Thursday, October 31, 2019

একটা গল্প


একটা গল্প
...... ঋষি
===========================================
ছেলেটা প্রথমে এগিয়ে গেলো মেয়েটার দিকে
মেয়েটা ভ্রুক্ষেপ করে নি কিংবা সাধারণ দৃশ্য চোখে পরে নি
তারপর চোখে পড়লো একদিন ,
ছেলেটা অনেকটা মেয়েটার মৃত বাবার মতো ,মেয়েটা মুচকি  হাসলো।
আসলে মেয়েটা ছেলেটার মধ্যে বাবাকে খুঁজছিল
খুঁজছিল আশ্রয় আর বেঁচে থাকা
আর শেষ না হওয়া এক সাথে থাকা  । 
.
তারপর ফুটপাথ ,ফুচকা ,তাদের শহর, 
এগিয়ে যাওয়া ঠোঁট
পড়ন্ত বিকেল ,গঙ্গার পার বেশ কাটছিল।
সম্পর্কের এক বছরের মাথায় বিয়ে করে ফেললো ছেলে মেয়ে দুটো
জড়িয়ে ফেললো নিজেদের সমাজের মন্ত্রে।
বিয়ের দু বছরের মাথায় মেয়েটা আবিষ্কার করলো নতুন করে সেই ছেলেটাকে
ছেলেটার চোখে সব আছে সেখানে শুধু সেই  ভালোবাসাটুকু নেই।
ক্রমশ মেয়েটা নিজেকে বোঝালো
ছেলেটার মতো করে নিজেকে পরিবর্তন করতে লাগলো,
কিন্তু খুঁজে পেলো একটা অন্ধকার ঘর ,
একটা বুক পোড়া প্রদীপের আলো।
যে আলোতে তার চারপাশ আলোকিত ,সুন্দর সাজানো
শুধু সে নিজে ছাড়া।
.
আরো কিছু বছর পর 
মেয়েটা এগিয়ে যাচ্ছিল  ছেলেটার দিকে
ছেলেটা  ফিরেও  তাকালো না বরং পিছোতে থাকলো অন্ধকারে ।
মেয়েটা ছেলেটার ভিতর বাবাকে খুঁজেছিল ,খুঁজেছিল আশ্রয়
কিন্তু হঠাৎ আবিষ্কার করলো আশ্রয় তার কোনোদিন ছিল না সেখানে।
আজও সেই মেয়েটা অন্ধকার ঘরে একলা বুক পোড়ায়
তার চারপাশে অসংখ্য ছায়া ,
সেই ছেলেটাকে মেয়েটা অন্ধকারে খুঁজে পেতে চায় বাবার মতো 
কিন্তু মেয়েটা ভুলে এই সমাজে মেয়েদের তো আশ্রয় থাকে না কোথাও। 
 .
এই গল্পটা হয়তো নিয়মিত
তবু একটা প্রশ্ন ছিল
সত্যি কি মেয়েটার এমন হওয়ার কথা ছিল ?
সত্যি কি মেয়েদের ঘর মানে আশ্রয় ?
আর বাঁচা মানে নিজেকে পোড়ানো ?
উত্তরটা জানা থাকলে দয়া করে পাঠাবেন মানুষের গভীর ঠিকানায় 
আগামীতে  হয়তো  হিসাবটা বদলাতে পারে। 

মুক্তি



মুক্তি
.... ঋষি
===========================================
 নীলাঞ্জনার শরীর দিয়ে হেঁটে চলেছে কিলবিল করা পোকামাকড়
বিয়ের পর থেকে সারা রাত প্রায় একটা বিষাক্ত নিশ্বাস
নীলাঞ্জনাকে গ্রাস করে ,
তবু সে বেঁচে আছে এতগুলো বছর প্রাচীন সভ্যতার মতো
তবু সে বলতে পারলো  কই 
মুক্তি চাই।
.
রহিম চাঁচা রোজ নিয়ম করে হিসেবে মাফিক মদ খেয়ে এসে
রোজ রাত্রে ফরিদা  চাঁচিকে পেটাতেন ,
কারণ চাঁচি কনসিভ করে নি।
চিৎকার শুনতে পেতাম ,যা বাজারে গিয়ে শো এবার ,যদি মা হতে পারিস
কিন্তু চাঁচি বলতে পারেন নি নপুংসক সমাজ
মুক্তি চাই।
.
নলিনী দি আমার ইংলিশ টিচার ভালোবেসে বিয়ে করলেন সমুদাকে
শিক্ষিত প্রেম ,শিক্ষিত সমাজ একদিন নলিনীদিকে ফিরিয়ে দিলো বাপের বাড়ি,
,নলিনীদির স্বভাব চরিত্র ভালো না ,ছেলে চাটা।
বাপ্ বললো ফিরে যা ,মা বললো সমঝে চল
নলিনীদির মৃত শরীরটা পরদিন পাওয়া গেলো একলা ঘরে
নলিনীদি চিৎকার করতে পারে নি
মুক্তি চাই।
.
চার মেয়ে আবার মেয়ে জন্মালো অনুসূয়ার সংসারে ,
শ্বাশুড়ি বললো এইবার তো সমাজে  মুখ দেখানো ভার ,
রাতে পতিদেব অনুসূয়ার দুই বুক মুচড়ে ঢুকিয়ে দিলো পুরুষ প্রবল আক্রোশে
দেখি মাগি এইবার কি করে ছেলে না হয়।
অনুসূয়া ব্যাথায় কুঁকড়ে উঠলো ,বলতে পারলো না
মুক্তি চাই।
.
মুক্তি শব্দটা আকাশের মতো গভীর
এরা কেউ বলতে পারে নি  ,ভয় পেয়েছে ,কারণ এরা মৃতদেহ।
আপনি জীবিত কিনা একবার নিজের বুকে হাত দিয়ে খুঁজুন
আর যদি সত্যি জীবিত হন
একবার আকাশে ডানা মেলে উড়ে দেখুন।

আপনজন


আপনজন
......... ঋষি
=============================================
যেদিন আমি হেঁটে এসেছি একা
সেদিনও আগুন জ্বলে নি সময়ে ।
কেউ মনে করে নি ,মা ,সম্পর্ক বা মায়া
কেউই হাত ধরে পিছে টানে নি।
শুধু আগুন লেগেছিল কবিতার খাতায় ,নিজের বুকের গভীরে
এক টানে সমস্ত জামাকাপড় ছিঁড়ে আমি তখন নগ্ন
আর এই নগ্নতাই সেদিন লজ্জা লিখি নি।
.
যেদিন আমার ছত্রিশতম গার্লফ্রেন্ডকে আমি বিছানায় চটকে মিশিয়ে নিয়েছি
সেদিনও আমার কন্ডোমের মুখে জ্বলছিল  সৎকারের আগুন ,
আমার হাজারতম সন্তান সেদিন কেঁদে ফিরেছিল 
আমার রক্ত ভেজা শরীরে।
এই সব কথা বলতে নেই
বলতে নেই ,তোমার সম্পর্ক তোমাকে নষ্ট করতে পারে
বলতে নেই ,তোমার সময় তোমাকে বিক্রি করতে পারে ,
তাই আমি পিছনে ফিরে তাকাই নি কখনো ,
শুধু পুড়িয়েছি নিজেকে সিগারেটের ছাইয়ে ,
নেশার পাত্রে
রমণীর শরীরে নগ্ন বুকে সিগারেট ছাঁকা দিয়ে
হেসেছি পাগলের মতো।
নগ্ন আমি ,ছিঁড়ে ফেলতে চেয়েছি সময়ের মুখোশ
ছিঁড়ে ফেলতে চেয়েছি সম্পর্কের মুখোশ
আর সাজানো সময়কে।

