Sunday, January 28, 2018

তোমার তুলি

তোমার তুলি
,,,,,,,,,,ঋষি
*******-*****-----**********************
তুমি তুলি ধরেছো
তুলির টানে ফুটে উঠছে ছেলেটার মুখ।
বহুদিন ছেলেটার স্বপ্নের বাড়িতে, বুকেতে এক অজানা তৃষ্ণা
আই সি সি ইউর ভিতর কোমল সুরে ডাকছে এক অজানা পাখি।
তুমি পাখির আকাশে তুলি টানছো, তুমি চেনো  তাকে
তার রঙ,  নাম, পালক, সেই ছেলেটাকে।

বহুদিন বাদে তোমার আয়নায়
উড়ন্ত শাড়ির আঁচলে, মুঠোফোনের রিংটোনে থেকে ঝরে পড়া গান,
আমি শুনতে পাচ্ছি নির্ঘাত রবিঠাকুর
" তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম "।
যে ছেলেটার ছবি আঁকছো তার হৃদয়ে স্বপ্ন ঘর, ফুসফুসে জমতে থাকা কালি
অপেক্ষা করে আছি,তোমার আঁকা ছবি দেখার।
যুক্তিতর্ক পেরিয়ে অবশেষে রূপকথার ঢাল বেয়ে নেমে আসছে
শীতল ঢেউ,পাহাড়ী উপত্যকা, নদী ক্রমশ।
ছেলেটার ছবিটা যতদিন শেষ হবেনা, ততদিন সে বেঁচে থাকবে
তারপর.......

তুমি তুলি ধরেছো
তুলির টানে ফুটে উঠছে তোমার চেনা মুখ।
তুমি যতদিন তাকে চিনবে ততদিন সে বেঁচে থাকবে
তোমার তুলির টানে ফুটে ওঠা ছবিটার লোভে।
তোমারও বয়স হবে, স্খলিত তুলি আর রঙ
ছেলেটা অপেক্ষায় তোমার ছবি দেখবে বলে।

শিকড়

শিকড়
,,,,,,,,,,,,ঋষি
----------------------------------------------------
গোপন রাখিনি কিছু
আড়াআড়ি চিরে দিয়ে উন্মুক্ত করে রেখেছি সামনে।
স্বপ্ন, নাকি স্বপ্নের কিনারায় দাঁড়ানো কোন বৃষ্টি দুপুর
বুকের গভীরে লেগে থাকা শিকড়, শুধু মুগ্ধতা।
অনাবৃত মেঘলা আকাশে মাটির গন্ধ
আর সময়ের শিকড় আরো গভীর ক্রমাগত।

দিন কাটে, দিন চলে যায়
সময় নিজের স্নায়ুর সাথে যুধিষ্ঠির, নীরবতা।
যা কিছু বহতা, যা সময়ের স্রোতে গড়িয়ে বাহিরে
পাশাপাশি শুয়ে আছি পবিত্রতা
উপচারবিশারদ হে পূজারী! মেখে নাও একাকার প্রসাদে এবার।
সেই শুরু
শেষ হয়না, কিছুতেই শেষ করা যায়  না
শিকড়ের পুজো, মনের একা থাকা,খিদে জীবনের।

গোপন রাখিনি কিছু
শুধু বদলানো কবিতায় শব্দ জড়িয়ে গেছি,যেমন তুমি।
অজস্র বৃষ্টি শাওয়ারের জলে ভিজে যাওয়া সময়
সদ্য স্নান সারা রুপসী কবিতার জলছবি।
অনাবৃত তোমার স্তনে পুজারী প্রেম
শিকড়ের টান,আরো গভীর ক্রমাগত।

নীল পাখি

নীল পাখি
,,,,,,,,,,,,,ঋষি
-------------------------------------------------------------------
এক একদিন আকাশ দেখলে আমার কান্না পায়
জানতে ইচ্ছা করে নিজের অধিকার।
তোর ব্যালকনি থেকে দেখা গাছের সবুজের ভিতর
সেই নীল পাখিটার পরিচয় জানতে ইচ্ছা করে।
জানতে ইচ্ছা  করে তোর কংকালে লুকনো
সেই নিশ্বাসের অধিকারকে যা শুধু স্বপ্নে দেখা দেয়।

