Tuesday, May 29, 2018

খবর

খবর
,,,,,,,ঋষি
..............................................................
শুধু প্রেম নিয়ে লিখবো
যন্ত্রনা, সময়ের যাঁতাকলে আমি শুধু মৃত্যু দেখতে পাই।
ছ বছরের মেয়ে রেপ হলো
উই নিড জাস্টিস বলে খবর চিৎকার করলো।
আর তারপর নতুন খবর
পঞ্চায়েত ভোটের বোমা বাজিতে আঠারো জনের মৃত্যু।
,
বুঝলেন মশাই
খবর আসে খবর যায় আর আমরা আমজনতা শুধু গান্ডু।
আহা রাগ করবেন না
এখন এই সভ্যতায় শুধু আগুন জ্বালা, আর কি বা করতে পারি আমরা
আনন্দ আছে আর ঘরে বউ ছেলেমেয়ে আছে,
আহা শুধু আপনার কেন আমারও আছে।
তাই বাঁচাতে হবে যে নিজেকে,বাঁচতে হবে
কি এসে যায় আমি আপনি তো বেশ ভালো আছি।
ফেসবুক আছে,স্যানি লিওনি আছে,আইপিএল আছে
আজকের বাঁচার শ্লোক মেতে থাকুন আর মাতিয়ে রাখুন।
,
তাই তো ঠিক করেছি শুধু প্রেম নিয়ে লিখবো
কিন্তু চলন্তিকা বুকের কাছটা জ্বালা করে।
যে ছবছরের মেয়েটা রেপ হলো
সে আমাদের মেয়ে হতে পারতো।
হতে পারতো বোমায় উড়ে যাওয়া ছিন্নভিন্ন দেহ
আমাদেরি কারো,তখন আমরা চুপ থাকতাম তো।

দুরতিক্রমণ

দুরতিক্রমণ
,,,,,,,ঋষি
..........................................     ।
শেষ দেখা হয়েছিল বোধহয় মৃত্যুর আগে
আমার তো এমনি মনে হয়।
আসলে সেদিন আকাশের চাঁদে দাঁত বসিয়েছিল সময়
তারপর কফিনে বন্দী আমি দিন গুনছি।
,
দিন গুনছি
কোন অপ্রতীমের খোঁজে আমার বুকের বিকল হওয়া সান্তনা।
তোমার দুই বাহুর পাশে
তোমার বুকে রগড়ে ধরা আমার ঘামের গন্ধ।
যে চুমু শেষ হয় না কোনদিন
যে স্পষ্টতা, যে অনিদ্রা, যাকে সকলে লুকিয়ে রাখে।
,
তারপর
তোমার বুকের কবিতায় আমি চঞ্চল হয় চলন্তিকা।
কোনদিন লিখেছিলাম শরীর পেড়িয়ে প্রেম
সেও কি সম্ভব?
সব কফিনের দরজা খোলা পিন ড্রপ সাইলেন্ট
চলন্তিকা এসো জড়িয়ে ধরো।
.
সব চরিত্র কাল্পনিক
জানি সম্ভব নয় সময়ের সাইক্লোনে নিরিবিলি দারিদ্রতা।
কিন্তু কফিনের অপেক্ষা আর আকাশের চাঁদে
দুরতিক্রমণ আমার মৃত্যু।

নীল সমুদ্র

নীল সমুদ্র
,,,,,ঋষি
.....................................................
অতঃপর সেই নীল পাখিটাকে বলা
যাও পাখি বঙ্গোপসাগরে,কিংবা আরও নীলে।
গভীর চোখ
অপেক্ষার বারোমাস্যা।
সেখানে হয়তো আমার মত কেউ ঢেউ বুনছে
ঢেউয়ে ঢেউয়ে জলকেলি মিশে আছে লাল নীল স্পন্দন।
,
কি বলছো পাখি?
" ব্যথা  ", সে তো সহস্র যুগের চিৎকার নোনতা জলে।
কি বলছো খাঁচা?
সে তো লালনের কষ্ট " খাঁচার ভিতর অচিন পাখি।
এখানে একলা আমি
আমার স্পন্দনে সমুদ্র আমাকে ডাকে বারংবার।
শব্দেরা খেলে,আমৃত্যু খেলবে
পাখির ঠোঁটে  সন্ধ্যে নামবে নীল জলে।
আলো ছায়া,অন্ধকার সমুদ্র সফেন
দূরে কোথাও আরো দূরে
মনের পাখি তুমি শুধু নীল সমুদ্র ইচ্ছা।
,
অতঃপর যাও পাখি বঙ্গোপসাগরে
আমার মত কোন গভীর আনন্দের খোঁজে।
গা ভিজিয়ো সমুদ্রের উত্তাল নোনা জলে
আছড়ে পড়ুক স্বপ্ন তোমার বুকে আমার মত।
আর তারপর তোমার ইচ্ছা ডানা আমার চোখে
আর তোমার চোখে নীল সমুদ্র।

