Saturday, March 30, 2019

একটি আত্মহত্যা


একটি আত্মহত্যা
................. ঋষি
==============================================
অলৌকিক রাত্রি
নিখুঁত কোনো আত্মহত্যা ঢুকে যাচ্ছে মর্গের দরজায়।
প্রবল আত্মারা আজ পাপমুক্ত
শুধু শ্মশান বন্ধুরা সাক্ষী কোনো পাতা ঝরা দিনের।
.
ফার্নেস্টে ঢুকে যাচ্ছে তোমার প্রণয়
তোমার ব্রহ্মতালুতে যে সন্দেহপ্রবণতা তাকে বিরূপ করো।
ছেড়ে যাওয়া তোমার সংসার ,তোমার সন্তান
তোমার পৃথিবীকে ,তোমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সম্পর্ক সব।
দিন ঠিক এমনি যায়
আর রাত্রি অন্ধ শকুনের চোখে মৃত্যু ছুটে আসে
অনন্ত নিরাকার।
তোমার লালিত্যের ভিতর তোমার মুখাগ্নি
তোমার আলতা পায়ের ফেলে আসা স্মৃতিঘর।
সব স্মরণিকা
আর কিছুক্ষন তারপর চলে যাওয়া।
.
অলৌকিক রাত্রি
নিখুঁত কোনো আত্নহত্যা পরিণতি পাচ্ছে বিলীনতায়।
প্রবল আত্মারা চিৎকার করে কাঁদছে
শুধু শ্মশান বন্ধুরা শুনতে পাচ্ছে " আমি বাঁচতে চাই। 

ফসিল


ফসিল
.............. ঋষি
========================================
জন্মের মুহূর্তে ছবি খুঁজতে চাওয়া
খুঁজে পাওয়া বিবর্ণ ফ্যাকাসে কিছু ফসিল।
সম্পূর্ণ অন্ধকার থেকে এগিয়ে যাওয়া আলোর শিহরণে
ঠিক অন্ধকারে ঢিল ছোঁড়া।
.
একটা তেল ছবি সম্পূর্ণ হতে হতে
ঈশ্বরের বিরক্তি।
অর্ধ নগ্ন ঈশ্বর সেখানে দাঁড়িয়ে অর্ধনারীশ্বর
আর কেউ কেউ সেখানে শুধু গো বেচারা।
ছবিটা রং লেপ্টে ,পুরো পৃথিবীর আলোতে কেমন  ঘেঁটে ঘ
ভালো করে তাকাই ,
কিন্তু মর্ডাণ আর্টের আমি কিছু বুঝি না,
ভালো করে বোঝার চেষ্টা করি
গুলিয়ে যায় সম্পর্ক ,হারিয়ে যায় ভালো থাকা।
.
জন্মের মুহূর্তের ছবি
প্রাগৈতিহাসিক সময়ের স্কেলিটনে শুধু ভালো থাকা।
সম্পূর্ণ আলোর থেকে পালিয়ে পিছনে ছোটা
কিন্তু ছায়া পিছু ছাড়ে না। 

কিন্তু পাখি

কিন্তু পাখি
............ ঋষি
====================================
তোকে হাজারোবার বলেছি যত ব্যস্ত থাকবি
ততো ভালো থাকবি।
যত একোরিয়ামের জলে জল রাখবি
দেখবি বিপদ ,এক বেদম স্রোতের জলে ভেসে যাবি।
.
কালি  লেপে যাবে চোখে
চোখ কাড়তে থাকবে দেওয়ালে টাঙানো মা সারদা।
প্রোফাইল পিকচারে জয়  জয়কার হবে
কিন্তু দেখিস কালি আরো বেড়ে যাবে তোর শরীরে।
সারা হৃদয় জুড়ে ছোপ ছোপ সম্পর্ক
দেওয়াল ভাঙার খোঁজ খোলা আকাশের জানলা ,
দেখবি হাজারো পাখি
তবু কেউ খুঁটে খাবে না তোর হৃদয়ের ছোপ। 
পাখিরা সব বকুমবাকুম মনের খোপগুলোতে
কিন্তু কেউ পাখি হয়ে আকাশে উড়ে যাবে না।
.
সেই নীলচে কালো জুতো আর চোখে স্যানগ্লাস
বেশ তো ,আর কি দরকার ? 
ঘুম নামবে সারা শরীরে ,তুই ঘুমিয়ে পড়বি
ঈশ্বর খুঁজবি সম্পর্কের নামে।

Friday, March 29, 2019

রাজদ্বীপ তোর সাথে


রাজদ্বীপ  তোর সাথে
............... ঋষি
=====================================
মৃতদেহটা শুয়ে নিথর ,স্থির
অনুভূতি বলছে সে কারো সন্তান ,কারো পিতা।
বড় বেশি ড্রামাটিক পৃথিবীর আলো ,
গঙ্গায় বোধহয় এখন ভাঁটা ,।
শুরুর কথাগুলো নাইবা বললাম, আমার শৈশব
আজ পুড়ছে বন্ধুদের সাথে ,তোর সাথে  ।
.
সময় বলছি
স্মৃতির পাতা খুলে খোকা ভোলানো  পাড়া জোড়ানো
ক্রিকেট ব্যাট ,তোর উগ্র মেজাজ।
কলেজের প্রেম ,অদলবদল সিগারেট ,প্রথম যৌবন
সব শেষ বল ,সব শেষ।
কি দরকার ছিল  আগুনে হাত দেবার
কি দরকার ছিল রাজদ্বীপ আমাদের  ছেড়ে যাওয়ার।
অনেক কিছু করার বাকি ছিল
আরও অনেক কিছু মুহূর্ত সেলাই করার ছিল।
সব শেষ
তোর শৈশব কাঁদছে ,কাঁদছে পরিবার ,আর বন্ধু।
তোর মুখে আগুন
তোর পাঁচ বছরের ছেলে ,তোর বাবা আর তোর পৃথিবী।
.
আর কিছু মুহূর্ত
ফার্নেসে শুয়ে একটা বডি  যেটা জীবিত ছিল গতকাল।
বড় বেশি ড্রামাটিক পৃথিবীর আলো ,
নিয়ম করে সন্ধ্যে নেমে আসছে ,শহরের চিৎকার ,সব ঠিকঠাক।
শুধু এই টুকু সত্যি ,তুই আর নেই
আমাদের ফোটোফ্রেমগুলো আজও হাসছে তোর সাথে  ।



