Friday, December 21, 2018

পাললিক


পাললিক
............ ঋষি
============================================
গম্ভীর পলি
চোখের অন্তরায় সা রে গা মা পা নির্ভেজাল।
ছেলেবেলা
দ্রাঘিমাতে ধরা পড়া পেন্সিল স্কেচে অস্বচ্ছ কিছু যৌবন।
সময় ফুরিয়ে যাওয়ার হিসেবে জটায়ুর ধারালো ছুরি
যেটা শুধু আমার।
.
ছারখার উদযাপন
শহরের রাস্তায় সান্তাক্লস এখন বড় বাজারি।
বাজারি সময়
শহর ঢুকে আছে শহরের ভিতর  আলো জ্বালাবার প্রচেষ্টা
বড় কৃত্রিমতায়।
ঠিক এমন কথা ছিল না জোনাকি ধরার লোভে
পথ চলতি হারানো বেঁচে থাকা।
মৌলিক অঙ্গীকার
তোমার স্যান্ডেলে লেগে গঙ্গার মাটি আমি ছাড়া
দূরে ট্রেনের ভো
আমি ছাড়া আমার শহরে।
.
গম্ভীর পলি
শহরের নদীটা ক্রমশ জঞ্জাল পূর্ণ মানুষের জৈবিকতায়।
যৌবন
ক্যানভাসে ফুটে ওঠা অদৃশ্য প্রেমিকের ঠোঁট।
সময় ফুরিয়ে যাওয়ার হিসেবে প্রদোষ মিত্র
ছানবিন জীবনে। 

আন্তরিক

আন্তরিক
............... ঋষি
=============================================
অনন্তর আরো আ4ন্তরিক হোক শীতের স্পর্শে
গ্লিসারিন লাগানো ত্বকের বর্ণনার আরো সাবলীল হোক।
সাবলীল হোক সত্যি
কপাল পোড়া  কোনো কাপালিকের কাহিনী।
নিশি যাপন
গল্প থেকে বেড়িয়ে আরো নিদ্রাহীন হোক।
.
সম্ভার
গান্ধর্ব প্রথায় তুলে নেবো তোমায়।
বুকে ধামসা মাদল , যামিনী রায় লুকোনো রঙের আদর
সমস্ত আমোদ রঙিন যখন।
তুমি বললে কবিতা বদলাও ,বদলাও প্রেমিকা
আমি প্রেমিক কবি শুধু প্রেমের জপমালা বুনি।
জানলার বাইরে লাগানো আইসক্রিমের গাড়ি
শীত উপছে  নামা বরফ ঠোঁট।
বনলতা,নীরা ,সুরঞ্জনা ,চলন্তিকা কেউ রাস্তা হাঁটে নি
হেঁটে গেছে কবির বুকে শতাব্দী।
কোন যুক্তিবাদ, কোন বুদ্ধের বাগান, উপাসনা
প্রাচীন দিকভ্রষ্ট নষ্ট উদযাপন।
.
অনন্তদের বলা দরজা খোলা আছে যুগ
তুমি চলে এসো সম্পর্ক হয়ে।
তোমার মতে তোমাকে ছোঁয়াটা আমার স্পর্ধায় আগুন
মুখ পুড়ে যায় ,শরীরে জ্বালা ,সময়ের চিতাকাঠ।
দিন যাপন
গল্পের ভূমিকায় তোমার আমার বাঁচা। 

Wednesday, December 19, 2018

মহাকাল


মহাকাল 
.......... ঋষি
==============================================
তেমন করে কেউ ডাকে নি আমায়
কেউ মনে করে নি কোনো অন্ধকারে হাতড়ানো বাতিস্তম্ভে।
তবু ত্রিনয়নে জেগে ওঠে মহাকাল
অকালবৃদ্ধ সময়ের ওপারে দাঁড়িয়ে মনে আসতে থাকে।
এলোপাথারি শিহরিত শীতঘুমে সমান্তরাল কোনো এক পৃথিবীতে
তুমিও তো আমার কথা ভাবছো।
.
চোয়ালে চোয়ালে  চাপা উদ্বেগ অনবরত ছুটে চলা প্রতিক্ষণ
আর অসহ্য পলকে ভেসে উঠছো তুমি।
নীলাভ কৈশোর...
হাতছানি খুঁজে পাওয়া প্রেমিকার  ঝাপসা মুখ...
জাদুবিন্দুতে এগিয়ে চলা  রক্তের ঝনঝন শব্দ।
গা ছমছম  করে ,অথচ তুমি নেই।
অথচ তোমার স্পর্শগুলো  আমায় ছুঁয়ে যেন ছেলেখেলা।
দূরে কোথাও মাদলের শব্দ ছড়িয়ে পরে
সবুজ প্রান্তরে ঘাসের উপর সব ঝরা এক ফোঁটা স্বপ্ন ।
তুমিও হাসছো …
অবিকল অবিকল আমার স্বপ্নের  মতো শিহরণে।
.
জংলী পথ
মাইলফলকে তোমার পায়ের ছাপ, তোমার যাতায়াতের নির্দেশিকা।
শুধু মাঝে মাঝে, দু একটি প্রথাগত হত্যার মতো
আমার একেকটা দিন শুধু তোমায় ভেবে মৃতপ্রায়।
এলোপাথাড়ি শীতল হাওয়া আমার বার্তা নিয়ে হয়তো তোমার শহরে
দরজা খুলে যায়। 

ছায়া (৪)

ছায়া (৪)
............ ঋষি
=============================================
লম্বা হতে হতে ছায়াটা ক্রমশ চোখের আড়ালে
গতকাল কথোপকথন ,
নির্বাক বোধ ,ছলছলে চাহুনি,অসময়ের বৃষ্টি,অদ্ভুত তৃষ্ণা ।
সময় আজকাল শুধু আগামীতে থমকে আছে।
আর ভালো থাকাটা একটা অদ্ভুত যন্ত্রনা
জীবনটা কেমন ছোট হতে ,হতে বৃত্ত আবৃত অনাবৃত সময়।
.
নরম তুলোর বালিশ,লেপ ,তোষক সোহাগী আদর ।
ঘুম ভেঙে যায়।
বিছানায় উঠে বসি কোনো অনাবিষ্কৃত ছায়া
চরাচরে অজস্র মুখোশ থেকে উঠে আসে গোঙানির শব্দ।
মন খারাপ সামনে এসে দাঁড়ায়
তবু আগামীর আবিষ্কারগুলো কর্ণের জন্ম কাহিনী।
নিজের সাথে মানুষের সম্পর্ক
একই গুহার বাস করে একটা মানুষ আর তার ছায়া।
অজুহাত ছাড়াই যারা পাপ করে একে ,ওপরে
আর একটা ব্রিলিয়ার্ড খেলার টেবিলে  বলগুলো সব গড়িয়ে নামে নিচে 
সময় জিতে যায় কখনো ,আর কখনো বা মুখ কালো করে।
.
লম্বা হতে হতে ছায়াটা ক্রমশ হারাতে থাকে
বুকের ভিতর একটা ভয় আঁতকে ওঠে ,,,যদি ........
অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও তুমি।
পাথর ছুঁড়ে মারি, মাপতে চাই ছায়াটা তারপর হয়তো ছবিটা।
যাতে মৃত্যুর আগে আমার মতো কেউ
নিঃশব্দে একদিন চিঠি আর ছবি দিয়ে যায় তোমাকে।




মুক্তি

মুক্তি
................ ঋষি
===================================================
দ্বাদশ শতাব্দীর কোনো সাহসী প্রেমিক প্রশ্ন তোলে
ভালোবাসা কি ?
উত্তরটা আকাশ বাতাস হাতড়াতে হাতড়াতে একরাশ ধোঁয়ার মতো
সময় আঁকড়ে জুলুজুলু চায়।
ভালোবাসা !
সময়ের অনুভবে বারংবার বদলানো শব্দ।
.
সে যুবক তার প্রেমিকার ঠোঁট আঁকড়ে বলে
ভালোবাসি। প্রশ্ন করে প্রেমিকাকে।
প্রেমিকা হাসে ,আর হাসে ,শেষে বলে এই যে তুমি ভালোবাসা।
ছেলেটা বুঝতে পারে না
কোনো মন্দিরে দাঁড়িয়ে ঈশ্বরের চোখের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করে
উত্তরে ঈশ্বর পাথর হয়ে যায়।
বোরো বিরক্তিকর
সে সময়কে প্রশ্ন করে একই। কিন্তু উত্তর আসে না
শুধু সময়ের ফলাফলে উঠে আসে বিষ ,
ভালোবাসা সময়ের সুখ ,শরীরের সুখ ,বলতে সুখ।
ছেলেটা যন্ত্রনায় কুঁকড়ে ওঠে
আকাশের দিকে চায় ,কতো গভীর ,
কতো  পথ ছেলেটা একলাহাঁটে  ভালোবাসার মানে খুঁজতে।
.
সমস্ত শতাব্দীর ইতিহাস ঘেটে উঠে আসে
ভালোবাসার মৃত্যু গাঁথা।
কিন্তু কি ভালোবাসা ,আকর্ষণ,একসাথে থাকা ,দায়িত্ব ,বিশ্বাস
অজস্র শব্দ গুলিয়ে যায় মাথা।
জানলার গ্রিলে একটা পাখি এসে বসে ,ছেলেটা প্রশ্ন করে
পাখিটা উড়ে যায় , ছেলেটা হেসে ওঠে। মুক্তি !

Tuesday, December 18, 2018

নির্যাতিত

নির্যাতিত
.......ঋষি
===================================================
এ এক নির্যাতক রাত
জন্মের ক্যামেরার লেন্সে ধরা পরে জন্মের মুহূর্ত
অনন্ত কোনো জন্ম  নিষ্প্রভ কান্না।
সে যেন বাইচুং ভুটিয়ার পায়ে অসামান্য ড্রিবলিং
অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাস তুই
আর আমি না হয় ক্রস ফায়ারে আকাশের চাঁদে।
.
ফেনা শুকিয়ে অস্থি-নুন পড়ে থাকে
নুন গড়িয়ে নামে সময়ের ঘামে।
ঢেউ মিশে আছে
একটা আস্ত সমুদ্র, অথবা একটা মহাসাগরই বটে ।
মহাসংক্রমণের  হাসি,
হত্যা মহা পাপ ,অথচ আমি দৈনন্দিন নিহত অনন্ত যাত্রায়।
চকোলেটের  পুতুলের মতো মহাসাগরে গলে যেতে যেতে মনে হয়
সমুদ্রের লোনা  ঝাউবনের গন্ধ উষ্ণতায়।
নেমে আসছে আচ্ছন্ন ঘাম
বুকের কাপড়ে সুর্য আঁটোসাটো অন্তর্বাসের পালিত প্রসন্নতা। 
চামড়ার গঠনে চোখের রূপ  খুব গভীরে
বলতে ইচ্ছে করে এমন করে তাকাস না রাক্ষসী।
.
এ এক নির্যাতক রাত
বুকের স্যাকারিন বাড়তে থাকা সুগার লেভেল মধ্যস্থতায়।
 কফিমগের তলদেশে চামচের বেগ
ধোঁয়া ওঠে শরীর ,রোমকূপে লেগে থাকে প্রকট উচাটন।
অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাস তুই
জড় আমি হঠাৎ উঠে বসি মাঝরাতে হাতড়ানো কালোতে।

কবিতার স্যিগনেচার

কবিতার  স্যিগনেচার
.... ঋষি
==============================================
শব্দগুলো সব কিলবিল করছে
পার্ক, গাছ, ছাতা, কুলফি,বড়রাস্তা ,চুমু ,নির্ভরশীলতা
শ্রেণীবদ্ধ শীতল বৃষ্টি , সব উথালপাথাল ঢেউ।
মেনু কার্ড, রোমান্সের দুপুর,কান ঢাকা টুপি
 ডেবিট   অভাব ,ক্রেডিট বাঁচা
পেট চুক্তি, নিরিবিলি ক্ষুদার্থতা  । 
.
শব্দ জুড়ে ক্রমাগত জাগলিং প্রেমিকার ঠোঁট ,উষ্ণ কফিকাপ
মাঝে মাঝে দূরে পথের দিকে তাকাই
রৌদ্রোহীন স্যাতস্যাতে একটা অনুভব শিরদাঁড়ায় ।
ছেঁড়া সিনেমার টিকিট, আইসক্রীমের কাঠি, আধাখাওয়া চুমু
সব পড়ে আছে, একইরকম।
সেলিব্রেশন, রেস্তোরাঁ, ইন্টারকলেজ   কম্পিটিশন
কন্ডোমের মতো পরিত্যক্ত প্ৰাক্তন।
স্নানঘরে বাস্পে ভাসা আবছা চোখ 
আর বোকার মতো চেয়ে থাকা , ঠকে যাওয়া এঁটো মাটির ভাঁড়।
.
শব্দগুলো সব কিলবিল করছে
আমরা যেমনই থাকি, টলমল পায়ে আন্তরিক দৈনতা।
নিতান্ত অভ্যেসেই, আমাদের দুর্বলতা
কবিতার প্রেমের পাতা । বইটা তোমারি 
আর আমার শুধু অনবরত স্খলনে নতুন জন্ম
তোমার কবিতার  স্যিগনেচার ।

