Tuesday, February 26, 2019

এইবার বৃষ্টি শুরু হলো

এইবার বৃষ্টি শুরু হলো
...... ঋষি
================================================
যদি ঝড় আছড়ে পরে
যদি মেঘলা দিনে বাঁধ ভেঙে পরে সময়ের।
যদি সব সীমানা শেষ হয়ে যায়
যদি সত্যি কারের মানুষ হতে ইচ্ছে করে।
যদি আমার শহর বেয়ে অনিয়মিত দুর্যোগ
যদি শীতল হাওয়া স্পর্শ ছুঁয়ে যায়।
.
খালি পায়ে গিয়ে দাঁড়াবো ফুটপাথে
এক রাশ মেঘ তখন আমার কোঁকড়ানো চুল ছুঁয়ে বৃষ্টি।
শহরের গোলযোগ সব ক্লান্ত
আমি ক্লান্ত কোনো দিনের কবিতায় ফুরোনো একটা সকাল।
তারপর বৃষ্টি শুরু হবে
আমি ভিজবো ,আমার বুক বেয়ে  , ঠোঁট বেয়ে   নোনা  জল গড়িয়ে
তোর বাথরুম শাওয়ারে আমার মতো। 
তুই ভিজবি বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে তোর বারান্দায়
হাত বাড়াবি ,ছুঁতে চাইবি স্পর্শ ,অনুভূতি ,আদর
তোর ,আমার শহর যদি মিশে যেত।
একটু মুচকি হাসবি
'বলবি পাগল কবি " এইবার বৃষ্টি শুরু হলো "
.
যদি আদর হয়ে নামে
যদি তোর লিপস্টিক ঠোঁটে ছুঁয়ে যায় নোনতা আমি।
যদি পথ শেষ হয়ে যায়
যদি সেই শেষে একলা দাঁড়িয়ে আমি।
যদি আমার শহর কোনো বৃষ্টি ভেজা দিন
যদি সত্যি বৃষ্টি তুই হয়ে যাস।  

রিমঝিম বৃষ্টি


রিমঝিম বৃষ্টি
.............. ঋষি
=================================================
রিমঝিম বৃষ্টি
দুচার ফোঁটা তোমার পাড়ায়
ভিজে রাস্তায়।
.
রবিঠাকুরের  গান
আজি   ঝরো ঝরো মুখর বাদরদিনে
জানি নে,   জানি নে কিছুতে কেন যে মন লাগে না ॥
মন লাগে না ভিজে উষ্ণতায়
ছুঁয়ে থাকা সম্বল।
.
অন্ধকার শহর ,আরো অন্ধকার
চুঁয়ে নাম বৃষ্টি ফোঁটা ভিজে শহর।
অগুনতি ভাবনা
কচুরিপাতায় টলমল কোনো ইচ্ছাদের সাবধানতা।
পা
বাড়ানো
স্বাধীনতা।
.
একদম চুপ
চোখ বুজে খোঁজা হাতছানি ,চেনা হাসি মনের ভাঁজে।
আদর ভিজে সবুজ পাতা
বিষন্নতা।
খুব কাছে ছুঁয়ে যাওয়া আবদার ,স্পর্শ তোমার।
.
রিমঝিম বৃষ্টি
দুচারফোঁটা তোমায় ছুঁয়ে
নিঃস্ব আমায়।
.

Friday, February 22, 2019

নিজের ছায়া


নিজের ছায়া
........ ঋষি
=========================================
ভেঙে যেতে যেতে উঠে দাঁড়াই
সামনে দাঁড়ানো রোমান ভাস্কর্য ,কয়েক ছিলিম মুহূর্ত।
মুহূর্তদের নেশা হয়
নিজের ছায়া পকেটে পুরে স্বপ্ন তাড়া করি।
তোকে ভালোবাসতে আমার দাঁত ,নখ ,হৃদয়ের ধার লাগে
তাই শান দি উঠে দাঁড়াতে।
.
ভেঙে যেতে যেতে হিংস্রতা বাড়ে
দাঁত ,নখ। আঁচড়ে কামড়ে ধরি জীবন।
সহবাসে উঠে আসে আগুন
পুড়তে থাকা বুক থেকে থাকে ত্রিমাত্রিক উর্বরতার।
আসলে ভালোবাসায় উগ্রতা থাকে
হয়তো কখনো তা ধারালো ছুরির থেকেও আরও ধারালো।
তাই তো ভাঙতে পারি না
আলতামিরার গুহার ভয়ঙ্কর বাইশনটা ছুটে আসে।
মুহূর্তটা যেন চুমতে থাকে আমার ঠোঁটে
আমার মুখে
আমি বলি মুন্ডু ,তুই বলিস কার
তারপর নাইবা শোনা হলো স্বপ্নগুলো।
.
ভেঙে যেতে যেতে উঠে দাঁড়াই 
চোখে লেগে থাকে বিষুবের দাগ ,ভানহীন সৌন্দর্য্য।
মুহূর্তদের নেশা হয়
তোর আঁচলে নিজেকে লুকিয়ে বেঁচে উঠি।
তোকে ভালোবাসতে আমাকে যুদ্ধ করতে হয় সময়ের সাথে 
তাই আমাকে নেশা করতে হয় ,তোকে ছুঁয়ে। 

