Thursday, April 26, 2018

প্রাক্তন(৩)

প্রাক্তন(৩)
,,,,ঋষি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,   ,     ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,    ,
খোয়া গেছে অনেকগুলো বছর
খোয়া গেছে সময়ের দ্যুতিতে পুড়ে চলা অগুনতি সুখ।
খোয়া গেছে খোয়ায়ের তীরে রবিঠাকুরের গানের সুর
“আমি চিনি গো চিনি তোমারে” সেই রুপকথা।
খোয়া গেছে চলন্তিকা আমাদের জীবনের শেষ ষোল বছর
খোয়া গেছে পাশাপাশি ঝড়বাদলের দিনে একমুঠো সুখ।
,
কেমন আছো চলন্তিকা?
জানো তো গভীর রাতে আজও শহর নিয়ন আলোতে ভেজে।
শহরের ফুটপাথ ঘেঁষা সেই মায়াবী পথ
আজও হাতছানি দেয় পাশাপাশি হাঁটায়।
তুমি সাথে থাকো আমার বৃষ্টি বেলায়
জেগে থাকো সারারাত মুঠো ভরা ছোট ছোট কথায়।
শহরের দিনযাপনে তোমার আলো স্মৃতিগুলো মিশে থাকে
নিয়নের বুঁদ হওয়া হেয়ালিপনায়।
,
কি করছো চলন্তিকা?
জানো তো পাখিদের কিচিরমিচির আগের মতো ঘুম ভাঙায় শহরের,
আগের মতো শহরের ফুটপাথে হকারের চিৎকার।
শুধু আমার ঘুম ভাঙা চোখে লেগে থাকেনা তোমার চোখ
কেউ আর বাজার যাবার জন্য তাড়া দেয় না আমায়।
শুধু দেওয়ালে টাঙানো ফোটোফ্রেমগুলো বড় জ্বালায়
জ্বালায় তোমার গন্ধ সারা ঘর জুড়ে
শুধু তোমার স্মৃতি আর আমার দিনযাপন।
,
খোয়া গেছে শেষ ষোল বছর
অগুনতি তুমি আমার পাশে ছিলে কিন্তু কাছে না।
কি এসে যায় চলন্তিকা?
স্মৃতিদের কাছে মানুষ চিরকাল অসহায়।
জানি আমি প্রাক্তন
কিন্তু চলন্তিকা আমাদের বিয়েটা মোটেও ভালোবাসাহীন ছিল না।

Monday, April 23, 2018

অন্য আকাশ

অন্য আকাশ
,,,,,,ঋষি
.................................................................
তোমাকে ভাবতে শিখেছিলাম কোন গভীর আকাশে
তোমার কাজল টানা চোখে তখনও সদ্য কিশোরী।
গুটি ভাঙা প্রজাপতী যেমন ডানা মেলে
ফুলের স্পন্দনে তখন তোমার তিরতির চোখ।
গল্পগুলো  শুধু ভুমিকায় টগবগে পক্ষিরাজ
কিন্তু তারপর ভুমিকা বদলায় সিম্ফনিতে অন্য সুর।
,
এখন অন্ধকার একলা রাতে মনের দরজা খুলে যায়
রাতের রেলগাড়ীর একলা দাঁড়িয়ে ঠিকানাহীন।
প্রত্যহ জীবন থেকে উঠে আসা হাজারো প্রশ্ন
খঁজে ফেরা না জানা ঠিকানায় তোমার শহরের দরজা।
অচেনা রাস্তায়  জীবন খূঁজতে গিয়ে হাঁপাতে হয়
কিন্তু জীবনবাবু জানে এইভাবে ফিরে আসা যায় না।
কতটুকু পেয়েছো কতটা হারিয়েছো তুমি?
প্রেম বোধহয় অচেনা ঠিকানা কোন।
,
তোমাকে ভাবতে শিখেছিলাম কোন গভীর আকাশে
আমি তখন বোধহয় তোমাতে প্রথম স্বপ্নে।
আচ্ছা প্রেমের কি তবে প্রথম আর শেষ থাকে?
জানি না,কিন্তু আজও চলন্তিকা তোমাকে স্বপ্ন মনে হয়।
মনে হয় তুমি খোলা গভীর নীল আকাশে কোন পাখি
আর আমি অচেনা কোন অন্য আকাশ।

অন্তরদহন

অন্তরদহন
...ঋষি
......................................................

