Saturday, December 30, 2023

প্রতিবাদ ভন্ড কবিতার বিরুদ্ধে ..

শিল্পীর আকাশকে অভ্যর্থনা জানাই 
সৃষ্টির মানুষকে সম্বর্ধনা জানাই 
জানাই অপারমর সাহিত্যের আকাশকে মুক্তির মুহুর্ত, 
সময়ের কলম গর্জে ওঠে
তবুও চুপ করে থাকে এক শিক্ষিত সমাজ,
তবুও আগুনে ঝলসে যায় সময়ের পরাজয়
তবুও সত্যি হলো স্বজন পোষণ
আমাদের   সৃষ্টির   লজ্জা। 
.
সাহিত্য একাডেমি কি? 
কবিতা একাডেমি কি? 
কবিতা উৎসব কি? 
সব কি শুধু সাজানো মঞ্চ, যেখানে নেপোয় মারে দই
সব কি শুধু অঙ্গুলি হেলনে একলা দায়ী একলব্য
সব কি শুধু আমার, তোমার প্রিয় ভাই, বোন? 
.
এখানে সৃষ্টি  কই, এখানে স্রোষ্টা কই,এখানে কবিতারা কই?
এখানে আকাশ কই, এখানে প্রেমিক কই,এখানে জন্ম কই? 
এখানে মুক্তি কই,এখানে বিপ্লব কই, এখানে মানুষ কই? 
শুধু স্বার্থ, শুধু পেশী শক্তি, শুধু রাষ্ট্রের পদাঘাত আর কার্যসিদ্ধি। 
কিন্তু সত্যি কি জানেন
হাজারো অপমানে সুর্য ডুবে যায় না
এক চিলতে আলো অন্ধকার ছিঁড়ে চিৎকার করে
সৃষ্টি ঈশ্বরের রুপ
সৃষ্টি প্রতিবাদের রুপ
সৃষ্টি সময়ের রুপ
সৃষ্টিকে লোকানো যায় না, যেমন সূর্যকে।
.
প্রতিবাদ ভন্ড কবিতার বিরুদ্ধে 
.. ঋষি 





Wednesday, December 27, 2023

হাসুন হাসুন



তোমাকে বলছি, আপনাকে বলছি, আপনাদের বলছি
কি শুনলেন 
সভ্যতা, 
হাসি পাচ্ছে, হাসি পাচ্ছে 
আপনারা হাসুন। 
.
আকাশ থেকে রামধনু চুরি হলো 
দেশ চুরি হতে হতে শিক্ষা চুরি হলো, সাস্থ্য গেছে বহুদিন 
শুধু ছিল মেরুদন্ড, 
হ্যা হ্যা তবে তোমাকে বলছি, আপনাকে বলছি, আপনাদের বলছি 
হাসি পাচ্ছে, হাসুন হাসুন, ক্লাউন, ডিসেম্বর 
মেরুদন্ডটাও গেছে বহুদিন । 
.
কি খুলছেন? 
খবরের, পাতা, নিউজ চ্যানেল 
পাঁচ বছরের মেয়েটা ধর্ষিত,অঞ্জলির গায়ে আগুন 
পালক বলে ছেলেটা চাকরী না পেয়ে আত্নহত্যা করলো
ই-ম-আই বাম্পস,মাসের শেষ তারিখ সংসারে আগুন 
বর্ধিত দ্রব্যমুল্য, চুরি হয়ে যাওয়া মানুষ
কি খুলছেন? 
প্যান্টের চেইন, আপনার শারী। 
নষ্ট সময়, নষ্ট সংস্কৃতি 
নষ্ট তুমি, নষ্ট আপনি, নগ্ন আপনারা
কি করবে,কি করবেন
 তুমি,আপনি,আপনারা হাসুন হাসুন, 
রবীন্দ্রনাথ উল্টেপালটে বলুন, শক্তি বাবুকে বাদামের প্যাকেট করুন 
নবারুন বাবুকে দুষ্কৃতি বলুন,
প্লিজ লজ্জা পাবেন না
প্লিজ লজ্জা পাবার কি আছে 
সংস্কৃতির নামে বড় কবির তদারকি করুন, একটু তেল আর কি? 
না না লজ্জা না 
আপনি যেখানে, আমিও সেখানে 
সুতরাং একে অপরের কাঁধ থাবড়ান কিংবা অন্য কিছুও 
হা,হা, হাসুন হাসুন 
না হলে এই সভ্যতার নামে নষ্টামি করবেন কি করে। 
.
হাসুন 
ঋষি 

Sunday, December 24, 2023

নীল নির্বাসন

উপছে নামছে নীলচে ডিমলাইটের  আলোর মতো তুমি 
আমি নীল রঙের পরাগরেণু  কুড়িয়ে বুক বাঁধছি নতুন বছর 
নীলচে আলো ,নীল মাটি ,কবিতার ঘ্রাণ ,অস্থির সময় 
দুর্বল কাঠামোর উপর তৈরী একখান স্বপ্নের ঘর 
অস্থির কথোপকথন 
নীল নির্বাসন। 
.
দারিদ্রতার শেষ পর্যায় তোমার ঠোঁটের লালায় আজও যে আমি 
তোমার শরীরের নীল পর্যায় আমি 
উপার্জিত শেষ ঘামের গন্ধে ,সমস্ত স্বত্ব জুড়ে সময়ের ঘর 
চামড়ার ভাঁজে আগামী ,চুলের কার্নিশ গড়িয়ে আগামীর সূর্য 
উপস্থিত ক্ষণস্থায়ী আমরা মুখোমুখি 
সুখী এবং নীল আলিঙ্গন। 
.
অনন্ত এক সুখ 
তুমি দাঁড়িয়ে ছিলে। তুমি আজও দাঁড়িয়ে। আমি জানি 
নীল রঙের আকাশ ভেদে আমার কবিতার আহরণ 
অদ্ভুত প্রেম, 
মুক্তি
এক জীবিত শব্দের ফাঁকে আমরা ঘুমিয়ে। 
কি চাইছে জীবন ?
স্যান্টাক্লস,তার ঘোড়া ,লাল রঙের ঘন্টা ,স্যান্টার মোজা 
না চাইছে না ,
শুনতে ইচ্ছে করছে তোমার মুখে 
না  জিঙ্গেল বেলস ,জিঙ্গেল বেলস নয় 
সেই নীল শব্দগুলো যেগুলো নীল প্রজাপতি। 
.
নীল নির্বাসন 
... ঋষি

Friday, December 22, 2023

চক্রবুহ বনাম আমি

হঠাৎ এক চক্রবুহের স্বপ্ন দেখি 
যেখানে একধারে আমি অর্জুন আর অন্যধারে অভিমন্যু 
যেখানে একধারে আমি মৃত্যুর মাঝে 
অন্যধারেই আমি সেই পরিত্রাতা যে নিজেকে হত্যা করে ,
তুমি ঠিক বলেছো বরাবর 
একজন স্বার্থপর মানুষ শুধু দোষের অজুহাতে বাঁচে। 
.
উত্তর মালা বদল হলো 
প্রশ্ন গুলো ধারালো ইন্দ্রজালের মতো মস্তিষ্কের কোষে 
আপাতত কিছু দুঃখকে দোল দিই
তারপর ফিরে তো যেতেই হবে সেই চক্রবুহে 
যেখানে চরম নেশায় যুদ্ধের মাটিতে হয়তো বা একলা দাঁড়াবো আমি 
উল্টোদিকের তুমিটা হয়তো বুকের মাটিতে রক্ত। 
.
চুপ করে যাই  আচমকাই
বুঝতে পারো না তোমার আঙুলের ডগায়,চলা ,বলায় কুরুক্ষেত্র রাখা আছে
যে মাটিতে প্রতিশোধ রাখা দ্রোপদীর ,
সেই আঙুলের স্যোসাল লাল ইমোজিতে আমি হত্যা হই  বারংবার। 
অন্যথায় কথারা দেওয়াল তোলে ,কারণ সময়ের পারদর্শীতা  
কথাদের তাড়িয়ে দেওয়া যায় ,কিন্তু ফেরানো - না ,
 আঙুলের ফাঁক গলে বারংবার আমার গলে যায় কুরুক্ষেত্র 
পরিচয়হীন এক সম্পর্ক তোমার ব্যালকনিতে পাখি হয়ে বসে 
তুমি তাড়িয়ে দেও বারংবার। 
তখন আমার স্বপ্নে অভিমানী অভিমুন্য তোমার মুহূর্তদের দেখতে পায় 
ঘাড় থেকে মাথাটা খসে যায় ,শরীরটা বুকের মাটিতে ছটফট করে 
তোমার ব্যালকনিতে পাখিটা আবার এসে বসে ,
অর্জুন কুরুক্ষেত্রে মাঝখানে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে 
তুলে নেয় গান্ডীব 
তারপর তোমার নামের একটা তীর আমার বুকে গেঁথে যায়।  
.
চক্রবুহ বনাম

Thursday, December 21, 2023

বন্ধ দরজা

অতীত থাকে
অথচ দরজাগুলো ক্রমশ বন্ধ হয়ে যায় পিছনের
সামনে ভবিষ্যতের দরজা   
ঠেলা মারলেই খুলে যায়,
খুলে যায় আগামীর পথ, পুরনো হারানোর ভীড়ে
পুরনোর মাঝে কেউ নতুনকে খুঁজে পায়
কিংবা নতুনের মাঝে কেউ পুরনো হারায়। 
.
কেউ কেউ অতীতের বন্ধ দরজার সামনে একমুহুর্ত দাঁড়ায়
তারপর হেঁটে চলে যায় 
তারপর ভবিষ্যত কোন দিনে বন্ধ অতীতের ঝাঁপিটা খোলে
তাতে শুকনো গোলাপ,পুরনো কাঁচের চুরি, পুরনো ঠিকানার চিঠি
কেউ হাসতে হাসতে ছিঁড়ে ফেলে দেয়। 
এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার অতীতের দরজায় মাথা ঠোঁকে 
যদি দরজাটা খুলে যায় কোন ম্যাজিকে 
কিংবা যদি অতীতের পুরনো দরজাটা ভবিষ্যতে আবার খোলে। 
.
অথচ এই দুই মানুষের মাঝখনে 
লুকোনো অসংখ্য গোপন কথা,লুকোনো গোপন কবিতা
তাদের বালিশের কোনায় লুকোনো অসমাপ্ত আশা, 
বারংবার বন্ধ দরজার ছিটকিনিতে হাত সরিয়ে নেওয়া
বারংবার একলা সিলিং-এ তাকিয়ে চোখ বন্ধ করা
তারপর রোজ কত কি না ঘটে যাহা তাহা
শুধু বন্ধ দরজাটা বন্ধই থাকে। 
.
বন্ধ দরজা
ঋষি 

Wednesday, December 20, 2023

লাইভ চ্যানেল

একটার পর একটা, তারপর একটা চ্যানেল বদলাচ্ছি
স্টার জলসা দাঁত বের করছে, সটার মুভিজ হলদেটে লোগো
ডিসকভারি চিতা দৌড়চ্ছে, 
পার্টি মিছিল জবাব চাই, জবাব দাও, বোমা পড়ছে, 
স্কুলটা উড়ে গেলো, বিপ্লব ঘুমোচ্ছে, 
সাদা ভাতের গন্ধে মসগুল বিংশ শতাব্দী,
৷   ৷   তবুও ভনভনে মাছি। 
.
ফোর জি, ফাইভ জি জুড়ে ন্যংটো মেয়েদের কাপড় পরা
রাস্তায় দাঁড়াবো যুবকের দল খুবলে খাচ্ছে রি- রি রিচ 
আমার ভয় করছে,
অবধারিত একজন কর্পোরেট রক্ত শুষছে 
বুকের বা দিকের হৃদপিন্ড হাতে চাকরীর জন্য কেউ কাঁদছে
আমি পালাচ্ছি
আমরা পালাচ্ছি 
কানের গোড়ায় আমাদের আতর, শিরায় কোনো মরনিং ওয়াক নেই 
পকেটে লুকোনো কনডম
সিরিয়াসলি কবিতা লিখছে না কেউ। 
ছবি আঁকার থেকে লাইভ পারফরমেন্স, ডেটলের গন্ধ, জেরক্স মেসিন 
খাটটা দুলছে,দেশটা দুলছে
ভবিষ্যতের কর্মসুচী
আমরা সকলে হিজরার দলে নাম লেখাবো। 
.
লাইভ চ্যানেল
..ঋষি 

ডিসেম্বরের শীত

এক সন্ধ্যের কনকনে শীতে আমি বরফ হয়ে আছি
আমার সমস্ত অস্তিত্ব ছুটে চলেছে তোমার দিকে, 
ফুঁ দিয়ে মৃত শরীরে ল্যাম্প পোস্টের আলো 
দু এক পেগে এই শহরের সমস্ত কালো 
মেখে নিয়ে উঠে দাঁড়িয়েছি ভবিষ্যতের দিকে
তোমার প্রতিটা অনুতাপে এখন ডিসেম্বরের শহর। 
.
মনে হচ্ছে এই শহরে আমার একটা বাড়ি ছিল সাজানো
আজ কেন জানি সেই বাড়ির দেওয়াল স্যাতস্যাতে
কাল রাতের স্বপ্নে আমি শুয়ে ছিলাম সেই বাড়ির ভিতর
অদ্ভুত আমার মৃত সাদা মুখে তখন এক শোক, 
আমি ঘুমিয়ে উঠে দেখি 
মা ডাকছে বেলা হলো অফিস যাবি না
কেন যে প্রতিটা শোকে আমার মা এসেই পড়ে
আর আনন্দে তুমি। 
.
দু তিন পেগ মদ - আমার মুখে ক্লাউনের হাসি
খুব হাততালি দিচ্ছে শহর 
শুধু তুমি চাইছো আমায়, 
কেন যে নেশা হলে সত্যি বলে ফেলি
কেন যে নেশা হলে মন্দিরের দেওয়ালে হিসু করি,
ঈশ্বর ও কি আমার মতো হাসেন 
নাকি প্রতি শ্বাসের সাথে ক্রমশ আবছা হতে থাকে ডিসেম্বরের শীত 
আর ক্রমশ প্রকট হয়ে পরে তোমার আবছায়া
আর এক জ্বলন্ত চিতা
ভালোবাসো বুঝি।

.
ডিসেম্বরের শীত
.. ঋষি 

Monday, December 18, 2023

bhul

ভুল 
... ঋষি 
.
যে ভুল করেছে বুক 
তাকে চোখে রেখে গড়িয়ে রাখি সুখ। 
.
আলগোছে তুলে রাখি পুরোনো হিসেবের খাতা 
শেষে কিছু নিশ্বাস ,তোলা কিছু পাতা। 
.
সন্ধ্যে তারার মতো কাজলে রাখা চোখ 
হাঁটিনি বহুদিন ,গিলছি তো ঢোক। 
.
আদরে মেশা ধুনোগন্ধ ,শরীরে জমা কিছু শ্বাস 
শোক বাড়ে নিত্যদিন ,হারানো বিশ্বাস।

স্থাপত্য

আঙুল জড়িয়ে কাটতে থাকে বাড়তে থাকা দিন 
তুমি যদি পাথর হয়ে যাও 
আমি তবে তোমার পায়ের কাছে জড়ো রাখি অবশিষ্ট জীবন 
সমস্ত শুকনো পাতাদের ফাঁকে লুকোনো গোপনীতাকে নির্যাস করি 
বলি ওমেয়ে তোকে ভালোবাসি 
আমি যে তোকে ভালোবেসে পাথর হতে চাই। 
.
যদি নগ্ন হয়ে কখনো পাপ দেখাতে পারি সময়  
কিংবা যদি পারি সাবানের ফেনায় নিজেকে শুদ্ধ করতে ঈশ্বরের চান ঘরে  ,
কিংবা রান্নার কড়াইতে যদি একবার ভেজে নিতে পারি মুহূর্ত 
সেই মুহূর্ত ,
যে মুহূর্তে তোকে বলা যাবে 
ওমেয়ে তুই পচা ,তুই গন্ধ তবুও ভালোবাসি,বড্ড ভালোবাসি । 
.
জানি তোমার ঘরখানা ইদানিং  গুছিয়ে রেখেছে অজস্র মুহূর্ত 
জানি ধোয়া-মোছার পরেও সে ঘরের দেওয়ালে আজও ক্যালেন্ডারের তারিখ 
তবু নিজেকে অতিথি মনে করতে আজও ভাবনারা সূর্যে পোড়ে 
আবর্তনের সাথে দিন আসে 
বিবর্তনের সাথে কি অদ্ভুত ?
                           এত অন্ধকার।  
আমি বদলানো মানুষের শিল্পে আজ তোমার সৃষ্ট শ্রেষ্ঠ স্থাপত্য
আর তুমি আমার সেই না আঁকা ছবি , 
তুই কি জানিস মেয়ে ,জীবন হলো ঈশ্বরের সৃষ্ট অদ্ভুত প্রতিচ্ছবি 
যেখানে নিজেকে নগ্ন করে প্রত্যেকে স্নান ঘরে 
তারপর হয়তো নিজের আয়নার দিকে তাকায় কোনো অসম ভাবনায় 
হঠাৎ করে দেখে ফেলে সেই পাথর 
যে পাথরের গোপনীয়তায় ঈশ্বর মানুষ গড়ে। 
.
স্থাপত্য
ঋষি

Saturday, December 16, 2023

বার্ধক্য

সময়ের কাছে নতজানু
অথচ আমাদের পাশাপাশি যুদ্ধগুলো কম ছিল না কখনো,
ঈশ্বরের অস্থি, ছাই বুকে নিয়ে ঘুরি 
তবু গতজন্মের অভিশাপ বৃদ্ধ হয় না কিছুতেই
তোমার জুলফিতে জমতে থাকে কলকাতার বরফ
ইদানিং সময় ঢেকে দেয় ধুলোয়। 
.
ঘুম থেকে রাত ধুয়ে উঠে বসি
তুমি তো সর্বত্র এক কুয়াসা হওয়া সকাল 
ছটফট করে তোমার চোখের পাতায় ক্লান্তিরা,
সময়ের বৃদ্ধ যৌবন হঠাৎ ভিক্টোরিয়ার সেই বেঞ্চিটা খোঁজে
যেখানো আজও এসে বসে সেই শালিখগুলো
যাদের ধুলো চোখে আজও কলকাতার রোমন্থন। 
.
ঈশ্বর  হতে চেয়ে যারা এককালীন পাথর
তাদের খোঁজ পায় মানুষ কলকাতার প্রতিটা অলিতেগলিতে, 
আমরা মানুষের ভুমিকায় বার্ধক্য ছুঁতে চাই, 
বুক মানলেও সুখ মানে না,সুখী সাজে দু:খ মানে না
তবুও দুটো শালিখ আলপনা দেয় নিয়ম করে এই শহরে
অথচ নতজানু ভালোবাসা ঈশ্বর মানে না। 
.
বার্ধক্য
,,,,ঋষি 