আমি ফেলে এসেছি আমার বেঁচে থাকা
আমার নষ্ট শরীরে আজ শুধু ফেলে আসা সময়ের বিষ।
আমার এই হত্যায় কোনো লজ্জা নেই
আছে নিজের নষ্ট অভিমান ,
আর আমার নিজের মৃতদেহ
যে আজও খোঁজে নিজের আপনজন।     

পাগলামি (১১)

পাগলামি (১১)
... ঋষি

সারাদিন কিছু একটা তাড়িয়ে বেড়ায় ,আর আমি কুড়িয়ে
কতকিছু ,হাজারো মুহূর্ত
কত সাদা ,কালো মুখ ,কত সুখ ,দুঃখ সময়
যেন সমুদ্র।
তারপর সমুদ্র কুড়িয়ে বাড়ি ফেরা নিজের সম্বলগুলো সাজিয়ে রাখা
প্রিয় কবিতার ভাঁজে
বইয়ের তাকে ,
সময়ের সেলফিতে।

এই ভাবে সমুদ্র জমাতে জমাতে কখন যেন আমার বাড়িতে
এক জাদুঘর।
হাজারো মুহূর্তদের ভিড় ,পাথরের স্থাপত্য
পুরোনো গাছ
পুরোনো গান
রবিঠাকুর,শক্তি বাবু ,সুনীল বাবু আরো কত।

জানো অনেক মানুষ আসে  এখন আমার বাড়িতে
মুহূর্তদের দেখতে। 
বাড়ির ঘরগুলো এখন  পুরোনো নিশ্বাস ,পুরোনো মৃতদেহ দিয়ে ভর্তি
তুমি অবাক হবে শুনলে
অনেকে আমাকে দেখে আজকাল পাগল বলে।
কিন্তু একবার ভাব সত্যিকারে
জাদুঘরে সভ্যতা লুকিয়ে থাকে আর সময়ে মানুষের পাগলামি। 

আর তারপর

আর তারপর
.... ঋষি

তুমি নিজেকে  ফিরিয়ে এনেছো নিজের কাছে
তাই এতো আলো।
তোমার ভিজে অভিমানগুলো তুমি শুকনোলঙ্কা ফোঁড়ন দিয়ে
রেঁধে ফেলেছো কোনো অনবদ্য প্রেম।
তুমুল গর্জনে মেতে উঠছে তোমার সমুদ্র উপকূল
শহরে কান পাতলে শুনতে পাবে
তোমার কবিতা।

তোমার কবিতা পরে আমি হেঁটে যাবো অনন্ত আলোকবর্ষের দিকে
এক এক করে খসে পড়বে সময়ের কাঁটাগুলো।
সারা সময় জুড়ে কবিতা বৃষ্টি হবে
ঝরতে থাকবে মানুষের কথা ,ভালোবাসার কথা ,অভিমানের কথা
কিন্তু কোথাও সময় থাকবে না।
চোখ বন্ধ করে চোখ খুলবো
কোনো ম্যাজিক
অন্ধকার ,কোলাহল ,প্রতিবাদ ,প্রতিশ্রুতি পেরিয়ে এক অন্য দেশ
শান্তি ,
আমি চলে যেতে চাই তোমার হাত ধরে।

তুমিও চলে এসো সাথে
আমার কবিতা বুকে তুমিও যেন আমার সময় হয়ে ওঠো ,
এই আশা করি
আর
তারপর   .......... 




ফানুস



ফানুস
... ঋষি

এইভাবেই সকাল শুরু
সময়ের পাশে মানুষ  ,চার্জারের পাশে মোবাইল
আর তার পাশে আমরা।
এক একটা বীজগণিতের স্বভাব পেরিয়ে
সময় ধরার লোভ।

অদ্ভুত মানুষ ,আরো অদ্ভুত জীবন
সিরিঞ্জের ভিতর দিয়ে যেতে যেতে কখন যেন সময় মৃত্যু হয়ে ওঠে।
মানুষের কাছে সময় আছে ,বাঁচা নেই
আছে এই শহরের প্রচুর হৃদয়ের বাস ,অথচ এখানে হৃদয় নেই।
মুখোশের মিছিলে দাঁড়িয়ে মানুষ মুখোশ খুঁজে পায়
আর সেই ফেরিওয়ালা মুখোশ বিক্রেতা দিনের শেষে খালি হাতে বাড়ি ফেরে।
আকাশ জুড়ে শুধু ফানুসের ভিড়
সময় জুড়ে বিজ্ঞাপন ,
মানুষ হাসছে  বীজগণিতের স্বভাব নিয়ে অকারণে
অথচ মানুষ হাসতে ভুলে গেছে।

এইভাবে সকাল শুরু হয়
আমি সময় করে তোমাকে দুহাতে আঁকড়ে গিলে খাই।
আর আমাদের পাশে
জীবন বাড়তে থাকে ,বাড়তে থাকে যৌন কিছু আবেদন
অথচ আমরা ক্রীতদাস যৌনতার নয়
নিজেদের দুর্বলতায়। 

পাগলামি (১০)


পাগলামি (১০)
... ঋষি

ভাত ফুটছে হাঁড়িতে
প্রতিটা সময় ভিন্ন ভিন্ন কথা বলে অবিশ্রান্ত।
চোখ বোঝে ,মন বোঝে
আলোকের এই ঝর্ণাধারায় ধুইয়ে দাও।
.
অনন্ত
ঋতুস্রাবের মতো কিছু একটা  সময়ে
কুমারী থেকে বৈবাহিক হয়ে ভাষা বদলালো না চলন্তিকা।
সিঁদুরে ঢিল বেঁধে দশমীর বোধন
হাতের শাঁখাতে লুকোনো প্রহসন সামাজিকতা।
বুক জ্বলছে ,নিশ্বাস পুড়ছে
চাল বাছাই করা  কুমারী হাতের মতো নিমন্ত্রণ।
বৃষ্টি পড়ছে
মাতাল প্রজাপতি আকাশের গায়ে গিয়ে বসলো।
পাগলটা হেসে উঠলো নিজের সুড়সুড়িতে ,
ঘরেতে তোমার ম ম করছে ভাতের গন্ধ।
কোনো এক অপেক্ষমান নীরবতা ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে
অপেক্ষায়
ঘোমটা ঢেকে অবিশ্রান্ত মনকষাকষি।
.
ধ্যান ভেঙে গেলে ঈশ্বরের শব্দ পরে নেয় সময় ,
তারপর ক্যামেরা চলছে
ভাতের হাঁড়ির মার্ গড়িয়ে নামছে গভীর আগুনে ,
চোখে তখন ধাঁধা ,হাত পুড়ে গেলো
আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও ॥

