Saturday, November 28, 2020

এমন কিছু




এমন কিছু 
,ঋষি 
এমন কিছু ঘটে যাক আমার তোমার মাঝে
যেখানে শব্দের অব্দরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হোক, 
এমন একটা কিছু ঘটুক 
যাতে দুবার কেউ না আমাকে ছেড়ে যেতে না পারে, 
যাতে দুবার কেউ আমাকে বলতে না পারে 
এইবার আমার ছুটি। 
.
জীবন ভেঙে  পড়ুক 
ভেঙে পড়ুক এক প্রস্থ এজলাস আমার বুকে, 
মৃত ভায়োলিনের সুর ছুঁয়ে যাক আচমকা কোন পুরাতন স্যানেটোরি 
পুরনো সেই গাছটার মতো আমি দাঁড়িয়ে , 
সামনে দাঁড়াক সেই মুহুর্ত 
যেখান থেকে যাতে কেউ কাউকে ছেড়ে যেতে না পারে। 
.
সত্যি বলছি চলন্তিকা আমি দেখতে চাই এমন কিছু
যেখানে মৃত স্যিগনেচার বুকে আজকের সমাচার হেডলাইন না করে
ছেলেটা আর নেই, 
মুহুর্তরা আর নেই 
আর নেই সেই প্রতিশ্রুতি বদ্ধ নিরাকার সম্পর্ক। 
এমন কিছু একটা ঘটুক 
যাতে ফুটপাথ লাগোয়া বস্তিতে তুমি যাতে একলা না দাঁড়াও
যাতে একলা না দাঁড়ায় এই শহরের কোন অবুঝ বোঝাবুঝি, 
আমার মতো কেউ হঠাৎ  মৃত্যু থেকে ফিরে
একলা না হয়ে যায় হঠাৎ 
তাকে যাতে বলতে না হয় ভালো থাকিস তুই 
 আর তো কিছু চাই নি। 



জানি না তুমি বিরক্ত হও কিনা

 



জানি না তুমি বিরক্ত হও কিনা 

.. ঋষি 

.

এই যে সকাল থেকে গোটা পাঁচেক বার তুমি 

ক্রমশ অন্ধকার থেকে আলোর মতো ছড়িয়ে পড়ো ,

হঠাৎ পথ চলতে হোঁচট খেতে খেতে 

আমাকে তুমি মনে করো ,

আমার বড় জানতে ইচ্ছে হয় 

তুমি কি বিরক্ত হও ?

না কি  প্রত্যেক আমিতে,আমাকে আরো জড়িয়ে ধরো। 

.

এই যে সকাল থেকে আমি 

শুধু তোমাকে শুনবো বলে খুলে রাখি অগতির গতি ,

হঠাৎ অফিসে কাজের ফাঁকে ,হঠাৎ কম্পিউটারের স্ক্রিনে 

তোমার মুখ যেন অনবদ্য বেঁচে থাকা ,

জানি না তুমি মনে করো ? 

আমি মনে করি এমন করে কি এঁটুলির মতো আটকে থাকে কেউ 

না কি কেউ এমন বিরক্ত করে বিরক্ত করে  কাউকে।  

.

জীবন চলে যায় 

চলে যায় সময় ঘন্টা ,মিনিট ,সেকেন্ড আরো ন্যানোতে 

আমি কিছুতেই বুঝতে পারি না 

এমন করে কাউকে জড়িয়ে ধরলে সে কি  করে ভাবতে পারে 

বেশ আছি, ভালো আছি। 

এই যে গোটা সকাল থেকে সন্ধ্যে তারপর রাত্রি

একটা ছায়া আমাকে তাড়া করে ফেরে ,

এই যে আমার মাথার উপর একটা হেলিকপ্টারের পাখা যখন তখন 

আমাকে নিয়ে গিয়ে দাঁড় করিয়ে দেয় তোমার শোয়ার ঘরে 

তোমার বাথরুমে 

তোমার কবিতার বইতে 

তোমার ভাবনায় 

তোমার রান্নাঘরে হাতাখুন্তির শব্দে ,

এই যে হঠাৎ মনখারাপী সন্ধ্যে আমাকে একলা করে দেয় বারংবার 

জানি না তুমি কি ভাবো  

জানি না তুমি বিরক্ত হও  কিনা।  

Thursday, November 26, 2020

জেব্রাক্রসিং

 জেব্রাক্রসিং 

... ঋষি 


রাস্তায় জেব্রাক্রসিং 

নিয়ম মেনে চলে নি জীবন কোনোদিনই ,

তুমি বলো  আমি বিবাগী হবো 

অথচ আমি ঘোরতর সংসারী 

ভীষ্মের মতো আমিও পার করেছি ইতিহাস 

অথচ আমার মহাভারতে দ্রৌপদী রাতের গভীর ঘুমে। 

.

আজকাল অর্ধরাতের পরেও ঘুমোয় না কোনো একলা প্রেমিকা 

সারারাত জেগে থাকে  অন্ধকারে ,

মানুষ অন্ধকার ভালোবাসে না 

অথচ ভালোবেসে হেগে ,মুতে ছড়াতে রক্তবমি করে। 

মানুষ জানে হৃদয়ের থেকে বড়ো অন্ধকার হয় না 

তবুও ডিম্ ভেঙে বেড়োনো শিশুর কাছেও আজ বিজ্ঞাপন প্রিয়। 

.

সূর্য পশ্চিমেই ওঠে সমাজের মতো 

তবুও তুমি রাত  জেগে ভাবো ষোড়শী কিশোরীর মতো আমাকে ,

বলো সিগারেট খাস না 

বলো তুই সিগারেট খাবি আমি অসুস্থ হবো 

অথচ আজ অবধি কোনোদিন তুমি আমাকে ভালোবাসো বলো নি। 

বলো নি একটা ফোন কলের অপেক্ষায় 

তোমার অভিমান হয় ,

শেষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে তুমি চিরকাল আজন্মের পাথরের মতো 

তুমি বিশ্বাস করো না 

নারী এই সময়ের শেওলা ধরা পাঁচিলের মতো চির প্রাচীন 

আর পুরুষ পাখিদের মতো। 

তাইতো তুমি কাঁদলে পরে মনে হয় আমি আর লিখবো না 

বরং জেব্রাক্রসিং মেনে রাস্তা পার হবো তোমার হাত ধরে 

তোমার সময়ের অধিকার হবো।   

বদনাম গলি




 বদনাম গলি 

....  ঋষি 


সময় জুড়ে শুয়ে আছে ভারতবর্ষ 

কমরেডদের শরীরের ওপর উঠে আছে আতঙ্ক 

উঠে আসছে একটার পর একটা যুদ্ধের ট্যাংক ,যুদ্ধ বিমান 

বদনাম ভারতবর্ষ। 

.

কোনো সভ্যতা নয় 

বিপ্লবের দীক্ষায় দীক্ষিত ভারতবর্ষের মানচিত্রে শুয়ে আছে অশোকস্তম্ভ 

অথচ মাথা নিচু করে সময়ের সিংহরা

ভয় পাচ্ছে 

ভুলে যাচ্ছে মাংসের গন্ধ 

 বদনাম গোলিয়সে গুজেরনে বালা হর  ইনসান 

আজকে তারিখমে সব রেন্ডি  হোতি  হে। 

.

সারা মানচিত্র জুড়ে ছড়িয়ে অজস্র রক্তবিন্দু 

মানষের জন্য 

শ্রমিকের জন্য 

সময়ের জন্য ,

অথচ চলন্তিকা তোমার বুকে পুঁতে রাখা হয়েছে সামাজিক ধর্ম 

সমাজের প্রজাপতি 

অথচ প্রজাপতির নরম আনন্দকে বলাৎকার করছে দেশ 

ধর্মের পাঠায় লেখা আছে কুন্তী পাঞ্চালি 

আর অহল্যা পাপী। 

সব সত্যি মিথ্যে হয়ে যায় ,সব মিথ্যা সত্যি হয়ে যায় 

সময়ের পাতায় ,

আমরা জানি আমরা কজন গাছ লাগায় 

জোয়ারভাঁটার টানাটানিতে মরুভূমি কেন জন্মায়। 

অথচ সত্যি বলতে পারি না জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকান্ড নিয়তি নয় 

বিপ্লবকে দমবন্ধ করে মারার প্রচেষ্টা 

আর আজকের সময়ে যদি আপনার স্ত্রীর গর্ভে সময়ের প্রজাপতি জন্মায় 

আপনি কমরেড না 

সময়কে ,সমাজকে বেজন্মা বলে গালাগাল দেন। 

তোমার বুকের ভিতর

 


তোমার বুকের ভিতর 

.... ঋষি 

.

তোমার বুকের ভিতর সিঁড়ি ভেঙে নামি 

দেখি একরা রোদেলা বিকেল খাবি খায় গভীর অভিমানে ,

আমার গোপন কথা জানা ছিল 

আমার গোপন করে রাখা ছিল 

ফুচকার মশলা দিয়ে মাখা জীবন অনবরত তীক্ষ্ণতায় 

যেন সময়ের জন্ম দিন 

তোমাকে বলা হয় নি অভিমানগুলো জমা হলে বাষ্প হয়ে যায়। 

.

চারিদিকে থিকথিক  করছে  প্রাচীন শারিরীক  জীবাশ্ম

সমাজের হাড়গোড়

কোথাও উড়ে যাচ্ছে ফেরিঘাটের আবর্জনা 

সঙ্গমের মাংস ছড়িয়ে ছিটিয়ে ,

তোমার বুকের গভীরে বরফ মাখা শরীরটা আকাশ চাইছে

আমার শীত করছে। 

.

তোমার বুকের ভিতর সিঁড়ি ভেঙে নামি 

প্রতিটা সিঁড়িতে লেখা আছে অসংখ্য সময়ের প্রহসন ,

আমি আবিষ্কার করি 

কালোবেড়াল রাস্তা পেরিয়ে চলেছে আমার শহরের সোনাগাছি 

সমাজ সন্ন্যাস 

অথচ তোমার আলতা মাখা পায়ে সময়ের চিৎকার। 

উচ্ছিষ্টের মতো শুতে থাকো তুমি 

নিজের গভীরে খনন করো তুমি গভীর সুড়ঙ্গ 

শব্দরা কম পড়ে 

অভিমান লিখতে কবিতায়। 

সময় তবু ডাকিনী বিদ্যা জানে 

জানে তোমার জন্মের কবিতায় মৃত্যুগুলো মুখোশের মতো 

শুধু অপেক্ষায় 

আমার ভয় করে ইতিহাস 

কারণ ইতিহাস পুড়িয়ে সর্বদা উপস্থিতি তৈরী হয়।     

আমার সমস্ত কবিতা

 



আমার সমস্ত কবিতা 

... ঋষি 

.

আমার সমস্ত কবিতায় তুমি শুয়ে থাকো চলন্তিকা 

অথচ জন্মের প্রতি তোমার চূড়ান্ত দুর্বলতা 

আর সময় শেষ হলে তোমার অভিজ্ঞতা ভরে যায় মাসিকের রক্তে। 

তুমি কেন চলন্তিকা  ?

কারণ তুমি শরীরের বাইরে সময়ের বাইরে জরায়ু মুক্ত 

লোভ শুধু 

একবিংশ শতাব্দীতে অভিশাপ মুক্তির 

অথচ কিপ  ডিস্টেনসিং। 

.

আমার সমস্ত কবিতা তোমার জন্য 

অথচ সময়ের ভিতর তুমি নির্ভয়ে দাঁড়িয়ে থাকো প্রতিটা নারীর গভীরে ,

সংসার শব্দটা তোমার কাছে পুতুলের মতো 

অথচ প্রচ্ছন্ন আয়নায় তোমার বুকের ভিতর নির্বিকার পাঁচালি পাঠ ,

আমি কলম তুলি সেখানে 

আচ্ছন্ন ভূমিকায় লিখি রাজা ,রানীর গল্প 

আর কিছু অযত্নে পালিত শরীর 

কিংবা বলাৎকারের গল্প। 

.

আমার সমস্ত কবিতায় তুমি না থাকলে আমি এক হয়ে যায় 

কারণ তুমি আমার কাছে পরাজিত কিংবা জিতে যাওয়া সময়ের শস্য ক্ষেত্র 

যেখানে জন্ম হয় 

হয় মৃত্যু ,

তুমি আমার কাছে প্রতিশ্রুতির অভিমান ,পার্কের পাশাপাশি বসা 

নিরাশ্রয়ী ফুটপাথে বিশাল গাছে মতো কিছু ,

তোমার চুলগুলো চলন্ত ট্রেন 

তোমার চোখ সময়ের আগামীর ঈশ্বর 

তোমার স্তন মৃতের কাছে বিশল্যকরণি আর সময়ের কাছে বিজ্ঞাপন 

তোমার কোমর অতলান্তিক নির্ভরতা 

তোমার সে যেন কবিতার মতো মসৃন কিছু অনবদ্য ভাবনা। 

.

