Saturday, October 31, 2015

মৃত্যুর অপেক্ষা

মৃত্যুর অপেক্ষা
..................... ঋষি
====================================================
অপেক্ষা আর অপেক্ষা
সম্মুখীন অন্তর দরবারে জলতরঙ্গের নিপুন তাল।
সুর ভাঙ্গে ,সুর জোড়া লাগে
মৃত্যুর চোখে চোখ রেখে বলা।
তোকে খুঁড়তে চাই আরো গভীরে কোথাও
যে দেখা কেউ  দেখে নি কখনো।

এত কিছু চাওয়া ,পাওয়া
জুড়ে থাকা খুপরিতে পায়রাদের বাকুম বাকুম।
মৃত্যু তুই অস্ত্র চালনায় নিপুণা ,ঢাল ,তলোয়ার সজ্জিত
তোর চোখে আগুন।
ছিঁড়ে ফেল আকাশের বুক নিপুন গভীরতায়
কষ্টগুলো উবড়ে ফেল টুকরো টুকরো মেঘের মতন।
যাতে বৃষ্টি না আসে
যাতে জীবন না ভাসে।
সমস্ত অবয়ন জুড়ে গড়িয়ে নামুক ঘাম
জীবিত আমি বেঁচে আছি
মৃত্যু তোর নাম।

অপেক্ষা আর অপেক্ষা
পূর্নিমার চাঁদ ছুঁয়ে কালো মেঘের তরীতে হালকা আভা।
তোর টোল পরা গালে মিষ্টিগুলো শুধু জ্যোত্স্নার মতন
স্পর্শে ছুঁয়ে যায়।
হৃদয় খুঁড়তে চাই গভীরতায় জাল ফেলে
কিছু কষ্ট মৃত্যু আমার উপহার। 

পৌরুষের লজ্জা

পৌরুষের লজ্জা
............... ঋষি
===============================================
হিসেব নিকেশ সবার জানা
সাদা কাগজে আছড়ে পরছে রক্তের স্রোত।
নতুন কিছু নয়
সম্পত্তি ,অধিকার ,আসবাবপত্র সবটাই কেন জানি পুরুষের।
বাকিটুকু প্রাপ্তি অনধিকার প্রবেশ সমাজ
ওঠো ,জাগো ,মেরুদন্ডের অবলম্বনে।

যেখান থেকে জন্ম শুরু হয়
যেখানে মাতৃত্ব ,প্রেম আরো কত স্পর্শীল  আদর।
স্বপ্নের মতন আছন্ন রাখে ভিন্ন পরিচয়ে
তাকে আঘাত করাটা নিজের পরিচয়ের লজ্জা।
এসব কেতাবি ভাষা
এসব বদহজমের খাবার।
কিন্তু প্রশ্ন একটা পুরুষ তোমাকে
তোমার পৌরুষ কি শুধু তোমার শিশ্নের গড়িয়ে পরা বীর্যে,
তোমার পৌরুষ কি তবে আমার সমস্ত অধিকারে।
অথচ তুমিও মাথা নিচু কর
আমার দুই উরুর ফাঁকে ,তোমার কামার্ত জন্মস্থলে।
তবে কেন তোমার এই বিজয় পতাকা আমার বুকের উপর
আমার অস্তিত্বের উপর ,আমার অধিকারের উপর।
সমস্ত জন্ম জুড়ে তোমার পরিচয়ের কলঙ্ক ,
পরিচিত অসন্মান আমাদের।
লজ্জা সে কি শুধু রামায়নের সীতার
না কি এগিয়ে চলা সমাজের সাথে পুরুষ তোমার পরিচয়ে।

হিসেব নিকেশ সবার জানা
আমার শরীরে ,আমার হৃদয়ে ,আমার উপস্থিতিতে তুমি বাঁচো।
অথচ প্রশ্ন তোমার পুরুষ
তোমরা কতটুকু আমাদের বাঁচতে দেও।
নিজস্ব অধিকারের দর্পে দাপিয়ে বেড়াও সমাজ ও সত্বা জুড়ে
অথচ বৃহন্নলার কোনো লজ্জা নেই।
.
(এই কবিতা সমস্ত অধিকারের বাইরে গিয়ে যন্ত্রণার অধ্যায় ,নতুন নয় ,চিরকালীন। শুভেচ্ছা পৌরুষ তোমার অধিকারের এবং নারীত্ব তোমার অবলুপ্তির। )

Friday, October 30, 2015

তুমুল ঝগড়া

তুমুল ঝগড়া ................ ঋষি ============================================ যে ঝগড়াটা করবো ভাবছি সেটা রবি বাবু করে গেছেন বহু বছর আগে যে পথে পথিক হাঁটে সে পথ তৈরী পথিকের জন্মের আগে আর জন্ম সে তো সদ্য জাত জানতে চাওয়া পৃথিবীর পথে নিত্য তোমার যে ফুল ফোটে ফুলবনে তারি ,,,,,, মধু কেন মনমধুপে খাওয়াও না? ঝগড়া করছি ,করছি মারামারি ক্রমশ ক্লোস্ট ফায়ারে এগিয়ে আসা মৃত্যুকে দেখতে পাচ্ছি হৃদয়ের ভিতরে বারুদের গন্ধ আবার বিস্ফোরণ টুকরো টুকরো হৃদয় ছড়িয়ে ,ছিটিয়ে সর্বত্র সখী, ভাবনা কাহারে বলে। সখী, যাতনা কাহারে বলে । তোমরা যে বলো দিবস-রজনী 'ভালোবাসা' 'ভালোবাসা' —. সখী, ভালোবাসা কারে কয়! যে ঝগড়াটা করবো ভাবছি সেটা রবি বাবু করে গেছেন বহু বছর আগে। গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ আমার মন ভুলায় রে পথিক পথ খোঁজে তৃষ্ণার্ত হৃদয়ে। অদ্ভূত এই ঝগড়া সময়ের সাথে পথ সে যে সমকালীন বিপর্যয় হৃদয়ের পথে।

না বলা কথা

না বলা কথা
................ ঋষি
========================================
রেখে গেলে চলবে কি করে
কথাগুলো ফুরিয়ে গেছে তোর আমার অবশেষে।
এখন পুরো সমগ্র জুড়ে
একটু অশান্তি ,তুমুল ঝড় ,মুখ ভার করা মেঘ।
ক্যামেরা চলছে জীবনের
আর মাথার ভিতর না বলা কথাদের কোলাহল।

অনির্দিষ্টকালীন চাপান উতর জিততে চাওয়া
জিতছি সবাই।
তুই আমি প্রত্যেকে নিজেদের কাছে
অথচ জানিস হারছি রোজ জেতার থেকে বেশি।
সময়ের সাথে
সেই ছোটো বেলায় শেখা ইকিরমিকির সত্যি বলতে হয়।
আরো বড় হয়ে শেখা লুকিয়ে থাকতে হয়
ইমেজ মেকি আয়নার মুখ।
একটু বদলায় সময়ের সাথে
সময় সে যে যন্ত্রণা।
যা পরে আছে  আর যতটুকু চলে গেছে
নিজের সাথে।

রেখে গেলে চলবে কি করে
বুকের দেরাজে বন্দী সেই পারফিউম ভরা ইচ্ছা।
মারামারি হবে ,কিছুটা ঝগড়া নিজের সাথে
তারপর বন্ধ খামে সাদা পাতায় খোলা চিঠি।
নিজেরাই লিখি নিজেদের ঠিকানায়
তারপর আবারও বন্ধ বুকের দেরাজে। 

কাল সকাল


কাল সকাল
.............. ঋষি
================================================
কি বলবো,কাকে বলবো
যেখানে সবাই আমরা রাজা ,সবাই আমরা বাবা। 
যা হচ্ছে হোক ,যেমন খুশি 
দিন কাটছে ,শুধু কাটছে দিন প্রতিদিন। 
যার যাচ্ছে যাক ,যতই যন্ত্রণা থাক 
গড়াক  চোখের জল মুক পশুর মতন। 

সকাল থেকে ক্লাবের মাঠে জমায়েত 
বক্তৃতা চলছে ,কানের পর্দা খুলে হাওয়া আসার কথা ,
কিন্তু যন্ত্রণা আসছে। 
আমরা কথা দিচ্ছি রাস্তা তৈরী হবে ,মা বোনের সম্মান হবে 
শিক্ষা আসবে ,হাসপাতাল হবে ,হবে জীবিত সবাই। 
আগের সাম্রাজ্য ছিল হিটলারের 
এবার আমাদের আনুন আমরা সকলে সাধু। 
প্রশ্ন অনেক উত্তর একটা 
আর কথা সেতো সকলে দেয় প্রেমিক প্রেমিকাকে ,জীবন মৃত্যুকে ,
মানুষ আত্মাকে। 
কিন্তু রাখে কজন
সকলেই রাজা আমরা নিজেদের কাছে ,
আর প্রজা আমাদের বেঁচে থাকা মুখোশগুলো। 

কি বলবো ,কাকে বলবো
পুরো একটা দেশ জুড়ে ,সকলের অস্তিত্ব রাবনের সাম্রাজ্য। 
সকলে মাংসাসী এখানে ,কেউ শেখায় না বেঁচে থাকার মানে 
তবে শেখে সকলে বাঁচার জন্য ,মারো বাঁচো।
না হলে দৌড় ,চাচা আপন প্রাণ বাঁচা 
আরে আজ বাঁচলে ,তবে না কাল সকাল। 
 

জন্মের প্রতিকী

জন্মের প্রতিকী
.................... ঋষি
===========================================

ভেবেছিলাম কথা বলবো না
না তোমার কথা ,না দেশের কথা ,না সময়ের কথা।
কাউকে বলবো না ,বলতে নেই ,
চুপ থাকার যন্ত্রণা।
সমস্ত যন্ত্রনাগুলো তোমার চোখের কালিতে ঢাকা
একটা মুক ,বধিরের দেশ একটা মানচিত্র ,
নগ্ন কোনো  মৃত শিশুকন্যা।
.
যে চোখ দেখলেই আমি ঈশ্বর দেখতে পাই
ঈশ্বরের দেওয়ালে আমি খুঁজতে থাকি প্রেম।
মানুষের জন্য ,জীবনের জন্য ,একটু জীবিত থাকার জন্য
সর্ব ত্যাগী সন্ন্যাসীর মতন গেরুয়া বসনে তোমার সাধনা।
দেশের সাধনা ,তুমি কন্যা ,কারোর বোন ,কোনো নারী
জন্মানোর প্রতিকী কোনো কন্যা ভ্রুণ।
তোমার জন্ম আমি আর দেখবো না ,দেখতে চাই না
যে মৃত্যু তোমাকে ছুঁয়ে থাকে শৈশব থেকে।
যে মৃত্যু তোমাকে একা করে হৃদয়ের কোনে
যে মৃত্যু অধিকারের মতন বদলায় সময়ের নাটকে।
সেই মৃত্যু আমি চাই নি কখনো
চেয়েছি জন্ম জন্মান্তরে প্রিয়  সম্মানে অবস্থান।
তোমার অধিকার
সেটা নিপীড়ন নয়।
.
ভেবেছিলাম  কথা বলবো না
না তোমার কথা ,না দেশের কথা ,না নগ্নতার কথা।
যে নগ্নতাকে আমরা ঢেকে রাখি সভ্যতা নামে
তাকে অদ্ভূত ভাবে আমরা বেআব্রু করি  নিজেদের প্রয়োজনে।
ইচ্ছেমত থেঁতলে ,পিষে ,গলা টিপে মারি স্বত্বাকে
ঈশ্বরের স্বত্বা,জন্মের স্বত্বা ,নারী স্বত্বা
আমার চোখের সামনে জ্বলন্ত সেই শিশু কন্যার মুখ।
.
.
(এই যন্ত্রণা আমার নিজস্ব। আমি কালা ,বধির দেশের এক নাগরিক ,শুভেচ্ছা আমাকে সামাজিক কুপমন্ডুক হওয়ার। )

Thursday, October 29, 2015

সময়ের দরজা

সময়ের দরজা
................. ঋষি
==============================================
বসে আছে সময়ের ঘরে জমা হওয়া ইচ্ছার
পিছনের দরজা খুলে প্রবেশ করি নি বহুদিন ,
আসলে পালাতে ইচ্ছে করে না।
সামনের দরজাটা আজকাল খুলতে  ভয় লাগে
আসলে যা দিনকাল সময় ,
সব বদলায় সময় ছাড়া অবস্থানে।

নিদিষ্ট স্থান ,কাল,পাত্র দেখে পাত্রস্থ লক্ষীকে যখনি দেখি
রেল লাইনের ধরে
বুকটা মুচড়ে ওঠে জমা হয় ধোঁয়াসা
সময় ছাড়া কেউ কিছু জানে না ,সময় ছাড়া কেউ কিছু বলে না
শুধু জীবনে সময় চলে যায়
ঘড়ির কাঁটায় অবিরত টিক টিক
ঘড়ির কাঁটায় অবিরত এগিয়ে যাওয়া
সম্পর্ক বিচ্ছেদ,সময়ের শুন্যস্থান শূন্য আর থাকে না ঠিক
কিন্তু পূর্ণ কি হয়

বসে আছি সময়ের পাথরে মুখ ঘষে কাঁটা ছেঁড়া সাথে
এডিসিপ দিয়ে মেরামত করা যায়।
কিন্তু ভাঙ্গা কাঁচ জোড়া দিলে জোড়া যে লাগে না
যেমন ভালো  লাগে না ভাবতে।
ভালোবাসি শব্দের অন্তস্থ অর্থকে
ঠিক তোর মতন সমস্ত ডিকসানারির বাইরে। 

সময়ের সংঘাত

সময়ের সংঘাত
................. ঋষি
========================================
বলিনি কখনো তুই রূপসী
বলিনি কখনো তোর মতন কাউকে দেখি নি।
তবু জানিস তোকে আমার জড়াতে ইচ্ছে
ইচ্ছে হয় একটু আদিম হই।
ঠিক যেমন আমার নিজের জন্মকে বদলাতে ইচ্ছে হয়
সময়ের সাথে তোকে পোড়াতে।

