Saturday, October 28, 2017

শব্দের মিছিল

শব্দের মিছিল
...ঋষি
==================================================
শব্দের মিছিলে অগোছালো ঢেউ
মানুষ নাকি পবিত্র পাত্র চেটে খুঁজে চলেছে খিদে।
খিদে ,,,,,, সময়ের অন্তরে জংধরা দাগ
আকাশের পরিধি ছাড়িয়ে স্বপ্নদেখা চলন্তিকা।
প্রশ্রয়
আশ্রয়ে জমে থাকা আমার শহরে হাজারো খিদে।

তোমার থেকে রং চুরি করি
চুরি করি শব্দদের বর্ণমালা ,চুরি  করি শব্দদের পোশাকি হাজারো ঢেউ  ।
শব্দ মিছিলে  ভিড় করে আসে  শিশির মাখা সময়ের দাগ
কোনো নগরে তোমার গোলার্ধের বিপরীতে আমাকে একলা দাঁড়ায়।
হাজারো প্রশ্ন মুখোমুখি বসে স্থবিরতার ভিড়
শুধু  আৎকে ওঠে বারংবার
এখনো তো বেঁচে।
উঠোন জুড়ে পারা পড়শিদের হৃদয় হীন সংলাপ
নিজেকে বড়ো একলা  মনে হয়।
আয়নার সামনে নগ্ন  দাঁড়িয়ে মিলেমিশে দেখি সমুদ্রের গম্ভীর ঢেউ
আছড়ে পরে বুকে ,,,, চলন্তিকা।
রঙেরদের সাথে মিশে ক্যানভাসের মাথানিচু করা বর্ণরা
 কবেকার ফেলে আসা স্মৃতি ,,চেনা মুখ খুব কাছের
বুঝে ফেলি তুমি ছিলে চিরকাল চলন্তিকা আমার পাশে।
কবেকার ফেলে আসা অতীতের ছায়া আজকাল
গুড়ো গুড়ো রাত হয়ে নেমে এসে আঁকড়ে ধরে হৃদয়ের শ্রাবন
জানো সেদিন বৃষ্টি নামে সমুদ্রে ,,,সারাদিন ,সারারাত।

আমার আমিকে তোমাতে  ডুবিয়ে রাখি
জানালায় শিশিরবাষ্পর বুক চিরে আলোর আলপিন শব্দ।
ছিঁড়েফুঁড়ে  যায় অজস্র না বলা চলন্তিকা তোমায়
মাত্রাহীন ঢেউ শব্দের আকারে আছড়ে পরে তোমারি কবিতায়।
আমার চুরি যাওয়া আয়ুরেখা ফিরিয়ে দেয়
আমার শহরে সমুদ্রের ঢেউ স্বপ্নের কোনো আঙিনায়। 

Sunday, October 22, 2017

স্বপ্ন দোষ

স্বপ্ন দোষ
..... ঋষি
========================================================
বাঁশির শব্দ, শিস, শাঁখ
বিপন্ন অবসন্ন সিগারেটে লেগে থাকা স্বপ্ন দোষ।
বেফালতু বিপ্লবী অভ্যুত্থান,সময় সময় আগুনে জমা ঘি ,মোমবাতি মিছিল
উৎসবের জোয়ারে এক কোনে অভ্যুর্থান বিপ্লব অমর রহ।
বলছে কে অস্বাভাবিক শাদা এক  হাতি , একজন ফেক হিপোক্রিট
যার নাম তুমি কখনো জানতে পারবে না।


