Sunday, August 30, 2015

হাজারি আলোড়ন


হাজারি আলোড়ন 
............... ঋষি
====================================================
যত হাজারি আলুথালু নামুক না কেন 
চেতনার চোখে। 
দাহ্য ,ক্লান্ত ,শরীর ভালো লাগে আমার বেঁচে থাকায়
চোখের দুরবীনে রাখা হৃদয়ের ব্যাথা যতই বারুক না কেন। 
আমার ভালো লাগে তোকে ভাবতে 
আমার সাথে একলা থাকায়।

প্রশ্ন এটা নয় 
তোর ব্লাউজের ফাঁকে উঁকি মারা অর্ধেক  চাঁদগুলো। 
আমি আকাশে দেখি কিনা 
প্রশ্ন এটা আমার জীবিত উপেক্ষার শবদেহে একলা সফরে 
তোকে জড়িয়ে বাঁচি কিনা ।
রোজকার পথচলতি একলা দরজায় দাঁড়ানো তোর মুখ 
ক্রমশ মলিন হয়ে যাওয়া শেওলা বিকেলের আলোয় 
কিছু মুহূর্ত। 
ঘড়ির কাঁটায় ,এই  বেঁচে থাকে মুহু মুহু রব 
কামানে গোলা ঝড়ের মতন ছুটে আসে বুকে। 
এ ফোঁড় ,ও ফোঁড় 
দূরত্ব ছেঁড়া স্বপ্নে। 

যত হাজারি আলুথালু নামুক না কেন 
চেতনার চোখে। 
তোর স্বপ্নের শরীরে একটা আবছা আস্তরণ ভালো লাগে আমার 
চোখের দূরবীনের এক্সরেবিমে ধরা পরা গভীরতাগুলো।
আমার হৃদয়ের গভীরে খুব কাছে 
আমার একলা ঘর তোর হৃদয়। 

কোথাও তুমি

কোথাও তুমি
............... ঋষি
============================================
তীব্র কথোপকথন নাই বা হোক
যতটুকু সবটাই সম্বল থাক আগামী বোঝাপড়ার।
ঝড়ের কাছে ঘাড় মোটকে পরা নারকেল গাছটার খবর
কেউ না রাখুক
আমি জানি তুমি রাখবে আমার খবর।

শহর পেড়িয়ে বন্দরে
যেখানে প্রতিদিন হাজারো বোঝাপড়া ব্যবসার নামে।
সেখানে জাহাজে একটা মাস্তুল বড় দরকারী
হাওয়া লাগাবার ,ভেসে যাবার।
ঠিক সেই ভিক্টোরিয়ার এক্কা গাড়ি
যার উপর থেকে  একটা পৃথিবী বড় বেশি জীবন্ত।
যেখানে বসে বড় বেশি ইলেকট্রফায়িং এই শহরের চঞ্চলতা
তোমার দুচোখের মতন।
সামনের সিটে হেলান দিয়ে এই পৃথিবীর শোভনতায়
কোথাও আমি
ভীষণ সচল তোমার দু চোখে।

তীব্র কথোপকথন নাই বা হোক
যতটুকু আশা এই বেঁচে থাকা সবটাই আগামী কালের।
প্রকৃতির ধিক্কারে সবুজ ছাড়িয়ে যতই লাল হোক সময়
পাশে কেউ না থাকুক
আমি জানি তুমি থাকবে আগের মতন।  

Friday, August 28, 2015

চাঁদের মতন

চাঁদের মতন
.............  ঋষি
============================================
সেই তো একলা আছি
আদিম বয়সের যাযাবর বৃত্তি অবলম্বনে।
অনিয়মিত  পরিক্রমণ তোমাকে ঘিরে
সূর্যের দেশে।
আলোর মতন কিছু আমাকে ঘিরে
তবুও তো একা আমি।

জীবন যেখানে শেষ হয়ে যাওয়া উপন্যাসের শেষ পাতা
অসংখ্য চরিত্রের অবগুন্ঠনে স্মৃতির চুলকানি।
সেখানে তুমি একাই  থাকো
আমার মতন।
একের পর আগামী ২৪ ঘন্টার আবর্তনের মতন গোলকের গায়ে
কোনো মানচিত্রে আমি আটকে থাকি যেমন।
তুমিও তেমন আঁকড়ে রাখো সময়
পাতায় পাতায়
জীবন উপন্যাসের।

সেই তো একাই আছি
আদিম সময়ের যাযাবর বৃত্তি অবলম্বনে।
কোনো গুহার ভিতর ,নিজের মনের ভিতর আকাশ পাড়ি
জীবন  আড়ি।
সূর্যের আলোয় চাঁদের জ্যোত্স্না যতই চাঁদের হোক
চাঁদ সেতো  অন্ধকার। 

আমার তুমি


আমার তুমি 
................ ঋষি 
=========================================

মাঝে মাঝে মিস করি 
মিস করি সময়ের  কৃপনতাকে  নির্ভিক হিংস্রতায়। 
মিস করি জীবনে মুহুর্তদের হার্দ্যিক উষ্ণতায় 
আর মিস  করি তোমায় 
মৃদুমন্দ বাতাসের স্পর্শে প্রেমের গন্ধ। 

আজ থেকে নয় 
বহুদিন হলো আমার আকাশের মেঘে একটা বাড়ি আছে। 
আমি ঘুমের ঘোরে  বাস করি সেখানে 
তোমার সাথে। 
চুপিচুপি মুহুর্তদের বাসগুলো তোলা আছে সেখানে 
চুপিচুপি  কানে কানে কেউ আমাকে বলে 
কাছে এসো  ,আরো কাছে। 
যেখান  থেকে জীবনের দূরত্ব বোঝা না যায়
যেখান থেকে সভ্যতার শব্দ শোনা না যায়। 
যেখানে  আমি  মিশে থাকি তোমার সাথে 
পরম প্রেমে মুহুর্তদের সাথে। 

মাঝে মাঝে মিস করি 
মিস করি সময়ের মিসাইলে রাখা সেই  ধ্বংসটাকে।
মিস  করি সময়ের দুর্বলতায়  রাখা সেই সৃষ্টিটাকে 
আর মিস করি তোমাকে 
পরম প্রেমে ঘুমের অধীনে আমার তুমি। .

KOBITAR SATHE 6


ডোরাকাটা চিতাবাঘ

ডোরাকাটা চিতাবাঘ
.............. ঋষি
=========================================
মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে একটা চিতাবাঘ
আর ডোরাকাটা রঙের এক বিশাল জঙ্গল বুকের ভিতর।
প্রাচীন সেই মাত্সান্যের যুগ
পর্ণমোচী বৃক্ষের মতন নোনতা চোখের দরজায়
সারা শরীর জুড়ে ক্ষয়ে চলা বিষন্নতা।

কেউ হাসছে দাঁতে দাঁত রেখে
কেউ কাঁদছে নিজস্ব সেল্ফির দিকে তাকিয়ে।
সমস্ত হৃদয় জুড়ে তোলপাড়  করা ঘূর্ণিঝড়
সকলকে ছুঁয়ে যাচ্ছে।
আঁচড়ানো সময়ের ম্যগাজিনে ক্রমশ বিলুপ্ত সময়ের আলো
সভ্যতা এখানে অন্ধকার।
জঙ্গলের নিয়ম মেনে চলাই ভালো
সকলের নখে  লেগে আছে রক্তের দাগ।
সময়ের কানে ফিসফিস
ইঁদুর দৌড়।
সবাই সবার আগে
আদিম সভ্যতার দাবানল এই নাগরিকত্বে হিংস্র জঙ্গল।

মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে একটা চিতাবাঘ
আর ডোরাকাটা রঙের এক বিশাল জঙ্গল বুকের ভিতর।
আদিম সেই পোড়া মাংস লেগে সকলের দাঁতে
বাঁচতে হলে মারতে হবে জীবন
অস্বাবাভিক অন্ধকার এই ডুবতে থাকা দ্বীপে। 

এক মুঠো খিদে


এক মুঠো খিদে
............. ঋষি
===========================================
ধুমকেতু এসে পরে  বুকে 
,,,,,যন্ত্রণা নিয়ে। 
কাঁদতে থাকা এক মুঠো চাল ,সাদা দুধের মতন ভাত 
,,,,,,এক মুঠো খিদে। 
মানুষের ভিতরে বাইরে বাড়তে থাকা ছাপ
খোলা আকাশের নিচে 
এক পৃথিবী আলোড়ন টুকরো টুকরো ছবি। 

সামনের আয়নায় ধরা যায় যাকে 
বিলাস মুখর জীবনযাপন ,, সবাই বাঁচতে চাই সুখের পাশে। 
রাস্তার কুকুরের পাশে শুয়ে থাকে খিদে 
কুকুরের বাচ্চা। 
নিস্তব্ধ অন্ধকারে নারী যোনির ভিতর উঁকি মারে খিদে 
তরল প্রেম ,কোনো রং ছাড়া। 
ভিজে যাওয়া সময়ের স্যানটোরি ন্যাপকিন 
ছোটো ছোটো দাগ ,কেমন একটা গা বমি নালার পাশে শুয়ে। 
আমার মতন কেউ ,তোমার কাছে 
ধুপকাঠি বিক্রি করতে আসে। 


ধুমকেতু এসে পরে  বুকে 
,,,,,যন্ত্রণা জেগে। 
কাঁদতে থাকে সময়ের মাঠে শুকিয়ে যাওয়া ফসলের দরবার 
,,,,,মাথার ভিতর  শূন্যস্থান।
বোবা জানোয়ারের মতন চোখের ধার ঘেসে শুকনো নদী 
কালো মাটি লেপে সারা শরীরে 
এক  পৃথিবী খিদে টুকরো টুকরো মন্তাজ সময়ের গায়ে। 
  

ঈশ্বর মঞ্চে উপস্থিত


ঈশ্বর মঞ্চে উপস্থিত 
.............. ঋষি
=====================================================
তিন নম্বর চোখের আলো
মঞ্চে এসে পরে। 
ঈশ্বর তুমি চেয়ে থাকো মানুষের পাপ বোধের দিকে 
মঞ্চ থেকে উড়িয়ে নামে দৃষ্টি। 
কয়েকশো গজ পায়ে চলা পথ 
মাটির পৃথিবী থেকে তুমি তুলে নিও একলা রাত 
ভাবনাচিন্তা। 

