Monday, January 29, 2024

বাঘের নখ

অনেক দূরে দাঁড়ানো কথাগুলো 
ইদানিং পথ চলতে বারংবার বাঘের নখ 
আমি থমকে দাঁড়াই ,
এতদিনের কাটানো কথাদের মুহূর্তগুলো  
আজ গুছিয়ে ফিরে আসে ,তারা মুখভেংচে  হাসে 
নিজেকে বড় রক্তাক্ত ,ক্লান্ত মনে হয়। 
.
জানি একার শহরে নিয়ম করে নিস্তব্ধতা আসে 
যেখানে যে হাতে শুশ্রুষা রাখা ,রাখা হাত 
সে হাসে। 
তখন এক বিকেলের না কাটা মুহূর্তগুলো বুকের কাছটা খামচে ধরে 
কখন যেন তার আঙুলের নখগুলো বাঘের মনে হয় 
অদ্ভুত তবু সেখানেই  রক্ত , সেখানেই সুখ ,
সেখানেই স্বীকৃতি ,সেখানেই দুঃখ 
সেখানেই অস্তিত্ব ,সেখানেই শিকার। 
বুকটা ফালাফালা করে চিরে ফেলে ,ছিঁড়ে ফেলে সে 
তবুও কথাদের ক্লান্তি নেই ,তারা আসে 
আমার অযোগ্যতা প্রমাণে,প্রমাণিত গণিতে 
কথারা  অংক হয়ে ওঠে। 
.
বাঘের নখ 
... ঋষি

Friday, January 26, 2024

অসুখের দেশ

অসুখের দেশে আবার এক প্রজাতন্ত্র ঘুম ভাঙায়
নিয়মমাফিক আবার একটা সরকারী ছুটি
পাড়ায় পাড়ায় পিকনিক , ফুটবল ম্যাচ
মাইকে এ র রহমান, বন্দে মা তরম,তিরঙ্গা,
বুকের সংবিধানে অসংখ্য ধারা বি.আর আম্বেদকার
অসংখ্য মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, বিকিয়ে যাওয়া দেশ
অথচ বোকা জনগন ক্লান্ত তিরঙ্গার তলায়। 
.
নির্বাসনে মানুষ,  লোভী, স্বার্থপর ইচ্ছেরা
আগামীর পরাধীনতাকে টফি,বস্ত্র  বিতরন করে
চিৎকার করতে বলে দেশ,আমাদের দেশ
কিন্তু কোন দেশ? 
যে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জীবিকার কোন আগামী নেই
যে দেশের শৈশব, অনুভব, অহংকার সব বিজ্ঞাপনে
যে দেশের বুদ্ধিজীবি, কবির কলম সমঝতা করে
যে দেশের জাতীসংগীত ফ্রি বিরিয়ানির ভিক্ষা করে 
সেই দেশ? 
যেখানে সত্যি বলার জন্য বিপিন মাষ্টার গুলিবিদ্ধ হন 
যেখানে সত্যি সৃষ্টির জন্য স্রোষ্টারা কোনঠাসা হন 
যেখানে হিং, টিং, ছট একাডেমিক পুরষ্কার পায় 
যেখানে ডোনেশনে আগামী না, ভোট তৈরী হয় 
সেই দেশ?
.
সমঝতা, মেরুদণ্ডহীনতা, ফেক পরিচয়,মিথ্যা অভিনয় 
কোন দেশের ভীত কিংবা আগামী হতে পারে না,
শুধু আগুনে পূড়ে দেশ হয় না, মানুষের  জন্য দেশ।
দেশ মানে মেহেনতী ঘাম আর অতীতের প্রতিশ্রুত ইচ্ছা
যারা ভিখিরি নয়, যারা মাথা উঁচু করা মানুষ,
কিন্তু আমার অসুখের দেশে ইদানীং চিল, শকুনের ভীড়
সেখানে কোন মানুষ নেই, শুধু কিছু মৃতদেহের বাস। 
.
অসুখের দেশ
.. ঋষি 



