Saturday, February 28, 2015

আমার শহর (১৩)

আমার শহর (১৩)
..................... ঋষি
========================================
দীর্ঘায়ু  চেয়েছি আমি রোজ
বিনিদ্র রাত্রির মহানগরের শহুরে ম্যানহোলে
আমি হেঁটে গেছি সাজানো ম্যানসনের বুকের উপর।
ইট ,কাঠ,পাথরের শহরে প্রাচীন গিরগিটি ট্রামগুলো
ল্যাম্পপোস্টের আলোয় কখন যেন ডাইনোসোরস হয়ে গেছে।
ঘুন ধরা প্রাচীন পুথিপত্রে
কখন যেন আমার শহর বদলাতে বদলাতে মরে গেছে।

বারান্দার সাজানো দাদু বনসাইয়ের হাত পা কাটা চিত্কার
মনে দাগ টানে ,ফিসফিস বলে
আমি বদলাবো না, জায়গা পাচ্ছি কই।
ভয় হয় রাত্রের নাম না জানা আগন্তুক লোডসেডিং এ
বুকের উপর ঝড়,বন্ধ নিঃশ্বাস
কমছে আয়ু রোজ সিগারেটের রাংতায় লালচে ধোঁয়াই।
রোজকার রোজনামচায়
আমার শহর আজ মৃত প্রায়।

দীর্ঘায়ু  চেয়েছি আমি রোজ
কামনাগুলো পিষে পিষে দাঁতের ফাঁকে সাইরেনের শব্দ।
মিশে থাকে মস্তিষ্কের ফাঁকে ক্ষরিত তেতোরস
মানবিকতার মৃত্যুতে মানবকাঠামোর অপপ্রয়োগ  আমার শহরে,
নিত্যদিন হাসপাতালের ওটির লাল আলো।
কিছু বদলায় নি ,বদলায় নি সময়
কখন যেন আমার শহর বদলে গেল।


শরীরের নাম

শরীরের নাম
................... ঋষি
===========================================
এসেছে অনেকে
প্রেম ছাড়া যুবকের আকুল তৃষ্ণা,
ঘুষখোর পুলিসের অনন্ত উপেক্ষা।
এসেছে অনেকে
ধোঁয়া তুলসীপাতা  থেকে নর্দমার কীট।
সকলে করেছে বমি
ঢেলেছে  বিষ ,দংশন শরীরের ভাঁজে।

কি নেবে গো শরীর থেকে
শরীরে ভাঁজে জমা প্রস্তর যুগের ইতিহাস।
প্রাচীন পথ ধরে হেঁটে চলেছে শরীর আর শারীরিক কাজ
রতি  ,কাম কত ছন্দ ময় নাম
ধর্ষণ আর বর্ষণের মাঝে চিরাচরিত রাত্রি আর শরীরের ঘাম।

এসেছে অনেকে
বেশ্যা ,পতিতা, ভ্রষ্টা নারী কত নাম ।
ডাক্তার থেকে সন্ন্যাসী বহু নামিদামি
এসেছে অনেকে।
সমাজের জ্ঞান ,অগ্রগামী  বিজ্ঞান
শুধু আমি স্থির অযুত বছর ,
চেনা শরীর আর  শরীরের নাম ।

পৌরুষের অহংকার

পৌরুষের অহংকার
................ ঋষি
===============================================
পৌরুষের অহংকার নিয়ে তোমার সামনে
কখনো আসি নি আমি।
রৌদ্রবেলার জলপাই রঙের অন্ধকার ছিঁড়ে আমি দেখেছি
তোমার চোখ ,কপাল ,ভিজে ঠোঁট।
ঘামে ভিজে গেছি বারংবার
হয়তো বা ভয় পেয়েছি তোমায় হারিয়ে ফেলার।

মেঘলা বেলায়  ,ভিজে পথঘাট ,মেঘলা দিনের চিঠিতে
আমি লিখেছি অসংখ্যবার কি চাও তুমি প্রেম।
কি চাও
কেন নিজেকে পোড়াও রোজকার দেনা পাওনায়।
আমি তো বাঁধতে চাই নি তোমায়
শুধু চেয়েছি একটা খোলা আকাশ।

ক্লান্ত বিকেলে একলা ল্যাম্প পোস্টের  উপরে অপেক্ষা বসে থাকে
পথ ভোলা কোনো গহীন আকাশের পাখি।
প্রেম তুমি আবদ্ধ করো আমায়
বন্ধনহীন নীল আকাশে মাঝে একলা সমুদ্রে।
আমাকে শক্তি দেও পৌরুষের অলংকারের সাজে
আমার পৌরুষে যাতে দাগ না থাকে।

কালকের চিত্কার

কালকের চিত্কার
,,,,,,,,,,,,,,,,,,, ঋষি
===================================

পচা গলা শব্দগুলো বার্ষিক নিজের মত
কানের কাছে বলতে থাকে সুদিন।
জীবন হাসতে থাকে চিত্কার
এক পলকে একটু দেখা তোমার আমার।
শ্মশানের কাঠের আড়ালে লোকানো পোড়ার গন্ধ
আর চন্দনের নকল পারফিউম
মিলে মিশে একাকার।
.
এই যে মানুষবাবু  ঘুম আসছে না
বিশ্ব ব্রম্হান্দের তৃতীয় গ্রহে আজ সুদিন।
আন্তর্জাতিক সমস্ত দিবসে আড়ালে বসানো হাঁড়ি কাঠ
গো বেবি গো, জানা পথ ঘাট।
সম মিশেল পণ্য সিগারেটের ধোঁয়া
নেশার পৃথিবীতে হিসেবের থুতু গোনা কাগজের ছোঁয়া।
শুনছেন ঈশ্বর,শুনছেন
ওই যে পরে থাকা ধ্বংসস্তুপ লোভের পাহাড়।

পচা গলা মাংসের আড়ালে ভয়ংকর চোখ মানুষ
আর বাবুরা সব চর্বির পাহাড়ে পাঁপড় ভাঁজা।
কৌশলে বিজিনেস প্লট  গোনা স্লিম্মিং সেকসান,বিউটি পার্লার
কমান ,বাড়ান ,লাগান ,ছাড়ান সব সম্ভব।
ঈশ্বর এখন পৃথিবীর দাস।
আর প্রকৃতি ,সাবধান পিশাচিনির  চিত্কার
পরে থাকা ধ্বংসস্থুপ আগামীর শীত্কার। 

ঘুম ভেঙ্গে যায়

ঘুম ভেঙ্গে যায়
.......... ঋষি
======================================
তারপর ঘুম ভেঙ্গে যায়
নদীর ধারে পার ভাঙ্গার শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়।
একটা সিগারেট ধরিয়ে
একটা ধমক দিয়ে বলি যা ফিরে যা।
নদীর জল লুটিয়ে পরে পায়ে
ঘুম ভেঙ্গে  যায়।

তারপর আমি হাঁটতে থাকি নদীর ধার ধরে
আমার প্রেয়সীর চুলের ঝরনায় ভিজে মিষ্টি নদীর জল।
আমি তৃষ্ণার্ত পথিক নদীর পাশে পাশে
মানুষ দেখে আমায় ,পাগল বলে।
আমি হাসতে থাকি ,আমার কন্ঠে বাউলের সুর
আমি কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ার ,,,ও ভাইরে।
আমি কাঁদতে থাকি ,আমার কন্ঠে মানুষের সুর
ও জীবনরে ছাড়িয়ে যাস না মরে ,,,এই জীবন ছাড়িয়া গেলে
ঘুম ভেঙ্গে যায় আবার।

তারপর সেই অর্ধনগ্ন পাগলিনী আমার দিকে তাকায়
আমি অবাক হই ,কি যেন প্রশ্ন চোখে।
চোখে বিদ্রুপের তলোয়ার আমাকে ফালা ফালা করে
আমি পালাই আরো দূরে ,বহু দূরে।
নদী চলতে থাকে জীবনের নামে পাশাপাশি
ঘুম ভেঙ্গে যায়  ..... আমি ফিরতে চাই না আর। 

Friday, February 27, 2015

ঈশ্বর পাহাড়ি রুক্ষতায়


ঈশ্বর পাহাড়ি রুক্ষতায়
.................  ঋষি
=================================

ইশ্বরের মত আবর্তে দাঁড়িয়ে
আমি উর্ধমুখী মানুষের হাহাকার হৃদয়ের তৃষ্ণা।
নিভে যাওয়া আলোয়
রাস্তার প্রকৃতির খেয়ালে কুকুর ছি ছি,
 পা তুলে মু... যায়।
আমি হাসি আমি ঈশ্বর হতে চাই
শুধু একফালি আলো।

আমি দেখি নি  দুকুল ছড়ানো পাহাড়ি নদী
আমি দেখেছি শুধু ঝরে পরা ঝরনার মিষ্টি জল।
আমি দেখি নি দুকুল প্লাবনের ভিজে নোনতা খিদে
শুধু চান করেছি হৃদয়ে নোনতা জল।
আসলে আমি বুঝতে পারি নি পাহাড়ি ম্যাজিক
ম্যান্ডড্রেডের ঝুলি থেকে বেড়িয়ে এসেছে রক্ত নদী ,
আমি চান করেছি সেই রক্তে।
আসলে আমি ঈশ্বর হতে চেয়েছি পাহাড়ি প্রেমে
আমি যে পাথরের রুক্ষতা আমি দেখি নি।

ঈশ্বরের মত আমি অবচেতনে  দাঁড়িয়েছি একলা
একাকী অন্ধকার নাটকের উপসংহারে।
নিভে যাওয়া আলোয়
রাস্তার প্রকৃতি খেয়ালে সকলে প্রনাম ঠুকে যায়।
অসীম তৃষ্ণা বুকে বাঁচার আশায়
আর আমি হাসি ঈশ্বর হতে চাই যন্ত্রনায়
শুধু মৃত্যু লিখে যাই বিশ্বাসের কল্পনায়।

চলন্তিকা ও মৃত্যু


চলন্তিকা ও মৃত্যু
.............. ঋষি
===================================
মৃত্যুর মুখোমুখি ঈশ্বর
চলন্তিকা আমি বাঁচতে চাই একবার।
সমস্ত বর্ণময় আলোর ছটায় তোর জীবনের তৃষ্ণায়
একবার ডুব দিয়ে পাহাড়ি জোত্স্নায়
ঝরনার জলে ভিজতে চাই।

