Friday, April 29, 2016

প্রতিবাদ ভদ্রলোক

প্রতিবাদ ভদ্রলোক
................ ঋষি
=============================================
প্রতিবাদ ভদ্রলোক হেঁটে চলে যাচ্ছেন
সঙ্গে যাচ্ছে মানুষের আকাঙ্খার ভালো দিনগুলো।
অসংখ্য প্রলোভন আর লোভের সাথে সন্ধি করে
এক সন্ধিক্ষণ।
যেখানে প্রতিবাদ ভদ্রলোক অতিরিক্ত
তাই উনি এখন হেঁটে চলেছেন অন্যমনস্ক ভাবনায়।

বন্ধুবর আপনার আমাকে ভোট দিন
আমি আপনাদের রক্ত নেব।
এমনটা কোথাও শুনি নি আমি আজ জন্ম অবধি
তবে বুঝে গেছি গভীর তত্বটা।
শোষণ সে কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মত খামখেয়ালী নয়
নয় কোনো অপমৃত্যুর মত বিপর্যয়।
সে হলো অধিকারের আতঙ্কের ভীতি ,মানুষের মূল্যবোধ
ক্রমশ লুপ্তপ্রায় সভ্যতা থেকে হারানো দিনের সাক্ষী।
সবটাই আমরা বুঝি
তবু আমরা ঘুমিয়ে।
আর প্রতিবাদ ভদ্রলোক ক্রমশ মানচিত্র ছাড়া।

কি ভাবছেন ,
একবার ডেকে দেখবেন নাকি ভদ্রলোককে।
কারণ ভদ্রলোক একমাত্র যিনি  ইতিহাসের সাক্ষী
আর মানুষের প্রতিটা অধিকারের পক্ষে।
উনি কখনো ভোট চান নি  স্বার্থপর সময়ের মত
উনি চেয়েছেন সঙ্গ মানুষের অধিকারের জন্য। 

Thursday, April 28, 2016

ডাকপিয়নের চিঠি

ডাকপিয়নের চিঠি

............. ঋষি

========================================

এ কেমন পাওয়া আমার

সকাল থেকে মেঘ পরিয়ে বৃষ্টি ঠিক যতটুকু তুমি চাও

আমি তো মেঘের দেশে ডাকপিয়নের চিঠি

তোমার  লোটাকম্বলে বসে

অপেক্ষা কৃত কম সময়ের নিমন্ত্রণে বেহিসাবী প্রেমিক

ঠিক তোমার হৃদয় জুড়ে বসে

 

ছুটি ,ছুটি ,ছুটি

আমার সর্বত্র রেখে যাওয়া চেতনারা তোমার  শরীরে ঘামের গন্ধ

তোমার বুকের কাছে বসে আমার ইচ্ছার আশ্রয়গুলো সব

তোমাকে ঠিক দেখতে পায়

এখন প্রশ্ন আসতে পারে কে তুমি ?

আর আমার কাছের তুমি ?

উত্তর আমার জানা নেই ,জানতে ইচ্ছে করে না

তবে এই অসময়ে শুধু একটা প্রশ্ন

তুমি ভালো আছ তো আদর ?

 

কেমন হয় তোমায় যদি আদর বলে ডাকি

সকালের কুয়াশা  ভরা রাস্তায় আমি যদি তোমাকে একলা পায়

মনের ফাঁকে আহরণ কোড়ানো  পলাশ ফুল

তোলা আছে মনের  ভাঁজে

বসন্ত চলে গেছে এখন সময়ের ক্যালেন্ডারে ভরা দুপুর

তবে তোলা আছে তোমাকে আদর করে। 


  

বুক ফাটা রৌদ্র

বুক ফাটা রৌদ্র

.................. ঋষি

====================================

ছুটছি সকাল থেকে দুপুর রাত্রি

প্রশ্ন করো  না কোথাই  চলেছি  চলন্তিকা

মেঘ হয় শহরে ,জমে থাকা ধোঁয়াসারা  চুপি চুপি বলে

আরো কালি চাই

ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে গতি কমা শহরের নিশ্বাসে

বাসের জানলায় বসে আমি তোমাকে দেখতে পাই

 

আমার কবিতারা আজকাল বড় ছেলেমানুষে

দেওয়ালে দেওয়ালে লালনীল ফেস্টুনগুলো  আকাশ ধরতে চায়

সময়ের ঘুড়ি

ছেলেটার দোষ  এতটুকু সে তখন বোঝে নি চলন্তিকা

ফেস্টুনটা কোনো পার্টি ক্যাডারের বিজ্ঞাপন

ছেলেটা ঠিক আমার মত আকাশ ধরতে চাইলো

বদলে নেমে এলো  মানুষের কাপুরুষতা

আমি হেরে গেলাম চলন্তিকা ,

আর তোমাকেও জেতাতে পারলাম কই

 

ছুটছি সকাল থেকে দুপুর রাত্রি

প্রশ্ন করো  না কেন এই দুঃস্বপ্ন থেকে জেগে ওঠা

মেঘ হয় শহরের বুকে ,,অথচ বৃষ্টি নেই

সবটাই আতঙ্ক ,,তৃষ্ণা বুক ফাটা রৌদ্র

নেভা আলোতে রাস্তার কৃত্রিম লাইট পোস্টের আলো


অন্ধকার ,,কোথাই  তুমি চলন্তিকা ?

জাগছে গণতন্ত্র


জাগছে গণতন্ত্র
................... ঋষি
===================================================
১৯৪৭ আমরা নিজেদের গণতান্ত্রিক আদর্শে দেশ গড়লাম
তারপর আজ এতগুলো বছর।
ঠিক কোথাই আমরা ?
ছবিটা পরিষ্কার সামনের ঘটে চলা প্রতিদিন আর খবরের পাতাতে।
গনতন্ত্র কোনো বিপ্লবী বিশ্বাস না ,,শুধু নয় স্বাধীনতার পাওনা
কেন এর অর্থ একটা  কেতাবি শব্দ হয়ে থাকবে ?বিকৃত দাসত্বে।

এইভাবে চলছে সময়
মাথার ওপর রাজা নেই আছে আমাদের তৈরী সরকার।
এখানে সবটাই গদিরাজ
সরকার ভোট কিনবে এবং তারজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
দরকার হলে মিথ্যে বলবে ,দরকার হলে খুন করবে
আর উপরি বোমা ,বন্দুক ,বারুদ।
সরকারী আমলাদের ভোট বাজার সাক্ষী
এরা শুধু ভয় দেখাবে।

আমি কোনো সরকারের  পতাকার বিরোধী নয়
আমার  নিজের কোনো রং নেই,আছে মানুষ হওয়ার নেশা।
আছে গলার কাছে আটকে পরাধীনতা জ্বালা ,আমি ভীত সন্ত্রাসে
আমার বাড়িতে মা ,বোন আছে ,
আছে আমার আত্মিক অনেক সম্পর্ক  খুব কাছের।
তবু আমি বাঁচতে চাই আমার অধিকারের গণতন্ত্রে
আমি জবাব চাই প্রতিটা মুহুর্তে ওপরওয়ালার কাছে
সে অধিকার আমার আছে।

স্পষ্ট বলি আপনারা আমাদের আনেন নি
আমরা এনেছি আপনাদের সঠিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া,
মানুষের জন্য ,মানুষের ভালোর জন্য।
 অন্যায় আপনারা করেছেন আবার দাদাগিরিও
সাবধান ,এই সন্ত্রাস বেশিদিন চলবে না
শুনে রাখুন মানুষ জাগছে ,জাগছে আবার গণতন্ত্র মানুষের সাথে। 

Wednesday, April 27, 2016

ঘুম পাচ্ছে

ঘুম পাচ্ছে
................. ঋষি
============================================
সমস্ত খেলা শেষ
আবার সূর্য ডোবার পালা ,বিকেল শেষ অস্তে।
তোমার মনখারাপ  কেন ?
এই প্রশ্নের সাথে আমার ভাবনায় এক খোলা আকাশ।
আর তুই দাঁড়িয়ে
পিছনে সমুদ্রের ভিজে যাওয়া শব্দ ,,ঘুম পাচ্ছে।

ঘুম পাচ্ছে রে
তুই অষ্টাদশী কিশোরীর মত আঁকড়ে আছিস শেষ আশ্রয়।
আর বিশাল সমুদ্রের শব্দ শুনছি
লুটিয়ে পরছে তোর আঁচল ,খুলে যাচ্ছে তোর হৃদয়ের কুঠরিগুলো।
সমস্ত অবয়ব আর অস্তিত্ব জুড়ে নীল রং
তোর পা ছুঁয়ে সমুদ্র স্রোত ফিরে আসছে আমার বুকে।
তুমুল আকারে কোনো স্পর্শ
অদ্ভুর শিহরণ ,,নোনতা ঠোঁট ,,,ভিজে আকুতি
আমার ঘুম ভাঙ্গা চোখে সামনে এক সমুদ্র।

সমস্ত খেলা শেষ
ফিরে যেতে হবে সমুদ্রের ঘরে মাতাল নোনতা গভীরে।
নুন লেগে যাবে শরীরময় ,,সারা অস্তিত্বে
কান বন্ধ করি ,,সমস্ত চরাচর জুড়ে চোরা বালি।
ডুবে যাচ্ছি
আমার ঘুম পাচ্ছে ভীষণ। 

এখনো আমি বেঁচে

এখনো আমি বেঁচে
................ ঋষি
=================================================
একটা বিরূপতা থেকে গেছে
নিজের ভিতর অনেকটা রক্তক্ষরণ সময়ের দেওয়াল ঘড়িতে।
আমার আর মানুষ হওয়া মানায় না
কোনো জন্মের গায়ে যদি পেরেক দিয়ে যিশুখ্রিস্ট আঁটা হয়।
হাজার পবত্র তায় সে অদ্ভূত নিরুপায় হয়
আর আমার আর দয়া নেওয়া মানায় না।

কি করি ?
কোথায় যায় ? কি উদ্দশ্য ? কি বেঁচে থাকা ?
বড় মৃতের মত শোনাচ্ছে না।
আজকাল জানিস তো আমার স্বপ্নরা মৃত্যু জুড়ে থাকে
আর বুকের ফাঁকে সব ইচ্ছার মৃত্যু।
বাঁচতে চাই রে
জীবিত থাকার ইচ্ছাটা অন্যমনস্কতায় মাথাচাড়া দেয়।
ঠিক তখন মাথার ভিতর ইকিরমিকির
তোর মুখ ,তোর ঠোঁট ,তোর কল্পনা
বেশ হত যদি তোকে ছুঁয়ে এই জীবন বাঁচা যায়

উদ্দশ্য খুঁজি ফিরি
অসংখ্য স্বপ্নের ফেরি করি ,,ইচ্ছের সাথে মতবিরোধ।
আমার দেশ ,আমার জন্ম ,আমার জীবন ,আমার কল্পনা
আর তুই ,,,সব লিখে ফেল্লাম। আর কি ?
তবু তো হৃদয়ের সময়ের ঘড়িতে ক্রমাগত টিকটিক
এখনো আমি বেঁচে। 