Wednesday, January 24, 2024

যা রটে

জীবন এক অত্যাধুনিক অদ্ভুত গ্রহ 
যেখানে সমর্পণ একটা বোকামির নামান্তর, 
সম্পর্কের অপরাধবোধ 
আগুন নিয়ে খেলা হৃদয় পোড়ানো সম্বল
সবটুকু জন্মান্তর চাইলেও
মোমবাতি জ্বলতে থাকে,পুড়তে থাকে হৃদয়। 
.
সবটুকু হারিয়ে গেলে ফিরে পাওয়া সম্ভব না 
ফিরে পাওয়া সম্ভব না অতীতের যোগফল,
হাঁড়ি,কড়া সব পরে রইলো পুরোনো রান্নাঘরে
তবু আদরগুলো থাকলো না, 
পুরনো বিছানার চাদর, বালিশ, তোষক সব রইলো 
অদ্ভুত তবু মানুষের ঘর থাকলো 
.
কাঁচের গুড়োর মতো ছড়ানো যন্ত্রনারা কথা বলে
ভাঙ্গাচোরা স্বপ্নগুলো অহেতুক মুখ ঘষে তোমার বুকে
আমরা দেখি মহাকাশে মানুষের ঘর
তবুও ইচ্ছামৃত্যুর কাছে আমাদের ভিতরের ঘরে ধুলো জমে
আর কোন জন্মান্তর থাকে না
শুধু যা রটে, ভিতরের ঘরে তার  কিছু তো ঘটে। 
.
যা রটে 
.. ঋষি 


Saturday, January 20, 2024

ফুরিয়ে যাওয়া রাস্তা

একটা ফুরিয়ে যাওয়া রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে 
গীতবিতান খুলছি ,,, সেই গানটা 
" তুমিকোন কাননের ফুল ,কোন গগনের তারা " ।
কেমন যেন অসুখের সুর আকাশে বাতাসে 
কিছুতেই যে পুরোনো ধুলোজমা ফোটোফ্রেমটায় 
রবিঠাকুর হাসেন না 
শুধু অসুখে ভুগতে থাকা শহর আমাদের  কানের কাছে 
বিষন্নতা গায়,ক্ষমা ভিক্ষা করে ,করে অপরাধী । 
.
মানুষ বাসা বাঁধে ভালোবাসায় 
তাদের  বাসা ভাঙে কারণ সেই  মানুষগুলো আর সেখানে থাকে না 
সময় হিসেবে করে  ,তখন ধূমকেতু হয় ,মহাপ্লাবন আসে ,
দুটো বোকা মানুষ হঠাৎ পাগলের মতো বিপরীত মুখে ছোটে। 
মানুষগুলোর হাপরের মতো বুক টানে ,অহং গুলো সুখ টানে 
নিশ্বাস সেই সময়  ফিসফিস করে বিশ্বাসকে বলে বারংবার ভুল,ভূল  
অবসন্ন মানুষগুলো বিশ্বাসের ভাঙা কাঁচে  হাত বোলায় 
ব্যাথার ভিতর ছুঁয়ে নামে অশরীরী ভালোবাসা।
 .
মস্তিষ্কের শিরাগুলো সেই মুহূর্তে , মুহূর্ত মুছতে চায়
মুছতে চায়  দেশ -কাল - সীমানা ,
ফিরে আসার ছুতোটুকু খুঁজতে গিয়ে 
দুইখানি বুক পাশাপাশি ভাঙতে থাকে। 
ভাঙার শব্দ পাওয়া যায় না 
শুধু গীতবিতানের সেই গানটা হঠাৎ ,,জড়িয়ে ধরে 
" যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে,
আমি বাইব না মোর খেয়াতরী এই ঘাটে " ।
.
ফুরিয়ে যাওয়া রাস্তা
... ঋষি

