Friday, June 30, 2017

রাক্ষসী ,পেত্নী

রাক্ষসী ,পেত্নী
......... ঋষি
=============================================
তোর বুকের সাইজের একটা সময় আমি দেখেছি
অদ্ভুত কিছু ছায়া শুধু আনাচে কানাচে।
ভয় পাওয়া দৃশ্যরা যখন আগুনের গোলায় ঢিল ছুঁড়ে মারে
তখন তাপমাত্রা বাড়ে ,ছিটে আসে গায়ে।
তবু অলিখিত প্রশ্রয়রা আশ্রয় খুঁজে পায়
সময় তখন বাঁশ বাগানের পেত্নী ,হাওয়ায় পা দোলায়।

এই সব মুলাকাত
নিজস্ব আয়নায় ধরা বিষগুলো গড়িয়ে নামে আমার শরীর বেয়ে
পুরো একটা নীল  আকাশ আমার হৃদয়ে আটকে।
হাজারো পোস্টার ,সময়ের মানে
শুধু বদলে যায় ,,বারংবার।

কার্বনের জেরক্স কপি জীবন গলে  নামে শীতল কোনো প্রেম
স্পর্শ করে ,হিম শীতল সেই স্পর্শ
তোর ঠোঁট বেয়ে কোনো আগুনের ঢেউ সোজা ছুটে আসে এই বুকে
তখন আমার মরতে ইচ্ছে করে
ইচ্ছে করে এক জীবনে একটা তাজমহল তোর ঘরের দরজায়।

তোর বুকের সাইজে একটা সময় আমি দেখেছি
অদ্ভুত সেই প্রশ্রয় নাক ঘষা শরীরের আদর হৃদয়ের শিহরণ।
একটা রাক্ষসী অপেক্ষা করে আমার জন্য
নীরব কোনো রূপকথায় আমি যে প্রেমিক কোনো সফর।
পথ হাঁটতে থাকি ,পথ হারিয়ে  যায়
তবু রাক্ষসী তুই আমার হলি,সময় কানে কানে বলে যায়।

Coz of light God is alive and Satan is to the dead


Coz of light God is alive and Satan is to the dead
.
.এক ঝাঁক আলোর রশ্মি ভিজিয়ে যায় শহরের পথ
সেই পথ ,,,যে পথে হেঁটে চলে প্রতিদিন হাজারো জীবিত যাপন।
মানুষ টুকরো করে শহর তৈরী করে ,তৈরী করে গ্রাম
আর সেই সব বেঁচে থাকায় হঠাৎ অন্ধকার বাসা বাঁধে।
তবু আলো আছে ,আলো থাকবে
আলোতে বাঁচতে চাওয়া মানুষের ক্লোরোফিলিও জৈবিক রসায়ন।
.
যেদিকে আলো বেশি সেদিকেই ঝুঁকবে মানুষ
হয়তো অন্ধকারে পথ বেঁকে যাবে ,হয়তো  দূর্বিনীত অন্ধকার পথ আটকাবে
কিন্তু আলো. সে সোজা ছুঁড়ে ফেলে দেবে সব অন্ধকার।
মানুষের বেঁচে থাকাটা আলোর মতো
সকাল থেকে শুধু দৌড় কারণ জীবন ,কারণ বাঁচা
সেটাও তো আলোর খোঁজ।
.
আমাদের রিপুগুলো সব এক একটা অন্ধকার গুম ঘর ,যেখানে আলো পৌঁছোয় না হয়তো
আমাদের বেঁচে থাকা সম্পর্ক ,প্রেম ,অধিকার সব আলোর মতো।
আলোর মতো মানুষের উপস্থিতি গুলো যখন জ্বলজ্বল করে
সেখানে দুঃখ স্পর্শ করতে পারে না,কারণ আলো হলো আনন্দের রূপ।
মানুষ আলোকে নোংরা করে ,করে ফেলে পরিচয়হীন
মানুষি আলোকে পবিত্র করে ,করে দেয় পরিচিত ঈশ্বর।
.
এক ঝাঁক আলোর রশ্মি ভিজিয়ে যায় মানুষের পথ
মানুষের শবঘরে শুয়ে থাকা যাতনাগুলো সব ছোট ছোট অন্ধকার কুঠুরি
মানুষকে জানালা খুলতে হবে ,আলোকে আসতে দিতে।
প্রতিটা জন্ম সর্বদা আলোর মতো ,প্রতিটা সৃষ্টি আলো
মাতৃগর্ভে বেড়ে ওঠা সন্তানের ভ্রুন কিংবা হৃদয়ের জন্ম নেওয়া সবুজ পাতা
সে তো আলো ক্যানভাস ,আর মানুষ আলোর খোঁজ।
.
...ঋষি


Thursday, June 29, 2017

তোমার বাড়ানো হাত ,,আমার একলা দিনে বৃষ্টি হয়ে আসে ,,,,,,,


তোমার বাড়ানো হাত ,,আমার একলা দিনে বৃষ্টি হয়ে আসে ,,,,,,,
.
অনেকটা  স্বপ্নের মতো ছিল
বাইরে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া অবধারিত উৎকণ্ঠা।
মেঘ নাকি বৃষ্টি হয়ে অফিস ফেরত আসে
কিংবা আসে অসময়ের মনের কোনে দাঁড়িয়ে থাকা বারান্দায় যখন শুধু আলো।
আমি বিকেলের গল্প বলছি ,কিংবা আবোলতাবোল কবিতা
আর তুমি তখন বারান্দায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টি  দেখছো।
বাড়িয়ে দিচ্ছো হাত
........................শুধু স্বপ্নে আমি যাকে চিনি।
.
আজ কাল পরশুর গল্পগুলো থাক আজ
আজ বিকেল থেকে মুখভার গল্পগুলো শুধু তোমার আমার।
আচ্ছা, আমি থাকতেও আজকাল তোমার মন খারাপ হয় কেন?
উত্তর একটা আছে ,,দূরত্ব।
আচ্ছা দূরত্বকে তো সরিয়ে রাখা যায় যখন আমি তোমার কাছে
তোমার শ্যামলা দশ আঙুলে
আমার দশ কিসিমের সুখের চাবি তুমি তো জানো।
আমাদের প্রথম আবরণ আর নিরাভরণ কিসসা  তোমাকে বললে তুমি মুখ ঢাকবে
সেই বৃষ্টি বেলা তুমি স্পর্শ করবে বারান্দা থেকে দাঁড়িয়ে
এটা কি শুধু দুঃখের কবিতা। .......আর সুখ।
.
ক্রমাগত শব্দরা যখন তোমাকে স্পর্শ করে
আমি তখন শ্রমিক হয়ে পাথর ভেঙে গড়তে  থাকি  কল্পনায় শুধু তোমায়।
আমার ম্লান কবিতার মোমের  আদর  জ্বালিয়ে ভাবি
এইবারে ঠিক একটা ম্যাজিক ঘটে যাবে আমাদের প্রথম দিনের মতো কোনো উচ্ছলতায়।
‘সব ঠিক আছে, সব ঠিক আগের মতো’ এ সান্ত্বনা দিতে দিতে
তুমি আমাকে ঘুম পাড়িয়ে দাও , রুপোর কাঠি ,সোনার কাঠি ,ব্যাঙ্গমা ,ব্যাঙ্গমী।
সব ভ্যানিশ ,,রূপকথারা সব ভ্যানিস ,,,,তুমি রাজকন্যা
চাঁদের বালিশ ফেটে গিয়ে জ্যোৎস্নার তুলরা সব আকাশের তারায় ,,পক্ষীরাজ।
যায় ঘুম যায় ,,আয় ঘুম ভেঙে যায় ,,,,,কোথায় তুমি  ?

.
অনেকটা  স্বপ্নের মতো ছিল
বুকমোচড়ানো সুন্দর তোমার চোখের কাজল ,,,,,,, ‘চুপ’।
সময় নাকি কবিতা হয়ে বৃষ্টি ভিজে আসে
আর আমি অফিস ফেরৎ শহরের রাস্তায় এক হাঁটু বোবা জলে।
ক্রমাগত অদ্ভুত গোপন এক বিপ্লবের মতো ভিতরে ভিতরে পাল্টে যাচ্ছ তুমি
বিরক্তি ,,বৃষ্টি ভেজা কাক ,,কাদা মাটি ,,আর সময়।
মুগ্ধতা একদিন মরে যায় জানি তবে নিয়মিত বৃষ্টি তোমার বাড়ানো হাত
আমার একলা দিনে    ,,,,, ক্ষতের দগদগে মিষ্টি আদর।
.

.
........ ঋষি 

Wednesday, June 28, 2017

শুধু ভালোবাসা

শুধু ভালোবাসা
........... ঋষি
=================================================
তোমাকে স্পর্শ করাটা একটা কল্পনা
তোমার সাথে কথা বলাটা অন্তরের একটা বেঁচে থাকা।
ক্ষনিকের মুহূর্তরা ভিড় করে সারা বেলা
আর আজকাল বৃষ্টি খুব প্রিয় আমার কাছে।
আচ্ছা একবার ভাব তোমাকে যদি বৃষ্টি বলে ডাকি চলন্তিকা
তবে কি ভিজে যাবে সময়ের অন্তরের লুকোনো নীরবতা।

এমন অনেক কিছুই তো করতে ইচ্ছে হয়
ইচ্ছে হয় চলন্তিকা তোমার হাত ধরে দাঁড়ায় গিয়ে অমানুষের পৃথিবীতে।
যেখানে প্রেম মানে শরীর  ,যেখানে শরীর রিপু
যেখানে ভালোবাসতে কারণ লাগে ,যেখানে স্পর্শ করতে লিঙ্গ লাগে
কিন্তু হৃদয় যেখানে খুব অপরিচিত একটা নিচু শ্রেণী।
আমার তোমাকে রিপু পেরিয়ে ভালোবাসতে ইচ্ছে হয়
ইচ্ছে হয় একবার তুমুল বৃষ্টিতে ভিজে তোমাকে দেখতে।
তোমার নীল শাড়ি ভিজে শরীরটা
আমি আমার ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলবো শব্দে।
সেই শব্দগুলো সব ঈশ্বরের হবে,তুলির প্রতিটা টান আদরের
সেখানে একটাই অধিকার কারণ ছাড়া ,,,শুধু ভালোবাসা।

তোমাকে স্পর্শ করাটা আমার কাছে মুহূর্তের কিছু আলিঙ্গন
সংঘবদ্ধ যাপনের দিনলিপিতে কিছু স্বপ্নের হাতছানি।
মুহূর্তের হাতছানি আমি অস্বীকার করি কি করে
তাই তো বারংবার ছুড়ে যায় পাগলের মতো তোমার কাছে।
একটু তোমাকে ছুঁয়ে দেখবো বলে
একটু বাঁচবো বলে তোমার প্রশ্রয়ে ভগ্নাংশের জীবন চলন্তিকা।

Tuesday, June 27, 2017

বৃষ্টির জমা জল

বৃষ্টির জমা জল
............ ঋষি
=====================================================
এই মাত্র ফিরে আসা
নিজের ভিতর তোমাকে খোঁজা কতটা ,এ কথার সাক্ষী শহর জানে।
মন ভেজা কোনো বৃষ্টি দিনে আমার কবিতার পাতায়
চলন্তিকা অভিমানী ফুরিয়ে যাওয়ার কথা।
পাগলী একা তো ফুরোনো যায় না মন তো সাথে থাকে
আরে মনের ঘরে সিঁদ কাটা বৃষ্টির জমা জল ,,,কি করবি ?

সকাল সকাল নিয়মিত ট্রাফিক স্যিগনালে দাঁড়িয়ে
জীবন জেব্রাক্রসিং খোঁজে ,ঝুঁকিহীন পারাপার।
আমরা সকলে জেব্রা ক্রসিংয়ে দাঁড়িয়ে খুঁজে চলি নিজের নিজেকে অন্যের আদরে
স্বভাব আর অভাবে বেড়ে চলা প্রটোকলে আমি তুমি শুধু সভ্য নাগরিক।
বারান্দায় ঝোলানো আমার ম্যানিপ্ল্যান্ট গাছটা নিয়মিত
তৃষ্ণায় ভোগে ,,, সত্যি বেঁচে থাকাটা একটা তৃষ্ণা।
তোমার  চোখের অন্ধকার কালিতে চলন্তিকা আমার নিকোটিন ঠোঁটের স্পর্শ
তোমার অন্তর গহ্বরে চলন্তিকা আমার বাস।
শান্তিনিকেতনের শেষ কটা দিন একটা উৎসব আমার কাছে
শান্তির তৃষ্ণায় বেঁচে থাকা আমার আকাশে একটা আয়না রাখা।
আর সেই আয়না শুধু তোমার  ,সে আয়নার রং নীল স্বপ্নের মতো
কোনো অনধিকার অভ্যেস তোমাকে বদলানো যায় না।
পাগলী ফুরিয়ে যাওয়াটা খুব সহজ সময়ে
কিন্তু একবার আমায় নিয়ে মরতে পারবে ?

