Friday, October 31, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

সিনেমা চলছে
............ ঋষি

অসংখ্য ঝলমলে আভরণে
সেজে উঠতে থাকে একের পর এক দৃশ্য
দৃশ্য আড়ালে তারা যে অদৃশ্য থেকে যায়।

খাপছাড়া  সভ্যতার চাবুকে বিনোদন ফুটে ওঠে
লাইট,ক্যামেরা,আক্সনে।
তারপর অন্ধকারে জড়াজড়ি করে অনভূতি সাজানো দর্পনে
কতজন মুহুর্তে মরে যায় ,কতজন মরে গিয়ে ফিরে আসে।
কতকিছু অজানা থেকে যায় পর্দার পিছনে
তারা যে অদৃশ্য।

লাল চোখে কবিতারা ডানা মেলে অদৃশ্য ব্যাক স্ক্রিনে
শব্দের মিছিলে রোমান্টিক সিগারেটের ধোঁয়ায়।
লালিত্যের ছেলেবেলা ,প্রেমিকার চিত্কারে,মৃত্যুর মিছিলে
অনুভূতি ছেলে খেলা করা পরিচালকের হাতে।
কত জন অজানা থেকে যায়,কিছু তো অধরা থেকে যায়
তবু হিট ,সিনেমা চলছে।

অসংখ্য ঝলমলে অনুভবে
রাশি ,রাশি অস্তিত্বের স্পন্দন পর্দার পিছনে
আমরা দর্শক অনুভবের আলোরণে।

RISHI026@GMAIL.COM

আমার বারান্দা
....................... ঋষি

তুই দাঁড়িয়ে আছিস
রাত্রে নেমে আসা আকাশ পরী আমার বারান্দায়।
কিন্তু জানিস শুনশান চারিধার
মৃতের মিছিলে সামিল আমি চলেছি এগিয়ে
তোর দিকে।
কফিনে ঠান্ডা বিছানা ,ঠান্ডা জোত্স্না
আর তুই নীল পরী আমার কবিতার।

এমন হয় জানি আমার চারিদিকে অদৃশ্য স্তবকে
হৃদয়ের চর্বির জামার ভিতর ,
অজস্র সঞ্চালন ,নিকোটিনের তেতো স্বাদ
দুষিত রক্ত।
কিন্তু জানিস তুই এসে দাঁড়ালে
আমি স্পর্শ পাই বেঁচে থাকার মৃত্যুর মিছিলে
অজস্র কবিতায়।

তুই দাঁড়িয়ে আছিস
রাত্রে অজস্র স্পন্দনে স্যাক্সফোনের শব্দ।
নিশ্বাস বেয়ে আমার  নিশ্বাসে নীল পরি আকাশের জোত্স্নায়
বিছানার চাদর জড়িয়ে এক ফালি চাঁদ আমার জানলায়।
উঁকি মারে আমার আকাশে নীল পরী
তোর মুখ
আমার বারান্দা দিয়ে আকাশ দেখা যায়।

RISHI026@GMAIL.COM

লুকোনো আগমনী
........... ঋষি

তোকে আমি ছুঁয়ে দিতেই পারি
চারিপাশে অজস্র জলপ্রপাতে আমার কল্পনার নারী।
আমার প্রেমের উত্তাল সমুদ্রে
তোকে আমি ভাসাতেই পারি আমার প্রেমে।

রোজকার কল্পনায় আমি পুড়ি
কিন্তু তোকে পোড়াতে পারি না রক্ত ,মাংসে।
অসংখ্য খোলা জানলায় আমার আকাশে
আমি জানি
তোর জানলা দিয়ে আকাশ দেখা যায়।
তোর জমানো অভিমানে অদ্ভূত গন্ধে মাতোয়ারা আমি
নেশাতুর তোর স্পর্শে।

আমার কবিতায় রোজ বৃষ্টি নামে
নামে অজানা রহর্স্যের হৃদয়ের নোনা জল।
আমি বৃষ্টিতে ভিজি
আমি জানি তুই আমার কবিতায়।
বৃষ্টি ফোঁটা,একলা আকাশ ,আর আমি রক্তক্ষরণ
নোনা জল তোর হৃদয়ের দরজায়
এক আকাশ স্বপ্ন।

তোকে আমি ছুঁয়ে দিতে পারি
আমার দুই হাতের ফাঁকে তোর শরীর।
কিন্তু আমি হৃদয় ধরতে চাই
তুই আমার লুকোনো আগমনী। 

RISHI026@GMAIL.COM

ক্লিওপেট্রা
.............. ঋষি

নিভে গেছে
অহেতুক আর ক্লিওপেট্রা নেই সেখানে।
আমনেশিয়ার অঢেল ঢেউতে
যে আসছে সে আমি নয় ,আমার মত কোনো জীব।
জীবন্ত মাংসের পাহাড় হাতড়ে
আগুনের মত  কোনো উত্তপ্ত আলিঙ্গন।

ক্লিওপেট্রা,ক্লিওপেট্রা,ক্লিওপেট্রা
তোমার সাজানো সভ্যতার রং নীল.
তোমার শরীরে সাজানো  উঁচু ঢিপিগুলো
সভ্যতার ইতিহাসে আশর্য সব।
তোমার শরীরে বয়ে চলা অসংখ্য সাপেদের
নিশ্বাসে তোমার নাভির কালো বিষ.
হাসছো, তাচ্ছিল্য তোমায় মানায় ক্লিওপেট্রা
তোমায় মানায় অহংকার।
অথচ তুমি নিভে গেছ তোমার সোনা শরীর
অদ্ভূত মমি।

নিভে গেছে
ইউথ্যানেসিয়া  গভীর প্রেমে এগিয়ে গেছে।
বনসাই সুত্রে পাওয়া সম্পর্ক্যের অধিকারে
যে চলেছে ,সে আমি নয় তোমার শরীর বেয়ে।
অসংখ্য মৃত আত্মা
কেরি অন ক্লিওপেট্রা তোমার সভ্যতা। 

RISHI026@GMAIL.COM

বাড়ি ফেরা
................... ঋষি

কলমের নিবে আটকে থাকা বিষগুলো
আজকাল আমার মত দেখতে কেউ বাড়ি ফেরে।
চেনা দরজার ভিতরে
অচেনা এটিএম বসানো ,অচেনা রোজকার জীবনচক্রে
কয়েকশো অচেনা শব্দ গলার কাঁটা।

রান্নার উনুনে আজকের আধুনিকতার ওভেনে
ঢুকতে থাকে রোজকার মনকষাকষি।
আমার মতন কেউ
ফুটপাথ ধরে হাঁটতে থাকে গোলাপ কাঁটায় পা।
ভিজে যাওয়া ঠোঁটের আদ্রতায় তৃষ্ণা নামে
সোজা কোনো হাড় - কাটাগলি।
কোনো অখ্যাত নর্দমার যোনির জঙ্গলে
ডুবে যায় আমার কলম।

উচ্ছল জোত্স্নার আলোয় আমার মত কেউ
দরজা ঠেলে ঢুকে পরে চাহিদার আকাশে।
নিজের মতন করে সভ্যতা গড়ে
জংলি সভ্যতা কয়েকশো পাতিয়ালা পেগ বেয়ে
অজস্র জোত্স্না নেশা।

আসলে বাড়ি ফিরে আসে আমার কবিতারা
আমার হাত ধরে। 

RISHI026@GMAIL.COM

কাম অন ডিয়ার
................... ঋষি

উষ্ণায়নের অভাব কোথায়
কাম অন ডিয়ার উপছানো পেগের বিছানায়।
দুচার মুহুর্তের কবিতায়
কিংবা ডিস্ক থেক কোনো জেরুজালেমের ব্রথেলের দরজায়।
অংশিক নগ্ন কোনো যিশুখ্রিস্ট শরীর খোঁজে
রক্তাক্ত যোনির ভিতর ,মেয়েদের নারী শরীর।
যিশুখ্রিস্ট উষ্ণতা খোঁজে
উষ্ণায়নের দরজায়  ,জন্ম সভ্যতা।

চশমার অন্ধ কাঁচে লাগা সমাজের উষ্ণতা
বারংবার কাঁচ মোছে ভোরের উষ্ণ বিছানার চাদর।
জ্বলন্ত কারখানার ডোমে উত্তপ্ত অবিশ্বাস
বিশ্বাস হয় না আজকাল ,আসলে বিশ্বাস করানো যায় না।
রোজকার বায়ুদূষণ
পায়ুর দরজায় তাল ঠোঁকে অহংক্রিত কাম।
তাও হয় আজকাল ,,,,শরীর যদি উষ্ণতা খোঁজে
ব্যাঙ - এর শরীরময় অসংখ্য বিষ।
ছড়িয়ে পরে প্যান্টের বেল্টের গোড়ায়
তারপর উন্মোচন ,তারপর আস্ফালন।
ল্যাপটপের লুকোনো খামে জ্বলন্ত ধিক্কার
খসে পরে সভ্যতা উষ্ণতার নামে।

সারারাত মস্তি ,শরীর ঢোকে শরীরের রক্তে
নামতে থাকে যিশুখ্রিস্ট রক্তাক্ত উষ্ণতায় ,আরো গভীরে।
রক্তে সভ্যতা বিষ
কয়েকমুহুর্তের শারীরিক পেগের আঠালো নেশা।
লাল সভ্যতা ,লাল রক্ত প্লাবিত সভ্যতার গায়ে
হায় যীশু তুমি ব্রথেলের দরজায়।
কয়েকশো ব্লুফ্লিমের ভিতরে ডার্করুমে
তোমার উষ্ণ  শরীর বেয়ে রক্ত ধারা। 

Thursday, October 30, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

আমার আকাশলীনা
............ ঋষি

অদম্য ইচ্ছে এগিয়ে যাওয়ার
নিজেকে ফেরাবার মুহুর্তে অসংখ্য চাবিকাঠি।
অজস্র দৃপ্ত আগুনে কন্ঠি বদলে প্রেম মহিমান
আকাশলীনা এ আগুনে আমি পুড়েছি হাজারোবার।
হাজারো কল্পনায় কবিতার খাতায়
দাউ দাউ আগুন নিজের চিতায়
আকাশলীনা তোকে ভালোবেসেছি আমি হাজারোবার।

কিন্তু এ তুই এমন তুই
তোর প্রসারিত দুই বাহুর মাঝে আমি ক্ষুদ্র জীব।
নেহাত মানুষ
সমস্ত পার্থিব চাহিদার বাইরে তোর ভালোবাসা অন্ধকারে দাঁড়িয়ে।
ফুঁপিয়ে কাঁদে ,আমাকেও কাঁদায়
তোর দরজায় একলা আমি মানুষ।
তোর কবিতায় একলা আমি জীবন
তোর বিশ্বাসে একলা আমার বেঁচে থাকা ,
তোর নিশ্বাসে বেশ এতটুকু ভালোবাসা।

