Monday, February 27, 2017

আর অপেক্ষা (২)

আর অপেক্ষা (২)
................. ঋষি
=================================================
ষড়যন্ত্র
যে চলে গেছে সে কেন গেছে জানে না মেয়েটা।
ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে মেয়েটা অনেক কেঁদেছে ,  বোঝাতে চেয়েছে একটা পুরো অভিধান
 কিন্তু যে গেছে সে বলে যায় না ।
 কান্নার শব্দ পৌঁছায় তবু আকুতি হারিয়ে যায় শব্দ পৌঁছায় তবু কথা পৌঁছায় না
এমন বহুকিছু মেয়েটা কিছুতেই নিজেকে বোঝাতে পারে না।

কিন্তু কিসের যে প্রেমিক, কিসেরই বা প্রেম
এমনটাতো হবার কথাই ছিল না, এই প্রেম তো নিছক অপেক্ষা ছিল।
আর হাওয়ায় ওড়া কিছু বিলাপ, কিছু প্রলাপ, অহেতুক কিছু আলাপ
তার জন্য বুকের পাড়ে পিঁপড়ে সারি কেন?
রাস্তা, পথ আটকিয়ে ষড়যন্ত্র করল কেন?
মেয়েটা বোঝে সব তবু  নিজেকে বোঝাতে পারে না।
মেয়েটা হাসে মনে
স্পর্শের আগুনে রেখে যাওয়া বুদ্বুদ্ গুলো আর মনের কোন অপেক্ষা
মেয়েটা ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে

ষড়যন্ত্র
মেয়েটার কষ্ট হচ্ছে, হাওয়ায় জুড়ে থাকার বা ফুলের রেণু ,,স্পর্শ
একথা কিন্তু কেউ যেন না জানতে  না পারে
সময়ের অবুঝ আবদারে নিজের দিকে মেয়েটা তাকিয়ে থাকে আয়নায়।
চোখ ফুরোনো গল্পগুলো স্বপ্নের ভিজে চোখের পাতায়
আমার মনে হয় এমনি হয় ,,,আবার অপেক্ষায়।

আর অপেক্ষা

আর অপেক্ষা
................. ঋষি
=================================================
মেয়েটার প্রেমিক আজ চলে গেছে সব অধিকার আধসেদ্ধ মেখে
মেয়েটা ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে রাস্তায়।
অপেক্ষা যদি কোনো ঘোড়ার নাম হতো
মেয়েটা শহরের রাস্তায়  চিৎকার করতে করতে ছুটতো।
কোনো সীমান্তে একবিন্দু আলোর খোঁজ
আর অপেক্ষা ঘোড়াটার নাম।

বন্ধ দোকানের ঝাঁপ, এতক্ষণ পরেও নিভানো উনুন থেকে মাঝে মাঝে ধোঁয়ার ফানুস
 কয়েকটা কুকুর মুখমুখি এমনি ই দাঁড়িয়ে।
 কার একটা লোহার সাইকেল ল্যাম্পপোস্টের নীচে
রাস্তার মোড়ের আলোটাও কেমন যেন ফ্যাকাসে মড়ার মতো মেয়েটার স্মৃতিতে।
 এতদিন বোঝা যায় নি তো,কী তীক্ষ্ণ, কী দাপট
রাস্তার আত্মাটাই মনে হয় বাস্প হয়ে উপরে উঠে নিয়ন আলোর মত ছড়িয়ে এলো ।
মেয়েটার মনে হলো
কেউ কোথাও  ষড়যন্ত্র করেছে।
এত শান্ত, এত স্তব্ধ, তবু এত বিকট- ষড়যন্ত্র ছাড়া এ  আর কিচ্ছু না।
একটা প্রহসন লম্বা মাইকে নিয়ে কেউ চিৎকার
বুকের দরজায় হাতুড়ির প্রাচীন শব্দ ,,আর না।

মেয়েটার প্রেমিক আজ চলে গেছে সব অধিকার আধসেদ্ধ মেখে
মেয়েটা বেঁচে থেকে শুনতে পারছে পৃথিবীর ব্যাঙ্গাত্নক শব্দ।
প্রতিটা দংশন যখন বিষময়  হয়,তখন স্মৃতির বিষ
মারাত্নক  এনাকোন্ডা হয়ে গিলে খায় ,পেঁচিয়ে ধরে ,পিষে দেয়।
তখন প্রেম হাসতে  থাকে
যেমন তার প্রেমিক শেষবারের মতো বলেছিল এই সম্পর্কের মানে কি ? 

রাস্তা একা

রাস্তা একা
............. ঋষি
========================================================
মনের ভিতর আয়নাটা আজ গুঁড়ো গুঁড়ো যন্ত্রনা
ফুটছে
ভিতর বাইরে অসংখ্য না বলা অভ্যেস
বিরক্তিকর
মুখোশের মিছিলে রাঙা হাসিতে সাজানো সম্পর্ক
যন্ত্রনা

সেই সীমাদেশ ছুঁয়ে থাকা  দুই পৃথিবী
 মেলার শব্দ, ঠেসাঠেসি, বায়নাক্কা, ঝোলাঝুলি,সেলফি, কেউ হারালো আবার খুঁজে পেলো।
 কারোও লিপস্টিক র রঙ শার্টের উপর
 কেউ ছুটল, কেউ চুড়ি পড়ল। আর অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকে অন্য আমি।
অজান্তে থিয়েটারে পপকর্ন চিবোতে চিবোতে ভুলে যায়
কোথাই  আমি।
স্মরণীয় মুহূর্তদের স্বাধীনতা আকাশের গভীর নীল
চলন্তিকা তোর চোখে আমি মরণ দেখেছি।
তাই তো মরতে চাই একবার
অন্য আমি তোর আয়নায়।

শহর যখন ছুটতে থাকে তখন ঘুম থাকে  তখন ঘোর  ভাঙে
 সেই মাত্র কথার রেশ না কাটিয়ে, যে চলন্তিকা ঘুমিয়ে যায়।
আর আমার  খুব শান্ত নিশুতি গভীর শহরটাকে দেখে
হেব্বি ভয় হয়। খুব...খুব... ভয় হয়।
রাস্তা ফাঁকা।
রাস্তা একা।

গভীর উত্তাপ


গভীর উত্তাপ
,,,,,,,, ঋষি
==========================================
ঘুটঘুটে অন্ধকার  চলন্তিকা চারিপাশে
তুমি অনুরণন খোঁজে বিকেল ফোঁড়ানো আত্মহত্যা দেখছো।
সামনে পরে আছে একটা জ্যান্ত রাত
বিছানার চাদর যেন ভেসে যাওয়া কোনো একাকী নির্জনতা।
তুমি মনে মনে চাইছো সামনে টাঙানো অয়েল পেন্টিংয়ের মতো জড়িয়ে ধরতে
গভীরে কোনো উত্তাপের আগুনের তৃষ্ণা ,ইশ ভিজে যাবে।

চলন্তিকা মাছ ভাজতে হলে কড়া গরম করতে হয়
ছুঁতে চাওয়া মানে লবন ঠোঁট নয়।
ছুঁতে চাওয়া মানে প্যাস্টেলে ফুটে ওঠা নগ্নতা নয়.
ছুঁতে চাওয়া আয়নার পারদ বৃদ্ধি নয়।
ছোঁয়া মানে মিশে যাওয়া
ছোঁয়া মানে জীবনের মুহূর্তগুলো গোধূলি যেখানে রামধনু রং।
ছোঁয়া কলমের নিবে অনবরত স্পর্শ
অসংখ্য কবিতা যেমন ভালোবেসে চলন্তিকা হয়ে যায়
ঠিক তেমনি ছোঁয়াটা হলো স্মরণীয়।

ঘুটঘুটে অন্ধকার চলন্তিকা চারপাশে
সদ্য সেরে ওঠা ছাপোষা শরীরে এক যান্ত্রিক  সামাজিক রীতি।
কি ভাবছো বসে কি লিখবো
না আমি লিখতে পারছি না জ্যোৎস্না ভেজা চুমুর তৃষ্ণা।
বরং লিখে ফেলি কোনো যান্ত্রিক টর্নেডো আসার কথা
যাক এই যাত্রায় বেঁচে গেলি তুই। 

আপ বাঁচলে বাপ্

আপ বাঁচলে বাপ্
............ ঋষি
==============================================
মশারির একপাশে আমরা ওপাশে তেনারা
মাঝে মাঝে বুঝতে পারি না কে প্রাণ আর কে মশা।
কিন্তু মশারি তো আছে মশাই
কোনো ভয় নেই তাই রক্ষে তাই এই জীবন তো  বাঁচতে হবে।
তেনারা বাঁচুক ,দেশ ,বাঁচুক ,বাঁচুক রাষ্ট্র
কিন্তু সর্বোপরি আমি আর আমার ,আপ বাঁচলে বাপ্।

ঠিক এই কথা বলছে একটা গোটা দেশ
নেট প্রাকটিস করতে করতে শহর  ভর্তি ফেস্টুনে লোভের হাজার মুখ।
কিন্তু ম্যাচ প্রতিবার ভেস্তে যাচ্ছে
দেশ বারংবার বদলাচ্ছে বাবরি মসজিদ থেকে নোট বদল।
মশারির ওপাশে মশা গুলো জ্যান্ত আছে
অথচ মানুষের  ভেকে মশা মারতে কামান দাগা।
মশা আর মরছে কই
যে কটা  পগার পার সেকটা আমার তোমার ভাই বোন।
বেঁচে তো আছি বাপু
কিন্তু বাঁচতে দিচ্ছে কই।

মশারির ওপাশে তেনারা অন্যপাশে আমরা
সারা গা চুলকাচ্ছে ,লাল লাল মশা কামড়াবার দাগ ,ম্যালেরিয়া হলো বলে।
কিন্তু প্রতিকার কি মশাই
পয়সা থাকুক আর না থাকুক সেই তো ওষুধ খাবেন।
আসলে আমরা সেই ওষুধ খাচ্ছি
যা আমাদের প্রতিদিন খাওয়ানো হচ্ছে।

বিভাজন

বিভাজন
........... ঋষি
==============================================
সবকটি হরফ সরিয়ে রেখে আমি তো কিছুই বলতে পারবো না
তোমার ভিতর একটা জ্যান্ত নদী  আছে ,পদ্মা।
আর আমার ভিতর অনেকটা কালো জল ,আর বিভাজন
দুই বাংলার মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে সিদ্ধান্ত।
শুনেছিলাম বাপ্ ,ঠাকুরদার মুখে ঠিক সময় এপাড়ে  না এলে
বাড়ির মেয়ে  বউরা ছিল শকুনের খাবার হতো।

