Saturday, June 29, 2019

সুর আর তান

সুর আর তান
....... ঋষি
==================================
দূরে কোথাও মেঘলা দিন
জেরবার জীবন ,ভালো থাকা কোনো অভ্যেসে অমলিন।
আকাশ খুঁজছে স্বপ্ন
মেঘেদের ঘরে আসন্ন নাড়ীনক্ষত্র সম্পর্ক।


ম্প
র্ক
আকাশ আর মেঘ ,আকাশ আর মাটি
দূরে কোথাও বাঁশির শব্দ আর জব্দ এই জীবন।
মানিয়ে নিচ্ছি সবাই
সোজাসাপ্টা মানুষ সকলেই নিজের মতো ভালো থাকতে চায়।
আকাশ মেঘে বৃষ্টি ,কিংবা বৃষ্টির মেঘ

ম্প
র্ক
আদতে তোমার সাথে লেগে আছে ভালো থাকার গান
সময়ের আদরে তুমি যে ভীষণ কাছে আমার  ।
বাঁশির শব্দ ,শব্দ জব্দ
নিরিবিলি তোমাতে বেঁচে থাকা অভ্যেস তোমাতে,
সেই সুর ,সেই গন্ধ মিশিয়ে  আমার সুর আর তান ।


নিঃসঙ্গতা
নিজের সাথে কথা বলার অভ্যেস ,পিন ড্রপ সাইলেন্ট।
খালি রাস্তায় আসাযাওয়া অসংখ্য সম্পর্ক
আজকাল কানে বাজে না আমার। 

Friday, June 28, 2019

গোলাপ

গোলাপ
,,,,,, ঋষি
===========================================
ভালোবাসি বললেই
ক্লাস এইটে পাওয়া সেই লাল গোলাপটার কথা মনে পরে
মনে পরে প্রথম পাওয়া সেই প্রেমের আমন্ত্রণকে।

তারপর আজ এতগুলো বছর
অনেক  গোলাপ তো পেলাম ,আরো কত প্রেমের হাতছানি ,
অথচ সেই প্রথম পাওয়াটা আজও বড় জ্বলজ্বল করে স্মৃতিতে।
কে দিয়েছিল তার মুখটাও মনে নেই
তবুও আমার প্রথম প্রেম আজও লুকোনো আমার মনের ডাইরীতে।

না হে
আসলে মানুষের প্রথম পাওয়াগুলো নিজের নিজের কাছে একটা আবিষ্কার।
আবিষ্কার দৈনন্দিন পথ চলতি হাজারো মুখোশের মাঝে
নিজের গভীর স্বচ্ছতা।
অদ্ভুত এক শিহরণ
আজ এতদিন পরে আমার বারান্দার টবে
সেই লাল গোলাপ। 

Wednesday, June 19, 2019

নগ্ন হেমলক

নগ্ন হেমলক
....... ঋষি
=========================================
তোর বলা শব্দগুলো কানে বাজছে ভালো থাকবি
দূরে কোথাও শুনতে পারছি  নিঃশব্দে ঢেউ ভাঙ্গার আওয়াজ।
মৃত্যুর  পথে হেঁটে যাওয়া সমুদ্রের  ঢেউ ভাঙছে এই বুকে
দেখছি তোর শব্দগুলো থেকে জন্ম নিচ্ছে
আরো প্রেম।

হেজে শুকিয়ে যাওয়া জীবনের কবিতা
আজকাল আর কেউ পড়তে চাই না ,শুধু প্রেমে পড়তে চায় মানুষ।
প্রেম শব্দটা সর্বদা নদীর মতো
নদীর পলিগ্রস্ত বুকে ফেলে যাওয়া সমুদ্রের বালি যেন অন্য দ্বীপ।
অদ্ভুত লাগে ভাবতে
তোর লাবন্য রূপ  কখন যেন বারংবার কবিতা হয়ে ওঠে
আর তখন  প্রতিবারে
আমার তোর প্রেমে পড়তে ইচ্ছে করে  ।
তখন কেন যেন আমার তোকে সমুদ্র মনে হয়
আর আমি সেই বেনামি তারা ,মিশে থাকা বিশাল আকাশে।
মাঝে মাঝে হঠাৎ তোর  মুখের অবয়বটা মনের  বাতাসে
দেখি সুরেলা ভোরে পাখির ঠোঁটে লেগে থাকা
তোর সাথে কাটানো সময়  I
মাঝে মাঝে স্বপ্নের ঠিকানায় তোকে খুঁজে পাই আমি
আমার বুকে মাথা রেখে সময় আলোর আকাশে।

প্রতি ক্লান্ত দিনের শেষ শেষে
আমি শুনতে পাই সময়ের  বোবা কান্নার আওয়াজ।
তখন তোর চোখের দৃষ্টি ছুঁয়ে জন্ম নেয় আমার অবাধ্য শব্দরা
তোর শরীরের বাঁকে  তখন আমার ছন্দহীন কবিতার শব্দ I
আমি অস্বীকার করি সেসব সুর তাল ছন্দ
যা আমাকে দিতে পারে না রাতের ঘুম।
আমি এক বেশরম প্রেমিক
যে ভালোবেসে তোকে হয়ে যেতে পারে নগ্ন হেমলক ।

ওলোটপালোট


ওলোটপালোট
........... ঋষি 
================================================
বহুকাল কবিতা লিখতে পারছি না
যা লিখছি তা শুধু পাগলের প্রলাপ অজস্র চেষ্টা।
হয়তো আমি পাল্টে চলেছি নিজের ভিতর কোনো শেওলা মানব
যে শুধু সবুজ খুঁজছে।
কিংবা কোনো সূর্যাস্ত সভ্যতার ইতিহাস লিখতে চাইছে
নিজের ভিতর ক্রমশ ফুরোনো আলোতে।

রৌদ্রে পোড়া সময়ে পুড়ে চলেছে শ্রমিকের হাত
সময়ের ছোট মনে এখন গ্লোবালাইজেশন।
ধর্মের আগুন এখন শুধু রাজনৈতিক রাবন
যে শুধু জটায়ুকে বোধ করে চলেছে।
নারী হত্যা ,ভ্রন হত্যা ,বিপ্লবের মৃত্যু শুধু সাক্ষী রেখে গেছে
সেই ধর্ষিত আদিবাসী সভ্যতার বুকে।
আমার শব্দরা আজকাল শুয়ে আছে মৃত্যু বুকে নিয়ে
চিতার আগুনে আজকাল আমার বারুদের গন্ধ।
কিছু পাল্টাচ্ছে না
কিছুর বদল নেই ,
শুধু সময়ের কামানে এখন ঘুম পাড়ানির গান
মানুষকে ঘুম পড়ানোর মন্ত্র।

আমি চাই কোনো এক সকালের ঈশ্বরের কুঠারে
ফিরে আসুক সেই আদিম সভ্যতা।
আমার গায়ের শেওলাগুলো উঠে গিয়ে শব্দ চাপা হোক
সময়ের ছাপাখানায় তখন সব ওলোটপালোট ,শুধু আলোর দিন।
আর সকালে সূর্যের হাসিতে
হেসে উঠুক সেই বেওয়ারিশ ছেলেটা যার মৃত্যু বুকে। 

ছায়া যুদ্ধ

ছায়া যুদ্ধ
........... ঋষি
=========================================
অন্তর্বর্তী কোনো ছায়া যুদ্ধ
কেন জানি আজকাল যুদ্ধ শব্দটা খুব সহজে সময়ের পাতায়।
ফোঁটা ফোঁটা রক্ত ,এদিকে ওদিকে ছড়ানো বডি
অসংখ্য হাড়গোড় বেড়োনো সমাজ।
রিমেকের হিড়িক
আমাদের আর নতুন কিছু কি করার নেই ?