আকাশলীনা আমি সূর্যের দেশ থেকে আগুন চুরি করি
তোকে গড়ি।
তোর রূপে মহিমান এই পার্থিব পৃথিবী
কিন্তু আমি তোর হৃদয়ের একলা জীবন ,,জীবন্ত প্রাণ।
আমাকে ভোলাবি তুই রূপের গরিমায়
যে হাতে আমি মালা বুনি ,ফুলচন্দন চর্চিত আমার কবিতায়
সে হৃদয়ে আমি তোকে স্পর্শ করি।

RISHI026@GMAIL.COM

অরণ্যের স্পর্শে
........... ঋষি

না হে অরণ্য
তুমি পারবে না সামলাতে উত্তাল ঢেউ।
তুমিও ধ্বংস হবে ,স্পর্শের আগুনে
আকাশ থেকে নেমে আসা রক্তের বিন্দুতে।
তুমি অরন্যসম অধিকার আমাকে নগ্ন করতে পারো
কিন্তু পারবে ঢাকতে সভ্যতার রক্তে।

আজি হতে বহুবছর পরে
যদি কোনো সম্যক দৃষ্টিতে তুমি আমি মুখোমুখি।
একলা ফুটপাথ ঘেঁষা অরন্যর মুখ
তুমি কি চুমু খাবে সভ্যতা এই ঠোঁটে,
কিংবা ছুঁয়ে যাবে উরুতে আগুনের লোভে।
পারবে না আমাকে থামাতে
আমার বেআব্রু শরীরের রোমকূপে লেগে
সভ্যতার আঠালো জীব।
আমাকে পারবে  মুক্ত করতে সুনীল আকাশে।

না হে অরণ্য
তোমার অধিকার শুধু কোমল স্তনের স্পর্শে।
তোমার অধিকার শুধু শরীরের লোভে
আসলে তুমি মুক্ত হতে পারো নি সভ্যতার সাজানো সবুজে।
শুধু মুখচোরা রক্তের লোলুপ ধারায় তুমি সভ্যতা
তুমি আমাকে ঢেকে দিতে পারো না  শুধু স্পর্শের আগুনে। 

Wednesday, October 29, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

ধুকপুক শব্দটা
................ ঋষি

ধুকপুক একটা শব্দ নয় রে
ওটা হিসেবের বাইরে ছুঁয়ে যাওয়া অমরত্ব।
কিছুই স্থিতিশীল নয় কিন্তু পৃথিবীর ধুকপুকটা এক আছে
এক ঝটকায় আচমকা হৃদয় পৌঁছে যায় দূর ঠিকানায়
স্পর্শটুকু পেলি ,এটাই ধুকপুক হৃদয়ের।

জীবিত ও মৃতের মাঝে তফাত ,এই ধুকপুক
তুই বেঁচে আছিস আমার কাছে আমার গভীরে প্রেম।
জীবন আর যুদ্ধের মাঝে শান্তি ,এই ধুকপুক
তুই  ভালো আছিস  আমার মাঝে।
অবুঝ যন্ত্রনায় ,একলা পথ চলায় ,এই ধুকপুক
তুই ভালোবাসিস আমায়।
অনেকটা সেই শান্তির জল সকলের মাথায়
আমরা যে ভালো থাকতে চাই।

ছেড়ে যাবে না ,ছেড়ে যাওয়া যায় না আমৃত্যু বিবেকের শান্তি
বাবুয়ের বাসায় সদ্য ফোঁটা জন্মগুলো পৃথিবীর ঘ্রাণ।
কয়েকটা শিউলি রোজ ঝরে পরে মাটির দংশনে
কি এসে যায় ,কতটা কাছে কতটা দুরে।
শুধু সময়ে থেকে যায়  ধুকপুক এই শব্দটা
হৃদয় পাতায় সে বেঁচে আছে।
আমি আছি বলে ,সে ভালো আছে
আমি আছি বলে ,এই কল্পনায়।

ধুকপুক একটা শব্দ নয় রে
ওটা সময়ের পেন্ডুলামে দুলতে থাকা  জীবন
জীবিত ও মৃত।
মাঝখানে আমরা আরেকটু এগিয়ে একসাথে
কানপেতে শুনি শব্দটা।

RISHI026@GMAIL.COM


উন্মাদ আস্তরণ
.......... ঋষি

তোকে আমি শরীর দেখি নি
শুধু দেখেছি হৃদয় তোর উঁচু ঢিপির পিছনে।
ধুকপুক ,ধুকপুক,ধুকপুক
আমি শুধু কান পেতে শুনেছি
খুব গভীর স্পর্শ।

সেদিন সন্ধ্যার আকাশে মন খারাপের রিংটোণ
তুই আকাশ থেকে নেমে এলি নারীরূপে।
আচ্ছা প্রেম কি শুধু নারী
সে কি হারকিউলিসের মত শক্তিশালী হতে পারে না।
আচ্ছা প্রেম কি শুধু কোমল চ্যাটচ্যাটে
সে কি জীবনের পথে দৈনন্দিন হতে পারে।
হতে পারে না মুক্তি নীল আকাশে
আসলে বাস্তব ছাড়া কি প্রেম হয় না।

অনেকটা পথ হেঁটেছি  তোর শরীর বেয়ে
আরো নিচে নাভিতে ঠোঁট রেখেছি।
কোথায় সে তো ফুরিয়ে যায় নি উন্মাদ আগুনে ঝড়ে
সে তো শেষ হয়ে যায় নি আস্তিনের  লুকোনো চিতায়।
শুধু বেড়েছে আরো পারদ হাজারো থার্মোমিটারে
উষ্ণতা ছাড়িয়ে হাজার তুষার মরুতে আমি একা।
তবু প্রেম  আমাকে ছেড়ে যায় নি
কোনদিন,কখনো  , একমুহুর্তের হিসেবের পাতায়।

তোকে আমি শরীর দেখিনি কখনো
শুধু কানপেতে তোর আগত পদশব্দ নিশব্দে।
শুধু গুনেছি দিন হাজারো মুহুর্তের মাঝে
এই মুহুর্তে তোর খোলা বুকে আমার হাত
আমার প্রেম তোর পাঁজরে।

rishi026@gmail.com


ও চোখে
............... ঋষি

যারা সময় লিখেছিল
ও  চোখে তাদের ফেলে আসা সমুদ্র।
দু চার মুহুর্তের কবিতারা
ভীষণ শান্ত ও চোখে।

যখনি এক বুক আনন্দে উত্তাল আকাশ
পাথরে ঢেউ ঠিক যেন অশ্রু রাশি।
ও চোখে আমি মরণ দেখেছি
দেখেছি লুকোনো যন্ত্রণার ভিসুভিয়াস।
আমি তো পুড়েছি অনেক আগে
আজ পড়ন্ত সময়ে কবিতা।

যতুটুকু ছঁয়ে থাকায় গড়িয়ে নামা যায়
ঠিক ততটা দূরত্ব তোর আর আমার।
রাতের পরে দিন ছুঁয়ে
পাতায় পাতায় অজস্র শব্দরাশি ঢেউয়ে মত।
তোর ঠোঁটে লাল প্রজাপতি
এভাবে তো মরে যাওয়া যায়।

ও চোখে যারা সময় ছুঁয়ে ছিল
তাদের বলি সুসময় বেঁচে থাকা ,ভালো থাকা।
আমি তো জ্যান্ত লাশ মৃত স্পর্শ
আমার কবিতায় তোর জীবিত আহবান,স্পর্শ। 

Tuesday, October 28, 2014

rishi026@gmail.com

হয়তো কেউ
............... ঋষি

বেড়িয়ে আসবে  তারা ,একের পর এক
সভ্যতার পাথুরে দেওয়ালে মৃত আত্মার ঢেউ।
হয়তো আমার মত কেউ।
কোনো আদিম আকাঙ্খার সবুজ স্বপ্ন বুকে।
সোনালী রৌদ্র মাখা সোনা শহরে।
সার্বিক দৈনন্দিন  পিষে চলা সভ্যতার চাকায়।
কেউ হাত বাড়াবে
অন্য এক জীবিত পৃথিবীর আশায়।

জীবন থেকে কুড়িয়ে পাওয়া দংশিত সভ্যতার বিষে
কেউ এগিয়ে আসবে।
শান্তির স্বপ্ন নিয়ে ,প্রেমের বাণী নিয়ে ,বিশ্বাসী স্পর্শ নিয়ে
এক মুঠো লাল ফেনিল রক্ত ধারার মাঝে।
নতুন জন্ম পাথুরে সভ্যতার বুকে
জীবিত আকাঙ্খা
শান্তি ,জীবন আর মৃত্যুর তফাতে।

বেড়িয়ে আসবে  তারা ,একের পর এক
সভ্যতার প্রথম দিনে প্রমিথিউসের হাতে জন্ম।
এগিয়ে যাওয়া সভ্যতার গায়ে কালো ছোপ
রক্তের দাঁতে ডোরাকাটা চিতা শুধু জীবন চায়।
মৃত্যুর অপেক্ষায় অজস্র ভিড়ে সাজানো সভ্যতায়
তারা বাঁচতে চায় ,,,,,, শান্তিতে।
এই গোলকের  গতির  বিষের বিশ্বাসে
আরেকবার আদমের হাত ধরে শুভ্র শান্তির নিশ্বাসে।

RISHI026@GMAIL.COM

অজস্র স্নেহ
.............ঋষি

জ্বলন্ত অঙ্গীকার সময়ের শীত্কার
ফুটপাথ প্রাচীন নোলকে উচ্ছল পৃথিবী।
আমি গড়িয়ে পড়ি টুপ করে মৃত্যুরাশি মাখা
কোনো অজানা বেলায় চিত্কার।
শুনতে পাচ্ছো ,বুকে রঙিন বুলেট
মাখামাখি অজস্র  পণ্য স্নেহ।

অজস্র গড়িয়ে যাওয়া লাল নর্দমার জল
অজস্র কীটের সঙ্গমে উত্ফুল্ল এই পৃথিবীর মাটি
সারাদিন তুমি একলা থাকো নাকি। .

