Sunday, November 29, 2015

কিছুটা মুহূর্ত

কিছুটা মুহূর্ত
.......................... ঋষি
================================================

তোমার লাল ওড়নাটা উড়তে উড়তে আমাকে ছুঁয়ে গেল
একটা নরম স্পর্শ।
এক মেঘ মন নিয়ে কিছু একটা মেঘের ঘরে রেখে গেল
শহর জোড়া বৃষ্টি।
অবিশ্রান্ত ঝরে পরা মুহূর্তরা
স্মৃতির ভাঁড়ারে স্পন্দন বেঁচে আছি।

বেশ তো এই বেঁচে থাকা
শহর থেকে শহরে ,জঙ্গল পেড়িয়ে পাহাড়ে ,আকাশ থেকে আরো দূরে
বেঁচে ফেরা যায়।
পায়ে জুতোর দরকার নেই ,ঘড়ির সময়ের দরকার নেই
একটা ইচ্ছা আছি আমি তোমার সাথে।
সবসময়
যেখানেও থাকো না কেন ,ভালো থাকো।
তোমার সাথে আমি
বেঁচে ,
মুহূর্ত।

তোমার ঠোঁটের হাসিতে একটা বেঁচে থাকা দেখেছি
অদ্ভূত এক ম্যাজিক।
এক অনিয়মিত স্পন্দনে বাড়তে থাকা সামুদ্রিক বিপর্যয়ে
কখন যেন হৃদয় ভেসে যায়।
আমি একলা দাঁড়িয়ে
ফাঁকা রাস্তায় ,আমার শহরে সবটাতেই তুমি।

দরজায় কলিংবেল

দরজায় কলিংবেল
.............. ঋষি
================================================
দরজায় কলিংবেল
ফোনটা হাতে নিলাম I MISS YOU ।
ভালো লাগলো ভেবে
কেউ তো আমার এই পৃথিবীতে ,যে মনে করে আমায়।
ভালো লাগে ভাবতে
আমি তো একলা নয় তোমায় ছাড়া, আমার মতন।

ভার্চুয়্যাল ওয়ার্ল্ডে সত্যিকারের সম্পর্ক বলে সত্যিই কিছু নেই
এই কথা  মাথার মধ্যে ঘুন পোকার মতন শব্দ করে।
অথচ সোশ্যাল মিডিয়াতে অজস্র স্পন্দন
অজস্র  জুড়ে যাওয়া ,
অজস্র  হেরে যাওয়া মানুষের কাছে আজকাল প্রায় শুনি
বেঁচে আছি ভাগ্যিস মিডিয়া ছিল বলে।
মিডিয়াটা কি একটা মাধ্যম
মধ্যবত্তি সেতু বেঁচে থাকার অজস্র মুহুর্তদের মতন।
অনেকে বলে সম্পর্কে আমি তো কিছু চাই নি তার কাছে
আমি বলে ডাহা মিথ্যে কথা বলে।
চাওয়া আর পাওয়া একটা থাকে মুহুর্তদের
আসলে মুহুর্তগুলো ভীষণ টাচি ,
এতে বেঁচে থাকা যায় ,আবার হয়তো বা মরে বাঁচা।

দরজায় কলিংবেল
দরজা খুলি একটা ঝড়ো হাওয়া ছুঁয়ে যায়।
একটা স্পর্শ কেমনতর সমস্ত হিসেবের বাইরে
সবসময় সাথে থাকে।
থ্যাঙ্কস অল সোসাল মিডিয়া ,যাতে নষ্ট থাকলেও
ফুল ফোটে মাঝে মাঝে শুকিয়ে যাওয়া গাছে।

অনিদিষ্ট আমিত্ব

অনিদিষ্ট আমিত্ব
............ ঋষি
=======================================
অনির্দিষ্টকালীন সুপ্রভাত সকালের
কেউ জানে না কতক্ষণ সে নির্দিষ্ট এই গোলকে।
কেউ জানে না কতক্ষণ আর এই ওঠানামা শ্বাস প্রশ্বাস
অথচ অনির্দিষ্টকালীন এই সময়সীমায়,
আমাদের উতপীড়ন চাওয়া আর পাওয়া
বাকিটা সেই বাউলের গান।

খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমন আসে যায়
অদ্ভূত এক আলতো মায়া জুড়ে।
সোহাগী আদর এই জীবনের প্রলেপের আস্তরণে
যীশুর দুঃখ শুনে
হেঁটে যাওয়া এই পৃথিবীর পথে।
মাথা ঠোঁকা নরকের দরজায় নেমেসিসের বিচারে
হয়তো কেউ মমির মতন অপেক্ষায় আছে।
কিংবা কেউ নীল নদে চান করে যাত্রা শুরু করে
গৌতম বুদ্ধের মতন বলে ওঠে।
বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি,ধর্মং শরণং গচ্ছামি ....
সকলের আশ্রয়ের প্রয়োজন জীবনের পথচলায়
একটা উপলব্ধি আমি আছি।

আর এই অনিদিষ্টসীমানায়  সকলের ভালো লাগে
আমার বলতে ,আমার একটা শব্দ যেটা অত্যন্ত নিজস্ব।
যেখানে একমাত্র তোমার স্পর্শ
আর এই আমারকে আগলে চলে সকলে আমৃত্যু।
আর যাদের আমার টা নেই তারা  খোঁজে
এতে কোনো অন্যায় কই শুধু একটু বেঁচে থাকা ছাড়া।


Saturday, November 28, 2015

জানি না সত্যি

জানি না সত্যি
.................. ঋষি
============================================
জানি না সত্যি ,কি ওটা
আকাশের চাঁদ গোল হয় ,পৃথিবীর আকৃতি প্রায় গোল।
কিন্তু ভালোবাসার আকৃতি কেমন
সত্যি জানতে ইচ্ছে হয়।
ওটা কি বলতো,অনুভবে শিহরণ বয়ে যায়
আচ্ছা ভালোবাসা বুঝি এমন দেখতে।

জানি না সত্যি
কিছু বুঝতে পারছি না ,সমস্ত বেড়িয়ে যাচ্ছে মাথা থেকে।
অদ্ভূত একটা শিহরণ
একটা স্পর্শ।
উফ মারাত্নক ,ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়
ওটাই কি ভালোবাসা।
আচ্ছা বাসা মানে তো আশ্রয়  ,তবে ভালোবাসা মানে
খুব ভালো আশ্রয় তাই না।
কিন্তু ভালোবাসার এড্রেস কি ,ওরে মানে ঠিকানা কি
জানিস।
আমি তো ভালোই থাকতে চাই ,খুব ভালো
একবার ভালো বাসার  ঠিকানায় যেতে চাই
ওকে জানালে দিবি।

জানি না সত্যি ওটা কি
পৃথিবীর বেঁচে থাকা বড় বেরঙের ,আর একলা থাকা আরো।
কিন্তু ভালোবাসা কি রঙের হয়
সত্যি জানতে ইচ্ছে হয়।
ও আচ্ছা ভালোবাসা মানে অনুভব ,শিহরণ
যা ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়। 

ছিঁচ কাঁদুনি

ছিঁচ কাঁদুনি
........................ ঋষি
==========================================
বড় ছিঁচ কাঁদুনি হয়েছিস আজকাল
সারাদিন মনে উঠে ঘুরে বেড়াস।
বাচ্চাদের মতন ঘুরে ঘুরে আসিস
কি চাই কি বলতো।
এত যে চুমু খাই তোকে
তবু তৃষ্ণা মেটে না।

সেদিন দেখ সাত সকালে ঘুম ভাঙ্গলো তোর ভাইব্রেসনে
ওমনি চোখ খুলে দেখি তুই।
কি রে ,কি কাজ
ঠোঁটটা এগিয়ে দিলে ,একচুয়াল পুরে দিলি ঠোঁটে,
বললি শুভ সকাল।
তোকে বকি ঠিক কিন্তু জানিস সকাল সত্যি খুব শুভ  ছিল সেদিন।

তারপর সেদিন লাঞ্চের সময় মুঠো ফোনটা চিত্কার করছে
ফোনটা ধরি ,ওপাশে সুনি মুহাহা..........
ব্যাস আর কি খিদে মিটে গেল ,পেট ভরে গেল
উঠে পরলাম।
বড্ড জ্বালাস আজকাল আমায়
কি রে কাঁদুনি, এমন কাঁদিস কেন তুই।

আবার কাঁদে এবার বকবো কিন্তু
আচ্ছা কাঁদে না সোনা আয় বুকে আয়।
আচ্ছা যা চাস তাই ,কি চাই তোর
অমনি মিচকি হাসি ,বললি সবটাই।
কি বুঝিস বলতো নিজেকে
জানিস না আমার সবটাই তুই। 

বিষাক্ত স্বপ্নে

বিষাক্ত স্বপ্নে
............. ঋষি
==============================================

সকাল নিয়ে তুই এলি
তোর পায়ের শব্দে অদ্ভুত মাতন হৃদয়ের পথে।
এমন কেন হলো ,জানি না
এখনো বুঝি নি তোর মানে।
আমি সময়কে বিশ্বাস করে তুলে রেখেছি তোকে
ভাবছি সময় আমার তোর মতন এত প্রিয়।

জানি তুই লুকিয়ে বসে আছিস মনের মাঝে
তোর শব্দ ধার করে টালা,টালিগন্ঞ্জ মৃতপ্রায় আমার মতন।
আজকাল আমি শুনতে পাও না হকারের শব্দ
আজকাল আমি বুঝতে পারি না কেন ,,কেন ,,কেন।
আজকাল শুধু একটা দুঃস্বপ্ন আমি দেখি
মুছে যাওয়ার।
কবিতার পাতার থেকে বর্ণগুলো উধাও হতে থাকে
হৃদয়ের খাতা থেকে স্পর্শগুলো হারিয়ে যেতে থাকে।
কি চায় জীবন তোর কাছে
একটু বেঁচে থাকার পদশব্দ দৈনন্দিন পথে।
আর একটা আবদার
আচ্ছা জীবন বেঁচে আছে।

কোনো ভাঙ্গা গিটারের শব্দে আজকাল খুঁজে পাই নিজেকে
তোর দেওয়া সুর ,তাল আজ বিষাক্ত আগুন।
আমি ভাবি চাঁদের গায়ে কাটা
আর রক্ত ঝরছে সারা আকাশ থেকে জ্যোত্স্নার মতন।
ঠিক তখনি আকাশ ভরা মেঘ
আমি একা সেখানে রোজকার মতন। 

তোকে ভেবে

তোকে ভেবে
.................. ঋষি
=========================================

তোকে ভেবেই আমি এই কবিতা লিখবো
তোকে নিয়েই আমি এই সময়ে চলবো।
তোর কাজক কালো চোখে
এক মরণ ফাঁদ আছে।
যদি মরি
তবে আমি তোর চোখেই মরবো।

কে যেন
কবে যেন ছুঁয়ে গেছিল আমাকে।
যেমন আকাশকে ছুঁয়ে দেয় কোনো মেঘ
যেমন বৃষ্টি শীতল করে তপ্ত দুপুর।
যেমন ফেরিওয়ালা খিদের ফেরি করে
যেমন সদ্যজাত কান্নায় ভেঙ্গে পরে।
ঠিক তেমনি
তোর ঠোঁটের ভাষায় আমার হৃদয় ধরা আছে।
তোর চোখের ভাষার আমার সময় রাখা আছে
মন্তাজে ভেসে যায় স্বপ্ন সফর,
আমার কবিতায় তোর দিনযাপন।

তোকে ভেবেই আমি এই কবিতা লিখবো
চোখের সামনে ভেঙ্গে পরা যুদ্ধ বিমানের সেই শব্দটা।
আমি নিজের মাঝে বুনবো
বলবো না কখনো।
তোকে বলতে দেবো না
আমার কবিতা ছুঁয়ে আমি তোকে স্পর্শ করবো।

Friday, November 27, 2015

ননভেজ আর ভেজ

ননভেজ আর ভেজ
.................. ঋষি
===============================================

আজ মেনুতে কি
নন ভেজ না ভেজ কোনটা।
ননভেজ মানে তো আমি স্লাং বুঝি , সোজা বাংলায় খিস্তি
ভেজটা হলো সো কল্ড  ভদ্রস্থ।
তবে ননভেজ আমার বেশি পছন্দ
বেশ পরিস্কার দেওয়া যায় আর পরিস্কার শোনা।

তো কোনটা ইউস করি বলো
আরে কিসের জন্য তা তো বলো  খাবে ,মাথায় দেবে ,দেশকে দেবে,সময়কে।
ধুস যদি খেতে চাই তাও ননভেজ
আর যদি বাকিদের জন্য তাও ননভেজ ।
আসলে ভেজটা আজকাল হজম হয় না আমার কিংবা বাকিদের
ভেজ দিলেই কেমন যেন শান্তি ,শান্তি ভাব ।
কেমন একটা ইশ্বরের চুলকানি হৃদয়ের ঘামে
তাই ননভেজটা  বেশ ।
পেট গরম নেই ,মাথা না ,অম্বল বুক জ্বালা সব আছে 
একদম বিন্দাস বিলকুল
সোজা সেই বস্তির নিয়মে নিয়মিত বাঁচা ।

আজ মেনুতে কি
নন ভেজ না ভেজ কোনটা।
ননভেজ মানে আমি অস্তিত্ব বুঝি ,একটু রক্ত ,একটু মাংস
কে চাই ভেজ খেতে এই সময়।
যতক্ষণ না ছাল  ছাড়িয়ে নগ্ন করে রান্না হচ্ছে সভ্যতা
ততক্ষণ বিলকুল বকবাস এই ভেজ শব্দটা। 

প্রথম পুরুষ

প্রথম পুরুষ
.................... ঋষি
============================================

নিজেকে জাগ্রত করে ঝাঁকিয়ে দেখি
এক পাল কালো মেঘ পাহাড়ের ঢালে পরম আশ্রয়ে।
আর তখনি বৃষ্টি নামে
খালি বুকে মেঘের পাল ফিরে যায়।
আবার রৌদ্র
নিতান্ত বাস্তবে পায়ের তলায় পেরেক।

সেদিন স্বপ্নে দেখি
ঈশ্বর হেঁটে আসছেন কোমরের কাপড় মাথায় তুলে।
নিতান্ত কৃতঘ্ন মানুষের দিকে
মানুষ ইচ্ছার মোমবাতি জ্বালিয়ে শুধু চাইছে।
খালি হাত আর না নেভা জ্বলন্ত চুল্লিতে ইশ্বরের খিদে
মাটির পৃথিবীতে তৈরী করা অনিয়মের নিয়ম।
সবটুকু দিকে কেমন নাক সিঁটকে ঈশ্বর তাকিয়ে
আর আদম সৃষ্টির প্রথম পুরুষ
খুব লজ্জায় ,মাথা নিচু তার।
আর আমাদের সে তো হিসেব খাতার বাইরে জনসংখ্যায়
আমরা দৈনন্দিন নোটের নাম্বারে নবাবি করি।

নিজেকে জাগ্রত করতে ঝাঁকিয়ে দেখি
খালি  পুরো খালি জমার খাতায়।
তবু বারফট্টায় কমে কই  বাড়তে থাকার বিজ্ঞাপন ঝলকে
ইশ্বর তাকিয়ে দেখেন আর মনে মনে বলেন।
পিপীলিকার  পাখা গজায় মরিবার তরে
তোরা  তো সাধারণ ,আমি তোদের বাবা আদমকে ছাড়লাম না।  

মনখারাপ

মনখারাপ
.............. ঋষি
===========================================

যে মনখারাপটা নিয়ে পথচলা শুরু
একদঙ্গল বেওয়ারিশ প্রশ্নগুলো বুকের আলাপনে।
তাদেরকে দাবিয়ে রেখো না
তাদেরকে সঙ্গী করো  ,ভালো থাকার আর কাছে।
এই তো বেশ
এক একটা দিন সবুজ মৃত্যুর সাথে।

মৃত্যু মানে হারিয়ে যাওয়া না
মৃত্যু মানে বেঁচে থাকা কারোর বুকে ঝোলানো দেওয়ালের ছবি।
শুকনো মালা হয়তো  থাকে
চোখের কোনে  অদৃশ্য চোখের জলের নোনতা স্বাদ।
অথচ  কিছু মুহূর্ত যারা অমর
তাদের মারবে কি করে।
এসো মুহূর্ত তৈরী করি ,এসো  মুহুর্তের জন্মের দি
যেখানে বাঁচা যায়।
খুব কাছে থাকা যায়
সে তুমি জীবিত কিংবা মৃত কি এসে  যায়।
তোমার সাথে ভালো তো থাকা যায়
একটু বাঁচা আর কি।