আজ চলতে থাকা তৃষ্ণার নাম জীবন
ফুটপাথ দিয়ে হেঁটে যাওয়া স্পর্শের আকাশ চলন্তিকা।
আকাশের রং নীল
হিসেবে গরমিল ,গরমিল জীবনের প্রতি পর্যায়।
অসম্ভব স্থির ,তোর চোখের চাহুনি
আমার ভয় করে চলন্তিকা।
আমার ভয় করে একলা পথ চলতে
শরীর পেরিয়ে হৃদয় তারপর সময় ,
আমার একলা থাকতে ভয় করে।

মৃত্যুর মুখোমুখি ঈশ্বর
চলন্তিকা আমার বিবেকের  শেষ ধাম।
সমস্ত বর্ণমালার নাটুকে শব্দের মিশ্রনে অদ্ভূত আকুতি
একবার ডুব দিয়ে দেখি নক্ষত্র মন্ডল আর চাঁদ
আমি ঢেকে যায় আকাশে নিচে ,মৃত্যু নিশ্চয়।

Thursday, February 26, 2015

একদিন তোকে

একদিন তোকে
................. ঋষি
=========================================
একদিন তোকে স্বপ্নের শহরে
ঘুরতে নিয়ে যাব মন।
সেদিনও কি তোর কালো স্যানগ্লাসের আড়ালে চোখ হাসবে
সেদিনও কি তুই বলবি আমি মৃত্যুর কবিতা।
তোর লালচে সালোয়ার বেয়ে মাকড়সার জাল
সেদিনও কি আমাকে বিপদসংকেত দেবে ফাঁকা শহরে।

থেমে যাবে গাড়ি ,ঘোড়া,শহরে সেদিন কারফিউ
ক্লান্ত চরণে সময় এসে দাঁড়াবে কোনো রেস্তরার দরজায়।
কিংবা গরম কফির কাপে ঠোঁট পুড়বে
চিনে বাদামের ঠোঙ্গায় সেদিন কি নুন দেবে সময়ের ফেরিওয়ালা।
নাকি স্বপ্ন বদলে যাবে
আমার স্বপ্ন শহরে বাজবে ভ্যালেন্টাইনের মিষ্টি সুর।

একদিন ঠিক তোকে নিয়ে যাব আমি
আমার সাথে মৃত্যু শহরে।
যেখানে থাকবে না কোনো শব্দ ,অদ্ভূত চাহুনির প্রশ্ন
প্রেম কি শুধু নিঃস্ব করে যায়।
কিংবা নাটকের শেষ ভাগে এসে বদলে যায়
যেমন বদলানো স্বপ্ন আমার শহরে। 

মগজ ধোলাই

মগজ ধোলাই
................... ঋষি
=======================================
রোজনামচা বদলাবার ওষুধ একটাই
মগজ ধোলাই।
ফুটপাথে চোলাই মদের দোকানে চোখ রাখি
আরি পেতে দেখে মায়ের গুষ্ঠি দেশের ঘাড়ে।
বদলায় না কিছু ,কিছু সময় কেটে যায়
লাল  প্লাস্টিকে মোড়া বোবা শব্দরা
ধর্না দেয়।

এই যে সামনে সেলুনে বেজে চলা হিন্দি গানটা
এক বোতল ভদকা ,কাম মেরা রোজকা।
জাতীয় উয়ুথ আইকনে তেরচা চোখে দেখা ডিভিডি স্ক্রিনে
কিংবা মোবাইলের নীল স্বপ্নে শরীরের ভাঁজে।
অসংখ্য লিপি ,শুকনো কাঁচালঙ্কা  সাথে ইতরামি
শুকিয়ে ঘা।
অনবদ্য জীবনানন্দ আকাশের গায়ে
খিদের শহরে পৃথিবী গদ্যময়।

রোজনামচা জাতীয় শিক্ষার ভাঁড়ে লুকোনো প্রশ্নপত্র
উত্তর বিকোয় লক্ষীর ঠোঙ্গায়।
ফুটপাথে শুয়ে ভিখিরী অবলীলায় চিনতে পারে
স্যানি লিওনা,ক্যাটরিনা কাইফ।
খিদে বেড়ে যায় ,শরীর বেয়ে ঈশ্বরের তিন নম্বর পা
কারণ একটাই সবাই জানে
মগজ ধোলাই। 

শেষ কবে

শেষ কবে
............. ঋষি
============================================
শেষ কবে সোনালী রৌদ্র বেয়ে
শুয়োপোকাগুলো প্রজাপতি হয়ে উঠেছিল।
শেষ কবে নার্সারির গাছগুলো বেড়ে উঠে
পর্ণমোচী বৃহৎ বৃক্ষ হয়েছিল ,
সবকিছু কবিতায় হয়।


এ জীবনে যে কোনো  স্বর্ণযুগীয়  তকমা  তুমি আটকাও না কেন
হাতের নেলপালিশে যতই সবুজ আঁকড়াও না কেন।
তুমি প্লেথোরাযুগের নারী
তোমার সম্ভ্রমে হেঁটে যায় কবিতার পাতায়।
অসংখ্য ম্যামথীয় শল্যবিদ,আদিম গুহায় নৃত্যরত হোমোস্যাপিয়ন
আগুন জ্বালায় ,মাংস পোড়ায় অনবরত রক্তক্ষরণ।
টিমোসনদীর প্রাচীন জলে মিশে যায়
শরীরের গন্ধে নিত্যনতুন কবিতায়।

শেষ কবে তোমার বারান্দার আকাশে
তোমার ল্যাপটপে ধরা দিয়েছিল প্রেমের মুখ।
শেষ কবে তোমার নোনতা ঠোঁটে নেমে এসেছিল স্বপ্নের চুমু
আই লাভ উই বিকস ইউ আর উইথ মি,
বলতে পারো শেষ কবে।  

Wednesday, February 25, 2015

আর কতদিন

আর কতদিন
........... ঋষি
=========================================
কতদিন দেখে নি তোকে
চোখে তলায় জমা ক্লান্তিতে আশার চোখ।
কতদিন জড়িয়ে ধরিনি তোকে
শুধু জীবনের সময়ের পাতায় জমা তৃষ্ণার ঠোঁট।
শান্তি নেই ,জীবিত বাহানায় মৃত স্তবকে আমার কবিতায়
আজকাল হারিয়ে যায়
হারিয়ে যায় সময় ঘড়ির কাঁটার অপেক্ষায়।

আজকাল মাঝে মাঝে তোকে দেখতে ইচ্ছে হয়
পাহাড় পেড়িয়ে নতুন ঠিকানায় পাহাড়ি জোত্স্নায়।
তোর গায়ে পাহাড়ি সবুজ শাড়ি
রুমঝুমে ঘুঙুর তোর পায়ে।
আমার কবিতায় বারংবার আলতা পায়ে
তুই হেঁটে চলে যাস ,রেখে যাস ছোপ বিষন্ন হৃদয়
আজকাল তোকে বুঝতে ইচ্ছে হয়।

কতদিন দেখি তোকে
চোখে তারায় ধরা আকাশে নীল রং।
সত্যি আকাশ ধরা যায় না আমার শেওলা ধরা হৃদয়
সত্যি তোকে বলা যায় না আমার  এই রক্তাক্ত হৃদয়।
শান্তি নেই কতদিন দেখি নি তোকে
তোর ঠোঁটে গোলাপে সদ্য ফুটতে থাকা সময়
আমার অসময় তোকে জড়াতে পারি নি।

Tuesday, February 24, 2015

আজকের রবীন্দ্রনাথ

আজকের রবীন্দ্রনাথ
............ ঋষি
======================================
ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত
আজকের রবীন্দ্রনাথ।
ক্যানভাসে এঁকে চলে প্রেমিকার মুখ
চিরদিন তুমি যে আমার।
আকাদেমির হাস্যকর নাটকের ক্যাপসন
প্রেম তুমি কবে কার।

হাসবেন না ,একদম হাসবেন
পরিস্থিতি মারাত্মক পারমানবিক বোমাবাজি পৃথিবীর।
মারাত্মক বুলেট প্রেম
শরীর জুড়িয়ে যায় ,প্রাণ পুড়িয়ে যায়।
সকাল সন্ধ্যে রাত্রি আমি তুমি ,তুমি আমি
আর কতক্ষণ ভদ্রলোক।
শুকিয়ে যাবে মরে যাবে আবারও প্রেম
মৃত নরকের দরজায়।

ফুল ফুটুক না ফুটুক প্রশ্ন নেই
ফুল ফুটবেই ,মুকুলে মধু লোভি প্রজাপতির ভিড়।
রক্তচোষা প্রেম চুষবে অর্বাচীন নতুন প্রেম মডেল
প্রেম ক্ষণিকার আহ্বানে উদাত্ত দরজা খুলবেই।
সে আসছে ,আসবে বারংবার
বদলানো আয়নায় দেখা প্রেমিকার মুখ।

চলন্তিকা ও কঙ্কাল

চলন্তিকা ও কঙ্কাল
................. ঋষি
========================================
মোলায়েম স্বত্বার সাথে পবিত্রতা
চলন্তিকা তুই  ঈশ্বরের মত পবিত্র নালা নর্দমায়।
চলন্তিকা তুই প্রেম হতে পারিস
হতে পারিস নবীন হাতের অরিগামির কাগুজের নৌকা।
সেই পাহাড়ি রূপকথার উপসংহার
তোর চোখে বিদেশী উপেক্ষা।

আমি ব্রম্হপুত্রের ধারে ঘর বাঁধি স্বপ্নের
চলন্তিকা তুই স্বপ্ন সাথী জীবন্ত এনাটমির আমার কঙ্কালে।
লেপ্টে থাকিস সময়ের পাতায় কবিতা হয়ে
চলন্তিকা তুই পবিত্র।
হয়তবা আমার প্রেম হতে পারিস
হতে পারিস সভ্যতার হাতে বাঁধা অন্ধকার সকাল।
কিন্তু আমি মুগ্ধ চলন্তিকা
তুই পবিত্র ঈশ্বরের মত আমার কবিতা।

