Thursday, December 31, 2015

অনুভব (৫২)

অনুভব (৫২)
................... ঋষি
================================================
যেমন শহর ফুরিয়ে যায় কোনো গ্রামাঞ্চলে
ঠিক তেমনি আমি ঘাসের উপর শিশির।
এখন সময় ফুরিয়ে গেছে সারা অস্তিত্বে একটা প্রহসন রাখা
নিজের পরিচয় ,নিজের গভীরে একটা ছুড়ি রাখা।
ধার করা বাঁচার অনীহা নিয়ে
একটা হাঁড়িকিরি ঘটে যেতেই পারে।

মরচে ধরা ছুড়ি
তার উপরে কোনো আদিম সম্রাটের হাতের ছাপ।
ছাপ পরে আছে অসংখ্য মৃত্যুর
নিদারুন যন্ত্রণার সাক্ষী নিয়ে ফুরোতে চাই না তলোয়ার।
পুরনো হয়ে যায়
মরচে ধরে যায়।
সময়ের সাথে ,সময়ের ধুলোর আড়ালে লুকোতে লুকোতে
কখন যেন একলা হয়ে যায়।
তবু একবার ফিরে আসতে চায় জীবনে বাকিটুকু দিনে
লিখে রাখতে চায় অনুভবের কবিতায়।

 যেমন শহর ফুরিয়ে যায় কোনো শহর প্রান্তরে
ঠিক সেখানে আমি ফুটে ওঠা রক্ত গোলাপ।
আমার গোলাপের গন্ধে সুরভিত অস্তিত্বের অন্ধকার রং
বাঁচছে সবাই ,আমি ,তুমি ,সে।
ঠিক সে যন্ত্রণা ,আমার গভীরে এক তলোয়ার
যার কল্যানে  একটা হাঁড়িকিরি ঘটে যেতেই পারে।

অনুভব (৫১)

অনুভব (৫১)
................. ঋষি
================================================
ক্লান্ত একটা ফ্রেশ কমলালেবু তোর মধ্যে রাখা
তুই প্রশ্ন করলি ক্লান্ত আবার ফ্রেশ।
আমি বললাম শীত শীত এই যন্ত্রণার চাদরে তুই ক্লান্ত
আর ফ্রেশ কারণ শীতের দুপুরের মতন চকচকে তোর উপস্থিতি।
হাসছিস জানি ,খুব হাসছিস
কিন্তু শোন যন্ত্রণা না থাকলে তোর হাসিতে একটা বৃষ্টির শব্দ।

অবাক হোস না এমন করে
ঠিক বৃষ্টির রিনঝিনি ঝিলিক লেগে থাকে তোর হাসিতে।
দু এক ফোঁটা ছিটকে ছাটকে আমার শরীরে আসে
লোম খাড়া ,অদ্ভূত শিহরণ,
কেমন একটা শীত শীত ভাব যন্ত্রণার চাদরে।
আবার হাসছিস
এক দুপুর শহর নিয়ে জানিস একদিন বৃষ্টি এসেছিল।
আর তারপর কি অবস্থা
রাস্তায় এক হাঁটু জল ,তোর চোখের পাতায়।
আমি ডুবে গেলাম ,ভিজলাম ,বললাম ছাতা কই তোর শহরে
তুই অবাক হয়ে শুধু হাসলি
আর হাসলি।  

ক্লান্ত একটা ফ্রেশ কমলালেবু তোর মধ্যে রাখা
সদ্য ফ্রিজ খুলে তোকে হাতে নিলাম।
এক একটা পাঁপড়ি খুলে যাচ্ছে সময়ের সাথে সাথে
আর সময় ফুরোচ্ছে অনুভবে।
এক বুক যন্ত্রণা তখন ঠিক হাসছে তোর মতন আয়নায়
আর আমি অবাক শহরের ,অবাক নাগরিক। 

অনুভব (৫০)

অনুভব (৫০)
................... ঋষি
==============================================
ছন্দে ছন্দে উগরে পরছে  আমার মুখে সময়ের রক্ত
পরম স্নেহে যন্ত্রণা আমার শিয়রে।
হাত বোলাচ্ছে আর সমস্ত অনুভব দিয়ে কাগজের শিরায়
গেঁথে দিচ্ছে এক একটা তীর।
ফিনকি দিয়ে রক্ত
প্রবেশ কোনো দুর্গম দুর্গে দেওয়ালে ঠেকে যাওয়া পিঠ।

প্রজ্বলিত ওয়েসিস যেন তুমি জীবন
ধরা দাও ,অথচ বাঁচতে  দাও না।
মুহুর্তের বরাদ্দ বাড়তে থাকে মরু তৃষ্ণার মতন
বাঁচতে চাওয়া মুহূর্ত।
আকাশের দিকে তাকাই আমি বুনো চাতক ,বসে থাকি বৃষ্টির আশায়
জানি না , মরুবনে মৃত্যুর এই তৃষ্ণা  কতটা স্থায়ী।
জানি না ,জীবিত এই যন্ত্রণা কতদিন স্থায়ী
তবু বাঁচবো আশায় আশায়।
বৃষ্টি আসবে ,আমাকে ভেজাবে ,ভিজবে অস্তিত্ব
তারপর চুপ একদম
শান্তি।

ছন্দে ছন্দে উগরে পরছে  আমার মুখে সময়ের রক্ত
নিয়মিত বোঝাপরায় চেতনার সাগর।
সাগরে জল বাড়ে ,বৃষ্টির জল সময়ের ,বুঝি কি
তাই আমি নদীকে ভালোবাসি।
আর আশা রাখি নদী বয়ে যাবে আমার শুকনো বুকে পরম আদরে
আর তৃষ্ণারা মরুভূমির ওয়েসিস। 

অনুভব (৪৯)

অনুভব (৪৯)
.............. ঋষি
=======================================================
আজ আমি দিলদরাজ ,
মহুলিয়া ঘ্রানে মুখর আমার মন।
অদ্ভূত কিছু একটা ছুঁয়ে যায় আকাশে ,বাতাসে
নিরিবিধি এক নিভৃত যতনে।
আমার সাথে শরীর আছে কিনা জানি ,আছে এক যন্ত্রণা
ঠিক তোর মতন আয়নায় আমার রূপ।

মধুবনি শিল্পের শরিক সাদা কাগজ ,আজ পুড়ে গেছে
 আমার বুকের ওমে।
সোনার কাঠি রুপোর কাঠির গল্প বলা শেষ
পরে আছে স্পর্শদের অধিকারের মতন কোনো জিততে চাওয়া।
রয়ে গেছি আজন্ম মেরুদন্ডে বাঁচার লোভ
অসংখ্য সময়ের চিত্কারে আমার কান বন্ধ ,নিঃশ্বাস সেও হয়তো বন্ধ কোনদিন
কিন্তু আজ না
আজ আমি দিলদরিয়া কোনো অসীম আকাশের চাহিদা
এক বুক গোপন মনিমুক্ত নিয়ে তার দরজায়
যন্ত্রণা ঠিক তোর মতন
সে খুব গভীরে আমার।


আজ আমি দিলদরাজ
মহুলিয়া ঘ্রানে অদ্ভূত এক লাল চোখে  পৃথিবী।
পৃথিবীর সমস্ত পর্দা সরে যাক ,আকাশের বুক খুলে ফেলুক লজ্জা
খুলে যাক পৃথিবীর সমস্ত নিলজ্জ মুখ।
আমি মিশে যায় সময়ের ঘামে আরো নষ্ট কোনো ঘামের গন্ধ
আরো গভীরে যন্ত্রণা তৃষ্ণায় বাঁচুক আমার মুখ। 

অনুভব (৪৮)

অনুভব (৪৮)
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, ঋষি
=================================================
কে বলবে , তোর মধ্যেও এমন  সেতার বাজতো
মৃদঙ্গ বাজতো , , , আমার জন্য !
আদিম  প্রেমের জলোচ্ছ্বাসে এমন একটা নদী
তোর গভীরতা ছুঁয়ে এঁকেবেঁকে যেন কোনো অজগর আমার ভিতর।
স্তুপাকৃত আমার মধ্যে ,কে জানতো
কোনো নিঃস্ব ভিখিরী না ,এক আলাদিনের দৈত্য আছে ।

অদ্ভূত সে দৈত্য
যে বন্দী কোনো প্রদীপের ঘর্ষণে  এক আদিম যন্ত্রণার আকাশের রূপ।
অদ্ভূত সেই সময়
যে আকুল আগ্রহে অপেক্ষা করে তোর মতন কোনো হৃদ্দিক স্পর্শের।
এও এক যন্ত্রণা
অদ্ভূত এক বিশাল দৈত্যের এক শহর স্বপ্ন বুকে ।
স্বপ্নে কোথাও নাগরিকত্ব নেই ,নেই কোনো নিয়ম ,নেই সড়ক
নেই কোনো জীবিত ,নেই কোনো স্পৃহা ,একমাত্র ইচ্ছা আছে।
বেঁচে থাকার
আরো গভীরে থাকার
যন্ত্রণা ঠিক তোর মতন হাসিতে লেখা এক মহাকাব্য।

কে বলবে ,তোর মধ্যেও এমন একটা জলতরঙ্গ আছে
আছে একটা জংলি ড্রাম ,,,আমার জন্য !
আমি তো শুধু স্বপ্ন দেখেছি একটা শহরের ব্যস্ত ফুটপাথের
তুই কখন পাশে এলি বুঝতে পারি নি।
কত দিন কার সেনা ,হাত ধরে বললি
চল এবার কোথায় যাব বল তোর সাথে। 

অনুভব (৪৭)

অনুভব (৪৭)
................. ঋষি
========================================
একটা গোটা পৃথিবী
একটা আকাশ ধরা আছে,আছে  মৃত্যু চারদেওয়ালে।
সেই দেওয়ালের রঙিন স্তন্ধতায় আমার আদিম দর্শন
নাট বল্টু দিয়ে ফিট করা একটা নদী আকাশের গায়ে।
জলপ্রপাত ,ইচ্ছা ,মেঘ ,বৃষ্টি
অসংখ্য আস্ফালনে আমি আরো গভীর নাবিক।

চোখ খুলতে ইচ্ছে করে না
তুই যখন আসিস যন্ত্রণার মতন সময়ের ভিজে কবিতায়।
আমার ভাবনারা ডুবে যায়
তোর কয়েকশো ফিটের ম্যাপে রাখা মানচিত্রের ভূমিকায়।
আরো গভীরে আমি ডুবুরি কোনো
একটা বহুদিনকার চেনা হৃদস্পন্দন শুনতে পাই।
যেন কোনো চেনা বাঁশির মধুর শব্দ
আসতে আসতে চোখ বন্ধ হয়ে যায় নিজে নিজে।
আমি হারিয়ে যায় যন্ত্রণা গভীরে
তোকে খুঁজে পাওয়ায়।

একটা গোটা পৃথিবী
একটা বিশাল বড় তাঁবু খাটানো আছে নিরন্তর প্রশ্রয়ে।
আমি কোনো জানোয়ারের মতন বিচরণ করি তোর সবুজ বুকে
ইচ্ছে মতন তোকে আহরণ করি আদিমতায়।
তুই চুপ করে হাসিস ,চিরকালীন যন্ত্রণা
আর আর বলিস আয় আমার বুকে আয়। 

তবু " Happy New Year "..

তবু " Happy New Year  "
................. ঋষি
=====================================================
৩৬৫ দিন পার  করে  ফেললাম 
শুভেচ্ছা  সময়কে, ওহ  শুভেচ্ছা আপনাদেরও বটে।
ইংরাজিতে একটা নতুন বছরের ক্যালেন্ডারের শেষ পাতায় এসে
বলতেই পারি বদলায় নি বিশেষ।
শুধু চামড়ার বিশেষণ ছাড়া
আর মানুষের অনুবর্তিতায় সেই হীনমন্যতা বদলালো কই।

ওহ ভুল করে বলছি বোধহয়
সমাজের উচ্চপতিরা বলবেন আজকের শুভক্ষণে শুভ শুভ বলো।
আইনের বিচারপতিরা বলবেন এই তো রায় দিলাম ট্রেনজেন্ডারের পক্ষে
আর পুলিশ প্রশাসন বলবে আপনারা সকলেই তো সুরক্ষিত।
কিন্তু আমি বলবো কতটা সুরক্ষিত আমরা ?
গতকাল খবরের পাতার ব্যবসা ১৪ বছরের একটি মেয়ে ধর্ষিত পুলিশ কর্মী দ্বারা
আজকের মিডিয়াতে খবর পুনেতে কল সেন্টারের কর্মী ধর্ষিত।
এখন আপনারা বলবে ধর্ষণ কোনো খবর হলো ওতো মানবিক রেওয়াজ
মেয়েটা বেঁচে  আছে কিনা বলো।
আচ্ছা  তবে শিক্ষা ব্যবস্থা বলি , সময় বলছে ইংরাজি মাধ্যম
অথচ তার  মাধ্যমের প্রারম্ভিক ডোনেসান  এক লাখ।
আপনারা বলবেন আরে মুদ্রাস্ফীতি সময়ের সাথে চলতে হলে মেনে নিতে হয়
কিন্তু প্রশ্ন আমার মেনে চলতে চলতে আর কতটা নামবো আমরা।
যে গরিব দেশের গড় ব্যক্তিগত মাসিক  ইনকাম  ১৪৭১ টাকা
সেখানে বেঁচে থাকাটা যন্ত্রণার,সেখানে আবার নতুন বছর।

তবু ৩৬৫ পার করে আমরা নতুন বছরের দরজায়
ঘড়িতে ঠিক রাত বারোটা ,বিশ্বের নিয়মে নিয়মিত আমি বলতে বাধ্য।
 " Happy New Year  " ,নতুন বছরের শুভেচ্ছা
শুভেচ্ছা আপনাদের বেঁচে থাকাকে।
একই চর্বিত চর্বন, আশা রাখুন হৃদয়ের পক্ষ থেকে সকল মানুষকে
সুস্বাস্থ্য,স্বাধীনতা ,চেতনা আর মানুষের অধিকার। 
.
.
(Happy New Year 2016 wishes to all my friends. New years bring new light to our hope in our lives.)

Wednesday, December 30, 2015

অনুভব (৪৬)

অনুভব (৪৬)
............................ ঋষি
===================================================
ভেবেছিলাম আমি আর উঠে দাঁড়াতে পারবো না
আমার পরিচয়পত্রহীন জন্ম ইতিহাসে।
না কোনদিন কোনো আলাদা সত্বা দিতে পারবো না
কিন্তু যন্ত্রণা তুমি সেদিন ও ছিলে মায়ের মতন।
এখনো আমার হৃদয়ে প্রেমিকার মতন
দেখো আমি হামাগুড়ি ছেড়ে হাঁটছি তোমার পাশে।

আমার মাটির বাড়ি ,আমার পড়ার টেবিল ,আমার জানলার খোলা আকাশ
ভেবেছিলাম সবাই  বুঝি ত্যাগ করলো আমাকে।
কিন্তু কি অদ্ভূত সকলে চলে গেছে
আমি আজও দাঁড়িয়ে বৃষ্টির সেই ঘুটঘুটে রাতে পেঁচার মতন।
যন্ত্রণা হয় ভাবলে
পৃথিবী যখন  বলেছিল তুই আমার সন্তান না
জীবন তখন একমুহুর্তে সরে গেছিল পায়ের তলায় মাটি।
 বুঝেছিলাম আমি  তো মৃত ,আমার  শান্তি কোথাই।
কিন্তু আমি জানি
আমি জীবিত আমাকে জন্য তুই আছিস তো যন্ত্রণা।

বুঝিনি-দৃশ্যপট বদলাবে এত তাড়াতাড়ি
যেমনটা হয় ট্রেনের জানলায়।
পিছনে চলে যাওয়া সময়ের পদশব্দ ক্রমশ বিলাপ করে আমার হৃদয়ে
অথচ জীবন এগোতে থাকে নির্দিষ্ট পাট্রিতে।
আমার মন মন ভাব নিয়ে আমি বড়ো পূর্ণ আমার কবিতার খাতায়
আর আমার যন্ত্রণা মিলন ,বিরহের উর্ধ্বে কোনো আলাদা সম্পর্ক।


অনুভব (৪৫)

অনুভব (৪৫)
................... ঋষি
===============================================
পরশুর আগের দিন পর্যন্ত অনুভুতিরা ছিল অবশ
সৃষ্টি যেন দুরন্ত দামাল শিশু।
কোন ছিরিছাঁদ নেই কবিতায়
বেরং যেন বড়ই স্পষ্ট রামধনুর রঙে অস্পষ্ট ছায়ায় মেশা।
ছায়া পরিস্কার হলো
আমি কেমন জানি অভ্যাস হয়ে গেলাম তোর।

