Saturday, August 29, 2020

After shock

 


After shock

... ঋষি 

.


সময়ের কলকাতা অন্তঃসত্ত্বা হলে আমি শহরের পথে দেখতে পাই 

সেই মেয়েটাকে কবিতার মতো,

আমি মুগ্ধ ছিলাম চিরকাল কোনো মায়াবী মায়ায় 

আখরোট ঠোঁটে সমুদ্র 

আজকাল সমুদ্র হতে চায় আমার শহর হঠাৎ বৃষ্টিতে। 

.


তোমার আর আমার সঙ্গমে আমার শহর লিখে যাচ্ছে 

একটা উপদ্রপ সময়ের 

সত্যি করে মিথ্যে বলাটা যে শহরে বেঁচে থাকা 

সেখানে আমি ,তুমি পিরিয়ডিকাল টেবিলে শুয়ে থাকা 

নিথর শরীর। 

.


তোমার চোখ দেখলে আজকাল নিজেকে ছোট লাগে 

আর তোমাকে লাগে অনেকটা ইতিহাসের মতো ,

সমস্ত গল্পের শুরুতে শুধু শরীর যেখানে আমার শহর কলকাতায় 

সেখানে তুমি যেন রূপকথা 

আমার শহরে হঠাৎ দেখা সেই মেয়েটাকে পুরোনো বিকেলে। 

.

সময় বুঝতে শিখলে মানুষ বুঝে ফেলে ইতিহাস 

মানুষের ইনবক্সে বাড়তে থাকা সখ্যতা কখনো হৃদয় গড়তে পারে না ,

সময় কেটে যায় ঠিক 

যেমন তোমার কাটে আমার শহরে একলা রেস্তোরায় 

আমি সমাজের কবিতায় বমি করি তখন। 

.


Let them go to free

মুক্তি  খুঁজছি তোমার জরায়ুতে বাড়তে থাকা আমি 

প্রতি রাতে,তোমার খাওয়ার থলিতে যখন বাতাস ভরে থাকে 

আমি তখন ক্যাথিড্রালে শুয়ে মৃত্যু লিখি 

হয়তো পাখিগুলো তখন  আকাশ খোঁজে সময়ে। 

.


উদার অর্থনীতির যুগে 

যতটা দাম কন্ডোমের ,ততটাও থাকে না ধর্মের যোগ্যতায় 

যোগ্যতা খুঁজছে কাব্যগ্রন্থ ;His master voice 

তবে শব্দের পৃথিবীতে 

আমি যেন ব্রাত্য বীর্যের মতো গালাগাল মায়ের পেটের ভ্রূণে। 

.


মৃত্যুর সপক্ষে কোনো যুক্তি তোমার কাছে নেই 

যুদ্ধের স্বপক্ষে বিবৃতি দেবে তোমার জরায়ুতে ঘুমিয়ে আছি আমি ,

সত্যি বলেও এই শহরের কোনো গঙ্গার ধারে মৃত চামড়ার গন্ধ 

কিন্তু আমি জানি ভালো ,

আমাদের গল্পটা মোটেও মৃত নয় 

.


টেলিভিশন অন করো

বুঝতে পারবে আমার এই কবিতায় শুধু কলকাতা নয় 

ধরা এক সহস্র খিস্তি শুধু সময়ের বিকৃত অভিশাপে ,

তুমিই একমাত্র যে 

আমার কবিতায় ভুমিকা ছাড়াই ঢুকে পড়ো আলোর মতো। 


Friday, August 28, 2020

চারটে চৌত্রিশের ট্রেনটা



 চারটে চৌত্রিশের  ট্রেনটা

... ঋষি 


চারটে চৌত্রিশের  ট্রেনটা ছেড়ে দিলো 

আমি পিছনে ফিরে দেখলাম তোমার মুঠোফোনে সেই নাম্বারটা ,

অদ্ভুত যোগাযোগ 

খুব চেনা কন্ঠস্বর ভেসে এলো তোমার ঠিকানায়।

কথা শুরু হলো...

আমি মরে গেলাম আবার ফিরে এলাম সামনে তাকিয়ে। 

.

জানি না এমন কেন হয়  ?

স্মৃতি ,ভেজা খাম ,অপরিহার্য খুনি  স্মৃতিতে সেই লোকটা 

এপিসোডে এপিসোডে

ওটুকু সময়ে,কেমন ছিল সেই  স্বর

কতটা আন্তরিক,কতবার হেসেছিলে  তুমি ?

কতবার আনমনা হয়েছিল?

জানতে কি চেয়েছিলো তোমার তাজমহলে কতটা প্রেম 

আমি জানি সবটাতেই আমার মৃত্যু ছিল। 

.

কেন যে তাকাই আমি পিছন ফিরে 

জানি তো আর বাজবে না সেই একই আঙুল ছুঁয়ে ডায়াল দশ ডিজিট

তোমার রিঙটোন। 

তবু কেন চারটে চৌত্রিশের  ট্রেনটা ছেড়ে দেয় প্রতিদিন 

প্রতিদিন কেন যে আমার মরে যেতে ইচ্ছে হয় পিছনে তাকালে ,

আচমকা থেমে যায়  ঝরনার শব্দ 

আমার তোমার মাঝে ঝরে যাওয়া অনন্ত কোলাহল,

থেমে যায় পাখিদের কলরব 

দেওয়ালের ভেঙে যাওয়া বুক,গোপনে কাঁদতে থাকা শোকাহত ধুকপুক।

কেন ?

কেন ?

আমি সব জানি 

শোনো ওদেরকে বলে দিও এই শেষবার 

আমি  চাই না আমার ইস্পাতের জীবনে আর কোন চারটে চৌত্রিশ

আর কোন চেনা রিংটোন আমার ঠিকানায়

এইবার আমি সামনে তাকাতে চাই । 




Thursday, August 27, 2020

এতগুলো বছর



এতগুলো বছর 
... ঋষি
জংলা জমি, অনেক দিনের শেওলা জমা , 
মাথার উপর বাঁশবাগান পেড়িয়ে এসে দাঁড়ালাম দীঘিটার সামনে, 
জলের অনেক নীচে মাছ 
হঠাৎ জল ছুঁতে ইচ্ছে হলো,জলের গভীরে হাত
মাথার ভিতর মৃত এতগুলো বছর। 
.
বাড়িটার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম
ইচ্ছে মতো মেখে নিলাম সারা শরীরে  ধুলো 
ডাকলাম মা বলে 
বেড়িয়ে এলো একজন রোগা, আধ পোড়া শরীর, খুবলোনা চোখ,
চমকে পালালাম 
আসলে পালানোই মানুষের স্বভাব। 
.
দৌড়ে আবার বাঁশ বাগানে
ডালে আটকে একটা লাল ওড়না 
স্মৃতি।  
 দীঘির ঘাটে
চেনা জলে সিঁড়ির উপর বসে তোর মতো কেউ চলন্তিকা,
পা দোলাচ্ছে 
ইচ্ছে জল , ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে হলো,
তুই তাকালি ফিরে সেই আগের মতো, ছুটে এলি
বললি কোথায় ছিলিস রে এতদিন, 
আমি অবাক হয়ে দেখছিলাম সবকিছু আগের মতো
শুধু আজকাল ঘুমের মধ্যে আঁতকে ওঠা ছাড়া। 


কবিতা আর তুমি




কবিতা আর তুমি
... ঋষি
তুমি কবিতা পড়ছো
আমি বারান্দায় এসে দাঁড়ালাম, আকাশের দিকে সিগারেট পুড়িয়ে
পুড়িয়ে দিলাম তোমার  বুক। 
তুমি কবিতা পড়ছো 
আমি জানলা খুলে মেলে দিলাম বুক,আকাশের ডানায় সুখ
এমন মেঘলা দিনে। 
.
তুমি কবিতা পড়ছো
আমি একলা শহরে দাঁড়ালাম 
তোমার ঠোঁটে সুনীল, শক্তি,জীবনানন্দ। 
তুমি গভীরে পড়ছো, আমি বৃষ্টিতে গিয়ে দাঁড়ালাম
তুমি কবিতা পড়ছো হৃদয়ে
আমি অপেক্ষায় দাঁড়ালাম,একলা দাঁড়ালাম 
বৃষ্টির শহরে একলা দাঁড়িয়ে আমি ভালোবাসায় দাঁড়ালাম। 
.
তুমি কবিতা পড়ছো
আমি একলা রাতে নক্ষত্র হয়ে দাঁড়ালাম, 
তুমি কবিতা পড়ছো আমি আকাশের মেঘে দাঁড়ালাম
আমি দাঁড়ালাম এই শহরের মধ্যরাতে ভিখিরীর সুখের চাদরে। 
তুমি কবিতা পড়ছো আমার সময়ে রক্ত
তুমি কবিতা পড়ছো আমার শহরে প্রেম 
তুমি কবিতা পড়ছো, আমি জাগছি সারা রাত 
তুমি কবিতা পড়ছো, আমি  ব্যাস্ত দিন রাত। 
তোমার কন্ঠে আমি ভালোবাসা হয়ে ফুটছি 
তুমি ভালোবাসি বলে যাচ্ছো,আমি কবিতা হয়ে উঠছি। 
তোমার উচ্চারণে আমি বাঁচছি
তোমার অভিমানে আমি মরছি 
তুমি কবিতা পড়ছো
আমিও কবিতা হয়ে উঠছি।

আদরের ডানা



আদরের ডানা 
... ঋষি
.
আমরা কে কি ভেঙেছি সত্যি খবর রাখি নি কোনদিন 
সত্যি কি সব ভাঙা যায়? 
বুকের পাথরবাটি, খেলনা বাটি, পুতুলদের অধিকার। 
দেখছি মুহুর্তগুলো ক্রমশ অভিমানী
গুঁড়ো গুঁড়ো কাঁচ  
উদাস বসে আছে বাউল,এক আকাশ মেঘ, তারপর বৃষ্টি,
ভাঙছি দুঃখ রোজ এক আকাশ শহরে
ভাঙছি এক হাঁটু জল একার আদরে
তবু ভাঙতে পারছি কই অভিমান ওই রাতজাগা চোখে। 
.
সত্যি কি সব ভাঙা যায়? 
ছল ছল চোখগুলো একলা দাঁড়িয়ে রোজ বৃষ্টিতে ভিজে যায়, 
ভিজে যায় তোর লম্বা ছায়া রোজ আমার বুকে বৃষ্টি ভিজে
এইভাবে কি একলা থাকা যায় এত বড় শহরে ? 
জলের বুকে দুঃখ দেখেছি, 
সে যে ছোট লাগে তোর ছায়ার কাছে
কাঁচের ওপাড়ে তুই শহর ভেজে একলা বৃষ্টিতে। 
.
দুঃখ পাথর নয়
হয়তো তার চেয়েও কঠিন কিছু। 
আকাশের জ্যোৎস্নার ছায়া এসে পড়ে এই বুকে 
জানি টুকরো তখন তোমার হৃদয়ের ভাঁজ , 
ছায়া এক কাঁচ 
আগুনের বুকে জিভ রেখে দেখি
কবিতাগুলো শব্দের ছাড়িয়ে  বলতে চাইছে বেশি। 
ভালোবাসি তাই
আমিও হারাই, তোর বুকে পাখি
তোর বুকে ঘর
সময়ের আদর,আদরের ডানা।  

হাজারো জন্ম




হাজারো জন্ম
... ঋষি
গত কয়েকজন্ম আমি কবিতা লিখছি 
দেখতে পাচ্ছি ট্রেন লাইনে পরে আছে একটা পাউরুটি
এক জন্মে এক পাগল তাকিয়ে আছে পাউরুটির দিকে
হঠাৎ একটা লাফ,
উল্টোদিক থেকে একটা ট্রেন ছুটে আসছে চিৎকার করে
অন্যজন্মে আমি দাঁড়িয়ে একমুখ দাঁড়িতে 
প্ল্যাটফর্ম এ দাঁড়িয়ে পাউরুটি খাচ্ছি। 
.
গত কয়েক জন্ম আমি কবিতা লিখছি
ফটোসিন্থেসিস বলে একটা টার্ম আমার মাথায় খিদের জন্ম দেয়, 
আমি ঘুমিয়ে উঠি 
চলন্তিকার মুখ দেখি 
তারপর ঘুম না আসা চোখে আমার হাজারো জন্ম 
শুধু কবিতায় গাছ হয়ে যায় । 
.
আমার আগে আরও ছিলেন তারা
যারা কবিতার জন্মে ফাঁকা প্ল্যাটফর্মে একলা দাঁড়িয়েছেন 
অন্য পৃথিবীতে,  
শুধু কবিতার গয়নাগাটি খুলে যারা  লিখতে চেয়েছেন সময়
নিয়ম নয় অনিয়মে। 
চুড়ান্ত অরাজকতায় দাঁড়িয়ে যারা ট্রেন লাইনে ঝাঁপ দিয়েছেন
উল্টোদিক থেকে ছুটে এসেছে ট্রেন, 
তারপরও তারা হেসেছেন
তারা বেঁচেছেন আরো কয়েকজন্ম। 
কিন্তু কেন? 
কবিতায় তো পেট ভরে না কখনো, খিদে মেটে না
সময় খাবলে যতটুকু রুটি 
তার বেশি তো পাওয়া যায় না কখনো। 
তবুও খিদে মেটে না কবিতার
কবিতা রাক্ষসী হয়ে সময়ে রক্তে বসিয়ে দেয় নখ , দাঁত
তারপর কবিদের রক্তমেখে হাসতে থাকে হাজারো জন্ম
শুধু সময়ে। 

Sunday, August 23, 2020

স্পর্শ ,শিহরণ আর ভারতবর্ষ


 স্প


র্শ ,শিহরণ আর ভারতবর্ষ 

... ঋষি 

.

