Sunday, December 31, 2017

স্বপ্নরা কেমন হয়

স্বপ্নরা কেমন হয়
... ঋষি
=====================================================
যেদিন কবিতা লিখি মনে পরে যায় তোকে
চলন্তিকা আমার বিষাক্ত হৃদয়ের ঘুলঘুলিতে বাস করা সময়।
নির্বাক পাথরের দেওয়াল খনন করে
ফুঁড়ে ওঠা দীর্ঘশ্বাস ,এই সময় জানে বাঁচার মানে ?
কোনো অদ্ভুত সকালে ঘুম ভেঙে যায় সমুদ্রের শব্দে
শুধু তোর নুপুর পরা পা টা দেখতে পাই।

এই সব কেন যে আসে স্বপ্নে
'বিষাক্ত কার্বন শহরে ইটের পাঁজরে জমে থাকা তৃষ্ণা।
এখানে জেগে থাকা চোখগুলো
অজস্র চিৎকার।
আমি জানি চলন্তিকা তুই শুনতে পাস্ আমার মতো সমুদ্রের শব্দ
আমি জানি চলন্তিকা তুইও স্বপ্নে দেখি
বালির উপর পাশাপাশি আমাদের পায়ের ছাপ ,স্বপ্ন।
আখরোট ঠোঁট ,ভিজে বালি ,বালিঘর
সমুদ্র এসে ছুঁয়ে যায় চোখের  পাতায় অজস্র না বলা।
চলন্তিকা জানিস আমার শহরে এখন বছর শেষের উদযাপন
আর আমি কোনো ক্লাউন যে শুধু হাসছে ,কাঁদতে মানা
কারণ কান্নার রেণুগুলো তুই চুরি করে রেখে দিয়েছিস তোর আঁচলে।
আর কান্নার শব্দরা তো তোর প্রশ্রয়ে আজ কবিতা
শুধু আমার তোকে মিস করার মুহূর্ত।

যেদিন কবিতা লিখি মনে আসিস তুই
শুনতে ইচ্ছে করে তোর গলার স্বর ,তোর ভূমিকায় আমার আদর।
মাটির তলায় লুকোনো কফিনে আজও স্বভাব বন্দি সময়
শুধু অন্ধকার ফুঁড়ে আলোর রেনু ,নীল সমুদ্র।
আর তারপর তুই জানিস
স্বপ্নরা কেমন হয়। 

বেশরম

বেশরম
....... ঋষি
===========================================
আমার কলম ছাড়া কেউ আমাকে সাহায্য করতে পারবে না
ঘুম আসছে না।
আমার তো মৃত পরিচয়ে একটা ধাব্বা  লেগে গেছে
কখন যেন সময় ফুরিয়ে  চলেছে স্পর্শে।
আর আমি কখন যেন পেকে  যাওয়া মাথার চুলে
খুঁজে চলেছি সময়।

এখন আমি শুয়ে ,আর আমার পাশে আমার যৌনতা
ছিছি এইসব কথা বলতে নেই।
কিন্তু এই অন্ধকার সাক্ষী আমি মোটেও সামাজিক নয়
আর আমার কলম চিরকাল বেশরম।
তাই তো এখন আমি আর আমার যৌনতা পরস্পরের শ্রীঅঙ্গ হাতড়াচ্ছি
খুঁজে চলেছি ঘুম ,,যা এখনো বহুদূর।
এখন আমাকে কেউ বাঁচাতে পারবে না
শুধু আমার কলম ,যুগ যুগ জিও।
প্লিস বিনয়দা সহজেই সোনা আর চাঁদের গল্প লিখতে পারে
তবে আমিও পারি
আমার ঘুম না আসাকে কবিতা করতে।

আমার কলম ছাড়া কেউ আমাকে সাহায্য করতে পারবে না
ঘুম পাড়ানি মাসি পিসি আমার কাছে এসো।
ধুর আমার তো মৃত পরিচয়ে একটা ধাব্বা  লেগে গেছে
কবির কোনো জন্ম হয় না ,মৃত্যু কি হয় ?
সুনীলদাকে সেলাম'
সময়ের পাঁজরে দাগগুলো সব ঘুমের যোগ্য নয়।

আরো অনেকদিন

আরো অনেকদিন
.............. ঋষি
==============================================
শূন্য হাতে ফিরে যাওয়া
চলন্তিকা নতুন বছর যদি তোমার মতো হয়।
যদি ক্যালেন্ডারের পাতায় তোমার মুখ
যদি ভগ্নাংশে পাওয়া সময়ের ক্ষরণে সম্পূর্ণ পারিজাত।
ইন্দ্রের রাজসভায় যদি কোনো নর্তকী নয়
শুধু মাত্র সময় নগ্ন হয় ?

