Saturday, October 29, 2022

স্পটলাইট

 স্পটলাইট 

.. ঋষি 

.

লাইটার বের করি ,,,সিগারেট জ্বালাই 

অন্ধকার হাইওয়ের  উজ্বল সাইনবোর্ড তখন বেঁচে থাকা খোঁজে 

বাঁচার বিজ্ঞাপণ ,ক্লোজাপের হাসি 

বাঁচার বিশ্লেষণ 

সময় মাফিক কিছু পরিবর্তন ধুলো ধুলো মেঘের আড়ালে চাঁদ 

অনেকটা স্নেহের মতো মনে হয়। 

.

হাইওয়ে ঘেঁষা চায়ের দোকান 

অকারণের কয়েক কাপ মাটির ভাঁড় লুটোপুটি করে সম্পর্কে ,

চমকে আমি পিছন ফিরি 

একটা ট্রাক সজোরে ব্রেক কষে আমার মেরুদণ্ড জুড়ে ভয় 

নির্ঘুম রাতের মনের বারান্দায় অকারণে সিগারেট পুড়তে থাকে

একটার পর একটা মুখ যেন সিগারেটের লাল ঠোঁটে । 

.

আমরা দুঃখের বিজ্ঞাপন খুঁজি 

খুঁজি নিজের সুখী জীবনের আড়ালে গিলিগিলি যে চোখের জল 

একটা ম্যাজিক ,

আমি বাইকে স্টার্ট দি ,স্পিডোমিটারে তখন ৮০ ছুঁই ছুঁই ,

কানের পাশ দিয়ে বইতে থাকা বাতাস কেমন হুইসেলের মতো বাজে 

যেন একটা রেসের মাঠের এই পাশে আমরা 

ছুটছি ,

গতি বাড়ে ,বাইকের স্পটলাইটে একলা পথ গন্তব্য খোঁজে 

আমি এসে হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়ি তোমার বিজ্ঞাপনের সামনে 

তুমি হাসছো ঠিক 

কিন্তু আমিও অন্যের মতো চোখের জল খুঁজি ,

বিহারি ড্রাইভার ড্রাইভার চিৎকার করে বলে ,শালা শুয়ারকা বাচ্চা 

আমি দাঁত বের করি ঠিক তোমার মতো 

যেন বোঝাতে চাই আমিও তো ভালো আছি। 

তারপর

 তারপর 

,,,, ঋষি 


 তারপর তুমি আমাকে পাহাড় দেখাবে বলছো 

আমি চেয়ে আছি তোমার দিকে 

তুমি ভ্রূ বাঁকালে ,সেখানে অনেক দূর একটা রাস্তা 

রাস্তার ওপাশে পাহাড় 

আমি চেয়ে আছি ,তোমার চোখে কাজল ,তোমার ঠোঁট দুটো নড়ছে 

আমি কিছু আর দেখতে পাচ্ছি না 

চারিদিক ভীষণ শান্ত। 

.

কি দারুন দৃশ্য ,দেখো ,,,, দেখছো 

আমি দেখতে পারছি না ,আমি এই সময় অন্ধ 

শুধু আমার  চোখে আলো ,

মানুষ মুগ্ধ হলে চোখের দিক্চক্রবালে  অদ্ভুত এক সুখ 

আর আমার অসুখ ,,,, তুমি। 

.

তোমার পাঁপড়ির মতো ঠোঁট 

তোমার দিগন্ত ছোঁয়া পিঠ 

তোমার বাহুমূল 

তোমার বা গালের ঠিক পাশে ,,,,,,,

তোমার নাভি বৃন্তের গভীরে 

তুমি আমাকে তছনছ করো ,যখন তখন মুগ্ধ করো 

আমি অন্ধ হয়ে যাই ,

আমি বধির হয়ে যাই 

তারপর হঠাৎ শুনি তুমি বলছো " এই শুনতে পাচ্ছো "

আমি চমকে উঠি বলি " হ্যা তারপর"। 

আমরা কেউ না

 


আমরা কেউ না 

... ঋষি 

.

তুমি রাগ করেছো আমি জানি 

তবে তুমি জানো না বোধহয় একটা বয়সের পরে আর রাগ করতে নেই 

সবকিছু মেনে নিতে হয় ,

তবু সমুদ্রের তটে বসে বালির উপর নখ দিয়ে লিখে ফেললে তোমার প্রিয়  লুকোনো নামটা 

না লিখতে নেই 

কেউ দেখে ফেললে তোমাকে বলবে তুমি ভালো না। 

.

পাশ ফিরে শুয়ে আছি  অনন্ত সকাল 

আর কত আপোস ,আপোস আর আপোস  ,সব মেনে নিতে হয় 

সন্তানের  সুখ ,সময়ের সুখ ,সময়ের বুক,

জানি কাঁদতে হয় ঠিক তোমায়  তোমার বাথরুমে জলের শব্দে ,

জানি তোমাকে হাসতে হয় ঠিক প্রতিটা উৎসবে সামাজিক আলোয় 

না তোমাকে বলতে নেই প্রেমিকের নাম 

তাহলে যে তুমি বদনাম। 

.

তুমি কেউ নও 

আমি কেউ নই 

তুমি স্বামী ,তুমি পুত্র ,তুমি স্ত্রী ,তুমি কন্যা 

তুমি মা ,তুমি পিতা ,তুমি সন্তান ,তুমি সময়।  

আসলে আমরা কেউ না ,শুধু আঁধার কার্ডে আমাদের পরিচয় 

আমাদের জমানো বারুদ ,আমরাই পুড়ি 

আমাদের দেঁতো হাসি , হাই পাওয়ারের চশমা ,মিথ্যের সহবাস 

আমরাই করি। 

আসলে সত্যি হলাম আমরা 

তবু কেউ না ,

তবু মানতে চাই না নিজেরা ,তবু মানে না কেউ ,

আমরা কেউ না থাকি 

থাকুক সময় আর সময়ের ঢেউ। 


পাপ = পুন্য = শূন্য

 পাপ = পুন্য = শূন্য

.. ঋষি 


আমি ততক্ষন চুরি করি না 

যতক্ষণ সুযোগ না পাই 

তবে সুযোগ পেলেই কোনো নারীর খোলা উরু চোখ দিয়ে চুষে খাই 

পথ চলতি ভিখিরি মায়ের স্তন দেখে আপ্লুত হই  ,

আবার মন্দিরের ক্যাশবাক্সে নিয়ম করে পয়সা ফেলি 

পাপ ধেয়ে ফেলি 

কারণ পাপ = পুন্য = শূন্য। 

.

আমি বাজার থেকে ১০০০ টাকার ইলিশ কিনি 

কিন্তু কাজের মেয়েটা  ৫০ টাকা মাইনে বাড়াতে বললে বদরখাস্ত করি ,

আমি ভোট দি না তবু 

ভোটে জিতে ফেরা প্রার্থীর মুণ্ডুপাত করি,

আমি দেশ বুঝি না তবু চায়ের আড্ডায় সমালোচনা করি 

আমি মসজিদে গিয়ে দোয়া মানি 

কারণ পাপ = পুন্য = শূন্য। 

.

আমি বাড়ির বেড়ালটাকে ঝ্যাঁটা পেটা করি 

রাস্তায় কুকুরের সঙ্গম দেখলে ঢিল ছুড়ি 

আমি সুযোগ করে অফিস থেকে উপরি কামায়, 

নিজের স্ত্রীকে ভালোবাসি 

তবু নিয়ম করে অন্য বিছানায় একটু গরম করে আসি।  

আমি সন্তানকে বলি সত্যি কথা বল 

অথচ নিজের পিঠ বাঁচাতে নিয়ম করে মিথ্যা বলি,

আমার খুব স্ট্রেস তাই আমি মদ খাই 

আমার খুব কষ্ট তাই আমি হস্তমৈথুন করি ,

তবু নিয়ম করে জেসাস খ্রাইস্টএর কাছে প্রার্থনা করি 

কারণ পাপ = পুন্য = শূন্য। 

 


আগুন লেগেছে ঠিক

 আগুন লেগেছে ঠিক 

... ঋষি 


ধর্ষণ দেখে দুর্বার হতে পারি ,কিন্তু কেন হবো 

দুহাত দিয়ে চুরি আটকাতে পারি কিন্তু কেন আটকাবো 

পাশের ফ্ল্যাটে কেউ একজন অসুস্থ কিন্তু কেন বেড়োবো 

কাগজে কলমে ঝড় তুলতে পারি কিন্তু কেন তুলবো 

আদতে চোখের সামনে অন্যায় দেখে ,প্রতিবাদ করা যায় 

কিন্তু কেন করবো ?

.

বরং লিখতেই পারি ,বলতেই পারি

করবো না আমার ভয় করে ,আমার সংসার আছে ,সন্তান আছে 

তাছাড়া আমার কি?আমার সাথে তো হচ্ছে না 

তোর হচ্ছে ,তোমার হচ্ছে ,তোমাদের হচ্ছে ,

আমার ঘরে আগুন লেগেছে ঠিক

কিন্তু আমি পুড়ছি না  ,এখন পিঠ ফিরে শুলেই হয়। 

 


Thursday, October 27, 2022

জতুগৃহ

জতুগৃহ
.. ঋষি 
নান্দনিক কিছুই না
জীবন মানে নেশার পাত্রে জড়িয়ে থাকা গা গরম
সব পবিত্র হয়ে যায় কান্নায় ডুবোনো মুহুর্তে
সব মেনে নেওয়া যায় আগুন পাত্রে ছেটানো ঘিতে
দাউ দাউ আগুন জতুগৃহে পরিবর্তিত
নির্লিপ্ততার কোন দেশ থাকে না কখনও। 
.
অসমাপ্ত একটা জীবন 
তবু দিনলিপিতে অসংখ্য অসঙ্গতি,
চলন্তিকা আছে, আছে আমার হাজারো কবিতা লেখা বাকি 
এখনও হাজারো মুহুর্ত, উপন্যাসের খোলা পাতা
এখনও সময়ের চরিত্ররা আগুনের গর্ভে জন্ম ব্যাকুল 
অথচ অসমাপ্ত খোলা পাতায় জীবন লেখা বাকি।
.
কি লিখছি? 
কেন লিখছি? 
বুকের কাছে জমা হয়ে আছে খালি নেশার পাত্র 
সময়ের গভীরে শুয়ে আছে সম্পর্কের মুখোশ, 
আমি জানি ভালো থাকতে চাওয়াটা একটা আর্ট
আর ভালোবাসতে চাওয়াটা কিছু কারণ, 
তবু পরিনতির মুখোশে সময়ে দাঁড়িয়ে মুখ ভেংচায় 
মানুষ বাঁচতে চায় 
কানধরে উঠবোস করব অতীতের ভুল 
কিছু বদলায় না
মানুষের ভালো থাকা হয় না
নেশার খালি পাত্র বাঁচার তাগিদে গড়াগড়ি যায়। 




Monday, October 24, 2022

আমার জন্মেত কোন কবিতা হয় না

আমার জন্মের কোন কবিতা হয় না 
.. ঋষি 

অনন্ত বাতায়নে পথ হারিয়েছি
হারিয়ে ফেলেছি নিজেকে এই পথের ধুলোয় 
আমার জন্মের সত্যি কোন কবিতা হয় না
আমার জীবন আবৃত্ত এক হিমঘর যেখানে শব্দরা জন্মায়, 
শব্দরা জন্মায়, শব্দরা কাঁদে,আমাকে যন্ত্রনা দেয় 
যন্ত্রনা দেয় আমার চলন্তিকা সময়। 
.
আমার হাজারো উচ্চারণ 
আমার রক্ত কনায় আমার এই শব্দ সমাজ আর একলা মুহুর্তের বন্ধুরা আমাকে পথ দেখায়
চলন্তিকা হাত ধরে। 
আমি আপ্লুত হয়ে ভেসে যাই আমার প্রতিটা জন্মের সম্ভোগে
তবুও কোথাও যেন দুন্দুভি বাজে রোজ, তুমুল প্রলয় 
আমার কন্ঠে বিষাক্ততা আর আমার শব্দরা সব নবজন্ম। 
.
এইভাবে শুরু থেকে শেষ জন্মান্তর 
আমার জন্মের সত্যি কোন কবিতা হয় না,
যা হয় তা শুধু মুহুর্তদের স্তব্ধতা মোড়া একফালি ভগ্নাংশ
মুহুর্তের হাসিমুখ ফ্যাকাসে হয়ে যায় তোমার প্রতিটা চলে যাওয়ায়
তবুও মুহুর্ত  ফুরোয় না।
তবুও বয়স বাড়ে,জুলফিতে অভিজ্ঞতা দিনপ্রতিদিনে
এই শহরে হাজারো মানুষের ভীড়ে আমি পুরাতন খোঁজ 
জন্মদিন আসে চলে যায় 
তবুও বুকের বারান্দায় একটা মানুষ অপেক্ষায় দিনগোনে
একটা সম্পুর্ন কবিতা লিখবে বলে
একটা জীবন লিখবে বলে। 

Sunday, October 23, 2022

শুভ দীপাবলি

 


শুভ দীপাবলি  

... ঋষি 

.

