Monday, November 28, 2022

চারটে দেওয়াল মানে নয় তো ঘর


 চারটে দেওয়াল মানে নয় তো ঘর

... ঋষি 


সবকথা বলে দিলে যেমন সময়ের মুখ ভার 

সবকিছু পেয়ে গেলে একলা অভিমান ,

কি আর বয়স তো নেই ?

এখন তো চোখের চশমায় সময়ের ভিক্তোরিয়া হ্রদ 

বুকের ভিতর সাইবেরিয়ান পাখি 

আর শীতকাল যেমনি হোক ময়শ্চারাইজিং ক্রিম। 

.

কারো কারো ক্রোমজোমের প্রব্লেম থাকে 

কারো কারো অধিকাংশ কিংবা লঘু রক্তকণিকার দোষ 

কিন্তু কিছু দোষ যে সময়ের ,

এই শহরের বুকে বাড়তে থাকা সীসা 

কোথাও ক্ষুদার্থ মানুষকে পিছনের দিকে হাঁটায়

ভাবতে বাধ্য করে পাখিদের অধিকার । 

.

কলমের নিবে আজকাল জমে থাকে দিনক্ষয়ী প্রতীক্ষা 

আর ভয়ঙ্কর কিছু স্বপ্ন যা সময়কে রক্তাক্ত করে ,

কোথায়  আমি তো অঞ্জন দত্তর মতো সত্যি গাইতে পারি না

" চারটে দেওয়াল মানে নয় তো ঘর" ,

আমি তো সুমনের মতো গেয়ে উঠতে পারি না 

"এক কাপ চায়ে আমি তোমাকে চাই"

আমি এডেল ,জাস্টিন বিবার , সেরিন কারোর মতো গাইতে পারি না 

পাখিদের গান। 

আসলে সত্যি হলো আমি সত্যি লিখতে পারি না 

শুধু শব্দের জাগলিংয়ে একের একের পর এক রক্তাক্ত কবিতা 

ফিরিয়ে দেয় ১৯৭১ কিংবা জালিয়ানওয়ালাবাগ 

মনে করিয়ে দেয় 

এ শহর বেঁচে আছে ,এ শহরকে বাঁচতে হবে 

না হলে জেসাস খ্রাইস্টের সত্যটা মৃত্যুতে বদলাবে।  


Thursday, November 24, 2022

নিদ্রা

নিদ্রা
.. ঋষি 
.
নিদ্রা তুমি কেমন আছো? 
অনেকদিন হলো রাত্রে আর জড়িয়ে ধরো না আমায় 
আমাকে বলো না আর একটু আদর করবি 
ঘুম আসছে না কিছুতেই,
আজ অনেকদিন হলো তোমার শরীরের গন্ধটা আমি অন্ধকারে হাতড়াই 
কিন্তু কিছুতেই ঘুম খুঁজে পাই না।
.
নিদ্রা বহুদিন যাওয়া হয় না তোমার স্বপ্নের বাড়িটায় 
জানি না তোমার ছোটবেলার লজেন্সকাকু আর কতটা বুড়িয়েছে এতদিনে, 
জানি না তোমার বাড়ির সামনে নিমগাছটা আছে কিনা
শেষবার শুনেছিলাম তোমার বাড়ির  রাস্তাটা চৌড়া হবে
তাই গাছটাকে কাটতে হবে। 
.
নিদ্রা ইদানীং তোমাকে আমি কোত্থাও খুঁজে পাই না
তোমার কি আজও আমাকে মনে পড়ে?
অকারণে আগের মত মনখারাপ হয় তোমার? 
নাকি আমার মত তোমারও আজ ভাঙা দুপুর আর এক পশলা বৃষ্টি। 
নিদ্রা তুমি কি আজও সেই ফেরিঘাটে আসো
আজও কি তোমার খুব সকালে ঘুম ভেঙে যায়
তারপর ব্যাস্ত শহরের চিৎকার আর  সারাদিন খাটাখাটুনির পরে রাতের অন্ধকারে কান্না পায়,
ঘুম আসে না কিছুতেই, 
আজও কি মনের না বলা কথাগুলো তুমি কবিতায় লেখো
তারপর মনে মনে ঠিক আমার মত বলো 
একদিন ঠিক হবে 
একদিন ঠিক ঘুমিয়ে পড়তে হবে। 
তবে কি জানো নিদ্রা
সেদিন সেই শান্তির ঘুমের জন্য নরম বিছানা কিংবা তোমার বুক কোনটাই থাকবে না
থাকবে আগুনে পূড়তে থাকা কিছু অতৃপ্তি আর কিছু অভিমান। 



Monday, November 21, 2022

স্বপ্ন সংক্রান্ত

 স্বপ্ন সংক্রান্ত 

... ঋষি 

.

স্বপ্নের আগে 

..........

একটা লম্বা রাস্তা দাঁড়িয়ে রেসের মাঠে 

আমি সাদা ঘোড়া ,তুমি কালো ,আরো কেউ কালো সাদা 

কত রং ,

উজবুক আমরা সবাই 

ছুট.....ছুট........ছুট................ছুটি 

হচ্ছে না। 

.

স্বপ্নের পরে 

.............

