Friday, December 30, 2016

চির আবেদন

চির আবেদন
........ ঋষি
===================================

আসবি তো
আর তারপর অনেকগুলো বছর জোনাকি ধরা।
চলন্তিকা এই অন্ধকার দেশটা আলোতে আসতে ডরায়
আর তাই পিছোতে পিছোতে আজ রসাতলে।
এখানে আসতে ক্ষতি নেই
কিন্তু তারপর অসংখ্য জোনাকির নেভা জ্বলা।

বছরটা শেষ হলে আর কিছুদিন
সেই আগামীর মতো কোনো স্বপ্ন বুকে নিজের সিলেবাসে।
প্রতিটা সময় যেমন ,নিজের কাছে স্মরণীয়
ঠিক তেমন স্মৃতিমধুর  কিছু যাপন।
এই দেশে ঋতুর  মতো সম্পর্ক বদলায়
বদলায় হাতে লেগে থাকা সময়ের আধুনিকতা।
কিন্তু আমি জানি বদলাবি না তুই
আসবি ঠিক
যেমন আসিস বারংবার দিনে রাতে কবিতার পাতায়।


আসবি তো
কিন্তু তারপর সামনে জমে থাকা মুখের মিছিল।
প্রতিবাদ এই দেশে জমে থাকে বুকের কান্নায়
কিংবা লুকিয়ে থাকে মানুষের মনে বিভীষিকার মতো।
কিছু বদলায় না
শুধু বদলায় জোনাকির আনাগোনায় চির আবেদন।

আদিম কাব্য

আদিম কাব্য
.............. ঋষি
===================================
বিন্দাস একটা বন্যা
দুকূল ছাপানো নদীতে কেমন একটা আদুরে তৃষ্ণা।
দূরদূরান্তরে ঘর ভাঙে ,কুল ভাঙে ,ভাঙে মন
কারণ মাটি হৃদয়ে খুঁজে পাওয়া মাটির ঘ্রান।
মাটির গন্ধ
আর অবাক করা তোর চাহুনি একটা বিনিময়।

জানি আমি আদিম কোনো ইচ্ছা
আমার ইচ্ছেরা ভাদ্রমাসের গরমের মতো আদ্রতাপ্রবণ।
জানি আমি কোনো দখিন বাতাস
আমার স্পর্শরা না ভুলতে পাওয়া কোনো জংলী নদী।
নদীর কুল কুল শব্দে
তোকে আঁকড়ে ধরে যাতনা গভীর এই  বুকে।
অসংখ্য দাগ টানে
জানিস সেই সব দাগ পুরোনো কোনো আগুনের স্পর্শ।
তবু আমি এই প্রকৃতির সাথে বিলীন
কোনো আদিম কাব্য।

বিন্দাস একটা বন্যা
দুকূল ছাপানো চোখের পাতায় লুকোনো কাজলে প্রেম।
দূরদূরান্তে অসংখ্য কোনো আলোকপাত
আগামী শ্রাবনে কথা রইলো মাটির কাছে যাবার।
মাটির গন্ধ
আর  অবাক করা কথপোকথন সবুজের ফাঁকে।

গন্তব্যে আছি


গন্তব্যে আছি
........... ঋষি
============================================
এখন ছটা আঠারো
সন্ধ্যের শেষ লোকালটা অনেক্ষন পারি দিয়েছে গন্তব্যে।
বিচারকদের মতে আমি কোনো শেষ লাইনে থাকা জীবিত ও মৃত
আর বিচারাধীন আসামির মতো আমি স্টেশনের দরজায়।
অনেক্ষন বসে আছি হাজারো বাহানার ফাঁকে
কিন্তু আমার গন্তব্যের  শেষ লোকাল  চলে গেছে।

চশমার ফাঁকে আজকাল চেষ্টা করি নিজেকে বোঝবার
ঠিক কতটা স্পেস দরকার নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে।
হিসেবে নিকেশ করে জাবেদা খাতায়
অদ্ভুত অমিল।
এই যে আমি অনবরত চলন্তিকা তোমার ভাবনায়
এটা আসলে আমি নই.
আমার মতো কেউ
আমি তো আমার গন্তব্যে বসে লিখে চলেছি
আমার কবিতারা জানে মিথ্যে সে কথা।

এখন ছোট আঠারো
বাহারি চুলের ঝর্ণা ভেঙে এগিয়ে  এলো তোর চোখদুটো।
চলন্তিকা এই চোখে অনেকগুলো স্টেশন
আমি বেরিয়ে এসেছি অনেকবার।
কিন্তু কি জানিস আজও আমি স্টেশনে বসে
আগামীকালের কোনো ট্রেনের অপেক্ষায়। 

পরিচিত

পরিচিত
....... ঋষি
=======================================
যদি তোর ঠোঁট ছুঁয়ে এই সন্ধ্যায় কৃত্রিম আলোয় পাওয়া
তবে সেটা এই বুকে বেদনা।
তোকে একটা কালো ডুরে পাড় শাড়ি আর অন্ধকার কাজলে
বেশ একটা আলোর মতো লাগে।
ঠিক যেন ভোরের প্রথম কিরণের সাথে
আমার জীবিত সকাল।

অনেকটা সময় দাঁড়িয়ে তোর অপেক্ষায়
চলন্তিকা এই শহরে হাজারো ছোট ছোট কবিতারা জন্মায়।
আবার কিছু কিছু মরে যায়
কিন্তু পোট্রেটে রাখা কিছু সাদাকালো ছবি যেন ছবিঘর।
আস্ত একটা জীবন আমি দেখতে পাই
একটা বিশাল হলঘরে যদি সভ্যতা লুকোনো হয়  .
সেই সভ্যতার ভিতে অহল্যার চিৎকার
আমি ঠিক বুঝতে পারি মনে মনে।
সেই চিৎকারে কোনো হিংসা নেই ,নেই রাগ
আছে আকুতি
বাঁচার গভীরে যদি সত্যি বাঁচা যায়।

যদি তোর শরীরে গন্ধে এই মুহূর্তে আমার নেশা হয়
সেটা কোনো পাপ নয় ,পরিচয়।
পরিচিতরা জানে তোকে ঠিক রোমান কোনো ভাস্কর্যের নারী
কোনো স্থাপিত যাপনের পরিচয়ে।
কিন্তু আমি চিনি তোকে
আর জানি শিল্পীর যন্ত্রনা কিভাবে পাথর  খোদাই করে হয়। 

সেই ভদ্রলোক

সেই ভদ্রলোক
.......... ঋষি
========================================

নিদারুন কোনো শোক যদি আকাশ বেয়ে নামে
সেটা বৃষ্টি।
অথচ সেই পার্কে বসা ভদ্রলোক
আকাশের দিকে তাকিয়ে পাখির খোঁজে আছেন।
আজ এতগুলো বছর বদলালো
অথচ ভদ্রলোক আজ আকাশের দিকে  তাকিয়ে।

দু চারখান কেতাবি বয়স সকলের বাড়ে
অথচ ভদ্রলোক এখনো অপেক্ষায়।
দিনের প্রতিপাতায় লেখা থাকা আলোর জন্ম মৃত্যু জানে
বিজলি বাতির গভীরতা।
এই শহরে রাত হয়  না কখনো
শুধু অন্ধকার হয়।
ভদ্র লোক অন্ধকার হাতড়ান ,
হয়তো অন্ধকারে খুঁজতে থাকেন আকাশের পাখি।
সকলে তাকে পাগল বলে ডাকে
আমার মতে উনি পাগল বটে তবে মুক্তির।

