Saturday, July 31, 2021

কলম্বাস



কলম্বাস
.. ঋষি 
এই শহরে শুধুমাত্র কয়েশো মাটির চায়ের ভাঁড়ে বাড়ি বানানো যায় 
এই শহরে বাতি নিভে গেলে তোমার ভাবনায় পালিয়ে যাওয়া যায় 
ঘন্টার পর ঘন্টা একলা দাঁড়ানো যায় ব্যাস্ত দিনে একলা ফুটপাথে 
এই সব করার জন্য কোন অধিকার দরকার নেই 
দরকার নেই বারকোডে থাকা প্রবেশ অধিকার
কিংবা ফিংগার ইমপ্রেশনের। 
.
শুধুমাত্র শিশির মাখা খালি পায়ে 
হঠাৎ ধোপদুরস্থ কর্পোরেট ছেড়ে তোমায় নিয়ে দূরে পালানো যায়, 
কোন আই কার্ড, কোন এ টি এম কার্ড দরকার কি? 
শুধু ইচ্ছার পোষাক পরে যখনতখন আমরা কবিতা লিখতে পারি
লিখতে পারি নিজেদের 
এর থেকে বেশি জীবন কি চায়? 
.
গনতান্ত্রিক সভ্যতায় তোমার হলুদ পাড়ের শাড়ি 
আমার বোতাম খোলা পাঞ্জাবীতে কয়েজশো ডেসিবেলের শব্দ
নিশ্চিত চোখ বন্ধ করে তখন আকাশের পাখি 
আমি তো উড়তে পারি 
তোমার বারান্দায়,তোমার রান্নাঘরে, তোমার গানের খাতায় 
তুমিও তো আটকে রাখো বুকের খাঁচায় এক আকাশ ইচ্ছায়। 
জানি এই কবিতায় একটা আলাপের সুর
জানি এই কবিতায় একটা পাগলামী
জানি তবু একা লাগে
হঠাৎ কোন বৃষ্টি দিনে তোমার কলম্বাসের স্পর্শে। 

ইন্টারভিউ

  

ইন্টারভিউ

.... ঋষি 


কফিকাপে এক বিকেলের কবিতা লিখবো 

বুকের গ্লোবাল ওয়ার্মিং দূর করতে তোমার শাড়ি ,ব্লাউজের কবিতা খুব দরকার 

ফোর্টি এইট মেগাপিক্সেলে একটা ট্রেন এগিয়ে যাচ্ছে সবুজের দিকে 

একটা দিন এই ভাবে ফুরিয়ে গেলো তোমার থেকে দূরে 

সদ্য সন্ধ্যায় দাঁড়িয়ে আমি স্টেশনে 

তোমার চলে যাওয়া দেখলাম বুকের নুনে। 

.

আতরমাখা এক্সক্লুসিভ একটা বৃষ্টি দিনে 

আমার বৃদ্ধাঙ্গলী খুঁজে ফিরছে সময়ের তৈলাক্ত গ্রন্থিগুলো 

কয়েকলক্ষ বার তোমার চুমু খাওয়ার পরও 

আমার এক্সক্লুসিভ ইন্টার ভিউতে এক ইন্টু একশোবার বলবো 

তুমি ছাড়া কোনো ঠোঁট 

না আস্তরণের সব পারদ মিথ্যে ছিল এতকাল। 

.

সমস্ত পাসওয়ার্ড ভেঙে আমি তোমার  বুকে গিয়ে দাঁড়ালে 

তোমার মুখে কিছু আদুরে শব্দ 

আমি শব্দদের ঈশ্বর সেজে তোমার সত্বায়  তন্ন তন্ন করে খুঁজে নি 

হাজারো কবিতা 

হাজারো ঈশ্বর। 

একশো আটবার নিজেকে ভাবনার গন্তব্যে 

দাঁড়িয়ে থাকি এক স্টেশনে 

ট্রেনটা ক্রমশ দূরে চলে যাচ্ছে আমার থেকে 

জানি ফিরে আসবে 

তবুও কেন জানি এক বিকেলের কাব্যে 

আমার সারা শরীরের লোমকূপে তুমি ছুঁয়ে থাকো বারংবার 

আমাদের নগ্নতায় 

সময়ের প্রতারণায় 

অন্তরের যন্ত্রনায়।  


Friday, July 30, 2021

ব্রেইল



 ব্রেইল 

... ঋষি 


নিষিদ্ধ জগতে মানুষের একটা নিশ্বাস ঘুরে বেড়ায় 


ঘুরে বেড়ায় পরীর মতো কিছু উলঙ্গ নারী 


কিংবা কোনো লোমশ পুরুষের চেহারায় রবীন্দ্রনাথ। 


প্রেম বদলায় 


পরিবেশ একটা কারণ 


অন্যটা তুমি ,আমি দাঁড়িয়ে কোথায় ?


.


সব প্রশ্নের উত্তর সোজা না 


বছর পাঁচেকের ছেলেটা চিলের মতো ছুটে এসে আপনার সাইড ব্যাগ নিয়ে পালালো 


আপনি চিৎকার করলেন 


ছেলেটা ছুটছে প্রাণভয়ে ,ধরা পড়লো 


আপনি আপনার সাইডব্যাগ ফিরে পেলেন 


সকলে মারছে ছেলেটা ,আপনি খুশি হচ্ছেন 


মনে মনে বলছেন " বেশ হয়েছে ".


.


আপনার অজান্তে আপনার চারপাশে এমনটা  রোজ হয় 


আপনি বসে আছেন আপনার প্রেমিকার হাত ধরে পার্কে 


একজন মায়ের বয়সী বৃদ্ধা আপনার কাছে ভিক্ষা চাইছে 


বাবা তোরা সুখী হবি ,


আপনার গার্লফ্রেন্ড মুখ ফিরিয়ে হাসছে তখন 


আর আপনি পকেট ঘেটে দেখে নিচ্ছেন কন্ডোমের স্টক। 


অদ্ভুত এই পৃথিবীতে 


ক্রমাগত কিছু অন্ধকার রোজদিন আরো অন্ধকার হচ্ছে 


রোজদিন কিছু মানুষ ক্রমশ এগোচ্ছে অন্ধকারের দিকে 


তাদের একদল হাসছে ,মজা পাচ্ছে 


আরেক দল তলিয়ে যাচ্ছে। 


.


আমি জানি আপনারা কেউ এগিয়ে গিয়ে ধরবেন সেই শৈশবের হাত 


বরং বলবেন তাকে চোর 


আপনারা হাসবেন সেই বৃদ্ধাকে দেখে 


কিন্তু ভাববেন না ব্রেইল ল্যাঙ্গয়েজ 


যেখানে হেলেন কেলার দাঁড়িয়ে। 

রিয়াক্সন

 রিয়াক্সন 

... ঋষি 

.


একটা মশা কামড়ালে রিয়াক্সন হয় 

রিয়াক্সন হয় মানুষের মতো দেখতে কিছু হাসি দেখলে  ,

আমি কি শুধু সিরিজওয়াইস অনুভূতি খুঁজে গেছি 

চলন্তিকা ওই হাসিতেও আমার  একটা রিয়াক্সন হয় 

রিয়াক্সন একটা অনুভূতি। 

.

একটা জীবন কামড়ালেও  রিয়াক্সন হয় 

রিয়াক্সন নিয়ে আমরা লিখি যারা তারা লিখতে চাইছি অনুভূতি 

কবি ,দার্শনিক ,পেইন্টার 

ছবি ,শব্দ , ভাবনা 

মিশেল 

অনেক সভ্যতা ,নারী ,সমাজ ,সময় 

শুধু বড়শির মুখটা বাদ। 

.

বিভ্যস্ততা নিয়ে এক উপন্যাস 

সত্যিটা হলো আমি হাভানার সমুদ্রের প্রেম পড়লে 

দিঘা ম্যাডাম রেগে যাবে 

রাগ স্বাভাবি 

অনুভূতি স্বাভাবিক ,

অভাবগ্রস্থ সময় একটানে সিগারেটের নিকোটিনে আমি তিলোত্তমা পোড়াই 

চলন্তিকা বলে এত সিগারেট খাস না বাবাই 

তোর কিছু হবে না ,আমার বুকে ব্যামো হবে 

রিয়াক্সন মুহূর্ত 

একটা ছায়াছবি। 


ধুস তখন থেকে আমি অনভূতি ছুঁতে চেষ্টা করেছি 

সবাই ভাবছে শরীর ,

আসলে মশা কামড়ানোর রিয়াক্সন সবাই জানে 

কিন্তু গভীরে থাকা হাসি 

না চলন্তিকা 

বলবো না কাউকে। 

Thursday, July 29, 2021

মেয়েলি

 


মেয়েলি 

... ঋষি 


আমি কাউকে দোষ দি নি আমায় কেউ ভালোবাসে নি বলে 


ছোটবেলায় দেখেছি বাবা-মা শুধু দাদাকে নিয়েই ভাবতো


সবচেয়ে বড় মাছটা ,মাংসের টুকরোটা 


সবই দাদার পাতে,


পুজোর সময় দাদার নতুন জামা ,হাত খরচা ,কতো বন্ধু 


আর আমি তো মেয়ে 


আমি আবার কোথায় যাবো 


মেয়েদের তো বন্ধু রাখতে নেই। 


.  


একটু বড় হয়ে দেখেছি স্কুল ,কলেজে ভালোবাসার খেলা 


এ ওকে ভালোবাসছে ,হাত ধরছে ,ঘুরছে 


না আমি কাউকে বলি নি ভালোবাসি 


আমাকেও কেউ বলে নি সে কথা। 


আসলে ছোটবেলায় মা বলছিল মেয়েদের ভালোবাসতে নেই 


অপেক্ষা করতে হয় 


মেয়েদের বিয়ের আগে অবধি লুকিয়ে থাকতে হয় 


লুকিয়ে থেকেছি 


দোষ দি নি কাউকে ,শুধুই অপেক্ষায়। 


.


তারপর পড়াশুনা শেষ হলো 


দেখলাম বাবা ,মায়ের মুখে দুশ্চিন্তা ,ঘরেতে বাড়ন্ত মেয়ে বিয়ে দিতে হবে। 


মধ্যবত্তি পরিবারের মেয়ে আমি 


আপনারা জানেন বোধহয় মধ্যবিত্ত পরিবারের সবকিছু মধ্যবিত্ত হয় 


আমিও তাই রূপসী ছিলাম না মোটেই  ,ছিলাম মধ্যবিত্ত


যথাক্রমে হিসেবে মতো বিয়ে হলো 


অবশ্যই বরও মধ্যবিত্ত। 


.


তারপর এতগুলো বছর একটা নিয়ম 


বলতে পারবো না কেমন ছিলাম শ্বশুরবাড়ির 


আসলে মেয়েদের বলতে নেই শ্বশুর বাড়ির সম্বন্ধে 


মা বলেছিল যতই মারধোর করুক ,ওটাই তোর বাড়ি 


তাই মেনেছি ,


ভালোবাসা ছিল কিনা জানি না 


তবে মা বলতো মধ্যবিত্ত মেয়েদের ভালোবাসার কথা বলতে নেই। 


.


আজ পাকা চুলে দাঁড়িয়ে আমি এই সংসারে একা 


শুধু সাক্ষী এক মেয়েলি বেলার, 


 উনি গত হয়েছেন বহুবছর ,মেয়ের বিয়ে হয়েছে 


এক ছেলে একটা মধ্যবিত্ত চাকরি করে 


তাকে রেঁধে দি আর খাওয়ার থালায় শুনি ,ছেলে বলছে 


আজকাল জিনিসপত্রের কি দাম। 


আমি দোষ দি নি কোনোদিন 

আমি জানলেও এসব জানতে চাই নি কোনোদিনও 


অবশ্য মা বলতেন আমার মতো  মেয়েদের বেশি জানতে নেই। 

আমার শহর

 আমার শহর 

... ঋষি 


একটা উত্তপ্ত বিকেলে বৃষ্টি সম্ভাবনা 

সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যখন মানুষেকে ছাড়িয়ে ঈশ্বরের অধীনে 

ঠিক তখনি 

সেই মেয়েটা আপন মনে হেসে ওঠে বলে 

বদলাবে সময় 

এই মেঘ শুধু ধৈর্যের। 

.