উঁচুনিচু পথ ভাঙ্গা সোনালী রৌদ্র
কয়েকশো ডেসিবেলের পৃথিবীর নিদ্রা ধ্যানে।
আমি অজ্ঞান কোনো দধীচির হাড় ধারালো অহংকার
ঈশ্বরের কাছে আমার অধিকার।
বারংবার তোর রূপে চলন্তিকা
যে আমার কবিতার পবিত্র ইচ্ছা।

নেম অফ ডেথ

নেম অফ ডেথ
............. ঋষি
============================================
নিজেকে আমার ভীষণ দরকার
নির্দিষ্ট সুচিপত্র ছাড়িয়ে সময়ের পরে প্রেম।
শুকনো পাতা ঝড়া বৃক্ষ হৃদয়ের খাতায়
তোমাকে আমার ভীষণ দরকার।
নিত্য ক্ষতের মলমে অত্যাধুনিক ফর্মুলায় তৈরী
আজকের কবিতার বিশেষ নাম
বিষের কবিতা।

পত্রিকার পাতায় পাতায় ফুটে ওঠা বিজ্ঞাপনে দরকারী ভীষণ
শরীরের খাঁজখোঁজ ,নিস্বার্থ জীবনের মাছের বাজারে।
কই মাছ আমার ভীষণ প্রিয়
মৃত্যুর দরকার ,কিংবা হেমলক।
প্রাচীন স্তবকের বুক ছেঁড়া আর্তনাদ
লাইফ ইস এ গেম অফ রিয়াল বিউটি।
অর এ ইম্পারালাল ওয়ে অফ লাইফ নেম অফ ডেথ
আমার সৃষ্টি আমার প্রেম।

নিজেকে আমার ভীষণ দরকার
নির্দিষ্ট কর্মসূচির পরে জঞ্জাল সময়ের দরজায়।
কর্পরেসনের পালতোলা পঙ্ক্ষিরাজ
রাম নাম  সত্য হে ,রাম নাম।
কি দরকার আবার ঈশ্বরের
বাকিটুকু নাহয় আমি ঈশ্বর সেজে থাকি ,
আর তুই জীবনের জ্বলন্ত মৃত্যু হ। 

মুখোশের দরকার

মুখোশের দরকার
.................... ঋষি
=======================================
ধন্যবাদান্তে তোমার প্রিয়তম
অত্যাধুনিক মানুষ মেশিনের সৌজন্য তোমার ধুকপুকে ,
আমার অঙ্গীকার
আচ্ছা মানুষ যদি আদিম হয়ে যায়।
কি করবে জীবন ছুটে পালাবে দৈনন্দিন আদিম সভ্যতায়
নাকি উল্টে গিয়ে পাল্টে যাওয়ার লোভে
মুখোশ লাগাবে।

তোকে বলার ছিল অনেককিছু
তুই শুনতে চাস নি আমি জানি তোর মুখোশের দরকার।
তোকে দেওয়ার নেই আর কিছু
তুই নিতে চেয়েছিস প্রত্যাহিত স্পর্শের অঙ্গার।
হাসিস না ,প্লিস হাসি তোকে মানায় না
মানিস না মানিস হৃদয়ের কেবিনে লুকোনো দরজা।
ডুবে যাওয়া সভ্যতার নোঙ্গরে শেষ SOS
ভালবাসতে যে হৃদয়ের দরকার।

ধন্যবাদ তোমায় প্রিয় সভ্যতা
তোমার প্রিয়তম শরীরের অসংখ্য ক্ষতস্থলে
আমার অঙ্গীকার।
আচ্ছা মানুষ যদি বদলে যেত দিনরাত্রে
সূর্য যদি চাঁদের গায়ে হেলান দিয়ে সুখমধু খেত চুষে চুষে।
তবে কি তুমি ছিবড়ে নাকি চলন্ত সভ্যতায়
মুখোশ তোমার খুব দরকার। 

তবু আলাদা

তবু আলাদা
.................... ঋষি
====================================
চারিদিনে অন্ধকার জঙ্গল
ইচ্ছাছিল তোর হাত ধরে দেখে নেব সবুজ পৃথিবী।
তুমুল ঝড় ,বদলানো ইচ্ছাদের কথা কাটাকাটি
ইচ্ছে হলো একলা হাঁটি।
সামনে পরে থাকা দুটি পথ দুদিকে
বহুক্ষণ চোখ ছিল তোর পথে
তবু আলাদা।

সবটাই আলাদা আলাদা এগিয়ে চলা জীবন
আমার মুঠোফোনের স্ক্রিনে জ্বলন্ত আগুন।
তোর ঠোঁট ,তোর কপাল ,তোর ঠোঁট ছুঁয়ে
তরল লাল রং।
আমি ভেসে গেছি কবে আরো একাকার
আমি তো মরে গেছি কবে ছিন্ন এই জঙ্গলে,
অসংখ্য মাথার খুলি।
পথের পাশে পরে থাকা হাড়গোঁড় জানান দেয়
আমি হেরে গেছি ,সবটুকু স্মৃতি।

চারিদিকে অন্ধকার জঙ্গল
ইচ্ছাছিল  একবার অন্তত একবার
সীমান্তে দিকভ্রষ্ট পথিকের সাথে সঙ্গোপনে।
সবকিছু বদলে যায়
আলাদা পথ ,ঘুর্নিয়মান পৃথিবীর আলিঙ্গনে ,
হয়তো হারবার কথা ছিল
তবু আলাদা। 

চলন্তিকা ও ডিজিটাল স্বত্বা

কাউকে ব্যক্তিগত ভাবে আঘাত করার অভিপ্রায় আমার নেই ,এই কবিতা নিতান্ত আমার ভাবনার প্রতিফলন।
চলন্তিকা ও ডিজিটাল স্বত্বা
....................... ঋষি
===========================================
চলন্তিকা অদ্ভূত পৃথুলা নিমজ্জিত আত্মা
আমি সম্ভোগের আনন্দে তুলে আনি যৌবন তোমার আঙ্গিনায়,
সুন্দর মোহময়ী রাত্রি ,পালতোলা আবরণে অদ্ভূত অহংকার।
চলন্তিকা খবর ছিল মুখ পুস্তিকায়
তুমি নাকি একা।
তোমার স্ট্যাটাস বলছে তুমি মোহময়ী
তোমার কয়েকলক্ষ ফলোয়ার্স।

ঘুম ভেঙ্গে যায় চলন্তিকা
সর্বত্র ছড়ানো তোমার টুকরো নোলকের স্বপ্নের আত্মায়।
আমি ডিজিটাল স্বত্বা ,তুমি পথভ্রষ্টা
আমার দেখার ছিল আলোর পথে উড়ন্ত পাখির শেষ ধাম।
দেখার ছিল প্রেমের কবিতায় তোমার কলমে আঁচর
ক্ষতবিক্ষত আমার আত্মার কোথাও তুমি ছিলে চলন্তিকা।
আমি বুঝি নি ,আমি বুঝতে পারি নি
হয়তো কখনো চায় নি বুঝতে, জীবনকে বাঁধতে।
তাইতো তোমায় আজকাল দেখি লুকোনো শাড়ির আড়ালে
তোমার যোনির প্রেমে মিথ্যা প্রেমের জঞ্জাল।

চলন্তিকা অদ্ভূত তোমার চাহুনির তৃষ্ণা
আমি হৃদয় সঙ্গমে খুলেছি দরজা খোলা নীল আকাশ,
সুন্দর হৃদয়ের শরীরে ,আমি পার করেছি পাহাড়ি জোত্স্না।
চলন্তিকা খবর ছিল অনেক আগে
তুমি নাকি পতিতা।
তোমার স্ট্যাটাস বলছে তুমি শরীরে আনন্দে প্রেম বোনো
দৈনন্দিন  নিজের মৃত শরীরে। 

Saturday, February 21, 2015

তোকে লেখা যায় না

তোকে লেখা যায় না
............... ঋষি
=======================================
যখনি তোকে লিখতে যায় খিমচে ধরে কলমে নিব
আসলে সাদা পাতায় তোকে লেখা যায় না,
হয়তোবা আমি লিখতে পারি না আমি।
নিত্য অনিত্যের পথে আশাদের সহবাস ,
তোকে আসলে লিখে আমি আঁকতে পারি  না।

তোর রক্ত মাংসের সবটুকু সময়ের ভাঁজে
আটকানো জীবিত তারারা আমার মৃত আকাশে
জ্বলজ্বল করে বিধাতার মত।
 আর আমার
এ জীবনে যতটুকু ছিল সবটুকু তোর হাতে।
আমার বরাদ্দ দৈনন্দিন তোর ভালো থাকা
আমি ভালো আছি ,তুই আছিস তাই।
পাখিদের কলরব ,ভোরের মিষ্টি সূর্য ,ঋতু পরিবর্তন
নিয়মিত সময়ে লেখা দৈনন্দিন
সবটুকু গা সওয়া।
শুধু তোকে লিখতে গেলেই খিমচে ধরে কলমের নিব
সাদা পাতায়  তোকে লেখা যায় না।

তোকে লিখতে হয় হৃদয়ের কালিতে
রক্তের রঙে জ্বলজ্বল করে তোর নাম আমার অবচেতনে।
তোকে আসলে বেঁধে রাখা যায় না চেতনার রঙে
সময় থেমে যায় ,থেমে যায় পরিবর্তন এই জীবনে
আজকাল তোকে ছাড়া কিছু মনে থাকে না। 

Thursday, February 19, 2015

অনন্ত আলাপচারিতা

অনন্ত আলাপচারিতা
............ ঋষি
======================================
পোর্টেবেল  দক্ষতায় অক্ষাংশ ,দ্রাঘিমাংশ মেপে
আমি কখনো বলতে পারবো না মন।
কি চাই আমি ,আর কেন চাই
সাইবেরিয়ান হিংস্র ভালুক্কের মত।
আমি কখনই অধিকার ভাঙ্গতে পারবো না
হতে পারবো জারোয়া উপজাতির মত চিন্হিত ,
পৃথিবীর প্রতি পদক্ষেপে আমি যে খুব ক্ষুদ্র।

মন তবু তোকে বলি আমি ভালোবাসি
কেন বাসি জানি না।
নিজের জীবিত অধিকারের অসংখ্য প্রেক্ষাগৃহের চলন্ত নাটকে
আমি একলা নায়ক ,মৃত আলেকজেন্ডার।
জয় আমার রক্তে লেখা অথচ পরাজিত আমি বারংবার
নিজের কাছে ঘৃণ্য কীট ,মৃত আমি।

