Wednesday, October 31, 2018

ঈশ্বর কণা

ঈশ্বর কণা
...... ঋষি
====================================================
জীবনভর বিশ্বাস করেছি
তুমি আছো সমুদ্রের প্রতি বুদ্বুদে।
মানুষ শব্দের পৃথিবীতে তুমি আছো ঈশ্বর কণা
ঠিক যেন সমস্ত জগৎ।
হঠাৎ শেষ মূহুর্তের পিঠ থেকে যাওয়া উপলব্ধি
তুমি আছো তাই।
.
তুমি আছো তাই আলো অন্ধকার
তুমি আছো তাই জোনাকি হৃদয়ে ছুঁয়ে থাকা আলোর লোভ।
ভীত ,সন্ত্রস্ত মানুষের হৃদয়
সর্বদা তোমার প্রাসাদে মাথা নিচু করেছে ,প্রণাম করেছে ভক্তিতে।
সময়ের ইতিহাসে আমার বিশ্বাস তুমি ছিলে
শুধু মানুষের মনে।
কিন্তু আজ কোথাও ভীষণ গন্ডগোল
জানতে ইচ্ছে করে তুমি কোথায় ?
.
ভোপালে একটা তিন বছরের মেয়ে ধর্ষিত হয়ে যায় 
একজন সাত বছরের বৃদ্ধা ধর্ষিত হয় বৃদ্ধাশ্রমে কলকাতায় ।
তামিলনাড়ুতে অকারণে বৃষ্টিতে প্রাণ যায় তেরোশো লোকে
বাংলাদেশে ধর্মের নামে গুলিতে প্রাণ যায় একজন একুশ বছরের যুবকের।
রাজনীতির আঙিনায় বাড়তে থাকা  জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি
সারা পৃথিবী জুড়ে বাড়তে থাকা আবহ বিভ্রাট।
ভাইয়ের হাতে ভাই খুন হয় এইসময়
নিজের বিবাহিত স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা করে মানুষ নাম বুদ্ধিমান।
.
সত্যি আর বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে না মোটেও
তুমি আছো।
মানুষ শব্দের মানহানিতে, মানবিক বিকার ,ক্রোধ ,ধ্বংস
মনে হয় না তুমি আছো।
তবু কেন জানি হঠাৎ কোনো শিশুর হাসিতে ,ফুটতে থাকা ফুলে
আমি তোমায় দেখি ,মনে হয় এই তো তুমি।

Friday, October 26, 2018

প্রশ্রয়

প্রশ্রয়
............. ঋষি
=========================================
ভিতর ভিতর ভীষণ তুই
এক ভীষণ যুদ্ধ নিজের সাথে ,সময়ের সাথে।
সময় আঁকড়ে ধরি
যুদ্ধ যেন সম্পর্ক খুঁজে চলা দূরে কোথাও কিলোমিটারে।
হৃদয়ের বারান্দার ভাঙা কড়িকাঠ ,ভাঙা ঘর
চাঁদ উঁকি মারে মাঝ রাতে।
.
ভুল করে ঘুমিয়ে পড়া
স্বপ্নের আদর ফুটিয়ে বেরিয়ে আসে মধ্যপথ।
বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি: ধম্মং শরণং গচ্ছামি: সঙ্ঘং শরণং গচ্ছামি
আর তারপর ধর্ম থেকে যায়।
বেঁচে থাকে দৈনন্দিন ধুলোমাখা পটল ,ঝিঙে আর হাঁড়ি
কিন্তু নিজের সাথে যুদ্ধ প্রত্যহ।
ভুল করে ঘুমিয়ে পড়া স্বপ্ন আলতো স্পর্শ করে
আর তখনি আলোড়ন বেড়ে যায় পারদে হৃদপিন্ড।
এ কোন ভিন রাজ্যে থেকে ঘরের শোক
এ যেন সম্পর্কের ফাঁকে থাকা বাঁচা সম্পর্ক।
আজব ইতিহাস
স্পর্শ করলেই শুধুই রক্তক্ষরণ।
.
ভিতর ভিতর বাড়তে থাকা তুই
ব্যস্ত পৃথিবীর দরবারে রিমেকি ককটেল ,,,ব্যস্ত সবাই।
when we no time for each other
তবু ভিতরে তুই ,বাঁচা  তুই ,আঁকড়ানো তুই।
পৃথিবীর কোন কোণে  একলা সময়ে গিয়ে বসি
হাতঘড়ি থেমে যায়। 

উন্মাদ

If  I am in love
If  I am still alive
Then why nobody stand beside me
then why time is only stand beside dark
.
আবেশ খুঁজছে ,খুঁজছে চিরন্তন কোনো আয়নায়
আচ্ছা সময় কি শুধু নিরন্তন।
বহুবার প্রশ্ন করেছি নিজেকে প্রেম কেন উন্মাদ করে না আমায়
আমি শুধু কাগজে কলমে রক্তবীজ বুনি।
ঘুরে বেড়াই ব্যর্থতার  চারিপাশে
আর আমার চারপাশে আগাছার মতো বাড়তে থাকে সময়ের নির্জনতা।
.