চায়ের ভাঁড়ে ঠোঁট পুড়ছে
সিগারেটের ঠোঁটে নিকোটিন হৃদয়।
কেমন একটা আনকোরা ভার্জিনিটি সারা ঐশ্বরিক অস্তিত্বে
সময় যে কিশোর হয়ে গেলো।
আর যন্ত্রণা সে কোনো সদ্য একুশে  পাড় ভাঙ্গা শাড়ি
আমার সামনে দাঁড়িয়ে ছায়ার মতন।
আগলাতে চাই বুকের খোলা দরজায় তোর পায়ের ছাপ
লক্ষ্মী এলো ঘরে।
তারপর বাটা ভরা পান আর আমার হাতে কলম
দুটোই সুজলে সুফলা লাল রঙে
তোকে ছাড়া বাঁচবো কি করে যন্ত্রণা।

আকাশের পাঁশুটে চাঁদটা আজ একদম চুপ ,
আমি তরিয়ে তরিয়ে অনুভব করছি আমার বিষন্ন বেলা।
চাঁদের একপাশে দাঁত রেখে দেখি
আধ খাওয়া স্যান্ডুইচ আমাকে দেখে হাসছে।
পাশে লেটুস পাতা ,আর অসংখ্য জীবনের শব্দ
যন্ত্রণা তুই এই ভাবে জীবিত  জীবন হয়ে গেলি।

অনুভব (৪৪)

অনুভব (৪৪)
................ ঋষি
===========================================
শীতের আমেজ আমার কোলকাতায় ,
শৈত্যের দৈত্য আমার স্পর্ধা ছুঁয়ে চামড়ার প্রতি ভাঁজে।
বয়স হয়েছে আমার শহরের মতন
বদলানো রূপ।
আমি আজ এক বৃদ্ধ আশ্রমের
আর আমার ইতিহাস শহরের আনাচেকানাচে স্মৃতির মতন।

জানি বয়স হয়েছে ,প্রেম আজ ব্রাত্য
তবু শরীরে গন্ধ ধুপের মত মেশে আমার সারা শহরের শরীরে।
শরীর থেকে শরীরে ,
মেশে মোহনা দূর সমুদ্রে স্বপ্নের মতন অন্ধকারে ফসফরাস।
এখানে যন্ত্রণা আছে ,,একলা বাঁচার
এখানে একটা চিনচিনে ব্যাথা প্রিয়জন হারাবার।
আমাকেও যেতে হবে চলে
এই শহর থেকে অনেক দুরে।
এখনো তো দুরে  আছি শহরের সংলগ্ন কোনো আশ্রমে
এখানে আরো মতন আশ্রয় ছাড়া বয়স আছে,
যারা আজ অচল নিজেদের শহরের কাছে।
কিন্তু আমি হাসি মনে মনে
আরে শহর তোমারও তো বয়স বাড়ছে।

জীবন যেন রূপোলী পর্দা ,
চলে যাওয়ার সময় স্মৃতির রোমন্থন গভীর প্রেমে।
ভেবো না বুড়োর ভিমরতি হয়েছে
আরে প্রেমের কোন বয়স হয় না, শুধু অনুভূতি একরাশ।
আরে জীবনের কোনো শেষ হয়
সে যে পাতায় পাতায় না ভোলানো যন্ত্রণা।





অনুভব (৪৩)

অনুভব (৪৩)
................... ঋষি
===========================================
বিছানায় শয্যাগত আছি
সারা দেশ জুড়ে ছড়ানো ছেটানো ওষুধের প্রেসক্রিপসান।
আমার শরীরে এক চরম ব্যাধি
কোমরে নিচ থেকে অসার কোনো উপলব্ধি।
আমি চলতে পারি না সময়ের মতন
আর আমার দেশ আমার বিছানার চাদরের মতন।

এই চাদরের বদল হয় না
শুধু স্প্রে করে বদলাতে থাকে চাদরের অধিকার।
লাল ,নীল ,সবুজ কতো তো এলো
হাজারো পার্টি বদল হলো।
অথচ বিছানায় পাতলে চাদর দিয়ে ঢাকা যায় না
অনেকটা নগ্নতা লক্ষনীয়।
আমার দেশ এখন অসুস্থ আমার মতন
আমার বুকে বাসা বেঁধেছে কিছু কাঁকড়ার বংশ।
বুক পুরো দেশের মতন  বিছিন্নতা বাঁধা কাঁটা তার
আমার নড়ার ক্ষমতা নেই
তাই বিছানায় গু ,মুত সব নিয়ে বাঁচি।

হঠাত আমার নজর আলগোছে আয়নার কাঁচের ভিতর
এ কি আমিও কাঁদছি আমার দেশের মতন।
সারা শরীর জুড়ে যন্ত্রণা ,ভুলতে চাইছি দেশজ মাটি
সবাই যেমন ভুলে।
আমি কি বাঁচবো এই  প্রশ্ন করি আমি আয়নাকে
আয়না বলে মেরুদন্ডকে শক্ত করো। 

অনুভব (৪২)

অনুভব (৪২)
................. ঋষি
=========================================
নাজিমাকে আমি চিনতে পারছি না
ক্ষত বিক্ষত শরীরে প্রতিটা অঙ্গে সময়ের দাঁত।
পাড়ার দাদারা সব জমায়েত
আলোচনা চলছে মেয়েটা রেপ্ড হয়েছে কাল রাতে।
নাজিমাকে মরতে এমনিই হতো
শুধু গোড়ের বদলে হয়তো নসিবে ছিল চিতা কাঠ।

নাজিমাকে আমি চিনতাম
ওইযে রেল লাইনের পাশের দেওয়াল ঘেঁষে বাড়ি।
লোকের বাড়িতে কাজ করতো
কিন্তু ওর চোখে মধ্যে অনেকটা না বলা ছিল।
আমি গিয়ে দেখে এলাম
এখন বিবস্ত্র শরীর কিন্তু চোখটা  কিছু বলতে চায়।
কি বলতে চায় ?
কি বলার আছে ?
এই মাত্র পুলিশের জিপ এসে থামলো
মোটা দারোগার রসালো প্রশ্ন মেয়েটা কেমন ছিল ?
আমি হলে বলতাম
ভীষণ বাজে
 কারণ ওর বাড়ন্ত শরীরে ধরা যেত কোনো নারী অবয়ব।

নাজিমাকে আমি চিনতে পারছি না আর
আসলে চিনতে চাই না।
ছা পোষা মধ্যবিত্ত ,যন্ত্রণার সাথে বাস করি
নিজের মেরুদন্ড গুড়িয়ে সময়ের সাথে সংসার করি।
আমার কি এসব করা সাজে
বরং খবরের কাগজে বলা ভালো মেয়েটা ভালো ছিল না। 

অনুভব (৪১)

অনুভব (৪১)
................. ঋষি
=====================================================
গোটা একটা জীবন যদি মুহূর্ত হয়ে যায়
তবে আমার কলমের নিবে যন্ত্রণা।
আমার জীবন আকাশের গায়ে আঁকা নিপুন ঘর ছাড়া পাখি
কিংবা সমান্তরালের চলতে থাকা খাঁচার ডাকাডাকি।
প্রেম কোনো মেগাস্থিনিসের লুকোনো চিঠি
কি আছে সেখানে ,,,যন্ত্রণা।

জীবন শুধু যাপিত অন্ধকারের খসরা নয় ,
রুপকথাও নয়।
শুধু নিজের দোটানাগুলো জোড়ার শিল্প খাজুরাহের মন্দিরের চোখে শিল্পীর প্রেম
অনন্ত আকাশের চোখে চোখ রেখে বলা
ঈশ্বর আমি ভালো আছি।
যেমন আছে আমার বন্ধু অরিত্র ,যেমন ছিল অরিত্র আর তার রেলে কাটা মাথা
বস্তির কোনো না জ্বলা দীপে নিজেকে নিভিয়ে দিলো ছেলেটা।
কবিতা লিখতো দারুন  
দারুন অভিনয় করতো স্কুলের ফাংসনে।
কিন্তু পারলো না জীবনের অভিনয় করতে
অভিনয় অভিনীত যন্ত্রণা।

গোটা একটা জীবন যদি মুহূর্ত হয়ে যায়
তবে আমার কলমে রক্তক্ষরণে অসংখ্য মুখ।
পুরনো প্রেমিকারা জীবনের দরজায় দাঁড়িয়ে হাঁক দেয়
ফিরে আয় রে বুকে।
আর আমার বন্ধু অরিত্র অন্য সীমানা থেকে আমাকে দেখে হাসে
আর বলে বেঁচে থাক অভিনয় কর ঈশ্বরের প্রেমে যন্ত্রণা।
                                                                                                                           

Tuesday, December 29, 2015

অনুভব (৪০)

অনুভব (৪০)
................. ঋষি
================================================
স্তনবৃন্তে তখন অমাবস্যা
অচল চুমুর কাব্যে আমার সদ্য আয়োজন প্রেম।
মনের পটে কুহেলিকা , কুহেলিকায় শব্দ শিল্পের অর্থহীন বিলাপ ,
নিরব দুপুর পুড়তে থাকে ,প্রখর সূর্যের তাপে।
চলো , আজ নিশিরাতে আবার প্রেমের ভান করো
আমি বন ঝিঁঝিঁ , প্রলাপ বকি , , , অহরহ।

ঘুম ভেঙ্গে গেল
চমকে উঠে বসে দেখি সামনে এক ভাঁড় চায়ে তোমার ঠোঁট।
খোলা চিঠি ,নিশি আহ্বান ,কাছে আরো কাছে
তারপর।
ঝাঁ ঝাঁ রোদে তোমাকে  ভালবেসে দেওয়া ফুলগুলো
আর শঙ্খ শুভ্র স্তন বৃন্তে ফোঁটা কবিতারা
সব নষ্ট হয়ে গেল ।
তোমার বুকের মাঠময় প্রদক্ষিণ করেছি
তোমার আঁশটে শরীরে স্নান করেছি।
বুঝে গেছি যন্ত্রণার মানে
নিজের স্তব্ধতায়।

স্তনবৃন্তে তখন অমাবস্যা
আর জীবন জুড়ে না বোঝা কাব্য প্রেম নামক দিনলিপি।
প্রত্যহ নিজে গিটারে অভ্যসের মতন সময়
ঠিক আমার কলমের নিবে রক্তস্নাত তুই কবিতা।
যন্ত্রনায় আর গভীরে
যখন পূর্নিমার আকাশে আমার ঠোঁট তোর ঠোঁটে।

অনুভব (৩৯)

অনুভব (৩৯)
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, ঋষি
=================================================
তিরিশ উর্ধ কোনো সকালের আকাশে
আমি চেয়ে দেখি ছোপ ,ছোপ মেঘ যন্ত্রণার দিনলিপি।
কেন জানি আগে লিখি নি তোকে
কিন্তু কলমের নিবে রাখা প্রতিটা যন্ত্রণা কখন যেন টুকরো ক্যানভাস।
আর তাকেই বোধ হয় আমি
কবিতা বলে ডাকি।

উন পঞ্চাশ বার মৃত্যুর পর
নিজের দেওয়ালের অস্তিত্বে হাজারো হাজারো বাড়তে থাকা শেওলাদের ভিড়ে।
একটা আর্তনাদ আমাকে গলাধাক্কা দেয়
আমি আপ্লুত যার প্রেমে সেই প্রেয়সী চলন্তিকা আমার চোখে চোখ রাখে।
ঠিক  যেন কোনো যন্ত্রণা লুকিয়ে কাঁদে
বোবা জানলে চারদেওয়ালে অসংখ্য টিক টিক টিকটিকি।
ধন্যবাদ এই বেঁচে থাকা যন্ত্রণা নামে
যন্ত্রণা কোনো না নাম নয় ,সে যে সময়ের রূপ।
যন্ত্রণা শুধু শব্দ নয় ,একটা অনুভব
আমাদের চলতে থাকতে ,অহরহ নিজেদের আয়নায়।

যন্ত্রনাতে কেউ মরে যেতে চায় অন্ধকারের মতন
আমি পারি না ,আমি উপভোগ করি।
যন্ত্রণার হলুদ জামাটা খুলে নিজে ওয়ারড্রপে রাখি
অবাক চোখে দেখি।
যন্ত্রণা হাসছে আমার মতন আমার আয়নাতে
খালি গায়ে। 

অনুভব (৩৮)

অনুভব (৩৮)
.............. ঋষি
================================================
এসো তুমি আমি আগুন আগুন খেলি
কি এসে যায় সময়ের দরবারে বেসুরো দর্জাল স্যাক্সোফোন।
খবরের কাগজের পোড়া প্রেমে আজ ওড়াও শিমূল আবির
আর ছেঁড়া কিছু কবিতার বিরহ।
আর সিঁদুরের মেরুন গন্ধে আকাশের মেঘে কনে দেখা
তবু রৌদ্র চিঠি ঘুমজড়ানো নক্ষত্রে থেকে যায়।

পদ্মগোখরো তার গোপন কুঠুরিতে
আজো বিষ ঢালে নির্জনে , নিভৃতে।
শুধু আমার খোলা শরীর ছোঁয় সূর্যের নরম আলো
স্বপ্ন ছড়ানো ঝর্ণার গোপন কাজ।
ঠোঁটে ঠোঁট ... পাপ পুণ্যের ঝাঁপি রয়ে যায় সেই নীল ঘরে
হৃদয় দরজাহীন আবেগ সমস্ত আকাশ ঢুকে পড়ে আমার বুকে।
রংচুমুর অকারণ গান নিয়ে
আজ আকাশের রং টমেটো লাল।
শুধু রং রং আকাশ নয়, গোটা সৌরজগৎ তোমার আমার ঠোঁটে...
যন্ত্রণা  থাক তার ছন্দে...ঘুমন্ত চেতনার পাশে শুয়ে।

এসো তুমি আমি আগুন আগুন খেলি
কি এসে যায় সময়ের আগুনে পুড়ে যাওয়া শরীরে বাসি রক্ত।
ক্যানভাসে আজ রঙে রঙে তুমি
তবু হাতছানি আছে তার যন্ত্রণা  আজোও  আছে থাকুক।
মুহূর্ত আবিষ্ট অজগরের ফোঁস ফোঁসে জীবন
যন্ত্রণার অন্য সুর তোমার সাথে।

.

অনুভব (৩৭)

অনুভব (৩৭)
................ ঋষি
=================================================
হাট করে খোলা রৌদ্রাবৃত দরজা ঠেলে
তুমি ঢুকে পড়লে ঝড়ো হাওয়া।
চারিদিকে ধুলিঝড় ,উড়ে যাওয়া পাতায় কবিতারা উড়ছে
ঠিক তখনি তুমি মুখোমুখি।
এক মুহুর্তের আলোর সব ঝরনার মতন আমাকে ভেজাচ্ছে
তারপর জীবন হারানো মুহূর্ত।

 মশারির ভিতর মশারি ,তার ভিতর হৃদয়
ঘন গহন অন্ধকারে ,বুকে আধভাঙ্গা শঙ্খচিলের সুর।
শ্যাওলা বরফকুচি হয়ে ছুটে চলে রক্তে
অন্ধকারই একমাত্র বোঝে আমায় যন্ত্রণা।
ঠিক তোমার মতন আমার রক্তে আগুনে ভাঁটা
জিভ টানছে শরীর।
শরীর টানছে তৃষ্ণা
তৃষ্ণার মাঝে তুমি ঠিক যন্ত্রণা অনন্ত অবয়বে।
ভালবাসা হাঁফ ছাড়ে
গদ্যের লবনাক্ত জলে ,
কে মাথার দিব্যি দিয়েছে ,জীবনে এক জনকেই ভালবাসতে হবে ?

