Saturday, February 27, 2016

সময়ের কাঁঠাল পাকা

সময়ের কাঁঠাল পাকা
................. ঋষি
================================================
আয়নার বাইরে রাত নেই
তবু অন্ধকার,
নিজেকে কিছুতেই পাই না খুঁজে সহস্র কঠিন পাথরে।
কোপার নিকাসের  হিসেবনিকেশের নক্ষত্র প্রাচীন আবিষ্কারে  বাইরে
সবটাই অন্ধকার ,
এখন অবিষ্কার  কই  সবটাই ভীষণ  পরিচিত সবার কাছে।

কথা বলতে শেখা দুধের মুখও জানে
প্রেমিকাকে চুমু খাবার মানে।
টিভি পর্দার কন্ডমের সঙ্গমের অর্থ অজানা নয়
এই পৃথিবীর আলোতে সদ্য জন্মানো ফুলের।
শিখতে কোনো মানা নেই ঠিক
কিন্তু বয়সোচিত শেখাটা  সময়ের কাঁঠাল পাকা।
না হলে সবটাই মোবাইলে হাতের কাজ
করলে দুনিয়া মুঠ্ঠিমে।
আর না পাকা কাঁঠাল যে আদ আদ গলায় বলে
কাল রাতে বাবা মাকে আদর করছিল।

আয়নার বাইরে রাত
তবু নিজেকে চেনাটা দরকার নিজের কাছে,
সবটাই যদি রসায়ন  হয়ে যায় তবে পরিচির বয়সের ভেদ কোথাই।
বাবার শালে নিজের জুতো মোছাটা যাদের স্বভাব
তাদের কাছে আবিষ্কার বলে আর কিছু নেই,
সবটাই শেষ হয়ে  যাওয়া পথের  মৃত্যু । 

Friday, February 26, 2016

অপেক্ষার শব্দ

অপেক্ষার শব্দ
........................... ঋষি
========================================
অপেক্ষার কোনো ঠিকানা হয় না
সমস্ত অবয়বে শুধু পথ চলা ইচ্ছাদের জটিল সঙ্গম।
সেই শুরু
তারপর আবার ,বারংবার সেই পদশব্দ।
জানতে ইচ্ছে হয়
আর কত দূরে ,আর কত।

অপেক্ষাকে ইগনোর করে দেখেছি
বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ব্যস্ত চোখে রাস্তা দেখেছি।
কিছু বদলায় নি
সেই পথ সর্বদা অপেক্ষা।
আর অপেক্ষা সে যে শেষ না হওয়া পথ
দিনে রাতে।
সর্বক্ষণ  পাতার পর পাতা ,,সাদা পাতায়
কলমের আঁচর।
কিছু না সেও তো অপেক্ষা। ...
আরো  কোনো কবিতার প্রেমে তোমার আসার
তোমাকে জড়িয়ে বাঁচার।

অপেক্ষার ঠিকানা খুঁজতে বেড়িয়ে
ঘুরে এলাম মস্তিষ্কের অলিগলি পেড়োনো  তোর চৌকাঠ।
চৌকাঠ পেড়িয়ে ঘর
উল্টো দিকে বাইরে শেষ না হওয়া পথ।
আর পথের পাশে কোথাও আমি অপেক্ষা
পদশব্দ তোর। 

সেই দুপুর

সেই দুপুর
............. ঋষি
==========================================
সেই দুপুরটা ফিরে আসে বারংবার
আমার শহরে কার্বনের ধোঁয়ায় ভিজতে থাকা নোনতা ঘামে।
চোখের ক্লান্তিতে এক মুঠো স্বপ্ন
সেই পথে চলে যাওয়া মুহুর্তদের ভিড়ে।
সিম্ফনি বাজে
বেঁচে থাকা গভীর আনন্দে।

এ কেমন আনন্দ
টেবিলের ওপারে ক্লান্ত ভেজা চোখের চাহুনি।
নিস্তব্ধতায় ,ফিসফিস করে বলে চলে বারংবার
আমি আছি ,,,,, .।
চিত্কার করে বারংবার আমি আছি ।
আর তারপরেই আবার চুপচাপ ,,পিন ড্রপ সাইলেন্ট
থিয়েটারের শেষ চেয়ারটা ছেড়ে চলে যায় ।
দর্শক চোখের পাতায়
টুপ করে
এক ফোঁটা জল ।

সেই দুপুরটা ফিরে আসতে চায়
যখনতখন রাস্তার রেস্তোরায় এক কাপ চা ।
হাতের আঙ্গুল ছুঁয়ে স্পর্শদের দের আবদার যখন তখন
আরো গভীরতা চায় ।
ঝিম ধরা শহরের দুপুরে
বাড়তে থাকা কার্বনডাই জীবনের পর্যায় । 

পাহাড়ি অর্কিড

পাহাড়ি অর্কিড
.................. ঋষি
===========================================
অর্কিড তোমার জমানো জীবনে
জন্মান্তরের আশ্রয়।
পাহাড়ি কোনো মেঘলা নদীর কুয়াসা কুড়োনো সকালে
তুমি আপ্লুত কোনো পাগল প্রেমে।
অর্কিড তুমি চিরকালীন গভীর আলোড়ন
সবুজ এই পাহাড়ি প্রেমে।

আঁকাবাঁকা সাঁকো ধরা জড়ানো জীবন
ওঠা ,পড়া,বোঝা পড়া ইচ্ছাদের  রৌদ্র।
আচ্ছা অর্কিড
তুমি কি মাটি ভালোবাসো।
ভালোবাসা পথ চলা পথিকের আনন্দ দৃষ্টি তোমার উপর
অজস্র সবুজের ফাঁকে তোমার জন্ম মাটির।
তুমি কি আকাশ ভালোবাসো
অনন্য রৌদ্র মাখা ক্লান্ত পাহাড়ি চড়াইয়ের তৃষ্ণা।
তুমি কি সময় ভালোবাসো
ভালোবাসো পাহাড়কে।

অর্কিড তোমার জমানো অভিমানে
পাহাড়ি নিস্তব্ধতা।
ঝরে পরা হিমেল ঝরনা শীতল পরশে
কেমন একটা ঝিম ধরা ভাব।
নেশা
অর্কিড এক  পাহাড়ি প্রেমে। 

সমুদ্র আবাসিক

সমুদ্র আবাসিক
............... ঋষি
=============================================
কতবার তো সমুদ্র তোকে দেখলাম
তবু জানিস দেখতে ইচ্ছে হয়।
সেই বিকেলগুলো তোর ছুঁয়ে যাওয়া ভিজে ওষ্ঠে
পুরনো নোনতা স্পর্শ  পেতে ইচ্ছে হয়।
ইচ্ছে হয় সমস্ত ইচ্ছেদের মাঝি নৌকাগুলো
তোর গভীরে ভাসাতে।

জানি অভিমানী তুই
হয়তো খানিকটা বিষন্ন নিজের অধিকার বোধের পারদের বোঝাপরায়।
তবু তোকে বলছি কোনো অজুহাত নয়
জানিস তো আমার শহর থেকে তোকে ছোঁয়া অসম্ভব।
তুই যে সমুদ্র। .....অসীম।
কোনো   সৃষ্টির গভীরতায় তোর নদীমুলে সঙ্গম।
আর আমি ক্ষুদ্র কোনো জনপদ
বেঁচে আছি।
কোথাও ,কখনো ,নির্জনে তুই আছিস তাই
আকাশের গভীর সীমানায় আনন্দ মিলনে।

কতবার সমুদ্র তোকে দেখলাম
আঁজলা করে জল ছিটিয়ে এক শান্তি রৌদ্র দিনের উপলব্ধিতে।
পায়ের তলায় সেই পুরনো বালি
উত্তপ্ত তোর আঙ্গিনায় আমাদের শেষের দিনগুলো।
ইচ্ছেতে আবার পেতে ইচ্ছে হয়
সমুদ্র তোর গভীরতার আবাসিক আমি। 

Thursday, February 25, 2016

অসময়

অসময়
............. ঋষি
==============================================
প্রচুর বার ডেকেছি তোকে
দরজার ভিতরে আটকানো সভ্যতার খিলে।
বারংবার হাত রেখেছি  ঈশ্বরের নীলচে টুপিতে
টুপি বদল ঈশ্বর ,,সভ্যতার নামে
এক আতঙ্ক বৃষ্টি।

এমন করে সভ্যতা লেখা যায় না নগ্ন বুকে
পোশাকি আমেজে পা টিপে হাঁটতে থাকা বিড়ালের ভয়।
এক বুকে জঙ্গল
আর সভ্যতায় দাবানল
তবু বাঁচছে হৃদয়ের বিষ ফোঁড়াতে সময়ের বিষ।
তবু হাসছে মানুষ জোকারের মত
পথ চলা খানাখন্দ পেড়িয়ে বাড়ি ফেরা প্রতি রাতে।
এ কোনো আবাহন নয় ,,নয় কোনো আহরণ
এ হলো বিসর্জন
এ হলো দিন আনতে পান্তা ফোরানো ইতিকথা।
তবু দুঃখ থাকতো না
যদি শান্ত লক্ষী শান্ত হয়ে বাস করতো মানুষের মনে।

প্রচুর বার বলেছি ,আবারও বলবো
রক্তের কালিতে লিখব দমবন্ধ সভ্যতার ইতিহাস।
জানি না ইতিহাস বদলে কিনা
বদল আছে কিনা ধ্বংসের
তবু কেন জানি মনে হয় এই সভ্যতা অসময়।  

চায়ের সাথে

চায়ের সাথে
............ ঋষি
=======================================

বিকেল গুলো কেমন যেন মেঘলা শহর
চায়ের ভাঁড়ে ঠোঁট ঠেকিয়ে দেখি পুড়ছে না কিছু।
কেমন একটা আনমনা ভাব
এক মেঘ জটলার ফাঁকে হঠাত উঁকি তোর মুখ।
তুই চা খাচ্ছিস ,,,খা
আমারও খাওয়া হবে।

এক জটিল অঙ্ক ,,,,জীবন
সাঁতরে নিয়ে গরম চায়ের প্যানে এক চামচ চিনি।
মিষ্টি ,,,,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,বেশি হলো না তো।
আবার একটু দুধ দিবি ,,,আরেকটু দে
বাহ ,,,
,,,,,,, ঠিক তাই দারুন
তোর ঠোঁটে চা পুড়ছে,,,,বাড়ছে পারদে আগুন।

বিকেল গুলো কেমন যেন মেঘলা বাতাস
শীতল স্পর্শ এক রঙ্গা আদর চায়ের ভাঁড়ে।
কেমন যেন এক রং মজা
বৃষ্টির ভেজা ছাতায় আমার শহর তোর দরজায়।
তুই চা খাচ্ছিস ,,,খা
আমার তোকে পাওয়া হবে।

প্ল্যাটফর্মে ট্রেন

প্ল্যাটফর্মে  ট্রেন
...............ঋষি
================================================
কতটা পেয়েছি আমি
সে নিয়ে বিচার করতে চাওয়াটা নেহাত ছেলেমানুষি।
দিন বদলে গেছে অনেকটা
এখন সময়ের হাতে ললিপপ না ,,চাইনিজ লেগে।
আর আমি চুষে চলেছি আনন্দের মতন ছেলেমানুষি
এই সময় ,,তোমার আলিঙ্গনে।

আসলে আমি পিছিয়ে যেতে চাই
ফুল বাবু ছেড়ে হাফ প্যান্ট পরে সেই সবুজ স্বপ্নে।
যেখানে স্কুলের ছুটির ঘন্টা
যেখানে আকাশের ঘুড়ির সাথে স্বাধীনতা।
যেখানে সময়ের রেলের শব্দ ,,,,হাজার স্বপ্নের প্ল্যাটফর্ম
অসংখ্য ট্রেনের ঝাঁকুনি।
সিঙ্গারা ,,,খবরের কাগজ ,,,ঝাল মুড়ি ,,চকোলেট
কিংবা তার বেশি তুমি।
বেশ হত যৌবনের সেই সবুজ ঠোঁটে তুমি আঁকা
কিংবা সময়ের কোলাহলে বিসর্জনের মায়ের মুখ তোমার মতন
অথবা এই সময় তুমি।

কতটা পেয়েছি আমি
সে নিয়ে ভাবতে চাওয়াটা নিতান্ত কোনো যান্ত্রিক জীবন।
দিন তো এখন আগুনের দৈনন্দিন
তবু কেন যেন মনে হয় ,,যদি আনন্দের নাম বেঁচে থাকা হয়।
আর প্রেমের নাম তুমি
তবে সময় সে যে কোনো প্ল্যাটফর্মে  ট্রেন গাড়ি।

একমুঠো বাঁচা

একমুঠো  বাঁচা
.............. ঋষি
================================================
.তোর নদীর জল খাবো বলে
হাত ঘুরিয়ে খুলে ফেললাম দূরত্বের নাটবল্টু।
সমস্ত বন্যার পরে ,,,ভেসে যাওয়া অভ্যাসে
আমার সমস্ত মাটি তখন ভিজে চপচপে।
পার ভেঙ্গে পরছে একের পর
আমি তোর নদীর জল খাবো বলে।