Friday, December 15, 2023

শব্দ শরীর

দলছুট হয়ে ঘুরে বেড়াই 
সময়ের বাউন্ডারির বাইরে দাঁড়িয়ে আকাশের তারা গুনি 
ছাদের কাপড় শুকোনোর দড়িতে ঝুলিয়ে রাখি 
শব্দ শরীর ,
আমার ভিতর কবেই পুড়ে গেছে অনন্ত স্বপ্ন 
এখন স্বপ্ন পুড়িয়ে দুবেলার ভাত জোগাড় করি। 
.
আমাদের সকলের ভিতর একটা নিজের ঘর থাকা ভীষণ দরকার 
দরকার নিজস্ব মুহূর্ত ,বাড়ি ফেরার তাগিদ 
অথচ  অধিকাংশ সেই ঘরের অভাবে অন্য কোনো বাড়ির ভাড়াটিয়া হয়ে থাকি 
অধিকাংশ নুন আনতে পান্তা ফুরোনো শহরে পেট পুরে খাওয়ার স্বপ্ন দেখি 
একদিন যারা সব পাওয়ার শহর থেকে বিতাড়িত হয়
আকস্মিক গিয়ে দাঁড়ায় রাস্তায় 
তারা যে খুব সহজে মুখস্থ করে ফেলে বাঁচতে চাওয়ার গান। 
ইদানিং ঘুম না আসলেও প্রতিদিন নিয়ম করে বিছানায় শুই 
ইদানিং কান্না পেলে তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি 
ভালো লাগে ভাবতে 
আলো ফোটার আগে এই অন্ধকারটারও যে একটা শরীর আছে। 
..
শব্দ শরীর 
... ঋষি

Thursday, December 14, 2023

পাতাঝরা মরসুম

আমার প্রতিদিনকার ধুলোর রাস্তায় গতজন্মের বাঁচা
তুমি হিসেব ভুল করো আজকাল, তারিখ ভুল করো 
তুমি স্মৃতি ভুলে যাও বড্ড।
নিশ্চুপের পায়ের ছাপ  সঙ্গী হয় না
নির্বাকের সাথে দ্বন্দ্ব,মুহুর্ত,,,,
মুহুর্তরা ভুল করে, মানুষ করে, 
তবে ঈশ্বর কি ক্ষমাহীন ? 
.
পাতা ঝরা মরসুমে অপেক্ষারা বেড়ে চলে
বেড়ে চলে যুদ্ধ,
এমন তো মনখারাপ রোজই গতজন্মের স্মৃতি আঁকড়ে,
বলো দেখি এতগুলো সময় চলে গেলো
ঘুমের ওষুধ কিছুতেই কারণ পেলো না
যুদ্ধনাশক কিছু বের হল না কেন ?
.
কিছু মুহুর্ত কবিতা হতে হতেও হয়ে গেল শবযাত্রা
কিছু কথপোকথন ভুল হয়েও পাথর হয়ে রইলো
আমরা যেন  যোদ্ধা  সাজতে সাজতে 
কখন যেন যুদ্ধক্ষেত্রে একলা হলাম,
আচমকাই কেন যেন লিখলাম আমি
তুমি ওই শত্রদের একজনকে চিনতে
হয়তো বা ভালোওবেসেছিলে,
যদিও পাতাঝরার মরসুমে,
এসব হয়েই থাকে।

তবুও, 
কিছু রক্তাক্ততা কবিতা হলে ক্ষতি কি।
.
পাতাঝরা মরসুম 
.. ঋষি 


Wednesday, December 13, 2023

কতক্ষন

আপাতত ভাবনাদের ঘরে শিকল দি 
তারপর ফিরতে হবে 
জীবন গাঢ় হয় ,ভাবনারা ঘোর বন্ধ না ঘর ,
মেঝেতে গড়ানো জল 
কতক্ষন ?
.
কে জানে ক দিন ,ক ঘুরন্ত ঘড়ির কাঁটা 
আপাতত নিজেকে আটকে রাখি 
তারপর বারান্দায় পাতা সংসারে সুখ পাখি 
আকাশের চাঁদ 
কতক্ষন ?
.
সুখের কাছে খালি পায়ে গিয়ে দাঁড়াই
বুক ভরে শ্বাস নি 
অজান্তে কখন জীবনের গাঢ় পর্যায় সেই মুখখানি 
একদণ্ড দাঁড়াবো ,জড়াবো অসুখ ,ঠোঁট রাখবো কপালে ,ঘুম 
কতক্ষন ?
.
কেউ কেউ জীবনটাকে শিকল দিয়ে বেঁধে 
ফিরতে চায় 
জীবন গাঢ় হয় ,তোমার শরীরে জ্বর 
আমার নিঃশ্বাসে ,পারি না আর পারি না 
কতক্ষন ?
.
কতক্ষন 
... ঋষি

Tuesday, December 5, 2023

মুশকিল আসান

হৃদয়টা যে আসলে মুশকিলআসান নয়
তাও আবার কবির হৃদয় 
যে বিশ্বাস করে প্রতি  মুহূর্তেই জীবনের কবিতা লেখা যায় ,
কবি জানে হৃদয়ের আগুনের নাম হৃদপিন্ড 
আর তার জ্বালানি অনুভূতি 
আর অনুভূতিরা পাথর হতে চাইলে কলমের রক্ত বিদ্রোহ করে 
আর সাদা পাতায় ছড়িয়ে দেয় সময়। 
.
কবির বিশ্বাস তার বুকের ভেতরে এক আদিম উষ্ণ উপত্যকা আছে
তাতে আজও আদম আর ইভ পাপ করে 
পাশের বাড়ির জানলার রেলিঙে দুটো শালিখ যেমন ঠোঁটে ঠোঁট ডোবায় 
ঝগড়া করে ,
কবি বিশ্বাস করে কেউ কাউকে ছেড়ে যায় না 
যারা ছেড়ে চলে যায় তারা নেহাত হৃদয়হীন  
পৃথিবী যে বায়ুশূন্য নয় কেউ একজন ঠিক হাত ধরে সময়ের চরম দারিদ্রে। 
.
কবি তাই বোঝে না আগাম জলবায়ুর খবর 
কখন যে মানুষের হিংস্রোতা  অন্য একটা মানুষকে হত্যা করে 
কখন যে তুমুল স্রোতস্বীনি নদীর বাঁধ  ভাঙে 
কখন এক দেশ অন্য দেশকে পায়ের তলায় রাখতে চায়। 
কবি কাঁদতে থাকে 
কবি লিখতে থাকে  
সবাইকে বোঝাতে চায়  ভালো থাকার মানে 
বোঝাতে চায় একলা প্রজাপতি দেখতে বড্ড খারাপ 
গোলাপ ফুলে কাঁটা আসলে অভিমান ,
সময়ের মৃত্যু হয় তাই মানুষ কাঁদে 
কারণ নিজ হাতে মানুষ খুবলে নেয় নিজের মানুষের মাংস। 
কবির মৃত্যুতে বিশ্বাস নেই 
কবি বিশ্বাস করে আদম আর ইভের পাপ আসলে একটা সময় 
যা শুধু মানুষকে চিনতে শেখায় 
ভাবতে শেখায় যে হৃদয় আসলে ভাঙাচোরা সময়ের ঘর নয় 
একটা ঘর যার সিলিঙে স্বপ্নরা বাঁচে। 
.
মুশকিল আসান 
... ঋষি

সেই তুমি

যদি এই মুহূর্তে আমি এমন না হতাম 
কি হতাম ?
সত্তরের দশকের সেই এক ফালি ঘর ,লণ্ঠনের  আলো 
কোনো চায়ের দোকানে দূর থেকে ভেসে আসতো রেডিওতে  গান 
" চুরালি লিয়া হ্যা তুমনে যো দিলকো,নজর নেহি .... ",
আমি বিরক্তিতে দুরদার জামাটা গলিয়ে বেরিয়ে পড়তাম শহরের রাস্তায় 
পাশ দিয়ে ট্রাম গাড়ি চলে যেত শব্দ করে 
অলস ষাঁড় পরম তাচ্ছিল্যে তামাম পথচারীদের দেখতো 
আমি গিয়ে দাঁড়াতাম তোমার বাড়ির সামনে। 
.
বাইরে তখন ব্যস্ত অথচ ব্যস্ত নয় জীবনের একটুকরো নিস্তব্ধ ঘর  
কানে তখন তালা লাগা পৃথিবী 
সব শব্দ, গন্ধ মিলে শ্বাসরোধী অসংখ্য মুহূর্ত ,
এক মাথা উস্কোখুস্কো চুলে আমি ,হাতে সিগারেট পুড়ছে 
বুকের ভিতর পুড়ে যাচ্ছে স্পর্ধা ,
সেই সময়টা ঠিক কোন ঋতু আমি বলতে পারবো না 
বলতে পারবো না ঠিক তখন তুমি কি করছো ,
শুধু একগোছা অভিমান তখন আমার বুকের সিঁড়ি বেঁয়ে উপরে উঠছে 
তুমি বলছো আমি শুনতে পাচ্ছি 
অভিমান শুধুই কি তোর হয় ।
.
I know your pride is real time
I know your distance is actually time
I know love is not a lie
Time is a moment that only lies.
​.
সেই তুমি 
... ঋষি

ওই লোকটা

নিমতলার সেও লোকটাকে  আলাদা করে চোখে পরে না ঠিক 
তালিমারা ঢলঢলে প্যান্ট। মুখভরা গোঁফ দাড়ি
তবুও লোকটা হাসতে পারে 
বুকের উপর আঙ্গুল দিয়ে কি সহজে দেখাতেতে পারে লুকোনো নামটা ,
যদি আমিও ওই লোকটার মতো বৃষ্টি নামাতে পারতাম 
আনপ্রেডিক্টেবল আকাশের ভূমিকায় একটা কবিতা লিখতে পারতাম 
জানি তুমি হাসতে খুব। 
.
অথবা ওই দোকানি কাকুর  মতো যদি তোমার হাতে গুঁজে দিতাম একমুঠো লজেন্স 
তুমি বলতে কত ?
আমি বলতাম,যা তো তুই না রানী 
তোর কাছে আবার পয়সা।
আমি জানি কিছুতেই পূর্ণ হবে না ,তাই এই বুকে বৃষ্টি ফোঁটা 
সেই পাগলাটে লোকটার মতো পৃথিবীর উপস্থিতিগুলো বড় মূল্যহীন আজ 
মানুষগুলো বোধহয় বড় অহংকারী এই পৃথিবীর। 
.
কিংবা ধরো বর্ধমান লোকালে সেই অদ্ভুত সাঁজগোজ করা সেই দিদিটার মতো 
লোকে যাকে  হিঁজড়া বলে ,
যে দেখা হলেই বলে দাদা কত দিন পরে , তুই খুব সুখী হবি 
তোর গোলা ভরা ধান ,তোর বুকের সন্তান ,তোর অতীত ,বর্তমান
আমি হাসি  
কিন্তু কাঁদতে পারি না  ,আমার অহংকার 
পকেট থেকে পাঁচ থাকার একটা কয়েন গুঁজে দি হাতে। 
সত্যি আমি বৃষ্টি নামাতে পারি নিসেই অদ্ভুত পাগলাটে লোকটার মতো 
তালিমারা ঢলঢলে প্যান্ট। মুখভরা গোঁফ দাড়ি
যাকে তুমি ভালোবাসো 
আমি বোধহয় বর্ধমান লোকালের সেই হিঁজড়া দিদির মতো 
চিরকাল একটা স্বপ্ন দেখতে পারি 
কিন্তু কিছুতেই শেষ বিকেলে গঙ্গার ঘাটে সেই প্রেমিকের মতো 
বিশ্বাস করাতে পারি না 
আমিও আমার বুকের উপর লুকোনো নামটা ঈশ্বরকে দেখাতে পারি। 
.
ওই লোকটা 
... ঋষি

একটা ভালোলাগা

নেই কোথাও,নেই 
অসম্ভব হালকা একটা শিরশিরানি সারা মেরুদন্ড বেঁয়ে 
একটা ভালোলাগা ,
এই প্রথমবার নিজেকে খুলে রেখেছি অভিমানী সম্ভ্রমের বাইরে 
আমার ঘাসের উপর পা ,সারা শরীর জুড়ে মাটি মাটি গন্ধ 
চুলে কেমন এক তোমার মোহময় ঘ্রান ,সারা আকাশজুড়ে তারা 
না ঈশ্বর হয় না ,
প্রথমবার অনুভবে অন্ধকারে ঠিক যেমন শিশির ঘাসের বুকে 
আমিও সম্পূর্ণ তোমার আশ্রয়ে। 
.
অনুভূতিতে আর মিথ্যারা নেই 
মাথার ভিতর কোনো স্লাইডশো নেই 
শীতের একলা বিছানায় বসে সম্পূর্ণ এক পাগলাটে আমি 
চোখের কোনে লেগে থাকা জলের মানেদের আবিষ্কার করছি 
এক অবুঝ শীতের অন্ধকারে নিজেকে খুঁজে পাচ্ছি 
অথচ আর আমি কিছুই  খুঁজছি না 
কেন যেন তুমি জিতিয়ে দিচ্ছো আমাকে  নিজের ভিতর। 
একটা উদ্যত তলোয়ার আমাকে কেটে ফেলেছে আমার থেকে 
আমার আজীবন জমা আর খরচের ব্যবধানে কিছুই নেই 
শুধু আছে এক অনভূতি তোমার প্রশ্রয়ে 
আমি আবারও বেঁচে উঠছি 
ক্রমশ তোমার খুব কাছে 
অথচ দূরে। 
.
একটা ভালোলাগা 
... ঋষি

Friday, December 1, 2023

ভিতরের ঘরটা ফাঁকা থেকে যায়

নিস্তব্ধে যেতে চাও ,যাও 
কেউ যাতে না শুনতে পায় তোমার পায়ের শব্দ 
দরজা খোলার শব্দ করো না যেন  ,
শুধু দরজাটার পর্দার গায়ে ছেড়ে যেও তোমার শরীরের গন্ধ 
কিছু না থাকার মধ্যেও কিছু তো থাকে 
যা দিয়ে চাপা দেওয়া যাবে আমার কান্নার শব্দ। 
.
দুঃখের কথা আর  বলতে আর ভালো লাগে না 
যে  শাড়ির আঁচল আমার  বুকের সাথে মিশে যাবার কথা ছিল 
কথা ছিল  বিশ্বাস আর মাটি দিয়ে তৈরী করবো ঘর 
কিন্তু  তোমার শহর বদলালো  ,
একটা আদরের মুহূর্ত পুষেছিলাম  বুকের প্রতিটা খাঁজে 
এতদিন সেই  মুহূর্তদের সাথে  ঘুরেছি  ,ফিরেছি  
তারপর কেন যেন বড়ো হয়ে গেলো মুহূর্তগুলো ,আর আমি এত ছোট 
চলে গেলো তারা  
কার দোষ ,কার গুন এসব আজ রূপকথা। 
.
তারপর সেই আমাদের বাড়িটা ,পুরোনো স্মৃতিরা 
নিচু নিচু ঘর ,মাটির দালান ,মেঝেতে মাদুর ,এ কথা ,সে কথা 
আজ ঝাঁটা পড়ে নি বহুদিন সে ঘরে  ,
বন্ধ তালাটাতে মরচে ধরেছে কালের হিসেবে 
তবুও জানলার পাল্লাগুলো বন্ধ করা হয় নি আজও 
কারণ সাহস হয় না ,আশা  যে  মরেও মরে  না। 
সেই  একটা দিন মনে পরে যেদিন তুমি এসে দাঁড়িয়েছিলে রাস্তায়  
আমার ভুল ,আমি আসতে পারি নি সেদিন 
অথচ তারপর থেকে আমি এসে বসে থাকি সেই রাস্তার মোড়ে 
দেখি তুমি যাও রোজ নিয়ম করে 
ভিতরের ঘরটা ফাঁকা থেকে যায়। 
.
ভিতরের ঘরটা ফাঁকা থেকে যায় 
... ঋষি

Thursday, November 30, 2023

মহাজাগতিক

ইদানীং মনে হয় খুব তাড়াতাড়ি জীবন কেটে গেলো 
বোঝার আগেই হাতের মুঠোর বালিটুকু পড়ে গেলো 
প্রথমটা বেশ স্বপ্নের অঞ্জলি, প্রত্যাশা,কিছু আশা
আর তারপর শূন্য, তারপর আবার। 
বড্ড তাড়াহুড়ো, বড্ড তাড়াতাড়ি 
ভাইগ্রা  খাওয়া মানে একটা সসম্পুর্ণ সঙ্গম 
ভালোবাসা মানেই একে অপরের বিশ্বাস, অঙ্গীকার
আর সংসার মানেই শান্তি। 
.
একটা কম্পলিট সিলেবাসের বাইরে থাকা প্রশ্ন সময় 
তারথেকেও একটা ক্রিটিকাল উত্তর জীবন
মাঝখানে ঝোলানো দিন, প্রতিদিন আবার দিন।
উল্লেখ্য ভালোবাসা ঠোঁটে লেগে থাকে প্রতি মুহুর্ত 
জন্মদাগ ভেবে গোপনে লুকোতে চাই 
অবাক হয় গড়িয়ে পড়ে চোখের জল, 
দোষের নয় মোটেও, জলের গড়িয়ে নামাটাই প্রশ্রয়
শুধু নাকে লেগে যায় সোঁদা গন্ধ। 
এখন আর ভয় করে না, 
বারবার, বারংবার ঠকে যাবার পরে ভাবতে ইছে হয়
কষ্টগুলো বেশ মিষ্টি, ভীষন জড়াতে ইচ্ছে করে তোমায়
এই মহাজাগতিক শূন্যতায়
অথচ এক হৃদয় বারংবার ভাঙা বা জোড়া যায় না
একলা থাকতে হয় 
অপেক্ষায়,,,,,,,,,,,৷ 
.
মহাজাগতিক 
.. ঋষি


