Wednesday, May 31, 2017

ডেকো বৃষ্টি বলে

ডেকো বৃষ্টি বলে
............ ঋষি
======================================================
ফুরোনো দিনের আলো
আর অন্ধকার বৃষ্টি চুমু খায় সময় ক্রমাগত নিজের ভিতর।
আমাকে মেঘ বলে ডেকো না কখনো
বরং ডেকো বৃষ্টি বলে।
আমি অনবরত নিজের খুশিতে ভিজতে চাই নিজের সাথে
ভেজাতে চাই তোমায়  দিবানিশি

আকাশে আজকাল যখন তখন নীরব মেঘ
বাতাসে তখন বাজতে থাকে কোনো ফুরিয়ে যাওয়া গান।
আমি কান পেতে শুনি
আমি হৃদয় রেখে শুনি ক্রমাগত বৃষ্টির শব্দ।
তুমি এগিয়ে আসো শহরে জল পেরিয়ে পুরো ভিজে কাক
আমি ঠিক দেখতে পাই তোমায় ,তোমার ঠোঁটের লিপস্টিকে তখন অন্যরকম স্বাদ।
তুমি নিয়মিত ছাতা আনতে  ভুলে যায় ,
আসলে এটা বাহানা আমি জানি।
আসলে তুমি ভিজতে চাও আমার সাথে ,আমার শহরের সাথে
বন্য কোনো আদম একলা তখন তোমার নিরালায়।

ফুরোনো দিনের আলো
প্রকৃতির ক্যানভাসে তখন মিলিমিশি নীল আর আমি।
আমি মেঘ হতে চাই নি কখনো ,কখনো চাই নি আকাশের বুকে বাসা বুনতে
আমি বৃষ্টি হতে চেয়েছি।
আমি অনবরত নিজের খুশিতে ভেজাতে চেয়েছি তোমায়
পরম আদোরে ,পরম স্নেহে।

"আয় বৃষ্টি ঝেঁপে "(২)

Running daylight
And dark rain kisses constantly while inside yourself,,,,,,,
"আয় বৃষ্টি ঝেঁপে "(২)
.... ঋষি
==============================================
এখানে শেষ বলে কিছু নেই
ঝিম ধরা বিকেলের মেঘের হঠাৎ আলো ফুরিয়ে অন্ধকার।
আজকাল বিকেলের পরে আমার শহরে মেঘলা বেলা
বৃষ্টি আসবে বোধহয়।
অন্যমনস্কতায় আজকাল এমন একটা শিরশিরে শীতলতা
গভীর উত্তাপের পর এমনি হয় বারংবার ।
.
তোমাকে মনে পরে না
এমন একটা দিন বোধহয় আমার কবিতায় থাকে না চলন্তিকা।
আমার কবিতার নিব ফেটে ছড়িয়ে পরে স্পর্শ সাদা পাতার আনাচকানাচে
তুমি আসো নিজের মতো ,তোমার নুপুরের শব্দ ,তোমার চলার ধরণ।
সবটাই আমার নখে দর্পনে
সবকিছু আমি লিখতে থাকি খুঁটিনাটি ,মন্দভালো।
আমার  হৃদয়ের ঘুলঘুলিতে পায়রার মতো তুমি বাসা বাঁধো
অনবরত বাকুম বাকুম ,খোলা আকাশে উড়তে থাকো।
আবার ফিরে আসো,কিছুতেই স্থির থাকো না
একবার ভাবো তবে আমি স্থির থাকবো কি করে ?
আজকাল মন ভালো থাকে না চলন্তিকা
বহুদিন হলো তোমাকে বৃষ্টি বলে ডাকি নি।
.

এখানে শেষ বলে কিছু নেই
ঘুম ঘুম বিকেলের শেষ আলোটুকু নিজের ছায়ার সাথে সন্ধি করে।
আজকাল বিকেলের পরে প্রায় বৃষ্টি নামে
সেই বৃষ্টি আমার হৃদয়ের কার্নিশ চুঁয়ে আনমনে স্পর্শ করে তোমায়।
ভীষণ মেঘলা তখন আমার শহর
মন বলে  বারংবার আয় বৃষ্টি ঝেঁপে। 

Sunday, May 28, 2017

অন্য ভূমিকায়

অন্য ভূমিকায়
.......... ঋষি
=======================================
তোমাকে ছুঁয়ে যাওয়া
মিশে থাকা জংলা মাটি ,আর কেমন একটা আনছান।
জানি প্রতিটা দরিদ্র হাড়ি সর্বদা চিৎকার করে খিদে খিদে বলে
জানি প্রতিটা একা বাঁচা সর্বদা হাহাকার করে নিজের বলে।
আমার,,,, এটা শুধু কোনো শব্দ নয়
এইটুকু শব্দে জুড়ে থাকে আত্মার কোনো আদরের প্রতিফলন।

যদি হঠাৎ ফুরিয়ে গিয়ে ফিরে আসা যায়
কিংবা ধরো যদি হঠাৎ তুমি সেই ষোড়শী যার চোখের কোনে স্বপ্নের কাজল।
যার আকাঙ্খার মাটিতে তৈরী তার স্বপ্নের সাম্রাজ্য
সে যেন খেলনাবাটি খেলা।
কিন্তু খেলনাবাটির সেই খেলনাগুলো সর্বদা কেন জানি হারিয়ে যায়
কিংবা হঠাৎ নিজের হাতে ভেঙে।
এইভাবে সময় ফুরোতে ফুরোতে রাত পাখি উড়ে যায় কোনো অজানা দেশে
হয়তো বা স্বপ্ন ছিল সেটা কিংবা ইচ্ছা  .
ইচ্ছাদের আবদারে বাড়তে থাকা নিঃশ্বাসের শব্দগুলো
নিশুতিরাতে তোমাকে খোঁজে।
কেন যেন মনে হয় পথ ফুরোলে তুমি আছো
আর আছে কিছু স্বপ্ন।

তোমাকে ছুঁয়ে যাওয়াটা
তোমাকে কাছে পাওয়াটা আজকাল আমার অভ্যেস হয়ে গেছে।
জানি প্রতিটা বেঁচে থাকা মিলে যাওয়া সমীকরণ নয়
জানি প্রতিটা একা থাকা বেঁচে থাকার কৌশল নয়।
আমার ,,, এই শব্দটার মধ্যে একটা ইচ্ছা মেশানো আছে
শুধু এইটুকু শব্দে বেঁচে থাকা অন্য ভূমিকায়।

হঠাৎ বৃষ্টি

হঠাৎ বৃষ্টি
.............. ঋষি
=====================================================
গ্রীষ্মের সমস্ত আদ্রতাটুকু তোমাকে ছুঁয়ে
কয়েক ফোঁটা বৃষ্টি বিকেলের।
আকাশের রং হঠাৎ বদলে অনেকটা সুখকর কালচে নীল
এইটুকু সুখ।
তুমি হাসলে পরে হঠাৎ মেঘ করে
তারপর বৃষ্টি।

আমি ভিজি
ভেজে আমার শহরে আনমনে তোমাকে ছুঁয়ে যাওয়া হঠাৎ হাওয়ায়।
দেখা হওয়া আর কিছুক্ষন সন্ধ্যের মুখে
তোমাকে মনে করে তোমাকে পাওয়া।
তুমি আকাশ দেখছো হয়তোবা আকাশের কয়েকফোঁটা সুখ তোমার ঠোঁট বেয়ে নিরিবিলি
আমি বিকেলে শেষ আহরণ।
শেষ আলোটুকু তোমার ঠোঁটের হাসিতে মিশিয়ে দিচ্ছি
কবিতার ছলে তোমাকে আদর করে আরো কাছে ডাকছি।
একটা উষ্ণ বুকের স্পর্শ ,এক গহীন সুখ কয়েক ফোঁটা বৃষ্টি আমাকে ভেজাচ্ছে
তোমাকে ছুঁয়ে আসা  হাওয়া আমাকে পাগল করছে।
মন বলছে তোমাকে সবটুকু চায়
আর আমার শহর সে তো চিরকালই কাঙাল কোনো কবি।

গ্রীষ্মের শেষ আদ্রতাটুকু মুছে গিয়ে
এই মুহূর্তে আমার শহরে কিছু কথা বৃষ্টি হয়ে তোমাকে ভেজাচ্ছে।
আকাশের রং হঠাৎ কেন যেন ভীষণ মুক্তি
মন বলছে আরো বৃষ্টি আরো বেশি।
আর তুমি কোনো একলা নিরালায় বসে ভিজে যাচ্ছ আমার কবিতার শব্দে
আর কিছুক্ষন অপেক্ষা ভিজে মাটি ,সোঁদা গন্ধ। 

Friday, May 26, 2017

নারী

নারী
.......... ঋষি
===========================================
নারী কোনো সার্বিক সৃষ্টি হৃদয়ের
তুমি শিল্পীর ভাবনা কখনো ক্যানভাসে সুন্দরী স্বপ্নের রূপ।
তুমি গায়কের উচ্চারণ নৃত্যের অনন্য রূপ
তুমি ভাস্কর্যের মাটি চিরকালীন সৃষ্টির আদর।
তুমি কবির কবিতা পাতায় ,পাতায় হেঁটে চলা নুপুরের শব্দ
তুমি পৃথিবীর গতি নিয়ামক কোনো ঈশ্বরী জ্ঞানে।

তোমার ছিন্ন নগ্ন শরীরে ভর করে মহাকালের নৃত্য
প্রথিবী ধ্বংস হলো বলে।
তুমি সৃষ্টির শুরু ,ধ্বংসের সুর
কোনো অকাল শ্রাবনে ভিজতে থাকা মাটি সবুজ ফসল।
নারী তোমার অনন্য রূপ
অনন্য তোমার আত্মার চিরকাল বলিদান।
সংসার ,সিঁদুর ,সম্পর্ক ,যাপন ,জীবন
কোনো পাঁকের মাঝে ফুঁটে ওঠা পদ্মের প্রথম আলাপন।
মোনালিসা থেকে শুরু করে বনলতা ,তারপর নীরা ,আকাশলীনা
তোমার কতো রূপ।