কি হবে ?
প্রশ্ন করছে হৃদয় ,
আর কোনো কুলকুলে যদি নয় ,এবার এক সমুদ্র বুকে
নোনা জল।

কি যে আবোল তাবোল স্বপ্ন
চলন্তিকা হাসছে আমার দিকে ফিরে।
দীর্ঘ অপেক্ষা
নিঃশ্বাসে বাড়তে থাকা কার্বনের কালি ,হাতে জ্বলন্ত নেভিকাট
অনর্গল পুড়িয়ে চলেছে বেহায়া হিসেব।
চলন্তিকা জানিস মাঝে মাঝে ঈশ্বরকে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হয়
আচ্ছা শুধু কি স্বপ্নে একটা জীবন বাঁচা যায় ?

শূন্য হাতে ভালোমন্দ
বছর ঘুরে আবার নতুন বছর চলন্তিকা তোমার ক্যালেন্ডারে। ]
আমার হৃদয়ের দেওয়ালে আমার কপাল লিখন
"শান্তি " , সো শুধু তোমার পাওয়ার মুহূর্তে।
আর বাকিটুকু
অনেক কাজ বাকি পরে আছে ,,, আরো অনেকদিন। 

অভিমানী মেয়ে

অভিমানী মেয়ে
...... ঋষি
====================================================
এক অভিমানী মেয়ের গল্প বলি শোনো
সকাল সহস্র বুকের পাঁজরে জমা কালো কার্বনের দাগ।
মানুষ নাকি বদলানো ভিতের উপর
তিল তিল করে গড়তে চায় স্বপ্নের শহর ,স্বপ্নের বাসর।
কিন্তু অভিমানী মেয়ে পোড়ো ধ্বংসস্তূপে স্বপ্ন দেখে
একটা জীবনের ,স্বপ্নের শহরের।

আমি বলি প্রেম একটা উপন্যাস '
আর উপন্যাসে শেষ পাতায় সেই অভিমানী ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করে।
বাঁধ ভেঙে পরে ,ভেঙে পরে চারিপাশে প্রাচীন ইটগুলো
মাথার ছাদ খসে গিয়ে আকাশের চাঁদ।
সেই অভিমানী মেয়ে আকাশ কে প্রশ্ন করে
এত প্রেম ? এত রদল বদল ? কোথায় পাও চাঁদ ?
তোমার গায়ে তো পোড়া কালো দাগ।
কিন্তু আমি জানি সেই চাঁদ ,সেই জ্যোৎস্না সব রূপকথা
আমি জানি সেই অভিমানী মেয়ে একটা জ্বলন্ত আগুন।
আদিম দাবানলে পুড়ে যে সভ্যতার শুরু
সেই সভ্যতার রঙ্গমঞ্চে সেই অভিমানী মেয়ে নিজেই একটা সভ্যতা।
তার শরীরের ২০৬ টা হাড় সাক্ষী
সময় তার নয় ,কিন্তু তার প্রতিটা প্রতিবাদ সময় বদলায়।

এক অভিমানী মেয়ের গল্প বলি শোনো
রাত্রি গুঁড়িয়ে যার চোখে জেগে থাকে অজস্র জলের ফোঁটা।
মানুষ নাকি প্রতিদিন বদলায় ভালো থাকবে বলে
তবে অভিমানী মেয়ে তুই পারিস না কেন ?
জানিস চলন্তিকার মানে ,জানিস তো আমার চলন্তিকাকে
চলন্তিকা কখনো সময়ের কাছে হারে নি। 

খামখেয়ালি

খামখেয়ালি
...... ঋষি
==========================================================
একদিন সকাল হবে
পরে থাকবে আমার কবিতার ,আমার ইচ্ছেরা।
ইচ্ছের আলোয় উৎসর্গীকৃত জীবনের যোগফল
তুমি খুঁজবে আমাকে পাগলের মতো।
দেখবে আমি নেই
শুধু থাকবে মুহূতের ঘরবাড়িতে জমা খোলা আকাশ
আর আমি কোত্থাও নেই।

ছুঁয়ে নামবে স্পর্শ
তোমার আখরোট ঠোঁটে ,তোমার স্তনের উপর আমার আদরের কামড়।
অজস্র স্মৃতির পাতায় খোদায় করা সেলফি
তুমি হাসবে ,তুমি কাঁদবে ,পাগলের মতো স্মৃতির প্রতিটা ঘর।
আমি থাকবো না সেদিন
থাকবে আমার শব্দের শ্রমিকদের তৈরী করা তুমি।
আমার কবিতার প্রতি পাতায়
আমার হৃদয়ের প্রতি রক্তক্ষরণে ,আমার শহরের ধুলোয় আমার কবিতা।

একদিন আমি কোথাও নেই
পাগলের মতো আমাকেই খুঁজবে তুমি প্রতিটি চেনা মুখের কাছে
আমার সন্ধান করবে।
আমার বলা কথার তোমার চারপাশে তখন ভনভন প্রশ্ন
কোথায় আমি ?
নিষ্ফল আক্রোশে দিন যাবে তোমার
আমায় কোথাও পাবে না তুমি,জলজ্যান্ত আমি একদিন উধাও ।