পুড়ছে সময়
শরীরের ভাঁজে জমতে থাকা আকাঙ্খার সব ভিসুভিয়াস।
গড়িয়ে নামছে তোর ঠোঁট বেয়ে ,তোর গলা বেয়ে
তোর নরম বুকে আমার স্পর্শ।
শুধু তোর নাভি বেয়ে একটু ঢুকতে ইচ্ছে হয়
ঠিক গড়িয়ে নামা লাভা।
তোর শরীর বেয়ে আমার শরীরে
স্পর্শ সুখ।
আর একটু বেঁচে থাকা তোর জমে থাকা যন্ত্রণার
মুক্তি
আমার সুখ।

বলিনি কখনো দিনটা কেমন হবে
শুধু ভেবেছি আমার দুই বাহুডোরে তোর উপস্থিতি।
চেতনার সাথে স্বপ্নের সংঘাতে
জমে যাওয়া মৃত্যুদের শবঘরে।
তোর ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুপিচুপি খুব যন্ত্রনায়
বলতে চাই ভালোবাসি ,আয় কাছে আয়।

আকাশের নিচে পৃথিবী

আকাশের নিচে পৃথিবী
................. ঋষি
============================================
অসময় বৃষ্টির মতন অসংখ্য সম্পর্ক
টানা পোড়েন টেরাকোটা জাফরির ফাঁক গড়িয়ে নামা জ্যোত্স্না,
আমার বাইকের পিছনে বসে।
হাত বাড়িয়ে আকাশ ধরতে চাই সে
বুক পকেটে জমতে থাকা হাঁপানি কাশিরা জানে
আকাশের নিচে পৃথিবীটাকে।

স্বপ্ন মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকা সম্পর্কের ফাঁকে
সেই লাইনে দাঁড়ানো কৃষ্ণা জানে শুকনো রুটির মানে।
চারিদিকে চলতে থাকা পরীক্ষা পর্বে
প্রতিহিংসার আঁচ পাওয়া যায়।
পাওয়া যায় রক্তের গন্ধ সকলের লোকানো নখের সাথে
কিছুটা মাংস আটকে থাকে বিবেকের দাঁতে।
খুনসুটি ,খুঁড়ে  চলে নিজেকে
অবাক পৃথিবী অবাক করলে তুমি।
এই তো চলছে বাইক ফিফথ গিয়ারে
স্পীডো মিটারের কাঁটা মৃত্যু ছুঁয়ে ,
জ্যোত্স্না কি শুধু আকাশের চাঁদের
আর তোমার।

তোমার বুকের ব্যারিকেড ভেঙ্গে এগিয়ে আসা উচ্চতা
কোথায় যেন গিয়ে লাগে হৃদয়ের ফাঁকে।
তোমার জমানো কালো টিপের পুড়ে যাওয়া স্মৃতি
বাম্পারে প্রতি স্পন্দনে অনুভব সময়।
মোহময়ী মুগ্ধতা আমি আকাশে দাঁড়িয়ে দেখি
মাটির পৃথিবীর জমতে থাকা আবর্জনা।

আসা যাওয়া

আসা যাওয়া
.................... ঋষি
===========================================
এভাবে অন্তত একদিন সুখী হব ভেবেছি
মাউসের উপর চাপ দিয়ে।
একছুটে চলে যাব পৃথিবীর ওপারে যেখানে তুই
তোর বুকে মাথা রেখে বলবো।
সত্যি সত্যি
আমি এসে গেছি।

মাউসের উপর এক ক্লিকে
তোর ঠোঁটের কষ বেয়ে নামতে নামতে।
দুম করে উঁকি মেরে দেখে নেবো আকাশের চাঁদ
আর সেই বোবা  অর্কিডের মাথায় হাত রেখে বলবো।
নেড়া একবার বেল তলায় যায়
নেড়া একবার পৃথিবীতে আসে ,ভালবাসে।
তারপর চুপ
কিছু একটা শিহরণ যখন হৃদয়ে তুমুল ঝড়.
তোকে জড়িয়ে ধরে
একটা চুমু
চুপ।

এভাবে অন্তত একদিন সুখী হব ভেবেছি
কি বোর্ড দাবিয়ে তোর ইনবক্সে  এক গুচ্ছ রজনীগন্ধা।
আমি ছিটিয়ে দেব তোর অন্তর্কালীন দ্বন্দে
তোর কপালে চুমু দিয়ে বলবো।
আসি রে এখন
বড্ড দেরী হয়ে গেলো।

Wednesday, October 28, 2015

কোনখানে তুই

কোনখানে  তুই
.................. ঋষি
====================================================
তুই দেখছিস  না মোটেই আমার দিকে
কিছু বলছিস না কেন।
সত্যি সবার জানা মেশিন গান থেকে গোলাপ বেরোয় না
বেরোয় কৃত্রিম বারুদ ।
গোলাপী না বারুদের গন্ধে ভরে যায় নিটল সমাজ
আর প্রতিবাদ কেন বেঁচে থাকা।

বিকেলে চায়ের ভাঁড়ে ঠোঁট রেখে
তোকে খুঁজে পাওয়াটা আমার নিত্য অভ্যেস।
ডেস্কটপের উপর সাজানো বাক্সগুলো আনমনে খোলা বন্ধ
আমার কৃত্রিম সভ্যতা।
তবু যখনি আমি মঞ্চের উপর দাঁড়ায়
উল্টো দিকে নিচে পৃথিবীতে কলরব ,হাজার চাওয়ার মাঝে।
আমার আয়নায় ফুঁটে ওঠে তোর অবয়ব
সদ্য বিকশিত পাঁপড়ির আড়ালে আমার প্রাণ ভোমরা চান করে।
খায় ,দায় ,ঘুমিয়ে পরে
বাইরে তখন মারাত্নক যুদ্ধ জীবন চলছে।
আমার কি
আমি তো শুনছি ফিসফিস তোর নিজের মাঝে।

তোকে পাচ্ছি না কিছুতেই আমি
তোকে কিছুতেই ছুঁতে পাচ্ছি না পাঁচিলের ওপারে।
এপারে সাজানো পোস্টারে তোর ড্রেসিং টেবিল
ওপারে পবিত্র তুই সদ্য স্নাত নগ্ন জন্ম।
প্রশ্ন কর তো একবার
 কোনখানে  তুই ,কত কাছে আমার। 

জিন্দেগী দো পলকি

জিন্দেগী দো  পলকি
................. ঋষি
===============================================
বহু বিকশিত ওয়েব সাইট খুলতে থাকে
ইচ্ছে ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,করলে জিন্দেগী মুঠিমে।
জিন্দেগী নাম কহি শুনা থা
অনেকটা সেই অমিতাভ লম্ফঝম্প চুলের থেকে বাঘ বেরিয়ে পরে।
হাসি পায় ,কেন জানি হাসি পায়
প্রতিটা সম্পর্কে ফাঁকে বাঘ থাকে।

প্রতিটা সম্পর্কের জঙ্গলে একটা বাঘ ঘোরে ফেরে
দাপটে সাম্রাজ্যে কারোর প্রবেশ নিষেধ।
দমবন্ধ করা দরজা জানলায় খিল মারা মুহুর্তদের ফাঁকে
ওয়েব সাইট বাফারিং করে।
আসতে আসতে খুলতে থাকে ঈশ্বরের মতন তৃপ্তিতে
নারায়ণ শায়িত তার কাঙ্খিত বাসনায়।
আর লক্ষ্মী তুমি ধনদাত্রী
আর সোনার মাঠে বীর্যের বপনে তৃপ্তি।
কিছু মুহূর্ত
সোসাল ওয়েব সাইট আর নায়কনায়িকার সাথে।
আবার নির্যাতিত
জিন্দেগী দো  পলকি।

মাখামাখি সম্পর্ক সকলে জানে ,চাই তাকে
নেশার শব্দে পাতিয়ালা পেগের ফিলিংসগুলো বেঁচে থাকা।
গড়িয়ে নামা বিন্দু বিন্দু শীতলতায়
পাব ,হাবে লম্ফঝম্প বাড়াবাড়ি ,কাড়িকাড়ি ,মারামারি।
তারপর রাত্রি ,ওয়েব সাইট বন্ধ ,বাঘ আবার নিজের ডেরাতে
বেশ নিশ্চিন্তে নখ লুকিয়ে ঘুমোয়।

যাকে আমরা দেশ বলি


যাকে আমরা দেশ বলি 
.................. ঋষি
=============================================

আমি ঢুকছি ,আপনারাও 
জামা জুতো সব নিয়ে সোজা পাঁকের মাঝখানে। 
ল্যাম্পপোস্টে অন্ধকার জ্বলছে
মনের মাঝে আবর্জনায় রাবনের পুত্তলির মতন পাপ। 
অষ্টম বর্ষিয় কোনো বালিকা ধর্ষণ হয়ে যায় 
কোনো টু শব্দ নেই আপনার ,আমার। 
.
খবরের সদ্য প্রকাশিত কালো টাকার ফর্দে সবার আগে আমরা 
মানে আমাদের দেশ। 
দেশ নিয়ে কিছু বললেই গর্দান যাবে তাই চুপ 
বরং কোনো বেশ্যার কথা বলি। 
রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিক্রি হয়ে যাওয়া মাকে আমি দেশ বলি 
থুড়ি বেশ্যা বলি। 
যন্ত্রণা থাকে সেখানে ,যেখানে দেশ 
থুড়ি গনতন্ত্র। 
শব্দটা আজকাল খুব শোনা যায় ভোটের মাইকে 
গণতন্ত্র যখন বেশ্যা হয়ে পার্টি অফিসের বিছানায় যায়। 
তখন কোথায় যেন জন্ম হয় হরেক রকম পতাকা 
মায়ের যন্ত্রনায় কোথায় যেন দেখতে পাই দেশ ,
হাসপাতালের বেডে বেজন্মার মতন কাঁদতে থাকে। 
.
আমরা স্বাধীন নাগরিক ,ভদ্র সভামন্ডলে জমায়েত করি 
আসলে মায়ের দুধের চর্চা করি। 
যদি কিছু ছানা বেরোয় ,তবে রসগোল্লা 
তারপর রস গড়িয়ে পরছে। 
জন্মানো প্রতিবাদ যদি বেশ্যার মতন তৃপ্তিদায়ক হয় 
তবে মা কেন কিংবা দেশ বলি। 
.
( এই কবিতার সমস্ত দায় এবং খারাপটুকু আমার )

মৃত্যুর সাথে

মৃত্যুর সাথে
................. ঋষি
=================================================
আলোর অভাব লোকটাকে টানছে
চিত্পাত হয়ে পরে আছে অরিত্র খাটের উপর।
মাথার উপর বন বন করে পুরনো ফ্যানের শব্দ
এই ভ্যাপসা ভাদ্রের ঘাম।
দমবন্ধ
লোকটা মারা গেল এই মাত্র।
.
অরিত্রের মতন অনেকেই বেঁচে আছে মৃত্যুর ফাঁকে
সেই লোকটা যে গাড়ি ধাক্কা মারার আগে বেঁচে ছিল।
যেমন অরিত্র মাথার ভিতর
বুকের ভ্যাপসা গরমে অরিত্রের ট্রেনে কাটা মুখ।
অরিত্র আমার বন্ধু
আর সেই লোকটাও বোধ হয় ,
আমাদেরি কেউ।
কারোর পিতা ,কারোর ভাই ,কারোর সন্তান ,কারোর স্বামী
ঈশ্বর অন্তর্যামী
জানেন বোধ হয় বুকের দরবারে একটা ভয় লেগে থাকে
মরবার আগে ও পরে
কেউ কিছুতেই না মরে
.
বারান্দার দরজাটা খুলে গেল
এক মুঠো স্পর্শ হাওয়া ছুঁয়ে গেলো দুপুরের পথিককে।
অরিত্র র মতন সেই লোকটা আজ বোধহয় মারা গেল
কয়েক মুহূর্ত দুম করে অন্ধকার চোখের সামনে।
মৃত্যু বুঝি এমন হয়
দুম করে ,কখন কোন অসময় নিজেদের সাথে।

( অরিত্র আমার বন্ধু ,ট্রেনে কাটা পরে মারা গেছে সে।  আজ পনেরো বছরের
মৃত্যুবার্ষিকী তার ,তাকে আমার শ্রদ্ধা  আমার কবিতায়। )

Tuesday, October 27, 2015

অন্য আকাশ

অন্য আকাশ
................ ঋষি
=========================================

যখন এক রাশ ইচ্ছা নিয়ে আকাশের তারা জাগে
তখন তোর কোথাও রাত জাগা চোখে আমি।
যখন জ্যোত্স্নারা সব ভিজে বালিশে
স্বপ্নের মতন জাগে।
তখন কোথাও আমি তোকে জড়িয়ে ধরি বুকের মাঝে
কপালে চুমু ,মিষ্টি ওম ,আদর একলা রাতে।

এই ভাবে মুহূর্তরা এগোতে থাকে
কিছু ফটো ফ্রেম বন্দী থাকে মনে।
আকাশের চাঁদ ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে এক হাঁটু জ্বলে
কেমন যেন কাঁপা ঠোঁটে মিষ্টি হাসি।
বাতাসে তখন আলতো শীতের  ওমে
আমি জড়িয়ে ধরি বিছানার চাদর।
খুব কাছে তোর সাথে মিশে যেতে চাই
একলা চলা রাতে।
এক মুঠো জ্যোত্স্না
তোর উষ্ণতার পরশ নিয়ে
একটু আমি বেঁচে থাকতে চাই।

যখন একরাশ ইচ্ছে নিয়ে আকাশ আমাকে ডাকে
আমি দেখি সিলিঙে ফোঁটে গোলাপী পদ্ম
পুজোর ফুল।
স্বপ্নের মতন তুই এগিয়ে আসিস কাছে
আমি তোকে জড়িয়ে ধরি বাহুডোরে ,
তারপর নাই বা বললাম। 