বিউটি লাইস ইন দা আইস অফ বিহোল্ডার
কবিতা নয়।
সত্যি এই হলো নারী
তবু অন্তর দ্রষ্টা বলে কবিদের দুর্নাম নিরন্তর ও সত্য।
কবিতা সত্যদ্রষ্টা
সুন্দরীদের জয় হোক, লাম্পট্যের জয় হোক।
,
অবশেষে সে অপরূপা নারী পিছল চোখে তাকালো
তাম্রযুগের মতো রঙ-এ হেসে বললো "বেশ তো"।
ট্রাফিক জেব্রা ক্রসিং-এ হলুদ, লাল ছাড়িয়ে
হালকা বেগুনিসম ল্যাভেন্ডার রঙ।
স্যিগনাল ক্লিন
সব সংকেত শেষ হলে মারাত্নক গণিতের সলভের পর
খুলে দেখা মানুষের মাংসের লোভ।
আসলে এটা একটা পিচ্ছিল চলাচল গাথা
বিরল শুক্রাণু যেখানে কবিতা লেখে গাত্রদহনে।
কবিতা তবে এমনি হয়
হে সময়, মিডিয়ায় থাকা কবিতারা এমনি
শুধুই শারিরীক।
,
বিউটি লাইজ ইন দি আই অব বীয়ারহোল্ডার
এটা সত্য এবং কবিতা।
কবির লাম্পট্য, কবির সৃষ্টি শুধু কবিতায় বিলীন
মনে হয় নারী ছাড়া কবিতা সভ্যতার মত ব্রাত্য।
কবিতা সত্যদ্রষ্টা, কল্পনায় চলন্তিকা জীবিত থাক
কিন্তু এই সব নোংরামি বাদে শুধু অন্তরদৃষ্টিতে।

Friday, April 20, 2018

কাগজের এরোপ্লেন

কাগজের এরোপ্লেন
,,,,,ঋষি
...................................................................
আমার আঙুলের লোভ
লাঙলের ফলায় অনাবাসী পৃথিবী,,হয়তো যাযাবর আমি
কিংবা জংলী।
সমাজ শব্দতা বিশ্লেষনে হাসি পায়,কষ্ট হয়
নিজের ভিতর খুঁজে পাওয়া সেই শৈশবের শব্দ
গুঁড়িয়ে দেওয়া বুলডোজারের শব্দ,,,,, সে কি সমাজের।
,
বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট
চলন্তিকা তুমি বলো কষ্ট সকলের থাকে কম বেশি
শুধু আনন্দে মন ভরে না।
তবে বলো কেন আমার কান্না পায় বৃষ্টি হলে?
কেন সকালের আলো আমার বুকে ঢুকে অন্ধকার হয়ে যায়,
সবচেয়ে বড় আজ অবধি বুঝি নি কেন যে সকাল হয়।
স্কেলিটনের রোগ
কেন আমি পারি না ঈশ্বর হতে, কেন পারি না সাধারন হতে
কেন আজও আঙুল খোঁজে শৈশবের হাত।
,
কেন নির্বোধ প্রাচীন ঘড়িটা কখনও দাঁড়ায় না
কেন নড়বড়ে জং ধরা পেন্ডুলাম...
  সচল আমি,,, কিন্তু ভাবনায় অসামাজিক।
সমাজ শব্দটা আসলে চলতে থাকা ঘড়ির কাঁটা
কিংবা অভ্যেস
শুধু হাওয়ায় গা ভাসানো কাগজের এরোপ্লেন।

Kuch pal

Agar jarurat kuch pal ho jaye
Agar kuch palme ek jindegi giya Jay
................. সাময়িকী
হাওয়ায় উড়তে থাকা আঁচল তোমার গন্ধ।
নষ্ট সময়ের দরজায় বোতাম খোলা আনন্দ মনে পরে
বৃষ্টির কাঁচে আঁকা,আঁকিবুকি।
,
ম্যাও ম্যাও বিড়ালটা আঁচড়াচ্ছে বুকের ভিতর
সাদা রিবন খোলা ক্ল্যাসিকাল মিউজিক,,,, ,,, সব ব্রাত্য
তুমি ছাড়া।
তোমার বুকের সাইজের পৃথিবী বানাবার লোভ
নিতান্ত সময়,,,,,,বুকের নিস্তব্ধতায় ভেঙে যাওয়া কাঁচ লং প্লেয়ার
ক্যাচ ক্যাচ করছে,,,,,,,,তুমি ছাড়া।
নেশার পৃথিবীতে কবিতা গদ্যময় হয়তো স্বপ্নিল ইচ্ছার ভীড়
লুকোনো লাল চোখে না ঘুমোনোর শোক
,,,,,,,,,,,,, বড় কাছে তুমি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,হয়তো বুকের ভীতর অন্য আয়না।
,
আর কিছু নয়
শুধু তোমার আখরোট ঠোঁটে এইবার গভীর দাঁতের দাগ।
লং প্লেয়ারে কিশোরের গলা
ম্যা পল দো পলকা শায়ের হু,পল দো পল,,,,,,,
Kuch bate yadome gineki sahara hai
Kuch sirf tum jano na ham........
.
...... Rishi