বহুদিন চলে যাবে,
তুমিও অনুভব করবে,তুমি মনে করবে
কবিতারা বোধহয় এমনি হয় ,খামখেয়ালি পাগল আমার মতো।


বছর শেষের সেলফি



বছর শেষের সেলফি
.... ঋষি
==============================================
আমার শহর সম্মোহিত
হৃদয় খোলা দরজা দিয়ে কুলকুলে শীতল বাতাস।
বউটুপিখোলা আদরেরা ভাবনার শীত
আমার শহরে তুই মানেই ,,,,,সব ঠিক।
কফোঁটা  শিশির খুঁটেছে গতরাত,খুঁটছে বছর শেষের ব্যস্ততা
তুই দাঁড়িয়ে আছিস অপেক্ষায় জানি ,কিন্তু শহর ব্যস্ত।
.
মেঘেদের ঝলমলে  ডানা,স্বাধীন আকাশ
খালি শহরের বুকে হেঁটে চলা হাজারো পায়ের ছাপ।
আমার শহর তোর মতো ক্লান্ত
এখানে বছর শেষটা একটা অভ্যেস ,অভ্যেস বেঁচে থাকা।
মাঝে মাঝে একটা জেদ কাজ করে
শহরের খুলে বয়ে চলা বিষন্ন বায়ুঘর আমার হৃদয়।
ভাঙতে ইচ্ছে করে ,গড়তে ইচ্ছে করে
হৃদয়ের সেলফি তোলা মুহূর্তদের জড়িয়ে বাঁচা।
হৃদয়ের ফটোল্যাবে রাখা আছে রিটর্ট আর্দ্রতা ধরবো বলে
সেলফি পাঠাস  সময়।
সেলফি পাঠাস  তুই আমার হৃদয় বারান্দায়
এলেমেলো  শীতল বাতাস ছুঁয়ে যাওয়া।
.
আমার শহর সম্মোহিত
বছর শেষের লুকোনো  দুঃখ সাদা দাঁড়িওয়ালা সান্টা।
আলোয় ঝলমলে বছর শেষের  শুভেচ্ছা 
তুই ভালো থাকিস ,ভালো থাকুক শহর জোড়া কবিতারা।
বেশ কিছু অগোছালো সময়ের ক্যানভাস
বছরের শেষ দিনে, অপেক্ষা শুভ হোক আগামী।

Sunday, December 24, 2017

প্রেম সংক্রান্ত

প্রেম সংক্রান্ত
,,,,,,, ঋষি
====================================================
তুমি আমার সেই প্রেমিকা নও
যে সটান চুমু খেয়ে বলে ,তোকে ভালোবাসি।
আমি তোমার সেই প্রেমিক নই
যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পথচলতি অজানা যুবতীকে বলে ভালোবাসি।
তুমি আমার প্রথম প্রেমিকা নও.
যে চোলে যাওয়ার আগে একবার পিছনে ফিরে দেখেনি নি।

পৃথিবীতে এমন কিছু সম্পর্ক আছে
যার আগাপাশতলা শুধু মাত্র বিশ্বাসে ভিটেতে বাস করা প্রাচীন প্রস্তর যুগ।
যার কাছে আগুন শরীর নয়
মনের ঘষা মাজা ফুলকিতে অন্ধকারে আলো।
পৃথিবীতে এমন কিছু না বলা সম্পর্কটাও ভীষণ ছোট কোনো লজ্জার মতো
কারণ সীমানা সেখানে আকাশ ছাড়ানো নীরবতা।
আমি বিশ্বাস করি
প্রেম কোনো চার দেওয়ালে আটকানো কবিতা নয়।
প্রেম হলো খোলা আকাশ
আর প্রেমের কবিতা আকাশের শরীরে লিখতে হয়।
আসলে বিশ্বাস করো কি না করো
তোমাকে ভালোবাসতে  আমার তোমাকেও দরকার হয় না।

আমি তোমার সেই প্রেমিক নই
যে সকাল সন্ধ্যে তোমাকে ছুঁতে চায় শুধুমাত্র অধিকারে।
তুমি আমার সেই প্রেমিকা নও
যে খুব সহজে বলতে পারে আই হেট্ ইউ। প্লিস লিভ মি এলোন।
আমি তোমার প্রথম প্রেমিক নই
তবু খুব সহজে আমি বলতে পারি তোমার স্পর্শে আমার বাঁচা।