Wednesday, January 10, 2024

mon pagol

তারপর একদিন সত্যি উড়ে যায় মনের পাখিটা 
দুঃখগুলো খবরে উঠে আসে 
উড়তে সে অনেকদিন আগের থেকেই চেয়েছিল 
দরজা ওরকম ভেজানো ছিল সম্পর্কের 
শুধু সকলের জানা হয় না এই শহরে মনেরও বেসাতি হয় 
অযথা রূপে ঢলে পরে কোনো কোনো মন পাগল। 
ঘুরে বেড়ায় মন পাগল 
চিৎকার করে ,কোথায় মন বেচে গো ,কোথায় মন পাওয়া যায় ? 
সকলে চোখ টিপে হাসে ,অনেকে মজা করে 
কেউ কেউ বড় দয়ার চোখে খুব অবহেলায় তাকায় ,
আসলে সকলে তো সম্পর্কের মাঝে হাজারো আফসোস খোঁজে না
যাদের মন আছে তারা বলে  " মন সেও কি বদল হয় "। 
.
পাখিটা ভাবে এই পাগলের সাথে থাকা যে খাঁচায় মাঝে  থাকা 
আমার তো আকাশ আছে ,
                                        কিন্তু মনপাগল 
সে সারা শহর ঘুরে দেখতে পায় সন্ধ্যে হয় ,শাঁখ বাজে ,ধুপ ধুনোর গন্ধ 
বুঝতে পারে এই শহরে আর কবিতাকে ভালোবেসে আবৃত্তি করে না কেউ 
সকলের মেহফিল চায় ,সকলের বাহবা 
এখন তো স্ট্রিটলাইটের কৃত্রিম আলোয় অন্ধকার দূর হয় 
সেখানে মন ,সেখানে কবিতা 
                            ব্রাত্য। ব্রাত্য বড়। 
মন পাগল তখন মনের জানলায় চেপে ধরে বুকটা 
এত শব্দ ,এত অহংকার ,এত উপকরণ।.. তবু কেন এত শূন্য সব ? 
এখানে যে প্রভুত্ব ,এখানে যে অলংকার 
না দাসত্ব নয় ভালোবাসা ....,
পাখি তখন আপন সুখে গেঁয়ে ওঠে মুক্তি ,আকাশ 
হঠাৎ সেই মুহূর্তে  মন পাগল স্তব্ধ হয়ে আকাশের দিকে তাকায় 
তার চোখ দিয়ে ঝরে পরে শব্দহীন মুহূর্ত ,
তবুও মনপাগল কিছুতেই বোঝে না ,হেসে ওঠে 
আপন মনে বলে 
      হেরে গেলে তো। ......হেরে গেলে ,
                                শুধু ভালোবাসলে মুক্তি হয় না 
                      হয় না মুক্তি। 
.
মন পাগল 
... ঋষি

Sunday, January 7, 2024

পাথর

কালকের জন্য আর সকাল তুলে রাখবো না
অনেক হয়েছে স্বনামধন্য বিছানার সাথে গাঁটছড়া
সম্পর্ক যখন পাথরের বদলে শুধুই প্রয়োজন 
সেখানে পাথরটাই রাখা ভালো
ঠোকাঠুকিতে বেঁচে আছি মনে হয় 
কিন্তু শুধু প্রয়োজন সে তো বদলায়। 
.
যেমন ধরো তোমাকে যতবারই ছুঁতে যাই 
তুমি নাক লাল করে জমিয়ে আলুসেদ্ধ মাখো 
যেমন ধরো তোমায় যতবার চুমু খাই
তুমি চমকে উঠে বুকের লোমগুলো খামচে ধরো
অথচ প্রতিবারই জাগার নেশায় তোমার আরও কাছে
তোমার নাকের নালিশে মিশে যাই। 
.
তাই আর শুধু বাঁচার জন্য বেঁচে থাকবো না
অনেক হয়েছে তুমুল শীতের রাতে বালিশ বুকে থাকা
সম্পর্ক যখন নিয়মের ঘরে বড্ড অনিয়ম 
সেখানে বালিশে না,তোমার বুকের নালিশে মুখ ঘষবো 
তোমার নালিশগুলোকে ইদানীং ভালোবাসা মনে হয় 
আর বালিশটাকে অভ্যাস। 
.
যেমন ধরো এখন মধ্যরাতে যখন শহর হাঁপাচ্ছে
আমি ক্লান্তিতে শুনছি ঈশ্বরের সংলাপ 
যেমন ধরো তোমার বুকে খাঁজে এখন জড়ানো বালিশ
নিয়ম করে বোঝাচ্ছো নিজেকে বসন্ত আসছে, 
অথচ তোমার প্রতিটা রাত আমার কাছে নালিশ করে
বসন্ত না, আমি তোর পাথর হয়ে থাকতে চাই । 
.
পাথর 
.. ঋষি 