অনেক হৃদয়ের যোগাযোগ
সোনালী রুপোলি অন্ধকার এইসব চেপে ধরলেই 
বেড়ে যাই রক্তচাপ।
ঈশ্বর তোমার মুখ বিসর্জনের ঢাকের মতন ম্রিয়মান
ভীষণ  অসুখী তুমি ভিতরে ভিতরে। 
তোমার ভাবনায় এক নাগাড়ে বাজতে থাকে মন্দিরের ঘন্টা। 
কিংবা মসজিদের আজান হয়তোবা মোমবাতি ,বাসি চাদর ,রক্তবলি কতকিছু। 
দোনলা বন্দুক তাক করা তোমার দিকে
পাপ ও পূর্ণ,
বিসর্জন কিংবা আবাহন 
ইশ্বর তুমি উপস্থিত রঙ্গমঞ্চে দর্শকের মতন। 

তিন নম্বর চোখের আলো
মঞ্চে এসে পরে। 
আসতে আসতে উঠতে থাকা পর্দায় মানুষের লজ্জা 
আর মানুষ দাঁড়িয়ে নগ্ন ভিখারীর মতন তোমার কাছে। 
তুমি সব জানো ,বোঝো ,তোমার চেতনায় শুধু দৃষ্টি ভালো ,মন্দে বাঁধা 
কষ্ট পাও তুমি, প্রত্যেকের বিচার হবে নিজ কক্ষে ,
সূর্যগ্রহনের মতন। 

Thursday, August 27, 2015

সামনে পৃথিবী

সামনে পৃথিবী 
.................... ঋষি
=========================================
নিতান্ত এক ঘোড়দৌড়ের রাতে 
সামনের পৃথিবী দিয়ে একলা চলেছিস তুই। 
নিরিবিলি দুপুরবেলা থেকে 
ঘুম ভেঙ্গে তাকিয়ে দেখি তুই 
দৌড় তোর ঘোড়ার থেকে জোরে। 


সারা সময়ে বৃষ্টির ইশারায় আকাশ থেকে নেমে এসেছে মন্তাজ 
একের পর এক জলছুট  বৃষ্টি ফোঁটা।
বেশ কয়েকশোবার
অবাক পৃথিবী অবাক করলি তুই। 
রাস্তার মোড়ে একলা দাঁড়িয়ে আমি 
বৃষ্টি ভেজা ভোর,বৃষ্টি মোড়া  রাত ,বৃষ্টি ভেজা সময়। 
বৃষ্টির সুর 
কানপেতে আছি চুপি চুপি ,,,
আমি ,,আমি  ,,, আমি। 

নিতান্ত এক ঘোড়দৌড়ের রাতে 
সামনে পৃথিবী দিয়ে একলা চলেছিস তুই। 
নিরিবিলি নিশ্চিন্ত সময় থেকে 
ঘুম থেকে উঠে দেখি তুই 
দৌড় তোর ঘোড়ার থেকে জোরে। 


চুপ থাকুক সময়

চুপ থাকুক সময়
................. ঋষি
==============================================
লাল পোশাকে একটা দেহ খুড়ছে সময়
পরে থাকা মৃতদেহ
নগ্ন।
....... একটু রৌদ্র
আর কিছুক্ষণ তারপর সবশেষ
পৃথিবীর   ভলক্যানোগুলো আছড়ে পড়বে হৃদয়ে।

নিরুত্তর থাকাটা
,,,,,,,একটু বাঁচা মৃতের দেহে।
সময়ের গন্ধ
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,অল্প বিস্তর ধুপ ছড়ানো সর্বত্র।
তোমার ব্যালকনিতে শুকোতে দেওয়া তোয়ালেতে লেগে
দামী পারফিউমের বোগাস গন্ধ।
তোমার নাভির ভিতর ,তোমার ক্লিভলেসে একটা পৃথিবী দেখেছি
চুপ থাকুক সময়।
,,,,,,একলা থাকা তোমার হাতে আমার আরাম
তোমার মতন আমি ও ক্লান্ত,
,,,,,,সাজানো মৃতদেহ কোনো গন্ধ ছাড়া
একটা স্পন্দিত নিঃশ্বাস স্পর্শ।

লাল পোশাকে একটা দেহ খুড়ছে সময়
তোমার বুকের ঢাল বেয়ে আমার বুড়ো আঙ্গুলে চাপ
নগ্ন।
,,,,,,,,,,, পড়ন্ত রৌদ্র
তোমার দুচোখে জমে থাকা বাষ্পের সফর শেষে
আমিও আছড়ে পড়ছি তোমার বুকে চাপা কান্নায়।

শুকনো পাতা

শুকনো পাতা
................... ঋষি
=============================================
একটা সবুজ পাতার হাসিকে নিজের করেছিলাম
অবাক হয়ে দেখেছিলাম গাছের প্রতি  ফাঁকে জমা হওয়া অভিমানগুলো।
আমি কখনো আদর করিনি তাকে
শুধু যখন একলা বারান্দায় কোনো কবিতার মতন।
সে আসে
অদ্ভূত সুন্দর একটা গন্ধ আসে নাকে।

আমি কখনো ছুঁয়ে দেখিনি তাকে
আমার কলম ছুঁয়ে  অবিরত চুম্বন সবুজ ক্লোরফর্মিয় রিয়াকসানে।
বুকের রান্নাঘরে তাপ চুল্লি জুড়ে একটা ওম
 অদ্ভূত ঘামের গন্ধ ,তার তাপে পোড়া লালচে আভা।
রান্না হচ্ছে ,পুড়ছি আমি
আজ থেকে সহস্র যুগ ধরে সেই স্নেহময়ী নারী।
বুকের সিঁড়ি বেয়ে টপ ফ্লোরে
সোজা রাস্তার রেলিঙে দাঁড়িয়ে আমি।
আমি দেখি ,,,,
শুধু দেখতে থাকি তাকে।

একটা সবুজ পাতার হাসিকে নিজের করেছি
সকালে ঘুম থেকে উঠে আবার ঘুমিয়েছি অদ্ভূত মোহে।
কিন্তু কখনো কাছে ডাকিনি তাকে
নিজের অভিমানগুলো গ্রীষ্মের রৌদ্রে ছায়ায় দেখেছি।
নিজের তৃষ্ণাগুলো বুকের ভিতর শুকিয়ে রেখেছি
শুকনো পাতার মতন।

Wednesday, August 26, 2015

একটা মৃত স্পর্শ

একটা মৃত স্পর্শ
.............. ঋষি
==============================================

তোমার অবয়বটা পরিষ্কার না আমার কাছে
মাঝখানে দুশো ছটা হাড় মানুষের
উপরে মাংসর জঞ্জালে আবদ্ধ ধুপধুপ নিঝুম দুপুরবেলা।

দুপুরের রৌদ্রে আগুনের স্পর্শ
আগুন তোমার  খুব প্রিয় ,অথচ ভয় লাগে আমার যদি পুড়ে যাও।
অবশ্য মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে তোমাকে দু ব্যাগ আগুন গিফট করি
আবার কষ্ট হয়  পোড়া দাগ ,যন্ত্রণার।
মাঝে মাঝে মনে হয় তুমি কবেকার দুরে
কোনো সম্পর্ক নেই জীবিতের সাথে।
ছোঁয়া যায় না ,ধরা যায় না ,কেমন একটা বাসি গন্ধ
মনে হয় শব ঘরের পাশে বসে আছি।
খুব ঠান্ডা লাগে
এক গ্লাস নরম বিয়ারে ঠোঁট রেখে দেখি
দুটো ঠান্ডা মানুষ একসাথে বসে আছে।

তোমার অবয়বটা আমার কাছে পরিষ্কার না
মানুষের একটা স্পর্শ থাকে ,মানুষের গন্ধ থাকে
কিন্তু আমি পোড়া ছাই আর তুমি অদ্ভূত একটা মৃত স্পর্শ।

পাশাপাশি


পাশাপাশি 
............ ঋষি 
======================================================
আমার  চামড়া  খুলে পরছে 
সময় গিয়ে দাঁড়িয়ে আজ থেকে কয়েক শতক পর। 
যেখানে আমি নেই ,যেখানে তুমি নেই ,অথচ আমরা দাঁড়িয়ে পাশাপাশি 
হাতেহাত ,চেনা নিঃশ্বাস ,বিশ্বাস নাই বা থাক ক্ষতি কি 
আমি আর তুমি তো আছি। 

এমন করে ইচ্ছাগুলো ঝরতে থাকুক যন্ত্রনায় 
এমন করে দূরত্বগুলো হেঁটে যাক খালি  পায়ে। 
গুঁড়ো গুঁড়ো  কাঁচ 
চেনা ইতিহাস। 
পায়ের তলায় রক্তের ছোপ 
নিজের কাছে হৃদয়ের ক্ষোভ। 
জীবন এমন তো  হতো ,জীবন তেমন তো হতো 
অথচ  জানি না। 
জীবন কেমনতর হতো 
আজ কিংবা আজ থেকে কয়েক শতক পর। 

আমার চমড়াগুলো পুড়ে  যাচ্ছে 
সারা শরীর জুড়ে কালো কালো ছোপ  হৃদয়ের গায়ে। 
যেখানে আমি নেই ,সেখানে আমি নেই অথচ আমরা দাঁড়িয়ে পাশাপাশি 
হাতেহাত ,চেনা বিশ্বাস ,নিঃশ্বাস সেখানে  নাই বা থাক 
আমরা তো আছি ,পাশাপাশি। 

দরজা খুলছি

দরজা খুলছি
............... ঋষি
=============================================

বাইরে দরজায় কড়া  নাড়লো কেউ
অস্পৃশ্য রৌদ্রের মতন অন্ধকারে দাঁড়িয়ে কেউ।
আমি শুনছি শব্দগুলো
নিজেকে পেতে দিলাম দরজার কাছে।
জীবন পেতে দিলাম হৃদয়ের কাছে
দরজা খুলছি চুপ।

কেউ কেউ অবিরত অপেক্ষায় থাকে এক রাত পূর্নিমার
কেউ বা অমাবস্যা হয়ে বসে থাকে।
কিন্তু অপেক্ষা
সেতো  একটা আকাশ ,একটা খোলা আকাশে।
বেঁচে থাকার নীলে  আলোকময় একটা দিন
কোনো টর্চ দরকার নেই।
দরকার নেই কোনো লন্ঠনের  অনাবশ্যক আলোর
একটা পদশব্দের অপেক্ষায় কান পেতে আছি।
দরজা কড়া নাড়ছে কেউ
দরজা খুলছি চুপ।

