Friday, April 30, 2021

প্রেমিকা থেকে ঈশ্বর



প্রেমিকা থেকে ঈশ্বর 
..ঋষি 

প্রেমিকা থেকে ঈশ্বর 
ডিটারজেন্ট দিয়ে সাফ করা একের পর এক পোশাক,
পোশাকের গায়ে লেখা 
There have many way to love
But one way where love is similar of God .
.
আমি ঈশ্বরের কথা জানি না 
বহুদিন তাকে প্রশ্ন করি নি আপনি কেমন আছেন, 
আমি প্রেমিকার কথা জানি 
কারন প্রতিদিন কথপোকথনো জানা হয়ে যায়, 
ঈশ্বর  নাকি পুরনো চাল
অথচ ভাতে বাড়ে নি। 
.
প্রেমিকা থেকে ঈশ্বর 
চোখের চশমার কাঁচে গড়িয়ে নামা আবিষ্কার বলে, 
ঈশ্বর  শব্দটার মধ্যে আজকাল ব্যাবসা বাণিজ্য
আর প্রেম শরীর লোকানো, 
তবে দুজনেরি দারুন জাকজমক, দারুন পোশাক। 
শুধু আমি জানি 
পোশাক খুললে তারা কত সাধারণ,
শুধু আমি জানি 
.
আর চলন্তিকা জানে
পোশাক ছাড়া আমাকে  দেখতে ঈশ্বরের মতো ।

ঈশ্বর না সময়

ঈশ্বর না সময় 
..ঋষি 
এ পৃথিবী আমার নয় 
ঈশ্বরকে  বল্লাম, উনি অবাক চোখে বল্লেন 
মানুষ হয়েছো, কর্ম তো করতেই হবে।
বিশ্বাসকে বল্লাম আমি মানুষ হতে পারি নি 
বিশ্বাস নীতা বৌদির বিছানার চাদর বদলাতে বদলাতে বল্লো
মানুষের ধর্ম সময় 
আর বর্ম সময়ের সাথে সহবাস। 
.
আমি চুপ করে ভাবলাম 
আবার ঈশ্বরকে  বল্লাম যে রাস্তা দিয়ে গেলে আপনাকে পাবো 
সে রাস্তা তো পৃথিবীতে নেই, 
উনি হাসলেন, বল্লেন 
প্রতিটা বাগানে যদি গোলাপের চাষ হয় 
তবে প্রজাপতিদের মরতে হয় না অবহেলায়। 
.
আমি অসহ্য হয়ে বিশ্বাসকে বল্লাম 
এ পৃথিবী আমার বাসযোগ্য নয়, 
বিশ্বাস তখন তুমুল ঝড়ে নীতা বৌদির ব্লাউজের হুকে।
আমি আর সহ্য করতে পারছি না
ঈশ্বর  হাসছেন আমার দিকে তাকিয়ে 
বলছেন এ পৃথিবীতে চড়া দামে বিশ্বাস  বিক্রি হয়, 
আর নিঃশ্বাস শব্দটা 
নিজের কাছে একটা প্রশ্ন 
কে তোমার বিশ্বাস ঈশ্বর না সময়।

ন্যাংটা ভারতবর্ষ

ন্যাংটা ভারতবর্ষ
... ঋষি 
ছেলেটাকে মেরে ন্যাংটা করে টাঙিয়ে দেওয়া হলো গাছে 
গাছ কথা বলে নি 
পাখি কথা বলে নি 
এমনকি কথা বলে নি জনগন 
শুধু কথা বলেছে পাবলিক ইউনিফর্মে টিভির চ্যানেলগুলো। 
.
নতুন কিছু নয় 
প্রতি বছর হয় 
খবর ওয়ালারা খবর বেচতে ক্ল্যাইমেক্স খোঁজে 
তাই ভারতবর্ষ বলে দেশটাকেও তারা খুব অবহেলায় 
ন্যাংটা করে ঝুলিয়ে দিতে চায়,
ঝুলিয়ে দিয়ে চারিদিকে হাজারো ক্লিক 
আজকের বিশেষ বিশেষ খবর। 
.
জনগন চুপ
চুপ সময়ের ব্যাভিচারে মৃত বিপ্লবের আগামীর চোখ 
সত্যি খবর 
জলজ্যান্ত ছেলেটাকে ন্যাংটা করে মেরে টাঙিয়ে দেওয়া হলো গাছে। 
খবর ওয়ালারা জানে না
ছেলেটা বিধবা মায়ের একমাত্র সন্তান 
ছেলেটা রিক্সা চালিয়ে বোনের স্কুলের পয়সা জোগাড় করতো, 
ছেলেটাকে বলা হয়েছিল রঙিন পতাকা ধরতে
ফেঁসে গেলো কটা পয়সার জন্য 
ছেলেটাকে ন্যাংটা করে মেরে টাঙিয়ে দেওয়া হলো গাছে। 
.
জনগন জানেন না এর পরের খবর 
ছেলেটার বডিটা পুলিশ পোস্ট মার্টনে পাঠায় নি 
পাঠিয়েছিল শ্মশানের আগুনে 
যে আগুনে প্রতিদিন লুকিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে গনতন্ত্র।
ছেলেটার বিধবা মায়ের আকুতি শোনে নি সময়
কোন কেস দাখিল হয় নি পুলিশের খাতায় 
শুধু খবরের কাগজে পরের দিন  একটা খবর ছেপেছে
হয়তো অনেকের চোখ এড়িয়ে গেছে 
কারন 
আজকাল এই সব খবর খুব সাধারণ 
খুব সাধারণ আপনার আমার লজ্জা এই ন্যাংটা ভারতবর্ষে। 



Wednesday, April 28, 2021

ওয়ান ওয়ে রুট

 


ওয়ান ওয়ে রুট 

,,,, ঋষি 


হঠাৎ সমুদ্র আসে নি বলে দুঃখ নেই 

দুঃখ একটা শব্দ 

ভালোবাসা পেয়েছি বলে ভালোবাসতে চাই বারংবার 

এ একেবারে অবান্তর কথা।

তবে অনেক আগে ,ওয়ান ওয়ে রুট 

একা রাস্তা 

চিঠি লেখার কারণ যেমন শুধু ডাকবাক্স  নয়। 

.

চোখের চশমার কাঁচে অভিজ্ঞতা বাড়ে না 

বরং হালকা হতে থাকে জীবনের ওপারে একা রাস্তায় 

​বয়সভারী হওয়ার সাথে নাড়ীর টান 

নারীর টান 

মাটির টান 

কমতে থাকা রাস্তা একা সমুদ্রে গিয়ে শেষ হয়। 

.

                      অভিজ্ঞতার মেঘ

ঝরে ঝরে মাটি ভেজায়, 

                       ভেজা মাটি থেকে উঠে আসে সোঁদা গন্ধ। 

আমি চেয়েছিলাম আমার সত্যি স্বপ্ন হোক 

সত্যি সত্যি আমার একটা রাস্তা হোক সমুদ্রের উপরে 

পায়ে জল না লাগুক 

বুকে কষ্ট না লাগুক 

চোখে চশমা না লাগুক 

অথচ নোনা সফর ,চোরা বালি 

নারী আর নাড়ী ক্যালকুলেশন চিরকাল আমি বড় কাঁচা। 

.

চলন্তিকাকে বিশ্বাস করেছি 

       বলেছি সেদিন 

এই নাও আমার অক্ষর, আমার প্রেম, আমার অনুষ্ঠান নাও,

             আমার এই রাস্তা তোমার করে নাও। 




চুপ



 চুপ 

... ঋষি 


জীবন থেকে বুঝেছি 

যত তাড়াতাড়ি ডিলিট বাটনে আঙ্গুল 

সে সম্পর্ক হোক বা স্পেস ,

সময় বাহুবলী 

যত তাড়াতাড়ি নিজেকে ভাসিয়ে রাখা যায় হাওয়ায় 

ততই অদ্ভুত ভালো থাকা পাঠ। 

.

এমন অনেক রাত যেখানে নিঃশব্দরা আত্মহত্যা করেছে অবহেলায় 

এমন অনেক দিন যেখানে হাজারো শব্দরা জট বেঁধেছে গভীর ভূমিকায় 

নিজের বুকের উপর কোদাল ,গাঁইতি আর বোধ 

নিজের কবরে শুয়ে থাকা একটা মৃত শহর ,

হাজারো কবিতাকে গলা টিঁপে খুন করার পর বুঝেছি 

বেঁচে থাকাটা স্বার্থপর একটা শব্দ 

এখানে অমরত্ব নেই। 

.

অজস্র শব্দরা যখন চোখে সামনে পাখি 

আমি আকাশ খুঁজতে হাতের আঙুলে নীল বুনেছি 

নীল স্বপ্ন 

স্বপ্নের রং 

জীবন অবহেলায় কেটে যাওয়া দিন রাত 

পা খি র  .... পালক। 

আমার শব্দের যন্ত্রণার একটা চিতা সাজানো নিঃশব্দে 

যেখানকার শব্দ গুলো সিটি অফ ডেথ 

কিন্তু আমি অমর চিরকাল ,

কারন ডানা কাটা কবিতারা আজকাল এই শহরে একলা ঘোরা 

সেই একমাথা কোঁকড়ানো চুল ছেলেটা শহরে ফুটপাথে একলা পোড়ে 

তার বুকে কবিতা 

তার বুকে চলন্তিকা 

নিঃশব্দ 

চুপ 

মৃত্যুর কবিতা নয় এটা 

কবিতা নিস্তব্ধ যন্ত্রণার। 


Monday, April 26, 2021

রাজাধিরাজ আপনার প্রতি



রাজাধিরাজ আপনার প্রতি 
... ঋষি 
.
সন্দেশ থেকে 
সাঁকরাইল থেকে
মেডিকেল কলেজ থেকে 
বাঁকুড়া, বীরভুম, ব্যারাকপুর,উত্তর চব্বিশ পরগনা থেকে 
আপনি জিতছেন 
আপনি জিতছেন এই গনতন্ত্রের একমাত্র পার্টির উত্তরাধিকার সূত্রে। 
.
আপনার মুখে আবির, আনন্দের উৎসব 
আপনিই মহামান্য রাজাধিরাজ 
এবার বলুন আপনি এবার কি করবেন আপনার জনগনের জন্য? 
আপনিই বলেছেন আপনার রাজপাট শুধুই মানুষের
সে কথা মনে আছে তো....? 
এবার শতছিন্ন সেই মায়ের শাড়িটার একটা গতি হবে তো? 
.
বি পি বি আনন্দে ২৪  ইনটু ৭ শোনা যাচ্ছে মানুষের খবর 
কাল মধ্যরাতে এক করোনা আক্রান্ত অষ্টআশি বছরের বৃদ্ধ
ফুটপাথে মারা গেলেন, 
ভবানীপুরে একজন চাকরী হারানো গৃহস্থ গলায় দড়ি দিলেন, 
আপনার ভোটের জয়ধ্বনিতে 
চাপা পড়ে অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছেন বারাসাতের এক স্কুল  মাষ্টার। 
স্যটালাইট কাপে আপনি দুরদর্শি 
আপনি বেশ বুক উঁচু করে ঘোষনা করলেন জনতা কারফিউ 
মাস্ক পড়া বাধ্যতামুলক, 
কিন্তু মানুষের  খিদের কারফিউ 
কিন্তু মানুষের  শিক্ষার কারফিউ 
কিন্তু মানুষের রুজিরুটির কারফিউ
কিন্তু মানুষের গনতন্ত্রের কারফিউ,,,  কি হবে?
কি করবেন আপনি? 
.
মাননীয় রাজাধিরাজ আপনাকে জানানো দরকার 
খালি পেটের কোন ভয় থাকে না, থাকে না লজ্জা
শুধু থাকে খিদে, 
তাই অসহায় জনগনের পক্ষ থেকে  আপনাকে জানানো হচ্ছে 
কিছু একটা করুন, 
খালি পেটে সত্যি আর দেশ হচ্ছে না আমাদের 
হচ্ছে না গনতন্ত্র। 

Saturday, April 24, 2021

রাষ্ট্রকে লেখা মানুষের চিঠি

 

প্রিয় রাষ্ট্র,

.

এটা যুদ্ধক্ষেত্র না ,বিশ্বাস করি না 

প্রতিটা মানুষের জন্য এখানে একটা না একটা যুদ্ধ অপেক্ষা করছে 

করছে বাঁচার দৃষ্টিভঙ্গিতের মৃত্যুর কঙ্কাল। 

রাষ্ট্রের  ছিঁড়ে যাওয়া পতাকা 

শুধুমাত্র উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া অধিকার আপনি মেইল ,কি ফিমেল। 

.

আগ্রাসী একটা আগুনের কুম্ভে জ্বলন্ত লোহার আকৃতি দরকার 

দরকার আকুতি ,

দরকার রাষ্ট্রপিতাদের লোভী মুখগুলোর বদল, 

অশোক স্তম্ভের সিং আজ গদি যুগে আরামপ্রিয় বড়,

গদি বদল করে মানুষ দরকার 

দরকার মানুষের কষ্টের ঘামে আবারো ভিজে রাষ্ট্রপতাকার।  

.

জানি আমার এই চিঠি পৌঁছবে না সঠিক ঠিকানায়  

বরং মানুষ এই চিঠি পড়ে দুঃখ বোধ করবে 

বোধ করবে মেরুদন্ডহীনতা 

বোধ করবে অধিকার অপচয়ের ইতিহাস 

আর রাষ্ট্র 

হয়তো আমাকে শত্রু মনে করবে 

হয়তো শত্রুপক্ষের একটা স্লেজগাড়ীর মতো আমাকে নির্বাসনে পাঠাবে 

 .

একটা  নোনতা হাওয়া দরকার 

দরকার  আবারও কিছু মানুষের বিদ্রোহের 

নিতান্ত সিঁধু ,কানু যদি না হতে পারেন 

তাহলে অপেক্ষা করুন আগামীর  আবহাওয়া দপ্তর খবরের কাছে 

আপনার আগামী  মৃত্যুর কারণ  আপনি নিজে 

তা মেইল ,ফিমেল নির্বিশেষে

জেনে রাখুন 

রাষ্ট্র বদলাতে শুধু মানুষ দরকার ,সময় নয়।

.