ফিনিশিং লাইন

ফিনিশিং লাইন
,,,,,,,,,,ঋষি
..................................................................................
চলন্তিকা ছুটছে
হাঁপাতে হাঁপাতে, গ্রীষ্ম,বৃষ্টি ছয় ঋতু,মাস পেড়িয়ে বছর।
কেন জানি মনের কোনে ভয়
ভয় বেঁচে থাকার,ভয় সমাজের, ভয় পুরুষের, ভয় একা থাকার।
হাঁপাতে হাঁপাতে পিছল হাতে ব্যাটন নিয়ে দৌড়াচ্ছে চলন্তিকা
বারংবার পড়ছে আবার উঠছে,ফিনিশিং লাইনে হয়তো সময় দাঁড়িয়ে।
,
সমাজ, নিয়ম,ইতিহাস কখনো পাশে দাঁড়ায় নি
চলন্তিকা শুধু দৌড়ে চলেছে যুগের পর যুগ।
মুখ ফুটে বলতে পারে নি চলন্তিকা তারও একটা পৃথিবী দরকার
দরকার সময়ের কাঁধে মাথা রেখে একটু শান্তি খোঁজার।
বারংবার অবহেলিত সে,বারংবার অপমানিত সে
তবু সহ্য করছে,লুকিয়ে কাঁদছে,পালাতে চাইছে নিয়মের বাইরে
পায়ে শৃঙ্খল, তবু বাঁচা লজ্জার।
তাকে নগ্ন করছে সময়,তার নগ্ন বুক হাঁতড়াচ্ছে সময়ের দালাল
তার যোনির মধ্যে ঢুকিয়ে দিচ্ছে লোহার রড।
চলন্তিকা ক্লান্ত,
হাঁপিয়ে উঠছে সে ছুটছে প্রানপন ফিনিশিং লাইনের দিকে।
,
চলন্তিকা ছুটছে
আসলে চলন্তিকা খুঁজছে বাঁচার রসদ,প্রেম সংসার আর আশ্রয়।
কেন জানি মনের কোনে আশা
বদলানো সময়ের ভুমিকায় যদি সময় বদলায় মনের মত।
কিন্তু চলন্তিকা জানে না, হয়তো চলন্তিকারা জানে না
সময় বদলায় না,সময়কে বদলাতে হয় ফিনিশিং লাইনের এপাড়ে।

Thursday, April 19, 2018

তুমুল তৃষ্ণা

তুমুল তৃষ্ণা
,,,,,,,,ঋষি
.....................................................................................
শহরের তাপমাত্রা ৩৭ডিগ্রী সেলসিয়াস
দুপুরের নুন, ঘামে চাটা ঠোঁট লেগে আছে সময়ের রোদে।
চলন্তিকা জানো এই শহরের উঁচু উঁচু স্কাইস্ক্রাপার তখন চোখ ঝলসানো
শুধু নিরবিধি সরতে থাকা সময় যেন পিচে আটকানো ক্লান্তি।
তার মধ্যে তোমাকে ভেবে আমার লেখার অভ্যাসটা ভিজে যাচ্ছিল বুকের ঘামে
ইচ্ছে করছিল এই স্কাইস্ক্রাপারগুলো গুঁড়িয়ে একটা অনবদ্য প্রেমের কবিতা লিখতে।
,
আসলে কি জানো তোমার শাসনের আঁকা আকাশের  সূর্য
যা আজীবন আমাকে পোড়াতে থাকে,এটাই অভ্যেস।
সমুদ্রের মতো ছোট  ঢেউ এসে মিশে যায় ছোট ছোট শব্দে
যা আমাকে ঘুম ভাঙিয়ে দেয়।
আমার শরীর, মনে তখন শিহড়ন
আমার মুখে চোখে কপালে ভালোবাসা চেপে ধরে অন্ধ করে দেয়।
তখন ঠিক বুঝতে পারি তোমার পাশে আমার ছায়াগুলো ঠিক কেমন
ঠিক কেমন ভেজা শরীরের শিহরণ আঙুলের ছাপ।
জানো চলন্তিকা, আমার শহরে আগের মতো বৃষ্টি নামে না
বৃষ্টি ফোঁটাগুলো টুপ করে ঝরে আর মাখে না ধুলো।
শুধু তোমায় মনে পরে যখনতখন
মৃদুমন্দ দুপুরের বাতাসে তখন তোমার গন্ধ আমাকে ছুঁয়ে যায়।