অদ্ভুত ফলাফল
চোখের সামনে দিয়ে সরে যাচ্ছে শতাব্দী ,সরছে শহর
শুধু পড়ন্ত বেলার শীতে উষ্ণ কফি ঠোঁট।
পুরোনো শহর থেকে এগিয়ে যাওয়া অন্ধকারের অলিগলি
প্রত্যন্ত কোনো নোংরা বস্তিতে হাত  বাড়ানো মাতৃত্ব।
লোভ হয়
অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়ার ,মিশে যাওয়ার সেই পতিতা পল্লীর মাটিতে
যাকে উদ্ধার করে সভ্য সমাজের উৎকর্ষতা।
জানতে ইচ্ছে হয় সেই পৌরাণিক তত্ব
জীবনের ভ্রূণে বাড়তে থাকা সত্য
আমি তো বেঁচে।
.
আবেশ খুঁজছে ,খুঁজছে বাড়ানো হাত
আসলে সারাজীবনেও আমি প্রাণ খুলে হাসতে পারলাম না।
বহুবার প্রশ্ন করেছি নিজেকে সময় কেন মৃত্যু দেয় না এইবার
আমি শুধু মৃত ফসিলে নিজের গন্ধ খুঁজি।
ঘুরে বেড়াই আলোর খোঁজে অন্ধকারে
কিন্তু অন্ধকার যে রক্তচোষা কোনো নির্জনতা।
.
..... ঋষি
==================================================

অপ্রতিম

অপ্রতিম
........... ঋষি
========================================
জানি  দেখা হবে না
হবে না সমুদ্রের বুকে খুঁজে পাওয়া মুক্তোর স্বপ্ন।
তাই বলে একা  হবো না ,,,,,,,তা হয়
শুধু সমুদ্রের বালিতে মুখ গুঁজে খোঁজা তোর বুকের ঘাম।
তারপর দূরে নিরুদ্দেশে
অনেকটা আয়োডিন মেশানো শেষ বিকেলের আলো।
.
জানি চিঠিপত্র আসবে না
হয়তো কথা শেষ হয়ে সময় তখন সময়ে লুকোনো শোক।
তাই বলে একা  হবো না
বারান্দায় দাঁড়িয়ে তোর পাশে ধরবো না আকাশের সূর্যকে।
পুড়বো না নিজের আগুনে
শুধু জ্বর ,শুধু আবিষ্কার ,আর কোপার্নিকাস মৃত দূরবীনে।
জানি চোখ ভর্তি জল
সমুদ্র সফেনে ভুলতে চাওয়া জীবনানন্দ ,
তবু একা
আকাশের চাঁদ ,সে তো কবেই সমুদ্রের আয়নায়।
ভূত আর ভবিষ্যৎ সবটাই প্রেমিকার মতো
আসলে আমার ঠোঁটে জ্বলন্ত কিছু অপ্রতিম।
.
জানি না একা হবো কিনা
আর কত একা যেখানে পথের পরে পথ শুধু প্রাসঙ্গিক।
হাঁটছি সমুদ্র প্রাসঙ্গিকতায়
আকাশের নক্ষত্রে পা দিয়ে খুঁজছি তোর লুকোনো ডাইরি।
যে হাসতে পারে আমার বুকে মাথা রেখে
কিন্তু একা নয় আমায় ছাড়া।

রোজনামচা

রোজনামচা
..........ঋষি
======================================


পড়ন্ত প্রটোকল  টাইপ বিকেলের রোদ
তোর উদ্দেশ্যে যাত্রা করছি পথ কই ? খুঁজছি।
দেখি বিকেলের ঘর ফেরা পাখি
তোর ঠিকানায়।



এখনো আত্মহত্যা করি নি
শুধু খবরের পাতায় রোজ রোজ আমি মরে যাই।
আর তারপর মিশরের বালিতে ক্লিওপেট্রা আসে
চুমু খায় ,,,,ঘুম ভাঙে বুঝি এই ভাবে।



তুই  আমার আদর করছিস স্বপ্নে দেখলাম
নভম্বরের প্রায় শুরু ,,শহর ছুঁয়ে উত্তরের হিমালয়।
আমি বরফ হতে চাই
আর তারপর হয়তো সমুদ্রে মিশে জল।



একলা হাঁটছি ব্যস্ত শহরের মাটিতে আজকাল দুর্গন্ধ
ভাবছি শহরটা কিনে নেব।
নিজের মতো একটা শহর বানাবো তোর বুকের গভীরে
কিন্তু এমন করে শহর কেনা যায় না।



সন্ধ্যের ডানায় পা দিয়ে আমি মরে  যাচ্ছি
আমি ভাসছি তোর শহরের পড়ন্ত রোদের সাথে।
শাঁখ বাজছে ,তুলসী পাতায় ভিজে তুই
আর আমি চিরকাল লুকোনো অন্ধকার।



আসলে সত্যগুলো ছুঁয়ে গেলে আমি ধ্বংস হয়ে যায়
দূরে ঝুলন্ত পিরামিড বেজে ওঠে সময়ের শব্দ।
আর নিভন্ত মোমের প্রদীপ
আমার শহরে শবযাত্রায়  রোজনামচায়। 

যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো

যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো
.......ঋষি
================================================
শরতের রোদ বেখেয়ালে উবরে নেয় আমাকে
নিজের মাটিতে তখন শুধু কাদা।
একটা বিষাদী মুখোশ পরে মেঘ
এক অনর্গল  বীভৎস সময়ের দরজায়  স্বার্থ মানুষ মিছিল করে।
আর কিছু ভালো লাগে না আমার
শুনতে পাই  দিন শেষের কাব্যে সময়ের পেরেক ঠোঁকার শব্দ।
.
মনে হয় আর চাইনা কোনো কবিতা রৌদ্র
অন্ধকার বেশ।
মুছে দিতে ইচ্ছে করে  আমার প্রাক্তন আতাপাতা
সময়ের দুর্বলতায় দুরারোগ্য সময়, বয়স, আয়ু। .
নিজের গভীরে  প্রিয়  কবি তখন চিৎকার করে
" যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো "।
চারিদিকে দুঃসহ কোলাহল,
অধিকার বোধ
চলন্তিকা ঠিক কতদিন আমাদের হারানো সময়  .......  ।
তোর হাতে স্প্যানিশ টান,
আমার নেভিকাট পোড়ানো ঠোঁটে জ্বলন্ত তুই ,
কবিতার পাতায় শুধু অনন্ত প্রেম।
.
শরতের রোদ সরতে থাকা হিমেল বিকেল
নিজের বেখেয়ালে নির্ভরশীল পাগলপন।
কিছুটা বিষাদ আমার আঙ্গিকে শহর জুড়ে কার্বনের কালো ছোপ
" এত কালো মেখেছি দু হাতে এত কাল ধরে "।
শুধু নির্ভরশীলতায় ,শুধু আঙ্গিকে ,শুধু অন্ধকারে
"ভাবছি, ঘুরে দাঁড়ানোই ভাল "।
.
(শ্রদ্ধার্ঘ্য আমার প্রিয় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় কে " যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো " ।

অর্কিড

অর্কিড
.... ঋষি
=====================================================
জানিস  তো হঠাৎ বৃষ্টি সেদিন আমার হৃদয়ে
 ,,অকাল বর্ষণ।
শহরের শুকনো মাটি তখন  চঞ্চল তৃষ্ণায়
উৎসব মুখরতায়।
হঠাৎ নিজের মনে হলো
এই সুযোগ ,,,এইবার অর্কিড হয়ে যাই।
.
বৃষ্টিহীন পৃথিবীতে SPF লাগিয়ে লাভ কি
লাভ কি ছাদের  খোঁজে।
বরং ইচ্ছে হলো তোর হাত ধরে কোনো একলা বারান্দার টবে অর্কিড হবার
আর তো পালক পালক খেলে লাভ নেই।
কারণ শহরের শরীরে লেগে আছে অতৃপ্তির স্বেদ
এই সুযোগ অর্কিড হবার।
মরু খোঁজে সমুদ্র দেখার লোভ
লোভ বৃষ্টি গড়িয়ে নামা তোর বুকের উষ্ণতায় মুখ রাখার।
তোর ঠোঁটে জিভ ঠেকিয়ে চুষে নেওয়া
বৃষ্টির উষ্ণতা।
........... সম্ভব। ...সম্ভব।
...................................... কি অসম্ভব।
.
জানিস এমন হঠাৎ হঠাৎ পাগলাটে চোখ
তোর শহর চিরে দেখে ফেলে তোর লুকোনো বৃষ্টি ছাট।
সময়  কোন এক অস্থির বারন্দায় দাঁড়িয়ে উৎসব খোঁজে
খোঁজে অনর্গল তোর বুকের ধুকপুকানি।
আর তখনি আমার অর্কিড হতে ইচ্ছে হয়
অসময়ের কাঁটা গায়ে মেখে।


লম্পট প্রেমিক

লম্পট প্রেমিক
........... ঋষি
========================================
তুমি বলো কবি হতে গেলে প্রেমিক হতে হয়
হতে হয় অন্ধকারের শব্দের ঈশ্বর।
তুমি বলো নিয়মিত দিন ফুরোলে আমি অন্ধকার হাতড়ায়
হাতড়ায় মানুষের লুকোনো যন্ত্রণার শব্দকোষ।
তুমি বলো আমার শব্দরা সব কালো ভ্রমর
যা শুধু তোমার কাজলে মানায়।
.
অথচ জানো আমি বড় বোকা
আমি বারংবার ভুল করি রমণী আর ফুলের তফাতে।
ব্যালকনি থেকে পোড়া চোখে ঠিক দেখি
প্রতিবেশী নারীর নরম শরীর।
রৌদ্রে লুকোনো ওম শীতের মাদুর লেপটে
আমাকে মুগ্ধ করে।
আমি লিখতে থাকি অসামাজিক প্রেম
আমি লিখত থাকি অনিয়মিত কিছু প্রেমের কবিতা।
রিকশায় চলে যাওয়া যুবতী ঢেউ তোলে শরীরে
আমার কলমের বাঁধ ভাঙে যেন শব্দের বন্যা।
আমি মুঠো খুলি আর মুঠো বন্ধ করি
সাদা পাতায় বাড়তে থাকে যন্ত্রনা।
.
আসলে কি জানো কবিরা সব চরিত্রহীন ,লম্পট
শরীরের গড়িয়ে নামা ঘাম কবির হৃদয়ের গন্ধ।
অথচ কি জানো কবিদের বাঁচাটা জরুরী
যেমন জরুরী প্রতিদিন তার  মৃত্যু সময়ের কাঁটাতারে।
সত্যি কি জানো, কবি হৃদয়ে অপেক্ষা জীবনভর
তোমার মতো কোনো স্বপ্নের জন্য পাগল প্রেমে।

Thursday, October 25, 2018

শাশ্বত তোমার প্রেমে(১৪)