এখন ও বলবে কেন তুমি আমার কবিতা 

কারণ চলন্তিকা তুমি অন্ধকারে বাঁচার গান কিংবা মোমবাতি 

জোস্ন্যার জলাশয় 

আর আমার প্রতি রন্ধ্রে তুমি নিঃশ্বাসের জন্ম। 

আই এম মিস্টার নো ওয়ান



আই এম মিস্টার নো ওয়ান

...ঋষি 


আবার আর একটা মধ্যাহ্নে দাঁড়িয়ে 

পুড়ে যাচ্ছে বুকের ভিতর একটা মাংসাশী দুপুর 

ভাতের হাঁড়ি ,গরম ভাত 

হ্যা ঠিক,  “I am Mr. No One

তবুও উপস্থিতি 

খিদে পায় যে আমার। 

.

দুঃখ নয় ,বুকের ফিরোজা রঙের রং মহলে অনেকটা জীবন শুয়ে 

আসলে তোমার কোমরে রুপোর দড়ি বাঁধা ,

অদৃশ্য 

প্রতিটা দুপুরের মৃত্যুই নিয়ে আসে আমার 

তবুও  দুঃখ নেই। 

নিজের গভীরে পুড়ে যাচ্ছে আঠারো বছরের একটা পুরোনো মুখ 

গত হওয়া যৌবন 

উপছে ওঠা গরম ভাত 

হ্যা ঠিক “I am Mr. No One। 

.

আবার একটা মধ্যাহ্ন দাঁড়িয়ে হা মুখ করে 

জীবন অটোগ্রাফ দিচ্ছে জানি,

এও জানি  সময়ের গর্ভাশয় আছে  ,যা শুকোয় ,যৌবন আসে ,

বৃদ্ধ বয়স ব্যস্ত পুরোনো হারমোনিয়াম মতো ধুলো ভরা  ন্যাংটো ।

জন্ম মানেই শুভ 

অথচ জন্ম লিখতে গেলে আপনি মাতৃ গর্ভের বানান ভুল লেখেন,

অথচ আমি চিরকাল জরায়ু বলতে বুঝি মহাপ্রলয়। 

অদভুত এই মধ্যাহ্ন 

সারি দেওয়া লাশের ওপর সাজানো গোলাপের ফুল

আমি পচা গন্ধ ঢাকতে আতর  ছেটাচ্ছি 

তবু বুকের ভিতর জিউস আর হেরা স্বর্গচ্যুত

কারণ ট্রয় শুধু যুদ্ধ ছিল না 

ছিল একলা খিদের গল্প

ভাতের গল্প 

 “I am Mr. No One আমি বুঝবো কি করে সে কথা। 

 

 

 


সহজিয়া

 


সহজিয়া 

... ঋষি 

.

আমি ঈশ্বরকে ঈর্ষা করি 

ঈর্ষা করি তোমার সহজিয়া গঠনের ঐশ্বরিক ভাবনাকে ,

মৃত্যুমুখী মানুষকে আমি ঘৃণা করি 

ঘৃণা করি অকারণে কাঁদতে থাকা এই বিশ্বের বিজ্ঞপন গুলোকে ,

আমি খিদের মানে বুঝি 

তাই নিজের খিদে মেটাতে আমি চুরি করি ,ডাকাতি করি 

হঠাৎ মাঝরাতে তোমার স্বপ্নে ঢুকে পড়ি সিঁদ কেটে। 

.

সোজা সাপ্টা মাথার উপর ঈশ্বর দাঁড়িয়ে তরবারি হাতে 

কখন যে কি হয় 

তবু আমি মরতে চাই নি কখনো ,

এক নিঃশ্বাসে চেটে খেয়েছি সময়ের যত পাপ 

তোমার নগ্ন শরীর 

তোমার যোনি 

কারণ আমি কখনো বাহ্যিক হতে পারে নি। 

.

আমি কোথায় দাঁড়িয়ে ?

ভেবেছি ,

বেড়ালের মতো পা টিপে টিপে উঠে এসেছি প্রত্যহ ঘুম থেকে 

শুধু বাঁচবো বলে ,

তোমাকে হাজারোবার জড়িয়ে ধরে বলেছি 

এই শরীরে আমার লোভ নেই 

তোর হৃদপিন্ডটা দিবি।

জানি মানুষ ঈশ্বরকে পুজো করে আরও অভিযোগের জন্য 

অথচ আমার আভিজাত্য সেখানে 

আমি ঈশ্বরকে হিংসা করি 

হিংসা করি প্রত্যেক গোপন ভালোবাসার গভীরে শুয়ে থাকা মৃতদেহকে ,

আমি বরফে ঢাকা মৃত শরীরকে ঘৃণা করি

তাই আমি শুয়ে থাকি তোমার বুকে গভীর যন্ত্রণার মতো 

আমি বেঁচে থাকি ঈশ্বরের ভূমিকায় 

অথচ আমি ঈশ্বরকে সহ্য করতে পারি না।  

 

Tuesday, November 24, 2020

উপস্থিতি

 উপস্থিতি 

... ঋষি 


লুকোচুরি খেলা শেষ

পিলসুজের কালি মাখা ওম ,অনবরত তৈল দ্রোহ 

সব শেষ 

কেমন আছো চলন্তিকা ?

আজানের সকাল ,সময়ের বিকেল ,অন্ধকারে রাত্রি 

কেমন আছো খুব জানতে ইচ্ছে হয় 

উপস্থিতি। 

.

সময় জুড়ে  তৃতীয় বিশ্বের বিলাপ

শেষ কয়েকমাস আমাদের কেটেই গেলো ঘোরের মতো ,

কি বোলো চলন্তিকা ,

শীত চাদরে সহস্র শতাব্দীর অপেক্ষা আর

শীৎকারে ভেঙ্গে এগিয়ে যাওয়া ক্রমাগত তোমার দিকে 

উইকিপিডিয়া ...

জানি, পিছনের পথ তোমার সবই মনে আছে 

আছে মনে সেই লোকটাকে। 

.

যেমন করে মনে আছে সিড়ি ভাঙ্গা অঙ্ক

জানালায় সমুদ্র আসেনি কখনও হয়তো বাষ্পের মতো মেঘ ,

জানি সেই লোকটাকে তোমার মনে আছে 

যেমন মনে আছে পুরুষ শুধু নির্ভরশীল চেটে খাওয়া ক্লীবলিঙ্গ। 

কেমন আছো চলন্তিকা ?

রক্তকরবি পোড়ায় রাজার ঘর,

মিছিলে এসো আরেকবার

আরেকবার শ্মশানে চোখ রাখো , 

মশালে রাখো চোখ

দেখো কি ভীষণ অন্ধকারেও জ্বলে আলো। 

কিছু ভিজে যাওয়ারা অসুখ জানি মানেনা সময়ের বাঁধ 

কয়েক ফোঁটা অভিমান শহরের ধুলোতে 

আদুরে রুমাল হয়ে যায় এক জীবন কাটানো যায় না 

তাই না। 

Monday, November 23, 2020

সামনে ,পিছনে

 


সামনে ,পিছনে 

... ঋষি 


একটু পিছিয়ে শুরু করি 


ছেলেটা জানে এই মুহূর্তের পৃথিবী ভাঙতে পারে যে কোনোদিন 


কারণ ছেলেটা বোঝে বাবামার  ঝগড়া দিন কাটাচ্ছে 


পাশাপাশি সমাজের মতো করে ,


ছেলেটা ভয় পায়


অথচ বলতে পারে না কাউকে টিভির পর্দায় পরিবারগুলো 


আর নাটকে ভালো লাগে না । 


.


ছেলেটা রোজ শোনে বাবার সাথে ঝগড়ার সময় 


রিতা আন্টির কথা ,


রিতা আন্টি কে ? ছেলেটা বোঝে 


কিন্তু বুঝতে পারে না তার পৃথিবীতে কে তার প্রয়োজন 


বাবা না মা ?


.


সব প্রশ্নের উত্তর হয় না যেমন 


সব প্রশ্নের জবাব কি থাকে ?


সামনে খোলা প্রান্তরে এখন ছেলেটার সময় বদলাবে সমাজ  ,


ছেলেটাকে মাননীয় জজসাহেব প্রশ্ন করে ?


বলো তো বাবা কে তোমায় বেশি ভালোবাসে ? বাবা না মা। 


ছেলেটা চেয়ে থাকে পর্দার বাইরে 


মনে পরে তার বাবার মুখ ,বাবার সাইকেলে করে ঘুরতে যাওয়া 


মনে পরে তার মায়ের মুখ ,মনে পরে মায়ের আদর করে জড়িয়ে থাকা ,


ছেলেটা হঠাৎ কেঁদে ওঠে 


সে বলে আমার দুজনকেই চায় ,


আবার একটা প্রশ্ন ভেসে আসে সমাজের কাছ থেকে 


বাবা রিতা মেহতা বলে কাউকে তুমি চেনো,


ছেলেটার মনে পরে রিতা আন্টির মুখ


মনে পরে মায়ের মুখ দিয়ে শোনা নোংরা কথাগুলো বাবাকে বলা 


মনে পরে বাবার বলা কথা উত্তরগুলো ,


ছেলেটা আবার কেঁদে ওঠে ফুপিয়ে 


বলে রিতা আন্টি বাবার প্রেমিকা। 


.


এইবার সামনে দাঁড়িয়ে বলি 


আপনারা কি ভাবছেন ছেলেটা বাবার কাছে যাবে না মায়ের 


সমাজ কি ভাবছে ইশ এতটুকু ছেলে 


সময় ভাবছে মা ,বাবার বিচ্ছেদ হলে ছেলেটা মানুষ হবে না 


আর আমি ভাবছি 


ছেলেটা কোথায় দাঁড়িয়ে ?


ছেলেটা কোথায় দাঁড়াবে ?


মনখারাপ

 


মনখারাপ 

... ঋষি 


সব বুঝি 

তবুও বুঝি না কিছু ,

বুঝতে পারি পাশের বাড়িতে হঠাৎ হওয়া ঝগড়াটা 

আমার তোমার মধ্যে না ,

বুঝতে পারি তোমার মাইক্রোভেনে রান্না হওয়া তন্দুর 

আমার মাংস পিন্ড না ,

শুধু বুঝতে পারি এই পৃথিবীতে  কারণ ছাড়া 

গাছ থেকে একটাও পাতা পরে না। 

.

পরে না এই সময়ে দাঁড়িয়ে আনমনে উপচে ওঠা ভাবনারা 

অহেতুক ,

শুধু সময় বদলায় 

দেশ বদলায় ,বদলায় মানুষ পরম্পরায় 

সময়ের দরজা খুলে ভাবনারা দাঁড়ায় হাভাতের মতো ,

সামনে দিয়ে প্রতিদিন কিছু ডেডবডি আসাযাওয়া করে মুক্তির আশায় 

কেন যেন মনে হয় 

এই সময়ে ফুল ফোটে না আর। 

.

সব বুঝি 

তবুও বুঝি না কিছু 

পবিত্রতা 

দরজা খোলা ঈশ্বরের দরজায় আমরা সকলেই পাপেট 

মাথা নিচু করি 

হয়তো কিছু পাপ করি 

তারপর ক্ষুধিত পাষানের মতো সময় খুঁজি বেঁচে ফেরার। 

মন খারাপ হয় 

তোমার গলার স্বরে আজকাল সাহায্য খুঁজে পাই ,

খুঁজে পাই বুকের পাথরগুলো হঠাৎ গুঁড়োগুঁড়ো হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে ,

সময়ের বাতাসে খুঁজে পাই লাশের গন্ধ। 

তবুও আমার মনখারাপ করে 

তবুও আমার হঠাৎ গিয়ে দাঁড়াতে ইচ্ছে করে তোমার বাড়ির বাইরে 

তবুও আমার অযথা কথা বাড়াতে ইচ্ছে করে ,

যদিও জানি সেখানে আমি কেউ 

যদিও জানি সেখানে আমি কেউ ছিলাম না কোনোদিন 

আসলে সত্যি বলতে কি 

হঠাৎ বয়ে চলা বাতাসের কোনো ঠিকানা থাকে না।  


গিঁটবাঁধা



 গিঁটবাঁধা

.. ঋষি 

.

মৃত্যু শুয়ে আছে অবিকল ফ্যালফ্যাল করে আমার দিকে তাকিয়ে 

তাকে ধন্য করার আগেই ,

তার আগেই,

শৈশবের কৌটোয় গুলির রঙিন সঞ্চয় কাঁচের মার্বেলগুলো 

ফেলে দিতে হবে।  

রোজকার জানাচেনা শ্যাওলা দেওয়াল,অন্ধকার জানলার পাশে 

নিজের মতো অবিকল মানুষটাকে 

মুক্তি দিতে হবে। 

.

