Tuesday, September 30, 2014

rishi026@gmail.com



সমুদ্র আর হৃদয়
................. ঋষি

পরিবর্তিত পর্যায়ের কোনো পরিযায়ী
আকাশ থেকে স্নায়ু ঘেঁষে নেমে আসে সমুদ্রে।
যারা হাসে আর যারা কাঁদে
মাঝের তফাৎটা সমুদ্র আর হৃদয়।
আচ্ছা হৃদয় তো সমুদ্র হতে পারে
আর  সময় যদি অফুরান হয়ে যায় সমুদ্রের মত।

যাকে ঘিরে এই সমুদ্রের মাঝে একলা হৃদয়
রাশি রাশি নীল জলের উচ্ছল ঢেউ হৃদয় পাড়ে।
পাড় ভাঙ্গে বারে বারে
ঠিক যেমন ভেঙ্গে যায় হৃদয়।
ঠিক যেমন কোনো তারা খসে পরে হৃদয় মাঝে
কিন্তু শূণ্য সে যে থেকেই যায়।
শূন্য সে যে অপূরণীয় কোনো মাগ্নিফাই গ্লাসে দেখা
কাছের থেকে দুরে
আর সে যে দূরত্বের মত লাফিং বুদ্ধ বুককেসের।

কে যেন ছুঁয়ে ছিল একবার খুব কাছে ,খুব গভীরে
মনের হাইওয়েতে সার্বিক আনন্দের বাবুইয়ের বাসা।
কে যেন ভালোবেসেছিল খুব কাছে ,খুব গভীরে
হৃদয়ের  মেঘ ছিঁড়ে ঝলমলে শ্রাবনের রৌদ্র।
কিন্তু সেই তফাৎটা তফাৎ রয়ে গেলো
হৃদয়ের  গভীরতা সাগর কে হার মানালো ।

Sunday, September 28, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

১৪২১ শারদীয়া শুভেচ্ছা
...................... ঋষি

১৪২১ শারদীয়ার শুভেচ্ছা
পিচ্ছিল কোনো রঙচঙে বিজ্ঞাপনী পোস্টারে।
তুমি আমি গড়িয়ে নামি,ভিড় করি
জীবনের জ্বলন্ত উনুনের পারে
কয়েকটা দিন হাসি জড়িয়ে।

উপর থেকে ঈশ্বর দেখেন কালো কালো ভিড়
কতগুলো পিঁপড়ে কাড়াকাড়ি সময়।
তলার থেকে ওপরে পুজো থিমের সিরিজ
হাসছেন তিনি ,আরো হাসছেন ভালো থাকার লিরিকে।
জড়াজড়ি প্রেম ,জড়াজড়ি দাম্পত্য ,সাজানো সময়
সুন্দর স্থাপত্য।
প্যান্ডেলের ভিড়ে তুমি ,আমি হাত ধরে
সার্বজনীন  ১৪২১ শারদীয়ার শুভেচ্ছা
পুজোর দিনগুলো আপনার আরো উত্সব মুখর হোক।

এমনটাই বলার ছিল ফুটপাথে সেই ছেলেটার
আমাদের শুভেচ্ছাতেই তার আনন্দ।
কিংবা সেই মেয়েটা যে সমাজ ছাড়া যোনি
আমাদের  শরীরের দামে আনন্দ।
কিংবা ধরুন সার্বিক দৈনন্দিন ভাস্কর্যের দারিদ্রতা
যার খিদে পেটেই আনন্দ।
প্লিস আর এমন ভাবা যায় না
এটা ১৪২১  শারদীয়ার শুভেচ্ছা
পুজোর আলোকময় দিনে সাজানো  সভ্যতায় আনন্দ।

১৪২১  শারদীয়ার শুভেচ্ছা
আমাদের সভ্যতার ভিত্তি স্থাপন করছেন মিথ্যা অলংকার।
আর ফিতে কাটবেন বিভাজিত সময়ের আততায়ীক।
ডোন্ডওয়ারী আপনারা ভালো থাকুন
আপনাদের জানাই ১৪২১ শারদীয়া শুভেচ্ছা।

Saturday, September 27, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

আগামীর প্রত্যয়
............... ঋষি

আকাঙ্খার দিন গুনি
রৌদ্রতপ্ত বাসভূমি আর অক্ষাংশের স্পর্শে।
কেমন যেন পৃথিবীর মাটিতে আজকে কাদা
প্লাবিত নোনা জলের সমুদ্রে।
আমরা কোথাও যেন হারানো সভ্যতা
আর আমি দিনগুনি সভ্যতার মাটির।

এমনি হয় যখন আমি বাড়ি ফিরি সারাদিনের পর
সন্ধ্যের ঝুলন্ত বাদুরগুলো সভ্যতার গতিতে আটকে থাকে।
রক্ত চোষে ক্লান্তিহীন  সময় ঘামের গন্ধে
হামাগুড়ি দিয়ে দরজার গোড়ায় আমি ,আশ্রয় ,আশ্রয়।
রোজ এমনি হয় আমি আশ্রয় খুঁজি রোজ
হিসেবের বাইরে।
নিজেকে আরো পবিত্র প্রেম আকাশের চাঁদ
আমি জংলি নদী বয়ে যায় প্রাগৈতিহাসিক পৃথিবীতে।
বয়ে যায় নিদ্রাহীন প্রতি দিনের শেষে
নির্মল আকাশের জ্বলন্ত মনিমুক্তে সভ্যতার মাটি।
সভ্যতার জন্মে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়
আবার একটা  দিন সুপ্রভাত।

আকাঙ্খার দিন গুনি
আবার ফুটপাথে শুয়ে মৃত্যুর দিকে অগ্রগামী বিকলাঙ্গ সভ্যতা।
আরেকটু এগিয়ে ১০-৫ টা সময়ের নিত্য চাবিকাঠি
আবারও  পড়ি ,আবারও  উঠে দাঁড়ায়।
বাঁচবার তাগিদে  আরেকবার আমার পৃথিবীতে
কালকের দিনটা সুদিন। 

rishi026@gmail.com

জ্বলন্ত শব্দগুচ্ছ
............... ঋষি

খানিকটা আপ্লুত ,খানিকটা অশ্রুসিক্ত
কোনো এক কবিতায় আমার লুকোনো শব্দগুলো
কিছুটা প্রশ্নচিন্হ।
অনেকটা সেই মেঘে ঢাকা তারা
জীবাশ্ম আর দত্তক আহ্বান।

আমি ,আমার মাঝে লোকানো শব্দগুচ্ছ
জ্বলন্ত পোড় খাওয়া আয়নার যন্ত্রণার স্মৃতিলিখন।
যেখান থেকে উঠে আসে লাল রক্ত ,নিদারুন লাভা
প্লাবিত আমার চারিপাশের বেঁচে থাকা।
চামড়ার খড়িওঠা দাগগুলো স্পষ্ট
বেওয়ারিস ছেলেবেলা ,নোনতা কৈশোর আর রক্তাক্ত সময়।
সব পেরিয়ে আমার কবিতায় ,আমার প্রেম
আমার বেঁচে থাকার জীবন দর্পণ।

এখান থেকে শুরু করে জ্বলন্ত চিতায়
আমার কবিতারা পুড়ছে।
চারিদিকে কটুগন্ধ ,আবর্জনা জড়িয়ে সমাজ
চলন্ত শব ঘরের জাগতিক খিদে।
পার্থিব আর অপার্থিবের মাঝের দেওয়ালে
আমার কবিতারা বলছে বাঁচবার কথা।
আমার কবিতারা বলছে সত্যের কথা
সর্বপরি শুধূ প্রেম সে যে কষ্টের।

খানিকটা আপ্লুত ,খানিকটা অশ্রুসিক্ত
আমার হাজারো কবিতায় জন্ম নেওয়া শব্দগুলো
ভীষণ যন্ত্রণার।
অনেকটা সেই মেঘে ঢাকা তারা
আগত নোনা জলের কবিতা।

rishi026@gmail.com




আমার এই কবিতা আমার ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ এর সাথে কোনো ধর্ম বা কোনো ব্যক্তিকে আঘাত করার অভিপ্রায় আমার নেই।

অসময় চর্যাপদ
........................... ঋষি

খোলা চিঠি খবর পেরিয়ে খবরের কাগজ
তারপর বুলেটিন ,তারপর রক্ত ,মাংস আর জীবন।
জীবিকাটা বাদ
জানোয়ারের জীবিকা বোধহয় মানবিক ধর্ষণে।
অনেকটা স্যানগ্লাস লাগানো সময়
ধুরন্ধরে রৌদ্রে চোখ ধাঁধিয়ে যায় ,
আর সময় সে যে কেটেই যায়।

যারা আসছেন রোজ সমাজের চৌরা তক্তায়
যারা নিয়মিত বদলাচ্ছেন সামাজিক চর্যাপদে,
তাদের কথায় ধরুন মাইকে একই স্লোগান।
বদলাচ্ছে দাদা বদলাচ্ছে
আপনাদের ভালো আর আমাদের সময়,
উপর থেকে নিচে নেমে যাচ্ছে।
কোথাও বাদ নেই
জানোয়ারের বিষাক্ত  ছোবল আর ধ্বংস মানবিক অধিকার
দিল্লি থেকে কামদুনি ,সেখান থেকে  ইউনিভারসিটি।
আরেকটু এগোয় যোনির দিকে
৩ থেকে ৭৩ সবটাই যোনি হয়ে যাচ্ছে।

অদ্ভূত প্রহসন নিদ্রিত বিচারকক্ষে
কালো কাপড় বাধা আইনের ভদ্রমহিলা গান্ধারী আজ।
মিথ্যার নাটকে সত্যের উন্মোচনে  অসম্ভব
বুঝছে সবাই তবু মাথা হেলিয়ে যাচ্ছে।
অপদার্থ মানুষের ,অক্ষম সভ্যতার সামাজিক মিথ্যায়
সত্যের পরম মৃত্যু ,মিথ্যা কুরুক্ষেত্রে
কৃষ্ণ আজ যোনির দালাল হাসছে আর হাসছে।

Friday, September 26, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

আজকের পৃথিবী
..................... ঋষি

নীল স্বপ্নের দেশ থেকে আজকের পৃথিবী
দূরত্ব বাস্তব।
ঠিক যেমন আমার জন্ম  আর মৃত্যুর দুরত্ব
তোকে চাওয়া ,তোকে পাওয়ার
আবর্তিত জীবন।

কয়েকটা শুকনো পাতা পথের উপর
কোনায় কোনায় জমে যাওয়া ,মিশে যাওয়া মাটি,
ভালোবাসি ,ভালোবাসি।
বলা হয় নি ,বলতে পারি নি তোকে
কেন জানিস আমি যে পুড়ে যাওয়া বেলা ,
আমি যে শ্মশানের ছাই।
নিজেকে পোড়াতে পারি বারে বারে
কিন্তু  তোকে কি পোড়ানো যায়।