নারী তুমি হৃদ্যিক কোনো শিল্পীর শিল্প
তুমি বন্ধুরূপী ,তুমি পত্নীরূপী ,তোমার মাতৃ রূপ ,তোমার ধ্বংসরূপ।
তুমি আদিম জন্মের প্রথম ইভ ,তুমি মাতৃস্নেহের প্রথম রূপ
তুমি সম্ভাবনার প্রথম কিরণ।
তবু কেন মাঝে মাঝে আমার মনে হয়
তুমি ভীষণ সস্তা ,ভীষণ কমদামি ,শুধু প্রয়োজন সভ্যতার পণ্য । 

একদিন ঠিক

একদিন ঠিক
........... ঋষি
=================================================
একদিন ঠিক দেখা হয়ে যাবে রাস্তার সাথে
আমি তুমি মুখোমুখি ,কি রে তুই এখানে ? চোখাচুখি।
তারপর পথ হাঁটবো পাশাপাশি ,বাইরে তখন তুমুল রৌদ্র
চোখ ঝলসে যাওয়া ,হাতে হাতে ,একটু বসি চল কোথাও।
কফিশপ একটা আশ্রয়
বাইরে তখন তুমুল রোদ ,আমি তুই পুরোনো কথায়।

কি রে কেমন আছিস
আমি হাসবো বলবো ঠিক যেমন দেখছিস আমায়।
তুই বলবি পুরো তো বদলে গেছিস ,শুধু হাসিটা একইরকম
আমি বলতে পারবো না আমি বদলায় নি রে ,একই আছি ,একই।
তুই বলি তারপর বিয়ে করলি
তোর কপালে সিঁদুর চকচক ,ঠোঁটের ডগায় সেই আঙুরের হাসি।
আমি হাসবো তোকে বলবো আমার স্ত্রীর কথা
তার পর ছানাপোনা ,বাজার হাট ,আরো কথা।
কিন্তু বলতে পারবো না  পৃথিবীতে কিছুই বায়ুশূন্য নয়
কিছুই ফাঁকা নয় ,পূর্ণতা মানুষের ধর্ম।
ঘড়ির কাঁটা ঘুরবে ,ঘুরবে আরো দুচার কাপ কফি
বাইরে রৌদ্র গিয়ে ,অন্ধকার হবো ,হবো।
আমার তখন বলা হবে না আমি অন্ধকারে আছি তুই
তুই আলো ছিলিস ,কিন্তু চলে গেলি।

তারপর সেই পুরোনো রাস্তায় তুই বলবি কি রে উঠবি না ,বেলা হলো
সত্যি তো বেলা হলো ,ফিরতে হবে যে ডেরায়।
আমি তখন বলতে পারবো না ফিরে যাওয়াটা মানুষের ধর্ম
ফিরে যেতে হয় ,পারতে হয় ,না হলে হারতে।
তারপর তুই টাটা বলবি ,হাত ধরে বলবি ভালো থাকিস ,আমিও তাই
তারপর মোবাইল ঘাটতে ঘাটতে বলবি ফোন করিস।  

ফটোফ্রেম

ফটোফ্রেম
............ ঋষি
============================================
পুরোনো ফটোফ্রেম কিছু ওলোটপালোট মুখ
সাদাকালো ছবি।
স্থির কিছু মুহূর্ত তোমার আমার সকলের অনুরণ কেঁপে যায়
দিন কাটে ,সময় বদলায়।
ফটোফ্রেমে মুখ হাসতে থাকে ,হয়তো হলুদ পুরোনো হতে থাকে
কিন্তু বদলায় না তো।

দিন কাটে ,দিন বদলায়
সমস্ত প্রলেপ জুড়ে ,সমস্ত স্মৃতিদের মেঘে কিছু রঙিন আদর জড়িয়ে থাকে।
বৃষ্টি ভেজা কোনো স্পন্দনের মতো
হৃদয়ে লেপ্টে।
পুরোনো ফটোফ্রেম কিছু ওলোটপালোট মুখ
সাদাকালো ছবি ,,, আজ আর নেই।
আজ যখন রঙিন ছবি ফোনের পাতায়  পাতায় ,ইজি টু গেটেবেল
খুব কি রঙিন লাগে ওই সাদাকালোর পাশে।
 ফটোফ্রেমে মুখ হাসতে থাকে ,হয়তো হলুদ পুরোনো হতে থাকে
কিন্তু বদলায় না তো।

পুরোনো ফটোফ্রেম কিছু ওলোটপালোট মুখ
সাদাকালো ছবি.
সময়ের প্রটোকলে সময় ভীষণ কম মানুষের আর স্কোপ অন্ধকার
দিন কাটে ,সময় বদলায়।
তবু সাদাকালো কিছু ছবি বুকের পেরেকে টাঙানো
কিন্তু বদলায় না তো। 

মধ্যবিত্ত

মধ্যবিত্ত
............ ঋষি
=================================================
তোমার ব্রার শেষ স্ট্রাপটা খুলে ফেললাম
সামনে উন্মুক্ত পাহাড়ের শীর্ষে কোমল কোনো আদর।
মধ্যবিত্ত পর্যায়ের স্বপ্নের নারীরা সর্বদা ভীষণ উন্মুক্ত হয় তোমার মতো
অসময়ের সরে যাওয়া আঁচল মধ্যবিত্ত চোখের মনি।
আর যদি কোনোক্রমে তোমার নাভির নিচে নামি
তবে তো আর চোখ ফেরানো যায় না।

সাতটা পাঁচটা অফিস ,বাসের জ্যাম ,পথচলতি মধ্যবত্তি চোখ
বারংবার পিছলে পরে কোনো সুন্দরী নারী তোমার প্রতি।
এটা মধ্যবিত্তের দোষ  নয়
একটা স্বভাব যখন মানুষের অন্ত স্পৃহায় স্বপ্ন খোঁজে ফেরে।
নুন আনতে পান্তা শেষ হওয়া সম্বল ,মাছের বাজারে দরকষাকষি
গিন্নির সাথে ঝগড়া।
মশাই একটা আশ্রয় খোঁজে ,একটা মুক্তি
শুনতে ভালো না লাগলেও ,এটাই সত্যি ,  পুরুষের চোখে পর নারী সর্বদাই মধুময়।
আর বাকিটুকু শুধু যন্ত্রনা
মধ্যবিত্ত কি দোষ করলো ,মশাই পুরাকালের ঋষি মুনির ধ্যান ভেঙে গেছে
আর নিতান্ত সাধারণ মানুষ।

তোমার ব্রার শেষ স্ট্রাপটা খুলে গেলো
সামনে উন্মুক্ত পাহাড়ে শেষ সূর্যের আলোয় বোধ হয় মনের সকাল।
মধ্যবিত্ত মানুষগুলো একটু মধ্যবিত্ত হয় ,হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলো
ছেলের মুখ ,স্ত্রীর মুখ ,সংসারের দায়িত্ব ,সমাজের অবস্থান।
মধ্যবিত্ত ভীরুপথে ঘরে ফিরে যাচ্ছে
তখন সেই স্বপ্নের পর্যায়ে উন্মুক্ত নারী ,খুব হাসছে ,শালা মধ্যবিত্ত।

ইন্ডিয়া টুডে

ইন্ডিয়া টুডে
............. ঋষি
===================================================
বাক্সবন্দী শহর ,ফটোফ্রেম ,কৃত্রিম রিমেক
সাদাকালো ছবিগুলো বদলাতে বদলাতে সনি কোম্প্যাক্টে তোলা নড়াচড়া।
গ্রামগুলো একই আছে ,মানসিকতা
শহরের আলো হয়তো কোথাও বড় বড় কথা।
মোদ্দা কথা হলো দেশ বদলাচ্ছে ,উন্নতির সোপানে আট ইঞ্চি আরো খাড়া
কিন্তু আজকাল আট ইঞ্চি নয় মোটা লোহার রড ঢুকে যাচ্ছে।

বেশ তো ছিলাম ,বেশ আছি
স্বাধীনতা দাঁড়াতে দাঁড়াতে ,গনতন্র প্যান্ট পড়তে পড়তে আজকাল বড্ডো সাধারণ।
অসাধারণ পার্টিঅফিসের কর্পোরেট কায়দার ভোলবদল
এটা আসলে বিছানাবদলের মতো কিছুটা সস্তার মেয়েমানুষ।
বেশ তো  আছি ,বেশ ছিলাম
হাতে হাতে মুঠোফোন, দেদার পসরা,শহরের ঝকমকি আলোতে কৃত্রিম সাজানো হাসি।
স্নো পাওডার,বিউটিপার্লার ,কফিশপ
বাইশ ইঞ্চি গজে দেশের স্পেশাল তোহার আই পি এল।
বেশ তো ছিলাম ,বেশ আছি
টু জি ,থ্রি জি ,ফোর জি আর কি চাই
হাত বাড়ালেই এ টি এম , সম্পর্কের ম্যানিকুইন ,হেলদি ফ্রী চেক আপ।
দেশটা বড্ডো বাড়াবাড়ি রকমের সুখী।
আসুন, সব্বাই মিলে -গণতন্ত্রকে সেলাম ঠুকি।

গণতান্রিক এই দেশটার শুধু উন্নতির ছোঁয়া
অনাহারে মৃত্যু ,ফ্যাক্টরি স্ট্রাইক ,চা বাগান বিপ্লব ,চাষি আত্মহত্যা।
ধুস  এই সব খবরের কাগজে রোজ ছাপা হয়
আমার কি ,আমি তো আছি বেশ আমার সাজানো সুখের সাজানো দেশে।
যে মরছে মরুক ,অপুষ্টি যাকে খাচ্ছে খাক,বাড়ির মেয়েছেলে অনাহারে রাস্তায় দাঁড়াক
আমার কি ,আসুন কফি খেতে খেতে ইন্ডিয়া টুডের খবরগুলো এনজয় করি।

