Sunday, January 31, 2021

জিন্দেগী ক্যাইসি এক পেহেলি হ্যা

 



জিন্দেগী ক্যাইসি এক পেহেলি হ্যা 

.... ঋষি 


ছেলেটা হঠাৎ ফুটপাথে দাঁড়িয়ে মেয়েটার উদ্দেশ্যে বলে 

রেহেনা হ্যা তেরে দিলমে ,

আশ্চর্য ! রাস্তার পথচলতি লোকগুলো অবাক হয় 

 ছেলে ,মেয়েটার দিকে অদ্ভুত চোখে তাকায়। 

একজন বৃদ্ধ পাশ দিয়ে যেতে যেতে ছেলেটার উদ্দেশ্যে বলে 

দিলমে ,টিলমে বুঝি না বাবা 

শুধু বুঝি এই জীবন পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যস্ততম রাস্তার নাম। 

.

মেয়েটা ছেলেটার দিকে তাকায় বটে 

তবে সে চোখে কোনো যন্ত্রনা ছিল না ,ছিল না ভালোবাসার ঘর 

শুধু একটা পাখি ছেলেটার মাথায় হাগু করে দেয় ,

মেয়েটা হাসে 

তারপর বেশ ফিল্মি পোসে বলে 

ইশ দুনিয়ামে ওহি জিতে হ্যা জিসকে পাস্ নাম হ্যা ,পয়সা হ্যা 

তুম্হারে পাস্ ক্যা হ্যা ?

.

ছেলেটা ভ্যাবলার মতো তাকায় মেয়েটার দিকে ,

একজন আটাশ বছর সংসারী মধ্যবয়স্কা মহিলা ছেলেটাকে বলে 

বাবা সারাজীবন ধরে বুঝতে পারলাম না  এই দিল ,টিল 

আঠারো বছরে বিয়ে হলো ,চব্বিশে দুই বাচ্চার মা 

তারপর ওই লোকটার সাথে হেসে ,খেলে ,ঝগড়ায় কেটে গেলো এতগুলো বছর। 

ছেলেটা মাথা চুলকালো 

তারপর আবার হঠাৎ চিৎকার করে বললো 

আতি হ্যাঁ ক্যা খণ্ডালে ?

মেয়েটা এইবার বেশ চনমনে হয়ে উঠলো 

বুঝলো ছেলেটা সময় হয়ে উঠেছে। 

.

এর  কিছুদিন পরে আবার সেই ছেলেটা রাস্তায় দাঁড়িয়ে 

অপেক্ষা করছিল অফিসে যাওয়ার বাসটার জন্য ,

সে হঠাৎ বাসস্ট্যান্ডের একপাশে দেখলো সেই মেয়েটাকে 

 তার হাত ধরে রয়েছে একটা বাচ্চা ,

ছেলেটা এগিয়ে গেলো মেয়েটার দিকে 

বললো পুরনো আগের বাসটা কি চলে গেছে ?

মেয়েটা বেশ  গম্ভীর মহিলার কণ্ঠে বললো

ইশ রাস্তেকা সভি লাইনে অভি ব্যস্ত হ্যা। 

স্কুল বাস এলো মেয়েটা বাচ্চাটাকে বসে তুলে চলে গেলো। 

.

এইবার আমি বলি 

এগুলো কিছু মুহূর্ত ছিল ,এগুলো জীবনের টুকরো 

জীবন এমন হয় না 

কিউ কি 

জিন্দেগী ক্যাইসি এক পেহেলি হ্যা 

কভি তো হাসায়ে ,কভি তো রুলায়ে।   


পরিযায়ী

 


পরিযায়ী 

.... ঋষি 


কেউই একাকী একটি পরিত্যক্ত নিয়ম  নয়;

প্রত্যেকে  মানুষ,

সময়ের একটি অংশ ,কিংবা একটা সমগ্র উপন্যাস 

কোনোদিন কোন মানুষের জীবন হতে পারে না ,

হতে পারে মুহূর্তের ভিড় 

কিংবা একলা সময়। 

.

এক খন্ড চরাচর যখন সমুদ্রের জলে ভেঙে পরে 

ধুস জীবন শেষ হয় নাকি 

হয়তো একটা এলাকা হারিয়ে যায় কিংবা অধিকার। 

আসলে মৃত্যুর থেকে বড় পরিচয় আর জন্মের থেকে গভীর শিক্ষা 

ঈশ্বরের ছিল না কোনোদিন 

ঈশ্বরের শুধু আছে দুটো বিশাল বড় চোখ। 

.

ফিরে আসি মাটিতে এবার 

ফিরে আসি তোমার বুকের গভীরে শুয়ে থাকা মানুষের দুঃখে চলন্তিকা ,

দুঃখ শব্দটা আসলে ভাবনার মুহূর্ত 

মুহূর্ত ফুরিয়ে যায় ,

ভাবনার আঙিনায় কয়েকটা চড়াই বসে খুঁটে খায় 

ঠিক সেটাই জীবন।

তুমি তাকিয়ে দেখো দূরে চিনতে পারবে এই গ্রহে প্রতিটা মানুষ দুঃখী 

তুমি ভেবে দেখো সুদূর সুমেরি থেকে পাখিগুলো প্রতিবারে আসে নিয়ম করে 

সাথেআনে বরফে মোড়া দুঃখ ,

বরফ গলে যায় ,সময় প্রথাগত নিয়মে মলম লাগাই 

প্রত্যেকেই বাঁচে 

শুধু হয়তো বাঁচার পরিচয়টা বদলে যায়।   


অনির্বাণ

 


অনির্বাণ 

... ঋষি 


ঠিক কতটা তোমায় ভালোবাসি 

দৈর্ঘ্য ,প্রস্থ ,উচ্চতায় মুখ ঢাকা পাহাড়ের মতো 

না না এতো ছোট না 

বরং  সাতভাগ নীল গভীর জলরাশি ঢুকে আছে তোমাকে ভালোবাসায় ,

কয়েকশো  শহর,গ্রাম ,জেলা  ছোট হয়ে যায় তোমাকে ভালোবাসায় 

মরুভূমির তৃষ্ণা ছোট মনে হয়। 

.

ঠিক কতটা তোমায় ভালোবাসি 

না পুরুষ হিসেবে না ,না নারী হিসেবে না ,না না কোনো ঈশ্বর না 

ঠিক  পশুদের মতো আমি তোমায় ভালোবাসি। 

তোমাকে  ভালোবাসার কাছে আকাশের পরিধি ছোট মনে 

ছোট মনে হয় নিজেকে 

ইশ আরেকটু বেশি যদি আমি বাঁচতে পারতাম। 

.

আমি তোমায় ভালোবাসি শৈশবের ভরসায় ,বার্ধক্যের ঠিকানায় 

না না কোনো মুখোশের আড়ালে না 

কোনো উঁচুতলার মাকানের  উপর থেকে ঝাঁপ দিয়ে পাখির মতো আমি নেমে আসি 

তোমাকে ভালোবাসি তাই। 

সমস্ত সততার কাছে ,সমস্ত ধৈর্যের কাছে ,সমাজের হিসেবের কাছে 

আমি বাজি ধরি 

তোমাকে ভালোবাসি তাই। 

ধর্ম বলবো না 

ঈশ্বর বলবো না 

সময় বলবো না 

কারণ এগুলো অভ্যেসের মতো বদলায় 

বরং আগুনে পা দিয়ে তোমায় ভালোবাসতে চাই। 

.

ঠিক কতটা জানি না 

শুধু জানি এই জন্ম শুধু তোমাকে ভালোবাসায় চলন্তিকা 

আগামীর মৃত্যু  তোমাকে ভালোবাসার জন্য  ,

আর কিছু না 

এক তো তোমাকে ভালোবেসে আমি পাগল হতে চাই 

কিংবা চাই আমি মোর যাই। 

   

Friday, January 29, 2021

তোমার কবিতা



তোমার কবিতা
.. ঋষি 

অনবদ্য প্রেমের ভাষায় কবিতা লিখবো 
অনবদ্য সময়ের গানে কবিতা লিখবো 
একটা কবিতা লিখবো শুধু তোমার জন্য। 
.
তোমার প্রতিটা কথায় কবিতা লিখবো 
তোমার কন্ঠস্বরের কবিতা লিখবো 
একটা কবিতা শুধু তোমার জন্য লিখে যেতে চাই। 
.
প্রতিটা প্রথম দেখায় আমি কবিতা লিখবো 
তোমার ভীষন রাগ হলে কবিতা লিখবো, 
একটা কবিতা শুধু তোমার গভীরে লিখতে চাই। 
.
প্রতিটা একলা রাতে তোমায় ছাড়া কবিতা লিখবো 
প্রতিটা বৃষ্টি দিনে একলা ফুটপাতে কবিতা লিখবো 
একটা কবিতা তোমায় জুড়ে শহর লিখতে চাই। 
.
প্রতিটা মনখারাপে কবিতা লিখবো 
প্রতিটা সংগমে তোমায় নিয়ে কবিতা লিখবো 
একটা কবিতা শুধু তোমার গভীরে আমি লিখতে চাই।
.
প্রতিটা দিন, মুহুর্তে আমি কবিতা 
প্রতিটা রাতের আকাশে আমি কবিতা লিখবো 
একটা কবিতা তোমায় ভালোবেসে আমি লিখতে চাই।  



সাঁজবাতি

সাঁজবাতি 
... ঋষি 
.
খুনি ইতিহাস লিখবো না
লিখবো না আইভরি রঙের স্বপ্নে দিন গোনা, 
গতকাল ছিল যেখানে, সেখানে কথা ছিল না ব্যর্থ রিংটোনে 
আজ হয়তো কথা হবে, কিন্তু বয়সের আতরে আরেকটু এগিয়ে আমরা।
চলন্তিকা হৃদয় জানে 
তুমি নীরার শহরে একলা সুবিনয়। 
.
শহরে তেমন আর ঘাস নেই 
রাস্তার ধারে জংলায় শুয়ে থাকে আদিম ইচ্ছা,
এশহরে মন পাওয়া কঠিন 
তবুও এ শহরের ধুলো আবর্জনা সরিয়ে উঠে আসে দুজোড়া পা, 
এ শহরে আকাশ নেই জানি 
তবু সাঁজবাতি নিভে গেকে ছাদের উপর দুষিত আকাশ থাকে। 
.
ওরা পাশাপাশি হাঁটে 
সময়ের শহরে হেসে ওঠে গড়েরমাঠ, বসন্ত আসে, 
ওরা পাশাপাশি পার্কের বেঞ্চে বসে 
শহরের গভীরে সপ্নরা হাজার রঙের তুলিতে জীবন হাসে, 
ওরা কথা বলে
কথা বলে শহরের জনঅরণ্যে গৃহস্থের কিছু স্বপ্ন রোগ। 
কিভাবে সময় ফুরিয়ে যায় 
ভালোবাসা ভাষা পায় গঙ্গা  নদীর জলে, 
এ শহরে বিষাদ আছে, আছে নদী তাই 
ভালো আছি, নিজেকে মিথ্যে বুঝিয়েও ওরা ভালো থাকে 
ভালোবেসে যায় অদ্ভুত সম্মোহনে। 

Thursday, January 28, 2021

একটা মৃত্যুর কবিতা

 



একটা মৃত্যুর কবিতা 

... ঋষি 


কতটা সরাতে পারিস আমাকে 

ঠেলতে ঠেলতে পাহাড় থেকে একদিন ফেলে দিতে পারিস 

কিংবা ভাঙতে পারি হাতের চুড়ির মতো টুকরো টুকরো করে ,

হাসতে হাসতে ছুড়ি বসাতে পারিস আমার বুকে ?

কিন্তু আমার ভাবনা হলো 

তুই ভালো থাকবি তো ?

.

কতটা একলা হতে পারিস  তুই ?

আমার মতো একটা শহরকে কেন্দ্র করে তুই ফেলতে পারিস দীর্ঘশ্বাস,

আমার মতো ৩৬ তলার ছাদে দাঁড়িয়ে চিৎকার করতে পারিস 

ক্ষুদার্থ ভিখিরীর মতো দাঁড়াতে পারিস এই শহরের অলিতে গলিতে ?

কিন্তু আমার ভাবনা হলো 

আমার ভালোবাসা তোকে একা না করে। 

.

আমি জানি সম্পর্ক একটা শিরদাঁড়ার মতো 

তাকে বেঁকানো যায় ঘাড়ের মতো ,তাকে নিচু করা যায় 

কষ্ট দেওয়া যেতে পারে 

কিন্তু জেদ করে দূরে ছুঁড়ে ফেলাটা একটা বোকামি। 

এখন প্রশ্ন হলো আমি কেমন আছি  ?

প্রশ্ন হলো তুই কেমন আছিস ?

আমি হাসছি দেখ পাগলের মতো তোর দিকে তাকিয়ে 

আমি  কাঁদছি দেখ তোর গভীরে শুয়ে থাকা ক্ষোভ আর আতঙ্কে 

কিন্তু তুই কি করছিস ?