কিছুটা এগিয়ে গেলে বিশুদার চায়ের দোকান
জানতে ইচ্ছে করে চায়ের দোকানের মালিকের নাম বিশুই কেন ?
নরেন্দ্র হতেই পারে।
একদল কুকুর  সময়ের রাস্তায় সহবাস করছে ,ঝগড়াও
আচ্ছা মেয়ে কুকুরগুলো এমন সস্তা কেন ?
সকলের সাথেই চলে যাচ্ছে।
হাজারো রাস্তা ,হাজারো তার নাম ,তার দিশা
প্রতিটা রাস্তার শেষে বিভ্রান্তিকর অদ্ভুত রঙিন মলাট।
বিষয়বস্তুর নাম কি আশ্চর্য একটা  যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা চলছে
অথচ সবাই আড়ালে।

অন্তর্বর্তী কোনো ছায়া যুদ্ধ
আমার শব্দরা ক্রমশ দুর্বোধ্য কোনো সময়ের কফিন।
কারণ আমি জানি কলমই যুদ্ধের শেষ অস্ত্র ,
মৃত্যুর আগে মানুষের লড়াইগুলো যে টুঁটি চেপে ধরছে সময়।
এই যুদ্ধের অস্থিরতায় বেড়ে যাচ্ছে
মানুষের ভাতের কান্না আর ভালোবাসার রোগ  I

পাতা ঝরা

পাতা ঝরা
.......... ঋষি
=========================================
অতিপরিচিত রোদে পুড়ে চলা সবুজের টান
এক ঝাঁক পাতা।
খয়েরী আভা বাড়িয়ে তুলছে পিছুটান শহরের অলিগলি
হাঁপিয়ে ওঠা সম্বল।
নিজেকে ভোলাতে হেঁটে চলা অজস্র অযুতনিযুত অজুহাত
পরিচিতরা বলে শুভকামনা।

হাসিতে লেগে আছে নাগরিক অধিবেশন
একটা বিশাল শবযাত্রা সৎকারের উদ্দেশ্যে এগিয়ে চলে অজান্তে।
শহরের অলিগলি পেরিয়ে
খোলা নর্দমা ,ময়লা খুপচি বাড়ি ,হারানো উঠোন ,লুকোনো হাসি
চাপা পড়েছে  ক্রমশ অগরু  আর ধূপকাঠিতে।
কিছুক্ষনের মধ্যে অন্ধকার ঢেকে যায় চেনা শহরে
চেনা পথে অজস্র অচেনার মাঝে আমি নির্বাসিত।
কানের গভীরে কে যেন হেসে বলে
একদম মনখারাপ না ,একদম একলা না।
আমিও হেসে উঠি অজান্তে
দূর থেকে শুনতে পাই মৃত্যু পথযাত্রীদের শব্দ
শুকনো পাতাঝরার।

অতিপরিচিত রোদ,বোধহয় নিম্নচাপ
কিছুক্ষণের মধ্যে অন্ধকার আমার শহরের বুকে।
আমার মতো কেউ দেখতে আমার দিকে এগিয়ে আসে
মুখে তার অনেকদিনের লুকোনো বৃষ্টি।
সবাই বলছে সময়ের রোগ
আর আমি স্কচে'র সঙ্গে বরফের বদলে গিলতে থাকি আপসোস।

time flies


Time flies over us ,but leaves its shadow behind ....
.
তোমার শব্দগুলো জুড়ে একটা কবিতা লিখতে চাই
আর তো কিছু পারি না আমি।
অন্ধকার পর্দার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে অজস্র কালচিত্র
আবিষ্কার শুধুই আর্দ্রতা সূত্র।

আর  তো কিছুই পারি না
ভালো চাওয়া  ছিনিয়ে এনে চোখে তুলে ধরা কাস্তে ,হাতুড়ি ,তারা
শ্রমিকের মানদণ্ড। 
গোপন ইশারা
তোমার বুকের লুকোনো তিলে আশ্চর্য তারিখ
না ভালোবাসি বলতে পারি না।
তোমার মস্তিস্ক নিউরনে স্নায়ু যুদ্ধের ছন্দপতন
আয়নায়  লাগানো ঠোঁট।
বারংবার বম্বিং ,
আকাশ থেকে নেমে আসা অসংখ্য আশীর্বাদ
সময়ের নীতিতে ঝিমিয়ে  পড়া ভ্রূণ মৃত্যু
সময় এগোচ্ছে।

তোমার অবয়ব জুড়ে শুধু এতটুকু ভালো চাওয়া
আর তো কিছু পারি না  আমি।
সময়ের কালো পর্দার ওপারে সবটাই আগন্তুক
আবিষ্কার শুধু নতুন সময়।
.
.......... ঋষি

Tuesday, June 18, 2019

স্বপ্ন শহর

স্বপ্ন শহর
..... ঋষি 
=============================================
অঞ্জন দত্তের গিটার কলকাতা ষোলো থেকে
আজ উনিশ ,বদলাচ্ছে।
ছায়াময় সময়ের  বুকে স্যাক্সোফোন আর আকাশ ঢাকা বাড়ি
কল্পনার আকাশ ,বদলাচ্ছে।
.
ঈশ্বর কোনদিন তেমন ভাবে ছুঁতে চাইনি আলো অথবা অন্ধকার
শুধু স্পর্শে খুঁজেছে প্রেম নিজস্ব অধিকারী।
আর আমরা মানুষ শুধু অহংকারে খুঁজে মরি গোপনে প্রেম
পুজোর বদলে শুধু খিমচে ধরি।
আমিও খুব সাধারণের মতো তোমাকে স্পর্শ করি
খুলে ফেলি তোমার তরল রূপ।
.
তোমার  হলুদ শাড়িতে  চেনা ছকের বাইরের
জীবনের অন্যরূপ।
ঈশ্বরের মুখে খিদের মানচিত্র ,মানুষ রুপী  জানোয়ার
তোমাকে তো সবসময় বলি
এই সভ্যতায় ঈশ্বর শব্দটা সময়ের অধিকারের সাথে মানায়।
আর আমরা সাধারণ রুপোলি চাঁদের মতো ভাত
আর স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি।
.
অঞ্জন দত্তের সেই কালো মেয়ে ম্যারিয়ন থেকে
আজ রূপসী শহর বদলাচ্ছে।
ক্ষোভ আর ব্যর্থতার মধ্যে বাড়তে থাকা নগ্ন ঈশ্বর
স্বপ্ন কল্পনায় ,বদলাচ্ছে। 

মীমাংসা

মীমাংসা
..... ঋষি
=========================================
সামাজিক বাতাসে তোমার উপস্থিতি
তোমার গেরুয়া জামার পাশে গম্ভীর একটা মুহূর্ত।
এ জীবন তো আসলে পরীক্ষামূলক
আমার শহরে শ্যাডোতে ভেসে উঠছে ট্রামের শব্দ।
এলোমেলো সাজানো শব্দ
বড্ডো আবদারে তোমার ব্যস্ততায় সাজানো পুতুলখেলা।