সেই যে কবিতার নামে বাড়িটা 

আমাদের গৃহপ্রবেশ ,সময়ের পুরোনো দরজাটা খোলা হয় নি

আমরা সকলেই কমবেশি চিড়িয়াখানা। 

নির্ভেজাল স্লোগানে সকলেই শুধু সুখ খুঁজি নিজের অবচেতনে 

অসুখ আমাদের 

বুকের ব্যারিকেটে স্বপ্নরা বড়ো ভিখারী। 

.

যদি স্বপ্ন না দেখি 

.................

সৃষ্টির লাগোয়া আদমের বুকে আজও ফুল ফোটে 

পামীর উপত্যকা নারী শরীর না 

ইভের আগের যে জন তাকে মনে রাখার দরকার কি ? 

ঈশ্বরের বাগানে কবিতা চুরি হচ্ছে রোজ 

আমরা সকলে কবিতার গাছ 

আর আমাদের শস্যে সভ্যতা সত্যি হচ্ছে। 

.

হঠাৎ মৃত স্বপ্ন 

...................

পিছন ফিরে ঘোড়ারা দৌড়োয় না 

শুধু ট্রেনের দরজায় দাঁড়ালে পৃথিবীটা পিছনের দিকে হাঁটে 

আমরা তো মিথ্যে পৃথিবীতে বাঁচতে চাই না কেউ 

তাই মৃত স্বপ্নগুলোকে কবর দিয়ে ফেলি 

কিন্তু সময় সময় কুকুরের মাটি খুঁড়ি

কারণ স্বপ্নরা মরে না কখনো।  


ভয়ংকর চাঁদ

 ভয়ংকর চাঁদ 

... ঋষি 


আমরা কি ভয়ংকর বোকা বলুন তো 

সেদিন আকাশের বাইরে দাঁড়িয়ে একজন দেশপ্রধান বললেন দেশ বদলাবে 

সেই শুনে কবি লিখলেন 

যদি কোনোদিন আমি দেশনায়ক হয় 

তবে সবার সংবিধানটা কবিতার মতো করে দেব 

করে দেব মানুষগুলো কোনো  ভালোবাসার কবিতার শব্দ। 

.

এই সব মঞ্চস্থ হচ্ছে যখন 

তখন এক ধেনো মাতাল পা টলাতে টলাতে একই  স্টেজে এসে দাঁড়ালো

মঞ্চের নিচে দাঁড়ানো জনতা হাততালি দিলো 

মাতাল বলে উঠলো ওরে কে আছিস ধর ধর

এরা ইংরেজি খেয়ে বাংলার মতো কিছু বলছে 

বমি হয়ে যাবে যে। 

.

আমাদের কি অপরাধ বলুন তো 

আমরা চাঁদ দেখে নিজেরদের লিঙ্গকে শ্রদ্ধা করি 

শ্রদ্ধা করি রেড লাইট এড়িয়াতে  দাঁড়ানো সেই কন্ডোম বিলানো সমাজসেবীকে 

তবুও ওই গলিতে ঢুকলে মনে থাকে না 

কন্ডোম ছাড়া সঙ্গম কতটা মারাত্নক 

কতটা মারাত্নক লোভী নপুংশকের সংসারে নিয়মিত দেশের জন্ম নেওয়া। 

আমরা সাধারণ মঞ্চের নিচে দাঁড়িয়ে হাততালি দি 

কিন্তু মঞ্চের ড্রপসিনের ভিতর অভিনেতার মুখে গিরগিটি দেখেও হাসি 

সময় মতো নিয়ম করে আঙ্গুল ঠেকিয়ে চাপ দি  বোতামে

নিজেদের পোশাকের বোতামগুলো খুলে ফেলি 

তারপর সময়কে বলি পোশাক বদলাতে। 

কবি সব বুঝলেন তবু লিখলেন 

আমি যদি সাধারণ জনতা হতাম 

তবে রাস্তায় ন্যংটো হয়ে দাঁড়াতাম তারপর চিৎকার করে হিসু করতাম 

আর লিখতাম সময়ের শহরে মানুষগুলো সব অন্ধ 

যারা মানুষ দিয়ে দেশ মোছে তারাই রাজা এবং ভন্ড। 


বেআব্রু কবিতা

 বেআব্রু কবিতা 

... ঋষি 


অশান্ত এক সকাল ,ভাবনার ক্লান্তি পেরিয়ে 

চেয়ে আছি খুব দূরে 

এইবার এক বিদ্রোহের আগুন জ্বলতেই হবে 

ক্লান্ত শরীর 

শরীর পেরিয়ে একের পর এক নির্ঘুম রাত বিছানা আঁকড়ায় 

একটাই স্খলন ,একটা  বেআব্রু কবিতার দরকার। 

.

খোঁজ খোঁজ খোঁজ 

বিছানা ,বালিশ ,খোলা  তক্তপোষে ওইপাশে কতগুলো বই 

ভাঙা দুপুর ,কাক ডাকছে ,

আমি চেয়ে আছি খুব দূরে 

একটা পরিবর্তন দরকার ,দরকার মানুষের অন্ধকারে জোনাকির আলো 

বড্ড এবড়োখেবড়ো 

ভাই সব এইবার লণ্ঠন জ্বালো ,হাতে লাঠি ,বেরিয়ে পরি চলো। 

.