প্রিয় সান্নিধ্য

প্রিয় সান্নিধ্য
............. ঋষি
==============================================
প্রিয় সান্নিধ্য
তোমাকে চিঠি লিখি নি বহুদিন।
এখন শহর জুড়ে শুধু ভোটের মরসুম চলছে
জেতা ,হারা আর মানুষের দামে অদ্ভূত বিপ্লব।
কেমন আছিস তুই আমার সাথে
আজ ঘুম ভাঙ্গলো সকালে জানলার বাইরে বিস্ফোরণে।

জানিস প্রিয়
টুটুল আজ বেশ কিছুদিন হলো জ্বরে ভুগছে।
ডাক্তার বলছে এমন ওয়েদার
আচ্ছা ওয়েদারের দোষ কি বল ,,আমি আর আমরা নিজেরাই দোষী।
ঠিক কিনা বল
সামনে চটকলে একজন বৃদ্ধ ভদ্রলোকের হাত থেতলে গেল।
ভাবনা হয় কি হবে তার পরিবারের
এ সব খবর জানিস তো আমার শুনতে ইচ্ছে করে না।
তবু জোর করে কানের কাছে বোকা বাক্সটা তুলে ধরে
মাঝে মাঝে ভয় হয় জানিস
কোনদিন হয়তো এরা আমার খবর বলবে।

প্রিয় সান্নিধ্য
আজকাল তোর জন্য মন কেমন করে।
জানি তুই আমার ভিতর বসে ভীষণ মজা নিস
এই দুনিয়ার।
তা নে, তবু সাথে থাকিস
আজ রাখি রে টুটুলের বোধ হয় জ্বর বাড়লো।

কবিতার কবি

কবিতার কবি
.................. ঋষি
====================================================
অভ্যেসে দাঁড়িয়ে গেছে
কবিতা চিবিয়ে রক্তবমি দৈনন্দিন  প্লাটফর্মে।
আর অবাক হয়ে দেখি অজস্র কবিদের চিত্কার
অজস্র তাদের চাহিদা।
কেউ প্রেম ,কেউ অকাল প্রয়ান ,কেউ দুঃখ ,কেউ অন্ধকার
আজকাল আর কেউ আনন্দের কবিতা লেখে না।

উত্পল দাঁড়িয়ে থাকে ,আমার বন্ধু
গন্তব্য একটা কবিতা ,দাঁতে কলম রেখে ভাবে একটা মারকাটারি প্লাটফর্ম।
সে  জানে না এই শহরে ভাবনা চুরি হয় কবিতার নামে
কারো একগাল দাঁড়ি ,কেউ বা সম্পূর্ণ নগ্ন।
কেউ ইচ্ছে করে বুনে চলে অসংখ্য জালিয়াত
ভাবছি কবিতা কি দরকার ?
একটা বেশ্যা পাড়া খুললে হয়  তো
কবিতার বিক্রি নেই।
তবে পাজামার ফিতের তো বিক্রি বাড়বে
রোজ ছিড়বে আবার জুড়বে ,,সাজতে তো হবে সমীচীন কবির মত।

অভ্যেসে দাঁড়িয়ে গেছে
কবিতা চিবিয়ে চুয়িংগামের মত সাদা পাতাতে থুথু করতে।
কি আবোলতাবোল লিখি কে জানে
সবটাই তো মনে হয় প্রতিবাদ।
শরীর ,মন আগুন আর এই দেশ সে যে বিচিত্র ভূমিকায়
কি লিখবো উত্পল।

তবু বৃষ্টি আসে নি

তবু বৃষ্টি আসে নি
............... ঋষি
===============================================
আজ তোকে ছুঁয়ে দিয়ে আমি হাসতে পারি
আকাশের দিকে তাকিয়ে ,,আরো গভীরে।
আচ্ছা কি মেঘ কি শুধু রৌদ্র ফোরানো নাম
সেখানে তো বৃষ্টি থাকে
মনের ফাঁকে ক্রমাগত জমে থাকা না লেখা কবিতার মত।

কেমন করে বলি তোকে
তোর শুয়ে থাকা চন্দ্রবিন্দু স্টাইলে একটা আলাদা আমেজ আছে।
আলো আঁধারী এই পর্যায়ের সাথে
পুরনো হৃদয়ের দেওয়ালে টাঙানো আমার ছবি।
কি ভাবছিলিস আমাকে ?
এসে গেছি ঠোঁটে জমে থাকা নিকোটিন স্বাদ নিয়ে।
আর তোর ঘরে ধোঁয়া ধোঁয়া কবিতা
আমার মান্না দের আমার প্রিয় গানের মত।
ধন্য আমি ধন্য হে
পাগল তোমার জন্য হে।

আজ তোকে ছুঁয়ে দিয়ে আমি হাসতে পারি
মনে গভীরে পাটাতনে দু একটা ইচ্ছারা সদ্য তোলা মাছ।
ভাজবি নাকি ,,হলুদ ,নুন আর প্রেম সন্দেহে
খুব খারাপ খবর জানিস
অপেক্ষায় আছি ,,খুব গরম ,,তবু বৃষ্টি আসে নি। 

অনাদরে

অনাদরে
.................. ঋষি
=============================================
অনাদরে
প্রশ্রয়ে শুয়ে থাকা সেই বিলিতি সেন্টের গন্ধটা
আজ ভীষণ দামী তাই না ?
দেও না আদর
বিছানা ,বালিশময় নিরামিষ গন্ধে মাছ ,মাংসে মাখামাখি
বদহজম ,,,তুমি কি আসবে ফিরে।


আমি কখনো বলি নি তোমায়
আকাশের শেষ নক্ষত্র তুমি হতে পারো কিন্তু আমি যে আকাশী।
আমি কি বলেছি
বাস কন্ট্রাক্টটরের টিকিটের বদলে জীবন কাটতে।
নিরুদ্দেশে যেতে যেতে
আমাকে ভুলে যেতে জীবন যে ভীষণ আদরের।
তোমার মত আমার কাছে
এক হাসি মুখ শ্রেয় বিছানা ,বালিশ সব বাদছাট।
বাকি শুধু তুমি
আর প্রশ্রয়
ভালোথাকো প্রেয়সী ,,ভালো রাখো।

অনাদরে
দিও না এক আকাশ কবিতা শুধু মোলায়েম চামড়ার হাসিতে।
আমি ফোয়ারায় বিশ্বাসী
তুবড়ির মত অনর্গল আলোকরশ্মি।
আমার আকাশে তোমার সাথে
আবার না হয় কোনো অপেক্ষার দিনযাপন। 

বাসি পরাধীনতা

বাসি পরাধীনতা
................... ঋষি
===================================================
নিজের গন্ধের সাথে মুলাকাত রয়ে গেল
কালসর্প বুঝলে চলন্তিকা।
দুধ দিয়ে কালসাপ পোষার প্রবাদটা সর্বাঙ্গ প্রাচীন
অথচ আদৌ দুধে মন ভরে না দেশের।
চলন্তিকা আমি তো দেশের গায়ে আজকাল রক্তের  অপছন্দের গন্ধটা পাই
ভেজা নোনতা সেই বাসি পরাধীনতার।

আহা চলন্তিকা
আরো একটা গন্ধ আমার কাছে ভীষণ প্রিয়।
তুমি জানো চলন্তিকা
তোমার  পেটিকোট, ব্রা, ব্লাউস এসবের নির্জনতা ভয়ংকর গুমোট গন্ধটা
কি ভাবছো আমাকে ? আরে বলে ফেলো।
জানোয়ার  !!
হাসি পায় জানো তুমি এতদিনে আমাকে চিনলে তাই।
এই জানোয়ারের দেশে যদি কোনো ফুলের শিশু যোনি হয়ে যায়
সেখানে তুমি  কমপ্লিট ওম্যান,
এর এত পুরুষের স্বভাব প্রেমের আড়ালে শরীরের গন্ধ খোঁজা।
আচ্ছা তুমি বল দেশ আর শরীরের মাঝে তফাত কি
দুটোই তো সহজলভ্য বিনিময়।

নিজের গন্ধের সাথে মুলাকাত রয়ে গেল
সেই আদিম জানোয়ারের গন্ধ যেটা চিড়িয়াখানায় ভীষণ কমন।
কি হলো চলন্তিকা ? নার্ভাস লাগছে
আরে শোনো প্রতিটা জন্তু যেখানে আজ বলির পাঁঠা।
সেখানে তুমি কি ?
ধুস দেশ তো কখনো তোমার মত সত্যি নয়। 

মধ্যবিত্ত আখ্যান

মধ্যবিত্ত আখ্যান
................. ঋষি
==============================================
আমার লিখতে ইচ্ছে করছে
প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করছে সামনে শুয়ে থাকা ইতিহাসের পাতাকে
আর্তনাদ কাকে বলে ? আর ভয় ?
উপকরণ ,অলঙ্করণ সংস্করণে কেউ কি জীবিত ?
পিছনে পরে থাকা রোদে চোবানো ঘামের শহর
আচ্ছা শুনছে কি কেউ ?

আসলে সত্যিটা বলি নি এখনো
মশাই দিন  আনতে পান্তা ফরানোর অন্তিম যাত্রায়।
কেউ যদি রাত্রে মশা কামড় খায় ,
দোষ কার ?
উত্তর ছিল ,উত্তর আছে ,উত্তর থাকবে
আপনি পিঠ ফিরে শোবেন
অথচ এই আগুনে পিঠ পুড়বে না তা হয়।
হাততা তো বাড়াতে হবে
এখন বলবেন মধ্যবিত্ত মশাই দিন  আনতে পান্তা ফরানোর গল্প
অথচ সারা শহর জুড়ে এখন মশাদের রাজত্ব।

আমার লিখতে ইচ্ছে করছে
কোনো যুবতীর যোনির থেকে নিসৃত আরামে মুখ ডুবিয়ে।
মশাই সবটাই তো জানেন
আরাম আর হারাম কেউ নিজের হয় না কোনদিন।
ঔরঙ্গজেব উল্টে গেলো
আর আপনি কি নিয়মিত ভীরু  মধ্যবিত্ত।

Tuesday, April 26, 2016

উল্টো পিঠে চাঁদ

উল্টো পিঠে চাঁদ
............ ঋষি
============================================

ভীষণ ইচ্ছে করে নদীর জলে পা ডুবিয়ে বসি
বিকেলের ফেলে আসা সময়ের সাথে তোমার কাছে থাকার গন্ধ।
দু চারটে চুল আলতো হওয়ায় লেপ্টে যাক আমার ঠোঁটে
তোমাকে আমি কাছে ডাকি বুকের মাঝে।
তুমি বল দুষ্টু বাতাস ,শান্ত হয়ে বসো
অপেক্ষা করো গম্ভীর এক সময় কাঁপানো ঝড়ের।