এত আলো

এত আলো
................ ঋষি
======================================================
রাতগুলো সব নিয়ম মাফিক অন্ধকার হয়
অথচ মনের আলোগুলো অন্ধকারে যেন জোনাকি। .
নিভৃতে বাড়তে থাকা আলো হাত বাড়িয়ে তোমায় ধরতে চায়
ঘুরে আসে তোমার শহরের অলিগলি।
শূন্য হাত থাকে
তবু কেন যে চারিপাশে এত আলো।

বন্ধ চোখে জানলার রেলিং বেয়ে জ্যোৎস্ন্যা
কখন যেন তোমার মতো দেখতে কোনো কবিতা হয়ে যায়।
চোখ খুলি ,পরম যত্নে কেউ হাত বুলিয়ে দেয় মাথায়
যেন উপস্থিতি কোনো আশ্রয়ে লেগে থাকা স্বপ্নের আদর।
প্রশ্রয়ে বাড়তে থাকা স্বপ্নের পারদ
কখন যেন নীল আলোর মতো ছড়িয়ে পরে সারা ঘর।
কত কাছে তুমি
অথচ কত দূরে।
 আলোর মতো আমার উপস্থিতি ভেদ করে কোনো নির্জন উপস্থিতি
আমি ভাবি এই তো তোমাকে ছুঁতে পারছি।
চেনা আখরোট ঠোঁট ,চেনা নাক ,চেনা চোখ
শুধু অন্ধকারকে বড়ো অচেনা লাগে।

রাতগুলো সব নিয়মমাফিক অন্ধকার হয়
অথচ  হৃদয় আলোয় দাঁড়িয়ে আমার স্বপ্ন নায়িকা হাত বাড়িয়ে দেয়।
আকাশে চাঁদ সাক্ষী থাকে ,সাক্ষী থাকে অন্ধকারগুলো
আলো কখনো একলা থাকে না ,তুমি আছো তাই।
আমিও ঘুমিয়ে পড়ি
তোমার আলো বুকে জড়িয়ে ধরে। 

দুটো সতেরো

দুটো সতেরো
........................ ঋষি
============================================================
হাজারো ব্যস্ততা ফাঁকে যদি মনে পরে তোমায়
তাকে স্পর্ধা দিও।
লুকোনো কবিতার খাতায় চেনা ফিগারে চলন্তিকা তোমাকে
আমাকে সময় দিও।
তোমায় করা শেষ ফোনকলটা দুটো সতেরোর পর থেকে একলা দাঁড়িয়ে
চিনতে পারছো তো?

চশমার কাঁচে চলন্তিকা সময় কেটে যায়
হয়তো শরীর বুড়িয়ে গিয়ে আরো পুরোনো আবর্জনা সাময়িক।
অথচ মনের জানলায় স্বপ্ন দেখে ভোর
কোনো অজানা সকালে তোমার ঘুম ভাঙা ঠোঁটে নীরব অধিকার।
তোমার জানলা দিয়ে পাহাড় দেখা যায়
আর আমার শহরের তাপমাত্রা বরাবর তোমার থেকে কম।
তবু তুমি ক্লান্ত মনে ভর করো আমাতে
আমি ঘুম ভেঙে স্বপ্নে দেখি তোমায় চেনা ফিগারে চলন্তিকা।
নিতান্ত নেশার মতো আমার এই কবিতা
এখন অপেক্ষায়।
তোমায় করা শেষ ফোনকলটা দুটো সতেরোর পর থেকে একলা দাঁড়িয়ে
গভীরতা খুঁজছে তোমার শরীরের গন্ধে।

হাজারো ব্যস্ততা ফাঁকে যদি মনে পরে তোমায়
আমাকে স্পর্শ দিও।
লুকোনো কবিতার খাতায় চেনা ফিগারে চলন্তিকা তোমাকে
আমাকে কবিতা দিও।
এখন ঘড়ির কাঁটা বিকেল পেরিয়ে প্রায় সন্ধ্যে
শুধু ফোনকলটা সেই দুটো সতেরোয় তোমাকে খুঁজছে।

মধুমিতাদি

মধুমিতাদি
........ ঋষি
========================================================
আঠারো মাইল লম্বা আদম ব্যালকনি
তোমার স্পর্শের শিড়শিড়ানিতে আমার আঠারো বছরের পাপ।
তোমার ছায়ার মেলোড্রামায় আমার তাবত বিশ্ব আলোর মতো
ভিজে যাওয়া অন্ধকার শরীরগুলো
চুঁইয়ে নামছে মধুমিতাদি
তোমার শুকনো ঠোঁটে লুকোনো রক্তের দাগ আজ সামাজিক।