বিরক্ত হচ্ছিস 

আরো একা  হচ্ছিস

ঠেলছিস ,ঠেলে ফেলতে চাইছিস আমাকে  স্বপ্নের পাহাড়ের চুড়ো থেকে  

ফিরে যাচ্ছিস শহর থেকে দূরে সাজানো পৃথিবীতে। 

আমি সুখী তাও 

কারণ আমি মিথ্যে বলিনি কোনদিন তোকে

আমার বুকের বাগান সাজানো তেরো হাজার আটশো সত্তর দিন শুধু সংখ্যা নয় 

তোর ভুলে যাওয়া সেই ভাঙা কাঁচের চুড়ির টুকরো  নয় 

বরং তোর হাতের ছুড়ির ডগায় লেগে থাকা আমার রক্ত।  

 


Wednesday, January 27, 2021

ঈশ্বরী স্পর্শ




ঈশ্বরী স্পর্শ 
... ঋষি 
.
তোমার জরায়ুর আড়ালে তুমি সমাজ হয়ে গেলে 
 দখল হয়ে গেলো তোমার পরিচয় 
নারীঘটিত অভিধানে ঋতু  শব্দটা কেটে দিয়েছি আজ দিয়েছি বহুযুগ 
ধ্বংস নিকোটিনের মতো আমি সিগারেটের ফিল্টারে।    
তুমি আমার এক একলা ঈশ্বরী 
তোমার নাভি এক পুরনো ব্যাবিলনের মত আশ্চর্য । 
.
আমাদের পোষা ফ্রেমে আর  জমা করা যাচ্ছেনা বর্তমান 
কারা যেন মাতাল হয়ে  ফেলে গেছে বিশ্বাস আর ভালোবাসা, 
কোলে করে নিয়ে বসে আছি তোমাকে
তোমার জরায়ুমুখে ব্যবিলন আমাকে একলা করে যাচ্ছে প্রাচীন সভ্যতায়,
অথচ আগুন  ফুরিয়ে যাচ্ছে
 আমি বিভীষিকা হয়ে জেগে আছি প্রতি রাতে ।
.
তোমার উত্তরনে  আমার জন্য কবিতা লেখা নেই
আমি সময় নই
আমি খুনী নই
আমি আগুন নক্ষত্রের প্রকৃতি,।
আমি মাথা নিচু করে থাকা এক সমাজ
আমি মাথা নিচু করে লিখতে  থাকা এক কবি
যে তোমায় ঈশ্বরী করে চলন্তিকা ছুঁয়ে যায়। 
তোমার কাছে আছে তোমার পরিচয়
তোমার  নাভিতে ঘটে যাচ্ছে ক্রমাগত দিনবদলের গল্প,
 কৃষি বিপ্লব দমবন্ধ করে মরছে 
অথচ তোমার  ঘামে জড়িয়ে যায় আমার জিভ একলা শীতে। 
আমার  পেটে লাথি দিয়ে রোপণ করা বীজগাণিতিক  স্লোগানে
সমাজ কমছে ক্রমশ 
বাড়ছে আমার বিশ্বাস ঈশ্বরী স্পর্শের জন্য। 

ম্যাও



ম্যাও 
.. ঋষি 
অনাগত উপাস্থাপনা
হাঁপিয়ে উঠছে বুকের ঘড়িতে সময়ের কাঁটা, 
বিড়াল খুঁজছে সোহাগী এক্সরে
মাছের গন্ধ, সোহাগী কম্বল, তোমার উষ্ণতা আমার শহরে দিনরাত, 
ভীড় কমছে না 
চিৎকার প্রথাগত দরজায় নিভৃতে বুকের জমি। 
.
একদিন দরজা ভাঙবো বলে "শ " খুঁজি 
"দ" হয়ে ঘুমিয়ে থাকি আমি তোমার বুকে পিঠে 
আজকাল ঘেঁটে গিয়ে " ব "  বলি, 
তবু পুর্নগঠনের  ভুমিকায় শহরের আসমান জমি টুকরো 
সত্যি বলাটা অভিশাপের 
তোমার শাড়ির সুতোতে কেন জানি আমি জেদ হয়ে জমে থাকি। 
.
কি যে হচ্ছে? 
ডাকটিকিটের ভিতর ঈশপের কাক বসে, 
গ্রেফতার এড়িয়ে চুরি যাওয়া গরুগুলো ওপার বাংলায়, 
বুকের ভিতর বেড়াল বসে ডাকছে 
ম্যাও। 
দুধ সরোবর বিক্রি হচ্ছে আজকাল মুদির দোকানে
তোমার পাড়ায়
আর আমার পাড়ায় দুধ কেটে গেছে অসময়ে, 
আগে ছিল খাল, খনন, সেজদপ্তর
এখন জানলা দিয়ে নদী চুরি হয়ে রমনীর ভুমিকায়। 
আমি রমন বলি নি
রমণ বলতে সবাই বোঝে  বিড়াল আর বিড়ালের গোঁফ
আর 
আমি বলছি ম্যাও
জানি তুমি বুঝতে পারছো শীতের বিছানা আর কম্বল। 

আগুনের ছেঁকা

 


আগুনের ছেঁকা 

.... ঋষি 



তোমার চোখে মুখে পান করছি  ঈশ্বর

পালিয়ে যাওয়ার জায়গা নেই।পিঁপড়েরা ঘুরছে মাথার ভিতরও ।

হুল ফোঁটাচ্ছে, 

শহরে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানুষের ভালোবাসার খেলা  

প্রতারণায় লেখা হচ্ছে ওয়েব সিরিজ 

মানুষ দেখছে। ক্রমশ অবিশ্বাসী হয়ে উঠছে। 


কে যে নিঃস্ব করে দিয়েছে তোমায় চলন্তিকা 

আমি ফাঁকা রাস্তায় দাঁড়িয়ে দূরে চোখ রেখে দেখি মাইলস্টোন তুমি 

অদ্ভুত 

অথচ আজকের সভ্যতায় কেউ বাবা হতে চায় না 

সকলে আদর ,আহ্লাদে ,ফুর্তিতে ভীষণ মজা 

তাই খুব কম লোক আজকাল পুরুষের স্প্যামে মায়ের গন্ধ পায়। 

.

আমার এই কবিতা নিঃস্ব করছে আমাকে 

ছিঁচকে চোরের মতো সময় দাঁড়িয়ে আছে তোমার বারান্দার নিচে ,

তোমার সংসারে আজও প্রজাপতিদের ভিড় 

কারণ তোমার গায়ে যে আজও মা- মা গন্ধ। 

জল নড়ে, পাতা সবুজ 

যার যত খিদে সে তত অপেক্ষায় 

সবার চাই কাঙ্খিত রঙ,রঙিন সভ্যতার মোড়কে রংবাহারি স্ট্যান্ডার্ড। 

.

কান্নার কবিতা লিখছি না আমি 

তোমাকে বারংবার বোঝাতে চেষ্টা করছি ভালোবাসা একটা সরলরেখা 

সে তুমি যেমন করে দেখো না কেন 

সেখানে দুজন থাকে দুই প্রান্তে দুই বিন্দুতে। 

আর অবহেলা, না হে জীবন তুমি কি বদলাবে আমাকে 

আমি ঈশ্বরের দরজা খুলে আজ দাঁড়িয়ে আছি পাঁচিলের উপরে 

আমার দুপাশে আগুন তাতে কি ?

শুধু ভাবনা এটা তোমার কপালে চলন্তিকা আজও আগুনের ছাপ 

আর আমার চলার দূরত্বে শুধুই আগুনের ছেঁকা। 

অক্সিজেনের কবিতা

 


অক্সিজেনের কবিতা 

... ঋষি 


দূরে তাকিয়ে আছি 

ওপাড়ার হলুদ ট্যাক্সিগুলো আজকাল ওলা ,উবেরে মরেছে 

পাশে বসে ডিমে তা দিচ্ছে মুদির দোকানের অমিত 

কারণ ডিম্ থেকে মুরগি 

না সাধারণ থেকে শপিং মল ,

মশাই আজকাল বাঘের ডিমের সাথে মানুষেরটা ফ্রী থাকে  শপিং অনলাইনে। 

.

চায়ের দোকানের ববিন দা 

আর দোকানের সামনে সেই লালু,ভুলু 

কুকুরগুলো মরে না কিছুতেই ,কারণ কখন যে রং বদলায় 

কিন্তু কুকুরগুলো ডাকতে ভুলে গেছে ,

রবিন দাকে বলতে শুনি প্রায় ধুর ধুর চা ওমলেট নয় 

যদি কিছু পয়সা থাকতো পিৎজার বিছানা কিনতাম। 

.

সব বদলাচ্ছে 

বদলাচ্ছে পৃথিবী নামক গোলকটার উপর মানুষের বেঁচে থাকার বাসনা ,

বাক্সবন্দী জীবন 

মুভির থেকে রেস্টুরেন্ট সব যে হাতের গলিতে,

কিন্তু আমার পাড়ার গলিটা 

আজকাল বড় দুঃখী হয়ে যাচ্ছে। 

দুঃখী হয়ে যাচ্ছে পাড়ার সামনের মাঠের বিকেলের শৈশব 

আড়ালে আবডালে শুনি 

খেলাধুলা করে কিছু হয় না 

বরং নাচের স্কুল ,ড্রয়িং ক্লাস আর মোবাইল গেমে 

নাকি পৃথিবী বদলাচ্ছে। 

.

আমি দূরে তাকিয়ে আছি 

এটা ২০২১ না ৪০৪৫ সাল যেখানে মানুষগুলো সব মেশিন ,

আমি বেঁচে আছি ,কারণ আমার কবিতা 

আপনারা নেই 

কারণ গ্লোবালাইজেশন। 

যেখানে সেক্স থেকে প্রেমিকা সব সস্তায় পাওয়া যায় অনলাইনে 

যেখানে রবিঠাকুর থেকে কোরিনাকাপুর সবাইকে পাবেন 

পাবেন খেলার মাঠ ,সকালের সূর্য ওঠা দেখতে পাবেন যান্ত্রিক হাতের ছোঁয়ায় 

যেখানে সন্তান জন্মাবে সাইন্সের ল্যাবে আপনার চাহিদা মত 

যেখানে সম্পর্ককে পাবেন ধাতব শব্দে আরো আধুনিকতায় সুইচের অন অফে। 

আপনারা সব ভীষণ স্বাধীন সবাই সেখানে  

শুধু দুঃখ এই আর কি 

অক্সিজেন 

না অক্সিজেন পাবেন না মশাই ,

পাবেন না কোনো সৃষ্টি ,কোনো চমক ,কোনো স্পর্শ। 

মেশিনের পৃথিবীতে তখন হয়তো আমার এই কবিতা পাবেন অনলাইনে 

কিন্তু চলন্তিকাকে বুঝবেন না 

কারণ আপনাদের সব লোভগুলো তখন আধুনিক 

কিন্তু সাধারণ নয়।  


ভাষান্তরে

 



ভাষান্তরে 

... ঋষি 


উজ্জ্বল ঝকঝকে লাইব্রেরির দরজা খুলে বেরিয়ে আসি  

সামনে বর্ণমালার দুংখী মুখ ,

কি ব্যাপার 

ব্যাপার কিছুই না বাংলা জড়িয়ে ইংরেজি 

যেন কপোতকপোতি 

আমার বাংলা আমার হোক। 

.

একটা স্লোগান লিখতে হবে 

জনগণের বুকে দেওয়ালা বাংলা বর্ণমালাগুলো হারিয়ে যাওয়া বৃদ্ধ

প্যাসানেট ইয়ং জেনারেশন 

হাংরি আন্দোলন 

মামা শব্দটা যে মায়ের গোত্রন্তর হবে 

বাবা হওয়ার আগে ভাবাই হয় নি। 

.

সমস্বরে একটা প্রয়োজন 

বাংলা ফুরিয়ে একটা লজ্জা লিখে চলছে প্রজন্মের পাখিগুলো 

ওদের আকাশে তানসেনের সুর নেই 

নেই রবি ঠাকুরের কবিতা ,জীবানন্দের মৃত্যু ,সুনীলের নীরা 

আর 

আমার চলন্তিকা ,

ধুস ধুস ইংরেজি করে বাংলা লেখা ফোনেটিক 

কাল যদি বাংলা বদলে বিদেশ হয়ে যায়। 

বুঝলি বর্ণমালা 

মানুষের শোক লুকিয়ে থাকে দিনান্তের গৃহস্তের হাঁড়িতে 

সেখানে মহিলাদের বাসের সিট্ থাকে 

কিন্তু তোর অবস্থা বড়ো করুন 

আজকাল বিজ্ঞাপনে মানুষকে মনে করাতে হয় 

বাংলা আমার মা 

আর সময় আমাদের ভাষান্তরে।  


Monday, January 25, 2021

অপাঠ্য



অপাঠ্য 
.. ঋষি 
.
এই প্রাপ্তিতে বুক পুড়ে যায় 
ঠিক বলে চলন্তিকা আমি মাটিতে পা দিয়ে হাঁটিনি 
শুধু শুয়ে রয়েছি রক্তের বিছানায় আজ বহুদিন। 
চলন্তিকা জানো আমি চিরকাল
 সময়ের ঠিকানায় অভিশপ্ত চিতাকাঠ হয়ে আড়ালে থেকে গেছি 
শুধু বোকা একটা  মানুষ হয়ে  ছায়ায় বেঁচেছি এতদিন। 

.
কল্পনায় জিলিপি খাবো বলে 
ভাবনার যোগফল 
আমি জানি, আমি তোমার মত বিষাক্ত  হতে পারবো না, 
বুকের দেওয়ালে লিখতে পারবো মৃত্যু তিলে তিলে 
ভালোবাসাকে মন্দবাসার খেতাবে 
বিলাসী করতে পারবো না। 
.
পারবো না আখমল কে মেরে সত্যি সত্যি তোমার বুকে লিখতে
আমি বেঁচে,
পারবো না তোমার সময়ের  সন্তানের পিতা হয়ে এই পৃথিবীকে বলতে 
ভালো আছি.।
শুধু দিন কেটে যাবে 
কেটে যাবে সস্তার জীবন বস্তার বিছানায় শুয়ে রোজকার গুঁমুতে, 
শুধু দিনকেটে যাবে 
কুকুরের মতো সকলের অধিক বিস্কুটে।
অপেক্ষা আর অপেক্ষা, 
শব্দের শহরে সময় শব্দটা মরিচীকার মতো বড় অসহায় আর একলা,
অপেক্ষা শব্দটা আমার প্রেমিকার বুকে কালো তিল, 
আর দুর্বলতা আমি জানি 
তুমি আমাকে ভালোবাসবে চিরকাল চলন্তিকা
কিন্তু প্রকাশ্যে এই কবিতা কোনদিন পাঠ হবে না। 