কিন্তু পোড়াতে চাই তোকে
খুব গভীরে লেগে যাওয়া দাবানল হৃদয়।
মিশে যেতে চাই তোর বুকে
তোর গভীরে বাঁচার ইচ্ছা নিয়ে।
আমি যে  হাসতে চাই আগের মতো
হয়তো জন্মের আগে অন্য কোথাও।
তোর তীক্ষ্ণ ধারালো চোখ আমার হৃদয়
ফাল ফাল কোনো মৃত্যুগামী চাঁদ।

নীল স্বপ্নের দেশ থেকে আজকের পৃথিবী
বাস্তবের শুকনো মাটি।
ঠিক যেমন পোড়ানো কোনো টেরাকোটা কাজ
হৃদয় দেওয়ালে ফুটে ওঠা মুখ
তোর আমার রোজ। 

RISHI026@GMAIL.COM

বন্দী জীবন
.................... ঋষি

তোর বাড়ির সামনে একটা দুর্গ
তুই জানিস না বোধহয় আমি ওই দুর্গের রাজা।
তোর হৃদয়ের উপরে যে মাটি
তুই জানিস বোধ হয় আমার নিত্য হাঁটাহাঁটি।
কারণ অকারণে ঝরে পরা শিউলি
সবটাই কষ্টের নয়
তাইতো মাঝে মাঝে ভালো আছি মনে হয়।

একটা দৃষ্টি সেতু গড়া নোনতা চোখে
জল নেই ,সম্পর্ক্য নেই শুধু স্পর্শে থাকা।
তোকে আটকা দেখতে পারি না
খাঁচার বাইরে ,জানলার বাইরে নীল আকাশ
আমি তো আর বন্দী থাকতে পারি না।
তোর হৃদয়ের ঘর ,তোর সমাদর সবটাই স্নেহ
আর আমি ঝরে পরা রৌদ্র।
তোর ঠোঁট ছুঁয়ে ,চোয়াল বেয়ে আরো গভীরে
আসলে কি জানিস
আমরা কখনো একলা থাকতে পারি না।

তোর বাড়ির সামনে একটা দুর্গ
তোর জানলার বাইরে একটা বিশাল আকাশ বন্দী।
তুই জানিস না বোধহয় আমিও বন্দী আছি দুর্গে
আমার বিন্ধ্য বুকে কয়েক যুগের শীতলতা।
হিম ঘর বুঝলি হিমঘর ,জমা রক্তপাত
আসলে যন্ত্রণাগুলো এমনি হয়
তোকে আমাকে ছুঁয়ে কোথাও বন্দী জীবনে।  

Wednesday, September 24, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

একটু বাঁচা
................ ঋষি

শ্রাবনের ধারার মত আসুক নেমে আসুক নেমে
এ যেন রৌদ্রে দেখা প্রথম আলো।
আমার দুচোখের নিদ্রায় স্বপ্নিল মন
তুই যে কনে দেখা আলো।

তোকে ছুঁয়ে আমার কবিতারা স্বপ্নের মত
স্পর্শ করে হৃদয়ের খুব গভীরে।
স্পর্শ করে সময় দোলনায় প্রেম
দুলতে থাকে দু ঝুটি ঝুলিয়া  .
আমি দেখতে থাকি ,হাসতে থাকি
শ্রাবনের ধারায় ভিজে আমার স্বপ্নিল তুই
মন তোর সাথে।

তোর আসার খবরটা পেলাম আজ
আমার ময়ুরপংখী আকাশে উড়ন্ত ঘুরি।
উড়ি উড়ি তোর হাত ধরে স্বপ্নের আকাশে
আমার স্বপ্ন তুই প্রথম আলো।
জীবনের পাতায় জলন্ত অঙ্গারে আশ্চর্য প্রদীপ
আমি সেই আলাদিন
যা খুশি তাই জীবন পাতায় বাঁচতে চাই।

শ্রাবনের ধারা মত আসুক নেমে আসুক নেমে
আমার এক আকাশ স্বপ্নের আদরে তোর স্পর্শ।
তুই আমার বৃষ্টি ,আমার প্রেম
মন তোর একটু হাসা এই জীবনে বেঁচে থাকা বাঁচা। 

RISHI026@GMAIL.COM

অনামিকা তুমি
............. ঋষি

সে সময় নয় ,সে  রৌদ্র
উচ্ছল আনন্দের ফুটপাথে হেঁটে যাওয়া অনামিকা।
কোনো নাম নয় ,হতে পারে অভিধানিক অর্থ
যার স্তব্ধতায় ধরা দেয়।
দুচার মুহুর্তের ফেলে আসা পরিচয়
কিছু সময় কিছু কথা তোমার সাথে।

আমি পরিচিত নয়
অপরিচিত সময়ের পাতায় অন্ধ স্লোক।
আমি জীবিত নয় তোমার মত
মৃত কোনো কবিতার পাতায় হারিয়ে যাওয়া শব্দ।
কিন্তু আমি ফিরে আসি কবিতার  মাঝে
অসীম কোনো কনে দেখা আলোয় মুগ্ধ দিন।
আমি কবিতা লিখি অনামিকা তোমার
শুধু এইটুকু বাঁচা ,আমার ঋণ।

প্রতি পাতায় ফুটে ওঠা ঝলমলে ছবি
অনামিকা আমি তোমায় আঁকি কবিতায়।
দুচার মুহুর্তের জীবন যাতনার পরে
কখনো বৃষ্টি ,কখনো রৌদ্র ভেজা তুমি হাঁটতে থাকো।
কবিতার পাতায় আমার সময়
আর হিসেবের বাইরে আমি নিভে যাওয়া আলো। 

RISHI026@GMAIL.COM

পুড়তে থাকা
................ ঋষি

যতটুকু আগুন এ বুকে
সবটুকু নিবি।
জ্বলিস না প্লিস ,আমি পোড়াতে পারি না
শুধু মাত্র পুড়তে পারি।
আমার হৃদয় ঘরে জমে থাকা কল্পনায়
তোর স্পর্শে একটু বাঁচতে পারি
শুধু এতটুকু আর কিছু নয়।

আগুন চাস না ,চাস না আগুন
ওটা আমার থাক।
জীবন্ত উনুনের কয়লায় সবটুকু আশা
কালো ,লাল আগুনে পুড়ে ছাই। .
প্লিস আমার কাছে আর জীবন চাস না
জীবন মানে পুড়ে যাওয়া।
জীবন মানে কেটে যাওয়া আকাশের ঘুরি
হাতবদল উড়ি আর উড়ি
আসলে ভাসতে থাকি আনন্দে মুহূর্তগুলি।

চতুরঙ্গের জীবনের জন্ম ,মৃত্যু সত্যি
আর সব মিথ্যা।
শুধু জ্বলতে থাকা সময়ের ঘড়ির দিনবদল
আজ থেকে কাল ,কাল থেকে  পরশু ,
মিথ্যা আশা ,ভাসতে থাকা।
হাতবদল জীবনের মুহুর্তে পুড়তে থাকা
ফেলে আসা সময়।  

RISHI026@GMAIL.COM

একটু ছুঁয়ে যা
............... ঋষি

তোকে পাইনি বহুদিন হলো
মেঘের উপর থেকে শুধু বৃষ্টি দেখেছি।
বুকের বারান্দায় তার আলতো ছোঁয়া
কিন্তু বৃষ্টিতে ভিজি নি  বহুদিন হলো
আমাকে একটু ভেজাবি প্লিস।

খোলা দরজার বাইরে দখিন হাওয়া
কিছু মুহূর্ত তোকে জড়িয়ে ঠোঁটে চুমু।
আলতো আদর আলতো মেঘ
নোনা জল ,ভেজা শব্দ ,মিঠি হাওয়া।
আমি নিঃশ্বাস পাইনি বহুদিন হলো
আমার নিঃশ্বাসে আসবি প্লিস।

কেন যেন এমন হয় আজকাল
পথচলতে বাদল মহুয়ায় নেশায় মাতাল।
টলমল পায়ে এগিয়ে যায় তোর দিকে
পরে যায় ,আবার পরি।
যতোবার খুশি ভালোবেসে যায় তোকে
আমায় একটু ভালোবাসবি প্লিস।

তোর  দরজায় দাঁড়িয়ে খোলা তলোয়ার
উদ্ধত চাহনির ,উদ্ধত মানে।
আমি যে তলিয়ে যাওয়া কোনো গোপন হাওয়া
ভালো থাকা মেঘলা বেলা।
কয়েক ফোঁটা বৃষ্টি আদর সোহাগে
আমাকে একটু আদর করবি প্লিস।

তোকে পায়নি বহুদিন হলো
মুক ,বধির সেই হারানো দিনের পাতায়।
আমার শ্রাবনের ধারা উত্তাল ঢেউ
স্নেহের মত তুই
আমাকে একটা জীবন দিবি প্লিস। 

RISHI026@GMAIL.COM

হৃদয় পাতা
................. ঋষি

দূরত্ব গুলো মরে যাওয়া ইন বক্সের পাতায়
মৃত বাহানা বেঁচে থাকার।
সকাল ,সন্ধ্যা হৃদয়ের মাঝখানে আটকানো ফ্রেম
গড়িয়ে যায় সময় নিখোঁজ স্তব্ধতায়।
সমুদ্রের সাথে আমাদের বাস চিরকাল
উঠছে ,পড়ছে,ভাঙছে ,গড়ছে।
অজস্র মিলনের পরে সেই বালিঘর
হৃদয়ে গভীরে নোনা জল।

আমি হাসছি দেখ মন
অবুঝ বাহানায় আমার বুক তোকে ছুঁয়ে।
তোর ঠোঁটের নোনতা স্বাদ পাচ্ছি আমি
মৃত রক্তে অস্পষ্ট দেখা অবয়বে।
আমি বেঁচে যাচ্ছি সেই পথ ধরে
ট্রেনের কামরার বাইরে অন্য পৃথিবী ,
সরে যায় পিছনে
যেমন সরে যাচ্ছে আমাদের স্পর্শগুলো।

খুঁজছি তোকে অজানা সিলিঙে টিকটিক ধরে
মিনিট ,সেকেন্ড ,ঘন্টা তারপর সেই দুরত্ব।
আটকে যাচ্ছে আমার কলম
পাতার পর পাতা জুড়ে রক্তক্ষরণ।
চেনা স্বাদ তোর ঠোঁটের ,তোর হৃদয়ের রঙের
চেনা স্পর্শ অচেনা এই প্রেমের ঘোরে।
শুধু দুরত্ব দুরে নিয়ে যায়
আর দৌরাত্ম আমার হৃদয় পাতায়। 

Tuesday, September 23, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

দেশটার কি হয়ে গেল
.............. ঋষি

গৃহপালিত সত্যিগুলি আঁকড়ে ধরে
রোজকার কবরে নিত্য আমাদের কোলাহল।
রাত দশটার খবরে প্রাচীন বৃদ্ধরাও বুলেটিন নেয়
বিশ্বের সুন্দরী রমনীর স্তনের খবর।
কিংবা ধর লেটেস্ট বুলেটিন বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী নিগ্রহ
দেশটার কি হয়ে গেল।