সর্বোচ্চ আসন তার 

শহরের অধীনে ,অলিতে গলিতে ক্রমাগত হারানোর ভিড় 

কেউ নিজের শহরকে আপন করতে পারে না 

শুধু দৌড়োয় 

লন্ডনের টেমসের কবিতা বলে কেউ দিন কাটায় 

কেউ শুধু দিন কাটায় অবহেলায় আর যাতনায়। 

.

এই শহর অনেক দিয়েছে মানুষকে 

মানুষ ও লুঠে নিয়েছে এই শহর থেকে অনেক কিছু 

কিন্তু ভুলবশত কিছু মানুষ নিজেকে হারিয়েছে সময়ের পাঁকে 

ভুলবশত কিছু মানুষ গা ভিজিয়েছে শহরের দূষিত জলে ,

এই শহরে জল জমে 

জমে দুঃখ 

এই শহর আনন্দ করতে ভালোবাসে 

ভালোবাসে হাওয়ায় ভাসতে ,বৃষ্টির জলে ভিজতে 

কিন্তু খুব কম লোক জানে 

এই শহর একলা থাকতে ভালোবাসে। 

.

মেয়েটা মেঘের দিকে তাকিয়ে এই সব ভাবছিল 

ভাবছিল ইশ যদি বদলানো যেতো 

সিটি অফ জয় নামটা 

বরং এর নাম যদি রাখা যেত আমার শহর।   

Monday, July 26, 2021

পুরো সুখ

 


পুরো সুখ 

... ঋষি 


আগামী কোনো সভ্যতার নিধনে 

মেয়েটি বুকের কাপড় সরালো ,নগ্ন হলো সে 

সামনে দাঁড়ানো পুরুষটাকে বললো " লে এবারে লুঠ কর "

প্রকাশ্য পুরুষ সমস্ত শক্তি দিয়ে পিষে দিতে লাগলো মেয়েটাকে। 

মেয়েটা চিৎকার করলো না 

পরুষতার প্রতিটা দাঁতের কামড় তাকে বিষাক্ত করলো বটে  

তবে সে এতটুকু কাঁদলো না। 

.

সব কিছু পরেও  সে নিজের কাপড় সামলে উঠে দাঁড়ালো 

কুড়িয়ে নিলো মাটির থেকে সভ্যতার রোজগার 

তারপর  হাসলো,হাসতে হাসতে 

গিয়ে দাঁড়ালো পরের খরিদ্দারের জন্য ,

মেয়েটার মুখে পান ,যতটা সম্ভব বুকের ঢাল খুলে 

সে রাস্তায় যাওয়া সভ্যতার পুরুষগুলোকে ডাকছিল 

" কি বাবু ,আয় পুরো সুখ। 

.

বসিরহাট কোনো এক গলির বেঁড়ার ঘর থেকে শোনা যাচ্ছে এক পুরুষের কণ্ঠস্বর 

শালী ,ঘরেতে শরীল খারাপ আমার ,তুই গেছিস রাস্তায় ঢলাতে

মরণ হয় না রে তোর ,

মেয়েটি হাসলো ,খুব শান্ত নামিয়ে রাখলো স্বামীর ওষুধ 

তারপর পরিষ্কার হয়ে এগিয়ে গেলো রান্নাঘরের দিকে। 

দিন প্রতিদিন মেয়েটা  রোজ রাতের বিছানায় ভাঙা টালির ফাঁক দিয়ে চাঁদ দেখে 

দিন প্রতিদিন রোজ মেয়েটা রাতের বিছানায় নিজের স্তন খুলে সভ্যতার  দাঁতের দাগগুলো মেলাতে চায় চাঁদের সাথে 

তারপর হঠাৎ তাকে রুগ্ন স্বামীর দিকে 

হঠাৎ সে কাঁদতে থাকে শরীরের ব্যাথায় 

হঠাৎ সে তার রুগ্ণ স্বামীকে জড়িয়ে বলে " সব ঠিক হবে রে একদিন "

তবু মেয়েটা হারে না 

তবু মেয়েটা যুদ্ধ করে রোজ এই সভ্যতার সাথে 

তবে মাঝে মাঝে ক্লান্ত হয়ে মেয়েটা ভাবে 

আর পারছি না ,মরি না কেন আমি।    


ফুলেদেরও কষ্ট হয়

 ফুলেদেরও কষ্ট হয় 

... ঋষি 


ফুলগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে এই সভ্যতায় স্বপ্ন তৈরী করে 

তৈরী করে ভিতর ঘরে ঈশ্বর ,

অনবদ্য সৃষ্টির মতো কিছু মানুষের ভিতর 

ইচ্ছে করে ,

ইচ্ছে গাছ ,ইচ্ছে অভ্যেস ,ইচ্ছে বেঁচে থাকা 

ইচ্ছে একা থাকা। 

.

সারা রাস্তা জুড়ে পরে আছে সোনালী কিছু স্বপ্ন 

মানুষ একটা বিশেষ নিয়ে স্বপ্ন দেখে 

কিছু মানুষ রাস্তায় হাঁটতে ইচ্ছাকৃত ফুলগুলো পাড়িয়ে যায় 

কিছু মানুষ অনিচ্ছায় 

কিন্তু কিছুতেই বোঝে না এই সভ্যতা 

ঝরা ফুলেদেরও কষ্ট হয়। 

.

কষ্ট শব্দটা বিশ্লেষণে বসলে 

চোখের পর্দায় একের পর এক সভ্যতা সরতে থাকে 

একটা সদ্য জন্মানো শিশু রাস্তার ফুটপাথে পরেও আজও কারণ খোঁজে 

একজন সদয় বিবাহিত নারী তার স্বামীর সংসার স্বপ্ন খোঁজে 

একজন পুরুষ তার সন্তানের চোখে নিজেকে খোঁজে 

একটা সদ্য জন্ম নেয়া কবিতা যেমন পাঠক খোঁজে 

ঠিক তেমনি 

এই হৃদয় ,এই বেঁচে থাকা 

খোঁজে মানুষ 

........ মনের মানুষ। 

.

তবু ফুলগুলো শুকিয়ে যায় ,তবুও ফুলগুলো চটকে দেয় কেউ 

কখনো ইচ্ছায় ,কখনো অবহেলায় 

তবুও যেন 

ফুলেদেরও কষ্ট হয়। 

তো ইয়াদে

 


ইয়াদে 

.... ঋষি 


খুদসে না পুছো ,ইয়াদে ক্যা হোতি হ্যা 

ইস জিন্দেগিসে পুছো ,ইয়াদে কিউ হোতি হ্যা 

জিন্দা হ্যা কিউ কি ইয়াদে হ্যা 

জিন্দা নেহি হয়ে কিউ কি ইয়াদে হ্যা। 

.

কেউ একটা বলে গেলো কানে কানে 

স্মৃতিমাতৃক  সভ্যতা 

.......... ইতিহাস বটে 

সমুদ্র সূত্র ধরে আমি সারা ভারতবর্ষ ঘুরে বুঝতে চাইলাম 

নদীমাতৃকের  মানে ,

অথচ বুঝলাম নদী শব্দটা জীবনের থেকে আলাদা নয় 

ক্রমশ বয়ে যাওয়া কিছু ভাবনা 

একটা জীবনী বটে। 

.

কবে যে ঈশ্বর জন্ম নিয়েছিলেন 

কবে যে ঈশ্বর হেঁটে গেছিলেন মানুষেররূপে,ভাবনার বেশে মানুষের গভীরে 

কবে যে জন্মের হাজারোরূপ প্রতারক হয়ে কখনো হিটলার ,কখনো বা মীরজাফর 

সত্যি বলতে পারাটা আদতে একটা বিশ্বাসের রূপ 

অথচ এই সভ্যতায় সকলে কথা বলে 

কিন্তু মানেটা কেউ বলে না। 

স্মৃতি নিয়ে মানুষ যদি কোনোদিন কলম ধরে তবে সেটা উপন্যাস 

ভাবনা নিয়ে মানুষ যদি কখনো তোমায় গড়ে  তবে তা প্রেম  

আর কষ্ট দিয়ে যদি মানুষকে গোড়া  তবেই তা ঈশ্বর। 

জানি এই বার্তা পৌঁছবে না সভ্যতার কাছে 

জানি এই বার্তা বড়ই বেমানান 

তবুও 

.

ইয়াদ ওহী আতি হ্যা জিসে তুম ভুল না পাওয়ো 

ইয়াদ ওহী হোতি হ্যা জিসে তুম রোক বা পাওয়ো  

ফিরবি ইয়াদ আতি হ্যা 

কিঁউকি ইয়াদে হ্যা তো  জিন্দেগী হ্যা। 

বৃষ্টির জল


 বৃষ্টির জল 

... ঋষি 


এমন বৃষ্টি দিন 

তুমি চলে এসো বৃষ্টি হয়ে এই শহরে 

নাগরিক জীবন ভেসে  যাক সভ্যতার জ্বালা বুকে  

শহর সংলগ্ন ফেরি ঘাটে আমি দাঁড়িয়ে আছি 

ঠিক আগের মতো 

ঠিক সেই জায়গাটায় যেখানে কলকাতা কখনো দঁড়ায় নি। 

.

আমার শহরে বৃষ্টি 

বুক ভাঙা একটা যন্ত্রণা স্নানের ঘরে 

কিংবা একলা বাসের শেষ সিটে বসে নিজেকে খোঁজা 

তোমার পাশে ,

ফাঁকা শহর অগনতি ভাবনারা যেন বৃষ্টি ফোঁটা 

তুমি চলে এসো এমন দিনে 

আমি দাঁড়িয়ে ঠিক যেখানে সময় ছেড়ে গেছে আমায়। 

.

মুখ ফিরে তাকানো 

চোখের কাজলে শুয়ে থাকা আমি কখন যেন তোমার গভীরে ,

আরো গভীরে যেতে চাই 

মাংসের স্তর সরিয়ে ,রক্তের প্রবাহে গরম ওম ,

আমার সমস্তক্ষণ তুমি আছো 

আমার বৃষ্টির জলে তুমি আছো 

তুমি আছো শব্দটা আমার শিহরনে বিদ্যুৎ চমকের মতো কিছু। 

এমন বৃষ্টি দিন 

তুমি চলে এসো বৃষ্টি হয়ে আমার শহরে 

তুমি চলে এসো অনুভূতির প্রতিটা মুহূর্তে বৃষ্টির জল হয়ে 

সময় ভিজুক ,ভিজুক এই শহর 

শহরের প্রতি মুহূর্তে  ভিজতে থাকা গাছ 

অনুভব করুক 

তুমি নেই তাই ,মনখারাপ। 

Sunday, July 25, 2021

আদর

আদর 
... ঋষি 
আদর খুঁজছে মন 
তুমি বলছো মেঘ করেছে, বৃষ্টি নামবে শহর কোনে 
আমি বলছি মেঘ করেছে নদীর ধারে
মেঘ করেছে পাহাড় চুড়ে 
মেঘ করেছে বুকের ধারে, আদর খুঁজছে মন। 
.
মেঘ করেছে বৃষ্টি হবে
বৃষ্টি হবে পথের ধারে, জমা খাতায় মনের ঘরে
বৃষ্টি  হবে শহর পাড়ে, নদীর পাড়ে, বুকের ঘরে
খাঁচা আগলে শব্দ হবে 
রিমঝিমঝিম রিমঝিমঝিম 
শব্দ হবে, জব্দ হবে, বুক ভাঙা রোগ 
একলা হবে। 
.
তুমি বলছো মেঘ করেছে
আমি দেখছি শহর জুড়ে একলা শ্রাবণ রবিঠাকুর
তুমি বলছো বৃষ্টি হবে
আমি বলছি একলা ঘরে মেঘবালিকা স্বপ্ন ঘোরে।
সবাই যদি তোমার মতো,সবাই যদি আমার মতো 
দুঃখ কোথায়, বৃষ্টি কোথায়, মেঘের ঘরে অন্য হাসি 
আমি তুমি আদর তখন 
একলা ভিজি স্নানের ঘরে। 