আনমনে হেঁটে চলা ব্যাস্ততা পেরিয়ে  চার্চ গেটের দিকে
ওখানে কাঠবিড়ালী, পলকা ঘাস, ঝরা পাতা
এইসব মাঝে মাঝে যৌনতার থেকেও বেশি রমণীয় মনে হয়।
মনে হয় তুই আমার বুকের খাঁচায় কাঠবেড়ালী
তুই আমার অলস দুপুরে বাদামের মতো খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া
কাটুরকুটুর ...
এইসব পাগলাটে ভাবনার দেওয়ালে তখন অজস্র দেয়াল লিখন।
আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি অভিমান
ইশ বড়  বিচ্ছিরি তুই।

এক একদিন পথ চলতি আমি পথ হারায়
ফিরতে ইচ্ছা করে পুরনো পথে।
তোর অপ্রকাশিত কবিতার প্যামফ্লেটে তখন আমার স্বপ্ন
নীল পাখিটা তখন আকাশে।
আমি তখন অবাক হয়ে আকাশের দিকে দেখি
তোর চোখের কালিতে লুকনো স্বপ্নরা নীল পাখি হয়ে যায়।

Saturday, January 27, 2018

ভালবাসি বারংবার

ভালবাসি বারংবার
,,,,,,,,,,,,ঋষি
_------------_----------------_----------------
আচমকা সরে দাঁড়ানো দুপুর
সময় তখন ভারাক্রান্ত বিকেলের মুখে মুখ লুকনো।
প্রেম কবিতার বিভ্রম কেটে গেলে মনে হয়, কতদিন পর
আকাশে উড়ে যাচ্ছে ফানুস হৃদয়।
এ শহরে ইস্কাবনের বিবিরা শুধু মাত্র শহুরে 
একরাশ পারফিউম গন্ধ মাখা হৃদয়।

মটন কাবাবের মত সুস্বাদু ভুরিভজ
কবিতার পংতির পরে দুদিন গলার শব্দ হারানো  নীরবতা।
কবিতার টক ঝাল মিষ্টি আর মুখরো চক স্বভাব
আর প্রেম নিয়মিত এক যন্ত্রনা।
এ হৃদয়, চলন্তিকা কার নাম?
এ হৃদয়, জানতে চাওয়া লুকনো স্বপ্নবাস।
শহরের গতিতে লেগে যাওয়া একা থাকা
ভুল আর ভাঙা বানানে কবিতার আলাপন নীরব বিকেল।

আচমকা সরে দাঁড়ানো দুপুর
কবিতার পাতায় পাতায় নীরব কিছু প্রতীক্ষা।
চলন্তিকা ভাঙাগড়া হ্রদয়ের কিছু কথা তোলা থাক
কিছু নিশ্বাস শুধু সময়ের কবিতায়।
তবু মনে হয় চলন্তিকা নামে কোন সদ্য কিশোরী
আমাকে লিখুক ভালবাসি বারংবার।

Sunday, January 14, 2018

চেনা ধুকপুক

চেনা ধুকপুক
..... ঋষি
===============================================
নীরব দিনলিপি
পলাতক আমি শহরের কোনো কোনে লুকোতে চাওয়া হৃদপিন্ড।
ধুকপুক থেকে যায় ,বাড়তে থাকা যন্ত্রনা
তোর ছেড়ে যাওয়া বাসের জানলায় নিরন্তর অপেক্ষায়।
ধুঁয়ো ওঠা চায়ের কাপ ,আখরোট ঠোঁট
শুকোতে থাকা চামড়ার শীতলতায় চঞ্চল আমি।

আমার তোর কবিতা
সহবাস শহরের কার্বনের ধোঁয়ায় লুপ্তপ্রায় স্বপ্নের ঘর।
শহরের ঘুলঘুলিতে বাস করা পায়রাদের বকবকুম।
ধূসর সোয়েটার ,চ্যাটচ্যাটে উইন্টার ক্রিম,আমি আছি।
তবু নেই কোত্থাও
বাড়ানো হাতের উষ্ণতায় মোড়া মুহূর্তের দিন।
মিস ইউ লাভ
মুহূর্ত আর মুহূর্তে বাড়তে থাকা শহরের শীতলতায় অপেক্ষা।
তোর জানলা দিয়ে বাড়তে থাকা ম্যানিপ্ল্যান্ট
আর আমার শহরে হারানো লাভের মানে ,,শুধু ধুকপুক।