তুই তখন প্রকৃতির খেয়াল বৃষ্টি ভেজানো ঠোঁট
দুকুল ছাপিয়ে মিটিয়ে চলেছিস সময়ের খিদে।
পার ভাঙ্গা ত্রস্ত সভ্যতার আলোতে
তুই তখন দুর্বার কোনো আগুন ভেজা চোখ ,,,তাকিয়ে আছিস।
চুপচাপ
একের পর এক ভেজা মাটির প্রলেপ।
তোর মেরুদন্ড বেয়ে
তোর অস্তিত্বের না বলায় আমার বিচরণ।
আমি ভাসছি
জল খাচ্ছি ,,,না মেটা খিদের ঝাঁপিয়ে পরছে গভীরে
হারিয়ে গিয়ে মিশে যেতে চাই।

তোর নদীর জল খাবো বলে
বারংবার বন্যা আসে,,,,,,,আর জলে ভেজা ইচ্ছেরা জেগে ওঠে।
মাথা চারা কোথা থেকে মিশে যায়  দূরত্ব
সমস্ত অঙ্গীকারে সভ্যতার বুকে নতুন আলো।
ওরে তৃষ্ণা যে না মেটা ,,,,,সময়ের কোলাহল
আর আমি ভেসে যাওয়া নদীর ,,একমুঠো  বাঁচা। 

সবুজের সাথে

সবুজের সাথে
..................... ঋষি
=================================================
সবুজ কে প্রশ্ন করেছিলাম
কি দেখলাম আমি ,কি খুঁজলাম ,কি পেলাম।
উত্তরে সবুজ হাসলো
আর তার  চোখের ভিজে যাওয়া পাতারা আমাকে বললো
আমি আকাশ পেলাম।........ মুক্তি ,
আমি কিছুটা জীবন পেলাম ,আনন্দ।

আমি আবার প্রশ্ন করলাম
সবুজ আমি তো তোমাকে খুঁজেছি পাগোলের মতন বাঁচার প্রতি আবর্তনে।
উত্তরে সবুজ তর্জনী তুলে ইশারা করলো। ...হৃদয়
সে যে পঙ্কিল বড়।
আমি হারিয়ে ফেললাম সময়ের বুকে মুখ লুকিয়ে কাঁদা
আমি হাসলাম জীবনের জলে ঠোঁট ডুবিয়ে বাঁচা।
সবুজ আরো উজ্বল হলো
প্রকৃতির নিস্তব্ধতার মতন তখন কিছু আমার মাথার ভিতর
উইপোকা ,,,,,,।
পাতা ঝরার শব্দ
ঝরনার ভিজিয়ে যাওয়া পাওয়া।
কিছুটা কিচিরমিচির
আর সবুজ।

সবুজ আমার কাছে এগিয়ে এলো
আমি চোখ বন্ধ করলাম ,,হৃদয়ে তখন ঈশ্বরের উপলব্ধি।
কি পেলাম,,,,,,,,,,,, চুপ,কোথাও মন্দিরের ঘন্টা বাজলো।
সময়ের কাছে থেকে পালিয়ে যাওয়া সবুজ আসতে আসতে শুকিয়ে গেলো
আমি হাঁটছি খালি শুকনো পাতার জঙ্গলে,,,পায়ের নিচে সময়
আর সবুজ তখন হাসছে পাগলের মত। 

প্রথম প্রতিবার

প্রথম প্রতিবার
.................. ঋষি
=============================================
আমি প্রথম বলে চাইনি কখনো কিছু
হোক না প্রতি দিন প্রথম সবার কাছে।
প্রকৃতির খেয়ালে ঋতুদের আনাগোনা
চেনা হলেও
হোক না প্রথম প্রতিবার।

এমনি হোক না তোমার স্পর্শ
তোমার ওষ্ঠের গলতে থাকা বরফ প্রতিবারে আরো সবুজ।
আরো সুজলা করুক পাহাড়ি ঝরনা
হোক না প্রথম আমার কাছে।
তোমার হাসির প্রতিটা ঝলক এক নতুন দিনের প্রভাত
হোক না প্রথম আমার কাছে।
এক শিহরণ তোমার পাশে চলা
হোক না নতুন আমার কাছে।
তবে প্রতিটা প্রথম জীবনে নতুন পাওয়া
হও না নতুন তুমি আমার আরো  কাছে।

আমি প্রথম বলে চাই নি কখনো
পৃথিবীর এই ইঁদুর ,দৌড়ে ভাবো না প্রথম কিছু নেই।
দেখবে প্রকৃতির মতন সবুজ হৃদয়
বাতাসের ভাসতে থাকা সময় ,,চলে যাবে
যদি প্রথম কখনো শেষ না হয়। 

Tuesday, February 23, 2016

পাগলামি

পাগলামি
.................... ঋষি
================================
এক শহরের কোলে  হৃদয় দাঁড়িয়ে
ফ্লাইং কিস ছুঁড়ি পাগলি,,,, আমার শহর।
বোবা সফরের শেষে হৃদয় বাঁধা ঘরে
হাত ,পা ছুঁড়ি
পাগলি আমার সফর।
শুরু থেকে শেষ শহর কিনারায় আমার বাস।

চশমা আড়ালে লুকোনো বিড়ালের চোখ
পাগলি পরশ পাথর।
হৃদয় জুড়ে বন্য হরিনের খোঁজ
পাগলি  জীবিত সফর।
ইট  ,কাঠ  ,পাথর ভেঙ্গে জড়ো  করা  প্রশ্রয়
পাগলি একটা জীবন।
আকাশ  থেকে আকাশি নীল  লোভ
পাগলি আমার মরণ

এক শহরের কোলে  আলসেমি এই ঘর
ঠোঁটের কিনারায় আদর নির্ভর।
ফিসফিসিয়ে কানের কাছে তুই
পাগলি একলা স্রোতে নদীর কথা কই।
চুপ একদম চুপ
পাগলি হৃদয় দিয়ে হৃদয় জুড়ে রই।

অঙ্গীকারে

অঙ্গীকারে
........... ঋষি
=========================================
ফিরে আসবো বলে
আগুনের প্রেমে এমন পোড়া দাগ।
সমস্ত উজাড় করে নিজস্ব বর্বরতার অধিকারে
আমার উপহার।
এক বুক ভেজা জ্যোত্স্নায় বালি
আর নির্ভিক কৃপণতায় চেতনার ঘর।

এই ভাবে কোনো মেঘলা চোখের চাহুনিতে
অজস্র ধুকপুক।
বাড়তে থাকা জটিলতায় অনাহুত আকর্ষণ
বিকর্ষণ এখানে নেই।
নেই এখনে ফেলে থাকা শবেদের অধিকার
চিতার ছাই.
বাঁচতে চাই
বেঁচে আছি তাই
না হলে কবে।

ফিরে আসবো বলে
ঘোর লাগা সময়ের সম্বলে আলোপিত জীবন।
সমস্ত স্পর্শার বাইরে তোর ঠোঁট ছুঁয়ে আলাপন
নিস্তব্ধতা।
অঙ্গীকার জীবনের দর্পণ
ভাঙ্গা কাঁচ আর বাড়তে থাকা দুর্বলতা।

নোনতা হাওয়া

নোনতা হাওয়া
................ ঋষি
=======================================
বৃত্তের বাইরে ঘর ,দরজা খোলা জীবন
সন্ন্যাসীর মতন খালি পায়ে ঝুলি ,মানুষ ভাবনা
আর কিছু না ,,এই তো কাটুক।
সহস্র কাটুক ,যুগান্তরের অন্য আবর্তনে
পৃথিবী হাসুক চলন্তিকা
আমার  মরণ মিষ্টি লাজুক চোখে।

চকোলেট ঠোঁটে রাখা
কিংবা গড়িয়ে নামা বুকের নোনতায় হিমেল স্পর্শ।
মেরুদন্ড বেয়ে ছুঁয়ে যাওয়া মুহুর্তদের
না পাওয়া।
সবটুকু হিসেবে থাকুক
শুধু তুই থাক হিসেবের বাইরে জড়িয়ে থাকা শূন্যতায়।
শুধু সময়ের বাইরে
সম্পর্কের হিজিবিজি ছেড়ে
আরো গভীর পূর্ণতায়।
চলন্তিকা তোকে কি ভোলা যায়
পথ চলায়,পথ হাঁটায় ,একলা থাকায়।

বৃত্তের ভিতরে বাস ,বেঁচে থাকা সর্বনাশ
আমি বাঁচি বৃত্তের বাইরে , স্বাধীন কোনো জীবিকায়
এখানে সূর্য ওঠা ,নামা আমার বিশ্বাস।
আর চলন্তিকা তুই আমার গভীর সমুদ্রের লুকোনো দ্বীপ
চারিপাশে ভেজা বালি
আর  একসমুদ্র স্পর্শ নোনতা হাওয়া।

পাহাড়ি রোদ

পাহাড়ি রোদ
............... ঋষি
==============================================
স্বপ্নগুলো এক ঝাঁক রৌদ্র
আর পাহাড়ি স্বাধীনতা।
উচ্ছল মেঘলা দিনের মতন বরফে ঢাকা
শীতলতা।
তোর মেরুদন্ড বেয়ে
আমার স্পর্শে নিস্পেষিত ভালোবাসা।

এমন করে ভালোবাসা যায় নাকি
সারা আকাশে মেঘের ভেলাতে ছোটো ছোটো মুহুর্তদের চাবিকাঠি।
ভালোবাসি ,ভালো আছি
কিন্তু বল এমন করে ভালবাসা যায় নাকি।
শীতের ওমে পাহাড়ি ঝরনার আলতো আবেশে
একমুঠো জল তৃষ্ণা ভেজানো ঠোঁট।
আরো কাছে
মিলেমিশে।
মনের বাতাসে পাহাড়ি রোদ।

স্বপ্নগুলো স্পর্ধা ছাড়া শীতল হাওয়া
তোর বুকের নিঃশ্বাসে ,আরো গভীর বিশ্বাসে
বাঁচতে চাওয়া।
এক আঁচলা জীবন তোকে ছুঁয়ে আরো গভীরে
থাকতে চাওয়া।
সারা আকাশে ,বাতাসে এখন শুধু তুই।   

Sunday, February 14, 2016

শহরের নাম

শহরের নাম
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, ঋষি
===============================================

এমন বলতে নেই
ঠিক সেখানে দাঁড়িয়ে আমি সিম্বলিক  কৃপনতা।
নীলের খবর রাখে নি  জীবন
সে তো আকাশের গায়ে লোকানো অসংখ্য জীবিত প্রয়াস।
না ঠিক এমন করে না
যেমন করে সহজেই তোমাকে রাখা যায় বুকের ভাঁজে।

ভাবনা সন্তান সম্ভবা এখন
সমস্ত দ্রবীভূত তাপাঙ্কের নিচে শরীর শুয়ে।
নিজেকে মাঝে মাঝে বড় শীতল লাগে ,,সবটাই মৃত
কখনোবা কল্পনা হল ধরে দাঁড়ায় বুকের যন্ত্রণার ফসলের খেতে।
একের পর এক ফুল ফুটতে থাকে
সময় বলে ,,,,,,,এই তো জীবন হাসছে।
আর তখনি প্রসব হয় যন্ত্রণা নিয়ামক ভাবগতিক
বালির পাহাড় ,,বুনো ঝড় ,, অরণ্য সংকুল পথচলাকে স্বাগতম
ভাবনার বেঁচে থাকার জন্য।

এমন করে বলতে নেই
ঠিক সে কারণে নিজেকে ডুবিয়ে রাখি জলের তলায়।
দমবন্ধ ,নিশ্বাস বন্ধ কাল্পনিক কথোপকথনে
জেগে ওঠে কোনো ব - দ্বীপ।
নতুন প্রানিকুল,নতুন আবাসিক ,ঠিকানা ,,পোস্ট অফিস
আর ভাবনা সেই শহরের নাম।  

কালো ছাতা

কালো ছাতা
............... ঋষি
===============================================
বিষাদের কোনো মন্ত্র হয় না
সে যে খাঁচায় আটকানো চারদেওয়ালে শুয়ে থাকা নিস্তব্ধতা।
আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখা মন চাওয়া রৌদ্রকে
যদি  বৃষ্টি মনে হয়।
তবে বিষাদ সে তো ভিজতে থাকা
এক আকাশ কালো মেঘ মাথায় ঢাকা কালো ছাতা।

ঈশ্বর নাকি হাঁটতে ভুলে গেছেন
সময়ের সাথে।
অথচ আমরা মানুষ অনবরত পা মেলাতে থাকি অকৃতজ্ঞ সময়ে
সংযুক্ত কোনো শক্তির সাথে তাল রেখে।
হৃদয়ে বেজে ওঠে মম চিত্তে , নিতি নৃত্যে কে যে নাচে
এ যেন ঐশ্বরিক পায়ের ঘুঙরুতে বাদর নৃত্য।
বিষাদ তুমি ফিরে যাও
তোমার বড় রাস্তার মোড়ে একলা দাঁড়ানো লাইট পোস্টে।
সেখানে আলোর বৃষ্টি হোক
তুমি মৃত্যুকে সাক্ষী করুক আপাদমস্তক শূন্যতা
নিজস্ব আয়নায় তখন সময়ের মুখ।