এখনও তুমি ময়দানে যাও?
যোনিসাঁকো জুড়ে নিভৃত হরফে ডিসেম্বরের চেনা বরফ।
চিনতে না পারা শহরের গভীর শীতে পাপবিদ্ধ যুবক।
অন্ধকার  কবিতাকিশোর?
মধুমিতাদি বুদ্ধদেব বসুর উপন্যাসের চাপা রঙের পুরোনো যুবতী
জানেনা বোঝেনা কেউ নিতান্ত জখম।
বিয়োগচিহ্নে কতটা আর হতে পারে ক্ষত উপশম
নীরবে জমতে থাকা শুকনো গাছের পাতারা জানে না সময়ের বয়স, 
শুধু সময়ে আজ দাঁড়িয়ে পাপবিদ্ধ হাতড়ানো শরীর।
এ কবিতা লেখা হয় নি আগে
কারণ কবিতা এখন শুধু বাণিজ্যিক ,কবিতা এখন শুধু মেলা আর হাট চেনে
কিন্তু কবিতা কিশোর আজও কবিতায়।

আঠারো মাইল লম্বা ব্যালকনি
বারান্দায় দাঁড়িয়ে আজও স্পষ্ট  দেখতে পাওয়া আঠারোর পাপ।
মধুমিতাদি আজ কি তুমি একলা বাথরুমে শাওয়ারে দাঁড়িয়ে
আমার মতো চিৎকার করো অন্ধকার পাপ।
যদি  কখনো সময়  করে আমার এই কবিতা পড়ো
ঠিক খুঁজে পাবে  এক মৃত কবিতাকিশোরের জীবন্ত ঘামের গন্ধ।

প্রেম ,নদী আর পাখি

প্রেম ,নদী আর পাখি
................... ঋষি
===================================================
শহরের রাস্তায় ধুলোবালি মাখা শৈশব
এই শহর থেকে নদী আর পাখি দুটোই খুব দূরে স্বপ্নে থাকে।
আমার কাছে শৈশব মানে একা সেই নদী কিংবা আকাশের পাখি
এই শহরে রবীন্দ্রনাথ শুধু প্রথাগত।
এই শহরে আজ শুধু সোহাগী আদর
কিন্তু আদরের মাটিতে জন্মানো বিষফল।

 পাখি এবং নদী এদুটো শব্দই  মূলত প্রেম
অঙ্গীকার জীবন এই শহর থেকে আকাশ দেখা যায় না।
বড়ো বড়ো স্কাইস্ক্যাপারে লেগে আছে হিসেবি অভিলাষ
শুধু ঠুনকো বাঁচা মর্ডানিজম।
এই শহরে চিড়িয়াখানায় কিছু পাখি আছে
আর কিছু আছে প্রত্যন্ত গলিতে লোকানো গুটিকয়েক মানুষের মনে।
পাখি এবং নদী মূলত শৈশব অথচ প্রেম
প্রেম লেগে আছে মধুমিতা দিদির শুকনো ঠোঁটে
কিংবা রক্তমাখা সেই গভীরতায় যেখানে দেওয়াল লিখন মানা।
এই শহরে প্রেম এখন মোবাইল টেক্টটে
ধুলোমাখা ডাকবাক্সগুলো এই শহরে প্রেম হারানোর যন্ত্রনা।
এখন বিকেল তিনটে পনেরো
শুকিয়ে যাওয়া রৌদ্রের চৌরা রাস্তায় আমি একলা দাঁড়িয়ে
ছবি আঁকছি প্রেম ,নদী আর পাখি।

নদী শব্দটা চিরকাল কেমন মিষ্টি মায়াময়
শীতের শুকনো শূন্যতায় শুকিয়ে যাওয়া নদীগুলো এখন আমার শহর।
পাখি শব্দটা চিরকাল শুধু স্বাধীন আকাশ
খাঁচার পাখি ছিল সোনার খাঁচাটিতে, বনের পাখি ছিল বনে।
এই শহর শুধু স্বপ্নে বাঁচে নদী আর পাখির
আর আমি স্বপ্ন দেখি খুব গভীর খোলা আকাশের। 

২৫ শে ডিসেম্বর

 ২৫ শে ডিসেম্বর
................. ঋষি
========================================================
হাজারো ব্যস্ততা ফাঁকে জমে থাকা স্পর্শ রেনু
একলা থাকা।
একলা রাস্তা মানে স্পিডোমিটারে বাড়তে থাকা গতি
অবসন্নতা ব্রেক ফেল।
ছোটবেলার লজেন্সের শিশিতে হাত ঢুকিয়ে উঠে আসা ডেও পিঁপড়ে
যন্ত্রনা একলা দুপুরে।

কলকাতা এসেছিলে
বাগুইহাটি ,ময়দান ,পার্কস্ট্রিট আজ লোকে লোকারণ্য।
তোমাকে খুঁজছে সময়
কেকের সুবাস, ফ্লুরিস, ককটেল, অলিপাব
এখন তোমার কাছে যাওয়া মানা।
আমি দূরে খুব
দুপুরের কাছে যাওয়া মানা গড়িয়ে নামা মুহূর্তরা বহুদূর।
হালকা কাজলের মতো কবিতার তুলিতে মনে মনে সাজাই
অচম্বিত তুমি তাকালে?
আমারই দিকে!
বাতাসের বাথটবে সদ্য স্নান সারা তোমার নাভির গন্ধ
ভেবো না আমি পাগল হচ্ছি। পাগল চিরকাল।