Tuesday, November 28, 2023

একদিন ঠিক দেখা হবে

একদিন ঠিক দেখা হয়ে যাবে 
সেদিন সারা কলকাতায় সোয়েটার গায়ে মানুষের ঠান্ডা ঘর 
খবরের পাতায় ,বাড়ি ফেরত বাস ,অটো লাইনের তুমুল আলোচনা 
কফির শহরে একান্ত শক্তি বাবুর প্রেমের কবিতা থেমে যাবে ,
ছেলেটা নাকি মেয়েটাকে ভালোবেসে পাগল হয়ে গেছে 
অনেকে হাসবে ,নিন্দুকেরা বলবে ভীষণ বোকা  
কেউ কেউ পাগলটার গায়ে থুথু দিয়ে বলবে 
কি নোংরা  । 
.
ঠিক তখনই
হলুদ ল্যাম্পপোস্টের নিচে শীতার্ত শহরে হেরে যাওয়া মানুষে মাঝে 
তুমি এসে দাঁড়াবে আমার সামনে ,
বুকে পাড় ভাঙবে,মুখের আরে আবোলতাবোল আবার উচ্চারিত তুমি 
ঠিক চিনতে পারবে ,চিনতে পারবে তো ?
.
কেউ  ক্লান্ত আর কেউ বা  ব্যর্থ তার হিসেব মনে থাকবে না
কত গান, কত ঠোঁট, কত হাত পার হয়ে যাবে ততদিনে
কত না-বলা কথা ,কত আফসোস দীর্ঘশ্বাসে তোমার ,
ক্যালেন্ডার আর চোখের কোলে তারিখ ভুল হবে 
সময় হাসবে। হাসবে গোটা কলকাতা।
আর পাগলটা দুহাত দিয়ে তোমার গলাটা জড়িয়ে বলবে 
তুই এসেছিস ,তুই .. ?
.
সেদিন দু'জনেই জিতে যাবে
                  অথবা হেরে। একদিন দেখা তো হবেই..
.
একদিন ঠিক দেখা হবে 
... ঋষি

Saturday, November 25, 2023

শুভ জন্মদিন শক্তি স্যার

দুর্দান্ত রাক্ষস মুহুর্তে জন্ম আমার
তাই শুধু খিদে, খিদে,খিদে,  মন ভরে না কিছুতেই 
এর দোষ বোধহয় সবটাই কবিতার,
একটা কবিতার রাক্ষস আমার বুকের ভিতর পাথর খেতে  শিখিয়েছে
হজম করতে শিখিয়েছে নষ্ট পালস্থলীর গল্প,
অদ্ভুত সেই শব্দগুচ্ছ, কবিতার মনন 
"বুকের ভেতরে কিছু পাথর থাকা ভাল–ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায় "।
.
এই রাক্ষসটার অত্যাচারে আমার বহুরাত খাওয়া নেই
তবুও সেই রাক্ষসটার খিদে পেটে,
ঘুম থাকে না,ছেঁড়া চাটাইয়ে শুয়ে স্বপ্ন দেখি শব্দদের, 
শব্দদের বুনি, বাংলা নেশায় ভাসি, 
রাক্ষসটার মত পাগলের মতো ঘুরে বেরায় সত্যি মানুষের খোঁজে ছেঁড়া জুতো পরে
পথে, ঘাটে বসে থাকি খালি পেটে 
ভীষন খিদে,,, কবিতা।
.
রাক্ষসটা ভীষন কথা বলে, চোখ দিয়ে গিলে খায় জীবনের মন্দ, ভালো অন্তরিত বাঁচা, 
মানুষে ঘরে উঁকি মারে,অবনীর ঘরে যায় 
তার দুহাতে কালি,তবু তার সন্তান, সুখ,তবু সে সম্পর্ক খোঁজে
কিছুতেই সে যেতে চায় না, সময়ের ওপারে,
মরে গিয়েও থেকে গেছে আমাদের মতো রাক্ষসদের  মাথার নিউরনে। 
আজ দিনটা সেই কবিতার রাক্ষসের জন্মানোর। 
আমার কাছে রাক্ষস,হয়তো কবিতার ঈশ্বর, কিংবা কবিতার মানুষ যেন একটা প্রশ্ন

"অদ্ভুত ঈশ্বর এসে দাঁড়িয়েছেন, মৃন্ময় উঠোনে
একদিকে শিউলির স্তূপ,
                  অন্যদিকে দ্বাররুদ্ধ; প্রাণ
কার জন্যে এসেছেন- "
    .                
আমি জানি উত্তর 
কত বিপন্ন দশক চলে গেছে কবিতার খোঁজে
অথচ সেই রাক্ষসটা থেকে গেছে কবিতার পাতায়, মরেও মরে নি সে কবিতার শব্দে
ভাবনার নিউরোনে, সময়ের মনে,
এক অসীম শক্তিশালী কবিতার কলম সেই রাক্ষসকে সেলাম 
আর প্রার্থনা যদি তোমার মতো সত্যি কবিতা চিবিয়ে খেতে পারি । 
.
শুভ জন্মদিন শক্তি স্যার
.. ঋষি

Thursday, November 23, 2023

অগোছালো

আমি যে এখনও মানুষ হতে পারি নি 
আমি একটা অগোছালো লোক, প্রেমিক কিনা জানি না
তবে মানুষ নই, 
হয়তো দু:খ বিলাসী তাই হয়তো আমার খালি হাতে শুধুই  অকাজ 
হয়তো বড্ড ভীতু তাই বোধহয় দূর থেকে আনমনে দেখি তোমায় 
কেঁপে উঠি মধ্যরাতে মুহুর্ত যেন একটা অন্য বুক। 
.
সারাদিন, সারারাত ঘ্যান, ঘ্যান করি, বিরক্ত করি 
তাই বোধ হয় কান আসে না তোমার 
কানে জল বাড়ে, 
আমি অন্য বাসে উঠে পড়ি, পথ ভুল করি 
একলা গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি তোমার চোখের কাজলে,
সন্ধ্যে হলে একা একা বাড়ি ফিরি 
কিছুতেই বিশ্বাস  করতে পারি না আমি কোথাও পোঁছোতে পারি নি। 
.
আমি ভুলে যাই আমার কোন মুহুর্ত  নেই 
কারণ মুহুর্তরা একলা হলেও কেউ তো থাকে সাথে,
আমি যে টুকরো টুকরো জ্যোৎস্না আঁকড়ে ঠাই দাঁড়াতে পারি তোমার অপেক্ষায়
তাই আমি  তাতেই খুশি থাকি,
কখনো ভাবি চলে যাবো খুব দূরে, তারপরই মনে হয় দুরেই তো আছি 
আর কত দূরে।
আজকাল আর কষ্টগুলো ছোঁয় না আমায় 
শুধু সাজানো গৃহকোনের বাইরে দাঁড়িয়ে তোমার ভালো থাকার অপেক্ষা করি 
হাসতে ইচ্ছে করে খুব 
পারি না, 
জানি এ শহরে আর মানুষের কাছে চিঠি আসে না আর
দিনকাল বদলেছে এখন মেল আর ওয়াটসাপ
আমি যে বদলাতে পারি না। 
.
অগোছালো 
... ঋষি 

Wednesday, November 22, 2023

উত্তর বদলায় প্রতিবারে

তৎপর হয়ে ওঠা জীবন ,কথারা ফুরোয় 
হঠাৎ রৌদ্র ভিজে দিনের পরে চিরপরিচিত বৃষ্টি 
না কথা থাকে না ,
সবটাই একটা মুহূর্তের পর পুড়তে থাকা ,যেন সিগারেটের ফিল্টার 
কলকাতা বদলায় রোজ ,কিন্তু দ্রুত বদলায় ক্যালেন্ডারের পাতা ,
যোগাযোগের কন্যাক্ট লিস্টে নতুন নাম বাড়তে থাকে সময়ের সাথে 
ট্রেনে ,বাসে আচমকা চেনা ,জানা মহিলা প্রায়শই বলে ব্যাগটা নতুন ? শান্তিনিকেতন  ?
কেউ দাঁড়ায় না 
শুধু উত্তর বদলায় প্রতিবারে। 
.
কখন কোন মুহূর্ত মনে নেই 
বুকের জঙ্গলে আগুনে পুড়তে থাকে প্রিয় মুখ 
নিয়ম করে কান্না পায় ,কি অন্যায় ? কি বাঁচা ? কি প্রহসন ?
সত্যি কি বদলানো যায় মিথ্যে সময়ের শরীরে নিজের মানুষ। 
মৃত্যুর পরে সব বদলায় ,বদলায় অলিগলি ,পুরোনো সোয়েটার 
পুরোনো আলমারি ,পুরোনো কবিতার বই 
না সত্যি কিছু ধরে রাখে যায় না। 
.
অদ্ভুত হলো  কবিতারা চিরকাল বোকা ,
যেন কোনো প্রিয় মুখ ,যা চিরকাল একা 
কবিতারা চিৎকার করে রোজ ফেসবুকে ,অন্য মাধ্যমে ,নন্দন চত্বরে
কিন্তু বুঝতে চায় না কেউ 
দিন বদলায় না ,কিছুই ধরে রাখা যায় না 
আগামীর সময় ,মুহূর্ত ,ঘড়ির কাঁটা তখন যন্ত্রণার।  
বোধহয় আগুনের পাশে দাঁড়িয়ে থাকে কবিতা
কিন্তু যারা কবিতা লেখে তারা দাঁড়ায় আগুনের মাঝে 
জানি তাদের  খুব  যন্ত্রনায় গলার কাছে কিছু জমে থাকে গোলাপাকিয়ে 
তাদের রক্তের শব্দরা অনেক কিছু বলতে চায়  ,
অথচ আগুনের মাঝখানে দাঁড়ানো মানুষ ভীষণ সুখী তখন 
আমি জানি এই কলকাতায় কবিতা লেখে ,পড়ে অনেকে 
হাততালি দেয় ,পিঠ থাবড়ায় ,ব্যবসা করে 
কিন্তু সত্যি কবিতা বোঝার লোক নেই শহরে। 
.
উত্তর বদলায় প্রতিবারে
... ঋষি

Tuesday, November 21, 2023

ছাপাখানা

সবিনয়ে নিবেদন
আমার রিংটোনে ইদানীং শহর বাজতে থাকে
মনে হয় এইতো,
আর তোমার কলারটিউনে তখন  বাজতে থাকে ফাঁকফোকর 
নির্দিষ্ট তাপাঙ্কের বাইরে দাঁড়িয়ে তোমার স্কেলিটনে
তখন বাজতে থাকে ক্রসপাজল। 
.
তোমার হাসির দমকে গভীর শহরের যখন সন্ত্রাস থেমে যায়
অবিশ্বাস্য মায়া নগরী তখন আলোর নিয়নে ভাসে, 
ক্লোজসার্কিটে জমতে থাকা দু:খগুলো হঠাৎ হেসে ওঠে
বুকের ব্যালনিতে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা তখন,
হাতের মুঠোফোন ভেসে ওঠে আনমনে
হঠাৎ কবিতারা প্রেয়সী হয়ে যায়। 
.
যারা বলে আমি কবিতা লিখি নি বহুদিন 
তাদের কাছে আমার আবেদন 
বুকের কাঁচ ভাঙে, শব্দ পায় না খোঁজখবর কিংবা কোনো ছাপাখানা, 
অন্ধকার ছোট্ট ঘরে কবিতারা খটখট প্রিন্টিংএর শব্দে তুমি হয়ে ওঠো অন্ধকারে।
প্রতিজন কবি কবিতায় ভালোবাসা খোঁজে
আর প্রেমিকা খোঁজে সারা শহর প্রেমিকের বিঠোফোন।
সারাদিন অজস্র রিংটোন, অজস্র মুঠোফোন কথা বলে
ভালোবাসা না ঘুমিয়ে পাহারায় থাকে মুহুর্তদের
অপেক্ষারা একলা কবিতা লিখে যায় সময় 
আমি ভাবি জীবন একটা কবিতা
আর শহরটা ছাপাখানা
খটখট খটখট। 
.
ছাপাখানা
.. ঋষি



Monday, November 20, 2023

গুডবাই

হঠাৎ স্তব্ধ হাওয়া 
হঠাৎ একটা অসুখের শহরে আমার মন কেমন 
বিচ্ছিন্নতা শুধু মাত্র মানসিক গোত্রান্তর নয় 
একটা দ্বীপ হারানোর গল্প ,
যেখানে নাবিক অনন্তের খোঁজে দূরবীন হারায় 
হারিয়ে ফেলে আতঙ্ক। 
.
ক্রমশ একটা সিরিয়াল কিলিং তোমার মাতৃতন্ত্রে 
তোমার মাতৃ জঠরে না জন্মানো শিশু ,
আফসোস এটা নয় যে গল্পটা লেখা হলো না 
সময় এটা নয় যে বেশ রসিয়ে পাঁঠার মাংস রান্না হলো 
শুধু দুঃখ এটাই নিমন্ত্রণের ঠিকানায় লেখা ছিল না জীবন 
ছিল মুহূর্তদের হঠাৎ কেটে যাওয়া। 
.
হঠাৎ স্তব্ধতার মাত্রা কোলাহল হীন ,পরিবর্তনহীন এই শহরে 
দরজার ওপাশে আজও একটা ফসিল দাঁড়িয়ে 
আর দরজার এপাশে হাতছানি। 
না কিছু বদলালো না 
আমি তোমাকে চিনি ,শুধু মানুষ বদলাবে 
বদলাবে পাশার দানে আবারও তোমার হাসির লহর 
আমি থাকবো না তো কি 
আবারো কোনো প্রেমিক তোমার সায়নাইটে মৃত্যুবরণ করবে 
উঠে দাঁড়িয়ে তখন অন্য তুমি 
আবারও হয়তো কাউকে বলবে ,গুডবাই। 
.
গুডবাই 
... ঋষি

Sunday, November 19, 2023

দমবন্ধ

সমস্ত দড়ি টানাটানি ,সমস্ত মুহূর্ত মুছে যায় 
তোমার বন্ধুরা বোধহয় ঠিক বলেছে 
এক্কাদোক্কা চাল 
একের পর এক ঘর ,সময় দুর্বল ,
ভালোবাসা পরে থাকে ঘরের বাইরে 
কোথাও দমবন্ধ করে। 
.
শেষ টুকরোর আস্ফালন 
জোর করে আঁকড়ে রাখা শেষ মাটি 
সত্যি কিছু থাকে না ,
সময়ের মুহূর্তরা ততক্ষন দামি যতক্ষণ তাসের ঘর 
সম্পর্কের সত্যি তাসের ঘর 
আর ভালোবাসা শেষ রক্তক্ষরণে তোমার মুখ। 
.
আজ আর কবিতায় লিখবো না তোমায় 
শুধু বয়ে যাওয়া মাইলফলকে চোখের নদীতে ঘুম পাড়ানি গান 
আর কোনো কবিতা লেখা হবে না ভালোবাসা 
শুধু অনেকটা যন্ত্রনা নিয়ে এইবার ফিরে আসতে হবে 
সময়ের পরে ,সময়ের আগে ,সময়ের ঘরে 
আমরা যে সকলেই বাধ্য 
জোর করে কিছু কি কখনো ধরে রাখা যায় 
তাকেও কি বোঝানো যায় 
ভালোবাসি শুধু পুরুষের নয় ,শুধু নারীর নয় 
সত্যি মানুষেরও হয়। 
.
দমবন্ধ 
.... ঋষি

Tuesday, November 14, 2023

অন্যদিন

.
গভীর রাতের গাঙচিল তুমি
আমি এক একটা হা হুতাশের রাত, নিস্পত্তি,
তোমার সোনালী ডানায় লেগে থাকে
পুরনো ধুলো ভরা ভুলে যাওয়া স্নেহ
আর আমি, তুমি,আমাদের বাইরে সকল চরিত্র 
বোধহয় ঘুমিয়ে তখন।
.
.
রক্তের গন্ধ ভেসে আসে, অভিমানী ভালোবাসা
বিছানা মাখামাখি অভিমানী সুখ
তুমি স্বচ্ছন্দ, উঠে দাঁড়াও, 
বন্ধ দরজার পিছনে ঝোলানো তোমার কাঁধের ব্যাগ 
যার ভিতর কবিতার লাইন, সময়ের ঘুম আর একটুকরো আমি
শুধু একমাত্র আমি ঘুমোয় না, জেগে থাকি। 
.
.
পথ যে শেষ হয় না
বুকের ওমে লেগে আছে গতদিনের দাঁতের দাগ
কেউ দেখে না 
শুধু সকাল সকাল ঘুম ভেঙে যায় বিরক্তিকর রাতের পর,
জানি সারা শহরের ব্যারিকেড মোড়া এক ভীষন অসুখ
আর আমি সুখের ভুলভুলাইয়াতে নিয়ন্ত্রিত প্রেমিক। 
.
.
শুধু একটা দিন ভালোবাসার জন্য
আমার প্রতি মুহুর্ত জ্বালিয়ে রাখা নিজেকে অন্ধকার সময়ে
তোমার চোখে সম্মোহনী ছায়া তাড়া করে,
আমি আর স্বার্থপর শিকড়  লিখতে চাই না
শুধু সারাবেলা মুটে হয়ে বয়ে বেড়ায় শুকনো পাতা
আবার একদিন অন্যদিনে তুমি আমাকে জ্বালাবে বলে।
.
অন্যদিন 
.. ঋষি 




Saturday, November 11, 2023

সময় বলে মেয়েটা

নরম তুলোর বালিশ ,বিছানা পেরিয়ে ধরা পড়ছে খরগোশটা 
চারিদিকে তুলো উড়ছে ,সাদা জ্যোৎস্ন্যা 
এই সময় আসন্ন শীতের লিপবাম,কোল্ডক্রিম  অদ্ভুত প্রশান্তি ,
মুখগুলো সাজতে চাইছে ,মিথ্যে মুখগুলো সাজছে 
আর আমি মিথ্যেবাদী 
হতবম্ব কবি 
আজ আমার কবিতাতেও থুথু ছেটায় সময় বলে মেয়েটা। 
.
কষ্ট হয় না ,শুধু বুকের বাঁদিকে খালি ঘরটায় পোস দিয়ে দাঁড়ায় মুহূর্ত 
কেউ একদিন ইনবক্সে বলে বেড়াতো মুহূর্তে বাঁচার কথা 
কেউ একদিন চুমু খেতে সময়কে আমন্ত্রিত করতো 
অথচ আজ ঘোর নিশা ,ঘোর  অন্ধকার 
তাকে দেখি স্বপ্নের খরগোশটার গলা টিপে দাঁত দিয়ে নলি ছিঁড়ছে 
মুখ দিয়ে তার রক্ত ঝরছে। 
সকলে বলছে জিও পাগলা ,কি অসাধারণ 
অথচ আমার মৃতদেহে আজ স্বপ্নের কবিতায় থুথু ছেটাচ্ছে সময় বলে মেয়েটা,
জানি সব বদলায় 
কিন্তু বদলায় না অবিশ্বাসের দোষরোপে মৃত প্রেম 
মৃত ভাবনারা ফিরে আসে 
শুধু নগ্নতা অন্ধকারে আলো হাঁতড়ে বেড়ায় 
চারিদিকে প্রদীপ জ্বলে ,বাজি পোড়ে ,মানুষ হাততালি দেয় 
কেউ বলে আরিব্বাস ,কেউ বা বলে দারুন ,দারুন
কিন্তু আমি জানি আজ সময় বলে মেয়েটা আমার কবিতার বুকে দাঁড়িয়ে 
থুথু ছিটিয়ে হাতে তুলে নেয় তার পুরোনো অস্ত্র।  
.
সময় বলে মেয়েটা 
... ঋষি