এতো  অনেকদিন আগের কথা
গ্রাম পাড়া গাঁয়ের সেই লাল মাটি আজ বদলাতে বদলাতে কালো পিচের পথ।
আর পথ যেখানে শেষ সেখানেই তো আমার শুরু
সবকটা হরফ সরিয়ে রাখলে আমিও তো লিখতে পারতাম না,না পড়তে।
জানতে পারতাম না ঢাকা থেকে কলকাতার দূরত্ব
কিংবা কৃতি মানুষের ধার্মিক সত্যিগুলো।
ছোটবেলায় করিম কাকার কাছে প্রায় যেতাম
করিম কাকা আমার পিতৃস্থানীয় ,ঈদের দিন দারুন দাউত থাকতো।
সেই বাড়ে দেশে গেলেন কিছু দিনের জন্য ,ফিরলেন না
বাবা কাঁদলেন খুব ,ইশ শেষ দেখা হলো না।
কিন্তু মজার কথা আমার দেখা হলো আর হলো চেনা
মানুষ কাঁদছে ,বাবাকে ঠিক মানুষের মতো লাগছিল।

সবকটি হরফ সরিয়ে রেখে আমি তো কিছুই বলতে পারবো না
ফাল্গুনের রৌদ্র জানে তোমার আমার মাঝে।
দুই দেশে  কোনো একটা  গোপন গুহা আছে।
দরোজাটি পেরিয়ে গেলে তার।
জোছনার রঙ নিয়ে নদীর মেরুদন্ড গিয়েছে বেঁকে পদ্মার বিভাজনে
কিন্তু বিভাজন কি মানুষের তৃষ্ণার জল আটকাতে পারে।


Sunday, February 26, 2017

চিরসবুজ


চিরসবুজ
.......... ঋষি
==================================================
যৌবনের দূত
মহাশয় ব্যস্ত হবার কোনো প্রয়োজন নেই ।
আর মহাশয়ারা আপনাদের বলা ,,,,করে যান ,চালিয়ে যান
এতো  সভ্যতার অঙ্গীকার।
আমরা চির সবুজ যৌবনের দূত
যেমন মহারাজা যযাতি চির সবুজ কোনো আইকন।
.
আরে মশাই ঘাবড়াবেন না আর মহাশয়ারা লজ্জার কি আছে
এতো সভ্যতার  উপহার।
টেলিভিশন খুলুন ,খুলুন খবরের পাতা ,কিংবা পথ চলতি কোনো বিজ্ঞাপনে চোখ রাখুন
আরে  অমুক ক্রিম লাগান যৌবন ধরে রাখুন ,আরে অমুক গেঞ্জি জাঙ্গিয়া
পুরো সলমন আপনি বাষট্টিতেও।
টিভি খুলুন আপনার ঘরের ভিতর সমস্যা,সমস্যা বিছানার উপর
সানি ম্যাডাম সুন্দর যৌবনের উপহার রেখেছেন।
আর তারপর তো জাপানি তেল রইলো
অজগর জেগে যায় ,ওতো পায়ের মাঝখানের কোনো জন্মস্থান।
বড় ব্যাগ্র প্রৌঢ় ও বৃদ্ধরা ঝপাঝপ গায়ে মুখে মাখুন ,
উপাচারের উপকরন বিলুপ্তপ্রায় গুল্ম থেকে ডাইনাসোরসের  ডিম,
বয়েস থমকে যাবে, ষাটেও লাগবে এসে মাত্র পঁচিশ।

যৌবনের দূত
মহাশয়ারা আপনারাও বদলাতে পারেন বুকের ব্যাকরণ ,মুখের জিওগ্র্যাফি
ইচ্ছে করলে মহাশয় করতে  পারেন খোদার ওপর খোদকারী
রয়েছে বি লাইন ট্রিটমেন্ট ,হেয়ার প্ল্যান্ট , প্লাস্টিক শল্য চিকিৎসা।
 হে মহান যযাতি এ সমস্তই আপনার মতনই সায়াহ্নে ভোরবেলা  প্রচেষ্টা
অনেকটা রিমেকি  মুখোশে নিমকি গজল।


প্রাক্তন

প্রাক্তন
........... ঋষি
============================================
মামনি এত দিন বলিস নি কেন
সব বদলে গেছে জীবনে ? কতদিন হলো ?
কাঁদছিস কেন ? জীবন তো থামতে শেখে না মামনি।
একবার জানাবার  কথা মনে হলো না তুই সেপারেটেড
আজ আটমাস
এই সব বলবো ভাবলাম ,কিন্তু থেমে গেলাম কারণ এটা জীবন।

কাব্য লিখতে লিখতে ভুলে গেছিলাম
প্রতিটা জীবন কখনো বেঁচে থাকার নামান্তর নয়
তারমধ্যে দু চারটে তোর মতো হয় সামাজিক রীতি অঙ্গ ডিভোর্স মামনি।
কখনো ভাবি নি আবার তোকে লিখতে হবে
কখনো ভাবি নি জীবন মানে পালিয়ে গিয়ে ফিরে আসা চেনা দরজা।
মামনি তুই আমার বান্ধবী ,হয়তো বেশি কিছু
তাই তোকে বলা
হেরে যাওয়াটা নিজের কাছে মৃত্যুর নামান্তর।
পিছনে স্মৃতিরা কাঁদাবে ঠিক ,কিন্তু সামনের দিকে তাকা
দেখ আলো ঝলমলে রাস্তা
অনেকটা প্রথাগত ব্যক্তিগত নিজেরগুলো আসলে আমাদের মৃত্যু
কিন্তু জীবন কখনো প্রাক্তনের হিসেবে হতে পারে না।

মনে পরে সেই পুকুরের ধারে  শিবমন্দিরটা
আমি বেশ স্পষ্ট দেখতে পায় তার ভিতরে সিন্দুর মাখা একটা মুখ।
পুজো হয়ে গেলে আমরা ঈশ্বরকে বিসর্জন দি
সেখানে মানুষ প্রয়োজনের আর প্রয়োজনীয়তার আরেক না।
এইসব বলবো ভেবেছিলাম ,কিন্তু বললাম না
কারণ প্রতিটা স্পর্শ নিজের কাছে সবসময় প্রাক্তন থেকে যায়। 

প্রাগৈতিহাসিক ফসিল

প্রাগৈতিহাসিক ফসিল
........ ঋষি
==============================================
একটা আয়না দরকার ছিল
নিজেকে আবিষ্কার করার পর নিজেকে দেখার।
ফসিলের প্রাগৈতিহাসিক মর্মটা একটু অনুধাবন করে
চলন্তিকা তোমার সাথে লেপ্টে থাকার ছিল মাটিতে পা রেখে।
নিজেকে কতটা নামানো যায় সেটা মানুষ বলে জীবটাকে  দেখলে বুঝি
মানুষ নাকি বদলাতে বদলাতে শালা প্রাগৈতিহাসিক হয়ে গেলো।

ফিরে আসা
ঘড়ির কাঁটারা তখন উল্ঢো দিকে হাঁটে ।
সময়ের এই বিলাসে নিজেকে খুব যত্ন করে পারফিউম লাগানো শরীর মনে হয়
শালা যেন জোকার।
হাসছে সময় ,হাসছি আমি ,হাসছে ঘড়ির কাঁটা
টিকটিক শব্দটা ঠিক করে বোঝার চেষ্টা করলে ,
আজকাল নিজেকে বড়ো  নষ্ট মনে হয়।
কিভারে মানুষ  ফিরে আসে সন্তর্পন কুয়াশার আস্তরন ফুঁড়ে
 ছোটছোট অনুষঙ্গ নিয়ে, কাতর সম্তাপে  সন্ধ্যা ও সকালগুলি নিয়ে
স্মৃতিময় ।

একটা আয়না দরকার ছিল
আয়নার আয়তকার  অবয়বটাকে ভীষণ অচেনা লাগে।
মধ্যবয়স্ক এক ভদ্রলোক কিভাবে যেন একটা শিশু হয়ে যায়
আদম এক নিষ্পাপ চেতনার  সিম্বল।
তারপরই বদলে গিয়ে জোকারটা অট্টহাস্য করে বলে
ইশ শালা প্রাগৈতিহাসিক ফসিল। 

জাদুকর

জাদুকর
,,,,,,,,,,,,,, ঋষি
===========================================
একলা দাঁড়িয়ে খোলা মাঠে জাদুকর
দর্শক নেই একজনও তল্লাটে ,হাততালি নেই, নেই কোনো শব্দ।
শূন্য ধূ ধূ সবুজ  মাঠে,দূরে আলো  ডুবছে
আকাশ জুড়ে আশমানি রঙ শাড়ি কেমন লালচে মায়ায় মোড়া।
মিঠে হাওয়া  উড়িয়ে দিয়ে  যাদুকর খুলল তাপ্পিমারা ইন্দ্রজালের ঝুলি
গিলিগিলি গে  পৃথিবীতে সন্ধ্যে নামছে।

জাদুকরের চোখ বাঁধা হাতে একশো খানা মোমবাতি
শেষ এক দশকের গল্প বলছে সে।
দেশলাইতে  বারুদ তারপর আগুন ,তারপর মোমবাতি সলতে
শহর পুড়ছে ,পুড়ছে বাস ,ট্রাম ,মেট্রো।
ধর্ষিত আদিবাসী  রমণীর  শহর পুড়ছে সভ্যতার আদিম ছেঁকাতে
বিশাল এই মাঠ ,চারিপাশে হুইস্কির খালি বোতল ,বাংলা বোতল।
নেশা হচ্ছে না জাদুকরের
এইবার তাসের খেলা এক্কা ,তারপর রানী।
দশ হাতে ছড়িয়ে পড়ছে রাষ্ট্র
অন্ধকার নামছে জনতার চোখে আর সেই জাদুকর একলা দাঁড়িয়ে  .