নিদারুন কোনো শোক যদি আকাশ থেকে নামে
মাঝে মাঝে সেটা চোখের জল।
গতরাত্রে ভদ্রলোক  চলে গেলেন পাখির খোঁজে আরো গভীরে
কর্পোরেশনের মৃতবাহী যান পার্কার দরজায়।
আমিও দাঁড়িয়ে ভদ্রলোকের মতো কারোর অপেক্ষায়
হয়তো আমার চোখেও সেই পাগলামির খোঁজ। 

Tuesday, December 27, 2016

বদলানো সময়

বদলানো সময়
........... ঋষি
=================================
সেই মেয়েটাকে আমি আজও দেখতে পাই
তোর চোখের দিকে তাকিয়ে।
ইস্কুল ফেরত কোনো নীল আকাশের গায়ে ঘুড়ি
একটা স্বপ্ন।
সেই মেয়েটা কোনো কবিতার মতো তরতরিয়ে
একটা জংলী নদী।

সেই মেয়েটা আজও ঠাই দাঁড়িয়ে সেখানে
তার চোখের স্বপ্নে লুকোনো সেই খেলনা বাটি।
রোজরাত্রে যখন তারার দিকে তাকাই
দুচারটে তারাখসা রোজকার ব্যামো ,,এটাই তো বাস্তব।
কিন্তু মেয়েটা দাঁড়িয়ে থাকে
সেই চৌরাস্তার মোড়ে ফুচকার দোকানে।
মুখের ভিতর টক জল ,সদ্য ঝাল লাগা যন্ত্রনা
সেই ছেলেটা দেখছে
মেয়েটা মুচকি হাসি এক বুক জ্বালা।

সেই মেয়েটা আমি আজও দেখি
সেই চৌরাস্তার মোড়ে
আমি তার প্রেমিক নই,আমি সেই ছেলেটাও নই
আমি সময়।
আমি শুধু তাকিয়ে থাকি বদলানো আঙিনায়
না বদলানো মেয়েটার দিকে। 

Friday, December 23, 2016

নিয়মিত দেখা

নিয়মিত দেখা
............ ঋষি
============================================

বেশতো  দেখা হয় তোর আমার রোজ
সেই চেনা পাড়ার মোড়ে।
একলা দাঁড়ানো রৌদ্র আমারদের চেনে ,চেনে সেখানকার মাটি
আমি যেমন চিনি তোকে ,তোর গলার শব্দ আর বাউল বাতাসে।
 আজও চেনা রৌদ্র গা ঝাড়া দিয়ে ক্রমশ সরতে থাকে
শর্ত মতো রৌদ্র  একলা আসে আমার কাছে প্রতি রাতে।

আমার সারা শরীরে তখন রৌদ্রের তাপ
চেনা লোকেরা ভুল করে আমার জ্বর।
সময় বদলায় প্রতিদিন
তোর চেনা গলার স্বর ,তোর গভীর সে চোখ ,গভীর আহবান
আমাকে কাছে ডাকে ,খুব কাছে।
তারপর ঝুপ করে সব অন্ধকার
নিয়ম মতো আমি হাতড়াতে থাকি স্পর্শ।
তারপর কখন যেন সব শান্ত
ঘুম ভাঙে মুখের উপর আমার রৌদ্র।

নিয়ম করে সময় মতো রোজ দেখা হয় তোর আমার
আমার তোর ভাবনারা হাঁটতে থাকে  হাত ধরাধরি করে।
ডুবন্ত সূর্য র শেষ রাঙা আলো তেরছা হয়ে পরে  পৃথিবীর মাটিতে
 ছায়ারা আরো প্রলম্বিত হয় । আরো কিছুক্ষণ পরে ছায়ারাই থাকবে।
হারিয়ে যাবি তুই রোজকার মতো
কিন্তু ফিরে আসবি দেখা হওয়া তোর আমার।

ফিরে দেখা

ফিরে দেখা
.......... ঋষি
==============================================
অনেকগুলো দিন কি বলো
এমনভাবে কেটে যাওয়া পাখির পিছন ফিরে দেখা।
আমি জানি তুমি আসবে ফিরে ফিরে
আমার দৃষ্টিতে কোনো প্রেম নেই ,আছে ঘৃণা।
প্রেম তো সেদিন মরে গেলো
যেদিন আমি গলির মোড়ে একলা দাঁড়িয়ে তোমার প্রাক্তন প্রেমিকা।

বহুদিন কি বলো
মাঝে মাঝে আমার বুকে অসহ্য যন্ত্রনা ,আমার শিরায় শিরায় জমানো বিক্ষোভ।
তুমি উড়ে এসে বসো আমার নতুন বারান্দায়
জল চাও।
আমি এগিয়ে দি তোমার  তৃষ্ণা
কিন্তু এই পরিচয়ে আমার কোনো প্রেম থাকে না ,থাকে ঘৃণা।
কেন তাকাই ?
কারণ আমি যদি না দেখি তোমার দিকে
তোমার অমন সুন্দর রুপোলি পালক ,তোমার পরিচয় সব হারিয়ে যাবে।
তুমি আর পাখির মতো উড়তে পারবে না
আর আমি সেদিন তোমায় আরো ঘৃণা করবো তাই।

অনেকগুলো দিন কি বলো
এভাবে কেটে যাবে সময় পাখির আকাশে ওড়া নীল আকাশ।
আমি জানি আসবে ফিরে `তুমি বারংবার
কিন্তু আমার দৃষ্টিতে প্রেম পাবে না আর পাবে ঘৃণা।
আমিও তবুও তাকাবো তোমার দিকে
কারণ আমি জানি ,আমি না তাকালে তুমি মরে যাবে। 

এতটা জীবন

এতটা জীবন
....... ঋষি
==================================================
অনেক কিছু বলার আছে  আমার
তোকে বলছি।
আজ এতগুলো বছর কেটে যাওয়া সময়ের যোগফল
উনি মারা গেছেন আজ প্রায় তেত্রিশ বছর।
আমার বুকের ব্যাথাটা একইরকম আছে ,কমে বাড়ে
কিন্তু ভীষণ আপন ,আমি বিরক্ত হয় না আর।

সেদিন কোনো এক চৌদ্দ বছরের কন্যের বিয়ে হয়েছিল
হাজারো হৃদয়ের ভিড়ে আজ আমি এতগুলো বছর সেই লোকটার সাথে।
হয়তো আমার থেকে বড়ো ছিল তাই আমার ভয় করতো
ভুল করলে ধমক লাগাতো
আর অদ্ভুত কি জানিস আমাকে ভালোও বাসতো  কিন্তু আমি কি বাসতাম।

ভালোবাসার মানে বোঝার আগেই
আমি প্রথমবার মা হলাম তখন আমি পনেরো কি ষোলো।
কি হলো বুঝলাম না মারান্তক যন্ত্রনায় আমি অজ্ঞান হয়ে গেছিলাম
ঘুম ভাঙলো আমার কোলে ছেলে আর আমি মা।
আচ্ছা আমি কি বুঝেছিলাম সেদিন  মা হওয়ার মানে
তারপর তো আরো বার দুয়েক মা হলাম।