পাগল মন


পাগল মন
................ ঋষি
======================================================
হৃদয় গিয়েছে পুড়ে
আমাদের সাতসমুদ্র পার ,তোলপাড়।
আর তারপর আর চাই না ফিরে আরো দূরে
দূরে বহুদূরে ,যদি দেখা হয় ,যদি কথা হয় কিংবা ঝগড়া।
.
আজকাল আর কথা হয় না তেমন
শুধু সময়ের হাতঘড়ির কাঁটাগুলো জায়গা বদলায় ,
বুকের ভিতরে আগুন
শুধু ঘর পোড়ে,মন পোড়ে ,পুড়তে থাকা কবিতার পাতা জানান দেয়
সেই তুমি।
সুন্দরী ,সুগন্ধে মন করে ছারখার ,শরীর
আগুনে পুড়ে যায় স্নানের ঘরে ভিজে তোয়ালের শোক।
পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া যৌবন ,আকুতি
সবটাই মুখভার।
আজকাল বিছানা বদল করে দেওয়ালে আটকানো ছবি
অন্য ক্যানভাসে।
সময় বোধহয় ম্যাজিক জানে
আঁচল টানো তুমি ,সময়ের ঘুম ভাঙে ,ইতিউতি চায়
পাগল ,এই পাগল মন বোধহয়।
.
হৃদয় গিয়েছে পুড়ে
আমাদের সম্পর্কের দুই পার।
প্রেমের বয়স যায় কমে ,বাড়ে চামড়ায়
দূরে বহুদূরে ,ঠিক দেখা হয় ,আর কথা শুধু ঝগড়ায়। 

Wednesday, March 27, 2019

খাঁচার পাখি


খাঁচার পাখি

..... ঋষি

=================================================

মাটি থেকে হৃদয় না তুলে যদি তুমি

পাখিকে অনুসরণ করতে ,

কিংবা ধরো হঠাৎ স্নানের ঘরে আমাকে না ভেবে

কোনো প্রাক্তনকে নিয়ে ভাবতে ,

বুঝতাম চলন্তিকা

আমার এই পৃথিবীতে আর বাঁচা বাকি নেই ,সব শেষ ।

.

অনেকগুলো শ্রাবন পেরিয়ে

আজ ও যদি খেলার ছলে তোমার ঠোঁটের লিপস্টিকে ভিজে মাটি।

যদি আকাশের বদলে

ছুটতে ছুটতে ,দুহাত ছড়িয়ে তোমার আঙুলের ফাঁকে

শরীর ছুঁয়ে ,ডানার থেকে ডানা

তবে বুঝতাম আমি আকাশের পাখি ,যার শুধু বেঁচে থাকার লোভ।

.

তোমার দুঃখগুলো আমার হোক এমনি কল্পনায়

আমার পথ চলা  অনেকটা সময় জুড়ে শুধু আকাশের পাখি।

ঘুম ভাঙা ঘোর

হঠাৎ যদি পথ চলতি দেখা হয়ে যায়

তোমার গভীর চাহুনির ভাষা আমি বুঝে ফেলতাম ,

তারপর সে নাই বা বললাম।

.

মাটি থেকে হৃদয় না তুলে

যদি ক্লান্ত পাখিটাকে আঁচলে লুকিয়ে রাখতে ,

কিংবা ধরো তোমার দহন বেলায়

আমার আগুন ছুঁয়ে তোমার চোখে অনেকটা বাঁচা ,

বিশ্বাস করো চলন্তিকা

আমি সেদিন ,আমি বেঁচে উঠতাম ,উড়ে যেতাম খাঁচা খুলে । 

আগুনের খোঁজ

আগুনের খোঁজ
..... ঋষি
=======================================
তোমার প্রজাপতির ডানা হবো
কখনো চাইনি কিংবা বলিনি চলন্তিকা তোমাকে।
শুধু বলেছি আমার আগুনের খোঁজ
আগুন খুঁজেছি ,আগুনে হেঁটেছি শত সহস্র বছর ,
শুধু তোমাকে ছুঁয়ে তোমার মাঝে আগুন খুঁজেছি।
.
তোমার আকাশি রং
কালচে কাজলে লুকোনো ক্লান্তির চোখ ,
আমি খুশি চলন্তিকা
মানুষ আকাশ খুঁজতে গিয়ে দুঃখে গুমরে মরে ,কিন্তু আমি
আগুন খুঁজেছি তোমার বুকে।
পলাশের রং ,একমুঠো বুক তোমার কাছে আলগা করে
আমার কপাল বেয়ে গড়িয়ে নামা ঘাম
তোমার উড়তে থাকা চুল ,তোমার পারফিউমের গন্ধ।
কোনো কাব্যিকতা নয়
শুধু সময় ছুঁয়ে নিজে পোড়াবার শোক ,
কোনো সামাজিকতা নয়
শুধু হৃদয় ছুঁয়ে তোমার বুকের জ্বরে পোড়বার রোগ।
.
তোমার ইচ্ছের আকাশ হবো
কখনো বলিনি ,শুধু আকাশের গায়ে তোমার স্পর্শটুকু।
শুধু আগুনের খোঁজ এই বুকে
শুধু পুড়ে যাওয়ার লোভ দুচোখে ,তোমার ঠোঁটে মুখে
তাই শুধু পুড়ে চলেছি তোমাকে ছুঁয়ে চলন্তিকা।

Sunday, March 24, 2019

ভিজে আদর


ভিজে আদর
.............. ঋষি
==========================================
আশা রাখি
কোনো মেঘলা বিকেলে আবার দেখা হবে।
সেই ভিজে আদরগুলো
আবারো গড়িয়ে নামবে আমাদের মুহূর্তের জলতরঙ্গে।
আবার হয়তো কোনো কবিতা
তোমাকে ছুঁয়ে আমার কলমের নিবে মুহূর্ত জন্ম দেবে।
.
একরাশ ধোঁয়া ছেড়ে
হয়তো আমরা আবারো দাঁড়াবো পুরোনো বারান্দায় পাশাপাশি।
হয়তো কোথাও কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজবে না
শুধু মনে কোন বৃষ্টির সুর।
তুমুল ঝড় তখন ,সময় ভাঙবে অভিমানী ঘর
উড়ে আসবে শুকনো পাতা সময়ের মতো।
সোঁদা গন্ধ তোমার খোলা বুকে
কোনো আদরের পাখি ক্রমাগত ঠুকরে খাবে আমার বুক ,
সব সত্যি তখন।
আশা করি
তখন থাকবে না কোনো মিথ্যা
শুধু খোলা জানলা দিয়ে দক্ষিণ হাওয়া প্রেম ছুঁয়ে যাবে।
.
আশা রাখি
কোনো মেঘলা বিকেলে আবার ছোঁব তোমাকে।
তোমাকে ভিজে আদরগুলো
শুষে নিয়ে আমি ভীষণ ভিজে তখন।
আবারো হয়তো কোনো কবিতায়
তোমাকে ছুঁয়ে আমার কলমে কিছু মুহূর্ত সত্যি তখন। 