সুখ


সুখ
.... ঋষি

চলন্তিকা অনুভবে নিলাম
অনুভব শব্দের গা বেয়ে অজস্র সবুজ ঝুড়ি ,
প্রাচীন মহীরুহ।

শেষ হবে কি করে
ক্রমশ সমস্ত সত্ত্বার বাইরে নিজেকে খুঁজে পাওয়া।
নীল আকাশ ,
বোতাম ছেঁড়া রৌদ্র ,পথচলা অসময়ে।
দূরবীনের পিন পয়েন্টে রাখা সেই পাহাড়ের শীর্ষ
সবুজ নদী ,গভীর জঙ্গল ,
এই বুকে দাবানল চিরকালীন।
শুধু চলন্তিকা তোর আখরোটে লেগে বাঁচার লোভ
শূন্য কালীন যুদ্ধ তৎপরতা
কেমন একটা ছায়া জড়িয়ে যায়
বাইরে শেষ সময়ের ভাঙা রৌদ্র জানলার গ্রিল জড়িয়ে।

চলন্তিকা অশেষ
আমার এই কবিতার মতো কিছু অদ্ভুত পৃথিবীতে বেঁচে।
গভীরে যাও ,আরো গভীরে ,দমবন্ধ লাগুক
তবু তোমার খোলা বুকের গন্ধে ক্লোরোফিল সখ্যতা ,
আর আমার পুরোনো জঙ্গল,সবুজ সুখ ।

Tuesday, October 29, 2019

নক্ষত্র

নক্ষত্র
.... ঋষি

আগামী
অদ্ভুত কোনো মায়া সকাল
লিখে চলা আবৃত্ত জীবন ক্রমশ মাকড়সার জাল।
দুর্বলতা
নিজের গভীরে বেঁচে থাকা সবুজ জঙ্গল।

দূষিত আবর্তন
যদি একবার গলা ফাটিয়ে চিৎকার করা যেত।
গলার কাছে নিকোটিন রোগ ,
লোমহর্ষক কোনো কাহিনীর নায়ক হেঁটে চলে মায়া জাল ছিঁড়ে
নক্ষত্র জন্ম নেয় তোমার ভাষায়,
অথচ জানা হয় নি সত্যি কি নক্ষত্র জন্মায়
যদি জন্মায় তবে কি মৃত্যু সত্যি।
এই সব গল্প কথা ,এই সব ভাবতে নেই
সত্যি ভাবতে নেই যেমন বেঁচে থাকা।

বর্তমান
একটা ছেঁড়া ন্যাকড়া জড়ানো তত্ব কথা
ফেলে আসা জীবনের অজস্র অন্ধকার পর্যায়।
চিরকালীন
অভিশাপ মৃত নক্ষত্র সর্বদা আলো বিহীন। 

Saturday, October 26, 2019

ফিল ইন দ্যা ব্লাঙ্কস


ফিল ইন দ্যা ব্লাঙ্কস
.... ঋষি

গভীর রাতে শব্দরা নিঃশব্দ ছায়ার মতো
ভিজে শরীরে দাঁড়িয়ে থাকে।
শুন্যের আড়ালে সব শুন্যস্থান স্থির সর্বদা
এমনকি নক্ষত্ররাও পিঠ ফিরে শুলে ভ্যানিশ হয়ে যায়।
.
এগুলো ম্যাজিক নয়
সময়ের আবর্জনা গায়ে মেখে মাথার নিউরোনের লুডো খেলা।
নেই কোনো আবদার ,কোনো হাওয়া খেলা
চুপটি করে দাঁড়িয়ে একলা ভিজে যায় আকাশের দিকে তাকিয়ে।
মানুষের দরদাম করে কেনা ভেষজ সমস্যাগুলো
হাই তোলে অন্ধকারে।
.
আসন্ন মৃত্যু সভ্যতায় নিঃশব্দ তখন শব্দ হয়ে
হাওয়ায় হাওয়ায়।
গাছের পাতার দুলে দুলে ঢলে পরে কালো অন্ধকার  আকাশে
তারপর হঠাৎ সভ্যতায় নক্ষত্র বৃষ্টি হ,য়
ধ্বংস পৃথিবীর মোড়কে শব্দরা চিৎকার করে
হয়তো ছায়াসঙ্গী
কিংবা নির্ভুল ফিল ইন দ্যা ব্লাঙ্কস। 

প্রতিশব্দ



প্রতিশব্দ
... ঋষি

রাতে ঘোড়া বেচে ঘুমোবি
তুমি বলেছিলে ,
প্রশ্ন করা হয় নি মানুষ ঘোড়া বেচে কি করে ঘুমোয়।
রাতে আমার বিষাক্ততা আসে
ঘরের সিলিঙে ঘোড়া দৌড়োতে থাকে নিজের রোজনামচায়
আর আকাশে তখন গোল চাঁদ।

বোরোলিনের হিসেবে ,গুঁড়ো কাপড় কাচার  সাবান ,গুঁড়ো লঙ্কা
মাছের বাজারে ঢুকে বেশ কয়েকবার চমকে উঠি ,
তুমি বলো ভালো থাক।
আমি তাই ভালো থাকা খুঁজি আকাশের গায়ে
হাজারো উদযাপন ,পাড়ার সানাই ,গুঁড়ো হলুদ আলোয় সেজে ওঠা শহর
আমি ভালো থাকা খুঁজতে থাকি।

পথ চলা
আবারো সকাল, সূর্য ওঠে
আমি ভিড় ঠেলে উঠে পড়ি অফিসটাইমের উচ্চতায়
ঘেমে নেয়ে ফিরে আসি
স্বঘোষিত বেঁচে থাকায় ।

জানি ফিরে যাওয়া যায় না ,
জানি বদলায় না ,
শুধু নিয়মমাফিক ঘোড়া দৌড়োতে থাকে অক্লান্ত না জানাতে।
তারপর গল্পটা লেখা আছে ঠাকুমারঝুলিতে
আর প্রতিদিনকার আয়নাতে গড়িয়ে নামা ঘামে
জীবনে প্রতিশব্দ।  

মিঠেল হাওয়া

মিঠেল হাওয়া
.... ঋষি

মিঠেল হাওয়া ,এক সমুদ্র মেঘ ,মেঘ ভাঙা বৃষ্টি
গড়িয়ে নামা তৃপ্তির সাথে সময়ের বিচরণ।
জীবনটাকে জানা ,ভালোবাসা
স্পর্শের ঢেউয়ে হৃদয়ের সমুদ্রে তুফান কোথাও তোমায় ছুঁয়ে।
.
সময় ভেঙে তৈরী ,কোনো অধিকার
ঠিক মিঠেল হাওয়া।
.
মাটির সবুজ গন্ধ
দূরে দিক চক্রবালে সময়ের ঘরে ফেরা ,
খোলা আকাশ।
.
৩৭ সময় পেরিয়ে আজও আমি জন্ম নিতে চাই নি
আজ এ জন্ম শুধু খোলা আকাশে।
ঘুম ভাঙা ঠোঁট ,এগিয়ে আসা উর্বরতা ,আখরোট ঠোঁট
তবু বৃষ্টি ভেজা ,
গড়িয়ে নামা তোমার গভীরতায় আমার গন্ধ।
ঠিক বুঝতে পারি
তোমার এক চিলতে হাসি ,আর ভাঙা মেঘে বৃষ্টি
আমি ভিজতে থাকি।



বৃত্ত

বৃত্ত
........ ঋষি

জীবন  খুব  সাধারণ
সাধারণ  জীবন  ,তাই  বোধ  হয়  হেঁটে  যেতে  হয়  আগুন  দিয়ে  রোজ।
আচমকা  ঝলসে  ওঠে
সাড়ে  ছেচল্লিশ  ইঞ্চি ছাতির  ভিতর  একটা সময়  কাঁদতে  থাকে।