একলা দাঁড়িয়ে খোলা মাঠে জাদুকর
সারা পৃথিবীর ম্যাজিকে দিনান্তের বাঁচা ম্যাজিকের মস্ত ম্যাজিক।
জাদুকর হাসছে সূর্যের শেষ কিরণের দিকে তাকিয়ে
আজকে বিড়ি জ্বেলে মনে মনে বলছে আরো প্রাকটিস।
সত্যি তো প্র্যাকটিস চলছে
এই পৃথিবীর সভ্যতার একটা অন্ধকার কালো হাতের। 

বসন্ত বাজার

বসন্ত বাজার
........... ঋষি
===================================================
তারপর এক চিলতে হাসি
দুপুরের ঘন হয়ে আসা প্রকৃতির বসন্তে চলন্তিকা চিরকালীন।
আমার অফিসের সামনে অশ্বথ্থ গাছটা ন্যাড়া হতে হতে বেলতলা
আজব খবর একটা বাতাসে আজকাল।
চলন্তিকা তোমাকে পেলেই বসন্ত বাজারে
তারপর আবিরের সেই লাল ,সবুজ মায়া ,আরো রঙিন।

নেশা হয়ে যায়
চলন্তিকা তোমার  আঙুল ছুঁয়ে ব্রাউনি ম্যাগনাম খুব ধীরে গলে যায় আমার জিহ্বায়।
তারপর আরো গভীর নেশা দুপুর যেন গড়িয়ে নামতে থাকে
তোমার বাড়ির তৈরী আসন বিছোনো , সোনামুগ ডাল, পোস্তবাটা।
আমার  তৃপ্ত ভোজন
তারপরে পাওয়ার ছলে তোমার সাথে আমার এ প্রণয় চলন্তিকা।
তোমার শহরে বসন্ত কেমন ?
শুনছিলাম ওখানে পার্কে একটা রঙের উৎসব আছে ,
আছে কবিতা পাঠ।
চলন্তিকা আমার এই কবিতা তুমি ঘেঁষা হলেও
আসলে রঙিন কোনো বসন্ত কথা।

তারপর এক চিলতে হাসি
সামান্য হুইস্কির মতো তোমার  চোখ, ব্যাকনট, আলবাড়িনো ,ফ্রেঞ্চ স্কট।
সব পিছনে চলে যায় আমার নেশা হয়
একটা দুপুরের সাথে ,একটা আমার সাথে একটা তুমি।
যেন জান্তব চিড়িয়াখানাও খুলে দেখা আমার
প্রত্যেকের  ভিতরে সবার কেমন রূপকথা থাকে।

Wednesday, February 22, 2017

একে অপরে

একে অপরে
............. ঋষি
================================================
মাঝে মাঝে নিজেকে ন্যাংটো করে আয়নায়  দেখি
সামনে তুই দাঁড়িয়ে।
কোনো গভীর মুহূর্তের আলিঙ্গনে জীবনে রুপোলি আলো
মনে হয় স্বপ্ন।
চাঁদকি কি মেৰুবা হো মেরি আইসা ম্যানে সোচাথা
হা তুম বিলকুল ওয়াহসী হো জেইসা ম্যানে সোচা থা।

আসলে জীবন মানেই সকলে বেঁচে থাকা বোঝে
আর নগ্নতা মানে অশ্লীলতা।
অশ্লীলতা শব্দটা যতটা সামাজিক
ঠিক ততটাই মানবিক কিছু নগ্নতা মানুষের ভীষণ প্রিয়।
ভিড়ের মধ্যে দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে
হঠাৎ দেখা তোর সঙ্গে।
নিজেকে বড়ো নগ্ন মনে হচ্ছে,মনে হচ্ছে বড় মরুভূমি এইসময় চলন্তিকা
তোর চোখের দৃষ্টি এঁকে বেঁকে তলিয়ে যাচ্ছে চাঁদের দেশে।
আইসা কভি হুয়া নেহি
জোভি হুয়া ঠিক হুয়া ,,,আমি নগ্ন।

মাঝে মাঝে নিজেকে ন্যাংটো করে আয়নায়  দেখি
কে আমি ,এজে কোনো তুই।
শরীরের সমস্ত অস্থিরতায় ,মানসিক সমস্ত অসচ্ছলতায়
শুধু একটাই নাম তুই।
কি তফাৎ তোর আমার এই সমাজের ভিতে
হই না নগ্ন কিছুক্ষন একে অপরে। 

Sunday, February 19, 2017

আন্দোলন

আন্দোলন
........... ঋষি
===========================================
খুব বেশি বেড়ানো হলো না
শুধু গিটারের শব্দ শুনলে আজও মনটা মুচড়ে ওঠে।
কলেজ কখন যেন কফিনের মতন তাজা স্মৃতি
পুরোনো বন্ধুদের মুখ সব।
খুব মনে পড়ে এই জীবনের সিগারেটের কাউন্টারে ঠোঁট ডোবানো
আর লুকোনো কিছু ডুব মুহূর্তের জাহাজ।

সকালে খবরের পাতায় আজকাল দেখি
আন্দোলন।
সেটা কি রে বলেছিল নবারুণ ?
বলেছিলাম মনে পরে আন্দোলন একটা বিবেকের নাম।
নবারুণ বলেছিলো অরে তুই প্রেমিক কবি
ওকে সেদিন বলা হয় নি প্রেমও একটা আন্দোলন।
যার প্রতিফলন
নিজস্ব বেঁচে থাকা।
মনে পরে নবারুণ সেই ফেলে আসা দিন
আর তোর সেই গিটারের সুরে।.
.
খুব বেশি বেড়ানো হলো না
তবু  সেই কুড়ি বছরের ছেলেটা আজও মাটি খোঁড়ে মধ্য চল্লিশে।
মাথার আধা পাকা চুলগুলো জানে
সেই ছেলেটা বদলে গেছে কিন্তু সময়টা আজও  পিছনের দরজায়।
কফি হাউসের কোল্ড কফি কখন ওয়ানের পেগ
কিন্তু সেই ছেলেটার আজও নেশা হয় না।

নিজের নিজস্বতায়

নিজের নিজস্বতায়
............ ঋষি
=================================================
প্রত্যেকটা তুমির  পিছনে আরেকটা
সহস্রপ্রাচীন অধীনতা প্রতিটা আঘাতের বিপরীত প্রতিঘাত।
একটা খুনের বদলে চারটে
একটা ধর্ষণের বদলে দিনরাত খবরের পাতা।
বাড়তে থাকা মিশ্রনে গ্রাইন্ডারের সর্বোচ্চ শব্দগুলো
আলোড়িত এই সামাজিক দৃষ্টিতে।

তুমির  বদলে এই দুনিয়ার দেওয়া নেওয়া
স্প্যানিশ গিটারের শব্দের বদলে কোনো নীল ছবির অবাঞ্চিত ওঠানামা।
কালো ব্রার বদলে জ্যাকির কোনো কালো জাঙ্গিয়া
স্পর্শের দ্রবণ মাত্রা বদলাতে বদলাতে রিমেকে রবি ঠাকুরের গান  ..
খুব সহজিয়া বিছানা বদল
খুব সহজিয়া তিন তালাক সিস্টেম।
আরো সহজ এই সময় বর্ণপরিচয় বদলে ইংলিশ মিডিয়াম
সব ভুলে ,সব হারিয়ে ,নিজের  নিজস্বতা ফুচকার টক জল মুখে।
সবটাই বাহ্যিক
শুধু তুমি ছাড়া।

প্রত্যেকটা তুমির পিছনে আরেকটা
গড়িয়াহাট মোবাইল ফোন চুরি যাওয়ার বদলে গলার নেকলেস চুরি সল্টলেকে।
প্রতিটা সরল রেখা বদলে অসংখ্য ত্রিভুজ
অসংখ্য তুমি।
অথচ তুমি বদলাও না কিছুতেই এই সময়ের ম্যাজিকে
শুধু তুমি একটা কালো বিন্দু নিজের নিজস্বতায় যেমন শরীরে তিল। 

তারপর মৃত্যু

তারপর মৃত্যু
.......... ঋষি
================================

যে পথে হেঁটেছো তুমি
সেই পথ আমি হেঁটে এসেছি বহু আগে তোমার হাত ধরে।
তুমি হয়তো বদলে গেছো
কিন্তু আমার হাতের সিগারেট আমার শহরে দিন রাত জ্বলে।
আর জানো তো কিছু জ্বললে
পোড়ার গন্ধটা লোকানো যায় না।

শহরে বসন্ত মানে
কৃষ্ণচূড়া,,রাধাচূড়ার ভিড়ে কিছু কথা শুকনো পাতা চাপা দেওয়া।
শহরে আনন্দ মানে
মিথ্যে উৎসবে কাটানো দিন কিংবা একটা যাপন তুমি ছাড়া।
আমার কাছে শহর মানে তুমি
সেই তুমি বদলে গেছো।
আয়নায় মুখ দেখে অদ্ভুত লুকোচুরি খেলা তোমার ঠোঁটে
কিন্তু স্পর্শগুলো আজও তাড়া  করে আমায়।
একটা পিস্তল যেন অযথা ভয় দেখায়
ফায়ার তারপর মৃত্যু।

যে পথে হেঁটেছো তুমি
মিথ্যে ধামা চাপা দেওয়া জোকার দেখলে আমি হাসি।
তুমি হয়তো বদলে গেছো
হয়তো বদলে গেছি আমিও নিজের যাপনে।
কিন্তু বিশ্বাস করো
আমি সত্যি মিথ্যা বলতে শিখি নি।  

নেশা চলন্তিকা

নেশা চলন্তিকা
.............. ঋষি
========================================
মরফিনে  আর নেশা নেই
নেশা নেই দু এক পেগে লেগে থাকা সিঁথিলতায়।
জীবন চলেছে যেন কোনো কাব্য
আমার জীবনের নেশা।
আর নেশা চলন্তিকা
তোকে ভালোবাসা আরো কাছে আসার।

এইভাবে নীলচে আলো মোড়া  কল্পনার অবচেতন
বেশ  ভালো লাগে শহরটাকে  হাতের মুঠোয় করতে।
ভালো লাগে নিভতে থাকা সন্ধ্যের শহরের দিকে তাকিয়ে
পরের দিনটাকে স্বপ্নে ভাবতে।
ভাবতে ইচ্ছে করে কোনো দূর অলিন্দের শব্দে ভেজানো আলোর দরজা
ক্রমশ খুলছে।
খুলে পড়ছে মানুষে একের পর এক নষ্ট আবরণ
চলন্তিকা জানো  তখন আমার হাসতে  ইচ্ছে করে।
হাসতে  ইচ্ছে করে এই সমাজটার প্রতি
কূপমণ্ডুক আইডলে সাজানো নষ্টনীড়।

মরফিন আর নেশা নেই
নেশা নেই চুঁয়ে নামা ওল্ড মঙ্কের আদিম দ্রাব্যতায়।
জীবন চলছে ঈশ্বর সৃষ্ট কাব্য
যেন নিজের হাতে সাজানো কোনো ইন্দ্রের বাগান।
আর নেশা চলন্তিকা
তোমর চোখে আরো গভীরে কোনো পাওয়াতে। 

তোমার চোখে

তোমার চোখে
............. ঋষি
===========================================
ফেলে আসা বেলা
তোর বসন্ত ছোঁয়া পলাশ ফুল।
সারা পথ জুড়ে শুধু আঁকাবাঁকা অজস্র মোড়
বসন্ত এসেছিলে হয়তো।
নিজের আবির্ভাবের আবিরের রঙে জীবনের স্পর্শ
সময় গেলো ,কিন্তু রং ?