হাট করে খোলা রৌদ্রাবৃত দরজা ঠেলে
তুমি ঢুকে পড়লে ঝড়ো হাওয়া।
আমার ভিজে ইতিহাস বাতি জ্বলছে
ধোঁয়াশা ঘরের ভিতর আমি তুমি আর রবি ঠাকুর।
বৈশাখের শেষ নাভিশ্বাস কাদম্বিনীর প্রেমে
ভালোবাসা থাকতে চায় আরো যন্ত্রনায়।

অনুভব (৩৬)

অনুভব (৩৬)
................ ঋষি
==============================================
ভুলে  যাওয়া কি সহজ না
অথচ যন্ত্রণা তুই অভিমুন্যের মতন প্রবেশ করিস।
আমার হৃদয়ের চক্রব্যূহে তুই আমাকে হত্যা করিস
প্রতিটা ভুলে যাওয়াতে।
তুই আমাকে স্মরনীয় ইতিহাসের মতন
পাতায় পাতায় অসংখ্য ফেলে আসাতে।

বিমর্ষ সময়ের ভিড়ে একলা দাঁড়িয়ে আমার শহর
ফুটপাথ জোড়া ব্যস্ততায় আমার শহর।
প্রতিটা অন্ধকারের  প্রতিবাদে আমার শহর
আর শহরের পিঞ্জরে।
একলা আমি খুব গভীরে অভিমুন্যের সাথে এগিয়ে চলি চক্রব্যূহে
আমার বুকে যন্ত্রণার দাঁতের হলদেটে ছাপ।
ঠিক যেন কোজাগরী বুকে ফেরা স্তব্ধতা
তবু আমি ভুলে যায়
আর ভুলে যেতে সময়ের শিরদাঁড়াতে পাথর বাঁধা।

ভুলে যাওয়া কি সহজ না
সহজপাঠের সেই দিনগুলো থেকে আজকের দূরত্বের।
সর্বত্র অসংখ্য ছোপ
ভুলতে হয় ভুলগুলো ,ভুলতে হয় মুখগুলো।
না হলে সময় প্রতিবাদে দাঁড়াবে
আর অন্যদিকে প্রতিপক্ষ কুরুপিতা ভীষ্ম নিরুপায়। 

অনুভব (৩৫)

অনুভব (৩৫)
.................. ঋষি
===============================================
তুই আমাকে ভালোবাসিস কিনা জানি না
তবু যন্ত্রণা আমার জন্য আকাশ ছোঁয়া বাড়ি
কি অদ্ভূত আশ্চর্যে তুই আমাকে বলতে পারিস
সম্ভব না
তোর কাছে যাওয়া ,আরো কাছে হৃদয়ের
অথচ চিরকালীন আমার হৃদয়ে থাকিস

আমি ভাবি মনে আমি যদি কমলালেবুর মতন সূর্যোদয় হতে পারি
তবে তুই কেন হবি মিষ্টি শীতের রৌদ্র দুপুর।
চাঁদকেই কেন আমার প্রেমিকা হতে হবে
কোনো শেওলা রঙের সিঁড়িতে আমি তুই কেন বসবো না মুখোমুখি।
জীবনকে কেন দেখতে হবে পুকুরের জলে
ধুলো ওড়ে ,স্বপ্নছেঁড়া আকাশের গুনগুন শব্দে।
তুই কেন সেই ধুলো মেখে হবি না আমার শহরের মতন দিগন্তিকা
আর আদরের ভাষাহারা দ্বিধায়
কেন বারংবার মাথা রাখবি না আমার বুকে।


তুই আমাকে ভালোবাসিস কিনা জানি না
তবু তোর জন্য রাতদুপুরে আমার চুল ছেঁড়া ভাবনা।
যন্ত্রণা তুই প্রেমিকা হতে পারিস না
হতে পারিস না আমার একার।
শুধু দৌড়ে মরি এক থেকে একাকিত্বে হাজারো মানুষের মনে
তবু তুই হৃদয় ছাড়া চলতে পারিস না। 

অনুভব (৩৪)

অনুভব (৩৪)
................. ঋষি
==============================================
প্রশ্ন একটা ছিল যন্ত্রণা
শরীর বৃত্তীয় সামাজিক বন্ধনের ওপাড়ে।
যেখানে বুকের শব্দটা প্রতিধ্বনিত হয় দেওয়ালের প্রতি আঁচড়ে
যেখানে ধর্ম শব্দটা একটা প্রতিবার।
যেখানে বিচ্ছিনতা মানে হলে একটা তুমি
এক আকাশ শোক।

আচ্ছা শরীরে কি শোক আছে ?
আচ্ছা শরীর কি হৃদয়ের ধারক নাকি কমপ্লিট হৃদয় ?
কিংবা ধুঁকতে ধুঁকতে হয়  একটা পরকীয়া?
কেমন হবে আমার পরকীয়ার চেহারা ?
ভালোবাসার কি সত্যিই বৈধতা অবৈধতা হয়?
বিশ্বাসের  ভিতর বিশ্বাস
রক্তের ভিতর রক্ত।
ভিন্ন্য ধর্মী ,এই ধর্ম ঈশ্বরের
বারে বারে আসে ,ঘুরে ফিরে আসে।
মিথ্যা কি বলা যায় যন্রনা এই সময় ,অসময়
উপস্থিত প্রেম কোনো অপ্রেমিক কবিতায়।

প্রশ্ন একটা ছিল যন্ত্রণা
শরীর বৃত্তীয় সামাজিক বন্ধনের ওপাড়ে।
সমস্ত দেওয়া নেওয়া ,চাওয়া পাওয়ার অধিকার বাইরে
ঐশ্বরিক স্পর্শ।
সব প্রশ্ন কি বিদ্যুৎ হবে?
আর সব উত্তর বৃষ্টি ?

অনুভব (৩৩)

অনুভব (৩৩)
..................... ঋষি
==============================================
যন্ত্রণা একটা আছে বুকে বিঁধে
আছি তো আমরা সবাই ,যেমন সবাই থাকে।
ভালোবেসে কজন আছি
রাগ হলে চিত্কার করি পাগলা কুকুরের মতন।
এমন কি খুন করতে ছাড়ি না
একটা জান্তব রাজত্ব প্রতিটা মাথায়।

কিন্তু সবটাই স্বার্থ নির্ভর
সার্বিক প্রতিবাদ করি আমরা জুবুথুবু শামুকের মতন।
ধোঁয়াসায় সব হারিয়ে ফেলেছি
নিজেদের মেরুদন্ড ভেঙ্গে ফেলে তলোয়ার ধরতে ভুলে গেছি।
অস্তিত্ব সংকট বেড়ে যাচ্ছে  জীবনের ছায়াপথে
আর সবটাই একটা যন্ত্রণা।
মশারির ভিতর আর পি পু ফি সু সাজে না
প্রতিবাদ অন্যের জন্য নয় , নিজের জন্য করো।

যন্ত্রণা একটা আছে বুকে বিঁধে
আছি তো আমরা সবাই ,যেমন সবাই থাকে।
অস্তিত্বের প্রতি প্রেম মেশাও অনুতে পরমানুতে,
ওখানেই আমাদের শিকড়।
আমাদের বাঁচা ,আমাদের পৃথিবী ,এক মুঠো আলো
না হে যন্ত্রণা সেখানে শিশু পাঠ্য ইতিহাস।

অনুভব (৩২)

অনুভব (৩২)
.................. ঋষি
===============================================
যাব কি নিরুদ্দেশে ?
বহুদিন ধরে ভাবছি যন্ত্রণা এই কথা
শীত পরেছে আমার শহরে ,মানুষের চামড়ায় কেমন একটা শীতলতা
মানুষগুলো সব বড় ঠান্ডা হয়ে গেছে আজকাল
তাই পালাতে ইচ্ছে করছে শহর ছেড়ে
খুব দূরে যন্ত্রণা তোর সাথে

বড়ো অস্কিজেনের অভাব হচ্ছে ,
তাল ,সুর লয়ের বড়ো অভাব ,সব ঘেঁটে ঘ।
মাথার ভিতর একটা লাটাই ছাড়া ঘুড়ি প্যাঁক মারছে
নিজেকে বড় অনাবৃত লাগছে
মনে হচ্ছে শুয়ে আছি চিতার খাটে
আর আমার পাশে কেউ নেই কতগুলো মরা ছাড়া
আর তখনি ঘুড়িটা উড়ছে আরো উড়ছে
হারিয়ে যেতে চাইছে
আমার মতন শহর ছেড়ে অনেক দুরে

যাব কি নিরুদ্দেশে ?
ফাস্ট লাইফ এ বড়ো ক্লান্ত আমি।
যদি বৃষ্টির সাথে নিরুদ্দেশ হওয়া যেত
ঠিক খুঁজে বের করবো সুখের অন্তর্ধান রহস্য।
আর সেই ঘুড়ি তো বৃষ্টিতে ভিজছে
আরো উড়তে চাইছে ,মাঝ আকাশে।

অনুভব (৩১)

অনুভব (৩১)
.................. ঋষি
============================================
আমাকে ঘুমোতে দেও যন্ত্রণা
ঘুম ভেঙ্গে আমি পেতে চাই আঁতুরঘরের গন্ধ।
মায়ের গন্ধ ,আমার দেশের গন্ধ
মুঠো ভরা আবিরের রং সারা আকাশ জুড়ে সময়ের সুদিনের।
বন্দুকের থেকে পুতুলের বিয়ে ঢের  ভালো
আমার বেঁচে থাকার প্রতি অনুভবে।

আমাকে একটা ঘুম দেও যন্ত্রণা
কোনো স্লিপিং পিল ছাড়া ,নীলচে কৃত্রিম নাইটল্যাম্প ছাড়া।
সময়ের ঘ্রাণে সময়ের সাথে
সবুজ রঙে আমার মুড়ে দেও পৃথিবীর পথে।
আমি হামাগুড়ি দিয়ে দেখতে চাই একটা স্বপ্নের জগত
যেখানে  জীবনে হাসছে সদ্য ফোঁটা সূর্যমুখী।
সারা শরীরে আমি সূর্যের আলো মেখে
উঠে বসতে চাই ঘুম থেকে
সমস্ত আরোগ্য পৃথিবীর সাথে
পৃথিবীর পথে।

আমাকে ঘুমোতে দেও যন্ত্রণা
ঘুম ভেঙ্গে আমি পেতে চাই নিজেকে নগ্ন করে।
আমার কোনো লজ্জা নেই আমার দেশের মতন
ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে স্বপ্ন দেখতে সবুজের।
বারুদের গন্ধ থেকে ভিজে মাটির গন্ধ ঢের ভালো
আমি সেই কাদা মাখতে চাই।
  

অনুভব (৩০)

অনুভব  (৩০)
................... ঋষি
============================================
ইতিহাস মোছা কোনো একদিনে মনুষত্ব দাঁড়িয়ে
শরীরে ফ্রিজিং পয়েন্ট আজ ০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও নিচে।
সেখানে যন্ত্রণা একটা অনুভব সময়ের দায়ে
হৃদয়ের কালভাট ডুবে গেছে বন্যায়।
আমার বুকে ইতিহাস মুছে গেছে
নক্ষত্রেরা বলে ভগ্ন স্মৃতির কল্পক কোনো আজব সৃষ্টি।

যদি ক্যানভাসের আগুনরঙে ফোটে লাল শাপলা
সবুজ সেই দিঘির সিঁড়িতে আমি বসে।
মনুষত্বের ক্রমশ বাড়তে থাকা পচা গন্ধ ,প্রচুর পাঁক জমে আছে
সেখানে সময়ের সাথে আমি দ্রষ্টা কোনো এক কাল।
একটা আকাল আমার পৃথিবী জুড়ে
খিদের পৃথিবী ,লোভের পৃথিবী ,ধ্বংশের পৃথিবী।
পুনারাবৃত সৃষ্টি চাইছে আবর্তন
একটু বাঁচা।
অক্সিজেন নিদিষ্ট স্কোয়ারফিট ছেড়ে
আরেকটু এগিয়ে যন্ত্রণা তোর গভীরে চিত্কার শান্তি।

ইতিহাস মোছা কোনো একদিনে মনুষত্ব দাঁড়িয়ে
কোনো এক নতুন জন্ম খুঁজতে থাকে মাতৃক্রোর।
অধিকার মানুষের
বুক হারানো ন্যান আর আমূল ছেড়ে  মাতৃ স্তন।
এই মাত্র একটা মেইল এলো ঈশ্বরের
আগামী জন্মের সকল সদস্যকে মা ছাড়া বাঁচতে হবে। 

অনুভব (২৯)

অনুভব (২৯)
................. ঋষি
==============================================
বিশ্বাস হচ্ছে না তো
নীল শাড়ি পরা আকাশটা একটা নারীর মতন যন্ত্রণা।
সময় পুড়িয়ে দৈনন্দিন ভাবনার হাঁড়িতে আঁচ
আনাচে কানাচে বাড়তে থাকা স্মৃতি গুল্মে   র মুখগুলো পোড়াতে চাই।
আর তারপর সব মিলিয়ে  সাড়ে আটান্নবছর
আঁশটে হলুদ মাখা শাঁখা সিঁদুরের দিব্বি।

ঘুম পাড়ানি গান গায় আর্সেনিক ...
শরীর যেন আজ প্রবাসী ...শরীরে আসন্ন সায়ান্ন পর্যায়।
ক্রম গুলো বদলানো উঠোনের ক্যালেন্ডারের পাতা
পাতা বদলায় ঠিক সময় যন্ত্রণা।
নারীরূপে সকলে কেন যেন কুমারী থেকে যায়
যেমন কুমারীর মেরীর স্তনে জেসাসের ঠোঁট।
ঠিক তেমন সময় তার ঐশ্বরিক প্রভাবে নারী সত্বায়
সংসার ,জীবন ,প্রেম ,প্রেমিকা এককটা বিবর্ণ  চ্যাপ্টার।
কফি কাফের চুমুকে বিবর্ণতা , বিষণ্ণতায় রক্তবিন্দুর লাল আভাস
জানি , প্রেম আজ না থাকলে আরও রক্তিম যন্ত্রণার স্থাবরঅস্থাবর।
ঠাণ্ডা মাথায় বিষ দিয়েছ আমায় চৌকাঠের দরজায়
নীল শাড়ি তোর সব  লুকোনো কান্না, দীর্ঘনিঃশ্বাস উবে যায় ,
নারী সে যে শুকনো নদী আগামী ঋতুতে।

বিশ্বাস হচ্ছে না তো
তীরবিদ্ধ নারীর কোনো  তাপ উত্তাপ নেই।
অহল্যা হয়ে গড়বন্দীপুরে বন্দী।
জলের নীচে বাস নেই , কঠিন ভুমিতেও নারী  পঙ্গু।
ঠিক পাশের জমির বাজ পড়া গাছটির যন্ত্রণার মতন
খোলা আকাশ নীল মোছা সাদা শাড়ি।



অনুভব (২৮)

অনুভব (২৮)
.................... ঋষি
==============================================
যন্ত্রণা তোকে ভেবেই প্রেম যেন ভরা শ্রাবন
তুই অন্ধকারে দেখে যাস আমার সমস্ত অবয়বে অমৃত লোভ।
অমলিন , অকৃতিম ঢেউয়ের ফসফরাস এ
দূর থেকে মাঝি হেঁকে বলে জাগতে রেহো ,কেউ আছ হে।
আমি তো আছি যন্ত্রণা
সেই মাঝি নৌকায় এক বুক সাগরে তোর প্রেমে।

সপ্নরা গুটিসুটি মেরে তোর বিছানায়  ,
জানি ,তুই  কাটাবি সময় সবজান্তা  প্রমিকার মতন।
কাম মোহিত তন্দ্রা সুখে
তোর শীত্কারে আমি ছিন্নভিন্ন কোনো আদিম সময়।
চুপ করে বসে তোর বুকে মাথা রেখে
চিরটাকাল।
তবুও , ভালবাসা পৃথিবীতে প্রায় নেই বললেই চলে ,
তাই , নেশাঘোর চোখে স্বপ্ন ও ভালবাসা থাক যন্ত্রণার স্বরান্তরে।

যন্ত্রণা তোকে ভেবেই প্রেম যেন ভরা শ্রাবন
জল মেশানো প্রেমে আজ জ্যোৎস্নার নির্বাসন।
আমি একলা দাঁড়িয়ে ভিজতে থাকি সময়ের সাথে
সময় কানে কানে ফিসফিস।
সমস্ত সত্বা থেকে একটা বিদ্রোহ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে
আবার শুকিয়ে যায় বাসি রক্ত মরা শ্রাবন।


অনুভব (২৭)

অনুভব (২৭)
........... ঋষি
==============================================
সখী ভাবনা কাহারে বলে
যন্ত্রণা তোকে নিয়ে আমার মন খারাপ।
আমার সিগারেট পোড়া ঠোঁটে ঠোঁট রেখে দেখ
ঠিক সেই চুমু ,,,যা একটা প্রেমেই ইয়াদ্গার  থাকে।
ঠিক তেমনি মন খারাপের শহুরে বার্তা
আমার শহর বিশল্যকরণী।

আমার অতৃপ্তিই আজ আমার সহায়ক হোক জীবনের তপ্ত পথে
বিদ্যুতের মত যন্ত্রণায় আমার নেশা হোক ,বহুদিনের অনিদ্রায়।
চোখ ভেঙ্গে আগুন লাগুক হৃদয়ের গভীর স্বর্গে
ইন্দ্রপুরীতে মেনকার চক্ষুলজ্জায় সমাজ ডুবে যাক।
যন্ত্রণা তোর তত্বতলাশে সময় খুঁজতে থাকুক পোড়া দাগ
আমি আর মৃত্যু পাশাপাশি শুয়ে থাকি।
কঠিন রোগের মতন
তারপর সেই ছাই চাপা মাটি আর ,মাটি চাপা ছাই.
বাঁচতে যে চাই
যন্ত্রণা তোকে ছাড়া একটা দিন।

সখী যাতনা কাহারে বলে
যন্ত্রণা তুই আমর সখী হোস খোলা তলোয়ারের মতন।
আমার সমস্ত সত্বায় একটা আগুনের শিখার মতন
মনখারাপ কোনো অচিন শহরে।
আর শহরে কোনো এক অবুঝ পথে তোর ঠোঁটের কোনে লুকোনো তিল
অন্ধকারে আগুনের মতন জ্বলুক।  .