Friday, July 23, 2021

অ ল কা ন ন্দা



অলকানন্দা 
.. ঋষি 
ভালোবাসার কোন নিতীজ্ঞান নেই 
শুধু আকুল সমস্যা, 
একটা রোগ, ঘুম না আসা, বুকের কাছে আঁকড়ানো বৃষ্টি 
ভিজে চলা স্নানের ঘরে একলা। 
.
একটা নদী ধরো অলকানন্দা 
অলকানন্দা একটা নদীর নাম যেন ভালোবাসা
অলকানন্দা সেই নারীর নাম যেন ভালোবাসা, 
চোখে ঘুম নেই, এক মাথা না আঁচড়ানো চুল, চোখের কাজলে আমি 
হ্যা ভালোবাসা
অলকানন্দা ভালোবাসার নাম। 
.
আমি চিৎকার করি 
তুমি শুনতে পারছো, অলকানন্দা 
আমার ভীষন অসুখ
আমার তোমাকে শোনার রোগ, তোমার তিরতিরে কন্ঠ
আমার তোমাকে পাওয়ার রোগ, তোমার অনুভুতি
আমি তোমাকে ভালো রাখতে চাই, বুকের কাছে। 
আমার বুক ভাংছে 
আমার সুখ ভাংছে 
তারপর তুমি অলকানন্দা চিরকালীন এক স্রোত 
পাহাড়ের দুর্গম অনুভবে 
সময়ের দুর্গম দূরত্ব
একটা মাতাল হাওয়া সারা অলকানন্দার পাড়ে
ঘুম আসছে না বাবু 
আমার বুকে অলকানন্দা বইছে। 

আগুন নিয়ে কবিতা



আগুন নিয়ে কবিতা
... ঋষি 
সমস্ত আগুন নিয়ে কবিতা লিখবো
কথা দিলাম 
আমার মৃত্যু সংবাদ তোর কাছে পৌঁছোবে না আগুনের দিনে।
প্রতিটা শান্তির বুকে আমি এঁকে দিলাম চলন্তিকা হাসি, 
মৃত্যু যেখানে সাবলীল একটা কবিতার মতো 
তার থেকে বেশি কিছু চাওয়াটা মুর্খামি। 
.
ঈশ্বরের তথাস্তু শব্দটার মধ্যে একটা যোগ্যতা আছে
সকলে টেমসের ধারে দাঁড়ানো পাথরের প্রেমিক নয় 
সকলের মধ্যে ঈশ্বরের  প্রতিভু থাকে না,
কারন ভালোবাসা মরে গেলে কতটা বিষাক্ততা
সেটা আমি জানি 
আর এখনো জানি স্পর্শ মানে শরীর নয়। 
.
আজীবন যে হতাশার খোঁজে আমি মাটি খুঁড়েছি 
আজ স্বীকার করি 
সে হলো নারী,
আজীবন যে যন্ত্রনায় আমি মাথা কুটেছি 
আজ বলতে বাধ্য 
সে হলো নারী, 
অদ্ভুত খোঁজ যেন একটা আকাশ আস্তানা খুঁজছে। 
.
আজ না হলে কাল 
আমার দারিদ্রতায় তুই হাততালি দিস 
হাততালি দিস আমার জন্মের কবিতায় আর মৃত্যুর তারিখে, 
যদি কিছু বাকী থাকে 
তবে কবিতায় লিখে দিস 
তথাস্তু কোন শব্দ নয়, একটা অঙ্গীকার
সে আমাকে ঠকিয়েছে কারন সে আমায় ভালোবাসে।

বিষাক্ত

বিষাক্ত
.. ঋষি 
আমাকে আগুনে পুড়িয়ে দেও
হে সমাজ,হে নারী, হে সময়, হে সিঁদুর, 
আমার তপ্ত নাভিকুন্ডে তুমি ঢেলে দিও অন্ধকার বিষ। 
.
সকলে সমাজ হয় না 
প্রতিদিন সময় হয় না
শুধু বুকের আস্তানায় বাস করে যে মানুষ 
সে কথা বলতে ভুলে যায়। 
.
আকাশের গায়ে পাপ ঢেলে অনবরত এই শহর শুধু মুখোশে
সত্যি খুঁজতে আজকাল আমিও বৈষ্ণব
গেয়ে উঠি বিবেকের গান, 
এ শহরে বৃষ্টি আমাকে বিবাগী করে, সময় আমাকে করে বিকল
নারী আমাকে উদভ্রান্ত করে,সমাজ পড়ায় শিকল। 
সব শুনি, সব বুঝি 
তবুও বুঝতে পারি না 
মানুষের 
মু
খো
শ 
আর সময় এক বিষাক্ততায়। 

Wednesday, July 21, 2021

টর্চের আলো

 টর্চের আলো 

.... ঋষি 

অনন্ত অভিজ্ঞতা 

মানুষ শব্দটার ভিতর শুয়ে থাকে অন্য মানুষ 

আমি প্রতিটা মানুষের জীবন্ত ও মৃত মানুষটাকে 

চাদর সরিয়ে দেখেছি 

দেখেছি সেই শরীরটা শুধুই তার কিনা। 

.

আশ্চর্য জীবন...

এখন সময়ের দিকে তাকালে বড় ভয় করে 

ভয় করে চার পায়ে শুরু জীবন চারপায়ে শেষ জীবনটাকে 

একটা ছায়াছবি। 

আজকাল  আয়নার সামনে গেলেও

ভয় করে । 

.

সরে যেতে চাই 

আমার ভিতর সরতে থাকে সেই মানুষ 

আমি মুখ লুকোতে চাই ,আমায় দেখে হাসে সেই মানুষ 

আমি চিৎকার করতে চাই ,চিৎকার করে সেই মুহূর্তের মানুষ 

ঝগড়া হয় 

নিয়ম করে গালাগাল দেয় ভিতরের মানুষটা আমাকে। 

চলন্তিকা বলে জীবন আসলে টর্চের আলো 

আলোয় যতটা তততাই নিয়ম 

আর বাইরেরটুকু অনিয়ম,

অথচ আমি নিয়ম মানি না 
আমি বুঝি  আসলে বাঁচতে চাওয়াটাই নিয়ম। 

তিলোত্তমা



তিলোত্তমা
.. ঋষি 
.
ঠিক বুকের মাঝখানে হাত রাখি 
ঠিক সভ্যতার বুকে পা রাখি 
বলতে পারি না ঠিক কতখানি " তুমি আমার "।
রৌদ্রে পোড়া রাস্তার মতো, শহরের হাইরাইজ বিল্ডিংয়ের মতো 
একলা বৃষ্টিতে ভেজার মতো, এই তিলোত্তমা 
তুমি কার? 
ঠিক বোঝাতে পারবো কোনোদিনই ঠিক কতটা " তুমি আমার "। 
.
বুকের মাঝখানে কষ্ট হয়, খিদে নেই, ঘুম নেই 
সভ্যতা আঁকড়ে বুকে পাটাতনে মিথ্যেগুলো লাফায় নদীর কাতলা যেন, 
কি বিশাল সাইজ কষ্টদের, 
বুঝতে পারি না এই মিথ্যের শহরে সত্যি এত মিথ্যা কেন? 
মিথ্যা কেন প্রেম,বেঁচে থাকা, সম্পর্ক
বুঝতে পারি না তুমি কার? 
.
ঠিক বুকের মাঝখানে হাত রাখি 
হাত রাখি সময়ের মুহুর্তগুলোর জলছবিতে, 
ব্রেইল অক্ষরে পড়তে থাকি বেঁচে থাকা এই শহরে।
মুহুর্তদের কথা বলি
মুহুর্ত জমাতে থাকি, 
শরীরে জমতে থাকে ধুলোর একাধিক  প্রলেপ 
বুকের রক্তকোষে এক ধাক্কায় পুরোনো মুখগুলো বড় অচেনা 
কষ্ট হয় হাঁতড়াতে 
কষ্ট হয় মাটি খুঁড়ে খুঁজে পেতে এক বিষন্ন সভ্যতা
এই তিলোত্তমা, 
তোমার মুখে মোনালিসার হাসি 
বুঝতে পারি সব, তবু প্রশ্ন করতে ভয় করে 
তুমি কার?  ভালোবাসা
ঠিক বোঝাতে পারবো না কোনদিনই ঠিক কতটা " তুমি আমার "।




Tuesday, July 20, 2021

শেষ ফ্যারাও

 শেষ ফ্যারাও

.... ঋষি 


শেষ সুখটুকু ছুঁয়ে আমার নিত্য ওঠাবসা 

অনেক চিঠি দিয়েছি জীবন তোমাকে 

ভাবনার ওপর থেকে সরিয়ে ফেলেছি এই শহর 

নিত্যকার ধুলো 

আগুন খেয়ে মানুষের মতো আমি বেঁচে 

শহর জানে না সেই কথা। 

.

ক্লিওপেট্রা জানতো নগরজীবন 

মিশরের হিরোগ্লাফিকে আজকাল পুরোনো আবিষ্কারের পাঠ 

শেকড় খোঁজে সময় চিরকাল ছুটেছে 

ছুটে এসেছে জীবানন্দরের বুকের চাকার একটা গল্প 

এই শহর সাক্ষী 

এই শহরে প্রতিটি লোমকূপে আজ মৃত্যুপুরীর বাস। 

.

অনবরত অবিরত 

কিছু সুখ আজ পাতা হারানোর রোগ আজ আদুল গাছগুলোর ,

আকাশের নক্ষত্রের গায়ে ছুঁয়ে আছে ছায়া ছায়া রোগ 

এই শহরের রাস্তায় 

আজ বেঁচে থাকার বাস। 

আমি নির্বাসনে আছি 

আমার লুপ্ত প্রাগৈতিহাসিক বাটি ,ঘটি 

সব কেমন মাটির তলায় শুয়ে থাকা  নিশ্বাস ,

নির্বাক আমি 

................ এ শহর 

আমি শেষ ফ্যারাও ক্লিওপেট্রাকে জানতে চেয়ে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করি 

করি সাহস , বলতে 

একদিন মাটির নিচে থাকবে এই শহরে একটা কালো মরুভূমি 

আর কালো নদীটা তুমি লিখবে বিশ্বাসে। 

Monday, July 19, 2021

পাতায় ঢাকা রাষ্ট্র

 পাতায় ঢাকা রাষ্ট্র 

,,,,, ঋষি 


এতোটা সত্যি  হলে, এতটা  ধ্বংস হলে 

মানুষ টেকে কই ?

আগুন নিয়ে খেলা করি ,রাষ্ট্র ,বিপ্লব এই সব অদ্ভুত চিৎকার করি 

সময় নিয়ে মিথ্যে খেলি ,মানুষ বলে বড়াই করি 

কিন্তু ভুলে যাই 

মানুষ হতে গেলে একটু আধটু প্রেমিক হতে হয়। 

.

অল্প স্বল্প প্রেম 

বাবুইয়ের বাসায় বাসা বোনা আরেকজন আলোর পূজারী 

শ্রমিকের গল্পের মিথ্যে এখানে 

চাষিদের গল্পগুলো লোকসান দিয়ে গাঁথা 

বুকে পাঁচিলে একের পর এক ধ্বংসের ছবি সাজিয়ে 

সাধারণ আমরা আজ শুধু আঁকিবুঁকি রাষ্ট্রের তরজায়। 

.

এতটা সত্যি হলে ,এতটা ধ্বংস হলে 

আমাদের কথা শুনবে কে ?

শ্রোতা আর সময় আজ শুধু অভিধানে লেখা ক্যাকটাস চরিত্র ,

গণেশ পাইন  না বঙ্কিমচন্দ্র  ,প্রফুল্ল চাকি না রামমোহন 

ক্ষুদিরাম না আমির খান ,সময় না ধর্ম 

জীবন না কর্ম ,

ভাতের থালায় হাত দিয়ে আজ শুধু অনশন 

প্রজন্মে শুয়ে আছে অনলাইন কিছু পাখিদের ঘর 

সভ্যতা আজ শুধু আকাশে উড়ছে ,

ছেঁড়া পকেট 

ছেঁড়া সম্বল 

সাধারণ মানুষ। 

পাতার ঘরে বাস করা ভারতবর্ষ নাম মেয়েটা স্বপ্ন দেখছে জীবনের 

অথচ সে জানতে পারছে কই ,শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না 

আর মিথ্যে দিয়ে রাষ্ট্র। 


গৌতমবুদ্ধ

 


গৌতমবুদ্ধ 

... ঋষি 


দুলাইনে জীবন লিখতে চাই

প্রথম লাইনে থাকুক বেঁচে থাকা কিংবা মৃত্যু 

আর দ্বিতীয় লাইনে শুধু তুমি। 

মাঝামাঝি কোনো লাইন আমার লেখার ইচ্ছে নেই 

গৌতম বুদ্ধকে এই বিষয়ে একটা প্রশ্ন করার ছিল 

মধ্যে পথ। ....সেটা কি ?