এখনো বাকি


এখনো বাকি
................ ঋষি
============================================
কোনো আমলকি বিকেলে
ছুঁয়ে থাকা গঙ্গার ফেরি ,দূরে সরতে থাকা আলো।
তোমাকে খুঁজছে চোখ
অচেনা ভিড়ে ক্রমশ লুকোতে থাকা যন্ত্রণার চোখের পাতা।
সত্যি কত  কিছু হয় না বলা
শুধু  গিটারের সুরগুলো চাপা পরে দীর্ঘশ্বাসে।
.
কত অর্থহীন থমকে দাঁড়ানো মুহূর্তরা
জমা বুকে লেগে  লেগে থাকা ছেঁকা সিগারেট পোড়া ঠোঁট।
মিশতে থাকা নিকোটিন মূহুর্ত রক্তের সাথে
আচমকা মুখোমুখি আয়নায় নিজের দূরত্ব বেড়ে যায়।
বেলা পরে আসে
ধীর পায়ে ছায়ারা ছড়িয়ে পরে চেনা শহরে অচেনা আমিতে।
হিসেবে কষলে কতকিছু বাকি ,এখনো বাকি।
ঠিক ভাবে গল্পটা শুরু হলে
আজ হয়তো আমাকে আর কবিতা লিখতে হতো না
কিংবা তোমাকে খুঁজতে হতো না সিগারেটের ধোঁয়ায়।
হারাতে থাকা মুখ
অজস্র সুখ ,আখরোট ঠোঁট ,ভেজা হাসি
তখন আদর বোধহয়।
.
ক্রমশ গাঢ় অন্ধকার
গঙ্গার কুল কুল শব্দে বাড়তে থাকা দূরত্ব।
তোমাকে খুঁজছে চোখ
হারানোর মাঝে ,নিজের মাঝে ,হয়তো আরো ভয়ে।
সত্যি কত কিছু বলা হয় না
শুধু গিটারে তারে থমকে আছে তোমারি গান।

জলফড়িং


জলফড়িং
................... ঋষি
========================================
হঠাৎ একঝাঁক ইচ্ছেগুলো জলফড়িং
তিড়িং বিড়িং।
সম্পর্কের বেঁড়া ভাঙা দূরত্বরা
আজকাল আর যায় না দেখা কচুরিপানা পুকুরে।
একলা মুখ বারংবার ধুঁয়েও
দাগ থেকে যায় মনে।
.
ভাঙা জানলা
এক ফাঁকে ব্যস্ততা থেকে দূরে চুপ শহর।
ঘুম জাগা রাত্রি
কিংবা হয়তো হঠাৎ দেখা নন্দন চত্বরে
আবার একরাশ ফিরে আসা আলো ,ঝলসানো চোখ।
কিংবা আরো ডুব গভীর
যেখানে কত অর্থহীন চুমুরা একলা থেকে যায়।
প্রেমিকের গালে খোঁজা হঠাৎ তিল,
কত অর্থহীন হাত ধরা থমকে দাঁড়িয়ে থাকে একলা সন্ধ্যায়।
ময়দানের সুবুজ ঘাসে ঘুম চোখ
দূরে ভিক্তোরিয়ার পরীটা  দিক নির্দেশ করে
খুব দূরে।
.
হঠাৎ এক ঝাঁক ফাঁকা মন
জলফড়িং।
সম্পর্কের জড়িয়ে থাকা মানেগুলো
আজকাল দাগ টানে না ঝোলানো ম্যানিপ্ল্যান্টে।
একলা মুখ বারংবার ধুঁয়েও
দাগ লেগে থাকে মনে।

Tuesday, March 19, 2019

রঙিন আদর


রঙিন আদর
.................. ঋষি
=========================================
শুভেচ্ছা মধ্যরাত্রি
শুভেচ্ছা আগামীর রঙিন দিন।
ভালো থেকো চলন্তিকা
এটাই লিখতে চেয়েছি বারংবার প্রতিটা কবিতায়।
ঘুম নেই জানি এখন  তোমার চোখে
তবু কিছু স্বপ্নের রঙিন শুভেচ্ছা আগামীর আদরে।
.
স্বপ্ন দেখছো তুমি
সারা আকাশ জুড়ে লাল ,নীল ,গোলাপি আদরের আবির।
তোমার কপাল জুড়ে লালচে সিঁদুর
মিলে ,মিশে যাচ্ছে খুব দূরে শুনতে পাওয়া ট্রেনের হুইসল।
স্টেশনে  এসে পৌঁছলে  তুমি
লাল মাটির দেশ ,গানের সুর আর শান্তিনিকেতন।
তোমার বাসন্তী শাড়ি ,সবুজ ব্লাউজ
হাওয়ায় উড়ছে আঁচল ,রঙের ঘোর ,নেশা ভালোবাসা ।
কেউ একটা মুগ্ধ হয়ে দেখছে তোমায়
ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল, লাগল যে দোল
স্থলে জলে বনতলে লাগল যে দোল, দ্বার খোল  ......
.
বাতাসে উড়ছে আবির
তোমার চোখেমুখে যেন আনন্দের রং
স্বপ্নের রং ,ভালোবাসার রং
সামনে প্রশস্ত পথ রঙিন আদর।
.
শুভেচ্ছা রঙের দিন
শুভেচ্ছা তোমাকে জড়িয়ে ধরা আদরে ।
ভালো থেকো চলন্তিকা
আর কিছু চাই নি ,শুধু ভালো থেকো আরো দূরে থেকে।
জানি তুমি এখুনি জেগে বসে ভাবছো
আচ্ছা রঙিন আদরেরা এমনও হয়।
  

Sunday, March 17, 2019

ভালো থেকো

ভালো থেকো
..... ঋষি
===============================================
চলন্তিকা আবার একটা রঙের দিন
অনেকটা অন্ধকার সরিয়ে আরেকটা পলাশের দিন।
ফাগুন বেলার রৌদ্র ঘর
অনেকগুলো দিন কাটানো তোমার সাথে ,
তোমার আদর।
.
ভালো থেকো
শুভেচ্ছার আতিথেয়তায় লেগে থাকা সপ্ত সমুদ্র।
হয়তো তখন আঠারো তুমি ,কিংবা আটাত্তর
কি এসে যায়  ,
শুধু ভালো থেকো ,আরো বেশি রঙিন তুমি
মনের আয়নায় রঙের ঘর।
কলেজ স্ট্রিট ,কবিতা পাড়া ,শহরের বাতিস্তম্ভ
ঘ্যানঘ্যানে  ঘাম ,ব্যস্ত জীবন ,
পায়ের তলায় দুমড়ে মারা সিগেরেটের সুখটান
আবার নতুন জীবন ,আবারও প্রেম।
অলিতে গলিতে ,ভুবনডাঙ্গা ,শান্তিনিকেতন
সাঁওতালি শাড়ি ,বাসন্তী ছুঁয়ে ,তোমার গালে আবির।
আরো ভিজে থাকা পিচকিরির রঙিন রং
আরো রঙিন তোমার আঁচল।
ভিজে ঠোঁটের আগায় ,আরো বেশি চঞ্চলতা
চলন্তিকা।
.
জঙ্গলের কোকিল মনের ভিতর ,বুকের জঙ্গলের দাবানল
আরেকটা রঙের দিন ,চোখের আদর।
লাল ,নীল ,সবুজেরা আরও বেশি গভীর আজ
আমি মনপাগল ব্যাকুলতা
ভালোথেকো চলন্তিকা রঙিন আদর। 

