Wednesday, March 30, 2016

মুহুর্তদের কোলাহল

মুহুর্তদের কোলাহল
.............. ঋষি
=================================================
কি দিবি আমাকে ,চলন্তিকা
এক বুক আর্তনাদ ভর্তি ভাবনার ব্যাগ।
যেখান থেকে সময় চিত্কার করে বাজারী শব্দের মত
এত সাধারণ আমি ,,জানি।
তবু কখনো বেজন্মা ভাবি নি নিজেকে
আজ কেন জানি ভাবতে ইচ্ছে হয়।

সময়ের সাথে চুক্তি করে
কিছুটা আরম্বর মাখা ভাবনাদের পোশাকি নাম স্পর্শ।
মাছের আরত থেকে সস্তা এখানে পিছল খাওয়া
হরেক রকম যন্ত্রণার সাথে নুন , লঙ্কা ,হলুদ দিয়ে কড়ায়ের তেলে কিছুক্ষণ।
তারপর সব সেদ্ধ,পরিপাক প্রিয় খিদের মতন পাচন যোগ্য
নিয়তি সবটাই সময়ের সাথে।
আমার নিয়তিতে বিশ্বাস নেই চলন্তিকা
আমি মুখ দেখে বলতে পারি না সময়ের রূপ।
আমার অহংকার এই সময়
যন্ত্রণা তোর নামে।

কি দিবি আমাকে ,চলন্তিকা
এক বুক জলে দাঁড়িয়ে আকাশের চাঁদ দেখার সুখ।
পায়ের নিচে কালো স্মৃতিতে রোমন্থন
সুখ আর সুখ।
ক্ষনিকের অসুখ মুহুর্তদের কোলাহল
এক বুক আর্তনাদ ভর্তি ভাবনার সমসাময়িকি সময়। 

তোকে মনে করা

তোকে মনে করা
.................. ঋষি
===================================================
গোটা একটা ছিমছাম পরিবেশ পেড়িয়ে
ঢুকে পরেছি ,,গভীরে।
মাথা নিচু করে আকাশ ধরতে চাওয়াটা বোধহয় একটা প্রলোভন
বুকের যন্ত্রনাদের পাপোষে রেখে উঠে দাঁড়ানোতে,
শালীনতা থাকে
কিন্তু হৃদয় কোনো ফর্মের ঠিকানা পূরণ নয়।

আর পারছি না
সময়ের সাথে সন্ধি করে বাঁচতে চাওয়ার হাতগুলো আঁকড়ে ধরে।
আর পারছি না
নিজেকে নির্লোভ ভাবতে।
অস্তিত্বের অ ,আ,ক,খ শিখতে শিখতে
মনে কাছে  শুধু শব্দদের স্মৃতিচারণ।
কিন্তু ব্যাকরণ ছাড়া বাঁচতে চাওয়াটা কি বেশি চাওয়া তবে
আমার চিত্কার করতে ইচ্ছে করছে তোর নাম ধরে
এটা কি পাগলামি তবে।
তোকে জড়িয়ে বাঁচার অঙ্কগুলো সবটাই ভুল
না আর মানতে পারছি না।

গোটা একটা ছিমছাম পরিবেশ পেড়িয়ে
ঢুকে পরেছি তোর বুকের গন্ধে।
নেশা হওয়া মহুয়ার সাথে আরো গভীরে আমি বাঁচছি
যেখানে কোনো শালীনতা নেই।
নেই কোনো ভূমিকা বেঁচে থাকার কেবিনে
শুধু বালিশ আঁকড়ে তোকে মনে করা। 

মনখারাপ

মনখারাপ
............... ঋষি
=========================================
আমার শহরে বয়স বাড়ে সন্ধ্যের সাথে
তোর মনখারাপ হয়.
রাস্তার পাশে রেলিঙে হাত দিয়ে হেঁটে গেলে
আমার একলা লাগে ,তোর মনখারাপ হয়।
মনখারাপের সুত্র ধরে দূরত্বের দুর্বলতা
সেও কি মনখারাপ।

আমার কলমে যখন দেশজ মাটি
তুই জাতীয় পতাকার রঙের মতন সময় বদল করিস।
গেরুয়া পোশাকটা মানায় ভালো আমায়
তুই গেরুয়া দেখলে মনখারাপ করিস।
আমার বুকে এক সবুজ জঙ্গল রাখা আছে চারিপাশ শুনশান
সন্ধ্যে হলেই শিশির পরে সমস্ত অবয়ব জুড়ে।
তুই আকাশের চাঁদকে একলা দেখিস ,,হাত বাড়াস
আবার মনখারাপ করিস।
সাদা কোনো পায়রার মত আমার পালকে সময়ের রং
চামড়ার ভাঁজে জমতে থাকা রঙিন মুখোশের রং।
তুই মুখোশ দেখিস ,মানুষ খুঁজিস
আবার তোর মনখারাপ।

আমার শহর হাঁটছে তো আমার সাথে
সেও কি মনখারাপ করে।
শুধু ক্ষত বাড়তে থাকে চারিপাশে কার্বনে ছাপ
জীবনের দুর্গন্ধের সারণী।
আমার একলা থাকা মানে তোর একলা থাকা নয়
মনখারাপের সুত্র ধরে দুর্বলতা সেও দ্রবীভূত হয়।  

Tuesday, March 29, 2016

এইটুকু চিন্হ

এইটুকু চিন্হ
................. ঋষি
===========================================
এইটুকু চিন্হ নিয়ে গেলে
আমার গোলকে  মানুষ নামে একটা দাগ পাওয়া যাবে।
দাগ ,নির্দিষ্ট ডিটারজেনে চুবিয়ে
তোলার চেষ্টা পরিচয়  শুধু মানভঞ্জন  পরিচয়ের প্রতারণা।
এইটুকু চিন্হ ঠিক
দুপেয়ে মানুষ পরিচিত হবে।

আজ সূর্য ধরার লোভটা
আকাশের রাস্তা দিয়ে এঁকেবেঁকে  আনকোরা এক লিটিল হোম।
সুস্থতার লক্ষণ এই দেশে ট্যাক্স বৃদ্ধি
ডিটারজেনের অভাব জনিত তাড়নায় আজকাল সময় বৃদ্ধি ,
সবটাই বৃদ্ধি
মূল্য থেকে শুরু করে ,,জানোয়ারপনার লেভেলে।
মানুষের সূর্য ছোঁয়া হয়
আর তারপর ,
আবার চিরাচরিত প্রাগৈতিহাসিক অন্ধকার
গোলকের জন্ম ,,আগুন ছোঁয়ার পালা।

হাত পুড়ে গেলো
সূর্য ধরার লোভ ,,মুখ পুড়ে গেল সময়ের হাওয়া পৃথিবীতে বন্দী।
শুধু এইটুকু চিন্হ মানুষের
ক্রমশ ঘুরতে থাকা সময়ের দিনরাত্রি।
মুখপোড়া মানুষের ভিড়
আগামী দিনের মানুষ গোত্রের সাময়িকী।   

সময়ের ডঙ্কা

সময়ের ডঙ্কা
................. ঋষি
============================================
আলোগুলো মেঘ সরিয়ে এগিয়ে এলো
সদর রাস্তায় একটা কোকের ক্যানকে লাথি মেরে বললো।
এসে গেছি আমি তৃষ্ণা
আসেপাশে  জমে থাকা নর্দমা থেকে জল উঠে এলো শহরে।
সেই নোংরা জলে পা ডুবিয়ে হেঁটে গেলেন ঈশ্বর
পাশে তার ত্রস্ত আলো ,,, আজকের দিনের মত।

আমি আলো খুঁজছি
ঈশ্বরের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে চিরায়ত ব্রথেলের নোংরা যোনিজ জমি  .
আমি নোংরা খুঁজছি
সভ্যতার দালালের হাতে এক ক্ষুদ্র অন্তর্বাস।
লজ্জা ঢাকার চেষ্টা
ইশ্বর তোমার জাত কি ,,কোন জাতে গেলে তুমি যন্ত্রণা হবে।
ঈশ্বর তোমার জন্ম কি ,,,কোন জন্মে গেলে তুমি যন্ত্রণা হবে
ব্রথেলের তিন ইঞ্চি জমি।
সে কি কোনো জন্মের গুপ্ত কথা নয়
সবটাই কি মেকি
সাজানো রিমেকি আলোতে লজ্জা ঢাকার চেষ্টা।

আলোগুলো মেঘ সরিয়ে এগিয়ে এলো
নামেই মন্দির ,মসজিদ ,গির্জায় একসাথে বেজে উঠলো সময়ের ডঙ্কা।
যীশুখিষ্ট লজ্জিত মুখে পৃথিবীর দিকে তাকালেন
চোখের কোনে জল ,..পিঠের উপর সভ্যতার ক্রুশে রক্তের ছোপ।
ব্রথেলের দরজা বন্ধ
ঈশ্বর মাটি খুঁজছেন আবার জন্মাবেন বলে। 

জীবিত বাহানা

জীবিত বাহানা
...................... ঋষি
===================================================
দূরত্ব কিছুই থাকে না
কিছুটা দুর্বলতা থাকে গভীর কোনো নক্ষত্রের দেশে।
যেখান থেকে সময় কিছু থাকে না
কিছু মুহূর্ত থাকে ,আরো গভীরে
অনেকটা ভালোবেসে।

এইভাবে সময়ের সাথে বাস
জীবনের এই অবুঝ সফরে নির্দিষ্ট মুদ্রাদোষে
স্মৃতিদের কারাবাস।
স্মৃতি কিছুই থাকে না আমার এই একলা দেশে
কিছুটা মায়া রাখা থাকে চেতনার মুখ
সময়কে ভালোবেসে।

সময় কাকে বলে ?
কার সাথে বাস ,কার ঘরে থাকা ,জীবিত কিনা ?
প্রশ্নচিন্হ গলায় আটকে
আসলে একলা থাকা  জীবিত বাহানা।
জীবিতের মতন
পাতায় পাতায় রক্তের গন্ধ ,,নিস্তব্ধ ঠিকানা।

দূরত্ব কিছু থাকে না
কিছুটা দুর্বলতা জুড়ে অনেকটা আকাশ ভরা মায়াময় আলো।
কে এলো ,কে গেলো জানা নেই
শুধু জানা নিজে কাছে
এই জীবিত বাহানা।  

স্পর্শ লোভি

স্পর্শ লোভি
.................. ঋষি
=========================================
যে ঠোঁটে তুমি আকুতি স্পর্শ করো
সেই ঠোঁটে আমার লোভ।
যদি বিকেলে কাপে গরম চায়ে স্পর্শ পুড়ে যায়
সেই স্পর্শে আমার লোভ।
আর তার সাথে যদি কোনো নির্দিষ্ট বাঁচার ফ্লেভার থাকে
তবে সেই গন্ধে আমার লোভ।

আমি কি তবে লোভি হয়ে গেলাম
বিকেলের ঘুমন্ত আলোতে তোর চিবুক বেয়ে চটচটে ঘাম।
আমি কি তবে প্রেমিক হয়ে গেলাম
বাথরুমে নীল আলোর স্পর্শ তোর শরীর বেয়ে বাঁচার ঘ্রাণ
আমি কি তবে জল হয়ে গেলাম।
মেঘ পেড়িয়ে আকাশ সমুদ্রে যদি না বলা থাকে
সেই সুত্রে তবে  আমি শত্রু।
আর যাই হোক এই আদরে বিকেলে উষ্ণতার ওমে
ভিজানো ঠোঁট ,উষ্ণতার স্পর্শ
আমি তো পাগল হয়ে গেলাম।

যে ঠোঁটে তুমি মিষ্টি মেখে হাসো
সেই হাসিতে আমার লোভ।
যদি হাসির ফাঁকে তুমি আদুরে আলো মাখো
সেই আদরে আমার লোভ।
আর তার সাথে যদি কোনো নির্দিষ্ট সম্পর্ক থাকে
সেই সম্পর্কে আমার লোভ। 

সভ্যতার সীমানা

সভ্যতার সীমানা
.............. ঋষি
===================================================
আমার মধ্যে একটা সাজানো বাঘ বসে আছে
যে জঙ্গলে তোর নদীর জল খাবে বলে শিকারে নকল ব্যস্ত।
লম্ফঝম্প প্রতিদিনের পরে
একই শীতলতা ,জঙ্গলের দরজা খুলছে প্রাচীন সবুজে।
আবার হারাচ্ছে সময়ের কাছে
লোহার খাঁচায় এই সভ্যতার দেওয়ালে রক্তের গন্ধ।


জানিস সাজিয়ে একটা জঙ্গল তৈরী হয়েছে সভ্যতার নামে
ইট,কাঠ,পাথরের স্থুপগুলো হাহাকার সভ্যতার দেওয়াল সীমানায় বন্দী।
কখনো শহর ,কখনো গ্রাম ,কখনো রাজ্য ,কখনো দেশ ,কখনো বা মানচিত্র
কিন্তু আমি সেই একলা দাঁড়িয়ে সবুজ জঙ্গলে।
প্রকৃতির দাবিতে বাঁচার আশায়
আমায় একটু মুক্তি দিতে পারিস প্লিস।
এই হলুদ ডোরাকাটা বসন ছেড়ে ,হিস্র দাঁত ,নখ ছেড়ে
যদি একটু মানুষ হতে পারি।
সত্যিকারের মানুষের মতন চিত্কার করে বলতে পারি
এই সভ্যতা আমার।
এটা কোনো জঙ্গল না ,,এটা বাসস্থান
এটা প্রয়োজনীয় বাঁচা।

আমার মধ্যে একটা সাজানো বাঘ বসে আছে
যে বাঁচার পিরামিডে নিয়মিত একটা চক্রে ,,একটা সংক্রমনে বাস করে।
সংক্রমণ একটা আজব রোগ ,,,দৌড়োনো
আমিও দৌড়চ্ছি অদ্ভূত এক মরণ রোগের শিকার হয়ে।
সভ্যতার এই সংক্রমণের একটু জীবন দরকার
যেখানে আমিও মানুষ ,,,,মুক্ত সবুজে।

বেঁচে থাকা

বেঁচে থাকা
..................... ঋষি
==============================================
যে কবিতা শুয়ে আছে বিছানা ,বালিশে
অবিকল ঘুম পাওয়া চলন্তিকা।
ঘুমের কি কোনো শান্তি আছে চলন্তিকা এই বিশাল আকাশে
চেয়ে দেখো অসংখ্য তারাদের ফাঁকে।
নিদ্রিত কোনো ইচ্ছা তরী
ঘুম পাচ্ছে চলন্তিকা।

এক শতাব্দী পর চোখ রগড়ে উঠে বসলে নিজের পিঠস্থানে
আমি আকাশের গায়ে মাথা রেখে শুয়ে দেখছি কবিতা।
চলন্তিকা প্রশ্নের সাথে উত্তর রেখে প্রশ্ন করি
আচ্ছা মৃত্যুর ঘুম ভাঙ্গে কি ?
তবে বলো  মৃত্যু আসে কি করে
তোমাকে ছাড়া তো মৃত্যুও আসতে পারে না কাছে,
তোমাকে ছাড়া কবিতা আসতে পারে না কাছে।
যা আসে ,ঠিক যতটুকু ,সবটাই
 মৃত্যু সামিল চেতনার মুখ।
চলন্তিকা অসময়ে সময়ের ঘুম ভাঙ্গে কি ?

যে কবিতা শুয়ে আছে বিছানা ,বালিশে
অবিকল তোমার মত দেখতে।
নিঃশ্বাস বন্ধ করে মেঘেদের রূপ সারা আকাশে বৃষ্টির প্রতিক্ষা
আসা যাওয়া আপেক্ষিক যদি হয় ,
তবে স্থির কোনটা চলন্তিকা
এই মৃত্যুর মুখ না বেঁচে থাকা। 

চলন্তিকা ও সৃষ্টি

চলন্তিকা ও সৃষ্টি
........................ ঋষি
==============================================
কথাগুলো থাক জমা হয়ে চলন্তিকা
তোর বাজানো শব্দেরা যখন রঙের তুলিতে জীবিত হয়
তখন নিদ্রা মগ্ন দেবতারা বলে জন্ম হোক।
শিল্প আর শিল্পীর তুলির সঙ্গমে
আধুনিকতা ,,,সময়ের তরঙ্গ ,,আর গতি
ভাবনার তীরগুলো আহত করুক সভ্যতার ভাবনা।

ব্যস্ততা সম্বল ইচ্ছাগুলো
চায়ে বিস্কুট ভিজিয়ে খাওয়ার মত অভিজ্ঞতা অন্ধকার আগমনে।
সকাল তো জ্বলতে থাকা সূর্যের কথা
আর রাত্রি সে তো মৃত্যুর শেষে জীবিতের আশা।
আর তোর তুলির টান
সে যে সকালে ফেরিপথে ফিরে  আসা মানুষের জীবিত যন্ত্রণা।
সময়ের কথা ,,সময়ের রং ,,,সময়ের চাবুক
রক্তের গড়িয়ে নামা অভিজ্ঞতা থেকে সৃষ্টি।
এক বেদনা সম্বল  ক্যানভাসে শিল্পীর টান
স্পন্দনের সৃষ্টি ,,বেঁচে থাকা।

কথাগুলো থাক জমা হয়ে চলন্তিকা
তোর রঙের তুলির গভীরতায় ফুটে আসুক জীবন।
সত্যির মত সুন্দর কোনো ফুল সৃষ্টি হোক
আরো জাগ্রত হোক মানুষের ঈশ্বর বোধ।
সেই ইচ্ছা থেকে বলছি
চলন্তিকা  সৃষ্টির আরেক নাম জীবিত থাকা। 

মৃত্যুর নিস্তব্ধতা

মৃত্যুর নিস্তব্ধতা
..................... ঋষি
================================================
মৃত্যু তোকে বারংবার বলি, আরো কাছে
যেখান থেকে শুয়ে শুয়ে রোগ শরীরে ইচ্ছা দেখা যায়।
বাইরে তখন সাইকেলের ঘন্টা ,রিক্সাওয়ালার ভেপু ,ঘড়ির হর্ন
কিন্তু নিস্তব্ধতা কই।
আমার তোকে ভীষণ গভীরে চুপচাপ চায়
ওষুধের শিশি বোতলের মত বিছানার পাশে।

মৃত্যু আমাকে দেশ দিতে পারিস মানচিত্র
নিদেনপক্ষে একটা পুরনো শহরের গলি ,একটা পড়ো বাড়ি।
সামান্য কিছু আয়োজনে একটা দিন
শান্তির সাথে বাস করে বুকের ঘুলঘুলি দিয়ে অক্সিজেনে মত।
মৃত্যু আমাকে জীবন দিতে পারিস
দিতে পারিস কিছু মুহূর্ত সবুজ ঘাসের শিশিরের মত।
পোড়া টেরাকোটা মূর্তির ধাঁচে
একটা শান্তি ,আবিস্কারের।
চোখে লেগে থাকা অবাক বিস্ময়ে তোর চোখের পাতা
যন্ত্রণা
পুরনো বালিশের পুরনো দাগের মত।

মৃত্যু তোকে বারংবার বলি, আরো কাছে
যেখানে বড় বড় এই ইমারত গুলো মাটিতে মিশে যাক সভ্যতার নামে।
এক জঙ্গল দাবানল বুকে খোলা বোতামের রেশ টুকু হারিয়ে
প্রকৃতির সবুজ আকাঙ্খা জাগ্রত হোক।
আমার তোকে চুপচাপ নিজের মধ্যে চায়
ফিসফিস কানের কাছে নিস্তব্ধ দিনলিপি তুই ,মৃত্যু। 

দুপুরের ঘাম

দুপুরের ঘাম
............................... ঋষি
======================================================
এক জনকে জুড়ে বসে আছি
আকাশের শঙ্খ চিলের মতন নেমে এসে কোনো দূরত্বে।
শঙ্খ স্তনের পাশে গুটিসুটি মেরে
বেশ করেকবার দাঁত দিয়ে কামড়াবার পরেও
কেন যেন বদল নেই
আমার ,তোর ভিতর জমে থাকা যন্ত্রনাদের একাকিত্ব।