Sunday, December 16, 2018

সময়ের নগ্নতা


সময়ের নগ্নতা
..... ঋষি
============================================
প্রিয় সান্নিধ্য থেকে সময় সরিয়ে নিলে
চোখে পরে খিদে।
ব্যস্ত ঝাপটারা তাড়া করে ফেরে দিনভর কোনো অছিলায়
ব্যস্ততার দুর্যোগে সান্নিধ্য নির্বাসিত।
আমরা বলি বয়স ,কেউ বলে সময়ের মতো রোগ খুব কম আছে
কিন্তু সময় বলে অভিশাপ।
.
তারপর রাত্রি
আরো গভীরে গেলে চোখের লেন্সে সরতে থাকা সময়ের ইচ্ছারা।
আমি বলি চল রাতের গভীরে খুঁজে আসি নিজেকে
রাত ছড়িয়ে পড়ে গভীর থেকে আরো গভীরে ।
ক্রমশ হারিয়ে যাওয়ার পালা শুরু
যেন আমাকে আর  কোনদিনও  ফিরতে হবে না ।
পালা বদল হবে না
 কেউ দাঁড়িয়ে থাকবে ,কোনো মিথ্যা আভরণে ।
 রাত হাত বাড়ায় আরো গভীরে
চারিপাশে  কালো গড়িয়ে পড়ে নিজস্ব ভূমিকায় ।
 দেখতে পাই ক্রমশ  পূর্ণ হচ্ছে জীবন।
ঠিক যতটুকু জায়গা লাগে এই পৃথিবীতে দাঁড়াতে ,
ঠিক ততটুকু  জায়গা চাইছে জীবন।
.
প্রিয় সান্নিধ্য থেকে সময় সরিয়ে নিলে
খিদেরা তাড়া করে।
বিবস্ত্র রাত বাতিকগ্রস্ত হয়ে আড়াল খোঁজে
রতিক্রিয়া শেষে পোশাক খোঁজার মতন উপেক্ষা লেগে তখন ।
আসলে আমরা বলি সময় ,কেউ বলে পথ শুধু হাঁটতে থাকা
আর আমি বলি সময়ের নগ্নতা।

ফুলস্লিভ

ফুলস্লিভ
........... ঋষি
==================================================
কতদিন আর মেগাস্থিনিস ,
অনিয়মিত জন্মলিপি আর কতদিন ভালো লাগে ?
মাঝে মাঝে ফুলস্লিভ সোয়েটার গায়ে
উষ্ণতা খোঁজে গ্লিসারিন দিন ।
কখনোবা স্লিভলেসের গা বেয়ে পাশের বাড়ি শেফালিকে
ভালো লেগে যায়।
.
সত্যি বলছি
সাইকেলের স্কোপে লুকোনো দরিদ্রতা ,রাজপথে ভিড়।
আমারও তো এরোপ্লেন চড়তে ইচ্ছে হয়
কিন্তু আমার কোনো অ্যাটাচড্ ডানা নেই।
ঘাসের সংসার
দরজার কোণায় ঠেস দিয়ে রাখা ঝাঁটা ... ভোরের এঁটো বাসন-কোসন...
হারিয়ে যাওয়া রেডিওতে ভোরের চিত্রহার ...
ভাবতে থাকি শুধু।
 ............. যেমন  হারানো চিচিং ফাঁক ছিঁড়ে পাখির উড়ে যাওয়া
কয়েকটা স্লিপিং ট্যাবলেটে  লং মার্চ ডিসেম্বরের পরিযায়ী
ক্রমশ দৈনতায় ভুগছে সময় ।
.
কতদিন আর মেগাস্থিনিস
অনিয়মিত মিলন আর কতদিন অসহ্য এমনি?
এতদূর পৌঁছোনোর পর এবার বরং জীবনের ঘড়িতে আটটা
হ্যালো তুমি শুনতে পারছো তো ।
অ্যাটাচড্ কল্পনায় থ্রি বি এইচ কে সংযোগে তুমি থাকো
এতে অন্যায়টা কি ?বাঁচায়।  

Saturday, December 15, 2018

কলকাতা উনিশ


কলকাতা উনিশ
........ ঋষি
===============================================
অনন্ত নিয়ে কি ভাবছো এখন ?
...................... সদ্য ঘুম ভাঙা সুখ কলকাতা উনিশে।
উনিশ। .... দেখতে দেখতে
পেরিয়ে আসা আনন্দ শহর রজঃস্বলা সম্বল।
কি ভাবছো সদ্য ঘুম থেকে বেরিয়ে আসা ক্যালেন্ডাররে সংখ্যা
নতুন শুরুর খবর। ...পৌনঃপুনিক।
.
এটা  শব্দমুখর শহুরে কবিতা
প্যারফেক্ট  ট্রেন্ডস বলছে সম্পর্কের শুরুতে মাধ্যাকর্ষণ আসক্তি।
নিঃসঙ্গতা নিয়ে তুমি কী ভাবছ আজকাল?
শহর বাড়ছে ,বাড়ছে কবিতায় আটকানো প্রেমিক মুখগুলো।
সংস্কৃতি চর্চায় বইমেলা গুটিয়ে গর্তে
আর প্রেম শুধু আজকাল বইয়ের পাতায় হাজারো শর্তে।
মানুষ বাড়ছে কলকাতা উনিশে
জনপ্রপাত নেমে আসছে পাহাড়ি ঢলে ,পদ্মার আদরে।
কলকাতা বাঁচতে ভুলছে
যেমন আমার বারন্দায় ম্যানিপ্ল্যান্ট আজ বিশাল বৃক্ষ।
লাল ,নীল ,সবুজ পার্টি সমাবেশ
হাওয়া বদল তবুও মৃত্যু নিয়মিক কলকাতা।
.
অনন্ত নিয়ে কি ভাবছো এখন ?
............................ সদ্য ঘুমিয়ে পড়া ঝলমলে রাজপথ।
আশা করি তুমি ভালো আছো
আমিও বেশ আঠারো পেরিয়ে আমার উপলব্ধি কলকাতায়।
আশা করি তোমার আগামী ক্যালেন্ডার অনন্ত হবে
আর নতুন খবর।  ...পৌনঃপুনিক। 

Wednesday, December 12, 2018

অন্যগ্রাফি


অন্যগ্রাফি
....... ঋষি
===========================================
জীবিত জিরোগ্রাফি
সঙ্গম থেকে শেখা জন্তুগুলো হায়না  হতে পারে
কিংবা হতে পারে তোর ঠোঁটের অশ্লীল শিল্প।
শিল্পীর মর্যাদা গেঁথে দেওয়া পেরেক দেওয়ালে
পেরেকগুলো আওয়াজের মর্যাদা বোঝে না
দেওয়াল বোঝে।
.
ছায়ার সাথে বেঁচে আছি
আলোর মাঝখান দিয়ে হেঁটে গেলে ছায়া সঙ্গ।
কিন্তু অন্ধকারে
যেখানে আলো পৌঁছয় না সেখানে অন্ধকারই থাকে।
শব্দগুলো বড় শারীরিক
আরো শারীরিক অন্ধকারে স্বপ্নে দেখা মাতোয়ারা তুই।
এসময় দাবা খেলা যেতে পারে
ভাবা যেতে পারে পাথরকুচি পাতার সমীকরণ ,
কিন্তু শান্ত হচ্ছে কি সমুদ্র।
তোকে ভাবলেই সমুদ্রেও আগুন বৃষ্টি হয়
বাতাস এখন শীত ছাড়া কারও কথা শুনছেনা।
আমি কি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে
প্রাকৃতিক হয়ে যাচ্ছি কিংবা ছায়া সঙ্গী।
.
জীবিত অন্যগ্রাফি
পরীদের আমি উড়ে যেতে দেখেছি ,কিন্তু তুই
শুধু ঘোড়া চালাচ্ছিস তৃপ্তির শৃঙ্গারে।
পাহাড় শৃঙ্গে ভূমিকম্প,সারা পাহাড় বেয়ে নোনতা ঝর্ণা
গড়িয়ে নামছে তোর গোড়ালি বেয়ে
তুই নুপুর খুঁজছিস আমার বুকে পাগলের মতো।

ম্যাও (২)

ম্যাও (২)
.......... ঋষি 
===============================================
অন্ধকারে বসে মাছ ধরছি 
বছর ফেরত ক্যালেন্ডারের পাতায় স্যান্টাদাদু। 
মোমবাতি রকমারি ,নরম গরম কেক ,তোমার জিভেসর স্বাদ 
ক্রমশ সেন্সর বোর্ড উত্তপ্ত। 
তোমার শরীর থেকে রক্ত বেরিয়ে যাচ্ছে ,শুধু রক্ত 
এক গ্লাস আমার শরবত হতে পারতো। 
.
ইশ কি করে বলিস এমন 
একটা গোলপানা চাঁদ ,কচুরিপানার জলায় শীতের  শিশির
অন্ধকার মৈথুন। 
জোনাকির আলো আর সমস্ত ঝিঁঝি সমবেত গানের আবদার 
ক্লাসিক ওয়েস্টার্ন ,এক দু পেগে। 
ক্লিভেজে আঁকা ঢেউ তোলা সমুদ্র ,ভিজে যাচ্ছে তোর সাদা রং 
ক্রমশ লোমশ আদরে বিড়ালও ম্যাও বলছে। 
পাখি ঠোঁট রাখছে পাখির ঠোঁটে ,নখ ঘষছে বিড়াল 
আর উপেক্ষা করতে পারছে না,
ভিজে যাওয়া শীতের বিকেলে অন্যমনস্ক বায়ুস্কোপ।  
বিড়ালীর প্রেমের ডাক 
সঙ্গমে মাতোয়ারা ,মুখ ঘষে চলা তোর স্তন বৃন্তে 
দাঁতের দাগ ,
দুধ উঠলে পড়ছে। 
.
অন্ধকারে বসে মাছ ধরছি 
বছর ফেরত অপেক্ষা সুদিনের ,বড়দিনের ,যৌতুকে মোড়া শহর। 
মেমোরি গেম.রঙিন কার্ড ,চকোলেট ঠোঁটে আগামী শুয়ে 
সেন্সর বোর্ডে আবেদন রকমারি। 
তোমার শরীরে উত্তপ্ত ঘামে চটচটে নোনতা 
গড়িয়ে নামছে আমার বুকের  আগুনের পোড়া দাগে।  

ডাইনোসোরসের ডিম


ডাইনোসোরসের ডিম
.............ঋষি
=======================================
সন্ধ্যের কুয়াশার আস্তরণ এখন বোধহয় তোর শহরে
ফিরোজা চোখ ,রঙিন লেন্স।
জানিস চলন্তিকা কাল একবার চশমা পড়েছিলাম
রঙিন চশমা।
পৃথিবীটা কেমন বদলে গেলো
আর তারপর চশমা খুলতেই পৃথিবী সমহিমায়।
.
আগন্তুক  রশ্মি
থ্রিডাইমেনশনাল ফেটে বেড়িয়ে  আসছে ডাইনোসোরস।
যেন ডিমফুটে জন্মানো সদ্য প্রেম
এত রাগ ,এত খিদে ,এত অভিমান ,সর্বোপরি অদ্ভুত রূপ।
অদৃশ্য স্কিনে খড়ি টানি
শৈত্য প্রবাহ ,শিড়দাঁড়ায় টনটনানি  ,ভয়ার্ত চিৎকার।
রোম খাড়া করা অনন্যতা
কাঁচের ভিতর জলের দাগ ,অতীত খুলে খেলে অন্যমনস্কতায়।.
লুকোনো হাত বাক্সে ছড়াছড়ি আদরের
কৃপণ সময়ের দরজায় বিনুনি দোলানো তুই।
তোর ক্লিভেজে বুনে চলা সেদিনকার গল্প
একটা রেশমি সন্ধ্যা আগুন জ্বালানো ফায়ারপ্লেসে অসহায়তা।
এতটুকু গল্পের ভিতর প্রাগৈতিহাসিকতা
সবটাই ডাইনোসোরসের ডিম।
.
সন্ধ্যের কুয়াশায় শব্দরা পা ফেলে হাঁটে আমার শহরে
এলোমেলো ঝোড়ো হাওয়া তোর গল্প।
জানিস তো চলন্তিকা কাল সারাদিন আমি একলা ছিলাম
নিজের ভূমিকায়।
পৃথিবীটা শুধু সাদা শাড়িতে মোড়া মৃত দিন
আজ কেন লাল শাড়িতে বিপ্লবের রঙে। 

.

বাফারিং

বাফারিং
........... ঋষি
==========================================
নেট খুলছে না
ক্রমাগত বাফারিং ,সময়ের পর্দায় বিরক্তি নাকের ডগায় 
কেমন একটা অতৃপ্তি মহিমায়।
অনিবার্য কারণে আপনার সমস্ত সময়সীমায় অসুস্থি
বিপদজনক সংশ্লেষ
আচ্ছা একটা রিটার্ন বাটন  যদি জীবনের থাকতো।
.
পড়ার টেবিলে ইতিহাসের বই
অথচ শৈশব পালানো সেই দিনগুলো তখন অন্য খোঁজে।
মায়ের গায়ের গন্ধ ,বাবা অফিস ফেরত ভঙ্গি
কেমন বড়োদের ইচ্ছা অনর্গল।
আমার মধ্যে শৈশব আজও মায়ের পাশের শুয়ে চাঁদ  দেখে
দেখে না অন্ধকার গোত্রীয় চাঁদের রং।
বড়ো  হওয়ার দুরন্ত গতি চাঁদ হারাবার গল্প
সে সব থাকে স্মৃতির আধুলিতে।
তবু মাঝে মাঝে টস করে ফেলি আধুলিটা
জীবন চায় শৈশব  আর শৈশব চায় আরেকটু বড়ো হতে।
ঘুম ভাঙে অতীতচারী বর্তমান
আসলে আমার মতো সকলেই বিরক্তিতে।
.
নেট খুলছে না
ক্রমাগত ঘুরছে জীবন ,শৈশব ,যৌবন ,বার্ধক্যে
কেমন একটা সাজানো সার্কুলেশন।
প্লিস চেক ইউর ব্যাল্যান্স ,বাংলায় জানতে এক
অনবরত  চর্বন
আচ্ছা একটা ডিলিট বাটন যদি জীবনের থাকতো। 