রামায়ণ

রামায়ণ 
.. ঋষি 
বারো পিছিয়ে শুরু করি 
কিংবা দু পা এগিয়ে শুরু করি, 
আমি ভালো নেই লিখতে আজকাল কাউকে প্রয়োজন নেই, 
দেশ, সময়, ভাবনা, পরিধি কেউ না 
এমন কি চলন্তিকা তুমিও না
প্রতিটি  পথ চলা আজকাল মনে হয় আটত্রিশ পা পিছিয়ে শুরু করি। 
.
আমি ভালো নেই 
কোন ম্যাজিক ডিকসানারির ভিতর ভাঙাচোরা অনেকগুলো আসবাব, 
সাধারণ গৃহস্থের হাঁড়িতে দেশ শুয়ে ছেঁড়া শাড়িতে, 
রোজকার জীবনযাপন, বিলাদ ব্যাসন 
না সমুদ্র কোথাও নেই, শুধু প্লাস্টিক জমে গেছে ভাবনার পুকুরে 
নোংরা জলে আজকাল শহর শুয়ে থাকে নর্দমায়। 
.
চলন্তিকা তুমি বলো বারো বছর, এক যুগ প্রায় 
আমি পাথরের ভাস্কর্যে হৃদয় লুকিয়ে কবিতা লিখে যাবো, 
অযোধ্যার মানুষগুলো সব রাক্ষস সেজে এই শহরের শাসন সামলাবে 
সামলাবে মন্দির, মসজিদ, গীর্জায় বিবাহিত সমাজ।
আর আমার দেশ সাদা শাড়িতে প্রতিদিন পথ চলতে আরও একলা হবে 
বুঝলে চলন্তিকা ভালো হবে 
যদি আমি মরে যাই 
হয়তো বা রামায়ণ  আরেকবার লেখা হবে। 
লেখা হবে ভালো থাকা 
কিন্তু আজ আমি কি লিখতে পারি 
একটা মৃত দেশের নাগরিক যখন গনতন্ত্র খোঁজে 
তখন জনতার ঘরে সুইসব্যাংকে ঘুমিয়ে থাকে তোমার মুখ 
চলন্তিকা আমি জানি তুমিও হাঁপিয়ে উঠছো আজকাল 
আলতা পায়ে সাদা শাড়ি পড়তে। 

Sunday, January 24, 2021

একলা সাঁকো



একলা সাঁকো
... ঋষি 
তোমার বুকে পারাবারের সাঁকো 
তৃনভুমি, নির্ভিক,নির্ভরশীল 
 অথচ ভীরু দুটো চোখ আমার বুকের পাঁজরে ঘর করে। 
এই শীতে টাটকা সব্জির মতো 
একটা সময় হঠাৎ বিন্দুতে দাঁড়িয়ে জীবনের জ্যামিতি খোঁজে
আমি এঁকে ফেলি বৃত্ত, তারপর আমার শীতকাল। 
.
তোমার বুকে পারাবারের সাঁকো 
আমি হেঁটে চলি সীমারেখা ধরে
পিছনে এ টি এম,রাস্তার বিজ্ঞাপন, ড্রয়িং খাতায় আঁকা শহর 
অন্ধকার, দিন, আকাশের চাঁদ, খিদের ভাত, 
অনর্থক জীবনের রুমালে লিখে ফেলা স্বপ্নরা আকাশ খোঁজে 
আমি পরিযায়ী আমার একলা শহরে। 
.
তোমার বুকে পারাবারের সাঁকো 
আমি দাঁড়িয়ে নদীর দুধারে মানুষের জনবসতি, 
ল্যাপটপের স্কিনে রং ছড়ানো সব সময়ের মুখ, ছোট ছোট ফোল্ডার 
তারপর ঘুম ভেঙে যায় তোমার চিলেকোঠায় 
আমার জন্মের সাথে, তোমার মুখ। 
বেশ লাগে
হেঁটে যাওয়া অগুনতি পৃথিবীর মানচিত্র ছেড়ে দূরে
সময়ের ঘোরে 
অদৃশ্য  পৃথিবীর আঁতুড়ঘরে ভাবনারা শুধুমাত্র একলা 
আর ভাবনার জন্মরা শুধুই একলা সাঁকোয়। 

বাউল




বাউল 
.. ঋষি 

কিচ্ছু ভুল নয় 
এই সব পাগলামি লেগে আছে আমার চোখেমুখে,  শব্দের সুখে
একটা উঁচু পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়ে  আমি দেখি 
বর্ণের বৃষ্টি  এসেছে, ওরা জুড়ে গিয়ে শব্দ 
তার পর বাক্য 
তার পর কবিতা 
আমি সম্পুর্ন, অসামাজিক, বাউলের সংসার। 
.
তুমি অদ্ভুত ভাবে শুনলে 
গম্ভীর ডাক্টারের মতো আমার বুক চিঁড়ে  তুলে নিচ্ছ আমার হৃদপিন্ড,
আমি মানুষ হতে চাই না চলন্তিকা 
আমি চিৎকার করছি, তুমি কবিতায় চলে এসো, 
একটা সংসার, বাউলের গান, খ্যেপার দাঁড়িপাল্লা 
আর একলা সড়ক। 
.
সব খাঁচা ফাঁকা হয়ে যায় 
আকাশ পাখিকে খুঁজে নেয়, পাখি খোঁজে ডানা
আমি খুঁজি তোমায় চলন্তিকা
আর শব্দদের আদর করি, তোমাকে জড়াবো বলে। 
কিচ্ছু ভুল না
শব্দের দরজায় দাঁড়িয়ে আমি মুছে ফেলছি সব সম্পর্ক 
আস্তে আস্তে তোমার দরজায় ভিখিরি আমি 
তুমি কবিতা হয়ে যাও 
আমি তবে প্রেমিক, কবি এবং পাগল।

গনতন্ত্র আর কালো চশমা



গনতন্ত্র আর কালো চশমা 
... ঋষি 
মানুষের বুকে একটা কালো চশমা থাকা খুব দরকার 
মানুষের চোখে একটা কালো চশমা থাকা খুব দরকার, 
খুব দরকার বুকের পার্টিশানে লোকানো 
আমার সময় 
আমার রাষ্ট্র ,, ভারতবর্ষ, 
লুকিয়ে ফেলো চোখ। 
.
সাধারণতন্ত্র, গনতন্ত্র
মাংসের দোকানে ঝুলতে থাকা আমার ভারতবর্ষের শরীর
কিংবা রাস্তার ফুটপাথে মাত্র তেরোটাকায় বিকোনো 
আমার ভারতবর্ষ। 
গনতন্ত্র যেখানে সময়ের নারীনক্ষত্রে শুয়ে থাকা ১৯৫০ 
সেখানে ২০২১ শে দাঁড়িয়ে আমরা কালো সানগ্লাশ। 
.
তাই তো বলা আমাদের বুকে কালো চশমা 
আর আমাদের চোখে লজ্জা, 
লজ্জা এটা নয় আমরা গনতন্ত্রের জামানায় রাজতন্ত্রে আছি 
লজ্জা এটা নয় আমাদের রাজনীতির পতাকা তিরংগা নয় 
বহুগামী,
লজ্জা এটা 
আমরা কালো রঙের চশমায় সকলেই নাগরিক। 
সকলেই চাইছি বদল, না কোন পার্টি না,কোন অধিকার না
আর সমঝোতা না
একটা মানুষের রাষ্ট্র। 
.
সেই রাষ্ট্র, যেখানে আমাদের কালো চশমাগুলো মিথ্যের দেরাজে থাকুক 
কারন সত্যিকে দেখার জন্য দরকার হয় না রঙিন চোখ, 
গনতন্ত্র আসলে মিউজিয়ামে থাকা রাষ্টের পতাকা না
প্রতিটি  নাগরিকের বুকে একটা স্বাধীন অধিকারের চিনহ
একটা সম্পর্ক দেশ আর মানুষের। 

Saturday, January 23, 2021

পাথরের প্রেম



পাথরের প্রেম 
... ঋষি 
ভালোবাসিস আমায়? 
বিষন্ন পাথর ঠেলতে ঠেলতে আমি বনাম আমরা
গুঁড়ো গুঁড়ো কিছু সম্পর্ক সারা আকাশে। 
প্রশ্ন এটা নই চলন্তিকা সাথে আছিস কিনা কিংবা কতটা জড়িয়ে।
প্রশ্ন এটা 
একলা আকাশে যখন নক্ষত্র পতন হয় 
তখন আমাকে মনে পড়ে কিনা? 
.
প্রশ্ন এটা নয় কতটা কাছে আছিস? 
প্রশ্ন এটা যখন অন্ধকার অনশন সময়ের প্রতিবাদ করে 
যখন আকাশ দিয়ে রক্ত বৃষ্টি হয় 
তুই থাকিস কিনা আমার সাথে, 
একি থালায় মুখ ডুবিয়ে আঁচিয়ে নিস কিনা আমার মতো 
বেঁচে থাকা, মুহুর্ত  আর বুকের জল। 
.
ভালোবাসিস আমায়? 
ক্রমশ অগ্ন্যুৎপাতের লাভা গড়িয়ে  এই সভ্যতায় ম্যাগ্নেশিয়ামের উৎপাত, 
চুপ থাকা যায় না। 
ঠেলে নিয়ে যাচ্ছি নিজেকে হিমঘরে, উষ্ণতার ভিখিরী
কুকুরে মতো লেজ নেড়ে তোর স্তনে খুঁজে পাওয়া জীবনের আবিষ্কার, 
এমিবা থেকে নোনতা জল 
সময়ের দেওয়াল, হেঁটে আসা গ্রন্থির মুখ অন্ধকারে
হঠাৎ  বায়োস্কোপে ফুটে ওঠা প্রিয় প্রেমিকা তুই তখন ব্যাস্ত ভীষণ । 
বিষন্ন পাথর ঠেলতে ঠেলতে 
নিজে কখন পাথর হয়ে যায় 
তারপর উৎসব বিমুখ দিন, অগনতি প্রাচীন সম্পর্কের শব 
জানতে চায় আমার কাছে 
তুই কতটা ভালোবাসিস কিংবা আদৌ কি 
ভালোবাসিস আমায়.?

সময়ের রঙ




সময়ের রঙ
... ঋষি 

এই সব ভাবনার দেওয়াল নয়
চলন্তিকা বলে জীবনটা তোর শব্দের খেলা নয় 
আমি, তুই নই উপন্যাসের চরিত্র। 
সবটুকু আঙুল থেকে ঝরে যাওয়া সময়ের বালি 
ইত্যাদি, প্রভৃতি, যদি, কেন র উপর নির্ভরশীল 
সময় কাটানো। 
.
এই সব শুধু শব্দের হেঁয়ালি 
চলন্তিকা বলে জানি না ভালোবাসার মানে 
আমি, তুই নই সমগোত্রীয় দুটি পা হাঁটি হাঁটি জীবন 
একলা কেটে যা। 
যন্ত্রনা,মন্ত্রনা, খিদে, বেঁচে আছির উপর দাঁড়িয়ে 
অনবরত দিনরাত। 
.
এই সব ভালো লাগা মুহুর্তের ভিড় 
এই সব হলো পায়ে পায়ে জল, তোমার কোমল ছায়া আখরোট ঠোঁট 
এই সব নির্জন কোলাহল, রাস্তার ভান
শরীরের চামড়ায় কেটে চলা রিংটোন বাঁচার প্রমান। 
এই সব সময়ের ঈশারা 
উদাসীন বৃষ্টির জলে বাৎস্যায়ন লেখা মেঘলা আঁচল 
এই সব হারিয়ে যাওয়া, ফিরে আসা
প্রেমিকের চিৎকার, সাইকেলের ভাষা, 
এসব কাজে অকাজে এসরাজের ঢেউ, আগুনে পা
হাঁটি হাঁটি ফিরে যা
জড়ানো মুহুর্ত উপন্যাসের প্রথম পাতা তুমি 
তারপর যখন শেষ, শেষ পাতা 
তুমি। 
.
পুনশ্চ, শব্দের পৃথিবীতে রক্তাক্ত জীবনের পতাকা 
সত্যি বাইনেকুলারে দেখা 
আমাদের উপস্থিতি সময়ে রঙে। 


Thursday, January 21, 2021

ক্রমশ প্রকাশিত

 ক্রমশ প্রকাশিত 

.... ঋষি 


জন্ম মানুষের ভাবনায় গভীর আনন্দের খোঁজ 

আর মৃত্যু পাথরের বিছানায় শুয়ে থাকা সেই আদিমানব 

যার কাছে পৃথিবী অর্থহীন ,

অনবরত রাত হচ্ছে

অনবরত দিন হচ্ছে

দরজা থেকে ফিরে যাচ্ছে দমকা হাওয়ায় লেখা মানুষের অগনতি স্মৃতি 

.