.

কোনো পরিচয় ছাড়া বেঁচে থাকতে চাই 

পিতৃত্ব ,মাতৃত্ব ,ভাতৃত্ব এই সব পুরোনো কথা ,

আজ শুধু ঈশ্বরের অধীনে একটা দেশ হোক 

আজ শুধু সময়ের অধীনে একরা গল্প শেষ হোক 

আর হোক আমার মুখোমুখি 

একটা মুখ। ... সেটা তোমার। 

.

ভালোবাসা অধিকার না উপকার জানি না 

ভালোবাসা একটা শব্দ না ,অনন্ত বাকি পথ 

জানি না ,

জানতে ইচ্ছে করে না আর এই শহর ,এই রাষ্ট্র আর মানুষ 

আজকাল নিজেকে পাগল মনে হয়,

সমস্ত সম্পর্ক আজ আকাশে ঘুড়ির মতো ভোকাট্টা 

সমস্ত অধিকার বোধ আজ শুধু পাগলের প্রলাপ

আর এই শহর শুধু একটা বোঝাপড়া। 

সূর্য ওঠে রোজ ,থামে না দিন ,থামে না মুহূর্ত 

শুধু চোখের পাতায় আজকাল মৃত সুখ 

আর চোখের স্বর্গে গৌতমবুদ্ধ 

................সুবিধা বাদী নয় 

প্রেম। ..সেটা তুমি। 

 

 


Sunday, July 18, 2021

গোঙানি

 


গোঙানি 

... ঋষি 


এমন গোঙানি আর নয় 

কবে থেকে বসে আছি এক প্রজন্মকে দেখবো বলে 

নিজেকে দেখবো বলে। 

দুঃখ লেগে আছে অনেক গভীরে 

বুকের গভীরে নীল চোখ ,যৌবন শেষ হবে কবে 

অথবা কবে ফুটবে সুখ এই শহরের ঘরে ঘরে। 

.

ব্যস্ততম দিন

আমরা বসে আছি ক্লান্ত ভিখারি এই শহরের ধুলোয় ধুলোয়,

ধুলো উড়ছে 

পুবের আকাশে জমে যাচ্ছে অবাঞ্চিত মেঘ ,

বৃষ্টি শব্দটা এই শহরে পরিচিত হলেও 

পরিচিত নয় বৃষ্টির গভীরে শুয়ে থাকা সুখ। 

.

এমন গোঙানি আর নয় 

অট্টহাসিতে জীবন ফেটে পড়ছে সময়ের কালিমায় ,

মাথার ভিতর আজকাল একটা ট্রেন চলতে থাকে 

অবিরাম স্টেশন 

আর সময়ে আমি দেখি সে যেন একের পর এক বগি দিন প্রতিদিন। 

ট্রেন চলতে থাকে দিন তারপর রাত 

তারপর সময় ,তারপর বছর ,তারপর বয়স 

দূরত্ব কমে না গন্তব্যের 

শুধু এগিয়ে যায় ট্রেন গোঙানির ভিতরে। 


Friday, July 16, 2021

তুমি ছুঁয়েছো তাই

 তুমি ছুঁয়েছো তাই 

... ঋষি 


আমাকে ছুঁয়েছো তুমি 

সারা শরীর জুড়ে পাখি উড়ে বেড়ায় এখন ,

প্রতি লোমকূপে ছড়ানো বিছানার কোঁচকানো চাদর 

বয়স বাড়লে বোধহয় প্রেম সময় খোঁজে 

আর জীবন খোঁজে মৃত্যু। 

.

আমাকে ছুঁয়েছো তুমি তাই আকাশে আধখাওয়া বিস্কুটের মতো চাঁদ 

ফুটপাথ জুড়ে শুয়ে আছে কুকুরের মতো ধুলো ,

ধুলো ভরা এই শুধু তোমার জন্য বৃষ্টি হয় 

শান্তি নামে 

কবিতা আসে অসম্ভব জেদে হৃদপিণ্ডের কামড়ে। 

.

আমাকে ছুঁয়েছো তুমি 

তাই আমাকে ছুঁয়ে যায় ঋতুর মতো বদলানো কিছু লোভ ,

আমার যা কিছু ভেসে গেছিলো সময়ের কামড়ে 

তাকে তুমি ফিরিয়ে দিলে আকাশের লোভ 

আজ পাখিটা বাসা বাঁধে এই বুকে 

উড়ে বেড়ায় আকাশ জুড়ে অসংখ্য বাঁচা যেন তৃপ্তি। 

কাল আমার ডাল ভেঙেছে ,ফুল ছিঁড়েছে 

ছিঁড়ে ফেলেছে এই শহরের খবরের পাতায় মৃত্যুগুলো জীবনযাপনে 

তবু তো আছি বেঁচে 

তুমি ছুঁয়েছো তাই এখন ঝাউপাতা ,হাজারো প্রকৃতির ক্ষোভ ,ক্ষয়ক্ষতি 

তবু বাঁচতে ইচ্ছে হয়। 

দর্শন আর দৃষ্টি



 দর্শন আর দৃষ্টি 

.. ঋষি 


"The human species thinks in metaphors and 

learns through stories."

তোমার সময়ে সভ্যতা 

আমার হাতে পুরোনো ঘড়ি সময়ের হলাহল 

তবুও জানো আমার মনে  হয় 

আমি তুমি আসলে সময়ের কোলাহল। 


.

তোমার হাতে ছুঁচ সুতো ,আমার হাতে সময় 

এপাশ ওপাশ হৃদয়ের ঘর 

সেলাই হচ্ছে সময়ের কলে অনবরত কথা 

তুমি জানো জীবন মানে জীবিত কিছু ব্যথা। 

.

তোমার হাতে রঙের বাটি 

আমার সারা সময় জুড়ে অনন্ত ..আকাশ।

দেখতে পেলে সময় জুড়ে একটা বিশাল ঘর 

তুমি বোঝ আমি বুঝি ,সময় সময়ের জ্বর। 

.

তোমার হাতে অঢেল মেঘ 

আমার ঘরে বৃষ্টি 

মুখ খুললে অমঙ্গল ,আসলে অনাসৃষ্টি 

শুধু বোধহয় একলা আমি দর্শন আর দৃষ্টি। 

Thursday, July 15, 2021

পোশাক



 পোশাক 

... ঋষি 


পোশাকের ভিতর ঢুকে গেলেই মানুষগুলো অচেনা 


অচেনা এই সভ্যতায় তাই পোশাক হলো পরিচয় 


তার আবার  বিশেষ রাজ্য কিংবা অঞ্চল। 


এখন অবশ্য দিন বদলেছে 


এখন অবশ্য বাঙালি মেয়েরাও জিন্স পরে শাড়ি ছেড়ে 


এখন অবশ্যই শাঁখা ,সিঁদুরের কনসেপ্টটা বদলেছে 


এমনকি বদলেছে ভালোবাসার নিয়মাবলী। 


.


তবু কেন জানি আমার শাড়ি পরা মহিলাদের ভালোলাগে 


এক একটা রঙের শাড়ি যেন এক একখানা ভাবনা 


যেন সবুজ রঙের শাড়ি লতানো গাছের মতো 


যেন এক্ষনি এক্ষুনি ঝাউ গাছের আড়ালে আমার বুকের এঁকে দেবে নখের দাগ ,


কমলা শাড়ি সে যেন এক অদ্ভুত বাঘ ,এখুনি ছিঁড়ে নেবে বুকের পাঁজর 


লাল শাড়ির আড়ালে লুকোনো কোনো তুর্কি ছুরি ,যেন বিদ্রোহ। 


বেশ লাগে ভাবতে পুরুষের লুঙ্গির আড়ালে লোকানো জ্যান্ত সাপ 


ধুতির গভীরে শুয়ে সুখদৃষ্টি ,মধুর মিলন। 


.


মাঝে মাঝে  ঢুকে পড়তে ইচ্ছে করে শহরের মেট্রোরেলে 


ঠিক যেন মানুষের বর্তমান বাঁচা ,


কিংবা আহত জটায়ুর কাছে চেয়ে নিতে ইচ্ছে করে ভাঙা ডানা ,


কখনো ঢুকে পড়তে ইচ্ছে করে এই শহরের রাস্তায়


যেন শেষ  না হওয়া জীবন,


ঢুকতে ইচ্ছে করে বুলেটের খোলসে 


ধ্বংস করে  ফেলতে ইচ্ছে করে অযোগ্য সভ্যতার নৃশংস নিয়মগুলোকে। 


আসলে এই পোশাকি সভ্যতায় 


পোশাক হলো পরিচয় 


পোশাক হলো ধর্ম 


পোশাক হলো সমাজ ,নিয়ম ,রিতি রিওয়াজ,


মানুষের এখানে দাম নেই 


দাম নেই মনুষত্বের 


তাই মাঝে মাঝে পড়তে ইচ্ছে করে আমার জলহস্তী কিংবা গন্ডারের চামড়া।     


অসময়ের কবিতা

 অসময়ের কবিতা 

,,,,, ঋষি 


সমস্ত দুঃখগুলো আজ তোমার নাম করে 

সকালে ঘুম থেকে ওঠে  ,চা খায়  ,অফিস যায় 

সবই করে 

কিন্তু চলন্তিকা তুমি কি জানো?

আমাত সমস্ত সুখগুলোও যে আজ তোমার নামে। 

.

দুঃখ পেয়েছি সেদিন  

একলা দাঁড়িয়ে  যেদিন জন্মের পর তুমি বললে তুই একলা

দুঃখ পেয়েছি সেদিন যেদিন তুমি কিনে দিলে আমায় ছোটবেলা 

তারপর এতগুলো জন্ম। 

চলন্তিকা যৌবনের আগুনে তুমি শরীর ঘেঁষে দিয়ে গেছো অনিয়ম 

অসময়ের কবিতা 

তবু সেই কবিতার শব্দগুলো আজও জন্মায় রোজ। 

.

এত গুলো বছর শুধু তোমায় দেখবো বলে দাঁড়িয়ে 

এতগুলো শতাব্দী শুধু তোমার জন্য অপেক্ষায় 

চলন্তিকা তুমি ঠোঁট ঠোঁট রেখে বলেছিলে 

আগুন ,আগুন আর আগুন 

অথচ আমি পুড়েছি চিরকাল একলা আগুনে সময়ের কাঠকয়লায় । 

তুমি কোনো একদিন রাস্তায় দাঁড়িয়ে চায়ের ঠোঁটে বলেছিলে উফ 

আর আমি শুধু তাকিয়ে দেখেছি নবজন্ম 

দার্জিলিং ফ্লেভারে মিশে থাকা স্মৃতি ,যন্ত্রনা ,তুমি,

চলন্তিকা জানো  আমার আবার দেখতে ইচ্ছে করে অন্য পৃথিবী 

যেখানে সময় ব্রাত্য ,ব্রাত্য সুখ দুঃখ 

আবার আমার গভীরে বাইশ বছরের যুবক 

একলা দাঁড়িয়ে তোমার পাশে। 

আমরা সকলে দাঁড়িয়ে



 আমরা সকলে দাঁড়িয়ে 

.... ঋষি 


কেউ কোথাও দাঁড়ায়নি কোনোদিন 


কেউ কারোর জন্য কতোটা দাঁড়ায় ? ভারী প্রশ্ন 


অথচ  আসলে আমরা সকলেই দাঁড়িয়ে থাকি 


                                  ...........অপেক্ষায়। 


.


পঁয়ত্রিশ পেরোনো একটা রাস্তা এগিয়ে চলেছে অজানা গন্তব্যে 


ফিরে আসছে  সেই হাফপ্যান্ট 


অসিত ,রতন ,অমর আরো অজস্র মুখ 


হৃদয়ের অজস্র সুখ। 


হাওয়ায় খুলে যাচ্ছে এই শহরের পিছনের পথগুলো 


আমাদের শরীরের রোমকূপে তখন ওস্তাদ জাকির আলীর তবলা 


বুকের ভিতর অজস্র অজানা 


এই শহরের রাস্তাগুলো এগিয়ে গেছে নিজের মতো করে


আর আমরা দাঁড়িয়ে হয়তো অপেক্ষায় । 


.