যে মনখারাপটা নিয়ে পথচলা শুরু
তাকে বদলানো যাবে না বরং চলো  পাথেয় করি।
করি অভিজ্ঞতার মতন প্রয়োজনীয় কিছু
যাকে মনে রেখে ভালো থাকা যায়।
আসলে কি জানো মনখারাপ ছাড়া কি আর
ভালো আছি সেটা কি  বোঝা যায়। 

Thursday, November 26, 2015

শ্বাশত তোমার প্রেমে (৪)

শ্বাশত তোমার প্রেমে (৪)
............... ঋষি
=====================================================

শ্বাশত সেই বাঁশীর শব্দটা আজকাল শুনি না আর
সেই মন মুগ্ধকর একটা ভালোলাগা।
আজকাল সেই বাঁশীটা আর বাজে না
তবে একটা সুর।
হ্যামিল্টনের বাঁশীর মতন
যাকে তাড়া করে আমি মৃত্যুর উপত্যকায় দাঁড়িয়ে।

আজকাল ভাবি
আমার মৃত্যু আমাকে নিয়ে যায় না কেন।
মাঝে মাঝে ভাবি আমিও তোমার প্রেমিকাদের মতন হতে পারি
শরীর খুঁজি,কারণ খুঁজি বাঁচার।
তোমার মতন এমন নির্লিপ্ত তো আমিও হতেই পারি
যেখানে বেঁচে থাকা মানে একটা এনজয়মেন্ট,
মদের ফোয়ারা ,বেলাল্লাপনা আর শারীরিক আরাম।
আমিও তো তোমার মতন একই পরিবেশে আছি ,
তোমার ছোঁয়াতে আমার বদলানোর কথা।
শ্মশানের পাশে তো মরার গন্ধই তো পাওয়া উচিত
আমি তো মরে গেছি সেদিনই
যেদিন তুমি অফিসের কাজের জন্য বাড়িতে মেয়ে সেক্রেটারি নিয়ে এলে।
রাতভর কাজ করলে
আমি তখন জেগে।
কিন্তু আমিও যে ঘুমোতে চাই চিরতরে
কিংবা বদলাতে তোমার মতন সময়ের সাথে।

শ্বাশত সেই বাঁশীর শব্দটা আজকাল আমি আর শুনি না
যে  হৃদয়ের শব্দে আমি প্রেমিকা রাধার মতন সেজে উঠতাম।
আজকাল প্রতি সন্ধ্যেতে তোমার হুল্লোর শুনি নিচের বসার ঘরে
তুমি তোমার বন্ধুদের হুঙ্কারে আমার ভয় লাগে।
সত্যি যদি শ্বাশত তুমি আমাকে শরীর করে দেও
আমি তো মরে গেছি কবে ,আর কত মারতে চাও আমায়।

লক্ষীর পাঁচালি

লক্ষীর পাঁচালি
.............. ঋষি
=================================================
তোমাকে দেখলেই আমার ছোটোবেলা দোর গোড়ায়
ঠিক মায়ের পাশে বসে শোনা লক্ষীর পাঁচালি।
লক্ষ্মীর ব্রতের কথা বড়ো মধুময়।
প্রণাম করিয়া যাও যে যার আলয়।
অদ্ভূত একটা শিহরণ বয়ে যায় সারা শরীরে
ঠিক যেমন মায়ের শরীরের গন্ধ।

আসলে সময় শিখিয়েছে প্রেমিকার বুকে মাকে খুঁজতে নেই
তাকে শাসন করতে হয় দুহাত  দিয়ে।
হয়তোবা শোষণও নিজের ইচ্ছে মত
সময় চুপি চুপি বলেছে জন্মান্তরে তুমি কোনো ঈশ্বরী ছিলে হয়তো
কিন্তু এখন শরীর।
আর সেই শরীরে মায়ের গন্ধ পেতে নেই
পেতে নেই স্পন্দন মায়ের মতন প্রেমিকার কাছে।
আমি জানি না ,হয়তো বা উজবুক
তাই কেন জানি আমি চলন্তিকার বুকে মাঝে।
মাকে দেখতে পাই ,ঠিক মায়ের গন্ধ
ছোটবেলায় ফিরে যায় মায়ের কাছে।

চলন্তিকা তোমার গালে টোল পরে আমার মায়ের মতন
যে জন্মে আমি কোনো ভদ্র পৃথিবীর সদস্য,
সেই একই জন্মে আমি ভীষণ ছোটো তোমার কাছে।
লক্ষ্মীর ব্রতের কথা বড়ো মধুময়।
প্রণাম করিয়া যাও যে যার আলয়।
তবু কেন জানি আর থেকে বেশি লক্ষীর পাঁচালি আমার মনে নেই। 

চন্ডাশক সময়

চন্ডাশক সময়
.............. ঋষি
==================================================

সমস্ত বিভাজনে অজস্র ঘুনপোকা
ঘুন ধরা দেওয়ালে পলকা সভ্যতা আঁকা শরীর
ধর্মাশক সকলে।
কিন্তু কোথাও কাপুরুষ ধর্মের মতন উলঙ্গ।
নতুন জন্মরা জানে না
আর কিছুদিন তারপর তারা চন্ডাশোককে দেখবে।

পৃথিবীর আবর্তনের বিপন্নতার ফাঁকে
প্রত্যাবর্তন একটা শব্দ ঘড়ির কাঁটায়  স্বপ্নের দামে বিকোয়।
যে পৃথিবীর স্বপ্ন দেখে মানুষ
সেখানে কোনো ধর্ম নেই ,নেই রক্ত ,নেই জাতপাত ,উঁচুনিচু।
মুখোশের প্রতিবাদে
যে আজকে দাঁড়িয়ে বলে আমি হিন্দু।
তামাম দুনিয়ার স্বার্থে যে মাথা চারা দেয় মুসলিম রূপে
যে গির্জার প্রদীপ জ্বালায় যীশুর  পায়ে।
কোথাও ভিন্নতা নেই ,আছে একটা যন্ত্রণার কান্না হাসি ইশ্বরের নামে
আসলে আমার এটা প্রতিবাদ নয়,এটা মানুষের আন্তরিক ।
আসলে এটা  যন্ত্রণা  ,
আমি ঈশ্বর মানি না এটা মিথ্যা।
মানি ইশ্বরকে কোনো অবয়ব ছাড়া ,কোনো সস্তা মোড়ক ছাড়া
মানুষের মতন ,জন্মের নিমগ্নতায়।

সমস্ত বিভাজনে অজস্র ঘুনপোকা সারা বিশ্বের শরীরে
ঈশ্বরের হাতে পেরেক পুঁতে সারা বিশ্বময় নকল ঈশ্বর।
সকলে পূজনীয় হতে চায়
রাম ,শ্যাম,যদু ,মধু সকলে আজকাল ভাই নয়।
আলাদা ঈশ্বর
ধর্মাশক সময়  আজ চন্ডাশকের মতন বেআব্রু। 

স্বপ্নের ফেরিওয়ালা

স্বপ্নের ফেরিওয়ালা
...................... ঋষি
==========================================
প্রোটনকে মাঝখানে রেখে ইলেকট্রন ঘুরছে
সবটাই একটা নিয়ম।
সাইন্সের এই তথ্যটা আমার মোটা মাথায় ঢুকেছে
কিন্তু বুঝতে এখনো পারি নি।
যেমন মানুষের চারপাশে সময় ঘুরতে থাকে
অথচ সময়কে ধরতে কেউ পারি নি।

এই ভাবে ঘুরতে থাকা সময়ের ফেরিওয়ালা
শুধু মুহূর্ত ফেরি করে বেড়ায়।
কত রকম তার ধরন ,কত রকম রং ,কত রকম অস্তিত্ব
কেউ হাসে ,কেউ কাঁদে,কেউ হাসায় ,কেউ বা কাঁদায়।
কেউ লাভ করে ,কেউ লোকসান
কেউ একলা করে ,কেউ জুড়ে যায়।
চলতে থাকা ওই ফেরিওয়ালার গলায় বড় বিষন্ন সুর
হাতের মাটির ভ্যাওলিনে  অদ্ভূত বিষন্নতা।
পাশে ঝুলতে থাকা ঝোলায় স্বপ্ন
স্বপ্ন ফেরি করে সময়ের ফেরিওয়ালা।
কেউ তাকে দেখতে পাই নি
কেউ তাকে দেখতে পাবে না।
শুধু সময় ছুঁয়ে যাবে একান্ত স্বপ্নের ফেরিওয়ালা।

সায়েন্সের এই ফ্যাক্টারটা মহাবিশ্বে পৃথিবীর বাইরে না
আসলে কেউ দেখতে আসে না অস্তিত্বকে সময় ছাড়া।
আর যার ছুঁতে চায় সময়
ভাবে কি ভাবে ছোঁবে ,নিয়ম ভাঙ্গা যায় না।
সময়ের ফেরিওয়ালা ঘুরতে থাকে পাড়ায় পাড়ায়
বাঁচার মতন কিছু স্বপ্নের জন্য। 

মিষ্টি সেই হাসি

মিষ্টি সেই হাসি
................. ঋষি
==============================================
বারান্দায় দাঁড়িয়ে রৌদ্র দেখি
দেখি তুই দাঁড়িয়ে একটা বাসস্ট্যান্ডে।
ঝলমলে রৌদ্র তফাৎ গড়া দুরত্বের হাসি মুগ্ধতা
একটা সময় এসে থামলো
তুই চললি সময়ের সফরে এক মুঠো বাঁচা নিয়ে।

তোর ইতিহাসের ফসিলের কেমন একটা ভ্যাপসা গন্ধ
অনেকদিনের না খোলা জানলার আড়ালে অজস্র লুকোনো বাদুর।
জানলার পুরনো জং ধরা রেলিঙে শৈশবের স্মৃতি
সময়ের দিকে ছুঁড়ে দেওয়া কাগজের জাহাজ
ভাসছে হাওয়ায়।
আর তুই হাওয়ায় হাওয়ায় হাসছিস
ভীষণ সুন্দর সেই হাসি।
তোর শাড়ির ভাঁজে স্বপ্নের হিল্লোলে লুকোনো বাসর
রজনীগন্ধার গন্ধ।
তোর চুলের খোপায় আটকানো অজস্র স্বপ্ন
বোবা গন্ধের মতন।
ঘামের গন্ধের মতন
তোকে রৌদ্র ছোঁয়া শুভেচ্ছা নতুন যাত্রার।

বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখি
এই ভাবে দিন শুরু হলো তোর হাসিমুখে।
ঝলমলে একটা স্পর্শ প্রজাপতির পাখার মতন নীল আকাশে
পাতা মেলছে উড়ছে ,,অনেক উপর ,,হয়তো সবার
বড় মিষ্টি সেই হাসি। 

ব্রিলিয়ান্ট

  ব্রিলিয়ান্ট শব্দটা
...................... ঋষি
===========================================
অনেক কিছু ব্রিলিয়ান্ট বলে জাহির
যেমন ধরো কোনো কপট প্রেমের চোখে হাসি।
যেমন ধরো বাড়তে থাকা জনসংখ্যা শিক্ষার প্রজনন
নির্দিষ্টতা কোনো অধিকার ,
অনধিকার প্রবেশ ব্রিলিয়ান্ট  শব্দের নজিরে।

অনির্দিষ্টকালীন সময়ের জন্য স্লেটের পরীক্ষা অন্য গ্রহতে
চাকরির দিকে তাকিয়ে বখে যাওয়া যৌবনের দিনগুলো।
কিংবা রৌদ্রে দাঁড়িয়ে প্রেমিকার জন্য অপেক্ষা
ব্রিলিয়ান্ট নতুন শব্দ ডিক্সানারিতে।
ব্রিলিয়ান্ট। ব্রিলিয়ান্ট।ব্রিলিয়ান্ট
শুনলেই মনে পরে ক্লাসে শেষ বেঞ্চ থেকে শোনা স্বপ্নের শব্দ।
জীবনের সিঁড়ির নিচের তলায় দাঁড়িয়ে
যা শুনতে চাই সবাই।
কিন্তু একটু ভালো করে তাকাও মানুষের দিকে
মানুষের জীবিত স্বত্বায় কোথাও কি ব্রিলিয়ান্ট নেই
মানুষও তো জ্যান্ত একটা ব্রিলিয়ান্ট জীবিত সফরে।

অনেক কিছু ব্রিলিয়ান্ট বলে জাহির
আগ্রার তাজমহল ,মিশরের পিরামিড ,প্যারিসের আইফেল টাওয়ার।
আরো কত আছে
কিন্তু ইতিহাস ঘেটে যতটুকু বুঝেছি ব্রিলিয়ান্ট আসলে কিছু না
বেঁচে থাকা মানুষের দিনযাপন।  

সত্যতার পুনর্বাসন সম্পর্ক

সত্যতার পুনর্বাসন সম্পর্ক
...................... ঋষি
=====================================================
সত্যতার  পুনর্বাসন যদিও সম্ভব পর নয়
সমস্ত প্রমান ,লোপাট সভ্যতায়।
নিসংকোচে বলতে পারি আমাদের হীনমন্যতা আজ জানোয়ারের সামিল
আর নগ্নতা সেটা ঘোমটার নিচে খ্যামটা নাচ।
সবকিছু সম্ভবপর এখানে মনুষত্ব ছাড়া
নাচতে থাকা বাঞ্জারির হাতে পোষ্য বাঁদর।

সম্পর্ক কুড়িয়ে পাওয়ার মিডিয়ার আরেক রূপ
সম্ভবপর শান্তির আশ্রয় কোটরে কোটরে মৃত সম্পর্কের অজগরের ফোঁস ফোঁস।
সম্পর্ক চামড়া ত্যাগ করে প্রতি ঋতুতে
হৃদয়ের  ব্যর্থতা ঢাকতে চাই আবার এক সম্পর্ক।
শুধু বদলায় না চামড়া ছাড়া সময়ের ঘায়ে
ভাঁজ করে রাখা অন্তর হৃদয় কুঠরিতে যন্ত্রণা।
সভ্যতা এগিয়ে চলে মসৃন হাসির নকল মুখোশে
সত্যি এই সভ্যতা বিজ্ঞাপনে সামিল জাদুঘরের সাজানো কাঁচের ভিতর।
মমির ভিতরে যেমন আস্ত একটা মিশর বাস করে
ইতিহাসের পাতায় যেমন কোনো দেশের উত্থান পতন।
কিন্তু মানুষ নিজেই একটা আস্ত জাদুঘর
যার ঘরের ভিতর ঘর থাকে আবার হৃদয়ের ভিতর হৃদয়।
যার জন্মের সাথে মৃত্যু থাকে আর থাকে সম্পর্ক বাঁচার
হার্টবিট যতক্ষণ চলে ,ততক্ষণ প্রত্যেকের সভ্যতা।

সত্যতার পুনর্বাসন যদিও সম্ভবপর নয়
সমস্ত সাজানো মুখোশের ভিতরে মৃতপ্রায় ফসিলদের গল্প।
গল্প তো সবার থাকে নিজের নিজের বাঁচায়
খুব গোপনে ,অন্তরের কোনো সিন্দুকের ভিতর।
বাঁচতে থাকা প্রাণ পাখি
আরো বাঁচার আশায় ,,,সম্পর্ক নামে।

Wednesday, November 25, 2015

কথা

কথা
............. ঋষি
===============================================

কি করবো তোমাকে দুটো সুখের কথা শুনিয়ে
যতটুকু জ্বলার ছিল,
সবটুকু শেষ।
ভালোবেসে ছোঁয়ার ছিল তোমায়
সব মৃত অবশেষ।

তোমার আমাকে ফোন করা কথা ছিল
আমার কথা ছিল তোমাকে আগলে রাখবার।
তোমার আমাকে জীবিত রাখার কথা ছিল
আমার কথা ছিল  আদরের মতন  তোমাকে গায়ে মাখবার।
কথা তো অনেক থাকে
দিন প্রতিদিন কথা বাড়তে থাকে।
বাড়তেই থাকে হৃদয় নদীতে জল
কোনো বাঁধ মানে না।
কোনো সময় মানে না
কোনো হিসেব মানে না।
এগিয়ে যায় হাত ধরে অনেক দূর
তারপর ,
দুম করে কখনো ভেঙ্গে যায়
কথা।

কি করবো তোমার রঙিন কথা শুনে?
তোমার কথার থেকে আরো অনেক দুরে তুমি।
কি দরকার কথা রাখবার
ভাঙ্গুক না ,ভাঙ্গুক আমাকে আর ফোন করো না
জাস্ট থাকো হাজারো মাইল দূরে।

মৃত্যুর কারণ

মৃত্যুর কারণ
.................... ঋষি
================================================
জানি না কি লিখছি
আজকাল লিখতে বসলেই বুকটা মুচড়ে ওঠে
আমি মৃত্যু দেখতে পাই।
দেখতে পাই হাভাতে মানুষ আর ফাঁকা হাঁড়ি
একটা গন্ধ পাই মাঝে মাঝে
ভাতের ফেনের ,,,আর একটা মরা গন্ধ।