অন্ধ কানাই

অন্ধ কানাই
................ ঋষি
=================================================
অন্ধ কানাই আমি দেখিনি তাকে
তবে তার অনুভবে শহরের আলোগুলো সব অন্ধ।
নিরিবিলি সভ্যতাকরণ আঁকতে বসলে ঈশ্বর  তুলিতে  সৃষ্টি আঁকে
সৃষ্টির সবথেকে অদ্ভুত আদম ,ইভ তখন নগ্ন।
ক্রমশ আগুন ,চাকা গড়িয়ে যায় ,গড়াতে থাকে বেলা
উন্নতি ,আবিষ্কার ,নবীকরণ ,আজকের এই মানুষের রূপ।

ফুটপাথে শুয়ে থাকা পাগলিটা মা হয়ে যায়
বাতাস ঢুকে অকারণে তার পেটের থলিতে বাঁচতে থাকা ভাবনা।
কুকুরের সাথে সঙ্গমে সভ্যতাও মা হতে থাকে
বারংবার কাল্পনিক কথোপকথন মানুষের।
সাঁওতাল কোনো নিম্নবর্তীয় নারী শরীর পাওয়া থ্যাঁতলানো মাংস পিন্ড হয়ে
গভীর জঙ্গলে তখন দাবানল।
একটা গোল পৃথিবী ভাঙতে ভাঙতে ছোট  ছোট দেশ ,রাষ্ট্র ,ধর্ম হয়ে যায়
হয়  ধর্মের বীজে জন্ম নেওয়া পার্টিঅফিস।
বিকিকিনি হতে হতে নারী নিতম্বে চেপে ধরা লম্বা রিভলবার
শাসকের প্রতীক ,ধর্মের প্রতীক ,পুরুষের প্রতীক।
এগুলো সব ছোট ছোট গল্প
ন্যায়  শালায় একলা দাঁড়িয়ে থাকে দেবী থেমিস
চিরকাল অন্ধ।

অন্ধ কানাই আমি দেখিনি তাকে
মাঝে মাঝে পৌরাণিক ধৃতরাষ্ট্র থেকে বংশানুক্রমিক প্রযোজন আমি।
না আমি একলা নই ,আমার মতো মানুষ ,আরো
সকলে কেমন আফ্রোদিতি কিংবা ভেনাসের পূজারী।
কিন্তু ঈশ্বর সৃষ্ট সেই মহাকাব্যের শেষটা বোধহয় আমরা ভুলে গেছি
প্রতিটা সৃষ্টির পরে ধ্বংস আছে আর আর ধ্বংস শুধু মানুষের।
   

নিরাভরণ

নিরাভরণ
............ ঋষি
=========================================
একটা নতুনত্ব খুঁজে পাই
বিকেলের গুমোট চাপা রৌদ্রের শেষ চলে যাওয়ার মুখে হাসি।
একটা নতুনত্ব তোর বুকের পাটাতনে রাখা সেই টবের গাছটার
বাড়তে চাইছেআরো বড়।  ইচ্ছা মাটির শিকড়।
মাটি আমার বড়ো ভালো লাগে চলন্তিকা
সেটা যে আরো বেশি প্রাপ্য বাঁচতে চাওয়া গাছটার।

কাঠের সিঁড়ি বেয়ে উঠে যাচ্ছে ইচ্ছারা আকাশের নীলে
ইচ্ছাদের পায়ের শব্দ।
জোড় লাগা সব শরীরগুলো এই গুমোট গরমে প্রেমে ব্যস্ত
এটাই নিশ্চিত যে প্রেমের কোনো শরীর হয় না।
এটা ভীষণ জাগতিক কোনো ক্রমশ প্রকাশ।
আরো গভীরে যাও.
বিকেলের তোমার সদ্য স্নান সারা শরীরের গোপন ইচ্চারা
আস্কারা দিচ্ছে অনুপাত।
নিরাভরণ তোমার চুলের ঝরতে থাকা রেণুগুলো
সব পাহাড়ি হেঁটে চলা।
সামনে চলে যাওয়া দিনের যাপনের গন্ধ ফুরিয়ে
আবার আসা বাতাস এখনো চঞ্চল।

একটা নতুনত্ব খুঁজে পাই
ডুবতে থাকা সূর্য ,উত্তপ্ত সড়ক আর মুখোমুখি আমি তুমি।
আমার শহরের গোপন ইচ্ছারা পারিজাতের প্রশস্ত ভাবনায়
তোমার বুকের পাটাতনে ফুল ফুটছে।
কোনো মাটিমাখা একলা আমি শুধু মাত্র চলন্তিকা ভাবনায়
সেটা যে ভীষণ জরুরী বাঁচতে চাওয়া গাছটার।

Wednesday, May 24, 2017

নীরবতায় সময়

নীরবতায় সময়
........... ঋষি
=====================================================
তুই একবার বলিস নি
তোর মনখারাপ কেন ? কেন ভালো নেই।
সব প্রশ্নের উত্তরগুলো তোর বুকের খাদে লোকানো একটা জ্বালা
আমারও একটা জ্বালা আছে, তুই ভালো  নেই তাই।
আমার ভিতরে  আলোআঁধারী একটা শহর বাস করে
যার রাস্তায় তুই একলা দাঁড়িয়ে রৌদ্রে পুড়ছিস।

সময় অসময়ের খেলনা বাটি খেলা
শহর হেসে চলে যায় আমার ছেড়ে বারংবার নিজের পথে।
শেষ আটচল্লিশ ঘন্টায় তোর টিউনিংয়ে কিছু কথা আমার ভীষণ চেনা
আপ জিস নাম্বার মে ট্রাই কর রেহে হে ওহ ফিলাল সীমা ক্ষেত্র সে বাহার হে।
বুকের ভিতর ,হ্যা বুকের ভিতর
অজস্র  হাতুড়ি পেটা,মাথার ভিতর দমাদম বাজতে থাকা দামামা।
আমি জানি তুই শুনতে পাস্
যেমন আমি এখন শুনতে পাচ্ছি তোর গলার স্বর, তোর আকুতি ,তোর যন্ত্রণার শব্দ।
 যেমন  আমি দেখতে পাচ্ছি তোর চোখের তলায় দমবন্ধ করা কালো জানলা
জানলার ওপারে লুকোনো স্বপ্নগুলো কুচিকুচি কাগজের মতো আকাশে উড়ছে
তুই ধরতে চাইছিস ,তুই বাঁচতে চাইছিস।
দিকভ্রান্ত  শহরের যাত্রী ,আমার শহরে তুই একলা দাঁড়িয়ে খুঁজছিস নিজেকে
আকাশের মাঝে হাতড়ে ,জাপ্টে ধরতে চাইছিস আদরের মেঘ।
আর আমি শহরের কোনো কোনে একলা  কফিশপে
নীরবতায়  বসে লিখছি তোর স্পন্দনের শব্দ।

তুই একবার বলিস নি
তোর মনখারাপ কেন ? কেন তুই ভালো নেই।
সব প্রশ্নের উত্তরগুলো নিরালায় ছুঁয়ে যাওয়া কোনো উত্তপ্ত হাওয়া
যার এক ঝলকে চোখে মুখে জ্বালা।
বিশ্বাস কর আমার শহর আজ তোর মতো একইরকম আজ পুড়ছে
শুধু বৃষ্টির অপেক্ষায় তোর দিকে তাকিয়ে সময় । 

সময়ের আদ্রতা

সময়ের আদ্রতা
............ ঋষি
=================================================
পিছন ফিরে তাকাতে নেই
নিষ্কলঙ্ক কোনো অমানবিক দরজার স্মৃতিযাপন।
দরজা  খুলছে  ম্যাডাম
সামনে সার দিয়ে পরে থাকা মৃতদেহগুলো আপনার শৈশব ,আপনার অতীত।
অতিথি এখানে আপনার মতো কিছু মনে পরা দিন
আর চশমার ঝাপসা কাঁচ।

ম্যাডাম কাঁচটা মুছে নিন
নিজের রুমালের পারফিউমে ঢেকে নিন আপনার শরীরে নিজস্ব গন্ধ।
নিজেকে সময়ের হাতে তুলে দিন
আপনার অস্তিত্বের চাবিগুলো ঈশ্বরের মতো কেউ ঘুরিয়ে দিক
আর আপনি চাবিওয়ালা পুতুলের দৃশ্যে যাপন  ,বেশ না ম্যাডাম।
পিছনের দিকে তাকাবেন না
না না আয়নায় খুঁজবেন না নিজেকে সেই ষোড়শী কন্যা।
অনেকটা হা ,হুতাশ ,অনেক কিছু করার ছিল
অনেককিছু আপনার রূঢ় বাস্তবের পায়ের তলায় কাঁচ ফোটার মতো।
রক্তের চাপ হাঁটার পথে
তার চেয়ে কি দরকার পিছনের দিকে তাকাবার।

পিছনে ফিরে তাকাতে নেই
আপনার মেহেগনি আঙুলের ফাঁক গলে চলে যাচ্ছে সময়।
আয়নায় তাকান,নিজের ঠোঁটের লিপস্টিকে নিজেকে ডুবিয়ে দেখে নিন একবার
রূপসী কোনো সূর্যের আগুন।
একটা চটচটে ঘুমের ঠিক মাঝখানে আপনার  শুকনো ঠোঁটে সময়ের রং
হাসছেন ম্যাডাম ,ভাবুন আপনার ঠোঁটের  আর্দ্রতা শুষে নিচ্ছে সময়ের হিউমিড। 

একটা কবিতা

একটা কবিতা
...... ঋষি
========================================================
একটা কবিতা খুঁজছি
একটা কবিতা আমার কৈশোর থেকে আজকের সময়।
একটা কবিতা চলন্তিকা  তোমাকে স্পর্শ করে রাত্রি দিন
একটা কবিতা হাঁটার পথে রূঢ় সময়।
একটা কবিতা শুধু   গাছ ও পাখি আর প্রকৃতি
নিস্তব্ধ কালবৈশাখীর উড়তে থাকা  পাতা  নড়া থামিয়ে এই বিকেলে প্রান্তরে।