কোথায় যাচ্ছি 

কাদের বিরুদ্ধে একলা চয়ন 

তিতুমীরের কাঠের স্বপ্ন ,গ্রিসের সেই কাঠের ঘোড়া 

সব সাময়িক ,আগুন লাগিয়ে ছুঁড়ে ফেলে  দেও ,বাঁচতে হবে 

মানুষ হয়ে মানুষের পাশে ,

নতুন জন্ম ,নতুন আকাশ ,নতুন ভাবনা ,নতুন সৃষ্টি 

শিক্ষা ,স্বাস্থ্য আর উন্নয়ন 

অথচ পিছনে আজও ছুরি মারছে মানুষের মতো কেউ 

ওরা করা ?

ছেঁড়া তক্তপোষ ,একলা পাশ বালিশ ,বিশৃঙ্খল সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে 

মারাত্নক বিরক্তি হাত পা ছুঁড়েছে 

জবাব চাইছে, নেই 

আর কতক্ষন ?

.

তুমি এলে অবশেষে 

বললে একি অবস্থা কবি ,খাওয়া নেই ,নাওয়া নেই 

সারা সময় জুড়ে শুধু কবিতা 

তুমি কবিতা দিয়ে মানুষে দুঃখ মোছাতে পারবে ?

পারবে ক্লান্ত মানুষগুলো আলোর পথ দেখাতে ,

আমি বললাম 

আর পারছি না  ,আর পারছি না   ...........

Wednesday, November 9, 2022

অস্বস্তি

 অস্বস্তি 

... ঋষি 


সময়ের ঘর থেকে মৃত্যুর ঘরের দূরত্ব তুমি গুলিয়ে ফেলছো বারংবার 

আমি বুদ্ধিমান ছিলাম না কোনোদিন ,

তুমি গাছের পাশে দাঁড়িয়ে চাঁদের স্বপ্ন দেখছো 

সেও ভালো 

কিন্তু আমি যা জানি তুমি জানো না 

যে সবুজ পাতাগুলো তুমি নিশ্বাস বলে জড়িয়ে ধরো 

সেগুলো আসলে পাথর। 

.

তুমি বন্যার ত্রানে ভেসে যাওয়া গাছেদের দেখে মায়া করো 

কেউ যদি বলে ভালোবাসি তাকে দেও মৃত্যুর দন্ড 

আমি জানি তুমি সময়ের ওপারে দাঁড়িয়ে সেই নেমেসিস্ 

যার অপেক্ষায় উত্তরগুলো প্রশ্নের মতো 

আর প্রশ্নগুলো 

স্কেচ পেন্সিলে আঁকা সেই ছবি 

যেগুলো তুমি স্বপ্নে দেখো। 

.

সময়ের ঘরে তুমি দাঁত দিয়ে চেপে ধরো অস্বস্তি 

বৃষ্টির ঘরে দাঁড়িয়ে জলের ফোঁটাকে কাঁচের গুঁড়োয় মিলিয়ে ফেলো,

সময়ে চোখ খোলো 

চোখ বুজে কল্পনায় দেখে ফেলো তুমি নিরুদ্দেশ ,

পথ খুঁজতে শত্রূর গোলা বারুদ ছাড়িয়ে হঠাৎ তুমি বাউলিনি হয়ে যায় 

হয়ে যাও একা 

গেয়ে ওঠো "আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে

তাই হেরি তায় সকল খানে "।।

সময়ের ঘর থেকে মৃত্যুর ঘরের দূরত্ব তুমি গুলিয়ে ফেলছো বারংবার 

আমি সময়ের ছিলাম না বারংবার 

কিন্তু আমি নিরুদ্দেশ নই 

কিংবা আমার উদ্দেশ্যে কোথাও কাঁচের বৃষ্টি হয় 

কারণ সবুজ দংশনগুলো কখনোই অস্বস্তিতে ভোগে না। 

তাসের সেই জোকার

 


তাসের সেই জোকার 

... ঋষি 

.

বেশ বলছে সময়, ভুল তবে ভালোবাসা 

বেশ বলছে সময়, ভুল তবে হাত ধরে হাঁটা 

মাঠের পর মাঠ পেরিয়ে তুমি ইতিহাস বইতে আইসযুগের ম্যামথ হতে পারো 

কিন্তু আমি ইতিহাসে মাথামোটা সেই ছাত্র 

তাই প্রত্যাবর্তনেও বাঁচতে পারছি না 

কারণ আমি জানি আমি শুধু তোমার ভাবনায় আর অবসরে থাকি । 

.

মৃত্যুর আশংকা নিয়ে প্রতিদিন এই শহরে পথ চলি আমি 

আসলে অভ্যেসের দাস মানুষ ,

তাই তো খুব সহজেই তুমি আমাকে বলতেই পারো ইউসলেস স্পাইনলেস ফেলো 

তাই খুব সহজে মোমের আগুন নিজের শরীরে ফেলে 

আমি গিয়ে দাঁড়াতেই পারি প্রতিবার মৃত্যুর ওপারে 

তুমি তখন সংসারে খেলনাবাটি খেলো। 

.