ওইতো মানুষ নামক ভদ্রলোক
নুন আনতে পান্তা ফোরাবার গন্ধ নিয়ে পাগলপাড়া।
সামনের চৌরাস্তা দিয়ে পাগলিটা ছুটছে
বুকের কাপড় ,এফোঁড় ওফোঁড় করে কতগুলো সেলাইয়ের দাগ।
সময়ের গায়ে লেগে আছে হাহাকার ,যন্ত্রণা
চোখ চাটছে কুকুরকে ,,কুকুর চাটছে শুকনো মাটি।
শুকনো বুকেতেও খিদে থাকে
সভ্যতার নর্দমার গন্ধ গায়ে মেখে অন্য বীজ।
পাগলি সে তো মানুষ
আর মানুষ সে পাগলের ভূমিকায় চোখবন্ধ খিদে শরীর।
সত্যি দেখতে নেই
সত্যি তাকে বলা পাগলির শরীরে হয়ত সভ্যতার বীর্য।

একজনকে জুড়ে বসে আছি
আকাশের শঙ্খ চিলের মতন ছো মেরে নেমে আসি।
তোর শরীরে একটা সুতো ও রাখবো না
ঢেকে দেব চাদর দিয়ে চিনচিনে যন্ত্রণা শেওলার গন্ধ।
সহস্র প্রাচীন ইচ্ছার বদল নেই
নগ্ন বুকের মাখে দূরত্ব সে যেন এই দুপুরের ঘাম হয়। 

তোমার জন্য

তোমার জন্য
................ ঋষি
========================================

তোমাকে দেখতে কেমন
কি এসে যায় তাতে ?
উপর থেকে চরণামৃত গড়িয়ে পরছে কিনা
কি এসে যায় ?
তুমি স্লিভলেস না ,গলা কাটা সুন্দরী
সম্পর্কের আগে তো প্রশ্ন করো নি।

সম্পর্ক
মেঘ ঢাকা কৌটোর ভিতর গভীর কোনো ভাবনা।
বৃষ্টি আসতে পারে
কিংবা যদি নীল শিরার ডাক দিয়ে কবিতা লিখে দি
তুমি অপবিত্র হতে পারো।
কি যেন নাম তোমার
আকাশলীনা ,চলন্তিকা ,সঞ্চয়িতা ,মেঘলা বেলা ,,,,বৃষ্টি।
সে তো যে কোনো হতে পারে
শুধু সম্পর্ককে নাম ধরে ডেকো না
বিচার পর্বের পরে রাস্তায় চামড়া ওঠা কুকুরের মত।
এত তাচ্ছিল্যে রেখো না
কুকুর কামড়াবে।

তোমাকে দেখতে কেমন
মোনালিসা ,ভিক্টোরিয়া না কাঁচা খানকির মত।
কি এসে যায়
সম্পর্ক বসে থাকে জামাকাপড় শুকোবার তারে কালো কাকের মত।
তারপর অপকর্ম ,,আরো কা ,কা ছুঁয়ে
বেঁচে থাকা নীরবতা।


Sunday, March 27, 2016

মৃত্যুর আসামী

মৃত্যুর আসামী
.................. ঋষি
===================================================
মাগী তোর মরণ নেই
হারানো সমাজের চলচিত্রে খুব নিরুপায় মায়ের মুখ
মেয়েরা মাগী হয় ,,তাকে মারতে হয় তিলে তিলে ,,চিরসত্য।
কিন্তু এই একবিংশ শতকের দরজায় দাঁড়িয়ে আমার জানতে ইচ্ছে হয়
কড়জোরে  দাঁড়াতে ইচ্ছে হয় ,,কোনো নারীর কাছে
এত মৃত্যু কেন ?

সমাজের চোখে জ্বলে ওঠা আগুন মুখে নিয়ে
একটা চিরসত্য মেয়েরা বংশের সম্ভ্রম,,মেয়েরা মায়ের জাত।
এই সত্যের আড়ালে মায়ের মৃত্যু চিরকালীন
সেই শৈশব থেকে শুনে আসা ,,এমন করে ফ্রক পড়তে নেই।
গাছে উঠতে নেই। ..এমন করে বসতে নেই।
ছেলেদের সাথে কথা বলতে নেই।
ভালবাসতে নেই ,,,, হ্যা মেয়েদের ভালোবাসতে নেই।
একটা সামজিক রীতি যেখানে অনিয়মিত সঙ্গমে
যদি মেয়ে মা হয়ে যায় ,,,সত্যিকারের ,,,,অনিয়ম।
তখন যথারীতি নিত্যের কাহিনী
মাগী তোর মরণ নেই।
কিন্তু কেন এই বন্ধন ,,কেন এই প্রশ্ন সমাজ
এটা তো সত্যি মেয়েরাই মা হতে পারে।

দিন বদলেছে ,,বদলেছে ভাবনা ,,কিন্তু সেই এক ভয়
কেন এত মৃত্যু ?
ইতিহাস সাক্ষী করে তাকিয়ে দেখলে এই সভ্যতায় ধর্ষণ খুব নিয়মিত।
কিন্তু কেন এই বলপ্রয়োগ ,,,কে দিল অধিকার ?
আজ আমি প্রশ্ন করি সমাজে কাছে ,,সময়ের কাছে
কে দিল সাহস ,,,এমন অবস্থার ,,যেখানে মেয়েরা মৃত্যু আসামী ?
.
( মতবিরোধ থাকতে পারে ,,আমি ক্ষমাপার্থী তাদের কাছে যারা আমার বিপরীত মেরুতে বাস করে। )

আর তুই

আর তুই
.................. ঋষি
=================================================
শহরটা দূরে সরে যাচ্ছে
ট্রেনের কামরাগুলো ক্রমশ ভাসছে হাওয়াতে।
দূরত্ব বাড়লো ,,,,,কিছুটা দুর্বলতা
ট্রেনটা সোজা পায়ে ফিরে আসবে বলে পা বাড়ালো।
দুর্ঘটনা ,,আমি আছি ,,তুই আছিস ,,কিন্তু সময়
ধুস শহরটা পিছনে সরে যাচ্ছে।

চারটে ছেচল্লিশের ট্রেনের দুডজন খানেক কামরা
বুকের উপর দুলছে।
দূর থেকে শুনতে পাচ্ছি চা ওয়ালা ,,,সিঙ্গারা ওয়ালা ,,,লজেন্স ,,রেফারি
রেফারি সিটি বাজাচ্ছে।
আমি দৌড়চ্ছি নদীর  ধার ধরে
আরো জোরে ,,জোরে কামঅন ,,, ট্রেনটা ধরতে হবে।
দুরত্ব বাড়ছে ,,,কামরার জানলায় তোর মুখ
চুপ আমার শহর আরো দুরে।
আলো নিভলো এই শহরে
আমার ঠোঁটে তোর চায়ের ঠোঁটের এঠো গন্ধ
সাথে বিস্কুট ,,মস্করা ,,,আনন্দ ,,আর তুই।

শহরটা দুরে সরে যাচ্ছে
ট্রেনের শব্দটা শহর ছাড়ছে নিস্তব্ধে বিস্ফোরণ করে।
প্রতিটা বিস্ফোরণ এক একটা ইঙ্গিত নতুন শুরুর
আবার ট্রেনটা ফিরবে কোনদিন।
জমজমাট শহরের পথে হাজার ভিড়ে কিছুটা মুহূর্ত
স্মরনীয় হয়ে থাক দূরত্বের সাথে।

আলো না আসুক

আলো না আসুক
.......................... ঋষি
=====================================================
জানলাটা খুলে রেখে,,,,,, রোদ ধরতে গেছি
হাত তো পুড়ে যাবে।
তুইও তো আলো ধরতে চাস ,,,এত ভয়
হাত বাড়া।
হাতের সাথে হাত
মিলেমিশে জানলা বন্ধ ,,দরজা তো অনেক্ষণ ,,শুধু একা।

শহর থেকে দুরে
ক্রমশ মাউসের ক্রলে উঠে আসতে থাকে পরিচয়।
পর্বত পেরিয়ে ,মেঘ সরিয়ে
ঘরের ভিতর  ঘর ,,,তারপর দরজা বন্ধ ,,,নিদেন পক্ষে জানলাটা খোলা থাক।
উফ্ফ্স আলো আসছে ,,চোখে লাগছে সাজানো আঠা
চোখ বন্ধ ,,,জানলাও।
নিদেনপক্ষে হাতের সাথে হাত
আর হৃদয় ঘষা দুরত্বদের পুড়ে যাওয়া।
কাঁদিস না,,,, যন্ত্রণা হচ্ছে ,,চোখে কালিতে আমি আছি তোর
আলো হবি আয় এই বুকে।

জানলাটা খুলে রেখে ,,,,, রোদ ধরতে গেছি
কবিতার কালির ছিঁটে।
তোর শরীরময় আঁশটে গন্ধ ,,ভিজে ভাব ,,আরো অন্ধকার
হারিয়ে যাচ্ছি ক্রমশ।
সভ্যতার সিঁড়ি বেয়ে আরো উঁচু মনুমেন্ট থেকে লাফ
ভাসছি ,,আলো না আসুক ,,জানলা বন্ধ। 

একলা চলা

একলা চলা
............... ঋষি
===========================================
এমন করে পাগল করিস না
পালিয়ে বাঁচি আমি সাগর ,সমুদ্র পার রূপকথায়।
ওসব অন্য কোথাও হয়
রোমিও ,জুলিয়েট ,লায়লা ,মজনু সব মিথের মাটি জুড়ে।
একটা যন্ত্রণা আছে
প্লিস এই ভাবে আর যন্ত্রণা বারাস না।

যে চোখে স্বপ্ন পাগল রোদের রেশ
আমাকে পোড়াস না ,প্লিস ,,আমি তো পুড়ে ছাই।
সেই লাল টিপ
সারা আকাশে জাফরানি মেঘ ঘিরে।
আমাকে আদর করিস না
আমি তো পুড়ে ছাই।
কি এমন জীবন ,,কি এমন প্রেম ,,কি এমন একা থাকা
আমাকে কাছে ডাকিস না।
ভিজে যাবি ,,,ভুলে যাবি ,,সময় ,,নিয়মকানুন ,,ইতিহাস লিপি
সেখানে শুধু দৃশ্য বদল হবে
আমি একলা দেশ ,,,নেই রে চলার শেষ।

এমন করে পাগল করিস না
আমি পালিয়ে বাঁচি তোর থেকে দুরে ,,খুব দুরে।
এমন করে আদর করিস না
আমি মরে বাঁচি মাটির তলায় কোনো জ্যোত্স্না ঘরে।
নিভে যাওয়া দীপ ,,একলা চলা জীবন
প্লিস এইভাবে একলা করিস না। 

পঞ্চাশ দিন

পঞ্চাশ দিন
...................... ঋষি
===============================================
ঠিক পঞ্চাশ দিন পরে তুমি ফিরে আসবে বলে
আমি দাঁড়িয়ে।
ঠোঁটের তামাক পোড়া আগুনে ,,নিশ্বাস জ্বলছে
প্রশ্ন করেছি নিজেকে।
এই পঞ্চাশ দিন কি সত্যি কোনো দিন শেষ হবে
সময়ের বোঝাপড়ার ,,চুপচাপ যন্ত্রণা।

তুমি এগিয়ে এলে
আকাশী রঙের নীল সালোয়ার ,,ঠিক মনের মত।
আচ্ছা তোমার ঠোঁটের তিলটা আমার তো ?
আচ্ছা তোমার বুকের গন্ধটা কি শুধু আমাকেই পাগল করে?
বলবো বলবো করেও বলা হয় নি
আমার সিগারেরের পরিসংখ্যান বলে সময়কে ,
দাম বাড়লেও  ,নেশা কমে না
আর তোমার ?
এটা নেশা নয় ,,এটা হচ্ছে অধিকার ,,,একটা নিস্তব্ধ বোঝাপড়া
তবে তামাকের অদ্ভূত ঘ্রাণে
একটু  বেঁচে থাকা।

ঠিক পঞ্চাশ দিন পর তুমি ফিরে আসবে আমি জানি
আমি দাঁড়িয়ে।
ঠোঁটের তামাকে পোড়া আগুনে ,,,,গনগনে নিশ্বাস
তোমার ঠোঁটটা লেগে।
তোমাকে একটা অনুরোধ আছে, প্লিস এরপর আর বোলো না
এত সিগারেট খেও না প্রিয়।  

দেশ দেখা

দেশ দেখা
........................ ঋষি
===============================================
একটা দেশ দাঁড়িয়ে সামনে
তুমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে আমার গলার স্বরটা তুলে নিলে।
নির্দিষ্ট ভঙ্গিমায় ঠোঁট রাখলে মুঠো ফোনের ঠোঁটে
আর আমি দেশকে দেখলাম তোমার মত গলা তুলে বলতে।
এই মাত্র চান করে এলাম
টুটুল ঘুমিয়েছে  ,তুমি এসো একবার।

টুটুল আমার তিন বছরের ছেলে
হাওড়া জংসনে আজ পাঁচ বছর আগে তার মুখ দেখেছিলাম।
এখন আমি সীমান্তে ,মিলিটারী ক্যাম্পে
আমার সামনে আমার দেশ দাঁড়িয়ে । সত্যি দাঁড়িয়ে ?
রোজকার এই দেশ দেখাটা আজকাল আমার নেশা হয়ে গেছে
ওই পাশে অন্য একটা দেশ ঘুমিয়ে আছে টুটুলের মত ।
আর তোমার মত চিত্কার করে বলছে যন্ত্রণা ,,,দুরে থাকা
কারণ যারা ওপাশে রয়েছে কিছুতেই শুনতে পারছে না।

খবরের পাতায় রোজ পড়ি আমার দেশকে
আমার দেশ দেখার জন্য মাঝে মাঝে রক্ত দেখতে হয়।
অথচ সীমান্তে বসে আমি খবরের পাতায় দেশ দেখি
আমার দেশ সত্যি রক্তাক্ত।
কি বললে ,ওয়াটস আপে তুমি টুটুলের ছবি পাঠিয়েছো
রাত্রে দেখে নেবো।

একটা দেশ দাঁড়িয়ে সামনে
আমার গলার স্বর, শুধু এই দেশ, এই আমার মাটির জন্য।
টুটুল বড় হয়ে, সেও একটা দেশ দেখবে। .জন্মভূমি।
দেখবে আমাকে দেশের জন্য ,,হয়তো ,,,হয়তোবা মৃত।
কি বুঝবে সে ,,কি তফাৎ,,,এই যুদ্ধ ,,,আর অন্তর দ্বন্দে
সত্যি কি সেও দেশকে এমন করে চিনবে । 

তারপর

তারপর
................... ঋষি
==============================================

তারপর, শুরু এক পথচলা
সময়ের নিঃশ্বাসে ঘামে ভেজানো এসির আদিখ্যেতা।
সত্যি বলতে কি
কাল থেকে চলন্তিকা নিজের শহরে হাঁটবে ,নিজস্ব আয়তনের।
আর আমি হয়তো ,,একইরকম
মেজাজি গরমের ঘামে ভেজা দৈনন্দিন।

পথ তো চলতে হয়
নিস্তব্ধে গাছ থেকে টুপটাপ পাতা ঝরে পরে।
প্রকৃতির মৃত্যু
চলন্তিকা তুমি আমার মৃত্যু পেরিয়ে আবার এক মৃত্যু দিলে।
যেখানে মরতে রাজি বারংবার
ঘেমে ,নেয়ে ,চান সেই আকাশী রঙের নদী।
তোমার সালোয়ারের রং
তোমার চোখের ভাষায় চলন্তিকা আমি ভিজে একসার।
তবু চোখে চোখ রাখতে পারলে না
চলন্তিকা নিজেকে হারিয়ে তুমি আমাকে হারালে।

তারপর ,শুরু সেই পথচলা
ঘোড়ার বল্গায়টান দিয়ে ছুটে চলছে ছবি ,,,জীবন।
সত্যি বলতে কি
পাওয়াটুকু মুহুর্তের দেওয়ালে এক মুচকি মিঠি হাসি।
আর আমি হয়তো ,,তারপর চলন্তিকা
মেজাজি মন্তাজে নোনতা ভিজে ঠোঁটে লুকোনো তিল। 

Saturday, March 26, 2016

যে মেয়েটা


যে মেয়েটা
................. ঋষি
======================================================
যে মেয়েটি বাড়ি ফিরে যাচ্ছে
বাসের জানলায় উঁকি মারছে যার মুখ প্রতিদিনকার ঘর ফেরত সবার মাঝে।
আমি তাকে চিনি
সে ফিরে যাবে নির্দিষ্ট গন্তব্যে ,হাসবে ,কাঁদবে ,বাঁচবে।
কিন্তু বাঁচবে না জীবিতের মত
কারণ বেঁচে থাকার অধিকারে আজও ,সমাজ চ্যুত ওই মেয়ে।

হয়তো আমি ভুল বলছি
তবু জানি  রোজকার ঘর ,কন্যা ,বিছানা ,সামলে ,সেই মেয়ে হাসবে।
হাসতে হয় ,,সমাজের রীতি
হয়তো বাথরুমে রুমাল গুঁজে কাঁদবে ,কিংবা আড়ালে কোথাও।
কারণ মেয়েদের কাঁদাটাও একটা সামজিক নিয়ম
আর নিয়মের বাইরের অনিয়মটা অভিধানে নষ্টামি বলে।

হয়তো আমি জানি না
তবু জানি এই মেয়েটা বিছানায় যাবে কাউকে খুশি করবে বলে।
হয়তো তার বদলে পেতে পারে সংসার ,শরীরের মত কিছু
হয়তো তার বদলে পেতে পারে টাকা , খাবারের মতন কিছু।
কিন্তু এই মেয়ের শরীরটা ভীষণ দামী চিরকাল
হয়ত আমি জানি এই মেয়েটা আমাদেরই কাছের কেউ।

যে মেয়েটা বাড়ি ফিরে যাচ্ছে
বাসের জানলা দিয়ে আনমনে যে দেখে নিচ্ছে পৃথিবীর গভীর ভাষা।
গতি ,,,না থামবে না কখনো
মেয়েটা বাড়ি ফিরুক ,মরুক ,নিরুদ্দেশ হোক কিংবা ধর্ষিত।
আমাদের কি
সে আমাদের কেউ হলেও আমার তো না।

ফিরে এসো

ফিরে এসো
.................... ঋষি
==========================================
ফিরে এসো ,বল্লে তো ফেরা যায় না
নিজস্ব চশমার কাঁচে ঝাপসা দেখা মুখগুলো।
না আপন করা যায় না
নিয়মিত না হলেও কেন যে বড় বেশি গায়ে পরা।
আবার ভোলাও যায় না
সময় অসময়ের কসরতে সময়ের মুখোশে।

মানুষ হারিয়ে গেলে তার জন্মদিন পড়ে থাকে
ডায়েরির মাঝের পাতায় কিংবা কোনো স্নেহের কাছে।
কিন্তু সেই সময়ে গর্তগুলো  একইরকম থাকে
 জমে থাকে জল, জলের আড়ালে থাকে ভিজে অস্তিত্ব।
জ্বর আসে তখন ,,তুমুল গা গরম
কোনো বড়ি ,কোনো ওষুধ কাজে লাগে না।
সেই সময় ,,,সময়ই কাজ করা
বাঁচার মন্ত্রে অনিয়ন্ত্রিত সঙ্গম ,উত্পন্ন সাময়িক সুখে।
অনিয়মিত ভাবনারা
প্রতিবাদ করতে থাকে ,,আর ফিরবো না বলে।

ফিরে এসো ,বল্লে তো ফেরা যায় না
গাড়িদের গতিময় যাতায়াতগুলো,শব্দগুলো বড় গা সওয়া।
বড় রাস্তায় দাঁড়িয়ে আত্মা চিত্কার করে
শুধু চিত্কার ,,কেউ ছুঁতে না  পায়।
তবুও ফিরতে হয়
কিন্তু ফিরে এসো ,বল্লে তো ফেরা যায় না। 