দূরদর্শনের সেই সকালের খবর 


আর আজকের খবর ,অসিত জানিস হয়তো আর কুড়ি বছর 


কিছু থাকবে না ,কিছু না 


অক্সিজেন ,পেট্রল ,কয়লা ,শৈশব ,হয়তো আমরাও।  


 রতন জানিস এই পৃথিবীটা মেরামতের অযোগ্য 


এই শহরে রক্তাক্ত যীশুরা  রোজ জন্মায় আর জেরুজালেমের গল্পটা 


না বদলায় না। 


একটা সাংঘাতিক খবর হিমালয়ের বরফ গলছে


অমর ভাবিস না 


আমরা এক লাইনে দাঁড়িয়ে ডাইনে ,বায়ে ,সামনে ,পিছনে 


ওই যে অসিত 


ওইযে রতন 


ওইযে হয়তো রাজদ্বীপ ,প্রসেনজিৎ ,সন্দীপন আরও কত 


শুধু অপেক্ষায় আছি ......... 

Monday, July 12, 2021

এ আমার পাগলামি

এ আমার পাগলামি 
.. ঋষি 
আজ সকল সময় নির্ভরশীল 
আজ ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার বিপরীতে অজস্র চিৎকার 
সম্পর্ক নির্ভরশীল পরীক্ষায় না পুড়তে চাওয়া নাভি 
একার আগুনে পুড়ে চলে। 
.
আমি শহরের বুকে পা ঠুকে বলি
এ শহরের কোনো জাত নেই, শুধুই স্বার্থপর বিন্যাস, 
এই শহরের মাটিতে কোনো জন্ম নেই 
শুধু জন্মের খোঁজ, 
আমি জানি এ শহরে কোনো ভালোবাসা নেই 
কিছু তীর্থের কাক শুধু অপেক্ষা করে অনিদ্রায়। 
.
আজ সকল সময় নির্ভরশীল 
সাজানো ফোটোফ্রেমের বাইরে আজ কিছু নক্ষত্র পরিচয়, 
আজ আর কথারা মানে বলে না এই শহরে
আজ আর কোন নাটকে রেঁনেসাস মঞ্চস্থ হয় না 
শুধু বিষ উঠে আসে গৃহস্থের মন্থনে 
শুধু অন্ধকারে হাতড়াতে থাকে মানুষ মানুষের পরিচয়। 
এক পর এক লাবন্য ঝড়ে যায় 
রবিঠাকুর শিয়ালদহে একলা খোঁজে গীতবিতাম পর্যায়ক্রমে
অনেকে ফিরে আসে না সুনীলবাবুর তেত্রিশ বছরে
বিনয়বাবুর চাকা শুধু ঘুরতে থাকে
এ আমার পাগলামি, 
আমি বুঝি এ শহর মরে গেছে কবে নবারুন বাবুর কবিতায়। 

আজ সত্যি বলা

আজ সত্যি বলা
.. ঋষি 
আসাম রাইফেলসে যে মেয়েটা ধর্ষিত হয়েছিল 
পার্কস্ট্রীটে যে মেয়েটা ধর্ষিত হয়েছিল 
যে মেয়েগুলোতে,যে খবরে আপনি মেতেছিলেন, 
ধর্মতলায় দীর্ঘ মিছিলের পায়ে আপনি মোমবাতিতে হেঁটেছিলেন
প্রতিবাদ, প্রতিবাদ,
আর আজ এতগুলো মানুষ মরছে রোজ কোনো মানুষের ব্যাধিতে
আপনি কি করছেন? 
.
যে সংবাদ কর্মী খবরের হেডলাইনে সেদিন লিখেছিলেন 
দোষীদের শাস্তি হোক, 
যে অধ্যাপক ছাত্রদের বলেছিলেন, আগুন জ্বালো 
অন্ধকার দূর করা বাঞ্চনীয়
তারা আজ কি করছেন, কর্মহীন, ক্ষুদার্থ এত মানুষ 
সারা রাষ্ট্র জুড়ে আজ শুধু লোভের শাসন 
বলতে পারেন তারা আজ কি করছেন। 
.
প্রধানমন্ত্রী মস্কোয় যাচ্ছেন, সঙ্গে একজন এনটারপেটার 
অথচ যে ভাষা তিনি বোঝেন, যে লোকদের তিনি চেনেন 
তাদের জন্য কিছুই করছেন না, 
বুঝতে চাইছেন না যেমন  শুধুই আইন ধর্ষনের শাস্তি না
শুধুই দারিদ্রভাতা দারিদ্রতা মোচনে অস্ত্র না
কর্মস্থান দরকার। 
রোজ ফুটপাথে বেড়ে চলেছে পতিতার ভীড় 
রোজ সমাজ ব্যবস্থায় বেড়ে চলা চুরি, প্রতারনা, টাকার জন্য খুন 
দিনপ্রতিদিন কমতে থাকা শিক্ষার মান 
বাড়তে থাকা জনসংখ্যা, কমতে থাকা মানুষের হৃদয় 
অভাব, অনটন আর মিথ্যা।
কোথায় মিডিয়া,কোথায় বুদ্ধিজীবী, কোথায় আলো,
কোথায় কবির কলমে বিদ্রোহ 
কোথায় গানের ভাষায় মানুষ,
আজ শুধু বইবন্দী বিবেকানন্দ, লেনিন আর আদর্শ
আজ শুধু নকল নোটবন্দী,
প্রতিবাদ, প্রতিবাদ 
আজ চিৎকার করে সত্যি বলা ভীষণ  দরকার সকলের। 




তেত্রিশ বছর



তেত্রিশ বছর 
.. ঋষি 
হয়তো তেত্রিশ বছর পর ফিরবো ঠিক 
তখন হয়তো তিব্বত থেকে নেমে আসা হাওয়ায়
কেমন একটা বৌদ্ধ বৌদ্ধ গন্ধ,
তখন হয়তো তোর প্রেশার কুকারে এক্সট্রা  দুটো সিটি
পাঠার মাংস হজম হয়না ,
আর তোর  চোখে তখন  হাই পাওয়ারের চশমা। 
.
হয়তো বছর তেত্রিশ পরে যখন আমি ফিরবো 
তোর পাকা চুলে তখন  বিষন্নতা, 
জীবন কাটবে ঠিক, যেমন কাটবে আজ, যেমন কাটবে কাল। 
তোর সামনে দাঁড়িয়ে  আমি প্রশ্ন করবো 
কেমন আছিস চলন্তিকা? 
তুই হাসবি আর বলবি এতদিনে তোর মনে পড়লো। 
.
কুশল বিনিময় হবে
তুই  খোঁজ নিবি কেমন আছে আমার স্ত্রী, পুত্র 
আমি প্রশ্ন করবো কেমন আছে তোর গৃহস্থালি? 
তুই হাসবি, বলবি 
কোমড়ে ব্যাথাটা বেড়েছে রে,বেশিক্ষন বসতে পারি না
ও চলে যাওয়ার পর এখন বুবাই আমার সব,  
তারপর একিরকম বলবি সিগারেট ছেড়েছিস
কাশি তো কমে নি তোর? 
আমি বলবো চুমু খেলি কই, সিগারেট ছাড়বো কি করে? 
তুই বলবি ধ্যাত, বদলালি না। 
.
আরও অনেক কথা হবে সেদিন
তোর চোখগুলো  চকচক করবে আজকের মতো
তবু তুই বলতে পারবি না 
আমিও না,
শুধু তেত্রিশ বছর পরে বোধহয় চলন্তিকা 
আমরা আজকের মতো এক রাস্তার দুই মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকবো,
সবকিছু বদলাবে, আমরা না।

পুরুষ মানুষ সব এক



পুরুষ মানুষ সব এক
... ঋষি 
সমস্ত অবয়ব জুড়ে তোমার শাসন
হাজার রুপ, হাজার দহন, 
ফিরে আসি মোদ্দা গল্পে, নারী পুরুষ ধর্ষক, পুরুষ পিতা 
পুরুষ সেই যে আশ্রয়দাতা
পুরুষ প্রেমিক, পুরুষ  ধ্বংস, পুরুষ অহংকার, পুরুষ সমাজ।
.
নৃশংস ধর্ষক ও শাসক চেঙ্গিজ খান 
বোনের দুঃখে দুঃখী রাবণের  সীতা হরন 
জগতের সুখের হেতু শিবের মায়ের পায়ে ছবি 
স্ত্রী হারানোর যন্ত্রনায় তুমুল ডমরুর শব্দ, 
বিদ্যাসাগর, রামমোহন, লালণ, ডিরোজিও 
কে সত্যি, কে মিথ্যা? 
.
সমস্ত অবয়ব জুরে মিথ্যে প্রতারনা
পুরুষ মাত্র ঠক, জোচ্চোর, ধর্ষক, মিথ্যাবাদী 
পুরুষ মাত্র রতি
পুরুষ মাত্র পীড়ন
ভুল, ভুল, ভুল। 
খবর ছিল পাঁচ মাসের বাচ্চা ছেড়ে বিহারের সেই রমণী 
প্রেমিকের হাত ধরে লাপাতা,
খবর ছিল মিসেস দত্ত আজকাল সারাদিন শরীর কুড়িয়ে বেড়ায়,
খবরে আছে পাড়ার পিংকি বলে মেয়েটা রোজ প্রেমিক বদলায়।
ভালোবাসা পাপ না
ভালো থাকতে চাওয়া পাপ না
পাপ হলো মিথ্যে কথন 
যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় দাঁড়িয়ে আজ পুরুষ নারী কেউ কারোর গোলাম না
বরং নির্ভরশীল 
তবে কিসের জন্য বলা?
 জানা আছে পুরুষ মানুষ সব এক, শয়তানের নাজির।


Sunday, July 11, 2021

রুমাল

 


রুমাল 

... ঋষি 


রুমালের অজুহাত থাকে 


অজুহাত  থাকে এই শহরে ধুলোর কিংবা বিজ্ঞাপনের 


তুমি পাবে কী তাকে ?


এটা ঠিক প্রশ্ন না। এটা প্রশ্ন হতে পারে না 


শধু বুকের কয়েনে হাজারোবার টস 


হেড কিংবা টেল। 


.


এইটুকু জানা  নিয়ে ভনভন করে ওড়ে মাছি 


এই সময় ,


আমি আসলে আমার পচে যাওয়া দেখতে বেঁচে আছি।


ওষুধের গন্ধে অসুখ ঘুরেছে পায়ে পায়ে রোজ 


আজ যদি  গভীরতার  কাছে যাই 


দূরত্ব ছিটিয়ে রাখার দায়ে 


আরো কিছু শতাব্দী এই শহরের অপূর্ণতায় বাঁচা প্রয়োজন । 


.


ভাগ্যিস ফুটপাত ছিলো, না হলে মানুষ


ঘরের দুঃখে মরে যেত,


গোটা একটা শহর আমার হৃদয়ে জ্বালাবো বলে  


তুমুল রৌদ্রে আমিও বের করি আমার অজুহাতের রুমাল। 


জানি  এই শহর থামতে শেখে নি 


আমরাও কি শিখেছি থামতে কিংবা মিথ্যা বলতে ?


সকলেই ভাবি চলো সংসার করি, পেটে ধরো


সত্যি হোলো দুধের দাঁত পড়ে গিয়ে আমারও  মদের দাঁত কিড়মিড় করে


সমাজের নিয়ম মেনে নিয়ে মানুষের সত্যিগুলো জ্বলে মরে  


হেস্তনেস্ত করা হয় না 


শুধু অজুহাতের রুমালে মুখ মুছে ফেলা। 

ঈশ্বর ও মানুষ

ঈশ্বর ও মানুষ 

... ঋষি 

ঈশ্বর 

.

যেখানে ইশারা করেছো ,ঠিক সেখানে 

আমি দাঁড়িয়ে 

একটা রামধনু রঙের সফর এই শহরে বুকে স্বপ্ন মনে হয় ,

তবু তো মানুষ দেখে স্বপ্ন 

স্বপ্নে দেখে অজস্র না পাওয়াদের ভিড়ে ঈশ্বরকে। 

.

হারমোনিয়াম 

.

