Sunday, April 30, 2017

একলা দিনে

একলা দিনে
.......... ঋষি
============================================

কিছু প্রশ্ন শুকনো লংকার মতো ঝাঁঝালো
শেষ কিছুদিন মাথার ভিতর একটা অদ্ভুত পাগলামি।
পরিষ্কার কাঁচের  চোখে চোখ রেখে আদিম আবর্তন
আমি দেখতে পাই তোকে।
চোখ বুঝলে আমি পরিষ্কার দেখতে পাই এই সময় তুই স্নানের ঘরে
তোর সাওয়ারের জলে শুনতে পাওয়া স্পর্শ রিনিঝিনি

আমি বলতে চাই চলন্তিকাকে অনেক কথা
ভাসতে ভাসতেই এই  তো ভেসে এসেছি জন্মান্তরে কোনো অনুভবে।
তোর ভিজে শরীরে গন্ধ। তোর  পিঠের পিছনে তিল , আরেকটা নাভির বেশ নীচে
আমি ছুঁতে যাই ,অজান্তে শুনতে পাই তোর গলা।
তোর হাসিতে আজকাল অন্যমনস্কতা দেখতে পাই
ছুঁয়ে  যায় রবিঠাকুরের গান ফাগুন," হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান
 তোমার হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান  " ।
এ এক অদ্ভুত নেশা ,এ এক অদ্ভুত পাওয়া
চোখের সামনে ভেসে ওঠে কোনো স্বপ্নের  আদরের দিনযাপন।
তারপরেই শুনতে কাঁচ ভাঙার শব্দ
ভেঙে যায় সমস্ত মুহূতরা যা তিল তিল আদরে গড়া

কিছু প্রশ্ন পেয়াঁজ কাটার ঝাঁঝের মতো ভীষণ অপ্রিয়
আর কিছু প্রিয় শব্দ নিতান্ত আমার।
পরিষ্কার কাঁচের পাত্রে সাজানো কিছু স্বপ্নের প্রলোভন মনের খাঁচায়
কিন্তু খাঁচা শূন্য একলা থাকায়।
আজকাল আমি পরিষ্কার শুনতে পাই তোর হাসির শব্দ
কোনো পাগলকরা একলা দিনে। 

আকাশের চাঁদে

আকাশের চাঁদে
.......... ঋষি
============================================
নতুন সুভা দেখবো বলে অপেক্ষা
আকাশের চাঁদ জানে সে শুধু কল্পিত কোনো পরাধীন ছায়া ।
আদর চাদরে নিশিমায়া তোর বুকে অলৌকিক জাজিম বিছোয়
আমি সোহাগের আদোরে নির্দ্বিধায় এক সময় ।
আমার কাহিনী জুড়ে ঝরা পালকের ভিড়
নিরুপায় এই সময় ।

সবাই তো ফেরেনা ঘরে, আকাশও জানে সে কাহিনী
ক্রমাগত উড়ে যেতে যেতে একদিন করো কারো ডানা থেমে যায়।
নিরুপায় সেদিন মনে পরে পুরোনো সেই  ঝরা পালকের ভিড়
টুকরোটাকরা  স্মৃতি ছুঁয়ে যাওয়া।
আমার রজনী জুড়ে ম্লান নিওনের সাথে  পূর্ণ চাঁদের  আশিয়ানা
 সেও এক সুখ।
সুখ খুব পেয়ে গেছি বলে এ জীবনে এবার
একদম চুপ।
অপেক্ষা দাঁড়িয়ে থাকা খোলা জানলায় থুতনি রেখে
ছুঁয়ে যাওয়া বারংবার তোর বুকের শেওলা গন্ধ।

নতুন সুভা দেখবো বলে অপেক্ষা
জীবনের পৃষ্ঠা উল্টে দেখি  ঘনিয়ে এসেছে উপসংহার
অবশেষে ছুঁয়ে থাকা স্পর্শ গুলো তোর গোলাপি  লিপস্টিক ঠোঁট ছুঁয়ে
আঁকতে থাকি।
জানিস তো তোর হাসির জন্য হাজারোবার মরে যেতে পারি
শুধু একলা আকাশের চাঁদে । 

একলা শব্দ

একলা শব্দ
.............. ঋষি
============================================
একলা দাঁড়িয়ে যদি কোনো ভাবনা ধরা পরে
তোমাকে ছাপিয়ে এখন বিকেলের শেষ রোদটুকু আমার কবিতায়।
তোমার সবুজ চুড়িদারে ওড়নায় উড়তে থাকা নীরবতা
আমাকে চুপি চুপি বলছে।
আকাশের মেঘ সে যে ভাবনার মোড়কে আদিম কোনো সোনা
আজ ফলেছে মাটিতে আরো আদরে।

তোমার চোখের কাজলে
তোমার সানগ্লাসের হাইভোল্টেজ কোন প্রাচীন আবহাওয়া।
আটলান্টিকের গভীরতায় ছড়ানো মণিমুক্তো
তুমি শুনতে পারছো আমি জানি।
আমার কবিতা তোমাকে স্পর্শ করে ভাসিয়ে নিয়ে যায় নীল সমুদ্র পাড়ে
তুমি অনুভব করছো জানি কোনো শ্রাবনের দিন।
গড়িয়ে নামা নোনতা জল ,তোমার বুক ভেসে যায়
গড়িয়ে দুচারফোঁটা অশ্রু ,শুধু একা থেকে যায়।
তুমি বোধহয় জানো প্রতিটা কবিতা লেখার আগে
আমি কল্পনায় ছুঁয়ে আসি তোমায়।

শেষ বিকেলের রোদটুকু এই মুহূর্তে তোর মুখের উপর
যেন কোনো মেঘে ঢাকা অঢেল ভাবনা।
তোমার খোলা চুলের এক ফালি ঢেউ আমাকে ছুঁয়ে দিয়ে গুপিচুপি কানে কানে
আমার শহর কিছু বলছে।
আমি জানি একটা দিন শেষ হবে এবার
তারপর সেই স্বপ্ন ঢাকা অন্ধকারে তোমারের নিঃশ্বাসের শব্দ। 

মিষ্টি বাঁচা

মিষ্টি বাঁচা
........ ঋষি
===========================================
চলন্তিকা তোর রাগ করা সাজে
কিংবা আমার ওপর অভিমান।
কিন্তু তুই যদি চুপ করে থাকিস তবে বুঝবো কি করে
কিন্তু তুই যদি আরও একলা থাকিস তবে জানবো কি করে।
শেষ ইনবক্স ম্যাসেজটা আমি দেখেছি
যাতে লেখে ছিল খুব বিজি না ,যা আর কথা বলতে হবে না.

অভিমান কোনো সদ্য ফুটতে থাকা গোলাপের পাঁপড়ি
নিজের আদিম সুখ।
আবৃত আর অনাবৃত্তের ফাঁকে কিছু না বলা জমে বারান্দার কার্নিশে প্রাচীন ঝুল
থুড়ি সে তো তোর ঘরেরও হতে পারে।
আচ্ছা চলন্তিকা মানুষ তো যুগযুগান্তরে ঘরের ভিতর ঘর বানায়
তারপর কাঁটাতার দিয়ে গন্ডী আঁকে ,আমি তুই কি সেই গন্ডীতে বন্দী?
ও উত্তর দিবি না রাগ করেছিস
ছোটবেলার একটা কবিতা এই সময় আমার খুব মনে পরে।
রাগ করেছে রাগুনী ,,রাঙা মাথায় চিঁরুনি
জানি এই সময় তুই খুব হাসছিস।

চলন্তিকা তুই হাসিস না এমন করে
গড়িয়ে নামা মিষ্টির রসগুলো তোর ঠোঁট বেয়ে আমার হৃদয়ে।
কি বলছিস পাগল একটা  ,,,ঠিক গলিয়ে ছাড়লো
আচ্ছা তবে আমাকে নিয়ে একটা কবিতা লেখা।
চলন্তিকা তুই জানিস তো
আমার কবিতা সময়ের গায়ে লেগে থাকা মিষ্টি বাঁচা। 

Thursday, April 27, 2017

এক স্বপ্ন

এক স্বপ্ন
.............. ঋষি
===================================================

কোনো এক স্বপ্নকে আশ্রয় করে
আমার অবশেষ ঘুমটুকু আমি তোমাকে দিলাম।
এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ
বেশ যদি কোনো মৃত্যুর ডাইরিতে আমি ভালোবাসি লিখতে পারতাম।
শেষ বারের মতো তোমার দিকে তাকিয়ে
আমি হাসতে হাসতে মরে যেতে পারতাম।

সারাজীবন চেয়েছি একটা ভালোবাসার ঘর
সারাজীবন চলন্তিকা আমি তোমাকে খুঁজেছি নিজের গভীরে কোনো প্রাচীন দীঘিতে।
শেওলা মেখে একটা আস্ত সময়
আজকাল বড়ো স্বপ্ন মনে হয়।
সত্যি কি কাউকে এমন ভালোবাসা যায়
যেখানে মৃত্যুকে খুব ছোট মনে হয়।
সত্যি কি কারোর এত কাছে থাকা যায়
যেখানে চোখ বন্ধ করলে অনায়াসে চলে আসে প্রেমিকার ঠোঁট।
আমি চেয়েছি তাই পেয়েছি চলন্তিকা
এই ভালোবাসায় কোনো প্রাপ্তি নেই শুধু স্মৃতি নিয়ে বাকিটুকু বাঁচা।
তবু ভালো থাকবো চলন্তিকা
আর কিছু নয় শুধু স্মৃতিটুকু আমার হয়ে রইলো।

কোনো এক ঈশ্বরকে আমার মানুষ মনে হয়
আমার অবশিষ্ট জীবনের প্রার্থনায় আমি চলন্তিকা আমি তোমাকে দেখি।
যদি মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ হয়
বেশ যদি কোনো ডাইরির শেষ পাতায় আমাকে স্মৃতি লিখতে হয়।
তবে আমি তোমার নাম লিখবো
একবার শুধু একবার মরবার আগে তোমাকে ভালোবাসি লিখবো। 

ভালো লাগছে না

ভালো লাগছে না
............... ঋষি
==================================================

ভালো লাগছে না
এই বোধটা আজ নতুন করে জন্ম হলো চলন্তিকা।
আমি মেঘ খুঁড়ে বৃষ্টি চেয়েছিলাম
আজ গ্রীষ্মের রৌদ্রে বোবা আব্দারের মতো ঘামে ভেজা আমার শহর.
আমি বারংবার তোকে বলতে চেয়েছি ভালোবাসি চলন্তিকা
শুধু নিরুপায় পথচলা আমার।

আজ কোনো এক মিজিয়ামে
জয়জয়কার প্রাচীন ফসিলের দেশ।
মানুষ দেশের ভিতর দেশ গড়ে ,সময়ে অধীনতায় সময়
আর আমি বোকার মতো একটা হৃদয় গড়তে চেয়েছিলাম।
ভুলে গেছিলাম ভালোবাসতে হলে স্পর্শ দরকার হয় ,দরকার হয় জ্যান্ত শরীরের
ভুলে গেছিলাম দূরে থেকে ভালোবাসাটা নিতান্ত বোকামি।
ভালোবাসতে নিজের একটা ঘর দরকার হয়
চতুর্ভুজের বাইরে সরিয়ে নিজেকে যতই আয়নায় মুখ দেখানাও কেন
শুধু ভালোবাসি বললে ভালোবাসা হয় না।
কতটা ভালোবাসি সেটা বলার দরকার হয়
ভালোবাসতে ও ভালোবাসাতেও নিতান্ত একটা মুখোশ দরকার হয়।

ভালো লাগছে না
এই বোধটা নতুন করে লিখে ফেললাম এই কবিতায়
এখুনি বৃষ্টি আসুক তা সম্ভব নয়
সম্ভব নয় আর তোমার আমার কাছে আসার।
কারণ তুমিও বুঝে গেছো আমি জানি
নিঃস্বার্থ ভালোবাসা শুধু একটা বোকামি। 

তথাস্তু জীবন

তথাস্তু জীবন
............ ঋষি
=======================================
হঠাৎ অন্ধকার হয়ে আসা আকাশ
হৃদয়ের দেয়ালে ক্রমশ খসে পড়তে থাকা প্লাস্টার।
এবড়োখেবড়ো ক্ষতগুলো
ক্রমশ আগের মতো জীবিত হচ্ছে চলন্তিকা।
এ কোনো সংক্রমণ
যাতে হৃদয় পুঁজি করে হৃদয় হারানোর  ভয়।

বাইরের জানলা দিয়ে
এক রাশ মৃত শীতল হাওয়া আমার হৃদপিন্ডের দমবন্ধ দরজা।
শহরের পিঠে পিঠ লাগিয়ে খুঁজতে থাকা ছায়া নিশ্বাস
শহর থেকে দূরে আজ অবসন্ন।
আলো খঁজছি চলন্তিকা
আলো।
বাঁচার গভীরে লেগে যাওয়া বেঁচে থাকার লোভ
ক্রমশ তোর খোলা উষ্ণ বুকে খুঁজে পাওয়া আশ্রয়।
আজ নিজেকে অপরাধী মনে হয়
মৃত জীবনের লাশটাকে মাটিতে পুঁতে রাখলেই বেশ হতো।
বেশ হতো নিজের গভীরতায়
ডুবে মরে বলতে তথাস্তু জীবন।

হঠাৎ অন্ধকার হয়ে আসা আকাশ
বৃষ্টি আসন্ন বিকেলের শীতলতায় কেমন একটা গুম ভাব।
উদ্বাস্তু হৃদয়ের দরজায় লাগানো নো এন্ট্রি বোধ
আমি বোধ হয় মৃত আজ।
আমার কবিতা চলন্তিকা তুমি আজও সময়ে বিলীন
বেঁচে থাকার মুগ্ধতায় বাইরে বৃষ্টি এলো।

আমার কবিতা

আমার কবিতা
.......... ঋষি
===========================================
তোমাকে জড়িয়ে ধরে যে কবিতা আমি লিখেছি
তার সবকটা আমি সময়কে দিলাম।
আমার সকল প্রেমিকা যাদের ঠোঁটে আজও লেগে মৃত আবেশ
সেই মৃত্যুর পুরোনো উত্তরগুলো আমি সময়কে দিলাম।
সময়কে দিলাম আমার মৃত্যুর চাবিকাঠি
শেষ ইশারা বেঁচে থাকার প্রস্তুতি মানুষের মতো।