ভালোবাসা অকশনে ওঠে বারংবার 

কয়েকশো প্রাচীর পেরিয়ে একটা বোবা পাগলাটে লোক ফ্যালফ্যাল করে তাকায় ,

ভালোবাসাও বিক্রি হয় তবে 

রাস্তায় দাঁড়িয়ে কুড়িয়ে পাওয়া চারানা সকলের পক্ষে গোটা করে সম্ভব না 

কেউ কেউ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে অপেক্ষায়,

সকলে বাদশা ,বিবি ,গোলামের খেলাটা খেলতে পারে না 

কেউ কেউ এক দানেই আমির হয়ে যায়। 

আমি আমির হতে চাই নি 

শুধু মনুষ্যত্ব চেয়েছি

বাঁচতে চেয়েছি সময়ের ওপারে সেই তাসের ঘরের অপেক্ষায়

সময়ের খেলাটা আমি বুঝি নি 

তবুও বোকা ,তবুও হাসছি আমি 

অথচ তুমি খুব সহজে বুঝে গেলে আমি তাসের সেই জোকার

তবুও আমার সাথে ভালো থাকতে পারছো না ।

Tuesday, November 8, 2022

অল্প কথার গল্প

 অল্প কথার গল্প 

.. ঋষি 


অল্প কথার গল্প হয় না 


তবু বলি তুমি বলছো দেশটা গোল্লায় যাচ্ছে 


একটা উনচল্লিশ বছরের লোক পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে মেরে দিলো গান্ধীকে 


আমি বলি মারলো কেন ?


কে শেখালো তাকে গুলি চালাতে 


আমি বলি মতবাদ আর সত্যির মধ্যে তফাৎ নিমিত্তের। 


.

বেঁচে থাকাটা একটা আর্ট 

তফাৎ বিস্তর বাঁচার সাথে মাইমের ভূমিকায় যারা ,

যেটা চোখ দিয়ে, ভুরু দিয়ে,ঠোঁটের বক্রতা, হাতের আঙুল দিয়ে-

পৃথিবীর সমস্ত মুহূর্তগুলোকে বুঝিয়ে দেওয়া যায় 

কি প্রয়োজন ,

অথচ আমরা কথা বলি বেশি 

মানতে চাই না মাইমও আর্ট। 

.

অল্প কথার গল্প হয় না 

তুমি বলছো মেয়েটা ওখানে শাড়ি তুলে দাঁড়ায় 

কিন্তু কখনো টমি বুঝতে চাইলে না মেয়েটা সন্তানহীনা কারণ তার স্বামী নপুংসক 

কিংবা এটাও বুঝলে না মেয়েটা বিধবা ও অশিক্ষিত 

মেয়েটার ঘরে বৃদ্ধ শ্বশুর এবং তিনটে সন্তান। 

আসলে আমরা যা দেখি বা যা বুঝি সেটা হলো সময়ের বিজ্ঞাপন

কারণ আমাদের মতো মাথামোটার দেশে বিজ্ঞাপনের থেকে বেস্ট অপশন নেই 

মানুষকে বোকা বানাবার। 

আমরা বুঝতে চাই না আমাদের চোখের বাইরে একটা সত্যি 

আমাদের বিশ্বাসের বাইরে একটা বিশ্বাস আছে 

আমরা ঈশ্বর বিশ্বাস করি 

কিন্তু কিছুতেই মানতে চাই মানুষের মাঝেও ঈশ্বর আছে 

সেই ঈশ্বর ক্ষুদার্থ 

সেই ঈশ্বর অসহায় 

সেই ঈশ্বর স্বজনহারা ,নিঃস্ব এবং একা ,

আমরা কারণে বিশ্বাস করি 

কিন্তু কারণের বাইরে কারণগুলো কখনোই খতিয়ে দেখি না। 

.


চরিত্রহীন

 চরিত্রহীন 

... ঋষি 

.

I am not Sure what I am supposed to be doing in life,but I will tell you this I am not doing anything......

মাঝে মাঝে এই দেশটার  উপর বড় মায়া 

এত ধুলো জমে আছে সারা দেশে 

সারা দেশময় লোডশেডিং 

তবু লোডশেডিং শব্দটা সকালে ডেলি প্যাসেঞ্জার ট্রেমে শহরের কাজ করতে আসা মেয়েগুলোর মুখেই শুনি বেশি ,

ইদানিং তো দেশপ্রেমিক শব্দটা থক by by by কেমন যেন পেচ্ছাবের গন্ধ আসে অথচ  মানুষগুলোর খোলা আকাশের নিচে প্রাতঃকার্যে নগ্নতা আঙ্গুল ছুঁড়ে দেয়। 

.pp

হাসবেন না মশাই 

দিনাআনি  মানুষের ঘরে সারা বছর শীতকাল থাকে ,

কারণ তাদের কাঁপতে হয় 

সে বৃষ্টি হোক ,সে দেশ বন্ধ হোক , খিদে হোক কিংবা কুকুর বিড়ালের প্রসবযন্ত্রণা

একটা ভয় তো থেকেই যায় 

কারণ এই দেশের ধুলোয় আজকাল মানুষের পোড়া চামড়ার গন্ধ থাকে। 

.