আমি স্থির হয়ে চেয়ে থাকি
মুচকি হেসে পায়ে পায়ে ছুঁয়ে যায় শীতল স্পর্শের মত।
তুমি হেসে বল ভালবাসা করে কয় ?
আমি বলি ওই যে দেখছো  বিকেলের শেষ সূর্য ডুবে যাচ্ছে।
কিন্তু ফিরে আসবে সকালে
এই প্রতি সকালের অপেক্ষাটাকে ভালোবাসা বলে।
তুমি ফিস ফিস বল আমার কানের কাছে
তুমি যখন ঠোঁটে ঠোঁট ঘষো  সেটা তবে কি ?
আমি হাসি বলি অধিকার
যেমন আকাশের সূর্য পৃথিবীর উল্টো পিঠে চাঁদ
ঠিক তেমন আমার তুমি একটা অন্য পৃথিবীতে থাকো।

ভীষণ ইচ্ছে করে নদীর জলে পা ডুবিয়ে বসি
বিকেল ফুরোনো নেশার সাথে তোমার বন্য গন্ধ।
আমি তোমার কাছাকাছি থাকি
আবার ফিরবো বলে প্রতিদিন সকালের সূর্যের মত।
রাত্রে চাঁদকে দেখি
হারিয়ে ফেলি সকাল আর রাত্রে জেগে থাকি। 

পূর্ণাঙ্গতার খোঁজে

পূর্ণাঙ্গতার খোঁজে
.......................... ঋষি
===================================================
ওটা কালকের
আমি তো তোকে দেখেছি আজকের বিকেলের সাথে।
হালকা হাওয়ার মতন ভাবনার খোলা দরজায়
কোনো পূর্ণাঙ্গ নারী।
পূর্ণাঙ্গতা চায়
ভালো থাকতে ,ভালোবাসতে ,আদরে ,অধিকারে।

এখানে একটা বিস্ফোরণ দরকার
সময়ের বারুদে মুখ বুজে সহ্য করা অধিকারগুলো অনধিকার প্রবেশে।
রৌদ্র আসছে ,পুড়ছে সময়
সর্বত্র একটা কোলাহল চিত্কার সীমানা ছাড়িয়ে।
তুই শুনতে পারছিস বোধহয়
সীমানাকে নিজস্ব বোধের সামিয়ানা টাঙিয়ে প্রশ্ন করছে আমাকে।
কতটা আমি সত্যি
আর ঠিক কতটা আমি মেকি আজ সাজানো সফরে।
আমি উত্তর দেব না
আমি উত্তর দি নি কোনদিন
শুধু  বিশ্বাস করেছি সময়কে নিজের সাথে ভালোবেসে।

ওটা কালকের
তোর স্তনবৃন্তে ঠোঁট রেখে আমি খুজি নি কোনো যৌনাঙ্গ।
শুধু জড়িয়ে ধরেছি তোকে
বুকে মাথা রেখে বলেছি অধিকার আমার, তোমার, সবার।
সেখানে আমি তুচ্ছ
জীবন সে হলো সার্বিক আয়নার প্রতিফলন।  

এক বিকেলে

এক বিকেলে
,,,,,,,,,,,,,,,, ঋষি
============================================
এক বিকেলের ফুরোনো অধিকার
তোকে চুমু খেলে আমি বাঁচতে পারি আরোও একশতক।
ডিপ্লোমেটিক উত্তর
যেখানে প্রশ্নটা প্রশ্ন থেকে যায়।
আর উত্তর আকাশের কাটা ঘুড়ি
লাটাই ছাড়া ,সুতো ছাড়া ,হাওয়া নির্ভর পৃথিবীর পথ।

এবার হাজার প্রশ্ন আসতে পারে
ভালোবাসা কি আকাশের পাখি যে খাঁচায় পুরে রাখি।
আচ্ছা জীবনকে কি ভালোবাসা যায় ?
আচ্ছা স্পর্শকে কি আঁকড়ে বাঁচা যায় ?
এবার আবার হাসতে হাসতে লুটিয়ে পরবি
ডিপ্লোমেটিক প্রশ্ন।
তুই জানিস শেষ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলাম সেদিন
যেদিন তুই আমাকে প্রশ্ন করলি ভালোবাসি কিনা।
আমি হাসতে হাসতে বলেছিলাম
ভালোবাসি তো তোকে। ..স্পর্শতে থাকা জীবনের পথে।

এক বিকেলের ফুরোনো অধিকার
সমস্ত সকাল জুড়ে সময়ের প্রলেপ মনখারাপ।
ডিপ্লোমেটিক অবস্থান।
আকাশ জুড়ে মেঘ করেছে সূর্য গেছে পাটে
খুকু গেছে জল ...আনতে, পদ্মদিঘীর ঘাটে
আবস্ট্রাক্ট নয় স্পর্শীল।

বৃষ্টিতে ভিজে

বৃষ্টিতে ভিজে
...................... ঋষি
================================================
সেই দিনটা মনে আছে
যে দিন আকাশ থেকে বৃষ্টি নেমে ভিজিয়ে দিচ্ছিল অস্তিত্ব
তোকে বৃষ্টি বলে ডেকেছিলাম প্রথম।
মনে আছে কফি কাপ ঠোঁটে তুই শহরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে
আমাকে ডাকলি আরও আমার কাছে।
আমি ছুটে গেলাম তোর ঠোঁটে ,,তোর গালের তিলে
তোর কপালে প্রথম চুমু।

নিস্তব্ধ যাপনের মত এতগুলো বছর
উনিশবিশ ,আক্রোশ, অভিমান,অভিব্যক্তি ,ঘুমোনো হিসেব সব ছিল।
সব ঘুমিয়ে ছিল ,সব বেঁচে ছিল
গভীরে কোনো বৃষ্টির আশায় ভিজে মাটির গন্ধে।
আমি তো ভিজেছিলাম সেদিন
তুইও।
তারপর হঠাত এক ঝড় ,,আকাশ জোড়া বড় বড় চোখ
সরে যাচ্ছে দুরে ,,,বিকেলের কফি কাপ।
তোর নাম ,,তুই
চেষ্টা করছিস
কিন্তু এই ভাবে হারানো যায় না।

সেই দিনটা মনে আছে
যে দিন শহর জোড়া তুমুল বৃষ্টি ফুটপাথে নর্দমার জল।
আমি হেঁটে ছিলাম একা একা আমার শহরে
শহরের  ভিজে চোখে লেগেছিল আমার চোখে নুন।
তারপর সোজা একটা কফি কর্নারে
চেনা পরিচয় ,,চেনা কপতকপতি ,,হাজার ভিড়ে মাঝে মিশে
আমার তুই  ফুটপাথে দাঁড়িয়ে ,,বৃষ্টিতে ভিজে।

অতি আপন

অতি আপন
............ ঋষি
====================================================
আমি প্রেম লিখলে তুই তলিয়ে যাস না কখনো
আমার প্রেমের জন্ম ,মৃত্যু সব আছে।
আমার কলমে আঘাত এলে রক্তে ভিজে যায় সাদা পাতা
কিন্তু সে তুই নোস।
আমার আহুতি জীবনের শেষ সম্বল
সে যে কবিতা।

কবিতা সে যে নারীর মত প্রগতিশীল
তিরতিরে নদী বয়ে যায় বুকের ভাঁজে লুকোনো ব্যারিকেট ভেঙ্গে এগিয়ে চলা।
দাঁড়ি ,কমা কিছুই থাকে না মনে
যখন কবিতা আসে আকাশের চাঁদ মাটি ছুঁয়ে যায়।
কোনো সদ্য জন্মানো পবিত্র  যুবতী বির্যবতী হয়
কবিতা জন্মাবে বলে।
সেখানে তুই থাকিস  অদ্ভূত তোর গন্ধে
আসলে সত্যি কি তোকে ছাড়া  বাঁচা যায় না।
কবিতা যে আমার বাঁচা
আমার পরিচয় আর আমার তুই ।

আমি প্রেম লিখলে তুই ছটফট করিস পাগলের মত
আমার কবিতা তোকে ছুঁয়ে আদরের হয়।
আমি বাঁচতে থাকি তোকে জুড়ে পাতায় পাতায়
কখনো অভিমানে ,কখনো রাগে ,,কখনও বা গভীর প্রেমে
কিন্তু বিশ্বাস কর সেখানে তুই থাকিস
আমার কবিতা আর তুই দুজনেই  আমার অতি আপন ।  

সত্যি কি স্বপ্ন

সত্যি কি স্বপ্ন
................... ঋষি
===============================================
উপর থেকে শহর দেখছিস চলন্তিকা
নিচে সারি সারি মেঘ ,,স্বপ্নের ডানাতে ভর করা জীবন।
আর চেনা সময়
বারান্দার রেলিঙে চুল ঝাড়তে ঝাড়তে খেয়াল হলো।
যদি ইচ্ছে হয় ,,এই সময়
তোর শরীরে ভিজে মাটির শুকিয়ে যাওয়া ঘাম।

রক্তের সাথে সুর বাঁধা ছন্দ
মন্দ কি পথ চলতি চেনা মুখগুলোর আরো অপরিচিত হওয়ার।
বেশ লাগে দূর থেকে চলন্তিকা
সেদিন দুপুরে যখন কোনো নিয়মিত রেলগাড়ি তোর বুকে।
আমি তখন মৃত
আমার শরীরে মত কিছু একটা আঁকা ছিল তোর বুকে ,,তোর ঠোঁটে।
আমার দমবন্ধ ,,তোর মতন ,,আমার চোখও
আকাশ নেমে আসছে নিচে আমার বুকে ,,তোর যোনিতে।
ভীষণ ভারী লাগছে
একেবারে যাচ্ছেতাই ধুস স্বপ্ন কি এমন হয় ?


উপর থেকে শহর দেখছিস চলন্তিকা
শহরের সার দেওয়া ল্যাম্প পোস্ট ,,পরিচয় ,,তোর গলার স্বর।
আমার পাসপোর্টে তুই লেগে আছিস হাসিতে
আর আমার মৃত্যু তোর গভীরে লেগে থাকা যন্ত্রনায়।
সত্যি এসব কি স্বপ্ন মনে হয়
লাল মাটিতে পথ চলতে আজকাল পায়ে ফোস্কা পরে।

আমার তুই

আমার তুই
................ ঋষি.
================================================
নিজেকে কুড়োতে ইচ্ছে করে না আজকাল
পরে আছি গলি খুচি শহরের কোনে।
বুকের ব্যথাটা আজকাল বড় কষ্ট দেয় চলন্তিকা
বয়স হচ্ছে সময়ে গায়ে।
আর চামড়ায় খড়ি  ওঠা স্মৃতিদের আলাপচারিতা
সত্যি বড় একলা এই জীবন।

দাদুর কাছে শোনা সেই রাজপুত্রের গল্প
সবুজ ব্যাং ,রাজকুমারীর চুমু আর  ফিরে পাওয়া।
বড় আপ্লুত লাগে নিজেকে
শোলার টুপি,ভিজে বালিশ ,কার্নিশের চোখের পাতায় আলাপন।
সবটাই আলাপন নিজে সাথে
ফিরে যাওয়ার আগে একবার দুহাত ছড়িয়ে এভারেস্টে দাঁড়াই।
এক বুক নিশ্বাস,,চোখে জল
ফুরিয়ে যাচ্ছি বোধহয় ,,ফোরাবার মানে জানতে ইচ্ছে করে।
সত্যি বল চলন্তিকা
ইচ্ছাতে কি ফোরানো যায়।