আমাকে ভুল বুঝেছে সময় বারংবার
আমি হাঁরিকিরি করেছি সময়ের সেই ফেলে আসা লজ্জাকে।
আমাকে নষ্ট করেছে সময় বারংবার
আমি ফিরে এসেছি আবার বাঁচবো বলে।
প্লিস চলন্তিকা আমাকে ভুল বুঝিস না আর
আমি যে বাঁচতে চাই
আমি যে হাঁটতে  চাই তোর হাত ধরে একলা নিরালায় জীবনের পথে।
আর একা নয়
এ পথ শেষ হোক আমার মৃত্যুর ওপারে কোনো স্বপ্ন দেশে।
প্লিস কাছে আয় ,খুব কাছে
যেখান থেকে আর ফেরা যায় না।

তোমাকে জড়িয়ে ধরে আমি যে সব কবিতা লিখেছি
তার সবকটা আমি তোমাকে দিলাম।
আমার কবিতার পাতায় প্রতিটা প্রতিবাদ ,প্রতিটা আগুন ,সময়ের রূপ
সে সকল আমি দেখতে চায় আমি সময়ের তোমার আয়নায়।
জীবনের শেষ দিন অবধি চলন্তিকা তোকে
আমি ভীষণ ভালো বাসতে চাই।

কালবৈশাখী

কালবৈশাখী
............ ঋষি
========================================

অনেকদিন নিজের মাঝে নিজেকে খোঁজা হয় নি
অনেকদিন তোর হাসিতে নিজেকে দেখা হয় নি।
এই শহরের পারদে যেখানে বাড়তে থাকা উত্তাপের স্মৃতি
সেখানে অনেকদিন তোকে কালবৈশাখী পাওয়া হয় নি।
পাওয়া হয় নি জীবনের সবচেয়ে প্রাচীন চাওয়া
তোকে আদর করে ভালোবাসি বলা হয় নি।

সম্পর্ক একটা নদীর মতো
তোর চোখের কাজলে উচ্ছল জীবনের নাম চলন্তিকা।
তোর না বলা কথা গুলো
আমার বুকের দেওয়ালে ধেবড়ানো প্রাচীন কোনো পোস্টার।
এই শহরে পথ চলতে আমার যখনি একলা লাগে
তখনি মনে হয় এই তো আমি ,তোর হাসিতে,
তখনি মনে হয় এই তো আমি ,জীবিত  তোর গভীর স্পন্দনে।
শহরের ধোঁয়ায় একরাশ নিকোটিন উড়িয়ে
হঠাৎ যখনি তেতো লাগে জীবন
তখনি উড়ে যায় তোর দরজায় এক রাশ মেঘের মতো
তখনি কোনো একা আশা
বৃষ্টিতে ভেজা সেই স্বপ্ন কিশোরী জীবন আমার দরজায়

অনেকদিন নিজেকে পাওয়া হয় নি তোর মাঝে
আমি জানি তুই আমার কোনো ক্ষতি করতে পারিস না।
কিন্তু এটাও মানি
তুই আমার থেকে অনেকদিন দূরে থাকতে পারিস না।
এই শহর তোর অপেক্ষায় চলন্তিকা
কালবৈশাখী তোর সেই মাতাল হাওয়ায়। 

Wednesday, April 26, 2017

মিসেস পরকীয়া (৩)

মিসেস পরকীয়া (৩)
.............. ঋষি
=================================================
মিসেস পরকীয়া আপনাকে বলছি
কি খুঁজজেন নিজের গভীরে কোনো অনাদেয় জমিদারি আবদারে।
সময় থাকতে কাঠ পোড়ানোর গল্পটা
আমরা সকলে জানি।
কিন্তু যদি আপনার ঝুলে যাওয়া  বুকদুটো হঠাৎ যুবতী হয়ে যায়
কি করবেন ম্যাডাম এমন পুড়তে থাকা লাজুক হাসি হেসে।

আপনি চেয়েছেন নিজেকে ষোড়শী করতে
ভুলে গেছেন সম্পর্কের জটিল ম্যাথমেটিক্স সেটা শুধু সভ্যতার  কাম্যতা।
আপনার ঠোঁটে চুমু খাওয়া আপনার প্রেমিক
আপনার ঝুলে যাওয়া বুক হামলে কি খুঁজেছে আপনি কি জানেন ?
কি শুনতে চাইছেন না ,তবু শুনুন। .....
যৌবন
রগরগে লালচে আঠা  ,যেটা শুধু এই সভ্যতার সময়ের পুরুষের  কাম্য।
ভুল করছেন বড় ম্যাডাম
এই সভ্যতায় ভালোবাসা নেই ,শুধু রয়ে গেছে ভালোবাসার কিছু প্রাচীন ফসিল।
আপনার শরীরকে দংশন করছে যে প্রেমিক
সে শুধু শরীরে রয়ে গেছে।
ভালো করে চেয়ে দেখুন আপনার ঝুলে যাওয়া  বুকদুটো ,,,মিথ্যা প্রেম আবেগ
আর ভালোবাসা শুধু আপনার।

মিসেস পরকীয়া আপনাকে বলছি
নিজেকে ভোলাবার জন্য ভালোবাসার ভুল এই মিডিয়ায় খুব সহজ।
সময় থাকতে সময় ফুরোনোর গল্পটা সবার জানা
শুধু জানা নেই ফিরে আসার রাস্তাগুলো অচিরেই নিয়ে যাবে আপনার কামুক প্রেমিক।
আর তারপর আপনি শুধু কবিতা আর এনজয়
এই সভ্যতায় অর্বাচীন  পরকীয়া নামক একটা সহজ শব্দ আর আপনার ঝুলে যাওয়া বুক। 

মৃত আতরের গন্ধ

মৃত আতরের গন্ধ
............... ঋষি
================================================
ঠিক কতটুকু পারি
মৃত্যুর বুক থেকে কেড়ে নেওয়া সুখটুকু নিজের করতে।
আমরা অনেকেই পারি
দৈনন্দিন নিজের মৃতদেহে মুখাগ্নির পর পাগলের মতো হাসতে।
এই সময় বাধ্য ছুঁয়ে নামা মৃত আতরের গন্ধে
জীবন নামক সেন্টের গন্ধ খুঁজতে।

কারোর আর্দ্রতাকাতর বুক থেকে অকস্মাৎ বৃষ্টি নামা
এই সময় পারে,,,, একাকী  পারাপার সময়ের ফাঁড়ি তুমুল দুর্যোগের রাতে।
ঘন্টা ,মিনিট ,সেকেন্ড চুঁয়ে নামা মৃত্যু
এই সময় পারে,,,, ভোরের বালিশে হঠাৎ স্বপ্ন খুঁড়ে অনায়াসে ঘুমিয়ে পড়তে।
নির্জনতা কোনো কবিতার মতো
তোমার বুক বেয়ে চলন্তিকা ঘামের মতো স্নেহ
এই সময় পারে,, সেইটুকু আশ্রয় জিভ দিয়ে চুষে মৃত্যুর মুখোমুখি হতে।
এটা মৃত্যুর কবিতা নয়
পারাপারে রেখে যাওয়া শুধু কুছ তো লোগ কেহেঙ্গে,,লোগোকে কাম হ্যা কেহনা।
এই সময় পারে ,,,সে টুকু সহ্য করে দিন রাত জ্বলতে
পুড়তে নিজের সাথে একলা নিরালায়।

ঠিক কতটুকু পারি
মৃত্যুর বুক থেকে তুলে আনা আশা বেঁচে আছি।
আমরা অনেকেই পারি
নিজেদের পাশ থেকে  সরিয়ে রাখতে পরিচিত আত্নীয়তায় নিজেকে।
কিন্তু কান্নার মৃত্যু হলে
নিজের মৃতদেহ আমরা কজন পোড়াতে  পারি। 

Sunday, April 23, 2017

তোমার পরিচয়

তোমার পরিচয়
............ ঋষি
=================================================
চলন্তিকা মাঝে মাঝে মনে হয় তোমাকে পরিচয় করিয়ে দি
আমার চেনা বন্ধুদের সাথে।
আমার কবিতা ,আমার একাকিত্ব ,আমার যাপনের
শহরের প্রতি মোড়ে পরে থাকা পানের পিক।
মাঝে মাঝে মনে হয় তোমাকে অবগত করি
আমার এই শহরের প্রতি।

মাঝে মাঝে মনে হয় আমার কলমের প্রতিটি শব্দ
আমি সন্তপর্নে যত্নে লিখে দি খোলা বুকের ভাঁজে।
যেখানে রোজ সূর্য ওঠে
ডুবে যায় যাপনের প্রতি সমর্পণে মানুষের হেঁটে চলায়  .
চলন্তিকা তুমি জানো
আমার সৃষ্টি কোনো  ঘোর কালবৈশাখী  দিনে বারান্দায় বসে তোমাকে দেখা।
তুমি গড়িয়ে নামো এলোমেলো ঝোড়ো হওয়ার সাথে
তখন  ভীষণ  ধূলিময় আমার  শহরের রাজপথ।
 এলোপাথাড়ি তুমি আদর করতে থাকো একটা গোটা  শহরকে পাগলীর মতো
নিজের আবেগে জড়িয়ে ধরো একটা আস্ত সময়।
আমি অবাক হয়ে দেখি
তোমার শীতল নিম্নচাপ আমার ঠোঁট বেয়ে ,আমার লোমশ বুকে।
অনেকটা স্পন্দন
তোমার পরিচয়।

চলন্তিকা মাঝে মাঝে আমার বন্ধুরা প্রশ্ন করে তোমাকে নিয়ে
তোমাকে চিনতে চায় ,তোমাকে জানতে।
কি বলি বলোতো তাদের ? আমার কবিতারা  জানে গোপন সে কথা
তুমি কালবৈশাখীর আদলে সময়ের তপ্ত দিনে আমার প্রেম।
কিংবা তুমি সেই নারী যে পরিচিত
হয়তো বা পরিচয় আমার।

Saturday, April 22, 2017

একবুক আকাশ

একবুক আকাশ
........... ঋষি
==============================================
একবুক আকাশ
অনেকটা সময় আগে পড়েছিলাম এই কথাটা কোনো উপন্যাসে।
আজ উপন্যাসের ছেঁড়া পাতাগুলো  পরে সময়ে গুম ঘরে
অন্ধকার কিছু আছে
তবু তৃপ্তি নির্লিপ্ত কাঙালিপনা।

শুধুই  চাই চাই চাই
সময়ের সাময়িকীতে রক্ত গঙ্গা বয়ে যায়।
ছুটে চলেছে নগর সবুজ থেকে দূরে
ছুটে চলেছে শৈশব আনন্দের থেকে দূরে,
শুধু বাড়তে থাকা ভিখিরি এই শহরের রোজনামচায়
স্বাবাভিক।
সময় বদলায় শতাব্দীর মোড়ে মোড়ে
তবু সাময়িক বিজ্ঞাপনে নারী পণ্য হয়ে যায়।
হয়ে যায় শিক্ষা কোনো পয়সা কমানোর মেশিন
এই সভ্যতা কৃত্রিম আদর্শ অবলম্বলে আদর ভুলে গেছে।
সেখানে ভালোবাসার খোলা বুক শুধু বিছানায় কামার্ত করে
কিন্তু মানুষের তৃষ্ণা অংকুরের মরে  গেছে।

একবুক আকাশ
অনেকদিন আগে সেই ফেয়ারি টেলে পড়া সুন্দরী রাজকন্যা।
আজকাল পথ চলতে প্রায়শই  রাজকন্যা দেখতে পাই
আসলে চশমার পাওয়ার বেশি তাই ভুল দেখি হয়তো
ওদের মধ্যে রাজকীয়তা রয়েছে কিন্তু সেই মাটি নেই। 

Friday, April 21, 2017

হ য ব র ল (১)


হ য ব র ল (১)
...... ঋষি
==========================================
ধ্বংস
--------------------------------------------------
সকলে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি
একটা সভ্যতা পা পিছলে পরে কিভাবে যেন স্তইন্য।
নিজের মাকে  আজকাল জিনসের প্যান্টে অদ্ভুত বেমানান লাগে
একটা সভ্যতা কেমন যেন ছাগলের মতো মা মা করে
কিভাবে যেন আমরা আরো পিছিয়ে যাচ্ছি।
.
স্বপ্ন
----------------------------------------------------------
কাগজের উড়োজাহাজের স্বপ্ন দেখি
রাষ্ট্র নাকি গড়েরমাঠে জমে যাওয়া কোনো আবদার।
আর শিক্ষা সে তো নন্দনে
শালা সকলে শুধু নিজেকে খুঁজছি কোনো ঘোড়ার ক্ষুরে লোহার বাহানায়।
যদি দরজায় টাঙাবো
মা তাকাবে না ,বাবা বলবে না সদা সত্যি কথা বলো।
শুধু সময় বলবে
বানচোদ অনবরত ।
.
নিরুদ্দেশ
...................................................................
বাউল বাবাজি সকলকে ছুঁয়ে যায়
রবিঠাকুর শুধু বইয়ের ভিতর যন্ত্রনায় কাদম্বরী।
শুধু কাদম্বরী প্রেম শুয়ে পরে সময়ে
দেওয়ালের উপরে পেচ্ছাব করে কুকুরের অদম্য স্বাদ।
শালারা শুধু ধর্মের কথন গায়
অথচ  রোজ বিছানায় হতমৈথুনের আরো বেশি প্রেমাতুর।
শুধু ভন্ড নগরে আবর্তনের যোগ
,মুনাফায় লেখা প্রিয় রাশিফলে চোখ।
.
সময়
.....................................................................
সকলে সৃষ্টির নামে  কৃত্রিম ফেয়ারনেস ক্রিম  মাখে
বুকের সাইজে ,শুধু বুক বানিয়ে ছুটে  যায় অদম্য ক্যাট ওয়াকে ।
নিজের সভ্যতাকে আজকাল বেশ্যা মনে হয়
শুধু মায়ের দিকে তাকালেই কান্না পায়
মায়ের স্তনে কালসিটে সময়ের নখের। 

Thursday, April 20, 2017

অর্ক তোমাকে বলছি

অর্ক তোমাকে বলছি
................. ঋষি
==========================================
অর্ক আকাশের গায়ে যেদিন পূর্ণ চাঁদ
আমি সেদিন একলা দাঁড়িয়ে মেঘ খুঁজি আরো ভিজবো বলে।
যে সময়টা নিতান্ত ছিল তোমার আমার
তার সমস্ত স্মৃতিটুকু আমি একলা বহন ।শুধু একলা।
তুমি কি জানো  ? আমার কষ্ট হয়
একলা স্মৃতি বহন করাটা কতটা কষ্টকর ,তুমি কি বোঝো অর্ক।

এই পোড়োজমি।  তোমার উষ্ণ আবেদন
আর আমার দু’পংক্তি
আমি তো শ্যাওলা,শুধু আশ্রয় খোঁজা কোনো আদরের খোঁজ।
তুমি কি জানো অর্ক
অন্ধকারে আলোর মাঝে  ইচ্ছাগুলো  জেগে ওঠে।
পূর্ণিমার সেই মধ্যরাতে শরীরের নেশায় বুঁদ হয়ে
তুমি   বলেছিল অর্ক -এসো শিখিয়ে দি  ভালোবাসা কি ?
আমরা কাতরাতে কাতরাতে ঢুকে পড়েছিলাম একে ওপরের ভিতর
তোমার আর আমার ভাষার মাঝে পোড়োজমি।
এই পোড়োজমি ভেতরে দু’পংক্তি ফেলে যাওয়া
ঘরে ফেরার গান।
ছায়া আর শব্দের ওই সন্নাটাতে
আজ কেনই বা লিখতে চেয়েছি আমি  সেই চরম মহুর্তে,
তুমি কি বোঝো অর্ক ?