ফুটপাথে প্রাচীন শৈলী বিবেকের ডাক
খোলা চিত্কার ,বুক খোলা নগ্নতার ধ্বনি
এই যে শুনছেন ,চলুন আজকের শরীরটা আপনার
শরীর শুধু শরীরটা ,বাকিটুকু খিদে
বাকিটুকু চিত্কার ,বাকিটুকু যন্ত্রণা রাত্রের অন্ধকার
পণ্য একলা ফুটপাথে

জ্বলে উঠছে ক্লান্ত শহরের  মিশরীয় পিরামিড
অজস্র অলিগলিতে বুলডোজারের ভগ্নস্তুপ প্রাচীন ঈশ্বর
আমি জ্বলছি ,পুড়ছি একলা আগুনে 

RISHI026@GMAIL.COM

মেঘলা আকাশ
................. ঋষি

কথা বলবি না ,বলিস না
শুধু জানিস কোথাও ,কখনো ,কেউ
তোর চোখে জীবন দেখেছিল।
শুধু ভাবিস তোর কপালে উড়ে পরা চুলগুলোয়
আদরে কেউ ছুঁয়ে দিয়েছিল।
তখনি দেখবি মেঘলা আকাশ ওই বুকে জ্বলন্ত হিরোসিমা
আর আমার কবিতার স্পর্শগুলো তোর জীবন।

জানি হাসছিস তুই
জানি আমার অজস্র বর্ণের আস্ফালনে প্রাচীন শৈলীর দেওয়াল।
অজস্র কল্পনার নৃত্যে তোর চিবুক ছুঁয়ে রঙিন প্রজাপতি
আমার আকাশ  ঢাকা স্বপ্নের আতরে।
তুই ডুবে যাচ্ছিস
আর আমি ঝরে পরা কোনো বিষবৃক্ষের অভিশাপ।
শুধু পুড়ছি ,নিজেকে পোড়াচ্ছি
তোর দুরে থেকে।

আসলে এভাবেও জড়িয়ে থাকা যায়
আসলে এভাবেও  বেঁচে থাকা যায়।
কল্পনার পৃথিবীর গভীর আঁচলে তোর নগ্ন রূপ
আমার আশ্রয় কোনো অবেলার কবিতায়
ঝড়তে থাকে অজস্র শিশির বিন্দু।
অজস্র টুকরো টুকরো স্পর্শ তোর ঠোঁট ছুঁয়ে আমার ঠোঁটে
তোর স্পর্শ আমার হৃদয়ে। 

RISHI026@GMAIL.COM

হৃদয় বেলা
............ ঋষি

আকাশলীনা আজও তোর প্রতিক্ষায়
ঘুম ,ঘুম এই বিকেল বেলায়।
আগত দৃষ্টির ,নিরুপায় অপেক্ষায়
বারান্দায় বাড়ানো হাত হৃদয় বেলা।

ওপাশে আকাশ ছুঁয়ে নীলচে ব্লাউসে রৌদ্র
এক ঝাঁক পায়রার মত স্তবকে স্তবকে শান্তি।
আকাশের ওই মেঘ বিকেলে
আজ কেন জানি সৃষ্টি আর দৃষ্টি।
বহুদূর তোর ঠিকানায় স্থির
তোর বারান্দার গ্রিলে লাগানো ক্যাকটাসে ঠোঁট
উষ্ণতার পরশ আকাশলীনা।

আজ আমি জড়িয়ে যাব না
শুধু দেখব এই গোধুলির শেষ রৌদ্রে তোর মুখ।
আজ আমি ছুঁয়ে দেব না তোকে
শুধু দুরত্বের আগুনে তোর আরক্ত সুখ।
আমি আজ তোর ছবি আঁকবো আকাশলীনা
নিজের মত ওই দূর আকাশের গায়ে
গভীর সুখ ,দুঃখ আর গভীর প্রেমে।

আকাশলীনা আজও তোর প্রতিক্ষায়
এই মাটির বুকে থাকা আত্মার অধিকার আমি।
আহত কোনো দর্শনের কবিতায়
আমার এক আকাশ বুকে তুই। 

RISHI026@GMAIL.COM

কফি সপে
............... ঋষি

বিকেলের কফি সপে  আমি একলা
জানি সমুদ্রের পরে আর কিছু থাকে না।
যে গভীরতায় খুঁজেছি তোকে
আসলে হারিয়ে ফেলার পর
জীবনটা যে বাঁচে না।

উষ্ণ কফি কাপের কিনারায় শুয়ে কবিতা
টাইটানিকের আটকে আছে পাতায় পাতায়।
ডুবে যায় ,শহর ,সভ্যতা ,আলো
জানি কার তাতে কি এসে গেলো।
শুধু আমি আর তুই একসাথে উষ্ণতায় জড়িয়ে
তোর চোখের পাতায় ঘুম।
রিনিঝিনি সেই শ্রাবনে ধারা
বারংবার আসে একলা ছাদে কিন্তু যায় হারিয়ে।

নিঃঝুম আমার কবিতারা তোর জীবনের বিছানা পাতা
এই পারে শুয়ে ডাকে সময়,
ওপাশে একাকী হৃদয় রাখা।
আমি হাসি সেই একাকী জোকার তোর কবিতায়
আমি বাঁচি সেই একাকী রুক্ষ পথে তোর জোত্স্নায়।
শুধু সে যে হাসতে জানে না
শুধু হৃদয় সে যে ভুলতে পারে না
ফেলে আসা বেলার ,সেই বিকেলবেলা ,একাকী তোকে।

বিকেলে কফি সপে ঠোঁটে চুমুক
জানি এই শ্রাবনের ধারা মুক্তি সে যে আসে না
যে কোমলতায় ছুঁয়েছি তোকে
হারিয়ে ফেলার পর
জীবনটা আর হাসে না। 

Sunday, October 26, 2014

RISHI026@GMAIL.COM


ল্যাম্প পোস্ট
................ ঋষি

জানি জীবন হয় ,পেয়ে পাওয়া চৌদ্দ আনা
ফুটপাথে সেই ল্যাম্প পোস্টটা একটা ম্যাজিক
বেঁচে থাকা ,একলা থাকা।
কোথাও ,কখনো ,কোনদিন ,কোনো মুহুর্তে
তুমি একা ,আমি একা
আর ল্যাম্প পোস্ট।

হাসছে যারা তাদেরকে আহ্বান জীবন
আর যারা কাঁদছে তাদেরকেও আহ্বান।
আসলে এই আহ্বানে রাখা গতির চাকার অজস্র কোলাহল
ফুটপাথ ঘেঁষে নেড়া শালিখের ভিড়ে অজস্র চোখের জল।
নেড়ি কুত্তারা সব আসলে ভয়ংকর
আর অজস্র মিথ্যে কথনের স্বয়ংবর।

কিছু শব্দ বিবেকে থেকে যায়
আর কিছু হৃদয়ে এসে যায় একলা ল্যাম্প পোস্ট ঘিরে
মুহুর্তদের স্মৃতির ভিড়ে।
মুছে গিয়ে ফিরে একলা দোটানায়
অজস্র মুহূর্ত আর তুমি ল্যাম্প পোস্ট আমার মত
ভীষণ একা।

জানি জীবন হয় ,পেয়ে পাওয়া অজস্র কাঁটা
যার ওপর দিয়ে হাঁটা।
বেঁচে থাকা ,রক্তের ভূমিকায়
অজস্র বিবেকের দায় আর ইচ্ছা শব্দের অহংকার।
আমরা সবাই তুমি ,আমি
আর ল্যাম্প পোস্ট।

RISHI026@GMAIL.COM

অভিমানী
........... ঋষি

লুকোনো অজস্র শব্দের মাঝে
তোর নামটা শুধু প্রথাগত নয় এই হৃদয়ে।
হিসেবের মাঝে জড়ানো সভ্যতার আতর
তোর স্পর্শটা নেহাত সুগন্ধী নয়।
খানিকটা গোলাপ কাঁটার মত কাঁটা তারের বেড়ার
আমাকে ভুলে থাকাটা
তোর খুব জরুরী নয়।

আলোর মত কেউ যদি এই হৃদয়ে থাকে
হাজারো অন্ধকারে তার  মুক্তি নিশ্চিত।
শব্দের কিছু সঙ্গম যদি এই হৃদয়ে বাজে
হাজারো কবিতায় তার প্রকাশ নিশ্চিত।
আমি আকাশ ছিঁড়ে নামিয়ে আনতে পারি বৃষ্টি
বারংবার নোনাজল।
আমি হৃদয় নিংড়ে খুঁজে ফিরি আশ্রয়
কোথায় লুকোবি আমাকে বল।

লুকোনো অজস্র যন্ত্রণার মাঝে
তোর যন্ত্রনাটা চিনচিনে ব্যাথা আমার কাছে।
হিসেবের ভিতরে অসংখ্য খোলামকুচি ,কাঁচের রেনু
সব উষ্ণ আদতে তোর নরম ঠোঁটে।
খানিকটা অবুঝ বেলার মত অবুঝ হৃদয়ের কথা
আমার থেকে দূরে থাকাটা
তোর অভিমানী দূরত্ব নয়। 

RISHI026@GMAIL.COM

সিভিলায়জেসন
,,,,,,,,,,,, ঋষি

তোরা সিভিলায়জেসন বলিস
আমি বলি এটা ক্রিয়েশন একটা নকল ডিমান্ড।
সবকিছু মার্কেট না ,সবকিছু শেয়ারের লাভ লোকসান না
মানুষের অনুভবগুলো নিয়ে ছেলেখেলা।
আসলে সিভিলায়জেসন মানে এগিয়ে যাওয়া
কিন্তু পিছিয়ে গিয়ে এগোনোটা কোথাকার সিভিলায়জেসন,
কিন্তু  মরতে মরতে বাঁচাটা কোথাকার সিভিলায়জেসন।

হাসি পায় আজকাল আমরা বোবা জানোয়ার সব
শুধু শৃঙ্খলিত সমাজের আয়নায়।
আমরা স্বপ্ন দেখি ভালো থাকার ,সুখে থাকার
কিন্তু নিজেকে পিছিয়ে রাখি কারোর পিছনে।
কারণ প্রতিবাদের বুলেটটা অন্যের হবে
নিজেকে লুকোয় হৃদয়ের ভিতরে।
না হলে হয়তো ল এন্ড অর্ডার বিগড়ে যাবে
আমরা যে জীবিত একথা শুধু অভিধানিক।
বাস্তবিক মৃত স্বপ্ন আমরা
বাস্তবিক বাজারী পণ্য আমরা।