বেড়ে চলা বয়স 

স্ক্যান্ডালে জুড়তে থাকা দেশ বনাম শহর ,

রাজনীতি 

বিষাদের দুনিয়ায় মানুষের অক্ষম বিচার। 

ক্রমশ প্রকাশিত 

আমার গায়ে গন্ডারের চামড়া অন্য মানুষের মতো। 


জানি না 

 লোভ কুষ্ঠের থেকেও  চাইতেও ভয়ংকর এক প্রগতির নাম 

পলিথিন চাইতেও ক্ষতিকর যদি কিছু থাকে 

সাজানো হাসি মানুষের।

ব্যর্থ ভাবনারা  সমুদ্র চঞ্চল করে 

চার ইঞ্চির মুঠোফোনে হঠাৎ ভেসে ওঠে প্রেয়সীর নাম ,

সঙ্গম ভাজতে ভাজতে ভিজে যায় চাঁদের চাদরে কালো দাগ।    

মাংসাশী দাবানল 

সময় জানে হৃদয় থেকে নেমে আসা বাঁচাগুলো মানুষের মৃত্যুর কারণ 

আর গলিত লাভায়   দুঃখের যোগফল, 

 বহুকাল নিষিদ্ধ থাকতে থাকতে তসলিমাও হারিয়ে যায় 

শুধু সৃষ্টি লেখা থাকে পাথরের হৃদয়ে 

স্ক্যান্ডালে সময়  জড়ালেও 

জন্ম পুরোনো হলেও ইতিহাস বদলায় না। 

জতুগৃহ

 


জতুগৃহ 

... ঋষি 


মাননীয় বিচারক 

সময়  অক্ষম হলে ভাবনারা  সক্ষম হয়ে উঠে 

যেমন অনিচ্ছারা  অক্ষম হলে  ইচ্ছারা আকাশ  হয়ে উঠে,

 শহরে দমকল এসে দাঁড়ায়  মানুষের ইচ্ছায় পুড়ে চলে বস্তি বাজার

লাল তরমুজের মতো রঙের ভাবনারা ,

খিদের দুনিয়ায় দাগ টানে শহরের মরুভূমিতে দাঁড়িয়ে। 

.

আজব চিৎকার   

চেতনার শব্দরা  ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে দেয় ভাবনার দুনিয়ায়  

যাত্রাপালায় রাজারা লড়ে যান জনতার হাততালিতে 

খিদে তবু ধোপদুরস্থ সাদা  জামা পড়া মধ্যবিত্ত ভদ্রলোক

খালি পেটে থাকলেও 

খিদের গন্ধে অভিনয় করে কিং লিয়ারের 

মাননীয় বিচারক 

পাহাড় ধস, নদী ভাঙন দেখলে মনে পড়ে যুগ যুগ ধরে ক্ষুদার্থ মানুষ 

আর মধ্যবিত্ত ভাবনার শিষ্টাচার, 

এই শহরের মেয়রদের লেখাপড়া বেশিদূর না থাকলেও 

কোমরের জিনসের মাপে চাহুনি আছে 

 আছে তাদের জরায়ুতে কীটস ও এমিলি ডিকসন আর  কিছু গৃহস্থ ভাবনা। 

.

আমার  কবিতা পড়ার দরকার নেই

আমি শুয়ে আছি ক্ষুদার্থ মধ্যবিত্তের চোখে ,

অনেক দিন  টিপ্  কিনে না দেওয়া  হয় নি চলন্তিকাকে 

শুধু অভিমান জুড়ে আদরের লিপস্টিক মধ্যবিত্ত ভাবনায়। 

মাননীয় বিচারক 

আসলে সংসার সীমান্তে এসে আমি বুঝলাম  মানুষের মধ্যবিত্ত শোক 

আর গোপন যন্ত্রনায় বুঝলাম জতুগৃহ।  

Wednesday, January 20, 2021

অদৃশ্য মুহুর্ত



অদৃশ্য মুহুর্ত 
.. ঋষি 
বস্তা বন্দী জীবন
হঠাৎ ফিরে আসা তোর চিলেকোঠায় মুহুর্তের ছায়াছবি,
ড্রপসিনে দেখা যাচ্ছে 
বাড়ি ফেরা সন্ধ্যের পাখিগুলো আজ দিকভ্রান্ত, 
সহচর জীবনী এই শহরের পাতায় 
গভীর অস্থিরতায়। 
.
সব কিছু খুলে ফেলা যায় 
সময়ের আসবাব ছড়ানো সন্ধ্যের শাঁখের বদলা, 
ঈশ্বর  জাত সমস্ত 
শখের নকশা বিছানো প্রিম্যাচিওর আলাপচারিতা, 
আজ আবার ব্যস্ততা  লিখে দিলো 
ঈশ্বরের শেষ প্রচেষ্টায় তোর আকাশের ছাদে। 
.
দিকভ্রান্ত দিন 
চুমুর কবিতায় আজকাল সংগম জানোয়ার হয়ে যায়, 
আসলে মানুষ মাত্র তৃষ্ণার্ত
এ  কবিতায় কিছু কষ্ট শহরের প্রতীক্ষায় ভিখারি 
দৃষ্টি নিন্দুকরা বলে 
ভিখারীর আবার হাজতবাস।
এই শহর যেখানে বন্দীশালা
এই আকাশ যেখানে ইট, কাঠ, পাথরের তৈরী কিছু ইচ্ছা
সেখানে আমার মত কিছু ভিখারী ফুটপাথে দাঁড়িয়ে 
স্বপ্ন খোঁজে বাবুইপাখির জোনাকিতে, 
সন্ধ্যেগুলো মৃত নগরীর ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলে দৃশ্য
আর কিছু অদৃশ্য  মুহুর্ত। 

এই পৃথিবী আমার না

 এই পৃথিবী আমার না 

... ঋষি 


ভাবে শিশু ভূগোলের ছবি দেখে এক সুন্দর মানচিত্র 

আমি ভাবি মনে 

মা ,ও মা আমি ঠিক আকাশের মতো হবো ,ঠিক বাতাসের মতো 

আর মানুষ না 

ফিরে আসা মানুষের গ্রহে আমার আটত্রিশটা পদ্ম আজ শুধু পাঁক ঘাঁটছে 

আর তারপর শুধু বিপন্নতা। 

.

জানলার কাঁচ ভেঙে আকাশ ভাঙার লোভ 

শিশুর চোখ শুধু ড্রিংবুকের গভীরে শিখতে থাকা সম্পর্কে 

আর আমি আজ 

সম্পর্কের তলায় লুকিয়ে আছি যত্নে কফিনে ,

না আমি ভারতবর্ষের সীমান্তে মৃত সেই সৈনিকের মৃতদেহ হতে চাই নি 

চেয়েছিলাম সময়ের পিঠে চেপে কয়েকমুহূর্ত ঘুরতে। 

.

তোমাকে বলবো না আর 

প্লিজ একটু দাঁড়িয়ে যায় চলন্তিকা আমার উঠোনের পায়রা ,

তোমাকে বলবো না সম্পর্ক একটা গাছ 

যাতে বছর বছর পাতা ,ফুল ফল না ,আকাশ ছোঁয়ার ইচ্ছা জন্মায় ,

যেমন জন্মায় ভালোবেসে মৃত্যু শোক এই বুকে 

যেমন জন্মায় রাস্তার কোলাহল শহরের সুখে 

যেমন আমি একলা দাঁড়িয়ে আজ এতগুলো বছর 

শুধু গাছ হতে চাই। 

একদা সরীসৃপ ছিল কি মানুষ

সে-জীবনে ফিরে যাওয়া কী যে দুঃসহ,না! সে হবে না।

আকাশে ওড়াবো আমি স্বপ্নের কাগজের প্লেন 

কিন্তু ভুলে গেছি কারসাজি 

অথবা কাগজের তৈরী ঘোড়া আজও চাঁদ খোঁজে বিষন্নতা ,

মা বলে আয় আয় টি দিয়ে যা 

বাবা বলে আমার সোনা চাঁদের কণা 

আমি বলি এই পৃথিবী আমার না। 






Tuesday, January 19, 2021

খেলনাবাটি

 


কিছুটা জন্মের জন্য তুলে রাখা খেলনাবাটি 

কিছুটা মৃত্যুর জন্য তুলে রাখা খেলা ঘর, 

সময় এঁটো করে যায় 

বাইরের স্বভাব আর ভিতরের আয়না 

বাকিটা নিরুপায় 

সময় বদলানো যায় না। 


... ঋষি 

Subhas Chandra Bose

 Reality is, after all, too big for our frail understanding to fully comprehend.

                                                            .......... Subhas Chandra Bose

যখন রক্তমুখো সমাজ  ধ্বনি তোলে

যখন বুকের বারান্দায় একলা দাঁড়িয়ে বারুদের স্তূপ অপেক্ষায় ,

ঠিক তখনি 

বিকেল ফুরিয়ে দুপুরের রৌদ্রে মানুষ উঠে দাঁড়ায় 

উঠে দাঁড়ায় বিপ্লব গভীর নিঃশ্বাসে 

আমি তখন ভাবতে বসি তোমায়। 

.

এগিয়ে আসা মিছিলে ছায়ার মতো এগিয়ে আসো তিমি  মানুষের জন্য 

রক্তমঞ্চের বেদিতে একলার একজন জন্মের চিৎকারে শুনি 

শুধু মানুষ ,

আমি বুঝি বসন্ত আসছে 

পলাশ বলে ছেলেটার রক্ত এই কলকাতার ফুটপাথে ছড়িয়ে 

এইবার বোধহয় রুখে দাঁড়াবার সময়। 

.

একলা দিনে  

যখন লাল ফৌজ দিল্লির ব্যারিকেট দাঁড়িয়ে মিথ্যে ফাঁকা আওয়াজ করে 

কিংবা 

সময়ের প্রগতি মানুষের দৈন্দিন রক্তাক্ত করে 

রক্তাক্ত  করে বাজারের কালো দাম ,পেট্রোলের দাম বৃদ্ধি 

গৃহস্থের রান্নাঘরে কমতে থাকা ভাঁড়ার 

আর বিপন্ন আগামী শৈশব ,

তখন ঠিক মনে পরে তোমায় 

তোমার বজ্রকণ্ঠে শুনতে পাই কদম কদম বারাহে যা। 

আমার ভিতর শোরগোল 

একজন মহামানবের কণ্ঠস্বর 'You give me blood I will give you freedom' । 

তথাস্তু মানুষ 

জেগে ওঠো আবার 

জেগে ওঠো বারুদ বুকে 

বারুদের স্তূপে পুড়িয়ে ফেলো মিথ্যে গনতন্ত্র 

নষ্ট হোক  বর্ণ বিদ্বেষ ,নষ্ট হোক ধর্মের হানাহানি 

শুধু মানুষ বাঁচুক 

বাঁচুক সময় আগামী সভ্যতায় আবারো নতুন সন্তানদের জন্য। 

Sunday, January 17, 2021

মৃত্যুর বিস্ময়



মৃত্যুর বিস্ময় 
... ঋষি 

কাকে তুমি ভালোবাসো সবচেয়ে বেশি? 
জন্ম মানবী
 তোমার বাবা?
তোমার মা, তোমার বোন অথবা তোমার ভাই?
.
আমি মৃত্যুর পুজারী
অহল্লা সভ্যতায় ভীতু মানুষের ভীড়ে 
আমি লিখে রাখছি আগুন, যদি কোন দিন সত্যি মানুষ জাগে
তবে বারুদের স্থুপে আমি মৃত্যু লিখতে পারি। 
.
না আমার বাবা,  মা, বোন,  ভাই কেউ নেই 
আমি কারো বন্ধু না, 
কেউ আমার বন্ধু হতে চাই নি কোনদিন 
শুধু আমার শব্দরা আমাকে একলা করে শুধু তোমার মুহুর্তে। 
.
এখন তুমি এমন এক শব্দ ব্যবহার করছো যার অর্থ আমি জানি 
আবার জানি না
তোমার দেশ?’
আমি জানি অক্ষাংশের বিচারে আমি নাতিশীতোষ্ণ। 
.
সৌন্দর্য? 
তুমি সুন্দর আমি শেয়াল আমার কি। 
‘আমি আনন্দে তাকে ভালোবাসতে পারতাম বারংবার
দেবী আর অমরত্ব।
.
ঘৃণা? 
আমি যেমন ঈশ্বরকে করি প্রকাশ্য মাঝরাস্তায় মিথ্যা বলতে। 
‘আচ্ছা, তাহলে কী তুমি ভালোবাসো, সময়ের আগন্তুক?’
সন্তানের মেঘে ঠোঁট রাখো 
তারপর বলো আমি মৃত্যুর বিস্ময়। 

রঙিন ভারতবর্ষ

 



রঙিন ভারতবর্ষ 

... ঋষি 


চিৎকার বোনা দড়িগুলো 

ভারতবর্ষ জুড়ে শুধু শরমের কাব্য লেখা ,

তোমার হাসির ফুলকিগুলো সোনালি করে দেয় সময়ের গভীরতাকে,

অন্ধকার যাদুঘরের দেয়ালে একটি ছবি টাঙানো আছে

মায়াময় ঠিক যেন পিকাসো ,

আর সেটা থেকে মাঝেমধ্যে এগিয়ে আসে আমার ভারতবর্ষ 

পায়ের শেকলে লুকোনো কাব্যে। 

.

আজ তুমি সময় ধরে হেঁটে চলেছো 

আমি তাকে সৌন্দর্য্য মনে করি বুকের ভাঁজে পূর্ণিমায় 

আসলে মেয়েদের সৌন্দর্য 

কবিতায় বাড়ে 

বিষ প্রয়োগে কমে 

আর ভালোবাসার যত্নে ফুলের মতো ফুটে ওঠে সময়ের আঙিনায়। 

.