পোর্টেবেল মিডিয়ার রাম্পে হাঁটা অসংখ্য দোলনায়
কার্তুজের শেষ বারুদের আস্ফালন।
এক চির নবীন নাটকের সংহার রূপ নৃসিংহ অবতার
আমার ভীষণ কাছের।
তবু আমি জানি মন  ,আমি জীবিত মৃত আমার কবিতায়
এক অদ্ভূত পদচরণ পৃথিবীর পথে ,
যার হারাবার আর কিছু নেই।




অনেককিছু

অনেককিছু
.............ঋষি
=======================================
কি যেন বলার ছিল তোকে
মন আজ বিকেলের খোঁজে পরিযায়ী ইচ্ছা।
মনের কলামে শেষ রৌদ্র ছুঁয়ে
ঈশ্বর হাসছেন।
মন মৃত্যুতে জীবন শেষ ,জড়ানো হাসি
আমাকে কি তোর মনে পরে।

পরে না মনে
আমি জানি জীবন ফুরিয়ে যাওয়ার আগে,
আমার শহর ছুঁয়ে তোর শহরে আজকাল শীতল বৃষ্টি।
শান্তির বিছানার চাদরে আমার কবিতারা আজ তেজ্য
কিন্তু আমার ডেস্কটপের স্কিনে তোর মুখ ,
কিছুতেই বদলাতে পারছি না।
জানিস তোকে অনেককিছু বলার ছিল আমার
কিন্তু আজ বলতে পারছি না।

কি যেন ছিল রোজ বিকেলের ঠিকানায়
সমস্ত অধিকার জুড়ে আমার তোকে কফি কাপে।
কি যেন শান্তির ওম তোর গলার স্বরে
আমার কবিতারা জীবন্ত আগুনে।
সদ্য ঘুম ভাঙ্গা চোখে ,অনিদ্রার কফিনে শুয়ে
আমার কবিতারা পরিযায়ী। 

পথ চলা

পথ চলা
............... ঋষি
===========================================
বারংবার বদলাতে বদলাতে লং রুট
কিংবা সর্টরুট,নাইট কিংবা ফরমাল রুট ,
সবটাই রাস্তা।
হাঁটছি আর হাঁটছি এই জীবনের পথ ক্রমাগত আয়নায়
মুখটা খুব চেনা হয়তো কখনো কালো পিচে।
কিংবা ধরো এবড়ো খেবড়ো রাস্তায়
ঠিকানা অজানা।

তিন রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে পাথুরে বিপ্লবী কিংবা জাতীয় সিম্বল
সেই মুখগুলোও চেনা প্রতিদিনকার পথচলায়।
অনন্ত ইচ্ছা ,আকাঙ্খা দৈনন্দিন পথচলতি
মানুষের গ্লানি ,হতাশা আর ঈশ্বর।
সবগুলো একসাথে খিচুরী আমার কবিতায়
উঠে আসে জীবন তাদের।
যাদের
নিত্য গ্লানি খালি পায়ে অসংখ্য ফোস্কা।

আবারও  বদল আবার উপরের দিকে
তালিবান উপজাতির নাম লেখা বিপ্লবী আগুনে।
লাল রক্ত ,স্বাধীন দেশ আমার তোমার
পথ চলা একলা লক্ষ্যে অনবরত।
ওঠাপড়া বারংবার
তবু রাস্তা হরতাল হয় ,চাকাজ্যাম
পথ থামে না ,খুঁজে নেই নতুন রাস্তার ঠিকানা।  

নতুন দিন

নতুন দিন
................ ঋষি
==================================
 আলসেমিতে শীত শুয়ে সুখের বারান্দায়
স্কেলিটনে প্রেম  শুয়ে স্বস্তির আকাঙ্খায় ,
বসন্ত আকাশে পাখি আজীবন গান গায়
সে আসছে ,সে আসবে বলে তাই ,
জীবিত এই কল্পনায় খোলা দরজায়।

সীমিত কিছু ইচ্ছা ঝুরি
উবুর করে রাখে আজকের ঋতুরঙ্গে  আজীবন।
বদলায় সময় ঘড়ির কাঁটায়
তিরচে তীর এঁকে বেঁকে যায়।
বুলসায় ,বুলসায়
জীবিত প্রকৃতি ঋতুর অপেক্ষায় ,
সে আসছে ,সে আসবে আবারও তাই।

খোলা বারান্দায় এখান থেকে আকাশ দেখা যায়
আজকের নীল কাল মুখভার ,বদলায়।
তবু বাঁচে প্রকৃতি অপেক্ষায়
রোজ ,রোজকার দিনযাপন ,প্রলোভন ,
কালকের দিনটা নতুন তাই।

বর্নাঢ্য বর্ণমালা

বর্নাঢ্য বর্ণমালা
................... ঋষি
==========================================
বিজ্ঞাপ্তি আর বিসিনেস এর বাইরে
এক আসল পৃথিবী।
পাথর ভেঙ্গে পৃথিবীর মাটিতে তাজমহল
তবু কোথায় যেন হিসেব গরমিল।
দৈনন্দিন  আর জীবনের বাইরে কোথায় যেন
বেরঙিন পথচলা খালিপায়ে।

আমার বুকপকেটের শেষ স্তবকে সমস্ত মাংসের ভিতরে
পাঁজরে ঘা,দৈন্য দশা ,মেরুদন্ড যে সোজা হতে চাই।
তবু  বারংবার নুয়ে পরে
হায় পৃথিবী রঙিন  এই পৃথিবীর ঈশ্বররা সর্বশক্তিমান।
অধিকারে পা ,অধিকারে
কিসের অধিকার ,
জন্ম,শিক্ষা ,খাদ্য ,সভ্যতা ,বস্ত্র,সমাজ ,বাসস্থান,বেঁচে থাকা।
সমস্তটা শুধু জীবিত অক্ষরের শব্দমালা
বর্ণমালা অন্ধকারে মৃতের নরকে।

বিজ্ঞপ্তি আর বিসিনেস এর ভিতরে
বাঁধা জন্ম গাঁট দৈনন্দিন খাদ্য তালিকা।
অপরের রক্তে তৃষ্ণা ,অপরের খাদ্যে খিদে ,বিনিময় বেঁচে ফেরা
মিথ্যা এই নাটকের সর্বপরি কীর্তন।
জয় মানুষের জয় ,জয় মনুষত্বের জয় ,জয় অধিকারের জয়
আমরা করবো একদিন।

চলন্তিকা ও প্রেম

চলন্তিকা ও প্রেম
................. ঋষি
==========================================
যদি শরীর পার হয়ে কখনো প্রেম আসে
তুমি এসো চলন্তিকা সেই পথ ধরে।
চেনা রিংটোন,চেনা চাহুনি ,চেনা জীবনযাত্রার
ওপারে মহাভারতের অভিমুন্য একলা দাঁড়িয়ে চক্রবুহে।
তুমি চিনে নিও চলন্তিকা প্রেম বীর্যের উত্তাল ঢেউকে
উত্তাল সমুদ্রের মাঝে ক্ষুদ্র সেই জীবনটাকে।

যদি কখনো তুমি আসো চলন্তিকা
নিশ্চিন্ত তোমার খয়েরি নখের ডগায় টিয়ে রঙের নেলপলিস।
কিংবা সেই পুরনো চেনা বিদেশী পারফিউম পেরিয়ে
একলা গ্রহে কেউ দাঁড়িয়ে।
তোমার চেনা সেই ভালেন্টাইন গিফট হলুদ পাঞ্জামী
পুরনো আলমারির আয়নায় একগাল দাঁড়ি আর অন্ধকার।
তাকে চিনে নিও চলন্তিকা আমার কবিতার মত
নিদ্রাহীন ,অসীম অপেক্ষায় চেনা পথে তোমার পদশব্দ।
আমার বুকের ভিতর
চিনে নিও প্রেম।

যদি শরীরের  বাইরে জীবন এসে দাঁড়ায়
তুমি এসো চলন্তিকা চেনা প্লাটফর্মের লোকাল ট্রেনের জানলায়।
ট্রেনের যাত্রা শুরু জীবন
চেনা জীবন পিছনে সরে যায় স্মৃত্মির কক্ষে রিজার্ভেসনে।
আর ভিতরে বাহিরে  সময় দুলতে থাকে অপেক্ষায়
যদি শরীর পেরিয়ে তোমাকে পাওয়া যায়। 

Wednesday, February 18, 2015

স্পর্শ দিয়ে যা

স্পর্শ দিয়ে যা
...................... ঋষি
=========================================
মন আমি জানি তুই আসবি ফিরে
বারংবার হাজারোরুপে  আমার কবিতায় শ্রাবন হয়ে।
আমি জানি তোকে ,সেই মেয়েটাকে
যার ঠোঁটের পাশে তিলটা রুপোলি দরগা
ঈশ্বরে অনুরাগ।
সেই ফেলে আসা বিকেলের ফাঁকা বাসস্ট্যান্ড
বেশ এতটুকু আর কি।

জীবন প্রবাহে অসংখ্য অজানায়
যারা ঝরা পাতা তারা ঝরে পরে নোনতা চোখে।
চোখ পুড়ে যায় লাল সূর্যের দেশে
ঠোঁট পুড়ে যায় অজানা নিরুদ্দেশে।
চেনা স্বাদ ,চেনা বিশ্বাস ,হাজার আশ্বাস আমার কবিতার
মন আমার কবিতারা তোকে চেনে মৃত্যুর মত ,
আর আমি তোকে চিনি জীবনের মত।

মন আমি জানি তোকে ফিরতেই হবে
আমার শহরের প্রতি নিঃশ্বাসে অটুটু বিশ্বাস।
হয়তো দুর্বলতা চেনা কফি সপে
আমি জানি তোকে ,সেই মেয়েটাকে।
যার প্রতি দৃপ্ত পদচরণ আমার বুকের মাটিতে একলা পলি
আমি আর কি বলি
আয় জীবন আয় রে স্পর্শ দিয়ে যা। 