একটা কবিতা হোক
অনন্ত দিন চলে যাওয়া  প্রেম ও বিরহ মেখে অসীম আবেগে।
একটা কবিতা হোক
সাফল্য ব্যর্থতা মাখা সময়ের বুনিয়াদি অনন্য অস্তিত্বের।
একটা কবিতা হোক
সময়ের ডুবে যাওয়া মন তীব্র বিষাদে কিংবা ছুটে চলা উল্লাসে হরিণী গতিতে।
একটা কবিতা হোক
ছায়া ছায়া  অন্য দিন নিকট অতীতে, কখনো যন্ত্রণা, কখনো মুর্ছনাতে।
একটা কবিতা হোক
চলন্তিকা  তোমাকে স্পর্শ করে নাভি বেয়ে ওঠা শিড়শিড়ানিতে।
একটা কবিতা হোক
শুধু কষ্টের ,শুধু দূরত্বের ,শুধু হারিয়ে যাওয়ার।
একটা কবিতা হোক
তুমি ছাড়া ,তোমার অতীতের শেষ ঠোঁট ছোঁয়া  আলো আঁধারির।

একটা কবিতা খুঁজছি
একটা কবিতা আমার মধ্যাহ্নের শেষ সূর্যের আরাধনায়।
একটা কবিতা চলন্তিকা শুধু তোমার আদরে তোমাকে পাওয়ায়
একটা কবিতা  যার গভীরতা স্পর্শে মারিয়ানা খাদ, বহুকাল সাধনার ঈশ্বরকণা।
একটা কবিতা শুধু মানুষের সেলাই করা রিপু আর যন্ত্রনায়
নিস্তব্ধ কোনো একলা দিনে একটা কবিতা যার পরে মন বলবে লিখবো না।

Monday, May 22, 2017

মোনালিসা

মোনালিসা
..... ঋষি
=======================================================
মোনালিসা তুমি হাসলে আজকাল আমার বিরক্ত লাগে
কি করে হাসতে পারো তুমি ?
সভ্যতার লুটিয়ে পরা আঁচলে ক্রমশ আরো অসম্মানের হাতে তোমার হাত
তোমার কপাল জুড়ে লাল সিঁদুরে অভিশাপ।
জন্ম থেকে তোমাকে শেখানো হয় তুমি অন্যের সম্পত্তি ,অন্য মাল
তোমার কি লজ্জা হয় না ?

মোনালিসা তুমি নারী
মাঝে মাঝে ভালো করে দেখতে ইচ্ছে করে তোমাকে।
তোমার বুকের পিরামিড লেগে থাকা মিশরের বালুকণা
তোমার আরো গভীরে লুকোনো নীলের কালো জল।
এত বৃহৎ জঙ্গলে সাজানো বাড়িঘর ,তুমি বলো সংসার
আর সময় বলে শধু " প্রয়োজন "।
তুমি বোলো আত্নীয় ,স্বজন ,সিঁথির সিঁদুর ,সন্তান ,আর এই তো বাঁচা
আর সময় বলে শুধু " প্রয়োজন "।
প্রয়োজনের মোড়কে তোমার পিতামাতা তোমাকে শিখিয়েছিলো
দৌড়োতে নেই ,এত জোরে হাসতে নেই ,তুমি বড় হচ্ছো ছেলেদের সাথে মিশতে নেই ।
এই ভাবে হাঁটতে নেই ,এই ভাবে বাঁচতে নেই
তবে কি আছে মোনালিসা
একটাই ,,,,,,,, মৃত্যু ।

মোনালিসা তুমি হাসলে আজকাল আমার খুব রাগ হয়
তোমার শরীরে কি লজ্জা বলে কিছু নেই ,কিছু নেই তোমার বেঁচে থাকার।
সভ্যতা তোমাকে এই রূপ দিয়েছে
কিন্তু এই সভ্যতায় আদিম মাতৃতন্র একদিন জাগ্রত ছিল।
আমি দেখতে চাই তুমি হাসো ,আমি দেখতে চাই তুমি বাঁচো
স্বাধীন খোলা আকাশের ঈশ্বরের ইচ্ছা হয়ে।

হায় প্রতিবাদ


হয় প্রতিবাদ
,,,,,,,,,,,,,,,, ঋষি
====================================================
চলন্তিকা এই গ্রীষ্ম তোমার জন্য নয়
তোমার আদুরে শরীরে লেগে থাকা ঘোরগুলোতে আমি নিশ্চিত।
সকাল ভেঙে সমুদ্র দূরে
এক আকাশ পাখি ঘর ভেঙে উড়ে যায় অন্যকোথাও।
আমি জানি চলন্তিকা এই আবহাওয়া তোমার জন্য নয়
শুধু  প্রতিবাদের আগুনে আহুতি দিচ্ছো তুমি।

শহরের পথ জুড়ে যে প্রতিবাদ মিছিল এগিয়ে যাওয়া আলো
সেই স্লোগানে তুমি ,তোমার মতো আরো। .
আজও চিৎকার করছে ,ঘর খুঁজছে ,খুঁজছে সংসার ,খুঁজেছে অস্তিত্ব
বারংবার ব্যবহৃত শরীরে নকশায় আয়নায় জমি খুঁজছে।
একটু বেঁচে থাকার ,একটু সম্মানের ,একটু আদরের ,একটু অহংকারের
সবটুকু আজ এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের দাঁড়িপাল্লায় শুধু প্রয়োজন।
কোনো মাতৃমূর্তির আরাধনায় সভ্যতার মন্দিরে হাজারো আলোর প্রদীপ
অথচ  মূর্তির পিছনে সর্বদা অন্ধকার।
সভ্যতা বলছে সময়  ,সময় বলছে অধিকার,আর অধিকার  বলছে সম্মানের সন্মান সমতার
কিন্তু চলন্তিকা  ........
আজও কোনো আশি বছরের বৃদ্ধার ধর্ষণের চিৎকার আমি শুনি
আজও আমি কোনো পনেরো বছরের কন্যার বরযাত্রী সেজে আমি আসি।
আজও আমি সাক্ষী থাকি কন্যা পনের ,পুড়িয়ে হত্যার ,রাস্তায় স্লেজিংয়ের
আজও খবরের পাতায় কন্যা ভ্রুন হত্যা পড়ি।
এই সভ্যতা চিৎকার করে চলন্তিকা নারী আদলে
এই সভ্যতার যোনি রক্তাক্ত হয় ,রাস্তায় হেঁটে আসে নগ্ন নারী মিছিল।
নগ্ন স্তনে মুখ রাখে মাছির মতো সভ্যতা
আরে প্রয়োজনে পুরুষের পুরুষত্ব ভোগ করে তোমাকে।
হায় প্রতিবাদ তোমায় ধিক্কার
তবুও কি কিছু বদলায়।

চলন্তিকা এই গ্রীষ্ম তোমার জন্য নয়
চলন্তিকা আমি বলছি শোনো তুমি ঋতুবতী হলেও কোনো ঋতু তোমার নয়।
এই দেশ ,এই মানচিত্রে ,শহর ,গ্রাম রাজ্যে  কোথাও তোমার কোনো জমি নেই
শুধু নিয়মিত ব্যবহৃত পণ্যের মতো তোমার শুধু ব্যবহার সভ্যতায়।
তুমি শুধু সাজানো দোকানে ,পুস্তকে ,পত্রিকায় ,গল্প,কবিতায় মোহময়ী সুন্দরী
কিন্তু তুমি বিশ্বাস করতে শেখ তোমার থেকে অসহায় আর কদর্য কেউ নেই। 

পাগলামি (৪)

পাগলামি (৪)
.... ঋষি
=========================================================

দূরত্ব কোথাও রয়ে গেলো
আমার ছাদ থেকে তোমার ছাদে স্মরণীয় নিমন্ত্রণ।
এই চিঠি তুমি পড়বে জানি
হাসতে হাসতে তোমার কপালের  লাল সূর্যটা আরো উত্তপ্ত প্রতিদিনের মতো।
তবু আমি কখনো বলবো না
ভালোবেসে সখী নিবিড় নিভৃতে আমার নামটি লিখো।

সারা আকাশ জুড়ে আজ তোয়ালের মতো মেঘ
সূর্যের তাপে পারদ ঝরছে শরীরে।
আমার সকালের চুমুতে বাতাস বয়ে তোমার বাড়ির বারন্দায়
তুমি স্নান করে চুল ঝাড়ছো ,এলোমেলো শাড়িটা নিজের মতো কোনো অবলোচনে।
আমি সব দেখতে পাই
সমস্ত সকাল জুড়ে যে চিঠি আমি তোমাকে লিখছি।
তার প্রতিটা পাতার স্পর্শ গুলো তুমি পড়ছো
তোমার হাসিটা আজ একইরকম আছে আমি জানি
আমার আলো।
এই শহরের আকাশের কাছাকাছি যে ধুলো থাকে ভেসে
তারা ঠিক চেনে এই অন্ধকার।
পৃথিবীর ধুলো শুধু জানে আমাদের বিষণ্ণ বেঁচে থাকার নীরবতা
অথচ সময় সাক্ষী আমি তুমি একসাথে।

দূরত্ব কোথাও রয়ে গেলো
আজ ভোরে তোমাকে দেখেছি আমি পর্দার আড়ালে সময়ের মতো।
গোলাপি মেঘেরা হঠাৎ আজ ঘনিয়ে এসেছিলো
শুধু বৃষ্টি  এলো না শুধু  টুপ করে গড়িয়ে নামলো তোমার আখরোট ঠোঁট বেয়ে।
এই চিঠি তোমার কাছে পৌঁছবো কিনা জানি না
তবে জানি এই সব আমার অগোছালো পাগলামি তুমি খুব  ভালো জানো। 

Sunday, May 21, 2017

প্রেয়সী চাঁদ

প্রেয়সী চাঁদ
....... ঋষি
================================================
ছায়াপথ থেকে ছায়াপথ ,গ্রহ থেকে গ্রহান্তর;
ঘুরে ফিরে গ্রহাণু্র  মতো তোমার দরজায় গিয়ে দাঁড়ানো ।
দরজা খোলো  চাঁদ
সারা ব্রম্হান্ডের অন্ধকার কয়েক মুহূর্তের ফুল ফোটে
সকাল আসে
আমিও হারিয়ে যায় চাঁদের সাথে