যাক গিয়ে আমি ভারতবর্ষের কথা বলছি 

শাস্ত্র আর মেরামতির দিকে তাকলে স্তব্ধ হয়ে যায় 

রাজনীতির দিকে তাকালে রক্তাক্ত। 

বুক ফুটবে না পদ্মসুখে লুকিয়ে থাকা গোখরো 

ভারতবর্ষ বিষাক্ত নয় 

বিষাক্ত বিষ সভ্যতার পূজারীর। 

পরম সুখের বাণী শুনে শুনে মাথাটা খারাপ হয়ে গেছে আমার

যে ভালোবাসায় আমি ভুগছি সেটা একটা অসুখ নিতান্তই লজ্জার

আর যে ছবিটা তোমার ওপর ভর করেছে

 তাকে বলে সময় 

তাকে বলে সমাজ কিংবা 

সংসার। 

আমি প্রশ্রয় হয়ে থাকতে চাই 

সেই ছবিতে যার ভিতরে তুমি হাসো আমার জন্য,

তারপর প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে যদি কোনো সভ্যতায় 

আবার কোনো পিকাসো যদি  তুলি ধরে 

তুমি আসবে ঠিক রঙের ছোঁয়ায় ।  



আফটার শক

 


আফটার শক 

.... ঋষি 

.

একটানা বাজতে থাকা সাইরেন ,এম্বুলেন্স ,মৃত শরীর 

আফটার শক 

ছেলেটার বাবা খবরের পাতায়  তুলে নিচ্ছে তার মেয়ের মৃত মুখটা 

ছেলেটার সাথে মেয়েটার মুখের মিল, 

নেই 

পৃথিবীর দোরগোড়ায় আজ শুধু শোক ,

মুখে মাস্ক 

মানুষগুলো সব প্লাস্টিকের মতো আবর্জনা এই পৃথিবীর। 

.

এই পৃথিবীর সাতশো পঞ্চাশ কোটি মানুষ 

আজও দূরত্বে দাঁড়িয়ে আয়না  খুঁজছে নিজেদের ,

ফিরে আসা দারিদ্রতা  

সময় আর অর্থনীতির মাঝে ফেঁসে যাওয়া মৃত্যুমুখী মানুষ। 

বহুতল সভ্যতার নিচে চপা পড়া ২০২০

অনবদ্য একটা মৃত্যু সফরের  আফটার শক 

আমি সময়ের নাগরিক হয়ে বলতে পারি 

উঠে দাঁড়াতে পারছি না। 

.

আমার প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করছে 

আমার মতো একজন মেয়ে হারানো  দরিদ্র  পিতা এই পৃথিবীর মানচিত্রে 

কোথায় বাঁচবে ?

কোথায় বাঁচবে মানুষ খিদে আর ভয়ের দুনিয়ায় 

কাজ হারানো সেইসব মানুষগুলো। 

আমি ঘরে বসে আছি আজ পাঁচ মাস জানলার পাশে 

দেখতে পারছি একটা ঘোড়া ছুটছে তুমুল গতিতে পৃথিবীর ওপর দিয়ে 

অজস্র শোক ,অজস্র মৃত মুখ 

ব্যবহৃত মাস্কগুলো হাওয়ায় উড়ছে। 

জানি না আগামী দিনকি একলা এই  পৃথিবীটা শুধু বাঁচবে 

আগামীদিন দিল্লী থেকে হিমালয় দেখা যাবে হয়তো ,

দেখা যাবে হয়তো বহুতল সভ্যতার উপরে কিছু মানুষ 

নিচের দিকে তাকিয়ে বলছে 

আহারে 

আফটার শক 

দেখো  কত ক্ষুদার্থ মানুষ। 


রামকিঙ্করের চোখ

 


রামকিঙ্করের চোখ 

... ঋষি 

.

আজ দিনটা ভালো থাকতে পারছি না 

নিজে ভালো থাকাটা একটা আর্ট সময়ের স্থাপত্যে ,

একটা খামখেয়ালি ভাবনায় 

কুঁড়ে কুঁড়ে কুটুর কুটুর রামকিঙ্করের চোখ বুকের বাজনায় 

আহা অদ্ভুত 

এমনটা দেখিনি আগে ।

.

স্থাপত্য খুঁড়ে ফেলাটা শিল্প না 

এনসাইক্লোপিডিয়া বলে আবিষ্কার আর শিল্পের মাঝে তফাৎ আছে 

তফাৎ আছে শিল্পী আর পাথরের ফাঁকে ,

আমি ভাঙছি 

কুঁড়ে কুঁড়ে কুটুর কুটুর রামকিঙ্কর আজ তোমাকে চায় 

পাথুরে প্রেম 

পাথুরে চোখ 

আর সম্পর্ক ,ধুস বেওয়ারিশ কিছু ভাবনায়। 

.

ভালো থাকতে পারছি না 

প্রতিটি গান ভালবাসার টানাপোড়েন উঁচু নিচু পাহাড়ি সভ্যতা ,

প্রতিটি তারা থেমে থাকা সময় 

অজস্র বানান ভুলে ,

প্রতিটি দীর্ঘশ্বাস চিৎকারের সময়ের নীরবতা। 

খোঁজ ছিল না  জ্ঞান বা ছায়া কিংবা পরিসর 

মুক্তি 

শরীরের সীমানা আর স্বপ্ন

নিস্তব্ধে ছুঁয়ে যাও তুমি আমার অজস্র মুহূর্তের কথোপকথনে। 

.

আমার হাতে ছেনি ,হাতুড়ি 

কুঁড়ে কুঁড়ে কুটুর কুটুর রামকিঙ্করের চোখ বুকের বাজনায়

ভালো থাকাটা একটা আর্ট 

একটা ভাস্কর্য 

শান্তিনিকেতনের কোনো ভোরবেলায় একজন আগুনের পুরুষের বুকে 

নারীর খোঁজ 

শান্তি 

বুক ভাঙছে এবার। 

 

 

চ ল ন্তি কা আর ভাবনা



চ ল ন্তি কা আর ভাবনা
...ঋষি 
শব্দ চেয়েছি তাই খুঁড়েছি শব্দদের 
৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ চ ল ন্তি কা, 
বরফ আর রক্তের জন্য নির্বাসন 
৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ চ ল ন্তি কা। 
আসবাব আর আয়নার জন্য অণু, পরমাণু পার্থিব 
৷৷৷৷৷৷৷৷৷   চলন্তিকা
শব্দের আঙিনায় আমার খোলা দরজা। 
.
সত্যি তোর বিপদ হলো ঘোড়ার মতো 
দৌড়ে  সুখ, 
আর আমার বুকের ভিতর দেড় ইঞ্চি পেড়েক 
একলা জেরুজালেম। 
.
আবর্জনা জীবন, সাজানো যৌতুকে শিল্প 
ভাবনার ভীড়
মৃত ভারতবর্ষ, 
যতক্ষন না ভাবনার মৃত্যু ঘটে কবিরা আসবে আগুন নিয়ে
মানুষের বুক পূড়বে কিনা জানি না
তবে মানুষের বরফ শরীরে যন্ত্রনা লেখা থাকবে। 
.
নিস্তব্ধে একটা ঘর গড়তে চেয়েছিলাম 
৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷  চ ল ন্তি কা,
ভাবনারা জানুয়ারী  পেড়িয়ে, ফ্রব্রুয়ারীর দিকে চলেছে
৷৷৷৷৷৷৷৷৷  চ ল ন্তি কা
তুমি যা ভেবেছিলে আমি সেই মৃত পুরুষের আত্মায় 
৷৷৷৷৷৷৷৷৷  চলন্তিকা
আর ভাবনায় অসহায় মানুষের  আর্তি।

কবিতা আসছে




কবিতা আসছে 
...ঋষি 
নিজের জীবন খুঁড়তে খুঁড়তে কবি চলেছেন কবিতার খোঁজে 
চন্দ্রবিন্দু যেখানে মৃত্যুর শরীর 
সেখানে দাঁড়িয়ে বর্ণমালার শেষ নথিতে কবির মৃত্যু।
সিগারেটের নিকোটিন আগুন বুক পোড়াতে পারে 
সিগারেট পোড়া ঠোঁট প্রেমিকার জন্য 
এই পৃথিবীতে প্রেম লিখতে পারে। 
.
আমাকে যখন  ডাকে বর্ণরা 
প্রেমিকার শরীর তখন  চিৎকার করে,
আমাকে ডাকে শব্দের বিন্যাসে না জানা বাক্যের গঠন 
আমার সময়, আমার রাষ্ট্র  , আমার শহর চিৎকার করে 
চিৎকার করি আমি, 
আমার না লেখা কবিতায় গভীরে মৃত শোক 
আমার চেনা মানুষগুলো কবিতার মতো দেখতে লাগে। 
.
কিশোরী  মাইক্রোওয়েভ 
ফ্রিজের ভিতর বরফে সাজানো আমিষ জীবন, 
অন্ধকার রাস্তায় পথ চলা,ছুটে চলা
আকাশের নক্ষত্র ভীড়ে শব্দরা সব ডিমলাইট
আমাকে মুগ্ধ করে প্রেম 
চলন্তিকা তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে। 
আমার বাঁদিকে পথ, ডান দিকে পথ 
পায়ের তলার মেঝে কাঁদতে থাকে, জলের দুনিয়ায়,
দাম, অর্থ, শাস্ত্র সব বিকৃত ধার্মিক 
আমরা সকলে স্বাভাবিক নাগরিক, এক অর্থে ভুমিকায়। 
এখন রবিবার দুপুর আড়াইটে 
দেখো ভাঙতে চাইছে শব্দেরা আমার ভিতরের মাংসের দেওয়াল 
কবিতা আসছে 
আমার প্রেমিকা এখন সদ্য স্নাত বিন্দু বিন্দু জলে 
আমার শহর পুড়ছে 
মানুষের চিৎকার, মানুষের প্রতিবাদ আর প্রেম
কবিতা আসছে। 



Saturday, January 16, 2021

নিয়ম



 নিয়ম 

... ঋষি 


টেবিল সাজিয়ে বসে আছি আজ এতগুলো বছর ,

নারী শব্দের অন্তরে রাখা নিরাপত্তা 

সমাজের ভীত ,পুরুষের শৌয্য আর সময়ের সরগম 

আর তারপর 

কিছু গভীর শোক যেগুলো সময়ের পাথরের টুকরো। 

.

টেবিল সাজানো হয়,

হরেক গোলাপ এবং কাঁচের পেয়ালায়,

আমাদের আত্মীয়রা  এলে সব দুঃখ, হতাশা মিশে গিয়ে এক হয়ে  

জন্ম নেয় 

নারী সম্ভ্রম ,লজ্জা। 

.

প্রথম পুরুষ  বাবা,তারপর  ভাই,

কাটাতে থাকে ঘন্টা ,কাটতে থাকে শৈশব ,কাটতে থাকে ন্যাকড়ার পুতুল 

খেলনা হাঁড়িকুঁড়ি সংসার। 

সময় এসে পরে কখন যেন আমার প্রেমিক কিংবা আগামীর পুরুষ 

আমার প্রথম চুমু ,প্রথম স্পর্শ ,সরে যাওয়া বুকের আঁচল 

ইশ লজ্জা 

তারপর দরজায় দিল টোকা  সে 

স ন্তা ন 

না আর কোনো শব্দ নয় এইবার মুখ বুজে 

একটা জীবন। 

.

আমার বাবা তাকিয়ে হাসছে আমার  দিকে

টেবিলে কাঁচের পেয়ালায়  আমার ভাই মদ ঢালছে 

সাথে আমার স্বামী ,

আমি তুলে দিচ্ছি নেশা ওদের হাতে ,আমি খুশি হচ্ছি এই ভেবে 

আমার সন্তান আগামীতে কারোর বাবা ,ভাই ,স্বামী হবে বলে। 

আসলে “আজ এই পা দুটো, পৃথিবীর ধূলোয়-

ডুবে গেছে প্রাগৈতিহাসিক হিসেব নিকেশে 

কিন্তু আমারও ইচ্ছে করে চুলের বিনুনি খুলে 

 আজ একবার খোলা পৃথিবীর অতল থেকে তুলে আনতে মুক্তি 

ভ্রমের দরজা খুলে সত্যি একবার পুরুষকে প্রশ্ন করতে 

আচ্ছা আমি কি শুধুই নিয়ম ? 


Thursday, January 14, 2021

বদলানো দিন

 



বদলানো দিন 

,,,, ঋষি 


অনেকে বাংলা সাহিত্যে অনেক কিছু বলে গেলেন 

বলে গেলেন অনেক অনেক কথা 

আমি কথার সাগর পান করে কখন যেন একটা শব্দ হয়ে বাঁচতে চাইলাম ,

দিক বদলে গেল 

দিন বদলালো 

বদলালো চলন্তিকা মিশরীয় শরীরে স্নেক স্টোরিতে। 

.

১১৮ পুরনো বাহাদুর রোড 

কলকাতার ম্যাপে হারিয়ে যাওয়া জঙ্গলের সফরে 

বিশেষ লিখতে গিয়ে 

লিখে ফেললাম এক গাদা অন্ধকার কালো ব্ল্যাক অক্ষরে ,

সকলে ঈশ্বর বিশ্বাস করে 

আমি বিশ্বাস করি মানুষ মাত্র শয়তান আর ভগবান। 

.