তামাশা

তামাশা
............ ঋষি
===============================================
রোজনামচায় মানুষ কাঁদে
শূন্যে ভাসতে থাকা ক্যালেন্ডারের পাতার সাক্ষী
ঠিক  কজন মানুষ সত্যিকারের হাসে।
সভ্যতা থেকে শেখা
প্রাচীন হরপ্পার পোড়া দেওয়ালেও ভ্রূকুঞ্চন
সাক্ষীরা সব ভৌগোলিক।
.
তামাশায় মত্ত পৃথিবী
অন্ধকারে আচ্ছন্ন শুকনো মাটিতে ভিজে পায়ের ছাপ।
সময় বিবর্ণ
বিবর্ণতার দিনলিপি রোজকার মানুষের মুখের হাসিতে কালসিটে।
আমি তো দুর্বলতা দেখি মানুষের মুখে
দেখি ভয়
প্রত্যহ ঘুম ভাঙা চোখে মানুষের হারাবার শোক।
অস্ত্রের ঝলক ,যেখানে হত্যার গান
খুব সাধারণ নিউজ ফিল্টারে উঠে আসা যোনি মৃত্যু ,
ছায়া ,ছলনায় দুলতে থাকা মানসিক দুর্যোগ।
নগ্ন সময় ,নগ্ন নারীত্ব ,নগ্ন মানসিকতা
সময় যদি পুরুষ  হয় তবে নারী আজ রকমফেরে  ধর্ষিত। 
.
রোজনামচায় সভ্যতা আকুতি করে
শাখা প্রশাখায় সভ্যতার হিংস্র হনন মানুষের।
ঠিক কজন মানুষ এখন বাঁচে
বাঁচে তো অনেকে পোশাকি সময়ের রঙিন আদবকায়দায়।
সময়ের চরিত্রলভি শকুনেরা জীবনের
বাঁচাটুকু খুবলে খায়। 

মৃত্যুর গল্প

মৃত্যুর গল্প
.............. ঋষি
================================================
মানুষের একজীবনে অজস্র মৃত্যু
আর মৃত্যুর শবগুলো একলা শবঘরে সারিবদ্ধ।
যেগুলো শুধু সাক্ষী নিজের একলা পথচলার
অজস্র উত্থান ,পতন লেখা দিনযাপন।
নির্ভরশীলতা
কোনো আসমানী রঙের মারিয়ানা খাত।
.
আমরা যতবারই নিজের স্বপ্নের মধ্যে মরি
ঠিক ততবার জীবনের গ্যাসবেলুনগুলো হারিয়ে যায় গভীরে।
জঙ্গলের ভিতর থেকে বেড়িয়ে আসে ডোরাকাটা চিতা
রক্ত চুষে নেয় ,তবু হাসতে থাকা।
আমৃত্যুর সংযম
প্রেমের আঘাত ,পরীক্ষায়  ফেল ,আগুনের সংসার ,কর্মহীনতা
প্রত্যেক মৃত্যুর মধ্যে একটা ব্যাপার কমন
মৃত্যুগুলো শুধুমাত্র নিজেদের।
বাদবাকি পাড়াপড়শিরা শুধুমাত্র সময়ের মুখ
আসলে মানুষ গল্প পড়তে ভালোবাসে
মৃত্যুটার বাঁচতে নয়।
.
মানুষের একজীবনের অজস্র মৃত্যু
সাক্ষী জীবনের বোঝাপড়ায় অজস্র ঝরতে থাকা মুহূর্ত।
প্রেমিকের হাসি ,বুক হারানো ভালোবাসা
সব মনে থাকে মৃত্যুর যন্ত্রনায় ,অথচ মানুষ সংযমে।
আপাদমস্তক
সময়ের রঙিন জামাকাপড়ে সাজানো বাঁচা।

Monday, December 10, 2018

শীতকাল

শীতকাল
...... ঋষি
===================================================
সন্ধ্যের আলোগুলো ক্রমশ জ্বলে উঠছে
আমার নাগরিক আলাপ আমার স্বত্ব ছেড়ে ক্রমশ অন্ধকারে।
শীতের পূর্ণিমা
ক্রমশ পাকতে থাকা চুলগুলো আরো আলাপি।
অনায়াসে পরিণত হওয়া
আমার  নাগরিক স্বত্বা নিয়মব্যাপী অপেক্ষায়।
.
 যতটা এক নিশ্বাসে।যতটা বিশ্বাসে
অপূর্ব  এক  দৃশ্য।
চারিদিকে  এত  আলো
এত  আলো তুমি এলে  মনে  হয়  পৃথিবীর  সব  অন্ধকার খসে পড়ছে।
অথবা
তুমি আর আমি সেই অন্ধকারের  মৃত্যু
যার  উৎসব  চুঁইয়ে  পড়ছে সারা মহা আকাশ  জুড়ে।
যে  স্পর্ধাগুলি  তুমি  আমার  বলে  চেনো
তার  প্রভা  আমাদের  গল্পের  ভিতর চিৎ  হয়ে  শুয়ে  ওই আকাশে।
একা মধ্যরাতে এরপর নিরাকারের চোখ খুললো আজ ও
নক্ষত্রমন্ডল তোমার মতোই অসীম।
.
সন্ধ্যের অন্ধকার ক্রমশ আরো অন্ধকারে
আমার নাগরিক স্বত্বও  ধীরে ধীরে লুপ্তপ্রায় শেষ হওয়া একটা দিন।
আসন্ন  রাত্রি গণ্ডি থামিয়ে ক্রমশ রূপান্তরিত  যাযাবর
এখন আর কোনো প্রতিমা গড়ার কাজ নেই আমার। শীতকাল।
আমার মধ্যে তোমার জন্ম কেক
মোমবাতির আসর। আগুন নিভে যাচ্ছে। হাততালি দাও।



নষ্ট স্বপ্ন

নষ্ট স্বপ্ন
............ ঋষি
===============================================
উড়লেই কেউ কেউ স্বপ্ন নষ্ট করে
নষ্ট কোরকে পুড়ে যায় ধ্বংস মানুষের শহর।
সবাই শহর বলতে শুধু মর্ডান ,ফ্যাসনিয়িস্ট বাসস্থান বোঝায়
আমি বোঝায় অসরল কৃত্রিমতাকে।
.
মানুষেরা  কখন যেন কাঠের গাছ খোঁজে
খোঁজে কাগজ।
কাগজ বানাতে বানাতে কখন যেন বানিয়ে ফেলে কাগজের নৌকো
ডিঙি নৌকো ভাসতে থাকে সরল স্বপ্নে।
কিন্তু ওই যে নষ্ট স্বপ্ন
স্বপ্ন ডুবে যায় অতল গভীরতায় মানুষের কৃত্রিম শহরে।
গত সাইত্রিশ বছর ধরে
আমি ভাবছি ওই বোধহয় পর্দা সরিয়ে দাঁড়িয়ে আমার মা।
কিন্তু মা আসে ,আবার চলেও যায়
অথচ আমার নষ্ট ছেলে বেলা ছুঁয়ে যায় না।
ইস্কুল ফেরত সেই কাগজের উড়োজাহাজ আজও আমার স্বপ্নে
অথচ মা কেন নেই স্বপ্নে।
.
উড়তে উড়তে আমার নষ্ট স্বপ্নরা
আজকাল ক্রমাগত কাটাকুটি খেলে আমার শহরে।
সবাই শহর বলতে একটা সিস্টেমেটিক ব্যস্ততা বোঝায়
আর আমি বুঝি অন্তঃশ্বাস শূন্য বেঁচে থাকাকে।

Saturday, December 8, 2018

শৈল শোক


শৈল শোক
................. ঋষি
==================================================
বুক ফুঁড়ে জল উঠছে অতল থেকে
তুমি বালতি ভরছো তোমার সাজানো বাগান সাজাবে বলে।
হাতের সাথে হাত আটকে বলছো
ভালোবাসা এমন হয়।
সবুজ পাতারা জানে শুকিয়ে যাওয়ার মানে
অথচ তুমি কত সহজে সবুজ সাজে।
.
শীতের সময়
বাতাসের রুক্ষতায় কোনো শৈল শহরের শোক ছুঁয়ে আছে।
তুমি টিলার উপর সেই মেয়ে
যে আমার বুকে পা দিয়ে শৈল শহরের সূর্যের সুখ নিচ্ছো।
সুখ গড়িয়ে নামছে আমার বুকে
আরো বরফ জমুক ,আরো শীতল হোক আমার শহর।
অ্যানাস্থেশিয়া ভেসে যায় বুদবুদে
দূরে দেখা সূর্যটা তোমার চোখে বেশ একটা উষ্ণতা।
অথচ নির্জন ফায়ারপ্লেসে আমার শব্দরা পুড়ছে
পুড়ছে একটা চেনা মুখ।
বুকের পোড়া ঘাসগুলো চিনিয়ে দিচ্ছে দূর,বহু দূর
কোন রূপলী শৈল শোক।
.
বুক ফুঁড়ে জল উঠছে অতল গভীর
তুমি সেই গভীরতায় মুখ রাখো ,তোমার ঠোঁটে কফি কাপ।
ঠোঁটের সাথে উষ্ণতা ছুঁয়ে যায়
আসলে ভালোবাসলে এমন হয়।
শুকিয়ে যাওয়া সময় জানে তৃষ্ণার্ত বুকের কথকতা
অথচ তুমি কত সবুজ চিরকাল ,সেই মেয়ে। 

খিদে


খিদে
...... ঋষি
==========================================
যে মানুষটাকে কাঁদতে নেই
যার লালা থেকে অপরাহ্নে শুধু অনবরত কোলাহল।
যার সারা শরীরে লুকোনো ক্ষতগুলো সাক্ষী
যা দৈনন্দিন প্রচারিত গুডমর্নিং রেডিও ফ্রীকোয়েন্সিতে।
শুধু তাদের জন্য এই প্রসারণ
শুনতে থাকুন ,সুস্থ থাকুন ,সদা সতর্ক থাকুন।
.
মানুষের খিদেতে লেগে থাকা অন্ধকার
আকাশের চাঁদে আঁকা জীবনানন্দ ক্রমশ ব্রাত্য এই শহরে
শুধু  তো কবিতাই  লিখতে চেয়েছিল লোকটা।
"চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা "
শুধু শব্দের প্রেমে পাগল লোকটা পরম যত্নে লিখতে চেয়েছিল প্রেম
নিঃশব্দে ঝরতে থাকা শিশির সকালের সবুজ ঘাসে।
অনুরোধ তারও ছিল
পাতারা ঝরে যেতে রাজি হচ্ছিল  না।
গড়িমসি করতে থাকা সবুজ স্পর্শরা কিছুতেই ছুঁতে পাচ্ছিল না
আর লোকটা ভালোবাসি লিখতে লিখতে মরেই গেলো।
মরেই গেলো সময়ের অসহ্য়  দাহে
"অতিদূর সমুদ্রের’পর
হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা ”।
.
যে মানুষটাকে কাঁদতে নেই
তার  বুকের ঘামে লেগে আছে সময়ের কান্না।
যার হৃদয়ে লুকোনো শহরে শান্তি হাঁটতে চায় জাতকের হাত ধরে
যা দৈনন্দিন প্রচারিত মানুষের বাঁচতে চাওয়ায়।
শুধু তাদের জন্য এই প্রসারণ
বাঁচুন ,আরও বাঁচুন কারণ মৃত্যুর পর  জীবনানন্দ আর  লিখে যান নি। 

জোকার


জোকার
.... ঋষি
================================================
এইটুকু যথেষ্ট নয়
অপেক্ষা ,
নিরিবিলি শেষ নিঃশ্বাসে উঠে আসে জীবন।
আর এতটুকু যথেষ্ট নয়
ব্যস্ততা
সময়ের ব্যাটন নিয়ে প্রতিযোগী উঠে যায় অলিম্পাস পাহাড়ে।
.
লোক হাসছে
কিছু এসে যায় না কোনোদিন আমার।
তোমার আলোকিত থাকার তকমাটা মোটেও মিথ্যা  নয়
তুমি হাসতে পারো ,কারণ তুমি বাঁচতে শিখে গেছো।
না  থাকার কাছে
অথচ বুকের ভিতর একটা যন্ত্রনা আরো একাকী।
তুমি স্মৃতির গভীরে
কুয়াশার আস্তরণে আমার গোধূলি ,বেশ লাগে
পড়ন্ত বিকেলের আলোতে তোমার লুকোচুরি।
এখন আমার  নিঃশ্বাস এত শীতার্ত
 ধর্মপ্রাণ বাতাসেরা জানে ইচ্ছের ফুসফুস আজ বরফ
আর খুঁজে পাওয়া যায় না বাঁচার তাগিদ ।
শহরের ধুলো
আর কাল রাত  পেরিয়ে রবিবার
তুমি ,আমি জীবিত এখনো ।
.
এইটুকু যথেষ্ট নয়
অভিমান
নিরিবিলি কোনো অবকাশে রাট জাগা চোখ।
আর এতটুকু যথেষ্ট নয়
মুহূর্ত
নিজেদের বেঁচে থাকাটুকুও ভাগ করতে হবে জোকারের নাটকে।

Friday, November 30, 2018

চার্বাক তোমাকে


চার্বাক তোমাকে
.................. ঋষি
===========================================
কলমের নিব ফেটে ছড়িয়ে পড়ছে কালি
চার্বাক তুমি বসন্ত খঁজে চলছো পথে ধুলোয়।
এখন তো শীতের সময়
তবু চোখের জল আনতে আমার গ্লিসারিন দরকার আদিম শৈশব।
পাথরের ভিটে মাটি ,জ্যান্ত ঘুঘুরা
ক্রমশ শুকনো মাটিতে বুক খুঁজছে বেঁচে চলার।
.
দর্শনের অধ্যায়
নাস্তিক জন্মের অধিকারী মানুষ
ঈশ্বর সে শুধু কোনো অবান্তর পৃথিবীতে দিকভ্রষ্ট।
 ক্ষিতি (মাটি), অপ (জল), তেজ (আগুন), মরুৎ (বাতাস)
চার অধ্যায় সৃষ্টির।
আত্মার খোঁজ তোমার কাছে অপাংতেয়
পাঙতেয় সুখ শুধু মানুষের জীবন আর সৃষ্টি ।
কিন্তু প্রেম
চার্বাক তুমি শুধু ঈশ্বরের প্রতিবাদে মানুষ আঁকতে থাকো
অথচ প্রেম ছাড়া যে মানুষ অপাংতেয়।
.
কলমের নিব ফেটে ছড়িয়ে পড়ছে  যন্ত্রনা
চার্বাক তুমি এই শীতের বেলাতে শুধু শুস্কতা খুঁজে চলো।
এখন স্পর্শের দিন
দেখো শীতল হওয়াতে লেগে আছে প্রেমের বাঁশি।
পাথর ভাঙা শোক
তবু দেখ জল উঠে আসছে পাথুরে মাটিতে।
  