মাঝে মাঝে মনে হয় আমি মরে গেছি
সামনে দাঁড়িয়ে থাকা জীবন দরজার কলিংবেল টিপে জানান দেয়
আমি বেঁচে আছি।
আমার দরজায় চলন্তিকা একটা জীবন।
আর বাকিটা
খবরের কাগজে ছড়ানো রাজনীতি ,নোংরা আর জঞ্জাল
যেন একটা ডাস্টবিন।
চোখ ঘুরিয়ে ,নাকে রুমাল দি অন্যদের মতন
কিন্তু সেই নোংরা ডাস্টবিনে আমি থেকে যাই।
দেখি চলন্তিকা দাঁড়িয়ে
হাঁটুর কাছে তোলা শাড়ি আর  পিঠের কাছে মস্ত একটা চটের ব্যাগ
কুড়োচ্ছে নোংরা ,কাগজ ,খিদে
আর আমি পাশে দাঁড়িয়ে ,আমার নাক দিয়ে গড়ানো সর্দি ,খালি গা
কাজের ফাঁকে হাত দিয়ে সর্দি পরিস্কার করলো মা।
সত্যি চলন্তিকা
এমন করে যদি সমস্ত কিলোমিটার জোড়া পৃথিবীর নোংরা সরানো যেত।

জানি না কি লিখছি
মানুষের কথা লিখতে গিয়ে আজ মানুষ থেকেই পালাই।
রাগ হয় মাঝে মাঝে ,বিস্ফোরণ ঘটে মাথায়
কাহাতক আর সহ্য করা যায়।
চলন্তিকা আমাকে একবার কোলে নেও প্লিস
আমি আর হাঁটতে পারছি না। 

Tuesday, November 24, 2015

নারী ও প্রকৃতি

নারী ও প্রকৃতি
................. ঋষি
============================================
কোথায় একটা সারে জাহাসে আচ্ছা টাইপের
একটা মিল আছে
নারী আর প্রকৃতির মাঝে।
সবুজ ,স্বপ্ন ,ছায়া ,বেঁচে থাকা সব নিয়ে
যেমন প্রকৃতি হাসে ,বিশাল এক অদ্ভূত ম্যাজিকের মতন ,
ঠিক তেমন নারী ,নিদ্রাহীন স্বপ্নের মতন।

স্বপ্ন জেগে থাকা প্রাণে
প্রতিটা জন্ম নারী শরীরের পট্রেটে আদিম রূপ।
নারী যেমন ইশ্বরের ভাবনার সঙ্গী
ঠিক তেমনি বেআব্রু স্তন মায়ের বুক।
প্রকৃতির ঋতুর মতন পরিবর্তীত নারী অস্তিত্বের
এক আজন্ম ম্যাজিক।
এই পরিবর্তন শুধু নারী হৃদয়ে সম্ভব
কন্যা থেকে নারী এই লম্বা সফরে নারী পরিবর্তিত এক প্রকৃতির মতন।
প্রকৃতির রুক্ষতা ,সূক্ষতা ,অনুভব ,অনুভূতি
এক আসনে আসীন
নারী ও প্রকৃতি।

কোথায় যেন একটা অদ্ভূত মিল আছে
যেখানে প্রকৃতি শুরু সৃষ্টির আনন্দে বিলীন এক অদ্ভূত রুপকথা।
তেমনি নারী স্রষ্ঠা পৃথিবীর প্রানের
যেমন প্রকৃতির ধ্বংসে ত্রাহি ত্রাহি বেঁচে থাকা জীবনের।
ঠিক তেমন নারীর তৈরী ধ্বংস স্থুপ মৃত্যুর মতন
তবে কেন বলবো না প্রকৃতি হলো নারী কিংবা নারী প্রকৃতি। 

বদলানো ৩৬৫ X ২৪

বদলানো ৩৬৫ X ২৪
................ ঋষি
==============================================

সকালেরা জানে না সন্ধ্যের কথা
আর সন্ধ্যে কতটুকু বোঝে আলো হারাতে থাকার কথা।
সকালের কিংবদন্তী প্রেমে অক্ষাংনশে দাঁড়িয়ে আমি
অক্ষাংনশের তলপেটে মারাত্নক ব্যাথা।
সবুজ হারানোর
মৃত শ্রাবের মতন বেড়িয়ে আসে আতংক ,,, নিঃশ্বাসে।

অক্ষাংনশের দুপাশে দুই বিশ্বে
আলো আর অন্ধকারের ছিনিমিনি খেলা।
ক্রমশ বিবির্তনের ৩৬৫ X ২৪ ঘন্টার এক আদিম অনন্ত হিসেব
কিন্তু হিসেবের বাইরে একটা পৃথিবী থাকে
যেখানে একটা খিদে।
ভাত আর খিদের সম্পর্কের পুরান ঘেটে
উঠে আসে জীবিতদের আদিম রূপ।
মাত্সান্যায় কোনো বিভাজন ছিল না এই আদিম পৃথিবীর রক্তে
সে যে বেঁচে থাকার খিদে।
আসলে হয়তো সমস্ত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ,হিংসা ,মানুষ হারানো
যেমন  কোনো হারানো নয় আধিপত্যের ইঙ্গিত,
সেও এক খিদে।
মন্বন্তরে ভাত ছিল ,,ভিয়েতনামে বাড়তে থাকে মৃতদের মাঝে জীবিত ছিল
আজও আছে প্রতিটা মৃত ও জীবিত আত্মার পরিচয়ে।

সকাল জানে না সন্ধ্যের কথা
তবে গবেষণা বলে সন্ধ্যে হবে ,হবেই অন্ধকার কে আটকাবে।
সভ্যতার আদিম চাকার বিবর্তনের স্পিডে
কোথাও ,কখনো ,কিছু সময় স্পিড ফেল হবে দুর্ঘটনা ঘটবে।
আর সমস্ত দুর্ঘটনা এক একটা অন্ধকার
সেই অন্ধকার থেকে হারানো সবুজের পুনর্বাসন ,,শুধু দীর্ঘশ্বাস।

নগ্ন দর্শন

নগ্ন দর্শন
.................. ঋষি
========================================
একটু একটু করে
খুলে পরছে আকাশে চাঁদ নরম বুকে।
দাঁড়া প্যান্ট খুলি ,পুরো নগ্ন হয় ,বড় নগ্নতার প্রয়োজন
সত্যির আড়ালে নগ্ন দর্শন না করলে।
মিথ্যে বুঝবি কি করে
দাঁড়া একটু নগ্ন হয়ে দাঁড়ায়।

বুকের কাছে ,হ্যা আমার বুকের কাছে একটা বেড়াল
পা টিপে টিপে হাঁটছে।
প্রতিটা পদচিন্হ ঈশ্বরের পায়ের মতন
প্রতিটা পায়ের ছাপ রেখে গেছে রক্তের অজস্র ফোঁটা।
ফোঁটা ফোঁটা রক্ত বীজের ফল ,,আরো রক্ত
অসুরেরা বাড়িয়ে মায়ের দিকে পা।
খোলা মায়ের বুকে অজস্র ক্ষত
আমার মা এখন শরীর।
আমার বোন
প্রতিটা নারী স্বত্বা।
নেই প্রেম ,নেই স্নেহ ,নেই মায়া ,নেই কোনো সম্পর্ক
শরীর থেকে শরীরে আগুন
আর আগুন জ্বলছে আমার চিতার বারবেলায়।

একটু একটু করে খুলে পড়ছে
জ্যোত্স্নারা এই বুকে অনন্ত সরমে আমার অস্তিত্ব।
তুই নগ্ন করবি আমাকে ,নিলজ্জ
আমার নিতম্ব খুঁড়ে দেখবি অজস্র হৃদ্দিক সঙ্গম।
সত্যিকারে যেমন আছিস ,ঠিক তেমন
মায়ের দুধ আমার মুখে অমৃত। 

চলন্তিকা তোমাকে

চলন্তিকা তোমাকে
............... ঋষি
============================================
হ্যালো , আড়চোখে দেখে নিয়ে বলো
পার্শ্ববর্তী নগ্ন মেয়েছেলের মৃতদেহটি কি তুমি চেনো?
চিনি ওই লাশটাকে আমার প্রেমিকার
চলন্তিকার।
মি ঘোষ ফাইল করুন ওর কথাগুলো ওর প্রেমিকা ছিল।
যাক , তবে খুন করলে কেন তোমার প্রেমিকাকে ?

খুন
চলন্তিকা আমি তোমাকে খুন করতে পারি।
আমার সামনে যারা তোমাকে তুলে নিয়ে গেল
আমি তাদের আটকাতে পারি নি।
আমার সামনে যারা তোমাকে টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে খেল
না আমি আটকাতে পারি নি।
কি করেছি আমি তখন
চিত্কার করে কেঁদেছি চলন্তিকা আমি তোমাকে বাঁচাতে পারি নি
আমি বেঁচে এখনো চলন্তিকা।

কিন্তু সমস্ত প্রমান তোমার এগেইনস্ট যাচ্ছে
তোমার হাতের ছাপ পাওয়া গেছে ,ডি এন এ টেস্টে পাওয়া গেছে প্রুফ।
মিথ্যে স্যার মিথ্যে ,আমি ওর প্রেমিক
প্লিস প্রেমের প্রমাণকে ধর্ষণে লিপিবন্ধন করবেন না।
সামনে বসে থাকা অফিসার তীক্ষ্ণ চোখে আমাকে পড়লেন
মি ঘোষ কেস টা ক্রিটিকাল ,ক্লোস করতে হবে, মিডিয়ার চাপ আছে।
এক কাজ করুন এক থার্ড ডিগ্রী এপ্লায় করুন
আর লিখিয়ে নিন ধর্ষণ করে খুন।

হ্যা হ্যা আমি স্বীকার করছি
আমি চলন্তিকাকে ধর্ষণ করে খুন করেছি।
আমি খুন না করলে আপনারা করতেন ,চলন্তিকা মৃত
আমার কাছে  তার কোনো স্পর্শ নেই।
আমি ভালোবাসিনি তোমাকে চলন্তিকা ,ধর্ষণ করেছি
কিন্তু চলন্তিকা আমি কি তোমাকে ধর্ষণ করতে পারি।

Sunday, November 22, 2015

মিত্র বাবু

মিত্র বাবু
............. ঋষি
==================================================
আকাশের চাঁদ আর সকালের রৌদ্রের তফাৎ
এই যে গড়িয়ে নামা ঘাম।
আমি আশা করি না তুমি তোমার হাতের স্পর্শে  আমায় শীতল করবে
বরং আরেকটু  শীতল চোখে বলবে।
মিত্র বাবু কাজটা কতটা এগোলো
আজকে শেষ করতে হবে কিন্তু।

আমি তলিয়ে যাব কাজের ভিতরে
আরো ভিতরে আমার খোলা বুকে সাজানো বাসর ঘর।
রজনীগন্ধা তোমার খোপায়
তোমার নাম রজনী।
কিন্তু তোমার ঘামের গন্ধটা পাই নি আমি পারফিউমের ঠেলাই
এমন করে তো কাটছে।
সকালে তুমি অফিসে ঢুকলেই মনটা নেচে ওঠে
বৃষ্টিতে ভিজতে চায়।
ঠিক তখনি তোমার ডাক নিয়ে বেয়ারা এসে দাঁড়ায়
আমি ছুটি তোমার কাছে ,তোমার কেবিনে।
আজ আমি বলবই
আমি দরজা ঠেলি তোমার ঘরের  ,তুমি দরজা বন্ধ কর হৃদয়ের।
চশমার কাঁচের ফাঁক থেকে মুচকি হেসে বলো
ওয়েলডান মিত্র বাবু ,আপনার প্রমোশন কে আটকায়।

আর আমি তোমার হাসিতে প্রমোশন পেয়ে যাই
অপেক্ষায় থাকি একটু পার্মিসানের তোমার হৃদয়।
রোজ এমন হয় ,তুমি আসো আবার চলে যাও
আর আমি মিত্র বাবু থেকে যাই।
কোনো অপরিচিত প্রয়োজনীয় অফিসের কর্মচারী
তোমার কাছে।

আমার কবিতা

আমার কবিতা
.............. ঋষি
=============================================
কতদিন ভেবেছি তোমার মধ্যে ঢুকে যাব
অনেকটা অলিগলি ,লুকোনো স্তব্ধতা পেরিয়ে
তোমাকে ছুঁয়ে দেব।
তুমি বলবে আমি ভীষণ ট্যাচি,সো ডোন্ন্ড ট্যাচ মি
আমি হাসবো
আর হাসতে হাসতে হাত বোলাবো তোমার মাথায়।

আমি জানি তুমি অভিমান করেছো
বহুক্ষণ কথা বলি নি তোমার সাথে।
আমি জানি তুমি রাগ করেছো আমার উপর না
আমার কলমের উপর,
বহুক্ষণ চুমু খাই নি তোমায়।

ঠিক তখনি তোমার  বিধ্বংসী চাহুনি ছত্র ভঙ্গ করবে স্তবক
আর কবিতার স্তবকে আমি ছুঁয়ে দেবো তোমায়।
তোমার উন্নত স্তনে ,তোমার লাল ঠোঁটে ঠোঁট ঘষে বলবো
ভালোবাসি।
তুমি বলবে ধুস যত সব আদিখ্যেতা
আমি কি লিখতে বারণ করেছি তোমায়।

কতদিন ভেবেছি তোমার মধ্যে ঢুকে যাব
কানে কানে ফিস ফিস করে বলবো আমার কবিতা তুমি।
আমার কলমের প্রতি রক্ত ফোঁটাতে
আজকাল তুমিই তো থাকো।
আমার কবিতা তোমার স্তব্ধতা ছুঁয়ে আমার স্পর্শে
তোমার প্রেম ,,আমার চলতে থাকা কলম। 

তোমরাও মানুষ

তোমরাও মানুষ
................. ঋষি
==============================================
একটা দেশ যখন ক্রমশ নেমে যাচ্ছে
ভোটার তালিকা যেখানে ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে কালো চুলের মাথার।
অন্তহীন গৃহযুদ্ধে আর নিরর্থক চিত্‍কারে
ক্রমশ আয়নার কাছে অপরিচিত লাগছে বিবেকের মুখ।
তখন সিন্থেটিক মিডিয়ায় আমাদের চোখে রোদ চশমা
আর মুখোশের সেই না বদলানো হাসি।

যে দেশটা  বিশ্বের দরবারে ক্রমাগত পণ্য হয়ে উঠছে
যে দেশের নারীকে শিক্ষা নারীর নির্যাতন নামে পরচিত।
যে দেশে প্রফিট আর লসের হিসেব রাখতে ডাকতে হয় সি বি আই
আমি সেই দেশের নাগরিক।
যেখানকার খবরের কাগজ হলো যন্ত্রণা স্তুপ
যেখানকার শিশুরা হলো কন্ডমের বীর্যের মতন।
আমি সেই সভ্যতার নাগরিক
কিন্তু তোমরা।
যারা প্রতি রবিবার সপরিবারে উইকএন্ডে হাতে তোলো শ্যাম্পেনের গ্লাস
বারংবার নিজেকে হালকা করতে ছুটে যাও কোনো ডিস্কোতে
তাদের বলছি।
আমার দেশ আজও রাস্তায় দাঁড়িয়ে
প্লিস কিছু তো করতে পারবে তোমরা ,
আমার দেশ শুধু আমার নয় তোমারও।

চোখে রোদ চশমা লাগিয়ে হওয়ায় ক্রমাগত আপলোড মুখোসের ছবি
ছবি বিকোচ্ছে বেশ  লাইক আর কমান্ড।
কিন্তু আমি জানি আমার দেশের সব জায়গায় সুলভ সৌচাগার নেই
নেই  আলো অন্ধকার ঘোচানোর।
এমন অনেক খিদে যা কখনো পাওয়া যায় না স্যোসাল মিডিয়াতে
সেই খিদেগুলোর  প্রতিনিধিত্বে আমি বলছি তোমরাও মানুষ। 

সময়ের দরজায়

সময়ের দরজায়
......................... ঋষি
==================================================
তোমাকে ভালোবেসেছিলাম বলে
তোমাকে ইশ্বরের আসনে সাজিয়ে চন্দন তুলসিতে সাজিয়েছিলাম।
ভেবেছিলাম তুমি ফুটপাথে সেই বেজন্মা শিশুটাকে দেবে পরিচয়
তুমি সেই হারিয়ে যাওয়া যৌবনকে দেবে ঘর।
তুমি বার্ধ্যক্যের লাঠি হবে
হবে সেই ধর্ষকের শাস্তি যে তোমার মুখে লজ্জা লেপে দিয়েছিলো।