বাইরে দরজায় কড়া  নাড়লো কেউ
অস্পৃশ্য অভিজ্য়তার মতন অচেনা কেউ দরজায়।
আমি শুনছি একটা আকাশ
নিজেকে খুলে রাখলাম অপেক্ষার দরজায়।
জীবন মেপে রাখলাম আগামীর  সকালে
দরজা খুলছি চুপ।

  

সানগ্লাস চোখে

সানগ্লাস চোখে
.............. ঋষি
===============================================

নিজেকে ইতিহাস ভেবেছো
 কুতুব মিনার ,তাজমহল এসব  তো ভারতবর্ষ হলো।
ব্যাবিলনের মিনার ,সিটি অফ লিবার্টি ,নীলনদ ,পিরামিড
কি ভেবেছো  নিজেকে।
জানলার দিকে তাকাবে ,বাইরে তখন নোনতা হাওয়া  বৃষ্টি দিন
সানগ্লাস চোখে নিজেকে ঢাকবে
ইতিহাস হবে ,অমর ইতিহাস ,অমর সৃষ্টি।

আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি
তুমিও তাকাও এই আকাশের দিকে  আরো  গভীরে।
আমিও জানলার বাইরে শহর দেখি পরম মমতায়
তুমিও সেই শহরে শুয়ে থাকো  ইট  ,কাঠ ,পাথরে।
ঘুম ভেঙ্গে যায় ,চোখে  ঘুম আসে না
সারা শহর জুড়ে চারিপাশে গাড়ির শব্দ ,কালো ধোঁয়া।
সার দেওয়া ইতিহাসে শহরের দর্পনে
আমি আকাশ খুঁজে পাই না।
সেই আকাশটাকে
যেটা হয়তোবা  কোনদিন  আমাদের ছিল।

নিজেকে কি ভেবেছো  তুমি
সারি দেওয়া পৃথবীর  হাজার শব্দের মিছিলে তুমি মৃত।
তোমার শব  বয়ে নিয়ে যাবে কোনো কিংবদন্তি যন্ত্রণা
আর আমি দেখবো ,আমি হাসবো ,আমি বাঁচবো।
শোনো  এই পৃথিবীতে প্রত্যেকে বেঁচে থাকে
যেমন বেঁচে থাকে সময় মরে যাওয়ার পরে।
অথচ সানগ্লাস চোখে দিয়ে আজ অবধি
আমি কাউকে মরতে দেখি নি। 

না মেলা সমীকরণ

না মেলা সমীকরণ
............. ঋষি
===================================================
এক পা এগুচ্ছি ,দু পা পিছোচ্ছি
জুতোর মেজেনাইন  ফ্লোরে লেগে কিংবদন্তি ইতিহাস।
সামনে  যারা  আছে তারা আমার নয়
পিছনে যারা আছে তারাও না।
যতটুকু ,সবটুকু  সম্বল একটু স্পেস ,,,,  বেঁচে  থাকা
দাঁড়ি ,কমা সমেত না মেলা সমীকরণ।

ছোটবেলায় কাগজের নৌকায় অরিগামি
ভালো লাগত কাগজের এরোপ্লেন যখন আকাশ ছুঁত,
আমি তো আকাশ ছুঁতে চেয়েছিলাম।
বুকের ওপারে আকাশে  ছোটবেলার  সেই বুড়িটা চাঁদের ভিতর
চরকার শব্দে ঘুম ভেঙ্গে  যেত।
সামনে খোলা মাঠের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আমি স্বপ্ন দেখতাম চাঁদের বুড়িটা
মাটিতে ,আমার সামনে।
ঠিক যেন সেই বিদেশি সেন্টা সাদা শাড়িতে
আমার দিকে বাড়িয়ে দিত আলো
ঘুম ভেঙ্গে দেখতাম অন্ধকার।

এক পা এগুচ্ছি ,দু পা পিছোচ্ছি
সম্বল বুকের আলমারিতে খুব গোপনে সাজানো যন্ত্রণা।
সামনে যারা তারা মুচকি হেসে আমার দিকে তাকিয়ে
পিছনে  যারা তারা আমাকে ভীষণ  ভালোবেসে তাড়া  করে।
যতটুকু ,সবটুকু সম্বল এক নিঃশ্বাস আর
বুকের করিডরে খোলা জানলা ফ্রেশ এয়ার। 

Tuesday, August 25, 2015

আবার ওয়েদিপাউস

আবার ওয়েদিপাউস
.............. ঋষি
=============================================
সকলে সম্রাট হয় না
আসলে সম্রাট যদিও বা হয়,
ওয়েদিপাউস কদাচ নয়।
ডুবজলে যে নিঃশ্বাস বন্ধ করে
প্রশ্বাস’-এর প্রটোগনিস্ট কেউ কেউ হয়
কিন্তু মাদার ফাকার তাকে বলে না।

সমুদ্রগুপ্তের  সময় থেকে সকলে কাপড় সরিয়ে হিস করে
কেউ কেউ আবার শিশুদের মতন অম্বলে ,, কাঁথায় ,
কিন্তু সকলে শিশু হয় না।
কেউ কেউ জন্মকে শরীর করে দেখে ,
প্লিস ক্ষমা করবেন সত্যি বলছি তাই
ইতিহাস দেখুন ,একটু ঘাটুন।
কিন্তু মাদার ফাকার তাকে বলে না
বলে সময়কে ,বলে নিসঙ্গতাকে ,বলে বাড়ন্ত যৌবনকে।
বলে সমাজকে ,বলে দেশকে ,আরো বড় বিশ্বকে
যেখানে জীবন্ত রেপড ইতিহাস বারংবার।
যেখানে বিছানার চাদরে বিংশ শতাব্দী কাঁদে নারীর মতন
সম্রাট হাসেন ,সময় হাসে।
জীবন্ত মাদার ফাকাররা গুন্ডামি করে অলিতে গলিতে
যেখানে বিশ্বের অলিতে গলিতে সত্য বিক্রি কাগুজে নোটে।

সম্রাটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা নতমুখে মানুষ
একটু মুখ খুলুন সম্রাট হিস করছেন ,মানুষ অসহায়,
সময় মুখ  ভেংচাচ্ছে  ফাকারে মতন , মানুষ কাঁদছে।
ডুবজলে যে নিঃশ্বাস বন্ধ করে
প্রশ্বাস’-এর প্রটোগনিস্ট নিচের কাপড় সরালো
সম্রাট দাঁড়িয়ে হা করে  সত্যি মনুষত্ব হিসি করছে।
.
( কবিতার সকল খারাপ আমার ,আর ভালোটুকু সকলের।আমার কাউকে কোনভাবে আঘাত করার কোনো উদ্দেশ্য নেই। )

ঔরঙ্গজেবের সাম্রাজ্য

ঔরঙ্গজেবের সাম্রাজ্য
...................... ঋষি
=============================================
হাত কাঁপতো না ,কিন্তু কাঁপাটাই স্বাবাভিক
জোরালো গলায় কখনো বলতে পারি নি মিথ্যাগুলো।
তাই মিথ্যাগুলো লুকোনো চাপা ছাই
আর আমি।
না শুধু আমি কেন, সকলের চিত্কার
চাই ,,,,চাই ,,,,চাই।

এই চাইয়ের পিছনে লম্বা লাইন দিয়ে দাঁড়ানো বাজারী ফর্দ
কিন্তু যে গুলো  হৃদয়ের।
কিন্তু যে গুলো সম্পর্ক্যজাত,যেগুলো রক্তের
রক্তের মধ্যে জীবানু ,অদ্ভূত নিস্পৃহ রোগ।
যাদের জাত ,ধর্ম ,চরিত্রগলো অনন্ত অমিল একে অপরের সাথে
সেই চাইগুলোর দোলনাই দুলছে সময়
একবার হ্যা ,একবার না।

গোলাপের পাঁপড়ি ছাড়াই অবান্তর ভাবে ইয়েস তারপর নো
নিজের বুকে ছুড়ি চালাই অবাস্তব একবার এপাড় কখনো ওপাড়।
ঔরঙ্গজেব ভাবি নিজেকে
ইতিহাসে ঢুকে পড়ি সহজে , হয়ে যাই স্বার্থপর নেমকহারাম সম্রাট।
আসলে সময় বলছে আমাকে
শুধু আমাকে নয় তোমাদের সকলকে
সকলে বড় স্বার্থপর হয়ে গেছি।

হাত কাঁপতো না ,কিন্তু কাঁপাটাই স্বাবাভিক
আক্রান্ত এই কারণে সকলে পরাক্রমে সান দিয়ে যাই।
বুকের কষ্টগুলো তলোয়ারের মতন হাওয়ায় সাইসাই ঘোড়ে
আছন্ন ঘোরে রক্তের দাগ তলোয়ারের গায়ে।
ঔরঙ্গজেব মুঘলের শেষ সম্রাট কোথাও আমরা সকলে
অপেক্ষায় নিজস্ব সাম্রাজ্য পতনের। 

Friday, August 21, 2015

ট্রেন লাইন


ট্রেন লাইন 
.............. ঋষি 
==============================================

কোনো ট্রেনের লাইনে যদি স্তব্ধতা নামে 
তুমি হেঁটে আসো  আমার দিকে। 
সম্পূর্ণ স্টেশন ,তারপর সম্পূর্ণতা 
যদি ফিস ফিস আমায় করে, আমায় দেখে।
বোলো  না জানি ঈশ্বর  ইন্দ্রিয় ,,তোমাদের ষষ্ঠ  ইন্দ্রিয় 
সব জানে সব বোঝে একটু হেসে। 

এই তো সবে ফেলে আসা সময়ের 
বেঁধে রাখা কালক্রম। 
ভূত পঞ্জিকায়  লেখা নিয়মিত ব্যতিক্রম 
স্বর ধাতু ,ফাল্গুনী রাশি  ,মৃত্যু কাল্পনিক 
অনন্ত হাসি। 
একলা থেকো  না ,সময় রেখো না হৃদয় 
কেটে যাওয়া যুগ  ,না বলা কথা ,জমানো যন্ত্রণা। 
জানি জীবন শান্ত না 
কাটছে সময় যেমন করে 
রোজ 
অবিরত 
ক্রমাগত।