কখনো সময় কিনতে চাই নি ,তাই ঘড়ির প্রসঙ্গ এলেই 

আমি কবি হয়ে যাই 

সকলে বলে শালা কাজ নেই পাগলামি ,

আমার মনে পরে তুমি বেশ্যা ,তুমি সাধু ,আর আমি হলাম মুদির দোকানি 

আমি খিদেও বেচি ,ব্যাবসা বাড়াতে ধার দি 

আবার রাত হলে হাড়কাটা গলির মোড়ে চাঁদের দিকে তাকাই 

দেখি কিভাবে বেআব্রু হয় দেশ খিদের বদলে বেশ্যার দরজায়

অথচ কেউ জানতে চাই নি কোনোদিন 

জায়গাটার নাম হাড়কাটা হলো কেন ?

অনুমতি নেই জানি ,তবু মাঝ রাতে আমি চলন্তিকার কাছে দাঁড়াই 

তাকে প্রশ্ন করি ,তোর রাত হলেই আমার কথা মনে পরে 

চলন্তিকা হাসে বলে এই দেশে সব কবিতারা চিরকাল চরিত্রহীন। 

   



  

নীল পাহাড়ের ঘরে

 নীল পাহাড়ের ঘরে 

.. ঋষি 


তুমি কি আবারও সেই গল্পটা শুনতে চাও 

নীল রঙের পাহাড় আকাশ ছিঁড়ে মেঘেদের ঘরে গেছে 

সেখানে মেঘেদের ঘরটা ছোট 

তাই তুমি ঘরে বাইরে দাঁড়িয়ে আছো আজ বহুদিন 

আসলে তুমি মেঘেতেও আছো ,আছো নীল পাহাড়ের ঘরে 

বোধহয় সংসার শব্দটা এমনি ,স্বজনহারা। 

.

জীবন যাদের ওম দেয় নি 

দেয় নি মাথার উপর একটা কংক্রিট  ছাদ 

তাদের চুক্তি আর মুক্তির মাঝে বিশেষ তফাৎ নেই 

তফাৎ একটাই তুমি বাঁচতে চাইছো ,

অথচ ঘরের বাইরে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে তোমার জীবিত ঈশ্বর 

ইদানিং ব্যস্ততায় তোমাকে ভোলাচ্ছে। 

.

আমি গল্পের শেষটুকু লিখতে চাইছি 

আমি কারোর নাম না করেই বলছি 

আমি ঈশ্বরের কাছে প্ৰাৰ্থনা রাখি তুমি যদি জন্মাওআবার 

তোমার স্তনের মাটিতে আমাকে বুনতে দিও ফসল ,

এর থেকে বেশি নিলজ্জ আমি হতে পারি না 

তাই আমি চাই 

৭২ বছর বয়স্ক  সমরেশ যাতে আগামী জন্মে আর খুন না করে তোমাকে 

১২ বছরের তসলিমা ট্রেইনের কামড়ায় যাতে নগ্ন না হয় 

২৬ বছরের  ভ্যান গগ কান কেটে ভালোবাসি বলে পাগলামি না করে ,

তোমাকে যাতে আবারও মেঘেদের ঘরে না যেতে হয় 

তুমি যেন সংসারী হও তোমার নীল পাহাড়ের ঘরে। 


অবৈধ

 অবৈধ 

... ঋষি 


কি লিখবো ভাবছি 

লিখবো ঠোঁট ,লিখবি চোষাচোষি ,লিখবো বয়স তো মন্দ হলো না 

তবু কি লিখতে পারছি 

মানুষগুলো হা হুজুর করে দিন কাটাচ্ছে 

আর পাশের ঘরে ঈশ্বর হুইল চেয়ারে প্রথিবী ঘোরাচ্ছে 

তার পায়ের জুতোর রঙে মানুষের চামড়া। 

.

ঈশ্বর কোথায় থাকেন 

না হে মানুষের সিলেবাসে লেখা ছিল না কোনোদিন 

মানুষ নিজের মতো করে ঈশ্বর চটকেছে ,বানিয়েছে নিজেকে ঈশ্বর 

আমি বলি আকাশের রং কি 

আকাশের গায়ে নীলচে রঙের সম্মোহন 

মানুষ আকাশের দিয়ে তাকিয়ে তাই বোধহয় আজকাল বিপ্লব খোঁজে। 

.

বিপ্লব বলে ছেলেটার সাথে দেখা হয়েছিল সেদিন 

তার মায়ের শরীরটা ভালো না ,

অনেক জায়গাতে ইন্টারভিউ দিয়ে সে বুঝেছিল তার চাকরি হবে না 

তাই এবার মানুষ খুন করতে হবে 

মানুষ বাঁচাতে। 

স্বর্গটা কোথায়  জানিনা, নরকের বাজারে দোকানে প্রচুর ধার বাকি 

সব কথা খুলে বলতে নেই 

সব বোতাম খুলে দিলেই তুমি নগ্ন 

কোনখানে সত্য আছে আর কোথায় নেই 

না মানুষের সিলেবাসে লেখা নেই ,

সেদিন এক ইংরাজী মুভিতে থেকে নরকের দরজা খুলে গেছে 

সেখানে চাঁদের মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে 

অথচ পরিচয়হীন তার গর্ভে চাঁদের অবৈধতা। 


Friday, November 4, 2022

অন্য তোমাকে

 অন্য তোমাকে 

... ঋষি 

.