দাঁতে মুখে লেগে যাচ্ছে 

তোমার হা করা মুখে ঢুকে বসে আছে অশান্ত ব্যস্ত সীমান্ত 

অশান্ত কাশ্মীর ।

শ্রমিক শব্দদের নিয়ে আমি ব্যস্ত রচনায় সময় 

লিখেছি ,  তোমার বাড়তে থাকা মাইনাস পাওয়ারে  মাইনাস সময়ের ঘর ।

কতটা পরিশ্রমী তুমি চিরকাল 

বারংবার প্রমান করতে চাও ঈশ্বরের পাথর ভাঙার জীবন 

মনে হয় মাঝে মাঝে তুমি কি তবে ঈশ্বর !

.

তোমার অশান্ত সময়ে  শহরে লকডাউন ,লকডাউন কারখানায়  

হাঙ্গরের মুখে ঢুকে যাচ্ছে মানুষের শেষ নিশ্বাস 

অথচ  কারখানাগুলোকে বগলে নিয়ে  মঞ্চে লেগে আছে সুহান আল্লাহ 

আপনি  মনকি বাত। 

জানা হয় না সময়ের লোমে কতগুলো মানুষ আছে 

শুধু কি  পেইনকিলারে ছাগলের আবদার সামলানো যায় বলো ?

.

জিভ স্পর্শ করে যাচ্ছে বুক,শিহরন নয়, কেঁপে  কেঁপে ওঠা অজস্র মুহূর্ত 

জানোতো কলমের শহরে তুমি আমার কবিতার নারী 

তোমার শীৎকারে 

দপ করে লাল হয়ে জ্বলে ওঠে আমার ভারতবর্ষের উনুনের আঁচ।

তোমার উদ্দাম বুকে স্বপ্ন  দেখে আমার ভারতবর্ষ 

আমার অজস্র চুরি করা মুহূর্তে  যে শৈশব একা একা স্কুল থেকে বাড়ি ফেরে 

তাকে আমার শব্দরা লিখে দেয় আগামীর ভারতবর্ষ। 

শুধু আমার অতীতেরা  বায়না করে হারানো ভারতবর্ষের 

শুধু আমার যৌবন আবারো পেতে চায় তোমার বুক 

আমার ভারতবর্ষ। 

আমি বুঝতে চাই  না তুমি সাথে থাকলে 

কোনটা ভবিষ্যৎ 

কোনটা অতীত 

কোনটা বোধ 

কোনটা বিপ্লব

কোনটা ধর্ম

কোনটা গুজব

আমি শুধু পাই আমার ভারতবর্ষ দাঁত ঘষে তোমার স্তনে । 


বকুল

 



বকুল 

.... ঋষি 


ও চোখে রৌদ্র ধরা পরে যায় 

ধরা পরে এক আঁচলা জল বিকেলের অছিলায় ,

কি খুঁজছো তুমি ?

বকুল ফুল। 

সময়ের আকুলতায় যখনি ছুঁয়েছি চোখ আকাশের বুকে 

আমার হাতের তালুতে বকুল ফুল। 

.

গন্ধ নিয়ে বাড়াবাড়ি 

তাই তো আগলে রাখি শরীরের শিহরণে মুহূর্তদের ঘরদোয়ার ,

সেখানে সংসার পাতা 

আকাশের সংসার। 

কোনো এক বাঁশিওয়ালা নিয়ম করে শব্দ ছুঁয়ে যায় 

বুকের ভিতর প্রেম 

চুষতে থাকে নোনতা যদি কোনো অবেলায়। 

.

কাঠ ,মাটি আর সৌন্দর্য 

আকাশের পৃথিবীতে ও চোখে রাখা আমার বেঁচে থাকা ,

শব্দ নিঃশব্দ সব 

বুকের দেওয়ালে পেরেক ঠুঁকে সময়ের ফটোফ্রেম 

জানি তুমি একলা আছো আমার শহরে

শহরের রন্ধ্রে তাই আজকাল বকুলের গন্ধ। 

তুমি শৈশব ছুঁয়ে প্রেমের বুকেতে অভিমান রাখো 

আমি এক সমুদ্র খুলে নোনতা চুমুতে রাখি ঠোঁট ,

তুমি চোখের কাজলে আমাকে রাখো নজর কাঠি 

আমার নজরে তুমি বানভাসি ,

নিরবধি অভিমানী আমার কলম 

আজও তোমার বকুলের কথা বলে। 8

এক নারী ও দুই দৃশ্য



 এক নারী ও দুই দৃশ্য 

.... ঋষি 


সময় রাত্রি


সময় : হ্যালো ! শুনতে পারছিস। ধুস ভালো লাগছে না কিছু তোকে ছাড়া। 

নারী : ভালো লাগছে না কেন ? এই তো দেখা হলো সেদিন। 

সময় : অন্ধকার হাঁতড়ে একটা জংলী ঘোড়া দৌড়োচ্ছে সবুজ হৃদয়ে ,সেই সবুজটা তুই আর আমি ক্রমশ অন্ধকার আঁকড়ে শহরের রাত্রে ঢেলে দিচ্ছি 

ঝড় ,উড়ে যাওয়া খড়কুটো আর সময়ের ঘর। 

নারী : তুই পাগল করিস না এইভাবে আমায় ,দেখিস একদিন তোর জন্য রাস্তায় দাঁড়াতে হবে আমাকে সেদিন বুঝবি আমি কত ভারী। 

সময় :ওই সব বুঝতে ইচ্ছে করে না আমার ,ভাবতে ইচ্ছে করে তোকে,এক ঈশ্বরের মতো ,আলোর মতো ,আমার হৃদয়ের ধুকপুকের মতো। 

নারী : এমন করিস না মোটেই ,ছুটে চলে যাবো তোর বুকে ,আমারও যে বুক পোড়ে ,কেন পাগল করিস এই ভাবে। আমি জানি তুই জংলী ঘোড়া আর আমি সবুজ অরণ্য ,কিন্তু একটা কথা বল কবে শেষ হবে আমাদের এই দৌড়  ? কবে  তোর বুকে মাথা রেখে শান্তিতে ঘুমোতে পারবো  ? 

সময় :ভাবিস না সময়কে সময় দে ,দেখিস এই অন্ধকার শহর একদিন রূপকথার  সময় হবে। 

নারী : আমারও আর এই সব ভাবতে ভালো লাগে না সোনাই,আমিও অপেক্ষা করি তোর মতো। 

সময় : জানিস অপেক্ষা শব্দটায় একটা অদ্ভুত পাগলামি আছে ঘড়ির পেন্ডুলামের মতো ,কিছু স্থির থাকে না ,ক্রমশ সরতে থাকে ,আর ওটাই তো মানুষের যন্ত্রনা। 

নারী : তুই আবার দার্শনিক হয়ে যাস না ,আমি যাকে ভালোবাসি সে দার্শনিক নয় একজন মানুষ যার একটা বুক আছে ,যেটা আমার আশ্রয়। 

সময় : এটা কি হচ্ছে ,এইবার যে আমি পাগল হবো। 

নারী : ঘুমো বাবু ,আজ অনেক রাত্রি হলো ,পাগলামি করতে হবে না আর কাল কথা হবে। 


সময় দুপুর 


নারী : হ্যালো ! হ্যা বল রে , কেমন আছিস তুই ? 

অন্য সময় : ভালো রে ,কাল রাতে রাত জেগে এক নিঃশ্বাসে  শেষ করলাম বুঝলি কবিতার বইটা।  দারুন দারুন ,তোকে দেবো পড়তে। কি করছিস তুই আজকাল  ?

নারী : আর কি সংসার ,স্বামী ,পুত্রের দেখভাল।  সবই তো এখন একলা হাতে করা ,কাজের লোকটা আসছে না এই লকডাউনে সুতরাং রান্না  ,ঘরের কাজ ,ছেলেকে পড়ানো।  ছেলেকে অনলাইন  ক্লাস করাতে  একবেলা কেটে যায়,তারপর আর সময় পাই না কিছু করার। 

অন্য সময় : তবে তুই যে এত ভালো আবৃত্তি করতিস,এত ভালো কবিতা ,গল্প লিখতিস।কেন নষ্ট করছিস এইভাবে নিজেকে । শোন আমার একটা পত্রিকা আছে ,আমাকে একটা লেখা দে।   

নারী : কই বলিস নি তো তুই একটা পত্রিকা চালাস  ? আমি আর লিখতে টিখতে পারি নি ,ভালো লাগে না আর। এই তো বেশ আছি ,সংসার করছি ,খাচ্ছি ,পড়ছি ,ছেলে মানুষ করছিস। 

অন্য সময় : ভুলভাল যত ,তোরা বাঙালি মেয়েরা না নিজেকে কেন যে নষ্ট করিস এইভাবে বিয়ের পর ,আমি শুনছি না এই সব ,আমার লেখা চায়। 

নারী : কেন তোর বাড়িতে বউ নেই ,সে যদি সংসার ছেড়ে এমন করে তবে 

তোর ভালো লাগবে ,আর আমি তো ওসব ছেড়ে দিয়েছি বহুদিন ,ছেলেটাকে ঠিক করে মানুষ করতে পারলে হয়। 

অন্য সময় : বাড়িতে বউ আছে ,তবে ও নিজের মতো সংসার নিয়ে ব্যস্ত ,এই সবে ওর ঝোঁক নেই। 

নারী : এই আজকে রাখছি রে ,ছেলেটা খেতে বসেছে রে ,ওর আবার আমায় ছাড়া চলে না ,পরে আবার ফোন করিস। 

Friday, August 21, 2020

চৌকাঠ

সোজাসুজি
... ঋষি
তোমাকে ভালোবাসি, লিখতে পারি না
সো
জা
সু 
জি
তোমাকে বলে দেওয়া ভালো, 
ভালোবাসা মুলত জাপটে ধরি এমনটা নয়, 
ভালোবাসা কখনই গনিকার ঘরে পচা মাংস নয়, রুটি নয় 
ভালোবাসা মুলত রাতজাগা তোমায় ছাড়া। 
.
ভালোবাসা একটা বাগান 
অনেকগুলো ফুল রোজ ফোটে, ঝরে যায় আরো অনেক,  
ঝুঁকতে থাকি রোজ তোমার পবিত্র যোনির ভিতরে
শুনতে পাই চিৎকার, নবজন্মের। 
শহরের বুকে চাষ হচ্ছে আত্মহত্যার নোনতা হারমোনিয়াম
তবুও তোমার বালিকাবেলায় শুয়ে আছে পুরুষ 
একলব্যের চাহুনিতে। 
.
তোমাকে ভালোবাসি, লিখতে পারি নি,
আত্মহত্যার অধিকার
শহরের মৃত্যুমিছিলে আজকাল ভয় রিয়াক্ট করে গভীর ডিপ্রেশনে। 
সো
জা
সু 
জি
তোমাকে বলে দেওয়া ভালো, 
আমার প্রেমিকা জন্ম দিয়েছে আমাকে যেখানে সময়ের জন্ম
ঠিক একই সময়  দরজা খুলে এক ন্যাংটা বালক আমাকে বলছে
আমিই সেই 
চিনতে পারছিস 
শুধু আশ্রয় বদলাচ্ছে রোজ এই শহরে। 