খড়ের স্তূপে এ’ এক আগুন লেগেছে
জ্বলে উঠছে হঠাৎ! তড়িঘড়ি নিভে যাচ্ছে।
অসুস্থি ,কালো ধোঁয়া ,শালারা নিকোটিনকে ক্যান্সার বলে
আর আমি বলি বিষে বিষে বিষক্ষয়।
তোমার রক্ত  কোনটা,তোমার জাত কোনটা
মেজরিটি আছে মাইনাসে  আর মাইনরিটি ধরেছে বাজি।
যুদ্ধ-বিরতি ডাকা হলো ,বিপ্লব শুকিয়ে মোর গেলো
অস্বাভাবিক একটা সুর দাও দেখি আমায়।
কম্প্রোমাইজ  করো
না না, হারমোনি-টারমোনি চাই না
শুধু জাগা সিগারেটের রিঙে বিপন্ন ,অবসন্ন স্বপ্ন।
কোনটা পছন্দ করবে
ক্রোধ না অবিদ্যা,না যৌনতা ,না বেঁচে থাকা
শুধু বেঁচে থাকতে চাই তাই শহরের বাতাসে শুধু রেমেকি বাঁচা।

বাঁশির শব্দ, শিস, শাঁখ
সব পাওয়া যায় গুগুল সার্চ  ইন্টারনেটের স্পীড মিটারে।
স্বপ্ন মরতে মরতে বিদ্রোহ হয়ে যায়
আর বিদ্রোহ লোডশেডিং হলে সময়ে প্রফিট মার্জিন।
এক ব্যাগ চাল  সময়ের খিদে না এক স্বপ্নের গণতন্ত্র
গণতন্ত্র নিপাত যাক বাঁচাটা জরুরি। 

ইতিহাস

ইতিহাস
... ঋষি
===========================================
কোন ইতিহাস লিখবো ?
যে সময়ের অতীতের কালগুলো শুধুমাত্র ভ্রম। .
শিশুপাঠ্য বৈচিত্রের বাইরে যে শহর শুধু
আলোর জ্বলা আর  নেভা।
আমার শহরে তোমার মতো বরফ পরে না স্যানোরিটা
শুধু মানুষের হৃদয় গুলো বরফে জমা মৃত।

তোমার দস্তানা সাইজের একটা সাদা দেশ
আমি মাঝে মাঝে স্বপ্নে দেখি।
একবারের বেশি কখনো জানতে চাই নি তোমার ফার্নেসের গরম ওম
শুধু ইতিহাস বদলে গিয়ে দূরত্বটা আমার শহর।
অ্যাডামের আপেলে যে সভ্যতা বিষ ছিল , সেটাই ইতিহাস
আর ইভের ভৌগোলিক লিমিটেশন সেটা ইলাস্ট্রেশন ।
ছদ্ম-যুদ্ধ ,নিজের সাথে নিজের সংঘাত
ধুস এটা ইতিহাস নাকি।
বরং বুদ্ধের পর্যটকের মন্ত্রভূত চাবি শুধুই ইতিহাস। .
বুদ্ধং, ধর্মং, সঙ্ঘং
সময়ের যাত্রা শুভ হোক ইতিহাসের দিকে।

স্যানোরিটা  তোমার শহরের খবর কি বলো
ইতিহাসের সন্ধিক্ষণের ওপর আর কন্সট্রাকশনের নীচে ফ্লাইওভার।
ক্লিওপেট্রা কখন নামবেন এই শহরে?
এই রাতভোর, আড়াইটের মতো বাজলো বোধ’য়।
কিছু ঘোষণা করেছেন উনি  এই শহরের কোনো ইতিহাস নেই.
তবে কেন লিখবো আমি ইতিহাস । 

Saturday, October 21, 2017

তোমার কথা (৩)

তোমার কথা (৩)
.... ঋষি
===============================================
রাত্রি এসে হাজির হতেই
খাঁচাসুদ্ধ সময়   পালালো সে এক দৃশ্য, আর গভীর দর্শন তুমি।
অন্ধকার  বালিশে গলা রেখে, সময় থমকে দাঁড়ানো
নিয়মিত।
রোজ ঘুমঘোরে ইচ্ছার সিড়িতে পা ফস্কে অন্ধকার  আঁকড়ানো স্বভাব
ঘুম ভেঙে যায়।