Sunday, December 27, 2015

অনুভব (২৬)

অনুভব (২৬)
................... ঋষি
==============================================
যন্ত্রণা তোর জন্য একটা বুকই যথেষ্ট
তোকে ভালবেসে আলিঙ্গন করার জন্য।
শুধু মাত্র তোর জন্য আমি আজ উত্তপ্ত বালিয়াড়ি ,
আমি আঘাতে আঘাতে  হয়ে গেছি অনুচ্চারিত কবিতা।
প্রতিক্ষায় চেয়ে থাকা সংস্কৃতের কিছু অনভ্যস্ত শ্লোক ,
আগাগোড়া অবিন্যস্ত আমি।

আজ আমার কাঁধের উপর রাখা থাক তোর অন্তরীক্ষ ,
ছায়াপথের মুহূর্ত সুখের আছিলায়।
আমি ভেসে যায় মাঝরাতে গভীর প্রেমে কোনো প্রেমের আগুনে
আমার শহর ছাড়িয়ে দেশ।
তারপর
আরো দূরে অন্য কোথাও অন্য বিশ্বে।
কোনো কৃত্রিমতা না ,ব্রম্হান্ডের  আলোকিত গ্রহমন্ডলে তোর খোঁজে
যন্ত্রণা একটা আলাদা অনভূতি
তুই ঠিক সেই ব্রম্হান্ডের অন্ধকারের মতন।

যন্ত্রণা তোর জন্য একটা বুকই যথেষ্ট
তোর সমস্ত চাওয়া ,পাওয়া সবকিছু আমার মাঝে থাক।
আমার ভিতরে তুই তৈরী করেছিস এক জনপদ
কেউ জানে না আমি ছাড়া।
যন্ত্রণা তুই একটা শহর থেকে দেশ তারপর একটা বিশ্ব
তারপর কখন ব্রম্হান্ড হয়ে গেছিস। 

অনুভব (২৫)

অনুভব (২৫)
.................... ঋষি
=============================================
যন্ত্রণা তোর ঠোঁটে গান পাউডারের গন্ধ
তোর বুকে লেগে মৃত্যুর ঘ্রাণ।
সারা শরীর জুড়ে সহস্র চিত্কারের অভিশাপ লেগে শেওলার মতন
অথচ তোর চোখ কত স্থির ,মায়াময়।
মনো মুগ্ধকর আদিম তোর ঘামের গন্ধ ইতিহাসের মতন
স্থির অথচ কতো গভীর তুই

আমার মনে হয় আমি আগুনের প্রেমে তোকে পেতে চাই
শরীর দিয়ে ফিনকি দিয়ে ছোটে বদ রক্ত।
আমার হৃদয় সে যেন পরিত্যক্ত কোনো পোড়া বাড়ি
আর পোড়াবাড়িতে সামাজিক বাস পায়রার বাকুম বাকুম।
আলো ঢোকে না বহুদিন
কোনো সময় স্পর্শ করতে ইচ্ছে করে না তোকে ছাড়া।
কেমন একটা শীত শীত ভাব
ভাঙ্গাচোরা দেওয়ালের প্লাস্টারে স্মৃতির মতন অনুভূতি।
যন্ত্রণা তুই আছিস সেখানে একলা
ঠিক আমার প্রেমিকার মতন।

চোখের জল - ধ্বংস ও সৃষ্টির আকুল আকুতি
তোর বুকে স্ফুরিত অনাবিল আনন্দ যেন অস্পষ্ট রহস্য।
তোমায় ঘিরে মুহুর্মুহু বদলানো অবিরল ঝাপসা দৃষ্টি
রক্তপাতে গলা জড়াজড়ি ও সূর্যাস্তের রঙে লেখা সৃষ্টি।
আমার অনুভবে তুই ,ঠিক জেরক্স কপি
কবিতার মতন।

অনুভব (২৪)

অনুভব (২৪)
.............. ঋষি
============================================
নারীকে নিয়ে কবিতা লিখেছি
লিখেছি অনেকে যন্ত্রণা নারীর আর্তনাদের।
কিন্তু তুমি যা জিনিস গুরু
সব জায়গায় আছো,,,,, ছুঁয়ে থাকা ,বেঁচে থাকা ,মরে যাওয়া।
কোনো বাছ বিচার নেই ,নেই ধর্ম ,নেই বিচ্ছিন্নতা
বেশ একটা হি ম্যান ,হি ম্যান ব্যাপার আর কি।


সন্ত্রাসের কলমে কবিতা ,তুমি আছো যন্ত্রণা
কোনো প্রতিবাদী কলমে ,তুমি আছো যন্ত্রণা।
দেশ ভাগ ,মন্বন্তর,জালিয়ান ওয়ালাবাগ,স্বাধীনতা ,পরাধীনতা
বাসের জার্নিতে ,বাসের কার্বনের ধোঁয়াতে , রাস্তার ভিখিরিতে।
প্রতিদিনকার বাজারের ব্যাগে ,বাড়তে থাকা মূল্য স্ফিতিতে
দেশজ আইনে , দেশজ  বেআইনে ,ধর্ষণে ,বর্ষণে।
শিক্ষানীতি, রান্নার ধোঁয়াতে
প্রেমিকার ঠোঁটে ,প্রেমের চোখে ,প্রেম শব্দে।
বিশ্বের বাণীতে,বিশ্বের জ্ঞানে
ভালো থাকা ,খারাপ থাকা সকল স্থানে তুমি  আছো যন্ত্রণা ,
ঠিক কাঁঠালের আঠার মতন।

সময়কে নিয়ে কবিতা লিখেছি
লিখেছি অনেক যন্ত্রণা সময়ের গায়ে।
রাতের আকাশ থেকে যখন জ্যোত্স্না রূপে পুঁজ ঝরতে থাকে
তখন আমার বুকে তুমি ভীষণ সুন্দর চিনচিনে ব্যাথা।
সাথে থাকা আর পাশে থাকা এক না হলেও
তোমার থাকাটা চিরকালীন  এই অনুভবে।
  

অনুভব (২৩)

অনুভব (২৩)
.................. ঋষি
==============================================
মুহূর্ত মুহূর্তেই থেকে যায়
জীবন জুড়ে  যন্ত্রণা তুই সঙ্গে থাকিস জন্মের আঁতুড়ঘর থেকে।
তোকে চেনে নি যে
সে আজও মাতৃগর্ভে কংসের বিনাশকারী ঐশ্বরিক প্রেম।
নিশ্চিন্তে যার বাঁশিতে বাজতে থাকে মায়া
যন্ত্রণা ঠিক তোর মতন।

বরফ গুহায় সযত্নে রাখা আছে তোর দেওয়া অর্কিড
নিজের ভিতর ,মাথার ভিতর জলতরঙ্গ।
সময় যেন খসে পরে মোমের মতন
আর গলে পড়ে ,কত সহজে নিভে যায়।
মানুষের কাছে প্রেমের সময় কত কম
অথচ যন্ত্রণা তুই সামাজিক।
তোর সাজানো রূপ সার্বিক বিদ্রোহের মতন প্রত্যহ ঘুম ভাঙ্গাতে
তোর কত রূপ কবির কলমে ,গায়কের সুরে ,
বাস্তব জীবনে ,ভীষণ বাস্তববাদী তুই।


মুহূর্ত মুহূর্তেই থেকে যায়
জীবন জুড়ে  যন্ত্রণা তুই সঙ্গে থাকিস সময়ের হাহাকারের মতন।
মানুষের মনে কখনো লোভের মতন বাসা বাঁধিস
কখনো বা বড় রক্তাক্ত  তোর  রূপ।
প্রতিবাদ যে করবো  সেও যে তোর শিষ্য রে
ভুল বলেছি কিনা তোর নিজস্ব আয়নায় একবার দেখে নিস যন্ত্রণা।



অনুভব (২২)

অনুভব (২২)
.................. ঋষি
==============================================
যন্ত্রণা আর ভালো লাগছে না তোমায়
কেন যে তুমি এতো গায়ে পরা।
দিন ,রাত্রি ,সময় ক্ষণ কিছু মানো  না
শুধু চেপে পড়ো।
আমি কি ঘোড়া  নাকি ,নাকি কোনো তোমার বাহক
আচ্ছা তোমাকে কখনো বলেছি তোমায় ছাড়া বাঁচবো না।

ঢের  হয়েছে
তোমার হাত ধরি নি কখনো আমি ,ধরতেও চাই না।
তোমাকে সাথে ঘুড়ি নি কখনো   ভিক্টোরিয়া ,ময়দান ,ধর্মতলা
সিনেমা , থিয়েটার ফুচকা -এসব কিছুই হয় নি তোমার সাথে।
তবু কেন তুমি প্রতি মুহুর্তে আঁকড়ে থাকো  আমায়
বলো  বুকে মাথা রাখ আমি তোর  প্রশ্রয়।
বলো  কাছে আয় আমি তোর আশ্রয়
বলো জড়িয়ে ধর আমি তোর  প্রেমিকা।
আমি অবাক হই
কেন তুমি এতো গায়ে পরা ,সবসময় আমার প্রেমে থাকো
পৃথিবীতে কি আর প্রেমিক পাও নি তুমি।

আর না ,আমি আজ উল্টো পথ ধরবো
তুমিও উল্টো পথে যাবে।
পথের ঠিকানা হারিয়ে যাওয়া থাক নিজের নিজের সাথে
খুঁজতে চেষ্টা করো না আমাকে।
যদি মনে পরে প্রেমে  পরো  আমার কবিতার
প্লিজ ছাড়ো  আর জড়িয়ে ধরো না আমাকে।

অনুভব (২১)

অনুভব (২১)
....................... ঋষি
===============================================
মধ্যরাত্রে যন্ত্রণা আমি তোকে স্পর্শ করি
কাঙ্গাল আর ভিখারী মুহুর্তের পর  যে নিস্তব্ধতা
আকাশের কালো ছাউনিতে।
জ্বলন্ত সব অভিশাপ নিরবিধি প্রাপ্য আর অজ্ঞতা
আমার জ্বলন্ত চোখে
ডোরাকাটা চিতা শুয়ে থাকে সময়ের নির্বোধ চাউনিতে।

সকালে উঠে এক অন্য জীবনে
আমার হামাগুড়ি দিয়ে বেড়ে ওঠা যৌবনের বিগত দিনলিপি।
 না চেয়েও বাড়তে থাকা বয়সের অধিকারে
ছড়ানো  সব সামাজিক অধিকার।
আমি ইচ্ছা করি  প্রতি রাতে যন্ত্রণা তোকে স্পর্শ করবো  না
কিছুতেই আর রাত্রি পান করবো  না নিজেকে ভোলাতে।
একটা বোঝাপড়া দরকার ,
দরকার একটা ফেয়সলা নিজের সার্বিক অধিকারের সাথে।
কিন্তু কিছুই করা হয় না
এ যেন রাত্রির ষড়যন্ত্র।
আমাকে ফাঁসাবার জন্য রাত যেন পরকীয়
আমাকে কাছে ডেকে দূরে ছুড়ে দেবে যন্ত্রণা আবার তোর কাছে।

মধ্যরাত্রে যন্ত্রণা আমি তোকে স্পর্শ করি
তুই তাজা করে তুলিস শৈশব স্মৃতি আর প্রেম
তারপর তলিয়ে নিয়ে যায় হ্যামলিনের বাঁশি ওয়ালার মত।
আদি দিগন্তে , অথবা সর্বনাশের প্রতিশব্দে
যন্ত্রণা তুই  নীল লোভী তাতার ?
না শরীর তরঙ্গে ভাসিয়ে নেওয়া বর্ণিল রাত্রি।

Saturday, December 26, 2015

অনুভব (২০)

অনুভব (২০)
...................... ঋষি
=====================================================
অনেক বছর ধরে বুকে পুষেছি সৃষ্টির আকাঙ্খা
সৃষ্টি আজ আগুনে পুড়ে ধারালো তলোয়ার।
সাই সাই মাথার উপর যন্ত্রণা
কেমন একটা সাইকেল সিস্টেমে ব্লিডিঙ্গের মতন ফিরে আসে।
অপার্থিব কোনো নষ্ট সময়ের হিসেবে
জীবনের অনেকটা আকাশে লালচে জমে থাকা মেঘ।

যন্ত্রণা তোমার সাথে আড়ালে ,আবডালে
জীবিত থাকার মানে
বুঝি সাত সমুদ্রে উত্তাল প্লাবনের স্বরূপ স্বছন্দ বাঁচা।
এই শব্দটা বাঁচা
নিজের সাথে ঝগড়া করে যন্ত্রণা প্রত্যহ রুটিনমাফিক।
একই রাস্তার বাস ধরে
অফিসে আসে ,হাসে ,গাই ,দারুন সাজে।
তারপর একমাথা অনিদ্রা উকুনের মতন  মাথার ভিতর
একটা সময়ের স্পৃহা
BESIDE THE WORLD TOGETHER WITH LOVELY PAIN  ।

বাতাসের কাঁধে বৃষ্টি ভেজা রাতে যন্ত্রণা  বিবশ করে আমাকে
আমার বুকের ভিতর অনবরত কামড় আর বিদ্রোহ।
কবিতারা মুখ চাওয়া চাওয়ি করে বুঝতে শেখে
পথে নামে সাদা পাতায় স্রোতের মতন।
আর তখনি যন্ত্রণা তুমি চিত্কার করো  মানুষের জন্য
একটা গোটা বিশ্ব তুমি ছাড়া।

অনুভব (১৯)

অনুভব (১৯)
................. ঋষি
===============================================
শরীর বাদী বলে আমার বদনাম আছে যন্ত্রণা
কি করবো আমি তো মিথ্যে বলতে পারি নগ্নতার নামে।
শরীর আমার কাছে যন্ত্রণার পদ্ম
আমরা শরীর খুঁজতে থাকি ,হৃদয় খুঁজি নোংরা পঙ্কিল সরোবরে।
কিন্তু শরীর মানে স্বেছাচারিতা নয়
বরং এক পবিত্র মন্দিরে ঈশ্বরের অস্তিত্ব।

অভিনয় আমার আসে না
অথচ মঞ্চে দাঁড়িয়ে রোজ অভিনয় করি জীবনের নামে।
যন্ত্রণা নগ্নতা সকলে ঢাকতে চাই
অথচ আমি চিত্কার করি আদিম কোনো নগ্নতা নামে।
প্রতিটা প্রহসন ঝুলতে থাকে মানুষের আদালতে
সময়ের অপেক্ষায়।
সময় বুড়ো হয় ,ফুরিয়ে যায়
আবার সময়ের চিতায় সময় পুড়ে সময়ের ছাই.
যন্ত্রণা একে আমি আদিমতা বলি
শ্বাশত বাণী কোনো রথের চাকায় কর্ণ।
যাকে আমাদের মরতে দেখতে কষ্ট হয়
অথচ বারংবার মেরে ফেলি।

রারুদ রঙের এই কালশিটে পৃথিবীতে প্রেমটুকুই সম্বল
তাকে বুকে করে রাখি যন্ত্রণা বলে।
হৃদয়ের পাতাতে টলমল করতে থাকে নোনতা জল
যন্ত্রণা আমি সময়ে থাকি।
কোনো ঐশ্বরিক চেতনা ছাড়া একদম বাস্তবে
তবু সকলে আমাকে অবাস্তববাদী বলে।

অনুভব (১৮)

অনুভব (১৮)
...................... ঋষি
=======================================
এসো যন্ত্রণা আজ কবিতা লিখি
এসো শেষবারের মতন জড়িয়ে ধরি সময়।
অমন ভয়ানক চেয়ো না
যতবার ভাবি এই শেষবার ,কিন্তু শেষ হয় না।
তুমি ফিরে আসো তোমার রূপের ছটায়
আমাকে ধন্য করে রেখে দেও জীবিত করে।

আমি ঘরছাড়া সন্ন্যাসী
আমার বাঁধন ভাঙ্গা সংযমের পরীক্ষা নিও না।
বরং এসো আমাকে ভালোবাসো
আমার কপালে একে দেও তোমার রক্তাক্ত চুম্বন।
আমার দুই বাহুর ফাঁকে
আমার দুই উরুর ফাঁকে।
এসো তুমি তোমার মতন অধিকার কর আমাকে
আমি লুকিয়ে পরি তোমার তেজে।
তবু ভাঙ্গতে পারবো না
যন্ত্রণা তুমি নিত্য আমার সঙ্গী হয়ে থাকো।