সোজাসুজি



সোজাসুজি
... ঋষি
তোমাকে ভালোবাসি, লিখতে পারি না
সো
জা
সু 
জি
তোমাকে বলে দেওয়া ভালো, 
ভালোবাসা মুলত জাপটে ধরি এমনটা নয়, 
ভালোবাসা কখনই গনিকার ঘরে পচা মাংস নয়, রুটি নয় 
ভালোবাসা মুলত রাতজাগা তোমায় ছাড়া। 
.
ভালোবাসা একটা বাগান 
অনেকগুলো ফুল রোজ ফোটে, ঝরে যায় আরো অনেক,  
ঝুঁকতে থাকি রোজ তোমার পবিত্র যোনির ভিতরে
শুনতে পাই চিৎকার, নবজন্মের। 
শহরের বুকে চাষ হচ্ছে আত্মহত্যার নোনতা হারমোনিয়াম
তবুও তোমার বালিকাবেলায় শুয়ে আছে পুরুষ 
একলব্যের চাহুনিতে। 
.
তোমাকে ভালোবাসি, লিখতে পারি নি,
আত্মহত্যার অধিকার
শহরের মৃত্যুমিছিলে আজকাল ভয় রিয়াক্ট করে গভীর ডিপ্রেশনে। 
সো
জা
সু 
জি
তোমাকে বলে দেওয়া ভালো, 
আমার প্রেমিকা জন্ম দিয়েছে আমাকে যেখানে সময়ের জন্ম
ঠিক একই সময়  দরজা খুলে এক ন্যাংটা বালক আমাকে বলছে
আমিই সেই 
চিনতে পারছিস 
শুধু আশ্রয় বদলাচ্ছে রোজ এই শহরে। 


Wednesday, August 19, 2020

একবার মুগ্ধ হবো বলে




 একবার মুগ্ধ হবো বলে 

... ঋষি 

.

একবার মুগ্ধ হবো বলে তোমার কাছে বসেছি 

বসেছি তোমার বুকের ভিতর এক মৃত ভারতবর্ষের শোকে। 

কবিতা লেখা হয় নি দুচারদিন 

তাই আমার চারপাশে হঠাৎ ভনভন করছে মাছি নর্দমার গন্ধে ,

রাশি রাশি শব্দ, গুচ্ছ গুচ্ছ অক্ষর

মন ছুঁয়ে যাওয়া শব্দ স্বপ্ন , 

মনছোঁয়া হৃদয় ছোঁয়া অনবদ্য, অসাধারণ, অসামান্য 

আমার কবিতা লেখা হয় নি। 

.

একবার মুগ্ধ হবো বলে তোমার চৌত্রিশ ছুঁয়েছি 

ছুঁয়েছি এই মুহূর্তে মৃত্যু নগরীর বুকে অনবদ্য তোমাকে।

ঘুম থেকে ওঠা আর ঘুমোতে যাওয়ার মাঝে নানা রঙের ওঠাপড়া

গাছেদের আরণ্যক ছায়ার ভিতরে আবদ্ধ নিশিযাপন ,

যন্ত্রনায় ফুটে ওঠে সাদা পাতায় শব্দরা 

আকুল রক্ত ফোঁটায়

চলন্তিকা তুমি ফটোফ্রেমে এক একটা কবিতা। 

.

একবার মুগ্ধ হবো বলে তোমার গভীরে ঠোঁট 

আলোড়ন ছুঁয়ে সমদ্রের ঢেউগুলো আমার ভারতবর্ষে উপকূল তট। 

শব্দরা পাগল করে নি আমায় বেশ কিছুদিন 

ক্রমশ ঘোরের মধ্য থেকে উঠে আসা গোঙানির শব্দ, 

ক্রমশ সময় দিয়ে হেঁটে আসা সেই  মেয়েটা 

বুকের ভিতর এক মাথা পাকা চুল ,শুষ্ক লাবণ্যে ছুঁয়ে যাওয়া প্রেম 

নোনতা তখন

অদ্ভুত উদাসীন। 

আজ রাতে একবার মুখোমুখি বসবো তোমার

শুনেছি চিংড়ি নাকি জলের পোকা,

তুমি বলো সত্যি নাকি বলা যায় না 

কই  আমি বলি 

জানি, মানসিক গোলমাল ঘটে গেলে আমি এখনো নোনতা হয়ে বাঁচি।  

ক্রমশ ক্যামোফ্লেজ 

কবিতার শব্দরা রেললাইনের পাথর ভেঙে ছুটছে 

ক্লান্ত হয়ে দূরত্বে লিখছে মৃত্যু  

অ্যাসাইলামের বিপদঘন্টি তোমাকে জড়িয়ে ধরছে 

যেমন ভারতবর্ষকে জড়িয়ে বিশ্বাস। 

 


Monday, August 17, 2020

নকল কবিতা



নকল কবিতা
... ঋষি
আমি আসলে অন্যের কবিতা লিখি 
কাল ঘুমের মধ্যে সিনেমা ফেরৎ সদয় হৃদয়গুলো চুমোচ্ছিল, 
অথচ আমি কেন যে  সত্যি লিখতে পারি না? 
সমাজ কখন যেন কুমারী মায়ের মতো আমার সাদা পাতায় জন্ম দেয় 
ভালোবাসার কবিতা
অনেকটা গোছানো সংসারের মতো। 
.
আমি অন্যের কবিতা লিখি 
 এবং ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে নিজেকে লুকিয়ে রাখি, 
লুকিয়ে রাখি বিছানার চাদরে অবাঞ্চিত বীর্যপাতের মতো
গালাগালি সব।
মাঝরাতে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আমার মতো কেউ সিগারেটের ধোঁয়া ছেড়ে  
আকাশের গায়ে থুথু ফেলে
ছিটকে যায় সময়ে,ছিটকে আসে আমার মুখে। 
.
আমি আসলে অন্যের কবিতা লিখি 
এই বিষয়ে গতরাত্রে আমি চিঠি লিখছিলাম আমার প্রেমিকাকে,
তাতে পরিষ্কার লেখা ছিল 
ক্যানেক্ট না হলে আমার ঈশ্বর দাঁড়ায় না
দাঁড়ায় না সময় ছাড়া আমার কবিতা। 
 তাই তো আমি ঘুমোতে পারিনি প্রায় তিনশো কোটি  বছর
আজ প্রায় বেশ কিছুদিন চলন্তিকাও জেগে থাকে আকাশের মতো
সবটাই আমিষ এমন না।
তোমাকে বলা হয় নি চলন্তিকা আমি শব্দদের ভালোবাসি 
 তাই বৃষ্টি হলে আমার রক্তে অসংখ্য পুকুর
কাদা মাটি 
 অনেকগুলো মাছ 
পিছলে সরে যায় 
যেমন শব্দরা এক্যোরিয়ামে সাজানো আমার কবিতায়। 




নিয়মমাফিক

 

নিয়মমাফিক 
...... ঋষি 
.
প্রতিদিন রাত্রি আসে 
কালো জিরের মতো ভাবনারা জীবনের কড়াইতে ছ্যাক করে ওঠে,
তোমার রান্নাঘরে ভাতের মাড় গড়িয়ে পড়ে
টুংটাং সময়ের শব্দ, 
সাদা ভাতের গন্ধ মানুষেকে নিয়ম করে সামাজিক করে
করে তোলে সভ্য নিয়মমাফিক। 
.
তবুও মশারীর ভিতর  রাত্রির সিলিং এ তারারা থাকে
তবুও পুরনো সিলিং ফেনে জীবন বাঁচে,
অনবদ্য নিয়মের মতো সময়ের জন্মলগ্ন থেকে 
কিছু ইতিহাস একা থেকে যায়, 
পুরনো জং ধরা সময়ের চিঠি গুলো একলা থেকে যায়
থেকে যায় সমাজ আর সময়ের মাঝে তফাৎ একটা
একলা রাত্রি। 
.
প্রতিদিন রাত্রি আসে
তুমি শুয়ে থাকো হিসেবের চাদরে শুধুই নিয়মের ঘোরে, 
আমিও চলন্তিকা 
আকাশের মাঝে শোয়ার আছিলায় সমাজ মানি, 
আসলে হিসেবগুলো আমাদের থেকে মজবুত কিছু 
নিয়মগুলো জন্মের থেকে শেখা কিছু।
ঘরের ভিতর ঘর 
তারপর নিজেদের কবরে শুয়ে আছে আগামীর জাতিস্মর।
তবুও জানো সবকিছু ব্রাত্য মনে হয়
কয়েকটা মুহুর্তের কাছে, 
তবুও জানো কিছু ছবির সময়ের এলব্যামে নিজের থেকে যায়
থেকে যায় একলা মুহুর্তের বেঁচে থাকা 
তোমার গভীরে।
তোমার সিঁদুরে সমাজ বাঁচুক চিরকাল নিয়মের শিকল হয়ে 
তবুও আমি বাঁচবো তোমার কাছে 
শুধু তোমার আমি হয়ে। 

Sunday, August 16, 2020

বিবাহ মুখোশ



 বিবাহ মুখোশ 

..... ঋষি 

.


নিলজ্জ হতে হবেই কথা নেই 

তবু গতরাতের বিছানার উপর স্বপ্নের লাথিটা  ভুলতে পারিনি

ঈশ্বরের  পায়ের মাপ কত ?

ক্ষমতাবান সভ্যতাও মানুষের কাছে মাথা নিচু করে 

আর আমি তো প্রজাপতি আঁকড়ে স্বপ্ন দেখছি 

ধ্বংস সভ্যতার। 

.

জীবন আঁকড়ে ধরে মন খালিপেটের খিদে 

বিরিয়ানি বিরিয়ানি স্বপ্ন ,

বিবাহিত সিঁদুরের ভেতর থেকে গাছ জন্মাচ্ছে 

শহরের প্রতিটা অলিতে গলিতে শুয়ে থাকা রাত্রিগুলো নিথর 

কেন যেন 

অঙ্কুরোদ্গম হওয়ার পর  

বিবাহমুখোশ একটা ওয়েব সিরিজে সিনেমায় খুব কমন ফেস।  

.

গল্প হলেও সত্যি 

বুকের ভিতর ধেয়ে আসা লাথিটা ঠিক মনের মতো মাপে 

চলন্তিকা মিশে গেছে। 

প্ররোচিত ঈশ্বর যখন মেনে  নিচ্ছেন লিলিথের সমুদ্র কেনার রতি

তখন 

বুকের পাঁজরে জন্মাচ্ছে কালিদাসের অন্য ইতিহাস। 

 দণ্ডিত সংবিধানে বন্ধের আদলে 

বেয়াদব সভ্যতায় সত্যিগুলো বড় ভয়ঙ্কর একলা ঘরের কোনে ।

আসলে সময় 

এইসময়  বাড়িয়ে  দিচ্ছে রাগ

তাই মন্ত্র ভাঙছে 

আর সময়ের যন্তরমন্তরে প্রতিটা স্বপ্ন 

তোমার মতো বিলাসী। 


সতীচ্ছেদ

 

সতীচ্ছেদ

... ঋষি 

.

পার্ক সার্কাস থেকে চৌরঙ্গী পায়ে হেঁটে যাবো 

না এমন হয় না ,

স্ট্যান্ডার আর মানুষের মাঝখানে এক বিশাল তফাৎ হলো 

মানুষ যে কোনোদিন বন মানুষ ছিল 

ছিল ন্যাংটো 

শালারা ভুলে গেছে। 

.

মশাই গুরুচন্ডালিকা দোষ 

কথায় কথায় দেশ হাঁতড়ানো ,বাসের ভিড়ে মাই হাঁতড়ানো 

মানুষের স্বভাব ,

আর মহিলারা আপনাদের আর কি বলবো 

বিবাহিত হয়েও পীড়িত আঁকড়ে থাকে আপনাদের ফোনের কোনের  ঘরে 

হাই ,হ্যালো শুনছো 

আজ শরীরটা না বড় ম্যাজম্যাজ করছে। 

.

