Thursday, March 23, 2023

খিদে

বাবা বললেন জন্মের বুকে লেগে আছে নিশুতির ডাক
আমি ভাবলাম চাঁদ বোধহয় ডাকছে আমায়, 
মা বললেন জীবন একটা রান্না ঘর আর আমরা হাতাখুন্তি 
আওয়াজ তো হবেই 
আমি বুঝলাম মা খিদের কথা বলছে। 
.
আমার শেষতম বাজীর দানে আমি লাগালাম সবটুকু 
শেষ সম্বলটুকু 
দেখলাম বাবা আর মা ঝগড়া করছে
খুঁজছে অন্ধকার নিশুতি রাত 
আরও অবাক হলাম এখন আকাশে অমাবস্যা
অথচ আমার খিদে পাচ্ছে। 

আকাশের নিচে শুয়ে আছে লোকটা

 আকাশের নিচে শুয়ে আছে লোকটা 

তার বুকের শহরে বিভিন্নতা দাঁড়িপাল্লায় খুঁজে নিচ্ছে বিতৃষ্ণা 

তার পেটের ভিতর জমা হয়ে আছে বাংলা মদের গালাগাল ,

লোকটা আজ বহুদিন থেমে গেছে 

তার বুকের ভিতর ভালোবাসা আজও ঝরিয়ে দিচ্ছে পাথুরে বার্তা 

আমি স্থবির ,আমি ভীত 

আমি শব্দের পূজারী হয়ে লোকটাকে আজও বিশ্বাস করি 

" বুকের ভিতর কিছু পাথর থাকা ভালো -ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়। "

.

লোকটা সেই চির যুবকের দলে 

একদিন সেই চার চিরযুবক শাসন করতো অন্ধকার কলকাতার বিষন্নতা ,

স্ট্রিট লাইটের আলো ছিঁড়ে চিৎকার করতো অজস্র ঐশ্বরীরক সৃষ্টি 

আমার উপলব্ধিতে লোকটা আসলে ঈশ্বর ছিল 

যার মানুষ জন্মের উপলব্ধি আজও মানুষকে ভাসায়

যে নষ্ট হয় বারংবার 

যে চিৎকার করে সভ্যতার অন্ধকারকে নালিশ করে 

" বার বার নষ্ট হয়ে যাই

প্রভু, তুমি আমাকে পবিত্র

করো, যাতে লোকে খাঁচাটাই

কেনে, " 

.

শ্রদ্ধাঞ্জলী শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে 

Wednesday, March 22, 2023

বেমানান আকাশ

 বেমানান আকাশ 

... ঋষি 


ওরা বোধহয় ভালো আছে 

ওরা তবু কাছাকাছি আছে,

সমস্ত অন্যায় সংকল্পের পরও ওরা আজও একসাথে আছে 

আর আমরা দাঁড়িয়ে একলা 

দুই আলাদা গ্রহের মানুষ যেন চেষ্টা করছি বাঁচতে। 

.

একটা দড়ি দিয়ে আমি  মুড়ে ফেলেছি এই শহর 

সকলে আইনস্টাইন ,পিথাগোরাস ,হাতুড়ি আর পেরেক বোঝে 

অথচ সময়ের ঘরে আজও দড়িটানাটানি 

দড়ি ছেঁড়াছিঁড়ি ,

আমি কবিতা লিখি রোজ নিয়ম করে ভিখিরীর মতো 

কিন্তু কবিতার ঈশ্বরী আমাকে ছোঁয় না। 

.

ইদানিং আর আগুনে পোড়ে না হৃদয়ের কোনে জমা জঞ্জাল 

ইদানিং আর জ্বালা করে না শরীর 

কারণ আগুনের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আলাদা করে বুঝি কই 

