Friday, March 31, 2017

পথচলা

পথচলা
.......... ঋষি
======================================
কেউ যদি প্রেমে পরে অণু
নিজের কাছে সেটা একটা প্রাপ্তি নিজস্বতা।
কেউ যদি বারংবার প্রেমে পরে
সেটা দোষ নয় তার জন্য প্রয়োজন বিশাল হৃদয়।
কিন্তু কেউ যদি একজনের প্রেমে পরে বারংবার
সেটা শুধু নিরালায় থাকা বেঁচে থাকার অভিনয়।

আমি তো বারংবার প্রেমে পড়ি
পথ চলতি কোনো অদ্ভুত বৃক্ষ আমাকে তার কাছে টানে।
কিংবা সেই ছেলেবেলা
অজস্র স্পন্দনে জড়ানো স্মৃতিতে ভেজানো কোনো ভালো থাকা।
আমি তো বারংবার প্রেমে পড়ি অণু
কখনো সময়ের ,কখনো মানুষের ,কখনোবা সবুজ আদরের।
আমার এই প্রেমে কোনো পাপ নেই
আছে বেঁচে থাকা।
আমার এই প্রেমে কোনো দেশ সীমা গন্ডী নেই
আছে একটা নেশা আবিষ্কার।
আবার মনে হচ্ছে আমি প্রেমে পড়ছি
কোনো অজানা অন্ধকারে পথ চলা নতুন আলোর।

কেউ যদি প্রেমে পরে অণু
সেটা বেঁচে থাকার অক্সিজেনের মতো একটা প্রয়োজন।
কেউ যদি বারংবার প্রেমে পরে
সেটা গভীর সমুদ্রের নীলে  অজানা মুক্তোর খোঁজ।
আর আমার প্রেম সেটা পাগলামি
কারণ আমি প্রেমে পড়ি নিজের সাথে পথচলার আলাপনে।   

Thursday, March 30, 2017

বিসর্জন

বিসর্জন
........ ঋষি
=========================================
তোকে ছুঁয়ে দিলেই তুই গলে নেমে আসবি
আমার ঠোঁট।
দুচার ফোঁটা বৃষ্টি  হয়তো চোখের কাজলে লাগানো কোনো আদর
আরো গভীরে তখন নিরালা একটা দিন।
বিসর্জন
ভাবনার দেওয়ালে লেগে থাকা আমিষের গল্প।

একটা সকাল যখন মেঘ বালিকা আমাকে ছুঁয়ে বলে
আর কতদিন বৃষ্টি এলো বলে।
আমি আকাশ মেঘে ঘাস কাটতে থাকি ,এগিয়ে যায় শুকনো পাতা পথ
তারপর বিশাল গহ্বর।
অন্ধকারে আলো
ঝড় উঠছে ,কোনো দুর্যোগের দিন ,শরীরের ঘাম মিশে একাকাকার।
একলা আকাশ
উফস আর কতক্ষন এই তৃষ্না পোড়া মন।
চেনা পরিচয়
তারপর শান্ত একটা আদর তোর আমার।


তোকে ছুঁয়ে দিলেই গলে নেমে আসবি
স্বপ্ন স্থির।
দুচারক্ষন একলা থাকা বিলোনো অজস্র স্পন্দনের সম্বল
আচ্ছা একা কি বাঁচা যায়।
বিসর্জন
সারা শহর জুড়ে আজ একটা উৎসবের শোক।

নিরন্তর নিরালায়

নিরন্তর নিরালায়
.......... ঋষি
==============================================
অন্ধকারে স্নায়ু বেয়ে নেমে আসছে স্পর্শ
মেঘ পিয়নের ঘরে রাখা সেই সভ্যতা আমি স্পর্শ করে এসেছি।
কিন্তু আর ফিরতে চাই না
সুনীল বাবুর মতো বলতে ইচ্ছে করে কেউ কথা রাখে না।
আমি সমতলে থেকে যেতে চাই
আর কখনো পাহাড়ে ফিরতে  চাই না।

তবু  পাহাড় আমাকে ডাকে
চলন্তিকা বলেছিলো আমার হাত ধরে ডেড  পয়েন্টে দাঁড়াবে।
খুব সহজে হাসতে হাসতে  বলেছিল
কত নীরবতা ,কত সবুজ  বলো  এই দিনগুলো।
আমি নিজেকে ধাক্কা দিয়ে নেমে এসেছি সেই পাহাড়ের চূড়া থেকে
চলন্তিকার হাত আমি তখনও ছাড়ি নি।
আজও না
তবু কথা দিয়ে এসেছিলাম আর ফিরবো না সেখানে।
আমি সমতলে থেকে যেতে চাই
ভীষণ একা।

অন্ধকার স্নায়ু বেয়ে নেমে আসে স্পর্শ
মেঘ পিয়নের চিঠি খালি হতে হতে দেরাজে হৃদয়ের স্তূপ।
কিন্তু ফিরতে চাই না আর
শক্তি বাবুর মতো বলতে ইচ্ছে করে বারংবার যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো।
সত্যি তো চলন্তিকা আমরা মৃত্যুর কাছে ফিরে যেতে চাই।
কিন্তু সমতলে থেকে কিন্তু কোনো  দুর্বলতায় নয়। 

Wednesday, March 29, 2017

পায়ের শব্দ

পায়ের শব্দ
........... ঋষি
===================================================
চারুলতা ছিল না কোনোদিন
ছিল কতগুলো আবিরের আদর আকাশে বাতাসে।
তোর সাথে কথা বলাটা নিরন্তর কোনো বেঁচে থাকার অঙ্গ নয়
সেখানে একটা আমি থাকি নিরালায়।
অজস্র কবিতার হাসিমুখে কয়েক ফোঁটা প্রশ্রয়
যদি নিন্দুকের মিথ্যা হয়ে যায়।

এইভাবে শুরু থেকে একটা আধ পাগলা নিরালায় আকাশ দেখে
খুঁজে ফেরে মনের ফাঁকে অসংখ্য দিনগোনা।
কোনোটায় মিথ্যা ছিল না সেদিনও লিফটের দরজায় হঠাৎ চমকে ওঠা বিদ্যুৎ
হঠাৎ গড়িয়ে নামা  তোর ঠোঁট আকাশের গায়ে।
আমি ধ্বংস হতে চেয়েছি চিরকাল
কিন্তু তোকে ধ্বংস করাটা আমার কাছে মৃত্যু সামিল।
একলা বৃষ্টি ভেজা কোনো পথচলা স্পর্শগুলো গড়িয়ে নামে সমস্ত আত্মা অস্তিত্ব বেয়ে
নিজেকে সংযত রেখে মুখোশ প্রাচীর ডিঙিয়ে আকাশের ঠোঁটে চুমু।
সে যে হৃদয়ের রং
আজ বৃষ্টি নামুক চারিধারে এই আবদারে
যদি আমি আকাশ হয়ে যায়।

চারুলতা ছিল না কোনোদিন
পাঁচিলের গায়ে লেগে থাকা শেওলাগুলো সময় বলে দেয়।
তোর সাথে একা থাকাটা একটা অভ্যেস নিরন্তর কোনো বাঁচার প্রয়াস
চোখ বন্ধ করে আমি স্পষ্ট দেখতে পাই তোর নেইল পালিশ রাঙানো নুপুর ছাড়া পাটা।
শুধু আমি শুনতে পাই বাইরে বৃষ্টি পড়ছে
তোর পায়ের শব্দ নিরিবিলি কোনো অনিদ্রার একলা পাওয়ায়। 

Monday, March 27, 2017

ঘোড়ার ডিম্

ঘোড়ার  ডিম্
............ ঋষি
=================================================
ঘোড়া  ডিম্ পারতে পারে
সত্যি এটা তো কবিতা নয় যে যে কুয়াশা ভেদ করে স্পষ্ট হবে
মানুষের অবয়ব।
বেঁচে থাকা।  সে ঘোড়া ডিম্ পারুক না কেন তাতে কি ?
দূরে একটা পাহাড় ,ফিস্ ফিস্ করে ঘড়ির কাঁটায় সময় ক্রমাগত
কল্পনায় দেখো তুমি ,থেকে গেছো।

জানো, কালো আকাশ আর আঁধার সমুদ্র কোথাও গিয়ে চুপচাপ একত্রিত হয়েছে ঠিকই
কিন্তু একটা ফাঁক থেকে যায় ,একটা সময়
সময়ের রূপ রূপকথা থেকে ক্রমাগত নিয়মিত প্রসেসে আরো এগোচ্ছে
ভাবনায় ঘোড়ার ডিম্
কি অদ্ভুত
বিগত শতাব্দী  থেকে বেরিয়েছে এই দেখো একটা পাথর, রঙচঙে কি?
দেখে মনে হয় কিছুটা স্পেশাল।কি জানি।
জীবনে কিছু ভুল হয়েছে
ভুল থেকে জীবন কষ্ট পেয়েছে।তাই তো ঘোড়ার ডিম্।

ঘোড়া  ডিম্ পারতে পারে
সত্যি এটা তো কবিতা নয় মনের দংশন থেকে পাতায় পাতায়
 বেঁচে থাকা।
ভুল জানতে ভাল লাগে কিলোমিটার দূরত্ব  পার হতে হতে ক্রমশ কবিতা
নষ্ট জীবন পুড়ছে, পুড়তে পুড়তে
কল্পনায় আরো মানুষ , কষ্ট হচ্ছে আর আলোরা নষ্ট ।

জ্যোৎস্না ভেজা সেই নারী

 জ্যোৎস্না ভেজা সেই নারী
........... ঋষি
=========================================
অনেকদিন  আগেকার গল্প এটা
চাঁদ নাকি জ্যোৎস্না চুরি করে পৃথিবীতে আসে ঢেলে দেয়।
আর সেই জ্যোৎস্নায় দাঁড়িয়ে থাকে এক নারী
অনাবৃত তার সোহাগী মাদকতায় চাঁদ তখন পাগল পুরুষ।
পুরুষ শুধু সূরা ঢালতে পারে
যেমন জ্যোৎস্না  ভিজিয়ে যাচ্ছে আমার অন্তরে।

জ্যোৎস্না চুরির গল্প অনেকে  শুনেছি
কিন্তু পলিগামী পুরুষের রসায়ন ভাবতে ভাবতে
আমার মনে পরে সেই একলা দাঁড়ানো সেই জ্যোৎস্না ভেজা নারী।
মনে আছে পুরুষের মনে যখন রাত্রি জেগেছিল
ঋতুবতী  সেই নারী  চাঁদে ফেলে এসেছিল লাল রঙটা
যার অর্থ অন্ধকার আর নীরবতা মাঝে অহংকার আর অলংকার।

সেই থেকে নারী আর পুরুষ গল্প করতে শুরু করেছিল সারারাত
যদিও নারীটির  সোহাগী পেখম ময়ূরপঙ্খী রঙের আদরের লোভ।
পুরুষের বুকের ভিতর তখন নেশা একটা পাগলামি
আদিম কোনো ঝড় আছড়ে পড়ছে নারীর খোলা বুকে আরো গভীরে।
তলপেটে আদিম স্রোত
তারপর শান্ত সেই খরস্রোতা রাত্রি ঘুমের আদলে।

অনেকদিন  আগেকার গল্প এটা
ক্রমশ এক নারী থেকে অন্য নারী পুরুষ বদলাচ্ছে নেশার চোখ।
এই ভাবে আদি থেকে এভাবেই চুরি হয়ে যাচ্ছিল সমস্ত কুলীন নিঃশ্বাস
যা আটকে থাকে প্রতিটি  জ্যোৎস্না রঙের বালিশের ফাঁকে।
সেই জ্যোৎস্নায় দাঁড়ানো  নারী আজ বিভ্রান্ত  রঙভ্রান্তির বিকারে
মিশে যাচ্ছে সময়ের হাওয়ায় হারানো স্পর্শ সেই জ্যোৎস্নায়।


শ্বাশত তোমার প্রেমে (১২)

শ্বাশত তোমার প্রেমে (১২)
.......... ঋষি
=========================================
যদি আরেকবার দেখা হয়ে যায় তবে ভাববো
পৃথিবীটা বোধ হয় ছোট হতে হতে অণুগুলির ডগায়
তোমাকে মনে করলেই আকাশ দিয়ে উড়ে যায় যুদ্ধবিমান।
তারপর মারাত্নক সব মিসাইল
কথা গুলো সব মনে আছে শ্বাশত
আসলে ভালোবাসা মরে গেলে শুধু কথা হয়ে যায়।

তুমি চাওনি বলেই ভাববে
তুমি কিছুই বোঝো নি ,তুমি কিছুই জানো না।
শ্বাশত তোমার প্রেমে আমার এখনকার গাৰ্লহোস্টেলে বারন্দায় গোলাপের সেই গাছটা
বিয়ের আগে দিয়েছিলে ,বেঁচে আছে।
ভালবাসা কথাটার মানে বোঝো শ্বাশত ?
এই যে তুমি  হাত ধরতে ,এই যে তুমি মুখ রাখতে এইখানে
আমাদের যৌথ ঘরে রোদ-বৃষ্টির খেলা।
তোমার টি-শার্টে লেগে থাকা আমার লিপস্টিক ,আমার কাজলে তোমার চোখ
তুমি তাকালেই মনে হবে আজ ফুটেছে গোলাপ
তুমি না থাকলে কিশোরীর সজল অভিমান ।
আমাকে সাথে নেবে খোলা মাঠে, খোলা আকাশ আর বৃষ্টি  ?
আমি আজও বৃষ্টি ভিজতে ভালোবাসি।
ভালবাসা বোঝাতে গেলে চারটে অক্ষর প্রয়োজনহীন
আমার বুকে তোমার ঢেউ, ভালবাসা মানে এই।