মানুষ দেখাটা একটা আর্ট 

এই দেখুননা আমার পাশের বাড়ির স্বাতীদি  সেদিন চাঁদের রাতে 

খোলা ছাদে 

ইশ। 

আরে মশাই ইশ বলাটাও একটা আর্ট বুঝলেন 

এই যে এখন আপনি দিনের পর দিন ধরে রোজ মরছেন 

কখনো ধর্ম হয়ে 

কখনো হনহন করে ধর্ম হয়ে যাচ্ছে ষাঁড়, 

 অবাক ব্যাপার হলো ষাঁড়ের হিসুতেও আজকাল মাতব্বরি জমে  । 

মানুষের ব্যাভিচার বাকি, 

পুরোহিত বোঝে না ধর্মের কাছে মানুষ হওয়া বাকি। 

শুধু গায়ের গন্ধে সেন্ট ঘষে 

বিছানায় অবলা নারীকে মাগি ভেবে 

আরে আপনারাও নিজেদের প্লিজ কমপ্লিট  সতী ভাববেন না। 

বিশ্বাস করতে শিখুন মানুষ এখনো বনমানুষ আছে 

যৌনতাও আজ জানোয়ারের পর্যায় 

প্লিজ লজ্জা পাবেন না 

বিশ্বাস করুন সভ্যতা শুধু একটা সাজানো সতীচ্ছেদ পর্দা। 

চলন্তিকার মেরুদন্ড


 

চলন্তিকার মেরুদন্ড 

... ঋষি 

.

কি করে বলি ?

বেঁচে থাকা মানে বাঁচা নয় ,মানুষগুলো সব মানুষ নয় 

জীবনগুলো সব গল্প নয়। 

অসীম আগ্রহে মানুষ প্রতিদিন তিল তিল করে বাড়াচ্ছে সভ্যতা 

বাড়াচ্ছে যৌনতা 

কি করে বলি  ?

আমরা সভ্য না অসভ্য 

আমরা মানুষ না জানোয়ার। 

.

ফিরে আসা এমন চিত্র আগেও দেখা গেছে

প্রজাপতি না মেটামরফোসিস

বাংলা সিদ্ধান্তে লেখা ব্যাকরণ  শুঁয়োপোকা থেকে প্রজাপতি। 

ক্রমশ লয়প্রাপ্ত 

এক আকাশনীলে অভিজ্ঞতা  ঢাকা প্রজাপতির ডানায়  অদম্য রং 

জানতে ইচ্ছে হয় সভ্যতা ,

মানুষ বহু সংঘর্ষের পথ পাড় করে তবে  মানুষ

কি করে বলি ?

 শুঁয়োপোকা আর প্রজাপতি অমরত্ব মিশ্রিত দ্রৌপদী স্বয়ংবরে ।

.

কি করে বলি  ?

আগাছা মানে গাছ নয় , মানুষ মানে বিশ্বাস নয় 

আর সময় মানে অনুতাপ না। 

প্রিয়তমা তোমার স্তনাগ্রে ঠোঁট রেখে 

আমাদের বাবাদের পুরোনো  গিটারের তারে আজও আমি বাজছি ,

প্রিয়তমা তোমার বাগানের প্রজাপতিরা মধুতে ব্যস্ত,  

কিন্তু মধু না মোম ?

কি করে বলি ?

বিষ মানেই মৃত্যু নয় ,সময় মানেই সহজ নয় 

যথেষ্ট সঙ্গম ভেঙে নারী চিরকাল যোনিজ নয় । 

সময়  চিনতে ভাদ্রমাসে আমি কুকুরের সঙ্গম দেখেছি 

নারী চিনতে আমি আমার  গভীরে জন্ম শিখেছি ,

তাই বোধ হয় আমার জীবনে চলন্তিকা একটি শ্রেষ্ঠ কবিতা

আর সময় হলো আমার চলন্তিকার মেরুদন্ড। 

Saturday, August 15, 2020

আমি আকাশ দেখতে পারছি না



আমি আকাশ দেখতে পারছি না

... ঋষি 

.

পাখিরা ফিরে আসে প্রতি সন্ধ্যায় 

ওরা মোটেও স্বার্থপর নয় মানুষের মতো ,

পাখিরা  বুদ্ধিজীবী না হয়েও , কখনো ক্ষতস্থানে যায় না 

ভিড় করে  শহরের স্যানাটোরিগুলোতে ,

শুধু শান্তি খুঁটে খেতে 

খুব কম পাখি আছে যারা কাঁচা সম্পর্ক খায়। 

.

পাখিরা হাওয়ায় ভাসে 

আমি কাদামাটি মেখে বসে থাকি পাখি হবো বলে ,

আমি গল্প লিখি  ধান সেদ্ধ করার 

আমি দুধ খাই না ,দুঃখ দিয়ে ভাত মেখে খাই , 

আকাশের  দিকে তাকাই 

কোনো এক দিন আমিও অকারণের আকাশের পাখি হবো। 

এই কাদামাটি আমাকে হতাশ করে 

হতাশ করে শহরের কালো  পিচে হারিয়ে যাওয়া সেই সবুজ জঙ্গল,

আমার কষ্ট হয়  আমি কংক্রিটের ভিড়ে আকাশ দেখতে পারি না 

আমার কষ্ট হয় আমি মুখোশের ভিড়ে মানুষ দেখতে পাই না 

পাখির মতো মানুষ। 

.

পাখি গুলো কোথাও যেন হারিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে 


শহরের মুখোশের বাতাসে আমি দেখতে পাই না তাদের।


আমার দশ বাই দশ ছোট কুঠুরিটার ভিতর ফ্রীজের আইস চেম্বারে 


হিমালয়ের বরফ কাঁদতে থাকে  ,


কাঁদতে থাকে উত্তর আমারেকির  স্নো বান্টিং পাখিটা। 


কাঁদতে থাকে আমার ছোট বাথরুমের শাওয়ারে সবুজ টলটলে পুকুরে জল 


কাঁদতে থাকে মাছরাঙা এই শহরের অলিতে গলিতে ,


আমার আলনায় কাঁদতে থাকে আমার পাখির পালকগুলো


কাঁদতে থাকে একলা সবুজ আমার ভিতর। 


আমি ঠিক বুঝতে পারছি একটা উত্তেজক রাইফেল সময়ের হাতে 


মানুষগুলো  নকল সেজে আসলে বলছে ফায়ার 


পাখির শরীরটা


পাখিদের শরীরটা 


আমার শরীরটা   


নেমে আসছে মাটিতে ,


লিওনার্দো দা ভিঞ্চি ভিক্ষা করছেন পাখিদের ঘর 


অথচ পাখিগুলো আকাশ থেকে হারাচ্ছে ধীরে ধীরে 


আমি আকাশ দেখতে পারছি না।  

Friday, August 14, 2020

৭৩ তম জন্মদিন

 

৭৩ তম জন্মদিন

............ঋষি 

না না এটা ভারতবর্ষের ১৯৪৫ কিংবা ১৯৪৬ না 

এটা নয় সেই গ্রেট “ক্যালকাটা কিলিং”,। 

এটা ১৯৪৮ এর  নাথুরাম গডসের  পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ নয় 

নয় ১৯৯২ এর  বাবরি মসজিদ ধ্বংস । 

এটা  ১৯৯৯ সালের কাশ্মীরের কার্গিলের যুদ্ধ নয় 

 নয় ২০০৮ মুম্বই  টেরারিস্ট  হামলা ।   

.

এটা ১৯৪৭ নয় 

যেদিন সেই সুন্দরী  কুমারী মেয়েটার জন্মদিন ছিল ,

এটা  ২০২০ র  ,১৫ ই আগস্ট 

এটা  হলো একজন মৃত্যুমুখী  বৃদ্ধার ৭৩ তম জন্মদিন। 

.

এটা পুরোনো মানিকতলার  কারবালা ট্যাংক লেন নয় 

নয় প্রত্যন্ত প্রতিবেশী রাষ্ট্রের নোয়াখালী।  

এটা হলো একটা মানুষের স্বার্থপরতার গল্প 

এটা হলো গত ৭৪ বছর ধরে শোষিত একটা নারীর  উপাখ্যান।

সেই মেয়েটা  যার জন্ম কালে কোনো  ধর্ম ছিল না 

এটা হলো সেই মেয়েটার গল্প যে  কোনো একদিন 

 সুজলা ,সুফলা , রূপসী ছিল। 

তারপর শাসকের সৌজন্যে 

সময়ের সাথে 

তাকে করা হলো ধর্ষণ,এক বার না বারংবার। 

তার শরীরে দেখা দিল জন্মদাগ 

অতঃপর মেয়েটা  গর্ভবতী হলো 

তারপর সেই গর্ভবতী মেয়েটা বাধ্য হয়ে জন্ম দিল অনেকগুলো অসহায় রাষ্ট্র। 

তারপর সেই গর্ভবতী মেয়েটা নাম বদলালো কখনো গঙ্গা ,কখনো পদ্মা 

তারপর সেই মেয়েটাকে দীক্ষিত করা হলো সাজানো ধর্মে ,

তার শরীরে বোনা হলো  সীমান্তে কাঁটাতার

তার বুকের উপর বাড়তে থাকলো আঘাতের চিন্হ 

তার সারা শরীরে কালসিটে  

তার কোঁচকানো চামড়ার উপর আজ অজস্র গোলাবারুদের অজস্র ক্ষত। 

আজ এতগুলো বছর ধরে সেই ধর্ষিত মেয়েটা 

চিৎকার করেছে ,কেঁদেছে 

কিন্তু কিছু বদলায় নি,

তার চিৎকারে শোনা গেছে দরিদ্র ভারতবাসীর বাঁচার আর্তি ,

তার কান্নায় মিশে গেছে হাজারো মায়ের কান্না। 

 .

শুধু সেই  মেয়েটা সাক্ষী থেকে গেছে আজ ৭৩ বছর

তার বার্ধক্য আজ দাঁড়িয়ে অন্ধকার পৃথিবীর দরজা খুলে ,

তার সারাজীবন শুধু আজ অসংখ্য শোষণের দুঃখের কাহিনী। 

প্রশ্ন করি নি আমরা নিজেদের কখনো  ,কেন ?

শুধু উদযাপন করেছি ,

শুধু সেই মেয়েটার তেরঙ্গা  শাড়িটাকে স্যালুট মেরেছি 

তারপর মেতে উঠেছি আবার বালক ,থেকে বৃদ্ধ সকলে 

সেই মেয়েটাকে নগ্ন করতে।

একবারও ভাবি নি সেই মেয়েটা আজ বয়সের ভারে  ক্লান্ত 

তার শরীরে অক্ষমতায় কোথাও লোকানো 

আমাদের নিজেদের অক্ষমতার গল্প

আমাদের অসহায়তার গল্প । 

 



 


Thursday, August 13, 2020

তোর জন্য

 


তোর জন্য 

... ঋষি 

.

তোর কথা ভাবতে ভাবতে এক জন্ম কাটিয়ে দিতে পারি 

কাটিয়ে দিতে পারি আরেকটা জন্ম শুধু তোর দিকে তাকিয়ে   ,

তারপর যদি কোন জন্ম থাকে 

তবে তো  ছুঁয়ে হাঁটা

তবে না বলবো তোকে আমি মনের কথা

তবে না তোকে দেখানো যাবে জন্ম আর কবিতার দুঃখ।

তারপর না হয় অন্য জন্মে তোর সাথে খেলবো খেলনাবাটি 

তোর গভীর বুকে মাথা রেখে খুঁজে নেবো সময়ের ঘর 

তারপর না হয় বাঁচবো একটু,

হাসবো একটু 

তোর কপালে চুমু খেয়ে বলবো 

সময়ের ঘরে দেরী হলেও, অন্ধকার কোথাও নেই রে। 

.