Thursday, March 14, 2019

সো সুইট

সো সুইট
............ ঋষি
=============================================
চলন্তিকা কিসের এত আশিয়ানা তোমার ছেলেটার সাথে
এখানে আগুন জ্বলে ,জ্বলে ওঠে দাবানল চোখে।
মিছরি পাছা নাড়িয়ে উঠে বসলে  রিক্সায়
ছেলেটার সাথে।
আর বসন্তের বিউগলে কেমন একটা অযান্ত্রিক সুর
কেমন একটা  চোখ জ্বালা ভাব।
.
সারারাত ঘুমোতে পারি নি
জানি গত বসন্ত ধুয়ে গেছে তোমার শরীরের পাওনা গন্ডায়।
তাই বলে
পার্কের বাঁধানো সিটে এমন ঢলাঢলি।
জানি আমি  তোমার লাস্ট বুকে আছি ,আছি অছিলায়
আর তুমি জানো আমি কামজ ,ঠিক সহ্য করতে পারি না তোমায়
অন্য কোনো কারো সাথে।
শুধু হৃদয় বলে লাভ মি ,লাভ মি ,লাভ মি এ লট
যাতে আমার বুকের  পায়রারা  তোমার লুকোনো বুকে
বাসা বুনতে পারে।
আমার ভাইফোঁড় কবিতারা তুমি ঘেঁষা
তোমার স্পর্শ ,গন্ধ আর দ্রবীভূত কেমন র র ভাব।
.
চলন্তিকা কিসের এত আশিয়ানা তোমার ছেলেটার সাথে
একদিন এফোঁড় ,ওফোঁড় করে দেব এই পৃথিবী।
তোমার মিষ্টি হাসির ছবিতে এফ বীতে কমান্ডসে লেখা
সো সুইট।
আর আমার জ্বলন্ত কবিতায় নষ্ট তুমি
ভীষণ জ্বালাতন ,চোখের পাতায় তুমি। 

ফটোফ্রেম


ফটোফ্রেম 
....... ঋষি
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
মুহূর্তগুলো জমে আছে
অতিকায় এই সময় কিঁছুতেই ছেঁড়া যায় না।
ফেরা যায় না
ঘরের দেওয়ালে টাঙানো তোমার ,আমার আর বাবুর ফোটোফ্রেমটায়।
কি হলো এই সব চলন্তিকা
তোমার হাসপাতালের শেষ দেখা মুখটা ,ভোলা যায় না।
.
অপেক্ষায় আছি
দেখো বাবু আজ ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হয়ে স্কুলে গেলো।
তোমার পিঙ্ক শাড়িটা আজও তোমার আলমারিতে
শুধু অপেক্ষায় আছে।
আজকাল অফিসফেরত সেই  আনমনে তোমাকে দেখি
সেই বাস্ট্যান্ডটায় ,সেই তেলেভাজার দোকানের পাশে।
তুমি হাসছো
অতিকায় সময় তুমি হৃদয়ের আঁচড় কেটে চলো
তোমার ছেড়ে যাওয়া টিপ্ ,তোমার চিরুনি ,তোমার সিঁদুর কৌটো।
ফিরে এসো চলন্তিকা
দেখো দুপুরের রৌদ্রে ঠিক ঠিকানা খুঁজে পাবে
আর আমি দাঁড়িয়ে সেই অপেক্ষায় বিকেলের চৌরাস্তায়।
.
মুহূর্তগুলো জমে আছে
অতিকায় এই জীবন কিভাবে কাটাবো চলন্তিকা।
তোমার ছেড়ে যাওয়া স্পর্শদের
ঘরের প্রতিটা কোন জমে থাকা স্মৃতি ,বাবু ,আমি আর তুমি।
কি করবো চলন্তিকা তোমায় ছাড়া
তোমার হাসপাতালে শেষ মুখটা ,কিছুতেই ভোলা যায় না। 

ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েব

ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েব
............. ঋষি
=========================================
যত বড় মুখ না ততো বড় কথা
মেরে মুখ ভেঙে দেবো ,হবে না বাপের বাড়ির শিক্ষা ,
একঝলকে চলন্তিকার মুখটা মনে পড়লো।
বিংশ শতাব্দী
বদলানো প্যাটার্নে ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েবে আছি
তবু তুমি মুখ বুঝে মার্ খাচ্ছো চলন্তিকা।
.
এক্স প্লাস ওয়াই সুড়ঙ্গের ভিতর দিয়ে হাঁটছি
শর্তে আছে পৌরুষের মেজাজ ,সমাজ তান্ত্রিক পুরুষ।
দেওয়ালে আটকানো তামাটে বর্ণের ছবি
তখন তোমার একুশ বছর বোধহয়।
শোনা কথা একুশ বছরে মেয়েদের আশ্চর্য লম্বা চুল থাকে
ওই বয়সের একটা নিজস্ব আদল থাকে।
তবু চলন্তিকা
তোমাদের জীবন্ত মনোপলি অভিলাষ আর সহ্য।
হ্যাটস অফ ইউ ডিয়ার
সময় জাগছে ,জাগরণী গান তোমাদের যোনিদেশে
তবু কুয়াশা আচ্ছন্ন শরীরে মৃত অভিলাষ।
.
বাজা শালী এত বছরেও একটা সন্তান দিতে পারলি না
বেশ্যার পিঁড়িতে বোস গিয়ে
এক পলকা চোখের জল ছিটকে এলো আমার খোলা বারান্দায়।
সময় বদলাচ্ছে
বদলানো সময়ের আঙিনায় সভ্যতা গ্যালাক্সি চেটে খাচ্ছি
আর তোমরা আজও চুষছো চোখের জল। 

Wednesday, March 13, 2019

মন্দবাসা (২)


মন্দবাসা (২)

............... ঋষি

===================================================

আজ ২২ বছর ধরে আগুন কি তা জানি

বিবাহ, প্রেম সব মিথ্যে হয়ে যায়

আর ভালোবাসা সেই শব্দের মানে বুঝতে মন চায় না।

অদ্ভুত না শিহরণ

ঝড় ওঠে ,মেঘ করে ,চোখের কোনের কালিরা খবর রাখে না

ঠিক কতটা বেঁচে।

.

জীবন থেকে মৃত্যুর দূরত্ব মাপতে বসি

কিলোমিটার পেরিয়ে সেই ক্লান্তি লেগে থাকে আমার শহরে।

জানি তুমি ব্যস্ত মানুষ

তোমার সময়ের সমুদ্রে বাস অথচ সময় নেই  আমার জন্য।

সহস্র বছর পরে তোমার তুমিটাকে একবার প্রশ্ন করো

কে আমি ?