হাজারো ব্যস্ততা ফাঁকে জমে থাকা স্পর্শ রেনু
একলা থাকা।
মনে পরে আজ শহরের ক্লান্তিতে লুকোনো ২৫ শে ডিসেম্বর
বোধহয় একলা থাকা।
হিম হাওয়া, শুধু আমার এ  শরীর ছুঁয়ে তোমার নাভির উষ্ণতায়
বাড়তে থাকা স্পর্শ শহর। 

আর তারপর

আর তারপর
.... ঋষি
================================================
আর তারপর
ভালোবাসা গতি চায় ,চায় ডানা।
খোলা আকাশ ভর করা স্বাধীন পাখি
উড়তে উড়তে আকাশের ঠিকানায় রঙিন কাব্য।
বৃষ্টি এখন ঋতুকালীন মেঘে হয়
বাকিটুকু শুধু ভাবনার।

শহর শহরের দূরত্ব
মানুষ নাকি কম্পাসে মেপে দেওয়াল তৈরী করে চলে।
নিজের নিজের অধিকার ভিতে
এক একটা রবার স্ট্যাম্পে সম্পর্কের দেওয়াল।
অর্ডার অর্ডার
আজ থেকে আপনারা আইনানুগ ভাবে সব অধিকার থেকে মুক্ত।
এই শহরে বিক্রি হয় সম্পর্ক
অথচ এই শহরেও জেগে থাকে কোনো রাট জাগা পাখি।
আর তারপর ভালোবাসা গতি চায় ,চায় ডানা।
দমবন্ধ করা সম্পর্কের ভিটে মাটি
খুঁটে খাওয়া ঘুঘুদের বাস ,,,,নিরাময় চায় স্বাধীন আকাশ।
মৃত্যু এখানে গ্লানিমুক্ত কোনো অন্য স্বাদ
ভাবনার বৃষ্টি ,,,বাঁচা টুকু।

আর তারপর
ভালোবাসা গতি চায় ,চায় ডানা।
বোবা দুপুরে চঞ্চল শহরের হাজারো ব্যস্ততায়
উঠে আসে রবিঠাকুরের গান ,,,,ও যে মানে না মানা
আঁখি ফিরাইলে বলে, 'না, না, না।
ভালোবাসা গুমরে মরে  ..............

Sunday, December 17, 2017

নিরুত্তর

নিরুত্তর
.......... ঋষি
****************************************

অনন্ত শয্যা নিরুপম কখনো
জীবন নাকি পরে পাওয়া ভগ্নাংশ বাঁচা কথন।
আমি, তুমি শুধু স্বাভাবিক, নিরুত্তাপ অনন্ত অচলায়তনে।
মাটির তলায় চাপা পরা শোক অসংগত
অথছ সংগত স্বাভাবিক।

রেইনবো ফরেস্টে দুর্জয় স্বপ্ন  দেখা ভোর
কিংবা ঘুম খোলা চোখে এগিয়ে আসা ফরাসি চুইংগাম
সবটাই  নিরুত্তর।
মাটির তলায় শুয়ে থাকা  মন প্রশ্ন করে
রাতের প্রান্তিক শহরে কারা যেন রাতজাগা পাহারাদার?
কারা যেন আমাদের মতো  দেখতে লুকনো  দরজা।
দরজা খোলে
সামনে জেগে আছে ভোর রাতের শহরে।
নিরুত্তাপ রাতের পাহারাদার  শিস দিয়ে জানান দেয়
সাবধান মন এখনো যে  রাত বাকি।
সকালের ইচ্ছেরা গলা শুকিয়ে  ঘুমিয়ে পরে
স্বপ্ন দেখে রেইনবো  ফরেস্টে দুর্জয়  ভোরের।

নিত্য এই অনন্ত শয্যা
জীবন নাকি একলা বাঁচা লোককথা।
নিয়োজিত বাঁচা নিতিমাফিক উদযাপন রোজকার সকাল
ঘুম জাগা চোখ মরা স্বপ্ন।
মাটির তলায় চাপা পরা শোক সংগত
অথচ অসংগত বাঁচা।

Saturday, December 16, 2017

অন্য মানুষ

অন্য মানুষ
.................... ঋষি

=================================================

জীবন কোনো নিরুত্তর ইতিহাস
সাদা পাতায় পর পর লেখা অসংখ্য অজানা।
মানুষ শব্দটার সদুত্তরে অজানা আতঙ্ক
মানুষ নাকি মাটিতে পা রেখে চাঁদ ধরতে চায়।
চায় নিজের একলা বালিশে শুয়ে
সম্পর্ক নামে কোনো অজানা অস্ত্বিত্বের খোঁজ পেতে।