মীমাংসা সে যেন কেমন একটা গোলমেলে
মেঘলা দিন মানে তুমি আর রৌদ্র দিন মানেও তাই
কি বদলায় ?
ক্যামেরায় স্বকীয় ভঙ্গিমায় সেলফির পারে রাখা জীবনের ঘর
ঘরের ভিতর ঘর ,
তারপর বাদশা ,সাহেব ,গোলাম।
আমি শব্দ দিয়ে চিরকাল চারকোলে তোমাকে আঁকি
তোমার নগ্নতার কাছে এইটুকু স্বীকৃতি।
এখন আর রাগ হয় না
বারংবার  ক্রমাগত অন্য কোনো মহিলার গলার স্বর
তোমার ব্যস্ততায় একলা আমি।

সামাজিক স্যোশাল মিডিয়ায় সকলেই মুখোশে
মুখোশ তোমার শহরে বিক্রি হওয়া  সেই ফেরিওয়ালার হাতে।
এই জীবন যে অন্য শহরে ঝরতে থাকা ঘাম
আর ব্যাকগ্রাউন্ডে কোনো অভিমানী বিকেলে একলা হাঁটা।
এই শহর বদলায় প্রতি রাতে
গৃহস্থের ঘরে তখন রাতপাখির একাকিত্বে সময়ের নিশ্বাস। 

Saturday, June 15, 2019

ম্যানিকুইন

ম্যানিকুইন
............ ঋষি
====================================
সত্যি বলতে কি চলন্তিকা
আমরা কেউ ভালো নেই, দেওয়ালে আটকানো ক্যালেন্ডার
ঠিক যেমন হাওয়ায় উড়ছে ,ঠিক তেমনি।
ঠিক যেন আকাশে শকুন আর মাটিতে ছোট্ট জীবন
তার মধ্যে আমরা  ভালো থাকার কারণ খুঁজছি।

 আগে পরে কিছু নেই
বারংবার বিব্রত হয়ে ঈশ্বরের চোখের দিকে তাকাচ্ছি আমরা।
আর মৃত ঈশ্বর একইরকম হেসে চলেছেন ,
সেই হাসিতে কোনো স্বাদ নেই ,কেমন একটা বিস্বাদ।
এরই মাঝে আমরা এগিয়ে চলেছি
মৃত মিছিলে।
আমাদের হাতে মোমবাতিতে লেখা শিশু ধর্ষণ ,কর্মহীনতা
মানুষের হাজারো পাপ।
শুধু আকাশের দিকে তাকিয়ে আমরা পিঠ চাপড়াচ্ছি নিজেদের
কিন্তু  হিসেবের খাতায় ক্রমশ আমরা ফুরিয়ে চলা একটা সভ্যতা।
আমরা হাসছি
ঠিক যেন গ্লোবালাইজেশনের কোনো মলে
সাজানো ম্যানিকুইন।

সত্যি বলছি চলন্তিকা
আজকাল লিখতে বসলে ,লেখার পাতায় রক্ত বৃষ্টি হয়,
মানুষের সভ্যতার।
আমরা কি তবে নিজেদের ভিতর ক্রমশ কুন্ডলী পাকাচ্ছি
হয়ে উঠছি  সব বিষাক্ত অজগর। 

Friday, June 14, 2019

Time


Time is always impossible ,until its ruin.......
.
কালরাতে বৃষ্টি হয়েছিল
ক্যারেন্ট ছিল না কিন্তু জানো ঘুhgমের ভেতর ভিজে যাচ্ছিল একটা বন।
রাস্তায় কেউ জোরে হর্ন বাজাচ্ছিল বাজাচ্ছিল স্টোরি
নিউজপেপার হেডলাইন ব্যাপক মার পড়েছে হাসপাতালে ।
আসলে  বদলে যাচ্ছে দিনের রঙ
বদলাচ্ছে হাতের আয়ুতে রাখা মানুষের ভাবনার ফসল।
.
কূপমণ্ডুক সব
ঔরঙ্গজেব আজ মৃত হলেও বেঁচে আছে মানুষের মনে।
ঘুমের মধ্যে হাঁটতে হাঁটতে একসময় বিকেলের শেষ লন পেরিয়ে যাই
সামনে হাসপাতালে প্রসূতিঘর ,
কোনো শব্দ নেই
দরজা ফাঁক করে দেখি শৈশবগুলো মরছে ,
গলে পচে যাচ্ছে পেট ফোলা মহিলাগুলো।
কখন যেন যমদূতের মতো কিছু অশিক্ষিত মানুষ সেই ঘরে
ঢিল ছুঁড়ছে ,শহরের দেওয়ালে হোলির বেলুন ছোঁড়ার মতো রক্ত।
কি কান্ড
আমি হেঁটে যাচ্ছি শহরের পথে ,এত শব্দহীন।
মায়ের মৃতদেহ নিয়ে মানুষটা হাসপাতালের গেট থেকে বেরোচ্ছে
শেষ চেষ্টা করা গেলো না ,ডাক্তার প্রতিবাদে। ছুটিতে যে।
কি হবে ,ঘুম ভেঙে যায়
কে অন্যায় ? কি অন্যায় ?
সভ্যতা না সভ্যতার মানুষ।
.
গতরাতের স্বপ্নের ভিতর আমরা বসে  আছি আজও ,
বসে থাকবো।
নপংসুক অশিক্ষিত সমাজের দরজায় গান্ধীজি লাঠি নিয়ে হাঁটবেন
কিন্তু বদলাবে কি ?
আদমের লাল ফল,জনতার উন্নাসিকতা ,ডাক্তারের অভিমান
মশাই আমার মা মারা গেলেন বিনা চিকিৎসায়।
.

 .... ঋষি 

Tuesday, June 11, 2019

অবাক পৃথিবী

অবাক পৃথিবী
.......... ঋষি
===========================================
লুকোনো স্বপ্নগুলো তাড়া করে
আমি তোমার  গভীর  উঠোনে গিয়ে উঠি।
তোমার  আঁচল টেনে ধরে
নিজেকে ঢাকতে চেষ্টা করি অজস্র চোরাবালি আমার চারিপাশে।
অবাক চোখে পৃথিবী দেখি
চিনতে পারি না সময় ,চেনবার চেষ্টা করি নিজেকে তোমার আয়নায়।
.
বারংবার নিজের কবিতায় তুমি
কখনো হয়তো নবারুণের ধারালো সূর্য আমি ছুঁতে চাই বামনের মতো।
আবার নিজের  আয়নায় তাকিয়ে দেখি
নিতান্ত সাধারণ এক পুড়ে চলা মানুষ  বাস্তবতায়।
দগ্ধ আধ পোড়া সিগারেটের আগায়  তামাটে পৃথিবী
স্বপ্ন ফেরি করে আমি সময় কিনি  ,
কিনি কষ্ট ,গলার কাছে আটকে থাকে না বলাগুলো।
 হঠাৎ কখন দক্ষিণের জানলা দিয়ে
একফালি মিষ্টি হাওয়া কানে কানে বলে
কই রে ,কখন থেকে খুঁজছি তোকে ,কেমন আছিস
 আমি ফেটে পড়ি হাসিতে জীবনের কথায় ,
সবটাই সামাজিক।

 লুকোনো স্বপ্নগুলো তাড়া করে
আমি তোমার উঠোনে গিয়ে উঠি প্রতিদিন।
স্বর্গের দুয়ারে দাঁড়িয়ে তোমার অপেক্ষায়
অবাক চোখে সাক্ষী হয়ে থাকি পৃথিবীর মিথ্যে বাঁচায়।
আর তারপর কখন যেন রাত্রি হয়
আমাকেও ফিরে যেতে হয় তোমাকে ছেড়ে সাজানো রাস্তায়। 