দেখবে অদূরে দাঁড়িয়ে একটা ক্লান্ত মেয়ে

যে শুধু হাসতে চায় ,হয়তো ভালোবাসতে চায় পৃথিবীটা।

কিন্তু সেদিন তুমি অবাক হবে

দেখবে সেই মেয়েটা গাছ হয়ে গেছে ,শুকনো গাছ।

তার আর  অভিমান হয় না ,আর সে লুকিয়ে কাঁদে না

শুধু মাঝে মাঝে বসন্তের হওয়াতে তার ভালোবাসতে ইচ্ছে হয়

সে তার ভালোবাসার নাম দিয়েছে একটা

মন্দবাসা।

.

আজ ২২ বছর ,সংখ্যা নিরিখে অনেকগুলো দিন

সম্পর্কের মানেগুলো ভীষণ মিথ্যে আজকাল

আর ভালোবাসা কেন জানি স্বপ্নে ভীষণ রঙিন লাগে।

অদ্ভুত কি জানো

বছর ঘুরবে ,সময় কাটবে ,অনেককিছু বদলাবে

কিন্তু বদলাবে না এই সম্পর্কের মানে।


হৃদয় পোড়া



হৃদয় পোড়া
............ ঋষি
=============================================
নাটকটা তো আর নাও  করতে পারো
চলন্তিকা উঠে চলে গেলো।
চলন্ত কোনো আগুনের গায়ে অসংখ্য টানাপোড়েন দৃশ্য
আর দৃশ্যরা পুড়ে গেলে  পোড়া গন্ধ বাতাসে।
.
বাতাসে দেশি মদের গন্ধ
অনেকটা সময় চলন্তিকা নিজস্ব  সম্পর্কে আসীন।
প্রেম ,বিবাহ কোনোটাই  নাকি মানুষের বিবেচিত নয়
শুধু সস্পর্ক কেন?
শেষ উনিশ বছরে অসংখ্য আগুনে পোড়া
পোড়া দাগ তোমার যতটা চলন্তিকা  ,ততটাই আমার।
কোনো এক সরু সুতোয় বাঁধা সম্পর্ক
অথচ লোহার থেকে শক্ত।
বিবাহবন্ধন
আগুনে পুড়ে যাওয়া আগুনের পাখি।
.
নাটক সে তো মহাভারতের  ফলাফল
তোমার রেগে যাওয়া নতুন না চলন্তিকা।
শুধু আগুনে পুড়তে থাকা দৃশ্যগুলো অদৃশ্যের হৃদয় পোড়ায়
কিন্তু দৃশ্য পুড়লেও স্মৃতিরা তো থেকেই যায়। 

Sunday, March 10, 2019

দুঃচরিত্রা মেয়েটি


দুঃচরিত্রা মেয়েটি
..................... ঋষি
==============================================

ধর্মাবতার মেয়েটি পুড়ে মরেছিল
বাদী পক্ষের উকিল বলছে এটা ইচ্ছাকৃত গায়ে আগুন।
যদি সময় ,পরিস্থিতি অবস্থানে চোখ রাখেন
দেখবেন ঘটনাটি ইচ্ছাকৃত।
কিন্তু কেন ?
এই প্রশ্নের উত্তরে সময় বলছে মেয়েটি দুঃচরিত্রা।
.
এইবার দৃশ্যের বাইরে যাহা থাকে সেটা জানা জরুরী
শেষ সাত বছর ধরে কেসটা কোর্টে।
মেয়েটির বাবা মা প্রায় নিঃস্ব হয়ে সত্যি খুঁজছে
আর সমাজ খুঁজছে উত্তর।
সত্যি কি  মেয়েটি দুঃচরিত্রা ছিল ?
এটা খবরের পাতার শিরোনাম আর মানুষের লোভের খবর।
.
হ্যা মেয়েটা যদি সত্যি আগুন দেয়
কারণ ১৪ ই ফেব্রুয়ারি রাতে তার স্বামী তাকে বেধড়ক পিটিয়েছিল।
হ্যা মেয়েটা দুঃচরিত্রা ছিল
কারণ মেয়েটি অফিস থেকে প্রায় রাত করে বাড়ি ফিরতো,
প্রায় অফিসের কাজে তাকে বাইরে যেতে হতো।
তাই বলে গায়ে আগুন ?
.
সত্যি তো উত্তর দিচ্ছে সমাজ
এই উত্তর সমস্ত মানুষ প্রজাতির পক্ষ মেয়েদের অবস্থানের উদাহরণ।
অর্ডার অর্ডার অর্ডার সমস্ত প্রমান ও সাক্ষের  পর এটা পরিষ্কার
মেয়েটা দুঃচরিত্রা এবং এটা একটা দুর্ঘটনা।
কিন্তু কেন ?
এই প্রশ্নের উত্তরে মেয়েটার আর্তনাদ ধ্বনিত হলো " বাঁচাও ,বাঁচাও "।

Saturday, March 9, 2019

তবু ভালো থেকো (২)


তবু ভালো থেকো (২)
............ ঋষি
===============================================
তুমি জানো  চলন্তিকা গতকাল নারীদিবস ছিল
আর সেই দিনই কাকলি পুড়ে মরলো।
রফিক সাহেব সেদিনই গোর দিয়ে এলেন তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে
যে তার তৃতীয় সন্তানেকে জন্ম দিতে গিয়ে মারা গেছে।
এমিলির তার এবোরশন টা সেরে নীল এই দিন
কারণ জর্জ অন্য কাউকে জীবন সঙ্গিনী বেঁচে নিল।
.
সব বুঝলাম চলন্তিকা
বুঝলাম সময়ের গান নারী ও পুরুষের সহবস্থান।
নারীদের দিন
যেদিন নারীকে সম্মান জানানো রীতি।
কিন্তু কিসের সন্মান ?
.
আসলে চলন্তিকা সত্যিটা বলি
তোমরা চিরকালই সহজলভ্য ,তোমাদের শরীর ,মন।
প্লিস আমি বলছি না এই কথা
বলছে তোমাদের রান্নাঘর ,এক কামরার সংসার ,বিছানার চাদর
আর তোমাদের স্নেহ।
তোমরা এখনো বুঝে উঠতে পারলে না
তোমরা শুধু আসবাব আর বাকিটুকু সাজানো মোমের পুতুল।
.
তবু ভালো থেকো
তোমাদের জন্মের দিন ,তোমাদের বিয়ের দিন ,তোমাদের মৃত্যুর
শুভেচ্ছা সময়ের।
আর কিছুটা সাজানো নাটকের সমাজ
তোমাদের আরো উপভোগ করুক ভোলানোর নামে।


.