শাশ্বত তোমার প্রেমে(১৪)
........ ঋষি
=============================================
শাশ্বত অনেক গুলো বছর
সময় বদলাচ্ছে। বদলাচ্ছে ঋতুর আলাপে অসংখ্য আক্ষেপ।
প্রশ্ন করেছিলে না জীবন মানে কি ?
বলেছিলাম জীবন মানে প্রেম।
আজ মনে হয় শাশ্বত আমি কত বোকা ছিলাম
এখন বুঝি জীবন মানে বদলানো।
.
প্রেম বরাবর বড় অভিমানী শাশ্বত
সে চায় তার প্রিয় মানুষটা বুঝুক তার মন খারাপের গভীরতা।
সে বুঝুক শুধু শরীর মানে সম্পর্ক নয়
সম্পর্ক হলো বুকের সাথে মিশিয়ে মাথার চুলে হাত বুলোনো।
প্রেম চায় মাঝরাতে তার সরে যাওয়া বালিশ কেউ ঠিক করুক
সকালের হিমে কেউ জড়িয়ে ধরুক গভীর  ওম চাদরে।
ঠিক এমনটাই
আমিও  চেয়েছিলাম ,শাশ্বত তোমার প্রেমে ।
.
এও সম্ভব আমি হয়তো বুঝি নি
তোমার প্রেমের শ্বেত রক্তে জমে থাকা জীবাণুদের।
শুধু শরীর মানে প্রেম নয় শ্বাশত
একটা বিশ্বাস ,একটা অধিকার বোধ ,একটা বাঁচা।
অনেকটা না বলা থাকে প্রেমে
শুধু বুঝে নিতে হয়
.
শাশ্বত অনেকগুলো বছর
বদলানো সময়ের আঙিনায়। অনেকগুলো ঋতু বদল আজ ইতিহাস।
চুলের পেকে যাওয়া স্বভাব ,চামড়ায় ভাঁজ
সব স্বাভাবিক।
কিন্তু কি জানো শাশ্বত এই পৃথিবীতে স্বাভাবিক নয় প্রেম
কারণ আমি আজও তোমায় ভালোবাসি।

একটা ছোট গল্প

একটা ছোট গল্প
...... ঋষি
=======================================
তোকে যতবার দেখছি
ফিরতে পারছি না শহরের বুকে ধুলো পথে।
চোখের রৌদ্রে চশমায় রাখা চালশে
আসলে সময় বড় দুর্বল।
.............সময়ের শোকে ,
চলন্তিকা আগুনে বুক ঠেকিয়ে বড় জ্বালা।

.
ধান ভাঙা সিঁড়ি
আকাশে গাংচিল ,অদ্ভুত রোগ তোকে ছুঁয়ে বাঁচবার।
রিমেকি ঝিকিমিকি ,চোখ ঝলসায়
রৌদ্র বলে ছুঁয়ে দেখ আমায়।
আমি ছুঁতে চাই
ছুটে পালাই  অলিগলি বেয়ে অন্য গভীরতায়।
শহরের কপোত কপোতি।
...........ছোট ছোট ঘর
অজস্র কথন। ......ছোট ছোট গল্প।
আসলে কিছু গল্প উপন্যাস হতে হতে ছোট হয়ে যায়
জীবন যে বড় ছোট লাগে বৃথা লেখালিখিতে।
কিন্তু চলন্তিকা
ও চোখে আমি মরণ দেখেছি ,
তাই এ মৃত্যুতে নেই কোন শোক , শুধু চোখের  দুর্বলতায়।
.
তোকে যতবার দেখছি
পাগলপারা এই মন ,কেন যেন ফেরারি এই রৌদ্র বেলায়।
চোখে রোদ চশমায়,,, সময় লুকোবার লোভ
তোকে দেখা নিত্য অন্ধকারে মনের খোঁজ।
............ আর তারপর
শুধু তুই আমার শহুরে সাজানো ধুলো পথে।

Wednesday, October 24, 2018

শব্দ দোষ

শব্দ দোষ
....... ঋষি
===============================================
শব্দ ঘোর
পাগল করা সময় এইসময় ,,,অসময়।
শব্দের ভিতর শব্দের ঘর
অনবরত যেন ছলাৎছলাৎ নদী আপন দ্রাঘিমায়।
চলন্তিকা অনবরত চঞ্চল
আমার ঠোঁট ছুঁয়ে থাকা তোর চোখের পাতায় অনন্ত শান্তি।
.
ফিরে আসা
ব্যক্তিগত গোপন ডাইরি ,,,ঢুকে যাওয়া শহর তোর ভিতর।
নিরিবিলি শারীরিক পাতাঝরা শহর
ধুলোধূসরিত আরো। ...সবুজ হারানোর দুঃখ।
কথা হয় নি মনে হয় কতদিন
আমার সুগার লেভেলে লেগে থাকা তোর ঠোঁটের দোষ।
দেখা হয় নি তো এমন কত
তবু আমার অভ্যাসে লেগে থাকা তোর প্রশ্রয়।
বহু প্রশ্নের উত্তর
স্বপ্ন সিঁড়ির গোলাপি ধাপে লেগে থাকা মৃদুজল আর খরজলের আবদার।
শহরের খুব কাছে শীত
আমার শরীর ছুঁয়ে প্রতি লোমকূপে চঞ্চলতা।
.
শব্দের অক্লান্ত ফেরি
পাগল করা অনুভবে বয়ে চলা অক্লান্ত তোর স্পর্শরা।
শব্দরা সব পাতায় পাতায় কবিতা
অনবরত ,অক্লান্ত আমার মেরুদণ্ডে শব্দ দোষ  ।
চলন্তিকা তুই আছিস তাই
কবিতার মুক্ত কোনো বিহঙ্গ আমার হৃদয়ের চঞ্চলতায়।  