বাঁচবো বললেই বাঁচা হয় না কখনো 

কাছে থাকা মানে পাশে থাকা না আর পাশে মানে কাছে ,

অনেকটা সেই নিশ্চিন্ত আমলকি-ডালে টুনটুনির ঘর

বাঁচার স্বয়ংবর ,

কুয়োতলায় গিঁটবাঁধা বালতি উপুড়

অপেক্ষা। 

.

অপেক্ষা সুসময় 

অপেক্ষা মানুষের ভূমিকার বেঁচে থাকা ,

চুপ চুপ দুপুর রোদে শুয়ে আছে নিজের ছায়াপথে অজস্র জলছাপ 

বাসনে ঘনিষ্ঠ গেরস্থালি আওয়াজ

সহ্য করতে পারি না আর 

এই বাঁচা বাঁচা খেলা

জানি মৃত্যু শুয়ে আছে অবিকল ফ্যালফ্যাল করে আমার দিকে তাকিয়ে।  

হারানো মুহূর্ত

ভোর-রাতের বালিসে ছড়ানো সোহাগের দাগ

হঠাৎ আনকোরা মুহূর্তের মজাগুলো,

জানি সবকিছু এমনটাই স্থিরচিত্রে নিখুঁত বন্দি রেখে আয়নায় মুখ দেখে 

তোমার মতো দেখতে  কেউ 

বুকের টান

ব্যথাগুলো আলগা করতে হয়েছে 

সুতো বুনতে হয়েছে 

মৃত্যুকে বলতে হয়েছে খবরদার তফাৎ যাও

এখনো বোধহয় কিছুটা বেঁচে থাকা বাকি। 


ফুড়ুৎ

 



ফুড়ুৎ 

............. ঋষি 

.

তার উদ্ধত ভঙ্গিমা ,অনিশ্চিত অন্ধকারে মুখ , 

পশ্চিমের রোদ তার বারান্দায় কাটাকুটি সাম্রাজ্যের ভিড় , 

অনবদ্য  কপাল জুড়ে অবাধ্য চুলের রাজত্ব,

চোখের তীব্র গভীরতায় নির্জন একাকিত্ব 

স্বপ্নে, বাস্তবে খুন করে চলে আমাকে 

অবিরত

অনবরত 

সাম্রাজ্যের ভঙ্গিমায় দাঁড়ানো স্বপ্নরা শুধু যন্ত্রনায়। 

.

তার চিবুকের উদাসীন হাসি

সময়ের  আকাশে আবিরের আবেশ ছড়িয়ে পরে অসময়ের রাজত্বে 

হঠাৎ ভালো লাগে তাকে  .

রামধনু বিকেলে, আলতো ফুলের আদরের মত ছোঁয়ায়

জমাট আঁধারের গভীর প্রবাহ  থেকে 

আমায় নিয়ে চলে প্রজাপতির মন 

অন্য গ্যালাক্সিতে হাত ধরে দাঁড়ায় তোমার পাশে। 

.

আমার কষ্টগুলো পড়ে থাকে পিছনে ডাস্টবিনের সম্পর্কের অহমিকায় 

নিশ্ছিদ্র ঘেরাটোপে বদ্ধ হবার আগেই

নরম ভোরের পাখি হয়েই 

... ফুড়ুৎ। 

এও কি সম্ভব  ? 

তার বুকের ওমে হঠাৎ মরে যাওয়াগুলো বেঁচে ওঠে। 

এভাবেই কোনদিন চাবিটা হারিয়েছিলো ঘরেই

গভীরে কেউ বলেছিলো বেঁচে মরার থেকে একা হওয়া ভালো 

পাখির ডানায় 

এভাবেও একদিন উধাও হওয়া যাওয়া 

..... ফুড়ুৎ। 

হলো না ,কিছুতেই হলো না 

আবারো আমি কল্পনার মোড়কে হাত রেখেছি তোমার আলতা পায়ে 

শুধু যত্নে 

প্রযত্নে তোমায় নিয়ে উড়ে যাবো বলে। 


Saturday, November 21, 2020

 ভাষা সমুদ্রে ভেসে চলেছি 

শব্দদের নিশান তোলা অহরহ মৃদুমন্দ বাতাস ,

শব্দ দিয়ে তৈরী পৃথিবীর পতাকা। 

 বারান্দা দিয়ে দেখা একলা ছাদে শুকোতে দেওয়া পোশাক 

মানুষের আবরণ থেকে আভরণ জরুরী 

সম্পর্কের শব্দগুলো নিরিবিলিতে শব্দের মতো ক্ষনিকের। 

.

আমি সমুদ্র চিনেছি 

চিনি নি  অনু ছুঁয়ে পরমাণুতে বাস করা ঈশ্বর ,

শব্দদের আস্ফালন  থেকে উঠে আসা অনবদ্য টুকরোগুলো 

এই জীবনে ভালো থাকা বলে চিনেছি 

অথচ এখনো জানা হলো না ভালো তাকে কাকে বলে 

বরং শব্দদের আকার ইঙ্গিতে হৃদপিণ্ডের ধুঁকপুঁকগুলো সাবলীল খুব 

বেঁচে থাকায়। 

.

ভাষা সমুদ্রে  ভেসে চলেছি 

হাজারো ভাষা  আর তার থেকে বেশি  শব্দ মানুষের সময়ে 

মানুষের সমাজে 

অনবরত বুঝিয়ে দিচ্ছে বোঝাপড়া ,

সবজান্তা

 


সবজান্তা 

... ঋষি 


আমরা সব জানি

সত্যি আমরা সব সব জানি  

তবে এটা জানা হলো না আমাদের 

আমরা কিছু জানি না ,

আরো অদ্ভুত হলো আমরা যত জানি 

তার থেকে বেশি জানাই।

.

টাকার ওপর শুয়ে থাকা থুথু 

উনি পাগল ,উনি প্রফেসর ,উনি দার্শনিক ,উনি একজন বিখ্যাত স্কলার 

উনি রাষ্ট্র ,উনি দেশ ,উনি কাঁটাতার ,উনি বিভাজন ,উনি জনপিতা 

হাফ পেগ মাতালের প্রলাপ 

অথচ  আমার নেশা হয় না কেন। 

সময়ের উপর কাতারে কাতারে সাজানো সময় 

সম্পর্ক 

পাগল ভাবছেন নাকি ?

.

আমরা সব জানি 

কাঙ্ক্ষিত নয়  আমার ভাবনার ডগায় তোমার  চিবুক

আমি কিছুই  জানি না 

একটা আঙুলের ডগায় আমরা সকলে ভারপ্রাপ্ত নাগরিক 

একটা খেলা চলছে,

খেলার নিয়মানুসারে  চিহ্নের তামাশা অথবা মুখে মুখে রটানো

ব্যক্তিগত বোতামগুলি সাম্প্রতিকতম ঠাট্টা হতে পারে। 

দেশের  দুঃখ নিয়ে মানুষ ভাবতে ভুলেছে 

সময়ের দুঃখ নিয়ে মানুষের মাথা ব্যাথা নেই 

একটা গসিপ হাওয়ায় আজকাল 

এক ফালি বৃষ্টির পরে আমার শহরে সন্ধ্যের সাথে শীত বাড়ছে। 

আমার শীত করছে 

বিস্তীর্ণ মাঠে ওই টিনের তাঁবু কারো ,,,,আমার দেশের জনগণ 

একটু আগুন দরকার 

আগুন জ্বলছে ,তাপে শীত কোড়াবে সাধারণ জনতা 

কিন্তু সকলেই বলে আমি জানি 

অথচ আমার জানা হলো না তোমার ক্যানাইন আমার হৃদয় ফুটো করে কেন 

আর কেনই বা আমি শীত করলে তোমার তলপেটে আমি গর্ত করি। 

Thursday, November 19, 2020

অপুর সংসার



 অপুর সংসার 

... ঋষি 


এক এক সময় তোমাকে ভীষণ দেখতে ইচ্ছে করে 

ভীষণ দেখতে ইচ্ছে করে 

সেই ছেলেটাকে যে একমাথা কোঁকড়ানো চুল নিয়ে তোমায় অপেক্ষা 

আজ কয়েক জন্ম। 

তখন লিখতে ইচ্ছে করে 

এই শহরের বুকে একটা গোপন লুকোনো বিকেল 

একটা বিকেল যেখানে ফুরিয়ে যাওয়া সময় আলোর মতো ঝরে। 

.

এক এক সময় তোমায় ভীষণ দেখতে ইচ্ছে করে 

ইচ্ছে করে সামাজিক নিয়মিত পাণ্ডুলিপির ছেড়ে একলা তোমায় ভাবতে 

দেখতে ইচ্ছে করে পথের পাঁচালির সেই  অপুকে 

একলা ফিরে আসতে আরেকবার বিস্ময় সৃষ্টি করবে বলে,

দেখতে ইচ্ছে করে সেই অপর্ণাকে ,কাজলকে 

আরেকবার।  

.

কিন্তু সব ভুল প্রমাণিত হয় 

প্রমাণিত হয় সেই অপর্ণা বলে  যুবতী ভালোবাসতে পারতো ঠিক 

তবে বাঁচতে নয় ,

প্রমাণিত হয় অপু বলে সেই সদ্য কলকাতায় আসা যুবক 

এই  শহরে জল্লাদ পেন্সিল ডগায় ভিড়ে হারানো হাজারো আমি। 

ফিরে আসা ভালো 

তবে অপুর সুন্দর সংসার ফিরে আসে বিষন্নতায় শুধু চোখের কাজলে ,

তাই তো 

এক এক সময় তোমাকে ভীষণ দেখতে ইচ্ছে করে 

দেখতে ইচ্ছে করে সেই সিঁদুর মাখা মুখ। 

তোমাকে দেখলে 

খুশীতে ডগমগ করে উড়ে যেতে ইচ্ছে করে বিভূতিভূষণের ভিতরে। 

.

হাতে ভাত খাওয়া হলো না বলে দুঃখ হয় 

বড়ো মিস করি সর্বজয়াকে এই শহরে ,

আয়না হাসে জ্বরফুল

যেন দুর্গার মুখ ,

আসলে সত্যি হলো আয়নার ভেতরে মানুষ ঢুকে গেলে

নিজেকে বড়ো আয়নার মতো লাগে এই শহরে , 

আয়নায় দেখা যায় ইন্দিরা ঠাকুরুন ,হরিহর বাবুকে 

আমার তখন কেন তোমাকে ভালোবাসতে ইচ্ছে করে ?

জানতে ইচ্ছে করে তোমার নাকফুলে সময়ের ঘন্টা কেন?

সময়ের স্বপ্নে কেন অপু বলে ছেলেটা  বিষণ্ণ চিরকাল ?

কেন তার সংসারটা করে ওঠা হলো না ?


Wednesday, November 18, 2020

অহল্যা

 অহল্যা 

... ঋষি 

.


তোমার সাথে একসাথে থাকতে গিয়ে কেটে গেলো ৩৮০০ বছর 

তোমার কাছে 

তোমার গভীরে যেতে কেটে গেছে আরো ৫০০ ,

গভীর সঙ্গমে তোমার সাথে জীবন যাপন নিয়ে কথা হলো 

বেড়ে গেলো বয়স 

বেড়ে গেলো বৃত্তান্ত 

সবুজ স্তনের গল্পগুলো সব পাথর হয়ে গেলো। 

.

সমস্ত সঙ্গমের পরে মানুষের খুলে যায় শৈশবের বয়স 

শৈশবের সেই প্রাইমারি স্কুলের গল্প 

গরম ভাতের গল্প 

দুধের পায়েস আর আরবি ঘোড়ার গল্প ,

জানি আগামী ৫০০০ হাজার পর আমাদের গল্পগুলো শৈশবের হবে 

কারণ বার্ধক্য আর শৈশবের মাঝে একটা ভীষণ মিল 

সেটা হলো নির্ভরশীলতা। 

.

তোমার সাথে একসাথে থাকতে কেটে গেলো ৩৮০০ বছর 

অথচ তুমি কেন জানি ভয় পাও আগামীর ১০০ কে ,

তুমি বারংবার কল্পনা  ভেঙে যাচ্ছ পাথর , ভাতের মাড় চিৎকার করছে

তোমার ব্রেসিয়ার জুড়ে হিটলার বাহিনীর আনাগোনা 

আসলে ভালোবাসার ভাত নেই শহরে।

.