প্রতিদিন একই নিয়ম
আবর্তন আবদ্ধ কোনো পোশাকি আয়োজন আমাকে একলা রাখে।
আরো ছায়াপথ
আরো ছায়া ছায়া অস্তিত্বের ভিড়ে আমি আমি ক্ষুদ্র নক্ষত্র।
তুমি আকাশের চাঁদ
অপেক্ষা প্রতি রাতে তোমার দরজার কলিংবেলে নিরালা সময়।
প্লিস দরজা খোলো
কেউ কি আছে আমার মতো ,আমার আদরে ,অন্ধকার আকাশ।
প্রয়োজন
দরজা খোলে হাসি মুখ আকাশের চাঁদ
চারপাশে রুপোলি আদর আমার।

মাঝে মাঝে মনে হয় আর ছায়াপথ ,গ্রহান্তরে নয়
ছুটে যায় পৃথিবীর দিকে।
একবার একবার পৃথিবী থেকে আমি চাঁদ দেখতে চাই
খোলা দরজা আদরের চাঁদ প্রেয়সী আমার।
আমি আছড়ে পড়ি পৃথিবীর বুকে
তারপর হঠাৎ দেখি চারিপাশে ঝলমলে সকাল।   

পাপবিদ্ধ

পাপবিদ্ধ
.......... ঋষি
===========================================
জল ছুঁয়ে যায় আমার পাপবিদ্ধ শরীর
আমার পাপের নেশা করা পরিণত কোনো অশ্রাব্য গালাগাল।
জন্মের অন্তরে শুয়ে থাকা গভীর পাপ
কোনো অকালবৃদ্ধ বটবৃক্ষের মতো একলা দাঁড়িয়ে চৌরাস্তায়।
জল ছুঁয়ে যায় গড়িয়ে নামে
বহুদিন পর আজ আবার আমি পাপিষ্ঠ।

নির্ভীক যৌবনে
কাটতে থাকা পথের কিনারায় ছোট ছোট মাইলফলক
রক্তে কালিতে লিখে দেওয়া দূরত্ব
আজ মধ্য চল্লিশের কোনো যুবকের হারিয়ে যাওয়া।
এই শহরে হারিয়ে যাওয়া যায় ,জমা পাপ ,অন্ধকারে
শহরের অলিতে গলিতে জমতে থাকা প্রাচীন ধুলো আজ আমার পাপ।
আজ আমার গৌরবের শেষ ঔরংজেব
হারানো সূর্য।
বৃষ্টি আসে যখন তখন ,পথের মতো আমাকে ভেজায় ঠিক যেন বেঁচে থাকা
জল ছুঁয়ে যায় আমার পাপবিদ্ধ শরীর
বারংবার চুঁয়ে নামা জীবিত সফর।

জল ছুঁয়ে যায় তবু আমার পাপবিদ্ধ শরীর
শরীরে কোরকে বাস করে অসংখ্য রোগের অছিলায় মৃত শব।
জমির আগুনে পুড়তে থাকা আমার আগামী
আরো আহুতি চায়।
ওম স্বাহায় নমঃ। আমি ঘি মাখায় আমার মৃত শরীরে
জানি মৃত্যুর আগে মরে যাওয়াটা ভীষণ পাপের।

তোমার গল্প

তোমার গল্প
.......... ঋষি
=======================================================
মধ্যম কোনো একলা দুপুর
দুশো সাতচল্লিশ বার তোমার গল্প বলে বলে আমাকে।
 অযথা যৌনতা বা অ্যাবস্ট্রাকশনের ডামাডোল এড়িয়ে
নিটোল গল্পের মধ্যে শুধু জুড়ে থাকে শূন্যতা।
শুধু তোমার হাসির পালকের মুকুট পরে
ফিরে আসে  জীবন থেকে হারানো অজস্র পুরোনো কবিতার পাতা।

তোমার বুকে, নাভির চারপাশে, আরো নীচে অনেক সুখের মতো একেকটা গল্প আমাদের
যেগুলো পুরোনো হতে হতে কোনো আদিম পাতায় লেখা সমুদ্র সফেন।
অবিরত বাজতে  থাকবে হৃদয়ের সিগারেট নিকোটিনে জমে থাকা অভিশাপ
 আজ একলা দিনে  পরিপাটি সাজানো জীবনে।
মাথার ভিতর অসংখ্য ভ্রমর ,হৃদয়ের ক্যানভাসে আঁকিবুঁকি
নির্ভয়ে বাড়তে থাকা প্রশ্রয়।
আমরা একটা অন্ধকার  পৃথিবীর অন্ধকার  নাগরিক
তবু চোখের পিলসুজে আমাদের পবিত্র আলোয় একেকটা গল্প চোখের লেন্সের দূরত্ব।
নিভে যাওয়া প্রদীপের ক্ষীণ শেখায় হঠাৎ দপ করে ওঠে
নিজস্ব বাঁচতে থাকা।
দুশো সাতচল্লিশ কেন হাজারো বার তোমার গল্প আমাকে বললেও
এই একলা সময় ফুরোবার কারণ
নিতান্ত আমার।

মধ্যম কোনো একলা দুপুর
দুশো সাতচল্লিশ বার তোমার গল্প বলে আমাকে।
গল্পের ভিতরে আঙুল ছোঁয়ালে এক আশ্চর্য ম্যাজিক , এক আশ্চর্য শিহরণ
যেন প্রথম প্রহরে সূর্যের প্রথম আলো।
পৃথিবী ঘুমিয়ে পরে অন্ধকার সময় হাবুডুবু খায় তোমার গল্পে
তবু দেখো তোমার গল্পরা বরংআবর  প্রথম শোনার মতো চিরকালের ,চিরসবুজ। 

জীবিত গন্ধ

জীবিত গন্ধ
................. ঋষি
=============================================
কিভাবে অন্ধকার হাতড়ে ফিরে আসা যায় ?
কিভাবে কপট আনন্দের সাথে
একটা জীবন কাটিয়ে দেওয়া যায়।
এই সব উহ্য থাকে বালুতটে ফুটে ওঠা চলন্তিকা তোর পায়ের ছাপ
স্রোত আসে ভিড় করে তবু মুছে যায়..
.
যদি গাঢ় চুম্বনে স্তব্ধ দূর আকাশ সীমানায় আদিম রং
যদি নিঃশব্দে দুচারখান পাতা খসে যায়।
পথের উপর দিয়ে পথ যায় কাটা
তবু কি এই পথ একা হাঁটা যায় ?
শুধুই একা  ..........
.
কিভাবে ভালোবাসা যায় ?
সেই মুহূর্তের কণায় জমে থাকা ভাঙা বাড়িঘর।
কিভাবে আরো একা থাকা
নিজের  সুদৃঢ় সম্পর্কের মত দূরে ভেসে ওঠা কোনো মুখমণ্ডলে
একফালি চাঁদ।
ফিরে এসো অন্ধকার , পুনর্বার নির্জনতায় ভেসে উঠুক ঝাউবন
ভেসে উঠুক তোমার সমুদ্রফেরত ভেজা কোনো অবয়ব।
চলন্তিকা আসীন তুমি এই বুকে
খুব সুখে। বেঁচে থাকার তোমার জীবিত গন্ধে। 

Saturday, May 20, 2017

পাগলামি (৩)


পাগলামি (৩)
... ঋষি
==========================================================
Ehsaan tera hoga mujh par
Dil chahta hai woh kehne do
Mujhe tumse mohabbat ho gayi hai
Mujhe palko ki chaanv mein rehne do
.
এতটা অনুভূতি ,এতটা স্পর্শ
চলন্তিকা আকাশের মেঘে আজকাল বড়ো বেশি লালচে মেঘ।
মহম্মদ রফির গলায় কোনো এক অদ্ভুত মেঘ
এই গ্রীষ্মের দুপুরে হাজারো  কোটি মেঘ ভাঙার পর।
হৃদয়ের কোনে জল জমছে
কোথাও একটা গভীর বৃষ্টির আকাঙ্খা।
.
আমি  কখনো তোমাকে বৃষ্টি বলে ডাকি নি
কিন্তু বৃষ্টিতে একলা পথ হেঁটেছি বহুবার একা একা তোমার সাথে।
গ্রীষ্মের দুপুরে তোমার প্রতীক্ষায়
যখন সারা অস্তিত্বে থৈ থৈ ঘাম তখন তোমাকে মনে করেছি।
বেশ দেখতে পাই
তুমি বৃষ্টি ভেজা কোনো আদরের কবিতা।
তোমার কপাল বেয়ে ,তোমার ঠোঁট ,নাক ,সারা শরীরে অসংখ্য জলের বিন্দু
কোনো অবধারিত কলমের নিবে লেগে থাকা কালো টিপ্।
কেমন যেন আমার ঘোর লাগে
মনে হয় তোমাকে বৃষ্টি বলে ডাকি একবার
অন্তত একবার সত্যি সত্যি তোমার হাত ধরে বৃষ্টিতে পথ হাঁটি।
.
এতটা অনভূতি ,এতটা স্পর্শ
চলন্তিকা আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি ঝড় উঠছে।
চারিদিকে চাপ চাপ মেঘ ,যেন সারা আকাশ জুড়ে আমার সাদা পাতা
আমার কলমে লেগে যাচ্ছে পাগলামি।
তোমাকে বৃষ্টি বলে ডাকি একবার
একবার মহম্মদ রফির গলায় তোমায় জড়িয়ে ধরি বৃষ্টি হয়ে ।
.
Tumne mujhko hansna sikhaaya.. ho..
Tumne mujhko hansna sikhaaya
Rone kahoge ro lenge ab
Rone kahoge ro lenge..