এই মাত্র ফিরে আসা
তোমার শেষ দুদিনের যাপনের মেঘে অভিমান খোঁজা ,সবটাই আমার প্রাপ্য।
কারণ নিতান্ত আমার কিছু সাক্ষী সেখানে রাখা
মন ভেজা কোনো বৃষ্টি আঁচলে লুকোনো কিছু প্রশ্রয় শুধু আমার সেখানে।
তোমার আঙ্গুল গলে দু এক ফোঁটা বৃষ্টির জল ,,,, তৃষ্ণা
চলন্তিকা ফুরোনোর আগে শেষ লেখাটা তোমাকে  মানায় না। 

Sunday, June 25, 2017

সিফিলাস

সিফিলাস
.............. ঋষি
====================================================
তোমার চোখের আগুনে লিখে যেতে চাই
আমি পুড়ছি কেন জানো এই সভ্যতায় আগুন নিয়মিত হলেও তোমার মতো নয়।
অসমের মালিক বাংলোতে এক দরিদ্র চা শ্রমিকের স্ত্রীকে পাওয়া গেছে
মৃত সে ,ধর্ষিত সে ,নগ্ন সে ,খবর সে।
কিন্তু আগুন কোথায় তাকে পোড়াবার ,আগুন কোথায় এ দেশে
আগুন তো জ্বলে আমি দেখি পার্টি মিছিলে বেশ্যার ঘরে নিয়মিত ঘর্ষণে।

তোমার চোখে আগুন আমাকে পোড়ায়
আমি দেখি একটি জ্বলন্ত প্রতিবাদ চার দেওয়ালে ঘরে ধিকিধিকি জ্বলছে।
পাশের বাড়ির  মদ্যপ  অনুপদা তার স্ত্রীকে বেধড়ক মারছে
আমি শুনতে পারছি চিৎকার বৌদির।
আমি আগুনে পুড়ছি সেই মহিলার চিৎকারে  যে চিরকাল সামাজিক মৃতদেহ।
আমি আগুনে পুড়ছি সেই সব শিশুকন্যার যাদের মৃত্যু লেখা শুধু মেয়ে হওয়ার জন্য
আমার লোমশ বুকে এগিয়ে আসছে দাবানল।
ছোটো পাশের বাড়ির রিমি মাধ্যমিক দিতে পারলো না বিয়ে হয়ে গেলো
আমার সমস্ত শরীর বেয়ে নামছে জ্বলন্ত লাভা।
তুই নাকি নষ্ট মেয়ে ,তুই নাকি আবর্জনা ,তুই নাকি অলিখিত জমির খোঁজ
তবু আমি বেঁচে আছি কেন জানি।
আমি তোমার  আগুনে পুড়তে চাই
আর পোড়াতে চাই এই সভ্যতার অলিখিত বেড়ে চলা অন্ধকার দিনগুলোকে।

তোমার চোখে আগুনে আমি সভ্যতা বুনতে চাই
আমি পুড়ছি কেন জানো ,এই সভ্যতা জীবিত হলেও মৃত মানুষের ভিড়।
কলকাতার এক অন্ধকার রাতে বাবার সামনে মেয়েকে ধর্ষণ করা হলো
মাসনুষ ছিল সেদিন ,প্রশাসন ছিল ,ধর্ম ছিল ,ছিল আইন।
কিন্তু আগুন ছিল না নিজের মাটি পুড়িয়ে বানাবার নিজের জমিতে
তাই মৃত মানুষের ভিড়ে আমি বাড়তে থাকা  সিফিলাস মৃত্যুর অপেক্ষা।

তার নীরবতা

তার নীরবতা
............. ঋষি
=============================================
তার নীরবতা আমাকে ছুঁয়েছে
মিশরের তামাটে গম্বুজগুলো সব মৃত ফসিলের মিছিল।
আর সেখানে সময়ে মিছিলে মানুষের সেখান উৎসবের দাসত্ব
জীবন নাকি দুর্বল সময়ের সামাজিক মানুষ।
মানুষ পবিত্র ,অঘোষিত কোনো নীরবতার দিনে ভুলতে চায় প্রেম
তবু মনে পরে তাকে ,জীবন বিস্ময়।

বিস্ময়ীত এক যুবক পথ হাঁটে
সে জানে না জীবনের পরে কি আছে ,,শুধু একটা বিস্ময়।
প্রেমিকার বুক ,সময়ের মূল্যে কেনা দু চার মুহূর্ত
একলা রোমন্থন কোনো আদুরে  বৃষ্টির দিনে বিছানার ঘাম।
সে জানে না পথ হাঁটতে
শৈশবের অনকূলতা নিয়ে স্বপ্নের চোখে এগিয়ে আসে পৃথিবীর আলো চিনতে।
জায়গা দিতে হবে ,চিনিয়ে দিতে হবে পরিচয়
জায়গা কি পায়,প্রতিদিন পথে ঘটে হাজারো পরিচয় মুছে যায়।
যুবক সারাদিনের ক্লান্তিতে বাড়ি ফিরে আসে ,,চাকরির খোঁজ
বিস্ময় ঘুমিয়ে পরে চোখে তলায় কালি
আর প্রেমিকার ঠোঁট বিষময়।
জীবন যেখানে হিরোগ্লিফিতে লেখা অজানা কাব্য
সেখানে জন্মগুলো সব নতুন হলেও ভীষণ অপরিচিত এই সময়।

তার নীরবতা আমাকে ছুঁয়েছে
মিশরের তামাটে গম্বুজ যদি প্রেমিকার স্তনাগ্র হয়।
আর সেখানে ছুটে চলা হাজারো মানুষের ভিড়ে মানুষ একলা দাঁড়ায়
কেউ ভুলতে পারে না পিটার খিদে ,শুধু বিস্ময় ভোলে।
মানুষ পবিত্র ধর্মের কাছে পণ করে মিথ্যা বলে সময় সময়
ধন্যবার আজকের সকালটা আমাকে দেওয়ার জন্য।


কাঁচের প্রিজম

কাঁচের প্রিজম
..........  ঋষি
================================================
জলের শরীর নিয়ে আমাকে ছুঁতে আসে সময়
বৃষ্টিতে ভিজে সময়ের পর্দায় বারংবার চোখের বারান্দায় তুমি।
পায়চারি করা জীবন হঠাৎ কেমন একলা বালিশের খোঁজ
ঘুম পায় ,কিন্তু আসে না।
সময়ের দাগ লেগে থাকে সময়ের গায়ে
মানুষ সময় হাতড়ে মুহূর্তের রেণুতে জমে থাকা কাঁচের টুকরো।

কে যেন বলেছিল আমায় ,ঈশ্বরের বাণী
আজি হতে শতবর্ষ পরে. কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি. কৌতূহলভরে
আজি হতে শতবর্ষ পরে.
ভুলে যাই ,ভোলার রোগ ,রবি ঠাকুর তোমাকেও ,,,,
আমি ঈশ্বর দেখেনি যে কবিতায় প্রেম লিখেছি।  সেই পূজনীয় আমার কাছে।
আমি সময় দেখেনি শুধু দেখেছি সময়ের বুকে রেখে যাওয়া গভীর দাগ।
মানুষ দাগ কাটে ,আবার মানুষ দাগ তোলে
কিন্তু কাঁচ ভাঙার পর জোড়ার চেষ্টাটা মানুষ বুঝলো না বোকামি।
মানুষ ঘর ভাঙে,গড়তে চাই নিজের ঘর
কিন্তু ঘর ভাঙার চার দেওয়ালের ঘর কখন যেন যন্ত্রনা।
মানুষ বোঝে না
বোঝে না শুধু বেঁচে থাকার যাপনের গায়ে লেপ্টে আদিম পাপ।
ইভ নাকি সন্তানবতী ঈশ্বরের  প্রথম নারী
আর পুরুষ শুধু অধিকারী।

জলের শরীর নিয়ে আমাকে ছুঁতে এসো না
ডানা থেকে রোদ মুছে নিলে মুখের দুদিকে দুটো আকাশের মতো অবকাশ।
ঝুলে থাকে শুধু সময়ের অপেক্ষায়
তোমাকে বলা হয় নি আমার হৃদয়ের হলুদ কাঁচের প্রিজম।
যার চারিপাশ জুড়ে লেগে থাকা যন্ত্রনা
মানুষ কোলাহলে ভাঙতে থাকে কিন্তু কাঁদতে .............

সভ্যতার অহংকার

সভ্যতার অহংকার
.............. ঋষি
==================================================

তোমরা লেখা লিখি করো
আমি কিছুই পারি না শুধু আছাড় খাই পথ চলতে
কেউ আমাকে ধরে না ,কেউ আমাকে পথ দেখাবার নেই
শুধু অন্ধকারে আমি আলো দেখি সভ্যতার
সভ্যতার উজ্বল পথে নেমেসিসের সাথে আমার জন্মান্তরের ভাব
আমার ঘরে আসলে আলোর ভীষণ অভাব

স্বয়ংক্রিয় একটা জানোয়ার পথ হাঁটে
জেক সভ্যতার গাঢ় লাল সিঁদুর মাখা  সিন্ধু থেকে মানুষ টেনে বলির পাঁঠা করে।
আর আমরা চুপ থাকি আর সভ্যতার অহংকার
ধর্ম চিৎকার করে বলে সভ্যতার পতন রোধের অমোঘ প্রতিকার।
পথ চলতি কোনো বৃদ্ধ ,বৃদ্ধা যখন হঠাৎ মুখ থুবড়ে পরে
আমরা পাশ কাটাই ,আসলে পাশ কাটাই সময়কে।
ভয় পাই দেরি হয়ে যাবে
মানুষ কিছুতেই বোঝে না আর তিল মাত্র সময় অবশিষ্ট নেই।
ভীষণ দেরী হয়ে গেছে
আজি জাগতে হবে ,আজি জাগাতে হবে নিজেদের।
সভ্যতার স্বার্থে মানুষ নামক জানোয়ারগুলোকে অন্ধকার থেকে
উজ্বল আলোতে নিয়ে  আসতে হবে।
নিজেরদের আত্নাকে পরিস্রুত করে কোনো ধর্ম ,কোনো বর্ণ নয়
শুধু পরিচিত হতে হবে মানুষ রূপে।


তোমরা লেখালিখি করো
আর আমি পিছোতে পিছোতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকাই।
আমার কোনো স্বার্থ নেই নিজের পিঠ বাজাবার ,আমার কোনো ইচ্ছা নেই
যে সভ্যতা মৃত্যুমুখী কোনো  অতলান্তে বিলীনের অপেক্ষায়।
আমি সেই সময়ের দূত
মানুষ তোমরা জাগো ,সভ্যতার মশালের ইন্ধন হও,,দেখো কত আলো। 

জানলার আকাশ

জানলার আকাশ
............... ঋষি
===========================================
তোমাকে ভালোবাসা
সময়ের গুড়ে পিঁপড়ে হয়ে পুরোটাই হজম।
সময় তোমার নয় গুটিয়ে থেকে বেঁচে থাকার মুহূর্তের মরণ
সময় ভালোবাসার যে মুক্তি আনন্দ খোলা আকাশ।
এক বুক মেঘ আকাশকে ছুঁয়ে যায় ,ছুঁতে চাই বৃষ্টি
আর তখনি মনে পরে আমার তোমায়।

নষ্ট কিছু অবশিষ্ট শরীরে এক পায়ে দাঁড়ানো তালগাছ
রবিঠাকুর মনে বিশাল কোনো আনন্দ।
ওহে রবিঠাকুর মানুষ এখন চারদেয়ালের দাস কোনো অভিশাপ
মানুষের আনন্দ মুক্তিতে।
রোজকার বিলাস ব্যাসন বিছানা বালিশ সব শুধু  বাহানা ভালো থাকার
মানুষের ভালোথাকা মুক্তিতে।
এই বার আগুন লাগলো তো ,কত সব যুক্তিবাদী ,মুক্তি বাদী ,মাওবাদী
সব একদিকে।
আমি শুধু মানুষ বুঝি সত্যি বলি
তাই আমি দাঁড়িয়ে অন্য প্রান্তে মানুষের খোঁজ।
আরে কথাটা মানুষ ভুলেছে বহুদিন
সাথে থাকা মানে পাশে থাকা নয় আর পাশে মানে সাথে।

তোমাকে ভালোবাসা
সে তো খুঁড়তে থাকা কবরের পরে থাকা শেষ নিশ্বাস।
ভালোবাসা ,মানে হলো ভালো বাসা
তোমার সাথে বাস করে কয়জন ও ললনা  .
থুড়ি উত্তরটা একলা মনে খুঁজে পাওয়া অভিশাপ
ভালোবাসা একলা থেকে যায় ,জানলার আকাশে ধরা। 

The body


The body is not sin, body is God. Love is the pot of God where the only living creatures live forever