মায়ের যোনির থেকে উঠে আসা হাহাকার ,আমার মা না
বোনের বেআব্রু শরীর বাজারে পণ্য ,আমার বোন না।
ভায়ের মৃতদেহ আভিধানিক নরকে ,আমার ভাই না
সমাজের আগুনে মৃত প্রেমের শব ,আমার সমাজ না।
আমার শুধু বেঁচে থাকা ,মানে যতটা বাঁচা যায় আর কি
আমরা ভারবাহী জানোয়ার শুধু বয়ে চলি মিডিয়া।
খবর পাতা চিবিয়ে নির্যাস ঝাড়ি পাড়ার মোড়ে
নিউস চ্যানলে আড়ি  পেতে রাখি ধর্ষণের খবরে।
নরম রসালো শরীরের খাঁজে লুকোনো ইন্টারনেট
হাসি পায় আমরাও সিভিলায়জ্ড।

তোরা সিভিলায়জেসন বলিস
আমি বলি এটা সাজানো  লোভের ডিমান্ডিং ডেসক্রিপশন।
সবটাই মার্কেট এখানে। জন্মদিন ,পুজো ,পাওনা ,জীবন
কোথায়  বাঁচা তবে। জঙ্গলে
কিসের সিভিলায়জেসন ,এর থেকে  জঙ্গল ভালো।
ওদের সাথে থাকতে আমাদের অসুবিধা নেই
কারণ আমরা সকলেই ভাবনায় জানোয়ার। 

Saturday, October 25, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

শুধু শান্তি
.............. ঋষি

জড়ানো নেশার পেগে প্রতি চুমুকে প্রেম
এক আলিঙ্গন হৃদয়ের কবিতায়।
সিগারেটের প্রতি টানে মৃত্যু আসে অবচেতনে
আজকাল ভালো লাগে নিজেকে।
নেশার সাথে জীবন ,প্রেম মিলে মিশে একাকার
হাহাকার বুকের পরিভ্রমনে আমার কবিতার।

আজকাল আর শব্দ পায় না আমি
কোনো পদশব্দ ,কোনো অহেতুক নক্সীকাঁথা।
আজকাল বুনতে পারি না আমি
শুধু সময় সরে যায় তোর মত দূরে ,অনেক দূরে।
যেখান থেকে ফেরা যায় না
শুধু যন্ত্রনার আজকাল বড্ড জীবিত আমার কবিতায়।

কি যেন লেখা ছিল মুহুর্তদের অসংখ্য আঙ্গিনায়
কে যেন শোনা ছিল মুঠো ফোনের আলোরণে।
কয়েকশো নেশার পেগ মিথ্যা জীবনে
উথলে পরে আমার পাতায় পাতায় ,সাদা পাতায়
রক্তের অজস্র সুপ্ত কনিকায়
জীবিত  জীবনের জ্বলন্ত আগামী একলা ।

জড়ানো নেশার পেগে  আমার পায়ের তলায় সমুদ্র
অসংখ্য ঢেউ  ,চোরা বালি সরে সরে যায়।
আমি ডুবতে থাকি গভীর প্রেমে তোর সাথে
আরো গভীরে কোথাও নিশ্চিত শান্তিতে।
হয়তো হৃদয়ের সমুদ্রে ,গভীরে কোথাও
যেখানে কেউ নেই শুধু শান্তি। 

rishi026@gmail.com

আগত পদশব্দ
,,,,,,,,,,,,, ঋষি

বহুমূল্যবান হৃদয়ের কোষে
আজ আবার রক্তক্ষরণ ,টুকরো টুকরো কাঁচ।
কেউ যেন ধরতে চাইছে আমায়
অসংখ্য নক্ষত্রদের মাঝখান থেকে কেউ একজন
প্রবল উত্তাপে নেমে আসছে আমার পৃথিবীতে।
পৃথিবীর মাটিতে ছড়ানো অসংখ্য কোলাহল
কে যেন এগিয়ে আসছে আমার দিকে।
কান পেতে শুনতে পাচ্ছি
তার পদশব্দ ঘুম ভাঙ্গা যন্ত্রণার ভিড়ে।

তার পায়ের নুপুরের ঝংকারে
আমি অবিশ্রান্ত কোনো শব্দের প্রতিফলন।
সেই সাধারণ পৃথিবীর সোনালী শব্দ
সেই সাধারণ সময়ের বাঁধানো নোলকে।
অনেকটা সময়ের পরে ,হৃদয়ের ঘরে
উন্মুক্ত আলো,অপেক্ষার রাশি রাশি পুস্প বৃষ্টি।
আলোকের এই ঝর্ণাধারায় ধুইয়ে দাও
আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও
অবিশ্রান্ত হয়ে চলা রক্তক্ষরণ।

বহুমূল্যবান হৃদয় কোষে
আজ আগমনী গান কে যেন ডাকছে আমায়।
আমার ভিতরে ,বাহিরে চেতনার ভিড়ে
অবিশ্রান্ত ধারায় কে যেন স্পর্শ চাইছে।
বেঁচে থাকার ,বাঁচিয়ে রাখার গোপন ঠিকানায়
আকাঙ্খিত আলোড়ন।
সে আসছে ,সে আসছে ,সে আসছে
তীব্র তার দহনের যন্ত্রনায় ,আমার কল্পনায়
আগত স্বপ্নিল কেউ। 

অবাঞ্চিত সময়

অবাঞ্চিত সময়
............ ঋষি

আলোর আবডালে ক্ষয়ে যাওয়া মুহূর্তরা
বাঁচতে চায়।
মাঝে মাঝে অদ্ভুতুরে প্রশ্নরা ঘিরে ধরে
কি রে কি করছিস তুই।
কিংবা কি রে কি পরেছিস শাড়ি
আসলে প্রশ্নরা যে স্পর্শ চায়।
দু এক মুহুর্তে অবহেলায় হাসতে থাকে
জীবন্ত কল্পনায়।

মৃত্যুর শেষ প্রহরে দাঁড়িয়ে কয়েক ফোঁটা চোখের জল
অবাঞ্চিত রিংটোন ধরা পরে কসমিক সভ্যতা।
তোর হাতের চুরিতে কিংবা চোখের পাতায়
নেশার ঘুম জড়িয়ে ধরে।
সভ্যতা এগিয়ে যায় জন্মের পোশাকে, আমরা
আমাদের এই নগ্ন সভ্যতায়।
কিন্তু ভাবতে ভালো লাগে নিজেকে এদের মাঝে
সাজানো রঙ্গমঞ্চে নাটকের ভূমিকায়।
তোর কথায় ,আমার কথা ছুঁয়ে
দু এক মুহুর্তের সভ্যতার দর্পণ।

আলোর আবডালে ঝড়ে পরে অসংলগ্ন সময়
বিবস্ত্র সময়ের দরজায় আমি ,তুই।
কিছুটা অহংকারী ,কিছুটা হৃদয়চিত উপকথায়
পাশাপাশি হেঁটে যাওয়া সময়ের
নগ্ন তলোয়ার ,নগ্ন যন্ত্রণা ,নগ্ন রক্ত।
আমরা এই পৃথিবিত জীবিত ও মৃত,
কোনো অসম্পূর্ণ মুহুর্তের চিলেকোঠায়
সোনালী রৌদ্র।

rishi026@gmail.com

ফিরে আসা যায়
.............. ঋষি

আমার কাছে শেষ বলে কিছু নেই
আসলে শেষ হতে পারে না।
সবকিছু মিটে যাবার পরেও কখন যেন
হৃদয় বাঁচে পিছনের টানে।
আসলে আমার কাছে জীবন বলে কিছু নেই
মৃতের মিছিলে সামিল স্তব্ধতায়
আমিও মৃত।

যে হেসেছিল ,যে এসেছিল বন্ধু হয়ে
যে বলেছিল আমি আছি ,তুই আছিস বলে।
সবটুকু মিথ্যা নয় ,আসলে মিথ্যা হতে পারে না
মিথ্যা এই সময়ের ফাঁকে জমা অধিকার।
মিথ্যা এই অহংকার দুরত্ব আর জীবিত আমি
আসলে সম্পর্কের কোনো দেশ নেই।
আসলে সম্পর্কের কোথাও শেষ নেই
সবটুকু বাঁচার মত কিছু একলা থাকা।
স্মৃতিটুকু রয়ে যায়
ফেলে রাখা সময়ের ভাবের খাতায়
কোথাও একসাথে বন্ধু।

আমার কাছে শেষ বলে কিছু নেই
আসলে আমার বলারও  কিছু নেই।
সবকিছু মিটে যাবার পরে হৃদয়ের পাঁজরে আলকাতরা
আর ঝাঁঝালো কেরোসিনের গন্ধ।
তবু কিছু পোড়ে না ,শুধু সম্পর্কের মুখ কালো
মৃতের দস্তানায় লেখা হয় আঁকড়ে ধরা হৃদয়
বন্ধু এভাবেও ফিরে আসা যায়। 

Friday, October 24, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

স্বয়ং ধ্বংস
............ ঋষি

তোকে পাওয়ার জন্য কি করতে হবে
কতটা নামতে হবে কিংবা কতটা উঠতে জানি না।
ঠিক কতটা স্পর্শের জন্য
তোর কতটা কাছে আসতে হবে তাও জানি না।
শুধু জানি
ভালোবাসা শুধু একটা শব্দের নাম
যার স্পর্শে ভালো থাকা যায়।

আকুল মন্থনে উঠে আসা বিষ
আমি মহেশ্বর গিলে নিতে পারি নিজের গোপনে।
হয়তো শব্দের মত কিছু প্রসব করতে পারি
প্রবল যন্ত্রনায় ,মুখের রক্তে।
আমি জানি তবুও তোকে পেতে পারি না
শুধু লিখতে হৃদয় গোপনে ,
তোকে ভালোবেসে আমার হৃদয়ে তোর নাম।

অজস্র ঘুনপোকার কেটে যাওয়া সময়
আমি ফেরাতে পারি না ,আমি যে স্বয়ং ধ্বংস।
আমার প্রলয় নৃত্যে পৃথিবীতে ভিড়
অজস্র ভিড় ভালোবাসা শব্দের আঁকড়ে বাঁচায়।
আমি হাসতে পারি না ,শুধু পুড়তে পারি
আমার ত্রিনয়নের অন্তরে গভীর অভিশাপ
ধ্বংস প্রেম শুধু ধ্বংস।

তোকে পাওয়ার জন্য আমার কিছু করার নেই
নামা ,বা ওঠা সবটাই সময়ের আঙ্গুলে।
আমি যে বোবা ক্রন্দনে উলঙ্গ শিব
আমার হৃদয়ের দরজায় শুধু স্তব্ধ পৃথিবী।
ধ্বংস ,ধ্বংস ,ধ্বংস,ধ্বংস পৃথিবী
কিন্তু তুই জানিস
বিষ পান করে আমিও ধ্বংস হতে পারি।