জীবিত ঈশ্বর

জীবিত ঈশ্বর
............. ঋষি
===================================
তোকে ঈশ্বর বলেছি
আচ্ছা যারা আলোয় থাকে তারাই তো ঈশ্বর।
আমি যে আলো দেখেছি তোর মাঝে
খালি চোখে যে পৃথিবীতে জীবিতের সহবাস।
সেখানে আমি মৃত্যু দেখেছি তোর চোখে
তুই যে ঈশ্বর।

জন্ম ,মৃত্যু ভয় সবটাই অবিনশ্বর
ভাঙ্গা পাথরের ক্ষয়ে কি আসে যায়।
যদি প্রদীপে তেল ফুরিয়ে যায়
সলতে যে জ্বলে পোড়ে।
তুই তো ঈশ্বর তোর ভাঙ্গা বুকে ঈশ্বরের বাস
তোর লোমকূপে জীবিত আগুন।
তুই উত্তপ্ত কুহেলিকার মত
হারিয়ে যাস ,তবু ফিরে আসিস ইশ্বরের মত বিশ্বাসে।

তোকে আমি জীবিত বলেছি
জীবন যেখানে পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা।
সেখানে আমি তোকে পুরোটা দেখেছি
ঈশ্বরে মত অনন্ত ইচ্ছায় নিজেকে পুড়িয়েছি।
নিজের মৃতদেহ সৎকারের  আগে
তোকে আমি ভালোবেসেছি। 

চলন্তিকা ও আমার কবিতা

চলন্তিকা ও আমার কবিতা
........... ঋষি
==================================
আমার পরে থাকা অস্থিসার খাতার শেষ পাতায়
যেখানে মৃত্যু লেখা হয় পাহাড়ের খাদ ধরে।
সেখানে যদি শেষ কবিতা লিখি
চলন্তিকা তুমি কি জ্বলন্ত সিগারেটের ছাই হবে।
নাকি ফুরিয়ে যাবে আমার মত
পুড়তে ,পুড়তে  বাঁচার নেশায়,
তুমিও কি মাতাল হবে আগামী সভ্যতার লালে।
.
বিহারের প্রত্যন্ত গ্রামে যেখানে শরীর পোড়ানো হয়
নারীর জ্ঞানে,অজ্ঞানে অসংখ্য অছিলায়।
কিংবা সেই রেল বিস্তির ধারে
দৈনন্দিন বিকিকিনি পাহাড়ি কুলি মহিলা,
সবটাই কি বিজ্ঞপ্তি সভ্যতা  তোমার নাম।
চলন্তিকা সেখানে কি কবিতা লেখা যায় দৈনন্দিন
পাতায় পাতায় শিরা ,উপশিরায় ফুটে ওঠে খিদে।
নিদ্রাহীন চলন্ত কবিতা চলন্তিকা
আমার কবিতার খিদে পায় অন্যায়,বর্বরতা আগুনে
উঠে আসে নিত্য বেঁচে থাকা জীবিকায় জীবন।
.
আমি ঈশ্বর বুঝি নি ,ধর্ম বুঝি নি
চলন্তিকা আমি মানুষকে ভয় পায় বড় বেশি।
মানুষের নখের ডগায় জমে অদৃশ্য রক্তবিন্দু
মানুষে জিভের স্বাদে লেগে নোনতা স্বাদ।
চলন্তিকা আমি কবিতা লিখি
ভয় পায় ,কবিতা হারাবার দৈনন্দিন দিনলিপি,
যদি আমার পরে থাকা খাতার শেষে সভ্যতা দাঁড়ি টানে। 

Tuesday, February 17, 2015

হৃদয়ের স্পর্শে

হৃদয়ের স্পর্শে
................. ঋষি
================================
আজকাল তোকে চিনতে পারি না
কোনো পরিযায়ীর ডানায় ভর করে জীবন।
উতল হাওয়ায়,ভাসতে থাকে
পাহাড়ি মেঘে উবুর করা রৌদ্র আমাকে পোড়াই।
বারংবার কানের পাশে ফিসফিস
তোকে আমি আজকাল ছুঁতে পারি না।

তোর ভিজে ঠোঁটের গন্ধে
মাতাল করা মহুয়ায় আমি চান করি নি বহুদিন।
কেন যেন মনে হয়
তোকে আমি আর পেতে পারি না খুব কাছে।
আমার স্পর্শ গুলো আগুনে চিতায় পুড়ে  যায়
আমি আগুনে পুড়ে সোনা পেতে পারি না।

তোর সেই একলা বেলায় স্নানের ঘাটে
তোকে আমি ক্যানভাসে আঁকতে পারি না।
রং গুলিয়ে যায় ,হিসেব মেলে না
তোকে আমি কবিতায় লিখতে পারি না।
বারংবার জীবিত বাহানায় উপদ্রব
তোকে আমি ভালোবাসতে পারি না।

তাহাদের কথা

তাহাদের কথা
............... ঋষি
===========================================
জীবন নিয়ে ছেলেখেলা
অনকেই খেলছে।
কেউ জীবনে মানে খুঁজে এগিয়ে বেড়াচ্ছে
কেউ বা পালাচ্ছে জীবন থেকে দূরে।
প্রজাপতিদের শুকনো ডালে আজকাল কামনাদের ভিড়
মাঠের ভুট্টা খেতে কেউ ভুট্টা খাচ্ছে
কেউ বা এককোনে জীবিত ভুট্টা  দেখাচ্ছে।

জীবিত মানে
বারংবার ওঠাবসা জীবন নিত্য জীবিকার সাথে।
বাসে ,ট্রামে ,নোংরা জ্যামে
জীবন খাবি খাওয়া বেঁচে থাকা শরীরের ঘামে।
সবটুকু ন্যাকা ন্যাকা পৌরসভার  সস্তার পরিবহন
বেঁচে তো আছি বাছা ওনাদের সাথে
ঈশ্বর নগ্ন ব্যস্ততার নামে।

জীবন ও জীবিত
আমি এদের থেকে একটু দূরে।
তোমার অপেক্ষায় ,,যদি আসো
আমার হাত ধরো,, আমি যে বেঁচে।
সেই জীবিত অতীতের হাতছানি
আর যদি নাই বা আসো
আমি জীবন ছেলেখেলা নয় দৈনন্দিন জ্ঞানে। 

তোমাকে চাই

তোমাকে চাই
.......................... ঋষি
=======================================
তোমাকে চাই
এক আকাশ বুকে অন্তরের নিদ্রায়।
ঘুম ভেঙ্গে যায় বারংবার নিশুতি রাতে
তবু তোমাকে চাই।
প্রতিদিন হেঁটে চলায় এক পা ,দু পা
অনন্ত শরশয্যায়।

কে যেন আমাকে ছুঁয়ে যায়
আমার একলা বিকেলের অন্য হাওয়ায়।
কি যেন চুপি চুপি বলে যায়
তোমার চুলের সুরভি ,তোমার নোনতা ঠোঁটে।
পুরনো চিঠি গল্প বলে যায়
কোথায় যেন বেঙ্গমা বেঙ্গমী দেশে।
রাজপুত্র হেঁটে চলে আরো দূরে ,আরো দূরে
তোমাকে খুঁজে যাই।

তোমাকে চাই
এক আকাশ নিদ্রায় ,ক্লান্তির ইজি চেয়ারে।
কখনো ,কোথাও ,কোনদিন দ্রবীভূত মুহুর্তের ঘনঘটায়
মিশে যায় বুকে আরো গভীরে।
আমার ভিতরে বাহিরে ,বেঁচে থাকার বর্ণমালায়
শুধু তোমাকে চাই।

চলন্তিকা ও পাহাড়ি ঝরনা

চলন্তিকা ও পাহাড়ি ঝরনা
............. ঋষি
====================================
চলন্তিকা তোর বৃহৎ বুকে আকাশ পাতা
দোলা দেওয়া হৃদপিন্ড লাল আকাশ আমার  বুকে।
চলন্তিকা তুই আকাশ হতে পারিস
হতে পারিস কোনো পাহাড়ি তিরতির ঝরনা।
সৃষ্টির বুক চিরে তুই এগিয়ে যাস
ক্রমশ নিচে আরো নিচে।
কেন চলন্তিকা
তুই তো নারীরুপি অমোঘ খাজুরাহ পৃথিবীর বুকে
এক সৃষ্টিরুপী জীবিত প্রবাহ।

চলন্তিকা সৃষ্টির আনন্দে
তোর বুকে শুয়ে রক্তাক্ত নারী প্রত্যাহত দিবিনিশি।
নিস্তরঙ্গ এই পৃথিবীর পাপ তোকে ছুঁয়ে
তুই পাহাড়ি ঝরনা অবিরত
এই পৃথিবীর বুকে পরম শান্তি ।

চলন্তিকা  সৃষ্টি তোকে চেনে নি
আসলে নাভির নিচ থেকে পাহাড়ি নদী।
শুধু নদী ক্রমাগত।
এ সৃষ্টি অন্ধ চলন্তিকা।
হৃদয় দেখেনি, বৃহৎ উচ্ছল সামুদ্রিক হৃদয়
আগমন আর প্রত্যাগমন অসংখ্য টানাপোড়েন।
প্রাচীন স্তবকে সাজানো প্রাকৃতিক গুহা
হা ঈশ্বর চলন্তিকা তুই সৃষ্টি
আনন্দের চলমান প্রেম পাহাড়ের বুকে।

Saturday, February 7, 2015

চলন্তিকা ও পিলসুজ

চলন্তিকা ও পিলসুজ
.................. ঋষি
========================================
চলন্তিকা ঘড়ির কাঁটায় পিলসুজের পুড়ে যাওয়া
ঈশ্বর বোঝেন নি শুধু তোর হৃদয়।
মাংস ,রক্তের সিঁড়ি বেয়ে অসংখ্য বেঁচে থাকা
ক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠে অনুভুতিদের বাস।
নিদ্রা যায় সময় আমার শহরে চলন্তিকা
অনিদ্রার শারীরিক বাস।

এ হে চলন্তিকা আজীবন নিজ হৃদয়ে
পতি ,পুত্র ,নারীত্বের মানের খোলাকুচি পৌরুষের ঘা।
কোথায় পুরুষ এ সভ্যতায়
কথায় পুরুষ এ সভ্যতায় অস্তিত্বের তিন নম্বর পা।
সোনার কাঠি ,রুপোর কাঠি ঘুমোক চলন্তিকা
মানুষ জন্মের তোর আলতা রঙিন খালি পা।

