Friday, August 30, 2019

সময়ের মুখ


সময়ের মুখ
... ঋষি
============================================
কোনো এক ভুল ভাঙা বিকেলে
এই শহরের বুকে লেখা হয়েছিল নতুম কোনো কাব্য।
ভালোবাসা
শব্দটাকে ভেঙে টুকরো করে আতশ কাঁচে রেখেছি বারংবার
কিন্তু হিসেবে মেলে নি
মিলেছে অজস্র সুক্ষ ছেঁড়া তার।


চলন্তিকা
তুই যদি কবিতা হতিস তোকে ভালোবাসতাম ,
সমুদ্র হয়ে তোর বুকে ছুঁয়ে দিতাম উত্তাল শব্দে।
কিছু আনকোরা সময়
খোলা আগুনে পুড়ে যাওয়া বেঁচে থাকা।
তৃ
প্তি
নির্দিষ্ট আঙ্গিকে একাকাকার শান্ত সমুদ্রের ঢেউ।
ঝাউবন
মাতাল করা নোন হাওয়া ছুঁয়ে চলা ,
অজস্র সুখ
বুক আঁকড়ে বলা ভালো আছি
খুব ভালো।

কোনো হারানো সময়ের কবিতা নয় এটা
নিতান্ত সময়ের মুখে দেখা কোন হারানো বিকেল।
ভালোবাসা
শব্দটাকে ভেঙে চিরকাল একটা কাঁচ ভাঙা শব্দ।
তবু সময় ক্লান্ত নয়
ক্লান্ত আমার মতো কিছু সময়ের মুখ। 

আমার শহর

আমার শহর
.... ঋষি
===========================================
কিছু কথা কখনো বদলায় না
যেমন বদলায় না এই শহরের রিংটোনে পুরোনো ব্যস্ততা।
বদলায় না মানুষের কলারে জমতে থাকা সময়ের ঘাম
কিংবা চেনা রৌদ্র।
শুধু বদলায় সময়
আর সময়ে দেখা মানুষের মুখ।
.
এই শহরে বদলায় না কবিতা লেখা
বদলায় না  সংস্কৃতি চটকানো বিছানার চাদর।
বদলায় না রোজকার মুখে লেগে থাকা ক্লান্তি
আর বদলায় না মানুষের গভীরে অন্তর্নিহিত বিপ্লব।
বিপ্লব হত্যা হয়েছে এই শহরে বহুবার
বহুবার এই শহরে সত্যির বুকে ঢুকে গেছে ধারালো ছুরি।
অযুত নিযুত বছর সময়ের সাক্ষী আমরা
এই শহরে বিপ্লবীর শহর ,এই শহর সংস্কৃর্তির শহর ,
এই শহর সত্যজিতের ,ঋত্বিকের।
তবু এই শহরের সুখ নেই ,নেই বেঁচে থাকা
আছে স্বপ্ন আগামীর
আর অজস্র মৃত্যু গাঁথা।

কিছু কথা বদলায় না কখনো
যেমন বদলায় নি কোনো এই শহরের কবিতায় সময় লেখা।
তবু এই  শহরের প্রেমে বারংবার
আমি লিখি সময়ের কথা।
ভেজানো দরজা ,লুকোনো ব্যাথা
তবু এই শহরের মতো আমিও ক্লান্ত কখনো বেঁচে থাকায়।  

Thursday, August 22, 2019

সারাদিন

সারাদিন
... ঋষি
========================================
ঘুম এখনো ভাঙে নি
আজকাল ঘুম ভাঙতে চাই না দিনভর।
কোনো অদ্ভুত মায়াবী চোখ তাড়া করে আমায় সারাদিন
আমি ঢুলতে থাকি
কিছুতেই ঘুম ভাঙতে চায় না।

ভুঁড়ি বাড়ছে,বাড়ন্ত সুগার লেভেল
বাড়ছে মনের কোন গভীর কোনো আকুতি।
তোকে ছুঁতে চাইছে জীবন
হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা শহর যেন।
তুই বদলাচ্ছিস ,হয়তো আমিও
ক্রমশ পাথর জমছে হৃদয়ে কিছু বলতে চাওয়া।
অবৈধ কিছু রাগ,কিছু অভিমান
গুঁড়ো গুঁড়ো কাঁচের মতো ছড়িয়ে পড়ছে চারিপাশে।
আমি কানে তুলো  গুঁজে,
সময়ের বায়োস্কোপে শুধু দেখতে পাচ্ছি তোর গভীর কালো চোখ।
বোধহয় বেড়ে যাচ্ছে এই শহরের ব্যস্ততায়
লুকোনো কিছু আমাদের রোগ।

চোখ বুজে  সময় বলছে দূরে থাকা
হৃদয়ের নো ম্যানস ল্যান্ড এ তাঁবু গেড়ে বসে আছে সময়ের রূপ
রূপ বদলায় ,অথচ একই তোর গভীর কালো চোখ,
আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি বেঁচে থাকার
শুধুই তফাৎ এটাই তোর সাথে আমি একা বাঁচি আজকাল।

Wednesday, August 21, 2019

রোমন্থন

রোমন্থন
............... ঋষি
=====================================
ঠিক কোথায় পোড়া দাগ আমার ডানদিকে ,তোর বামে ?
নাকি সারা শরীরে অথবা সমস্ত ছবিজুড়ে।
তবু স্বপ্ন দেখতে ভুলি নি ,
বেঁচে আছি ,
আজ অবেলায় হঠাৎ জানান দিচ্ছে শরীর
হুড়োহুড়ি আধা ঘুম চোখে এগিয়ে আসা ঠোঁট।

চব্বিশ ঘন্টার রোমন্থন
জীবনের ছটা রিপু নিয়ে ,ছটা গোলাপ পাঠাবো তোর কাছে।
সময়ের অপেক্ষায় ?
ঠিক কতটা পথ তোর সাথে একসাথে হাঁটলে
ফুল ফুটবে জীবনে ?
কোনো ভয় নয় ,অনেকটা আদর তুলে রেখেছি তোর জন্য
ভিজে সময়ের একলা পথে অনেকটা তুই ,
সোজাসাপ্টা সিলেবাসের বাইরে লেখা
আমার বাঁচার কবিতা।
একরাশ সিগারেটের ধোঁয়ায় বন্য তুই
ক্রমশ জঙ্গলে আগুন ,
সময় ছুটছে জেট গতিতে ,তোকে ছুঁয়ে।