ইতি কলম   



অন্তর লিখন



 অন্তর লিখন

... ঋষি  


আজ অবধি একটা আনন্দের কবিতা লেখা হলো না 

এ শহরে প্রতিটা সকাল নিয়ে আসে যুদ্ধ ,

যুদ্ধের একপাশে মানুষ অন্য পাশে সার দেওয়া প্রতিপক্ষ জীবন 

তার মাঝে আনন্দ 

চাষার মুখে পেংগুইন শিক্ষার মতো 

কিংবা একটা দুর্ঘটনা। 

.

আজ অবধি একটা প্রেমের কবিতা লেখা হলো না 

পূর্ণিমা তথা  প্রখর অমাবস্যায়

কৃষ্ণবর্ণ এক ঘোড়ার ক্ষুরের শব্দ শুনতে পাই নিজের গভীরে শুয়ে থাকা জঙ্গলে 

বুকের জঙ্গলে আগুন জ্বলে 

পুড়ে যায় হাজারো প্রেমিকার মুখ 

যাদের বলা হলো না কত ভালোবাসতাম। 

.

আজ অবধি একটা মানুষের কবিতা লেখা হলো না 

এযাবৎ মানুষেরা হেরে গেছে বারংবার ,

ইদানিং এ শহরে রাত্রি নামলে ,

আহত বিবেকের মিছিলে  হেঁটে যায় মানুষ শ্মশানের দিকে I

আড়ম্বরহীন আমার শব্দের চিহ্নও ফুটে ওঠেনা সেভাবে 

সাংকেতিক চিহ্নের মত ছড়িয়ে থাকা উৎসব 

শুধু গা ভাসিয়ে দেওয়া  I

অবিন্যস্ত লেখার টেবিলের দিকে কিছুক্ষণ ঝুঁকে বসে

শিবদের  শরীর ছুঁয়ে দেখি

মানুষেরা হেরে গেছে এ যাবৎ

বারংবার। 

.

বুঝতে পারি না আজকাল কি লিখছি ? কেন লিখছি ?

অখ্যাত কোনো এক স্টেশনে নেমে পড়ি অবহেলায় শব্দের ঝোলা নিয়ে 

বুঝতে পারি না এ শহরে রাত্রি কিংবা দিন 

সংশয়ে জীবন ,

শুধু কলমের নিবে ফুটে ওঠে মানুষের ইতিহাস ,সময়ের ইতিহাস 

না আনন্দ না ,

একটা হাহাকার চিৎকার করে 

মানুষের জন্য ভীতি 

আর আনন্দ সে বোধহয় মিউজিয়ামে সাজানো কিছু ভুল। 

অতৃপ্তি


  

তবুও এই উষ্ণতার  দেশে তেত্রিশ কোটি চিৎকার করে 

তবুও হিমালয়ের অম্তরে হিমবাহ গলে 

রাস্তার পাশে শুয়ে থাকা কুকুর 

নি রা পত্তা। 


তবুও শহরের রাস্তায় প্লাস্টিক মোড়া শীতল শরীর 

ত বু ও ...

.

অতৃপ্তি 

... ঋষি

Thursday, April 22, 2021

ব্ল্যাক কফি

 



ব্ল্যাক কফি 

... ঋষি 


বাইরে তখন তুমুল ঝড় বৃষ্টি 

আমার ভাবনার কাপে সাজানো আছে এক কাপ ব্ল্যাক কফি ,

বস্তুর আমি সময় নির্ভর নই 

আমার নির্ভরশীলতা ভাবনার ওপাশের দেওয়ালে কেউ একজন ,

আমি ঠিক টের পাই যখনতখন 

একটা অস্তিত্ব নড়াচড়া ক্রমশ প্রকট আমার চারপাশে। 

.

দেওয়ালের ওপাশে সিনেমা চলছে 

একটা স্বর্ণযুগ ,

নিরিবিলি ভারতবর্ষের বুকে হাজারো ইতিহাসের তলোয়ার 

হিংসা ,প্রতিহিংসা ,ষড়যন্ত্র 

সব দেখতে পারছি আমি ,সব বুঝছি 

তবুও জানো চলন্তিকা ঘুম আসছে না। 

.

ক্রমশ মরচে ধরছে মরচে পড়তে

ভালোবাসা আর সময়ের এঞ্জিনে কয়েকটা শব্দ ঘর 

জী 

         ব

                ন

প্রত্যক্ষ সাক্ষীগণ সকলেই জানে জীবন মানে ঝড়বৃষ্টি 

আর একটা কাদা ময় রাস্তা। 

আপনি পথ খুঁজছেন 

পথ হারাচ্ছেন 

আপনি হাওয়ায় গা ভাসিয়ে বিরক্ত হয়ে জীবন কাটাচ্ছেন,

কিন্তু সত্যি বলতে কি আমরা সকলেই কম বেশি জেসাস 

সেই ইহুদীর বাচ্চা 

যার কাছে পৃথিবীটা অন্যকে ভালো রাখার জন্য। 







বিশ্বাস করি তাই


"In love there are two things–  Souls and feelings."

বিশ্বাস করি তাই ...

.

তোমার কালো গভীর  চুলের মতো 

তোমার চোখের কালো হরিণের মতো  

                       একটা কবিতা লিখতে চাই। 

আমি বেঁচে আছি 

আলোয় থেঁতো  করে ছড়িয়ে দিতে চাই এই সভ্যতায় 

                           শুধু তোমাকে পাবো বলে। 

.

তোমার মুখের ছাপ

তোমার  শক্তির  জন্মচিহ্ন,

তোমায় ভালোবাসা,

আসলে আদর্শ রোজনামচায় একটা ডেইলি রুটিন 

দু ফর্মায় বললে 

তুমি আছো ,ভালো আছি তাই। 

.

কোনোদিন আর প্রেম লিখবো না আর 

কোনোদিন প্রেম জড়িয়ে আঁতকে উঠবো না মাঝ রাতে তোমার বিছানায় ,

তোমার শরীরে হাত রেখে ভাববো না 

এই তো সেই  শহরের স্মৃতিচিন্হ কিংবা হারানো শহর। 

প্রশাসনকে বলবো না 

এই শহরে রাস্তা নেই ,এই শহরে ঘর নেই ,এই শহরে বিছানা নেই 

নেই শান্তির ঘুম।  

অথচ সমস্ত না এর  মাঝে একটা সত্য 

আমি বেঁচে 

শুধু তোমায় লিখবো বলে

লিখবো বলে বিপ্লব রক্তের দাগে এই শহরের পাঁজরে । 

.

এই শহরের সিফিলিস আছে 

এই  শহরের ঘামে আজকাল লেগে আছে অচেনা অসুখ 

তবুও আমি বাঁচবো 

          কারণ 

তোমার চোখের কবিতায় ,তোমার ঠোঁটের কবিতায় 

আমি সভ্যতা লিখতে চাই বারংবার 

                              তোমাকে পাবো বলে। 


ভ্যাম্পায়ার

 


ভ্যাম্পায়ার 

... ঋষি 


একটা গন্ধ হারিয়ে ফেলেছি আমি

সময়ের গন্ধ 

একটা গন্ধ মিস করছি এই শহরের বাতাসে কারফিউ 

একটা গন্ধ 

যাতে তোমার গন্ধ লেগে ছিল। 

.

টেলিভিশনের পর্দায় বেঁচে আছি 

বেঁচে আছি সঙ্গত প্রহসনে মানুষের মাঝে এক সমুদ্র ভিড়ে 

নোনতা স্বাদ 

গড়িয়ে নামা ঘাম ,

সত্যি বলতে কি আমার কোনো পারফিউম নেই 

পারফিউম শুধু তোমার চেনা শহরের শব্দের অছিলায়। 

.

আমি কিন্তু বেছে নিয়েছি একটা জীবন 

স্টেশনে উঠলে পড়া ভিড়ে আমার কানে শুধু মানুষের শব্দ ,

ডেইলি প্যাসেঞ্জারি জীবন 

ঘুমের কাছাকাছি ,ঘুমের মতো ট্রেন লাইন 

গড়িয়ে চলেছে মাথার ভিতর। 

তুমি যে গন্ধটার কথা ভাবছো 

আমি তা পেয়েছি ভাবনায় সাইবেরিয়ান ভাল্লুকের গল্পে 

গন্ধটা চেনা রক্তের 

নোনা স্বাদ,

নখের সামনে লেগে আছে জীবন 

সময়ের গায়ে রক্তের গন্ধ 

ভ্যাম্পায়ার জীবনে। 




Wednesday, April 21, 2021

ভাবনায় তুমি



ভাবনায় তুমি 
.. ঋষি 
ভেবেছিলাম তোমার মুখোমুখি কাটিয়ে দেবো একটা জীবন 
একটা জীবন শুধু তোমার কবিতায় কাটাবো আমি 
মাঝখানে  পানকৌড়ির ডানায়  জমে ওঠা জল
বিন্দু বিন্দু অভিমান, 
প্রত্যেক বিন্দু ধরে আমি পোঁছে যাই তোমার কাছে 
আর মৃত নীল ভোর
আজ শুধু সময়ের অপেক্ষায়। 
.
ভেবেছিলাম তোমাকে লিখতে লিখতে আমি সভ্যতা লিখে ফেলবো 
ভেবেছিলাম তোমার গভীরে যেতে যেতে আমি পথ হারিয়ে ফেলবো
সভ্যতা ধ্বংস হয়ে গেলে
উলঙ্গ হয়ে অতীতের কাছে আসে ভবিষ্যত 
তারপর স্মল স্পেস
যেখানে মহাবিশ্বের ছায়াপথেরা হাত রাখে
​হৃদয়ের দাগে।
.
ভাবেছিলাম তোমার জন্য একটা ভাস্কর্য  তৈরি  করবো আমি 
ভেবেছিলাম আমার এক সমুদ্র প্রেম একদিন মহাবিশ্বের অধিকার 
উজ্জ্বল হলুদ ক্ষেতের মাঝবরাবর পুরনো ক্যানভাস 
আর মাঝখানে সুর্য,আমার প্রদক্ষীনগুলো রাষ্ট্র বদলাবে, 
শ্রীনগরের শরীর থেকে আরো কিছুটা একলা  উঠলে
পশ্চিম হিমালয়ের শুভ্র স্তন জুড়ে
অসংখ্য খয়েরি রেখা
এক আশ্চর্য। 
কিন্তু সত্যি হলো তোমার ভাবনারা হাতির দাঁতের থেকেও দামী
তোমার ছবিগুলো চড়াদামে বিক্রি হয়ে যায় ইন্টারন্যাসনাল গ্যালাক্সিতে
আর আমি খুব সাধারণ 
আমার কবিতাগুলো তোমায় বুকে নিয়ে বাঁচে 
ভাবনায় লিখে চলে দিনযাপন 
কিন্তু তাতে কি দিন বদলায় কিংবা বদলায় রাষ্ট্র?

কার্নিশ

কার্নিশ 
... ঋষি 
সন্ধ্যে গাঢ় হলে পুরনো রং ওঠা ফ্ল্যাটের ছাদ থেকে
দুটো শালিখ জায়গা বদল করে,
আর লাল জামা পরে মানুষের অভিমানগুলো বাসা বদলায় 
ফিরে যায় পাখি নিজের গভীরে। 
পাড়ার গলিতে হারানো রেডিওর বেতার তরঙ্গে  সুনসান শব্দ
গতি বদলায় 
পুরনো ছাদনাতলায় বৃদ্ধের ভাবনারা কাশতে থাকে। 
কিশোরীর জঙ্ঘায় ঠোঁট রেখে চাঁদ  আর জানলার গ্রিল
গাঢ় নীল নাইটল্যাম্প মসৃণ কালো এই শহরের গলি মহোল্লায়
নাভি আর যোনির মাঝে দুস্তর কিছু তফাৎ,
ভালোবাসা মুখোমুখি বসে শহর বদলায় 
ভালোবাসার উঠোনে একলা অভ্যাস। 
.
স্টেশনের ভাবনারা সিঙারা,চা বিস্কুট ফেরি করে
অন্ধকারের স্টেশনে তারা চুপ করে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায়,
অপেক্ষা বদলায় অর্ধেক যৌবন
অপেক্ষার গায়ে মানুষের থুথুর খয়েরি পানের পিক। 
মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে
তার মুখের ভেতর জন্মাতে থাকে অনিবার্য তৃষ্ণা 
তৃষ্ণার ছায়ারা রঙ পালটায় ক্যানভাসি আলাপনে
ধূসর থেকে বিষন্ন সবুজ সন্ধ্যা 
ক্রমশ অন্ধকার। 
শহরের জন্মে ভেসে যায় দেড় প্রজন্মের মাতৃভাষা
নক্ষত্র পতন ঘটে 
দুটো শালিখ ছটফট করে অন্ধকার পুরনো ফ্ল্যাটের ছাদের কার্নিশে।

শব্দহীন

  


শব্দহীন 

... ঋষি 


"এত বেশি কথা বলো কেন? চুপ করো

শব্দহীন হও

শষ্পমূলে ঘিরে রাখো আদরের সম্পূর্ণ মর্মর

.

লেখো আয়ু লেখো আয়ু। "


.

চিনতে পারেন ভদ্রলোককে 

চিত্তপ্রিয় ঘোষ,

আরে সেই বাংলার অধ্যাপক ,টাকমাথা ভদ্রলোক 

হ্যা তোমার পাড়ায় হতে পারে ,কিংবা আমার পাড়ায় 

আমাদের খুব কাছের ,

 উনি আজ চুপ ,হ্যা উনি আজ শব্দহীন । 

.