এমনতো চিরকালীন সৌন্দর্য্য মাখা আমার বিশ্ব
প্রত্যাহিত ঘুম ভাঙ্গা জাতকরা জন্মান্তরের পায়রা।
প্রাচীন বিশ্বাসের খুপরিতে বক বাকুম ,বক বাকুম
সামুদ্রিক আদ্র হাওয়ায় পিতৃসুত্রে পাওনা
এমনকিছু জড়িবুটি।

ভদ্র সন্তান মায়ের আঁচলে, মায়ের যোনিতে
দৈনন্দিন বলতে থাকে দেশের খবর ,দশের খবর।
নিজের আর পরিবারেরটা যতক্ষণ শিরোনামা নয়
ততক্ষণ হ্যান করেগা ত্যান করেগা ,
রোজকার বেঁচে থাকায়।

রোজকার বেঁচে থাকে দৈনন্দিন বাজারে মৃত সব
পুরো দেশটা যেন মৃতের শবঘর।
হাঁটছে ,চলছে ,জন্মাচ্ছে ,মরছে কেঁচো সব
দেশের খবরে কাজ নেই ,নিজেরটা দেখো,
কি আছে বেঁচে থাকার লুকোনো অভিধানে।

খোঁজো নিজেকে, খোঁজো রোজকার বেঁচে থাকায়
টুকরো টুকরো মিথ্যার সাগরে সত্যির অভাব।
জীবন্ত কারাগারে একটা সত্যি হৃদয়ের অভাব
অভাব বেঁচে থাকার পাতায় বাঁচার মানের
অন্যায়ের প্রতিবাদের সাহসের  ।

দেশটার কি হয়ে গেল ,দেশটার কি হয়ে গেল
এক্সিকিউটিফ থেকে জাতীয় নেতা সবার এক বুলি।
মায়ের পেটে থেকে মায়ের ওমে বাঁচা সদ্যজাতরা
কি দেবে তোমার সন্তানকে ,অগ্রজ সভ্যতার বুলেটিন ।
আর খেয়ে উঠে আঁচিয়ে নেওয়া গুড়গুড়ি
দেশটার কি হয়ে গেল।



RISHI026@GMAIL.COM


                                  আমার এই কবিতা আমার ব্যক্তিগত মতামতের প্রতিফলন। কাউকে আঘাত করার অভিপ্রায় বা সাহস আমার নেই।

মেরা দেশ মহান
................. ঋষি

মাঝে মাঝে আমি চেতনার ফুটপাথে উঁকি মারি
মাঝে মাঝে আমি চেতনায় দরজায় গিয়ে দাঁড়ায়।
দেখি সেই ছেলেটা যার হাতে কলম দরকার
তার হাতে নেশার বোতল।
সেই মেয়েটা যার হাতে  পুতুল মানায়
তার কোলে জ্যান্ত পুতুল।

চলে যায় নোংরা নর্দমার পাশে বস্তির ঘরগুলোয়
চলে যায় নর্দমার গভীরে কীটেদের কাছে।
যেখানে সদ্যজাত শিশুর শরীরে পায় কয়েকটা হাড়
তার মায়ের শরীরে পায় অপুষ্টিতে শুকনো স্নেহ।
দেখি চোখ খুবলে  খিদের বিকৃত আগুন
দেখি চোখ বুজে অসংখ্য বাঁচা।

উঁকি মারি ফুটপাথে আমার শৈশবে দাঁড়িয়ে
যেখানে কেউ বলে শালা বোকা . ............ . . ।
উঁকি মারি ঘরের ভিতরে শুয়ে থাকা সত্যগুলোকে
হাঁড়ির ভিতর ,বাংলা মদের গোলায়।
উপছে পরে সময় ,আর সময়ের কোলে লোকানো
চিরসত্য আমরা শালা বোকা . ............ ।


এমনি মনে হয় ,আমাদের জীবন ,আমাদের মরণ
সমাজের  স্ট্রাকচারে দাঁড়ানো গোড়ায় রাখা ফাঁদ ,
ঠিক একটা মৃত্যু ফাঁদ ।
 ইকনমিক অন্ধকারে সাজানো সিঁড়ির গ্রাফ
সাজানো সমীকরণ ,লাভ ,লোকসান বোধ
আর লোভি মানসিকতার সাজানো সংসার।

মাঝে মাঝে তাই আমি চলে যায় জ্বলন্ত চিতায়
চলে যায়  মাটির দুহাত নিচে লুকোনো লজ্জায়।
সে হোক না মেরা দেশ মহান
অর মহান দেশমে হামলোগ সব বোকা . ........... ।
নিজেকে মারতে ইচ্ছে করে চাবুকের পর চাবুক
সত্যি  এই  এয়সা দিন হি রেহেগা ।


Monday, September 22, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

জ্বলন্ত প্রেম
.............. ঋষি

শহর থেকে দুরে কোথাও
কোনো অর্বাচীন অন্য গ্রহের পথে আমি।
গ্রাম আমি দেখি নি ,তাই ওটা বাদ
যেমন বাদ আমার ফুসফুসের নিঃশ্বাসের,
আর তোর বিশ্বাসের মন।
তাইতো আমি শহর ছেড়েছি ,ছেড়েছি জীবনের বাঁচাটুকু
তোকে পেয়ে বাঁচতে চাওয়ায়।

আজকের কবিতায় আমার অপেক্ষার রং লাল
রোজকার রক্তক্ষরণের বারান্দায়  দাঁড়িয়ে
তোর হৃদয় ধরার সাহস রাখি।
যেমন রাখি আমি রোজকার চিন্তায় ,আমার কবিতায়
বলতে পারিস বেঁচে আছি  তোর স্পর্শে।
তাইতো যখনি তোর শরীরে হাত রাখি
শিহরণ জাগে না ,কেন জানিস
ওটা আমারি শরীর।
যখন তোর ঠোঁট রাখি ঠিক তখনও
আমার ঘুমের বিছানায় স্বপ্ন আসে না
মনে হয় তুই জড়িয়ে আছিস আমার কবিতায়।

শহর থেকে দুরে অন্য কোথাও
হয়তো তোর শহরের খোঁজে অন্য গ্রহের পথে আমি।
বিশ্বব্রম্হান্ডের শেষ আশার আলোয়
তোর আশাটুকু একটু স্পর্শ ভালবাসা।
আর তোর বিশ্বাসে মন
আমি একটু বাঁচতে শিখেছি ,হয়তো তোর স্পর্শে
আমার কবিতায় জ্বলন্ত প্রেম। 

rishi026@gmail.com

শুনছেন সেই মেয়েটা
.............. ঋষি

সেই মেয়েটা
যার বুকের মাঝে জন্মানো সোহাগ মানে
শুধু সময়ের বুকে  ডুকরে কাঁদা।
যার বেবাগ অনিভুতিগুলো অনেকটা বর্ষার নোনা জল
শরীর বেয়ে শাওয়ারে ভেজা মাঝ রাতে।
যার লাল চোখে লেগে থাকে নেশার চাওয়া
একটু ভালো থাকা পবিত্র প্রেমে।

সেই মেয়েটা
যার বেঁচে থাকা মানে আবার একটা দিন
সময়ের সাথে শাড়ির ভাঁজে চর্বি।
জ্বলন্ত উনুনে রান্না হওয়া মাংসের গন্ধ
গলির মোড় থেকে পাওয়া যায়।
যার হৃদয়ে বাস করে মেঘলা সময়
শুধু মেনে নেওয়া নিয়তির আবর্তন  ।

সেই মেয়েটা
যার জন্মানো লগ্নে বাবা বলেছিল
ইশ মেয়ে হলো ,ছেলে চেয়ছিলাম।
যাকে ছোটবেলায় আদরের ছলে আদর করেছিল
পাড়ার দাদা ,কাকা,কত সম্পর্কীয় পুরুষ।
যার সমস্ত সত্বা আটকে গেছিল কৈশোরে বুকের উপর
যেদিন মা বল্লো আজ থেকে তুই বড় হয়ে গেলি।

সেই মেয়েটা
যাকে স্বপ্ন দেখে বহু  কামাসক্ত পুরুষ মাঝরাতে
যাকে ইচ্ছা ,অনিচ্ছায় ধর্ষণ করে সমাজের পাপ।
যাকে পথচলতে চোখ জড়িয়ে যায় অজগর সাপ
জড়িয়ে ধরে অস্তিত্ব নরম বুকে হিংস্র বিকৃত সমাজ।
কখনো বুকে হাত ,কখনো সত্বায় ,কখনো হৃদয়ে
খুব সহজে যাকে ছুঁয়ে ফেলা যায়।


সেই মেয়েটা
আজ মুখোমুখি সমাজের জ্বলন্ত আয়নায়
কিছু বলছে শুনতে পাচ্ছেন।
আমি তো শুনছি দিব্বি রোজকার খবরে
আপনাদের মধ্যে আমিও আছি অসীম চেতনায়।
কই মাছের জান ,মরবে না সহজে
তাই পোড়াচ্ছেন যুগে যুগে ,আর পুড়িয়ে যান। 

Sunday, September 21, 2014

rishi026@gmail.com

জীবন মৃত্যুর ওপাড়ে
.................. ঋষি

আয় না একবার আমার ভাবনায়
তোকে জড়িয়ে লিখি সাদাপাতায় যন্ত্রণার স্পর্শ।
তোকে নিয়ে লিখি একটা কবিতা
আমার জীবনে শেষ যন্ত্রনায়।

আর তো কতটুকু বাকি
ঈশ্বরের চোখে লেগে থাকা প্রকৃতি প্রেম।
তোর ও চোখে  সবুজের ঝরনা
নির্মল ,পবিত্র বিন্দুগুলো সব অন্তর স্পর্শী হৃদয়।
ঈশ্বর তুমি অসামান্য কবিতা ও চোখে
ঈশ্বর তুমি জড়ানো জোত্স্না ও চোখে।
আমি মৃতুমুখী আঁধার,কবিতার কাঙ্গাল
আর তুই আমার পূর্নিমার চাঁদ আমার কবিতায়।

কতটুকু পেলে আমি ধন্য তোর প্রেমে
কতটুকু  পেলে আমি পূর্ণ।
এসব নেহাত নক্সী কাঁথা ,জড়ানো যন্ত্রনায়
মৃত্যুমুখী আমার কবিতায় আমি ক্ষুধিত পাষান।
তোর শরীর বেয়ে আমার আকাঙ্খিত বাঁচা
আমার প্রেম, আমার কবিতা।
ঈশ্বরের মত পবিত্র কেউ আমার হৃদয়ে
আমার তুই ,আমার যন্ত্রণা।

আয় না একবার আমার ভাবনায়
তোকে নিয়ে পালাই  আমি সুখের ওপারে বহু দূরে।
যেখানে জীবন মৃত্যু শেষে নতুন দেশ
শুধু প্রেম আর আমার অবশেষ। 

সবুজের মৃত্যু

সবুজের মৃত্যু
,,,,,,,,,,,,,,, ঋষি

ঘটাং ঘটাং ঘ্যচাত
কেটে দিল মাথাটা পৃথিবীর শরীর থেকে।
কোনো শব্দ হলো না ,শুধু ধপাস করে পড়লো শরীরটা
পৃথিবীর বুকে ,শেষ কথাটা ছিল ,
আমি তো কারোর খারাপ করি নি।
আমি তো কারোর ক্ষতি করি নি ,তবে কেন  ?