কোনো ট্রেন  লাইনে ধরে একাকী স্তব্ধতা 
হুইসেল বাজছে  ,টেন আসছে একের পর এক। 
সম্পূর্ণ  স্টেশন  ক্রমাগত বদলানো সিগনাল 
লাল  আবার সবুজ। 
বোলো না জানি ঈশ্বর ইন্দ্রিয় ,,তোমার  ষষ্ঠ  ইন্দ্রিয়
সব জানে সব বোঝে একটু হেসে। 

Thursday, August 20, 2015

অপরিচিত তুমি

অপরিচিত তুমি
............. ঋষি
==============================================
ভুলে যাওয়া কথাগুলো আসলে ভুলতে চাওয়া
চুপ তো ছিলাম দুজনেই একলা রাত্রির  মতন।
নিস্তব্ধ অন্ধকারের ছায়ার মতন
নিজস্ব যন্ত্রণার কবিতার মতন।
ফাঁক ছিল না ,ছিল না ফোকর
যতটুকু ছিল সবটুকু স্পর্শ।

মেঘলা দিনের কথা থাক ,
কথা থাক ভিজে যাওয়া মাটির গন্ধের।
বৃষ্টির ভিজে কথা থাক ,কথা থাক এক কাপ কফির
শুধু যন্ত্রনাগুলো জড়ো করা থাক অবাঞ্চিত এস এম এসের মতন।

আর মিসকল জমা হোক হাতের ভ্যাপসা ফোনে
হাঁপাক জীবন যেমন যন্ত্রণা কামড়ায়।
বারংবার ,প্রতিবার
একলা জীবন যেমন একলা কেটে যায়।
ঠিক তেমন ফোন আসুক ,আবার কেটে যাক
যেমন অপরিচিত তুমি।

ভুলে যাওয়ার কথাগুলো আসলে ভুলতে চাওয়া
চুপ করে শোনা অদ্ভূত নিস্তব্ধ কল্পনা।
কল্পনার পাতায় শুয়ে থাকুক মৃতদেহ
যেমন শুয়ে নিজস্বি একলা তোমার ফোনে।
ফাঁকফোকরে  বিষন্নতা জমুক
একলা তোমার হেডফোনে।

তারপর ফুলস্টপ

তারপর ফুলস্টপ 
................. ঋষি
==========================================

তোর কথাগুলো কোথাও ফুলস্টপ পরে 
তারপর আর তারপর। 
সদ্য পার ভাঙ্গা শাড়ির মতন একটা বেয়ারা চাকচিক্য আছে 
অথচ তুই নেই। 
তুই সেই বেয়ারা শাড়িটা পরে 
আর তোর আঁচলে বাঁধা অদৃশ্য কষ্টরা।

একা থাকবি ভেবে একটা অচেনা দেশের নিরুদ্রপ নাগরিক তুই 
তোর দেশে বরফ পরে ,বরফ গলে জল.
অথচ নোনতা ভাব তোর দুগাল বেয়ে 
আমার কষ্ট লাগে। 
কষ্টরা সব স্বাধীন আকাশের পাখি 
কেউ কেউ দেশে ,কেউ বা বিদেশে পাশাপাশি 
তবু পাশাপাশি,পাকাপাকি। 

তোর কথাগুলো কোথাও ফুলস্টপ পরে 
তারপর আর তারপর। 
সদ্য কলমের নিবে লেগে থাকা অভিমান আমার তোর কাছে 
আলেয়ার মতন কিছু। 
হয়তোবা সময়ের মতন কিছু 
জড়িয়ে ধরে সদ্য পাড় ভাঙ্গা শাড়ি তোর গায়ে। 


KOBITAR SATHE 4


মৃত্যুর শব্দ

মৃত্যুর শব্দ
............... ঋষি
====================================================
মেনে নিয়েছি মৃত্যুর আগে পর্যন্ত  না মরে যাওয়াকে
মৃত্যুর পর কিছু থাকে কিনা জানি না।
বিছানার সম্পর্কগুচ্ছদের  বাইরে কিছু সম্পর্ক  থাকে
যেগুলো মরে গিয়ে বেঁচে থাকে।
যেমন আমি আছি আপন হিয়ায়
নিজের রক্তের বাসি গন্ধে।

কেন জানি ভিজে মাটির গন্ধে সদ্য ঋতুবতী নারীকে মনে লাগে বয়ঃসন্ধিতে
ভীষণ টেলিপ্যাথিতে অবৈধ সঙ্গন সংক্রমণিত হয়।
কিছু মিথ্যা শীত্কার আর কিছুক্ষণের মিথ্যাগুলো সত্যির জাদুকাঠিতে
মৃত্যু হয়ে দাঁড়ায়,
তখন ঠিক তখন একলা থাকতে ভয় হয় ।

ভিজে রাস্তা দিয়ে সাইকেল গড়াতে থাকে
আর  হাতের ক্রিং ক্রিং এ   দুরত্বরা  সরতে থাকে ।
উষ্ণ স্পর্শের তোলপাড় কখন যেন শীতল হয়ে যায়
মৃত্যুর শরীরের  মতন ঠান্ডা কিছু নেমে আসে
সব শেষ।

মেনে নিয়েছি মৃত্যুর আগে পর্যন্ত  না মরে যাওয়াকে
মৃত্যুর পর কিছু থাকে কিনা জানি না।
প্রতিটা সম্পর্কের মাঝে আজ কিছু সুঁচ গাঁথা থাকে
যেগুলো সেলাই করে সম্পর্কগুলো ঘড়ির কাঁটায়।
ঘড়ির কাঁটা সরতে থাকে,,,,,,,, টিক টিক ,টিক টিক
যেমন মৃত্যুর পায়ের শব্দ। 

তবু ফিরবে

তবু ফিরবে
................. ঋষি
=================================================

চুরি যাওয়া রাস্তায়
মধ্যরাতের মুখ লুকোনো ভয় চাপাকান্না।
মেয়েটা এখনো ফিরলো  না
দেরী সবাই করে।
কেউ ফিরে আসতে দেরী করে
কেউ ফেরে না ,
কিন্তু মেয়েটা ফিরবে।


মেয়েটা  এখনো ফেরে নি
হাতের তালুতে জমা ইকির মিকির দাগগুলো কপালের দাগ।
সবাই বলে
কিন্তু আমি মানি না।
কারণ মেয়েটাকে আমি ভালোবেসেছি
মেয়েটা জানে  ,যেমন আমি জানি।
সাবানের সাদা ফেনা আর মেয়েটা কিভাবে মুছে দেই আমার জমানো ময়লাগুলো
বুকের ভিতর থেকে সাদা  স্বপ্নরা  পেঁজা  তুলোর মতন ভাসতে থাকে বাতাসে।
আশা আছে বেঁচে থাকা
মেয়েটা ফিরবে ঠিক একই অলিগলি ঘুরে একই জায়গার।
আমার গভীরে  ,আমার মনে
আমার ভিতর।

চুরি যাওয়া রাস্তায় অলিগলি ঘুরে
একটা চারদেওয়ালের  ঘর ,লুকোনো জানলার বাইরে একটা পৃথিবী।
একটা নরম আদুরে  আলো  ,শুনছি পদশব্দ ,নুপুরের শব্দ
মেয়েটার দেরী হয়ে গেছে ,তবু ফিরবে।
কেউ ফিরে আসতে দেরী করে
কেউ ফেরে না ,
কিন্তু মেয়েটা ফিরবে। 

Wednesday, August 19, 2015

একসাথে

একসাথে
............... ঋষি
=====================================
আজ সকালে দশপায়ে আমি তোর খেয়ালে
চলন্তিকা মিসড কল ঘুমের ঘোরে।
চুপচাপ ,,ফিসফিস হলুদ ট্যাক্সিতে চড়ে
বারংবার।
ঠোঁটের কোনায় তিল
মিঠি হাসি ,ফাটাফাটি চলন্তিকা চলনে।

লাল সালোয়ার
শুকনো রঙের ওড়নায় মোড়া ভিজে  ঠোঁট।
নির্দিষ্ট কলিং
সোজা ফাঁকা রাস্তা ধরে ঘুমের ঘোরে।
স্টপেজের পর স্টপেজ
বুকের উপর বাড়তে থাকা ভার তোমার আমার।
গড়িয়ে নামা হাত
চেনা বিশ্বাস ,ছুঁয়ে যায় নির্বাক ,একদম।
ফিসফিস বাসি ঘুম
ঘুম ভেঙ্গে যায়।

আজ সকালে দশপায়ে নিশ্চিন্তে কিছুক্ষণ
চলন্তিকা পাশাপাশি
হাত।
ঠোঁটের ফিকে হাসি ,সময় নিয়ে যায়
আর কিছুক্ষণ তোমার সাথে
একসাথে।



নিরালায়

নিরালায়
............ ঋষি
============================================
তুমি একটা গাছ হতে পারো
চোখের পাতায়।
রোদগুলো  রুক্ষ হতে পারে শাখায় শাখায়
নিঃশব্দ অলংকার।
তুমি বোঝো এর মানে
প্রেম মানে বেঁচে থাকা ,জীবন নয়।

হাসছে সময়
নিজেদের মাঝখানে যে দুঃস্বপ্ন  আছে পাতায় পাতায়।
সবুজ পাতায়
তোমাকে ছাড়িয়ে পায়ের পাতা ,ভেজা উরু চোখের পাতায়।
ভিজে যাবে
সময়।
তবু কখনো প্রেম লেগে যাবে
তোমার স্তনের বোঁটায় সময়ের হাসি ,
ভালোবেসে চুষে খাবে তোমার সন্তান।

তুমি একটা গাছ হতে পারো
সাজানো গোছানো।
সবুজ শাখায় নতুন ফুল ,নতুন রৌদ্র ,খিদে সব মিলিয়ে
হাজারো প্রেমে।
তবু মাটি আঁকড়ে থাকো পবিত্রতায়
প্রেম মানে পাওয়া না ,অনুভবের নাম।

Tuesday, August 18, 2015

যেমন ইচ্ছে

যেমন ইচ্ছে
............... ঋষি
===============================================
ঠিক যেখানে দাঁড়িয়ে সৌরভ জামা খুলেছিল
আরে লর্ডসের মাঠ গো।
সবুজ মাঠ ,,,অথচ একটা হার জিত খেলা দাঁতে দাঁত রেখে
তুমি জিতে গেছো কবেই।
আসলে জানো তো আমার হারের মধ্যে জিত ছিল সেখানে
আর সারা মাঠ জুড়ে ছিল তোমার ভিকট্রি ল্যাপ।