কিছু একটা শুরু হওয়া দরকার
মেঘলা আকাশের পারে প্রেমের কাব্য অনেক হলো চলন্তিকা।
হাত ধরে এই শহরে হাঁটাটা ,,কিংবা তোর ঠোঁটে ডোবার জন্য পারমিশন চায়
সময় নাকি জেলের সুপারের মতো সামাজিক।
অথচ এই শহরে ধর্ষণ খুব সহজ ,,,খুব সহজ তোর নরম হৃদয় ভাঙার অধিকার
সময় নাকি অসুর প্রবণতা নয়  কন্যাশ্রী প্রবণতার সাক্ষী  .
কিন্তু চলন্তিকা আমি যে কবি ,আমার কবি হৃদয়ের শুধু ছুঁয়ে থাকা
সময় কি বোঝে বস্ত্রহরণ নয় এই হৃদয় তোকে ছুঁতে চায়।
.
পাড়ার চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে দেখি কোমল সুলভ পুরুষ পথে হেঁটে আসছে
সমকামীদের মিছিল।
কে বা কারা এই মানুষের বিদ্বেষ কে  প্রেম নাম দিয়েছে
বুঝি না মাঝে মাঝে প্রেম কি শুধু লিঙ্গভিত্তিক কোনো আকুলতা
নাকি শরীরে লুকোনো অঙ্গে  যুদ্ধ  যুদ্ধ খেলা।
ফাইন আর্টের দেওয়ালে কত সব অপূর্ব চলন্তিকা নিজেদের সমাজ দর্শন করে
তুলির প্রলেপে ফুটে ওঠা রোমান ভাস্কর্য্য জানে
শরীর মানে পাপ নয় ,শরীর মানে ঈশ্বর ,শরীর মানে ঈশ্বরের পাত্র
যেখান থেকে ঝরতে থাকা নেশা চিরকাল ।
.
কোনো পুজোর অধিকারে প্রাপ্ত কিছু সংযম সময়ের আইকন
তবু প্রতিদিন এই শহরে ইচ্ছা অনিচ্ছায় ধর্ষণ  বেড়ে যায়।
সে হতে পারে বধূ ,হতে শিশু তবে হতে হবে রমণ যোগ্য  রমণী
ঈশ্বরের দু ইঞ্চি জমি  অসম্মানে সময় ছিঁড়ে খায়
পুরুষ নাকি রাজ্ দণ্ড হাতে সময়ের ঈশ্বর।
প্রেমকি শুধু তবে ফেলনা
তোর ঠোঁটে ঠোঁট রাখাটা চলন্তিকা তবে কি শুধু জাদু
আমি কি ম্যাজিশিয়ান যে পৃথিবী বদলাতে ,কবিতার ভাষা বদলায়।
ক্রমশ নগ্ন থেকে ন্যাংটো তুই দাঁড়াস সময়ের এমন
আমি তখন পুরুষ ,সময়ের অঙ্গীকার।
.
অবাক সব সম্পর্ক
প্রত্যাশার চাপে বিক্রি হয়ে ইঁদুর বেড়াল খেলা।
একই ঘরে বাস করে চারদেওয়াল
সম্পর্ক আজ মানুষের অস্তিত্বের পরে
সেখানে হৃদয় , সেখানে বন্ধন’-এ জড়ানোর তীব্র আকাঙ্ক্ষায় ছুটে চলে  মনের আরাম
‘ভালোলাগা’র রাজপথ থেকে ঈশ্বর নেমে আসে দুর্গন্ধময় রাস্তায়
সবশেষে ‘শুরু’টাই শেষ হয়
পরিচিতির সাথে সন্ধি পরিচয় চিরকাল গোপনে থেকে যায়
‘সম্পর্ক’ নামক শব্দটা আজকাল সংজ্ঞাতে মানায়।
.
by Rishi 
25/6/2017

Saturday, June 24, 2017

Rainy time


Rainy time, come on me in the pages of poisonous poems coz of u ,,,,,,

.
কোনো অজুহাত ছাড়াই
আমি লিখে দিতে পারি সময়ের দ্বৈরথে তোমার কথা অনাবিল ছন্দে।
আজ না হয় বৃষ্টি পড়ছে আমার শহরে
কাল আবার শরৎ এসে দূর্গা ম্যাডাম আমার শহরের প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে প্রতি ফেস্টুনে।
আমি আজও পথ হাঁটছি বৃষ্টি  ভিজে
আশা রাখি কালও পথ হাঁটবো সময় কাটানো স্বভাবে সময়ের পায়ে পা।
.
এই সব কথা আজ থাকে  ,আজকের কথা বলি
আজ সকাল থেকে মুখ ভার করা মেঘ বাসা বেঁধেছে শহরের অলিতে গলিতে।
তুমি সকালের শেষ ফোনালাপে মনে করালে দিনটাকে
পারিজাত শুধু ইন্দ্রের জমি নয় ,সে যে আমার শহরেও আছে।
তুমি জানো বারংবার কবিতার মতো, ধূর্ত জলের শব্দ এসে নিভিয়ে দিয়ে যায় আলো আমার শহরে
তারপর মুখভার ,,অন্ধকার মেঘ ,,বৃষ্টি আসে যখন তখন ।
আজ সকাল থেকে  কেমন একটা ঘুম ঘুম ভাব আমার শহরে
হঠাৎ হঠাৎ টিপটিপ শব্দ কবিতার মূর্ছনায়।
এখন দুপুর তুমি জানো
অফিসের হিসেবের খাতায় আজ পেন্সিল ,রুলারেরও মুখ ভার।
ডেস্কটপ ঘেঁষে তোমার মুখটা এই মাত্র কবির আয়নায়
আর প্রিয় তোমার গলার স্বর আমার কানে বাজছে।
.
কোনো অজুহাত ছাড়াই
আমি পাতায় পাতায় তোমায় লিখতে পারি ,পারি আঁকতে।
আমার শব্দরা সব তুমি ঘেঁষা হলেও আমি জানি তুমি জানো সবটাই
তোমার ওষ্ঠের সেই বৃষ্টি ভেজা  স্পর্শ  ,আমার ক্যানভাসে যে রঙিন ফড়িং তিড়িং বিড়িং ,টুপটাপ।
আসলে এখন দেখো বৃষ্টি হয়ে ঝরছে
শুধু স্পর্শ নয় ,স্পর্শের আদলে ছুঁয়ে  থাকা  অচেনা  বেলা,,, ভীষণ চেনা।
.
by Rishi 

Friday, June 23, 2017

জন্মান্তর

জন্মান্তর
 .......... ঋষি
==========================================
তোকে চুষে খেয়ে নেবো জানিস
তোর আখরোট ঠোঁটে ঘষে নেবো আমার পুরোনো পোড়বার শখ
নিকেতনের তেতোগুলো তোর মুখে যাবে
আমাকে বলবি ,,ইশ অসভ্য
আর আমি তোকে জড়িয়ে ধরবো পাগলের মতো কোনো কবিতায়
তারপর শব্দরা হুড়মুড় করে বৃষ্টি হয়ে নামবে

তোর গভীর চোখে চোখ রেখে খুঁজবো মায়া জল
তুই পাগলের মতো আঁচড়াবি আমাকে ,কামড়াবি তারপর পৃথিবী শান্ত।
বাইরে তখন বৃষ্টি হচ্ছে
আমি তোর চোয়াল ধরে আমার ঠোঁটে টেনে নেবো।
একটানে খুলে ফেলবো সকল দুর্গের মাপকাঠি
সমস্ত পৃথিবী তখন ভীষণ ক্লান্ত আমার মতো।
আমি তোর খোলা বুকে ঠোঁট ঘষে খুঁজে নেবো নিজের উত্তাপ আশ্রয়
তুই আমার দিকে তাকিয়ে হাসবি ,বলবি দুষ্টু ভীষণ।
আমি আর নিচে নামবো
তোর খোলা জঙ্গলে তখন আমি পথ হারানো কোনো পথিক
সামনে নদী তৃষ্ণা।
তুই ভেসে যাবি কোনো জোয়ারের দিনে নদী মোহনায়
আমি সমুদ্র হবো ,,,তুই হবি আমার নদী।

তোকে চুষে খেয়ে নেবো জানিস
সমস্ত শব্দদের শরীরের প্রতি রন্ধ্রে কবিতায় লিখে দেব।
তোর ভিতরে বাইরে যে যন্ত্রনা তাকে আমি এক আকাশ মেঘ দেব
আর দেব বৃষ্টি।
তারপর ভিজে যাবো দুজন কোনো স্বপ্নের আঙিনায়
আর মিশে যাওয়া জীবন যেন জন্মান্তর। 

A story



A story washed as hidden in the rain,,,,,,, I called you with rain and wet in the rain with your hand,,,,,,,,
================================================
বাইরে এখন তুমুল বৃষ্টি 
আমি বুঝে উঠতে পারছি না। ,,,,এ কি আকাশের কালো সময়ের কান্না ?
আমি বুঝে উঠতে পারছি না। ,,,, এ কি সত্যি প্রকৃতি কোনো দুঃখ ?
একটা সদ্য একুশের যুবতী জল ঠেলে বৃষ্টিতে আধভেজা। 
লেপ্টে থাকা শহর জানান দিচ্ছে ,,,ছাতাটা ভুলে গেছে বাড়িতে 
আমি সত্যি দেখতে চাইছি না সেই যুবতীকে ,,,,,, ভুলতে চাওয়া বৃষ্টিকে। 
.
সেদিনও আকাশ কালো করে বৃষ্টি পড়ছিল 
সেদিনও কলেজ ফেরৎ এমনি কোনো সদ্য যুবতীকে দেখে যুবকের মনে ভেজার স্বভাব। 
একই পাড়ায় বাড়ি ,তাই ছুঁতে সমস্যা ছিল না 
যত সমস্যা ভালোবাসায়। 
হাত ধরে শহরের অলিতে গলিতে ,রেষ্টুরেন্টের কোনে
এখনো সেই বৃষ্টি ভেজা দিন। 
যুবকটি তার প্রেমিকাকে বৃষ্টি বলে ডাকতো 
যুবকটির হাজারো স্বপ্ন বুকে নিয়ে এই শহরে পথ হাঁটতো। 
শুধু সময় বদলায় 
কিন্তু সেই যুবক আজও আছে বেঁচে এই শহরের অলিতে গলিতে 
শুধু সময় গড়ায় সেই যুবক তার কবিতার পাতায় আজও প্রেম লেখে। 
আজ বৃষ্টিতে আমার পথ চলতে মুখের নিকোটিন গড়িয়ে নেমে যায় বুকে 
বয়স বাড়ছে ডাক্তার সিগারেট খেতে মানা করছে। 
মানা করেছে বৃষ্টিতে ভিজতে , কিন্তু ভেজবার স্বভাব 
স্বভাব সেই যুবতীকে মনে রাখার ,,, দূরত্ব ভেবে একটা করে দিন কাটবার। 
.
বাইরে এখন তুমুল বৃষ্টি 
আমি বুঝে উঠতে পারছি না। ,,,কেন এই মনখারাপের মেঘ ,কেন বৃষ্টি ?
আমি বুঝে উঠতে পারছি না।,,,, এ কি সত্যি কোনো শহরের শোক নাকি বৃষ্টিভেজা গল্প ? 
শহরের রাস্তায় এখন হাঁটু ভাঙা জল, মনের দেরাজে জমে থাকা পুরোনো আবর্জনা
একটা শৈশব কাগজের নৌকোয় স্বপ্ন বুনছে বারান্দার আঙিনায় 
আর আমি সেই স্বপ্নের শহরের পুরোনো প্রাক্তন। 
.
............. by Rishi

Thursday, June 22, 2017

খুব কাছ থেকে

খুব কাছ থেকে
......... ঋষি
=============================================
তোর ভিজে ঠোঁটে নিমন্ত্রনে
কোনো সকালের শেষ লোকালে আমি আরোহী।
একের পর এক ফেরিওয়ালা ,,চা ,,কফি ,,সিঙ্গারা ,,জীবন
আমার চোখ জানলার বাইরে।
একের পর এক সরতে থাকা  দূরত্বরা জানে
তোর সাথে একলা গভীরে থাকার মানে।

তোর বুকের পাহাড়ে আমি  আকাশের চাঁদ বুনেছিলাম
পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নেমে দু ,চার পা হাঁটলে প্রাচীন উত্তাপ।
সকলে মরুভূমিতে যায় গভীর তৃষ্ণায়
অথচ আমি ঠোঁট ঘষি তোর গভীর বুকে আশ্রয়ের আশায়।
ভুলে গেছিলাম আমি আরোহী
পাশের কামড়ায় বাচ্চাটা চিৎকার করে উঠলো আমার ঘোর ভাঙলো।
হিসেবে মতো সময় এগোচ্ছে,টিটি এলেন
কে যেন পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বললেন বাথরুমটা কি নোংরা।
আমার আবার জানলার বাইরে চোখ
দূরত্ব কমছে তোর আমার শুধু মাঝে এই ইস্পাতের লাইন।
যুগান্তরে চলে গেছে দূরত্বের ভূমিকায়
আমার গন্তব্যে ট্রেনটা থামলো।


তোর ঠোঁটের নিমন্ত্রণ
তোর পাগল করা চোখের পাতায় লুকোনো কাজলের রেখা।
একলা স্টেশনে দাঁড়িয়ে আমি চেয়ে আছি তোর নাভি গর্ভে
মাঝে মাঝে তোকে ভাবলে পাগল পাগল লাগে।
পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে জনস্রোত , কত অজানা মানুষ ,কত অজানা জীবন
আমি তোকে চিনলাম খুব কাছ থেকে ,তোর চুলের গন্ধে। 