তখন আমি নাকি পাক্কা সংসারী
মা ,শ্বাশুড়ি বলতো এতটুকু মেয়ে কিন্তু কি সুন্দর সংসার করছে,
আচ্ছা তখন কি আমি সংসারের মানে বুঝতাম।
ঠিক সেই সময় উনি মারা গেলেন
আর আমি তখন থেকে নাকি সাদা শাড়ি ,নিয়ম রীতি ,বিধবা।

আচ্ছা আমি কি বুঝতাম সেইসময়  ছাই বিধবার মানে
আজ আমি বয়স্ক কোনো মহিলা ,কারোর ঠাকুমা ,কারোর মা ,আরো কত পরিচয়।
কেটে গেলো বুঝলে কি করে জানি না এতটা সময়
মাঝে মাঝে নিজেকে বড়ো অচেনা লাগে নিজের চেনা আয়নায়।
বারংবার প্রশ্ন করি আচ্ছা এটাই কি জীবন
কাউকে বলি নি শুধু তোকে বলছি আমি আজও জীবনের মানে বুঝি না।

তোর ঠোঁট

তোর ঠোঁট
............ ঋষি
==================================================
অগোছালো হঠাৎ দুপুর নিভে যাওয়া আলোয়
আমার শীত শীত করে।
বন্ধ জানলার কৃত্রিমতায় শহরে হঠাৎ ঝলমল করে ফুলেসেন্টের আদরে
আদর প্রিয় সময় আস্কারা দিয়ে শরীরের ওমে দোলা লাগে।
জীবন তুমি বাড়ি আছো ?
এক কাপ কফি আর তোর ঠোঁট।

মনে পরে যায়
লুকিয়ে পাওয়া আমার কোনো লুকোনো প্রেমিকার ঠোঁট।
আদরের ওমের সাথে জমে যাওয়া দৃশ্য বদল
মধুর এই রাত ,মধুর কিছু কথোপকথনে।
শীতের আদল
জানলার কাঁচের শার্শি ঠেলে সময়ের উত্তাপের আদুরে মুহূর্তরা।
শুনতে পাচ্ছো জীবন তুমি বাড়ি আছো ?
ভালোবাসার আসলে কোনো সময় হয় না ,কোনো ঋতু হয় না
শুধু মুহূর্তদের ভিড়
আর শীত আমাকে বারংবার তোকে ভালোবাসতে বাধ্য করে
এক কাপ কফি আর তোর ঠোঁট

অপেক্ষায় থাকি কুয়াশার নৌকোয় ফেরী পারাপার করে রাত,
তারার পাহারা শেষে আলো জ্বেলে ফুরোবে হঠাৎ।
ইচ্ছাদের কুইক মার্চে অসংখ্য ফটোফ্রেম ,অসংখ্য মুহূর্ত
আমার শীত শীত করে।
প্রিয় আদোরে বুকের কাছে জড়োসড়ো করা চাদর ঠিক যেন প্রেমিকা
আর জীবন সেই এক কাপ কফি  আর তোর ঠোঁট।

একলা রাস্তা

একলা রাস্তা
......... ঋষি
===========================================
ঝর্ণার মতো ঝরে পরে ভাবনারা
নীল আলোয় ছেয়ে যায় একটা জলজ্যান্ত দুপুর।
মানুষ নামক শব্দটার ব্যাকরণ খুঁজতে কাটতে থাকে সময়
তবু নিজেকে মানুষ ভাবা  হয়  না।
অন্ধকার কোনো কূপের ভিতর চলন্তিকা নিজেকে নামানো খুব সহজ
কিন্তু ভীষণ কঠিন জানো মানুষের মতো বাঁচা।

হয়তো ঈশ্বরের কাছে হাজারো পাপ আমার জমা আছে
জন্মের সাথে জুড়ে থাকা মৃত্যুর পরে আমি জানি না ঠিক কি থাকে।
কি থাকে মানুষের ভাবনায় ? ব্যস্ত চড়াই উতড়াইতে
চড়াই পাখির  মতো ছোট ছোট লাফে উঠতে থাকা বা গড়িয়ে পড়াতে
মানুষের মাথা ব্যাথা।
কিন্তু চলন্তিকা সত্যি বলো পথ চলতে কি সবুজ জরুরি নয়
তুমি বোলো চলন্তিকা একলা হাঁটতে তোমার কি খুব ভালো লাগে ?
জানো তো মানুষ ক্রমশ ভীষণ একা
কারণ মানুষ সবুজ ভুলে গেছে আর সকলের অন্ধকার কূপের ভিতর বসে।
লণ্ঠনের আলোয় ,
আলো কি শুধু কৃত্রিমতা ?

ঝর্ণার মতো ঝরে পরে ভাবনারা
নীল আলোয় ছেয়ে যায় অস্তিত্ব এই বিস্তীর্ণ পারাপারে।
মানুষ সম্পর্ক খোঁজে বাঁচতে চায় তাই
কিন্তু চলন্তিকা তুমি তো জানো সব সম্পর্কে বাঁচা যায় না।
বাঁচার জন্য মনের আনন্দ চায়
আর চায় আলো অন্ধকার চিরে এগিয়ে যাওয়া কোনো একলা রাস্তা।

মাটির মানুষ

মাটির মানুষ
.......... ঋষি
============================================

কে চেয়েছিল কবি হতে
এক মুঠো শান্তি পেলে চলে যেতাম এই শহর ছেড়ে।
পালাতেই তো চেয়েছি চিরকাল
নীল আকাশের মেঘের বন্দরে আমার এই হৃদয়ের কারবার।
চলে যেতে চাই বারংবার  খালি পায়ে
যেদিকে দুচোখ চায়।

চায়নি কখনো কংক্রিটের চারদেওয়াল
চায়নি কোনোদিন চাষ করতে শব্দের এই সাদা পাতায় রক্ত ক্ষরণ।
চলে যেতে চেয়েছি সবুজ নদীর ধরে
কোনো রুপোলি শস্যের মাটিতে নিজেকে মাটির মানুষ দেখতে।
চলে যেতে চেয়েছি
মাটির পোয়াতি আগুনে দুহাত বুলিয়ে মাটি মাখা কোনো পৌষে বাউল।
ভিজতে চেয়েছি কোনো অকাল শ্রাবনে
দুচোখে ভেসে গেছে বারংবার সেই সবুজ হৃদয় কোনো একলা সকাল।
তোমাকেও চেয়েছি সাথে চলন্তিকা
বারংবার
আমার হৃদয়ের পৌষের শীতল পাটি।

কে চেয়েছিল কবি হতে
এক মুঠো হৃদয়ের খোঁজে স্পর্শ পাগল আমি শহর ছাড়া।
শহরে কোনো গলিতে আমি স্বপ্ন দেখি সবুজ কোনো দিন
কোনো গ্রামীণ নদীর কাছে আমি একলা দাঁড়িয়ে।
হাওয়া লাগে ,দোল খায় ,রূপকথা কোনো নভেলের মায়া
আমি স্বপ্ন দেখি ভালো থাকার। 