কোনটা যন্ত্রনা ,কোনটা আমি। 

সব কেমন সত্যির ঘর থেকে দাবার ঘরে দাঁড়িয়ে আছে 

সম্পর্কগুলো মুখোমুখি সব মুখোশ খুলছে, 

আমার আয়নাতেও ইদানিং আমার মুখটা থাকে না 

থাকে না আমার শহর 

থাকে না এই নগর 

শুধু একটা বোধ কাজ করে 

আমি বোধহয় ঘাসের শরীরে জন্মেছি শিশিরের আশায় 

কিংবা সেই গাংচিল সারা আকাশ জুড়ে স্বপ্নের আশায় 

কিন্তু ঘাসের স্বপ্ন এই ইট ,কাঠ ,পাথরের শহরে বড় বেমানান

বড়ই বেমানান আকাশ। 

Tuesday, March 21, 2023

কবিতা আর রক্তকরবী



কবিতা আর রক্তকরবী 
.. ঋষি 
.
ইদানীং কবিতা আমাকে কাঁদায়
সে যেন রক্তকরবীর সেই নন্দিনী এক সুন্দরী নারী
যার বুকে রঞ্জন এক মুক্তির নাম,
যার বাহুতে ,যার গলায় জড়ানো রক্তকরবী 
সে যেন আগুন ,সে যেন বিদ্রোহ ,সে যেন কবিতা । 
কবিতাকে  ইদানীং আমি আর জড়াতে পারি না
কিছুতেই তাকে ছুঁতে পারি না
অথচ নন্দিনীর মত সে আমার বুকের মাঝে আছে  
আগুন জ্বালায় ,আমি পুড়ি 
জানি সে আমাকে ভালোবাসে। 
.
কবিতা আজকাল আমার মুখের দিকে তাকিয়ে হাসে
কখন মুখ ভেংচায়, 
কখনো বা ঝগড়া করে যক্ষপুরীর রাজার সাথে
................আমার সাথে ,
কখনো বা কবিতা নন্দিনী হয়ে হাসে খিল খিল করে বাচ্চার মত
সেই হাসির শব্দে আমার ভয় লাগে
সেই হাসির শব্দে কাঁপুনি দিয়ে আমার গা গরম হয়
আমি হয়ে উঠি অসময়ের ঈশ্বর ,অসময়ের ভাবনায় আমি একা 
সত্যি আমারও ভয় করে। 
কবিতা মায়ের সাজে,বন্ধুর সাজে সারা রাত জাগে আমার শুশ্রূষায় 
কিন্তু সে আমার মাথায় হাত রাখে না 
শুধু অসুস্থ চোখে সে মায়ার মতো ,চোখ খুললেই ম্যাজিক 
না সে আর নেই  । 
.
আমি বুঝতে পেরেছি কবিতা আসলে রক্তকরবীর নন্দিনী
আমি জানতে পেরেছি নন্দিনী আসলে আমার ভিতরে সুপ্ত মুক্তি 
নন্দিনীকে কেউ ছুঁতে পারে না
কারন তার বুকে প্রেম সে যে রঞ্জন
তাকে সকলে পেতে চায় ,তাকে সকলে পুজো করতে চায় 
কিন্তু সে যে সকলের নয় ,সে শুধুই রঞ্জনের।  
আসলে রঞ্জন কোন পুরুষ নয় 
এক বিদ্রোহ সময়, এক তুফানী ঘোড়া,এক হার না মানা উপস্থিতি 
আসলে রঞ্জন কোন অধিকার নয় ,সঙ্গম নয় 
রঞ্জন হলো নন্দিনীর বুকের ভিতর সেই সবুজ মাঠ 
যেখানে শিশির পরে ,যেখানে ফুল ফোটে ,যেখানে মানুষ হাসে 
যেখানে মানুষ  বাঁচে 
আর আমি ?
আর আমি রঞ্জন হতে পাবো না  কোনদিনই ।
আমি কবিতা লিখেছি, লিখেছি নন্দিনীকে
হয়তো ভালোবেসেছি
কিন্তু আমার ভালোবাসায় কোন মুক্তি নেই
আছে প্রশ্নচিন্হ ,
আছে এক দমবন্ধ করা চার দেওয়ালে আটকানো আকাশ 
সেখানে শব্দরা সব দমবন্ধ ,সেখানে সম্পর্কগুলো মৃত 
সেখানে ক্ষমা নেই ,সেখানে শোক নেই ,সেখানে ব্যাপ্তি নেই ,নেই ব্যাকুলতা 
সেখানে শুধু কিছু শব্দ ভালোবাসা খুঁজতে থাকে 
সেখানে আছে কিছু মুহূর্ত যা শুধু মুক্তি খুঁজতে থাকে ,
তাই বোধহয় কবিতা কোনদিনই আমায় হয়ে ধরা দেয় নি
হয়তো সে তাচ্ছিল্যের চোখে তাকিয়েছে
আমি ভেবেছি কবিতা
কিন্তু সত্যি হলো আমার কবিতারা কখনো নন্দিনীকে বুঝতেই পারে নি।