শতাব্দী ঘুরে যাবে
পোস্টারে সৌরভের সেই খোলা লোমশ বুক।
অথচ দেখো আমার বুকের জঙ্গলে জ্বলন্ত দাবানল
ক্রমশ মৃত্যুগামী।
ক্রমশ এগোচ্ছে তোমার দিকে ,আরো গভীরে
আরে সেই যে সেইবার
সেই দার্জিলিং ম্যালে  যেমন চোখ খুলে যাচ্ছিল পাহাড়ের গভীরে
ঠিক তেমন  আমার চোখ জ্বলন্ত লাভা তোমায় বেয়ে নিচে নামছে।
না না ভেবো না ,রেপড হবে
ওই শব্দটা বেমানান বড় সবুজ পাহাড়ে।
বরং তুমি লাভা হও আমার বুকে
আর আমি জ্বলন্ত বুক।

তোমার মনে পরছে না কিছু বুঝি ,কি গো,, কাঁদছো কেন
আচ্ছা থাক লর্ডসের মাঠ।
সবুজ মাঠ ,,থাকুক দাঁত দাঁত রেখে হার ,জিত খেলা
কি চাও।
ঠোঁটের সাথে ঠোঁট ,,না প্লিস আবার যন্ত্রণা ,থাক না
তুমি জেতো ,, আচ্ছা যেমন ইচ্ছে চাও। 

বাদ. দ. দ. দ. জীবন

বাদ. দ.  দ. দ.  জীবন
................. ঋষি
=======================================
নিঃশ্বাস নিতান্ত আপন গভীর প্রেমে
পরকীয়া।
চুরি গেলে জীবন বাদ দাও ,বাদ. দ.  দ. দ.  জীবন
আঁকড়াও।
ঘাসে ঘাসে চিবিয়ে ,দাঁতে দাঁত ঘষে
উদযাপন।

নিঃশ্বাস  মাইনাস করে অসংখ্য উদযাপন  প্রতিদিন
ছাইদানে বাড়তে থাকা ছাই।
বাঁচতে চাই
নিঃশ্বাস  বন্ধ ,,, বন্ধ নিঃশ্বাস।
কয়েকপলোকে বাঁচতে থাকা মিথ্যা সব
মিথ্যা সব।
ছড়ানো জীবনের পাতার  প্রিয় কবির  কবিতার মতন
চুলের গোছা ,,,স্বপ্নের ঠোঁট।
নরম বুক
পাথর ,,,,বুক পাথর
জলের তলায় নিঃশ্বাস বন্ধ।

নিঃশ্বাস নিতান্ত আপন গভীর প্রেমে
পরকীয়া।
সময়ের কালো দিন ,মনের কোনে চার দেওয়ালের ঘর
আঁকড়াও।
তবে মৃত্যুর পর উদযাপন দিও তুমুল বৃষ্টিতে খোলা রাস্তায়
 চুমু।


আমি আমার শব্দরা

আমি আমার শব্দরা
................. ঋষি
===================================================
ঠিক জেনেছো তুমি আমার নামে
আমার শব্দের সাথে সহবাস সারাক্ষণ।
যখন আমার শহরে কোনো প্রতিবাদ হয়
তখন আমার শব্দরা প্রতিবাদী মোমবাতি আগুন।
যখন এখানে মেঘলা বৃষ্টি হয়
তখন আমার শব্দদের মনখারাপ আমার মতন।

হেসো না তুমি জীবন
তুমি ঠিক জানো আমার শব্দরা আমাকে বাঁচিয়ে রাখে পাতায় পাতায়।
না হলে এই জীবনে কে কার
না হলে এই জীবনে বেঁচে থাকা নিজের সাথে রক্তচোষা পরজীবীর মতন।
সময়ের যন্ত্রণা
সময়ের বেঁচে থাকা ,সত্যি জীবনের সাথে।
বারংবার মুখোমুখি রক্তাক্ত আমি কুরুক্ষেত্রে একলা অভিমুন্য
সারা শরীর বেয়ে অসংখ্য রক্ত স্রোত।
ভিতরে বাইরে বেঁচে থাকা এই অনুরণন
আমার প্রথম আলো আমার শব্দরা সাদা পাতায়।

ঠিক জেনেছো জীবন ,আমি হয়তো জীবিত
তোমার সাথে ,তোমাকে ভালোবেসে ,তোমার গভীরে।
আমার ইচ্ছেগুলো শব্দ বৃষ্টি সাদা পাতায়
ফোঁটা ,ফোঁটা রক্ত যেখানে জীবন।
সেখানে আমার কবিতা আমার কাছে জীবন্ত তুমি
শব্দরা প্রেমের স্নেহশীল জড়ানো মায়া ।  

মানুষের মতন

মানুষের মতন
....................... ঋষি
=====================================================

কে জিতছে ,কে জিতবে
বুকের শব্দ বলছে সহস্রপ্রাচীন স্লোকোগাঁথা।
খুলে পরছে একটা একটা করে  নিয়মগুলো শরীর থেকে ,
অস্তিত্ব থেকে।
মানুষ আগে ,মনুষত্ব আগে ,জীবন আগে
তারপর নাটক ,তারপর সমাজ ,তারপর আমি।

সবার শেষে আমি দাঁড়িয়ে
জীবন  ক্লাসের সেই লাস্ট বেঞ্চের ছেলেগুলোর মতন নিতান্ত অবহেলে।
গ্রাহ্য করি না অনিয়ম নিয়মের নামে
গ্রাহ্য করি না সময় অসময়ের নামে।
আমি বাঁচতে চাই  না নির্দিষ্ট পরিচয়পত্রের মতন
কোনো নির্দিষ্ট সাজানো ভোট ব্যাঙ্কের ভোটার ,ভিসা ,আদমসুমারির মতন।
আমার কোনো জন্ম নেই ,আমার কোনো পরিচয় নেই
আমার কোনো জাত নেই ,ধর্ম নেই ,নেই সম্পর্ক।
শুধু একটা মেরুদন্ড সম্বল
শুধু একটা জীবন সম্বল।
মানুষ থেকে মনুষত্বের নামে
জীবন থেকে জীবিতের নামে আলোর অপেক্ষায়।

জীবিত আমি ,
আমার ধুকপুকে অজস্র ঘন্টা ,অজস্র প্রার্থনা,অজস্র যন্ত্রণা বাজছে।
আমি শুনি ,আমি জাগি ,আমি কাঁদি
একটা সত্যি দিনের জন্য ,মায়ের জন্য ,দেশের জন্য ,জীবনের জন্য।
প্লিস সব মনুষত্বকে আমার সশ্রদ্ধ প্রনাম
আসুন একবার জিতে দেখাই জীবন  মানুষের মতন।

গোলাপের ফিসফিস

গোলাপের ফিসফিস
.................... ঋষি
==========================================
বিকেলের লাল সূর্যের বুকে ছুটে গেল এরোপ্লেনটা
কয়েকটা শুকনো পাতা  উড়ে এলো আমার রিডিং ল্যাম্পে।
সামনের পেন স্ট্যান্ডে  শুয়ে থাকা শুকনো কাঠের গোলাপটাকে
একটা ছেলে ভালো বেসে বললো ,,, শুনছো,
তুমি সুখী,,,,,,, আমার মতন জীবন।
ঠিক তখনি  ,,,,,,,,,

ঠিক  তখনি ,,,,,,,,,,,,,,
আকাশ থেকে নেমে এলো আস্ত একটা টব।
এক বাগিচা ফুল
ছেলেটা ফিসফিস করে বললো মনের ভিতর
আমার তোমাকে চাই ,আমার তোমাকে   ,,,,,
জড়িয়ে ধরলো শুকনো গোলাপটা।
উড়ে এলো এরোপ্লেনটা আলোর দেশ থেকে
সোজা বুকে।
একটা শব্দ হলো টুপ করে
আমার সাদা পাতায় এক ফোঁটা চোখের জল।

বিকেলের লাল সূর্যটা ডুবে যাচ্ছে
একটার পর একটা শুকনো পাতা সবুজ হচ্ছে নিজের আনন্দে।
সামনে পেনস্ট্যান্ডে একটা সতেজ গোলাপ রাখা
সুন্দর তার হাসি ,মুক্তর মতন চোখদুটো আমাকে বলছে ,
এই শোনো আজ না ,কাল না ,,চিরদিন
আমি তোমার ছিলাম ,থাকবো।  

বরফের মতন

বরফের মতন
.............. ঋষি
==========================================
যে মুহুর্তে তোর কল্পনা ছিল
ঠিক তখনি বরফ পড়তে শুরু করলো।
অথচ জানিস এটা বরফের দেশ না
বরফরা কেউ জীবিত নয় আমার মতন এমন আনন্দে।
সে যে লজ্জায় জড়সড় শিরশিরে একটা ভাব
আমার কোনো লজ্জা নেই।
.
সেই থেকে বলে এসেছি
তোর বুকের কথা ,ঠোঁটের কথা ,তোর শরীরের কথা।
তোর হৃদয়ের কথা আমি বলি নি কাউকে
জানিস কেন।
সেটা যে আমার নিতান্ত আমার গভীরে
এক  একটা দাগ টেনেছি তোর বুকে।
একটা দিক ফুটে উঠছে কম্পাসে দিক শূন্য নাবিকের
কম্পাস ঘুরছে আর ঘুরছে থামছে না সময়ের মতন।
আর আমার কল্পনায় তোর রূপ
আমার কবিতায়।

.
সেই মুহুর্তে তোর কল্পনা ছিল
ছিল চারিদিকে বরফের মত শীতল স্পর্শ।
আমার হাতে দস্তানা ছিল কিন্তু সময় ছিল না তাতে
আমার কাছে জীবন ছিল অথচ স্পর্শ ছিল না সময়ের।
সে যে এক অদ্ভূত দিন
বরফের মতন শীতল অস্তিত্ব তোকে ছাড়া। 

Sunday, August 16, 2015

সময়ের মুখভার

সময়ের মুখভার
......................... ঋষি
==============================================
তোকে নিয়ে একটা প্রেমের উপন্যাস লিখবো
কিন্তু উপন্যাসের পাতাগুলো রক্তে রঙিন হবে।
যেমন হবে ,কেমন হবে
সেগুলো বলতে পারবো না
তবে পাতায় আমি তোকেই লিখবো, ........প্রমিস।