Friday, May 19, 2017

গভীর সুখে

গভীর সুখে
.......... ঋষি
===============================================
চলন্তিকা তুমি প্রেম চাইলে
আমি বুক খুলে হাজার সাদা পায়রার ডানায় তোমায় পেলাম।
চলন্তিকা তুমি হৃদয় চাইলে
আমি আকাশের নীল মুক্তির ফাঁকে জীবন খুঁজে পেলাম।
কিন্তু চলন্তিকা যখন তুমি মুক্তি চাইলে
আমি হারিয়ে গেলাম অরণ্য ,তোমার বুকের মিষ্টি সুবাসে।

সকলে যাকে প্রেম বলে
তাকে আমি অবহেলায় পরে থাকতে দেখি ভাঙা চাঁদের গায়ে।
সকলে যাকে প্রেম বলে
তাকে আমি বিক্রি হতে দেখি রাস্তার  অন্ধকার গলিতে শরীরের নামে।
সকলে যাকে প্রেম বলে
তাকে আমি একলা থাকতে দেখি নিজের হৃদয়ের ছোট ছোট ঘরে।

প্রেম কি তবে শুধু ফুরোতে থাকা কোনো রূপকথা
নাকি কোনো নিশুতি রাতে আঁতকে ওঠা কোনো আতঙ্ক।
প্রেম কি তবে শুধু ম্যাগনিফাইং গ্লাসে দেখা বিবেকের নাম
নাকি মৃত একটা শব  যা ছড়োনো সম্পর্কের লুকোনো আড্ডায়।
প্রেম কি তবে শুধু শরীর কোনো নিষিদ্ধ উপত্যকা
নাকি কোনো খোঁজ অজানায় লুকোনো কোপার্নিকাসের আবিষ্কার।

চলন্তিকা তুমি প্রেম চাইলে
আমি বুকের  পাঁজরে একটা ঘর করলাম তোমার নামে।
চলন্তিকা তুমি হৃদয় চাইলে
আমি একটা টানেলে জুড়ে দিলাম তোমার আমার রক্ত প্রবাহ।
তারপর যখন তুমি মুক্তি চাইলে
আমি হারিয়ে নিজের ভিতর ,তোমার ভিতর আরো গভীর সুখে। 

নিশ্চিন্ত মৃত্যু

নিশ্চিন্ত মৃত্যু
............... ঋষি
=================================================
কিছুটা মুহূর্ত ঘন হয়ে আসুক
সামনে শুরু আবার একটা দিন কোনো অজানায়।
কাল রাতে ঘুম হয় নি ভালো
চলন্তিকা তোর স্বপ্নে অনেকগুলো দেওয়াল আমি ভাঙছিলাম।
তারপর হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলো
বাইরে এখন আলো আঁধারি মেশানো কোনো নতুন শুরু।

বিছানায় শুয়ে বেশ লাগে নিজেকে পায়চারি করাতে
হৃদয়ের ব্যালকনিতে ক্যাকটাসগুলো এখনো যে জীবিত।.
বেশ লাগে ভাবতে তুই রোদের পায়েল পরে
উঠে এসেছিস হৃদয়ের   ছাদে।
আকাশে আকাশে আমার ভুবন কাল রাতে মরে গেছে অনাদরে
আমার ক্লিষ্ট মৃতদেহ  নিয়ে আমি  দাহে,,,,,, দিগন্তপারে।
তারপর ... তোর বুকের দাহে ভাসছে আমার ছাই ভস্ম পোড়া কিছু কবিতা
ক্ষনিকের ভাবনায় আমি দেখছি তুই  কুড়োচ্ছিস।
তুই  পড়তে চাইছিস আমাকে নিরবচ্ছিন্ন মনোযোগে
আর আমি তখন শুধু কবিতা।

কিছুটা মুহূর্ত ঘন হয়ে আসুক
তোর চিবুক ছুঁয়ে আমি স্বপ্নে কোনো  অজানায়।
কাল রাতে ঘুম হয় নি ভালো
চলন্তিকা তোর স্বপ্নে শুধু অনেকগুলো দিন আমার বেঁচে থাকা।
তারপর কেন জানি আঁতকে উঠলাম আমি
বাইরে তখন আলো আঁধারি কোনো নিশ্চিন্ত মৃত্যু আমার অপেক্ষায়। 

কতটুকু দূরত্ব

কতটুকু দূরত্ব
......... ঋষি
==============================================

কতটুকু দূরত্ব তুমি চাও
ইচ্ছা রাখো কোনো  উর্বর জমির উপর বিশাল বৃক্ষের।
বিশাল একটা কাঁধ ,একটা যত্নের হাত
আর জীবন সে তো মাঝি নৌকায় ছায়ের তলায় বাঁচতে থাকা আশ্রয়।
ঠিক কতটুকু দূরত্ব তুমি চাও
এই দু চোখের ফাঁকে ,এই নিঃশ্বাসের মাঝে ,বেঁচে থাকায়।

একটা চওড়া রাস্তা
তার মাঝখানে ব্যারিকেড দেওয়া যাওয়া আর আসা।
কেউ কখনো কোনো হিসেবে রাখে না ,কেউ কখনো মনে রাখে না
জীবন ঠিক এমনি একটা হিসেব।
দরজার উপর কুলুঙ্গিতে রাখা একটা বিশ্বাসের ভিতে
যেখানে শুধু ভালো থাকা।
বালিশের ফাঁকে শুয়ে থাকা না  বলাগুলো  তুমি যেন চলন্তিকা
একটা অভিমান ঠিক আকাশ বাঁধা।
কোনো অন্ধকার সিলিঙের উপর দমবন্ধ করা ঘুলঘুলিতে সাদা পায়রার বাস
তুমি যেন পায়রার বকবকানি ,তাদের মুক্তি।
তবে মানুষ কেন পারে না
চারদেয়ালের হিসেবে নিজেকে হিসেবি করতে।

কতটুকু দূরত্ব তুমি চাও
ইচ্ছা রাখো কোনো বিশাল বৃক্ষের ছায়ায় একটা জীবন।
পথ চলে যায় স্বপ্নের সিনেমাহলে তোমার প্রিয় প্রণয়ের খোঁজে
হাতে হাত ,পপকর্ন আর কিছুটা  একসাথে।
কিন্তু নিয়মিত পথচলা তুমি দূরত্বে
চলন্তিকা এই দু চোখের ফাঁকে ,আমার নিঃশ্বাসে ,বেঁচে থাকায়।  

শুভেচ্ছা সফর

শুভেচ্ছা সফর
............... ঋষি
=====================================================
গ্রীষ্মের প্রখর দুপুরে
এক ফালি মেঘ ,কোনো অদ্ভুত শান্তি চলন্তিকা।
মানুষ নামক চরিত্রটা  চিরকাল কোনো পরাশ্রয়ী বেঁচে থাকা
কোনো অজেয় আশ্রয়ের খোঁজ।
খোঁজ কোনো আদিম অরণ্যে এক ফালি শীতলতার
কিছুটা অদম্য বাঁচতে চাওয়া।
,
দোসর সময়ের  আয়নায় আমাদের নিয়মিত চানঘরে গোপন যাতায়াত
পরিশ্রুত হতে চায় নিয়ম মাফিক মানুষের পরিচয়।
কিন্তু চলন্তিকা আমি তোকে কাদামাখা চাই ,চাই তোকে অরণ্যের মতো প্রকৃতির সুবাসে
কোনো একলা গ্রীষ্ম দিনে শরীরের শুকিয়ে যাওয়া ঘামে।
মুছে নিতে নিতে বলিরেখা চোখের কানাচে গড়িয়ে নামা ঘাম
এই ঋতুরঙ্গ জানে কতটা সাবলীল এই উত্তাপ।
এই সময়  জানে আধ ছেঁড়া সঙ্গমে বিনিদ্র হাজারো রাত কত ফোঁটা রক্ত ছড়ানো
নিষিদ্ধ আঁকিবুকিতে।
বাকিটুকু সবটুকু ফাঁকি প্রশ্রয়ের আশ্রয়ে বাড়তে থাকা স্পন্দন
শুভেচ্ছা সফর লাশকাটা ঘরে।
,
গ্রীষ্মের প্রখর দুপুরে
এক ফালি মেঘ ,কোনো আশা বোধ হয় বৃষ্টি আসবে।
মানুষ নামক চরিত্রটা চিরকাল অন্ধকার গামী  কিন্তু মনে খাঁজে
অনন্ত আলোর খোঁজ।
খোঁজ কোনো প্রখর উত্তাপে বাড়তে থাকা থার্মোমিটারে
চলন্তিকা  শুধু তোর উপস্থিতি, তোর আশ্রয়ের। 

Wednesday, May 17, 2017

কিছু না বলা উত্তাপ

কিছু না বলা উত্তাপ
............ ঋষি
==============================================
কিছু উত্তাপের পারদ তোমার ওই চওড়া ঠোঁটে
শহরে কোনো নিতান্ত দুর্বলতায় যদি জড়িয়ে চুমু খাই।
মনে রেখো সেদিন চারপাশ নিস্তব্ধ
কোনো রাজনৈতিক চিৎকার ,শহরের ভিড় ,কিছুই থাকবে না।
শুধু থাকবে এই চোখ তোমার চোখে
আর কিছু না বলা উত্তাপ।

ক্রমশ  উত্তাপে লাগবে জ্বর
আরো গভীরে কোনো মেঘ আকাশ ভেঙে পড়বে।
ক্রমশ খসে পড়বে একের পর একের পর এক দরজা
আরো অনন্ত কিন্তু ইচ্ছা তখন বৃষ্টি।
একটা বিস্ফোরণ আকাশের গায়ে লোকে বলে বিদ্যুত
আমি তখন কবিতা।
ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছি শহর ছেড়ে তোমার বুকে। আরো নিচে। আরো গভীরে
ক্রমশ আরো কাছে তুমি ,খুব কাছে।
চাপা নিঃশ্বাসে দৃষ্টি ভেঙে পড়বে
বাইরে তখন তুমুল বৃষ্টি ,আর তুমি ,আমি একদম চুপ।

কিছু উত্তাপের পারদ তোমার ওই চওড়া ঠোঁটে
শহরের কোনো দৃষ্টি ভাঙা বাঁধ আজ শুধু ভেঙে পড়ার অপেক্ষায়।
মনে রেখো আজ সময়টা ভীষণ আগুন
কোনো নীরব চিৎকার দরজা ভাঙছে বুকের ভিতর।
শুধু রাখবো আমার এই হাত তোমার হাতে
তারপর সবটাই কবিতা। 