Friday, March 8, 2019

মৃত সংগীত


মৃত সংগীত
................ ঋষি
============================================
লাল ,নীল ,সবুজ নিয়ে হাজারো রং
মৃত সংগীত।
চলন্তিক প্রশ্ন করেছিল কাকে নিয়ে লেখো কবি এমন কবিতা
বলতে পারি নি ,হয়তো বলতে চাই নি
আসলে আমি যে মৃত্যুর কবিতা লিখি।
.
সত্যি বড় অদ্ভুত
 মানুষ নামক জীবটার মানচিত্র খুলে অবাক হয়ে দেখা
কত হাজারো রং।
হাজারো অনুভূতি ,হাজারো স্পর্শ ,যেন হাজারো সভ্যতা
আর আমি সেই সব্যতার মৃত্যু কল্প দ্রুম
যে শুধু মানুষের কবিতা স্পর্শ ছুঁয়ে বাঁচে।
পথচলা
বিস্তির্ণ  প্রান্তরময় অযুতনিযুত ম্যাজিক
ম্যাজিক মানুষের হাসি ,মানুষের কান্না ,মানুষের বাঁচা
অদ্ভুতুড়ে কোনো বিশাল ক্যানভাস ,
হাজারো রঙের ,হাজার রঙের হাজারো মানুষ
অথচ শেষ রঙটা সাদা সর্বদা।
.
লাল ,নীল ,সবুজ নিয়ে হাজারো বাঁচা
মৃত সংগীত।
চলন্তিকা প্রশ্ন করেছিল কবি কি করে তুমি প্রেমময়
আমি হেসেছিলাম ,সে দেখে নি
আসলে আমার প্রেমেও মৃত্যু আঁকা। 

অনেক মানুষ


অনেক মানুষ
............... ঋষি
=========================================
অনেকগুলো মানুষ পেরিয়ে এলাম
শহর জুড়ে অনেক মানুষ ,প্রচুর ভিড় ,
কিন্তু শেষ কই ?
.
মাঝে মাঝে দু চারটে মানুষ  দুম করে বদলে যায়
ঝড় ওঠে ,হৃদয় ভাঙে।
আবার কখনো কিছু মানুষ দুম করে সরে যায়
না সত্যি দুম করে শব্দ হয় না ,
শুধু মানুষটা থাকে না।
কেন এমন ?
.
বিপ্লব মরে গেলে
রোজ স্বপ্নে উঠে দাঁড়ায় সেই বোবা ধর্ষিত মেয়েটা
চিৎকার করে রক্ত মুখে করে।
হঠাৎ আকাশ থেকে এগিয়ে আসে সেই শৈশবের শব্দ
যার মা  বলে ডাকার কথা ছিল।
কেন এমন ?
.
অনেক মানুষ ঘেটে আসল সত্য দাঁড়ায়
মৃত্যু ছুঁয়ে ,নিজেকে স্পর্শ করা ,
আর অন্তর আত্মার চিৎকার
কেন জন্ম হয় ? 

Thursday, March 7, 2019

রৌদ্র বিকেল


রৌদ্র বিকেল
................. ঋষি
=============================================
পুরোপুরি হিসেবি আমি
অথচ বড্ড বেশি মন ভোলা ,ভুলো স্বভাব।
আসলে অভাব হয়তো ছিল
হয়তোবা কিছুটা একা  থাকার স্বভাব।
এই শহরের মতো
এই রৌদ্র বিকেলে মনের লুকোনো তোমার মতো। 
.
কবি ,পত্রিকা ,আঙ্গিক
কলেজ ব্যালকনি ,তোমার ঠোঁট ,প্রথম পাওয়া ,স্পর্শ লোভ।
আজ হিসেব করতে বসলে কেমন যেন বেহিসেবি আমি
বড় বেশি একলা মনে হয়।
অনেক কিছু লুকোনো ডাইরির পাতায়
তোমার চুরি যাওয়া টিপ্ ,সেই দুপুরে তোমার ব্লাউজের ছেঁড়া হুক
দুটো রুমাল ,তোমার ভাঙা চুড়ির  টুকরো সব আছে।
কিন্তু চুরি গেছে বহু কিছু ,বেঁচে থাকার অনেকটুকু
বসন্তের দুপুর ,তোমার চাহুনি ,তোমার ঝগড়া
আমার হাসি ,
শুধু কবিতার পাতায় আজকাল ছবি আঁকতে ইচ্ছে হয়
ছবি আঁকা হয়ে গেলে ,বারংবার শুধু তোমার মুখ মনে হয়।
.
পুরোপুরি হিসেবি আমি
তবু দেওয়া নেওয়া ,দাঁড়িপাল্লার কাঁটা সব ব্রাত্য আজ ।
কিছু গল্প লুকোনো থেকে যায়
কিছু গল্প শহরের বুকে আমার মতো গুমরে মরে।
তাতে কি ,সময় চলছে
যেমন চলছে এই রৌদ্র বিকেলে তোমার কবিতা লেখা। 

Wednesday, March 6, 2019

ইত্যাদি

ইত্যাদি
............... ঋষি
======================================
ইত্যাদি ,ইত্যাদি
এমন একটা শব্দ রাষ্ট্র গুলে অনিয়মিত নিধন।
মিসিং লিম্ব মানুষের
বোঝার আগেই ইত্যাদি।
নিয়ন আলোর এই সন্ধ্যেতে ইত্যাদি আমার কাছে
বলবেনা সময়।
.
ইত্যাদি এমন এক শব্দ
সব কথা বলতে নেই মিক্সিতে ঘেঁটে ঘ।
প্রেমের কবিতা হোক ,কিংবা প্রেম
ইত্যাদি শব্দটা গুলিয়ে ওঠে গা শারীরিক বিন্যাসে।
ইত্যাদি কোনো শব্দ নয়
এক শব্দ দানব যেন গিলে ফেলে অস্তিত্ব।
আমরা বলি মানুষ
অথচ ইত্যাদি শব্দের ব্যবহারে  মানুষ আর মানুষ থাকে না
হাইওয়ে ওঠে গোলকের অন্যতম জানোয়ার।
ভাইকে হত্যা করতে পারে ,বোনকে ধর্ষণ
আর মায়ের উরু চিরে রাষ্ট্রকে বিক্রি করতে পারে।
.
ইত্যাদি ইত্যাদি
এমন একটা শব্দ যেন দুঃশাসনের প্রেম।
কিংবা কলম্বাসের চোখের মহাকাশ
যার শেষ নেই ,যার উপলব্ধিতে উঠে আসে ভীতি।
নিয়ন আলোতে লুকোনো অন্ধকারে
ইত্যাদি অন্ধকার আড়ালে ,দেখতে পাচ্ছি না। 