কিঁউকি তুম হি হো

কিঁউকি তুম হি হো
............... ঋষি
================================================
শেষ আলোটা জ্বলছে
দিয়া বুঝনেসে পেহলেকা জো ইন্তেকাল উস্কে লিয়ে।
কিঁউকি তুম হি হো
কারো কারো সুর হঠাৎ বদলায় ,কেউ কেউ নিরাপত্তার খোঁজে মাথা নোয়ায়।
কেউ কেউ ডুবে গভীর নিরাপত্তায়
আমি কতিপয়ের সাথে ডুবে আছি  গভীরতায়।

সোজা গাছ যখন শিকড় শক্ত করে বুকের ভিতর গভীরে যায়
যখন কোনো নিকট সম্পর্ক হঠাৎ কেমন অচেনা লাগে।
যখন ঝড় ওঠে ওঠে,ঘটে  হৃদয়ের দুর্যোগ ,বৃষ্টি ভরা দিন
তখন মনে পরে তোকে
কিঁউকি তুম হি হো।
তোর লাল সালোয়ারের লাল রংটা হৃদয়ের লালচে পারদ
এখনো বোঝা হয় নি  ভালোবাসার রং কি ?
তবে কেন যেন লাল রংটা কে ভালোবাসার  লাগে।
খুলে যায় লাল পর্দা
তোর গোলাপি  অন্তর্বাসে কেমন একটা মনখারাপের আদুরে পারফিউম ।
ভিজে পর্দায় ছুঁয়ে যাওয়া মলিন হাওয়া
বুকের ভিতর শিকড় গভীর গাছটা মাথা নারে
বুঝতে পারে গভীর গন্তব্য।

শেষ আলোটা জ্বলছে
দিয়ে জ্বলতে হে ,ফুল খিলতে  হ্যা।
কিঁউকি তুম হি হো
সময় বদলায় সময়ের গভীরে ছুঁয়ে থাকা মিষ্টি আস্তরণ।
আমি ডুবে আছি কতিপয় কথোপকথনের সাথে
শেষ বেলায় বেঁচে থাকা কোনো পাখির কোটরে।

Wednesday, June 21, 2017

এই তো জীবন

এই তো জীবন
.......... ঋষি
==========================================
অনবদ্য ছুঁয়ে যায় আমায়
বাড়ির ভাঙা দেওয়ালে জমতে থাকা শেওলার ফাঁকে
আমি জীবন দেখি।
জীবন দেখি শ্মশানের পড়া ছাইতে জমতে থাকা সিগারেটের নিকোটিনে
কোনো অজানা মৃত শব
কিন্তু জীবিত সবাই জীবন আর জীবনের পর্যায়ে।

ভীমসেনজোসির কণ্ঠে ধ্রপদী তাল
কিংবা সমুদ্রের নিঃশব্দ পদচরনে আমার স্পর্শরা ভিজে যায়।
মনের ভিতর সংক্রান্তি ঢিল বাঁধে
সবুজ জঙ্গলের ছায়ায় সেই কাঠবেড়ালী পেয়ারা খায়।
এই তো জীবন
নিত্য তোমার সাথে বাসা বাঁধা মনের সংগ্রাম।
নিত্য তোমাকে ছুঁয়ে বাঁচা কল্পনায়
একটা ঘামের গন্ধ আকাশে বাতাসে।
তোমার নোনতা ঠোঁট আমার সিগারেট পোড়া নিকোটিনে
পুড়ে চলে একের পর এক তোমার কবিতায়
এই  তো  জীবন।

অনবদ্য ছুঁয়ে যায় আমায়
স্পর্শ করে কাঠ ফাঁটানো গ্রীষ্মের তৃষ্ণা কিংবা তুমি আদুল গায়ে।
আমি জীবন দেখি
বৃষ্টিতে ভিজছো কিংবা হয়তো সাওয়ারের জলে।
গড়িয়ে নামা সাবানের ফেনা আকাশের গায়ে
তখন বাসা বাঁধা মেঘ আমাকে ভেজায়।

নীরব চাতক

নীরব চাতক
.......... ঋষি
=============================================

তোর শরীরে লুকিয়ে নামা ঘামগুলো
আমার কবিতার পাতায় অনেকগুলো আদর আমার ঠোঁটে।
আমার কলমের নিবে লেগে যায় তোর শরীরের গন্ধ
উষ্ণ আবেদন ,আরো কাছে তুই।
সারা পৃথিবীর ধূলিঝড় সরে গিয়ে কোনো পবিত্র ঈশ্বর
আর আমি প্রার্থনারত নীরব চাতক।

এক বিন্দু জল
তোর নোনতা ঠোঁট বেয়ে তোর গরম নিঃশ্বাসে।
আমাকে প্রশ্ন করে
জীবন মানে কি একটা অজুহাত বেঁচে থাকা ,নাকি কোনো দীর্ঘশ্বাস।
আমি আহত সৈনিকের মতো
তোর দুর্গের সামনে।
তুই ঠোঁট রাখিস আমার বুকে ,আমার চোখেমুখে
ঈশ্বরের যেন ছুঁয়ে যায়।
দুর্গের পতাকায় তখন শান্তির ছোপ ,সাদা রঙের পায়রা
তোর পুরো উপত্যকায়।
মিলিমিশি কোনো পাহাড়িয়া সুর
অদ্ভুত আবেগ।

তোর শরীরে লুকিয়ে নামা ঘামগুলো
তোর বুকের স্তবকে জমে থাকা অজস্র খনন আমার ইতিহাসে।
ইতিহাস বদলায় সময়ের সফরে
সাম্রাজ্যের পর সাম্রাজ্য হারা জেতা লেখা থাকে জীবনের।
তোকে মনে করলেই কেন জানি
আমার মিশে যেতে ইচ্ছে হয় ,তোর গভীরে তখন আমার অসুখ। 

আগুনের পরশমনি


আগুনের পরশমনি
............. ঋষি
=============================================
তোকে লুকিয়ে দেখাটা আমার একটা অভ্যেস
আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে।
তোর সাথে কথা বলাটা আমার একটা অভ্যেস
অভ্যেস জীবনের পূর্ণতার খোঁজে নিজেকে মেঘলা করে ভাবতে।
তোর বৃষ্টি বেলায় একটা আদরের চিঠি  অসমাপ্ত ছিল
অসমাপ্ত  শব্দটা একটা অসমাপিকা ক্রিয়া যার রং ঝাঁঝাঁলো ।

বেশ কিছুদিন কথা বলা হয় নি তোর সাথে
তোর অভিমানী ঠোঁট হয়তো আরো আঙুরলতায় আরো জমকালো।
জানি তোর ওখানে যখন তখন বৃষ্টি
জানি বৃষ্টি হলে আকাশের মুখভার আর মেঘের রং কালো।
আজকাল আমার শহরেও বৃষ্টি আসে
তুই আনমনে তোর হলুদসবুজ মেজাজে আমাকে ভিজিয়ে যাস।
আজকাল আমার শহরে মুখ ভার
তোর কথা ভাবলে আমার কেন জানি ডুবতে ইচ্ছে হয়।
ডুবতে ইচ্ছে হয় নিজের ভিতর
ডুবতে ইচ্ছে হয় কম্পিউটারের স্কিনে দেখা তোর ফটোতে।
আর তারপর এলেমেলো ঝড়
গাছ ভাঙে ,উড়ে যায় শুকনো পাতা আর আমি ভাবনায়।

তোকে লুকিয়ে দেখাটা আমার একটা অভ্যেস
 এ জীবন পুণ্য কর দহন-দানে।
সত্যি তো পুড়ে চলেছি আজ বহুদিন তোর কল্পনায় ,তোর দহনে
একটা অভ্যেস আমার কবিতার শব্দরা শুধু তোকে চায়।
তোকে বৃষ্টি বেলায় এলোমেলো এই চিঠিটা পাঠানো হলো না
শুধু কবিতায় রেখে গেলাম  আগুনের পরশমনি।

Sunday, June 18, 2017

সাত পাঁকে বাঁধা

সাত পাঁকে বাঁধা
.......... ঋষি
=================================================
নিজের সাথে কথা বলছিলো বধূ
সময় কি শুধু গোত্রান্তরে জমে থাকা নিগ্রহ।
সময় বলে পুরুষের নামান্তর আসলে আদমের বিষফল
জানলার বাইরে সরে যাচ্ছে পর্দা।
বধুর মনে পড়ছে বিয়ের প্রথম রাত,বাসরঘর সেই লোকটাকে
যে জন্মান্তরে নাকি সাত পাঁকে বাঁধা।

বধূটি  কানাঘুষোয় শুনেছিল তার পতি দেবতার বাইরে একটা সম্পর্ক আছে
বিয়ের এত বছর পর বিশ্বাস করে নি ,কিন্তু সেদিন
সময়ের বিষযোগ।
হাতে পরে যায় স্বামীর মুঠোফোনে জমা থাকা কথোপকথন
মনে নাড়াঘাটা স্বামীর কিছু পরিবর্তন
কি লজ্জার।
তার স্বামী তাকে ছুঁয়ে পরগামী
কি করবে সে ?
জানলার বাইরে শনশন করে দুপুরে গরম হাওয়া
আর জানলার ভিতরে খাটের উপর শুয়ে তাদের দেড় বছরের শিশু।
কিছু বলতে পারে নি সে সব জেনেও  স্বামীকে
কিন্তু মনের ভিতর বধূর বিদ্রোহ জমা হয়ে জ্বলন্ত লাভা
নিজের আয়নায় নিজেকেই বধূর অসহ্য লাগে।

নিজের সাথে কথা বলছে বধূ
দূরদূরান্তরে মনে পড়ছে কত স্বপ্ন ,স্বামী ,সংসার,স্বপ্নের ঘর।
সব কি শুধু প্রহসন ,সব কি শুধু সাজানো তাসের ঘর
আর ভাবতে পারছে না ,কিছু একটা সিদ্ধান্ত নিতে চায় বধূ।
কি করবে সে ,নিজেকে পোড়াবে,নিজেকে মারবে
নাকি সময়ের সাথে শুধু বোঝাপড়া ।

Saturday, June 17, 2017

তোর অভ্যাস

তোর অভ্যাস
.............. ঋষি
==============================================
একটা আকাশ ধরার ছিল
তোর নীলচে  রঙের শাড়ি ছুটির মেজাজ।
কিছু ইচ্ছে রাখা ছিল
ইচ্ছে আকাশের মতো নীলচে শাড়ি যদি আমি হতাম।
তোর শরীরে গন্ধে ,,,,,তোর অন্তরঙ্গে
হৃদয়ের সাথে মিশে যেতাম।

ভালো থাকাটা একটা ইচ্ছের মতো আনন্দ মেঘ
আমি মেঘের কবিতায় নিজেকে ভেজাবার কামনা করি।
ভালো থাকাটা একটা পবিত্র হাসি তোর মুখে
আমি হাসির ছটায় নিজেকে আনন্দ কল্পনা করি।
ভালো থাকাটা ঠিক ঘড়ির কাঁটা
যখন তোকে ছুঁয়ে যায় আমি আকাশের কাটা ঘুড়ি।
ভালো থাকা আমায় ছেড়ে দূরে চলে যায়
যখন তুই যাস চলে তখন সময়ের ভাব চুরি।
ভালো থাকাটা তোর ঠোঁটে চুষে নেওয়া কোনো একলা দিনের মেঘ
যাকে ভাবলেই আর কিছু না জীবন সেখানে শেষ।
ভালো থাকাটা একটা চিনচিন করা ব্যাথা
আর কিছু না  তোকে ভোলাতে নিজেকে একলা রাখা।

একটা আকাশ ধরার ছিল
তোর হাত ধরে আকাশের নিচে বৃষ্টিতে ভেজার ছিল।
তোর একলা উজান বেলা ,একতারার বাউলে সুর
আমি জানি হৃদয় আছে ধরা ,আমরা অনেক দূর।
তোর মুখের হাসি ,,একছটা মেঘ
আমার হাতের মুঠোয় জীবন তোকে বিলিয়ে দেওয়ার ছিল।  

Friday, June 16, 2017

সমুদ্র স্নান

সমুদ্র স্নান
............ ঋষি
====================================
ছোট করে ভাবলে এক গ্লাস জল
আমি দেখছি সমুদ্রের নোনতা জলে রাখা আর মাখামাখি।
স্নান সেরে সদ্য উৎসাহী কোনো যুবকের মতো
তোর লেপটে থাকা ঘামে আমার অনুসন্ধিৎ চোখ।
ধুস চোখ বন্ধ করছি
এখন যেন সব মনে হচ্ছে তুই সমুদ্র  স্নানের অন্য কবিতা।