তোমাকে ভালোবেসে
হাজারো জন্ম কুরবান হলো ,ভেসে গেল নদী অশোকের স্পর্শে।
মানুষের হাতে উঠে এলো এ কে ৪৭
আরো কত বারুদের গন্ধে তুমি ছিন্নভিন্ন হলে।
মা পরিচয়ে আলাদা জন্মগুলো তোমাকেই ডাকে অন্য নামে
তোমার পরাধীনতা আজ শিশুপাঠ্য ইতিহাস।
তুমি সময় থেকে এগিয়ে গেছো জঞ্জাল আঁকড়ে
দেখো চেয়ে,,,একটুও বদলাও নি।
তোমার ঠোঁটে লেগে আছে রক্ত সময়ের খিদের
তোমার কাছে বেঁচে থাকা মানে শুধু বাঁচতে থাকা।
যাকে পরিচয় দেওয়ার কথা ছিল সে আজ কোনো গাঁজার ঠেকে
যে যৌবনকে ঘর দেওয়ার কথা ছিল সে এখন নষ্ট পল্লীতে।
যে বার্ধ্যক্যের লাঠি হবে আমি ভেবেছিলাম
সে এখন ভিক্ষে করে খায় তোমার শহরে তোমার দরজায়
এখন বলো তোমাকে ভালোবাসা যায়।

তোমার ভালোবেসে ঘুমিয়ে পরেছিলাম
ঘুম ভেঙ্গে চোখে  পিচুটি নিয়ে উঠে দেখি খিদে পেয়েছে।
বেঁচে থাকার খিদে
তোমার ভাত আর ভালোবাসা গল্পকে আমার বিশ্বাস হয় না।
বিশ্বাস হয় নিজের মেরুদন্ডকে ,বন্দুকের ট্রিগারে রাখা তর্জনীতে
বর্ণপরিচয় ভেকে  তুমি কি আমাকে পরিবর্তন শেখাবে। 

মানুষের জন্য

মানুষের জন্য
................ ঋষি
================================================
ঘুম পাওয়া এই দুপুরে
ঝরে পরছে কিছু শুকনো পাতা না বলার মতন।
আমি দাঁড়িয়ে আছি সময়ের বুকে
অনবরত খস খস কাগজের উপর ,,কি লিখছি।
মানুষের কথা
আচ্ছা মন দিয়ে কি মানুষ  পাওয়া  যায়।

সেই সাঁওতালি সদ্য কিশোরী যার থেঁতলানো মাথাটা পাওয়া গেছিল
জলোভূমির কোনো নিস্তব্ধ দুপুরে।
যার শকুনে কাটা বুকে পাওয়া গেছিল হায়নার লোভ
সেও কি ভাবছে এখন পাতা ঝরার কথা।
নাকি ভাবছে এই তো বেশ একমুঠো পান্তা
কচু শাক আর পিঁপড়ের ডিমের অমৃত স্বাদ।
আহা নবান্নকে হার মানানো সেই খিদের পৃথিবীতে
আমি আরামে বসে লিখে চলেছি মানুষ।
কি জানি আমি মানুষ সম্বন্ধে
শালা ঘাসের ঝোল হয় তাই জানতাম না আগে,
জানি না আজও এক কেজি মাংস রান্নায় কতটা তেল নুন লাগে।
টের পেতাম ঠিক যদি আমার কোনো বোন বাড়ি থেকে এক মাইল হাঁটতো
আর তার পেছনে পাওয়া যেত হায়নার হাসি।
আমার কোনো বোন নেই
নেই অভাবের চোখ
আমি কি মানুষ লিখবো।

ঘুম পাওয়া এই দুপুরে
ঝরে পরছে কিছু ইচ্ছা সকালের প্রথম আলোর মতন।
মুঠো ভর্তি হাতে আমাকে প্রশ্ন করছে আমার ছেলে
বলোতো বাবা আমার হাতে কি।
আমি বলছি সবুজ ,আমি বলছি সময় ,সব তোর
যেমন মানুষগুলো হৃদয়ের।

Saturday, November 21, 2015

ধর্ষণ করবো তোমায়

ধর্ষণ করবো তোমায়
.................... ঋষি
==============================================
সমস্ত অস্তিত্বের সাথে সন্ধি করে
বেড়িয়ে  পরলাম বারের দরজা ঠেলে বাস্তবতা নিয়ে।
অনেকক্ষণ  আমার ভিতর একটা কুকুর ডাকছিল
ভাদ্রের সেই সাবেকি পোজে।
সোজা তোমার দরজায় ,কলিংবেল টিপলাম
আর আমার বুকের ভিতর ধর্ষণ।

ধর্ষণ কোনো শব্দ নয়
মানুষের বুকে সমস্ত জান্তব ধাতব  শব্দের চিত্কার।
পৌরুষের  একটা জান্তব প্রতিফলন ধর্ষণ শব্দের গায়ে
খুব ইজি মিডিয়ার জনপ্রিয় খবর।
ধর্ষণ করবো তোমায়
খুলে যাবে তোমার লুকোনো শাড়ির ভাঁজে আকাশের  অর্ধেক চাঁদ।
হামলে পড়বো  খিদের বাইরের এক আলাদা স্পর্শে
খুলে নেবো তোমার  সবুজ দ্বীপের আবরণ।
তুমি চিত্কার করবে নিজের ভিতর
গুমড়াবে কিন্তু পুলিশ ডাকবে না।
ডাকবে না মিডিয়া
তোমার লজ্জা
আমার ধর্ষণ।

তুমি দরজা খুললে আমাকে দেখে মিষ্টি হাসলে
আমি দাঁড়াতে পারছিলাম না ,তাই আমাকে এগিয়ে দিলে হাত।
আমিও এগিয়ে গেলাম তোমার দিকে
তুমি আমাকে বিছানায় ঠেলে দিলে আমি মদ্যপ পুরুষ।
তারপর মনে নেই
ঘুম ভেঙ্গে দেখি তুমি ঘুমিয়ে কোনো শিশুর মতন আমার বুকে।

শ্বাশত তোমার প্রেমে (৩)

শ্বাশত তোমার প্রেমে (৩)
................. ঋষি
==================================================
শ্বাশত নিজেকে বিরত রাখতে পারছি না বলতে
এই মুহুর্তে তুমি হাত সরিয়ে নিও আমার বুক থেকে।
তুমি শুধু জেনেছো  নারী মানে একটা ফসলের জমি
তুমি চাষ করবে ইচ্ছে মতন।
ইচ্ছেমত হালটা  চেপে ধরবে আমার দুই উরুর ফাঁকে
উদ্দাম  আনন্দে তুমি ভুলে গেছো সীতাকে।

তোমাকে বলি নি কখনো
আজ জানতে ইচ্ছে হয় তোমার পুরনো প্রেমিকারা কেমন আছে।
যাদের সম্বলে তুমি পৌরুষ ফুলিয়েছে
তোমার বেড়ে ওঠা দন্ডের মতন।
তুমি কি আমাকেও তেমনি পৌরুষে ভোগ করতে চাও
আমার জরায়ুর মুখে তুমি কি ঢেলে দিতে চাও ফসলের বীজ।
তুমি ভুলে গেছো এই ১৯১৬ র মুখে দাঁড়িয়ে
সকলে তোমার প্রেমের শরীর নয়।
কারোর মন আছে এখানে
তুমি ভুলে গেছো  মানুষের স্পন্দনে কোথাও প্রতিবাদ থাকে
আর আমার তো ২০৬ টা  হাড়।
পারবে না আমাকে ছুঁতে আর আমি সহ্য করবো  না
তোমার শুক্রানুর শারীরিক বপন।

শ্বাশত নিজেকে বিরত রাখতে পারছি না বলতে
এই মুহুর্তে তুমি ভুলে গেছো  আমার ১২০ হার্টবিটের শব্দ।
যেখানে তুমি ছিলে  ঠিক অনুভবের মতন
২৬/১১ দিনটা তোমার মনে আছে ,সেই হোটেলের ঘরে।
যেদিন তুমি লেলিয়ে দিয়েছিলে কিছু খেপাটে কুকুর
আমার নারীস্বত্বার অধিকারের দিকে। 

ডিপ্রেসানের মানে

ডিপ্রেসানের মানে
.......... ঋষি
============================================
নিরন্তর প্রশ্নগুলো সরিয়ে রাখা
ডিপ্রেসানের মানে আমি জানি না।
তবে এটা  জানি সকলের ডিপ্রেসানে একটা জ্বর আসে
থেমে থাকার জ্বর ,জড়োসড়ো একসাথে।
থার্মমিটারের পারদ বাড়ে  না সময়ের মতন
শুধু উষ্ণতা বাড়তে থাকে।

আরেকটু বাড়িয়ে বলি
কুকুরের গন্ধ শুকে পথ চেনার মতন,
ফিরে আসে বারংবার একই দরজায়।
কিংবা বিড়ালের পা টিপে হেঁটে চলার মতন
নিস্তব্ধতায় একাকার।
কিছু সাথে থাকে না ,কিছু ভালো লাগে না
ভালো না থাকার সুখ।
খারাপ না থাকার দুঃখ
বড় অসহায় একা একা হেঁটে চলে যায়
অচেনা পথে।

নিরন্তর প্রশ্ন গুলো সরিয়ে রাখা
পরীক্ষার রেজাল্ট বেরোবার মতন অদ্ভূত ভুতুড়ে  চাপ।
ডিপ্রেসানের মানে আমি জানি না
তবে এটা জানি কিছু একটা না পাওয়া ,কিছু একটা ছুঁয়ে যাওয়া।
হসেব মতন অনিয়মের বাড়তে থাকা পারদ
ডিপ্রেসানে জ্বর নিরন্তর।  

অনিয়মিত বাঁচা

অনিয়মিত বাঁচা
.................. ঋষি
========================================

বুম  একটা বিস্ফোরণ বুকের মাঝে
ছিটকে পরছে সময়ের রঙের পিচ্ছিল সব মুহুর্তগুলো।
জড়িয়ে ধরতে চাই
আসলে মাছ ধরতে যায়।
ছিপ  ফেলি ,জাল ফেলি কিছু ওঠে না তৃষ্ণা থেকে
এই সময় শুধু  তুই ছাড়া।

অনেক দিনের আগের কথা ,হয়তো তারও অনেক আগে
ইচ্ছা নদীর ধারে  ইশ্বর তপস্যায়।
কিসের
সে তপস্যা মানুষের বেঁচে থাকার স্পন্দনের।
সে তপস্যা একলা না থাকার ক্রন্দনের
অনেকটা পরে পাওয়া চৌদ্দ আনা।
কিংবা সেই ঋষিজ গর্ভে শকুন্তলার হারানো আংটি
হারায় সবাই।
কিন্তু ফিরে পায় ক জনে
জীবনের মতন তপস্যায় এক আনকোরা তৃপ্তি।
তোর ধ্যানে
নিশ্চিত।

বুম  একটা বিস্ফোরণ বুকের মাঝে
মুহুর্তদের কলকব্জা নাড়িয়ে তোর দরজায় কড়া নাড়ি।
কেউ আছে কি বাড়িতে
নাকি বুকের পাঁজরের প্রতি রন্ধ্রে বয়ে চলা শব্দ চয়নে।
অনিয়মের অশান্তি
সত্যি কি আমি আছি বেঁচে। 

চাওয়া পাওয়া

চাওয়া পাওয়া
..................... ঋষি
==========================================
স্বপ্নদের স্বয়ংবরে বসিয়ে
মানুষ হাঁটছে নিজেদের  পথ অজানা পথে।
জীবনের রহস্যের বাইরে সমস্ত প্রলোভনগুলো
কোনোটাই হৃদ্দিক  নয়।
মানুষ বাঁচছে না বাঁচা আগলে
কিন্তু মানুষের নিজেদের মৃত্যুর শোক  করার সময় নেই।

বাইরের সস্তা প্রলোভন
হিসেবনিকেশ নিজেদের জাবেদা খাতে প্রফিটলস দূরত্বে
সবাই ভাবছে বেঁচে আছি।
কেউ নেই বেঁচে
কারোর ভাবার সময় নেই বাঁচাটা কোনো নিয়ম নয়।
কারোর ভাবার সময় নেই বাঁচাটা শুধু বাঁচা নয়
সেখানে স্পর্শ আছে ,আছে অনুভূতি।
সেখানে জীবন আছে একবার ,মাত্র ওয়ান চান্স ওনলি
প্রত্যেকটা জন্ম অত্যন্ত নগ্ন একলা।
প্রত্যেকটা জন্ম বাঁচার জন্য সম্পর্ক চায়
কিন্তু কখনই মুখোশ না।
অথচ সকলে মুখোসে বাঁচে যন্ত্রনায়
এ কেমন বাঁচা।

স্বপ্নদের স্বয়ংবরে বসিয়ে
খুঁজতে থাকা বাঁচতে চাওয়া বেকার  চাওয়া আর না পাওয়ার ফাঁকে।
দমবন্ধ জীবন গলার কাছে আটকে থাকে
জীবনকে একটু স্পেস দিতে হয় বেঁচে থাকার।
জীবনকে একটু স্পর্শ দিতে হয় আয়নাকে বোঝার
জীবন আসলে  কি চায়  নিজের কাছে।
  

Friday, November 20, 2015

অশ্লীলতার দায়ে

অশ্লীলতার দায়ে
................ ঋষি
==================================================

কিছু সাজানো নিয়ম ভাঙ্গতে
কিছু অনিয়মের চাবুক মারতে হয়।
কিছু কপট সভ্যতা ভাঙ্গতে
অসভ্যতা তোমাকে করতে হয়।
কিছু নগ্নতাকে ঢাকতে
নগ্ন তোমাকে হতে হয়।

যে নগ্নতা আমার বুকে অনিয়মের সভ্যতার শ্মশানে জ্বলে
তাকে তোমাকে অশ্লীল বলো।
অথচ কি জানো যখন কোনো চৌদ্দ বছরের মেয়ে গর্ভবতী  হয়
যখন কোনো ভালোবাসা অন্ধকারের ধর্ষিত হয়।
যখন কোনো মা সংসারে অপমানিত হয়
যখন কোনো মেয়ে কন্যা ভ্রুণ হত্যা করতে বাধ্য হয়।
যখন কোনো বয়স্ককে কোনো কারণ ছাড়া নিজের ঘর ছাড়তে হয়
তখন তাকে সভ্যতা বলো।

যে শিশু কোনো রেস্টুরেন্টে  চায়ের কাপ ধোয়
যে শিশু অনিয়মে বিগড়ে যায়।
যে শিশু জানে না তা মাবাবার খবর
তাকে তোমরা বেজন্মা বলো।
যখন কোনো নারী খিদের জ্বালায় রাস্তায় দাঁড়ায়
যখন কোনো নারী বিশ্বাস করে  ঠকে যায়।
যখন কোনো নারী দৈনন্দিন পতি সেবায় মার খায়
তাকে তোমরা কুলটা বলো।

অথচ সত্যি বললেই দোষ।
অশ্লীলতার দায়ে
কোনো কবি দেশানন্তরিত হয় ,কাউকে আবার অসময়ে মরতে হয়।
 অনিয়ম ,সভ্যতা ,নগ্নতা  সব সময়ে  থেকে যায়
কুঁচি কুঁচি প্রতিবাদ ছিটিয়ে থাকে মৃত্যুর নামে,
কিন্তু দিনের শেষে অন্ধকারের নগ্নতা বদলায় না। 

এত সহজে

এত সহজে
...................... ঋষি
=============================================
এই না হলে প্রেম
জানলা খুলে ,বোতাম খুলে ,জীবন খুলে।
উড়ে উড়ে আগুনে পাখির মতন
আগুনে ঝাঁপ।
সর্বনাশ
চলে যাওয়ার মতন।

এই না হলে প্রেম
সময়ের মতন খানিকটা বেলা ,এ বেলা ,ও বেলা।
হেঁটে চলে যায়
জীবনের আনন্দে কখনো কোথাও ,অন্য কোথাও।
এক শব্দে
টাটা।
কেটে গেলো  ,ফোস্কা পড়লো ,অনেকটা জায়গা জুড়ে অন্ধকার
বুকের ম্যাগাজিন ছেড়ে এক একটা বুলেট।
ছিটকে এলো রক্ত
ফোঁটা ,ফোঁটা মুহূর্ত জমে
এত সহজে।

এই না হলে প্রেম
জানলা খোলা ,জীবন খোলা ,বোতাম খোলা।
অন্ধকারের মতন
কুঁড়ে কুঁড়ে খায়।
আগুনে পাখি
আগুনে পুড়ে মরে যায়। 