নিজেকে কুড়োতে ইচ্ছে করে না আজকাল
চেনা  গলির অচেনা রাস্তার ওপারে চেনা মুখ তুই  চলন্তিকা।
নিজস্ব বলয়ের শেষে সেই লাল মাটির রাস্তা
বাউলের সুর ,,,উড়তে ইচ্ছে করে জানিস তোর সাথে।
আকাশের পর্দায় উড়তে থাকা অস্তিত্ব তোকে ছুঁয়ে
নীল জ্যোত্স্নায় যদি  কোনোদিন আমার তুই।

অপ্রয়োজনীয় মানুষ

অপ্রয়োজনীয় মানুষ
.................. ঋষি
==============================================
মানুষ খুঁজতে গিয়ে চলন্তিকা আমি নিরুদ্দেশ
প্রশ্ন ছিল বুকে ,আছে আর থাকবে।
সত্যি কি আমার মানুষ পাওয়া হবে না কখনো
চারিদিকে এত মানুষ ,,এত চিত্কার ,,এত বেঁচে ফেরা।
কিন্তু আমি জীবিত পাই না কোথাও
পাই না খুঁজে মানুষ ,,,সকলেই কেন জানি মৃত।

যারা দেশ বলে চিত্কার করছে
তাদের মানুষ মনে হলেও কিন্তু শালা তারা তো মানুষের ভেকে হায়না।
আর চলন্তিকা যারা প্রেম বলে চিত্কার করছে ,,,,রোজকার
আরো অবাক লাগে ,,,,,তারা যে শরীর সকলে।
আমি জীবন খুঁজতে চাই ,,,অন্ধকারে হাত বাড়াই
সারা শরীরে রক্ত লাগে।
সদ্য জন্মানো সন্তান কেন যেন  সকলেই পেট কেটে জন্মায়
এ সময় কেউ যোনিজ নয় ,,,,
কেউ নরম্যাল নয় ,,সকলেই কেমন যেন অন্যরকম।
সকলেই মানুষের মত দেখতে
অথচ মানুষ নয় ,,অন্যকিছু।

মানুষ খুঁজতে গিয়ে চলন্তিকা আমার পাগল পাগল লাগে
নিজের চামড়ায় ব্লেড দিয়ে টেনে দেখি ,,,রক্ত আছে তো ?
নিজের জন্মকেও আজকাল প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে
কে আমি ? কি পরিচয় ?
চারিপাশে গোলক ধাঁধায় আমি বড় অপাংতেয়
অপ্রয়োজনীয় মানুষ নিজের ভূমিকায়।


মানুষের স্বতন্ত্র

মানুষের স্বতন্ত্র
....................... ঋষি
============================================
এই কবিতায় কোনো সাম্রাজ্যবাদ নেই
এই কবিতায় কোনো দেশ ,রাষ্ট্র ,তন্ত্র নেই।
আছে আমার মত কিছু  মানুষ
আর মানুষের তন্ত্রের খিদে  অর্থাৎ অধিকার,,,,, গণতন্ত্র।
আছে খিদে বেঁচে থাকার ঘামের। .দৈনন্দিন বাঁচার।
মৌলিক অধিকার আর মানুষের  স্বতন্ত্র।

আমি কোনো পলিটিক্স বুঝি নি কোনদিন ,বুঝতেও চাই না
চাই শুধু বেঁচে থাকতে মানুষের মত নিজের অধিকারে।
জানি আমি আজ স্বাধীন দেশের নাগরিক
জানি আমার চারপাশে যারা আছে সকলেরই আমরা  স্বাধীন।
কিন্তু আসলটা  আসলটা আপনারা জানেন
...ঠিক কতটা।

প্রকাশ্যে কাউকে খুন করা। .এটা কি শুধু অপরাধ ?
প্রকাশ্যে কারোর মা,বোনের ইজ্জতে  হাত দেওয়া। এটা কি মনুষত্ব ?
আর তারপর এই রাজায় ,,রাজায় যুদ্ধ
আমরা মোহরা।
প্রকাশ্যে ব্যালেট বক্সে ,,কারচুপি ,,,,পেশী প্রদর্শন
বারুদের গন্ধ ,পিস্তল ,,,,,মৃত্যুর কমে যাওয়া দাম মানুষের ।
আজকাল তো শুনতে পাই নব্বই টাকাতে মৃত্যু বিক্রি হয় একটা বুলেটের দামে
আর নিজের অধিকারের অনধিকারের চর্চা আসলে মৃত্যু।
এই কি তবে স্বতন্ত্র
এরি নাম গণতত্র।

কি মুখ দেখাবো আগামী সন্তানদের তারা যখন দেশ জানতে চাইবে
বলবো এই হলো মানচিত্র,বিভেদ ,,, দেশ আর এই হলো অন্তর দ্বন্দ মানুষ।
অবাক হয়ে দেখি আজ বেঁচে থাকাটা ঈশ্বরের উপহার নয়
সে হলো মৃত্যু সামিল যন্ত্রণার আগামী।
আর আমরা মানুষ ক্রমশ ভুলতে থাকা কোনো প্রজাতির উদাহরণ
হয়তো আগামী কোনো সন্ত্রাসের সংস্করণ।

Saturday, April 23, 2016

অনেকটা নিজের জন্য

অনেকটা নিজের জন্য
............... ঋষি
==============================================
শীতের আদর বুকে নিয়ে আমি পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে ছিলাম
নিজেকে বড় ছোটো  মনে হয় তোমার কাছে গেলে।
ঈশ্বরের পা যদি  মাটিতে পরে
তবে কি মানুষ হব আমি।
তোমার মত এক বিছানা কম্পলিমেন্টে মোটে দশবার
এগারো বারে আমি হাঁপিয়ে গেলাম।

এখানেই সবচেয়ে বড় ভুল আমার
মানুষের ভাবনা ,,নিজেকে ছাড়িয়ে গেলে প্রতিবাদ আসে।
যেমন  বারুদের  ঠোঁট রেখে তোর  নাভির উষ্ণতা ভাবা
আর বিস্ফোরণ।
জানা ছিল না  আমার ,তুমি  কাঁপবে
তারপর ভূমিকম্প ,,,সুনামি ,,,আমি,,ত্রস্ত ।
প্রতিবাদী চেয়েছি নিজেকে দুমড়ে মুচড়ে তোমার  কাছে
আবদারে জীবন ক্ষণিকা।
আমি হাসছি তবু
তুই যে রয়ে গেলে আমাকে ছুঁয়ে ,,আমার ভাবনায়।


এখন আর শীত করছে না পৃথিবীর নীল ,সবুজ রঙে
শুধু তৃষ্ণা ,,সমুদ্র খুব বড় হলেও।
আমি একলা সেই বদ্বীপ ছুঁয়ে ,,,দূরে  আরো দূরে চেয়ে
নিজস্ব বেঁচে থাকাতে।
জানি এমন করে সত্যি বললে  ঈশ্বরের অভিমান  হবে
তবে আমি মানুষ হব কি করে ?




আমৃত্যু

আমৃত্যু
................. ঋষি
=========================================
মাটির গন্ধ আর বৃষ্টি সবটাই অসাধারণ
এখনো লিখে উঠতে পারি নি কিছুতেই একটা কবিতা।
কলমের শেষ জানে না
আমার বুকের খোলা বোতামে এক বুক আগুন।
আর সেই আগুনে সহস্র অধিকারে
নিস্তব্ধে আমি মরে গেছি কবে।

ফুলের পাঁপড়ির ক্যামোফ্লেজে আমি সবুজের সাথে থাকি
একটা করে পেরেক পুঁতে দিও আমার হাতে।
শান্তি ,, ফিসফিস কানে কানে
জানি বৃষ্টি আসবেই  সময়ের দুরপারে  ভিজে মাটি।
আর আমি দুহাত জমিতে
মাটির মেটে গন্ধে তৃপ্ত কবিতা ,,এমনি ভেবেছি।
অপেক্ষায়
চিতার আগুনে কবরের বৃষ্টি  আহুতি পেলে।
আমার শেষ কবিতা সম্বল
বুকে লুকিয়ে রাখা আজন্মের অভিশাপ।

মাটির গন্ধ আর বৃষ্টি সবটাই অসাধারণ
এখনো লিখে উঠতে পারলাম না ভালোবাসি আমি জীবন।
মৃত্যু আমার আঙ্গুলের স্পর্শে
নিস্তব্ধ হয়ে যাওয়া অঘটনের মত অপেক্ষায়।
একটা কবিতা লেখা হলো না এখন
সময় হয় নি মরবো কি করে।

ভুলতে চাইছি

ভুলতে চাইছি
................ ঋষি
================================================
ভুলতে গিয়ে আরো কাছে আসছি তোমার
আকাশের গায়ে গরাদ এঁকে  ব্যস্ত  রাখছি তোমায়
নিজের নির্বিষ কলঙ্কে  বিষ  ঢালছি
শিবের শরীরে ছাই ধোঁয়া মোছা  করে।
কোনো যৌনতা না ,,, বিকর্ষণ
তবু আকর্ষণ করছি তোমায়।

বুঝতে  পারছো  সোজা কপি ,পেস্ট তোমার স্তনবৃন্তের গোঁড়ায়
আজ নয় বহুবার ,বহু যুগ ধরে।
তবু
আমি নির্বিষ আতঙ্কের  শিবের  নৃত্য।
আরো ধ্বংস করছি তোমায়
ঠিক না।

আরো কাছে আসছি দুরে গিয়ে ফিরে আসার মানে
নেমেসিসের মন্ত্র তন্ত্র দিয়ে  গাঁজার টান।
লালচোখ
ভালো লাগছে না ,,ভুলতে চাইছি।
আরো দুরে ঠেলতে
ইশ এবার  যে দেখতে পারছি তোমায়। 

প্রিয় নারীর জন্য

প্রিয় নারীর জন্য
................. ঋষি
==============================================
ঘুমিয়ে উঠলাম বুঝলে
তোমার জিনিসপত্র খোলা দরজার ঘরে।
এখনো আমন্ত্রণ আসে নি
একটা নিয়ন্ত্রণ চলছে ,,এতটা অবমাননা সহ্য হয়।
বলে এলো  না আমাকে
বৃষ্টির শুভেচ্ছা।

বৃষ্টি ,বৃষ্টি ,বৃষ্টি
মাথা খুঁড়ছি বুকে ভিতর সময়ের তৃষ্ণা।
আমি নেমে গড়িয়ে যাব জলের মাথা নিচু করা সাপের মত
নিয়ন্ত্রণ ছাড়া।
অযথা আক্রমন কর না আমাকে সময়
বিপ্লব দাঁড়িয়ে দরজায় মাথা খোটে  কবিতার মত.
আসে না
আসতে চায় না।
একটা নিয়ন্ত্রণ  দরকার কবিতার কলমে
কিন্তু আমি আকাশের গায়ে কবিতা লিখি
আর তোমার নেশায় আরো জন্ম ,মৃত্যু আঁকি।