নীরব দিনলিপি
মনে পড়ছে তোকে ,আজ রবিবার।
ব্লেড দিয়ে স্বপ্ন কাটা ফিনকি দিয়ে রক্ত
আচ্ছা মুহূর্তরাও কি পলাতক।
শুনতে চাইছি  তোকে ,তোর গলার স্বর অনবরত বকবুকুম
আর চেনা ধুকপুক। 

অবুঝ কবিতা

অবুঝ কবিতা
,..... ঋষি
=============================================
এবার কিছু বল মন
দেখ সময়  বদলানো আয়নায়  নিজেকে  বদলেছি।
মানুষের ফানুস হৃদয়ের শহরে বদলানো মাইলফলকে
অনেককিছু শিখেছি।
উল্টানো পুরোনো পাতায় কিছু স্মৃতি যেন কামান
আমি শব্দগুলোর মুখবন্ধ করেছি।

আমার শহরে জমকালো শীতে নাজেহাল
তোর শহরের দস্তানায় ফের্নেস্টে রাখা অবুঝ শোক।
আমি কোনোদিন মানুষ হতে পারি নি
তাইতো আজও লিখি তোর কবিতা।
পথ চলতি হঠাৎ কবিতায় লিখে ফেলি তোকে
তোর স্মৃতির হেড এন্ড টেলের বৃষ্টিতে হঠাৎ দেখে ফেলি তোকে।
অথচ নিয়মিত ভুলি তোর জন্মতারিখ
তোর খবর নিতে ভুল হয়ে যায় নিয়মমাফিক। 
ভিজে যাওয়া বরফ শহরের
কোনো অবুঝ কোনে হৃদয়ের বাড়তে থাকা না বলা।
দেখ মন আবারো লিখলাম তোকে
আমার লেখা মানা।তোর গালের কোনের তিল ,আরো অনেক কবিতা।
তবু কেন যে মাঝে মাঝে অবুঝ কবিতায়
তোকে লিখি মন।

এবার কিছু বল মন
দেখ সময়ের বদলানো আয়নায় আমি অবুঝ কবিতা।
চুপ কথা ইতিহাস শুধু তুই আর আমি জানি '
জানি শহরের মাইলফলকে অভিশপ্ত কিছু মুহূর্ত।
শহর বদলাচ্ছে নিয়মিত ,হয়তো আমিও
কিন্তু মন তোকে তো বদলাতে পারছি না ভুল করেও।

Sunday, January 7, 2018

শ্বাশত তোমার প্রেমে (১৪)

শ্বাশত তোমার প্রেমে (১৪)
............... ঋষি
====================================================
শ্বাশত কবিতার অন্তরে তোমাকে আমন্ত্রণ
সময়ের  নটেগাছ  আর  ভাবনার তীরে নিস্তব্ধ নদী।
শ্বাশত তোমাকে দেখলাম শেষ বিকেলে নন্দনে ভদ্রমহিলার হাত ধরে
আমি চিনি  তাকে ,সেই আমাদের পাশের ফ্ল্যাটের বিধবা মহিলা।
কিন্তু শ্বাশত আমি তোমাকে চিনতে পারলাম না
তুমি নন্দনে ,তোমার কাছে তো সাহিত্য শুধু টাইম পাশ।

শ্বাশত বিয়ের কিছুদিন পর
নন্দনে কবিতা গৃহে আমার কবিতা আবৃর্ত্তি ছিল।
তোমার আসার কথা ছিল
মনে আছে বাড়ি ফিরে বলেছিলে  কবিতা তবিতা মেয়েলি  ব্যাপার।
কিন্তু শ্বাশত তুমি তো  পুরুষ ছিলে
তবে তুমি কেন নন্দনে ?
ওহ  বীরপুরুষ তোমার তো আবার  বিছানায় নারীসঙ্গ  চায় 
শ্বাশত তুমি বদলালে  না  আজও ,একইরকম।
তোমার নিশানায় আজ  অবধি  শিকার  হওয়া  সকল  নারীকে 
আমার করুনা,তারা আজও পুরুষ চিনতে অক্ষম।
কিন্তু আমাকে করুনা করবে কে ? .
তোমার ঘামের গন্ধ আজও আমি যে ভুলতে  পারি না।