ছুঁয়ে যাওয়া কবিতা

ছুঁয়ে যাওয়া কবিতা
.......... ঋষি
=======================================
এই বিকেলের ফেলে আসো আলোগুলো তোর চোখে মুখে
নিজের মতো করে ভাবলে এত আগুন।
আজকাল ,জ্বালা ,পোড়া দেয় আমার ভিতরে বাইরে
ওই হাসিতে আমি মরণ দেখেছি। .
মনে হয় চুষতে থাকি বাচ্ছাদের ললিপপের মতো এক পৃথিবী পাপ
আমি যে উন্নত কোনো শতাব্দীর শেষ অভিশাপ।

এই যে আজ অধিকারে গল্প শুনছি
তোর বুকের দেরাজে জমে থাকা অভিমানদের এক অরণ্য শোক।
এই যে আজ উত্তাপের কথা শুনছি
তোর অনন্ত আগুনের কয়েকফোঁটা আমার হোক।
এমন এক ইচ্ছা বাস করে
প্রতিটা সকালের পরে অনন্ত রোদ আমার ছায়ার মতো নীরবে তাড়া করে।
এমন এক অভিশাপ বাস করে
প্রতিটা অন্ধকারে অনিদ্রার সাথে কিছু ফেলে আসা আদর বাস করে।
এইসব অধিকারের গল্প আজ বুঝি পুরোনো উপাখ্যান
আমার সমস্ত শতাব্দী এক মৃত রূপকথা।
তবু একটা ধুকপুক
কিছু ছুঁয়ে যাওয়া মুহূর্ত যেন এক কবিতা।

এই বিকেলে লম্বা পায়চারি তোর বারান্দার শেষে এক মুহূর্ত আমি
সামনে ফেলে আসা সময় কেমন একটা আতরের গন্ধ।
আজকাল ছুঁতে ইচ্ছে করে নিজের ইচ্ছামৃত্যু কোনো অধিকারের বেলা
ওই কাজল টানা  চোখে আমি জীবন দেখেছি।
মনে হয় কোনো অদ্ভুত মায়াময় অরণ্য আমি একলা দাঁড়িয়ে
আমার চারপাশে গা ছমছমে তুই। 

গভীরে আয়

গভীরে আয়
..... ঋষি
===============================================
অনু তুই আকাশের দিকে তাকিয়ে
স্বপ্ন খুঁজছিস।
হারিয়ে যাওয়া ইচ্ছাদের ছোট ছোট চকমকি তলোয়ারী
ছিন্নভিন্ন নীল রং আরো অন্ধকার।
মেঘ করেছে অনু
এবার দু এক ফোঁটা বৃষ্টি দরকারি ।

তোর ছুটে  আসা সময়ের ফোঁটাগুলো এলোমেলো ভীষণ ঝড়
দুর্বল গাছের শুকনো পাতাগুলো তোর প্রশস্ত বুকে।
এলোমেলো লাগছে অনু
জানলার বাইরে হাত বাড়িয়ে আকাশ ধরার লোভ।
বড় একলা লাগছে অনু
আজ আর সরবরাহ না শুধু কিছু প্রতীক্ষা।
আজ আর কোনো  ইচ্ছা নয় শুধু ইচ্ছাবৃষ্টি
এই পৃথিবীর মাটিতে লাগুক সোঁদা গন্ধ তোর শরীরে।
আরেকটু কাছে আসি
এই তো দু এক ফোঁটা। .... বৃষ্টি।

অনু তুই আকাশের দিকে তাকিয়ে
হাসি খুঁজছিস।
আমার স্বপ্নের লুকোনো কয়েক ফোঁটা নীরবতা তুই পেতে চাইছিস
আয় বৃষ্টি আয় রে ,আরো  গভীরে  আয়।
ভিজে যাক আমার অসামাজিক শরীরের নির্বাক ইচ্ছারা
মনের পরিধিতে এখন ঝাপসা তুই। 

Monday, May 15, 2017

ঘুম নিভে যায়

ঘুম নিভে যায়
............. ঋষি
==================================================
কেমন অবাক হয়ে দেখি গাঢ় রাত্রে নিশুতি চোখ
টানা টানা চোখের পলবে না বলা কিছু উপ্যাখ্যান ঘুমোবর চেষ্টায়।
আরো অবাক শহরের লোকজন
এই শহরে বাউলের গান মানে কোনো উৎসব।
বাকিটা
শুধু বেঁচে থাকার প্রত্যহ জ্ঞাপন।

আমি ঈশ্বরের কাছ থেকে চুরি করে আনি  ঠিকানা
নিশুতি নিস্তব্ধপুরে রাজপথে ছুটে চলা কোনো আরোহীর শেষ দরজা।
আজকাল হঠাৎ পৌঁছে যায় তোমার দরজার কাছে
তোমার আখরোট ঠোঁটের সীমানা ছাড়িয়ে
নেমে আসি ,গাঢ়তর স্বাদ।
 স্তনবৃন্তের কাছে পৌঁছিয়ে ঘুম নামে চোখে - তুমি ঠিক বুঝে নাও
আসলে ক্লান্তিটুকু আমার চেহারা নিয়ে তোমাকে জড়ায়।
কেমন অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি
কিছু ইশারা আলোর মতো ছড়িয়ে পরে আমার আস্তানায়।
তখন ভাঙা চাঁদ ,সিলিঙে ছড়ানো অদ্ভুত জ্যোৎস্ন্যা
ঘুম নিভে যায়।

কেমন অবাক হয়ে দেখি গাঢ় রাত্রে নিশুতি চোখ
শহরের রাত জুড়ে আমিও ছড়িয়ে পড়ি, কুচকুচে মুখোশে আমার।
ঢাকা পড়ে যায় সব রাস্তার জটিল জ্যামিতি
‘আমাকে মনে রেখো ,কে যেন বলেছিলে মনে পরে না।
মনে পরে না কোনো গোপন কষ্টের ইপ্সিত করুনা
শুধু ওপার আলো আমার চারপাশে। 

Saturday, May 13, 2017

সভ্যতার সঙ

সভ্যতার সঙ
................. ঋষি
==================================================

মাঝে মাঝে মনে হয় আমার মৃত্যুর পাশে তুমি শুয়ে
চলন্তিকা আকাশের মেঘে তখন লালচে সিঁদুরে আভা।
বৃষ্টি হয় নি বহুদিন ,শুকনো মাটি
গ্রীষ্মের কোনো দুপুরের রাস্তায় আমার একলা হাঁটা।
মাঝে মাঝে নিজেকে অপদার্থ মনে হয়  
বুকের কাছে লেগে থাকে সর্বদা আমার মৃত্যু শোক।

প্রতিটা মৃত্যু আমাকে আলাদা করে বাঁচতে শেখায়
আসলে আমার ভয় কারণ আমিও তোমার মতো মৃত আজ।
আমার বুঝতে শেখা মৃত শরীরে উপর এক সাজানো সভ্যতার ভয়ানক আবদার
আমার নিঃশ্বাসে তবু পোড়া হৃদয়ের গন্ধ।
আজকাল মনের ওপারে একটা দরজা দেখতে পাই
তুমি হেঁটে আসো ঠিক যেন ভোরের আলো।
প্রতিটা মৃত্যুর পরে ঈশ্বরের দরজায় আমি ভিখিরির মতো দাঁড়িয়ে থাকি
আমার আরো আলো চাই
হয়তো বা বাঁচতে।
তোমার মতো কোনো আলোর আবদারে চলন্তিকা আমি ধন্য হই
গড়িয়ে নামা বেঁচে থাকা তখন তৃষ্ণার নেশা।

মাঝে মাঝে মনে হয় আমার মৃত্যুর শিওরে তুমি দাঁড়িয়ে
মুখে সদা বাঁচতে থাকা হাসি।
আমার আকাশে আজকাল জমে থাকা না বলা  হঠাৎ ভিড় করে
তারপর চিৎকার।
তুমি হাসতে থাকো ক্রমাগত ,অট্টহাসিতে ফেটে পরে সময়ের রং
আমি তখন একলা দাঁড়িয়ে সভ্যতার সঙ। 

ধৃতরাষ্ট্র

ধৃতরাষ্ট্র
............. ঋষি
==================================================
নিজেকে অসহ্য লাগে আজকাল
তোমার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আমার বুক ফুঁড়ে বারংবার অমর  করে।
তোমার কথাগুলো কানের কাছে কাঁচ ভাঙার শব্দ
আমার ভয় করে।
ভয় করে কুড়িয়ে পাওয়া শতাব্দী সুখ
হঠাৎ যদি  ........

আজকাল তোমার মুখে প্রায় শুনি মৃত্যুদের কথা চলন্তিকা
এক আকাশ মেঘ কুড়িয়ে বানানো আমার স্বপ্নের ঘর
বাস্পে ভেসে যায়।
কানের কাছে হুইসেলে তখন রাত্রের শেষ ট্রেনটা
তুমি শুয়ে থাকা কবজকুণ্ডলে কর্ণের মৃত্যূলেখা।
আমার ঘুম ভেঙে যায়
বারংবার মনে পরে চারদেয়ালের ঘরে কোনো অশনি সংকেত।
আমার ভয় করে
কারণ আমি জানি প্রদীপের শেষ শিখা সবসময় আরো আলোকময়।

নিজেকে অসহ্য লাগে আজকাল
কান পাতলে শুনি আমি আছি ,ঠিক যেমন গুছিয়ে রেখেছিস তুই।
আমার অপারক সভ্যতার আলোয় চোখ বন্ধ
মাঝে মাঝে নিজেকে অন্ধ মনে হয়।
হৃদয়ের সমস্ত শক্তিতে  গুড়িয়ে ফেলি সোনার ভীম
আমিও কি অচল ধৃতরাষ্ট্র আজ। 

Friday, May 12, 2017

নীরব নীল

নীরব নীল
........... ঋষি
======================================================
মনের ক্যানভাসে এঁকে ফেলবি আমাকে
বেশ বললি ,কবি তো তুই ,ঠিক পারবি ,ঠিক পারবি।
একটা দূরত্বের আয়নায় ঘড়ির কাঁটা ঘুরছে
আমি আয়নায় দাঁড়িয়ে দেখি সার দিয়ে পরে থাকা দুর্বলতাকে।
চলন্তিকা তোর হাসিতে আমি মৃত্যু  দেখেছি
একবার বল আমাকে, সেই  মৃত্যুকে কি কোনোদিন আমি ছুঁতে পারবো  ?