"অসতো মা সৎ গময়। তমসো মা জ্যোতির্গময়।

 মৃত্যোর্মা অমৃতং গময়। ওঁ শান্তিঃ ওঁ শান্তিঃ ওঁ শান্তিঃ॥"

.

অযুত নিযুত শান্তির খোঁজে অন্ধকার থেকে খুব দূরে দাঁড়িয়ে 

আমার চারপাশের কান্নারা বলে দেয় আমরা ভালো নেই 

আমার চারপাশে উন্নয়ন বলে দেয় 

আমরা উন্নীত একটা প্রজন্ম শুধু অন্ধকার সড়কে। 

.

ভাবনার থেকে দূরে দাঁড়িয়ে দেখছি কানে ভেসে আসছে উৎসবান্তরের প্রতিধ্বনি 

"আমার মায়ের পায়ের জবা হয়ে উঠনা ফুটে মন"

অথচ বুকের প্রতিধ্বনিতে তুমি ঘুমিয়ে 

সময়ের বুকে পা রেখে তোমার হুংকার কিংবা প্রতিবাদ 

ভালো থাকতে হবে 

সে অন্ধকার হোক কিংবা আলোতে । 

.

আমি বুঝি শুধু মানুষের ভালো থাকা জরুরী 

আমি বুঝি শুধু বুকের রিংটোন একটা সময়ের হাসিমুখ শুধু অপেক্ষা ,

আগামীকে তাই বলে দিয়েছি আমি আসছি 

সময়কে বলে দিয়েছি আমি বাঁচছি  

আর তোমাদের মতো মানুষের দিকে তাকিয়ে বলতে ইচ্ছে হয়

উৎসব একটা  ভালথাকার আয়না অনেক অপেক্ষার 

উৎসব একটা ভেসে থাকার বার্তা মানুষ আর মানুষের প্রতি। 

তুবুও সময়ের কবিতায় 

আমিও উৎসবমুখী ,সময় বিমুখী এক কলমের আগুন 

শুধু পোড়াতে চাই নিজেকে আর পুড়তে 

আর তোমাদের বলতে চাই 

শুভ দীপাবলি  

বলতে চাই শুভ দীপাবলি চলন্তিকা 

সকলে ভালো থেকো আর সুখে রেখো তোমাদের অনুভূতিদের। 

Saturday, October 22, 2022

মনখারাপ

 মনখারাপ 

.. ঋষি 


মাঝে মাঝে মন খারাপ হয় 

শীতের প্রথম আমেজে যখন এক চাদরের তলায় আমি ,তুমি 

গ্রীষ্মের প্রকট তাপে কিংবা তুমুল বৃষ্টিতে যখন আমি ,তুমি এক ছাতায় 

বারান্দায় এক কাপ চায়ে  যখন আমি, তুমি এক ঠোঁটে  

কিংবা ধরো আকাশের বাইরে সিঁড়ি বেয়ে যখন আমাদের প্রাক্তনী সুর 

তখন মন খারাপ হয়। 

.

মনখারাপী মেঘের গায়ে তখন অতীতের ফোটোফ্রেমগুলো মুখ ভেংচায় 

মুখ ভেংচায় জীবন একলা রাস্তায় ল্যাম্পপোস্টের নিচে দাঁড়িয়ে 

আসলে মানুষ যখন থাকে সেই মানুষটার কাছে ,খুব কাছে থাকে 

তখন সেটা শুধুই প্রয়োজন ,

কিন্তু প্রয়োজনের বাইরে মানুষের বাঁচাগুলো সুক্ষ তারে 

আমি বুঝি এই সংসারে দরকার হয় সেই মানুষটাকে 

যার জন্য বাঁচা। 

.

কেমন জানি চেপে ধরা দীর্ঘশ্বাস মনখারাপ  

প্রবাসি সেই পাখিগুলোর মত সময় সময় আমাদের দেশে,

হাজারো ছেঁড়া সময়ের সুর মনখারাপ মানুষের আয়নায়  

স্টেশনের রেলব্রিজের তলায় সেই মানুষগুলোর মতো অসহায়। 

তাই ভালোবেসে তাকিয়ে না 

তাই একলা দিনে ঝড়ের মতো এসো না 

এসো না তুমুল মনখারাপ কবিতার শব্দের মতো 

কষ্ট হয় ,

কষ্ট হয় বুকের গভীরে মৃত স্বপ্নের সাথে বাস করতে 

আসলে জীবনটা তো সিনেমার মতো নয় 

সবাইতো আর মুকাদ্দার কা  সিকান্দার নয় 

কেউ কেউ খুব সাধারণ মানুষও তো হয়। 


Friday, October 21, 2022

জাগরণ


 কার পুলিশ ,কিসের পুলিশ ,রাম ,রহিম না লস্করের

কার মন্ত্র ,আমন্ত্রন ,কিসের প্রয়োগ
সময়ান্তরে উৎরানো বিষ
নিরামিষ ,
জানা ছিল না বেআইনি ছিল আন্দোলন
বেআইনি ছিল মানুষের প্রতিবাদের মন্ত্র অনশন।
.
আমি পিছনে ফিরে দেখবো না
আমি বলবো সময় ,এই যুগের অসংখ্য শিক্ষামনস্ক মানুষকে জাগরণ
আমি বলবো এ হলো আমন্ত্রণ
আমি এ হলো এ হলো কোনো কুরুক্ষেত্র আবার
সামনে কে জানি না
শুধু জানি রবীঠাকুরে বাণী সেই " অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে। ......
.
কে করছে ,কিসের দাবি ,কিসের করুণাময়ী ,কিসের জালিয়ানওয়ালাবাগ
কে কংস ,কে বংশ ,কে হলো এ যুগের শেষ কুলপ্রদীপ
আমি জানি না বাংলা ,না ভুটান ,গুজরাট না তালিবান
শুধু জানি প্রতিবাদ দরকারী
আজ না ,কাল না ,সময় না ,ইতিহাস না,
অন্যায় আর সত্যের মাঝে কোনো সহবস্থান নেই
আছে জিত কিংবা আছে হার।
আমি আকাশের শব্দে বিশ্বাসী
আমি সময়ের অহংকারে বিশ্বাসী
এসো মুক্ত হও ,নির্মল হও , সত্য হও
শুধু মুখে স্বাধীনতা নয় এইবার বোধহয় রুখে দাঁড়ানোর সময় হলো
সময় হলো লড়বার
এইবার সত্যি মানুষের পাশে মানুষের মতো দাঁড়াবার সময় হলো।

Tuesday, October 18, 2022

দার্শনিক

 দার্শনিক 

... ঋষি 


মরতে চাওয়াটা  কি সত্যিই অসুখ?

এ কথা ভাবতে ভাবতেই এক জড়  জীবন পেরিয়ে এলাম আমি‌,

যে অসম মুহূর্ত থেকে আমাকে গলাধাক্কা দিয়ে বার করা হয়েছে 

তাদের কখনো ক্ষতি চাই নি ,

বরং বেয়াড়া বিকেলে সেই সব সোমত্ত মুহূর্তদের পাশের সিটে বসেছি 

যারা মৃত্যুর কথা বলে। 

.

যারা অন্ধকার ঘরে হাত-পা ছড়িয়ে শুয়ে ভাবে আহা কি দুঃখ 

যারা সাজানো দুঃখে সুখে থাকবে বলে চোখের জল ফেলে 

ভাবছি একদিন হাজির হবো তাদের বাড়ি,

একটু গল্প হবে ,চা সিঙ্গাড়া হবে কিংবা জন্মান্তরের কথা হবে 

তাদেরকে প্রশ্ন করার আছে বলতে পারেন 

সময়ের জন্মান্তরে সময় কি ভাষায় কথা বলে। 

.

মরতে চাওয়াটা  কি সত্যিই অসুখ?

এই কথা ভাবতে ভাবতে আজ আমি বোধহয়  হিউয়েন সাঙ 

যে  অসম  মুহূর্ত আমাকে পথের ধুলোয় খোলা আকাশের নিচে মুক্ত করেছে 

তাদের জন্য আমার সমবেদনা ,

একা ভিক্ষুকের কোনো মানচিত্র থাকে না 

একা ভিক্ষুকের কোনো সীমানা থাকে না 

থাকে দর্শন ,

আমি সেই দর্শন থেকে বলছি  কাঁদতে পারে যারা তারা সুখী 

নকল হাসতে পারে যারা তারা দুঃখী 

আর যারা সীমাহীন গন্ডির বাইরে তারা  স্থবির জড় দার্শনিক 

তারা হাত পা ছড়িয়ে ঘুমোতে না পারলেও বেঁচে থাকে 

কারণ  সেই সব সোমত্ত মুহূর্তদের পাশের সিটে বসে 

তারা মৃত্যুর কথা ভাবে। 


দুর্গন্ধ মাখানো শরীর

 দুর্গন্ধ মাখানো শরীর 

... ঋষি 


দিন যত পেরোচ্ছে, আবার আগের মতো হয়ে উঠছো তুমি

সকালের রৌদ্রের মতো ঝকমকে ,

ড্রইং খাতায় সদ্য আঁকা কিশোরী ,

জানি তুমি লক্ষী মেয়ে ছিলে  না কোনোদিনই

জানি অলক্ষীতেই বিশ্বাসী  

জানি তোমার কাছে মাটির মূর্তিগুলো ইউসলেস রিশন টু  লাফ

কিন্তু তোমার বদলানোগুলো ভালো চোখে দেখছে না কেউ। 

.

তুমি হয়তো টের পাচ্ছো না 

হয়তো ইগনোর করছো 

কিন্তু তুমি একদিন যে দরজাগুলো দিয়ে খালি হাতে ফিরে এসেছিলে 

তাদের পাঠাচ্ছো বেঁচে থাকার চিঠি ,

ইদানিং তোমার চোখের দিকে তাকালে আজ  বহু মানুষের চোখ নেমে যায় 

আজ তুমি নিজের লড়াইটা একলা লড়তে শিখে গেছো।  

.