বিষাদের কোনো মন্ত্র হয় না
পাশ দিয়ে চলে যাওয়া সময়ের ভিড়ে অনবরত রক্তক্ষরণ।
ফিরে আসা সময়ের অযোগ্যতার প্রিয়জন
তাই ফিরে আসে না।
ফিরে আসে প্রিয় মুখ বারংবার
বিষাদ তাকে দেখতে ঠিক তোমার মত। 

ঐশ্বরিক সার্কেল

ঐশ্বরিক সার্কেল
......................... ঋষি
==================================================
শূন্য থেকে শুরু করে শূন্যতে শেষ
মাঝপথে ইশ্বর হেঁটে যান খড় বিচুলি সম্বল সভ্যতার ধুলোতে।
প্রেম সে তো গড়িয়ে নামা পুণ্য পাত্র
পুণ্য প্রেমে অস্তিত্ব ঈশ্বর হয়ে যায়।
সমস্ত যন্ত্রণা অধিক সাজানো ভাবগতিকে একটা ম্রিয়মান আলো
আগন্তুক সে যে চেতনা সম্পন্ন ঈশ্বর।

আগুনের কাছে চাওয়ার মত তৃষ্ণা
জন্ম নেই মায়ের খনিজ যোনিতে নির্দিষ্ট প্রতিবাদ বলি।
রাস্তায় দাঁড়িয়ে চিত্কার করলে সভ্যতা হয়
তবে নগ্নতা কি কাপড়ের নিচে লুকিয়ে থাকা শরীর শুধু।
কিংবা কুকুরের  ভাদ্রমাসে
মানুষে প্রেমজ লিঙ্গতে সুড়সুড়ি হরলিক্সের বিজ্ঞাপন।
সভ্যতা আমি বড় হয়ে গেছি
চোখে চশমা লাগিয়ে গড়িয়ে নামা ঋতুকে অবলম্বন করে
সভ্যতা রক্তের ন্যাপকিনে শুকনো গন্ধ।
বিষাক্ত জীবানু
কিংবা বর্ণহীন প্রেমে অক্লান্ত চলা।

শূন্য থেকে শুরু করে শূন্যতে শেষ
এমন তর ভাবনার সার্কেলে দাঁড়িয়ে কোনটাই পাই না।
শুধু চোখা নোনতা রক্তে অন্ধকার কালি
সভ্যতা হয়তো কোনো নিয়মিত ক্রিয়ায় বাড়তে থাকা লোকসংখ্যা।
কিংবা কোঁচকানো চাদরে উঁচুনিচু মালভূমি
যেখানে পথ চলতে পিঁপড়েও হোঁচট খায়। 

Saturday, February 13, 2016

MY VALENTINE


MY VALENTINE
.................. ঋষি
================================================
তোকে মনে করবো না
এমন একটা দিন আমি ভাবতে পারি না।
আজ সেন্ট ভ্যালেন্টাইন দিনটা স্পেসাল করলো তা নয়
তুই তো আছিস আমার ভিতর স্পন্দনে।
তোকে ছোঁয়ার স্পর্শগুলো সব ভ্যালেন্টাইন আমার কাছে
আর তুই আমার  ভ্যালেন্টাইন।

রং ছবি ,মুহুর্তের মশাল ,এক গাল হাসি
আমার শহর জুড়ে লাল রঙের আলোগুলো হাত ধরে হৃদয়ের ওমে।
আজ আমাকে  মুগ্ধ করছে রক্তের রঙের গোলাপ
হাজারো প্রতিশ্রুতি।
না বলা কথা
ফিসফিস কানের ভিতর আমি আছি
আমি আছি।

তোর গালের তিলে ,তোর যন্ত্রণার হাজারো ব্যর্থতায়
আমি আছি তোর পাশে।
এক আকাশ সভ্যতার নিভে যাওয়া অন্ধকার
এক সমুদ্র মেঘের ভিতর লোকানো ইচ্ছা
তোকে ভালোবাসা।
তোর কপালে একটা চুমু
প্রতিদিনে
হৃদয়ের উষ্ণতায়।

তোকে ভুলে যাব এমন তো হতে পারে না
এমন একটা দিন নেই যেদিন তুই থাকিস না আমার পাশে।
আমার যন্ত্রণার মশালরা যখন একলা পথ হাঁটে
তখন তুই তো থাকিস পাশে চলন্তিকা।
আমার নিজস্ব আলাপনে দিনে রাতে
You are special MY VALENTINE ।

ভাবনার শরীর

ভাবনার শরীর
.............. ঋষি
==========================================

ভাবনারা গত হয়েছেন বেশ কিছুদিন হলো
ভাবনার কফিনে শেষ পেড়েকটা   ঠুকে চলেছি মন দিয়ে।
আসলে ভাবছি কখনো
মন কি শুধু পুড়তে থাকা উনুনের আঁচ
নাকি সংশয় মাংস ,পোলাও আর হৃদয় ভাজা।

হেরিটেজে জমে থাকা কিংবদন্তীদের মুখগুলো শেওলা ধরা চিন্তা
না এমন ঠিক নয়।
আমি তো প্রায় স্বপ্নে দেখি খালিগায়ে শুয়ে জলের তলায়
আর ভাবনার মাছেরা কুঁড়ে কুঁড়ে খায়।
কখনো দেখি সাপগুলো সব ফোঁস ,ফোঁস করে
হিংস্র সময়ের মতন বিষ উগড়ে দেয় সময়ের গায়ে।
আর সময় মরে যায়
যেমন আমার মরা ভাবনারা শুয়ে আছে।
কফিনের ভেতর
হয়তো বা মাথার ভেতর
সময়ের দায় আমার উপস্থিতির গায়ে।

গত ভাবনাদের সঙ্গে আজকাল কুস্তি করি
কিন্তু বারংবার জিতে যাই ।
কারণ আর ভাবতে চাই না নিজের স্বত্বার অধিকারে
এইবার পথ হাঁটতে চাই সাত সমুদ্র ধরে
মৃত সর্বস্য ক্যানভাসে আঁকিবুকি। 

আমি জানি তুই

আমি জানি তুই
..................... ঋষি
======================================================
কাউকে বলি নি আমি
এক শীতল হওয়া ছুঁয়ে গেলো আমাকে
আমি জানি তুই।
বারান্দা দিয়ে দেখা সারি দেওয়া ফুটপাতের ল্যাম্প পোস্টের বিষন্নতা
ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছায়াদের মুহুর্তের প্রিয় মুখ
আমি জানি তুই।

এমন করে বললে হয়তো কোনো মহাকাব্য
কিংবা ক্লিওপেট্রার সুফলা প্রেমিক হতে পারি  আমি।
কিন্তু ভয় লাগে ইতিহাস ঘাঁটা চর্চায়
তুই তো থাকবি না।
শুধু সময়ের তলোয়ারে ফ্যাল ফ্যাল করা আমি আয়নায় দেখবো
বারংবার
তুই
আমার স্পন্দন ,নিজস্বি।
প্রয়োজন বাঁচার তাই আমি আছি ,
তুই আছিস তাই
তাই আমি বাঁচি।

একফালি চাঁদ  আকাশের গায়ে
কোনো দেবতার মতন হৃদয়ে বাস করা স্যাকারিন
আমি জানি তুই।
ঝোলানো সিঁড়ি বেয়ে হৃদয়ের চিলেকোঠার  ঘরে
যে সুন্দর উপস্থিতি
আমি জানি তুই।

গহীন অস্তিত্ব

গহীন অস্তিত্ব
............... ঋষি
================================================
দূর থেকে চলন্তিকা তুই ঠিক পাখির মত
ভিজে ঠোঁটে তোর খুঁটে খাওয়া সময়ের যোগফল।
জন্মসূত্র ধরে সদ্য হাঁটি পা জীবন
এখন প্রশস্ত এই বুকে আগুনের শিখার আলাপন।
আমি সর্বত্র সময়ে ছুঁয়ে থাকা ভালোবাসা
সিগারেটের পরম প্রিয় টান।

শুকিয়ে যাওয়া ঠোঁট
কোনো অভিযোগ ছাড়া এক বিশাল মুহুর্তের কোলবালিশ।
নিকোটিন ল্যাপা আয়নার তুই
ফুড়ুত ফুরুত চড়াই।
উড়তে থাকা প্রশস্ত আকাশের নীল চোখে
আমার প্রিয় নারী ,আমার প্রেম।
সীমান্ত ছাড়ানো উষ্ণতার আলাপনে
সময়ের কুর্নিস।
এক ঠোঁট নির্ভিক মুহুর্তদের বেঁচে থাকা
আমার নিঃশ্বাসে।

দূর থেকে চলন্তিকা তুই ঠিক আমার বুকের খাঁচায়
জমে যাওয়া মুহুর্তদের ছুঁয়ে পরা আবর্তন।
এই পৃথিবী বাঁচতে চায় আমার মত , তোর মত
সময়ের রক্তপাতের কিনারায়।
ন্যানোসেকেন্ডের ভাবনায় প্রাচুর্য তুই চলন্তিকা
আমার গহীন অস্তিত্ব।

তুই তো আছিস

তুই তো আছিস
.................. ঋষি
==============================================
সেই ছেলেটার মৃত্যু নেই
এটা কোনো ডিপ্লোমেটিক উত্তর না।
কাগজের ফুল
সভ্যতার টেবিলে সাজানো ফ্লাওয়ার ভাসের যন্ত্রণা।
ছেলেটার কোনো ঋতু নেই
কাগজের মতন খসখসে বায়ু চরে প্রতি লেভেলে স্তব্ধতা।

এই ভাবে সাজানো এক মসৃন দিনে
সকলে ছুটে যাচ্ছে একে অপরের আকর্ষণের নিজদের মাঝে।
ছেলেটা চুপ করে দেখছে
গাছের পাতা ঝরা দীর্ঘ শ্বাসের আতঙ্ক।
প্রেম নাকি বড়রাস্তার জেব্রাক্রসিং এর নিয়মিত বাস
সময় আসে ,সময় যায়।
শুধু ছায়া স্তব্ধ থেকে যায় একা কোনো  পাতা ঝরা পথে
সময়ের প্রলেপ।

সেই ছেলেটার মৃত্যু নেই
কারণ এটা কোনো মৃত্যুর কবিতা না।
সময়ের শব
নিজস্ব আয়নার সাথে সন্ধিক্ষণে দাঁড়ানো প্রেমের মুখ।
বুকের দরবারে রাতজাগা যন্ত্রণা
তুই তো আছিস।

শালা শান্তি

শালা শান্তি
.................... ঋষি
=======================================================
আজ আর শব্দ করবো  না
চিত্কার করবো না  স্বাধীনতা বলে শব্দটার দরজায় ,
আর করবো না ভুক হরতাল।
কি হবে এমন করে কখনো ,,,,,,,,,,,, কিছুই  ছিঁড়ে উপড়ানো যায় নি
শুধু চলে গেছে সময়ের গায়ে গোবরের গন্ধ মাখা বিনোদন
যা শুকিয়ে আজ ঘুঁটে পোড়া ছাই।

হাততালি
আরে কংসের বংশধর আরো জোরে দে রে বাবা।
পুড়ো গোড়া অবধি না ঢুকলে শান্তি নেই।
"শালা শান্তি " ।

সত্যি বলছি আজকাল মনে হয় আমার কলম চিবিয়ে বেড়োতে থাকে সময়
প্রেম বন্যা ,সামজিক বীজ বপন ,,,,,,,ন্যাকামিগুলো
মোটেই সময়ের না।
নিজের বাইরে নিজেকে বের  করে দেখা দরকার
নিজের ভিতরে আগুন জ্বলছে কিনা।
সত্যি কি মেরুদন্ড প্যান্ট ভেজানো শৈশবে কিংবা শুয়ে হিসির কাঁথায়
নাকি আজ ও দম আছে
খাড়া হওয়ার ,উঠে দাঁড়াবার ,সম্বল ইতিহাসের।

আজ আর শব্দ করবো না
সবটুকু নিগড়ে নিজেকে দাঁড় করাবো সময়ের বলাত্কারে।
মেরুদন্ডের যোনির  আড়াল থেকে জন্মানো  প্রতিবাদকে
তুলে দেবো সময়ের হাতে।
আর কোনো শব্দ  নয়
বয়ে যাক ইতিহাস আরেকবার স্বাধীনতার  ভেজানো দরজায়।  

Friday, February 12, 2016

রক্তের চাষ

রক্তের চাষ
...................... ঋষি
=================================================
লেহন জরুরী  না জরুরী ,,,বিস্ফোরণ
বারুদের পোড়া গন্ধ সময়ের গায়ে।
সমস্ত রিয়ালিটি জুড়ে
অসংখ্য প্রলোভন আর নাকাবের  ফাঁকে কিছু হৃদয় রাখা।
পিষে যাওয়া চাবুকের রক্তের দাগ
ভিজে যাওয়া মস্তিষ্কের উর্বরতায় রক্তের চাষ ।

সার দিয়ে পরে থাকা শরীর
সমাজের চোখ।
জোরাজুরি করেও উত্তরিত হয় না ইচ্ছার পাশ বলিস
বরং সময় পাশ ফিরে শোয়।
জীবন চিত্কার করে বলে রীতি, নীতি ,ধর্ম ,কর্ম
শিক্ষা ,বাবার নাম ,পাসপোর্ট।
রোজগার কত ,সিগারেট খায় ,মদ ,,,,,,,মেয়েছেলে  ,,,না ফোঁয়ারা
নাকি অশিক্ষিত গাঁজার  ঠেক।
এই প্রতিবাদ  আগুন থেকে শেখা,,,, নেশার চোখে দেখা
এক আলাদা পৃথিবী
যেখানে রেপ একটা শব্দ আর শাস্তি আইনের কাগজ।