ঘুম ভেঙে যায় প্রতিরাতে বারংবার
ক্ষতরা আসে যায় ,আবার কখনো আঁকড়ে থাকে জোকের মতো
রক্তের দরজায় নুন দিয়েও স্বস্তি নেই।
আমি একই দরজায় দাঁড়িয়ে প্রতিবার চিৎকার করি ,মাথা ঠুকি
any body in home?
দীর্ঘ সিঁড়ির  সারি সারি আমায় হাতছানি দেয়
আমি ভীনদেশী তারাদের আড়ালে শরীর ঢাকি।
বহু নিষিক্ত জতুগৃহ আমার জংলা পায়ে শেকল হয়ে যায়
বানান করে পড়তে থাকি তোমার নাম।
তার হৃদয়স্ত কোনো সংলাপে চিৎকার করি
ডেসডিমনা আরো আলো ,আরো আলো
প্লিস প্লিস  .......... ঘুম ভেঙে যায়।

রাত্রি আসে হাজির হতেই
শব্দরা খাঁচাবন্ধ পাখির মতো ছটফট করে কবিতার ছলে।
চিৎকার করা সময়ের বর্ণময় তোমার নাম
শুধু তুমি জুড়ে।
বলিরেখার নিচে জমা হয় নিঃসঙ্গ মৃত্যুর স্মৃতিফলক,
বাস্তুহারা নিশ্বাসরা পাড়ি দেয় তোমার খোঁজে জোৎস্নার দেশে। 

তোমার কথা (২)

তোমার কথা (২)
.... ঋষি
============================================
আমার চোখে শেষ কবছর বেঁচে আছো  আকাশের মতো
আমাকে সময়ের থেকে টেনে নতুন সময় উপহার।
কৃতজ্ঞতা শুধু একটা শব্দ ,কিন্তু বাঁচাটা একটা পরিসর
জীবন হে, তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে কাঁপতে থাকা সময়কে,
আমি হুকুম করি : জ্বলে ওঠো?
আমাকে বিশ্বাস করোনা,আরো পোড়াও তোমার আগুনে।

তুমি! দাঁড়িয়ে আছো আমার এ চিঠির বাইরে
শুধু তোমার দুটো চোখ আমার এই কবিতা।
আমি বিশ্বাস করি সকলের একটা গল্প থাকে 
সম্পর্কর বর্ন গুলো জুড়ে কখন যেন মানুষের গল্প হয়ে যায়।
এঁকে ফেলে হরেক রকম জীবনের ফেরি
আর কবির ঈশ্বর সত্বা তার উপর তুলির টান তৈরী করে সময়।
আমারর এই কবিতা শুধু তোমার জন্য ,তোমাকে স্পর্শ করে
আমি আকাশের কাছে   ধার করি যন্ত্রনা।
আমি বাতাসকে ধরে রাখি তোমার গভীর মুহূর্তের মতো
আমার আনন্দের রঙ, বিষাদের রঙ , যন্ত্রণার  রঙ,অভিমান রঙ,তৃপ্তির  রঙ
সব রং মিশিয়ে তুলির টানে আঁকতে থাকি তোমায়।
আর তোমার এই কবিতারা
হাজারো স্বাদকোরকে বন্দি হয়ে যায় শুধু স্পর্শ হয়ে ।


আমার চোখে শেষ কবছর বেঁচে আছি আমি তোমার ভূমিকায়
তোমার ছায়ার স্পর্শ ছুঁয়ে ফিরে আসে দিন বারংবার। 
রাত্রি হয়ে যায়
তবু এই পৃথিবীতে প্রতিটা চরিত্র একা... অথচ কাছাকাছি।
আসলে  বাস্তুহারা নিশ্বাস, একলা বাঁচার অভিমান আমার কাব্য
আর তারা সকলে আমার গভীরে বাস করা তোমাকে বেঁচে থাকা। 

তোমার কথা

তোমার কথা
.... ঋষি
=============================================
আমি সেই মেয়েটাকে চিনি
যে সময়ের থেকে একলা কোনো দিনে বৃষ্টিতে ভেজে।
যার হাওয়ায় উড়তে থাকা আঁচল গন্তব্য খোঁজে
খোঁজে আশ্রয়ে কোনো গভীর ওম।
সেই মেয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে খোঁজে ফেরে সোহাগের মাটি
সোনার কাঠি, রুপোর কাঠি রূপকথা।