তোমার সারা  শরীর জুড়ে ট্যাটু 

তোমার হাতে ওয়াইনের গ্লাস অনেকটা লেসভেগার্সের মতো মানায়

তোমার আঙুলে আজকাল জ্বলন্ত সিগারেট যেন দুরন্ত গতি   

তোমার চোখে এই বয়সে আজও নতুন জন্মের অভ্যাস 

সবটাই কেমন অদ্ভুত রকম চেঞ্জ। 

যে মেয়েটা এক সময় বাঁচার জন্য ,ভালো থাকার জন্য নিজের স্বামীতে নির্ভরশীল 

ছিল

আজ তার উপর নির্ভরশীল হাজারো পুরুষ তাকে  ভালোবাসতে চায় ,

যে মেয়েটা আজ থেকে বছর দুই আগেও ভালোবাসতে চোখের জল ফেলতো 

সে আজ খুব অবহেলে ভালোবাসার সাথে ডিল করে বাঁচার ,

সময় বদলায় জানি 

কিন্তু আমি  জানি তোমাকে আর বোকা বানানো সম্ভব নয় 

তুমি তোমার পায়ের হিলে আজ টিপে রাখার ভালোবাসার গলা 

কারণ তুমি জেনে গেছো ভালোবাসা একটা মরীচিকা 

আর তুমি একটা দুর্গন্ধ মাখানো মৃত শরীর ভালোবাসার।  



যুদ্ধটা ফুরোয় নি এখনো

 যুদ্ধটা ফুরোয় নি এখনো 

... ঋষি 


এটা ঠিক একটা ডট পেনে জীবন লেখা যায় না 

জীবনের সকলের সফলতায় মানুষ দেখতে অভ্যস্ত মানুষ 

কিন্তু একাকিত্বে তুমি একলব্য ,

নিশ্চিন্ত কোনো দ্রোণাচার্যের প্রয়োজনে যখন তুমি সময়ের দরজায় 

তোমার পরিচয় তোমাকে পিছিয়ে রাখে 

তোমার ইতিহাস তোমাকে হারিয়ে দেয় বারংবার। 

.

যেখান থেকে জীবন লেখার কথা ছিল 

ঠিক সেখানে দাঁড়িয়ে তুমি সাত পাঁচ ,আকাশের চাঁদ ভাবছো 

ঠিক তখনি আকাশ থেকে নেমে নেমে আসে ধূমকেতু 

তুমি জীবন ভুলে যাও ,

বাঁচার রাস্তায় তখন দাঁড়িয়ে তোমার প্রিয় মুখ 

তুমি তখন কর্ণ জগৎসভায়। 

.

"জগতের আনন্দযজ্ঞে তোমার নিমন্ত্রণ "

সকলেই কোথাও কোথাও না হেরে আছি আমরা 

সকলেই কোথাও কোথাও না কোথাও হেঁটে যেতে হয় মাথা নিচু করে 

তোমার চোখে জল আসে 

আমারও আসে 

তবু চেষ্টাটা চালানো একটা ডটপেনে জীবন লেখা। 

কালি ফুরিয়ে যায় 

ফুরিয়ে যাওয়া সম্পর্ক বিক্রি হয় সস্তা বাজারে ,

কারণের পৃথিবীতে আমি ,তুমি ব্রাত্য বারংবার 

তবুও যত্নে লেখা বেঁচে থাকার শেষে নিস্তব্ধ কিছু থেকে যায় 

আমরা বলি হেরে ফেরা মাথা নিচু করে 

সময় বলে যুদ্ধটা ফুরোয় নি এখনো। 

Sunday, October 16, 2022

চোপ

 চোপ 

... ঋষি 


নিরন্তর মুখ বুজে থাকা অভ্যাস 

কথায় বলে মানুষ অভ্যেসের দাস 

সে দাস ,বোস ,ঘোষ ,মিত্র , চৌধুরী সবার জন্য হিসেবে এক 

সে ছোট্ট বেলা থেকে 

কেঁদেছো কি ,বায়না করেছো কি ,,,,,,, চোপ। 

.

সে এক চোখ রাঙানি সকাল বেলা থেকে 

ক্লাসে গল্প করেছো কি ,,, চোপ 

যদি বন্ধুদের সাথে মারামারি করে জামা ছিঁড়ে ফেরো ,,,চোপ 

কিছু প্রশ্ন করলে ,,, চোপ 

তারপর হেড মাস্টারের সেই 

স্কুলের ব্ল্যাকবোর্ডে অবধারিত চিরকাল লেখা ,,,চোপ  .

.

বাড়িতেও তুমুল পেঁদিয়ে ,,চোপ 

মা ,বাবা ,দাদা ,চুন থেকে পান খসলো কি ,,চোপ 

প্রথম সিগারেট খেয়ে ধরা পরা ,, চোপ  

প্রথম প্রেমিকাকে চুমু খেতে চাওয়া ,,চোপ 

পাড়াপড়শি চোখ রাঙানো ,,চোপ 

পরে বৌ এসে ,,চোপ  

সারা সংসার জুড়ে মেনে নেওয়া সাইনবোর্ড। .চোপ। 

.

আপিসের বস খেপে লাল ,,, চোপ 

অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছো তো ,,,চোপ 

রাস্তায় বালি ফেলা আছে ,,, পার্টির ছেলেদের চোপ 

রেশন দোকানে কারচুপি ,,,চোপ 

কলে জল নেই ,খারাপ রাস্তা ,,চোপ 

আমাদের কাজ চাই ,চাকরির নাম দুর্নীতি চলবে না ,,,চোপ 

আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক ,,,চোপ 

তথাকথিত অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের শাসন ,,,, চোপ। 

.

চোখরাঙানি সেই সকাল থেকে দিনভর 

শুধু এক মাত্রায় লেখা চোপ 

আর আমাদের অভ্যেস ,সহ্য ,সহ্য ,সহ্য ,,আজীবন ,,,,চোপ। 

তারপর


 তারপর 

... ঋষি 

 

বাতাসের থেকে হালকা একটা মুক্তি নিয়ে 

থ্রি চিয়ার্স ফর লাইফ ,

মশগুল একটা বিকেলের কবিতায় আমি মুক্তির থেকেও হালকা যখন 

তুমি তখন সময় চটকে কিছুটা ভালো থাকতে চাইছো ,

আমি অবাক হচ্ছি না মোটেও 

শুধু আজকাল ছোটবেলার ছাদ থেকে লাফ মারতে ইচ্ছে হয় 

যদি ভাসতে পারি পাখির খসা পালকের জীবনে  

যদি হাসতে পারি আগের মতো এমন এক নষ্ট অধিকার ছাড়া 

যদি চিৎকার করে তুমুল চুমুকে বলতে পারি 

থ্রি চিয়ার্স ফর লাইফ ,

তারপর। .....

মেয়েমানুষ

 মেয়েমানুষ 

... ঋষি 


ভাগ্যিস পৃথিবীতে মেয়েমানুষ বলে একটা শব্দ ছিল 

তা না হলে পাগল প্রেম পৃথিবী হারিয়ে ফেলতো ,

ভাগ্যিস আজও পৃথিবীর বাইরে দাঁড়িয়ে কেউ কেউ স্মৃতিতে মাতোয়ারা 

মেয়ে মানুষের স্তন ,যোনি ,ভাবনা দিয়ে গড়া মাংসপিন্ড 

উত্তরের সাহারা ,দক্ষিণে সমুদ্র ,প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরতা 

উচ্চতা ,উর্বরতা 

সৃষ্টি ,দহন আর কথকতা। 

.

ভাগ্যিস মেয়েমানুষের কপালে দুঃখ 

দরজার বাইরে পৃথিবীতে মেয়েরা সকলেই পণ্য ,

স্বামী হারা ,প্রেমিক হারা ,বিছানা ছাড়া ,যন্ত্রনা ছাড়া 

সব ,সমস্ত এক কথায় আহারে ,

কিন্তু আহারে কারা 

যারা যুক্তি নিয়ে চুক্তিতে সই করে ভালোবাসতে পারে। 

.

ভাগ্যিস মেয়ে মানুষরা কাঁদতে পারে 

ভাগ্যিস একমাত্র দেবীরই দশখানা হাত 

তার মধ্যে কে জানে ক খানা সত্যি আর কতখানি অজুহাত ,

মেয়েমানুষ ভালোবাসতে পারে 

দরজার ভিতরে দরজা বন্ধ করে জড়াতে পারে 

কিন্তু পৃথিবীতে এক হাত ঘোমটা ,এক হাত ঢুকে যায় 

জন্ম নেয় পৃথিবীর ভবিষ্যৎ। 

মেয়েমানুষ জন্ম দিতে পারে কিন্তু আর জন্মাতে না 

কিন্তু ভালোবাসা  জন্ম আর জন্মান্তর 

ভাগ্যিস মেয়ে মানুষ  সহ্য  করতে পারে

কপালে সিঁদুর লুকিয়ে জন্মের দাগ । 

অভিমান আমারও হয়

 অভিমান আমারও হয় 

... ঋষি 

.

দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে ফেলেছি দৈন্যতা 

তবু অভিমান এখনো হয় ,

যখন তুমি অন্ধকার ছিঁড়ে এগিয়ে আসো পৃথিবীতে 

তখন আমি কোথাও থাকি না তোমার 

তখন কেউ নই আমি তোমার। 

.

সমস্ত রক্ত ,মাংস দুমড়েমুচড়ে একসাথে করে কবিতা লিখি 

কবিতার পাতায় রক্তফোঁটা তখন মাকালীর শাসন ,

সেই লাল চোখ ,খড়গ হাতে তুমি তখন সংহার দৃশ্য 

আমি হাসি অবাক হই ,

পৃথিবীর নাটকে আজও দেবীরা নগ্ন চিরকাল 

আমারও অভিমান হয় 

অন্তত একটা মৃত্যু তো দিতে পারো। 

.

তোমার সোনায় গড়া নথ ,তোমার আকাশ দিয়ে ভাবা রাস্তা 

তোমার উপছে ওঠা ভালোবাসা 

কিন্তু আমি    ........... ?

................. অজস্র উত্তরের পর একটা দূরত্ব এগিয়ে আসে 

বিশ্বাস করো বুকের কাছটা ফাঁকা ফাঁকা তখন। 

কিছু মানতে ইচ্ছে করে না 

দেবত্বের উপাখ্যান ,নিয়মিত লেখা কিছু বেঁচে থাকা 

চা ,পাউরুটি আর এক কাপ চায়ে আজকাল মন ভরে না। 

তোমার চারপাশে সবাই দৃশ্য 

আর আমি দৃশ্যের বাইরে একটা ছবি তোমার আলমারিতে তালানবন্ধ 

বহুদিন তোমাকে চুমু খাই নি 

বহুদিন তোমাকে পুজো করি নি তোমার রক্তমাখা ক্ষোভে 

শুধু ভেসে আছি 

শুধু বেঁচে আছি 

অভিমান জমাট বেঁধে কখন যেন অন্ধকার চিড়ে তুমি আমার বুকের উপর 

দেবী তুমি সেবিকা হতে পারো 

আমি দাস চিরকাল। 

মিথ্যে কিছু

 মিথ্যে কিছু 

... ঋষি 


মিথ্যে বলো ভালোবাসি 

নিষ্পাপ কিছু ফুল ছিঁড়ে গুঁজে দেও নিজের খোঁপায় ,

রাস্তা চৌওড়া করবে বলে কেটে ফেলো সবুজ গাছ 

গাছের উপর পাখির বাসগুলোকে একবার ভাবনা 

ভাবো না তোমার দাওয়ায় একটা কুকুর অভুক্ত 

তবুও তুমি ঘি দিয়ে ভাত খাও। 

.

মিথ্যে বলো সাথে আছি 

সারারাত ঘুমের চোখে মিথ্যে স্বপ্ন আমি আছি 

অজস্র মিথ্যের ফাঁকে নিজেকে লুকিয়ে তুমি ভাবো 

আমি ভালো আছি ,

আসলে তুমি যেন ঘর ছাড়া বাউল কেমনে গায় 

কেমনে কাঁদে আকাশে মেঘ দেখলে। 

.