নষ্ট  শৈশব
নষ্ট  সময়ের ভীত।

নড়ে  ওঠে  পৌরাণিক  প্রাচীন  নিস্তব্ধতা
আমার  মতো  একটা  মানুষ  একলা দাঁড়িয়ে  থাকে  শহরের  চৌরাস্তায়।
দুদিক  দিয়ে  ক্রমাগত  আসা  যাওয়া
কালো  ধোঁয়া  ,দমবন্ধ  লাগে
হাতে  মুখে  কেমন  সময়ের  কালি  লেপ্টে  থাকে।

জীবনে  কাছে  জীবনের  বোঝাপড়া  ক্রমশ  আরো  ছোট
রোজ  বৃত্তি ,চেনা বৃত্ত
সময়  ঘুরতে  থাকে।

Wednesday, October 23, 2019

মীরজাফর

মীরজাফর
.... ঋষি
=======================================
অন্ধকারে নিজেকে পোড়ানো খুব সহজ
যেমন হঠাৎ পথ চলতি একলা বৃষ্টি।
মানুষ আলো খোঁজে
খোঁজে নিজেকে অন্যের মাঝে বাঁচার তাগিদে প্রিয় সময়।
অথচ সময় মীরজাফর
ভেঙে ফেলে সিরাজদৌল্লার দুর্গ অক্লেশে।

সভ্যতাকৌশলী সমাজ
তার হাতে পাথুরে তলোয়ার মন বোঝে না ,বোঝে না মনের দারিদ্রতা ।
কি সহজে হত্যা করে নিজেকে নিজেদের মাঝে
কি সহজে নগ্ন করে আত্মা মানুষ মানুষের মাঝে।
মাঝে মাঝে মনে হয় সব মিথ্যা
মিথ্যা আলোর স্রোতে ভাসতে থাকা এই সমস্ত গ্রহটা।
সুদূর জানলা
সেই জানলার ভিতর প্রবাহিত ঈশ্বরের খোঁজ সন্ধ্যা ।
অথচ  এই পাথরসঙ্গম এই জ্যান্ত হাড়িকাঠ
 যা কিছু অস্থাবর আলাপ মানুষের সবটাই ক্ষনিকের। 

অন্ধকারে নিজেকে পোড়ানো খুব সহজ
কিন্তু খুব কঠিন একলা সময়ের দরজা পেরিয়ে বেঁচে থাকা।
মানুষ জীবন খোঁজে
খোঁজে নিজের বেঁচে থাকা সময়ের আলোয় ,সময়ের সাথে।
অথচ সময় মীরজাফর
যে অবলীলায় হত্যা করে বিশ্বাসী মানুষকে। 

ভুল

ভুল
.... ঋষি
অনেকগুলো ভুল
ভুলগুলো বুকের সবুজ জঙ্গল পোড়ানো দাবানল।
সময়ের সাদাস্রাবে শরীরের অতিরিক্ত ক্ষরণ
চাওয়াপাওয়া সমস্ত সত্তায় নিজেকে খোঁজা
আয়নায় পাওয়া নিজের অচেনা মুখ।

আগুনের হলুদাভ চোখ রাঙানো সময়
পেখমি আলোয় ভরে আছে হৃদয়ের কুঠুরিতে স্বপ্নের রং ।
সময় বলে জলতরঙ্গ
আর্দ্র অভিমানে ডুবে থাকা কুয়াশার ঘুম না ভাঙা ।
 ভূগর্ভস্থ রাত্রি লুকিয়ে অচেনা  বাগানে
সেই বাগানে নাম না জানা নীল রঙের স্বপ্নের পাখি ।
আকাশ ছোঁয়ার লোভ
লোভ নিজেকে খুঁজে পাওয়া আকাশ নামক বিরল ভালোবাসায়।
 সুরের মতো শব্দরা মাতাল করছে আমায়
আমার মিশে থাকা বিকলাঙ্গ বুকে
আজ সারি দেওয়া মৃত কিছু শুকনো পোড়া কাঠ ।

 অনেকগুলো ভুল
মানুষের ভুল মানুষকে অন্ধ করে দেয় নিজের গভীরে।
আর যে ভুল মানুষের নয়
তা অন্ধকারে মৃত্যু ঘোষণা করে সময়ের বিরুদ্ধে
আর আমার এই কবিতা সেই মৃত্যুর স্যিগনেচার। 

গন্তব্য


গন্তব্য
.... ঋষি

যে সব কথা ভেবে আমি ক্রমশ মৃত হয়ে যাই
এই শহরের দস্তানায় বরফ জমিয়ে ফেলি ,
তাদেরকে সাধারণত দেখি
চৌরাস্তায় হলুদ আলোর ল্যাম্পপোস্টের তলায় দাঁড়িয়ে একা
শুধু গন্তব্যের খোঁজে।

অন্ধকার হলে চারিপাশ থেকে চেপে ধরে ক্ষত মুখগুলো
আলাদিনের প্রদীপের আলোয় বোধ হয় ঘুম আসে।
আমি ঘুমের মধ্যে রৌদ্র নিয়ে হাজির হই
তোমার দরজায়
দরজা খোলে না ,শুধু ঈশ্বরের শব্দ শুনতে পাই।

আমার একলা দাঁড়িয়ে থাকার স্বভাৱে
এই শহরের বুকে জমতে থাকে হাজারো অভিমান।
সেই অভিমানে পথে এক হাঁটু জল ভেঙে
তোমার রিকশা আসে ,একই পথে পথ হারানো থেকে
মন্দিরে বেজে ওঠে  সময়ের ঘন্টা।

আমি অন্ধকার থেকে ফিরে এসে মৃত শরীরে
আবার জড়িয়ে ধরি এই শহরের বরফ।
ক্রমশ শীতল হতে থাকি
শরীরের রক্তগুলো আরো বেশি নিয়ন্ত্রণহীন বেওয়ারিশ
শুধু নিশ্বাস খোঁজে। 

ছায়া

ছায়া
.... ঋষি

হঠাৎ বৃষ্টি টুপটাপ থেকে মুশল ধারে
সময়ের প্রকোপ ,অসময় বটে।
আমার সাত বছরের ছেলে হাত বাড়িয়ে জলের ফোঁটা ধরছে
আমার সামাজিক বৌ একমনে গেয়ে চলে ,
ঘরেতে ভ্রমর এলো গুনগুনিয়ে
আর আমি আকাশের তাকিয়ে অবাক হয়ে।

আমি দেখছি আকাশ দিয়ে সারি দিয়ে কঙ্কালেরা হেঁটে চলেছে
আমি ছুটে  গেলাম ছাদে,
তখনও বৃষ্টি ,অথচ বৃষ্টিগুলো আমাকে ছুঁল না
ছাদের রেলিং দিয়ে আকাশে পা বাড়ালাম,আমি নামলাম না নিচে।
আমি হাঁটতে শুরু  করলাম কঙ্কালদের মিছিলে
হঠাৎ সামনে দেখি  সামনে বিংশ শতাব্দীর কোনো প্রাচীন ভগ্নস্তূপ ,
সামনে দরজা খুলে গেলো
আমি ওপরের আলোর থেকে অন্ধকারে নেমে গেলাম ,
দেখি সেখানে সারি দেওয়া প্রাচীন কবি ,যাদের মুণ্ডুগুলো হাতে
আর কলমগুলো মাথায় ,
তাদের সামনে নৃত্য রত ভালোবাসা ,যার শরীর নেই
শুধু একটা ছায়া।