তুমি আসছো


তুমি আসছো
............ ঋষি
===================================================
এই যে তুমি এগিয়ে আসছো আমার দিকে
আমি শুনতে পাচ্ছি ট্রেনের হুইসেল
দেখতে পাচ্ছি গঙ্গার ফেরিঘাট।
লাল ,সবুজ বেড়া ডিঙিয়ে ,সাদা কালো জেব্রাক্রসিং পেরিয়ে
তুমি এগিয়ে আসছো
তোমার আসাতে  আমার শহরে ছুটির আমেজ।
.
তুমি এগিয়ে আসছো
বহু শতাব্দী জুড়ে ,গোল টেবিল বৈঠক পেরিয়ে আমার কাছে।
কত দেশ ভাগ ,কত মাটি নিয়ে পার্টি বদল
তোমার শহর ,আমার গ্রাম ,লাল নীল ফেস্টুন সব পেরিয়ে
তুমি আসছো ।
তুমি আসছো আকাশ পেরিয়ে ,কতগুলো বিশ্বযুদ্ধ পর
জালিয়ানবাদ পেরিয়ে নিজস্ব স্টাইলে ,নিজস্ব গতিতে
আকাশে এখন কাগজের এরোপ্লেন।
মোমবাতি পুড়ছে না শহরে ,এগিয়ে আসছে না কোনো মিছিল
দেওয়ালে লেখা নেই কোন মিছিলের শ্লোক
লেখা আছে শান্তি।
.
ঠিক এমন একটা পৃথিবীতে তুমি আসছো
আমি শুনতে পাচ্ছি তোমার নুপুরের শব্দ
দেখতে পাচ্ছি তোমায় আরো কয়েক বিশ্ব পরে।
লাল ,সবুজ ,কালো পৃথিবী পেরিয়ে হয়তো অন্য কোন গ্রহে
অন্য কোন শহরে তুমি এগিয়ে আসছো
শুধু একটু শান্তির আমার  দিকে । 

দূরত্ব


দূরত্ব
............. ঋষি
================================================
চাঁদকে  আদর করতে,কাছে যেতে ক্ষতি কি
চলন্তিকা সময় তো শুধু আবদার মাত্র।
এই সব ঠুনকো দূরত্ব চাঁদেরও আছে
তাই বলে চাঁদ আমাদের নয়।
রুপোলি চাঁদের ও রং বদলায় তবু তো তাকায় আমরা
দৃষ্টি সুখ।

দূরত্ব
কয়েক আলোকবর্ষ ,হাজারো গলি পেয়ে কোন উঠোনে
তোর ঘরকন্না।
জোনাকির আলোতে নেশার আদ্রিত উপছে ওঠা রশ্মি
আমি তাকিয়ে থাকি গাছের ফাঁকে লুকোচুরি খেলে চাঁদ।
আসলে আমি পালাতে চাইলে চাঁদ ও ছোটে আমার সাথে
আমার ছায়া ,অন্য শরীর
তাতে কি।
ঘর ভেসে যায় ,দেওয়াল ভেঙে পরে
চাঁদের জোৎস্ন্যা অবিরত স্নান করিয়ে যায়
তোকে মনে পরে আমার।
.
পাখিদের ওড়াওড়ি বন্ধ তখন
তবুও নিবিড় রাত্রিতে চাঁদের সেই বুড়িটা চরকা ঘোরায়
আকাশ থেকে নামতে থাকে সুতোর মতো রশ্মি।
আমার সারা শরীরে বাসা বুনতে থাকে আলোর আমেজ
আমি ভীষণ হালকা তখন পাখির পালক
ঠিকানা খুঁজে ,ঝরে পরে তোর ছাদে।

শহরের কবিতা

শহরের কবিতা
.......... ঋষি
=============================================
পলেস্তারের গল্প জানে শহর
আমার  আজগুবি ভাবনার বারন্দায় অসংখ্য বর্ণের ভিড়।
অসংখ্য রঙিন সব ভাবনায়
শহর ভাসতে থাকে কুয়াশা জমানো সকালের আবদারে।
সময় পেলেই মাথার বাহান্ন দরজার আলোগুলো
রিফ্লেক্ট করে নিজের কোনো লুকোনো ইচ্ছাতে।
.
শহর জুড়ে প্রেমিকের ভিড়
ভিড় প্রতি রন্ধ্রে ছুঁয়ে বাঁচা সময়ের অনন্ত বীজগণিত।
তোমার শাড়িতে ,তোমার হাসিতে
আমি কোনো নায়কের ভূমিকায় সাদা বরফের চুড়ায়।
দুহাত আঁকড়ে চিৎকার করি
তোমার নাম ধরে ডাকলেই আকাশ থেকে নেমে আসেন ঈশ্বর।
মুখোমুখি আমি সময়ের
স্থির ,স্বাভাবিক কোন পথ চলা নাগরিক নিভৃত চর্চায়।
সময় করে আমি চুষতে থাকি ললিপপ
আমার হৃদয়ে তখন কয়েক বস্তা চিনি ,সুগার লেভেল বাড়ায়।
ঈশ্বর নেমে আসেন মন্দির ,মসজিদ ,গির্জা থেকে
খুব সাধারণ ঈশ্বরের রূপ
খেটে খাওয়া মানুষের ঘামে।
.
পলেস্তার ঢাকা আমার শহর
বৃষ্টি হলেই টিপটুপ্ ,শহরের রাস্তায় এক নদী জল।
তুমি গাঢ় লিপস্টিকে টানা রিকশায়
ছুঁয়ে নামা বৃষ্টি তোমার গালে ,ঠোঁটে আরও গভীরে।
আমাকে স্পর্শ করে আমার শহর
আমার বুককেসে জন্যে রাখা শহরের কবিতায়।

পালকেরা


পালকেরা
....... ঋষি
=======================================

পালক ভেসে যায়
শহরের বুক জুড়ে ঝরতে থাকে পাখির পালকেরা।
নরম আবদারে পাখির বুকে গোলাপি ঢেউ
ঢেউ ভাঙে। ..
আসলে এখনো সময় পার করতে শেখে নি পাখিরা  ......

পাখির খাঁচা
জানলা দিয়ে খুব দূরে দেখা সামাজিক বৈধতা।
ভেঙে যায় শহরের নোলক সামাজিক আদবকায়দায়
তারপর বিছানা ,বালিশে বাসি সিঁদুর।
আসলে পাখিরা এখনো খাঁচা ভাঙতে শেখে নি  .....

নরম শরীর
গোলাপি আদরগুলো অন্ধকারে মূল্য ধার্য করে।
গুলিয়ে ওঠে পিতৃত্ব প্রাগৈতিহাসিক সম্বল
পুরুষতান্ত্রিক দুর্গ।
পাখিরা এখনো সভ্যতা ভাঙতে শেখে নি ......

পালকে স্বপ্ন
আকাশ থেকে ঝরতে থাকে শতাব্দীর পাখিদের ঢেউ।
দূরে কোথাও ,দূরে স্বপ্ন বন্দি  ঘর
বাঘ .বন্দি শহরের চারদেয়ালে দমবন্ধ কালি।
আসলে পাখিরা স্বাভাবিক রীতি নির্ভর  ........

দেহমানব


দেহমানব
........ ঋষি
============================================
ধরে নিও আমি আর সেই আমি
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে লুকোনো সেই দেহ মানব
যার সমস্ত কোষ জুড়ে ক্রোমোজোনীয় উত্তাপ।
তুমি কোন গাছকে জড়িয়ে ধরো
কখনো সালসা ,কখনো সাম্বা হৃদয়ের ভাল্ভে দুলুনি
তোমাকে জড়িয়ে ধরি আষ্টেপৃষ্টে।
.
তড়িৎদাহ। ....
তারপর সুন্দরবনে বয়ে চলা সেই মাতাল নদী
শুষে নেয় আমার সম্বল।
ব্লাউজ ,প্যান্টি ভিজে যাওয়া লালা রস কলহ সম্বল
অবিভক্ত শরীরে শিবের বাস।
আমার লোমশ বুকে তুমি মুখ ঘষে তুমি  খোঁজ বেঁচে থাকা
মহাকাল শঙ্খ ধ্বনি করে।
কামরূপে নদীর মিষ্টি জল ,শুক্রাণু ,চুম্বনে ভেঙে পড়তে থাকে সময়।
তোমার যোনি ছুঁয়ে পেয়ে চলা কুয়াশার আস্তরণ
আর নিভীক নিমজ্জিত সংশ্লেষ।
.
সৃষ্টির রহস্য উন্মোচন করে আকাশগঙ্গার
কখনো নিৰুলা ,কখনো অরোরা আমার কাছে সম্পূর্ণতায়।
তোমার আখরোট ঠোঁটে আত্মসমর্পণ কারী  ঈশ্বর
তখন মাটির তলায় খুঁড়ে পায় আমাদের বেঁচে থাকার ফসিল।
অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে সে ন্যাশনাল জিওগ্রাফির টিভি পর্দায়
খুঁজে পায় এক দেহমানব নিজস্ব ভূমিকায়।




হে মহাজীবন


হে মহাজীবন
.............. ঋষি
============================================
হাত নাড়াই
দূরে সরে যেতে থাকে খবরের পাতা ,একটা মৃত্যু।
হে মহাজীবন
এই মৃত্যুতে আমার শোক নেই ,আছে ঘৃণা সময়ের প্রতি।
প্রতিটি দুর্ভেদ্য অন্ধকারে আলোর দিশা
সময় শেষ হলেই তো মানুষের বাঁচার লোভ বাড়ে।
.
আধা অন্ধকার ,সিগারেটের লাল আলো
বিষন্নতায় লেগে শহরের লুকোনো পাপ ,বেশ্যা পল্লী ,জঞ্জাল।
বিদায়
শহরের সবচেয়ে উঁচু পাথরের ঘরের সাজানো সংসার।
কাঁচের গ্লাস
ঠোঁটের কিনারায় নেশার লাল শরীর ছুঁয়ে খোঁজে রাত পরী।
হাততালি দিতে থাকে সময়ের বালিঘড়ি
ক্রমশ শেষ হতে থাকা জীবনের চুলগুলো সাদা কালো।
মানুষগুলো মৃত্যু ছুঁয়ে প্রতিদিন পুড়ছে
আর বাঁচছে অন্ধকার এই শহরে।
শীতের কুয়াশা
সকালের কান পেতে শোনা আবছা কিছু শব্দ ,স্মৃতি।
অনবরত স্খলন বেকার বীর্য
দেওয়াল ঘড়িতে ছুঁয়ে থাকা চেনা চারদেওয়াল
ভ্যানিশ ছাদ, পায়ের তলার  মাটি।
.
হাত নাড়াই
হারিয়ে যেতে চাই দূরে খুঁজে পাওয়া একলা হাইওয়েতে।
হে মহাজীবন
এই মৃত্যুতে আমার কোন পিপাসা নেই ,পিপাসা একলা থাকায়।
প্রতিটা আলোর দিশা খুঁজে চলা ঈশ্বর কণা
নির্বিকার মানুষের বাঁচা ,গভীর আশ্রয়।  

কিস্তিমাত


কিস্তিমাত
................. ঋষি
===============================================
সন্ধ্যা নামলেই মেয়েটা সময় ডিঙিয়ে বাড়ি ফেরে
নিজের সাথে যুদ্ধ করে
প্রতিদিন  দাবার রাজাকে চিৎ করে চিৎকার করে নিজের ভিতর।
আর আমি হারতে থাকি প্রতিনিয়ত
দাবার ৬৪ ঘরে সাজানো সময়কে আমার ভয় লাগে
আমি পালিয়ে যায় অথচ ফিরে আসি সেই মেয়েটার খোঁজে।
.
কোন এক পাখি নভেম্বরের শেষে শীত স্পর্শ করে
আমি সেই মেয়েটাকে দেখি পাখিটার ঠোঁটে।
আমার বারন্দায় রৌদ্র আসা সম্বল  ,
লেপ ,তোশক ,আদর লেপ্টে আমার ঘুম ভাঙে।
রোজনামচায় আমি দেখি
সেই মেয়েটা রান্নাঘরে গান করে ,তার ঘামে কেমন একটা মায়া।
সুগন্ধিত তার স্নানের আসরে ঝরতে থাকা জলের ফোঁটা
কেমন একটা জ্বর লেপ্টে যায় আমার শরীরে।
আমি কাঁপতে থাকি ,ভয় পাই এই পৃথিবীর আলোকে
যদি হারিয়ে যায়
যদি আবার আমার অপেক্ষা এক আলোকবর্ষ।
দেখি সেই মেয়েটা হাসছে
আর কানে কানে ফিস্ ফিস্ ,আমি তো রইলাম তোর গভীরে।
.
প্রতিদিন অফিস ফেরত আমি সেই মেয়েটাকে খুঁজি
নিজের ভিতর ভীষণ যুদ্ধ।
দাবার ঘোড়া এগিয়ে আসে আড়াই দানে ,
আমি এগিয়ে যায় উলটো ঘরে রানীর দিকে,আমার কিস্তিমাত।
সেই মেয়েটা হাসতে  থাকে,আমার ভিতর
আর আমি জিতে যাই  প্রতিবার। 