সমুদ্রে দেখার কি আছে ?
অন্ধ সময় জানে ফেনিয়ে ওঠা দূরত্বের দিক্চক্রবালে সূর্যের ধাঁধানো আলো।
হানিমুনে আসা সেই যুবক এখন মদের গ্লাসে চুবিয়ে রেখেছে নিজের বৌকে
অথচ তুই বলছিস ড্রিম হাউস ,,কাঁচের ঘর আর কত বই।
এই সব দার্শনিক কথাবার্তা মূলমন্ত্র
মাঝে মাঝে এই সব এপিটাফে এক গ্লাস অন্ধকার ঢেলে দিতে ইচ্ছে করে।
এখন সেই হোটেলের দেওয়ালের বাইরে ঘুরতে থাকা পৃথিবী জানে
সেই যুবক কেন নেশায় ?
আর কেন বা তুই মেঘলা বেলায় নিজের ড্রিম হাউসে বই পড়ছিস?
আমাকে প্রশ্ন করছে সমুদ্র
মানুষ কেন সমুদ্রে আসে ? কেউ কি গভীর হয়ে ওঠে ?
অথচ গভীর হওয়া মানে তো বিপন্ন বোধ কোনো লুপ্তপ্রায় ইতিহাস।

ছোট করে ভাবলে এক গ্লাস জল
আমি দেখছি সমুদ্রের ফেনিল ঢেউ মানুষকে একা করছে।
একটা পাঁচ বছরের মেয়ে সমুদ্রের বালিতে পাখি বানাচ্ছিল
ওড়বার খোঁজ।
এক আকাশ সমুদ্রর পাড়ে লেগে থাকা সীমানা সকলের মুক্তি
আর আমার কবিতা সমুদ্র স্নানের পর।


অগোছালো বাঁচা

অগোছালো বাঁচা
............ ঋষি
===============================================
আমি তখন কবিতা নিয়ে ভাবছিলাম
ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে দাঁড়িয়ে ভাবছি আসছে আমার দিকে।
আর আমি স্থির
তারপর তোকে ইনবক্সে প্রশ্ন করলাম কি করছিস ?
তুই স্নান করে এলি অসময়ে ,চায়ের তৃষ্ণা মাথা চারা দিল
তুই হাসলি ছবি পাঠালি কালো গাউনে আর তৃষ্ণা বেড়ে গেলো।

যখন কবিতার শ্রমিক মাথায় উঠে যায়
তখন পাতায় পাতায় লেগে থাকে সব অদ্ভুত খোঁজ।
তৃষ্ণা বাড়ছে
কবিতার শ্রমিক পাথর ভাঙতে ভাঙতে প্রস্তর যুগ ফিরিয়ে আনছে।
চকমকি ঘসছি ,,আগুন ,,,,আলো চারিপাশে
তোর শরীরে মিষ্টি একটা জঙ্গল এইসময় আমার চারপাশে দাবানল কবিতায়।
তোর হাসিতে লেগে আছে আবিষ্কারের নেশা
কতটা বন্য হলাম ,কতটা জংলী ,,,,সময়গুলো মরে গেলো
এখন চায়ের কাপ হাতে একটা বিকেল
তোর ঠোঁটে তখন নেশা কোনো অগোছালো বাঁচা।

আমি তখন কবিতা নিয়ে ভাছিলাম
স্বর্গে যাওয়ার কথা ছিল সিঁড়ি ভাঙা অংকের শেষে প্রমানিত।
আমি  সংখ্যার সাথে শব্দ মিশিয়ে কি অদ্ভুত যোগ
আমাকে তুই ইনবক্সে বললি আজ তোকে কবিতায় পেয়েছে।
আমি তখন তোর ছোট চেয়ে স্যাসপানে ফুটছি
তুই চা দিলি ,একটু চিনি ,তারপর অপেক্ষা ,,,তৃষ্ণা বেড়ে গেলো। 

ঈশ্বর নামক ঈগল

ঈশ্বর নামক ঈগল
............ ঋষি
=============================================
অনেকটা শুকিয়ে যাওয়া
তারপর তোর সেই লুকোনো ফ্ল্যাটটার চাবিতে একটা ছবি।
তুই একলা থাকবি
সমুদ্রের একগোছা মেঘ তোর জানলার বেয়ে ,চাঁদের সিলিঙে নোন জল।
গড়িয়ে নামবে সময়
ঠিক যেন জীবনের প্রথম করা কোনো ভুল।

আকাশে ঈগল উড়বে ,পাশে থাকবে ঈশ্বর
শোনা যায়  ঈশ্বরও নাকি স্বপ্নে মাঝে মাঝে অভুক্ত ঈগল হয়ে যায়।
তখন সমুদ্রের জলে জোয়ার
মাঝখানে ডিঙি নৌকো একলা নাবিক আমি।
দূরে দেখছি আকাশ ছাদ  ফুটো হয়ে  তোর ভাইজাকে সমুদ্রের ধরে ফ্ল্যাটটা
বারান্দা বেয়ে ক্রমশ  নামছে নোনতা হাওয়া।
তোর ঠোঁটে শেষ চুমুটা সেদিন হয়তো ঈশ্বরের আদলে স্নেহের মতো
বিছানার চাদরে ফেলে আসা তৃপ্তি।
মেঘ নিভে যাবে তুই একলা দাঁড়িয়ে বারান্দায় দূরবীন হাতে
সময় খুঁজছি পাচ্ছিস না ,,,অতৃপ্তি ঈশ্বর নামক ঈগলের।
অনেকটা আবোলতাবোল কবিতার পাতায়,,,, আমি তখন কবিতা চোখে
নোনতা জল ,ক্ষুদার্থ এক আকাশ আমার মাথায়।

অনেকটা শুকিয়ে যাওয়া
তারপর শুকিয়ে যাওয়া রক্তচাপ ,রক্তদাগ ,রক্তের গন্ধ।
তুই একলা থাকবি
আমার মাথায় সমুদ্রতে পাক দিতে থাকা ঈগল আর ঈশ্বর।
গড়িয়ে যাবে সময়  বরাবর
তোর রক্তের রং আমি চিনবো ঠিক ,,যতই একলা হোস। 

একটা অসুখ

একটা অসুখ
..............ঋষি
=======================================
একটা অসুখ দুপুরে রোদ পেরিয়ে এফ ম নাইনে বেশ বাজছে
মনখারাপের রোগ।
কাছে থাকা বা না থাকাটা ডেটলের গন্ধ মাখা প্রাচীন  প্রসেসিং
সবটাই কেমন যেন অস্পৃশ্য মনে হয়।
আচ্ছা সময় কি মাতাল হয়ে নেশাতুর ভাবে একলা থাকে
যে সকলেই বলে ধুস ভালো লাগছে না

একটা অসুখ শাড়ি বদলাতে বদলাতে আনমনে হাসে
জানলার রেলিং বেয়ে তখন প্রাচীন ঝুল।
সময় বলে একলা দাঁড়ানোটা নিয়ম
কিন্তু সময়ের শেষে একটা অসুখ সকলকে চেপে ধরে।
একটা অসুখ তোর ঠোঁটের হাসি আমাকে ছুঁয়ে
আনমনে চেপে ধরে চায়ের কাপ।
জিভ পুড়ে যায় ,মন পুড়ে যায় সময় বলে
ধুস ভালো লাগে না।
একটা অসুখ দুপুরের কলিংবেলে তোর পাড়ায়
কেমন যেন আনমনা ভাব শিরায় শিরায়
অনেকটা সময়ের পর একটা অসুখ তোকে ভেবে খোঁজে ফেরে
একটা অসুখ তোর মতো জানলা ঘেঁষে একলা দাঁড়ায়।

একটা অসুখ বিকেল শেষে হামাগুড়ি থেকে বাড়তে চাইছে
একলা থাকার রোগ।
কাছে যাওয়া বা দূরে যাওয়ার এই সময়ের নিয়মিত
সবটাই কেমন অছিলায় বেঁচে থাকা।
আচ্ছা সকলে কি আমার মতো একলা থাকতে ভালোবাসে
না হলে ভালোবেসে কেন একা থাকে।  

মিসেস পরকীয়া (৪)


মিসেস পরকীয়া (৪)
........... ঋষি
=================================================
এমন কিছু বলার ছিল
যা বললে সময় সর্বদা স্তন খোলা কোনো মহিয়সী স্বপ্ন।
তোমাকে মাঝে মাঝে আদর মনে হয়
মিসেস পরকীয়া তোমার ঝোলা স্তনের ভাঁজে নাক ভেজানোটা অভিজ্ঞতা।
সময় নাকি ঘুমিয়ে পরা কোনো অপেক্ষা
মিসেস পরকীয়া তুমি আদরের ভাঁজে লুকোনো রুমালের ঘামের গন্ধ।

তোমার ওই লালচে তাঁতের শাড়ি ,কোমর দোলানো রেশ
মনের কোনে জমিয়ে দেয় বেশ রসালো প্রেম।
নিরস নুনে মুখ চুবিয়ে আদরের প্রেমরস বেশ অতি আধুনিক আজকের সময়
তুমি আমাকে ভালোবাসো কিনা জানি না ?
অথচ তোমার শাড়ির আঁচল বা দিকে সরে গেলে গভীর নাভি
আবার সেটা যদি আরো নিচে নামে যৌন কেশ ,,,, কি অদ্ভুত !
আমি জানি।
 ওই শাড়িতে আমি মেঘের রেশ দেখি ,দেখি আনন্দ ,কিন্তু মেঘ কেটে গেলে বৃষ্টি।
তারপর কাদায় মাখা পথ বেয়ে ফিরে যেতে হয় সময়ের অন্তর গহ্বরে
আর তখন তোমার গহ্বরে হয়তো স্মৃতি।
জানি এই সব নিলজ্জ কথোপকথন এই সময় মানায় না
এসো আমরা লিপ্ত হই,মিশে যাওয়া শরীরে শুধু সর থাকুক
কিন্তু দুধ না হয় স্বপ্ন হোক ।

এমন কিছু বলার ছিল
যা বললে কোনো নারী শরীরকে খুব সহজে স্পর্শ করা যায়।
তোমাকে মাঝে মাঝে আমার শরীর মনে হয়
মিসেস পরকীয়া তোমার পড়ন্ত বেলার সময়ে সামাজিক বন্ধন লেগে।
আমি জানি তুমি সময়ের সাথে সহজে নগ্ন সহবাস করতে পারো
কিন্তু আমাকে বোলো মিসেস পরকীয়া সত্যি কি তুমি কারোর একার হতে পারো ?


Thursday, June 15, 2017

মনখারাপের বেলা

মনখারাপের বেলা
............. ঋষি
=================================================

একটা মনখারাপের বেলা
চলে যাওয়া ধূলিঝড় সময়ের সাক্ষী বালিয়াড়ি।
মনের দরজা খুলে আকাশ ধরার ইচ্ছারা সব বেওয়ারিশ আজ
সব ইচ্ছাগুলো কূপমণ্ডুক নিজস্বতায়।
আজ আয়নায় দাঁড়িয়ে আমাকে দেখতে পারিস চলন্তিকা
আকাশের মেঘে আজও বৃষ্টি হয়।

একটা মনখারাপের দিন
পালিয়ে ফেরা নিজের কাছে বেওয়ারিশ লাশ।
আজ সূর্যের তাপ ,আকাশের মেঘ সবটাই জঘন্য ,সবটাই অপ্রয়োজনীয়
গলার কাছে আটকে তোকে না বলাটুকু ।
আয়নার দখলে নিজেকে রেখে
কেন যেন খুলে ফেলতে ইচ্ছে করে চিত্রগুপ্তের খাতার নাম্বার।
বেওয়ারিশ লাশ
দেওয়ালের  আটকানো পরিসংখ্যানে ক্যালেন্ডারে বয়স।
সবটাই চলে যায় মানি
কিন্তু এই সময় একটা আকাঙ্খা একলা একাকার।

একটা মনখারাপের বেলা
চলে যাওয়া ধূলিঝড় কোনো বাঁধা মানে না সময়ের কাছে।
মনের দরজায় আটকানো কলিংবেল কান পেতে শোনে
না চেনা আত্মীয়।
আজ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে অচেনা লাগে
অচেনা ধূলিঝড় আর এই হৃদয়ের  কার্নিশে বৃষ্টির ফোঁটা।   

Wednesday, June 14, 2017

একলা সফর

একলা সফর
........ ঋষি
===========================================
জমে থাকা বিদুরতা
মেঘ বলে ছুঁই ছুঁই  পানি আরো মিষ্টি বিকেল।
তোকে ঠিক দেখতে পাই আমি চলন্তিকা দ মতো করে শুয়ে
কোনো অপরূপা নারী।
একলা জানলার কাঁচে ছুঁয়ে থাকা বৃষ্টির জল
ভিজে মন আর ভিজে একলা সফর।
.
নীরব কিছু কথা
চুপি চুপি স্নানের ঘরের কাঁচে লুকোনো সেই হাসি।
গড়িয়ে নামা কোনো আবদার
আরো উজাড় হোক সমুদ্র আদর ফুরোনো দিন আর প্রেমের স্পর্শে
বেয়ে নামা ভিজে চুল।
কোনো সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ স্পর্শ করে আমায়
মিষ্টি চুলের গন্ধ ,মিষ্টি কোনো নীরবতা ফিসফিস বলে যায়
ভালোবাসি তোমায়।
লালচে ভিজে ঠোঁটে তুই হেঁটে চলেছিস
আর আমি দেখসি  ব্লু লাইলাক সমুদ্র  কেমন ক্রমশ শাদায় লীন হয়ে যাচ্ছে
ধীরে ধীরে ---------------- তুই অপরূপা।
.
জমে থাকা বিদুরতা
জানলার কাঁচ বেয়ে ফুরোনো বিকেল আজ কেমন মনমরা
তোকে ঠিক দেখতে পাই আমি চলন্তিকা তোর বুকের কাছে জমাট বাঁধা অভিমান
ফুপিয়ে  কেঁদে বলে এই তো আমি।
কেমন আছে তোর মন ,,উত্তর নীরব থেকে যায়
আমি বলি এক সমুদ্র বৃষ্টি আমাকে ভেজায় তোর মতো একসাথে। 