বিষাক্ত মানুষ

বিষাক্ত মানুষ
.......... ঋষি
==============================
আমায় ভালোবাসতে এসো না কখনো নারী
নিঃশ্বাসে লেগে কয়েকশো বছরের বিষ।
বুকের আগুনের অছিলায় যদি শরীর ভোগ করতে চাও
লাভ নেই ,
বহুদিন ঢাকা পরে আছি মৃত  লতাগুল্মে যুগের অভিজ্ঞতায়।
আমার আস্তিনের রক্তে ভালোবাসা গাংচিল
আমি তো উপস্থিতি মাত্র।

আমায় ভালোবাসতে এসো না কখনো নারী
নিঃশ্বাসের ফাঁকে কখন যেন জলফড়িং সবুজ পাতার ডগায় ডগায়।
আমি ঈশ্বর নই
তাই বোধহয় সাধ হয় মাঝে মাঝে জড়িয়ে ধরি নারী সাগর।
ডুব দি তোমার নরম শরীরে
সে তো মুহূর্ত মাত্র।
আমি রক্ত করবীর নায়ক সাজি যদি
তুমি কি নন্দিনী হতে পারবে ?
তাই দরজা বন্ধ করো ,জানলা বন্ধ করো
আমাকে ভরসা করো না।
যে সময়ের জেহাদ লেগে আছে আমার বুকের জঙ্গলে
সেখানে হারাতে চেও না ,
দাবানলে পুড়ে যেতে পারো।

আমায় ভালোবাসতে এসো না কখনো নারী
শুধু বিশ্বাস করতে পারো মানুষ হিসেবে।
কিন্তু কখনো ভুল করে সোহাগের আদর দেখিয়ে না
আমার নাকে রজনীগন্ধা বিষ।
বহুযুগ উপোষী বাঘের মতো এই মৃত সময়ে আমি মুসাফির
আমার নখে লেগে ভালোবাসার রক্ত
তাই আমাকে জড়িয়ে ধরো না।

সামাজিক

সামাজিক
......... ঋষি
=============================================
এতক্ষন ধরে শুধু সুখ নিয়ে কথা বললে
কিন্তু  শা ........ন্তি।

অন্ধকার  দুপুরের রোদ
ভালোবাসার প্রয়োজনে খোঁপা খুলে নিংড়ে পরে সম্পর্ক।
এক লোম খাড়া করা বিকট বেড়াল
আক্রোশে খামচাতে থাকে  তরল কোনো প্রয়োজনের  বিছানা ।
হ্যা বৃষ্টি হয় কিন্তু প্রকৃতির নয়
হ্যা নদী ভেসে যায় ,গোঙাতে থাকে শরীর ,আঁশটে একটা গন্ধ।
বমি আসে আজকাল
তবুও আমি সামাজিক।

সবার মনের ভিতর একটা নিজের বাড়ি থাকে
থাকে মনের  সিন্দুকে লোকানো হাজারো স্বপ্ন।
 স্বপ্ন কখনো কখনো একঘেয়ে অন্দরমহলে হাতাখুন্তি নাড়ার ফাঁকে বিদ্রোহী
আর খুলবে না সে ,সিন্দুকে তালা
তারপর কয়েক শতাব্দী পর সেই সিন্দুকের হাজারখানেক চাবি  ।
ঢুকে যায় ,নিজের মতো করে সম্পর্ক খোঁজে
 নীল আকাশের মেঘে অসময় মেঘ ,মনখারাপ।
একদম চুপ ,বলতে নেই
তবুও আমি সামাজিক।

এতক্ষন আমি নিজের কথা বললাম বেখেয়ালে
সাধারণ কিন্তু  আজও  সামা..... জিক। 

heart beat

I want to hear your heart beat
as we fall asleep togather......

সিঁড়ির ওপরে সিঁড়ি
পা রাখি ধীরে, খুব ধীরে সময়ের অযুতনিযুত।
শরীরের উন্নত  ধাপ, স্থির
অন্ধকারের স্রোত, উৎস, মিশে যেতে চাই।

সারারাত
প্রেমিকা এই অন্ধকার , উৎস  চলি, চলি, দুই পাড়।
চোখের স্তব্ধতা, রক্তের পৌরুষে আস্ফালন
ঠোঁট রাখি ঈশ্বরের পাতায়।

ফুল ফোটে নিস্তব্ধে , সিঁড়ির ওপরে সিঁড়ি
 সারারাত !ছুঁচ ফোঁটা শরীরে ব্যাকুলতা।
ঘুম চুরি হয়ে গেছে বহুদিন
তোমার না ফুরোনো হৃদয়ের গন্ধ।

আমি ঠোঁটে আঙুল ঘষেছি
 দুইপাড়ে জল ,তৃষ্ণা না মেটা স্বভাব জলের।
খিদে বাড়ে ,বাড়ে রৌদ্র ঝড়া পাতা
গরম নিঃশ্বাসে  ঈশ্বরের শরীরে ঘাম।

আর কিছু নয়
 সারা শরীর জুড়ে ব্যস্ত মানুষের আসা যাওয়া।
আমি সিঁড়ি পেড়িয়ে যায়
অথচ তুমি আসো না সহজে  ঈশ্বর স্পর্শে।
.
     ........ ঋষি 

ঈশ্বরের সাথে কথোপকথন


ঈশ্বরের সাথে কথোপকথন
......... ঋষি
=====================================
তুই ছাড়া আমার কে আছে ?
আমি বললাম আকাশ।

আকাশ ছাড়া তোর কে কে আছে ?
আমি বললাম নদী  ,সমুদ্র ,বৃষ্টি ,আমার একাকিত্ব
আর আমার কবিতা।

ঈশ্বর হাসলেন
খুব হাসলেন ,
বললেন  একবারও তো জীবনের কথা  বললি  না,মূর্খ মানুষ ।
আমিও হাসলাম খুব
খানিকটা অবাক হয়ে ঈশ্বরের চোখে চোখ রেখে বললাম
জীবন মানে তো বেঁচে থাকা ,
সে তো আমরা সবাই
কিন্তু আপনি বলুন বেঁচে থাকা মানে কি শুধুই দিনকাটানো
নাকি সমঝোতা কোনো ডুবে যাওয়া নাবিকের মতো  ?

ঈশ্বর মুচকি হাসলেন
বললেন বলতো জীবন ছাড়া আর কি আছে তোর কাছে ?

আমি হাসলাম খুব ,তারপর বললাম আমি আছি
আর আছে একজন খুব গোপনে
আমার একজন প্রিয় কবিতা।

ঠিক একদিন

ঠিক  একদিন
............ ঋষি
======================================
আমার কবিতার খাতা জুড়ে তোমার আনাগোনা
আঙ্গুল গড়িয়ে কখন যেন কেটে যায় এক একটা দিন।
তোমার হাজারো নিষেধ সত্বেও
সিগারেটের সাথে আমি তোমাকে পুড়িয়ে চলি আমার স্বর্গযাত্রায়।
তোমার হাজারো চুমুর সাথে
আমি নিজেকে মৃত ঘোষণা করি  আমার বেঁচে থাকায়।
.
তবুও সকালের ব্রেকফাস্টে সিদ্ধ ডিমের সাথে তোমার মুখের মিল
বারান্দায় ফোটা নতুন ফুলের সাথে তোমার মিল পাই।
মাংস রান্না হয় নিয়মকরে তোমার বাড়িতে রবিবার
,আর আমার শৈশবের  চোখে খুশী।
বলবো না কখনো তোমার রান্নাঘরে লুকোনো সেই আমি
গ্যাসের নীলাভ  শিখার সাথে আমি পুড়ে যায়।
নদীর সাথে ,
সমুদ্রের সাথে
পৃথিবীর মাটিতে আমার হাজারো ঋন ।
শোকেসে সাজানো আমাদের জীবনগুলো আসলে বেঁচে থাকা নয়
সুখের অসুখ।
কিংবা মৃত্যু গড়িয়ে যাওয়া ভবিষ্যতের দিকে
এক একটা দিন।