কিছু দাগ

কিছু দাগ
................ ঋষি
=========================================
দাগ কতই তো রয়ে গেছে
তবু জানিস আমার বয়ে গেছে।
দাগ টানা সময়ের কাঁটাগুলো
সব এলোমেলো হয়ে গেছে।
তবু আমার বয়ে গেছে
শুধু একলা সময়ে ফিসফিস ছাড়া।

কিছু শুনছিস
টিক টিক ,টিক টিক অবিরত ,ক্রমাগত এগিয়ে যাওয়া।
পাশে ক্যালেন্ডারের তারিখগুলো সার দেওয়া  পিঁপড়ে
চলছে আর চলে গেছে,
তবু আমার বয়ে গেছে।
শুধু কিছু দাগ রয়ে গেছে গভীরে কিছু অজানা স্বাদে
তবু কিছু দাগ রয়ে গেছে ফিসফিস স্মৃতিদের সাথে।
হামাগুড়ি দিয়ে জীবন
এখন হাঁটা শিখে গেছে।
একলা থাকায় ,একলা পাওয়ায় নিজেকে আয়নার কাছে
আরো কাছে কাঁচের গুড়ো,
সব লুকিয়ে রয়ে গেছে।

দাগ কতই তো রয়ে গেছে
কতই তো লুকিয়ে আছে হৃদয়ের বেশে অন্য আমিতে।
দাগ টানা সময়ের পেন্সিলে
এখন কত অবিরত ছাপ ,সব রক্তের ছোপ।
সব একলা রয়ে গেছে
তবু কেন জানি আমার বয়ে গেছে। 

ইচ্ছে শহর

ইচ্ছে শহর
..................... ঋষি
============================================
অপ্রত্যাশিত ইচ্ছাগুলো শহরের রাস্তায় দাঁড়িয়ে
হাত পা ছোড়ে ,বায়না জোড়ে।
আমার শহর মানে তুই কোনো শেষ না হওয়া বেঁচে থাকা
আমার শহর মানে তুই খালি পায়ে একসাথে পথ হাঁটা।
অচেনা কোনো অন্য দিনে
কাছে আসা খুব কাছে কোনো বেয়ারা যন্ত্রণা।

আমার শহর থেকে দুরে থাকা যায়
ফ্লাইং কিস ছুঁড়ে বলা যায় এই তো আমি এসে গেছি।
কোনো চাহিদা নেই ,কোনো বাসনা নেই
আমার শহর মানে রাতদিন জেগে থাকা।
একটা শিরশিরে যন্ত্রণা সমস্ত আশ্রয়ে
বেঁচে থাকা।
ইচ্ছে মতন দুরে থাকা
তবু কেন জানি আসলে হলো ছুঁয়ে থাকা।
জীবনের ঘ্রাণে পরম স্নেহে গড়িয়ে নামা জ্যোত্স্না
না বলা অনেক কথা।

অপ্রত্যাশিত ইচ্ছেগুলো শহরের পথে ফেরি করে
নিজের মতন চিত্কার করে।
আমার শহর মানে তুই কোনো শেষ না হওয়া মুহুর্তদের মতন
আমার শহর মানে তুই মাটির ঠোঁটে ভাঁড়ের আদরে চুমু।
অজানা কোনো অন্য কোথাও
কিছুটা সময় পাশাপাশি কিন্তু ভীষণ একলা থাকা। 

খিদের সভ্যতা

খিদের সভ্যতা
................. ঋষি
=====================================================
জীবন্ত কুয়াসায় উল্টোনো চায়ের ভাঁড়ে
সোহাগী সভ্যতা।
আমরা  নাকি হেঁটে চলেছি সুমাত্রা থেকে শ্রীলংকা
আমাদের  শহরের আলোগলি ঘেঁটে।
আমাদের হাতে কালি
আমাদের নাকি জীবিত অগ্রশীল সভ্যতা।

এখানে সকাল হয় নটার সাইরেনে
তারপর ছুটতে থাকে খিদে।
আমার শহর ধরে অন্য শহরে ,,অন্য মানচিত্রে ,বিশ্বের গোলকে
ছুটছে ,ছুটছে ,ছুটছে  মানুষের চোখে মুখে।
ভিখিরির কান্নায় ,হাসপাটালের বেডে ,দোকানির বাজারদরে ,বিশ্বের শেয়ারবাজারে
ফুটপাথ ঘেঁষা হাতের তালুতে ,পাগলিনীর চাহুনিতে ,সীমান্তের কাঁটা তারে।
তার পর রাত্রে ,সে এক অন্য খিদে
ঘুম চোখে সভ্যতা জড়ায় নেশার শরীর ,বিস্তীর্ণ ক্লান্ত জনপদ ঘুমিয়ে পরে।
রাত পেঁচা জাগে আমার শহরের মতন
শহরের গলিতে তখন খিদে জাগছে শরীরের বিনিময়ে খিদের দাপটে।
রাত জাগা চোখে নামতে থাকে তৃষ্ণা
বিছানার চাদরে ,সিলিঙের মানচিত্রে একটা বিশ্ব।
মহান বিশ্ব ,আমার শহর ,আমার জন্মভূমি ,আমার দেশ
সবটাই কেমন যেন খিদের পৃথিবী।

সকালের সদ্য ফোঁটা আলোতে কুয়াসার রাস্তায়
আবার জীবন্ত সভ্যতা।
আমরা  নাকি জানলার বাইরে দেখি খোলা আকাশে মুক্তি
আমরা আকাশের দিকে হাত বাড়াই প্রেমের স্পর্শে।
সত্যি কি তাই
আসলে কোথায় যেন আমরা সকলে খিদের সভ্যতা।

Sunday, October 25, 2015

মনে রাখিস

মনে রাখিস
..................... ঋষি
============================================
পারলে একবার কাঁদিয়ে যাস আমায়
খোলা জানলার হাওয়ারা যদি স্পর্শ করে কখনো।
একটু হাসিস
পারলে একটু দেখিয়ে যাস আমায়।
তোর আঁচলের গিঁটে রাখা সবুজ সংসার
কাঁটার মুকুট মাথায় স্বয়ং জেসাস।

পৃথিবী দেখিস
দেখিস ঘরের কোনে তোর স্পর্শে সাজানো স্নেহগুলো।
মাটির পুতুল দিয়ে খেলনাবাটি
হাঁটি ,হাঁটি পা পা ,,,,সময় জুড়ে।
আরো দূরে
ভিজে জ্যোত্স্নায় মোড়া একটুকরো ছবি।
হাতের মুঠোফোনে ঝংকার ,সাজানো সুন্দর সংসার
সবুজ ভাষা।
নিস্তব সড়কে এগিয়ে যাওয়া শূন্যতায়
একলা মনে রাখিস।
এই তো আমি
এসে গেছি।

পারলে একবার কাঁদিয়ে যাস আমায়
যেদিন স্বপ্নঘোরে তোর চারদেওয়ালে চিত্কার।
আমার ছেঁড়া তারে
ভাঙ্গা গিটারের ছুঁয়ে পুরনো সুরের বাঁচার ধ্বনি।
মনে রাখিস
জেসাস তবু জীবিত আজ পৃথিবীর পথে। 

Sunday, October 18, 2015

তুমি আর আমি

তুমি আর আমি
..................... ঋষি
======================================

 প্রতি ঘন্টায় তুমি আমার দিকে তাকাও
আমি তাই চাই।
প্রতিঘন্টা আমার হোক ,প্রতিমুহুতে আমি থাকি
তোমার সমস্ত  সোহাগ জুড়ে আমার দর্পণ।
আমি ,আমি ,আমি আর কিছু না
শুধু তুমি আর  আমি।

আমি অরণ্যকে  বলেছি তুমি মুক্ত হও
খুলে ফেলো  সবুজ পোশাকের আরম্বর।
আমি জীবন কে বলেছি তুমি বন্দী হও
চোখের পাতায় আলোর বিন্যাস।
ছ ঘন্টা কেটে গেছে তোমার সাথে কথা বলার পর
ছশো বছর হয়তো  কেটে যাবে কোনো দিন।
তুমি কি বুঝবে  আমার মানে
তুমি কি বুঝবে সমুদ্রের গভীরতা।
হাতের মুঠোফোনে অসংখ্য স্পন্দন
প্রতিটা এস এম এসে  রাখা বাঁচা সর্বস্ব ,
সমস্ত মিথ্যা নয়
এই সময়ের  মতন।

প্রতি ঘন্টায় আমি শুধু তোমাকে দেখি
আমি তাই চাই।
আমি সময় বুঝি না ,আমি অবস্থা বুঝি না
বুঝি শুধু তোমাকে।
তুমি ,তুমি ,তুমি আর কিছু না
শুধু  তুমি আর আমি। 

অনন্ত আকাশ

অনন্ত আকাশ
................... ঋষি
===========================================
যেটা হারিয়ে গেছে
সেটা খুঁজতে চাওয়া, চলে যাওয়া ট্রেনের দিকে তাকানো।
যেটা সঙ্গে  আছে
সেটা ট্রেনের বগির একটা নিশ্চিন্ত দুলুনির মতন সাজানো।
কোনটা আমার কোনটা নয়
প্রশ্ন কি পরিচয় তোকে একলা পাওয়ায়।

ঠোঁটের সাথে দ্রবীভূত ঠোঁট
রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকার তেঁতুল জলের স্বাদ।
পরিমিত জীবনের ইতিউতি উঁকি মারা আকাশ
আমার হৃদয় বারান্দায় দাঁড়িয়ে আকাশ দেখা যায়।
খোলা মুক্তি জীবনের গায়ে
আর নোনা বিছানার চাদরে প্রত্যহ নিশি ডাক।
আকাশের চাঁদ
কলঙ্ক।
সে যে চাঁদকে মানায় অন্ধকারে
আর সকালে চাঁদ ভ্যানিস।

যেটা হারিয়ে গেছে
সেটা খুঁজতে চাওয়ার বোকামি চাপা কান্না হৃদয়ের শরীরে।
যেটা পাওয়া গেছে
সেটা জড়িয়ে ধরা স্পৃহা একলা আকাশে সময়ের গায়ে।
আর তুই কোনো চাঁদ
অন্ধকার আকাশে তারাদের মাঝে  মিশে। 

সে আসছে

সে আসছে
................ ঋষি
==================================================

কি যেন একটা আটকে আছে গলার কাছে
শরতের রোদে রাখা আগমনী চিঠি।
এই মাত্র তোর ফোনটা কেটে গেল
বিপ ,বিপ সাঙ্কেতিক শব্দে জানলাম তুই আর নেই।
আর কেন জানি সকালটা বদলে
একটা মৃত সড়ক মতন জনশূন্য নিস্তব্ধ।

কান পেতে ছিলাম
সে আসছে।
কাশফুলের ফুলের ফাকে উঁকি মারা
তোর কপালের লাল টিপে কেমন যেন মায়ের গন্ধ।
পায়ের আলতায় আলতো পরশ লক্ষ্মীর মতন
ছোটবেলায়  দেবী পুজোর মাকে আমার খুব দেখতে ইচ্ছে হয়।
কেন জানি তখন আমার কাঁদতে ইচ্ছে হয়
দশমীর মতন কোন এক দিনে।
মায়ের গোমড়া মুখে সিঁদুরের ছোপ
আর আমার হৃদয়ে কিছু একটা আটকে,
তবু মা আসছে।

কি যেন একটা আটকে আছে গলার কাছে
শরতের ঘোমটা টানা নীল মেঘে কিছু একটা অপেক্ষা।
প্যান্ডেলে ,প্যান্ডেলে শোরগোল ,ঢাকের শব্দ
সমস্ত অবয়ব জুড়ে কোনো এক আগামী  উত্সব।
কিন্তু আমার কাছে এটা একটা মৃত্যুর দিন
আমি আবার মরছি ,,,মা আসছে তাই। 

একটা গাছ


একটা গাছ
..............ঋষি
===============================================
কোথাও একটা গাছ দেখেছিলাম
বিশাল ছড়ানো শাখা প্রশাখা আর কত জীবন।
কত জীবন জড়িয়ে ,ছড়িয়ে ছিটিয়ে
আকাশের পাখি ,পাখির বাসা ,বাসায় জীবন।
সুখী অভ্যস্ত গৃহকোণ
আমি ও সুখী সেই গাছ দেখে।

গাছ দেখলাম ,দেখলাম তার শিকড়টাকে
ঢুকে গেছে বুকের ভিতর।
খুব গভীরে ,আরো গভীরে যেখান একটু তৃষ্ণা পাওয়া যায়
অবাক হলাম
গাছ সেও বাঁচতে চাই মানুষের মতন।
ইচ্ছা ছিল আমি দেখতে থাকি সেই গাছটাকে প্রতি ঋতুতে
ইচ্ছা ছিল একবার অন্তত স্বপ্ন দেখি গাছের।
অন্ধকার জ্যোত্স্নায়
আকাশ  থেকে পাখিরা ফিরে আসে।
আর আমি
আকাশ দেখি এখন আর গাছ না।

কোথাও একটা গাছ দেখেছিলাম
তার বাকলগুলো সাজানো কোনো দরগার মতন পূজনীয়।
কিন্তু ঠিক পুজো তাকে করা যায় না
গাছের সর্বত্র ছড়ানো টুকরো টুকরো ব্যাথা পোড়া দাগ মানুষের মতন।
তাকে ভালো লাগে ভাবতে বুকের ভিতর
কিন্তু তাকে ঈশ্বর ভাবা যায় না।

কিছু একটা



কিছু একটা
................... ঋষি
============================================
তোকে ভালোবাসি বলিনি কখনো
কেন জানিস ,
ভালোবাসা আসলে শ্মশানের ছাই একটা শব্দ মাত্র।
গায়ে মাখা যায় ,মুখে মাখা যায়
কিন্তু ভালোবেসে গভীরে যাওয়া যায় না।