লক্ষী এলেন। লক্ষী এলেন
চোখের কিনারায় পিলসুজের জমা যোনির কালো কালি।
নিয়ামক নিরাময় মাংস কেনা দাসী ,বুভুক্ষু সভ্যতায়
আজকের বাসর কালকে রজনী শুকিয়ে  যাওয়া খালি।
শরীর জুড়ে অনটন , প্রেম খোঁজে শহরে মহাভোজ
চলন্তিকার দেখতে থাকে ঈশ্বরের সৃষ্টির চোখের বালি খালি। 

একদম চুপ

একদম চুপ
.............. ঋষি
-====================================
চুপ কেন
জীবন কি থেমে গেছে মন।
সেই যে ফেলে আসা ফুটপাথ ধরে হৃদয়ের ম্যাগাজিনে
চলন্ত সময়ের বুলেট আঁকড়ে সেই ছেলেটা।
পরে আছে স্মৃত্মির গভীরে অবচেতনে
সে তো মৃত নয়।

চুপ কেন শুনতে পাচ্ছিস মন
আমি ডাকছি তোকে চিত্কার করে কোনো বরফ প্রান্তরে।
তোর গায়ে জড়ানো সভ্যতা রঙের রঙিন গয়না
আমি সেজে উঠছি আরো গভীরে রক্তের রঙে.
ভেসে যাওয়া বেওয়ারিস চঞ্চল নদী
গড়িয়ে গিয়ে সেই সমুদ্রে।
আবারও বলি আমি হাত দিয়ে আকাশ ধরতে যাস না
ভালোবাসিস আকাশকে ময়লা রঙে.

চুপ কেন
জীবন যে ভেঙ্গে যাওয়া স্মৃত্মির জাহাজের মাস্তুল।
মাস্তুল ভেঙ্গে যায়
জীবন উদ্বাস্তু পাড় ছাড়া ,স্পর্শ ছাড়া।
ঘোরে ফেরে মন ভাবের সাগরে
একলা সামুদ্রিক প্রবল ঝড়ে। 

নীরবতা কিছুক্ষণ

নীরবতা কিছুক্ষণ
................. ঋষি
===================================
নিজেকে ইচ্ছে  মতো গুছিয়ে
জীবন ঋতুমতি অবাধ্য চঞ্চল।
আমি চলে যাব ঠিক সময়ের ওপারে অন্য গ্রহে
সেখানে সংসার ,জটিল জীবনের কাটাকুটি খেলা।
সব একইরবে স্মৃত্মির আঁধারে অন্ধকার
শুধু সময় চলে যাবে।

আমি চলে যাব জীবন্ত অঙ্গারে লকলকে জিভ
বাড়তে থাকা হৃদয়ের আগুনে।
এক চিমটে ঘি,আমার চিতায়
আমি পুড়ে যাব ঠিক।
সময়ের সাথে সময় পুড়িয়ে যায় যেমন
তেমনি আমি নিজেতে হারিয়ে যাব।
শুধু  রয়ে যাবে বাউলে হৃদয়ের পাথুরে গান
খাঁচার ভিতর অচিন পাখি ,কেমনে আসে যায়।

নিজেকে ইচ্ছে মতো সাজিয়ে
ঠোঁটের চাদরে পাতা থাকবে স্পর্শের লাভা।
আমি পুড়ে যাব ঠিক
চোখের গভীরে লেখা থাকবে আমার দিনলিপি।
আমি হারিয়ে যাব ঠিক
তোর শরীর জুড়ে থাকবে আমার জ্যান্ত স্মৃত্মি।

ঠিকানাহীন

ঠিকানাহীন
.............. ঋষি
====================================
পর্যন্ত ,পর্যন্ত এখন সময় আসেনি
বিনিময়ে রাখা হৃদয়ের ঠিকানা এখনো লাগেনি।
চেয়েছি অনেক কিছু
কিন্তু  কিছুই দিতে পারি নি।
প্রেম আমি সর্বশান্ত
আমি জীবনে আসতে পারি নি।

জটিল কোনো রোগের মত
আমার সাময়িকী আলোকে বীর্যপাত।
নির্ভীক জীবন এগিয়ে যায় চেতনার খোঁজে
আরো গভীরে প্রেম।
তোকে আমি ছুঁতে পারিনি
তাইতো আমি ব্যস্ত ভীষণ।
তোকে হাসাতে পারি নি
তাইতো আমি জীবিত ভীষণ।
প্রেম আমি লঙ্কায় গিয়ে আগুন লাগাতে পারি নি
কিছুতেই নিজেকে নিঃস্ব করে ,হারিয়ে যেতে পারি নি।

পর্যন্ত পর্যন্ত রাবনের সিঁড়ির শেষ ধাপ
বিলুপ্ত কোনো প্রাচীন ধর্মগ্রন্থের পরিচিত চরিত্র।
প্রেম শুধু চেয়ে  গেছে
পৌঁছতে চেয়েছে হিসেবের শেষ ঠিকানায়।
কিন্তু আকাশকে লেখা চিঠি
প্রেম এখনো আমার কাছে আসে নি। 

দোলায় দোলনায়

দোলায় দোলনায়
.............. ঋষি
=======================================
আসতে করে নিজেকে সরিয়ে রাখা
এ জীবনের ট্রিলিয়ন রাত্রে অজস্র সম্ভবনা।
আশা নিরাশার দোলায় দোলনায় জীবন
দুলতে থাকে।
আর সময় নির্বিকার হাসতে থাকে
অবিকল দোলনায় জীবন।

কি হে রাত্রি
অন্ধকার পেঁচাদের সাথে চুমুচাটি আলোকপাত।
অন্ধকার বিছানার কোনে জীবিত জীবন
সিলিঙের শেষ প্রান্তে আশ্রয় খোঁজে পৃথিবী।
দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায়
অবিরত ঘুম ভেঙ্গে যায়।
মন হাওয়ায় ,হাওয়ায় করেছি যে দান
অদ্ভূত অফুরান।

আসতে করে নিজকে সরিয়ে রেখে
বোবা অ্যাশট্রের লাল চোখ আরো দ্রুততম ধোঁয়াতে।
ধন্য জীবনের পরকীয়ায়
নামতে থাকে।
আর সময় অদ্ভূত মুখ ভ্যাংচায়
অবিকল বেঁচে থাকায়। 

Friday, February 6, 2015

দ্যা লাস্ট স্যাপার

দ্যা লাস্ট স্যাপার
.............. ঋষি
============================================
মর্মান্তিক পদচিন্হ ক্লেদাক্ত মাটির রন্ধ্যে
বারো জন ছিল তারা   .
মনুষত্বের প্রাচীন স্তবকে যিশুখ্রিস্টের  প্রিয়জন
আর একজন যে প্রিয়-র ভেকে বিশ্বাসঘাতক রক্ত।
আর একজন শান্তির বেশে শান্তির মুখে আগুন
বারো জন ছিল তারা।

বারো জন ছিল তারা
যিশুর খুব প্রিয় খুব কাছের ,হৃদয়ের অন্তিম স্পর্শে।
সভ্যতা সাবধান যিশু জানতেন সব
কিন্তু সেদিনও যিশুকে ভেজানো হয়েছিল  রক্তাক্ত সভ্যতার আঁচড়ে।
কিন্তু সেদিনও সভ্যতা নিরুপায়  পরমপ্রিয় ক্রুশকাঠের পেরেকে
সেদিনও মেরির কুমারী গর্ভে লেখা ছিল মৃত্যুর নাম।
উল্টো হওয়ায় সভ্যতার বারন্দায় দাঁড়িয়ে ছিল ঈশ্বর
অনন্ত জ্ঞানে।
বদলায় নি সময় ,থেমে থেকেছে সুপ্রভাত সভ্য দিনে।

হাওয়ার মত লেখা হয়েছে ইতিহাস প্রাচীন স্তবকে
জেরুজালেমের প্রাচীন সভ্যতার ক্যানভাসে  লীয়নার্দের রক্তক্ষরণ।
শিরায় শিরায় ফুটে উঠছে সভ্যতা রঙিন পৃথিবীর রঙে
দ্যা লাস্ট স্যাপার  সেই বারোজন ছিল তারা।
যিশু খ্রিস্ট জানতেন বদলাবে না কিছুতেই
বিশ্বাসঘাতক মনুষত্বের রক্ত পরিবাহী  সভ্যতার ভেকে। 

Thursday, February 5, 2015

মন জীবিত আমি

মন জীবিত আমি
........... ঋষি
=====================================
মন কি যেন অছিলায়
তোর খোলা চুলের গন্ধে বরফের পাহাড়।
আমি এভারেস্টের চূড়ায় উঠিনি কখনো
অথচ কত সহজে মেপে  নিয়েছি পাহাড়ের গভীরতা।
আকাশ চিরে কত গভীর সেই কনে দেখা আলোয়
আমি খুঁজে নিয়েছি তোকে আনমনে।

বলতে পারিস পাগল আমি
কিন্তু আমি হ্যিপক্রেট নয় ,নয় অসংলগ্ন কবিতার বাতাস।
তোর খবর পাই না আজকাল
আজকাল আর আমার কবিতারা ঘুমোয় না তোকে জড়িয়ে।
আজকাল আর বিকেল আসে তোর সকালের ঠোঁটে
শুধু সময় পালিয়ে বেড়ায় স্মৃতির আনাচে কানাচে।
শুধু হৃদয় খুঁজে বেড়ায় বৃষ্টি নীল আকাশে
বৃষ্টি নাম না কিছুতেই ভিজে চোখে।
কিন্তু জানিস আজ দিনটা একই আছে
বিকেলের কফি কাপ আর তোর ঠোঁটে।

মন কি অছিলায়
তোকে আমি নগ্ন করি কবিতার পাতায় পাতায়।
প্রশ্ন করেছি হাজারোবার নিজেকে ,
উত্তর পাই নি কোনো।
অথচ জানিস শান্তি পাই নি কখনো তোর পাথুরে বুকে
শুধু ঘড়ির কাঁটার তালে আমি জীবিত রয়ে যায়।