লেহন জরুরী  না জরুরী ,,, রক্ত
বুলেটের শেষ গুলিটা পুড়ে দেবো সময়ের অস্থিরতায়
একটা মৃত্যু জরুরী ,,,,,,,,,, ।
ইসপার কি উসপার জোকার  সভ্যতার ফুটোতে
আঙ্গুল ঢুকিয়ে, ব্যাকা  করে  ঘি না বেড়োক
কিছু মানুষ তো বেড়োবে ,,এটাই শান্তি। 

সব সত্যি

সব সত্যি
................ ঋষি
==============================================
আজকাল কবিতারা কেন যেন  তুই হয়ে গেছিস
তোর  গলার তিল ছুঁয়ে চলন্তিকা।
একটা দিব্যি
বিশ্বাস কর কখন যেন তুই  কবিতার তুই হয়ে গেছিস।
তবু তুই ,,,,,,,,তুই থাক
তোর চোখের কাজলের ভিজে দৃষ্টি মৃগনয়নী।

আরো কাছে ক্লান্ত জীবন ছুঁয়ে
তোর  বুকের ভাঁজে আমার কবিতারা সব জীবন্ত ঘামের গন্ধে।
তোর  বাড়তে থাকা বয়সের অধিকারে
আমার কবিতারা সব সময়ে সামিল।
মনের চোখের কালি  ,যে কালিতে লেখা হয় মহাকাব্য
যন্ত্রণা কোনো কবির হৃদয়ে বাজতে থাকা বীন।
চোখে দুরবীন
বহুদূরে তুই ,হয়তো বা কাছে খুব চলন্তিকা।
নির্ভিক দৃষ্টিতে একটা কল্পনা
আমি আছি যন্ত্রণা।

আজকাল কবিতারা কখন যেন তুই হয়ে গেছিস
আগুনের সাথে সন্ধি করে নিভে যাওয়া মনের কথা।
সবটাই সেই কাঠবেড়ালির পেয়ারা খাওয়া
কাঠবেড়ালি ,কাঠবেড়ালি   পেয়ারা তুমি খাও।
তারপর সব সত্যি
সময়ের সামাজিক ভিতে চলন্তিকা কবিতা হয়ে গেছে।

সরস্বত্যৈ নমো নমঃ

সরস্বত্যৈ নমো নমঃ
.................. ঋষি
======================================================
কিছুক্ষণ আর কতক্ষণ
দুচার ফোঁটা জীবনের মলাটে সংস্করণ।
হাতে খড়ি
ফেলে আসা ঘড়ি।
সবটাই আছে মা বেঁচে সেই শুরু থেকে শেষ
শুধু এই সময় সর্বনেশে।

নমঃভদ্রকাল্যৈ। নমো নিত্যং  ,সরস্বত্যৈ নমো নমঃ।
বেদ-বেদাঙ্গ-বেদান্ত-বিদ্যা-স্থানেভ্য এব চ।।
বিপণন
পুরোটাই একটা বিপণন দাদা।
সকালের মায়ের অঞ্জলির ফুল এক লাফে বাজারের কুরুক্ষেত্রে
ফল সে তো আগুন যেন এটম বোমা।
আর যার জন্য এত কিছু
নমো সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে
বিশ্বরূপে বিশালাক্ষ্মী বিদ্যাংদেহি নমোহস্তুতে।।
সেই বিদ্যা তো আজকাল বাজারে রেজাল্টের দামে পাওয়া যায়
স্নবারিটা জরুরী
বাকি সব মায়ের ভোগের খিচুরী।

কিছুক্ষণ আর কতক্ষণ
৩৬৫ দিনের একটা দিন যেদিন শুধু বিদ্যে পুজো।
 বিদ্যে শিকেয় থাক বস
বাঙালি ভ্যালানটাইন  দিবসে প্রেমের পুজো।
যেমনি হোক না কেন তবু বাঙালী
এ হলো আমার স্বরস্বতী পুজো। 

Thursday, February 11, 2016

আগামীর ফল

আগামীর ফল
................. ঋষি
===============================================
ঝড় শেষ
খোলসের ছায়া থেকে বেড়িয়ে পরেছে সাপ।
ঘুরে বেড়াচ্ছে মেয়েটার শরীরে
গিজ গিজ করছে সাপের বিষের  মতন বিষাক্ত বোধ।
সমাজ তুমি দেখছো
তুমি কি জাগবে কখনো ,ঘুম ভাঙ্গা চোখ।

মেয়েরা চিত হয়ে শুয়ে থাকা সমাজের রীতি
নিশ্চিন্তে সমাজ টানাপড়েনে খুলে ফেলে সত্বার নারীত্ব।
মেয়েটা মা হচ্ছে
মেয়েটা নারী হচ্ছে।
চিত্কার আকাশজোড়া স্বপ্নে বিভোর ক্লান্ত চোখ
যোনির থেকে মুখ বার করা অপুষ্ট সময়।
মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়াটা সময়ের হিসেব
আর নারীত্ব সদা হাস্যময়
মৃত্যুর পাঞ্জা।
কোনো অবধারিত সময়ের নিলিপ্ততায়  মেয়েটার চিত্কার
আর কয়েক সেকেন্ড,,,তারপর শান্ত ।
জন্ম নিলো বীজ ,,,,মেয়েটার সজল চোখে মায়া আগামীর ফল ।

ঝড় শেষ
এইবার যুদ্ধ সময়ের দায়ে সদ্য জন্মানো শিশুর মুখে মাতৃ স্তন।
নিয়ম আর নিয়মিত মানুষের বাচ্চা বলে
মেয়ারাই তো জন্ম দেয়।
অথচ পুরুষ সাক্ষী প্রতিটা কান্না মৃত্যুর
আর নারী সে যে মৃত্যুর সাক্ষী।

তোমায় মনে পরাকে

তোমায় মনে পরাকে
.............. ঋষি

============================================
আমি চিনি তোমাকে
সত্যি বলাটা এখন অপরাধের মতন।
ধোঁয়ার আকৃতি সরিয়ে কুয়াসা মোড়া ভোরে
তোমার পড়ার টেবিলে কিছুটা রক্তক্ষরণ  আমার নামে।
জানি মনে পরে আমাকে
কারণ তুমিও তো বড় বেশি মনে পরো আমার।

যখন অনুভবেরা  ঘুমিয়ে থাকে
কাঁথা ,বালিশ ,বাক্সবন্দী জীবনের চার দেওয়ালের যাপনে।
তখন স্তব্ধ দুপুরের ভাত ঘুমের সাথে
বাইরে ঘু ঘু ডাকে।
হয়তো চড়ে তখন তোমার দালানে
আমি চুপ থাকি।
চুপ থাকতে হয়
কারণ আইন সঙ্গত কৃষ্ণের জন্ম যদি অনিয়মে হয়.
তবে প্রেম সে তো কৃষ্ণ ,রাধার আকর্ষণ।
সেই ঘুরে ফিরে
ইশ্বরের সাক্ষীতে ঘুম ভাঙ্গা বিকেল দেখে কনে দেখা আলো
আর সেই আলোয় তোমার মুখ।

আমি চিনি তোমাকে
যেমন চিনি রক্তের মধ্যে বাস করা আমার বিষন্নতাকে।
আকাশপাতাল সরিয়ে পালক অনুভবের কল্পনায়
আমি ঈশ্বরের মত ,,আকাশে ভাসি।
মেঘের কপালে গুজে দি ময়ুরের পেখম ,কপালে চন্দনের টিপ
ঈশ্বর বোধ সাক্ষী থাকে তোমার মনে পরাতে।

অযৌক্তিক অধিকারে

অযৌক্তিক অধিকারে
................. ঋষি
==================================================
আমাদের জানানো হয় নি অপেক্ষার অর্থটা
বাক্স বন্দী পৃথিবীর নুন্যতম বোধ যদি মাটি স্পর্শ করতো
তবে বোধ হয় কিছুটা বোধদয়  হতো।
না না নতুন কিছু না যুগের হওয়ার সময়ের সাথে চলা
আর সময় বজ্জাত রিপুর গলায়
ঈশ্বরের তাবিজের মতন।

ভদ্রলোকরা নোংরা হচ্ছে
এই কথা ভাবাটা নীতি সম্মত আইনত সভ্যতার চোখে।
কিন্তু ভদ্রলোকেরা ভদ্রতার মুখোশে নোংরা করছে
না প্লিস বলা যাবে না।
প্রতিবাদ এই সময়ের হাওয়া,,,,, সমার্থক মৃত্যুর সামিল।

শহরের কাছা হাতে নিয়ে
খালি পায়ে পিচের ওপর হাঁটাটা অযৌক্তিক।
লাঠি চার্জ ,কাঁদানো গ্যাস হাজার হ্যাপা আছে বস
তার থেকে আসুন
হামাগুড়ি দি সভ্যতার বুকে ঘষে চলা কেঁচোর দল।

আমাদের জানানো হয় নি অপেক্ষার অর্থটা
বরং আসুন একটু নোংরা করি ইতিহাসকে।
বউ ঠাকুরুনের হাট করা নিসঙ্গতায় আসুন কোঁপ মারি
কোঁপ মারি স্বপ্ন দেখা সম্বলে বেনু গোয়ালার গলি।
খবর রটছে সুরজিতের রাজকাহিনী হিট
কারণ সভ্যতা পর্দাতে ভালো লাগে।  

Wednesday, February 10, 2016

তোর হাসিমুখ

তোর হাসিমুখ
................ ঋষি
====================================================
দরজা একটা রক্তের ভিতর ঢুকে
নিজেকে ডাকাত করে তুলছে।
খোলা দরজা তার পাশে পরে থাকা জড়তা
সত্যি বলছি বিশ্বাস কর।
তোকে আজ চকচকে, স্থির লাগছে
ইচ্ছেরা স্পর্শ আর ইচ্ছে করবে বলে ভালো লাগছে।

এই  যে এক দেশী হওয়া ভেসে বেড়াচ্ছে ফানুসের মতন স্বপ্ন বীজ
বীজ ছড়াচ্ছে ইচ্ছেদের দাওয়ায় পাখি বসছে।
পাখি সর্বস্ব জীবনে উড়তে চাওয়া নীল আকাশ
একশোবার বলতে চাইছে।
ভালো লাগছে রে সময়ের সাথে তোকে হাসতে দেখে
ভালো লাগছে রক্ত মাংস শরীরের মাঁচায় ফুল ফুটছে বলে।
বাঁচতে চাইছে ,হাসতে চাইছে
রজস্বলা সময়ের সাথে সন্ধি করে বীজ বুনছে আলাপন।
ছুঁতে ইচ্ছে করছে ঠোঁটের স্পর্ধা
আর ঠোঁট সে তো নোনতা জীবন।

কাল তোকে খুলতে পারছিলাম না ছিলিম দেওয়া সময়ের নেশায়
ঘোর লাগা আলজিভে লেগে যাচ্ছিল রক্তচোষা সভ্যতা।
আজ খোলা দরজা ,খোলা আকাশ
রক্তের পারদে থার্মোমিটার ফেল গভীর ওম।
বুঝতে পারছি আমি বেঁচে আছি
খোলা দরজার বাইরে তোর হাসি মুখ। 

কবিতার দহন

কবিতার দহন
........................ ঋষি
====================================================
খুলে ফেলো স্বপ্নের বাইরে  খুলে ফেলো
শাড়ির ফাঁস ,ব্রায়ের দহনের মতন বজ্র দেওয়াল সভ্যতা।
সম্পর্ক নিক নিঃশ্বাস
পুরনো ভাঙ্গাচোরা মন্দিরের কলিংবেল বাজিয়ে।
ঈশ্বর করুক তথাস্তু
আরো নগ্ন এই সভ্যতা।

খুলছে তো সবাই
দিনে রাতে ,পথে ঘাটে প্রত্যহ বয়ে চলা সংবাদ প্রতিদিন।
কবিতাও খুলছে ,বিকোচ্ছে কবির মাংস বিজ্ঞাপনি সেল্ফিতে
অবাক লাগছে দেখতে কবিতা হাঁটছে রাম্পে।
ক্যাট ওয়াকের প্রতিমুদ্রায়
স্বাগত সংস্কৃতের দালালেরা কবিতাকে স্ট্যান্ডে দাঁড় করাচ্ছে।
পরাচ্ছে টুপি
আর কবিতা হাসছে দাঁত কেলিয়ে যন্ত্রনায় ,
খুলে পরছে বসন সজন এই সভ্যতায়।
তুমিও খুলে ফেলো
বুকের সাথে বুক লাগিয়ে নিঃশ্বাসে দহন আনো পুড়ে যাওয়ার।
কবিতার পাতারা চিতার স্টিমে রিফ্রেশ হয়ে
করুক আরো চিত্কার পোড়ার যন্ত্রনায়।