অর্ক আকাশের গায়ে যেদিন পূর্ণ  চাঁদ
আমি আজও একলা দাঁড়িয়ে থাকি সেই জ্যোস্নায় তোমাতে ভিজবো বলে ।
সেই সর্বনাশা রাতে। তুমি ছুঁয়ে ছিলে কপাল থেকে পায়ের আঙ্গুল পর্যন্ত
বুকে জড়িয়ে রেখেছিলে দীর্ঘক্ষণ।
আজ শুধু স্মৃতিটুকু রাখতে দিলে আমায় - দু'জনার স্মৃতি একাই বয়ে বেড়ানো
কি কষ্ট, বুঝতে পারো কি অর্ক ?

আমি তো একা নই

আমি তো একা নই
........... ঋষি
===================================================
আমি তো একা নই
সময়ের বীর্যে জন্ম নেওয়া কিছু ভালো থাকা।
আমার মতো বেঁচে থাকা মানুষের কাছে এই শহরে সমস্তটাই আদিখ্যেতা
নির্যাস শুধু দেখতে পাই গ্রীষ্মের তুমুল দুপুরে আখের রসের মতো।
কিছু কষ্ট চটচট করতে থাকে উজবুক শরীরে চামড়ার উপর
আর কিছু শুধু একলা দাঁড়িয়ে উপভোগ করে অবাঞ্চিত বেঁচে থাকা।

আমি তো একলা নই
একটা গোটা শান্তিনিকেতন আমার আছে।
আমার আছে সেই লালচে গ্রাম ছাড়া সেই রাঙা মাটির পথ
আছে মুহূর্তরা।
কোনো চরম মুহূর্তে আয়নায় ফুটে ওঠা সঙ্গমের ব্যাকুলতা
অদ্ভুত সব ছায়াছবি নিজের ভিতর ক্রমশ আরো আরো রঙিন কোনো তুমি।
কিছুই তো আমাকে একলা করতে পারে না
এই শহরের জনরোষ ,এই শহরের ঋতুরা,এই শহরের চরম দিনগুলো।
একলা পথে হেঁটে যাওয়া গ্রীষ্মের চরম দুপুরে
তুমি তো থাকো আমার ছায়া হয়ে।
ফ্যাফ্যাল করে চেয়ে থাকা কোনো উৎসবের দিনে
 হৃদয়ে তুমি বাজতে থাকো  মিষ্টি যন্ত্রণার মতো।

আমি তো একা নই
আর সম্ভব নয় আমার একা থাকা তোমাকে ছাড়া।
মুহূর্তদের চরম ভিড়ে অন্ধকার নিরালায়  উঠে আসে তোমার ঠোঁট
তুমি যে জড়িয়ে থাকো ঠিক চ্যাট চ্যাটে ঘাম।
আর সম্ভব নয় ,কিছুতেই কেউ আমাকে একলা রাখতে পারবে না আর
কারণ তুমি আছো আমার নিতান্ত কাছে ,আমার বেঁচে থাকায়। 

সামান্য অংশ

সামান্য অংশ
......... ঋষি
===================================================
অনেকটা পথ পেরোনোর পর
ফাঁকা উঠোনে আজকাল বাড়ন্ত কিছু ভাবনার ভিড়।
উড়ন্ত  খৈগুলো সব বাড়ন্ত খিস্তি খাস্তা মনের ভিতর
এখনও  ছায়ার পর ছায়া জমে  ভাঙন ধরা।
নিয়ম দিয়ে জুড়ে থাকা  সম্পর্কর নড়বড়ে সেতু
তার তলায় হাজার হাজার সংলাপের ফিসফিসানি।

চলন্তিকা আকাশের দিকে তাকাও
আমার অন্তরে জমে থাকা তোমার না বলা হৃদয়ের সুক্ষ তারগুলো বাজছে।
একটা সিম্ফনি ,একটা অদ্ভুত মায়া ক্রমশ ছায়া
জমতে জমতে তোমার চোখের কালিতে অজস্র অযুতনিযুত স্পর্শ।
আমি সেই অভিমানী মেয়েটাকে চিনি
যার ভিতরে অজস্র আগুনের দাবানল সময়ের বুকে অজস্র যন্ত্রনা।
আমি সেই আগুনটাকে চিনি
যাকে স্পর্শ করে সভ্যতার প্রথম প্রয়োজনীয় আত্নীয়তা।
চলন্তিকা আকাশের দিকে তাকাও
দেখো দূরে কোথাও মেঘ জমছে বুকের ভিতরে সিম্ফনি
টাপুর টুপুর বৃষ্টি পরে নিজের সাথে নিজের আবদার।

অনেকটা পথ পেরোনোর পর
 শীর্ণ জীর্ন  হৃদয় তোরণের  ঠিক উল্টোদিকে ক্ষয়ে যাওয়া একটা অায়না।
একটা মুখ আজকাল সময় সসময় বড় আদর করে
ভুলে যায় নিঃস্বতা ,ভুলে যায় সময়ের মর্ম ,শুধু দরবারী বিসমিল্লার সুর।
জানি একটি অহংকার একটি মনকে‌ বিদায় জানিছে
কিন্তু আমি চলন্তিকা আজও অপেক্ষায় তোমার সেই আকাশের উঠোনে।

Wednesday, April 19, 2017

জরুরত

জরুরত
............... ঋষি
================================================
সবুজ বসন্ত
নারী কোনো প্রশান্ত সাগরে নীল পদ্ম।
কবি মাহাত্ন লিখে যায় ,গীতিকার সুন্দর গান বানায়
চিত্রকর নিদারুন নারী রূপকে ছবিতে জ্যান্ত করতে থাকে ।
স্থপতি তার শক্ত লোহার আদরে নারীকে খোদাই করে
কিন্তু মানুষ ঈশ্বরূপে প্রণাম করে নারীকে অবহেলা করে।

খোলাম খুচির মত কোনো সামাজিক রীতিতে নারী জরুরত
একটা পথ ,একটা সময় ,একটা সভ্যতা গতিশীল নারীরূপী স্বার্থকতায়।
হাজারো কবির কলমে প্রেমের স্পর্শ
হাজারো শিল্পী উজাড় করে স্বপ্ন নারী শব্দের বর্ণনায়।
কিন্তু প্রথাগত কোনো আনুগত্য নারীকে শুধু চামড়ার দরে বিক্রি করে সমাজ
কত কোমরের মাপ,বুকে মাংস আছে তো।
কত সময়ের মাপ,আরে বিয়ে দিয়ে দিন এরপর তো বুড়ি
চলছে চলবে একটা সিস্টেম ,,,শুধুই জরুরত
একবার এই  সমাজ কখনো ভেবেছে
যদি একটিও নারী এই পৃথিবীতে না থাকে ,না থাকে এই পুরুষতান্ত্রিক মন্দিরে
কে পুজো দেবে কিংবা কে হবে পূজনীয় ,কে করবে স্নেহ পরম মমতায়।

সবুজ বসন্ত
নারী নিজস্ব পোট্রেটে ফুটে ওঠা সার্বিক রূপ , একটা সভ্যতা।
সৃষ্টির প্রথম লগ্নে প্রথম  সৃষ্টির অঙ্গীকার
শৈশবের প্রথম স্নেহের আঁচল,যৌবনে প্রথমে গভীরে স্পর্শ ,আর বার্ধক্যের সম্বল।
এই সভ্যতার সার্কেলে নারী শুধু জরুরত নয়
একটা ইন্দ্রিয়উর্ধ্ব বসন্তের স্পর্শ ,মানুষের জীবিত পরিচয়। 

নুন আন্তে পান্তা ফোরানো

নুন আন্তে পান্তা ফোরানো
.............. ঋষি
=============================================
নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে যাওয়ার গল্প
প্রতিবাদ শব্দটা মানুষের কাছে কেমন যেন সময়ের দালাল।
একের পর এক লাশ পুড়ছে
কিন্তু সবচেয়ে মজার হলো জীবিত আর মৃতের মাঝে লাশ শব্দটা।
কি করে জানি একটা জীবন্ত শহর লাশ হয়ে যায়
অথচ এই জীবনের  পঞ্চ রিপু আর মানুষের হাজারো পরিচয়।

নুন আনতে মানুষ ছুটছে
রাস্তার কুকুরের সাথে প্রতিবাদ শহরের ডাস্টবিনে খিদে খুঁজছে।
বিকট বাজে গন্ধ না পুড়তে পারা পচা গলা লাশ
অভিনয় নিজের আয়নায়।
শহর জানে একটা নাগরিকজীবন টিপটপ ক্যামেরার লেন্সে প্রেমিকার ঠোঁট
বেশ লাগে দেখতে।
কোনো ঠান্ডা সিনেমাঘরে অবৈধ নরম প্রেমিকার বুকে পপকর্ণ ঠুসতে
দারুন লাগে জীবন।
কিন্তু সেই প্রেম যদি পুড়তে পুড়তে শহরের কোনো বাসি লাশঘরে পরিচয়হীন
সময় হাসছে মানুষ।
এই শহরের প্রেমে শুধু দরকারি সম্পর্কের মত বাসি রজনীগন্ধা
শুধু মানুষের বাঁচার লোভ।

নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে যাওয়ার গল্প
মানত দরে বেঁধে রাখে জৈবীক ঢিল পরাশ্রয়ী গাছের ডালে ঈশ্বর ।
একের পর এক ঋতুবাহী মানুষের ইচ্ছা
আর সময়ের দালালদের হুঙ্কার ঈশ্বর নিরুপায় একটা তৃতীয় শ্রেণী।
আর কতদিন মানুষ ,সভ্যতা  আর মৃত লাশ
সকলেই শুধু একে ওপরের দিকে তাকিয়ে অভিনয়ে মত্ত। 

এই জীবন

এই জীবন
.............. ঋষি
==============================================
একটা আগুন লেগে আছে বুকে
বয়সের রাস্তায় দুচারটে মাথার চুল সাদা উড়তে থাকা খৈ।
তাতে কি ,
বদলানো বিকৃত সময়ের অবহেলায়।
ক্রমশ মানুষ হারানোর শোক আমাকে পেয়ে বসছে
পেয়ে বসছে মাথার ভিতর একটা  সাদা পায়রার ওড়াওড়ির।

বাকুমবাকুম
আমি কি তবে ক্রমশ হারিয়ে ফেলছি নিজেকে।
স্নানের ঘরে নিজের দিকে তাকিয়ে হাসি লাগে  না হে মানুষের মতই দেখতে বটে
পথ চলতি মানুষেরা সম্ভোধন করে
চিনতে পারি নিজেকে।
বদলানো সময়ের আয়নায় নিজের ভিতর  একটা সক্রেটিসকে মরতে দেখি
মরতে দেখি প্রতিদিন না খেতে পাওয়া শৈশবের দিনগুলো।
শহরের আভিজাত্যে অবাক চোখে দেখি একটা লোভ লেগে গেছে মানুষের কামনায়
ছুটতে ছুটতে  পালিয়ে বেড়াই
হঠাৎ দেখি চলন্তিকা তুমি হাসছো , হঠাৎ প্রেমের ঝলক দেখি।
তোমার নরম ঠোঁটের ওমে হঠকারী হৃদয়ের ওম ,
কত বয়েস সেই প্রেমিকার , একুশ বছর
প্রেসার এবং সুগার লেভেল, যাকগে সেসব, যেমনি হোক ।

একটা আগুন লেগে আছে বুকে
বর্ণবিদ্বেষ ,নারীশিক্ষা ,নারী লাঞ্ছনা ,শিশু শিক্ষা ,শৈশব শোষণ।
বুকের ভিতর ওপর সমুদ্র কাঁদতে থাকে
এক বিশাল ঢেউয়ের আঘাতে ছিটকে আসে একটা সাদা পায়রার মৃত শরীর।
কিন্তু বাকুমবাকুম থেকে যায় বয়স পেরিয়ে মুষ্টিবদ্ধ দুহাত আমার, বুকের মধ্যে বাঁচার অভ্যেস
চিৎকার করতে থাকে হাই........ এই জীবন। 

নীরব শান্তির কাব্য

নীরব শান্তির কাব্য
........... ঋষি
=============================================
আমি ঠিক জানতে পারি
আজ থেকে কিছু বছর পর তুমি দাঁড়িয়ে একাকী কোনো নির্জনে।
তোমার মাথার কাঁচা পাকা চুল সম্বল অভিজ্ঞতা
জীবন অনেককিছু দিয়ে যায় আবার এমন কিছু নিয়েও।
দূরে পাহাড়ের ফাঁকে নিভতে থাকা সূর্য
তোমার চশমার লেন্স তখন কোনো নীরব শান্তির কাব্য।

চলন্তিকা যা চেয়েছি
তার অর্ধেক আকাশ বরাবর তোমারি আছে।
চলন্তিকা যতটুকু পেয়েছি
তার জীবনভর আবিরের সেই শেওলাদাগ আমার আছে।
এইভাবে আমি ঠিক বুঝতে পারি
তোমার অভিনব আয়না আর সিঁদুরের লেগে থাকা অভাববোধ।
কোনো জটিল সমীকরণ থেকে উঠে আসা
চতুর্ভূজ সময় ,চারদেয়ালের ঘর ,ঘরের কোনে লুকোনো তোমার গিটারের সুরে।
হয়তো মিলে  যাওয়া অমর রুদ্রের সেই আবেগ
আমার ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে আছো তুমি হৃদয় জুড়ে।