নিরুদ্দেশের ভূমিকায় 

আলোচনা শব্দটা মায়ের পেটে মৃত সন্তানের ভবিষ্যৎ 

এঁকেবেঁকে বয়সের পাহাড়ে নতুন দিগন্ত 

আজকাল ভীষণ চিৎকার করতে ইচ্ছে করে 

চিৎকার করে  রাষ্ট্রের শঠতা, অমানবিকতা, সাম্প্রদায়িকতায় 

না বিপ্লবী না আমি 

বিপ্লব শব্দটা এই সভ্যতায় কেরানির মাইনের মতো মাসিক 

তারপর সবাই ঘুমিয়ে পরে 

জেগে থাকে পুঁজিবাদ ,অন্ধকার 

আর 

ফুটপাথে সেই রেস্টুরেন্টে কাজ করা শিশুটা 

যার কাছে মাধুরীদীক্ষিত শরীরের খোঁজ। 

প্লিজ ঘাবড়াবেন না 

মানুষের ক্রোধ আজ শুধু ক্লান্ত বিছানায় নিয়মিত সেক্সের মতো কিছু 

আর মানুষের বিপ্লব সে হলো বদলানো বেশ্যা কলগার্ল উপাধিতে। 

চোখের রক্ষক সবাই 

আর বুকের রক্ষক আজও নারীদের ব্রেসিয়ারের আঁট 

যা সকালের আলোতে একটু হলেও বোঝা যায়।  


কুকুরের চিৎকার

 


কুকুরের চিৎকার 

... ঋষি 


মাসের শেষে মাইনে নিয়ে হেঁটে ফিরি কুকুরের মতো 

নিজের লেজ কামড়াতে গিয়ে কামড়ে ধরি কস্মিন কালের স্মৃতি ,

স্মৃতিপদ্মে ভেসে ওঠা অকাল শৈশব 

আমি মানুষের পায়ে কাছে বসে থাকি 

কুকুর দেখবো বলে গভীর অন্ধকারে 

তারপর অন্ধ হয়ে কবিতা লিখবো।

.

শব্দ নয় বিস্ফোরণ দরকার 

না হলে আমার মৃত্যু হবে না সময়ের শ্মশানের আগুনে ,

আমার কপালের রক্ত তিলক ,

মায়ের মুখ 

বলির পাঁঠা 

আর নেশার জীবনে চলন্তিকা অনবদ্য কবিতা। 

.

প্রতিদিন বিপ্লবকে মরতে দেখি অমিতের মুদির দোকানে 

মানুষগুলো কুকুরের মতো শুকে চলে বিপ্লবের মাসিকের রক্ত ,

উপসনা আর উপচার একসাথে বাজে ধর্মের পীঠস্থানে 

আর মানুষের পীঠস্থান বিজ্ঞপনী সভ্যতায়। 

প্রতিদিন উপোস ভাঙার পর 

মানুষগুলো সঙ্গম করে নিরুপায় ধর্ম আর সংস্কৃতির সাথে 

তারপর চিৎকার করে 

চিৎকার আমি শুনতে পাই মানুষের ঘৃণা ,লোভ ,আর কালান্তর 

ঘড়ির কাঁটায় মহাদেব লিখতে থাকেন ধ্বংস 

ধ্বংস 

ধ্বংস 

তারপর দেখি বাড়ির পোষা কুকুরটা তিনবার হিঁচকি তুলে মরে যায় 

অথচ রাস্তার কুকুরগুলো চিৎকার করে চোখ বন্ধ করলেই।  

বর্ণমালা ও পরকীয়া



 বর্ণমালা ও পরকীয়া 

... ঋষি 

.

সময় লিখতে গেলে রাতের অন্ধকারে জোনাকি ঘোরে  


পরস্ত্রী প্রেমিকা হলে বর্ণমালা হয়ে যায় 


যাকে  উচ্চস্বরে পড়া যায় না সামাজিক উচ্চারণে 


কবিতায় যন্ত্রণা বেড়ে যায়। 

.

.

মহান কবি পরকীয়া কাকে বলে ?


পরকীয়া একটা সবুজ অরণ্য যেখানে চিৎকার  বৃষ্টি 


ভিজে মাটিতে শুধু কেঁচোদের বাস 


আর প্রেমিকার গর্ভাশয়ে লুকোনো আদিম অন্ধকার। 

.

.

মৃত্যুর আগে হঠাৎ অন্ধকার নদীতে দেখি  ঈশ্বরকোনা 


আমি কালো আফিমের নেশা বুদ্ এক নাগরিক 


এই শহর ভালোবাসা লিখতে চাইলেও 


কিন্তু ভালোবাসার বাড়িগুলো বড়ো অন্ধকারে চিরকাল। 

.

.

থেঁতলে যাওয়া মরুভূমি যদি হস্তমৈথুনের নালিশ করে 


মরুভূমিতে জন্মানো ওয়েসিস ,


সব বর্ণরা  বর্ণমালায় আমার প্রেমিকার নাম


আর প্রেমিকা আমার সামাজিক না কোনযুগেই । 

.

.

বেবাগ উৎসবের শহর আমার সামাজিকতা 


অথচ বিছানায় বেবাগ উলঙ্গ দুটো চোখ সারারাত জেগে 


তারপর বর্ণমালারা জন্ম নিতে চায় তোমার গর্ভাশয়ে 


আমার শব্দের সংসারে জঙ্গলের কবিতা। 

.

.

গলায় মাফলার জড়িয়ে মধ্যাহ্নে নেমে পড়ি পুরোনো পুকুরে 


তাকিয়ে দেখি আমার পাশে চান করছে শালিখ পাখি ,


পুকুর পাড়ে বাজেদের হুক খুলে যায় 


আমি তাকাতে পারি জলে ডুবে মরে  যাই।

.

.

দিন শেষে পবিত্র পপির মতো পরস্ত্রী আগলাতে নেই 


তবে বেবাগী জীবন পরজন্মে রাধা ,


আমি স্থবিরতা খুঁজি আমার বর্ণমালার প্রেমে 


ভালোবাসা শব্দটার শান্তি ছিল না কোনোদিনই।   

কাগজ কি কস্তি

  


কাগজ কি কস্তি

...ঋষি 


উত্তরের শীতল বাতাস ঠাঁই দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় 

যেন সহমরণে রওনা দেবে কাগজ কি কস্তি আমার সাথে ,

পাশে রোম ওঠা তোষকের বয়স পিতৃপুরুষের প্রবঞ্চনায় নারীসূত্র খুঁজছে। 

স্কুলে ঋতু বলতে কি বোঝায় আমি জানি না 

আমি জানি ঋতু দুপ্রকার ব্যস্ত 

ভ্রমণ ,বিলাস ,ভোজন 

আর তোমার পাঁচদিন চেরাপুঞ্জি জন্মায়। 

.

আমি সহমরণে তোমার স্তন বেয়ে এই শহরে দিন কাটাবো 

কিন্তু জানেন বাঁচা মানে শীতকাল 

লাল পাড়ে শাড়িতে নতুন বৌ আর ঘামের গন্ধে সানাইয়ের সাতকাহন ,

কাগজ কি কস্তি 

বাসি ছেড়ে যাওয়া রাত্রে ঘুমহীন পেঁচার চোখ 

আমার দুর্বলতা হলো 

আমি বাঁচার সাথে বাঁধতে চাই তোমায়। 

.

উত্তরের বাতাস ঠাঁই আমার সাথে মেহফিলে কবিতা লেখে

আমি আগুনকে ভালোবাসি 

জানেন তো আগুনকে ভালোবাসলে নদী বিছিয়ে দেয় ডোরাকাটা জেব্রাক্রসিং 

আর নদীর সমান্তরাল পার ধরে হাঁটলে 

জিভ পুড়ে যায় গভীর নদীর আঁশটে জলে। 

দুর্বলতা লিখছি 

এই শহরের  পুরুষ জীবন জানে শহরের কিশোরী থেকে বিধবা মুহূর্ত 

অথচ আমরা ভালোবাসি বাসি মরা শারীরিক মৃত্যুকে ,

উদযাপন দরকার 

শহরের মেহফিলে  

সময়কে প্রশ্ন করলাম এইবার জীবনের কোন চ্যাপ্টার পড়বো 

রুশ বিপ্লব ,পলাশীর যুদ্ধ না জীবন 

আসলে ভালোবাসা শব্দটা অনেকদিন সমাজবদ্ধ 

সীমান্ত আর শীতকাল জানে না  কাগজ কি কস্তি। 


Wednesday, January 13, 2021

২৪ x ৭

 



২৪ x ৭

.. ঋষি 


আমার বোধ হয় ঘাস ফড়িং হওয়ার কথা ছিল 

কথা ছিল পাখিদের দেশে নিজের ঠিকানা লেখার 

কবি বলেছেন পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর  এবং নিকৃষ্ট কথাটি

সবথেকে উদার ও সংকীর্ণ কথাটি।

পৃথিবীর সবচেয়ে সত্য এবং মিথ্যে  কথাটি বলেছেন কবি

বলেছেন হতাশা আর গণ জাগরণের কথা একসাথে। 

.

আমি কি বলেছি ভুলে গেছি 

ভুলে গেছি বিধবা সভ্যতার কাঁটাতারে বাঁধা উপাখ্যান 

ভুলে গেছি বুলেট বিদ্ধ ভারতবর্ষের মুখ 

ভুলে গেছি নিজের ঠিকানা ,সংযম আর ২৪ পরগনার মুন্ডুচ্ছেদ। 

শুধু নেশার শহরে পানাসক্ত নাগরিকের মতো 

আমি মাঝরাতে লিখে চলেছি একটা মৃত্যুর শহর সময়ের বুকে। 

.

কিছুতেই শান্ত হতে পারছি না 

বুকের রক্তে বারুদ গুলি পান করাচ্ছি আমার মতো একজন মাতালকে 

তারপর বিস্ফোরণের অপেক্ষায় বরফ শরীর আজ কয়েক যুগ। 

ফুটপাথে দাঁড়িয়ে একলা শহর 

চলন্ত দৃশ্য 

চলন্ত নিঃশ্বাসের পাশে আগুন জ্বলছে আমার শহরে ,

জাগরণ দরকার 

দরকার সঠিক শিক্ষা 

দরকার চিৎকার 

দরকার প্রতিবাদ 

আমি এই পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে জেনেছি 

শুধু ২৪ x ৭  মানুষগুলো কেমন যেন দিনান্তে ক্লান্ত ভিখিরি 

শুধু বাঁচতে চাইছে 

কিন্তু শ্মশানে কি সত্যি জীবন থাকে ?

তোমার গল্প

 


তোমার গল্প 

... ঋষি 


আমার দিনলিপিতে কুকুরগুলো চিৎকার করুক 

তুমি ডাইরির পাতা হয়ে যাও 

আমি কবিতা লিখবো,

তোমাকে লিখবো 

বুক থেকে ঝরে পড়ুক বৃত্তাকারে রক্ত ফোঁটা ,

রক্তের দাগ দেখে তুমি ঠিক চিনে নেবে চীনের প্রাচীর। 

.

আমার ফুরিয়ে যাওয়া লজ্জায় 

নগ্ন চাঁদ 

আর উথলে ওঠা নদীতে ভাসমান কিছু শর্ত ,

প্রেতাত্মার আসাযাওয়া ,

তোমার গল্পে আমার মৃত্যুগুলো হোক সাধারণ প্রতি মুহূর্তে 

আর আমি বেবাগী হয়ে যাই 

ঝরে পড়ুক কয়েক ফোঁটা জ্যোৎনা আমার কবরের উপর। 

.

মৃত্যু লিখতে আজকাল আমি কুকুর দেখতে পাই 

শব্দ চুরি করে আমি লিখে ফেলি কয়েক শতকের মৃত কবি 

তারপর 

আমার ডাইরির পাতায় তোমার মুখ চাঁদের স্পর্শে। 

সেলফোন বেজে ওঠে 

বহুদিন পর শুনি " কেমন আছো " 

অদৃষ্ট 

এই ছায়াছবির মুখপাত্ররা আজ থেকে কয়েক শতক পরেও জীবিত। 

আমি এই পাশ থেকে সাড়া দি " আছি "

অনবদ্য অন্ধকার থেকে বেজে ওঠে প্রেতাত্মার কান্না 

ভালোবাসবো মৃত্যু

লুঠ হয়ে যাওয়া নদীটার আবার জন্ম হোক। 

বিবাহ

 



বিবাহ 

... ঋষি 


অনলাইনে রবিঠাকুর আর জীবানানন্দের বিজয় পতাকা 

ক্রমশ কাব্যিক আপনি উঠে দাঁড়ালে শহরে 

শহরের মঞ্চ কাঁপিয়ে আপনি একজন সাংস্কৃতিক মঞ্চ। 

তারপর রাত্রে মদের গ্লাস ছেড়ে বাড়ি ফিরে পিষে দিলেন পৃথিবী 

দরিদ্র ভারতবর্ষ 

আপনার আট  বছরের শিশু জানলা সরিয়ে দেখলো 

মায়ের ঠোঁট দিয়ে রক্ত ঝরছে। 

.

আমায় কবি বলছেন সময় শুধু একটা দৃশ্য 

আপনার সময়ের  পাশে ফ্লাওয়ারভাসে উদযাপিত ভালোবাসা  

আর রাতের অন্ধকার দেওয়ালে  

সময় মন্ত্র পড়ছে 

''যদিদং হৃদয়ং মম, তদস্তু হৃদয়ং তব"

সুস্পষ্ট উচ্চারণে আপনার বিবাহের জীবন ভারতবর্ষ হোক। 

.

আপনারা বড্ড ভালোবাসায় মশগুল 

গুলদাস্তা আপনার বৈবাহিক জীবনে পুড়ে চলা গন্ধমুখর আগারবর্তি নয় 

বিছানা  ,বালিশ আর চাদর 

আর কিছুতেই ছাই ,

কবি বলছেন 

ঈশ্বর হাসছেন 

আপনি শুনতে পাচ্ছেন আমার মতো সানাইয়ের শব্দ সময় জুড়ে। 

মুচকে হাসছে ষোড়শী কিংবা সদ্য যুবক 

আপনার হৃদয়ের স্বদেশ জাগুক ,জাগুক ভারতবর্ষ 

আপনার কণ্ঠে সুদীপ্ত তলোয়ারে মুণ্ডুপাত সময়ের দুঃশাসন ,

তবুও কিছু বদলাবে না 

আপনার বাসরের বিছানায় রাত জাগবে সমাজ 

আর টেলিকাস্ট বিবাহ

ভারতবর্শুধুমাত্র প্রগতির মফস্বলে সমাজ চাষ করবে । 


মেরিলিন মনরো(2)



মেরিলিন মনরো

... ঋষি 


মেরিলিন মনরোর অটোগ্রাফ নেওয়ার ইচ্ছে ছিল 

অথচ কিংবদন্তি আইকন চলে গেলেন আমায় ছেড়ে আমার জন্মের আগে ,

আসলে আমি জানি সমুদ্রের জলের উচ্চতা যেমন দিন দিন বাড়ছে 

তেমনি কমছে বুকের ভিতর বিছানার বয়স ,

ভাববেন না 

ময়ূর জন্মেও মৃত্যু থাকে অগন্তি খোঁজে। 

.