যদি আরেকবার দেখা হয়ে যায় তবে ভাববো
আমি তখন ফিকফিক করে হাসব,কেটে ফেলা চুলের শোকে ঘুরে দাঁড়াব
ফিরে আসতে আসতে ভাবব, যত্তোসব ছেলেমানুষি।
শুধু তুমি দাঁড়িয়ে থাকবে যতক্ষণ থাকা যায়
তোমার বুকের ব্যাথাটা বেড়ে যাবে অকস্মাৎ
তুমি ভাবতে শুরু করবে,  আজকের এই দেখা হওয়াটাই ছিল ভুল।

যদি একবার

যদি একবার
.......... ঋষি
========================================
রোজ তিল তিল করে মরবার জন্য তৈরী করছি নিজেকে
এ মৃত্যুতে কোনো পাপ নেই।
আছে বেঁচে থাকার খিদে চলন্তিকা তোমার মাঝে
রোজ  আচমকা এগিয়ে গিয়ে রেড স্যিগনালে রাস্তা ক্রস করছি।
যদি একবার ,যদি একবার
মৃত্যু এসে ঠোঁট রাখে আমার মৃত ঠোঁটে।

সন্ধ্যের তাড়নায় ফিরে যাওয়া  নিয়মের ফাঁকে
আজকাল লাইন পরে ওয়ানের দোকানে ,নেশার খোঁজ।
আমারও খোঁজ একটা মৃত্যুর
টলমল পায়ে অনেকটা চলার পর যদি একবার আছাড় খেয়ে পড়ি।
যদি একবার তোমার বুকে
তবে বেশ হবে ,একটা শেষের শুরু।
বিশ্বাস করো,রোজ একলা হেঁটে যায় অজানা রাত্রে স্বপ্নের ভিতর
একটা চার দেওয়ালের ঘরে।
সুমনের মতো আমার গেয়ে উঠতে ইচ্ছে করে বারংবার
কিন্তু পারি না
কিন্তু একবার মরতে তো পারি তোমার জন্য।

রোজ তিল তিল করে মরবার জন্য তৈরী করছি নিজেকে
এই মৃত্যুতে কারো অধিকার নেই তুমি ছাড়া।
আচমকা বেঁচে উঠে আর ছুটতে ইচ্ছে করে না অন্ধকার গলিতে
পেতে ইচ্ছে করে না স্পর্শের বিন্দু মাফিক বেঁচে থাকা।
তার থেকে তো মোর ভালো
তাই আজকাল একটা লোভ কাজ করে তোমাকে পাওয়ার। 

পেঁচার চোখ

পেঁচার চোখ
......... ঋষি
=========================================
সমস্ত গন্ডীর মাঝে একটা আকাশ বন্দি নিয়ম
সব শরীরে তুই ভীষণ কমন।
ভীষণ নিয়মকে সহজিয়া উদাহরণ মানুষের মনের
ধর্ম।
কোনো কামুকতার অধীনে রাখা মানুষের বেঁচে  থাকা
নিয়ম মাফিক গন্ডিতে অনর্থক লগ্নি।

ঈশ্বর সৃষ্ট অধীনতার কয়েস ভোল্টেজের ব্যাটারি
শরীর নাকি শুধু মানুষের অস্তিত্বের বাহক।
কিন্তু মনুষত্ব ক্রমশ হারানো কোনো শব্দ পৃথিবীর আবর্তন থেকে
সহস্র প্রাচীন মৃত ফসিলের বুক থেকে মাতৃ দুগ্ধপান।
আর নিয়ামক ফ্রয়েডের লজ্জা
বড় কঠিন সম্পর্কের আড়ালে লুকিয়ে থাকা আকাশগুলো।
বারান্দা হাত বাড়িয়ে ভিজতে থাকা
হৃদয়ের দরজায় সেলফোনে শোনা অজস্র চুমু।
ভীষণ ভালোবাসা
বড়ো কঠিন বেঁচে থাকার এই লজ্জা
মানুষ শুধু মুখোশের মিছিলে জীবিত কোনো জন্তু।

সমস্ত বন্দির মাঝে একটা নাগরিক অধঃপতন
নিজেদের কাছে প্রশ্ন যখন সভ্যতা।
তখন মানুষ শুধু কাঠ পুত্তলিকার মতো নড়তে থাকা বাঁচতে চাওয়া
বিছানা ,বালিশ আর অনিদ্রার রাত্তিরে জ্বল জ্বল করা পেঁচার চোখ।
ঘুম নেই চোখে ,মানুষের ধর্ম মানুষ নিজে
কোনো অচেনা স্পন্দনের বাসর ঘরে। 

ঝাঁসির রানী

 ঝাঁসির রানী
.... ঋষি
==========================================
সামনে থেকে পারদ দেখেছো কখনো
শুধু উষ্ণতায় বেড়ে যায়।
না হলে ঘুমিয়ে থাকে ঝাঁসির রানীর অন্তরে কোনো অচেনা বেলায়।
প্রশ্ন একটা ঝাঁসির রানী কেন ?
লংকার ঝাঁজ যদি বদলায় তবুওতো জ্বর  আসে
আর জ্বর মুখে এই কবিতা বেশ  একটা সুখানুভব অনায়াসে।

বলবো না
কখনো বলিনি সবটা নিজের কাছে।
হাজার ব্যারন সত্বেও শুনবো না বুকের উথালপাথাল হৃদয়ের কাব্য
শুধু এই শহর চিবিয়ে লিখে যাবো চিতোর গড়।
কোনো দুঃসাহসী রমণীর কাব্য
হয়তো কখনো সে আকাশলীনা ,কখনো বা বনলতা।
হতেই পারে সুনীলের নীরা
কিংবা আমার চলন্তিকা।
শুধু সময় বদলাবে সময় গড়ে তুলকালাম বোমাবাজি
শুধু শব্দ হবে হৃদয়ে
কিন্তু একলা থাকা আমার কাছে আরো দরকারী।

সামনে থেকে পারদ দেখেছো কখনো
চকচকে চোখে আলোতে লুকোনো কিছু অজানা কাব্য।
না হলে ঘুমিয়ে পরে ঝাঁসির রানী অন্তরে ,ঘুম ভাঙে হুঙ্কার দেয়
হর হর মহাদেব।
কথা বলবো না ,উত্তর দেব না
আসলে সব কথা বলি নি কখনো আমি নিজের কাছে।

অসমাপ্ত কবিতা

অসমাপ্ত কবিতা
.......... ঋষি
===========================================
খবর ছিল আজ সারাদিন মন ভালো নেই
খবরে প্রকাশ সেই দুঃখবিলাসী মেয়েটা আজ সারাদিন একলা।
বাইরের বৃষ্টি আসবে বলেও আসছে না
চাপা গরম।
বারান্দায় সদ্য শুরু একটা সকাল নিজের মতো গতিতে
ঘুম ভাঙছে কিন্তু মন ভালো নেই।

আজকাল শহরের নাগিরিকত্বে
স্বামী ,স্ত্রী আর একমেয়ে একটা লিরিকের মতো ছোট ছোট সংকল্প।
শহরের আদিম গহ্বরে সারাক্ষন খিদে
মেয়েটার অনেকগুলো গল্প আছে ঘরে ,বাইরে ,মাঠে ঘাটে।
আছে অনেকগুলো প্রশ্ন
দৃশ্যের বাইরে দাঁড়িয়ে দৃশ্য দেখার ধৃষ্টতা করছে কবি।
জানতে চাইছে
এই দুঃখবিলাসী মেয়ে কেমন তোর জীবন ?
কেমন তোর বেঁচে থাকা ?
ঠিক কতটা নগর তুই স্থাপিত করলি নিজের চারদেয়ালে
আর ঠিক কতটা নগ্ন তুই আয়নায়।

খবর ছিল আজ সারাদিন মন ভালো নেই
খবরে এই মাত্র জানা গেলো মেয়েটা পালিয়ে ফিরছে খোলা দরজায়।
বাইরে এখন মারাত্নক রৌদ্র
বারান্দা দিয়ে সামনে সরতে থাকা জীবনগুলো ধারাবাহিক।
কবি লিখছে তার শেষ কলমে
এটা একটা সম্পূর্ণ  কবিতা হতে পারতো কিন্তু এখনো অসমাপ্ত। 

Sunday, March 26, 2017

ছন্দপতন

ছন্দপতন
............. ঋষি
=================================================
কতগুলো ছন্দপতন কবিতা হয়ে যায়
অনেকটা একা থাকা এই শহরে এক  একটা কাব্য নিজের কাছে।
সামনের  ঋতু  পরিবর্তনগুলো নিরালায় এক একটা স্পেস  শহরের বুকে
বদলানো সময়ের লাবণ্যের ঠোঁটে চুমু খায় বেঁচে থাকা।
দুঃখ আছে এই শহরে ,সময়ের দুঃখ
নিজের গভীরে কোথাও জমে থাকা শেওলা নর্দমার পাশে।
.
এখনও শরীর বদলায়, শরীরে শরীর লেগে উঠে আসে ঘাম
রোদের সাথে রুমালের সফিস্টিকেটেড  পারফিউম
 চুমুতে ঢাকা পড়ে নিরাভরণ শহর।
এই শহরে কেউ কারো ঠিকানায় ফেরেনা ,হয়তো কেউ কেউ ফেরে
কিন্তু বুকের দরজাগুলো  খোলা থাকে সোনালী সকালে।
নদীর বুকে ভাসবেন ডিঙি নৌকাগুলো
শেষ ফিরে আসার খবর লিখে রাখে না অফিস ফেরত আরোহীর ক্লান্তিতে।
ক্লান্ত শহর খাবি খায় তবু  এখনও ভাগ্যবান প্রেমিক খুঁজে চলে আদোরে  প্রেম
প্রেম তো রোজবদলায়  রিকশার প্যাকপ্যাকে হাত রেখে।
হাজার ,হাজার শিহরণ , কত কত বেকার দুই হাত স্বপ্ন আঁকড়ায়
স্বপ্নের  লাবন্য ফুরোতে থাকে বেকার রাতে ছোট ছোট ইনবক্সে।
শহরের ব্লাউজ ঠেলে বেরিয়ে আসে জান্তব দাগ
পুড়ে যাওয়া সহজ এই শহরে ,কৃত্রিম ফার্নেস ভবিতব্য লেখা।

কতগুলো ছন্দপতন কবিতা হয়ে যায়
শহরের ওজন, বেড়ে যায় তোমার বুক-কোমরের মাপে অন্য আলাপন।
বিছানা বদল খুঁজে চলা শান্তির ওম পরম মুহূর্ত
এই শহরে প্রেম শুধু কবিতা আর কাব্যে থাকে।
ঘুমের মধ্যে  অনভ্যাস্ত হিরিকে মেদ বাড়ে ,বাড়ে ব্লাড প্রেসার,
কোমরে বুকে জমা হয় থেতলানো চর্বি-আলো জ্বলে, আগুন নয়।

Friday, March 24, 2017

নিয়মিত অভ্যেস

নিয়মিত অভ্যেস
.......... ঋষি
==========================================
ভাঙবো বলে দুহাজারবার নিজেকে টুকরো করি
আবার অদ্ভুত ব্যাপার জোড়া লাগে দীর্ঘশ্বাস নীরবতার সাথে।
আমি সামনে দাঁড়িয়ে দেখি ক্রমশ ঘুমন্ত আলো
আজকাল ইনবক্সে জমে থাকে নীরব কিছু ফিসফিস।
আমার একলা লাগে না আর
শুধু মনে হয় ভেঙে ফেলি সাজানো সকল নকল আবদার।

ভাঙবো বলে নিজেকে দাঁড় করে চেনা আয়নায়
একটা জোকার চিরকালের মতো আমার দিকে তাকিয়ে হাসে।
কিন্তু কাঁদতে পারে না
ব্যাকরণে লেখা আছে জোকাদের কাঁদতে নেই.
সার্কাসের শেষ বাঁশটা যতক্ষণ মাঠে পরে আছে
ততক্ষন খেলা চলছে।
আর খেলা শেষ হবার পরেও অদ্ভুত জোকার
আমি হাসতে থাকি।
বুকের ভিতর জমতে থাকা সমক্রিয়াগুলো সব রেলিং ধরে দাঁড়ায়
বুকের ভিতর লাফিয়ে ওঠে পিংপং সভ্যতা
হাসতে থাকো সময়।