ভদ্রলোক কবি ছিলেন 

একমাথা শূন্য ভাবনায় অবিরত লিখে চলতেন চেতনা ,

সময়ের জ্ঞানে 

সময়ের অক্ষরে যার প্রতিটা পাতায় শুধু গন্তব্য সভ্যতার 

উঁকি মারা অহংকার বুকে 

আজ এক বুক স্তব্ধতা। 

.

"তোমার কোনো ধর্ম নেই, শুধু

শিকড় দিয়ে আঁকড়ে ধরা ছাড়া

তোমার কোনো ধর্ম নেই, শুধু

বুকে কুঠার সইতে পারা ছাড়া। "

.

জানি এমন অমোঘ শুধু আসতে পারে কোনো ঈশ্বরের চেতনায় 

জানি এমন ভাবনায় সভ্যতার কুঠারে ত্রিতালের সুর। 

.

"নষ্ট হয়ে যায় প্রভু, নষ্ট হয়ে যায়।

ছিলো, নেই- মাত্র এই; ইটের পাঁজায়

আগুন জ্বালায় রাত্রে দারুণ জ্বালায়

আর সব ধ্যান ধান নষ্ট হয়ে যায়। "

.

অসামান্য কিছু ভাবনা যখন শব্দের রঙে বাঁধ ভাঙে হৃদয়ের 

তখন মনে আসে সেই ভদ্রলোকের কবিতা,

চিত্তপ্রিয় ঘোষ ওরফে শঙ্খ ঘোষ আজ শব্দহীন হলেন 

প্রণাম জানায় সেই শব্দের ঈশ্বরকে,

শান্তি কামনায় আমি মানুষ এই সভ্যতায় 

এক বুক নিস্তব্ধতা নিয়ে  চুপ আজ ,শব্দহীন । 

Tuesday, April 20, 2021

ব্ল্যাক আউট



ব্ল্যাক আউট 
,,,ঋষি 
হিসেবের দরজা বন্ধ হতে কিছুটা সময় বাকি
হাতে তুলে নিয়েছি রত্নখচিত কাঁচের গোলাপ সরোবর
নেশার লালচে চোখ  চূড়ান্ত সাক্ষী
চরম অপমান  ছুঁড়ে দিয়ে চলে যায় একপ্রস্থ ফ্ল্যাশব্যাক, 
বিরক্তির পঞ্জিকায় বেঁচে আছি 
নীলাভ পরীদের সঙ্গে আমার  যৌন সংলাপ 
আসক্তির বাসনায়
ফিরে আসে মায়া রাত, মিথ্যে সংলাপে সময়। 
.
স্মৃতির ঘুলঘুলি তুলে কেউ উঁকি দিচ্ছে অপার্থিব গ্রেভ ইয়ার্ড 
সন্ধ্যা নামছে  ব্ল্যাক আউট আমার শহর, 
সারা শহর জুড়ে এই মুহুর্তে  জোনাকীর আনাগোনা
আনমোনা অন্ধকার
আলো জ্বলে উঠছে কৃত্রিম সুইচ অন শহরে
আমি অন্ধকার, আমি অন্ধকার, অ ন্ধ কা র... 
.
দুটো পেগ ঠাণ্ডা বরফে
আজ রাতে চাঁদ উঠবে না,উঠলেও পোকায় খাওয়া কিসসা
হিসসা অর্থহীন ট্রান্সফরমেশন, 
ওই মেয়েটিকে ডাকো,বলে দেও শহর 
প্রেম বেশ্যার শরীরের জোনাকি না, 
যার অর্ধবয়স্ক  স্তনে আটা মাখা যায় , 
হয়তো মাখা তার স্বভাব, অথচ আমার হাতের করিডরে
রাতের মশাল,রংমশাল
জোর করে ধর্ষন করা যায়, কিন্তু হৃদয় না।  
.
হিসেবের দরজা বন্ধ হতে কিছুটা সময় বাকি
চাঁদের হৃদ্‌পিণ্ড থেকে রক্ত ঝরছে
অদৃশ্য কুয়াশায় মিলিয়ে যাচ্ছে শূন্যতার মেঘ এই প্রখর অন্ধকারে,
​আমি ডুবে যেতে যেতে ঘুমিয়ে পড়বো
চলন্তিকা তোমার স্বপ্নের বুকে
পাথর কেটে আমার নিঃশব্দ আজ হাহাকার 
ওই মেয়েটাকে বলে দিও 
চলন্তিকা শুধু আমার কবিতা না,আমার রক্ত আর 
আ মা র........  যন্ত্রনা।

এক কাপ চা, তোমার ঠোঁট আর অপেক্ষা



এক কাপ চা,তোমার ঠোঁট আর অপেক্ষা
.. ঋষি
একদিন দশটা পাঁচটার একঘেয়ে পুনরাবৃত্তি শেষ হবে
এই ভেবে শহরের ফুটপাথে বিশ্রাম খুঁজে নি, 
ক্যালেণ্ডারের পাতা উল্টিয়ে দেখতে হবে না আজ কি বার 
এই ভেবে ভিক্ষা অবলম্বনে বৃহন্নলার গল্প লিখি 
যা হবার ছিল, তা হল না
যা হবার ছিল না, তাও না
আর কত কালক্ষয়, আর কবে সত্যি লিখবো শহরে। 
.
তোমার রুপোলী  উপত্যকার আপেল  গাছ
দেখেছিলাম কাশ্মীরের স্বপ্ন সাজিয়ে কোন এক গোপনে,
ভরসা ছিল কাশ্মীর আমার মহোব্বত 
অথচ জাহান্নামের দরজা খুলে গেলো, 
শহরের পাড়ায় পাড়ায়  আজ প্যাড লাগানো সুন্দরীরা বুক উঁচিয়ে ঘুরছে
আর সীমান্তে দাঁড়িয়ে পুরুষের এ-কে - ফর্টিসেভেন আজ শিকারী। 
.
বয়স হয়েছে
সূর্যের রৌদ্র পারদ গলাচ্ছে শহরে,
দূরে মৃত্যু খাদ আমার চোখের কাচেঁর পাওয়ারে
নিথর শরীর,  পাশে ট্রানজিট ক্যাম্প চোরা কুয়াশায় ঢাকা আল্পস 
ক্রমশ নষ্টালজিক আমি। 
এই বয়সে এসে চড়াই ভাঙা সম্ভব না
বরং নিশ্চিন্তে পুরনো বইয়ের ধুলো সরিয়ে আবিষ্কারের নেশা প্রেম
শহরের পথে বাইনাকুলারে স্মার্ট যুবতীরা হেঁটে চলে বাইপাসে
অথবা পুরনো ট্যাক্সির সাথে তাদের বোঝাপড়া আজও ঐক্যান্তিক। 
.
কিছুই থাকবে না জানি
বর্ণহীন অ আ ক খ  ভ্রমণের পরে
ক্লান্তিতে আমার ঘুমিয়ে পড়ার সময় এসে যাবে, 
জাপানী হাইকুর মতো ছোট ছোট স্তব্ধতা লাফ দিয়ে পার করবে
এমন কোন ভ্যাপসা সন্ধ্যা।
তিতকুটে বর্ণের স্বাদ আমার সারা শহরে আজ লোভ গন্ধহীন,
পুনারাবৃত্তি আর কি প্রয়োজন 
বরং তোমার সফরে আমিও সাক্ষী, চলন্তিকা 
এক কাপ চা, তোমার ঠোঁট আর অপেক্ষার।

গসিপ



গসিপ 
.. ঋষি 
চারুলতা, ভুপতি 
না কি আমি আর তুমি
সার্বিক সম্ভ্রান্ত পরিনতি, না কি বকেয়া নষ্টণীড়
সবটাই সময় গ্রাহ্য প্রহসন, 
শেষ  দরজায় আমি একলা দাঁড়িয়ে দুপুরের ঠাকুরপো 
আর তুমি চঞ্চল। 
.
কলমের নিবে জমে আছে পাথর 
"নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে, রয়েছ নয়নে নয়নে।  
হৃদয় তোমারে পায় না জানিতে, হৃদয়ে রয়েছ গোপনে।  "
সত্যি খোঁজ লেগে থাকা চলন্তিকা বুকে 
আগুনের সম্বল 
আগুনে সব পোড়ে কিন্তু কেন পোড়ে না মিথ্যা মুখ? 
.
অদ্ভুত বাহার 
চলন্তিকা বলে প্রতিটা নারীর মাঝে এক বেশ্যার বাস 
আমি বলি 
নারী মানে নাড়ী 
নারী মানে আশ্রয়ে লেগে থাকা জ্বালা মুখ, 
সময়ের মুখ পোড়ে, মানুষের মুখে আগুন 
শ্মশান আর যন্ত্রনায়
নারী মানে হৃদয়ের সুখ, সুখ সরল রেখায়। 
.
ফিরে আসি সময়ের কাছে
রবিঠাকুর আল্ট্রামর্ডান, চারুলতা একলা ঘর 
আর আমি ঠাকুরপো 
আর আমার কবিতার খাতায় চলন্তিকা সত্যি গসিপ 
কবিতা পাড়ায় আজকাল আমি একলা সরোবর 
আর তুমি শব্দের জল 
আমার কল্পনায়। 


Sunday, April 18, 2021

প্রেম একলব্য

প্রেম একলব্য 
.. ঋষি 
একটা মরা মানুষের গল্প লিখবো 
লিখবো তোমার রক্তের ভিতর গঙ্গা জলে আমি, 
অদ্ভুত যাতনা জানো 
তোমার প্রতিটা রক্তবিন্দু এই মুহুর্তে আমি হতে চাইছে, 
হতে চাইছে নগ্ন কিছু প্রশ্রয়
এই বুকের আগুনে পুড়তে থাকা শ্মশানে । 
.
ভালোবাসি মানে কষ্ট 
ভালোবাসার পথভ্রষ্ট 
আমি তুমি এই পদ্যে খুঁজে ফিরছি আশ্রয় 
গাছের দেওয়ালে, নৌকার খোলে, পথের ভুলে 
শুধু আগলে রেখেছি হৃদয়। 
.
সব জান্তা কাব্য জুড়ে পুরনো পাঠ 
পুরনো ভয় 
বন্দুকের নলের সামনে একটা হৃদয় শুধু কবিতা লেখার 
সময়ের খাঁড়ার নীচে একটা বুক শুধু জলপ্রপাত। 
বুলেটিনে খবর 
কবির মৃত্যুর খবর সকলে রাখে 
অথচ কবির জন্মের খবর আজও অচেনা, 
কবির জন্মের ভালোবাসা আকাশ, বাতাস আর পবিত্রতা
হাজারো নারীতে কবি বিলীন 
অথচ কবির কলমে চলন্তিকা চিরকালীন 
এক কন্যা 
আর প্রেম একলব্য। 

ভালোবাসা মানে তুমি



ভালোবাসা মানে তুমি 
... ঋষি 
কিছু জিনিস ভাঙবার শব্দ হয় না
কিছু প্রশ্নের উত্তরে লেখা যায় না সত্যি ভালো থাকা,
আমার বুকের পোস্টমার্টেন করে দেখো 
এখানে রঙিন রোদ, বরফের পাহাড়, সবুজ দিগন্ত, আমার শৈশব 
সব একলা দাঁড়িয়ে অপেক্ষায়? 
.
আগেই বলেছি মানুষের ভালো থাকা একটা আর্ট 
মিথ্যের পাহাড়, 
শুধু বাইরের শরীরটার উপস্থিতি নিয়ে সোনালী রোদ, ছিনিমিনি 
কাটাছেঁড়া বাজারি দপ্তরে সকলেই ব্রাত্য
নিজের আয়নায় মুখ লাগিয়ে দেখো 
ব্রাত্য এই সময়। 
.
উজবুক কিছু প্রান্তর 
সতী সেজে সকলেই দাঁড়িয়ে বেশ্যার শাড়িতে আজব দুনিয়ায়, 
তবু শাড়ির ভাঁজ 
পোশাকি মহব্বত, দুষমন জামানা চিরকাল। 
ভালোবাসা মানে শরীর নয় 
ভালোবাসা ক্লিভজে উঁকি মারা তোমার স্তন নয় 
ভালোবাসা মানে আমি ঈশ্বর  চিরকাল 
ভালোবাসা মানে আজানের দেওয়ালে চৈতন্য 
ভালোবাসা হলো তোমাকে শুনতে চাওয়া
ভালোবাসা হলো তোমার বিশ্বাসে সাত, সমুদ্র পার 
ভালোবাসা হলো কাঁটার মুকুট 
ভালোবাসা মানে তুমি 
আর আমি 
লোভী চিরকাল বাঁচতে চাওয়ায়। 

Friday, April 16, 2021

প্রকৃতি ও পুরুষ

পুরুষ ও প্রকৃতি 
.....  ঋষি 
পুরুষ ও প্রকৃতি 
সম্পুর্নতায় প্রেম, 
বুক খুলে, বুকের জমিনে পা দিয়ে উঠে আসা নারী
সার্বিক গঠন 
প্রগতির অন্তরায়,এক স্নেহময়ী সুখ। 
.
আমি জন্মের কথা জানি না নারী
আমি জানি না তোমার ক্লিভেজের আড়ালে লোকানো মেদুরতা, 
আমি চোখ চিনি 
চিনি তোমার গভীরতায় জন্ম ঘুমিয়ে প্রকৃতির আঙিনায়
সেলাম তোমায় নারী। 
.
তোমার আলতা পা 
নবরেণু তুমি আদরের ভুমিকায় সাজিয়ে রেখেছো সময়ের সংসার
আমি নতজানু পুরুষ 
আমি ভাবুক প্রেমিক ও কবি
আমার কবিতার বুকে হাজারো আঙ্গিকে তুমি 
শুধু দাগ টেনে যাও। 
অজস্রতা যেখানে ঐশ্বরিক ভাবনায় পাল তোলা নৌকা
সেখানে তুমি হৃদয়ের ঘর লুকিয়ে নেও চোরাবালিতে 
তোমার মহাকীর্তনে 
তোমার মহিমায় তুমি দেবীরুপে ভুষিত
তুমি ছাড়া অসম্প্রসারিত প্রকৃতি ও পুরুষ 
আমি সাধারণ 
তুমি দেবীমুখ। 

আজকের আয়না


 আজকের আয়না 

.... ঋষি 


কবিতার শব্দরা সব ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে আগামীতে ভয়ে 

সকলেই জানে, বিপ্লব মরে গেলে জনগণ অপেক্ষায় থাকে 

অন্য বিপ্লবের ,

মানুষ মরে  যাচ্ছে  পাথরে, ফুটপাথে ,হসপিটালের বাইরে 

চারিদিকে হাততালি 

সাব্বাশ টু থাউজেন্ড টোয়েন্টি ওয়ান 

শহরে কফিন ঘুরছে। 

.