একটু আদর


একটু আদর
.......... ঋষি
===============================================
কাল তোর সাথে এই কথা হচ্ছিল
কেন যে এমন জীবন
বুকের আকাশ ছোঁয়ার লোভগুলো মাঝে মাঝে জ্বর আনে।
জ্বরের প্রকোপে উড়ে যায় সময়
শুধু সামনে দাঁড়ানো তুই আমাকে জড়িয়ে ধরিস
আমি আকাশ ছুঁয়ে সমুদ্রে আছড়ে পড়ি।
.
স্বপ্ন দেখি হরিনের মাংস ,চাক ভাঙা মধু
জঙ্গলের গন্ধ জঙ্গলের গায়ে ,স্যাতস্যাতে গুহা ,জঞ্জালহীন আকাশ।
শাপ  মুক্ত আমি আকাশ গঙ্গায় মাদুর পাতি
তারপর শুধু তুই।
ফুলঝুরি তুবড়ি তোর ঠোঁট ছুঁয়ে
আমার পাঁজরে , শিরায় নেশা জন্ম দেয় ক্রমাগত।
আমি ক্রমশ  বিলীন তখন
ঠিক সেই সময় আমি পাপ ছুঁয়ে ফেলি।
ক্রমশ রমণের গোঙানিতে আমি স্পর্শ করি অন্য নারীকে
অন্য নারীর মেদুরতায় আমি আকাশ ভুলে যাই।
ভেঙে যায় সময়, রাস্তায় দাঁড়িয়ে আমি
চারিপাশে স্কাই স্ক্যাপার।
.
কাল তোর সাথে এই কথা হচ্ছিল
কেন যে এমন পথচলা
বুকের মাঝ গঙ্গায় ডিঙি নৌকো ,শুধু ভীষণ দুর্যোগের দিন।
দুর্যোগের প্রকোপে ক্রমশ পৃথিবী রসাতলে
আমি ডুবে যাই ক্রমশ আমার ডিঙি নৌকায় ,ঘুম ভাঙে
তোকে বলি শুনছিস। একটু আদর। 

শ্বাশত তোমার প্রেমে (২০)


শ্বাশত তোমার প্রেমে (২০)
....... ঋষি
===========================================
গতরাতে ঘুমোতে গেছিলাম
কিন্তু সকালে উঠে আয়নায় দেখি অন্য একজন আমি।
আসলে তোমার প্রেমিকাদের আমি খুঁজতে গেছিলাম শ্বাশত
খুঁজতে গেছিলাম তোমার লোভ।
তোমার প্রেমিকাদের ব-দ্বীপ ছুঁয়ে
আমি হারিয়ে গেছিলাম তোমার শরীরের পুরুষালি গন্ধে।
.
অবাক হচ্ছো  শ্বাশত
এই বুকের ভাঁজে আজও লেগে আছে তোমার লাম্পট্য।
বিশ্বাস করো শ্বাশত কাল সারাটা আমি স্বপ্নে বিভোর
অপরিচিত কোনো নারী শরীরে মাংস পিন্ডের উগ্রতায়।
কি ভাবতে পারছো না শ্বাশত
বুক ভাঙলে ঘর ভাঙে শ্বাশত
আর বুক  ভাঙলে ভেঙে যায় সম্পর্ক।
সম্পর্কের জানলায় জানি বিশ্বাস লেগে থাকে
কিন্তু জানলা খোলা আর বন্ধ সে তো আমাদেরই হাতে।
কতটা আলো ,কতটা অন্ধকার
ঈশ্বর সাক্ষী তোমার কোনো প্রেমিকার বুকে তিল নেই।
.
গতরাতে খুঁজে পাওয়া তোমাকে
কিন্তু আজ সকালে বড় বেশি অসহায় মনে হচ্ছে।
আসলে তোমার প্রেমিকাদের বা-দ্বীপে কোনো আগুন নেই
শুধু শান্ত কোনো চ্যাট চ্যাটে কারণ লেগে।
বিশ্বাস করো শ্বাশত ভালোবাসতে কোনো পৃথিবীর দরকার নেই
দরকার এক একটা পৃথিবী একে অন্যের গভীরে।
   

কবিতার আঁতুড়ঘর


কবিতার আঁতুড়ঘর
....ঋষি
===========================================
খঁজে চলেছি কবিতা
পাচ্ছি না কিছুতেই সকাল ,বিকেল আমার শহরে।
এমনকি কিছুতেই বুঝতে পারছি না আমার প্রিয় কবিকে
তাকেও পাচ্ছি না,তার বইটাও  কিছুতেই।
বুক কেস তন্ন তন্ন ,তন্ন তন্ন বুকের ক্যাবিনেট
খুঁজছি সেই শব্দগুলোকে।
.
আজকাল যখন লিখি কেমন একটা পাগলামি আসে
পাতায় পাতায় শুধু জীবন হাঁটতে থাকে।
অথচ জীবনের প্রতীক বেঁচে থাকা যে ঘেঁটে ঘ
পারি না টানতে।
হেঁটে  চলতে থাকি  শহর জুড়ে পায়চারি
হঠাৎ কেউ পথ চলতি প্রশ্ন করে " কি লেখেন বলুন তো মশাই "
কি পান লিখে ?
খিস্তি আসে আটকে যায়
কারণ ভদ্রলোকের মুখ মিষ্টি থাকে খিস্তি নয়।
প্রেম ,প্রাপ্তি ,লোভ ,বিষন্নতা সব অনুভবে
তবু যে সময়ের দংশন ,তাই তো কবিতা।
.
খুঁজে পাচ্ছি না কবিতা
পাচ্ছি না কিছুতেই পাড়াপড়শি ,অকবিতার আঁতুড়ঘরে।
এমনকি কিছুতেই বুঝতে পারছি না আমার প্রিয় কবিতাকে
কি ভাবে লিখলেন ঈশ্বর ভদ্রলোক এমন করে।
নৈতিক যাপন তন্ন তন্ন করে খোঁজা জীবন
বুকের আঁতুড়ঘরে যন্ত্রনাগুলো যে কবিতা।  

Thursday, November 29, 2018

ধোঁয়ার শহর

ধোঁয়ার শহর
........... ঋষি
============================================
এত ধোঁয়া চারিপাশে
চোখ জ্বালা করে, জীবন পেরিয়ে সাদা ঘোড়া দৌড়ায়।
স্বপ্নে দেখা সেই সেই নীল জলাশয়ে
বিস্ময় পদ্ম ,রঙিন মৌমাছি ,আদরের রামধনু ,সব মিথ্যা।
শুধু সত্যিটুকুও যে বড় অজানা আমার  ........
.
তুমি হাসতে পারো
হাসতেই পারো সময়ের আয়নায় আমায় দেখে।
কি এসে যায়
জীবন পেরিয়ে সাদা ঘোড়া আমাদের নিয়ে যেতে পারবে না
অন্য জীবনে।
কখনো মেঘ হয় ,রোদেলা বিকেল চুমু খায় শীতের সন্ধ্যে
দূরে কোথাও বেজে ওঠে গৃহস্থের শাঁখ
তুলসীগাছে প্রদীপ ,,,না দেখতে পাই না আমি এই শহরে
সাজানো উঠোনে আলোয় মেশানো সুখ।
কখনো যাব আমি তোমার কাছে
তোমার শহরের সব আগুন তখন আমার বুকে
ঘোড়া দৌড়োবে ,সাদা ঘোড়া।
.
 এত ধোঁয়া চারিপাশে
অন্ধ ,বোবা সময় শহরের স্কেলিটনে বিমর্ষ মুখ।
আর স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছে করে না
বড় বিরক্ত লাগে সাজানো বাগানে ,কৃত্রিম গন্ধে।
শুধু সত্যিটুকু জানলেও ,বারংবার জানতে.......


Aye Zindagi




Aye Zindagi!!! Gale laga le...
Humne bhi tere har ek gam ko,
Gale se lagaya hai...

.
কিভাবে ডাকে  জীবন আমায় 
ঘরের দরজা খুলি ,খালি পায়ে পা বাড়াই পথের ওপারে । 
থমকে দাঁড়াই  ,পায়ে অজস্রf শিকল ,অজস্র শিকড় 
এক একটা যেন জন্মগাছ , বড় মায়া।
বড় মায়া 
এই বেঁচে থাকায় ,অজস্র দহন। 
.
সময় পুড়ে যায় 
পুড়ে চলে স্মৃতির পাতায় প্রিয় মুখ ,প্রিয় চাহুনি। 
আবার দরজা খুলি 
গিয়ে দাঁড়ায় সময়ের ওপারে তোমার কাছে। 
চিরস্থায়ী কোন নির্ভরশীলতার খোঁজ 
কোনো অদূরে শুনতে পাওয়া জীবনের গলার শব্দ। 
কে যেন ডাকে আমায় 
প্রিয় কবিতা ,
প্রিয় শ্লোক 
প্রিয় প্রেমিকা 
প্রিয় জীবন 
বোঝার আগেই দরজা বন্ধ হয়ে যায় প্রতিবার। 

সেই ছেলেটা ফুটপাথ ঘেঁষে একলা দাঁড়িয়ে দেখে 
পথের আসা যাওয়া। 
জীবনকেও দেখে ক্রমশ দূরে যেতে 
আরো দূরে ,দূরে কোথাও  .........
তারপর আবার ফিরে আসা 
জীবন সর্বদা দূরে চলে যায় ,মিশে যায় জীবনের গভীরে। 

  

কবিতার ছবি

কবিতার ছবি
............ ঋষি
===============================================
চিত্রকর হিসেবে আমি নিজেকে ভাবিনি কখনো
তবু তুলির টানে আমার কলমের তুমিই ছিলে চিরকাল।
অজস্র লাল,সবুজ ,হলুদ  নীল ছায়ারা
কখন যেন আমার বুকে তোমার দুঃখ ,আনন্দ ,অভিমান হয়ে ভাসে।
আর তুমি জানো চলন্তিকা
নীল রং আমার ভীষণ প্রিয় ,কারণ ওটা শুধু আকাশের।
.
তুমি আকাশের বুকে মাথা রাখো
খোঁজ সেই নষ্ট স্বপ্ন ,
আমার মধ্যে খুঁজতে থাকো সেই আনকোরা বালককে।
আমার সৌভাগ্য আমার ক্যানভাসে
তুমি সেই সবুজ জঙ্গল ,যাকে আমি নদীর মতো ভাবি।
ভাবি সেই নদীর তীরে আমি চুপটি করে বসে
এক মনে ছবি আঁকি তোমার কবিতায়।
আমার জীবনে মৃত্যুর মতো জন্ম আসে
শুধু তোমায় ছুঁয়ে।
শুধু তোমার লোভে আমি পান করি চোখের জল
আর প্রতিবার তোমায় দেখে বেঁচে  উঠি পবিত্র সঙ্গমে।
.
চিত্রকর হিসেবে নিজেকে ভাবিনি কখনো
বরং তুমি আমার কাছে পাথর ভাঙা সেই ভাস্কর্য্য
যার কবিতায় আমি জীবিত।
কখন যেন আমার সমস্ত পরিচয় ,সমস্ত সংস্কৃতি বোধ  লুপ্তপ্রায়
আমি ফিরে যাই  শৈশবে
তোমার স্তনে  ঠোঁট রেখে আমি আকাশ খুঁজে চলি। 

অর্গ্যানিজম

অর্গ্যানিজম
.............. ঋষি
=========================================
গুঁটিবুক ছেড়ে প্রজাপতি ওড়ে
আকাশের বুক ঢেকে যায় অন্য মানুষে।
তারা বেরিয়ে আসে '
অর্গ্যানিজমের মতো ক্রমশ কেমন যেন ছড়ানো মায়া।
মানুষের জন্মগুলো মানুষের গভীরে
কেমন যেন দাগ রেখে যায়।
.
খুব তাড়াহুড়ো
এনসাইক্লোপিডিয়া  সার্ভেতে মানুষের আগুন জ্বলে বুকে।
নগ্নতায় জড়ানো পশুর চামড়া
হাতের নখে কাঁচা রক্ত।
চাকা ,সভ্যতা পেরিয়ে মানুষ উঠে দাঁড়ায়
ঠেলা দেয় সামনের মানুষকে ,পিঠে  ছুরি  মারে।
ইভের পেতে জন্মায় বিষফল
আজন্মের পাপ  বয়ে চলে সভ্যতা।
বারুদের গন্ধে টুকরো টুকরো মাটি
খুঁজতে থাকে পুরোনো সভ্যতাকে।
.
বিশাল আকাশের বুক ছিঁড়ে ক্রমশ সমুদ্র
ছোট কাঁচের বাক্সে মাছের সংসার।
চুমুর সভ্যতা পেরিয়ে অজানা লেহন
কখন যেন ফিউস বাল্বটাকের ধর্ষিত মনে হয়।
মানুষের জন্মগুলো মানুষ পেরিয়ে
কখন যেন সময় লেখে তলোয়ারের নখে।

তুমি আর তুমি

তুমি আর তুমি
..... ঋষি
===========================================
 তুমি আর তুমির মাঝে তফাৎটা বড় স্পষ্ট
রাতের টিউবলাইট জমে থাকা ঝুল।
বড় স্পষ্ট তুমি
 আরও অস্পষ্টতায় সময়ের তফাৎ।
.
তুমি আর তুমির মাঝে একটা ট্রেন গাড়ি ছুটে  আসে
আমি কান পেতে শুনি তোমার পায়ের শব্দ।
আর তুমি তখন ঠিকানায় খোঁজো আকাশের পাখি
যাকে তুমি ছুঁতে পারো না।
আমি তখন সদ্য আউট হওয়া সেই ব্যাটসম্যান
যাকে বাইশ গজ ভেংচি কাটে।
মোবাইলের রিংটোন বেজে ওঠে " তুমি রবে নীরবে "
আর তোমার গলার স্বর।
সারাবেলা উপবাসের পর চুঁয়ে চুঁয়ে নামে শেষ না হওয়া গল্প
সেই  ট্রেনটা এসে থামে রাতের শহরে।
নেমে আসে রাতপরী ,মিলন বেলা
আর কিছু নিস্তব্ধতা।
.
আমি আর তুমি মাঝে তফাৎ বড় স্পষ্ট
সূর্য ওঠে সূর্য ডুবে ,সুইচ টেপা শহরে নকল আলো।
বড় নিরুপায় আমি
আরও  স্পষ্ট তোমাদের তফাৎ।