হঠাৎ বৃষ্টির ছাট আমার জানলা বেয়ে
ছড়িয়ে পড়লো ঘুমের বিছানায় ,ঘুম ভেঙে গেলো।
পাশে দেখি আমার সাত বছরের ছেলে ঘুমের মধ্যে হাসছে
আর সামাজিক বৌ সামাজিকতা জুড়ে শুয়ে।
আমি জানলা বন্ধ করতে গেলাম
দেখি জানলার বাইরে বৃষ্টি দাঁড়িয়ে আমাকে ভেজাবে বলে।

ডকুমেন্টরি

ডকুমেন্টরি
... ঋষি

সময় গুটিয়ে রেখেছি
হাতের আস্তিনে লোকানো উৎসব মাস ক্রমশ গড়িয়ে নামছে।
আঙ্গুল বেয়ে ,স্পর্শ বেয়ে ,অধিকার প্রকোষ্ঠে
দিনে দিনে তুই আরো বেশি অহংকারী হয়ে যাচ্ছিস ,
আর আমি আরো হিসেবি।

আত্মহত্যা নাকি খুন? এ প্রশ্ন কবেকার?
যেদিন আমি শেষ মৃত্যু বুকে শুয়ে ছিলাম নীলনদের ফারাওর বুকে ,
হিসেবে শোনা
দৈববাণী ,     
এই মৃত্যুর কোনো দাবিদার নেই ,নেই কোনো অধিকার
এই মৃত্যু শুধু সময়ের।
ডকুমেন্টরি সাজে
ন্যাশনাল জিওগ্রাফি তুলে ধরেছিল কয়েকশো বছরের সভ্যতা
আর কিছু ছেঁড়া ,খোঁড়া প্যাপিরাস
কিন্তু তারা জানতে পারে নি
সেই সভ্যতার কোনো জন্ম ছিল না ,
ছিল শুধু একটা পাথুরে স্কেলিটন
আর হাজারো বছরের পুরোনো কিছু চিৎকার  ।

সময়কে গুটিয়ে রেখেছি
সময় আর পরিসর ,মাঝখানে একটা লম্বা অন্ধকার বারান্দা।
চুপচাপ বিড়ালের পায়ের কিছু পুরোনো দাগ
দিনে দিনে তুই আরো একলা হয়ে যাচ্ছিস আমার থেকে
আর আমি আরো কাছে। 

পাগলামি(৮)

পাগলামি(৮)
...... ঋষি

এগিয়ে যাওয়া অন্ধকারে
উৎসের খোঁজ কোনো জন্মান্ধ সময়ের উৎসব।
প্রতিদিন সময় করে উৎসব খুঁজি
বন্দুকের নল ঘুরিয়ে আয়না কিংবা আলোর মাঝে মহাকর্ষ।
আলো ছড়িয়ে পরে সময়ে
অনন্ত কোনো পথচলা উৎসের খোঁজে অন্য প্রান্তে।

তুমি হাসতে থাকো আমাকে দেখে
দূরে গ্রামাফোনে ফুটে ওঠে সাদাকালো মান্নাদের কণ্ঠ
যখন কেউ আমাকে পাগল বলে।
আমি হাসতে থাকি
আমি আর আমার পাগলামির মাঝে বাড়তে থাকা দৃষ্টি
কখন যেন দর্শনে।
আবিষ্কারসত্তার ভিতর সময়ের অনেককিছু অজানা
ক্রমশ তোমাকে আরো জানা।
কি আবোলতাবোল
হাসতে থাকি আমি নিজের ভিতর ,তোমার ভিতর
আজ আমার জন্মদিন
কোনো নষ্টজন্মের কবিতায় তোমায় লিখবো বলে।

এগিয়ে যাওয়া অন্ধকারে
উৎসের খোঁজ তোমার বুকের পাহাড়ে সূর্যোদয়।
আমি মুখ গুজে বন্ধ করতে চায়
সময়ের অ্যালার্মঘড়িটা ,অথচ ঘড়িটা বাজতেই থাকে।
আমি হতে চাই তোমার জন্য 
অথচ সময় আমাকে আটকে রাখে কারাগারে। 

দীপাবলি

দীপাবলি
............. ঋষি
=======================================
আমার বাইরে কি আছে
তাকিয়ে আছি দূরে দিক্চক্রবলে জংলা সবুজের দিকে।
ভিজে ঠোঁট ,হঠাৎ বৃষ্টি
সামনে দীপাবলির শুভেচ্ছায় মেতেছে সময়।
কালো মেয়েটা একলা দাঁড়িয়ে ,রক্তে ভেসে যাচ্ছে
সকলে অভ্যস্ত হাতে প্রনামে ব্যস্ত। 

চুপ
একটা কথাও  না ,তোমার চুলের গভীরে রাক্ষসী লুকিয়ে থাকে।
সারাদিনরাত জেগে থাকলেও রাক্ষসী ঘুমিয়ে থাকে
সোনার কাঠি ,রুপোর কাঠি
বেশ কয়েকটা চুমু ,চুমু অধ্যায় ,আবোলতাবোল গুঁড়ো সবুজের গন্ধ।
হারিয়ে ফেলছি রাস্তার ঠিকানা,তোমার পাড়ায় প্যান্ডেল
আলো দিয়ে সাজানো
আমার দরজায় সেই কালো মেয়েটা হঠাৎ ফর্সা হয়ে যাচ্ছে।
খিদের সমার্থক শব্দ নখ হওয়া উচিত
এমনটাই মনে হয়েছিল তোমাকে ছুঁয়ে
আমার বুকে নখ ঢুকে যাচ্চে ,আর তোমার হাতে হৃৎপিণ্ড
লাবডুব শব্দটা তুমি বুকে শুয়ে শুনছো।

আমার বাইরে কি আছে
ম্যাগনেটিক ওয়ার্ল্ড ,টানছে তোমার গভীর চোখ।
রাক্ষসী তুমি
আমি দরজায় দাঁড়িয়ে সময় খুঁজে পাচ্ছি।
আলোয় আলোয় ভোরে যাচ্ছে অন্ধকার
মাথা নিচু করে আমিও প্রণাম করছি তোমায়।

ফসিল


ফসিল
.........ঋষি
=====================================
তোমায়  নিয়মিত লেখাটা
হয়তো ঘ্যানঘ্যান করে এগিয়ে চলা সময়ের কাঁটা।
কে শুনছে ,কি শুনছে ,কি বুঝছে
এইসব বেকার চর্চা সার্বিক সময়ের পাললিক ফলকে
অজস্র ফসিল যেন।

ঘুম আসছে না
মিস করছি ,
বারংবার তাকাচ্ছি ম্যাসাজের ইনবক্সে  লোকানো তোমাতে
বোকার মতো চেয়ে আছি হাওয়ায় ভাসানো তোমার মুখের দিকে।
কি ভাবছি ,কেন ভাবছি
কতটা কাছে গেলে তোমাকে পাওয়া হয় ,
সব কেমন গুলিয়ে যাচ্ছে ,ঘুম পাচ্ছে ,ঘুম পায়
তুমি পেলে।
প্রেমে পড়ব কিশোরী তোমার পরজন্মে সদ্য জন্মালে
আবার নতুন করে, তুমি মন দিও না পাথরে।
আমার নষ্ট জন্মে আমি কখনো স্বপ্ন দেখি নি
শুধু দুঃস্বপ্নে তোমার বিচরণ
অথচ তোমায় লিখছি, মনে পাপড়িগুলো খুলে
যেন ফুল ফুটছে অসময়।