তবে কেন ওদের  মৃত্যু এতো ভয়ানক
তবে কেন ওদের  নেই  বাঁচার অধিকার।
সমস্ত প্রাণী কুলের মধ্যে সবথেকে নিরীহ ওরা
কারোর ক্ষতি করে  না ,বরং সাহায্য করে।
এই  পৃথিবীর সভ্যতার চাকার প্রথম আলো ওরা
এই  পৃথিবীর নিশ্বাস আর কারণ ওরা,
এই  পৃথিবীর শীতলতা তার বৃষ্টি ওরা।
ওরা  তো শুধু ভালো করছে  ,ওরা তো ক্ষতি করে নি
তবে কেন ওদের হচ্ছে এমন অমানবিক মৃত্যু।

ওদের কাটতে থাকো মাথার পর মাথা
ওদের  অভিশাপ পৃথিবীর লাগবে একদিন ,সব ধ্বংস হবে ।
শুধু মরুভূমি ,শুধু তৃষ্ণা, পৃথিবীর মাটিতে জ্যান্ত মৃত্যু ঘুরবে
আর ধরে ধরে মারবে ,পুড়বে ভীষণ তাপে।
একদিন এমন আসবে সেদিন পৃথিবী শুধু কনক্রিট আর বালি
সবুজ থাকবে না যেদিন থাকবে না প্রাণ। 

Saturday, September 20, 2014

RISHI026@gMAIL.COM

গরুর গাড়ির ক্যাঁচকুচ
............. ঋষি

প্রতিটা দিন চলে যায় ,দিন আসে
যেমন আসে এই জীর্ণ ভদ্রমহিলা জমা শেওলায়।
আজ থেকে না আমি ছোটবেলা থেকে দেখছি
ইনি আসছেন ,একদিন ও বাদ নেই।
যেমন আসে সময় অসময়ে
ঠিক তেমনি এক জীবিত মৃত আমার জীবনে।

অসময় বটে স্বামী পালিয়েছে ,খুব পেটাত
মাকে গল্প করতেন।
আজকেও পেটায় কেউ হাতুড়ি মাথার ভিতর
ওনার উপর ,আমি দেখতে পায়।
গড়িয়ে নামে মস্তিষ্কের চেতনায়  পাপ
এই ভদ্রমহিলা যতবার আসেন।

ছোটবেলায় শুনতাম মা দুটি খেতে দে মা
গায়ে ময়লা  শাড়ি ,জ্বলন্ত যৌবন।
নিভে যাওয়া চোখে মৃত জীবনের ভার
আসলে জীবনের গাড়ি টানা।
ক্যাঁচকুচ,শব্দটা বাড়তে থাকে প্রতি মোড়ে
যখন জীবন মরে যায়।

অদ্ভুত এই জীবনের ভার থামতে জানে না
এগিয়ে যায় সে গরুরগাড়ি চলতে থাকে শব্দ করে।
এই ভদ্রমহিলা আর সেই ভদ্রমহিলা ট্রেনের লাইন
আসে যায় সময় কতবার।
কিন্তু অদ্ভুত
আজ দুদিন হলো প্রত্যাহিত ভদ্রমহিলা আসছেন না।

কেউ খোঁজ পায় নি ,কিন্তু আমি দেখলাম  স্বপ্নে
স্বর্গের রাজপ্রাসাদে  হাত পা ছড়িয়ে খুব আদরে ঘুমিছে সে।
আমি দেখলাম ভাবলাম
যাক আর তো কেউ হাতুড়ি পেটাবে না।
চেতনার মৃত্যু আজ সময়ের শেষে
কিন্তু সেই গরুর গাড়ির ক্যাঁচকুচ এখনও  থামছে না।   

RISHI026@GMAIL.COM

বৃষ্টির স্পর্শ
......... ঋষি

এইমাত্র যে বৃষ্টিটা হয়ে গেল
সেটা প্রেমের বৃষ্টি।
আসলে প্রেম এমনি হয় ,কখন যে ছুঁয়ে দেয়
কিন্তু বৃষ্টির জলের নোনতা স্বাদটা বদলায় না।
রাত্রের মুখ সকালে বাসি হয়
বিছানার চাদরে প্রেম ভিজে যায়
কিন্তু প্রেম যে থেকে যায় গভীর মেঘলা মনে।

এই বৃষ্টির রূপ অনেকটা জগৎ জোড়া হৃদয়ে
যেখানে স্পর্শ থাকুক না কেন।
বৃষ্টির বেয়ারা ফোঁটা গুলো জমতে থাকে হৃদয়ের খামে
ফুটপাথে জমা জল ,বেড়ে যায় ,আবার কমেও।
কর্পোরেসানের নর্দমা ছেড়ে,কোনো খালে ,নদী হয়ে সমুদ্রে
হয়তোবা হৃদয়ের কোনে জমে যায়।
মেঘ থেকে বৃষ্টি ,বৃষ্টি থেকে সৃষ্টি ,সৃষ্টি থেকে দৃষ্টি
খুব দুরে কোথাও মিশে যায় গভীর মনে।

এইমাত্র বৃষ্টিটা হয়ে গেল
রাস্তায় জমা জল সরছে ,দুপাশে আবার ব্যস্ততা।
সন্ধ্যের লুকিয়ে থাকা আলোয় আমি ভিজে
আমি ভিজে  আমার মুগ্ধতায় দুচোখে গড়িয়ে নামা পবিত্রতা।
প্রেম বোধহয় খুব গভীর মনের কোনে
উঁকি দেয় নতুন আলোয় ,সন্ধ্যা হয়ে গেছে।
এল নিভে গেছে ,চারিদিক ব্যস্ততায় নিঃশব্দ আমি ফুটপাথে। 

Friday, September 19, 2014

rishi026@gmail.com

কাগজের নৌকো
.......... ঋষি

মন তোর ঠোঁটে লেগে থাকা স্পর্শে
আজ মলিন কবিতা।
বৃষ্টির আকাশের কালচে সভ্যতা কোথায় যেন
খুব গভীর তোর চোখের কালিতে
হারিয়ে যাওয়া দিনের আমার  কাগজের নৌকো।

আমার ইচ্ছে করে ,খুব ইচ্ছে করে
ফ্রক পরা সেই তোর শৈশবটাকে দেখতে।
আমার ইচ্ছে করে একমুহুর্তে তোর জীবন অভিধানের
সব যন্ত্রনাগুলোকে তুলতে ঘষে ঘষে ,মনে মনে।
সবটুকু বেদনার নিরিখে তোর ঠোঁট জড়িয়ে
গড়িয়ে নামতে তোর গভীরে।
হয়তো কোনো আদর ,হয়তবা কোনো স্পর্শে
তোকে ছুঁয়ে আমার কবিতা মলিন আমার মনে।

আমি পারি না করতে ,আমি অপদার্থ অক্ষম
ঈশ্বর তুমিও কি মানুষ হয়ে গেলে।
নিজের বশ্যতাকে তুমি কি সময় বলে মেনে নিলে।
একটু তো বদলাতে পারতে
আজকের মলিন কবিতায় একটু প্রেমের রং ঢেলে
সত্যি আমার মনকে একটু হাসাতে পারতে।
আমার শরীরে লাগা ঘামের গন্ধের মতো
মনকেও আমার স্পর্শে রাখতে  পারতে।

মন আর ভালো লাগে না জানিস
শূন্যতার মাঝে অজস্র শূন্য গুলো কখন যেন মেঘলা করে,
আমার আকাশ ,তুই  নামতে থাকিস বৃষ্টি হয়ে।
ফোঁটা ফোঁটা আমার রক্তের আগুনে আমি ছাই
হারিয়ে যাওয়া দিন কাগজের নৌকোর মত ভাসতে থাকে। 

rishi026@gmail.com

ঘুম নেই
................ ঋষি

ঘুম নেই ,ঘুম নেই
কবিতাদের দুচোখে স্বপ্ন বাঁচতে চাওয়ার।
আমার ২০০০ তম কবিতার স্বর্গে
সেই তুমি আমার চিরপরিচিত প্রেম
নেমে আসছো  সিলিং বেয়ে শীতল স্পর্শে।

ঘড়ির কাঁটা বোধ হয় মৃত্যু ছুঁলো
ঢং ঢং কিছুটা দোটানায় মশারির গায়ে মশা।
অজান্তে রক্তচোষা জীবনের নিদ্রাহীন পরিসরে
আমার কবিতারা মৃত আকাশের আধফালি চাঁদ
জানলার কপট দর্শনে প্রেম।
ভেসে যায় মিষ্টি জোত্স্না  তোমার আদর
আমার পৃথিবী তোমার সাথে।

বাইরে ফাঁকা পৃথিবীর কোথাও ঘুমন্ত তুমি
হয়ত সপ্ত সাগর পারের সেই রাজকন্যা।
গভীর নিদ্রায় স্বপ্ন আমার মত
বাসি ফুটপাথে খিদে শুয়ে থাকে মাঝরাতে
তোমাকে পাওয়ার কামনায়।
আর তখনি পেঁচা ডাকে হৃদয়ের দূরত্বে
আর সময় কাটতে থাকে।

ঘুম নেই ,ঘুম নেই
কবিতাদের পাতায় পাতায় জীবন্ত তুমি।
আমার ২০০০ তম কবিতার জন্মে
আমার বাড়ানো হাতে পরিচিত তুমি
চিরপরিচিত আমার কল্পনার আকাশে।


rishi026@gmail.com

সবটাই সত্যি
................. ঋষি

ইশ ভাবতো আমি যদি সেই  ছেলেটা হতাম
আমিও কয়েন ওপরে ছুড়তাম।
তোর শরীরে কয়েনটা যেখানে ছুঁত
আমিও চুমু খেতাম তোকে খুব গভীর করে জড়িয়ে।
কিন্তু জানিস তোকে ছেড়ে দিতাম না চুমু খেয়ে
তোকে লুকিয়ে নিতাম হ্রদয়ের স্পন্দনে।
প্রতি শিরা ,উপশিরায় তোর উপস্থিতি স্পর্শের মতো
তোর প্রথম প্রেম ,তোকে ছাড়তে পারতাম না।

