর ,আমার কলকাতা।
*******************************

RISHI026@GMAIL.COM


## " প্রেম কই " ##
লেখক : ঋষি
**********************************
প্রেম প্রেম গন্ধ লাগা শরীর
প্রেম কই ?
থরে থরে সাজানো মাংসের শরীর
সব আছে
মরুভূমি দিয়ে হেঁটে ,
উরুর মাঝে সুন্দরী তৃষ্ণা অরণ্যের হাতছানি
পাহাড় পর্বত মালভূমি।
কিন্তু প্রেম কই ?
সব আছে আজকের শরীরে প্রেম বাদে।

বিশ্বাস ঘাতক প্রেম লুকিয়েছে
কোনো কালের কুঠরিতে।
মাঝরাতে চমকে ওঠা সাপের হাত
না প্রেম নয়।
একটা স্পর্শ চাহিদা
প্রেম প্রেম খেলা।
মাংস লোভী মানুষের চাহিদা
কিন্তু প্রেম মাংসাসী নয়।
********************************

RISHI026@GMAIL.COM


### " আয়নায় পাগলামি  " ###
লেখক : ঋষি
*********************************
যখন অবুঝ সন্ধ্যেবেলা
গলির মোড়ে তেলে ভাজার ঠোঙ্গা ডাকে
তখন বলতে ইচ্ছে হয় মুক্তি দেও।

যখন গঙ্গার জলে স্তব্ধ সকাল হাই তোলে
ইচ্ছে হয় গলা চিরে বলি
আমার শহর।

প্রথম জমানো প্রেম ভিক্টোরিয়ার আড়ালে
চলন্ত ট্রামের জানলায়
যখন লুকোচুরি খেলে।
ইচ্ছে হয় বলি ফেলি
প্রেম দেও।

শুধু দেও আর দেও ,,,,,,,,

আচ্ছা আমরা সবাই বলি
দেও দেও
কিন্তু বিলিয়ে দিয়ে কখনো ভাবি
শান্তি দেও ,শান্তি দেও, শান্তি  সেও
শুধু শান্তি।

যখন সকাল বেলায় প্রথম শিশির
কুমোরটুলি পাড়ায় মার মুখে রৌদ্র
নগ্ন মা ,,,,কষ্ট  হয় ?

যখন ব্যর্থ বিছানার চাদর আঁকড়ে
অন্ধকার আঁচড়াতে থাকা
কেমন হয় ?
**********************************

RISHI026@GMAIL.COM


### " প্রেম আর কষ্ট " ###
লেখক : ঋষি
************************
একা থাকার কথা মনে হলে
মনে হয় ওটা  শরীরের বদ রক্ত
যেটা না চাইলেও থেকে যায়।

অন্ধকারের ওপারে হাতড়ে  যা পায়
তাতো প্রেম।
বদলানো সময়ের বদলানো নিরিখে
দুধে জলে পরমহংসের মতি ,
আসলে দুধের থেকে জল যে বেশি।

জীবনের পথে ছড়ানো রাতে
পথের কুকুর হলো কষ্ট।
শুধু অনাদরের ঘেউ ঘেউ
এর হাত চাটা ওর ঘরের দোর ,
আসলে চেষ্টাটাই নষ্ট।

একা থাকার কথা মনে হলে
কারণ খুঁজি সেই প্রেম আর কষ্ট,
আসলে এগুলি ছাড়া জীবনটা ভ্রষ্ট।
*************************

RISHI026@GMAIL.COM


### " আমি আছি " ###
লেখক : ঋষি
*******************************
আমি নেই তবু আছি তোমার পাশে
শীতের রৌদ্র হয়ে কখনো পরশ প্রেমের।
অন্তরের মেঘ হয়ে তোমার বৃষ্টি দিনে
আমি আছি।

যখন তুমি  খোলা চুলে আয়নার সামনে
তখন আমি খুঁজি বিশালতা।
তোমার চুলের ঢেউয়ে  খুঁজি দুরন্ত স্বপ্ন জাহাজ
আমি সেই জাহাজের প্রেমিক নাবিক।
মাপতে থাকি সমুদ্রের গভীরতা
এই হাতে ,,,ছুঁয়ে দি তোমায়।
তোমার ওষ্ঠের পাশে গড়িয়ে আসা জল
এক চুমুকে খেয়ে নি ,
তৃষ্ণার্ত মরুভূমি আমি।

যখন তুমি রাঁধতে বসো
উনুনের সামনে তোমার তামাটে মুখ।
জলন্ত সিঁদুরের আগুন তোমার কপালের ঘাম
আমি জড়িয়ে ধরি।
হাতপাখার এক পশলা হওয়া ছুঁটে আসে
একটু স্পর্শ আমি জানো ,
আমি জড়িয়ে ধরতে চাই।
একটু তৃপ্তি
আর বেশি কিছু নয়।