আনন্দ শব্দের সাথে তার পরিচয়
যখন রিনিঝিনি বৃষ্টি তার শরীর বেয়ে ,হৃদয়ের ভাঁজে সময় খোঁজে।
জানলার বাইরে তখন এলেমেলো হাওয়া
সেই মেয়ে ভাসতে থাকে ,খুঁজতে থাকা চেনা প্রশ্রয়।
সময়ের আকুলতা সময় বদলে যায়
হাওয়ায় হাওয়ায় তখন তুমুল পক্ষিরাজের একলা ছোটা।
মন কি চায় সে খুব ভালো বোঝে
ভালো বোঝে তার পরিচয় আর  সময়ের খামে তখন নিরামিষ গন্ধ।
মেঘের স্কার্টে খোঁচা মেরে তখন সেই মেয়ের চোখে জল
দুহাত বাড়ানো বুকের ফাঁকে চেনা সময় হ্যাঁচকা টান মারে।
খুলে যায় বুকে আঁচল
সারাবুকে সেই মেয়ের কালসিটেরর দাগ।

আমি সেই মেয়েটাকে চিনি
যার সময়ে  লেগে আছে বৃষ্টি মাস চিরকাল।
যে ভিজছে একলা দাঁড়িয়ে সময়ের বৃষ্টিতে কোনো অসময়
বৃষ্টির রেশ বাড়তে থাকে,বাড়তে থাকে আশ্রয়ের খোঁজ। 
ঈশ্বরের স্বপ্ন চোখে সেই মেয়ে বৃষ্টিতে ভেজে
ঠিক এই লাইনে এসে আমার মনে পরে তোমার কথা।

Thursday, October 19, 2017

পেঁচার চোখ

পেঁচার চোখ
.... ঋষি
============================================
সর্বনাশ যা হওয়ার হলো
কোনো কারণ নেই নিশুতি রাতে পেঁচা ডাকার।
সময় শুধু সময়ের অন্তরে রেখে যায় কালো পচা দাগ
ভালোগুলো তো ঈশ্বরের মাধুকণ্টক
আমার এই কবিতা ঈশ্বরকে স্পর্শ করে নয়
নিতান্ত মানুষের অধিকারের

ঈশ্বরের স্বর্গে রাজ্যে প্রেয়সী কোনো ঠোঁট
সময়ের নিলামে দাগ রেখে যাওয়া কল্পিত নদী।
কখন যেন পঙ্কিল সাম্রাজ্যে সূর্য উদয় হয়
তোমাকে দেখি আমি নিশুতি পেঁচার চোখে আরো গভীরে।
এখানে ওখানে পোড়া ক্ষত ,শরীর জুড়ে লুটের কালো নীল ফোস্কা
মোনগুলো বোধ হয় জুড়ে গিয়ে তোমার মতো কবিতা লিখতে চায়।
অসম্ভব নিরুপায়
কোন বোবা রাত্রি।
কোনো এক স্বপ্ন নিবাসে লুট হওয়া মাংস পিন্ড
কখন যেন মৃতদেহ।
শুধু যখন স্বপ্ন বিলাসে তোমার উত্তাপের খোঁজে
আরো আশ্রয়ে তোমাকে জড়িয়ে ধরা।
মনে হয় ইট আমি
বেঁচে। .......

সর্বনাশ যা হওয়ার হলো
আবার একটা অস্থির সকাল বিষের ধোঁয়া পাক খায়
যন্ত্রণারা শিরদাঁড়া বেয়ে বড় কষ্টদায়ক
সন্ধ্যের অপেক্ষায় ,তার পর নিশুতি রাতে যদি পেঁচার চোখ।
শরীর জুড়ে মনের অন্তরালে বাড়তে থাকা তুমি
তখন খুব কাছে গভীর অন্তরায়।  

জার্নি টু লাইফ

জার্নি টু লাইফ
...ঋষি
======================================
একটা দিন
নীরব কিছু উপাখ্যান মানুষের ছাপোষা জীবনে।
সময়ের মতো হাইওয়ে মানুষের আসাযাওয়া
অদ্ভুত কিছু কাটতে থাকা মুহূর্তদের কাছে পাওয়া।
সবটাই কেমন যেন ব্যস্ত থাকা স্বভাব
স্বগোত্রীয়দের মতো ছিটকিনি আর তালা ঝোলানো চেতনা।