এই সমুদ্র


এই সমুদ্র
............... ঋষি
=================================================
সমুদ্র কিছু নিয়ে যায় না কোনোদিন
শুধু নিয়ে গিয়ে ফেলে যায় পুরোনো ব্যাকরণ মেনে।
পৃথিবী নাকি ঘুরছে এই সময়
আমি দাঁড়িয়ে  হাত ধরে আমার বংশ।
জোয়ার ,ভাটা একটা জীবন সমুদ্রের মতো বিশাল অনাবিল শিক্ষা
পুরোনো জোয়ার আমার হাত ধরে আমার বংশ।

.
সামনে সমুদ্র দাঁড়িয়ে
জমে থাকা  কত শত দুপুরের স্নান,কত শোক ,কত আনন্দ।
ঢেউর পর ঢেউ ছুঁয়ে থাকা জীবন নিত্য কলরব
প্রেয়সীর অনুনয়ে ছুঁয়ে থাকা চোখ ধীর সঙ্গমে নদী কত  অভিমান।
সব বলে সব তোলা থাকে
জীবন নাকি সমুদ্রের ছোট মিনি সংস্করণ।

.
সময় আর সময়ের পর এই বিশাল সমুদ্র
আমাকে ডাকে ,আমার হাত ধরে আমার বংশ।
আজ থেকে পেরিয়ে শত বর্ষ পরে এই দুপুর
ঠিক ছুঁয়ে যাবে একই ,শুধু বংশ থেকে আরো বংশে।
.
সমুদ্রে কিছু নিয়ে যায় নি কোনোদিন
শুধু নিয়ে গিয়ে ছুঁয়ে গেছে পায়ের পাতায় ছোট ছোট অবিকল আনন্দ।
জীবন নাকি  জীবিতের শব্দমুখর গল্প
লেখা আছে যুগান্তরের কাব্যে সময় অবয়ব।
শুধু ঝাঁপিয়ে পড়া ঢেউ এই বুকে ,সূর্যের শেষ কিরণে সাথে প্রেম
আমার হাত ধরে আমার বংশ।

Monday, June 12, 2017

তোমাকে রণ (২)

তোমাকে রণ (২)
.............. ঋষি
===========================================================
রণ আজ বিকেলে মেঘে আঁশটে গন্ধ
তোমার গোল্ডফ্রেক সিগারেটের ছাইগুলো আমার চোখে জ্বালা।
তোমার পুরুষালি বুক
সিংহের মতো ঝাঁপিয়ে  পড়া স্বভাব।
সব মনে পড়ছে
শুধু মনে পড়ছে না সেই নিরীহ ,আলগোছে লুকোনো কবিকে।

তোমার সবুজ পাঞ্জাবীর হারানো বোতামটা
আজও সংরক্ষিত আমার কাছে।
তোমার কবিতার শব্দগুলো তুমি জানো না আজও আমাকে মাতাল করে
ঝড়ের মাঝে আমি ভাসি খড়কুঁটোর মতো।
বাইরে বৃষ্টি এলো  এইমাত্র সীমানা পেড়িয়ে আমাকে ছুঁয়ে গেলো তোমারি মতো
কিন্তু সেখানে কোনো কবি ছিল না ,ছিল আমার প্রেমিক।
মাঝে মাঝে মনে হয় তোমার সাথে ,তোমার কবিতার কোনো মিল নেই
মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে মনে তুমি আদৌ কবি কিনা।
কারণ আমার কাছে কবিতা মানে সত্যি ,আমার কাছে কবিতা মানে আমার বেঁচে থাকা
কিন্তু সে তোমার মতো মিথ্যাবাদী নয়।
তুমি বলেছিলে তোমাকে ভুলে যেতে
কিন্তু আমি তো ভুলেছি তোমাকে শুধু মনে পরে আমার প্রাক্তন প্রেমিককে।

রণ আজ বিকেলে বৃষ্টিটা তোমার মৃত্যুর
তুমি দেখতে পাচ্ছো আমাকে আদর করছে আমার প্রেমিক পাগলের মতো।
সে তুমি নও ,হতে পারে তোমার পুরুষালি বুক
কিন্তু তোমার সবটাই সাজানো একটা মিথ্যে আয়নার জাল।
দেখো আমি আস্তে আস্তে মিশে যাচ্ছি আমার প্রেমিকের সাথে
তুমি এখানে নেই ,শুধু তোমার কবিতা আমাকে জড়িয়ে

নীরবতা

নীরবতা
......... ঋষি
==================================================
অনেকটা বুঝছে  সময়
বিকেলের ফেলে আসা হাড়ে লেগে আছে ক্লান্তির উপকথা।
বারান্দা ফুরিয়ে কফিকাপে লেগে আছে চামড়ার ঠোঁট
সে তোর হোক কিংবা আমার।
এখন ফুরোতে থাকা হিসাবের নায়ক
মাথা খুঁটছে ,কোনো রাঙানি হৃদয়ের প্রেমের উপনিবেশে।

অনেকটা বুঝেছে সময়
ফেলে আসা পথের ধুলো আঙুলের ফাঁক গলা ঘড়ির কাঁটা।
টিক টিক শব্দটা হৃদ্স্পন্দনে বেঁচে থাকা নিবিড়তা
তোর ঠোঁটের হাসিতে লেগে যাওয়া নোনতা চুমু।
মাংসাশী পাখিদের পরিত্যক্ত হাড়-কাঁটা দেখে যাকে কখনো মনে হতো পর্তুগীজ কলোনি
অথবা কখনো মনে হতো তোমার নরম বুকের  ফসফরাস মেশানো ফিসফিস।
রাত্রি ফিরে আসেনি
আসে নি সেই সময়ের দ্বীপে দূর থেকে দেখতে পাওয়া দিকবাতি।
নীরবতা
ফিসফিস কফি ছলকে পরে পুড়ে যাওয়ার  আতংকে তোর ঠোঁট ।

অনেকটা বুঝছে  সময়
বিকেলের শেষ সূর্যাস্তের সাথে তোর নীলচে  রঙের শাড়ি ,আকাশ।
ঝুল বারান্দার কার্নিশে জমতে থাকা ধুলো হৃদয়ের তৃপ্তি
সে তোর কিংবা আমার।
এখন পুড়তে থাকা সময়ের আগুনে আতংক
বাঁচিয়ে রাখা নিজেকে যদি সময় পুড়িয়ে  যায়। 

আলো আঁধারি

আলো আঁধারি
..... ঋষি
==============================================
মাঝে মাঝে তৃপ্ত হয়ে ভাবি
ঈশ্বর আমাকে কোনো এক অপরূপ দিনের অপেক্ষায় রেখেছে।
মাঝে মাঝে ঈশ্বরকে দেখি  চৌ রাস্তার মোড়ে  একলা দাঁড়িয়ে
আমিও দাঁড়িয়ে পাশে।
কিন্তু কিছুতেই হিসেব মেলে না সকাল বিকেল
কেন যেন আমি মুক্ত হতে পারি না ঈশ্বরের মতো।

রাতে ঘুমের চোখে তুমি নেমে আসো স্বর্গের অপ্সরী
 আমার কপালে ঠোঁট রাখো তখন আমার তুমুল জ্বর।
কখনো মনে হয় তোমাকে মায়ের মতো
কখনো বা প্রেমিকা।
আমি তখন  দিশেহারা কোনো প্রেমিক  আকাশের সিলিঙে চোখ
 খেয়াল হয় পাখিরা মেতেছে তাদের  কলরবে।
বারান্দায় এসে এঠো ঠোঁটে সিগারেটের ধোঁয়া
হঠাৎ শূন্যতা এসে বাসা বাঁধে।
আচ্ছা ঈশ্বরও বোধহয় আমাদের হৃদয় ব্যালকনিতে এমনি দাঁড়িয়ে থাকে
অপেক্ষায়।

মাঝে মাঝে তৃপ্ত হয়ে ভাবি
চারিদিকে এত প্রেমালাপ আর প্রেম সে তো ঈশ্বরের রূপ
আমি মুগ্ধ হয়ে তাকাই  তোমার দিকে
দিন শুরু রোজকার মতো মানুষের হিসেবে মানুষের মাটিতে
কিন্তু কিছুতেই হিসেবে মেলে না সকালবিকেল
তাই বোধ হয় আমি আলো আঁধারিতে একলা দাঁড়িয়ে থাকি 

এমন একটা গল্প

এমন একটা গল্প
........ ঋষি
============================================
এমন একটা গল্প হোক
সিঁড়ি ভাঙা অংকের শেষে জীবন ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির শীতলতা।
এমন একটা সময়
প্রতিটা মানুষ নিজের বাড়ির সিঁড়িতে নয় যাতে ঘরের ভিতর থাকে ।
এমন একটা জীবন
যেখানে বেঁচে থাকা মুক্তির আনন্দে খোলা হাওয়া।

হিসেব কখনও মেলেনি
শুধু কালক্ষয় , তবু শুধু মেতে আছি  দ্বিতীয়  পৃথিবী নিয়ে ।
প্রথমটি এখনও চিরকাল  চারকোল, গুহাগাত্রে ছবি
সেখানে নিবিড়তা  আঁকছে  জন্মের প্রথম মানব।
সেখানে রোজ জন্মাচ্ছে প্রেম ,জন্মাচ্ছে সৃষ্টি আর সৃষ্টিতে আনন্দ
সেখানে অজস্র জলোচ্ছাস,বাঁধ ভাঙা আদর।
আর আমি  একটার পর একটা  কবিতা লিখছি
একটা কবিতার শরীরের নাতিশীতোষ্ণ ঠোঁট।
একটা কবিতার শরীরের আশ্চর্য সংবেদনশীল নিতম্ব, আর মসৃন সময়
একটা আমার হাড়হাভাতে জমে যাওয়া ঘড়ির কাঁটা।
দ্বিতীয় আর প্রথম পৃথিবীর মাঝে দুস্তর দূরত্ব
যেমন তোমার মাঝে চলন্তিকা।

এমন একটা গল্প হোক
তোমার চারপাশে ঝরতে থাকা বৃষ্টিফোঁটায় আমি জলবিন্দু।
এমন একটা সময়
যেখানে তোমার বুকের আদ্রতায় উত্তপ্ত ঈশ্বরের গন্ধ।
এমন  একটা জীবন
যেখানে আমি ,তুমি ,সকলে প্রথম পৃথিবীর বাসিন্দা।


  

Saturday, June 10, 2017

তোর হাসি

তোর হাসি
........... ঋষি
===============================================
প্রতিদিন একটা করে দিন কেটে যাবে
বেঁচে থাকা পথ ধরে পথিকের ভিড় বেড়ে যাবে।
আমি কোনো আশ্রয়ের লুকোনো খাঁচায় বন্দি পাখি
শুধু বাঁচার লোভ।
মৃত্যু নাকি লুব্ধকের মতো আকাশের তারা
তোর হাসিতে লুকোনো শোক

ভালোবাসি তোকে বলেছি বহুবার
চমকে ওঠা তোর লুকোনো কোনো স্তব্ধতায় আমি ছিলাম সর্বদা।
সত্যি যদি কোনো স্পর্শ থেকে থাকে
তোর হাসি আমি চুষে খেতে পারি ঠিক পাগলের মতো।
সত্যি যদি কোনো সত্যি থেকে থাকে
আমি কেড়ে নেবো আকাশের মেঘ সরানো আদর তোর বুকের ভিতর।
সত্যি যদি সেদিন দেখা হয়
নেশা হবে সময় ,সুরের দরবারে তখন পাহাড়িয়া বাঁশি।
ভালোবাসি তোকে বলেছি বহুবার
তবু সত্যি তোকে বলা হয় নি ভালোবাসা যে বাঁধ ভাঙা আদর।

প্রতিদিন একটা করে দিন কেটে যাবে
বেঁচে থাকা ইচ্ছা ধরে ঘড়ির কাঁটা ঠিক সরে যাবে।
আম্মি আশ্রয়ে খোঁজ ,নীল আকাশের লোভ
আসলে কোনো প্রশ্রয়।
মৃত্যু নাকি মিশে থাকা দিক্চক্রবালে শেষ সময়ের আলো
তোর হাসিটা শুধু আমার হোক। 

আলাদা তৃষ্ণা

আলাদা তৃষ্ণা
........... ঋষি
================================================
তোকে ছুঁয়ে দিলে জ্বর হবে
থার্মোমিটারের বাড়তে থাকা পারদ সমস্ত সময়কে মেঘলা করবে
বৃষ্টি নামবে সেদিন তুমুল দুর্যোগে
তোর কপাল বেয়ে ,ঠোঁট বেয়ে ,তোর বুকে তখন আকাশের দুরু দুরু
কোনো শব্দ হবে না
শুধু বৃষ্টি ভেজা বিকেলে হঠাৎ আলো নিভে যাবে