ম্যাজিক


ম্যাজিক
...... ঋষি
==================================================
ম্যাজিক শেষ হলে
আকাশ থেকে নেমে আসে নখ বের করা কিছু জানোয়ার।
পৃথিবীতে মিশে থাকে
সময়ের থেকে কুড়োতে থাকে বেলফুলের গন্ধ।
তারা মানুষের মতো দেখতে
কিন্তু মানুষ না ,জানোয়ার সব।
.
আকাশের চৌরাস্তা থেকে নেমে তারা  এগিয়ে আসে পৃথিবীতে
সভ্যতার বুকে রাখতে চায় রক্তমাখা একটা দিন।
তারা হাঁটতে থাকে মানুষের সাথে মিশে
তাদের শরীরে বিষ রক্ত মিশতে থাকে সভ্যতায়।
ক্রমশ রক্তপাত সম্পর্কের নামে ,ধর্মের নামে
প্রেমের নামে ,অহংকারের নামে ,ক্রমশ সভ্যতার নামে
বাজতে থাকে ধ্বংস।
প্রতাটা ধ্বংসের দিন তারা সাক্ষী থাকে মৃত্যুর
তাদের মৃত্যু নেই ,তারা পৃথিবীর  না
শুধু ধ্বংসের।
.
ম্যাজিক শেষ হলে
মানুষের যাত্রাপথে রক্ত বৃষ্টি নামে।
ভাসতে থাকে সংসার নামের সম্পর্ক শুধু নোনতা জলে
সমস্ত রজনীগন্ধার  গন্ধ বাসি তখন।
সবটাই ম্যাজিক
আসলে মানুষরুপি জানোয়ারগুলো মানুষের সাথে থাকে। 

ভূমিকা


ভূমিকা
............... ঋষি
==========================================
রাত  ১০.১৮ হবে
আকাশের তারার দিকে তাকিয়ে বোধোদয়।
আচ্ছা সিঁড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে কতটা নামা হলো চলন্তিকা
কতটা নামা  হলো ভূমিকায় ?
.
রাজা হলাম না
হলাম না কৃষক ,হলাম না কবি ,কি হলাম ?
আচ্ছা চলন্তিকা আমি কি প্রেমিক ?
আকাশের রাতের তারারা সাক্ষী নকল আদরের বাঁচার।
দুঃখের পাথর ভেঙে
আকাশের চাঁদে আজ অবধি বৃষ্টি দেখতে পেলাম না।
আচ্ছা তুমি কি বলতে পারো
সম্পর্কের মানে ?
ঘুম হীন অন্ধকার রাতে সারা সিলিং জুড়ে আকাশ
আকাশের গভীরে সমুদ্রের খোঁজ।
কোথায় যেন চোরা বালি ,ভাঙা ঘর দুয়ার ,খোলা দরজা
আকাশ খোঁজা সম্বল।
.
রাত ১০.৩০ হবে
এক রাশ ধোঁয়া ছেড়ে হিসেবের প্রতীক্ষা।
ঠিক কতটা কাছে থাকলে তোমাকে এতো দূরে মনে হয়
চলন্তিকা বলতে পারো সময়ের ভূমিকা। 

Saturday, February 16, 2019

ইতি বসন্ত


ইতি বসন্ত
............... ঋষি
===================================================
কখনো যদি ফুল ফোটে,
কখনো যদি সম্ভব হয় ,তুমি বসন্ত হয়ে এসো।
আবিরের রঙে ,মনের আবিরে সেদিন অজস্র দাগ
যে গুলো আকাশে ছড়িয়ে দেব।
সেদিন কানে কানে বলবো কে আমি ?
.
দূর বহুদূর
কোনো প্রশ্ন আকাশে ভেসে যদি চোখে এসে পরে ,
তুমি প্রার্থনা করো বাঁচার কবিতার
সেদিন বলবো আমি কে।
আমার শব্দরা যদি তোমার হৃদয়ের গভীরে একতারার সুর তোলে
বাউলের গানে সেদিন মিলনের সুর
আমাকে মনে রেখো ,দেখবে আমি ফুল হয়ে ফুটব।
কোনো প্রাচীন পাহাড়ের ঢালে
সেই স্রোতস্বিনী নদীতে যদি বাঁধ  ভাঙে,তুমি ভাসো
আমাকে মনে করো
আমিও থাকবো তোমার ঠিক পাশটিতে।
তখন বলবো আমি কে
সাত তারার দেশে হারানো কোনো নক্ষত্র
তোমার চোখে।
.
কখনো যদি ফুল ফোটে 
কখনো যদি সম্ভব হয় তুমি আগুন হয়ে এসো।
আগুনে সময় ,আগুনে পথে হাজারো পরিচয়
তার মাঝে ধীকধীক কিছু স্বপ্ন।
দেখবে সেদিন ঠিক আমায় চিনতে পারবে।


.

