Sunday, August 31, 2014

RISCHI@GMAIL.COM

দৈনন্দিন ভূমিকায়
............. ঋষি

সবাইকে ভালো লাগাতে গিয়ে
নিজের ভালোলাগাটুকু মৃত্যুর ছাইয়ে।
একই চর্বিত চরণে হৃদয়ের জোকার
এখন ঘুমিয়ে পরেছে।
ভুলে গেছে মানে
ভুলে গেছে  হাসি ,কান্না ,জীবন রঙ্গমঞ্চ।

অত্যাধিক চাপ আর তাপ দুটোকে প্রশ্নচিন্হ করে
গলায় ঝুলিয়ে ঘোরা ,মেডেল সব মেডেল।
আর মুখোশের আড়ালে লোকানো মুখগুলো
জীবন্ত মডেল ভূমিকায় সিরিয়ালের অগ্রগামী চরিত্রে।
নকল হাসিকান্নার কপট ছলে
মানুষ ভোলাচ্ছে,নিজেকে ভোলাচ্ছে,আমাকেও।
সবাই ভালো থাকছে। ভালো থাকায়
আমি বাঁচছি অভিধানিক নাটকে।

সবাইকে ভালো লাগাতে গিয়ে
নিজের  অস্তিত্বের আয়নায় জোকার হাসছে,
আমার হৃদয়ের তারে জলতরঙ্গ বাজছে।
নিস্তব্ধ জীবনের পথে
রিমিঝিম রিমঝিম বৃষ্টি
রিমঝিম রিমঝিম নোনতা স্বাদ গড়িয়ে ঠোঁটে। 

rishi026@gmail.com

বাংলা আমার মা
............. ঋষি

মৃত কবিতার বুক ছেড়ে পাশের শেলফে
জীবানন্দ উড়ছে শঙ্খচিল হয়ে।
মোটেই অলিক নয়
আকাশের নীল ছিঁড়ে স্বপ্ন ছুটে আসে।
মাটির দিকে
সবটা তো আর স্বপ্নিল নয়।

ঠোঁটে ঠোঁট ঘষে বুকের পাঁচিলে সিঁড়িগুলো
মিশে গেছে সেই আকাশের নীলে।
আমার সিঁড়ির দরকার নেই শুধু
 বিখ্যাত খবরের কাগজের প্রথম পাতার শিরোনাম
সূর্য  উঠছে নতুন সকাল রাজনৈতিক আঙ্গিনায়।
আবার হিরোসিমা বোমাবাজি মিথ্যে গলায়
বাংলা আমার মা।

আমার কয়েকশো কবিতা শুয়ে আছি
সারি বাঁধা সব আমার দৈনন্দিন অক্ষাংশে আগুন।
আগুন জ্বলছে জলন্ত যৌন উপশিরায়
যোনির ভিতরে জন্ম রহর্ষের অনিয়মিত সুরসুরি।
২৪ আওয়ারর্সের চিত্কার বিশেষ খবর
ঝুলন্ত নগ্ন রক্তাক্ত শরীর কবিতার আঙ্গিনায় আর্তি
বাংলা আমার মা।

মৃত কবিতার বুক ছেড়ে দীর্ঘশ্বাস
বিশ্বাস জীবানন্দ উড়বে বাংলার মাটিতে।
হাজার বছরের সফরের পর বনলতা আবার সাজবে
চুল তার কবেকার ,অন্ধকার বিদিশার নিশা।
আকাশে স্বপ্নের নীলে থাকা স্বাধীনতা শহীদ
বনলতা আবার হাসবে। 

Saturday, August 30, 2014

rishi026@gmail.com

কিন্তু সুমন ২
.................. ঋষি

সুমন আমি দাড়িয়ে আছি আধঘন্টা হলো
তোমার আগে জানানো দরকার ছিল
তোমার আজও  মিটিং আছে।
আমি জানতাম আগের থেকে হবে না সিনেমা দেখা
গত আঠারো বছরে তোমার আঠারশো প্রতিশ্রুতি।
আমাকে ভিজেয়েছে নোনতা জলে
নতুন কি আজ।

ব্যস্ত সিনামা হল চত্তরে  আমাকে দেখছে সবাই
ঠিক তোমার সাজানো জোকার ,সাজানো ভালো থাকায়।
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে সুন্দরী মনে হয়
তোমার সাজানো জীবনের সাজানো দোলনায়।
আমি দুলতে থাকি আপন মনে
আমার ঘর ,আমার বর,আমার সংসার।
কিন্তু সব স্বপ্ন বাতাসেই  মিশে থাকে
ঘরের রুমফ্রেশনারের মতো।

সুমন তুমি এখনো আসো নি
একটা ফোনতো করতে পারো, নেহাত একটা এস.এম.এস.
না আমি তারও  যোগ্য নয়
ঘর কা মুরগি ডাল বরাবর জানা ছিল।
কিন্তু জানা ছিল না মুরগির অন্য নাম মাংস
বলো সুমন আমি মাংস তোমার কাছে
প্লিস তুমি আর সোহাগ করতে এসো না। 

rishi026@gmail.com


সময়ের ঈশ্বর
............. ঋষি

অযথা ঝক্কি বাড়িয়ে লাফ নেই
চারতলার রেলিং-এ ধরে হাঁটাটা বেলাল্লাপনা
নেহাত উল্লুকেও জানে জন্মালে মরতে হবে।
চারতলা,পাঁচতোলা বাসস্থানের
কোথায় নিজের অবস্থান জানা দরকার
ঠিক যেমন সময় আর তার দামের।

