Friday, November 30, 2018

চার্বাক তোমাকে


চার্বাক তোমাকে
.................. ঋষি
===========================================
কলমের নিব ফেটে ছড়িয়ে পড়ছে কালি
চার্বাক তুমি বসন্ত খঁজে চলছো পথে ধুলোয়।
এখন তো শীতের সময়
তবু চোখের জল আনতে আমার গ্লিসারিন দরকার আদিম শৈশব।
পাথরের ভিটে মাটি ,জ্যান্ত ঘুঘুরা
ক্রমশ শুকনো মাটিতে বুক খুঁজছে বেঁচে চলার।
.
দর্শনের অধ্যায়
নাস্তিক জন্মের অধিকারী মানুষ
ঈশ্বর সে শুধু কোনো অবান্তর পৃথিবীতে দিকভ্রষ্ট।
 ক্ষিতি (মাটি), অপ (জল), তেজ (আগুন), মরুৎ (বাতাস)
চার অধ্যায় সৃষ্টির।
আত্মার খোঁজ তোমার কাছে অপাংতেয়
পাঙতেয় সুখ শুধু মানুষের জীবন আর সৃষ্টি ।
কিন্তু প্রেম
চার্বাক তুমি শুধু ঈশ্বরের প্রতিবাদে মানুষ আঁকতে থাকো
অথচ প্রেম ছাড়া যে মানুষ অপাংতেয়।
.
কলমের নিব ফেটে ছড়িয়ে পড়ছে  যন্ত্রনা
চার্বাক তুমি এই শীতের বেলাতে শুধু শুস্কতা খুঁজে চলো।
এখন স্পর্শের দিন
দেখো শীতল হওয়াতে লেগে আছে প্রেমের বাঁশি।
পাথর ভাঙা শোক
তবু দেখ জল উঠে আসছে পাথুরে মাটিতে।
  

তুমি আসছো


তুমি আসছো
............ ঋষি
===================================================
এই যে তুমি এগিয়ে আসছো আমার দিকে
আমি শুনতে পাচ্ছি ট্রেনের হুইসেল
দেখতে পাচ্ছি গঙ্গার ফেরিঘাট।
লাল ,সবুজ বেড়া ডিঙিয়ে ,সাদা কালো জেব্রাক্রসিং পেরিয়ে
তুমি এগিয়ে আসছো
তোমার আসাতে  আমার শহরে ছুটির আমেজ।
.
তুমি এগিয়ে আসছো
বহু শতাব্দী জুড়ে ,গোল টেবিল বৈঠক পেরিয়ে আমার কাছে।
কত দেশ ভাগ ,কত মাটি নিয়ে পার্টি বদল
তোমার শহর ,আমার গ্রাম ,লাল নীল ফেস্টুন সব পেরিয়ে
তুমি আসছো ।
তুমি আসছো আকাশ পেরিয়ে ,কতগুলো বিশ্বযুদ্ধ পর
জালিয়ানবাদ পেরিয়ে নিজস্ব স্টাইলে ,নিজস্ব গতিতে
আকাশে এখন কাগজের এরোপ্লেন।
মোমবাতি পুড়ছে না শহরে ,এগিয়ে আসছে না কোনো মিছিল
দেওয়ালে লেখা নেই কোন মিছিলের শ্লোক
লেখা আছে শান্তি।
.
ঠিক এমন একটা পৃথিবীতে তুমি আসছো
আমি শুনতে পাচ্ছি তোমার নুপুরের শব্দ
দেখতে পাচ্ছি তোমায় আরো কয়েক বিশ্ব পরে।
লাল ,সবুজ ,কালো পৃথিবী পেরিয়ে হয়তো অন্য কোন গ্রহে
অন্য কোন শহরে তুমি এগিয়ে আসছো
শুধু একটু শান্তির আমার  দিকে । 

দূরত্ব


দূরত্ব
............. ঋষি
================================================
চাঁদকে  আদর করতে,কাছে যেতে ক্ষতি কি
চলন্তিকা সময় তো শুধু আবদার মাত্র।
এই সব ঠুনকো দূরত্ব চাঁদেরও আছে
তাই বলে চাঁদ আমাদের নয়।
রুপোলি চাঁদের ও রং বদলায় তবু তো তাকায় আমরা
দৃষ্টি সুখ।

দূরত্ব
কয়েক আলোকবর্ষ ,হাজারো গলি পেয়ে কোন উঠোনে
তোর ঘরকন্না।
জোনাকির আলোতে নেশার আদ্রিত উপছে ওঠা রশ্মি
আমি তাকিয়ে থাকি গাছের ফাঁকে লুকোচুরি খেলে চাঁদ।
আসলে আমি পালাতে চাইলে চাঁদ ও ছোটে আমার সাথে
আমার ছায়া ,অন্য শরীর
তাতে কি।
ঘর ভেসে যায় ,দেওয়াল ভেঙে পরে
চাঁদের জোৎস্ন্যা অবিরত স্নান করিয়ে যায়
তোকে মনে পরে আমার।
.
পাখিদের ওড়াওড়ি বন্ধ তখন
তবুও নিবিড় রাত্রিতে চাঁদের সেই বুড়িটা চরকা ঘোরায়
আকাশ থেকে নামতে থাকে সুতোর মতো রশ্মি।
আমার সারা শরীরে বাসা বুনতে থাকে আলোর আমেজ
আমি ভীষণ হালকা তখন পাখির পালক
ঠিকানা খুঁজে ,ঝরে পরে তোর ছাদে।

শহরের কবিতা

শহরের কবিতা
.......... ঋষি
=============================================
পলেস্তারের গল্প জানে শহর
আমার  আজগুবি ভাবনার বারন্দায় অসংখ্য বর্ণের ভিড়।
অসংখ্য রঙিন সব ভাবনায়
শহর ভাসতে থাকে কুয়াশা জমানো সকালের আবদারে।
সময় পেলেই মাথার বাহান্ন দরজার আলোগুলো
রিফ্লেক্ট করে নিজের কোনো লুকোনো ইচ্ছাতে।
.
শহর জুড়ে প্রেমিকের ভিড়
ভিড় প্রতি রন্ধ্রে ছুঁয়ে বাঁচা সময়ের অনন্ত বীজগণিত।
তোমার শাড়িতে ,তোমার হাসিতে
আমি কোনো নায়কের ভূমিকায় সাদা বরফের চুড়ায়।
দুহাত আঁকড়ে চিৎকার করি
তোমার নাম ধরে ডাকলেই আকাশ থেকে নেমে আসেন ঈশ্বর।
মুখোমুখি আমি সময়ের
স্থির ,স্বাভাবিক কোন পথ চলা নাগরিক নিভৃত চর্চায়।
সময় করে আমি চুষতে থাকি ললিপপ
আমার হৃদয়ে তখন কয়েক বস্তা চিনি ,সুগার লেভেল বাড়ায়।
ঈশ্বর নেমে আসেন মন্দির ,মসজিদ ,গির্জা থেকে
খুব সাধারণ ঈশ্বরের রূপ
খেটে খাওয়া মানুষের ঘামে।
.
পলেস্তার ঢাকা আমার শহর
বৃষ্টি হলেই টিপটুপ্ ,শহরের রাস্তায় এক নদী জল।
তুমি গাঢ় লিপস্টিকে টানা রিকশায়
ছুঁয়ে নামা বৃষ্টি তোমার গালে ,ঠোঁটে আরও গভীরে।
আমাকে স্পর্শ করে আমার শহর
আমার বুককেসে জন্যে রাখা শহরের কবিতায়।

পালকেরা


পালকেরা
....... ঋষি
=======================================

পালক ভেসে যায়
শহরের বুক জুড়ে ঝরতে থাকে পাখির পালকেরা।
নরম আবদারে পাখির বুকে গোলাপি ঢেউ
ঢেউ ভাঙে। ..
আসলে এখনো সময় পার করতে শেখে নি পাখিরা  ......

পাখির খাঁচা
জানলা দিয়ে খুব দূরে দেখা সামাজিক বৈধতা।
ভেঙে যায় শহরের নোলক সামাজিক আদবকায়দায়
তারপর বিছানা ,বালিশে বাসি সিঁদুর।
আসলে পাখিরা এখনো খাঁচা ভাঙতে শেখে নি  .....

নরম শরীর
গোলাপি আদরগুলো অন্ধকারে মূল্য ধার্য করে।
গুলিয়ে ওঠে পিতৃত্ব প্রাগৈতিহাসিক সম্বল
পুরুষতান্ত্রিক দুর্গ।
পাখিরা এখনো সভ্যতা ভাঙতে শেখে নি ......

পালকে স্বপ্ন
আকাশ থেকে ঝরতে থাকে শতাব্দীর পাখিদের ঢেউ।
দূরে কোথাও ,দূরে স্বপ্ন বন্দি  ঘর
বাঘ .বন্দি শহরের চারদেয়ালে দমবন্ধ কালি।
আসলে পাখিরা স্বাভাবিক রীতি নির্ভর  ........

দেহমানব


দেহমানব
........ ঋষি
============================================
ধরে নিও আমি আর সেই আমি
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে লুকোনো সেই দেহ মানব
যার সমস্ত কোষ জুড়ে ক্রোমোজোনীয় উত্তাপ।
তুমি কোন গাছকে জড়িয়ে ধরো
কখনো সালসা ,কখনো সাম্বা হৃদয়ের ভাল্ভে দুলুনি
তোমাকে জড়িয়ে ধরি আষ্টেপৃষ্টে।
.
তড়িৎদাহ। ....
তারপর সুন্দরবনে বয়ে চলা সেই মাতাল নদী
শুষে নেয় আমার সম্বল।
ব্লাউজ ,প্যান্টি ভিজে যাওয়া লালা রস কলহ সম্বল
অবিভক্ত শরীরে শিবের বাস।
আমার লোমশ বুকে তুমি মুখ ঘষে তুমি  খোঁজ বেঁচে থাকা
মহাকাল শঙ্খ ধ্বনি করে।
কামরূপে নদীর মিষ্টি জল ,শুক্রাণু ,চুম্বনে ভেঙে পড়তে থাকে সময়।
তোমার যোনি ছুঁয়ে পেয়ে চলা কুয়াশার আস্তরণ
আর নিভীক নিমজ্জিত সংশ্লেষ।
.
সৃষ্টির রহস্য উন্মোচন করে আকাশগঙ্গার
কখনো নিৰুলা ,কখনো অরোরা আমার কাছে সম্পূর্ণতায়।
তোমার আখরোট ঠোঁটে আত্মসমর্পণ কারী  ঈশ্বর
তখন মাটির তলায় খুঁড়ে পায় আমাদের বেঁচে থাকার ফসিল।
অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে সে ন্যাশনাল জিওগ্রাফির টিভি পর্দায়
খুঁজে পায় এক দেহমানব নিজস্ব ভূমিকায়।