অচেনা মানুষ এই শহরে  লাশ হবে বলে

দরদাম হচ্ছে বেওয়ারিশ হৃদয় 

ভয় করছে চলন্তিকা 

তুমি ,আমি ,আমরা সকলে এক লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছি 

কিংবা সময় গুনছি 

ফুরিয়ে যাওয়ার আগে নিয়মিত চোখ রাখছি টিভির জানলায়। 

.

দোকানপাট বন্ধ ,বন্ধ সেলুন ,মুদিখানা ,গাড়ির দোকান ,চায়ের দোকান 

পাড়ার ব্যারিকেডে দাঁড়িয়ে আছে সাদা পোশাকের ঈশ্বর 

ওদিকে কেউ যাবেন না 

আমরা দেখেছি টু থাউজেন্ড টোয়েন্টি ,আমরা বেঁচেছি ,

কিন্তু এবার ভয় করছে 

সারা শহর জুড়ে আগামীর মৃতদেহগুলো হয়তো  মুখ দেখছে 

আজকের আয়নায়। 

.

সকলে ভেসে আছি আজ ভয়ের সমুদ্রে 

বুঝতে পারছি না 

আমাদের বেঁচে থাকার নৌকাগুলো ক্রমশ প্রকাশিত অসহায় ,

রাষ্ট্র কি করছে ?

মিথ্যের মত করে করে সত্য

সত্যের মত করে করে মিথ্যে

না আর লিখতে পারছি না 

আর দেখতে পারছি না সারা শহরে ছড়ানো মানুষের মৃতদেহ 

সারি দেওয়া লাশ শ্মশানের গায়ে ,

হা ঈশ্বর 

আর হাঁটতে পারছি না এই শহরে ,এই সময়ে ,এই রাষ্ট্রে 

প্লিজ একটা সান্তনা 

প্লিজ একটা মাস্ক 

প্লিজ স্যানিটাইজ ইউর হ্যান্ড

প্লিজ কিপ ডেসটেনসিং ,

না তবু ভয় পাচ্ছি ,আমি ভীষণ সাধারণ 

মরতে চাই না আমি। 

Thursday, April 15, 2021

একটা বোধ



একটা বোধ 
... ঋষি 
​১
তোমার যতটুকু ভাবনা  তারচেয়েও বিশাল একটা  আগামি 
বাঁধা আছি বুকের স্তম্ভে রক্ত বিপ্লব
কী স্বভাব, কবি স্বভাব মিলেমিশে নেশা হয়
 তবুও আফিম  খাই।
 কীভাবে তোমাকে  বিছানায় নিয়ে এসে ফেলি 
ঢুকে যাই
দিন, তারিখ আর বয়স।
মিছিল নিয়ে বার কয়েক ভাবি
ভাবি বাড়তে থাকা আতংকের ক্লাইম্যাক্সে অনেকগুলো বডি
সময়ের বারান্দায় নিজের থুথু চেটে খাই। 
বলো ব্রহ্ম, বলো আয়ু
এইভাবে বারান্দায় জড়ো হয়ে বসে মিছিল,
 একা একা হাঁটি স্লোগানে 
রাজনিতী নিয়ে বদঅভ্যাস, রাজার গোলাম সকলে। 


আজ ফোন, শব্দগুলোয় তোমাকে শুনতে পাই 
 এইভাবে জীবন থেকে তুমি ' চলে যাও,আবার ফিরে আসো
মাঝখানে সংবাদ 
বাঁচতে শেখা,
 কাল  কী হবে ভেবে আজকের আরও দু-চার পেগ 
আজ নেশা, কাল মেশা। 
মৃদু আলো শুধু
আজ অবধি বুঝতে পারি না তোমার বাড়িতে দুধ আসে কেন?
 দুধ তো বৃথা নয়।
একটা প্লাস, মাইনাস খেলা খেলবো ভাবছি জীবন
 উঠছি নামছি, অথচ ভাঙচি না
একতা পরিমিত বোধ নিয়ে মে মাসের রোদ নিয়ে
রবীন্দ্রনাথ জন্মাচ্ছে। 

 

Wednesday, April 14, 2021

ভালো থাকুক মানুষ



 ভালো থাকুক  মানুষ 

.... ঋষি 


শুভ  নববর্ষ 

সময়ের কাছে ফিরে চাওয়া এক মুঠো আলো 

এক সমুদ্র ভালো থাকা বুকে 

জেগে উঠুক মানুষ ,জেগে উঠুক সভ্যতার প্রতীক মানুষের বোধ। 

.

আমি ফিরে ফিরে আসি বারংবার 

আমার একফালি হৃদয়ের বারান্দায় নতুন দেখা দিন ,

সৌজন্যে বাঙালিয়ানা 

সৌজন্য রসগোল্লা ,কলেজস্ট্রীট ,শ্যামবাজার ,ধর্মতলা 

পুরোনো ট্রাম 

আর এই শহরের ব্যস্ততম দিন। 

.

কিছুই পুরোনো হয় নি 

কিছুই বদলায় নি আজও 

শুধু মানুষ ,শুধু মানুষের চোখে দেখা বাঁচতে চাওয়া দিকদর্শন ,

যদি আকাশের কথা বলি 

মানুষ অবাক চোখে আজও খোঁজে নিজের ভালোথাকা। 

যদি রৌদ্রজ্বল দিন 

মানুষ আজও খোঁজে নিজের বিগত ভুল 

হাত থেকে গলতে থাকা রেত ,কিছু গাণিতিক ভুল ,

তবে মানুষ ফিরে আসে 

মানুষকে ফিরে আসতে হয় নিজের কাছে। 

.

চলন্তিকা তোমাকে বলি 

আমার কাছে ফিরে আসা মানে অন্য একটা দিন ,

আমার কাছে জীবিত থাকা মানে এক সমুদ্র রেত 

আর আমার কাছে জীবন মানে ভালোবাসা 

আর আমার কাছে সময় মানে দিন প্রতিদিন 

মানুষের ভালো থাকাগুলো ছোট ছোট বাক্সে রাখা 

এক অদ্ভুত স্রোত 

ফিরে আসুক মানুষ 

আজ এক খুশির দিন ,শুভ নববর্ষ 

এই শুভেচ্ছায় ,শুধু বলতে চাওয়া ভালো থাকুক মানুষ। 


আমার কবিতারা



আমার কবিতারা
... ঋষি 
আজ বহুদিন এমন কোন কবিতা লিখি নি 
যা সময়কে বিস্মিত করে, 
আজ বহুদিন কবিতারা বুভুক্ষু হয়ে একলা দাঁড়িয়ে দাঁড়িপাল্লায়
চলন্তিকা বলে নি 
এই কবিতা শুধু আমার, এই কবিতায় আমি মরে যেতে পারি। 
.
আজ বহুদিন আকাশের প্যাস্টেল সুখে আমার অনুভূতিরা
কাউকে অবাক করতে পারে নি, 
শুধু হুড়োহুড়ি করে যখনি শব্দরা ভীড় করেছে
শুধু বিষাদ, 
আজ বহুদিন আমি আনন্দের পৃথিবী লিখি নি। 
.
শব্দদের ক্যালাইডোস্কোপে যা দেখেছি আমি 
যা দেখতে চেয়েছি 
সেই মানুষগুলো আজ বহুদিন মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়ায় নি, 
সোজা মেরুদন্ডে একলা দাঁড়াই নি আমার দেশ। 
আমি যেখানে শুধু লিখতে চেয়েছি ভালোবাসা
আজ বহুদিন চলন্তিকা  আমার বুকে মুখ লুকিয়ে বলে নি 
ভালো আছি,
আমার কবিতারা আজ বহুদিন খুঁজে চলেছে আকাশ
কিন্তু সেই আকাশের ঠিকানায় সত্যি 
না সত্যি বলতে পারে নি। 
.
তবু আমি লিখে চলেছি চলন্তিকা বুকে এক আলাদিন 
লিখে চলেছি পারস্যের সেই অদ্ভুত ওয়েসিস 
শুধুই তৃষ্ণা 
আজ বহুদিন সেই তৃষ্ণা  বুকে আমার কবিতারা
না কোন মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারে নি। 

সৌজন্যে রবীন্দ্রনাথ



সৌজন্যে রবীন্দ্রনাথ 
... ঋষি 
সৌজন্যে রবীন্দ্রনাথ 
আমি পাঠক, আমার পাথেয় রবি ঠাকুরের আয়নায় ধরা সমাজ, 
গর্ভবতী শব্দরা কবি বুকের জমানো পাথর 
লাবণ্য, হৈমন্তী, মৃণাল, কল্যানী, অনিলা, বিন্দু 
পাথরের প্রতিমা 
সীমাবদ্ধ গন্ডীতে সাজানো সমাজ। 
.
সময়ের খেলনাবাটি 
যুগান্তরে পোস্টমাস্টার  আজও কোথাও যেন রতনের চোখে 
সময়ান্তর 
বদলানো প্রেক্ষাপটে কম, বেশি রতন আজও নারী বক্ষযুগলে
শৈশব খোঁজে 
খোঁজে পুরুষ স্বপ্নের 
.
"মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক সত্যরে লহ সহজে "
কে সে সহজ, কি সে সহজ? 
কাদম্বরী, জ্ঞানদানন্দিনী, স্বর্ণকুমারী, সরলা ঘোষাল, ইন্দিরা দেবী
কিংবা মৃণালিনী দেবী, মাধুরীলতা, রেণুকা, মীরাদেবী
কে সে নারী?
আমি পাঠক ঈশ্বরের নারী স্পর্শে 
ক্রমশ জমাট বাঁধা বোধ 
রবিঠাকুরের নারী 
আর
ভালো মন্দ সবটাই বুঝতে চেষ্টা করি 
বুঝি কবি তুমি প্রেমিক কিন্তু নির্ভরশীল নও মোটেও। 

ভালোবাসি যারা বলে

ভালোবাসি যারা বলে
.. ঋষি 
ভালোবাসা হলো একটা গভীর খরস্রোতা নদী 
যার চিরকাল প্রবাহমান 
আমি আকাশের হাতছানিতে সমুদ্রের প্রেমে পড়ি রোজ 
সে তো সমুদ্রের ঢেউ আছড়ে পড়ে টিলায়, 
প্রেম বদলাতে পারে বারংবার 
কিন্তু ভালোবাসা বলে খরস্রোতা নদীটা বয়ে যায়। 
.
সত্যি হলো বুকের কেবিনে পুরনো জামানার পুঁথি সব 
পড়াতে থাকে বেঁচে থাকা, 
আমি আকাশের বুকে মাটি ছুঁড়ে তোমায় নগ্ন করি 
ভালোবাসি তাই 
তোমার ব্লাউজের শরীরে আমার আঙুল থেকে যায়। 
.
আকাশ খোলা মাটি 
পুরনো শ্রাবণে ক্ষয়ে চলা সমুদ্র চিনহ
বুকের খরস্রোতা নদী পেড়িয়ে যায় লোকালয় যুগান্তর
সময় ভাবে ষড়যন্ত্র।
ভালোবাসার মাটিতে পোঁতা গাছ, উইঢিপি করা সাজানো সফর 
গাছেতে ফল আসে, সময়ের ঋতুবদলে
ভালোবাসার নরম মাটিতে চেতনা হাঁটে 
আমি বুঝি 
যারা বলে একবার ভালোবাসা যায়, মিথ্যে বলে 
ভালোবাসা যায় বারংবার 
যতক্ষন বুকের মাটির গাছটায় ফল ধরে 
আর শরীরে ধরে ভালোবাসার ক্ষয়। 

খাঁচা

খাঁচা 
.. ঋষি 
এই খাঁচা তোমার 
এই যে পরিত্যক্ত নিরুদ্দেশের কল্পনায় আমি পাখি, 
আমার জমানো হাড়ে দাঁত রেখে তুমি স্বাদ খোঁজ 
তোমার স্বাদ কোরকে জমা আছে সংসার, মাংস রান্নার হাঁড়ি 
সবটাই নিয়মমাফিক 
নিয়মের বাইরে আমরা সকলেই পাখি। 
.
তোমার এই খাঁচার ভিতর অন্ধকার
কেন তুমি আমাকে দেখাতে চাও আলেকজেন্দ্রিয়া, 
বানান ভুলের সংলাপ 
সত্যি যখন নিয়মিত একটা পাখি আকাশে ওড়ে
তুমিও বিশ্বাস  করো জানি 
তোমার বারান্দায়  বেগেনভেলিয়া ফোঁটে। 
.
নিত্য অনিত্যের খোঁজ 
কেউ কেউ বলে আমার পাখি থিসিসের উপর একটা জঙ্গল আছে 
সেই জঙ্গলে আছে অনেক গাছ, 
একদিন একটা শিকারী আসে সেই জঙ্গলে 
সব গাছ কেটে ফেলে,বিশাল বিশাল বাড়ি বানায় 
এটা এখন শহর
এখানে আসে না আর কোন পাখি আকাশের খোঁজে। 
.
আমি জানি পাখিদের ভীষণ  মায়া থাকে
মায়ার ভিতর শুয়ে থাকে বিগতজন্মের ধ্যান, বিজ্ঞান 
আর বিশ্লেষণে থাকে আকাশে উড়ান ভরার পদ্ধতি 
সাদা, সাদা কাগুজে নিস্তব্ধতা 
শব্দ খোঁজে মাঝ দুপুরে
খাঁচা ভেঙে যায় আর পাখি আকাশের দূরে,দূরে...