আচ্ছা এমন করে কি ভালোবাসা যায় ?
আয়নায় দেখা মুখ ,নিজের সাথে সন্ধি ,অসহ্য এই সকালের আলো।
তোর আদ্রতার সাথে মিলে মিশে সময়ের চোখ
শুধু বৃষ্টি হবে।
মিশে যাওয়া সময়ের আলো ,অন্ধকার কোনো হিসেবের সুর
তোর ভিজে ঠোঁটে চুষে নেওয়া জীবন।
আলগোছে তুলে নেওয়া তৃষ্ণারা সব সারি দেওয়া আকাশের পাখি
 ঘরে ফিরে যাবে।
আমি তুই একাকী এই পথ ধরে
সময়ের জ্বর।

তোকে ছুঁয়ে দিলে জ্বর হবে
থার্মোমিটারের পারদ ফেটে সময়ের তাপাঙ্কে তখন ভূমিকম্প।
তুই শান্ত হয়ে শুয়ে আছিস আমার বুকে
আর একগাদা ক্লোরোফর্ম মেশানো খিদে বেড়ে চলা জ্বর।
বাইরে তখন তুমুল বৃষ্টি
বিকেল ফুরিয়ে রোদ তোর আমার হৃদয়ে আলাদা তৃষ্ণা


তোমাকে রণ (১)


তোমাকে রণ (১)
................. ঋষি
================================================
তুমি বলেছিলে রণ একা থাকা সহজ নয়
তুমি বলতে মেয়েরা নাকি কুড়িতে বুড়ি।
তুমি আরো বলেছিলে আমি নাকি সুন্দরী কোনো কবিতা
আর তুমি কবি যে শুধু কাল্পনিক।
তোমাকে তো কল্পনায় করেছিলাম আকাশের মতো বিশাল
কিন্তু কল্পনা আর বাস্তবের তফাৎটা ভুলে গেছিলাম।
,
আজ এতগুলো বছর
দেখতে দেখতে আমিও প্রায় আঠাশে দাঁড়িয়ে কলেজে বাংলা পড়ায়।
আজও একা আছি তবুও  আনন্দ মেঘে যখন বৃষ্টি হয়
আমি আনন্দে গেয়ে উঠি "আজি ঝরো ঝরো মুখর বাদল দিনে
জানি নে, জানি নে ,কিছুতেই কেন যে মন লাগে না ।।
সত্যি তো কিছুই বদলাতে পারে নি আমাকে
হয়তো চোখের চশমার তলার কালিটা দিন দিন বেড়ে গেছে।
আয়নায় আজকাল নিজেকে বড়ো  বিশ্রী লাগে
কিন্তু রাত্রে শুতে যাওয়ার  আয়নায় দেখলে বুঝি আমার বয়স একটুও বাড়ে নি।
বুঝি আমার মধ্যে বেড়ে গেছে একা থাকার লোভ
আর বেড়ে গেছে নিজেকে ভালোবাসার আনন্দ।
আমি ভালো আছি রণ
তোমার কথাগুলো আজ ভীষণ মিথ্যে আমার কাছে।
,
তুমি বলেছিলে রণ তোমাকে ভুলে যেতে
তুমি বলেছিলে সব গল্পগুলো সবসময় উপসংহার হয় না।
তুমি আরো বলতে তোমার কবিতাগুলো আসলে আমাকে উৎসর্গ করে লেখা
আর তুমি শুধু নিষ্ঠুর অহংকারী কবি।
কিন্তু রণ আমি তো কিছু চাই নি তোমার কাছে
শুধু কবিতায় বেঁচে ছিলাম ,তবে ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,।

আগুনের অভিশাপ

আগুনের অভিশাপ
............ ঋষি
=============================================
কিছুই চাওয়ার ছিল না
আজ এতগুলো বছর কবিতার পাতায় জমে থাকা মেঘ।
বৃষ্টিরা আসে ভেজায় আমাকে ,হয়তো তোকেও
কিন্তু সময় বদলায় না।
সময়ের মুখ আয়নায় দেখা অনেকগুলো মুহূর্ত
আশা ভালো থাকা।

তোর বারান্দা দিয়ে পাহাড় দেখা যায়
আমার বারান্দা দিয়ে শুধু সারি দেওয়া পাঁচিল ,অজস্র খনন ,আর মন।
আমি ছাদের উপর থেকে আকাশ দেখতে থাকি
সেই আকাশ যা ঢেকে রাখে তোকে।
তোর বন্য সুবাসের ভিতর ,তোর হরিণী চোখের ভিতর ,তোর নোনতা ঠোঁটে সাথে
আমার মায়া,আমার স্পর্শরা,ক্রমশ প্রথাগত অভ্যেসের মতো।
আমি দূরে থেকে যাই
তবু কি করে যেন ছুঁয়ে আসি বারংবার তোকে।
বাঁচার লোভ আমার
আমাকে বারংবার পাগল করে আমার একলা সময়।

কিছু চাওয়ার ছিল না
আজ এতগুলো বছর কোনো নিয়ম ছাড়া মাতাল বাতাস আমার পরশে।
ঝড় ,বৃষ্টি ,দুর্যোগের রাত
বিছানার চাঁদর আঁকড়ে একের পর এক কোনো রূপসী আলো.
আমি ভেসে গেছি কবে
যেদিন প্রথম স্পর্শে তোর আগুনের অভিশাপ।  

বিলাসপুর


বিলাসপুর
........ ঋষি
==============================================
তোর পায়ের ছাপ রেখে গেছে যে মাটি
তাকে আমি বিলাসপুর বলে ডাকি।
একের পর এক তাল হারানো সেই সুর আমার হৃদয়ের
আমি তাকে কষ্টে ঢেকে রাখি।
জানি বিলাস পুর আমার শহর থেকে অনেক দূরে কোনো সবুজ গাঁ
তাকে মনে পরে ,শুধু মনে রাখি।

ছবিগুলো জমে থাকা পেন্সিল স্কেচে হৃদয় রাঙানো মাটি
সবুজ সেই মোম পেন্সিল ঘষা গ্রামটা  আমি দেখতে পাই।
জানি বিলাসপুর আর মনে করে না আমায়
আমি বুঝতে পারি
চলে যাওয়া সেই লাল মাটির পথ,ঘাসে ঢাকা মাঠ আজও  একলা রাখে আমায়।
পাশে সেই শ্রাবনের নদী,বৃষ্টি এলে ভেসে যাওয়া সময়
আজকাল বিলাসপুরে বৃষ্টি  হয় কিনা আমি জানি না।
তবে জানি
বিলাস পুর মনে করে না আমায়।
সবকিছু শেষ হলে বোধ হয় কিছু বেঁচে থেকে যায়
যেমন বিলাসপুর আমার কাছে এই সময়।

তোর হৃদয়ের গন্ধ ছুঁয়ে গেছে সময়
তাকে আমি বিলাসপুর বলে ডাকি।
একের পর এক সাদা পাতায় ফুঁটে ওঠা সবুজ রং  ,মাটির গন্ধ
কবিতায় তোকে বড় চেনা মনে হয়।
জানি বিলাসপুর আমার শহর থেকে দূরে কোনো অজানা সবুজ গাঁ
তাকে আমি চিনি কিন্তু সে কি চেনে আমায় ?

ক্যাকটাস

ক্যাকটাস
............ ঋষি
==============================================================
সরে গিয়ে কতটা দূরে থাকা যায়
সরতে সরতে বালি মেঘ ভাঙা চেতনার ভিড়।
এক কাপ চা আর তোর ঠোঁট
মুহূর্তের বিকেলে গর্জে ওঠা ভিসুভিয়াস বুকে।
মনে থেকে যায়
শুধু সাজানো বাগানে কিছু ফুল মুর্ছে গিয়ে ,ঝরে যায়।

এমন তো কথা ছিল না মোটেই
একের পর এক ঝিনুকের পাতায় পাতায় সাজানো মণিমুক্তো আর কবিতা।
এমন কি কথা ছিল তবে
সরে গিয়ে দূরে থাকা ঝাউ বনে উন্মাদ সেই আদরের রেখা।
কি কথা ছিল ?
সরতে সরতে বালি মেঘ দূরে সরে যায়।
হাজারো বছর পরে একলা দাঁড়ানো সেই দিনটাই তোর ঠোঁটে লেগে থাকা নোনতা মেঘ
এক কাপ চাপ
আজ উষ্ণ ছিল ,হয়তো বা মিষ্টি।
মুহূর্তের গর্জে ওঠা বারুদের আগুন আজ সময় পোড়ায়
পোড়ায় সেই মৃতদেহে তোর কবিতা।

সরে গিয়ে কতটা দূরে থাকা যায়
ভালো থাকা মেঘগুলো গুম হয়ে  জমতে থাকে  হৃদয়ের কোনে।
এক কাপ চা আর তোর ঠোঁট
পিছনে সারি দেওয়া বিকেলের বারান্দায় লেগে যায় ভাসা ভাসা সেই চোখ।
মনে থেকে যায়
শুধু তোর বারান্দার ক্যাকটাসে আজও গোলাপি ফুল।

ভালো থেকো

ভালো থেকো
............ ঋষি
============================================
এক সমুদ্র মেঘ তোমাকে দিলাম
ভালো আছি তাই।
সমুদ্রের শেষ কিনারায় কিছু ইচ্ছা মেঘ আদর রাঙা ছিল
তোমাকে দিলাম।
ভালো থেকো শেষ সীমানায় মিশে যাওয়া আঁধার
আজ আলোর শেষ বিন্দুটা তোমাকে দিলাম।

ভালো আছো
আকাশের গায়ে শেষ বলে কিছু নেই তাই।
ভালো আছি
তোমাকে কাছে পাওয়ার শহরের শেষ গন্ধটা আজও নাকে আছে তাই।
ভালো আছো
এখানে বেঁচে থাকা কোনো শহরের প্রান্তিকতায় উড়তে থাকা ঘুড়ি।
ভালো আছি
কারণ তুমি আছো কোনো পাহাড়ি শেষ সন্ধ্যায়।
ভালো আছো
 শুধু জীবনের আদরে পাওয়া মুহূর্তদের ভিড়।
ভালো আছি
তোমার খেয়ালে রেখে যাওয়া অন্য একটা দিন।

একটা গোটা আকাশ আমি তোমাকে দিলাম
ভালো আছো তাই।
সমুদ্রের কুড়িয়ে পাওয়া অনেকগুলো মুক্ত গাঁথা সাত রঙা ঢেউ
তোমাকে দিলাম।
ভালো থেকো  সকালের ফুটতে থাকা আলোর কয়েক কুচি
আজ কোনো একলা দিনে তোমায় মুহূর্তে ছড়িয়ে দিলাম। 

Sunday, June 4, 2017

দ্বিতীয় নাগরিক

দ্বিতীয় নাগরিক
,,,,,,,,,,,,, ঋষি
======================================================
হৃদয়ের মাপ বদলাতে বদলাতে
আজ কিছু স্বার্থপর মানুষ নিজের দরজায় সুখী।
ক্রমশ পাকতে থাকা আমার মাথার চুলগুলো সব খুব সত্যি
মানুষ  বলে রং করে নিও।
আমি হাসি কিন্তু বলা হয়ে ওঠে না
মানুষ সময়কে কি রং করে বদলানো যায় ?

ধূলোমলিন পথ পাড়ি দিতে দিতে
মানুষগুলো এখনো প্রতীক্ষাকাতর নিজেদের  হৃদয় দেখাতে ব্যস্ত।
ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় তাদের ক্ষুদার্থ হৃদয় আজও পথ চেয়ে মানুষ খোঁজে
আশ্রয় ,আনন্দ আর সময়।
ভূমিকম্প এলে ,কিংবা কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষগুলো মরতে থাকে পোকাদের মতো
সেখানে ত্রাণ পৌঁছোয় হয়তো সময়ের পরে।
দেশ কখনো জানি রাজতন্ত্রের সাজে গণতন্ত্রের পোশাক পরে একলা দাঁড়িয়ে
শুধু মিথ্যা অভিনয়ে মানুষ খোঁজে।
এই সময় খুন করে ,ধর্ষণ করে আসামী ছাড়া পেতে পারে
কিন্তু সত্য যে বলে তার মৃত্যু অনিবার্য।
সত্যি বলার জন্য কোনো কবি দেশ ছাড়া হয়
আবার একই কারণ কারো কারো নেমে আসে অকাল মৃত্যু।

হৃদয়ের মাপ বদলাতে বদলাতে
মানুষগুলো যেন  সময়ের সাথে ছোট হয়ে যাচ্ছে।
আজকাল আমি বন্ধ চোখে আর কোথাও মানুষ দেখতে পাই না
শুধু দেখি সময়ের জঙ্গলে কিছু ক্ষুদার্থ দুপেয়ে হায়নার মতো ঘুরছে।
আসলে এখন দাসত্ব মানুষের রক্তে ,মিথ্যে সময়ের সাথে অভিনয় করতে করতে
মানুষগুলো কখন যেন পরাধীন দেশের দ্বিতীয় নাগরিক।  

কেন

কেন
... ঋষি
==============================================
তোর হৃদয়ে বেয়ে গড়িয়ে নামা ঘাম
আমার হৃদয়ের সুরে বাজতে থাকা ব্যাথা।
সবটাই তুই জানিস
তবু কেন কাছে আসিস  না ?