রোজ তো স্বপ্ন আসে তোকে পাওয়ার
আমার গভীর স্পন্দনে যতটুকু বেঁচে থাকা সবটাই তুই।
তোকে জড়িয়ে ,তোর অস্তিত্ব প্লাবনে
আমি ভিজে যাওয়া মাটি  তোর প্রেমে।
আমি সেই ছেলেটা নয় ,আমি তো ভাগ্যবান নয়
যে তোকে ছুঁতে পারি ,তোকে স্পর্শ করতে পারি হৃদয়ে।
নিজের ভাঙ্গা ঘরে যেখান থেকে আকাশ দেখা যায়
তোকেও আমি দেখতে পারি সেই আকাশে
আমি শুধু স্তব্ধতা ,নিশব্দ আকাঙ্খার তোর স্পর্শ।

ইশ যদি সবটুকু রুপকথা হতো
চেনা শৈশবের দরজায় তোকে খুঁজে পাওয়া যেত।
আমি আকাশের মত তোর প্রেমিক হতাম
আমি বাতাসের মত তোকে জড়িয়ে নিতাম।
বানাতাম সুখের স্বর্গ তোর প্রেমে
কিন্তু আমি তো সেই ছেলেটা নয়।
আমি খুব সাধারণ এক জীবন্ত মিউসিয়াম
যেখানে হরেক যুগের তুলকালামে জোকার আমি। 

rishi026@gmail.com

স্পিড আপ
,,,,,,,,,, ঋষি

এনড্রয়েড জামানায় দাঁড়িয়ে স্লোগান
করলে দুনিয়া মুটঠিমে।
গরুর গাড়ির ক্যাঁচকুচ থেকে এরোপ্লেনের উড়ে যাওয়ার
দুরত্ব কয়েক যুগ ,জন্ম মৃত্যুর  আগামী  তলার  দাঁড়িয়ে
কিন্তু সুবোধ নামক সভ্যতার কান আজ ঝালাপালা।
বাঁচার আর্তিতে ,শান্তির আর্তিতে ,পাশে বিবেকের হর্ন
প্লিস রাস্তা দিন গান্ধীজির বাদর এগিয়ে যাবে।
এগিয়ে যাবে সভ্যতা ,,,,
স্পিড আপ ,স্পিড আপ ,স্পিড আপ।

হাসছেন দেখো ঈশ্বর ভদ্রলোক
তার ত্রিনয়নে লেগে থাকা তিনকাল আজ অগ্রগামী।
সময়ের কাঁটায় আজ  স্পিড ,ইঁদুর দৌড়,চাওয়া পাওয়া
সব পিছে ফেলে দেওয়ালে লেগে যাওয়া পাঁচিলে পিঠ আর পাঁচিলের ওপারে
সভ্যতা থমকে যায়।
নৃসংশ মানুষিকতার আক্রমন  মানুষের বেঁচে থাকায়
মানুষের চোখে নোনা জল।
অসংখ্য মানচিত্র পেরিয়ে দেশের পর দেশ
তারপর সভ্যতা হয়তো হারিয়ে যায় মনুষত্বের আঙ্গিনায়।

আজ নয় ,আজ বহুদিন আমরা এগোচ্ছি মৃত্যুর দিকে চাহিদার লিপ্সায়
দুষিত আবহাওয়া ,দুষিত জল ,দুষিত জীবনযাত্রা ,দুষিত ফল।
সেই আদমের হাতের বিষটা  আজ কখন যেন পৃথিবী হয়ে গেছে
জন্মদাত্রী ইভের যোনি থেকে এখন শুধু ধ্বংস।
সৃষ্টির নামে ত্রিনয়ন নাচছে ছিটকে পরছে রক্ত চারিদিকে
কখনো নারী ,কখনো শিশু ,কখনো লোভ ,কখনো কুসংস্কার,
সর্বপরি চেতনা ,সর্বপরি মানুষ হায়।
এগিয়ে যাবে সভ্যতা মৃত্যুর দিকে  ,,,,
স্পিড আপ ,স্পিড আপ ,স্পিড আপ। 

Thursday, September 18, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

গভীর প্রেমে
.............. ঋষি

তোর শরীরের গন্ধটা নাকে লেগে
তোর ঠোঁটের তৃষ্ণায় রঙিন প্রজাপতি হৃদয়ের গায়ে।
তোর সাদা বুকের মাঝে যে প্রশ্রয়
আমার উত্তপ্ত আশ্রয়টুকু তোকে জড়িয়ে
খুব গভীরে পাগল করে।

আদর করে তোর নাকের ডগায় লাল লজ্জা
গড়িয়ে পরে জীবন থেকে অন্ধকার।
তোর নাভি বেয়ে আরো নিচে
কোনো জংলি জোত্স্নায়
ভেসে যায় হৃদয়ের আগুনে।

তোর চোখের থেকে ঠিকরে আসে আগুন
অজস্র কবিতার পাতায় তোর শরীর।
আমাকে পাগল করে ,আদর করে
আমাকে জড়িয়ে ,আমার হৃদয়ে
খুব কাছের তুই প্রেম।

আমি আজ ভীষণ নগ্ন তোর কাছে
তোর  আয়নায় পৃথিবীর আদিম পিতা।
জন্ম ,মৃত্যু ঘিরে তোর নাভিতে
আজ কিছু বোধ কাজ করে
ভালোবেসে শরীরের ঘামে।

জানিস তোর শরীরের গন্ধটা নাকে লেগে
দিবা রাত্রির কোনো নরম আলো.
আমার হৃদয়ে তোর স্পর্শ
একটা জীবন যাতে কেটে যায়
পাশে থেকে তোকে ভালোবেসে। 

RISHI026@GMAIL.COM

সহযাত্রী তোর
...............ঋষি

তোর ট্রেনের কামরার বা দিকে জানলা
যেখান থেকে আকাশ দেখা যায়,
আমি চোখ রেখেছি সেখানে।
চেনা রৌদ্র,অচেনা পথ ,অচেনা জীবন
আমি হৃদয় রেখেছি সেখানে।

আমার সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে তোর ট্রেনের জানলা
স্মৃতিরা ছুটছে খুব জোর পিছনে।
তোর  অস্তিত্ব ,তোর শরীরের দুলুনিতে
আমি দুলছি ঘড়ির কাঁটার পেন্ডুলাম।
এগিয়ে যাচ্ছি তোর সাথে
সহযাত্রী আমি।

আপাতত প্লাটফর্মে গাড়ি হাজারো চিত্কার
চা ,সিঙ্গারা ,নিউস পেপার ,জীবন ,যুদ্ধ ,জীবিকা।
কামরার বাইরে পৃথিবী যুদ্ধের কারবার
আর হৃদয়ের গভীরে শান্তি।
নিশ্চিন্তে ঘুম তোর সাথে
তোকে জড়িয়ে।

আবার ট্রেন চলছে ,ট্রেনের চাকার অজস্র চিত্কার
জীবন কাঁদছে ,দুচোখ ফুলে লাল।
জানলার বাইরে সবুজ প্রকৃতি ,সবুজ জীবন ,সবুজ আশা
আমাকে ডাকছে  তোর কাছে ,তোর সাথে।
জীবনের পথ চলায় ভালোবেসে
তোর হৃদয়ের গন্ধে।

ট্রেনের ট্রেক ঘেঁষা বস্তির ঘরগুলো অন্ধকার আমাদের জীবন
রোজকার পথচলায় নিত্য বেঁচে থাকার খিদে।
ওরা বেঁচে আছে আমাদের মতো বাঁচার আনন্দে
জীবন জড়িয়ে আমাদের হৃদপিন্ডের স্পন্দনে
বাঁচার আকাঙ্খায়। 

RISHI026@GMAIL.COM

ঠিক কেটে যাবে
........... ঋষি

এই ভালো কি বলিস
একটা জীবন ঠিক কেটে যাবে। .
পিছনের ফেলে আসা পথে সময়
তোর হাসিতে ,তোর চোখে ঠিক  কেটে যাবে।

না বলার শব্দের হৃদয়  সঙ্গমে অসংখ্য চেতনা
আর যাতনার ভিড়।
তাদের মোহে একটা জীবন
ঠিক কেটে যাবে।

স্বপ্ন যদি জটিল হয়ে হৃদয়ে থেকে যায়
তাদের রাগের সপ্তসুরে জীবন হেঁটে যাবে।
আজ না হয়  কাল
জীবন ঠিক ফুরিয়ে যাবে।

তোর সাথে কিছুটা পথ সকালের পথে
শিউলি ফুল।
রোজ ঝরে যাবে হৃদয় যন্ত্রনায়
কিন্তু সময় কেটে যাবে।

না বলা শব্দের অসংখ্য গাঁথা নক্সী কাঁথা
কেউ লিখে যাবে।
কিন্তু জানিস সময়
ঠিক হারিয়ে যাবে।

এই ভালো কি বলিস
একটা জীবন ঠিক কেটে যাবে।
সময়ের থেমে যাওয়া কাঁটা আবারও চলবে
সময় কেটে যাবে।  

RISHI026@GMAIL.COM

সময়ের আগে
........... ঋষি

সাদা রঙের জড়িয়ে থাকা স্নেহ
কে যেন ডাকছে আমায়।
ফেলে  থাকা পথ ,,,আর জীবন
সব হারিয়ে আকাশের রং তবু নীল.
কে যেন জড়াচ্ছে আমায়
আমার কাছের খুব গভীর স্নেহ।

আজ সকালে বিছানার চাদরে বৃষ্টিপাত
দেওয়ালে টাঙানো তুমি হাসছো।
ছুঁয়ে আসা রুপোলি সড়কে তোমার স্পর্শ রঙিন
তুমি নেই আজ।
সব বেরঙিন আমার সাদা শাড়ির মতো
সব মিথ্যা মনে হয় তোমার ওই ছবি।
তোমার সাজানো সংসারে আমার সবি
মিথ্যা মনে হয়।

ফুলশয্যার রাতে তুমি মুখ দেখেছিলে
দেখেছিলে আমাকে টুকরো টুকরো আয়নায়।
আমার সলাজ চোখে তখন আগুন
তুমি মধু লোভি চুরি করেছিলে।
কিন্তু কেন বল তুমি এই সময় চুরি করলে
কেন এ জীবনের পথে আজ আমি একা।
কেন তুমি নিজেকে সরালে সেই নীলে
তুমি ছাড়া জীবনের যন্ত্রনায়।

সাদা রঙের জীবনের প্রতি ঘরে
আজ অপেক্ষা সেই সাপ লুডো খেলা।
আমার হারার কিছু নেই ,নেই পাওয়ার
এখন শুধু অপেক্ষা চলে যাওয়ার।
তোমার কাছে আগের মত
তুমি জীবন আর আমি পথ।


RISHI026@GMAIL.COM

মিতালি বৌদি
................... ঋষি

হাত বাড়ালি সোনালী রৌদ্রের দিকে
চেনা ফুটপাথে প্রাগৈতিহাসিক সূর্যটা জ্বলছে।
খিদের শহরে পৃথিবী দুঃখময়
চেনা সময়ে ফুটপাথে জীবন পুড়ছে।