Friday, February 15, 2019

বিলাসিতা


বিলাসিতা
............. ঋষি
===========================================
কাল বিকেলের ৪ মিনিট ৪৪ সেকেন্ড ,আজ ৫৫
এগুলো শুধু কিছু সংখ্যা।
কিছু কথা চিরকাল অনাদরে থেকে যায়
হয়তো আর কিছুদিন ,তারপর কথাগুলো ফুরিয়ে যায়।
আসলে কেউ কথা রাখে না
কেউ  চায় আবার কেউ হয়তো রাখতে পারে না।
.
বিলাসিতা ছিঁড়ে অল্প কিছু কথা শুধু অভিমানী
তবু বলা হয় না ফিরে এসো।
বলা হয় না যতটা হৃদয় পুড়লে কাঁচের দেওয়াল ভেঙে পরে
কিংবা শুধু উঠোন জুড়ে সিমেন্ট ,বালি ইমারত।
তবু সত্যিটা বলা হয় না
এখন উপন্যাস লেখার সময় কই ,এখন তো বাঁচা শুধু সেকেন্ডের।
স্বপ্ন দেখাটা হয়তো সময়ের কাছে রসিকতা
তাই স্বপ্ন গুঁড়িয়ে ,সত্যি তৈরী হয়।
চুপি চুপি হৃদয়ের দেওয়ালে আঁকা ছবি সে তো কবিতা
এখন মানুষের কবিতা বোঝার সময় কই।
তাই সময় ফুরোতে থাকে ,ভেঙে  পরে সেতু
সত্যিতো এখন মানুষের ভালোবাসার সময় কই।
.
কাল বিকেলের ৪ মিনিট ৪৪ সেকেন্ড ,আজ ৫৫
ফোনের কি প্যাডে ,আদরের স্পন্দন।
কিছু স্পন্দন নিজের ভিতর গুমরে মরে
হয়তো বা কখন ফুরিয়ে যায় ,স্পন্দন থেমে যায়।
ব্যস্ত জীবন ,তার থেকে দ্রুত আবিষ্কার
কেউ চায় হয়তো কেউ শুধু জীবিত তাই। 

পলেস্তারের গল্প

পলেস্তারের গল্প
.............. ঋষি
==============================================
পলেস্তারের গল্প জানে সময়
চুনকালিমাখা অনেকগুলো হাত এগিয়ে আসে বিমূঢ়তায়।
দেওয়াল ভাঙছে পাঁচিল
পাঁচিলের গায়ে প্রাচীন কিছু শেওলা।
অনুভূতিতে নিও আমার এই শব্দমণ্ডলীর ব্ল্যাকহোল
মাথা কামড়াচ্ছে ঘুম ঘোর।
.
ঘুম চাইলে আমাকে কেমন বিষাক্ত দেখায়
নেশার লাল চোখে তুমি আটকে যাও।
তবু তুমি না চাইলেও তুমি আসবে আচারের তেল মেখে
আমার শব্দ বারন্দায় বেগেনভিলিয়া  ফুলের রং নিয়ে।
.
পলেস্তারের গল্প জানে সময়
আমাদের আজগুবি কিছু ভাবনাতে মোরা ঘুমঘোর।
পুরোটা স্ক্র্যাচ ,আদর আর নখের মধ্যে সময় লুকিয়ে
লালা গ্রন্থি ,লালা রস চুষে নিয়ে ভুল করি
দেওয়াল ভাঙে আর মাথার শেওলায় আরো ভারী ভাব।
এই যে তুমি  অন্যমনস্কতায় আমার মনে
চুলে বিলি কেটে দিচ্ছ এই বিকেলের শেষ রোদে
তাই বলে কি উদযাপনগুলো আরো একলা হবে।
.
পলেস্তারের গল্প জানে সময়
চুনকালিমাখা মুখগুলো আজকাল কেমন যেন অচেনা।
দেওয়াল গুঁড়িয়ে স্ক্যাই স্ক্যাপার
স্কাইস্ক্যাপার পেরিয়ে আকাশের মুখ ভার।
তবু কাঁচের দেওয়ালের এপাশে  আমি নিশ্চিন্ত
কারণ তোমাকে আমি ঠিক চিনে নিতে পারি। 

৩৫০ কেজি বিস্ফোরক

৩৫০ কেজি বিস্ফোরক
........... ঋষি
==================================================
আগুন লাগিয়ে দেব
হে মহান ঈশ্বর এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না
নবারুণ কোনো সকালের আলো।
পুড়ে চল চামড়ার গন্ধ বারুদের সাথে মিশে
শরীরগুলো মানুষের ছিল
৩৫০ কেজি বিস্ফোরক কখনো দেশ বদলাতে পারে না।
.
চন্দ্রগুপ্ত মরে গেছে
চন্দ্রগুপ্তের হিসেবের হেরফের এই সভ্যতায় ভয়াবহ বিষ।
বদলানো হাওয়ায় আজকাল আঁশটে রক্তের গল্প
সমরেশ ইনকিলাব নিয়ে ডেডবডি পুরছে সময়ের বস্তায়
ভিতর থেকে কে যেন বলে আমার কাটা হাতটা।
এই পৃথিবী কিনে নেবে মিথ্যে  দাওয়া- এর দোকান
অসুখগুলো মানুষের রক্তে ধর্ম বলে ঠাসা।
মানষগুলো বোবা শৈশবে দাঁড়িয়ে
মারামারি করছে ,
মাথা ফাটাচ্ছে ,বুক ফাটাচ্ছে  ,বিস্ফোরণে ছিটকে যাচ্ছে শরীর।
৩৫০ কেজি বিস্ফোরক
শরীর বদলাতে পারে ,সময় কেন নয় ?
.
আগুন লাগিয়ে দেব
হে মহান ঈশ্বর  যে পিত তার সন্তানের লাশ সনাক্ত করতে ভয় করে
নবারুণ তোমাকে গুলি করে হত্যা করা হোক।
সময়ের দায় ,সত্যি গুলো মিথ্যা বদলানো ছবি
ছবিতে শরীরগুলো মানুষের
৩৫০ কেজি বিস্ফোরক তবু মানুষ গড়তে পারবে না কখনো।

Thursday, February 14, 2019

সহজপাঠ


সহজপাঠ
............. ঋষি
=================================


জীবিত
নিরিবিলি কোনো মৃত শরীর।
কফিনের বাক্সে পেড়েক ঠোঁকার শব্দ
মহান খ্রাইস্ট ,তবু হাসিমুখ।



মুখের উপর দিয়ে মুছে যাচ্ছে নায়কের হাসি
পেঁচার ডাক।
ক্রমশ ভারী হচ্ছে শরীর ,এক ,দুই ,তিন
তারপর নেশার ঢল নামছে রঙিন পাত্রে।

৩..