পরম্পরা


পরম্পরা
........ ঋষি
========================================
প্রাণের গোপনে ,মৃত্যুর অধিক তুই
বিকৃত সন্ন্যাসী আমি জলের ভিতরে ,জলের গভীরে
ছিপ  ছুঁয়ে উঠে আসা মৃত্যু মাস।
অনবরত শান্ত ঠোঁটে শুধু লেগে থাকা " ভালো আছি "
মৃত্যু ছুঁয়ে পরম্পরা অন্য বিশ্বে আদি মানুষ
আজও আগুনের খোঁজ।
.
আগুনের খোঁজ তোর বুকে
আমার প্রাকৃতিক লাম্পট্যে লেগে আছে দাঁতের দাগ।
প্রতিবারে ব্যাথা থাকে না
শুধু আকাশ থেকে ঝরতে থাকে সময়ের বাণী
সময় ফুরিয়ে যায়।
প্রাণের বাইরে অথচ মৃত্যুর গভীরে নয়
যেন বসে আছিস তুই ধর্ম আমার প্রাণে
আমার প্রেম।
প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে
মোরে   আরো আরো আরো দাও প্রাণ।
যোক্তিকতা নয় মোটেও অযৌক্তিক নয়
পুরো ৯০ ডিগ্রি ঘুরে আমার পৃথিবী।
.
প্রাণের গোপনে ,মৃত্যুর অধিক তুই
আমি বিকৃত স্যিলুয়েটে ফুটে ওঠে কোনো নগ্ন সন্ন্যাসী।
জলের ভিতর আমি  তোকে খুঁজি
নিঃশ্বাসে ফুলে ওঠে ধমনী ,শিরায় মৃত্যু ভয়।
বিশ্বের আদিম অধিকারে লেখা আমার শব্দরা
কখন যেন কবিতায় তোকে খোঁজে।  

সুইসাইড


সুইসাইড
....... ঋষি
==============================================
একটা ছবি চাইলাম
নেশা করবো বলে মনে মনে পাইপ বসিয়েছি  চাঁদের গায়ে।
গ্যালন গ্যালন নেশা তোর ঠোঁট ছুঁয়ে
আমার চোখের আদ্রতায় ভিজে যাওয়া সম্বল।
আকাশের দিকে তাকাই
চাঁদ,যোনি ,দুর্বলতা ,মৃত্যুতে ছুঁয়ে তুলসী পাতা।
.
মিনি লেন্সে পিক্সেলে বাঁধানো সমাজ
লালা ,বীর্য ,অধিকারের সঙ্গমে স্বর্গের পথে কুকুর।
খুঁজে পাওয়া নিজেকে পারদের উচ্চতায়
সুইসাইড নোট লিখে চলা আমার কবিতায়।
অধিকাংশ মানুষ সুইসাইড বলতে হত্যা বোঝায়
আমি বোঝায় এগিয়ে চলা।
বাঁধানো ধারণার বাইরে মানুষ হোঁচট খায় পথ চলতে
অথচ  আমি পথ চলি তোর হাত ধরে।
আগুনে পুড়ে যাওয়া ছোট বেলা
নেশার চোখে প্রথম গঙ্গোত্রীর খোঁজ মধুমিতা দি
আসে পাশে লোম।
ছেড়ে আসা গলি পথ ,না ফিরতে চাওয়া অধিকার
মুখ পুড়ে যাওয়া চিতাভস্ম আমার ঠোঁটে।
.
একটা ছবি চাইলাম
নেশায় ছুঁয়ে কোনো কামার্ত পুরুষ শুধু ভূমিকায়।
তোর আফিঙে লেগে থাকা বিষাক্ততা
আমি পুড়ে চলা অধিকারে কোনো নিজের পৃথিবীটার।
স্বপ্ন দেখতে ভালো লাগে না আর
ধুর ,শুধু তোকে ছোঁয়াটা আমার থ্রি - ডি  এফেক্ট জীবনে। 

জুতো


জুতো
.............. ঋষি
==============================================
ছোটবেলার হারানো জুতো
খুঁজে চলা জীবনভর জুতোর মাপে জীবন।
আসলে কারোর কারোর কাছে জীবন খোঁজাটা একটা স্বপ্ন
স্বপ্ন কোনো বিশাল সমুদ্রে পার খুঁজতে থাকা।
আর জুতো
আজও পিছনে  পরে রক্তমাখা পায়ের ছাপ।
.
সময় হারানোটা শোক নয়
কখনো কখনো বন ময়ূরীরী পালকে লেগে থাকা অকৃত্রিম আদর।
হাওয়ার ধাক্কায় অনেকটা পিছিয়ে ছেলেবেলা
টলমল পায়ে উঠে দাঁড়ানোর কখনো বা অধিকার।
কিন্তু এক শোক বুকের মাঝে
আজীবন জীবন পাঁচিলে চিৎকার অধিকার সময়চিত।
আজীবন বুকের বারান্দায় খুঁজে চলা পথ
খালি পায়ে।
এক জীবন থেকে চলন্তিকা তোকে ছোঁয়ার লোভ
লোভ জুতো পায়ে হেঁটে চলা অধিকার।
.
ছোটবেলায় হারানো জুতো
খুঁজে চলা সম্বলে অজস্র জুতোর ছাপ আমার বুকে।
আসলে কারোর কারোর কাছে অধিকার শব্দটা নিরিবিলি আয়নায়
দুঃস্বপ্নে জেগে শোনা বাঁচার শব্দ।
আর জুতো
সে তো আজও খুঁজছে সম্বল অন্য অধিকারে।  

Wednesday, November 28, 2018

কালবেলা



কালবেলা
....... ঋষি
===============================================
চোখের সামনে দিয়ে ডুবতে থাকা বিকেল
সরতে থাকা r স্পর্শ আমার শহরে।
অনেকদিন তোকে দেখিনি
দেখিনি তাই বনহরিনীদের মনখারাপের মেজাজ আমার জঙ্গলে।
বিন্দু ভাঙা স্তব্ধতাগুলো
কেন যেন অন্ধকারে দ্রবীভূত কোনো ভাঙাচোরা কালবেলা।
.
দিন শেষে প্রতিদিনকার ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দে  মনখারাপ
আসলে মনখারাপ শব্দটা আমার শহরে লোকালয়ে আসীন।
পিনড্রপ সাইলেন্ট থেকে উঠে আসা তোর মুখ
ক্রমশ আবছা হতে থাকা হাত বাড়ানো অন্ধকার।
স্পর্শ খুঁজছে মানুষ
 শিশিরভেজা প্রেমিকদের জন্য কিছু বিশুদ্ধ স্বপ্ন।
শহরের দরজায় মুখ লোকানো মুহূর্ত
দরজা খুলে আবার বন্ধ হয়ে যাওয়ার রেওয়াজ স্বাভাবিক।
সন্ধ্যের স্ট্রিটলাইট ও গাড়ির আওয়াজে  মাঝে মধ্যে ঢুকে পড়ে
সেই নিটোল ও নির্ভেজাল মুহূর্ত
এক বুলেট-প্রুফ গোপনীয়তা বুকে যেন আর্তনাদ।
.
চোখের সামনে দিয়ে  সরতে  থাকা মুহূর্ত
আইসক্রিম গলে ঠোঁটে লেগে থাকা চটচটে  আরাম।
আমি শরীরের নামতায় ভুল করি নি কখনো
শুধু যত ভুল আমার জীবনের অংকে।
অবেলার রাজপথ ও অলিগলিতে তোর  পদচিহ্ন
আমার বুকে ক্ষুদার্থ আগুন। 

Saturday, November 24, 2018

শুধু কবিতা

শুধু কবিতা
............. ঋষি
==========================================
অনেক ভেবেছি সহস্রযুগ ধরে
তার পা ছুঁয়ে কখন যেন সমুদ্র আকাশ ছুঁয়েছে।
কখন যেন একলা পথে সেই মেয়ে
কানে কানে আমাকে বলেছে কাছে আছি ,খুব কাছে।
মিথ্যে আদুরে ঠোঁটে কতবার তো বলেছে আমাকে
ভালো আছি ,,,কিন্তু   ........
.
কখন যেন এক ছুট্টে সে আমার কবিতায়
ছবি এঁকে গেছে।
প্যালেটের কালি ছিটকে কখন যেন শব্দগুলো মুহূর্ত হয়ে গেছে
আর বোবা ক্যানভাস আমার  কবিতা।
কিছু কালি ছিটকে এসেছে আমার পোশাকে
আমার শহর জুড়ে তখন কোলাহল ,বেঁচে থাকা।
দৈনন্দিন শরীরের ঘাম,রক্ত ,মিছিল স্লোগান সব পেরিয়ে
সেই মেয়ে আমার কবিতায় সময় লেখে।
লিখে ফেলে স্বপ্ন আকাশ ছোঁযার
তার পায়ের নুপুরের শব্দ যেন কোনো জলপ্রপাত ,
পাগল করে আমায়
তারপর হঠাৎ সব শান্ত সাদা পাতায় কবিতা।
.
অনেক ভেবেছি সহস্র যুগ ধরে
সময়ের অন্ধ বশীকরণ আর আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন।
কিন্তু সেই মেয়ে আদিম যুগের পাথর
পাথর ক্ষয়ে ক্রমশ কোনো কবির বোবা স্থাপত্য।
স্থাপত্যে ফুটে ওঠে আদিম নাগরী ,আজকের সময়
কিন্তু সেই মেয়ে ,... শুধু কবিতা ..
 

উপকথা

উপকথা
........... ঋষি
==========================================
সমস্ত দৃষ্টির অগোচরে
নিজেকে হত্যা করে আমি তোমাকে ছুঁয়েছি।
কারণ আমার বাঁচার লোভ
মৃত্যুর আগুন থেকে উঠে আসা শরীরে
আজও লেগে  ধুপকাঠির গন্ধ।
.
তোমার ঠোঁট ছুঁয়ে
শপথে চকোলেট টেস্টে আমি হারিয়ে গেছি দুনিয়া থেকে।
তোমার যোনিতে বাসা বেঁধেছি
শান্তির ঘুনপোকা।
মাথার ভিতর তখন অজস্র রূপকথা
চোখের সামনে একটা নগ্ন কবিতা স্নান করে তখন  সদ্য আগুন।
আমি গড়িয়ে পড়েছি তোমার ঠোঁটে
আজম্মের পোড়া দাগ আমার বুকে ।
ইনবক্সে জমতে থাকা মৃত অভ্যাসে কিছু উপকথা
কিছু ফেয়ারি টেল হয়তো মাথার ভিতর।
কিন্তু চলন্তিকা পৃথিবী বড় শক্ত
আরও শক্ত ইতিহাসে জমে থাকা প্রেমের গন্ধ।
.
সমস্ত দৃষ্টির অগোচরে
নিজেকে হত্যা করে আমি হয়ে গেছি  অহল্যার চিৎকার।
কারণ আমার বাঁচার লোভ
মৃত্যুর লাল হাতছানিতে আমি তোমায় খুঁজেছি
আর পেয়েছি কিছু রূপকথা।

শীতলতা

শীতলতা
............. ঋষি
============================================
তোমার কাছে যাওয়ার আগে
সমস্ত অধিকার খুলে রেখে যাবো সময়ের কাছে।
সময়ের দরজা খুলে জীবনের পার্ট টু
কোনো হাইওয়েতে একলা দাঁড়িয়ে কবিতা লিখবো।
শব্দদের হুঁশ হাঁস  ছিঁড়ে খুঁটে
লিখবো জীবন নতুন করে।
.
তোমার কাছে যাওয়ার আগে নিজেকে পোড়াবো লেলিহীন শিখায়
সমস্ত নিরিবিলি হারানো বিকেলে ছিটিয়ে দেব কৃষ্ণচূড়া ফুল।
কোনো সার্বিক পবিত্রতায়
আকাশের বুক থেকে  উড়ে আসবে নীল পাখি
যার চোখে স্বপ্ন।
স্বপ্নের সব সিঁড়ি পেরিয়ে এক অন্য দেশে
আমি খুন করবো নিজেকে ,তোমার বুকে তখন আদর।
ঠিক এই ভাবে আমার যাবতীয় পিপাসা
আমার সমস্ত অধিকার বরফের দেশে শীতলতা
আর নয়
এইবার শুধু তোমার আমার।
.
তোমার কাছে যাওয়ার আগে
আমি খুলে রাখবো আমার যাবতীয় লাম্পট্য ,শরীরের সুখ।
অশালীন শব্দদের বীর্যদের আর নয়
এইবার শুধু নিরিবিলি কবিতায় তুমি চলন্তিকা।
শব্দদের ভীষণ যন্ত্রনা
আর লিখবো না প্রেমের কবিতা। 

আংটি

আংটি
............. ঋষি
============================================
বৃথাই প্রশ্ন করেছি বারংবার
নিজের ভিতের ভিতর বসে থাকা জুবুথুবু বৃদ্ধ।
জন্মের হদিস জানতে গিয়ে
কখন যেন উঠে এসেছে উন্মাদ কোনো জীবনের ইতিহাস।
উঠে এসেছে প্রশ্ন
তোমার কি ঈশ্বর হওয়ার কথা ছিল
কিংবা রাক্ষস।
.
হওয়ার কথা ছিল অনেক কিছু
যেমন এই শহরের অন্তরে লুকোনো অন্ধকার ,গলিপথ।
লিলিথের ভিতে
যেমন ক্রমাগত জরাগ্রস্থ জীবন।
আঁশটে গন্ধ ওয়ালা আঁশ বঁটিতে লেগে আছে মাছের রক্ত
অর্জুনের চোখ।
চোখের পালকে জমে থাকা অনুভূতিতে
চলন্তিকা তোমার পাওয়ার কথা ছিল।
কথা ছিল কোন শীতের দুপুরে
রৌদ্রে শুকনো সম্ভাবনাগুলো আঁচার মেখে খাওয়ার।
তারপর এক জন্মান্তরের ঘুম
শেষ না হওয়া স্বপ্নের আদর।
.
বৃথাই প্রশ্ন করেছি বারংবার
অন্ধকার ঘরেতে আমার লুকোনো আংটি।
মৃত্যুর হদিস  জানা হয় নি
তবু কেন এক উন্মাদ বারংবার অন্ধকার দরজা খুলে দাঁড়ায়।
উঠে আসে প্রশ্ন
তোমার তো আমার সাথে থাকার কথা ছিল
কথা ছিল মাছের বুক চিরে আংটি খোঁজার। 