Thursday, May 24, 2018

নীল ডানা

নীল ডানা
,,,,,,,,,,,ঋষি
..........................................................
নীল রঙ আমার প্রিয়
কারন গভীর ও চোখে আমার মৃত্যু লেখা আছে।
লেখা আছে নীল আয়নার জীবন
খোলা আকাশ।
আবলতাবোল ভাবনা তোর বারান্দা থেকে দেখা
নীল পাখি,আর দূরে সমুদ্র।
,
তোকে নিয়ে অনেক কবিতা লিখেছি
লিখেছি তোর পবিত্রতার ভিতর জ্বলন্ত আগুনের কথা।
তোর শরীর ছুঁয়ে শপথ করেছি নীল সে রাতে
অজস্র কবিতার ঋন শুধু তোর কাছে।
নীল দেওয়ালের ঘড়ি, আঁকাবাঁকা পথ,নীল নদী
নালন্দার শেষ ভোরে, সেই ট্রেন।
কান পেতে শোনা লং প্লেয়ারের রবিবাবুর গান
তুমি রবে নীরবে,,,,,,,,,, মম।
,,,,,,,,,,,,,,,,বেঁচে আছি
আজও তুই নীল স্বপ্নের চোখ।
,
তারপর
আরও নীল,আরও কাছে,হাত ছোঁয়া মেঘ।
এবার বৃষ্টি নামবে, তবু নীল আকাশ
আসলে স্বপ্নরা আকাশের গভীরে এমনি হয়।
আবতাবোল ভাবনা, আকাশের গায়ে নীল তুলি
মিশে যাচ্ছে,ঠিক তুই আমার সাথে,নীল ডানা।

সিগারেট

সিগারেট
,,,,,,ঋষি
.......................................................
সিগারেট ছেঁকা
তুই বলিস এত সিগারেট খাস না,
আর আমি পুড়ি নিজের ভিতর বাড়তে থাকা ছাই।
তুই বলিস ভালো থাক
আর আমি জানি আমার ভালো থাকা জ্বলন্ত সিগারেট
যা নিজেকে পোড়াতে থাকা।
,
আর কতদিন চলন্তিকা
প্রতিদিন কারখানার ফারনেসে পুড়তে থাকা।
কারখানার ভোঁ
জমতে থাকা ভাঙা ঘর, উড়তে থাকা ধোঁয়া।
নিজের ভিতর কুঠরিতে ক্রমশ গ্রহন,ধুকপুকে কালি
আলতা পড়া পা আমার স্বপ্নিল চোখে।
সিগারেটের ধোঁয়ার মত, চোখ বন্ধ হতে চায়
এইবার শেষ বোধহয়।
হয় না
আশা তুই, আর ভালোবাসা।
,
সিগারেটের ছেঁকা
চামড়ার ইউভি প্রোটেকসন ছিঁড়ে আরও আগুন।
তুই সিগারেট লুকিয়ে রাখিস
আর আমি তোর ঠোঁটে ঠোঁট ঘষে নিকোটিন খুঁজি।
ক্রমশ পুড়তে থাকা জীবন
শেষ হয় না, শুধু ফিল্টার পুড়তে থাকে।

কোপারনিকাসের শহর

কোপারনিকাসের শহর
,,,,,,,,ঋষি
.......................................  ......
তারপর যদি দূরে যেতে হয়,,,,যাবো
সে এক ইতিহাস,কোপারনিকাসের চোখ,
ছোট নুড়ির মত শহর।
,
আমার কিছু খেয়াল থাকে না
ঠিকানা পেড়িয়ে সাপলুডো খেলা এখন জীবন।
একটা ছোট্ট ঢেউ,তোর হাসির শব্দ
কেন যেন স্তব্ধতা হয়ে আছড়ে পড়ে বুকে।
বুলেটিন নিউস
শহর ভাঙছে, বিশবাঁও জলে উনিশবিশ  বাঁচা।
,
আমি আজকাল বুঝতে পারি ভালো
রাত জাগা চোখ,আমারি তো।
নিস্তব্ধ বারান্দায় জ্যোতির্ময় আগুন,,,,, যন্ত্রনা,
সবটাই নিরাকার ঈশ্বর।
প্রেম নীরব শব্দে চলতে থাকা অগুনতি আশা
আচ্ছা,,, জীবন এমন নিস্তব্ধ কেন?
,
তারপর দূরে চলে যাবো
তোর হাত, তোর কাজল টানা চোখ,আখরোট ঠোঁট
আমার কোপারনিকাসের শহর।