প্রেমের কবিতা

প্রেমের কবিতা
.................. ঋষি
==========================================

সবটুকু বলে রাখি
তোর খোলাবুকে মুখ ঘষে পাগলপারা স্পন্ধন।
একটা গন্ধ বন্য ফুলের মতন
সবুজ দিয়ে তৈরী একটা শাড়ি পড়াবো তোকে।
সবুজ শেওলা মাখিয়ে তোকে কোলে তুলে নেব
বুকের খাঁচায় আদিম জঙ্গলে।

ঝরনা থাকবে ,থাকবে পাহাড় ,থাকবে মাটি ,মাটির গন্ধ
বৃষ্টি হবে ভিজবি তুই আমি পাশাপাশি।
আমি আদর করে বলবো জীবন কাকে বলে
তোর মিষ্টি হাসিতে একটা জীবন।
এমন করে ঘুন পোকার মতন খুঁড়ে খেতে পারি তোকে
এমন করে প্রসাদী ফুলে সাজিয়ে রাখতে পারি তোকে।
তোর নাভি বেয়ে পদ্মের সাজে
এক একটা দিন কেটে যাবে।
কেটে যাবে সময় তোর বুকে মাথা রেখে হৃদস্পন্দনে
অনেকটা প্রেমের কবিতার মতন।
স্তবকে স্তবকে সবুজ আর শীতলতায় জংলি গন্ধ
তোর মতন।

সবটুকু বলে রাখি
তোর খোলাবুকে মুখ ঘষে পাগলপারা স্পন্ধন।
বারুদের মেঘে বাড়তে থাকা বিস্ফোরণ
ছত্রভঙ্গ সময়ের পালকে নরম আদুরে স্পর্শ।
হয়তো স্পন্দন এটা
কিংবা দুরত্ব কয়েক  আলোকবর্ষ। 

জীবন স্পন্দনে

জীবন স্পন্দনে
................ ঋষি
===========================================

তোকে দেখবো এখন
নির্দিষ্ট বরাদ্দ জীবনের বাইরে তোকে ভাববো।
ওয়েটিং এ সময়ের পর্দায় অভিন্ন রঙের ছায়াছবি
জীবন এমন হয়।
কাগজের উপর শুকিয়ে যাওয়া কালির মতন
ছড়িয়ে ,ছিটিয়ে ,জ্যামিতির বাইরে।

নির্দিষ্ট সূচিতে, জীবন তালিকায় জন্ম মৃত্যু জুড়ে শুধু বাহানা
বেঁচে আছি আমরা।
তবে কি সত্যি বেঁচে ,নাকি আরো বেশি বাঁচতে চাই
কলের পুতুলের মতন স্টেজের উপর অনবরত চলা ফেরা
মুখ ভেঙচে  জীবনকে বলা বেশ আছি।
উঠবোস করে ,মুরগির মতন ঠোকরাতে থাকা খিদে
আর খুঁজতে থাকা বাঁচা
এটাই কি জীবন।
বেঁচে থাকার ক্রমানয়ে সাজানো একটা সার্কেল
ঠিক একটা নিয়ম।
শুরুর থেকে শেষ ,শেষের শুরু কখনো নয়
সাজানো স্তব্ধতায়।

তোকে দেখবো এখন
নির্দিষ্ট বরাদ্দ করে রাখা হিসেবের বাইরে জীবনের প্রলোভনে।
এখন রাত্রি কিংবা আলো কিছু নয়
এখন শরীর আছে কি নেই কিছু নয় ,অবয়ব জরুরি নয়।
একটু আলোক আঁধারী স্পর্শ
জীবন স্পন্দনে।

ব্যস্ত শহর

ব্যস্ত শহর
,............... ঋষি
=========================================

আজ আর কাজ নেই তোকে ছাড়া
সমস্ত শহর স্তব্ধ ,আমার হাতের মুঠোয় জীবন।
সময়ের কানে মন্ত্র ব্যস্ত আছি
দোকান ,বাজার সব বন্ধ,বন্ধ নিঃশ্বাস ,বন্ধ লোকাল বাস।
 অনিদিষ্ট কালীন স্ট্রাইক আমার শহরে
আজ আর কাছ নেই তোকে ছাড়া।

পাড়ার চায়ের দোকান আজ খুব ব্যস্ত
কানাঘুসো শহরের পাঁকে বাড়তে থাকা ভন ভন মাছি।
মেইন রোডে আজ নো পার্কিং বোর্ড
বাচ্চারা খেলছে।
প্রতি বাড়িতে আজ ছুটির মেজাজ  ,মানসের গন্ধ
আমার শহর আজ ছুটির আমেজে তোর সাথে।
আমিও খেলছি
এক না জানা খেলা।
আমিও খুলছি এক অজানা বেলা
যার প্রতি পাতায় শুধু তুই ,শুধু তুই ,শুধু তুই।
কেউ কোত্থাও নেই
আমি চুপ তোর মতন তাকিয়ে তোর দিকে।

আজ আর কাছ নেই তোকে ছাড়া
শহরের  প্রতি পাড়ায় ,ফেস্টুনে ফেস্টুনে  আমি ব্যস্ত।
তোর সাথে ,তোর গভীরে ,তোর আয়নায়
আমাকে আরশি বলে ডাকবি।
বেশ আমি তোর আরশি হলাম
তুই আমার প্রতিবিম্ব।

উইন্ড চার্ম

উইন্ড চার্ম
............... ঋষি
=======================================
তোর মতন না
কেউ হতে পারে না ,হবে কি করে।
সারা বায়ুমন্ডল জুড়ে ,আস্তরণে প্রতি অনুভূতিতে
অদ্ভূত শিহরণ।
আচ্ছা অক্সিজেনের কি খুব প্রয়োজন
তোকে তো হৃদয়ে রেখেছি।

এই ভাবে ঠিক বোঝাতে পারবো না
ধর্মতলার ট্রাম ডিপোর পাশে যে ভিখিরী বসে।
সেই অন্ধ রহিম চাচা বলে
আল্লাহকে নামমে কুছ দে যাও ইস বেসাহারাকো।
আমি একবার প্রশ্ন করেছিলাম
কি চাও দাদা তুমি হাত পেতে সবার কাছে।
আমাকে বলেন ইশ্বরকে চাই ,মরতে চাই তাই
এই ভাবে কি ভালো লাগে।
তোকেও বলছি আমাকে একটা মৃত্যু দে প্লিস
এইভাবে ঠিক ভালো লাগে না ,
রহিম চাচার মতন।

তোর মতন কেউ নেই
সমস্ত আস্তরণে সাজানো জীবিত সফরে অসংখ্য স্পন্দন।
অনেকটা টুং টাং উইন্ড চার্মে রাখা গতিবিধি
সবটুকু মাঝে , যখন একলা লাগে।
তখন একটা স্পেসাল ধ্বনি খুব শুনতে ইচ্ছে  করে
স্মার্ট এফেক্ট মুঠোবন্দী ফোনের।  

সময়ের সকাল

সময়ের সকাল
.............. ঋষি
================================================

বুকের কাছে ফোনটা জড়িয়ে শুই
যদি তুই আসিস  ,আমার ঘুম ভাঙবে ভাইব্রেসানে।
আচ্ছা চলন্তিকা কাল সকালটা কেমন হবে বলতে পারিস
সত্যি কি সবটা মনের মতন হবে।
পুড়ে যাওয়া সময়ের পাতায় নতুন করে লেখা যাবে
চলন্তিকা আমি আছি বেঁচে।

এখান থেকে সকাল দেখা যায়
চলন্তিকা সকালের জন্ম যে গর্ভে সেই নারীকে আমি দেখতে চাই।
দেখতে  চাই তার রূপ ,দেখতে চাই তার পুরুষকে
যে তাকে ভালোবাসে।
কারণ ভালোবাসলে যে সকাল আসে
সেটা আমি জানি।
কিন্তু চলন্তিকা কখনো ,কোনদিন তাকে ছুঁয়ে দেখি নি
অনুভব করেছি দৈনন্দিন রক্তের গন্ধে
নোনতা স্বাদ।
কেমন একটা অভ্যেস হয়ে গেছে আজকাল এমন থাকতে থাকতে
হাত ধর ,একটু বদলায়
ঠিক আগামী সকালের মতন।

বুকের কাছে ফোনটার ভাইব্রেসান টের পাই
নির্দিষ্ট এল্যার্মক্লকের নকলে গ্র্যান্ড ফাদার ক্লকটা বেজে ওঠে।
শুনতে পাই সময় চলছে দাদুর সময় থেকে ,হয়তোবা আরো আগে থেকে
একটা নিয়মের ভোর হলো ,দোর খোলো ,খোকাখুকু ওঠো রে।
উঠে পরেছি চলন্তিকার আবার একটা দিন
সময়ের সাথে ফুরোতে হবে। 

অস্তিত্ব জ্যোত্স্নায়

অস্তিত্ব জ্যোত্স্নায়
................ ঋষি
===============================================

সারা আকাশ জুড়ে তারাদের ফাঁকে
অন্ধকার ছুঁয়ে নামছে জ্যোত্স্নারা আনন্দের মতন।
ক্রমশ ক্লোস্ড হতে থাকা চোখের তারায়
আঙ্গুল ছুঁয়ে যায় তোমার আনন্দে।
আমি ছুঁতে পারি না তোমায়
আমার অস্তিত্ব শিহরণে ভেসে যায় জ্যোত্স্নার মতন।

একটা ব্রেক,একটা ক্যার ক্যারে শব্দ
আজ আমি না থাকতে পারতাম তোমার জন্য বেঁচে।
আজ হয়তো কোনো মিনি ট্রাকে তোলা হচ্ছে আমার শরীর
তুমি আঙ্গুল দেও নি ছুঁতে।
চারিদিকে ধার্মিক কাকেরা অপেক্ষায়
বাতাসে ওড়ানো ছাই ,উড়ে উড়ে যায় ,
আর কিছুক্ষণ আমি।
তারপর ,তারপর আমি নেই সব স্মৃতি
তোমার চোখে কোনে জল ,গুমরে ওঠা বুকে আস্ফালন।
সময় যদি এমন হয়
চোখ বুজতে থাকে ,ঘুম আসতে থাকে ,
রাতের বিছানায় চারিপাশে মশাদের কনসার্ট।

খোলা জানলা দিয়ে আচমকা একটা ভাবনা ছুটে আসে
আমার ভয় লাগে ,চাদর টেনে নি ,নিজেকে ঢেকে নি।
চাদরের নিচে আমি আর তুমি
আমার শীতল হাত ,তোমার বাঁধন ভাঙ্গা  ওম।
মিশে যেতে চাই
মৃত্যুর সাথে আমি তোমার মতন।

অনন্য অধিকার

অনন্য অধিকার
..................... ঋষি
================================================

এমন কিছু হিসেব আছে
যা মেলানো যায় না জানিস সকল হিসেবে।
কাল সারাদিন কথা হয় নি
কথা বলতে যা বোঝায়।
তোকে ঠিক করে আমার পাওয়া হয় নি
মুখের সামনে মুখ লুকিয়ে অনন্য সভ্যতার আলোয়।

চিন্তা ভর্তি কোলাহল
বুকের বন্ধ দরজায় আটকানো একটা তালা।
আসলে সেই তালাটা খোলা হয় নি
রাস্তা জুড়ে জ্যাম ,গাড়ি এগোচ্ছে না কিছুতেই।
পাশের সাইড মিররে দেখি তুই
হাসছিস।
হাসছিস ইনবক্সে ,হাতের মুঠোফোনে ,ইচ্ছা ,অনিচ্ছায় ,কারণে ,অকারণে
তোকে আমার মিষ্টি বলে বহুক্ষণ ডাকা হয় নি।
তোকে আসলে বলা হয় নি অনেক্ষণ
গভীরতা ছুঁয়ে
অনন্য অধিকার।

এমন কিছু হিসেব আছে
যা কিছুতেই মেলানো যায় না অন্য হিসেবের জালে।
ঘরের সিলিঙে আনন্দে বেঁচে চলা মাকড়সার জাল
আর কিছু একটা চাওয়া পাওয়া চলছে।
অনেকটা হিসেব করে পা টিপে হাঁটা বিড়ালের মতন
হৃদয়ের গন্ধে নিস্তব্ধতায়। 

Thursday, November 19, 2015

জীবনের গল্প

জীবনের গল্প
...................... ঋষি
=====================================================
একটা অন্য গ্রহের লোভ ছিল ছেলেটার
যে তখন  রাস্তার পাশে নুড়ি কোড়াচ্ছিল।
একটা করে নুড়ি ,আবার একটা ,তারপর একটা
এমন করে কখন যেন একটা পাহাড় হয়ে গেছে।
আর পাহাড়ের ভিতর নতুন জনপদ ,লাইটপোস্ট,পোস্টঅফিস  
ছেলেটা কখন যেন বড় ব্যস্ত হয়ে গেলো ।

একটা ক্ষোভ ছিল তার
পাহাড়ি ঝরনা কাছে ,যা তার সর্বত্র শীতলতার মত।
একটা ক্ষোভ ছিল পাহাড়ি বন্য ফুলের কাছে
যা তার সর্বত্র ছুঁতে পারার মতন।
একটা খিদে
একটু বাঁচা ছিল।
হিসেবের বাইরে
হয়তোবা পাহাড়ি নদীর পাশে সেই শ্মশানের মতন।
কিন্তু কোনো কৃত্রিমতা নয়
কিন্তু কোনো প্রশ্ন নয় ,
সেই ছেলেটা ছিল এটা সত্যি ,এখন নেই।


একটা অন্য গ্রহের লোভ ছিল ছেলেটার
সে সকালবেলা জঙ্গলে পাড়ি দিয়েছিল স্তব্ধতা ধরতে।
অনেকটা পথ হেঁটে ছিল সবুজ গাছেদের সাথে
কত কথা ,হাত ধরে পাশাপাশি এক জীবনের মতন।
কিন্তু ছেলেটা বোঝে নি  জীবনের শেষ আছে
কিন্তু জীবনে কোনো গল্প হয় না ,,অনুভব ছাড়া।

বিস্ফোরণ শহরের বুকে

বিস্ফোরণ শহরের বুকে
............... ঋষি
=======================================================
কোন শহরের কথা বলবো
আজকাল আমার ক্লোরফর্মের নীরবতা  ভালো লাগে।
পেট্রল শাসিত শহরের শুকনো পিঞ্জরে
জ্যামিতিক আকার নিয়ে সকলের মাথা ব্যাথা।
তাইতো  আজকে আমি
সবুজের কথা বলবো।
.
বিস্ফোরণ যত্রতত্র ছড়িয়ে  পড়া
উঁচুনিচু ,লম্বা ,বেঁটে ,বয়স্ক ,কম বয়সী ,গর্ভবতী ,যৌবনবতী।
সব এক একটা জ্যামিতিক মাত্রায় লাল
লক্ষ্যে  থাকা শহরের পিঞ্জরে মানুষের মস্তিষ্কে অসংখ্য ক্ষুদ্র অন্ধকার।
গাড়ির ধোঁয়ার মতন অপ্রাকৃতিক বিস্ফোরণে
শহরের রং লাল।
কি চাইছে মানুষ
একটা শহর ,একটা দেশ ,একটা বিশ্ব ,একটা মানচিত্র ,একটা গ্লোব।
কি চাইছে জিততে
মানুষকে ,শহরকে ,দেশকে ,অস্তিত্বকে ,না সৃষ্টিকে।
কাকে আঘাত করছে
কোনো দেশ নেতা ,কোনো ধর্মের মাতা ,কোন বয়সের শিশু না মানুষের ক্রমকে।
কোথায়  কোনখানে
কেন এই রক্ত ক্ষরণ ক্রমাগত প্রতিবাদের নামে।
কেন এই হারা ,জেতা ,লোভ ,লোকসান
সকলে বাঁচতে চাই ,এটাই সত্যি ,বাকিটা তো আমাদের অন্ধকার।
.
কোন শহরের কথা বলবো
জ্যামিতিক নক্সা ছড়ানো শহরের ভিতরে ঘুনে কাটা জীবন।
অনিদ্রায় জেগে থাকা শহরের বুকে
কেউ হয়তো জেগে সদ্য মাতৃ  ক্রোড়ে সবুজের মতন।
কি উত্তর দেব তাকে
যেখানে মানুষ নিজের রক্তে চান করা সর্বনাশা।  
.
( প্যারিসের জঙ্গি হানায় আক্রান্ত দেশবাসীকে আমার সহমর্মিতা  এবং অন্ধকার আক্রান্ত মানুষকে আমার ঘৃনা আমার কবিতায়।)

কবিতার খোঁজে

কবিতার খোঁজে
........................ ঋষি
================================================