দুর্বোধ্যতা



দুর্বোধ্যতা 
..ঋষি 
দুর্বোধ্যতা একজন শিল্পীর হৃদপিন্ড 
কিংবা ভাষা, 
সহজ শব্দের ভিড়ে মসগুল পৃথিবী সময়ের যোগ্যতা খোঁজে, 
পিটবুল কিভাবে গাইতে পারে 
RAIN OVER ME .....
.
আমি শিল্পী নই, খুব সাধারণ  কেউ তোমাদের দরজায় 
আমি আলো ছিটিয়ে সময় তৈরি  করি ,
চলন্তিকা আমায় বলে আবার খ্যেপলি  কেন? 
আমি চলন্তিকাকে বলতে পারি না 
অভাব আর স্বভাব শিল্প তৈরি  করে 
আর খ্যেপামি হলো ঈশ্বরের  অকশানে পাওয়া 
শিল্পীর অধিকার। 
.
পাখিগুলো একসাথে আকাশ ছুঁতে চায় 
আমি শিল্পী নই, একজন সাধারন শিকারী যে  বর্ষা নিয়ে মাছ শিকার করে
ঘুরি ফিরি সময়ের  সাজানো নদীনালাতে, 
আমি আকাশ বানাতে পারি না
না আমি ঈশ্বর  নই
তবে আকাশের গায়ে দাগ টেনে বানাতেই চাই ভাবনার ঘর 
কবিতার পাতা।
প্লিজ আমি ঈশ্বর  না
ঈশ্বর আসলে সুবিধাবাদি মানুষের ভাবনার নাম 
আমার কবিতারা আমার অতীত, ভবিষ্যত আর দুনিয়া বদলাবে
সম্ভব না জানি 
তবু লিখি কোন শিল্পীর চোখে দুর্বোধ্যতা আগামীর কাগজএ। 

এইসা দিন নহি চলেগা



এইসা দিন নহি চলেগা 
... ঋষি 
হঠাৎ  সব্বাই আমার ভালো চাইছে 
হঠাৎ  সব্বাই আমাদের ভালোবাসতে চাইছে 
হঠাৎ কুত্তা, বিল্লি সব্বাই আমাকে,আমাদের লাথি, ঝ্যাটা মারছে, 
বুঝতে পারছি না? 
.
বছরের অন্যদিনগুলো সকলে কোথায় থাকে 
জানি না, 
সারা বছর ভাঙা চোরা রাস্তায় দুর্ঘটনা, রাস্তার কলে শুকনো জল 
না খেয়ে আত্মহত্যা করা মুখগুলো,লকডাউনে সন্তান হারানো মা, 
না তখন কাউকে পাশে পাই না 
তবে আজ হঠাৎ  কেন সময় বন্ধু হতে চাইছে। 
.
আমার প্রেমিকারা সব দেশভাতারের দল 
চোখ তাদের লোভ বসানো,নোনা জিভ হিমালয়ের উপত্যকার বরফ
বরফের শরীর, 
যাদের নিজেদের কোন ভবিষ্যত নেই, যোগ্যতা নেই
তারা আমাদের উদ্দেশ্য ঠিক করে। 
 ‘আচ্ছে দিন’ কি শুধুই কি তোমাদের ভোগে আসে 
আর 'গন্দে দিন ' শুধু আমাদের স্বপ্নে? 
.
আমাদের সন্তানরা এখন দেশদ্রোহী
তাদের জল্পনায় উঠে আসে মানুষের অধিকার
আর মন্ত্রনায় থাকে মানবতাহীন মানুষগুলোকে সরিয়ে
ওরা কিভাবে হেডলাইনে লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে বেড়াবে
কিভাবে দেশ তৈরি  করবে। 
আমার কলমও এখন পুরোমাত্রায় দেশদ্রোহী
বিদ্রোহী কালির গত হয়ে যাওয়া মৃতদেহগুলো 
ভীষণ রাগে স্লোগান তুলছে
আর নাটক নয়, আর লোক ঠকানো নয়, আর লোভ দেখানো নয় 
আর ভালোবাসা মানে শরীর নয়, 
হিমালয় থেকে কন্যাকুমারী বল্লভভাই প্যাটেলরা
আরবসাগর থেকে বঙ্গোপসাগর নাথুরাম গডসেরা জন্মাতে চাইছে
জন্মাতে চাইছে বিপ্লব 
লাহোর, বিহার, লক্ষ্ণৌ একসুরে এক গানে 
বলতে চাইছে " এইসা দিন নহি চলেগা  "। 



Tuesday, April 13, 2021

আমার কোন পথ নেই

 


আমার কোন পথ নেই 

... ঋষি 

.

আমার আর কোন  পথ নেই ,আমি আর পথিক না 

সময় আমাকে অজ্ঞ করেছে বড় ,

সর্বনাম, অব্যয় ভুল 

সম্বোধন পদ 'তুই' বলার নিষেধাজ্ঞার ভেতর,

সময়ে ভুল করি 

টুংটাং দেওয়াল ঘড়িতে লেখা হয় সময় বিধাতার নাম। 

.

দাড়ি, কমা, কোলন, সেমিকোলন, হাইফেন-যতিচিহ্নে

সবকিছু ভূতের মতো তাড়িয়ে বেড়ায় 

অ থেকে অজগর ,ক থেকে কোন্নগর সব কেন অবধারিত নেশা আমার কাছে ,

আমি ফেরিঘাটে যাই 

দেখি শ্মশানপাড়া ,দেখি শ্মশান বন্ধু

সারমেয়র পাশে শুয়ে জীবন কেমন জানি ফুটপাথ।  

.

আমার রাতের টিনের ওপর সারাক্ষন বৃষ্টির শব্দ হয় 

নিজের নাম ভুলে যাই ,ভুলে যাই ভুলের না 

আমার হৃদয় আমায় ছেড়ে জ্যান্ত ভুল 

           এই শহরের পথঘাট - বিষাক্ত ভুল 

                  হাজারো চিৎকার ,হাজারো ভাষা - অপাংতেয় ভুল 

           সম্পর্ক শব্দটা মরীচিকা - তৃষ্ণার ভুল 

                      আর জীবন - ভুল ,ভুল ,,,,,ভুল। 

.

আমার চক্ষু নেই, কর্ণ নেই

কর্ণের বীর হওয়ার গল্প আমার জানা নেই,

আমার প্রাণ আছে ,দিল নেই 

দিলওয়ালে দুলহানিয়া সিনেমাটা আমার দেখা নেই। 

আমার শহরের আবাদি আছে বরবাদী আছে 

কিন্তু এই শহরে আমি কোত্থাও নেই ,

রোম ,গ্রীস ,ফিলাডেলফিয়া শুধু মানচিত্রে কতগুলো নকশা টানে 

অথচ আমার রক্ত মাংসের নকশায় কোনো গন্তব্য নেই। 


অস্তিত্ব ও স্মৃতি

অস্তিত্ব ও স্মৃতি 
... ঋষি 
অস্তিত্ব আছে বলেই যে 
সস্তির অক্সিজেন নেয় এই শহরের বেঁচে থাকা 
এমন নয়, 
বৃষ্টি হয় বলেই কান্নার শব্দ পাওয়া যায় না
 এমন নয় 
এই শহরে আজও কাদা জমে উধাও অস্তিত্বে। 
.
দরজায় শব্দ করে 
কেউ ফিরে যায় আলিবাবার গল্পে 
কিসের খোঁজ, 
প্রথম আলো আসা সলালের টেবিলের উপর 
খোলা চিঠি 
ভালো আছি লেখা আছে আনমনা একলা পাতায়। 
.
শুধুমাত্র রাত্রি আছে বলে সকাল গিয়ে হাত ধরে আলোর সাথে
না এমন নয় 
গঙ্গার পাশে পুরনো ধাবায় জ্বলে ওঠে শ্মশানের মুখ 
এক মুখ ধোঁয়া ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় মৃতদেহ 
জীবনের কত কাছে আমরা
অথচ ভুল।
বিস্মৃতি আছে বলেই আমরা ছুটে চলে আসি স্মৃতির কাছে
যেখানে মুহুর্তরা জাবনা কাটে, 
চারদেওয়াল জুতোর তাক, সিঁড়ি উঠে যায় ক্যালেন্ডারের পাতায় 
ব্যাতিক্রম  শব্দটা আছে বলে আমি আছি 
এমন নয়, 
বয়স বাড়ে, দুচারটে একলা ভাবনায় পাক ধরে 
স্মৃতিরা হামাগুড়ি দিয়ে লুকিয়ে পড়ে একলা ভাবনায়। 

Sunday, April 11, 2021

স ম কা ল

সমকাল 
... ঋষি 
সমকালীন শুকনো রজনীগন্ধা দিয়ে সাজানো বাসর 
সময়ের এজলাশে যুদ্ধকালীন একটা ছায়া আমার ভারতবর্ষে 
পাত্র সময় 
পাত্রী ভারতবর্ষ ( আমার দেশ) 
নিয়মমাফিক পঁচাত্তরের সংসার আমার ভারতবর্ষের
আজ টু থাউসেন্ড টোয়েন্টি ওয়ানে আমি, তুমি, তোমরা 
সকলেই দরিদ্র মাতার স্বার্থপর সন্তান।
.
আমাদের কোনো  কাহিনী নেই, রাশি  নেই, সাংস্কৃতি নেই
শুধু এই নির্বাক  শ্বাসরোধী চিৎকার আছে
চোখের জল আছে। 
অব্যক্ত ও অসাংবিধানিক যা  তাকে আমরা গনতন্ত্র বলি
অসভ্য এবং নগ্ন যা তাকে বলি সমকাল । 

যা আমি লিখতে চাইছি  তা আমার হয়ে মৃত বিপ্লবীরা লিখছে
যা আমি বলতে চাইছি  তা আমার হয়ে আগামীর সন্তানেরা বলছে
ছিঃ ছিঃ কি অস্তিত্ব  আমাদের? 
একটা মাথানীচু করা জাত, যারা পায়খানায় বসেও ভাবে খিদে
সমব্যথা, ধর্ম নিরপেক্ষতা  ও নিদারুণ  অভাবগ্রস্থ সমকাল। 
মার খেয়ে মরে যাওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তেও
আমরা মিথ্যেবাদী
মিথ্যে আমাদের পরিচয় 
.......….....…............ভারতবাসী।  
.
এ আমার  কবিতা নয়...
না না কবিতার মধ্যে কোন লুকোনো অসহায় সময় থাকতে পারে না
থাকতে পারে না রাজনিতী,
নদীমাতৃক এই সভ্যতার মাটি খুঁড়ে জ্বলন্ত কয়লার মতো আমি তুলে আনছি আমার মাকে
...................... ছিন্নভিন্ন যোনি।
তুলে আনছি ইশতেহার
রক্তের চ্যাটচ্যাটে দাগের মত আমার  স্বদেশ...আমার ভারতবর্ষ,
সমকাল জাগো
জাগো মৃতপ্রায় মায়ের অকালকুষ্মাণ্ড সন্তানেরা
.....................................লজ্জিত হও। 

ঠিকানা

ঠিকানা 
... ঋষি 
.
যৌনতা বলতেই মনে পড়ে,
 ক্লিওপেট্রা মুভির এলিজাবেথ টেলোরের চোখটা,
আসলে যৌনতা একটা শব্দ না
মানুষের হৃদয়ের বেসমেন্টে পোঁতা একটা পেরেক 
একটা - 'ল্যুসিড ড্রীম'। 
নিবিড়তম স্বপ্নের ভেতরেও কে যেন কানে কানে বলে দেয়,
 যা ঘটছে আসলে এসব সত্যি নয় কিছুই।
.
আর দুঃখের সময় বলতে 
আমি ভাবি সত্যজিৎ রায়ের অপুর সংসারে শর্মিলার চোখ 
যখন সে অপুকে ছেড়ে বাপের বাড়ি যাচ্ছে 
একটা - " প্যাসিফিক ওসেন "। 
নিবিড়, গভীর জলের ভিতর থেকে কে যেন টেনে নেয় 
একটা শব্দহীন দুনিয়ায়। 
.
আর আনন্দ 
সে তো স্টিফেন স্পিলবার্গের ই টি সেই বাচ্চাটার চোখে 
আবিষ্কারের আনন্দ
একটা " বুম এফেক্ট। 
নিবিড়  ভাবনাদের সাথে হঠাৎ কোন অস্তিত্বের মেলবন্ধন 
খুশির ঝলক মানুষের হাসি। 
.
কত কথাই তো বলার থাকে আমাদের, 
বলা আর হয় না,অস্তিত্বদের সাড়া পাওয়া গেলেও
মনের ঈশারারা একলা থাকে। 
সারাটা রাত জেগে থাকার পরে, আরও একবার ভোর হয়ে আসে
 মনে হয় এই জীবনের যা কিছু অকিঞ্চিৎকর,  যা কিছু মলিন, 
তারাই যেন আমাদের ঠিক পৌঁছে দেবে একদিন ঠিকানায়।

চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়



চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয় 
.. ঋষি 
আজ ভালো লাগছে না শরীরটা
বোধহয় বয়সটা আর তোমার, আমার একসাথে নেই এখানে, 
কেমন একটা গা গরম 
অফিসের এসিটা বিনা কারনে হয়তো একটু পাখি হয়ে উড়ছে,
সামনে কম্পিউটার ডেস্কটপে খোলা হিসাবনিকাশ
আর ভালো লাগছে না। 
.
একটা গান শোনাবে চলন্তিকা
সেই বার সেই পাড়ার ফাংসানে যে গানটা তুমি গেয়েছিলে, 
কি ভাবছো? 
অনেকদিন কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় নি, 
যাবে,ব্যাগট্যাগ গুছিয়ে নেও 
আর ভালো লাগছে আমারও তোমার মতো 
অক্সিজেন কম পড়ছে এই শহরে। 
.
আচ্ছা যদি যেতে নাই পারো চাপ নেই 
আসলে আমাদের চলার পথগুলো একা একা হেঁটে যেতে হয়, 
কি ভাবছো? 
আমার কথা, 
ভেবো না আমাকে নিয়ে
 বরং  একবার শ্বাস নেও এবং শ্বাস ছাড়ো 
কি বুঝলে? 
সত্যি এর থেকে জরুরী আর কিছু হয় না।
.
 এইবার তবে চোখের জল মুছে ফ্যালো, লক্ষ্মীটি। 
জানো, আমার খুব প্রিয় একজন কবি লিখেছিলেন, 
৷৷  "চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয় "।

প্রতিদিন



প্রতিদিন
..ঋষি 
প্রতিদিন অফিসে যাই 
ফিরে আসি নিয়ম করে রোজ গভীরে দরজা খোলার অপেক্ষায়, 
প্রতিদিন ঘড়ির কাঁটার নিয়ম মাফিক এই শহরের ভীড় 
শুনশান হয়ে যায় প্রতি রাতে,
আমার মতো কেউ একলা শহরের ফুটপাথে গিয়ে দাঁড়ায় 
চিৎকার করে বলতে চায় 
আমার শহর। 
.
প্রতিদিন কতকিছু চোখে পড়ে
কচি কাচাদের কান্না, উড়তি বয়সের রোমান্টিক ফিসফাস 
বৃদ্ধ বয়সের বিশ্বাস  গত হওয়া সময়ের রাস্তা পারাপারে 
বুড়িয়ে যাওয়া বাচ্চাদের হাতে নীল ফোন। 
সবকিছু দেখি 
দেখি এই শহরের কর্পোরেশনের কলে চান করছে শহর
রেস্টুরেন্টে কাপ ধুতে ধুতে ছ বছরের ছেলেটা বোধহয় ভাবছে 
বড় হয়ে সে এই শহরটাকে কিনবে। 
.
দেখছি প্রতিদিন কিভাবে ফেসবুকে কত বিপ্লব পোস্ট করছে সময়
মধ্যহ্ণে দাঁড়ানো সেই ভদ্রমহিলা কি সহযে লিখছে 
ছুঁতে চাই, 
রাষ্ট্রসমগ্রকে দেখছি প্রতিদিন নিয়ম করে স্বপ্নদের বলতে
আর দেখছি হাজারো মানুষ সেই স্বপ্নে আধপেটা পথ হাঁটছে। 
সব হচ্ছে এই শহরে
কিন্তু সবচে অবাক আমি কোথাও নেই সেখানে
আমি অফিস যাচ্ছি 
নিয়ম করে ফিরে আসছি স্বপ্নের দরজায়, 
আজ বোধহয় খুলবে দরজাটা
আশা রাখছি আমার মতো দেখতে সেই ছেলেটা
আজ ঘুমোবে নিশ্চিন্তে শহরকে সাক্ষী রেখে। 


শোনা কথা



শোনা কথা 
... ঋষি 
শুনতে চাই " এ কি লাবণ্যে "...  
শুনতে চাইছি 
অথচ সময় কোন কথা বলে না, 
এইবার একটা গান শুনতে চাই সময়ের একতারায় 
অথচ প্রতিটা দিন প্যারানয়েড হয়ে উঠছে। 
.
একটা চওড়া লোমশ বুক ওয়ালা পাঞ্জাবী ছেলে
আঙুল ঠেকিয়ে হাঁটছে বাসন্তীর শাড়ীর মেয়েটার সাথে, 
পেড়িয়ে আসি 
জেব্রাক্রসিংএ অপেক্ষায় থাকি লাল আলোর 
সময় থামে না
আমার রাস্তা পারাপারাপার বন্ধ। 
.
রাতে এক বন্ধু ফোন করে বলে 
তার সাফল্য 
তার তেরো, চোদ্দ তম প্রেমিকার জন্মদিনে দেওয়া
লিংগারিয়া স্ট্যান্ডার্ড 
পেরোতে চাই, পারি কই। 
এক্সপেয়ারিতে দাঁড়িয়ে উত্তর, দক্ষিন, পুর্ব, পশ্চিম 
লাইক বাড়তে থাকে 
তিনমিনিটে তিনশো লাইক,
আমি গিয়ে দাঁড়ায় তোমার দরজার বাইরে সেই শালিকের বাসায় 
শোনা কথা
দুই শালিক নাকি দেখা ভালো। 

কাঙাল মালসাট




কাঙাল মালসাট 
.. ঋষি 
কাঙাল মালসাটের শেষ চ্যাপ্টারটা মনে পড়ে
পাতার ডানদিকের  কোণায় ফার্স্ট ব্রেকেটে লেখা - 
"চলবে না"।
শ্রুতি, শব্দ, অনবদ্য 
মুখের দিকে তাকিয়ে দ্রাঘিমাংশের আলিংগন 
মিস করছি 
তুমি বলছো " চলবে না "।
.
তোমার ইনবক্সের সবুজ আলোটার দিকে তাকিয়ে 
মুখভার, 
দক্ষিণের বারান্দায় একলা দাঁড়িয়ে এক মুখ ধোঁয়া,
আসলে ধোঁয়ায় মুখ পোড়ে না
বুক পোড়ে না
বলতে পারছি কই " চলবে না "। 
.
ফোনের ওপাড় থেকে শুনতে পারছি 
ইস নাম্বার কা সভি লাইনে অভি ব্যাস্ত হ্যা, 
আশংকা, বুকের ভিতর শূন্যতা জুড়ে আমার আমি 
কার সাথে কথা?  আমি তো ছিলাম। 
কিছু নেই, কেউ নেই 
অগত্যা নিজের ব্যার্থতা, অযোগ্যতা ছাড়িয়ে বলতে পারছি কই
" চলবে না "।
আদর্শ সমাজের ধারণায় কল্পনা ওরফে ইউটোপিয়ায় থাকে বলে 
আদর্শ শব্দটা অসফল 
বিশ্বাস  করি 
নবারুন ভট্টাচার্য খুলে প্রেক্ষাপটে  পড়ি 
" চলবে না "।

সকল প্রেমিকদের জন্য



সকল প্রেমিকদের জন্য
..ঋষি 
"I will drown my beliefs
To have your babies
I will dress like your niece
And wash your swollen...... 
.
কিছু বুঝলেন? 
ভালোবাসা বলে গাছটা গ্রীষ্মের দুপুরে দাঁড়িয়ে তৃষ্ণায়, 
হ্যা আপনার প্রেমিকা গাছ হতে পারে 
আপনি মাটি, 
আর তারপর সব মিছিমিছি কিছুটা সময় হতে পারে
ডরাবেব না, অবশ্যই ভালোবাসুন। 
.
বরং খুব মনকেমন করা একটা হাওয়া বইছে এমন দুপুরে, 
হৃদয়ে  সামান্য জ্বর নিয়ে, 
ভূতে পাওয়া কোনও চিলেকোঠা ঘরে যদি আপনি উঠে যেতে পারেন একা একা
ঝাপসা চোখে দেখতে পাবেন একতা রাস্তা 
আর বিশ্বাস 
ভালোবাসা। 
.
নির্ভরশীল 
উচুঁ নীচু জমির উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন সকলে
পে 
ক্ষা 
প্রেমিকের কাছে ভালোবাসা শব্দটা ধর্ম 
আর সময় আর সমাজের কাছে একতা অবাঞ্চিত বদহজম 
তবু গাছ মাটি আঁকড়ে  থাকে, 
আপনিও থাকুন।

ইসস্তাম্বুলের ঘোড়া




ইস্তাম্বুলের ঘোড়া 
... ঋষি 
পরম্পরা ইস্তাম্বুলের ঘোড়া 
বাবার মুখে শোনা সংসার নিত্য এক সমুদ্রে ভাসমান 
আর মা সংসার বুকে চিরস্থায়ী প্রথা, 
নির্ভরশীল একটা পদ্ধতিতে সকলেই একটা নৌকায় ভাসমান 
নৌকার ছইয়ে অনিবার্য সামাজিকতা। 
.
মাকে দেখেছি রোজ রাত্রে নিয়ম করে বাবার উদযাপন করতে
সকালে দেখেছি আগুন সাজিয়ে উনুনে হাতপোড়াতে 
নিয়ম করে খাওয়ানো, শোয়ানো, 
দুপুরে দেখতাম মায়ের ক্লান্ত শাড়ীর পাড়ে জ্যোৎস্না  এসে পরতো
সবকিছু নিয়ম মাফিক, ভীষন সামাজিক 
আসলে মায়েদের কাছে বোধহয় একটা দেশের শাসন থাকে 
আর পুরুষ মানুষ সেখানে শুধু আশ্রিত নাগরিক। 
.
 মাঝে মাঝে মা চিৎকার করতো 
বুঝতাম ইস্তাম্বুলের ঘোড়াটা বোধহয় দুষ্টুমি করছে, 
কিন্তু মায়ের কান্নার শব্দ আমি শুনতাম ঠিক
ঠাকুরের কাছে, স্নানের ঘরে 
কিন্তু মাকে আমি কাঁদতে দেখি নি কখনো 
আসলে মনে হয় মেয়েদের কান্নাগুলো দৃশ্য হয় না কখনো । 
.
এখন মাকে দেখি বৃদ্ধ পুরনো ইস্তাম্বুল সামলাতে 
আর বাবাকে দেখি একটা কাঠের ঘোড়া কি ভাবে
মিথ্যে হতে থাকে সন্তানের বেড়ে ওঠায়। 
আমি সংসার বুঝি নি কখনো 
তবে বাবা - মাকে দেখে বুঝেছি 
বাবার পকেট হলো ঘোড়ার ঘাস আর মা হলো আস্তাবল 
আর সংসার ইস্তাম্বুলের ঘোড়া। 


Saturday, April 10, 2021

ভালো লাগছে না



ভালো লাগছে না 
.. ঋষি 
ভালো লাগছে না
বলছি বারংবার 
কিন্তু কেন লাগছে না ভালো, বলতে পারছি কই, 
বলতে চাইছি আমি ভালো নেই 
কিন্তু কেন ভালো নেই বুঝতে চাইছি না
বুঝতে চাইছি না শ্মশানে নিমগাছ কেন লাগানো হয়। 
.
সব প্রশ্নের উত্তর আছে 
অথচ উত্তগুলো গ্রেপ্তার হয়ে যাচ্ছে নিজেকে বুঝিয়ে বলায়
তুমি ভালো আছো, 
ভালো আছে তোমার আকাশের চাঁদ
চাঁদের ভিতর লুকোনো জ্যোৎস্না আর জ্যোৎস্নার বালিঘর 
সময়ের কাঁটা আর বাঁচার স্বয়ংবর। 
.
আমি জানি তুমি ভালো নেই 
ভালো নেই তোমার রাম্নাঘর, শোওয়ার ঘর, স্নানের ঘর কিংবা শাড়ির তাক 
ভালো নেই এই শহর, এই মুহুর্তে কেউ কোত্থাও 
তবু তো শহর চলছে। 
তবে কেন আমি চোখের পাথরে খারাপ ছাড়া কিছু দেখতে পাচ্ছি না,
দেখতে পাচ্ছি না আলো
শুধুই অন্ধকার 
শুধুই অন্ধকার হাতড়ে উঠে আসছে বিভৎস্য একটা হাঁড়িকিরি 
মনে হচ্ছে আমি ধর্ষন হচ্ছি রোজ 
মনে হচ্ছে আমার আত্মায় মুহুর্তরা হাতির বুকে চড়ে।
.
আমি কি তবে অন্ধ হয়ে যাচ্ছি 
সকালের সুর্য দেখতে পাচ্ছি না, 
দেখতে পাচ্ছি রৌদ্রস্নাত সবুজ পাতা
আমি কি তবে বধির হয়ে যাচ্ছি 
শুনতে পারছি না আগামীর পায়ের নুপুর 
কিংবা সৃষ্টির একতারায় নতুন ভোর। 
তবে কি আমি পাগল? হ্যা পাগল হয়ে যাচ্ছি 
আমার মাথার ভিতর অবিরত কেউ কেন বলছে 
আমি ভালো নেই 
কিছুই ভালো লাগছে না আমার। 