Thursday, December 15, 2016

শব্দদের পাশে

শব্দদের পাশে
............. ঋষি
 ==========================================
হাজারো মানুষের ভিড়ে
যখনি তোমার দিকে তাকাই আমি আটকাই বারংবার।
চোখে কালো ফ্রেমের  চশমায় আটকানো কিছু নামান্তর
আমার কাছে প্রশ্ন।
তোমার লাল সাদা চুড়িদারের সাথে
আমি ঘুরে আসি বারংবার আমার ফেলে আসা প্রেমিকার কাছে।

আমি ছবি আঁকতে পারি না
তবু এঁকে ফেলি মাঝে মাঝে পথচলতি তোমার কবিতায়।
হঠাৎ খুঁজে পাওয়া মিল একচিলতে হাসি
আমি আটকে থাকি গোপনে কোনো নিদারুন অভিসারে।
সামনে পরে থাকা দিন ৩৬৫
লেগে থাকে তোমার খোঁজে হাজারো আশ্রয়।
শহর যখন নিজের মতন ঘুমিয়ে পরে
আমার কবিতার পাতায় তখন ক্লান্তি
আমিও ঘুমোয় তোমার সাথে শব্দদের পাশে নিয়ে।

হাজারো মানুষের ভিড়ে
পথচলতি চোখ আটকানো খোলা দরজায় সাতরঙা আলো।
পাতার পর পাতার জানে
সময়ের মতো আমিও কোনো অচেনা দূরত্বের সাক্ষী।
আমি আছি তুমি আছো তাই
এই কথা আজকাল কবিতায় বেশ ভালো মানায়।





ফসিলের নীরবতা

ফসিলের নীরবতা
... ঋষি
====================================
এমন যদি হয়
আমি অদ্ভুত ভাবে চেয়ে থাকি তোমার চোখের পাতায়।
স্নানের ঘরে তখন গভীর অনশন
জল গড়িয়ে পড়ছে ক্রমশ প্রকাশ্য।
আমি পাগল তখন, পাগল বাউল গ্রাম বাংলার সবুজে
শঙ্খচিল যদি আকাশে উড়ে যায়।

এমন যদি হয়
শুধু এক বিন্দু ছোঁয়ায় লেগে যেত কোনো সহজিয়া সুর।
আজীবন ধরে থাকা মুগ্ধতায় আমার হৃদয়ের কেবিনে
তখন সদ্য  বিঁধে থাকা যন্ত্রনা।
যন্ত্রণার খুব মিষ্টি চলন্তিকা
কেমন একটা তুমি ছুঁয়ে থাকো প্রকাশ্য সামাজিকতায়।
যদি  কোনো রঙ ছাড়াই একেকটা ছাপ জেগে থাকত মুখের ওপর
তখন তখন  জেব্রাক্রসিংএ থামতো না কোনো কোলাহল।
সমস্ত গভীরতা তখন শূন্য ছুঁয়ে যেতো
তোমার প্রিয় আকাশ নীল চাদরে তখন তোমাকে জড়িয়ে।


এমন যদি হয়
যদি তোমার বুকের উচ্চতায় পিরামিডের দর্শন ছুঁয়ে যায়.
অপার বিস্মিত কোনো পথচলতি যুবক মুগ্ধতায়
আমি তখন কয়েক হাত জমি মৃত্যুর কবলে ,
তোমার প্রেমে
ছুঁয়ে থাকা ,জড়িয়ে কোনো মৃত ফসিলের নীরবতা।

ইউক্যাল্পিটাস

ইউক্যাল্পিটাস
............. ঋষি
======================================
জানি মাঝে মধ্যে দোলা দেয়
সামনে ইউক্যাল্পিটাসের পাতায় মোড়া  রাস্তা
আসলে আমার নিজস্ব কোনো বাগান নেই
নেই কোনো ছেলেবেলার স্মৃতি ,মায়ায় ঢাকা উঠোন
তাই মাঝে মাঝে আমার এই রাস্তাকে মা মনে হয়
আর ফাঁকা রাস্তায় আমার জীবন এই গাছটা

আমার তেমন কোন অভাব বোধ ও নেই
শুধু মনে ভিতর একটা পাঁচিল দেওয়া বাগান ,স্বপ্নের সবুজ।
মাঝে মাঝে পাঁচিলে পায়রা এসে বসে
বাকুম বাকুম কত কথা আমার সারা বেলা ,সময়ের  ফাঁকে।
তারপর উড়ে চলে যায়
আমি জানি উড়ে যাবে ,আসলে উড়ে যেতে হয়।
তখন আমি আকাশ
আমার গভীর নীল চোখে তখন আমি কোনো ছেলেবেলার কাব্য।
আসলে সময়ের হয়ে মানুষ কখন থামতে শেখে নি
কারণ প্রতিটা  থেমে থাকা মৃত্যুর নামান্তর।

জানি মাঝে মধ্যে দোলা সামনে
সামনের এই ইউক্যাল্পিটাস গাছটাকে আমার জ্বালানি মনে হয়।
দাউ দাউ আগুন জ্বলে বুকে
এই উত্তরে শীতল হাওয়ায় সেই উত্তরে ওমে আমি স্থিমিত।
তাই মাঝে মাঝে আমার গাছটাকে হিংসা হয়
হয়তো তখন তার শুকনো পাতাগুলো আমার চোখ এড়িয়ে যায়।

জানলার শার্সি

জানলার  শার্সি
....... ঋষি
==============================================
বয়স পিছন ফিরে দেখে নি কোনোদিন
শুধু চলে গেছে সময়ের স্থবিরতায় কিছু স্মৃতি বুকে করে।
বুদবুদের এক কোণে এক বিন্দু  আলো আমার প্রতিসরণ জাগে
ভাবি অনর্থক আমি, আমার দৈনন্দিন  জীবন।
কত ব্যস্ততা  সারা বেলা
নিজেকে হারিয়ে ফেলি বারংবার সময়ের কাছে।

অযুত নিযুত জানলার  শার্সিতে
লুটিয়ে পড়া আজীবনের কোনো গভীর বাসনা।
পাকতে থাকা মাথার চুলে আজকাল একডজনের গল্প বলে
বুকের কাছে কাউকে জড়িয়ে বসি।
আমাকে পাগল করে নি কেউ কোনোদিন
আমাকে বলে নি কেউ আমি বেঁচে কারণ তুমি।
এই প্রশ্ন কোনো উত্তরে আসীন
উত্তর সব জানা।
আমার শেষ প্রেমিকা কোনো ঘন মুহূর্তে আমার গভীরে চুম্বন এঁকে আকাশে চাঁদ
কিন্তু আমি খুব সাধারণ আমি আকাশ হতে পারি না।

বয়স পিছন ফিরে দেখে নি কোনোদিন
শুধু বয়ে গেছে অসংখ্য মুখ ভাবনার দেওয়ালে রাখা হাজারো জানলা।
কেউ তো পাগলী  হয় নি আমার জন্য কোনোদিন
শুধু মেঘাচ্ছন্ন আলোয় রঙ চড়িয়ে চলে গেছে বুদবুদের অচেনা আলোকে।
আমি মিথ্যে বলতে পারি না দিনলিপি
শুধু নিজস্ব স্যিগনেচারে  মধ্য চল্লিশের কোনো অচেনা বালক। 