এই জন্ম কেটে যাক ঠিক এমনি ভাবে 

এই জন্ম কেটে যাক শুধু তোর তপস্যায় 

এই জন্ম কেটে যাক শুধু তোর কল্পনায় ছুঁয়ে যাওয়া আনমনা হাওয়ায়,

তারপর কোনো এক অন্য দিনে ,অন্য সময় 

হয়তো অন্য কোন জন্মে 

আমার বাড়ির বারান্দায় আমার মতো কেউ তোর পাশে দাঁড়িয়ে 

অন্ধকার আকাশে খুঁজবে নক্ষত্র। 

একটা উঁচু বাড়ির সিলিঙে তখন কোনো ঘোড়া দৌড়োবে না 

দৌড়োবে না দীর্ঘশ্বাস 

দৌড়োবে না পৃথিবী সময়ের কলিংবেলে ,

আমি অফিস থেকে ফিরে কলিংবেল টিপবো 

দরজা খুলবি তুই।  

.

সারা শহর যখন লিখে রাখে অজস্র কবিতা এই বুকে 

তখন আমি তোকে ছুঁয়ে কবি হয়ে থাকি সময়ের সুখে  ,

এ জন্ম না হয় আমার এমনি কাটুক 

কিন্তু পরের জন্মে না হয় 

কিংবা তার পরের জন্মে 

অন্তর একবার আমি তোর প্রেমিক হতে চাই। 

হতে চাই এই পৃথিবীতে একটা সুখী মুখ  

যে অন্ধকার আকাশের সব নক্ষত্রগুলোকে এই সময় বাঁচিয়ে রাখে 

তোকে দেবে বলে 

যে সময়ের সাথে যুদ্ধে আহত হয়ে তোকে ভাবে 

শুধু একটা জন্মের জন্য 

শুধু তোকে ভালোবাসবে বলে। 


Wednesday, August 12, 2020

সেফটিপিন



 সেফটিপিন 

... ঋষি 


এইভাবে সময় কেটে যায় 

এইভাবে দিন বদলায় ,রাত্রি, সকাল আবার সকাল, রাত্রি 

কিন্তু দিন  প্রতিদিন কাটে কি করে ?

অদ্ভুত একটা ডিঙি নৌকা ভাসতে থাকে গভীর সমুদ্রে  

অদ্ভুত সময়ের মুখোমুখি মানুষের জীবনগুলো দূরে ছোট ছোট আলোরবিন্দু   

স্রোতের তোরে ভাসতে থাকে 

ছুঁয়ে থাকে আকাশ 

ছুঁয়ে থাকে সমুদ্র 

অথচ আমার ছোঁয়া হয় না আকাশ সমুদ্র। 

.

"এমনি ক'রেই যায় যদি দিন যাক না ।

 মন উড়েছে উড়ুক-না রে মেলে দিয়ে গানের পাখ্‌না ॥ "

রবিঠাকুর লিখে গেলেন 

চলন্তিকা তুইও গেয়ে ফেললি বছর শেষের অনুষ্ঠানে। 

আমি শুনলাম তোর স্টেজের পাশে দাঁড়িয়ে 

আমি শুনলাম একলা সমুদ্রে ডিঙি নৌকার সাথে 

অনেকটা সমুদ্রের স্রোতের শব্দ। 

.

চোখের থেকে চোখ সরে যায় 

বুকের পাঁজরে বিঁধে থাকা আলপিনটা আরো গভীরে বিঁধে যায় ,

তোর চোখের কাজলে হাসি 

তোর সময়ের উপর আলাপ করা শাড়ির সেফটিপিন

সব আমার বুকে ফুটে যায়। 

আমি মুখ বুজে থাকি সময়ের সমুদ্রের  অচেনা সেজে 

আমি চোখ বন্ধ করে থাকি একলা সমুদ্রে ঘুমের খোঁজে 

তবুও জানিস সকাল হয় প্রতিদিন 

প্রতিদিন আমিও বেঁচে থাকা খেলি তোর মতো 

তবুও কেন জানি জানতে চাই বারংবার 

বুঝতে চাই  রবিঠাকুর 

 " যদি তারে নাই চিনি গো সে কি আমায় নেবে চিনে

এই নব ফাল্গুনের দিনে। " 


আর্কিমিডিস

 


আর্কিমিডিস 

... ঋষি 

.

চরকা কাটা একটা দাম্পত্য 

ঘুমিয়ে পড়েছে বহুদিন নিজের ঘরে অজস্র বিশ্বাস,

আমি শুয়ে আছি শ্মশানের পায়ে। 

.

জানি এইভাবে ফিরে আসা যায় না 

ফিরে আসা যায় না তোর রান্নাঘরে হঠাৎ কেটে যাওয়া আঙুলের 

রক্ত ফোঁটায়

কিংবা তোর সমাজে । 

সবটাই বড়ো বেশি রোমান্টিক এই শহরে 

অথচ রোমান্স খুঁজতে আমাদের বিছানার চাদর আগলাতে হয়। 

.

সব প্রশ্ন মিথ্যে ছিল না 

মিথ্যে ছিল না শান দেওয়া জীবনে আর্কিমিডিসের আবিষ্কার। 

মেথড অফ এক্সহশন

 ক্ল্যাসিক্যাল যুগের সময় নিয়ন্ত্রণ করে ,

কিন্তু ভাবনাদের ?

আমি ভাবনার সমুদ্রে শূন্যে ছুঁয়ে ফেলি প্রশ্ন ,

তারপর শূন্য শূন্য আর শূন্যে দাঁড়িয়ে 

চেয়ে থাকি মহান বিজ্ঞানী দিকে। 

আর্কিমিডিস ফিক করে হাসে 

আর ব্যাকগ্রাউন্ডে আমি স্পষ্ট দেখি একটা মৃত্যু দৃশ্য 

একজন রোমান সৈনিক কিভাবে হত্যা করলেন সময়কে। 


তাজমহল



 তাজমহল 

.... ঋষি

.

ভালো লাগছে না 

আস্তে আস্তে তলিয়ে যাচ্ছি জলের তলায় 

চোখের তলায় ,

কোনো গভীর খননে বুকের পাঁজরে অদ্ভুত নাকাবন্দী 

সারা শহর বন্ধ আজ ,

সারা সময় স্থির হয়ে থেকে গেছে  তোমার  মুখের হাসিতে। 

.

আমি রৌদ্র কুঁড়িয়েছি চিরকাল 

কুঁড়িয়েছি স্মৃতি পাতায় পাতায় লেগে থাকা অজস্র কালো দাগ ,

কখনো সময়ের মতো নিজেকে ভাবিনি 

কখনো সময়ের শরীরে নিজেকে সাজায় নি বাদশাহ জাহাঙ্গীরের মতো ,

শুধু দাগ টেনেছি মাটিতে 

শুধু গড়েছি তাজমহল হাজারো কবিতার পাতায়। 

.

ইদানিং তোমায় দেখলে হিংসে হয় জীবন 

ইদানিং তোমায় ভাবলে পরে দমবন্ধ হয়ে আসে সময়ের স্রোতে ,

চারপাশ হঠাৎ শুনশান 

নিজের বুকের ভিতর নিজের মৃতদেহের মুখে মুখাগ্নি করি,

হঠাৎ মনে মনে বলি 

শ্মশানে চণ্ডালের মন্ত্র  । 

জানো তো আমারও আজকাল ফিরে আসতে ইচ্ছে হয় 

জানো তো আমারও আজকাল  ভালোবাসতে ইচ্ছে হয় 

বুকের পাথরের কঙ্কালে পেরেক ঠুঁকে বলতে ইচ্ছে হয় 

ভালো আছি 

খুব ভালো। 

ঠিক তখনি সারা শহর থেমে যায় 

সমস্ত সভ্যতার গতিতে লেগে যায় চাকা জ্যাম 

আমি দেখি সময়ের জানলায় মুখ বাড়িয়ে তোমার মুখ। 

তুমি হাসছো ,

আমি  ছুঁতে চাই 

তোমার দিকে হাত বাড়াই

আর বিশ্বাস করো সেই মুহূর্তে আমি বদলাই

পাথর ভেঙে নিজের বুকের ভিতর তৈরী করি এক তাজমহল । 


বিজ্ঞাপন আর যৌনতা

 

বিজ্ঞাপন আর যৌনতা

... ঋষি 


ক্রমশ সময় হারিয়ে যাচ্ছে 

হারিয়ে যাচ্ছে যুগের পর যুগ শুয়ে থাকা  যুধিষ্ঠিরকে যক্ষের প্রশ্ন। 

তারা  সময়ের শরীর ছিঁড়েছে  ,তাই বলে  ফুল শুকিয়েছে কি ?

তারা সময়ের বুকের মাংস খুবলেছে , তাই বলে মিথ্যে সত্যিতে বদলেছে কি ?

সময়ের শোরগোল 

তাই বলেই তো  শহরে কার্ফুতে  আজ  মাস্ক লাগানো  মানুষ

আর মৃত মানুষের উলঙ্গ কিছু শব মানুষের রাস্তায় শোয়ানো।  

.

তারা কেটে নিয়েছে সময়ের চুল নিজের স্বার্থে মাথায় ঘোল ঢেলে  , 

তাই বলে কি ন্যাড়া বেলতলা  যায় না  আর ?

তারা মুখে কালি মাখিয়েছে সময়ের নিজের মতো করে  , 

চিত্রশিল্পী তাই বলে  কি খুব কমে গেছে   ?

তারা সময়ের নাক কেটেছে ,

তাই বলে কি পৃথিবীর সব পথে সুর্পণখারা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে ?

সময়ের মাথা মুন্ডন বলে 

আর্ট গ্যালারিগুলো  কি ইদানিং মানুষ কমে গেছে ?

তবুও তো  নারীর বস্ত্র হরণ থামে নি 

শুধু এই সময়ে মানুষের গতি কমে গেছে। 

.

তারা  সময়ের হৃদপিন্ডে আজকাল নকল  হৃদযন্ত্র বসিয়েছে 

তাই বলে কি  কমে যাচ্ছে মানুষের নিঃশ্বাসের জন্ম  ?

তারা সময়ের শিশ্ন কেটে নিয়েছে  

তাই বলে  কি কমে গেছে  ধর্মের বুলেটে রক্তের স্রোত  ? 

এইমুহূর্তে স্বাধীনতার সংগ্রামকে খুব তাড়াতাড়ি  ডিসচার্জ প্রয়োজন 

সামনে ১৫ ই আগস্ট ,

প্রয়োজন চোখের জলকে স্যানিটাইজার বানিয়ে সময়ের আত্নমর্যাদা রক্ষার। 

ক্রমশ সময় হারিয়ে যাচ্ছে 

ক্রমশ সমস্ত ধৈর্য  আটকে যাচ্ছে সেলারির আন পেইড  নোটিশে 

ক্রমশ কুমারী ডিভোর্সি জিভ দাসত্ব করছে 

দাসত্ব করছে আমার কবিতার সময় সিঁদ কেটে বিপ্লবের ঘরের দরজায়। 

ক্রমশ সময়ের  মায়ের পেটে জন্মাচ্ছে হাজারো মুখোশ 

ক্রমশ বৃক্ষের চাইতে অনেক দামি মানুষের টেস্টটিউব বেবি 

ক্রমশ আমার কবিতারা ন্যাংটো হয়ে দাঁড়িয়ে রাস্তার পাশে 

পৃথিবীর সমস্ত পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আজ খুঁজছে বিজ্ঞাপন আর যৌনতা। 