বলিস না আবার প্রমিস করিস না
তোর তো আবার সরে থাকার রোগ আমার থেকে দূরে।
তোর তো আবার রোদে পোড়ার রোগ
তোর চোখের ডার্ক সার্কেলে অবিরত যন্ত্রণা ,
আমার মতন একলা পোড়ার রোগ।

ফাঁকা ডায়রি দেখলে যেমন আমার হাত নিসপিস করে
ঠিক তেমনি কেন জানি আমার জীবনের পাতায়
অবিরত তুই লিখে গেছিস রক্তক্ষরণ।
আমি পাথর  দেখি নি ,মৃত্যু দেখেছি
আমি জীবিত দেখেছি  তোকে ,,,,,,,,,,,নিজেকে ,
 জীবন্ত বেঁচে ফেরা  ভাবনার ওপারে ,,,,সময়ের অবহেলে।
তোর অস্তিত্ব বেয়ে ,তোর লোমকূপে
আমি রয়েছি ঠিক যেমন সময় থাকে মুখভার করে।

কেন জানি না আমার এই ইচ্ছা একটা উপন্যাস লেখার
তোকে নিয়ে পাতায় পাতায় আমার রক্তক্ষরণ।
তোর ঠোঁটের মেইন রোডে দাঁড়িয়ে আমি আকাশ দেখিনি বহুদিন
বহুদিন তোর কফিকাপে ঠোঁট রাখি নি আদরে মেঘে
আমি শুধু ভিজে গেছি তোর মতন একলা দাঁড়িয়ে রোদে। 

তোমাদের বরাদ্দ

তোমাদের বরাদ্দ
....................... ঋষি
=================================================
বন্দুকের নলটা সটান তাক করা আছে তোমার দিকে
কি সহজে যে কেউ তোমাকে বলতে পারে কুলটা।
কি সহজে যে কেউ তোমাকে বলতে পারে বারবনিতা
তোমার ওঠাবসা ,খাওয়া ,শোয়া  নিয়মমাফিক।
জন্ম থেকে শেখা তোমাদের নিয়মের সূর্য দেখা
আর তোমার শরীর সে তো সামাজিক পুরুষের বিছানা ,
সবটাই পুরুষের  স্বার্থে তুমি ইউসড মেটেরিয়াল।
নিয়ম তুমি ভাঙ্গতে পারো না
তবেই ফায়ার,,,,,,,,, তুমি সমাজ বহিষ্কৃত,বাজে মেয়েছেলে।

সমাজের সাজানো মোমের নিয়মে গলতে থাকা ফোস্কা তোমার গায়ে
কিন্তু জানো প্রেম মানে কি ?
মেয়ে মাকড়শার সামনে পুরুষ মাকড়শার সুইসাইডাল প্রেম,
 মক্ষীরানীর সামনে খুদে মৌমাছি শ্রমিকের প্রেম।
রেপিস্ট হাঁসের প্রতি হংসীর প্রেম,
ডলফিনের হরণ বা অপহরণমূলক প্রেম।
সতী নারীর পতিপ্রেম , বড়োলোকের বেশ্যা প্রেম
সন্তানের মায়ের প্রতি প্রেম।
সবই তো প্রেম এগুলো ,সবখানেই তুমি আছো
অথচ তোমার বরাদ্দ সংসার আর তাকে ঘিরে থাকা রান্নাবাটি খেলা।
তার বাইরে  ভাবতে নেই তোমাদের
তার বাইরে বলতে নেই।

কেন ?,,,,,,,,,,,,,,,,প্রশ্ন করো না
সভ্যতা যে সারল্য শেখায় তোমাদের, কাঁচের-পাথরবাটির মতো।
সেখানে দিনে রাতে কুটনো কোটো ,,মশলা বাটো
খবরদার তার  বাইরে ভেবো না।
পতি পরম গুরু ,সে যেমনি হোক ,স্বয়ং শিব
তুমি জন্ম থেকে পতিব্রতা,শান্ত ,নরম  যেমন ভিজে মাটি সন্তানের ধারক।
সমাজ  এমন চায় ,পুরুষ যেমন চায়
ঠিক তেমন তৈরী করো নিজেকে
ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখো ,বিশ্বাস রাখো সমাজের পৌরুষ নিয়মে।

..
(বিদ্র : এই কবিতার সমস্ত দায় আমার ,আপনাদের শুধু ভালোলাগাটুকু। )

Saturday, August 15, 2015

তোর চোখ

তোর  চোখ
................. ঋষি
========================================

যেখানে থেকে অনুভব শুরু হয়
তোর  চোখের তারায়।
কেন জানি আমার তোর  দিকে তাকালেই
আবার  প্রেমে পড়তে ইচ্ছে হয়।
সকাল ,বিকেল ,রাত্রি ,সময় নেই  অসময়
লুকোনো দূরত্বে অসম্ভব আস্ফালন বুকের ভিতর।

বুক বলতেই কোথা  থেকে নেমে আসে বিশাল আকাশ
আমার মাথার উপর।
আমি বুঝতে পারি কে যেন আমাকে  আগলে রেখেছে
আমি বুঝতে পারি কে যেন আমাকে ভালোবেসেছে।
বিশাল বুকে নীল আকাশের দূরে চক্রবালে
কেমন যেন একটা মনখারাপের পালা।
আচ্ছা তোর  চোখদুটো আমাকে দিতে পারিস তো
আমি সোজা ঢুকে যাব শান্তি হয়ে সেখানে ,
যেমন স্থির ,মায়াময় ,প্রেম তোর দু  চোখে।

সেই হিংসুটে দৈত্যের মতন
আমি আগলে আছি চোখদুটো বুকের ভিতর।
সেই চোখের থেকে গড়িয়ে নামছে আমার সারাবেলা
টুকরো টুকরো মুহুর্তগুলো আমি আগলে  আছি জীবন নিয়ে।
হাসি ,কান্না,সময়ে ভেজানো একলা বেলা
তোর  চোখ আর আমি একসাথে।

সাত কান্ড রামায়ন

সাত কান্ড রামায়ন
.............. ঋষি
========================================


মাঝে মাঝে আমার মতন কেউ চিত্কার করে
রাস্তার চারমাথার মোড়ে  দাঁড়িয়ে।
আমি নিজেকে দশমাথা রাবন ভাবি
আসলে ভিতরে যে একটা ফিউস কাটা মানুষ চিত্কার করে।
প্রানপন ফিরতে চাইছে মায়ের ভিতরে ,জন্মের ভিতরে
আবার একটা জন্মের জন্য।

অন্ধকার শাড়ি  গায়ে চাপিয়ে সময় দাঁড়িয়ে শরীরের মতন
রাস্তায় ছায়া  পরছে অতিকায় ল্যাম্পপোস্টের।
ধস্তাধস্তা সময়ের সাথে ,খুলতে চাইছে কালো শাড়ি
আবার নগ্ন দাঁড়াবে সময় রাস্তায়।
নিমগ্ন সময় ,একলা সময় ,বেশ্যা সময়
বাজারী হয়ে গেল।
আমি দাঁড়িয়ে দেখলাম চার মাথার মোড়ে
একটা কুকুর এক পা তুলে মুতে চলে গেল।
আমি দাঁড়িয়ে থাকলাম চারমাথার মোড়ে  রাবনের মতন
আমার দশমাথা দশ সুর
অথচ  সপ্তসুরের পৃথিবীতে  বড় বেমানান আমি।

মাঝে মাঝে আমার মতন কেউ কখনো ল্যাম্পপোস্ট হয়ে যায়
আমার চোখে লাগে আলো  আরো আলো।
চোখ ধাঁধিয়ে যায় ,সামনে দাঁড়িয়ে সময় ভীষণ  নগ্ন
অথচ রূপসী সময়ের  শরীরে বাজারী দাগ।
বনবাসী  রাম সাম্রাজ্য ফিরে পেল
কিন্তু আমি কেন  রামায়নে  মৃত।
  .

ঈশ্বর এখনো টয়লেটে

ঈশ্বর এখনো টয়লেটে
.............. ঋষি
===================================================
হাতে সবার থ্রি ডাইমেনসানাল  পৃথিবী
অথচ  ঈশ্বরকে প্রশ্ন করলাম আচ্ছা মানুষের শান্তি কোথাই।
ঈশ্বর মুচকি হাসলেন  
বললেন একটু টয়লেট থেকে ঘুরে আসি ,, পেটভার।
ঈশ্বর আর ফেরেন নি
অথচ  আমাদের মোবাইল স্ক্রিনে  গুগোলসার্চে  অবিরাম  ঈশ্বর।

আমি অপেক্ষায় ছিলাম
আমার মতন অনেকে অপেক্ষায় আছেন নিজের নিজের টয়লেটের  দরজায়।
ঈশ্বর বেরোবেন ,,কখন ফ্লাশের শব্দ হবে
অথচ চেতনা থামছে না ,পেটের  ভিতর বাড়তে থাকা পাপ।
ফ্লাশ   দরকার
পৃথিবীব্যাপী বিশাল ভাল্ব সবার ভিতরে ঠিক  ফুটবলের পেটের  মতন।
দমাদম লাথি পেটের  উপর
পেট ফাটছে
ঈশ্বর বেরোচ্ছেন  না।

বিয়ারের ক্যান হাতে সবাই তাকিয়ে সামনে মেয়েটার দিকে
মেয়েটা এখানে ঈশ্বরের মতন পবিত্র।
সবার চোখে লেগে আছে মেয়েটার নিচের থেকে উপরে
আবার উপর থেকে নিচে।
কিন্তু মেয়েটার ভিতরে কেউ ঢুকছে না
যেমন ঈশ্বর এখনো টয়লেটে।

  

বেজন্মা জীবন



বেজন্মা জীবন 
....................  ঋষি 
============================================
জীবন এখানে খুব সুন্দর 
শুধু অন্ধকার থেকে চুঁয়ে  চুঁয়ে  পরে রক্ত  ফোঁটা। 
চোখ বন্ধ রাখো 
দেখবে গর্ভবতী  স্তন থেকে গোটা  একটা শহর পরছে। 
দুধের মতন সাদা 
শহর  বৃষ্টি বলতে পারো। 