তুমি কাঁদছো

তুমি কাঁদছো
................... ঋষি
=====================================
চারিপাশে এত বাঁচার আয়োজন ,এত ইচ্ছা
তুমি কাঁদছো চলন্তিকা ?
এত মানুষের ভিড় অজস্র কথার শব্দ অবিরাম অবাক জলপান
এত শোক সন্তাপ, উত্সব  অসুখের উদযাপন।
তুমি কাঁদছো ?
চলন্তিকা আমার মত হাসতে থাকো।

সর্বত্র সন্ত্রাসে ফাঁকে
দুপুর গড়িয়ে নিজে বুকে কখন যেন রাত্রি হয়ে যায়।
কপোত কপো তি,ক্লান্তি শহর ঘুমিয়ে পরে
আমিও হয়তো কোথাও শুয়ে তোমার পাশে।
মাটির নিচে ,এক নিশ্বাসে
তবু তুমি কাঁদবে চলন্তিকা।
এই শহরের ভিড়ে হাজার প্রতিবাদ মাটি খুঁড়ে মরে
মরে যায় মৃত অভিযোগ পুলিশ ,শাসন ,রাষ্ট্রনীতিতে।
তখন তুমি কাঁদবে
হাসতে শেখো চলন্তিকা ,বাঁচতে হবে যে।

চারিপাশে এত বাঁচার আয়োজন ,তুমি কষ্ট
হ্যা হ্যা তুমি যাকে কষ্ট বলো।
মানুষ হয়তো ভুলবুঝে বেছে নেই তাকে
চালের কাঁকরের মত।
অথচ তুমি কেঁদে যাচ্ছ আজ শত সহস্র বছর
চলন্তিকা এই দুঃখ শুধু তোমার কি।

সে আর আমি

সে আর আমি
.................. ঋষি
==============================================
সে আমার পাশে একলা বসে
আমি খুঁজেছি নিজেকে দেখতে সেখানে।
সামনে সমুদ্রের ফেনাল হৃদয় উথালপাতাল
সময় ভাঙছে ধানের বীজ।
আর শার্প সভ্যতার গলায় ঝুলন্ত তাবিজ
চোখের ভুল বুঝলে ,কেউ পাবে না খুঁজে।


আমি তাকে দেখি
সে আমাকে দেখে ,যেমন দেখতে চায় আর কি।
আমি দেখি আকাশের গায়ে অসংখ্য প্রলোভন
সে দেখে অন্ধকার।
আমি ছিটিয়ে যায় সারা আকাশের রিপুদের ভিড়ে
সে দেখে আমায়।
আমি হাসতে থাকি ,চিত্কার করে তার নাম ধরে ডাকি
সে চুপি চুপি ধরা দেয়।
বুনো সাদা হংসীর মত আমার গলা জড়িয়ে আলাপ করে
চুপি চুপি বলে
আমি তোমার কে ,
তোমাদের বলছি তাকে বলি নি ,
সে হলাম আমি।

সে আমার পাশে একলা বসে
আমি সিগারেটের প্রতি টানে আকাশের গায়ে রিং ছুঁড়ি।
রিং গুলো ফিকে হয় ,হারাতে থাকে
আমিও হারাবো একদিন তার সাথে।
কথা দিয়েছি অটোগ্রাফ করে সময়ের ঘরে
যেখানে সে আর আমি একসাথে। 

আয়নার সামনে

আয়নার সামনে
................... ঋষি
==============================================
এতটা সময় কেটে গেছে
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখি চুলগুলো সব সাদা।
অভিজ্ঞতা।  একটা প্রশ্ন ?
উপসংহারে বলি সত্যি কি সব মনের মত।
আমি। তুমি। অধিকার। সময়।
আয়না হাসছে আমার মত ফোঁকলা দাঁতে।

তুমি দুঃখ পেলে
নিজের দেশের মাটির সবুজ ফসলে কেমন একটা হলদেটে ভাব।
ফসল পাকছে
নতুন কিছু নয় এই মাটিতে আমি স্বাধীনতা খুঁজেছি।
খুঁজেছি মানে
নিজের মাতৃ পরিচয়ের ভাষাকে একলা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি।
পরদেশীর মত
প্রশ্ন করেছি তোমায়
তুমি কতটা নারী হতে পারলে আজ বার্ধ্যক্যে দাঁড়িয়ে।
নিজের হাসির মানে খুঁজতে
আয়নার সামনে আমি।

এতটা সময় কেটে গেছে
জট ছাড়ানো জীবনের সন্ন্যাসী আজও শান্তি খুঁজছে।
পাতার পর পাতা উলটানো সামাজিক স্লোক ,,সম্যক নিয়মকানুন
আর আমি সমস্ত হিসেবের মাঝে বেহিসাবী।
নিজেকে খুঁজছি আজ ফেলে আসা সময়ের ভুলে
হাসছি আয়নার মত। 

শুধু কি তাই

শুধু কি তাই
...................... ঋষি
===========================================
একটা  চুমু
সত্যি কি একটা চুম্বনি তোমার দরকার ছিল ?
এই প্রশ্ন করি নি তোমাকে ,আসলে করতে পারি নি।
নিজেকে বারংবার প্রশ্ন করেছি
এই চুম্বন যদি আমি মৃত্যু চুম্বন হয়
না আমি খুশি ,,,,নিজেকে বলতে পারি নি।

দেরাজে মুখ লুকিয়ে
তোমার স্তন বৃন্তের নিচে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছি।
আসলে নিজেকে খুঁজেছি আমি
তুমিও বোধহয় আমাকে খুঁজেছো আমার নিকোটিন ঠোঁটে।
এই মুহুর্তের আমার জিভের নিকোটিনে তৃষ্ণা
একটা চুমু।
সত্যি কি তাই ,শুধু তাই চেয়েছি তোমার কাছে
এক বুক আকাশের মতন নিজের বুকের পাঁজরে যন্ত্রণা আটকে।
শুধু কি তোমাকে লুকোতে চেয়েছি
আমিও তোমাকে চুমু খেতে চাই
একবার না ,দুবার না , বারংবার ,,সারা জীবন।

একটা চুমু
সত্যি কি অঘটন বলো তো স্পর্শ সুখে পাগল।
আমার পুরুষ দেহ মাটি হয়ে যাক তোমার বৃষ্টি পরশে
তুমি বারংবার সেই মাটিতে জন্মাও সুন্দর ফুলের মতন।
হওয়ার দোলায় তোমার ঠোঁটে লেগে যাক মাটি
একটা চুমু ,,শুধু কি তাই।

আমি জানি

আমি জানি
............... ঋষি
========================================================
এই যে রক্ত ফোঁটা ,আমি জানতাম
শুধু মাত্র ইচ্ছা দিয়ে আমি আটকাতে পারবো।
কোনো নারীর আব্রু ,শিশু হত্যা
শুধু ইচ্ছা দিয়ে সম্ভব নয় অপরিবর্তিত মানুষের হিংস্রতা।
ভ্রুণ হত্যা ,,,সে তো মৃত্যুরি নামান্তর
কোনো স্থির উপত্যকায় জমা বরফের মত শীতল।

আমার হৃদয়ে জমা রক্ত
মানুষের লোভ ,মানুষের রোষ ,মানুষের অহংকার এগুলো অনিয়ন্ত্রিত অভিশাপ
শুধু ইচ্ছা দিয়ে  আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো না ।
শেফালিকে তুলে নিয়ে যাবে ,সে কোনো পশুত্বের সময়ের লাল রক্ত
কোনো শৈশব স্বপ্ন দেখতে মরে যাবে।
শিক্ষার হাহাকারে খুঁজে পাবে বাস্তবের মৃত্যুর তলোয়ার
তারপর আবার এক ফোঁটা রক্ত।
না আমি ইচ্ছা দিয়ে সেই রক্ত মুছতে পারবো না
 খিদের পৃথিবীতে আমি দিতে পারবো সরকারী রিলিফের মত হাসির পাত্র,
অমানবিক যান্ত্রিকতা কে আমি দিতে পারবো স্নেহের স্পর্শ।
শুধু এতটুকু পারি,আমি  লিখতে
হ্যা আমি লিখতে পারি এক সুন্দর পৃথিবীর কথা
আর মানুষের ইচ্ছা

এই রক্ত ফোঁটা,আমি জানতাম
এটা কোনো সভ্যতা নামক হিংস্রতার প্রতিক।
মানুষের রক্ত ,আমি চেষ্টা করতে পারি
ঘুম ভাঙ্গাতে, সভ্যতার মুখোসের কোলে শুয়ে থাকা সত্যির।
আমি প্রতিবাদ করতে পারি ,মানুষের মত
আমার ইচ্ছাগুলো যদি তৈরী করতে পারে একদল মানুষ। 

তুমি বলো

তুমি বলো
.................. ঋষি
=============================================
সহজে কিছু হয় ,তুমি বলো
একসময় বলেছিলে কিছু না ,শুধু এমনি।
কিন্তু সত্যিটাকে মেনে নিয়ে বলছি
এই বিশ্ব ব্রম্হান্ডে এমনি বলে কিছু হয় না।
কিছু হবে না কোনদিন
সবকিছু কারণ সুত্র ধরে বৈজ্ঞানিক তত্বের মত।

সামনে দাঁড়ানো একলা ছেলেটা
তুমি বলো ,তুমি জানতে, সে এই পৃথিবীর অনধিকার প্রবেশ।
এই ফিরোজা বিকেলে কেউ তোমাকে চুমু খেতে পারে
কখনো ভেবেছো তুমি।
কিন্তু খেলো তো ,তোমাকে জড়িয়ে ,সমস্ত তত্বের বাইরে
সমস্ত অনধিকার তত্বগুলো।
এই পৃথিবীর কাঁটায় উঁচু ,নিচু সভ্যতা।
এটা কারণ তোমাকে বলেছে কেউ এর আগে।
তুমি ভীষণ সুন্দরী
তোমার টোল পরা গালের কিনারায় একটা তিল।
মিস ম্যাচ নয় ,,একটা শহর
এমনি  ভাবছে ছেলেটা।

সহজে কিছু হয় ,কখনো না
সমস্ত শব্দগুলো জুড়তে বসে এক অগ্রিম চাহিদা। .
ছেলেটার ধার করা জীবনের তাত্বিকতা চটকে
কিছুটা সফর ,,তুমি বলো।
এই জীবনে তুমি না চাইলে ,,শুধু এমনি
কাউকে স্পর্শ করা যায়।

এখনও দাঁড়িয়ে

এখনও দাঁড়িয়ে
.................. ঋষি
==============================================
তুমি ফিরে চাইলে
শেষবারের মত নিজেকে পেলাম আমি তোমার চোখে।
বুকের ম্যাগাজিনে অসংখ্য ফুটেজ শেষ দেখা
কেমন একটা গুমড়ে ওঠা ব্যাথা।
তোমাকে একটা প্রশ্ন করার ইচ্ছে ছিল
আচ্ছা শেষ বলে কি কিছু আছে?

তুমি ফিরে চাইলে
আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম চিরকালীন সিগারেট নিয়ে ঠোঁটে।
একরাশ মাতলা বাতাস আমার বুকে
আচ্ছা আমি কি পাগল হয়ে গেলাম।
সত্যি নিজেকে প্রশ্ন করি
শেষ বলে কি কিছু আছে ?
এ জীবনে সর্বত্র রাখা গভীর শেষগুলো সিস্টেমেটিক প্রোগ্রামে
চলন্ত ছবি।
শেষ কিছু হয় না ,কিছুতেই না
সবটাই খুব গভীরে লুকিয়ে থাকা ফটোফ্রেম।
সত্যি কি ঘুমিয়ে পরার পরে মনে থাকে
তুমি কোথাই শুলে।

তুমি ফিরে চাইলে
তোমার চোখে কেমন একটা তীব্র আগুন লেগে ছিল।
আমি পুড়ে গেলাম নিজের ভিতরে
ছড়ানো ছেটানো নিজের ভাবনায়  আদরের ভিড়।
আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম তখন ,এখনও  দাঁড়িয়ে
কখনো শেষ নয় ,তুমি আবার ফিরবে বলে।

আমরা আছি

আমরা আছি
.................... ঋষি
============================================
গোটা আটবার তোমাকে ছোঁয়ার পর
আমি ক্লান্ত হয়েছিলাম,
কিন্তু থামতে চাই নি কারণ ইচ্ছা করছিল না সময়কে ছাড়তে।
গোটা আটবার তোমার বুকের ওমে নিজেকে পাওয়াতে
আমি অবাক হয় নি
কারণ আমি জানি সেখানে আমরা ছিলাম।

এমন হয়তো সহস্রবার আমি তলিয়ে যাব
মাটির গোপন ইচ্ছার মত কোনো বৃষ্টির খোঁজে  আকাশে চোখ।
তবে প্রশ্ন একটা  থাকে
তবে শোক একটা থাকে
সেই সহস্রতায় তুমি কি  বৃষ্টি হয়ে আমাকে ভেজাবে
কিন্তু আবার চলে যাবে
আকাশের ছায়া পথে ক্লান্তি জুড়ে খুব দূরে
আবার চাঁদি ফাটা রোদ
আবার পথ চলা তুমি থাকবে কাছে

গোটা আটবার তোমাকে ছোঁয়ার পর
আমি একলা হয়েছি
কিন্তু থামতে চাই নি কারণ ইচ্ছা করছিল না সময়কে ছাড়তে।
গোটা আটবার তোমার  ঠোঁটের তিলে আমি নিজেকে দেখেছি
আর শুভেচ্ছা জানিয়েছি সময়কে
আর যা হোক না কেন আমরা আছি। 

বেঁচে থাকার অপেক্ষা

বেঁচে থাকার অপেক্ষা
................. ঋষি
=============================================
অনেকগুলো বসন্ত অপেক্ষায় ছিল
অপেক্ষা নিজের নিজের গভীরে না থামা গ্রামফোন।
দুপুরে চাঁদ দেখার মত
অতিইন্দ্রীয় কিছু অনুভব নিজের কাছে লোকানো ছিল।
কাউকে বলি নি ,বলতে পারি
তবে বোধহয় অপেক্ষা থামলো না ,কারণ সে থামে না কখনো।

অনেকগুলো গাছের পাতা
আমার উপস্থিতিকে  সবুজ রঙের কাজল পরালো।
অনেকগুলো কথা আজও নাকের  কাছে লেগে
প্রেমিকার শরীরের গন্ধের মত।
এতটা রঙিন আমি ভাবি নি নিজেকে
দুপুরের সাথে চুপ করে সন্ধিক্ষণে একা পথে হেঁটেছি।
তবু একা থাকি নি আমি
অপেক্ষা তো ছিল।
সবুজ স্বপ্নের মত বুকের ভিতর
সারসের তৃষ্ণার মত নিজের কাছে।
খুব গভীরে
অপেক্ষা সে যে জীবনের নামান্তর।

অনেকগুলো বসন্ত অপেক্ষায় ছিল
অপেক্ষা নিজস্ব স্কেলিটনে লেগে থাকা বিদ্রোহ।
সময়ের উল্টে গায়ে লাগানো রক্তের স্নেহের মতন
উষ্ণ অভ্যর্থনা তোমার কাছে ছিল।
আছে ,থাকবে ,কেন ?
কারণ জীবন সে যে বেঁচে থাকার অপেক্ষা। 

সময়ের গান

সময়ের গান
.............. ঋষি
============================================
ভ এ ভয়
ভ এ ভগবান
ভ এ ভালোবাসা।
দূরত্বগুলো একটা ক্রনিকাল স্টেজে মাপতে বসি
উদ্দেশ্যের হাতছানিতে জীবন খোঁজা ফেরা আত্মিক কল্পনা
আর সম্বল বুকের আল্ট্রাসনিক উপলব্ধি।

সেই মহান কল্পনার নাম জীবন
উপস্থিতি স্থির কোনো কেন্দ্রকে আবর্তনে ওঠাপড়া স্পন্দন।
রোজনামচা বেঁচে ফেরা  ব্যস্ততার নামান্তর
খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে সময় চলন্তিকা।
পালসেসানে অসংখ্য পরিচয়পত্র
অসংখ্য স্পন্দন।

চলন্তিকা জানিস  আজকাল ভয়গুলো জড়ো করে বাক্সবন্দী রেখেছি
আর ভগবান সেই না দেখা ভদ্রলোককে সাক্ষী করেছি।
প্রশ্ন করেছি তোকে
ভালোবাসা সত্যি কি যন্ত্রণার নামান্তর।
একটা অনুভব চেয়েছিলাম তোর কাছে
কিন্তু অনুভবে আজকাল ভ এর গুনোগান।

ভ এ ভয়
ভ এ ভগবান
ভ এ ভালোবাসা।
ভ সর্বস্ব উপলব্ধির সাথে চলন্তিকা একটা মিস ম্যাচ আছে
তাকে নিরুদ্দেশের কল্পনায় সময় বলতে পারি
কিংবা চলন্তিকা সেই বাউলের সুরে ,,,সময়ের গান। 

Thursday, March 24, 2016

কুয়াসা ঢাকা চোখ

কুয়াসা ঢাকা চোখ
.............. ঋষি
==============================================
কুয়াসা ঢাকা চোখগুলো আজকাল বড় জ্বালাচ্ছে
ইন্ধন যোগানোর মত কিছুই নেই আমার।
তবে তো ঘুমিয়ে থাকা শ্রেয়
কিন্তু ঘুম কই।
সেতো কুয়াসা মোড়া সকালে আলোর অপেক্ষা
মৃত্যু তাও কি সত্যি ?

শহরের পথে অলিগলি বেয়ে অনেকটা গভীর চোখের ভাষা
জীবন সম্বল পবিত্র ঈশ্বরের দরজায় ধাক্কা মারি।
বারংবার
কেন এমন হয় ?
ঘুম আসে না চোখে।
কুয়াসা ঢাকা চোখগুলো আজকাল বড় জ্বালাচ্ছে
কিছুতেই আলোতে আসছে না।
সমস্ত সম্বল জুড়ে আলেয়ার মতন কিছু তাড়া করছে
চৌরাস্তা দিয়ে আমি দৌড়চ্ছি পাগলের মত
মৃত্যু এই দৌড়ের কি শেষ নেই?

কুয়াসা ঢাকা চোখগুলো আজকাল বড় জ্বালাচ্ছে
তোর সামনের দরজায় সময় বসে মোমবাতি জ্বেলে
আর পিছনেরটা বন্ধ চিরকাল।
এখন আমি কি করি
আলো জ্বালি ,হাতে হ্যারিকেন ,,দুরু দুরু বুক
সময় এগিয়ে আসছে বলে। 

বদলানো রং

বদলানো রং
............. ঋষি
==========================================

রং বদলে ফেলেছি তাই
চলন্তিকা আমাকে চিনতে পারছো না।
চামড়ার পর্দায় জমে থাকা প্রচুর ধুলো
লোভি হয়ে যাচ্ছি তাই।
মুখে একটা এলাচ ফেলে  দুর্গন্ধ আটকাচ্ছি
তোমাকে চুমু খাবো  বলে। .

চিনি নিজেকে ঠিক যতটা
ততটা তোমাকে চিনি বোধহয় নিজের থেকে বেশি।
কোনো ঠান্ডা রিমার্কে তুমি বিগলিত হবে
এও সত্যি নয়।
তবে ভয় হয় আমি  গলে যেতে পারি গলনাঙ্কের নিচে
তখন আমাকে চিনতে পারবে তো।
এখনি তো আমাকে চিনতে পারছো না
সারা শরীরে কালি,হৃদয়ের গভীরে জমে থাকা দুর্গন্ধ।
বাসি প্রসাদের থালা
যদি পূজনীয় হয়
তবে আমাকে কেন চিনবে না তুমি ?