পরজন্মে রাধা



পরজন্মে রাধা
................. ঋষি
==========================================
স্রোতের বিরুদ্ধাচরণ অন্ধকার
হয়তো আলো
ভাবনার প্রকাশ হলেই গ্যালিলিও মৃত
মৃত হাজারো অভিসারে সময়ের অধিকার
আসলে প্রতিটা আবিষ্কার মৃত্যুতে শুয়ে থাকে
অথচ মৃত্যু শুয়ে থাকে আবিষ্কারের বুকে
.
কোনো ভূমিকা নয়
শুধু অনুভূতিতে মানুষ  হওয়া জরুরী
নগর সংকীর্তনে একপাল সংকল্প
ভেসে যাওয়া সময়ের ভিড়ে অজস্র রক্তক্ষরণ
পুরুষ না নারী
স্পর্শ অধিকারে  ,বিদ্রোহ বিপ্লবে ,বেঁচে থাকা স্বাধীনতা
এই মৃত্যু শুধু সামাজিক
জিতে যায় একই অঙ্গে শিব ,পার্বতী
দোষ বিদ্রোহ
পরজন্মে রাধা হয়ে জন্মাবার অভিমান
সময়ের অভিমানে
বুঝে যাওয়া প্রদীপ ,প্রদীপের বুকে খুঁজতে থাকা নারী স্তন
ভূমিকায় নারী শারীরিক পুরুষ
.
অজস্র নিষিদ্ধ ভালোবাসা
শহরের গলিতে মৃত প্রায় সম্পর্কগুলো সাংসারিক
আমি তুমি শুধু ভূমিকায়
তবে তারা কেন নয় ?
তবে তারা কেন ভালোবাসতে পারে না
ভালোবাসা অধিকার,শরীর সেখানে গৌণ্য
.
(বিদ্রঃ : ভূমিকায় নগরকীর্তন। কোনো ফিল্মের রিভিউ নয় কবিতায় মানুষের অধিকার আর  ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকা সিনেমার দেখা অদৃশ্য উপলব্ধি। )
    

Tuesday, March 5, 2019

অনন্তকাল


অনন্তকাল
...................... ঋষি
==================================================
নদীর নাম জানতে চাই না কেউ
শুধু নিজেকে আবিষ্কারের নেশায় কিংবা উপলব্ধিতে ডুব লাগায়।
যদি ভেসে চলে অনন্তকাল
সময়ের ক্ষত বুকে।
হাজারো রোমন্থনের শোক ,হাজারো সামুদ্রিক ঢেউ
স্বপ্ন দেখে যদি সমুদ্র।
.
ভিজে মাটি
চারিপাশে  থাকা বাসস্থান।,নদীর অলৌকিকতা।
সকলে পুজো করে
কেউ বা আদর করে মিষ্টি জলে ঠোঁট ভেজায়
কিন্তু জানতে চায় না কেউ।
নদী বয়ে চলে কালের ক্ষয়ে ,বুকে লেগে তৃষ্ণা,
যদি একবার মোহনায় দেখা হয়।
দেখা হয় সত্যি ,সত্যি সমুদ্রের সাথে
সমুদ্র চিনতে পারে না।
তবু যদি মিশে যায় ,সমুদ্রের বুকে মাথা রেখে স্বপ্ন বোনে
একবার যদি সত্যি হতে পারতাম।
.
নদীর নাম কেউ জানে না
শুধু অকাল সময়ের বিষন্নতা বুকে বয়স বেড়ে যায়।
পার ভাঙে।গভীরতায় জমে মাটি
যদি ক্লান্ত।
একদিন ভাসিয়ে দেয় দুইপারের অসংখ্য জনপদ
চিৎকার করে কাঁদে ,আর না সমুদ্র। 

বৃষ্টি এলো


বৃষ্টি এলো
.............. ঋষি
==============================================
শব্দরা সব যেন সারি দেওয়া পিঁপড়ে
মস্তিষ্কের নিউরনে অসংখ্য আসা যাওয়া।
অপ্রিয় সত্য
নিজের বুকে ছুরি মারার মতো কিছু আংশিক।
তবু আকাশে সারি দেওয়া মেঘ
এখন বৃষ্টি আমার শহরে।
.
সাদা পাতায় পায়ের ছাপ
কেমন যেন ধূসর হতে থাকা আলো এই সময়।
বৃষ্টি এলো
জানলার ধারে লেখার ডেস্কটপে পুরোনো ডাইরির তুই।
সময়ের মতো শব্দ বদলাচ্ছে
বিদ্রোহ কিংবা আদরের আদলে জীবনের ভূমিকা।
আজকাল বুঝে উঠতে পারি না
কেন লিখি ?
কি লিখি ?
শুধু সাদা পাতায় সারি দেওয়া পিঁপড়েরা ইচ্ছে লেখে
অসময়ের বাঁচার।
.
শব্দরা জব্দ হলে মুখবন্ধ ,মনখারাপ
মস্তিষ্কে জমে থাকা অসংখ্য চিরন্তন পায়ের ছাপ।
অপ্রিয় সত্য
সারা আকাশ জুড়ে চাপা মেঘ ,সারি দেওয়া ভাবনা।
এখন বৃষ্টি আমার শহরে
হয়তো পিঁপড়েরা ঘর গোছাতে ব্যস্ত।  

শেষের শুরু

শেষের শুরু
.................. ঋষি
==============================================
অতিক্রান্ত অলিগলি
বয়স পেরিয়ে দৌড়োবার ঝোঁক মানুষের।
নিঃশ্বাসে বিষ
বিশ্বাসে লেগে থাকা শেওলা কবিতা।
শেষের  শুরু
কিংবা ভাবনার শেষের কবিতা।
.
শুয়ে থাকা শরীর জলের তলায়
ঠুকরে যাওয়া ইচ্ছা বুকের ভাঁজে জমানো বাঁচা।
অন্ধকারের পথ চলা
স্বপ্নের সিঁড়ি
কিংবা ক্রমশ গুটিয়ে যাওয়া তোর মত শামুকের জীবন।
ইচ্ছারা ক্রমশ জংলী ঘোড়া
আকাশ ,পাতাল ছিটিয়ে ঘুমের ঘোড়া অনবরত টগবগ।
শেওলা লাগা শরীরের কবিতা
উঠে আসা নোনতা স্বাদ ,আঁশটে গন্ধ।
কবিতার মতো সময় যদি সত্যি হয়
কিংবা মিথ্যা
বাঁচার মত।
.
অতিক্রান্ত দূরত্ব
বয়সের চামড়ার ভাঁজে বালিঘর।
ডুবে যায় সারি দেওয়া সকাল থেকে সন্ধ্যে
অনবরত রক্ত ক্ষরণে।
জন্মের আমন্ত্রণ
আর নিয়ন্ত্রণের ঘরে শুধুই কবিতা।