অবাক হচ্ছি অভ্যেসের জীবনে ব্যস্ত প্রতিফলন
আয়নায় ফুটে ওঠা মুখোশের কমেডি আর বিরহের সিলেবাস।
তাই কুড়িয়ে কুড়িয়ে স্বপ্ন বুনছি বাবুলের বাসায়
জোনাকির আলো।
আজ অবেলায় বাড়ি ফিরে যাওয়াটা স্বাভাবিক আমাদের
কিন্তু স্বপ্নগুলো চিরকাল বেঁচে। 

Sunday, August 18, 2019

যোনির কবিতা


যোনির কবিতা
............ ঋষি
=============================================
সময়ের উপর শুয়ে অসংখ্য কুকুর
চিৎকার করছে ,জিভ বের করে সঙ্গম করছে
আবার চেটে পুটে খাচ্ছে সভ্যতা।
সভ্যতা শব্দের তলপেটে দাঁড়িপাল্লা লাগানো অসহ্য আধুনিকতা
আধুনিকতায় তিন নম্বর পা পৌরুষের
শিশ্নে লেগে ধ্বংস।

ঢুকছে ,বেরোচ্ছে চামড়ার ঠোঁটে লেগে যাচ্ছে
আবার মুছছে ধ্বংস।
বিউটিপার্লার ,স্পা আরো অনেক  ,অসংখ্য মুখোশের মানুষ
মুখে রং, চোখে রং
সকলে সঙ্গম রত ,সময়ের বীর্য ক্রমশ আরো আঠা
আর সভ্যতার যোনিতে ধর্ষণ
জন্ম নিচ্ছে হাজারো ধ্বংস।
পু
রু

পুরুর নামে  , পুরানের  প্রাচীন স্তবকে জন্মপিতা
আজ শুয়ে আছে নিতান্ত নিশ্চিন্তে
তার পৌরুষে জন্ম ধ্বংস।

সময়ের উপর পুরুষের পায়ের ছাপ
চিৎকার করছে সভ্যতা নাম্নি অজস্র জন্মগুহা।
চেটেপুটে খাওয়া সেই ছ বছরের যোনি
বিয়ের সাতদিনের মাথায় ডিভোর্স হওয়া সেই যোনি
চিৎকার করছে আরো অজস্র
তবু এটা যোনির  কবিতা নয় ,সভ্যতার।

Saturday, August 17, 2019

বৃষ্টি ভেজা কবিতা


বৃষ্টি ভেজা কবিতা
.... ঋষি
=======================================
সময় খোঁজার লোভ
লোভ অনবরত ক্ষরণ বৃষ্টি মাতাল শহরের ইতিকথা।
ভেজা রাস্তা ,ভেজা মন
চঞ্চল কিছু সময়ের ছবি , তোমার মুখটা বড় কাছের।
অনন্ত রোমন্থন বুকের মাঝে
পায়ে পা মিলিয়ে হাঁটা পথ কোনো বৃষ্টি বিকেলে।
..
একটা দুটো পাতা ঝরে পরা
তবু সবুজ কিছু আগুন আমার বুকের খাঁজে যাযাবরের চিঠি।
আমি আকাশ খুঁজতে ভালোবাসি
ভালোবাসি সেই মেয়েটাকে যাকে কখন পুড়িয়েছিল সময়।
আকাশের বুকে পা দিয়ে
ঈশ্বরের খোঁজে আমি দলছাড়া আকাশের পাখি।
পাখি খুঁজছে সময় ,সময়ের ওপারে স্বপ্ন
আর শহরের বৃষ্টিকে।
কোনো আখরোট ঠোঁটে লেগে থাকা আদর
সেই আদরের নীল রং
মেঘলা আকাশ।

সময় খোঁজার লোভ
লোভ অনবরত ভিজতে থাকা বৃষ্টিতে আমার শহর।
আমি শহর লিখতে চেয়েছি চিরকাল
অথচ চিরকাল লিখে ফেলেছি বৃষ্টি ভেজা কবিতা।
আর সেই কবিতায় রোমন্থন
শহরের পথে হঠাৎ খুঁজে পাওয়া সেই বৃষ্টিভেজা তোমাকে। 

Friday, August 16, 2019

বেজন্মা


বেজন্মা
..................... ঋষি
==========================================
ক্রমশ অন্ধকারে এগিয়ে চলেছে ছেলেটা
পিছন দিয়ে ডাকছে কিছু মুখোশ।
মুখোশের শহরে ভিড় ভাঙছে আর চিৎকার করছে ছেলেটা
প্লিজ আর না ,আর না ,
নাটকের পৃথিবীর অভিনেতারা হাসছে
যেমন হেসেছে চিরকাল।

ছেলেটা ফিরে যেতে চাইছে নিজের শৈশবে
খুঁজে পেতে চাইছে মায়ের বুক।
ছেলে হেঁটে যেতে চাইছে তার বাবার হাত ধরে গুঁটি গুঁটি পায়ে
কিন্তু সে এগিয়ে চলেছে মৃত্যুর দিকে।
চলতে খুঁজে পেতে চাইছে তার প্রথম প্রেমিকাকে
যার বুকে মাথা রেখে সে খুঁজেছিল আশ্রয়।
সে খুঁজে পেতে চাইছে তার হয়েও না গড়ে ওঠা পৃথিবীটাকে
যাকে সে নিতান্ত আপন করে হাসতে চেয়েছিল।
বাঁচতে চেয়েছিল একটা স্বাভাবিক জীবন
যেখানে মুখোশ নেই
নেই কোনো সামাজিকতা ,
নেই আটক
শুধু একটু বাঁচতে চেয়েছিল সে।

এই কবিতা কোনো একার কবিতা না
এই কবিতা এমন অজস্র বেঁচে থাকার যাকে সময়
বেওয়ারিশ বলে চেনে।
যাকে সময় বুঝতেই সুযোগ দেয় না কোনটা ভালো আর খারাপ।
শুধু সমাজ তাকে গালাগাল দেয় আর কিছু মুখোশ তাড়া করে
যারা বুঝিয়ে দেয় ছেলেটা বেজন্মা।  

FUCK ME

FUCK ME BEFORE I FUCK YOU.........