সে যে অবুঝ

সে যে অবুঝ
....... ঋষি
===========================================

বাড়ি থেকে বেরোই শুরু হয় সব অনন্ত নিস্তব্ধতা
কিন্তু বারংবার ফিরে আসি বাড়িতে।
প্রশ্রয় আর আশ্রয়ে বাড়তে থাকা হৃদপিণ্ডের স্পন্দনে আলোড়ন
আজ যদি বদলায়।
বদলাতে বদলাতে ডারউইন ছেড়ে আমরা রকেটে চড়েছি
কিন্তু বাঁচার নেশা। ..সে যে অবুঝ।

শুধু আয়নার সাথে মানুষের বিপ্লব
আমার মতো কিছু  পরিসংখ্যান আদতে তাই বলে।
এভাবে প্রতিটি ঘাস জীব জন্তু পতংগের কাছে আমি নীলাম হওয়া শরীর
আসলে  আদতে বাঁচতে থাকা জীবন।
পথদর্শন মর্গে মৃত ও জীবিত
হা ঈশ্বর।
সত্যি কি মানুষের মতন আমি আগুন জ্বালাতে পারি
সত্যি চাকা বানিয়ে আমি বাহবা কুড়াতে  পারি।
ঢাকতে পারি লজ্জা নিজের  স্বাধীনতা
হা ঈশ্বর।
 আমার নাগরিকত্ব আমাকে বন্ধন দিয়েছে
দিয়েছে বেঁচে থাকা প্রাচীন ফসিলের মতন।

বাড়ি থেকে বেরোই শুরু হয় সব অনন্ত নিস্তব্ধতা
পথচলতি মানুষের গুঞ্জনে তখন উত্তপ্ত খিদে আর মুনাফার লোভ।
আমি ভিড়ে মিশে থাকি
আশ্রয়ে ,প্রশ্রয়ে এই নাগরিক জীবন আমার সাদা পাতা।
আর কিছু ক্ষরিত রক্তে কয়েক ফোঁটা
আমার কবিতা।  

আলো

আলো
........ ঋষি
=============================================
দুচারটে পাথর হঠাৎ গড়িয়ে নামে বুকের থেকে
কি নাম দেবো।
জীবনের চলন্ত কিছু কেতাবি পরিচয় ,বরফট্টাই মানুষের পরিবেশন
বদহজম হয়
কি করবো নিজের এই সাময়িকী আবদারে।

কয়েকটা পাথর সোজা আছড়ে পরে
রুপোলি কোনো নদীতে।
নদীর জলে ছলাৎ ছলাৎ অথচ তৃষ্ণায় শুকিয়ে যায় ঠোঁটে
আমি সেই গ্রীষ্মের কাক ছোটবেলার প্রিয় গল্প।
জল বাড়ছে ক্রমশ
পাথর ডুবছে গভীরে কোনো হতাহত ,হাজারো শোক।
তৃষ্ণা ঝুঁকে পড়ছে ক্লান্তিতে
মাথা ছাড়া দিয়ে বুকের ফাটলে জমে থাকা বাঁচার দিনগুলি
আমার কাছে অজানা কবিতা।

দুচারটে পাথর গড়িয়ে নামে বুকে
অথচ আমি পাহাড় দেখেছি কোনো অন্ধকার রাত্রের চাঁদে।
অপরূপ ময় হৃদয়ের গভীরে বন্যা
আরো  আলো
এই তৃষ্ণা আজীবনের আসলে সবুজের খিদে। 

এক্সপায়ারি

এক্সপায়ারি
........ ঋষি
==================================================
সবকিছু পুরোনো হয়ে যায়
তাই বোধহয় আমার এক্সপায়ারি আজ নিদারুন শোকে।
সায়ন আমাকে চিনতে পারো
আমি তোমার স্ত্রী ,তোমার প্রেমিকা ,তোমার সন্তানের মা।
দিন  বদলেছে ,বদলেছে জীবনে পরে পাওয়া চোদ্দ আনা
তাই বোধহয় তুমি আজ টস করতে ব্যস্ত।

কি পড়লো সায়ন ?
কোনদিকে আমাকে রেখেছিলে হেড কিংবা টেলে ?
আমি কি জিতলাম
কি বললে হেরে গেলাম।
হাসি পায় জানো সায়ন  আমি তো হেরে গেছি  কবে
যেদিন তোমার প্যান্টের পকেটে পেয়েছিলাম নুন শোয়ের দুটো সিনেমার টিকিট
কিন্তু প্রশ্ন করি নি।
আসলে হয়তো মনে বিশ্বাস করেছিলাম।
আজ বলছি আমি তোমাকে বিশ্বাস করি না আর
আর বিশ্বাস করা যায় না
যেখানে প্রেম থাকে না সেখানে বিশ্বাস !

সব কিছু পুরোনো হয়ে গেছে
আমি ,এই সংসার ,আমাদের ভালোবাসা ,কিন্তু আমাদের সন্তান।
সায়ন কি করবে আমার বুবুনকে ?
আমি  না হয় এক্সপায়ার হলাম এই সময় , তুমি ভালো থেকো।
ঘুমের ওষুধ না খেলে তোমার ঘুম আসে না  রাত্রে ফেরার সময় কিনে এনো
ভালো থেকো সায়ন, আমি চললাম।

অনন্ত কোনো দিনে

অনন্ত কোনো দিনে
.............. ঋষি
================================================

তোমার ভিতর অনেকগুলো ঘর রাখা আছে
নাগরিক সভ্যতায়  বাস করা চলন্তিকা তুমি শুধু আবরণ।
অনন্ত কোনো দিনে
আমি ভাবতে পারি বৃষ্টির সাথে তাল মিলিয়ে তুমি নাচছো।
তোমার প্রতিটা মুদ্রায় ফুটে উঠছে তিমির রূপ
সমুদ্রের সাদা সফেন।

তোমাকে আমি নদীর মতো ভাবি যখনি
তখনি দেখি জোয়ার,
তারপর ক্রমশ প্রবল ইচ্ছা বুকে তুমি সমুদ্র হয়ে যাও।
আমি নিজের স্কেলিটন খুঁটিয়ে দেখি অজস্র ইচ্ছা একজীবনে
খোলা মাঠে একলা হাঁটলে ,কিংবা জীবনের বিভিন্ন মোড়ে
তুমি ছুঁয়ে যাও  শীতল হাওয়া।
অনেক ভাবে ভুলতে চেয়েছি তোমাকে চলন্তিকা
কিন্তু পারি নি সভ্যতা।
শুধু প্রতিটা জন্মকে সাক্ষী  রেখে আমি তোমার প্রেমে মুগ্ধ
আরো মুগ্ধ হয়েছি বারংবার
তোমার হৃদয়ের ঘরগুলো সব আমার ভাবনার আদিম রূপ
ক্রমশ জমতে  থাকা প্রাচীন বরফ।

তোমার ভিতর অনেকগুলো ঘর আছে চলন্তিকা
আমার জানতে ইচ্ছে হয় কি নাম দেব তোমায়।
অনন্ত কোনো ইচ্ছেকে  বুকে নিয়ে
আমার বারংবার মরতে ইচ্ছে হয় প্রেমে।
শুধু বিশ্বাস করো এই প্রেমে কোনো পাপ নেই
শুধু লেগে আমার রক্ত ফোঁটা।  