খুলে ফেলো স্বপ্নের বাইরে  খুলে ফেলো
ছন্দবদ্ধ শরীরের ভাঁজে জমতে থাকা নোনতা দিনতাকে
জিভ লাগিয়ে শুষে নেও।
নিশ্চিন্তে হাত লাগিয়ে শীত্কার কর সভ্যতার পরিতৃপ্তির
কবিদের মর্যাদার সাথে কবিত্ব রাস্তায় দাঁড়াক
কবিতা পরিচিত হোক কবিদের নামে। 

সভ্যতার পাঁচালি

সভ্যতার পাঁচালি
.................. ঋষি
===================================================
হাওয়া উড়ছে দরজা ,জানলা ,সময় ,সম্বন্ধ
সত্যজিত বাবুর পথের উপর দাঁড়িয়ে দূর্গা ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে।
সাথে ছোটো ভাই ,,,,,,,রেল গাড়ি চলে যায়
যুগ থেকে যুগে ,,যুগের হওয়ার সাথে চলছে ,চলবে তাই।
রেল গাড়ি ঝমা ঝম ,,,,,ছুটছে সবাই
বাইরে বৃষ্টি তুমুল দূর্গা ভিজছে বেড়িয়ে আসছে ,,,গলছে মাটি।

হাড়গোর সম্বল মানুষের ২০৬ টা
আজকাল কোনো কাঠামো দাঁড় করাতে পারে না।
মেরুদন্ডের সাথে ঠেসান দিয়ে দাঁড়ানো মানুষ দেখছে চলচিত্র
পথের পাঁচালি।
পথই বটে সময়ের পথ জন্মান্তরের
ওই যে সর্বজয়ার চিত্কারে ভেসে আসছে সময়ের বিসর্জন।
দূর্গা আর বেঁচে নেই
আসলে এই দুর্গাদের বাঁচতে নেই ,,,সময়ের রীতি।
আসলে দুর্গার মৃত্যু একটা পরচিত ভিত প্রতিটা নারীর
একটা অভিশাপ জীবন এই সভ্যতায়।
আর একলা দাঁড়ানো অপু হয়তো
পথের পাঁচালির মানুষের বহবান সময়।

সমস্ত সত্বাদের সাথে সন্ধি করে অপু হাঁটছে আবার
সিনেমার শেষ পর্যায়।
এক নতুন জন্মকের পরিচয় দিতে নিজেকে আবিস্কার পিতারুপে
সভ্যতা দেখছে।
হরিহরের সংসারের শেষ ছবিটা দর্শকদের জন্য
মনে রাখবেন এটা সভ্যতার পাঁচালি।

অন্ধ লোকটা আর অচিনপুরের চায়ের দোকান

অন্ধ লোকটা আর অচিনপুরের চায়ের দোকান
.................. ঋষি
=====================================================
অন্ধ  লোকটা গান গেয়ে যায় অবকাশে
বছরের পর বছর দেখে আসছি কোনো সুর বদল নেই
না নেই কোনো ভাষা বদল
অনেকটা সেই অচিনপুরে চায়ের দোকান
যেখানে একই প্রসেসে ভাঁড়ের পর ভাঁড়
চা বিকিয়ে যায় ,,এই সভ্যতায়

হাই তুলে পাশের মাঠটা দেখি পুরোপুরি শুকনো হলুদ  ঝোপে ঢাকা
এদিক ওদিক সবুজ নেই।
শরতের সেই কাশফুল ঢাকা সময়ের পরে
সবটাই শুকনো ফুল ,,আসলে মানুষেরি ভুল।
শীত সেভাবে পড়লো কই এইবারে
সবটাই মানুষের ভুল ,,,, সভ্যতার পুনর্মুদ্রণ।
চায়ের দোকানের পাশে স্থুপকৃত লাল মাটির পোড়া অংশগুলো
কখন মানুষের মুখে মুখে ব্যাত্সন্যায় থেকে ফ্রয়েড হয়ে
কখন যেন জীবানন্দ ,উত্পল দত্ত ,শম্ভু মিত্রকে ছুঁয়ে
পোড়া বিড়ির মতন তেতো বন্ধুর ঠোঁটে।
চায়ের দোকান ,আড্ডা ,বন্ধু রইলো কই আর
সবটাই ব্যবহার প্রথাগত।

অন্ধ লোকটা বদল নেই সময়ের পরে
আরো হয়তো কয়েকশো যুগ ইট ,কাঠ ,পাথর বুকে গাইবে
একই সুর ,একই তাল।
আর অচিন পুরের চায়ের দোকান লজ্জাহীন সভ্যতার মতন
চা বিকোবে ধুন্ধুবার সময়ের কলোরবে
তারপর সব পরে থাকা চায়ের ভাঁড়।

শ্বাশত তোমার প্রেমে

শ্বাশত  তোমার প্রেমে
..................... ঋষি
======================================================
নিজেকে ডিফাইন করার চেষ্টা করো না শ্বাশত
তোমার মতন আমার দেশও দাঁড়িয়ে সুবিধা ভোগের পৌরুষে।
নতুন করে আয়নার মুখ দেখা সম্ভব না
আমার শরীরজুড়ে কালসিটে।
শ্বাশত
তবু তুমি হৃদয় জুড়ে কোনো বন্য গন্ধের মত।

আমি জানি
আমি হেঁটে চলেছি এমন একটা দেশে যেখানে পৌরুষ মানে
খেত বাড়ি ,ঘন লোকালয় আর পুরুষের অধিকার।
আর যেখানে নারী নিত্য ব্যবহৃত আসবাবের মতন
শুধু ব্যবহার আর ব্যবহার
শরীর ,মন ,শ্রম ,দিন থেকে দৈনন্দিন সবটাই প্রায়
জুড়ে বসা পুরুষের দম্ভ।
আচ্ছা ভাবো একবার তোমার পৌরুষে যদি আমি ভাগ বসাই
ভাবো যেমন আকছার প্রতি প্রদেশে একটা  পুরুষের বেশ্যা খানা আছে
তেমন  তেমন নারীদের পুরুষ খানা হয়।
হাসছো ,হাসো ,হাসো
ওই তো একমাত্র সম্বল তোমাদের নারীদের ভাবনার তিরস্কার।
আচ্ছা শ্বাশত তোমার মত ভাবলে মনে হয়
তোমরা নারী বলতে শরীর বোঝো
কিন্তু হৃদয়।
সত্যি কি তোমার মনে হয় না
নারীর কাছে হৃদয় আছে।

নিজেকে ডিফাইন করার চেষ্টা করো না শাশ্বত
তোমার মতন আমার দেশও আজকাল অলিতে গলিতে চোরা দৃষ্টিতে
এমনি ভাবে নারীকে।
অথচ তোমরা ভুলে গেছে প্রাগৈতিহাসিক কিংবা তার পরেও
মাতৃতন্ত্র ছিল কিন্তু
আমরা কখনো তোমাদের ব্যবহার ভাবি নি বরং ভালোবেসেছি। 

দুরে সরে যেও না

দুরে সরে যেও না
................... ঋষি
===============================================

.
দুরে সরে যেও না চলন্তিকা
যারা দুরে সরে যায় তাদের কোনো গুনহা নেই
যত দোষ দূরত্বের ,,,, মনের।
.

.
একবার থেকে আরেকবার দুরে যেতে যেতে সমদ্র পেরিয়ে দেশ
নিশ্চিন্ত আশ্রয়
পরিযায়ী।
.

.
হাওয়াকে বলি তুমি দূরে যেও না আমার থেকে
নিঃশ্বাসে কষ্ট হবে
চলন্তিকা।
.

.
সমুদ্রের জল পা ছুঁয়ে চলে যায় আদিম পর্বতের
আমি স্থবিরের মতন স্থির থাকি
তুমি দুরে যেও না চলন্তিকা।
.

.
একটা মানচিত্র জুড়ে আমার বাড়ি
যেখানেই থাকো সবটাই আমি
না চলন্তিকা এতটা মহান আমি নই।
.

.
সকালের জানলা খুলে অবাক চোখে দেখি
পাহাড় আর সমুদ্র পাশাপাশি  অদ্ভূত রঙিন প্রকৃতি
তুমি আমার বিছানা আঁকড়ে।


Tuesday, February 9, 2016

মানুষের পরিচয়

মানুষের পরিচয়
................. ঋষি
===============================================
আগুন থেকে জন্ম নেওয়া রক্তের স্বাদ
জিভ ঘেঁষে বারুদের সাথে সন্ধি।
নোনতা লাগে
লাগে আজকাল মিষ্টি।
ঘামের শহরে বৃত্তাকারে আবর্তিত লাভ লোকসানের খাতায়
ছিঁড়ে যাওয়া লোমে লোম ফোঁড়া।

জন্ম কাকে বলে
এহি সাওয়াল শুনা থা কহিপর।
দশ মাস দশ দিন জন্মের খিদে মিটে যায় মায়ের রক্তে
তারপর হয়তো বিভেদে জন্ম শুয়ে।
সভ্যতার পারস্পরিক চিত্কার
দেশজ আহ্বান কাঁটা ছেঁড়া মানচিত্র।
গিলোটিনে লেগে যাওয়া রক্ত ফোঁটা সভ্যতার ক্রীতদাস
তাই হয় তো জন্ম কোনো জানোয়ারের  নাম।
আর জন্মের মুহুর্তে পাসপোর্ট ,রেশন কার্ড
মৃত কোনো মানুষের পরিচয়।

আগুন থেকে জন্ম নেওয়ার ইতিহাস বুকে
প্রাচীন মৌর্য সম্রাট দাঁড়িয়ে আছেন রক্তের উঠোনে।
সম্বল শুধু এক সভ্যতার উচাটন
আর নিমগ্নতায় সময়ের পারাপারে রক্তাক্ত মুখ।
জন্ম নিচ্ছে অজস্র জাত ,অজস্র রং ,অজস্র কালি
মানুষ হারাচ্ছে পরিচয় মানুষের।

চিড়িয়াখানা

চিড়িয়াখানা
...................... ঋষি
===================================================
চলন্তিকা সময় থামে নি কোনদিন
তুমি রেল পথে হেঁটে চলে গেছো প্রত্যন্ত জঙ্গলের গভীরে।
সেখনে সভ্যতা নেই
আছে কিছু পরে থাকা কাটা ,হাত ,পা ,রক্তাক্ত মানুষ।
সেখানে জীবন নেই
শৈশবের পুরনো পোস্টারে ঠাকুমার ঝুলির মতন।

চলন্তিকা বস্তা খোঁড়া সভ্যতার
রেড লাইট এরিয়াতে বসে কি খুঁজে পাবে তুমি।
তাল তাল মাংসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে নেতাদের চিত্কার
কোনো লাল রক্তে ভেসে যাওয়া পাজামার সাথে তফাৎ
বলাত্কার ,বলাত্কার ,,,আইনের চোখ।
দর্জাল কোনো রমনীর মতন ঝগড়া করবে সভ্যতা পক্ষে
আমরা প্যান্ট পরতে শিখে গেছি।
আমরা প্যান্ট পরে আছি
যতক্ষণ ,,ততক্ষণ
সভ্যতা সংযমে তৈরী হওয়া চিড়িয়াখানার নাম।

চলন্তিকা সময় বর্বরতা ছাড়িয়ে
এখন সেখানে দাঁড়িয়ে যেখানে শিক্ষা নামক বিপননে
রোল মডেল কোনো দেশজ বেশ্যা।
সিনেমার নুড সিনে বিছানা বদল সভ্যতা হ্যাপী আওয়ার
চলন্তিকা কেঁদো না হাজার ধর্ষণ স্বত্বেও তুমি মা হবে না
সভ্যতা দাঁড়িয়ে তোমার যোনি দরজায়।

জীবন ফুরিয়ে যায়

জীবন ফুরিয়ে যায়
..................... ঋষি
==============================================
অনেকের সাথে দেখা হয় এক জীবনে
অনেকের ফাঁকে দেখা হয় এই জীবনে।
আবদার একটা থেকে যায়
রুপোলী পাল তোলা নৌকোর আড়ালে নোঙ্গর বাঁধা।
একটা স্বচ্ছ স্বপ্ন এক গ্লাস জল থেকে
নুন গোলা নিমগ্নতায়।

নতুন করে ভাবার সময় ছিল না সর্বত্র রাখা ফাটা স্যাক্সোফোন
নতুন রেডিও কেনার সম্বল না।
যেখান থেকে হালফিল আম্পায়ার হেলমেট পরে দাঁড়িয়ে
বলে দেবে শহরের রুট ম্যাপে  বাঁচার সময়।
যেখান থেকে চিত্কার করে বলে দেওয়া যাবে
সঠিক সময়।
বাউন্ডারির বাইরে উড়ে পড়া হৃদয়ের খোঁজে
আজীবন ঘোড়া দৌড়বে।
বেবাগ তেজে
আর শহর ঘুমিয়ে পড়বে ফুটোর ভিতর সস্তা বিছানায়।

অনেকের সাথে দেখা হয় এক জীবনে
অনেক জীবন শুকিয়ে যায় জীবনের পাতায়।
প্রতিটা পাতা যদি কবিতা হয়
তবে শুকনো জীবনগুলো অবিরত শহরের ব্যস্ততায়।
ক্লাস ওয়ানের শিশু পাঠ্য নামতা
জীবন ফুরিয়ে যায়।