দৌড়োচ্ছি আমরা সকলে 

টেবিলে ওপরে,মেট্রোর গলিতে ,রাস্তার ওপাশে ,নিয়মের সাথে কিংবা অনিয়মে 

দাঁড়াচ্ছি আমরা হয়তো কখনো মুখোমুখি বোঝাপড়া, 

কবিতার কলম 

হঠাৎ মনে পড়া মুখ ,গহীন কালো চোখ 

অবিরত কিছু কবিতার খোলাপাতা নির্বাক হয়ে থাকে। 

.

যারা মনের ভিতর থাকে তারা মনে থাকে 

অথচ কখনো অভিমান কুঁড়িয়ে কেউ কেউ প্রয়োজনের হিসেব খোঁজে 

হিসেবে খোঁজে খোলা জানলার ওপাশে এক পল্টন মেঘ 

বৃষ্টি পাহাড়িয়া সুরে আলোআঁধারি পথ 

সূর্য ডুবে গেছে এ শহরে 

তোমার মনের গাছটা বোধহয় এতদিনে স্বাবলম্বী হয়ে গেছে। 

.

আমি সবুজ কুঁড়িয়ে ফিরি 

নিয়ম ভাঙি ,তোমার প্রোফাইলের ছবির দিকে তাকিয়ে দেখি 

আমাদের বয়স গিয়েছে ভেঙে 

একটা অগোছালো মনের আলমারির ভিতর অনুভবগুলো জমা আছে ,

জমা আছে সমুদ্রের মাঝের সেই কাঁচের ঘরটা 

যার চাবি হারিয়ে গেছে। 

আমি তোমার চোখে আজও সমুদ্র দেখতে পাই 

দেখতে পাই অনিয়মের নিয়মে কাটিয়ে ফেলা একটা জীবন শুধু মাত্র বুভুক্ষু 

সমুদ্রের ঢেউয়ের আঘাতে পার ভাঙে 

তোমার জমানো বাকি জীবনে কিছু কথা মনে থেকে যায় 

তোমার ছোট দাদু তোমাকে ওমরাওজান বলে ডাকতো

তবুও  জীবন ফুরিয়ে যাই না 

বরং একটা আহুতি খিলখিলিয়ে হাসে মনে করিয়ে দেয় অন্য তোমাকে।   


Thursday, November 3, 2022

জনতা

কষ্টগুলো মেরে ফেলার জন্য একটা রহস্য দরকার হয়
প্রাক্তন দড়ির উপর দাঁড়িয়ে ন্যেকা কান্না
স্তম্ভিত হিসেবের আগলের ভিতর মোমবাতি জ্বলে,
জল্লাদ তার শেষ আকুতিতে জীবিকা খোঁজে
জীবিকা হলো জীবন 
কিন্তু দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে সকলেই জনতা।

মাতাল

মাতাল 
..ঋষি 
.
নির্বাসিত জীবন
সাময়িক বাসস্টপে অপেক্ষামান যাত্রী আমি,
পথচলতি লাথি মারি নেশার বোতলে,
ভেঙে যাওয়া সম্ভ্রমে হিসেবি মানুষ বাঁচিয়ে চলে
সামাজিক নাগরিক ভুমিকায় যাতে কারোর   সময়ের দাগ না পরে। 
.
তুমি ঘুমিয়ে পড়ো রাত এগারোটায় তোমার ঘুমোবার অভ্যেস
তুমি পাখা মেলে ধরো সময়ের আকাশে তোমার ওড়ার অভ্যেস,
আমি একমনে দিনগুনি
বারংবার নিয়ম ভাঙি,ভেঙে ফেলি হিসেবের দোর
তারপর অপেক্ষারত যাত্রীশালায় অপেক্ষা করি
তুমি হয়তো আসবে। 
.
দূরে কোথাও তোমার হিসেবের বাজারে তখন 
সম্পর্কের বিকাশ
আমি তোমার বারান্দার নিচে দাঁড়াই 
চোখ বুজি, চোখ খুলি একটা ম্যাজিক খুঁজতে চাই
ওইতো তুমি
ওইতো তোমার পায়ের শব্দ 
তারপর বুঝি আমি ভুল বারংবার আর্যভট্টের গণিতে
চাণক্যের ভাবনায়।
আমি ভুল তবু  নিয়ম করে বাসস্টপে দাঁড়াই 
আমার টলমল পায়ের দিকে চেয়ে লোকে বলে আমি মাতাল
তারা দূরে সরে যায় 
তারা কবি বলে আমাকে আমার কবিতায় 
অথচ আমি বলতে পারি না কাউকেই মাতালদের পৃথিবীতে আমি রাজা
আমার কোন আর কোন দেনা নেই
নেই শোক,শুধু একটা অনিয়ম বাঁচা ।

Wednesday, November 2, 2022

ইদানিং বড় একা লাগে

 ইদানিং বড় একা লাগে 

,,,, ঋষি 


তোমার সাথে কথা কিছুতেই ফুরোয় না 

তবুও ভীষণ একলা লাগে ,

তোমার কথা বলতে গিয়ে আজকাল শব্দরা প্রতিবাদ করে 

কেন জানি ভীষণ একলা লাগে ,

ভালো আছি ,ভালো থাকবো বলে এই একলা থাকা 

তবুও জানো ইদানিং বড় একা লাগে। 

.