সর্বত্র ছড়ানো শব্দমন্ডলীর চাওয়া পাওয়ার ফাঁকে
কিছু একটা থাকে।
যেটা অবলীলায় আজ লুকিয়ে গেলি আমার থেকে
দুই ঠোঁটের ফাঁকে জমা তৃষ্ণা দের উপাখ্যান ,
তোর বুকের ওমে জমতে থাকা না বলা।
সবটুকু অবহেলে সরিয়ে দিলি
শুকনো পাতাদের ভিড়ে ,
তোর খোঁজা জীবন
ক্রমাগত পথ চলা ক্লান্ত সড়কে।

তোকে ভালোবাসি বলিনি কখনো
বলবো না জানি তোর স্বপ্নের সমুদ্র ধারে পাশাপাশি। ,
ভালোবাসা ঢেউয়ের মতন ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়
ভিজিয়ে যায় সময় আর সময়ের কোলাহল
কিন্তু কেন বলতো ভাসিয়ে নিয়ে যায় না। 

Saturday, October 17, 2015

ছুটি ছুটি

ছুটি ছুটি
................ ঋষি
======================================
তোর ছুটি কবে
যেদিন তুই বৃক্ষের মতন একলা দাঁড়াবি।
আমার বুকে ঢুকে যাবে তোর পা
যেদিন  কোনো সীমানা হীন মানচিত্রে তুই হেঁটে বেড়াবি।
সময়ের যোগফল  আর বিয়োগগুলো ভুলে
এক গাল হেসে বলবি ,,ছুটি ,ছুটি ,ছুটি।

জীবন থেকে শব্দ জুড়ে ডিক্সানারি
পাতায় পাতায়  সেই এলফাবেটিকালি সময়ের যোগাযোগ।
হাতের মুঠোয় মুঠোফোন
টুকরো টুকরো এস এম এস  ,ইনবক্সে ম্যাসাজ।
সব ছেড়ে উঠে তুই উঠে দাঁড়ালি
গর্বিত এবং একা।
অন্য পৃথিবী হোক না পথ আঁকাবাঁকা
সেই রবিঠাকুরের সহজ পাঠ।
আমাদের নদী
মিষ্টি জল।
ছুটি ছুটি
একলা চল।

তোর ছুটি কবে
যেদিন তুই রোজকার মতন বলবি না এবার যেতে হবে।
চলে যেতে হবে
চলে তো সবাই যায় ,একার পথে অন্য একায়।
হিসেবের কেনা কড়ি
তোকে আমি একলা বলি
কেন জানিস ,,তোর ছুটি হাসতে থাকায়।

সবুজ জঙ্গল

সবুজ জঙ্গল
................... ঋষি
===============================================
তার বুকে আছে একটা সবুজ জঙ্গল
অসংখ্য ক্লোরফর্মীয় নিঃশ্বাসে বেঁচে থাকার গন্ধ  ,
ঝিঁঝির ডাক।
অদ্ভুর স্বভাব যেন কোনো ইমেইলে লেখা প্রেম শব্দ
নিশব্দে চুপটি করে বসে
বুকের মাঝে।

যখন সারা শহর বন্ধ
হরতাল শহরের পার্টি পতাকার চিত্কারে।
তখন ক্লান্ত ঝাঁপ-ফেলা দোকানগুলো রবিবার হয়ে যায়
তখন ক্লান্ত বিছানার চাদরে কেউ হয়তো আঁকড়ে থাকে জঙ্গল।
সেই ফেলে  আসা শৈশব জুড়ে কাগজের উড়োজাহাজ
সাই সাই উড়ে যায়।
কেমন একটা অন্য  পৃথিবীতে টারজান চিত্কার করে নিজের মতন
নিজস্ব কামনায় লাফালাফি ,ঝাঁপাঝাঁপি সময়ের গাছে।
ঝরনায় ভেজায় নিজেকে পবিত্র বলে
ঘুম ভেঙ্গে যায় আয়নার
তবু কেন জানি তোমার বুকে জঙ্গল।

তার বুকে আছে একটা সবুজ জঙ্গল
পর্ণমোচী বৃক্ষের মতন পা ডুবিয়ে জলে খুব শীতলতা,
নিশব্দ ঘুমে।
অদ্ভূত স্বভাব আমার পাঠানো ইমেইলের পাতায় পাতায়
তুমি একইরকম আছ ,
বদলায় নি জঙ্গল তোমার বুকের ভিতর।

নিজেকে জীবিত দেখতে

নিজেকে জীবিত দেখতে
........................ ঋষি
==================================================
নিজেকে জীবিত দেখতে অসময়ের মুখোসে
যন্ত্রণা এক চিলতে সূর্য।
জ্বালা পোড়া সময়ের ফোস্কায় ছড়ানো ছেটানো শব
এত শব রাখবো কোথাই।
এত জ্বলতে থাকা মৃতদেহের আত্মজ চিত্কার
কান বন্ধ হয়ে যায় ,দম বন্ধ।

বুকের ভিতর অসংখ্য আলমারির খোপে জমিয়ে রাখা মুখগুলো
আমি দেখতে পাই পথচলতি সময়ের মুখে।
হাতে কালি,মুখে কালি বিষন্ন জন্ম আনমনে চেটে যায় পৃথিবীর ধুলো
রাস্তায় দাঁড়ানো নষ্ট মেয়েগুলো।
কখন যেন মায়ের মতন দেখতে হয়ে যায়
কখন যেন আমার নষ্ট কবিতা হয়ে যায়।
উড়তে আকাশে পাখিদের যারা আটকে রাখে সময়ের ভাঁজে
সেখানে ঘামের গন্ধ ,মলমূত্র ছড়ানো।
অদ্ভূত লোমশ কোনো ইয়েতি বাড়িয়ে দেয় তার মৃত্যু নখ সময়ের দিকে
মানুষে বুক চিরে চিত্কার ,
নিজেকে জীবিত দেখার।

নিজেকে জীবিত দেখতে অসময়ের মুখোশে
রক্ত মাখা ঠোঁট।
ভয়ানক কোনো সময়ের পথে শুধু ছড়ানো আগুন
এগিয়ে যাওয়া শুধু।
আরেকদিন সূর্যের মুখ যদি আয়নায় দেখা যায়
যদি অন্য কোনদিনে যদি একটু সত্যি বাঁচা যায়।   

Friday, October 16, 2015

প্রেমের আগুনে

প্রেমের আগুনে
................ ঋষি
============================================
প্রেম সে যে যন্ত্রণা
প্রেম সে সব সময়ের কথা।
পাশাপাশি হাত ধরে একটু  এগিয়ে যাওয়া
একটা সূর্য নৌকো ভাসছে ,
নীল আকাশে
ছুঁয়ে যাওয়া কল্পনার আদুরে রঙে।

যেমন জীবন বলে
যেমন সবাই শোনে।
তেমনি শোনে প্রেম সময়ের কথা চুপিচুপি
ছুঁয়ে যাওয়া ভোরের পরশ।
শিশিরের মিষ্টি আদর
সবটুকু লেগে থাকে জানলার কাঁচে সদ্য ঝরা বৃষ্টির মতন।
টাপুর টুপুর ,মেঘলা দুপুর
চার দেওয়ালে ,ভেজা বিছানায় একার সাথে।
প্রেমে পরা বারংবার
সময় চুপিচুপি খুব কাছে।

তাইতো বলি প্রেম সে যে যন্ত্রণা
জ্বালায় ,পোড়ায়,নেভায় না জ্বলতে থাকা মোমবাতি।
মোমবাতি পায় জ্বলার সুখ
হৃদয় পায় আগুনের।
আগুনের প্রেমে ,প্রেমের আগুনে হৃদয় পুড়ে ছাই
জীবন থেকে তবুও প্রেম কি সরানো যায়।

মন জানে

মন জানে
............... ঋষি
=======================================
কেন জানি মন জানে
সব জানে সে  সবুজ মাঠে ফসলের কথা।
শুকিয়ে যাওয়া সময়ের কথা
ধরা খাঁচায় পাখিদের কথা।
খোলা হৃদয়ের নীলের কথা
কেন জানে সে ,কেন বোঝে সে হৃদয়ের কথা।

নিজেকে বলিনি কখনো ভালোবাসি
তাকে বলিনি কখনো ভালোবাসি।
তবু খোলা আকাশে তাকালে আমি দেখি সেই মেয়েটাকে
যে দাঁড়িয়ে আকাশের ওপাড়ে দিনে রাতে।
মুগ্ধ খোলা আকাশ
সে জানে না আমার বারান্দা দিয়ে আকাশ দেখা যায়।
আমি হাত বাড়িয়ে খুঁজি আকাশ নীলে
স্পর্শ মন
সে সব জানে।

কেন জানি মন জানে
সে বলে না কিছু নিজের কথা শুধু শুনে যায় স্তব্ধতা।
পায়ের শব্দ কান পেতে শোনে
হৃদয়ের শব্দ হৃদয় ঘষে শোনে।
কি  পাই সে ,কাকে পাই সে নিজের মাঝে
আমি জানি ,সে  সবি মন জানে। 

একটুকু ছোঁয়া

একটুকু ছোঁয়া
............ ঋষি
=============================================
আমাকে এই মুহুর্তে যদি বলো ভলোবাসি
আমি হাসবো।
কেন জানো ভালবাসা সেই কদমের ফুল
সময় চলে যায়।
অথচ গন্ধটা প্রিয় সুরের মতন মনের ভাঁজে
গুনগুন ,গুনগুনিয়া।

তোমার সদ্য হওয়া সকালের গন্ধটা নাকে নিয়ে
বেশ লাগে আজকাল।
সামনের সরকে কাঁচের আড়ালে জমা বাষ্প কণা
বেশ ছুঁয়ে যায়।
স্টিম ইঞ্জিন দার্জিলিঙের সেই পেঁচানো রেল
তোমার প্রেমের শব্দে।
কেমন পেঁচিয়ে যায়
প্রেম নিয়ে সিরিয়াস জীবন
অথচ জীবন সিরিয়াস বেঁচে থাকা মুখোসে।

আমাকে এই মুহুর্তে যদি বোলো ভালোবাসি
আমি কাঁদবো।
তুমি বুঝবে অথচ তবু থামবে না ভালবাসার মানে
কেন জানো।
ভালোবাসা পুজোর ফুল ভেজা বৃষ্টিতে উড়ে আসা স্পর্শ
যাতে মাটির গন্ধে আর পাওয়া যায় না। 

অজ্ঞাত সময়

অজ্ঞাত সময়
...................... ঋষি
==================================================

পৃথিবী পাক খাচ্ছে আর খাচ্ছে মানুষে মন
পৃথিবীর ধুলো আরো ধুসরিত মানুষ।
সওয়াল ,জবাব কোর্টে জনতা পক্ষে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন
কি হবে উত্তরে।
কি হবে প্রশ্নে
আইনের চোখে বাঁধা কাপড় আর মানুষে মুখে সেলোটেপ।

শব্দ হবে না কোনো
ভোকাল কর্ডে  বেকার চাপ বাড়িয়ে কি লাভ।
বরং তলপেটে চাপ
কিছু তো বেরোবে নোংরা কিছু সত্যি অপ্রিয়ের মতন।
যারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে টিটকিরি দেয় নষ্ট মেয়েটাকে
মেয়েটা শোনে না কিছু শুধু এগিয়ে যায়।
তাদের যদি আমাদের তরে নাঙ্গা করা হয় মাঝরাস্তায়
কিংবা মুখগুলো চেপে ধরা হয় ডাস্টবিনে পরিচয়পত্রে।
কি হবে পাঞ্চালী ,সীতার  দেশে
মেয়েটা আরো নষ্ট হবে দিন প্রতিদিন।
কি হবে রবি বাবুর স্বদেশে
স্বদেশ সঙ্গীত আজ বিলাপ নেতাজীর অজ্ঞাতবাসে।

পৃথিবী পাক খাচ্ছে আর খাচ্ছে মানুষের মন
নিজের মতন শিক্ষায় আমরা সবাই।
সওয়াল ,জবাব কোর্টে ক্যাচ লোফালুফি
পৃথিবী এখানে দাঁড়িয়ে নষ্ট চুপিচুপি।
কি হবে বিচার
কে করবে বিচার
আমি ,তুমি ,না তিনে থাকা ঈশ্বর অজ্ঞাত সময়।

পুরনো অ্যালবাম

পুরনো অ্যালবাম
...................... ঋষি
==============================================
একটা ছবি আজকাল খুব মনে পড়ে
তোমার হাত ধরে দাঁড়িয়ে আমি।
তুমি পিছন ফিরলে ,,,বললে আসি
আমি পা বাড়ালাম ,,,,,,যাব তোমার সাথে।
মানা করলে না
হাত ধরে হাঁটতে থাকলাম তোমার সাথে
আরেকটা ছবি।

 ছবিটা চোখের ভেতরে
যতবার দেখতে গেছি       হারিয়ে ফেলেছি।
বাই দ্য ওয়ে    তুমি বিয়ে করো নি?
উত্তর দিলে না।
আমি তোমার না বলাকে উত্তর ভেবে এগিয়ে গেলাম
বললাম করবে না ,
উত্তর দিলে না।
আমি এগিয়ে গেলাম তোমার হাত ধরে
আর মুহূর্ত গুলো এক একটা ছবির মতন ফটো অ্যালবামে।

সারা দুনিয়া চাইছিল যখন
ফটোগুলো অ্যালবাম থেকে হটাতে
তখন সেখানে আরো কত ছবি জড়ো হচ্ছিল একসাথে।
আজ অসময়ে আমরা যখন অন্য একটা ফটোতে শুয়ে আছি
বালিশের ফাঁকে অজস্র টুকরো টুকরো ফটো।
তখন মনে হচ্ছে অ্যালবামটাকে বলি ঘুরে যেতে
পুরনো ছবির ফটোগুলোতে যাতে ধুলো না জমে। 