কোনো অরণ্যের সবুজে একলা দাঁড়ানো গাছটা
পাতায় পাতায় সম্পর্কের বাড়ানো ভিড়ে অসংখ্য তকমা।
মানুষ নাকি হৃদয়ে বাঁধ দিয়ে হৃদয় আগলাতে চায়
চায় নিজের অস্তিত্ব খুঁজতে হৃদয়ের ভাঁজে।
আমি আকাশ দেখেনি
দেখেছি সমুদ্রের সাদা সফেনে হারানো দিনলিপি।
বদলানো আয়নায় বারংবার খুঁজেছি নিজেকে
ভালোবাসা নাকি স্বাধীন পাখি।
কোনো গভীর অস্তিত্বের খোঁজে আমি প্রাগৈতিহাসিক ফসিল
হারানো চাঁদের লুকোনো দূরত্বের মতো খুব সাধারণ আমি।
কোনো জ্যোৎস্নায় অগোছালো ভিড়ে স্বপ্ন দেখি
অন্য মানুষের।

জীবন কোনো নিরুত্তর ইতিহাস
বদলানো ভাষা সাক্ষী মানুষের বদললের চাকার গতি।
মানুষ শব্দটার সদুত্তরে একটা ইন্সাইক্লোপিডিয়া
মানুষ নাকি মাটি লেপে ঘর বাড়াতে  থাকে।
দাবার সাদা কাটা ঘর ,চোখ বদল
মানুষও বদলাতে  থাকে। 

Sunday, December 10, 2017

মন (১১)

মন (১১)
.... ঋষি
=============================================
আলো আর ছায়া
কুয়াশার এপার ওপার থেকে নিরিবিলি একা থাকা।
মাঝে মাঝে পাতা উল্টে দেখি নি তোকে
মন তুই কেমন আছিস ?
বছর ঘোরে,আমার নিবিড় অচলায়তনে সাদা চুল সাক্ষী
হয়তো সম্পর্ক বদলে গেলে এমন হয়।

তোর সময়ের চোখে সকালের ব্যস্ততা
নাগরিকতার শুরুতে যে মৃত্যু শুধু নীল শিলালিপি লিখে যায়।
তার শিরায় ,শিরায় একটা ভিতের দরকার
অহল্যা চিৎকার করে আমার মনে তোর মতো। ..কবে মুক্তি ?
মুক্তি শব্দটার সারজেমিনে বসে
পাই খোলা আকাশ ,,,আমার জন্মদিনে তোর দেওয়া প্রিয় উপহার।
একগাদা সময়ের সাথে উড়তে উড়তে ,,ক্লান্ত হই
কিন্তু মন আমি হারতে পারি না তোর মতো।
যখন বরফ পরে তোর শহরে ,,ঢেকে যাওয়া ক্লাউনদের বরফ যুগ
তারপর হয়তো হেসে নি একলা মনের ফাঁকে।
মন তোকে নিয়ে আমার কবিতা লেখা মানা
চেনা তোর চোয়ালের তিলতার লুকোনো পরাধীনতায়
টস করে শৈশব গুঁড়োনো ছবি আঁকার।

আলো আর ছায়া
এই মুহূর্তে তোর চেনা শহরে আমি অচেনা নাগরিক।
ভালো করে খুঁজে পেতে আয়নায় দেখি
হয়তো মনের পাতা উল্টে তোর লুকোনো ছবিটা দেখি।
শুধু এতটুকু বুঝতে পারি'
হয়তো সম্পর্ক বদলে গেলে এমন হয়। 

জেদি

জেদি
.... ঋষি
=====================================================
সব কিছু মিলিয়ে একটা কবিতা লিখবো
আচ্ছা বলতো শরীর মনের ,,,নাকি মনের শরীর ?
কাব্য সময়ের,,, না ,,, সময়ের কাব্য ?
ঠোঁটে আগুন লাগলে আখরোট চিবিয়ে যায়।
জেদ বাড়ে ,,ভালো থাকার
শরীর মিশতে চায়।

গোলাপি স্তনে ঠোঁট রেখে মন ভিজে যায়
সে কি চোখের জল ?
বুকের খাঁজে আটকানো অভিনয় নীরবতা সাক্ষী রেখে যায়
সময় কাটানো।
পরবাঁশি কোনো সুর মনের পাটাতনে স্বপ্ন দেখে নিরিবিলি ভোরে
সূর্যদেখা তোর চেনা হাসি।
আচ্ছা বলতো মিশে যাওয়া কি জন্মের সাক্ষর
নাকি মৃত্যুর পরেই জন্ম লেখা হয় অন্য নামে ?
আচ্ছা সময় কি শুধু চলতে থাকা টিকটিক কাঁটা
নাকি কোনো পুরোনো তিথিতে কবিতার অন্য যাত্রা।
আদৌ কি  ধর্ম্যং স্বরনং গচ্ছামি
নাকি সেও শুধু কাব্য সময়ের অভিসারে। ...