নেটের অন্ধকার শরীর, আঁশটে গন্ধ
টকটকে ইচ্ছা ,হামাগুড়ি দিচ্ছে মাটিতে বীর্যপুত্ররা।
স্যারিডনে ভেজা শরীর ,
আনন্দ উতলে উঠছে ,বাথরুমের ফ্ল্যাশে।
.

.
সমস্ত আকাশ নেবে আসছে চোখের সামনে
এলিয়ন রাজত্ব।
এলিয়েনরা চেটে খাচ্ছে একে ওপরে ইচ্ছে
বিষাক্ত লালার্স লেগে লিপস্টিক গোলানো ঠোঁটে।
.


মসৃন চাদরের উপর হাত ,পা ছড়াচ্ছে মস্তিস্ক
সারা দেওয়াল জুড়ে অনবরত নগ্নিকারা বেআব্রূ।
ঘুমের সহজ পাঠ
চোখের রেটিনায় স্বপ্নরা ঘুমিয়ে পড়ছে।

বিড়াল (৩)


বিড়াল (৩)
............ঋষি
===============================================
কার প্রেমিকা ?
কলমের থেঁতো নিবে লেগে আছে আর্তস্বর।
অনবরত  স্খলন
মাঝরাতে চোখ খুঁজে পাওয়া সেই বিকেলের পার্কে বৃদ্ধকে।
অজস্র অভিজ্ঞতা, মেয়েটা মুখ টিপে হাসলো
ভীম-রতি চোখের চালশেতে  খোঁজ শহরে ফেলুদা।
.
ডিটেকটিভ নই
আবিষ্কৃত বিমূর্ত শহরের ফলকে লেগে থাকা প্রেমিকা মিছিল।
হাতে প্ল্যাকার্ড
একের পর এক আদুরে বিড়াল সব।
বিড়ালের নখ বসে যাচ্ছে প্রেমিকার স্তনে,ঠোঁটে দাঁত
কেমন একটা রগরগে যৌনতার গল্প।
চুপ সব
শহরের চিৎকার , শহর ডাকছে ,শহর জানতে চাইছে
কার প্রেমিকা তুমি ?
পাগলাটে চাহুনি সেই বৃদ্ধ বসে পার্কের বেঞ্চে
ভীম-রতি  বয়সের রোগ।
.
কার প্রেমিকা ?
কলমের মুখ গড়িয়ে কালী ছড়িয়ে পড়ছে সাদা পাতায়।
ভালোবাসলে নগ্ন হতে হয়
ক্রমশ ব্যক্তিগত অন্য একটা শরীরে ,শরীরের ভিতর।
থকথকে জেলিফিস ,জন্মের পাপ ,দমবন্ধ একোরিয়াম
অনায়াসে বোঝাপড়া সেরে ফেলে ফেলুমিত্তিরের চোখে।

চেতনা


চেতনা
....... ঋষি
===============================================
অনেক উপর দিয়ে উড়ে চলেছে সারি দেওয়া যুদ্ধ বিমান
ফায়ার ,এক ঝাঁক গুলি ছুটে  এলো বিশ্বযুদ্ধ।
আমি ক্লান্ত রক্তাক্ত শুয়ে  আছি অসংখ্য মৃত্যুর মাঝে
দূর থেকে শোনা যাচ্ছে সাইরেন।
আমি ছুঁতে চাইছি সময় ,বাঁচতে চাইছি
হ্যালো ,হ্যালো কেউ কি জীবিত আছেন ?
শুনতে পাচ্ছি শান্তি কমিটির চিৎকার  ।
আর যুদ্ধ নয় ,ডগমক করে এগিয়ে চলেছে সৈনিকরা
পায়ের শব্দ ,আমি চেতনা হারাচ্ছি
আমার বুকে বুলেট।
.
ঘুম ভাঙবে না
শত শতাব্দী পরেও আমার জন্ম বুলেট বুকে রক্তাক্ততায়।
চড়ুইভাতির আধ খাওয়া স্যালাড
কুকুর গুলো মারামারি করছে রাষ্ট্রকে ছিঁড়ে খাচ্ছে।
অন্ধকারে শিশু সুর করে সহজপাঠ পড়ছে ,পড়ছে শৈশব
আমি খুঁজছি শৈশব সময়ের বলিকাঠে আমার মাথা।
কোনো এক বিপ্লবীর শরীর ঝুলছে গলায় দড়ি
শুয়োরের বাচ্চাগুলো এমন করেই সত্যিকে দড়িতে ঝোলায়।
আমি শুয়ে আছি মৃত্যুর সাথে ,ঘুম ভাংছে না
আধখোলা বিপ্লবগুলো গর্জাচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বের রঙ্গমঞ্চে। 