মিতালি বৌদির বাঁধানো শরীরটা ,বুকের উপর
কুকুরগুলো হাঁটছে ,হাঁটছে শতাব্দীর আলোতে।
খালের পাশে ছোটো ঝুপড়িগুলো বাঁচার তাগিদে
খিদে বাড়ছে শহরের পেটে।
কুকুরের পাশে মানুষের খিদে ,ছোটো ছোটো হাত
চেনা পরিহাস ,বস্ত্র ,অন্ন ,বাসস্থান।
আর বিনিময় সম্মান ,মনুষত্ব,আর বেঁচে থাকা
মিতালিদির  বাঁধানো শরীরের দরদাম।

ট্রেনের ১০৮ নম্বর বগির ,প্যাসান্জার ক্লাস জানলায়
ঝুলে আছে জিভ হিসেবের বাইরে ,মা কালী।
মানুষবাবু কেমন আছেন ,বেঁচে থাকায়
আজ ক দিন হলো মিতালির খবর নেই।
মেয়েটা ভালো ছিল ,সংসারী,অভাব আর অভাব
কি হলো পালিয়ে গেল।
সেদিন বৌদিকে দেখলাম শুয়ে আছে
পাঁচতারা হোটেলের চাদরের রঙে,খিদে দাদা।

হাত বাড়ালি সময় সোনালী সভ্যতার নতুম দিনে
কিন্তু মিতালি বৌদি সভ্যতার ব্র্যান্ডএম্বাসেডর।
খিদের শহরে জীবন বেঁচে থাকা
নগ্ন মিতালির বৌদির শরীরে সভ্যতা হাঁটা।       

Wednesday, September 17, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

জন্মান্তরে
............... ঋষি

পাগল হয়ে যাব তোর নিশ্বাসে
তোর সরে যাওয়া মেঘের ওপারে অমন রূপ।
আমি পুড়ে যাব জন্ম জন্মান্তরে
আদিম কোনো সভ্যতার নোলক জড়িয়ে
তোর উষ্ণ ঠোঁটে লেগে থাকা প্রশ্রয়।
আমি গড়িয়ে নেমে যাব তোর নাভি বেয়ে
খুব গভীরে তোর হৃদয়ে আমার আশ্রয়।

তোর চুলের গন্ধে মাতোয়ারা হৃদয়
আমার আয়নায় দেখা তোর নগ্ন রূপ।
রোমান কোনো ভাস্কর্যের বুকে হাত রেখে
আমি ঠোঁট ঠোঁটে ছুঁয়ে যাব।
অবিন্যস্ত জোত্স্নার আগুনে হৃদয়ের ভেলায়
আমার  স্বপ্নের ঘর তোর শরীরে
আমি কবিতা লিখে যাব গভীর প্রেমে।

জানি এ স্পর্শে আমার কবিতা রঙিন
তোর খোলা বুকে নাক ঘষে হৃদয়ের গন্ধ।
তোর উরুর ফাঁকে থাকা যত্ন গুহায়
আমি হারিয়ে যাবো মাতোয়ারা প্রেমে।
তোর শরীরে মিশে আমি স্বপ্ন বুনে যাব
স্বয়ং অর্ধনারীশ্বর আমি  মিশে যাব
তোর সাথে আমাদের প্রেমে। 

RISHI026@GMAIL.COM

ডোরাকাটা প্রেম
............... ঋষি

তোর আঙ্গুলে সবুজ নেইলপলিশ
সে যে প্রকৃতি ,,তোর সবুজ আলোর স্বপ্ন।
কিন্তু জানিস আমার চেতনায় প্রকৃতির রং লাল
তুই যখন ঘুমিয়ে ছিলিস স্বপ্নে
তোর চোখের আদরে উত্তাল সমুদ্র।
আমি তখন পুড়ছিলাম ,তোর আগুনে ,তোর স্পর্শে
আমার হৃদয়ের রং লাল।

তোর বিকেলের শেষ রৌদ্রে জানলার কাঁচে
উত্তপ্ত আমার স্পর্শ।
তোর বারান্দা দিয়ে যে আকাশ দেখা যায়
সেখানে আমার ফেলে আসা দিন।
কয়েক মুহুর্তের তুই আমার কাছে
ভীষণ নগ্ন যজ্ঞের প্রথম প্রেম।
আমার হৃদয় উত্তাল ঢেউ,তোর মতো
শাণিত অস্ত্রের প্রথম আঘাত
এক মুহুর্তে অলৌকিক দিন।

এমনি হয় জানিস আমার বুকের জঙ্গলে আগুন
ঘষা লাগে তোর বুকে আমার বুক।
জ্বলতে থাকে বিশাল অরণ্যের সবুজ রহর্ষ
হাতছানি ফেলে আসা দিনের আমার শ্রাবনের ধারা।
প্লিস একবার ভিজতে চাই ,
আমার সারা বুকে তোর নখের দাগ
আরেকবার তোকে হলুদ  ডোরাকাটা দেখতে চাই। 

RISHI026@GMAIL.COM

পবিত্র তুই
................... ঋষি

সে কি রে পবিত্র কি প্রেম নয়
দুপুরের আগুনে আছড়ে পরা ঢেউ বুকের উপর।
মাতাল করা স্পর্শে বাড়ানো হাত
সে কি পাপ ,না জন্মের অভিশাপ।
অনন্ত আঁধারে এলো চুলে যে শুয়ে থাকে শূন্য বুকে
সে কে অস্তিত্ব না সংকট।

আজ যদি বলি তোর ঠোঁটে তৃষ্ণা
আজ যদি বলি উঁকি মারা তোর অর্ধচন্দ্রাকার স্লিভলেসে ,
কেউ ধরা সেই অন্ধকারে আলো ,তোর বিছানার চাদর
তোর ক্লান্ত বালিস ,তোর মলিন চোখ
সব যন্ত্রণা আমার কাছে।
আকাশের জোত্স্নার পিন পয়েন্টে রাখা তোর গভীর নাভির ভিতর
কেউ হাত বাড়ায়,টলমল পায়ে হাঁটতে চায়।
তাও কি নেশা তোর কাছে
তাও কি ধরা দেয় কল্পনায় বিছানার চাদরে।
সদ্যজাত কোনো কামনার আগুনে
সব পুড়ে যায় ছারখার তোর হৃদয় আমাকে ঘিরে
খুব গভীরে আমাকে ছুঁতে চায়।

নেশা স্বপ্ন,নেশা বাঁচা ,নেশা আশা এই বেঁচে থাকা
দৈনন্দিন আমার কবিতার আঁচলে তোর রূপ।
মোহময়ী  শব্দের উচ্ছল ঢেউ পরন্ত আগুন
ভীষণ জংলী তুই ,উত্তাল নোনতা ঢেউ।
তোর ঠোঁট ছুঁয়ে দুপুরের আগুনে পুড়তে চাই
আমার হৃদয় ,বেঁচে থাকার যন্ত্রনায়। 

RISHI026@GMAIL.COM

বাড়ানো হাত
............ ঋষি

সেই সময়টা আর নেই বুঝলি
আকাশের মেঘে লেগে থাকা তরঙ্গে হাতের মুঠোয়।
তোর স্পর্শ ,তোর শব্দহীন যন্ত্রণা
আর বাড়ানো হাত।

সময় গিয়েছে চলে হিসেবের বাইরে
চোরা কাঁটায় লেগে যায় তোর শরীরের শাড়ি।
হৃদয়ের ভিতর কিছুটা চিত্কার
তোর নাম ধরে ,আমার বুকের জঙ্গলে পাহাড়ি নদী।
বয়ে যায় ,নিয়ে যায় খুব গভীরে তোর
আমার স্পর্শ।

আমি সেই খেপাটে বাউল সুর তুলি একতারায়
তোকে রাখবো হৃদমাঝারে ছেড়ে দেবো না।
নদীর মত তরতরে যন্ত্রণা তুই এগিয়ে যাস
নিজের ইচ্ছেতে তোর মতো স্বপ্নিল তুই।

সেই সময়টা আর আসবে না
আকাশ থেকে নেমে আসা প্রেমের স্পর্শ নোনতা জল।
তোর ঠোঁট ছুঁয়ে আমার ঠোঁটে
তোর  বাড়ানো হাতে এক মুহুর্তের যন্ত্রণা সায়ানাটের মতো
নিদারুন গভীর কোনো প্রেম
আমার তুই।

Tuesday, September 16, 2014

শক্তিরুপী তুমি

শক্তিরুপী তুমি
................. ঋষি

চৌকাঠ পেরিয়ে আকাশের রং নীল
তোমরা দেখো নি কখনো।
জীবনের কেরোসিনের লাইনে দাঁড়িয়ে নিজেকে
তুচ্ছ করেছো অবহেলায়।
নিজেকে নগ্ন করেছ সোহাগের আনন্দে
অথচ নিজেকে নগ্ন করে দেখনি  আয়নায় ,
শুধু করুনা করেছো বেঁচে থাকার স্বপ্ন নিয়ে।

রোজ উঠেছো একটা আশা নিয়ে
সবার ভালো হোক ,সবাই সুস্থ থাকুক।
রোজ থেকেছো রান্নাঘরে আজ বহুযুগ হলো
সুখী গৃহীকোন ,সুখী স্বপ্নের আসরে
স্নেহময়ী মা ,দায়িত্বশীল ঘরণী ,বিছানায় বেশ্যা
সেজেছো  অবহেলে।কিন্তু
কিন্তু কখনো কি তোমাকে ভেবেছে কেউ নারী।

শিশু থেকে শুনেছো তুমি বলিপ্রদত্ত
শৈশবের ফেলে আসা ফ্রকের আড়ালে কোথাও
তোমার শরীর উপযুক্ত করা হয় নারী শব্দে।
কোথাও তোমার রূপের চর্চা হয় গলির মোড়ে
ক্লাবের কোনে ,গলি খুপচিতে শুধু শরীর করে।
তুমি বড্ড সস্তা আজ নারী নিজের কারণে
কারণ কখনো নিজের করে নিজেকে ভাবনি।

চৌকাঠের ওপারে তোমার শহরে
সাজানো সম্পর্ক্যের মাঝে তুমি নিত্য ব্যবহৃত,
কোনো অছিলায় তোমায় লুট করে পুরুষের সমাজ।
তুমি কোথায় থাকো নারী ,কোন ঠিকানায়
পুরুষের উরুর মাঝে, না কি সিঁদুরে স্বপ্নে।
এবার তো জাগ্রত হও নারী ,তুমি ছাড়া পৃথিবী অচল
আরেকবার দেবীরূপে আবির্ভূত হও শক্তি রূপে।