চলন্তিকা আর আকাশের চাঁদ

চলন্তিকা আর আকাশের চাঁদ
..................... ঋষি
=====================================
হায়রে চলন্তিকার তোর নিদ্রাহীন পথচলায়
প্রসব যন্ত্রণা।
গড়িয়াহাটের  মোড় ,চেনা কল্পনা
সবটুকু বাকি রিমেকি মডেলের অপরুপা পথ হাঁটে।
হেঁটে যায় বুভুক্ষু কুকুর নিজের চেতনায়
আসলে চলন্তিকা
বিকৃতি নগ্নতা  সভ্যতা  ছুঁতে চায়।

চলন্তিকা প্রসব যন্ত্রনায়,মাতৃত্বের স্নেহে
প্রসব করিস এক বিকৃত সময় কংসের কারাগারে।
কৃষ্ণ জন্মায় না ,জন্ম নেই ধর্ষক এ যুগে
ঈশ্বর জন্মায় না ,জন্ম নেই বিকৃতি এই যুগে।
সভ্যতার কাপড়ের আড়ালে মায়ের বুক সন্তানের ঠোঁটে
আর বুভুক্ষু কুকুর সেই বুক চোষে আপন কামনায়।
এ যে জীবিত সভ্যতায় ,জীবিত ঘ্রাণে
রাম কিঙ্করের স্থাপত্যে সভ্যতা সৃষ্টি হয় কামুক কল্পনায়
উন্মাদ পৃথিবীর আস্ফালনে।

হায়রে চলন্তিকা তোর বিপুল সাময়িক কামনায়
প্রসন যন্ত্রণা।
গড়িয়াহাট থেকে সোজা হেঁটে প্যারিসের ফুটপাথে
কিংবা মাটির থেকে স্পেসক্রাফটে চাঁদের বুকে।
ছবিটা একই থাকে
আকাশের নীলে চলন্তিকা জন্ম দেয় অমাবস্যার চাঁদ
আর আমরা তাকে সভ্যতা বলি বিকৃতির নামে।

RISHI026@GMAIL.COM

রাজকন্যার সাথে
................ ঋষি
=======================================
কোথায় এক রূপসী রাজকন্যা নিদ্রায়
শহরের পালকে ভাসতে থাকা প্রশ্রয়।
কিছুই মিথ্যা নয়
শহর শুয়ে থাকে স্মৃতি বুকে সময়ের ভাবাবেগ।
সময় জাগে ,জাগ্রত রুগ্ন কলমে চিরদিন
বেঁচে থাকা প্রেম প্রশ্রয়ে।

নিদ্রা ভাঙ্গে না রাজকন্যা
শহরের বস্ত্রালয়ে বস্ত্রহীন সভ্যতার রিমেকি অছিলায়।
সভ্যতা বাড়তে থাকে আরো আগে
হয়তোবা কখনো কোনদিন জাগবে রাজকন্যা।
তার দুই ভ্রুর মাঝে আকাশের চাঁদে আতঙ্ক
অমাবস্যার আগমনী সভ্যতা নিরাশ্রয়।
আমার শহরে সভ্যতা ঘুমোয়
জীবিত থাকার আগে।

কোথায় সেই রূপসী রাজকন্যা নিদ্রাহত
শহরের ফুটপাথ জুড়ে নেরিকুত্তার ছানাগুলো বড় নগ্ন।
যা কুকুর প্যান্ট পরে আয়
অভ্যেস বদলায় না বদলে নতুন দরে সিগারেটের ধার্য্যমূল্য।
বাড়তে থাকা নেশা বাঁচতে থাকে
রোজ প্রতিদিন রাজকন্যার সাথে। 

Wednesday, February 4, 2015

RISHI026@GMAIL.COM

কলম্বাসের পৃথিবী
.............. ঋষি
============================================
আর কিছুক্ষণ জীবন থেকে দূরে দাঁড়িয়ে
কলম্বাসের পৃথিবীর পথে আবিষ্কার অন্য পৃথিবী
প্লিস আরেকটু পথ বাকি
মৃত কলম্বাস তোর জীবন আবিষ্কারের অনন্য তালিকায়
পৃথিবীর অন্য রূপ দেখা বাকি

শহর পেড়িয়ে গেছি সুমেরু ,কুমেরুর শেষ কিনারায়
ওমা পায়ের তলায় মাটি শুকোয় নি।
রক্তের ছোপ রেখে গেছে অন্য বিষাক্ত পৃথিবী
রক্তের শরীর বেয়ে নদী নামছে ,পা পিছলে আলুরদম।
হরদম হরদম বরফ গলছে মিনিট সেকেন্ড মুহুর্তে
কলম্বাস শুনছিস পৃথিবী ঘুমিয়ে ,
কলম্বাস শুনছিস পৃথিবী আকাশের চাঁদে।
হাসিস না প্লিস কলম্বাস ,শোন আমরা সভ্য
আমরা সভ্যতার দূত পৃথিবীর পথে।

আর কিছুক্ষণ জীবন মাটিতে দাঁড়িয়ে পা
ডুবে যাচ্ছিস ,ডুবে যা পঙ্কিল পাঁকে বিছানো কার্বনের কালি।
শ্মশানে বিছানো পৃথিবীর আগামী
মৃত কলম্বাস দেখছিস তোর দূরবীনে অখ্যাত ফ্রান্সিসের ক্যানভাস ,
ভেসে যাচ্ছে মহাপ্লাবন পৃথিবীর বুকে।

[বিদ্র : ছবিটি " দ্যা দিলুজ"  পৃথিবী বিখ্যাত আইরিশ চিত্রকর ফ্রান্সিস ডান্ডির আঁকা। , মহাপ্লাবন আমার কবিতার বিষয়বস্তু। ]  

RISHI026@GMAIL.COM

আজকের দিনটা
............ ঋষি
========================================
মন আজকের দিনটা কাটছে
শুধু কাটছে না এই বিকেলের ডেস্কটপে তোর মুখ।
সরাতে,সরাতে আর সরানো যাচ্ছে না নিজের থেকে
বড় অপারক আমি।
আমার প্রিয় হৃদয় জানলার লোহা ডিঙিয়ে
সেই সাত সমুদ্র পাড়ে।
কি করি বলি
কিছুতেই সে কথা শুনছে না।

মন তোর বাসন্তী রঙের শাড়িটা  একই রকম আছে
না কি কালের তাপে সেও পচে গেছে।
আলমারির তাকে সেই বৃষ্টি ভেজা আলো
গড়িয়ে পড়ছে ,চুঁয়ে পড়ছে  তোর ঠোঁট ছুঁয়ে।
তোকে জানিয়ে রাখা ভালো
আজ বিকেলে আর তোকে ভোলা যাচ্ছে না।

মন আজকের দিনটা কাটছে না
তারিখটা তোর  মনে আছে ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায়।
গীতবিতানের কোনো আগামী পর্বের উপসংহার
না রে তোকে ভোলা যাচ্ছে না।
আকাশের পাড়ে নীল আকাশে বাড়ানো হাত
ডানা মেলে উড়োজাহাজ সাতসমুদ্র পারে।
ঘড়ির কাঁটায় সময় বলছে এগিয়ে যাওয়া
কি করি বল মন যে পিছতে চাইছে।

Tuesday, February 3, 2015

rishi026@gmail.com

প্রেম তোর কৃপায়
.................... ঋষি
=======================================
নিরাশ্রয় আমি প্রেম তোর কৃপায়
কিছু ফেলে আসা সময় অবুঝ  হৃদয়ের চাবিকাঠি।
অনিয়মে ব্যতিব্যস্ত সময় প্রেম তোর দরজায়
মাথা ঠোঁকে ফেলে আসা বেলা।
সেই সময় ,অসময় একলা দাঁড়িয়ে থাকা
স্বপ্নের বারান্দায় ,প্রেম তোর ঠোঁটে চুমু।

তোর খোলা হাওয়া উড়ে যাওয়া আঁচল
তোর গোপনে লুকোনো চোখের ভাষায় প্রেম।
আমি জীবিত থেকে গেছি
তোর চোখে আমি মরণ দেখেছি।
দেখেছি আমার ফেলে আসা সময়ের দীর্ঘশ্বাস
খানিকটা বিশ্বাসে আমি হারিয়ে গেছি।
তোর সাথে ,তোর হাতে হাত ,হৃদয়ের গভীরে অলিগলি
আমার জীবিত বাস।

নিরাশ্রয় আমি প্রেম তোর কৃপায়
কিছু পরে থাকা স্মৃত্মি প্রেম তোর ভাবনায়।
আমার বাড়ানো দুই হাতের মাঝে তুই
আমার জীবনে  ,আমার মরণে স্বপ্নের ঘনঘটা।
অসংখ্য বজ্রপাত হৃদয় নোনা বৃষ্টি
প্রেম তোর কৃপায় বাউল আমি।

rishi026@gmail.com

তোকে মনে পরছে তাই
............. ঋষি
=====================================
মন আজ তোকে মনে পরছে বড় বেশি
আমার শহর জুড়ে হুলুস্থুলি।
জানিস আমি শরীর হয়ে গেছি
আমার তলপেট জুড়ে ক্লান্ত রক্ত স্রোত জীবিত।
আর মাথার শিরায় মৃত্যু এ কান্নার
দেখ একবার  চেয়ে ,আমি জীবিত মরে গেছি।

মন আমার শরীরে রক্তে আজ বিষাক্ত কীট
আমার মৃতদেহ শুয়ে আছে তোর শহর জুড়ে সাদা বৃষ্টি।
আমি মৃত্যুর কফিনে শুয়ে তুষার মেরু ঝর
মন একবার দেখ আমার শহরে অনাথসৃষ্টি।

মন তুই একই রকম আছিস ,নাকি বদলে গেছিস
তোর দেওয়াল জোড়া সাজানো বাড়িঘর ,তোর শহর।
আমার শহর জুড়ে বিন্দাস বাসের স্ট্রাইক ,মিছিলের স্লোক
আমি তো মরে গেছি তবে ,যেমন তেমনি আমার  শহরে।