RISHI026@GMAIL.COM

একলা আকাশ
............... ঋষি

যারা আমাকে আকাশ বলে
আমি তাদের বুকে বৃষ্টি হয়ে থাকি।
জীবন থেকে পাওয়া অর্থগুলোর অনর্থের মাঝে
আমি আকাশ একলা থাকি।
একলা থাকি পৃথিবীর মাটির স্পর্শে
একলা থাকি হৃদয়ের স্পর্শে বিশাল আকাশে।

আমার হাসি পায় জানিস
যখন দেখি কেউ আকাশ ধরতে চায়।
 যখন  কেউ হৃদয় ধরতে চায়
কিন্তু আমার হৃদয়ে জমা মেঘ ,অসংখ্য রক্তক্ষরণ
আমি পারি আটকে রাখতে নিজেকে।
আমি নেমে আসি নোনা ধারায় হৃদয় থেকে
অসংখ্য চেতনায় হাজারো রক্তক্ষরণ।

কেউ বোঝে না আমায়
আমি শান্ত ,স্থির আকাশে স্বপ্নিল চোখ।
আমি ও হাসতে চাই পৃথিবীর মাটিতে ,বাঁচতে চাই সাধারণ
কিন্তু পারি না বাঁচতে জানিস।
আমি যে আকাশ ,আমাকে একলা থাকতে হয়
আমাকে যে ভেঙ্গে পড়তে হয় পৃথিবীতে
এই মাটির পৃথিবীতে।

আমিও গর্জায়,আমিও চিত্কার করি
সোজা নেমে আসে আমার আস্ফালন কারোর হৃদয়ে।
নিদারুন চাহিদায় প্রেম ভাসে আকাশে
আজ বৃষ্টিদিন ,বৃষ্টি আমার স্পর্শ তোর মত।
তোর শরীর ছুঁয়ে সকলের হৃদয়ে
একলা দিন ,আমি আকাশ একলা ভিষণ। 

Wednesday, October 22, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

প্যাপিরাসের অভিশাপ
........... ঋষি

আজ তোকে মাতাল করব আমি
নিভে যাওয়া খবরের পাতায় জ্বলন্ত প্যাপিরাস।
তুই নগ্ন নীলনদ আমার কাছে
আজ তোর যোনির উত্তাপে নিজেকে পোড়াবো।
তোর বুকের পিরামিডে স্পর্শ করে
ভাঙ্গবো পাথর ,খুঁজবো হৃদয় ,খুঁজবো নিজেকে।
সভ্যতা সাবধান আমি দস্যু আজ
নীলনদের তরল স্পর্শে।

কোনো নেমিসিসের রুপোলি পাত্রে সাজানো বিষ
আমি গ্রাহ্য করবো না।
তোর সমস্ত শরীরে আজ আমার কবিতা
নগ্ন প্রেম রূপ ,আজ আমি প্রশ্ন করবো না।
আজ আমি তোয়াক্কা করি না কোনো পার্থিব অনুভূতির
আজ আমি ভয় পাই না কোনো অভিশপ্ত প্রেমকে ,
আজ আমি মুক্ত তোর শরীরে নীলনদ।
গভীর রহর্স্য ,তোর সর্বত্র
শুধু আমি আদিম ফারাও নতশির।

আজ তোকে মাতাল করবো আমি
আমার প্রেমের পেগে কয়েকশো রক্তবিন্দু নীলনদ।
আমি ঘুমভাঙ্গা কবি ,ঘুম ভাঙ্গা স্বপ্ন সুর
তোর অস্তিত্বের  গায়ে লেগে আছে অসংখ্য পোড়া দাগ.
আমি তার গভীর স্পর্শ ,আজ তোকে লুঠ করবো
আমার সমস্ত অধিকার নিয়ে।
তুই মিশরীয় অভিশাপ ,উন্মুক্ত নগ্ন অধিকার প্রেম
আজ আমি তোকে স্পর্শ করবো।



RISHI026@GMAIL.COM

অবুঝ হৃদয়
.......... ঋষি

কতবার যে বোঝাতে চেষ্টা করেছি
বুকচিরে রক্তের গন্ধে তুই।
একটু খামখেয়ালী আনমনা নোনা রৌদ্র
পথ ধরে গভীর হৃদয়ে তুই।
কি করবো ,এই পাগলাটে প্রেমের জন্ম আছে
অথচ মৃত্য নেই
তাই বোধহয়  বোঝাতে পারি নি তোকে।

একলা পথ ধরে হেঁটে গেছি কয়েকশো শতক
কয়েকশো কবিতার বুক ছেঁড়া আর্তনাদ তোকে ঘিরে।
পায়ের কাছে লুটিয়ে আছে অজস্র কাঁটা
তীব্র যন্ত্রণার।
তবুও তোকে বোঝাতে পারি নি আমি
আকাশের উপর আমার ঘর ,আমার স্বপ্ন ,একটা জীবন।
এমনভাবেও কাটানো যায় শান্তিতে ,নিদ্রায়
তোর সাথে তোর গভীরে।

কতবার যে বলতে চেয়েছি তোকে
আমার বুকের আতুরঘরে কবিতার  উত্সস্থল  তুই।
একটু খামখেয়ালী আগুনে পোড়া স্পর্শে
আমি যে বাউলে হৃদয় ,তোর প্রেম।
কি করবো,এই পাগলাটে বাউলের হৃদয় আছে
অথচ আশ্রয় নেই
তাই বোধ হয় পেতে পারি না তোকে।

RISHI026@GMAIL.COM

এক আকাশ পৃথিবী
.......... ঋষি

আবছা অন্ধকারে দাঁড়িয়ে কেউ
কিছু বলছে।
যতটুকু ,যা কিছু শুধু মায়া
আর বাকিটুকু একা রেখে যাওয়া।

বাড়ানো হাতের আবর্তনে পৃথিবীর পেন্ডুলামে পা
দুলে যা ,দুলে যা ,দুলে যা
নিজের মত সময় , মিনিট ,ঘন্টা।
এগিয়ে যা ,এগিয়ে যা ,এগিয়ে যা ,আরেকটু এগিয়ে
খোলা দরজা।
এক মুঠো আদুল হাওয়ার ,দমকা হাওয়া ,সোজা ধাক্কা
হৃদয় দুলিয়ে যা।
ভাঙ্গাচোরা মুহুর্তদের আগুনে জ্বলন্ত ছাই
কয়েকহাত জমি মাপতে চাই।
মাটির তলায় হয়ত বা মৃত্যুর অছিলায়
মৃত দরজায়।

আবছা অন্ধকারে দাঁড়িয়ে সে
কিছু বলছে।
আমি শুনতে পেলাম ঠিক তার আকুতি
মুক্তি এক আকাশ পৃথিবী।

RISHI026@GMAIL.COM

অদ্ভূত বিচরণ
.................. ঋষি

হারানোর পরের মুহুর্তে
আকাশ থেকে হওয়া দৈববাণী আমরাও আছি।
অনেকটা সেই মৃত শবঘরে রাখা স্তব্ধতার মতো
যদি বলি বাঁচতে চাই ,জানি হাসবে সবাই
আসলে হিসেবের বাইরেও বাঁচা যায়।
অদ্ভুত ভাবে জড়িয়ে থাকা মুহুর্তদের ভিড়ে
দু এক মুহূর্ত আমার তোর।

তোর গোলাপী রঙের জামার হাতায় রাখা কল্পনায়
কিংবা ধর তোর দেওয়ালের জানলায় আলোর মুখ
যদি বদলে যায়।
খোলা আকাশ ,খোলা স্বপ্ন,অসংখ্য মানচিত্রের অন্যকোথাও
তোর ড্রেসিং টেবিলে আঁচড়ানো চুলের ধারায়
যদি জোত্স্না এসে ধরা দেয়।
হৃদয়ের খামে অসংখ্য রংমশালে রঙিন সুখ
জ্বলতে থাকে ,পুড়তে থাকে ,মিশে যায়
হৃদয় যে পোড়া ছাই।

হারানোর পরের মুহুর্তে
আকাশ থেকে নেমে আসা নোনা জল ,জংধরা মুহূর্ত।
তোর সুন্দর সাজানো খেলনার আসরে নতুন মুখ
এক নতুন হাসি ,ভালোবাসি ,ভালোবাসি
এই শব্দটা দোলা দেয় ,হৃদয় দোলনায় বাঁচার আশায়।
অদ্ভুত ভাবে জড়িয়ে থাকা মুহূর্তরা চোরা বালি ডুবে যায়
একসাথে অদ্ভুতভাবে আমার তোর। 

Tuesday, October 21, 2014

rishi026@gmail.com

শ্মশান কালী
............ ঋষি

স্কেল দিয়ে মাপা দুরত্ব
তোর বুকের পাহাড়ে আমি মুক্তি দেখতে পাই।
রোজকার ভালো খারাপ মাঝে বেঁচে থাকা
আমি স্বপ্ন দেখি কাঞ্চনজঙ্ঘা।
আমি যে খোলা আকাশ দেখতে পাই
দেখতে পাই মুক্তি অভিধানের বাইরে ।

চুপ করে থাক ,তোর কপালে ,তোর উষ্ণ  ঠোঁটে
আমি জীবন ছেঁচে তৈরী করি মাটির মূর্তি।
নিজের মতো মাটি লেপে
আমি শরীর তৈরী করি ,তৈরী করি তোকে।
তুই নেচে উঠিস শ্মশান কালী তুই
আমি গড়িয়ে পড়ি তোর ঠোঁট বেয়ে তাজা রক্ত।
তোর নাভি বেয়ে তোর গভীরে তোর রক্তে
তোর আমার মিশিয়ে একসাথে ক্রমজোনিয় বিবর্তন
আমরা অদ্ভূত ,আমরা কিংভূত ,আমরা  জীবন।

স্কেল দিয়ে মাপা দুরত্ব
তোর বুকের পাহাড়ে আজ অন্ধকার।
প্রকৃতির খামখেয়ালী  নদী বয়ে যায় যেমন খুশি
আমি স্বপ্ন দেখি মুক্তি পাবার।
আমি যে আমার গভীর নদী তোর যোনিতে
আমি উচ্ছল ঢেউ বাঁচার স্পন্দন।