হারমোনিয়ামে রিডে লেগে আছে ছোটবেলা 

তোমার পায়ে লেগে আছে হারানো নূপুরে ছোট ছোট আশা ,

আমি আগলে রেখেছি বুক। 

ছেঁকা লাগা বিকেল গট গট করে হেঁটে আসছে অন্ধকার নিয়ে 

রাস্তার ল্যাম্পোস্টগুলো জ্বলে উঠে চুমু খাচ্ছে মাটিকে 

আমি নিপাট দর্শক 

সাক্ষী 

আরেকটা দিন ফুরোচ্ছে। 

.

গাছ 

.

একটা গাছ প্রাচীন হয়ে দাঁড়িয়ে শহরের কোন 

গাছের  ভাঙা কাঁচের বোতল , দুমড়ানো প্লাস্টিকের গ্লাস ,

 আধ খাওয়া ফেলে যাওয়া মদের চাট 

আর একজন গৃহস্থের ফেলে যাওয়া খোবলানো মাটির প্রতিমা 

এই হলো স্বভাব 

আর অভাব 

 ক্রমশ নিস্তব্দ সরে  যাওয়া কোলাহল।

.

আলজিভ 

.

নিশ্বাস জড়িয়ে যায় তোমার উষ্ণ আলজিভে আমার নাম 

ঈশ্বরের আর  ভালোবাসা 

দুজনের কেমন জানি ক্লান্ত মনে হয় আজকাল 

ভয়ঙ্কর রকমের হাতটান নিয়ে একটা মেসিন চলেছে,

 জং ঠেলে ঠেলে আল জিভ নড়ছে ভেতরে 

আর শব্দগুলো তবুও চেনা ।

.

খুন 

.

বাসি লাশ পড়ে আছে চাদরে সম্পর্কের নামে 

ক্রমশ খুন  হচ্ছে  মুহূর্ত সংগ্রহ ,

লেখার আঙুল দুটো কেটে দিয়ে খুবলে নিয়েছি চোখ 

শেষ দেখবো  বলে বেরিয়ে এসেছে চোখ,জিভ

খুনি স্বত্বাটা ঠিক সম্পর্কের মতো দুরারোগ্য 

আর পৃথিবীর মতো ব্যাধি। 

 



Friday, July 9, 2021

না শেষ হওয়া রাস্তা

 না শেষ হওয়া রাস্তা 

.... ঋষি 


একটা রাস্তা 

জীবনের অলিগলি ,খানাখন্দ ,নর্দমা ,জলাশয় পেরিয়ে 

খুঁজে চলছি নিজের ভিতর 

কোন ব্যোমকেশ ,কোনো লরেল হার্ডি ,কোন চার্লি চ্যাপলিন নেই ,

একটা সোজা রাস্তা 

সোজা পথ যার কোনো অতীত ,ভবিষ্যত নেই 

শুধু বর্তমান। 

.

এমন একটা রাস্তা যাকে উদ্বোধন করতে 

কোনো প্রকল্প মন্ত্রী ,জননেতা ,কোনো দেশ সেবক দরকার নেই ,

দরকার নেই দরজার বাইরে পথ ,জানলা থেকে উঁকি মারা রাস্তা 

শুধু একটা রাস্তা 

যা কোনো  দেশের ভিতর দিয়ে না ,কোনো নারীর ভিতর দিয়ে না 

মা না ,প্রেমিকা না ,বন্ধু না 

মিথ্যা সত্যি ,আলো অন্ধকার কিছুই না

শুধুই রাস্তা। 

.

পঞ্চ ব্রম্হ ,রিপু ,অধিকার ,অর্ধনারীশ্বর দিয়ে

সুনীল ,শক্তি ,তারাপদ ,বঙ্কিমচন্দ্র দিয়ে কত রাস্তা বানাব ?

এইবার পায়ে আর রক্তকরবী থাকবে না,

চলন্তিকার ভিতর আর কত মাটি খুঁড়বো 

আর কোনো ইতিহাস--ভূগোল ,দেশ -কাল - শাসন -শোষণ দিয়ে 

এইবার আর কোনো রাস্তা হবে না। 

কোনো ইউটার্ন ,কোনো সম্পর্ক ,কোনো মাঝি নৌকো 

কোনো চন্দ্রকলা ,কোনো সূর্যগ্রহণ ,কোনো অবিশ্বাস ,কোনো অহংকার 

না আর না 

এইবার একটা রাস্তা সোজা সাপ্টা শান্তির জন্য 

নিজের মতো 

নিজের ভাবনায় 

নিজের গভীরে 

একটা পথ না ঈশ্বরের ,না অসুরের ,না মানুষের 

শুধু বাঁচার জন্য। 


সিটি অফ জয়

 


সিটি অফ জয় 

.... ঋষি 

শহর 


প্রতি রাতে শহর  লিখি,আর গীটার রেখে আসি

সেই পুরোনো শহরে ,

সারা শহর জুড়ে তখন ছায়া ছায়া শহর ,অজস্র টানাপোড়েন 

গিটারের সুর 

পুরোনো কলকাতা ,বাবুপাড়া ,নষ্ট পাড়া ,সাহেব পাড়া 

পুরো একটা জীবন এই শহরে 


দরিদ্রতা 


শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে আমি একজন বাঁশিওয়ালাকে দেখি

সুর যেন ঝিম ধরিয়ে নেমে আসে বুকের শহরে , 

মনে হয় পৃথিবীতে একই দেখতে দুটো লোক মুখোমুখি তাকিয়ে হাসছে 

একজন বাঁশি বাজাচ্ছে ,

আরেকজন বাতিল বন্দুকের দিকে তাকিয়ে 

কার্তুজ গুনে জীবন কাটাচ্ছে। 


 রোগ 


কোভিড হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে সময় গুনছি 

আর কতদিন 

এদিকে অক্সিজেন কমে যাচ্ছে দৈনন্দিন। 

উল্টোদিকে দরদাম চলছে অক্সিজেনের  

নীল এম্বুলেন্স জায়গা চাইছে শহরের রাস্তায়

গন্তব্য একটা সময়ের নাম।  

.

কোলকাতা 

.

একটা শহর প্যাশনের 

সুনীল ,শক্তি আর সত্যজিৎ 

খুব খারাপ লাগে জানেন জোড়াসাঁকোর সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে 

আর যে বই পড়তে চায় না প্রজন্ম ,

আর কবিতা 

সে তো প্রজন্মের  কাছে বেকার জন্মানো কিছু অবহেলা ,

এ শহরে আজকাল জনকলোৰৰ শব্দের বাজার 

কিন্তু সৃষ্টি সেই টিমটিমে বকবাস। 

.

বিবর্তন 

.

এই শহরে  কোন গান নেই, বাজনাও বাজে না

বাজার গরম করে  ল্যারেলাপ্পা ,

হেমন্ত ,লতা ,হৈমন্তীশুক্ল ,কিশোর সব কেমন হারিয়ে যাওয়া যেন ,

আমি শুধু দেখি এখানে রবীন্দ্ৰনাথ মানে বাইশে শ্রাবন। 

এখন শহর  মানে সারি সারি পিঁপড়ের শোকযাত্রা

এখন শহর  জুড়ে দেখি শবের উপর সামিয়ানা

এই শহর আজ মরে গেছে আজ বহুদিন 

সিটি অফ জয় আজ এক ইতিহাসের অধ্যায়। 

শেষ না হওয়া সিরিজ

 শেষ না হওয়া সিরিজ 

.... ঋষি 

.

তোমাকে ভালোবাসি 

.

প্রশ্ন বান ? বিছানার চাদর ,কুয়াশার ভিতর মুখ 

ক্রমশ আবছা থেকে পরিষ্কার ,

জানি এটা শীতকাল নয় 

বাইরে তুমুল বৃষ্টি বলে দেয় পুরোনো ফোটোফ্রেমের যন্ত্রনা। 

আমি চুপ ছিলাম শহরের মতো 

শুধু ধুলো ঢাকা একটা পুরনো বই পড়তে চায় কেউ। 

.

কেন ভালোবাসি ?

.

ঘুলঘুলি বড় করে দেব

জানালার কাঁচ খুলে রাখছি ,ছাদের উপর একলা চাঁদ 

ঘরের ভিতর হৃদয়ের কাঁচে আবছা মুখ 

ক্রমশ আবছা থেকে পরিষ্কার।

জানি ঈশ্বরের বাগানে কর্পূরের গন্ধ থাকা সমাজ 

আর ভালোবাসা অসামাজিক ,

ওইতো কিছু  মানুষের স্বর মিহি হয়ে আসছে

হৃদয়ের  পাশে ওই তো ডেথ সার্টিফিকেট। 

.

জীবন থেকে যৌবন 

.

খালি দেশালাই কৌটা যৌবন শুয়ে আছে আছে 

দেশলাই বাক্স আর কফিনের মধ্যে তফাৎ কি ?

মাটি, আগুনের পাশে স্বনিয়ন্ত্রিত বাতাস

প্রকৃতির ছবি আঁকত যে শিশুরা,তারা আজকাল হাসতে ভুলেছে 

প্লাস্টিক বোধহয় আজকাল ঠোঁটে লিপস্টিক এঁকে দেয় 

হ্যাশট্যাগ জীবন 

যৌবন কুঁড়োতে তাই ঘরছাড়া চিরকাল। 

.

ভালোবাসা না শরীর 

.

ট্যাগ ফুরিয়ে যাচ্ছে

দীর্ঘ হয়েছে বাঁশপাতা ,ক্রমে শুকিয়ে খসখসে ,

আজকাল হাত বুলোলে 

 মাটির শরীরে পাতার জালিকা বিন্যাস

আবছা মনে হয়?

 খালি চোখে কতটা দেখা যায় ?

কবিতায় প্রশ্ন রাখলে এখন  উত্তর দেওয়া যাবে না। 

.

ভালোবাসলে সবটা দরকার 

.

এমনই কোনও কবিতার সিরিজ অসম্পূর্ণ থেকে যাবে

ব্যবহৃত মুখোশগুলো কুড়িয়ে নিচ্ছে যারা

তাদের ভালো থাকা কাম্য 

বাকিটা না হয় অজ্ঞাত অন্ধকারে থাক। 

শাদাকালো ছবির পাশে হেঁটে চলছি আমি তোমার হাত ধরে 

এই ছবি পপুলার হবে না বড় 

শুধু সময়ের লেখা থাকবে একটা অসমাপ্ত গল্প। 


Thursday, July 8, 2021

নবজন্ম

 


নবজন্ম 

... ঋষি 

.

যদি মনে পড়ে ভুলে যাওয়া মাটিকে 

যদি হঠাৎ একলা কবিতায় একটা স্তব্ধতা ছেয়ে ধরে 

যদি হঠাৎ কান্না পায়  ............

.

না না ,এ কবিতা ফুরোবে না 

ফুরোবে না আমার বুকে মৃত গত ঊনপঞ্চাশটা শুকনো গোলাপ,

এটা তোমার কবিতা হতে পারতো 

পারতো তোমার আখরোটে রাখা আখেরি সেলাম 

এই কবিতার পর আমার মৃত্যু হতে পারতো 

হতেই পারতো তোমার সেই আক্রোশের ছুরিটা আমার বুকে। 

.

কিছু সত্যি নয় 

সবকিছু কবিতা নয় ,

হঠাৎ একলা গাছ  তুমুল ঝরে আছড়ে পরে সময়ের বুকে 

হঠাৎ একলা বেঁচে থাকা আরো একলা করে সময়ের স্বরে 

তবু কিছু স্মৃতি থেকে যায় 

হঠাৎ মনে পরে ভুলতে চাওয়া মাটিকে 

গাছদের দীর্ঘশ্বাস।

তোমার  শেষ মৃত্যুটা আমার হোক বলা হলো না 

তবে প্রার্থনা করি তোমার নবজন্ম হোক। 


দু পৃথিবী

 


দু পৃথিবী 

... ঋষি 


অদ্ভুত এই পৃথিবী 

কার বুকে পা রাখবো ?কার বুকে মাথা ?

 কার আঙুলে জ্যোৎস্না পরিয়ে বসাবো ছাতিমগাছের তলায় ?

রবীন্দ্রনাথ ? না কাদম্বরী ?

এ যে দু পৃথিবীতে বাস। 

.

অভিমানে মরে যাব? 