রং বদলে ফেলেছি
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তুমি নিজেকে খুঁজছো না,
আমাকে ,,, বুঝে ফেলেছি।
জীবন মানে বদলানো সময়ের সাথে আবর্তিত হৃদয়
কিন্তু কতটা স্থির ,,যতটা আমি
তোমার ঠোঁটে উষ্ণতায় জীবিত ইচ্ছার মত।  

যাপন


যাপন
......... ঋষি
=======================================
আমি যাপন বলতে যা বুঝি
সেখানে যন্ত্রণা সম্বল ঘড়ির কাঁটায়  অস্থির আচরণ।
এটা সহজাত নিজস্ব আয়নার সাথে
খুব স্বাবাভিক  হৃদয়ের দণ্ডি কাটায় নুয়ে পরা।
নিজস্ব পোস্টারে দেখা
নায়িকার মুখ।

নিজস্ব প্রতিবাদগুলো সমাজের বুকে অসম অধিকারে  প্রাচীন স্বপ্ন
আমার এক বান্ধবী আজ তিন বছর অপেক্ষায় নিজের বাঁচার
,,,ডিভোর্স কামনীয়।
এই সভ্যতার অজস্র ঠোঁটের অধিকারে
এমন কিছু শব্দ আছে যেগুলো দৈনন্দিন  খিদে।
খিদে নিজেই একটা অধিকার প্রত্যেকের বেঁচে থাকায়
অথচ জীবন মুখ ভেংচে বলে তফাত যাও।
জীবন শেখায় সামাজিক সহবত
খালি পেটে থাকো ,সহ্য করতে শেখো ,মাথা তুলো না
এই তো
শিক্ষা, জ্ঞান ,অধিকার ,সময় ,সম্পর্ক
সব এক একটা বাঁচার খিদে।
এদেরকে সহ্য নয় ,জীবিত রাখতে হয়
বাঁচার জন্য।

আমি যাপন বলতে যা বুঝি
সেটা হলো প্রতিবাদ নিজের সমস্ত বাঁচার কারণে।
যন্ত্রণা যদি ঘড়ির কাঁটার অস্থির আচরণ হয়
আমি তবে ঘড়ি দেখবো না।
দরকার নেই সময়ে ,,শুধু প্রয়োজন যাপনের
নিজের সাথে একটা যুদ্ধ,,,, হোক না সেটা সময়ের খেলাপ।

আকাশলীনা (৫)

আকাশলীনা (৫)
................... ঋষি
=============================================
নিজের প্রফাইলে অনেকটা আবির মাখা মুখ খুঁজেছিলাম
আকাশলীনা এই নামটাকে আমি ভালোবেসেছি বারংবার।
কিন্তু কোথায় যেন একটা টনটনে ব্যাথা
যেটা অনুভবে আকাশলীনা একটা সত্যি ধরার মত।
অথচ এই বসন্তে স্পন্দন আমি  পাই নি
ফানুসের মুখে সাজানো জল তরঙ্গ।

এইভাবে তোকে আবাহন করাটা একটা যাচ্ছেতাই
আমি হৃদয়ের কথা বলি।
চারদেওয়ালের ভিজে যাওয়া শাড়ির আঁচলে ঘামের গন্ধটা
আমি সময়ের কথা বলি।
জীবন থেকে সরে যাওয়া ব্যস্ততাদের অনুভবে
আমি আকাশলীনা তোর কথা বলি।
তুই ও বলিস আমায়
একমুখ কালো রং লেপ্টে আমার মুখে চুপিচুপি কানে কানে।
হাসতে থাকিস
আমি অবাক চোখে দেখি
এক অন্য আকাশলীনা।

নিজের  প্রফাইলে অনেকটা আবির মাখা মুখ খুঁজেছিলাম
আকাশলীনা এই নামটা আমার ভীষণ প্রিয়।
আকাশের গায়ে সাজানো স্পন্দনের আলোতে কোনো গভীরতায়
কিছু দিনরাত্রি খেলা।
আমি সত্যি কথা বলি
আকাশলীনা তুই কেন সত্যি বলিস না আজকাল।

মিউজিয়াম

মিউজিয়াম
............... ঋষি
====================================================
মানুষের সহজাত হৃদয়গুলো ভাঙচোর করে
অবশেষগুলো সাজানো মিউজিয়ামে।
ঠিকানা টা জানিস নিশ্চয় , যেখানে প্রাচীন কোনো জলতরঙ্গ বাজে
বুকের ভিতর।
অবাক সময়ের ছবি পান করতে
চিরস্মরণীয় ক্যামেরায় ক্লিক।

আজকাল শিরোনামে আসতে বাহানা লাগে
কতৃত্ব চলে যায় বিজ্ঞাপনি  সঙ্গমে তৈরী অজস্র শীত্কারে।
নেতারা ন্যেতার মত খবর মুছতে থাকে
ভরতে থাকে পকেটে কালো গান্ধীর অন্ধকার মুখ।
এই আমার দেশ
এই দেশে প্রেমে পরা হৃদয় সহজাত প্রতিবন্ধিতা।
আর এই দেশে সেল্ফিতে শরীর
হাসিমুখ সব
ব্লকবাস্টার ক্রিকেটের ছোটো ফর্মাটে  মানুষের এন্টারটেইনমেন্ট। .
সেখানে বিছানার চাদরে প্রেম চটকাতে সকেলেরি ভালো  লাগে
কিন্তু প্রেমের অধিকার  সে তো বিজ্ঞাপনি সঙ্গম।

বড় অশ্লীল বলে ফেললাম তাই না
মিউজিয়ামে রাখা প্রাগৈতিহাসিক স্মৃতিদের ভান্ডারে সময়ের মূল্যবোধ
সবটাই সস্তা এই বাজারে।
নিজের স্কেলিটনের যন্ত্রণা শুধু সময়ের যোগফল
সেখানে প্রেমজ হৃদয়
ওয়ান টাইম ক্যামেরায় ক্লিক ভীষণ কমন। 

ও চোখে

ও চোখে
.................. ঋষি
=================================================
মেঘগুলো থাক ,
তবু রৌদ্র নেবো না সাথে।
মৃত্যু তোকে ভলোবেসে হাতে হাতে টানাপোড়েন
গল্পটা সবার জানা।
তবু ও চোখে তাকাবো আমি বারংবার
কারণ আরো গভীরে ,,, যদি।

নাই বললাম সব কথা
খড়ি পরা আগামী চামড়ারা কি জানে মনের খবর।
রোজ তো শিরোনামে উঠে আসে শরীর
আর জীবন যেখানে শরীরের মৃত্যু।
ঠিক সেখানে একটা তালপাতার ঘর
গড়িয়ে নামা খেজুর রসের ,,রসালো আবদার।
আচ্ছা ভালোবাসলে কি জড়িয়ে ধরতে হয়
তবে তোকে তো জড়িয়ে ধরি নি আমি।
শুধু পথ খুঁজেছি মৃত্যু তোর চোখে
হয়তো মৃত্যুর পরে
কিংবা যদি  ..............

মেঘগুলো থাক
কালকের পিচকিরি রঙের আবেদনগুলো
আরো রঙিন শাখায়।
গল্পটা সবার জানা
তবুও ও চোখে কারণ বারংবার আমি বসন্ত ছুঁয়ে
আরো গভীরে মরতে চেয়েছি।

Tuesday, March 22, 2016

আকাশের কাছে

আকাশের কাছে
............... ঋষি
==================================================
নির্বাক মেঘের কোনো ঠিকানা লাগে না
গোটা আকাশ রাখা আছে।
যারা আকাশ ধরতে চায় তারা লাইন দিয়ে দাঁড়াক আকাশের ঠিকানায়
আর যারা আকাশ হতে চায়।
তারা পুড়তে থাকুক যন্ত্রনায় ফার্নেসের ভিতর
বুকের ভিতর।

মিথ্যে কথা
চলন্তিকা আমাকে বোলো না ,,কখনো
তুমি আকাশ ধরতে চাও।
তোমার শুকিয়ে যাওয়া গোলাপের কসম নিয়ে বলতে পারি
এই সভ্যতায় প্রেম শুকিয়ে যাওয়া অদ্ভূত ছোপ ছড়ানো ডায়রির পাতা
বহুদিনকার বদ রক্তের মিথ্যে গন্ধ।
হাসছো ,হাসো আরো ,হাসতে থাকো
আমার বুক থেকে খসে পরুক তারারা
তার সামনে দাঁড়িয়ে চেয়ে দেখো অসংখ্য যন্ত্রণা।
অসংখ্য বোঝাপোরা জীবন
আর লুকিয়ে থাকা
তোমার কবিতারা।.

নির্বাক মেঘের কোনো ঠিকানা লাগে না
জায়গা বদল বারংবার ভিজিয়ে যাওয়া মাটির মেটো গন্ধ।
যারা আকাশ ধরতে চায় তারা দাঁড়াক গিয়ে আকাশের ঠিকানায়
কিন্তু যারা আকাশ।
তারা আরো আগুনের মতন জ্বলুক বুকের ভিতর
ঠিক প্রাচীন ভিজে যাওয়া মাটি। 

নেলপালিশ

নেলপালিশ
................. ঋষি
===========================================
কথা ছিল বহুদিন চলন্তিকা
তোমাকে ছুঁয়ে বাঁচাটা একটা অধিকার আমার।
আর আমার শব্দটা নিতান্ত আমার
একবার অনুভব করো ,,ছুঁয়ে দেখো আমাকে।
কি বৃষ্টি এলো তো
এখন নেও সারা দিন তোমার মুখ ভার।

দিনযাপনের শত্রুতায়
তোমার নখের নেলপালিশে কেমন এক অদ্ভূত রং।
আর আমার সারাদুপুর শুধু প্রশ্ন করে তোমায়
কি করছো তুমি ,কেমন আছো
তুমি এগিয়ে আসো আমার দিকে।
নখ চুবিয়ে বুকের স্পন্দনে অনুভব করো
ভালো আছি।
লাল রং ,,,রক্তের মতন কোনো নদী
শিরা উপশিরা বেয়ে সপন্দন।
কান পেতে শোনো
আমার তুমি।

কথা ছিল বহুদিন চলন্তিকা
বেশ কয়েকবার কথা কাটাকাটি হয়ে যেতে পারে।
আমার এই শব্দটা নিতান্ত শুধু আমার
চলন্তিকা তুমি আছো কাছে।
আমার সারা বুকের তোমার নখের দাগ
আর শুকিয়ে যাওয়া নেলপালিশ।

তোমাকে বাঁধবো বলে

তোমাকে বাঁধবো বলে
................. ঋষি
================================================
আমাকে তোমার নিয়ে যেতে ইচ্ছে করে
বুকের ভিতরে করিডর বন্দী জ্যান্ত শহরে।
কোথাও একটা বাঁধন তো থাকে
বাঁধতে ইচ্ছে করে তোমাকে।
এই সভ্যতা পুরুষ পোড়ে বাঁধতে থাকায়
আর নারী সে তো শৃঙ্খলে।

নির্জীব পাথরের মত কোনো সকালে
কানে কানে কেউ যেন বলে।
না হে এ কবিতা তোমার নয় ,না হে তুমি আমার নও
ভিতর থেকে প্রতিবাদ চিত্কার করে।
রাস্তায় মোমের মিছিলে মোমগুলো ভিজে যায়
বৃষ্টি নামে।
আমি ভিজতে থাকি
মাটি,কাদা মেখে ,নিজেকে ভিজিয়ে দাঁড়ায় তোমার দরজায়।
দরজা খোল প্লিস
আমি এসেছি
তোমাকে বাঁধবো বলে।

আমাকে তোমাকে লুকিয়ে নিতে ইচ্ছে করে
পাতার পর পাতা বন্দী বর্ণমালাতে।
এলো মেল সাজানো বর্ণগুলো শহরের ল্যাম্পপোস্টে দাঁড়িয়ে
অন্ধকার দূর ভাগাও।
তুমি এসো কবিতা আমার কাছে ,আরো কাছে
যেখান থেকে মিশে থাকা যায়।

হয়তো বরফ পরছে

হয়তো বরফ পরছে
............. ঋষি
===============================================
খুব বরফ পরছে হয়তো
আমার শহর জুড়ে গড়িয়ে নামা ঘাম।
আমি দ্রবীভূত হই নি কখনো তোর  ভিতর
শুধু আমার ভিতর মাঝে মাঝে সাদা কোনো সভ্যতা ছবি আঁকে।
নিভে যাওয়া সময়ের শেষ আলো টুকু
এই ভাবে দিনের পর দিন আলাপন করে নিজের ভিতর।

তুই এখনো ঠোঁট রাখিস
কফি কাপে লুকিয়ে রাখা বিশ্বাসে।
আর আমার শহরে চায়ের কাপ ,মাটির দেওয়ালে ভিজে ওম
পোড়া মাটি আর পোড়বার তৃষ্ণা।
সমস্ত সম্বল জুড়ে তবু আমি ভালো আছি
শুধু মাঝে মাঝে বরফ পরে আমার চেতনার ভিতর ,
চুপচাপ আগুনগুলো তোর ফায়ারপ্লেসে
তোর বরফ হাঁটাতে।
দৃশ্যের বাইরে ,দৃশ্যের ভিতর
তবু তোর ঠোঁট ছুঁয়ে নেশা করাটা আমার রয়ে গেল।
সিগারেটের ফিল্টারের মৃত্যুর পরে
কিছুটা নিকোটিন স্বাদ।

খুব বরফ পরছে হয়তো
মনের ভিতর জানলার কাঁচের ওপারে আমার শহর।
গড়িয়ে নামছে ঘাম বুকের ভিতর
বুকের ওম।
তবু জানিস তো আমার কলমে
তোকে ছুঁয়ে পাওয়া গুলো রয়ে গেল। 

শুনতে পাচ্ছো আওদিপাওস

শুনতে পাচ্ছো আওদিপাওস
............... ঋষি
======================================================
অজস্র কথাগুলো সব ফিরে আসে
স্তব্ধতা যখন মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে দরজার বাইরে।
তখন নিজেকে বড় অসহায় লাগে
দরজার ভিতর  তখন একটা পৃথিবী চলছে।
নিজের মতন কানে কানে
অজস্র বিশ্বাসে।

আমি কথা বলি না
শব্দ মন্ডলীর বিচারে ক্যালকাটা নাটক ফেস্টিবেলে নিজেকে স্টিকারে আটকে।
আওদিপাওস  তুমি শুনতে পারছো
মাতৃস্তনে দাঁত রেখে ছিঁড়ে যাওয়া সভ্যতার শীত্কার।
শুনতে পাচ্ছো আওদিপাওস
লালচে বোতাম বিলাসে শুয়ে থাকা মাংসল সম্ভাবনা গুলো।
লজ্জা করছে আওদিপাওস ?
আমার  করছে।
নাটকের শেষ সিন দেখে ফিরে আসা জনতা
তাদেরও কি লজ্জা করছে ?

অজস্র কথাগুলো সব ফিরে আসে
হাফ ছুটি হওয়া কোনো রৌদ্র দুপুরে শহরের রাস্তায়।
ঘেমে যাওয়া সভ্যতার কালোগলো
দরজার বাইরে নিজের মতন দাঁড়িয়ে মাথা নিচু করে।
পৃথিবী চলছে
অথচ আমি একলা এই দরজার ভিতর। 

রঙের দিন


রঙের দিন
......................... ঋষি
=====================================================

সকালের রৌদ্র  মুখোশে বসন্ত পলাশের আলো
মনের কোনে চলন্তিকা তুমি।
হাত বাড়ানো আবির রঙের চুরি মনের কোণে এক আলোড়ন
লাল ,নীল ,সবুজের প্রেমে।
আমার সাদা পাতায়
আমন্ত্রণ রঙের দিনের শেষ দুপুর।

বেশ লাগছে চলন্তিকা তোমাকে
হলুদ শাড়িতে সার দেওয়া শান্তিনিকতনি রবীন্দ্রনাথ।
আর মনের আঁচলে লাল ,নীল ছোপ
অজস্র অন্ধকার মুছে এক রঙিন দিন আহরণ তোমার কাছে।
কিছু মুহুর্তের সভ্যতা জংলী রঙিন
আজ মনের কোনে কেন জানি  বারংবার রবিঠাকুর
প্রাণের মাঝারে ভাসি দোলে রে দোলে রে হাসি,.
 দোলে রে প্রাণের 'পরে।
এমনি নিজের কাছে খুলেছি নিজের প্রাণ
 এমনি পরের কাছে শুনেছি নিজের গান।
সুন্দর লাগছে তোমাকে চলন্তিকা।

সকালের রৌদ্র পরে থাকা পলাশের মিষ্টি আদর
পথের পরে পথ গিয়েছে চলে চিরকাল ,,চলন্তিকা তুমি।
আবিরের প্রেমে ,,আবিরের রঙে
আমার  কবিতার পাতায় চিরকাল আনন্দ সভ্যতার আলো।
আগামী দিনগুলো সব রঙিন ,,আদরের মিঠি রঙে
চলন্তিকা তুমি ভাসো আমার রঙের পাতায়।

(সকল বন্ধুকে আগামী রঙের দিনের শুভেচ্ছা। আপনাদের প্রতিটা দিন রঙিন হোক এই কামনা করি ,ভালো থাকবার সকলে। )

Monday, March 21, 2016

তাসের ঘর

তাসের ঘর
..................... ঋষি
=======================================
চলন্তিকা সত্যি কি কখনো ইচ্ছে করে না
আমাকে প্রশ্ন করতে ?
তুমি ফসল ফলাও আর সে ঘ্রাণ চোখে  বুকে
আমার নাম নবান্ন।
তোমার জানতে ইচ্ছে করে না কে তুমি ,কেন ,কার
সত্যি কি এতটাই মৃত তুমি চলন্তিকা।

মেঘের বর্ম সাজিয়ে আকাশ ঢেকে রাখায় কি সুখ পাও
কিভাবে নিজেকে বর্ণনা করবে চলন্তিকা।
তুমি জানো আমার এক হাতে বিষ ,অন্য হাতে বিষাদ
কী দেব তোমায় ,কি তোমার প্রাপ্তি।
তবুও নিজের পায়ের শিকল খুলতে সময় কেটে গেল
এখন রাত ভর,, সময়ে পারে দাঁড়িয়ে।
মুখ ভার ,,,অভিমান
এও মৃত্যুর সমার্থক
এখনো তোমার  প্রতিটা সকালে সভ্যতার পোড়া দাগ।

চলন্তিকা সত্যি কি কখনো ইচ্ছে করে না
আমাকে তোমার জানতে  ?
আমার পরুষের শিকড় চিরকাল তোমার সন্ধানে
তবু খরা ,ক্ষয় ,বন্যা আর তোমার উপস্থিতি।
অদ্ভূত পরিহাস আমার কাছে
সমাজ এই সাজানো তাসের ঘর।

নির্বাক বসন্ত

নির্বাক বসন্ত
.............. ঋষি
=======================================
প্রকৃতি সবুজ হবে ,বৃষ্টি হবে
নিঃশ্বাস নেবে সময়ের জমে থাকা বিষাদগুলো।
কেমন আছিস তুই
জানি এই সময়টা আদও অদ্ভূত না।
বসন্ত
সময়ের গায়ে লেগে আছে আবিরের রং।

নির্বাক শব্দের মত
অবাক হওয়ার অপেক্ষা রাখে না সময়ের দীর্ঘশ্বাস।
নিশ্চিত মৃত্যু থেকে ঘুরে এসেও
চোখ বুজে বলে দিতে পারি আজকের তারিখ।
সময়টা মনে আছে
বলেছিলিস আমাকে ফিসফিস কানে কানে।
আজ বসন্ত
আবিরের ফিকে আবিরের রক্তের রং  .