Tuesday, October 23, 2018

মিথ্যা প্রলেপ

মিথ্যা প্রলেপ
......ঋষি
==============================================
স্বর্গ ,নরক অপরিবর্তনশীল আমি
প্রতিটা নিয়মের ধারক অথচ নিয়মিত বিদ্রোহী আমি।
বাড়ানো হাত ,হারানো শৈশব
মাতৃসুখ। .....ভঙ্গুর সম্পর্ক। .....ক্ষণস্থায়ী অধিকার।
মিথ্যা প্রলেপে হৃদয় অবকাশ
আকাশের ঘুড়ি ,,,,,শুধু ঘর ছাড়া। ..ভোকাট্টা নিয়ম।
.
চলন্তিকা
তুমিও বলেছিলে জন্মদিন। ...
আমি বলেছিলাম ,কেন ? কিভাবে ? কি দরকার ?
তুমি হেসেছিলে অদৃশ্য চিয়ার্সের গ্লাসে মিথ্যা বাঁচার আনন্দ।
আকাশলীনা
তোমার সাথে কথা  হয় না বহুদিন।
তবু কেন জানি আমার কথাগুলো তোমায় ছুঁয়ে থাকে
আজ আমার জন্মদিন ,,,,শুভেচ্ছা নিজেকে।
.
"এই মন ব্যাকুল যখন তখন
ডেকে যাই বারে বারে" ....রি মে কি সুর। .জীবনমুখী।
শুকনো গোলাপ,,,লুকোনো ডাইরির পাতার শুভেচ্ছা
ভালো আছি ,কারণ ভালো থাকতে হয়।
চলন্তিকা তুমি বোলো ভালো থাকে
কিন্তু বলতে পারো না কেন ভালো।

Sunday, October 21, 2018

অকাল বোধন

অকাল বোধন
..... ঋষি
==============================================
পেন্সিল স্কেচের গা বেয়ে গড়িয়ে নামছে
অনিয়মিত শব্দ।
শব্দ গুলোর কাঁটাকুটি খেলা ক্রমাগত ঘোর লাগাচ্ছে
গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে সমস্ত ছায়াপথ ধরে।
খোলা জানলাগুলো গিলে খাচ্ছে সময়
অপরিণত সময়ের ভ্রূণগুলো মৃত্যুমুখী তাই।
.
শূন্য দশকের ছবি জুড়ে প্রাচীন কোন প্রস্তর যুগ
ইচ্ছে করে সমস্ত শতাব্দীর মায়া ছাড়িয়ে স্বপ্ন দেখতে মেঘবালিকার।
ইচ্ছে করে রূপকথার স্বপ্ন ছিঁড়ে একটা স্বপ্ন শহর
নীলাভ কিছু শব্দদের বুকে নিয়ে হেঁটে যেতে তোমার পাশে।
চারিদিকে শুধু শূন্য দশমিকের খেলা
ইচ্ছে করে সাদা পাতায় পেন্সিলের নিবে তোর ছবি আঁকতে।
একটা কুয়াশা ভর্তি হাঁটা পথ
পাশাপাশি সময় আর চলন্তিকা যেন কোনো প্রশ্রয়।
চলন্তিকা ছবিগুলো সব এমনি হয়
বুকের বেরঙিন জং ধরা রেলিং ঘেঁষে স্বপ্নের রোদ।
পেন্সিল ঘষে ক্রমাগত লুকোবার চেষ্টা
পুরনো সময়।
.
পেন্সিল স্কেচের গা বেয়ে গড়িয়ে নামছে
অপরিণত সম্পর্ক।
শব্দগুলো কখন যেন ছড়িয়ে পড়ছে সাদা পাতায়
একটা অকাল বোধনের কাব্য।
খোলা দরজা দিয়ে এগিয়ে আসছে
গুঁড়ো গুঁড়ো কিছু স্বপ্ন রেশ ,,তোর মুখ। 

Saturday, October 20, 2018

পালাবদলের কবি

পালাবদলের কবি
.... ঋষি
===========================================
সম্পর্ক গৃহস্থ্য হলে
কবিতা দূরে ছুটে পালায় মধস্থ্য পালাবদলে।
তোর কবিতা লিখি
কবিতায় লিখি তোর ঠোঁট ,তোর চোখের ভাষা বদলাবার কথা।
আর তুই বলিস ,তুই ভাবিস
আমার জামার বোতাম বদলের ইতিকথা।
.
সম্পর্ক আসলে একটা ছুঁতো
সাথে থাকার।
সমুদ্রের গভীরে লুকোনে মুক্তোগুলো আসলে
আঁশটে চুমু স্পর্শের।
এই সব স্লিভলেস নিরিবিলি উপমা তোকে  মানায় না
চলন্তিকা এ শুধু কবিতার কথা।
তোর সাথে সম্পর্কটা যে বাঁধন ছাড়া কোনো একলা পাখি
যার কোনো চিন্তা নেই ,আছে যন্ত্রনা।
যার পোশাকি পোশাকগুলো ঝরতে থাকে
আরো আলোতে
তখন তুই সম্পূর্ণ মুক্ত আমার চোখে।
.
সম্পর্ক একলা হলে
তুই হয়ে যাস আর কবিতার শব্দগুলো সব স্পর্শের আকুতি।
তোকে লিখি
আমার কলমের নিবে জাদুমন্ত্র ,তোকে ছুঁয়ে আরো গভীরে তোর।
আর তুই বলিস আর ভাবিস
আমার কথা ,যে জামার বোতামগুলো খুলতে ব্যস্ত।