আমি নেই তবু আছি তোমার পাশে
তোমার রৌদ্র ছায়ায় দিনে রাতে।
এক পশলা মেঘ কখনো বৃষ্টি
প্রতি ঋতুর সাথে।
********************************

Friday, November 8, 2013

RISHI026@GMAIL.COM


### " ভয় করে " ###
লেখক : ঋষি
************************************
আজকাল বড় ভয় করে
সকালের ঘুমভাঙ্গা রৌদ্রে ,
বাজারী নারীর উন্নত বুক
হাতছানি দিয়ে ডাকে।
পিষে যেতে ডাকে আরেকটা দিন
মিশিয়ে নিতে ডাকে সৌন্দর্যময়ী সভ্যতা,
আমার ভয় করে।

আমি হারাতে চাই না কোনো অশ্লীল আগুনে
নীরবতা ভালো লাগে।
ভালো লাগে পৃথিবীর পথে হারিয়ে যাওয়া
হারিয়ে গিয়ে নিজেকে খুঁজে পেতে।
জ্বলন্ত আদিম সভ্যতার আগুনে
আমি নগ্ন করে দেখেছি নিজেকে।
আমি নিজেকে পুড়িয়েছি বারে বারে
যতবার ছুঁয়েছি বাজারী বুক।
বাজারী চোখে মুখে এক অন্ধকার ডাক
আমার জ্বলে বুকে ,
আমার ভয় করে।

বদলাতে চাই এই বাজারী রমনীর মুখ
পুড়িয়ে দিতে চাই নিত্য এই লোভনীয় নারী।
সভ্য সুশৃঙ্খলিত সভ্যতার আড়ালে থাকা
চুরি ,শাড়ি পরা বাজারে নারীর সৌন্দর্য্য।
একটা অন্ধকার পথ
আমি মুছে দিয়ে ,বাঁচতে চাই ,
আজকাল আমার ভয় করে।
*************************************

RISHI026@GMAIL.COM


### "ভাঙ্গা গড়া"###
লেখক : ঋষি
*********************************
কিছু বছর পর যখন দেখা হবে
বোলো না জানি কেমন আছো   ?
বোলো না জানি কোথায় আছো ?
কারণ তুমি জানো
দুই পথের এক রাস্তা।
আজ বদলে গিয়ে
এক  রাস্তার দুই পথে আমরা
কিছু দুরে ,কিছু কাছে ভাঙ্গা গড়া  জীবন।

আমি জানি এমন হবে
আজ থেকে কিছু বছর পরে ,
তোমার খোলা চুলে মৃত প্রেমের সুরভী।
তোমার চোখে তখন প্রলয়ের দুন্দুভী
বদলে গিয়ে ছুঁয়ে যাবে পুরনো সময়ের ছবি
তোমায় স্পর্শ করবে ছায়াছবির মতো।

কিছু বছর পর আবার যখন দেখা হবে
বোলো না জানি তুমি আছো দাঁড়িয়ে ,
চেনা পথের  ধারে
চেনা হৃদয়ের ঘরে পাশা পাশি।
কারণ তুমি জানো
দুদিনের এই জীবন ,
তখন বদলে যাবে
সুদ  জমা হবে সময়ের ঘরে।
*********************************

RISHI026@GMAIL.COM


### " সিগারেটের ধোঁয়া " ###
লেখক : ঋষি
_______________________
সকালের গোলাপের পাতায় শিশিরের  বিন্দু
ঘুম থেকে উঠে সোজা বারান্দায়।
আমার মুখে সিগারেট
সিগারেটের ধোঁয়া গোলাপের টব ছুয়ে যায়
গোলাপকেও।

আমার বুকে জমা নিকোটিন
প্রশ্ন গোলাপ তুই পবিত্র
তোর  বুকে কি ?
আমার বুকে আগুন
আমি ভাবি গোলাপ সুন্দুরী
ভাবনা তুই সাজানো নাকি ?
আমি সরল সাজানো নই।

ইচ্ছে হয় ,বড় ইচ্ছে হয়
ছিঁড়ে ফেলি সুন্দরী গোলাপ তোর পাঁপড়ি।
তোকে নিঙরে মেখে নি তোর যৌবন
জানি বলবি পাপিষ্ঠ
তোকেও এক ফুঁয়ে ওড়ায় সিগেরেটের ধোঁয়ায়।

_______________________

Wednesday, November 6, 2013

RISHI026@GMAIL.COM


### " রমণীর প্রেম " ###
লেখক : ঋষি
********************************
আজকাল এক রোগ ধরে রাখে আমায়
একলা তারা গোনার লোভ।
কতো  কিছু করার ছিল
বৃক্ষ তলে শুয়ে শুয়ে পাতা ঝরা স্বপ্ন।