ঘুমিয়ে উঠলাম বুঝলে
তোমার ঠোঁটের সাথে আটকানো একটা ইচ্ছা।
চুমু খাবো  বলে দরজা খুললাম
চিত্কার করছি কেউ আছেন এখানে ,কেউ কি ?
তখনি সময় এসে দাঁড়ায় প্রিয় নারী
আমি কবিতা লিখবো  বলে।  

স্বয়ং ধ্বংস

স্বয়ং ধ্বংস
............ ঋষি
=================================================
জল ,কলমি শাকের পর দেশ ধীরে ধীরে মন্তাজ
আমি শব্দ করি নি কখনো।
শুধু নিয়নের শহরে ঢেলে দিয়েছি স্বপ্নের মতন বুনন
আর তখনি কিছু দুর্ঘটনা।
ভেঙ্গে পরছে মাটির স্তরের গভীরে অভিমান
আর আমি ব্যস্ত লাল ঠোঁটে  লিপস্টিকের আদলে।

এদিকে ওদিকে ফেস্টুনে
শহরের  দাঁত বের করা ইচ্ছাদের জবরদখল।
আর তার পরেই অযথা  রক্তপাত ,ধর্ষণ ,খবর ভরাট
আর তারপরই শরীর।
আসলে বাঁচার জন্য অভ্যাসে এক পরিচয় সবটাই রিপুদের দোষ
কি দরকার ভাবা।
হারানো জল ,কলমি শাকের মতন প্রকৃতি
বরং প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি।
আকাশ কালো করা কার্বনের ধোঁয়ায় আগামী জন্মগুলো সব বিকৃত
হিসেবনিকেশ সরকারের ঘরে কিছু অভিশাপ ,,কারচুপি।
কলের জল চুরি করে পুকুর ভর্তি
ভারী মজা আমার কি ?
আমি তো বেঁচে থাকাতে  পাগল।

এত নিয়ন ,বাক্সবন্দী  কফি শপ ,প্রেমিকার  ঠোঁটের তিলগুলো
কেমন যেন অন্যমনস্ক ভাবনায়।
শুধু আগামীর প্রজন্ম জানে না আর কতদিন জীবিত
বাড়তে থাকা তাপমাত্রা , অনিয়মিত ভূমিকম্পন ,,হারানো প্রকৃতি।
গ্রাম হারিয়ে ,সবুজ হারিয়ে , ,,, শুহুরে  মানুষ  দাঁড়িয়ে
দূরে  দেখা যাচ্ছে ধুলিঝড়  ,,স্বয়ং ধ্বংস। 

তাই না

তাই না
................. ঋষি
==============================================
সময়ের  বয়স মৃত্যু
হাতে গোনা কড়িকাঠ ,অযুত নিযুত আর শতক।
সবটাই ভীষণ  মেকি তাই না
যেমন তুই সাজানো কোনো দেওয়ালের পট্রেটে।
ভেজা দেওয়াল
আরো ভেজানো  তাই না।

যে অর্জুনের চোখে লেগে গেছে মৃত্যুর লোভ
তার কারণ জানি।
যে চোখ দেখে মরে যেতে চাই
তার কারণ কি ?
ভেবেছি  বহুবার ,,বারংবার ভাবনায়
অন্ধকার দেওয়াল থেকে উঠে আসা বাসি  পচা গন্ধ।
ক্রমশ জমায়েত কোনো শহরের পথচলায়
অনবরত জ্যাম।
থেমে গেছে থমকে থাকা আন্দোলিত  বাতাস এই বৈশাখী গরম
একটা অদ্ভূত মৃত্যু ,,,তাই না।

সময়ের  বয়স মৃত্যু
হাতে গোনা কাল সবটাই বেঁচে ফেরা জীবনের চৌদিঘিতে
সবটাই  প্রকৃতি তাই না।
যেমন আকাশের তিতিক্ষা আর বৃষ্টির প্রতিক্ষা
ভিজে চাওয়া
কোনো বিরক্তি তাই না। 

ইতিহাসের প্রয়োজনে


ইতিহাসের প্রয়োজনে
............... ঋষি
=====================================================
বিপ্লবের কোনো ঠিকানা হয় না
 যেমন হয় বিপ্লবীর রক্তে নুয়ে থাকা মূর্ছনা।
সবটাও পসেটিভ হবে ভেবে নিয়ে অনেকটা  যাবার পর
যদি আগুন জ্বলে ,সেটা কি বিপ্লব ?
বুঝলে অবনীবাবু  সেটা বিপ্লব নয় ,,প্রহসন
হাসির প্রয়োজনে  ,নিজের পেটভরাতে ,,ইতিহাসের মৃত্যুতে।

আমি কোনো কমিউনিস্টের মত বলছি না যে,,, বিপ্লব জরুরী
মানুষের ইতিহাস থেকে বলছি।
বিপ্লব শুধু বারুদের গন্ধ নয় ,
মার্কস ,লেনিন এই সব মহাত্মাদের  পরিচয় নয়
বিপ্লব হলো মানুষের রক্তে একটা প্রতিবাদ ।

আমরা কেঁচোর  মত গুটিয়ে গিয়ে
ডেকে  আনছি এমন একটা পরাধীনতা যেটা নিজেদের মৃত্যু।
অবনীবাবু  আপনি প্রাচ্য ,প্রাচাত্য  কিংবা সময়কে দেখতে  পারেন
প্রতিটা সুদিনের পতন নিশ্চিত।
প্রতিটা স্রষ্টার মৃত্যু নিশ্চিত ,তবে সৃষ্টি নয়
কারণ প্রতিটা সৃষ্টি  একটা বিপ্লব।
 সব ইনফিনিটি সিস্টেমে একটা পরিবর্তন খুব প্রয়োজনীয় এই সময়
সেটাই বিপ্লব বোধহয় ,

মাইক হাতে করে তেরাত্রি চিত্কার করলে
বিপ্লব আসে না।
তারজন্য হৃদয়ের সংযোগ দরকার ,দরকার নিজের ইতিহাসের।
অবনীবাবু আমি কোনো দেশের কথা বলি নি
বলেছি মানুষের কথা ,ইতিহাসের কথা আর সময়ের
আর তাকে আরেকবার স্মরণ  করতে আবার একটা বিপ্লব প্রয়োজনীয়।


Thursday, April 21, 2016

স্পর্শ কি ?

স্পর্শ কি ?
,,,,,,,,,,,,,, ঋষি
============================================
শুধু ছুঁয়ে যাবে
এটা পরিনত নয় পরিনাম জীবন এই বিশ্ব সংসারে।
আর পাঁচটা নারীর মত স্বপ্ন
স্বামী ,সন্তান ,,প্রিয় মধুর ঘর আর সংসার।
এটাতেই শেষ নয় ,,শুধু শুরু অধিকার
কিন্তু স্পর্শ কি ? কি স্পর্শ ?

দলা মোচর মাংসপিন্ড
চোখের জল আটকে যায় অন্ধকার আকাশের চাঁদে।
পুরুষ এই তোমার পরিচয় ?
অন্ধকার নয় আলোয় আসতে চেয়েছি চিরকাল
কিন্তু  তোমার প্রয়োজন অন্ধকার।
আর আমরা পরিনাম সমাজের বাহ্যিক হাসিমুখ
হাসতেই হবে।
সমস্ত অপ্রিয় সত্য গুলো লুকিয়ে দাঁড়াতেই হবে ঘোমটা ঢেকে
নিয়ম আর নিয়মিত ব্যবহারিক পরিনয়।
পরিনত রূপ প্রতিদিন তিরস্কৃত সামাজিক ব্যায়ে
এ এক অদ্ভুর বিচার।
পুরুষ তুমি হাজারগামী হতে পারো
অথচ আমাদের গন্ডি তোমাদের স্বীকার।

শুধু ছুঁয়ে যাবে
আমরণ শরীর ,মন ,অস্তিত্ব নিয়ে খেলে যাবে সামাজিক ব্যারিকেটে।
পুরুষ আমাদের কোনো আকাশ নেই জানো
জানো আমাদের নেই কোনো পরিচয় আলাদা করে।
কিন্তু প্রশ্ন।  কেন এমন ? কেন এমন হবে ?
চিরকাল পুরুষ তুমি শুধু পূজিত হবে। 

আমি হাসছি

আমি হাসছি
.............. ঋষি
================================================
নিতান্ত ভরাডুবি এটা
দু চারটে গালাগাল আমার পাওনা ছিল।
দাঁড়িয়ে ছিলিস বহুক্ষণ ,,বলেছিস বারংবার আমাকে
আর আমি আকাশের চাঁদ।
জ্যোত্স্নার মত তোকে ভিজিয়ে  লিখে গেছি
প্রেমের তুলিতে ,,কবিতা সম্বল।

আমি কবিতার ভিতর নারী দেখতে পাই
বারংবার খোঁজা ফেরা ঘর হারানো পাখি আমার হৃদয় খাঁচায়।
চলন্তিকা আমি নিজেকে দেখি আয়নায়
যন্ত্রণার কালো নাকছাবি পরে তুই দাঁড়িয়ে।
আর আমি হাসছি
আমি হাসবো
কারণ আমাকে ভেজাতে আছে কিন্তু ভেজা বারণ।
আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখব নক্ষত্রখচিত জীবন
কিন্তু আমার জীবিত থাকতে মানা আছে।
এই অসময়
তোর কাছ থেকে আমার ঘৃণায় প্রাপ্য।

নিতান্ত ভরাডুবি এটা
আমার কবিতারা জীবন খোঁজে জীবিত থাকার ফিকিরে।
কারণ আমার মৃত শরীরে সহস্র বছরের পাপ
গলতে থাকা মৃত দেহর দুষিত পিঞ্জরে ভাবনার ফকির বসে।
সে শুধু গাইতে পারে আকাশের গান ,,নীলের আকাশ
কিন্তু কখনই সে নীল আকাশ নয়। 

শুধু যে আমার

শুধু যে আমার
................. ঋষি
=====================================================
আমাকে একটু অধিকার দেও
আমি তোমাকে ছুঁয়ে দেখতে চাই
সভ্যতা কাঁপছে ,সারা শরীরময় ব্যাধি নিয়ে প্রেম শুয়ে
আলাপন দরকার
একটু অধিকার
যদি আকাশ ছুঁয়ে তুমি দিব্যি কর শুধু যে আমার

না হে সভ্যতা
রঙিন ফানুসে আটকানো মানুষের ইচ্ছার যোগফলগুলো অদলবদল।
কি করণীয়
নিজেকে সংযত করে ,সঙ্গমের অনীহা।
কি করব বস ,,, পুরো মাথা চেটে ফর্দাফাই
পুরোটাই স্ট্রেস।
নেমে যাচ্ছি নিচে খুব নিচে
যেখান থেকে তোমাকে দেখাটা শিল্পীর তুলির আঁচর।
আর আমি
নির্গত ধোঁয়ার মত আঁকড়ে আছি তোমাকে
একটু অধিকার দেবে।

আমাকে একটু অধিকার দেও
আমি তোমার ঠোঁটে এঁকে দি আজন্মের দাগ।
সভ্যতার বয়সের হাঁটুতে বাতের  মারাত্নক যন্ত্রণা
ওষুধ দরকার।
একটু বোঝাপরা
যদি হৃদয় ছুঁয়ে তুমি দিব্যি কর শুধু যে আমার। 