হে মহাজীবন


হে মহাজীবন
.............. ঋষি
============================================
হাত নাড়াই
দূরে সরে যেতে থাকে খবরের পাতা ,একটা মৃত্যু।
হে মহাজীবন
এই মৃত্যুতে আমার শোক নেই ,আছে ঘৃণা সময়ের প্রতি।
প্রতিটি দুর্ভেদ্য অন্ধকারে আলোর দিশা
সময় শেষ হলেই তো মানুষের বাঁচার লোভ বাড়ে।
.
আধা অন্ধকার ,সিগারেটের লাল আলো
বিষন্নতায় লেগে শহরের লুকোনো পাপ ,বেশ্যা পল্লী ,জঞ্জাল।
বিদায়
শহরের সবচেয়ে উঁচু পাথরের ঘরের সাজানো সংসার।
কাঁচের গ্লাস
ঠোঁটের কিনারায় নেশার লাল শরীর ছুঁয়ে খোঁজে রাত পরী।
হাততালি দিতে থাকে সময়ের বালিঘড়ি
ক্রমশ শেষ হতে থাকা জীবনের চুলগুলো সাদা কালো।
মানুষগুলো মৃত্যু ছুঁয়ে প্রতিদিন পুড়ছে
আর বাঁচছে অন্ধকার এই শহরে।
শীতের কুয়াশা
সকালের কান পেতে শোনা আবছা কিছু শব্দ ,স্মৃতি।
অনবরত স্খলন বেকার বীর্য
দেওয়াল ঘড়িতে ছুঁয়ে থাকা চেনা চারদেওয়াল
ভ্যানিশ ছাদ, পায়ের তলার  মাটি।
.
হাত নাড়াই
হারিয়ে যেতে চাই দূরে খুঁজে পাওয়া একলা হাইওয়েতে।
হে মহাজীবন
এই মৃত্যুতে আমার কোন পিপাসা নেই ,পিপাসা একলা থাকায়।
প্রতিটা আলোর দিশা খুঁজে চলা ঈশ্বর কণা
নির্বিকার মানুষের বাঁচা ,গভীর আশ্রয়।  

কিস্তিমাত


কিস্তিমাত
................. ঋষি
===============================================
সন্ধ্যা নামলেই মেয়েটা সময় ডিঙিয়ে বাড়ি ফেরে
নিজের সাথে যুদ্ধ করে
প্রতিদিন  দাবার রাজাকে চিৎ করে চিৎকার করে নিজের ভিতর।
আর আমি হারতে থাকি প্রতিনিয়ত
দাবার ৬৪ ঘরে সাজানো সময়কে আমার ভয় লাগে
আমি পালিয়ে যায় অথচ ফিরে আসি সেই মেয়েটার খোঁজে।
.
কোন এক পাখি নভেম্বরের শেষে শীত স্পর্শ করে
আমি সেই মেয়েটাকে দেখি পাখিটার ঠোঁটে।
আমার বারন্দায় রৌদ্র আসা সম্বল  ,
লেপ ,তোশক ,আদর লেপ্টে আমার ঘুম ভাঙে।
রোজনামচায় আমি দেখি
সেই মেয়েটা রান্নাঘরে গান করে ,তার ঘামে কেমন একটা মায়া।
সুগন্ধিত তার স্নানের আসরে ঝরতে থাকা জলের ফোঁটা
কেমন একটা জ্বর লেপ্টে যায় আমার শরীরে।
আমি কাঁপতে থাকি ,ভয় পাই এই পৃথিবীর আলোকে
যদি হারিয়ে যায়
যদি আবার আমার অপেক্ষা এক আলোকবর্ষ।
দেখি সেই মেয়েটা হাসছে
আর কানে কানে ফিস্ ফিস্ ,আমি তো রইলাম তোর গভীরে।
.
প্রতিদিন অফিস ফেরত আমি সেই মেয়েটাকে খুঁজি
নিজের ভিতর ভীষণ যুদ্ধ।
দাবার ঘোড়া এগিয়ে আসে আড়াই দানে ,
আমি এগিয়ে যায় উলটো ঘরে রানীর দিকে,আমার কিস্তিমাত।
সেই মেয়েটা হাসতে  থাকে,আমার ভিতর
আর আমি জিতে যাই  প্রতিবার। 

একটু আদর


একটু আদর
.......... ঋষি
===============================================
কাল তোর সাথে এই কথা হচ্ছিল
কেন যে এমন জীবন
বুকের আকাশ ছোঁয়ার লোভগুলো মাঝে মাঝে জ্বর আনে।
জ্বরের প্রকোপে উড়ে যায় সময়
শুধু সামনে দাঁড়ানো তুই আমাকে জড়িয়ে ধরিস
আমি আকাশ ছুঁয়ে সমুদ্রে আছড়ে পড়ি।
.
স্বপ্ন দেখি হরিনের মাংস ,চাক ভাঙা মধু
জঙ্গলের গন্ধ জঙ্গলের গায়ে ,স্যাতস্যাতে গুহা ,জঞ্জালহীন আকাশ।
শাপ  মুক্ত আমি আকাশ গঙ্গায় মাদুর পাতি
তারপর শুধু তুই।
ফুলঝুরি তুবড়ি তোর ঠোঁট ছুঁয়ে
আমার পাঁজরে , শিরায় নেশা জন্ম দেয় ক্রমাগত।
আমি ক্রমশ  বিলীন তখন
ঠিক সেই সময় আমি পাপ ছুঁয়ে ফেলি।
ক্রমশ রমণের গোঙানিতে আমি স্পর্শ করি অন্য নারীকে
অন্য নারীর মেদুরতায় আমি আকাশ ভুলে যাই।
ভেঙে যায় সময়, রাস্তায় দাঁড়িয়ে আমি
চারিপাশে স্কাই স্ক্যাপার।
.
কাল তোর সাথে এই কথা হচ্ছিল
কেন যে এমন পথচলা
বুকের মাঝ গঙ্গায় ডিঙি নৌকো ,শুধু ভীষণ দুর্যোগের দিন।
দুর্যোগের প্রকোপে ক্রমশ পৃথিবী রসাতলে
আমি ডুবে যাই ক্রমশ আমার ডিঙি নৌকায় ,ঘুম ভাঙে
তোকে বলি শুনছিস। একটু আদর। 

শ্বাশত তোমার প্রেমে (২০)


শ্বাশত তোমার প্রেমে (২০)
....... ঋষি
===========================================
গতরাতে ঘুমোতে গেছিলাম
কিন্তু সকালে উঠে আয়নায় দেখি অন্য একজন আমি।
আসলে তোমার প্রেমিকাদের আমি খুঁজতে গেছিলাম শ্বাশত
খুঁজতে গেছিলাম তোমার লোভ।
তোমার প্রেমিকাদের ব-দ্বীপ ছুঁয়ে
আমি হারিয়ে গেছিলাম তোমার শরীরের পুরুষালি গন্ধে।
.
অবাক হচ্ছো  শ্বাশত
এই বুকের ভাঁজে আজও লেগে আছে তোমার লাম্পট্য।
বিশ্বাস করো শ্বাশত কাল সারাটা আমি স্বপ্নে বিভোর
অপরিচিত কোনো নারী শরীরে মাংস পিন্ডের উগ্রতায়।
কি ভাবতে পারছো না শ্বাশত
বুক ভাঙলে ঘর ভাঙে শ্বাশত
আর বুক  ভাঙলে ভেঙে যায় সম্পর্ক।
সম্পর্কের জানলায় জানি বিশ্বাস লেগে থাকে
কিন্তু জানলা খোলা আর বন্ধ সে তো আমাদেরই হাতে।
কতটা আলো ,কতটা অন্ধকার
ঈশ্বর সাক্ষী তোমার কোনো প্রেমিকার বুকে তিল নেই।
.
গতরাতে খুঁজে পাওয়া তোমাকে
কিন্তু আজ সকালে বড় বেশি অসহায় মনে হচ্ছে।
আসলে তোমার প্রেমিকাদের বা-দ্বীপে কোনো আগুন নেই
শুধু শান্ত কোনো চ্যাট চ্যাটে কারণ লেগে।
বিশ্বাস করো শ্বাশত ভালোবাসতে কোনো পৃথিবীর দরকার নেই
দরকার এক একটা পৃথিবী একে অন্যের গভীরে।
   

কবিতার আঁতুড়ঘর


কবিতার আঁতুড়ঘর
....ঋষি
===========================================
খঁজে চলেছি কবিতা
পাচ্ছি না কিছুতেই সকাল ,বিকেল আমার শহরে।
এমনকি কিছুতেই বুঝতে পারছি না আমার প্রিয় কবিকে
তাকেও পাচ্ছি না,তার বইটাও  কিছুতেই।
বুক কেস তন্ন তন্ন ,তন্ন তন্ন বুকের ক্যাবিনেট
খুঁজছি সেই শব্দগুলোকে।
.
আজকাল যখন লিখি কেমন একটা পাগলামি আসে
পাতায় পাতায় শুধু জীবন হাঁটতে থাকে।
অথচ জীবনের প্রতীক বেঁচে থাকা যে ঘেঁটে ঘ
পারি না টানতে।
হেঁটে  চলতে থাকি  শহর জুড়ে পায়চারি
হঠাৎ কেউ পথ চলতি প্রশ্ন করে " কি লেখেন বলুন তো মশাই "
কি পান লিখে ?
খিস্তি আসে আটকে যায়
কারণ ভদ্রলোকের মুখ মিষ্টি থাকে খিস্তি নয়।
প্রেম ,প্রাপ্তি ,লোভ ,বিষন্নতা সব অনুভবে
তবু যে সময়ের দংশন ,তাই তো কবিতা।
.
খুঁজে পাচ্ছি না কবিতা
পাচ্ছি না কিছুতেই পাড়াপড়শি ,অকবিতার আঁতুড়ঘরে।
এমনকি কিছুতেই বুঝতে পারছি না আমার প্রিয় কবিতাকে
কি ভাবে লিখলেন ঈশ্বর ভদ্রলোক এমন করে।
নৈতিক যাপন তন্ন তন্ন করে খোঁজা জীবন
বুকের আঁতুড়ঘরে যন্ত্রনাগুলো যে কবিতা।  

Thursday, November 29, 2018

ধোঁয়ার শহর

ধোঁয়ার শহর
........... ঋষি
============================================
এত ধোঁয়া চারিপাশে
চোখ জ্বালা করে, জীবন পেরিয়ে সাদা ঘোড়া দৌড়ায়।
স্বপ্নে দেখা সেই সেই নীল জলাশয়ে
বিস্ময় পদ্ম ,রঙিন মৌমাছি ,আদরের রামধনু ,সব মিথ্যা।
শুধু সত্যিটুকুও যে বড় অজানা আমার  ........
.
তুমি হাসতে পারো
হাসতেই পারো সময়ের আয়নায় আমায় দেখে।
কি এসে যায়
জীবন পেরিয়ে সাদা ঘোড়া আমাদের নিয়ে যেতে পারবে না
অন্য জীবনে।
কখনো মেঘ হয় ,রোদেলা বিকেল চুমু খায় শীতের সন্ধ্যে
দূরে কোথাও বেজে ওঠে গৃহস্থের শাঁখ
তুলসীগাছে প্রদীপ ,,,না দেখতে পাই না আমি এই শহরে
সাজানো উঠোনে আলোয় মেশানো সুখ।
কখনো যাব আমি তোমার কাছে
তোমার শহরের সব আগুন তখন আমার বুকে
ঘোড়া দৌড়োবে ,সাদা ঘোড়া।
.
 এত ধোঁয়া চারিপাশে
অন্ধ ,বোবা সময় শহরের স্কেলিটনে বিমর্ষ মুখ।
আর স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছে করে না
বড় বিরক্ত লাগে সাজানো বাগানে ,কৃত্রিম গন্ধে।
শুধু সত্যিটুকু জানলেও ,বারংবার জানতে.......