আজকাল বেশ ভালো লাগে পুরুষ হাসলে
ভালো লাগে পুরুষের বিকৃত  কাম
আর বারংবার ধর্ষণ আমাকে।
শতাব্দী পোড়ানো শোক সম্রাট অশোকের হারেমে বাস করা
সে যুবতীর বাসনা
আজকাল আমারও প্রতিমুহূর্তে হাসতে ইচ্ছে করে তার মতো।
.
হাসি লাগে মদের ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে
ঠোঁট লাগাই আমার ক্রেতা পুরুষের ঠোঁটে। 
অসংখ্যবার  নিজেকে নগ্ন করার পর আর মনে হয় না
নগ্নই তো আমি।
সমাজের চোখে ,পুরুষের চোখে ,সময়ের চোখে সর্বোপরি পৃথিবীর
কাছে একটা শরীর,
যাকে বারংবার ধর্ষণ করেছে পুরুষ নিজের খেয়ালে।
স্তনের বোঁটায় দাঁত লাগিয়ে যে পুরুষ ছিঁড়ে নিতে চায় মাতৃত্ব
যোনির গভীরতায় শাবল ঢুকিয়ে যে পুরুষ খুঁজে পেতে চাই শান্তি
সেই পুরুষকে দয়া হয় ,
হাসি পায়
এই পুরুষই তো কারো ছেলে ,কারো ভাই ,কারো স্বামী
আর আমার কাছে সেও যে শরীর
নিতান্ত খিদের শরীর।

মাঝে মাঝে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হয়
আচ্ছা পুরুষ এই যে তুমি ছিঁড়ে ,খুঁড়ে খাও আমার শরীর
জানো এই শরীরে প্রাণ আছে কিনা ?
জানো তোমার দেওয়া প্রতিটা যন্ত্রনায়  আমার কষ্ট হয় কিনা ?
তুমি হাসো আমাকে কষ্ট দিয়ে ,আর আমি হাসি
কারণ তোমরা যেটা হাতড়াও  আসলে সেটা শরীর নয় মৃতদেহ। 

বৃষ্টি ফোঁটা

বৃষ্টি ফোঁটা
..... ঋষি
=============================================
অসংখ্য বৃষ্টি রাত
অনিচ্ছায় নেমে আসা শ্রাবন চোখের পাতা ঘেঁষে।
আসলে অন্ধকার  বৃষ্টিতে মানুষগুলো আঁকড়ে ধরতে চায়
মাটি ,মাটির গন্ধ।
আমি শহরের বুকে বৃষ্টি ভেজা নিকোটিন জ্বালিয়ে নিজেকে পোড়াই
তোমাকে পাবো বলে।

আচ্ছা চলন্তিকা তোমার কি আমার মতো
বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে হয়।
আমি মাঝরাতে ঘুম ভেঙে দেখি অন্ধকারে ঘোড়া চালাচ্ছে ঈশ্বর
ছুটছে পাগলের মতো ,ছুঁতে চাইছে আদর।
আচ্ছা চলন্তিকা তোমার কি আমার মতো
জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে হয়।
কোনো অন্ধকার নাভির গন্ধ হাত ঘষে
আঙ্গুল ছুঁয়ে জ্বলে ওঠা দাবানল ,
তোমার কি বুক পোড়ে আমার মতো।
বৃষ্টির ফোঁটাগুলো তোমার কি শরীর বেয়ে নামতে থাকে
যেন কোনো না বলা কবিতা ?

অসংখ্য সময়ের সফর
ইচ্ছার আঁধারে জ্বলে ওঠা চোখের আলোয় তুমি।
আসলে চোখের দৃষ্টিগুলো বদলানো দর্শনে কখন যেন
মেঘ হয়ে যায় ,তারপর বৃষ্টি।
আর তারপর মেঘ ভাঙে ,শরীরে আক্রান্ত জ্বর কাঁপতে থাকে
ক্রমশ খুঁজতে থাকে তোমার বুক পাগলের মতো।

Wednesday, August 14, 2019

with heart

love looks not with the eyes but with the heart  ...

অবশেষে সবাই কে তো চলে যেতে হয়
রক্ত মাংসের গোলা
চামড়ায় টান ,ভ্রান্ত বিলাস ,মানসিক আঙ্গিকে আঁধার লেখা।
তোর কপাল চুমে একবার শুরু করতে চাই ইতিহাস
আসলে ইতিহাস আমরা লিখি না
চিরকাল ইতিহাস লিখে চলে আমাদের ভিন্নতায় পৃথিবীর আঙ্গিকে।

ব্যস্ত সময়
ঠোঁটের পারদে জমতে থাকা সময়ের রক্ত।
রক্ত বমি মানুষের
ম্যানহার্টেনের পদ্ধতিগত, শৈল্পিক ও বৈজ্ঞানিক ধ্বংসকে
নিয়মিত পুজো মানুষের ।
ভয়
ভুলিয়ে দেয় রমণীর তৃপ্ত শিৎকার কিংবা বেদনার  কান্না।
ভালোবাসা ভুল ছিল না কোনোদিন
তবু ভালোবাসা চিরকাল কোমায় ভালোবাসার শরীর।
 বিকল অচেতন।
বুঝলে এ চলন্তিকা
ভালোবাসা লুকোনো ছিল না কিছু কোনোদিন
অথচ ভালোবাসা চিরকাল লুকোনো মানুষের।