আলাদা মাইলে

আলাদা মাইলে
............... ঋষি
=================================================
আলাদা আলাদা মাইলে,,কিলোমিটার দূরত্বে
নিজেকে সরিয়ে রেখেছি।
আমার রক্তের প্রতিবাদ আমার জন্মকে সাবালকত্ব দিতে পারে নি
আমি প্রতিবাদ করিনি কখনো কোনো অন্যায়ের।
শুধু জীবিত থেকেছি
নিজেকে বাঁচাবো বলে নিজের পরিবারের জন্য।

অগর মা কা দুধ পিয়া হ্যা তো ,সামনে আ
না সামনে যেতে পারিনি।
কিতাবী মধ্যবিত্তের মত চালিয়ে গেছি ধর্মের রথ প্রতি রথযাত্রায়
অথচ রথে সেই জগন্নাথ।
প্রশ্ন করি নি
এমা ঠাকুর তোর হাত কই ?
আসলে আমারও হাত কই ,শুধু মাথা আছে
নিচু করা।
আর আছে কিছু বক্কম যা শুধু নিজের ডেরায়
আসলে আমার বাঘ হওয়া হলো না।

আলাদা আলাদা মাইলে,,নিজেকে মাপতে বসেছি
এত জল তবু ঘটি ডোবে না।
জল ঘোলা করা শুধু কিন্তু তৃষ্ণা সে তো মেটে না
মেটে না যন্ত্রণা না বলতে পারার।
চিত্কার করতে ইচ্ছে করে
তবু করি না কারণ সময় সে যে ভয়ংকর মৃত্যু। 

সকলেই জনতা

সকলেই জনতা
................... ঋষি
=================================================
অদ্ভূত খেলা আমাদের
ক্লাউনের চোখে মুখে ক্লান্তি অথচ সে হাসছে।
গণতন্ত্র বাসী পচা রজনীগন্ধার মত দেওয়ালে দেওয়ালে
পোস্টারে সাজছে।
ক্লাউনের খেলা শেষ হলে ক্লান্তি নামে
অথচ এই খেলাতে মানুষি ক্লান্ত নিঃশব্দ রাত্রির মত।

এটা একটা  যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা হতে পারতো
আমি নিজের দেশ হারিয়ে ,বাবা ,মা ,স্ত্রীকে নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে।
সামনে দিয়ে চলে যাচ্ছে সরকারী গড়ানো কামানগুলো
ফায়ার ,বুলেট, বারুদ  ,,,,,,সারা আকাশময় বোমারু বিমান।
ব্ল্যাক আউট,,, দাঙ্গা ,,,,,রক্ত ,,,ধর্ষণ ,,খুন
না সময় পেরেয়ে এসেছি।
এখন আমি শুধু ক্লাউন যার মুখে হাসি
হাসছি মানুষের মত।
আমার যৌবন ফুরিয়ে বাড়তে থাকা চামড়ার ভাঁজে অনিয়ম
আমি কাঁদতে পারি
তবে কে শুনছে সেই কান্না?

হাততালি দেও ,,আরো জোরে ,,আরো জোরে
ক্লাউন কাঁদছে বলতে পারবে না সত্যি এই মৃত্যুর স্টেজে দাঁড়িয়ে।
ভোট ব্যাঙ্কারে এখন লম্বা লাইন
ঘাম ঝরছে জেতা ,হারার ,,নাটকে আমি দাঁড়িয়ে।
আর জিতছে কে
সকলেই তো জনতা আমরা ,,হা হা  হা।


আগুন আর বাঁচা

আগুন আর বাঁচা
.................... ঋষি
===============================================
সত্যি কি বলতে পারি আমি
নিজেকে সরিয়ে এনে ফিনিক্সের মত আগুনে ঝাঁপ।
এই আগুনে প্রেম পোড়ে চলন্তিকা
আমি তো পুড়তেই পারি বারংবার নিজের ভিতর।
শুধু হারানো দূরত্বের  স্বপ্নে
আগুন আর বাঁচা।

হাসিস না একদম
এটা স্বপ্নের দেশ নয় চলন্তিকা।
সমাপ্তির আগে নির্দিষ্ট ফার্নেসে নিজেকে দাবিয়ে রাখা একটা আর্ট
জানে তো সকলে।
তোর মত গোপনীয় দূরত্বকে যদি আমি পাগলামি বলি
তবে সারা দেশময় ,বিষাক্ত ঝড়।
যেখানে শহর পুড়ে জলের তৃষ্ণায়
আমি তো ঝাঁপ দিতেই পারি আগুনের চাহিদায়
তোর কারণে বারংবার।

সত্যি কি বলতে পারি আমি
ঈশ্বর তার শাণিত দেওয়ালে জলছবি আঁকে নির্দিষ্ট ভঙ্গিমায়।
আমিও তো জল ভাঙ্গতে পারি
শরীর ভিতর ,হৃদয় থেকে নেমে আসা সমাপ্তিতে।
আমি তো পুড়তেই পারি বারংবার
 ফিনিক্সের মত আগুনে ঝাঁপ দিয়ে। 

Wednesday, April 20, 2016

কর্মখালি বিজ্ঞাপন

কর্মখালি বিজ্ঞাপন
.................. ঋষি
===============================================
বিজ্ঞাপন চাইছে সময়
কর্মখালি ,ঈশ্বরের পদে নতুন কাউকে চায়।
প্রশ্ন ছিল ,আছে ,থাকবে
কে সেই ঈশ্বর?কি তার পদপুরণের মিনিমাম আবশ্যিকতা হবে।
শুধু বিশ্বাস
হায় মানুষ, শুধু বিশ্বাসে কি ঈশ্বর পাওয়া যায়।

এমনটাই হয়েছে
জেসাস ,বুদ্ধ ,চৈতন্য সকলে  হেঁটে গেছেন এই পৃথিবীর পথে।
তারা পথ হারিয়ে প্রতিটা পথের ধারে খুঁজেছেন মানুষ
আর খুঁজেছেন শান্তি।
আমরা সকলে ভীষণ স্বার্থপর
আমরা  শুধু ঈশ্বর খুঁজে চলেছি নিজেদের শান্তির খোঁজে।
সার্বভৌমত্ব এখন শুধু ইতিহাসের অংশ
কিন্তু এর অর্থ সত্যি কি আমরা মনে রেখেছি ?

মানুষের শান্তি কি তবে ঈশ্বর ?
এই প্রশ্নের জবাবে নড়েচড়ে বসবে একটা গোটা সমাজ।
আমার কাছে ঈশ্বর কোনো অস্তিত্ব নয়
অস্তিত্ব মানুষ।
আর সমস্ত অনিয়ম আর সভ্যতার অন্ধকার কারণ মানুষ
আর মানুষি হলো পৃথিবীর সমস্ত অনিয়মের  উত্তর।
ঈশ্বর সে তো মানুষ সৃষ্ট বিশ্বাস
বিশ্বাস  করুন  কিন্তু কোনো আশা নয় ঈশ্বরের কাছে।

সুতরাং বিজ্ঞাপন বদল করুন
কর্মখালি ,ঈশ্বরের বদলে মানুষের প্রয়োজন।
প্রশ্ন আছে ,থাকবে আর ধর্ম মাথা চারা দেবে
মন্দির,মসজিদ ,গির্জায় ধর্মদের রাখুন নিরপেক্ষ করে।
শুধু নিজেদের যোগ্যতায় নিজেদের খুঁজুন
মানুষের মত ,বিশ্বাস করুন আপনার মনুষত্বকে।

চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো

চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো
.............. ঋষি
=================================================
চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো
না বেলা সেদিনও শোনে নি ,আজও শুনবে না।
ওই পাশ দিয়ে একটা বিপ বিপ শব্দ পাবে শুধু
তারপর লাইন কেটে যাবে। কেন শুনবে বেলা ?
সে তো আর রাধার মত কোনো প্রেমিকা নয়
সে যে সময়ের পরিবর্তনে অনবদ্য নারী।

এটা ঠিক
বেলা মেয়েটা বেশ সুন্দরী ,গলাটাও বেশ।
তো এমন মেয়ে কেন শুনবে ?
তোমার জন্য তো অপেক্ষার তো  কোনো গাছ ,পাথর নেই
কবে চাকরি পাবে ,কবে বিয়ে করবে।
ওই রেস্টুরেন্টের কোনার সিটে বসে হাত ধরে কিছুটা গুঞ্জন
ওতে কি আর সময়ের পেট ভরবে,
না ভরেছে কোনদিন।
ভাবনার কোনো পেট নেই ,ঠিক তোমার প্রেমের মতন
স্বপ্নে সরনিতে হাঁটা আর বাস্তবে
তফাৎ দুস্তর
আরে বাবা সমাজ বলে কোনো বস্তু আছে ,মেয়েটারও বয়স হচ্ছে।,
তো  মা বাবা তো সঠিক পাত্রে মেয়েটাকে দেবে।
তোমাকে কেন দেবে ,ভেবে দেখো
একটু বাস্তবে হাঁটতে শেখো।

শুরুতেই ওরা এগারোশো দেবে ,হক কথা
কিন্তু ভেবে দেখোতো এই সময় এগারো হাজারে সংসার চলে না।
তারপর অসুখ বিসুখ ,সমাজ ,পরিজন এই সব আছে
মন খারাপ করে লাভ নেই।
বেলা বড় ভালো ভালো মেয়ে ,ঠিক মনে রাখবে তোমাকে
শুধু এই সময় তোমার ফোন ধরবে না 

বিয়েটা সেরে ফেল সন্দীপন

বিয়েটা সেরে ফেল সন্দীপন
.................... ঋষি
==============================================

.
লাইন দিয়ে জন্মদিন পরে আছে
জানিস তো সন্দীপন মৃত্যু একলা আর একবার।
কেমন করে বলবে জীবিত বাসনাদের স্বর্গের দরজা খোলার কথা
জীবন সেও যে একবার আর একলা।
কে ছিল ,আছে  ,থাকবে এই সব আলাপ পিরিত প্রহসন
জানিস তো মানুষ ভীষণ একলা।
.

শব্দ হচ্ছে
প্রকৃতি কামড়াচ্ছে নিজের ভিতর।
বিয়েটা করে নে সন্দীপন
প্রতিটা দরকারের পিছনে একটা প্রয়োজন নিত্য
যেমন তোর গায়ে আজকাল আঁশটে গন্ধ।
.

বাজেট পেশ হলো
সিগারেটের ধোঁয়াতে বাড়তে থাকা মূল্য বৃদ্ধির দূষণ।
পরিমানটা কমেছে আশা করি
এমনি লিখে পাঠালে তুমি
আর সন্দীপন সেই দরজায় দাঁড়িয়ে সিগারেটের রিঙে।
.

বিয়েটা সেরে ফেল সন্দীপন
এমন অকাল ,অন্ধকার বাজারে আরো কিছুদিন একসাথে থাক।
আশা করি ভালো থাকবি
জীবন থেকে জীবিতের দুরত্বের ফাঁকে রক্তের গন্ধ
তাও ও তো আঁশটেই রে।
.