তোমার নিয়মিত লেখাটা
অভ্যেসে দাঁড়ানো আমার শরীরে ঝরতে থাকা ঘাম।
শব্দগুলো পুজোর মতো তিলে তিলে তোমায় ছুঁয়ে
তুমি  জন্মাচ্ছো আবার
আবার পরজন্মে আমার হবে বলে। 

সমাজ .Com


সমাজ .Com
............ ঋষি
======================================
আন্তর্জালে প্রকাশিত
প্রকাশক অবশ্যই খুব সাধারণ সমাজ ,
সমাজ .Com ।
উপছে পড়ছে দুধ ,ঘুম  ভাঙছে  কই সাধারণ মানুষ
সময় ঘুমোচ্ছে
বেড়ে চলেছে নিয়ন্ত্রণ অন্যমনস্কতায়।

সার্বিক সময়
স্কেলিটনে লেগে আছে মাথা না নিচু না করতে চাওয়া জেদ।
দাঁতে  দাঁত চেপে এক যুদ্ধ
সমাজ যেন সময়ের চাদরে বিছানা বদল।
চাদরের গায়ে গৃহস্থ্যের কাম লেগে
সময় জুড়ে অন্ধকারে হাতড়ানো শৈশবের বাঁচাটুকু।
ফিরে আসতে চাইছে সবাই
ফিরে আসতে চাইছে নিজের গভীরে বাঁচাটুকু।
ঘরের ভিতর ঘর বানিয়ে
ল্যাপটপ ,মুঠোফোনের স্কিনে সামাজিক ডোস
দোষ ,গুন সব মিথ্যে
সময়ের এন্টি  ডোস।

আন্তর্জালে প্রকাশিত
এই শহরের বুকে মানুষ শুধু বেঁচে থাকে গোপনে
সমাজ .Com ,সমাজের  নতুন দৃশ্য।
আসলে অদৃশ্যে থেকে সময়ের অগুনতি ক্ষুদার্থতা
যখন বাঁচতে শেখায়
এখানে মানুষ বড় অসহায় ,বড় লোভী বাঁচায়।

Saturday, October 19, 2019

পেইনকিলার


পেইনকিলার 
................... ঋষি
=======================================
রূপকথার শহর
পাহাড়ের মুখ ,দুরন্ত জঙ্গল আর অঙ্গীকার বাঁচার ইচ্ছে। 
আজকাল দুরন্ত পাহাড় বেয়ে প্রতি মোড়ে
আমি মুখোমুখি সময়ের ,
অতীত থেকে ভবিষ্যৎ সবটা বেয়ে যেন খরস্রোতা নদী।

কবিতার মুখ বদলাবো
তোমার রাতজাগা যন্ত্রনা মাখা আমার  কোনো হারাতে থাকা দিন।
সময়ের কাব্য
তোমার  চোখে এমন করে দিন শুরু হয়  আর আমি
হারিয়ে  যাই সহস্র কারনের ভিড়ে।
কি অদ্ভুত না
উলটো করে বোবা জীবনের সুরে অনবদ্য কোনো কথন
জীবন ফুরিয়ে আসে ,
মুখের পাশে উঠতে থাকা রক্ত
তোমার গল্পকথা।

রূপকথার শহর
দুরন্ত কোনো বৃষ্টি ভেজা দিন ,শহরের কোনো লুকোনো কবিতা।
তোমার ২৬ তা হাড় জুড়ে যন্ত্রনা
পেইনকিলার লুকোনো আরো অজস্র বাঁচা
ধুস ভালো লাগছে না আর। 

Friday, October 11, 2019

পবিত্র তোমায় বলছি


পবিত্র তোমায় বলছি
..... ঋষি
========================================
গতকাল পরজন্ম ছিল
আর আজ আমার আঙ্গুল ছুঁয়ে নেমে চলেছে অসংখ্য সন্তান
সেই সব সন্তান যাদের  সম্ভাবনাকে  আমি হত্যা করেছি
মায়াবী ডাকে।
সেই সব  শিশু মস্তকগুলি আমি ঋনী করেছি নিজের রক্তে
নিজের প্রলেপে ভেসে গেছে সাধারণ গৃহস্থ সংসার।

নপুংসক আমি না
নপুংসক সমাজ ,আর তার ভিতরে লুকোনো শ্মশানের ছাই।
পবিত্র তোমায় বলছি তোমার তৃপ্ত কামে
শুধু আমার হৃদয়ের  ভিতর চিরকাল ক্ষরণ হয়েছে রক্ত
কিন্তু তুমি আমাকে মা করতে পারো নি। 
যে হাঁড়িতে  আমাদের  অন্ত্যেষ্টির চাল ফুটছিলো
তার মুখে আগুন দেবার কেউ ছিল না।
পোড়া লাগা হেতু যে পিণ্ডগুলি আমি সে প্রসব করেছি অনন্ত মধ্যরাতে
তারমধ্যে কোনো জোর ছিল না
ছিল সামাজিকতা ,ছিল কুটুক্তি ,কিছু গঞ্জনা
আর তোমার শরীর ,শুধু এইটুকু।

গতকাল পরজন্ম  ছিল
আজকেরটা শুধু আমার কাঁটা ছেঁড়া হৃদয়ের কিছু উত্তর।
পবিত্র তুমি আর কাছে এসো না
আমার বুকে আজ সময়ের সন্তান ,আমার স্তনে শিশুর ঠোঁট।
আমি মুক্তি  দিলাম আমার সামাজিক শরীর
বদলে জানি তোমার ঠোঁটে অজস্র প্রশ্ন। 

আগুন খেলা

আগুন খেলা
............ ঋষি
=========================================
আমরা একটা আগুনের খেলা খেলছি
যেমন আমি অকপটে এই মুহূর্তে চেপে ধরতে পারি
জ্যান্ত সিগারেট ,আমার সম্ভাবনায়।
তুমিও তো পারো
ছায়া সঙ্গী হয়ে হেঁটে যেতে অন্য কারো পাশে
হারাতে ভয় নেই ,ভয় কে ভয় করে আজকাল ।

ঈশ্বরের আগুন সম্ভাবনায় এত যে  খিদে
আমরা জানতামই না এতদিন।
শধু আগুনে হাত দিয়ে বুঝি কেমন একটা বরফ নদী বয়ে যায়
সময়ের মেরুদন্ডে।
আগুন এতদিন সার্থক ভাবে নিয়মিত দিনে ,রাতে পুড়িয়েছে আমাদের
কেমন একটা মিষ্টি প্রলেপ আছে আগুন স্পর্শে।
জানি তুমি বোঝো
পালানোর রাস্তা, গাড়ি, জুতো-জানালা দরজাও সব ঢেকে গেলে
কিছু মৃতদেহ শুধু জীবিতের অভিনয় করে
আর অভিনয়গুলো অনেকটা কান্নার মতো একলা বাঁচে।
বরং আগুন ভালো
আসলে পুড়তে বেশ লাগে আজকাল।