আর একা আমি


তোমরা ক্লাইম্যাক্স শেষে একটা দারুন জীবন চাইছো
আমি দুটাকার মুড়ি, চায়ের ভাঁড়ে তোমায় চাইছি,
তোমরা মর্ডান হেয়ারকাট ক্যাট ওয়াকে হাঁটতে চাইছো 
আমি লাল মাটির দেশে খালি পায়ে একলা যাচ্ছি,
তোমরা লাল ছবিতে  চেটেপুটে  রগরগে সঙ্গম চাইছো 
আমি সঙ্গম শেষে তোমার বুকে থাকতে চাইছি। 
তোমরা ফিসফিস করে চক্রবুহ্যে দেশ বানাচ্ছো 
আমি শব্দ দিয়ে সে দেশের নাগরিক,  মুক্তি চাইছি,
তোমরা রাস্তাঘাটে গালাগাল করছো, করছো মারামারি
আর আমি সেই রাস্তায় একলা দাঁড়িয়ে মার খাচ্ছি,
তোমরা এখানে সেখানে থুথু ফেলছো, বমি করছো
আমি নিজের থুথুতে নিজেই ডুবে মরছি। 
.
ঠিক এইভাবে লাল মাটির দেশ
তোমার শান্তিনিকেতনি ব্যাগ 
ঠিক এইভাবে তোমার খোলা চুল
আমার গৃহত্যাগ
ঠিক এইভাবে তোমার বাইরে আমি 
আর আমার ভিতর তুমি
ঠিক এইভাবে আমার আট বাই আট মুক্তি 
আর তোমার সাথে চুক্তি
ঠিক এইভাবে পাটিসাপ্টায় নলেন গুড়
আর হৃদয়ের ভাংচুর 
ঠিক এইভাবে গল্পের ক্ল্যাইম্যাক্সে ব্যাস্ত তুমি
আর একা আমি
                আর একা আমি। 
.
আর একা আমি
..ঋষি 


Saturday, January 6, 2024

রুমাল

কতটা আমাকে জানতে চেয়েছো
আদৌ কি জানতে চেয়েছিলে? 
শৌখিন বাহারী রুমালের গায়ে আমার নাম
তোমার ঘামের গন্ধটা আমার প্রিয় চিরকাল
রুমালে ছিল, তোমার প্রিয় রুমাল 
আমাকে যত্ন করে  আলমারীর ভাঁজে রেখে দিও।
.
তুমি অন্ধকার রাতে বেজে ওঠা ব্যালেরিনা
জ্বালাও আগুন, পোড়াও আমাকে
মাটির টেরাকোটা সেই শিল্পীর হাতটার মতো
ঠিক যেমন করে পুড়েছে রোম নিরোর সুরে
তুমি পোড়াও আমাকে 
সেইসব একলা অভিমানী দিনে যখন তোমাকে দরকার। 
.
ভাতের গন্ধ, আজকের পনির 
টেবিলের ওপর ছড়ানো তোমার আগামী সুরের গান
বিছানার চাদরে ভুল করে থেকে যাওয়া আমি 
সত্যি কি আমার বাইরে তুমি? 
জ্বালাও আগুন নিজেকে ভোলাবার ছলে
ভুলিয়ে ফেলো আমায়।
আজ গতজন্মের পাগলামী একাকি কিছু উচাটন 
এর পরও বলবে ভালোবাসা কোন বাঁশী নয়
ভালোবাসা কোন সুর নয়
ভালোবাসা মানে তুমি নও
ভালোবাসা হলো তোমার আলমারীতে সযত্নে রাখা
সেই রুমাল। 
.
রুমাল 
... ঋষি 