আমি ঠিক জানতে পারি
আমার হঠাৎ ভালো না লাগা শহরের স্বভাব।
চলন্তিকা কোনো রৌদ্র দুপুরে আমার বাইকের ফিফথ গিয়ারে একটা আকাশ
ভেসে চলা দীর্ঘশ্বাস ,সময় ঠিক এমনি ছোটে।
তোমার  ,আমার মাঝখানে আরো কিছু বছর পর
তুমি ,আমি দাঁড়িয়ে সেই না বদলানো পুরোনো মিথ।

Wednesday, April 12, 2017

কোনটা বাঁচা

কোনটা বাঁচা
.......... ঋষি
=============================================
দিনরাতের চর্যাপদটা আজ থাক
সেগুলো না অন্য দিন শুনবো।
আজ তুমি  বুঝে নিও একটা  তফাৎ ডুয়ার্স আর সুমুদ্র বিলাসের
আজ তুমি দেখে নিও তফাৎ মানুষ আর প্রতারণার।
তুমি বোধ হয় বোঝো না যার নাম ভালো থাকা
তার নাম চিরকাল একলা।

সমস্ত কাল ঠেকে  উঠে আসে আঁখের রস
ক্রমশ আরো মিহি হতে হতে  সুইট কেলেঙ্কারি হয়ে যায়।
আসলে রাম রাজত্বে ,রাম তো মরে গেছে কবে
রেখে গেছে আমার তোমার মতো খেলার পুতুল আর যুদ্ধটা কি বেশ নাম রামায়ণে ?
সেই একই রকম সীতা আজও মাটির দিকে তাকিয়ে থাকে
আর মৃত রাম করে অপেক্ষা।
নিদারুন কোনো দিনে মানুষগুলো মানুষ ঠকাতে ব্যস্ত
ব্যস্ত নিজেদের মাঝে হারা জেতা খেলায়।
কে জিতছে ,কি জিতছে ,কেন জিতছে অধিকাংশ তাই বোঝে না
শুধু জিততে চায়।
জিততে জিততে ক্রমশ মানুষগুলো হারাচ্ছে হেরে যাওয়ার হ্যাবিট
কিন্তু হেরে যাওয়া তো স্থির সেটা মৃত্যু ,
আর বাকিটুকু বেঁচেথাকা মানুষ ভুলে গেছে।

দিনরাতের চর্যাপদ আজ থাক
সেগুলো না হয় আমি অন্য কোনোদিন দেখবো।
আজ তুমি দেখে নিও তফাৎ একটা চিড়িয়াখানা আর এই সমাজের
আজ তুমি বুঝে নিও তফাৎ তুমি আর তোমার আয়নার।
আসলে আমিও আয়না দেখতে দেখতে হাঁপিয়ে গেছি
চিনতে পারি না কোনটা জঙ্গল আর কোনটা বাঁচা।

ঈশ্বরের কৃপা

ঈশ্বরের কৃপা
........... ঋষি
=================================================
ঈশ্বর  হতে চাও
চলে যাও  কোনো সংসারী গৃহস্থের হাঁড়িতে।
সন্ধ্যের আলো নেভার পর
যে প্রেম বাড়তে থাকে।
আর সূর্য যখন মাথার উপর তখন হাঁড়ি খালি
প্রেম চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে।

ঈশ্বর আর প্রেমের মাঝে তফাৎ কি ?
আসলে দুটোই হৃদয় গড়িয়ে নামে ঠিক যেন বৃষ্টির ফোঁটা।
নিজের নগ্ন আয়নায় বাথরুম শাওয়ারে
তুমি ঈশ্বর পেতে পারো কারণ ঈশ্বর তখন  তোমার আয়নায়।
খুব হাসি পায় জানো
চারিদিকে চেনা নাটকের জোকারের হাসি।
খুব কষ্ট হয় জানো যখন সম্পর্কও একলা দাঁড়ায় রাস্তায় প্রেমের পাশে
কি অদ্ভুত ভাবে চেয়ে থাকে অনন্ত ইচ্ছার  দিকে।
আমি ঈশ্বর হতে চাই নি কোনোদিন চেয়েছি মানুষ হতে
কিন্তু মানুষের সময় মানুষকে ঈশ্বর করে।
করে নকল মূর্তির ব্যাপারী
করে তোলে জলজ্যান্ত কোনো অভিনয়ের অঙ্গ।

ঈশ্বর হতে চাও
চলে যায় কোনো গৃহস্থের হৃদয়ের গভীর আঙিনায়।
পাশাপাশি শুয়ে থাকা ইচ্ছার ,বিছানা,বালিশে মাখামাখি প্রেম
হঠাৎ ফুরোতে থাকে সত্যি ঈশ্বরের কৃপায়।
তখন ঈশ্বর চৌরাস্তায় তোমার আমার মতো ব্যস্ত বেঁচে থাকা
আসলের  মুখোশে অনেকটা অভিনয় শেখায়। 

Monday, April 10, 2017

না ফোড়ানো কাব্য

না ফোড়ানো  কাব্য
.......... ঋষি
============================================
ঘুম থেকে উঠেই আমার একটা চুমু চাই
ওরকম গোলগোল চোখে তাকাস না আমার দিকে।
রান্নাঘর থেকে যে শব্দটা আসছে
সেটাকে স্পর্শ করার জন্য আমার অনেকটা তোকে চায়।
আমার ঠোঁটে লেগে থাকুক গরম জ্বালা
নাইবা হলো তোর ঠোঁটে উষ্ণ চায়ের পেয়ালা।

এইভাবে একটা খিড়কির দরজা খুলে যাবে
পোয়েটিক মাত্রার হ জ  ব র ল ভুলে আমি তখন পাগল আশিক।
নিজের বারান্দার এভারেস্টে দাঁড়িয়ে
আমি বাড়িয়ে দিলাম হাত তোর হাতের দিকে।
ব্যাকগ্রাউন্ডে শুরু হলো শারুখের গলায় সেই মোহময়ী জাদু
স্যানোরিটা ,বড়ি বড়ি শহরমে ইতনি ছোটি ছোটি   বাতে।
ছোটি বাতে
তুই  সন্ধ্যাবেলার চায়ের  কাপে চুমুক দিয়ে তাকিয়ে আছো ছাদের টবের ফুলে
একটা ক্লিক।
আমি পেলাম শুভেচ্ছা অঢেল তোর হৃদয়ের
ছোট পরী একটা সময় রূপকথা হয়ে গেলো।

ঘুম থেকে উঠেই রোজ একটা চুমু আমার চাই
ওরকম কাজল টানা চোখে আমার দিকে তাকাস না।
আমার স্বপ্নে আজ একটা  আদুরে  ছন্দ
আর কবির কলমে লেগে যাচ্ছে কোনো মায়াময়ী নারী।
সদ্য ফুরোনো গল্পটা চুমুর হোক
কিন্তু গল্পের শেষটা নাই বা হলো না ফোড়ানো  কাব্য ।  

মেট্রোপলিটন

মেট্রোপলিটন
.................. ঋষি
===============================================
সাদাকালো ছেড়ে এগিয়ে চলা সময়
এই  শহরের কোনো প্লেসেন্ট সারপ্রাইজ হয় না।
যা হয় সেটা শুধু অন্ধকার
এখানে ঋতু শুধু বদলানো মানুষের সময়ের নিরিখে মৃত্যুর পাণ্ডুলিপি।
মানুষ মিছিলে যায়
কোনো শ্মশানের শবদাহ পোড়ানোর গন্ধ মানুষের নাকে।

নর্দমা পেড়োনো  একটা বোবা শহর ঠাই  দাঁড়িয়ে থেকে ডাস্টবিনের পাশে
নিরুদ্দেশে হেঁটে যাওয়া পাগলা মুসাফির একলা দাঁড়িয়ে হাসে।
হঠাৎ চমকে উঠে কাঁদতে থাকে
বোবা শহর সাক্ষী নীরবতা ছড়ানো সুনসান রাজপথ।
অন্ধকার রাত্রির সার্পেন্টাইনলেনে লেনে সাপের দীর্ঘশ্বাস
আর ছোট ছোট খুপরিতে মানুষের।
না ফোঁড়ানো কাব্যগুলো এই শহরে মানুষের মনে অন্ধকার
হঠাৎ কোনো ফুটপাতে শিশু কেঁদে ওঠে।
মা ঠেলে সেই  শুকিয়ে যাওয়া মাইটা মুখে
খালি হাঁড়িতে লাগাতার লেগে থাকে রাজনীতি মিছিলের শ্লোক।
সময় বদলাচ্ছে , আরো বদলাচ্ছে শহর রিমিকি কায়দায়
কয়েকশতলার বাক্সবন্দী শহরে মানুষ গুলোর সম্পর্কও
ফাঁকা বাক্সের মতো।

সাদাকালো ছেড়ে এগিয়ে চলা সময়
এই শহরে দাউদাউ করা একটা খোদা সময় পুড়ছে।
হাজারো পথ চলা ফুটপাথে  ক্লান্তির পায়ের চাপ মানুষের
ক্রমশ আরো বাড়ছে।
সময় গুনছে দিন একটা মেট্রোপলিটন সিটি শুধু ফানুশের
আর মানুষের বিছানায় শুয়ে মানুষের ফসিল।

একলা হাঁটা

একলা হাঁটা
............. ঋষি
===============================================
তবু যদি কিছু পথ একলা হাঁটতে পারতাম
ঘড়ির পেণ্ডুলামে লেগে থাকা স্বাক্ষরের কিছু না বলা।
সময় এগিয়ে চলে নিয়মিত চলন্তিকা
কিন্তু তোর হাতে চির ধরা যন্ত্রনাটা আমার কাছে সময়ের সাক্ষর।
শুনেছিলাম তোর পায়ের নিচে ব্যাথা
আমারও ব্যাথা করে আজকাল চিনচিনে বুকের বাঁদিকে।

মাঝে মাঝে মনে হয়
চলন্তিকা তুই তো হাঁটতে পারিস  আমার বুকের উপর দিয়ে।
হয়তো হাঁটিসও আমার অবচেতন
যখন রাতের আকাশে পূর্ণিমার গোল থালা।
কিংবা যখন আমার খাওয়ার টেবিলে অবাঞ্চিত দাঁতে  কামড় পরে
চমকে উঠি ,ওইতো  ছুঁয়ে গেলি আমাকে।
আসলে এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকাটা একটা চমক সবার কাছে
সকাল থেকে সন্ধ্যে একটা হিড়িক লেগে থাকে।
উৎসব কিংবা  দৈনন্দিন কিছুই বদলায় না
বদলে যায় শুধু বয়সের আয়নার মুখ।

তবু যদি কিছু পথ একলা হাঁটতে পারতাম
কিন্তু মানুষ পারে না।
ঈশ্বর যখন পৃথিবীতে আদমকে  পাঠান একলা করে ,তারপর ইভকে
একটা প্রয়োজন ছিল প্রথম স্পন্দনের হয়তো বাঁচবার।
হাজারোবার ভেবে দেখেছি চলন্তিকা তোকে ইগনোর করা যায়
কিন্তু ভুলে থাকা যায় না। 

Sunday, April 9, 2017

পাগলামী (২)

পাগলামী (২)
.... ঋষি
===================================================
সবার ভিতর একটা পাগল আছে
আছে লুকোনো একটা পাগলামী অন্তরঙ্গ মহিমায়।
কেউ সকালে ঘুম রগড়াতে রগড়াতে সিগারেট  ধরায়
কেউ ধরে নিজেকে ভুলতে।
আসলে মানুষের পাগলামিটা একটা আশ্রয় ,একটা বেড়ে ওঠা জীবন
নিজেকে ভুলতে।

সেদিন সকালে তোমার আয়নায় নিজেকে দেখলাম আমি
এক চিলতে সিঁদুর ,এক  মুঠো হাসি।
আমিও হাসলাম নিজের মহিমায় নিজেকে ছুঁতে
পাশের ছাদের পায়রাগুলো তখন বাকুম বাকুম অবিরত কত কথা মনের ভিতর।
তুমি কবিতা চেয়েছিলে আদরে সোহাগে
আর আমি কবিতার পাতায় একটা সুন্দর নীল আকাশ আঁকলাম।
আর আঁকলাম একটা খিড়কির দরজা
 দরজায় ওপারে  বেড়ে ওঠা যাতনার একলা বসে।
তোমার বাড়ির বুককেসে একটা ফটোফ্রেম আর সাজানো সংসার
সবটাই ভীষণ কাছের তোমার।
তোমার শান্তিনিকেতন থেকে কিনে আনা টেরাকোটা বাউলটা
দেখো আকাশ দেখছে আমার মতো।
আর গাইছে " আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে
আমার মুক্তি ধুলায় ধুলায় ঘাসে ঘাসে "।
একটা পাগলামী
তুমি বলেছিলে চোখ বন্ধ কর দেখ আমি হাসছি।

সবার ভিতর একটা পাগল আছে
শুধু প্রকারভেদে পাগলামীটা একলা হাসিয়ে যায় মনে মনে।
কেউ কেউ সকালের সূর্য প্রণাম সেরে ব্যস্ত হয়ে পরে জীবিত যাতনায়
সে রাত্রে স্বপ্ন দেখে ভীষণ আপন  খোলা আকাশের।
একটা কথা সত্যি করে বলো  আমাকে এমন কেউ কি আছে
যে হাসে না  নিরালায় নিজের যাতনায় ,পাগলামীতে। 

Friday, April 7, 2017

রেস্টুরেন্টে ভিড় বাড়ছে

রেস্টুরেন্টে ভিড়  বাড়ছে
............ ঋষি
============================================
নাহ্ ফিশ ফ্রাই খাবোনা আর ফিশ ফ্রাই যাবো না আর
 আমার ফ্রাইডে জুড়ে শুধু এক লেমন ক্রাস।
একটা লাস্যময়ী হাসি ,দেবী যেন আলিঙ্গনাবদ্ধ অর্ধনারীশ্বর
আমি চোখ বন্ধ করে দেখতে পাই।
একটা মৃত মিছিলের শেষে বাজতে থাকা ভায়োলিনের বিজ্ঞাপন
সবটাই ব্যবসা ,বাংলায়  বিজি- নেস।

এবার আমিও এক ভয়ংকর নিরামিশাষী হবো
 হে চলন্তিকা আমি আর তোমার দিকে তাকাবো না।
তোমার অজান্তে শাড়ির ভাঁজ থেকে  খুলে পড়া অর্ধেক চাঁদ
আমি দেখবো না কিছুতেই।
তোমার হাওয়ায় উড়ে যাওয়া আঁচলের গভীরে কোনো গভীর খাত
এবার সত্যি আমি নিরামিশাষী হবো।
বিধবা বামুনির মতো স্বপাকে রেঁধে নেবো খিদে।
না আর আমি পুকুরের জলে শেওলা মাখবো না।
পুরো বিজনেসম্যান মামা
রেস্টুরেন্টে ভিড়  বাড়ছে।