মন কেমন

মন কেমন
,,,,,,ঋষি
.................................................................
শেষ দুদিন খুব বৃষ্টি হলো,সাথে ঝড়
মন কেমন।
গভীর আকাঙ্ক্ষায়
নিজেকে বাচাতে চাওয়া, চুম্বন অথবা সংগমে
হুঁশহারা পথিকের মন, শুধু মন কেমন।
.
চলন্তিকা তোর মন ভালো নেই
অনেক দিন হল, তুই ভালো নেই, শুধু মন কেমন।
তুই হয়ত কোথাও আছিস, বাতাসের মত
ধুপের মৌন ঘ্রাণে,আমার লুকোনো প্রেমিকা যেমন।
হুঁশহারা পথিকের মন, অজানা পথ, জানা সে জন
মন কেমন।
শেষ গন্তব্য,শেষ ইচ্ছা
রাখা আছে প্রানের কাঠি, দূরে সরে যাওয়া একলা পথ।
পথের মন পড়ে থাকে,একলা ছড়ানো পথের পাশে
তার সাথে আমি, তুই,,,,শুধু মন কেমন।
,
শেষ দুদিন খুব বৃষ্টি হলো
একলা ভেজা পথের সাথে লুকোনো সে পথ।
চলন্তিকা আজ তুই ভালো নেই
আমার লুকোনো মন যেমন,,,মন কেমন,
শুধু পথ আর পথিক আমরা যেমন।

Friday, May 11, 2018

কালো দাগ

কালো দাগ
,,,,,,,,ঋষি
...........................................................................
একটু আলোর নীচে আয় চলন্তিকা
ভালোবাসি মানে তোকে সমাজের সামনে জড়িয়ে ধরে চুমু নয়।
একটা সফর
তোর আখরোট ঠোঁটে রেখে যাওয়া দাঁতের স্মৃতি।
নীরব একটা কাব্য, নিজের বুকের জঞ্জলে দাবানল
প্রাগৈতিহাসিক খুঁজে চলা আদিম ফসিল।
,
ভালোবাসি মানে
চলন্তিকা যেন চেনা  তোর গন্ধ, যেন চেনা  স্বেদ।
মরে যাওয়া অতীতের উথালপাথাল
অজস্র আলোর রশ্মি আমার বুকের অন্ধকার ক্যাবিনেটে।
আমি কার সাথে কথা বলছি ?চলন্তিকা
শুনতে পারছিস আমায়,না হলে তোর হেয়ারিং এইডটা একটু বাড়া।
শুনতে পারছিস "ভালোবাসি"
মনে হয় ভূকম্পন কোন, সারা অস্তিত্ব জুড়ে একলা বাড়া না বলা।
ঈশ্বরের মন্দিরে বেজে চলা অনবরত ঘন্টার শব্দ
"ভালোবাসি"শুনতে পারছিস।
,
একটু আলোর নীচে আয় চলন্তিকা
অনিয়মিত পঁয়তাল্লিশ মিনিটের কাব্য,ভালো লাগা স্যাক্সোফোন।
একটা সফর
পঁয়তাল্লিশ ডিগ্রি আগলে তোকে ভালো করে ছোঁয়া যায় না।
বুক খুলে দেখানো যায় না ভালোবাসি  শুধু শব্দ নয়
একটা কালোদাগ যা শুধু জন্মান্তরের।

আঁখমিচুলি

আঁখমিচুলি
,,,,,,,,ঋষি
.......................................................///.............
কোথায় নৈঃশব্দ?
আমি চুক্তি করেছিলাম প্রত্যর্পনের একটা বিশুদ্ধ জীবনের।
একটি শুদ্ধ পুর্নজীবন
কিছুটা কাঠের, কিছুটা ক্রুশের কিছুটা হয়তো শ্মশানের প্রতিশ্রুতির।
মাটি হলেও ক্ষতি কি?
বদ্বীপ আকারে তৈরী যোগফলের বিশুদ্ধ জীবন নিরাকার।
,
সেভাবে মরেনি কখনও জীবন
শুধু জীবনের হাঁ মুখে জল দিয়ে গেছে সময়ের কারসাজি।
বেকসুর কিছু মুহুর্মুহু সময়ের চিতাভস্ম শুধু ছাই
খালাস পাওয়া বাকি জীবনের আকুতি।
যদিও সম্ভব নয় অক্ষ আর দ্রাঘিমাংশ ছাড়া এক অন্য পৃথিবী
শুধু বয়ে চলা নিজের ক্রশের একান্ত জীবন।
একঘেয়ে সাদা রং
সাদা মানে সবসময় স্মরনীয় নয়
কখন কখন স্মৃতির সাথে যুদ্ধ।
,
কোথায় নৈঃশব্দ?
আমি চুক্তি করেছিলাম জীবনের রন্ধ্রের পরাজয়ের সাথে।
প্রত্যর্পনের একটি শুদ্ধ মৃত্যুর আঁকা ছবি
সে যে কোন ভাবেই হোক ভুলতে চাওয়া নিজেকে।
সময়ের সাথে আঁখমিচুলি খেলা,শুধু বাঁচা
কিন্তু সম্ভব নয় মৃত্যু তোমায় ভুলতে পারা।