মিথ্যে বলো এই শহর শুধু ভালোবাসার 

মিথ্যে বলো এই শহরে ভালোবাসার ঘর 

অঞ্জন দত্ত কবেই তো বলে দিয়েছেন চারটে দেওয়াল মানে নয় ঘর 

তবু মিথ্যে তোমার এই বাঁচার স্বয়ংবর। 

তুমি হাসো গাছের থেকে ফুল ঝরে পরে ঠিক 

কিন্তু সেই বিশ্বাস করো সেই হাসিতে আমি ছিলাম না কোনোদিন 

তুমি পথ চলতি আশ্রয়হীন বিড়ালগুলোকে দেখো 

আমি জানি সেই আশ্রয় নেই ,নেই মায়া। 

মিথ্যে তুমি ঘর ঘর খেলো ,খেলো এই সংসারে দাবা 

তুমি জানো না ভালোবাসা রাত জাগা পাখি 

একটা আশা 

ভালো থাকা। 

লংরুট

 লংরুট 

... ঋষি 


অস্তিত্ব বজায় রাখতে রাখতে ভুলে গেছি পরিচয় 

আমি অস্তিত্ব আর তুমি ভয়। 

.

আমাদের জীবন ইন্তেষ্টিক্রিয়ায় শুয়ে থাকা শরীর 

বাইরে জীবন ,যা বাঁচি আবার মরি। 

.

কথাকাটাকাটি ,প্রতিটা মৃত্যুর পর জড়ানো জরুরী 

তবুও আমরা জেদি ,একলা ঘড়ি। 

.

কেউ বলে তুমি প্রেমিকা ঠিক মায়ের মত 

তবু হারাবার ভয় ,লুকোনো হাজারো ক্ষত। 

.

মানুষ মানুষের থেকে দূরে সরে গেছে আজ বহুদিন 

তবু ভাবি মানুষ দাঁড়াবে মানুষের পাশে ,কমাবে ঋণ। 

.

দুঃখ এটা নয় তুমি আমার থেকে দূরে 

দুঃখ এটা তোমাকে পাই না আমি আমার দুঃখ খুঁড়ে। 

.

চটজলদি ভাবনা ,অকারণে করে ফেলা বায়না 

জানি অনুচিত ,তবু সাথে আছি পাশে থাকা যায়না। 

.

চলে যাবে জানি ,যেমন কাটে দিন 

তোমার চোখে মৃত্যু ,বাঁচার আলাদিন। 

.

যে রুটে আমি আছি ,সেই রুটে কোনো পরিবহন নেই 

সময় ছিল বাঁচার কিন্তু তার আর প্রয়োজন নেই। 

.


দিন ফুরোনো কাব্য

 দিন ফুরোনো কাব্য 

... ঋষি 


দিন ফুরোচ্ছে রোজ নিয়ম করে  

দুতিনটে সিগারেট আর একলা ঘোরে 

দিন ফুরোচ্ছে  ডিমসিদ্ধ আলুসেদ্ধ ভাতে 

সকালের কোলগেট আর নিয়মিত দুচার পেগ রাতে  

দিন ফুরোচ্ছে  কারণ দিনের পরে রাত 

জীবনে দাবার ঘরে আমি রাজা আর কপালের বাজিমাত। 

.

মাসের প্রথমে  মাইনে পেয়ে ছোট কৌটো ঘি 

বাড়িতে কুয়ো আছে ,জল তোলা আর নিজের কাপড় নিজেই কেচে নি 

ঘরের জানলাটা খুব ছোট ,আজকাল ভালো থাকে না মন  

তাই দরজা খুলে রাখি ওটা অভ্যাস ,বাঁচার প্রয়োজন 

অসুখবিসুখ সে তো আছেই ,যেমন ছিল পাশে 

নিয়ম করে হিসেবে মতো তোমায় পাঠানো টাকা আমার প্রতি মাসে। 

.

নুন আনতে পান্তা । শুধু সাথে লেবুটা জোটে না

কবিতায় শব্দ জোটে কিন্তু আজও মুখ ফোটে না ,

আমার পাড়ায় বৃষ্টি হলে জল জমে যায় পথে 

আমি আছি বেশ ,তুমি আছো ঠিক নিয়ম করে সাথে। 

এখন বেশ বুঝতে পারি বোকার মানে টুকু 

চলবে জীবন যেমন চলে হিন্দি সিনেমা  বাকিটুকু ।

সবুজ কাঠের একটা আলমারি ঘুনে খাওয়া

নিয়ম করে অফিস আসি ,দিনটুকু কেটে যাওয়া। 

ঝড় উঠলে আলো যায়। ভালবাসলে লোডশেডিং 

কখনো কখনো বন্ধুরা আসে ,সাথে নিয়ে চাউমিন। 

চারটে বিড়াল আছে। আমি খেতে দেবো

জানি জীবনের এই বাকিটুকু একলাই বেঁচে নেবো।  

একলা মানুষ যদি  বাঁচতে শিখে যায় 

সে নিজের কাছে রাজা ,মৃত্যুকে আঙুল দেখায়। 



কজন কৃষ্ণ হতে চাই

 কজন কৃষ্ণ হতে চাই 

... ঋষি 


আমরা প্রত্যেকে নিজেদের আলাদা লড়াই লড়ছি 

কেউ ব্যবসায় দাঁড় করতে চাইছে নিজেকে  

কেউ অন্যকে ভালো রাখতে নিজেকে পরিবেশিত করতে চাইছি 

কেউ গান গেয়ে ,ছবি এঁকে নিজেকে প্রতিষ্ঠির করতে চাইছি 

কেউ লিখতে চাইছি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ একটা কবিতা 

কেউ চাইছি সংসার আগলে এই জীবনটা পার করতে। 

.

আসলে আমরা প্রত্যেকে লড়ছি নিজেদের জন্য 

আর প্রত্যেকের লড়াইগুলো আলাদা আলাদা 

কিন্তু সকলে আমরা জিততে চাইছি ,

আর এই যুদ্ধ ক্ষেত্রে আমরা সকলেই অর্জুন একলা রথে 

আমরা একজন কৃষ্ণকে চাইছি 

যে বারংবার নিজের কাছে হেরে গেলেও ,ফিরে আসার শক্তি জোটাবে। 

.

আমরা সেই কৃষ্ণকে খুঁজছি  যে  পথ চলতে  হঠাৎ পরে গেলে 

শক্ত হাত ধরে দাঁড় করিয়ে বলবে " চলো আবার শুরু করো ",

তবে সমস্যা এটা নয় সেই মানুষটা  

সমস্যা এটা আমরা সকলেই সেই কৃষ্ণকে খুঁজি নিজের গভীরে 

কিন্তু হাতে গোনা কজন আছে বলুনতো 

যে কৃষ্ণ হতে চায়  ,

যে অর্জুনকে বাঁচাতে নিজের বুক পেতে নিয়ে নেয়  কর্ণের ব্রহ্মাস্ত্র। 

আমরা সকলেই চাই শূন্য থেকে একসাথে লড়াই শুরু করে

একে অপরকে সামাল দিতে দিতে একদিন সফল হওয়ার আনন্দ পেতে 

কিন্তু সত্যি কি তাই চাই আমরা ?

আমরা সিনেমায় দেখতে ভালোবাসি এই জেতাগুলো 

আমরা হিস্টরিকাল মিথে খুঁজে পাই এই  একসাথে থাকাগুলো 

কিন্তু সত্যিকারের ভালোবাসাকে অবলম্বন করে  বলুনতো কজন বাঁচতে চাই ?

 

চাবি

 


চাবি 

.. ঋষি 


মানুষ যখন একটা বাস্তব যুদ্ধক্ষেত্রে একলা দাঁড়ায় 


তখন পাশের সম্পর্কগুলো একে একে সরতে থাকে অনেক দূরে  ,


কারোর ঘরে আগুন লাগলে সকলেই  ছুটে আসে 


কারোর ঘরে ঝগড়া লাগলে ঝগড়া মেটাতে অনেকে আসে ,


আসলে হারানো চাবির খোঁজ থাকে সকলের 


কিন্তু তালা ভাঙলে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না দূর দূর । 


.


অপেক্ষার সুদীর্ঘ পথে একলা হাঁটাটা বোকামি তবুও হাঁটা  


দূরত্বের জলে পা ডুবিয়ে তবুও তো একলা থাকা  


কার জন্য বৃষ্টিতে ভিজে মাঝ রাস্তায় অপেক্ষা ?


কার জন্য রাতের পর রাত ভাত বেড়ে বসে থাকা ?


কার জন্য শেষ ট্রেন জেনেও প্ল্যাটফর্মে একলা দাঁড়ানো 


কার জন্য বিছানার ওপাশে চোখের জল?


.


সব উত্তরগুলো জানা 


আজ যার জন্য এত কিছু, কাল সে কে ছিলো


পরশুদিন সেকি আদৌ দাঁড়িয়ে থাকবে ?


আসলে যুক্তি আর আবেগের মাঝে বিস্তর তফাৎ 


বিস্তর টানাপোড়েন ভালোবাসা আর মুক্তির মাঝে। 


অনেকটা সময় কাটানোর পর উল্টোদিকের মানুষটা আঙ্গুল তোলে 


আঙুলের নিশানায় তুমি ,কিংবা আমি


সকলেই তখন চুপ করে অবাক হয়ে দাঁড়ায় কিছুক্ষন ,


তারপর সম্পর্কের তালা খুলেই ফেলে সকলেই  


চাবিটা ছুঁড়ে ফেলে দেয় জীবনের বাইরে। 


কিন্তু সত্যি হলো হারানো চাবিটা সকলেই খোঁজে মনে মনে 


আর একলা তালা সে শুধু সামাজিক।  


Friday, October 14, 2022

স্বাগতম

 স্বাগতম 

... ঋষি 

তোমার অস্তিত্বতে তোমাকে স্বাগতম 

তোমার তুমিতে তোমাকে স্বাগতম 

বড্ড ভুল হয়ে গেছে 

সমস্ত পৃথিবী জুড়ে যে গাছটা ছায়া দেয় 

সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে যে গাছটা ফল দেয় 

তাকে কাটতে চাওয়ার। 

.

তোমার পৃথিবীতে তোমাকে স্বাগতম 

তোমার ঘড়ির কাঁটাতে তোমার বাঁচাকে স্বাগতম 

বড্ড ভুল হয়ে গেছে 

পৃথিবীতে বাঁচার জন্য বায়ুশূন্য জায়গা দরকার 

অথচ আমিও সবার মতো বুঝেছি 

দূরত্ব শুধু নিয়ম মাত্র। 

.

তোমার প্রতিটা অভিযোগকে স্বাগতম

তোমার প্রতিটা কটূক্তি যা তীরের থেকেও ধারালো ,তাকে স্বাগতম 

স্বাগতম তোমার নতুন জন্মকে 

বড্ড ভুল হয়ে গেছে  

গতজন্মের হয়ে যাওয়া কিছু পাপ ,কিছু অধিকার 

আজ শুধু বিচলিত করে  

কষ্ট হয় ভাবতে 

তোমার প্রতিটি  স্বাগতমে তুমিই  ছিলে শুধু

আমি ছিলাম বটে একপাশে 

কিন্তু তোমার থাকাতে তুমি আমার ছিলাম না কোনদিন।  

 

কবি ও ঈশ্বর

 কবি ও ঈশ্বর 

.. ঋষি 

একদিন ঠিক এমন দেখতে আমাদের একটা বাড়ি হবে 

বাড়ির উপর নেমপ্লেট 

                  সেখানে ঈশ্বর ও প্রেম ,

একদিন এমনি একটা রাস্তা দিয়ে আমরা হেঁটে যাবো 

আমি আবারও হোঁচট খাবো ,

হয়তো সেদিনও তুমি আমাকে বলবে

তুই চিরকাল বোকা ,শুধু কবিতায় জীবন কাটালি। 

.