শুভেচ্ছা প্রকৃতির যাওয়া আসা ঋতুদের আলিঙ্গনে
আমি এসেছি তোর দুয়ারে ,,বন্ধ দরজা।
বাড়িতে কেউ আছেন
শুনতে পাচ্ছি না ,শুধু বুঝছি।
বসন্ত
মনে আছে আমার প্রকৃতির আগমনী রং। 

তুমি বলো

তুমি বলো
................ ঋষি
==========================================
ইনবক্সে ভালোবাসা পাঠালে
বলো তো  ভালোবাসা ঠিক কোথায় ,কোন রাস্তায় দাঁড়ায়।
যে গভীরে আমি চলন্তিকাকে রেখেছি
সেখান থেকে বলো তো ভালোবাসা তোমাকে এমন মানায়।
ভালোবাসা মাংসের ভিড়ে লুকিয়ে যাওয়া মর্ডানিজম
এমন করে কি সত্যি ভালোবাসা যায়।

কথায় কথায় আজকাল ভালোবাসা শুনি
কিন্তু চলন্তিকা তোমার শরীর ছুঁয়ে আমার কলমে আকাশ লেখা যায়।
 সত্যি কি ভালোবাসা ছোঁয়া যায় ?
আমার জমানো মেঘের আড়ালে ঠোঁট ছুঁয়ে যে তৃপ্তি
সেটা কি শুধু শরীর।
তুমি বলো চলন্তিকা
সে স্পর্শে কোনো যন্ত্রণা নেই বেঁচে থাকা।
তবে কেন চলন্তিকা ?
ভালোবাসি শুধু মুখে বলা যায়
স্পর্শে নয় ?

ইনবক্সে ভালোবাসা পাঠালে
অনিয়মে বেড়ে ওঠা চারা গাছ সে তো অনিয়মি হয়।
তোমার অক্ষরের পাশে আমি দূরত্ব প্রতিদিন মুছি
তবু জানো  বেড়ে যায়।
ভালোবাসা কি সোহাগী নদী নোনতা জলে
শুধু ভিজিয়ে যায়। 

সিঁড়ি

সিঁড়ি
............. ঋষি
============================================
তুমি কেটে কেটে সভ্যতা লিখে যাও
সিন্ধু ,মহেঞ্জদরো হয়ে সভ্যতার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম।
জড়ানো সিঁড়ি বেঁয়ে ওঠার অভিজ্ঞতা
বর্তমান জীবনে পাকদন্ডি ঘুরে বেশ কয়েকশো সময়ে ভিড়।
নির্দিষ্ট মানসিকতায় ক্রমশ প্রকাশ্য
আজকের দিন।

আমি কিছু বলি নি
আসলে বলতে পারি নি ,,ওপর থেকে সভ্যতা দেখার লোভ।
বন্দুকের নলে চড়ে বারুদের গন্ধ পাওয়াটা
কোনো ক্ষেত্রে মৃত্যু মত আনসল্ভড কিছু চাহিদা।
কিন্তু প্রতিবাদ জেগেছে মনের গভীরে
মাথা তোলা ইচ্ছাগুলো যখন তখন শহরের জ্যামে,
শরীরে ঘামে আনাচে কানাচে বাঁচবার লোভ।
সিঁড়ি বেয়ে ওঠার অভিজ্ঞতা
সিঁড়ির ধাপগুলোকে আরো আহত করে
ওপর থেকে সভ্যতা দেখার অভ্যাস।

তুমি কেটে কেটে সভ্যতা লিখে যাও
সময়ের প্রতিটা টার্নে একটা করে জেব্রাক্রসিং ,রেড লাইট।
মানুষগুলো দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় অনেকদিন
আমিও আছি ওদের সাথে ,ঘামের গন্ধে সময়ের কাছে।
গন্ধটা পাচ্ছি শুকিয়ে  যাওয়া রক্তের
নাকে রুমাল দিয়ে সরে যেও না প্লিস। 

মাঝরাতে

মাঝরাতে
..............ঋষি
==============================================
চলন্তিকা মাঝরাতে শুনতে পেলে শেষ না হওয়া কবিতা
সহস্র প্রাচীন কোনো ইতিহাস বলে মৃত্যুর কথা।
আমি মৃত্যুকে দেখিনি
তবে মৃত্যুর পরে মৃত্যুকে চিনেছি ফেরিওয়ালার মতন।
অথচ মৃত্যুর আগে
শুধু হা হুতাশ ,,,মৃত্যুকে ছোঁয়ার।

একটা স্লোক মনের গভীরে গেঁথে
শুনেছি নিরাপত্তা চাইলে দূরত্ব বাড়ে দৌরাত্মের চলন্তিকা।
প্রশ্ন করেছিলে বটে
সম্পর্কের কি মৃত্যু নেই ?
উত্তর খুঁজেছি উপস্থির কবিতার  কলম চিবিয়ে
মাথার ঘাম পায়ে পরার পর বুঝেছি।
সম্পর্ক হলো একটা অদ্ভূত নিয়মিত যাপন
যেখানে যন্ত্রণা গুলো অটুটু থাকে সময়ের পর।
থাবার চিন্হে বাঘ চিনে নেওয়ার মত
সম্পর্ক হলো সেই বাঘের নাম।

চলন্তিকা মাঝরাতে কবিতাগুলো দেওয়ালে আটকে মাকড়শাদের মত
মাথাখুঁড়ে ,ঠোঁট কামড়ে নোনতা স্পর্শেও বুঝিনি
তুমি আমার কে ,কিংবা আমি ?
শুধু এতটুকু জানি একটা বোঝাপড়া থাকে  মাঝরাতে দেওয়ালে
সেটা মাকড়সার জালে সমৃদ্ধ করছে সময়
আর তুমি চলন্তিকা কবিতার বোঝাপড়ায়।

Sunday, March 20, 2016

বড় অসভ্য

বড় অসভ্য
....................... ঋষি
=====================================================
চলন্তিকা এই পথে এলাম আবার
জানি এইখান থেকে শুরু হবে তোমার দৈনন্দিন ছটফটানি।
বাঁচার নামতাটা আওরাতে  আওরাতে
রাত হয়ে গেল।
তারপর প্রদক্ষিন  পৃথিবীর পথে নতুন গ্রহ
লেবু চটকালেও,,,,,,,,,,  তুমিই শ্রেয়।


ওদিকে যাব কেন আমি
তুমি শাড়ি বদলাবে আমি জানি ,তবে কারণ কি ?
ভালো বললে চলন্তিকা
আমি পরপুরুষ,, বড় অসভ্য ।
ভালো লাগলো শুনতে তোমার মুখে গড়িয়ে নামা মাখন চন্দন শুদ্ধু
আমি তো কচি বাচ্চা ,জানি না কি আছে।
অবাক হলে
আরে তোমার বুকের মাপে আমি কবিতা লিখে ফেলি।
আরো অবাক
আরে চলন্তিকা সভ্যতা আমাকে ভিখিরি করেছে।
করেছে নিলজ্জ
তবু যদি তুমি আমার মতন না হতে চাও
পারলে সরিয়ে দিও,,,সরিয়ে দেও।

চলন্তিকা এই পথেই এলাম আবার
তুমি শাড়ি বদলাতে শুরু করলে ,বুকের পাটাতনে জানোয়ারটা ঘুমিয়ে।
জাগাতে পারলাম না,,,,, ,ব্লাউজ খুললে ,,আকাশের অর্ধেক চাঁদ
জুলু জুলু চোখ ,,,আমি ইতিহাস দেখলাম ,দেখলাম জ্যোত্স্না স্পর্শকে ।
অথচ আমি অসভ্য
সভ্যতা ঘুমিয়ে আমার বুকের তোমার প্রেমে। 

Thursday, March 17, 2016

এত যন্ত্রণা কিসের

এত যন্ত্রণা কিসের
.................. ঋষি
=====================================================
কফিনের শেষ পেরেকটা তুলে আবিষ্কার করলাম নিজেকে
একটা ধ্বংস স্তুপের মতন পচা মাংস আর হারগোঁড় সম্বল।
একশো তে একশো দিলাম তোকে
মার্কার কলমে বড় বড় করে লিখে দিলাম।
বিন্দাস বলেছিস
কিন্তু একটা প্রশ্ন " এত যন্ত্রণা কিসের "?

কোন প্রাগৈতিহাসিক যুগ এর গোলাপি ভোর থেকে
একের পর এক সংসারের জন্ম মৃত্যুরা তোকে  ছুঁয়ে গেছে মুহুর্তের  আনাগোনায়।
ক্লাসিক্যাল টাচ
একদম পুরো ছবির মতন দেখতে পাচ্ছি।
 তুই দাঁড়িয়ে  আছিস   পিরামিড এর  চূঁড়ায়
আমাকে খুঁজছিস।
তোর আত্মা রাখা  পরম যত্নে  মমির বুকের খাঁচায় নানান সুগন্ধির আস্তরনে নীলনদের তীরভূমি ধরে আমার অপেক্ষা আরো একটা নদী হয়ে সভ্যতা নামে।
সব বুঝলাম
কিন্তু প্রশ্ন কফিনের ভিতর আমি আর নেই।

কফিনের শেষ পেরেকটা তুলে আবিষ্কার করলাম নিজেকে
একটা ধ্বংস স্তুপের মতন পচা মাংস আর হারগোঁড় সম্বল।
এমনটা ছিল একদিন
আজ আর নেই ,,এই তো আমি ,,তোর কাছে
ভীষণ কাছে ,,সত্যি বলছি
কিন্তু একটা প্রশ্ন " এত যন্ত্রণা কিসের " ?

সভ্যতার আদর

সভ্যতার আদর
............... ঋষি
===============================================
এই সভ্যতার একটা মেরুদন্ড দরকার
প্রতিটা মরার আগে বাঁচবার অধিকার দরকার।
সভ্যতার শিরায় জমে থাকা রক্তক্ষরণে
কিছুটা প্রতিবাদ দরকার।
আবার আসবো ফিরে এ কথাটা ভীষণ শোনা আমাদের
তবুও কেন জানি কথাটার সত্যি দরকার।

তুমি বলেছিলে
পরিচয়হীন বয়স সময়ের পাল্লায় ওজন বাড়িয়ে গেছে অনেক আগে।
তুমি লিখেছিলে
আমরা যে ফুরিয়ে যাচ্ছি  এটা আমরা জানতে ভয় পাই।
আমাদের  মানচিত্রের সামনে
যেমন  সুনামিতে ফুরিয়ে যায় কোনো  দেশ।
কোনো রাসায়নিক  বিক্রিয়ায়  কোনো দেশ বাজা হয়ে যায়
আমরা খবর রাখি শুধু সময়ের পাতায়।
একদম ঠিক
তোমার সমর্থনে আমার এই কবিতায় তোমাকে সেলাম।

সময় কখনো পিছনে  হাঁটে নি
কথা গুলো ভীষণ ঠিক এই সভ্যতার কাছে।
জানি এই সভ্যতায় তোমার পরিচয় দরকার এসো তোমাকে পরিচিত করি
তুমি আমার প্রেমিকা ,আমার বেঁচে থাকা আশ্রয় ,,"সময়"।
যেমন গাছের আদরে  মাটিকে আঁকড়ে থাকে
তেমন সময় এই সভ্যতার ভয়ংকর আদর। 

সময়ের প্রাপ্তি

সময়ের প্রাপ্তি
............... ঋষি
===============================================
এলোমেলো ত্রস্ত ব্যস্তসমস্ত  আটপৌরে রোজনামচা
কথাটা মিথ্যে নয় চলন্তিকা।
কিন্তু ব্যস্ততা তো জীবনের সম্পদ ,স্পন্দনের ক্রমাগত শব্দে
জানি ক্লান্তি আসে ,জানি ভাবনারা কোলাহল করে।
কিন্তু সত্যি বলছি ,তোকে  ভাবলে
ক্লান্তিরা ছুটে পালায় ,আর জীবন শতদল।

এটাও  ঠিক
প্রতিটা সময়ের কিছু ভাগ আছে।
যেমন ধর চলন্তিকা তোকে যখন জড়িয়ে ধরি
কিংবা যখন আশ্রয় খুঁজি ঠোঁট ঘষে তোর বুকে
সেটা কি শুধু চাওয়া আমাদের ?

কিছুটা পাওয়া   থাকে   মুহুর্তদের দিনলিপিতে কিছু ফটোফ্রেম
মনে গেঁথে থাকে ,মিষ্টি যন্ত্রণা হয়ে।
সেটা কি কিছু নয়
সেটা কি সময়ের প্রাপ্তি নয়।
শুধু কি যন্ত্রণা ,একটা প্রশান্তি ছুঁয়ে  তোর ঠোঁটের হাসি
সে কি আমার বাঁচা নয়।

এলোমেলো ত্রস্ত ব্যস্তসমস্ত  আটপৌরে রোজনামচা
এ যে সময়ের সংকীর্তন।
সমস্ত চরাচর জুড়ে চলন্তিকা একবার চেয়ে দেখ
অসংখ্য স্পন্দনের মাঝে ,কিছুটা হলেও সময় থাকে।
নিজের বাঁচার ,নিজের কাছে
এটা কি সময়ের অধিকার নয়। 

তুই আছিস তাই

তুই আছিস তাই
................... ঋষি
============================================
আলোকবর্ষ দুরে
ভাবলেই অবাক লাগে তোকে ,চলন্তিকা।
এমন হতে পারে কখনো
আকাশ,মাটি ,আর সমুদ্র ছড়ানো মানচিত্রে আমার তুই।
আমার থেকে দূরে
এহি বাত মেইনে সোচা তা কভি আজ খেয়াল আয়া।

মুঠোফোনে জমে যায় সংঘাত
কিন্তু চলন্তিকা সত্যি কি তোকে ছাড়া ভাবা যায় একমুহূর্ত।
আমার কবিতার খাতায়
বুকের পাটাতনে রাখা তোর নিঃশ্বাসের শব্দ।
বাঁচছি তাই
হোক না ক্ষনিকের ,তোর ভাষায় বরাদ্দের জীবন।
বোঝাপড়া ,ওঠাপড়া ,উঠবোস কান ধরে ,ভেঙচি কাটে জীবন
তবু বেঁচে আছি।
তুই আছিস তাই ,মুহুর্তে ,মুহুর্তে প্রতি স্তব্ধতায়
আমার ইচ্ছার সাথে।

জানি সবটাই ক্যালকুলেটেড লাইফ
পা তুলে পা মাপি আবার রাখবো বলে।
তবে চলন্তিকা এই সভ্যতার মৃত্যু ততক্ষণ নেই
যতক্ষণ এই আকাশের সূর্য আছে।
আর আলোকরশ্মি ,এক মুঠো জীবনের স্পর্শ তুই
বেঁচে আছে ,তুই আছিস তাই। 

চলন্তিকা ও আকাশ

চলন্তিকা ও আকাশ
............ ঋষি
=============================================
কখন যেন মানুষ বড় হয়ে যায়
চলন্তিকা তুই তো আকাশ চিনতে শিখে গেলি।
কবিতার পাতা থেকে কবির দুরত্ব
আর দুর্বলতা হৃদয়।
তুই হৃদয় বুঝতে শিখে  গেলি
স্টেথিসস্কোপ নিয়ে গভীরতা ,,,আকাশের।

চলন্তিকা তোর ইচ্ছাগুলো স্বপ্নের মত
আকাশ ছোঁয়া ভাবনাদের ক্যালাইডোস্কোপে অসংখ্য রং মহল।
অবিরাম ভাবনা
রংমশাল ,,,,বারুদের গন্ধ ,,পুড়ছে কিছু ,,অবিরাম ,,অনন্ত।
দারুন তো
তুইও তো নিজেকে পোড়াতে শিখে গেলি।
আরো অদ্ভূত জানিস
তুই সব করলি তবু নিয়ম ছাড়তে পারলি না।
আকাশ ভাবলি
কিন্তু চারদেওয়ালে রয়ে গেলি।

কখন যেন মানুষ বড় হয়ে যায়
তুই তো তারা হতে চেয়েছিস ,,আকাশের উজ্বলতম তারা।
কিন্তু বলতো তারাদের বয়স কত ,কোথায় জন্ম ?
আমি জানি না।
তবু মনে হয় তারা সে তো সকলের কাছের
তাকে কি একলা ভাবা যায়। 

সময়ের সাথে

সময়ের সাথে
,,,,,,,,,,,,,,,,, ঋষি
=========================================
চাবুক চলছে শুনতে পাচ্ছো চলন্তিকা
চারিদিকে সবুজ ঢাকা ,অদৃশ্য মৃত্যুর ডাক।
আমাকে দিয়ে আর কবিতা হবে না
হবে না প্রেম ,শুধু রক্তক্ষরণ।
চাবুক চলছে বিদ্যুতের মতন  মৃত্যুর গন্ধ
সময়ের গায়ে।

শুধু চাবুক আর চাবুক আর চিত্কার
আকাশ বাতাস ছিঁড়ে সময়ের শবটা ঢুকে গেলো ফার্নেসে।
মৃত্যুপুরী ,,,,,সব পুড়ছে
প্রথমে চুল ,তারপর চামড়া ,তারপর বাকিটুকু।
অস্তিত্ব মুছতে কি খুব সময় লাগে চলন্তিকা ?
কাকতাডুয়ার মতো অদৃশ্য দ্বীপে চারিপাশে শুধু সবুজ স্বপ্নরা
পাহারায় আছি ,,চাবুক চলছে মৃত্যুর।
ভয় নেই ,তবু ভয়
একবার যদি শেষের আগে,,,,,,,,,,,,,,, যদি শুরু হয়
চলন্তিকা সারা অস্তিত্বে চাবুকে দাগ।

ডিমের খোলশের ভিতর মৃত্যু যেন জন্মানো আগামী
বিছানার চাদরে নারীকে আজকাল বেআব্রু লাগে।
বেআব্রু প্রেম চলন্তিকা
চারদিকের সভ্যতার সন্ত্রাসে নির্বাক আমার দৃষ্টি।
পুলিশ ,বুলেট ,বারুদ ,আকর্ষণ ,চুম্বক
আচ্ছা মৃত্যু কি খুব জরুরী ?