Thursday, October 15, 2015

মানুষের সাথে

মানুষের সাথে
............ ঋষি
=============================================
নিজস্ব আয়নাতে যেমন যোগ্যতা লেখা যায়
তেমন লেখা যায় ভালো আছি কথাটা নরকের উপর।
সবচেয়ে ভালো লেখা যায় বেঁচে আছি
কারণ থাকতে হয়।
শহর জুড়ে জনতার স্টোভে ফুসতে থাকা বাঁচার খিদে
আর শহরের পথে নগ্নতার বিজ্ঞাপন রাখতে হয়।

বিপ দিয়ে যাওয়া চেনা খিস্তিগুলো
কেন জানি আজকাল পরম প্রিয় লাগে বেশ্যার মতন।
প্লিস বেশ্যা কোনো শব্দ নয়
কোনো নাম নয় ,কোনো জাত নয় ,শুধু শরীর।
যেমন আমার শহরের তেমনি বেশ্যার
জঘন্য কোনো প্রতিদ্বন্দী দাঁড়িয়ে আছে নিজের কাছে।
অনেকটা সেই মায়াময়ী
যাকে দেখা যায় ,অথচ ধ্বংস সে যে ঈশ্বর নির্ভর।
স্কেলিটনে ভয় দেখানো ডাইনোসরোস বেঁচে আছে
অথচ ওই শব্দটা ইনসাইক্লোপিডিয়ায় মৃত সেই ইতিহাসে।
একেই বলে যোগ্যতা
মানুষ ও বেঁচে থাকা।

নিজস্ব আয়নাতে যেমন লেখা যায় না মানুষের নাম
তেমনি কোনো শিশুর টুকরো করা শরীর সহজলভ্য খবরের পাতায়।
কিংবা সেই যে শরীর এই শহরে বহুল ব্যবহ্রত প্রেম শব্দে
অথবা কোনো গ্লিসারিন চোখে নকল মুখোশে।
শহর জুড়ে বাড়তে থাকা ধোঁয়া এখন গিয়ে লেগেছে তাজমহলের গায়ে
কিন্তু এতকিছু পরেও মানুষ আর যোগ্যতা শব্দগুলো খিদেতে লেখা।

প্রিয় গোলাপ

প্রিয় গোলাপ
.................. ঋষি
=============================================
জানি না হয়তো বেশি চাওয়া আমার
না খেতে পাওয়া কুকুরের পেটে ঘি যেমন।
ঘুমোতে না পারা রাত জাগা চোখে স্বপ্ন যেমন
ফিরে যেতে হয়।
পুরনো ডায়রির পাতায় লুকোনো শুকনো গোলাপটার কাছে
যে ফিসফিসে করে  আজও  বলে ,,,তুমি মৃত প্রেম।

গোলাপ ,গোলাপ ,গোলাপ
ও প্রিয় গোলাপ তোমার সবুজ কাঁটায় আজ বুকের রক্ত।
ও প্রিয় মুহূর্ত তোমার বুকের ওমে জমানো কষ্ট
সবটুকু শুষে নিয়ে।
যদি আবার সময় চলে একাকী কোনো সপ্তমে
জীর্ণ সারণী ধরে না বলা স্মৃতি ভারে
তোমার সাথে।
আটকে থাকা মুহুর্তদের ভিড়ে
ভাঙ্গা গিটারের প্রিয় সুর আজও গভীরে বেজে যায়,
তোমার পাতা সবুজ  আজও।

জানি না হয়তো বেশি চাওয়া আমার
শুয়ে থাকা অন্তরের বিছানা বালিশে আজ নোনতা স্বাদ।
ঘুম আসে না কিছুতেই
বারংবার গিয়ে  দাঁড়ানো পুরনো ডায়রির পাতায়
যেখানে আজও লেখা
গোলাপ তুমি ভীষণ সুন্দর ,প্রিয় আমার। 

মা আসছে

মা আসছে
.................. ঋষি
============================================

তোর আজকাল মনে পরে না আমাকে
জমানো কিছুটা স্তব্ধতা রাখা সকালের রৌদ্রে।
আমার শহরে মা আসছে
শুয়ে থাকা কিছুক্ষণ অনন্ত মুহুর্তে আনন্দ।
কিন্তু আনন্দ কাকে বলে
জীবন না তোকে।

এমন করে বললে
কিছু ভাবিস না আবার ভিতরে ,বাহিরে।
জমে যাওয়া শরতের রোদে যখন তখন মুখভার
দরজা খোলা ,জানলা খোলা।
ক্লান্ত কিছুটা সময়ের জীব
তোকে বলি।
তোর আজকাল মনে পরে না আমাকে
শহর থেকে দূরে।
যেখানে চেনা অবুঝ রঙের চাওয়া ,সেই আনন্দ
আজ তোকে স্পর্শ করে না
সিগারেটে রিঙে রেখে  যাওয়া যাওয়া নিকোটিন যন্ত্রণা।

তোর আজকাল মনে পরে না আমাকে
জমে থাকা কিছু স্মৃতি দাগ জুড়ে কাঁচের প্রাণে ইকিরমিকির।
কাঁচে ওপারে পৃথিবী
মা আসছে ,সেই খড়ের কাঠামোতে মাখানো মাটির প্রলেপ।
আর কাঁচেরগুড়ো মায়ের পায়ের ছোপ
আমার শহর ব্যস্ত এখন। 

Wednesday, October 14, 2015

একসাথে

একসাথে
.............. ঋষি
=================================================
না রে শেষ অবধি তোকে বলা গেল না
শুধু তোর সেই লাল ,কালো টিপটা আঠার মতন আটকে আকাশে।
হাজারো নীলের মাঝে তোর সিগারেট ঠোঁটটা
একটু পোড়াতে ইচ্ছে হলো।
তোর মতন আমার হাত আঁকড়ে  পাশে চলায়
একসাথে।

কিছুটা মুহুর্তের চাবিকাঠি এই জীবনে
কিছুটা সময় বেশ ছিল সাদা,কালো ক্যানভাসে।
যখন তোর রাতজাগা চোখে ব্যাথাদের ভিড়
তখন ঠিক তখন আকাশের চাঁদে মুখ ঢাকা বিষন্নতা।
যখন তোর পথ চলায় আশাদের ভিড়
তখন হৃদয়ের সূর্যের প্রথম প্রনাম।
প্রেম কি শুধু তবে
লিখে রাখা ডায়রির শুকনো কোনো মুহূর্ত।
না কি পাশে থাকা
ঠিক যেমন মুহূর্তরা জড়াজড়ি বিছানার চাদর।
আর আকাশের চাঁদ ভিজে জ্যোত্স্নায়
একসাথে।

না রে শেষ অবধি তোকে বলা গেল না
শুধু তোর লাল কালো টিপটা চুরি হয়ে এখন আমার ডায়রিতে।
অনেকটা জায়গা জুড়ে আছে
আরো অনেক জায়গা আছে ,বিশাল আকাশের মতন কিছু।
 আর আকাশ থেকে বৃষ্টি
একসাথে। 

মা

মা
................. ঋষি
===============================================
সমস্ত অনুরণন জুড়ে
তিলে তিলে একটা স্বপ্ন সত্যি হবে যেন।
হামাগুড়ি দিয়ে আমার অস্তিত্বের উপর ছোটো দুটো হাত
আমাকে আগলাবে সে।
শব্দে ,,,,,,,,,,মা
অস্তিত্বে নারীত্বের জলপ্রপাত।

সমস্ত পৃথিবী যখন ঘুমিয়ের পরে
ঠিক তখন আমি আমার সাথে অবুভব করি তাকে।
যে আসছে ,,যে বাড়ছে ,,যে এগোচ্ছে জন্মের দিকে
তাকে স্বাগতম।
একটা পৃথিবী তাকে দিতে চাই আলোকময়
একটা জীবন তাকে দিতে চাই স্নেহময়।
আমার  ভিতর সে যেন প্রলয়নৃত্য করে
আমার  নাভি ছিঁড়ে বেড়িয়ে আসতে চায়।
চোখে কোনে জল
ব্যাথা লাগে সোনা ,
সে জীবিত ,সে আছে নিজের, আমার অন্তরে।

সমস্ত স্পৃহা জুড়ে অদ্ভূত ভালোলাগা
সমস্ত গভীরতা জুড়ে আজকাল কেমন একটা তার গন্ধ।
ঈশ্বরের এক অজানা ম্যাজিক
তুই আয় বাবা।
আমাকে সম্পূর্ণ করে দে
মা ,,,শব্দে।
.
(এই কবিতা নিতান্ত  আমার যন্ত্রণা।শব্দে  ,,,,,, মা )

মুহূর্ত

মুহূর্ত
.............ঋষি
==========================================

মুহূর্ত যা জমিয়ে রাখা যায়
মুহূর্ত পথের ধুলোয়।
মুহূর্ত কোনো সোহাগী হৃদয় শরতের মেঘ
মুহূর্ত যা অজস্র আবেগ ভাঙ্গা কারশেড।
মুহূর্ত চোখের জলে জমানো কালি
মুহূর্ত  ভালোবাসি শুধু তোমায় বলি।

এই ছিল মুহূর্ত নিয়ে মুহুর্তের লিপি
জমতে থাকা রাস্তার উপর এক হাঁটু  জল।
দুম করে বৃষ্টি
মেঘলা আকাশ।
হাঁটু ডুবে যাওয়া শরতের  মেঘে ঘুম ঘুম
শীতের হালকা পরশ।
চুপিচুপি কানে কানে শব্দরা সব নুপুরের ধ্বনি
আসছে।
শুনতে পাচ্ছো,  শুকনো  পাতা ভেঙ্গে
সবুজ ক্লোরোফর্ম নিশ্বাস
আসছে।

মুহূর্ত চলে যাওয়া সময়ের কথা
মুহূর্ত হৃদয় বেগে বলতে থাকা।
মুহূর্ত একসাথে কোনো বিলেবেলা
মুহূর্ত কফি কাপে ওমের খেলা।
মুহূর্ত নিজস্ব কোনো হৃদয় ক্লাইমেক্স
মুহূর্ত না শেষ হওয়া  সময় বিশেষ। 

Tuesday, October 13, 2015

রৌদ্র দিন

রৌদ্র দিন
.................... ঋষি
=============================================
যাকে মৃত্যু বলে দেখেছি
মাঝরাতে ঘুম ভাঙ্গা চোখে যাকে আঁকড়ে জড়িয়ে রেখেছি।
তাকে হার্দিক অভিনন্দন
তার হাসিতে আজকাল এক রণহুন্কার
মাটির অবয়বে জীবন্ত শরত।

আকাশ জোড়া কাশফুলের মাঝে পেঁজা পেঁজা মেঘ
ছোটো ছোটো সৃষ্টি নিজের মাঝে।
আকাশের গায়ে পেস্টল কালারে সাতরঙ্গা ছবি
আহত  মৃত্যুকে আমন্ত্রণ।
শরতের প্রথম মেঘে ঢাকা দিনে
আকাশ জোড়া গভীর চোখ।
একবার হাঁটবি আকাশের নীলে খালি পায়ে
ফুটপাথে এক কাপ চায়ে ,
নিজের আকাশে।

যাকে মৃত্যু বলে দেখেছি
যাকে দিয়েছি যুদ্ধ সাজ নিজস্ব কল্পনায় বল্লমের শীর্ষে।
তাকে সহজিয়া এই ক্ষুদ্র উপহার
এক আকাশ নীল,,কিছু ক্ষুদ্র মেঘ ,,কিছুটা মুক্তি
শরতের  সাজে একটা রৌদ্র দিনে। 

সময়কে অভিনন্দন

সময়কে অভিনন্দন
................. ঋষি
==========================================
যেখান থেকে জন্ম তৈরী হয়
সেই মাটি চাপা দেওয়া ,শুকনো পাতা ঢাকা কুয়াসা দিনে।
তোকে জড়িয়ে আছি আমি নিজের গভীরে ,
সেই ঝড় ওঠা সময়কে অভিনন্দন
তোকে পাওয়ায়।

নিস্তব্ধ চারিপাশ
শুকনো পাতাগুলো জমা হওয়া মৃতদেহ স্মৃতি।
আর একরাশ অচমকা দমকা হাওয়া
উড়ে যায় ,উড়ে যায়।
কোনো সমীকরণ ছাড়া অনেকটা উপরে সিগারেটের রিং
আর সময় সে যে পুড়ছে বুকে নিকোটিনের প্রেমে।
অনেকটা সেই প্রথম দেখার মুহূর্ত
অনেকটা না বলা কথা।
সারা অস্তিত্ব জুড়ে শিহরণ
তুমুল ঝড়।

যেভাবে মৃত্যু জড়াতে হয় গভীর প্রেমে
নিস্তব্ধ পাতা ঝড়া  মুহুর্তদের ফাঁকে  একটা নীলচে আকাশ।
আকাশ ভরা মেঘ ,মুখভার
সময়ের ফাঁকে জমা নিকোটিনে পোড়া ঠোঁট
আর অনেক বড় একটা স্বপ্ন। 

Monday, October 12, 2015

একটু বাঁচা

একটু বাঁচা
............... ঋষি
=============================================
সাজানো ফ্লাওয়ার ভাসে কিছু মুহূর্ত
তোর চোখের কাজলে রাখা কিছু উত্তর।
তোর সিগারেট ঠোঁটে রাখা একটা পোড়া স্পর্শ
কেমন একটা হালকা ছোঁয়া
এই বিকেবেলা এক আদুলে পাগলাটে পরশ।

যেই তুই ঠোঁট রাখলি মাটির গরম কাপে
আমার বুকে ছ্যাক।
যেই তুই হাসলি আদুরে হওয়ার মতন
আমার দমবন্ধ।
তবুও দেখছিলাম জীবন কেমন করে বাঁচে মুহুর্তের পথে
তবুও ভাবছিলাম জীবন কেমন কাঁদে তোর চলে যাওয়ায়।
জন্ম মৃত্যু পার
এক রণহুঙ্কার।
মা আসছে এই বুকে
আমার  বুকের উপর পা আর আমি জটাধারী নীলকন্ঠ।