Wednesday, March 15, 2023

একঘেয়ে

 একঘেয়ে 

... ঋষি 


বুকের কাছে কষ্টগুলো আঁকড়ে আছি 

হাজারো সুখে  দুঃখগুলো ভালোবাসি 

আমি জানি ,তুমিই জানো কেমন আছি 

একলা নদী সুখের কোলে বানভাসি। 

.

নির্জলা সেই প্রস্তাবেতে আজকে সেলাম 

আমরা সবাই তাসের ঘরে অন্য গোলাম 

একটা সময় কফিন ঘরে বেশ তো ছিলাম  

বসন্ত ঘোর ভাঙছে নাটক তুলকালাম। 

.

একলা লেখা শব্দগুলো বুক পেতেছে 

পায়ের মেঝেয় মার্বেলেরা সুখ মেখেছে 

সাদা পাথর তোমার লেখায় দুঃখ সেজেছে

তোমার কষ্টে আমার সেদিন বুক ভেঙেছে। 

..

আমি আছি ,তুমি আছো, আমরা সবাই

ঘড়ির কাঁটায় সত্যিগুলো দুঃখের দাওয়াই 

সবুজ মাঠে আমরা সবাই সুখকে চড়াই 

চুরির দায়ে একলা জীবন তোমায় বোঝাই। 

.

ভুল করেছি ,সত্যিগুলো চিবিয়ে খেয়ে 

কান ধরেছি ,মিথ্যে এই সময় গেয়ে 

বাঁচছি আমি আবার যখন তোমায় পেয়ে 

দুঃখসুখের গল্পগুলো সব একঘেয়ে।   


Tuesday, March 14, 2023

প্রশ্নচিন্হ

 প্রশ্নচিন্হ 

... ঋষি 

.

ভবিষ্যতের কাছে প্রশ্নচিন্হ -আমরা ?

সময়ের কাছে প্রশ্নচিন্হ -আর কতদিন ?

জীবনের কাছে প্রশ্নচিন্হ - অপেক্ষা ?

মৃত্যুর কাছে প্রশ্নচিন্হ - সম্পূর্ণতা ?

মানুষে কাছে প্রশ্নচিন্হ - এই পৃথিবী ?

কবিতার কাছে প্রশচিন্হ -শব্দরা 

.

শব্দময় এই পৃথিবীতে হাজারো প্রশ্নচিন্হ 

হাজারো কবুতর সময় থেকে ভবিষ্যতের দিকে উড়ে চলে যায় 

এই খোলা আকাশ যেন প্রশ্রয় ,যেন আশ্রয় ,যেন না দেখা সেই সময়। 

আমি হিরণ্যকশিপুর বংশধর 

আমার মাতৃজঠরে অসংখ্য আগুনের ফুলকি বর্ষিত হয় 

সুখ থেকে শব্দার্থে আমি অপেক্ষার প্রশ্নচিন্হ। 

.

চলন্তিকা বলে এই শহরে সকলেই বড় বেঈমান 

চলন্তিকা সবুজ আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে হাসতে থাকে 

আমি প্রশ্নচিন্হ খুঁজি 

খুঁজি পলাশের ফাঁকে উঁকি দেওয়া সেই আকাশটাকে 

আচ্ছা মুগ্ধতা তবে একেই বলে। 

অবাক লাগে ভাবতে 

আমার মৃত্যুর ওম চলন্তিকার বুকে জন্ম খুঁজতে থাকে 

আমার জন্মরা চলন্তিকার বুকে আগুন জ্বালাতে থাকে 

চলন্তিকা পুড়ে যাওয়া সময়ের নাম 

চলন্তিকা ক্রমশ ধেয়ে আসা দাবানল আমার বুকের খাঁজে,

আমি তো মরে গেছি কবেই 

তবুও বেঁচে আছি কবিতার পাতায় না জানা উত্তর বুকে 

আমিও কি তবে প্রশ্নচিহ্নে বেঁচে ?