RISHI026@GMAIL.COM

এক মুহূর্ত বাঁচা
................ ঋষি

১০ তলার ছাদের কিনারায় কার্নিসে লেগে চাঁদ
হাসছে বলছে স্পর্শ দিয়ে যা।
আমি বললাম চাঁদ তোমার রুপোলী জোত্স্না
তোমার শীতল স্পর্শ ,তোমার কোমল চাহিদা।
সব যে পার্থিব
কিন্তু আমি যে অপার্থিব তোমায় চাই
জীবন মৃত্যুর দোটানায়।

হয়তো  কখনো আকাশের গোপন ঠিকানায়
তোমার চোখের কোনে কালি।
হয়তো বা কোনো ক্ষুদ্র নক্ষত্র আকাশের গায়ে
তোমার আকাঙ্খিত প্রেম।
কিন্তু আমি যে পোড়াতে পারি না তোমার মতো
আমি যে মুগ্ধ করতে পারি না ঝিলিমিলি আকাশে
আমি শুধু মরে যেতে  পারি।
খসে পরি আকাশ থেকে একমুঠো আলো
তখনও তুমি হাসছো আমার অন্তরে
আমার রুপোলি চাঁদ।

১০ তলার কার্নিসে দাঁড়িয়ে চাঁদ তুমি নেমে এসো
আমার কাছে ,আমার বুকে ,আমার স্পর্শে।
কিছু মুহুর্তের জড়িয়ে যাওয়া তুমি আজ রাতটুকু
আমার হৃদয়ের চাদরে তোমার অপেক্ষায়।
একটা রাত ,একটা স্পর্শ ,একবার কিছু মুহূর্ত
আমায় ধরা দেও রুপোলী জোত্স্নায়
আসলে মুহূর্তেও বাঁচা যায়।

Sunday, October 19, 2014

rishi026@gmail.com

হৃদয় তালা
............. ঋষি

বন্য বন্য এ অরণ্য কেন
জানিস না কেন এই অস্তিত্বের সংঘাত।
জীবন থেকে ফুরিয়ে যাওয়ার মুহুর্তে
নিজেকে খোঁজা ,এ কিসের আভাস
জীবনের না লুকোবার।

হাসছিস জানি ,কিন্তু হাসির পিছনে জোকার লোকানো
আমার মতো সেই জোকার কাঁদে না কখনো।
হাসতে থাকায় ,নকল ভালো থাকায়
আর হাসির মতো বেঁচে থাকায় মুহুর্তে ,
প্রতি মুহুর্তের গায়ে।
হাজারো কবিতায় বেঁচে থাকার গান
ভালো লাগে এতো।

সাজানো ক্যানভাসে আঁকা নিজের মুখ অস্তিত্ব
ভালো থাকা ,খারাপ থাকা টুকরো টুকরো করে।
আয়নায় মুখ
নগ্ন করে দেখিস কখনো নিজেকে পাবি।
ভালোবেসে বেঁচে থাকা সময়ের হিসেবে
কিছুটা অস্তিত্ব পাবি
ঠিক কতটা তুই বেঁচে।

বন্য বন্য এ অরণ্য কেন
জানিস না কিসের প্রশ্ন বিঁধে আছে বুকে।
জীবন থেকে গুটিয়ে যাওয়া মুহুর্তে
চাবি একটা ভালো থাকা
আর তালা অসংখ্য হৃদয় দেওয়ালে। 

rishi026@gmail.com

আমি বাঁচি রোজ
......... ঋষি

কি করি বল আমি যে  খুব সাধারণ
তার থেকেও সাধারণ আমার হৃদয়ের স্পর্শ।
আমি যে লুকোতে পারি না রে
আমি অভিনয়ও  পারি না।
তাই তো ,তাই তো আমি পুড়ি রোজ
আমার বেঁচে থাকায় ,আমার কবিতায়।

সোনালী শহরের বুকে নতুন সূর্যোদয়
ভোরের আলো জড়িয়ে নামে আমার চোখের পাতায়।
আমি চায়ের কাপে , আমার বুককেসে  রাখা ছবিটায়
আমি তোকে দেখতে পাই।
ফুটপাত ধরে হেঁটে যায় রেলিঙে হাত রেখে
ভাবি তুই আছিস আমার হাতের স্পর্শে।
যখন তখন তুই এসে দাঁড়াস সামনে
বলি এই ছেলেটা বেলবেলেটা আমাদের পাড়ায় যাবি।
আমি হাত বাড়াই, যেতে চাই তোর কাছে
তোর গভীরে ,তোর গন্ধে বাঁচতে চাই।

কি করি বল আমি যে খুব সাধারণ
তার থেকেও সাধারণ আমার দৈনন্দিন বাঁচা।
আমি যে হাসতে পারি নারে
আমি পেতে পারি না তোকে আমার কাছে।
তাই তো ,তাই তো আমি বাঁচি রোজ
তোর ভালো থাকায় ,তোর কল্পনায় ।

rishi026@gmail.com

বেঁচে থাকায়
................. ঋষি

শেষ কবে জানতে চেয়েছিলিস আমায়
শেষ কবে  কাছে এসে ছিলিস আমার।
জানি প্রশ্নগুলো  অবান্তর তোর কাছে
তবু জানতে ইচ্ছে হয় ঠিক কতটা ,ঠিক কতটা
হৃদয় তুই আমায় দিয়েছিলিস ,কিংবা নিয়েছিলিস।
জানতে ইচ্ছে হয়
শেষ কবে বলেছিলিস আমি তোকে ভালোবাসি।

তুই জানিস না বোধহয় আমার বুকের খাঁচায়
আজও স্পর্শগুলো কাঁদে।
খোলা বোতামের ভিতর বুকের জঙ্গলে দাবানল
আজ পোড়ে তোর কারণে।
প্রতিদিন প্রতিমুহুর্তে আমার কবিতারা আজও
বলে তোর কথা।
জানি বুঝি সব বদলে গেছে ,যেমন ঝড়া পাতা
সবুজ থেকে  হলুদ ,তারপর মাটিতে।
বদলে গিয়ে মিশে যায় পৃথিবীর  বুকে
যেমন আজ আমি মিশে থাকি তোর বুকে।

আর প্রশ্ন করবো না ,করবো না বিব্রত
কিন্তু আমি তোর খবর রাখি রোজ দিনে রাতে,
কিন্তু আমি তোকে ভালোবাসি প্রতিমুহুর্তে বেঁচে থাকায়।
তোর স্পর্শে ,তোর জীবনে কোথাও আমি নেই জানি
তবুও  আমি তোকে বাঁচিয়ে রাখি আমার কবিতায় রোজ।
আসলে আমি আছি তোর ভালো থাকায়
তোর স্পর্শে ,আমার বেঁচে থাকায়।

rishi026@gmail.com

ওরা ,আমরা
.......... ঋষি

জীবনে জ্বলন্ত নলোকগুলো আটকানো
মহাকালের গায়ে।
সারা শরীর জুড়ে ,ঠোঁটে ,নাকে ,জিভে ,থুতনিতে
বুকে কোথাও বাদ নেই ,সব কাঁটা।
পায়ে ঘুঙুর পরে ন্যাংটো শরীর ফুটপাথে
ওরা বেঁচে আছে ,ওরা বেঁচে আছে।
ঠিক যেমন বেঁচে থাকা জীবন রাত্রের অন্ধকারে
দেওয়াল ধরে ,যৌন বৃত্তি ,খিদে জীবনের।

দুহাতের ফাঁকে তালি ,হাততালি আমাদের
সুস্থ ,স্বাবাভিক ,বেঁচে থাকা।
ওদেরটা  ঘুঙুরের নাচ ,অশ্লীল শরীরে অশ্লীল প্রদর্শন
ওরা জীবনের বাইরে আমাদের রোজকার।
ওরা সভ্যতার বাইরে অসভ্য
অন্য জাত ,নেহাত বেজাত তবুও আশীর্বাদ
প্রতি জন্মের পরে ,প্রতি  ঘরে অন্তত একবার
তাদের আগমন বিনিময় জীবন।

জীবনের জ্বলন্ত চাহনিতে ওরা মিনা ,কিংবা লতিকা
ক্লিন শেভ দাড়ি ,লোমশ হাত ,আর উন্নত বুক।
আরেকটু নামি নিচে ,আরেকটু স্বভাবে ,আরেকটু চাহনিতে
ইশ সমস্ত হিসেবের বাইরে ওরা আমরা নই।
কিন্তু ওদেরও আছে  বাঁচার অধিকার
আমাদের সাজানো সভ্যতার শরীরের নোলকে ,
ওরাও যে জীবন্ত প্রাণ ,মহাকাল
ওরাও মানুষ একটু আলাদা ,অথচ জীবন্ত।

rishi026@gmail.com

আমার কবিতায়
........... ঋষি

কিছু তো চাই নি আমি
তবু জানিস সবটুকু চাই ,সবটুকু।
তোর ভিতরে বাইরে ভালোবাসা প্রেরনায়
কোনো স্পর্শ আমার ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়
আমার কবিতায়।

তোর খোলা বুকে মাথা ঘষি ভাবি আমি মুক্ত
তোর জীবনে হাত ধরে ভাবি আমি আরক্ত।
আসলে ভীষণ ব্যস্ত
পিছনে ফেরার পথে যে কাঁটা,
ওয়ান ওয়ে ধরে হাঁটা তোর গভীরে ,তোর হৃদয়ে।
ফেরা যায় না ,ফিরতেও চাই না
আমার রক্তে তুই ,আমার বেঁচে থাকা।

আমার জন্মের ,আমার কৈশোরে ,আমার জীবনে
মুহুর্তদের কবিতায় তুই আসিস।
যখন তখন আমার কবিতায় ,যেমন খুশি ,যখন খুশি
আমাকে ভালোবাসিস ,আমার আশ্রয়।
একটুকরো বাঁচা ,একটু ভালোবাসা
আর কিছু না শুধু এতটুকু,সবটুকু পাগলের মত
আমার দুই বাহুর মাঝে তোকে মিশিয়ে নিতে চাই।

তবু বলি কিছু চাই নি আমি
শুধু তোর হৃদয় ,তোর শরীরের গন্ধ সাদা পাতায়।
আমার কবিতায় আমি লিখে চলি
তোকে ভালোবেসে বারংবার
আমার কবিতায়। 

Saturday, October 18, 2014

rishi026@gmail.com

বিশাল এই সমুদ্র
.............. ঋষি

রস ,কস,সিঙ্গারা ,বুলবুলি ,মস্কো
যা পৌঁছে গেছি তোর কাছে।
চারিদিকে এতো নীল কেন ,এত আলো কেন
এ যে মন্ত্র ,যন্তর মন্তর মানে জীবনের মন্ত্র।
একটু ভালো লাগা তোর পাশে
নীল সমুদ্র।