ভাঙবো বলে দুহাজার বার কম করে নিজেকে টুকরো করি
আবার অদ্ভুত ব্যাপার এক নিঃশ্বাসে লেগে থাকে সময়ের সফর।
সফর শেষে বাড়ি ফিরি ,একই দরজা ,একই পরিজন
নিজের কাছে ফিরে জোকার আয়নায়।
ঠিক হাসতে থাকে পাগলের মতো
তারপরটুকু শুধু না বলা কিছু নিয়মিত অভ্যেস। 

নীরব নথি

নীরব নথি
.......... ঋষি
==========================================

সম্পর্কের নথিগুলো ভাঙতে ভাঙতে
কখন যেন চিৎকারের মতো ভীষণ প্রিয় কান্না।
হাজারো সম্পর্কের নাম নিয়ে কোনো এক সম্পর্কে নিজেকে একলা টানা
পেন্সিল কম্পাসে  এঁকে চলা আনমনে বৃত্ত।
কিছুতেই শেষ হয় না চলন্তিকা
পথ চলা আজকাল ভালো না লাগার মতো সহজ বলা।

সবকিছুর নাম হয় না
যেমন একলা এই দুপুরের হঠাৎ ছুঁয়ে  যাওয়া লাল কৃষ্ণচূড়া রাস্তা।
তোর বাড়ির পাশে হেলানো সেই অদ্ভুত গাছটাকে
আমার আজকাল জোকার মনে হয়।
সকলেই তাকিয়ে দেখে ,অনেকে ছবি আঁকে,অনেকে আবার ভালোবাসে
কিন্তু তোর কাছে সেটা খুব সহজ।
জীবনের তাপাঙ্কের নিচে বাস করতে করতে প্র্যাকটিকাল প্রসেসে
গাছটাকে ছেঁটে একটা কৃত্রিম রূপ দেওয়ার তোর ইচ্ছা।
কিন্তু তোর সবুজ রংটা কখন শুকোতে শুকোতে
হলুদ।
আমি দূর থেকে দেখতে পাই
একলা দাঁড়ানো গাছ ,তবু  তো এখনো জীবিত।

সম্পর্কের নথিগুলো একদিন  আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেবো
তারপর কবিতার পাতায় বড়ো বড়ো হরফে লিখবো জীবিত নাম।
সম্পর্ক মরে গেলে বোধ হয় শেওলা হয়ে যায়
যেমন শেওলা জমে থাকে টলমলে তোর চোখের তলায়।
আমি ঢিল মারি আর দূরত্ব মাপি
আর তুই মাপিস নদীর মতো বয়ে চলা সবুজে।


হয়তো কোনোদিন

হয়তো কোনোদিন
............ ঋষি
==============================================

হয়তো এই ভাবে তোকে ভালোবাসতে বাসতে
আমি নিজেকে ভুলে যাবো
কোনো রাতে অফিস ফেরত বাসে গন্তব্য টপকে আমি দূরে
খুব দূরে একলা চলে যাবো
কিংবা কোনোদিন পথ চলতে চলতে
আমি ভুলে যাবো সমস্ত স্মৃতি আর আমার অভিমান

বেশ হবে জানিস সেদিন
কোনো অজানা পথে খালি পায়ে হেঁটে আমি একলা চলেছি
সামনে নিশুতি রাত্রি কিংবা ভৈরবী সকাল
কিছু এসে যায় না তখন
জীবিত রূপ ,জীবিত প্রকৃতি ,সবুজের ডাক সব অচেনা তখন
শুধু কিছু অগোছালো স্মৃতি তোর আমার ব্যালকনি
আমি একলা দাঁড়িয়ে
দূর থেকে শুনতে পাবো পৃথিবী আমাকে ডাকছে
দূর থেকে দেখবো সম্পর্ক সব ভাঙছে
একের পর এক সুতোগুলো গিঁট খুলে ঠিক রেখে  যাবো
যেদিকে দুচোখ যায় ঠিক চলে যাবো

হয়তো এই ভাবে তোকে ভালোবাসতে বাসতে
আমি ঈশ্বরের দরজায় একলা দাঁড়িয়ে সেদিন।
চিৎকার করে বলছি হৃদয়ের নাম
হৃদয় ভাঙবে না সেদিন ,তোকে দেখতে  ইচ্ছে করবে না যখন তখন।
শুধু তোকে মনে রেখে আরো দূর চলে যাবো
যেখান থেকে আর ফিরতে চাই না ,কোনোদিন তোর কাছে।

Thursday, March 23, 2017

না বলা কথা

না বলা কথা
............. ঋষি
=============================================

বলি তো নি কখনো যদি ছুঁতে ইচ্ছে হয়
তোকে স্পর্শ করবো না।
তুইও তো বলিস নি কোনোদিন ফেলে আসা কবিতার  শেষ পৃষ্ঠাটা
তুই  ছিঁড়ে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছিস
আর আমাদেরও বলা হয় নি কখনো
প্রতিটা আলিঙ্গন শুধু সময় নয় কিছুটা আদর ছিল

আমি তো যায় নি কোথাও
শুধু দরজার বদলে দরজা খুলে সামনে দেখি মিশরের পিরামিড।
পিরামিড তোর মনে পরে
নাকি বলবি থাক আজ এই সব কথা।
তুইও কি বলেছিস তোর পায়ের পাতা থেকে মাথার চুল অবধি
মাঝখানের নদী উপত্যকা মালভূমি
ঠিক কোথায় শেষ।
ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে আমি দেখবো পিরামিডের উপর আকাশের চাঁদ
আসলে আমাদের মাটি খুঁজে পাওয়া হয় নি।
পায়ের তলায় চিরকাল চোরাবালি সরে গেছে
আর ক্রমশ আমরা তলিয়ে আজ এতটুকু বদলায়নি।

বলি নি তো কখনো জানতে চাইবো না আর
তুই কেমন আছিস।
তুইও কি বলছিস আমাকে বৃষ্টি পড়লে তুই আর ইচ্ছাকৃত ছাতা ভুলবি না
আর ভিজবি না বৃষ্টির ভেজা প্রিয় কবিতায়।
আর আমাদের কথা তো আর বলা হলো না
শুধু মাঝে মাঝে স্বপ্নে দেখি আমরা দাঁড়িয়ে রাস্তার দুপাশে বৃষ্টিতে একা। 

প্রাক্তন (২)

প্রাক্তন (২)
............... ঋষি
===================================================
আজ একটা আলাদা দিন শুরু হলো
ঠিক এমনি ভাব না একবার মামনি।
পিছনে পরে হাজার কোটি বছর প্রগৈতিহাসিক কোনো আলোড়ন
সব মিথ্যা হয় সব সত্যি ।
আসলে কি জানিস প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে
সবটাই বিরক্তি।

আমি কোনোদিন এমন হবে ভাবে নি
আসলে আমি কোনোদিন তোকে খারাপ থাকতে দেখতে চাই নি।
আজ আট মাস সেপারেটেড তুই
একবার জানালি না  আমাকে।
প্রতিটা ইতিহাস  লেখা  হয়ে থাকে মানুষের অবচেতন আলাদা সেলে
কিছু ইতিহাস একা থেকে যায়  তোর মতো।
মামনি তুই আমার বান্ধবী ,হয়তো বেশি কিছু
তাই তোকে বলা।
প্রাক্তন একটা ইতিহাসের পুরোনো ফসিল
সামনের তোর একটা আলাদা ইতিহাস আছে লিখে রাখার।
মানুষের পরিচয় মানুষ নিজে
কোনো প্রাক্তন তাকে শবঘরে থাকা মৃত লাশ করে রাখতে পারে না।
করে রাখতে পারে না অধিকারে বন্দিত অনধিকার চর্চায়
নাইবা তুই হোলি অন্য পৃথিবীর আলাদা এলিয়ন ।

মামনি একবার ভেবেই দেখ না আজ একটা আলাদা দিন
আজ থেকে শুরু হয়ে যাক এক অন্য ইতিহাস।
নিজস্ব ডেমেজ সেলে আজ থেকে ঢেলে দে ইতিহাসের প্রলেপ
দেখ কেউ চারকালীন নয় ,সবটাই প্রয়োজন।
সেখানে প্রয়োজনীয় তুই ,তোর ভাবনা  ,তোর বেঁচে থাকা
নতুন এক আলোর দিশা,আর খোঁজ জীবন । । 

বেনামি চিঠি

বেনামি  চিঠি
......... ঋষি
===============================================
যতুটুকু বেড়ে চলা সংযম
ভেঙে যাওয়া সম্পর্কের হদিস লেগে কলিংবেলে।
কে যেন এসে দাঁড়ায় আমার দরজায়
কোনো প্রেয়সীর পাওয়া শেষ চিঠি এনভেলাপে আঠা।
এনভেলপ ছিঁড়ি
তারপর শব্দের স্তূপে শুয়ে থাকা ভাবনার মৃতদেহ।

কে প্রথম কথা বলেছিলাম
কে প্রথম কাছে এসেছিলাম এই সব সম্পর্কের যত সাজানো আবদার।
যদি আবদার এত থাকে
তবে সম্পর্ক কোথাও দাঁড়িয়ে ভায়োলিন বজায় নিজের কষ্টে।
বারংবার সিস্টেমে স্ট্রিং ছিঁড়ে যায় ,কিন্তু মিউজিসিয়ান আবার জোড়ে
কারণ প্রতিটা সম্পর্কের ফাঁকে কিছু কথা না বলা থাকে।
কারণ প্রতিটা সম্পর্ককের ফাঁকে ইচ্ছাদের ডানা মেলা থাকে
আর তখনি সম্পর্ক আকাশে ওড়ে।
যখন বেসুরো ভায়োলিনের টুকরোগুলো, ইচ্ছাগুলো
ক্রমশ ছড়াতে থাকে ভাবনায় যেন ছেঁড়া চিঠির অজস্র ভাগ।

যতটুকু বেড়ে চলা সংযম
জুড়ে থাকে শেষ তারের অসংখ্য আবদার।
আমার দরজায় কে যেন কড়া নারে ,বারংবার কলিংবেল বাজে
কিন্তু সম্পর্ক জানে না দরজা খোলা থাকে চিরকাল।
সম্পর্ক জানে না  হৃদয়ের মাটিতে অজস্র ছোট ছোট পিঁপড়ের বাস
কুট কুট শুধু কামড়াতে থাকে।    

Wednesday, March 22, 2017

শুধু মাঝে মাঝে


শুধু মাঝে মাঝে
......... ঋষি
============================================
মাঝে মাঝে মনে হয়
বারংবার প্রেমে পরি  যেমন সময়ের গায়ে  স্পন্দনে শব্দ।
মাঝে মাঝে মনে হয় তোকে আরো আদর করি
 ঠিক যেন  সকালের শিশিরের স্পর্শে।
মাঝে মাঝে মনে হয় শুধু তোকে দেখতে থাকি
যেমন সকালের সূর্যের প্রথম স্পর্শে ঘুম ভাঙা প্রেম আঁকিবুঁকি।

মাঝে মাঝে নিজেকে বড় একলা লাগে
পৃথিবীর হাত বাড়িয়ে জীবন একটা উড়ন্ত ফানুসের উপস্থিত নীরবতা।
মাঝে মাঝে নিজেকে  বড়  নিঃস্ব  লাগে
যেন সেই অন্ধ ভিখিরীটা আজও  অপেক্ষায় মৃত্যুর ওপারে।
মাঝে মাঝে আমি হাসতে  থাকি
পাগলের মতো হাত বাড়িয়ে খুঁজি একলা দোতারা
মাঝে মাঝে আমি কাঁদতে থাকি
নিজের আয়নায় একলা পাওয়া প্রেমিকার রূপ।
মাঝে মাঝে বড় অস্থির লাগে
মনে হয় থেকে যাক আবর্তন আমি কোনো আকাশচারী।


মাঝে মাঝে মনে হয়
বারংবার আমি প্রেমে পড়ি চলন্তিকা তুমি শেষ না হওয়া কবিতা।
মাঝে মাঝে যখন তোকে জড়িয়ে আদর করি
মনে হয় এই তো আমি কোনো শঙ্খচিল নীল আকাশের বুকে।
কিন্তু সবকিছু থাকে ,সবকিছু আছে
শুধু মাঝে মাঝে আমি কেন জানি একা  হয়ে যায়। 

হৃদয়ের মানুষ

হৃদয়ের মানুষ
............. ঋষি
===========================================
সত্যি বলতে কি বুকের বুকশেলফে অনেকগুলো কেবিনেট
আমার প্রিয় নারী চলন্তিকা।
জানি না তোকে চলন্তিকা বললে আবার রেগে জাবি কিনা
কিংবা আগের মতো তেড়েফুঁড়ে  এসে  দুচারখান ঘুসি মারবি।
অনেকদিন হলো জানি
তোর কথায় বললে মিথ্যে বলে কিছু নেই সবটাই তৎক্ষণাৎ সত্যি।