Friday, March 10, 2023

বাংলা খেয়ে বলছি না

 বাংলা খেয়ে বলছি না   

... ঋষি 


মাঝে মাঝে দাঁত খুলতে ইচ্ছে করে 

মাঝে সৈন্য সামন্তদের নামিয়ে দিয়ে ইচ্ছে করে বাংলার বিবস্ত্রতায় ,

আমরা হাতিয়ার খুঁজছি 

অথচ ভুলছি শান দিতে ,

গেয়ে উঠছি বাংলার মাটি ,বাংলার গান 

অথচ শস্য শ্যামলা মেয়েটাকে পুরুষ ঠকাচ্ছি। 

.

প্রশ্ন করছি না 

বিবস্ত্রতা কাকে বলে ?

প্রশ্ন করছি না বিবস্ত্র মানে কি শুধু দ্রৌপদী 

শুধুই নারী ?

পুরুষ কি বিবস্ত্র নয় ,সময় কি বিবস্ত্র নয় 

অলংকার আর অহংকারের গয়না বদলে আমরা সকলেই বাংলার মাইয়ে হিসু করছি। 

.

প্রচ্ছন্ন একটা ছবি আঁকতে চাই আমরা 

সমাজ ঠকানো ষড়যন্ত্রের ভিড়ে আমরা সকলেই বিবস্ত্র নাগরিক 

অথচ চোখে আমাদের রোদচশমা গাড়ি ,বাড়ি ,নারী

কিন্তু লজ্জা কোথায় ?

রাষ্ট্র বলছে লজ্জা একটা ষড়যন্ত্রের নাম 

একাডেমি বলছে সাহিত্য একটা বোকামির নাম ,

মিডল এজে দাঁড়ানো মানুষগুলো বলছে সেক্স হচ্ছে সভ্যতার অধঃপতনের কারণ, 

রিয়ালিটি বলছে এখানে ধর্ষণ হয় 

এখানে দখল করতে দুনিয়া করলে মুঠঠীমে  বোমাবর্ষণ হয় 

এখানে সাহিত্য বিজ্ঞাপনী ব্যবসা করে 

এখানে রবীন্দ্ৰনাথ ,সত্যজিৎ ,জীবনানন্দ সকলেই অবসাদগ্রস্থ পাগল 

এখানে রামকিংকরবেজ ,শরৎচন্দ্র ,সমরেশ বসু সকলেই চরিত্রহীন নেশা 

এখানে প্রতিটা কবি চরিত্রহীন ,লম্পট 

এখানে ফুটপাথে আধপেটা খাওয়া ছেলেটা আসলে চোর 

এখানে রাস্তায় দাঁড়ানো টুসি কিংবা মারিয়াম চরিত্রহীনা অথচ অবলা । 

.

আসলে আসল সত্যিটা বুঝতো আমার ছোটবেলার নাদের আলী  

নাদের আলী বলতো লুঙ্গির তলায় কি আছে সেটা না বলাটা সমাজ 

লুঙ্গিটা হলো সময়ের রাষ্ট্রনীতি যাকে ইচ্ছেমতো ধুঁয়ে নিলেই পরিষ্কার 

আর বাংলা আর বাঙালি জাতটা -হিপোক্রেট 

কারণ এরা নিজেরাই নিজেকে ঠকায় 

আর সো কল্ড ভিক্ষে করে দুনিয়ার চিড়িয়াখানায়

বাংলাকে বিক্রি করে নাম কামায় অসহায়তার নামে

এখানে সকলে মানুষ বলে 

অথচ প্রতিবছর ভোটে  নিয়ম করে গুলি করে মানুষের সংবিধানকে  ।

আমি বাংলা খেয়ে বলছি না 

আমি বাংলায় বলছি 

এখানে বাংলার বিবস্ত্রতায় হচ্ছে সত্যির কল্পনায় চোখবন্ধ রেখে নাড়ানো 

আর পরিনাম কিছু বেজন্মা সময় আর কিছু বেজন্মা মানুষ।  

 

ভালো আছো

 ভালো আছো 

... ঋষি 

.