Tuesday, August 11, 2020

এ কোন স্বাধীনতা


এ কোন স্বাধীনতা 
... ঋষি
পরিনত হতে হতে এসো চলন্তিকা 
আমরা একটা রাষ্ট্র তৈরী করি, 
তৈরি রাখি একুশ শতকের কারাগারে যুদ্ধের  রক্ষিত বারুদের সাথে 
 রাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র বদলাতে একটা ডিলিট বাটন। 
যেটা প্রয়োগ করে আমরা যাতে উদযাপন করতে পারি 
একটা সত্যি স্বাধীনতা মিথ্যে ছাড়া। 
.
আমি আজকাল শুনতে চাই না কিছুতেই  মিথ্যা করে 
মেরা দেশ মহান, 
কারণ আমি বিশ্বাস করি স্বাধীনতা মাথা উঁচু করে বাঁচার নাম।  
আমি প্রনাম করি সেইসব স্বাধীনতা সংগ্রামীকে
যারা ভাইয়ে রক্তে ধুইয়েছে বন্দুকের নল, 
যারা বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলেছে মেরা দেশ মহান 
কারণ তারা  স্বপ্ন দেখেছিলো মানুষের স্বাধীনতার
শৃঙ্খলহীন এক আলোর ভারতবর্ষের। 
.
 চলন্তিকা তুমি জানো 
আজও আমার রাষ্ট্রে হাজারো ভারতবাসীকে না খেতে পেয়ে মরতে হয় 
 মরতে হয় চিকিৎসা ছাড়া।
আজও  আমার সময়ে কোনো দুঃখী মা কাঁদে অপুষ্টিতে ভোগা মৃত সন্তানের শোকে
আজও বিহারের প্রত্যন্ত গ্রামে ধর্ষিত হয় নিচু জাতে দরিদ্র চাষীর কন্যা
আজও মহাভারতের পুনারাবৃত্তিতে দ্রপোদী এসে দাঁড়ায় পঞ্চায়েতে আবারও নগ্ন হয়ে।
আজও আগুনে পোড়ে সীমান্ত
 আজও সীমান্ত থেকে ফেরে মৃত সৈনিকের লাশ
আজও কবিরা হন  দেশ ছাড়া সত্যি বলার দায়ে 
আজও মানুষের বুক পোড়ে মাথা নীচু করে,
আজও চুরি হয় শৈশব মানুষের
আজও মাথা নত আগামী সন্তানদের প্রতিটা জন্ম ।
.
তবুও  চলন্তিকা আমিও বলতে চাই মেরা দেশ মহান
কিন্তু পারি না
আগুনে পোড়ে বুক,
উঠে আসে হাজারো হায়নার মুখ,হাজারো চোরের মুখ
রক্তচোষা এক দংগল জোঁক 
মৃত্যুর দিকে এগিয়ে দিচ্ছে আমার ভারতবর্ষকে তিলে তিলে দিন প্রতিদিনে। 
আমার ইচ্ছে করে পুড়িয়ে দি 
ফটোফ্রেমে ভেসে ওঠে অসহায় ভারতবর্ষ
আমার ইচ্ছে করে দাউ দাউ করে ধবংস করি সময়ের দালালদের। 
কিন্তু পারি না সত্যি বলতে
পারি না চিৎকার করতে 
রাগের চোটে ডেস্কটপ থেকে ডিলিট মারি আজ ১৫ ই আগস্ট
কিন্তু ডিলিট মারতে পারি না তিরঙ্গাকে।
ছেলে হাত ধরে টানে
বলে বাবা আজ ১৫ ই আগস্ট আমাদের স্বাধীনতা দিবস  
আমি মাথা নাড়ি বলি স্বাধীনতা মানে কি জানিস ?  
বলতে পারি না সত্যিটা
মিথ্যে জেনেও সাধারনের মতো দাঁড়ায় গিয়ে তিরঙ্গার সামনে
ছেলে হাততালি দেয়
আমিও স্যালুট মারি
ব্যাকগ্রাউন্ডে বেজে ওঠে সারে জাঁহাসে আচ্ছা হিন্দুসিতা হামারা। 
.
আমরা আসলে সব বুঝি সব জানি
তবু আমরা হাততালি দি,
পাড়ায় পাড়ায় চলতে থাকে ফুটবল টুর্নামেন্ট
অলিতে,গলিতে প্রতিটা ক্লাবে মদের ফোঁয়ারা,
রাস্তার প্রতিটা  মাইকে বাজে মা তুঝে সেলাম  
টিভির পর্দায় আসে  ভারত হমকো জানসে প্যায়ারা হ্যা
আমরা হাততালি দি, আমরা মেতে উঠি  
আমি দাঁড়িয়ে দেখি আমার ভাবনায় 
একটা তৃতীয় শ্রেনীর দেশে স্বাধীনতা পালিত হচ্ছে 
হচ্ছে উদযাপন 
দয়ায় বাঁচা, ধারকরা জীবনের দামে 
কিন্তু এ কোন ভারতবর্ষ ?  
কিন্তু এ কোন স্বাধীনতা?  

 



   

 

Monday, August 10, 2020

সরগম



সরগম 
... ঋষি
.
আগুন লাগছে না
আজকাল আর মুখ পোড়ে না আগুনে, 
হাজারোবার ভেবেছি মানুষের মৃত্যুতে মুখে দেওয়া আগুন 
সত্যি কি ঠোঁট পোড়ে? নাভি পোড়ে না জানি , 
তবে বুক কেন পোড়ে? 
.
কি সহজ ভাঙতে চাওয়া তাই না
আজকাল প্রতিটা পুরোনো চিঠি ঠিকানাহীন ভাবে ফেরে আমার কাছে, 
চিঠিতে আমার হাতের অক্ষরগুলো হাততালি দেয় 
প্রশ্ন করে সময়ে পুড়ছে কি?  
অথচ বাতাসে আমি  নিজের চিতার  গন্ধ। 
আমার অপরাধ ভালোবাসি 
কিন্তু জানা ছিল না ভালোবাসলে বুক পোড়ে। 
.
আগুন লাগছে না
শুধু আঁচে পুড়ে যাওয়া শরীরে থার্মোমিটারের মাথা ব্যাথা, 
না আর শরীর আসছে না
দেখ চিতায় শুয়ে স্বয়ং আমার কলম। 
সময়ের আগুনে, আগুনের সময়ে কি সহজ বলা তাই
বুক পুড়ছে কি? 
পুড়ে যাওয়া কত সহজ 
আরো সহজ নিজের কলমের মুখে আগুন দিয়ে সাধারণ হয়ে দাঁড়ানো। 
জানি ভালোবাসা শব্দটার মধ্যে অনবদ্য নিয়ম লেখা আছে 
আছে মুখোশের চাবুক। 
কি সহজ ভাঙতে চাওয়া তাই না
আগুন লাগছে কি? 
জানি সত্যি  বুক পুড়ছে, আগুন লাগছে বুকে
তবু আমি হাসছি 
আমার মৃত আত্মার ঠোঁটে সময়ের সরগম। 

Sunday, August 9, 2020

হাত ধরো

 হাত ধরো 

...... ঋষি 


কখনো এতটা বিরক্ত লাগে নি 

কখনো এতটা রাত্রিরের কাছে দাঁড়িয়ে আলো চাই নি ,

চাই নি রৌদ্র ভর সন্ধ্যেবেলা। 

.

সমুদ্রের বালি আর মাটির মাঝখানে তফাৎ খুব সুক্ষ 

মাটিকে ভেজানো যায় ,কাদা করা যায় 

অথচ বালি তাকে সহজেই আলাদা। 

.

আকাশের ঘরে মেঘ ছিল না কোনোদিন 

শুয়ে ছিল পবিত্র আত্মার এক অন্য দেশ ,অন্য খেয়াল 

এখন ঘর বদলাচ্ছে ,বদলাচ্ছে সফর। 

.

সূর্যের গায়ে হাত দিয়ে হাত পোড়াতে পারি 

অথচ কিছুতেই নিজেকে বোঝাতে পারি না জীবনের সত্যগুলো 

সত্যি যদি জীবনকেও ডিলিট মারা যেত। 

.

সময়ের হালহকিকত জানতে নিজেকে গভীরে যেতে হয় 

অথচ সেই  সময়ের কোনো নারীকে জানতে 

শুধু নিজেকে নিজের কাছে  নামাতে হয় নিচে। 

.

ঈশ্বর তুমি কথা ভাঙতে পারো 

ভাঙতে পারো বুকের পাথরে থাকা মিষ্টি জল 

কিন্তু বদলাবে না কিছুই ,হৃদয়ের শোরগোল। 

.

এই স্তব্ধতায় লিখে রাখি তুমি ভালো থাকো সর্বদা 

তুমি চাও আমি আকাশ হয়ে যাই শেওলামাখা পুকুর পাড়ে 

আমি পিছলোয় ,জানি তুমি হাত ধরো। 


Saturday, August 8, 2020

আমি কবি

আমি কবি 
... ঋষি
আপনি ভাবছেন বিজ্ঞান না সাহিত্য 
আমি ভাবছি ভাবনা, 
আপনি ভাবছেন বাস্তবের  পরাশরে লোকটা পাগল বোধ হয় 
আমি ভাবছি
শুধু বাঁচতে চাই। 
.
সাতটা চুয়ান্নের ভাবনার লোকাল ফেল হয়ে গেলে
আপনার মতো বিরক্ত হয়ে আমি ভাবতে বসি না,
আমি কবিতা লিখি
আমার প্রতিটা স্পন্দনে শুয়ে আছে ধ্রুব নক্ষত্র অন্ধকার আকাশের গায়ে।  
জানি আপনি বুঝবেন না
আপনি তো ভাবনায় হাওয়ায় উড়তে পারবেন না
পারবেন না স্পর্শ করতে  চলন্তিকাকে  আপনার বেঁচে থাকায়। 
.
আপনি ভাবছেন আমি পাগল বোধহয়
আমি ভাবছি ভাবনার লোহার গরাদের বাইরে পৃথিবীটা বড্ড পাগল,
পাগল এই দুনিয়ার তামাম বেঁচে থাকা। 
যদি রবি ঠাকুরের ভাষায় ভাবি
"এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম, প্রেম মেলে না
শুধু সুখ চলে যায়, এমনই মায়ার ছলনা "। 
অদ্ভুত মায়া
তাই আমি গাছের জন্ম নিয়ে লিখে ফেলতে পারি নারী ও পুরুষ
আপনি শুধু  হাসতে পারেন
কিন্তু আমি পারি ভাবতে জন্ম । 
কি ভাবছেন মশাই লোকটা পাগল বোধহয়
কিন্তু পিছন ফিরে দেখুন
আপনার জন্ম গাঁথায় শুয়ে থাকা সত্যিগুলো আপনাকে কামড়ায় ঘুন পোকা হয়ে,
অথচ চলন্তিকা আমার 
আমাকে দিয়ে যায় বেঁচে থাকার সুখ, 
আপনি ভুলে গেছেন আমি কবি
আর আপনি নিতান্ত সাধারণ। 

Friday, August 7, 2020

দুই আমি



 দুই আমি 

... ঋষি 


হঠাৎ হঠাৎ বড় করে দেয় সময় 

বুকে পা দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে হঠাৎ ভুলিয়ে দেয় 

হামাগুঁড়ি দেওয়া  একলা শৈশব।

হঠাৎ মুঠো আলগা এই  জীবনটাকে বড় অসহায় মনে হয় তখন 

মনে হয় উড়তে থাকা ঝড় 

আমার শহর 

সব শুধু অকারণ। 

.

অকারণ সেই  টলোমলো পায়ের থেকে উঠে দাঁড়ানো 

অকারণ পৃথিবীর বাঁকে খুঁজে পাওয়া সেই নদী 

শান্ত জল ,

আকাশের পাখি 

গাছের ফল 

সব বেকার অকারণ। 

.

হঠাৎ করে সময় বুঝিয়ে দেয় মানুষকে পরিচয় ,

শৈশবে পাওয়া  ঘাড়ের কাছে আঁচিলটাকে তাই আজকাল বিরক্তিকর 

খুবলে ছিঁড়ে নিয়েছি কাল 

ফিরে আসা রক্তফোঁটা আজকাল আমার ভালো লাগে। 

মাঝে মাঝে এমন হয় 

আমি গিয়ে বসি আমার একার আমির কাছে 

মুখোমুখো দুই আমি 

প্রশ্ন করি। কেমন আছো ?