RISHI026@GMAIL.COM

দিনবদল
.......... ঋষি

জানি আমার বসন্তের ফুল
সে কোনো ঈশ্বরিকে দিয়ে আমার শান্তি নেই।
নেহাত নিজের রক্তক্ষরণের মুহুর্তদের
তোমার শরীরে রক্তে ভিজিয়ে আমার আনন্দ।
কিন্তু বিরামহীন পথচলায়
আমার শান্তি নেই।

তোমার শরীরের শিরা উপশিরায়
অসংখ্য টানে লেখা অসংখ্য  রুপকথা।
সে রূপকথায় টলমলে হেঁটে যেতে পারি
আমি শিশু নয়।
নেহাত নেশায় তোমাকে জড়িয়ে একটা রাত
শুধু রক্ত মাংসে গড়তে পারি।
কারণ জীবন শুধু যন্ত্রণার নাম
এখানে আমার ক্লান্তি নেই ,নেই অভিমান।
শুধু অভিশাপ পিছনের পাতায় অসংখ্য ছন্দে
দিনবদল আমার কবিতার নাম।

জানি আমার বসন্তের ফুল
তোলা আছে আমার স্বপ্ন নগরীর অদম্য চাহিদায়।
যেখানে কোনো পাপ নেই ,নেই চাহিদা
শুধু নির্মল সকালে  শুভ্র শিউলি ফুল।
ঝরতে থাকে হৃদয়ের মাঝে
আমার শান্ততে প্রেম তৃপ্তিতে। 

RISHI026@GMAIL.COM


গভীর প্রেম
............ ঋষি

তোকে ছিঁড়ে দেখব একদিন পাগল করে
তোর স্পর্শ প্রেমের অদ্ভূত ঢেউ।
পাগল বলছিস আমায় ,আমি যদি প্রেম হই
তবে তুই প্রেম যমুনার কাছের কেউ
খুব কাছে গভীর রং প্রেমের।

বিকেলের শেষ ফেরির ডাকে অদ্ভুত সুর
আমি কোনো বিহ্বল আকাশের পাখি।
শুধু উড়তে থাকি ,উড়তে থাকি
তোর আঁচলে ,তোর ঠোঁট ছুঁয়ে নেমে আসি
আকাশ থেকে ,আমি যে বেহায়া পাখি।

তুই হাসছিস আমি জানি
কিন্তু একবার ভাব যখন তোর স্বপ্নে অবুঝ বেলা।
যখন তোর হৃদয়ে সুরের মেলা
তখন আমি তোকে ঠিক দেখতে পায়
আমি লিখি তোকে আমার কলমের আঙ্গিনায়।

কি হলো একবার তো বল আমি পাগল
আমি  হাসছি দেখ পাগলর মত।
আমার বুকের ভিতরে আগুনে জঙ্গল
আর তুই দাবানল
কি হলো পোড়া আমায়।

প্লিস চুপ করে থাকিস না
দক্ষযজ্ঞের পবিত্র আগুনে তুই ঘিয়ের মত।
আমাকে পূর্ণ করিস
প্লিস একবার বল ,কি এমন তুই
আমাকে পাগল করিস। 

RISHI026@GMAIL.COM

অন্ধাসুরের কথা
................ ঋষি

কারেন্ট এফেয়ার্সের পাতায় যাকে পাবেন না
পাবেন না দৈত্য গুরু শুক্লাচার্জের কুন্ডলী রচনায়।
এ এক অমর অসুরের কথা
এ আমাদের রোজকার ব্যাথা।
কিন্তু খর্বকায়,ক্ষুদ্র অসুরের বাসভূমি আমাদের রক্ত, হৃদয়ে
আমাদের চেতনার আয়নায় যার কালো রং
ঠিক বুঝেছেন ওনার নাম অন্ধাসুর।

অন্ধাসুরের জন্ম মানুষের হৃদয়ের গভীর কোনে
যেখানে পঞ্চ রিপুর বাসরঘর ,ওঠাবসা জন্মান্তর।
একে  আপনারা দেখতে পাবেন না ,স্পর্শ পাবেন হৃদয়ে
যখন জ্বলে যাবে ,যখন রক্তপাত ,যখন জীবন যন্ত্রণা,
বুঝবেন তখন অন্ধাসুর অন ডিউটি ,আমরা অসহায়।
যখন দেখবেন জাতভেদ ,শরীরভেদ,কুসংস্কার,
মানুষের রক্তে মানুষের আনন্দ ,জ্বলন্ত নরক পৃথিবীর মাটিতে
তখন বুঝবেন অন্ধাসুর আসছে হৃদয়ে ,হৃদয় অন্ধকার।

ঈশ্বর বারংবার খঞ্জরে ধ্বংস করেছেন অসুরকুল
কিন্তু অন্ধাসুরের কিছু করতে পারেন নি কেউ।
মহা ধুরন্ধর এই অন্ধাসুর ,ধুরন্ধর মানুষের চেতনায়
মানুষের বাসনায় ,মানুষের লোভে ,মানুষের অস্তিত্বে বহাল তবিয়তে
বাস করছে। অনেকটা রক্ত বীজের মত ,ধ্বংস আর ধ্বংস।
মানুষের গভীর কোনে ,উদ্ধত ভঙ্গিতে অন্ধাসুরের বীজমন্ত্র
মানুষের ধ্বংস আর এক অন্ধকার জটিল পৃথিবী।  

Sunday, September 14, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

আমাকে চেনার আগে
......... ঋষি

আমি সমুদ্রের পাড় ধরে হাঁটছি কয়েক যুগ
প্রাগৈতিহাসিক পাতায় সমুদ্রের নীল জলে ডুব।
অজান্তে ,ছেলেবালায় জড়িয়ে ধরা তোমাকে
আমি লিখে চলেছি আমার যুগের পর যুগ।
নীল সমুদ্রের  পাড়ে ,প্রেম তোমার ঘরে
আমার অস্তিত্বের স্বপ্ন সুখ।

কেমন করি বলি তোমায়  ভালোবাসি
কেমন করে বলি চেনা মুদ্রায়।
অসংখ্য ফেলা আসা বেলা নীল সমুদ্রের  পাড়ে
একসাথে চেনা কফি কাপে ঠোঁট।
পুড়ে যায় রোজ দিনেরাতে নীল সমুদ্রের নীল জল
নোনা স্বাদ প্রেম তোমার সাথে আমার
রোজকার হলাহল।

আমাকে চিনতে পারছো, কে আমি তোমার
ফুটে উঠছে নীল জলে শরীরের জোয়ার।
উত্তাল সমুদ্রের পারে আমি ক্ষুদ্র মানব
ক্লান্ত ছবি ,পা ডোবায় তোমার কোলে।
ডুবে যায় বালির গভীরে প্রেম তোমার সাথে
আমার রূপ ,আমার কবিতায়। 

RISHI026@GMAIL.COM

প্রেম আমি আর তুই
.......... ঋষি
.
সুপ্রভাত প্রেম তোর স্পর্শ
হৃদয়ের হর্ষ।
ভোরের মাধবীলতার গন্ধ তোর শরীর
কিছুটা আনমনা ভিজে বিছানার চাদর।
আমার আয়নায় প্রেম তোর মুখ
আমার সুখ।

কবিতাগুলো এমনি হয় ভাবের খাতায়
কিন্তু দিনকাল পাল্টে যায় রোজ।
সময়ের সঙ্গমে হৃদয়ের খাতা খালি অজস্র চোখ
পাল্টানো সময়ে হারিয়ে যাওয়ার শোক।
হাহাকার ধ্বনি হৃদয়ের শিউলি পথের উপরে
মাড়িয়ে যায় প্রেম বড় অবহেলায়
বারেবারে হৃদয়ের চিত্কারে।

সুসময় আজ অসময়ে
বিশেষ খবর ধর্ষিত চিত্কার যুবতীর বিশ্বাস।
হেড লাইন ,হেড লাইট
পিষে চাওয়া ট্রাম হেলেদুলে বুকের উপরে।
ইশ বিশ্বাস যদি নিশ্বাস হয়
দমবন্ধ প্রেম নগ্ন পথের উপর ,
অসময়ে আলিঙ্গন অন্য কবিতায়।

শুভ দৃষ্টি প্রেম তোর সাথে
আর নিজের সাথে।
বিছানায় ক্ষনিকের শরীরের চিত্কার
উপলব্ধি জড়িয়ে যাওয়া খিদের শরীর।
মধ্যরাতে প্রেম আমি আর তুই
আমাদের দুঃখ।

rishi026@gmail.com

আমার এই কবিতা সকলের ভালো না লাগতে পারে। এটা আমার নিজস্ব মতামত ,কোনো ধর্ম ,বা কাউকে আঘাত করার সাহস বা অভিপ্রায় আমার নেই।

ঈশ্বরের সংকীর্তন
................. ঋষি

আজকাল ঈশ্বর ভদ্রলোককে আমার হিংসা হয়
কোনো কাজ নেই খায়দায় ,আর বগল বাজায়
আর হাজারো নরনারীর বিশ্বাস পায়।
বিশ্বাস অর্থে প্রেম
আসলে ঈশ্বর খেলেন ব্রেন গেইম।

আমার বাড়ির সামনে ঈশ্বর থাকেন
সেদিন দেখি ঈশ্বরের দেওয়ালে কুকুর হিসু করছে
আমি দেখলাম মনে মনে ভাবলাম ধর্ম বিশ্বাস ভেজাচ্ছে।
আরেকদিন কোনো অজানা নারী ঈশ্বরের নামে মাটিতে হামাগুড়ি দিচ্ছে
সবাই দেখছে যুবতী শরীর ,আমিও দেখলাম
আর হাসলাম ঈশ্বর তোমার মাটিতে এতো জোর।
এমন হয়, হয়ে যায় কেউ জানে না
আসলে ঈশ্বর ভদ্রলোক মহা চোর।
চুরি হৃদয়,চুরি সম্মান ,চুরি ইজ্জত ,চুরি বিশ্বাস
সবার শেষে গাধাগুলো বলে ঠাকুর তুমি কোথায়।

বাজারে ঘরে ,মনের ঘরে ,বেশ্যার ঘরে ,জীবনের ঘরে
ইশ্বর তুমি মহান অস্তিত্ব।
তবুও রোজ গর্ভপাত নোঙরা নর্দমায়
তবুও রোজ জীবনপাত ফুটপাথ যন্ত্রনায়।
তবুও রোজ ধর্ষিত চোখ নারী শরীর
তবুও অশিক্ষা মেট্রপলিন।
কিন্তু তুমি মহান মনের ঘরে ,তোমাকে বলবে কার স্পর্ধা
নাহলে অভিশাপ  দেবে ,নাহলে মেরে দেবে।
আর কি পারো ঈশ্বর ,একবার ভালোবেসে দেখো না সবার মতো
দেখি কার ঘাড়ে কটা মাথা তোমায় বদনাম দেবে।