সাজানো কবিতার স্তবকের মতন পরম প্রিয় তুই
সাজানো শহরের সড়কের মতন একলা পাওয়া তুই।
এক চিলতে নিকোটিনে পোড়া হালকা আগুন তুই
কেমন একটা আনছান ভাব
একটু ভালোলাগা জড়িয়ে জীবনে বাঁচা তুই। 

শূন্য

শূন্য
................ ঋষি
==============================================
শূন্য থেকে শুন্যান্তরে ,শূন্য গুলো জুড়ে
ঋক ,সাম , যজু ,অথর্ব  সব ঘেটে।
একটা প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে বলা যায় নাকি
হাট্টিমাটিম টিম ,তারা মাঠে পাড়ে ডিম ,
আর ডিম সে মুরগির হয় ,আবার পক্ষীরাজেরও।

সব ঘেটে ঘ
দাঁড়িয়ে  থাকা অবান্তর পাহাড়ের গায়ে
লুকোনো একটা শূন্যতা।
ইকো হচ্ছে ,,,আওয়াজ করে দেখো
ফিরে আসছে অস্তিত্ব নিজের কাছে আয়নায়।
চুপ থাকতে বলছে সময়
চাকা ,চকমকি ,পোড়া মাংস সব লেগে আদিম জীবিকায়।
অথচ কিছু কি বদলাচ্ছে
জমানো খিচুড়িতে।

শূন্য থেকে শুন্যান্তরে ,শূন্য গুলো জুড়ে
গীতা,পুরাণ,বাইবেল সব ঘেটে।
একটা প্লাটফর্মে মানুষ চিত্কার করে শূন্য,শূন্য আর শূন্য
সব জুড়ে একটা যদি বড় শূন্য পাওয়া যায়
তাকে কি বলবে পৃথিবীর মানুষ। 

ভালো আছি

ভালো আছি
....................... ঋষি
================================================
একটা আলোর খোঁজ করছি
শহরের অলিগলি ,রেল লাইন ,বাসের ভিড় ,মানুষের চিত্কার
কিন্তু পাচ্ছি না কিছুতেই।
আসলে আমি জীবন থেকে একটা নিঃশ্বাস  খুঁজছি
যেখানে সহজে বলতে পারি ভালো আছি।

অদ্ভূত একটা স্পৃহা বুকের ভিতর
সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে শুধু সাইরেনের শব্দ,ব্ল্যাকআউট।
মন্বন্তরের মাটি জুড়ে কেমন এক খিদে
আকাশ জুড়ে সাই সাই ছুটছে যুদ্ধ বিমান।
ভিতর থেকে বাইরে শুধু চিত্কার
কি করে বলি !
ভালো আছি।
যুদ্ধ চলছে ,ষড়যন্ত্র চলছে ,চলছে বুকের ভিতর নিকোটিন হৃদয়
মানুষ কাঁদছে ,প্রেম কাঁদছে।
মুখোশের আড়ালে কোথাও কাঁদছে দৈনন্দিন বেঁচে থাকা
ভালো থাকার নামে।

একটা আলোর খোঁজ করছি
রেল লাইনের সেই শিশুটা ,পথের উপর সেই ভিখারিটা।
চায়ের দোকানে সেই ছেলেটা, মাতৃ গর্ভে বাড়তে থাকা জন্মটা
সকলের মুখে একটা ঈশ্বরের হাসি
পরিতৃপ্ত সকলে বলছে একসাথে ভালো আছি। 

এক বেজন্মার জীবন

এক বেজন্মার জীবন
...................... ঋষি
================================================
আমার নিজেকে বেজন্মা বলতে লজ্জা করে না
লজ্জা করে না নিজেকে বিশ্বের দরবারে  দাঁড় করাতে।
আমি যেখানে নগ্ন
হাসি পায় ,খুব হাসি  পায়।  কে দেখছে আমাকে ?
একটা নগ্ন ঘুন ধরা সমাজ ব্যবস্থা ,একটা নপুংষক রাজনীতি
 একটা বেহাল দেশ কিংবা এক ধুকতে থাকা বিশ্ব।

নিজের কোমরের বেল্ট খুলে
একের পর এক আঘাত হানি সারা শরীরে। .
প্রতিটা আঘাত আমার শরীরে শান্তি আনে রক্তপাতে
প্রতি রক্ত বিন্দুতে আমি দেখতে পাই  মানুষ।
যারা ক্রমাগত পিষে চলেছে কোনো কৃত্রিম বুলডোজারে ভিতরে বাহিরে
আমার শরীরে মানচিত্রে ফুটে ওঠে একটা বিশ্ব।
প্যালেস্টাইন ,সিরিয়া ,আরব আরো কত ছোটো ছোটো হাত বাড়ানো পৃথিবী
তখনি শুনি সাইরেন বাজছে ,আম্বুলেন্সের শব্দ।
লাল ঘুরতে থাকা আলো  .রেড লাইট এরিয়া মানুষের ভিতর
চিত্কার নারীত্বের প্রশ্নে ,শিক্ষার প্রশ্নে ,মানবিকতার প্রশ্নে।
কান্না ধর্ষণ ,শিশু হত্যা ,কর্মহীনতা ,নিজের মেরুদন্ডে
সত্যি কি বেঁচে আমি ?

আমার নিজেকে বেজন্মা বলতে লজ্জা করে না
লজ্জা করে মানুষ বলতে ,লজ্জা করে মানুষের মতন যাপনে।
ঘোমটার নিচে খেমটা নাচ
একটা বাজারী বদরের মতন লজ্জা কি এই বেঁচে থাকায়।
শুধু যখনি কোনো নতুন জন্ম দেখি কিংবা কোনো শিশুর সরল হাসি
তখন নিজেকে আমার লজ্জা করে মানুষ বলতে।  

আলোর পৃথিবী

আমার সকল বন্ধুকে পিতৃ পক্ষের সমাপ্তিতে মাতৃপক্ষের শুভেচ্ছা,,শুভ মহালয়া
=====================================================
আলোর পৃথিবী
............. ঋষি
===================================================
কোন শব্দে লিখবো তোমায় মা
আমি ভাষা জানি না ,জানি না পড়াশুনা মা।
যখন  ওই চৌধুরী বাড়ির ঢাক বাজে
তখন বুঝি তুমি আসছো।
যখন দেখি মাঠের পাশে পুকুর ভরা কাশ ফুল
তখন বুঝি তুমি আসছো।

পা বাড়িয়ে আছি মা গো
পা সরিয়ে আছি তোমাদের থেকে দূরে।
আরো দুরে আমরাও আছি মা
যেখানে খিদে বাঁচে পিতৃ পক্ষের তর্পনের মতন।
যেখানে দারিদ্রতা বাঁচে মাত্রি পক্ষের আগমনের মতন
যেখানে অশিক্ষা ,কুসংস্কার ,জাতিভেদ দৈনন্দিন উত্সব আমাদের।
কোন শব্দে লিখবো মা এই সব
তুমি আসছো আমরা জেনে গেছি।
সরে এসেছি তাই আরো দুরে তোমার আলোর থেকে ,তোমার উত্সবের থেকে
আমরা যে অযোগ্য মা। আমরা সমাজের অনেক নিচে।
আমরা মানুষের ভেকে তোমাদের কাছে অমানুষ।
উত্সব আমাদের খিদে আর খিদে আমাদের বেঁচে থাকা ।

কোন শব্দে  লিখবো তোমায় মা
তোমার আগমনী শুনেছি সকালে  চৌধুরী বাড়ির রেডিও সেটে বাজছিল।
বাজলো তোমার আলোর বেণু, মাতলো রে ভুবন
বুঝেছি তুমি আসছো প্রতিবছরের মতন।
আবার চলে যাবে যেমন সময় কেটে যায়
কিন্তু মা আমরা কি কোনদিনি দেখবো না আলোর পৃথিবী।

Sunday, October 11, 2015

সেই মেয়েটা

সেই মেয়েটা
................. ঋষি
====================================================
নৈহাটি ষ্টেশনে সেই মেয়েটাকে দেখলাম
চোখের কালি থেকে হৃদয়ের কালি।
দূর থেকে আরো দূরে দেখা
সেই মেয়েটাকে
যে পালাচ্ছে জীবন থেকে অনেক দূর।

শরীর জোড়া শুধু মেয়েলি আভাস
বুকে লোকানো অজস্র সিগারেটের লাল আভা।
পুড়ে যাচ্ছে সময়
এই অসময়।
কোথাও কোনো পালানো জীবনে খুঁজতে চাওয়া স্বপ্নগুলো
সেই টুকরো টুকরো ফ্রেমে বাঁধানো মুহূর্ত।
স্বামী ,সংসার ,কোল আলো করা সন্তান ,একটা জীবন ঠিক কেটে যাওয়া
কেটে তো যায় সময়।
যেমন আজ কাটে মেয়ে তোর ভিতরে জ্বলন্ত ইন্দ্রপ্রস্থ
আর তুই সেই স্বপ্ন পরীর শরীর শুধু।

নৈহাটি ষ্টেশনে দাঁড়িয়ে আমি একটা সমাজ দেখতে পাচ্ছি
একটা ক্ষয়ে পরা ব্যবস্থা মানবিকতাকে পশ্চাত দেখিয়ে।
একটা পুরুষ তান্ত্রিক দেশ যেখানে মেয়েরা শরীর
যেমন সেই মেয়েতে
যে আজও মনের গভীরে নৈহাটি ষ্টেশনের প্লাটফর্মে একলা। 

Saturday, October 10, 2015

একটু বেঁচে থাকা

একটু বেঁচে থাকা
,,,,,,,,,,,,,,,, ঋষি
===========================================
নিশ্চিন্ত মৃত্যু তুই
বুলেটের গায়ে লেখা তোর নাম।
বুলসাই  চোখ
আরো গভীরে রাখা এক অজানা    স্বপ্ন।
মিলে মিশে মাইল খানেক নিস্তব্ধ দুপুর
চুপচাপ রাস্তা আর আমি।

হাজারো শব্দের মাঝে একটা শব্দ সেই পুলিশ ক্যাম্পে শোনা
ফায়ার।
তরবর করে উড়তে থাকে পায়রাগুলো এদিক ওদিক
নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে খান খান
তুই ছুটে এলি বুকে।
সোজা আমার হৃদয়ে একটা বুলেট
মৃত্যুর তরল পরশ।
তোর চোখ
আবার নিস্তব্ধ নিজের ভিতর একটা একটা মুহূর্ত
আমার কাছে তুই।

নিশ্চিন্ত মৃত্যু তুই
তোর হাত ধরে পুরনো বাড়ির হৃদয়ে পায়রার বাকুম বাকুম।
সময় থামতে চাই না
আরো গভীরে মিশে থাকা স্পর্শ আমার বুকে।
আকাশ  থেকে নেমে আসা  পবিত্র ঈশ্বরের স্পর্শ
একটু বেঁচে থাকা তুই। 

আকাশলীনার প্রতি

আকাশলীনার প্রতি
......................... ঋষি
==============================================
শব্দগুলো হারিয়ে যাওয়ার আগে
একটা বোঝাপড়া দরকার।
যেমন বৃষ্টি আসা মানে কাঁচ তোলা ট্যাক্সিতে সংসার না
ঠিক তেমনি রৌদ্র মানে পুড়তে থাকা না।
ভালো আর বাসি শব্দের মাঝে একটা তফাত আছে
ভালবাসা কখনো বাসি হয় না।

কি জানিস আকাশলীনা
আমি ভালোবেসে সমদ্র দেখি  বুকের মাঝে।
ক্রমশ ক্লোস্ড হয়ে আসা দুটো শরীর আমি অন্ধকারে দেখি
কোলবালিশের মতন আমার হৃদয়ের সাথে।
আমার আয়নায় যারা আসে
তারা জীবিত না আমার মতন।
আর আমার ভাবনারা আকাশলীনা তোর মতন পবিত্র
তোর কপালের টিপ
গড়িয়ে নামা চোখে একটা আমন্ত্রণ রাখা।
জানিস তো অনেকদিন কোনো আমন্ত্রণ পত্র পাই নি
তাই এখন আমার এখন ভুড়ি ভোজের খুব লোভ।

তাইতো আকাশলীনা শব্দগুলো হারাবার আগে
অন্ধকার দাঁড়িয়ে ঝাল লাগা ঠোঁটে চুমু খাবার আগে।
একবার নিজেকে প্রশ্ন করতে হলো
যতই হোক  ভালবাসা কখনো বাসি হয় না।
হয়তোবা ঘুমের ঘোরে জড়ানো কোলবালিশ হতে পারে
কিন্তু আকাশলীনা ভালোবাসা হলো হারানোর নাম। 

আজ থেকে বছর দশেক পরে

আজ থেকে বছর দশেক পরে
............. ঋষি
==============================================
আজ থেকে বছর দশেক  পরে
মরচে ধরা এই হৃদয়ের চারদেওয়ালে খুঁজে পাবে তো আমাকে।
তখন টিকটিকিরা অবিরত ঘুরবে দেওয়ালে দেওয়ালে
সত্যি সত্যি সত্যি।
পুরনো ক্যালেন্ডারের ভেতর থেকে রাধা কৃষ্ণর সোহাগী ভঙ্গি
উঁকি মেরে দেখে নেবে তোমার পরিপক্ক হৃদয়
আমি থাকবো তো সেখানে।

ঘুন ধরা অবয়বের মতন
পুরনো পোকা কাটা বইয়ের মতন।
আমি দাঁড়িয়ে সেখানে
আজ থেকে বছর দশেক পরে।
কোনো এক সুনামিতে ভেসে যাওয়া আসবাবের মতন
আমিও ও পরিত্যক্ত সেখানে।
জমতে থাকা ধুলো ,অসংখ্য প্রহসনে আমার গলায় মালা
সাদা রজনীগন্ধা আমার খুব প্রিয়।
তোমার মতন আমার হৃদয়ে
প্রশ্নের ঝড়ে
উড়ে আসা শুকনো পাতা।