আসলে আপনার বুকের ভিতর রোমান্স তৈরী করে সদ্য কিশোরীর বুকে ত্রিভুজ ভাবনা 

আসলে আমরা সকলেই পরাধীন হৃদয়ের স্বাধীন বার্তা নিয়ে বাঁচি ,

আসুন সেলফি তুলি 

লাশ পড়ছে আপনার কি ,আসুন আরেকটু স্বার্থপর হই 

তারপর না হয় 

গ্রিক দেবতার মূর্তির চেয়ে আরেকটু পাথুরে চোখ খুঁজি। 

.

ঘুম আসছে না জানি 

আসলে বাজারি সভ্যতায় মানুষকে টিপে টিপে আঁশটে গন্ধ মেপে নিতে হয় ,

আসলে নদীরও গর্ভাশয় থাকে 

তাই নদী শুকিয়ে মরুভূমি জেগে ওঠে পরম তৃষ্ণায়। 

প্রতিটা জন্ম শুভ নয় 

তাই আমি উলঙ্গ দর্শনের কথা ভাবলে আমার চোখে 

জরায়ু মাতৃ হত্যার কথা বলে,

আসলে লাশের উপরে গোলাপ জল ছিটিয়ে দেওয়ায় স্বভাব পৃথিবীর।  

মেরিলিন মনরো চলে গেলেন ছত্রিশে 

আমার জন্মের আগেই জন্ম নেওয়া সেই  অতৃপ্ত সৌন্দর্য,

অটোগ্রাফ পেলাম না 

শুধু পুরনো খবরের পাতায় খুঁজে পেলাম ঈশ্বরের চিৎকার 

তাজা খবর ,তাজা খবর 

মাটির তলায় চাপা পিঁপড়ের ঠোঁটে  মেরিলিন মনরোর প্রাচীন ফসিল 

শুধু মাত্র আরেকটা খবর প্লেবয় পত্রিকায়

মেয়েটা ধর্ষিত নয় ,বারবনিতা ছিল। 

ভালোবাসায় যখন গাছ জন্মায়

 



ভালোবাসায় যখন গাছ জন্মায় 

... ঋষি 


ভালোবাসায় আমি যতই গাছ হতে চাই 

আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে কোনো কিশোরীর বাহান্ন তীর্থ ,

ভালোবেসে আমি যতই মানুষ আঁকতে চাই 

আমার চোখের সামনা ভেসে ওঠে  চলন্তিকা তোমার অতৃপ্তি ,

শেষ পর্যন্ত বেঁচে থাকা আত্মহত্যা আমাকে সালোকসংশ্লেষ শেখায় 

আমি পুরুষের ভিতর দেখি সিগমুন্ড ফ্রোয়েড আর শিম্পাঞ্জি। 

.

মনে রাখতে হয় 

সত্যি যখন অন্ধকারের দরজা ঠেলে উঠে আসে

তখন  অশ্লীল অন্ধকার। 

.

তোমার চিঠি এসে দাঁড়িয়ে থাকে রোজ নিয়ম করে আমার জানলায় 

পাখিদের আগুনে হাত পোড়াই আমি বেওয়ারিশ জীবন ,

আত্মহত্যার কল্পনায় দিন কেটে যায় 

কেটে যায় যৌবন ,

ভালোবাসার ধর্ম এসে পোয়াতি শীতে হাত সেঁকে নেয় তোমার রুটির গরমে 

আবারও ফিরে আসি আমি 

বুঝতে চেষ্টা করি " আত্মহত্যা মহাপাপ"।

সময়ের সিঁড়ি বেঁয়ে তোমার বাহুর আলিঙ্গন 

আমি খুঁজি সারারাত,

বুকে ধাক্কা মারলে আমি নাৎসি সভ্যতার মতো একলা হাঁটি 

হুমড়ি খেয়ে পড়ি 

নেশার স্তনে যখন সারা শহর ব্যস্ত 

আমার তখন মায়ের খোঁজ। 

.

তবুও কাম জাগে 

জেগে থাকে ভালোনাসা সারারাত তোমার হাসির ফাঁকে ,

আমি সিগমুন্ড ফ্রোয়েড বুঝি না 

বুঝি আমার গাছের শরীরে ভালোবাসা সবুজ পাতা জন্ম দেয় ,

জন্ম দেয় বুকের ভিতর বিশ্বাস 

এখনো ভালোবাসা বাকি ,বাকি কিছু কথা  

মাটির বুকে আজও আমি বৃষ্টির ভিজে গন্ধ পাই। 

 

ধ্বংস এবং নষ্ট

 


A girl should be two things: Ruined and ruined

There is no birth of written death in society

.

- এই মাগি এদ্দিকে শোন। 

- না যামু না ,বুল্টিকে বলতে শুনেছি তুমি ভালো মানুষ নও। 

- হুম ,তোর বাপ্ তো বড়ো যুধিষ্টির ,ডোমের মাগীটার ঘরে মাল খেয়ে পড়ে

 থাকে ,তোকে  তো দিয়ে গেল আমার কাছে ,পয়সা নিয়ে গেলো 

পয়সা কি মাগ্নি আসে। 

- না যামু না ,বুল্টি বলেছে তুমি নোংরামী কর ,আমি পুলিশকে বলে দেব। 

- ওরে কুল ভাঙিনি ,ঢেমনি  তোর বাপের ভাগ্য ভালো তোকে আমি

 আদর করতে চাই।  

- বাপ্ তুলবে না বলছি ,গায়ে হাত দেবো না ,আমি কিন্তু চিল্লাবো। 

-চোপ শালী ,আজ তোর এমন অবস্থা করবো। 

- না ,,,,,,না ,,,,,,, না। 

.

তারপর 

মৃত্যুর দর্শনের ইচ্ছে  জন্ম থেকে মানুষের থাকে আর মৃত্যুর থাকে মুহূর্তের লোভ। 

সময়ের  চাঁদ অন্তঃসত্ত্বা হলে আমি মৃত্যু দেখতে পাই 

কারোর ঘরে বিয়ের যোগ্যি মেয়ে থাকলে 

আমি বুঝি যোনির গন্ধ 

আমি তখন শহরে একটা বিষাক্ত  মৃত্যুই দেখতে পাই।  

.

স্বপ্নে দেখি চলন্তিকা তোমার সাথে আমি সঙ্গমে জীবন কাটাবো 

সেলাই করে লিখে দেবো একটা বিষাক্ত সময়ের গল্প ,

চলন্তিকা তোমার কানের দুলে আমার কলকাতা কাঁদে 

সারা শহর নেশায় ভোগে তুমি একবার কলঙ্কিনী হলে। 

পৃথিবীর সব লাথি 

নন্দন ,মহাজাতি সদন আর প্রকাশ্যে রাস্তায় সংস্কৃতি চটকায় 

আর আমি চটকায় শব্দদের 

আগুনে জ্বালাবো বলে। 

.

- এই মাগি যা ভাগ এখান থেকে ,

- না ,না ,,,,না আমার কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই আর।  

- হুম তোর বাপ্ কে গিয়ে ধরে ,নোংরা মেয়েদের বাসায় তোকে 

রেখে আসবে খন। 

-না যামু না ,আমি দাসী হয়ে থাকবো ,তুমি তাড়িও না আমায়। 

- ওই ঢেমনি ,নষ্ট মেয়েছেলে যা ভাগ এখন থেকে ,তোর মতো নষ্ট 

মেয়ের গায়ে আমি পেচ্ছাব করি। 

- বাপ্ নেবে না আমায় ,আমার কোথাও যাওয়ার নেই। 

- চোপ শালী যা বেড়ো এখান থেকে। 

- না ,,,,না ,,, না। 





রেনেসাঁস

 


"If life were predictable it would cease to be life, and

 be without flavor."


                                        -Eleanor Roosevelt

.

তোমাকেই 

হ্যাঁ তোমাকেই একমাত্র প্রবেশ করতে দিতে পারি 

না লাগবে না কোন  ভূমিকা। 

আমাকে খুন করে বুকের উপর পা দিয়ে দাঁড়াও 

দেখবে তোমার পায়ের পাতা ভিজে যাবে

নদীর জলে।চোখের জলে।  

.

বারুদ খেয়ে সময় পেট ফুলিয়েছে 

আমার বুকের ভিতর আজকাল জন্ম নেয় একটা লম্পট মানুষ ,

স্থির নয় ,সমুদ্রের উষ্ণতা তোমার বুকে 

গভীরে রাতে ফসফরাস চোখ জলে পবিত্র আয়নায় ,

বলি নি তুমি খাদ্যভাণ্ডার 

আমার খিদের পৃথিবীতে একলা কিছু মানুষ 

তোমার দরজায়। 

.

 উদার অর্থনীতির যুগে  উন্নত সঙ্গম

চোখের পাতায় " দ  "এর মতো লেগে আছি আমি কই মাছের প্রাণ ,

সতীদাহ  দাঁড়িয়ে আছে 

সতীদাহ কোনো অনুচ্চারিত আমার মৃত্যুর রেনেসাঁস। 

কাব্যগ্রন্থ না স্ক্যান্ডাল 

মায়ের পেটে বাবার বীর্য স্ক্যান্ডাল ধরতে পারি  না আমি 

যতটা ধর্ম উদাসীন কন্ডোমের 

ঠিক ততটাই যৌনতার।

যুদ্ধের  স্বপক্ষে বিবৃতি দেবে সময়ের  মেদ ও মানুষের  অশান্তির প্রবণতা

যুদ্ধ ও পথ

যুদ্ধ যাত্রা , 

সোশ্যাল মিডিয়ার খবর রাখো আজকাল তুমি ?

তোমাকেই, 

হ্যাঁ তোমাকেই একমাত্র প্রবেশ করতে দিতে পারি 

না লাগবে না  কোন  ভূমিকা। 

.

রেনেসাঁস

... ঋষি 

Sunday, January 10, 2021

অতৃপ্তি

 অতৃপ্তি 

... ঋষি 


আমরা এমন করে বাঁচিনি  এখনো যে এটা  হয়ে যাবে একটা জীবন 

আমরা  জীবনের এর কাছে এসেছি

তৃষ্ণার্ত, ক্ষুধার্ত। 

জ্বলন্ত বালিতে খুঁড়িয়ে চলছি  সূর্য-আগুনে চোখ বাঁধা আইনী বাতিঘরে

আলো জ্বলছে 

তবু অন্ধকারে আমরা ক্রমশ হাতড়াচ্ছি জীবনের মতো কিছু , 

.

আমরা পৃথিবীকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছি

আলাদা দ্বীপের মতো ষড়যন্ত্রে 

প্যারিসের সেই নদী থেকে আমাদের গঙ্গাকে আমরা আলাদা করেছি 

আলাদা করেছি কৃষাঙ্গ আর সাদা ওয়াইট হাউসকে 

যতক্ষণ না পর্যন্ত  আমাদের হাতের হাড় বের হয়ে আসছে

সাদা হয়ে পড়ছে আমাদের মাথার চুল 

আমরা সযত্নে পৃথিবীকে টুকরো করছি ব্রেকফাস্টের টেবিলে। 

.

যখন ঈশ্বর জলের কাছে পৌঁছলেন আমরা বললাম

চলো এখানে বিশ্রাম করি 

যখন ঈশ্বর জীবনের কাছে পৌঁছলেন 

তখন আমরা বললাম চলুন দৌড়োয় খুব জোড়ে 

দৌড়োবো জীবন ভর। 

আমরা এমন করে বাঁচিনি  এখনো যে এটা  হয়ে যাবে একটা জীবন 

আমরা সুখের খোঁজে গেঁথে চলেছি হাজারো পাঁচিল 

তবু ঘর তৈরী করতে পারি নি 

শুধু হাজারো শতাব্দী তাকিয়ে আছি সুখের খোঁজে 

তাই আমাদের কঙ্কাল  হাতে এখন 

বন্দুক 

বোমা 

আর 

অতৃপ্তি

আর ঈশ্বর শুধু একটা কারণ এখানে । 



আমাদের রক্ত

 আমাদের রক্ত 

... ঋষি 


আজ রাতে মনে করবার মতো কিছু নেই

আমার কোনও সত্য নেই,নেই মিথ্যা 

শুধু যাজক বুকের কল্পনায় ফুটে চলেছে আটত্রিশটা মৃত্যু কফিনের খোঁজে ,

চলন্তিকা তোমাকে বলতে চাইছি

 মনে করতে পারছি না আজ বহুদিন কোথায় আমি  জন্মেছিলাম

বেঁচে থাকার জন্য একটুকরো খিদে জরুরী যখন 

ঠিক তখন 

গির্জার উলুতলা লেনে শুনতে পাই চিৎকার।  

.