সুইসাইড

সুইসাইড
....... ঋষি
===================================================
জীবন নিয়ে যেখানেই দাঁড়াই  না কেন
একটা প্রসেসন ভিড় করে আসে,
মৃত্যু নাকি জীবনে সামিল কোনো উদ্ভ্রান্ত যাযাবর।
আজ অবধি কখনো কোনো সিনেমার সীনে আমি জীবন দেখিনি
কিছু টাকার বদলে কিনে নিয়েছি মুহূর্ত
কিন্তু মানুষ নিজেই তো মুহূতদের  জমানো ফসিল অন্তরে।

আজকাল যেখানেই যাই  না কেন
একটা সুইসাইড লেগে থাকে।
রাত্রে বিছানাটা আকাশের দিকে তাকিয়ে অন্ধকারে সিলিঙে কত স্বপ্ন
আমি জানি মানুষ  হয়ে চাঁদ ছোঁয়া যায় না ,
শুধু ঘুমিয়ে পড়া যায়
গভীর ঘুমে।
আমি জানি মানুষ আমি স্বপ্ন দেখতে পারি কিংবা নামাতে পারি  নিজেকে জানোয়ারের অধীন
কিন্তু খোলা আকাশের স্বাধীনতা
সে তো মানুষের সাজানো শহরে  বড়  বেশি বেমানান।


জীবন নিয়ে যেখানেই দাঁড়াই  না কেন
ফানুসের ভিড়।
আর সেই ফানুসের  ফাঁকে মুহূর্তরা সব বুদ্ বুদ্
আসে আর যায়।
কিন্তু আজ অবধি কোনো ম্যাজিকাল প্রয়াসে ,কোনোদিন
মানুষ মুহূর্তে ফিরতে পারে না ,শুধু বাঁচে। 

Sunday, December 11, 2016

আমার আকাশ

 আমার আকাশ
....... ঋষি
===============================================
কবিতা থেকে অনেক দূরে আমি
স্পর্শের কোনো অনুরণন আমাকে আন্দোলিত করে না।
আমি মেঘের কবিতা লিখি
কিন্তু কোনোদিন বৃষ্টি আমাকে ভেজাতে পারে না।
আমি বারংবার প্রেমে পড়ি
কিন্তু কেন যে আমাকে কোনো নারী স্পর্শ করে না।

আমার কোনো প্রাপ্তি যোগ নেই
যা আছে তা আমার পাশে চলতে মুখোশের আদিম মিছিল।
সেই মিছিলে সামিল আমিও
মৃত শরীর।
হিমালয়ের জমে থাকা বরফের হিম শীতল আদল আমাকে কাঁপায় বারংবার
জীবিত অবস্থান।
হাসতে হাসতে মানুষ খুন প্রবৃত্তি আমাকে কাঁদায় না
মুখের কোন লেগে থাকে ঈশ্বরের হাসি।
পথ চলতি মানুষের কাছে আমি আর পাঁচটা পরিচয়
কিন্তু আমার পরিচয় আমার কাছে
ফাঁকা বারান্দা থেকে খুঁজতে চাওয়া আমার আকাশ।

কবিতা থেকে অনেক দূরে আমি
প্রতিটা গন্তব্য এলিয়ে পড়া এলবাম অনেক কথা বলে যায়।
শস্যের ভিতে আজকাল শুকিয়ে যাওয়া সময়ের ফসল
ঘাস খায় সময়।
আর আমি
অজানা কবিতায় বাঁচতে চাওয়া মরফিন প্রতিদিন।

গর্ভবতী চাঁদ

গর্ভবতী চাঁদ
............. ঋষি
======================================
তোমার ছোঁয়ার বাসনায়
আকাশের চাঁদ তখন ভিজে কংসাবতী নদী।
আর নদীর জলে ছলাৎ ছলাৎ
ফিরে পাওয়া বাসনা নতুন জন্ম ,আরো জল।
যদি আমি ভিজে যায় সভ্যতা
তুমি আমার কংসাবতী হয়ো।

আজ থেকে বহুবছর আগে সেই খড়ি ওঠা গালে এপিঠ ওপিঠ
ভিজতে চাওয়া নেশা।
নেশা তো আজও হয় সময়ের পেগে কৃত্রিম যোগফল
আদরের চুমু আজ নিয়ম মাফিক দক্ষিনা।
হাত পাতা থাকে ,হাত পাতা আছে ,হাত পাতা থাকবে
সময়ের সফরে জীবন্ত ক্যানভাস।
তুলির রং কখন যেন মাইল ব্যাপী লাল রঙের স্বপ্ন
আর আকাশে তখন সঙ্গমের চাঁদ।

তোমাকে ছোঁয়ার বাসনায়
আকাশের চাঁদ যেন ভিজে কংসাবতী নদী।
আর নদীর গভীরে বাসনা
গর্ভবতী চাঁদ মানুষের কাছে পূর্ণিমা সেজে থাকে।
কিন্তু অমাবস্যা
নিজের ক্যানভাসে ছবি। 

ফেরৎ

ফেরৎ
........... ঋষি
==========================================
তোমার কাছে আমার অনেক কথা জমা আছে
ফেরৎ দেবে না ?
নিজস্ব কলমের জীবনে ঝরতে থাকা রক্ত
কখন শরীর ছেড়ে মন হয়ে যায়।
মন থেকে সংসার তারপর কতকিছু
ভাবনার বিচ্ছুরণ।

পাশা পাশি শুয়ে থাকা আমি তুমি আর মৃত্যু উপত্যকা
নেমে যাওয়া ঝড় জল আর মুখোশের মিছিল।
আণবিক চুক্তিতে ধ্বংস স্বাক্ষরিত
তবু যাপিত হয় বিশ্ব প্রকৃতি দিবস।
ঠিক যেন আসন্ন শীতকাল শুয়ে থাকা নগ্ন সময়ের যোগাযোগ
ঠান্ডা লাগবে।
সর্দি কাশি ধর্মী সামাজিক যোগাযোগে
আবার জীবন নিয়ন্ত্রিত।

তোমার কাছে আমার অনেক কথা জমা আছে
বিলুপ্তপ্রায় ইতিহাস।
নিয়মিত যোগাযোগ বাসর ঘরের প্রথম ছিদ্রে নির্দেশিকা জরুরী
কেউ কাউকে চিনবো না।
তবু ছুঁয়ে থাকবে সময়ের কলরবে অজস্র চিৎকার
রোজকার আমি আর তুমি। 

তারপর বিস্ফোরণ

তারপর বিস্ফোরণ
.......... ঋষি
============================================
আমি চেয়েছিলাম
তোমার  ভিতর আমার মতো কেউ আকাশ হয়ে যাক।
অনেকটা হাজারো রঙের ফানুসে স্বপ্নের মতন
আমার মতো  কেউ গুঁড়ো গুঁড়ো বারুদের কাঁচ।
তারপর বিস্ফোরণ
ভেজা ঠোঁটে লেগে থাকা ন্যাকা স্যাকারিন।