লাইন দিয়ে জন্মদিন পরে
মৃত্যুর আগে বছর ঘুরবে বাঁচতে চাওয়াটা নেশা।
আর তোর দর্পণ সন্দীপন
বয়স বাড়ছে প্রেম থেকে আরো দূরে একলা থাকার।
বিয়েটা এবার সেরে ফেল সন্দীপন
আজ না হলে কাল আবার তো একলা থাকা।


প্রয়োজনীয়তা নিয়মিত

প্রয়োজনীয়তা নিয়মিত
.............. ঋষি
=============================================
ঘুম নেই
হাতের দাগ টানা আগামীতে বিশ্বাস নেই।
নেই তো অনেক কিছু
সময়ের খড়ি ওঠা গালে কোনো চিক্কনতা নেই।
নেই বুকের বা দিকের পকেটে ধুকপুক
আর কিছু আধুলির শব্দ।

এমন করে ভাবতে বসলে
দুপুরে  তোমার বুকের মাথা রেখে কাটানো সময়টা বড় অনাবশ্যক।
আর নিজেকে লাগে রক্ত পিপাসু ডোরাকাটা চিতা
সময়কে প্রশ্ন করি
যে  নদীতে  বান আসা আমার স্পর্শ।
যে জমিতে লেগে গেছে  আমার আকর্ষণ
সেটা কি অনাবশ্যক ?
বেঁচে থাকা ধুকপুক হৃদয়ের কড়িকাঠে জ্বলতে থাকা ইচ্ছারা
স্পর্শ চাইছে।
সেটা কিছুতেই অধিকার হতে পারে না
পারে না হতে কোনো হিসেবের দাবি।

ঘুম নেই
রাত ভোর বালিশ আঁকড়ে বুকের চিলে কোঠাতে সকালের সূর্য।
দেখা তো হবে কালকের সকাল
এই আশা।
আশা তো আর অনাবশ্যক নয়
যেমন আবশ্যক কি আগামী নিয়ে ভাবার ?

আঁকড়ানো মাটি

আঁকড়ানো মাটি
.................. ঋষি
=============================================
সমুদ্রের ধারে বসে সেই বন্য গন্ধটা পাওয়া যায়
নোনা ভিজে হলুদ কোঁকড়ানো চাদর।
আর উত্কন্ঠা
সময়টা দাঁড়িয়ে আছে  রে সাইকেলের মত।
কিন্তু এই বিস্তীর্ণ বালুচরে
সাইকেল চালাবো কি করে?

কেটে কেটে যায়
বালির উপর দাগ টানা অসংখ্য প্রহরীর পদক্ষেপ।
মৃত্যুর মত
সরে সরে যায় ক্রমশ ঢেউয়ের আঘাতে।
আরো ভিজে বালি
সময়ের পরিহাস বোধহয় সাইকেলটা দাঁড়িয়ে।
পাশের ঘোর লাগা নারকেল গাছ ,,সার দেওয়া সভ্যতার
মাটি আঁকড়ে ধরে।
নোনা গন্ধ ,,নোনা বিশ্বাস ,,নোনা স্পর্শ
তোর শরীর জুড়ে বেয়ে চলা স্রোত ভেজাচ্ছে আমাকে।

সমুদ্রের ধরে বসে সেই বন্য গন্ধটা পাওয়া যায়
তলার সরতে থাকা বালি জানে না পরিচয়।
বিশ্বাস সে যে আঁকড়ে ধরা শিকড়ের গভীরতা
আর সাইকেলের ঘন্টি বাজে।
দাঁড়িয়ে আমি ,,সামনে বিস্তীর্ণ বালুচর ,,সমুদ্র
আর ভিজে বালি ,,তোর নাভির পরিচয় । 

ভাঙ্গা কাঁচের টুকরো

ভাঙ্গা কাঁচের টুকরো
................ ঋষি
==============================================
ছেড়ে দেওয়াটা অধিকার
ভেবে দেখেছি বারংবার অধিকার কখনো বন্ধন নয়।
নিজেকে স্বাগত জানাতে
সামনের পরে থাকার বিস্তীর্ণ জীবনের তৃণভূমিতে।
কিছু জীবিত সবুজ চিবোয় বেঁচে থাকায়
সেটাই আশ্বাস ,,বিশ্বাসও বটে।

সন্তান হারা সেই মা জানে
লুকোনো সেই ভিজে কাঁথার গল্পটা ,,যেটা আজও বেঁচে।
প্রেম হারানো জীবন জানে
গঙ্গার ঘাটে বাদাম চিবোনো সম্ভাবনা গুলো।
বিশ্বাস সকলেরি থাকে
সেই ইতিহাস থেকে শুরু করে সময়ের গায়ে বিশ্বাসের নক্সী কাঁথা।
গ্লোবার ওয়ার্মিং থেকে শুরু করে
সবুজ হারানো শোক।
কিছুই অজানা নেই এই অধিকারের পৃথিবীতে
কিন্তু অধিকার সে তো বন্ধন না

ছেড়ে দেওয়াটা অধিকার
নিজের বুকের কাঁচের টুকরোগুলো জুড়ে একটা ক্লান্ত অবয়ব।
জীবন বোধহয়
ঠিক এমনি ভাঙ্গা কাঁচের টুকরো।
আর জীবিত বিশ্বাস
এই সবুজের শোকে বারংবার ফিরে আসা।  

ঈশ্বররুপী সেই মানুষের প্রতি

ঈশ্বররুপী সেই মানুষের প্রতি
..................... ঋষি
=====================================================
সভ্যতা সুষ্ঠ ভাবে  চালাতে কিছু মানুষ প্রয়োজন
প্রয়োজনীয় অসংখ্য পেশার সাথে জড়িত ঈশ্বরের মত কিছু মানুষ।
অভাব
ঈশ্বরের আস্থার দিকে তাকিয়ে আছে মরতে বসা বাচ্চা ছেলেটা
মা কাঁদছে ,পরিজন কাঁদছে ,,,কাঁদাটাই রীতি।
অথচ সেই ঈশ্বর  মানুষটার সময় নেই ,,,প্রয়োজন একটা কিডনি
আর যার জন্য প্রয়োজন কিছু কাগজের নোটের।
.
সকলে তো অর্থবান হয় না
সকলে তো ঈশ্বর হন না।
মানুষের  ঈশ্বর বোধে আস্থা রাখা মানুষের বিশ্বাস
আ সেই বিশ্বাস বিকোয় কিছু ঈশ্বররুপী মানুষের স্বার্থে।
.
সময়ের দরবারে সরকার দেবতা থেকে শুরু করে সমস্ত ঈশ্বররুপী কর্তাদের
একটা প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে ,আচ্ছা মানুষ কি ?
মানুষ কি সেই জীব যে আজ নিজেদের পরস্পরের রক্তের পিপাসী ?
সেখানে কি শুধু সকলেই ভেক ধারী ? ঈশ্বর রুপী?
মানুষ কি সভ্যতার বিবর্তনে আজ সবচেয়ে বড় শয়তানের নাম ?
যে যদুবংশের একজন উত্তরাধিকারী ,,,,,, একজন কৃষ্ণ ?
.
আজ সভ্যতার সময়ের দাবি রাখে শুধু মুনাফা
সময় থেকে শুরু করে প্রতিটা অস্তিত্ব শুধু নিজের পেট ভরাতে ব্যস্ত।
খিদে আসলে ঈশ্বরের অপর নাম
আর তার জন্য প্রয়োজন একে অপরের নির্ভরশীলতা।
না হলে কোথায় যেন সকলে বড় একা
সকলেই বড় দুঃখী
সেই সভ্যতার বেডে শুয়ে থাকা মরতে বসা ছেলেটার মত। 

হৃদি ভাসে রে

হৃদি ভাসে রে
............... ঋষি
=================================================
প্রতিবার আমাকে মিস করার আগে
সময়টাকে মিস করিস তুই।
রৌদ্রের প্রখর দুপুরে ছাতা হাতে হাঁটছিস যখন
একটা ছায়া চলন্তিকা।
আমি তো আছি তোর সানগ্লাস চোখে লুকোনো পাতার গভীরে
চোখের পাতায়।

হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দার জলে
কবি আমি জানি না এই  নদীটার ঠিকানা তোমার হৃদয় মানচিত্রে।
তবে এটা বুঝি " হৃদি ভাসে রে "
আনমনে হয়ে চলা বিপুল ঝড়ের গভীরতায়।
হৃদি ভাসে শুকনো পাতার মত
পথের ধুলোর মত।
কিংবা এই মুহুর্তে চলন্তিকা তোর চোখে ফ্রেম লেশ চশমার কাঁচে
আটকানো ব্ল্যাক বোর্ডের চকে,,পরিচয়ে ।
আটকানো আকুতি
হাজারো স্রোতের ভিড়ে হৃদি ভাসে প্রতিমুহুর্তে
অলকানন্দার জলে।

প্রতিবার আমাকে মিস করার আগে
হৃদয়টাকে মিস করিস তুই ,,আমার।
রৌদ্রের প্রখর দুপুরে তোর চোখে তৃষ্ণার বোঝাপড়া
চুপ থকিস তবু আমি জানি চলন্তিকা।
তবু মিস করিস মুহুর্তদের
একটু বোঝা পরা আর প্রয়োজনীয় দিনতার সাথে। 

Sunday, April 17, 2016

একটা পক্ষীরাজ

একটা পক্ষীরাজ
................ ঋষি
================================================
আমাকে একটা ঘোড়া দিবি ?
পক্ষীরাজ  নিজের ভিতর।
এই  শহরের রাজপথ দিয়ে ছুটে চলা সেই অশ্বমেধের ঘোড়া
কে আটকাবে আমায়
আমার তো তুই ছাড়া সবটাই গতিহীন
একটা ঘোড়া দিবি আমাকে ?