নিরুপায় মুহূর্ত

নিরুপায় মুহূর্ত
.............. ঋষি
===========================================
কাকে তুলে দিতে গেছিলাম বিকেলের ফেরিঘাটে
টিকিট কাটা হয়ে গেছে জেটির।
জেটি আসতে দেরি আছে ,ব্যস্ত শোরগোল
আরও দেরি হোক।
স্মৃতির  মুহূর্তরা , কিছু কথা তোলা থাকে না লেখা ডাইরিতে
সময়ের স্রোতে ভাসতে থাকা নিরুপায় মুহূর্ত।
.
কাকে তুলে দিতে গেছিলাম
বেশ অনেকদিন হলো ,তবু না ফুরোতে চাওয়া মুহূর্ত।
ওইতো বিকেলের রোদ তার ঠোঁটে মুখে
জেটি ঘাটে আসতে  দেরি আছে ,আরও দেরি হোক।
চোখমুখে তাকাতে পারছে না
রুমাল পাকাচ্ছে মুঠো,সারা মুহূর্তে শুধু আদর ছড়িয়ে আছে
স্নান যাকে স্বেচ্ছায় অধৌত রেখে গেছে।
আর কিছুক্ষন জড়ানো মুহূর্ত
আর তারপর  .........
.
ওইতো জেটি লেগেছে ফেরিতে
এগিয়ে চলেছে এগিয়ে চলেছে মুহূর্ত ,হাতে ঝোলা ব্যাগ।
একবার পিছনে ফিরে তাকালো
কিছু বলে নি সে দৃষ্টি ,শুধু কিছু মায়া  রেখে গেছে।
আর সময় দিয়ে গেছে কিছু পায়ে ছাপ আমার বুকে
আমার শহরের রাস্তায় আজও তার পায়ের ছাপ।

মধ্যবিত্ত বাঙালি

মধ্যবিত্ত বাঙালি
............... ঋষি
==============================================
কিছু লিখতে পারছি না
গলির ওপাশে চোরকাঁটা ঘেঁষে দেওয়াল তারপর অনুভূতি ।
আজকাল আকাশের চাঁদ  দেখলে হাই  ওঠে
নিরীহ মধ্যবিত্ত।
ভাতের থালাতে মাংসে অরুচি
আলুসেদ্ধ আর ঘি সুচারু নিরীহ বাঙালি ভোজন।
.
চলন্তিকা নিশ্চিন্তে থাকো
তোমাকে চুমু খাবো না ,না প্রোপোজ একদম নয়।
বুকের ভিতর ব্যাথা বাজে
নিয়মিত ভীরু বাঙালি,নাক ঘষে রাস্তায় চলা স্বভাব ।
স্বপ্নগুলো বড্ডো মাটি ঘেঁষা হয়ে গেছে
বিশাল সমুদ্রে ডুব দিয়ে ফেনিল ঘোলাটে আকাশ।
চলন্তিকা তোমাকে দেখবো লুকিয়ে
হয়তো তোমার লিপস্টিক কোম্পানির খবর নেবো লুকিয়ে।
তোমার সুন্দর আঁখি পল্লবে ,ভ্রূ  কুঞ্চনে ভয় পাবো
না না কথা বলবো না।
শার্লক হোমসের মতো চুরুটের বদলে সিগারেটে হৃদয় পোড়াবো
না না আর ভালো থাকতে পারবো না।
.
নতুন করে কিছু লেখার নেই
ছোটবেলায় ঠিক যেভাবে ডাকটিকিট জমাতাম
ঠিক একই রকম অনেক কথা জমানো।
তোমার বুকের মাপে শহর খুঁজছি
সত্যি বলছি ,মধ্যবিত্ত বাঙালি কোনো স্বপ্ন নেই
শুধু  ডাল ,ভাত আর বড্ডো বেশি একঘেয়ে সময়। 

Wednesday, February 13, 2019

উপন্যাসের চরিত্র

উপন্যাসের চরিত্র
................. ঋষি
============================================
কিভাবে শব্দগুলো কবিতা হয়ে যায়
শহর জুড়ে কারফিউ ,আমার চলন্তিকা ব্যস্ত অন্য পৃথিবীতে।
চলন্তিকা তোমার নীল সালোয়ার
ফিকে আঠালো জল ,ভুলে যাওয়া ভাতের হাঁড়ির চালগুলো।
শুধু অনেকগুলো মুহূর্ত জুড়ে
তৈরী হতে থাকা উপন্যাসের চরিত্ররা সব কাল্পনিক।
.
তোমাকে ছুঁতে ইচ্ছে করে ভোর চারটেয়
তুমি তখন গভীর ঘুমে হরবোলা পাখির মতো।
কত অদৃশ্য স্মৃতির রোমন্থন
তোমার ঠোঁটের অদৃশ্য লিপস্টিকের দাগ চিরকাল আমার জামায়।
তোমার দেওয়া স্মৃতির পকেটে তোমার রবিঠাকুর
দৃপ্ত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে অনবরত গীতবিতান লেখে।
গিটারের স্ট্রিংয়ে লেগে থাকে স্পৃহা
কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া !তোমারি চরণে.........
ফাগুন এসে  দাঁড়ায় তোমার শহরের দরজায়
সমস্ত আকুতি খুলে পিচকিরির লাল,নীল রংগুলো স্বপ্ন।
অদ্ভুত কাঁচের দেওয়ালের ওপাশে অন্য তুমি
আমার কাছে অতচ দূরে।
.
কিভাবে শব্দগুলো কবিতা হয়ে যায়
মস্তিষ্কের পাটাতনে অজস্র চড়াই পাখির  তিড়িংবিড়িং।
খুঁটে খেতে থাকে সম্ভাবনা
কত ভালোবাসার দিন আসে যায় ,আবার ঘুমিয়ে পরে।
শুধু মুহূর্তগুলো দাঁড়িয়ে ভালোবাসা খানকে
চোখের পর্দায় উপন্যাসের চরিত্ররা সম্পর্কে বদলায়। 