বেআব্রু জীবনের অজস্র স্পন্দন
কান পেতে শোনা বুকের অলিন্দে সম্পর্কের নাম।
সিম্ফনিতে বাজতে থাকা অজস্র স্পন্দন
তোমার নামটা আমার প্রিয় চলন্তিকা।
তোমার স্পন্দনটা আমার ভীষণ প্রিয়
আর প্রিয় আমার মৃত্যু তোমার  স্পন্দিত  স্পর্শের আগুনে
আগুনের গনগনে তাপে।
বারংবার ভালো লাগে রাঘবের কলাস্যিকাল বেসে গাওয়া
তোমার চোখে আমি আমার মরণ দেখেছি।

ফেলে আসা বেলা
সেই মেয়েটা পথ হাঁটছে পলাশ পাড়িয়ে।
দুপাশে রাস্তার অজস্র স্পন্দিত নীরবতা ফিসফিস এখন
বিকেলে আলোয় মন নিংড়ে স্পর্শ।
বড়ো  শোনাতে ইচ্ছে করছে গানটা তোমার খুব কাছ থেকে
তোমার চোখে আমি আমার মরণ দেখেছি। 

Wednesday, February 15, 2017

তথাস্তু (২)

তথাস্তু (২)
.... ঋষি
===========================================
আমাকে একটা কলম কিনে দেবে চলন্তিকা
যে কলমে আমি খুব সহজে আমি সভ্যতা লিখতে পারবো।
লিখতে পারবো খুব সত্যিগুলো মানুষের
যেগুলো মানুষের হৃদয়ের ভাঁজে হিডেন ফোল্ডারে লোকানো নেমেসিস্।
যেগুলো মানুষের দৈনন্দিন চর্বিত চর্বনের হাসি কান্না লিপি
আর সভ্যতা সত্যি তখন কোনো আদরের কাব্য।

আজ অবধি একটা কবিতাও লিখে উঠতে পারলাম না
আজ অবধি সত্যি বলছি একটা লাইন সত্যি লিখতে পারলাম না।
শুধু পাতায় পাতায় আঁকিবুকি
স্বপ্ন ,প্রেমবিভোর ,রোমন্থন আর আমন্ত্রণ লিপি।
আজ অবধি একটাও আগুন জ্বালতে পারলাম না
যে আগুনে সভ্যতা পুড়ে সত্যি কোনো আলাদিন হয়ে ওঠে।
মানুষের মুখে হাসিগুলো
কোনোরকম পরিশ্রুতিকরণ ছাড়াই হয়ে উঠবে ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য।
শৈশব আর মননের মানুষের সত্যিগুলো
আর স্বপ্ন নয় ,,এক একটা জীবন।

আমাকে একটা কলম কিনে দেবে চলন্তিকা
যে কলমে আমি খুব সহজেই তোমার আদরে আরো আদম হবো।
যে কলমে সহজে লেখা যাবে তোমার সবুজ পরিচয়
অজস্র কাটাকুটি নয় একটা সাদা পাতায় ঝলমলে কাব্য।
আমাকে একটা কলম কিনে দেবে
যে কলম আমি ঈশ্বরের মতো তথাস্তু বলতে পারবো।

সূর্য ওঠা দেশ

সূর্য ওঠা দেশ
.............. ঋষি
======================================
তোমার ভিতর একটা আমি আছে
যাকে মাঝে মাঝে আমার হৃদস্পন্দনের পরিচয় মনে হয়।
আবার কখনো কখনো
মনে ম্যাগনিফাইং গ্লাসের নিচে  শুয়ে থাকা কোনো জীবাণু।
তোমার চোখে রোদ চশমায়
আজকাল আমাকে মাঝে মাঝে ভীষণ অন্ধ লাগে।

কেতাবি বক্তৃতায় সকলে বলে
ভালোবাসা অন্ধ।
কিন্তু এমনও অনেকে আছে যারা ভালোবেসে গান্ধারীর সুন্দর চোখ
আর আমি সেই চোখের কথা শুনি।
অদ্ভুত একটা বিশাল পুস্করিণী ,ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি মাঝে এলোমেলো হাওয়া
তোমার উড়তে থাকা চুলের সুবাসে আমি  পাগল ভ্রমর।
জানি তুমি অবাক হও চলন্তিকা
জানি তোমার চোখের চাহুনিয়ে লেগে থাকে ছোটবেলার স্বপ্ন ,
সত্যি একপলকে যদি একটা জীবন তোমায় পাওয়া হতো।
তবে ঈশ্বরের সাথে সন্ধি করে
হয়তো আমিও হয়তো কোনো আদিম ভগ্নস্তূপ।

তোমার ভিতর একটা আমি আছি
যে সবসময় আমাকে ফিসফিস বলে কেমন মশাই ,,ভালো তো।
আমিও হাসতে হাসতে বলি খুব ভালো
অপেক্ষা তো আছে।
কোনো একদিন সূর্যওঠা দেশে মানুষের মেলবন্ধন
সেদিন আমার হৃদ্স্পন্দনে তোমারি নাম। 

পরিচয়

পরিচয়
........... ঋষি
=============================================
সত্যি কি কোনো চতুর্ভূজ হয়
যেখানে দমবন্ধ পৃথিবীর আদলে গড়ে তোলা কৃত্রিমতা
সত্যি কি মানুষ পারে
শুধু জানলার বাইরে হাত বাড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে
নাকি মনের ইচ্ছেগুলো শুধু স্ট্রিট লাইটে অনিচ্ছাকৃত আটকানো আলোআঁধারী
মানুষ বদলায় কিন্তু কজন নিজেকে বদলাতে পারে

ক্ষরিত রক্তরা কখন গিয়ে নর্দমায় গিয়ে মেশে
নিজের বেওয়ারিশ লাশটা ভনভনে মাছি সভ্যতায় আরো বেশি নগ্ন মনে হয়
দগদগে ক্ষত
হাসি আর পরিচয়ে শুধু ভিজিটিং আওয়ার্স
অসংখ্য ভিজিটরস ঠিক যেন মিউজিয়ামের লাইনে দাঁড়ানো শিশু
অতি সাগ্রহে প্রশ্ন করে বাবা প্রত্নতত্ব কি ?
হাসি পায়,গুলিয়ে যায় মানুষগুলোর সম্পর্কের মানে
মমির ভিতর শুয়ে থাকা শরীরগুলোও স্বপ্ন দেখে
বেঁচে ওঠার
বিশাল পৃথিবীর ফাঁকে আটকানো চিরকুট
কখনো কি জীবন আদোও মানুষের আদরের ?

সত্যি কি চতুর্ভূজ
যেখানে দমবন্ধ নিজস্বতায় গোড়া লৌকিক আলাপন।
সত্যি কি মানুষ পারে
নিজের না বলা কথাগুলো চৌম্বকীয় স্পর্শে নিজেকে বোঝাতে।
সবটাই প্রহসন
নাকি স্ট্রিট লাইটের তলায় একলা দাঁড়িয়ে নিজের পরিচয় খোঁজা।

কিছুক্ষন আর কফিকাপ

কিছুক্ষন আর কফিকাপ
............. ঋষি
==========================================
আজকাল চাওয়াটা বোধ হয় একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে
কফি কাপে আজকাল তাই তোর ঠোঁট।
আজকাল বোধ হয় জীবনটাকে বেশি আদরের মনে হয় তাই
সকাল সন্ধ্যে হ্যারিকেনের আলোতে ভালো লাগে ভাবতে।
আজকাল তোকে পাওয়া বেশি হয়ে যাচ্ছে
তাই কফি কাপের লুকোনো তেতো ভাব।
.

অনেককিছু বলিস নি আমাকে
হয়তো অনেক কিছু এক  জীবনে বলা  হয়ে ওঠে না মানুষের।
সিন্ধু সভ্যতা সাক্ষী
অনেককিছুই চিরকাল হারানো সভ্যতার ধারক।
 তাই বোধ হয় মানুষকে পাখি হওয়া মানায় না
মানায় না লুকোনো বিষাদগুলোকে আরো খোলা নীলে মুক্তি দিতে,
দম আটকানো বন্ধ ঘুলঘুলিতে তাই বোধ হয় মানুষের শাস্তি।
.
আজকাল তোকে ভালোবাসা বেশি হয়ে যাচ্ছে
তাই হয় ভালোবাসার দিনেও লুকোনো যন্ত্রনা আমার বুকে।
কিছু কথা অভুক্ত থাকতে থাকতে মরতে দেওয়া ভালো
তাই বোধ হয় মানুষকে দূর থেকেই ভালোবাসা ভালো।
.
আজকাল চাওয়াটা বিকেলে কফি কেবিনে লুকোনো যন্ত্রনা
কফির ধোঁয়া ওঠা আশাগুলি আকণ্ঠ তৃষ্ণা।
সত্যি মানুষের কি তৃষ্ণা মেতে কখনো
কখনো কি মানুষ হয়ে উঠতে পারে স্বাবলম্বী নিজের গভীর যন্ত্রনায়।
যন্ত্রণার মুক্তি চাই জানিস
তাই এই বিকেলে আমার ঠোঁটের আদ্রতায় উষ্ণ নেশা। 

Monday, February 13, 2017

নেশাতুর

নেশাতুর
........... ঋষি
===============================================
কোনো এক বিগত ফেলে আসা বেলা
সময়টা স্বাবাভিক কোনো মনে খাদে একলা দাঁড়িয়ে দেখা।
ঠোঁটে ওয়ানের পেগে লেগে যাওয়া চোখ
আকণ্ঠ পর্বতমালায় মন মিলান্তি কোনো ডাহুকের শব্দ।
নদীর ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ
তারপর কোনো সঙ্গম সবুজ  আবৃত্ত উপত্যকার প্রেমে।