Friday, November 10, 2023

বেশ ভালো আছি

এইভাবে সময়ের গভীরতায় ঘর বেঁধেছিল হিরণ্যকশিপু মানুষের গভীরে 
মানুষের বুক ছিঁড়ে নখের আঁচড়ে তুলে এনেছিল সময়ের হৃদপিন্ড,কলিজা 
তাই সময় পরিবর্তনশীল ,
অথচ আজ যারা নিজেদের সময়কে পোড়ায় অগনতি অনন্ততায়
অথচ যাদের যৌবন পোড়ে নিতান্ত গেরোস্ত আগুনে  
তাদের সময় বড় অদ্ভুত 
  শুধু অনন্ত কোনো সাময়িকী। 
.
সব চিতা নিভে যায় নিয়মকরে 
শুধু রাবনের চিতা জ্বলে মানুষের বুকে 
খিদে ,ক্লান্তি ,অবসন্নতা ,আশ্রয়হীনতা ,মিথ্যা অহংকার 
কেমন যেন কতগুলো সময়ের পতাকা পতপত করে ওড়ে মানুষের মনে। 
ভালোবাসা মরে গিয়েও মরে না 
বেঁচে থাকে সময়ের যোগফলে ভালোবাসার জ্বলন্ত ফসিল ,
জ্বালায় ,পোড়ায় আবার সময়ের কবিতায় লিখে দেয় 
বেশ ভালো আছি। 
.
এইভাবে নদীর মতো বয়ে চলা মুহূর্তেরা চিৎকার করে 
হিরণ্যকশিপু মানুষের গভীরে একলা মরে 
অথচ বদলে চলে সময় 
আর শুধু সাময়িকী কেন যে মুখভার করে। 
.
বেশ ভালো আছি 
..ঋষি

Tuesday, November 7, 2023

mrutyu deo

কে আছো সময়ের মতো 
কে আছো ঈশ্বরের মতো 
কে আছো ভালোবাসার মতো 
সকলেই দাঁড়াও আমার সামনে 
আমি ক্রমশ জবাবদিহি আর দোষারোপের আগুনে পুড়ে যাচ্ছি 
সারা আকাশ জুড়ে কালো ধোঁয়ায়  আমার অপরাধ বোধ। 
.
কে আছো মানুষ আমার সামনে দাঁড়াও 
আমি পারছি না ক্রমশ নদীরে গভীরে নিজেকে লুকিয়ে মাছের চোখে দেখতে 
আর সহ্য করতে পারছি নিজেকে ,
ক্রমশ আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছি 
দূরে দেখা যাচ্ছে  সমুদ্রে মাস্তুল ক্রমশ বিলীন জীবনের জন্মগুলো ,
পারছি না পাখির চোখে জ্বেলে নিতে শেষ ঠিকানা 
শুধু পাখির পালকের মতো খসে পরে যাচ্ছি। 
.
কে আছো মৃত্যুর মতো 
একবার দাঁড়াও এসে আমার সামনে 
যদি কান্নাতেও ,আমার সন্ন্যাসেও যদি আগুন না মেটে 
এখনো সময় , জ্বালিয়ে দেও ,
আগুনকে ভালোবাসে যারা 
তারা বড় অসহায় 
আর অসহ্য। 
সকলে আমাকে অভিশাপ দেও ,সকলে আমার মৃত্যু কামনা করো 
কে আছো প্রেমিক খুনি ,নব বধূ সাজে সময়ের মুখ ,প্রেমিকার ঠোঁট 
কে আছো আমাকে বৃষ্টির মতো কাঁদতে শেখাও 
দীর্ঘজীবনের স্বপ্ন দেখে কেন অন্ধ সময়ের জরায়ু থেকে জন্মের  স্বপ্ন দেখা  
মৃত্যু দেও 
মৃত্যু দেও এবার সকলে । 
.
মৃত্যু দেও 
... ঋষি

Saturday, November 4, 2023

আমি পালাতে থাকি

আমি পালাতে থাকি, দূরে,আরও দূরে
নষ্ট সময়ের পাশাপাশি বুকের বাঁদিকটা হঠাৎ খালি খালি
ভয় পাই, পালাতে থাকি, মানতে থাকি
নষ্ট ভীড়ে মুখ লুকোই,
আর কষ্ট যাতে আমাকে ছুঁতে না পারে
তাই যা ইচ্ছে তাই, নেশা দিয়ে কুলকুচি করি
নষ্ট সপ্নদের কাঁচে হাত কাটি শহরের রাস্তায়
চিৎকার ফুরোতে থাকে, ক্রমশ ক্ষীণ 
কেন যেন বড় তৃপ্ত লাগে। 
.
আমি চাই তুমি ভালো থাকো অনন্ত দিকচক্রবালে
একটা মুক্তির মতো পালাতে পালাতে শুনতে পাই হরি ধ্বনি 
না না আর না, কষ্টরা যাতে ছুঁতে না পারে
চিতাকাঠ যাতে ছুঁতে না পারে.. বাঁচতে চাই ।
আমি পালাতে থাকি
একটা শেকড়হীন পাথরের মতো একটা হৃদয় দরকার বুঝি
পাতা ঝড়া সময়ের ধুকপুক,
পিছনের সারা রাস্তা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা মুহুর্ত 
আমি পালাতে থাকি।
.
আমি পালাতে থাকি
অথচ জানি যতই পালাই না কেনো কষ্টরা আমাকে ঠিক খুঁজে পাবে
আবারও হাঁটবে পাশাপাশি আঙুল জড়িয়ে
শেষ সময়ের স্তব্ধতার চাদরে আবার আমাকে জড়িয়ে নেবে।
আমি ক্রমশ তোমার বুকে ঘুমিয়ে পড়তে থাকবো তখন 
এক মনোরম মুহুর্ত, আর কোন শব্দ থাকবে না চারপাশে,
হারানো টুকরোগুলো তখন নীল আলো 
তুমি হাসছো ভীষন 
জানি না 
আবারও কেন ভালো লাগছে জীবন। 
.
আমি পালাতে থাকি
.. ঋষি 

Friday, November 3, 2023

চলন্তিকা তুমিও কি জেগে?

হঠাৎ স্বপ্নে পেয়েছি তোমায়
জিভ রেখেছি আখরোটের কিনারায় উপছে ওঠা  জ্যোৎস্না
তুমি বুঝতে পারছো চলন্তিকা, 
তুমি নিজস্ব ছন্দে ছটফট করে মধ্যরাতে আঁকড়ে ধরছো আকাশ
ধৈর্য আমদের কেমন এক স্কেলিটন বেয়ে আকাশ গিলছে
তুমি গভীরে আর গভীরতায়। 
.
ক্রমশ আকাশের নিচে মাটিতে তোমার হাত নিশপিশ করছে
উনুনে চাপানো হাঁড়ি থেকে ফ্যান গড়াচ্ছে
জানি খিদে পাচ্ছে তোমার, 
অথচ সময় বড় কম 
জানি একটা জীবন এভাবে কাটানো যায় না
তবু স্বপ্নে আমি দেখি 
এক রাক্ষসী বুকের উপর উঠে লোহা গরম করছে 
হাঁপড় টানছে
সারা রাত জুড়ে এক তৃপ্তি যেন গলন্ত লাভা অনুভবের ছন্দ। 
অসংখ্য টানাপোড়েন 
নিলজ্জ সভ্যাতার  নগ্ন মাটিতে আকাশ মিশে যাচ্ছে
ঘুম পাচ্ছে তবুও, না আসছে না
চলন্তিকা তুমিও কি জেগে? 
.
চলন্তিকা তুমিও কি জেগে? 
ঋষি 


সোয়েটার

অপরিহার্য বিশ্বাস 
অপরিহার্য আন্তরিক যোগফল একটা জীবন 
অনেক ছবি,অনেক মুহুর্ত, অজস্র ক্লিক
জীবনগুলো বোধহয় সকলের হাসে নিজস্ব পুরনো আলব্যামে, 
তারপর সব বদলাতে থাকে এই শহরে 
সব বদলাতে থাকে মুখোশের শহরে, রোজকার জীবনে,সম্পর্কের ব্যবহারিক রাস্তায়। 
.
ক্লান্ত লাগে
ক্লান্ত লাগে দারুন 
বিশ্বাসের ভীড়ে হারানো চেনা মুখ, অচেনা আয়না
হঠাৎ সুর বদল ঋতুর ভারাক্রান্ত ফটোফ্রেমে
পাশের জায়গাটা খালি চিরকাল। 
আমরা একটা অলীক কল্পনায় জীবন গোছাতে থাকি 
স্বপ্নে বুনতে থাকি জীবনের সোয়েটার 
শীত আসে,শীত যায় 
বেড়িয়ে পরে পুরনো আলমারি,পুরনো সুটকেস, 
খাটের তলায় বাক্স থেকে চাদর,সোয়েটার, মোজা
কিন্তু তেমন আর শীত পরে না কলকাতায় এই শহুরে জীবনে 
শুধু জীবনের সোয়েটারটা বোনা হয় না সকলের
বিশ্বাস হারিয়ে যায়
কিন্তু নি:শ্বাস বড় বেইমান 
তবুও চলতে থাকে। 
.
সোয়েটার
..ঋষি 

Tuesday, October 31, 2023

ফুরিয়ে যাওয়া ঈশ্বর

ফুরিয়ে যাওয়া ঈশ্বর 
... ঋষি 

হঠাৎ ঈশ্বর ফুরিয়ে যায় এই শহরে 
হঠাৎ সর্বস্ব নিজস্বতায় হেঁটে যায় ব্যস্ত শহরে আগের মতো 
কিছুই থেমে  থাকে না ,
রাস্তার পাশে প্যান্ডেলের বাঁশ ,ছেঁড়া কাপড়ের টুকরো ,দড়ি,ভাঙা মণ্ডপ 
সব গিলিগিলি যে ,উধাও ।
সব ছড়িয়ে থাকে বিষণ্ণ সন্ধ্যের বারান্দায় 
কিন্তু হাজারো ঈশ্বরের মুখেও তোমার মুখ মনে থাকে
ভুলচুক হয় না মুহূর্তদের ভিড়ে অসংখ্য টানাপোড়েন। 
.
কত কথা তো মনে পরে 
কত কথা তো বলার থেকে যায় অবশিষ্ট মানুষে 
পুরোনো জামার মতো হঠাৎ কেমন ছোট পরে যায় জীবন ,
হৈচৈ করে সেই অভিমানী ঈশ্বর 
আজও যে  তার আলতা রাঙানো পা রাখে আমার বুকে 
শুধু দাগটুকু থেকে গেছে 
আমিও আজও হাসি ,ভাবতে ভালো লাগে 
ঈশ্বর হওয়া থেকে অসুর হওয়াই ভালো 
কারণ তবে বোধহয় পৃথিবীর জন্মদ্বার দর্শন হয়। 
.
সবকিছু গোলমাল হয়ে যায় উৎসবের পরের শহরে 
দু শালিখ ,কিংবা তিন শালিখ ,কোনো পরিসংখ্যান টেকে না 
ঈশ্বর বোধহয় অবশিষ্ট মানুষে যন্ত্রনা খোঁজে। 
আমি চেয়ে থাকি দূরে রাস্তার দিকে 
আজ উদযাপন ,কাল বোধন ,
ঝপাং করে একটা শব্দ হয় চোখের জলে 
এর থেকে বোধহয় আরও জোরে কাঁদা যায় না ,
ঈশ্বরের অপেক্ষায় পরে থাকে অবশিষ্ট কাঠামো আগলে জীবন 
আবার অপেক্ষা অন্যদিনের  
হা ঈশ্বর ,সত্যি কি শুধু একটা সময় 
আর উৎসব শব্দটা শুধুই সাময়িক।

Sunday, October 29, 2023

কেঁদো না আমার জন্য

সরে যাচ্ছি, ক্রমশ কবিতার পাতা
সরে যাচ্ছি চলন্তিকা, প্রমানিত বিক্রিয়া, প্রমানিত রসায়ন 
আস্তে আস্তে ক্রমশ
একটা ছায়ার মত হাত,আবোলতাবোল 
অনিশ্চয়তা একটা অন্তরিন কর্কশ কাক ডাকে নিজের ভিতর। 
.
ব্যক্তিগত ষড়যন্ত্র, ব্যাক্তিগত অসুখ 
ক্রমশ তুমি এগিয়ে চলেছো কংক্রিটের রাজপথে 
আমি ক্রমশ পিছিয়ে চলেছি
নিজের থেকে, জন্মের থেকে জন্মান্তরে, আরো পিছনে
তবু ভালোলাগে ভাবতে কোন একদিন পৃথিবীটা সত্যি ছিল 
কিন্তু সেদিন বোধহয় আমি মিথ্যে ছিলাম। 
.
আজ এক প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখা জীবনটাকে দেখলে মনে হয় 
আমার মৃতদেহ,আমার আত্মহত্যা
অথচ কেন যে নিজেকে বোঝাতে পারি না
আমিও সবার মাঝে একজন, 
আমি টলস্টয়, আমি গোর্কি, আমি সুবোধ সরকার নই, আমি নিবেদনের মঞ্চ নই 
অথচ আমি সত্যিও নই, তোমার নই।
তবুও চলন্তিকা আজও স্পর্ধা করি ভাবতে 
তুমি যেদিন  শুনবে আমার মৃত্যুর খবর 
সেদিনও হয়তো তুমি ভুলতে চেষ্টা করবে
একজন অপদার্থ লিখতো কবিতা
একজন প্রেমিক লিখতো যন্ত্রনা
একজন অনামিকবি লিখতো সময় 
আর একজন মানুষ চাইতো বাঁচতে
অদ্ভুত তোমার চোখে জল 
প্লিজ চলন্তিকা আর কেঁদো না আমার জন্য
আমি তোমার কান্না দেখতে পারি না।
.
কেঁদো না আমার জন্য
..ঋষি

Saturday, October 28, 2023

লক্ষ্মী মেয়েদের কথা

লক্ষ্মী বলে দেহাতি মেয়েটার ৭০২ পাতার খসড়া পরে আছে থানার গুমঘরে 
যার ধর্ষণের প্রতিজন অভিযুক্তকে প্রমাণের অভাবে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, 
লক্ষ্মী বলে সেই মেয়েটাকে ক্রমাগত অপমানিত হতে হচ্ছে তার শশুরবাড়িতে 
কারণ তার বাপের বাড়ি কথা দিয়ে কথা রাখতে পারি ,
লক্ষ্মী বলে মেয়েটা পয়সা ইনকাম করতে রাস্তায় দাঁড়াচ্ছে 
কারণ তার পতি অকালে মরেছে তিনটে বাচ্চা দিয়ে ,
তা নাকি শুনছি আজকে লক্ষ্মী পুজো 
এ কি তবে লক্ষ্মী মেয়েদের পুজো নাকি এক সাজানো পুরুষতন্ত্র 
সংসারে শান্তির জন্য সারাদিন অনাহারে ঘোমটা টেনে মেয়েদেরকে মানতে হয়। 
.
না না আপনারা বুঝছেন না 
আমার জানার আছে 
লক্ষ্মী মেয়েদের বৈশিষ্ট কি ?
বিয়ের পর সামাজিক পতির সেবা করা ,বাচ্চা মানুষ করা 
রান্না করা ,সংসার সামলানো ,মাথা নিচু করে ঘোমটা পরে থাকা ,
তবে কি লক্ষ্মী মেয়েদের আকাশ দেখতে নেই 
সত্যি বলতে নেই কষ্ট হচ্ছে 
কাঁদতে নেই কারোর সম্মুখে 
শুধু হাসি মুখের মুখোশে সবার জন্য ভাবতে হয়। 
.
তবে কি লক্ষ্মী মেয়েদের সহ্য করতে হয় 
তার পতিদেব যদি রাত করে মদ খেয়ে ফুর্তি করে বাড়ি ফেরে  
তাকে সাদরে গ্রহণ করতে হয় ,
যদি তার পতি দেব সত্যি বলার জন্য তার গায়ে হাত তোলে 
সেই ব্যথার কালসিটে গুলো লুকোতে হয় ,
তবে কি দাঁড়াচ্ছে 
লক্ষ্মী মেয়ে হলে বাঁচতে নেই 
শুধু নিজেকে প্রতিমুহূর্তে হত্যা করে শাড়ির আড়ালে,শাড়ির গিঁটে 
একটা সংসার নামক নিয়মকে মেনে চলা ,
আমি অবাক হচ্ছি না 
এই পোড়া দেশে যেখানে আজও মেয়েদেরকে শরীর ভাবা হয় 
আজও যেখানে মেয়েদেরকে বিয়ের উপকরণ ভাবা হয় 
সেখানে মেয়েদেরকে সত্যি লক্ষ্মী ভাবাটা কষ্টকর 
বরং মেয়েদের লক্ষ্মী পুজো করাটাই  ভালো
মেনে নেওয়া ভালো নষ্ট পুরুষতন্ত্রের সামাজিক আবরণ ।  
.
লক্ষ্মী মেয়েদের কথা 
... ঋষি