অচেনা

অচেনা
........... ঋষি
=========================================
শুধু দৌড়ে চলেছো  প্রান্তর
আমার আমিটাকে আজ অবধি চিনতে পারলে না।
যদি কখনো ভুল করে তুমি এই পথে আসো
দেখবে একটা শুকনো গাছ আজও দাঁড়িয়ে ,শুধু বাঁচবে বলে।
কোনো প্রশস্ত রাস্তার উপর যদি কখনো ক্লান্ত হও তুমি
দেখবে তোমার ঘামের গন্ধে আমিই আছি ।
.
অনেকগুলো দিন
তোমার সংসার , তোমার সন্তান ,তোমার অধিকার
আর আমি আসবাব।
ভাবছি তোমার আগামী জন্মদিনে একটা রাস্তা উপহার দেব
সোনা ,রূপোয় বাঁধানো শেষ না হওয়া পথ।
তুমি দৌড়বে তার উপর দিয়ে
মৃত শতাব্দী ধরে খুঁজে চলবে অলীক কোনো স্বপ্ন।
শেষ না হওয়া পথ
তুমি ঘুমিয়ে পড়বে স্বপ্নে দেখবে তোমার রাস্তা
আমি তখনও দাঁড়িয়ে রাস্তার পাশে
চিনতে পারবে না তুমি ,শুধু দূরে সরে যাবে।
.
শুধু দৌড়োবে তুমি প্রান্তর
আমি তখন কোনো সমাধিতে শুয়ে থাকা মৃত ইচ্ছা।
তুমি থমকে দাঁড়াবে আমার সমাধির সামনে
তোমার চোখ দিয়ে গড়িয়ে নামবে এক বিন্দু জল।
তুমি চিনেও চিনবে না ,বুঝেও বুঝবে না
আমার আমিটাকে তুমি একলা করে যাবে।

যদি সত্যি বলতে পারতাম

যদি সত্যি বলতে পারতাম
.... ঋষি
==================================================
হাগ্ ডে ,কিস ডে ,টেডি ডে ,ভ্যালেন্টাইন ডে
যদি জীবনের জন্য একটা দিন থাকতো।
খোলা আকাশের মতো
মিষ্টি কোনো নদীর মতো ,কিংবা গম্ভীর সমুদ্রের মতো।
নগ্ন পায়ে সবুজ ঘাসে দাঁড়িয়ে ,এক রাশ অক্সিজেন নিয়ে
আমরা যদি সত্যি বলতে পারতাম।
.
সম্ভব ,অসম্ভব
সকালের ঘুম ভাঙা চোখে লেগে থাকা বিরক্তি বোঝাপড়ার।
চলন্তিকা মাথা নামতে নামতে
আজকাল তো শহর ,দেশ ,রাষ্ট্র সব বিকিয়ে  গেলো।
ভালোবাসা তো সস্তা গলিতে দাঁড়ানো সেই বিকিকিনি
শরীর বদলায় শুধু ভালোবাসার খোঁজে।
মোমবাতি মিছিলে দাঁড়িয়ে সম্পর্ক
শুধু বিপ্লব খুঁজে চলে শহরের প্রতি গলি খুপচিতে।
চলন্তিকা মাঝে মাঝে আমার আকাশ থেকে শহর দেখতে ইচ্ছে করে
ইচ্ছে করে সময় দেখতে চামড়ার গভীরে গিয়ে।
সব বদলায়
শুধু বদলায় মানুষ সময়ের অন্তরায়।
.
হাগ্ ডে ,কিস ডে ,টেডি ডে ,ভ্যালেন্টাইন ডে
মিথ্যা কিছু বুলি আঁকড়ানো সময়।
এইভাবে ভালোবাসা যায় না ,যায় না কাছে যাওয়া
কারণ ভালোবাসার কোনো দিন হয়।
পঞ্চ রিপুর আড়ালে দাঁড়ানো মানুষ ,শুধু বাহানায়
মিথ্যা সাজিয়ে সত্যি খুঁজে মরে। 

ঈশ্বর কন্যা

ঈশ্বর কন্যা
.... ঋষি
=========================================
তুমি ঈশ্বর কন্যা
নিজস্ব ভ্রণে বাসা বেধে থাকা নিরলস যুদ্ধ।
যুদ্ধ কালীন তৎপরতায় একের পর এক ধ্বংস
তবু ঐশ্বরিক আলোকোজ্বল কোনো আকাঙ্খা।
মৃত শহরের বুকে মিথ্যা পরিচয়
পরিচিত সময় শুধু মাত্র বেঁচে থাকার উপলব্ধি।
.
উপলব্ধি বলে বিশ্বাস
ক্ষনিকের বাতাসে অক্সিজেন যেন অন্য শহর।
ঈগলের চোখে দর্শন
অনুভবে বয়ে চলা ক্ষনিকের তরল কবিতা।
সবকিছু দাহ্য এই পৃথিবীতে
হয়তো হৃদয় সেও কোনো অঙ্গীকারে দহন বেলা।
সবকিছু বলতে নেই
সবকিছু কখনোই বুঝতে নেই ,বুঝেও না বোঝা ,
চতুর্ভূজ মাপকাঠি স্নেহনির্ভর।
আসলে আমরা দৌড়োতে পারি না হৃদয়ের আগে
হৃদয় ঠিক দাগ টেনে দেয় বেঁচে থাকায়।
.
তুমি ঈশ্বর কন্যা
পরাভূত আগুনে তোমার জন্ম কথা কেউ জানবে না।
শুধু আমি জানি
আমার বুকের বারান্দায় মাঝে মাঝে স্বপ্ন জন্ম নেয়।
জন্ম নেয় তোমার মতো ইচ্ছারা ,অথচ
 সারা আকাশের বুকে তখন যুদ্ধবিমানের চোখরাঙানি। 