অবশেষে সবাইকে চলে যেতে হবে
প্রকৃতির পুজো ,মানুষের মুখোশ ,সময়ের মিছিলে শহরের ধুলোয়।
তবু শূন্য বাহু পাশ,লুকোনো ঋতুবদল
ক্যানভাসের আছিলায় মানুষের দহন তুলির গভীর টানে।
তবু এই কবিতায় কোনো দহন নেই
আছে কিছু লুকোনো ইতিহাস মানুষের পৃথিবীতে ভিন্ন আঙ্গিকে।
.
................... ঋষি

সৈনিক


সৈনিক
..... ঋষি
====================================
মৃত কিছু পর্যায়  জন্ম নিতে চাইছে তোমার জরায়ুতে
বহদিন বাঁশি বাজিয়ে ফিরি নি শহরে
সেই বাঁশিওয়ালা।
শুধু দূর থেকে শোনা গেছে যুদ্ধ শুরুর কান ফাটানো শব্দ
যুদ্ধ রোজকার ,যুদ্ধ বেঁচে বেঁচে থাকা
যুদ্ধ শহরের আয়নায় বদলানো প্রতিফলন ,শুধু উপস্থিতি।

চলন্তিকা যুদ্ধ ফেরত আশিয়ানা
তোমার তরল মধু পান করেছে বহু মৃত্যু ফেরত সৈনিক।
প্রচুর মৃতদেহের সাক্ষী তুমি
সাক্ষী আমি তোমাকে গড়ে তোলা রক্ত মাংসে আমার মানসী।
তুমি তো জানো সঙ্গমশেষে যে গভীর ঘুম আসে
সেখানে অন্ধকার রাত্রি ঘুমিয়ে পরে রূপকথা হয়ে ।
ক্লান্ত সৈনিকের দল ঘরে ফিরে আসে
তোমায় স্পর্শ করে খুঁজে পাওয়া রাতপরী তখন আরব্য সংবাদ 
তুমি তো চিরকালই আশ্রয়ের দ্যুতি।
তারপর আবার সকাল ,আবার যুদ্ধের দামামা ,আবার সাজ সাজ রব
যুদ্ধে চলে সৈনিক ,
পৃথিবীর সমস্ত আগুন তখন বন্দুকের শব্দ ,আকাশ জুড়ে যুদ্ধবিমান
অঝোর রক্ত ঝরে সৈনিকের বুকে।
আবার সকলে একা হয়ে যায়। ....

মৃত কিছু গল্প আজ হঠাৎ আমার বুকে ফিনকি দিয়ে রক্ত
বহুদিন তোমায় ছুঁয়ে দেখিনি চলন্তিকা
সেই স্পর্শ সুখ।
তোমার যোনির থেকে গড়িয়ে নামে তৃপ্ত কাম
কস্তুরিগন্ধে মুগ্ধ অনবদ্যতা
হঠাৎ যুদ্ধ থেমে যায় ,দেখি  তুমি আমাকে জড়িয়ে আদরে । 

অন্য শহর


অন্য শহর
............. ঋষি
===================================
দুটো শহর কয়েকশো সময়ের দূরত্বে চুম্বক খুঁজছে
খুঁজে চলেছে অন্য একটা শহর।
সময় দ্রবীভূত জলে বাড়তে থাকা নোনা স্বাদ
বোধহয় নিরুদ্দেশের খোঁজ।
জীবনের থেকে সময়ের দূরত্ব ,সময়ের থেকে জীবনের
মিশে থাকা রোজনামচা নিজেদের।

কোনো ব্যস্ত দিনে
তুই গিয়ে বসিস জানলার কাছে ,ক্লান্ত শরীর এলিয়ে
নিজেকে খুঁজিস অন্য শহরে।
হাতে তুলে নিস্ কফি মগ ,প্রতি চুমুকে ছুঁয়ে যাওয়া ঠোঁট
একটু সময় খোঁজে সময়ের ফাঁকে।
ব্যস্ততার দাগ তোর
 না
ঘুমোনো
চোখ।
অন্ধ রোমন্থন বুকের ভাঁজে কালসিটে
ভালোবাসা আঁকড়ে খোঁজে কোলবালিশ শহরের বুকে ।
শহর ক্লান্ত হয় এলিয়ে পরে অন্ধকারে
আর তুই হারিয়ে যেতে চাস অন্য শহরে।

দুটো শহরের গল্প এটা
খুঁজে চলা বেঁচে থাকা হাজারো ব্যস্ততায় আদর।
শহরে বুকে মাথা কোর্টে সময়
আর সময়ের বুকে আশ্রয়  খোঁজে মানুষের মন।
আসলে সময়ের থেকে জীবন সর্বদা অন্য শহরে থাকে
আর মিশে থাকা রোজনামচায় শহুরে খেতাব।

THE RAIN

SOME PEOPLE FEEL THE RAIN ,
OTHERS JUST GET WET  ........

অবলম্বন
উড়ে যাওয়া কবিতার পাতা আমার শহরে ঘর।
কাজল ডোবানো চোখ
কপালের টিপে লেখা সময় অযুত নিযুত ঘর।
স্বয়ংবর
শহরের রাস্তায় বৃষ্টি ভেজা সুখ।

আরেকটু একলা হবো
যদি ঠোঁটে ঠোঁট রাখিস ভিজে যাওয়া বৃষ্টি বিকেল । 
অস্থির সময়ের দরজায় অঞ্জন দত্তের পুরোনো গিটারের সুর
একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে থাকবে না সাথে কোনো ছাতা।
তুমুল বৃষ্টি
শুধু দেখা হয়ে যাবে মাঝ রাস্তায়. ভিজে যাবে চটি, জামা মাথা।
চিবুকে চিবুক ছুঁয়ে কোনো স্পর্শ কাতরতা
গাঢ়তম অভিমানে ভিজে চোখ ছুঁয়ে যাবে ঠোঁট
একটু বাঁচবো বলে।
একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে,মনে পড়ে যাবে সব কথা
কথা দিয়ে কথাটা না রাখা,ফেলে আসা চেনা চেনা ব্যথা।