 রাত জাগা পাখির মতো জ্বলজ্বল চোখে তাকিয়ে থাকবো জঙ্গলে ,

মধ্যরাতে প্রেমিকার দরজায় সর্বস্বান্ত  প্রেমিকের পথ। 

আর কত খিদে ধান ও মড়ক

আর কত ডাক মিছিল লাল ,সবুজ ?

এ যে দু পৃথিবীতে বাস। 

.

মজ্জার হাড়ের ভিতর এই সময়  স্যিগনেচার ও শীলমোহরে 

একটা গর্ত ভর্তি হয়ে নতুন জন্মায় সমুদ্রের চড়ে 

জীবন বাস্তবিক এক সমুদ্রের প্রতিফলন 

আয়নায় রূপান্তর ,

প্রতিমুহূর্তে পাল্টানো ঘর 

শব্দহীন এক সময়ের মাস্তুলে দূরে তাকিয়ে পাখি 

না না আকাশ নয় 

অন্ধকারের সময়ের  চুম্বনে ঠোঁট

ভিজে আখরোট।  

কবিতায়  সারা শরীর চাটবো

নোংরা সময় ,নোংরা হিসাবে সাবান ঘষবো 

খিদে ও মিছিল,

মৃত্যু না  প্রেম ?

.

আর কতদিন ভাতের গন্ধে খিদে ভেবে  

অন্ধকার চাটবো ?

বুঝি, তবু বুঝি না


 বুঝি ,তবু বুঝি না 

... ঋষি 

.


যা হয়নি তাতে কোনো দুঃখ নেই 

যা হয়েছে তাতেই আফসোস ,

চলন্তিকা তোমাকে বলা হয় নি 

আজ আমি দুংখী এলাকার লোক ,বারোমাস বৃষ্টি

আমি তো ভিজি রোজ একলা এই জনবসতিহীন জন্মতে ।

.

আমার এখানে গাছগুলো মাথা নিচু করে আকাশ দেখে 

আমার এখানে পাখিগুলো আজকাল চুপচাপ মনমরা থাকে ,

কোন এলাকায় থাকি আমি  জানি না 

এটা জঙ্গল না শহর এটা বুঝি না  ,

শুধু বুকের মাঝে আজকাল একটা বিড়াল ডাকে 

বিড়াল দুধ ,মাছ ,মাছের মাথা সব খেলেও আমায় খায় না 

কারণ এঁটো খেলে বেড়ালের রক্তবমি  হয়। 

.

সত্যি বলছি একথালা ভাত পেলে আমি মরতে পারি 

একথালা  ভাতের জন্য আমি শরীর বেঁচতে পারি 

কিন্তু তবু যেন সন্মান ,

এই এঁটো সম্মান বুকে আমি চুরি করতে পারি 

কিন্তু চোর কদাচ নয়। 

চালে ডালে আর চায়ে চামচে মেলামেশা দেখে

মানুষের বিয়ে হয়ে যায় ,

পাড়ার সুন্দরী মেয়েটার দোষ খুঁজে তাকে নষ্ট করে সময় 

অথচ তার চোখে সরগম  ও আঙুলে হারমোনিয়াম ,

আমি সব বুঝি

ভালো 

মন্দ,

সময়ের দেওয়ালে  দুটো  টিকটিকি একে অপরকে জাপটে ধরে 

সকলে তাকে খবর বলে 

আর আমার এলাকাতে  বৃষ্টি এলে চলন্তিকা বলে দুঃখ। 

সাধারণ

 


সাধারণ 

... ঋষি 


ময়লা লিকলিকে যে ছেলেটাকে  তুমি দেখছো  এখন 


তুমি তার নাম জানো না ,


পাশে  ময়লা ,বোগল ছেঁড়া ব্লাউস শাড়িতে যে দাঁড়িয়ে 


আমি জানি তুমি তাকে চেনো না 


না চেনাই উচিত 


আসলে নিজের মতো লোকদের সকলে সাধারণ বলে জানে। 




.


সাধারণকে লক্ষ্য করার মতো কিছু থাকে 


সাধারণকে প্রশ্ন করার মতো কিংবা সাধারণকে উত্তর দেবার কিছু নেই ,


মধ্যপ্রদেশ থেকে রাজস্থান 


উত্তরপ্রদেশ ,পঞ্জাব ,বিহার এমনকি পশ্চিমবঙ্গে সাধারণ 


হ্যা জনসাধারণ, এটাই পরিচয়। 


.


বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত গ্রামে যে মেয়েটার  ধর্ষিত মুন্ডু কাটা শরীরটা পাওয়া গেলো  


তার নাম তুমি জানো না ,


কলকাতার পার্কস্ট্রিটে যে  শিশুর বাবা ,মার্ ডিভোর্স হয়ে গেলো 


তার নাম তুমি জানো না ,


মেদিনীপুরে যে ছেলেটা পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করে চাকরি পেলো না 


তার নাম তুমি জানো না। 


সেই পুরুষটা জানে না প্রতি রাতে জুলি নামে পানশালায়  যে মহিলা নাচে


তার আসল নাম 


সেই মহিলা জানে না প্রতি রাতে যে খদ্দেররা তাকে ভালোবাসে 


সেই সব খদ্দেরের নাম  ,


সেই শৈশব জানে না তার আঁকার খাতায় সে যে স্বপ্ন অনেকে তার নাম। 


.


তুমি জানো  ?তোমরা জানো ?


আমি কিন্তু  জানি 


আসলে এটা একটা রাষ্ট্রের জনসাধারণের নাম 


যার নাম ভারতবর্ষ। 


জীবিত ও মৃত

 


জীবিত ও মৃত 

.... ঋষি 


ছেলে মেয়ে দুটো এগিয়ে চলেছে 


সামনে ভাবনার  খোলা জানলা আর এই পাশে আমি ,


ছেলে মেয়ে দুটো এগিয়ে চলেছে নদীর ব্রিজের উপর 


সামনে তাদের একটা জীবন অন্য পাশে সমাজ ,


ওরা বিবাহিত কিনা জানি না 


ওরা কতটা জীবিত তাও জানি না 


কিন্তু এটা জানি ছেলে মেয়ে দুটো ভালোবাসে একে অপরকে। 


.


ভালোবাসা ?


একুশ শতকের দরজায় দাঁড়িয়ে কবি লেখেন ভালো আর বাসা 


এটা সত্যি ,


সেই সময় কোনো হোটেল বা লজের  দরজা বন্ধ হয় 


দেখি ছেলে মেয়ে দুটো বেরিয়ে আসছে 


আমি দেখছি ,উত্তর খুঁজছি 


তারপর ?


.


তারপর একটা শব্দ 


ব্রিজের উপর থেকে হাত ধরে ঝাঁপ মারলো দুটো শরীর 


তারপর কি ঝটপটানি 


হোটেল কিংবা লজের সিলিং এ সেই দুটো শরীর


তারপর পুলিশ 


নিয়ম 


সমাজ 


এ মা মেয়েটা যে মরে নি.


কি যেন  বলছে মেযেটা ?


শুনছেন ,শুনতে পারছেন 


তুকে ছাড়া মরেও সুখ নাই রে। 


.


হাসবেন না ? হাসছেন 


প্লিজ একটু সরে বসুন সমাজের দিকে ,


কে এরা 


দেওর বৌদি ,বন্ধু ,বন্ধুর স্ত্রী,কিংবা শুধু দুটো মন 


কি বলছেন আপনারা 


আজকাল হয়েছে এই ,মেয়েটা মোটেও সুবিধার ছিল না।  


 


ভালগার

 ভালগার 

... ঋষি 


বয়স হয়েছে ভেবে আপনি মাছ খাওয়া ছেড়ে দিলেন 

চুলে মেহেন্দি লাগালেন ,

দেওয়াল ধরে দঁড়াবেন বলে 

দেওয়ালে দেওয়ালে চুইংগাম,

আপনি চিনি খাওয়া ছেড়েছেন আজ বহুদিন 

আর সুইটিস্ট এখন আপনার জীবন। 

.

এ যেন আজব কাহন 

গুজরতে হুয়ে দিন ,গুজরতে হুয়ে বাতে 

আর ও সব রাতে ,

ভালগার দুনিয়ায় আপনার চশমার পালঙ্কে  আজও মালোতি বৌদি 

নিখিলের স্ত্রী 

দযা করে আপনি চিনি খাওয়া শুরু করুন প্লিজ। 

.

বয়স হয়েছে 

প্রমান চাইছেন আজকাল কোমড়ে ,পায়ে ব্যাথা 

অরে পাড়ার মাসিমাও একদিন হেমামালিনী মতো দেখতে ছিলেন 

ঠিক  যেন বিজ্ঞাপনের মেয়ে

ঠোঁটে হাসি, হাসিতে খুন,যেন ভাড়ায় চালিত অটো

অটোর হ্যান্ডেল।

সঙ্গম আর স্ক্যান্ডালের মাঝে দূরত্ব সামাজিক  

মানুষ আর চাহুনির মাঝে দূরত্ব হৃদিক 

ডানে ভাঙারির দোকান ,বাঁমে বৌদির  ভাতের হোটেল

হোটেলে বিরিয়ানি পাওয়া যায়

এবার আপনি ঠিক করবেন 

কারফিউয়ের রাতে  আপনি হোটেলে ঢুকবেন কিনা ?

মাতলামি

 মাতলামি 

... ঋষি 


বুকের ভিতর ঈশ্বরের কাছে দাঁড়িয়ে 

আমার লিখতে ইচ্ছে হয় 

শালা যার দেশ নিয়ে জুয়ার আসরে বসেছে 

সবগুলো জানো....। 

......................বাকিটা লিখতে সাহস পাই না 

যদি মেরে ফেলে পাড়াতুতো নগর নিয়ম।  

.

পাড় মাতালের মতো কথাটা শুধু মাতাল জানে না 

চারদিকে সভ্য মানুষ জানে 

শান্তি ভালোবাসেন ?

রাষ্ট্র নিয়ে শীৎকার করে বুকের ভিতর বেশ্যাখানা 

 হাটে-বাজারে নালা-নর্দমায় ,খামচে ,নিংড়ে চুষে আমার রাষ্ট্র 

শুধু নামছে 

বৌ থেকে গীতবিতান ,পাড়ার মৌ থেকে ব্রেসিয়ার। 

.

বুকের ভিতর ঈশ্বর সত্যি কথা বলে 

আর শালাদের নিয়ে কবিতা কেন লিখছি কেন জানো ?

বুক পোড়ে 

রাষ্ট্র পোড়ে 

পোড়ে প্রেমিকার ব্রেসিয়ার আড়ালে ঝুলতে থাকা বিষন্নতা।

-মানচিত্রে

- সোনার বাংলা 

সব মিথ্যা 

আমার প্রেমিকার ঠোঁটে ঠোঁট রেখে বলি 

চল এবার অন্ধকারে 

তোকে আলোতে ভেজাবো। 


Wednesday, July 7, 2021

অনুমতি

 অনুমতি 

... ঋষি 


ইচ্ছার দোকানে গেছি 

সেখানে বাহারি পোশাকে বসে আছেন ঈশ্বর ,

যে যায় ,

সব আছে সেখানে 

অথচ পাড়ার অমিতের মুদির দোকানে 

কন্ডোমের বাক্সে প্রেম পাওয়া যায়। 

.

কখনো শাড়ি কিনি নি ,না ব্লাউজ 

তবে প্রেমিকাদের জন্য কন্ডোম কেনার বাসনা সবার ,

আজকাল অমিতের মুখে বিদারক হাসি 

বেচারার  করোনা ,

অথচ বন্ধ দোকানের এপাশে পাড়ার ছেলেরা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে 

মশাই এই দোকানে পাড়ার বৌদিকে আদরের পারমিশন বিক্রি হয়। 

.

অনুমতি ছিল 

অথচ সারা দিন আমি ছোট মুখ নিয়ে বসে থাকি 

বড়ো মুখে পা দোলায় বুকের ভিতর একশো সাতান্ন পল্লী ,

মাঝে মাঝে মনে হয় মলিদির ছেলেকে কি বলে ডাকি 

হাজার হোক আমার প্রেমিকার সন্তান। 

পাশের বাড়ির শাঁওলীর দিকে চোখ পরে 

অমিতের দোকান বন্ধ 

কন্ডোম বন্ধ 

আমি বলি মনে মনে ও শাঁওলী তোর শীৎকার কি রাত  জাগে ?