আমার কবিতার খাতা জুড়ে তোমার আনাগোনা
আঙ্গুল গলে কখন যেন কেটে গেছে সময়।
একদিন সূর্য ডুবে গেলে আমি শহরের সবচেয়ে উঁচু ছাদে দাঁড়িয়ে
 চিৎকার করবো তোমার নাম নিয়ে।
তারপর তোমাকে জড়িয়ে ধরবো
আর ভাসতে ,ভাসতে তোমার সঙ্গমে নেমে আসবো মৃত্যুর সাথে। 

চিলেকোঠা


চিলেকোঠা
...... ঋষি
=========================================
স্মৃতি আর স্মৃতি
জীবনের পদাবলীতে ফোল্ডেড একটা চ্যাপ্টার ১১ ই জুন।
তোমার চোখে চোখ রাখি ,বুকে বুক আবার
বহুদূর একলা  দুপুর দোতলার চিলেকোঠা  পড়ে আছে একা
চলো  না সেখানে যাই।

করিডােরে তপ্ত দুপুরের হাওয়া
বাড়ি ঘেঁষা বউটুপিওয়ালা নামনা জানা সেই বিশাল গাছটা
শালিক আর কাকের আনাগোনা।
স্নান করেছো কি আজ ? এলোমেলো এক ঝাঁক কোঁকড়ানো চুল।
খেয়েছ কিছু  ? কলেজ ছিল সকালে
কিছুই ভালো লাগে না আজ , অফিস যাওয়ার তাড়া
এক গাল না কাটা বহু যুগ পেড়োনো দাঁড়ি।
নোংরা শর্টস ,গেঞ্জি
নিজের দিকে তাকাই ,তাকাই আয়নার দিকে
চিনতে পারছি না তোমায়।
কাল রাতে আকাশের গায়ে অর্ধেক চাঁদ হাসছিল আমায় দেখে
বলছিল বোকা পাগল একটা।

স্মৃতি আর স্মৃতি
ধোপদুরস্ত পোশাক ,ক্লিন সেভ্ড আমি আজ সকালের আয়নায়।
এখনও হাঁটছি মনের কোন হাজারো না লেখা কবিতা
তুমি ও হাঁটছো , পুরোনো ১১ ই জুন পেরিয়ে আমরা
কিন্তু আমার মতো তুমিও কি মিস করছো চিলেকোঠার ঘরটা।

Friday, June 7, 2019

তথাস্তূ


তথাস্তূ
আমরা তো ঈশ্বর হতে পারি না  .......!!
.
সময় জুড়ে কতো ছন্দ, কতো গন্ধ - আনন্দ
উজ্জ্বল উপস্থিতি ,সজীবতা।
খোলা চোখে দেখা আটপৌরে জীবন
মুগ্ধতা সময় পেরিয়ে পাহাড়ের মাথায় দেখা সূর্যোদয়।
ভালো লাগা সবুজকে আহবান
আদরের কবিতায় ছড়াছড়ি অজস্র আনন্দের উপলব্ধি ।
.
জীবনটাকে উল্টো করে ভাবলে কেমন হয়
কেমন হয় যদি হঠাৎ মৃত্যু থেকে হাঁটা শুরু করি জন্মের দিকে।
জীবনের নানা ভুল
জীবনে অজস্র স্বভাবের অভাবগুলো তখন অজানা নয়।
অজানা নয় শিউলি পেরিয়ে হাঁটার অভিজ্ঞতা ,
কিংবা হেঁটে যাওয়া আগুনের পায়ে লেগে থাকা কষ্টগুলো।
না তখন আর কষ্টের কবিতা নয়
কবিতা তখন উপলব্ধি কোনো বাঁচার আলো।
তাইতো আজকাল ঈশ্বর হতে ইচ্ছে করে
ইচ্ছে করে সময়কে তথাস্তূ বলতে, ফেলে আসা প্রাক্তনি বিকেলকে।
সময়কে সর্বদা  গ্রাস করা আচ্ছন্ন অন্ধকার
তাই বোধহয় মানুষের ঈশ্বর হওয়া হয় না।
 .
সময় জুড়ে কতো ছন্দ, কতো গন্ধ - আনন্দ,হাজারো স্মৃতি
চলন্তিকা এগুলোও তো সাথে নিয়ে বাঁচা যায়।
তবুও খসে পড়া পাতা মাড়িয়ে যেতে যেতে
সময় কেঁদে ফেলে আমাদের মতো  ,বুকে জড়িয়ে ধরে কষ্টকে।
তবুও তো চলন্তিকা বাঁচতে হবে
সময়ের সাথে ,সময় জুড়ে জানা মৃত্যুর দিকে পা বাড়িয়ে।

.
........ঋষি 

Thursday, June 6, 2019

ভালোবাসা ঈশ্বর


ভালোবাসা ঈশ্বর
.... ঋষি
============================================
শূন্যতা  শব্দটার মধ্যে লুকিয়ে আছে চলন্তিকা
সুরযকা সাতমা ঘোড়া।
বারংবার সূর্য শব্দটা লিখতে কেন জানি সময়ের বড় ভুল হয়ে যায়
যে ক্ষতদের কথা তুমি বলো ,সেগুলোতে ক্লান্তি মাত্র।
রাতের বিছানায় ঘুম না আসাটা
বুকের চাদরটা ভালোবাসায় জড়িয়ে ধরাটা আসলে বেঁচে থাকা।
.
ঘামের গন্ধ থেকে তোমাকে খুঁজে পাওয়া
আকাশের নক্ষত্রদের গায়ে মাদুর পেতে তোমার সাথে গল্প
শুধু বাঁচতে চাওয়া।
অচেনা ভাষার আর্তনাদগুলো আজকাল চলার সফরে বড় অচেনা লাগে ,
শুকনো  জিভে আটকে থাকা না বলাগুলো
একলা থাকে স্বপ্নের মতো।
দুর্যোগের কালো মেঘ যেন দলছুট ইচ্ছা অস্থির এলোমেলো হাওয়া
বড় বেশি একলা করে
বদলানো ঋতু,সময়ের নিয়ম আর হিসেবে মাফিক একলা বাঁচায়।

আসলে  বৃষ্টি আসার কথা ছিল  কথা সমস্ত ঈশ্বরকে ভিজিয়ে
সমস্ত শহরে জল জমা রাস্তায় ,সমস্ত হৃদয়ে
ঈশ্বর লেখার কথা ছিল তোমার নামে।
তোমার শাড়ির আঁচলে নিজেকে লুকিয়ে
লেখার কথা ছিল ভালোবাসা ঈশ্বর।
সন্ধ্যের মুখোমুখি অগুনতি আসাযাওয়ায় রঙিন  রঙ ঢেলে
একটা ছবি আঁকার কথা ছিল স্বপ্নের মতো।
যে স্বপ্নে আমি রাজা আর তুমি  রানী
আর বাকি সব আর জানতে ইচ্ছে করে না।
শ্রূতি ,প্রতিশ্রূতি বৃষ্টি অধিবাস সব ভুলে
শুধু তুমি যে ঈশ্বর তখন।
.  .   .