মন আজ তোকে মনে পরছে বড় বেশি
সাদা পাতায় জমা বিকেলে হলুদ রোদ ,সবুজ আনন্দে।
জানিস আমার সারা শরীর জুড়ে কালসিটে
আমার এই মৃত খিদের শহরের প্রতি রন্ধ্রে।
আমার হাজতবাস ,তবু বাঁচা বিন্দাস
আমার কবিতায় আবারও তোর স্পর্শ।


rishi026@gmail.com


মুক্তির অভ্যাস
....................... ঋষি
==============================
ছোট পৃথিবীতে নিঃশ্বাস আর বিশ্বাসের মেলবন্ধন
হয়তোবা জড়িয়ে  থাকা মানে জড়িয়ে বাঁচা।
হয়তোবা জীবিত থাকা মানে মিথ্যা অভ্যাস
এমন তর হয়েই যায়।
প্রতিদিন, প্রতিক্ষণে অজান্তে বুকের ওঠাপড়ায়  মিঠে রৌদ্র
আকাশের বুকে ডানা ,মুক্তির অভ্যাস।

আমি স্বপ্ন দেখছি সেই চিলেকোঠার ছাদে
বড়দের আশংকা যদি পরে মরি।
আমি তো মরে গেছি কবে ছোটো থেকে বড় ,তারপর আরো
কখন যেন আমার আকাশের নীল ডানায় লাল ছোপ।
আমি চুপ করে দেখেছি নীল আকাশকে
বুকের বারান্দায় দাঁড়ানো অসংখ্য মৃত ফুটপাথ।
ফুচকা ওয়ালা ,ফেরিওয়ালা আরো কত চিত্কার বুকের মাঝে
আমি চুপ থেকেছি
আজকাল আমার আকাশের রং লাল।

ছোটো ছোটো নিত্য এগিয়ে যাওয়া ভিক্ষার ঝুলি হাতে
ঈশ্বর এখানে স্থির ,নির্বাক বাসের কন্ট্রাকটর।
স্টপেজের পরে স্টপেজ ,আবার বিন্দাস ক্লান্তি
আমার গন্তব্যে খোলা আকাশ অদ্ভূত শান্তির।
নীল রং কখন যেন লালচে মেঘ হয়
আর আমার ভয় হারিয়ে যাওয়া মুক্তির অপেক্ষায়।

RISHI026@GMAIL.COM

কতটা বেঁচে
...................ঋষি
=====================================
আকাশ থেকে নেমে আসা U F O
পৃথিবীর মাটিতে পদার্পণ নতুন সভ্যতা।
মানুষ বাবুরা ব্যস্ত দৈনন্দিন বোঝাপড়ায়
মানুষবাবুরা  ব্যস্ত জীবিত থাকার আকাঙ্খায়।
সবাই জীবিত মৃত স্তবকে
আর সভ্যতা,ব্যস্ত আকাশের কোনে নীল স্বপ্নে।
এমন তো গল্পেই হয়
কোনো অচেনা গ্রহের জীব পৃথিবীর মাটিতে ,
পৃথিবীটা বদলাতে চায়।

মানুষ বাবুরা কি চায়
দিন কাটছে কাটুক ,চামড়ার কোটরে ভাঁজ,
সময় গড়াচ্ছে গড়াক ,সময়ে ভ্রুর ভাঁজ।
কেউ বলে না জবাব চাই
শুধু জবাব দেয় নিত্য বোঝাপড়া জীবনের ঘামে।
কেউ বলে না এগোতে চাই পৃথিবীর গতিতে
সবাই বলে যে যাচ্ছে যাক ,আমি তো বেঁচে।
কি মানুষবাবু কতটুকু বেঁচে ?

উত্তর নেই ,চুপ কর দৈনন্দিন মাছ ভাত নিদেন নুন ভাত
চলছে চলবে ধর্ষণ ,বর্ষণ সমাজপতিদের ভিড়ে।
কাবুলিওয়ালার ছোলায় বেঁচে ঈশ্বরের নাম ,ধর্মের নামে
মানচিত্র বদলাতে চাই অধিকারের নাম ,বিভাজনের নামে।
খবরকাগজে জীবনপাত বুজরুকি জনতা
দোকান হাটে  বজ্রপাত সেই বুলসাই ক্লান্ত জনতা।  
কোথায় শেষ ,কোথায় শুরু সভ্যতা
অপেক্ষা জেগে ওঠা সুদিনের আকাশে U F O
বদল চাই ,বদলানো নতুন আলো। 

Sunday, February 1, 2015

RISHI026@GMAIL.COM

হৃদয়ের জোকার
.................. ঋষি
==========================================
সেই সময়টা  আমার ছিল
আমার বুকের উপর তুই উত্তাল ঢেউ।
আমার অলিন্দের অগনতি আনাগোনা সময়
অগনতি বাস্তবের গতিশীল পর্দায় অন্ধকার।
শুধু তুই আমায় ঘিরে
শধু তুই আমার বুকে মাথা ক্লান্ত সময়।

আমি জীবন দেখি নি ,দেখেছি ফুরিয়ে যাওয়া
যেমন ফুরোয় দিন দৈনন্দিন ক্যালেন্ডারে।
যেমন ফুরোয় আলো সুদিনের আশায়
তেমনি আমি ফোরাতে চেয়েছি নতুন সুপ্রভাতে।
তেমনি আমি ঘিরে রয়েছি সেই সময়
আমার দুই বাহুর মাঝে তুই।
তোর ওম আমার প্রেমের শরীর
আমার স্বপ্ন ,আমার জীবন হাহাকার।

সেই সময়টা আমার ছিল
এই সময়টাও আমার তুই আমার খুব কাছে।
আমার বুকের খাঁচায় না বলা হৃতপিন্ডে জমা বেঁচে থাকা
জমে থাকা জীবিত আয়নায় আমি হাসছি ,হৃদয়ের জোকার।
আমার কাঙ্গাল রূপ
আমি যে পথের ভিখারী চিরকালীন তোর তৃষ্ণায়। 

আমার কবিতা বেলা

আমার কবিতা বেলা
................ ঋষি
======================================
অযথা তুমি পারো কি করে
কি করে তুমি সরে থাকো এত দূরে।
আমি বৃষ্টি দেখেছি ,আমি রৌদ্রে পুড়েছি
আমি অকারণে হেসেছি ,তোমাকে ভালোবেসেছি।
কিন্তু বুঝি না সমীকরণ
কিসের তাড়া তোমার ,ছেড়ে যাওয়ার ,চলে যাওয়ার
অনেক অনেক দূরে।

বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখি তোমার  মুখ
আমার আয়নায় দেখি তোমার মুখ।
আমার সমুদ্রে বারংবার স্রোতের আনাগোনা
সবাই যায় যাক ,তুমি থাকো।
আমার জীবনের সময়ের চলে যাওয়া
সময় যায় যাক ,শুধু তুমি থাকো।
আমার ভিতর ,আমার পৃথিবীর মাটিতে তোমার নতুন জন্ম
শুধু আমি তোমার জন্য।

অযথা তুমি পারো  কি  করে
কি করে তুমি সরে যেতে পর এত দূরে।
আমি শ্মশানের আগুনে নিজেকে পুড়িয়ে পোড়া চাই
তুমি জানো আমি বাঁচতে চাই।
কারণ অকারণে তোমাকে ঘিরে দৈনন্দিন হেঁটে চলে
কিন্তু মেলে না সমীকরণ।
কিসের তাড়া তোমার,আমাকে ফেলে যাওয়ার পৃথিবীর পথে
একলা আমার কবিতা বেলা। 

RISHI026@GMAIL.COM

শেষ চিঠি
.............. ঋষি
======================================
আবার না হয় দাঁড়ায় এসে তোমার দরজায়
খুঁড়তে থাকি ডাকবাক্সের শেষ চিঠিটা।
আকাশের ঠিকানায় চিঠি
বুকের শেলফে রাখা নীল স্লিপিং পিলের রাত।
আর সেই পুরনো না কেনা  ডাকটিকিট
অপেক্ষায় ঠিকানাহীন ,নতুন ঠিকানার।

রাস্তার পাশে ডাকবাক্স খুলি অভ্যাসে
অভ্যাসে নিজেকে ঘুম পাড়ায় গভীর রাত্রের সেলফোনে।
হাত বাড়াই ,স্পর্শ চাই
আবার ঘুমোতেও ,শেষ রাত্রে তোমায় জড়িয়ে।
আমার হৃদয়ে তোমার চুলের গন্ধ
আমার সারা শরীরে লেপ্টে  তোমার শরীর।
আমি ঘুমিয়ে পড়ি
ঘুম ভেঙ্গে যায় অবুঝ রাত্রি দাঁত বের করে
হাসতে থাকে অব্যক্ত অনুভূতি।

আবার না হয় দাঁড়ায় আসে  তোমার দরজায়
চেনা অভ্যাসে চিঠি লিখি কবিতার পাতায় পাতায়।
আকাশের ঠিকানায় চিঠি
বুকের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ক্লোরফর্মিয় সকাল।
আর সেই পুরনো হাত বাড়ানো আকাশে দিকে
অপেক্ষায় ঠিকানাহীন ,তোমাকে শেষ চিঠি।


RISHI026@GMAIL.COM

কিন্তু কোথায়
......... ঋষি
==========================================
রুটিনমাফিক অলিগলি বেয়ে দৈনন্দিন আনাগোনা
সময় এখানে মাঝে মাঝে বসন্তর কোকিল।
এক মুখ দাঁড়ি,হাঁচি ,কাশি জীবন
দস্তুর পাঞ্জাবী ,নোংরা জিন্স ,বাইকের গিয়ার বদল জীবন।
কিন্তু
যার তরে সে কোথায়।

যার তরে কলমের নিবে ত্রিমাত্রিক রূপরেখা
শব্দ ,ব্রম্হ আর প্রেম।
ঈশ্বরশালীন রোজকার নারায়ণ শিলায়
মাথা ঠোঁকা।
আকাশের চাঁদ আর অনিদ্রায় আমি  দৈনন্দিন বেঁচে থাকায়
কোথায় সে।

কথায়,কথায় হাজারো স্রোতে ভরপুর
জীবনের কবিতায়।
না বলা যাতনাদের ভিড়ে ঘড়ির কাঁটায়
দস্তর আবহসঙ্গীতে ফিসফিস উই সাল ওভারকাম রোজকার।
কিন্তু
যার তরে সে কোথায়।

  

.একটা কবিতা আমি তুমি

আমার কবিতা পেলেই আমি তুমি হয়ে যাই তোমার মতো আটপৌরে শাড়ি পরি, হাতে কলম কোমড়ে আঁচলটা গুঁজে তোমার মতো উনুনে আঁচ দি  হাঁড়িতে পরিমাণ মত শব্দ, জল...