কোনো হাইওয়ের যাওয়া ,আসা সময়ের ফাঁকে
হঠাৎ ছুটে আসা কোনো আশার ঝিকিমিকি।
রাত্রের অন্ধকারে গর্জে ওঠে হেডলাইট
ফোকাসে তুমি জীবন,
আর মানুষ হা হুতাশে কাটাতে থাকা দীর্ঘশ্বাস।
কোনো না শেষ হওয়া কাব্যের সিকোয়েন্সের মতো
শুধু অপেক্ষার ভারবাহী বোঝায় লরি।
অনেকদিন হলো হাইওয়েগুলো শুধু নিয়মিত দিনভর
রাস্তার পিচে ঋতুরা ক্রমশ অভ্যস্ত ভাঙা গড়া।
আসে পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আবর্জনা
কোনো অসমাপ্ত জীবনের ঝুলকালি।
গভীর বোধ শুধু হঠাৎ ব্রেক মেরে দাঁড়িয়ে পরে
কিন্তু না শেষ হওয়া রাস্তা জার্নি টু লাইফ। 

একটা দিন
নিয়মবোধ ,স্বাভাবিক সকাল থেকে দিন ভর হাইওয়ে।
আজকাল গাড়ির শব্দে ঘুম চলে যায়
নেশা জীবন শুধু হাইওয়ে ধরে ছুটতে থাকে।
মানুষের স্বভাব
মানুষ শুধু গন্তব্যের খোঁজে চলন্ত হাইওয়ে। 

অসময়ের বৃষ্টি

অসময়ের বৃষ্টি
... ঋষি
======================================

কেউ কাউকে মনে করবো না
কেউ কাউকে ভুলতে পারবো না।
শুধু শতাব্দী শেষে কোনো বৃষ্টির অগোছালো দিনে
মনে পরে যাবে।
সেদিনও  হয়তো কোনো উৎসব
কিংবা ধরো কোনো সময়ের অধিকারের অভিজ্ঞতা।

আমাদের ধার করে বাঁচা জীবনের
তোমার হাসির তুবড়িতে তখন আগুন।
আগুন আমার বুকের আশৈশব বাড়তে থাকা অভিজ্ঞতা
বিশ্বাস করো আমি এখনো মানুষ হতে পারলাম না।
আমার কবিতার এই মেঘলা দুপুরে কোনো উপোষী দিন
অথচ আমি আজও ফেলে আসা শহরের কাঙালি।
তোমার সমস্ত উপত্যকায় যখন রাত জাগা চোখে দাবানল
তখন আমার একলা পাশ বালিশে বৃষ্টির কবিতা।
আজকাল বন্ধুরা যখন তখন জানতে চাই তোমায়
তোমার পরিচয়। .
অথচ তুমি যে বেঁচে চলেছো আমার সাথে
আমার শহরের রাস্তায় প্রতিটা মেঘলা দিনে।
বলতে পারি না আমার অপেক্ষার সফরে
চলন্তিকা তুমি চিরকালি আমার গভীরে।

কেউ কাউকে মনে রাখে নি চিরকাল
সুনীল বাবু রক্তের দাগে শুধু মনে করেছে তোমাকে।
সময়ের উপকরণের মতো তুমি বদলেছো
কিন্তু চিরকাল কোনো পুরুষের গভীরে তুমি ঘুমিয়ে।
ভালো থেকো আমার কবিতার পাতায় চিরকাল
কোনো অধরা অপেক্ষা অসময়ের বৃষ্টি ভেজা দিন। 

লুকিং গ্লাস

আরো দ্রুত এগিয়ে যাও তুমি  যাতে তোমার পিছনের ভয়গুলো তোমাকে না ছুঁতে পারে  ঠিক এখানেই একটা ফুলস্টপ লাগানো আছে , স্বার্থক মুক্তি আর মুক্তির মাঝ...