পৃথিবীর দুই মেরুতে বাস করা দুটো আত্মা
মান  ,অভিমান ,লড়াই ,ঝগড়া ,কাছে থাকা আবার হারিয়ে যাওয়া।
জানি তুই একটা পুরুষ চেয়েছিলিস
সত্য বলতে একজন সাহসী যোদ্ধার মতো এগিয়ে চলা সময়।
আমি সময় হতে পারি নি
দোষ  দিই নি কখনো তোকে আসলে সত্যি আমি ভালো বন্ধুও হতে পারি নি ,
তবে হতে পেরেছি তোর মতো আরো একা।
জানি তোর চোয়ালের তিলটা একই রকম আছে সুন্দর আর স্থির
কিন্তু সময় বদলানো কোনো হারানো  রিভোলুশনের নীরবতা।
আর আমি শরীরের কবিতা লিখি না
এখন শুধু বৃষ্টি ভিজতে থাকি যখন আমি ভীষণ একা।
আমার এখানে বৃষ্টি আসে
হয়তো তোর ওখানে  তখন বরফে ঢাকা কোনো রাত্রি।
আমিও জাগি রাতের দরজায়
তোর তো ঘুম থাকে না আজ বহুদিন
আর অপেক্ষা লেপ্টে তোর চোখের পাতায়।

সত্যি বলতে কি বুকের বুকশেলফে অভিমানগুলো কাঁচেরগুঁড়োর মতো
এখানে সকাল হলে তোর ওখানে রাত্রি চলন্তিকা।
আবার চলন্তিকা বললাম বলে রেগে যাস না সময়
আমার কাছে সবটাই এই সময়।
অনেকদিন হলো জানি
তোর কথা বুঝলে বাঁচার  থেকে হৃদয়ের বাঁচা অনেক ভালো।



Monday, March 20, 2017

বাঁচবার লোভ

বাঁচবার লোভ
.......... ঋষি
=======================================
একটা মুক্তির খোঁজ
সময়ের দরজায় দাঁড়িয়ে ভিখিরীটা আশ্রয়হীন।
নিজের মতো বাড়ানো সিলভারের বাটিতে অজস্র খিদে
খিদে গড়িয়ে নামে মানুষের চোখে।
বাঁচার তাগিদে চলতে থাকা দৈনন্দিন আর ব্যস্ততার সাথে
কোনো সন্ধি নয় ,একটা খোঁজ।

খোঁজ
জীবনের বিনিময়ে আকাশের সূর্যের প্রথম কিরণ।
কেউ হয়তো নিয়মিত সূর্য প্রনামে বাঁচতে চায়  আরেকটু বেশি
আমার মতো কেউ ,কেউ বাঁচার তাগিদে কলম চালায়।
কলমের নিবে গড়িয়ে রক্ত
না বলা কথা ,সমস্ত যন্ত্রনাদের সারি দিয়ে চলা পিঁপড়ে
ঠিক কবিতার মতো।
মস্তিষ্কের প্রায় ভাঁজে অজস্র পুড়তে থাকা সূর্য ,অজস্র খিদে
আরো জ্বালানি ,আরো আগুন।
হাসতে হাসতে ফুরোতে থাকা সেই পাগলা ভিখারীটা
রোজ রাত্রে স্বপ্ন কেনে।

একটা মুক্তির খোঁজ
সময়ের দরজায় হাত বাড়ানো প্রতীক্ষা।
পথ চলতি কত লোক তাকিয়ে দেখে ,দু চারজন ভিক্ষা ছুঁড়ে দেয়
কিন্তু ভিখিরীটা চিরকাল একইরকম ,একই বাসস্ট্যান্ড,একই স্টপেজ
কিছু বদলায় না
না বদলায় আমৃত্যু ভিখিরীর বাঁচবার লোভ।

যদি একবার

যদি একবার
............ ঋষি
======================================
ছুঁয়ে ছিলাম
তোর ভুলতে চাওয়া ইচ্ছাগুলোকে হৃদয় শুষে।
ছুঁয়ে দিয়েছি
তোর চোখের কালিতে না বলা আদরের আপ্যায়ন।
ছুঁতে পারি না
শুধু নিজের অভিনয়ে লোকানো তোর পরিচয়।

আজ কাল পরশুর গল্প বলি
গল্প বলি চলন্তিকা বদলানো পৃথিবীর রূপকথার নায়কদের।
শুধু বলতে পারি না সহজেই উপন্যাসের প্রেমিকের মতো
তোকে ভালোবাসি।
নির্মেলেন্দু বাবুর মতো আমিও অপেক্ষা করি সময়ের
যদি একদিন ,যদি কোনোদিন ,যদি কোনো মুহূর্তে।
নিভে যাওয়া চোখে বাতিতে
প্রদীপের শেষ তেলটুকু ,শেষ সলতেটা জ্বলে যাবার আগে
যদি একবার।

ছুঁয়ে ছিলাম
তোর কবিতায় লেখা অন্ধকার দিনলিপিতে।
ছুঁয়ে দিয়েছি
তোর বোবা কান্নার আয়নার সেই অস্তিত্বকে।
তবুও আমি ছুঁতে পারি নি
শুধু নিজেকে চেনার অধিকারে তাগিদে তোকে।

তারা খসা

তারা খসা
......... ঋষি
===========================================

আচ্ছা এমনও হতে পারে
কোনো এক সকালে ঘুম ভেঙে আমি নেই।
সামনের চওড়া পিচ রাস্তার কালিতে আমার সমস্ত অস্তিত্ব
ওই পথ বেয়ে একা চলে যাবে।
আমি জানি না কে আছে এই পৃথিবীতে আমার একলা বাঁচায়
তবু চলন্তিকা তুমি তখনও থাকবে।

তোমাকে থাকতেই হবে
আমার কবিতার প্রতি পাতায় ধুলোমাখা অজস্র ইচ্ছার মতো।
তোমাকে বাঁচতেই হবে
আমার চোখে দেখা তোমার গভীরের স্পন্দনের মতো।
তুমি কেঁদো না সেদিন
শুধু একবার বুকভরে নিশ্বাস নিয়ে বাতাসে খুঁজো স্বাধীনতা।
তুমি সেদিন পাগলের মতো হেসো
আমার পাগলাটে চাহুনির নীরবতা মনে করে।
প্লিস সেদিন তুমি ভুলেও আকাশের দিকে তাকিও না
কারণ সেদিন তবে আকাশ ভেঙে পরবে।

আচ্ছা এমন হতে পারে
কোনো এক রাত্রিতে তুমি আকাশের বুকে আমাকে খুঁজছো।
দূরে কোথাও কোনো উজ্বল নক্ষত্র
ঠিক নেমে আসবে মাটির টানে তোমার বুকে।
সেদিন সেটা তারা খসা বলে ভুল করো না
কারণ আমি তো তোমায় ছাড়া বাঁচতে পারি না একা। 

অভিশপ্ত কালিমা

অভিশপ্ত কালিমা
................ ঋষি
================================================
সামনে যা দেখি
তা শুধু ছুঁয়ে থাকা মন্বন্তর নিজস্ব ছেলেবেলা।
কিছুটা প্রশ্ন চলন্তিকা তোর নিরালায় লেখা কবিতা
তুই আমার কে ?
প্রশ্ন ছিল ,আছে ,থাকবে এই হিসেবের দুনিয়ায়
শুধু উত্তরটা অনুচ্চারিত কোনো অভিশপ্ত কালিমা।
.
হাজারো বছর পরে
পৃথিবীর  পথ ঘাট পাল্টে অন্য এক নতুন দুনিয়ার  বাসিন্দা মানুষ।
শুধু ভুলে যাবে
কেউ কি বেঁচে থাকে চিরকাল ?
জীবনটা যদি কোনো বই হয়, পড়া হয়ে গেলে কোনো বুকশেলফে ধুলো
প্রপিতামহের জমিতে তখন ধুলো ঢাকা তাজমহল।
এইভাবে সব তো হারাবে
আমিও ,,তুইও চলন্তিকা।
শুধু প্রশ্নটা বুকের গভীরে ফুপিয়ে ওঠা কান্না
তুই আমার কে চলন্তিকা।
.
একটা আকাশ ভেঙে পড়বে
একটা আকাশ সারা অস্তিত্ব মাতিয়ে ফিসফিস আগুন লাগিয়ে যাবে।
তুই পুড়বি।পুড়বো আমিও
পুড়বে সময়ের গায়ে লেগে থাকা তোর বুকের তিল।
আমি শুধু স্বপ্ন দেখে যাবো
তুই চলন্তিকা আমার স্বপ্নে  পুড়তে থাকা সিগারেটের আগুন।
.
(বিদ্রঃ ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক)

Saturday, March 18, 2017

ঘুম হবে না

ঘুম হবে না
........ ঋষি
==============================================
মাটির উপর মাটি তার উপর মাটি
তার উপর আবার।
চলন্তিকা এতগুলো আবরণ দিয়ে তোর এই সাজানো সমাজে নিমন্ত্রণ
আমন্ত্রণ তালিকায় কিছু মুখোশি ভদ্র।
আমি চিরকাল ছোটোলোক রয়ে গেলাম
বিশ্বাসে ডুব দিয়ে বারংবার ভেঙে চললাম কাঁচের দরজাগুলো।

নিয়ম আবৃত্ত এই সমাজের বসনে
হাজারো নগ্নতা আমার কলমে চিরকাল রক্তের পরিবহন।
বেঁচে থাকা
একটা মুখোশের সফরে সাজানো রঙিন কালি।
জানি মরে যাওয়া মানুষের মনের সত্যি কিছু হেরে যাওয়া মুহূর্ত
চোখের জল শুধু চোখের নয়
সে যে হৃদয়েরও হয়।
চলন্তিকা আমি রক্ত মাংসের তোকে চায় নি কখনই
চেয়েছি একটা সফটিক যার ইসপার আর উসপার দুপাড়েই আমি।
তাই তো বারংবার আমাকে হেরে যেতে হয়
নাহলে মুখোশের মিছিলে একটা মুখোশ আমারও হতো।

মাটির উপর মাটি তার উপর আবার
শুধু সেই কাদা মাখা আমার  পরিচয় নিদারুন কোনো স্বচ্ছতায়।
আমি স্পর্শের সফরে চলন্তিকা মেঘ খুঁজতে বেরোলাম খোলা আকাশে
কিন্তু তুমুল দুর্যোগের রাত।
আজ আর ঘুম হবে না সত্যি চলন্তিকা তোর কথা ভেবে
বাইরে বৃষ্টি ,কিন্তু পরচিয় নগ্ন এই রাত।

Thursday, March 16, 2017

ভালো আছি

ভালো আছি
.......... ঋষি
==============================================
প্রশ্ন একটা থাকে
উত্তরে থাকে সাজানো একটা পোশাকি পরিচয়
মানুষের ফাঁকে মানুষগুলো সাজতে সাজতে বাজারি ম্যানিকুইন
আমি তুই ভালো আছি
কারণ এটা নিয়ম ,হয়তো ভয় ,বাঁচতে হবে যে
পোশাকি প্রশ্নের উত্তরে

আমার শব্দের মিছিলে সাজানো অজস্র শরীর
আর শরীরের স্পন্দন মানুষের হৃদয়ের ভাঙাচোরা আয়নাটা।
তাই বলে আমি আয়নার ফেরি করি না
আমি লিখি সময়।
তাইবলে আমি সময়ের দূত নয় ,বরং আকাশের পাখি
আমি আকাশ স্পর্শ করি।
আমার দুই ডানাতে ভর করে আছে সময়ের শরীর ,অজস্র স্পন্দন ,হাজারো বাঁচা
তাইতো আমি ভালো থাকি মানুষের মাঝখানে ,মানুষের বেশে।
মৃত্যু যেখানে না বলা কোনো অলিখিত চুক্তি
আমি সেই মৃত্যুর দেশের একমাত্র বাসিন্দা।
আমার স্কেলিটনে লেগে আছে সময়ের সফরের অসংখ্য মৃত ক্ষত
অসংখ্য মুসাফির জীবিত আদরে।

প্রশ্ন একটা থাকে
তোর গলার স্বরে লেগে আছে কোনো মিউজিক্যাল জার্নির মৃতদেহ।
সেই মৃতদের পচা ,গলা,বিষাক্ত মুখটা একটা জীবন
চোখ জ্বলে যায়, হাসি দেখে।বুক পুড়ে যায় মিথ্যের কারবারে।
তবু বারংবার কেউ যদি প্রশ্ন করে
বলি ভালো আছি। 

এটাই জীবন

এটাই জীবন
.............. ঋষি
============================================

ব্যাপার একটা আছে
আমি একলা রাস্তায় পেরেক বিছানো পথে হাঁটতে থাকি।
পিছনে ফিরে দেখি
রক্ত মাখা পায়ের ছাপ আর সামনে গন্তব্য।
দূরে কোথাও কোনো হরবোলা আমার কণ্ঠে গেয়ে ওঠে বাউলের গান
খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়।

 আমার মতো কেউ পথ আগলে দাঁড়ায়
খুব গম্ভীর কণ্ঠে আমাকে শোনায় মহাভারতের কৃষ্ণের বাণী
যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানিভাবর্তি ভারত।
অভ্যথানমধর্মস্য তদাত্তানং স্রিজাম্যহম||
আমার হাসি পাই
আমি সেই আমাকে টপকে এগোতে থাকি গন্তব্যের খোঁজে
দূরে সীমারেখায় আমি আকাশ দেখতে পায় ,সন্ধ্যের ঘরে ফেরা পাখি।
পথে রাত্রি নামে ,সামনে নাম না জানা কোনো গভীর অরণ্য
কত জীবনের শব্দ আমার চারিপাশে।
চোখ বন্ধ করি ,হাত দিয়ে কান চেপে ধরি ,পালাতে যায়
হোঁচট খাওয়ার পর খেয়াল হয় এটাই জীবন।