আমার স্বপ্নে দেখা ডাকপিয়নের চিঠিতে 

জ্বলছে তোমার অন্তর্বাস জোনাকির মতো ,সারি সারি শরনার্থীদের ঘর

ঝুলে পড়া স্তনে থাকতো কতগুলো পাখি,

স্তন পুড়ে গেলে বোটা থেকে নেমে আসে নিয়ম সামাজিক 

আর সমাজ শব্দটা আমার কাছে ইতিহাসের মতো ,

যাকে নিয়ম করে পড়তে লাগে সভ্যতার জন্য  

অথচ সমাজ মানে সভ্যতা নয়। 

চিৎকার করতে করতে বেরিয়ে যাচ্ছে আরো অজস্র বছর 

তোমার  আমার চোয়াল শুধু নিয়ে সামাজিক  পুঁথি ,

তোমার অন্তর্বাস থেকে শোনা যাচ্ছে  মানুষকে খুন করার ইতিহাস 

অথচ মাস্টার মশাইয়ের মতো সাবান ঘষছি 

ইতিহাস সাক্ষী

পাথরের ভালোবাসাও অহল্যা হয়ে থাকে এই সমাজে । 


শীতলতম দিন

 শীতলতম দিন 

... ঋষি 


তুমি তখন মালি হতে পারো 

তোমার ছাদের টবে পুঁতে দিতে পারো বোগেনভিলিয়া কিংবা ডালিয়া ,

তুমি তখন ঘোর  সংসারী হতে পারো 

তোমার রান্নাঘর থেকে পাওয়া যেতেই পারে বিরিয়ানির গন্ধ 

কিন্তু তুমি নিস্তব্ধ হতে পারো না কখনো 

কারণ তোমার নিস্তব্ধতা সময় থেমে যায় এই শহরে। 

.

তোমায় আমি  গুছিয়ে রাখতে থাকি 

রাখতে থাকি মনের কোনে হিমেল  শিশিরের মতো স্পর্শে 

তোমাকে আমি জড়িয়ে কাঁদতে থাকি 

কাঁদতে কাঁদতে কখন যেন নিচু হয়ে যায় বুকের ভাঁজ ,

সেখানে মুখ রাখি 

লুকিয়ে ফেলি নিজেকে সময়ের স্রোতে 

সময়ের গভীরে 

অন্য আমিতে। 

.

তুমি তখন আমার প্রেমিকা হতে পারো 

রাখতেই পারো তোমার বুকের সমুদ্রে লুকোনো আঁচিলের মতো 

কিংবা তুমি আনমনে কামড়ে দিতে পারো তোমার ঠোঁট 

আমার বিষণ্ণ সন্ধ্যের মতো। 

তোমাকে গুছিয়ে রাখতে গিয়ে হঠাৎ শহর জুড়ে সন্ধ্যে হলো 

ভালোবাসার কথাগুলো আর শেষ হলো না,

শেষ শব্দটা ভাঙতে গেলে 

বুকের কেবিনে হঠাৎ গুমড়িয়ে ওঠে তোমার ছাদের মাটিতে একটা গাছ। 

সোজা আকাশের দিকে 

চারপাশে হিমেল বাতাস  

সোজা তোমার হৃদয়ের দিকে ,

আমার তখন তুমি পাচ্ছো নিস্তব্ধ একলা আকাশে 

আকাশের তারাদের মনে যৌনতা ,সময়ের চোখে তোমার উষ্ণতা 

আমার হৃদয়ে একটা মৃত্যু ছবি আঁকছে 

একটা ছবি 

আগামী  সময়ের  কোনো শীতলতম দিনের। 




ন্যাংটো

 


ন্যাংটো 

... ঋষি 


দুটো তিনটে কবিতা লিখলেই আমি ঈশ্বর হয়ে যায় 

কিন্তু সেই ঈশ্বরের কোনো নাম থাকে না 

থাকে না ধর্ম 

থাকে না দেশ 

থাকে না মুখোশ 

সোজাসাপ্টা এক থাপ্পরে আমি তখন বদলে দিতে পারি সময়ের রং 

কিংবা আরো রঙিন করে আমি আঁকতে পারি তোমায়। 

.

অদ্ভুত অসুখ আমার 

আমি ঈশ্বর হয়ে গেলে আমার জ্বর আসে 

কালাহান্ডি মরুভূমিতে দাঁড়িয়ে আমি কল্পনা করতে পারি যুদ্ধের রং 

ডিসেম্বরের ঠান্ডায় পুকুরের জলে আমি ভাবতে পারি সময়কে 

ফুটন্ত তেলের কড়া ,

শিলং, লাদাখ আর হিমালয় আমার  মাথার উপর জলপট্টি দেয় 

আমার প্রেমিকা তখন আমাকে বলে শান্ত হ 

আর না। 

.

দুটো তিনটে কবিতা লিখলেই আমি ঈশ্বর হয়ে যায় 

ঈশ্বর ধ্বংসের 

ঈশ্বর বেদনার 

ঈশ্বর সৃষ্টির ,

কাশ্মীরের বোমাবাজি ,কলকাতার দাঙ্গা ,পার্বত্য চট্টগ্রামের বিদ্রোহ 

ইতিহাস থেকে পরিহাস 

সব আমার কলমের নিবে বিন্দাস হয়ে যায়। 

তখন তোমার যদি ধর্ষণ হয় আমি এনকাউন্টার খুঁজি 

তোমার যদি পিরিয়ড হয় আমি খুঁজি সবুজ মাঠ আর বৃষ্টি 

তোমার যদি মন খারাপ হয় আমি খুঁজি মন ভালো থাকার চাদর ,

পৃথিবীর সব মুখোশ আমার কাছে ন্যংটো তখন 

ন্যংটো তখন কৃষ্ণ ,কলম ,কবিতা আর শব্দ। 

.

দুটো তিনটে কবিতা লিখলেই আমি ঈশ্বর হয়ে যায় 

আর আমার তখন ভীষণ অসুখ 

ভীষণ জ্বর ,

আমার অসুখের নাম আসলে সময় 

আর জ্বরের নাম বিদ্রোহ। 

মন্দবাসা

 


মন্দবাসা 

.... ঋষি 

.

তুমি মন্দবাসি  বললেই আমার কলম একা  হয়ে যায় 

একা হয়ে যায় একলা শীতে হেলান দিয়ে রোড পোহানো কুকুরটা,

সব সত্যি বাড়তে থাকা আলু ,পটোলের মতো বাজার দামে  

আরো সত্যি 

এই মুহূর্তে আমি দাঁড়িয়ে গুনে চলেছি নিজের মাথার পাকা চুল 

বয়স বাড়ছে 

তার সাথে বাড়ছে ভুল। 

.

তুমি মন্দবাসি বললেই আমি বুঝি এই শহরে ঘুম নেই 

ঘুম নেই মানুষের ,কোনো এক চেতনার খোঁজ 

মানুষ ভুল করে 

ভুল করে না আলো ,

প্রতিটা মানুষ বাঁচতে চায় সত্যিকারের আলোর জন্য 

অথচ অবাক কান্ড 

মানুষগুলো মরে রোজ নিজের মনের অন্ধকারে। 

.

তুমি মন্দবাসি বললে 

আমি বলি চলন্তিকা ভালোবাসো না কেন ?

তোমার শরীর থেকে সুতোগুলো খসে পরে ,ভেঙে পরে মাথার খোঁপা 

তুমি ঠোঁট রাখো আমার বুকে 

অভিমানে বলো  তুই তো কবিতার জন্য বাঁচিস 

ভালোবাসিস 

আমার মন্দবাসাই ভালো। 

তোমার অভিমান গুলো ডুবজলে হৃদয়ের ছায়ার মতো থাকে 

তুমি আজকাল বড় চুপচাপ থাকো ,

নদীদের তাই মনমরা ,তারাদের মাঝে তারাখসা 

গাছেদের নিশ্বাস ফিসফিস করে 

কান পেতে শুনি 

তোমার গলার স্বর 

এত শব্দ ,এত সুর ,তোমার কণ্ঠ 

শুনতে পাই তুমি বলছো 

তোর কবিতা বাঁচুক আর আমার তোকে মন্দবাসাই ভালো। 


 


Sunday, November 15, 2020

কুকুর

কুকুর
.. ঋষি 

ঘুমের ওষুধ  খেয়ে নিজেকে ক্লান্ত করার বাহানা
বুকের সংকোচনের পর্দায় ভারী হয়ে আছে নিকোটিন 
খুসখুসে কাশি 
তবু কেন যে আজ আবার বাঁচতে ইচ্ছে হয়, 
ইচ্ছে হয় গাছের মতো, পাখির মতো, নদীর মতো সবুজ হয়ে বাঁচি 
আসলে বাঁচা শব্দটা জানি তোমার মতো আমার থেকে দুরেই থাকে। 
.
এই যে নিজেকে গাছ ভাবি, তবুও তো ভালোবাসি
 এটা জেনেও তোমার ভালোবাসায় শুধু আকাশ 
মাটি নেই, 
এই যে নিজেকে পাখি ভাবি 
এটা জেনেও আমার জন্য শুধুই খোলা আকাশ 
কিন্তু আমার কোন বাসা নেই, 
আছে নদীর মতো এগিয়ে চলা সময়ের জনপদে 
সকলে ভালো থাকবে বলে। 
.
ঘুমের ওষুধ  খেয়ে নিজেকে ক্লান্ত করার বাহানা
বেশ্যার দরজায় দাঁড়িয়ে শরীর নয় নিজের পরিচয় খোঁজা, 
তুমি মন্দিরের ঘন্টা বাজাও 
আমি মন্দিরের বাইরে দাঁড়িয়ে ঈশ্বরকে দেখি সমাজের মতো
অথচ মন্দিরের সিঁড়িতেই আমরা জুতো রাখি 
পারি না আমি সিঁড়ি বেয়ে উঠতে
দাঁড়িয়ে থাকি পাশাপাশি আমাদের জুতোর পাশে। 
দাঁড়িয়ে থাকি তোমার মুখের হাসিতে 
তোমার ব্রেসিয়ারের দড়িতে নিজেকে বাঁধি কুকুরের মতো,
চিৎ হয়ে শুই কুকুরের মতো
শুধু আদর চাই 
কিন্তু ফিরে তোমাকে কিংবা নিজেকে কামড়াতে পারি না। 

সাদা পায়রা



সাদা পায়রা 
.. ঋষি 
তোমার সময়দের চেটে চেটে আমার বদ হজম
কথায় বলে জ্যোৎস্নাদের খেয়ে ফেললে বড় বেশি বমি পায়, 
মেট্রোর দরজা খুলে গেলো চোখের সামনে 
মেট্রোর কর্নারের সীটে তুমি বসে, আমি বসে আর বসে একটা পায়রা
আমি দেখতে পাচ্ছি ইদানীং 
তোমায় দেখলেই আমি একটা সাদা পায়রা দেখতে পাই, 
শুনতে পাই বকবকুম। 
.
তোমার সময়দের চেটে চেটে আমার বদহজম 
সময়ের জন্য আমি শোক করি নি আমি বহুদিন 
বহুদিন একলা কোলবালিশ জড়িয়ে ঘুমোয় নি তোমায় ছাড়া।
শুধু ডিসকভারিতে দেখি কত তাড়াতাড়ি  দিন ফোরায়
ফুল ফোটে, 
সুন্দর কোন প্রকৃতির ছবিতে সাজানো নদী, বাড়িঘর 
তবু আমার মনে হয় পায়রাদের আসল ঠিকানা খোলা আকাশ। 
.
তোমার জন্য সময়দের চেটে চেটে আমার বদহজম 
বদহজম সময়ের  শব্দদের অভ্যেস করতে হয়
অভ্যেস করতে হয় যেমন ঋতুর ব্যাথা নিয়ে সময় ধরে হাঁটতে। 
মেট্রোর দরজা খুলে যায় 
অবিশ্রান্ত মানুষের পায়ের ছাপ 
 তোমার নাভিতে গোপন ব্যাথা। 
কেন লিখছি এসব 
আমি তো আছি তোমার পাশে বসে 
আর বসে ওই সাদা  পায়রাটা।
কতগুলো আংগুল ঠেলে দিচ্ছে আমাদের সময়ের ক্রাইসিসে 
সময়ের ভৌগোলিক মানচিত্র পথ দেখাচ্ছে আমাদের
আমরা বদলাচ্ছি 
তাকিয়ে আছি আকাশের দিকে, 
তুমি বুঝি দেখতে পাচ্ছো আমার মতো সেই সাদা পায়রাটা একলা আকাশে, 
নাকি দেখছো শহরের মেট্ররেলটারও ডানা গজিয়েছে 
তাই শহর জুড়ে মেট্রসসম্প্রসারণের কাজ চলছে। 