মানুষের জন্য



মানুষের জন্য 
..ঋষি 
কতটা নিরর্ভশীল আমি কিংবা আমরা 
কুকুরের মতো? 
জনতা সময়ের সুখ খুলে অসুখের নামে বোকা ধর্ম, 
অথচ রুজির আগুনে পুড়ে যাওয়া রান্নাঘরে 
আগুন ধর্ম। 
.
আমি জানি এ দেশের মানুষগুলোর কিছু করার নেই 
তাই দিনান্তে নিয়ম করে সংগম করে, 
জনসংখ্যা বাড়িয়ে দেশ গড়ে, 
আমি জানি এই দেশের বোকা মানুষগুলো শুধুমাত্র বাঁচতে চায় 
তাই ভয় পায়
তাই নিয়ম করে কুকুরের মতো পদ লেহন করে।
চোখে ঠুলি লাগিয়ে ধার্মিক কিছু কিতাব আজ নরকগুলজার
চোখে চশমা লাগিয়ে আমরা সকলেই সবজান্তা, 
মিস চুলকানি  বলে সেই সুন্দরী  নায়িকা নিজের বগলের চুল তুলে 
জনতার দরবারে দাঁড়িয়ে সেক্সি পোজ দেয় 
ভারতবর্ষের দারিদ্র্যতার ব্যানারের নিচে  মানুষগুলো আঙুল দাঁড় করায় 
ব্যালট পেপারে হাঁপাতে হাঁপাতে ঠুকে দেয় কনডমের নাম। 
.
এই ভারতবর্ষ বোঝে না হাতে ফোর জি নিয়ে,হাঁটুতে ব্যাথা নিয়ে
ক্রমশ কুকুরের মতো নির্লজ্জ আমরা 
সংগম করছি রাস্তায়, ফুটপাথে সময়ের সাথে, 
সময়ের দীক্ষাগুরুরা আমাদের বলছে প্রতি পঞ্চবার্ষিক  প্রকল্পে
আমি আছি তোমাদের পাশে, 
আমি থাকবো কারণ আমি সাধারনের হাতে টাকা দেবো
প্রতিটা ক্লাবকে দেবো রসায়ন, মদ, মাংস আর মা,,
সাধারনদের  ঘরে পোঁছে দেবো রেশনের চাল 
কিন্তু তোমাদের শিক্ষা দেবো না, দেবো রিক্সা 
তোমাদের  কর্ম দেবো না, দেবো ভিক্ষা 
তোমাদের অধিকার দেবো না, দেবো ঘুস,
তোমরা আমাকে রাজা করো, তোমাদের করবো ভিখারী, 
তোমাদের চুরি করা শেখাবো
তোমাদের ধর্ষন করা শেখাবো 
শেখাবো কি করে কাউকে ছোট করে নিজেকে বড় বলতে হয় 
শেখাবো কি করে মানুষ হয়ে মানুষকে কি করে ঠকাতে হয়। 
.
জানি আমার এই কবিতা কেউ পড়বে না 
জানি আমার এই কবিতা পড়লে সাধারন ভয় পাবে 
কেউ কেউ আমাকে গালি দেবে
সময় আমাকে চালান করবে রাষ্টদ্রোহের অপরাধে বেশ্যার কাঠগড়ায়, 
তবু আমি লিখবো এই ভাবে রাষ্ট্র তৈরি হয় না 
রাষ্ট্র তৈরী করতে সাধারণ  মানুষের ঘাম, রক্ত আর সত্যি দরকার
রাষ্ট্র তৈরী করতে গেলে ধর্মকে বর্ম না বরং আকাশ বলে ভাবতে হবে
রাষ্ট্র তৈরী করতে গেলে অন্যায়ের সাথে বন্ধুত্ব নয় বরং যুদ্ধ করতে হবে 
উঠে দাঁড়াতে হবে সাধারণ  মানুষকে স্বার্থহীন হয়ে 
দাঁড়াতে হবে মানুষের পাশে, মানুষের জন্য সত্যির ঈশারায়। 

ক্রিটিক্স

ক্রিটিক্স 
.. ঋষি 
বুক থেকে দাক্ষিণাত্য খুলে সবুজ পশম
চল সময় ছেড়ে পালাই 
ক্রিটিক্সদের মজবুর গল্প ছেড়ে পালাই সবুজ জংগলে, 
গাছেদের কোন মুকুট থাকে না 
থাকে না ঋন মুকুব। 
.
আমাকে ছেড়ে যাবি না কোনদিন 
একলা সময়ে মরফিন নেশা,
নরক আর নারীত্বের মধ্যে দূরত্ব 
তোর নাভির গভীরতায় ঈশ্বর  ছুঁয়ে গর্ভবতী মেঘের মতো,
সময়ের কলস বেয়ে চিরসখা
আর ঈশপের নিয়মের নিতী। 
তোর স্বপ্নে আসা আমি সত্যি চিরকাল 
কিন্তু আমি তো জংগলের সবুজে একটা ক্লোরোফিলের স্বপ্ন, 
শয়নে, মরমে, স্বপ্ন বপনে 
চিরহরিৎ অধ্যায়,
সবুজ সময়ের ফাঁকে উঁকি মারা মুখ 
হঠাৎ পথচলতি শহরের ভীড়ে মন খারাপে। 
সত্যি এই কবিতায়
মুখোমুখি আমি আর আমার পরিচয় 
ঝগড়া প্রবনতা অস্তিত্ব  ছুঁয়ে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছি 
হঠাৎ  ভালো লাগছে না কিছু 
এই শহরে শুধু অপরাধী আতংকে আমি। 


Thursday, April 8, 2021

প্রিম্যাচিউর কবিতারা

 


প্রিম্যাচিউর কবিতারা  

... ঋষি 

.

কীভাবে হারিয়ে যাচ্ছি একটু বলি 

এইসব অর্ধেক ফাঁকা সন্ধ্যে , 

নিয়মের  ঠোঙার মতন ঘর, পৃথিবীর শেষ প্রান্তে গন্তব্য 

দুভাগ করা নদীর সঙ্গমে জল 

আমাদের দেখা হওয়াগুলো প্লুটোয় জল থাকার মতো কাল্পনিক। 

 কয়েকটামাত্র লাইন জড়ো করে শব্দের পিঁপড়েগুলো কোথায় নিয়ে যাবো 

দিনগুলো ঠিক  যেভাবে দেখতে চাইছি 

গলে যাচ্ছে ডার্ক চকোলেট তোমার ঠোঁট বেয়ে।   

.

 ২

.

সত্যিই কি চাইছি অন্য কোন পৃথিবী 

গ্রহের রকমফের বায়ুমণ্ডলের  স্তরে একটা পাথরের ঘর 

নতুন করে একটা পথ হাঁটা শুরু করি 

ম্যানড্রেকের ঝোলা থেকে বেরিয়ে আসুক সাদা পায়রা 

বাকুম বাকুম ,

অফিসে ছুটির দরখাস্ত ওয়াকিবহাল 

নিরুত্তর প্রলাপ 

পথচলা। 

.

 ৩

.

বুঝতে পারছি ভীষণ সত্যি লিখছি আমি 

টেবিলের ওপরে বোতলের জলে পৃথিবীর তিনভাগ জল 

সত্যিটা এত সহজ না 

সকলে বলতে চাই 

ঘুরেফিরে ট্রাফিক জ্যাম পেরিয়ে আমরা যেটা বলতে চাই 

সেই সত্যি। 

সিগারেট পুড়িয়ে নিকোটিন বুকে দ্রাব্যতা 

তোমার মতো আমিও সংসারী এই সমাজে।  

.

 ৪

.

জলের উপর ঘর 

মহাদেশ থেকে তুলে নেওয়া মানচিত্রে আমার হাঁটা ,

আমার ছেলের হাতে গ্লোব 

গ্লোব ঘুরছে ,স্ট্যাচু 

প্রিন্সিপাল থেকে প্রফিটের দিকে মানুষের লোভ। 

হেলে পড়া গল্পগুলো ডাকবাসের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিয়েছে ব্রায়ের সাইজ 

অথচ আমার তালুতে তোমার বুক যেন মহাদেশ। 

.


 ৫

.

একটা অসম্ভবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি 

পায়ের নিচে চাপা পড়ে যাচ্ছে আমার বিগত কিছু সম্ভাবনা 

রৌদ্রনীল তার আভা, দোমড়ানো কাগজের ঠোঙা খুলে

মুড়ি আর মার্কশিট ,

সময়ের ভিতর সময় প্রগলভ বাতিঘর 

অথচ আমার মাথার উপর বালবের ক্রনিকাল এক্সরে। 

আর কিছুদিন বেঁচে থাকলে 

মানুষগুলো হাতে ভর করে আকাশে পা দিয়ে চলবে 

আমি লিখে যেতে পারব, 

পকেটে আমার শহর আর অক্সিজেন তোমার চোখে। 


ওয়ার্শন শায়ারের কবিতার উত্তরে

 



ওয়ার্শন শায়ারের কবিতার উত্তরে 

... ঋষি 


ওয়ারশন শায়ার লিখলেন ঘর কেউ ছেড়ে যায় না 

আমি লিখলাম কাঁটা তার ,

ঘরের সীমান্তে দাঁত ফুটিয়ে বসে আছে লোভী ,পাপিষ্ঠ সাম্রাজ্যবাদ 

কোন ঘর এটা ?

কোন সময়ের কথা বলছেন মশাই ?

সকলে পাপী হয়ে যায় সহজে ,ঈশ্বর ভাবনায় আজকাল প্লাস্টিক লাগে। 

.

সকলে পালাচ্ছে 

পালাচ্ছে  কলেজের মেয়েটা সেই ছেলেটার সাথে 

যে ছেলেটা  বাসস্টপে অপেক্ষা করে রোজ ক্লিওপেট্রাকে দেখবে বলে ,

আর মেয়েটা রোজ নিয়ম করে আন্টি প্রেগনেন্সি ডোজ নিচ্ছে 

কোন সময় এটা 

কি যোগ্যতা 

সকলে বয়ে চলে সময়ের সাথে ,জালিয়ানওয়ালাবাগ বিদ্রোহ করে না আর। 

.

ওয়ারশন শায়ার লিখলেন ঘর কেউ ছেড়ে যায় না 

কিন্তু কোন ঘর মশাই ?

ঘর কেউ ছাড়ে না ঠিক ,ঘর যদি মানুষকে ছেড়ে না যায় 

কি কারণ ?

সাপ কেউ মারে না কোনোদিন যদি সাপ না মানুষকে কামড়ায় 

কি কারণ ?

দেশপ্রেম ,জাতীয়সংগীত ,নাকি প্রবণতা। 

মানুষ পালাচ্ছে রোজ নিজের থেকে রিফিউজি ক্যাম্পে 

ভাবনায় বাউল জুড়ে খালি পায়ে ধুলো 

রুক্ষ বেনামি পরিচয়ে 

কিন্তু কেন ?

.

কোন মেয়ের চামড়ায় এমন পাথর থাকে না 

যে গলে যায় না মোম আগুনের ছোঁয়ায় 

কিন্তু কেন ?

উত্তর একটা আছে ওয়ারশন  মশাই 

 "অভাব " ,

সকলেই অভাবগ্রস্থ একটা দেশের নাগরিক 

সকলেই নগ্নতার মিছিলে অদৃশ্য পোশাক পড়ে ক্রীতদাস 

সকলেই  ঘর ছাড়া আমরা ,

কারণ আমাদের ঘরের নামে অভাব 

আর সময়ের নামে স্বভাব 

বিতর্কের বিষয় হলো আমরা কমবেশি মিথ্যে বলি সকলে। 


সেই রাস্তাটা

 সেই রাস্তাটা 

... ঋষি 

.

চারদেওয়াল খুব দরকার ছিল 

দরকার এই শহরে একটা পাহাড়ি পাহাড়ি মাথা গোঁজার  ঠিকানা নিজস্ব কেয়ারওফে।

এখন আমি একটা রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে 

রাস্তাটা আমার জীবনের দরজার সামনে সময় তৈরী করেছে

হ্যা রাস্তার উপর জলের কল আছে 

আছে অনেকটা চওড়া ফুটপাথ ,ফুটপাথে আলো 

এই রাস্তাটা অতন্ত নিজস্ব যাত্রা আমার। 

.

ফিরে আসছি পরের ঠিকানায় 

দরজার বাইরে পা  রেখে খুলে যায় বলিউডের কোনো সস্তা থ্রিলার 

কিংবা টি আর পিতে দাঁড়ানো সময়ের হাততালি ,

শাস ভি কভি বহু থি 

অদ্ভুত সব কান্ড কারখানা 

যেখানে কারখানার ধোঁয়ায় দমবন্ধ লাগে নাগরিক নিরাপত্তায়। 

.

সবটাই খুলে বলছি 

শুধু বিপদ হলো , সুনাগরিকের কখনো পোশাক খুলে ঘোরে না রাস্তায় 

তাই মাঝে মাঝে আমার টেস্টটিউবের ফুৎকারে ছড়িয়ে দিতে ইচ্ছে করে হিংসা

তাই মাঝে মাঝে আমি পাগলা জগাই  হয়ে রাস্তা দেখি ,

কিংবা প্রসব করি কবি চিত্তে সন্তান 

আর বলবেন না ,কি বীভৎস সেই মুক্তি।

বেগুনি কোনো স্বপ্নের  মধ্যে আমি আমার পিতৃপুরুষের মুখাগ্নি করে 

জীবনকে করে ফেলি সফর 

আর সেই সফরে আমি জীবনের সামনে তৈরী রাস্তায় পথ হাঁটি 

মাঝে মাঝে হোঁচট খাই 

আবার উঠি ,আবার হাঁটি 

আপনারা দেখবেন আমি গন্তব্যে পৌঁছবো ঠিক একদিন

দেখবেন চলন্তিকা অপেক্ষা করবেন সেই ঠিকানায়। 


আমরা করবো জয়

 


আমরা করবো জয় 

... ঋষি 


সময়ের কাছে নতজানু হয়ে বসে আছি 

তোমার চোখে মুখে আজকাল দিনান্তের ক্লান্তিগুলো প্রকট ,

প্রকট আমার কাছে জং ধরা দিনের কবিতা ,

গুঁড়ো গুঁড়ো স্থবিরতা 

গুঁড়ো গুঁড়ো দৃশ্যগুলো আমাকে বন্দি করছে ফটোফ্রেমে 

আমার গলায় ঝোলানো সময়ের শিকল। 

.

না এই মৃত্যু আমার না 

না এই মৃত্যু শুধু হাওয়ায় ভাসতে থাকা গসিপের মতো সামান্য নয় 

আসলে এই মৃত্যু পালাবার 

পালাতে পালাতে আমার আটত্রিশটা পাথর 

পালতে পালাতে আমার দেশের নামে বলাৎকার 

 হৃষ্টপুষ্ট নধর কান্তি সময় সাক্ষী 

আমার হাসিতেও আজকাল মৃত্যুর পায়ের শব্দ পাওয়া যায়। 

.

এই উন্মাদ সময় 

পটাসিয়াম সায়ানাইট ,মৃত্যুমিছিল ,কারফিউ আর মগজধোলাই 

আমি তো বলতে পারছি না নবারুণ স্যারের মতো 

এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না 

বরং মৃত্যুকে সাক্ষী রেখে নকল মিডিওকার গোলাপ স্বপ্নে ভাসছি ,

চারিপাশে মৃতদেহ আমি সাক্ষী 

সম্পর্কের সব সাজানো লাশ। 

.