এসো যন্ত্রণা পুরোনো তানপুরোর ধুলো ঝেড়ে উঠে বসি
যন্ত্রাংশের তারে আঙ্গুল কেটে যাক জীবনের মতন।
লাল হয়ে যাক যন্ত্রের জীবন
আরো আসক্ত হোক নেশা বেঁচে থাকার।
শুয়ে থাকি আমি আর তুমি যন্ত্রণা পাশাপাশি
ঠিক জীবনের মতন। 

অনুভব (১৭)

অনুভব (১৭)
........................ ঋষি
==============================================
তোমার অপিরিচিত হিংস্র মুখে
যন্ত্রণা আমি শহর খুঁজি।
ভিজে যাওয়া লাল মাটির শহরের জনস্রোতে
আমি মানুষ খুঁজি।
সময়ের গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে টিপিকাল পোসে
এক একটা সময় দাঁড়িয়ে থাকে।

শহর ছাড়িয়ে পরগনা ,তারপর দেশ
গঙ্গা পদ্মার জল বাঁটওয়ারা হয়।
ভাই ভাই আলাদা হয়ে যায় রক্তের গন্ধ লেগে সময়ে
কিন্তু প্রেম তো রোগের ওষুধ।
কোথাই সে
তোলপাড় হয় শহর , তোলপাড় হয়ে দেশ.
অবশেষে , অহংকার শেষ
নিলিপ্ত মুখে সময় দাঁড়িয়ে থাকে যন্ত্রণার মতন
যন্ত্রণার জান্তব গোঙানি।

তোমার পরিচিত হিংস্র মুখে
আমি খুঁজতে থাকি নিজেকে।
একটা অবস্থান বন্দী দেখতে পাই একটা চার দেওয়ালের ফ্ল্যাটে
আলো বাতাস হীন।
পালাবার কোন পথ নেই
তোমার মতন তোমাকে দেখতে থাকি সময়ে। 

অনুভব (১৬)

অনুভব (১৬)
............... ঋষি
==============================================
সমস্ত অভিমান জুড়ে অনুরণন
কাছের খুব তুই যন্ত্রণা।
তবু তোকে প্রশ্ন তোর সমস্ত সত্বাটা আমার তো
ভালো আছি জানিস।
ভাবছি তেজস্ক্রিয় বিকিরণের পর হিরোসিমা আর নাগাসাকি
আর ভাবছি যন্ত্রণা কেমন চিনচিনে ব্যাথা।

অনেকগুলো সূর্য পেরোবার পর সময় আমাকে পাগল বলে
বলে যা পাগলাগারদে।
একটা আস্তরণ দরকার তোর ,সঠিক ঠিকানা
ঠিক উল্টোডাঙ্গা ব্রিজের পাশে দেখা পেট ফলা পাগলিটা।
কেমন ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে দেখছিল
চলে যাওয়া মানুষের ছায়া।
আর আমার ছায়ারা সব আমাকে ঘিরে
ভুতের নৃত্য করে।
রোগা ভূত ,ছানা ভূত ,কিংভূত ,সোজা ভূত ,মোটা ভূত
আরো কত।

সমস্ত অভিমান জুড়ে অনুরণন
কাছের খুব যন্ত্রণা তুই।
তোকে নিজের বলার মধ্যে কেমন এক অধিকার বোধ
অদ্ভূত ম্যাজিকাল স্পর্শ কাজ করে।
সূর্য কি শুধু আকাশের ছিল
আমি গভীর অভিমানে একদম চুপ। 

অনুভব (১৫)

অনুভব (১৫)
.................. ঋষি
==============================================
The frivolous and heartless were murmuring ,
In a tone of complete complaint ।
লিখে ফেলছি ,সরি সত্যি বলতে কি
কপি করছি তোকে ।
কোনো লজ্জা নেই যন্ত্রণা তোকে ছুঁতে চাওয়াতে
কারণ যন্ত্রণা তোর একার না ।

শব্দ জব্দের পৃথিবীতে
তীরের থেকে ধারালো চামড়ার সমাজের মুচিদের অধিকার ।
ইচ্ছে মতন ছোটো ,বড় ,করে
ইচ্ছে মত নিজেদের সময়ের গড়ছে ।
একটা অভ্যাস নিজেদের ইচ্ছের মতন
শাশ্বত চলন্তিকার বুকে হাত রাখছে এক অধিকারে।
আর চলন্তিকা সময়ের বুকে মাথা
সেটা বোধ হয় অনিয়ম ।
মুচিরা সকলে অনিয়ন্ত্রিত সামাজিক নিয়মের স্ট্রাইকে
গলির মোড়ে এক নারীকে পেটাচ্ছে
তার নাম বোধ হয় চলন্তিকা ।

Opening the windows, I walked in after them,
Today it is too dark to see anything।
লিখে ফেলছি ,সরি সত্যি বলতে কি
কপি করছি তোকে।
যন্ত্রণা লিখছি প্রতি সময়ের ভাঁজে উত্তরিত মৃতের চাদর
আমাদের গায়ে সার্বিক সময়ে। 

অনুভব (১৪)

অনুভব (১৪)
................ ঋষি
===========================================
যন্ত্রণা নাই বা হলি তুই একদিন রাজকন্যা
নাই বা আসলো কোনো রাজপুত্র পক্ষিরাজে চলে।
সমস্ত রূপকথার চরিত্র নাই বা এলো ফিরে
কি হবে শেষে।
আদর খাবি
খুব আদর মানুষের মতন ,জংলি শরীরে।

বেশ তো সময় চাঁটছে তোর শরীরে
শরীরের ঘামের গন্ধে সময়ের ফুসফুসে ডিওড্রেন।
মনে ফাল্গুন ,বুকে ভিসুভিয়াস
বুকের থেকে বুকে ছড়ানো অপরাধ।
অগত্যা , সময়ের মতন  অন্তঃসত্ত্বা তুই
কোনো  অগ্নি গর্ভা.।
যন্ত্রণা কলমের কালিতে আজকাল রক্ত ঝরে আগুন
সময় ঠিক যেমন আলকাতরা।
অন্ধকার কোনো চারদেওয়ালের চিত্কারে
শকুন ওড়ে
ভালোবাসা সে যে সময়ের খাবার।

যন্ত্রণা নাই বা হলি তুই একদিন রাজকন্যা
নাই আসলো ফিরে সেই রাক্ষসী বুড়ি তোর প্রহরায়।
সময় আসবে ফিরে তোর অপেক্ষা
অথচ সময়ের দরজায় আমি দাঁড়িয়ে আছি বাউলের বেশে।
আমার হাতে একতারা ,দোতারা ,তিনতারা
মানুষের মতন অজস্র আমার অনুভবে।

অনুভব (১৩)

অনুভব (১৩)
......................... ঋষি
=============================================
যন্ত্রণা বেশ তো  ছিল রেস্টুরেন্ট ,রেস্টুরেন্ট খেলা
আড়ালে লুকিয়ে থাকা চায়ের কাপে শীতের উষ্ণতার ওম।
হৃদয়ে চলতে থাকা ক্ষুন্নিবৃত্তিতে
কবিতার খাতে আরো গভীর ক্ষত।
বেশ ছিল সময় আর সময়ের ভাঁড়ে চুমু
যন্ত্রণা আমি ,তুমি আর সময় কবিতার মতন।

যন্ত্রণা তোমার ছিন্নভিন্ন রূপ
কখনো ভালোবাসায় ,কখনো কামনায়।
কখনো ঝলসে ওঠা নখ আমার শরীরে শিরদাঁড়ায়
প্রবল আতঙ্ক।
কোঁকড়ানো বিছানার চাদরে কাঁকড়ার জন্ম
আর রেস্টুরেন্টের সাথে মুহুর্তের।
মুহুর্তের সাথে জ্বলতে থাকে তোর শাড়ির আঁচল
ক্রমশ আগুন লাগে বুকে।
প্লাটফর্ম ছেড়ে  ছুটতে  পথ হারানো ট্রেন
কবিতার মতন আমার সাথে।

যন্ত্রণা বেশ তো  ছিল রেস্টুরেন্ট ,রেস্টুরেন্ট খেলা
চায়ের ভাঁড়ে চিনি নাড়া এক স্যাকারিন রহর্ষ্য।
হৃদয়ে বাড়তে থাকা মিষ্টি প্রাবল্য
আমার কবিতায় এক মহাশূন্য ধরা আছে।
ঝরতে থাকা তারাদের ভিঁড়ে
আজও ফুটপাথে দাঁড়িয়ে চায়ের ভাঁড়ে চুমু। 

অনুভব (১২)

অনুভব (১২)
.................. ঋষি
========================================

শতরূপে শতবার শত জন্মে
ক্রমানয়ে খেয়ে চলা ঘুমের ওষুধ।
কোনো SOLUTION নয় বেঁচে থাকার দেওয়ালে
যন্ত্রণা বালিশের ফাঁকে শুয়ে থাকিস তুই।
কখনো বা পাশ বালিশ
ওপাশে একটা আজন্মের চিত্কার আমি শুনি।

সৃষ্টির জলে বোধহয় স্বর্গ আছে কয়েক ফোঁটা
তাইতো নোনা জল সমুদ্রের বড় প্রিয়।
মন্থনে সাথে উঠে আসা অমৃত শুধু ঈশ্বরের
হে ইন্দ্র তুমি একটু সুযোগ সন্ধানী।
অসুরের প্রাপ্তি একটা ম্যাসেল ম্যান রাগী ইমেজ
অথচ শত ঈশ্বর কুল।
তোকে যন্ত্রণা নামে জন্ম দেব বলে আদমের আদিমতায়
আমার কলমে আজ মহাকাল।
এক আদিম নৃত্য
আর গলায় ধরে নীলকন্ঠ সময়।

শতরূপে শতবার শত জন্মে
দেওয়ালে মুখ ঘষে দিয়া মির্জা খোঁজা।
কোনো SOLUTION নয় বেঁচে থাকার পাঁচিলে
যন্ত্রণা তুই তোর চার ফুট ,চার ইঞ্চি শরীরে।
একটা আকাশ ধরে রাখিস
আমার মতন কোনো অসুরের প্রেমে।

অনুভব (১১)

অনুভব (১১)
................ ঋষি
==============================================
বৃষ্টির কাঁচ ভাঙ্গা বিষন্নতা
উত্সবের মেজাজে হারিয়ে ফেলা মায়ের মুখ।
দশমী ছিল ,আছে আর থাকবে
আর সময়ের গায়ে যন্ত্রণা তুই আমার মায়ের মতন।
পরম আশ্রয়ে আকাশবাণী সকাল
বাজলো তোমার আলোর বেণু।

বৃষ্টির কাঁচ ভাঙ্গা অহংকারের সাথে
একটা চিত্কার বুকের দরবারে বাড়তে থাকা অনিদ্রার মতন।
বেজন্মা সড়কের একপাশে দাঁড়িয়ে লাইট পোস্ট
আর স্মৃতি থেকে উঠে আসা মুহূর্ত।
হাট্টিমা টিম টিম ,হাসছি আমি ঘোড়ার ডিম
শৈশবের হাসি।
যৌবনের হাসি
বার্ধ্যক্যের হাসি।
মৃত্যুর হাসি ,শব্দ শুনেছে কেউ
লজ্জাহীন ,অনিয়মিত সঙ্গমের নগ্ন শীত্কার।

বৃষ্টি কখন যে আসবে
উত্সবের জলে ডুবে যেতে থাকে মায়ের মুখ।
শহর জুড়ে সমস্ত প্যান্ডেলের শূন্যস্থানে সভ্যতা খেলছে
আর উড়ছে আমার  মাথার ভিতর।
মৃত শৈশবের ঠিকানাহীন ঘুড়ি হারিয়ে গেছি
 শৈশবের পর যন্ত্রণা  যন্ত্রণা মায়ের মতন অত্যন্ত আপন। 

অনুভব (১০)

অনুভব (১০)
............. ঋষি
===========================================
উপকূলে গোধুলি
মিশে থাকা সমস্ত আবরণে চামড়ার মুখ।
চলছে চলবে জীবনের তাঁতে ক্রমশ ক্লোজআপ
ক্যামেরা চলছে।
তামিলনাড়ুর কোনো এক অঞ্চল ডুবে গেলো মারাত্নক বৃষ্টিতে
সময় চলছে টিকটিক।

যন্ত্রণা তোর অধিকারে সূর্যের রক্তাভ রঙে অব্যক্ত কবিতা পোড়ে
আর আয়নার আমি আর তুই।
পাশাপাশি ফ্রেমে ঝোলানো অজস্র স্তব্ধতা
একটা ব্যাকুলতা।
সময় ছুঁয়ে ভিজতে চাওয়ার হিসেবে তোর ভিজে শরীর
কামার্ত শীত্কার।
বৃষ্টি বদল ,চোখ বন্ধ কোনো পাশবিক অধিকার
সময়ের গায়ে।
লেগে থাকে ভিন্নতা প্রতিবেশী মুলুকের মতন
মাঝখানে কাঁটা তারে ঝোলানো
অন্তরঙ্গ।

উপকূলে গোধুলি
ইলেশ গুঁড়ি বৃষ্টির সাথে কয়েকশো বাক্সবন্দী মুহুত।
আমার বুকে মাথা রেখে যন্ত্রণা বাড়তে থাকে
দূরত্বের দরবারে ভীমসেন।
সেই গম্ভীর সামুদ্রিক স্তব্ধতায়
ঘরবার জীবনের মুহূর্ত। 

অনুভব (৯)

অনুভব (৯)
......... ঋষি
========================================
অনেকদিন তোকে আমি দেখিনি
কিছু বলি নি যন্ত্রণা।
শব্দের  বাঁধ ভাঙ্গা হৃদয়ে অনেক কিছু বলি নি তোকে
তাতে কি যন্ত্রণা।
সময়ের থেকে হিসেবের দাম অনেক
বরাদ্দের ভাগে খুশি থাকাটা জীবন।

সোনালী ফ্রেমে তোর হাতের তৈরী কাজগুলো
ঘরের কোনে সাজানো টেবিলের উপর ফ্লাওয়ার ভাস।
সাজানো গোলাপের
লুকিয়ে রাখা জোকারের হাসিতে।
আমি বহুদিন আয়নায় মুখ দেখি নি
চুল আঁচড়ায় নি।
তাতে কি
ইন আখোকি মস্তিমে মস্তানে হাজারো হ্যা ।
পিলসুজ জ্বলতে থাকুক
তেলের উষ্ণতায় চর্বিতে বয়স বাড়তে থাকুক
যন্ত্রণা সময়ের ।

অনেকদিন তোকে আমি দেখি নি
চোখ বন্ধ যন্ত্রণা।
একটা ভয় কাজ করে কাছে গিয়ে হারাবার
সেই আদিম রিপু।
আমার শহর ব্যাপী আজ রৌদ্র
অনেকটা কফ জমে আমার বুকে।

Friday, December 25, 2015

অনুভব (৮)

অনুভব (৮)
................. ঋষি
==============================================
প্রথমপাতা খুঁজছি কেতাবি ভাষায়
সূর্যের কাছে হাঁটু মুঁড়ে বসে সূর্য প্রনাম।
দাওয়ায় বসে চা ,মুড়ি ,একটুকর পেঁয়াজ
পেঁয়াজ আমিষ।
তাই আমিষের রেওয়াজ
তোর পায়ের ফাঁকে তোর জন্ম যন্ত্রণা।

এয়ারপোর্টের শেষ চলে যাওয়া বিমানের ঠিকানায়
হৃদয় কনক্রিট জঙ্গল।
এই শহরে প্রেম বেড়ে চলে
আতঙ্কের মতন.
ক্রমশ এগিয়ে আসা বর্শার মুখে রক্তের দাগ
তারপর আত্মতুষ্টি।
সময় শুয়ে থাকে বিছানার চাদরে যন্ত্রণা
ঠিক জন্মানো বেজন্মা।
এক একটা দিন ,তারিখ ,ক্যালেন্ডার ছিঁড়ে
বেঁচে আছি ,,যন্ত্রণা।

প্রথম পাতা খুলে কিছু পাবে না
যন্ত্রণা তোর ঠোঁটগুলো সাপের খোলসের মতন ঋতুময়।
সর্বদা আমিষের গন্ধ নিয়ে
ঘামের সাথে মিশে ভাদ্রের পড়ন্ত বিকেল।
দেবী আসবে ভেবে পা বাড়িয়ে  আকাশের ঠিকানায়
কাশফুল আর সময়ের কনসার্ট। 

অনুভব (৭)

অনুভব (৭)
............... ঋষি.
=========================================

যন্ত্রণা ভালোবাসায়  ছিল
আয়নায় মুখ দিয়ে ঠোঁট রেখে পুড়ে যাওয়া।
সামান্য কোনো না দেখায়
এত দূর ,ঠিক তত দূর ,যতটা কোনো মাপ নয়।
বুকের ব্রায়ের মাপের সময়
মুখ ঘষা সময়ের কাব্যিকতায় যন্ত্রণার স্বরলিপি।