তোমার হাতের নেলপালিশ লাল রক্ত লাগুক
আমার মতন তোমার চোখে অর্জুনের লক্ষ্যভেদ বিদর্ভের মাছ।
আজ আর কৃষ্ণ দাঁড়াবে না
লুন্ঠিত যৌবন না আর ফিরবে না।
শুধু ফিরে আসবে এই বিকেলে শুকিয়ে যাওয়া রৌদ্রের মতো জানলার কাঁচ
আর এক কাপ চা।
তোমার ঠোঁটে ভিজে নোনতা চিলি সস
খুব জমবে আমি তুমি আর টুংটাং স্বপ্ন
অনেকটা স্বপ্ন বাজে জলতরঙ্গ।

আমি চেয়েছিলাম
তোমার ভিতর আমার মতো কেউ আকাশ হয়ে যাক।
ঘরের ঘুলঘুলি দিয়ে ঢুকে আসুক উষ্ণ স্নায়ুরস
মেঘ ভিজুক বৃষ্টিতে।
যেদিন তোমার ঠোঁট ছুঁয়ে আমার বুঝতে পারা
একা থাকা।

জলরঙের ছবি

জলরঙের ছবি
........... ঋষি
===========================================
যা দেখি সেটা সম্ভাবনা
নিজস্ব জলরঙের ছবিতে সাতরঙা রামধনু।
আমার সহজ প্রশ্ন
সভ্যতার বনসাইতে পরে থাকা বিষন্নতা কিসের।
মানুষ এত কাঁদছে কেন ?
সম্ভাবনা।

সন্ধ্যে আসে, আসে ঘরের ভেতর থেকে যাওয়া মিথ্যে উঠে পড়া
যাওয়ার পাশে অনেক বিবাদের গভীর সঙ্গম।
খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়
কেমনে হৃদয়কুলে উলুখাগড়ার বনে আগুন লাগে।
আর তারপর স্বরলিপি
দিনকাটে ঠিক যেমন কেটে যায়।
এইসব ভাষান্তর সিন্ধু সভ্যতার প্রাচীন গুহায় প্রথম কথোপকথন
মানুষের দেওয়ালে ছবি।
মানুষ নিজে আজ জলছবি আর ক্রমশ প্রকাশ
দূষিত ভাবনা।

যা দেখি সেটা সম্ভাবনা
নিজস্ব মানবিকতার সাথে রাষ্ট্র ,সমাজ ,মতান্তর।
মানুষের বিস্মৃত ভাবনায় একসাথে গলা জড়ানো ভয়
সভ্যতা আজ লজ্জাবতী লতা।
মানুষ সেই গাছটা
যে ঋতুর সাথে অলিখিত অঙ্কুরোদম।

গন্তব্য

গন্তব্য
........... ঋষি
===============================================
জীবনটা অনেকদূর নিয়ে এসেছি
মনে পরে সিকিমের ডেড পয়েন্টে কোনো এক আয়োজন।
আমার তোমার চোখের পাতায়
অজানা টুরিস্টের নিয়ন্ত্রিত আমন্ত্রণ।
আর আজ
আলোড়ন শুধু বুকের মাঝে কেমন নক্ষত্র ধরার লোভ।

নানারকমের আড়াল বাহির সরু মোটা ঋজু খাটো হবার পর
প্রসংগত সময় বদলে গেলে ছুঁড়ে ফেলাটাই শ্রেয় হয়ে যায়।
পুরোনো ফটো এলবামে আজকাল মায়া লেগে থাকে
তুমি জানো আমার শেষ সেলফিতে প্রায় দুশো লাইক আর একচল্লিশটা কম্যান্ড।
কিছু এসে যায় না
এত দূর চলে আসার পর মাথার অর্ধেক পাকা চুলে।
নিজেকে বড় অচেনা লাগে
চোখের সামনে তিরতির বয়ে যাওয়া তিস্তা।
তোমাকে ডেকেছি বহুবার
কিন্তু কোনো ভ্রাম্যমান টুরিস্টের ডাকে তুমি ঘরছাড়া
না হতে পারে না।

জীবনটা অনেকদূর নিয়ে এসেছি
শীতের আলতো চাদরে খুঁজে পাওয়া ওম নিজের প্রশ্রয়।
বারান্দার ঝুলে থাকা ক্যাক্টাসটা আজকাল অন্যমনস্ক
অজস্র রাস্তায় আমি তুমি দুজনে টুরিস্ট।
কিন্তু গন্তব্য
সেটা নিজের কাছে বাঁচতে চাওয়া।

মানুষের মুখ

মানুষের মুখ
.............. ঋষি
=========================================
এই ব্যস্ত শহরে তোমার আমার মুখ
সদা ব্যস্ত কবিতা নয়।
আমি কার কথা ভাবি, কার কথা লিখি
সেটা শুধু কল্পনা।
কিন্তু মানসিকতায় মানুষের আঁশটে গন্ধ
আর পাশের বাড়ির দড়িতে দেওয়া শুকোতে চাওয়া ব্রা।

সব কাজের শেষে বেলা শেষ হয়ে গেলে
একঘেয়ে হয়ে যায় সব।
তখন হৃদয়ের কার্নিশে জন্মানো সব প্রাচীন পর্ব
বাঁচার জন্য আরো অক্সিজেন চায়.
তখন নিজের রাইটিং ডেস্কে বসে  অন্তরঙ্গ টাইমটেবিল
আমার কবিতার পাতায় এক বস্তা ভাবনা।
চলতে থাকে আর চলে যায়
পৃথিবীতে কিছুই আনডিলিটেড  নয় কিন্তু কিছু অভ্যন্তরীন আনডিলিটেড।
ভাবনার মোচড়ে ,ওয়ানের গ্লাসে তখন নেশা
আর রিডিং ল্যাম্পের তলায়
ছায়া ছায়া আরো অস্থির আমার কবিতা।

এই ব্যস্ত শহরে তোমার আমার মুখ
সদা ব্যস্ত দিনগুলো ভিখিরী।
আমরা সবার কাছ থেকেই চলে যাই
এমনকি আমরা আমাদের কাছ থেকেও চলে যাই অনেক দূর।
কিন্তু মানুষের মানসিকতা বদলায় না
বদলায় শুধু মানুষের মুখ।

কাঁচ ভাঙার শব্দ

কাঁচ ভাঙার শব্দ
.......... ঋষি
============================================
আমি আমার থেকে বেরিয়ে
চেয়ে দেখি সামনে দাঁড়িয়ে তুমি আমারি মতো।
সকলের অগোচরে আমার কৃত্রিমতা ভেঙে দিয়ে খুঁজে নেওয়া মুক্তি
আমার তুমি চলন্তিকা ।
অশেষ যত্নে একটার পরে আরেকটা সাজিয়ে তৈরি করো স্বপ্নের রংমহল
আমার অন্তরে অতি গভীরে।

কাঁচের মেজাজে শব্দেরা এগিয়ে আসে নিস্তব্ধে
কুয়াশা ভেজানো আঁচলে ছুঁয়ে যায় আমার আমিকে তোমার অন্তরে
আমি ভুলে যায় বারংবার আমি কে
আমি ভুলে যায় পরিচয় এই আপাদমস্তক ভদ্র মানসিকতায়।
চমকে উঠি শীতল স্পর্শ
ভুলে যায় আমি জীবিত আমার পরিচয়।
সেইভাবে আমি নিজেকে সংযত করতে থাকি নাগরিক প্রচেষ্টায়
নদীর বাঁধ ভাঙতে চায়
উত্তাল ঢেউ আমাকে নিয়ে ফেলে মাঝদরিয়া।