অবলম্বন
আকাশের দিকে তাকাই দূরে মিশে থাকা দুটো চোখ।
ডাকছে খুব গভীরে
তুমুল বৃষ্টি ,সোঁদা মাটির গন্ধ তোমার শরীরে।
আমন্ত্রণ
আজ সারাদিন খুব বৃষ্টি হোক।

..... ঋষি 

Monday, August 12, 2019

স্বাধীনতার তথ্য চিত্র


স্বাধীনতার তথ্য চিত্র
..... ঋষি
=======================================

শুনছো আজ ১৫ ই আগস্ট বুঝলে
কি হবে বুঝে ,আমার কি ১৫ ই আগস্ট করার সময় আছে।
কিসের স্বাধীনতা
তোমার টিফিন ,রান্নাঘর ,শোয়ার ঘর সামলাতে দিন শেষ।
কিছু পরিবর্তন কি হলো এত বছর ?
সেই তো আমরা আজও ধর্ষিত সময়ের অধিবাসী
আজও আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ পুরুষতান্রিক।
কি বদলালো ?



মশাই বুঝলেন আজ ১৫ ই আগস্ট
তো আমার বাবার কি ,ঐতো একটা ছুটির দিন।
জানেন তো ছুটির দিন মাত্র খরচ
কোথাও বেরোতে হবে ,বাচ্চাটা বলবে বাবা পার্কে যাবো
এক্সট্রা খরচ আর কি।
বুঝলেন তো কি সময় চলছে ,কি দিনকাল
বাজার আগুন ,আগুন সময়
কি বদলেছে এতদিনের স্বাধীনতায় ?



বাবাই জানিস তো আজ ১৫ ই আগস্ট
জানো  তো বাবা ,আজ আমাদের স্কুলে পতাকা উঠবে।
বলতো বাবাই আমাদের পতাকার রং কি ?
কেন গেরুয়া ,সাদা ,সবুজ আর মধ্যিখানে একটা চাকা।
আচ্ছা বাবা  সেদিন ফেরিঘাটে ওই  সন্ন্যাসিটা গেরুয়া পড়েছিল কেন ?
ওই কাকুটা কি আমাদের ভারত।
হ্যা বাবাই ওই কাকুটা ,আমরা সবাই হলাম ভারতবর্ষ
আজ ভারতবর্ষের জন্মদিন।



ওরে কনক দেখ তোর নাগর এলো রে পতাকা উঠিয়ে
তাতে আমার কি  ?
এসেছে শরীর ছিঁড়তে , ছিঁড়ে চলে যাবে
 আজ ১৫ ই আগস্ট তাই একটু খদ্দের বেশি হবে।
আজ বুঝলি তাড়াতাড়ি ধান্দা বন্ধ করবো ,বাড়ি যাবো,
ছেলেটা বহুদিন ধরে বায়না করে
ভালো করলি মনে করিয়ে
ছেলের জন্য আজ  একটা ছোট পতাকা নিয়ে যাবো



সকাল থেকে আজ দিনটা ব্যাপক গেলো
সারাদিন হেব্বি মস্তি ,একা  ৫ গোল করে ক্লাবকে জেতালাম।
আজ জানেন তো ক্লাবে হেব্বি পার্টি
মদ ,মাংস আর বুঝলেন ওই টা হলেই হতো।
জানি না সবাই হিসেবে করে মদ কিনেছে কিনে
আগের বছর রাতে কম হলো ,ব্ল্যাকে কিনতে হলো।
এইতো একটা দিন ,কাল থেকে শুরু আবার যুদ্ধ
শান্তি আছে ,ভাগ্যিস স্বাধীনতা।
.
( এই কবিতার স্থান ,কাল ,পাত্র সবটাই কাল্পনিক সুতরাং কাউকে দুঃখিত হবার প্রয়োজন নেই )

Sunday, August 11, 2019

বৃষ্টির শব্দ (২)

বৃষ্টির শব্দ (২)
...... ঋষি
==========================================
বহুদিন পর আবার কথা বলা শুরু করেছি
হঠাৎ তোমার কাটাকুটি  ছেড়ে
নতুন করে একটা ছবি আঁকতে শুরু করেছি।

সময়ের গল্প
তোমার ট্রেন স্টেশন ছেড়ে আর কয়েক ঘন্টায় মেঘের দেশে।
বহুদিন বৃষ্টি হয় নি এই শহরে 
বহুদিন তোমাকে স্পর্শ করে কবিতা লিখি নি।
সময়ের কবিতায় শুধু লিখেছি
আয় বৃষ্টি ঝেঁপে ,জীবন দেবো মেপে।
কলমের নিব বেয়ে যখনি গড়িয়ে নেমেছে রক্তে ফোঁটা
তখনি আমি স্বপ্ন দেখেছি
আমার শহর জুড়ে বৃষ্টি ,পথে এক হাঁটু জল
আমি তুমি নিস্তব্ধ
শুধু বৃষ্টির শব্দ।

আসলে এই বয়সে উল্টো করে বৃষ্টির জামা পরাটা
যেমন ফর্চুনেট ,
ঠিক তেমনি আমার বৃষ্টি ভেজা কবিতারা তোমার আখরোট ঠোঁটে
দাগ ছেড়ে যায়।
যেন ভালোবাসা নিস্তব্ধ কোনো কবিতা
আর বৃষ্টি সেই কবিতায় জমা জল শহরের রাস্তায়। 
  

Friday, August 9, 2019

বন্দি আকাশ

বন্দি আকাশ
.... ঋষি
===========================================
ছুঁতে চাওয়া
শহরের এখন বন্দি স্ক্যাইস্ক্যাপার আর লুকোনো আকাশে।
এই শহরে যন্ত্রনা আছে ,আছে ধুলো ,আছে অনেক লুকোনো অভিশাপ ,
ছোট ছোট জানলা বন্দি আকাশ।
সব মিশিয়ে কেমন একটা দমবন্দ
 আজকাল বারংবার মনে হয় এই শহরে মুখোশের বাস।