ভালবাসা অন্তঃস্থলে ,
ঘৃনা সহজ ছিল না ,কপালে ঠোঁট ছুঁয়ে যন্ত্রণা।
একটা ইচ্ছা নদীর প্লাবনে ভেসে ওঠা বাঁচার আকুলতায়
ঈশ্বর প্রাপ্তি প্রেম।
সকলের হয়
কিন্তু সেখানে কোনো অপ্রাপ্তি ছিল না নির্ভিজালে।
কপালের লাল মাটিতে ঠোঁট ঘষে
ক্ষতবিক্ষত সময়ের মুখে অসংখ্য প্লাস্টার।
এবরোখেবড়ো প্রতিশ্রুতি
লিখবো না ,লিখছি না আর যন্ত্রণা
একলা কি লেখা যায়।

যন্ত্রণা ভালোবাসায়  ছিল
কাঁচের ছিন্নভিন্ন শরীরে ক্রমশ পরিস্কার কুয়াসা।
যারা সকালে কুয়াসা কুড়িয়ে আলো নিয়ে আসে
তাদের মাঝে তুমি আগুনের মতন।
তপ্ত তোমার নাভিমূলে অজস্র বাড়তে থাকা সময়
জন্ম নিচ্ছে অনুভবে যন্ত্রণা। 

অনুভব (৬)

অনুভব (৬)
................. ঋষি
=============================================
বুকের ছোঁয়াতে ডিনামাইটের স্পর্শ
পাথর ভাঙছে হৃদয় ,হৃদয় ভাঙছে পাথর।
যন্ত্রণা ক্রমাগত কোনো নারী রূপে একলা দাঁড়িয়ে জীবনে
এই ভাবে সাথে হাত যায়।
তুই আমার প্রেমিকা না ,না বান্ধবী
তবে ক্রমশ দিকচক্রাবলে মিলিত সীমানার মতন।

সমস্ত বুকফাটা অভিশাপ
ক্রমশ পথ বদল পথের দরগায় কোনো ঈশ্বরের ফুল।
চোখের জলে কথা না রাখা কথাদের
আকাশবাণী নিউস ,ভেস বদল ,ফেস বদল।
নেগেটিভ আর পসিটিভ জুড়ে একসাথে
মারাত্নক বিস্ফোরণ।
টুকরো টুকরো শরীর সতীর বাহান্ন তীর্থে
মহাকালের নৃত্য।
ক্রমশ দূরবীনে এগিয়ে আসা মুখটা ভীষণ পরিচিত
কোনো পরিচয়ের মতন
বেজন্মা ক্রমানয়ে।

জন্মানো বুকের বিস্ফোরণে স্বপ্নের ভিতর দ্রোহ
দ্রোহের  ভিতর হামাগুড়ি দিয়ে বাড়তে থাকা ভ্রুণ।
হয়তো আশা
পাশবালিসের মতন শান্তির ঘুমে।
কোনো অধিকারে এগিয়ে রাখা যন্ত্রণা
কোনো একলা শবের মতন। 

অনুভব (৫)

অনুভব (৫)
............. ঋষি
================================================
আজকাল ঘুমের চোখে লেগে গেছে বিদ্রোহ
পাড় ভাঙ্গা শাড়ি তোর যন্ত্রণা।
ঠোঁটে লালচে লিপস্টিক,পাউডার রঙের চামড়ার ভিতর
অজস্র মৃত শোক।
মর্গের দরজায় দাঁড়িয়ে ভিজে যাওয়া  চোখে
কাজল লেপ্টানো অন্য চোখ।

চিনতে পারছি না  তোকে
তুইও ভিজতে পারিস প্রত্যহ কোনো সাজানো ম্যাগাজিনে।
বুঝতে পারছি না তোকে যন্ত্রণা
তোর নাভির উত্পত্তিতে ঠোঁট ঘঁষে কোনো ডোরাকাটা চিতা।
শহর বাজাচ্ছে
বাজাচ্ছে প্রতিদিনকার আবর্তনের পদাবলী।
আর বাজাচ্ছে তোকে
সিনেমায় প্রতারিত হৃদয়ের মতন গলায় ওড়না বাঁধা ঝুলতে থাকা পা।
না সহ্য হচ্ছে না
শব্দ ভাঙ্গার খুনের রক্ত তোর শরীরে
অন্তঃসত্ত্বা তুই মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে খুঁজিস প্রেমের শরীর।

আজকাল ঘুমের চোখে লেগে গেছে বিদ্রোহ
যন্ত্রণা কান পেতে শুনি রান্নাঘরে কেউ কাঁদছে শাকচুন্নির মতন।
আর তুই ভাবিস মৃত্যুও অহংকারী নিজের কাছে
অথচ শব্দ ভাঙছে ,আবার জুড়ছে।
বদলানো পৃথিবীতে অসম্ভবের চতুর্থ পানিপথ ভিষণ সস্তা
অথচ  সুস্বাদু পানিফলের মতন। 

অনুভব (৪)

অনুভব (৪)
...................... ঋষি
=============================================
নেশাটা সহবস্থানে থাক হৃদয়ের ঘরে
যন্ত্রণা কোনো শব্দের মতন তোর শাড়ির ভাঁজে সামাজিক।
সর্বত্র ছড়ানো লোলুপ শরীরের ঘ্রাণে
খানিকটা ইচ্ছা আসুক তোর মতন বেঁচে থাকায়।
অনেকগুলো কোলাজে তৈরী
প্রিয় জীবন বেঁচে আছি আর বাঁচতে থাকায়।

ঠিকানা বদল সম্ভব না
মনের ডাক পিয়নের আসা সেই নীল রঙের চিঠি।
আমি খুলি নি কোনদিন
আদরের রংমশালিতে খুব স্নেহে লুকিয়ে রেখেছি সময়ের থেকে।
আমি পাগলের মতন অলিগলিতে
খুঁজেছি সস্তার নেশার সাথে রঙিন হয়ে।
যন্ত্রণা আরো তোকে পেতে চাই ,আরো নেশায়
আরো ভালবাসায়।
সঙ্গে সস্তা ঘুগনি বা আলুর চাট আর এক ভাঁড় চা
ঠোঁট ডুবে যাক জ্বলন্ত ভাঁড়ে
এই বেঁচে থাকায়।

নেশার সহবস্থানে ভুলতে চাওয়া প্রিয় মুখ
সেটা যে যন্ত্রণা ,আর যন্ত্রণা স্পর্শ  বুকের মাঝে।
কবিতা বিপ্লব হয় নি ,বিপ্লবীরা মৃত এক বুক বারুদের গন্ধে
শুধু সহবস্থানে প্রিয় কবির ঠোঁটে।
লেগে আছে যন্ত্রণা
সময়ের গায়ে ,সময়ের দায়ে ,ভিজে কার্তুজের মতন। 

অনুভব (৩)

অনুভব (৩)
...................... ঋষি
==================================================
কোনো এক নীল পাহাড়ি দেশে
কোনো একদিন যন্ত্রণা তোকে ছুঁয়ে বলেছিলাম লিখবো তোকে।
তোর পোশাকি সহচর্য একটানে ছিঁড়ে
হেসেছিলাম উন্মাদের মতন।
সমস্ত আকাশ সেদিন লাল কফি শপের বারান্দায়
প্রেম ঠিক তোর মতন প্রেমিকা আমার।

নিজের অজান্তে ঢুকে পরেছিলাম অন্য গ্রহে
বর্ণমালার নির্দিষ্ট অবস্থান ছিঁড়ে সাজিয়ে ছিলাম তোকে জংলি রূপে।
যন্ত্রণা সে ,প্রেমের কোনো লোভ ছিল না
ছিল অনেক খানি বেঁচে থাকা।
তোর শঙ্খস্তনে পাশে পরে থাকা পরিচয়পত্রে
কোনো প্রবেশ ছিল না অধিকারের মতন।
চারদেওয়ালে নীলচে আলোতে ছিটকে পরছিল মুহূর্তরা
সময়কে ফাঁকি দিয়ে তৈরী নতুন পাসপোর্ট।
আমি ঠোঁট নামিয়েছিলাম
আমার সারামুখে রক্ত বিষাক্ত লোভ ,বাঁচবো।
যন্ত্রণা জানি ঠিক
এমন করে বাঁচা যায় না।

কোনো এক নীল পাহাড়ির দেশে
অরণ্য পেরিয়ে অবলীলায় তুলে ধরেছিলাম চায়ের কুঁড়ি।
সদ্য জন্মানো গন্ধ প্রেম
সারা অস্তিত্ব জুড়ে আলোড়িত শিহরণ।
বলেছিলাম যন্ত্রণা দোষ দিবি না লিখবো তোকে
বেআব্রু কোনো আগুনের মতন।  

অনুভব (২)

অনুভব (২)
.............. ঋষি
================================================
এমন করে একদিন যন্ত্রণা
খোলা আকাশের নীলে হাত চুবিয়ে নিয়ে আসবো মুক্তি।
তোকে খুঁড়ে দেখেছি
বিছানার চাদরে চান করা আবেশি মুহুর্তে।
ছদ্মবেশী  প্রেম যন্ত্রণা
অনেকটা মুক পশুর চোখে একটা আদ্রতা।

আঙ্গুলের সাথে আঙ্গুল ছুঁয়ে মৃত প্রায় হৃদয়
কোনো শিল্পীর হাতে ছোঁয়ানো ক্যানভাসে হাসতে থাকা মুখ।
নিজের অন্তর্বাসে খুঁজে পাওয়া
বাসি মন্ত্রের ছাই।
প্রতারণা কোনো ভাঙ্গা কলসি গলায়
এক হাঁটু জল,
যন্ত্রণা।
না না না কোনো শব্দ নয়
শব্দবহুল প্রিন্টারের  দিলদিওয়ানা নকল।
শরীর দিয়ে শরীর লুকোতে চাই
সদ্য হাতে পাওয়া নিজের কবিতার বইয়ের মতন
যন্ত্রণা।

এমন করে একদিন সমস্ত সংযমের মুখে পোড়া চাই
ঠোঁটের সাথে ঠোঁট পোড়া দূরত্বে।
আকাশের চাঁদ আর ভিজে জ্যোত্স্নার মতন আদরনীয়
ভিজে লেপ্টে থাকা চোখের পাতায়।
আরো উন্নত আশা যন্ত্রণা
বেঁচে থাকা। 

Thursday, December 24, 2015

অনুভব (১)

অনুভব (১)
.............. ঋষি
========================================
আজ প্রথম যন্ত্রণা লিখবো  আমি
ভেবে দেখেছি যন্ত্রণা  লেখা যায় না।
একটা অনুভব
শব্দের মায়াতে জুড়ে থাকা প্রলোভনের অরণ্যের স্পর্শ।
এক চিলতে মেঘ
আর কেমন একটা তোর ঘামের গন্ধ সময়ের।

শব্দদের সাথে নিয়ে
তোকে খুঁড়ে দেখলাম যন্ত্রণা।
তোর গোলাপী বুক ,তার ভিতর মাংস ,আরো গভীরে একটা শিরদাঁড়া
মন বললো ওরে ওটা যন্ত্রণা।
ভাবনা মিলিয়ে ভাবনার সুরে কেমন একটা আঁশটে গন্ধ
সময়ের পান্ডুলিপিতে পরে থাকা টুকরো টাকরা স্মৃতি।
অনেকগুলো কোলাজ জন্ম দেবে
জন্ম দেবে সময়ের প্রতিবাদ দাঁড়ানো এক আলো।
অজস্র ঝলমলে আলো
প্রেম ভূমিকায় পঙ্কিলতা তোর নাভির গন্ধে।

যন্ত্রণা লিখলাম কিনা জানি না
তোকে একটা নাম দেব বলেছিলাম হয়ে গেল তোর অন্নপ্রাশন।
নামকরণে ঠিকুজিতে লিখলাম যন্ত্রণা
শুনতে পাচ্ছিলাম কেমন একটা ঘষার শব্দ।
সময় চলছে কলমের নিবে
লিখে রাখলাম আজ শুরু একটা উপন্যাস অনুভবে ।

চাবুকের মতন

চাবুকের মতন
.................... ঋষি
==============================================
চাবুক চালিয়ে দেখেছিস কখনো
হাওয়ার ভিতর কেমন উত্তেজক সময়ের মতন।
স্যাই  স্যাই  শব্দ হয়
আর তখনি জানলা ,দরজা ,বন্ধ, করে।
একটু বাঁচতে ইচ্ছে হয়
চাবুকের মতন।

শেওলা ধরা ,ঘুনে কাটা আসবাবপত্র
বয়স বাড়ানো সময়ের ঘড়িকে ঠাট্টা করে বলি।
কিছুই করতে পারলি না
দাগ কাটতে পারলি না আমার ভিতরে আজও সবুজ জঙ্গল।
চালিয়ে গেলি কাঠের ঘোড়া
অথচ  জীবন আর বেঁচে থাকার দূরত্ব থেকে যায়।
সময়ের ওপারে
হৃদয়ের ঘরে অনেকটা সবুজ রং
আর জীবনের পায়চারি।
ইচ্ছে গুলো মরে গিয়েও বেঁচে উঠতে চায়
সময়ের পিঠে চাবুক মেরে বলি
সময় তুমি শুধু চামড়ার।

চাবুক চালিয়ে দেখেছিস কখনো
নিজের রক্তের গন্ধে নিজেকে  ভিজিয়ে দেখেছি।
নাকি শুধু ভিজে গেছি সময়ের যন্ত্রনায়
একবার চাবুক তুলে দেখ।
একবার সময়ের নিলজ্জ পিঠে আঘাত করে দেখ
নিজের পিঠে কত ক্ষত।

মৃত্যু আসছে

মৃত্যু আসছে
.............. ঋষি
===================================================
ওই ওই করে মৃত্যু এলো
কোনো হই চৈ নেই ,নেই কোনো চৈ চৈ মুরগির খামারের
শুধু একটাই আবদার।
ছাল ছাড়িয়ে,কড়াতে তেল ,হলুদ ,নুনে রান্না করার আগে বলে দিস
মারবি কবে
আর আমার মৃত্যুতে কতটা শান্ত এই পৃথিবী হবে।

বলতে পারিস আবদার করবো কেন
জানিস তো কিছু প্রশ্রয় আশ্রয়ে থাকে আবার কিছুটা নিরাশ্রয়।
তোর মতন মৃত্যু
সত্যি বলছি ওই চোখে আমি মৃত্যু দেখেছি।
একটা শীতলতা ,একটা বোধ কাজ করে
অবোধ নিলজ্জ পাগলের মতন খোলা রাস্তায় চিত্কার করে।
মৃত্যু আসছে
আজ বহুদিন ধরে আমার মৃত্যু আসছে।
যেমন সময় এগিয়ে যাওয়া আবর্তনের সময়সীমা
আগামী চব্বিশ ঘন্টার ,চব্বিশ পরগনার মানে আমার খবর।
মৃত্যু আসছে  
শুনতে পাচ্ছি তার নুপুরের নরম শব্দ।

ওই ওই করে মৃত্যু এলো
কোনো হই চৈ না ,শুধু কিছুক্ষণে একটা মুচকি হাসি।
হাসি কোনদিন বাঁধ ভাঙ্গতে দেখি নি অপার সময়ের বুকে
তবে মুচকি হাসি তোর ঠোঁটে।
মৃত্যু এক সাময়িক আনন্দের চাবিকাঠি আমার দরজায়
দরজা খুলছে ,মৃত্যুর পায়ের শব্দ। 

আশ্রয়ের প্রশ্রয়

আশ্রয়ের প্রশ্রয়
............... ঋষি
===================================================
কিছু হয় নি ,
পালাতে গিয়ে পরে গেলাম তোর খিড়কির দরজায়।
অসময়ের প্রবেশে সূর্য আজ কর্ণের পিতা
আমি পুত্র হয়ে রইলাম।
দরজায় দাঁড়িয়ে দেখলাম হৃদয়ের কান্না
তারপর দরজা ,জানলা ,ঘর বন্ধ ,,দম বন্ধ।

একটা ভেন্টিলেটর দরকার ছিল
এক আকাশ মুক্তির ফাঁকে একটা তীর সোজা আসে বুকে গেঁথে গেলো।
যাকে আমি গড়তে পারবো না
তাকে ভাঙ্গার কি অধিকার।
যাকে আমি সময় দিতে পারব না বেঁচে থাকার
তাকে আশা দেওয়ার কি দরকার।
কি দরকার
তাই পালালাম বন্ধ খিড়কির দরজার সামনে দাঁড়িয়ে।
তাকে  বললাম
আমি আসছি ,কারণ আর আসবো না ,
আসলে আসতে পারবো না আর।