ঘুমভেঙে সোজা সময়ের অজগর লোকালে চেপে বসি 
কিংবা ধর কোনো টিনের  বাক্সে কন্ডাকটর  দাঁড়িয়ে। 
জীবন এখানে  ভীষণ  সুন্দর 
শুধু খিদে পায়। 
চোখ খুলে দেখি সামনে দাঁড়িয়ে যুবতী শহরের লালনীল পোশাক 
পোশাকি নাম মর্ডানিজম। 
আরো গভীরে যদি বলতে হয় নিদিষ্ট যৌন ক্রিয়ায় 
উঠে আসা জন্মগুলো  বেজন্মা এখানে। 
সারি দিয়ে দাঁড়ানো জনতা ফান্ডে জমা হওয়া  ভিক্ষাগুলো 
বিবস্ত্র  কোনো হিন্দি ছবির নায়িকার মতন। 
খুব সহজে স্বপ্ন থেকে শহরে 
আবার শহর থেকে নাগরিক মস্তিস্কে বিবর্ণতা। 

খিদে পায়  ,তাই তো কারণ বেঁচে থাকা 
সমাজ ,সংস্কৃতি অশ্বমেধের ঘোড়া  শহর থেকে দেশে ,তারপর বিশ্বে। 
জিততে চাই সমস্ত সম্পর্ক ,অধিকার আর নামাবলী 
ভাদ্রের কুকুরের মতন নাগরিকগণ  সময় গোনে পোড়া  ভাদ্রের। 
আর মৃতদেহের লুকোনো গন্ধ সকলের শরীরে 
তবুও  তো  বাঁচাতে চাই ,সবাই। 

চিনবে তো

চিনবে তো
................. ঋষি
========================================
দূর থেকে ছবি  তুলতে পারি
যদি এমন হয়।
আজ থেকে কয়েকশো  শতক পর আমি যদি
ঠিক আমি নয় ,আমার অস্তিত্ব বোবা পাতায়।
এমন করে ছুড়ি  মারে
তুমি কি চিনে নেবে আমাকে।

দুরের ছবি ডার্করুমে  প্রিন্ট করার আগেই
কেমন একটু ময়লা হয়ে যায়।
নিজের কাছে প্রশ্ন করি বারংবার
আচ্ছা সত্যি যদি সাদা পাতায় ছুড়ি  চালানো যায়।
কতটা রক্তপাত হবে
কতটা  এমবুলেন্স হবে।
কতটা বোবা আইন ,বোবা পুলিশ ,পোস্টমার্টান হবে
এ  সব প্রশ্নে কিছু এসে  যায় না।
প্রশ্ন এটা
তুমি আমাকে চিনতে পারবে তো।

তোমাকে নিয়ে কবিতা লিখব বলে
এত  দুরে আমি।
তোমার জিভের ওমে আমি চকলেট তোমার ঠোঁটে হয়তো
না শেষ হওয়া  চুমুর মতন অনন্ত যেখানে।
সেখানে আমার প্রশ্ন করা মানায়
তুমি হাজারো  অস্তিত্ব মাঝে  আমাকে চিনবে তো।   

Friday, August 14, 2015

আমি আর জীবন

আমি আর জীবন
................ ঋষি
==========================================
দীর্ঘশ্বাসের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আমি একলা
ভীষণ ছোটো হয়ে গেলাম নিজের কাছে।
বারান্দা দিয়ে উঁকি মারছি নিজে
জীবন হেঁটে যাচ্ছে খালি হাতে।
জীবন ভদ্রলোকের সময় নেই এক মুহূর্ত দাঁড়ানোর
সময়  কেটে যাচ্ছে ,যেমন জীবন কাটে।

আমি দেখিনি আগে নিজেকে সময়ের আয়নায়
নিজের পরিচয়পত্রের ছবিটাকে আজকাল অচেনা মনে হয়।
সাগর পেরিয়ে পিরিত ,সুখের রান্নাঘর
কাপ,ডিস ,থালা পেরিয়ে উল্টোনো কড়া।
উল্টোনো কড়া দেখলে আমার তোমার নিতম্বের কথা মনে পরে
তোমার কথা মনে হয় ,বাঁচার কথা মনে হয়।
অথচ বারান্দা দিয়ে উঁকি মারলেই আমি দেখি
তুমি দাঁড়িয়ে জীবনের সাথে।
জীবন চলে যাচ্ছে ,,,তুমি তার হাত ধরে
পাশাপাশি এগোচ্ছে অনেক দূরে।

দীর্ঘশ্বাসের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আমি একলা
ভীষণ ছোটো হয়ে গেলাম নিজের কাছে।
তুমি আমাকে গালাগাল দিতে পারো ,দুচারটে কিল ,লাথি ,ঘুষি
সব আমি সয়ে নিতে পারি।
কিন্তু তোমাকে কাঁদতে দেখতে পারি না ,জীবনের মতন
তোমাকে তো আমার সময়ের আগে চলে যেতে দিতে পারি না।

আপনি না মানুষ


আপনি না মানুষ
................. ঋষি
============================================

রাতের সাথে শুয়ে থাকেন যারা 
তাদের সমলোচনা করবো না  ক্রমশ। 
কিন্তু কোথাও কি মানুষ জেগে নেই 
কোথাও  কি ভাবনারা ছাড়া নেই খাঁচার বাইরে। 
শুধু স্তব্ধতা ,,শুধু নীরবতা ,,,শুধু লোভ 
পাঁজরের বাইরে 
মনুষত্বে।

টালার নালির সাথে যারা দৈনন্দিন  প্রবাহিত শহরের বাইরে 
সেই মুখগুলোর  দিকে তাকিয়ে দেখুন। 
দেখুন নাটা মল্লিককে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে কাঁদতে 
কষ্ট হয় ,খুব কষ্ট হয়। 
আমার শহর ,আমার দেশ ,আমার বিশ্ব জুড়ে 
ক্রমাগত কোলাহল ,ক্রন্দন। 

মানুষবাবু নিরীহ ভাবে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদের বাইরে 
মানুষবাবু ক্রমশ অস্তগামী সূর্যের দেশে। 
মানুষবাবু রাত্রি এখন জানি 
দেশলাইতে বারুদ ঘষুন ,একটু আগুন দরকার। 
মানুষবাবু আপনি কি জানেন ক্যালন্ডারের তারিখের ঘরে 
আপনার ঘরের চারদেওয়ালে আপনি নেই। 
আপনি মানুষ একটু ভাবুন  কবে শেষ দাঁড়িয়েছিলেন মানুষের পাশে 
সমস্ত আত্মকেন্দ্রিক চাহিদার বাইরে। 

রাতের সাথে শুয়ে থাকে যারা 
নিজের গর্ভের ভিতর ভেজা কাঁথা ,কাপড় গায়ে নিয়ে ।
তুমুল ঘুমে মায়ের স্তনে ঠোঁট  দিয়ে 
এখন সময় হলো। 
মানুষবাবু এবার জাগুন ,চোখ খুলুন ,আপনারা সকলে বড় হয়ে গেছেন। 
নিজের ঘরের বাইরে আগুন ,,,,,,,একটু তাকান নিজের দিকে 
আপনি না মানুষ। 

  

Thursday, August 13, 2015

আমার কষ্টরা

আমার কষ্টরা
.................. ঋষি
==============================================
তোকে ভাবলে আমার কষ্ট হয় 
একলা এই অসময়। 
বুকের পাটাতনে ঘাই মারে কিছু বিশাল বড় মাছ 
আর আমি জাল। 
জড়িয়ে যাই ,আরো জড়িয়ে 
কেন যে তোকে এত ভালোবাসতে চাই। 

কথাগুলো আমার জানা
আমার জানা তোর বুকের মাপের আপেলের স্বাদ। 
আপেল আর সড়কের যে তফাৎ
তাকে আমি আবেগী বলি। 
আর  আমি আবেগ মাখি সকালের সূর্যের আলোর মতন 
তোর বুকের ভিতর ,তোর ইচ্ছার ভিতর। 
তোর সমস্ত যন্ত্রণা আমার হোক কল্পনা করি 
কিন্তু ভাবতে পারি নি আমারগুলো তোর হোক। 
আসলে তোকে আমি কষ্টে রাখতে পারি না 
যেমন পারি না আর আমি কষ্ট ছাড়া বাঁচতে। 

তাইতো তোকে ভাবলেই আমার কষ্ট হয় 
একলা থাকা ইচ্ছার। 
আমার বুকের ভিতর প্রতিবাদে নামে
আর প্রতিবাদ মানেই আমার শহরে চাকা জ্যাম। 
নাগরিকত্ব নাজেহাল একটা দিন  
স্যিগনেচার শহরের মুখ ভার।  

নির্বাসিত বাঁচা

নির্বাসিত বাঁচা
,,,,,,,,,,,,,,, ঋষি
==========================================

ছায়া পরে
আলোরা কষ্ট এঁকে  রাখে ভালোবাসে বলে।
তুই বলেছিলিস
আমি দাঁড়িয়ে আছি আলোর পিছনে।
আচ্ছা আলোর কি সত্যি অন্ধকারে থাকে
অন্ধকার ছাড়া আলো কে ভালোবাসে।

কোনো অন্ধকার রাতে
নিশির ডাকের মতন আলোর চলে যায় একটা বিম ধরে।
আলোর বিম
আর অন্ধকার সে তো ঘিরে থাকে
আলেয়া।

কোনো বালি বালি স্বপ্ন নিয়ে কাঁচের টুকরো
চুর্ণবিচুর্ণ সম্পর্কের ব্রীজে সাজানো উপাখ্যান।
অন্ধকার ছিঁড়ে আলো
দয়া ,মায়া ,প্রেম ,বেঁচে থাকা
এখনো জীবিত আমি।

ছায়া সব ছায়া
আলোর পথ আগলে দাঁড়ানো আমার ছায়া।
তুই বলেছিলিস
আমি দাঁড়িয়ে আছি আলোর পিছনে।
ঠিক তাই ,কার ছায়া
নামহীন ,গোত্রহীন কোনো নির্বাসিত বেঁচে ফেরা।

Wednesday, August 12, 2015

অন্তর্নিহিত যন্ত্রণা

অন্তর্নিহিত যন্ত্রণা 
.............. ঋষি
======================================
শান্তি শব্দটা,সময়টা 
যখন আইসোটোপের মতন বিচ্ছিন্ন হতে থাকে। 
তখন টুকরো টুকরো জীবনের কবিতায় 
ভাসতে থাকে হলাহল। 
পরে থাকা ভাঙ্গা উঠোন ,ফাঁকা দোলনা ,জীবন 
সব অবান্তর ,সব মূল্যহীন ,সব প্রশ্নহীন। 