একদিন ঠিক এমনি এক গাছতলায় আমি আর তুমি বসবো 

আমার ,তোমার চশমায় সেদিন কোঁচকানো স্বপ্ন  

বাসি হয়ে যাওয়া সংসার ,পুরোনো স্বপ্নের ফুল আমাদের পায়ের ধুলোতে 

সেদিন তুই হয়তো বলবি আমাকে 

বয়স কত হলো? দিনকাল কেমন?

পিছনে পড়ে থাকবে ঘড়ির কাঁটা  কিংবা পাখির আকাশ  

একদিন আমরাও বলব, ভুল বাপু, সব ভুল ছিল। 

.

একদিন ঠিক এমনি এক বিকেলে আমি তুমি  পাশাপাশি হেঁটে যাবো 

পিছন থেকে আমি  তোমার হাত ধরে দাঁড় করবো 

সামনে বইয়ের দোকানে  আঙ্গুল দিয়ে দেখাবো 

চিনতে পারছিস ,এই সেই বইয়ের দোকান 

যেখানে তোর সাথে আমার প্রথম দেখা 

তুই হাসবি আজকের মতো ,বলবি 

শোন প্রথম বলে কিছু হয় নাকি 

বল তোর সাথে আমার শেষ দেখা 

কারণ তুই সে। 

.

একদিন ঠিক এমনি এক দিনে আমি তুই পাশাপাশি 

আমার  কবিতারা সেদিন হয় তো পাঠকের মন স্পর্শ করে বলবে 

অপেক্ষা শেষ ,

সেদিন হয়তো অনেকেই বলবে কবি আসলে প্রেমিক 

কিন্তু আমি জানি মনে 

কবি হতে গেলে ,শুধু প্রেমিক নয় 

ঈশ্বর হতে হয়। 


ফিরে আসতে হয়

 ফিরে আসতে হয় 

... ঋষি 


এবং বেশ খানিকটা এগিয়ে দিয়ে তোমায়  ফিরে আসতে হয় 

নিয়মিত ইন্টারভেলে  নিয়ম করে আমাকে দাঁড়াতে হয় ,

তারপর কিছুক্ষন ভীমসেন জোশি ,নীরেন্দ্রনাথ কিংবা শঙ্খ ঘোষ 

তোমার নাটকের স্ক্রিপ্ট ,তোমার সংসারের ছায়াপথ 

তারপর আর কথা থাকে না 

নিয়ম করে রোজ ফিরে আসতে হয়। 

.

হিসেবে মাফিক ,নিয়ম মাফিক ,ঘোড়ার আড়াই দান 

রাজা চেকমেট ,সব ঠিক আছে ,

এরপর মাঝরাত অবধি ঝড়ের বেগে মেসেজ চালাচালি

রিঙটোনের গলা টিপে, ফিরে যাওয়া ভাইব্রেট মোডে

 মানুষের কোলাহল , ফাঁকা গলির নির্জনতা অবধি হাত ধরে অবাধ যাতায়াত

তারপর ফিরে আসতে হয় ঠিক 

নিয়ম মাফিক। 

.

কোন কবির লেখা কবিতা অসাধারণ ,কোন কবি বড়ো নারীভিত্তিক লেখে 

কোন মোমোর দোকানে স্যুপটা ভালো বানায়

কার শরীরের কোন জায়গায় ছায়াপথের মতো লেগে রয়েছে জন্মদাগ

ক্যাফে-ট্যাফে হলেও, বাকি দিন ফুটপাতের চা-বিস্কুট

জানি সবটাই এমনি হয় 

তবুও প্রতিদিন নিয়ম মাফিক ফিরে আসতে হয়। 

ধীরে ধীরে, একটা যোগাযোগ, অনেকটা অধিকার অভিশাপগ্রস্ত গাছ যেন 

 কখন নীরবে আকাশ ছাড়িয়ে যায় , 

বেশ খানিকটা জীবন চুপ করে কাটিয়ে দেওয়ার পর

ভালোবাসি আর বলা হয় না 

শুধু দেখা হয় প্ল্যানমাফিক,নিয়ম মাফিক

প্রতিদিনকার বাড়ি ফেরার রাস্তায় পৃথিবীর সব অন্ধকার যেন এসে হাজির হয় প্রতিবার নিয়ম মাফিক তবু  ফিরে আসতে হয়।

অন্যমনস্ক ভূমিকায়

 অন্যমনস্ক ভূমিকায় 

... ঋষি 

.


জানি আর কিছুদিন পর 

আর কেউ বলবে না‌ চোখের জল মুছে নিতে

আর  কেউ বলবে না ঠিক সময়ে খেয়ে নেওয়ার কথা

দেখা হবে,আমার সাথে তোমার কিংবা তোমার সাথে অন্য কারও

অথচ সারারাত আমাদের শান্তিতে ঘুমোবার কথা ছিল একসাথে 

আর কোনোদিন  ঘুমোনো হবে না। 

 .

শুধু একটা বয়সের পর একটা অন্যমনস্ক সরু গলির একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে

আমি ভাববো তুমি সুখী হয়েছ

আর অন্যপ্রান্তে তুমি দাঁড়িয়ে ভাববে আমার গোঙানি কমে গেছে 

ভালো আছি নিশ্চয় ,

আমাদের  মাঝখানে খেলে বেড়াবে কমবয়সী ছেলেমেয়েরা

যাদের এখনও কেউ চোখের জল মুছিয়ে দেয় অঝোর কান্নায়।

.

এক শালিখ দেখলে আমার  দিন খারাপ যায়

জানি তুমি জানো ,

চোখ বন্ধ করলেই আমি দেখতে পাই

তুমুল চিৎকারে ফুলে উঠছে তোমার গলার শিরা ,

আসলে জোড়ে কথা বললে তোমার শ্বাসকষ্ট হয় 

এটা আমি জানি

কিন্তু এই জন্মে, অন্যমনস্ক হওয়ার বয়স পার করে এসেছি আমরা

এখন সময় সাবধানে পা ফেলার, সামনের দিকে এগোনোর।

বহুদূর থেকে ভেসে আসা গান, যেভাবে মাঝবাতাসে হারিয়ে ফেলে তার কথাকে,

তোমার জীবন থেকে আমিও হারিয়ে গেছি সেভাবে। 

মানিব্যাগের ভিতরে যারা কাছের মানুষের ছবি নিয়ে ঘোরে

আমি তাদের মতো নই 

আর তুমি কোনোদিনই আমার মতো ছিলে না। 

মানুষটাকে খুঁজছি

 মানুষটাকে খুঁজছি 

... ঋষি 


মানুষটাকে  খুঁজছি 

খুঁজছি এই শহরের বুকের চাষে অজস্র প্রজাপতি 

ঠিক কবিতার মতো দেখতে হবে তোমায় 

ঠিক কবিতার মতো তুমি আসলে ভালো থাকার বৃষ্টি হবে 

তোমার মেঘলা রঙের শাড়িতে তখন পুঞ্জ পুঞ্জ মেঘ 

তোমার চোখের কাজলে তখন আমার রাত জাগা কবিতারা  

মানুষের বাঁচার কথা বলবে। 

.

ভালোবাসা ,যন্ত্রনা ,বিরহ সবকিছু শেষ হয়ে গেলে 

ভাবনাদের ফোল্ড করে সরিয়ে রাখতে হবে তোমার সংসার সংসার খেলায় ,

তোমার হাত ধরে হেঁটে যাবে আমাদের ভবিষ্যৎ 

হয়তো অতীত ,

তুমি বলবে তোকে মানুষ করতে করতে জীবনটা কেটে গেলো 

অনুভূতিদের কখনো পাতপেড়ে খাওয়ানো হলো না

আমি বলবো বেশ তো এখনো তো অনেকটাই বাকি । 

.

আমি মানুষটাকে খুঁজছি 

এই শহরের অলিতে ,গলিতে ,নর্দমা পেরিয়ে সেই দুর্গন্ধময় বস্তিতে ,

তুমি তখন অর্ধনগ্ন, তোমার স্বামীর ঠোঁটে তুলে দিচ্ছ ভালোবাসার স্তন 

কিংবা তুমি তখন তোমার রোজকার হাঁড়িতে খুঁজে নিচ্ছো দুমুঠো খিদে 

হয়তো তোমার স্বামী আজ তুমুল নেশা করে করে তোমাকে পেটাচ্ছে 

তারপর সোহাগ করে বলছে 

বুঝলি তো সোনা নেশার ঘোরে কিছু খেয়াল থাকে না  

আর হবে না ,বিশ্বাস কর , 

তুমি হয়তো তখন আদরের খিদেতে ঠোঁট ঘোষছো স্বামীর বুকে 

আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি 

তুমি কাঁদছো ,তুমি হাসছো। 

.

এই ভাবে রোজ দিন ফুরোচ্ছে এই শহরে 

আমার কলম রোজকার খিদেতে লিখে চলছে গোটা শহর 

ধর্মতলার মোড় ,শেয়ালদা হয়ে আমার কলম চিৎকার করছে বাঁচার তাগিদে 

রোজদিন আমি মানুষটাকে খুঁজছি 

অথচ প্রতিদিন শুনছি শুধু সকলের মুখে বেঁচে আছি 

কিন্তু এখনো শোনা হলো না একটা মানুষ যে সম্পূর্ণ একটা  আয়নায় দাঁড়িয়ে  বলছে  ভালো আছি। 

আমি মানুষটাকে খুঁজছি 

সেই মানুষটা যার বুকে একটা সবুজ গাছ রাখা আছে 

সেই মানুষটা যার খোঁজে সময়ান্তরে ছুটে আছে সাইবেরিয়ান পাখিরা 

সেই মানুষটা 

সেই আশ্রয় ,যেখানে বলা যায় খুব সহজেই  ভালো আছি। 


ভালো আছি

 


ভালো আছি 

... ঋষি 


অনেক কথা লেখার ছিল তোমায় নিয়ে 

খাতার উপর বৃষ্টি এলো ঝমঝমিয়ে ,

অনেক কাছে যাওয়ার ছিল একলা দিনে 

কথাটা ঘরে মেঘ করেছে ঘুম জমিয়ে ,

সবকিছু কি কাব্য লেখা এতই সহজ 

তাই মনখারাপের ঘর ছেড়েছি বৃষ্টি নিয়ে।  

.

ঠিক এইভাবে পিছন ফেরা যায় না 

ঠিক এই ভাবে সময় করে ইচ্ছেমতো তোমায় পাওয়া হয় না ,

বৃষ্টি হয় ,ঝড় ,তুফান সব মনের ঘরে 

তবু ঠিক এইভাবে অন্ধকার ভাবনায় ভালো থাকা যায় না 

সত্যি কিংবা মিথ্যা সব যেন এক রকমফের 

দোষরোপের ডাইরি খুলে সত্যি আর জীবন লেখা যায় না। 

.

ফিরে আসি মনের ঘরে 

তোমার শাড়ির আঁচল ,একলা গিঁটে আমিও আছি  

জানি এইভাবে সাথে থাকা যায় না 

তবু বেঁচে  আছি কারণ এখন আমি একলা আছি। 

ভালো থাকাটা নিজের কাছে একটা আর্ট 

ভালো থাকাটা আসলে নিজের কাছে নিজের একটা জিত 

মানুষ বোঝে তবুও বোঝে না 

ভালো থাকতে গেলে একলা থাকাটাকে মেনে নিতে হয় ,

মেনে নিতে হয় সময়ের আগে ঘটে যাওয়া কারণগুলো 

মেনে নিতে হয় নিজের ভিতর একলা সেই বৃষ্টি গুলো 

বৃষ্টিতে একলা ভিজতে হয় 

ভালো থাকি বলতে নিজেকে আরেকটু মরতে হয়,

মারতে শিখতে হয় চাওয়াগুলো 

আর একলা জানলায় বৃষ্টি দেখতে দেখতে ভাবতে হয় 

ভালো আছি 

কারণ ভালোথাকাগুলোকে লুকিয়ে ভালো থাকতে হয় ।

.

every moment  when you feel some one wating for you 

you will lose your life 

every moment when you dream you are live alone 

you will die cause you  dont have any reason to breath .