গোপনে

গোপনে
........... ঋষি
=======================================
আমার কবিতা পড়লে
হয়তো তুমি নেমে যেতে পারো নিজের কাছে
কিংবা ধরো কোনো অচেনা বৃষ্টিতে হঠাৎ ভিজতে পারো।
হয়তো কখনো আমার কবিতায়
তুমি গেয়ে উঠতে পারো রবি ঠাকুরের সেই প্রেম পর্যায়ের গান
" যদি তারে নাই চিনি গো সে কি আমায় নেবে চিনে "।
.
আমার কবিতা পড়লে
হঠাৎ বারান্দায় দাঁড়িয়ে কোনো অচেনা এক ভিখিরি মুখে
তুমি খুঁজে পেতে পারো তোমার পুরোনো প্রেমিক।
কিংবা ধরো শাওয়ারে জলে নিজের নগ্নতাকে
তুমি ভালোবাসতে পারো নতুন করে
জড়িয়ে ধরতে পারো নিজেকে আয়নায় প্রেমিকার মতো।
আমার কবিতায় সময় লেখা থাকে
লেখা সময়ের বুকে পা দিয়ে হেঁটে চলা কিছু নাগরিক লুকোনো তুমি
আমার কবিতায় আগুন লেখা থাকে
শামুকের খোলে বাস বিদ্রোহ শুধু হঠাৎ করে মেরুদণ্ডে।
আমি তোমাকে লিখি সময়ের মতো
কোনো বিশালের মিছিলের  সামনে সময় সে যেন তুমি
আমার চলন্তিকা ,সময়ের রূপ।
.
আমার কবিতা পড়লে
তুমি হয়তো সনাক্ত করতে পারো পুরুষের তৃতীয় পা।
কিংবা কোনো বন্য আদরে
হত্যা নিজেকে আবিষ্কার করতে পারো স্বপ্নের বুকে।
আমার কবিতা তোমায় লেখে দিনে রাখে
তাই চলন্তিকা এই কবিতা খুব আপন তোমার গোপনে। 

তোমার জন্য


তোমার জন্য
.... ঋষি
=====================================
তোমাকে ভালোবাসতে
বিশ্বাস করো  তোমাকেও দরকার পরে না আজকাল।
আকাশ বাতাস ছাড়িয়ে অজস্র শব্দ পতন ,রিমিকি গান
একঘেয়ে বেজে চলে ক্যান্টিনে ,হোস্টেলে ,বাসের সফরে ,
না আর দরকার নেই
নিজের হেডফোনে খুঁজতে থাকা একলা বিরহ।
.
আর মনে হয় না আমি বাসের কন্ডাক্টর
তুমি যাত্রী ,কিংবা হঠাৎ কোনো একলা রাস্তায় তুমি দাঁড়িয়ে
আমি বৃষ্টি।
বিশ্বাস করো আর দরকার পরে না তোমাকে ছোঁয়ার জন্য
আমি তো তোমাকে ছুঁয়ে বাঁচি নিজের গভীরে।

আমি জানি  পৃথিবীতে কোনো ফ্রি জোন নেই
আছে এক নির্লিপ্ত চেতনা যা বরাবরই কমফোর্ট জোন। 
সেখান থেকে আর বেরোতে ইচ্ছে করে না
ইচ্ছে করে না মনের প্রতিমা ছেড়ে নকল প্রতিমা গড়তে।
 এখন বোকার মতো তোমার জন্য অপেক্ষা করা নিষ্প্রয়োজন
নিষ্প্রয়োজন লাল গোলাপ হাতে পার্কের দরজায় লুকিয়ে দাঁড়ানোর।
অবধারিত ,অযথা
 উলঙ্গ  গিটার হাতে আর আমার তোমাকে গাইবার দরকার পরে না
 দরকার পরে না একলা বৃষ্টিতে মনখারাপের।
.
তোমাকে ভালোবাসতে
বিশ্বাস করো তোমাকেও আর কাছে লাগে না আমার।
আমি তো তোমাকেই ছুঁয়ে থাকি সর্বদা ,প্রতিক্ষণ
এখন আর প্রতিমুহূর্ত তুমিহীন আত্মহত্যার প্রয়োজন হয় না।
কারণ তুমি তো আমাকে ছুঁয়ে বাঁচো
আমার কবিতার মাঝে ,আমার ঘুমে ,আমার জাগরণে। 

সঙ্গ দোষ


সঙ্গ দোষ
............. ঋষি
======================================
সঙ্গ দোষ মশাই 
ধারনার ভিতর হেঁটে চলে সময় দূরত্বের মতো।
দূরত্ব একটা দুর্বলতার অভিধান
এই ধরুন দশ দশবার আপনি কল করলেন আপনার প্রেমিকাকে,
ফোন উঠলো না বরং আপনার একাকিত্বের সঙ্গদোষে
পাশ থেকে একটা অজগর ডেকে উঠলো।

ব্যাকরণ ভুল মানে না
ভুল সময়গুলো সর্বদা অবয়বহীন সরীসৃপের মতো। 
খোলস ভিতরে গুটিয়ে থাকে মানুষের সহ্য
আর মশাই তার যদি সীমানা ছাড়িয়ে যায় দেখবেন ;
বিশাল বিশাল নোঙ্গর বাঁধা থাকলেও আপনার এক ফালি নৌকার  সাথে
আপনি সমুদ্রের স্রোতের সাথে এগিয়ে যেতে থাকেন। 
আপনার হাত-পা লোহা-লোহা
ক্রমশ জলের মধ্যে থাকতে থাকতে শ্যাওলা জমে গায়ে
দারুন কনট্রাস্টটা
লাল ,সবুজ কেমন একটা শ্যামলা রঙের মানুষের ভুলগুলো।


সঙ্গ দোষ মশাই
অদ্ভুত রোগ আপনার ধারণার ভিতর আপনার অজানাতে।
দূরত্বের নিরামিষ পত্রিকায়
করগোনা কিছু খুব গভীর সম্পর্ক।
হাতের মুঠোফোন আপনার  বেজে ওঠে এই সময় 
ওপাশ থেকে সেই শ্যামলা রঙের মেয়েটার নরম গলার স্বর। 

Wednesday, June 5, 2019

কথা ছিল

কথা ছিল
.......... ঋষি
====================================
কথা ছিল হেঁটে যাব ছায়া পথ ধরে
হাজারো বছর ধরে কোনো অন্য গ্যালাক্সিতে স্বপ্নের মতো।
কিন্তু মানুষের গভীরে  যেতে যেতে বুঝেছি
তারা  ক্লান্ত ভীষণ ,
তাদের দুচোখের পাতায় হাজারো বছরের ঘুম।