শহরের তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস
দুপুরের রোদ তখন জ্বালিয়ে যাচ্ছে জীবনের শুকনো কিছু পাতা
চটচটে পিচ্,গাড়ী-ঘোড়া-চাকা,ক্ষত এঁকে যাচ্ছে বুকে।
চলন্তিকা তখন ঠিক তুমি আমার ছায়ায়
একের পর এক শব্দ বুনে বানিয়ে চলেছো কবিতার ঘর আমার ঘামে
বুকের জংগলে তখন দাবানল, তুমুল তৃষ্ণা।

কথা হবে

কথা হবে
,,,,,,,,,,,,,,ঋষি
...........................................................................
এই শেষ নয়, কথা হবে আবার
সে বৃষ্টি আসুক কি না আসুক কি এসে যায়।
চিঠির গল্পগুলো অনেক পুরনো,আজকাল মুঠোফোন
সে যেমনি হোক, কথা হয়েছে সুযোগ পেলে আরো হবে।
কি এসে যায় সে কি মাধ্যম
বৃষ্টি হলে ভালো,যদি না হয় তবু কথা হবে।
,
এই শেষ নয়,বারংবার
মন চাইলেই কথা হবে,সে রাত হোক কিংবা সকাল।
সময়কে অবুঝ থাকতে শুনেছি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,আরো বড় অবুঝ হৃদয়।
সে ডাকছে, সে ডাকবে তোমার নাম ধরে
জানি আরও রাত জাগা,বুকের পাটাতনে অনন্ত তুমি
মন নিয়ে কথা হবে, কথা হবে সারা রাত।
আমি তোমার শহর জুড়ে তোমার নাম নিয়ে হাঁটবো
নিয়ন আলো আঁধারে চুপিচুপি কানেকানে ফিসফিস।
জানি ভেসে যাবে সমুদ্র স্রোত,হৃদয়ের ক্যানভাসে
চুপ,,,,,,,,,,,,,,রঙিন আলো।
,
এই শেষ নয়,কথা হবে আবার
সে তুমি চাও কি না চাও,অবুঝ বৃষ্টি হোক কি না হোক।
কি এসে যায়,যদি মেঘলা আকাশ রোদ এসে ঢেকে দেয়
হৃদয় যে কথা শোনে না,সে যে স্বাধীন পাখি।
উড়ে বেড়ায়,ভেসে বেড়ায়
আনমনে তোমার সাথে কথা বলে বারংবার।

Tuesday, April 17, 2018

তন্ডুরি কাব্য

তন্ডুরি কাব্য
,,,, ঋষি
..............................................................
মনে পড়ে চলন্তিকা
সেই পথ চলা,বৃষ্টিমুখর দিন।
কোন তন্ডুরির যন্ত্রে ৯১২ডিগ্রি ফারেনহাইটের আদ্রতা
আদ্রতা শুষে নেয় অন্তরের না বলা।
উনিশ বিশ তারপর
তুমুল বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া,পথ চলা নিরিবিলি।
.
চলন্তিকা তোমার গভীরে শুয়ে থাকা কৃত্রিম সংসার
আমার জামায় লেগে থাকা আদরের লিপস্টিক।
বৃষ্টি ভেজা পথ,উত্তাপের চাদর
আর তোমার তন্ডুরি কাব্য।
মনে পরে হৃদয়ের ফিসফিসে সেই তুমুল ঝড়
হাওয়ায় উড়তে থাকা তোমার আভরন,তোমার অন্তরবাস
নিরবিধি আত্মিক দায় একে,অপরের।
সব কথা বলতে নেই চলন্তিকা
শুধু অসময়ের মারাত্মক ঝড়বৃষ্টি,মনে পড়ে যায় না বলা।
,
মনে পড়ে যায়
সেই না বলা,গড়িয়ে নামা বৃষ্টি,ভিজে শহর।
বুকের সাথে বুক মিশে,ঠোঁটের লেপ্টে থাকা বৃষ্টি চুমু
সময়ের পরিবেশন,উত্তাপের শহরে বৃষ্টি ভেজা পথ।
উনিশ বিশ
আর তারপর সময়ের দুরতিক্রমণ বৃষ্টি ভেজা।