আজ থেকে বছর দশেক পরে
এই কবিতা কোনো ভিনদেশী লেখা তোমার কাছে।
আর আমার কাছে গোপন যবনিকা অন্ধকারে
সত্যি সত্যি সত্যি।
এই কবিতাটি কেবল মাত্র ফেরার পথে লেখা
চারদেওয়ালে থেকে ,ঘুরে বেড়ানো
এক হারিয়ে যাওয়া হৃদয়ের লেখা।

বিদেশী কবিতা

বিদেশী কবিতা
.............. ঋষি
==============================================
উজ্বল দোকানে সামনে
আলো  কিনতে এসেছি উত্সবের সেহনাহিতে।
আর ঠিক তখনি
চোখে পড়লো ব্রা ,প্যান্টির মাপের বিকিকিনির দিকে
আর আমার মারর্ক্সকে মনে পড়লো।

মহান মারর্ক্স
তাকে বলা হয় নি কোনদিন
আমার ছেড়ে যাওয়া প্রেমিকাদের কথা।
তাদের বুকের মাপে আমি যে দেশটা খুজেছিলাম
তাকে বলা হয় নি এমন সম্ভব না।
শুধু আমার বুকের দোকানে সামনে দাঁড়ালে হাসি পায় আজকাল
দেশ শব্দের সাথে আমদানি কৃত্রিম বুকগুলোতে
কোথাও হৃদয় নেই।
কোথাও  সময় নেই এক মুহূর্ত ভাবার
যে উত্সব সবার হয় না ,যেমন দেশ হয় না
বেশিরভাগ নিজের দেশে বিদেশী এখানে।

উজ্বল দোকানে সামনে
এল কিনতে এসে  আমি অন্ধকার দেখলাম।
পাশের ফুটপাথে এক ভিখিরিনী দাঁড়িয়ে অদ্ভূত ভাবে হাসছে
আমি সিগারেট ধরালাম ,আর সিগারেটের ধোঁয়ায়
এক ভিখিরিনী দেশ দেখতে পেলাম।

এ মন

এ মন
..........ঋষি (LLB র গানে পরশে )
========================================
এইটুকু বলতে পারি
মন ,,,,দখিন হাওয়াতে কেন পাগল এ মন।
কেন জানি  ঘুমঘোরে
এই শীতের দুপুরে
অচেনা রাস্তায় ভিজে এ  মন।

সবটুকু ছুঁয়ে যে যায়
ভিজে থাকা  চাঁদ জ্যোত্স্নায়
কেন এমন অবাদ্ধ এ  মন  .

মন ,,,,মেঘলা দিনে আকাশে ঘুরি এ মন
মনে হয় রেলিঙে দাঁড়াই।
মনে হয়  আকাশে  উড়ে যায়
যেন কোনো বাঁধন  ছাড়া ,যেন কোনো শব্দ ছাড়া
কিছুতেই পোষ মানে না এ মন।

সবটুকু ভিজিয়ে যে যায়
একা দেখা স্বপ্ন চোখে তাই
আঁধারেতে কতকিছু  খুঁজতে থাকে এ মন। 

মনখারাপ

মনখারাপ
................. ঋষি
=========================================

আজ সকালের ঘুম ভেঙ্গে মনে হলো
মন খারাপ।
তোর আমার একসাথে
কুয়াসা ঢাকা শহরের পথে অজস্র মর্নিং ওয়াকে।
ছুঁয়ে আছে সবুজ  পার্ক
তবু কেন জানি সবুজ পাতায় আজ মনখারাপ।

শহর ছুঁয়ে ভাবনারা তোর গভীরে
অন্য শহর।
প্রতিদিনকার  অফিস পারে সোরগোল আজ কেমন যেন ক্লান্ত
পথের উপর ঝুলন্ত বাসের চোখে রাত জাগা ছোপ।
ছোপ ছোপ শরতের মেঘে কেমন অন্যমনস্ক ভাব
মন খারাপ তোর।
মন খারাপ আমার
গড়িয়ে নামা শরীরের ঘামে নোনা স্বাদ।
চেনা বিশ্বাস
কাঁদছিস তুই ,কেন কাঁদছিস তুই
মনখারাপ।

আজ  রোজকার চায়ের আড্ডায় কেমন ছুঁয়ে আছে স্তব্ধতা
নিস্তব্ধ শুকনো পাতা গুলো রাস্তার ধুলো চুমু খায়।
চুমু খাই আমি তোর গড়িয়ে নামা চোখে
চুমু খাই আমি তোর গভীর হৃদয় লোকে।
একটু সবুজ হয়ে ওঠ
মনখারাপের বাইরেও আমরা আছি। 

Friday, October 9, 2015

প্রতিবাদ কাকে বলে

প্রতিবাদ কাকে বলে
.............. ঋষি
=====================================================
প্রতিবাদ আসলে কি
খাই না ,মাথায় মাখে তাই বুঝলাম না।
প্রতিবাদ কি দৈনন্দিন টিভি সিরিয়ালের মতন জনপ্রিয় কিছু
নাকি কোনো বুলেটের তাক করা মাথা।
ভিলেন ভূমিকায় কোনো নপুংষক উল্টোদিকে বলে
সত্যি বলতে নেই ,হাততালি দেবো।

সারাজীবন শুনে আসলাম ছোটো ,বড় মুখে সত্যি বলো
সেই কাবুলিওয়ালার সুদের মতন মাথার ভিতর ইকিরমিকির।
যন্ত্রণা ,রক্তপাত ,চিত্কার
নিজের বেঁচে থাকাকে চিরুনি তল্লাসি  করে দেখি
প্রতিবাদ নামক শব্দকোষে বড় একটা ভয় আটকে আছে জোকের মতন।
যে শুষে চলেছে তোমার জীবিত থাকার ইচ্ছাকে
নিজের পরিবার ,নিজের ছোটো সন্তান ,নিজের দৈনন্দিন ফর্দকে।
আর এই সকল নিজের ভিতর
কোথাই  যেন প্রতিবাদ একটা স্বপ্নের মতন মনে হয়।

উল্টো দিকে খসে পরে মানুষের বেঁচে থাকা
শরীর থেকে খসে পরে লজ্জা।
আর তখনি চোখে পরে নিত্যকার মোমবাতি মিছিল ,সভা ,সমিতি ,রাস্তা জ্যাম
আর তখনি শোনা যাই মাইকে বিশাল বিশাল ইচ্ছা।
সব ফিকে হয়ে যায় দিন প্রতিদিন অন্ধকারে বাঁচা মানুষের সাথে
সকলের হৃদয়ে তখন  একটা জোনাকি ঘোরে অন্ধকারে। .....  প্রতিবাদ।

তোমার মতন

তোমার মতন
.................... ঋষি
==================================================
ভিজেছে জীবনের পথ চলা সেই গলিটা
যার মোড়ে দাঁড়িয়ে সেই ছাতাটা প্রতিদিন ফুচকা বিক্রি করে।
তুমি আসো নিজের মতন করে
টকজল,লঙ্কা আর স্বাদ জিভ আওড়াতে আওড়াতে আওয়াজ করো।
আমি দেখি ঠোঁট নড়ে
আর ঠিক তখনি এখানে বৃষ্টি পরে  .

অবিরাম, অঝোর বৃষ্টির দিনগুলো কোথাও যায়না , শুধু
ঝুলে থাকে অনন্ত কার্নিশ থেকে।
আর কার্নিসে ধরে দাঁড়িয়ে আমি দেখি
সেই হাঁটুজল পথটাকে।
তুমি আসো ,একটু শাড়ি উঁচু করে রিক্সা দিয়ে নামতে নামতে নাক সিঁটকোও
কাদা জল ছুঁয়ে যায় তোমার পায়ে ,পায়ের পাতায়।
ঠিক তখনি আমার হৃদয়ের জলে সাতরঙা ঢেউ একের পর এক
ভাঙ্গতে থাকে।
আর তখনি  ঢেউএর  নোনতা কিছু
আমার হৃদয়ে আসতে থাকে
চোরা বালি
ডুবি খালি।

ভিজেছে জীবনের পথ চলা সেই গলিটা
যার চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে  সময় পথ খোঁজে পথ হারাবার।
ঠিক তখনি দেখি তুমি দাঁড়িয়ে আমার মতন
কোনো লাইটপোস্ট।
সন্ধ্যে আসে আলো  জ্বলে  তোমার মতন
আবার নিভে যায়  তুমি চলে গেলে। 

সময়ের মেয়ে

সময়ের মেয়ে
............. ঋষি
==============================================
একটা অদ্ভূত জিনিস লক্ষ্য করেছেন
মেয়েটার  সব ঋতুতে পা থেকে মাথার আঙ্গুল ঘেমে যায়।

সেটা আবার বড় বড় পা ফেলে গিয়ে দাঁড়ায় সময়ের দরজায়
কোনো রকম আওয়াজ ছাড়াই দরজা খুলে যায়।
মেয়েটা ঘরে ঢোকে
জানলা দিয়ে ঠান্ডা হাওয়া  আসে।
মেয়েটা বলে সময়কে
আজ দিনটা ডিসগাস্টিং।

মেয়েটার সময়  দেখে মেয়ের মুখে কালি
সকালে তো ছিল না।
একটু চিন্তিত হয় পা বাড়িয়ে রান্নাঘরে
মেয়েটা ওয়াশ রুমে যায়  ফ্রেশওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে ধুতে দেখে।
প্রেমিকের ঠোঁট নিজের আয়নার
তারপর খেয়ে দেয়ে ঘুম।

রাত্রে ঘুমের ঘোরে  মেয়েটা ঘামতে থাকে
ছটফট করে ওঠে, তার সতর্ক সময় ।
তাকে ধাক্কা দিয়ে জাগিয়ে তুলেই ধমকের সুরে বলে ওঠে
“চোখে মুখে ঠান্ডা জল দিয়ে আয়
সময়ের  মেয়েদের স্বপ্ন দেখার কোনও অধিকারই নেই।

আজকাল কবিতারা

আজকাল কবিতারা ................... ঋষি ============================================= আজকাল বোধ হয় কবিতারা ভাবনায় থাকে চৌরঙ্গী ফ্রেমে সুন্দর লাগে দূর থেকে টাঙানো দেখতে। তাদের বাস্তবে আসতে নেই ,তাদের হৃদয়ে আসতে নেই শুধু পুড়তে হয় রৌদ্রে পরে থাকা বাসি লাশের মতন। চারিদিকে ভনভনে মাছি আসলে আজকাল বাজারে কবিতার বিক্রি নেই। আসলে কি জানিস আজকাল সত্যি স্পর্শ বলতে নেই। সিঁদুরে মেঘে পুড়ে যাওয়া স্বপ্নদের কিছুতেই আজকাল মুক্ত করতে নেই। লুকিয়ে থাকতে হয় চারদেওয়ালে মাংসের খামে আগত আগামী না কিছুতেই না সেই খামে স্বপ্ন ভরতে নেই। সত্যি বলতে নেই বলতে নেই ভালোবাসি ,তোকে পেতে চাই। বলতে নেই হাত ধর এই হাজারো মানুষের ভিড়ে তোকে একলা দেখতে চাই। আজকাল বোধ হয় কবিতারা ভাবনায় থাকে আর হৃদয় থাকে কনক্রিট শহরের ইট ,কাঠ ,পাথরে। এখানে বৃষ্টি হয় ,শহর ভাসে ,এক হাঁটু জল কারো তৃষ্ণা নেই। তৃষ্ণা শুধু বেঁচে থাকা ,তৃষ্ণা আয়নায় মুখ দেখা লুকিয়ে কাঁদা অন্ধকার ভিজে বালিশ।

খুব দুষ্টু

খুব দুষ্টু ...................... ঋষি =================================================== কাল রাতে ঘুম হয় নি ভালো জানলার রেলিং বেয়ে দুষ্টু তুই আমার ঘরে। সারা সিলিঙে মাখামাখি স্বপ্ন দুষ্টু তুই ,খুব দুষ্টু। আমাকে ভিজিয়ে তাকিয়ে ছিলিস আমার দিকে মিষ্টি হাসিতে ,আরো গভীরতায়। তারপর কখন যেন আমি টেনে নিলাম কোল বালিশটা বুকের কাছে আর তুই কোথা থেকে এসে গেলি আমার বুকের মাঝে। একটা উষ্ণতার ওম ,একটা মরে যাওয়া শিহরণ আমার বুকের মাঝে বুক কাঁপছিল ,কাঁপছিল ঠোঁট ,ক্রমশ ক্লোস্ড খুব কাছে। তোর বুকের মাঝে মিশে যাওয়া মায়া ,চোখের হায়া। খুলে পড়ছিল লজ্জা ,সমস্ত মুখোশগুলো একে একে পরম যত্নে তুই মিশে আমার মাঝে। আমি তোর বুকে মুখ ঘষে অবাক এ কি আশ্রয় ,না কি প্রশ্রয়। সমস্ত প্রেমের অভিমান নিয়ে তোর তেত্রিশ সাইজের বুকে হাত রাখলাম তারপর মারাত্নক ঝড় তারপর বৃষ্টি। ঘুম ভেঙ্গে চমকে উঠলাম আজকে হাতের মুঠোফোনে দেখি অসংখ্য আদর জমে আছে তোর। সারা শরীরে জমে তোর আদুরে স্পর্শ জানি না প্রেম কেমন হয় ,আদও কি প্রেম এমন হয়। ফোন করলাম তোকে যদি একবার তোর গলা শোনা যায়।

Thursday, October 8, 2015

পাহারায় জীবন

পাহারায় জীবন
....................... ঋষি
=========================================
তোমাকে পাহারা দেওয়ার জন্য
আমার এই ছোটো জীবন আরো ছোটো মনে হয়।
পৃথিবীর সবটুকু অন্ধকার তোমার যোনির ভিতর
যন্ত্রণা হয়ে জ্বলে।
জন্ম নেয়  অজস্র স্পন্দন পৃথিবীর মাটিতে
হয়তো ধুলি ঝড় ,হয়তো সুনামি।