Thursday, November 22, 2018

নদীর জল

নদীর জল
..... ঋষি
==============================================
কতখানি অভ্যস্ত হলে
শুকে বলা যায় এই গন্ধটা ঠিক তোর মতো।
অথচ কোনো এক অদ্ভুত দিগন্তিকায় তুই হেঁটে চলে যাস
মাঝে মাঝে তোর নদী হতে সাধ হয়।
সাধ হয় নিজের মতো পাগল গতিতে ভাসাতে সময়কে
অথচ আমি শুধু সেই সেই নদীর জল।
.
খুঁজে চলা নিজেকে
প্লাবিত হৃদয় বন্যার মতো বিস্তীর্ণ কোনো শতাব্দীতে আমি গিয়ে দাঁড়াই।
খুঁজতে থাকি সেই নদীটা
কোনো বরফ যুগের পর কংসাবতী ,ময়ুরাঙ্খী সব খুঁজে পাই
কিন্তু পাই না তোকে।
পাই না সেই প্রিয় ডিঙিটা আর তোর ঘামের গন্ধ
ভালো লাগে না ,ধুত্তোর।
পাই না সেই লুকোনো চুমুগুলো কিছুতেই
তোর সেই ছুঁয়ে থাকা অজস্র ছায়াছবি তখন চোখে।
পাগল লাগে
খুঁজতে থাকি তোর হাসিটা কবিতার খাঁজে
উঠে আসে রক্ত পাতা ভরে যায়।
.
কতখানি কাছে থাকলে
তোর গলার স্বরটা কানের কাছে ফিসফিস করে।
অথচ কোনো বৃষ্টি দিনে তুই নদীর জলে  জোয়ার
কেঁপে ওঠে আমার ঠোঁট ,তোর ভিজে চাহুনি।
সাধ হয় নিজের মতো পাগল আদোরে ভাসাতে সময়
অথচ আমি শুধু সেই নদীর জল।  

তৃতীয় মেগাস্থিনিস

তৃতীয় মেগাস্থিনিস
................ ঋষি
============================================
অনেককিছু বলা হয় না
নদীর দিকে যেতে যেতে খালি পায়ে
কাঁটা ফোটে।
বিছানা ,বালিশ বদলায় বিভিন্ন রঙের কারসাজি
কিন্তু আমার বলা হয়ে ওঠে না।
.
নদীর ধারে
একটা বট বৃক্ষের গায়ে তোকে জড়িয়ে ধরে তুমুল করবো।
তোর সাদা বুকে মুখ ঘষে খুঁজে নেবো মৃত্যু ,
আর ঠিক সেই সময়
সামনে এসে কোনো ক্রিস্টিফার ওয়ার্ল্ডের তৃতীয় মেগাস্থিনিস
ঠিকানা খুঁজবে।
অদ্ভুত সেই বিছানা বালিশ
যেখানে মাথা রেখে কোনো ঘুম ভাঙা দিনে
দূরে দেখা যাবে সময়ের মাস্তুল।
আরো দূরে অন্ধকার চিরে কোনো আলোর দিশা
টং ভেঙে নেমে আসবে মাত্রায়।
.
অনেক কিছু বলা হয় না
নদীর ঘাটে একলা বসে দূরে খোঁজা পার
নিজের মতো।
সময় বদলায় কিন্তু হাওয়ায় হাওয়ায় লেগে থাকা তুই
বেশ না, যদি  হাওয়াকে জড়িয়ে ধরা যেত। 

Monday, November 19, 2018

মিলন হবে কতদিনে

মিলন হবে কতদিনে
.............. ঋষি
==========================================
তুমি খুব সহজে গভীরতা দেও
চ্যাপ্টা নিশ্বাস পেরিয়ে খুব সহজে আসা যাওয়া।
নির্বিকার গায়েকি
স্টেজে দাঁড়িয়ে চিৎকার করি তোমার নিশ্বাস ছুঁয়ে গভীরে
আন্দোলনগুলো ছুঁয়ে চলে নিশীথ রাতে আলেয়া
দূরে খুব দূরে   .......
.
তোমার বিভাজন চিরে
অশ্লেষে নেমে আসে প্রশান্তি ,শিরদাঁড়া বেয়ে ছমছম।
এক চুমুকে পান করি সময়
এক মুহূর্তের নেশা ক্রমশ লীন করে নীরবে।
কার বেশি আরাম
জীবনে সমস্ত সুখ ছুঁয়ে নিরাভরণ আলাপন ক্রমশ চরম।
ঘাম ভেঙে চলে বুকে শিরায়
দাগ টানে অলীক কিছু পাওয়া।
তোমার ঠোঁটে গভীরে তখন কেমন একটা গরম স্রোত
চুষে খায় জংলী কোনো আয়না।
ঘুম ভাঙে
মধ্যরাতে লেগে থাকে কানের কাছে ফিস্ ফিস্।
.
তুমি খুব সহজে গভীরতা দেও
আসা যাওয়া পথের পাশে শুয়ে থাকে দিকভ্রান্ত কুটির।
কুটিরে জ্বলতে থাকা মাটির প্রদীপ
বুক পুড়ে যায় চারদিকে পোড়া নিয়মিত চাওয়া।
তবু স্টেজের উপর নির্বিকার গায়েকি
মিলন হবে কতদিনে  .....................


বেড়ালের নখ

বেড়ালের নখ
....... ঋষি
=======================================
বেড়ালের লোম লেগে আছে
খুব সাবধানে হাঁটি হাঁটি পা পা কার্নিশে ছুঁয়ে নীরবতা।
আবছা হতে থাকা  সময়ের হাঁকডাক
কিছু পবিত্র স্বর কানের পর্দায় আরো বেশি বিষণ্ণ
শহর ছুঁয়েছে বার্ধক্যে ,অন্তরে আসীন।
.
মৃত্যুকে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে
বয়স কত।
অলঙ্ঘিত শিমা ভেঙে দাঁড় করানো বিষয়আসয় পৈতৃক
প্রথম পুরুষ নীরবে বিড়ালের ভূমিকায়।
তারপর দাঁড়িয়ে বিপ্লব
ভাঙা রাস্তায় পথ চলা ,তখনও শহর জন্মায় নি।
অনিয়ন্ত্রিত লিলিথের সঙ্গমে  আগের কথা
যখন শয়তান শুয়ে গভীর মাটিতে জন্মের অপেক্ষায়।
একরাশ কালো কালো অক্ষরে জীবনযাপন
ঘুমিয়ে আছে সভ্যতা লুকোনো অন্তরে।
.
বেড়ালের শিরদাঁড়া বেয়ে হিসহিস করছে
লুকোনো সঙ্গমের কিছু অধিবাস।
কবিতার কালিতে শুকিয়ে যাওয়া দীর্ঘশ্বাস
মানুষ শুধু মানুষ খুঁজছে।
আর বিপ্লব মৃত শহর আমার মতো শুয়ে আছে
পিচ রাস্তার শুকনো জৌলুসে। 

Friday, November 16, 2018

এই সময়

এই সময়
................... ঋষি
=======================================
আজকাল ফোনালাপে ঢুকে পরে সময়
ভিতর ভিতর হাঁড়িকুঁড়ি বাসনকোসন ,খসখসে শব্দরা।
আমিও ঈশ্বরের ভূমিকায়
তথাস্তূ বলতে চাই।
বলা হয় না  .........
.
আলো নিভে যায়
দর্শক আসনে অন্ধকারে কানাকানি। ড্রপস্কিনে অনিচ্ছা।
হঠাৎ পর্দা ওঠে চলন্তিকা তাকিয়ে ফ্যালফ্যাল করে
দর্শক আসনে হাততালি।
অদ্ভুত বুকের পাঁজর ভাঙা অনবরত স্খলন
ঝরে পড়তে থাকা অনুভূতি।
লাল নীল ফুলদানিতে সাজানো হরেকরেকম্বা
এই কোনো সময়ে  দাঁড়িয়ে আমরা।
চিৎকাররা নিস্তব্ধে কখন যেন দৈনন্দিন হয়ে যায়
এই অবেলায় লোকানো কিছু না পাওয়ায়।
আসলে সত্যিরা বড় বেশি লুকোনো হয়
লুকোনো হয় ইচ্ছার মনের ফাঁকে।
.
আজকাল ফোনালাপে ঢুকে পরে সময়
ভিতর ভিতর ভাঙতে থাকা  দুর্যোগের শহর ডুবে যায়।
আমি ঈশ্বরের ভূমিকায়
তথাস্তূ বলা হয় না।
শুধু বলা হয় এই সময়   .........

অবসর

অবসর
............. ঋষি
==============================================
কোনোদিন ফিরবো না আমি
তবু প্রবল অনিচ্ছায় পা বাড়ানো মৃত শহরের দিকে।
অনেকটা আগুন জ্বলে বুকে সেই সময়
অনেকটা আগুন আমি পুড়িয়ে দি তোকে কোনো নকল রাগে।
আমার শহর জাগে আবার ঘুমিয়ে পরে
শুধু অনবরত কলকল করে শব্দরা গভীর কবিতায়।
.
এইভাবে প্রতিদিন আমি ফিরে চলি
না ফেরা পথে লেখা থাকে বিকেলের শিশিরের লুকোনো পথ।
পথ পথিক খোঁজে
আমি খুঁজি কোনো অচেনা ঈশ্বরীকে ছুঁয়ে বাঁচা।
অন্ধকার আকাশে একলা গিয়ে দাঁড়াই
হাত  বাড়িয়ে  পৌঁছতে চাই  সভ্যতার প্রথম দিনে।
আকাশ থেকে তারা খসতে থাকে
সরে যেতে থাকে চোখের লেন্স আটকানো কিছু অবসর।
আমি তখন পাগল বোধহয়
হঠাৎ দখিনের শীতল হাওয়ায় তোর গন্ধ।
তোরটুকু ছুঁয়ে আমি ঈশ্বরী নক্ষত্র দেখতে পাই
আমার ঘরের ভাঙা জানলায়।
.
কোনোদিন ফিরবো না আমি
তবু পা বাড়ানো সিঁড়ি ভাঙা অংকের সাদা পাতায়।
অস্তিত্ব সরতে থাকে
আগুনের বুকে আগুন ছুঁয়ে আমার বুকে দাবানল।
পুড়ে যায় আমার কবিতারা
দাউ দাউ করে পুড়তে থাকে আমার চেনা পথ ,চেনা দরজায়।

কাঁচ ভাঙা

কাঁচ ভাঙা
........... ঋষি
===============================================
শেষমেশ শব্দদের রেখে যাবো
নিরিবিলি আনন্দের কথকতায় কার্বনের ছোপ।
তুমি বলো এখন দুঃখ কিসের ?
আকাশভাঙা খানিকটাও এই জীবনে ছোঁয়া সম্ভব।
তবু ঘুম ভাঙে বারংবার মাঝরাতে
যেন কোথায় কাঁচ ভেঙে পরে।
.
পায়ের দাগ থেকে যায়
হয়তো থেকে যায় লুকোনো ছুঁয়ে দেওয়া দাগগুলো।
ভিজে মাটির উপর এবার পাথরের স্ল্যাপ
তবু আজকাল পা স্লিপ খায়।
কোনো আকার থেকে নিরাকারে আটকে থাকা স্বপ্ন রেণু
গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে ঝরতে থাকে তোমার শহরে তখন বরফ
আর আমি বোবা কবিতায়।

.
এই ভাবে সময় বদলায়। বদলায় কারেন্সি বদলানোর দেশে
রাস্তাঘাট ,বাড়িঘর ,অনুষ্ঠানের রীতি রেওয়াজ
সময় বোধহয় আরো নগ্ন দর্শনে।
আসলে মানুষ কিছুতেই বোঝে না
দৃষ্টি আর দর্শনের তফাৎ।
যেমন ঈশ্বর ছুঁয়ে ,খুঁজে চলা প্রেম
শুধু বিভ্রম মানুষের মনে।
.
শেষমেশ শব্দদের রেখে যাবো
যেমন রেখে যাবো তোমার  বুকের ভাঁজে  সেই তিলটা
যাকে আমি আদর বলে ডাকি।
 আকাশ ভাঙার খানিটা স্পর্ধা বিদ্রোহ এই সময়সীমায়
তবু ঘুম ভ্যাগে মাঝ রাতে বারংবার
আর কোথাও যেন কাঁচ ভেঙে পরে আগামীর।

নীল প্রজাপতি

নীল প্রজাপতি
..... ঋষি
============================================
যে শরীরে দিন কাটছে
তার পালকগুলো সাবধানে আলো হয়ে রিফলেক্ট করছে
যেমন রাত্রিগুলো মেগাপিক্সলের লেন্সে ঘেটে যাওয়ায় আবর্তন।
পরিবর্তন দরকার ছিল
প্রেমিকা ছুঁয়ে যাওয়া প্রজাপতি নীল আকাশে
আর তাদের ছোঁয়ার আদিমতায় ঘনঘোর প্রতীক্ষার এই বিকেল।
.
প্রথম আলিঙ্গনের অভিনন্দন
প্রথম চুমুর গড়িয়ে নামা আদিম জনম ক্রমশ প্রকাশিত।
অদৃশ্য জন্মগুলো যখন বিন্দু দিয়ে জুড়ি
হেঁটে চলি সভ্যতা পেরিয়ে পরম কোনো আনন্দে।
তার গভীর চলতে থাকা ধুকপুক
আদরের সম্ভ্রম।
পিক্সেলগুলো লুকোচুরি খেলে ভাঙতে থাকে
দৃশ্যরা ক্রমশ চোখের আড়ালে
অনবরত অপেক্ষায়।
.
যে শরীরে দিন কাটছে
তার পালকগুলো আজকাল রেণুর মাঝে ঝরতে থাকে
তেমনি রাত্রিগুলো আবদারে মিশে থাকা প্রেম।
আবর্তন দরকার ছিল
প্রেমিকা ছুঁয়ে চলা সহস্র গভীর আকাশ
আমার কাছে নীল প্রজাপতি স্বপ্নে। 