Aye Zindagi




Aye Zindagi!!! Gale laga le...
Humne bhi tere har ek gam ko,
Gale se lagaya hai...

.
কিভাবে ডাকে  জীবন আমায় 
ঘরের দরজা খুলি ,খালি পায়ে পা বাড়াই পথের ওপারে । 
থমকে দাঁড়াই  ,পায়ে অজস্রf শিকল ,অজস্র শিকড় 
এক একটা যেন জন্মগাছ , বড় মায়া।
বড় মায়া 
এই বেঁচে থাকায় ,অজস্র দহন। 
.
সময় পুড়ে যায় 
পুড়ে চলে স্মৃতির পাতায় প্রিয় মুখ ,প্রিয় চাহুনি। 
আবার দরজা খুলি 
গিয়ে দাঁড়ায় সময়ের ওপারে তোমার কাছে। 
চিরস্থায়ী কোন নির্ভরশীলতার খোঁজ 
কোনো অদূরে শুনতে পাওয়া জীবনের গলার শব্দ। 
কে যেন ডাকে আমায় 
প্রিয় কবিতা ,
প্রিয় শ্লোক 
প্রিয় প্রেমিকা 
প্রিয় জীবন 
বোঝার আগেই দরজা বন্ধ হয়ে যায় প্রতিবার। 

সেই ছেলেটা ফুটপাথ ঘেঁষে একলা দাঁড়িয়ে দেখে 
পথের আসা যাওয়া। 
জীবনকেও দেখে ক্রমশ দূরে যেতে 
আরো দূরে ,দূরে কোথাও  .........
তারপর আবার ফিরে আসা 
জীবন সর্বদা দূরে চলে যায় ,মিশে যায় জীবনের গভীরে। 

  

কবিতার ছবি

কবিতার ছবি
............ ঋষি
===============================================
চিত্রকর হিসেবে আমি নিজেকে ভাবিনি কখনো
তবু তুলির টানে আমার কলমের তুমিই ছিলে চিরকাল।
অজস্র লাল,সবুজ ,হলুদ  নীল ছায়ারা
কখন যেন আমার বুকে তোমার দুঃখ ,আনন্দ ,অভিমান হয়ে ভাসে।
আর তুমি জানো চলন্তিকা
নীল রং আমার ভীষণ প্রিয় ,কারণ ওটা শুধু আকাশের।
.
তুমি আকাশের বুকে মাথা রাখো
খোঁজ সেই নষ্ট স্বপ্ন ,
আমার মধ্যে খুঁজতে থাকো সেই আনকোরা বালককে।
আমার সৌভাগ্য আমার ক্যানভাসে
তুমি সেই সবুজ জঙ্গল ,যাকে আমি নদীর মতো ভাবি।
ভাবি সেই নদীর তীরে আমি চুপটি করে বসে
এক মনে ছবি আঁকি তোমার কবিতায়।
আমার জীবনে মৃত্যুর মতো জন্ম আসে
শুধু তোমায় ছুঁয়ে।
শুধু তোমার লোভে আমি পান করি চোখের জল
আর প্রতিবার তোমায় দেখে বেঁচে  উঠি পবিত্র সঙ্গমে।
.
চিত্রকর হিসেবে নিজেকে ভাবিনি কখনো
বরং তুমি আমার কাছে পাথর ভাঙা সেই ভাস্কর্য্য
যার কবিতায় আমি জীবিত।
কখন যেন আমার সমস্ত পরিচয় ,সমস্ত সংস্কৃতি বোধ  লুপ্তপ্রায়
আমি ফিরে যাই  শৈশবে
তোমার স্তনে  ঠোঁট রেখে আমি আকাশ খুঁজে চলি। 

অর্গ্যানিজম

অর্গ্যানিজম
.............. ঋষি
=========================================
গুঁটিবুক ছেড়ে প্রজাপতি ওড়ে
আকাশের বুক ঢেকে যায় অন্য মানুষে।
তারা বেরিয়ে আসে '
অর্গ্যানিজমের মতো ক্রমশ কেমন যেন ছড়ানো মায়া।
মানুষের জন্মগুলো মানুষের গভীরে
কেমন যেন দাগ রেখে যায়।
.
খুব তাড়াহুড়ো
এনসাইক্লোপিডিয়া  সার্ভেতে মানুষের আগুন জ্বলে বুকে।
নগ্নতায় জড়ানো পশুর চামড়া
হাতের নখে কাঁচা রক্ত।
চাকা ,সভ্যতা পেরিয়ে মানুষ উঠে দাঁড়ায়
ঠেলা দেয় সামনের মানুষকে ,পিঠে  ছুরি  মারে।
ইভের পেতে জন্মায় বিষফল
আজন্মের পাপ  বয়ে চলে সভ্যতা।
বারুদের গন্ধে টুকরো টুকরো মাটি
খুঁজতে থাকে পুরোনো সভ্যতাকে।
.
বিশাল আকাশের বুক ছিঁড়ে ক্রমশ সমুদ্র
ছোট কাঁচের বাক্সে মাছের সংসার।
চুমুর সভ্যতা পেরিয়ে অজানা লেহন
কখন যেন ফিউস বাল্বটাকের ধর্ষিত মনে হয়।
মানুষের জন্মগুলো মানুষ পেরিয়ে
কখন যেন সময় লেখে তলোয়ারের নখে।

তুমি আর তুমি

তুমি আর তুমি
..... ঋষি
===========================================
 তুমি আর তুমির মাঝে তফাৎটা বড় স্পষ্ট
রাতের টিউবলাইট জমে থাকা ঝুল।
বড় স্পষ্ট তুমি
 আরও অস্পষ্টতায় সময়ের তফাৎ।
.
তুমি আর তুমির মাঝে একটা ট্রেন গাড়ি ছুটে  আসে
আমি কান পেতে শুনি তোমার পায়ের শব্দ।
আর তুমি তখন ঠিকানায় খোঁজো আকাশের পাখি
যাকে তুমি ছুঁতে পারো না।
আমি তখন সদ্য আউট হওয়া সেই ব্যাটসম্যান
যাকে বাইশ গজ ভেংচি কাটে।
মোবাইলের রিংটোন বেজে ওঠে " তুমি রবে নীরবে "
আর তোমার গলার স্বর।
সারাবেলা উপবাসের পর চুঁয়ে চুঁয়ে নামে শেষ না হওয়া গল্প
সেই  ট্রেনটা এসে থামে রাতের শহরে।
নেমে আসে রাতপরী ,মিলন বেলা
আর কিছু নিস্তব্ধতা।
.
আমি আর তুমি মাঝে তফাৎ বড় স্পষ্ট
সূর্য ওঠে সূর্য ডুবে ,সুইচ টেপা শহরে নকল আলো।
বড় নিরুপায় আমি
আরও  স্পষ্ট তোমাদের তফাৎ।

পরম্পরা


পরম্পরা
........ ঋষি
========================================
প্রাণের গোপনে ,মৃত্যুর অধিক তুই
বিকৃত সন্ন্যাসী আমি জলের ভিতরে ,জলের গভীরে
ছিপ  ছুঁয়ে উঠে আসা মৃত্যু মাস।
অনবরত শান্ত ঠোঁটে শুধু লেগে থাকা " ভালো আছি "
মৃত্যু ছুঁয়ে পরম্পরা অন্য বিশ্বে আদি মানুষ
আজও আগুনের খোঁজ।
.
আগুনের খোঁজ তোর বুকে
আমার প্রাকৃতিক লাম্পট্যে লেগে আছে দাঁতের দাগ।
প্রতিবারে ব্যাথা থাকে না
শুধু আকাশ থেকে ঝরতে থাকে সময়ের বাণী
সময় ফুরিয়ে যায়।
প্রাণের বাইরে অথচ মৃত্যুর গভীরে নয়
যেন বসে আছিস তুই ধর্ম আমার প্রাণে
আমার প্রেম।
প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে
মোরে   আরো আরো আরো দাও প্রাণ।
যোক্তিকতা নয় মোটেও অযৌক্তিক নয়
পুরো ৯০ ডিগ্রি ঘুরে আমার পৃথিবী।
.
প্রাণের গোপনে ,মৃত্যুর অধিক তুই
আমি বিকৃত স্যিলুয়েটে ফুটে ওঠে কোনো নগ্ন সন্ন্যাসী।
জলের ভিতর আমি  তোকে খুঁজি
নিঃশ্বাসে ফুলে ওঠে ধমনী ,শিরায় মৃত্যু ভয়।
বিশ্বের আদিম অধিকারে লেখা আমার শব্দরা
কখন যেন কবিতায় তোকে খোঁজে।  

সুইসাইড


সুইসাইড
....... ঋষি
==============================================
একটা ছবি চাইলাম
নেশা করবো বলে মনে মনে পাইপ বসিয়েছি  চাঁদের গায়ে।
গ্যালন গ্যালন নেশা তোর ঠোঁট ছুঁয়ে
আমার চোখের আদ্রতায় ভিজে যাওয়া সম্বল।
আকাশের দিকে তাকাই
চাঁদ,যোনি ,দুর্বলতা ,মৃত্যুতে ছুঁয়ে তুলসী পাতা।
.
মিনি লেন্সে পিক্সেলে বাঁধানো সমাজ
লালা ,বীর্য ,অধিকারের সঙ্গমে স্বর্গের পথে কুকুর।
খুঁজে পাওয়া নিজেকে পারদের উচ্চতায়
সুইসাইড নোট লিখে চলা আমার কবিতায়।
অধিকাংশ মানুষ সুইসাইড বলতে হত্যা বোঝায়
আমি বোঝায় এগিয়ে চলা।
বাঁধানো ধারণার বাইরে মানুষ হোঁচট খায় পথ চলতে
অথচ  আমি পথ চলি তোর হাত ধরে।
আগুনে পুড়ে যাওয়া ছোট বেলা
নেশার চোখে প্রথম গঙ্গোত্রীর খোঁজ মধুমিতা দি
আসে পাশে লোম।
ছেড়ে আসা গলি পথ ,না ফিরতে চাওয়া অধিকার
মুখ পুড়ে যাওয়া চিতাভস্ম আমার ঠোঁটে।
.
একটা ছবি চাইলাম
নেশায় ছুঁয়ে কোনো কামার্ত পুরুষ শুধু ভূমিকায়।
তোর আফিঙে লেগে থাকা বিষাক্ততা
আমি পুড়ে চলা অধিকারে কোনো নিজের পৃথিবীটার।
স্বপ্ন দেখতে ভালো লাগে না আর
ধুর ,শুধু তোকে ছোঁয়াটা আমার থ্রি - ডি  এফেক্ট জীবনে। 