ব্যাপার একটা আছে
আমি একলা রাস্তায় পথ হাঁটছি পৃথিবীর পথে।
গন্তব্য হয়তো আছে
কিন্তু আমার জানা হয় নি এখনো একটা সম্পূর্ণ জীবন।
তাই নিজের মতো পিছনে ফিরে রক্তের পায়ের চাপ
ভয় পায় না ,শুধু বাঁচতে থাকি। 

বাঁচতে চাওয়া

বাঁচতে চাওয়া
............ ঋষি
==============================================
আমি ,তুমি আর সকলে শুধু খুঁজছি
নিজেকে
আর সময়ের দরজায় মাথা খোঁটা সময় কাঁদছে ,খুব কাঁদছে
কারণ নিজেকে পাওয়া মানে ঈশ্বর স্পর্শ করা।
আর নিজেকে খোঁজটা আসলে একা থাকা একটা পাগলামি মানুষের
শুধু বাঁচতে চাওয়া।

আমি তো লাশের মিছিল দেখি
সারা সময়ের বুকে তাকিয়ে দেখি হাজারো কোটি জখম
আমি তো শুধু আগুনে পুড়তে দেখি
চুল্লির ভিতরে সবার আগে এক ঝটকায় পুড়ে গেলো মাথার চুল ,তারপর চামড়া
তারপর অস্তিত্ব
ভিজে যাওয়া চোখের পাঠায় হয়তো কেউ তাকিয়ে থাকে
দেওয়ালে টাঙানো ছবিটার দিকে কিছুক্ষন
তারপর
সেই তো সময়ের শুরু আর সময়ের পথে অসংখ্য এস এম এস
হিজ মাস্টার ভয়েস

আমি ,তুমি শুধু সকলে নিজেকে খুঁজি
শান্তি।
কোনো একটা সময় শেখা অভিধানের মানে  একটা নীরবতা
শুধু বইয়ের পাতায় অসংখ্য উচ্চারণ ঈশ্বরের কায়দায়।
তারপর রাস্তার ছড়ানো খৈ আর হরিবোল
একটা বডি এইমাত্র পুড়ে গেলো শ্মশানে ,পরিজন তার অপেক্ষায়।

শুধু ভাবনারা

শুধু ভাবনারা
............. ঋষি
=======================================================

শুধু ভাবনারা দাঁড়িয়ে থাকে
ভালো করে একবার পিছনে ফিরে দেখ সারি দিয়ে সব দাঁড়িয়ে।
সকলেরই জীবনটা একটা সার্কেল
শুধু ঘুরছে ,কিছুটা পাওয়া গেলো এই জীবনে বাঁচার কারণ।
কিছুটা না পাওয়া যেটা কষ্ট
আর তারপর মৃত্যু  শুধু ভাবনারা ঠাই দাঁড়িয়ে পিছনে।

প্রশ্ন করেছিস কখনো নিজেকে
কেন মানুষ পিছনে দাঁড়িয়ে বোবা হয়ে তাকিয়ে থাকে সামনে ?
কেন এক একটা দিন কাটার পর
হাজারো কষ্ট ,হাজারো আনন্দ সত্বেও মানুষ একলা থাকে ?
আমরা যাদের অধিকার বলি
সেই অধিকারগুলো সব বসলেন মুখোশের এক একটা অধ্যায় ?
কিছু কারণ থাকে ,কিছু কারণ বাঁচে
আর কিছু মরে যায় মনের ভিতর ,যেমন মানুষ মরে।
শুধু ভাবনারা ঠাই দাঁড়িয়ে পিছনে
আরো বেশি গভীরে যায় ,ক্রমশ আরো প্রিয় মানুষের।

শুধু ভাবনারা দাঁড়িয়ে থাকে
ভালো করে একবার পিছনে ফিরে দেখ সারি দেওয়া হাজারো মুখ তাদের।
কেউ হাসছে ,কেউ কাঁদছে ,কেউ আবার লড়াই করছে ,কেউ আবার প্রতিদিন মরছে
কে বেঁচে আছে।
জীবন একটা সার্কেল মনীষীরা বলে গেছেন অনেক আগে
কিন্তু এটা কখনো জানা হলো শুধু ভাবনারা কেন দাঁড়িয়ে থাকে। 

ঈশ্বর দর্শন

ঈশ্বর দর্শন
,,,,,,,,,,,,,,, ঋষি
===================================================
নিদারুন একটা কৈশোর আমাকে প্রশ্ন করে
ঈশ্বর দর্শন।
ঈশ্বর নামক ভদ্রলোককে সেদিন দেখলাম এক নষ্ট মেয়ের দরজায়
ঈশ্বর দরজা খুলে ঢুকলেন।
দেখলেন এদিক ,ওদিক দেওয়ালে টাঙানো তারই মায়া
ঈশ্বর পর্যুদস্ত এখন।

ঈশ্বরের সামনে এক  প্রায় নগ্ন নারী
আহ্বান এসো খিদে আমার পেট ভরিয়ে যাও।
ঈশ্বর এগিয়ে গেলেন ,মাথায় হাত রাখলেন পরম স্নেহে
এক গ্লাস জল পাওয়া যাবে।
চমকে উঠলো নষ্ট মেয়ে। চমকে উঠলো নষ্ট সমাজ ,চমকে উঠলো নষ্ট সময়
হা ঈশ্বর তোমারও তৃষ্ণা আছে।
কাঁপা কাঁপা হাতে এগিয়ে দেওয়া গ্লাস এক চুমুকে শেষ করে
ঈশ্বর বলেন তৃপ্ত।
অবাক চোখে তাকালো নষ্ট শরীর
শুধু এতটুকু, এই টুকু ,তারপরই হেসে উঠলো সে আদিম কান্নায়
ঈশ্বর বললেন শরীর শুধু মাত্র ধারক
আর তোমার গভীরতার তো মরণ নেই ,সে তো শুধু কষ্টের


নিদারুন এক যৌবন আমার দরজায় দাঁড়িয়ে
ঈশ্বর দর্শন।
আসলে মুখোশের মিছিলে ঈশ্বর আজ জব্দ কোনো নষ্ট সময়ের নাগরিক
ঈশ্বর এগিয়ে এলেন ,মেয়েটির জন্ম গুহায়।
কানে কানে মুখ রেখে বললেন এটা শুধু কল্পনা আর তোমার কষ্ট
মেয়েটি ফুপিয়ে কেঁদে উঠলো ,ঘুম ভেঙে চোখের সামনে জানোয়ারের চোখ। 

আদরের কবিতা

আদরের কবিতা
............ ঋষি
==============================================
শেষ পর্যন্ত
খুলে পড়তে থাকলো এক এক করে কার্পণ্য।
তোমার ব্রায়ের শেষ হুকটা খুলে গেলো চোখের সামনে
বড়ো একটা সমুদ্র দেখলাম বোধ হয়।
ক্রমশ আরো আরো করতে করতে সম্পূর্ণ নগ্ন নারী চলন্তিকা
কেন ডাকছো আমাকে কাছে ? উত্তর পেলাম না।

জানি এই কবিতা  মুখ দেখাবে না
হয়তো কেউ কেউ নষ্ট কবি বলে একটা নতুন উপাধি বাজারে ছড়াবে।
কিন্তু জানো তো চলন্তিকা
আমি বরাবর নষ্ট ছিলাম ,নষ্ট আছি ,নষ্ট থাকবো।
কারণ কোনো বিষাক্ততা আমাকে আরো বেশি তোমার কাছে নিয়ে ফেলছে
কোনো এক গভীরতা আমাকে আরো গভীরে বলছে
হঠাৎ তুমি আমার ভীষণ কাছের।
তোমার উর্বর স্তনের উচ্চতায় আজকাল আমার চোখে পিরামিডের ছায়া
শুনেছি নাকি এটা নেমেসিসের কোনো লোকানো ট্র্যাপ।
তবু মৃত্যু ভীষণ আমার  কাছের
কারণ তোমার  দুচোখের জ্বালায় আমি আগুন দেখেছি।


শেষ পর্যন্ত
খসে পড়লো তোমার সমস্ত পোশাকি নাটক।
সম্পুর্ন নতুন কোনো সদ্য জন্মানো প্রেম এক আদরের কবিতায়
তবে কি নগ্নতায় প্রেমের জন্ম হয় ?
এই প্রশ্ন ছিল ,এই প্রশ্ন থাকবে ,এই প্রশ্ন চিরকালীন
প্রতিটা প্রেম ভালোবেসে নগ্ন হতে চায় 

নীরব কয়েক ফোঁটা

নীরব কয়েক ফোঁটা
............. ঋষি
==========================================
নীরব কয়েক  ফোঁটা জল
যখন চোখ বেয়ে পরে তাকে কান্না বলে।
যখন একরাশি জল পাহাড়ের খাঁজ বেয়ে নাম
তখন তাকে নদী বলে।
যে জল দেখা যায় না শুধু হৃদয়ের রক্তে বহে
তাকেই বোধ হয় কষ্ট বলে।

এই ভাবে একদিন কষ্টগুলো বাড়তে বাড়তে সমুদ্রে এসে পরে
মিশে যেতে চায় ,এক অনু অনুভবে
সেটাই তো প্রেম।
কবি আমি প্রেম বুঝি নি কখনো
শুধু গল্প ,কবিতায় পড়েছি অনুভবের সাঁওতালি মহুয়া নেশায়।
চলন্তিকা আমি সত্যি তোমাকে স্পর্শ করি নি কখনো
এই শহরের গভীরে পরিবর্তিত দিন রাত
তোমাকে জ্যান্ত করে দিয়ে যায়।
এইভাবে কোনো একদিন আগুনের চুল্লিতে আমার মৃতদেহ পুড়বে
সেটা কষ্ট নয় হয়তো অভিমানে এক ফোঁটা জল
ঠিক গড়িয়ে পড়বে।

নীরব কয়েক ফোঁটা  জল
কেন যেন অভিমানের মোহে নগ্ন থেকে যায়।
যখন আকাশ বেয়ে বৃষ্টি নামে
আমি আঁচলা পেতে ধরি কিন্তু গড়িয়ে যায়।
কি হচ্ছে এসব
শুধু কোনো কষ্ট আজ হৃদয়ে কাঁদছে। 

রূপকথা (২)

রূপকথা (২)
.......... ঋষি
==========================================
খুব খিদে না তোর
চারিদিকে আকাশে বাতাসে বিষাক্ত নিশ্বাস।
মানুষ হিসেবে মানুষের বাস ফুরিয়ে যাওয়া কবিতার পাতা
আচ্ছা সম্পর্কের বাইরে কোনো দরজা কি থাকে।
যেমন কোনো আদিম আস্তরণে মোড়া রূপকথা
পক্ষীরাজ্,রাজকন্যা ,আর খিদে?

তোর নিশ্বাস গায়ে মেখে
শরীর বেয়ে নেমে যাওয়া ঝর্ণার জল সে যে স্পটিকের ইচ্ছা।
তোর ইচ্ছাদের কবর থেকে তুলে
এক একটাকে ন্যাংটো করে আয়নার মুখ মাখা।
এই সব আদিম আস্ফালনে
তোর স্তনের বিভাজনে মুখ  রেখে গভীরে কাঁদা আর বলা
আমি আছি তো।
খুব ইচ্ছা না তোর
একবার আদিম আবর্তনের আস্ফালনের পরিধিতে
একটা দিন ,কিছুটা স্পর্শ হিসেবের বাইরে।

খুব খিদে না তোর
একটা দীর্ঘশ্বাস যখন ফুরোতে ফুরোতে স্বপ্ন হতে থাকে।
যখন স্পর্শগুলো বাস্তবের আগুনে পুড়ে ছাই
তখন মন একটা রূপকথা চায়।
ঠিক ব্যাঙ্গমা ,ব্যাঙ্গমীর দেশে রুপোর কাঠি সোনার কাঠি
আর চেনা অধ্যায় ,প্রেম পুড়ছে। 

আদিম মৃত্যু

আদিম মৃত্যু
............ ঋষি
===================================

চারিদিকে দেওয়ালে দেওয়ালে রঙিন ছবি
এটা নাকি প্রমান করার চেষ্টা
আমার নাকি কষ্ট নেই।
কষ্টকে একটা প্রশ্ন আমার আন্তরিক আন্টার্টিকাতে
আচ্ছা জোয়ার আছে ভাটা আছে
কিন্তু শেষ কই ?