Thursday, October 13, 2022

আহমেদ এখনো বাড়ি ফেরে নাই

 আহমেদ এখনো বাড়ি ফেরে নাই

... ঋষি 


ধরো একটা ছবি আঁকছি 

আকাশের নিচে কিছু মানুষ ,সামনে উত্তাল সমুদ্র 

এক রুগ্ন মেয়েমানুষ,চিৎকার করে সামনে কোনো মাঝি নৌকার জোয়ানকে বলছি 

ওলো শুনছিস ,আহমেদ এখনো বাড়ি ফেরে নাই 

একটু খোঁজ লিয়ে দেখবি। 

.

আকাশে নিচে মানুষ 

কিংবা মানুষের মতো কিছু আধমরা ,সামনে বিশাল সমুদ্র 

উত্তাল ঢেউ ধেয়ে আসছে 

চিৎকার শুনতে পাচ্ছেন আপনারা কে যেন বলছে 

ওরে জল ঢুকিছি রে ,ঐখানে চল উঁচু থানে সবাই 

কে যেন কাঁদছে 

আহমেদ এখনো বাড়ি ফেরে নাই। 

.

গাছের সাথে মানুষের ,মানুষের সাথে সাপের সহবাস 

বাড়িঘর ,তুলসীদালান ,খাটাল সব ডুবছে 

গতরাতে পাড়া ডুবেছে নিঃস্ব মানুষের আর্ত চিৎকারে

কিন্তু তার সাথে অন্য এক নারী কণ্ঠের চিৎকার 

আহমেদ এখনো বাড়ি ফেরে নাই। 

ছোট্ট ছৈয়ের উপর এক বৃদ্ধ মোড়ল বলছে 

হাইদে ,বাতাসে বড়ো টান আজ ,মুখ বুজে থাকা 

আল্লার কৃপায় সব ঠিক হবে  ,

ছোটো  মেয়েটাকে বুকে চেপে যৌবন চাপা এক মেয়েমানুষ কেঁদে ওঠে 

সব ভেসে গেলো 

মানুষটা এখনো বাড়ি ফেরে নাই 

আহমেদ এখনো বাড়ি ফেরে নাই। 

এক যে ছিল রাজা

 এক যে ছিল রাজা 

... ঋষি 

.

এক যে ছিল রাজা 

যতসব গাঁজা খোর ,মাতালের ভিড় আমাদের চারপাশে 

চুপ রহ কমরেড 

এটা সব পুরুষ মানুষের গল্প আকাশ ফুঁড়ে ,মাটি ফুঁড়ে 

এক যে ছিল রাজা। 

.

কিছুটা গল্প এগোচ্ছিল বেশ 

তারপর তারপর। ..সোজা কন্ডোম কিনে বিছানার চাদর 

তারপর। ...ধৈর্য্য ধর কমরেড 

হাজারো যৌনতার গল্প চটি বইতে পড়া 

আমরা বাঙালি আর পড়তে না চাওয়া 

তারপর বেশ এগোচ্ছিল গল্পটা। 

.

বেশ কিছুটা এগোচ্ছিল গল্পটা 

তারপর তারপর। ১,২,৩ রঙিন কাঁচের ভিতর দিয়ে দেখা হিঁজড়ার দল 

আর তুমি ?

আমি রাজা বোঝার চেষ্টা করো কমরেড ,

তার শরীর সটান ,শরীরের তাপমাত্রা হিমালয় ঘেঁষা ঘাম পুঞ্জ 

এগোচ্ছে না 

আমি ড্রাইভার চেষ্টা করছি চালাতে 

আমিই রাজা। 

.

বেশ কিছু বুর্জোয়া মিটিং মিছিল। .পারছি না ,পারবো না 

বেশ কিছু ঝড় ,দাবানল ,কারফিউ, নোটবন্দী ,ঘর বন্দী ,চাকরি ছাটাই 

তারপর তারপর। .. জমছে না গল্পটা 

চুপ রহ কমরেড ,বুঝতে চেষ্টা করো 

ভোগের খিচুড়ি খেতে কাঙালি লাইনে দাঁড়ানো 

ব্রিজের তলায় দাঁড়ানো মেয়েটাকে অপরাঙ্গে দেখা 

মানছি না মানছি না 

পকেটে টান ,তবুও সিগারেট একটা দরকার ভীষণ 

তারপর মহালয়া ,নতুন পোশাকে সপরিবারে মায়ের পাশে আমি 

পারছি না আর পারছি না 

কনফিউসড রাজা জাপানি  তেলের বিজ্ঞাপনে। 

.

কেমন শুনছো কমরেড ?

এইভাবে প্রতিদিন ,রোজদিন এক একটা গল্পের শুরু হয় 

কেঁদে লাভ নেই ,শুধু অনুভবে 

এক যে ছিল রাজা।   

বলিকাঠ

 বলিকাঠ 

... ঋষি 


আচ্ছা ভালোবাসা কি মানুষের জন্য ?

প্রশ্নটা মনে করেই বাথরুমে ঢুকতে হয় 

সাবান মেখে চান করতে হয় , দাঁড়ি কামাতে হয় 

নিপুন ভাবে ,নিপুন সাজে পোশাকের আড়ালে ক্ষতগুলো ঢেকে 

কোনোমতে মুখে পুড়ে দৌড়। 

.

এ যেন এক অদ্ভুত ব্যাপার 

সামনে বলিকাঠ ,পা দুটো চেপে ধরে মুখ গুঁজে দাও জয়মা বলে 

রক্তজবা মায়ের চোখ আরো লাল হোক ,

মায়ের কথা ভাবিনি অনেকদিন ,ভাবিনি নিজের কথা 

শুধু ভালোবাসা ,শুধু ভালোথাকা 

এই কি বেঁচে থাকা ?

.

প্রেমিকার চোখের ভাষা পড়েছি বহু 

তবু দেখিনি কখনো মায়ের চোখের কোনে কালি ,

দিন ফুরিয়ে বৌয়ের কোলে তুলে দিয়েছি হাজারো সংবাদ 

কিন্তু সত্যি সংবাদে উঠে এসেছে 

আমি ভালো নেই। 

তারপর সময়ে বলি কাঠে মাথা 

ছুটে এসেছে ঝলকে এক হাজারো রক্ত আমার পাঞ্জাবিতে ,

রক্ত ভেজা পাঞ্জাবী মানুষ দেখতে পারে 

কিন্তু দেখতে চায় না ভালোবাসার মৃত্যু 

আমি দুটোই দেখেছি 

তাই বাড়ি ফিরি ক্লান্ত দরজা ঠেলে সব বুঝে 

তবু বলি ভালোবাসা মানে বলিকাঠ নয়। 


কবি কিন্তু প্রেমিক

কবি কিন্তু প্রেমিক
.. ঋষি 

এখন প্রহসন মনে হয় 
কেউ যদি বলে আমি তোমাকে ভালোবাসি খুব কিংবা তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না
কেউ বলে না
আমার শুধু তুই আর কেউ না
খুব কম বলে
আর যাই হোক তোর হাত আমি ছাড়বো না।
.
অনেকগুলো কবিতার রাত অন্ধকারে ডুবে যায় 
আসলে কবিতাকে বোধহয় অন্ধকারে তুই মনে হয়, 
সেই গভীর ওম, সেই আদুরে চোখ 
সেই অভিমান 
লোকে আমাকে কবি বলে
আমি বলি কবি হলেও আমি মানুষ কিন্তু প্রেমিক। 
.
অদ্ভুত কবিতা আর কবিতার রাত
শব্দরা সব ছায়াময়ী শরীরের মত আমাকে জড়াতে থাকে
বুকের ভিতর অভিমানগুলো তখন মাটি চাপা পড়ে
কোথাও যেন আমার কবরে ফুল ফোটে
অকারণে কেন জানি আমার বাঁচতে ইচ্ছে হয়। কবিতার পাতা তখন তোর ভাবনা
কবিতার শব্দরা তখন তোর শরীর
একটার পর একটা সৃষ্টি সে যেন তুমুল ঝড়, বৃষ্টির রাত, আমাদের  সঙ্গম
ক্রমশ সকালের আলো ফোটে
তুই হারিয়ে যাস ঠিক কিন্তু আমার কবিতাগুলো থেকে যায় 
লোকে আমাকে কবি বলে
আমি বলি কবি হলেও আমি মানুষ কিন্তু প্রেমিক।

ভালোবাসি তাই



ভালোবাসি তাই
... ঋষি 

যখন দেখি ভালোবেসে এক বৃদ্ধা তার স্বামীর হাত ধরে রাস্তা পার করে
যখন দেখি ভালোবেসে এক তরুন ঘামে ভেজা তরুনীর মুখ নিজের রুমাল দিয়ে মুছিয়ে দেয়
যখন দেখি ভালোবাসা ধর্ম পেরিয়ে মানুষকে ভালোবাসে
যখন দেখি ফাঁকা রাস্তায় কোন পথিক পথ হারিয়ে ঈশ্বরের বদলে তার ভালোবাসাকে ফোন করে
তখন মনে হয় আমরা আছি বেঁচে।
.
প্রতিদিনকার ঘুমের ওষুধ, পার্সের ভিতর লূকোনো প্রেমিকার মুখ
বুকের খাঁজে আটকানো হাজারো প্রতিশ্রুতি
সেই বহুদিন আগে দাঁড়িওয়ালা সেই ভদ্রলোকের গানটা
" আয় আরেকটি বার আয় রে সখা প্রানের মাঝে আয় "
শুনলে মনে হয় এই তো বেশ ভালো আছি
ভালোবাসি।
.
সব প্রশ্নের উত্তর ফুরিয়ে যায়
সব পাখি ঘরে ফিরে আসে
কিন্তু ঘর শব্দটা একটা লুকোনো ধাঁধা মানুষের মনে
ঘরের স্বপ্নে তুমি বুক হাতড়াও একলা বিছানায়
ঘরের স্বপ্নে আমি রাত জাগি ক্লান্ত কবিতায়
তবু কথা ফুরোয় না জানো
ভালো লাগে কবিতার শব্দের, শব্দের ভালোবাসিতে তোমায় অনুভব করতে
আর ভাবতে
ভালোবাসি তাই তো আছি বেঁচে।

তথাস্তু



তথাস্তু
.. ঋষি 
আগুনের বুক থেকে একফালি আশ্র‍য় কুড়িয়ে ফিরি
বুকে স্যাতস্যাতে বারুদে লিখিফিরি কবিতার মত কিছু 
বুঝেও বুঝি না
সবাই বলে বেকার কবিতা 
কিন্তু আমি জানি আমার কবিতায় আমিই বেকার চিরকাল।
.
মানুষের কথা ফুরিয়ে যায় ক্রমশ
ভালোবাসার ঘর হারানোর খবর আজকাল যখন তখন পাই 
তোমার ফোন কলের অপেক্ষায় দিন কাটে
অনেক কিছু বলার থাকে তোমায়
কিন্তু বলা হয় না
একটা একটা করে দিন কাটে অচেনা রৌদ্র ফুরোনো দিনে। 
.
একবার তোমার বাইরে গিয়ে কবিতা লিখতে হবে 
তোমায় বলতে হবে ছুঁড়ে ফেলো 
ছুঁড়ে ফেলো আমায় এতদূরে যেখান থেকে ফেরাতে না পারো 
ভালোবাসি আর  অবশিষ্ট কি আছে? 
কি আছে তোমার আমার মাঝে প্রতিদিনকার পথচলায়
এখন তো বাড়তে থাকা সুগার ,কোলেস্টেরল আর  নির্ঘুম রাত 
এখন তো পিছনে ফিরে খোঁজা কারন আর সামনের জীবন 
মাঝখানে কেউ কোত্থাও নেই। 
এখন একটা হিসেব নিকেষ, নিয়ম মাফিক আমি তুমি,
যে সুতোয় জোর ছিল না কোনদিন সেই সুতো ছিঁড়ে ফেলা ভালো 
না হলে বিসর্জনের পরও জল থেকে দেবী হঠাৎ উঠে বসে বলবেন
তথাস্তু তোরা আর ভালোবাসতে পারবি না কোনদিন। 

Wednesday, October 12, 2022

একাই হাঁটছি

 একাই  হাঁটছি 

... ঋষি 


চিনি 

 

চোখের শান্তির পাতায় নিরবিচ্ছিন্ন এক দ্বীপ ঘুমিয়ে আছে 

মানুষের মাঝখানে দাঁড়াই 

টানাটানির সংসারে এক কাপ চেয়ে চিনিটা তুমুল মনে হয় 

বুঝতে পারি না প্রেমিকার ঠোঁট না চিনি 

কে দরকারি ?