Sunday, April 15, 2018

তোমার জন্য(১১)

তোমার জন্য
,,,,,,ঋষি
------------------------------------
কথা দিয়েছি
তোমার কবিতায় লিখে দেবো এক আরব্য রজনী।
কথা দিয়েছি
তোমার একটা চুমুর জন্য অপেক্ষা করবো একটা জীবন।
কথা দিয়েছি
সময়ের সাথে পাঞ্জা লড়ে মুক্তির কবিতায় তোমায় লিখে দেবো।
.
তোমার অবয়বে অজস্র মুক্তি
দরজার ওপাড়ে পৃথিবী দাঁড়িয়ে হাতছানি দেয়।
আর এপাড়ে
সদ্য জন্মানো সকালে মুক্তিরা আলোর মত ঝড়তে থাকে।
আলতামিরার গুহা থেকে, স্প্যানিশ গীটারের যে আবিষ্কার
সব তোমারি জন্য জন্ম নিতে থাকে।
তোমার জন্য শহরের ফুটপাথে হকারের ভীড়,চিল চিৎকার
তোমার জন্য অন্ধকার শহরে মন খারাপ,আর রোজগার।
,
জানি কেউ
কথা রাখে না,শুধু কথারা সময়ের ভাঁজে মনের ডাইরী।
জানি কেউ
একা থাকে না,কিন্তু তোমায় ছাড়া একা থাকাটা মনের দোষ।
জানি কেউ
কিন্তু মানি না,তুমি আমাকে ছাড়া বাঁচতে পারো।

Sunday, April 1, 2018

বৃষ্টিকাতুর

বৃষ্টিকাতুর
.................ঋষি
..................................................................
বৃষ্টিকাতুর আদুরে শহরের রাস্তায়
ঝড়বাদলের দিনে এই কবিতা সাক্ষর নীরব কোনো নথির।
এই কবিতা আমি লিখবই তুমি জানো চলন্তিকা
সবুজের জলসা স্বাদে ,হলুদ গুঁড়ো গড়িয়ে নামা বৃষ্টি।
আদুরে শহরের গা বেয়ে আজ ঘুমকাতুরে রাত্রি গড়িয়ে পরে
শহর আজ সাক্ষী কোনো পরম স্পন্দিত ইচ্ছার।
,
ইচ্ছার পাখিরা ডানা মেলে আকাশে
তোমার ঠোঁটে জাগে গড়িয়ে নামা চুমু।
ছুঁয়ে ছুঁয়ে ঘিরে ধরে নীরব পাপ..........বোধহয়
পাখির পালক ভিজে বৃষ্টি ফোঁটা।
রাতারাতি পুনর্জন্মের অলঙ্কার টিপটিপ শব্দ
অনবরত বুকের ভিতর.......ধুকপুক।
প্রিয় আকাশ , প্রিয় মেঘ,প্রিয় গড়িয়ে পরা ইচ্ছারা
তোমার বুকের তিলে একটা চুমু।
প্রেম বোধহয়...........
বৃষ্টির হলফে গড়িয়ে নামা একলা কোন রাত্রি।
,
এই কবিতা আমি লিখবো তুমি জানো
প্রতিটা বৃষ্টি ফোঁটা এই শহরকে বড় একলা করে।
তুমি জানো একটা আকাশ ঠিক লুকোনো আমার বুকে
তাই তো এই শহরে বৃষ্টি পরে।
আর এই শহরের ভিজতে থাকা পথ, ক্লান্ত রাত্রি ঘুমোতে  চায়
কিন্তু ইচ্ছারা হারামজাদা তবু রাত্রি জাগে।

কেউ কারো নয়

হঠাৎ করে কেউ হারায় না যে মেয়েটা বাড়িতে রোজ শাঁখ বাজিয়ে পুজো করে তার ও ইচ্ছে করে আকাশ ছোঁয়ার, ব্যাগ ভর্তি স্বপ্ন নিয়ে যে ছেলেটা বাজারে এসে দা...