আমরা আজকাল একটা আগুন খেলা খেলছি
স্মৃতি যা কোনো আগুনে পোড়া ভয়ানক মুখ ,যা ভয় দেখায়
যেমন তোমার একলা বাঁচতে চাওয়া।
আমিও তো পারি
অনেকটা আগুনের ভঙ্গিমায় দাবানল হয়ে জুড়োতে সময়কে
তোমাকে পুড়িয়ে তোমার মতো বাঁচতে। 

Thursday, October 10, 2019

দশমী

দশমী
......... ঋষি
============================================
এক ঠোঁট বন্য ধোঁয়া ছেড়ে ,নিকোটিন ঠোঁট
খুঁজে চলেছে তোমার ঠোঁট।
ছাইদানি ,জমতে থাকা অবিরত বুকের দেরাজে অসংখ্য কাশফুল
সময় বলছে আবিষ্কার আর মনের কোনে লুকোনো মুখ।
আকাশের রৌদ্র মেঘে তোমাকে খোঁজা
চেনা মুখ চঞ্চল ,ছলছল চোখ ,উড়ে যাওয়া উড়োজাহাজে।
.
কাব্য নয়
তোমাকে ডেকেছি আমি মনের খোঁজে দিনরাত্রি।
তুমি মুখ বুজে জলে ,ভিজে চুল ,নীল আকাশ
গলতে থাকা ঠোঁট ,তোমার বুকের কাঠামোটা
ভেসে ওঠা দশমীর জলে।
ঢেউ আসে,
ভেসে যায়, ভেসে যায়,আকাশের ভাঙা চাঁদ।
কথা বলে
বিসর্জন।
দিনযাপন
সময়  গলে গেল,  হাতের মুঠোয় তোমার বাম স্তন।

এক ঠোঁট বন্য অভ্যেস ,খুঁড়তে থাকা ঠোঁট
অবিরত তোমার খোঁজ।
এবার সমস্ত জল হয়ে গিয়ে মিশে যাবে ,সবুজ ঘাস
তোমার বুকে মাটি মাটি গন্ধ।
তোমাকে চিরদিন ডাকতে চাওয়া অসংখ্য বাঁচা
বদলানো অপেক্ষা ,দূরে বয়ে চলা সময়ের স্রোত।

Saturday, October 5, 2019

পাথর

পাথর
... ঋষি
==============================================
একসময় ইচ্ছে করতো ছিঁড়ে ফেলতে
সময়ের উপহাসে সম্পর্কের সুতোগুলো সব অগোছালো।
আজ মনে হয় হাঁপিয়ে ওঠা পথচলা
মেঘলা দিনে বলতে চায় ,আরো বৃষ্টি আসুক ,আগুন জ্বলুক
আমি যেন পাথর হয়ে যায়।

পাথর থেকে তৈরী এই সভ্যতা
আর তার মাঝে আমি কোন পৌরাণিক কোনো পাথুরে আত্মা ।
আর আত্মারা ভাবুক হয়
আত্মারা খুঁজে নেয় লুকোনো যন্ত্রনা ,লুকোনো রক্তক্ষরন,মানুষের মন।
সময় বদলাচ্ছে ,সময়ের ঢালে অজস্র মুখ
একসময় আমার দৈহিক উপত্যকা বেয়ে  স্ফ্যাগনাম মসের শারদ সখ্যতা,
মারাত্নক নেশা
উঁচুনিচু কারু কাজে  লাফিয়ে লাফিয়ে পেরিয়ে যেত
আদিম সভ্যতা , 
হিংস্রতা।
আজ কেন যেন বড় শান্ত হয়ে ইচ্ছে হয়
ইচ্ছে হয় পাথর হবার।

একসময় ইচ্ছে করতো নিজেকে ভীষণ ঘৃণা করতো
সময়ের অঙ্গীকার ভেঙে তৈরী করতে দুর্গ।
গোলাগুলির শব্দ ,মৃত সৈনিক ,রক্তের স্রোত ,ব্ল্যাক হোল
আজ শরতের রোদে শুধু পুড়তে ইচ্ছে হয় ,হয়তো পোড়াতে
হাঁপিয়ে ওঠা সেই আমি ,আজ পাথর হতে ইচ্ছে হয়।

Friday, October 4, 2019

স্থাপত্য

স্থাপত্য
.... ঋষি
=========================================
উড়নচন্ডী
সময় ,সময় অভিশপ্ত হিসেবের ভিড়।
তোমার দিকে হাত বাড়াই অন্ধকারে
হাতে উঠে আসে আঙ্গুল গড়িয়ে নামা গুঁড়ো গুঁড়ো আলো।
হঠাৎ তোমার চুলের গন্ধ ,কেমন সবুজ গুঁড়ো পাতার
আখরোট ঠোঁটে লেগে যায় দৃষ্টি সাময়িক।
.
এইভাবে ক্রমশ কিছু বলতে চাওয়া
আমি আকাশে উড়তে চাই ,উড়নচন্ডী মন ছোঁ মেরে ড্রাইভ মারে
বুক ভরে না ,মন ভরে না
তৃষ্ণা গড়িয়ে নামে কোনো গৃহস্থের কান্নার মতো।
আমি আকাশে উড়তে চাই
ডানা ছাড়াই উড়তে উড়তে আমি নেমে আসি হাওয়া ঘেঁষে
সর্প-দ্বীপে হাঁটছি পাশে সভ্যতার আদিম তুমি ইভ।
চোখ বন্ধ করো ,আরো বিষাক্ত হও
যে বিষাক্ত সময়ে আমি।
সময় জন্ম দেও,সভ্যতার অঙ্গীকারে বেজে উঠুক সত্যিগুলো
এইবার আরো সত্যি হও
মিথ্যে সময়ে বেজে উঠুক স্বপ্নের সরগম।

উড়নচন্ডী
আমি তোমার বুকের ভেতর হৃদয়স্থলে পাথর হতে চাই।
তোমার বুকের গড়নে হাত বাড়ায়
উঠে আসে সময়  পেরিয়ে কোনো আকুল স্থাপত্য।
আমার হাতে ছেনি ,হাতুড়ি আর অনেকটা বাঁচা
আমি তোমার হৃদয় গড়তে চাই। 

বাল্মীকি

বাল্মীকি
.... ঋষি
=====================================
মাংসের গান ফিকে হয়ে আসছে
চোখে মুখে ভেসে উঠছে কোনো অচেনা  আলো,
সর্বত্র উৎসবের ভিড় ,তার মাঝে উৎসবের চোখেমুখে গর্জন তেল
বুক জ্বলছে ,জ্বলছে সভ্যতার প্রকোপ ,
যদি  আরেকটু কাছে থাকা যেত।

অসহায়তা,
যে শব্দ বাঁচিয়ে রাখছে আমাদের বেঁচে থাকা। 
আমাদের  ভৌগোলিক দূরত্বের  মাঝে একটা জঙ্গল আছে 
যেখানে মৃত্যুময় হেমলকে দাবানল হয়ে জ্বলছে।
জানি দু ফোঁটা মধু মিশিয়ে সময় লেখা যেতে পারতো
কিন্তু সময়ের  মগজে আজকাল একটা রোগ ধরা পড়ছে
তোমার কাছে যাওয়ার। 
এই কবিতা অন্য ভাবেও লেখা যেতে পারতো
হতেই পারতো মাংসের কবিতা
কিংবা তোমার গভীর তিলের ,
কিন্তু কাছে যেতে কখন যেন সময় নিজের কলমে লিখে দিয়েছে
এক অদ্ভুত ধাঁধা
যার শুরু আর শেষ সবটাই তোমাকে ঘিরে।