প্রবল বৃষ্টির আকাশে মাথা ঠুকে নিজের মতো মানুষ স্বপ্ন গোছায়
প্রথম প্রেমের বিরহের গল্প মতন কিছু অদ্ভুত স্মৃতির
হাওয়া ঘর ।
ঝড় ওঠে মেঘলা দিনে
হয়তো বা বৃষ্টিটা আরো একটু ছুঁয়ে দেয় মানুষের গভীরে।
মানুষের চোখের গভীরে জল শুকিয়ে থাকে
শুকিয়ে থাকে শুকাভূকা সেই দরিদ্র সমাজ মানুষকে জড়িয়ে।
হাজারো ট্রেন মানুষের স্টেশনে থামে
সুপ্রভাত ,প্রাতরাশ ,হয়তো কোনো পিকনিক জীবনে
আর তারপর সেই অলস জীবন স্মৃতি নির্ভর।
আসলে স্মৃতি থেমে থাকে না স্টেশন বদলায়
নেশার ঘোরে মানুষ
শুধু জীবনের বাঁচার প্রত্যাশায়। 
.
কথা ছিল হেঁটে যাব ছায়া পথ ধরে
হাজারো বছর ধরে কবিতার পাতায় মানুষ লিখবো বলে।
কিন্তু আমিও ভীষণ ক্লান্ত সময়ের মতো
আমার বুকের টিকটিকে লেগে গেছে অজস্র ঘুম
আর সময় মাসিপিসি গাইছে ঘুম পাড়াবার  গান। 

অরণ্য


অরণ্য
............. ঋষি
==========================================
আমার ভিতর জরা  বেড়ে গেছে
হঠাৎ বৃষ্টি কিংবা মেঘলা দিন সবটাই অবান্তর।
রৌদ্র মেঘ ,অবেলায় বৃষ্টি
বনজ প্রদেশে শীতল হরিণেরা আজকাল আর ঘাস চিবোয় না।
সবটাই কেমন শান্ত
ফিরে যাওয়া জন্মের কাছে অরণ্যের অনুভূতি।
.
শুকনো ঘাস বাড়তে থাকে বুকে
সবুজ পাতারা আজও জন্মায় ,কবিতা লেখে নিজের মতো।
অনুভূতিরা বেণী ঝুলিয়ে আজও টিউশন ফেরত
একফালি হাসি দিয়ে যায়।
শেষ হয়ে যাওয়া বিকেলের আলো ক্রমশ মনে হয় মিশতে থাকে অন্ধকারে
সারি দিয়ে জ্বলে ওঠে  স্ট্রিট লাইট ,
জ্বলতে থাকে
বুকের গভীরে একফালি হাসি প্রেমিকার ঠোঁটে।
সবটাই নির্ভরশীলতা
কয়েকশো একর একটা সবুজ অরণ্য
ক্রমশ ফুরোতে থাকে সভ্যতার ছোঁয়ায়।
.
আমার ভিতর জরা বেড়ে গেছে
তবুও একটা বেড়াল পা টিপে হেঁটে যায় আমার সারা সময় জুড়ে।
সময়ের সফর , ঋতূ বদল
বদলানো পৃথিবীতে কমে আসে বাঘের পরিসংখ্যান মানুষের পরিচয়।
চারপাশ নিঝুম কেমন
ফিরে আসা মৃত্যুসামীল জীবনের কাছে।

Tuesday, June 4, 2019

একলা সকাল


একলা সকাল
............ ঋষি
=====================================
নির্জনতা চিরে দেখা গেল একটা একলা  সকাল,
বারান্দার সামনে দাঁড়ানো তোর গোলাপ গাছে নতুন ফুল ।
জাদুর আসবাব সাজানো আখরোট ঠোঁট
তোর চুলে সবুজ নেশার  গন্ধ।
ঘুম ভেঙে জেগে উঠছে শহর
শহরের বাড়িগুলো অগ্রশীল কোনো অস্থির মৃত্যুর দিকে।

তোর পুরোনো শরীরে ছুঁয়ে আছে আমার  ঘামের গন্ধ
বিগত রাতের অস্থির পদচারণা তোর বুকে।
আমি তো সুন্দরবন  যাইনি কখনো
তবু ভূগোলে পড়া সুন্দরী গাছগুলো সারা রাত আমার বুকের মাটিতে।
তোর গভীরে আদরের ওম
এই  জৈষ্ঠ মাসে নকল পৃথিবীর কোথাও আজও সত্যি  বরফ পড়ে।
কেঁপে ওঠে শরীর
আয়নার সামনে উঁকি মারে তোর নরম ক্লিভেজ
সবটাই আমাকে লুকিয়ে রাখে নিজের থেকে।

নির্জনতা চিরে দেখা গেল একটা একলা  সকাল
আমার ঘুমহীন রাতে  আঁকা অজস্র তুই।
আমি চমকে যাই,একলা হাঁটি
দূরে বহুদূর অলিগলি পেরিয়ে তোর শহরের গন্ধ আমাকে ছুঁয়ে।
তোর অদ্ভুত স্নেহের স্পর্শ আমার বাঁচায়
অবাক হয়ে গড়িয়ে নামা আমার চোখের জল। 

ফেরিওয়ালা

ফেরিওয়ালা
.......... ঋষি
====================================
সকলে আকাশ হতে চায়
কেউ বলে না আমি মাটি আঁকড়ে থাকবো।
চাওয়া ,পাওয়া ,হারানো , একলা ,দুঃখ
কত সহজ,তাই না ।
.
চলন্তিকা তুমি কখনোই  বললে না মিশে যেতে চাই
যেমন রাত্রি দিনে মেশে।
একবার ও খুব কাছ থেকে স্পর্শ করলে না
তুমি আছ ,আমি আছি তাই।
ব্যস্ত শহরের পাতায় পাতায় আমি লিখে চললাম আমার হাজারো পাগলামি
আর তুমি শুধু নিয়মের সাথে সন্ধি করে চারদেয়ালে।
চলন্তিকা তুমি আকাশ হতেই পারো
কিন্তু তোমাকে কোনোদিন তো স্বার্থপর হতে দেখি নি আমি।
চলন্তিকা তুমি বৃষ্টি হতেই পারো
কিন্তু তপ্ত বিকেলে একলা তোমায় বৃষ্টিতে ভিজতে দেখি নি আমি।
তোমার দুঃখগুলো সব কাছিমের মতো
কিত্নু আমারগুলো তোমাতে বিলীন কোনো স্বপ্ন।
জানি সত্যিগুলো বলা শক্ত
আরো শক্ত নিজেকে নগ্ন করা সময়ের কাছে।

সকলে ব্যস্ত হতে চায়
কিন্তু কেউ চায় না স্বপ্ন জড়িয়ে বাঁচতে।
আমি স্বপ্নের ফেরিওয়ালা
কিন্তু তোমার স্বপ্নগুলো আমি ফেরি করিনি কখনো। 

Sunday, June 2, 2019

সহযোদ্ধা


সহযোদ্ধা
............. ঋষি
==========================
আমি আর আমার সহ যোদ্ধা
আমাদের  তিনদিকে তিনটে দাগ আমাকে ঘিরে।
আকাশের উপর যুদ্ধযান
ক্রমশ বম্বিং সময়ের শহরে অজস্র আহত আমরা।
সবটাই সময়ের শহর
আর সবটাই কেমন যেন একটা  কারফিউ জীবনের।
.
জীবন একটা শর্টকাট রাস্তা খুঁজছিল
ঈশ্বর  তখন তথাস্তু বলে রাস্তায় দঁড়িয়ে বিশ্বাস খুঁজছিল।
সময়ের ঈশ্বর
কখন যেন অবিশ্বাসী হয়ে গেল নিজের কাছে।
কখন যেন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আমি একলা  আকাশ দেখলাম
আকাশ থেকে দৈববাণী ,
ঈশ্বরের ছুরি ঢুকে গেল আমার বুকে।
কোনো লাল সুতো বাঁধা গাছের কাছে ঈশ্বর তখন কাপালিক
সময় তখন সোজা  একুশ শতকে।
সেখানে  ব্যস্ত চৌরাস্তার  গির্জার ঘড়ির পেন্ডুলাম
কিছুতেই স্থির থাকে না।
না ঈশ্বর ,না সময় ,না মৃত্যু
সবটাই কেমন অদ্ভুত অবকাশ।
.
আমি আর  আমার সহ যোদ্ধা
চারিপাশে উঁচু দেওয়াল দেয় কোনো গোপন শোক।
ফায়ার।একে পর এক বুলেট
আমার চামড়া ছিঁড়ে সোজা হৃদয়ে এঁকে চলেছে বোবা পৃথিবী।
পৃথিবী হারাচ্ছে
বুকের উপর ক্রমশ উঠে বসছে যুদ্ধের ট্যাংকার। 