কিছু হবে না হয়তো
নিজেকে জাগ্রত করতে স্লিপিংপিলের বেশ কয়েকটা খেয়ে ফেললাম।
তারপর সেই নীলচে চারদেওয়ালে আমি জীবিত
স্বপ্নরা সব বাসি চাদরের মতন আশ্রয়ে থাকে।
আর তুই একটা প্রশ্রয়
যাকে চাদর দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়।  

খুব ভালো থাক

খুব ভালো থাক
............... ঋষি
===================================================

বহুদিন খবর পাই না তোর
আসলে মিডিয়ার দেওয়া দেওয়া নেওয়ায় আমি বিশ্বাসি না।
তাই বোধ হয় আমার সাদা কাগজের লোভ
আশা রাখি তুই ভালো আছিস ,ভালো থাকবি।
সময়ের পেন্ডুলামে কিছু অনবরত রক্তক্ষরণ থাকে
তবু বিশ্বাস তুই ভালো আছিস।

তোকে সেই সাঁওতালি শাড়িটা আমি গিফট করেছিলাম
সেটা তোকে পরাতে পারি নি।
সেইবার পৌষ মেলাতে রবিঠাকুরের গানে তুই উত্তাল স্রোতে ভেসে এলি
সেই প্রথম তোর স্পর্শ।
তারপর অনেক তো হলো হাত ধরে হাঁটা
ভিক্টোরিয়া ,মিউজিয়াম সেই কলেজের সময়ের মতন।
কিন্তু চলে গেলি
বলেছিলি শাড়িটা আমাকে তুই পরাবি।
কখনো, কোনদিন,কোনো মুহুর্তের সাথে সন্ধি করে
আমাকে বুকে তুলে নিবি ,,বাতিস্তম্ভের আলো
প্রচুর আলো সেদিন থাকবে আমার শহরে।

বহুদিন খবর পাই নি তোর
আজও ও মিডিয়ার দেওয়ালে চোখ রেখে দেখি
তোর শহরে বরফ গলছে ,হিমাঙ্কের নিচে শুয়ে আমি মাটিতে।
হ্যাপি ক্রিসমাস মাটি ,তোর আমার গলতে থাকা মুহুর্তদের
মনখারাপের সড়কে আবার একটা নতুন বছর আসন্ন
হ্যাপী নিউ ইয়ার ডিয়ার,,খুব ভালো থাক। 

Wednesday, December 23, 2015

এক মুঠো মুক্তি

এক মুঠো মুক্তি
,,,,,,,,,,,,,,,,, ঋষি
=====================================================
আমাকে উজার করে যেদিন তুমি ভাববে
সেদিন শিউলি গাছের তলাটা ঠিক তোমার হৃদয়।
যেদিন তুমি বালিশের অধিকার ছেড়ে আমাকে জড়িয়ে ধরবে স্নেহে
সেদিন তুমুল বৃষ্টি নামবে।
আমার হৃদয়ের জমিতে হাজারো সবুজ রং আর প্রজাপতি
আকাশ ছুঁয়ে তোমাকে আদর বলে ডাকবে।

সব সময়ের পরে
হাজার কাজের ফাঁকে আমার হৃদয়ে আঁকা তোমার গন্ধ।
এক ঝলকের মিষ্টি গন্ধ
ভাসতে থাকা বায়ুমন্ডলে এক স্পর্শিল দিন।
সবটুকু আমার নয়
তোমার স্পর্শ সেদিন থাকবে ব্যান্ডেলের বাঁধে রাখা তুমুল জলস্রোত।
ফুসতে থাকবে
মুক্তি তোমার বুকে।
মুক্তি খোলা আকাশে জলের মতন স্বচ্ছ
মুক্তি নীল আকাশে বাড়িয়ে দেওয়া হাত
তোমার প্রতিক্ষার।

আমাকে প্লাবনে মতন ভাসাবে তুমি যেদিন
সেদিন সারা শহর জুড়ে কোলাহল ,বাস ,ট্রাম বন্ধ।
আমাকে জীবনের মতন আঁকড়াবে যেদিন তুমি
সেদিন মুহূর্তরা সব এক একটা জীবন জন্ম দেবে।
আমাকে হৃদয় বলে ডাকবে যেদিন তুমি
সেদিন আমার কলমে শুধু স্বপ্নের দিনলিপি।  

যখন লিখি

যখন লিখি
.................. ঋষি
================================================
যখন ভাবি আমি স্বাধীনতা লিখবো
তখন দেখি ক্ষুদিরাম দাঁড়িয়ে আর সামনে একটা ফাঁসির দড়ি।
যখন আমি দেশ লিখবো
তখন দেখি কোনো বারবনিতা দাঁড়িয়ে নিলজ্জ হাসছে।
আর যখন ভাবি আমি সময় লিখবো
তখন কেন আমি একলা দাঁড়ায় একটা ফাঁকা মাঠে।

এইভাবে যদি লিখতে থাকি আমি
আমার কলমের নিবে সমাজ একটা ক্যালাইডাস্কোপ।
হাজার ভিন্ন রঙের বায়ুমন্ডল জুড়ে একটা প্রিয় শব্দ মায়াজম
মায়া মায়া মায়া ,লাগ ভেলকি ,লাগ চাবুক।
পিঠের চামড়ার ওপর অবিরত একের পর এক সময়ের শব্দে
চিত্কার করতে থাকি।
একটু স্বাধীনতা দেও ,আমার নিজের দেশ ,দেও স্কোপ বেঁচে থাকার
না মিথ্যা দিও না ,না শরীর না।
পারলে মৃত্যু দেও
না প্রেম দিও না ,প্রেমে আমার অরুচি।
পারলে আরেকটু যন্ত্রণা
হৃদয়ের ফায়ার প্লেসে জ্বলতে থাকুক ধিকধিকে আগুন।
আর কলম হোক বুলেটের মতন উর্বর
আমার বেজন্মা দেশে আবার না হয় শহীদের রক্ত।

যখন ভাবি আমি তোমায় লিখবো
আমার কলম থেকে আদর ঝরতে থাকে কবিতা।
যখন ভাবি আমি নিজেকে লিখবো
আমার কলম হাভাতে কুকুরের মতন ডাস্টবিনে মুখ ঘষে।
আর যখন ভাবি আমি সময় লিখবো
আকাশ থেকে তারা খসে যেগুলো মৃত্যুসামিল মুহূর্ত। 

ঘড়ির শব্দ

ঘড়ির শব্দ
.................. ঋষি
================================================

আজ একটা স্পর্শ লিখবো তোকে নিয়ে
না একবারও ছুঁয়ে দেবো না।
আমার কলমের নিবে গড়িয়ে নামা সামুদ্রিক নোনতা স্পর্শে
না তোকে আমি ভিজিয়ে দেবো না।
শহরে বৃষ্টি আসে আসুক
কিছুতেই তোকে আর কাছে টানবো না।

পুরনো ফাদার ক্লকটা চলতে চলতে বুড়িয়ে এখন গ্র্যান্ড ফাদার
বুকের মাকড়সার জালে অসংখ্য ধবনীতে জীবন।
লাব ডুব শব্দটা হৃদয়ের বাড়তে থাকা উপস্থিতি শব্দ কোষে
শুধু উপস্থিতি আর কিছু না।
কিন্তু কেন যে তোর উপস্থিতি আমার শহর থেকে কাগজের এরোপ্লেনে
উড়তে উড়তে শহর ছাড়িয়ে ,গ্রামগঞ্জ ,সময় পেড়িয়ে
ক্রাশ করে আমার বুকের মাঝে।
বুঝি না
কেন যে বুঝি না এ যে বড় বোঝা
গ্র্যান্ড ফাদার ক্লকের লাব ডুবে ক্রমশ ক্লান্ত ঘুমিয়ে পরা।

আজ একটা স্পর্শ লিখবো তোকে নিয়ে
না না ঠোঁট রাখবো না মুখোমুখি কফিশপে।
বরং আজ ফুটপাথে মাটির ভাঁড়ে ঠোঁট পোড়াবো
বুঝতে চাইবো পোড়ার মানে।
সেই সুরে ,সেই গানে
যেদিন তোর গলার স্বরে শুনতে পাচ্ছিলাম ঘড়ির শব্দ।

ভীষণ প্রিয়

ভীষণ প্রিয়
.................. ঋষি
============================================
চারদেওয়ালে একটা নিশ্বাস আছে
আছে অনেক কিছু না বলা অসংখ্য রঙিন খামে।
যেখান থেকে সভ্যতা তৈরী হয়
সেই জন্মের দরজায় আমি আহত ঈশ্বরের মতন দাঁড়িয়ে।
দুটো চোখ জ্বলছে ,,হে নেমেসিস
সেই মৃত্যুর চোখে আমি মিশরের কালো জল।

নীলনদের গভীর চোখে চোখ রেখে
আমি অন্ধকার খুঁজি গভীর কালো জলের চোখে।
দেখতে পাই মৃত্যু তলোয়ার
রিনিঝিনি ঝংকারে আমাকে ফ্যালা ফ্যালা করে।
কোনো হিংস্র হাতিয়ার
সারা পরশ জুড়ে বৃষ্টি নামে।
আমি শুনি কানপেতে পায়ের শব্দ
ক্রমশ ক্লোস্ড মিররে ফুটে উঠতে থাকে পিরামিড।
তোর বুকের উপর
 বিশাল আকাশ সেখানে কোনো পাগলের মতন হাতড়াতে থাকি।
শান্তি ,মেঘ ,বৃষ্টি
আমি বালিয়াড়ির শুকনো নিশ্বাস তোর বুকের ভিতর।

চারদেওয়ালের ওপারে একটা নিশ্বাস
খানিকটা অক্সিজেন আকাশে উড়তে থাকা ফানুসের প্রেমে।
আমি গড়িয়ে নামি আবার তোর চোখের কাজলে
অন্ধকার আমার মৃত্যু।
এক নিমেষে গিলতে থাকে এক তলোয়ার
কিছু শব্দ ভীষণ প্রিয় ,,,,মৃত্যু।  .

সময়ের শরীর

সময়ের  শরীর
………….. ঋষি
======================================================

আমাকে  শতছিন্ন  করে
কুঁড়েকুঁড়ে  খাওয়ার  পর  বাকিটুকু  ফেলে  দিও  পথের ধারে।
জানি  কেউ  খোঁজ  নেবে  না
জানি  জীবন  থেকে  শুধু  মুহূর্ত চলে  যাবে।
কার  এত  সময়
যে  একপলক  দাঁড়িয়ে  দেখে  যাবে  আমাকে।

দেখবে  কিছু  আহত  যন্ত্রণা
কুকুরের  খিদে  আমার  উরুর  নরম  মাংসে  দাঁত বসাবে।
কোনো  মধ্যবিত্ত  চোখ  লাল   করে
অবাক  হয়ে  দেখবে।
ধনীর  রাজকীয়  গতি  ফিরেও  তাকাবে না  জানো
কোনো  সুন্দরী  নাক  সিঁটকে  পাশ  দিয়ে  চলে  যাবে।
সবাই  যাবে  চলে
নাকে  রুমাল  ,পারফিউম  দেওযা ক্ষুন্নতা।
পালাবে  সবাই  যেমন  পালিয়ে  যায়  অবিরাম
সময়ের  ঘড়িতে  তখন  পূর্নিমা  ফেলে  অমাবস্যা  হবে।  

আমার   শত  ছিন্ন  শরীরের  
খোঁজ  নেবে  না  কোনো  মিউনিসিপালটি  ভ্যান।
একসময়  অনিয়মের পুলিশ  আমার  খবর  নিতে   আসবে
 আমার বাসি পচা লাশের হৃতপিন্ডে গোলাপের  লালরং।
সবুজ  পাঁপড়িগুলোতে   অসময় সময়  লেখা
শুধু  কাঁটাগুলো  সময়ের হাতে  বিঁধে  যাবে।

সত্যি চোখ খুলে যাবে

সত্যি  চোখ  খুলে  যাবে
………… রিশি
===================================================
সত্যি  চোখ  খুলে  যাবে
রৌদ্র শুকিয়ে  দেবে  রক্তের  দাগ।
কিছুটা  বৃষ্টি   না  হলে  পায়ের  ধুলোয়  হারিয়ে  যাবে
সময়ের ম্যাথোরেরা  কুয়াসা  তুলে  নেবে  জঞ্জাল স্থুপে।
কিছু  ঠকাবে  না
কোনো  দাগ   থাকে  নি  কোনোদিন।

আবার  মেট্রোপলিটন জমজমাট  গানবাজনার  আসর
কোনো গায়ক  গেয়ে  উঠবে  জাতীয় সঙ্গীত।
কবিদের  মৃত  আঙ্গুলে  জন্ম  নেবে   শোক
খবরের  পাতায়  শুধু  রক্তের  ছোপ।
কিছুদিন  তারপর  কিছু  থাকবে  না
এই  মুহুর্তের  আহা  উহু  ছাড়া ,মানুষের যন্ত্রণা।
আবার  আসর  বসবে  শহরের  গলিতে  মদের  উল্লাসে
আবার  কেউ  দাঁড়াবে দেওয়াল  ঘেঁষে খিদের  থালাতে।
সব  আছে  থাকবে
কিন্তু  যে  চলে  গেল  সেই  আহত  যোনি  ,থ্যাতলানো  মাথা
অনাবৃত  স্তনের  উপর  জন্মানো   রক্তাক্ত  ভোগ  বিলাস
চোখগুলো   উব্রিয়ে  রাখা  রাস্তার  ধারে।
আমাদের  চোখ  খুলে  যাবে
এই  বিশাব্স  এই  আশ্রয়ে।

সত্যি  চোখ  খুলে  যাবে
দুবছরের  খরার  জমিতে  আবার  চাষ হবে।
কোনো  বাউলের  একতারাতে  বেজে  উঠবে  দিন  বদলের   গান
সব  সত্যি।
যদি  সময়ের  যোনিতে  প্রতিবাদ  না  থাকে
তবে  জনিজ  ভ্রষ্ট  মানুষ  নষ্ট  এই  সময়।

Sunday, December 20, 2015

আমার ঋষি

আমার ঋষি
................. ঋষি
====================================================
আমার ঋষি
জলে ,বলে ,জঙ্গলে নেই আছে বিশ্বাসে।
আমার ঋষি
কল্পনা কবিতায় নেই আছে বেঁচে থাকায়।
আমার ঋষি
আমার কোনো নামে  নেই ,আছে  অন্তরে।

যেদিন আকাশ থেকে
ভুতের হাঁড়ি নেমে বলবে কোনদিকে খিদে।
সেদিন আমি কারণ খুঁজবো না
বলবো কবি সময় হলো সাদা কাগজের আর কি প্রয়োজন।
যেদিন সমস্ত যন্ত্রনারা
গুপি গাইনের জুতো পরে সময়ের সাথে বলবে যথার্থতা শান্তি।
সেদিন আমি কবিতা লিখবো না
বলবো কবি সময় হলো এবার ধার্মিক হওয়ার।
যেদিন জীবনে কোনো ভিখিরি নেই ,নেই নির্যাতিত মুখ ,নেই কোনো বিভাজন
গুপিগাইনের মতন হৃদয় গাইবে দেখো রে নয়ন মেলে।
সেদিন আমি তুলে রাখবো কবিতার খাতা
ভুতের রাজার মতন বারংবার বলবো সোজা পথে থাকা চাই।

আমার ঋষি
কোনো জপ ,তপ ,ধর্মে  বিশ্বাস করে না মানুষ ছাড়া।
আমার ঋষি
কোনো পোশাক ,ভাষা ,বিভাজন বোঝে না সময় ছাড়া।
আমার ঋষি
বাস করে আমার অন্তরে আদিম সৃষ্টির সময়ের  প্রেমে। 

আমাদের শহর

আমাদের শহর
....................... ঋষি
=====================================================
আলো জ্বললো আমার শহরে
শহর পেরিয়ে কোনো এক অভ্যস্ত গৃহকোণে আদিম জটিলতা।
কেমন একটা শীত লেগে গেছে শহরের শিরায় শিরায়
শহর  পেরিয়ে সেই শীত তোর  কাছে।
বরফ পরছে আমি জানি
তুইও আছিস সেখানে যেমন রোজকার প্রয়োজনে।

প্রয়োজন ছিল তাই কফির ঠোঁটে তিতো স্বাদ
আমার বিকেল গুলোতে তোকে স্পর্শ করে।
প্রয়োজন ছিল তাই তোর ঠোঁটের পাশে  আদুরে তিল
আকাশের চাঁদ চকচকে বিশ্বাসে।
প্রয়োজন ছিল তাই আমার কবিতারা তোর  নাম করে সারা শহর ঘুরছে
অলিতে গলিতে ,নন্দন ,প্ল্যাটফর্ম ,জীবন ,যুদ্ধে।
প্রয়োজন আছে বাঁচার
তাই বেঁচে  আমার মতন তুইও  মন আসন্ন অন্ধকার রাতে।
সারা শহরের জোনাকিদের  সাথে আমার সহবাস
প্রয়োজন আছে আলোর
আমার শহর অন্ধকারে ভুগছে।