স্বস্তির সিম্বল


স্বস্তির সিম্বল
.............. ঋষি
================================================

এই ভাবে আগুন ধরুক বুকে
চলন্তিকা তোমার সর্বত্র সোনালী রঙের রৌদ্র জামা ঢাকা থাক।
পথের কালো গলে যাওয়া সময়ের কালো  পিচে
চ্যাট চ্যাটে যন্ত্রণা কোনো স্বস্তির সিম্বল আঁকা থাক ।
সময় থেকে বলছি ,,,,শুনতে পারছো চলন্তিকা
চিত্কার মানুষের ,,,, বাঁচার ইচ্ছা রাখা থাক।

চলন্তিকা  খুলতে থাকো রৌদ্র জামা
সবুজ বই মেলার উপর লেখা হোক সভ্যতা অন্য কোনো থিমে।
চলন্তিকা তুমি আলোর ঝরনা হও
ব্যস্ত তুমি ,তোমাকে ভালোবাসবো আবার অন্য কোনো দিনে।
বুনো হরিনের মতন তোমার চোখ
রাখা  থাকা নোনতা দাগ কোনো অবুঝ সভ্যতা হারানোর শোক।
মানুষ বুঝুক নিজে তার জরুরী বাঁচা
মানুষ তার মনুষত্ব বোধ  আরো জাগ্রত হোক।
এই কল্পনার সাথে চলন্তিকা তুমি হয়ে ওঠো সৃষ্টির আদিম কন্যা
তোমার গর্ভে চলন্তিকা সভ্যতা সৃষ্টিতে উন্মুখ।

এই ভাবে আগুন রাখো বুকে
চলন্তিকা তোমার সর্বত্র সভ্যতা পিপাসা থাক।
কেউ না বলে কৃত্রিম তুমি সাজে
তোমার ইতিহাস গর্বে রাঙানো থাক।
সবাই তোমায় নারীর মতন ভাবুক
সদা কল্যানে মানুষ বেঁচে থাক।

তবু তো আছে

তবু তো আছে
............... ঋষি
==================================================
জানি সম্বল টুকু চলন্তিকা একটা যন্ত্রণা
তবু তো আছে
বুকের গভীর ভাঁজে ঘামের গন্ধের মতন আঁকড়ে থাকা স্মৃতি।
বুঝলে চলন্তিকা বুকের যন্ত্রনাটা বেড়েছিল কাল রাতে
জল খেলাম ,ওষুধ খেলাম ,বারদুয়েক টয়লেটে
না গো এই যন্ত্রণা সারার না।

অসময়ে ঘুম পাওয়ার মতন স্বপ্নগুলো সব ঘরছাড়া
বেকার কোনো যুবকের মতন রাস্তার ভাঁড়ে ঠোঁট পোড়ায় নিকোটিনে।
পায়ের শব্দ শুনতে চাই চলন্তিকা
কারোর আসার অপেক্ষায় দিন গোনে দিনান্তরে।
আর সময়
সে যে রাস্তার ম্যানিকুইনের শরীর চাঁটা অস্তিত্ব।
চলে যায়
যেমন বেড়ে যায় ভ্রুকুন্চন সময়ের গায়ে।
বেশ লাগে চলন্তিকা
এই দুর্মূল্য ব্যাথা বুকের দরজায়।

জানি সম্বলটুকু চলন্তিকা যন্ত্রণা
শরীরে  বাড়তে থাকা কোলেস্টরেলের মতন অভিশাপ ।
তবু ভালো লাগে ভাবতে
যন্ত্রণা ঘামের গন্ধে মাঝ দুপুরে অনন্য সম্বল।
কাল বুকের ব্যাথাটা বেড়েছিল চলন্তিকা
হৃদপিন্ডের বোঝাপড়ায় অবুঝ বেঁচে থাকাতে।


এক পৃথিবী সম্বল

এক পৃথিবী সম্বল
,,,,,,,,,,,,,,,,, ঋষি
====================================================

একটা পৃথিবী সাথে রেখো বুঝলে
নিজস্ব কল্পকতার সাথে আমাকে রেখো একপাশে।
ইচ্ছে হলে রাখতে পারো তোমার দেরাজে
কিংবা আরো কাছে।
বুকের ফাঁকে
যেখানে সবুজেরাও অবুঝ হয়ে লাল হতে চায়।

একটা পৃথিবী সাথে রেখো
জীবন থেকে ঝড়ে যাওয়া শুকনো পাতাগুলো এলব্যামে বাঁধানো থাক।
যেমন আছি আমি
না কাটা দাঁড়ি ,ঠোঁটের নিকোটিনে রেখে যাওয়া তোমার ঠোঁট।
তবু বেঁচে আছি
যেমন সময় থাকে তোমার মতন আমার নিঃশ্বাসে।
বিশ্বাসে বেঁচে থাকা সহস্র ফানুসের স্বপ্ন
ভালো আছি।
তুমি আছো তো কোথাও আমার স্বপ্নের
এক পৃথিবী সম্বলে।

একটা পৃথিবী সাথে রেখো বুঝলে
নিজস্ব নিজস্বিগুলো আমার চোখের পাতায় থাক আদরের মতন।
বুকের ওঠানামায় হাঁপর বাড়তে থাকুক
তোমার স্পর্শ।
কিংবা সেই ক্ষনিকের মিষ্টি হাসি
ভেসে যাওয়া সম্বলের আমাদের নিজস্ব বাঁচতে থাকা। 

হেঁটেছি তোর সাথে

হেঁটেছি তোর সাথে
............... ঋষি
==============================================
শেষ অবধি আমি হেঁটেছি
খানাখন্দ ,পাহাড় ,পর্বত পেরিয়ে কোনো বন্য গুহা।
সেইখানে কিছুক্ষণ আদিম খিদেতে
নিজেকে আয়নায় দেখেছি।
আরো অনেকটা হেঁটেছি সকালের রৌদ্র মাথায় নিয়ে
অসময়ে বৃষ্টিতে ভিজেছি।

তবু শেষ অবধি হেঁটেছি
পথ হারিয়ে পথের ফাঁকে হাঁটু মুড়ে বসেছি।
তারপর সেই আদিম খেলা যন্তর মন্তর ,চিচিং ফাঁক
সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে সময়ের সাথে বেঁচেছি।
জানি না কতটা ভালোবেসেছি
কতটা ভালোবাসলে প্রকৃতি সম্পদ হয় শিল্পের।
জানি না কতোটা জীবিত থেকেছি
কতটা জীবিত থাকলে জীবন হয় স্পন্দিত।
তবু আমি হেঁটেছি
হাতে নিয়ে হাত তোর সাথে বেঁচেছি।

সময়ের  শিরদাঁড়া বেয়ে জড়িয়ে থাকা মন্বন্তর
সময়ের মন্থনে উঠে আসা অমৃত লোভ ,
আমি ঠোঁট দিয়ে চুষে দেখেছি।
মিশে গেছি ঘামে সময়ের সাথে সময়ের গায়ে রাখা কাব্য
আমি ভালোসেছি
আমি হেঁটেছি তোর হাত ধরে সময়ের আদরে ভেসেছি।

Friday, February 5, 2016

ওম নম শান্তি

ওম নম শান্তি
................ ঋষি
================================================
শিখে যাবি তো ,শেখাটা যে আবিষ্কার
প্রতিটা নখের আঁচড় কোনো এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা জীবন।
অথচ আমরা সহস্র প্রাচীন শেওলার জান
মরি না বেড়ে উঠি চলন্তিকা।
বাঁচার অভ্যাস আমাদের
হাঁটি পা ছেড়ে হামাগুড়ি দিয়ে হাঁটতে শিখে যায়।

মেঘের আড়ালে থাকা স্বাপদের মুখগুলো
তোর খুব কাছের চেনা আকাশের লাল রং চলন্তিকা।
জীবন যেখানে জীবন্ত কোনো আগুনের ঘিয়ে
বাড়তে থাকা লাল ছটফটে ইচ্ছা।
সময় সেখানে আঁকড়ে থাকে বুকের পাঁচিলে শেওলা ঘেঁটে
কিছু  আবিষ্কার
বাঁচতে চাওয়া।
নিদেন পক্ষে চলন্তিকা তোর ক্যালান্ডার সম্বল জীবনের পাতায়
পুরনো তারিখ।
হারিয়ে যায় জানি
তবু বাঁচি  আমরা সবাই।


শিখে যাবি তো ,শেখাটা যে আবিষ্কার
বুড়ো কলম্বাসের চোখে লেগে থাকা একটা  নেশা।
জীবন যেখানে পুরনো হরির কাঁথায় শুয়ে থাকা ধর্ম
সেখানে বেঁচে থাকা যন্ত্রণা বোধ হয়।
ওম নম শান্তি
শুধু বাঁচতে থাকায়। 

আমি আর আমার শহর

আমি আর আমার শহর
.............. ঋষি
==================================================
সর্বত্র একটা ত্রাস রাখা আছে ,,,,,,,, লোভ
শহরের বুকে লেপ্টে থাকা বিজ্ঞাপনগুলো সব প্রমান তার।
চলন্তিকা এই শহরের দরজায় অনেকগুলো ঘুলঘুলি  করা
সময় যেখানে বাঁচিয়া রাখা নিশ্বাস।
শেষ টুকু প্রত্যকের তোলা দেরাজে পারফিউমের পুরনো গন্ধ
শেষদিন শেষ সম্বল।

চলন্তিকা এই শহরের পুরনো বাতিস্তম্ভগুলো  অনেক আলো করে চারিপাশে
জমানো ইতিহাসের মতন সহস্র প্রাচীন যাপনগুলো সব অন্ধকার।
তবু কেন জানি আমার মনে হয়
হাজারো মানুষের ভিড়ে এই শহর সমৃদ্ধ।
কার্বন ,কালি ,ধুলো আর  সব পুরনো মামলায়
হাইকোর্টের মতন টেবিল থাবড়ে বলে
বাঁচতে রেহো।
এই যেন সেই অনিদ্রিত প্রহরীর ঘুমের শব্দ
বেঁচে আছি
কারণ বাঁচতে হয় শহরের মত ।

সর্বত্র একটা ত্রাস রাখা আছে ,,,,,,,, লোভ
শহরের বুকে কোনো রমনীর স্তনের বিজ্ঞাপন আমার মায়ের মতন লাগে।
মায়ের দুধের গন্ধ থেকে আমি আর আমার শহর
দুজনেই আজ ফুরিয়ে যাওয়া শরীর।
বাড়ছি ক্রমশ চলন্তিকা বাড়ার পথে চিত্কার করছি
বাঁচতে চাই শহরের সাথে। 

প্রতিদিনকার কবিতা

প্রতিদিনকার কবিতা
.................... ঋষি
=====================================================
অনেকদিন কবিতা লেখা হয় নি
আসলে জখম শব্দদের আর বাজারী করতে ভালো লাগে না।
তবু অভ্যেস
হাত কেটে ফেলি ,কালির বদলে রক্ত।
হৃদয় খালি করি ,খিদে জায়গায় সময়
কবিতা যেন যন্ত্রণার বারোমাস।

পকেট উল্টে দেখি চেনা আধুলি বড়  লজ্জিত সংখ্যায়
হৃদয় উল্টে দেখি চেনা মুখগুলো ক্ষুদার্থ সজ্জায়।
রোজকার কথা
সময়ের কথা।
আমার কলমের মুখে রক্ত
আর পাতাময় রক্ত বমি। ......আমি মানুষ
কিংবা আমার মতন আরো মানুষের।

অন্ধকার ঘুঁটঘুঁটে রাতে যখন আকাশের চাঁদ ছাড়া পৃথিবী শব্দহীন
ঠিক তখন শব্দরা বড় বিরক্ত করে আমাকে।
জীবানন্দের আকাশের চাঁদ ঝলসানো রুটির মতন কবিতার লোভ দেখায়
আমি পাছা উল্টে শুয়ে পরি।
মনে মনে শপথ করি আর না ভাই ,প্রচুর হয়েছে
প্রতিদিনের অপমান, দুঃখ, গ্লানি, টাঙিয়ে রাখি আমার নুনখসা সময়ের দেওয়ালে
মোটা চালের অন্ন আমার ভাষা হয়ে উঠে
আমাকে পুষ্ট করে।
শব্দরা আমাকে চিনে ফেলে
কখন যেন কবিতা হয়ে যায়।

অনেকদিন কবিতা লিখি নি
তবু প্রতিদিন সময় থেকে টুকরো ছবিগুলো লিখে গেছি কবিতায়।
একটা অভ্যেস
একটা প্রতিবাদ ,একটা নেশাও বলা যায় বেঁচে থাকার।
প্রতিদিন আমি
আমার কবিতায়।

অন্য ২১

অন্য ২১
............ ঋষি
=============================================
রক্তের লাল নদী যদি ভাষা হয়
তবে ২১ শে ফেরুয়ারী বাংলাদেশ  হলো  আতুঁড় ঘর।
বর্ণের পরিচয়
শব্দের অধিকার।
বরকত ,রফিকউদ্দিন ,আব্দুলের স্বপ্নের  মৃত্যুকে
ভাষার ইচ্ছা বলা যায় ।

২১ শের সেই রক্ত মাখা পথের উপর দাঁড়িয়ে
আমার দেশ।
আমার জাতীয় ভাষা  যদি  বাংলা না হয়
তবে কাকে দেব কলঙ্ক।
কাকে দেব এই শৈশবের অধিকার
হারিয়া যাওয়া স্মৃতির পাতায় শিশুর মুখে প্রথম বুলি
" মা " ।
নিতান্ত সেই জন্মের অধিকার বোধ থেকে বলি
ভারতবর্ষ তুমি এই বাংলায়।
তোমার অধিকার
বাংলা ভাষা।
তোমার জাতীয় সঙ্গীত যদি বাংলা ভাষায় হয়
তবে কেন তোমার রাষ্ট্রীয় ভাষা হিন্দি হবে?