আমি ভেসে যাই
ভাসতে ভাসতে আমার মনে হয় আমি একটা গাছ।
একদিকে নগ্নতা ,অন্যদিকে পোশাকি
আমি পোশাক গুলো খুলে রাখি যত্নে সময়ের কাছে।
আমি নগ্ন হয়েই বাঁচতে চাই
মুখোশগুলো সব সাজানো তর্পনে ঈশ্বরের নাম করা।
কোনদিকে বেশ ,বোধ হয় পূর্বে মুখ
আর সময় পশ্চাতে।
আমি কবিতাই  লিখে ফেলি ,যা লিখি নি কখনো
শব্দরা সংযমী হও
আর জীবন তুমি কুপমন্ডুক।

তোমাকে পাহারা দেওয়ার জন্য
আমার এই ছোটো জীবন আরো ছোটো মনে হয়।
যখনি হেসে ওঠো তুমি
আমি বুঝি এই সব সময়ের চাঞ্চল্য নগ্নতার  মতন।
যা আমার থেকে আমাকে মুক্ত করে
করে তোলে আত্মোন্মাদ ভিখারীর মতন। 

ঈশ্বরের ভূমিকায়

ঈশ্বরের ভূমিকায়
....................... ঋষি
==============================================
সমুদ্রের কথা ভাবছি ,বিশলতা ,গম্ভীর
আমার ঈশ্বরের কথা মনে হলো।
ঈশ্বরের কথা মনে হতে
আমার নরকের কথা মনে হলো ,নরক ছাড়া যে ঈশ্বর অসম্পূর্ণ
যেমন অসম্পূর্ণ মানুষ চেতনা ছাড়া।

রাস্তায় সারি দিয়ে যে শরীরগুলো দাঁড়িয়ে
সোনামনি ,বেশ্যা ,মাগী যাই বলো  না তাকে হাসিমুখে দাঁড়ায়।
দেওয়ালে পসরা সাজানো সিম্বলিক অন্ধকার
ক্রেতা আসে।
হাসিমুখে চলে যায়
পৃথিবীর কোনো ব্যবসায় এমন হাসি নেই ,যেমন নেই মুনাফা।
গোপনে যন্ত্রণা আসে
এসে  যায় পায়ের তলায় মুচড়ে  ওঠা হৃদয়টা।
আমি আকাশে  উঠে যায়
আমি ঈশ্বর দেখি
ঈশ্বর সে যে অসম্পূর্ণ  নরক ছাড়া।

সমুদ্রের কথা ভাবছি ,বিশলতা ,গম্ভীর
বিশ্বের ইতিহাসে উঠে আসে সেই সব জ্ঞানীদের  মুখ,
যারা দাঁড়িয়েছিলেন মানুষের পাশে।
যারা হেঁটে ছিলেন জীবনের ভূমিকায় সত্যি জীবিত হয়ে
আমার ঈশ্বরে কথা মনে পরে না। 

কবির মৃত্যু হলে


কবির মৃত্যু হলে 
....................... ঋষি 
=================================================
কবির মৃত্যু হলে 
শ্মশানে পুড়িয়ে না তাকে ,গোড় দিও না তাকে। 
কবি তো মৃত্যতে বাঁচতে চায় 
নিস্তব্ধ একাকিত্বে 
তাকে মৃত্যতে মিশিয়ে দিও। 

সামনে দিয়ে চলে যাওয়া বিশাল জনকলোরবে 
কবি ঘুমিয়ে থাকে স্পর্শ নিয়ে। 
বাঁধানো ফুটপাথ ,জমানো যন্ত্রণা ,হাজারো  কল্পনা নিয়ে 
কবি মিশে মানুষের সাজে। 
যে বারুদে আগুন জ্বলে না ,যে রক্তে আগুন লাগে না 
তাকে প্রতিবাদ দেও। 
কবি চাই সে যেন জীবিত থাকে মানুষের মাঝে 
মানুষের যন্ত্রনায়। 
মানুষের হেরে যাওয়া রক্তে 
মনুষত্বে।
ভিখিরীর মতন 
তাকে একটু শান্তি দেও। 

কবির  মৃত্যু হলে 
প্রয়োজন নেই কোনো জনতার কলরব ,শান্ত থাকুক সময়। 
বুকের বারুদে চকমকি ঘষে 
নিস্তব্ধে পুড়িয়ো তাকে 
কিংবা গোড়  মনের গভীরে মনের মুক্তিতে। 
 

নেশা কাকে বলে

নেশা কাকে বলে
................ ঋষি
===========================================
নেশা কাকে বলে
সেই পাতিয়ালা বারে উপছে পড়া  সময়কে।
না তোকে
যে আঁকড়ে আছে বুকের পাঁজরে।
একটু অন্যমনস্ক ভাবে
এই মাত্র তোর ঘামের গন্ধটা পেলাম।

নিস্তব্ধ নিশাচরের চোখে
 যেমন একটা হিংস্রতা থাকে জংলি যন্ত্রণা।
সেই যন্ত্রণা থেকে
এক ফোঁটা  তোর কপালে দিলাম।
ও মা তোর  যে জ্বর এসেছে সোনা
ও মা তোর বুকেও যে কালসিটে দাগ।
অবিরত
নেশার ছোপছোপ স্লিপিংপিলের রাত।
জ্যোত্স্না  ভেজা ভিজে চোখের  পাতায় মুক্তি
নেশা হচ্ছে  তোর
আয় কাছে আয়।

নেশা কাকে বলে
নিজস্ব যন্ত্রণার ভিতর নিজেকে খোঁজার  আকর্ষণকে
না তোকে ।
তোর জড়ানো  স্লিভলেসে লুকিয়ে থাকা আশ্রয়ের ফাঁকে
সদ্য ওঠা চাঁদকে
ওমা আজ যে পূর্নিমা। 

বৃষ্টি ভেজা শহর

বৃষ্টি ভেজা শহর
,,,,,,,,,,,,,,,,ঋষি
============================================

আজ তোকে চুমু খেতে ইচ্ছে করছে
কেন জানি এই সমীকরণের মানেটা একটু বিগরোচ্ছে।
কি এগোচ্ছে জানি না
ট্রাম ,বাস ,রিকসা না পায়ে চলা।
তবে এগোচ্ছে শহর আমার সাথে তোর দিকে
বৃষ্টি ভিজে কোলকাতা।

বৃষ্টির পায়ের সাথে পা
খালি কিনা জানি না ,চটি আছে কিনা জানি না।
জানি না কি সম্বল
তবু শহর জাগছে অন্যদিনের থেকে।
দিবারাতি
আজকাল প্রতিক্ষা তুই আসছিস যে।
তুই আসছিস তোর  মানচিত্র ছড়ানো বিশাল নকশা
তুই আসছিস আমার হৃদয় ভরা জীবন্ত কাশফুল।
কেমন একটা মায়া ভালোলাগা তোর  স্পর্শে
ভালোবাসি।

আজ তোকে চুমু খেতে ইচ্ছে করছে
কেন জানি বিশল্যকরণী বুকে রোজনামচা ঝাড়পোছ।
ধুলো জমেছিল প্রচুর শহরে
এই মাত্র যে বৃষ্টিটা হলো ধুয়িয়ে দিল পথঘাট জীবন।
সর্বত্র রাখা এক হাঁটু জল
তবু বল এটাই তো আমার শহর।   

গানে গানে

গানে গানে
.................. ঋষি
============================================
আটকে থাকার রোগরে
বিচুটি পাতার মতন কিছু একটা আছে।
সম্পর্কের ফাঁকে
তোকে না দেখলে কেমন একটা হুহু আমার আকাশে বাতাসে।
অনেকটা সেই বাউলের সুর
তোরে  ছেড়ে দিলে সোনার গৌর আর পাবো না।

খেপা ছেড়ে দিলে সোনার গৌর আর পাবো  না
তোকে হৃদ মাঝারে রাখবো।
হাসি পাচ্ছে জানি চারদেওয়ালের ঘরে
কেমন একটা অদ্ভূত চুলকানি।
কেমন একটা ঘোর ঘোর ভাব ,তরল নেশা
ভালোবাসা।
অনেকটা সেই রবি ঠাকুরের গান
ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় ,,করেছি যে দান
এ মন হাওয়ায় হাওয়ায় ,,,করেছি যে দান।

আটকে থাকার রোগরে
হোনটোসে ছু লো তুম ,মেরা গিত অমর কর দো।
আবার যন্ত্রণা
তোকে না দেখলে কেমন একটা মুখভার আকাশের মেঘে।
অনেকটা সেই রিমেকের গান
এই শ্রাবন ধুয়ে ফেলুক এই রাস্তা ধুলো।

কাদের পতাকা

কাদের পতাকা
.............. ঋষি
=============================================

ক্ষীণ পার্থক্য পতাকা ও অন্তর্বাসে
পুলিশ ফাঁড়ির মিসিং স্কোয়ার্ডে  দাঁড়িয়ে আছি।
এই মাত্র হারিয়ে যাওয়া মানবিকতাকে খুঁজতে এসেছি
হারিয়ে গেছে সভ্যতা।
পায়ের তলার মাটিতে ঘুন ধরা মনুষত্ব
অবাক হচ্ছি পুলিশের ভেকে পার্টির পতাকা দেখে।

কোন পার্টি
বাংলা ,ইংরাজি ,ফরাসী ,জীবিত ,মৃত ,,,,কোন পার্টি আপনারা।
আমরা মানুষ পার্টি
যাদের স্ত্রী ,মেয়ে অবকাশে  লাঞ্চিত হয় সমাজের কাছে।
যাদের বাড়িতে যে কোনো সময় বোমা পড়তে পারে অবহেলে
যাদের জীবিত থাকা মানে অন্য পার্টির চাপ।
যারা হাঁটার জন্য কর পরিশোধ করে হেঁটে বেড়ায়।
যাদের ভোটার তালিকায় লেখা থাকে নেমকহারাম নাম।
এটা কি হচ্ছে
কি হচ্ছে এটা ?
প্লিস মাথা গরম করবেন না
আপনাকে তো বাঁচতে হবে।

ক্ষীণ পার্থক্য পতাকা ও অন্তর্বাসে
লোমকূপে জমতে থাকা বিরক্তিকর শেউলার দেশে।
মানবিকতা হারানো তো পাপ না ,পাপ হলো বাঁচার রক্তে
পাপ হলো সমাজ ,মুক্তি , রাষ্ট্র ,দেশ বলাতে।
যে দেশে বাস করা মানুষগুলো নিজের হলো না
তাদের আবার পতাকা।
.
(এই কবিতা নিতান্ত আমার ভাবনার প্রতিফলন  ,দয়া করে কেউ আহত হবেন না )

নিজের মৃত্যুকে

নিজের মৃত্যুকে
.................... ঋষি
===============================================
আচমকা ভেজানো সেই বাহারি বৃষ্টি
তোকে বৃষ্টি বলে ডেকেছিলাম।
নিস্তব্ধ চোখের পাতায় ঘুম ,ঘুম কেমন এক আনমনা আদর
তোকে আমি আদর বলে ডেকেছিলাম।
ভিজে গেছে সময়ের মাটিতে জমানো কঙ্কাল
আরো নিচে
যখন আমি মৃত্যু কে ভালোবেসেছিলাম।

মৃত্যু
সেই শব্দের সাথে পরিচয় তখব বোধহয় ক্লাস ফাইভ।
আচমকা ব্রেক মেরে লড়িটা থামলো
আমি অবাক চোখে দেখলাম পৃথিবী ,,আলো।
তারপর কতবার অন্ধকারে মৃত্যু এসেছে আমার কাছে
আমার বন্ধু অনির্বানের সেই রেলে কাটা শরীরটা।
আমি আজও দেখি অবচেতনে
দেখি তোমাকে, তুমি দাঁড়িয়ে দুহাত বাড়িয়ে
আমার দিকে।
ঘুম ভেঙ্গে যায় ,চমকে উঠে দেখি
শরীরে তোমার গন্ধ।

আচমকা চমকে ওঠা জীবন দেখে
তোমাকে  বোধ হয় একটু আন্ডার এস্টিমেট করেছিলাম।
আমি হাসছিলাম রাবনের মতন দশ হাতে
আমি হাঁটছিলাম জীবনে বোধ হয় কুড়ি পায়ে।
তারপর আরো নিচে
তোর নাভিতে ফুটে উঠলো জলপদ্ম
আমি অবাক হয়ে আবারও  মৃত্যু দেখলাম। 

Wednesday, October 7, 2015

জানিস হৃদয়

জানিস হৃদয়
............... ঋষি
=====================================
জানিস হৃদয়
এই যে আমার কলমে দৈনন্দিন রক্তপাত।
এটা যন্ত্রণা
আমার কাছে মৃত্যু  এসেছিল আজ  রাতে।
কোনো দুর্ঘটনা নয়
অনেকটা আমার প্রিয় একাকিত্বের মতো।

হৃদয় তোকে বলি নি আমি
ভালোবেসেছি হয়তো বা জীবনকে বহুবার।
কিন্তু তোকে ভালবাসতে পারি নি কোনদিন
কেন জানিস।
আকাশের পরিযায়ীর কোনো খাঁচা থাকে না
যেমন থাকে না জন্ম মৃত্যুর পর।
আর খাঁচা ছাড়া ভালবাসা যায় না
আর বন্ধন ছাড়া মুক্তি থাকে না।
আপন হিয়ায়
গভীরে শুধু যন্ত্রণা।

জানিস হৃদয়
এই যে আমার কলমে রোজ প্রতিবাদ ধরা পরে।
এটা বেঁচে থাকা
আমার কাছে জীবন এসেছিল একবার।
কোনো কল্পনা নয়
কিন্তু আমি তাকে ভালবাসতে পারি নি।

প্রেমিকের ডাইরি

তোমাকে নিয়ে লিখতে বসলে ইদানিং  বৃষ্টির রেইনকোট, পুরনো ডাইরি আর গীতবিতানের ভালোবাসা লিখে ফেলি,  লিখে ফেলি একটা আনত চোখ, সমুদ্র মোরা ভারতবর্ষ ...