চলো লেটস গো

শরীরের কবিতা 
... ঋষি 
মোচড় দেওয়া প্রেম লিখবো না
আগামী মৃত্যুর দুদিন আগে স্মৃতিচারন করতে 
লিখবো সবুজ গ্রাম আর একটা পুকুরের গল্প। 
গল্পটা যুদ্ধের হতো পারতো
পারতো পুকুরের মাছগুলো, পাশের জমিগুলো পরম্পরায় আমার,
পাশাপাশি থাকলেই যুদ্ধ হবে এমন না,
পাশাপাশি দুটো স্তন হাজার বছর শুয়ে থাকলে যুদ্ধ হয় কি? 
যুদ্ধ হয় কি ব্রেসিয়ারের হঠাৎ দাম বেড়ে গেলে? 
বরং লুকিয়ে লুকিয়ে তোমায় পাওয়ার যন্ত্রনা বাড়ে। 
.
আমার যৌনতার রংটা আসলে অন্যরকম 
শহরের যৌনতায় মজা নেই, 
মজা হলো সবুজের যৌনতায়, অনেকটা ক্লোরোফিল  আছে।
শহরের নাটকের স্টেজে আসা, যাওয়া রোজ লেগে থাকে 
কিন্তু গ্রামের দুই সবুজ  উরুর  ফাঁকে নদী শুয়ে থাকে, 
কিন্তু দুঃখ হলো আজকের সমাচারে রোজকার পাতায় 
সবুজ ছাড়াই যৌনতা বাড়ছে। 
দুঃখ এটা সাজানো শহরে যৌনতার ওয়েবসিরিজে আমি, তুমি সবজান্তা
শুধু শরীর লিখে চলি শরীরের কবিতায়, 
অথচ কেউ জানে না গাছেদের  যৌন জীবন 
কেউ জানতে চায় না সবুজ পুকুর আর সবুজ গ্রাম পরিপুরক, 
শরীর সেখানে থাকে 
কিন্তু মন ছাড়া যে তোমার স্তনের মাপ কেউ জানতে চায় না। 


শরীরের কবিতা



শরীরের কবিতা 
... ঋষি 
মোচড় দেওয়া প্রেম লিখবো না
আগামী মৃত্যুর দুদিন আগে স্মৃতিচারন করতে 
লিখবো সবুজ গ্রাম আর একটা পুকুরের গল্প। 
গল্পটা যুদ্ধের হতো পারতো
পারতো পুকুরের মাছগুলো, পাশের জমিগুলো পরম্পরায় আমার,
পাশাপাশি থাকলেই যুদ্ধ হবে এমন না,
পাশাপাশি দুটো স্তন হাজার বছর শুয়ে থাকলে যুদ্ধ হয় কি? 
যুদ্ধ হয় কি ব্রেসিয়ারের হঠাৎ দাম বেড়ে গেলে? 
বরং লুকিয়ে লুকিয়ে তোমায় পাওয়ার যন্ত্রনা বাড়ে। 
.
আমার যৌনতার রংটা আসলে অন্যরকম 
শহরের যৌনতায় মজা নেই, 
মজা হলো সবুজের যৌনতায়, অনেকটা ক্লোরোফিল  আছে।
শহরের নাটকের স্টেজে আসা, যাওয়া রোজ লেগে থাকে 
কিন্তু গ্রামের দুই সবুজ  উরুর  ফাঁকে নদী শুয়ে থাকে, 
কিন্তু দুঃখ হলো আজকের সমাচারে রোজকার পাতায় 
সবুজ ছাড়াই যৌনতা বাড়ছে। 
দুঃখ এটা সাজানো শহরে যৌনতার ওয়েবসিরিজে আমি, তুমি সবজান্তা
শুধু শরীর লিখে চলি শরীরের কবিতায়, 
অথচ কেউ জানে না গাছেদের  যৌন জীবন 
কেউ জানতে চায় না সবুজ পুকুর আর সবুজ গ্রাম পরিপুরক, 
শরীর সেখানে থাকে 
কিন্তু স্তন  ছাড়া যে তোমার মনের  মাপ কেউ জানতে চায় না। 


Saturday, November 14, 2020

শুভ দীপাবলী ,২০২১

 


শুভ দীপাবলী ,২০২১

... ঋষি 


যদি অন্ধকার থাকে ,তবুও শুভেচ্ছা 

বেঁচে আছি কিনা জানি না ,তবুও শুভেচ্ছা 

রাস্তায় ক্ষুদার্থ মানুষ হাঁটছে ,তবুও শুভেচ্ছা 

তোমার বাড়ি তো আছে ঘর নেই ,তবুও শুভেচ্ছা ,

সকলেই বলে ভালো থাকতে হয় 

তাই শুভেচ্ছা 

শুভেচ্ছা শুভ দীপাবলী ,২০২১।

.

না অন্ধকারের কবিতা না 

এই বছর বিশেষ সতর্কবার্তা বাজি ফাটবে না,

তাতে কি ?

আনন্দ তো অপারক সময়ের দাস  ফিরে আসবে ,আসতেই হয় 

তুমি হাসবে কিনা ,আমি হাসবো কিনা ,আপনারা হাসবেন কিনা জানি না ,

শুধু জানি শুভেচ্ছা বলতে হয় 

তাই শুভেচ্ছা শুভ দীপাবলি ২০২১। 

.

না না মনখারাপ না 

বরং এই ভালো মানুষের থেকে মানুষের দূরত্ব 

শর্তাবলী প্রযোজ্য তোমার থেকে দূরে থাকার। 

না না কোনো রকম বিষন্নতা না 

সামনের দিকে তাকান 

পিছনে যারা মরে গেলো ,মরে যাচ্ছে ,ভুলে যান 

বরং একটা ফ্যামিলি টুর প্ল্যান করুন মন্দারমণি ,কিংবা দিঘা।

না না আপনার জানার দরকার নেই 

এই সময় কার চাকরি আছে ,কার নেই 

কার ঘরে ভাত জোটে না সাতদিন ,আপনার তো জোটে। 

না না ভাববার দরকার নেই 

প্রতিদিন ট্রেনে,বাসে  স্যোসাল ডিস্টেনসিং মেইনটেইন হচ্ছে কিনা ,

ভাববার দরকার নেই রায় গাছির জবা তার স্বামী  আত্মহত্যা করলো 

কারণ উবেরের ই এম আই আর টানা সম্ভব না  বলে 

না না আপনার দেখার দরকার নেই পাশের বাড়ির স্বপ্না বলে মেয়েটা 

পরিবার টানতে রোজ পার্কস্ট্রিটে দাঁড়ায় ,

না না আপনার শোনার দরকার নেই পাশের বাড়ির চঞ্চলের চাকরিটা গেছে 

ফাস্টস্ট্রেশনে ছেলেটা ঝাঁপ মারলো তার পাঁচ তোলার ফ্ল্যাট থেকে।

.

তাই তো বলা 

যদিও অন্ধকার বেঁচে থাকে ,তবুও শুভেচ্ছা 

শুভেচ্ছা শব্দটা যেখানে ভীষণ আত্মিক হওয়ার কথা 

সেখানে  সামাজিক। 

তবুও সেই সামাজিকতা থেকে তোমাকে বলা চলন্তিকা 

আপনাদের বলা 

শুভেচ্ছা শুভ দীপাবলি ২০২১।


  

Friday, November 13, 2020

তোমাদের পুজো

 ভালো লে 

তোমাদের পুজো 

... ঋষি 

...

বিনম্র সভ্যতায় 

মাগীটা একলা দাঁড়িয়ে দরজার বাইরে ,

সভ্যতার বাইরে ,সময়ের বাইরে ,একলা রাস্তায় 

ন্যাংটো ভঙ্গিমায়। 

বস্তুত মেয়েদের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে 

মেয়েরা মাগী হয়ে যায়,

বস্তুত মেয়েদের দর্শন ফুরিয়ে গেলে 

এই সভ্যতার সকল দার্শনিক সময় হঠাৎ পুরুষ হয়ে যায়। 

.

এই কবিতায় আমি দাঁড়িয়ে চলন্তিকা তোমার পাশে 

ছায়ার মতো কিছু তথ্যচিত্র চোখের ফুলতলায় ,

নারী  তোমাকে পুজো করি

ততক্ষন

যতক্ষণ তুমি মণ্ডপে থাকো। 

বাকি সময় শুধু পুষে রাখি সময়ের ব্যবহার্যে হাজারো রূপে 

ছোট থেকে তোমাকে লালিত করি   

কারণ সময় জানে তোমাদের লালন পরবর্তী ফুলের জন্মস্থান। 

.

কার পুজো ?

কিসের পুজো ?

সমাজের পুজো শব্দের দত্তক আসলে তোমাদের পরিচর্যা 

কারণে 

শুধু কারণে 

শুধু প্রার্থনায়। 

এই যে শায়িত শিব তোমার পায়ের তলায় 

সেটাও একটা প্রয়োজন ,

কারণ সময় জানে তোমাকে হত্যা করে সময় যুগে যুগে শুধু মায়ার অছিলায়। 

আর তারপর 

তোমার নগ্ন শরীরটা দাঁড়করিয়ে দেয় রাস্তার পাশে ,গাছতলায় ,

প্রয়োজন ফুরিয়ে যায় চলন্তিকা 

তবু চক্ষুলজ্জায় সময় বলে বিসর্জন। 

কিন্তু কাঠামো যে বেঁচে থাকে 

বেঁচে থাকে তোমাদের কথা সময়ের গভীরে নিলজ্জ  ভূমিকায় 

তবুও প্রয়োজন ,

প্রতিটা উৎসবের অছিলায় সময়ের প্রয়োজনে 

 তোমাদের পুজো। 

Thursday, November 12, 2020

মন্দবাসি

 


মন্দবাসি 

.... ঋষি 


তোমার টু বি এইচ কে কোমড় 

অথচ আমার বন্ধু সন্দীপন আজ কিছুদিন হলো কোয়ারেন্টাইন ,

অথচ কোয়ারেন্টাইন শব্দটা আমি লিখতে পারি না 

বানান ভুল করি ,

কারণ সন্দীপন ছাড়া আজ  প্রতিটা মানুষই কোয়ারান্টাইনে 

আর আমি  আর টু বি এইচ কে কোমড়। 

.

না বুক লিখছি না 

যে বুকের বরাদ্দতা আমার প্রতিদিন বারো মিনিট থাকে 

তাকে লিখবো কি,

বরং তোমার চোখের কথা লিখি 

ও চোখে আমার মরণ লেখা আছে 

না আমি না 

আমার মৃত্যু তোমার বুকের লুকোনো কিছু আবদারে। 

.

ফিরে আসবো ঠিক 

এ কি সেই বোকা  জীবনানন্দ যে খালি পেটে চাঁদেতে খিদে দেখে ,

না আমি ফিরে আসবো চলন্তিকা 

বিশ্বাস করো এই তো সবে হাঁটতে শিখেছি 

এই তো সবে টু বি পেন্সিলে বাঁচতে শিখেছি আঁকার খাতায় 

এই তো সবে কথা বলতে শিখেছি 

বলতে শিখেছি ভালোবাসি। 

ভালোবাসি এই সভ্যতা ব্যবহৃত সবচেয়ে প্রিয় শব্দের একটা 

অথচ সত্যি কি যেন চলন্তিকা 

এই সময় দাঁড়িয়ে বরাদ্দের বারো মিনিট ছাড়া 

তোমায় বলতে ইচ্ছে করে 

মন্দবাসি। 

কারণ ভালোবাসলে কি কেউ নিজের মৃত্যু চায় 

না তোমার একবার অন্তর দেখা করতে চায় কফিনের ভিতর। 

সন্দীপন এসব কিছু বোঝে না 

খালি ভয় পায় 

আর আমিও তাকে বলতে পারি না 

ওরে আমরা সকলেই  কোয়ারান্টাইনে  আছি। 

অনবদ্য কবিতা



 অনবদ্য কবিতা 

... ঋষি 


লিখতে লিখতে হারিয়ে যাচ্ছি 


আমার প্রেমিকা বলে দুঃখ একটা বোধ মাত্র 


যদি ভালো থাকতে হয় দুঃখের কারণগুলো সরিয়ে দিতে হয় ,


অথচ আমি দুঃখ বিলাসী 


দুঃখবিলাসী আমার শহরে বাস করা মানুষগুলো শুধু হাহাকারে ,


সত্যিটা খুব  কানে লাগছে,তাই  না ?


.


সকলে সুখে থাকতে চায় 


সকলেই ভালো থাকতে চায় 


শুধু মানুষের ভালো থাকাগুলো ক্রমশ কঠিন হতে হতে ভারী হয়ে যায় ,


কখন যেন লুকোনো পকেট ছিঁড়ে দুঃখ হয়ে ছড়িয়ে পরে আকাশে বাতাসে 


কখন যেন রৌদ্র ভরা সকাল অন্ধকার হয়ে যায় ,


মানুষ খবর রাখে সবই 


কিন্তু মনের খবর শুধু পাখির মতো উড়ে বেড়ায়। 


.