উত্তর আসে না 

আমি জানি আজকাল সব উত্তরগুলোও অকারণ হয়ে গেছে। 

Thursday, August 6, 2020

উপবাস



উপবাস 
... ঋষি 

জ্বলন্ত আগুনের মতো  ইচ্ছে করে
জ্বালিয়ে দিতে 
জানো তো মানুষের প্রতিদিন মনে থাকে না কিছুতেই  । 
অবাক করা  ছেলেবেলা আমার চলন্তিকা  
 ঐ যে কবে বুঝে গেছি মেয়েদের শরীরে  এতো শীত,
ট্রেনের পাটাতনে পাতা যোজন ব্যাপী নিরাপত্তা 
অথচ চলন্তিকা জানো মানুষের বোবা হাড়ে সন্তান লোকানো থাকে। 
.
টেবিলে কোথায় গুছিয়ে রাখা আমার যুবক দৃশ্য 
পুরোনো বইয়ের লুকোনো পাতায় উত্তেজনা ।
উত্তেজনা ভর্তি ব্রা নিয়ে সময়ের গায়ে আঁচড় টানি 
দেখি  অফিস ফেরত পরাজিত বাবার বগলের লুকোনো ঈশ্বর ।
ঈশ্বরী ছিল কিনা জানার আগেই 
আমি ঈগল হয়ে গেলাম 
জানতে পারলাম মায়েদের স্তনে  জ্যোৎস্না থাকে 
অথচ নিশুতি অন্ধকারে আমি  আঁকড়ালাম তোমার খোলা বুক । 
.
চলন্তিকা জানো 
বছর উপবাস করে অনেক দিন ,
সময়ের উপবাস বিছানা ,বালিশ ,ন্যাকড়া জড়ানো করোনা ভাইরাস 
মানুষের কফ জমা বুকের ভিতর পার্কিং জোন।  
এসব পুরোনো কথা
তোমার বুকের ওড়না হওয়ার ইচ্ছে ছিল  চিরকাল  ,
অথচ অসুখ 
রোদে জামা শুকোতে  দিলে বুকের জমিতে তোমার লুকোনো লিপস্টিক ,
আর আন্দোলন
পুলিশকে ঘুষ দিয়ে ,পুলিশের কলারে লিখে দেওয়া তোমার নাম ।
জ্বলন্ত আগুনের মতো  ইচ্ছে করে
জ্বালিয়ে দিতে 
তোমার শরীরে শুক্রাণু থাকলে 
সাম্প্রদায়িকতার কাশ্মীর কিংবা চিনে শুরু হয়ে যাবে জমির লড়াই
তাই তো কবিতা লেখা 
আর বলা কবিতা লিখেই আমি তোমার হতে চাই ।

 

গাছেদের সংসার

গাছেদের সংসার 
... ঋষি 
.
অনবরত স্খলন 
ফেরা পাখি আকাশের দরজা খুলে দেখে 
গাছেদের সংসার ,
দাঁড়িপাল্লায় চাপানো অনবরত ঘন নিঃশ্বাসে জড়িয়ে ধরা পুরুষ। 
নিঃস্ব একা আকাশে চাপ চাপ রক্ত 
তোর গলায় কোনো একদিন সময় করে জীবন শুনতে চাই চলন্তিকা। 
.
হিসেবের বাইরে 
বিছানার বাইরে পা রেখে আকাশ ছুঁতে চাই ,
কেমন একটা অবাস্তব 
ভালোবাসো এমনি মানুষের বুকে পাখির ঠোঁটে ঘরকুঁটো ,
গরম ব্রাউনিতে ঠোঁট রাখা স্বাদ 
কোনো একবার এই জীবনে সত্যিকারে তোকে ছুঁতে চাই। 
.
অনবরত মেঘলা আকাশ 
জানি মনখারাপ হলে চলন্তিকা তোর গলার স্বরে অনবরত ভিজে ভাব ,
নরম বালি 
আঙ্গুল দিয়ে লেখা যায় না আকাশ। 
মুছে যায় 
ধুলো ওড়ে 
অঙ্গীকারে লেগে থাকে সামাজিক বিছানার চাদর। 
দুমড়ে মুচড়ে 
গা গুলিয়ে যায় ভাবতে 
যদি তোকে নিয়ম করে প্রেম আর সময় একসাথে স্পর্শ করে। 
গাছদের স্খলন হয় না 
শুধু অঙ্কুরোদ্গম 
ভাবা যায় একটা গোটা অরণ্য সৃষ্টি হয় তাতে 
অথচ 
মানুষের ঘরে জন্ম নিতেও নিয়ম লাগে। 

ভেজা চিঠি



ভেজা চিঠি 
... ঋষি 

জানি পৌঁছবে না এই চিঠি 
কাকে ছুঁয়েছিলাম,কাকে  ডেকেছিলাম নিজের গভীরে ,
দরজা খুলে  বসে আছি বহুকাল
তোমার হাসিতে ব্রম্মপুত্র হঠাৎ অন্য পুরুষের মতো হাসে। 
আমার রোজ রাতে 
তুমি যেন মায়া  কন্যা ,সুরেলা নেশা 
স্মৃতির ঘর  ...
.
গলা থেকে ঠিক আমার দু কর নিচে  
আমার পৃথিবী ছায়াডুব শান্তিতে যেন অসময়ের শীতের শহর 
ঘুম আসছে নেমে 
গাঢ় ঘুম ,গভীর চুম্বনের মতো ম্যিরাকাল 
শীত করছে 
আমার গভীর ঘুমে রাত পাখি আজ শ্রাবন প্রেমিকা। 
.
সময়  তোমাকে এনেছে নদীর ধারে 
তোমার চোখেই রূপকথা কেন মাছরাঙা ঠোঁট 
খোঁজে আলো,
উদাসীন চোখে ভালোবাসা ডুবে আছে সময়ের সহ্য দৃষ্টান্ত হয়ে। 
অসময়ের বৃষ্টি জ্বালা ধরে এই  প্রাণে  
তুমি তো জল, চোখের ভিতর টলমল 
আমি মৃত শরীর   জীবনানন্দ বুকে শুয়ে আছি  একই নদী তীরে 
 সামনে রেখেছি তোমার ছায়া  
জলের স্বচ্ছতায় প্রযত্নে বড় মিষ্টি তুমি। 
.
সাঁকোর ও পারে তুমি 
আর চেনা চিঠি,
কি লিখেছি ?  মেঘ ঘোর , তোমার  গোধূলি আলোর ঠোঁট
তোমার চুলে অন্ধকার নামছে  শহরে ,
কি লিখছি ?
জানি এইসব বোকাবোকা কথকতা
যখন লিখছি, তখন শহরে নেমেছে বর্ষা 
পাগল করা বুক চলন্তিকা 
ওই দেখো চাকা,জলে ভিজে যাওয়া কংক্রিট মিশন 
ভিজছি আমি করুন ভাবে। 

বোকা মেয়ে



বোকা মেয়ে 
,,, ঋষি 

কাকে দেখেছিলাম ,কেন দেখেছিলাম
বুকের ভিতর ঢেউ  উথালপাথাল জানি বোকা মেয়ে। 
একান্তে  খুলে চোখ, খুলেছি দূরে সমুদ্রে অচিন ঢেউ 
শোনো সত্যি বলতে চাই ,
বোকা  মেয়ে একবার না হয় তোমার হয়ে মিশে গিয়ে 
কাঁচা পেয়াড়ায় কামড় দিতে চাই। 
.
শোনো এখন এই মুহূর্তে আমি আমায় ভাবছি জানো 
আমায় ভাবতে ভাবতে চোখ পুড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়েছি বুকে 
আবার ঢেউ ,
বোকা মেয়ে ঠিক তোমার মতো কেউ 
আমার সাথে যুক্তি করে একা হতে চায়। 
.
শরীর ফুঁড়ে মন ছিনিয়ে
ভিতরের ঘরের পাশে 
তোমার মতো কেউ আছে  গভীর রক্তে শিকড়ে আশেপাশে। 
মনের ও তো সময় আছে ,চাল আছে ,চুলো  আছে ,আছে চিতা 
দাউ দাউ ঢেউ 
জানি বোকা মেয়ে পোড়ে ,আমারও তো পোড়ে। 
মন টলমল গভীর জলে, ঝলমলে এক অন্ধ সময় 
তোমার সবুজ ঠোঁটে 
কারসাজি না ম্যাজিক ,যত উড়নচন্ডী কাজে 
জানি বোকা মেয়ে ,
তোমার মতো আমিও বোকা রোজ নিজের সাজে। 




Tuesday, August 4, 2020

তারিখ



তারিখ 
... ঋষি
আমার ভিতর কোন তারিখ নেই
এই মুহুর্তে, এই বিন্দুতে দাঁড়িয়ে আমি সারা শহর জুড়ে আমি বিস্মিত, 
আমি সম্পর্ক ভাঙতে দেখেছি
দেখে বুকের গভীরে দাঁড়ানো লাল পলাশের গাছটার ঋতু বদল। 
আমি বদলানো সময়ের বুকে পা ঠুকে বলেছি
শহরের অন্ধকারে জোনাকির মত বাড়িগুলো আসলে সাজানো, 
সাজানো দ্রাঘিমাংশ শুধু পৃথিবীর মাপ জানে
মাপ জানে না হৃদয়ের। 
.
আমার ভিতর কোন তারিখ 
তারিখ নেই রজনীগন্ধার শুকিয়ে যাওয়া বাসি গন্ধের, 
তোমার বাড়ির সামনে যে বাড়িটা 
আজ, কাল পরশু আমার প্রতিদন্দী ছিল , 
আজ তার প্রতি আমার কোন রাগ নেই 
কারণ আমি বিস্মিত হতে শিখেছি। 
.
এই পৃথিবীটা অদ্ভুত একটা বিস্ময় 
সাজানো সভ্যতার নোলোকে লেগে থাকা মেহেগনী গাছের মতো
এই সমাজ একটা নিয়ম। 
বিশ্লেষণে উঠে আসা মুখগুলো এই শহরের প্রতি বাসস্ট্যান্ডে খুব একইরকম
একইরকম চেনা
তোমার, আমার মুখের মতো।   
আমি শুধু ধবংসের উপর বসে শহরের ছাদের উপর
আমার উপরে আকাশে অসংখ্য জোনাকি
আর পৃথিবীর মাটিতে এই মুহুর্তে শুয়ে থাকা জোনাকির বাড়িগুলো শুধু
পুড়ছে আর নিভছে,
আমার কোন তারিখ মনে পড়ছে না এই মুহুর্তে
মনে পড়ছে না ক্যালেন্ডারে লাল দাগ দেওয়া সম্পর্কের আলাপগুলো
আজ আমি শুধু বিস্মিত কারণ
মাঝের পৃথিবীতে আমরা সবাই।     

শব্দ ব্রমহ



শব্দ ব্রহ্ম
... ঋষি
এসব লিখে রাখা দরকার আগেভাগে
হয়তো আর বেশিদিন নয়, হয়তো আর কিছুদিন 
একটা সম্পুর্ন পাগল পাথরের চারদেওয়ালের  উপর নখ দিয়ে লিখে দেবে
ভালোবাসা।  
ভালোবাসা হল দমবন্ধ করা একা বরফের শরীর 
যার শব্দ ব্রহ্ম এ শুধু স্মৃতি। 
.
 বস্তুত অর্থহীন আমি
আমার হৃদয় শুধু  এগজিমা পচে যাওয়া আজ কয়েকশো যুগ, 
আমার ডান পা জানে না
আমার বামের পায়ে আজ কয়েকশো সভ্যতার পাথর বাঁধা আছে,
তবু পা বাড়ায় দরজার বাইরে। 
যাঁরা ইচ্ছে করে ভুল অক্ষরে ভালোবাসা লিখতে চাইছেন
তাদেরকে বলা
দুপুরবেলাতেও আমার  স্বপ্নদোষ হয়,হয়  আমার বীর্যস্খলন । 
.
 পৃথিবীর এতো অন্ধকার
তবু আমি সেই অন্ধকারে বসে চলন্তিকার সাথে সংসার করতে চাই, 
কিছুক্ষণ নয় 
সর্বক্ষন মাথার নিউরন বেয়ে কয়েক ফোঁটা জল
সময়ের শাওয়ারে। 
 এই যে আঙুলে আঙুল ডুবে যায়
এই যে ক্রমশ ভাবনারা ভারী হতে হতে পাথরের মতো ভারী
এসো, এখানে দু  পঙক্তি ভালোবাসা লিখি
পাথরের উপর
আর সময় লোহার গরাদের বাইরে দাঁড়িয়ে হাততালি দিক
এক জন কবি 
এক জন পুরুষ 
তোমাকে ভালোবাসতে ভালোবাসতে পাগল হয়ে গেলো।  

আমার তুই পাচ্ছে


আমার তুই পাচ্ছে 
... ঋষি
আমার ভীষণ  তুই পাচ্ছে
সময়কে তো বলা যাবে না এবরো খেবড়ো বেঁচে থাকায়, 
শৈশব থেকে শেখানো বুলি মানুষকে সভ্য করে তুলেছে
করে তুলেছে সময়ের নৌকার পাটাতনে কই মাছের মতো, 
অথচ এই সত্যির রৌদ্রে আমি সারাদিন বসে থাকি 
আমার ভীষণ তুই পাচ্ছে। 
.
আমার ভীষণ তুই পেয়েছে চিরকাল 
সময়ের স্কেলিটনে নিয়ম মাফিক সাজানো দুরত্ব , 
দুর্বলতা শেখানে সাজানো অসংখ্য মুহুর্ত।  
অথচ আমার বুকের ভিতর সারা বছর কাশফুল 
ছড়িয়ে দেওয়া গম হৃদয়ের উঠোনে সময়ের কবুতরগুলোকে 
সারাদিন বাকুমবুকুম 
মাইলফলকে লুকোনো তুই 
আমার ভীষন তুই পাচ্ছে। 
আমার ভীষণ তুই পাচ্ছে বুকের ভিতর 
বে অফ বেঙ্গল জমতে থাকা নিম্নচাপ, 
আমার শহর জুড়ে অকারণে বৃষ্টি সারা দিন শুধু টিপটিপ। 
চাষের মাটিতে শুধুই স্বপ্ন বোনা
কিলোমিটার, কিলোমিটার শুধু ছড়িয়ে থাকা কাশফুল 
তবুও সাজানো পৃথিবীতে অসংখ্য বেওয়ারিশ আলাপ। 
কাল সারারাত স্বপ্নে একলা  দাঁড়িয়ে 
বাংলায় ট্রান্সলেট  করেছি নিজের মতো করে  সেক্সপিয়ার 
ওথেলো চরিত্রে ডেসডিমোনাকে বলেছি
এই নে ছুরি 
এই নে আমার হৃদয় 
জ্বালিয়ে দে, পূড়িয়ে দে, না হলে জড়িয়ে ধর, 
একতো ধ্বংস কর আমাকে 
না হলে সত্যি করে  বল 
আমার তুই পাচ্ছে, তোরও পাচ্ছে কি?   