জুতো


জুতো
.............. ঋষি
==============================================
ছোটবেলার হারানো জুতো
খুঁজে চলা জীবনভর জুতোর মাপে জীবন।
আসলে কারোর কারোর কাছে জীবন খোঁজাটা একটা স্বপ্ন
স্বপ্ন কোনো বিশাল সমুদ্রে পার খুঁজতে থাকা।
আর জুতো
আজও পিছনে  পরে রক্তমাখা পায়ের ছাপ।
.
সময় হারানোটা শোক নয়
কখনো কখনো বন ময়ূরীরী পালকে লেগে থাকা অকৃত্রিম আদর।
হাওয়ার ধাক্কায় অনেকটা পিছিয়ে ছেলেবেলা
টলমল পায়ে উঠে দাঁড়ানোর কখনো বা অধিকার।
কিন্তু এক শোক বুকের মাঝে
আজীবন জীবন পাঁচিলে চিৎকার অধিকার সময়চিত।
আজীবন বুকের বারান্দায় খুঁজে চলা পথ
খালি পায়ে।
এক জীবন থেকে চলন্তিকা তোকে ছোঁয়ার লোভ
লোভ জুতো পায়ে হেঁটে চলা অধিকার।
.
ছোটবেলায় হারানো জুতো
খুঁজে চলা সম্বলে অজস্র জুতোর ছাপ আমার বুকে।
আসলে কারোর কারোর কাছে অধিকার শব্দটা নিরিবিলি আয়নায়
দুঃস্বপ্নে জেগে শোনা বাঁচার শব্দ।
আর জুতো
সে তো আজও খুঁজছে সম্বল অন্য অধিকারে।  

Wednesday, November 28, 2018

কালবেলা



কালবেলা
....... ঋষি
===============================================
চোখের সামনে দিয়ে ডুবতে থাকা বিকেল
সরতে থাকা r স্পর্শ আমার শহরে।
অনেকদিন তোকে দেখিনি
দেখিনি তাই বনহরিনীদের মনখারাপের মেজাজ আমার জঙ্গলে।
বিন্দু ভাঙা স্তব্ধতাগুলো
কেন যেন অন্ধকারে দ্রবীভূত কোনো ভাঙাচোরা কালবেলা।
.
দিন শেষে প্রতিদিনকার ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দে  মনখারাপ
আসলে মনখারাপ শব্দটা আমার শহরে লোকালয়ে আসীন।
পিনড্রপ সাইলেন্ট থেকে উঠে আসা তোর মুখ
ক্রমশ আবছা হতে থাকা হাত বাড়ানো অন্ধকার।
স্পর্শ খুঁজছে মানুষ
 শিশিরভেজা প্রেমিকদের জন্য কিছু বিশুদ্ধ স্বপ্ন।
শহরের দরজায় মুখ লোকানো মুহূর্ত
দরজা খুলে আবার বন্ধ হয়ে যাওয়ার রেওয়াজ স্বাভাবিক।
সন্ধ্যের স্ট্রিটলাইট ও গাড়ির আওয়াজে  মাঝে মধ্যে ঢুকে পড়ে
সেই নিটোল ও নির্ভেজাল মুহূর্ত
এক বুলেট-প্রুফ গোপনীয়তা বুকে যেন আর্তনাদ।
.
চোখের সামনে দিয়ে  সরতে  থাকা মুহূর্ত
আইসক্রিম গলে ঠোঁটে লেগে থাকা চটচটে  আরাম।
আমি শরীরের নামতায় ভুল করি নি কখনো
শুধু যত ভুল আমার জীবনের অংকে।
অবেলার রাজপথ ও অলিগলিতে তোর  পদচিহ্ন
আমার বুকে ক্ষুদার্থ আগুন। 

Saturday, November 24, 2018

শুধু কবিতা

শুধু কবিতা
............. ঋষি
==========================================
অনেক ভেবেছি সহস্রযুগ ধরে
তার পা ছুঁয়ে কখন যেন সমুদ্র আকাশ ছুঁয়েছে।
কখন যেন একলা পথে সেই মেয়ে
কানে কানে আমাকে বলেছে কাছে আছি ,খুব কাছে।
মিথ্যে আদুরে ঠোঁটে কতবার তো বলেছে আমাকে
ভালো আছি ,,,কিন্তু   ........
.
কখন যেন এক ছুট্টে সে আমার কবিতায়
ছবি এঁকে গেছে।
প্যালেটের কালি ছিটকে কখন যেন শব্দগুলো মুহূর্ত হয়ে গেছে
আর বোবা ক্যানভাস আমার  কবিতা।
কিছু কালি ছিটকে এসেছে আমার পোশাকে
আমার শহর জুড়ে তখন কোলাহল ,বেঁচে থাকা।
দৈনন্দিন শরীরের ঘাম,রক্ত ,মিছিল স্লোগান সব পেরিয়ে
সেই মেয়ে আমার কবিতায় সময় লেখে।
লিখে ফেলে স্বপ্ন আকাশ ছোঁযার
তার পায়ের নুপুরের শব্দ যেন কোনো জলপ্রপাত ,
পাগল করে আমায়
তারপর হঠাৎ সব শান্ত সাদা পাতায় কবিতা।
.
অনেক ভেবেছি সহস্র যুগ ধরে
সময়ের অন্ধ বশীকরণ আর আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন।
কিন্তু সেই মেয়ে আদিম যুগের পাথর
পাথর ক্ষয়ে ক্রমশ কোনো কবির বোবা স্থাপত্য।
স্থাপত্যে ফুটে ওঠে আদিম নাগরী ,আজকের সময়
কিন্তু সেই মেয়ে ,... শুধু কবিতা ..
 

উপকথা

উপকথা
........... ঋষি
==========================================
সমস্ত দৃষ্টির অগোচরে
নিজেকে হত্যা করে আমি তোমাকে ছুঁয়েছি।
কারণ আমার বাঁচার লোভ
মৃত্যুর আগুন থেকে উঠে আসা শরীরে
আজও লেগে  ধুপকাঠির গন্ধ।
.
তোমার ঠোঁট ছুঁয়ে
শপথে চকোলেট টেস্টে আমি হারিয়ে গেছি দুনিয়া থেকে।
তোমার যোনিতে বাসা বেঁধেছি
শান্তির ঘুনপোকা।
মাথার ভিতর তখন অজস্র রূপকথা
চোখের সামনে একটা নগ্ন কবিতা স্নান করে তখন  সদ্য আগুন।
আমি গড়িয়ে পড়েছি তোমার ঠোঁটে
আজম্মের পোড়া দাগ আমার বুকে ।
ইনবক্সে জমতে থাকা মৃত অভ্যাসে কিছু উপকথা
কিছু ফেয়ারি টেল হয়তো মাথার ভিতর।
কিন্তু চলন্তিকা পৃথিবী বড় শক্ত
আরও শক্ত ইতিহাসে জমে থাকা প্রেমের গন্ধ।
.
সমস্ত দৃষ্টির অগোচরে
নিজেকে হত্যা করে আমি হয়ে গেছি  অহল্যার চিৎকার।
কারণ আমার বাঁচার লোভ
মৃত্যুর লাল হাতছানিতে আমি তোমায় খুঁজেছি
আর পেয়েছি কিছু রূপকথা।

শীতলতা

শীতলতা
............. ঋষি
============================================
তোমার কাছে যাওয়ার আগে
সমস্ত অধিকার খুলে রেখে যাবো সময়ের কাছে।
সময়ের দরজা খুলে জীবনের পার্ট টু
কোনো হাইওয়েতে একলা দাঁড়িয়ে কবিতা লিখবো।
শব্দদের হুঁশ হাঁস  ছিঁড়ে খুঁটে
লিখবো জীবন নতুন করে।
.
তোমার কাছে যাওয়ার আগে নিজেকে পোড়াবো লেলিহীন শিখায়
সমস্ত নিরিবিলি হারানো বিকেলে ছিটিয়ে দেব কৃষ্ণচূড়া ফুল।
কোনো সার্বিক পবিত্রতায়
আকাশের বুক থেকে  উড়ে আসবে নীল পাখি
যার চোখে স্বপ্ন।
স্বপ্নের সব সিঁড়ি পেরিয়ে এক অন্য দেশে
আমি খুন করবো নিজেকে ,তোমার বুকে তখন আদর।
ঠিক এই ভাবে আমার যাবতীয় পিপাসা
আমার সমস্ত অধিকার বরফের দেশে শীতলতা
আর নয়
এইবার শুধু তোমার আমার।
.
তোমার কাছে যাওয়ার আগে
আমি খুলে রাখবো আমার যাবতীয় লাম্পট্য ,শরীরের সুখ।
অশালীন শব্দদের বীর্যদের আর নয়
এইবার শুধু নিরিবিলি কবিতায় তুমি চলন্তিকা।
শব্দদের ভীষণ যন্ত্রনা
আর লিখবো না প্রেমের কবিতা। 

আংটি

আংটি
............. ঋষি
============================================
বৃথাই প্রশ্ন করেছি বারংবার
নিজের ভিতের ভিতর বসে থাকা জুবুথুবু বৃদ্ধ।
জন্মের হদিস জানতে গিয়ে
কখন যেন উঠে এসেছে উন্মাদ কোনো জীবনের ইতিহাস।
উঠে এসেছে প্রশ্ন
তোমার কি ঈশ্বর হওয়ার কথা ছিল
কিংবা রাক্ষস।
.
হওয়ার কথা ছিল অনেক কিছু
যেমন এই শহরের অন্তরে লুকোনো অন্ধকার ,গলিপথ।
লিলিথের ভিতে
যেমন ক্রমাগত জরাগ্রস্থ জীবন।
আঁশটে গন্ধ ওয়ালা আঁশ বঁটিতে লেগে আছে মাছের রক্ত
অর্জুনের চোখ।
চোখের পালকে জমে থাকা অনুভূতিতে
চলন্তিকা তোমার পাওয়ার কথা ছিল।
কথা ছিল কোন শীতের দুপুরে
রৌদ্রে শুকনো সম্ভাবনাগুলো আঁচার মেখে খাওয়ার।
তারপর এক জন্মান্তরের ঘুম
শেষ না হওয়া স্বপ্নের আদর।
.
বৃথাই প্রশ্ন করেছি বারংবার
অন্ধকার ঘরেতে আমার লুকোনো আংটি।
মৃত্যুর হদিস  জানা হয় নি
তবু কেন এক উন্মাদ বারংবার অন্ধকার দরজা খুলে দাঁড়ায়।
উঠে আসে প্রশ্ন
তোমার তো আমার সাথে থাকার কথা ছিল
কথা ছিল মাছের বুক চিরে আংটি খোঁজার। 

Thursday, November 22, 2018

নদীর জল

নদীর জল
..... ঋষি
==============================================
কতখানি অভ্যস্ত হলে
শুকে বলা যায় এই গন্ধটা ঠিক তোর মতো।
অথচ কোনো এক অদ্ভুত দিগন্তিকায় তুই হেঁটে চলে যাস
মাঝে মাঝে তোর নদী হতে সাধ হয়।
সাধ হয় নিজের মতো পাগল গতিতে ভাসাতে সময়কে
অথচ আমি শুধু সেই সেই নদীর জল।
.
খুঁজে চলা নিজেকে
প্লাবিত হৃদয় বন্যার মতো বিস্তীর্ণ কোনো শতাব্দীতে আমি গিয়ে দাঁড়াই।
খুঁজতে থাকি সেই নদীটা
কোনো বরফ যুগের পর কংসাবতী ,ময়ুরাঙ্খী সব খুঁজে পাই
কিন্তু পাই না তোকে।
পাই না সেই প্রিয় ডিঙিটা আর তোর ঘামের গন্ধ
ভালো লাগে না ,ধুত্তোর।
পাই না সেই লুকোনো চুমুগুলো কিছুতেই
তোর সেই ছুঁয়ে থাকা অজস্র ছায়াছবি তখন চোখে।
পাগল লাগে
খুঁজতে থাকি তোর হাসিটা কবিতার খাঁজে
উঠে আসে রক্ত পাতা ভরে যায়।
.
কতখানি কাছে থাকলে
তোর গলার স্বরটা কানের কাছে ফিসফিস করে।
অথচ কোনো বৃষ্টি দিনে তুই নদীর জলে  জোয়ার
কেঁপে ওঠে আমার ঠোঁট ,তোর ভিজে চাহুনি।
সাধ হয় নিজের মতো পাগল আদোরে ভাসাতে সময়
অথচ আমি শুধু সেই নদীর জল।  