পারছি না

ফিসফিস করে শিশির পড়ে সকালের ঘুমে 
ঘুম ছাড়িয়ে আমি তোমার কাছে ফিরতে পারছি না কিছুতেই ,
স্বপ্নের গা বেঁয়ে গড়িয়ে নাম স্নেহ জল 
যেমন জানলার কাঁচে শিশির 
আর না জীবন ,আর না কিছুতেই কোলাহল 
আর তো 
        ......পারছি না। 
.
আরো দীর্ঘায়িত অবিশ্বাস 
প্রতিদিন ফিরতে চাওয়া যান্ত্রিক বাঁচতে চাওয়া ছেড়ে 
দীর্ঘনিঃশ্বাসে মনকষাকষি ,নিস্তব্ধে তোমার  পায়ের শব্দ 
ভালো থাকার চেষ্টা করি ,মানতে পারি ,
তোমার এই নিঃশব্দে আনাগোনা আর না
কি করবো  তোমাকে ছাড়া কিছুতেই ভালো থাকা 
                 ...... পারছি না। 
.
সমস্ত উত্তাপ বুকের পাঁজরে পুড়িয়ে তোমার ক্লোরোফর্ম 
তোমার সবুজ গাছ ,সতেজ নিশ্বাস 
খানিকটা  তোমার বাড়ির দেওয়ালে আঁকিবুকি পক্ষ্মীরাজ 
সারা ঘরময় পায়চারি করে শেষ রাতে ,
ফিসফিস করে শিশির পড়ে সকালের ঘুমে 
রাত জাগা আমি ঘুমোতে চেয়েও 
                             ...... পারছি না। 
.
পারছি না 
... ঋষি

Friday, January 5, 2024

অসমাপ্ত ভাস্কর্য


ঘর সাজানো ছিল 
ফুল তোলা চাদর দেরাজ থেকে নামিয়ে পাতা হলো 
তবুও পৃথিবীর ৮৫০ রকমের সঙ্গমের কোনোটাই স্বপ্ন দেখলো না 
তবুও পৃথিবীর ১৫২ রকম চুম্বনের কোনোটাই জন্ম নিল  না  ,
শুধু বিছানার পাশে রজনীগন্ধার স্তবকটা অকারণ প্রমাণিত হলো 
কোনো বিশ্বযুদ্ধের পরের ভূমিকায় 
কিছুটা সময় সাথে থাকা হলো নিজস্ব নগ্ন ভালোবাসা প্রমানে। 
.
তোমাকে গ্রীক ধাঁচে ঢেলে 
এতো কাছ থেকে কবিতা লেখার ইচ্ছা কবির বহুদিনের 
অথচ কবিতার বইগুলো সাজানো ছিল বুকশেলফে নির্দিষ্ট তারিখে 
অথচ কবিতার প্রথম পাতায় খুব যত্নে লেখা ছিল কবির নাম 
বইটার মলাটে তোমার নামটাও ছিল বেশ আকর্ষণীয় 
তবুও কবিতা লেখা হলো না
কিছু এলোমেলো শব্দ তোমার বিছানার চাদরে অকারণ ভালোবাসায় 
শুধুমাত্র পথ হাঁটায় পাশাপাশি ছিল। 
শরীর ছিল ,সরু ভাতের চাল ,মাছের মাথা মুগের ডাল 
শেষ পাতে দইটুকু ছিল 
শুধু ,শুধুমাত্র তুমি ছিলে না,শারিরীক । 
.
তোমার চোখে কাজলে লোকানো ভয় 
তোমার আয়না সম্পর্কের অজানা রোগ ,টানাপোড়েন 
তুমির কপালের লাল ছোট টিপটা ঝরে পড়েছিল 
শুধু সাহসের বড়াই করে কস্তুরী ঈশ্বরটুকু তোমার নাভিপদ্মে ঝরে পড়লো। 
বেলা গড়িয়েছিল 
সমস্ত সজলতা তোমার ক্লান্ত শরীরে,ক্লান্ত চোখে 
তুমি মুখ ঘষছিল আমার বুকে ,হয়তো কাঁদছিলে 
সেদিন কেউ এসেছিল কিনা আমি জানি না 
শুধু জানি একটা অসমাপ্ত সঙ্গমের ভাস্কর্যের সামনে আমি পিকাসো 
কিংবা গ্রিক ভাস্কর ফিডিয়াস।  
.
অসমাপ্ত ভাস্কর্য
... ঋষি