নীল আকাশ হতে পারে ,আকাশের পাখি
পাশা পাশি ,উড়ি উড়ি উড়ে চলি।
চারিদিকে নীল নৌকায় পাল তোলা রৌদ্র
আর আমি তুই ,পাখি।
একটুখানি বাঁচি একসাথে
এটাও সমুদ্র।

কি বিশাল রে এই সমুদ্র ,এই বাঁচা
অদ্ভূত না বিশাল মন ,বিশাল মন।
আছড়ে পরে একের পরে এক
বুকের উপর আমি তুই।
নিঃস্ব পাখি ,মিথ্যা ডাকাডাকি
এই সমুদ্র।

ওমা তুই হাসছিস ,কি সুন্দর এই হাসি
ভালোবাসি ,ভালোবাসি এই নীল রং।
কোনো গভীরে দেশের সেই রাজা
আর তুই রানী।
অদ্ভুত এক কাহিনী ভিনদেশী তারা
ওই সমুদ্র।

রস ,কস,সিঙ্গারা ,বুলবুলি ,মস্কো
যা পৌঁছে গেছি তোর কাছে।
আবার বল কিরে যাবি আমার সাথে
এই হৃদয়ের পাশে ,গা ঘেঁষে।
মেঘলা মন এক সমুদ্র
নীল সমুদ্র।

rishi026@gmail.com


ফিনিশিং লাইন
....................... ঋষি

কেউ এগিয়ে শেষ করে ,কেউ পিছিয়ে
অথচ শেষ দুজনার ক্ষেত্রে আসে আগে বা পরে।
শেষ দুজনার হয় ইচ্ছা বা অনিচ্ছায়
ফিনিশিং লাইনের বাইরে দুজনে সমান।

হাতের সাথে হাত ,হয়ত হৃদয়ও থাকে,একটা জীবন
কিন্তু কি জানেন
প্রতিযোগিতায় সবাই জিততে চাই।
নিজেদের মতো অস্তিত্বের ইঁদুর দৌড়
আর অজস্র প্রতিযোগী ,
গিজগিজে অজস্র কাটাকুটি  
সবাই যে বাঁচতে চাই নিজের বেঁচে থাকায়।

আজকের প্রেম শুষে নেই কাগজের কালি
কিন্তু দাগ টেনে  যায়।
মনের গভীরে কোথাও স্মৃতি নামে কোনো গোপন ডাকঘরে
শুধু জমে যায় অজস্র দাগ ঠিকানার অপেক্ষায়।
আজ না কাল ,কাল না পরশু ,হয়তো তারও পর
একদিন কোথাও, কখনো আশা নাম্নী ভদ্রমহিলার শাড়ি
বদলে যায় সমাজের সাদা রঙে।

অথচ কেউ জানে না সময় শুকিয়ে কাঠ
শুধু মেনে নেয়,মেনে নিতে হয় অজস্র চোরাসুখ।
চিনচিনে যন্ত্রণা হৃদয়ের ওপারে ,অজস্র কাঁটাতারে জীবন দৌড়
দৌড় আর দৌড়,আরো একটু।
অথচ হিসেব জানে না জীবন দূরবীনে চোখ
দূরে কথাও দূরে দূরে
জীবন  নামক শব্দের ভালো থাকা।

কেউ এগিয়ে যায় ,কেউ পিছিয়ে
অথচ শেষ দুজনার ক্ষেত্রে সমান ,জয়ী দুজনেই একসাথে।
একটা জীবন মৃত্যুর ওপারে বেঁচে থাকার
আকুল কল্পনায়। 

rishi026@gmail.com

একটা জীবন একবার
............ ঋষি

একটা জীবন একবার
তোর চোখে দেখা স্বপ্ন শব্দের মিছিল।
আমি হাসছি তোকে জড়িয়ে খুব গভীর কোথাও
হয়তো বা দূরে কোথাও
তোকে ভালোবেসে।

কিন্তু কি জানিস আমি আশ্রয় খুঁজি
বেঁচে থাকার।
একলা জীবনের বাইরে আমি প্রশ্রয় খুঁজি
ভালো থাকার।
সব বদলে যায় একলা দোটানায় জীবন মাটির তলায়
হয়তো কোনো কবরে ,কিংবা জ্বলন্ত চিতায় ,
মরতে থাকি রোজ,বাঁচতে থাকি রোজ
অনন্ত সময়ের বাইরে এমন হাসতে থাকায়।
পাগলের মতো ,কোনো এসাইলহোমের দরজায় দৃষ্টি স্থির
আর সারা পৃথিবী দরজার ওপাড়ে

একটা জীবন একবার
তোর ঠোঁটে লেগে থাকা রক্ত শরীর।
আমার শরীর বেয়ে গড়িয়ে নামে ঝরনায় জীবন
আমি ভিজি বৃষ্টিতে নোনা জল
চোখের কাজলে তোর। 

Friday, October 17, 2014

rishi026@gmail.com

চিরকালীন
............. ঋষি

তখন থেকে খুঁজছি তোকে
মনের ফাঁকে ,জীবনের খাঁজে অনন্ত পথচলায়
প্রতিমূহুর্তের জীবনের ঘ্রাণে
আজ অদ্ভূত আনন্দ চিনে চিনে ব্যাথা
মনের মাঝে তুই
এই বেঁচে থাকায়

ভালো লাগে ভাবতে কষ্টের কবিতায়
ভালো লাগে ভাবতে আমার শিরা উপশিরায়
প্রতিমুহুর্তে রক্তের মতো পরিবাহী তুই
জীবন যেদিন থামবে
সেদিন না হয় আলাদা হোস
কিংবা ছেড়ে চলে যাস তুই

আমি তো এখন বেঁচে আছি রে
বুকের ভিতরে হাঁপরে উঠছে আগুন
হৃদয় পুড়ছে,পুড়ছে সময়
আকাশ কোনে লালচে আলোয় ফাগুন
আমি কোনো এক ঝড়ো হাওয়া
তুই হলি সেই স্পর্শ রঙের আগুন

তখন থেকে খুঁজছি তোকে
বুকের রক্তে ,সময়ের রক্তে ,জীবনের রক্তে
প্রতিক্ষণে হৃদয়ের মানে।
আজ অদ্ভূত দোলা হৃদয়ে বেঁচে থাকায়
আজ মৃত্যুদিন
হৃদয় ,ভালোবাসা আমার চিরদিন। 

RISHI026@GMAIL.COM

আমার ঠিকানা
................. ঋষি

সেই পোড়োবাড়িটায় আজও রৌদ্র আসে
ভাঙ্গা জানলা দরজার ভিতরে ধুকপুকটা
আমার অচেনা নয়।
অচেনা নয় এই  বাড়ির নেমপ্লেটে লেখা নামটা
প্রতি কোনে জমে থাকা অবাঞ্চিত গুল্ম   ঝাড় আর ঝুল
সব চেনা আমার।
চেনা আমার এই বাড়িতে বাস করা কিছু আবাসিক পায়রারা
কিছু সাপখোপ জমা বিষ বিষাক্ত ছোবলরা
যারা সারাদিন জাগিয়ে রাখে বাড়িটা।
আমি যে এই বাড়ির কেয়ারটেকার নিত্য অধিবাসী
আমি যে এই হৃদয়ের একমাত্র পুজারী
কিন্তু এই বাড়িটা আমার না।

ভাঙ্গা চোরা বাড়ির প্রতি কোনে জমা যন্ত্রণাগুলো
নির্দিষ্ট ফাটা দেওয়ালে ,ফুটো ছাদের ওপারে পৃথিবীটা ,
ওই আকাশটা সব শত্রু আমার।
শত্রু আমার এই বাড়ির বাইরে বেঁচে থাকা
প্রতিটা মুহূর্ত ,প্রতিক্ষণ  জীবনের সাথে।
জানি এই বাড়ির মালিক আমি নয়
জানি এই জীবনের অধিকার আমার নয়।
তবু লোভ বেঁচে থাকার হিসেবের বাইরে
তবু লোভ জীবিত থাকা সময় খাতায়।
এই বাড়িটা আমার ঠিকানা ,আমার হৃদয়
কিন্তু এই বাড়িটা আমার না।



RISHI026@GMAIL.COM

আকাঙ্খিত দিন
..................... ঋষি

একটু পিছিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে
সবাই তো এগিয়ে যায় ঘুর্নিরত পৃথিবীর জোত্স্নায়।
আমি শুধু একটু পিছোতে চাই
বছর ,মাস ,জীবন ঘুরে অনেক পিছনে।
তোর পাশে
শেষের শুরু আমার  দিন
প্রতিদিন শুধু তোর সাথে।

যেখান থেকে একটা নতুন শতাব্দীর ঘুড়ে দাঁড়াবে
তোর ঠোঁট ছুঁয়ে ,তোর বুক ছুঁয়ে শুধু আমি।
সাজানো সভ্যতার নাভিতে নতুন দিন
নতুন জন্ম তোর আমার একসাথে।
তোর স্পর্শে হাঁটা শুরু সবুজ দিন
পৃথিবীর ক্লেদাক্ত জানলার বাইরে  আমরা হাসছি।
পাগলের মত গড়াচ্ছে চোখের জল
আমার তোর আনন্দধারায়।

একটু পিছিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে
তোর হাত ধরে বাঁচতে ইচ্ছে দৈনন্দিন আলোর পৃথিবীতে।
কিছুদিন অন্তত একটা দিন আমার মত
হাজারো বছর পরে কোথাও কখনো রুপোলি জোত্স্নায়।
তোর  পাশে আমার মতো কেউ
শুরু থেকে শেষ সবটাই কল্পনা
আমার মত তোর হৃদয় আমার কবিতায়। 

RISHI026@GMAIL.COM

অধরা স্পর্শ
............... ঋষি

অর্ধেক রাত্রে ঘুম ভেঙ্গে গেল
তুই আমার শিয়রে ,আমার চুলে হাত বোলাচ্ছিস।
আমি বল্লাম ,কি রে তুই এখানে
তুই চলে গেলি ধীরে ধীরে ,আমি দেখলাম।
কিছু বলি নি আসলে বলতে পারি নি
শুধু দেখলাম তুই চলে গেলি।

বালিশ আঁকড়ে বিছানার চাদরে মুখ
আকাশের চাঁদে জোত্স্না আমার গায়ে।
আমি হাসলাম ,আমার শীত করছিল ভীষণ
ঠান্ডা বিছানার চাদর ,মৃত শব.
আয়নায় মুখ করে প্রশ্ন করলাম জীবন কি এমনি হয়
শীতল বিছানার চাদর ,তোর মত শীতল মন।