নাহ্ ফিশ ফ্রাই খাবোনা আর ফিশ ফ্রাই যাবো না আর
আমার একটা গোটা উইক শুধু খিদে।
প্রচুর লেমন ক্রাস আর গাঁজার কল্কেতে একটা গোটা শহর পুড়ে
নেশা করবো আরো পুড়তে থাকা পচা হৃদয়ের।
একটা মৃত মিছিলের শব আমি নিজের কাঁধে তুলে নেবো নিজের
মাটিতে পুঁতে দেব অপ্ৰস্তাৱিত ফিলিংসগুলো।

কবে পুরুষ হবো

কবে পুরুষ হবো
.............. ঋষি
============================================
কবে পুরুষ হবো
নিজের ছন্দের সাথে আকণ্ঠ চুমু প্রেমিকার উরুতে।
কোনো উদাহরণ নয় সময়ের পেণ্ডুলামে চুষতে থাকা ১০ টা ৬ টা
নিয়মবদ্ধ আলিঙ্গনবোধ গোটা সমাজ সঙ্গমে লিপ্ত।
আরেকটু পা ফাঁক করো
উনিশ ,বিষ ,,শালা সব বিষ।

কবে পুরুষ হবো
বুকের কাছে অনেকটা জ্বালা লেগে নপুংশকের।
আজকাল তুমি কাছে এলেও আমার কোনো বোধ হয় না
তোমার দু উরুর ফাঁকে হাত রেখে বিহঙ্গের মতো আমি আকাশ দেখি।
একটা গোটা বিপ্লব মরে যায়
রাস্তা হর্ন মারতে মারতে আর মানুষগুলোর হাত।
একটা গোটা  সমাজকে আমি শুয়ে থাকতে দেখি  ন্যাকা বিছানায়
কিন্তু আমার শালা আমার খাঁড়া হয় না।
কিছুতেই ইচ্ছে হয় না হাওড়া ,শিয়ালদের এক জ্বালা
ডেলি প্যাসেঞ্জারে শুকিয়ে যাওয়া মুখগুলো আগুন লাগায়।
শালা শান্তি কি শুধু ডিকশনারিতে লেখা
আর সুখ শুধু তোমার দু উরুর ফাঁকে।

কবে পুরুষ হবো
নগ্ন উদাহরণ থেকে আরো নগ্ন এই সময় আর সাময়িকী।
রাস্তায় সস্তায় বিকোনো কোনো ম্যাগাজিনের বড় সহজলব্ধ মানুষের শরীর
সব শালা শুধু লুডোর চাল ,সাপের সিঁড়ি।
আরেকটু পা ফাঁক কর
আমি শুরু করি গুনতে না গজানো তোর এগারো বারো। 

তোমার ছন্দে

তোমার ছন্দে
............ ঋষি
===================================================

কোনো মহান কবির কবিতার মতো
তুমিও নেমে এসো কালবৈশাখী লোকালের এই গ্রীষ্মের বুকে।
তোমার বলা ছন্দগুলো
এই শহরের কালিমায় ল্যাম্পপোস্টের সজল আলো।
আর তোমার হেঁটে আসার ভঙ্গি
হঠাৎ দুম করে খালি হয়ে যাওয়া শহরের রাজপথ কিংবা জাদুঘর।

তোমার আঙিনা জুড়ে মেধা থাকে, বিপ্লব, বিল্বপত্র
এত কিছু দিয়ে  কি করে সাজাও এই শহরের কৃত্রিম ধুলোমাখা মানুষের মুখ।
যে রাতে হাওড়া ব্রীজ স্তব্ধ কোনো আপোষকালীন রাজনৈতিক বন্ধ
সেদিন সন্ধ্যায়  গঙ্গার ১২ নম্বর সেতুতে পাওয়া যায় এক যুবকের লাশ।
তুমি অবাক হয়ে দেখো আমার মুখের দিকে
ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে ‘তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম. নিবিড় নিভৃত পূর্ণিমানিশীথিনী-সম॥
 মম জীবন যৌবন মম অখিল ভুবন. তুমি ভরিবে গৌরবে নিশীথিনী-সম॥
আহা কবিগুরু একবার নন্দনে এসো
আকণ্ঠ সুধা পান করার পর কোনো খালি আবৃত্তিশালায় চিৎকার করি।
মোড়ে যাওয়া মানুষের প্রতিবাদ একবার স্মরণ করি
চলন্তিকা তুমি একবার প্রেমের কবিতা হয়ে দেখো
কিন্তু আমি তখন শব।

কোনো মহান কবির কবিতার মতো
বুকের কাছে লেগে থাকুক বিয়োগের সুখ ,শুধু বিয়োগের।
 তোমার চলার ছন্দে আকণ্ঠ নেশা
এক পাগল কবির আবদারে তুমি জীবিত একটা গোটা শহর।
আরো আলো হল চারিপাশে
এই শহরের নোংড়া বস্তিগুলো ডিটারজেন্ট দিয়ে ধোঁয়া হোক।

জানলার বাইরে

জানলার বাইরে
.............. ঋষি
====================================================
তোমার বাড়ির জ্বালায় অচেনা কোকিল ডাকার মতো
ডেকে ওঠে অষ্টাদশী প্রেম।
আচ্ছা চলন্তিকা কবি কাকে বলে
সেদিন ফোনালাপ শেষে তুমি শোনালে তোমার গিটারের তারের আদরের আঙ্গুল।
আমি অদ্ভুত চুপ
কিন্তু তুমি ভাবোনি কখনো তোমার শেষ না হওয়া পেন্সিল স্কেচে আমি অপেক্ষায়।

আচ্ছা চলন্তিকা কবি কাকে বলে
নিঃস্বার্থ কবি মানে হেমন্তের এক চোরা পথ চলে গেছে পৃথিবীর অন্ধকার গলিতে।
নিঃস্বার্থ উপত্যকার মহিম গ্লানিতে যেখানে আদরের নিভৃত ফুল
নিঃস্বার্থ  কবি মানে তোমার জীবন আমার কবিতা চলন্তিকা।
তোমার রোজনামচা আমার ছন্দের সুর
আর তোমার শেষ না হওয়া ঠোঁটে নড়াচড়া
আমার কাছে কবিতা।
আমি কবিতা লিখি নি আজ অবধি একটাও
আমি শুধু ছবি এঁকেছি শব্দ দিয়ে কোনো অদ্ভুত মায়াময়ী নারী।
আমার প্যাস্টেল কালারের হাজারো শেডে যারা ঘুমিয়ে থাকে
তারা জানে চলন্তিকা তুমি ছাড়া কবিতা হয় না।
আজ অবধি কোনো কবি তোমাকে ছাড়া ভাবতে পারে নি কোনো সৃষ্টি
পৃথিবীর আদিম গতিতে তুমি হেঁটে গেছো তোমার চেনা মায়াতে।

তোমার বাড়ির দরজায় বাড়তে থাকা লতানো গাছটা
আজ বিকেলে আমার জানলায় উঁকি মারলো।
আমি সামনে দিয়ে জানলা পেরিয়ে দেখি ফেলে আসা দুপুরের উস্কোখুস্কো রূপ
একটা ঝোড়ো হাওয়া ,একটা তুমুল বৃষ্টি।
তুমি ফোঁটা রাখলে ,শুধু বললে
কবি তুমি লেখো ,তোমার চলন্তিকা এখন তোমার জানলায়।

এক ভীষণ জ্বর

এক ভীষণ জ্বর
........ ঋষি
============================================
এতগুলো দিন ফেলে এলাম তোকে চলন্তিকা
কিন্তু আর যে দিন কাটে না।
বুকের ভিতর একলা খেলনাবাটি। আমি রাজা আর তুই রানী।
আর মন ভরে না।
সামনে আরো গোটা আটেক দিন ,বুকের ভিতর জ্বালা
এক ভীষণ জ্বর ,কিছুতেই কমে না।

এত হাওয়া বইছিল  কাল রাতে, তবু জ্যাবজ্যাব ঘাম
পুড়ে চলা শরীরের রক্তে জ্বালা আর যেন এক প্রাচীন শোক  আঁকড়ে গোটা জীবন।
দু চোখের পাতা কেন এত ভিজেছিল জানি না
যেন তেমন সজল থাকে আরো দুই কি বাড়তে থাকা আড়াই বছর।
অরে গোটা আটক দিন ,এক যুগ প্রায়
বুকের খোলা জানলায় তোর সদ্য স্নান করা মিষ্টি গন্ধ ।
কানের কাছে ফিস্ ফিস্ রবি ঠাকুর
যদি তারে নাই চিনি গো সে কি আমায় নেবে চিনে এই নব ফাল্গুনের দিনে
– জানি নে জানি নে॥
অবলুপ্তির পথে হারানো সময়ের দুচারমূহূর্ত চর্বির চর্বন
বেঁচে থাকার নামন্তরে ভগ্নাংশের সুখ

এতগুলো দিন ফেলে এলাম তোকে চলন্তিকা
চুল খুলছিস, ভুল ভুলছিস , সত্যি কি কেউ সত্যিকারের থাকে।
তোর ভুলে আমার শরীর জড়িয়ে নিয়ে
তাকিয়ে  দেখ  পেরিয়ে এলাম  দীর্ঘ একটা সবুজ জীবন।
জলের নদী শুকিয়ে যায় ,শুকিয়ে যায় চোখে পাতায় লুকোনো না বলা
চলন্তিকা তোর  বুকের  গভীর খাতে আমার জ্বালা বাড়ে, বেড়েই চলে। 

কোজাগরী চাঁদ

কোজাগরী চাঁদ
......... ঋষি
============================================
যেভাবে তোমার দিকে দেখলে তুমি পূর্ণ হবে
কোজাগরী পূর্ণিমার চাঁদ পাহাড়ের উপর।
ম্যাডাম আমি শৈশবে ফেলে আসা ঘোড় দৌড়ের মাঠে
তোমার সেই আদিম ঘোড়ার ক্ষুর।
তোমাকে সাজাতে সাজাতে ম্যাডাম আমি পার করে এলাম
আজ কতযুগ ,বদল এই দুনিয়া।

তোমাকে দেখবো বলে কলেজস্ট্রীট ,শ্যামবাজার ,হাতিবাগান
নিজস্ব স্টাইলে তন্ময়ী যুবতী তুমি।
তোমার সেই আঁচল ফেরা হাসি ,গালের লুকোনো তিল
কোথাও নেই।
খুঁজে চলেছি গড়িয়াহাটের মোড় ,বেন্টিং স্ট্রিট
কিন্তু সেই ১১৭ বি ,বাবলাতলা যেন ,শ্যামলী কোচিং সেন্টার
না ম্যাডাম পাই নি।
ফেরারী অছিলায়
শহরের সারাদিন সিঞ্চিত তাপ নিয়ে, ছুটে যাই  হাওয়া বাবুঘাটে, প্রিন্সেপে।
তোমার কনিষ্ঠা কন্যার সাথে আমিও বিলাস ব্যাকুল  হই
এক নৌকা সন্ধ্যে গঙ্গার বুকে  ছদ্মবেশে
কিন্তু তোমাকে কি পেলাম ,,সে ভুবন মোহিনী হাসি।

যেভাবে তোমার দিকে দেখলে তুমি সেই কলেজ ফেরত নারী
চশমার কাঁচে ,তোমার বাসন্তী রঙের শাড়ি ,ঝোলা ব্যাগ।
ম্যাডাম আমি শৈশবে ফেলে হাফ প্যান্ট
প্রথম তোমায় বুঝতে শেখা অবাক নারী পরিচয়।
তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে আজ মধ্য চল্লিশের যুবক অবাক জ্যোস্নায়
কোজাগরী  পুর্ণামার চাঁদ শুধু তোমার পরিচয়। 

শহর থেকে দূরে

শহর থেকে দূরে
............ ঋষি
===============================================
তোমার দুহাজার দুঃখ শোনার পর
আমার দিকে আরো দু হাজার জমা থাকে রোজ।
উপচে উঠতে থাকে ,ঠোঁট কাঁপতে থাকে
 আর তারপর তোমার হাতে হাত রেখে আদর চাওয়ার পর।
আমি পাখির ডানা আকাশের খোঁজ
ঠিক এই ভাবে চলছে ,আরো কতদিন চলবে ,কত সন্ধ্যা।

সামনে দিয়ে  চলে চলে গেছে একটা চওড়া রাস্তা শহরের দিকে
আমি ,তুমি জঙ্গলের দিকে থাকি। .
মাঝে মাঝে শুনশান হাইওয়ে দিয়ে বড় বড় ,ট্রাক চলে যায় ,কিংবা কোনো পরিচয়
আমি চাপা পড়ি ,তুমিও পড়ো।
তারপর হাঁটতে থাকি
তুমি হঠাৎ ঘুরে দাঁড়িয়ে বুকের ব্লাউজ ফাঁক করে আমায় সময় দেখাও।
দেখাও সময়ের কালসিটে ,অজস্র প্রহসন
আমি কাঁদতে থাকি।
তারপর হঠাৎ দুহাত দিয়ে আঁকড়ে ধরি তোমার উন্নত স্তন
তখন রাত্রি ,
আমি তুমি আলাদা বিছানায় বালিশ আঁকড়ে থাকি।

তোমাকে দুহাজার বার দুঃখ শোনাবার পর
আমার আরো দুঃখ বেড়ে যায় ,বেড়ে যায় বাঁচার শোক।
বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াই ,পকেট হাতড়ে বের করি আগুনের জ্বালা
সিগারেট ফুসতে থাকে লাল হয়ে ,আর বুক পুড়তে।
আমি হাঁটতে থাকি তোমার হাত ধরে ,মাঝখানে চওড়া রাস্তা
একটা পরিচয় শহর থেকে দূরে।

Thursday, April 6, 2017

অচেনা আগুন

অচেনা আগুন
........... ঋষি
=======================================
যেদিন আমি  ঢুকবো
চেষ্টা করিস তোর দুর্গ সামলে রাখতে।
গোলাগুলি ,কার্তুজ ,আর বারুদের বিস্ফোরণ
তোর আগুন গুলো একসাথে রাখিস
কারণ আগুনকে আলাদা করে চেনা যায় না।


রাস্তার ধুলো ওঠে
সেই ধুলো চেটে ,বারুদের স্বাদ আর রক্তের নোনতা আমার ঠোঁটে।
গা ছমছমে কোনো নিশুতি রাতে
তখন প্যাঁচা ডাকবে।
আমার রাইডিং ল্যাম্পের তলায় দু চারটে কষ্ট দানা ঝাপটাবে
তারপর উড়ে যাবে।
সাবধানে থাকিস পেঁচার চোখ ,আগুনের লোভ
দুটোই মারাত্নক।
তোর বিছানা বালিশে লেগে থাকা স্যাকারিনের গল্প
আর বুকের ভিতর পিঁপড়ের কামড় ,গোল গোল চাকা
বুঝিস ক্ষত ?