একা লাগাটা একটা অন্ধকার সড়ক ধরে হাঁটা 

একা লাগাটা একটা রোগ যার শেষে কোনো গন্তব্য নেই 

আজকাল মনে হয় আমি অসুস্থ 

আমার কবিতার শব্দরা বহুদিন হলো খেতে কিংবা ঘুমোতে পায় না 

দিন কাটে যেমন কাটে রোজ 

তবুও কেন জানি আমার এই একা থাকার রোগ। 

.

ইদানিং বড় একা লাগে 

একা লাগে এই চারদেয়ালের ঘরের মাঝের জায়গাকে 

একা লাগে রেলিং ভর করে রাস্তার দিয়ে তাকিয়ে থাকা সড়কটাকে 

একা লাগে একটা লোডশেডিং সন্ধ্যায় রবি ঠাকুরের গান 

একা লাগে হঠাৎ ফাঁকা বাসের সিটে একলা তোমাকে মনে করায়। 

ইদানিং  কেন জানি মনে হয় 

এই পৃথিবীর প্রতিটা ঋতুপরিবর্তন অকারণে 

অকারণে সমস্ত উৎসব ,সমস্ত অধিকার ,সমস্ত সম্পর্কের মাঝে আঠা 

সবটাই শুধু প্রশ্রয় আর আশ্রয় 

মাঝখানে সকলেই একা। 

তবু কেন জানি আজকাল তোমার গলার স্বর শুধু শুনতে ইচ্ছে করে 

তবু কেন জানি আজকাল তোমার ঠোঁটের নড়াচড়া শব্দহীন লাগে 

শব্দহীন লাগে এই পৃথিবীর ঘটে চলা প্রতিটা ঘটনার কারণ ও প্রতিবিম্ব 

শুধু মনে হয় ভালো থাকতে পারছি না কিছুতেই 

তবুও জোর করে নিজেকে বোঝাই এই তো বেশ ভালো আছি 

এই তো বেশ নড়াচড়া করছি ,ঘুরছি ,ফিরছি ,লিখছি 

তবুও যেন কেন জানি  ইদানিং বড় এক লাগে। 

.

“Loneliness adds beauty to life. It puts a special burn on sunsets and makes night air smell better.”


এক বৃদ্ধ ভালোবাসা

 এক বৃদ্ধ ভালোবাসা 

.... ঋষি 

.

অনেক কিছু বুঝে উঠলাম 

উঠে পড়লাম তোমার চোখের চাহুনির সেই বাসেতে 

বাসের জানলায় চোখ রাখলাম 

দেখলাম এক বৃদ্ধ ক্রাচ এ ভর করে রাস্তা পার হচ্ছে 

চারিপাশে আয়োজন ,প্রয়োজন ,নিবেদন ,আবেদন 

কিন্তু বুঝলাম না প্রশ্নটা 

ভালোবাসার বয়স কত ?

.

সমস্ত হিসেবের পর দরজা খুলে তোমার বুকের বন্ধনীতে আগল দিলাম 

বুক ঠেকলো কিনা জানি না 

তবে মিশে যেতে চেয়েছিলাম ,

হতাশা হাতড়ে তোমার বুকের গভীরে দেখলাম সেই বৃদ্ধকে 

চিনতে পারলাম নিজেকে, 

সময় বদলেছে ,মানুষ বদলেছে ,বুকের ক্যাবিনেটে বদলে গেছে পরিসংখ্যান 

তোমার চাহুনিতে আমি হয়তো একটা অভিজ্ঞতা 

কিন্তু বুঝলাম না প্রশ্নটা

ভালোবাসা শরীর ,সময় না অবান্তর কিছু বাড়তি সময় ?

.

অনেক দখলদারি ,অজস্র গাছের চারা 

                                  ওগুলো সব ভালোবাসা 

তোমার শাড়ির গিঁটে লেগে আছে অসংখ্য দাবার ছক 

ঘোড়া দৌড়োচ্ছে ,হাতি এগোচ্ছে ,তুমি তোমার বাদশা আগলাচ্ছো। 

আমি তোমার ঠোঁটের গ্লাসে নিয়মিত জীবন পান করছি 

তবু বসে আছি তোমার চোখের বাসের  জানলায়  

আমি দেখছি সেই বৃদ্ধ ক্রাচ ওয়ালা ভদ্রলোকের চারিপাশে জ্যাম জমে গেছে 

কোনদিকে যাবে বৃদ্ধ ?

পথচলতি কেউ হাতে গুঁজে দিচ্ছে মায়া ,স্নেহ আর ভালোবাসা 

আমার ভিতরে কেউ ধিক্কার দিচ্ছে 

                                     ভিক্ষা ,ভিক্ষা ?