Friday, October 19, 2018

বিসর্জন

বিসর্জন
..... ঋষি
===============================================
মণ্ডপের রোশনাইতে পোয়াতির যন্ত্রনা
ঘুম ভাঙা সারি দেওয়া শহর আজ অন্য সাজ।
চলন্তিকা কেমন কাটলো পুজো ?
নীরব হাজারো সভ্যতার মাঝে আমি কাল্পনিক।
বেশ ছিল
খুব সুন্দর লাগছিল তোকে দশমীর সিঁদুর খেলায়।
.
আবার ফিরে আসা
ফিরে যাওয়া সভ্যতার প্রাচীন পাটীগণিতে,,,অন্ন ,বস্ত্র ,বাসস্থান।
নির্ভীকতা
রাস্তাঘাটে লেগে থাকা স্মৃতির উৎসব।
চলন্তিকা তোর দেওয়া জামাটা আমি পড়েছিলাম একদিন
শুধু একদিন ,তোর জন্য।
জানিস আমাদের পাড়ায় এবারও আগের মতো আড্ডা
কিন্তু স্পর্শ কই।
চলন্তিকা তোর মুখের আদলে আমি মূর্তি খুঁছিলাম
কিন্তু অসুরগুলোর সাথে সময়ের খুব মিল।
বেশ কয়েকগ্লাস নেশার পর
আমি তোকে দেখলাম এক ঝলক দেবীর মতো।
.
মণ্ডপে পরে থাকা শুকনো মালা ,উল্টোনো সিঁদুর মাখা ঘট
ফুরিয়ে যাওয়ার ইতিহাস লিখছে অপেক্ষায়।
চলন্তিকা আশা করি তুই ভালো আছিস
আমিও আছি বেশ অনেকটা বিসর্জন বুকে আমার মতো।
শুধু জানিস কালকের ভাসানো মূর্তিগুলো
অনেকটা তোর মতো ,,,সময়ের অপেক্ষায়। 

শুভ বিজয়া


শুভ বিজয়া
.........ঋষি
..........................................................
উৎসবের শেষ সুর
বিজয়ার সিঁদুর আরো উজ্জ্বল তোর ছোঁয়ায়।
আগমণী থেকে শেষটুকু লুটেপুটে নেওয়ার লোভ
মানুষের মনের বাঁচার লোভ।
সতন্ত্র কোন অধিকার থেকে বলা "শুভ বিজয়া'
ভালো থাকিস মন নিজের অধিকারে।
,
সময় চলন্তিকা
তুই বলিস আমি দুঃখের কবিতা লিখি,
বলিস ভালো না রাখতে পারি, খারাপ রাখার অধিকার কিসের?
পোড়া কপাল
নিস্তেজে পরে থাকা জীবন,, যন্ত্রনা
তবু হাসতে হয়, তাই হাসি,আর বাঁচাটা যে নিয়ম।
আর কবিতা
সে তো আবোলতাবোল, সময়ের রঙ সাদা পাতায়।
তুই বলিস আমি নাকি পাগল
কিন্তু ভেবে দেখিস এই পাগলামি আমাকেই মানায়
কারন আমার কোন রঙ নেই তোকে ভালোবাসায়।
আমার কবিতারা তোকে হাতড়াতে পারে অন্ধকারে
কিন্তু তোকে পাওয়ার অধিকার আমার নেই।
,
উৎসব আসে উৎসব যায়
মধ্যিখানে মানুষ হাসে, কারণ হাসতে চায়।
সিঁদুর মাখা তোর মুখটা অন্ধকার ছিল
তবু আমি মুখ বুজে তোর হাসিটুকু খুঁজেছি।
মনে মনে চেয়েছি ভালো থাক,খুব ভালো
শুভ বিজয়া তোর ভালো থাকায়।



Tuesday, October 16, 2018

রওশন হ্যা রোশনি

রওশন হ্যা রোশনি
.... ঋষি
==============================================
অনেক কথা জমে আছে
কুছ কম রওশন হ্যা রোশনি
কুছ  কম গিলি হ্যা বারিশে।.......
.
শরতের রোদে চলন্তিকা লেগে গেছে যেন ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি 
রোদ বৃষ্টি।
শহর জোড়া টুকরো মেঘ
উৎসবের ঝলকে বারংবার আন্দোলিত সময়ের ইচ্ছা।
অদ্ভুত আমি দেখছি বৃষ্টি 
আমি ভিজছি নিজের ভিতর তোকে জড়িয়ে।
এ কোন সময়
যেন লেগে আছে তোর হাসি আমার বুকে।
.
অনেক কিছু বলার আছে
কুছ কম লহরাতি হ্যা হাওয়া
কুছ কম হ্যা দিলমে খায়িশে।.......
.
চলন্তিকা জীবন জোড়া শুধু অসংখ্য টুকরো আলাপ
অথচ  তুই বৃষ্টি। .... রোদ বৃষ্টি।
আমার বুকের জঙ্গলে যে  সবুজ উপত্যকা
তা শুধু ভেজে তোকে ভেবে।
আজ উৎসবে মোড়া আমার শহর
রোদ ঝলমলে উপস্থিতি তবু আমি যে ভিজছি।
বোধহয় তুই আছিস তাই আমার আয়নায়
ভাবনারা উৎসব খোঁজে ,,,বেঁচে থাকায়।
.