একটা মিথ্যে হাসি হেসে তুমি বোঝাতে চাইছো 

ভালো আছো 

একটা মিথ্যে সময়ের ভিড়ে নিজেকে মিশিয়ে তুমি বোঝাতে চাইছো 

ভালো আছো 

একটা সময়ের কল্পনায় সময়কে বড় অবহেলায় বলছো 

ভালো আছো। 

.

আসলে তুমি পারো ,তোমরা পারো 

অসংখ্য বিষের পেয়ালায় নিজেদের সাজিয়ে খুব সহজে বলতে 

চিয়ার্স ,

সত্যি হলো তোমাদের শাড়ি বলে একখানি আভরণ আছে 

যার আড়ালে তোমরা খাজুরাহো সাজিয়ে 

সময়কে পরিবেশন করো সামাজিকতা  আর চাণক্য

আর নিজের মৃত্যুর পেয়ালায় ঠোঁট রেখে বলো চিয়ার্স । 

.

আমি ফ্রয়েডের দেশের লোক না 

আমার দেশে বনলতা সেন যেমন কবিতায় ,কল্পনায় 

ঠিক তোমাদের গণেশ পাইনের আঁকায় তোমাদের সমাজ

কিংবা রামকিঙ্করের চোখে নারী, 

আমি কোলকাতিয়া কবি   

যার কাছে তুমি এই শহরের ধুলোয়  চলন্তিকা ,

এক গতিময় সভ্যতার আগুনে পুড়তে থাকা নারী 

এক লোমহর্ষক নদীকূলে বাড়তে থাকা জনবসতি 

এক বিমর্ষ অন্ধকার ভেজানো রাতে সামাজিক নিরাপত্তা 

এক কবির  চোখে লেগে থাকা স্বপ্নের আগামী। 

তোমার চোখে জল থাকে অথচ মুখে থাকে না কথা 

কারণ কথাগুলো লেখা হয়ে যায় সময়ের এপিটাফে 

একটা নিয়িমিত রীতিতে 

তুমি কিংবা তোমরা মেয়ে না 

সুতরাং বলতে নেই তোমাদের মন্দ থাকার কথা

তোমাদের বলতে নেই সত্যি  । 

 

Monday, March 6, 2023

শুভেচ্ছা বার্তা



 শুভেচ্ছা বার্তা 

... ঋষি 

..

যে রঙ  ছড়াতে চেয়েছি  এই সভ্যতার আলোয় 

তার কিছুটা হলেও পূর্ণতা পাক ,

দরিদ্রের ভাতের গন্ধে লাগুক এক সভ্যতার ঐকান্তিক আদর 

শৈশবের ভ্রুণে লাগুক যন্ত্রণাহীন সমাজ 

শিমুল ,পলাশ আর রঙিন আদরে ভেসে যাক মাটির রং 

মানুষ ছাড়ুক নকল রঙ 

ভেসে যাক মানুষের বুকের মাটিতে এক  স্বাধীন মানুষ । 

.

শুভেচ্ছা বার্তা মানুষের প্রতি 

শুভেচ্ছা বার্তা সময়ের ঘরে সমস্ত সম্পর্কের নামে 

শুভেচ্ছা বার্তা প্রেমিকের বুকে বাস করা সেই মুখটাকে

শুভেচ্ছা বার্তা আরেকটু আমার  চলন্তিকাকে 

আরেকটু সময় ,আরেকটু ভালো থাকা বস্তির কুপির আগুনে নিহত রঙ 

আরো রঙিন হোক সকলের জীবন।  

 .

শুভেচ্ছা বার্তার পরে যতটুকু থেকে যায় 

তা হলো সাদর আমন্ত্রণ বসন্তের রঙে রাঙানো রঙের দিনটাকে ,

আসলে যে রঙ ছড়াতে চেয়েছে জীবন 

তার কতটুকু চাওয়া 

এই সভ্যতার আলোতে আগুনের স্ফুলিঙ্গে বাঁচা 

সে তো নয় চাওয়া 

চাওয়া জীবনের পরে জীবনের তরে 

মূহুর্তের সবুজ রং ,লাল নয়

আদরের রঙটুকু।  

.