আমি চিৎকার করছি ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,আমি ভিক্ষা চাই নি 

চেয়েছি শুধু এই জীবনের রাস্তাটা  পার করতে

কিন্তু একটা প্রশ্ন মনের মাঝে 

ভালোবাসা কি তবে কারণ খোঁজে ?   



জীবনের গল্প

 জীবনের গল্প 

,,,, ঋষি 


বহুদিন মানুষের দরজায় দাঁড়ায় নি 

দরজা খুলে দেখেছি  কিছু মৃত অনুভূতির মুখ 

কিংবা সেই মুখটা যাকে জানলা খুলে অন্ধকার রাতে দেখা যায় ,

সম্পর্কের চাদরে মোরা মানুষগুলো শীতকাল খুব আরামে কাটে 

কিন্তু গ্রীষ্মের প্রখর রোদে সকলকেই বাথরুমে শাওয়ারের তলায় দাঁড়াত হয় 

ভিজে যাওয়া শরীর কিংবা চোখ দুজনের মধ্যে নিয়মিত সমাজ লুকোতে হয়। 

.

আমি আগুন খুলে দেখিনি 

তবু সমাজের সতীত্বের প্রশ্নে বারংবার গিয়ে দাঁড়াই সময়ের মুখোমুখি 

আগুনে পুড়ে যাওয়া নারী যোনি এই সমাজের কাছে হীন 

কিন্তু বিলীনতার প্রশ্নে বারংবার দেখি 

নারী কিংবা পুরুষ কেউই সত্যি সতী নয় নিজের আয়নায় 

সকলেরই নিজেদের পর্দায় ধরা আছে ছায়াপথ। 

.

আমি সময়ের আগুনে পুড়ে জীবনকে দেখি কামারের অগ্নিকুন্ডে 

আসলে জীবন হলো সৃষ্টির আদিপুরুষ 

সমস্ত জ্ঞানের ভান্ডার ,

জীবনের অধিক কোনো প্রশ্ন মানুষের কাছে থাকে না 

মানুষগুলো জীবন কাটাতে সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজে। 

অজস্র ইতিহাস ঘেঁটে উঠে আসা সকল সৃষ্টি রহস্যের কারণ 

সেই নারী কিংবা পুরুষ 

শুধুমাত্র ধারক মাত্র ,

আসল সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরের নাম চিরকাল জীবন 

যে শুধু আবর্তনে আর প্রবর্তনে ব্যস্ত। 

আমরাই  তো শুধু কাল্পনিক 

আসলে বাস্তব হলো মানুষের জীবনের গল্পগুলো 

এক একটা শিক্ষা পৃথিবীর দরজায়,

সকলে দরজা ভেজিয়ে রাখতে চাইলেও 

হঠাৎ ঝড়ের দাপটে দরজার পাল্লাটা খুলেই যায়, 

কিন্তু জানলা দিয়ে স্বপ্ন দেখা গেলেও 

জীবন দেখা যায় না।  


সৎকার

 


সৎকার 

... ঋষি 

.

আমার নাভি খুঁজে পাওয়া যাবে না আমার সৎকারে 

উজ্জাপিত জীবনের আঁতুড়ঘরে এক নক্ষত্রের মৃত্যু ঘটেছিল সেদিন 

লোকে বলে এমন প্রায়শই হয় ,

জন্মের সময়টুকু ছাড়া মানুষের পরিচয় তার আঁধারকার্ড 

আর তার চারিপাশের ঘিঞ্জি হয়ে থাকা বস্তির ঘর 

আর বাঁচাগুলো ঘরের ভিতর জ্বলতে থাকা কুপির আলোর মতো। 

.

ইদানীং  আর মনখারাপ হয় না 

আকাশ থেকে নিচে নেমে আসা নক্ষত্রের গতি দেখে হঠাৎ মনে পরে যায় 

বয়স তো হলো ,

জুলফির পাশের বরফ লেগেছে আগের শীতেই 

এইবার লাগছে শীতের কাঁপন 

কবিতার শব্দদের গিঁটে আজকাল অন্যমনস্ক দৈন্যতা। 

.

ইদানীং সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে আমি চলন্তিকাতে হারাই 

এত বড় সমুদ্র 

আমার কবিতার  নোনা স্নানে এই শহরের মানুষ কাঁদে 

নিজের মানুষ হারিয়ে ফেলে মানুষের সমুদ্রে। 

আজকাল যখন ওপর দিয়ে এই শহরটার দিকে তাকাই 

দেখি এক ঝাঁকড়া চুলের কবি রোজ হাঁটতে থাকে মানুষের ভিড়ে 

তার ভালো থাকার খোঁজ 

তার কবিতার খোঁজ 

তাকে প্রতিদিন পিছিয়ে দেয় শেষ একটা কবিতার শব্দে ,

আসলে মৃত্যু শব্দটা যতটা সত্যি 

তার থেকেও সত্যি মৃত্যুর পর বাঁচা। 

অনবদ্য কবিতা

আমরা কেউই অনবদ্য কবিতা নই আমরা সাধারণ যারা তারা শুধু বেঁচে আছি বেঁচে থাকবো বলে, আমাদের কবিতারা আকাশে উড়তে পারে না শুধু ডানা ঝাপটায়, হঠাৎ  অব...