কোনো আরব্য রজনী থেকে উঠে আসা লালচে শব্দকোষ
আর শহরের লাল কোষে শুধু হাহাকার।
শপিং মল ,পাওনা গন্ডা ,হিসেবের ফুলঝুরি
মিথ্যে ম্যানিকুইনে আটকানো মানুষের লোভ।
সকলেই ছুটছে
ছুটছে শহর যেন কোনো অজানাকে ছুঁতে।
কোথাই থামতে চায় ?
কোথাই সীমানা ?
কোনো বুমেরাংয়ে লেগে
মানুষের বাঁচাগুলো।
ছুঁ
তে
চাওয়া কোনো অনাবিষ্কৃত নিজেকে।

ছুঁতে চাওয়া
ক্যালাইডোস্কোপে ক্রমশ সন্ধিগ্ন আমি হিসেবের গড়মিলে।
এই শহরে মানুষ আছে ,আছে মানুষের কান্না
আছে ধুলোঘর ,হারানোর ভয় ,লুকোনো চোখ।
কিন্তু আরো আছে
মুখোশে লোকানো রোজকার মুখ। 

শহর

শহর
..... ঋষি
=============================================
অন্ধকার ঘিরে আসছে চারিপাশে
তোমারও কি চিৎকার করতে ইচ্ছে করছে আমার মতো।
বলতে ইচ্ছে করছে সত্যিগুলো
শহরের উপর দিয়ে চালিয়ে দিতে ইচ্ছে করছে বুলডোজার।
তোমারও কি আমারি মতো
নিজের আয়নায় মুখ লুকোতে ইচ্ছে করছে।

গল্প লিখছে শহর দিন ,রাত ,ঋতুবদলের
মানুষ লিখছে ঈশ্বর শহরের ভিতর খেলনা শহর।
তোমারও  কি ঈশ্বর খুঁজতে ইচ্ছে করছে
মনের  কোন আশ্রয়।
তোমার কি আকাশের কাটাঘুড়ির মতো উড়ে যেতে ইচ্ছে করছে অজানায়
কিংবা ঈশ্বরের চোখে দেখতে ইচ্ছে করছে ধ্বংস।
মানুষ লিখছে স্বপ্ন, সাজানো চোখে ধ্বংস
ঘরের ভিতর ঘর
তার ভিতর
ফাঁকা
ম্যাজিক।

অন্ধকার আটকে আছে আমার ঠোঁটে
লেখা আছে কিছু মৃত স্বপ্নের শরীর অনবরত চর্বনে।
শহর ঢুকছে শহরে
শরীর ঢুকে যাচ্ছে চেনা মর্গে ,অগরুর গন্ধে।
তোমার কি আমার মতো কবিতা লিখতে ইচ্ছে করছে
কিংবা আরো একলা হতে।  

Wednesday, August 7, 2019

বৃষ্টি আদর

বৃষ্টি আদর
... ঋষি
=====================================
গুরুগুরু মেঘ
তোর নাভি ছুঁয়ে ,তোর ঠোঁট ছুঁয়ে আদর চাইছে সময়।
আরো কাছে
মিশে যাওয়া কবিতার পাতায় ,
শুধু কিছুটা একা থাকা ,আর তোকে দেখা
আনমনে বৃষ্টি আদর।

অদ্ভুত সংযোগ
সময় ভাঙলে চোখের কোন গড়িয়ে নামে বৃষ্টির ছাট।
তোকে চাইলে আমি ভিজি
মাঝ সমুদ্রে একলা দাঁড়িয়ে আকাশের চাঁদ।
চলন্তিকা বৃষ্টিতে ভিজেছিস কখনো
খুঁজেছিস ধুকপুক ,সময়ের স্যাকারিন বাড়তে থাকা না ঘুমোনো।
জড়িয়ে ধরা বুকের খুব কাছে
উষ্ণতা।
তোর লুকোনো সম্ভার ,তোর শরীরে গন্ধ
বড্ডো পাগল করে অসময়
শুধু ছুটে যাওয়া সময়ের ওপারে কোনো না দেখাতে।

গুরু গুরু মেঘ
বুক আঁকড়ে উঠে আসছে কিছু না বলা অসম্ভব সুখ।
আরো কাছে
বৃষ্টি ছুঁয়ে সময়ের দরবারে বিসমিল্লাহ।
শহর শুনছে কান পেতে বৃষ্টিপাত
আর খুঁজছি আদর ,নিঃশ্বাসে ভিজে ভাব। 

রেনেসাঁস

রেনেসাঁস
... ঋষি
=====================================
 সময় যখন ভারী হতে হতে বুকে লেপ্টে থাকে
বুকের উপর ভারী বুটের শব্দ প্রতিবাদ খোঁড়ে।
বিদ্রোহ সময়
গিলোটিনে নেমে আসে অকাল মৃত্যু।
মৃত্যু মানুষের খুব কাছের 
যেমন তোর ঠোঁটে লেগে সময়ের রক্ত।

বুর্জোয়া রাজতন্ত্র ,অন্য এক যুগে ছুঁয়ে যাওয়া স্বপ্নের ঘর
তোর আদর ,
সাবধানে পা ফেলতে শেখা ,হাতের আঙ্গুল মন্ত্রপূত
সময়
ফিসফিসিয়ে বলে,
ঠিক কতটা কাছে গেলে ,গভীরে যাওয়া হয়
কতটা গভীরে গেলে ,কাছে পাওয়া হয়।
অসমাপ্ত উপন্যাসের পাতা
চরিত্ররা সব বিষাক্ততার আদলে তোর বুকে দাগ
গাঢ় দাগ
অভিমান
ভালোবাসা।


শাওয়ারের জল গড়িয়ে নামে শরীর বেয়ে
ক্রমশ তৃপ্তিরা রাত্রি খুঁজে পায়।
ক্লান্ত চোখে শহর যখন ঘুমোয় ,রাতপাখিরা চাঁদের খোঁজে
স্পর্শ ছুঁতে চাই।
তখনি কোথাও যেন শব্দ হয় ফায়ার
রেনেসাঁস ফিরে আসে শহরের অন্ধকার চোখে।  