প্লেটো ,এরিস্টটলের সমাজতন্ত্র  সবচেয়ে উত্তম কি না

জানি না ,

জানি না  ফরাসি বিপ্লবের ই ফ্রাসোয়া-নোয়েল ব্যাবুফ, 

এটিনে-গ্যাব্রিয়েল মোরেল, ফিলিপ বোনার্তি

কতটা যুগপোযোগী ,

শুধু জানি মাঝেমধ্যে সুড়ঙ্গের ভেতরের সুড়ঙ্গে সেঁধোই আমার শহরে 

আমরা বোধহয় প্রতিবিম্বের মতো সমাজ খুঁজি। 

.

প্রথমে প্রতিবিম্ব না দেখায় ভালো 

প্রথম সুড়ঙ্গে প্রবেশ না করে সময়ের শহরে সাধারণ থাকা ভালো 

কিন্তু ভালো না বিদ্রোহের আগুনে পুড়ে যাওয়া মানুষের বুক 

মানুষের শোক 

ধর্ষিত মাতা ,সামাজিক পিতা আর বেওয়ারিশ শৈশব 

চিৎকার এসময়ের বিক্ষোপ নয় শুধু 

নয় শুধু বেঁচে থাকার আর্তি

আমারা যে সকলে বাঁচতে চাই। 

.

কোথায় জন্মেছিলাম-এই অজ্ঞানতায় আমি বেঁচে আছি 

বলছি দুহাজার শতকে আমার কলকাতায় আর হ্যামলেট হবে না 

হবে একটা গুপ্তহত্যা ,

সে এক দেশ, সবাই যাবে ভারতবর্ষ নামেই চেনে আজ বহুযুগ 

পুরনো জমির খতিয়ানে লেখা গণতন্ত্র ,

অথচ সত্যি আমাদের বলতে হবে -আমাদের  রক্ত

শুধু ভারতবর্ষ 

কিছুতেই প্রমান করতে পারি না আমরা কেউই। 


ভীষ্মের জাতক



 ভীষ্মের জাতক 

... ঋষি 


ভালোবাসাসহ আমাকে দাও তোমার হাত

তোমার আমার মাঝে কোনো আগন্তুক

সত্যের চেয়ে বেশি গল্প হোক মিথ্যে সময়ের চাপরাশিতে 

দ্রৌপদী তবু সতী হয়ে থাকুক। 


ভালোবাসা ছাড়া

আমি নেহাতই দূরে থেকে যাওয়া অশ্বথ্থ 

কথা কিছু বুঝলে চলন্তিকা। সেই শ্যামবাজারের বাতিল বুড়ো 

ঠুমরির গানে আলো জ্বালায়।


ভালোবাসা ছাড়া দুধ উঠলে ওঠে খোলা সমাজে  

আমি শান্তভাবে বোঝালাম তোমায় চলন্তিকা ,

একটা নতুন সেলাইয়ের চেষ্টা করছি 

অনুভব করলাম ক্ষতগুলো ফিরে আসছে আবার।


চলন্তিকা তুমি তাকিয়ে আছো শহরের থেকে দূরে

তুমি আমাদের দেখছো শহরের পাশে। আমিও তো আছি 

ঠুলি পরে আপোষকামী। তুমি

বোধ করলে নতুন স্বার্থপরতা।


ভালোবাসা ছাড়া আমি এক ঘুঘু পাখি।

তুমি ভাবলে বাজপাখি। 

একটা নিমগাছের খোঁচা দিতে চাইলে শ্মশানের পাশে 

নিমের হাজার গুণাবলী সত্বেও ,তুমি যে অসতী। 


ভালোবাসা ছাড়া তুমি রক্তাক্ত হলে। 

আমি খুঁজলাম নিজেকে তোমার গভীরে বুক পেতে 

বুক সরে গেলে আমি যে কেঁচো হয়ে যায় 

মাটি খুঁড়ি জীবনের গভীরে অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ায়। 


ভালোবাসা সহ তুমি দিয়ো তোমার হাত 

আমি সার্বিক বুকে বেকসুর জেলের আসামী হয়ে থাকবো ,

দেওয়ালে নখ দিয়ে লিখে দেবো তোমার নাম 

সময় বদলাবে কি ? তবুও আমি ভীষ্মের জাতক। 

Saturday, January 9, 2021

সাদা ঘোড়া



সাদা ঘোড়া 
.. ঋষি 
.

লাখ টাকার কাঠামো নিয়ে শেওলা প্রাগৈতিহাসিক কোন কারণ, 
অথচ আমি কখনো বাউল, কখনো বা শয়তান 
বিবেকের ভিড়ে ইট, কাঠ আর সময়ের দরজা,
অথচ আমি ঈশ্বরের সাদা  ঘোড়া 
একলা দাঁড়িয়ে চাঁদ দেখি ক্লান্ত সড়কে  ঈশ্বরের  দরজায়, 
আমার ঘোড়ার খুঁড়ে আটকে শপথ  নিজেকে মানুষ ভাবনার। 
.
আমি আলতামিরার গুহায় হাত দিয়ে টেনে তুলি একটা ইতিহাস 
অথচ চিরকাল ইতিহাস লেখে যাদের পেটে খিদে
চোখে ঘুম নেই, 
অথচ তোমার আলতামিরার গুহায় 
প্রাচীন ভাস্কর্যে এক ফোঁটা তৃপ্তি গড়িয়ে নামে ঈশ্বরের ভুমিকায় 
আমার স্বাদ কোরকে বিশ্বাস 
তোকে বাঁচিয়ে রাখি আমি ঈশ্বরের  আড়ালে। 
.
এত অথচ কেন? 
এত অধৈর্য্য কেন? 
জীবন গড়িয়ে গেছে মৃত শবের শরীরে একলা কবিতার মতো
একলা শহরের ভীড়ে প্রাগৈতিহাসিক ইতিহাস ক্রুসেড খুঁজছে। 
এতদিনে ঈশ্বরের দরজা খুলছে ইতিহাস 
ভাঙাচোরা, পুরনো  বাড়িটার ইটগুলো ধ্বংস স্থুপ, 
ইচ্ছে করে না ভাবতে ওই বাড়িটায় আমার মৃতদেহ 
ইচ্ছে করতে ভাবতে নিজেকে সাদা ঘোড়া। 
.
একটা সাদা ঘোড়া দিগন্ত ছাড়িয়ে আকাশে ছুটছে 
অপেক্ষায় ঈশ্বর , 
ঈশ্বর  শন্দের প্রতিধ্বনিতে দরজা ভাঙছে
ভাঙছে ইতিহাস 
কারন  
ইতিহাস শব্দটা প্রাগৈতিহাসিক  একটা জেরুজালেম 
ঈশ্বর  দর্শন। 
 

ঈশ্বরের সন্তান



ঈশ্বরের সন্তান 
.. ঋষি 

আমাকে কেউ ভালোবাসি বললে
মনে হয় উল্টে থাকা পৃথিবী নারী নিতম্বের ছায়া,
আমাকে কেউ ছায়ার কথা বললে
আমি দেখি আশ্রয়ে জমছে অজস্র দেনাগ্রস্থ নেশা,
আর আমাকে কেউ নেশার কথা বললে
বুককেশে আকাশ খুলে যায়, খুলে যায় আমার গভীরে পাপ। 
.
আমার নিজের কোন নারী নেই 
আমার নিজের কোন নদী নেই 
আমার শব্দটা উচ্চারন করতে করতে আমার বুকে বারুদ 
অনেকটা ডোরাকাটা বাঘের মতো দেখতে একটা হিংস্রতা,
চলন্তিকা বলে আমি পাহাড়ি আপেল 
যা রোদ, জলে পচে গৃহস্থ সংসারী  পেট হয়ে গেছে। 
.
আমি তো ভেবেছিলাম বাঁচার রাস্তাটা আমার 
কিন্তু পথ চলতি জানতে পারি পরচুলা পরে, সাজানো মেকআপে 
ভারতবর্ষ বলে সময় দাঁড়িয়ে, 
তারপাশে দাঁড়িয়ে রুগ্ন কিছু মানুষ যারা আমার দেশের সম্পদ। 
এতটা পথ হেঁটে বুঝলাম 
মানুষই মানুষকে লেখাচ্ছে, পড়াচ্ছে, কাঁদাচ্ছে, 
বুঝলাম শরীরে দেশের মাটি থাকে, যাকে কংকাল বলেছিলো 
বটতলার মেয়েছেলে গুলো। 
আমি বমি গিলতে শিখি নি
তাই আমার বাগানে কোন গোলাপ ফোটে না 
তাই আমাল মঞ্জিলের ঠিকানা সত্তরের কলকাতায় দাঁড়িয়ে
তাই আমার বিচার করে সমাজ বলে পাগলাগারদ। 
.
আমাকে পাগল সাব্যস্ত করে 
তবু আমার দুঃখ নেই, 
আমার শহরের হাড়ে ২০৬ পরগনার আগুন ২৪ ঘন্টায় জ্বলে 
আমি পাগল, তবুও চলন্তিকা আমাকে বলে
শান্ত হ 
তোর লেখায় কলকাতা পুড়ে যাবে একদিন দেখিস
মশাল হাতে উঠে দাঁড়াবে মানুষ 
ভারতবর্ষ একদিন পরচুলা মেকআপ ছেড়ে জন্ম নেবে 
কোন ঈশ্বরের  সন্তান হয়ে। 

 

অঘোষিত



অঘোষিত 
.. ঋষি 
তুমি, তুমি,তুমি
ভাঙা চোরা ধ্বংস স্থুপের উপর দাঁড়িয়ে পুরুষের সুখ 
কান পাতলে শুনি  অজস্র হাতছানি 
প্রশ্ন রবীন্দ্রনাথ  থেকে জীবনানন্দ গুড়িয়ে কাঁচের টুকড়ো, 
সারা শহরে,সারা সভ্যতায় 
মৃত অজস্র ছোপ ছোপ ক্লান্ত অফিস ফেরত কারণ। 
.
সেই কবে থেকে ভাঙতে চাইছি তোমায় 
চায়ের দোকানে, কারফিউ শহরে টেবিল চাপড়ে 
প্রকাশ্য জনসভায় তোমার জন্য প্রতিবাদ করেছি তোমার মানহানিতে।
তোমার ধবংসের জন্য 
ভাঙতে পারি নি তোমায় 
শুধু সময়ের শরীরে বহুচর্চিত ভালোবাসার মেদ বেড়েছে। 
.
ধর্মতলার লেলিনের স্ট্যাচুতে
মৃত আমার শহর, একটা প্রতিবাদ শেষ হয়ে যায় দীর্ঘশ্বাসে, 
আসলে আমরা ঈশ্বরকে  বেওয়ারিশ  শরীরে বসিয়ে
বিশ্বাস  করি নারীকে, 
মুখ থুবড়ে পড়ি বারংবার সেই নারী জংঘায়। 
মাঝে মাঝে ভাবি তোমায় নিয়ে ধ্বংস  লিখি
তবুও তোমার ঠোঁটের বরফ গলে গিয়ে মোম জ্বালা
ঋতু বদলায় 
আমি তোমার শরীরে উঠে দাঁড়িয়ে পুঁতে দি 
বিজয় মিছিল 
তবুও কেন জানি ফিরে যায় তোমার কাছে
ভাঙতে পারি না তোমায়
শুধু শহরটা গুঁড়ো গুঁড়ো  হয়ে ঝরে যায় চোখের পাতায়।

oslil

অশ্লীল  
.. ঋষি 
.
হারিয়ে যাওয়ার কথা শুনি 
পথ চলতি গাইতি - শাবল দিয়ে তুলে নেবো ভদ্রলোকের মেয়েছেলে, 
সমাজ শব্দটা অনেকটা নেওয়ারিশ লাশ টানার মতো 
অথচ কথায় খোলে মায়া মানুষের শায়ার দড়ি, 
জোর করেও খোলে, খোলে আদরে
তবুও মানুষ চটকে সাজানো নাটক শুধু মাছ ঢাকা নগ্নতা। 
.
জানি পাঠক বুঝছে পাগলা মাল 
আমি বুঝছি বিলোতে বিলোতে মরা কুকুর টেনে নিয়ে যায় ডোম 
বুক আগলে শব্দটা আসে সারমেয়, 
সমাজ শব্দটা চলন্তিকার মতো কবিতার কারণ
কিংবা কারণে কবিতা 
গাঁ, মাঠ এক করে উত্থিত শিশ্নে সুখ শুয়ে। 
.
হারিয়ে যাওয়ার কথা শুনি 
সময়ের মতো অসময়ে বিয়োনো চলন্তিকার জন্ম, 
আগুনে মোম পড়ে
উঠে দাঁড়ায় মোমবাতি, 
বাপ ঠাকুরদার মৃত মুখে আমার একশো আটান্ন পিঠ
উনত্রিশটা মোমবাতি। 
দিন দিন ফুরিয়ে গিয়ে বেড়ে চলেছে শীতের বেলা 
দিন দিন ছেলেটা, ইটের ভাংগা স্থুপ, শহর, 
চলন্তিকা কাঠের গল্প শোন 
পুতুল নয়, বই নয়, বোমা রাখো তোমার শান্তিনিকেতনি কন্ঠে 
কারন নিয়ে সৃষ্টি। 
এই শহরে বেশ্যার শরীরে বাড়তে থাকা পুঁজ, রক্ত 
অশ্লীল  হাসি 
এতক্ষন জানো তো প্লুটোকে পৃথিবীতে পুঁতে দিয়েছে সমাজ 
আর আমার কবরের পাশে চিহ্নিত তোমার যোনি। 



.একটা কবিতা আমি তুমি

আমার কবিতা পেলেই আমি তুমি হয়ে যাই তোমার মতো আটপৌরে শাড়ি পরি, হাতে কলম কোমড়ে আঁচলটা গুঁজে তোমার মতো উনুনে আঁচ দি  হাঁড়িতে পরিমাণ মত শব্দ, জল...