আমি আমার থেকে বেরিয়ে
চেয়ে দেখি আমার মুখ তোমার আয়নায়।
নদীর মিষ্টি  জল ,অগাধ বিশ্বাস ,বুকে মাটি ধরে
ছোট কোনো দ্বীপ।
আর যত্নে জ্বালানো প্রদীপের পুড়তে থাকা সলতে
আমি ডুবে যায় নিজের ভিতর কাঁচ ভাঙার শব্দে। 

জীবন বোধ

জীবন বোধ
............ ঋষি
=========================================
চারিদিকে এত যুদ্ধ
আমাকে নিয়ে চলো একটু নিস্তব্ধতায় ছন্দের মাঝখানে।
এই শহরে স্ক্যাই স্ক্যাপারের ফাঁকে অজস্র যন্ত্রনা নিয়মকানুন
কিন্তু এই শহরের ভালোবাসার বাসা নেই।
তাইতো আমি যেতে চাই কোনো আদিম নদীর অন্তরে
এক আঁচলা শীতল জল যুদ্ধের ক্লান্তি ধোওয়া।

চলে এসো আমরা কবিতা মতো
সূর্য সকালে চেপে বসি কোনো নাগরিক ট্রামে।
মুখোমুখো আমি তুমি আর জীবন জপমালা
ট্রাম চলছে।
পিছনে সরে যাচ্ছে ফেলে আসা সময়ের অন্তরের কলহ
চলো শুরু করি কথপোকথন।
আমি প্রশ্ন তুমি উত্তর তার আমি  উত্তর তুমি প্রশ্ন
কোনো পাশ ফেল নেই ,নেই কোনো অতীত
শুধু বয়ে চলা।

তারপর আবার যুদ্ধ
কথা কাটাকাটি ,নিয়ম ,আচার বিচার আর প্রহসন।
ট্রাম থেমে যাবে মাঝরাস্তায় একে ওপরের বুকের উপর
আলাদা ট্রাম লাইনে নিয়মের বাস।
আচ্ছা চলন্তিকা সেই কি আমাদের গন্তব্য
না সেখানে শুরু জীবন বোধের প্রথম পাঠ।

Friday, December 2, 2016

ততক্ষন

ততক্ষন
....... ঋষি
======================================
ততক্ষনের নাড়াচাড়া
তাতেই মুক্তি কোনো সবুজের শহর
মারাত্নক উষ্ণতায় ঢল নামে পাহাড়ি উপত্যকায়
তারপর জঙ্গলে দাবানল
জ্বলে যায় বুক ,জ্বলে সময় ,আর হৃদয়
আর তখন শহরে সদ্য নামা গোধূলি

পাথরের গায়ে জলের ছন্দ
শিলাজিৎ কোনো প্রাচীন ফসিলের মতো চাওয়া পাওয়া
তারপর
আবার সেই সাময়িকী
পোশাকি আদলে  বাক্সবন্দী হৃদয় ছড়ানো ছেটানো
হৃদয় হীন শহরের হৃদয়ের কেনা বেচা
কোনো স্পর্শহীন আব্দারের ক্রনিকল প্রসেস
রসায়নগারে উদ্বৃত্ত জীবন
আরো বেশি আমিষ

ততক্ষনের নাড়াচাড়া
তোর বুকের খাঁজে লুকোনো লাল তিলটা আকাশের সূর্য
মারাত্নক উষ্ণতায় মিশে যাওয়া ঘাম
জিভের ডগায়
বড় নোনতা লাগে জানিস ভিজের ঠোঁটের স্পর্শ

আর শহরে তখন পিনড্রপ অন্ধকার

অমৃতা দি

অমৃতা দি
........... ঋষি
==========================================
অমৃতা দি তখন ব্যথরুমে
বয়সের হিসেবে তখন আমি সদ্য সবুজ চারা
অংক  করাতে করাতে অমৃতা দি  যখন হাসে
চারপাশে তখন পাগল পাড়া
বাইরে দিয়ে আমি শুনতে পাচ্ছি অবিশ্রান্ত জলের ফোঁটাগুলো
আর ভিজছি ভিতরে

ওই বয়সে প্রেম কি ?
সেটা নিয়ে যত নাড়াচাড়া লুকিয়ে পড়া বড়োদের গল্প উপন্যাসের পাতায়
স্বপ্নে ভাসতো অমৃতা দি
সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজেকে বড় অপ্রস্তুত লাগতো
সদ্য তখন হঠাৎ গজানো গোঁফ,ভাঙতে থাকা গলা
ইশ বিশ্রী আমি
আর অমৃতাদি রূপসী রাজকন্যা
পড়ার ফাঁকে আড়চোখে মেপে চলা কোনো অজানা জগৎ
হা ঈশ্বর ,তখন মুক্তি

অমৃতা দি তখন ব্যথরুমে
হঠাৎ বাথরুম দরজা খুলে দিদি আমার কানে ফিসফিস বলে গেলো,
এই ঠিক করে অংকটা দেখ ,ভুল হলে কান মুলে দেব
ঘুম ভেঙে গেলো ,চোখ খুলে
অমৃতাদির সুইসাইড নোট পুলিশের কাছে

এই মৃত্যুর কারণ প্রেম তুমি চিরকাল আসামী

চোখের কবিতা

চোখের কবিতা
........ ঋষি
=======================================
তোর চোখ  দেখে চিনে নেবো
আগামী জন্মে মৃত্যু
নাগরিক জীবনে চাহিদার বাতাসে নতুন সংস্করণ
মুখোশ
কিন্তু জানিস তো মুখোশ দিয়ে চেহারা বদলানো যায়
কিন্তু মন সেতো একটা নগর

কোনো প্রত্যন্ত গ্রামের বাসস্ট্যান্ড
সকালের কেনা বেচা ভিড়ের মাঝে অজস্র জনমানবিক আখড়া
বাস এসে দাঁড়ালো
তারপর
শূন্যস্থান দীর্ঘ্যজীবী হোক
মানুষের নগর পত্তনের পিছনে একটা ভীষণ কারণ ভালো থাকা
মানুষ ভালো থাকতে চায়
কিন্তু মৃত্যু কখনো ভেবে দেখেছিস তোর চশমা লাগানো চোখের পিছনে
কিছু একটা শূন্যস্থান থেকে গেলো চিরকাল
সময় এলো ,চলে গেলো ,যাবে স্বাবাভিক
কিন্তু তুই চোখ বদলাবি কি  করে ?
.
তোর চোখ  দেখে চিনে নেবো
আগামী জন্মে মৃত্যু
তখন সেই নাগরিক চাহিদায় হয়তো কৃত্রিম সূর্য
মুখোশ
কিন্তু জানিস তো আমি তোর চোখ দেখতে ভালোবাসি

তুই চোখ লুকোবি কি করে ?

মধ্যবর্তী

একটা বিস্ফোরণ দরকার ছিল  দরকার ছিল একটা সীমা ছাড়ানো চিৎকারের  তোমার বুকের কাপড় সরে গেছে ,আমি রয়ে গেছি মধ্যবর্তী  তোমার নাভির থেকে দাগগুলো যদ...