তৃতীয় মেগাস্থিনিস

তৃতীয় মেগাস্থিনিস
................ ঋষি
============================================
অনেককিছু বলা হয় না
নদীর দিকে যেতে যেতে খালি পায়ে
কাঁটা ফোটে।
বিছানা ,বালিশ বদলায় বিভিন্ন রঙের কারসাজি
কিন্তু আমার বলা হয়ে ওঠে না।
.
নদীর ধারে
একটা বট বৃক্ষের গায়ে তোকে জড়িয়ে ধরে তুমুল করবো।
তোর সাদা বুকে মুখ ঘষে খুঁজে নেবো মৃত্যু ,
আর ঠিক সেই সময়
সামনে এসে কোনো ক্রিস্টিফার ওয়ার্ল্ডের তৃতীয় মেগাস্থিনিস
ঠিকানা খুঁজবে।
অদ্ভুত সেই বিছানা বালিশ
যেখানে মাথা রেখে কোনো ঘুম ভাঙা দিনে
দূরে দেখা যাবে সময়ের মাস্তুল।
আরো দূরে অন্ধকার চিরে কোনো আলোর দিশা
টং ভেঙে নেমে আসবে মাত্রায়।
.
অনেক কিছু বলা হয় না
নদীর ঘাটে একলা বসে দূরে খোঁজা পার
নিজের মতো।
সময় বদলায় কিন্তু হাওয়ায় হাওয়ায় লেগে থাকা তুই
বেশ না, যদি  হাওয়াকে জড়িয়ে ধরা যেত। 

Monday, November 19, 2018

মিলন হবে কতদিনে

মিলন হবে কতদিনে
.............. ঋষি
==========================================
তুমি খুব সহজে গভীরতা দেও
চ্যাপ্টা নিশ্বাস পেরিয়ে খুব সহজে আসা যাওয়া।
নির্বিকার গায়েকি
স্টেজে দাঁড়িয়ে চিৎকার করি তোমার নিশ্বাস ছুঁয়ে গভীরে
আন্দোলনগুলো ছুঁয়ে চলে নিশীথ রাতে আলেয়া
দূরে খুব দূরে   .......
.
তোমার বিভাজন চিরে
অশ্লেষে নেমে আসে প্রশান্তি ,শিরদাঁড়া বেয়ে ছমছম।
এক চুমুকে পান করি সময়
এক মুহূর্তের নেশা ক্রমশ লীন করে নীরবে।
কার বেশি আরাম
জীবনে সমস্ত সুখ ছুঁয়ে নিরাভরণ আলাপন ক্রমশ চরম।
ঘাম ভেঙে চলে বুকে শিরায়
দাগ টানে অলীক কিছু পাওয়া।
তোমার ঠোঁটে গভীরে তখন কেমন একটা গরম স্রোত
চুষে খায় জংলী কোনো আয়না।
ঘুম ভাঙে
মধ্যরাতে লেগে থাকে কানের কাছে ফিস্ ফিস্।
.
তুমি খুব সহজে গভীরতা দেও
আসা যাওয়া পথের পাশে শুয়ে থাকে দিকভ্রান্ত কুটির।
কুটিরে জ্বলতে থাকা মাটির প্রদীপ
বুক পুড়ে যায় চারদিকে পোড়া নিয়মিত চাওয়া।
তবু স্টেজের উপর নির্বিকার গায়েকি
মিলন হবে কতদিনে  .....................


বেড়ালের নখ

বেড়ালের নখ
....... ঋষি
=======================================
বেড়ালের লোম লেগে আছে
খুব সাবধানে হাঁটি হাঁটি পা পা কার্নিশে ছুঁয়ে নীরবতা।
আবছা হতে থাকা  সময়ের হাঁকডাক
কিছু পবিত্র স্বর কানের পর্দায় আরো বেশি বিষণ্ণ
শহর ছুঁয়েছে বার্ধক্যে ,অন্তরে আসীন।
.
মৃত্যুকে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে
বয়স কত।
অলঙ্ঘিত শিমা ভেঙে দাঁড় করানো বিষয়আসয় পৈতৃক
প্রথম পুরুষ নীরবে বিড়ালের ভূমিকায়।
তারপর দাঁড়িয়ে বিপ্লব
ভাঙা রাস্তায় পথ চলা ,তখনও শহর জন্মায় নি।
অনিয়ন্ত্রিত লিলিথের সঙ্গমে  আগের কথা
যখন শয়তান শুয়ে গভীর মাটিতে জন্মের অপেক্ষায়।
একরাশ কালো কালো অক্ষরে জীবনযাপন
ঘুমিয়ে আছে সভ্যতা লুকোনো অন্তরে।
.
বেড়ালের শিরদাঁড়া বেয়ে হিসহিস করছে
লুকোনো সঙ্গমের কিছু অধিবাস।
কবিতার কালিতে শুকিয়ে যাওয়া দীর্ঘশ্বাস
মানুষ শুধু মানুষ খুঁজছে।
আর বিপ্লব মৃত শহর আমার মতো শুয়ে আছে
পিচ রাস্তার শুকনো জৌলুসে। 

Friday, November 16, 2018

এই সময়

এই সময়
................... ঋষি
=======================================
আজকাল ফোনালাপে ঢুকে পরে সময়
ভিতর ভিতর হাঁড়িকুঁড়ি বাসনকোসন ,খসখসে শব্দরা।
আমিও ঈশ্বরের ভূমিকায়
তথাস্তূ বলতে চাই।
বলা হয় না  .........
.
আলো নিভে যায়
দর্শক আসনে অন্ধকারে কানাকানি। ড্রপস্কিনে অনিচ্ছা।
হঠাৎ পর্দা ওঠে চলন্তিকা তাকিয়ে ফ্যালফ্যাল করে
দর্শক আসনে হাততালি।
অদ্ভুত বুকের পাঁজর ভাঙা অনবরত স্খলন
ঝরে পড়তে থাকা অনুভূতি।
লাল নীল ফুলদানিতে সাজানো হরেকরেকম্বা
এই কোনো সময়ে  দাঁড়িয়ে আমরা।
চিৎকাররা নিস্তব্ধে কখন যেন দৈনন্দিন হয়ে যায়
এই অবেলায় লোকানো কিছু না পাওয়ায়।
আসলে সত্যিরা বড় বেশি লুকোনো হয়
লুকোনো হয় ইচ্ছার মনের ফাঁকে।
.
আজকাল ফোনালাপে ঢুকে পরে সময়
ভিতর ভিতর ভাঙতে থাকা  দুর্যোগের শহর ডুবে যায়।
আমি ঈশ্বরের ভূমিকায়
তথাস্তূ বলা হয় না।
শুধু বলা হয় এই সময়   .........

অবসর

অবসর
............. ঋষি
==============================================
কোনোদিন ফিরবো না আমি
তবু প্রবল অনিচ্ছায় পা বাড়ানো মৃত শহরের দিকে।
অনেকটা আগুন জ্বলে বুকে সেই সময়
অনেকটা আগুন আমি পুড়িয়ে দি তোকে কোনো নকল রাগে।
আমার শহর জাগে আবার ঘুমিয়ে পরে
শুধু অনবরত কলকল করে শব্দরা গভীর কবিতায়।
.
এইভাবে প্রতিদিন আমি ফিরে চলি
না ফেরা পথে লেখা থাকে বিকেলের শিশিরের লুকোনো পথ।
পথ পথিক খোঁজে
আমি খুঁজি কোনো অচেনা ঈশ্বরীকে ছুঁয়ে বাঁচা।
অন্ধকার আকাশে একলা গিয়ে দাঁড়াই
হাত  বাড়িয়ে  পৌঁছতে চাই  সভ্যতার প্রথম দিনে।
আকাশ থেকে তারা খসতে থাকে
সরে যেতে থাকে চোখের লেন্স আটকানো কিছু অবসর।
আমি তখন পাগল বোধহয়
হঠাৎ দখিনের শীতল হাওয়ায় তোর গন্ধ।
তোরটুকু ছুঁয়ে আমি ঈশ্বরী নক্ষত্র দেখতে পাই
আমার ঘরের ভাঙা জানলায়।
.
কোনোদিন ফিরবো না আমি
তবু পা বাড়ানো সিঁড়ি ভাঙা অংকের সাদা পাতায়।
অস্তিত্ব সরতে থাকে
আগুনের বুকে আগুন ছুঁয়ে আমার বুকে দাবানল।
পুড়ে যায় আমার কবিতারা
দাউ দাউ করে পুড়তে থাকে আমার চেনা পথ ,চেনা দরজায়।

কাঁচ ভাঙা

কাঁচ ভাঙা
........... ঋষি
===============================================
শেষমেশ শব্দদের রেখে যাবো
নিরিবিলি আনন্দের কথকতায় কার্বনের ছোপ।
তুমি বলো এখন দুঃখ কিসের ?
আকাশভাঙা খানিকটাও এই জীবনে ছোঁয়া সম্ভব।
তবু ঘুম ভাঙে বারংবার মাঝরাতে
যেন কোথায় কাঁচ ভেঙে পরে।
.
পায়ের দাগ থেকে যায়
হয়তো থেকে যায় লুকোনো ছুঁয়ে দেওয়া দাগগুলো।
ভিজে মাটির উপর এবার পাথরের স্ল্যাপ
তবু আজকাল পা স্লিপ খায়।
কোনো আকার থেকে নিরাকারে আটকে থাকা স্বপ্ন রেণু
গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে ঝরতে থাকে তোমার শহরে তখন বরফ
আর আমি বোবা কবিতায়।

.
এই ভাবে সময় বদলায়। বদলায় কারেন্সি বদলানোর দেশে
রাস্তাঘাট ,বাড়িঘর ,অনুষ্ঠানের রীতি রেওয়াজ
সময় বোধহয় আরো নগ্ন দর্শনে।
আসলে মানুষ কিছুতেই বোঝে না
দৃষ্টি আর দর্শনের তফাৎ।
যেমন ঈশ্বর ছুঁয়ে ,খুঁজে চলা প্রেম
শুধু বিভ্রম মানুষের মনে।
.
শেষমেশ শব্দদের রেখে যাবো
যেমন রেখে যাবো তোমার  বুকের ভাঁজে  সেই তিলটা
যাকে আমি আদর বলে ডাকি।
 আকাশ ভাঙার খানিটা স্পর্ধা বিদ্রোহ এই সময়সীমায়
তবু ঘুম ভ্যাগে মাঝ রাতে বারংবার
আর কোথাও যেন কাঁচ ভেঙে পরে আগামীর।