উত্তর দেবে না সময়ের ইতিহাস
বুকের ফাঁকে জমানো হা ,হুতাশ।
সময়ের করাঘাতে বাঙালী  হারাচ্ছে তার ভাষা
হারাচ্ছে তার অধিকার।
হয়তো কোনো অন্য ২১ শে আবার হয়তো কারো রক্ত
অধিকার দেবে জাতীয় ভাষা বাংলার। 

Thursday, February 4, 2016

ফ্রেমে বন্দী ছবি

ফ্রেমে বন্দী ছবি
.............. ঋষি
===========================================
এমন একটা ছবি চেয়েছিলাম তোর কাছে
সেই পুরনো দিনের সিনেমার মতন।
এমন এক ছবি চেয়েছিলাম
যেখানে শব্দদের বলতে হয় পিছিয়ে যা আরো পিছনে।
যেখান থেকে শব্দ জন্ম হয়
সেই বর্ণরা তোর মতন সেজে উঠুক পুরনো রঙে।

এমন এক চোখ চেয়েছিলাম আমি
যার গভীর তুলে আনা যায় মহামূল্যবান একটা গোটা জীবন।
সেই বড় রাস্তার ধরে টিউব কলটার মতন
আমিও সারা জীবন ভিজে থাকতে চেয়েছিলাম।
সেই পুরনো রাস্তা ধরে
যেখান থেকে তোর বাড়ি দেখা যায়।
দেখা যায় সেই বারান্দা
সেই চোখ
আর সেই তুই।

এমন একটা ছবি চেয়েছিলাম তোর কাছে
যেটা দেখলে আমি পিছিয়ে যেতে পারি তোর হাত ধরে।
হয়তো আরো আদিম ,আরো কোনো হরপ্পা সভ্যতায়
পুরনো ভাস্কর্যের মতন জীবিত থাকতে পারি।
পাশাপাশি ,কাছাকাছি
সারাজীবন কোনো পুরনো ফ্রেমে বন্দী ছবি। 

তোর পদশব্দ

তোর পদশব্দ
................. ঋষি
========================================
কয়েকশো ভোর পরে থাক
কাগজ কুড়ানো কুয়াসার সাথে।
রৌদ্র ঝুলি থেকে যতই বেরিয়ে আসুক মৃত হৃদয়
সেও জেগে ওঠে ঘুম থেকে।
শতাব্দীর শেষ পেরেকটা তুলে বলে
বেঁচে আছি কারণ তুই আছিস তাই।

ম্যগাজিনে শেষ শরীরটা দেখে কামার শালায়  যায়
নিজেকে পুড়িয়ে ,তৈরী করি তলোয়ার।
সময়ের রক্তাক্ততায় সময় বেড়ে যায়
অথচ জানিস তুই আছিস
আমার ভালোবাসার শরীর ,আমার ধুকপুক  যন্ত্রণা।

বাড়তে থাকা তৃষ্ণা নদীর
মেঘের চোখে জল।
কৃষ্ণ বলে হৃদয় প্রিয়া
প্রেম যমুনায় চল।
প্রেমের বাঁশী শব্দ সুরে বাজবি প্রিয়া বল।

কয়েকশো রাত পেরিয়ে
চোখের তৃষ্ণা ঘেঁষা শব্দ সুরে পদশব্দ তোর।
তুই আসছিস যেন ভোরের প্রথম শিশির
তুই আসছিস যেন মন্দিরের ঈশ্বরের ফুল।
আর আমি তোর বাঁচার কোনো দেওয়াল বাওয়া শেওলা
শরীর জুড়ে শরীরময় হৃদয় আদিমতা।

অন্য এক উপন্যাস

অন্য এক উপন্যাস
................. ঋষি
=========================================

শুভেচ্ছা রইলো ফিরে আশার
মেঘ বৃষ্টির রসদ পেড়িয়ে খিদের দুনিয়ার স্বপ্ন।
এখানে কোনো সাম্রাজ্যবাদ নেই
আছে যন্ত্রণা।
পেট ছিঁড়ে যায় আকাশের চাঁদ
আর নিজের ঘরের কোনে  লুকোনো গণতন্ত্র।

এই ভাবে একটা উপন্যাসের শেষ পাতাতে
নায়িকা গর্ভবতী হয়।
জন্ম দেয়  একটা স্বাধীন দেশ ,একটা পেট ভর্তি  দেশ
সেই দেশের সকল নাগরিকের পেট ফুলে যায়।
লোভের টাকায় ,বেঁচে থাকায়
সারা দেশ জুড়ে শুধু এম্বুলেন্সের ঘোড়দৌড়।
দৌড়চ্ছে  সবাই
দেশ জুড়ে হিজরাদের সমাবেশ।
আর কোনো জন্ম হবে না এখানে
শুধু মৃত্যু।
পেট ভর্তি দেশের সমাপ্তি
উপন্যাস শেষ।

শুভেচ্ছা রইলো দৈনন্দিন আগুনের
আগুনে ফুটছে নিজেদের বিষ রক্তগুলো।
পাহাড় ভাঙবে এখানে যুদ্ধরাজ
সাম্রাজ্য সমাপনে খালি পেতে শুয়ে থাকবে দেশ।
সুদিনের স্বপ্নে আকাশের চাঁদে ভাঙ্গা অন্ধকার
আর আলোটুকু বেঁচে থাকবে।

   

এই দেশ

এই দেশ
.......... ঋষি
====================================================
এই মাটিতে দাঁড়িয়ে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়
বাতাসে বাড়তে থাকা কালি সভ্যতার নোলকে সভ্যতার অবস্থান।
তামাম দুনিয়ার অন্ধকারকে আমন্ত্রণ জানানো হয় ভরা সভায়
যেখানে কোনো নারী বিবস্ত্র হয়।
অথচ  কৃষ্ণের ভেকে  পুলিশের উর্দিতে রক্তের দাগ
সগর্বে গেয়ে ওঠে  সারে জাহাসে আচ্ছা।

নিজেকে বড় অসহায় মনে হয়
যখন শাসনতন্ত্রের বন্দুকের ডগায় লটকানো গণতন্ত্র।
নিজের মাটিকে তাক করে
পিছন থেকে কোনো ভীরু লোভী শকুন  চিত্কার করে ফায়ার।
লুটিয়ে পরে লাশ জালিয়ানওয়ালাবাগে আবার
আবার বারংবার রক্ত আর রক্ত।
সে কখনো বা নারী শরীরের  মৃত শবে
কখনো সে শিক্ষা  নামে  বাড়তে থাকা বিজ্ঞাপনে।
আইনের জামা পরে শুয়ে থাকা বাজারী বেশ্যারা
শীত্কার করে বলে অর্ডার অর্ডার চুপ থাক
নাহলে ফুটোতে  পুরে  দেবো গোটা স্বাধীনতা।

এই দেশের বুক জুড়ে গভীর ক্ষত বাঘের আঁচড়
বাতাসে বাড়তে থাকা দুর্গন্ধ বাসি  লাশ সব পরাধীনতা শুয়ে।
সাজানো বাজারে বিক্রি বাতাসে কোনো নিশ্বাস নেই
শুধূ বেঁচে থাকা সংস্কৃতির নির্মাণের নামে  ভাদ্রের কুকুরের মিছিল।
এ দেশে বহুদিন  আগুনের কোনো দেখা নেই
মৃত ইতিহাস মর্গের ভিতর বস্তা পচা লাশ। 

অন্য এক শহর

অন্য এক শহর
..................... ঋষি
===================================================
পাগলী এই শহরে ভালোবাসা  একটা বিজ্ঞাপনি  ইস্তাহার
না হলে বিকোবে না সময়ের আকাঙ্খিত লোভগুলো।
পাগলী ভালোবাসা আসলে কোনো বাসা নয়
অথচ নিরন্তর এক আশ্রয় বেঁচে থাকায়।
অথচ  সময়ের সাথে মানে বদলে ভালোবাসা
কখন শুধু চাহিদা হয়ে গেছে।

পাগলী  এই অপমান আমার বুকে বাজে আগুনে মতন
আগুনের প্রেমে পরে আমার ইচ্ছারা  বলে
নিরাশ্রয় হোক ভালোবাসা।
মানে বদলে নিষিদ্ধ হোক এই শহরে ভালোবাসা।
শহর ছাড়া বাউলের গানে
নাই বা আসুক সকাল প্রেমের রবে।
ভালোবাসা জুতো মোজা  পরে হাঁটুক লোভের শহরে
আরো কারণ থাকুক ভালোবাসার।
আরো স্কাই স্ক্যাপার ,আরো নরকের দরজা খুলে যাক সভ্যতা জুড়ে
ভালোবাসা বলে বাড়তে থাকুক পোড়া দাগ
হৃদয়ের শরীরে।

পাগলী আমি শহর ছেড়ে যাচ্ছি খালি পায়ে অন্য শহরে
তুই কি যাবি  আমার সাথে হৃদয় সম্বলে।
পাগলী আমার শহুরে নাকাব, সময়ের বিস্ফোরণ
আমার চাই শান্তির শহর।
তুই কি যাবি আমার হাত ধরে সে শহরে
যেখানে চাওয়া পাওয়া ছাড়া আদিম ভলোবাসা যায়।   

Wednesday, February 3, 2016

শুধু আবর্তন

শুধু আবর্তন
............... ঋষি
================================================
পৃথিবী চলছে আবর্তনে একই রকম
অন্ধকার ,এক নর্দমার সময়ের গন্ধে মাছি।
পরিবর্তন সম্ভব নয়
কারণ মানুষের নিজের কোনো প্রতিবাদ নেই।
প্রতিবাদ শুধু  কোনো শব্দ নয়
সে হলো  মানুষের আঁতুর ঘরের প্রথম আলো।

জন্মজ দেশজ মাটির গন্ধে আজ ঘুন লাগা কিছু আসবাবের বাস
সময়ের সাথে বয়ে চলা নদীগুলো দেশময় শুধু পাঁক আর পাঁক।
বিস্ফোরণ ঘটছে ,মানুষ মরছে
আমরাও মরছি দৈনন্দিন নিজের চিতার মুখে আগুন।
কিন্তু প্রশ্ন একটা থেকে যায়
মানুষ অমর নয় ,
জীবন তো জীবিত হতে পারে ?
একটু প্রতিবাদ
একটু আগুন যদি জ্বালানো যায় সময়ের জঙ্গলে
তবে আবার নতুন সভ্যতা আবার হয়তো তৈরী হতে পারে।

পৃথিবীর আবর্তনের সাথে মানুষের বোঝাপড়া সহবাস
শীত্কার নেই তৃপ্তির সবটাই চিত্কার।
বেঁচে আছি কারণ বাঁচতে হয়
জীবিত আছি কারণ জীবন যে কাটতে চাই।
নিজের বুকে হাত রেখে কজন বলে
প্রতিবাদ আমার বাঁচার কারণ  .