যদি ফিরে আসে

যদি ফিরে আসে
............... ঋষি
===============================================
যদি ফিরে আসে সেই আলুকাবলিওয়ালা
জানলার খিরকি আঁকড়ে  মনে আছে " ও কাকু একটু দাঁড়াও "।
তারপর পা টিপে টিপে দৌড়
সম্বল সেই হাফ প্যান্ট আর খালি গা।
এক আকাশ ঘুড়ি ,স্বপ্ন সুড়সুড়ি
সেই দিদা আর নেই।

আমি শুধু ক্যালেণ্ডারের সংখ্যার শৃঙ্খলা হয়ে লেপ্টে যেতে থাকি
শৈশব ছেড়ে যৌবনের সেই সময়ের ডাকাডাকি।
ভ্যানিলা ফ্লেভার মাখা প্রেয়সীর ঠোঁট
কলেজ ক্যান্টিন ,গেট টু গেদার বন্ধুদের কফিহাউস
নবারুণ গিটার বাজাতো ভালো।
তার সাথে সেই হুল্লোর সিগারেটের টান
বন্ধুর মুখ মনে পরে বড়।
অনেকেই গাল টেপে সেই সময় ,সময় ছিল ভালো
অনেকেই বলেছিল অফিস ,সাহেব ,পাইলট
জীবিত থাকবো ভালো,আরো বড় ।
আজ অফিসের গেট ,চেয়ার ,টেবিল বেয়ারা
আর জীবন ক্যালেন্ডারে প্রেসেন্ট প্লিস।

যদি ফিরে আসে সেই আলুকাবলিওয়ালা
আমি দৌড়ে যাবো প্রশ্ন করবো কাকু কতক্ষণ দাঁড়িয়ে।
উত্তর আমি জানি ,আসলে সবাই জানি
সম্বল সেই চকলেট ,দুধে ভাতে স্বপ্নের সফর।
সব শেষ
তবু যদি ফিরে আসে। 

সত্যি বলছি

সত্যি বলছি
................ ঋষি
==============================================
একটা সত্যি লিখছি তোমায় ,চলন্তিকা
ফুরিয়ে যাওয়া বিকেলের ফিরে আসার ,,,,আশাটা
কোনো আশা নয় ,সে যে স্বাবাভিক।
রক্ত মাংসের শরীরে প্রেম জাগবে আবার ঘুমোবে প্রয়োজনে
এটা ভালোবাসা নয়
প্রয়োজন মাত্র।

একটা রাস্তা পেড়িয়ে, অন্য রাস্তা
চলন্তিকা হেঁটেছো কখনো।
অনেক কথার পর সব ফুড়িয়ে যাওয়ার আগে প্রেমিককে বলেছো বোধ হয়
পথ হারানোর মানে।
ক্রমশ ফোনের রিংটোন চলন্তিকা কতবার শুনেছো
টেক ইট গ্র্যান্টেড এন্ড গেটেবেল তো ইউস।
চলন্তিকা প্রেম কখনো ইউস নয়
এ হলো একটা পথ।
তুমি হাঁটবে আমার সাথে ,পাশা পাশি না হোক
একই পথের উপর।

একটা সত্যি লিখছি তোমাকে ,চলন্তিকা
সূর্যের শেষ আলোকরশ্মি  তোমার বুক চিরে ব্লাউজের ভিতর
ওটা এটম বোমা ,প্রেম নয়।
শরীরের বিস্ফোরণ হয় ,বারুদের সান্নিধ্যে
বারুদ সবার থাকে ,কিন্তু থাকে না দেশলাই ,,,প্রেম
শুধু বিস্ফোরণের আশায়। 

ঘুম পাচ্ছে

ঘুম পাচ্ছে
............ ঋষি
===========================================
অনেক কথা বলা হলো
চলন্তিকা ,এবার  ছাড়ো ঘুম পাচ্ছে।
ওপাশ ফিরে শুই
মাঝখানে একটা ব্যবধান দরকার ঘুম আর নেই ঘুম।
দুটোই তো অন্ধকার রাত্রি
আর তুমি ভাবনায়।

বহুদিন ঘুম নেই চলন্তিকা
আবার খাটের উপর ,বালিশের উপর ভিজে ভাব।
ধুস ,বৃষ্টি হচ্ছে নাকি
মেঘ করেছে জানি ,খুব বিদ্যুত চমকাচ্ছিল।
লাইট বন্ধ ঘরের ,জানলার আয়না  বেয়ে রুপোলি জ্যোত্স্না
তবু ভেজা বিছানা।
কি করছো প্লিস ছাড়ো আবার ,খুব ঘুম পেয়েছে চলন্তিকা
এবার তো ঘুমোতে দেও।

অনেক কথা বলেছি তোমাকে
মাথার অন্ধকার পৃথিবীতে দৈনন্দিন বাঁচার ভাবনা।
উফ্ফ্ফ্স কি মশা
চলন্তিকা ওই যে আকাশের চাঁদে কেমন একটা মনমরা ভাব।
ভিজে জ্যোত্স্নার চাদর ,ভিজে বালিশ
ঘুম নেই চলন্তিকা ,এবার তো ঘুমোতে দেও। 

উত্তর দেও

উত্তর দেও
.............. ঋষি
=====================================================

চলন্তিকা ঠোঁট কাঁপছে কেন
সত্যি বলো ,অন্ধকারে দাঁড়িয়ে কে তোমাকে ভয় দেখায় ?
প্রেমিক ,কল্পনা ,প্রেত ,আততায়ী, ধর্ষক ,কিংবা ওই যে একলা দাঁড়ানো প্রেম
নিস্তব্ধতা চারিপাশে খানখান।
কাঁচ ভাঙছে দেওয়ালের শরীরে রক্তের গন্ধ
চুপ কেন ,উত্তর দেও।

মধ্যরাতে আকাশ চিরে ছুটে যায়
এমবুলেন্স ভর্তি ভাবনাদের চিত্কার ,শবদাহ অসংখ্য আঁকড়ানো।
তুমি সত্যিটাকে বলো চলন্তিকা
প্রতিটা বিবাহ বিজ্ঞান জানে শরীর থাকার মানে।
তুমি জানো চলন্তিকা ?
ওমা পুড়ছো কেন ? এই স্বাধীনতা নারীদের নেই।
তোমরা রমনী ,কারণ তোমরা রমনীয় রমণ তাই
সত্যি টাকে বলো।
সত্যি বলছি তোমাকে আমি চিনি না ,তবু প্রেম
আর এও জানি , প্রেম সরণির কোনো প্রান্তর নেই
শুধু শান্তি।
একটা অশান্তি বোধ
কি ঠিক বোললাম তো চলন্তিকা ?

চলন্তিকা ফুঁপিয়ে কাঁদছো কেন ?
কাঁদার অধিকার তোমার আছে ,চিত্কার করে কাঁদো।
আমি জানি অন্ধকারে একলা দাঁড়ানো প্রেমকে তুমি জড়াতে চাও
একবার চান্স নিয়ে দেখতে চাও শরীর না সোনা।
কিন্তু বুঝতে পারছি না তখন থেকে
উত্তর দেও চলন্তিকা ,কাকে তোমার চায় ?

কিছু এসে যায় না

কিছু এসে যায় না
................... ঋষি
================================================
আজ  কবিতা বলার অপরাধে
আমার গলার দড়ি চেপে বসছে গ্যালিলিওর মত।
গালের দুপাশে জমে থাকা অন্ধকার দাড়িতে
অসংখ্য রক্ত খেগো জীবিতের বাস।
কিছু এসে যায় না তবু
আমার কবিতার  নটে গাছ কখনো ফুরোবে না।

অসংখ্য প্রলোভন মাড়িয়ে
গুপি গাইনের মতন সাম্রাজ্যের দড়িতে টান মারি।
রাজা কেঁপে ওঠেন কিনা জানি ,
হাত জড়ো করে গুড়িয়ে গেছেন কিনা জানি না।
শুধু জানি কবিতার সাথে নিস্তব্ধে বাস করতে করতে
আমি বদলে গেছি।
কবিতার প্রিয় শরীরে হাত বোলাতে বোলাতে
আমার শরীরে রক্ত আজ ভীষণ শান্ত ।
কবিতার ঠোঁট কামড়ে বের করা নীল রক্ত
এই সভ্যতার নামে গালি।
ভাবনাদের নিব ডুবিয়ে কবিতার কুমারীত্ব হরণ মানে
আমার কাছে কবিতা।

আজ কবিতা বলার অপরাধে
আমার আগে চলে যাওয়া কবিদের ভূত আমার মাথায়।
তাদেরকে স্মরণ করে বলছি
কিছু এসে যায় না  ,আজ কলমের নিবে আকাশ।
প্রতিটা সূর্যাস্তের গল্পগুলো অনুভবে কবিতা
সকালের বাসি মুখে আরো আলো। 

Wednesday, March 16, 2016

শাশ্বত তোমার জন্য (১৮)

শাশ্বত তোমার জন্য(১৮)
............. ঋষি
=================================================
শাশ্বত তোমাকে স্বাগত নতুন জীবনের
জানি না বারান্দার টবে বেলফুল গুলো জীবিত কিনা।
তুমি বড় ঘুম কাতুরে আমি জানি
কাজের মাসি সকালে এসে ফিরে যায় কিনা ,,আমি জানি না।
শুধু জানি ওই বাড়িতে আমি আর নেই
শুধু আছে আলমারির লকারে আমাদের বিয়ের ছবিগুলো।

মৃত সেগুলো
আমি জানি তোমার কাছে অপ্রয়োজনীয় ওগুলো।
এও জানি ওই বাড়ির আমার বিছানার এখন আর খালি থাকে না
তুমি ছাড়া।
তুমি বাড়ি ফেরো রোজ প্রতি রাতে ,তোমার বদলানো প্রেমিকাদের সাথে নিয়ে
মদের গ্লাসের সাথে চলে ,বিছানা গরম।
শেষ দু বছর ,,আমার সাথে তোমার কোনো রাত ছিল না একসাথে
যেটুকু ছিল বোঝাপড়া।
শাশ্বত তোমার জানার প্রয়োজন নেই ,তবু বলি
আমি ভালো আছি এখন এই লেডিস হোস্টেলে অনেকের সাথে ।
এদের মধ্যে অনেকে ওয়ার্কিং ওম্যান ,অনেকেই আমার মতন রিজেকটেড
আমি তো ডিভোর্সি এখন ,,তাই না।

শাশ্বত তোমার দেওয়া টাকায় আমি হাত দি নি ,ওগুলো অপ্রয়োজনীয়
চেকটা পাঠালাম ভাঙিয়ে নিও ,পারলে একটা ইন্সিওরেন্স কোরো।
কোনকালেই তুমি কিছু জমাও নি ,আমি জানি
এখন আমি নেই ,কে দেখবে তোমায় টাকা না থাকলে।
আমার কথা ভেবো না ,আমি ভালো আছি
কাল একটা চাকরীর ইন্টারভিউ দিয়েছি ,দেখা যাক। 

চুপচাপ কবিতা

চুপচাপ কবিতা
.................... ঋষি
===================================================
অনেকগুলো কবিতা পোস্টারের মত মাথার ভিতর
অথচ কবিরা কেউ জীবিত নেই।
আছে কিছু
তারা কবি ,কলমের নিবে বিপ্লবে ভেজানো সাদা পাতায় জীবিত।
দেশ ,প্রেম ,গর্ভের বর্ণনা ,জন্ম
অথচ কবিতা সে তো আর স্থির নেই ,বড় অস্থির।

বহুবার ভেবেছি
কবিতা কি শুধু নারী ,না কি বর্ণনা।
আবার কখনো মনে হয় কবিতা হলো প্রকৃতি
অথচ  গভীর ভাবনায় বারংবার সময়ের বিকলাঙ্গতায় ,,,,,,মনে হয়
কবিতা সে হলো,,,,,,, বিপ্লব।
যুগান্তরের শেষ পাতায় ,,হারিয়ে যাওয়া ভাষার সাথে
কবিতা হলো চুপচাপ। ,,,,,,একটা বিস্ফোরণ
কবির  ভিতর ,হৃদয়ের কলমে ,পাঠকের রক্তক্ষরণে।
একটা মাইল স্টোন
পথের হিসেবে দাঁত চেপে  সময়ের কাঁটা।

অনেকগুলো কবিতা ফাঁকা রাস্তায় ফ্যাল ফ্যাল করে ঘুরছে
শহরের প্রতিটা গলি মোড়,ফুচকার টক জল ,গরম চায়ের কেটলি।
সব যাযাবরের মত ছবিদের মিছিল
এখন একটা সুখটান দরকার ,সিগারেটের দাম বাড়লো আবার।
কবিতা জন্মাচ্ছে ,কবির শান্তি নেই ,নেই মৃত্যু
আছে সাদা পাতা ভিজিয়ে ফেলা সময়ের রক্তাল্পতায়। 

Tuesday, March 15, 2016

অপেক্ষার দরজা

অপেক্ষার দরজা
.............. ঋষি
==========================================
অপেক্ষার দরজা খুলবো না বলে
তোকে জড়িয়ে ধরেছি।
কেমন তুই  ,কে তুই ,কেন তুই ,কখন তুই
এসব প্রশ্নের কোনো মানে নেই।
যতক্ষণ না জরুরী জীবনের স্মৃতিদের ককটেলে
একটা লোমহর্ষক গল্প লেখা যায়।

অপেক্ষা
ভিজে চাহুনিতে আমি, তুই মুখোমুখি।
সাথে লেপ্টানো রৌদ্র কুমিরের  আরামের চামড়া
আর কয়েকশো ডেসিবেলে বিদ্যুত উত্পাদনের জুতো পায়ে।
বুকের বোতাম খোলা ভাবনাগুলো
খুব গভীরে বলে।
বহুদিন আদর করি নি তোকে
বহুদিন কাছে টানি নি ,বুকেতে মিশিয়ে নিয়ে।
বহুদিন তোর ঠোঁটে ,ঠোঁট ঘঁষে জ্বালায় নি খিদের মানে
বাঁচার শব্দের বাসরে।
রাতজাগা চোখে চুষে খায় নি তোর রক্তের রস
যন্ত্রণা দিবি আমাকে।

অপেক্ষার দরজা খুলবো না বলে
তোকে জড়িয়ে বেঁচেছি।
কেন এই বাঁচা ,কেমন করে ,কিভাবে ,কতটুকু
সব প্রশ্নের মুখে ঝামা ঘঁষে দাঁত রাখলাম।
তোর স্তনবৃন্তে ফুটে উঠলাম আমি
শিশুর মতন তোকে আঁকড়ে।

আমাদের ভাবনার

আমাদের ভাবনার
............. ঋষি
=========================================
উপর  থেকে তিস্তা কে
বড় ক্লান্ত দেখছি আজ ,,শেষ কদিন।
শুকিয়ে যাওয়া মুখে হাসি নেই
রয়ে গেছে পাথরে লেগে থাকা চটচটে স্মৃতি।
আর আঠার চোখে
কয়েকশো পাগলের কল্পনা ,,, কবি বোধ হয়।

কবি মাছ ধরবে
তিস্তার পা ডোবানো জলে শীতল শরীর।
ভিজে যাওয়া আকাঙ্খার প্রেমিকার শরীরের গুপ্ত গলি
ওগো শুনছো কবি।
ঝরনার ভিজে বাতাসে একটু শীতলতা থাকে
অথচ দৃষ্টির বাইরে
রক্তের দাগ।

কবি তিস্তা কেমন আছে
প্রশ্ন করেছিলাম সময়ের তারিখে বিপর্যস্ত আবহাওয়াকে।
উত্তরে কবি হাসছেন
আর সেই হাসিতে তিস্তা লেগে আছে।
ক্রমশ শুকিয়ে যাচ্ছে কন্ঠ
তৃষ্ণা বুকে
শীতল জল ,,,,হাহাকার।

উপর  থেকে তিস্তা কে
দেশের খালবিলের মতন খুব সাধারণ লাগছে।
পাথরে ফেলছে বুক ,,, আশা
তিস্তার ফুসবে আবার ঘর অনাহুত খিদেতে।
মৃত্যু নিশ্চিত কবি
তোমার ,আমার আর আমাদের ভাবনার। 

স্বপ্ন দেখবো না

স্বপ্ন দেখবো না
................ ঋষি
================================================
স্বপ্ন দেখবো না
জটিল সমীকরণের রোজনামতায় বাড়তে থাকা তাপ।
স্বপ্নেরা কি অপেক্ষায় থাকে এই দেশে
সমুদ্র প্রাচীন দিনলিপি খুলে রক্ত ভরাট উড়িষ্যার অশোকের নদী
নিভে যাওয়া চোখে শান্তির কোলাহল
চলন্তিকা প্রথম চুমু তোকে।

মনে পরে
স্বপ্ন লিখবো না তবু।
কলেজের গেটে দাঁড়িয়ে মেয়ে দেখবো ,
ঘরের দরজা বন্ধ করে ,নিজের নিয়তিচক্রে কলম্বাস হবো
তবু স্বপ্ন দেখবো না।

ভুলে যাবো ভেবেছি
স্বপ্নের পরিধি থেকে হৃদয়ের শান্তি বোধের পরিখা কাটা।
ক্রমাগত বম্বিং ওপাশের কামানের বৌদির মুখ
একদম না
স্বপ্ন না ,প্রেম না ,ভিজে যাওয়া অন্তর্বাসের সমাজ।

তবুও মনে পরে
দেশ মানে ভিজে যাওয়া রক্তে না বোঝা স্বাধীনতার মানে।
সকাল ,সন্ধ্যে কোচিং ক্লাসে হ্যাজানো সাবজেক্ট
ভিজে চুহুনিতে
চাকরির অপেক্ষা। .......চলন্তিকা।

স্বপ্ন দেখবো না
লক্ষীর কৃপায় ভরা গোয়ালে চলন্তিকা মা হলো।
তারপর কত দুধ ,,বালতি ভর্তি ,,বাতি ভর্তি
সর ,ছানা ,,মিষ্টির দোকানে চিনির দাম।
দেশটা বড্ড মিষ্টি লাগে জীবন ছাড়া
অথচ স্বপ্ন দেখবো না ,, তা হয়।

Friday, March 11, 2016

ক্ষমাপ্রার্থী

ক্ষমাপ্রার্থী
,,,,,,,,,,,,,,, ঋষি
==========================================
আমি তোমার সমানে দাঁড়িয়ে
সময়ের অধিকারে নারী আমি ক্ষমাপ্রার্থী তোমার কাছে।
প্লিস ক্ষমা করো পুরুষকে
ক্ষমা করো পুরুষের পৌরুষের নামে
নেমে আসা জপের মালাকে
প্রতিটা বিচার যা অবিচারের মতন সামাজিক পাপ।

তোমাকে ধরে পেটাচ্ছে ,শরীরের সুখে অধিকার পোড়াচ্ছে
প্রতিদিন কয়েকশো শৈশব আগুনে পুড়িয়ে।
নারী তোমাকে শেখানো হচ্ছে
তোমাকে আলোতে আসতে নেই।
তোমাকে নিয়ে কেনা ,বেচা চলছে জন্তুর মতন
বিভিন্ন দেশে তুমি বানিজ্য পণ্য।
মাপা হচ্ছে তোমার বুকের মাপ ,কোমরের মাপ ,পাছার মাপ
ফলাও করে তোমাকে করা হচ্ছে ভোগপণ্য
গৃহপালিত পশুর মতন তোমাকে করা হচ্ছে উত্পাদন যন্ত্র।

আমি তোমার সামনে দাঁড়িয়ে মাথা নিচু করে
তোমার অধিকার দিয়ে সময় বদলানোর প্রার্থনায়।
তোমার জানানো দরকার
তুমি পুরুষের অধিকার নও ,পুরুষের প্রেম ,পুরুষের অলংকার।
তোমার প্রতিটা যন্ত্রণা ,আমাদের হোক
আমি পুরুষ জাতির  পক্ষ থেকে ক্ষমাপ্রার্থী তোমার কাছে। 

ভালোবাসো তো আমায়

ভালোবাসো তো আমায়
,.................. ঋষি
============================================
আর কি পরীক্ষা নিতে চাও ,চলন্তিকা
আমার সকাল শুরু যে কবিতায়
সেখানে তুমি থাকো।
আমার ফুরিয়ে যাওয়ার পর অন্ধকার রাতে
তুমি থাকো চলন্তিকা
দাবানলের মত  আমার বুকে তোমার কবিতা।

আর কি চাও তুমি
যখন আমি পথ হাঁটি ,শহরের বুকে পা দিয়ে শুনতে পাই।
মানুষের স্বর
সেই স্বরে আমি তোমাকেই তো খুঁজি চলন্তিকা।
যখন শহরের বুকে প্রতিবাদের ঢেউ
মোমবাতি মিছিলের প্রতি শিখায় আগুনের প্রেমে
 তুমিই তো থাকো চলন্তিকা।
যখন আমি নিজে শুনি নিজের ধুকপুকে সময়ে শব্দ
সেখানে আমি পাই তোমার পদধ্বনি।
নুপুরের শব্দ
রিমঝিম মন খারাপ করা মেঘলা বিকেলে
তুমি আমাকে জড়িয়ে থাকো চলন্তিকা।

আর কি পরীক্ষা নিতে চাও ,চলন্তিকা
আমার প্রতি পদক্ষেপে ছায়ার মতন তুমি চলন্তিকা।
আমি ঠোঁট রাখি তোমার বুকে ভালোবেসে
তোমার দুচোখ ভরা জল, আমাকে পাগল করে।
আমি প্রশ্ন করি ,কেন কাঁদছো
তুমি আমার বুকে মুখ লুকিয়ে বোলো ,ভালোবাসো তো আমায়। 

আলো আর আলো

আলো আর আলো
..................... ঋষি
===========================================
বড় বেশি নষ্ট দেখছি আমি
শহরের অন্ধকারে দূর থেকে আসা গাড়ির হেডলাইট
সার্চ লাইটের মত হৃদয় ছিঁড়ে
এগিয়ে যাচ্ছে
সাথে নিয়ে যাচ্ছে কার্বনের ময়লা ,নর্দমা ,গু ,মুত কতকিছু
আমি চুপ হয়ে শুধু নষ্ট হচ্ছি