মাঝে মাঝে ভাবি এই কবিতাটা নিজের ভাষায় যদি লেখা যেত
যেমন নীল আলোয় জড়ানো কোনো স্বপ্নের ছবি।
সর্বত্র উৎসবের ভিড় ,আরো প্রকাশ্য উজ্বল ভাবনায়
 তার মাঝে  এক একটি দিন যেন সম্পূর্ণ মহাকাব্য
আর আমি রত্নাকর ক্রমশ বাল্মিকী লিখছি।  

জলাশয়

জলাশয়
.... ঋষি
=================================
চলন্তিকা হয়তো সময়ের সাথে দরজা ঝুঁকবে
ঝুঁকে পরে যেমন নরম আলো তোমার সভ্যতায়।
তোমার চোখের গভীরে একটা শান্ত জলাশয় আছে
গভীর তার নীল জল।
সেই জলাশয়ের পাশে একটা অবিন্যস্ত পোড়োবাড়ী
ছায়া ফেলে চলেছে আজ অযুত নিযুত বছর ।

দুপুরের রোদ ফুরিয়ে তোমার খোলা চুলে ঢেউ
যেন অবিন্যস্ত সময় ভেঙে পড়ছে।
পথ থেমে গেছে
তোমার চোখের কাছে ঘন নিবিড় কোনো চাওয়া।
তবু এটা তোমার চোখের কবিতা নয় ,
সময়ের।

চলন্তিকা সেদিন প্রশ্ন করেছি
বাঁচা কী?
উত্তর এসেছে ফুরিয়ে চলা সময়ে  ভেজা পথ, ভেজা ত্বক
হামাগুড়ি দেয়া অনুভবে।
ক্ষত ফুরিয়ে ক্রমশ কোনো গভীর জলাশয়ের জলে প্রশান্তি
রাত্রি নামছে নিজের মতো করে।

চলন্তিকা সময়ের সাথে দরজা খুলবে আগামী আলোতে
চোখের জলাশয়ে  ডুব সাঁতার দিয়ে ভেসে উঠবে চিকচিকে ইচ্ছা। 
খরকুটোর মতো ভেসে যাওয়া আকাঙ্খারা 
ক্রমশ কোনো অন্ধকার রাতে আকাশের চাঁদ হবে।
চোখের জলাশয়ে ঝলসে উঠবে সেই অবিন্যস্ত পোড়োবাড়ী
যে আজও লিখে চলে ইতিহাস সময়ের খাতায়। 

Thursday, October 3, 2019

শিরোনামাহীন


শিরোনামাহীন
.... ঋষি
=======================================
পৃথিবী আসলে সেরকম নয় ,মনের মতো
পৃথিবী অনেকটা সময় কাটানো উপযোগের উদযাপন চলন্তিকা।
এই ধরো আজ পঞ্চমী
তুমি ভাবছো পৃথিবীতে কত সুখ ,কত আনন্দ।
সত্যিটা আসলে এই সময় রাস্তায় গাদা ভিড়
শুধু ঠাকুরের নয় ,ঠাকুর দেবতার।

আসলে পৃথিবী একটা গবেষণাগার
তুমি আর আমি শুধু গবেষণার অঙ্গ মাত্র ,
শুধু আমি তুমি নয় ,আমাদের পিতা ,পিতামহ
সমস্ত মানুষ জন্ম।
তুমি ,আমি খুঁজছি  আলো, অন্ধকার, দুঃখ প্রেম, বেদনা এবং খুন
কুঁড়ে কুঁড়ে দেখছি আমরা সবাই কোনটা কান্না
কোনটা আনন্দ ,কিংবা স্নেহ।
আসলে আমরা আবিষ্কার করছি সময়
আবিষ্কার করতে চাইছি নিজেকে ,খুঁজে পেতে চাইছি নিজেকে।
আমরা আসলে ভালোবাসা খুঁজি ,ভালোবাসায় মত্ত থাকি
সত্যি কি তাই
আমরা মত্ত থাকি নিজের গভীরে ,নিজের বাঁচায়।
আসলে আমরা সকলে স্বার্থপর
ভালো করে ভাবলে চলন্তিকা ভালোবাসা কি জীবিত থাকে ?

পৃথিবী আসলে সেরকম নয় ,যেমন চাওয়া
পৃথিবী আসলে উদযাপন কিছুটা ভালো থাকা কিংবা ভালো থাকার চেষ্টার ।
এই ধরো আজ পঞ্চমী
তোমার চুলে লাগানো রং ,ঠোঁটে কোনে মৃদু হাসি।
কি বুঝছো ভালো আছি ,খুব ভালো
আসলে মানুষ ভালথাকে চায় ,কারণ বাঁচতে চাই যে। 

জীবিত শব্দ

জীবিত শব্দ
........ ঋষি
=========================================
ইতিহাস ভাঙছে
ভেঙে পড়ছে সময়ের ভারে ক্রমে ভারাক্রান্ত শরীর।
অপূর্ণতা নেই জীবনে কিছু আর
পৃথিবীর সময়ের  গান আমি শুনেছি
শুনেছি ঘর ফেরারি  পাখিদের ভাষা
তবুও কেন জানি আনমনে এক একটা দিন বড় বেশি ক্লান্ত আমি। 
.

সেই ষোড়শী সময়ের ডাক
ধ্বংসস্তূপের উপর দাঁড়ানো আমার প্রিয় কবিরা আজও জীবিত।
 ন্যাংটো সময় খেলা করে
কখন যেন সময়ের ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পরে সেই দুঃসাহসী বালক।
সুঠাম জিরাফের মতো ওপর থেকে পৃথিবী দেখছে সে
নিচে ছোট ছোট বিবেকের
 ভিড় ,হাজারো প্রতিবেশী সময়ের ।
 আমি বাঁচতে চাই
আজকাল শব্দটা শুনলে সিনেমার ডায়ালগ মনে হয় ,
এতোদিনেও বুঝতে পারলাম না বাঁচা আসলে কি।
রাস্তার  মোরের সেই কৃষ্ণচূড়া  যাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে
হাজার বছরের সুপ্রাচীন বাজার, পাখিদের আবাসস্থল,
সেটাকে কি বাঁচা বলে।
.
ইতিহাস ভাঙছে
আয়নার সামনে দাঁড়ালে আজকাল নিজেকে ছোট মনে হয়।
ফরাসি লেখক বালজাক ছিলেন নিশাচর
আমিও তার মতো রাতের স্তব্ধতা খুঁজি ।
খুঁজি সময়ের ভিড়ে লুকিয়ে থাকা অজস্র জীবিত শব্দদের
যাদের হয়তো আনমনে আমি কবিতায় লিখি। 

পুরুষ

মাথা ছিঁড়ে পড়ছে সময়ের তাপমাত্রার পিচ গলে মাথার ভিতর রাস্তা বানাচ্ছে উদাসীন কালবৈশাখী শৌখিনতার সাথে  নিজের ভিতর লড়ছে,,,,,,,,,,,, কবে ?  ঠাকুর...