Wednesday, January 3, 2024

প্রত্যাশী

বুক ছুঁয়ে চুইয়ে নাম প্রত্যাশার ওম 
জানলার বাইরে ক্লান্ত শহর গন্ধ খোঁজে, তুমি  
মুহূর্তরা দাগ ছেড়ে মিলিয়ে যায় অন্ধকারে 
আবছা হতে থাকে আলোর রেশ 
হারিয়ে ফেলি ,হারিয়ে যায় ,তোমার অসন্তোষ 
এই শহরটাকে  অন্ধকারে  মুড়ে ফেলে। 
.
অন্ধকার এই শহরের কোনো বস্তিতে উনুনে আঁচ পড়ে 
দুঃখের মতো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে উপস্থিতি কাম্যতায় 
ধূপের গন্ধ, অনুচ্চারিত হৃদয়  নিয়ে কেউ উচ্চারণ করে প্রার্থনা
যে প্রার্থনা স্বার্থগন্ধহীন, অশেষ ,অনন্ত এক সর্বনাশ ,
উজবুক সময় কুকুরের মতো বিস্কুটের দাবিতে ভিড় করে পাড়ার চায়ের দোকানে
আমার অসম ভাবনায় তখন ক্লান্ত অধিকারবোধ পুরোনো রেডিওতে শুনতে পায় 
" তু ইস্তারহা সে মেরে জিন্দেগিমে সামিল হ্যা। "
তখন তোমার আঙিনায়  ব্যস্ততা আছড়ে পড়ে 
মুখোমুখি চায়ের কাপে এই শহরে কফিশপে মুহূর্তরা ,
আমি শীতের আবছা ল্যাম্পপোস্টের নিচে  একলা দাঁড়াই  
অদ্ভুত এক ম্যাজিক শীত শীত করে 
আলো আঁধারি কুয়ালসার মাঝে তোমার আঙুলগুলো দেখতে পাই 
কিছু বাড়তি মনকষাকষি আর বিষন্নতা সাথে ।  
এ শহরে সমস্ত ঋতুরা আছে ,তবু শীতকাল 
 এ শহরে মিশে থাকে অভিমানে 
 এ শহরে খুঁজলে প্রেমিক মেলে ,শরীর মেলে , প্রার্থনা মেলে
 এত দাবি নিয়ে চলে যাওয়া হয় না আমার 
 আর হয় না বলেই ফিরে ফিরে আসি
                                 অনন্ত প্রত্যাশী।
.
প্রত্যাশী 
... ঋষি

চরিত্রহীন

আমার দুহাতে তোমার স্তন 
দুটো হাতবোমা, এই সভ্যতার ধ্বংস চাই 
আদমের জারজ আমি 
তবুও তোমার সঙ্গমে জন্ম চাই 
একটা জীবন, একমাত্র তুমি
শুধু কবিতায় নয়, চরিহীন অসামাজিক আমি
তোমাতে মুক্তি চাই। 
.
অনেকের সাথে মিশে আমি আর নষ্ট নয়
শুধু আগুন খেয়ে তোমাতে নষ্ট হতে চাই, 
কবিতা লেখার জন্য বহুগামি শাড়ীর তলায় নষ্টামি
হাজারো মানসীর মাঝে আমি একা,
বন্ধুত্ব নিয়ে নষ্টামি প্রেম আর কবিতার তফাৎ 
আর নয় 
এইবার শুধু ধ্বংস চাই,
এক চরুত্রহীন কবিতার মেরুদন্ডে
আমি তোমার উরু বেঁয়ে রক্ত হয়ে ঝরতে চাই। 
.
বড্ড মিথ্যা আমি 
আমার ধ্বংস স্থুপে ছড়ানো তুমি,তোমার মুহুর্ত 
তোমার বুকের কবিতার  নগ্ন স্থুপ 
তোমার নখের ডগায় ভয়ানক সায়ানাইট 
তোমার ঠোঁটে আগুন 
আমি সেই আগুন চুষে এইবার মরতে চাই
এ কোন কবিতা না
একটা ছবি ভ্যান গগ এবং মৃত্যু। 
.
চরিত্রহীন
...ঋষি

অনবদ্য কবিতা

আমরা কেউই অনবদ্য কবিতা নই আমরা সাধারণ যারা তারা শুধু বেঁচে আছি বেঁচে থাকবো বলে, আমাদের কবিতারা আকাশে উড়তে পারে না শুধু ডানা ঝাপটায়, হঠাৎ  অব...