সামনে পরে আছে আমার প্রিয় শহর
হাড়গোড় সম্পর্কের জটিল রসায়নে রাখা অজস্র  মুখ
আর আমি নষ্টের মত
রাত্রে দাঁড়িয়ে ফেরি করছি কবিতা
অন্ধকে জাগাবো বলে ,ঘুম ভাঙাবো বলে
সাররাত জেগে থাকা চোখে হাড় ভাঙ্গা খাটুনি
সময় ঘুমোচ্ছে এখন
বিছানা ,বালিশ ,পায়রার খোপে আমিও কোথাও শুয়ে
হয়তো কোনো প্রিয় নারীর পাশে
সময়ে পাশে
কিন্তু আমি জীবিত কিনা ভাবছি

বড় বেশি নষ্ট দেখছি আজকাল আমি
শহরের ল্যাম্প পোস্টে মাত্রাতিরিক্ত আলো পোকার ভিড়।
আমিও কি পোকা হয়ে গেলাম
কি খুঁজছি ,কেন খুঁজছি উত্তর জানি।
আমার হাতে কবিতার খাতা
তার প্রথম পাতাতে বড় হরফে লেখা আলো আর আলো।   

শুনতে পাচ্ছো চলন্তিকা

শুনতে পাচ্ছো চলন্তিকা
................... ঋষি
============================================
আমার কথা শুনতে পাও তুমি ,চলন্তিকা
সাইকেল থেকে রেলের ইঞ্জিনের শব্দ।
শব্দ জব্দ
সময়ের অধিকারে লেগে যাওয়া পটাশিয়াম সায়ানেট।
নির্ঘাত মৃত্যু
আমার কথা বুঝতে পারছো তুমি।

চলন্তিকা  তুমি জানো
সম্পর্ক একটা চিড়িয়াখানা এই সভ্যতায়।
প্রলেপ দেওয়া সভ্যতার চোখে রেলিগে আটকানো জন্তুগুলো
কবেই হারিয়ে ফেলেছে সবুজ রং।
আর ঢং
ঘড়ির কাঁটায় ক্রমাগত ছুঁতে থাকা নিউমারিকাল সংখ্যা।
বদলায় আবার ফিরে আসে
সময়ের সাথে বদলানো মুখে আজব রসিকতা।
গিলিগিলি গে ম্যানড্রেড সাহেবের ঝুলিতে
লুকোনো রুপকথা।

আমি জানি এই ধংসের দায় মানুষের কুপমন্ডুকতায়
যারা বিপাশা বসুকে দেখলে জেলাস হয়
আবার একদল হয়ে যায় সম্পূর্ণ নগ্ন।
তাদের  বলি
জীবন বড় সুন্দর ,প্রয়োজন আছে বাঁচার সম্পর্কের
কিন্তু অধিকারে সম্পর্ক বাঁচে না। 

সত্যি মানুষ

সত্যি মানুষ
................ ঋষি
==============================================
সবাইকে প্রশ্ন করি
পালাচ্ছি আমি ,তাই না নিজের থেকে।
অবাক চোখে দেখি মহাত্মা গান্ধী এসে বসেন ঘুমের ফাঁকে
নিজের ঝুলি ঘেঁটে বের করে আনেন পোড়া বিড়ি ,লাইটার।
সত্যি খুঁজছেন ইংরেজের পরে
নোটের উপর সত্যি মানুষের নোংরা হাত।

কি অশান্তি
পাশ ফিরে শুই
ঘুমের ফাঁকে আবার অবাক হওয়ার পালা ,  রামমোহন দাঁড়িয়ে।
আর তার সামনে পরে গোটা কামদুনি,বারাসাতের কলেজ পাঁচিল ,
ওমা ও কি
কে যেন উঁকি মারলো পাঁচিল ঘেঁষে  বিদ্যাসাগরের মত।
আর পারছি না বুঝতে পারছি ঘেমে ,যাচ্ছি
বুকের মধ্যে দমবন্ধ করা অভিশাপ ,,,,,,সময়।
আবার দেখছি ক্ষুদিরাম দাঁড়িয়ে রাজনীতির নোংরা দড়ি তার গলায়
একটা দুম করে শব্দ হলো।
আমি মাটিতে শুয়ে আছি
পরে গেছি খাট থেকে।

সবাইকে প্রশ্ন করি
আমি পালাচ্ছি না নিজের থেকে।
ঘুম চোখে চেয়ে আছি অবাক হয়ে সময়ের অন্ধকারে
চারিপাশে মশাদের স্তুপ ,বাইরে শেয়ালের জিভে রক্তের স্বাদ।
বেড সুইচ অন করে লাইট জ্বালালাম,
অন্ধকার আলোয় থিতু হতে হতে চোখ ঝলসে গেলো।

শাশ্বত তোমার জন্য (১৭)

শাশ্বত তোমার জন্য (১৭)
................... ঋষি
===============================================
শাশ্বত এই বারান্দাটা তোমার মনে পরে
বিয়ের পর পর আমাদের একসাথে প্রথম চাঁদ দেখা।
বড় বোকা বোকা লাগছে না কথাগুলো
আজ এত বছর পর যখন এই ডিভোর্স লেটার তোমার হাতে।
তখন নিজেকে তোমার বড় মুক্ত মনে হচ্ছে
আমি জানি , আকাশের চাঁদের মত।

তোমারও কি এখনো মনে পড়ে?
বারান্দার সিঁড়ি বেয়ে তুমি জড়িয়ে নেমে এসেছিলে আমাদের শোয়ার ঘরে।
তারপর তুমি আমাতে আগুন জ্বেলেছিলে ইচ্ছার মত
বড় বেমানান লাগছে না কথাগুলো।
আসলে জীবন জড়িয়ে নামতে নামতে আমরা  অনেকটা নেমে এসেছি
তুমি যেমন  তোমার প্রিয় প্রেমিকার শীত্কারে জীবন খোঁজো আজকাল।
আর আমি খুঁজি মৃত্যু তোমার পরে
একটা জীবন।
আয়নার সামনে দাঁড়ালে আমি দেখি ফুরিয়ে যাওয়ার গল্প
কিছুই অবশিষ্ঠ কি আছে সম্পর্কের ফাঁকে
তবু যাওয়ার আগে মনে করিয়ে দি
রোজ রাত্রে শোয়ার আগে কোলেস্টরালের ট্যাবলেট খেয়ো।

শাশ্বত এই শেষবারের মতন বলছি
এই সম্পর্কের মৃত্যুতে তুমি দুঃখ পেও না।
আমি জানি তুমি নেশাতুর পুরুষ ,কামার্ত বাঘের মতন
তোমার প্রেমিকাদের প্লিস একবার বোলো
তারা যেন আর গালাগাল না দেয় আমায় ,
তোমাকে আমি মুক্ত করলাম আজ। 

মানুষের ইচ্ছা

মানুষের ইচ্ছা
.............. ঋষি
==============================================
ইতিহাস কেউ দেখে না  
আমার মাঝে মাঝে আকাশ ধরতে ইচ্ছে হয়।
ভাঙ্গা শৈশবে কাঁঠাল পাকা সময়ে
আমার সিগারেটে ইসপার কি উসপার  হাঁপানি টান।
আমারও সুস্থ হতে ইচ্ছে হয়
সত্যি মানুষের মত।

মানুষ
এই শব্দের বিভেদ যতো তারথেকে বেশি ভেদ জীবন ধারণে।
আকাশ ছোঁয়া স্বপ্নদের শুয়িয়ে রেখে
আরো জ্যান্ত মানুষের প্রজাতির লোভের গল্প।
কি চায় ? কেন ?
দৌড় ,দৌড় জীবনের সৌরমন্ডলে
ছুঁয়ে থাকা উপস্থিতি সম্পর্কের নকল নাকাবে বাঘ বন্দী খেলা।
হার ,জিত মশগুল বাজির দান
দ্রোপদিও দাঁড়ায় সালিশী সভায় একলা
কৃষ্ণের হাতে ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া বিছানা ,বালিশ।
আর সম্বল ইতিহাসে সকলেই চাই
পান্ডবের স্বর্গ যাত্রা।

ইতিহাস কেউ দেখে না
আমার মাঝে মাঝে মানুষ হতে ইচ্ছে হয়।
শ্মশানের পুড়ে যাওয়া খুলির ভিতর মানুষ ঢুকিয়ে
আবারও একটা জন্ম নিতে ইচ্ছে হয়।
যেখানে ধুপের ধোঁয়ায় চারিধারে ঈশ্বর উপস্থিত
আর ঈশ্বরেরা সকলেই পৃথিবীর জীব ।   

আর থাকিস না চুপ

আর থাকিস না চুপ
............. ঋষি
==========================================
রাগ করার অধিকার তোর আছে
যেমন আছে কাছে এসে ফিসফিস বলা
আমি আছি।
এইটুকুই বা হারায় কি স্বত্বে
তোর থাকা আর না থাকার জানিস তো
পৃথিবীর আবর্তনের থেকে বেশি।

নিজের থেকে দূরে সরিয়ে রাখা যায়
নিঃশ্বাসে প্রবল আলোড়ন
তুই আছিস।
সকালের সূর্য কানে কানে বলে যায় তোর মত
বাজারের ব্যাগে পাঁচ টাকা  ফেরত সিগারেট হারিয়ে যায়
শূন্য ধোঁয়ায় আলুথালু মায়াময় দুটি চোখ।
ঠিক এমন অফিস ফেরত মিনি বাসে
মাঝে মাঝে জানলার ধরে সিট পেয়ে যায়।
মনে হয় তোর শহরের কোলাহল
আলোড়ন বুকে
তোর মত।

রাগ করার অধিকার তোর আছে
কিন্তু দূরে থাকার নেই।
তুই তো আছিস আমার কাছে
আমার ইচ্ছার মোড়কে সাজানো মায়াময়ী রূপ।
রাগ করিস ,বদলাস না প্লিস
আর কতক্ষণ বল এমনি থাকবি চুপ। 

Thursday, March 10, 2016

নতুন শহর

নতুন শহর
,,,,,,,,,,,,,,,, ঋষি
=========================================
সিঁড়ির শেষ ধাপে দাঁড়িয়ে
 নিজেকে কেমন একটা বিকলাঙ্গ মনে হয়।
জনশ্রুতি শুনতে শুনতে পচা গন্ধ
দশ দিক শুকিয়ে গেলে একটা দ্বীপ তো ভেসে উঠবে।
নোনতা চোখে ,নতুন শহর
আবার গজাবে।

শহরের ভিতর শহর ঢুকিয়ে
হাজারো জনপদে আর কিছু না হোক জীবন থাকবে।
আর থাকবে স্পন্দন রিপুদের
প্রেম যেখানে কামের মতন বিছানা কামড়ে বিষ ঢালবে।
ঠিক সেখানে চলন্তিকা দাঁড়াবে
কোনো পাহাড়ের মত।
পাহাড়ি প্রেমের ঝরনার শীতলতায় জীবন চান করবে
কোনো পাহাড়ি শহর অন্ধকারে আশার আলো।
দৃষ্টি হীন বিকেলের কুয়াসায় ভিজে যাওয়া পাথুড়ে ঘ্রাণ
নিভন্ত চোখের কিনারায় চলন্তিকা
আমি সিঁড়ির শেষের দিকে দাঁড়িয়ে তোমায় দেখবো।

উত্তরণ ,ক্রমশ আরো প্রকাশ্য মানভঞ্জন
তুমি উঠে যাচ্ছো  চলন্তিকা পাহাড় ছাড়িয়ে জ্যোত্স্নায়।
রূপকথার ঘোড়া চাঁদের দেশ থেকে
এক টুকরো নষ্ট ছুঁড়ে দিল।
শৈশব ফুড়িয়ে সমস্ত রংগুলো আজ বিষাক্ত
আর বিকলাঙ্গতা সময়ের অবুঝ চাহুনি।

হাতে মুখে কালি

হাতে মুখে কালি
................... ঋষি
================================================
যে অন্ধকার নিয়ে চিত্কার করছি
দরজা খোলার চেষ্টা করছি।
প্রকৃতির মুখ ভার করা সকালের সাথে আলোর খোঁজে
পথ হাঁটছি।
মুহুর্তের বিপর্যয় ,ভূমিকম্প ,বন্যা , ব্যাকুল জীবন
নির্গত ধোঁয়া কার্বনের কালি।

হাতে ,মুখে ,সম্পূর্ণতায়
পরিচয় থেকে শুরু করে শেষ অবধি নিঃশ্বাসে কৃপণতা।
আমার কাছে চলন্তিকা তুমি নারী
আর তোমার মৃত্যু তোমার অসম্মানে।
কাঁপতে থাকা তোমার চোখের পাতার ভিজে অবস্থানে
ক্রমশ খুলে পরা তোমার শরীরের স্পন্দনে।
সময়ের শেয়ালের দৃষ্টি
মাংসের  লাল রক্ত  ,ঝড়ে  পরা ঋতুস্রাবে বিকলাঙ্গ সময়।
সবটাই শুধু অস্তিত্ব ব্যাপী অবমাননা নারী
নিরুপায়
আমার মতন চলন্তিকা দাঁড়িয়ে
হাতে মুখে কালি

যে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে চিত্কার করছি
জানলার ভাঙ্গা পাল্লাতে সময়ের অজস্র পচে যাওয়া শরীর।
দরজা খুলছে ,জানলা খুলছে
আলো  আসছে না ,অন্ধকার ঢাকা আকাশে।
সময়ের চিত্কার
কিছুতেই না ,কিছুতেই সময় বদলাচ্ছে না। 

সবুজের জন্য

সবুজের জন্য
.................... ঋষি
=============================================
রাত জাগা চোখ
স্বপ্ন  ফিরে এসো লাল মাটির গন্ধ নিয়ে।
শুকিয়ে যাওয়া শব্দের খাতিরে গাজার ঠেক
উড়তে থাকা শব্দ।
গোল গোল রিং ,নিস্তব্ধতায় চারিধার ভারী হয়ে আসা
সমস্ত কল্পনার নীলচে ফড়িং।

ফড়িং তুমি আমার দিকে চাও
নীল রং আমার ভীষণ প্রিয় গভীর আকাশের হৃদয়।
স্পন্দন ঘাসের সবুজ ছুঁয়ে
নীলচে স্বপ্ন।
লাল চোখে মাটি ঘাটা মৃত্যুদের নীলচে সফর
ব্যাবিলনের আশ্চর্য  ছিঁড়ে ডমরু
ঈশ্বরের হাতে।
আর আমার হাতে বিষ
পানপাত্র।
শুনছো ফড়িং বিষ চিবিয়ে খাই
নীলচে শরীর।

রাত জাগা চোখ
স্বপ্নের বাইরে নেমে আসা হিমেল সকালের স্পর্শ।
ভিজিয়ে যাচ্ছে অস্তিত্বের  প্রাকৃতিক সবুজ বিপর্যয়
লালচে চোখে বাঁচা নীল এই সফরে।
বেঁচে আছি ফড়িং এর  মতন
সবুজ আগলে।

অপেক্ষা জীবন

অপেক্ষা জীবন
.................. ঋষি
==========================================
জীবনের বুকে হাত রেখে দেখো
ধরপর ধরপর।
পাখির  ডানা  সময়ের সাথে ঝাপটাতে থাকে
অহেতুক কিছু বলি নি।
শুধু বলেছি মৃত্যু তুই নেই কাছে ,খুব কাছে
তবু ভালো আছি।

জীবনের আহত ডানায় চোখ রগড়ে
সময় দেখি।
হাত বোলায় যন্ত্রণার প্রলেপে লেগে থাকা বিষন্নতা
কিছুই পূর্ণ হয় না।
কিছুই সম্পূর্ণ নয়
শুধু বেঁচে থাকায় আকাশ নীলে প্রচুর পাখির  স্পন্দন।
আর নীল ঠোঁটে লেগে থাকা খিদে
ছুঁয়ে আছি  মৃত্যু
যেমন পাখি আকাশ ছুঁতে চায়।

জীবনের শব্দে অসাবধানতায়  কিছু একটা শুনতে পাই
ক্রমশ কাছের  থেকে কাছে উড়ন্ত বিমানের শব্দ।
নকল পাখি বোধ হয়
হাত নাড়ি  মাটির পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায়।
হৃদয়ের পাখি
আসলে সকলেরি  আকাশ ছুঁতে চায়। 

Wednesday, March 9, 2016

জায়গা দখল

জায়গা দখল
................... ঋষি
=============================================
ফ্ল্যাটটা জায়গা দখল করলো
বাসা হারানো বাড়িগুলো সব ইতিহাসে ফসিল আজ।
লোকগুলো কোথা হারিয়ে গেল কে জানে
যেমন জীবন হারায়।
ঠিক তেমনি কিছু মানুষ মুখভার করে চলে গেলো
নিয়ে গেলোনা পুরনো স্মৃতি এ পাড়ার।

যারা রয়ে গেলো
তারা গাছ খুঁজে চললো চিরকাল।
কিন্তু একটার পর একটা জায়গাদখল ফ্ল্যাটবাড়ি
পাড়া আজ খালি প্রায়।
সামনের খেলার মাঠের চিত্কারগুলো সব এখন দেশলাই বন্দী
আকাশ ঢাকা ম্যারাথনে  শুধু।
পাড়া হারাবার শোক
শোক তো থাকে না বেশিদিন সেও হারিয়ে যায়।
কিন্তু চৌমাথার ক্লাবে বসা বুড়োগুলো এখনো আছে
তাস পিটছে।
আর বলছে
মুখুর্জ্যে বাবু এই পাড়ায় আপনি বোধ হয় প্রথম ছিলেন।

সামনের ফ্ল্যাটের ছায়াটা আজকাল বেড়ে যাচ্ছে
পাড়া ছাড়িয়ে ছড়িয়ে যাচ্ছে অন্য পাড়ায়।
পাড়ায় এখন অনেক মুখ ,গাড়ির শব্দ ,সময়ের হর্ন
কিন্তু সাইকেলের ঘন্টা চুপচাপ নিরীহ অভিমান।
অনেক কিছু বলছে এই পাড়া
মায়াময়  স্মৃতি আর বিশ উগরানো সময়ের কথা।  

হাইজিনিক জীবন

হাইজিনিক জীবন
................... ঋষি
==========================================
দৃশ্যের বাইরে দৃশ্যকে ছুঁয়ে দেখেছো কখনো
দৃশ্যকেও শরীর মনে হয়।
একটা সময় মৈথুন করার আগে আমি হাত ধুঁয়ে নিতাম
সেটা নাকি হাইজিনিক।
আর আজ
সময়কেই ইচ্ছে করে কাদায় ফেলে মৈথুন করি।

থুড়ি এমন করে বলাটা
আনহাইজিনিক।
অথচ ক্ষণিকা  তোমার বেডরুমে চাদরে রক্ত দেখেছিলাম
দেখেছি  হৃদয় কোষে জমে থাকা মুহুর্তদের
কি বলো ? হাইজিনিক।

মুহুর্তগুলো জমে গিয়ে কখন যেন বিষাক্ত ফোঁড়া হয়ে গেছে
হয়ে গেছে সময়ের নিলাজ দরজা ।
দরজা খুলছে বাসি,পচা ,লাশ
বস্তা বস্তা জীবন।
জীবন নাকি এক নির্দিষ্ট এলাইনমেন্ট নির্ভর
থুড়ি হাইজিনিক জীবন।

দৃশ্যের বাইরে দৃশ্যকে ছুঁয়ে দেখেছো কখনো
দৃশ্যকেও মৃত্যু মনে হয়।
আয়নায় চোখ রেখে নিজের জীবনে ময়লা তুলতে থাকো
হাইজিনিক জীবন।
আর আমি কাদায় শুয়ে মিশে থাকা শরীর
আমাকে ডেটল জলে ধুতে চেষ্টা করো। 