প্রেমিকা 


তুমি অন্যমনস্কতায় হেঁটে যায় আমার বুকে নীল শাড়ি পড়ে 

ডালিমের রক্তে ফুটে থাকা সুন্দর।

তোমার  শাড়ির কুচি থেকে ছড়িয়ে পরা প্যানডোরা!

 আমি আঙুল দিয়ে এঁকে রাখি আমার ঘর,বিস্তর শরীর, একা একটা রাক্ষসের,

অথচ কোথায় যেন আমার ঘুম _ প্রতিবাদী কাব্য মনে হয়। 


আসন্ন শীতকাল 


আজকাল বড্ড শীত শীত লাগে বুকের ভিতর 

পাথরের গায়ে হাত দিয়ে দেখি জীবনের তোমার ডিপফ্রীজে প্রতীক্ষায় 

তুমি কড়াইতে তেল ঢালো ,কনুই দিয়ে চুল সরিয়ে নেও দ্বীপান্তরে 

অথচ তোমার অন্যমনস্ক চাদরের গায়ে একটা ভাবনা ঘুমোয় 

আমাকে ফ্রীজ থেকে বের করো , এখনো তোমার শরীরে আমার উষ্ণ ওমের প্রশ্ন। 


সময় 


সময়  কেটে নিচ্ছে সমস্ত দৃশ্য, জল ,সমতল

 মানুষ,মানুষের মতো গুচ্ছ গুচ্ছ রাগ ,ষড়যন্ত্ররা  যাচ্ছে কোথায়?

সময় কেটে  কেটে নিচ্ছে সমস্ত দৃশ্য

অথচ মানুষ অথচ মানুষের মতো গুচ্ছ গুচ্ছ ছায়া ছবি

ছায়ারা থেকে যায় ,ছবিগুলো হারায় ক্রমশ। 


বাঁচতে চাই 


শান্তি শিশুর মতো হাতপা ছড়িয়ে থাকে ঘুমিয়ে থাকে  

হঠাৎ রোদের মতোই এক পাগল এ শহরে হারিয়ে যায়  

হঠাৎ রাগের মতো সূর্য তুলি ধরে এই সভ্যতায় মেঘেদের দেশে 

বৃষ্টি আসে তোমার জমিতে ,আমার জমিতে বাড়ে দুর্বলতা 

আমিও ক্লান্তিতে ভিজি _ বাঁচতে চাই। 


 

আমার জমি

 আমার জমি 

... ঋষি 


এই শহরে অজস্র বাঁক ,প্রচুর পাঁক ,অজস্র গর্ত 

তাই একটা সরু দড়ির উপর দিয়ে হাঁটছি !

না না ট্রাপিজের খেলা না এটা 

আসলে নিচে অজস্র বাঁক ,প্রচুর পাঁক ,অজস্র প্রশ্ন 

কোন দেশী ? এদেশী না ওদেশী 

কোন দল ? মোহনবাগান না ইস্টবেঙ্গল 

কোন পার্টি ?লাল না বেগুনি 

যাই উত্তর দেব না কেন কোন না গর্তে আমাকে নামতে হবে 

তাই দড়ির উপর দিয়ে হাঁটা ভালো। 

.

তবু এবার একটা নিজের দল তৈরী করতে চাই 

বেয়াড়া প্রশ্নদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে চাই 

জানি না কাকে পাবো পাশে 

জানি না তুমিও থাকবে কিনা 

তবু জানো আমি এবার উঠে দাঁড়াতে চাই ,

কোনো মতে অক্টপাসের   গন্ধ পিছনে ফেলে 

কোনো মতে মৃত্যু উপত্যকা পেরিয়ে ,জৈবিক ইচ্ছাদের গলা টিপে 

পায়ের তলার মাটির উপর একটা পতাকা পুঁতে চিৎকার করে বলতে চাই 

এটা আমার জমি ,,,এটা আ.... মা.... র। 


এবার সমাপ্ত

 এবার সমাপ্ত 

... ঋষি 


এখনো অনেকটা বাকি 

বাতাস ধোওয়া জানালার নেমপ্লেট অলিখিত চুক্তি 

জানলার পাশে পড়ার টেবিলে ,ধোঁয়া ওঠা সিগারেট 

কবিতার খাতায় অসমাপ্ত কবিতারা  

তোমাদের বলা হয় নি মানুষ শুধু এক জীবিত পরিচয় মাত্র। 

.

আচমকা ধড়ফড় করে উঠে বসি 

একটা কালো ফ্রেমের অসমাপ্ত ছবি আমার বুকের দেওয়ালে আটকানো 

ছবিটার গায়ে স্বপ্নের অনেকগুলো ফসিল আমাকে প্রশ্ন করে 

আমি ঋণী আমার প্রশ্রয়ের কাছে 

কিন্তু সমাপ্তি কি সত্যি লেখা যাবে না। 

.

ওরা যারা আমাকে আকাশ থেকে নামিয়ে আমাকে মাটিতে পুঁতে দিল 

আমার কবরের উপরে লিখে দিল অসমাপ্ত নেমপ্লেট  

তাদেরকে বলার দরকার নেই 

নিজেকে পুরুষ প্রমান করতে করতে কেটে যাচ্ছে জীবন 

অথচ আমি প্রেমিক হতে চেয়েছিলাম। 

.

চারিদিকে জমে আছে নোংরা অসমাপ্ত জল 

জানি না সিঁড়ি ভেঙে আমার উপরে ওঠা হবে কিনা ,

বাবা বলেছিল চরকের মেলায় নিয়ে যাবে 

নিয়ে যায় নি 

শেষ নিশ্বাস নিতে নিতে তাই মাকে প্রশ্ন করি নরক কেমন মাগো। 

.

বুঝতে পারছি না ও কে এলো ? চলন্তিকা 

ফোঁটা ফোঁটা শিশিরে ভিজে যাচ্ছে তোমার যোনি ,স্তন ,নাভি ,

আমার জিভ ,ঠোঁট সব গলে যাচ্ছে চলন্তিকা 

তোমার গভীরে আমি আর চুমু খেতে পারবো না 

আমি বোধহয় অপেক্ষায় মরে যাবো একদিন। 

.

মিষ্টি খেতে ভালোবাসতাম ,ওদের পেট ভরে খাইয়ে দিও 

পেট নাভি ঘিরে দাউদাউ আসক্তির ক্রম 

আনন্দ ,শোক ,দুঃখ,ঘেন্না ,ভয় -শরীরে শেষ সুতোটুকু খসে গেছে ,

আমাকে পুড়িয়ে গিয়ে জানলাটা বন্ধ করে দিও 

আর আমাদের অসমাপ্ত কবিতার শেষে লিখে দিও এবার সমাপ্ত। 


Tuesday, October 11, 2022

অন্ধকার শহর

 অন্ধকার শহর 

... ঋষি 


if you think you are not enough to live alone 

if you think you are not enough to live togather 

then this city is change as a darkhole 

and you are a black ship in a dark ocean  

.

সত্যি হলো 

এই শহর হলো সম্পর্কের শহর 

এই শহর হলো ভালোবাসার শহর 

এই শহরে মানুষ জাগে কম 

এই শহর হলো মানুষকে ঘুম পাড়িয়ে রাখার শহর.

.

ঠিক এইখান থেকে কথা গুলো শুরু করবো 

ঠিক এইখান থেকে তোমার দিকে তাকিয়ে বলবো ভালোবাসি,

ভালোবাসি একটা বৃত্তের  উপর পরিধিতে একটা বিন্দু 

ক্রমশ শেষ না হওয়া পথ ,

ক্রমশ আরো বুকের গভীরে প্ৰাচীন যোগাযোগ 

ঠিক এইখান থেকে অপেক্ষাদের  শুরু আর শেষ

যত পথ তত মত । 

.

 ঠিক এইখান দিয়ে বলতে চাই তোমার দরজার ঘর 

ঠিক এইখান দিয়ে বলতে চাই তোমার ফেলে আসা শহর 

ঠিক এইখান দিয়ে তোমার ভাঙা প্রতিশ্রুতি

ঠিক এইখান দিয়ে কারণ আর সমবেদনা মানুষের প্রতি। 

 ঠিক এইখান দিয়ে তোমার দিকে তাকাই  

ঠিক এইখান দিয়ে বারুদ ঘষি হৃদয়ে, আগুন জ্বালাই

ঠিক এইখান দিয়ে ভালো আছি  ভাবতে ইচ্ছে হয় 

ঠিক এইখান দিয়ে তোমার কাছে নিজেকে পোড়াই। 

.

এই শহর হলো দহনের শহর 

এই শহর হলো স্বার্থপর কিছু কারণের শহর 

এই শহরে মানুষ বাঁচে কম 

এই শহর হলো অপেক্ষার আলো আর ক্রমশ অন্ধকারের শহর। 


 


কাশফুল

 কাশফুল 

... ঋষি 


অবশ্যই কাশফুল 

পুরোনো ট্রেনলাইনের পাশে যেমন করে বিভূতিভূষণ এঁকেছিলেন 

সবকিছু পুরোনো হয়ে যায় ,

পুরোনো হয়ে যায় কাগজের দরে আজকে পুজোসংখ্যা 

মানুষ আবিষ্কার করতে ভালোবাসে 

তাই একের পর এক ব্যবহারিক মাত্রায় সময় লেখে। 

.

আমি দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে আজ বহুদিন 

তোমার দরজার ওপাশে সাজানো সংসারের অনেকগুলো মানে 

অথচ আমি সংসার মানে চাল ,ডাল আর মানুষ বুঝেছি 

আর বুঝেছি সেই মানুষটা যেটা আমার মেরুদন্ড 

কিন্তু এটা বুঝিনি 

কারণের শহরে মানুষ একটা কারণ বেঁচে থাকার। 

.

বলতে পারি না  তোমায় ছাড়া বাঁচতে চাই 

বলতে পারি না প্রতিবছর কাশফুল কিভাবে কোথা থেকে হয় ,

আমি কথা বলি 

উল্টোটা কথা ফুরিয়ে যায় 

তুমি দূর ,বহুদূর 

শব্দরা কারণ আর অপেক্ষারা কবিতা হয়ে যায়। 

সেই স্টেশন ,সেই শহর ,সেই মানুষ ,সেই মানুষের ঘর 

সব মিথ্যা 

মিথ্যা এ শহরে অধিকার আর অল্পতে বাঁচা 

কারণ বাঁচাটা একটা নিয়ম এখানে 

যেমন পুজোর আগে কাশফুল

উৎসবের মহড়া আর সম্পর্ক এখানে । 

পরিত্যক্ত


 

পরিত্যক্ত 

... ঋষি 

.