এই যে আমার প্রেমিকা এই মুহূর্তে হেঁটে চলেছে 


হেঁটে চলছে আপন পথে অনবদ্য জীবনটাতে অদ্ভুত এক সৌজন্যে ,


এই যে এই মুহূর্তে সে খুলছে নাকের থেকে একটা সমুদ্র 


কানের থেকে একটা নদী,


এই যে আমার প্রেমিকা এই মুহূর্তে ঝর্ণার মতো ঝরছে 


ঝরছে তার অনবদ্য অভিমানী মেয়েটার মতো। 


আর আমি লিখছি 


লিখতে লিখতে হারিয়ে যাচ্ছি কোনো না দেখা পৃথিবীতে 


যেখানে মানুষের সুখগুলো দাঁড়িয়ে আছে গাছদের মতো 


হাওয়া দিচ্ছে 


ছড়িয়ে পড়ছে সেখানে সুখের সবুজ পাতাগুলো 


আর দুঃখের পাতাগুলো আমার কবিতার এই পাতায় এই মুহূর্তে 


তোমায় মনে করছে। 


না দুঃখ বিলাসী না চলন্তিকা 


সুখ খুঁজছি 


কোনো গভীরে লোকানো মহাবিশ্বের অন্য গ্রহে। 

পাথর

 পাথর 

... ঋষি 


খঞ্জর বুকে উঠে দাঁড়ানো পাথর 

এই সভ্যতা দাগ ,পরিচয় ,অনবদ্য শব্দের বন্ধন 

সামুদ্রিক ভিড় 

নোনতা জল গড়িয়ে নাম সভ্যতায় ,

ভিজে চোখ বেঁচে থাকা খোঁজে 

অনবদ্য জীবন কবিতার পাতায় অফুরান হয়ে যায়। 

.

মাঝে মাঝে একশো তলার বুক ছিঁড়ে খসে পড়তে ইচ্ছে করে 

কুঁচোনো কাগজের মতো এই  অন্ধকার শহরটায় ,

ছোট ছোট খুপরির আলোগুলো জোনাকি যখন 

তখন আমার চিৎকার করতে ইচ্ছে করে 

সত্যি কি চলন্তিকা 

বাঁচতে চাওয়াটা অপরাধ এই দুনিয়ায় ?

.

পাথরের বুকে রক্ত ঝরে 

আজকাল জমে থাকা পুরোনো শেওলা বেয়ে নেমে আসে ঋতুবদল 

ঝর্ণার মতো স্মৃতিরা চোখে পাতায় সকলে 

কিন্তু ভেবেছো কি যার মনে থাকার কিছু থাকে না ?

যার বেঁচে থাকার কিছু থাকে না ?

যার বুকের ভিতর মনখারাপের বাঁশি গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে 

চিৎকার করে সমাজ বেহায়ার মতো 

তার জন্য এই পৃথিবী মোটেও বাসযোগ্য নয় তাই না। 

তবুও পাথর থাকে চলন্তিকা 

তবুও পাথর বাড়ে 

তবুও শেওলা জমে পাথরে নাটকের মতো 

তবুও পাথরের বুক ছিঁড়ে রক্ত গড়িয়ে নামে 

খঞ্জর বুকে উঠে দাঁড়ানো পাথর

নিজের চোখ রগড়ে হঠাৎ ভাবে

আরে আমি তো বেঁচে।  


ধ্বংস সভ্যতা

 


ধ্বংস সভ্যতা 

... ঋষি 


একুশ শতকের ঘুম থেকে ওঠা কোনো সকাল 

প্রশ্ন রাখে 

প্রশ্ন রাখে সভ্যতার খাপে রাখা অসংখ্য দার্শনিক ,কবি ,যুগান্তরের পথিকৃতরা 

প্রশ্ন রাখে সৃষ্টির সুরে বাজতে থাকা হাজারো শব্দ 

প্রশ্ন রাখে এই শতকে জন্মানো আগামীর মুখগুলো 

আমরা কি মানুষ হতে পারলাম আদৌ ?

আমরা কি মানুষ ?

.

মানুষ বলে যে প্রজাতি ন্যাশনাল জিওগ্রাফি থেকে মুখ দেখায় 

মুখ লিয়ান্ডারথাল থেকে সম্রাট অশোকের সাম্রাজ্যে 

কিংবা ছোটদের ইতিহাসে চতুর্থ অধ্যায়ের সেই সময় থেকে 

না সত্যি মানুষ খুঁজে পাচ্ছি না। 

দেখতে পাচ্ছি একটা দুপেয়ে স্বার্থপর ,লোভী ,হিংস্র জীব 

যারা নিজেদের স্বার্থে নিজেদের আপনজনকে হত্যা করে ,

হত্যা করে প্রতিমুহূর্তের সময়ের  ছোটছোট খুশিগুলো ষড়যন্ত্রে।  

.

সময় বলছে মানুষ নাকি মেশিন হয়ে গেছে 

কিন্তু মেশিনের একটা ধাঁত আছে ,একই কাজ সে বারংবার করে 

কিন্তু মানুষের ধাঁত কি ?

একই কাজ যে নিজের স্বার্থে বদলিয়ে করে। 

সময় বলছে মানুষ সৃষ্টির অন্যতম বুদ্ধিমান 

কিন্তু প্রশ্ন হলো বুদ্ধিমানরা কি যে গাছের ডালে বসে 

সেই ডাল কাটে ,

ইতিহাস সাক্ষী 

হাজারো ষড়যন্ত ,হাজারো গুপ্তহত্যা সময় বদলেছে 

বদলেছে মানুষকে 

কিন্তু এ কোন সময় 

যখন মানুষ খুঁজে পাচ্ছি না। 

দেখতে পাচ্ছি কতগুলো মানুষের মতো দেখতে জীব 

ক্রমশ এগিয়ে চলেছে মৃত্যু উপত্যকায় 

ক্রমশ এগিয়ে চলছে ধ্বংসের পথে 

ধ্বংস করছে সভ্যতা 

বিকৃত করছে সম্পর্ক

বদলে দিচ্ছে বেঁচে থাকার মানে ,

এরা ছুটছে ,

এরা শুধু দৌড়োচ্ছে  লোভ ,আরো লোভ ,আরো আরো 

কিন্তু তারপর 

এরা সবাই একা 

এরা সবাই কাঁদছে। 

এই ধ্বংস মুখী সভ্যতায় দাঁড়িয়ে মানুষ আজ 

ক্রমাগত খুঁড়ে চলেছে কবর 

নিচের 

এবং আগামীর। 


আমি পুরুষ বলছি



 আমি পুরুষ বলছি 

.. ঋষি 


শব্দ দাঁড়িয়ে বারান্দায় 

জানো কি পুরুষ মানুষের বাইরেই থাকার কথা ছিল ,

কথা ছিল দিনান্তে অসুস্থ স্ত্রীর ওষুধ আর ছেলের কমপ্লেন হাতে 

আটশো স্কয়ারফিটের ইএমআই এর দরজায় দাঁড়িয়ে কলিংবেল টেপার ,

কথা ছিল রাতে বালিশকে প্রেমিকা ভেবে জড়িয়ে ধরার 

জড়িয়ে থাকা সংসারটা পুরুষত্বের অধিকার নিয়ে। 

.

আজ যারা পুরুষতন্ত্র বলছে 

আজ যারা নারীতন্ত্র শুধু মাত্র স্যোসাল মিডিয়ায় বলছে 

তাদের কাছে প্রশ্ন ?

আচ্ছা আপনাদের বাবারা পুরুষ ছিল তো ?

নাকি শুধুমাত্র মায়ের দুধ খেয়ে আপনারা বড়ো হয়ে গেলেন ,

বাবার কাঁধে চড়ে ,বুকে মুখ গুঁজে ঘুমোননি আপনারা 

নাকি শুধুমাত্র পুরুষতন্ত্রের ফ্যাসিবাদ প্রমান করার জন্য 

আপনারা আপনার বাবাকেও চিনবেন  না। 

.

নিস্তব্ধ দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে যে পুরুষ তার প্রেমিকাকে খোঁজে 

অসুস্থ স্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে যে পুরুষ প্যান্টের চেইনের বদলে 

স্ত্রীর সুস্থতা খোঁজে ,

অফিসে ধার করে যে পুরুষ সন্তানের জন্মদিন করে 

প্রতিটা ভাই ফোঁটায় যে পুরুষ সাত সমুদ্র পার করে বোনের কাছে ফেরে 

যে পুরুষ প্রেমিকার অবহেলায় চোখের জল ফেলে 

কিংবা নেমে  আসে পুরুষ শরীরটা দশতলার ছাদ থেকে কর্মহানিতে 

তারা সকলে বোকা তাই না। 

রোজ দিন  একশো আটবার আপনারা যে পুরুষকে ন্যংটো করছেন 

রোজ দিন অজস্রবার আপনারা যে পুরুষকে শরীরের দাস বলছেন 

সে কি সত্যি ?

নাকি পুরুষ শব্দটা চিরকাল দাঁড়িয়ে থাকে সময়ের বাইরে 

যাকে দোষ দেওয়া খুব সোজা 

যাকে অবিশ্বাস করা খুব সোজা 

যাকে খুব সহজে সময়ের প্রটোকলে ফেলে বলা যায় 

যাকে নিয়ে নারীবাদী সময় চটকালে খুব সহজে আপনি ফেমাস। 

.

শব্দ দাঁড়িয়ে বারান্দায়

কারণ পুরুষ শব্দটা চিরকাল গোয়ালে দাঁড়ানো সেই ষাঁড়টা 

যাকে মুটেগিরি করতেই হয় ,

 যাকে নিজের পরিবার আর সময়ের অধিকার মানতেই হয়। 

তাই বলে আমি বলছি না পুরুষ শব্দটাই ফ্যাসিবাদ 

নিশ্চয় আপনি গুলি করে মারতে পারেন সেই জানোয়ারগুলোকে 

যারা ধর্ষণ করে ,নারীর ওপর পাশবিক অত্যাচার করে ,পণ চায় 

এসিড ছোঁড়ে ,আগুনে পোড়ায় নারী শরীর 

আমি বলছি সেই সব অধিকাংশ পুরুষদের কথা

যারা গৃহপালিত বাবা  ,স্বামী ,দাদা ,আরো কত পরিচিতি তাদের। 

কিন্তু যদি শব্দটাই নষ্ট হয়ে যায় 

মানে যদি আপনারা শব্দটাই নষ্ট করে দেন ,

তবে এই যে আপনারা ,এই যে দুঃখবিলাসী মহিলারা ,

এই যে নারীতন্ত্রের দালাল 

আপনারা কি একলাই সমাজের মতো পুরুষ শব্দের বিরোধিতা করবেন। 

আপনাদের সকলকে আমরার একটা বিনম্র প্রশ্ন 

সমাজের কাছে এবং সময়ের কাছে 

সত্যি কি পুরুষ মানেই  অত্যাচারী ,স্বার্থপর ,শরীরলোভী কোন জীব। 

আমার সকল নারী জন্মের কাছে   

আপনারা কি সকলেই সতী ?

নাকি সতী ততক্ষন যতক্ষণ সমাজ হাততালি দেয়।  

আমার সকল সামাজিক বন্ধু  ,সাংস্কৃতিক মঞ্চ আর নাটকের কাছে প্রশ্ন 

আপনারা কি সত্যি এই পুরুষ শব্দের প্রতিবাদ ,প্রতিবাদী হয়ে করেন 

নাকি করেন তরুণ কবির বিগ বাজেট কবিতার মতো 

নাকি করেন দর্শকের হাততালি 

কিংবা সবচেয়ে সস্তা উপায়ে টি আর পি বাড়াতে। 

.

আমি পুরুষ বলছি 

পুরুষ মানে শুধু ধ্বংস নয় কখনো কারণ পুরুষ হলো জন্মের ধারক 

দোষ ,গুন,অন্যায় সকলের থাকতে পারে 

তাই বলে পুরুষ শব্দটা নষ্ট হতে পারে না। 

Wednesday, November 11, 2020

মনখারাপী মেয়ে

 


মনখারাপী মেয়ে 

... ঋষি 


মনখারাপী মেয়ে 

তোর শব্দের স্রোতে আজকাল দিন গড়িয়ে সন্ধ্যে 

দিনের শেষে আলোটুকু এই শহরের চারদেওয়াল ছুঁয়ে 

চুঁয়ে নামে ,

কেমন যেন মনখারাপ করে আমারও 

হঠাৎ সব স্তব্ধ হয়ে যায় আমি চেয়ে থাকি তোর গভীরে 

হয়তো অন্ধকারে তখন কেউ ঘরকন্না করে । 

.

ঘর বললেই মনখারাপী মেয়ে তোর কি মনে হয় ?

আমি দেখি আয়না থেকে দূরে 

কেউ একজন 

প্রতিমুহূর্তে জমিয়ে চলেছে বালি 

চোরাবালি 

আমার ও মনখারাপ করে। 

.

হঠাৎ কথার ফাঁকে 

হঠাৎ প্রিয় কবির কবিতার পাতায় ফিরে আসা প্রেম 

আমার শহরে বৃষ্টি হয়ে নামে ,

জল জমে 

তোমার চোখের পাতায় জমে থাকা মন 

গড়িয়ে যায় কত অবহেলায়। 

আমি উদাসী হাওয়ায় চেয়ে থাকি শহরের বুকে ঢেউ তোলা সমুদ্রে 

এত মানুষ 

মৃত মানুষগুলো ছুটে চলেছে 

নিজের থেকে দূরে ,সময়ের থেকে দূরে কোনো অন্য গ্যালাক্সিতে 

ঘুম আসে না চোখে 

হঠাৎ মাঝরাতে দুধ খাওয়া শিশু কেঁদে গৃহস্থতার ফাঁকে 

আমি চমকে দেখি পাশে ।

মনখারাপী মেয়ে তুই শুয়ে আছিস শিশুর মতো 

নিষ্পাপ তারারা আকাশে সাক্ষী থাকে সেই সময় 

আকাশ বলে 

আমি আছি 

মনখারাপী মেয়ে তোর দুঃখ কিসের। 


 

বৃষ্টি হবো বলে



 বৃষ্টি হবো বলে  

... ঋষি 

.