যেদিন আমি ঢুকবো
সেদিন মোমের তৈরী প্রাসাদ গড়িয়ে নামা খিদে।
আকাশের গায়ে ছিল দিয়ে খুঁজে নিস্ কষ্ট পাখি কোনো আগুন খোর
ফিনিক্স ছুটে আসবে আগুনের বুকে
পারলে আটকে নিস্।

দিবানিশি

দিবানিশি
..... ঋষি
=========================================
হঠাৎ কেন ভালোবাসতে ইচ্ছে হয়
এলোমেলো গ্রীষ্মের দুপুরে গড়িয়ে পরা ঘাম।
আমার শহরে আলো আঁধারি এক ভালো লাগা সবসময়
তুই হাসলে
হঠাৎ কেন আমার গলে যেতে ইচ্ছে হয় আইসক্রিম ক্লোজাপে ,
শহরে গাল বেয়ে তোর ঠোঁটের তিলে অনিদ্রার দিনলিপি।

হঠাৎ একটা পাগলাটে ঢেউ
তোর চোখে কবিতায় কেমন একটা গা ছমছমে কাব্য।
সারা শহর জুড়ে মিছিল মাটি
কেন আমার তোকে আদর করতে ইচ্ছে হয়।
এই নগর থেকে পাল তোলা কোনো জাফরী ওয়ালা সময় বিন্যাস
রৌদ্র আসে ,পোড়ায় আমায়।
তোকে আমাকে ছুঁতে ইচ্ছে হয়
 ঠিক আগেকার মতো কোনো বন্য আদলে বয়ে চলা নদী সমুদ্রে মেশে।
তারপর হারিয়ে গিয়ে অন্য দেশ
তোর চুলের ঢেউ ,গা ছমছমে দৃষ্টি
আমার হারিয়ে যেতে ইচ্ছে হয়।

হঠাৎ কেন তোকে ভালোবাসতে ইচ্ছে হয়
মনে হয় লিখি না শেষ হওয়া কোনো চিরকাল শুধু ভেসে যাওয়া।
আমার শহরে ইট ,পাথর ,ভেঙে আমার একটা আদর গড়তে ইচ্ছে হয়
 তোর গড়িয়ে নামা ঘামে আর পারফিউমের গন্ধে।
আমার নেশা হয়
কেন জানি তখন আমার মিশে যেতে ইচ্ছে হয় মাটির গন্ধে। 

মিসেস পরকীয়ার সাথে কথোপকথন



মিসেস পরকীয়ার সাথে কথোপকথন
............ ঋষি
==================================================
মিসেস পরকীয়া আজ আমার দরজায়
হাতের মুঠোফোনটা বেজে উঠলো " ওহ মেরি হংসিনী "।
হ্যালো ,কে বলছেন
আমি মিসেস পরকীয়া বলছি , শুনতে পাচ্ছেন।
আপনি কি খালি আছেন ,আসলে আমি একটু আশ্রয় খুঁজছি
আমি চমকে উঠলাম ,,মওকা মওকা।

হ্যা আমি খালি আছি জানেন তো
আমার ভিতরে সময় বলে উঠলো জানেন আমার বিছানা বালিশ আজ বহুদিন খালি।
হ্যালো।...... মিসেস পরকীয়া  বললেন আমি বিছানা ,বালিশের কথা বলছি না
বলছি আশ্রয়ের কথা।
আমার ভিতর দিয়ে একজন কবি বলে উঠলো মহান কবিত্বে
আশ্রয় সে তো আকাশের পাখি।
খাঁচায় বন্দী করলেই দমবন্ধ ,আমি আকাশ হতে পারি
কিন্তু আশ্রয় নয়।
মিসেস পরকীয়া খিল খিল করে হেসে উঠে বললেন
জানেন তো আপনাকে আমি ভীষণ মিস করছি ,একবার দেখা করতে পারেন
আমার ভিতরে মানুষ বলে উঠলো
দেখুন আশ্রয়কে প্রশ্রয় দেবেন না ,ভীষণ ভুগবেন।
ঐসব প্রেম টেম গল্প কবিতায় ভালো লাগে ,বাস্তবে নয়
বাস্তবে আপনি শুধু পরকীয়া ,প্লিস নিজেকে আর নামাবেন না।

মিসের পরকীয়া হঠাৎ কেঁদে উঠলেন
শুনতে পাচ্ছি কান্না মিশ্রিত গলায়  প্লিস এমন করবেন না ,আপনাকে ভালোবাসি।
হ্যালো শুনতে পাচ্ছেন ,আপনাকে ভালোবাসি
আমার ভিতর হিসেব  হেসে উঠলো ম্যাডাম সবটাই টাইম পাস্।
আমার ভিতরে সময় বলে উঠলো মিসেস পরকীয়া আপনি মজাদার
আমার ভিতরে কবি বলে উঠলো যাক আরেকটা কবিতা হলো। 

Wednesday, April 5, 2017

মানুষ ঈশ্বর

মানুষ ঈশ্বর
.............. ঋষি
============================================
ভালোবাসা যদি সম্পূর্ণতা পায়
তবে সেখানে ঈশ্বরের কি কাজ ,ঈশ্বর সেখানে কর্মচ্যুত।
যে সমাজে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে বেকার
খবরের কাগজে ছড়াছড়ি খুন ,জখম ,রাহাজানি ,ধর্ষণ।
সেখানেই ঈশ্বরের প্রয়োজন
আসলে ভালোবাসা নিজেই ঈশ্বর আর পূজনীয় হৃদয়ের বেশে।

রক্তাক্ত রঙ্গমঞ্চ থেকে যে শ্রমিক ছাটাই হয়ে যায়
কখনো উঁকি মেরেছো তার ঘরে ,উঁকি মেরেছো তার মাটির হাঁড়ির ক্ষুদার্থতায়
তার সন্তানেরা কি হবে। কি করবে তারা ?
অভাব কাছ থেকে দেখা ছেলে গুলো বড় হলে চোর, ডাকাত ,পকেটমার
আর ভালো হলে রিকশাওয়ালা , জুতো পালিশ ,কিংবা হোটেলের বয়।
আর মেয়েরা হয়তো সোজা রাস্তায় গিয়ে দাঁড়ায়
কিংবা হলে ট্যাপার মা কিংবা লক্ষীর,কাজের মাসি ,প্লাস্টিক কুড়ানি।
আসলে চাকা ঘুরছে ,সময়ের চাকা বিবর্তনের সাথে রূপ বদলাচ্ছে
সমাজ চিৎকার করছে সমাজপতিদের গলায়,
মিড ডে মিল,নারী শিক্ষা , সমাজের উন্নয়ন আর লাল নীল ঝান্ডা।
ঈশ্বর বলছেন গভীরে যায়
নিজেদের অবস্থান বদলাবার জন্য নিজেরা বদলাও।

ভালোবাসা সম্পূর্ণতা পেলে
একটা দেশ বদলে যাবে ,একটা সমাজ বদলে যাবে ,আর জীবনগুলো ঈশ্বর।
যে সমাজ লাইনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে খিদে
সেখানে কেউ ধর্ষণ হবে না ,বেকার থাকবে না ,থাকবে না ঈশ্বর।
মানুষ সেদিন ঈশ্বর হবে
আর মানুষের ধর্ম আরো বেশি ঈশ্বর তৈরী করবে। 

স্বর্গচ্যুত

স্বর্গচ্যুত
........... ঋষি
=============================================
অর্ককে বলে দিও
ও যাতে আমাকে না ছোঁয় ,না স্পর্শ করে।
সমস্ত মেঘের পর একটা দেশ আছে আমার কল্পনায়
সেখান থেকে স্বর্গচ্যুত হলে। ফিরতে হবে।
তাকে তো মাটিতে নামতেই হবে ,দু পায়ে হাঁটতে হবে
ফিরে যেতে হবে কোনো স্পর্শহীন দরজায়।
.
সম্পর্কও যখন কোনো কারণ হয়ে দাঁড়ায়
তখন সেখানে শুধু গাদাগাদা হিসেবনিকেশ আর ভালোবাসা ব্রাত্য।
অর্কও তাই করলো
ভালোবাসতে বাসতে ভীষণ বিষয়ী হয়ে পড়লো।
স্পর্শ হারালো
আজ সে স্বর্গচ্যুত ভীষণ কমন আর সাধারণ মানুষ।
পুজোর ফুল যদি পুজোর আগেই শুকিয়ে যায় কিংবা মাটিতে পরে
সেটা তো ব্রাত্য।
যেমন ব্রাত্য অর্ক আমার কাছে
ভালোবাসা প্রসাদের ফুল কিন্তু সে যে ইন্দ্রের পারিজাত।

অর্ককে বলে দিও
ওযাতে আমার সাথে  আর দেখা করবার চেষ্টা না করে কিংবা ফোন।
আমি মেঘের দেশের পরীর মতো একলা দাঁড়িয়ে
মজা দেখি অর্ক হাঁটছে ,পড়ছে ,আবার উঠছে ,আবারো পড়ছে।
ওর সামনে খোলা সমস্ত দরজা স্পর্শহীন
অর্ক আজ স্বর্গচ্যুত।

পুরুষ তন্ত্র


পুরুষ তন্ত্র
.............. ঋষি
======================================================
যদি আরেকবার জন্মাতে হয়
তবে পরেরবার ঈশ্বর আমাকে  পুরুষ করে জন্ম দিও।
এই জীবনের অধিকার থেকে ঘি ,সক্কর আর  নুন
সবটাই যেন আমার থাকে।
আমার ইচ্ছেতে তুমি নগ্ন হও,তুমি দগ্ধ হও,হও সামাজিক পরিচিত
সিঁথির সিঁদুর আর ব্যবহার।

আমার ইচ্ছেতেই
তুমি হয়ে ওঠো কমপ্লিট নারী ,আমার সন্তানের মাতা।
আমার বীর্যরা আরো বেশি শক্তিশালী হোক ,যাতে তোমাকে আমি আরো সেদ্ধ  করতে পারি
এক নয় একাধিক ,বার নয় বারংবার।
আমার লোমশ বুকে আদরের  মতো আরো স্বপ্ন দেখুক নারী
আমি  ইচ্ছে মতো ব্যবহার করবো  ,তার পর ছুঁড়ে ফেলে দেব ।
আমি তখন পুরুষ
তাই সামাজিক পরিচয়ে আমি তোমাকে বাপ্ মা তুলে খিস্তি দিতে পারি।
আওয়াজ করলে চলবে না
আমি তোমাকে মুক পশুর মতো ইচ্ছে মতো পেটাতে পারি।
আবার তোমারি হাত থেকে এক গ্লাস তৃষ্ণার জল পেতে পারি
এটাই নিয়ম ,এটাই ভবিতব্য।

যদি আরেকবার জন্ম নিতে হয়
তবে পুরুষ করে পাঠিয়ো ,পাঠিও কারো বাবা করে ,কারো দাদা,কারো স্বামী।
কিন্তু অতি অবশ্যই পুরুষ হয়েই যাতে আসি
না না কোনো ভয় থাকবে মাতৃতন্ত্র চলে গেছে ,এখন পুরুষতন্ত্র।
কিন্তু প্লিস আর নারী নয়
এবার আমার পুরুষের মতো শিশ্ন আর লিঙ্গ চাই।

একটা মস্ত গল্প

একটা মস্ত গল্প
........ ঋষি
===========================================
সবটা কিছু নয় ,অনেকটা কষ্ট
মাথার উপর কোনো ছাদ,নেই এক মুঠো মাটি পায়ের তলায়
জীবনটা কি এমনি হয় ?
প্রশ্ন করেছিলি আমি উত্তর দিতে পারি নি চলন্তিকা
শুধু লিখেছিলাম অনেকটা আকাশ তোর জন্য রেখে গেলাম
পৃথিবীতে না হোক,আকাশ তো স্বপ্নের হয়।

আমি আকাশ জুড়ে থাকি
তুই আমার মন পড়বি বলে এগিয়ে এসে হুমড়ি খেলি।
আমি যে হৃদয় জুড়ে থাকি
তোকে রাক্ষসী বলেছিলাম চলন্তিকা তুই কি করে  নিজেকে বিছিয়ে দিস
আলাদিনের মাদুর।
তারপর হঠাৎ হাউ হাউ করে কাঁদতে থাকিস
কাঁদে আমার মন একলা হয়ে নিজের কাছে নীল আকাশে।
অদ্ভুত বললি
চোখ বন্ধ করে তিনবার আমার নাম জপ কর।
হা ঈশ্বর প্রেম যেখানে  লুকিয়ে থাকা কোনো শুকনো গোলাপ
কবিতা পাতায় শুধু দু এক ফোঁটা চোখের জল।

সবটা কিছু নয় ,অনেকটা কষ্ট
পায়ের তলায় হারিয়ে যাওয়া দূরত্বরা তোর দরজার কলিংবেলে
প্রেম কি এমনি হয় ?
প্রশ্ন করেছিলাম তোকে চলন্তিকা উত্তরটা বড় অচেনা
বিকল হয়েছে হৃদয় আর পারছে না বুঝলি এবার থামতে চায়
 এখন এইটা একটা মস্ত   গল্পের শুরু।




তোমাদের পরিচয়


তোমাদের পরিচয়   
...... ঋষি 
===================================================
বুকের ভিতর বাড়তে থাকা ক্ষত 
দেরাজে রাখা শুকিয়ে যাওয়া  বাসরঘরের রজনীগন্ধার পচা গন্ধ।
জীবন যেখানে বাড়তে থাকা ঘড়ির কাঁটার ফিরে আসা 
অথচ না ফোড়ানো কোনো আবদার। 
আর পাঁচটা নাগরিক জীবনের  মতো ভীষণ সাধারণ আমি
কিন্তু সভ্যতা আমাকে পরিচিত করেছে নারী হিসেবে। 

ভেবেছিলাম স্বপ্নের ঘর ,স্বপ্নের সংসার ,স্বামী ,অধিকার ,সন্তান 
ভেবেছিল স্বামী সোহাগ ,মাতৃসুখ আর আয়নায় একটা আদুরে মুখ। 
কিন্তু আঠারো বছরের সংসারে যে স্পর্শ চিরকাল আমি লালিত করেছি স্বপ্নে 
তার এক কণাও মিল পাই নি বাস্তবের এই পরিচয়ে । 
ছোটবেলায় প্রথম ঋতু আমার কাছে একটা ভয় ছিল 
ভয় ছিল যখন আমি যখন সন্তানবতি। 
আমি যখন খুব ছোট মা বলতেন  তুই ভীষণ দুষ্টু ,তোকে নিয়ে আমার ভীষণ ভয় 
কিন্তু বিশ্বাস করো আর আমার আজ ভয় করে না। 
যে লোকটাকে নিয়ে আমি সংসার করছি সামাজিকতায় 
সে শুধু সাথে আছে ,কিন্তু আমাকে এত দিনেও স্পর্শ করতে পারলো কই। 
তার নামের সিঁদুর ,তার সন্তানের মা ,তার ঘরণী ,তার বিছানার ব্যবহার 
সবকটা আমার সামাজিক পরিচয় কিন্তু আমি ভীষণ অপরিচিত ওই লোকটার কাছে। 
আসলে আমি চাই না  সে আমাকে স্পর্শ করুক ,আসলে আমি আর চাই না সে আমাকে বুঝুক 
এখন শুধু চাই সে ভালো থাকুক ,সকলে ভালো থাকুক।  
আমার  প্রয়োজন শুধু পুরুষ তান্ত্রিক সমাজের কাছে  শুধু ব্যবহার 
আর আমি ব্যবহৃত কোনো সামাজিক রীতি। 

বুকের ভিতর বাড়তে থাকা ক্ষত 
অতি যত্নে গুছিয়ে রাখা  এই বাড়িটা ,এর প্রতি কোন ছুঁয়ে আছি আমি। 
আসলে নারী বোধ হয় ভিতরে বাইরে বাড়তে থাকা একটা শরীর  
যার পরিচয়  এই সমাজের কাছে,পুরুষের কাছে  শুধু ব্যবহারে  । 
কিন্তু এই নগর সভ্যতা আর সময়ের কাছে আমার প্রশ্ন 
আমাদের তো তবু একটা পরিচয় আছে কিন্তু পুরুষ তোমাদের পরিচয় কি  ?