নীল প্রজাপতি

নীল প্রজাপতি
..... ঋষি
============================================
যে শরীরে দিন কাটছে
তার পালকগুলো সাবধানে আলো হয়ে রিফলেক্ট করছে
যেমন রাত্রিগুলো মেগাপিক্সলের লেন্সে ঘেটে যাওয়ায় আবর্তন।
পরিবর্তন দরকার ছিল
প্রেমিকা ছুঁয়ে যাওয়া প্রজাপতি নীল আকাশে
আর তাদের ছোঁয়ার আদিমতায় ঘনঘোর প্রতীক্ষার এই বিকেল।
.
প্রথম আলিঙ্গনের অভিনন্দন
প্রথম চুমুর গড়িয়ে নামা আদিম জনম ক্রমশ প্রকাশিত।
অদৃশ্য জন্মগুলো যখন বিন্দু দিয়ে জুড়ি
হেঁটে চলি সভ্যতা পেরিয়ে পরম কোনো আনন্দে।
তার গভীর চলতে থাকা ধুকপুক
আদরের সম্ভ্রম।
পিক্সেলগুলো লুকোচুরি খেলে ভাঙতে থাকে
দৃশ্যরা ক্রমশ চোখের আড়ালে
অনবরত অপেক্ষায়।
.
যে শরীরে দিন কাটছে
তার পালকগুলো আজকাল রেণুর মাঝে ঝরতে থাকে
তেমনি রাত্রিগুলো আবদারে মিশে থাকা প্রেম।
আবর্তন দরকার ছিল
প্রেমিকা ছুঁয়ে চলা সহস্র গভীর আকাশ
আমার কাছে নীল প্রজাপতি স্বপ্নে। 

Wednesday, November 14, 2018

অন্য আকাশ

অন্য আকাশ
............. ঋষি
=======================================
যে লাবণ্যময়ী নারীর কথা শোনাবো বলেছিলাম
বলতে চেয়েছিলাম তার গভীর আকাশের কথা।
বারংবার বলতে চেয়েও
তাকে বলতে পারি নি কারণ সে পাখি হয়ে গেছে।
উড়ে গেছে গভীর আকাশে
যেখানে শহর চুমু খায় মাটিকে।
.
বলতে পারি নি
কিন্তু চুপ থাকলেও কেমন একটা শুনশান রাস্তা অন্ধকার রাতে। .
একলা হেঁটেছি ক্রমশ সে এগিয়ে এসেছে
মিশে যেতে চেয়েছে আমার শহরে।
রাত্রি বরাবর আমার খুব প্রিয়
আরো প্রিয় রাতের পায়চারি হৃদয়ের বারান্দায়।
দূর থেকে শুনতে পেয়েছি সমুদ্রের শব্দ
মৃত বালুচরে আমি বানিয়েছি বালি ঘর।
খুব ছোট ,
ঠিক যেন সময়ের আদেশে লেখা অন্য আকাশ।
যেখানে অতল কোনো নীরবতা
ফিসফিস সে যেন আমাকে ছুঁয়েছে
আমার অন্ধকার প্রেমিকা।
.
নিখাদ নিস্তব্ধতায় সে নারী এগিয়ে আসে
পায়ের নূপুরে বোধহয় ঘুম ভাঙা নিশাচর শহর।
আমি বলতে পারি নি
সেই নারীর  কথা আমার শহরে।
অথচ প্রতি সকালে বিরক্তিকর ঘুমের পরে
আমি শহর গড়েছি তিল তিল আমার হৃদয়ে।

Monday, November 12, 2018

স্পর্শ

স্পর্শ
............. ঋষি
===============================================
ফেরা হয় কি ?
স্নান ফেরি করার পর  সহবাস বলতে চুঁয়ে নামা স্পর্শ।
অবধারিত ঈশ্বরের প্রচেষ্টা
দুই পৃথিবীর বেঁচে থাকাটা শুধু আলাপন।
বর্ণহীন শব্দের গায়ে একটা একটা সুতো শুধু
আমার ব- দ্বীপে সুখের ঘুম সে যে স্বপ্নঘোর।
.
মৃত্যু !
এক দিক্চক্রবালে  অলিখিত নির্বাসিত প্রেম।
তোমার স্তনের উচ্চতায় নিরিবিলি পথ চলা
ক্রমশ জলাশয় থেকে উঠে আসা নির্ভরশীলতা।

ফাঁকা!
অতৃপ্তি আগুন  হলে মানুষের প্রেম  সঙ্গম  হয়ে যায়।
ক্ষুধার্ত আগ্রাসনে উঠে  আসে  বিষাক্ত জানোয়ার
কাদামাখা মোহনার বুকে অসংখ্য লুকোনো সংসার।
.
আমি!
শুধু অস্তিত্বহীন  ছুঁয়ে চলা।
পাশ ফিরে ছোঁয়া ঈশ্বর আজ কালা ,বোবা
অথচ সময়ের ময়লা মেখেও  তুমি ছোঁয়াচে।
.
ফেরা হয় কি ?
বাথরুমের শাওয়ারের জল গড়িয়ে নামা চঞ্চলতা।
সম্পর্ক নয় ,শব জুড়ে শুধু লুকোনো  আশ্রয়
তোমার জন্য আড়ালটুকু নির্ভীক বুকে সহমরণ।
ধোঁয়াটে শব্দের প্রতিফলন সময়ের বুকে
ফিরতে চাওয়াটা স্পর্ধা আর বাঁচাতে ইচ্ছা।

নির্বাসিত

নির্বাসিত
............ ঋষি
=============================================
শরীর দগ্ধ আগুনে
পুড়ে যাওয়া রাতদিন চামড়ার প্রতি আস্তরণে নির্বাসিত।
শব্দগুলো আত্নঘাতী মুহূর্তের ভাঁজে ভাঁজে
এক ফুল শয্যার অনবরত স্খলন ছিন্নভিন্ন ডোমের হাতে  প্রশান্তি।
শরীরটাকে ছুঁড়ে দেওয়া আগুনে
নির্বাসন কোনো আগুনের পাখি ,মৃত্যুতে জন্মাবার লোভ।
.
অশান্ত আগুন
আত্নহত্যার ডাইরিতে লেখা পাতায় ,পাতায় মৃত প্রান্তর।
নিরামিষ প্রেমের কবিতা
নিকোটিনের সখ্যতা ,বুকের ভিতর ক্রমাগত পোড়া ক্ষয়।
চড়া সময়ের বিক্রি হয়ে যাওয়া তোমার নুপুর
লজ্জার অন্তর্বাস।
শিশুপাঠ্য  বইয়ের পাতায়  জমতে থাকা অশ্লীলতা
মৃত্যুর কারিগর জীবনের বাধ্য বিলাসিতা।
জীবনের  রংমহল
নারীর বুকে লবনাক্ত নীলনদ
ক্রমশ প্রেমিক পুরুষের ঘামে ভেজা অতৃপ্তি,চিৎকার ,হাহাকার।
 এঁটো বীর্যের শ্লীলতার অন্ধকার কালি
কলম আমার নিষিদ্ধ সময়  মাখানো বীর্যপাত
প্রেম কি অশ্লীল নয়..?
.
শরীর দগ্ধ আগুনে
উলঙ্গ দেহে লজ্জার আবরণ শুধু পাঁচিল ভাঙা।
রাতের বিছানায় শুকিয়ে যাওয়া খড় ,কুঠো আগুন
বীর্যের দাগ স্পষ্ট অথচ নির্বাসিত।
সময়কে নির্বাসিত বলে ছুতে যাওয়া আগুনের বুকে
আঙ্গুলের ভাঁজে বিচ্ছেদের পার্থক্য। ...আগুনে পাখি।


Sunday, November 11, 2018

শেষ Kotha

শেষ Kotha
... ঋষি
=====================================
এটা কি টু ফোর ফোর। ...

বেলা বোস শুনতে পাচ্ছে কই ?

এক ভদ্রমহিলা অনবরত বলে চলেন

ইস রাস্তেকে সভি লাইনে অভি ব্যাস্ত হ্যা...

আর সেই প্রেমিক শুধু অপেক্ষায়।

.

শুরু থেকে  বিকেল ফুরিয়ে চলা

বেলা বোস নিজের রাস্তায় অনেকটা পথ।

চোখের কাজলে সেই কলকাতা আঁকা

আঁকা পথে চুরি হয়ে যাওয়া সময়ের ভিড়।

কি বেলা বোস

কি খুঁজছো ? সময় ? দূরত্ব ? দুর্বলতা ?

অনবরত ক্ষরণ থেকে বেরিয়ে আসে সময়ের কলঙ্ক

দিন এমনি কেটে যায় প্রতিদিনে।

নিয়মিত অফিসের গেট ,ফ্রেন্ড গ্যাদারিং ,দুচার পেগ কথা

বেশ না বেলা বোস

এইভাবে ক্রমশ দূরে সরতে থাকা।

.

চেয়ার বদল ,বালিশ বদল ,বদল সভ্যতার আলোতে

ক্রমশ পুরোনো অঞ্জন আজও গিটার হাতে

পুরোনো গিটার।

আজ অপেক্ষায় খোঁজে গলার স্বর

বেলা বোস তুমি শুনতে পারছো কি ?

Friday, November 9, 2018

তোকে একবার দেখতে ইচ্ছে করছে

তোকে একবার দেখতে ইচ্ছে করছে
....... ঋষি
============================================
সরতে থাকা কপালের লাল টিপটা
অন্ধকারে লুকোনো সেই মুখটা বুকের গভীরে
তোকে একবার দেখতে ইচ্ছে করছে।
ভুল সময়ের বীজ
অনবরত বেড়ে ওঠা সময়ের অকাল বোধন
উৎসব শেষের প্রতীক্ষা বোধহয় অন্য কোন দিনে।
.
সময়ের নুপুরে
লেগে থাকা ঠোঁট ,অনন্ত শীৎকারের গভীরে প্রতিবাদ
তোর বুকে আমার হাতের ছাপ।
উতলে ওঠা নদী ফিসফিস কিছু একটা অনবরত কানের পর্দায়
কিছু একটা ক্রমশ সরে যাচ্ছে চোখের পাতায়
তোকে একবার দেখতে ইচ্ছে করছে।
নেশা হচ্ছে
ক্রমশ চোখের পাতায় কেমন একটা চেনা ছবি
আমার বুক আঁকড়ে তুই যেন রঙিন।
অদ্ভুত এই সময়ের প্রতীক্ষা
কখন যেন হৃদয় ভাঙা  যন্ত্রণারা আকাশ খোঁজে
আর তারপর মুহূর্তরা রঙিন পোশাকে।
.
সরতে থাকা কপালের লাল টিপ্
শরীরের প্রতি রন্ধ্রে বাড়তে থাকা তুই আজ নিবিড়
নিবিড় তোর গন্ধের হাতড়ানো মুহূর্ত।
আদর করছে আমায়
কোনো চেনা ছবি চোখের রেটিনাতে ফুটে উঠছে
চেনা একটা মুখ ,,,,, অদ্ভুত। 