শ্বাশত এই কবিতা অভিমানী নয়
শুধু পুরুষ চেনার  অক্ষমতাকে সাক্ষী করে  লেখা।
সময়ের  নটেগাছ  আর  ভাবনার তীরে নিস্তব্ধ নদী
দুটোয় বড়ো চঞ্চল করে মানুষকে।
জানি শ্বাশত তুমি এই কবিতা পড়বে না কখনো
আর যারা পড়বে ,তারা বলবে বোকা মেয়ে। 
    

ইকির মিকির

ইকির মিকির
.... ঋষি
=========================================
ইকির মিকির  চাম  চিকির
ফুসমন্ত তোর বাড়ি কোথায় ?
ছেলেটা অনবরত খুঁড়ে চলেছে  কবিতা
পাতায় পাতায় রক্তের  দাগে  শহর  ফিরছে  নিজের মতো।
বিষফল  আর যোগফল ,মাঝ খানে  তফাৎ
ফুসমন্ত এই শহরেই বাস করে।

ইকির মিকির  চাম  চিকির
ম্যাডাম  আপনার  চশমার কাঁচে দেওয়াল মাফিক দুর্যোগ।
আপনার প্রয়োজন পরে না  ,মানে  মনে  পরে  না
কি হবে ম্যাডাম, এই ভাবে ভাবে ফুরোতে চেয়ে।
সময়ের অন্তরে শীতের পোশাকি আদর
ম্যাডাম দুর্বলতা চাপা দেওয়া মাটির কবরে অসংখ্য মুহূর্ত।
মুহূর্তরা সময়ের থেকে দামি
ম্যাডাম তোমার শহরে পাহাড়ের চূড়োয় সূর্যওঠা ঘুম।
অভিমান ভালো ম্যাডাম
 কিন্তু নিজের সাথে অভিনয় কখনো নয়।

ইকির মিকির  চাম  চিকির
 ছোটবেলার কোনো মুহূর্তের লুকোনো  প্রলাপ।
আর ফুসমন্ত সে তো শহরের দীর্ঘশ্বাসে অকালবাল্য কবিতা
ছেলেটা পাতায় পাতায় মুহূর্ত ছুঁয়ে বাঁচে।
যোগফল আর গুণিতকে বাড়তে থাকা এক্কাদোক্কা
মুহূর্ত শুধু বাঁচতে চায়।




অনেকদিনের আমার এই গান

অনেকদিনের আমার এই গান
......ঋষি
========================================================

অনেকদিনের আমার এই গান
সূর্যের আলফা ,গামা ,বিটা বুক ভেদ করে  প্রস্তরখন্ড।
পৃথিবীর আদিম কোষে তখন উদযাপন
সময় বদলাতে বদলাতে কোনো আদিম গেস্টহাউসের বারান্দায় পায়চারি।
দাঁড়িয়ে থাকা কোনো একলা মুহূর্তের ইতিকথা
চলন্তিকা জানে সে কথা।

আরেকটি দীর্ঘ দিনের শেষে, হৃদয়-পাখি তোর গান গেয়ে গেয়ে
সারা আকাশে জাদু ,অদ্ভুত মায়া, আকাশের লাজ।
হৃদয়ে আলোর বন্যা 
 হৃদয়ের ঘর, সকালের শিশির, ছলকে ওঠা চাঁদের মায়া।
আমি রোজ রাতে মূর্তির শরীরে, চমকে উঠি  ঈশ্বর খুঁজি
আর খনি-শ্রমিকের মতো হীরের ঝলকে হদয়ে মাখি কয়লার পাপ।
সময়ের বিশ্বাস 
বিশ্বাস শব্দটা  ততক্ষন বিশ্বাসী , যতক্ষণ প্রতীক্ষা।
আর তারপর
কান পেতে শুনতে পাওয়া নটরিচেবেল নাও।

অনেকদিনের আমার এই গান
প্রিয় আলো ফুরিয়ে যাবে বলে, লুকিয়ে রাখি রোদ দৃষ্টির গভীরে।
পৃথিবীর নিয়মগুলো সব সামাজিক
আর অনিয়মিত ঈশ্বরেরা সময়ের পেন্সিল লুকোতে চায়।
তবু আকাশের নিঝুম তারারা জানে
চলন্তিকা আমার মতো জেগে পৃথিবীর আদিম কোষে।