Friday, October 27, 2023

বাঁচতে চাই

আকাশে যুদ্ধবিমানের ঘনঘটা
ইউক্রেন কিংবা গাজায় এ কে ৪৭ এর সামনে দাঁড়িয়ে শিশুটা বলছে বাঁচতে চাই, 
চারিদিকে ভেঙে পরছে একের পর এক বিশাল বিশাল কংক্রিটের পাঁচিল, ভুমিতে ফাটল 
মরক্কোয়  অসহায় ভুমিকম্পে দাঁড়িয়ে সেই বৃদ্ধা শেষবারের মত বলছে বাঁচতে চাই, 
ক্যন্সার আক্রান্ত অনিকেত দা মৃত্যুর শেষমুহুর্তে আমার কানের কাছে ফিসফিস করে বল্লেন বাঁচতে চাই,
নিজস্ব এফবি পোস্টে সানগ্লাস লাগিয়ে মৃত মানুষটা বলছে বাঁচতে চাই, 
মায়ের ফ্যালিওপিয়ান টিউবে বেড়ে ওঠা ভ্রুনটা ভীষন কাঁদছে, বলছে বাঁচতে চাই,
অনাহুত প্রেম বিশ্বাসে ঠকে গিয়ে মধ্যরাতে একলা সংযমে চিৎকার করে বলছে বাঁচতে চাই,
এই প্রাচীন ভালোবাসার শহর, শহরের গাছগুলো,মানুষগুলো,পুরনো ট্রামলাইন সকলেই বলছে গুপচুপ করে  বাঁচতে চাই,
শহরে প্রত্যহ ঘটে চলা ঘটনা,রাইটার্স বিল্ডিং,বিনয়, বাদল, দীনেশের স্ট্যাচু সকলেই বলছে বাঁচতে চাই 
এই উৎসব শেষে কবিতার মঞ্চ, হাজারো কবিতার পাতা,কবিদের বুকের গভীরে ঘুমন্ত কবিতারা সময়ের কলমে চিৎকার করছে, বলছে বাঁচতে চাই। 
.
ঠিক তো মশায় বাঁচতে চাই সবাই 
পঞ্চবার্ষিকী সরকার, খবরের সাজানো পাতা,কবিতার দালাল, সেলিব্রিটি ফটোফ্রেম
শঙ্কঘোষের দালান,দেশের তিন রঙা জাতীয়পতাকা,অনুপমের জীবমুখী গান, সাঁওতাল পরগনায় ধর্ষিত সেই মেয়েটা,
ঋনগ্রস্থ সেই কৃষক, কন্যাগ্রস্থ সেই পিতা,পরীক্ষার রেজাল্ট, চাকরীর এপোয়েনমেন্ট লেটার, তোমার দু:খে এগিয়ে আসা কাঁধগুলো কিংবা লোভী থাবাগুলো
কিন্তু
কিন্তু মশাই
আমি জানতাম ভালো থাকাটা,বাঁচতে চাওয়াটা একটা আর্ট
কিন্তু সেটাই ক্রমশ কেমন যেন ফিকে হয়ে যাচ্ছে 
মানুষ দৌড়চ্ছে আধুনিকতা আর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যাস্ততার সাথে
মানুষ হারাচ্ছে,মানুষের বেঁচে থাকা মানুষের সাথে
আমি মানুষের চিৎকারগুলো ইদানীং শুনতে পাই 

কারন আমিও যে সেই মানুষগুলোর দলে দাঁড়িয়ে  একদা অপরাধী ও প্রেমিক। 
.
বাঁচতে চাই 
.. ঋষি

Thursday, October 26, 2023

ছুটছি


আগুনে জ্বালা, আগুনে সময়, মৃত বিপ্লব,
কবিতার দালাল
আমি ছুটছি, আমাকে তাড়া করছে কেউ
মানুষের মত ভিক্ষা করছি,হাসছি, কাঁদছি
জন্মানো শোক
মৃতদেহের কবিতা
তবু বুকের ভিতরে আজ মহাউৎসব। 
.
সত্যি তো উৎসব মরে না
ভালোবাসা জন্মায় কিন্তু ভালো থাকে না 
সময় বদলায়,
আমি ছুটছি রোজ, আমাকে তাড়া করছে কেউ
দরজা খুলে দেখি 
বিপ্লব দাঁড়িয়ে, এত ক্ষোভ, এত আগুন, শহুরে কবিতা
আগুনে জ্বালা, আগুনে সময় আর অনেকগুলো মৃতদেহ
মানুষগুলোর পচা গলা লাশে লেখা বাঁচতে চাই।
.
তারপর 
আমি ছুটছি, আমাকে তাড়া করছে পাপ 
ক্রমশ একটা চোঙের ভিতর দিয়ে ছুটছি
বানান ভুল করছি সম্পর্কের। 
দেরী হচ্ছে, দিন কাটছে, 
চোঙটার একদিকে পৃথিবী, অন্যদিকে অনন্ত
ভয় করছে, ঠান্ডা শরীর 
একটা অর্ধেক জন্মানো ভালোবাসা তোমার ভিতরে
আমি পুরোটা চাইছি, 
ক্রমশ চোঙটা হারিয়ে যাচ্ছে অবহেলায়
কবিতা উৎসবের আগে ঘুম ভেঙে আয়নায় দেখছি 
তুমি তোমার ফোকলা দাঁতে সুখ চিবোচ্ছো। 
.
ছুটছি
..ঋষি 

Wednesday, October 25, 2023

hasi

তোমাকে নিয়ে আমার স্বপ্নের কমতি নেই 
ফুটপাথে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে চা খাবো 
সমুদ্রের বালিতে পাশাপাশি আমাদের ফুটপ্রিট থাকবে ,
কাঁকড়ার মতো ঢুকে যাবো তোমার ভিতরে 
তোমার বুকের গন্ধে বিভোর হয়ে ভাববো এই তো বেশ। 
এই শহরে হাতে টানা রিক্সা চড়বো কিংবা ট্রাম
সময়ের মাটিতে পুঁতে দেব বিশুদ্ধ একটা নতুন প্রজাতির গাছ  
যে গাছে ফুল হবে ,ফল হবে ,নিশ্বাস শুনবো ,ঘুমোবো 
আর তোমার মতো চিৎকার করে বলবো কাউকে দেব না তোকে । 
.
ভালোবাসা মানুষের এক ব্যাক্তিগত অসুখ 
সারা শহর যখন উৎসব ক্লান্ত ঘুমে ঢলে পড়ছে বিষন্নতায় 
তখন এই শহরে তোমার জামার বোতাম খোলার শব্দ শুনছে কেউ
বুকের ভিতর জঙ্গলে আগুন লাগছে
অনুভবে উঠে আসছে তোমার তপ্ত নিশ্বাস  ,
অনেকটা না বলা গলার কাছে আটকে চিৎকার করছে 
শুধু আমার,শুধু আমার বলা যাচ্ছে না । 
হচ্চে না ,হচ্ছে না কিছুতেই , সানগ্লাস লাগিয়ে হাসিমুখে ক্লিক 
নেওয়া যাচ্ছে না একের পর এক লাইক ,সাজানো ছবিতে মেকি হাসি 
তবুও জানি ,তবুও মানি 
'বুকের আগুনের ভিতর একটা বোধ আজও সোনার পাখি হয়ে জ্বলছে 
মাথার চারপাশে চক্রাকারে ঘুরে বেড়াচ্ছে মুহূর্ত 
ভালোবেসে ভালো রাখাটা সত্যি 
ভালোবাসা  একটা অসুখ তাও  সত্যি 
তবে সত্যি নয় এই মুহূর্ত আর এই বেঁচে থাকা 
তবু হাসছি 
কারণ হাসতে থাকাটাই  নিয়ম। 
.
হাসির কথা 
... ঋষি

Monday, October 23, 2023

বৃষ্টি বিঘ্নিত সুখ

এই অসময়ের বৃষ্টি আরেকবার প্রমান করে না
এই শহরে আজও ভালোবাসা বেঁচে, 
একটা সস্তা, রিমেকি গানের মতো চারিদিকে এতো ফুটেজ খাওয়া ক্লিক
সত্যি কি প্রমান করে না আমরা মিথ্যা দিয়ে চোখ লুকোতে চাই। 
উৎসবের শহরে এত প্যান্ডেল,এত রোশনাই 
এত হাতে, হাতে, তোমার হাসিমুখ
কেমন একটা প্রমান খোঁজে
শুধু ভালোবেসে তবে ভালো রাখা যায়। 
.
নি:শব্দে একের পর এক অপরাধ ঝরে বৃষ্টি ফোঁটায়
সকলের নতুন শাড়ী,নতুন জামা,  বস্তা বন্দী ঘোরা পথ
চোখ ঝলসে ওঠে, 
আবছা চশমার কাঁচের বাস্পে বৃষ্টি বিঘ্নিত সুখ।
মানুষ কি সত্যি নিয়ম করে উৎসবের সামনে দাঁড়ায়, ভালো থাকার জন্য
নাকি প্রতিদিনকার আয়নার সামনে আমরা সকলে দাঁড়িয়ে নকল মুখোশে মুড়ে
ভাবতে চাই,   ভালো আছি 
এই তো বেশ।
.
এর পরও উৎসব 
অতি প্রেমের কবিতার মতো তোমার রুক্ষ্ম কন্ঠে ঝরতে থাকে ক্ষোভ, 
আমি বৃষ্টির উৎসবে শান্তনা খুঁজি কালবেলায় 
কান পাতলে শুনতে পাই ক্যামেরায় ক্লিক, 
তবু কিছু মিথ্যে হয়ে যায় না 
কারণ বৃষ্টির হাত ধরেও শহরের রাজপথ আজও ভীড়ে ভারাক্রান্ত
আর আজও সকলে ভালো থাকা খুঁজছে। 
.
 বৃষ্টি বিঘ্নিত সুখ
.. ঋষি 

Monday, October 16, 2023

বন্ধ দরজার ওপারে

দরজাটা পাল্লাখানা খোলা ছিল চিরকাল 
সুন্দর করে বাহারি পর্দা দিয়ে সাজানো ছিল বাইরে দিয়ে 
এসেছে অনেকে ,
কেউ বসেছে ,কেউ হেসেছে ,কেউ খেলেছে 
অনেকের যাওয়ার সময় পর্দাটা ছিঁড়ে ,পাল্লা ভেঙে চলে গেছে। 
আমি দর্জি ডেকেছি ,দেখেছি কাঠ মিস্ত্রি 
তারপর আবারও বলেছি "এসো "
এসেছে অনেকে ,কেউ একটা সকাল ,একটা বিকেল কিংবা সন্ধ্যা 
কেউ যাওয়ার সময় আলতো করে ভেজিয়ে দিয়েছে দরজা 
তারপর অনেকেই দরজার সামনে থমকে দাঁড়িয়েছে 
অনেকে এমন ছিল যাওয়ার সময় আমাকে অনুভব দিয়েছে 
যেতে চায় না সে 
কিন্তু চলে গেছে। 
.
তারপর কখন যেন তুমি এলে 
আমার মনে হলো আর আর কারোর আসার প্রয়োজন নেই 
আর কাউকে বলার দরকার নেই " এসো ",
তাই দরজাটা বন্ধ করে দিয়েছি ,
তুমি এসেছো ,তুমি যাও নি ,তবু আমার ভিতরে বেহালার সুর
তুমি বসে আছো আমার সামনে ,তোমার রয়ে যাওয়া আমার ভিতরে 
তবু আমার একলা কবিতা।
এখন আমার ঘরেতে শান্তি 
এখন ঘরেতে বসে থাকা তুমুল ঝিমুনিতে তোমার মাঝে 
এখন আমার মন দিয়ে তোমার পায়ের শব্দ শোনা ,
এখন আর আমার ঘরের কোনো দরজা নেই ,সত্যি প্রয়োজন নেই 
বেশ তো  আছি তোমায় নিয়ে 
তোমার অপেক্ষায় আর দীর্ঘশ্বাসে। 
.
বন্ধ দরজার ওপারে
.. ঋষি

সেই সময়

সবকিছু চাপা পড়ে যায়
জীবনে কতবার তো দেখলাম কত মানুষ কাঁদছে
অথচ চারপাশ বরাবর একরকম, কোনো বদলই পার্মানেন্ট নয়।
আমার বন্ধু রাজদীপ হঠাৎ হারিয়ে গেলো অকাল মৃত্যুতে
কি বদলালো, 
আমরা বন্ধুরা সকলেই ব্যাস্ত নিজের মত 
সমস্ত তার ছবি ধুলোচাপা আজ।
.
কত প্রেম, কত সংসার কত মন ভাঙতে দেখলাম
মানুষের মাঝখানে থেকে হিংসা,ঠকানো, মুখোশ,মিছিল 
সব দেখলাম,স্রোতা হয়ে শুনলাম,বুঝলাম
প্রতিটি মানুষের একটা গল্প আছে
গল্প আছে মঞ্চের উপর দর্শক আসনে যারা তাদের
আবার যারা ড্রপসিনে লুকোনো অভিধানে পাঠ মুখস্থ করছে।
.
সত্যি হলো আমাদের সকলের মধ্যে একটা পাগল বোধ কাজ করে
আমরা সকলেই কি একা নই? 
জীবনের অভিনয়ে আমাদের আভ্যন্তরীণ বোধ আমাদের মানতে শেখায় 
ভিতরের প্রতিবাদগুলো সামজিকতায় মাথা নিচু করে,
আমরা চিৎকারগুলো দমবন্ধ রাখি সেই পাগল বোধের মতো 
যে রোজ অফিস ফেরত সেই ছেলেটা একমুহুর্ত গিয়ে দাঁড়ায় তার বিবাহিত প্রেমিকার বাড়ির সামনে
কিংবা সেই মেয়েটা সংসারে হাজার কাজে অন্তত দিনে একবার গীতবিতান থেকে বের করে তার প্রেমিকের শেষ চিঠি,
কিন্তু কিছু কি বদলায়? 
একটা হাসিখুশি মানুষের ভিতরেও যে একটা পাগল বাস করে আমরা সেটা কজন বুঝি
কজন বুঝি সেই মারাত্নক মাতাল ছেলেটা রোজ রাতে এই শহরে গোলমাল করে না
আসলে চিৎকার করে প্রেমিকার নাম ধরে, 
কিংবা সেই শিশুটা বড্ড কাঁদুনি, আসলে সে শেষ দুদিন কিছু খায় নি, 
কিন্তু কিছু কি বদলায়
বদলায় সময় সমাজ, নিয়ম,হিসেব, অধিকার,উঁচু নিচু পাঠ,ওয়াইট কলার,দরিদ্র
কিছু না
এই শহরে এমন অনেক মানুষ আছে একটা নির্দিষ্ট ডোরবেলের অপেক্ষা করে আছে সারাজীবন 
যদি দরজা খুলে একবার দেখতে পায় সেই সময়।  
.
সেই সময় 
.. ঋষি 



ভালোবাসার চাঁদ

চাঁদে প্রাণ আছে এই ভেবে কেউ এগিয়ে যায় অনবদ্যের দিকে 
কেউ পথ চলতি হঠাৎ ছেড়ে দেয় প্রেমিকার হাত 
কেউ আবার চিৎকার করে মাঝরাস্তায় প্রেমিকার নাম ধরে 
কেউ কেউ ভালোবাসাকে  শরীর ভেবে সঙ্গমে লিপ্ত হয় অন্যে পুরুষের সাথে 
কেউ আবার আগুনে ঝাঁপ দেয়  হঠাৎ কোনো একলা দিনে 
কেউ আবার একলা অপেক্ষায় অন্ধকারে দিন কাটায়। 
.
কেউ ক্ষুধার্তের মুখ থেকে কেড়ে নেয় থালা
কেউ যত্ন ক'রে তাকেই বেড়ে দেয় ভাত আর ভালোবাসা  
সময় বুভুক্ষুর মতো তৃষ্ণার্ত মরুভূমিতে ভিক্ষা করে 
তখন কেউ  জলকেলিতে খুঁজে নেয় আনন্দ। 
কেউ ভালোবাসার আপদতা  মরেছে ভেবে এগিয়ে যায় অন্য প্রেমের কাছে 
কেউ বেহুলার ভেলা নিয়ে ভেসে পরে গাঙুড়ের জলে
ভেসে যায় একা একা
একলা  আঁচল দিয়ে আগলে রাখে তার পচা ,গলা লুকোনো ভালোবাসা । 
.
যখন পাথুরে চাঁদের মাটিতে  মুখ থুবড়ে পড়ে ভালোবাসা 
আত্মঘাতী ট্যাংকার একলা আবিষ্কার খোঁজে মনের গভীরতায় ,
আত্মঘাতী মানুষেরা বুঝতে পারে না 
ভালোবাসা  শুধু খিদে নয় ,তৃষ্ণা নয় ,একটা ক্লোরোফরমিয় সৃষ্টি 
যা মানুষকে বাঁচাতে  সাহায্য করে আগামীর জন্য 
যা আগামী প্রজন্মের দিয়ে যেতে পারে অস্তিত্বের উপস্থিতি। 
চাঁদের প্রাণ আছে ভেবে যারা স্বপ্ন দেখে 
তারা এটা বোঝে না বিষ খেয়ে হয়তো যন্ত্রনা মেটানো যায় 
কিন্তু অপেক্ষার থেকে বেশি সুখ ইহজগতে নেই ,
অণুবীক্ষণে নিজেকে আবিষ্কার করা 
মুখোশ খুলে মুখোশ পরা সব মানলাম শক্ত 
কিন্তু তার থেকেই শক্ত ভালোবাসার হাত ধরা
অপেক্ষায় চাঁদের মাটিতে সবুজ গাছ লাগানো । 
.
ভালোবাসার চাঁদ 
ঋষি

Saturday, October 14, 2023

অন্যদিন

বাজলো তোমার,,,,,,,, 
বাজলো না, শুনলেন না আপনারা সকালের রেডিওতে প্রতিবার একইরকম বীরেন্দ্রবাবু। 
বললাম তোমাকে শুভ মহালয়া
সেই একই বাতাসে পাখির ডানা ঝাপটাবার শব্দ  শুনতে পেলাম 
শুনতে পেলাম তাচ্ছিল্যের হাসির শব্দ 
তোমার কন্ঠ, মহালয়া কখনও শুভ হয় না 
শুভ হয় ভাবনারা। 
.
ভাবনা? 
সে এক মজার গল্প এক যে ছিল রাজা, এক যে ছিল রানী
ছোটবেলায় শোনা নটে গাছটি মুড়িয়েছে বহুদিন 
তবু ফুল বেচতে বেচতে দিদিটার নাম হয়ে গেছে ফুলি দি 
তবু রফিক চাচা পায়রা ওড়াতে থাকা ভাবনারা আজ আমার মুক্তি
তবু ভালোবাসায় মৃত লোকটার নাম হলো দেবদাস। 
.
গড়িয়াহাটে মারাত্নক কেনাকাটার  ভীড় তখন 
তোমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম নীল আকাশি শাড়িতে ভীষন ব্যস্ততায় 
তবে এই প্রথম ইচ্ছে হলো না তোমার সাথে কথা বলতে
মনে হলো উৎসবের শহরের পাশে দাঁড়িয়ে আছি আমরা একে অপরের হাত ধরে
তোমার অন্য হাতে তখন একটা গোটা সংসার। 
তুমি হাসছিলে খুব
হঠাৎ তোমায় বলতে ইচ্ছে করলো শুভ মহালয়া
উৎসবের শুভেচ্ছা
এইবার আমার ঘুম ভেঙে গেলো 
স্পষ্ট  শুনতে পেলাম নিচে বাবার ঘরে পুরনো রেডিওর শব্দ
আপনারা শুনবেন ১০৭ মেগাহার্জে উৎসবের আকাশ আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠান মহিষাসুরমর্দিনী
আপনাদের সকলকে জানাই শুভ মহালয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা। 
.
অন্যদিন
.. ঋষি 