Monday, April 3, 2017

অস্থির আলাপন

অস্থির আলাপন
,,,,,,,,,,, ঋষি
==============================================
তোমার অঙ্গারে হাত রাখবো বলে
বেরিয়ে পড়েছি ঠিকানাহীন নিরুদ্দেশে কোনো সবুজ জঙ্গল।
জঙ্গল পেরিয়ে নদী
ছলাৎ ছলাৎ বেঁচে থাকার আর নিজেকে ভেজাবার।
 যেন জন্মান্তরের পূর্ণ স্নান সারা হবে তোমার অঙ্গারে
 যে স্পর্শে শিশ্নবাহুল্য থাকে, ক্ষতওয়ালা ত্বক আর পুরোনো ব্যাধি।

প্রেম  কি নীরব হয়
শুধু দাগ থেকে যায় পুরনো প্রবাহ শুকোবার পরে।
প্রেম  সহসা নেমে এলে মৃত্যু-কুয়াশা-পরাগ
অবসন্ন আঘাতে কোনো তীরন্দাজ নিজের জ্যা শূন্য করে।
তীর ছুটে যায় ধর্মরাজ যুধিষ্ঠিরের দিকে
কে তবে সবচেয়ে দ্রুতশীল এই পৃথিবীর মায়ায়।
হা ঈশ্বর
সে যে মন।
সেই মন কেমন করে
কায়াহীন ধোঁয়া কতটুকু জানে আমাদের এ জীবনের সংগ্রাম সংকেত।
আমার দুঃসহ  জীবিত কালিতে ,চোখের মায়া ,স্পর্শ আদর
ঈশ্বর  .. বারেক তাকাও ... প্রেম ঝুলিতে

তোমার অঙ্গারে হাত রাখবো বলে
চারিপাশে ধোঁয়া  ওঠা ধুরন্ধর কিছু অজ্ঞাত নীরবতা।
জঙ্গল পেরিয়ে নদী
নদীতে বাঁধা মাঝি নৌকা ,মাঝদরিয়া রাত ,জংলী আদর।
যেন জন্মান্তরে আমি নীরব কবিতা হই
আর তুমি হও আমার সেই পাঠিকা ,, অস্থির আলাপন।

আমার প্রেমিকা

আমার প্রেমিকা
.......... ঋষি
=====================================================
তোমার শহর থেকে আমার শহর
দূরত্বের মেঘে লেগে থাকা হুইস্কির নেশার মতো ঘ্যাঘ্যানে।
আমি আকাশ দেখি যখন
তুমি তখন প্যারাম্বুলেটারে শুয়ে থাকা ছোট্ট কোনো মেয়ে।
অবাক হয়ে দেখি তুমি ঋতুবতী
তারপর হঠাৎ চকচকে মেজাজে চশমিশ কোনো অধ্যাপিকা।

আমার ভাবতে ভালো লাগে
তোমার শহরের মেঘেরা ফিসফিস করে আমার কানে কাছে বলে
তুমি গম্ভীর ,তুমি ভীষণ মর্ডান।
তোমার জিনসের হিপে ,তোমার লিপস্টিক ঠোঁটে লেগে থাকা সাহেবি আদানপ্রদান
আমাকে আরো ভাবায়।
আচ্ছা তুমি কি আগের মতো আছো ?
নাকি বদলাতে বদলাতে অসময়ের বৃষ্টির  মতো  একলা ভিজেছো।
শহর বদলেছে
বদলেছে তোমার পাসপোর্টের পরিচয়
এখন তোমার ওখানে রাত্রি ,তুমি ঘুমিয়ে আছো নিত্য তোমার অভ্যেসে
আর আমার অভ্যেসে আমি বেদুইন কোনো নিরুদ্দেশে ছোঁয়া।

তোমার শহর থেকে আমার শহর
তোমার শেষ টেলিফোনের কথাগুলো কানে কাছে বাজে।
সায়ন দারুন আছি রে ,এখানে সময় মানে অভ্যেস আর বাঁচা কৃত্রিমতা
আমি অনেক উপরে যেতে চাই ,আকাশ ছুঁতে চাই, আমার আরেকবার প্রমোশন হলো।
আমি চুপ ছিলাম সেদিন ও ,আজকের মতো অনেকটা না বলা
কিন্তু  প্যারাম্বুলেটারে শোয়া সেই ছোটো মেয়েটা আজও আমার প্রেমিকা।

সময়ের আদর

সময়ের আদর
............ ঋষি
=============================================

সময়ের প্রেমিকা নাকি দ্রাঘিমাংশে পৃথিবী
আল বেয়ে অনেক বেঁকে এঁদো গলি পেরিয়ে একটা বাড়ি।
যার চারিপাশে দুর্গন্ধ
জীবন যখন এগোতে এগোতে সময় খুঁজতে থাকে।
তখন পথে দেখা হয় চলন্তিকা তোর
ওই যে বাঁচার জন্য সুগন্ধ দরকার হয়।

চোখ মেলে এই শহরে প্রেম মুহূর্তের ধুলো
আর চোখ বন্ধ করলে হৃদয়ে অনেক কিলোমিটার দূরে একটা জীর্ণ সেতু ,
হৃদয়ের পারাপার
সে যে জ্যোৎস্না মোড়া স্বপ্নের দেশ একটা আলাদা গন্ধ।
তোর বুকের মিষ্টি গন্ধটা আমি যখন তখন পাই
একটা আবেশ লাগানো স্নেহ আমার চোখে মুখে গালে।
এই শহরে হৃদয়ের কারবার হয়
কিন্তু সবকটা ফুটোফাটা হৃদয়ে শুধু পরিচয়।
কিন্তু চলন্তিকা তুই পরিচয়হীন কোনো অনন্য
নীরব একটা স্পর্শ মেঘলা মনে।

সময়ের প্রেমিকারা দ্রাঘিমাংশ বেয়ে আমার ঝাঁকড়া চুলে
হাত বুলিয়ে আদর করে যায়।
নাম জানি না ,জানি না পরিচয়
আচ্ছা  সম্পর্কের কি নাম দিতে হয় কিন্তু নাম ছাড়া ?
কিছু মিথ্যা নয়
কিছু সম্পর্কও নাম ছাড়া সময়ের আদর হয়। 

Sunday, April 2, 2017

ঘর ফেরা পাখি

ঘর ফেরা পাখি
...... ঋষি
==============================================
আলাদা করে নিজেকে ভাবতে পারি না জানিস
সকালের ঘুমভাঙা ঠোঁটে তোকে মিস করি  প্রতিদিন।
সোহিনী বড়  হচ্ছে
অবাক চোখে বাবাকে দেখে ভাবে  কেন তাকিয়ে থাকে আকাশের দিকে।
হঠাৎ সোহিনীর ডাকে ঘর ভাঙে বাবা  চানে যাবে না
দে ছুটে।

তারপর ছুটতে থাকি
একটা অভ্যেসের  শহরের রাস্তা পেরিয়ে এয়ারকন্ডিসনার অফিস।
টিফিন টাইম ,ক্যান্টিন ,আরো কত মুখ
ফাইলের ভেতরে লেজারে লোকানো সভ্যতার লাভ লোকসান , হাসতে থাকি।
পাশ থেকে সুনীল বাবু ফিস্ ফিস্ করে  বলেন
"অন্ধ, গলা-ভাঙা, অভিমানী
ফিরে এসো "!
হুশ  উড়ে যায় বাইরে তখন সন্ধ্যা ,পকেটের মুঠোফোনটা চিৎকার করে ওঠে
হ্যালো , বাবা তুমি ভীষণ দুষ্টু  ,আজ আমার জন্মদিন ভুলে গেছো।
আমি বলি ভুল হয়ে গেছে মা ক্ষমা কর
ভিতরে অন্তরাত্মা কাঁদে আকাশে তখন ঘরে ফেরা পাখি।

আলাদা করে নিজেকে ভাবতে পারি না জানিস
রাতের ডিনারের টেবিলে ইচ্ছে করে না কিছু খেতে ,তবু  খায়.
মা মরা  মেয়েটা যে বড় হচ্ছে
হঠাৎ চমকে দেয় আমাকে কতদিন মায়ের হাতে মাংস খায় নি।
আমি বলি মা তো ভীষণ অসুস্থ ,মিথ্যে বলি ঢোকগিলে
খাওয়া হয়ে যায় একলা বিছানায় কাঁদতে থাকি। 

ধুলিঘর

ধুলিঘর
........ ঋষি
==============================================
ইদানিং বিষাদ ছুঁয়ে নেমে যায় গভীরে
মোটা পিচ রাস্তার উপর এবড়োখেবড়ো পাথরগুলো কি করে জানি।
হারিয়ে যায়
দৈনন্দিন চলাচল নগরের রাস্তায় দাঁড়িয়ে দেখতে থাকা।
অসংখ্য আসা যাওয়া
কিন্তু হিসেবে গুলিয়ে যায় বারংবার কোনটা বেশি।

 তেমন হিসেব করে কিছু চাওয়া তো  হয়নি
 চুরমার হয়ে যায় বারংবার চাঁদের লোভ।
লুব্ধ নজর থেকে শান দিতে থাকে ইচ্ছাডানা নিজের মতো বিশাল আকাশে
অন্ধকার হয়ে যায় হঠাৎ।
পড়ে থাকে  অন্ধকারের জ্বলজ্বলে শিকারির চোখ
আর বিহ্বল চাবি।
কিন্তু দরজার ওপারে সিঁড়িগুলো কিছুতেই পেরিয়ে ওঠা যায় না
বিভীষণ ইচ্ছা তৈরী করে স্বর্গের দরজা,
নরকের খুলে যায় আসা ,যাওয়া দোটানায়।

ইদানিং বিষাদ ছুঁয়ে নেমে যায় গভীরে
প্রান্তিকে ঠেকে থাকা ক্রান্তিরেখার উপর বাঁচার এয়ারকন্ডিসনার দরকার।
বাইরে তড়িঘড়ি ঝড় এসে পরে তুমুল প্রায়
চোখে ধুলো ,সারা অস্তিত্বের নীরবতায় অজস্র ধুলিঘর।
অসংখ্য যাওয়া আসা
কিন্তু হিসেবে গোলমাল তাই বোঝা দায়। 

Saturday, April 1, 2017

একটা মানুষ

একটা মানুষ
==================================================
একটা মানুষ দেখতে চেয়েছিলাম
এই সভ্যতার মরুপ্রান্তরে অনেকগুলো ছোট ছোট ঘর আর প্রচুর বোধ।
নিয়ম ,সমাজ আদলে বাড়তে থাকা কার্বনডাঅক্সাইডে
চোখটা আজকাল জ্বালা করে।
মনের ভিতর মানুষের খোঁজ ,আরো গভীরে একটা আকুলতা
মানুষ কি শুধু হোমস্যাপিয়ান হয়ে থেকে গেলো।

 এমন একটা মানুষ
আগুনের ভিতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সেই মানুষ পুড়বে
সময় বলবে ওকে ছুঁয়ো না, দাহ্য হবে মুখোশের আলগা হাসি।
বরফের ভিতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সেই মানুষ জমবে
সময় বলবে ওকে ছুঁয়ো না, স্তব্ধ হবে নাগরিক  হৃৎপিণ্ড।
আমরা  তখন সবাই একসাথে মরা পোড়াতে যাবো
যেখানে  স্ট্রবেরি গড়িয়ে পড়বে তরুণীর ঠোঁট বেয়ে
গিলিগিলি যে যাদুকরের টুপির ভিতর থেকে বেরিয়ে আস্ত  খরগোস।
সকলে তেল দেবে নিজেদের অন্তর্বাসে
আর সেই মানুষ কারো দিকে ফিরে তাকাবে না  শুধু হাঁটবে কোনো প্রতিবাদী মিছিলে।
তখন সেই স্ট্রবেরি গড়ানো তরুণী কাঁদবে
ম্যাজিশিয়ানের ছড়ি সত্যিকারে সময় আঁকবে
আর অন্তর্বাসে তেল নয় ,তেল দেওয়া হবে  বাঁচতে চাওয়া এই সভ্যতাকে।

একটা মানুষ দেখতে চেয়েছিলাম
যার জন্য আমরা সবাই  গান গাইব, জয়ধ্বনি দেব সময়ের দূত।
যার সুর শহরের সকল বাঁশিওয়ালার বাঁশিতে  ইঁদুরের বিষ
সব ইঁদুরগুলো এক এক করে মরে যাবে ধর্ষিত সেই মেয়েটার মতো।
আগুনের ভিতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এ সভ্যতা তখন আগুনের
বরফের ভিতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এ সভ্যতা তখন বড় শান্তির। 