একের পর এক ঢেউ
অনবতর বিস্মিত চাহুনিতে কোনো এক স্বপ্ন মেঘ ভেঙে এগিয়ে এলো তুফান।
অন্ধকার আকাশ চিরে শুধু শীৎকার
আজ পৃথিবী ভাসবে পাগল কোনো উত্তালতায়।
উষ্ণতা বুঝি এমন হয় চলন্তিকা ?
বুকের হাঁপরে তখন অনবরত ট্রেনের আসাযাওয়া।
অসংখ্য নাম না জানা স্টেশন পেরিয়ে ,অজস্র মানুষের মুখ
তারপর প্রেয়সীর।
একলা দাঁড়ানো নাম না জানা স্টেশনের যাত্রী
নিয়মিত সঙ্গম স্বপ্নের মোড়কে।

কোনো বিগত ফেলে আসা বেলা
চোখে শ্রান্তিতে ভিজে যাওয়া পিচ রাস্তার রুক্ষতা।
তবু ক্লান্তি নেই
নিয়মিত সফরে রূপকথার আদলে কোনো আশ্রয়ে খোঁজ।
বুকের পারদ বাড়ছে
আর উষ্ণতায় ক্রমশ নেশাতুর জ্বর।

মায়াজাল

মায়াজাল
.............. ঋষি
=============================================
একটা মায়াজাল
একটা অরাজকতা চলন্তিকা তোমার দৈনন্দিন।
এই শহরের ধোঁয়াশা হয় ,তুমি কারণ জানো
আমিও।
কিন্তুও তবুও রোজ হেঁটে চলা সেই দূষণের মাঝে প্রবল অনিচ্ছায়
হয়তো নাকে রুমাল নিয়ে।

প্রবল শ্বাসকষ্ট
সারারাত জেগে অনবরত নিজের সাথে কথোপকথন।
বাইরে তখন স্ট্রিট লাইটের আলোর ফোয়ারা
শহরটা রেমেকি সস্তা আলোতে মোড়া কোনো সভ্যতার পীঠস্থান।
অথচ জীবন কি সাংঘাতিক তাই না চলন্তিকা
শুধু শ্বাসকষ্ট।
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে ওই রেমিকি আলোতে দাঁড়িয়ে চিৎকার করি
ডেকে নি জীবনকে আমার পাশে।
সত্যি যদি একটা অবয়ব পাওয়া যেত জীবন নামক ভদ্রলোকের
তবে একটা ছায়া তো বাঁচতো আমার সাথে এই শহরে।
মাঝে মাঝে মনে গালাগাল করি বেঁচে থাকাকে
কিন্তু জানলার ফাঁকে চাঁদের দিকে চোখ যায়
আমার পড়ার টেবিলে তখন কত আদর জ্যোৎস্নায় ভেসে যায়।

একটা মায়াজাল
জীবন ঘুলঘুলি দিয়ে জোর করে ঢুকে আসা নিঃশ্বাসে রূপ।
এই শহরের প্রতিটা রন্ধ্রে একটা সাজানো নিয়ম বাস করে
মানুষগুলো সব নিয়মিত মাত্র।
মাঝে মাঝে চলন্তিকা ইচ্ছা করে  এদেরকে  একটু নড়াচড়া করে দেখতে
আদৌ হৃদস্পন্দন আছে তো। 

জীবনের বাইশ গজ

জীবনের বাইশ গজ
.............. ঋষি
==========================================
প্রশ্নদের কোলাহল
বড় জ্বালাতন জীবনের বাইশ গজে  এক একটা বামসার।
আরোহীর ইচ্ছা সেটা পুল হবে না ,শুধু ছেড়ে দেবে
কিন্তু অনিচ্ছা আউট হতে পারে।
এটাই জীবন
এখানে প্রতিটা দিন ক্রিকেট ক্রিজে।

সমস্ত অবয়ব জুড়ে
মাঝে মাঝে কিছু উৎসব ,কিছু উপস্থিতি বল স্টেডিয়ামের বাইরে।
কিন্তু মাঝে মাঝে আবার আউট
চোখের কোন জল আরোহী প্যাভিলিয়নে।
কিন্তু মনের ফাঁকে দৃঢ় প্রত্যয় ,ফিরে আসতে হবে
আসলে জীবনে এই ভাবেই ফিরে আসতে  হয়।
ক্রিকেট মাঠের প্রতিটা হেরে যাওয়া জীবনকে আরো দৃঢ় প্রতিজ্ঞ করে
ফিরতে হবে
কারণ সারভাইভাল ফ্যাক্টর।

প্রশ্নদের কোলাহল
ব্যাটসম্যান উইকেট ,গ্লাভস নিয়ে এগিয়ে চলেছে গ্যালারিতে।
গ্যালারিতে চিৎকার দারুন খেললেন জীবনটাকে
আসলে সমাজ আর সময় সবসময় এমনি শুধু দর্শকের ভূমিকায়।
শুধু খেলার মাঠে জীবন নিজের
সুতরাং কি করবে তা পুরোটাই আরোহীর জানা থাকে। 

স্যানোরিটা

স্যানোরিটা
............ ঋষি
=================================================
মৃত্যুর মাঝ পথে চলন্তিকা জীবনে টেনে নিলি
বাঁকা হাসি ,কাজলে চোখ।
মুগ্ধতা মাখা  অনেকটা পথ আমার জীবনে র ডি  বর্মনের সুরে সেই গান
হুজুর ইস কদর হি না ইকরাকে চলিয়ে।
সমস্ত পরিচয়জুড়ে আজকাল একটা অনুরণ কিছুটা নিস্তব্ধতা
চলন্তিকা তোর হাসির শব্দ আমি শুনতে পাই।

শুনতে পাই আরো অনেককিছু
তোর গলার স্বরে গীতবিতান যেন প্রতিমুহূর্তে আমার মিউজিক্যাল জ্যার্নি।
সা রে গা মার্ সুরের জগতে সৃষ্টিরা যেমন শব্দবহুল
ঠিক তেমনি শব্দবহুল আমার কাছে তোর উপস্থিতি একটা শহরের।
শহরের সকাল সন্ধ্যে হাজারো মানুষের ভিড়ে
তোকে দেখতে চাওয়া ,তোকে দেখতে পাওয়া যেন মৃত্যুফেরত কোনো প্রাণ।
নতুন করে প্রাণের সঞ্চয়
অসংখ্য আসনে বিলাসবহুল সিনেমা গৃহে।
বাঁচার অভিনয়
আজকাল পপকর্ণ আর কফি সহযোগে খুব সহজ মনে হয়।

মৃত্যুর মাঝ পথে চলন্তিকা জীবনে টেনে নিলি
মুগ্দতা আর পরিচয়।
আমি তো বারংবার মুগ্ধ হই শহরের আকাশে বাতাসে ভ্যালেন্টাইনের সুর
পল পল দিলকে পাস্ তুম রেহতি হো।
সমস্ত পরিচয় জুড়ে একটা প্রশ্ন থেকে যায়
স্যানোরিটা বড়ি বড়ি শহরমে ইটনি ছোটি ছোটি বাত হোতি রেহতি হ্যা। 

স্বামী সোহাগী

স্বামী সোহাগী
.....................ঋষি
=========================================
বয়সটা মাইলস্টোন পেরোনো আতঙ্ক
সবকিছু শেষ হয় যেমন শেষ হয় বাড়ন্ত সেই দিনগুলো।
মেয়েটা আয়নায় মুখ দেখে লিপস্টিক লাগাচ্ছে
মেয়েটা ভালোবেসে বারংবার আয়নার দিকে তাকাচ্ছে।
স্বামী সোহাগী মেয়েটা
অপেক্ষা করছে পিছনের সেই আদম আদরের।
.
বুকের বালিশে লেগে থাকা কালসিটে
মেয়েটা চাই নি তার মদ্যপ স্বামী তাকে বারংবার ধর্ষণ করুক।
তার বুকে আদরের ঠোঁট আঁকার বদলে
দুমড়ে মুচড়ে এঁকে দিক কালসিটে দাগ।
পাড়ার অন্য বউরা বলে তোর মরদ বারমুখো রে
হবে না যা ছিড়ি তোর।
তাই মেয়েটা লিপস্টিক লাগাচ্ছে ,চোখের কোনে কাজল
তাই মেয়েটা নিজেই হাসছে ,নিজের রূপ দেখে।
আজ সে সমর্পিত হতে চায়
আজ সে তার লম্পট ,মদ্যপ ,নোংরা পুরুষটার নারী হতে চায়।
হোক না ধর্ষণ,শরীরে বাড়ুক আরো যন্ত্রনা
তবু যদি মনের কার্পণ্য কমে
.
বয়সটা মাইলস্টোন পেরোনো আতঙ্ক
সবকিছু শেষ হয় কিন্তু এই সমাজে সেই আতঙ্ক শেষ হয় না।
নিয়মগুলো রিসাইকেল প্রসেসে যুগে যুগে এক
মেয়েটার স্বামী এখন ঘুমোচ্ছে ,মেয়েটা ফুপিয়ে কাঁদছে।
স্বামী সোহাগী মেয়েটার সারা শরীরে যন্ত্রনা
তবু একবার হাসলো যেন মেয়েটা ,ঠোঁটে তার রক্তের দাগ।

Saturday, February 11, 2017

শুধু নিয়মিত

শুধু নিয়মিত
.... ঋষি
============================================
নিদারুন একটা বিকেল
তোর চোখের কাজলে লেগে থাকা পরিতৃপ্তি
আমার কাছে প্রহসন।
সাজানো কলংকের নিরাভরণ নারীত্বের দরজায় অসংখ্য শঙ্খধ্বনি
সামাজিক ভিতের উপর চোখ রগড়ানো কুমারীত্ব
শুধু লোভ আর লুঠপাট।