চলন্তিকা আর কবিতা

চলন্তিকা আর কবিতা
.................. ঋষি
================================================
আগুন যখন গর্ভবতী হয়
তখন সময়ের আগুনে চলন্তিকা কবিতার শিখা।
কবিতা প্রসব করে দেশ
দেশজ যন্ত্রণা প্রসব করে মাটির গন্ধ।
সেই গন্ধের নেশায় পাগলপাড়া আমি
কোনো দাবানল বুকে প্রেমিকের মতন।

আমার বুকের আগুনে পুড়তে থাকে সময়ের পালক
চামড়ার গন্ধে জুজুবুড়ি সভ্যতা চিত্কার করে
সময়ের নারী।
চলন্তিকা তোমার প্রেমে উদ্ভূত প্রতিবাদ কোনো কাগজ কুচি নয়
সে যে সাদা কাগজের স্বপ্ন।
স্বপ্নের শব্দের চিত্কারে অপেক্ষা দুনিয়া বদলের
শব্দের বারুদের বিস্ফোরণ আমজনতার পক্ষে।
সময়ের সাথে সময়ের বিরুদ্ধে
চলন্তিকা আমার কবিতা
আগুন।

আগুন গর্ভবতী হলে কবিতা প্রসব করে
সে সময়ের রুপান্তরিত নারী চলন্তিকা তোমার মত।
তোমার উরুগহ্বরে মানুষ সভ্যতার ইতিহাসে
আমি কলম চুবিয়ে তুলে আনি যন্ত্রণা তোমার জন্য।
চলন্তিকা তুমি আমার নারী
প্রসব যন্ত্রনায় কবিতা তুমি কবিতা । 

পরিযায়ী কোনো

পরিযায়ী কোনো
........... ঋষি
===================================================
নিজেকে ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে ,নামাতে নামাতে
তোর পাশে চলন্তিকা আমি।
সেই ছেলেটাকে আমি খুঁজেছি ছেলেবেলায় যে একটা বুক খুঁজতো
ভালোবাসার ,উজাড় করা স্নেহের।
পাই নি কেন জানিস
আসলে পরিযায়ী সম্প্রদায়ের ঠিকানা থাকাটা অনিয়ম বড়।

চলন্তিকা আমি স্পর্শ খুঁজেছি তোর বুকে
একমুঠো আশ্রয়ের আশায় সেই ছেলেটা মুখ ঘষে তোর বাহুসন্ধিতে।
সময় এখনে জটিল সমীকরণের মতন নিতান্ত একঘেয়ে আমার কাছে
তাই তো হিসেবছাড়া চলন্তিকা তোকে চেয়েছে সেই ছেলেটা।
উঠে দাঁড়িয়েছে
কখন যেন সময়  এক গোছা গোঁফ দাঁড়ি নিয়ে আয়নায়।
ছেলেটা আমাকে দেখেছে
তোকে ভালোবেসেছে পাগলের মত।
তোকে শ্রদ্ধা করেছে দেশের মত
তোকে জড়িয়ে ধরেছে প্রেমিকের মত।
তোর সাথে কেঁদেছে ধর্ষিত মত
অথচ ছেলেটা বদলায় নি এতটুকু ,
কিছুই বদলায় না আসলে
একইরকম পরিযায়ী রয়ে গেছে।

জীবন থেকে সময়কে মুছে ফেলা যায়
কিন্তু শরীরের পোড়া দাগ  কখনো বদলায় ,না বদলেছে।
কিছুই বদলায় নি তাই
দেশ ,সময় ,প্রেমিক ,সেই ছেলেটা আর আমি ।
কিন্তু ঠিকানা ছাড়া জীবন
পরিযায়ী কোনো।

Tuesday, February 2, 2016

আমরা সামাজিক

আমরা সামাজিক
................. ঋষি
========================================================
সেই মেয়েটা  আর ফিরে আসে নি
সে  আর ফিরে আসবে না  কোনদিন।
যে গেছে
সে যাচ্ছে আজ সহস্র যুগ ধরে।
যোনি  সর্বস্ব জীবনের সম্মানের দাম আজ মাথা নিচু  করে
সময়ে কাছে অনিয়মিত দুর্বৃত্তের লোলুপতায়।

সেই মেয়েটা  চিতার আগুনে কিংবা কবরের ভিতর থেকে আজও চিত্কার করছে
আকুতি এই জীবনের আরো কিছুদিন বাঁচার।
পথ হাঁটা সভ্যতার ধুলো মাথায় নিয়ে সেই মেয়েটা হয়তো  দাঁড়িয়ে আছে
আদালত চত্তরের দোষী পক্ষের উকিলের ছেঁড়া খোঁড়ায় ।
সেই মেয়েটা  আজও কন্যা সন্তানের জন্মের অপরাধে দাঁড়িয়ে রাস্তায়
দিন গুনছে আগামী খাদকের খিদের।
ওরে মেয়ে তোর খোলা স্তনে দংশন সে যে কামুকতার
ওরে মেয়ে তুই আজ সময়ের যোনি।
যোনি সর্বস্ব জীবনে সামাজিকতায়  তোর  মূল্য শুধু শরীর
আর  তোকে লুঠ  করছে সময় ধর্ষণ নামক লাল অপরাধ ।

সেই মেয়েটা নিয়মের অনিয়মে আজও দাঁড়িয়ে সুবিচারের আশায়
সমাজ পক্ষের দৃষ্টিতে সে ধর্ষিত শরীর ।
শুধু শরীরের মান বিচারে সে এখন সমাজের প্রান্তিকতায়
অসম্মানের চোখে যার বিবস্ত্রতা আজীবন।
সেই মেয়েটা  আর ফিরে আসে নি
ফিরে আসবে না কারণ আমরা সামাজিক।

সময়ের নারী

সময়ের নারী
................. ঋষি
==============================================

চলন্তিকা তুমি সময়ের নারী
তোমার নেশার শরীর পরে আছে ডাস্টবিনে কুকুরের পাশে।
কুকুর আসছে চোখ ভরে  দেখছে তোমার অনাবৃত স্তন
তোমার যোনিতে জিভ বুলিয়ে।
তৃপ্ত হচ্ছে
তোমার দু চোখে নেশা বাঁচার ।

ধরে নি চলন্তিকা তুমি আমার সেই  অনাবৃত দেশ
তোমার নাভি থেকে পাওয়া মিষ্টি গন্ধটাকে সকলে প্রাপ্তি ভেবে নিচ্ছে।
তুমি উঠতে পারছো না ,না হাঁটতে
তুমি করতে পারছো না চিত্কার।
তোমার শরীর থেকে ছিঁড়ে নেওয়া হলো বাংলাদেশ
তুমি নেশার লাল চোখে দেখছো ভোগবদল।
লোলুপ তোমার কামনায় অজস্র কুকুরেরা তোমার চারপাশে
তোমাকে ছিঁড়ে খাচ্ছে চলন্তিকা।
তুমি চিত্কার করতে পারছো না ,তোমার মুখে কাপড় বাঁধা
আর পরনে কাপড় বলে কিছু নেই।

চলন্তিকা তুমি সময়ে নারী
আর আমি দর্শক কোনো মেরুদন্ডহীন কাপুরুষ।
তুমি আমার নারী চলন্তিকা আমি  চিত্কার করছি তাই
কেউ আছো চারিপাশে এমবুলেন্স , পুলিশ ,আদালত।
আমি পাগলের মতন কাপড় খুঁজছি তোমাকে ঢাকবো বলে
চেষ্টা করছি তোমাকে দাঁড় করাতে চলন্তিকা। 

তোমার লিপস্টিকে

তোমার লিপস্টিকে
................. ঋষি
===============================================
প্রশ্ন একটা ছিল পুরনো গিটারের ছেঁড়া রাতের মত
ভুল করে ভালোবাসা যায়।
সময়ের শব্দ স্বরে ভালোবাসা ড্রাকুলার মতন রক্তচোষা উপস্থিতি
সময় চুষে নেয়।
নিদ্রায় জেগে ওঠা সকালের শেষ চ্যাপ্টারে
ভালোবাসা  তার বাঁধে ,গিটার বাজায়।

সোনালী স্বপ্নের আঁচল বাতাসে মেলাতে মেলাতে আঁকড়ে ধরে
হৃদয়ের চোরা কুঠরিতে অবহেলিত সময়ের দাসত্ব।
এক গ্লাস ওয়ানের চোখে লেগে থাকে নির্ভিক পদচরণ
চিত্কার বুকের দরজা খোলা আস্ফলন।
বুকের ক্যানভাসে অনবরত মোচড়
ভিজে নোনতা রক্ত ,,,,,ড্রাকুলা ইন প্রসেস।
রক্ত ছবি ফুটে ওঠে
ফুটে ওঠে রক্তের পায়ের ছোপ অবিরাম স্নেহে।
আগলানো ঘনিষ্ঠ মুহুর্তের
মিশে যাওয়া শব্দ চয়ন।

প্রশ্ন একটা ছিল পুরনো গিটারের ছেঁড়া রাতের মত
আকাশের চাঁদে পূর্নিমার ভরন্ত উপলব্ধি।
আগামী জন্মানো সময়ের পাকদন্ডি বেয়ে
বিশ্বাসের কাছে।
অমাবস্যা বাসা বোনা শৈশবের স্মৃতি বুকে
আস্ফালন তোমার লিপস্টিকে।

সময়ের মত

সময়ের মত
............... ঋষি
=======================================================
ইচ্ছেগুলো হাঁটতে চায় স্বাধীন হাইরোডে
তোমার ঠোঁটের সাথে মিশে থাকা বারুদে বিস্ফোরণ ঘটে সময়ের।
শত ছিন্ন হৃদয়ের নির্ভেজাল কলঙ্কে
আমি কোনো কালি আতঙ্কের মত বেঁচে থাকা।
কলমের নিব বেয়ে আরো গভীরতায়
একা  থাকা।

বিকেলের শেষ রোদ্দুর গায়ে মেখে ট্রামলাইনে পাতা চকচকে হৃদয়
দূর বহুদূর পথ বেয়ে কালো কনক্রিটের সাথে সন্ধি।
উদ্ভূত তাপ। উন্মত্ততায় বিকরণ সময়ের গায়ে ,,দূরত্ব
স্নান ঘরে নগ্ন শরীর শরীরে সাথে সন্ধি করে
তোমাকে মনে হয় ভিজে তোয়ালের মত।
তোমার ঠোঁটগুলো আজ আমাকে নিগড়ে নিলিপ্ততায়
একা একা থাকে।
আমিও থাকি একা সময়ের ডাস্টবিনে
পরে থাকা হাড় মাস,সস্তার জীবনে দৈনন্দিন জীর্ণতায়।

বাস্তবের কঠিন থেকে মুখ ফেরানো আচ্ছাদন
স্বপ্ন দেখে আকাশচারী আমি কোনো নীল পথিকের বাসরঘর।
ভিজে আয়নায় ভিজে থাকা সময়ের ব্যস্ততায়
ব্যস্ত আমি ,তোমার মতন সময়ের ঘাম লোকানো পারফিউম।
নিশ্চিন্তে এগিয়ে চলা দাবী আমি আছি
ঠিক তোমার মত বেঁচে।

কিছুটা জীবন

কিছুটা জীবন
............... ঋষি
==========================================
ফেলে দেওয়া ভালোবাসা নতুন মোড়কে আগলিয়ে আছি
জীবিতরা বলে না কখনো ভালোবাসি।
অথচ জীবন নির্দ্বিধায়  করে সরগম
ভালো আছি ,ভালোবাসি তাই।
জীবতরা সকলে সময়ের দূত  কিংবা সময়ের আশ্রয়ে
জীবন সে তো  ভালোবাসার প্রশ্রয়ে এক নীল আকাশ।

কাগজ কুড়োনো বিকেল
বাদামের ঠোঙ্গা হাতে আকাশের শেষ সূর্যের শেষ  ওম।
জীবন থেকে তালাক দেওয়া না লেখা কবিতারা
একটু একটু করে খরচ হতে থাকা বেকার দিন সর্বস্ব।
ভালোবাসি তোমায়
একথা বলে ওঠা হয় না।
ব্যস্ত সময়ের পরিসরে সাদা কাগজের উপর রক্তিম সূর্য
আমার কলমের নিবে তুমি লেগে থাকো।
আমি শুধু তোমার পানসে স্বপ্নে
পরিমাণমতো  স্পর্শ দি নিরুদ্দেশে।

ফেলে দেওয়া ভালবাসা আগ্নেয়গিরির প্রসব যন্ত্রণার চিত্কার
অন্ধকারটা বারংবার ফিরতে  চায়।
ফুরিয়ে-আসা মোমবাতির গলতে থাকা মোমের মাঝে
আলো খোঁজে জীবন  আর। ........
বারংবার তোমাকেই বলতে চাই
হাজারো কবিতায় ,,,,, ভালোবাসি। 

শহরের সাথে

শহরের সাথে
.............. ঋষি
=====================================================

আমার শহরে স্বপ্ন দেখতে নিয়ন্ত্রণ চায়
রাস্তার জেব্রা ক্রসিঙে সবুজ সিগন্যালের একটা পারমিসন চায়।
সার দেওয়া নাগরিকত্বে একটা ব্যস্ততা চায়
চায় এই জীবনের বোঝাপরায় কিছু বেয়ারা মুখ।
স্মৃতির পাতা উল্টে আমার শহরে বাঁচার জন্য
অনেকটা বেঁচে থাকা চায়।

আমার স্বৈরাচারী অস্তিত্বের ফাঁকে বুকের লোমশ জানোয়ারে সরগরম নিপুণতা
প্রতিটা বাঁক ঘুরে জীবিত প্রাগৈতিহাসিক শব্দের মিছিল।
মায়া মায়া কাঁচের নুড়ির মতন এগিয়ে যাওয়া যানবাহন
শব্দ চুর কোনো আস্ফালিত হৃদয়ের আকাঙ্খা।
আমার শহর হাঁটছে
হাজার অনিয়ম ,প্রতিকুলতা ,ঘুমহীন চোখের দারিদ্রতায়।
আমার শহর বাঁচছে
প্রেমের হাত ধরে ,জীবনের হার ধরে সাদা কবুতর গুলো
সারা আকাশময়।

আমার শহরে এনিমেসনের মত ঋতুর বদলায়
কখনো এক হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে শহর তুলে নেয় শাড়ি পা ভিজিয়ে।
কখনো বা চোখে স্যানগ্লাসে লেগে যায় ঘামের প্রমিকা
বেশ লাগে শহরের কবিতা কুয়াসা মোড়া আদুরে শীতকে।
বেশ লাগে ভাবতে শহর
এই বেঁচে থাকা নাগরিকত্বে ,পথের ধুলোয় ,জীবনের পথে।   

মধ্যবর্তী

একটা বিস্ফোরণ দরকার ছিল  দরকার ছিল একটা সীমা ছাড়ানো চিৎকারের  তোমার বুকের কাপড় সরে গেছে ,আমি রয়ে গেছি মধ্যবর্তী  তোমার নাভির থেকে দাগগুলো যদ...