আজকাল ঈশ্বর ভদ্রলোককে আমার করুনা হয়
কেমন যেন জড়সড়  থাকেন ,ভয় পান
আটকাতে রাস্তা দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া সেই মেয়েটাকে।
জীবন থেকে  মুছে যাওয়া সেই ভালোটাকে
আসলে ঈশ্বর আজকাল সমলোচনায় থাকেন।

Saturday, September 13, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

কবিতায় তুমি
............. ঋষি

তোমাকে নেব বলেই বাড়িয়েছি হাত
আমাকে স্পর্শখানি দিও।
বুকের ভিতর অসংখ্য তীব্রতায় জমে থাকা আগুন
আমাকে হৃদয়খানি দিও।

ঝরে পরা শ্রবনের ধারায়
তোমার বুকে কালি ,আমার মুখে।
অসংখ্য জমানো অভিমানে আমি আকাশের পাখি
আমি জীবন্ত শব ,
আমাকে একটু জড়িয়ে নিও।

যেদিন সোনালী আলোয় তোমার হাত ছুঁয়ে হাতে
চোখের পাতায় নরম আদর প্রতিশ্রুতি
আমাকে একটু প্রশ্রয় দিও।
চেনা খাতায় অচেনা আমাকে একটু পড়ে নিও
দেখবে আমি আগুনের মত জ্বলবো
আর পোড়াব তোমাকে রোজকার কবিতায়।

তোমাকে নেব বলেই বাড়িয়েছি হাত
আমার দুই চোখের মাঝে স্বপ্ন
আমাকে একটা জীবন দিও।
তোমাকে ভালোবাসতে,তোমাকে কাছে রাখতে স্পর্শে
তোমার ঠোঁট ছুঁয়ে আমার কবিতায়
তোমার পরশখানি দিও
আমি পূর্ণ তোমার স্পর্শে হাজারো কবিতায়। 

কবিতার স্পর্শে

কবিতার স্পর্শে
........... ঋষি

না তোমাকে বলা হয় নি
শব্দদের যন্ত্রনায় উত্পত্তি সেই সোনালী শব্দগুলো।
বিকেলের কফিকাপে তোমার ঠোঁট
আমার জমানো তৃষ্ণায় শুধু রক্তের ছোপ।
তোমাকে এখনো জড়ানো হয় নি
সোনালী আলোয় স্বপ্নের মত কবিতায়।

আজ কাল পরশুর গল্প লিখি
লিখে ফেলি চেনা শব্দে অচেনা তোমাকে।
তোমার শরীর থেকে তুলে আনি স্পর্শ
তোমার হৃদয় থেকে তুলে আনি প্রেম।
প্রতিদিন নিঃস্ব করি নিজেকে
প্রতদিন ধ্বংস করি স্বপ্ন।
তখনি তুমি হাসতে থাকো প্রশ্রয়ে
আমি ছুটে যায় তোমার দিকে
আমি ছুঁতে চাই তোমাকে ভালোবেসে খুব গভীরে
আর তুমি সেই স্বপ্নের কবিতা।

না তোমাকে বলতে পারি নি
রোজকার মৃত হাজারো মুহুর্তদের মাঝে।
রোজকার অসংখ্য  আলাপনের মাঝে
কোথায় যেন,কখন যেন ,আঁচড়াতে থাকো তুমি।
বুকের ভিতর বাজা সিম্ফনিতে তখন কুয়াসা ,দুর্বলতা
তুমি চলে যাও একলা পথে ,আর আমি হাসতে থাকি।  

RISHI026@GMAIL.COM

জন্মাবার শরীর
........... ঋষি

অজস্র কথনে লেখা সেই সব অনিদ্রা
মন্দির ,মসজিদ ,গীর্জার বাইরে দাঁড়িয়ে মাথা নত।
ঈশ্বর তুমি সমাজের দূত নহ , বিশ্বাসের
আর নিশ্বাসের বাসি বিছানায় শুয়ে।
গ্রামেগঞ্জে ,শহরে,মহলে ,গলি খুপচিতে
অসংখ্য নগ্ন শরীর ,নারী।
পিকাসোর ছবির থেকে জীবন্ত মুর্তিগুলো অসংলগ্ন বেদনায়
মার ছেঁড়া ব্লাউজ,বোনের বাড়ন্ত যৌবন ,নারীর লুকোনো বেদনা
সবকিছু মিশে গিয়ে শুধু শরীর।

অসংখ্য হিংস্র সাপ
চেন খুললেই ঝুলে পরে শরীরে বাইরে ,,,, সাপ।
হিসেবের বাইরে সাপ ছোটে পুতুল গড়তে
পুতুল থেকে পুতুল তারপর পুতুল তারপর অসংখ্য।
তারপর খেলা নগ্নতা ,বিষন্নতা ,জড়িয়ে থাকা দৈনন্দিন
রান্নাঘরের হলুদ ,সদ্যজাত কান্না ,রাত্রের বিছানা।
পৃথিবীর আবর্তন ,সংখ্যার বিবর্তন কিন্তু নারীর সমবস্থান সামাজিক
হরপ্পার উত্স থেকে ,ইলোরার গুহা থেকে আজকের স্যাটালাইট
শুধু এগিয়ে যাওয়া সাপেদের ভিড়ে।

অজস্র কথনের মাঝখানে সেই দেশভাগ থেকে শুনছি
সাপ ছুটছে খবরের কাগজে , স্কুলের রুমে ,কলেজে ,অফিসে ,পথেঘাটে।
আর সাপেদের মালিক কখনো আইনি ,কখনো বেআইনি
শরীর চুষছে ,চুষছে অস্তিত্ব নারী,
চুষছে অস্তিত্ব একটু শরীর আর শরীর।
ঈশ্বর তোমাকেও কি সাপে কামড়ায়,তোমার শরীরে সাপেদের বিষ
কোথায় তোমার তো সংখ্যা বাড়ে না আমাদের মতো।
তুমি কি মহাপুরুষ না কি নারীদের মত অসহায়
কোনো শরীর মাত্র ,শুধু জন্মাবার শরীর কামের।


  

Friday, September 12, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

তোর চোখ
.................. ঋষি

ও চোখের জংলী আগুনে দিবানিশি দাবানল
পুড়ে যাওয়ার পর অসংখ্য স্লোগানে লেখা
ভিসুভিয়াসে জন্মের কাহিনী।
আমিতো পুড়েছি আগেও ,আজও না হয় পুড়লাম
একটু এগিয়ে তৃষ্ণা নদীর জলে ,অদ্ভুত বৃষ্টিপাত প্রেম।
আবার না হয় ভিজলাম
আবার না হয় ভিজলাম আমি নোনতা জলে।

সময় চলে গেছে কবে
ওই নীল পাহাড়ের ওপারে অস্তগামী সূর্য।
সেই সূর্যের তেজ তোর চোখে
আমার হৃদয়ের কোনো অন্ধকার কুঠরিতে জ্বলছে,
তোর চোখ ,আমার গভীরে।
আমি তো ভালোবেসেছি কবে কোনো আদিম বিশ্বাসে
তোর শরীরের সুবাসে তৃষ্ণা নদীর জল
আমি সেখানে চান করেছি।

আজ না কাল ,ত্রিকাল রাখা ও  চোখে
আমার মৃত্যুর দেশ ,যাযাবর আমি বহুদূর।
অসংখ্য আগুনের শিখায় আমার আশার প্রদীপ
হৃদয়ের জলতরঙ্গে মধুর সুর।
আমি তো ভেসে গেছি ও চোখে নীল সমুদ্দুর
আবার না ডুবলাম নীল জলে
তোর চোখ আমাকে নিয়ে ছেলেখেলা করে। 

RISHI026@GMAIL.COM


স্পর্শ ঠোঁট
........... ঋষি

আজ লাঞ্চে তোমার চুমু
হৃদয়ের  গায়ে পুরনো ঠিকানায় চিঠি।
চোখ খুলে ,চোখ বুজে দেখো
আমি যে তোমার কাছে এসে গেছি।

আজ দুপুরে রৌদ্রে উষ্ণতা
পারদ বাড়া জ্বরের কোনো আঁচল।
জীবন থেকে সময় চলে যায়
প্রেম যমুনায় রূপকথারি আদল।

অন্তরে সব জটিল মেঘ যেন
তোমার চোখের গভীর কথা কোনো।
আমায় তুমি আদর করে রেখো
স্পর্শগুলো আদর মনে রেখো।

সবাই শুধু আকাশটাকে দেখে
আকাশ মাঝে ঘুড়ির মতো  তুমি।
আমি সেই নীল আকাশে থাকি
পাখির মত তোমার পাশে আমি।

জীবন যদি এমন কেটে যায়
সময় শুধু লুকিয়ে হেসে যায়।
যন্ত্রণা সব আগুন রঙের ফড়িং
তোমার স্পর্শে উড়ে চলে যায়।

আজ লাঞ্চে তোমার ঠোঁটে আমি
তোমায় নরম স্পর্শ দিয়ে যাবো।
আমার দুই বাহুর মাঝে তুমি
আমি তোমায় জড়িয়ে চুমু খাবো।



RISHI026@GMAIL.COM


Thursday, September 11, 2014

RISHI026@GMAIL.COM


RISHI026@GMAIL.COM


rishi026@gmail.com

মনের কথা
...................... ঋষি

মন তুমি সাদা শিউলির মতো ঝড়ো হৃদয়ে
বিকেলের সবুজ মাঠে তুমি হৃদয়ের ঘ্রাণ।
মন তুমি  হতে পারো দূর আকাশের ঘুড়ি
পেটকাট্টি ,চাদিয়াল যা হও না কেন।
তুমি যত দূর আকাশে উড়তে থাকো না কেন
ক্ষতি নেই দুরত্বের এই উত্তাল জোয়ারে
তুমি প্লিস শুধু হৃদয়ের হও।

আমাকে জড়িয়ে  ধরবে না কেউ,
তোমাকে দেখতে পাবে না কেউ।
তুমি শুধু কবিতার মত পবিত্র হও
মেঘলা আকাশে ,হাজারো ঝড়ে.
তুমি আদরের বৃষ্টির মত শীতল হও
তুমি যেমনি হও কেন খুব গভীরে
তুমি প্লিস শুধু আমার হও।

তোমাকে কখনো কেউ দেখে নি এমন করে
আত্মার আয়নার সাথে তোমার নগ্ন রূপ।
পরিচিত মহলে তুমি যেমনি হও না কেন
কিন্তু তুমি প্লিস আমার স্বপ্ন হও।
তোমার হৃদয়ের তাজমহলে আমি সিরাজদৌল্লা
ক্ষতি কি যদি হারিয়ে যায় আমি
শুধু মন তোমার স্পর্শটুকু আমায় দেও। 

কবিতার শোক

লিখতে পারাটা একটা অসুখ  ভীষণ কষ্ট ,ভীষণ আনন্দ ,প্রেম প্রবাহ ,অসংখ্য শোক,শহর ,মানুষ   সব কেমন সাদা পাতায় সংসার বুনতে থাকে  শব্দদের ঘুণপোকার স...