Friday, October 13, 2023

বোতল বন্দী

এতটা জীবন তৃষ্ণা নিয়ে মরে যাবো 
হাজারো রহর্স্য ,অনবদ্য চাঁদনীর  হাতছানি ,কতকিছু তো বাকি ,
শৈশব ,জীবিকা ,যৌবন ,আগামী সুগার প্রেশার কোলেস্টেরল থাইরয়েড ইউরিক এ্যাসিড
দুর্লভ প্যাকেজ ,কিন্তু কি যেন হলো না ,কি যেন 
বাঁচা ?তোমাকে খাওয়া চুমু ,অপরাধী সঙ্গম 
সব কেমন অসমাপ্ত রয়ে গেলো। 
.
অথচ কত দেশ, কত নদী, কত সমুদ্র, কত ঝর্ণা, কত কুয়াশা
গভীর পর্বতের রহস্য ,কত না পড়া কবিতা ,হাজারো কবি ,সাহিত্য 
বিচিত্র মানুষ ও সংস্কৃতিকে জানাই হল না ,
অনন্ত যৌনতৃষ্ণা ,শৈশবের নিষিদ্ধ ফল আর পাপ 
বাধ্যতামূলক সতীত্ব 
সমোলোচিত সংযম ,সম্মান 
মনোগ্যামিতে কিংবা লুকোছাপা পরকীয়ায় লুকোনো বাঁচা 
সবকেমন অজানা রয়ে গেলো । 
.
আসলে সত্যিটা হলো প্রতিটা জন্মের সামাজিকতা আর হিসেবনিকেশ 
মানুষকে বন্ধনে শিক্ষিত করে ,
ভিতরে সেই বাঁচতে চাওয়া শৈশব নামক বালকটা কিংবা বালিকাকে
শিকল বন্দি করে হিসেবি নিশ্বাস নিতে শেখায় 
পৌনঃপুনিক বাপ্ ঠাকুরদার আফিং খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখে বেঁচে থাকাটুকু । 
নিজের দেশে প্রবাসী কিংবা গৃহবন্দী  থাকার মতো 
আমরা বাঁচি 
কিংবা বাঁচতে চেষ্টা করি 
বোঝাপড়ায় নিজের জীবনটুকু বোতল বন্দী  রাখি 
হাসি ঠিক 
আর নিজেকে মিথ্যে শেখায় 
সত্যি বোলো ,
সমাজে সংযমের মতো পবিত্র বস্তু আর কিছু নেই। 
.
বোতল বন্দী 
.. ঋষি

ধর্ষন

ভাবি আর ভাবি 
মাঝে মাঝে নষ্টদের মাঝে গিয়ে দাঁড়াই 
মাঝে মাঝে গিয়ে দাঁড়ায় সেই নষ্ট মেয়েদের শরীরের কাছে 
মাংসের পাহাড় বেয়ে ঝরিয়ে দি আমার জিভের লোনা, ধারালো দাঁত ।
তারপর প্রতিবারই কবিতার কাছে ফিরে আসি প্রতিবাদ করি ,মাথা ঠুকি
মাথা নিচু করে নিজেকে নিঃসঙ্গ করে ,
নিজের দুহাতে ,মুখে কালি মেখে  
স্বীকার করি আমি নপুংসক,আমি নষ্ট সময়ের অপরাধী । 
.
সময়ের কাছে মাথা নিচু করতে করতে 
আজকাল মাথা খাঁড়া করে দেখতে পাই না উৎসবের বিজ্ঞাপন, 
হাজার কপোত কপোতী হেঁটে যায় তোমার দিকে।
 আমি  চোখ বন্ধ করলেই 
শব্দরা  সব ভালোবাসা খোঁজে এই শহরে 
আর আমি ,
আমি তখন গুন্ডামি করি ,তোমায় খুঁজি এই শহরের অলিতেগলিতে
আমার স্পর্ধা আমি তোমাকে ছুঁই কবিতা জানা স্বত্বেও 
জানা স্বত্বেও ভালোবাসা অপরাধী না ,অপরাধী মানুষ। 
.
লাইক ,কমেন্টস ,প্রতিবাদ মিছিল আর নীতিবাদী কবিতায় যখন কামদুনি ধুঁকতে থাকে 
তখন তার সারা শরীরে আর সারা ভারতবর্ষে লেগে যায় পুরুষের আস্পর্ধা 
সেখানে দাঁড়িয়ে আমি তখন  অপরাধী 
অথচ কি অদ্ভুত আমি বেকসুর ছাড়া পাই,
এই শহর তখন ওয়াইট কলার লাগিয়ে আমাকে বরন করে সময়ের বিবর্ণতায় ।
আমি ভাবি, আমি বুঝি এই তবে কবিতা 
এই তবে শহর 
আমার কষ্ট হয় যারা ভাবে তার পরিচয় শুধুই শরীর  ,তার জন্য 
আমি চিৎকার করে কাঁদতে থাকি নীতিবিরুদ্ধ প্রেমের দরজায় 
এইবার তবে মুক্তি দেও ভালোবাসা 
আমি না হয় সময়ের কবিতায় নষ্ট হয়ে যাই
তারপর না হয় গিয়ে দাঁড়াবো তোমার সামনে
বলবো যে যাই বলুক এইবার তবে মৃত্যু দে আমায়
আমি ধর্ষন করেছি তোকে ।
.
আমি ধর্ষন করেছি তোকে
... ঋষি

Tuesday, October 10, 2023

উৎসব

উৎসব 
... ঋষি 

ভিখিরি হয়ে দাঁড়িয়ে আছি তোমার দরজায় 
তুমিও হাত জোড়ে দাঁড়িয়ে আমার কাছে ,
মুক্তি চাইছো তুমি 
আর মুক্তিপণ হিসেবে আমাকে দিয়ে যাচ্ছো মৃত্যু ,
আমি শুধু আমার কথা বলি 
অথচ আকাশের স্বপ্নে আজও কাশফুলের ঘরে উৎসব
যেন ছড়িয়ে দিচ্ছে বাতাসে মৃত্যুর শব্দ 
জানি কষ্ট হচ্ছে তোমার। 
.
তোমার কষ্টের মার্জনা সম্ভব না 
তোমার জীবিত উপার্জনের কান্নাগুলো আমার মৃত্যুর থেকে বড় 
অনেককিছু লিখতে চাইছে কবিতা 
অথচ আমার চোখের কাঁচে জমানো বাষ্প তোমার নিস্তব্ধতায় বোবা
বোবা এই শহরের বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়ানো ,পার্কের বেঞ্চে ,চায়ের দোকানে মুহূর্তগুলো 
গলার কাছে আটকে আছে শব্দগুলো 
প্লিজ একবার ,প্লিজ যদি। ....
.
জানি ভিখিরিদের কোনো বাড়ি থাকে না 
স্মরণে থাকে একটাই শব্দ খিদে 
আমি বুঝিনি তোমার মুহূর্তগুলো আমার খিদের মতো আগামী 
আজ শুধু ভাবনার কাঁচে একটা সড়ক এগিয়ে যাচ্ছে বৃষ্টি গড়ানো যন্ত্রনায়, 
অনেক কিছু লিখতে চাইছে কবিতা 
কিন্তু তোমাকে কেন যে কিছুতেই বলতে পারছে না 
প্লিজ যাস না ,প্লিজ ফিরে আয় 
এখনো কবিতা লেখা বাকি 
শুধু অসময়ের অসতর্কতায় চোখ বেয়ে গড়িয়ে নামছে জল 
খুব বৃষ্টি হচ্ছে শহরে 
অথচ উৎসবের মেজাজে বুঝছে না কেউ।

মৃতদেহ

মৃতদেহ 
... ঋষি 

তোমার হাত ধরে চলন্তিকা কবিতার কাছে থাকা
আমি কেউ নই ,চলন্তিকা তোমার বর্ণ গুলো সব 
বুঝি নি তোমার সাথে থাকা 
আমার কবিতার পথ ,
অগোছালো একটা মানুষ ,একটা জংলী সত্বা চলন্তিকা 
আমি কবিতায় লিখি। 
.
সব কেমন বিধস্ত ,সব কেমন নিস্তব্ধ 
চলন্তিকা তোমার পায়ের শব্দটা আমি শুনতে চাই আমার বুকে 
তোমার বুকের ধুকপুকে আমি যে এবার মরতে চাই 
অথচ আমি যে পাপী ,
আমার পাপ আমার যন্ত্রনাগুলোকে মুখ পুড়িয়ে 
পুড়িয়ে ফেলে তোমায়। 
.
আমি  তোমার মৃতদেহের পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদতে থাকি 
কাঁদতে কাঁদতে পৌঁছে যায় কবিতার পুরোনো পাতায় 
যেখানে চলন্তিকা  স্বপ্ন ছিল 
কবিতাগুলো ছিল বুকের দেরাজে রাখা তোমার হাসিমুখ ,
অথচ আমার জঘন্য পাপ  
সময়ের কাছে দাঁড়িয়ে তোমার মৃত্যুর দিন গুনছে 
দিনগুনছে তোমাকে হারানোর। 
জানি চলন্তিকা আর আসবে না আমার কবিতায় 
জানি ক্রমশ আরো দূরে ,আরো দূরে সরে যাবে তোমার পায়ের শব্দ 
আমি ক্রমশ হারিয়ে যাবো পিছনে 
আমার কবিতায় চলন্তিকা আর তার বর্ণগুলো 
আর কবিতা লিখবে না 
লিখবে মৃতদেহ সৎকারের পদ্ধতি 
আর আমার বুকের পাঁজরে চলন্তিকা থুথু ছিটিয়ে বলবে বারংবার 
তুই আদৌ যোগ্য ,আদৌ  .........

কাঁচগুলো

কাঁচগুলো 
... ঋষি 

একটা স্বপ্নের হাত ধরে চলতে চলতে 
হঠাৎ ভুলে গেছি বিস্তীর্ণতা আর সেই মানুষটাকে 
অথচ স্বপ্ন গুলো তার 
বাঁচাগুলো তার,
একটা ভাঙা কাঁচের ভিতর আজকাল একটা অচেনা মানুষ 
চিনতে পারি না নিজেকে। 
.
বড় অনাদরে ,বড় স্বার্থপরতায় রেখেছি তাকে 
আজ তার  পাহাড়ের মতো শোক ,আজ তার অভিমানগুলো বারুদের ঘর 
পুড়ছে সে ,ধ্বংস চাইছে আগামী ,
আকাশের পাখি ,আর তার শৈশবটুকু 
আগলে রাখতে পারি নি 
পুরুষ আমি তার চোখে,আর নিজের চোখে স্বার্থপর মানুষ। 
.
অসম্ভব এই মুহূর্ত 
আগুনের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আগুনে তাপটুকু বড় প্রিয় লাগে 
নিজের শরীরে ছুরি আঘাত করা আজ সহজ 
 তার যন্ত্রনার কাছে মৃত্যুবরণ করতে চাই ,
ফিরতে  চাই আগামী জন্মে যদি একবার তাকে ফিরে পাওয়া যায় ,
বুঝি নি তার হাসিটুকু আমার যাপন ছিল 
তার সঙ্গে থাকা আমার জীবন ছিল। 
আজও আমি আছি ,সেও  আছে 
মুখোমুখি 
অথচ আমাদের পায়ের তলায় আমার জমানো পাপ কাঁচের গুঁড়োর মতো ছড়ানো 
আমরা হাঁটছি  ঠিক 
কিন্তু সে আমার থেকে দূরে ,আরও দূরে আমার বিপরীতে 
হা ঈশ্বর ,ক্রমশ হারিয়ে ফেলছি তোকে।

Friday, October 6, 2023

সত্যিটা বলে ফেলুন

যৌন পিপাসা নিরুত্তরে এক অন্ধকার ডাক 
ডাকটা অমান্য করা মুশকিল 
আবার মেনে নেওয়াও মুশকিল জানি 
তবু একবার নিজের বুকে হাত রেখে বলুন তো মিথ্যা কি ?
কেন দেখাচ্ছেন ?
কেন দেখাচ্ছেন আপনারা সুখে থাকার বিজ্ঞাপনী সেলফি 
সত্যি বলতে পারছেন না ,ভয় পাচ্ছেন
মুক্তি নেই ,মুক্তির পথে জটিলতা। 
কি চাইছেন ?
নিয়মের সমাজের অধীনে বোঝাপড়া নামক শব্দের সাথে আলিঙ্গন করে 
এই জীবনটা  কাটিয়ে দেবো এমনি। 
.
কি ভালো আছেন তো মশাই ?
নিজেকে খুশি প্রমাণিত করতে জড়িয়ে আছেন সমাজকে সাপের মতো 
তাজমহলের সামনে সাজানো ফ্যামিলি ফটোফ্রেম  
কাঞ্চনজঙ্ঘার পাহাড়ে বুক চিতিয়ে ছবি ,ভালো আছি ,
দিঘায় সমুদ্রের বালিতে জোড়া কাঁকড়া 
বিশ্বাস করাতে চাইছেন নিজেকে ভালো আছেন 
আমি তো বুঝছি মশাই সবটাই, ভয় পাচ্ছেন ,ডিভোর্স ,সমাজ ,নিয়ম 
থাক আর সত্যি বলবো  না। 
.
আপনাকে বলছি ম্যাডাম 
বেনারসী পরে ,সুট ,টাই পরা সামাজিক  মানুষটার পাশে আপনাকে বেশ লাগছে 
ব্যাংক ব্যালান্স ,জীবন বীমায় পাশাপাশি নাম ,বেশ লাগছে। 
তবু রাতের বিছানা জানে ম্যাডাম আপনার শরীরে আজ বহুদিন লাগে নি 
পুরুষের ঘাম ,বালিশের শহরে নেই কোনো পুরুষালি গন্ধ 
সাজানো গোছানো সংসার, 
সেই বোঝাপড়া। 
আজও জানলার দিকে তাকিয়ে আপনি আকাশ খোঁজেন 
সত্যি বলতে পারছেন না তো 
বাপের বাড়ি ,শশুর বাড়ি ,পাড়া প্রতিবেশী কি বলবে। 
.
কি বলছেন আপনারা ,বড্ড বেশি সত্যি বলছি 
দেখে নেবেন ,
তা দেখে নিন
আমি যে জেনে গেছি ব্যাপারটা 
আমি যে জেনে গেছি বোঝাপড়া করে সময় কাটানো যায় 
কাঁদা যায় একলা নিজের কাঁধে মাথা রেখে 
ফটোফ্রেমে  ফ্যামিলি ফটো সাজিয়ে নিজেকে বোঝানো যায় 
ভালো আছি ,
কিন্তু ভালো থাকতে একটা মানুষ  চাই ,একটাই মানুষ 
শুধুই  শরীর নয় ,শুধুই বন্ধু নয় ,শুধু একটা বিশেষ স্পর্শ 
যার সাথে ভালো থাকা যায়
সুতরাং সময় আছে আর মিথ্যে নয় 
অনুরোধ সত্যিটা বলে ফেলুন।  
.
সত্যিটা বলে ফেলুন 
,,, ঋষি

তোমার অনুভবে

তোমাকে অনুভব করে বুঝেছি
আকশের চাঁদে যেমন দাগ আছে তেমনি তোমার সারা শরীরে মনে পোড়া দাগ, 
একটা মধ্যাহ্নের ধুকতে থাকা আগুন তুমি
যার স্নানের ঘরে জলের ধারার আড়ালে লোকানো আছে একান্ত গোপন শোক।
অজস্র পুরুষের মৃত প্রতিশ্রুতি তোমার হাসির ঝিলিকে ঘুমিয়ে পড়ে ঠিক
কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ জেগে ওঠে শয়তানের মতো মধ্য রাতে তোমাকে কাঁন্নাতে। 
.
তোমাকে যারা বলেছিল কালো হরিণী চোখ 
তোমাকে যারা বলেছিল ভালোবাসি 
তারা সকলেই আজ ব্যাস্ত আজ নিজের সংসারে
আর তুমি ব্যস্ত কাটানো সময়ের যোগফলের ক্রুস কাঁটায় দু:খের সোয়াটার বুনতে, 
আমি বুঝি, আমি জানি
শুধু জানি না নিরন্তর এই যোগ বিয়োগের শহরে
তোমার প্রেমিকরা সব যোগ না বিয়োগ। 
.
আমি জানি তুমি মাঝে মাথা ঠোঁকো দেওয়ালে
ভাবো কবে? 
তোমার মধ্যবিত্ত অহংকার, নিলজ্জ এক সাজানো সংসার 
তুমি দাঁড়িয়ে থাকো ভাবনার বারান্দায় 
মনে মনে ভাবো 
এই সাজানো নাটকের পোড়া শহরে কি একটাও কি পুরুষ  নেই 
যে হাত ধরে তোমার পাশে দাঁড়াবে
তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলবে আমি আছি, আমি থাকবো, 
অতীত জানতে চাই না 
শুধু আজ আর ভবিষ্যতে তোমাকে ভালোবেসে
শুধু তোমার হয়ে
কিংবা নেই কোন নিলজ্জ ধর্ষক 
যে নিতান্ত আসুরিক কামের পরব স্বীকার করবে
হ্যা আমি তোমারই ধর্ষক। 
.
তোমার অনুভবে
.. ঋষি 