এক ফালি হেসে বলবি
আমি তো বারংবার প্রেমে পরি ভাবনার আর যাতনার।
আর আমি বলবো
কেমন আছিস এখন ?কি হয়েছে ?
তুই হাসবি আবার , তোর  চোখের পাতায় জল
কোনো উত্তর নেই
চুপ করে যাবি।

এই ভাবে একদিন আমার অশ্বমেধের ঘোড়া  তোর দরজায়
সেদিন যানজট থেমে যাবে।
তুই নেমে আসবি জীবনের জড়ানো সিঁড়ি বেয়ে
আদিম আকাঙ্খায়।
আর আমি হাসবো ,সাঙ্গ হলো ভাঙ্গা গড়া খেলা
এক জ্যোত্স্নায় আবার ঘর
আর ঘোড়া জীবন ছুটছে।

আমাকে একটা ঘোড়া দিবি ?
সমস্ত জীবনের ভগ্নাংশ জুড়ে আবার ফিরে যাওয়া।
আমি ছুটছি ঘোড়ার পিঠে করে
আর তুই হাসছিস।
আমার তো জীবনের পথ হারিয়ে যাওয়া
আর তোর ফিরে দেখা একা বিছানায়।   

আরো কাছে

আরো কাছে
..................... ঋষি
==================================================
আরো কাছে কি যাওয়া যায় ?
আমি হিসেবের বাইরে দাঁড়িয়ে আঁকিবুঁকি টানি।
দেওয়ালে পিঠে মাথা ঠুকে বলি চলন্তিকা
আয় গভীরে আয়।
দূর থেকে হ্যালোজিয়েসন কয়েকশো কবিতা চোখের পাতায়
মুহুর্তের দরবারে অদ্ভূত পেইন্টিং।

ঠিক এমন করে ভাবলে
নিজের খালি পেটে  লেগে যায় জ্বালা।
আচ্ছা অন্নের  থেকে জরুরী কিছু নেই এই বেঁচে থাকায়
আর সত্যি ,
চলন্তিকা তুমি ছাড়া আমার কিছু নেই ।
বুকের আলমারি খুলে দেখো থরে থরে সাজানো কবিতার প্রেম
আর প্রতি প্রেমে ভালো করে দেখো ,
কি ?
কিছু আছে
তুমি ছাড়া।
সেই জল ছাড়া মেঘ
আর মেঘ ছাড়া আগুন ,, একলা বুকের পাঁজরে।

আরো কাছে কি যাওয়া যায় ?
ন্যাপথলিনের মত আমার বিবর্ণতাকে লুকিয়ে ঢেকে রাখা যায়।
কি বলছো  ,চুপ করো
আর কত চুপ চলন্তিকা ,,আমার কবিতায়।
না বারংবার বেঁচে থাকা ,,অধিকার
আরো কাছে ,তোমার ব্যালকনিতে আমি দাঁড়িয়ে।  

সি সিকনেস

সি সিকনেস
............... ঋষি
===============================================
অনেকটা পর্দা পেরিয়ে দরজা খুললাম
নগ্নতা , নগ্নতা চোখ বন্ধ করুন।
আমি জন্ম দেখতে পাই ,দেখতে পাই সঙ্গম নিজের অন্তরে
এটা সি সিকনেস।
আর চলন্তিকা তুমি আমাকে নগ্ন বলছো
যেখানে সকলেই নগ্ন।

রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ বিজ্ঞাপন হয়ে গেলো
পথ চলতি পথিক থুথু ফেলে গেলো ,
চলন্তিকা তুমিও মিশে গেলে ওদের দলে।
সভ্যতা যদি সৃষ্টির যোনিতে ঈশ্বরের আকর্ষণ  হয়
হয় কোনো সাংবাদিক মিছিল।
আমি তবে বেজন্মা সেখানে
আচ্ছা চলন্তিকা বেজন্মা  কাকে বলে ?
যার মা থাকে না তাকে নাকি যার কোনো অবস্থান নেই ?
আমার তো কিছুই নেই তুমি ছাড়া
জানো  তো আমার কোনো অধিকার নেই তবু
তোমার উপর।

অনেকটা পর্দা সরিয়ে দরজা বন্ধ করলাম
সিনেমা শেষ দর্শক আসনে আজন্মের গালি  আমার নামে,
কি এসে  যায় তাতে।
অসাবধনতায় যদি কোনো মা গর্ভবতী হয়
তবে আমি তো আছি ,তার সন্তান
নগ্ন ছুড়ির  মত আমার কবিতার চিত্কারে।  

দেশ এমন হয়

দেশ এমন হয়
.............. ঋষি
==============================================
ভাষা বৃত্তি কাকে বলে
কবি কলমের উপহার কোনো দেশ নয়।
সৃষ্টিকে বন্দী করা যায়
নির্দিষ্ট ডেস্কটপে ফোল্ডারের  ভিতর ফোল্ডার  পুরে।
কিন্তু দেশ
কি দিয়ে বাঁধবে তাকে ?

গৃহবধু হওয়াটা  যাতনার
আচ্ছা তোর শীত্কারে  কি কোনো দেশের কান্না থাকে ?
আচ্ছা মৃত্যুকে দেখছিস তুই  কাছ থেকে ?
বীর্যপাত,
না তুই নেই ,দেশ নেই ,,হাহাকার যন্ত্রণা।
ছড়িয়ে  থাকা মাংসের  টুকরো ,,,,মৃত্যুর সংখ্যা ছাপ্পান্ন ছাড়ালো
কি হবে ,এরপর সাতান্ন কিংবা যদি একশো  হয়।
তখনও তুই বোরখা  পরে কিংবা ছাতা নিয়ে
ভোট দিবি ।
নাহলে দেশ দাঁড়াবে কি করে
কি করে দিবি তুই জন্ম  প্রায়  একশো কোটি ঈশ্বরকে।

ভাষা বৃত্তি কাকে বলে
তোর স্বামী রোজ যে বন্দুক চালায় তুই জানিস ।
সৃষ্টিকে বন্দী করে
নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে একবার খোঁজ করে দেখ  শরীরের মানে ?
ছি  দেশ এমন হয়
তোর মত নকল আবৃত অথচ নগ্ন। 

দেখা হবে

দেখা হবে
................ ঋষি
===========================================

আকস্মিক দেখা হয়ে যাবে চলন্তিকা
চাঁদ ,সূর্য ,মেঘ ,বৃষ্টি সমস্ত প্রেম পেরিয়ে।
দেখা হবে
কি দরকার রুপকের ,কি  দরকার রুপান্তরের ?
নির্দিষ্ট  বলয়ের শেষে ,হারিকিরির দেশ
প্রথম সূর্য তখনি দেখা হবে।

কবিতাকে সঙ্গী করে আমার ঝোলা ব্যাগে কাগজের তুমি
চলন্তিকা এখন অবধি আমার ঘামের গন্ধে নীরবতা।
খুব সহজে তোমায় শহরে দেখি আমি
ছায়ার মত।
বুকের লোমশ পাহাড়ে বৃষ্টি আসে
আমি রাত জাগি।
শহরের চোখে চোখ রেখে দেখি
একটা না বলা আকুলতা।
দেখা হবে চলন্তিকা
ঠিক দেখা হবে।

আকস্মিক দেখা হয়ে যাবে
তারজন্য কোনো সময় ঘড়ি ,খিড়কির দরজা।
না প্রয়োজন নেই
প্রয়োজন শব্দের সাথে মিশে  থাকা অহংকার আমার কবিতা।
চলন্তিকা নির্দিষ্ট আভরণে বন্দী সীমারেখা
দেখা হয়ে যাবে।

কাদম্বরীর হৃদয়

কাদম্বরীর হৃদয় 
................ ঋষি 
==============================================
প্রেম নিয়ে আকুলতা ছিল 
বৈশাখী সেই দুপুরে রোদে চলন্তিকা তুমি কাদম্বরী 
নাই বা হলাম সেই তেজী  পুরুষ আমি। 

বছরগুলো  সব সাহিত্য সাময়িকীর মতন সকালের রোদে 
আমার সুর্য  দেখা  হয় নি চলন্তিকা। 
শুধু  কাদম্বরী হৃদয়ে জমে আছে বহুকিছু  না বলা 
আমি শুনছি ,,চেষ্টা করছি শোনবার 
পদ্মার জলের শব্দে চেতনার কোটরে  ছলাত ছলাত  প্রেম। 

দরজা খুলছে না 
আজ ১২৬৮ নয় সালটা ,দেশ পরাধীন নয়। 
প্রেম চিরকালীন নির্ভরশীল আবার পরাধীনও বটে 
পিচ ভেজা রোদ  জানে 
স্পর্শের মানে অনাবিলতা। 

প্রেম সে যে গম্ভীর বাণী 
আমি আকাশের কথা কই ,,আমি জীবনে কথা কই 
প্রেম তুমি চলন্তিকা হতে পারতে কিংবা কাদম্বরীর হৃদয়।

Friday, April 15, 2016

স্পর্শ কাতরতা

স্পর্শ কাতরতা
............. ঋষি
===============================================
স্পর্শের দরকার ,দরকার আগুনের
নিত্য প্রয়োজনীয় জীবিকায় বেঁচে থাকা পরিচয়।
কোনো পরিচয় পত্র বা শরীর নয়
একটা মাত্রা স্পর্শ
ভীষণ দরকারী মনে হয়।  

খোঁজ তো থাকে ,একটা খোঁজ
নিজেকে নগ্ন ভাবার সমস্ত সত্বার বাইরে পূর্ণ অধিকারে।
যেখানে কোনো প্রলোভন নয়
কোনো কারণ নয়।
স্পর্শ
ভীষণ প্রয়োজনীয়  মনে হয়।
যেখানে বেঁচে থাকা যায় হয়তো বুদ্ধি মাফিক  বোকামি সময়ের ভিতে
হয়তো বা অনধিকার।
তবু স্পর্শ
কোনো কারণ নয় শুধু নিজস্বতায়।

স্পর্শের দরকার বাঁচার প্রয়োজন
সে নিয়মিত নিরামক সামাজিক বোধ হোক।
কোনো সীমানা বা গন্ডি নয়
খোলা আকাশ
স্পর্শ দরকারী কোনো অধিকার। 

মানুষ খুঁজছি

মানুষ খুঁজছি
..................... ঋষি
==============================================
শব্দগুলো সরিয়ে রেখেছি
আর শব্দ হবে না এখন ,তারা আর নেই,
হয়তো কোনো পচা মাংসের গলিতে বিকিকিনিতে জীবিত।
ঠিক ধরেছেন জীবিত তারা
মৃত চোখের চাহুনিতে একটা বিরূপতা বাঁচা
কিন্তু তারা থেকেও নেই ।

মান আর হুশ দুটো অর্থ কোথাও যেন হারিয়ে যাওয়া এই আবর্তনে
আমারও মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে শারুখখানের মত বলতে
মানুষ ,,এহি নাম কহি সুনাথা স্যানরিটা।
আপনারাও শুনতেন আগে
আজকাল শুনি এমনটা পার্কস্ট্রিটে কেউ নির্যাতিত কিন্তু ক্যামেরা বন্দী।
ভোট বাক্সে কেউ ম্যাসেল দেখাচ্ছে
সেটা সবাই জানে।
বাড়ির পাশ  থেকে কাউকে তুলতে না পেরে  বৃদ্ধ মানুষটা খুন
সকলে বলছে কি দরকার ছিল এই বয়সে ?
আর সকলে মানুষ।
বাদী ,,বিবাদী উভয় পক্ষে সেই চর্বিত চর্ব্বন মানুষ
কিন্তু তো তাদের পাই না খুঁজে।

শব্দগুলো সরিয়ে রেখেছি
কারণ মৃত শব্দদের খোঁজার চেষ্টার আগে মৌনতা দরকার।
দরকার নিজের ভিতরের মানুষটাকে খোঁজা
আর তাকে আগুনে হাত পোড়াতে বলা।
কারণ না পোড়ালে যন্ত্রণা আর খুঁজে
মানুষ নামক সেই শ্রেষ্ঠ জীবটিকে।

মধ্যবর্তী

একটা বিস্ফোরণ দরকার ছিল  দরকার ছিল একটা সীমা ছাড়ানো চিৎকারের  তোমার বুকের কাপড় সরে গেছে ,আমি রয়ে গেছি মধ্যবর্তী  তোমার নাভির থেকে দাগগুলো যদ...