Wednesday, November 14, 2018

অন্য আকাশ

অন্য আকাশ
............. ঋষি
=======================================
যে লাবণ্যময়ী নারীর কথা শোনাবো বলেছিলাম
বলতে চেয়েছিলাম তার গভীর আকাশের কথা।
বারংবার বলতে চেয়েও
তাকে বলতে পারি নি কারণ সে পাখি হয়ে গেছে।
উড়ে গেছে গভীর আকাশে
যেখানে শহর চুমু খায় মাটিকে।
.
বলতে পারি নি
কিন্তু চুপ থাকলেও কেমন একটা শুনশান রাস্তা অন্ধকার রাতে। .
একলা হেঁটেছি ক্রমশ সে এগিয়ে এসেছে
মিশে যেতে চেয়েছে আমার শহরে।
রাত্রি বরাবর আমার খুব প্রিয়
আরো প্রিয় রাতের পায়চারি হৃদয়ের বারান্দায়।
দূর থেকে শুনতে পেয়েছি সমুদ্রের শব্দ
মৃত বালুচরে আমি বানিয়েছি বালি ঘর।
খুব ছোট ,
ঠিক যেন সময়ের আদেশে লেখা অন্য আকাশ।
যেখানে অতল কোনো নীরবতা
ফিসফিস সে যেন আমাকে ছুঁয়েছে
আমার অন্ধকার প্রেমিকা।
.
নিখাদ নিস্তব্ধতায় সে নারী এগিয়ে আসে
পায়ের নূপুরে বোধহয় ঘুম ভাঙা নিশাচর শহর।
আমি বলতে পারি নি
সেই নারীর  কথা আমার শহরে।
অথচ প্রতি সকালে বিরক্তিকর ঘুমের পরে
আমি শহর গড়েছি তিল তিল আমার হৃদয়ে।

Monday, November 12, 2018

স্পর্শ

স্পর্শ
............. ঋষি
===============================================
ফেরা হয় কি ?
স্নান ফেরি করার পর  সহবাস বলতে চুঁয়ে নামা স্পর্শ।
অবধারিত ঈশ্বরের প্রচেষ্টা
দুই পৃথিবীর বেঁচে থাকাটা শুধু আলাপন।
বর্ণহীন শব্দের গায়ে একটা একটা সুতো শুধু
আমার ব- দ্বীপে সুখের ঘুম সে যে স্বপ্নঘোর।
.
মৃত্যু !
এক দিক্চক্রবালে  অলিখিত নির্বাসিত প্রেম।
তোমার স্তনের উচ্চতায় নিরিবিলি পথ চলা
ক্রমশ জলাশয় থেকে উঠে আসা নির্ভরশীলতা।

ফাঁকা!
অতৃপ্তি আগুন  হলে মানুষের প্রেম  সঙ্গম  হয়ে যায়।
ক্ষুধার্ত আগ্রাসনে উঠে  আসে  বিষাক্ত জানোয়ার
কাদামাখা মোহনার বুকে অসংখ্য লুকোনো সংসার।
.
আমি!
শুধু অস্তিত্বহীন  ছুঁয়ে চলা।
পাশ ফিরে ছোঁয়া ঈশ্বর আজ কালা ,বোবা
অথচ সময়ের ময়লা মেখেও  তুমি ছোঁয়াচে।
.
ফেরা হয় কি ?
বাথরুমের শাওয়ারের জল গড়িয়ে নামা চঞ্চলতা।
সম্পর্ক নয় ,শব জুড়ে শুধু লুকোনো  আশ্রয়
তোমার জন্য আড়ালটুকু নির্ভীক বুকে সহমরণ।
ধোঁয়াটে শব্দের প্রতিফলন সময়ের বুকে
ফিরতে চাওয়াটা স্পর্ধা আর বাঁচাতে ইচ্ছা।

নির্বাসিত

নির্বাসিত
............ ঋষি
=============================================
শরীর দগ্ধ আগুনে
পুড়ে যাওয়া রাতদিন চামড়ার প্রতি আস্তরণে নির্বাসিত।
শব্দগুলো আত্নঘাতী মুহূর্তের ভাঁজে ভাঁজে
এক ফুল শয্যার অনবরত স্খলন ছিন্নভিন্ন ডোমের হাতে  প্রশান্তি।
শরীরটাকে ছুঁড়ে দেওয়া আগুনে
নির্বাসন কোনো আগুনের পাখি ,মৃত্যুতে জন্মাবার লোভ।
.
অশান্ত আগুন
আত্নহত্যার ডাইরিতে লেখা পাতায় ,পাতায় মৃত প্রান্তর।
নিরামিষ প্রেমের কবিতা
নিকোটিনের সখ্যতা ,বুকের ভিতর ক্রমাগত পোড়া ক্ষয়।
চড়া সময়ের বিক্রি হয়ে যাওয়া তোমার নুপুর
লজ্জার অন্তর্বাস।
শিশুপাঠ্য  বইয়ের পাতায়  জমতে থাকা অশ্লীলতা
মৃত্যুর কারিগর জীবনের বাধ্য বিলাসিতা।
জীবনের  রংমহল
নারীর বুকে লবনাক্ত নীলনদ
ক্রমশ প্রেমিক পুরুষের ঘামে ভেজা অতৃপ্তি,চিৎকার ,হাহাকার।
 এঁটো বীর্যের শ্লীলতার অন্ধকার কালি
কলম আমার নিষিদ্ধ সময়  মাখানো বীর্যপাত
প্রেম কি অশ্লীল নয়..?
.
শরীর দগ্ধ আগুনে
উলঙ্গ দেহে লজ্জার আবরণ শুধু পাঁচিল ভাঙা।
রাতের বিছানায় শুকিয়ে যাওয়া খড় ,কুঠো আগুন
বীর্যের দাগ স্পষ্ট অথচ নির্বাসিত।
সময়কে নির্বাসিত বলে ছুতে যাওয়া আগুনের বুকে
আঙ্গুলের ভাঁজে বিচ্ছেদের পার্থক্য। ...আগুনে পাখি।


Sunday, November 11, 2018

শেষ Kotha

শেষ Kotha
... ঋষি
=====================================
এটা কি টু ফোর ফোর। ...

বেলা বোস শুনতে পাচ্ছে কই ?

এক ভদ্রমহিলা অনবরত বলে চলেন

ইস রাস্তেকে সভি লাইনে অভি ব্যাস্ত হ্যা...

আর সেই প্রেমিক শুধু অপেক্ষায়।

.

শুরু থেকে  বিকেল ফুরিয়ে চলা

বেলা বোস নিজের রাস্তায় অনেকটা পথ।

চোখের কাজলে সেই কলকাতা আঁকা

আঁকা পথে চুরি হয়ে যাওয়া সময়ের ভিড়।

কি বেলা বোস

কি খুঁজছো ? সময় ? দূরত্ব ? দুর্বলতা ?

অনবরত ক্ষরণ থেকে বেরিয়ে আসে সময়ের কলঙ্ক

দিন এমনি কেটে যায় প্রতিদিনে।

নিয়মিত অফিসের গেট ,ফ্রেন্ড গ্যাদারিং ,দুচার পেগ কথা

বেশ না বেলা বোস

এইভাবে ক্রমশ দূরে সরতে থাকা।

.

চেয়ার বদল ,বালিশ বদল ,বদল সভ্যতার আলোতে

ক্রমশ পুরোনো অঞ্জন আজও গিটার হাতে

পুরোনো গিটার।

আজ অপেক্ষায় খোঁজে গলার স্বর

বেলা বোস তুমি শুনতে পারছো কি ?

Friday, November 9, 2018

তোকে একবার দেখতে ইচ্ছে করছে

তোকে একবার দেখতে ইচ্ছে করছে
....... ঋষি
============================================
সরতে থাকা কপালের লাল টিপটা
অন্ধকারে লুকোনো সেই মুখটা বুকের গভীরে
তোকে একবার দেখতে ইচ্ছে করছে।
ভুল সময়ের বীজ
অনবরত বেড়ে ওঠা সময়ের অকাল বোধন
উৎসব শেষের প্রতীক্ষা বোধহয় অন্য কোন দিনে।
.
সময়ের নুপুরে
লেগে থাকা ঠোঁট ,অনন্ত শীৎকারের গভীরে প্রতিবাদ
তোর বুকে আমার হাতের ছাপ।
উতলে ওঠা নদী ফিসফিস কিছু একটা অনবরত কানের পর্দায়
কিছু একটা ক্রমশ সরে যাচ্ছে চোখের পাতায়
তোকে একবার দেখতে ইচ্ছে করছে।
নেশা হচ্ছে
ক্রমশ চোখের পাতায় কেমন একটা চেনা ছবি
আমার বুক আঁকড়ে তুই যেন রঙিন।
অদ্ভুত এই সময়ের প্রতীক্ষা
কখন যেন হৃদয় ভাঙা  যন্ত্রণারা আকাশ খোঁজে
আর তারপর মুহূর্তরা রঙিন পোশাকে।
.
সরতে থাকা কপালের লাল টিপ্
শরীরের প্রতি রন্ধ্রে বাড়তে থাকা তুই আজ নিবিড়
নিবিড় তোর গন্ধের হাতড়ানো মুহূর্ত।
আদর করছে আমায়
কোনো চেনা ছবি চোখের রেটিনাতে ফুটে উঠছে
চেনা একটা মুখ ,,,,, অদ্ভুত। 

Wednesday, November 7, 2018

গভীরতা

গভীরতা
............. ঋষি
==========================================
বড়ো ইচ্ছে করে তোকে চুষে নি
সবটুকু আদরের চশমা খুলে একটু একটু করে দেখি
সকালের শৈশব ,তোর সময় ।
মজবুর আমি শুধু সময়ের গায়ে পা তুলে বসে
ছিপ ফেলি হৃদয়ের বারান্দায়
উঠে আসে অনবরত একের পর এক পাথর।
.
হয়তোবা কোনো হিংস্র জন্তু আমি
মনে মনে ছিঁড়ে ফেলি ,উফ কি ভীষণ দাঁতে নখরে
সময়ের দূরত্ব।
তোর শরীরের শেষ শীত টুকু হাতড়ে
আমি কাঁপতে থাকি মনের গভীরে।
কোনো অনাবিল আনন্দে আমার সকল ইচ্ছায়
পারদ বাড়ে।......... ,বাড়ে গভীরতা।
আমি হারাতে থাকি ক্রমশ আরও আরও গভীরে
সময়ের কোনো সমুদ্রের একপাশে চুপটি করে বসে
আঁকিবুঁকি টানি তোর বুকে।
সময় সরতে থাকে আমি মিশতে থাকি
ঠিক বুঝি না কখন কোন সময় তোকে ছুঁয়ে ফেলি
অথচ রিং টোনে ভদ্রমহিলা অন্য কথা বলে।
.
বড়ো ইচ্ছে করে তোকে চুষে নি
তোকে জড়িয়ে নিয়ে কানে কানে বলি মিশতে চাই
আমার সমস্ত উপস্থিতি ,সবটুকু তোর।
মজবুর আমি শুধু সময়কে সাক্ষী করে হেঁটে চলি
তোর বুকের কালো তিলে  ঠোঁট রাখি
তারপর কি করে জানি দিনগুলো সব কেটে যায়।


Monday, November 5, 2018

সময়ের আলাপন

সময়ের আলাপন
.... ঋষি
=========================================
তোমার ও চোখে আমি আগুন দেখেছি
দেখেছি মিশকালো প্রেম গভীরে পুড়ে আর্তি
শুধু তোমাতে মিশতে চাওয়ায়।
সময় সাক্ষী
সাক্ষী হৃদয়ের দেওয়ালে সারি দেওয়া সেই ঝাউবন
নিরিবিলি উপত্যকায় লুকোনো ভালোবাসা।
.
সত্যি বলতে কি
চোখ সরাতে গিয়ে আটকে গেছে ম্যাডাম বারংবার।
তোমার ওই হাসিতে আমি জীবন দেখেছি
তাই নিজেকে পুড়িয়েছি পাহাড়ি কোনো সবুজ ঢালে।
শুয়ে থাকি তাই আমি
রোজকার আমার মৃত্যু উপত্যকায়।
.
অনাবিল কোন শোক থেকে
বারংবার জেগে উঠে আমি তাকিয়ে আছি খুব দূরে।
যেখান থেকে শুনতে পাওয়া যায় তোমার  গলার স্বর।
তোমার উপস্থিতিতে আমি লিখেছি হাজারো প্রেম
সাদা পাতায়
প্রতিদিনকার দিনলিপি যেখানে শুধু খুশি হয়ে যায়।
.
আসলে ফিরে আসা মানে তোমাতে মিশে যাওয়া
তোমার জংলী অদূরে গন্ধ।
বুকের ভাঁজে অনবরত লেগে আছে আতরের আদ্রতা।
আমি ঠিক তোমায় দেখতে পাই
আমার পথচলায় সেই পাহাড়ি বাঁকে লুকোনো আলাপন
আদ্রতা লুকোনো বিকেলের এই পাতা ঝরায়। 

আয়ুরেখা

এর পরও অনেক কথা থাকে  গন্তব্য পেরিয়ে ছুটে চলে স্মৃতিপথ ধরে আয়ুরেখা  বিষ বাষ্প ,নিরুপম বেগে অজস্র না বলা , কাদা মাটি ,ধুলোমাটি আঁকড়ে ঠোঁটের স...