বৃষ্টি বেলা

বৃষ্টি বেলা
............ ঋষি
=====================================
জমে আছে মেঘ
এক বুক রহস্য ছিঁড়ে আকাশ আবিষ্কারের নেশা।
তোর বুক ছিঁড়ে উঁকি দেবো  এক বৃষ্টি বেলা
মনখারাপ।

তোর ক্যানাইলে লেগে যাবে আমার রক্ত
ভ্যাম্পায়ার আদর।
নিঃশ্বাসে জন্ম নেমে ভারী মেঘ ,অঝোরে দুর্যোগ সময়ের ঘরে
আরো গভীরে তুই।
স্পর্শ ধুঁয়ে যায় ,কষ্ট মুছে যায়
কষ্ট ধুঁয়ে যায় ,স্পর্শ করে যায় অবেলায় বৃষ্টি।
অঝোরে
আজ যেন মেঘ ভাঙার দিন
শহরে রাজপথ চাতকের ঠোঁটে কয়েক বিন্দু জল।
তোর ঠোঁট ছুঁয়ে গড়িয়ে নামছে
বুকে
আনমনে
যদি আমি থাকি।

জমে আছে না বলা
তোর নষ্ট কবিতায় আমি ছলাৎ ছলাৎ নদী ।
আজ বাঁধ ভাঙুক
করুক আবিষ্কার আমার আমি গভীরে তোর। 

Friday, August 2, 2019

বাঁচার সুর


বাঁচার সুর
......... ঋষি
=========================================
অজস্র চিৎকার একসাথে হলে সুর হয়ে যায়
এই শহরের বুকে তেমন অজস্র লুকোনো সুর ।
মানুষের খালি পায়ে ক্ষতবিক্ষত হাঁটাগুলো
কখন যেন খোঁজ হয়ে যায় ,
নিঃশ্বাসে সুর বিশ্বাসে
হয়তোবা বাঁচা।

আমার কোনো বিশ্বাস ছিল না
আমি হয়তো মানুষ ছিলাম না কোনোদিন ।
শুধু শহরের বুকে
 শাবল, বাটালি দিয়ে সময়ের প্রাগৈতিহাসিক ফসিলে
জাদুঘর খঁজছিলাম।
তারপর এক দুপুরের বৃষ্টিতে কীভাবে ধুয়ে গেল আমার সময়ের জাদুঘর
সময়ের  বিশাল পাথরের  আড়াল থেকে বেরিয়ে এলো
হার্মাদের মত এক খ্যাপা নদী,
তারপর
আমার চিৎকারগুলো পাহাড়ি নদী থেকে সমতলে
ক্রমশ  কখন সমুদ্রে মিশে গেলো।

এখন আমি সারাদিন   সারারাত শুধুই ভাসছি
আবরণহীন ভাসতে ভাসতে
গভীর কোনো কাজল চোখে খুঁজে পাচ্ছি বাঁচার ভাষা।
আমি শুনতে পাচ্ছি সমুদ্রের নাভি থেকে উঠে আসা
মারমেইডস-এর গলায় বাঁচার সুর
দিশেহারা, ওলোট-পালোট ঢেউয়ে আমি এখন  গার্হস্থ্য-সন্ন্যাসী।

অমরত্ব


অমরত্ব
.... ঋষি
===========================================
ঝিমধরা গন্ধ
বেহিসেবি আগুন নিয়ে এগিয়ে চলা তোর দিকে
পানপাত্রে বিষ ,চোখে লোভ
সমুদ্রমোন্থনে উঠে আসা সময়ের যন্ত্রনা,
একাকিত্ব
অমরত্বের খোঁজ।

তোর ঠোঁট ঠোঁট রেখে চুষে নেবো বেঁচে থাকা
হয়তোবা তোর বুকের আগুনের উষ্ণতায় দাউ দাউ পুড়ে চলা আতঙ্ক।
প্রকৃতির নিষ্ঠুরতা পুরুষকে  শিখিয়েছে  চটচটে নির্ভরতা
শিকারে, আকারে  আর ভ্রমণে রমণে
সারাটা জীবন তাই আদিম পুরুষ খোঁজ করে কিশোরী অন্ধকারের।
সভ্যতার পাথরে পাথর ঘষে , তোর সময়ে নিজেকে ঘষে
আবিষ্কার আগুন।অন্য সভ্যতা।
পুড়ে চলা দাবানলে এই  বুকের জঙ্গলে সভ্যতার পাপ
হয়তোবা ফসিলের অভিশাপ
মহেঞ্জোদড়ো গেঁথে দেয়।
রেখে যায় প্রাচীন গুহাবাসী প্রাচীন কোনো অঞ্চলে কোনো আরণ্যক স্তন
যোনি জঙ্ঘা ,ইচ্ছা ,বেঁচে থাকা ,
আলো।
শুধু করোটিতে নিউরোনের চঞ্চলতা
অন্ধকার জন্ম দেয়।

প্রস্তর,ব্রোঞ্জ,লোহা,,,,,,,,,আগুন ,চাকা ,নেশা
অভ্যেসে লেগে থাকা ঠোঁটের কোনে  রক্ত।
অরণ্য সভ্যতা
পানপাত্রে জেগে ওঠা ঘুম ,নতুন সকাল ,উদ্দাম সময়।
মিশে যেতে ইচ্ছে করছে
তোর সবুজ জঙ্গলে জন্ম নেওয়া অধিকারের সাথে।