এসব নাছোড়বান্দা লেগে থাকা নেশা
তাজমহলের সামনে দাঁড়িয়ে সময়ের খুঁজে নেওয়া প্রিয়তমার বুকে বিভাজন।
সবকিছু বদলে যায়
যেমন সময়ের রঙে প্রাচীন ফসিলের যন্ত্রণার দাগ।
বদলায় বটে কিন্তু রয়ে যায়
মিউজিয়ামে শুয়ে থাকা মমিগুলো বেঁচে ওঠার স্বপ্ন।
আদর করে নীলনদের দেশে সূর্যের সোনার রং
সেও কি আজ নেশায় আছে,
নাকি যন্ত্রণার।
হা ক্লিওপেট্রা তোমার জন্মের কালিতে
লেখা হোক বিষাক্ত মৃত্যু।

চারিদিকের দেওয়ালে দেওয়ালে রঙিন ছবি
সাদাকালো নাকি সেরকম যুগবৎসল ফ্রেমে লাগানো যায় না।
প্রেমিকার ঠোঁটে লাল টকটকে লিপস্টিক
ইচ্ছে করে ছিঁড়ে ফেলে আমি চিতা হয়ে যায়।
সবাই বলে কষ্ট নেই
আসলে কষ্ট ক্লিওপেট্রার কোনো আদিম মৃত্যু। 

Wednesday, March 15, 2017

আর বাকিটা

আর বাকিটা
..... ঋষি
==========================================

মন্দ বলে নি সময়
মন্দ করেছে লোকে ,করেছে নষ্ট।
পাঁচ মাথার মোড়ে আমার প্রিয় নায়িকার সিনেমার পোস্টার নেই
আসলে সিনেমার  পোস্টার চিরতরের নয়।
কিছু পোস্টার
চিরকাল জীবনের দেওয়ালে আটকানো অস্তিত্বের মতো।

সেই টলমলে পায়ে হেঁটে চলা শিশু
আর সেই বৃদ্ধ বালক আজও এগিয়ে চলে ভবিষ্যতের সন্ধানে।
তবু শহরে নোংরা নর্দমা আছে
আর দগদগে ঘা কিছু নিরন্তর না শুকোনো বায়না।
মানুষগুলো হায়নার মতন রক্তের সন্ধানে ,খিদে খোঁজে ফেরে
সময় একরাশ নিস্তব্ধতা নিয়ে মানুষের পিছে ঘরে।
কিছুই নষ্ট নয় ,কিছুই মন্দ
শুধু ভাবনা নষ্ট হয় ,ভাবনা হয় মন্দ।
আর বাকিটা
কর্পোরেশনের খোলা ট্যাপের জল
সোজা বয়ে চলে ঠিকানায় ,সেটা নর্দমায় হোক কিংবা যাতনা।

মন্দ বলে নি সময়
শুধু নষ্ট এই সময়ে ইকিরমিকির বায়না।
ওপাড়ার পুস্পা আজও জানলা ধরে থাকে বাঁচার আশায়
আর অনামী রাজেশ খান্না কিশোরের গলায় গেয়ে ওঠে।
কুচ তো লোগ কেহেঙ্গে,লোগোকে কাম হ্যা কেহনা
ছোড়ো বেকারকি বাতমে ,ক্যাহি বিত না জায়ে রেহনা।


রঙিন আদর

রঙিন আদর
.......... ঋষি
==============================================
একটা উৎসব

কিছুটা ফেলে আসা সময়ের বাসিন্দা আজ ঘুমে
ঘুম ভাঙছে নেশার মতো পরম আদরে আরো গভীরে তুই।
.
একটা বাসন্তী রঙের শাড়ি
আর অনেকটা হৃদয় জমে আছে তোর লালচে ক্লিভেজে
দুচোখের কাজলে লুকিয়ে আছে অনেকটা বেঁচে থাকা।
.
উৎসব যখন রঙিন
ঠিক তখন আমার হাতের গাঢ় লালচে আবিরের ফাগ।
ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে তোর গালে ,তোর বুকে
তোর সারা অস্তিত্বে সুখে ।
.
ক্রমশ গভীরে যাচ্ছে স্পর্শ
তোর শহরের রাস্তায় ছড়িয়ে আছে লালচে কৃষ্ণচূড়ার জীবন্ত স্মৃতি।
আর হাজারো  পলাশের আদরে
আমার শহরে আজ দোলের রং  ছড়িয়ে পড়ছে  আকাশে বাতাসে
তোর চোখের স্বপ্নে।
.
এইভাবে ঠিক এইভাবে এক একটা উৎসব আমাকে কাঁপিয়ে যায় চলন্তিকা জীবনে
আমার সমস্ত নিজস্বতা জুড়ে তোর ঠোঁটের লালচে লিপস্টিকের ফিরে আসা।
তোর গলায় ঝোলানো জেমসের হলুদ ,সবুজ পাথর
কানের লতিকায় আমার জড়িয়ে কামড়ে আদর।
সবটাই বড় রঙিন লাগছে
আর উৎসবের বসন্তে তোর স্পর্শগুলো আমার কাছে রঙিন হয়ে চির গভীরে।



মানুষের দেশ

মানুষের দেশ
.............. ঋষি
===========================================
বদলানো কোনো অভিমানের অধ্যায় নয়
একটা স্পেস মানুষের হৃদয়ের গন্ডীর দুপাশে।
একপাশে একটা মাংসের পৃথিবী আছে চিড়িয়াখানার বাঘের নখে
অন্যপাশে একটা পাখি শুধু আকাশ দেখে।
আমি বদলায় নি কারণ আমি মানুষ না ,আমি বদলাতে পারি না তাই
শুধু মাঝে মাঝে একটু অভিমান হয় অন্য বাঁচায়।


অনেকদিন হলো চলন্তিকা
আমি ভাত খাই নি ,আমি ঈশ্বরকে পাই নি ,শুধু গিজগিজ করছে জীবাণু।
মানুষের ভিড়ে লেগে থাকা আতংকরা জানে এ আমার খিদে
আমার খিদে লেগে থাকে তোর জমকালো হৃদয়ের দেওয়ালে।
আমার খিদে লেগে থাকে তোর বাড়ির ঘড়ির পেণ্ডুলামে
তোর সদ্য শেষ হওয়া বইটা আসলে ওটাও একটা খিদে।
সমস্ত ম্যানিকুইনদের বাজারে লুকোনো একটা খিদে
এত খিদের মাঝে আমি বড় ক্ষুদ্র।
আমি ভীষণ ছোট কোনো লুপ্তপ্রায় নিরন্তর হেঁটে চলা
মানুষের দেশে।
অথচ মানুষ শধু একটা অবুঝ ,একটা স্বার্থপর প্ৰজাতি
যে বিবর্তনের পথে ক্রমশ লুপ্তপ্রায়।

বদলানো সময়ের দরজায়
তুই একবার ইতিহাসের পাতা উল্টে দেখিস।
কিছুই স্থির না ,ভীষণ অস্থির কারণ সময় বড় জেদি
আর সে যে শুধু বদলায় কিন্তু থেকে যায় লুকিয়ে হৃদয়ের ঘরে।
কিন্তু মনের ভিতরে চিড়িয়াখানার বাঘটা আজকাল হাঁকডাক করে
আর পাখিটা উড়ে চলে যায় আকাশের কিনারায়। 

Friday, March 10, 2017

লাল নীল সবুজ


লাল নীল সবুজ
......... ঋষি
==========================================
একটা গোলাপি ওড়না উড়ছে আকাশে
তোমার মতো করে বলতে গেলে ফাগুনের আদর।
এক একটা দিন যেন  সূর্যের থেকেও লাল,
সুড়কির রাস্তা অথবা লাল মাটির দেশে মনটা বড়ো টানে।
 তোমার সিঁদুরের চেয়েও  দামি একটা দিন মাঝে মাঝে
ঘুমিয়ে পরে হেঁটে চলে যায় ,ঘুমের ভিতর।

তখন স্বপ্ন দেখি লাল ওড়নাটা আকাশে উড়ছে চলন্তিকা
কোনো অবয়ব ফুটে ওঠে না।
ক্যালেন্ডার মাফিক বসন্ত চলে এলো আবারও ফাগুন হাওয়ায় কাঁপে শিরা উপশিরা
কিন্তু একবারও বিশ্বাস করো চলন্তিকা ঘুম ভাঙে না আমার।
পথের ধারে হলুদ হয়ে ওঠা গাছগুলো জানিয়ে দিয়েছে তুমি এসেছ মহাসমারোহে
পলাশ,কৃষ্ণচূড়া ঝুঁটিতে বেঁধে,
আবীর মেখেছ লাল, শুরু হয়েছে বসন্ত নৃত্যে।
ঘুমের ঘরে হঠাৎ করে  চমকে দিয়ে আমাকে তুমি বললে
 'এসেছি রে আঁখি তোল'
 "স্থলে জলে বনতলে" লাগলো লাগলো দোল !

একটা নীল  ওড়না উড়ছে আকাশে
তোমার মতো করে বলতে গেলে অনেকটা রঙিন স্পর্শ।
কত যে স্পর্শ  সবুজ ,লাল ,নীল খোলা আকাশ
কে যেন আবার কানে কানে বলছে
"রাঙা হাসি রাশি রাশি অশোকে পলাশে ,রাঙা নেশা মেঘে মেশা প্রভাত আকাশে
নবীন পাতায় লাগে রাঙা হিল্লোল , " দ্বার খোল দ্বার খোল"।

হা বসন্ত

হা বসন্ত
........ ঋষি
==========================================
বসন্ত এসে গেছে
কি হবে বসন্ত আসে নির্বিকারে পলাশের ফুলে।
কি হবে বসন্ত এসে সময়ের  তাড়নায় এক পেট তাড়া
ছুটছে তো সবাই।
ছুটছে শহর ,নগর ,বন্দর আর আকাশের চাঁদ, তারা
কার কি এসে  যায়।
.
কি হবে বসন্ত এসে ময়দান ,ভিক্টোরিয়ায় ভিড় পার্কের বেঞ্চে
পাশাপাশি বসা কপোতকপোতি আবিরের স্বপ্নে।
আমারও কি বসন্ত আসে নি দু এক বার
ছাতার তলায় ঘন হয়ে বসে উত্তাপের বুক আর তোর মুখ।
আর তারপর
ঘাম আর সমান্তরালে চলা প্রেমের সুখ।
প্রেম তো স্থির থাকে নি কখনো
বদলাতে বদলাতে কখন যেন এক তাল মাংসের তন্দুরি হয়ে গেছে
কপাৎ করে গিলে এখন অবাক দিন যাপন
হা বসন্ত।
.
বসন্ত এসে গেছে
ছুটছে সময় আর দুচার খানা প্রেম শহরের রাস্তার আনাচে কানাচে।
আমি শুধু দাঁড়িয়ে দেখি ভিড়ের মাঝে ছোটাছুটি যন্ত্র মানুষ
ছোটাছুটি মানুষের অস্তিত্ব নির্ভরশীল খিদে।
সময় এসে লাথ মারে পেছনে, বলে ভাগ শালা
খিদে নিয়ে পেতে  প্রেম মারাতে গেছে।

Thursday, March 9, 2017

তোমার জন্য লেখা

তোমার জন্য লেখা
............. ঋষি
===========================================
তোমাকে দেখতে হলে আমাকে শব্দ বুনতে হয়
একের পর এক ,তার পর আবার।
সবাই তো সময়ের সাথে বয়ে যায় বারংবার যেন ঋতুবাহী
কিন্তু তোমাকে ভাবতে হলে,
আমাকে কবিতা লিখতে হয়
পাতায় পাতায় জমে থাকে অসংখ্য সবুজ আবদার।

এইভাবে একদিন কোনো মেঘলা বিকেলে
আমার আকাশি রঙের জামাটা হঠাৎ আকাশ হতে চাইলো।
তোর দেরাজে রাখা সে ময়ূরপঙ্খী শাড়িটা তখন ভবঘুরে কোনো ইচ্ছা
ইচ্ছার সময় বদল হলো।
বদল হলো তফাৎ মাপা অসংখ্য বালিশের দূরত্ব
আর দুর্বলতা কংক্রিট শহরে খুঁজতে চাওয়া আকাশ।
আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিলাম অনেকক্ষণ তোমার খোঁজে
আমি হৃদয়ের দিকে তাকিয়ে ছিলাম বহুক্ষণ নীরব আকাঙ্খায়।
আচ্ছা আকাশে কি একটা বাড়ি আছে ?
যেখানে তুমি ইচ্ছে মতো নিজেকে খুঁজতে পারো
আর আমি লিখতে পারি কবিতা।

তোমাকে দেখতে হলে আমাকে আকাশ দেখতে হয়
ইট কাঠ শহরের নাগরিকত্বে আমি কোনো যেমন পাখি।
নীলচে পালক নিয়ে নীল আকাশের মাঝে তোমার বাড়ির বারান্দায়
হাত বাড়িয়ে আমাকে ছুঁতে চাও।
আমি উড়ে যাই ,আমি হারিয়ে যায় ,আমার কবিতায়
তুমি তাই আমার কবিতা যত্ন করে পড়ো। 

Wednesday, March 8, 2017

মৃত্যুর মুখ

মৃত্যুর মুখ
........... ঋষি
=================================================

মাঝে মাঝে আমার মারাত্নক তৃষ্ণা পায়
তৃষ্ণা একটা মৃত্যুর মতো সাজানো সম্ভার।
জীবন আর জীবিতের ফাঁকে যে কটা দিন মানুষের আনন্দের
সেই কটা দিন  ছাড়া ,সময় বড় অবুঝ।
আর কি থাকে বেঁচে ?
তৃষ্ণা হলো মৃত্যুর ওপর নাম।