Wednesday, November 7, 2018

গভীরতা

গভীরতা
............. ঋষি
==========================================
বড়ো ইচ্ছে করে তোকে চুষে নি
সবটুকু আদরের চশমা খুলে একটু একটু করে দেখি
সকালের শৈশব ,তোর সময় ।
মজবুর আমি শুধু সময়ের গায়ে পা তুলে বসে
ছিপ ফেলি হৃদয়ের বারান্দায়
উঠে আসে অনবরত একের পর এক পাথর।
.
হয়তোবা কোনো হিংস্র জন্তু আমি
মনে মনে ছিঁড়ে ফেলি ,উফ কি ভীষণ দাঁতে নখরে
সময়ের দূরত্ব।
তোর শরীরের শেষ শীত টুকু হাতড়ে
আমি কাঁপতে থাকি মনের গভীরে।
কোনো অনাবিল আনন্দে আমার সকল ইচ্ছায়
পারদ বাড়ে।......... ,বাড়ে গভীরতা।
আমি হারাতে থাকি ক্রমশ আরও আরও গভীরে
সময়ের কোনো সমুদ্রের একপাশে চুপটি করে বসে
আঁকিবুঁকি টানি তোর বুকে।
সময় সরতে থাকে আমি মিশতে থাকি
ঠিক বুঝি না কখন কোন সময় তোকে ছুঁয়ে ফেলি
অথচ রিং টোনে ভদ্রমহিলা অন্য কথা বলে।
.
বড়ো ইচ্ছে করে তোকে চুষে নি
তোকে জড়িয়ে নিয়ে কানে কানে বলি মিশতে চাই
আমার সমস্ত উপস্থিতি ,সবটুকু তোর।
মজবুর আমি শুধু সময়কে সাক্ষী করে হেঁটে চলি
তোর বুকের কালো তিলে  ঠোঁট রাখি
তারপর কি করে জানি দিনগুলো সব কেটে যায়।


Monday, November 5, 2018

সময়ের আলাপন

সময়ের আলাপন
.... ঋষি
=========================================
তোমার ও চোখে আমি আগুন দেখেছি
দেখেছি মিশকালো প্রেম গভীরে পুড়ে আর্তি
শুধু তোমাতে মিশতে চাওয়ায়।
সময় সাক্ষী
সাক্ষী হৃদয়ের দেওয়ালে সারি দেওয়া সেই ঝাউবন
নিরিবিলি উপত্যকায় লুকোনো ভালোবাসা।
.
সত্যি বলতে কি
চোখ সরাতে গিয়ে আটকে গেছে ম্যাডাম বারংবার।
তোমার ওই হাসিতে আমি জীবন দেখেছি
তাই নিজেকে পুড়িয়েছি পাহাড়ি কোনো সবুজ ঢালে।
শুয়ে থাকি তাই আমি
রোজকার আমার মৃত্যু উপত্যকায়।
.
অনাবিল কোন শোক থেকে
বারংবার জেগে উঠে আমি তাকিয়ে আছি খুব দূরে।
যেখান থেকে শুনতে পাওয়া যায় তোমার  গলার স্বর।
তোমার উপস্থিতিতে আমি লিখেছি হাজারো প্রেম
সাদা পাতায়
প্রতিদিনকার দিনলিপি যেখানে শুধু খুশি হয়ে যায়।
.
আসলে ফিরে আসা মানে তোমাতে মিশে যাওয়া
তোমার জংলী অদূরে গন্ধ।
বুকের ভাঁজে অনবরত লেগে আছে আতরের আদ্রতা।
আমি ঠিক তোমায় দেখতে পাই
আমার পথচলায় সেই পাহাড়ি বাঁকে লুকোনো আলাপন
আদ্রতা লুকোনো বিকেলের এই পাতা ঝরায়। 

প্রাক্তন (১৬)

প্রাক্তন (১৬)
.............. ঋষি
==================================================
হঠাৎ হ্যাচকা টানে খুলে যায় জীবন
অনেকদিন দরজা বন্ধ করে পরে ছিল সময় একপাশে।
তোমার এক একটা কথা কবেই সরে গেছে আকাশের মেঘ
কবেই ঋতুবদল।
 আছড়ে পড়া  চৌচির ভ্যাপসা- ভাবনাগুলো
সব আপেক্ষিক সমুদ্রের মাঝে ।
এখন আর কিছু দাগ টানে না প্রাক্তন দিন ,প্রাক্তন তুমি
আর তোমার সমারোহ।
.
কে কাকে ছেড়ে গেছি আজ আর প্রশ্ন করে লাভ কি
কে কার  কতটা ক্ষতি করেছে আজ আর বলেও আরাম পাওয়া যায় না।
একসাথে কে থাকতে চেয়ে রাতের বুকে ছুরির নিঃশব্দতা দিয়ে গেছে
সব হারিয়ে গেছে ,অব পুরাতন আজ।
আসলে কি জানো প্রতিটা প্রাক্তন মরে যাবার পর
জীবন বেঁচে থাকে কিন্তু ভুলতে চাওয়ায়।
.
হঠাৎ হ্যাচকা টানে খুলে যায় জীবন
অনেকদিনের ভ্যাপসা জানলার আড়ালে মুখ লুকিয়ে সময়।
তোমার সব অস্তিত্ব কবেই মুছে গেছে বাঁচার চাহিদায়
অনন্ত সময়ের প্রলেপ।
তবু কি জানো চলন্তিকা আজও হঠাৎ ঝড় ওঠে
আমি দেখি  রাজপথে রোজ সেই পুরোনো ফুটপাথিয়া প্রেম হেঁটে যায়।
এখন আর ঝগড়া হয় না হঠাৎ প্রদীপ জ্বলে মনে
তারপর  নিভে যায় সময়ের দমকা হাওয়ায়। 

Saturday, November 3, 2018

বেশ লাগে

বেশ লাগে
.................... ঋষি
========================================
সবকিছু প্রথমের মতো মনে হয়
মনে হয় সমুদ্র পেরিয়ে এবার আকাশ খুঁজবো।
আকাশের মাঝে শুধু তুই
যেখানে তোর চোখগুলো আর আমাকে তাড়া করবে না।
একটা গোটা আকাশ আমি বুকে নিয়ে
তোকে লেপ্টে চলে যাবো তারাদের দেশে।
.
আজকাল দুঃখ করতে ইচ্ছে করে না
কদিনের বা জীবন ?
সকালের আলো ফুটলে মনে হয় না দিন ফুরোবার তাড়া
বেশ লাগে সময়টা তোকে মনে করায়।
পাহাড়ের ঢালের বাদামি রংটা কেমন যেন তোর আবরণে চঞ্চল
মনে হয় তোকে একবার দেখবো বলেই বেঁচে আছি।
বেঁচে আছি সেই রোমান নারীর  টানে
যাকে আমি স্বপ্নে দেখেছি বহুবার।
যার ঠোঁটে ঠোঁট রেখে বলেছি কি সুন্দর পৃথিবী ,কি সুন্দর বাঁচা
আর সবথেকে সুন্দর শুধু তোকে ভালোবাসা।
.
সবকিছু কেমন যেন ম্যাজিক মনে হয়
মনে হয় গিলিগিলি গে। ..তোর হাসিমুখটা বেশ দেখতে পাই।
দেখতে পাই বুকের বিভাজনে লুকোনো কালো তিলটা
যাকে স্বপ্নে বহুবার আদর করেছি যত্নে।
বেশ লাগে আজকাল তোর  গভীরে থেকে আমার একাকিত্বে
তোকে আরও বেশি খুঁজতে। 

Friday, November 2, 2018

বিদ্রোহ

বিদ্রোহ
..... ঋষি
============================================
একটাই প্রশ্ন ছিল। প্রেম ?
তারপর যদি কিছু বলতে হয় ,বলবো বিশ্বাস।
নিঃশব্দে ঝুলতে থাকা দুটো শরীর
কে যেন বলছিল ডেডবডি ,শব ,নিথর প্রকৃতি।
সব সত্যি ,সব মিথ্যা
আজকাল আর ভয় হয় না ভালোবাসি বলতে।
.
হাঁটতে চাই জ্যোৎস্নার পথে
হাত ধরে সভ্যতা শূন্য সভ্যতায় অজস্র মৃতদেহের ভিড়।
লুকোনো আতঙ্ক
আর ভয় করে না বলতে আয় তবে একসাথে পথ চলি।
সবুজ ঝাউবন ,বালুচরে পায়ের ছাপ
স্বাভাবিক হৃদয়ের উপর অজস্র কালো ছোপ।
কিন্তু আর ইচ্ছে করে না
পিছনে তাকাতে ,বাস্তিল দুর্গের সেই বিদ্রোহীকে দেখতে।
প্রেম আসলে একটা বিদ্রোহ নিজের ভিতর
আর বিশ্বাস সেই বিদ্রোহের আগুন।
আমি তুই সেই ফিনিক্স
যে শুধু হৃদয়ের ক্ষতগুলো পুড়িয়ে মরতে চায় ,
কিন্তু বাঁচা যে বিদ্রোহ এই সময়।
.
একটা প্রশ্ন ছিল।  জীবন ?
তারপর যদি কিছু বলতে হয়,বলবো নিঃশ্বাস।
নিঃশব্দে হেঁটে চলা সময়ের বুকে উপস্থিতি
কে যেন বলেছিল ভালো থাকাটা একটা প্রাপ্তি নিজের কাছে।
সব সত্যি ,সব মিথ্যা
আজকাল আর ভয় হয় না তোকে ভালোবাসতে।    

বিষাক্ত প্রেম

বিষাক্ত প্রেম
.............. ঋষি
=========================================
আজও এই অবেলায় তোমায় ছুঁলে
পুড়ে যায় ভিতরটা।
সিগারেটের প্রতি টানে বুকের আস্তানায় ধুঁয়ো শরীর
নেমে আসে কেমন একটা ফুরিয়ে যাওয়া।
বেশ লাগে চলন্তিকা
আমার শহর জুড়ে হেঁটে চলা অভিশাপটুকু।
.
অনাবিল আনন্দের রেশ
ফুরোনো বিকেল রোজকার মতো একটা ক্লান্ত দিন।
কিন্তু কি জানো চলন্তিকা
আমার শরীর পেরিয়ে ভালোবাসার লোভ
এই শহরে ব্রাত্য।
ব্রাত্য শহরের পতিতালয়ে প্রেম শব্দ
নিরিবিলি পিষে ফেল শরীর ,শরীরের চাপে।
বুঝতে পারি না চলন্তিকা প্রেম শব্দের মানে
আজকাল এই শহরে অনলাইন রিলেশান,হাম্পি ,ঝাম্পি
আর তারপর সব শেষ।
ঠিক এইভাবে ,একটার পর একটা ,তারপর একটা
বুঝতে পারি না আজকাল সময়ের প্রেম কি চায়।
বুঝতে পারি না প্রেম শব্দটার গভীর মানে
কেন এই রকম।
.
আজও এই অবেলায় তোমায় ছুঁলে
শুদ্ধ আমার হৃদয়।
সিগারেটের টান ,নেশার চোখ ,গভীরে একটা দাগ
বিষাক্ত সময়ের প্রেম।
বেশ লাগে চলন্তিকা
ভাবতে আমিও সময়ের মতো শরীর বদলাচ্ছি প্রেমে।  