একটা নিয়ম শুয়ে আছে প্রাচীন অজগর হয়ে
যার দাঁতের বিষে আজও মানুষের ভাবনারা মৃত জানোয়ার সব।
শুধু চর্বিত চর্বন
শুধু পুরোনো কিছু ঘুনে ধরা ,জং ধরা তলোয়ার
সামাজিক রীতি।
নারী চিরকালই পুরুষের ভোগ্য
সে যদি ঈশ্বরও পুরুষ হয় ,কিংবা যদি হয় কৃষ্ণরূপী যুগাবতার।
দিনের বিবর্তনে মানুষ চাঁদ ছুঁয়ে এলো
তবুও আজ নিজের কাছে অত্যন্ত নিচ।
কারণ এই পৃথিবীতে মায়ের পরিচয়  আজও শুধু জন্মদাত্রী
আর সেই কারণে নারী  চিরকাল পৌরুষের ভোগ আর লালসার স্বীকার।

নিদারুন একটা সকালের সাক্ষী
আরেকটা দিন কেটে গেলো বিছানার চাদরে সাজানো সোহাগে।
শুধু সাজানো সিঁদুরের সাক্ষী
একটা বন্ধন একটা রীতি ,গলার কাছে মৃত্যু ফাঁস।
গলায় দড়ি পড়তেই হবে
কারণ সেটাই নিয়মিত ও সামাজিক রীতি।
.
( নিতান্ত আমার মত,কাউকে আঘাত করার অভিপ্রায় আমার নেই )

চলন্তিকা

চলন্তিকা
........ ঋষি
======================================
অদৃশ্য সুতোর ফাঁকে আঁকড়ে ধরা জীবন
কে জানিস ,,,, চলন্তিকা।
নিদ্রাহীন কোনো রাতে নিজের বালিশের সোহাগে একমুঠো আদর
কে জানিস ,,,, চলন্তিকা।
তারপর সময় আমার দরজায় বারংবার কাঁটা চায়
কে এই চলন্তিকা ?

কালের পেন্ডুলামে সম্পর্কের কিছু ইতিহাস আজও অপরিচিত
ও সামাজিক
এলোমেলো বর্ণমালাগুলো হাওয়ায় অসংখ্য নিঃশ্বাসের খোঁজ
জীবনের ক্লোরোফিল,
পুরোনো ভাঙা চোরা রাস্তায় ধূলিমাখা অনেকটা বাঁচা
আমার স্বপ্নের রূপকথা  
কান্নারা  আজকাল হৃদয়ের দরজায় মাথা খোঁড়ে নিজেকে প্রশ্ন করে
কে আমি ? কেন ?
উত্তর কোনো সমাধান দিতে না পারলেও
অপেক্ষার তির্পলের ওপরে বৃষ্টির শব্দ আরো আরো সামাজিক হয়।
একফালি বেঁচে থাকা সকালে অপেক্ষায়
আরো দ্রবীভূত হয় ,তোর গলার স্বর চলন্তিকা।
জীবন  জুড়ে অসংখ্য  সিঁড়িভাঙ্গা অংক
অথচ ভীষণ মিল তোর মুখের সাথে আমার কল্পনার।

অদৃশ্য সুতোর ফাঁকে আঁকড়ে ধরা জীবন
কোলাহল শুনতে পাস্ সেটা ঘড়ির কাঁটার।
ক্রমশ আবর্তনের সাথে বদলানো জীবনের ভূমিকায়
তুই চিরকালীন আমার নিজস্বী।
সুন্দর করে হাসিমাখা তোর স্পর্শের কবিতায়
আজ আমি তোকে লিখলাম। 

শুধু তুমি আছো বলে

শুধু তুমি আছো বলে
........ ঋষি
========================================
আমি ছবি আঁকতে  পারি না
আমার সেই স্বপ্নের ছবিটা তাই বুঝি অপূর্ণ।
কোনো ঘোড়ারডিমের স্বপ্ন দেখার মতো হয়তো অস্বাভিক
তোমার হাত ধরে হাঁটা আমার চিরটা কাল।
কিন্তু খুব সত্যি চলন্তিকা
আমি তো বেঁচে আছি  ,কারণ তুমি তো আছো আমার কাছে।


কাল মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে গেছে
বুকের কাছে দুমড়ে উঠেছে একটা চিনচিনে ব্যাথা।
জীবনে প্রথমবার আমার অনুভবে তুমি
তখন সারা পৃথিবী ঘুমোচ্ছে ,ঘুমোচ্ছে সকাল হবে বলে।
তখন সারা সমাজ ঘুমোচ্ছে ,একটা সাজানো নিয়ম হবে বলে
তারপর রাষ্ট্র ,তারপর দেশ ,হয়তো পৃথিবী।
কিন্তু আমি জেগে
আমার যন্ত্রণার আমাকে জীবিত রাখে।
আমার কল্পনারা তখন হাসতে থাকে হিসেবের বাইরে
তখন তুমি আসো।
আমার অপূর্ণ ক্যানভাসে প্রথম রঙের উজ্বল স্পর্শ
তোমার ঠোঁটে তখন একটু ভিজে ভাব।

আমি ছবি আঁকতে পারি না
আমার সেই স্বপ্নের ছবিটা তবু আমার হৃদয়ে একটা প্রলোভন।
নিজের মতন করে আয়নায় দেখা মুখ
এই নাগরিক জীবনের অসংখ্য ঘামের গন্ধ।
কিছুই আমাকে স্পর্শ করে না চলন্তিকা
শুধু তুমি আছো বলে। 

অনবরত বৃষ্টি

অনবরত বৃষ্টি
.......... ঋষি
===============================================
দরজার কাছে আটকানো একটানা সংকেত
ঘোড়া ছুটছে মাঠ পেরিয়ে আরো গতিতে।
তারপর শহর ,তারপর সভ্যতা
কিন্তু প্রশ্ন কেন ?
যখন জীবন উত্তর খোঁজে যাপনের কাছে কিসের দিনান্তর
তখন অন্তরে অনবরত তিতিক্ষা


উত্তর কিছু ছিল না কোনো জীবনের কাছে
শুধু যখন বৃষ্টিমাস ,যখন সমস্ত অবয়বে অজস্র আঁচড়ের  ক্ষতবিক্ষত বর্ণমালা।
তখন আমার  বাঁচতে ইচ্ছে হয়
তখন আমার লিখতে ইচ্ছে হয় বর্ণের সেইসব ছড়ানো ছেটানো চেতনা।
চলন্তিকা তোমাকে বোঝাতে পারি না
কেন তোমায় ভালোবাসি ?
চলন্তিকা তোমাকে খুঁজতে থাকি পাগলের মতো সমস্ত চারিপাশে
তখন কোনো এক বেজন্মার জন্ম হয়।
তখন একটা সমাজ হাত পেতে ভিক্ষা করে আমার কাছে
উত্তর পাই না ,খুঁজতে থাকি
তবু পাই না খুঁজে কেন ?

দরজার কাছে আটকানো একটা সংকেত
দরজার বাইরে অনেকটা বেঁচে থাকা খোলা আকাশ।
তবু  জীবন শেখানো চার দেওয়ালের ঘর
আমার পরিচয়।
কিন্তু চলন্তিকা তুমি বিশ্বাস করো
 আমি ঠিকানাহীন ,পরিচয়হীন অনবরত বৃষ্টি। 

তোমাতে করিব বাস

তোমাতে করিব বাস
........... ঋষি
=============================================
একটা করে দিন এমনি কাটবে
যেমন কাটছে।
একটা করে দিন সংকেত এগিয়ে যাওয়া
চলন্তিকা তোমার দিকে।
একটা করে দিন যেমন কাটছে অনেকটা নিশ্বাস নিয়ে ঠিক
 তবুও তো কেটে যাচ্ছে।

আমি জানি না তোমার ছাদের উপরে অন্য ছাদ আছে কিনা
আমি জানি না চলন্তিকা তুমি ঠিক কতটা কাছে আমার।
শুধু তোমার বারান্দার গোলাপ গাছটা জানে
আরো যত্নে তোমাকে ভালোবাসার মানে।
আর গাছের কাঁটা গুলো সব দ্রবীভূত যন্ত্রনা
হৃদয়ে ফোটে ,,,, কেন জানো।
হৃদয় কোনো সকালে রবিঠাকুরের গানের আদরের ব্যাখ্যান
আমি তোমার ও বিরহে রহিব বিলীন ও
তোমাতে করিব বাস।
দীর্ঘ দিবস ও , দীর্ঘ রজনি
দীর্ঘ বরস ও মাস।
আর তারপর ছাদের উপরে ছাদ
আর চলন্তিকা তুমি জানো এই ছাদ আমার কাছে পরম আশ্রয়।

একটা করে দিন এমনি কাটবে
ঠিক যেন তোমার থেকে কমতে থাকা দূরত্ব।
একটা করে দিন সংকেতে এগিয়ে যাওয়া
চলন্তিকা আরো কাছে।
একটা করে দিন যেমন কাটছে অনেকটা নিশ্বাস নিয়ে ঠিক
প্রতিদিন আর রাতে। 

Wednesday, February 8, 2017

নদীর গল্প

নদীর গল্প
,,,,,,,,,,,, ঋষি
==========================================

এই যে নদী দেখছিস
জানিস চলন্তিকা শুধু বয়ে চলা একটা জীবনের পায়ের ছাপ।
ওই যে কুল কুল শব্দ
এটা তো সময়ের টিকটিক কিছু মুহূর্তের মেহগনি অনুভব।
আর নদীর  পাড়ে  আমি আর তুই
শুধু উপস্থিতি ,শুধু কিছুটা  স্পন্দন।

এই যে নদী
ক্রমশ এগোচ্ছে তার নিজের তালে নিজের শব্দে।
শুধু এগিয়ে যাওয়া ,আরো সামনে
বন্ধুর জমি ,পাহাড় পর্বত ,জলা জঙ্গল পেরিয়ে
শুধু খোঁজ একটা গভীরতা।
আর যখন বৃষ্টি আসে এই যদি ভেসে যায় পরম প্রেমে
দুকূল ভাসিয়ে দিয়ে হাজারো জনবসতিকে দিয়ে  যায় শান্তি।
জানিস তো চলন্তিকা নদী শুধু ভালো রাখতে পারে
কারণ মিষ্টি জল ,মানুষের তৃষ্ণা।
কিন্তু নদীর  শান্তি নেই
সে এক আকুল খোঁজ মোহনার কোনো আদরের।

এই যে নদী দেখছি
জানিস চলন্তিকা এর নাম জীবন ,অক্লান্ত পথ হারানো।
হাজারো শাখা প্রশাখায় নদীর শিহরণ
আরো গভীর নদীর কাছে।
 নদী বাঁচতে ভালোবাসে ,আরো ভালোবাসে একলা বইতে
শুধু অপেক্ষা কোনো একদিন সঙ্গম বাঁচার।