হঠাৎ লিখতে ইচ্ছে হয় না কারো 

বেণীমাধব বেণীমাধব তোমার বাড়ি যাবো ,

হঠাৎ দক্ষিণ কোন মেঘ জমে 

কেউ খোঁজে না মনের কোনের পাগলিটাকে ,

যার সাথে শুধু সাক্ষাতে নয় 

ধুলোবালি আর দ এর জীবন কাটাবো। 

.

হঠাৎ মেঘ কলমের গায়ে জমে না বৃষ্টি 

কোনো মেয়ে হঠাৎ পা ছুঁয়ে দেয় না কবিতার মনখারাপ 

হঠাৎ গায়ে দুর্গন্ধ নিয়ে কবিতা দাঁড়ায় না রাস্তায় 

হঠাৎ কেউ জিজ্ঞেস করে কি 

এই জীবন নিয়ে তুমি কি করেছো ?

তুমি অক্লেশে বলতে পারো 

" একদিন বমি করেছিলাম, একদিন ঢোঁক

গিলেছিলাম, একদিন আমি ছোঁয়া মাত্র জল। "

.

হঠাৎ কোনো কিছুই হয় না 

এই যে হঠাৎ আমি কবিতার লোকটাকে সাদা কালো দাঁড়িতে দেখছি 

হয়তো প্রণাম ঠুকছি অগ্রজর সম্মানে। 

সংকোচে আমিও কি জানাতে চাইছি 

"একবার মুগ্ধ হতে চাই

তাকিয়েছি দূর থেকে। এতদিন প্রকাশ্যে বলিনি।"

হঠাৎ সত্যি লিখতে ইচ্ছে করে না কারো 

তবুও কেউ কেউ লিখে ফেলে 

"অতল, তোমার সাক্ষাৎ পেয়ে চিনতে পারিনি বলে

হৃদি ভেসে গেল অলকানন্দা জলে। "

তবুও কেউ কেউ লিখে ফেলে সত্যিটা

 "কী বুঝেছে সে-মেয়েটি ?

সে বুঝেছে রাজুমামা মায়ের প্রেমিক।"

তাই আমিও আঁকি বুঁকি আজকাল ,আমার ও লিখতে ইচ্ছে করে 

‘সে যদি তোমাকে অগ্নিতে ফেলে মারে?’

বিনা চেষ্টায় মরে যাব একেবারে। 

যদি জন্মাই আবার 

সেই মেঘের কলম ছুঁয়ে মেঘবালিকার  অন্তরে অন্তত একবার 

তোমার মতো বৃষ্টি হবো বলে। 

Tuesday, November 10, 2020

তুমি



 তুমি 

.. ঋষি 


স্রষ্টার প্রেম কি শুধু তোমাকে জুড়ে 

এই যে সুনীল ,শক্তি ,ভাস্কর , নেরুদা সকলেই সুখে কলম চোবালো শব্দে

উঠে এলে সময়ের মতো তুমি ,

তোমার শহর 

তোমার অবস্থান ,একলা থাকা সহবস্থান 

অথচ নিজেকে লিখতে লিখতে সকলেই প্ৰেমিক হয়ে গেলো। 

.

ভ্যানগগ,পিকাসো ,গণেশ পাইন 

সকলেই যে তুলির ছোঁয়ায় তোমাকে ছুঁয়ে গেলো ,

ছুঁয়ে অজস্র ভবনের নারী নিজের মতো করে ,

জল রঙ ,তেল ,ইজেল ,চারকোল 

পবিত্রতা ,সতীত্ব ,অপবিত্রতা ,দেবী ,মন্দির ,ভাবনা ,কলঙ্ক 

সব লাল ,নীল ,হলুদ ,সবুজ ,বেগুনি ছায়া 

চোখ বন্ধ করে তোমায় পাওয়া। 

.

স্রষ্টার প্রেম শুধু কি তোমায় জুড়ে 

তুমি ছাড়া কি সত্যি কিছু ভাবে এই পৃথিবীর ভাবনাগুলো ?

অন্ধকার হোক 

আলো হোক 

নগ্ন হোক ,প্রেমিকা হোক ,নৃত্যকি হোক 

হোক সম্মানের ,হোক অসম্মানের 

তুমি ছাড়া আর কি কিছুই নেই ?

তোমাকে বলছি শোনো যতটা তোমাকে মনে করেছে সময় 

স্মৃষ্টির পাতায় ,

তুমি তার থেকে অনেক বেশি। 

যে মানুষ সৃষ্টি করে ,যে মানুষ ভালোবাসে 

দুজনেই প্রেমিক 

তুমিই তো চিরকাল  নীরা ,আকাশলীনা ,বনলতা ,অপর্ণা ,চলন্তিকা

শুধু সময়ের রূপ 

তুমি একই চিরকাল 

সকালের শিশির পাড়িয়ে ,কিংবা আগুনে পা দিয়ে 

তুমিই তো থাকো সর্বদা সৃষ্টির পাতায়

মানুষের কল্পনায় হাজারো রূপে ।  

 


..

 

Sunday, November 8, 2020

বদলানো



বদলানো 
.. ঋষি 

আটত্রিশ থেকে উনচল্লিশ 
আবার সংখ্যা বদলায়, কিন্তু আমি দাঁড়িয়ে সেই, 
সাত, সতেরো ভেবে প্রতি দিন এই শহরে, এই মহল্লা 
শুধু বদলায়, 
আমি দেখি গাছের তলায় কে যেন দাঁড়িয়ে অপেক্ষায়
আমি ফুরিয়ে যাওয়া জীবনের আলোয় চিনতে পারি 
ওটাই তো আমি। 
.
এই যে সারাক্ষন আমি, তুমি তুমি করে চিৎকার করি
আমি কি জানি না তোমার একটা বাগান আছে, আছে তোমার হাসিমুখ
বাগানে তোমার জল দেওয়া আছে 
আছে ফুলেদের পরিচর্যা।
আমারও তো আছে সমুদ্রের শব্দ শোনা, আকাশের তারা গোনা 
সাতটা চুয়াল্লিশের হাড়ভাঙা লোকাল 
আটত্রিশ থেকে উনচল্লিশে শুধু বদলানো। 
.
তবু জানো একটা প্রতীক্ষা আছে 
আমার এই আটত্রিশটা জীবন, ঘড়ির কাঁটার বড় থেকে ছোট
সব মুহুর্তে  অপেক্ষা আছে। 
তুমি ভেবো না চলন্তিকা এটা অপেক্ষার কবিতা 
বরং এটা কবিতা অধিকারের 
সুবর্নলতা, হাতা কড়াইয়ের লড়াই, ফুচকার জল, চকোলেটের রাংতা
খুন সুটি চিমটি, ভেটকির চপ, বিরিয়ানি সব ঠিক আছে
ঠিক আছে ভুল বোঝাবুঝি, ঝগড়া, অভিমানী বিকেল
কিন্তু 
কিন্তু 
কখনো যদি  ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবো 
তবে মনে রেখো 
সময়ের বদলানোতে আমি অভ্যস্ত
অভ্যস্ত রোজকার আটত্রিশ, উনচল্লিশে কিংবা একলা চলায়,
 তোমায়  ছাড়া আমি ভাবতে পারি না ঠিক 
ভাবতে চাই না আমি একা,
কিন্তু 
কিন্তু 
যদি এমন হয় 
ঠ্যাং ধরে ছিঁড়ে ফেলে দেবো
তারপর ..... 

Friday, November 6, 2020

মৃত্যুর মুহুর্তরা

মৃত্যুর মুহুর্তরা 
.. ঋষি 

মুহুর্ত (১)
.
সময় সময় পথ ভুল করি
অথচ সবচেয়ে সত্যিটা হলো পথ না থাকলে ভুল নেই
অথচ আমরা সকলেই পথই খুঁজি প্রতি মুহুর্তে ।
.
মুহুর্ত(২)
.
আজকাল আমি ঘুমিয়ে পড়লে 
তুমি আমার মৃত্যুর সমাধি স্তম্ভে আমারি নাম খোদাই কর 
এখনও বুঝি না এইভাবে কি বলতে চাও তুমি। 
এখানে থেমে যায় আমাদের বারংবার বিচ্ছিন্ন দুই পাড়ের মুঠো ফোন 
এখানেই বাউলে গান শ্মশান ভাঙা উচ্চতায় তোমার বুকের রোমে কুয়াশার স্পর্শ করে। 
.
মুহুর্ত(৩)
.
তুমি বলো ভুমিকা লেখো 
আমি শুনতে পাই বাসনকোসনের শব্দ,গোছানো কাবার্ড
ছোট ছোট শীত মোজা, বাহারী টুপি
সময় পেরেক পুঁতে দিচ্ছে 
 নারী মাত্র সামাজিক গর্ভ আর পুরুষ একটা গোটা সমাজ।  
.
মুহুর্ত (৪)
.
এই মুহুর্তে নেশাখোর মুহুর্তরা মুহুর্তদের বাধ্য করছে 
আর সামাজিক মুহুর্তরা ছুটে যাচ্ছে প্রত্যেকের গভীরে লুকোনো মুখোশে,
নেশাভর্তি রক্তে শৈশব ফিরে আসছে 
আজকেও সেকারনে আমার  সময়ের কোলে অসময়ের পুতুল। 
.
মুহুর্ত(৫)
.
কোনটা সময় 
কোনটা অসময় 
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার সব মুহুর্তরা পথ খুঁজছে। 
 মানুষের বেঁচে থাকাগুলো ব্লেডে করে প্রতিদিন একই পথ 
একই স্লোগান আর একই শহর,
অথচ প্রেমিকাকে বুকে টেনে নিলে গণতন্ত্রের উপর চে গুয়েভারা দামাল হয়ে যায়
.
মুহুর্ত (৬)
.
সময়ের প্রেমিক আমি
প্রেমিকার স্তনের অমাবস্যার  চাঁদে খুঁজি আমি সময় আর সমাজ।
প্রেমিকার স্পর্শ বিদ্যুৎ উৎপাদন করে চুপচাপ ফিরে আসে বারংবার
ফিরে আসে  হিমালয়ের পঞ্চচুল্লি থেকে সুখতপ্ত স্বপ্ন
ফিরে আসে বিষন্ন সন্ধ্যা কবিতার শব্দে
ফিরে আসে প্রতিদিনের কেটে যাওয়া আমার মৃত্যুর দখলে
এখনো বুঝি না আমি 
তুমি আমার মৃত্যুর ফলকে কি লিখতে চাও খোদাই করে। 




Thursday, November 5, 2020

স্ট্যাচু




স্ট্যাচু
... ঋষি 

খুব রাতে সংসার থেকে জেগে উঠি
ঈশ্বর  দাঁড়িয়ে আমার মাথার কাছে অদ্ভুত একটা নেশায়,
চার হাতে ভাবনারা অন্ধকার সরায় 
আলো হয়ে ওঠে, কুয়াশা সরে যায়, চোখের রোদ চশমায় 
আমি খুব মিহি কন্ঠে দূর থেকে শুনতে পাই 
ভালোবাসি, তুই ভালো আছিস আর কি চায়। 
.
হঠাৎ অন্ধকারে কেউ বলে স্ট্যাচু
ঈশ্বর  এসে দাঁড়ায় হ্যারকেন হাতে গভীর কোন বেঁচে থাকায়, 
রতন,অমর, অসিত বন্ধুদের মুখ, পাশের পাড়ার রহিম কাকা
রহিম চাঁচির সন্তান সেই কবুতুরগুলো সারা আকাশ জুড়ে।
তারপর হঠাৎ  টাইম মেশিন থেমে যায় 
তোমার প্রথম সালোয়ার, তোমার বিনুনি
তোমার প্রথম গোলাপি দাগ 
তুমি কি দেখতে পাচ্ছো আমি এখনও হাফ প্যান্টে নবম শ্রেনী
তুমি ফুচকা মুখে একগাল পাট ভাঙা যুবতী। 
.
খুব রাতে আমি সংসার থেকে জেগে উঠি 
শীতের আসন্ন ডাক, জানলায় দাঁড়ানো কেউ, হাওয়ার শব্দ 
সাদা কালো রং তুলি বেয়ে অজস্র মুখ 
সবার পিছনে দেখতে পাচ্ছি একটা খিল খিলে হাসি মুখ। 
প্রথম ওড়না
তোমার দেওয়াল ঘেঁষে সেই ছেলেটা, টফির শিশি 
তুমি দাঁড়িয়ে হাতে সাইকেল 
দল ছুট, হঠাৎ সিরিজ ধরে দিন পরিবর্তন। 
রাতের ব্যাকগ্রাউন্ডে ভেসে আসে তোমার গন্ধ 
তুমি হেঁটে যাও সময়ের পরিবর্তনে,আমি বসে চুপ, একা নিশ্চুপ 
রাতের বাঁশিতে একদল চেনা মেঘ, অচেনা বৃষ্টি 
তুমি হেঁটে যাচ্ছো আমার থেকে দূরে 
হা ঈশ্বর 
ওল্টানো অভিমানী  ঠোঁটে ভিজে রাত, 
ঈশ্বর  দাঁড়িয়ে আমার মাথার কাছে অদ্ভুত একটা নেশায়,
শুনতে পারছি খুব মিহি কন্ঠে দূর থেকে ভেসে আসছে শীতল শব্দ
ভালোবাসি, তুই ভালো আছিস আর কি চায়। 


Wednesday, November 4, 2020

মন ভালো নেই

 


মন ভালো নেই 

... ঋষি 

তোমাতে কলম ছোঁয়াবো 

লিখে ফেলবো কয়েহস্ত বিশাল এক দিগন্ত 

এই শহরের কারোর  মন ভালো নেই ,

মন ভালো থাকে না আজকাল 

হলুদ নিয়নে ভিজে যাওয়া শহর উইপোকার আড্ডা 

কুঁড়ে কুঁড়ে খাওয়া সময়ের শহরে ক্লেদাক্ত উপস্থিতি 

কারোরই মন ভালো থাকে না আজকাল। 

.