বাউলের সুর

বাউলের সুর
........... ঋষি
===============================================
তোর ব্রার শেষ হুকটা খুলে গেলো
অমনি দূরে কথা থেকে শুনতে পেলাম হৃদয়ের মাঝখানে বাউলের সুর ।
" লোকে বলে বলেরে ঘর-বাড়ি ভালা নাই আমার "
আমি চেয়ে আছি উপত্যকায়।
তোর নাভিমূল বেয়ে বাড়তে থাকা ইচ্ছেগুলো সব অপারক
আর আমার আকাশের পাখি তখন ঈশ্বর স্পর্শ করছে।

আচ্ছা মাটি লেপে যদি ইচ্ছে বানানো যায়
তবে তোর ভিতর কেন আমি একটা আস্ত বাড়ি বানাতে পারবো না।
তোর স্তনের সোনালী বৃন্তগুলোকে
আমি কেন পিরামিড বলতে পারবো না।
কেন আমি পাহাড়ে বারংবার হাঁপিয়ে গিয়ে লটকে পড়ি প্রবল বাসনায়
কেন আমি উঠতে পারবো না তোর ভিতরে একটা আদরের ঢেউ হয়ে।
সকলে সমুদ্র দেখে
আর আমি লিখি কবিতা মাস্তুল ছাড়া কোনো ঠিকানাহীন জাহাজ।
তার চোখের কাজলে কালিতে
কেন আমি আদর লিখতে পারবো না।

তোর ব্রার শেষ হুকটা খুলে গেলো
সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে যেন কোনো রোমান নারী নিজস্ব ভঙ্গিমায়।
আচ্ছা ঈশ্বর কি শুধু দর্শনের মাঝে থাকে
নাকি শুধু লেখা হয় একটা সিস্টেম ,একটা আদপ নিরাপদ ভঙ্গিমায়।
এই মুহূর্তে আমি তোর বুকে ঈশ্বর খুঁজতে পারি
কিন্তু আবার শুনতে পেলাম " কি ঘর বানাইমু আমি শূণ্যের মাঝার " ।

আর কতদিন

আর কতদিন
........... ঋষি
===================================================
কাটছে ক্রমশ বর্তমান আরো অতীতে
আরো অন্ধকার থেকে উঠে আসছে অনির্ণীত ভবিষ্যৎ তার আপন তালে।
আর কতদিন
এবার আমার সংরক্ষণ দরকার।
বিপন্ন ফসিল  ভেবে না হয় সাজিয়ে রাখো সময় কোনো অভিজাত জাদুঘরে।
কিংবা নিকেশ করো  শত্রু সেজে মৃত্যুবোমা।

নাগরিক সমস্ত আলোড়ন ভুলে গিয়ে  বাণপ্রস্থে যাব,
অন্তত ইচ্ছে স্বরূপ না হয় বার্ধক্য দরজায়।
মধ্য চল্লিশের পরিচিত যুবল লম্বা লম্বা পা ফেলে হেঁটে চলে যাবে
বাঁধিয়ে রেখেছি দাঁত, ঠোঁট, লালা, লালসা।
না হয় একবার তোমার জন্য শুধু রূপকথায় যাবো
লিলিপুট দেশে তুমি কোন গ্যলিভার।
আমাদের ছোট নদী। চলে আঁকে বাঁকে , ছোট তার সাঁকো
সেই দেশে কোনো সদ্য প্রেম।
জোয়ারে ভাটায় আরো  ছোট সেই পৃথিবীতে আমি স্থির ঈশ্বরের চোখ।
কোনো জন্ম নয়,নয় কোনো মৃত্যু
শুধু অবধারিত এক ক্ষনিকের সফর নিজের ইশারায়।

কাটছে ক্রমশ বর্তমান আরো অতীতে
আরো অন্ধকারের মুখগুলো ভীষণ যেন চেনা মনে হয় বেলাশেষে।
আর কতদিন
এবার একটা ইন্তেকাল দরকার।
বিপন্ন হারিয়ে যাওয়া কোনো রূপকথার মতো জমতে থাকা ইচ্ছেগুলো
এইবার ছাপাবার সময় হলো। 

শাশ্বত,আমি আর চলন্তিকা

শাশ্বত,আমি আর চলন্তিকা
........ ঋষি
====================================================
চলন্তিকা মাঝে মাঝে আমাকে পাগল বলে
যখন কোনো অশ্রাব্য কবিতায় আমি বন্য আদর।
কিন্তু আমি জানি আমি কখনো শ্বাশত হতে পারবো না
কারণ শাশ্বত একজন ম্যাচো ম্যান।
আর আমি একটা আরশোলার মতো বাড়তে থাকা আরব্য রজনী
তাই বলে চলন্তিকা আমাকে একলা করে না তা না।

শ্বাশত সময়ের পুরুষ
তার অজস্র প্রেমিকা। বুকের লোমশ জঙ্গলের আদলে কোনো বাঘ অপেক্ষা করে।
আর আমি একঘেয়ে কনসার্টে বাজতে থাকা দুঃখের নদী
শুধু বয়ে চলি  ,চলন্তিকাকে স্পর্শ করি আর কাঁদতে থাকি।
আদম সুমারী কাছে এসে পরে ,আমি ভীত হই
আবার তো বাড়তে থাকবে শ্বাসতের দল,আমি একা,আরো একা
পাখির্ ঠোঁট থেকে যেমন অজান্তে  বীজ পরে যায়
 তারপর  বীজের কোটর থেকে চারা, সেইভাবে বংশ বৃদ্ধি হচ্ছে  শ্বাশতদের
প্রতিবেশী বাড়ছে ক্রমশ আশেপাশে?
বর্তমান মানেই আমার কাছে একটা অতীত ,শ্বাসতদের কাছে সময়ের পরিবর্তন।
তবুও
অতীতের কাছে ফিরে আসতে চেয়ে,আমি  ক্রমে শূন্যতার কাছে এসে পড়ে
 আর শ্বাশতরা আরো এগিয়ে যায় সময়ের নায়ক।

চলন্তিকা মাঝে মাঝে আমাকে পাগল বলে
প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা আমি নিজের ভিতর আরো অস্থির হয়ে পরি।
আসবে তো চলন্তিকা
অসহ্য লাগে, বিকেলের রোদ নিয়ে ডাউন  লোকাল এলে লোক নামে, লোক ওঠে।
ওইতো চলন্তিকা  জানলার পাশে রোদ পড়া মুখ ভীষণ  চেনা লাগে। চলন্তিকার মুখে চশমা
আর চশমার কাঁচে আমি আমি শ্বাসতদের দেখতে পাই

..

সত্যি মিথ্যে

সত্যি মিথ্যে
.......... ঋষি
================================================
অনেকগুলো কথা আটকে আছে গলার কাছে
নিত্য এই অশান্তি জীবনের সত্যিগুলো সব নিজস্ব ভঙ্গীমায় নিদ্রায়।
আর মিথ্যাগুলো শুধু  গায়ে আটকে থাকে
কেউ অফিস ফেরত টিভির পর্দায়।
কেউ সংসার করে ,কেউ বাজারে যায় ,কেউ ভাত খায়
কিন্তু সত্যিগুলো আকাশে উড়তে থাকে।

হঠাৎ আনমনে মুখথুবড়ে পরে
হঠাৎ মাঝে মাঝে ঘুম ভেঙে যায় মাঝরাস্তায় এক অসস্ত্বি।
এই নাগরিক জীবনে আয়নায় দেখা চেনা মুখ
দশটা,পাঁচটা ,মোহনমাগন ,ইস্টবেঙ্গল ,ইন্ডিয়া কে তোহার আইপিএল
সব মিথ্যা লাগে ,ভীষণ মিথ্যে।
উড়তে উড়তে আকাশে সত্যিগুলো হাতছানি দেয়
কেউ কেউ নীল আর্মস্ট্রং হয়ে চাঁদে পা রাখে।
চাঁদের বুড়ি চরকা কাটতে কাটতে রূপকথা হয়ে যায়
কখনো চাঁদের গায়ে কলঙ্ক।
বড়ো একা লাগে
রূপকথাগুলো নিজের কাছে স্বপ্ন মনে হয়।
আর মিথ্যেগুলো সব যাপন
অনেকগুলো সত্যি দমবন্ধ করে ফুঁপিয়ে কাঁদে।

অনেকগুলো কথা গলার কাছে টুটি চিপে ধরে
বলতে বলতে আনমনে হঠাৎ কোথা থেকে চলন্তিকা চেনা কবিতায়।
মুখ টিপে হাসে ,চেনা আমন্ত্রণ ,খুব সত্যি
তারপর মারাত্নক ঝড় ,দুর্যোগ  ,সব মিলেমিশে অন্ধকার রাত।
হাতড়াতে থাকে সত্যিগুলো নাভিশ্বাসের মতো
আর মিথ্যাগুলো আসলে জীবন থেকে যায়। 

আর একবার

আর একবার
........... ঋষি
==============================================
দুজনে কখন কাছাকাছি আসে  ,কিংবা আসতে চায় ?
প্রশ্ন করেছিল চলন্তিকা আমাকে।
উত্তর খুঁজেছি ,কিন্তু ঠিক বুঝি নি
এই মহানাগরিক ভূমিকায় দুটো মানুষ একসাথে কি চায়।
বেঁচে থাকার কিনারায় একটা আস্ত নদী
শুধু জীবন আর আমি একসাথে নদীর জল।

নদী বইছে
যেন জীবন কোনো তিরতির বয়ে চলা কাব্য।
নিশ্চিন্ত ,নিদ্রাহীন একটা স্পর্শের গভীরতা ছুঁয়ে
বারংবার মিশতে চাইছে ,মিশে যেতে চাইছে কোনো আকুলতায়।
অথচ মোহনা একটাই
বারংবার কাটাকুটি অজস্র শিরা ,উপশিরা ,নিয়মিত যাপন।
হাজারো মুখ ,হাজারো কাব্য ,হাজারো অধিকার
কিন্তু মোহনা একটা
আর একবার।

দুজনে কখন মিশে যেতে চায় কিংবা একসাথে বাঁচতে
চলন্তিকার প্রশ্নে চমকে উঠেছিলাম সেদিন।
পথ চলতি একটা ট্যাক্সিতে লুকোনো কাঁচের আড়ালে চলন্তিকার চোখ
কোনো কাজল লাগানো অনন্ত সমুদ্র।
আমি বলেছিলাম মিশে যেতে চায় প্রতিদিন ,বারংবার ও চোখে
কিন্তু সময় ,সে কি কখনো আমাদের কোনোদিন ?

বদলে দেবো

বদলে দেবো
.......... ঋষি
========================================
ভিখারীর মতো তোমার দুয়ারে
দুচার খান স্পর্শ যদি আদর হয়ে নামে।
দিব্যি করে বলছি বদলে দেব আবর্তনের নতুন নিয়ম কাঠি
হৃদয় বলে জড়িয়ে নেবো আকাশের মেঘ।
সেদিনও বৃষ্টি হবে
সময়ের ফাঁকে সময় ,শুধু বদলে দেবো।

এই এত আলো ,এত আকাশ আগে দেখি নি
সোজা একটা নীল  রং  বুক চিরে বিদ্যুৎ  এপারওপার হৃদয়।
কাঁচের হৃদয়ে শুধু গেঁথে দেব
আলোকের সুর।
কই চোখে পড়েনি কোনোদিন এর আগে এমনতর রূপ
ঝর্ণার মতো ঝরতে থাকা কোনো অবিশ্রান্ত ধারা।
এই মন তো কখনও কাউকে এত আপন করেনি
শুধু আরো গভীরে আরো গভীরে
মিশে যাওয়া।
বিশ্বাস করো
দুঃসাহসের ডানা মেলে তাই, দূরে দূরে যাই
হারিয়ে যাওয়ার লগ্ন এলো, হারিয়ে যেতে চাই।

ভিখারীর মতো তোমার দুয়ারে
হাত বাড়িয়ে আকাশের মুঠোয় নীলচে রঙের সুখ।
তোর চোখের কাজল ,বুকের তিলে নিরিবিলি লিখে যায়
সারা জীবন পাওয়ার আশায় দু হাত পেতেছি।
এবার আমি অজানা এক নেশায় মেতেছি
যদি  দুচার খান স্পর্শ আদর হয়ে নামে। 

ফুচকা ওয়ালা

ফুচকা ওয়ালা
,,,,,,,ঋষি
===============================================
মাঝে মাঝেই একটা স্বপ্ন দেখি
একটা ফুচকার  ঝুড়ি  আর অনেক ফুচকা একসাথে।
আমিও আছি সেখানে
খাদ্য ,খাদকের মানসিকতায় আমিও মিশে আছি সেখানে।
ফুচকা ওয়ালা টক জল গুলচে তেঁতুলদিয়ে ,প্রশ্ন করছে আরেকটু টক হবে দিদি
আমি অবাক হয়ে অপেক্ষা করছি এই বোধহয় আমিও।

এই শহরের নাগরিকত্বে
চারি পাশে  অসংখ্য ফুচকাওয়ালা আর অসংখ্য ক্রেতা তার।
ভীষণ সুস্বাদু স্বাদকোরকে  প্রচুর আদর
জিভে জল আসা।
কিন্তু ততক্ষন ,যতক্ষণ ক্রেতার পকেট পারমিট করে
কে একজন মেয়েলি গলায় বলে উঠলো আরেকটু মশলা  দিলে ভালো হয়
ফুচকাওয়ালা তার ব্যস্ত হাতে আরেকটু লংকার গুঁড়ো।
চারিদিকে ফুচকার দোকান
আমি ,তুমি সবাই নাগরিক অপেক্ষায় এই বোধ আমি কিংবা তুমি
তবে নম্বর তো আসবেই ,না হলে ক্রেতারা খুশি হবে কি করে।

মাঝে মাঝে একটা স্বপ্ন দেখি
ফুচকা ওয়ালা স্কুলের গেটে তার চলতি পসরা লাগালো।
ঢং ঢং করে টিফিনের ঘন্টা ,অনেক স্বপ্ন ছুটে আসছে
ফুচকার দোকানে ভিড়।
আমাকে ফুটো করে আমার নাড়ি ,ভুঁড়ি বের করে কি সব মশলা
ঘুম ভেঙে যায় প্রতিবারে।


  

কবিতার শোক

লিখতে পারাটা একটা অসুখ  ভীষণ কষ্ট ,ভীষণ আনন্দ ,প্রেম প্রবাহ ,অসংখ্য শোক,শহর ,মানুষ   সব কেমন সাদা পাতায় সংসার বুনতে থাকে  শব্দদের ঘুণপোকার স...