হলুদ রং

হলুদ রং
...... ঋষি
=====================================
আমাদের কোনো বৃত্ত নেই
শুধু সম্পর্কের সরলরেখা ধরে তির্যক ভাবে হেঁটে চলা।
আসলে আমরা আকাশ দেখতে ভালোবাসি
ভালোবাসি একলা বৃষ্টিতে ভিজতে।

হলুদ রংটা সাদা পাতায় ঢেলে
সাদা রঙের স্বপ্নগুলো সব বড় মলিন লাগে আজকাল।
আজকাল শহরের পথচলতে বিজ্ঞাপন লাগে জীবন
বিজ্ঞাপনের ভিতরে তোমার হাসিটা
আজকাল ঘড়ির কাটা মনে হয়।
কেমন কাটছে জীবন চলন্তিকা ? হিসেবের নথিতে হিসেবের ঘর
ঘরের ভিতর অজস্র শ্বাপদের বাস।
নিরিবিলি কোনো মুহূর্তের চাবিকাঠি
হিসেবের পুতুল সব।
আসলে আমরা সবাই ছবি আঁকতে ভালোবাসি
ভালোবাসি আঁকিবুঁকি টানে রঙিন রং ঢালতে ,
শুধু বাঁচাটা আর হয়ে ওঠে না
হাঁপিয়ে যায় জীবন পথ চলতে।

আসলে  আমাদের কোনো বৃত্ত ছিল না কোনদিন
শুধু বৃত্তের বাইরে কিছুটা নিশ্বাস খোঁজা।
আসলে আমরা আকাশে ভাসতে ভালোবাসি
ভালোবাসি পাখির বাসা বুনতে।

একা থাকা

একা  থাকা
..... ঋষি
====================================
একঘেয়ে বর্ণনা থেকে শূন্যতা ভালো
নিজের অনুভূতি পুড়িয়ে আগুনের ফাঁদে আরেকটু জীবন ,
আর না ,
একা থাকা ভালো।
.
কবিতার মতো কিছু যদি থাকে
ফিরে যাবো আমি নিজের গভীরে মাকড়সার জালে।
আরেকটু আসমানী হবো
পথ চলতি কোনো ব্যাস্ট্যান্ডে দাঁড়ানো তোমাকে  দেখে
ভেবে নেবো কোনো পাথরের মূর্তি।
এই শহরের ফাঁদে ,
তামাম দুনিয়ায় এক বিশাল গর্ত রাখা আছে ,
উপরে সাজানো তোমার নরম পশমের অজস্র উপহার।
কিন্তু গলে গেলেই
তুমি নেই ,আমি নেই ,নেই অজস্র ফোন কল। 
আছে কিছু বিষাক্ততা ,
অনুভূতিতে লুকোনো সুপ্ত নেশা
মৃত আমরা।
.
এক ঘেয়ে বর্ণনার থেকে
কবিতার শব্দদের মাঝে নিজেকে লোকানো ভালো,
আর না
এইবার একা থাকা ভালো। 

Saturday, June 1, 2019

তুমুল বৃষ্টি


তুমুল বৃষ্টি
............ ঋষি
===================================
একদিন ঠিক বদলে যাবে
ওলোটপালোট এক দঙ্গল মেঘ আকাশ ভেঙে মাটিতে তখন।
সোঁদা মাটি ,
কলসির  নিতম্ব বেয়ে কোনো অস্থির দিন।
হেসে উঠবে দিগন্ত গভীরে 
বৃষ্টি দিন ,,নরম মাটিতে তোর নরম স্তনের গন্ধ।

একদিন ওলোটপালোট
এই পৃথিবীর পাতায় অজস্র খিমচানো শুকনো মাটির  গল্প।
তুই সেই রূপকথার সিনড্রেলা
এগিয়ে আসা গোলাপি মেঘে ক্রমশ রাত্রি ঘর।
পৃথিবী ওলোটপালোট আদল ,অন্ধকার আকাশ
অদ্ভুত চাহুনি
তোর বাদামী বৃন্ত ছুঁয়ে শিউরে উঠবে সময় ,
গ্যালাক্সির আলোককিরণ।
কবিতার ভিতর ক্রমশ আরো অন্ধকার আমি
তোর  জরায়ু আঁকড়ে বেঁচে উঠতে চাইবো।
চাইবো আরো প্রাণের গভীরে বাঁচতে
তারপর অকারণ কান্নার বাতিঘরে নিভে আসা ঝড়
তুমুল দুর্যোগ
বৃষ্টি তখন।

একদিন ঠিক বদলে যাবে
ওলোটপালোট এক দঙ্গল মেঘ তখন তোর শহরে।
তুমুল বৃষ্টি
তোর তুমুল আদরের শরীরে তখন  সামুদ্রিক লবণগন্ধ।
হেসে উঠবি তুই আমার মনের গভীরে
তোর বুকের মেঝেতে তখন  আমার বদলানো দিন।  

ম্যাজিক মৃত্যু

ম্যাজিক মৃত্যু
............ ঋষি
=========================================
এক গল্পের সারণিতে দাঁড়িয়ে আমরা
বিশ্বাস করুন সকলের স্বপ্নের শরীর ,ভবিতব্য শুধু আকাঙ্খায়।
স্বপ্নের শরীর সব মৃত মানুষের হাড়
পচন ধরে আছে শতাব্দী পুরোনো না ফুরোনো কষ্টের।
মাঝে মাঝে মনে হয়
মানুষের নামের পদবীগুলো আসলে কষ্ট।

তারপর
আবার কী ,,,,,,,,,সেই এক ঘুম।
আবার ঘুমের ঘরে পাশ ফিরে শুয়ে থাকা আমারদের পথ চলা
নাক ডাকা নাক ডাকা
ঘুম আর মানুষের শরীরের  অনন্ত মেলবন্ধন
মানুষের বেঁচে থাকা।

একটু পিছনে ফিরে আসি
প্রেম আর  ঘুম দুটোতেই একটা ম্যাজিক মৃত্যু লেখা আছে।
বহু উপত্যকা পেড়োনো কোনো মেঘ যদি হঠাৎ বৃষ্টি নামায়
তখন  ভালোবাসতে ইচ্ছে হয়।
তখন কলকল শব্দে নদী  বইতে থাকে
নদীর পাশে গভীর ঘুম মানুষের স্বপ্নে আকাঙ্খা আসে
জেগে থাকে ঘুমের মতো ।
ক্যানভাসে রং গড়িয়ে নামে
কেন যেন কষ্টগুলো ঘুমের  ঘোরে আকাঙ্খায় বাঁচে।

কবিতার শোক

লিখতে পারাটা একটা অসুখ  ভীষণ কষ্ট ,ভীষণ আনন্দ ,প্রেম প্রবাহ ,অসংখ্য শোক,শহর ,মানুষ   সব কেমন সাদা পাতায় সংসার বুনতে থাকে  শব্দদের ঘুণপোকার স...