সেই রাঙা মাটির পথ

সেই রাঙা মাটির পথ
.... ঋষি
===========================================
সবাই তো দাঁড়িয়ে থাকে
সকলেরই অপেক্ষা মুহূর্তে দরজায় স্বপ্নের মুখ।
সকালের জানলা খোলা আলোতে
যদি একবার,একবার যদি
.................. সেই মুখ ধরা পরে।


.
কবির সেই গান ,সেই সুর
দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার গানের ও পারে–
আমার সুরগুলি পায় চরণ, আমি পাই নে তোমারে।।
কি অদ্ভুত না চলন্তিকা
শরতের অদ্ভুত রোদ লুটোপুটি ,যেন কোন স্বপ্ন।
আচ্ছা স্বপ্নরা কি সব সত্যি হয় ?
আচ্ছা সময় শুধু নিয়মিত ? কিন্তু সে কেন  অস্থির?
.
জানি চলন্তিকা তুমি দাঁড়িয়ে
আমার কবিতা,আমার স্বপ্নরা সব তোমাকে ছুঁয়ে যায়।
তোমা চেনা চুলের গন্ধ ,সেই হাসি
সময়ের পরম্পরায় উৎসব দাঁড়িয়ে আমার দরজায়
তবু কেন সময় যে বড় ব্রাত্য।
.
সবাই দাঁড়িয়ে থাকে
দাঁড়িয়ে থাকে স্মৃতি মাখা মুহূর্তরা মনের গভীরতায়।
তবুও আমার লিখতেই হয় এই কথা
আমার কবিতারা সব নির্বাসিত এই উৎসবের আঙিনায়।
নিজেকে মনে হয় কোন ফকির
যে খুঁজছে ঘর ছাড়া সেই রাঙা মাটির পথ। 

Monday, October 15, 2018

ভালো থাকিস

ভালো থাকিস
...... ঋষি
========================================
ভালো থাকিস
শুধু আকাশ জোড়া কলঙ্করা সাক্ষী সাথে থাকার।
অনেকগুলো দিন বল। ... মনে পরে। ..
বোধহয় তিন বছর হবে।
সাক্ষী জীবন পাশে আছি
যেমন খুব কাছে আকাশ স্বপ্নে সাদা কাশফুল।
.
শুভ শারদীয়া
ঠিক এমনটি বলতে চায়নি তোকে ,,,,,নীরব যন্ত্রনায়।
যন্ত্রনা ছুঁয়ে একবার তোর বুকের দাগে
আমি শরৎ হতে চেয়েছি।
তুই এখন কলকাতায় আমি জানি ,,,আমার শহরে
আর আমি শহরের কোনো কোনে পুড়তে থাকা সিগারেট।
চারিদিকে ধোঁয়া খুব জানিস ,জানিস বুকে পুড়ে যাওয়া সময়
আজকাল চোখ জ্বালা করে বেঁচে থাকায় ।
চলন্তিকা আমার সময়ে লুকোনো তোর অজানা স্পর্শ
অথচ সাজানো শহরে আজ  সারি  দেওয়া মিথ্যা সুখ।
ঝলমল করছে রাজপথ ,লোকে লোকারণ্য
অথচ সত্যি বলছি তোকে
এই শহরে শুধু তোর যন্ত্রণার ছাপ মানুষের মনে।
.
ভালো থাকিস
খুব আনন্দ করিস সারা পুজো জুড়ে শুধু স্মৃতিরা থাকুক।
আর থাকুক কিছু ভাবনায় আমার কবিতারা
যারা তোকে ছুঁয়ে জীবন্ত মূর্তি শহরের প্যান্ডেলে।
মিথ্যা হোক ,তবু কিছুক্ষন  তুই বাঁচ
আর আমি না হয় তোর হাসিতে থাকি কিছুক্ষন।  

Friday, October 12, 2018

Loneliness adds beauty to life. ...

  • Loneliness adds beauty to life. ...

এতরূপ ,ধ্বংস হয়ে যাবো যে
যে জন্মতে কোন শোক নেই ,,সেখানে মৃত্যু।
পথ পেরিয়ে পথের শেষে
হঠাৎ দেখা। ....
এত স্বপ্ন পাগল হয়ে যাবো যে। ....
.
অনন্ত গাঁথা
ঠোঁটে লেগে থাকা রক্ত ফোঁটায় যেন কোন গোলাপ।
এই শ্রূতি যে শুধু ঈশ্বরীকে  মানায়
এত দেমাক ,,,,পুড়ে যাবো যে।
তোর বুকের আলমারিতে রাখা অসংখ্য সৃষ্টি সুখ
আর আমার বুকে আগুন।
অনবরত পুড়তে থাকা বহ্নিশিখা
বুকের ২০৫ টা হাড়.... শুধু যন্ত্রনা।
এত স্পর্শ
আমি হারিয়ে যাবো যে।
.
এতরূপ ধ্বংস হয়ে যাবো যে
জন্মের পাপ মাথায় নিয়ে শেষে ইচ্ছে বাঁচা তোর সাথে।
ও চোখে আমি আগুন দেখেছি
দেখেছি আমার মৃত্যুর পথ চলা ।
এবার সত্যি আরো একা হবো। ...