Tuesday, January 2, 2018

অবুঝ শোক

অবুঝ  শোক 
.......... ঋষি
==========================================
শহরের শীতলতায় অবুঝ শোক
কথা ছিল সময়ের পরে দেখা হবে উষ্ণতায়।
কিন্তু সেটা তো আগুন ছিল না
ছিল রঙিন স্বপ্নের কিছু জানতে চাওয়া মুহূর্ত।
কথা ছিল সেখানে শুধু স্বপ্ন বাঁচবে
কিন্তু স্বপ্নগুলো আগুনে পোড়াবার কথা ছিল না।

কথা ছিল
কোনো শীতের রাতে একলা চাঁদের হাত তোর আমার গভীরতায়।
জ্যোৎস্নায় মাখামাখি বুকে লুকোনো কষ্টগুলো
আমরা ভাগাভাগি করবো অচিন সুখে।
কিন্তু সেখান থেকে ফিরে আসার কোনো রাস্তা ছিল না
ছিল না বাঁচার আদলে একলা বাঁচার একা।
ছিল না বুকের কষ্টগুলোর চোখে জলে লুকিয়ে রাখার অধিকার
ছিল অনেকটা প্রশ্রয় আশ্রয়ে ফাঁকে।
কথা ছিল
সময়ের কথকতায় দৃশ্য আর দর্শনের তফাৎ
কিংতু সেখানে তোর আমার তফাৎ ছিল না
ছিল না একলা বাঁচার অধিকার
কারণ সেখানে তো কোনোকিছু একার ছিল না।

শহরের শীতলতায় অবুঝ শোক
কথা ছিল বুকের সময়ের পরে সাথে থাকা চিরতরে।
কিন্তু সেখানে তো দূরে যাওয়ার কথা ছিল না
ছিল না কথা একলা  কাঁদার।
কথা ছিল সেখানে শুধু হৃদয় বাঁচবে
কিন্তু হৃদয় ভাঙার  কথা সেখানে মোটেও  ছিল না। 

অন্ধকার চিৎকার

অন্ধকার চিৎকার
....................... ঋষি
=====================================================
মাঝে মাঝে ভীষণ পাপ করতে ইচ্ছে হয় 
ইচ্ছে হয় শুন্যতা মাঝে নিজেকে হত্যা করতে।
কারোর বুক চিরে রক্তের স্বাদে
ভীমের মতো চিৎকার করতে।
সময়ের পবিত্র দুর্গতে
মাঝে মাঝে অন্ধকারে থাকতে ইচ্ছে হয়।

মাইলফলক হৃদয় জুড়ে দংশন
কেন ,কিভাবে ,কোন মুহূর্তে এই সব স্বার্থপর শব্দদের বিন্যাসে
নিজেকে বড় অগোছালো লাগে।
তাইতো মাঝে মাঝে নিজেকে হত্যা করতে ইচ্ছে হয়
ইচ্ছে হয় ছড়ানো দংশনের হিংস্রতায়
নিজের রক্ত পান করতে।
ঈশ্বর শব্দের অর্থ খুঁজতে মাঝে মাঝে
ইচ্ছে হয় তোকে স্পর্শ করতে।
ইচ্ছে হয় আমার অমিকে স্বার্থপর অবুঝ ক্যানভাসের বাইরে দাঁড় করিয়ে
চিৎকার করতে তোর নাম ধরে।
হওয়ার শতক পেরিয়ে নতুন বিশ্বের উৎসর্গটায়
আমার এটা হারানোর ভয়।

মাঝে মাঝে ভীষণ পাপ করতে ইচ্ছে হয়
ইচ্ছে হয় সাজানো পূর্ণতার আকাশে নিজেকে আয়নায় দেখতে।
আয়নায় দেখতে নিজের ভয়ঙ্কর পৈশাচিক রূপ
যেখানে সময়ও যুগান্তর।
তাইতো নিজেকে অন্ধকারে হারাতে
আজকাল তোকে হারানোর স্পর্ধা হয়।  

মধ্যবর্তী

একটা বিস্ফোরণ দরকার ছিল  দরকার ছিল একটা সীমা ছাড়ানো চিৎকারের  তোমার বুকের কাপড় সরে গেছে ,আমি রয়ে গেছি মধ্যবর্তী  তোমার নাভির থেকে দাগগুলো যদ...