আরো পূর্ণতা চাই মানুষের জন্য ,সময়ের জন্য ,শাসনের জন্য 

আরো পবিত্রতা চাই ভালোবাসার জন্য ,শৈশবের জন্য ,সম্পর্কের জন্য 

আরো মানুষ চাই মানুষের অর্থে 

আরো সবলতা চাই মেরুদণ্ডের স্বার্থে 

শুধু শুভেচ্ছা বার্তা নয়

মানুষের রঙিন মুখোশের আড়ালে আজ দিনটাতে বলতে চাই কবির ভাষায় 

"ওরে গৃহবাসী খোল্‌, দ্বার খোল্‌,   লাগল যে দোল।

         স্থলে জলে বনতলে লাগল যে দোল।

                   দ্বার খোল্‌, দ্বার খোল্‌॥"

Saturday, March 4, 2023

অভিমান

অভিমান
.. ঋষি 
গত বারো বছর ঘুমোয় নি আমি
আগামী বারো বছরও আমি ঘুমোতে পারবো না
এই শুকনো মাটিতে কাঁটাগাছের ঝোঁপ
গোলাপ ফুটবে না কখনো
কেউ বিশ্বাস করবে না জানি আমার হৃদয়ের মাঝে ঘুমিয়ে আছে
প্রায় চল্লিশ বছরের এক লোভী আত্মা।
.
সমস্ত মুহুর্তের মাঝে আমি লিখে রেখেছিলাম তোমার নাম 
কোন ভুল এসে বারংবার মুছে গেছে তাকে, 
সমস্ত অন্ধকারের মাঝে আমি বারংবার লিখেছি বাঁচতে চাই 
কিন্তু এই শয়তান জীবন রাক্ষসের মতো গিলে খেয়েছে বাঁচা 
কিছু বদলায় নি এই দেশে কখনো 
শুধু বারংবার বদলেছে হৃদয়ের ভাষা। 
.
কোন বেশ্যা পল্লীর দেওয়ালে আমি লিখিনি তোমার না
কোন মাছের বাজারে আমি ছেড়ে আসি নি আমার কবিতার খাতা
তবু আমি বোকা, জানো
কোন এক অসমাপ্ত কবিতা লেখার আশায় 
আমার অপেক্ষা,
আমার কবিতারা রক্তাক্ত পাশবালিশ বলে 
আজ অবধি ভালোবেসে পাঠ করে নি কেউ,
হয়তো তাচ্ছিল্যে পড়ে ফেলেছে
কিন্তু বুঝতে চাই নি কেউ।

যাওয়া আসা

 যাওয়া আসা 

.. ঋষি 


বিকেল ধরে দাঁড়িয়ে থাকা ছিল 

সন্ধ্যা একা , অন্য হাওয়া নিয়ে, 

কথাদের  সব দোষের ঘরে বাসা 

দোষগুলো সব মুছবো আদর দিয়ে । 

.

এলে তুমি নিজেই চলে আসো 

জেনেছি আমি আসল নায়ক নই ,

বন্ধ সময় ,একলা আকাশ পাখি 

আমিও তবে একার রাজা  হই। 

.

কারণ দিয়ে কারণ তোলার নিয়ম 

চোখ দিয়ে তো হৃদয় যায় না দেখা 

ধোঁয়ার শহর ,অবিশ্বাসের বুক খুলে 

ঠোঁটের উপর ঠোঁট যায় না রাখা। 

.

ভিলেন আমি নিখুঁত গলির মোড়ে 

সামনে রাখা চোরা পথের বাঁচা 

দরজা দিয়ে চোর পালালো নাকি 

বারান্দা নেই ,পাখির খাঁচা রাখা। 

.

সবার শেষে দাঁড়িয়ে আমি আছি 

সন্ধ্যা ফুরোয় রাত আসবে বলে 

রাতের শেষে দিন যদি না আসে 

একলা পথে যেতেই হবে চলে। 


 


অনবদ্য কবিতা

আমরা কেউই অনবদ্য কবিতা নই আমরা সাধারণ যারা তারা শুধু বেঁচে আছি বেঁচে থাকবো বলে, আমাদের কবিতারা আকাশে উড়তে পারে না শুধু ডানা ঝাপটায়, হঠাৎ  অব...