তোমাতে কলম ছোঁয়াবো 

শেষ রাতের অনবদ্য কোজাগরী চাঁদের চারদেয়ালের চোঁয়ানো ভাবনারা 

স্তবকে স্তবকে রক্তের শিরায় 

বাড়তে থাকা গৃহস্থের দাম অনিবার্য ভাবনায় গরম ভাত,

সবকিছু একলা হয়ে যায় 

এই শহরের কোনো রাত ঘেঁষা গৃহস্থের কোটরে কেঁদে ওঠে রাতের পেঁচা 

মন ভালো নেই 

কেন জানি মন ভালো থাকে না আজকাল কারোরই। 

.

তোমাতে কলম ছোঁয়াবো 

খুলে  ফেলা একলা  অন্ধকার শহরে পুরোনো কিছু স্মৃতির দরজা ,

ক্রমাগত ঠুকে চলা মৃদুতালে মাথার ভিতর আমার তুমি 

তুমি কি জানো চলন্তিকা আকাশের চাঁদে কোনো বুড়ি সত্যি স্বপ্ন বোনে কিনা ?

কোন প্রথাগত সময় অকারণে পুরোনো ভাঁজ করা চিঠিগুলো 

হঠাৎ সময়ের দরজায় কলিংবেল বাজায়  কেন ?

কেনই বা এই শহরের অজস্র সভ্যতার কুঠুরিতে শুধুইআজ  চারদেওয়াল ?

আকাশ নেই 

স্বপ্ন নেই 

স্পর্শ নেই 

কেনই বা বুককেসের উপর মাটির বিষ্ণুপুরের  ঘোড়াটা ছুটতে চায় ?

কেন কেন ? 

কেন মন ভালো থাকে না ?

কেন ভালো থাকে না স্বপ্নের স্পর্ধায় ছুঁয়ে থাকা যত্নগুলো ?

সকলে কেন তবে মিথ্যে বলে ভালো আছি ?


Tuesday, November 3, 2020

অবিশ্রান্ত

 অবিশ্রান্ত 

... ঋষি 


আমি বারংবার জীবনমুখী শব্দে নিঃশ্বাস ছেড়ে দাঁড়িয়ে থাকি

যেমন জীবন প্রতিদিন শহরের যোনিতে আলোচনা করে স্তব্ধ রাত,

মৃত্যুর কোন পরিবার নেই,

শরীর  নেই

মৃত্যুর ভবিষ্যত গুনছে পৃথিবী

আমি  গুনছি দশ থেকে দ্রোহ তারপর শুন্য 

সেই ছোটবেলা থেকে। 

.

নিজেকে চিনি কতটা ?

নিজেকে ঝুলিয়ে দেয়ালে দেয়ালে আমিও মুখ গুঁজেছি বারংবার

আরো সহস্রাব্দে জীবনকে শুনিয়েছি ,

ভুলও ও ভবিষ্যতের  নিয়মমাফিক আপেক্ষিকতা ।

জৈবিক একটি গাছের রিক্ততা দেখে

এই অথৈ জলের পৃথিবীতে অন্ধকারে  নিস্পৃহ হাতছানি 

ঢেউয়ের আওয়াজ শুনেছি কেবল আত্মাহুতিতে। 

.

আমি বারংবার জীবনমুখী শব্দে নিঃশ্বাস ছেড়ে দাঁড়িয়ে থাকি

যেমন জীবন বারংবার ক্লান্ত শরীরে একলা ঘুম খোঁজে প্রতিরাতে 

জানতে চায় সময়ের  রঙ

ঘুমের রঙ 

হয়তো মৃত্যুর ভাঙা ভাঙা আগুনে ঝলসানো হাতছানি। 

ভাঙা ঘর , ছায়াহীনতায় সূর্য পিঠে বাঁধা একটা ফুরিয়ে যাওয়ার গল্প 

আজ রোজকার 

রোজনামচায় শহরের বিষন্নতায় শরীরগুলো ঘরে 

সম্পর্কের মানে পায় না হাতছানি। 

এই জীবন যতটুকু হেঁটে এসেছি

তার থেকে কেন যে ক্লন্তহীন পথ চেয়েছি ?

এই জীবনে যতটুকু বেঁচে থাকা 

তার থেকে কেন যে অক্লান্ত পৃথিবীতে একলা দাঁড়িয়েছি  ?

আমার পথের ছড়ানো ছেটানো নোংরা ,মাছি ওড়া সম্ভাবনায় 

আর শিশু জন্মায় নি কোনোদিন ,

জন্মাবে না 

কারণ প্রতিটা শিশু হত্যার দায় পৃথিবী নিতে পারবে না 

পারবে না নিতে প্রতিটা বসন্তে লিখতে অবিশ্রান্ত মৃত্যুর কবিতায়। 

Monday, November 2, 2020

ফ্যাক্ট & ফিগার



ফ্যাক্ট & ফিগার
.. ঋষি 
.
হঠাৎ  গলা ধাক্কা খাবার মতো কিছু একটা খেলাম
হয়তো আমি বুঝতে পারছি না
হয়তো আমি বুঝতে চাইছি না
হয়তো ভয় পাচ্ছি বিশ্বাস  কে অবিশ্বাস সাজিয়ে মুখ দেখছি 
আয়নার মুখটা খুঁজে পাচ্ছি না। 
.
বুকের কাছে ব্যাথা হচ্ছে
বইয়ের তাকে রবীন্দ্রনাথ অনুসরন করছে কিছু একটা না পাওয়া
হঠাৎ  খুঁজে না পাওয়া, 
আসলে দোষ আমার মানুষ ফ্যাক্ট & ফিগারে বাঁচে
কেউ বাঁচে না আমার মতো হয়ে স্বপ্ন পাগল। 
.
দুঃখ এটা নয় আমি কি পেলাম 
দুঃখ এটা আমার পাওয়াটুকুর মধ্যে আমি ছিলাম না, 
সময় আর সমাজের মাঝে তফাৎ  করতে গিয়ে 
আমি বুঝলাম চলন্তিকা তোর মাথার কোষে অনেকগুলো প্রশ্নের বাস 
যাকে তুই উত্তর দিতে পারিস না
যাকে তুই মানতে পারিস না
শুধু বোঝাপড়ায় পটাপট তুলে ফেলিস মাথার কিছু কিলবিলে ভুল। 
ভুল সে তো সময়ের 
ভুল সে তো বাঁচতে চাওয়ার 
আমার হাজারো চিৎকারে ফাঁকে আমার মৃত মুখ
ঠেলে বেড়িয়ে আসা চোখ, ঠোঁটের কোনে রক্ত,
হ্যা আমি চুমু খেতে ভালোবাসি 
ভালোবাসি আমার মৃত স্বপ্নে তোর বুকে মাথা রাখতে
অথচ ফ্যাক্ট এটা
মানুষের স্পর্শ গুলো আজকাল বাস্তবে বড়ই বেনামি
বড়ই সস্তা। 

Sunday, November 1, 2020

হ্যালো কলকাতা

 


হ্যালো কলকাতা 

... ঋষি 


ক)

.

কিছুটা চন্দনের গন্ধ 

আর এক মুঠো সোনালী আবেশ

তোমার সমাজে ছড়িয়ে দিয়ে 

তোমার পাগল করা চোখে কাজল লাগাই 

তারপর চলো মরে যাই। 


.

(খ)

.

অশ্লীল  আগুনে আমি লটপত 

তোমার কোমল জঙ্ঘায় একবার চুমু খেয়ে ,

তোমার সমাজে মুঠো রেখে মিহি গর্জন 

মেঘ ভাঙা বৃষ্টি 

তারপর চলো মরে যাই। 


(গ)


সময়ের  বিপ্লবী আগুনে

নিষিদ্ধ  প্রাচীর গুঁড়িয়ে, সহস্রবার

একটি সংসার পাবো বলে বেঁচে আছি আগামী কোনো দিনে 

স্পর্শকাতর নিঃশ্বাসে বিষ ঢেলে

তোমাকে হত্যা করে পাবো বলে বেঁচে আছি। 

.

(ঘ )

.

একদিন ঔরঙ্গজেব  হবো

তোমার বুকের জমিন মাড়িয়ে, এ প্রান্ত হতে ও প্রান্তে

তোমার  হৃদয়ে সাম্রাজ্য পাতবো ।

না পাখি হতে চাই না আর 

চাই শুধু সাম্রাজ্যবাদী মৃত্যু বুকে অধিকারের গল্প লিখতে। 

.

(ঙ)

.

মায়ার সংসারে, তোমার স্পর্শহীন ছায়া

যেন আকাশের জমিনে পুঁতে থাকা শত বছরের পুরনো শহর 

হ্যালো কলকাতা তুমি তিলোত্তমা হতে পারো নি 

পারো নি হতে আমার প্রিয়তমা 

শুধু ইতিহাস শুকে আসন্ন মৃত্যুর মতো তুমি অপেক্ষা আমার সাথে। 


ঝগড়া বাড়ি

 

ঝগড়া বাড়ি 

... ঋষি 

.

বন্ধ ঘড়ি 

অনবরত বেড়ে চলা ঝগড়া নিজের বাড়ি 

অনবরত ঘড়ির কাঁটা দেওয়াল ধরে টিকটিক একলা রাতে ,

বাড়তে থাকা ঘুম 

ঘুমিয়ে থাকে যখন জীবন দরিদ্র বিছানায় 

অনবরত সময় খুঁড়ে চলে। 

.

সব সত্যি মিথ্যা হয়ে যায় 

সব মিথ্যা সত্যি যখন

তখন পূর্ণিমার চাঁদ ,আকাশের সূর্য সব দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে নিজের মতো। 

ঘরের ভিতর ঝগড়া তখন 

মাথা খোঁটা বিপ্লব গরম বুলেটের জিভের ডগায় নোনতা স্বাদে 

সময়কে বোঝানো যায় না 

শুধু জিভ পুড়ে যায় আকাশের চাঁদে। 

.

পেছনের ছায়াতে প্রজাপতি রোদ

লিপস্টিক কোলাহল আসন্ন  শীতকাল  গরম ওম ডেকে  আনছে।

বেড়িয়ে আসছে স্বভাব মানুষের 

বেরিয়ে আসবে  শীতের সোয়েটার আগামী দিনে ,

জানি তাতে গল্প থাকবে না 

তবুও গল্প তাতে অল্প থাকবে না 

থাকবে আকাশের রোদে লুকিয়ে থাকা শব্দের অছিলায় আমার তুমি।   

বন্ধ ঘড়ি 

অনবরত বেড়ে চলা ঝগড়া নিজের বাড়ি ,

অনবরত চিৎকার নিজের বুকের ভিতর ,ঘরের ভিতর 

বাড়তে থাকা জল 

বাড়তে থাকা ঘড়ির শব্দ ,আকাশের চাঁদ 

সব মিথ্যা তখন। 


কেউ কারো নয়

হঠাৎ করে কেউ হারায় না যে মেয়েটা বাড়িতে রোজ শাঁখ বাজিয়ে পুজো করে তার ও ইচ্ছে করে আকাশ ছোঁয়ার, ব্যাগ ভর্তি স্বপ্ন নিয়ে যে ছেলেটা বাজারে এসে দা...