Thursday, August 1, 2019

Don't touch me,

Don't touch me, just write your name on my wreck

একবার ছুঁয়ে দেখো
দেখো কতটা পাথর হয়েছি আমি কতটা মাংস পিন্ড।
পাথরের সভ্যতা থেকে তুলে নিও ইতিহাস
কোনো খননের পর ,
বুকের পাঁজরের রিডে হাত রাখো,  সভ্যতার নারী
দেখো তো কতটা ভঙ্গুর আমি।
.
বলো
আমি আমি কতটা খনিজ ,কতটা মাংসপিন্ড।
কতটা সম্ভাবনা
আমার হার্টবিট আজও বেঁচে কিনা।
দূরে কোনো প্রান্তরে আজ সূর্য ওঠে অসুখী মুখে
ভুলেও  তুমি সভ্যতা তৈরী করো না ,
শুধুই ধ্বংসস্তূপ। .
..... সভ্যতার নারী
সাজানো  মুখোশ, পরচুলো, পার্লারে বাড়ানো নখ
অহংকারী হাসি।
গভীর রৌদ্র শেষে একফালি অন্ধকার মেঘ সময়ের আকাশে
মাথার উপর হাড়গিলে শকুনের ভিড়
সঙ্গম চাও ,চাও আশ্রয়
প্রতিদিন সূর্যাস্তের পরে তোমার সভ্যতায় মিথ্যে বাঁচা।

একবার ছুঁয়ে দেখো
আমি পোশাক খুলে সম্পূর্ণ নগ্ন কোনো অভিশাপ সময়ের আঁচলে।
দেখো আজও সারা দেয় কিনা মিথ্যে কাসুন্দি
নাকি শুধু বাঁচার লোভ।
তুলনামূলক প্রেমে সারারাত জেগে থাকে,সভ্যতার নারী
তুমিও কি পাথর আমার মতো।     
.
... ঋষি 

prison

Her dream is a prison, her mind is a prison,
Her memories is a prison .......
.
কাল সারারাত নিজের মনের পায়চারি
এক যুবতীকে  ফলো করতে করতে স্বপ্নরা ভীষণ ক্লান্ত।
বাসন্তী রঙের শাড়ি তার
হরিণী চোখে টানা কাজল ,ভিজে ঠোঁটে আলতো লিপস্টিক
নিলিপ্ত চোখের চাহুনির ভিতর একটা ডোরা কাটা চিতা
যেন ঝাঁপিয়ে পড়ছে বুকে।
.
অদ্ভুত তার চোখটা চেনা
অথচ তার মুখটা ঠিক চিনে উঠতে পারি না।
স্রেফ ঐটুকু
কাল সারারাত নিজের মনে পায়চারি সেই অচেনা যুবতীর সাথে।
শুধু কান পেতে শুনেছি
তার ঠোঁটে আমার প্রিয় রবীন্দ্রসংগীত,বাউলের ঘরছাড়া গান।
একের পর এক দৃশ্য বদল
কখনো শহরের ব্যস্ত রাস্তায় ,কখনো মেট্রো ট্যানেল ,কখনো বা সবুজ মাঠ
ভিক্তোরিয়া ,গড়িয়াহাট ,ধর্মতলা সবখানে তাকে দেখলাম
কিন্তু মুখটা দেখা হয়ে উঠলো না।
ওর শরীরের ওপর দিয়ে ভেসে যাচ্ছিল মেঘ ,কখনো রৌদ্র ,কখনো বা বৃষ্টি
একটার পর একটা মুহূর্তে ফ্রেম ভাঙছিল
তারপর হঠাৎ ব্লাস্ট
কারফিউ
 আর দেখতে পারলাম না তাকে।
.
কাল সারারাত নিজের মনের পায়চারি
এক মুখ্য চেনা যুবতীকে ফলো করতে করতে আমি ক্লান্ত।
ঠিক তখন শুনতে পেলাম কে যেন দৌড়ে আসছে আমার দিকে
চিৎকার করছে বাঁচাও ,বাঁচাও।
আর আমি বোকার মতো কবিতা লিখছি সময়ের পাতায়
আর কবিতাগুলো কেন জানি অসহায় হয়ে যাচ্ছে।
.
.... ঋষি 

You can't fall asleep

You can't fall asleep because
 reality is finally better than your dreams .....

ঘুম থাকে না দুচোখের পাতায়
সকাল হতে এখনো কয়েকশো মাইল একলা চলতে হবে।
ঢেউয়ের শহরে কাঁদে না কেউ আর
শুধু অন্যমনস্ক ইচ্ছারা উড়ে মরে অন্ধকার সিলিঙে
সমুদ্র ছুঁতে ঢেউ ওঠে গৃহস্থ মধ্যবিত্ত সংসারে।

চলন্তিকা একবার সময় হয়ে এসো
আমার নিকোটিন  ঠোঁটে লেগে যাক শুকনো আখরোটের নেশা। 
নিষিদ্ধ দেরাজ থেকে তুমি  তুলে নাও
আদরের তলোয়ার কিংবা কয়েকরাউন্ড কার্তুজ
আমি রক্তাক্ত হতে চাই আজ রাতে ।

সকাল হতে এখনো কয়েকশো মাইল একলা চলতে হবে
তোমার আদরের তিল ,শাড়ির ভাঁজে লুকোনো যত্ন, হেডলাইট
চোখে সহ্য হয় না আর অন্ধকারে।
পাহাড়ি নেশার  গন্ধ খোলা চুলে সবুজ আস্তরণ ,
তোমাকে কয়েক চুমুকে সমুদ্রের নীল জল ভয়ঙ্কর ফুঁসে ওঠে
নাভির পাতালে তুমি প্রতি রাত্রে গুম করো এক অনিদ্রিত যুবক।
সকাল হতে এখনো কয়েকশো মাইল একলা চলতে হবে
চোখের দর্শন গভীর মনে ,হাতের দর্শন মৃত্যু নীলতারা
রেশমের
ফাঁস,
সব চুপ নিস্তব্দ এই বেলা।
তলোয়ারের বাটে হাত রাখো , ট্রিগারে তর্জনি রাখো জ্বালাও আগুন
এখনো অনেকটা সময়,
সকাল হতে এখনো কয়েকশো মাইল।
.
 ... ঋষি 

লুকিং গ্লাস

আরো দ্রুত এগিয়ে যাও তুমি  যাতে তোমার পিছনের ভয়গুলো তোমাকে না ছুঁতে পারে  ঠিক এখানেই একটা ফুলস্টপ লাগানো আছে , স্বার্থক মুক্তি আর মুক্তির মাঝ...