ভালোবেসে তোকে আমি মৃত্যু বলে ডাকি
বাইলজিকাল সার্ভেতে প্রকৃতির পরিবর্তনগুলো ডিসকোভারীর প্রায় রন্ধ্রে রন্ধ্রে।
নীরবতা যেখানে নিশ্চিন্তে শুয়ে ঘুমোয়
ঠিক সেখানে মাঝরাত্রে আমার ঘুম ভেঙে যায়।
আকাশের সিলিঙে তখন অবিরত উৎপাত
বাইরে তখন নিশুতি রাতে অন্য আকাশে অসংখ্য নীরবতা জ্বল জ্বল করে।
কিন্তু নিজের ভিতর ,কিন্তু ঘরের ভিতর
অজস্র ঘর ফাঁকা ,কেমন একটা কান ফাটানো চকোলেট বোমার শব্দ।
এই আয়না ঘুরে সেই আয়না ,,,মৃত্যুর মুখ
 ডিসকোভারী কি মানুষের মৃত্যুর খবর রাখে।

মাঝে মাঝে আমার মারান্তক তৃষ্ণা পায়
কে যেন নিজের ভিতর একলা গিয়ে দাঁড়ায় এক আকাশ তারাদের মাঝে।
হাত বাড়িয়ে ছুঁতে চায় নীরবতা
তারা সরতে থাকে। কিছু তারা অকারণে ঝরে পরে।
আর কি থাকে বেঁচে ?
নিরুপায় জীবন ঘুমোবার ভান করে।

রোজ সন্ধ্যে

রোজ সন্ধ্যে
..... ঋষি
=========================================
রোজ যন্ত্রনা দেখি
তোর চোখ ,মুখ বেয়ে নামতে থাকে কালো ছায়া।
সন্ধ্যে হয়ে যায় জানিস
সে তো নিয়মিত শহরের ব্যস্ততায় নাগরিক জীবন।
তবুও সময় খোঁজে স্পর্শ
বোধ হয় তাকে প্রেম বলে অথবা প্রণয়।

তোর নাভির জমে আছে অমৃত
ঈশ্বর নেমে যায় নিচে আরো গভীর জঙ্গলে।
মন্দিরেও পুজো দেয় পুরোহিত
হাতে ঢং ঢং করে বাজতে থাকে সম্পর্কের ঘন্টা ক্ষনিকের।
পুজো হয়ে যায়
প্রসাদের ফুল পরে থাকে মাটিতে ঠিক তোর মতো দেখতে।
এই বিশ্ব ব্রম্হান্ডে প্রয়োজন ছাড়া গাছের পাতায় পরে না
অথচ বসন্ত বাঁচতে চায় জীবন জুড়ে।
যেমন রাস্তার পাশে কৃষ্ণচূড়া ,রাধাচূড়া রঙিন নিজের আবদারে
তবু সময় ফুরোয়
ফুল তো ঝড়েই যায়।

তোর যন্রণা দেখি
তোর চোখের ভিতর লুকিয়ে বাসা বাঁধে আকাশ।
নীল রং তোর ভীষণ প্রিয়
প্রিয় তোর নীল শাড়িতে দেরাজে সাজানো আদরের রঙে।
তবু  তুই ফ্যাকাশে কোনো অবুঝ সকাল
অপেক্ষা করিস প্রতিদিন সন্ধ্যের। 

ঈশ্বর ও নারী

ঈশ্বর ও নারী
....... ঋষি
==================================================
ঈশ্বর ইভকে পাঠালেন
আদম আজও একা তাই।
ঈশ্বর ইভকে নারী করে পাঠালেন
কারণ জন্ম। জন্মান্তরে গল্পগুলো। শহর নগর
সব একা তাই।
তারপর সভ্যতার মেইন স্ট্রিমে যুক্ত পুরুষ তান্ত্রিক এক দানবের।
.
তারপর এই সময় ঈশ্বর জন্ম দিলেন পাপ
জন্মদিলেন লোভ ,জন্ম দিলেন মানুষে হিন্যতা আর সেই বিষ আপেল ফল।
ঈশ্বর ক্রমশ অনুভব করলেন পুরুষ দন্ড বিধাতা
পুরুষ এমন এক শ্রেণী যে ইচ্ছে করলেই কেড়ে নিতে পারে নারীর সম্ভ্রম।
ঈশ্বর তখন পুরুষের সাথে এক মত
বোধহয় ঈশ্বর তখন কোনো পুরুষের শরীরে।
শুরু হলো ধর্ষণ ,শুরু হলো অত্যাচার ,শুরু হলো শৈশব গুড়িয়ে নারীদের সংসার
সবটাই ভীষণ সিস্টেমেটিক প্রসেসে এগোতে লাগলো।
নারীরা মা হলেন ,ক্রমশ লোকসংখ্যা বাড়ছে পৃথিবীতে মানব দূষণ
শেষ হয়ে শুরু হতে লাগলো নতুন কালো আরো শতাব্দীর।
কিন্তু প্রশ একটা থেকেই যাচ্ছে ঈশ্বর কি সত্যি এত স্বার্থপর
যে নারীকে আজও রমন যোগ্য রমণী করে রেখে দিলো।
.
ঈশ্বর ইভকে পাঠিয়েছিলেন ঠিক
তবে তা পৃথিবী সৃষ্টি করতে ,মানব জাতির কল্যানে।
কিন্তু পিছনে একটা কারণ ছিল প্রেম।যা সবথেকে কমদামি আজ।
তারপর গল্পটা সবার জানা
পুরুষ তান্ত্রিক সমাজে নারী একজন ভোগ্য ,একটা প্রয়োজন শুধু পুরুষের
তবে কিসের আজকের নাটক " নারী দিবস " ।

Monday, March 6, 2017

এক কাপ চা (২)

এক কাপ চা (২)
............. ঋষি
========================================

মৃত্যুগুলো আমি মুখোমুখি নিয়ে বসে আছি
তবু ঠোঁট চাইলে একটা জংলী গন্ধ নীরবতা এনে দেয়।
তারপর এক নির্জন সন্ধ্যায় উষ্ণতার ঠোঁটে
এক কাপ চা।
একটা নেশা লেগে থাকে আজকাল সময়ের অন্তরে
আচ্ছা চুমু কি চায়ের মতো নিয়মিত হয়।


সময়গুলো পেরিয়ে যায়
দেওয়ালে বদলাতে থাকা ফেস্টুনে পুরোনো কিছু লেগে থাকে।.
ইচ্ছার ঘড়িটা  রোজ চাবি দিয়ে জীবিত রাখা
কোনো একদিন এই শহরের চায়ের ভাঁড়ে লেগে যাবে তোর ঠোঁট
আর আমি উষ্ণতার চাবিকাঠি।
নাগরিক জীবনের একথা সিরিয়াল কিলার আছে
যে নিয়মকরে রোজ ঘুম ভাঙা ব্যাস্ততাগুলো খুন করে মানুষের।
সেই একা থাকাতে আমার প্রয়োজন
এক কাপ চা ,একটা সিগারেট আর চলন্তিকা তুই।
সমস্ত সত্বা জুড়ে কুয়াশা রঙের  ছোট ছোট রিং স্বপ্নের মতো
আমার সিগারেট পোড়া ঠোঁটে নিকোটিনের স্বাদ।

মৃত্যুগুলো আমি মুখোমুখি নিয়ে বসে আছি
শহরের প্রতিটা মোড়ে এখন উজ্বল ফ্লোরোসেন্টের স্বপ্নের আলো।
নির্দিষ্ট দূরত্ব পেরিয়ে মানুষ একাকার
আর আমি হেঁটে চলা কোনো চায়ের দোকানের সন্ধানে।
প্রতি কাপ চুমুকে তোর নোনতা ঠোঁট
এটাও কি আমার খুব কম পাওয়া। 

কিছু কথা

কিছু কথা
.................. ঋষি
============================================
সবকথা বলে দিলে
কিছু কি বাকি থাকে না কিছু একা থাকে। .
সমস্ত মৃত প্রায় পোশাকগুলো খুলে ফেলে একলা দাঁড়িয়ে থাকা
এটা কোনো উপহার নয় নিরুপায়।
পায়ে ছেঁড়া চটি ,শেষ না হওয়া দুর্গম পথ
এটা কোনো উপসংহার নয় ,বেঁচে থাকা জীবন।

অনেক গুলো গালাগাল জমে আছে বুকের কেবিনেটে
অশ্লীল কিছু সামাজিকতা বুকে কাঁটা তারের বেড়া অন্ধকার নেমে আসা।
চেনা রাস্তায় চলতে চলতে হোঁচট খেয়ে পরা
এটা অভ্যেস।
অভ্যেস অস্তিত্বের ভিতে লেগে থাকা পুরোনো শেওলার নাম
কেতাবি শহরের ব্যারিকেড দিয়ে থাকা সবুজায়ন।
বড়ো বড়ো স্ক্যাইক্যাপার গুলো আকাশ ছাড়িয়ে লেগে থাকে আকাশের গায়ে
আকাশের কি কষ্ট হয় না ?
কষ্ট হয় না নিজেকে আরো কৃত্রিম দেখতে
নিজেকে নিজের আয়নায়।

সবকথা বলে দিলে
কিছু কি থাকে বাকি একা তোকে পাওয়ার জন্য।
সমস্ত মৃত অধিকারের ভিড়ে মিশে থাকা স্পর্শের বুকে
আমার আলোড়ন।
কিছু থাকুক আর না থাকুক ,আবরণ কি নিরাভরণ
সময় সর্বদা প্রেমে নগ্নই হয়। 

আমন্ত্রণ

আমন্ত্রণ
........... ঋষি
=========================================
ছুঁয়ে দেওয়া অন্তরের অনুভব
হঠাৎ কতগুলো স্পর্শ চকমকির মতো ঘষাঘষি করে।
আগুন জ্বলে
জ্বলে বুকের ভিতর বন্য জঙ্গলের গন্ধ।
তারপর কেন জানি বৃষ্টি নামে চলন্তিকা তোর ঠোঁট ছুঁয়ে
একটা পরিতৃপ্তি।

আমি আগুন দেখি নি জ্বলতে
তবু পুড়ে গেছি মনের ভিতর লেগে থাকা দাবানলে।
হাজার বছরের তৃষ্ণা গড়িয়ে নামা পাহাড়ি ঢাল বেয়ে নোনতা জল
আমি জিভ রাখতে পারি।
কিন্তু বুকের পারে ছুঁয়ে দেখি  দখিন খোলা জানালা
এলোমেলো চুলগুলো চলন্তিকা সমস্ত অবয়বে একটা মায়া লেগে থাকে।
পাহাড়ে যখন সন্ধ্যা নামে
আকাশ জুড়ে অজস্র লক্ষ তারা আমাকে প্রশ্ন করে।
কখনো স্পর্শ করেছিস চলন্তিকা এক ঝাঁক স্বপ্ন
কখনো শুনেছিস হৃদয় চকমকির মতো আদর করে।

ছুঁয়ে দেওয়া অন্তরের অনুভব
হঠাৎ প্যাস্টেল কালার  সাদা পাতায় ব্যস্ত হয়ে যায়।
অজস্র আঁকিবুঁকি বন্য গন্ধ নীরব পরিচয়
শুনতে পারছিস চলন্তিকা পাহাড়ি ঝর্ণার শব্দ।
আরো কাছে ,খুব কাছে ,আমার বুকের সাথে মিশে থাকা ভিজতে চাওয়া
কোনো স্পর্শের সীমানা ছাড়ানো আমন্ত্রণ। 

পলাতক

পলাতক
............ ঋষি
=====================================
হঠাৎ বলছে পালিয়ে যাবো
অস্থির পায়চারী বারান্দাটা এখন বিশাল সমুদ্র।
বলছে জলের মধ্যে যাবো
অস্থির সময়ের দরজায় গলাজল নিয়ম।
জীবন বলছে আরো দূরে
হাত ধর এক ফালি নৌকা আর স্বপ্নের ঘর।

ঘরের ভিতর ঘর চলন্তিকা
তোর কনসেপ্টে চতুর্ভুজের এক ফালি শেওলা রঙের জীবন।
অপেক্ষা করছি তো চিরকাল
চিরকালীন আমার কাছে সময় বড় ফ্যাকাসে।
একটা বোরখা ঢেকে ভদ্রলোক পথ চলছে হাতে নিজস্ব আয়নায়
আয়নার নিয়মে প্রতিবিম্ব।
তার নিয়মে এই সময়ের অভিব্যক্তি সম্পর্কের নকশা
পালাতে ইচ্ছে করছে
জীবন ছেড়ে জীবিতের উদ্দেশ্যে।

হঠাৎ বলছে পালিয়ে যাবো
আদৌও হঠাৎ নয় মশাই মানুষের ভিতর পালানোর প্রবৃত্তির।
বলছে সময় পেরিয়ে যাবো
কোনো কাগজের নৌকায় ভেসে পার হবো চলন্তিকার দূরত্ব।
জীবন বলছে আরো দূরে
তাই প্রানপন এই নৌকার দাঁড় বাওয়া ,, পলাতক আমি। 