যে আদরে ছুঁয়ে আছে শ্রাবন
গড়িয়ে নামা বিন্দু বিন্দু জল ,তৃষ্ণা কোনো নদী।
শুধু বয়ে চলা একা
কেন মিশে যায় না ?
কেন মিশে যায় না সময়ের ইচ্ছারা তোর বুকে মাথা রেখে কথা
কেন হেঁটে চলে না তোর সাথে হাত ধরে একা।
কেন একের পর এক দিন কেটে যায়
কেন রাত্রিগুলো  চুপিচুপি  ছুঁয়ে চলে যায়।
যে আদরে ছুঁয়ে যায় শ্রাবন
গড়িয়ে নাম বিন্দু বিন্দু জল তৃষ্না তোর ঠোঁট।

তোর হৃদয়ে বাড়তে থাকা তৃষ্ণা
আমার ঠোঁটে বুকে লেগে থাকা আগুন পুড়ুক এই সময়।
সবটাই তুই বুঝিস
তবু কেন কাছে ডাকিস না ?

কবিতায় তুমি

কবিতায় তুমি
............ ঋষি
===================================================
শুধু কবিতায়
শুধু ইনবক্সে জমে থাকা কিছু পুরোনো আবদার।
কিছু ইচ্ছাদের চিঠি আকাশের গায়ে থাকে
শুধু কবিতায়।
তারপর আমি কি করবো
আমাকে কি মনে পড়বে  তোমার ?

আমি লিখি আকাশের গায়ে
কয়েকশো ইচ্ছার মেঘ তুমি শীতের দিনে শরীরে জড়িয়ে বসো.
আমি লিখি কবিতার ছলে তোমার
অনেকটা ইচ্ছা মেঘ যত্নে জড়িয়ে থেকো।
এইভাবে কোনো অচেনা দিনে আমি পথ হারিয়ে তোমার দুয়ারে তখন
তুমি কি করবে ?
বলবে দূর ছাই ,বলবে জাতা ,চল ভাগ
আমি হাসবো ,আমি পাগলের মতো হাসবো।
আর তাকিয়ে দেখবো আমার কবিতার তখন তোমার  শরীরে আঁকিবুঁকি সং
আমার শব্দরা তখন তোমার হৃদয়ে লুকোনো রং।

শুধু কবিতায়
শুধু ইনবক্সে জমে থাকা কিছু পুরোনো খবর।
চিঠির ঠিকানা এখন আমার হৃদয়ের ড্রয়ারে রাখে সময়ে ভাঁজ
আর কবিতা।
তারপর আমি কি করবো
শুধু লিখবো পাতায় পাতায় আনমনে কোনো কবিতায় তুমি। 

তোমাকে দেখার পর ,,,,,,,,

তোমাকে দেখার পর ,,,,,,,,
............ ঋষি
==============================================
তোমাকে দেখার পর
আজকাল যখন তখন বৃষ্টি নামে।
বৃষ্টির নূপুরে ভিজে যাওয়া মাটির উপর জল জমে রাস্তায়
কতজন জল পেরিয়ে আসে যায়।
কিন্তু আমি রাস্তায় তাকিয়ে থাকি ঠিক একসময় ,ঠিক সেই মুহূর্তে
তুমি রিকশা থেকে নামো ,জল পেরিয়ে ঠিক হারিয়ে যাও।

কিন্তু সেই কয়েকমুহূর্তে
তুমি শাড়িটাকে একটা  হাত দিয়ে উপরে তোলো ,অন্য হাত তোমার মাথায়।
বড় দুঃখের সাথে বলো ইশ আজও বৃষ্টি হচ্ছে
আমি দেখি ,তুমি তাকাও ,হাসো ,তারপর হারিয়ে যাও।
রোজ এই ভাবে
কিন্তু তুমি বোঝো না আমি জানি তোমাকে দেখার পর
আজকাল যখন তখন বৃষ্টি নামে।
আমি একলা দাঁড়িয়ে আমার খোলা ছাদে অনেকটা আকাশে ভিজি
ভিজি তোমার সাথে কোনো অবেলায়।
কিন্তু আমি জানি তুমি তখন ঘরের জানলায় দাঁড়িয়ে চুল ঝাড়ছো
কিংবা আনমনে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আকাশ দেখছো।
আর আমি ভিজে চলেছি ,,,,,,

তোমাকে দেখার পর
আজকাল যখন তখন বৃষ্টি নামে।
আকাশের গায়ে তখন অজস্র হৃদয়ের খেলা
তরঙ্গের মতো বিদ্যুৎগুলো স্পর্শ করে যায় আমাকে।
আমি জানি তুমি বোঝো না ,আমি জানি তুমি তাকিয়ে  দেখো না
তোমার বারান্দার উল্টোদিকের ছাদে আমি দাঁড়িয়ে ভিজছি।

Friday, June 2, 2017

গন্তব্য

গন্তব্য
.......... ঋষি
===================================================
মাঝে মাঝে বেঁচে আছি তা ভুলে যাই
সামনের সিঁড়ি বেয়ে যে রাস্তাটা ক্রমশ আলোতে উঠে গেছে।
সেদিকে তাকিয়ে থাকি আনমনে।
আয়নায় চিনতে না  পারা লোকটার মাথায় অনেকগুলো পাকা চুল।
না কাটা দাঁড়ি
কেমন একটা অদ্ভুত সময়ের সাময়িকী পোস্টার হৃদয়ের দেওয়ালে।

হাত বাড়িয়ে ছুঁতে যাই ,পাই না
দুহাতের বেড়ে বাঁধতে যাই ,পাই না।
শুধু  স্পর্শের আঙিনায় জীবন যেন সুরজকা সাতমা ঘোড়া।
চারিপাশে কত আলো
আমি একলা দাঁড়িয়ে দেখি হাতের আঙ্গুলগুলো গলে অনেকটা স্পর্শ ঝরে পড়ছে।

আমার বুকের জঙ্গলে যে খিদে
তাকে আমি স্বপ্নে জড়িয়ে ধরতে দেখি আমার প্রিয় নারীকে।
থুথুতে লাগানো শৈশব ,হারাতে থাকা যুবকের বুকে দাউ দাউ মৃত স্তূপ
অজস্র কান্না ,বাঁধ ভেঙে যায়।
এই শহরের অচেনা আমাকে আমি একলা পথ হাঁটতে দেখি
শুধু চলন্তিকা তখন সেই বাঁধ ভাঙা ঢেউ।

মাঝে মাঝে বেঁচে আছি তা ভুলে যাই
ঘুমের ঘোরে দেখতে পাই একটা শহর ক্রমশ জনশূন্য।
সেই জনশূন্য শহরে রাস্তার পাশে জ্বলতে থাকা বাতিস্তম্ভগুলো জ্বলছে আর নিভছে
মনে হয় একবার জীবন আর তারপরে মৃত্যু।
একজন অচেনা মানুষ হেঁটে আসছে সেই রাস্তার মাঝখান দিয়ে
তার কোনো ছায়া নেই ,নেই কোনো গন্তব্য।

Thursday, June 1, 2017

ঈশ্বর ক্ষুদার্থ

ঈশ্বর ক্ষুদার্থ
,,,,,,,,,,,,, ঋষি
===================================================
আমি ঈশ্বর বুঝি নি ,বুঝি নি অনুমোদন
সোজা দৌড়ে চলেছি ইভের শিরায় শিরায় দিবারাত্রি।
আমার কলমে আতংকরা বেঁচে থাকা ভগ্নাংশের যোগফল
সাদা পাতায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে মস্ত অনিয়ম।
আমি ইভকে নগ্ন দেখেছি এই সভ্যতার  প্রাককালে কোনো চরম মুহূর্তে
আমি আঁচলা করে জল ছুঁয়েছি মেরুকরণ।

ঈশ্বরের অনুমোদন ছাড়া প্রেম হয়না নাকি
আমি বিশ্বাস করি তাই  পান পাত্রে  একসাথে ঠোঁটে তৃষ্ণা ছুঁয়েছি।
ঈশ্বরের  শেষ রুটিটা খাওয়া হয় নি আজও
ঈশ্বর ক্ষুদার্থ আমার মতো কোনো পাথুরে রাস্তায় বয়ে নিয়ে চলা নিজের শব।
ক্রুশ বিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে প্রেমের  নগ্নতা
সভ্যতার রক্তে ইভ একলা দাঁড়িয়ে অন্য মেরুর কোনো বরফের দেশে।
আমি হাতড়াচ্ছি ইভের শীতল শরীর
স্পর্শ করতে চাইছি অনুরণ বাইরে সভ্যতার ধ্বংসাশেষ।
একগুচ্ছ অন্ধকার আমার প্রিয় ইভের মুখে চোখে ছেটানো আতংক
গড়িয়ে নামছে কয়েক ফোঁটা জল।
আমি অন্ধ ,আমি পাগল ইভের গভীরতা খুঁজে চলা কোনো একলা বাঁচা
আমার কলমে ইভের পাগলামি

 আমি ঈশ্বর বুঝি নি ,বুঝি নি অনুমোদন
সোজা ছুটে চলেছি সভ্যতার জন্ম গুহায় ইভের খোঁজে।
ইভের হাতে বিষফল ,আমার হাতেও
ঈশ্বরের অনুমোদন ছাড়া প্রেম হয়না নাকি,ঈশ্বর হাসছেন।
আমি আদম সভ্যতার পিতা ,ইভের সাথে মৃত্যুমুখী
সভ্যতার আনুকূল্যে নিজস্ব জড়িয়ে থাকায়। 

মানুষের রূপ



Time is forgotten due to the sophisticated time, so this time,,,,,,,
মানুষের রূপ
................ ঋষি
==========================================================
সমস্ত দ্বিধা আর দ্বন্দ্বগুলো সরিয়ে
আসুন একবার সময়ের  দিকে দেখি।
প্রতিবাদ মিছিল ,লাফিং গ্যাস ,কাঁদানো বোমা
নিরুত্তরে একলা দাঁড়িয়ে মেয়েটা যে ধর্ষিত বলে কাঠগড়ায়।
বর্ডারে কফিন বন্দী বডি
এই মাত্র তোমার ,আমার পরিচত ঠিকানায় ডেডবডি  ,আত্মীয় কাঁদছে।

ছিঃ ছিঃ রাম রাম
আরে কি সব বলছেন সময় বাবু আজ জামাই ষষ্ঠী।
মিষ্টির হাঁড়ি ,দই ,মর্টন,ইলিশ ভাঁপা ,আর সুন্দরী শালী
এই সব ছেড়ে শুধু কষ্টের কথা।
শুনুন তবে
মাধ্যমিকের রেজাল্ট সেই বিয়ে পালানো মেয়েটা পাশ করেছে।
হায়ার সেকেন্ডারি এই বার বেশ ভালো রেজাল্ট মেধা তালিকায় মেয়েদের ছড়াছড়ি
আমাদের দেশের সেনসেক্স উঠছে ,শেয়ার বাজারের অবস্থা বেশ ভালো।
তবু জানেন পেট্রোলের দাম বাড়ছে,তবু জানেন ভাগ চাষীরা দাম না পেয়ে আত্মঘাতী
অনবরত ঝড় বৃষ্টিতে শহরে নর্দমার জল বাড়ছে ,তাতে জ্বর ডেঙ্গু ,ম্যালেরিয়া।
আরে ওপারের সেই পাগলিটা খুন হয়েছে পাড়ায় পুলিশের ভ্যান
তপনের বৌটা কার একটা হাত ধরে পালিয়েছে কাল রাতে।
অরে সময় বাবু চুপ করবেন
সবে মাত্র স্ত্রী ,পুত্র নিয়ে জামাই ষষ্ঠীর ভোজ খেতে বসেছি,সামনে সুন্দরী শালীরা।

সমস্ত দ্বিধা আর  দ্বন্দ্বগুলো সরিয়ে
সব প্রতিবাদের একঘেয়েমি সরিয়ে চলে সময়বাবু  আসুন আমাদের দলে।
আরে মশাই আপ বাঁচলে বাপের নাম
নিজে তো বাঁচুন আগে ,কে মরলো ,কে বাঁচলো আপনার কি হলো ?
সময় বাবু তখন হাসছেন,যেমন সময়ের দেওয়ালে নেতাজী ,গান্ধীজির মুখ
সময়ের ঘড়িতে টিক টিক কাঁটা সরছে আর খুলছে সময়ের মানুষের রূপ।

কবিতার শোক

লিখতে পারাটা একটা অসুখ  ভীষণ কষ্ট ,ভীষণ আনন্দ ,প্রেম প্রবাহ ,অসংখ্য শোক,শহর ,মানুষ   সব কেমন সাদা পাতায় সংসার বুনতে থাকে  শব্দদের ঘুণপোকার স...