এমন মেঘলা দিনে


এমন মেঘলা দিনে
... ঋষি
এমন  মেঘলা দিনে জন্ম হয়েছিল আমার 
এমন মেঘলা দিনেই আমার  মৃত্যু হবে। 
ভয় নেই চলন্তিকা 
আমার মৃত্যুতে সারা শহর মেঘের মতো দাঁড়িয়ে তোকে প্রশ্ন করবে না
কেমন আছিস তুই ?  শরীরটা ভালো আছে তো? 
.
সারাদিন ধরে তুমুল বৃষ্টি হবে
তুই হয়তো জানলার দিকে তাকিয়ে নিজের সিঁথিতে হাত দিয়ে খুঁজবি সিঁদুরে মেঘ, 
না না সেদিন খুব বিদ্যুত চমকাবে না
শুধু সারাদিন খুব শান্তিতে পৃথিবীতে ভিজবে সবুজ ঘাস
 গাছে গাছে প্রচুর হাওয়া বইবে ঝড় উঠবে
তুই হয়তো তখন একলা দাঁড়িয়ে  দেখবি তোর বারান্দার পাশের নিমগাছটা 
হঠাৎ মরে গেছে। 
.
বুকে বেহিসেবি ভিজে যাওয়া শহর 
আমার মৃত্যুতে  সমস্ত সুখ দুঃখ মিলে তোর জানলা দিয়ে
হঠাৎ ঢুকে পরবে এক ফালি অনাগত মেঘ । 
তোর ভাবনায় আচমকা ঝড় উঠবে 
হয়তো দু - এক ফোঁটা বৃষ্টি
তোর কানের কাছে আমি হাসবো পাগলের মতো, চিৎকার করবো
কেউ শুনতে পাবে না, জানি শুধু তুই শুনবি
আজকের মতো। 
তুই  এঘর থেকে সেঘর সমস্ত দরজা গুলো বন্ধ করবি ভয়ে  
তবু । হু হু করে বাতাসে বয়ে আসবো আমি
হঠাৎ  বাতাসের শব্দে তুই শুনবি আমার গলা
কেমন আছিস তুই ?  শরীরটা ভালো আছে তো? 
.
এমন মেঘলা দিনে জন্ম হয়েছিল আমার 
এমন  মেঘলা দিনেই আমার  মৃত্যু হবে। 
তোর দোষ নেই চলন্তিকা
দাবানলের বুক পোড়া দাউদাউ  করা আগুন মনের ভিতর 
জমা অভিমানের সমস্ত পাতা গুলো পুড়ে ছাই হবে সেদিন । 
তারপর বৃষ্টি হয়ে আসবো আমি 
বৃষ্টির জলে ধুঁয়ে যাবে সব জীবনের পোড়া ছাই,
ভেঙে যাবে সময়ের সব অভিমান। 
বিশ্বাস  কর সেদিনও  কেউ জানবে না,কেউ বুঝবে না
শুধু  আমার কবিতার শব্দগুলো সেদিনও তোকে প্রশ্ন করবে
কেমন আছিস তুই ?  শরীরটা ভালো আছে তো? 

Monday, August 3, 2020

রাখী,চলন্তিকা আর রবীন্দ্রনাথ

রাখী,  চলন্তিকা আর রবীন্দ্রনাথ 
... ঋষি

কাল রাতে ভাবছিলাম 
আমার কোন বোন বা দিদি নেই কেন? 
সময়কে জাগিয়ে রাখতে গিয়ে কখন যেন আমার দিনরাত্রি থেকে 
সম্পর্ক শব্দটাই উধাও। 
নানা ভাবে বেঁচে থাকার পর বুঝেছি 
সম্পর্ক শব্দটা বাসি  বিছানার চাদর, কিংবা বালিশের ওয়ারের মতো 
যাকে বারংবার ডিটারজেনে ধোলাই করা লাগে। 
.
আমার কোন বোন বা দিদি নেই 
তার জন্য আমার কখনও বাবা কিংবা মাকে দোষ দেবার কথা মনে পরে নি, 
কারণ আমার   নিজের গভীর সময়ের কবুতররা 
চিরকাল আকাশ খুঁজেছে
খুঁজেছে মুক্তি অনবদ্য চলন্তিকার ভাবনায়। 
আজ অবধি কোনদিন অভাবটা আমাকে বুঝতে দেয় নি চলন্তিকা
চিরকাল নিজের মতো করে বড় স্নেহে, বড় আদরে
নিজেকে উজাড় করে  
আমাকে ভুলিয়ে রেখেছে সমস্ত সম্পর্কের মানে,
ভুলিয়ে রেখেছে গত সাইত্রিশটা ক্রিসমাস,দুর্গা পুজো, হোলি,রাখি
প্রতিটা উদযাপন । 
তবে আমার গবেট মাথায় এতদিনে আমি এটা বুঝেছি
আসলে চলন্তিকা আমার সময়ে নারী,
তার হাজারো রুপ
কখনো মা, কখনো বোন, কখনো প্রেমিকা,কখনো দেবী আসলে আশ্রয়। 
তাই আমার কোন দুঃখ নেই
তাই আমার কোন কষ্ট নেই,
আপনারা বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না
কাল রাতে স্বপ্নে চলন্তিকা আমাকে রাখী পরালো তখন রাত বারোটা
আমার স্টাডি রুমের দেওয়ালে রবীন্দ্রনাথ তখনি মুচকে হাসলেন,
হাত রাখলেন পিঠে 
তারপর বল্লেন রাখীর আসল মানে কি জানো 
হৃদ্যিক বন্ধন
শুভেচ্ছা রাখীবন্ধন । 


 


উনপঞ্চাশ

উনপঞ্চাশ
... ঋষি
অনন্ত কাব্যের মতো আমার বেঁচে চলা
বুকের কেবিনেটে শুয়ে লোভ উনপঞ্চাশ শুধু সংখ্যায়,
অস্থির জীবনের হাল হকিকত লিখতে
নিজের অসহয়তায় অন্য গ্রহে দাঁড়ানো মেয়েটা
কখন যেন দুরে সরে যায়। 
.
আজ আর কান্না আসে না
শুধু পরিচয়ে বেজন্মা ধাব্বায় অসংখ্য জেহাদ জীবনের,  
আসলে  ঈশ্বর যখন বেদী ছেড়ে মাটিতে নেমে আসেন 
তখন ঈশ্বরও  সাধারন। 
আমি জীবনভর যে আত্মার পুজারি হয়ে লোভ, হিংসা, ভয় 
এই সব কেতাবি শব্দ মেখে 
নিজস্বতায় বাঁচার জন্ম দিলাম 
সব মিথ্যে আজ।    
.
সব মিথ্যে আজ 
অভিমানে শুয়ে থাকা সেই চেনা মুখটা আমাকে অশ্রাব্য করেছে, 
অশ্রাব্য করেছে আমার অতীতের আটচল্লিশ,
অথচ আমি উনপঞ্চাশে বিশ্বাসি চিরকাল। 
আমার শুরুর গল্পগুলো যখন ঈশ্বরের পারিজাত হয়ে ফুটে আছে সময়ে
আমার আত্মার জন্মগুলো যখন কড়িকাঠে শুয়ে আছে অসময়ের বলিতে,
আমি তখনও হাসতে পারছি কারন পাগলের মতো 
কারন আমার শরীরের রক্তে ঈশ্বর ছিল না কখনো 
ছিল বেজন্মা 
সেটা আজ প্রমানিত,
আর প্রমানিত যে আমার ভালো থাকাটা কতটা অভিনয়
কতটা অকারন আমার বেঁচে থাকা।
কারণ আমি সদ্য জানতে পেরেছি মানুষ ভালোবাসতে পারে
কিন্তু ভালোবাসা শব্দটা নির্দিষ্ট মানুষ হতে পারে না কখনও। 

রাখী,চলন্তিকা আর রবীন্দ্রনাথ

রাখী,  চলন্তিকা আর রবীন্দ্রনাথ 
... ঋষি

কাল রাতে ভাবছিলাম 
আমার কোন বোন বা দিদি নেই কেন? 
সময়কে জাগিয়ে রাখতে গিয়ে কখন যেন আমার দিনরাত্রি থেকে 
সম্পর্ক শব্দটাই উধাও। 
নানা ভাবে বেঁচে থাকার পর বুঝেছি 
সম্পর্ক শব্দটা বাসি  বিছানার চাদর, কিংবা বালিশের ওয়ারের মতো 
যাকে বারংবার ডিটারজেনে ধোলাই করা লাগে। 
.
আমার কোন বোন বা দিদি নেই 
তার জন্য আমার কখনও বাবা কিংবা মাকে দোষ দেবার কথা মনে পরে নি, 
কারণ আমার   নিজের গভীর সময়ের কবুতররা 
চিরকাল আকাশ খুঁজেছে
খুঁজেছে মুক্তি অনবদ্য চলন্তিকার ভাবনায়। 
আজ অবধি কোনদিন অভাবটা আমাকে বুঝতে দেয় নি চলন্তিকা
চিরকাল নিজের মতো করে বড় স্নেহে, বড় আদরে
নিজেকে উজাড় করে  
আমাকে ভুলিয়ে রেখেছে সমস্ত সম্পর্কের মানে,
ভুলিয়ে রেখেছে গত সাইত্রিশটা ক্রিসমাস,দুর্গা পুজো, হোলি,রাখি
প্রতিটা উদযাপন । 
তবে আমার গবেট মাথায় এতদিনে আমি এটা বুঝেছি
আসলে চলন্তিকা আমার সময়ে নারী,
তার হাজারো রুপ
কখনো মা, কখনো বোন, কখনো প্রেমিকা,কখনো দেবী আসলে আশ্রয়। 
তাই আমার কোন দুঃখ নেই
তাই আমার কোন কষ্ট নেই,
আপনারা বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না
কাল রাতে স্বপ্নে চলন্তিকা আমাকে রাখী পরালো তখন রাত বারোটা
আমার স্টাডি রুমের দেওয়ালে রবীন্দ্রনাথ তখনি মুচকে হাসলেন,
হাত রাখলেন পিঠে 
তারপর বল্লেন রাখীর আসল মানে কি জানো 
হৃদ্যিক বন্ধন
শুভেচ্ছা রাখীবন্ধন । 


 


.একটা কবিতা আমি তুমি

আমার কবিতা পেলেই আমি তুমি হয়ে যাই তোমার মতো আটপৌরে শাড়ি পরি, হাতে কলম কোমড়ে আঁচলটা গুঁজে তোমার মতো উনুনে আঁচ দি  হাঁড়িতে পরিমাণ মত শব্দ, জল...