তুমি ও আমরা চারজন প্রেমিক

 
আমরা চারজন তোমার প্রেমিক 
আমরা প্রত্যেকে  তোমাকে ভালোবেসেছি নিজের মতো করে
আমরা প্রত্যেকে ফিদা হয়েছি তোমার হাসির ছটায়, তোমার শারীরিক ওঠানামায়, তোমার শাড়ির আঁচলে
আমরা প্রত্যেকে তোমাকে পুজো করেছি নিজের মতো করে 
তোমাকে ছুঁয়েছি 
কিন্তু ছুঁয়েছি কতটা? 
.
আমরা প্রত্যেকে এসেছি তোমার জীবনে নির্দিষ্ট ছন্দে
নিয়ম করে তোমার আরাধনায়  ধুপ ধুনো জ্বেলেছি 
তোমার অপেক্ষায় রাস্তায় দাঁড়িয়েছি,উড়িয়েছি প্যাকেট প্যাকেট সিগারেট 
কিংবা বৃষ্টিদিনে তুমুল নেশায় হস্তমৈথুনে তোমাকে জড়িয়ে এই শুকনো শহরে কুড়িয়ে নিয়েছি নিজেদের যোগফল কিংবা বিয়োগ। 
.
আজ এতগুলো বছর পরেও আমরা প্রত্যেকে দাঁড়িয়ে তোমার বারান্দার নিচে
আমরা প্রত্যেকে একবার দেখতে চাইছি তোমায়, 
আসলে আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতে মুখরা দজ্জাল বৌ
ন্যালাক্ষেপা  কিছু ইকিরমিকির সন্তান
নুন আনতে পান্তা ফুরোনো অভিশাপে আমরা প্রত্যেকেই তোমার পাপী। 
প্রত্যেকের দিনান্তে ফুরোনো সপ্নের মাঝে হঠাৎ ফুটে ওঠে তোমার প্রতিমার মতো মুখ,
আমাদের মধ্যে কেউ তোমার স্বামী, কেউ বন্ধু, কেউ প্রতিবেশী, কেউ প্রেমিক 
অথচ আমরা সকলেই একই ফুটপাথে দাঁড়িয়ে ভিখিরীর মতো
আমাদের নিজেদের মাঝে কোন দ্বন্দ নেই
আমাদের নিজেদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই
আমরা সকলেই পুরুষ ও তোমার প্রেমিক 
অথচ আমাদের সকলের একই অভিশাপ
আমরা তোমাকে ছুঁলেও 
তোমাকে ছুঁতে পারি নি। 
.
তুমি ও আমরা চারজন প্রেমিক
.. ঋষি 

তোমার হবে না

জানি তোমাকে কখনো পাওয়া হবে না
কারণ তোমার কবিতার ঈশ্বর কোন বইমেলায় 
একলা দাঁড়িয়ে নিজের বই বিক্রি করে নি,
কখনও কোন দিন বিকেল কিংবা সন্ধ্যায় বিখ্যাত মুখের পাশে তোমাকে দেখা যায় নি, 
তুমি কেন বোঝো না
তোমার কোন জাহির নেই,নেই কোন কবিতার বাবা
শুধু আছে নিসঙ্গতা আর কবিতা। 
.
সবাই যখন হাওয়ার সাথে সন্ধি করে কবিতার পালায় ছুঁটছে
তখন তোমার রক্তাক্ত বর্ণমালা কবিতার ভাবনা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে,
তুমি জানো এই ক্ষুদার্ত, আশ্র‍য়হীন  মানুষগুলোর কোন গতি নেই 
নেই কোন দামামা,নেই কোন কবিতার উৎসব
আছে শুধু কষ্ট
তুমি জানো এদের কোন মঞ্চ নেই, নেই সেল্ফির বাহুল্য
অথচ  তুমি এই গরীব মানুষগুলোর জন্য কবিতা লিখে যাচ্ছো। 
.
সুতরাং তোমার কিছু হবে না
দিল্লি কিংবা কলকাতার পুরষ্কার কবি প্যানেলে তোমার নাম নেই 
তোমার কোন সম্পাদক কিংবা প্রকাশকের সাথে যোগাযোগ নেই
কোন আবৃত্তিকার তোমার তৈলাক্ত দাদা বা বোন হয় না
আসলে তোমার কবিতারা প্রমোশন চায় না
চায় না সময়ের সাথে সন্ধি করতে। 
তোমার কবিতারা শুধু শহর লিখতে জানে
ফসল বুনতে জানে মানুষের দৈনতা আর কষ্টের চাষাভুষা মাঠে
আসলে তোমার কবিতারা সত্যি বলতে জানে
তাই বেশ্যার মাটিতে প্রতিমা গড়ার উৎসবে
তুমি থাকবে কবিতার জন্য 
কিন্তু কবিতার মাটিতে তোমার প্রতিমা গড়া হবে না। 
.
তোমার হবে না 
.. ঋষি 


Wednesday, October 4, 2023

অপাঙক্তেয়

তাড়া খেতে খেতে সময় বদল করেছি 
হাতের তালুতে ছুঁয়ে আছে খুনি রক্ত,
সময়ের পায়ে গামবুট, তার ফোঁকলা দাঁতে লেগে আছে অনেকটা পথ, 
বাইরের পৃথিবীতে তখন বেহায়া বৃষ্টি
৷ ৷৷৷৷ মন কেমনের বৃষ্টি।।।।। 
কান্না পাচ্ছে অকারণে । 
.
জানি আমার কবিতারা অপাঙক্তেয় তোমার কাছে
জানি দু:খী নদী যেদিকে বয়, পিঠ থাপড়ায় সকলে 
জলের  তরলতা সকলে বোঝে,বুঝতে চায়
কিন্তু জলের গভীরে কষ্ট ? 
শুধু বেওয়ারিশ জানে
এই রহস্যময় শহরের জানলায় লুকোনো একটা জঙ্গল 
কতগুলো হলদেটে চোখ তাড়া করে। 
    অপরাধ  ? 
.
আমি ছুটতে থাকি খালি পায়ে, খালি গায়ে তুমুল বৃষ্টিতে
শহরের পানশালাতে তখন  ভরে ওঠে অবধারিত মাতলামিতে 
ওয়েটার এসে দাঁড়ায় আমার কবিতার পাশে 
আমি তাকে বোকার মতো প্রশ্ন করি তুমি আসবে কিনা ? 
ওয়েটার হাসতে থাকে 
বলে বাবু অনেক রাত 
বাইরে খুব বৃষ্টি হচ্ছে শহরে,
আমি কাঁদতে থাকি, কারণ জানি আমার কবিতারা  অপাঙক্তেয় তোমার কাছে। 
.
অপাঙক্তেয়
... ঋষি 


Tuesday, October 3, 2023

মনের মানুষ

বেশ কিছুদিন এই শহরটাতে উৎসব খুঁজছি 
খুঁজছি ভালোবাসা 
অথচ শহরের পথঘাট ,নালা নর্দমা ,বাস ট্রাম জুড়ে শুধু মানুষ 
আর ক্লান্ত মানুষ। 
অবাক হচ্ছি রোজ ,চিৎকার করছি 
থামুক ওরা 
মাথা দিয়ে না ,একবার মন দিয়ে কারণ ছাড়া ভালোবাসুক 
ভালোবাসুক মনের মানুষ। 
.
বেশ কিছুদিন বসে আছি সবার পিছনে 
আমার সামনে বসে উঁচু উঁচু সব দানবাকার কারণগুলো 
তাদের চওড়া বুক  ,ব্যাক ম্যাসল ,বাইসেপ ,ট্রাই সেপ 
এমন সব প্রতিভার মাঝে 
জানি তুমি লক্ষ করো নি আমাকে কিংবা আমাদের । 
আসলে আমি আর আমার মতো এই শহরে অনেকে  
কখনো ,কোনো দিনই কোনো  উৎসবের উপযুক্ত ছিল না 
কারণ আমরা কোয়ান্টাম থিওরি বুঝি না ,বুঝি না পিথাগোরাস 
আমরা গোর্কি কিংবা রবীন্দ্রনাথ পড়ি নি 
আমরা উৎসবের শেষের আশায় আগের থেকেই ভয় পাই ,
তাই দৌড়োই  
আর তাকিয়ে দেখি তোমার সিল্কের শাড়ি ঢাকা ৩৬,৪৮ আর ৩৯ 
আরো ভয় পাই 
তোমার হৃদপিন্ড ,তোমার ফুসফুস ,তোমার যন্ত্রনা ,তোমার অভিমানে 
তারপর মুখ থুবড়ে পরি 
আফ্ৰিকার একলা জঙ্গলে 
আর শুধু খুঁজে পাই খিদে
আর সেখানে উৎসব শব্দটা একটা বাহুল্য । 
.
মনের মানুষ 
......... ঋষি

Saturday, September 30, 2023

ভালোবাসার মানুষ


কথা দিয়েছিলে কোন এক বৃষ্টিদিনে তুমি কেটে দেবে আমার গলার নলি 
তারপর গোপন কষ্টের জলে ধুয়ে নেবে তোমার হাত।
কথা দিয়েছিলে কোন এক বৃষ্টি ভেজা রাতে
আমার মৃতদেহ তুমি তুলে দেবে এই শহরের হাতে, 
তারপর দেখবে
আমার আপন শহর টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাবে আমার মৃতশরীরটা 
পুঁতে দেবে ভিজে মাটিতে। 
তারপর সেই মাটিতে নতুন গাছগুলো আবার সবুজ হবে, তাজা হবে 
নিজের প্রহসনে,
সেদিনও বৃষ্টি হবে, আমি থাকবো না
কেউ মনে রাখবে না
শুধু তারিখের হিসাবে দিন কেটে যাবে। 
.
কথা দিয়েছিলে আমার মৃত্যুর পরে কোন এক বৃষ্টি দিনে 
তুমি এসে দাঁড়াবে তোমার নতুন প্রেমিকের হাত ধরে ভিজে গাছেদের মাঝে, 
চারিদিকে কানাঘুষোতে শোনা যাবে 
এই শহরের পুরনো গল্পটা
প্রেম ফুরোয় না 
তবে ফুরিয়ে যায় ভালোবাসার মানুষ। 
.
ভালোবাসার মানুষ
ঋষি 


Thursday, September 28, 2023

নির্বাসন

যারা সময়কে না বুঝে পা বাড়িয়েছি অন্ধকারে
তাদের আর ঘরে ফেরা হবে না, 
জীবনের জল আর এই করতল 
যারা বিন্দু বিন্দু করে জুড়তে চেয়েছি 
তারা জানে না যে, তারা জানে না তাদের পাগুলো সব গাছ হয়ে গেছে। 
.
আটত্রিশটা দাঁত মেজে যারা বাঁশ, ত্রিপলের দরদাম করে
তারা ব্যাবসায়ী, 
তাদের কাছে উৎসবের খোঁজ করতে যাওয়াটা মুর্খামি। 
সমস্ত দরদামের পরেও যারা একলা থেকে যায় 
তারাই বোধহয় বোকা
এই যে যারা বিশ্বাসকে নি:শ্বাস ভেবে স্বাতী নক্ষত্রের জলে দুরবীনে চোখ রাখে 
তারা জানে না যে, তারা জানে না তাদের চোখের পিছনে ঈশ্বরের চোখ।
চোখ তো কথা বলে, এ শহরের চোখে স্বপ্নরা সব অশ্রুকন্যা
তবে বিতারিত নির্বাসনে,
কবিতার পাতারা অনাহারে নিলজ্জিত বহুদিন। 
.
নির্বাসন 
.. ঋষি 

Wednesday, September 20, 2023

ডোরাকাটা দাগ

প্রতিদিন যুদ্ধ চলে নিয়মিত
প্রতিদিন এই শহরের আকাশে বোমারু বিমান হানা দেয় 
কিছুই বদলায় না কিছু শব্দতরঙ্গে, 
প্রতিদিন নিয়ম করে তোমার অভিমানগুলো একটা বিশ্বযুদ্ধ দাবী করে
অথচ সাধারন আমি আরও ভীতু হয়ে যাই
সাদা মৈত্রীর পতাকা লাল রক্তে ভাসতে থাকে। 
.
প্রতিদিন নিয়ম করে সকাল হয় 
আমি আয়নার দিকে তাকিয়ে ছুঁতে চাই তোমার ক্লান্ত বিষন্নতা
তোমার জুলফির সাদা চুলে হাত বুলিয়ে দেখি নিজেকে।
অফিসের টেবিলে মাঝে মাঝেই ডেস্কটপ ওয়ালপেপার  থেকে উঠে আসে বাঘিনী
আমার মনের ভিতর জঙ্গল খোঁজে,
উঠে বসে আমার বুকের উপর
তারপর পিছন ফিরে জঙ্গলে ফিরে যায়
গভীর ডোরাকাটা দাগগুলো
আমি বলি 
আর না প্লিজ, আর না। 
.
ডোরাকাটা দাগ
,,,,,,,, ঋষি

Tuesday, September 19, 2023

না লেখা কবিতা

না লেখা কবিতা
..ঋষি

হঠাৎ এক সন্ধ্যেবেলা তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গেলে
কাকপক্ষী কেউ টের পেল না, 
শুধু সন্ধ্যের অফিস ফেরত শহর, রাতের অন্ধকার পেঁচার ডাক
কি করে যেন বুঝলো সবকিছু, 
চোখে আমার আর  ঘুম থাকলো না, মনে কেমন এক অশান্তি
বেড়িয়ে পড়লাম তোমাকে শহর খুঁজবো বলে। 
.
কিন্তু অদ্ভুত 
শহরের বাসের কন্ট্রাকটাররা চিৎকার করে ডাকছিল তোমার নাম ধরে
মেট্রো স্টেশনের ঠিকানার বোর্ডে তোমার নাম ফুটে উঠছিল
শহরের ফুটপাত ধরে তোমার মতো কেউ হাঁটছিল 
কিন্তু আমার কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছিল না
 চটি পায়ে অজস্র অবিশ্বাস নিজের আঁচলে  জড়িয়ে তুমি চলে গেলে 
তুমি কি করে থাকতে পারো এই অচেনা শহরে।
.
এই সব ভাবতে ভাবতে আমি বাড়ি ফিরে আসি
দেখি সারা মেঝে জুড়ে কাঁচের টুকরোর মতো ছড়িয়ে আছো তুমি 
কি বিপদজনক ! 
জানলার পর্দা সরিয়ে দেখি ব্রেইল অক্ষরের মতো এক ফালি চাঁদ,
বইয়ের আলমারির দিকে তাকিয়ে দেখি
কত বই তো কেনা হলো, পড়া হলো কতটুকু
আয়নায় নিজের মুখ চিনতে পারি না
সব কেমন অসম্পুর্ন 
কিছুই করা হলো না
শুধু আমার না লেখা কবিতায় তুমি রয়ে গেলে 
কিন্তু আমি,,,,,,,,,,৷ 



সময় গেলে সাধন হবে না

এ পর্যন্ত সব ঠিক ছিল 
তারপর হঠাৎ এক ফনা তোলা সাপ হেমলক খুঁজছিল, 
হঠাৎ  আমার রাক্ষসদের সঙ্গম দৃশ্য চোখে ভেসে উঠলো
ভেসে উঠলো থালা ছোঁড়াছুড়ি দুপুর আর অন্যমাত্রায় 
আমার না ঘুমোনো রাতে সুলতানি মমতাজের অভিশাপ।. 
.
মন্তাজ কাকে বলে জানো ? 
একটা ফরাসী শব্দে কতগুলো ছবি জড়াজড়ি করে চুমু খায়, 
যে যাপনে কোন কান্না নেই, কোন পরিতাপ নেই
কোন অভিযোগ নেই,
তাকে ভালোবাসা বলে না
বলে শরীর,বলে যৌনতা, 
আর সত্যি ভালো করে ভেবে দেখো 
যৌনতায় কোন মুখ হতে পারে না। 
.
অথচ কোন একদিন তুমি স্বপ্নে দেখা সেই মাটির বাড়িটা জীবনের দূরবীনে দেখেছিলে,
অজস্র রং দিয়ে সারা হাতে কালি মুখে তুমি ঘুমিয়ে পড়েছিলে সেই মাটির স্বপ্নে,
এই সব ভাবলে আমার ইচ্ছে করে তোমার মুখে গুঁজে দি সন্ধ্যের ধর্মতলা, কলেজ স্ট্রীটের দেজের বই, চৌরাস্তার ভেপার ল্যাম্পের সেই উজ্বল ক্লান্তি আর  আবৃতিশিল্পী ব্রততীর মুচকি হাসি। 
এসম আমি দেখতে পাই কবিতার প্রুফ চেক করা সেই গম্ভীর মুখ 
আর শান্তিনিকেতনে শোনা সেই লালন ফকিরের গান 
.
" সময় গেলে সাধন হবে না
দিন থাকতে দ্বীনের সাধন কেন জানলে না
তুমি কেন জানলে না
সময় গেলে সাধন হবে না !! "
.
সময় গেলে সাধন হবে না
..ঋষি 


Sunday, September 17, 2023

ভালোবাসা মাই ফুট

ভালোবাসা মাই ফুট
.. ঋষি 

হঠাৎ কখনো যদি গিয়ে দাঁড়াই তোমার স্নানের ঘরে
তোমার মনের ঘরে 
কি পরিচয় দেবে আমার? 
অসহ্য এক উন্মাদ ভাবনাকে কি বলবে তুমি ভিজে আয়নায়? 
নাকি মৃতদেহ বলে সরিয়ে রাখবে সময়ের বাইরে। 
.
একদিন এক স্পর্শের কোজাগরী চাঁদ তোমার জানলায়
মুখ থুবড়ে পড়বে তোমার বুকে 
কি বলবে তাকে? 
কি উত্তর দেবে যখন একটা গোটা মহাদেশ চিৎকার করে তোমার কন্ঠ শুনতে চাইবে
কি বলবে? 
একটা অপাংতেয় মৃতদেহ তোমায় ছুঁয়েছিল কোনদিন। 
.
তুমি জানবে না কিছু তা নয় 
শুধু আমার ২০৫ টা হাড়ের উপর লেখা থাকবে 
এক অসমাপ্ত আকাশ,
এক অনিবার্য আগুনে কথপোকথন 
আর দুটো নিথর চোখ, 
সে দিন থু থু ছিটিয়ে আমার মুখে  বলতে পারবে তো
ভালোবাসা মাই ফুট। 

.