সম্পর্ক আসলে আশা ,নিরাশায় দুলতে থাকা দোলনা 

অনেকটা ভালো থাকা আর না থাকার মাঝে একটা তফাৎ 

অনেকটা স্লোমোশানে কাটতে থাকা নাটক 

মানুষ হয়তো বোঝে তুবুও বোঝে না 

সেটাই  আসলে সম্পর্ক। 

.

একটা  ব্যাকরণ বই খুলে সম্পর্ককে পোশাক পরাই 

নিজেই হাসি ,নিজেই কাঁদি ,

অথচ বুকের গভীরে জমে থাকা কথাগুলো বড় নির্লজ্জ। 

তুমি পোশাক পরো  ,সকলেই পরো 

সকলে নিভৃতে কিংবা বাথরুমে সেই পোশাক বদলাও 

 সাবান ,শ্যাম্পু মাখো ,নিজেকে সাজাও   

নিজের শরীরে ত্রুটিগুলো ঢেকে রাখো 

অনেকটা এই সম্পর্কের মতো। 

আমি বুঝি সম্পর্কের মাঝে লুকোনো মুখোশে সকলেই আত্মীয়

কিন্তু মুখোশ ধরে টান মারলেই 

একটা জ্যান্ত অজগর জীবনটাকে গিলে খেতে আসে 

ক্রমশ পেঁচিয়ে ধরে ,ক্রমশ মৃত্যু বুঝেও সকলেই অসহায়

তোমার মতো ,আমার মতো সকলেই পরিত্যক্ত । 

 


Saturday, October 8, 2022

ব্রায়ের প্রতিবেদন

ব্রায়ের প্রতিবেদনে 
..ঋষি 
.
মশাই ব্রা ছিল? 
জানেন না ব্রায়ের সাইজ, ২৪,৩৬,৩৮, 
মশাই স্বপ্ন আদর্শে আপনি বুনে ফেলেছেন রঙিন স্বপ্ন
গসিপ হলো 
বাজারে খবর এলো পুরুষ মানুষ ব্রায়ের অধীন
কারন আপনার চোখটা ব্রায়ের দিকে ছিল। 
.
আমি মানুষ হয়ে ভাবি নি কখনো 
ব্রা কে আবিষ্কার করেছে? 
মেয়ে মানুষ কেনই ব্রা পড়ে? 
শুধু এটা বুঝি একটা আকাশের চাঁদ সকালের আড়ালে ঢাকা পড়ে,
কারন অন্ধকারের চোখ সন্ধ্যের দিকে থাকলেও 
চাঁদ ওঠে, জ্যোৎস্না কথা বলে। 
.
এ সব বাদ দিন মশাই,
আপনাকে প্রশ্ন করি আপনি ডিক্সিকোলজির মানে জানেন? 
আচ্ছা বাদ দিন 
বলুন তো ব্রা শব্দটা কোথা থেকে এসেছে? 
শুনেছি ফরাসী ভাষায় ব্রাসাস বলে একটা শব্দ আছে, 
আচ্ছা আপনার এসব জেনে লাভ নেই
তবে এটা জেনে কি লাভ ভদ্রমহিলা ব্রা পরলো কি পরলো না? 
ও আচ্ছা, 
আপনি পুরুষালি গেঞ্জিতে কমফর্টেবল নন, 
বুঝতে পারছি না মশাই 
পুরুষ কি নারীর ব্রার খবর রাখে 
আর পুরুষের কাছে নারী মানে কি শুধু শরীর, 
মশাই সম্পর্ক শব্দটার মানে নিয়ে একটু পড়াশুনা করুন প্লিস
নাহলে ব্রা শব্দটার মানে জানা এসেনসিয়াল হয়ে যাবে।


Thursday, October 6, 2022

বেপনহা

 বেপনহা 

.. ঋষি 


একবার মাটি লিখতে গিয়ে আমি সম্পর্কের গায়ে টেনেছি দাগ 

একবার কবিতা লিখতে গিয়ে আমি লিখে ফেলেছি পৌঢ়ত্ব ,

বেপনহা জিন্দেগী  অবলম্বনে আমার উপন্যাসের শেষে 

শুধু জন্ম নয় 

একটা মৃত্যু জরুরী ছিল । 

.

এই শহর জানে উৎসবের আগুনে মুহূর্তকে হজম করতে 

এই শহর হাসতে হাসতে গুলি চালাতে প্রতিটা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ,

এই শহরে মৃত রাইটার্সের বুকে পৌঢ়ত্ব 

প্রাচীন চাকা ছুঁয়ে বইয়ের গন্ধ 

সব এক নিমেষে ভ্যানিস হয়ে যায় 

গিলি গিলি গে 

সবটাই বাঁচার প্রহসন। 

.

সব পাখি বাড়ি ফিরে যায় 

তবে সব বাড়ি শুধু পাখিদের বাসা হতে পারে না ,

ভালোবাসা শব্দটার গায়ে আজকাল কেমন যেন ইউসফুল দাগ 

আর আমার কলম জুড়ে পৌঢ়ত্ব। 

মাটি ছুঁয়ে মানুষ সবুজ হতে পারে 

কি অবাঞ্চিত কিছু প্রশ্ন সেই মাটিতে বপন করে বিষ ফল 

তার মানুষ ভুল করে 

আদম সভ্যতা বদলাতে ঈশ্বরকে অমান্য করে 

হয়ে ওঠে মানুষ। 


প্রাক্তন

 


প্রাক্তন 

.. ঋষি 

.


সবকিছু কোনোদিন থামে নি তাই 

প্রেমিকের শার্টের কলারে জমে থাকে নীরবতা 

সবকিছু কোনোদিন ভাঙতে পারে না 

এই বাউলের জীবনে জমে থাকে তাই শান্তি 

আমি চুপ থাকার পথিকৃত 

পথ ভালো ,ভালো পথে দেখা হয়ে যাওয়া মানুষ। 

.

পিছনে ফিরে দেখলে 

পায়ের তলায় ফুটে যায়  অসংখ্য কাটা 

শব্দদের পাশবালিশ করে একের পর জমতে থাকা না বলা ,

ঘুমের ফাঁকে কপালে লেগে থাকা জন্মদাগ 

ঘুম আসে না 

শুধু অনন্ত বুকের ভিতর একটা শহর ঘুমোতো চায়। 

.

রাস্তার ধারে পরে থাকা সম্পর্ক শব 

মৃত অহংকারের মতো কিছু বাহ্যিক প্রতিবেদন ,

কলমের কালিতে আজকাল চল্লিশের দাগ লাগে 

মানুষ জানে ,মানুষ  বোঝে 

প্রতিটা নাটকের ইন্টারভেলে একটা নিশ্বাস জরুরী। 

বর্তমান থেকে ভবিষ্যৎ 

একটা আড়ালে থাকা প্রশ্রয় স্নেহের দেওয়াল ধরে 

মানুষ দুঃখের দেওয়াল ভাঙে ,

হারানো সময়ের পরে আকাশের ভাঙা মেঘে বৃষ্টি নামে 

আমি তোমার নাম ধরে ডাকি 

শব্দরা পাশবালিশ ফেটে ছড়িয়ে পরে কান্নায় 

আসলে শব্দদের কারন দরকার বটে 

কিন্তু অকারণে শব্দরা সব প্রাক্তন। 

Wednesday, October 5, 2022

শুভ বিজয়া,১৪২৮

শুভ বিজয়া ১৪২৮
.. ঋষি 

আর কিছুক্ষন 
সিঁদুর খেলা শেষ, বিশ্বাস ছিল, আছে, থাকবে
মা ফিরবে আবার,
পুরনো মায়ের কাঠামোয় আবারও মাটির প্রলেপ 
বিশ্বাসের অঙ্গীকার 
আবারও শেষ, শুধু নিঃশ্বাস টুকু অবশিষ্ট। 
.
বন্ধুদের কোলাকুলি, সিঁদুর মাখা স্বপ্ন 
যজ্ঞের আগুনের কাছে ছুঁয়ে থাকার প্রতিজ্ঞা 
আমরা আছি, আমরা থাকবো, হয়তো ভালোবাসবো,
সময়ের পথে পথে ঘুরে
উৎসব কুড়িয়ে ফেরা মানুষগুলো ভাতঘুম 
আবারো বোধহয় অপেক্ষা। 
.
আমি তোমার মুখের দিকে চেয়ে আছি 
সেই চোখ জ্বালা করা দৃষ্টি, 
একটা শেষ মানে সবকিছু শেষ হয়ে যায় না
আর একটা শুরু মানে হয়তো কিছু বদলায় না
কিছু তো অবশিষ্ট থাকে,
রাস্তার ধারে ধারে উৎসবের প্যান্ডেল
ভাঙা পুজোর দেরাজে কিছু ভালো থাকার সেল্ফি
বিসর্জনের ভুমিকায় কয়েক ফোঁটা চোখের জল
মা ফিরবে আবার 
আজ না হয় সাক্ষী জলের গভীরে ঘুমিয়ে মৃত উৎসবের শরীর 
আসছে বছর আবার হবে,
এখন না হয় জল থেকে উৎসবের কাঠামো তোলার আয়োজন
আর প্র‍য়োজন ভালো থাকা শুভ বিজয়া ১৪২৮.



Sunday, October 2, 2022

শারদীয়া (৩)

 শারদীয়া (৩)      

ঋষি 


এই উৎসবের আলো ,উজ্জ্বল পথঘাট 

জীবন শব্দটা যে কতটা আনন্দের তা বুঝতে একবার মণ্ডপে যেতে হবে ,

একবার দাঁড়াতে হবে গর্জন তেল মেখে ,তেজস্বী নারীর কাছে 

চোখে চোখ রাখতে হবে ,

প্রশ্ন করতে হবে 

জীবন আর দুর্বলতার মধ্যে তফাৎ কি ?

.

চারিপাশে ঢাকের শব্দ ,মানুষের আস্ফালন 

পুজো সংখ্যায় লেখাগুলো বুদ্ধিজীবী মানুষের হৃদয়ের ঝংকার 

ঝংকার প্রথম আলো ,মুহূর্ত ভাল থাকার,

একবার কবিত্বের বাইরে  মানুষ হিসেবে দাঁড়াতে হবে সময়ের দরজায় 

চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন করতে হবে নিজেকে 

কেন লিখি ? সে কি দারিদ্রতা ?

.

আমি তোমার দিকে তাকাই 

তোমার চোখের পর্দায় আজকাল যন্ত্রনা ফুটে ওঠে ,

ফুটে ওঠে প্রশ্ন 

ঠিক কতটা সময়ের ভিতর দ্রবীভূত হলে ভালো থাকা  যায় ,

আদৌ কি ভালো থাকা সম্ভব মানুষের ?

প্রতিদিন কমতে থাকা হৃদয়ের দূরত্ব 

প্রতিদিন বাড়তে থাকা সময়ের দূরত্ব 

প্রতিদিন নিঃশ্বাসে কমতে থাকা জীবন 

প্রতিদিন চোখের পাতায় মৃত স্বপ্ন। 

তবুও দিন শেষে সকলকে দাঁড়াতেই হয় খোলা আকাশের নিচে 

সকলকেই বুঝতেই হয় অভাব শুধু স্বভাবের নয় 

একটা বাস্তব কাঠামোর উপর দেবী মূর্তি 

একটা রূপ যাকে সকলকে বিশ্বাস করে বাঁচতে হয়। 

 


অনবদ্য কবিতা

আমরা কেউই অনবদ্য কবিতা নই আমরা সাধারণ যারা তারা শুধু বেঁচে আছি বেঁচে থাকবো বলে, আমাদের কবিতারা আকাশে উড়তে পারে না শুধু ডানা ঝাপটায়, হঠাৎ  অব...