কবিতার খোঁজ করছি আমি
তাল তাল কবিতা ,মাটি মাখা কবিতা।
অনেকটা কুমোরের ছাঁচে তৈরী মূর্তির মতন
যার বদল নেই।
ঠোঁট  ,চোখ  ,স্তন ,নারীত্ব ,দীপ্তি সব একই আছে
কোনো বদল নেই ,কেন চলন্তিকা।

আমি কবিতা দিয়ে দেশ তৈরী করবো  ভেবেছিলাম চলন্তিকা
যেখানে শিশুরা কোনো ব্যাটারির  খেলনা নয় ,বর্ণ নিয়ে খেলবে।
যেখানে ফুল ফুটবে ,সুন্দর মৌমাছি
সেখানে তুমি হবে চলন্তিকা মৌচাকে মধুর মতন,
না ফোরানো  প্রেম।
শহর জুড়ে বড় বড় ইমারতের ফাঁকে মানুষগুলো সব কবিতার মতন স্বচ্ছ হবে
ট্রাম ,বাস , মেট্রোতে সবাই কবিতা বলবে।
কেউ সেখানে মিথ্যা বলবে না ঈশ্বরের মতন
যেখানে  কেউ কষ্ট পাবে না মানুষের মতন।
কবিতার লেনদেন ,কবিতার খিদে
কবিতার জীবন আর কবিতার মরণ।
তখন চলন্তিকা তুমি কোনো কল্পনা না
সত্যিকারের রূপ পাবে ,আমার সাজানো স্বপ্নের মতন।

কবিতার খোঁজ করছি আমি
আলোর খোঁজ করছি মাটির তলায় ,আরো গভীরে কাদা মাটি মাখা অন্ধকারে।
একটা সত্যি খুঁজতে চাইছি মনের মতন
পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের অষ্টমতম  হলো মানুষ নিজে
আর কেউ জানে না আমি জানি
তার শ্রেষ্ঠ এবং মহান কীর্তি হলো কবিতা।

Wednesday, November 18, 2015

রঙিন রঙে

রঙিন রঙে
.................... ঋষি
===========================================

তুই হেসে যাস
আমি বলে যাই সময়ের ক্যানভাসে এক একটা রং।
তোর হাতে তুলি
তুই ছবি আঁকিস ক্যানভাসে নিপুন টান।
স্বপ্নরা ফুটে ওঠে
আমি অবাক হই ,অদ্ভূত সে রঙে।

মুহূর্তরা কাটতে থাকে
জীবনের মুহুর্তের ভাঁড়ারে স্মৃতিরা জমতে থাকে।
বেহায়া সে রঙের
মাথার ওপর আকাশ জোড়া বিশাল ছাদ।
ছাদের গায়ে নিপুনে আঁকা আকাশের চাঁদ
চিক চিক জ্যোত্স্না।
যেন কেন আলেয়া  দুরের বনে
একটা বন্য গন্ধ ছুঁয়ে যায় মনে মনে।
আমি অবাক হয়
আকাশের এই  অদ্ভূত ঢঙে।
আমি হাঁটতে থাকি আকাশে দি পাড়ি
তোর ক্যানভাসে নীল রং আকাশের চাঁদ ,
আর আমি কোথাও লুকোনো অন্ধকার রাত।

তুই হেসে যাস
আর আমি দেখে যায় গড়িয়ে নামা তোর ঠোঁটের রং।
তুই লজ্জা পাস
আমি এগিয়ে যায় ,তোর ভিজে ঠোঁটে জীবনের রং।
রং বদলায় সময়ের মতন
আমার হাতে তুলি সামনে  ক্যানভাসে তুই অনন্য চাঁদ।  

সত্যিকারের বাঁচা

সত্যিকারের বাঁচা
.............. ঋষি
==============================================

পুরস্কার চাই নি কোনদিনি
ইচ্ছা চেয়েছি ভালো থাকার আকাশ মেঘে।
চলন্তিকা আমার শহরে অজস্র হৃদস্পন্দন ,মেলা চিত্কার
আমি শহর চাইনি।
চেয়েছি এক অভিব্যক্তি
ভালো তোর সাথে আমার মতন সব শহরে।

এই মাত্র যে ইচ্ছাটা তুই আমায় দিলি
একে এক কথায় বলা যায় স্পন্দন বেঁচে থাকা।
মৃত কফিনের শেষ পেরেকে
এক অদ্ভূত স্পৃহা বুকের ভিতর আকাশ নীলে।
আরো গভীরে
বাঁচতে চাই প্লিস।
আমাকে একটা জীবন দিবি
মৃত্যু চাই প্লিস।
আকাশের কবিতায় আমার কলমে চলন্তিকা তোর নাম।
হৃদয়ের ক্যানভাসে একের পর এক টান ,
তোর ইচ্ছার আমার সাথে বেঁচে থাকার
অনন্ত হৃদ্দিক স্পন্দনে।

পুরস্কার চাই নি কোনদিন চলন্তিকা
দু একটা গালাগাল আমায় দিতে পারিস পথ চলতি জীবনের পথে।
কিন্তু প্লিস একলা থাকিস না
মুক্ত কর এক আকাশ জীবন গভীর নীলে।
আর আমার দিকে তাকা
সত্যিকারের বাঁচতে চাস তুই এক আকাশ বুকে। 

আয়নার সাথে

আয়নার সাথে
.............. ঋষি
==========================================
একলা তো কথা বলা যায় না
সমস্ত সত্বার অধীনে মানুষ আয়না না।
যে বলে যাবে না বলা
যখন তখন অস্তিত্ব ছুঁয়ে দেখিয়ে দেবে নিজের মুখ।
সময়ের চোখ আঙ্গুল রেখে বলবে
তুমি একা না আমি আছি তোমার সত্বায়।

কিছু কথা তুমি বলো ,কিছু কথা আমি বলি
পুরনো কার্নিসে ভেঙ্গে পরা মুখগুলো ,পায়রার খোপগুলো।
জমতে থাকা ধুলোবালি
সব ঝেড়ে ফেলো।
চুপ কেন ,কিছু তো বলো
আমি শুনতে চাই আকাশ থেকে মেঘ হারবার যন্ত্রণা।
সূর্যের তাপে পুড়তে থাকা ট্যান পোরসান
সব জানতে চাই।
একলা তো জীবন পাওয়া যায় না
একলা তো সময় কাটানো যায় না।
এসো একটু কথা বলি
জীবনের মুখোমুখি আয়নায়।

একলা বলা যায় না
তবে শোনা যায় যন্ত্রণার টুকরো টুকরো দিনলিপি।
সময় চলে যায় ,জীবন কেটে যায়
শুধু পাওয়া যায় মুহুর্তদের আয়না।
নিজের কাছে নিজের মতন অনন্য জীবনের রূপ
একলা তো কথা বলা যায় না। 

খবর পড়ছি

খবর পড়ছি
.................. ঋষি
==========================================
প্রতিটা মুখোশ মানুষের কাছে ধর্মের মতন
পবিত্র মুখোশের আড়ালে মানুষ কোথায় যেন ভীষণ একা।
সকালের মুহুর্তদের ভাঁজে আকাশবাণীর খবর
খবর পড়ছি হৃতপিন্ড  থেকে।
খবর পড়ছি সময় থেকে
মানুষের এক্সপেকটেসনের  বিরুদ্ধে খবর।

না আজ একলা দাঁড়িয়ে
ইচ্ছে করছে না লাফ মেরে পড়ি হাওড়া ব্রীজ থেকে।
ইচ্ছে করছে তোকে জড়াতে মনুমেন্টের সামনে
দিন দিন অতিরিক্ত মিষ্টি হচ্ছিস তুই।
না আজ একলা পথ হাঁটতে ইচ্ছে করছে না শহরের পথে
মনে হয় কাগজের কুচি করা টুকরোর মতন ছড়িয়ে পড়ি আমি।
ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির মতন নামতে থাকি তোর বুকে
মুখোশের আড়ালে ভিশন আসল আমি।
মন চাইছে সমস্ত মুখোসের ধর্ম খুলে পরুক
খুলে পরুক সমস্ত হুশিয়ারী অনন্ত আকাশে।

প্রতিটা মুখোশ মানুষের কাছে ধর্মের মতন
মেনে চলতে হয় ,বাঁধ ভাঙ্গতে নেই ,প্লাবনের প্রয়োজন নেই,
হোক না খরা তাতে  কি।
তবু বাঁধ ভাঙছে আর আকাশ বাণীর  খবরে
গত চব্বিশ ঘন্টার আবহাওয়ার খবর এখন
আকাশ অংশিক মেঘলা , বজ্রবিদ্যুত সহ বৃষ্টির সম্ভবনা আমার শহরে। 

শ্বাশত তোমার প্রেমে (২)

শ্বাশত তোমার প্রেমে (২)
................. ঋষি
======================================================
শ্বাশত আজ আমি একটা কথা না বলে পারছি না
যে আমি তোমাকে ভালোবাসি।
তোমার ওই অত্যন্ত পৌরুষ যেটা তুমি বিলি কর হাজারো প্রেমিকার শরীরে
সব জানি আমি।
শিয়ালদা স্টেসনে ফেরি করা লিফলেট আর তোমার প্রেম
তবু তোমায় ভালোবাসি।

একদিন ছিল যেদিন আমার মুঠোফোনের ম্যাসাজের দিকে তাকিয়ে থাকতাম
ভালোবাসার তৃষ্ণায় ,ভালোবাসার অনিদ্রায়।
তোমার সুন্দর গলার স্বরে তুমি যখন গাইতে
ভালোবেসে সখী নিভৃত যতনে
আমার নামটি লিখো—তোমার মনের মন্দিরে।
মুগ্ধ হতাম বারংবার
ভাবতাম তোমার সমস্ত স্বত্বায় শুধু আমি।
যখন তুমি হাত রাখতে আমার নিটল বুকে ,আমার ঠোঁটের পরাগে
আমি ভাবতাম আমি ধন্য প্রেমে ,লুটিয়ে পরতাম তোমার কাঁধে।
আজও আমি ধন্য তুমি জানো কিন্তু কাঁধটা আমার নেই
আজও আমি তোমার ফোন লুকিয়ে ম্যাসাজগুলো পড়ি তোমার প্রেমিকাদের।
মুগ্ধ হয় বারংবার
ভাবি প্রেম তুমি বড় নিষ্ঠুর ,আমাকে এত রক্ত দিলে কেন ,
তবু আমার রক্তে বারংবার কেন  তোমার নাম।


শ্বাশত আজ আমি একটা কথা না বলে পারছি না
তোমার পৌরুষের গুনাবলী যাপনে আমার কেটে যায় অনিদ্রায় রাত।
তোমার দেওয়া সিঁদুরের মর্যাদায় আমি লাল রক্তে ভাসি
প্লিস একবার তুমি বলবে আমাকে ,
ভালোবাসা কেমন হয়।
প্লিস একবার আমাকে বলবে আগের মতন ভালোবাসি তোমায়।

গীতার সারাংশ

গীতার সারাংশ
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, ঋষি
==================================================
পরিবর্তন সংসারের নিয়ম
গীতার সারাংশে লেখা ভগবান কৃষ্ণের বাণী
পরিবর্তন সবাই চাই ,হয়েও যাও ভুমিকম্মের মতন কিছু কিছু
পাথর থেকে লোহা ,লোহার থেকে কতকিছু
পরিবর্তিত সময়ের আগুনে একটু ঘি দি ,সত্যিকারের
হৃদয়ের পরিবর্তন কি ভাবে সম্ভব ?

নিজের দেওয়ালের উপরে দাঁড়িয়ে হাক দি
জীবন আছ কোথায়।
পাশ থেকে শুনি মৃত্যুর আস্ফালন কোন ঠাসা বিড়ালের মতন
অন্যপাশে সময় বলে যায় পরিবর্তন।
যদি বাঁচতে চাই
কত আর দেওয়াল দিয়ে সময় গড়বো।
কত আর সময় দিয়ে  জীবন গড়বো
কিছুই তো স্থির নয়।
ভগবানের বাণী যেখানে সুখ ,দুঃখ সব আপেক্ষিক
জীবন ,মৃত্যু সব আপেক্ষিক ,তবে স্থিরতা কই।
তবে অস্থির কেন হৃদয়
ভগবান তোমাকে প্রশ্ন তুমি কি স্থির
তোমার কি পরিবর্তন নেই সময়ের আঘাতে।

উত্তর একটা পেয়ে যায় জীবন থেকে
বাঁচতে গেলে সময়ের হাওয়ায় গা ভাসাও।
মিথ্যা বলো ,নারীকে নির্যাতন করো ,কুসংস্কারে বিশ্বাস করো
কিন্তু আমি পারি না পরবর্তীত হতে।
কেন যেন মেরুদন্ডে অদ্ভূত একটা যন্ত্রণা আমার
আমি কোমায় চলে যাওয়া ভীরুর মতন।


অপূর্ণ সময়

অপূর্ণ সময়
............... ঋষি
===========================================
কিছুই পূর্ণাঙ্গতা পাই না
বারো বছর বয়সে আমি গঙ্গা ফড়িংকে গলা টিপে মেরেছিলাম।
জানি না গঙ্গা ফড়িং এর গলা বলে কিছু থাকে
আজ অসময়ে মাঝে মাঝে ভাবি ,
একটা পিন্ডি দেওয়া দরকার গয়ায়
কিন্তু আমার পিন্ডি কে দেবে তা আমি জানি না।

তখন সময় ছিল
এখন নেই তাতে কোনো ক্ষোভ নেই।
ক্ষোভ হলো রাস্তায় দেখা হলে খেজুরে আলাপে
কেমন আছেন দাদা।
যাচ্ছেতাই বিরক্ত লাগে ,মন বলে আরো একলা থাকতে চাই
কিন্তু একলা কেউ থাকে না।
বুঝতে বুঝতে সময় কেটে যায়
ভালো কি কেউ থাকে ,
কেন সেই গঙ্গা ফড়িংটা বেশ ছিল।
যাকে আমি গলা টিপে ভাসিয়ে দিয়েছিলাম রাস্তার নোংরা জলে।
একটা পিন্ডি দেওয়া দরকার
কিন্তু আমার পিন্ডি কে দেবে ?

কিছুই পূর্ণাঙ্গতা পাই না
সামনে দাঁড়ানো কেরোসিন লাইনে আজ মারামারি।
তেল আসে নি কিসের স্ট্রাইক
কিন্তু সবার একই ভাবনা আগুন জ্বলবে কি করে।
আমি ভাবি ব্ল্যাক হোল যে এত আগুন গিলে খায়
কেউ ভাবে না কেন। 

Tuesday, November 17, 2015

শহরের কফি সপে

শহরের কফি সপে
................ ঋষি
==========================================
তোর  কফিতে ঠোঁট
উষ্ণ পরশে ভেজা এক মুহুর্তের মেদুরতা।
আমার শহর জুড়ে আজ মুখভার কুয়াসা
রোদ ,ঝড় ,বৃষ্টি সব পুরনো উপখ্যান।
আমার শহরে এখন
বৃষ্টি ব্যাকুলতা।

নির্ভিক স্যাতস্যাতে কফি কর্নারের কাঁচে
অদ্ভূত স্পৃহায় লিখি একটা নাম।
অজানা সে শহরের ইচ্ছা  বুকে করে ছুটে যায়
হাত ধরি।
আচ্ছা আমাদের প্রথম দেখা যদি কোনো কফিশপে হয়
কফির ঠোঁটে ঠোঁট নিয়ে উষ্ণ ওম।
ভিজে যায়
আচ্ছা যদি আমি তোকে কিছু বলতে চাই।
কফির রঙে তেতো মিথ্যা ছেড়ে
কি হবে ?
তৃষ্ণার ওমে শহর ভিজে যাবে
তারপর শীত গরম লেপে শহর।

তোর কফিতে ঠোঁট রেখে দেখি
উষ্ণতা কেমন নোনতা রঙের হয়।
অদ্ভূত শহরের দরজায় তখন এক দমচাপা ভাব
বৃষ্টি আসছে কি হবে।
আমার শহর এখন
ভিজে আমাদের বুকের ভিতর। 

আয় ঘুম আয়



আয় ঘুম আয় 
.............. ঋষি
===================================================
নষ্টের ভিতর একটা কবিতা জন্ম হলো 
সর্বত্র হাজারো বাজির শব্দে ,আলোতে এই মাত্র চুঁয়ে নামলো প্রেম। 
সবাই দেখছে আকাশ ভর্তি আলো
সবাই ভাবছে সময় হলো। 
অথচ শহরের ফুটপাথে সেই শিশুটা কাঁদছে 
যাকে কেউ এখুনি কেউ ফেলে গেলো।