স্বপ্ন স্বপ্ন চাই ,জীবন মরণ
শরীর শরীর চাই , ক্লান্ত চরণ।
প্রতিশোধ স্পৃহায় আগুনে দৃষ্টি
ঠিক রমনীর বুক ভালবাসার লোভে।
লোভের আগুনে পোড়া নারীর বুক
বিভত্স্য হাহাকার সময় সময়ের পথে।
পুড়ে যায় ,জ্বলে যায়
ধর্মের পথ অধার্মিক হিংসায়,
ধর্ষিত প্রেম অলিক চাহিদায়।
খোলা বুকে রমনীর ঠোঁট ,রমনীর বুক
জ্বলে যায় ,জ্বলে যায় ,জ্বলে যায়।

এ রোগের কোনো নাম নেই
নেই কোনো লজ্জাহীন আহামরি গর্ব।
শুধু আছে এক বুক প্রেম
হাঁটু গেড়ে দাঁড়িয়ে প্রেমিকার পথে।
********************************

RISHI026@GMAIL.COM


### " আরতি চলছে " ###
লেখক : ঋষি
****************************
পুড়তে আর পোড়াতে  বলে দিলে
আর আসতে হবে না।
সেই মুহুর্তে হৃদয় মন্দিরে
শত সহস্র খোল করতালের শব্দ
আরতি চলছে।


তোমার চোখে এক সমুদ্র স্বপ্ন
শুষে  নিল ভুল রৌদ্র খরা।
শুকনো বুকে ধুধু বালিয়াড়ি
তৃষ্ণা শুধু তোমায় জড়িয়ে ধরা।
যুগান্তরী আবিষ্কার  এক হৃদয় মূর্তি
ভাঙ্গা মন্দির ,একলা পুজারী।
একলা সময় দুরে কোথাও
স্মৃতির পথ চলা।


আরতির পরে প্রসাদ
এক বাটি রক্ত আমার তোমার মুখে।
ভেঙ্গে গেল গড়া মূর্তির সমস্ত অবয়ব
শুধু  চোখ দু খানি জ্বলছে ,
জানো  আজও  আরতি চলছে।
****************************

RISHI026@GMAIL.COM


#### " লক্ষীর আগমন " ####
লেখক : ঋষি
********************************
আনত দৃষ্টিতে দরজার গোড়ায় তুমি
এক পা ,দু পা ,তিন পা   ...  সাত পা হবে।
সাত জন্মের পায়ে পায়ে তুমি
আমার পাশে।
সাত জন্মের ভিটে  সাত সাগরের প্রেম
কাক ,চিল সব আছে
আছে স্বপ্ন ,আছে  সংসার।

বাপ ঠাকুরদার দরাজ আহ্বান
মা তুমি এসো ঘরে।
বসো ঘরে
আমার ঘরে থাকো আদর করে।

আনত দৃষ্টিতে দরজার গোড়ায় তুমি
ঘোর ভাঙ্গা স্বপ্ন ,,,
তুমি এসো  ঘরে।
বসো ঘরে
আমার মনের ঘরে থাকো স্বপ্ন জুড়ে।
সাত জন্মের ভিটেতে এই  জন্মের প্রেম
তুমি থাকো স্বপ্ন জুড়ে।
********************************

Monday, November 4, 2013

RISHI026@GMAIL.COM


### " তুমি আসবে " ###
লেখক : ঋষি
************************************
একটা কাক ডাকলো অবেলার শীতের দুপুরে
সামনে ভিক্টোরিয়ার ছায়ায় এক কু ডাকে মনে।
সবার অলক্ষ্যে বুকের ভিতর
একটা ছুঁড়ি গেঁথে যায়।
বিদায় বেলার রৌদ্র ঝরতে থাকে
এক সমুদ্র আশা।

ভয় করে বড় ভয় করে
ছিঁড়ে যাওয়া তারের ভয়।
একপ্রান্তে আটকে থাকা রৌদ্র পথের উপর
বিদায়ের কথা বলে যায়.
চলন্ত ট্রামের জানলায় খুঁজতে থাকা মুখ
অফিস কাছারির ক্লান্ত শব্দগুলো
ছুঁয়ে যায় ,সব  অগোচরে।
একটা কথা বলে
তুমি আসবে তো।

একটা কথা মাথা থেকে ঝিন ঝিন
একটা মুখ সবার মাঝে খোঁজা।
একটা হৃদয়, হৃদয় ধরতে চাই
একটা প্রানের ভালোবাসা খোঁজা।
সব মিথ্যা সব সত্যি
তোমার আসার সাথে একসমুদ্র আশা।
**************************************

মধ্যবর্তী

একটা বিস্ফোরণ দরকার ছিল  দরকার ছিল একটা সীমা ছাড়ানো চিৎকারের  তোমার বুকের কাপড় সরে গেছে ,আমি রয়ে গেছি মধ্যবর্তী  তোমার নাভির থেকে দাগগুলো যদ...