অমৃতের সন্ধানে

অমৃতের সন্ধানে
.............. ঋষি
===========================================
ফিরে আসা একটা বিকেল
কয়েকশো ভোল্টের বাল্বের আলোতে বড় বেশি নিরাভরণ।
আমি অমৃতের কবিতা লিখি
অথচ সমুদ্র মন্থন ভুলে যায় বারংবার।
আমার কবিতায় নীলকণ্ঠ যখন নেশা করে
তখন সভ্যতা হাসে অতচ আমার গলার কাছে আটকে রক্তবমি।

কোন সভ্যতার কথা বলছি আমি
যে সভ্যতা কোনো মা নিজের সন্তানকে বিক্রি করতে বাধ্য হয়।
যে সভ্যতায় কোনো নারী হয়ে যায় শরীর
যে সভ্যতা কোনো শিক্ষিত যুবক ডিপ্রেশনে চলে যায় কোমাতে ,
কিংবা যে সভ্যতা মানুষের অঙ্গপ্রতঙ্গ ব্যবসার অঙ্গে যুক্ত হয়।
এটা সভ্যতা নয় ,এটা ব্যবসা
এটা সভ্যতা নয় ,এটা নগ্নতা।
পেটের খিদে ,সাদা ভাতের গন্ধ ,নপুংসক সময়
এক লাইনে দাঁড়িয়ে
খবরে বিক্রি হয়।

ফিরে আসা একটা বিকেল
কয়েকশো সভ্যতার পথ চলতে ক্রমশ পিছিয়ে যাওয়া।
আমি অমৃতের সন্ধানে থাকি
তাবু বারংবার মানুষের পরিচয় আমাকে অতংকিত করে।
কোন সভ্যতা এটা ,কোন দেশের নাগরিক আমি
যেখানে হুশ আর মান দুটোই পুরোনো বইতে ছাপা।

মীরা বাঈ

মীরা বাঈ
................... ঋষি
======================================

সারা ঘর জুড়ে বইপত্র আর অসংখ্য মিউজিক্যাল জ্যার্নি
সমস্ত অবয়ব জুড়ে সৃষ্টির আনন্দে মাতোয়ারা।
একি স্বপ্ন চলন্তিকা
আয়নায় দেখা নগ্নতা যখন তোমার সেরা সৃষ্টি।
রিসাইকেল বাড়তে থাকা ইচ্ছেগুলো
যখন আমাদের আস্ত পরিচয়।

আমরা মোটেও সামাজিক নয়
তোমার হাতে স্প্যানিশে বাজতে থাকা করুন সুর।
আরো বেশি কাছের মনে হয়
আসলে ভালোবাসা কখনো সামাজিক নয়।
ভীষণ একটা কষ্ট
চিনচিনে একটা মিষ্টিমধুর ব্যাথা চিরকাল আমার ভীষণ প্রিয় ,
যেমন প্রিয় তোমার আখরোট ঠোঁটে  চুষে নেওয়া নোনতা স্বাদ।
তোমার হাতের তুলিতে একটা খয়েরি জাদু আছে
যা তোমার বাড়িতে জ্যান্ত মীরা বাঈ যাতনায়।
তোমার আদরের কবিতায়
কেমন একটা আতঙ্ক চিরকাল তোমাকে হারিয়ে ফেলার।

সারা ঘর জুড়ে ছড়ানো ছেটানো সৃষ্টির দাবানল
আগুন জ্বলছে বুকে চলন্তিকা।
আর্ট গ্যালারিতে আমার নামের ছবিটা আসলে অবিক্রিত ছিল
কিন্তু কিনে নিয়ে গেলো আমাদের স্বজন।
তাই ঘুম ভেঙে গেলো
চমকে উঠে দেখি সৃষ্টি নাকি জাদুকরী কোনো ইচ্ছার পায়ের  শব্দ।

Monday, February 6, 2017

পারি না

পারি না
..... ঋষি
====================================

একটা রাজকীয় বসন্তের আশায়
সকাল সকাল বেরিয়ে পড়লাম নিজের সাথে।
ছেঁড়া চটির গতি নিজস্বতায়
অনেকটা মার্কামারা বিজ্ঞাপন হয়ে গেলো যে চলন্তিকা।
আমি পথ হাঁটি
আর রাস্তায় ভিড় বেড়ে যায় পথ চলার।

কেন এমন লিখছি আমি জানি না
তোমার  সাজানো বাগানে আজকাল পায়চারি করে দাবার বোরেরা।
তোমার ঘোড়া আড়াই চালে এগিয়ে গিয়ে কেন যে হোঁচট খায়
আমি জানি না।
শুধু জানা ছিল তোমাকে কোনোদিন আমি সু বলে দেখেছি
কারণ আমার সময় আজ তোমার জন্য সুসময়।
তোমার রান্নার বাড়ানো ওভেনে প্রতি রবিবার  মাংস রান্না হয়
মাংস আমারও পছন্দ তুমি জানো ,
কিন্তু সেটা শুধু নুন ,লঙ্কা নয় কিছুটা আদরের দরকার হয়।
আমি পারি যেন চলন্তিকা
সময়কে একহাতে নিয়ে অন্য হাতে তোমার রান্নাবাটি খেলতে।
কিন্তু কুটনো কুটতে পারি না
পারি নি নিজেকে আরো তোমার মতন সু করতে।

একটা রাজকীয় বসন্তের আশায়
সকাল সকাল তাই তোমার ঠিকানায় পৌঁছে গেলাম।
জানতাম দরজা খোলা পাবো ,জানতাম দারুন আপ্যায়ন পাবো
কিন্তু ঠিক এমন চাই না।
যে রাস্তায় ভিড়  বেড়ে যায় আমি সেখানকার নাগরিক
হাজারো চাইলে চিৎকার করে তোমায় ডাকতে পারি না।

দমবন্ধ

দমবন্ধ
.......... ঋষি
==========================================
চারিপাশে গলা মাংস রে
কিছুতেই খাড়া হয় না বেঁচে থাকার যন্ত্রনা।
যতই চেষ্টা করি
স্বপ্নের ভিড়ে একটা শহর ঢুকে যায়।
কিন্তু মন
কিছুতেই স্পর্শ পাই না।

রাস্তায়ও সারি দেওয়া ব্যাবিলনের প্রাচীন স্তম্ভগুলো
আলোর যোগফলে পিচ চমকানো চোখ।
কিন্তু মন সারা দেয় না
আড়ালে লোকানো সস্তা বিছানা বালিশে বাসি পচা মরা গন্ধ।
মরতে কি ইচ্ছে করে কেউ চায়
তাই ভালো লাগে না।
একটা গোটা শহর দৌড়োতে দৌড়োতে যখন হাঁপিয়ে গিয়ে ঝগড়া করে
তখন একলা দাঁড়িয়ে দেখি।
খবর পাতায় ,ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় পাওয়া সব অদ্ভুত খবর
একটা ছ মাসের শিশু আমাকে নপুংসক করে।

চারিপাশে গলা মাংস রে
কিছুতেই ঢুকতে চাই না একটা পাহাড় প্রমান অনিচ্ছা।
যতই চেষ্টা করি
বাসি মরা সব মৃতের ভিড়ে প্রাচীন পচা গন্ধ।
দমবন্ধ
কিন্তু মন সে যে আজও  চলন্তিকাকে খোঁজে। 

প্রথম দিনের মতন

প্রথম দিনের মতন
............. ঋষি
==========================================
কিছুটা ধোঁয়া ধোঁয়া আবছা মনে পরে তোমাকে
 বইমেলার শেষ পাতে আলোকে আঁধারি স্বপ্নের মাঝে দেখা হয়ে গেলো।
সেই প্রথমদিনকার মতন
আমি চুপ ছিলাম আজও আছি।
কিন্তু তুমি বদলেছো অনেকটা সেই টোল পরা গাল নিয়ে এগিয়ে এলে
সময় না ,চিনতে পারছো আমাকে।

চিনতে তো পেরেছি অনেক্ষন
শুধু বলে উঠতে পারি নি সেদিনও যেদিন প্রথম তোমাকে চিনেছিলাম।
হয়তো বলেছিলাম অনেককিছু প্র্রথম যেদিন তুমি আমার পাড়ায় এলে
নীল পারে শাড়ি ভাঙা রৌদ্র ভেঙে পথ চলতে তুমি।
গানের ক্লাস,নাচের ক্লাস ,কোচিন
আমি দাঁড়িয়ে থাকতাম সেই সময় সদ্য ভিজতে চাওয়া মাতাল হাওয়া।
সময় এলো ,সময় চলে গেলো
তুমিও গেলে শঙ্খের শব্দে পাড়া মাত করে।
অতিথি পাতে নিমন্ত্রণ ছিল
সেদিনও  বলি নি তোমাকে লাল পারে ভীষণ সুন্দর লাগছে।

কিছুটা ধুলো উড়ছে মনের ভিতর বইমেলায় এই সন্ধ্যেতে
আসে পাশে অজস্র ভিড়।
তুমি জানতে চাইলে কেমন আছি
বেশ আছি জানো ,সময়ের মতন আমিও এগিয়ে চলেছি।
বলতে পারলাম আজও তোমাকে
শুনছো আমি তো চিনেছি তোমাকে প্রথম দিনের মতন। 

Sunday, February 5, 2017

তবু মনে রেখো

তবু মনে রেখো
.......... ঋষি
=============================================
তবু মনে রেখো
ব্যস্ত বিকেলের মানে নিজের কাছে সংশয়।
তোমার তুলির টানে ফুটে ওঠা মুখের অবয়ব আজ সানায়ের উপহার
তুমি ব্যস্ত শিল্পী।
আমি কোনো কবিতার খাঁজে তোমার বুকের বিভাজনে
মুখ লোকানো উষ্ণতা।