নিজের কবিতা

নিজের কবিতা
.............. ঋষি
==============================================
খয়েরি আলোর দেশে অন্ধকার মিথ্যাগুলো
বেশ লাগে নিজের ভিতর প্রগলভ।
ভদ্রলোক বহুক্ষণ চোখ দিয়ে রেখেছে বোতলের ঠোঁটে
হয়তো সময়ের আকুলতা ,
নেশা নামছে।
.
নেশারা বরাবর এমন হয়
কাকে ,কখন ,কিভাবে ভালো লেগে যায়।
শহরের মাটি ছুঁয়ে অতৃপ্তি
প্রেমিকা শুয়ে তখন স্বামীর বুকে লেপ্টানো কাজলে। 
ভদ্রলোক বুঝতে পারছে না
ঠিক কতটা তরল শুয়ে থাকে শহরের অন্ধকারে
তার প্রিয় নারীর বুকে সেই তিলটা
ঠিক কতটা তার।
এক চুমুকে চিয়ারসের গ্লাস শেষ জীবনের
নেশা হয়।
কিন্তু তবু ঠিক বুঝতে পারা যায় না
ঠিক কতটা ঘৃনা করলে ভালোবাসা যায় এত বেশি।
.
খয়েরি অন্ধকারে লেগে মিথ্যার অনুভবগুলো
ভালো লাগে তোর কাঁধে মাথা রাখতে।
ভদ্রলোক বহুক্ষণ অন্ধকারে আছেন নিজের কবিতায়
হয়তো সময়ের ব্যাকুলতা
নেশা কাটছে।  

সংকল্প

সংকল্প
................... ঋষি
============================================
চুপটি করে রাখা কিছু সংকল্প
জুটে যাওয়া জীবনের মানে অজানা হৃদয়ের গলিতে।
দূরত্ব পেরিয়ে অনেক বছর পরে
যদি হঠাৎ দেখা হয়ে যায়।
দেখা হয়ে যায় সেই ধান সিঁড়িটির তীরে
বনলতা কিংবা চলন্তিকা হয়ে।
.
সংকল্পরা এমনি হয়
অনেক বছরের ফুরিয়ে যাওয়া নটে গাছ জীবিত তখন।
কেউ কি ভেবে দেখেছে কখনো
অন্ধকার শেষে আলো দেখার লোভ।
শহরের এক্কাদোক্কা ,সাহেব বিবি গোলাম পেরিয়ে
নিজের আয়নায় মুখ।
অদ্ভুত এক পীড়নে সময়ের আঁকিবুঁকি
সময়ের বারান্দা জুড়ে নিষেধের ভিড়।
ভেবে দেখেছো কখনো
সময়ের কাঁধে মুখ লোকানো কান্না।
চোখের জলের মানে
ভালো থাকার প্রচেষ্টা বোঝে না বোকা সময়।
.
চুপটি করে রাখা সংকল্প
ঝুপ করে নেমে আসে অন্ধকার মনখারাপের।
খারাপগুলো সব এমনি মনে
শুধু আনন্দের খোঁজে দৌড়ে বেড়ায় দূরে কোথাও।
দেখা হবার সংকল্প হয়তো হাজারো বছরের পথ
চোখে চোখ ক্লান্তিতে লুকোনো জীবনে।   

Thursday, November 1, 2018

পরিযায়ী

পরিযায়ী
.... ঋষি
===========================================
পড়ন্ত রৌদ্র ফুরিয়ে বিকেলের আকাশ
উৎসব শেষে পুঞ্জপুঞ্জ বেদনা আকাশের গায়ে।
পরিযায়ীর সময় এটা
উড়ে চলা সময়ের সাক্ষী গভীর আকাশের বুকে।
কান পেতে যদি শোনো
শুনবে ওদের মধ্যে অনেকগুলো কবি হৃদয় আছে।
.
কবি হতে গেলে প্রেমিক হওয়া জরুরী
জরুরী সময়ের দাগে রেখে যাওয়া ছোট ছোট আকাশের।
এই আকাশগুলো কখন যেন শব্দের যন্ত্রনা
কবি হৃদয়ে ভেঙে পরা এক একটা গাছ।
গাছের কথা যখন এলো
তখন বলতেই হয় সালোকসংশ্লেষের মতো কবিতাও প্রকৃতির।
আর পরিযায়ী হৃদয় ,
শুধু ছুঁয়ে আসা মুহূর্তের ছবি আনকোরা সাদা পাতায় ,
সব কবিতা হয়ে যায়।
পরিযায়ীদের মতো কবি হৃদয়ের ঘর অনেক দূরে
সময় শুধু ঘর খোঁজে
অথচ ঘরগুলো কখন যেন চার দেওয়াল।
.
ক্রমশ অন্ধকার দিগন্তে মিশতে থাকা আলো
উৎসব শুধু সময়ের দাগ ,যা অন্ধকারে মিশে এখন অপেক্ষা।
অপেক্ষা অন্য কোনো দিনের ,কোনো মুহূর্তের
যা শুধু কবি ছবি আঁকে সাদা পাতায়।
অপেক্ষা করে স্বপ্নের ঘরের
দূরে নীল আকাশে ডানা মেলে উড়তে চাওয়ায়। 

যোগ্যতা

যোগ্যতা
............ ঋষি
============================================
ভালোবাসলে যোগ্যতা লাগে
আরেকবার প্রমান হলো খালিপেটে ভালোবাসা হয় না।
ভালোবাসলে কফিশপ ,সিনেমাহল
আরও  লাগে অনেক অনেক সময়।
দূর থেকে ভালোবাসা বৃষ্টির সমুদ্রে ঢিল ছোঁড়া
অন্ধকার হাতড়ানো একলা থাকায়।
.
ভেবেছিলাম দূর থেকে ভালোবেসে যাবো
ভেবেছিলাম অনেক যত্নে ,অনেক আদরে তৈরী করবো তোমায়।
নিজের হাতে মাটি লেপে ঠিক মনের মতো
কিন্তু বিশ্বাস করো আমি মন তৈরী করতে পারি নি।
তুমি বিশ্বাস করো তোমার কপালের টিপ্ আঁকতে আঁকতে
কখন যেন আমার আঙ্গুল বেয়ে শহরের অপেক্ষা।
অপেক্ষা হয়ে গেলো  ........

আর আমি সেদিন বৃষ্টির মতো ঝরে পড়লাম
গাল বেয়ে ,হৃদয় বেয়ে ,সময় সমুদ্রে।
সেদিনও বৃষ্টি ছিল
আর আজও উৎসবশেষে পরে থাকা খড়ের কাঠামো।
.
যোগ্যতা নিজের কাছে এক প্রশ্ন
প্রশ্ন অসহ্য রঙিন আলোয় মেতে থাকা মানুষের দিন।
ভালোবাসলে আকাশ থেকে বৃষ্টি হয়
মনখারাপ হয় ,সমস্ত পৃথিবীতে তখন শুধু তুমি।
সে দূর হোক কিংবা কাছে মন মানে না
শুধু ছুটতে ইচ্ছে হয় সময়ের ওপারে। 

ভালোবাসার কাব্য

ভালোবাসার কাব্য
...... ঋষি
===========================================
আজ এতদিন দূরত্বের জীবন
ছিঁড়ে ফেলা সুতোয় হাজারো প্রচেষ্টায় গিঁট মারা।
দুপুরের রৌদ্র আজ বাঁধন ছিঁড়ে
আমার বুকের বারান্দায় লুকোচুরিতে খুঁজছে পাগলীটাকে।
যাকে বারংবার সম্পর্কে লিখতে আমার ভুল হয়
ভুল হয় সময়ের শহরে ভুলতে চেষ্টা করায়।
.
সময় ফুরিয়ে যায়
জীবনের পরিগণিত লাভ ,লোকসান ,মিষ্টি হাসি ,চাপা হাসি।
আমি শুধু বুঝি সরল সমীকরণ
তোর বুকের শহরে আমি একটা দুর্গ বানাতে চাই ।
জানি তুই হাসবি ,হাসবে সময়
কিন্তু খুব সত্যি আমি নিজেকে বাঁচাতে চাই ।
জীবন বারংবার কলিংবেল বাজিয়ে চলে
বুকের ভিতর সেই ঘরটায় ,যেটাকে তুই স্বপ্ন বলিস।
দূরে ছুটে পালানো জীবন
যেটাকে তুই বলিস দুর্বলতা।
কিন্তু আমায় দেখ আমি স্বপ্ন দেখি
ভাসতে থাকি কাগজের এরোপ্লেনে দূরত্বের ওপারে।
.
আজ এতদিন দূরত্বের জীবন
বিলাসিতা পাতায় পাতায় লিখে চলা কিলোমিটার কাব্য।
সময় হাসতে থাকে ,হাসে বোধহয় পাগলীটাও
নিয়মের হিসেবে থেকে বেরিয়ে সেও যে আদিম আশ্রয়।
শব্দরা সব কখন যেন কাব্য হয়ে যায়
তাকে ভালোবাসতে আর সম্পর্কের লুকোনো ভালোবাসায়।

অনিয়মিত কবিতা

অনিয়মিত কবিতা
..... ঋষি
===========================================
সকালের নামাজের শব্দ কানের পর্দায়
ঘুম ভাঙা প্রথম অনুভব - আমি নেই কোত্থাও।
আমি ফুরোচ্ছি
কেউ কোথাও নেই ,শুধু ধূসরিত পথ আসলে সিম্বলিক।
চোখে জ্বালা ,হৃদয়ের বিষ অনিয়মিত দংশন
ক্লান্ত পা ফিরে আসা জন্মের অনিয়মিত কবিতা।
.
সকালের আলো সূর্য ভেঙে ঢুকে পরে জানলা বেয়ে
অনতিদূরে পরে থাকে আমার জমানো সম্বল।
বারান্দার রেলিং বাওয়া ম্যানিপ্ল্যান্ট সাক্ষী
এই জীবনে বাঁচতে আশ্রয় দরকার।
আশ্রয় আসলে নিজের কাছে একটা প্রশ্ন
প্রশ্ন অবাঞ্চিত রোজনামচার কবিতায়।
আজকাল ভীষণ ঘুম পায়
বড্ডো ঘুম ঘুম ভাব সারাদিন জুড়ে।
ঘুমের মধ্যে হাজারো রকম স্বপ্ন যেন সাবলীল
কখনো চলে যায় হরপ্পা সভ্যতায় ,হেঁটে চলি হাজারো বছর।
কখনো বা আঙ্কোরভাটের নারীমূর্তির দেওয়াল স্পর্শ করি
খুঁজতে থাকি প্রিয় প্রেমিকাকে ,আর নিজেকে আশ্রয়ে।
.
হঠাৎ হঠাৎ মাঝরাতে কাঁচা গুম ভেঙে যায়
চোখের বারান্দায় লুকোনো কিছু সহবাস।
সময় কখনো  কখনো আমাকে প্রশ্ন করে
আমি কি বেঁচে ?
হৃদয় নিংড়ে উঠে আসে হয়তো স্বপ্ন
কিন্তু  মরতে আমি চায়নি কখনো।


কবিতার শোক

লিখতে পারাটা একটা অসুখ  ভীষণ কষ্ট ,ভীষণ আনন্দ ,প্রেম প্রবাহ ,অসংখ্য শোক,শহর ,মানুষ   সব কেমন সাদা পাতায় সংসার বুনতে থাকে  শব্দদের ঘুণপোকার স...