তোর মিউজ্যিকাল পারফর্মেন্স
একটা জীবন শুধু সার দিয়ে চলতে থাকা কনসার্টের মতো।
হাজারো শব্দ সুর বুকের মাঝে
নাড়িয়ে দিয়ে যায় সেই রবিঠাকুরের সুর ,তোর কণ্ঠ ,তোর নীরবতা।
আমার সকল রসের ধারা. তোমাতে আজ হোক-না হারা ॥
জীবন জুড়ে লাগুক পরশ, ভুবন ব্যেপে জাগুক হরষ,.
 তোমার রূপে মরুক ডুবে আমার দুটি আঁখিতারা ॥
অদ্ভুত কোনো জ্যোৎস্নায় ভিজে যাওয়া মিষ্টি আদর আর তুই
এক অমৃত সন্ধ্যাতে আমার হৃদয়ে ঝরে পড়ুক
প্রসাদের ফুল ,কয়েক ফোঁটা স্বপ্ন

মনের ক্যানভাসে এঁকে ফেলবি আমাকে
বেশ বললি, এই ফেলে আসা বিকেলের কয়েক মুহূর্তের আলাপন।
একটা দূরত্বের দুর্বলতায় অসংখ্য ছোট ছোট ফটো ফ্রেম
তোর হাসিতে আমি আকাশ দেখতে পারি।
কিন্তু তুই বলিস  পাগল একটা
তোর শুধু হৃদয়ে আকাশ ছোঁয়ার  লোভ ,নীরব নীল।

শ্বেত সংসার

শ্বেত সংসার
............ ঋষি
===========================================
ছড়ানো বাসনকোসন
শব্দ বহুল চার দেওয়ালে সাজানো সম্পর্কের খেলা।
এখানে অস্থিরতা মানুষের গভীর যন্ত্রনা
আর জীবন অনুচ্চারিত।
আমাদের শহর জুড়ে আস্ফালনে মিথ্যা দেওয়ালের প্রাচীর
ওপারে নীল আকাশ অনন্ত।

পথ চলতে সারাদিন মনে পরে যায় অর্ক
ভুলতে থাকা সম্পর্কের রূপকথা।
সারাদিন শুধু  সিসের শহরে বাস করা গলতে থাকা হৃদয়ের
কিছু তো কারণ ছিল। আছে। থাকবে।
মুখ ফুটে বলবে না অস্তিত্ব ,বেলুনের মুখে মুখ রেখে
বেঁচে থাকা দীর্ঘশ্বাস।
চন্দ্রবিন্দু পর্যায়ে এগিয়ে চলা শ্মশানের খৈ
চিরকাল একটা নিয়ম থেকে যাবে।
কিছু রূপক চিরকাল কোনো অজানা ঈশ্বরের কাছে
চুপচাপ কাঁদবে ,তুমি কখনো বুঝবে না অর্ক।
সব খেলা শেষ হবে
কিন্তু সম্পর্কের আদিম শিরাউপশিরায় আজকাল ঘুণপোকার বাস।

ছড়ানো বাসনকোসন
অলিন্দের ঘুলঘুলিতে মিলে মিশে শ্বেত সংসার।
একটা অনুচ্চারিত নিমন্ত্রণ আজকাল খুব প্রিয়
শিওরের কাছে অনিদ্রায় ভোরের আলো।
আমাদের শহর জুড়ে সাজানো সম্পর্কের আদিম আবর্তন
আমার তো মনে হয় আমি আমি শুধু যন্ত্র। 

Friday, May 5, 2017

কথাকলি

কথাকলি
........... ঋষি
===========================================
কতগুলো দেওয়াল আষ্ঠেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখা কথাকলি
মিথ্যা কিছু নয় এই সভ্যতায়।
নহন্যতে  কোনো  জ্বরের শরীরে বাস করা তোর না বলা কথা নয়
সেটা কিছুটা অভিমান।
তোর ঠোঁটের আগুনে আজকাল আমরাও জ্বর আসে
জ্বর চোখে সবটাই সভ্যতায় ফ্যাকাসে।

আমি আগুন লিখতে পারি এমন কিছু নয়
আমি বিদ্রোহের আগুনে সময়কে পুড়িয়ে কাঠকয়লা করি।
আমি তোকে ভালোবাসতে  পারি এমন তো নয়
শুধু নিরাময় খুঁজে বেঁচে থাকা প্রশ্রয়।
বাধ্য আগুনে বাঁধ বাঁধা হাজারো সম্ভ্রম,তোর চোখের তলার কালি
তোর লুকিয়ে রাখা সিলেবাসে আজ সভ্যতা শ্মশান।
সেখানে দুচারটে মৃত দেহ আমারও  থাকে কথাকলি
সেখানে কিছু মৃত স্বপ্ন আমার ঘর।
ঘর ভাঙলে বাঁধ দেওয়া যায়
কিন্তু বাঁধ ভাঙলে সেটা শুধু অপেক্ষা মৃত্যুর।

হৃদয়ের দেওয়ালে আষ্ঠেপৃষ্ঠে  লেপ্টে থাকা কিছু প্রশ্রয়
আকাশের তারাদের মতো শুধু ঘুম নেই।
নহন্যতে কোনো জ্বরের শরীরে বেঁচে থাকা নয়
সেখানে একটা আকুতি থাকে ,বলা যায় ধিক ধিক করে জমতে থাকা ক্ষোভ।
আর বৃষ্টিতে ভেজা নয় কথাকলি
বৃষ্টিতে শুধু  শরীরটুকু ভেজে। কিন্তু তাকে কি ভেজানো যায় ? 

জাদুকরী

জাদুকরী
........... ঋষি
==========================================

ভালো করে চেয়ে দেখো মিলে মিশে আছি আমরা
সহাস্য জাদুতে পাবলো পিকাসোর সেই জাদুকরী টান নির্বাক আমি।
অবাক ভাবে চেয়ে আছি সহস্র যুগ তোমার দিকে
প্রতি ভোরে চোখ মেলে দেখি  সামনে তোমার  অবারিত অবয়ব।
প্রশস্ত হৃদয় , বন্ধ দরজা , কিভাবে এসেছি এতদূর ?
নির্ঘাত জাদুকরী তুমিও...
.
আমি বাসিমুখে গাল ভরা হাসিতে চেয়ে থাকি তোমার দিকে,
দিবারাত্রি  ম্লান করে রাখো এত আলো চারিপাশে।
মনে হয়, এবার ঠিক সময় হবে
দরজা খুলে যাবে সামনে প্রশস্ত রাস্তায় আমি তুমি হাত ধরে এগিয়ে চলেছি
কোনো সমুদ্রের কিনারায়  .
কিংবা চারিপাশে অরণ্য ,নিস্তব্ধ ,একটা সবুজ শান্তি হৃদয়ের ঘরে।
ঘরের সংজ্ঞা দিতে বারংবার মনে পরে সুমনের সেই গান
" চারটে দেয়াল মানেই নয়তো ঘর
নিজের ঘরেও অনেক মানুষ পর ,কখন কিসের টানে মানুষ
পায় যে খুঁজে বাঁচার মানে ,ঝাপসা চোখে দেখা এই শহর "।
.
ভালো করে চেয়ে দেখো মিলে মিশে আছি আমরা
শহরের কোনো নির্জন কফি শপে আমার সামনে পাবলো পিকাসোর এই ছবি।
আমার  হাতে কফির মগ, ধীরে জাগে শরীরের সকল নিস্তেজ কোষ,
হৃদয়ের অযাচিত যন্ত্রনা দূরে সরে যায়, তুমি কাছে আসো।
আর মুগ্ধতার আয়নাতে  দেখি আমার  প্রতিবিম্ব। ভাবি, এমনই আগামী?
দমকা হাওয়ার তুফান নামানো  আমার বাঁচার নিশ্বাস। 

মারান্তক গরম

মারান্তক গরম
............ ঋষি
==========================================
মারাত্নক গরম
এই সময় আই ওয়ান্ট আ কোল্ড কফি উইথ লাভ।
মারাত্নক বললে স্যানোরিটা
এই শহরে বাকিটুকু টুকু তুমি সহজলভ্য কিন্তু লাভ।
নিদারুন দিনে খালি পায়ে  হেঁটে আসছি আমি আজন্মকাল
কিন্তু আমার খালি পা কারণ বাউলী ভেজানো দুপুর।
.
মারান্তক গরম
আই ওয়ান্ট এ এসি রুম উইথ আ লাভলী সফ্ট পিলো।
স্যানোরিটা তুমি যেকোনো হোটেলে পেয়ে যেতে পারো সাজানো সম্ভ্রম
হয়তো মখমলি পারফর্মেন্স।
কিন্তু সফ্ট
আমার ভিতরে কোটি মাইল মাইল শুয়ে থাকা একটা শহর।
মৃত নাগরিক আমি তোমার সহর্ষ শহরের  ঝুলে থাকা সাজানো মাধুর্য
আমার উপস্থিতি ডুবে আছে তোমাতে স্যানোরিটা।
তবু  শুনে রাখো তুমি সেই বব ডিলনের গান
" Well, in my time of dying don't want nobody to mourn
All I want for you to do is take my body home "
.
মারান্তক গরম
এই সময় আই  ওয়ান্ট এ গ্লাস অফ ওয়াটার উইথ পিস্।
মারান্তক বললে স্যানোরিটা
এই শহরে ,এই সভ্যতা ,এই সময়ে খুব সহজলভ্য তুমি আর ব্যবসায়ী বিনিয়োগ।
নিদারুন সময়ের দরজায়  দুপুর রৌদ্রে তুমি সরাসরি মিস থেকে আধা-ভার্জিন
এটা সত্যি ,এটা সহজ ,এটাই সময় নিদারুন দিনে।

.একটা কবিতা আমি তুমি

আমার কবিতা পেলেই আমি তুমি হয়ে যাই তোমার মতো আটপৌরে শাড়ি পরি, হাতে কলম কোমড়ে আঁচলটা গুঁজে তোমার মতো উনুনে আঁচ দি  হাঁড়িতে পরিমাণ মত শব্দ, জল...