একটা পাগল অবিরত দাঁত কেলায়
শুকনো জীবন গলায় ঝুলিয়ে জীবন্ত ইশারায়। 
একটা প্রেমিক অবিরত হা হুতাশ করে 
সময়ে ভাঁজে খোঁজে প্রেমিকার বুকের গন্ধ। 
একটা ভিখারী  হাত বাড়িয়ে থাকে 
যদি আরেকটু জীবন পাওয়া যায়। 
হাসছে সময় হাসছে ,
নিজস্ব প্রতিবিম্বে চামড়ার মুখ। 
জীবন বুঝি এমন হয় 
প্রতিটা শান্তির পরে যুদ্ধ আহ্বান করে সময়। 
আর সময়ের ইতিহাসে হিরোসিমার বোমাবর্ষণ 
নতুন কিছু নয় ,সবটাই পুরনো ,
হয়তো স্মৃতি ,,,হয়তো বা যন্ত্রণা। 

স্বীকার করি 
নিজস্ব পরিচয়ের পিছনে কোনো পরিচয় পত্র লাগে না। 
লাগে উপস্থিতি চামড়ার মুখের অন্তর্নিহিত যন্ত্রণার 
লাগে একটু সময়ের প্রলেপ বিবস্ত্র নগ্নতার মত। 
কিন্তু জীবন যে ফাঁকা সাদা পাতা নয় 
একটা কবিতা ,সুন্দর একটা রূপসী নদীর মতন। 


স্তব্ধতা এ ভাবে

স্তব্ধতা এ ভাবে
............... ঋষি
=========================================
কেন জানি মাইল খানিক দুরত্বটা
এমন করে স্তব্ধতা ডেকে আনে।
স্তব্ধতা ,,,,,, আকাশের গায়ে একটা বাড়ি
যার মই বেয়ে অসংখ্য হিজিবিজি লিপি
মস্তিষ্কে বইতে থাকে।

ঠিক যেন চিতাবাগ গম্ভীর হলুদ চোখে  চেয়ে থাকে
বুকের ভিতর ,,,,,,, ভীষণ লোভি।
তোমার পাউডার পাফে উঠে আসা  সাদা গুড়োগুলো
আসলে অসংখ্য স্তব্ধতা।
তুমি আয়নার দিকে তাকাও ,তোমার চোখের কাজলে
তোমার চোখের পাতায়।
তোমার বুকের গভীরে
কি দেখছো  ,,,,আমার দিকে তাকাও
স্তব্ধতা।

কেন জানি মাইল খানিক দূরত্ব
এমন করে স্তব্ধতা দেকে আনে।
স্তব্ধতা খুব সরল হতে পারে ,যেমন বোকা জীবিকা
ঘড়ির কাঁটা আঁকড়ে  ধরে এগিয়ে যাওয়া
এভাবেই স্তব্ধতা হয়ে যায়।

লজ্জা কই

লজ্জা কই
.............. ঋষি
===========================================
মাংস যদি একটা দেশের নাম হয়
তবে সেই নাম না জানা দেশের নাগরিকদের প্রনাম,
প্রনাম তোমাদের অস্তিত্বকে নাগরিক ।
সমুদ্রের ঢেউয়ের মতন ছুটে আসে
ছাই আর বিষগুলো ,
ও বিশাল জনগণ তোমাদের দেশজ  স্তনে নাগরিক ঠোঁট।

লজ্জা করে না দেশকে নামাতে
দেশ কি  ?
কাদের দেশ ,আমার ,তোমার, সবার
নামেইতো !!! না হলে বাজারী
এ যে মাংস ,শুধু মাংস।
এর পর যদি খিদের গল্প শুরু করি ,তবে  কান্ড
মাংসের দেশে খিদেটা কিসের ?
শরীর ময় বিপ্লবের পর এখানেই তো  উলঙ্গ বিপ্লব
নিঃশব্দ বিকিকিনি দেশের শিরা উপশিরায়।
ছোটো ছোটো সদ্য জন্মানো গর্জন
এসেছো যেমন ,যাবেও তেমন,
লজ্জা কই
কি লজ্জা !!!!

খুলে পরছে দেশের মাংস  জন্মের পোশাকে
দেশ বলছে আগে যাবো।
আর  নাগরিক সকল ,আমার বন্ধুসকল চোখ বন্ধ
লজ্জা ,খুব লজ্জা ,পোশাক হীন স্বাধীনতায় ।
সমুদ্রের ঢেউয়ের তোরে ভেসে আসছে মৃতদেহ মাংস
ধন্য আমার দেশ।

তবু ভালোবাসি

তবু ভালোবাসি 
............ ঋষি
=======================================
ভালোবাসি শব্দটা যতটা রেওয়াজি হোক না 
গ্রিন রুমের বাইরে,  
শুধু ফিলিংস  ,তুমি নেই। 
কোথাও ,কোনখানে ,শব্দহীন শীত্কার
একা একলা বন্ধ ঘড়ির মতন 
সাজানো দেওয়ালে। 

ভালোবাসি ব্যস্ত রাস্তার কোলাহল যেমন 
নিস্তব্ধ তার ছেঁড়া গিটারের শিশুসুলভ  চাহিদা
বাজতে চাই ,বাজাতে। 
সম্ভাবনা  শব্দটাকে খুন করতে  ইচ্ছে করে 
দুলতে থাকা দোলনাটাতে ভীষণ অরুচি। 
আজকাল খাওয়া হজম হয় না ভালো 
ভালোবাসি। 
চোখের ঝরনা কেটে জল এগিয়ে আসে 
পাহাড়ি পথে গাইড ভদ্রলোক বড় আত্মঘাতী। 
নিশ্চিত নিশ্চয় 
ভালোবাসি। 

মাটি আর মাংস চাইছি যখন 
কনডম নিস্প্রয়োজন। 
চোখের পাতায় তাড়াহুড়ো শুধু খোলো আর খোলো
কত রকম নল বেয়ে নামতে থাকে সময় ,
রক্ত ,বীর্য ,কফ ,থুথু আর কতো কোষাক্ত জীবানু 
তবু ভালোবাসি। 


সহজীয়া



সহজীয়া
......... ঋষি
============================================
চারটে দেওয়াল
কেমন একটা সিঁদুর গন্ধ গুড়োগুড়ো হয়ে যাচ্ছে।
সম্পর্কের বর্ধিত চর্বির মতন
কিছু একটা লেপ্টে আছে তোমার সারা শরীর জুড়ে
আমার শরীরে একটা জ্বালা ভাব।

শরীরের মাঝে হারিয়ে যাওয়া একটা স্মৃতিমুখর অপেরাহাউস
ব্যালকুনিতে তোমার কালো ব্রায়ের হুকে আঙ্গুল ,
নিসপিস।
তুমি হাপাচ্ছ ,আমি বুঝতে পারছি
আমার বিশাল কালো বুকে কোনো কালো চিতার থাবা।
এগিয়ে আসছে
চিরে ফেলছে বুকের ভিতর ফ্যালা ফ্যালা যন্ত্রণা,
আমি তোমাকে আর ছুঁতে পারবো না।
যা আমার নয়
যা আমার অধিকার নয় ,
তাকে আমি তোমাকে বিলোতে দেব না আর।

চারটে দেওয়াল
আমার মাথার শিরা ছিঁড়ে এখন কালো চিতার থাবায়।
হলুদ চোখে সে তাকিয়ে আমার বুকের দিকে
ক্ষুদার্থ সেই চাহুনির নেই কোনো সমাধান
তাই আমি আর তোমার বুকে হাত রাখতে পারবো না।   

নিজের পরিচয়

নিজের পরিচয়
.................... ঋষি
=========================================
বলা হলো সেই সাজানো শব্দগুচ্ছের প্রহসন
বাঁধানো হাসি সাজিয়ে উপযুক্ততা।
ভিড়ে মিশে যেতে চাই
খুব সহজে।
সাধারণের মত ,খুব সাধারণ
নিজের ছায়ার সাথে  একা  থাকার ভয়।

দেরীতে হলেও বিতারিত হওয়ার সুখ
মন্দিরে ঘন্টা বাজছে শুনতে পাও।
মসজিদে আজান পরছে মনে রাখো
গির্জার ধ্বনিতে কেমন মোমবাতি গন্ধটাই।
নেশা লাগে
নিজের আগে ও পরে ভাবতে এক একটা যুগ।
নিজের সাথে ,একলা হয়ে
এত কোলাহল থেকে দু তিনটে স্মরনীয় জীবন।

ছড়িয়ে ছিটিয়ে কিছু বলার নেই
তাই হাত বোলাচ্ছি নিজের মাথায় পরম তৃপ্তিতে।
কিছু শুনতে চাই না ভিড়ের মাঝখানে,হাততালি
খুব সাধারণ আমি।
বিশেষ জ্ঞানের জন্য হৃদয়ের ঘরে একা হওয়া
পরিচয় নিজের নিজের কাছে।

গভীর নীল আকাশ


গভীর নীল আকাশ
............. ঋষি
==========================================
তুই জানিস আমি শুধু ডানা খুঁজেছিলাম
দুটো আনন্দের ডানা।
একটা নীল আকাশ খুঁজেছিলাম ,স্পর্শ নীলে
খুব গভীর ,তোর বুকের মতন
পরম উষ্ণ আশ্রয়।

তোর নীল শাড়ি ,তোর কাজলের টিপ ,তোর বিশাল বুক
গভীর আবেদন চোখের পাতায়।
এসব আমি জানি
আমি জানি এক বিশাল আকাশ রাখা আছে তোর মাঝে।
আমি ডানা মেলি পরম সোহাগে
তোর ঠোঁটের সাথে মিশে যায় জর্দার গন্ধ।
আমার সিগারেট পোড়া ঠোঁটে
কেমন একটা বাসি মড়ার গন্ধ।
সময় দাঁড়িয়ে থাকে পৃথিবীর বাইরে ,অন্য কোথাও
তোর আমার মতন মুহুর্তের বেঁচে থাকায়।

আমি আকাশে ডানা মেলতে শিখলাম
ভালবাসতেও শিখলাম একটু একটু করে।
এমনই অসময়ে
যখন পৃথিবীটা ক’দিন টিকবে তাই জানা নেই
আমি আমার আত্মায়। 

মধ্যবর্তী

একটা বিস্ফোরণ দরকার ছিল  দরকার ছিল একটা সীমা ছাড়ানো চিৎকারের  তোমার বুকের কাপড় সরে গেছে ,আমি রয়ে গেছি মধ্যবর্তী  তোমার নাভির থেকে দাগগুলো যদ...