Friday, October 5, 2018

সহস্র আলোকবর্ষ

সহস্র আলোকবর্ষ
... ঋষি
..........................................................................................
তুমি কি  ভয় পাও চলন্তিকা
আকাশ জুড়ে অজস্র নীল ,লাল আভা ,,,সময়।
তুমি কাকে ভয় পাও চলন্তিকা
তোমার বুকের হৃদপিন্ডে অনেকটা আমি।
 রোদ আগুন আগুন জারদৌসী...
হঠাৎই মধ্যাহ্ন ডুবে যায় অন্ধকারে।
,
ঈশ্বর সাক্ষী
মনের দরজা খোলা ,জানলা খোলা আকাঙ্ক্ষারা।
দূরে দেখি তোমার,আমার মতো কেউ
হাত ধরে হেঁটে যায়।
সময় পেরিয়ে ,সম্পর্ক পেরিয়ে ,সমস্ত গ্যালাক্সীর ওপারে।
সত্যি তুমি কি ভয় পাও ?
আমার চোখের দিকে তাকাতে ,আমার আরও গভীরে আসতে।
.
দিনরাত্রির হিসাব মেলাতে
তারপর...আ্যন্ড সো অন... জ্যামিতির নিয়মে।
আকাশগঙ্গা তীরের সমান্তরাল পথ ধরে
আমাদের মতো কেউ হাঁটতে থাকে
কেটে যায় কয়েক সহস্র আলোকবর্ষ,
সত্যি আমাদের থামতে নেই।
,
আকাশগঙ্গা উথালপাথাল মাঝসমূদ্রে ঘূর্ণিঝড়
বিদ্যুতের তলোয়ারে মহাকাশ ছিন্নভিন্ন  ,বজ্রবিক্ষোভে চরাচর সন্ত্রস্ত
সবশেষে বৃষ্টি নামে।
মহাশূন্যের ভার্জিন ডায়েরীতে প্লেটোনিক আকাশের নিভৃত নৈঋতে
ফুটে ওঠে এক জারজ নক্ষত্র
"ভালোবাসা"

পাগলী

পাগলী
..... ঋষি
********************************************************************৮
সমস্ত কাল্পনিক
তবু কিছু সত্যি হয়তো লুকিয়ে কবির ঘুমে।
অজস্র ছায়াছবি ,পুরোনো ডাইরির পাতা ,প্রেমিকা- দের মুখ
অদ্ভুত প্রেমিকা- দের। .....
বুকের পাটাতনে উল্টোনো ডাইরির পাতা
সেই তুই ,,,, পাগলী ভালো আছিস তো ?
,
সব চরিত্র কাল্পনিক
তবু সোনাঝুরি বিকেলে একলা লুকোচুরি।
তোর সেই জংলা পাড়ের শাড়িটা
আজ বিকেলে খুব মনে পড়ছে।
মনে পড়ছে আকাশ জুড়ে লালছে মায়াতে
লিখে দেওয়া সেই কবিতার লাইন।
অজস্র আঙ্গিকে জমতে থাকা ফটো ফ্রেম
কবি তুমি কি সত্যি পাগল হলে।
উড়োনো ডাইরির পাতায় শেষ চিঠিটি
আমার হাতে
যার শেষ লাইনটা  ইতি তোমার পাগলী
,
সমস্ত কাল্পনিক
হৃদ্যিক যোগাযোগ ,হাওয়ায় ওড়া আঁচল, অজস্র চুমু।
না হে আজ এত বছর পর
হঠাৎ মনে পরা তোর মুখ ,ফ্ল্যাশব্যাকে অজস্র আস্তরণ।
কিন্তু জানিস
তুই শেষ ,আর কাউকে পাগলী বলি নি কোনো দিনও। 

Wednesday, October 3, 2018

উৎসবের সাথে

উৎসবের সাথে
.... ঋষি
............................................................................
জাগ্রত সকাল
উপস্থিত শহরকে আসন্ন উৎসবের শুভেচ্ছা।
যথারীতি শহরের রাস্তায় প্যান্ডেলের কাঠামো
শপিংমল ,পার্লারগুলোতে উপছে পরা মানুষের ভিড়।
স্বাবাভিক আনন্দের কটা দিন  ....কিন্তু চলন্তিকা
এই শহর ভালো থাকতে ভুলে গেছে।
.
 অস্বাভাভিক
মানুষের মনতত্ব ,মানুষের উপলব্ধি  আর এই শহর।
বাড়তে থাকা জনস্রোত ,রাস্তায় ট্রাফিক
লাল ,সবুজ আর কত জেব্রার দাগে মোরা এই শহর।
শহরের ম্যানিকুইনের আঙ্গিকে বিজ্ঞপনী চমক
বিজ্ঞপনী নকল মুখ ,নকল হাসি । 
আজও এই শহরে মনের ভিতর মন থাকে
আর সত্যি সে শুধু বইয়ের পাতায়।
আজও নারী শুধু বিছানার শরীর
অজস্র নারী ধর্ষণ,অজস্র অকাল মৃত্যু সাক্ষী।
কোর্টে ঝুলতে থাকা অসংখ্য ডিভোর্সের কেস
শুধুই পরিসংখ্যান নয় অসময়ের সাক্ষী।
চমকে ,দমকে এই শহর আলোকিত
কিন্তু অন্ধকারগুলো আজও যে সাথে বাঁচে। 
.
মৃত্যুমুখী সময়ে
উৎসব আরো জাগ্রত করুক মানুষের মন।
মানুষ এসে দাঁড়াক মানুষের পাশে
মানুষের বুকের সভ্যতায় মেরুদন্ড মাথা উঁচু করুক।
চলন্তিকা। ..এই শহরে শুধু নকল নয়
সত্যি করে হাসুক উৎসবের আলোয়।

.একটা কবিতা আমি তুমি

আমার কবিতা পেলেই আমি তুমি হয়ে যাই তোমার মতো আটপৌরে শাড়ি পরি, হাতে কলম কোমড়ে আঁচলটা গুঁজে তোমার মতো উনুনে আঁচ দি  হাঁড়িতে পরিমাণ মত শব্দ, জল...