এই নিরন্ন সকাল আমাকে মনে রেখো
জানি এর পর  শামুকের গতিতে হলেও বিকেল আসবে।
শেষ শীতের রৌদ্র  তোমার খোলা পিঠ বেয়ে একলা ছাদে
আমার জন্য দৌড়োবে।
জানি ধুলো উড়বে প্রচুর ,প্রচুর বেরসিক নিরম্নটা তোমাকে ভেজাবে
শীতের বিকেলে তুমি চান করা কাকের ছায়ায় আশ্রয় খুঁজবে।
গরম ওম
আমাকে মনে রেখো আমি থাকবো সেদিন।
অজানা সারাদিন তোমাকে জড়িয়ে ভীরু পিপাসার মতো পরম আদরে
তারপর রাত কাটবে।
ক্রমশ আকাশ জুড়ে তোমার মুখমন্ডল আমার প্রিয় চাঁদ
ভিজবো তো সেদিন আমি তুমি
আর আকাশের চাঁদ।

তবু মনে রেখো
সকাল সন্ধ্যে প্রতিদিন আমার কবিতার কলমে চলন্তিকা।
তোমার ব্যস্ততা মাখা দিনান্তরের চোখের কালিতে নিয়মিত আমি
আমার মুঠোফোনটা বেজে উঠলো।
জানি জ্বলজ্বল করবে তোমার নামটা আমার হৃদয়ের স্ক্রিনে
তারপর দিন ফুরোবে আবার একটা দিনে। 

কৈফেয়ৎ

কৈফেয়ৎ
............. ঋষি
=======================================
লুকোনো কিছু কৈফেয়ৎ তোমার কাছে চাওয়া
জানি এই অধিকারে কুলোবে না।
আসলে সমাজটা মানুষের শরীরের মতো শুধু দৃশ্য
আর নিয়ম ভাঙাটা শুধু মনের।
মানুষ নিজেকে লুকিয়ে ,নিজেকে মিথ্যে বলে গুমরে মরে
তবু অভ্যেসে সামাজিক থাকে।

নিয়ম আর রীতির সাথে বোঝাপড়া
লক্ষীর ঘটে শুয়ে থাকা সংসারে পঞ্চব্যঞ্জন আর ভালো থাকা।
বড় বেশি মেকি সাজছে মানুষ
পাতার পর পাতা শুধু মিথ্যে লিখে তৈরী করছে মুখোশের মিছিল।
সেই মিছিলে আমি ,তুমি পণ্য
সম্পর্ক ক্রমশ ক্ষয়ে যাওয়া বিবেকের নাম।
আর মুখোশগুলো দৈনন্দিন প্রতিটা নিজেদের আয়নায়
দাঁত বেড় করছে ,হাসছে তোমার উপর
আর তুমি নিতান্ত নিয়ম এই সময়।

লুকোনো কিছু কৈফেয়ৎ তোমার কাছে চাওয়া
জানি উত্তরের যোগফল নিতান্ত কষ্টের।
আসলে সমাজটা কিছু মুষ্টিমেয় মানুষের অধিকারের মতন
কিন্তু প্রতিটা প্রতিবাদ নিজের কাছে জিতে যাওয়া।
তাইতো প্রতিবাদ শব্দটা মোটেও সামাজিক নয়
নিতান্ত মানবিক ও মানসিক।  

অনেকটা কাছে

অনেকটা কাছে
.............. ঋষি
=====================================================
তোমাকে লুকিয়ে দেখাটা একটা অভ্যেস হয়ে গেছে
চলন্তিকা তোমাকে ভাবাটা আমার বেঁচে থাকা।
পথচলতি উঠে পরা লোকাল বাসে
ইতিউতি শহরের বুকে কদম কদম ব্যস্ততায় সেটা রীতি।
তোমার সাথে বাঁচাতে আমার কবিতা
একটা জীবিত যন্ত্রনা যখন তুমি হয়ে যাও।

একবার না ,দুবার না ,হাজারো লক্ষবার শহরের পথ চলতি আদলে হাজারো তুমি
চলন্তিকা তুমি সকাল হতে পারো।
হতে পারো আমার চায়ের  কাপে প্রথম চুমুকের মতো উজ্বল
কিংবা ধরো তুমি বিকেলের সেই সূর্যের মতো হারিয়ে যাওয়া ।
হারিয়ে তো যাও তুমি বারংবার
কাছে এসে ,আরো কাছে তারপর হঠাৎ অন্ধকার।
এটাই তো রীতি ,এটাই নিয়ম
নিয়ম বদ্ধ সভ্যতার কাছে মানুষ আজ নিজের কাছেই পরিচয়হীন।
নিজের আইডেন্টিটি যদি আঁধারে থাকে
তবে আলো কোনটা আর কোনটাই বা বেঁচে থাকা।

তোমাকে লুকিয়ে দেখাটা আমার অভ্যাসের মতন প্রিয়
তোমাকে ভেবে কবিতার পাতায় প্রতি আঁচড়ে রক্তক্ষরণ সেটাই তো অধিকার।
বাকিটুকু বাকি থাকে
এই পরিচয়ের আঁধারে কিছুটা আলো যদি সকালের হয়।
তবে সূর্য ওঠার প্রতীক্ষা ,সেটা সংশয়
চলন্তিকা এই সভ্যতায় আমারও ভালোবাসার অধিকার আছে।  

ভবা পাগলা (২)

ভবা পাগলা (২)
.................. ঋষি
==========================================
আমরা কারা ?
এই প্রশ্নের উত্তরে হাজারো প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
আমরা নাকি নারায়ণের জীব ,আমরা নাকি ঈশ্বরের সৃষ্টি
আবার বিজ্ঞান প্রাচীন রসায়নে বলে বিবর্তন।
কিন্তু সত্যি কি আমরা ঈশ্বৰ সৃষ্ট না বিবর্তনের জীব
কিংবা শুধু মাত্র জীবিত।

ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে ভবাপাগলা রাস্তার দিকে
অগনতি যাতায়াত বাড়িয়ে চলে বিরক্তি ভবার মনে।
আচ্ছা এরা করা
একদল লোক দৌড়ে গেলো ভরদুপুরে সামনে ভবানীদের বাড়িতে।
সেখানে নাকি খুন হয়েছে ,পিছন পিছন হাসপাতালের গাড়ি
তারপর পুলিশের।
ভবা হাসছে ,অট্টহাসিতে ফেটে পড়ছে বারংবার
তেড়ে এলো পুলিশ লাঠি নিয়ে  ,,, যা পাগলু ভাগ এখন দিয়ে।
আর কত ভাগাবে আমাকে
আমি তো যাবোই জানি ,,কিন্তু তোমরা ?

আমরা কারা ?
এই প্রশ্নের উত্তর আমার তোমার জানা না থাকলেও ,
ভবা জানে।
প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর এই সভ্যতা তৈরী করেছে নিজেদের প্রয়োজনে
সেখানে মানুষ নিজে একটা প্রশ্নের মুখোমুখি এই সময়
কারণ মানুষগুলো যে ভবার মতন হাসতে পারে না। 

সেই মেয়েটা

সেই মেয়েটা
............. ঋষি
==========================================
এই যে শুনছেন ম্যাডাম
আজ বেশ কিছুদিন আপনার দিকে তাকিয়ে।
চশমার ফ্রেমে লেগে থাকা আতঙ্করা জানে আমি আছি
তবু কিছু না বলা থেকে যায়।
একটা গল্প যখন শুরু হতে হতে মাঝরাস্তাতে পথ হারিয়ে মাতাল
অনেকের এমন হয়

আজকাল আর সেই মেয়েটাকে দেখতে পাই না
মিশকালো সেই হরিণী চোখে সেই আনন্দটা উধাও অনেক কাল।
আজকাল আর সেই মেয়েটাকে ভিজতে দেখি নি
কোনো ময়ূরী ছন্দে নেচে ওঠে না একাল আর অকাল।
আজকাল সবটাই নিয়ম বদ্ধ
আকাশ দেখতে গেলে আজকাল জানলার পারমিশান নিতে হয়।
আজকাল বাথরুমের আয়নায় মেয়েটাকে অনুজ্বল লাগে
স্বামী আর সেই এক কামরার সংসার।
কেমন  একটা খবর আজকাল আকাশে বাতাসে
এখন শীতকাল তাই মাটি শুকনো আর বাতাসের ফিসফিস।

এই যে শুনছেন ম্যাডাম
আজ বেশ কিছুদিন আপনাকে মিস করছি।
মিস করছি সেই ফ্ৰক পরা ছোট মেয়েটাকে যাকে আমি চিনি
শুনতে পারছেন।
একটা গল্প যখন শুরু থেকে শেষ অবধি না বলা থেকে যায়
তখন অপেক্ষা বাড়ে হয়তো উপেক্ষা। 

Saturday, February 4, 2017

স্পন্দন

স্পন্দন
............. ঋষি
=============================================
অনেককিছু বলার ছিল জানো
ডাইরির পাতায় ক্রমশ ফ্যাকাসে জীবন আঁকাবাঁকা বন্ধুরতা।
সময়ের ক্যাকটাসে ক্ষতবিক্ষত দৈনন্দিন
এটা কি জীবন ?
আমি তো মৃত্যুর আগে মরতে রাজি নই
তবে জীবন কেন শুধু যাপন আর বেঁচে থাকার নামান্তর।

এই সব প্রশ্ন তোলা থাকে
তোলা থাকে জীবিত কিছু ইচ্ছা ভাঙা শবঘর।
আকাশের তারারা সাক্ষী থাক
কিছু আদিম মুহূর্তের।
ঠিক ততটুকু বেঁচে থাকা দৈন্দিন বেয়ে নামুক নিজেদের চানঘরে
সেই স্নিগ্ধতা মাখা স্পর্শের আদর
এইভাবে ফুরোতে ফুরোতে একদিন
কোনো স্বপ্নের জ্বরের মতন পারদে বাড়তে থাকুক দুর্বলতা
চলন্তিকা তুমি আরো গভীর হও
আরো বেশি রক্তে ,আরো আমার বেঁচে থাকায়

অনেককিছু বলার ছিল জানো
ডাইরির পাতার শব্দগুলো লাইন দেওয়া মালগাড়ি।
তোমার আমার দূরত্বের ইস্পাতের পাতে অসংখ্য প্রলোভন
কিন্তু বাঁচা একসাথে।
আমি তো কখন  মৃত্যুর আগে তোমাকে ছুঁই নি
শুধু প্রতিবার আমার শরীরে আগাম তোমার স্পন্দন। 

আয়ুরেখা

এর পরও অনেক কথা থাকে  গন্তব্য পেরিয়ে ছুটে চলে স্মৃতিপথ ধরে আয়ুরেখা  বিষ বাষ্প ,নিরুপম বেগে অজস্র না বলা , কাদা মাটি ,ধুলোমাটি আঁকড়ে ঠোঁটের স...