না এই মৃত্যু আমার না 

বরং সময়ের বুকে তীর মেরে আমার বারুদের ঘোরে বিদ্রোহী বিস্ফোরণ ,

নিপাত যাক সময় 

নিপাত যাক ভিক্তোরিয়া ,কলেজস্ট্রীর ,প্রেসিডেন্সি ,রাসবিহারী

সব সময়ের সময়ের বিদ্রুপ ,

জেগে উঠুক মানুষের মুখ 

জেগে উঠুক মানুষের স্বপ্ন 

আর আমার বিশ্বাস 

পিট সিগার ভুল করে লেখেন নি  "আমরা করবো জয়"।   


এক দুপুরের কবিতায়

 


এক দুপুরের কবিতায় 

... ঋষি 


চূড়ান্ত ঝিমিয়ে থাকা দুপুর 

মজলিশ খুলে বসে ওপাশে নারীতান্ত্রিক একটা দুনিয়া ,

পুরুষ আমি ,নারী লিখবো স্বাভাবিক 

কিন্তু তোমাকে যে বারংবার শকুন্তলা লিখতে হবে কথা নেই 

লিখতেই পারি 

পাঞ্চালির মতো বানভাসি এক স্বর্গদুয়ার।

.

পোট্রেটে টাঙানো তোমার ছবি 

বেশ লাগে  ক্যানভাস গড়িয়ে লাল ,নীল সবুজের তোমায় দখল করে ,

আমার দখলের প্রতি লোভ ছিল না কোনোদিন 

আমার কাছে কেওড়াতলা থেকে সোনা পট্টি সবজায়গায় বেনিয়ম ,

এখনো আবিষ্কার করতে পারলাম কই মানুষের জীবন 

বেঁচে থাকা ,

কিংবা  স্ত্রীর থেকে বেশ্যা কিংবা প্রেমিকা 

কে সতী ?

.

পাপ ,পুন্ন আর দেওয়ালে টাঙানো  রবীন্দ্রনাথের ছবিটা 

কে যে পবিত্র ?

পবিত্র গঙ্গা না সংসারের বমি কুড়িয়ে মানুষের পরিচয় 

তোমার রান্নাঘর 

তোমার মরুভূমি 

কিংবা ওয়েসিস। 

চশমা লাগানো চোখে আজকাল আলপিন ফোটে আলোর ঠিকানায় 

আলতো ইশারাতে  নড়ে চড়ে বসা এক কাঠের পুতুল

সময়ের মানুষ 

উড়তে থাকা ফানুস, 

আজ বহুদিন একটা গল্প লিখবো বলে ভাবছি চলন্তিকা  

কিন্তু গল্পটা হারাচ্ছে জীবন বিপদগামী সীমানা পেরিয়ে 

নারী বুকে দীর্ঘশ্বাঃস ব্লাউজের মাপ দিচ্ছে সময়ের দর্জির কাছে 

অথচ সহজ সে মাপ ক্রেডিট লিখছে এই কবিতায়। 


ফুলস্টপ



ফুলস্টপ 

...ঋষি 


শুধু একটা ফুলস্টপ চাই বলেই সেন্টেন্স টু ডেথ 

সেইজন্য গলায় দড়ি ,দশতলার ছাদ থেকে লাফ দেওয়া ,

তবে অদ্ভুত ব্যাপার হলো 

প্রতিটা শব্দ মন্ডলীর পরিবেশনের পর ফুলস্টপ স্বাভাবিক 

তবে কেন গায়ে পরে ,গায়ে টানা

ফুলস্টপ বাঞ্চনীয়

গীতায় লেখা আছে সেই একমাত্র সত্যি। 

.

ধরুন মোদীজিকে সামনে পেলে জর্জ ওয়াশিংটন কি বলতেন ?

জর্জ ওয়াশিংটন কে সামনে পেলে রাক্ষস গুরু শুক্রাচার্য কি বলতেন ?

রাক্ষস গুরু শুক্রাচার্য সামলে পেলে মোঘল সম্রাট শাজাহান কি বলতেন ?

শাজাহানকে সামনে পেলে পেলে চৈতন্যদেৱ কি বলতেন ?

আর চৈতন্যদেবকে সামনে পেলে প্রফেট মোহাম্মদ কি বলতেন ?

কি বলতেন তথাগত ?

 উত্তরগুলো সবাই বোধহয় জানি 

ইতিহাস সাক্ষী ফুলস্টপ শুধু কোনো স্টপ নয় নতুনের শুরু। 

 .

সাধারণ জনগণ আজ সময়ের রথে করে কুরুক্ষেত্রে 

সম্পর্ক শব্দটা ডিকশনারিতে আজকাল মানায় ভালো 

শহর হোক বা গ্রাম 

গ্রাম হোক বা দেশ 

দেশ হোক না মহাদেশ 

মহাদেশ কিংবা পৃথিবী 

সকলের মনে থাকে ফুলস্টপ বাঞ্চনীয় একটা নিয়ম ,

সকলেই চেষ্টা করে এড়িয়ে যাওয়ার 

আর কদিন 

হাওয়ায় হাওয়া 

তারপর স্টপ। অবশ্যি ফুলস্টপ। 

 

সময়টা ঠিক ভালো চলছে না

 সময়টা ঠিক ভালো চলছে না 

... ঋষি 

.

আজকাল অন্ধকার আরও গভীর হয় 

কেবল কোনো দূরত্বে যদি করনায় কেউ মারা যায়  

তার গন্ধ আরো গাঢ় হয়ে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।

পায়ের তলায় সকাল থাকে ,কিংবা সন্ধ্যে 

সেই গন্ধ পিছু ছাড়ে না 

পায়ের গতি বাড়িয়ে দিলেও তাড়া করে মানুষকে ভয়ার্ত রূপে। 

.

কি করবেন ?

কমতে থাকা পেনশনের টাকা ,বাড়তে থাকা সময়ের মূল্য 

সাদা ভাত ,বিছানার তুলো আর ইট বালি ,

কাহাবাত শোনা 

জো জিতা ওহি সিকান্দার 

ওর হার জানে বালেকো সাধারণ মানুষ বলে। 

.

এই শহরে আলোর নেহাত কিছু কম নয় প্রতিটা ফুটপাথে 

তবুও সেই রিমেকি আলোর তীব্রতা ছাড়িয়ে যায় না সাধারণ জীবন ,

অথচ মানুষ ভীষণ বোকা 

সেই গলিগুলো , যেখান  ঢুকলে খোলা নর্দমার গন্ধ পাওয়া যায় 

শোনা যায় খিদের পৃথিবীর মহাসিন্ধু 

সেখানেও আপনার সাথে পরিচয় হবে একটা ভারতবর্ষের 

যেখানে গোছানো রাজনৈতিক কথোপকথনে এককাপ ভাঁড়ের চায়ের সহযোগে 

আপনি বলবেন মানুষগুলো কিছুই মানছে না

মুখে মাস্ক নেই ,

কিন্তু বিশ্বাস করলেও আপনি বলবেন না 

মানুষগুলোর পেটে ভাত নেই।  

.

ঠিক এই সময় আপনার চোখে পড়বে 

পাড়ার দুর্বল কোনো দেওয়ালের গায়ে একটা রাজনৈতিক মঞ্চ 

যেখানে হারমোনিয়াম বাজিয়ে গুপী যোগী ভজন গাইছেন 

আর পাশে দাঁড়িয়ে সেই বেআব্রু লিপস্টিক লাগানো ক্ষমতা ,

শাড়ি তুলছে 

আসলে খিদের পৃথিবীতে মানুষগুলো পণ্য। 

আমি জানি আপনিও ভিড়ে যাবেন ওই দলে 

গায়ে আপনার ফুটপাথের ল্যাম্পপোস্টের হলুদ আলো 

আপনি দেখবেন সব 

অথচ অন্ধকারের অজুহাতে আপনি জোরে হেঁটে পার করবেন সময়টা ,

কিংবা জোর করেই বলবেন আপনার স্ত্রীকে শোয়ার খাটে 

বুঝলে সময়টা ঠিক ভালো চলছে না। 

    


ভালোবাসার ঈশ্বর

 ভালোবাসার ঈশ্বর 

.... ঋষি 


যীশুকে ওরা যখন চাবুক মারছে

রুখে দাঁড়ানোর মতো মেরুদন্ড ছিল না করোর 

যীশুর রক্তমাখা শরীরে লাল সমুদ্র 

যীশুর সেই রক্ত বোধহয় ভালোবাসা 

আর যীশুর ক্রুশ হলো 

ভালোবাসার কাঁটা। 

 .

ক্রুশ যন্ত্রণা নয় আসলে, অপমান

এই দেখআমার মধ্যে সেই ইহুদীর বাচ্চা রাজা

এই দেখো আমার মধ্যে ঘুমিয়ে আছে একটা জাত মজদুর ,

ভবিতব্য 

একজন ঈশ্বরের মৃত্যু খবরের কাগজে দাগ রাখে কিছুক্ষন 

অথচ ঈশ্বরের মৃত্যুতে পৃথিবীর বদল নেই। 

.

যীশুকে যে চাবুক দিয়ে আঘাত করা হয়েছে তা চামড়ার  

অথচ সময়ের চামড়ায় আজ গন্ডারের মুখ ,

আমার মানুষের চামড়া সম্বন্ধে জানা নেই 

তবে শোনা কথা মানুষের চামড়ার অজস্র স্তর।

আমি স্তর শিখবো বলে মানুষের রক্তপ্রবাহে অদ্ভুত ভাবে খুঁজে পাই নদী উৎস 

খরস্রোতা জলস্রোত ,

খরস্রোতা জলস্রোত বললে আমার মনে আসে 

একলা দুপুর 

আর তোমার খোলা অবিন্যস্ত চুল 

ভাবনা। 

.

সময়ের সস্তার দিকে বিশেষ যাওয়া হয় না 

তাই আমি ক্রমশ ভুলে চলেছি আমার মানুষরূপী এই শরীরটা ,

আমার রক্তে আজকাল অদ্ভুতভাবে যীশুর ভাবনা 

ভাবনা পবিত্র ঈশ্বর 

আর পৃথিবীর ভিতরে আরেকটা পৃথিবী। 

না না আন্দোলন নয় 

না না গণপরিবহন নয় 

না না কোন বিপ্লব ,কোনো পরিবর্তন দরকার নেই 

দরকার শান্তি ,ভালোবাসা 

পবিত্র জেরুজালেমের মাটি যাতে আর না ভেজে যীশুর রক্তে। 








মৎস্যকন্যার গল্প

  মৎস্যকন্যার গল্প 

... ঋষি 


হারামিটার গলার আওয়াজ রোবটের মতো

এখন প্রশ্ন আমি জানলাম কি করে ?

জানতে হবে আসলে মানুষ জাতটাই একটা হারামির জাত 

সে শহর হোক কিংবা গ্রাম কিংবা বন্দর। 

এবার প্রশ্ন আমি কে 

মশাই আমিও একটা হারামি ,হ্যা অবশ্যই পুরুষ বাইলজিকাল সার্ভেতে প্রমাণিত ,

হ্যা আমার মতো প্রাণীদের প্রশান্ত মহাসাগরে লুকোনো জল থাকে। 

.

যাই কথা  হারামির কথা বলছিলাম 

হারামিটা ক্লিভেজের ৩৬ সাইজ জুড়ে ঘামের শব্দ শুকছে ,

এই প্রকট দুপুরে 

মাটি খুঁড়ছে ,খুঁড়ে চলেছে প্রশান্ত মহাসাগরের মৎস্য কন্যা ,

হারামির হাতে ফোন 

আর অন্যহাতে ধরা আছে নিয়ন্ত্রিত সাইক্লোন ,

ঝড় উঠছে 

কাজ শেষ ,ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছে প্রশান্ত সাগরের মাঝে মৎস্যকন্যার  ডানা কাটা শরীরটা। 

.

প্লিজ ভাইয়োলেন্ট হবেন না 

শুনেছি মৎস্যকন্যার ডানাতে গণতান্ত্রিক ভারতবর্ষের পৌরুষত্ব থাকে 

আর মৎস্যকন্যার আঁশটে গন্ধে থাকে মর্দানি ,

হারামিটা সত্যি বলছিল 

রেকর্ড হচ্ছিল হারামিটার রোবোটিক গলা 

বলছিল মামনি নাকি রোজ ফোন এসে বলে " সাবস্ক্রাইব করুন"

তাই নাকি গত রাতে সে ঢুকেছিল প্রশান্ত মহাসাগরে জাহাজ নিয়ে 

বুঝতেই পারে নি 

মৎস্যকন্যার পেটে তখন অনেকগুলো ডিম্ ,

সে চুষছিল  মৎস্যকন্যার ডানা

তারপর নিয়মমাফিক লাথি মেরে ফেলে দিয়েছিল  মৎস্যকন্যাকে 

একদম বুঝতে পারে নি 

তার কিছুক্ষনের মধ্যে  মৎস্যকন্যা ভেসে উঠেছিল প্রশান্ত মহাসাগরে। 

। 

.

এ তো রোজকার 

পুলিশ স্টেশনে হারামিটা লাঠি নিয়ে বলছিল হারামীটাকে 

সব ঠিক করেছিস এখন প্রমান যে রয়ে গেছে 

বডি লোপাট করতে হবে 

যতই তোর বাবা এই গণতন্ত্রের ঠাকুরদা 

তুই নাতি বলে কথা। 

 মৎস্যকন্যার  ডানা কাটা শরীর আমরা আর খুঁজে পাই নি 

শুধু  মৎস্যকন্যার নাজায়িস ডিমগুলো ছড়ানো ভারতবর্ষে 

প্রমান করছে রোজ 

হারামির সন্তান হারামি হয়।   


কবিতার শোক

লিখতে পারাটা একটা অসুখ  ভীষণ কষ্ট ,ভীষণ আনন্দ ,প্রেম প্রবাহ ,অসংখ্য শোক,শহর ,মানুষ   সব কেমন সাদা পাতায় সংসার বুনতে থাকে  শব্দদের ঘুণপোকার স...