ঘুমায় না ,ঘুমোতে দেয় কই 

বুকের ভিতর ঈশ্বর বাহারি পোশাক খুলে কন্ডোম পড়ে তখন।  


Monday, July 5, 2021

আলোর পাতায়



 আলোর পাতায়

... ঋষি

পচন ধরেছে বাসি রক্তে
প্রতিক্রিয়ায় একগুচ্ছ গোলাপ পাঁপড়ি ছড়িয়ে শুয়ে,
আমি তাকিয়ে থাকতে ভালোবাসি
শহরের শেষে তাই কোনো এক কবিতার পাতায়
আমার কবিতারা  খুব সুন্দর
চলন্তিকায় সেই সময় একগুচ্ছ গোলাপ ছড়ানো।
.
বেঁচে থাকার গল্প অনেক, বাঁচতে দেওয়ার কই?
অদ্ভুত এই ভাবনা ,
ভাবনার শহরে সকলেই কিছুতেই বুঝতে চায় না
সবকিছু বোঝা সম্ভব নয় একজীবনে
আর সবকিছু জানা
না সে এক অসম্ভব।
.
ঈষৎ দুলে উঠছে আলো
ছায়া ছায়া চাঁদ গাছের পাতায় ভালোবাসা লিখে যাচ্ছে ,
এরপর সবাই ভাববে  শরীর এগোবে
অন্ধকার আরও গাঢ় হবে এই কবিতায় ,
কিন্তু আদতে কিছুই হবে না
অবাধ্য কবিতার পাতাগুলো নরম গাল ছুঁয়ে নেবে আঙুল হয়ে।
সমস্ত লেখাটাই তখন রাতের পাতায়, নিওন হরফে
কি জানি,
আদৌ এই কবিতা পড়ছে কিনা কোনো চোখ ?
যে চোখে কবিতা ভেজে, ঝরে পড়ে ফোঁটা ফোঁটা
হয়ে,
সম্পর্ক ঠিকরে বেড়িয়ে পুড়ে যায় রেওয়াজ হয়ে ।
.
লক্ষ্য করছি 
শব্দ…
ঈষৎ শব্দে দুলে উঠছে আলোর পাতা কবিতায় । 

Saturday, July 3, 2021

আলোর দিশা

 


আলোর দিশা 

... ঋষি 

এইভাবে তুমি তাকালে একটা মৃতদেহ জেগে ওঠে 

বুকের মাঝের তুফান খবর রাখে না 

কাছে ,দূরে। 

আজকাল কিছুই চিনতে ইচ্ছে করেনা তেমন

চেনার উপায়গুলি ছাড়া

ঘুরতে শুরু করলে ফ্যানের ব্লেডগুলিকে দেখায় নিরাপদ বৃত্তের মতো। 

.

ঘুরতে শুরু করলে মাথার ভিতর অবিরত কিছু  মায়া 

চলন্তিকা ,প্রগতিশীল সভ্যতার বুকে এক নারী সভ্যতার মশাল হাতে ,

ওচোখে আমার স্মৃতিভ্রম হয় 

কুয়াশার ভিতর থেকে একটা অদ্ভুত মায়া এগিয়ে আসে 

আলোর দিশা 

একটা মৃতদেহ হঠাৎ ঘুম ভেঙে আচমকা এগিয়ে যায় ,

খুব চেনা লাগে ,হুহু মিলে যায়। 

.

এইভাবে তুমি তাকালে একটা মৃতদেহ জেগে ওঠে 

তুমি জানো চলন্তিকা প্রতিটা জ্যান্ত মানুষের মধ্যে একটা মৃতদেহ আছে

তাকে ছুঁয়ে দিলে দুঃখ হয়,

অনুভূতি 

পাওয়া ,না পাওয়া একটা দীর্ঘশ্বাস। 

শুধু স্মৃতির দিকে ঘুরে দাঁড়ালে কুয়াশা ভালো লাগে

ভালো লাগে সভ্যতার মশাল হাতে সেই নারী 

চলন্তিকা ,

চলন্তিকা তোমার চোখে আমি মৃত্যু দেখেছি 

দেখেছি আমার জন্ম

দেখছি নিজেকে 

কিন্তু কেন জানি তবু আজকাল ভয় করে 

নিজেকে হারাবার 

কিংবা 

নিজেকে পাবার। 


অনেকগুলো ছোট গল্প

 অনেকগুলো ছোট গল্প 

... ঋষি 


রং

.

রাস্তাটি পেরিয়ে গিয়েও রাস্তা 

আর তার আবার অবস্থা 

একটা মোমবাতি হাতে চলন্তিকা হেঁটে যায় সময়ের মিছিলে 

ঠিক অতটুকু আলো 

বাকি অন্ধকার 

.

কেউ জানে না রঙ আসলে পরিচয়হীন ঈশ্বরের নাম 

যাকে আমরা না জেনে পুজো করি। 


.

ঘড়ি 

.

যারা এগিয়ে গেলো তারাও আমার মত মানুষ 

কিন্তু যারা পিছিয়ে তারাও আমার মত মানুষ 

কিন্তু পিছনে যারা তাদের সামনে যাওয়া আছে 

আর যারা এগিয়ে 

তাদের সম্ভাবনায় পিছন লেখা থাকে। 

.

ঘড়ি একটা দাঁড়িপাল্লার নাম 

যা মানুষকে মেপে রাখে আগে ,পরে ,সামনে পিছনে। 

.

অপেক্ষা

.

অপেক্ষা শব্দটা একটা সুতো 

সুতোর আগাদুটো তারপর খোঁজে। ..তারপর 

উত্তর 

পাথরের দেওয়ালে কেউ খোদাই করে রাখে না 

রাখে নিজের মনের সৎ উত্তরে 

.

তুমি 

.

তুমি অন্ধকার মিনারে দাঁড়িয়ে রয়েছো 

আমি পতাকার মতো তোমার শরীরে উড়ছি শুধু 

দিকনির্দেশ নেই 

শুধু একটা গল্প এগিয়ে চলেছে আগামী ঈশ্বরের দিকে। 

.

ঈশ্বরের তোমার মতো চোখ ,ঈশ্বরের তোমার মতো ঠোঁট 

জানি না তোমায় লিখতে শব্দ কেন কম পরে। 

.

বহুদিন পর 

.

আজ বহুদিন দাঁত দিয়ে কামড়ে উঠি নি কবিতার পাতা 

তাই বদহজম 

বোধহয় সময় আজকাল বয়স হয়ে চশমা লাগিয়েছে চোখে 

তবুও জানো চলন্তিকা 

.

মিছিলে মানুষ আর মানুষের মিছিল 

এটাও একটা গল্প। 

.

সমাপ্তি

.

নিঝুম রাত 

ঘুম আজকাল চোখের কালিতে শুয়ে থাকে 

গুঁড়ো গুঁড়ো ভালবাসা লুকিয়ে রেখেছি অন্ধকারে 

অপেক্ষা সকাল 

.

আর চলন্তিকা বুক 

সেই কথা জানে খোলা আকাশের পাখিগুলো। 


ডিপ্রেশন



 ডিপ্রেশন

... ঋষি 


আমাকে ওরা রাজার মতো রাখে 

যে রাজার সম্ভাবনায় হাতিশালে হাতি ,ঘোড়াশালে ঘোড়া আর সমুদ্র 

আমার সাম্রাজ্য ,

এক সোনার পাখি আকাশে উড়ে যায় রোজ 

আমি ভাবি সম্ভাবনা 

আসলে ডিপ্রেশন। 

.

ডিপ্রেশন একটা সুখ শব্দ 

একের পর এক মৃত্যু এসে ছুঁয়ে যায় জীবন পাতায় 

আমি ভিতর ভিতর খালি হতে থাকি 

আমি ভিতর থেকে পুড়ে চলি একলা সাম্রাজ্যে শেষ মাসিহা 

নিজে যুদ্ধ করি 

নিজে জিতি ,নিজে হারি ,বাঁচি মরি রোজ 

ভিতর ভিতর আমার সাম্রাজ্যে ঘুনপোকা ধরে। 

.

কিছু ভালো লাগে না 

কথারা কথা বলে না আজকাল 

সাদা পাতায় একের পর এক দীর্ঘশ্বাস আজকাল অন্ধকার লেখে 

অন্ধকার রাষ্ট্র ,অন্ধকার রাজ্য ,অন্ধকার সময় 

আর অন্ধকার আমি 

ডিপ্রেশন। 

নির্ভেজাল ঘুম ভাঙা আদর ,জানলার বাইরে পাখির ডাক 

শিতের দিনে আদরের ওম ,বৃষ্টির দিনে একলা ছাতা 

সব বেমানান 

সব বেদখল 

একলা সাম্রাজ্যের আমি অন্য রাজা 

ওরা ভালো থাকুক। 


না বলা কথা

 


না বলা কথা 

... ঋষি 


এক গা গয়না,আলমারিতে সারি দেওয়া রংমহল 

বদলে

প্রতি দিন আমার গা ভর্তি জ্বর থাকে

সাথে আসে অনেক কথা 

সময়ের কিছু অসময়ের কিছু 

কিন্তু এ সব বলতে নেই। 

.

গলা ভারী,  চোখের নীচে কালি,

যাথাসাধ্য চেষ্টা করি-

ফাউন্ডেসন , মেকাপ ,কাজল আর একটা বিপরীত হাসি। 

আমার মৃত দেহ দেখবার আগে

কেউ যেন জানতে না পারে

আমি তিলতিল করে মরে গেছি কবে

শুধু সাধের রাজত্বে আজকাল কিছু স্বপ্নরা বাস করে। 

.

আমার  বাড়িতে দরজা নেই কোনো 

অনেকগুলো জানলা ,

আমি ঘরের ভিতর কোনো ক্যালেন্ডার রাখা নেই 

শুধু আছে অনেকটা দৌড় 

আমি  কর্তব্য বলি  

সবাই বলে সংসার। 

মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে কারুর একটা কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়ি

সে আমায় ঘুম পাড়িয়ে দিক।

সিন্ড্রেলার জুতো নিয়ে হাজির হোক রাজপুত্তুর-

এমন সময় আমার ঘুম ভেঙে যায় 

আর দুর্গকে ঘিরে ফেলে শত্রুপক্ষ ,

আমি বন্দী হই

বন্দী ,

কিন্তু এসব কখনো বলতে নেই। 

সর্বনাশ

 সর্বনাশ 

...ঋষি 

.

সর্বনাশ লিখতে লিখতে 

কামড়ে দিলাম তোর কানের লতি 

এক  কাপ চায়ে ঠোঁট ডুবিয়ে ডুব দিলাম,উফ 

শরীরের জ্বর

আর মনের গভীরে মুহূর্তদের ঘর । 

.

বুকের ভিতর বাহান্নটা হাঁদারাম ,বত্রিশ ক্যালেনা আছে যাদের 

তাদের জন্য সিঁদ কাঁটা ঈশ্বর সর্বনাশ  ,

আর বসবাস 

নিজের গভীরে কুঁড়ে খাওয়া ডেও পিঁপড়ে ,

রক্তের ঝাঁঝরিতে আজকাল বাস করে একজন রেস্পন্সিবল প্রেমিক 

হে ঈশ্বর শক্তি দিও। 

  .

সর্বনাশ শব্দের  সমাস জানা নেই 

জানা নেই ব্যাকরণ 

বুকের বারোমাস দরজা খুলে শুয়ে থাকে ঈশ্বরের চোখ 

প্লিজ একবার দরজা খুলতে চাই। 

এরপরএকে একে খুলে নিলাম তোকে বুকের কোষে 

অজান্তে সিগারেটের নিকোটিন বিদ্রোহ করে 

আবার ডুব দিলাম ,উফ 

শরীরের জ্বর 

মুহূর্তদের ঘর 

আর সর্বনাশ ভালোবাসা লিখতে বোধহয় পুরুষের বিছানা কম পড়ে। 


অনবদ্য কবিতা

আমরা কেউই অনবদ্য কবিতা নই আমরা সাধারণ যারা তারা শুধু বেঁচে আছি বেঁচে থাকবো বলে, আমাদের কবিতারা আকাশে উড়তে পারে না শুধু ডানা ঝাপটায়, হঠাৎ  অব...