Thursday, May 10, 2018

কফিকাপ

কফিকাপ
,,,,,ঋষি
..........................................................
সহসা এক রেলিং কফি কাপে বৃষ্টি নামে
দুম করে দুরের পাহাড়টা মেঘে ঢেকে যায়,অনিয়মিত সংযম।
জানি মনে পড়ে আমায়,কফিকাপে চেপে ধরে আমার ঠোঁট
অভিমানি সিলেবাস থেকে মুখ তুলে দূরে তাকাও তুমি।
সহসা বৃষ্টি নামে
আমার মুঠোফোনের দরজা খুলে যায় "খুল যা সিম সিম"।
,
হ্যালো, ব্যাস্ত আমি
তখন তোমার রেলিংয়ে কফি কাপে ঝমঝম।
জানলা গুলো ধুয়ে গেছে ভীষণ অভিমান আর অনন্ত প্রেমে
পাহাড়ে তখন ঝুপ ঝুপ বৃষ্টি,কেমন একটা মন কেমন করা।
আমার হাড়িয়ে মেঘে  নেশা করা চোখে পড়ে অনিয়মিত যন্ত্রনা
ঝাপসা চোখের চশমাটা শুধু ভেজে তোমার।
বুকের কথা চেপে থাকা কফিকাপ ক্রমশ শুন্য
আর তারপর পাহাড়ে বৃষ্টি।
,
সহসা এক রেলিং কফি কাপে বৃষ্টি নামে
পাহাড়ের উপরটা ঝাপসা তখন,তোমার ঠোঁটে, চোখে বৃষ্টির ছাঁট।
জানি মনে পরে আমায়,টেবিলে শুন্য কফিকাপ
অভিমানি চোখে লুকোনো না বলা তোমার সবটাই অতৃপ্তি।
কফি কাপে তোমার ঠোঁট,আমার একচুমুক
আচ্ছা তৃষ্ণারা এমনি বোধহয় শুন্য চিরকাল।

শিউলি ফুল

শিউলি ফুল
,,,,,,,,ঋষি
...............................................................
কেটে গেছে
অজস্র প্রেমেরগুচ্ছ, নীরব অভিমান,সাইত্রিশের কাঁচাপাকা চুল।
অদ্ভুত যোগাযোগ
শেষ ন-টা বছর তোমাতেই মুগ্ধ চলন্তিকা আর কবিতায়।
বয়সের প্রেমে আর প্রেমের বয়সের ফাঁকে
পুরনো কিছু হলুদ স্মৃতি, ঝাপসা নিয়নের চোখে পুরনো শহর।
,
দুপুররাতে তোমাকে মনে পড়লে
চারিপাশে খা-খা করে নীরবতা,বাসি কবিতার শ্লোক।
মনেরপ্রিজম ফুঁড়ে শূন্যে ডানা মেলে সহস্র বেদুইন
ভারী-ভারী দীর্ঘশ্বাস,শিশিরের মতো চুঁইয়ে  ঝরে পড়ে নীরবতা।
তোমার স্পর্শ লেগে আছে ঘুণে খাওয়া পুরানো ডায়েরির ক্ষতবিক্ষত শরীরে
তবুও রাতদুপুরে তোমাকে মনে পড়লে সেই ডাইরি পাতা বড় অবুঝ হয়ে ওঠে।
সে যাই হোক, অনেকটা সময়
তবু রেখে যাওয়া দাগ অথবা ঠোঁট থেকে কপাল পর্যন্ত চুমু
ঐটুকু অঞ্চলে কখনো পাপ ছিল না, এখনো নেই কোনো ভুল...।
,
অনেকগুলো বছর
অজস্র অভিমান,না বলা কবিতা,তবু লেখা বাকি।
অদ্ভুত আলোড়ন
চলন্তিকা তোমার কবিতা সব,শুধু অনেকদিন কবিতা লিখি নি আমি।
তুমি জানো কেউ আমাকে অনেকদিন বলে নি
"আমার চারপাশে ঝরে ঝরে পড়ছে থোকা থোকা আলোর তুমি শিউলি ফুল..."।

.একটা কবিতা আমি তুমি

আমার কবিতা পেলেই আমি তুমি হয়ে যাই তোমার মতো আটপৌরে শাড়ি পরি, হাতে কলম কোমড়ে আঁচলটা গুঁজে তোমার মতো উনুনে আঁচ দি  হাঁড়িতে পরিমাণ মত শব্দ, জল...