Saturday, March 2, 2019

আজকাল পাও জমিপে

আজকাল পাও জমিপে
.... ঋষি
======================================================
সময়ের আঁচলে লুকোনো মুখ
তুমি আমি ব্রাত্য বড়।
শব্দের জাগলিং ,ওঠা ,পড়া ,ভাঙা  ,গড়া আমি বুঝি
তুমি বোঝো জীবনের দিনলিপি।
কাটানো সময় ,দুর্বলতা ,মুহূর্ত ,অনবরত ক্ষরণ বুকের ভাঁজে
সময়ের মেদুরতা।
.
চলন্তিকা আমি ডাইরি লেখা ছেড়ে দিয়েছি
আমার ভাবনারা বদলাতে বদলাতে আজ বস্তাপচা এই শহরের কাহিনী।
যেখানে পলিউশন আছে ,আছে ট্রাফিক
আছে ১০-৫ অজস্র ক্লান্ত মুখ ,সংসার ,সঞ্চয় ,ভবিষ্যৎ
কিন্তু স্বপ্নগুলো ব্রাত্য বড় সেখানে।
সেই গানটা "আজকাল পাও জমিপে নেহি পরতে মেরে
অদ্ভুত এই সময়ের দর্পনে ,তাও সম্ভব।
কেন যে আজকাল রাতে ঘুম আসে না
কেন যে আজকাল শুধু সময়ের অবান্তরতা পান্তাভাত আর নুন
বুঝে উঠতে পারি না।
আজ কোনো স্বপ্ন আসে না আর
কতদিন হয়ে গেছে আমি স্বপ্ন লিখিনি
লিখিনি কবিতা।
.
সময়ের আঁচলে লুকোনো মুখ
আমি ,তুমি শুধু বাঁচা।
আমি সেই বাঁচার গভীরে কোনো স্বপ্ন খুঁজে পাই না
পাই শুধু তোমার ক্লান্ত মুখ।
তুমি হাসো চলন্তিকা ,যেমন সর্বদা আমার কানের ভিতর সময়ের হাসি
আর সময়ের ব্যস্ততা।

অচেনা (২)

অচেনা (২)
....................... ঋষি
=====================================================
খুঁজছিলাম তোমার ঘর
একলা পথের ধরে দাঁড়িয়ে দেখা যেন বিশাল সমুদ্র।
আজকাল তোমার মুখটা ক্যামোফ্লেজ করে
কেমন যেন বদলে যায় পৃথিবীর মতো।
পৃথিবীর কথা যখন বলতে হলো চলন্তিকা
আজকাল আমার আর নিজেকে মানুষ বলে মনে হয় না।
.
সাতসমুদ্রের পাড়ে
শ্বাশত কোনো আগুনের ভিতর বড়ো বেশি অভ্যস্ত আমি তোমাকে দেখায়।
বুকে ঝড় ওঠে ,গলার কাছে আটকে থাকে শব্দগুলো
যত গন্ডগোল ,কিছুতেই সত্যি বলা হয় না।
অভ্যস্ত কথোপকথন ,অভ্যস্ত ঝোড়ো হাওয়া
অভ্যস্ত প্রাচীন মন্দিরের গায়ে জমতে থাকা শেওলা।
সময় জামা বদলায়
আমি কোনো ছেঁড়া পাঞ্জাবির পকেটে হাত দিয়ে তোমাকে খুঁজি।
কখনো স্বপ্নে সেই ভাঙা ঘর ,ভাঙা দরজার ওপারে তুমি
আমি চোখ রগড়ায় বড় চেনা অথচ অচেনা তুমি।
সময় পেরোয় ক্রমাগত ধৃষ্টতায় আমি মুখ লুকোয় তোমার বুকে
খুঁজে পায় দুটো হলুদ পাখি ,বড় আদরের।
.
খুঁজছিলাম তোমার ঘর
একলা সমুদ্রের ওপারে তখন অনবরত গম্ভীর আহবান।
আজকাল আমার সমুদ্রকেও বড় অচেনা লাগে
কেমন দূরে সরতে থাকে।
শুধু পৃথিবীর পথে হাঁটতে ,হাঁটতে চলন্তিকা
আজকাল কেন যেন নিজেকে বড় এক মনে হয়।

.

অন্য হাওয়া

অন্য হাওয়া
................ ঋষি
==============================================
কথা দিয়েছিলাম ঠিক দেখা হবে
হয়তো বছর কুড়ি কিংবা আরো পরে কোনো একদিন।
তোকে বলার আছে অনেককিছু
হয়তো তার থেকে অনেক বেশি শোনার।
সময়ের কোলাহলে আজকাল বাঁচাটা বড় যান্ত্রিক
শুধু যান্ত্রিক নয় হৃদয়ের হঠাৎ ছোঁয়া অন্য হাওয়া।
.
কথা দিয়েছিলাম
হয়তো আমাদের ফুরোনো চুমুটার আবার পুনুরাবর্তন হবে।
কোনো বড়ো রাস্তার ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে
হঠাৎ করে জড়িয়ে ধরবি তুই।
বলবি
আচ্ছা আমি যদি হঠাৎ হারায় কি করবি  ?
আমি আমার ছন্দে একরাশ আকাশে ধোঁয়া ছেড়ে বললাম
কবিতা লিখবো।
তখন তুই আমাকে আগলে ধরে বলবি
আর যদি কোনো দিন হঠাৎ করে হারিয়ে গিয়ে  ফিরে আসি
আমি হাসলাম বললাম চুমু খাবো ।
তুই হাসলি  মুখ বেঁকিয়ে
বলবি  শুধু চুমু ,জড়িয়ে ধরবি না আমায়।
.
কথা দিয়েছিলাম ঠিক দেখা হবে
আজ অনেক বছর পর তুই হেঁটে গেলি আমার পাশ দিয়ে।
আমার বুকের গভীরে পুড়ে গেলো অনেক পুরোনো কথা
শুধু কথা হলো না আর শোনাও না।
আসলে সময় কখনো কথা রাখে নি আর তুই তো সময়
চলে গেলি কিন্তু রেখে গেলি  অন্য হাওয়া।


চালশে

চালশে
..... ঋষি
===================================
সময় ফুরোতে থাকে
অথচ চলন্তিকা তোকে ফুরোতে চায় না মন।
সকালে আলোতে নতুন কোনো উৎসব
উৎসর্গ জীবন শুধু তোতে।
.
আচমকা ঘুম ভেঙে যায়
মুখের উপর সকালের আলো জানলা ভাঙা উৎসব।
উৎসব প্রতিদিন আমার শহরে
বদলানো ইতিহাসের দিশা লিখতে চাওয়া সময়ে।
চৌরাস্তায় দাঁড়ানো বিপ্লবী পাষান
দিক দর্শন করে ভূমিকা বদলাবার পায়রারা  আকাশে।
.
আজকাল কবিতা আসে না
পথ চলতে পথ দূরে সরতে থাকে রাজনৈতিক মঞ্চে।
শব্দের জাগলিং করা এই জোকারটা
রাজ্ কাপুরের লিপে গান করে জিনা ইহা মরনা ইহা।
শুধু চারিপাশে ঋতুরা বদলাতে থাকে
চোখে চালশে।
.
সময় ফুরোতে থাকে
অথচ চলন্তিকা তোর বয়স বাড়ে না।
বাড়ে না আমার মনের বয়স
শুধু একান্ত আপন এই সময়ের বয়স বেড়ে যায়। 

.একটা কবিতা আমি তুমি

আমার কবিতা পেলেই আমি তুমি হয়ে যাই তোমার মতো আটপৌরে শাড়ি পরি, হাতে কলম কোমড়ে আঁচলটা গুঁজে তোমার মতো উনুনে আঁচ দি  হাঁড়িতে পরিমাণ মত শব্দ, জল...