আনন্দ

আনন্দ 
.. ঋষি
তিনি হতে পারেন কোন সুপুরুষ, সুনায়িকা 
সুপরিকল্পিত ভাবে জিতে যেতে পারেন অজস্র মানুষের রাজত্ব, 
প্রতিটা খুন করার পর তিনি 
মাইকের সামনে চিৎকার করতে পারেন
বাংলা ও বাঙালী, 
তিনি গেয়ে উঠতেই পারেন ভুল রবীন্দ্রনাথ
তার সব হক আছে। 
.
আমি তার হাতে তুলে দিলাম তোমাকে 
জানি পুড়ে গেছে তোমার ঘর 
হরিজনকে ভালোবেসে ছেলেটার জিভ কাটা পড়ে আছে পাশের জলাভুমিতে,
সত্যি বলতে নেই 
সত্যি বলার অপরাধে খগেন মাস্টার সেদিন
রেঞ্জ টু বুলেটের শিকার। 
.
তিনি বড্ড ভালোমানুষ
চাকরী নেই, আছে হাতে গোঁজা টাকা, 
শিক্ষা নেই আছে বোম বাঁধার নোট,
দশম শ্রেনীর মেয়েটা দেখানো হচ্ছে কালো বাদুর
সেখানো হচ্ছে সাইকেল চালানো। 
তোমাকে তুলে দিলাম ধর্ষক আর ডাকাতের হাতে
অন্ধকার সময়ের হাতে
শস্যবতী হও, হও উর্বর
আমরা বাঙলা,আমরা বাঙালী, আমরা ভারতবর্ষ 
আমরাই পারি 
তোমাকে বারংবার ধর্ষনের আনন্দে পোলাও ভোগ খেতে।


এক রাক্ষসীর কথা

এক রাক্ষসীর কথা
..ঋষি 
.
আমার কবিতা ছেড়ে চলে গেছো তুমি
আজ শব্দের ফন্ট চেঞ্জ করতে করতে ভাবি 
আর কেন কবিতা? 
লেখালিখি বন্ধ করা জরুরী
না হলে অনুভুতির কাগজের নৌকাখানির ভরা ডুবি হবে দুরন্ত অভিমানে
আমাকে না বেঁচে মরতে হবে। 
.
দুবেলা ভাত গিলছি পাথর মেশানো
সারাদিন ভিক্ষা করছি খোলা তলোয়ারের উপর,
দিন শেষে আমি স্নান করছি অপরাধী কবিতায়,
তারপর মধ্যরাতে মুহুর্তের কংকাল জড়িয়ে
অনবরত নিজের পান্ডুলিপিতে লিখছি
পুরনো সেই দিনের কথা। 
.
তুমি ইদানীং সংবাদপত্র পড়ো না,ওয়াটসাপ,গুগল,ফেসবুক কোথাও থাকো না
কারোর সাথে কথা বলো না
তুমি কি করে জানবে আমাদের মুহুর্তদের,
আমার চারপাশে হাজারো মাছ আকোরিয়ামের,অজস্র বিস্ফোরন আর মিথ্যা দেশাত্মবোধক ন্যাকড়া 
সমস্ত অলীক কথামালা,দক্ষিনেশ্বর কুষ্ঠআক্রান্ত ভিখিরি, বোবা শালগ্রাম শিলা, দ্রপোদীর শাড়ী লুঠ করা রাজনিতী
আর আমি কোথাও নেই,  একা। 
এখন কেউ আমাকে কবি ভেবে ভালোবাসার কথা বলতে এলে 
আমি বলি সাবধান
এই এতদিন লেখা আমার কবিতার পান্ডুলিপি আর কিছুই নয়
এক রাক্ষসীর ফেলে যাওয়া মুহুর্ত,মুহুর্তদের হাড়গোড়।  

Thursday, September 14, 2023

কিন্তু পাই নি



চিল্কা হ্রদের থেকে পাখিরা এসে আমাকে বললো
তোমায় দেখেছে 
তোমার সারা শরীরে তখন  কালসিটে, হাত, পা সব  ঠান্ডা, 
মিশরের আবনাউব ওয়াটসাপে আমাকে ম্যাসাজ করলো
নীল নদের জলে তোমার কষ্টদের ছায়া পড়েছে
তাই নাকি জলের রঙ কালো। 
.
ফিলিপ আমাকে ফোন করে জানালো 
আইফেল টাওয়ারের উপর থেকে গতকাল তোমার মতো কেউ লাফ মেরেছে
তার সারা শরীরে স্মৃতি,
উত্তরাখন্ডের পাহাড়ী ডাকবাংলোর দারোয়ান হোচিং চিঠি লিখে জানিয়েছে
ওই ডাকবাংলোর দেড় কিলমিটার দূরে 
কুয়াসার আচ্ছাদনে ঢাকা দোলনায় তুমি নাকি দুলছিলে
তার কিছুদুরে ধুলোয় লুটোপিটি খাচ্ছিল তোমার পাহাড়ি অন্তর্বাস। 
.
উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিন চব্বিশ পরগনার সমস্ত মর্গ আর থানায় খোঁজ করে তোমায় খুঁজেছি 
কিন্তু পাই নি 
দেশময় সমস্ত সোনাগাছির ঘরগুলো আমি তোমায় খুঁজেছি 
কিন্তু পাই নি
বাবুঘাট, শ্যামবাজার, ময়দান,ভিক্টোরিয়া, রবীন্দ্রসদন 
তোমার প্রতিটা বন্ধুর বাড়ি, নন্দনে প্রতিটা সাহিত্য মস্তিষ্কে 
আমি তোমায় খুঁজেছি
কিন্তু পাই নি
জীবনানন্দের বৈঠকখানায়, বনলতা সেনের ডাইরিতে
 ভালোবাসা আমি তোমায় খুঁজেছি 
....................কিন্তু পাই নি।
.
কিন্তু পাই নি
.. ঋষি



Wednesday, September 13, 2023

পালক

তুমি পাখি, তোমার শুধু একটা পালক গেছে
আর আমি সেই পালক 
আমার আর পাখি নেই, কিছু নেই সবটাই গেছে। 
.
দুইপাশে নি:সঙ্গতা, মাঝখানে পথটুকু ভালোবাসা
ঈশ্বরের শিশ্নকেন্দ্রিক ষড়যন্ত্রের অভিযুক্ত মানুষ 
তবুও শুধু ভালোবাসে বলে যুগে যুগে  সৃষ্টি করেছে    
সুর,সঙ্গীত,কাব্য,মোহমুগ্ধতার তাজমহল।
খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের বাইরে একটা আকাশ আছে
সেটা মানুষ চিনেছে ভালোবাসে বলে। 
.
কেন এ সব বলছি ? 
জীবন যখন  দুই নি:সঙ্গতার মাঝখানে ডুব সাঁতার দেয় 
গভীর অনুভুতি থেকে তুলে আনে মাছ, 
তখন সারা শহরের কোলাহল
মানুষের কানের পর্দায় সবটাই আনন্দ মনে হয়।
আকাশ ভালো লাগে, বাতাস ভালো লাগে 
ভালো লাগে উত্তম কুমার, ভালো লাগে গেগগ্রী পেক 
তখন হারতে ভালো লাগেব,জিততে ভালো লাগে
ভালো লাগে একঘেয়ে বৃষ্টি, ভালো লাগে এক কম্বল শীত
কিন্তু একা থাকতে ভালো লাগে না।
.
আমি অর্ফিয়াসের মতো মোহন বাঁশি বাজাতে পারি  না জানি
তাই আমি অর্ফিয়াস হয়ে ইউরিদাইসকে ফিরেও , ফিরিয়ে আনতে পারবো না
কিন্তু
কিন্তু যদি কোন ম্যাজিক সকালে হঠাৎ ঘুম ভেঙে  তোমার শরীরে দেখি নতুন পালক
বিশ্বাস  করো আমি ঘাবড়াবো না 
শুধু মরে যাবো 
আর জানো সেদিন ভালোবাসা নি:সঙ্গতায় বেঁচে উঠবে। 
.
পালক
.. ঋষি





Tuesday, September 12, 2023

আগামীবার্তা


তোমাকে এ লেখা নয়
সত্যি? তুমি জানো তো? 
প্রিয় নারী তোমার শব্দের প্রতি লোভ আমার চিরকাল 
আমার আস্পর্ধা অঝোরে বৃষ্টির রেণুর মতো চিরকাল
আমি ভিজিয়ে নামতে চাই তোমার প্রতি মুহুর্তের অন্তরবার্তায়। 
.
প্রিয় নারী তুমি যেখানে
সুখে ও স্বচ্ছন্দে আছো—ভাবনা, তারই কাছে,
মন দিয়ে শোনো 
এই পুরুষের স্নেহ ছিলো না কক্ষনো আগুনের প্রতি 
ওর ভালো লাগে নারী তোমার গভীর স্পর্শ
যে পুরো রজনী ওই বিস্মিত ভাবনাকে জড়িয়ে স্বপ্ন দেখে। 
.
অভিমানী তাকে আর সহ্য হয় না
প্রতিটা আলোর পরে অন্ধকার আসে জানি
জানি অপরাধী শুধু অপরাধ শব্দের দত্তক নয়
একটা নিভৃত শিক্ষা, 
আজ যাকে নষ্ট ভেবে তুমি নিজের গভীরে পোড়াও 
প্রিয় নারী ভেবে দেখো 
আজও সে বেঁচে, 
কাল বলে সত্যি কিছু যদি থাকে 
তবে আজকের ছল জেনো কাল প্রমানিত হবে 
তোমার মুক্তিতে
আর আমার চলে যাওয়ায়। 
.
আগামীবার্তা
.. ঋষি 

টোপ

একদিন আমাকে এক মহিলা টোপ শব্দের মানে জিজ্ঞাসা করেছিল
আমি সেদিন বুঝেছিলাম পুরুষেরা সব শিকারী 
আর নারীরা সব সোনার হরিণ,
জানি আমি নিতান্ত পুরুষের মত তোমার দিকে তাকিয়েছিলাম 
কিন্তু ভুলে গেছিলাম 
জঙ্গলেরও একটা এক্সপায়ারী থাকে। 
.
একদিন কেউ আমার হাত দেখে বলেছিল 
আমার হাতে কোন লাইফলাইন নেই
আমি বুঝেছিলাম এই গরীব ভারতবর্ষের প্রত্যেকের শরীরে ব্যাধের চোখ। 
আমার কেন?  আমাদের লাইফলাইন দুটো সমান্তরাল দাগ 
যার এক পাশে জন্ম, অন্য পাশে মৃত্যু
বেশি ভালোবাসাবাসি হলে
নির্ঘাত মৃত্যু।
..
এতদিন ঠিক সময় করে তোমাকে ফোন করেছিলাম 
জানি আমি ঘুমিয়ে ছিলাম এতদিন,
তারপর জঙ্গল কেটে মানুষ শহর গড়লো, চওড়া হলো রাস্তাঘাট,
টাকার বদলে পেটিএম, গুগল পে
বাঁচার বদলে নাইট পার্টি, অনলাইন হাই, ফাই
অনুভুতিগুলো সব ইমোজি হয়ে গেলো।
আমার ঘুম ভাঙলো হঠাৎ
ফোন করলাম নিজের ভীষন চেনা একজনকে দিনবদলের কথা জানতে,
বুঝিনি কোনদিন সে ছিল এক মহিলা
বুঝিনি জঙ্গলটাকে আগুনে পুড়িয়েছে সভ্যতা আর মানুষ 
ভীষন অচেনা লাগলো তার গলার শব্দ
তাকে আমি বলতে পারি নি টোপ শব্দের মানে। 
.
টোপ 
... ঋষি 




Wednesday, September 6, 2023

ভিন্ন আকাশ

মাঝে মাঝে একটা অনিয়মতা কাজ করে 
নিয়মের বাইরে 
ভিন্ন আকাশে উড়তে থাকা পাখিরা সব বাড়ি ফিরে আসে 
কিন্তু প্রশ্ন প্রসব " ভিন্ন আকাশ "?
তোমার জঠরে আমার সন্তানের সেই মুখখানি তুমি একলা দেখো 
নাকি আমি সেই  বিপন্ন পিতা ,
আমার মতো ,তোমার মতো ,কার মতো ছিল সে  ?
জানি না 
খান খান হয়ে ভিতরে একটা কাঁচ ভেঙে যায় 
আনমনা বেকসুর নিস্তদ্ধ গ্রানাইট
আমরা দূরে সরে যাই। 
.
একপাশে একটা খবর হাওয়ায় ঘোরে ফেরে 
একদা এক রাত্রে তুমুল ঝড় ,বৃষ্টি সেদিন 
আমি গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম তোমার প্রাসাদের সুউচ্চ বেলজিয়াম ঝাড়বাতির নিচে  
স্বপ্ন দেখেছিলেন সেটাকে আকাশ ভেবে, সেটা ভেঙে পড়লো ঝন্ ঝন্ করে 
মেঝে ভরা কাঁচ, রক্ত ঝরা বিষণ্ণ রাতে তোমার সারা শরীরে রক্ত ,
আমি ভাবি আহা কারো চশমার কাঁচ যদি সর্বস্ব উদোম হয়ে ভেঙে যায়  
ভাঙা কাঁচে সময়  সব সামাজিক রুল টুল ......
রুরাল না রুলার কোনটা সত্যি ?
এক লক্ষ হীরক কণিকা সজ্জিত আমাদের বেঁচে থাকা 
নাকি বুকের ভিতর সমাপ্তি অবধি রাখা শাসন 
কোনটা সত্যি ?
.
কার বুকে মাথা রেখে বলি বলোতো 
আমাদের অতীত ,ভবিষ্যৎ সবটাই গ্রানাইটে আমি খোদাই করেছি ,
এক অভিশপ্ত পুরুষ ও প্রেমিক আজও বাড়ি ফেরে
তবুও তার আকাশ খোঁজে  যদি সেই মুখটা  ........
.
ভিন্ন আকাশ 
.. ঋষি

Monday, September 4, 2023

সৌরজগৎ


সৌরজগৎ
.. ঋষি

আমার এই সৌরজগত
গত কয়েক দশক তোমার ভাবনায় এলোমেলো হয়ে গেছে
থেমে গেছে , গোত্তা খেয়ে যখন তখন স্পেসিওলজিক্যাল ভাবনায় একাকার,
দিন রাত্রি এখন বিশালাকার হৃদয়ের শেষটুকু নিংড়ে নিয়ে  
দখিনা ভাবনারা এলোমেলো করে ঘরের  বিছানায়  সুতির চাদর
জানলার পর্দা আর উন্মাদ প্রেম স্মৃতি হয়ে উড়তে থাকে।
কে তুমি? কেন এমন তুমি? কি ছিলো তোমার ভেতরে?
যে অযুতনিযুত ভাবনা জুড়ে নিজস্ব ভঙ্গিমায় তুমি নিজস্বতায়
জানো আমি তোমার জ্যামিতি মেপে নিতে পারি চোখ বেঁধে,
ঘুমিয়ে কিংবা জেগে , আলোতে আঁধারে, কান্নায় আনন্দধারায়।
.
অদ্ভুত এক সামুদ্রিক দ্বীপ ,বুকের চাদর
ঈশ্বর এক কিংবা অধিক বাসনায় বীজ বপন করে তোমার উষ্ণতায়
সময় নিতান্ত সামুদ্রিক
নোনা ভাবনায়
রাজত্ব হারায় পরিযায়ী প্রাণ ,বালির সাধ তার
বালিঘর ভেঙে পরে,
আমি চাইনা কিছুই আর , চাইনা সুখ, চাইনা আশীর্বাদ
শুধু তোমার অবলীলায় সূর্য হতে চাই।
যদি দেখো কোনো একদিন সকাল হলো না
তবে ভেবো মহাজগতে ভীষণ গোলযোগ
আর বোধহয় সময়ের ট্রেডমার্ক দুঃখগুলো তোমাকে ছোঁবে না সেদিন
শুধু পৃথিবী নামক জীবনে সূর্য কেলেঙ্কারি হবে। 

Sunday, September 3, 2023

সম্ভব না

কোনো কোনো নারী ঘামের মতো গড়িয়ে নামে বলে 
তাদের ফ্রোজেন নিঃশ্বাসে বন্ধ করে রেখে দি 
কেউ কেউ আবার চোখের জলে দীর্ঘশ্বাসে থাকে 
তাদের স্বপ্নের ঘরে বন্ধ রাখি ,
পয়েন্ট টু বি নোটেড এরা কেউ বন্দী নয়, বন্ধ
কেউ কেউ আবার অন্ধকারের থেকে গভীর বলে, তাদের রক্তে
ঢেলে দিই অরোরা বোরিয়ালিস। 

" আমার " এই বোধ থেকে উঠে আসা ডুবুরি নারী 
সময়ের  কান ঘেষে উর্বর নীল সমুদ্র 
আরেকটা জন্ম চাই তোমার সাথে থাকার জন্য  
যদি সেখানে পাওয়া যায়  জলজ উপত্যকায় সবুজ শেওলা।
বিশ্বাস-অবিশ্বাসের গভীর সংঘর্ষে 
কাঠের গুঁড়ো,কার্বন নিশ্বাস 
ফুসফুসে জমতে থাকা পুরোনো কিছু স্মৃতি ,
প্রিয় নারী  কবিতা লেখে আমার কলমে 
রূপকথা হয়ে ওঠে শ্রুতিমধুর তানপুরার সুর, ভাবি একদিন
সুখী কবির মতো বেঁচে নেবো 
স্বপ্নিল একান্ত বাঁচা ,
নাক সিঁটকে সরিয়ে রাখবো  শব্দের মৃত হরিণদের
আমাদের মৃত লাশ, জঙ্গলে পতঙ্গের সাথে পৌষ্টিক সহবাস
কিন্তু সম্ভব না 
দুঃখ ,তুমি আর মৃত শহর ছাড়া 
কোনো কবিতায় সময় লেখা। 
.
সম্ভব না 
.. ঋষি

Friday, September 1, 2023

ভালো থাকাটা একটা আর্ট

কলমের নিবে ইদানীং একটা বোধ কাজ করে বোধ কাজ করে নিজের গভীর কুয়োতে, 
কোন একদিন আমি ঈশ্বর ছিলাম
কুয়োর গভীর টলমলে জলে ধুঁয়ে মুছে পরিষ্কার রাখতাম  চলন্তিকাকে, 
কোন একদিন হৃদয়ের মুহুর্তে ফুল ফুটতো 
মনে হতো সকাল হবে আবার,
তোমার দিকে তাকিয়ে মনে হতো 
এইতো আমি বেঁচে । 
.
 তারপর, তারপর আমার গল্পটি ফুরোলো
 নটে গাছটি মুড়োলো,
 প্রবচন কোনদিনই আমি ঠিকঠাক লিখতে পারিনি 
কাব্যিকতা আমার কাছে একলা  শহরের ব্যস্ততা
অথচ এই বিশাল বড় শহরে আমি অবাঞ্চিত এক উপকথা। 
.
বড় অচেনা মনে হয় ইদানীং নিজেকে
অচেনা মনে হয় দরজার উপরে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলোকে
 অচেনা মনে হয় আয়নার উপরে দেখা মুখটাকে,
 ইদানীং হঠাৎ যখন তখন আমার কান্না পায় কান্না পায় বেঁচে থাকায়
হঠাৎ প্রতি মুহূর্তে নিজেকে মেরে ফেলায় 
প্রতি মুহুর্তে ইদানীং  ভাবতে ইচ্ছে হয় প্রতিটি মানুষই ভীষণ একা। 
অজস্র পতন শেষে নিজের দিনলিপিতে ইদানীং শেষটুকু লিখতে চাই 
ভালো থাকাটা সত্যিই একটা আর্ট। 

অনবদ্য কবিতা

আমরা কেউই অনবদ্য কবিতা নই আমরা সাধারণ যারা তারা শুধু বেঁচে আছি বেঁচে থাকবো বলে, আমাদের কবিতারা আকাশে উড়তে পারে না শুধু ডানা ঝাপটায়, হঠাৎ  অব...