আলো  নিভলো তাই আলো জ্বললো আমার শহরে
শহরের আদিমতায় একটা ব্যস্ততার ফিসফিসে সাইরেন,
কেমন একটা আদুরে স্পর্শ তোর।
ফাঁকা ফুটপাতে জ্বলন্ত ল্যাম্প পোস্ট তোর আমার ছায়া
একসাথে পাশপাশি আজ বহুদিন
হেঁটে চলেছে আমাদের শহরে। 

আমরা সবাই


আমরা সবাই
................... ঋষি
=============================================
শুধু  আসা আর চলে যাওয়া
মাঝখানে  আজ একটা বিষন্নতা লেগে থাকে।
শহর থেকে অনেক দুরে
অনেক ব্যাস্ততার ফাঁকে একটা কনসার্ট কানের গোড়ায়।
শুধু বাজতে থাকে
প্রেম পবিত্র জিসাসের ক্রুশে  INRI ।

যে পথে পবিত্র পায়ের ছাপ
সেই পথে ছোপ ছোপ রক্ত জীর্ণ মানসিকতা ,জীর্ণ বিভেদ।
সমস্ত বিশ্বের অন্ধকারকে একটা আগুনে বন্দী করে
যদি পোড়ানো  যায়।
তবে সেখান থেকে জন্ম হবে একটা মাত্র পৃথিবীর
তবে সেখানে জন্ম হবে পবিত্র মানুষের।
মানুষ হেঁটে যাবে ঈশ্বরের পথে বিভেদ ছাড়া
সারা পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে,
একটাই বিশ্ব সঙ্গীত
একসাথে আমি ,তুমি আমরা।

শুধু আসা আর চলে যাওয়া
মাঝখানে আজ একটা সাজানো নাটক যেন।
সমাজ ,সংসার ,সারা মানচিত্রে টুকরো টুকরো সময়ের আগুন
আগুন জ্বলছে ,পুড়ছে  মানবিকতা বিচ্ছিন্নতা নাম।
আমি এক বিশ্বের নাগরিক
আমার শহর ,আমার দেশ সম্পূর্ণতা মানুষের শান্তিতে।



  

Saturday, December 19, 2015

কচ্ছপের খোলস

কচ্ছপের খোলস
.............. ঋষি
===========================================

এই যে আগন্তুক সব
মানুষ নিজের গন্ডির সীমানায়।
জুতোমোজা পায়ে প্রতিদিনকার নোংরায় এসে দাঁড়াই
বাড়ির চৌকাঠে গঙ্গা জলের শব্দ।
কিছুতেই বুঝতে চায় না
মানুষ ,গঙ্গার জলে কোটি কোটি জীবানুর বাস।


নিজের খোলসে রাখা কচ্ছপের মতন কয়েক যুগ
নিয়ম এখানে কচ্ছপের খোলস।
বাড়তে থাকা সময়ের শেওলাতে অজস্র ,নিযুত ,অযুত প্রহসন
সমস্ত কাব্যিকতা জুড়ে কেমন এক নরম রসায়ন।
অক্সিজেন  জীবনের ইঙ্গিতে
অথচ কার্বনডাইঅক্সাইড ছাড়া আমাদের যে খিদে পায়।
সবুজ খিদে ,সবুজ আনন্দ
কোনো রকম কৃত্রিমতা ছাড়া।
প্রথম যেদিন মানুষ রওনা চাঁদের বুকে
একবারও  ভাবতে চাই নি চাঁদের দুটো মুখ।
কারণ একটাই
সকলে ভাবতে চাই বিন্দাস।

এই যে আগন্তুক সব
মানুষ নিজেদের হিসেবের সীমানায়।
একটা অদ্ভূত প্রত্যহের বাজারী ফর্দ অদৃশ্য নির্যাস
গড়িয়ে পরছে রক্ত।
মস্তিষ্কের প্রতি নিউরনে বাড়তে থাকা চাপ
মানুষের গঙ্গাজলে গঙ্গা পুজো।  

প্লিস একটু শান্তি

প্লিস একটু শান্তি
................ ঋষি
=============================================
সেই যে দেশ ভাগ থেকে বলে আসছি
শান্তি।
সেই যে প্রতিবাদ থেকে চিত্কার করছি
শান্তি।
সেই যে বাবরি মসজিদ ,রাম মন্দির থেকে বলছি
শান্তি।

কি হলো শান্তির
কাঁটা তারে ফাইল বন্দী বিভাজন।
জাত ,পাত,ধর্ম ,জীবন হাজারো বিভাজন
বিভাজিত মানুষ।
নারী ,পুরুষ ,বার্ধক্য ,যুবক ,কপতি
কিসের ,কিসের এত সব আইন কানুন ,সমাজ ,রাষ্ট্র ,দেশ।
নিজের জাতীয় পতাকা ,জাতীয় সঙ্গীত
সব যদি ,সমস্ত যদি একসাথে ,একসুরে উচ্চারণ করি।
তবু শান্তি ,
তাকে পাই না।
বরং শান্তি শব্দটা পিস নাম পরিচিত অভিধানে
পিস ,পিস করে এত বিভাজিত সময়  তবুও কই শান্তি।

দেশ ভাগ ,খিদে ,তৃষ্ণা ,বিভাজন সব মাথা পেতে নিলাম
বদলে শান্তি চাই।
প্রতিদিনকার বেঁচে থাকায় সমস্ত অত্যাচার মাথা পেতে নিলাম
একটু শান্তি চাই।
সমস্ত জীবন সময়কে দত্তক দিলাম
প্লিস একটু শান্তি। 

সময়ের সফরে

সময়ের সফরে
................... ঋষি
========================================
প্রথম থেকে শেষ অবধি মোট ১৭ মিনিট
বাসের শেষ সিটে আমার চেনা এক প্রিয় মুখ।
আমি তাকাচ্ছি ,সেও
কোনো এক ফেলে আসা সকালের শেষ চিঠি।
প্রিয়তম আজি শেষ ,এই মুহুর্তে
কাল থেকে বদলানো রাস্তায় তোমার সফর।

জীবন থেকে দিনগুলো চলে যায়
ঠিক যেমন ছেঁড়া টুকরো টুকরো কাগজ পরে থাকে রাস্তায়।
ইউসলেস কিছুটা সময় ,কিছুটা কালোপিচে গ্রিন স্যিগনাল
অসংখ্য সাজানো ফ্রেমে এলোমেলো মুখ।
বাসটা ব্রেক মারলো তোমার পাশের সিটখানা খালি
খালি অনেকটা মুহুর্তের ভিতর।
বসবো তোমার পাশে ,কিছু বলবে তুমি ,কিছু আমি
কিন্তু কি বলবো।
কি বলা যায়
প্রশ্ন করতে পারি কেমন আছ,কিংবা তুমি।
উত্তর তো জানি
আমরা দুজনেই বেশ আছি সময়ের সফরে।

একটা ফুটপাথে গোৎ মেরে বাসটা দাঁড়ালো
তুমি ছিটকে এলে গায়ে ,বললে প্লিস আমার শাড়িটা।
আমি সরে এলাম ,তুমি নেমে গেলে
তুমি নেমে গেলে  ঠিক ১৭ মিনিট পর আমি একা।
আবার সেদিনকার মতন
আমার জীবন সফরে অজস্র প্রিয় মুখ। 

ঠিকানা হৃদয়পুর

ঠিকানা হৃদয়পুর
..........................ঋষি
================================================
হৃদয়পুর শব্দটা তোমার থেকে ধার করে নিলাম
পাতা গুলো জুড়ে থাক সবুজ রং।
জানি না তুমি আছো কিনা সেখানে
তবু তোমার লাল কালো টিপটা আমার ডায়রির পাতায়।
না উপঢৌকন  না
একটা হৃদয় সেখানে রাখা আছে।

এই ভাবে ভাবি নি তোমায়
তুমি মৃত্যুকে বড় বেশি ভালোবাসো।
হয়তো আমার থেকে বেশি তোমার তার বুকে মাথা রাখার শখ
শেষ বিকেলে যখন তোমার ঠোঁটে যখন আমার সিগারেট পোড়া ঠোঁট।
তখন তোমাকে বলতে পারি নি জানো পৃথিবীটা খুব সুন্দর
এমনকি নৈহাটি স্টেশনে তোমাকে একলা দেখে বলি নি
কোথাও যেতে হবে না তোমাকে।
আমার সাথে চলো
আমার সাথে একটা হৃদয়ে থাকবে চলো।
সমস্ত শহরের মানচিত্রে কোথাও লাগাতে পারি  নি বিজয় পতাকা
শুধু সেই টিপটা আজও হৃদয়পুরে।

হৃদয়পুর শব্দটা আসলে ছোটো বড় রেওয়াজ মানে না
মানে না কোনরকম রোগ ,শোক ,নিকোটিনের রৌদ্রে পোড়া ঠোঁট
শুধু একটা হাহাকার  থাকে সবসময়
যখন আমাকে ভীষণ প্রয়োজন তোমার ,আমি কুপমন্ডুক।
একবারও তোমাকে বলতে পারি না
এসো হৃদয় দরজা খোলো ঠিকানা হৃদয়পুর।

জন্মান্তরের

জন্মান্তরের
....................... ঋষি
=============================================
মা বাবাকে কখনো খুব কাছে দেখিনি
হয়তো একটা বোঝাপড়া ছিল।
তাই বোধ হয় মায়ের গানের সাধ ,বাবার বইয়ের আলমারিতে
ধুলো পরেছে আমার জন্মের পর।
বোধ হয় কোনো সিনেমায় দেখানো ব্যস্ততাগুলো
আমার পিছনেই কেটে গেছে তাদের ।

আজ সেই আলমারির ধুলো ঝেড়ে
হারমোনিয়ামের রিডে হাত বোলাচ্ছি নিজের পাঁজরে।
একটা বিড়ালের নখ
চিরে ফেলছে আমাকে ,বাবা মাকে আলাদা করে।
একটা চিতা বাঘ হলুদ চোখে তাকিয়ে সময় গুনছে মৃত্যুর
কোথাই একটা স্তব্ধতা।
পড়াশুনায় বলার মতন কিছু ছিলাম না
ছিলাম না খেলাধুলায় খুব ভালো।
তবু একটা রক্ত লেগে ছিল আমার ভিতরে বাবা মায়ের
তাই বোধ হয় আমার আর প্রেমিক হওয়া হলো না।
একটা বোঝা পরা রয়ে গেল
জন্মান্তরের।

মা ,বাবা আমার সবাই বেঁচে আছে
আমি চাই ওরা বাঁচুক আরো অনেক যুগ।
কিন্তু আমি সেখানে আর থাকি নি ,অনেক দূরে
একটু কাছাকাছি দেখতে চাই তাদের।
নাহলে যে ধুলো সরছে  না আমার উপর থেকে
বড় নোংরা লাগছে নিজেকে ,বেজন্মা।

পৃথিবীর আবর্তনে

পৃথিবীর আবর্তনে
.............. ঋষি
===============================================
সমস্ত অধিকারের সাথে ঘুম ভাঙ্গলো
সামনে আমার তিন বছরের ছেলে এক গাল হাসি।
বাবা আজ অফিস ছুটি
আমি বল্লাম আজ কি বার বলতো।
বললো আজ আমার ছুটি তাই তোমারও
ঘুরতে যাব।

অদ্ভূত ওর শীতের ছুটি শুরু বলে
আমাকেও নিতে হবে।
আমি বললাম বাবু আজ প্রচুর কাজ অফিস যেতে হবে
পরে ঘুরতে নিয়ে যাব।
তারপর সেকি কান্না ছেলের  , বলছে তোমার ছুটি হয় না কেন বাবা
অবাক করা প্রশ্ন।
ছুটি ,আমি হাসছিলাম ,কি বলবো বুঝতে পারছি না
বলতে পারছিলাম না অতটুকু বাচ্চাকে
আমার তো ছুটি নেই বাবা।
আবর্তনের সাথে পৃথিবীর পায়ে পা মিলিয়ে চলেছি
এখানে ছুটি মানে পিছিয়ে যাওয়া।

হাসছি আমি মনে মনে ,
ছেলে কাঁদছে বলছে বাবা অফিস যেও না।
আমি একটা গ্লোব এগিয়ে দিলাম ছেলেকে ,খেলনা পৃথিবী
বললাম বাবু দেখ পৃথিবীটা এমন করে ঘোরে।
এটাকে উল্টো ঘোরা তো
কি বুঝলো ছেলে কে জানে ,ছেলেটা হাসছে। 

Friday, December 18, 2015

জোকারের হাসি

জোকারের হাসি
............. ঋষি
==============================================
না হে এ ভীষ্মের ইচ্ছা মৃত্যু না
এ হলো পলিটিক্স ,সোজা বাংলায় নর্দমা।
সময় পেড়িয়ে সময়ে নর্দমার নোংরা বয়ে চলা
ক্রমশ নোংরাগুলোর মিছে বলা।
হাতে মুখে কালি ,তুমি আমি খালি
হাসতে থাকা জোকার সর্বস্য নিজস্বতায়।

নিরবধি বলে এখানে কিছু নেই
সবটাই মূল্যহীন পথচলা সাময়িক পত্রিকার পাতায় পেজ  থ্রি।
আরেকটু বললে
নাটকের সংসারে স্যামপুর ফেনায় সময়ের বুদবুদ
প্রচেষ্টা নোংরা মুছে ফেলার।
প্রচেষ্টা আয়নার গায়ে লেগে থাকে সময়ের হাসি
না না হাসি শুধু ,
কিছুটা কান্না।
আর সেই জোকারের গায়ে হরেক রকম মজা
মজা জীবন
জীবন বেঁচে থাকা।

না হে এ হলো ক্রমশ তুবড়ির মুখে আগুন দেওয়া
বারুদের একটা মিষ্টি গন্ধ।
চুপচাপ ক্রমশ আলোর ঝরনায় ভরতে থাকে
নর্দমার জলে জোকারের মুখে হাসি।
কিন্তু বারুদ পুড়ছে হৃদয়ের ভিতর অনেকটা না বলা
জোকার বলছে আমি আছি তো।  

জ্বলন্ত মোমবাতি

জ্বলন্ত মোমবাতি
.............. ঋষি
============================================

অনীহা ছিল একটা
জলন্ত মশালের সামনে  মোমবাতি গলা প্রতিক্রিয়া
ছ্যাঁকা লাগতো  ঠিক
তবু অস্তিত্ব মাফিক একটা সজারু ঘুরে বেড়াতো
ধরতে ভয় করতো
ভাবলেই গায়ে কাঁটা

অনেকটা সময় পেড়িয়ে  আজকের দুনিয়া
হয়তো  সবটা দেখিনি ঠিক ,কিন্তু অনেকটা দেখে ফেলেছি
তোমার ঘরে বাস করে কয়জনা ও ললনা
উত্তর একটাই কোনো ধর্মগ্রন্থ না ,কোনো জাতি না ,কোনো দেশ না,
একটা গোটা বিশ্ব বাস করে

আর অদ্ভূত যখন শেয়ার বাজারে ধস নামে
আমি বুঝতে পারি না
অথচ প্রকৃতির ভুকম্পে আমার পায়ের তলার মাটি কাঁপতে থাকে
প্রেমের জোয়ারে আমার সারা শরীরে প্লাবন
আগুনের লাভাতে আমি পুড়তে থাকি
প্রতিবাদ করি ,চেয়ে বসি অনধিকারের কাছে
বাসযোগ্য বাসস্থান ,মানে মাথার উপর একটা আচ্ছাদন
খিদের জন্য খাওয়া ,মাংস  পোলাও না একটু পান্তাভাত আর নুন
আর সন্তানে মুখে হাসি ,
এই তো বেঁচে আছি

অনীহা ছিল একটা জ্বলন্ত সময়ের মশাল বুকে একটা জীবন
ফিরে আসা জালিয়ানওয়ালাবাগের প্রথম বুলেটটা আমার বুকে
স্পন্দন থামছে না ,ইতিহাস পুড়ছে
পুড়ছে আমার কবিতার বুকের ভিতর
গড়িয়ে নামছে রক্ত ,ঠিক যেমন গলতে থাকা মোমবাতি

আলো  ফুরিয়ে যাচ্ছে ,অথচ কত আগুন এই বুকে

কবিতার শোক

লিখতে পারাটা একটা অসুখ  ভীষণ কষ্ট ,ভীষণ আনন্দ ,প্রেম প্রবাহ ,অসংখ্য শোক,শহর ,মানুষ   সব কেমন সাদা পাতায় সংসার বুনতে থাকে  শব্দদের ঘুণপোকার স...