Saturday, February 9, 2019

ঘুম


ঘুম
....... ঋষি
============================================
ঘুম ভাঙবে তো
সময়ের আঁচলে যদি মুখ লুকোয়।
চলন্তিকা তুই বলিস আমার কাছে এসে ঘুমো
কিন্তু ঘুম ?
.
আমি আমার শব্দদের নিয়ে যদি রৌদ্র আলোয় আদর খুঁজি
অনিদ্রার সম্বল।
কাল সারারাত শুধু তুই বুক ছিঁড়ে মুখ ঘষেছিস  আমার জঙ্গলে
অদ্ভুত আদর।
কি ছিল জানি না ,কি আছে জানি না
শুধু  চোখ খোলা রোগ।
.
ব্যস্ত শহর অসংখ্য আঁকিবুকি ,আরেকটু কাছে
জীবন যুদ্ধ।
সম্পর্কের বিশ্বাসে শুধু অবিশ্বাসী আমি
প্রেম খুঁজি তোর আঁচলে চলন্তিকা।
কি জানি কি ভাবা আছে ,কি মনে রাখা সহস্র যুগ
তোর পিছন ফিরে চলে যাওয়া ,মনখারাপ।
.
ঘুম ভাঙবে তো
সময় যদি এক ঝংকারে তোর কাছে এসে দাঁড়ায়।
আমি ঘুমোবো সেদিন তোর বুকে মাথা
আর আমার লুকোনো ব্যাথা।  

চোখের আলোয়


চোখের আলোয়
........... ঋষি
=============================================
আমি বাঁচি ,তুই বাঁচিস
সোনা রঙের শহরে তোর রাত্রিবাস
অনন্ত বিশ্বাস।
.
রৌদ্র এসে পরে শীত ফুরোনো কবিতায়
শহর জুড়ে আনন্দরা সব তোর কাছে ব্রাত্য চিরকাল।
তবু একটা হাসি লেগে থাকে
ফিক করে চকোলেট ঠোঁট ঘেঁষে অনন্ত ছুঁয়ে থাকা।
তবু একটা প্রশান্তি তোর মুখে
সময়ের রোটেশন ,নির্ভীক ভাবনায় এগিয়ে চলা বুক চিতিয়ে।
কার জন্য কি এসে যায় ?
কার জন্য কখনো কি এসে যায় ?
তবু আসে যায় চারিপাশে সময়ের রূপে সময়ের অনন্তরা।
ঠিক এমনি কোনো দিনে
আমার হৃদয় আটকানো মহামান্য ক্রুসে
আর তোরটা বোধহয় চোখের আলোয়।
.
আমি হাসি ,তুই হাসিস
সোনা ছেটানো শহরে দীর্ঘশ্বাস  তুই ,আমি
অনন্ত বিশ্বাস। 

নক্সী কাঁথা


নক্সী কাঁথা
.......... ঋষি
============================================
আমি বলি চুরি ,তুই বলিস ডাকাতি
আমি বলি বুক ,তুই বলিস সুখ।
.
ফিরে আসা সময় ,পথের ধুলোয় মিশে থাকা বিস্তীর্ণতা
চলন্তিকা আজকাল দিনগুলো বড় একা লাগে।
হয়তো কিছু ভাবা যেতো
সময় ,বছর ,ক্যালেন্ডারের দাগ ঘেটে ,
হয়তো কিছু পাওয়া।
ছকের জীবন ,আমরা শুধু মৃত্যুর তাঁত বুনে চলি
কেউ জানি না জীবন এখানে কোন গল্পে মুখ ভার করে দাঁড়িয়ে।
এক রাত্তির জাগা ভেজা নক্সী কাঁথা ,পক্ষী রাজ্ ঘোড়া
তোর কপালের কালো টিপ্ ,দিন দুপুরে ডাকাতি
আর তোর মুখে হাসি।
মিশে থাকা সময়ের আয়নায় দেখা মুখ তোর ,আমার
কিংবা এক মুহূর্তের
বড় আদরের।
.
আমি বলি বাঁচা ,তুই বলিস হাসা
আমি বলি চুমু ,তুই বলিস ঘুমো।  