মাঝরাস্তায়

মাঝরাস্তায়
............... ঋষি
============================================
মাঝরাস্তায় হারিয়ে যাওয়া
শুরুটা বেশ সিনেমায় মতো মনে হয়েছিল।
তারপর হঠাৎ কোনো ঝড় বৃষ্টির দুর্যোগে পথ না সরা দৃশ্য
জীবন তখন নিরুপায় আশ্রয়ের খোঁজে।
অবাক লাগে জীবন
তুমি কি হারাতে হারাতে নিজেকে হারাতে পারো।

রাস্তা
নিজের মতো এঁকে বেঁকে সামনে দাঁড়ানো শ্রুতি।
পথের পর পথ শুকনো পাতা পেরিয়ে দেখি সামনে দাঁড়িয়ে বসন্ত
কৃষ্ণ চূড়া আর রাধা চূড়ার বেশে হাই প্রোফাইল শহরে
দিশেহারা জীবন।
আমি কি জীবন পেরোতে পারি
যে যাত্রা শুরু হয়েছিল কোনো  আদিম আকাঙ্খা নিয়ে।
জংলী কোনো নাম না জানা ফুল
কাঁটা ফোঁটা জীবনের প্রতিদিন ,,মুহূর্তদের আঙিনায়
আজও অনেক পথ চলা বাকি।

মাঝরাস্তাতে হারিয়ে যাওয়া
সিঁড়ি ভেঙে উপরে ওঠার ষড়যন্ত্র মানবিক বিকার।
তারপর হঠাৎ কোনো দুর্যোগের রাতে দেখা হয়ে যাওয়া চলন্তিকা ভোর
জীবন আবার নিরুপায় আলোর খোঁজ।
অবাক লাগে জীবন ভাবতে
প্রতিটা হেরে যাওয়া জীবনের নতুন করে বাঁচতে শেখায়। 

Sunday, March 5, 2017

জমা ছাই

 জমা ছাই
.......... ঋষি
========================================
যে আগুনে সময় লিখেছিলাম
আজ শুধু জমা ছাই আর অভিমান।
নিরুত্তর মোমবাতির গলা মোম ছোপ ছোপ দাগ
কোনোদিন পুড়েছিল।
আজ শুধু আলোর কথা মনে  রাখা
অন্ধকার টুকু লোকানো থাক।

এই শহরের ইতিহাস লিখতে বসলে বস্তা পচা শুধু জন্ম বিবরণ
এই শহরে রোদ আছে ,পোড়া আছে ,আছে সানস্ক্রিন ,আছে ছায়া।
এই শহরে বৃষ্টি হয়,এই শহরের তৃষ্ণা হয় ,
এই শহরে আইসক্রিম গরমে চুটিয়ে বিক্রি হয়.
বিক্রি হয় সভ্যতার সব আবরণে ঢাকা মুখোশ
অজস্র লুকোনো দাগ সারা বুকে।
এই শহর থামতে শেখে নি ,কাঁদতেও না ,হাসতেও না
শুধু অনুভবগুলো ভুলে গিয়ে সিস্টেমেটিক ,ডিসিপ্লিন কোনো মেট্রো সিটি।
এই শহরে আমি জন্মেছিলাম
তাইতো আজ এতো আগুন এই বুকে।

যে আগুনে সময়ে লিখেছিলাম
আজ শুধু জমা ছাই আর অবশেষে জীবনের বাকিটুকু।
মোমবাতি মিছিলের শেষে সারা শহর ঘরে ফিরে গেছে
দৈনন্দিন চতুর্ভুজের মাঝে নিজেকে বেশ মিশিয়ে রেখেছে।
আমি পারি নি
তাই জমা ছাই আর প্রচুর আগুন এই বুকে। 

Saturday, March 4, 2017

নিরুপায়

নিরুপায়
.......... ঋষি
============================================
ভালোবাসা শব্দটা শুনলেই আজকাল
কেমন বাজারের কথা মনে পরে।
মনে পরে সরু ওয়ান ওয়ে গলি নর্দমা পেরিয়ে সামনে সমুদ্র
আর সূর্য ওঠার প্রতীক্ষা।
কেন জানি মনে হয়
ভালোবাসার সারা শরীরময় দগদগে ঘা প্রতীক্ষা।

কেউ হারিয়ে যায় ঠিক
কারণ সকলেই হারাতে চায় কোনো গভীর অস্তিত্বের মেলবন্ধনে।
সেই বিশাল এক পুস্করিণীর জলে ঢিল তুলে ঢেউ তোলা
এ সময় ঢেউ তো ওঠে কিন্তু স্পর্শ করে না।
স্পর্শ করে না বুকের ডুগডুগিতে সিম্ফনির সেই ক্ষীণ তরঙ্গগুলো
বরং একটা বিছানা ,বালিশ ভালোবাসার সাক্ষী হয়।
আর প্রেমিকার মুখ যেন আকাশের চাঁদের মতো অপেক্ষা
তবু কেউ রয়ে যায়।
হৃদয়ের কফিনে শুয়ে থাকা মিষ্টি বেদনার মতো
ঘড়ির কাঁটায় সময় বাড়তে থাকে ,বাড়তে থাকে সম্পর্কের হাজারো মুখ
তবু অসময় একাকী বড় মনে পরে তোমায়।

ভালোবাসা শব্দটা শুনলেই আজকাল
কেমন আজকাল নিজেকে বড় প্রাগৈতিহাসিক লাগে।
আজকাল রেমেকি বাজারে বড় সস্তায় ফেরিওয়ালা হাঁকে প্রেম
আর ভালোবাসা সেই পণ্যের ঝিকিমিকি রঙিন কাগজ।
সকলেই রঙে মগ্ন হয়ে বাইরেটা দেখে
ভিতরে কোথাও ভালোবাসা পচে মরে যায়। 

Friday, March 3, 2017

জলাশয়

জলাশয়
.......... ঋষি
=========================================
নিজেকে মনে মনে জলাশয় মনে হয়
স্থির জল ,দৃষ্টি গভীরতায় ছোট ছোট স্পন্দন জীবনে।
ঢেউ ওঠে তো
বসন্তের পাখি যখন ঢু মেরে তুলে নিতে চায় আকাঙ্খিত বেঁচে থাকা।
ঢেউ ওঠে তো
যখন কোনো অজানা জেলে জাল ফেলে সবুজ গভীরে ।

এই সব মনন আর কাননের কথা
আমার নির্বিঘ্ন উপস্থিতি বিপুল জলাশয়ে  আমি আয়নাময় হয়ে যায় ।
 যে আয়নার সুপ্ত ছিল মাটি, যে আয়নার আনন্দের -বসন্তে কেঁপে ওঠে
একটি অসম্পূর্ণ অস্থির গভীরতা ।
 তেমন কোনো আয়নার ভিড়ে আমি প্রতিবম্বহীনতায় ভুগি।
 প্রতিবিম্ব কার জন্য ?
স্থির অচলয়াতনে যার জন্য  পতঙ্গের  টিউবলাইটের অর্গাজম।
যেভাবে হৃদয়ের গভীরে এক অনন্ত জলাশয়
একটি প্রতিবিম্ব আমি সাজিয়ে রাখি তৃষ্ণায় তোর চলন্তিকা।

নিজেকে মনে মনে জলাশয় মনে হয়
যখন আমার ঘর জুড়ে  ট্রপিক্যাল ফরেস্টের বন্য  গন্ধ।
যখন সমস্ত ঢেউ
নিজের উপর আছড়ে পড়া এক একটা তুমি।
আমি ভিজতে থাকি চলন্তিকা
সত্যি মনের জলাশয়ে অনন্ত এক প্রতিবিম্ব তোমার চিরকাল। 

আবির রং

আবির রং
........... ঋষি
======================================
সময় আর সমরের মাঝে দূরত্ব
যেখানে দুর্বলতা শুরু সেখানে আমার তুই।
কিন্তু বাস্তবে তুই তো বন্ধু হোলি
হোলি জীবনের প্রাঙ্গনে কৃষ্ণচূড়ার বসন্তের বাতাস।
প্রেম মানে স্পর্শ
কিন্তু ঈশ্বর ও জানেন প্রেম সর্বরূপী ,নিরাকার কবিতা।  

আমি কবিতার কথা বলি
আমার কবিতায় উঠে আসা স্তবকে অসংখ্য সময়ের রঙিন ছবি।
তোরা নগ্নতা বলিস
কিন্তু ফুটপাথে শোয়া ভিখিরি মায়ের নগ্নতা সে তো সময়ের।
তোরা জীবনের কথা বলিস
আমি দেখি লাল সিন্দুরমাখা কোনো বিসর্জন ডিভোর্সের রঙে।
তোরা সমাজের কথা বলিস
আমি দেখি সেই ধর্ষিত শ্যাওতালি মেয়ের কেটে নেওয়া মাথা
যা কখনো খবর হয় নি।
আমি লাইনে দাঁড়ানো সেই ধুঁকতে থাকা যুবককে দেখি
যার মা মৃত্যু শয্যায় ,যার ঘরে ফুরিয়ে যাওয়া চাঁদের হাঁড়ি।
এই সভ্যতায় সবকিছু দারুন সহজলভ্য
একমাত্র স্পর্শ ছাড়া।

সময়ের আর সমরের ফাঁকে দূরত্ব
এই সভ্যতায় ধুঁকতে থাকা জিভ বের করা কুকুর মাটি চাটে।
তখনি আমার মনে হয় বন্ধুত্বের কথা
চির রঙিন আবির রঙা স্পর্শ যা আরো গভীরে আনন্দের রং।
প্রেম মানে স্পর্শ
কিন্তু কিছু স্পর্শ কখনো বন্ধুত্বে আবির রং।  

Thursday, March 2, 2017

অপেক্ষার দুপুর

অপেক্ষার দুপুর
.......... ঋষি
===========================================
যদিও কিছু না
তবুও অনেককিছু এই দুপুরের রৌদ্রে মুড়ে আসা।
এই শহর জানে জীবন আর জীবিত থাকার মানে
এই শহর বোঝে অভিনয় আর কারবারের মানে।
শুধু এই টুকু বোঝে না
নগর কোনো প্রাচীন ইটের পরিচয় নয় ,,অস্তিত্ব।

আলিঙ্গন আর আবাহনের মাঝে একটা তফাৎ
যেটা জীবন আর জীবিতের মানে।
প্রত্যাহিত ঘুম থেকে ওঠা চায়ের কাপ আর বিস্কিট
ধোঁয়া ওঠা গতি ,
শুধু নিজেকে নয় আরো অনেককিছু ছুটে মরছে সারাদিন সারাবেলা
এই হৃদয়।
কিন্তু অস্তিত্ব সেও কি বদলায় ?
নগরের একলা দিনে এই অভিনয় সাজে
কিন্তু সেতো একলা থাকা কোনো দুপুর তো নয়।

যদিও কিছু না
তবুও অনেক কিছু থেকে যায় সভ্যতার রেলিং ঘেঁষে।
এতো বিজ্ঞাপন এতো আলোড়ন
উৎসবমুখর সকালগুলো সারাদিনই জুড়ে থাকা।
আর তারপর
সেই একা সামনে একটা অপেক্ষার দুপুর। 

একটা অভিনয়

একটা অভিনয়
............. ঋষি
=========================================
আজকাল অন্ধকারেই সন্ধ্যে নামে
সময় বয়ে চলা পারিজাতের একান্ত বিকেল।
নিজের কার্নিশের ছাদ  থেকে ঝুলতে থাকা সময়রা
অসময়ের দোলা দিয়ে বলে।
সবকিছু ভোলার চেষ্টা করা যায় বারংবার
কিন্তু ভোলা যায় না।

বুকের পাথরগুলো সরে গেলে
একদিন দেখাবো তোকে আমার অন্তরে জমে থাকা বিষগুলো।
আমার হৃদয়ের কেবিনের সিলেবাসে নিজেকে অতৃপ্ত লাগে
জানিসতো জীবন কোনো বিনিময় নয়।
সে তো স্পর্শের ফুলগুলো যত্নে করে সাজানো সময়ের স্মৃতিতে
সুগন্ধিমাখা কিছু মুহূর্তদের ভিড়ে আলাপন।
ভালো লাগে ভাবতে ফুরোতে ফুরোতে
কোনো সকালের আলোয় তোর চুল বেয়ে ঝরে পরা একবিন্দু জল
আমার স্নেহের সারাংশ।

আজকাল অন্ধকারেই সন্ধ্যে নামে
ইনবক্সে সাজানো তোর স্মৃতিগুলো নিতান্ত আমার।
সেগুলো সব জমে থাকে আমার হৃদ্স্পন্দনে
কিছুটা যাতনায় ,কিছুটা ভালোবাসায়।
সবকিছু ভোলার চেষ্টা করেও মানুষের মনে পরে
ভালোবাসা ভোলাটা একটা অভিনয়। 

.একটা কবিতা আমি তুমি

আমার কবিতা পেলেই আমি তুমি হয়ে যাই তোমার মতো আটপৌরে শাড়ি পরি, হাতে কলম কোমড়ে আঁচলটা গুঁজে তোমার মতো উনুনে আঁচ দি  হাঁড়িতে পরিমাণ মত শব্দ, জল...