আয়নায় আমার মুখ
ভিতরের জোকারটা হেসে উঠলো আমার মতন।
অট্টহাসি ,খুব জোরে ,খুব  জোরে ,খুব জোরে
তুই কিছু বলিস নি ,কিন্তু চিনিয়ে গেলি আমায়।
ভালো লাগলো একটা চিনচিনে ব্যাথা
হয়তো তুই আমার স্পর্শে।

বাকি রাত চুপচাপ ,নিশব্দ পৃথবীতে আমার পদচরণ
এপাশ ,ওপাশ ,ধপাস।
সশব্দে আঘাত স্বপ্নের জীবন থেকে আমি মাটিতে
তোর পাশে ,তোর মত শীতল আমি।
ঘুম ভেঙ্গে গেল ,আবার চলা শুরু
আসলে তুই অধরাই রয়ে গেলি। 

Thursday, October 16, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

কি রে জীবন
........... ঋষি

কি রে জীবন
আয় একবার  মৃত্যু ছুঁয়ে দেখি।
প্লিস একবার জীবনের ওপারে তোকে ঘেটে দেখি
আকাশের চাঁদের মলিন মুখ।
দুচার মুহুর্তের এই জীবন মুহূর্তরা চলে যায়
ঠিক কোনো শান্ত নদী
আয় জীবন একবার মৃত্যু ছুঁয়ে দেখি।

জানিস জীবন আজকাল একটু ক্লান্ত আমি
পথচলায় অজস্র রৌদ্র হৃদয় পোড়া।
ঠিক তন্দুরি চিকেন জ্যান্ত গ্রিলে
তারপর নুন ,লঙ্কা ,দুচার ফোঁটা প্রেম
আমায় ঘিরে।
নৃত্য করে মস্তিষ্কের ভিতরে চাওয়া
সম্পূর্ণ পাওয়া কোনো অন্য পৃথিবী।
ঘুমের ঘরে তোর ঠোঁটে মধু
আর চোখের আগুনে তেতো ঠোঁট
তোর জীবন আমার কাছে।

কি রে জীবন
ক্লান্ত তুই ও মৃত্যুমুখী।
একবার চল মৃত্যুটাকে ছুঁয়ে দেখি
প্লিস একবার।
তারপর আমি তুই পাশাপাশি হাত ধরে
জোত্স্না বেয়ে স্বপ্ন জীবন
একবার কখনো আমার সাথে। 

RISHI026@GMAIL.COM

তথাস্তু তোকে
......... ঋষি

তথাস্তু বলার সাথে সাথে
আমার শরীর মিশে গেল শরীরে।
অনেকটা অন্ধকার পথ হাঁটার পর
প্রথম আলো।
বিশ্বস্ত সুত্রে প্রকাশ প্রেম অর্বাচীন জীবনে
কোনো কবিতার নাম।

অনেকটা  দূরদর্শনের পুরনো মুহূর্ত
কয়েকশো সামুদ্রিক জীব বায়নাকুলারের ভিউতে।
এমন ভাবি আমি জীবন সমুদ্রে
ওটা তিমি ,ওটা স্টারফিস,ওটা হাঙ্গর ,পাগল ওটা জীবন।
হাবুডুবু খায় ভেসে বেড়ায় মিলন সমুদ্রে
এক বিশাল মেলা।
হারিয়ে যায় ছোটো বেলা ,ছোটো ছোটো স্বপ্ন
ছোটো দিন কমে যায় জীবন ,
একদিন ,দুদিন ,শেষদিন।

তথাস্তু আবার তোকে, তোর সাথে
ছোটো থেকে বড় ,মাঝখানে মিশে থাকা মুহূর্ত।
অনেকগুলো দাগ লেগে থাকে শাড়িতে
তোর ঋতুর লাল রং জীবনের গায়ে।
আর প্রেম থেকে শরীর
ক্ষুদ্র আলো ,আজকের বিশেষ খবর
পাড় ভাঙছে জীবন সমুদ্রে।

RISHI026@GMAIL.COM

তোর বুকে
.......... ঋষি

তোর ৩৮  সাইজের বুকে মাথা রেখে ভাবি
ঈশ্বর এটা কি স্বর্গ।
ইশ্বর হাসেন বলেন ওরে নরক ওটা শরীর
আমি তো এখানে।
কিন্তু কি জানেন ঈশ্বর এই বুকের পাঁজরের প্রতি খাঁজে
আমার জীবন লুকোনো ,লুকোনো আশ্রয়।
আমি পরজীবী নই
কিন্তু বাঁচার জন্য এই বুকের ভীষণ প্রয়োজন আমার ।

একলব্যের মতো মাটির সাথে মিশে থাকি
লক্ষ্য স্থির কিছুটা সময় তোকে পাওয়া।
আঙ্গুলের ফাঁকে গলে যাওয়া সময়
জীবনের পাঁকে হারানো মুহুর্তদের
হিসেব করি না আর।
তোকে পাওয়া ওই  বুকে আমার শান্তি রহস্য
আমার বেঁচে থাকার পরম প্রেম।

তোর ৩৮ সাইজের  বুকে নিজেকে খুঁজি
অসংখ্য প্রলোভনের মাঝে আমার জমানো লোভ।
মৃত পাহাড় ,কয়েকশো বেঁচে ফেরা
আমি জীবন জীবিত সেখানে।
বাকিটুকু শুধু ফাঁকি ,আমি বেঁচে থাকি
তোকে সাথে পাওয়ার কল্পনায়।
আমার মুহুর্তদের জমে যাওয়া অন্তরদহন
কখনো ,কোথাও কোনদিন তোর বুকে। 

Wednesday, October 15, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

হারাবার কবিতা
...................... ঋষি

কি বলতো
মৃত্যু  স্থির আর আমরা অস্থির।
তাইতো পারদের ওঠানামা
জীবন গম্ভীর।

ছোটো ছোটো অস্তিত্ব এক একটা জীবন
ছড়িয়ে ছিটিয়ে ভালো খারাপ মিশিয়ে।
কিন্তু কেউ ভালো নয় ,কেউ শান্তি নয়
সবটাই আশা।
আর এই বেঁচে থাকা
আসলে জীবন এমনি হয়।

শুধু বেঁচে থাকা ,শুধু হাঁটতে থাকা
অলিগলি বেয়ে হৃদয়ের চোরাগলি।
জীবন হারিয়ে যায়
একের পর এক বোবা শব্দ।
জীবন বদলে যায়
আসলে জীবন এমনি হয় ঢেউ এর পরে ঢেউ
ভেঙ্গে যায় ,যায় হারিয়ে কোনো স্বপ্ন চোখে।

কি বলতো
এটা জীবনের কবিতা নয় ,কবিতা হারাবার।
আমার সাথে আমার মত জীবন
আমার কবিতার খাতায়। 

RISHI026@GMAIL.COM

কফিনের ভিতর
............... ঋষি

জীবনের দূরত্বের কফিনে দুর্বলতা শুয়ে
কে বা করা ,যে বা যারা।
রূপমতী কোনো আগুনে জ্বলে আর পুড়ে ছাই
তাদেরকে বল না শান্তি চাই।
আরে এটা কাল্পনিক
সঙ্গত সময়ের সঙ্গীত নয়
আর জীবন তো এমনি হয় কফিনে শুয়ে।

এক পা ,দুই পা ,তিন পা
চলছে চলবে সভ্যতার আগুন নিজের ঘরে।
যখন আগুন জ্বলে কেরোসিন স্টোভে কিংবা গ্যাসে
সাথে জীবন জ্বলে বিন্দাস বিলকুল।
এক বার হেসে দেখ ,একবার ভালোবেসে
সভ্যতার চিতার আগুন তোর কফিনের বাইরে।
আর কফিনে শান্তি শান্তি শান্তি
বুদ্ধং শরণং গচছামি ,ধর্মং শরণং আর কত কিছু
বাকি জীবন বেঁচে আছে কিছু।

জীবন দূরত্বের কফিনে আশারা শুয়ে জীবন জুড়ে
হিরগ্লিফিক সভ্যতার নেমেসিস দাঁড়িয়ে।
হাতছানি দেয় মৃত্যুর কাছে
আর জীবন দাঁড়িয়ে নীলনদে ভেজা নোনা জল।
নোনা সভ্যতা কি এসে যায়
আয় না একটু বাঁচি এই কফিনের মাঝে
তুই আর আমি পাশাপাশি।  

RISHI026@GMAIL.COM

চল বৃষ্টিতে ভিজি
............. ঋষি

একটু এগোলাম ,আরেকটু এগোলাম
বৃষ্টির জলে ভিজে মন।
উত্তপ্ত ঠোঁটে জড়িয়ে নামা তৃষ্ণা
হৃদয়ের ছাদে একলা মন।

কি করি বৃষ্টির ছাট আমার গায়ে
দু এক ফোঁটা স্পর্শ আমার কবিতা তোর বৃষ্টি ভেজা।
উচ্ছল আনন্দের মত বৃষ্টি হৃদয় নিংড়ে কামড়ে ধরে
দুরে কোথাও দুরে দুরে।
ছুঁতে চাই একটা আশ্রয় বেঁচে থাকা
ভালোবেসে তোর হৃদয়ের চোখ আমার গায়ে।
নেমে যায় ,গড়িয়ে নামে , ঘুমের ঘোরে
ঠান্ডা বিছানায় তোকে জড়িয়ে থাকায়।

এমন হয় বৃষ্টির জলে নোনা স্বাদ
নোনা বিশ্বাস ,নোনা কয়েক ফোঁটা জল।
মিশে যায় ,মিশে যেতে চাই বৃষ্টির জলে
তোর সাথে কেউ দাঁড়িয়ে আজও একলা ছাদে।
হৃদয় ছাদে ,মেঘলা আকাশে ,মেঘলা মন
আয় বৃষ্টি ঝেঁপে ,জীবন দেব মেপে।
জীবনের গায়ে রক্ত ,বৃষ্টি তোমার ভক্ত
নোনা ঠোঁট তোর ঠোঁটে।

একটু এগোলাম তোর দিকে ,আরেকটু এগোয়
বাড়িয়ে হাত তোর স্নেহের।
মন এ আকাশে বৃষ্টি চিরকাল ,হাত ধর
চল আমরা বৃষ্টি ভিজি আজ। 

মধ্যবর্তী

একটা বিস্ফোরণ দরকার ছিল  দরকার ছিল একটা সীমা ছাড়ানো চিৎকারের  তোমার বুকের কাপড় সরে গেছে ,আমি রয়ে গেছি মধ্যবর্তী  তোমার নাভির থেকে দাগগুলো যদ...