স্বাভাবিক ভোরের আলোর সাথে 
পথ চলতি উত্সবমুখর জনতা দুঃখের ফাঁকে একটু আনন্দ পেলো।
কি এলো,কি এসে গেলো ,কেউ জানে না 
কেউ এগিয়ে এলো না। 
শুধু কোথা থেকে ছুটে এলো এক ভিখারিনী 
আলোথালু চুল ,অর্ধ নগ্ন খোলা বুকে তুলে নিল জন্মটাকে। 
আসলে জন্ম এমনি হয় সকলের
ভীষণ নগ্ন ,ভীষণ সত্যি। 
দেওয়ালে ঠেকে যাওয়া পিঠের সভ্যতা 
অনেকটা সেই ভিখিরিনীর মতন অর্ধ নগ্ন সত্যি। 
এখানে সাজানো দোকানে বিক্রি সভ্যরা সত্যি নয় 
চির সত্য আমরা আজও অসভ্য রয়ে গেলাম। 

নষ্টের ভিতর একটা কবিতা জন্ম নিল 
এই কবিতার সমস্ত সত্বা জুড়ে দেওয়ালে ঠেকে যাওয়া পিঠ মানুষের। 
কোনো বাজি ফাটছে না ,চারপাশে ঘুটঘুটে অন্ধকার 
সামনে নর্দমার বস্তির পাশে সেই  পাগলিনী জন্ম আগলাচ্ছে। 
আয় ঘুম আয় ,দত্ত পাড়া দিয়ে 
ঘুম ভেঙ্গে যায় সভ্যতা কাঁদছে চিত্কার করে। 

স্বপ্নের মতন

স্বপ্নের মতন
................ ঋষি
=======================================

আমি জানতাম না সত্যি বলছি
তুইও চুমু খেতে পারিস
আজ যখন স্বপ্নে জড়িয়ে ধরলি আমায়
আমি দেখলাম আমার ইংরাজির  ম্যাডাম আমাকে জড়িয়ে
বলবো মে আই কিস ইউ
অবাক কান্ড ঠোঁট মিশে গেলো ,অথচ বাংলা উধাও

ইংরাজি ,ফ্রান্স ,ইতালিয়ান  না সাদা বাংলা
ঠিক বুঝলাম না।
ঠোঁট মিশে গেলো ,গভীরে একটা নোনতা স্বাদ
আমার ঘুম ভেঙ্গে গেলো।
দেখলাম আমার মুঠোফোনে জমানো ফিলিং চুমু আর চুমু
কেমন একটা শব্দ হলো।
ফিসফিস সারা শরীরের লোম খাড়া
অবাক হলাম
তুই চুমু খেলি আমায়।

আমি জানতাম না সত্যি বলছি
তুইও আমাকে জড়াতে পারিস।
জুড়তে পারিস ফেভিকলের মজবুত জোরের মতন
ঠোঁটের সাথে ঠোঁট আটকে।
হৃদয়ের সাথে হৃদয় রেখে একসাথে ঘেমে স্নান
ধুস আমার আবার ঘুম পেলো।

আমার এই কবিতা

আমার এই কবিতা
................. ঋষি
===================================================
কবিতার দ্বারা এমন মহৎ কিছু
করতে পারি নি আমি ,শুধু তোমাকে ছাড়া।
শুধু চাউমিনের মতন জড়িয়ে থাকা শব্দগুলো
আজকাল ঠোঁট পোড়ায় বড়।
নিজেকে কাহাতক পরিবর্তন করা যায় ভাবতে ভাবতে
শুধু মনে পরে সময় কাঁদছে বড়।

সামনে অন্ধকারে ,, হ্যারিকেনটা বহুদিন ব্যবহার হয় নি
আলো জ্বালে নি কেউ মনের ভিতর।
শুধু যখনি আমার ঘুম পায়
তখনি ঘুমের মধ্যে গুড়ো গুড়ো ফোটন কনা ছড়িয়ে পরে তোমার ভিতর।
আলো জ্বলে ওঠে
চোখ রগড়ে সামনে দেখি একটা মাতাল টলতে টলতে আসছে।
মুখে তার অবিরাম খিস্তি
যাচ্ছেতাই কি সব বলে, ফাটাতে চাইছে কোনো নারীকে।
আমি কান পেতে শুনি কাঁদছে একটা বিশ্ব
খিদে ,খিদে ,খিদে।
অন্যদিকে রণহুন্কার বিশাল কামান উঠে আসে আমার বুকে
ফায়ার ,,মাতাল লোকটা মৃত।
আর এক নারী বুকে ,,,,,,,কাঁদছে
তোমার মতন।

কবিতার দ্বারা এমন মহৎ কিছু
করে ওঠা হয় নি,শুধু তোমাকে ছাড়া ।
মাঝে মাঝে মনে হয় বর্ণ গুলো সব বর্ণমালা ছেড়ে সারা বিশ্বে
শুধু রক্ত ছড়াচ্ছে।
যীশুর মুখে রক্ত ,অবিশ্রান্ত আমার এই কবিতা
ঠুকে ঠুকে ঢুকে যাচ্ছে যীশুর হাতে কষ্টের পেরেক। 

ইচ্ছাদের সুপ্রভাত

ইচ্ছাদের সুপ্রভাত
.................. ঋষি
===================================================
তোর সাথে প্রথম কথা যখনি হয়
তখনি মর্নিং।
তোর সাথে আমার দেখা যখনি হয়
তখনি প্রথম দেখা।
তোর দিকে যখনি দেখি আমি ,,আমার হৃদয়
তখনি প্রথম নারী দেখি আমি।

হাতের মুঠোফোনে জমতে থাকা ইনবক্সের স্তব্ধতায়
কেমন যেন একরাশ রামধনু রং ,
আবেশ  করে পাঠানো ইনবক্সের সেল্ফিগুলো একা পাওয়া মুহুর্তদের সিম্ফনি
কানে কানে হৃদয়ে  বলে যায়
আমি এসেছি আবার সুপ্রভাত  হৃদয়।
ভোর হলো ,দোর খোলো ,খোকাখুকু ওঠো রে
অবাক হয় আমি।
ঘুম ভেঙ্গে আবেগের দরজায় এক হাঁটু জল
জলে নামি আমি।
সাঁতার কেটে তোর কাছে যায়
তুই বলিস তোর ভিজে চুলে কেমন একটা বন্য গন্ধ ,
ইচ্ছাদের সুপ্রভাত।

তোর সাথে প্রথম কথা হলো
জমতে থাকা না বলাদের বিশ্বাস ,,আমি আছি।
তোর হাত ধরে শহরে হাঁটা মানে
চুপচাপ সময় পাশাপাশি মাইল ব্যাপী একাকার।
তোর দিকে তাকানো মানে ,আমি বুঝি
একটা জীবন বোধহয় মুহুর্তদের ব্যাপার। 

Sunday, November 15, 2015

নিলাজ নগ্নতায়

নিলাজ নগ্নতায়
.......................... ঋষি
==================================================
এই মাত্র খিদে পেল আমার
একটা আদিমতার গন্ধ প্রাচীন কোনো প্রস্তরের বুকে।
শেওলা জমছে অনেক চর্বির ভিতর
তুই শুয়ে আছিস কোথাও কোনো শুকনো পাতার বিছানায়।
আমি কান পেতে আছি
পাচ্ছি অতি বর্বর আদিমতার সুখ।

এক টানে ,ঠিক এক টানে
খুলে ফেললাম বর্ম ,তোর বুকের কাপড়।
নিলাজ ফর্সা সবুজের মাঝে এক দৃষ্টি অধিকার
চুপ ছিলি না তুই।
আমাকে পাগলের মতন এফোঁড় ওফোঁড় করছিল তোর জান্তব নখ
আমার বুকের মাঝে কোনো আদিম ঝড়।
শান্ত হচ্ছিল তুমুল দুর্যোগের অনুভবে
অন্তিম আকাঙ্খা।
একটা মৃত্যু দিতে পারিস আমায়
কিছুটা সময় আদিমতায়।
এক বার জীবিত তোকে দেখতে চাই
নিলাজ নগ্নতায়।

এই মাত্র খিদে পেলো আমার
একটা আদিমতার স্বপ্ন প্রাচীন প্রস্তর যুগের জীবনে।
সেই সভ্যতা সৃষ্টির দিনে
আমি তুই ভিজে যাচ্ছি কোনো অধিকারে সময়।
আর সময় সে যে প্রাচীন শ্রাবন
হৃতপিন্ডের ওঠা নামায়।

সবুজ চেতনা

সবুজ চেতনা
................... ঋষি
===========================================

বাতাস থেকে সরে  যাচ্ছে দূরে
হৃদয় সে তো আরো দূরে।
বিপদ সম্ভবা হৃদয় খুঁজে পাচ্ছে দেহ
এই শীতের বিকেলটা গাছেদের কাছে পাতা হারানোর শোক।
মোহমুক্তি পথের উপর সদ্য জন্মানো ফুল
প্রেম তুমি ঈশ্বরের মতন স্থির।  

এমন করে  বলি কখনো
তুই সর্বজ্ঞ নোস ,তুই সর্বস্য নোস। .
মোহ মেদুরে  শরীর মেখে রেখেছিস গায়ে
ঠিক পাতা ঝরা হৃদয়।
আর তোর মন সে তো বন্দী কোনো  আকাশে
ঠিক পথের  উপর ঝরা পাতা।
যা শুকিয়ে যায়
যা মিশে যায় ,
আরো গভীরে
এমন করে মিশে থাকা যায়।
জীবন থেকে দূরে বাতাসের অক্সিজেনে দমবন্ধ ভাব
পাতায় পাতায়।

সময় সরে যাচ্ছে দূরে
তোর   আয়নার ভাঁজে জমে যাচ্ছে স্মৃতি।
ঘড়ির কাঁটার ভিজে চাহুনি
আরো দূরে ,আরো অনেক ,যেখানে সদ্য জন্মানো ভ্রুণ।
নতুন পাতা পাবে ,নতুন জীবন
সবুজ চেতনার মতন।

চলন্তিকার সময়

চলন্তিকার সময়
.......................... ঋষি
===============================================

ঘুম নেই
সিগারেট লাইটারের  রিফ্লেক্সনে দেওয়ালে আকাশ।
তুমি পাশ ফিরে শুলে
অথচ আমি শুতে পারলাম না তোমার পাশে।
সারা দেওয়াল জুড়ে আকাশ
আর পুরো আকাশে জুড়ে আমার বাড়ি ,
আমার ঘর তোমার মনের ভিতর।

হাতের বল পেনে অনবরত ফস ফস
কি লিখছি।
সাদা কাগজের উপরে মানচিত্রে শুধু ধোঁয়া
আর ধোঁয়ার রিঙে অজান্তে তোমার মুখ চলন্তিকা।
আমি দেখছি তোমাকে
যেমন করে সময় তাকিয়ে থাকে হেরে যাওয়া পথিকের দিকে।
আমি বলি নি তুমি হেরে গেছো
শুধু ঠোঁটের তিলে আজও ডার্কস্পট।
কেউ কামড়ে ছিঁড়ে খেয়েছে ঠোঁটটা
শুধু তোমার নরম বুকে অজস্র  হাতের নিসপিস সাপের মতন।
তোমার গহ্বরে ফোঁস ফোঁসানি  
তুমি মোটেও ছিঁচ কাঁদুনি ছিলে না চলন্তিকা।

ঘুম নেই
সিগারেট প্যাকাটের শেষ সিগারেটটা আমার হাতে।
তুমি জ্বলছো আমার মতন শহরের মনখারাপে
শুধু তোমার চোয়ালে একটা শক্ত ভাব।
তুমি দাঁড়িয়ে আছ লড়ছো
তবে তোমার চোখের পাতায় নোনতা স্বাদ ,
আমি স্পর্শ করি ,,ঠোঁট পুড়ে গেলো ফিল্টারের আগুনে। 

তোমার জন্য

তোমার জন্য
.................. ঋষি
================================================================================================================
আমি সারাজীবন যে দুটো চোখের জন্য
আসলে আরো গভীরে মৃত্যু খুঁজেছি।
তুমি দেখো ,আমিও দেখি
তবুও দেখিনি কিছু, কখন যে কোথায়   ,কাকে খুঁজেছি।
বারান্দার রেলিং ধরে
তোমার সভ্যতায় একটা শহর খুঁজেছি।

শহর মানে সভ্য সমাজ
আমার শহর শুধু সবুজে ঢাকা।
বাড়ি ,গাড়ি ,ট্রেন সব আছে ,জ্বলন্ত রৌদ্রের ফাঁকে
আনমনে কুয়াসা।
চুল সরলো তোমার ঘাড়ের কাছে একটা তিল
নতুন না ,একটা স্পট বটে।
স্পট তো সবারি থাকে ,আমার শহরেরও  আছে
যেমন তুমি আমার বাসস্থান।

মুচকি হেসে পথ হেঁটেছি
পাশে ছায়ার মতন তুমি ,পাশে মৃত্যুর মতন তুমি।
হয়ত সময়ের বাইরে  ,হয়তোবা  সময়ের সাথে
চুপিচুপি সন্ধি।
জনবহুল শহরের কোনায় ,কোনায়  ঢেউ এর  প্লাবনে
গা ধুয়েছি।
তুমি দাঁড়িয়ে ছিলে তখন  ,আমার কাছে ,খুব কাছে
সত্যি কি আসা যায়।

আমি সারাজীবন তোমার চোখের জন্য
সত্যি তোমার চোখের ভিতর মৃত্যু দেখেছি।
গড়িয়ে নামা সন্ধ্যের শহরে ,না ঘুমোনো চোখের ছাদে
আকাশের  মেঘে অদ্ভূত স্তব্ধতা।
মেঘ কি সরলো
না আমার শহর জুড়ে শুধু চাদরের মতন আস্তরণ।

সত্যিকারে মান হুশ

সত্যিকারে মান হুশ
............ ঋষি
=============================================
কিছু করতে হবে ভেবে
হাতের তালুতে চোখ রাখি।
অসংখ্য প্রলোভনের ফাঁকে একটা জীবন রক্তক্ষরণ
সর্বত্রই একটা চিত্কার।
আর পুরনো বাতিঘরের আলোয় আজকাল আলেয়া
সর্বত্র একটা অদ্ভুত   দমবন্ধ  অন্ধকার ।

অলস নির্জন দুপুরে হ্রিং  ফ্রিং ছট  স্বাহা
চোখের সামনে অস্থিরতায় একটা বিশ্ব ফুটে ওঠে।
অজস্র লিপিবন্ধনে টুং টাং যন্ত্রনাদের  ফিসফিস
আমি কল্পনা করি জ্যান্ত জালিয়ান ওয়ালাবাগ আমার চোখের সামনে।
আমি ভয়ার্ত সাধারণ স্পন্দনে
বুলেট আসছে ছুটে শয়ে ,শয়ে মিথ্যা ,কুসংস্কার, নির্যাতন।
ঠিক তখনি  আলো  ফোঁটে
সদ্য জন্মানো কুঁড়িকে একটা প্রতিশ্রুতি দি।
লড়বো যতক্ষণ জান  আছে
হাতে উঠে আসে এ ,কে ৪৭।
গর্জনে ফুটে ওঠা চিত্কার মানুষের মতন
দূর হাটো  অশিক্ষা ,দূর হাটো  মিথ্যা ,দূর হাটো সময়ের নক্সামি।
সময়ের বুকে পা দিয়ে সশব্দে ঘোষণা করি
আমি মান হুশ একসাথে।

ঘুম ভেঙ্গে যায় ঠিক তখনি
আমি ছটফট করি মানুষের না বলা  কান্নার  স্পন্দনে।
নিজের মেরুদন্ডের ভিত খুঁড়ি
বেঁচে আছি ,বাঁচতে চাই মানুষের মতন।
আর কোনো দুর্নীতি না ,আর কোনো নকল না ,আর কোনো যন্ত্রণা না
একটা ম্যাজিক সত্যিকারের মান হুশ। 

Saturday, November 14, 2015

ইশ্বরের ভাবনা

ইশ্বরের ভাবনা
............ঋষি
====================================================
আমার ঈশ্বর ভাবনাকে প্রনাম করার আগে
একটা প্রতিশ্রুতি দরকার।
মানুষের মতন জীবনে ঘাতে ,প্রতিঘাতে একটা যন্ত্রণা দরকার
ঈশ্বর ছোঁয়া সেই প্রাকৃতিক ব -দ্বীপের মতন সৃষ্টি।
আনন্দ যেখানে
তোমার বাগানে ফুটতে থাকা নতুন ফুল।

যদি কোনদিন চোখের দিকে তাকাও
দেখবে চোখের কালির অধিকারে কিয়ত দুরত্বের একটা বাইজী নাচ।
আমি কখনো বলি তুমি নষ্ট হলে নারী হবে না
আমি কখনো বলি তুমি নষ্ট হলে আমার কষ্ট হবে না।
শুধু হৃদয় থেকে গড়িয়ে নামবে নোনা জল
ঘামের মতন কিছু।
তোমাকে ছুঁয়ে আমার অস্তিত্ব ইশ্বরের নাম
জ্বলন্ত পিলসুজে ঘিয়ের মতন।
আগুন জ্বলবে হৃদ্দিক
যেমন জ্বলে আমার দিনে রাতে।