সবকিছু মিলিয়ে একটা কবিতা লিখবো
যদি সময় হয় বেঁচে থাকার ক্লান্তির পর দেখা হবে।
তবে উত্তরগুলো জানার অপেক্ষায় রইলাম
অপেক্ষায় রইলাম চেনা পোট্রেটে  সাজিয়ে রাখা সময়ের।
 জেদ বাড়ে ,,ভালো থাকার
সময় জেদি হতে চায়।

নপুংসক

নপুংসক
.............ঋষি
==============================================
নিজেকে মানাতে মানাতে
ভুলে গেছে মানুষ সময়ের চুলছেঁড়া নিয়মকানুন।
এই কবিতা মোটেও সামাজিক নয়
কারণ আগুন কখনো সামাজিম হয় নি আজ পর্যন্ত।
প্রতিবাদ বিকলাঙ্গ সমাজের মাছ না ধরা ছিপ
অথচ স্বপ্ন ছিপের ডগায় মনুষত্ব।

নিচে নামছে ক্রমশ
মানুষের চোখে আতসকাঁচে আনন্দ হরলিক্সের বিজ্ঞাপনে।
টলার,শার্পার আর কি বেশ
সব অসংখ্য বুজরুকি মাখা দেশের পিতাদের বীর্যের উসুল।
মানুষ বাড়ছে
অথচ কিছুতেই বোঝে না মানুষ তারা মরছে প্রতিদিন।
হাড় কাটা গলি আর মনুষত্বের নিলামে
বাজি রাখছে দেশ ,আগামী সকল সন্তান নপুংসক সব।
শহর পেরিয়ে গ্রাম ,গ্রাম পেরিয়ে অভয়রণ্যে
মোটা সড়ক ,মোটা মানুষ ,আর মোটা প্রফিট হবে।
তারপর দুই গোলার্ধে বরফ গলবে
সভ্যতা আরো নিচে মাটির মানুষ।

নিজেকে মানাতে মানাতে
মানুষ ভুলছে ছিঁড়তে না পারলে মরতে হয়।
এই কবিতা কোনো সভ্যতার দালালের নয়
আগামী কোনো সন্তানের মুখে আগুন।
প্রতিবাদ যদি রক্তে আগুন না ধরায়
তবে মানুষ বদলাবে কি করে ,,,, আর সময়। 

Fuck me

Fuck me
........... ঋষি
============================================
দেওয়ালে আটকানো ছবি
ছিপি খোলা ওল্ড মঙ্কের ফসিল মেয়েটার ঠোঁটে
নামহীন গোত্রহীন সদ্য জন্মানো কবিতা
শৈশব গোঙরানো নারীত্ব
মেয়েটা হাসছে ,নেশায় টাল প্রতিবাদী ছলছলে চোখ
মেয়েটার এমনি হওয়ার কথা ছিল

কথা ছিল শেষ জৈষ্ঠ্যের রোদ মাড়িয়ে কচি আমের আচার মুখে
বন্ধ হওয়া মাসিকের খবরটা ছেলেটাকে জানানোর।
কিন্তু জানানপুরের শেষ সংবাদ
ছেলেটা অন্য মেয়ের প্রেমে পরে ভোল বদলেছে।
আজ এত বছর পর
মেয়েটা ওল্ডমঙ্কের শেষ চুমুক ছেড়ে কবিতা লিখতে বসলো।
Fuck you  সমাজ ,,,পা বাড়িয়ে মেয়েটা এক লাথি ঝাড়লো  .......
আর প্রেমিক তখন অভিনয়ে ব্যস্ত।
পরপর ছবিগুলো সরে যাচ্ছে
ফরিদার এই নিয়ে আটখানা সন্তানের মা হলো।
জাস্টিনকে তার হাবি ছেড়ে গেছে
পৌলমীর এই মাসে দুবার মাসিক হলো।

দেওয়ালে আটকানো ছবি
ছবিতে দেখা যাচ্ছে অর্ধনগ্ন মেয়েটা নেশায় মত্ত।
আসলে মেয়েদের কোনো জাত হয় না
শুধু ফাক হয়।
আমি চোখ বন্ধ করে বেশ দেখতে পাচ্ছি
মেয়েটা কান্না মিশ্রিত হাসিতে চিৎকার করছে ,,,Fuck me। 

কেউ কারো নয়

হঠাৎ করে কেউ হারায় না যে মেয়েটা বাড়িতে রোজ শাঁখ বাজিয়ে পুজো করে তার ও ইচ্ছে করে আকাশ ছোঁয়ার, ব্যাগ ভর্তি স্বপ্ন নিয়ে যে ছেলেটা বাজারে এসে দা...