এক একটা দিন

এক একটা দিন
................. ঋষি
=============================================
তোমার সাথে থাকাটা একটা অভ্যেস
যেমন অভ্যেস  প্রতি পাতাতে লিখে চলা জীবিত স্বভাব।
আমার ভিতরে একটা রাস্তা আছে
রাস্তার দুপাশে বড় বড় পোস্টারে লেখা জীবিত আমি।
আমার মত এক অভ্যেস তোমার
সাথে থাকা ,জরুরী জীবন।

কলমের নিব বদলে লাল কতগুলো দাগ
বাচ্চার হাতে কলম।
আবোলতাবোল ভাবনাদের তোমার নিবিষ্টে চুবিয়ে
এক একটা দিন মনে হয় হাওয়ায় উড়ছে।
কিংবা সাইকেলের ঘন্টায় ময়ুরপঙ্খী রং
আর এক একটা দিন
কখনো বা লাল কালির হয়ে যায়।
অনুপস্থিত  পদবির মতন কিছু লাগে আকাঙ্খায়
কেউ যেখানে আমার নয়
কেউ কি তোমার সেখানে

তোমার সাথে থাকাটা  একটা অভ্যেস
স্পন্দনের  প্রতি রক্তকনিকায় বাযুবীয় সকল নিঃশ্বাসে।
কেমন একটা পরিতৃপ্তি
আমার ভিতরে একলা পথ চলায়।
অথচ ছায়ার মতন তুমি আমাকে ফলো কর
কিন্তু ধরা দেও না। 

চলন্তিকা আর ফাঁকা রাস্তা

চলন্তিকা আর ফাঁকা রাস্তা
.................. ঋষি
==================================================

জানিস আমি অবাক হয়ে দেখি চলন্তিকা
ফাঁকা রাস্তা।
এক আকাশ উবুর করা নিস্তব্ধতা আর চলন্তিকা তুই
কিছু তফাত পাই না।
এক নারী আর এক রাস্তার মাঝে
দুজনেই ক্রমশ হারাতে হারাতে হারিয়ে যায় চোখে বাইরে।
.
চলন্তিকা তোকে বারান্দায় ভিজে  চুল ঝাড়তে দেখেছি
দেখেছি কোনো বসন্তের বিকেলে চুলে রঙিন রজনীগন্ধা গুঁজতে।
চলন্তিকা তোকে আমি হাসতে দেখেছি
দেখেছি মনের গভীরে কাঁদতে পাগলের মত।
কারণ জানি  না
কারণ খুঁজেছি নিজের ভিতর চলন্তিকা তোকে পাওয়াতে।
 তোকে খুঁড়েছি আবিষ্কারের আনন্দে
পথের হারানো চাকা আর ভালবাসার মানে।
নির্জন সন্ধ্যায়
কোনো বড় রাস্তায় একলা দাঁড়ানো ল্যাম্প পোস্টের  আলো।
আর ছায়া সে যে চলন্তিকা এক নারী জীবন ,
ছায়া ছায়া।
.
জানিস আমি অবাক হয়ে দেখেছি
পথের ক্লান্তিতে সাইকেল ,রিক্সা ,অটো ,বাস সব চলে যায়।
তোর  বুকের উপর ক্লান্তির পাহাড়। ..সময়ের পথ
কাদা মেখেও তুই হাসতে থাকিস।  চির কুমারী যুবতীর মত।
কেউ তোকে স্পর্শ করে না ,গোটা জীবন ,
তবু তুই বাঁচতে থাকিস হারানোর পথে স্পর্শের আশায় ।

Monday, March 7, 2016

সেই সবুজ ডাক

সেই সবুজ ডাক
................. ঋষি
==============================================
খালি পায়ে গেরুয়া বসনে তুমি বাঁধন ছাড়া
আকাশের মতন গভীর তোমার একতারার  সুর
আরো গভীর তোমার ভাবনারা।
তুমি আমাকে বলেছিলে এক  মুক্তির দেশে নিয়ে যাবে
যেখানে মাচার ওপর সবুজ লাউডগা ,সবুজ সুখ।
আর মনের ভিতর বাউলের সুর ,,
সেই সবুজ ডাক।

আমি সেই কখন থেকে অপেক্ষায় আছি
সময়ের অন্ধকারের কার্বনের কালি  আমার সারা গায়ে।
এই সভ্যতার মৃত্যুরা আমাকে আরি করেছে
তুমি কোরো না প্লিস।
প্লিস আমাকে নিয়ে চলো এমন দেশে
যেখানে সবুজের মাঝে কোনো বিভেদ নেই বেঁচে থাকার।
যেখানে জীবনের নামে যন্ত্রণা নেই একা থাকার
যেখানে শৈশব  জন্মায় পদ্মের মতন পুকুরের প্রেমে।
যেখানে যৌবন কোনো প্রেমজ জ্ঞান শান্তির
আর বার্ধ্যক্য মৃত্যুর অপেক্ষা না
প্রিয় মৃত্যু।

খালি পায়ে গেরুয়া বসনে তুমি বাঁধন  ছাড়া সন্ন্যাসী
আমি তোমার সাথে যাবো।
তুমি নিয়ে যাবে বলেছিলে  আমাকে এক মুক্তির দেশে
যেখানে দাওয়ায় জ্যোত্স্নার মত শান্তি খেলা করে।
যেখানে হৃদয়ে ঈশ্বরের মত প্রেমের বাস
আমি কবে থেকে অপেক্ষায় আছি
সেই সবুজ ডাক।



চোখের জল

চোখের জল
............... ঋষি
=========================================
এর পর তুমি নীল হারানোর শোক নিয়ে
ডুঁকর়ে কাঁদবে।
আকুতি করবে তোমার প্রকৃতির ইচ্ছার শোকে
এ যেন ভীষণ নরম্যাল তোমাদের কাছে।
চোখের জল
চলন্তিকা তুমি কি অন্যদের মত হবে।

কি হয়েছে তোমার সাথে
প্রেমিক ছেড়ে গেছে যখন তুমি প্রেমের নদীতে চান করছো।
আরে বাবা এতে কাঁদার  কি
শাড়ি ,ব্লাউজ পরো ,চোখ খুলে দেখো  নীল আকাশে।
জটলার ভিতর থেকে বের করো তোমার আয়না,
দেখো তুমি কত সুন্দর।
কি হয়েছে চলন্তিকা সংসারের অবস্থানে তুমি অপ্রয়োজনীয়
আরে নিজের ভিতর দেখো ,
দেখো সবুজ প্রকৃতিকে।
তোমার চোখের ভিজে জলে বৃষ্টি আসে ,কিন্তু থামে
আবার ঋতু বদলায়।

আরে এমন করে কাঁদতে নেই চলন্তিকা
ভুলে যেও না কৃষ্ণের যুদ্ধের বাণী ,সেই অমোঘ  সত্য।
পৃথিবীতে কোনো কিছু স্থির না ,
এখানে কেউ কারোর না ,তুমি তোমার কর্ম করছো।
আর সবচেয়ে বড় কথা তুমি জানো চলন্তিকা
তুমি হলে প্রকৃতি ,যে চির সবুজ।


ভয়ের ইতিবৃত্ত

ভয়ের ইতিবৃত্ত
............... ঋষি
=================================================
সবুজ স্ক্রিপ্টে বেঁচে থাকার একটা নদী লেপ্টে আছে
এই সভ্যতার একটা ভয় আছে।
আমার আছে একটা সংসার, বউ আর আমি গৃহস্থ
আর আছে আমার চলন্তিকা।
প্লিস কাউকে বলো না
সভ্যতা একে পরকীয়া বলে আর আমি বলি বেঁচে থাকা।

যাই হোক
আমি ভয়ের কথা বলছিলাম।
ভয় হলো বেঁচে থাকার দৈনন্দিনে পান্তা ভাতে লঙ্কা ,নুন
লঙ্কা আর নুন ছাড়া জীবন যেমন সাধারণ,
তেমনি ভয়ের ইতিবৃত্ত।

সোজা বন্দুকের নলে যখন কোনো সভ্যতার দালাল অন্ধকার ঢেলে দেয়
আমি চোখ বুজে থাকি।
বুঝলেন তো সংসারে আমার মুখের দিকে চেয়ে অনেকগুলো মুখ আছে
তবু কেন জানি ভয়কে আমার আদর করতে ইচ্ছে করে।
যেমন ইচ্ছে করে অসময়ে জড়িয়ে ধরতে চলন্তিকাকে
তবে এই আদরের কমন ফ্যাক্টার হলো
বেঁচে থাকা।

সবুজ স্ক্রিপ্টে বেঁচে থাকার একটা নদী লেপ্টে আছে
শহরের পাঁচ দিয়ে ,বসতির পাশ দিয়ে ,স্পন্দনের পাশ দিয়ে।
কারন সেই নদী যে বেঁচে থাকা
আর সবুজ সে যে জীবনের আলোড়ন চলন্তিকার মত.
ক্লোরোফিলের বুক ছেঁড়া কার্বনে মুখ ঘষে
তাই তো আমি সাধারণ  বড়।

সবুজ যন্ত্রণা

সবুজ যন্ত্রণা
................ ঋষি
=====================================================
ডিজিটাল অরন্যে থাকতে থাকতে
চিনে গেছি চলন্তিকা পথ হারানোর মানে।
হাসছিস যে
পথ মানে হলো পথিকের গন্তব্যের ঠিকানা।
খালি পায়ে পথ হাঁটা আর প্রকৃতির তুই তোকারি সম্পর্কের ফাঁকে
মিডিয়ার চোখে হারিয়ে যাওয়া সবুজ যন্ত্রণা।

সবুজ সাজাচ্ছে শহর ,শুধু সাজাচ্ছে
শিক্ষায় দীক্ষিত মানুষ এগিয়ে আসছে হাতে বিবেকের মৌচাক নিয়ে।
মৌচাক থেকে অস্থিসার মৌমাছিরা খুঁজছে গণতন্ত্র
আর একদল বেজন্মা  শৈশব ঢিল ছুড়ছে।
ওরা কমপ্ল্যান খায় না ,তাই বাড়ে নি মস্তিষ্কের নিউরনে
ওরা শিখেছে শুধু মুনাফা ,লোভ আর স্বার্থপরতা।
মানুষ করতে পারে নি জানিস চলন্তিকা
এই সময়।

আর শিক্ষিত মানুষ মৌমাছিদের কামড়ে পালিয়ে মরছে
নিজের থেকে ,দেশের থেকে ,আর ওই বাচ্চাগুলোর জ্বালায় ।
যার নির্মম ভাবে হত্যা করে চলেছে গণতন্ত্র
যারা করে চলেছে ধর্ষণ ,যারা খেলে চলেছে রক্তের হোলি
শিক্ষাকে  বেশ্যার মতন রাস্তায় দাঁড় করিয়ে যারা হাসছে ফোঁকলা দাঁতে।
ওরা কি এখনো বড় হয় নি
কি বলছে এই দেশের পার্টি লিডারের ,
এটা হচ্ছে শিক্ষিত লোকেদের সুপরিকল্পিত কেঁচো খোঁড়া।

ডিজিটাল অরন্যে চলন্তিকা
শিশুগুলোকে কি মানুষ করা যায় না।
দেশের প্রধান সারির দুর্বৃত্ত বাচ্চাগুলোকে লাইন দিয়ে দাঁড় করিয়ে
কান মুলে,চাপকে শেখানো যায় না দেশের মানে।
কি ভাবে দেশ, একটা গণতন্ত্র চালাতে হয়
সেটা কি চলন্তিকা  আমরা শেখাতে পারি না। 

Sunday, March 6, 2016

নিস্তব্ধ শহর

নিস্তব্ধ শহর
................. ঋষি
================================================
চুপচাপ
আজ একদম রোববারের নিস্তব্ধতা।
জানলার পাশে ফনী মনসার ঝোঁপের ভিতর কোনো অচেনা পাখি
তুমি মনে পরে গেলে শহর
এই স্মৃতির বন্দরে হাল ফেলে ,
ঠিক এখনি
নিস্তব্ধ শহর।

অনেক কিছু বলি নি তোমাকে
নিজের ভিতরে ছাপা প্রেসে ক্রমাগত শব্দদের আবিষ্কার।
আমার শহর জানে হাসতে ,কাঁদতে
সমস্ত অনুভবের বহিঃপ্রকাশে একটা প্লাস্টিক এক্সপ্রেসন দিতে
কিন্তু সত্যি কি শহর বাঁচছে।

আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি কেমন স্থির আলোক রশ্মি
স্মৃতি ভেদ করে তোমাকে গড়ছে তিলে তিলে।
এও সম্ভব ঈশ্বরের মতন শহরের বুকে দিনরাত্রি চাবি ঘুরিয়ে
তোমাকে খুঁজে পাওয়া যখন তখন
শহর হাসছে এই মুহুর্তে আমার মত।

চুপচাপ
আজ একদম কোনো বন্ধের দিন মনে হচ্ছে।
রবিবাসোরীয়র পাতার আড়ালে বিজ্ঞাপনী কর্ম খালি জানে
আমার শহরে কোনো পোস্ট খালি নেই।
সবখানে বেঁচে থাকার খুদা নিয়ে
অনেকটা বিলাপ
একদম থেমে আছে।


Saturday, March 5, 2016

জীবনের ছুট

জীবনের ছুট
...................... ঋষি

================================================
মৃত্যুকে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছি
বুকের ফাঁকে আলো।
সকালের শেষ সাইরেনে কারখানার ভো
জীবন ছুটছে।
রাস্তা দিয়ে ,সময় দিয়ে ,মানুষ ধরে ,মানুষের সাথে
একার  পৃথিবী  মৃত্যু এখানে।

জানলার বাইরে দেখ তাকিয়ে
মৃত্যুর ঘুম ভেঙ্গে যাবে।
বুকের দরজায় কলিং বেলের  শব্দ সময় দাঁড়িয়ে
অপেক্ষায় থাকুক।
সময়ের আগে ফুরিয়ে যাওয়া সময়ের অভাব
আর জীবনের সাথে হেঁটে চলা যুদ্ধের স্বভাব।
যুদ্ধ  চলছে
ইতিহাস থেকে পায়ে পায়ে বিস্তির্ন্য রক্ত কনিকায়।
প্রতি শিরায় ,,,এক যুদ্ধ
আর  স্পন্দন বেঁচে থাকার নাম।

মৃত্যুকে ঘুম পাড়িয়ে  রেখেছি
ওষুধের  দোকানে ,হসপিটালের বেডে  বেঁচে থাকার যুদ্ধ।
মৃত্যুকে জাগতে  দেওয়া যাবে না
বাঁচতে হবে সময়ের সাথে যুদ্ধ করে।
আরেকটা সকাল দেখবো  বলে
প্রতিদিন তোমার সাথে জীবন ,,পথ হাঁটা আদর করে।  

আজব দিনকাল

আজব দিনকাল
.................. ঋষি
=======================================
চলন্তিকা আজব দিনকাল জানিস
এ সময় যদি তুই নিরাপত্তা চাস বাঁচবার,
দেখবি দূরত্ব বেড়ে যাবে।
যদি কখনো খিদে চাস বেঁচে থাকার
দেখবি একটা লম্বা তলোয়ার বুকের মাঝখানে
জীবন মরে যাবে।

হাসিস না
তোর হাসিতে আজকাল আমি বিষাক্ত বিষ খুঁজে পাই।
যে বিষ ছড়িয়ে আছে এই দেশে
ক্লেদাক্ত গণতন্ত্র ,মৃত্যুমুখী স্বাধীনতা আর ধর্মের কাপুরুষতা।
সব সাজানো দোকানে চমকের বিজ্ঞাপন
আর আমি দোকানি।
অথচ আমার দেশ নেই
এটা একটা প্রহসন ,,,দেশ দেশ খেলা।
আসলে আজকাল দেশ জোকার হয়ে গেছে
আর  জোকারেরা সব  কাঁদতে ভুলে গেছে।
হাসছে শুধু। .......কেন জানিস ?
হাসির ভিতর একটা নকল বাঁচা থাকে তাই
দেশের মত।

চলন্তিকা আজব দিনকাল জানিস
থাবার চিন্হ দেখে যেমন বাঘের মাপ বোঝা যায়
তেমন এই সময়কেও বোঝা যায়।
এই সময়ের মানে শুধু হাঁটতে থাকা যাযাবরের মত
কোনো মরুভূমির মাঝে
আর তৃষ্ণা হলো মরীচিকা বাঁচার লোভ। 

শীত পড়লো না

শীত পড়লো না
................ ঋষি
==========================================
চলন্তিকা দিনকে দিন দূরত্ব হয়ে যাচ্ছ
এ বছর শীত পড়লো না তাই।
হঠাত বৃষ্টিতে দেখা বসন্তে সাথে তোমার ঠোঁটে
ভিজে একসার।
এই বছর শীত পড়লো না তাই
শুধু তাড়াহুড়ো করে অযথা দূরত্ব বেড়ে গেলো।


চলন্তিকা আজ সারা রাত কবিতা হবে
পাতার পর পাতা জুড়ে শুধু সময় নামক ভদ্রলোক মাড় খাবে।
সব ওই ভদ্রলোকের দোষ
বাজার দর,বেনামী রোগ ,রান্নার গ্যাসে বাড়তি ট্যাক্স।
ইভেন এমন কি তুমি
এই দূরত্ব।
ধুস শীত পড়লো না এবছর
সকালের শিশিরে পেলাম না খুঁজে চলন্তিকা তোমার শরীরে গন্ধ।
শুধু কুয়াসা মোড়া রাস্তা থেকে
কর্পরেসানের গাড়ি  একটা নগ্ন থ্যতলানো বডি পেল।
চলন্তিকা সেটা তুমি ছিলে না
হয়তো তোমার মত যন্ত্রণা কোনো।


চলন্তিকা দিনকে দিন দূরত্ব হয়ে যাচ্ছ
পরকিয়া বলে একটা শব্দের সাথে সভ্যতার মিশেল তাই।
শীত পড়লো না তাই
তোমার হাতে বোনা উলের সোয়েটারটা পরা হলো না।
সেটা আলমারির ভিতরে আমাকে ডাকছে
চলন্তিকা তোমার শীত করছে না তো।

নিদ্রিত প্রেম

নিদ্রিত প্রেম
................. ঋষি
=========================================

কই রে মেয়ে
আমার দিকে তাকা প্লিস।
আকাশ সে তো ফুরিয়ে গেছে বহুদিন হলো
তোর হাতে ওগুলো কি পুজোর ফুল।
পুজো হবে না
আকাশ মৃত যেমন মৃত এই সময়ের নিদ্রিত প্রেম।

কই রে মেয়ে, শুনছিস
প্রেম খুঁজছিস বুঝি।
শরীর  ছাড়িয়ে তোর ভাবনাদের চিতায় তোল
সতীদাহ প্রথা না হোক ,,ভাবনার দাহ তো হোক।
চোখ খোল
দেখ তাকিয়ে সামনের পার্কে নজরকাড়া মিথুন।
সময়ের দিকে তাকিয়ে দেখ
হাতঘড়ি বলছে সময়ের বদলানোর গল্প।
এখন প্রেম নেই
সে নাম বদলে শরীর হয়ে গেছে।

কই রে মেয়ে
অভিমান হলো ,,,সত্যি বললাম বলে।
প্লিস একটু ভাব নিজেকে কে তুই ,কি তুই ,কেন তুই
এই পৌরুষের বাজারে বিক্রিত ঝিঙে ,পটল ,আলু আর মাংস।
রান্না করবি ,,,বেশ হবে খেতে
মাংসের স্বাদে যদি প্রেম পাওয়া যায়। 

কবিতার শোক

লিখতে পারাটা একটা অসুখ  ভীষণ কষ্ট ,ভীষণ আনন্দ ,প্রেম প্রবাহ ,অসংখ্য শোক,শহর ,মানুষ   সব কেমন সাদা পাতায় সংসার বুনতে থাকে  শব্দদের ঘুণপোকার স...