আমার ইশ্বর ভাবনাকে প্রনাম করার আগে
আমি শ্মশানে যাব।
চোখ খুলে নিজের চুল্লিতে আমার খুলিতে আগুন
চুল পুড়বে ,চামড়া পুড়বে নিজের সাথে।
বারংবার বলবো
হা ঈশ্বর তুমি প্রসাদের ফুল। 

আকাশের নীলে

আকাশের নীলে
.................... ঋষি
============================================
শিকার করতে নেমেছি
হাতে আমার একটা বুমেরাং নীল রঙের।
আসলে আকাশ ধরতে নেমেছি
হাসছি মনে মনে খুব।
মুন্ডু
সেকি আকাশের গায়ে থাকে।

সকাল থেকে এক বায়না মাথার ভিতর সমস্ত অবয়বে প্রশস্তি
আকাশ নাকি সভ্যতার নাম রৌদ্র।
আর আমি আকাশী
মেঘলা রঙের নৌকা ভাসিয়ে মাছ ধরতে বসেছি।
নৌকার মাথায় অনেকগুলো স্বপ্ন
ভাঙ্গাচোরা স্মৃতি ,কিছুটা লুন্ঠিত,কিছুটা অবগুন্ঠিত।
এক মাথা চুল
বহুদিনের না কাটা দাঁড়ি।
ছেঁড়া পায়ে চটি
আর পকেটে নীল আকাশের চিঠি।

শিকার করতে নেমেছি
হাতে মাছ ধরার ছিপে আটকে আছে জমানো যন্ত্রণা।
জীবনের বিশাল আকাশে
আমার বুমেরাং ছুটে যায় ,ফিরে আসে।
ঠিক মন যেমন চায়
নীল আকাশের বাইরে। 

Friday, November 13, 2015

ভাই ফোঁটা

ভাই ফোঁটা
.................. ঋষি
============================================

বাস থেকে নেমে হাঁটা লাগালাম
তুমি বললে বাসন্তী রঙের পাঞ্জাবীটা পরো
তাই পরলাম।
গ্রাম পেরিয়ে ,হাট পেরিয়ে ,ঘরের ছাউ দেওয়া মাঝি নৌকা
উঠলাম বসলাম
পাশে যাত্রীরা বললো আজ ভাই ফোঁটা।
.
আমি শহরে আসছি
শহর থেকে নদীর বুক ছিঁড়ে একটা নাগরিক জীবনে।
তুমি বলেছিলে সকালে ভাইফোঁটা দিতে যাবে
আমার মনে নেই।
আসলে আজকাল আমার কিছুই মনে থাকে না মানুষ ছাড়া
কর্পোরেসানের ড্রেনটা পেরোতে পেরোতে মনে হলো।
আজ কত বোন ব্যাস্ত তোমার মতন
ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা,যম  দুয়ারে পড়লো কাঁটা।
তারপর মনে নেই
আজকাল আমার কিছুই মনে থাকে না মানুষ ছাড়া ,
কিন্তু মানুষ !
.
শহরের ছেড়ে একটু হৃদয়ে যাব এবার
নারী হৃদয়ের কোনে বাসা বাঁধা সেই ভাতৃত্বের প্রতি টানকে ছবো।
না আমার নিজের বোন নেই ,নেই ভাই ফোঁটা
তবে ছুঁয়ে এলাম হৃদয়টা কেউ তো আজ ভালো চাইছে।
আর আজও ছুঁতে পারলাম না গলির মোড়ের মহল্লার চলন্তিকাকে
কারো বোন আর আমার ভাই হওয়া হলো না। 

Thursday, November 12, 2015

শেষ দাগ

শেষ দাগ
................ ঋষি
===========================================
হার কে মেনেছে
আমি তো  জিতে গেছি বহুদিন হলো।
পলাশ ফুল আমি বুঝি না ,বুঝি না কষ্টের অর্থ আজকাল
আমি যে মরে গেছি বহুদিন হলো।

আজ আবার খুঁড়তে লেগেছিস
সোনালী মোড়কে,নতুন নামে,নতুন একটা সম্পর্ক।
বেশ লাগে মুখোশ পড়তে তাই না মন
একটু হিসেবী হয়ে রবি ঠাকুর আউরাতে।
আমি আছি যেমন তুই চাস
হয়তো বব ডিলন শুনবি তুই।
বলবি
সোনালী পালক আরো আলোক উজ্বল হোক
শতাব্দীর শেষ আলোকে।

হার মানিস নি
শুধু নিজেকে হারিয়েছি তোর মতন ইচ্ছা মৃত্যু।
মৃত্যুর একটা দাগ থাকে
শেষ দাগ বেঁচে থাকার।

আরো হৃদয়

আরো হৃদয়
.............. ঋষি
===============================================
জীবন থেকে কিছু শব্দদের অদলবদল
ক্রমাগত ক্লোস্ড ক্যামেরাতে দেখতে পাওয়া অবয়ব।
অসম্ভব কিছু না
so called normal মেয়েদের সুন্দরী হতে নেই।
কিংবা সহজ হতে আছে
এমন না ,,
শুধু বিষন্ন থাকতে নেই।

বুকের আলমারিতে ভাঁজ করে রাখা নীল শাড়িটা
আকাশের গায়ে পড়িয়ে  ভাবি।
এক আকাশ দূরত্ব
ভাবি দুর্বলতা নাকি মস্তিষ্ক নিউরনে অসংখ্য জলতরঙ্গ ,
বারংবার জানান দেয় আমি আছি
মাটি চাপা দি ,,আরো গভীরে কবরে রেখে  আসি আকাশটাকে।
আবার বৃষ্টি আসে
আকাশ ভিজিয়ে দেয় মাটি ,মেটো গন্ধ।
সবুজের সুরে বাজতে থাকে জলতরঙ্গ
আমি আকাশে দেখি সেই নীল শাড়িটা তোর গায়ে।
তুই হাসছিস ,,বলছিস
এটা compliment নাকি মুশকিল।

জীবন থেকে কিছু মুহুর্তদের অদলবদল
আকাশ ভাঙ্গা বৃষ্টি আমি ভিজি ক্রমাগত আকাশের দায়ে।
আমার দরজায় কলিং বেলে ক্রিং ক্রিং
কে এলো ,কে এলো।
সময় আলুথালু আমার সাজানো শব্দের মতন কৃত্রিম
কিন্তু আমি চাই
তুই আরো সবুজ হ ,আরো হৃদয়। 

লুকোনো স্যিগনেচার

লুকোনো স্যিগনেচার
.................... ঋষি
===============================================
তোমার কথা আমি বলবো
তোমার কথা আমার কলমে গর্জে ওঠা সময়।
তোমাকে ভালোবাসবো তাও বলবো
তোমাকে ঘৃণা করবো তাও।
জীবন থেকে সরে দাঁড়াবার আগে একবার তো দাঁড়াবো
সময়ের মুখোমুখি বারুদের স্থুপে।

বেটা সো যা নহিত গব্বর আ যায়েগা
সোলের সেই ডায়লগটা জনপ্রিয় কারণ।
সে যে ভিলেনের চোখে দেখা সময়ের মুখ
অথচ সময় সবার থাকে
কিছু ভুল ,কিছু ভ্রান্তি থাকে ,কিছু মোহ আর কিছু স্বপ্ন।
কিছুই মিথ্যে নয়
কিন্তু চরম বাস্তব আয়নার মুখোমুখি নিজের মুখ।
যেখানে প্রেম বলে ভালো আছি
যেখানে সম্পর্ক  বলে বেশ আছি।
যেখানে জীবন বলে বেঁচে আছি
আর আমি বলি
সব ভন্ড পৃথিবী চলছে এক নিয়মে প্রয়োজন।
আর প্রয়োজন বাঁচা যেমনি হোক না কেন
যেভাবে হোক না কেন।

আমি সময়ের কথা বলছি
আমি জীবনের কথা বলছি।
আমার কলমে প্রতি রক্ত ফোঁটাতে শুধু মৃত্যু লেখা
প্রতিটা অবিচারের ,প্রতিটা নিয়মের ,প্রতিটা স্তব্ধতার।
আর নিখাদ নগ্নতার
সময় সে নগ্নতার কোনো লুকোনো স্যিগনেচার।

বেজন্মার পরিচয়

বেজন্মার পরিচয়
.......................... ঋষি
=============================================
সভ্যতা নির্যাস ভদ্র সময়ের দরজায় অনিয়মিত সঙ্গম
শীত্কার  একটা শুনতে পাই আমি।
সেই ফেরিঘাটে একলা নগ্ন ছেলেটার  ভিতর ঠান্ডার ঠকঠকানিতে
দেখা একটা শব্দ বেজন্মা ।
প্রয়োজনীয় সমাজ ব্যবস্থার বাইরে অনিয়মে ফোটা ফুল
অনিয়ম থেকে যায় ভদ্র সভ্যতার মুখ ফেরানোতে।

আমি সভ্যতা দেখি না
সেই ছেলেটার যে অতিসহজে মুখে চেটে খেতে পারে নোংরা খিস্তি।
সেই ছেলেটা যে দরমার দরজায় চোখ রাখে মহল্লার রমা বৌদির
সেই মেয়েটাতে যে রাস্তায় হেলান দিয়ে দাঁড়ায় প্রয়োজন বলে।
আমি ভদ্র তাই
সভ্যতা আমাকে চোখ বুজে থাকতে শিখিয়েছে।
শিখিয়েছে ওসব বাজে জিনিস তোমার জন্য নয়
শিখিয়েছে নিদিষ্ট যৌন ক্রিয়ায় কনডম ইউসড করতে হয়।
ঠিক তাই আমি সুটেডবুটেড ভদ্রলোক যে নোংরা জলে পা রাখলে
এন্টিব্যাকটেরিয়াল সোপ ইউস করি।
যাতে নোংরা না লাগে পায়ে
আর এন্টিব্যাকটেরিয়াল সোপের ফেনায় খিস্তি শুনতে পাই ,
সেই ছেলেটার সেই বেজন্মার  ,
অথচ যে বাঁচতে চায়।

চিত্কার একটা শুনি আমি নিজের মতন আপনাদেরও
আপনাদের দলে আমার  নিদিষ্ট পাসপোর্টে ছবিসহ পরিচয় বর্তমান।
কিন্তু রোজকার সেই ছেলেটার খিস্তি আমার ভালো লাগে না
সে বেটা স্বপ্নে এসে বলে যায় আমিও তোদের মতন।
পরিচয় একটা আছে  ,যা তোদের অনিয়মে তৈরী
বেজন্মা ,যাকে পাওয়া যায় নর্দমার পাশে কিংবা কোনো ডাস্টবিনে। 

ফিফথ গিয়ার

ফিফথ গিয়ার
................ ঋষি
-==============================================
পকেটে গোটা আষ্টেক  সিগারেট
ভালো আছি।
আর আছে দুশো চুয়াত্তর টাকা পঞ্চাশ পয়সা আর কিছু আধুলি
ভালো আছি।
যেমন ভালো থাকা যায় আকাশের কাছে
হাত পেতে ,,,জীবন আকাশ ধরতে চায়।

আবার একটা জীবন চায়
বাইকের ফিফথ গিয়ারে পিছনে থাকা পৃথিবী থেকে
আরো জোড়ে সমস্ত আক্রোশে
স্পিড মিটারের ঘড়ির কাঁটায় স্পন্দন।
ইঁদুর ,বিড়াল দৌড়
বিড়ালের নখের থাবায় আটকে থাকে রক্ত।
একটা ভয়
জীবন থেকে ছুটে পালায় পুচকে ইঁদুর।
অলিগলি ঘুরে খোলা আকাশে উড়তে চাই।
জীবন যেন বাইকে কাটা সময়
ঘড়ির কাঁটায় ,ক্যালেন্ডারের পাতায়।

সিগারেটের আগুনে ছাই ,,বুকের ভিতর
জমা  আশট্রেতে অসংখ্য  পরিবাহী স্পন্দন।
আর পকেটে জমা কাগজের টুকরো ছিঁড়ে ফেলি মনুমেন্টের মাথায়
ভাসতে থাকে নামতে থাকে নিচে।
আমি উপরে আরো অনেক উপরে
আকাশের গায়ে বাইকের ফিফট গিয়ারে।

Wednesday, November 11, 2015

শব্দহীন

শব্দহীন
................ ঋষি
========================================
যন্ত্রণা কোনো শব্দ নয়
জামার দাগে মানে আর কি ফসিলের লাম্পট্ট।
একটা উপুড়  করা স্বপ্ন
তার আবছা অবয়বে ফুটে ওটা প্রশ্ন চিন্হ।
যন্ত্রণা নয়
সে যে বিবেকের কাছে প্রশ্ন।
.
দৃশ্যের বাইরে দৃশ্যগুলো আটকে
আজকাল একটা হিরিক লেগেছে যন্ত্রণা ছুঁয়ে বাঁচবার।
প্রমান চাই অসংখ্য জীবনের দূরবীনে দেখা
প্রেমিকের ঠোঁট ছুঁয়ে বিতারিত শোক।
স্বপ্নের নায়কের বদলে যাওয়ার ব্যাথা,
আরো অসংখ্য স্পন্দনে বানানো গল্পকার জীবন।
কিন্তু দৃশ্যের বাইরে ছুঁয়ে আছে
স্তনের মুখে লুকিয়ে থাকা খিদের মুখ
নগ্ন বেশ্যার শরীরে লোকানো সমাজের সংসার।
অশিক্ষার ছোবলে আটকানো জাপানি তেল  
নারী নির্যাতনে বিবস্ত্র শরীর।
প্রতিবাদের নামে  বুজরুকি লাভ লোকসান
বেঁচে থাকার নামে  মেরুদন্ডের সাথে সন্ধি।
.
যন্ত্রণা কোনো শব্দ নয়
বিবেকের আয়নায় দেখা জোকারের মুখ।
তৃতীয় বিশ্বের কোনো শিশু যদি খিদেয়  কাঁদে
প্রথমসারির কাছে তা বিখ্যাত ফটো ফ্রেম।
হাজারো ডলারে বিক্রি হয়ে যাওয়া জীবিত ছবিটা
আসলে যে শিল্পীর বিবেকে  যন্ত্রণা।

নিলাজ নগ্নতায়

নিলাজ নগ্নতায়
....................... ঋষি
===========================================
একটা মিমাংসা দরকার ছিল
আমার ভাড়াটিয়ার সাথে দৈনন্দিন ঝগড়ার।
আমি দোতলায় থাকি
অথচ নিচের তলার অন্ডকোষে জমতে থাকা বিষগুলো।
কখন যেন ভিজতে চায়
আসলে অন্ডকোষ বৃষ্টিতে  ভিজতে ভালোবাসে।
.
একটা বোঝাপড়া দরকার ছিল
পৌরুষ দন্ডে দাঁড়ানো তাঁবুর আড়ালে লুকোনো জিঘাংসা।
হামেসাই ঘটে
দিল্লির আনসল্ভড যোনিতে ঢুকিয়ে দেওয়া লোহার দন্ড।
একটু ভোগ করা উচিত ছিল নিজেদের সাথে  
নিজের ভিতর ,প্রত্যেকের মানবিকতায় শুধু শারীরিক ক্রিয়া।
নগ্নতা সকলে জানে ,অথচ ঢেকে রাখে
একটা ক্যালি বটে।
তবে কিসের নগ্নতায় আদিম জঙ্গলে আদম ইভের সুখ
নাকি নিদিষ্ট ওয়েবসাইটে দেখা জরায়ুর মুখ।
কি আছে সেখানে ,জন্মজন্মান্তরের পাপ নিয়ে
পৌরুষ ভিজিয়ে চলে প্যান্টের সামনে।
অথচ জরায়ু ভেজে না ,স্পর্শ করে না
কিসের সুখ ,কিসের প্রাপ্তি।
.
একটা মিমাংসা দরকার ছিল
রোজকার যোনি দরজায় দাঁড়িয়ে নিজেকে পাওয়ার ছিল।
ভাড়াটিয়ার রোজকার ঝগড়া
আজকাল অসহ্য লাগে নিজেকে অন্ডকোষ ভাবতে।
তাই ভাবছি একবার দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকবো ,
বলবো প্লিস আর ভিজবো না বৃষ্টিতে।   

অবান্তর

একটা নির্জন বিকেলের সাথে আছি   এইমাত্র ঝুপ করে কফির কাপে সন্ধ্যে নামলো শহরে  শহরের রাস্তায় ডেসিবেলের হিসেবে এই সব অবান্তর  অবান্তর শহরের ভিড়...