Wednesday, February 6, 2019

হিভেনলি ফিলিংস

হিভেনলি ফিলিংস
..... ঋষি
============================================
আমরা সকলে ফিরতে চাই
ফিরতে চাই পিছনের রৌদ্র ছুঁয়ে মোলায়েম বিকেলে।
হিভেনলি ফিলিংস
পৃথিবীর পরিধি ,বাস্তব সব ছেড়ে চোখের পর্দায় বালি।
আরো পিছনে
ফিরতে চাওয়া স্বর্গীয় প্রথম অনুভবের কাছে।
.
অদ্ভুত মুহূর্ত
মুখ ছাড়া ,মূহের অভিব্যক্তি কল্পনা করা আকাশকুসুম।
আমরা জানি ,আমরা মানি
জন্ম এক মুহূর্ত ,আর বাঁচা এক চুক্তি ,অথচ থামতে হয়।
থামতে হয় নিয়মানুযায়ী সময়ের কাছে
সময়ের কল্পনায় মানুষ শুধু প্রতি মুহূর্তে ভয় পায়।
একটা জানলা দিয়ে ছুটে  আসে শীতল জীবন
আর আমরা শুধু অপেক্ষায় সেই কল্পনায়।
অনাবিল চুক্তি
যুদ্ধ চলতে থাকে কিংবা থামতে জীবনের ,
অথচ কল্পনায়
অন্তঃসারশূন্য বীরত্বকে কেউ জানতে পারে না।
.
আমরা সকলে ফিরতে চাই
ফিরে যেতে চায় শৈশব ছুঁয়ে সেই বাড়ন্ত সময়ের আলিঙ্গনে।
হিভেনলি ফিলিংস
পৃথিবীর ব্যস্ততা , কুশ্রীরূপ সব ম্যাজিক কল্পনায়।
আরো পিছনে
হয়তো কবিতারাও সবার মতো ভাবতে ভালোবাসে।

Tuesday, February 5, 2019

নির্ভেজাল

নির্ভেজাল
......... ঋষি
======================================
অনেক দেশ ঘুরে ,স্বপ্ন পার হয়ে চলন্তিকা আসে
আমি ক্লোজ সার্কিটের হৃদয়ের ঘর পেরিয়ে
তাকে কাছে নিয়ে আসি।
.
উর্বর সময়ের দরজায় শঙ্খ ধ্বনি ,আল্পনা ,লাল আলতা
সংক্ষিপ্ত জীবন ,তাকে দেখতে ঠিক সময়ের মতো
হাতের আঙ্গুল বেয়ে গড়িয়ে যায়।
.
আমার পড়ার টেবিল ,দক্ষিণের জানলা ,ঝোলানো বারান্দার ম্যানিপ্ল্যান্ট
সব মিলিয়ে একটা নিশ্চিন্ততা দুপুরের রোদ
হালকা ছায়া ফেলে আখরোট ঠোঁটে।
..
আমার অবৈধ নিশ্চিন্ততা ,লুকোনো সৌরভ ,কবিতার শব্দদের
খুলে ফেলি  একে একে চলন্তিকা দেখবে বলে
চলন্তিকা হাসে আর বলে সময় এখনো বাকি।
.
আমি চলন্তিকাকে বুঝতে চেষ্টা করি
ঢুকে পড়ি হৃদয়ের লুকোনো বারান্দা পেরিয়ে তার শহর
শহর জুড়ে সেদিন নিস্তব্ধতা ,আমি হারিয়ে যাই।
.
চতুর্দিকে বারুদের স্তূপ ,নির্ভেজাল সম্পর্ক
অদ্ভুত চাহুনিতে খুলে যায় সময়ের আদর
আমি ঘুমিয়ে পড়ি। 

Saturday, February 2, 2019

যাযাবর


যাযাবর
..... ঋষি
================================================
লিখতে লিখতে খাতা খুলে পড়ছে
খাতা থেকে ঝরে পড়ছে কবিতার এলোমেলো শব্দ।
সারা উঠোন জুড়ে ,আমার পড়ার টেবিলে
বিছানা ,বালিশে ,এস্কিমোর দেশে বরফ শরীরে।
যাযাবর,,, আরো দূরে চেনা মুখ
ক্রমশ যুদ্ধ মশগুল প্রকৃতি জ্ঞানে।
.
মন তুই জানিস আমি কবিতা লিখতে পারি
আমি মিথ্যা বলতে পারি ,
কিন্তু  সত্যি কি সত্যি বলে কিছু হয় ?
অস্থির -৪০ ডিগ্রি ঘেঁষে
দীর্ঘ বরফের ভিতর দিয়ে হেঁটে চলা বরফ শরীর ,,আর সম্পর্ক ,
শরীরের ভিতর ঢুকে পরে ,ফায়ারপ্লেসের আগুনে
ঝলসে ওঠে মাংস।
কামনা গুঁজে দিয়ে সত্যি সেখানে ঝলসে ওঠে হাড়।
সত্যি বলতে নেই
অথচ  তুই বিপ্লব বদল করে গর্জে যাস প্রিয় ঘৃনাতে
উপচে ওঠে বরফ ,
অতলে তখন আগুনগুলো বেঁচে।
.
লিখতে লিখতে ভাবনায় কেন জানি কিছু দুমড়ে মরছে
শব্দরা আকুল হয়ে বরফ খুঁড়ছে সভ্যতায়।
দূরে কোথাও সূর্য উঠছে ,আবার ডুবছে
অথচ তোর সভ্যতায় বয়ে চলেছে সময় ,বরফ শরীর।
যাযাবর ,,,,আরো দূরে
ক্রমশ আবছা হচ্ছে দিন ,কনকনে ঠান্ডায়। 

ওলোট পালোট

সোজাসাপ্টা কথার পরে কিছু বাকি থাকে নাকি হঠাৎ নিজের মুখের দিকে তাকাতে ইচ্ছে করে না হঠাৎ আবার ভাব হয়ে যায়,  আসলে ভালোবাসা শব্দটা ভীষন বাধ্য,বড...