নিচের তলার সেই ছোটো মেয়েটা থাকে
যার হাতের গ্রাফাইটে সাদাপাতায়  লেখা হয় ঈশ্বরের রিং।
কল্পনার আকাশে সেই মেয়েটা যুবতী হয়
নিজের বুকের কাপড় ,শরীর ঢাকে বড়দের মতো।
তারপর সময়ের তাপে পুড়তে থাকে
সময় যায় শরীরের রক্তে ক্রোমোজম সৃষ্টি।
দৃষ্টি তোমার সৃষ্টিতে ইশ্বর।

এটা সাধারণ এই রিংটা আঁকে ছোটো মেয়েটা।
কিন্তু পাশের বাড়ির কাকু কখন যে গ্রাফাইট ঢুকিয়ে দেয়।
ছোটো মেয়েটার মনে ,মেয়েটা ভয় পায়
বাপরে ,বাপ আবার মিডিয়া ,খবরের খবর।

অযথা ঝক্কি বাড়িয়ে লাভ নেই
নেমে আসি চারতলার চাদ থেকে নিচের ছাদে
মেয়েটা উঠে দাঁড়ায় আমি বলি বৃদ্ধ হ ,আমি বলি ছোটো নয়
মেয়েটা আবার আঁকে বন্দুক ,বন্দুকের ট্রিগার
গর্জে ওঠে সময় ঈশ্বর নিপাত যাক
ঠিক যেমন আমি চাদের রেলিং - এ

RISHI026@GMAIL.COM

সিগারেটের রিং
............... ঋষি

নিজেকে সিগারেটের ছেঁকা দেবার মতো
না উজবুক আমি মোটেই নয়।
আমি অতনু ,বি কম  ফাস্ট ক্লাস ,চাকরির তপস্যায়
মধ্যমিত্ত কেরানীর ছেলে।
রোজ রাত্রে এমপ্লয়মেন্টের স্বপ্ন দেখি
কোলবালিশ জড়িয়ে ধরি ,জড়িয়ে ধরি মায়াকে
আসলে আমি একজন বেকার ছেলে ।

মায়া ,মায়া ,মায়া ,আমার মায়া
সেই মেয়েটা বিনুনী দুলিয়ে কলেজে যায়।
আমি দাঁড়িয়ে থাকি রোজ কবি সুকান্তর মতো
ভালোবাসি বলা হয় নি এখনো
আগে চাকরি ,তারপর প্রেম ,তারপর গাড়ি ,বাড়ি ,সুখ।
কিন্তু স্বপ্নে জড়ায় মায়াকে রোজ
মায়া হেঁটে চলে যায় ,আড় চোখে তাকায়
হাসে রোজ স্বপ্ন পরীর মতো।
দিন যায় ,সময়ের সাথে আমার ঠোঁটের রং পুড়ে যায়
সিগারেটের রিং- এ  স্বপ্নগুলো  দেখা দিয়ে হারিয়ে যায়।

এমনটাই হয় মধ্যবিত্ত বেকার রাত্রের চাঁদ আকাশে থাকে
আর অধরা স্বপ্নরা হেঁটে যায় সময়ের সাথে।
আজ মায়ার বিয়ে,আমার হাত বাড়ায় চাঁদের দিকে
আজও ওকে ভলোবাসি বলা হয় নি।
আমি অতনু ,বি কম  ফাস্ট ক্লাস ,চাকরির তপস্যায়
মধ্যমিত্ত কেরানীর ছেলে।
আজ আমি সেখানেই দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছি
আসলে খাচ্ছি না নিজেকে পোড়াচ্ছি। 

RISHI026@GMAIL.COM

বেজন্মা শরীর
............... ঋষি

অনিবার্য সকাল বেলা
আমি ঘুম ভেঙ্গে ফুটপাথ দয়ে হাঁটি।
সখীরা সব ঘুমিয়ে থাকে ঈশ্বরের সাথে
সখীরা সব লুকিয়ে থাকে উরুর ফাঁকে।
অমৃত তো কর্ষণের ভূমিকায়
গড়িয়ে পরে সারা শরীরে।

আসলে আমি ঘুমোয় না বহুদিন
ঘুম আসে না ,একদম যাতা।
 ফুটপাথ ঘেঁষা বস্তির ফুটোয় চোখ রাখি
মিনা বৌদি শাড়ি চেন্জ করে।
চেন্জ করে শরীর প্রতিবার দলিত উপার্জনে
আর আমি ফ্রি শরীর ভোগ করি।
আমার স্বপ্নের রাতে
আমি ফ্রি আসি যায় প্রলোভনে প্রতি দিনে রাতে।

আমাকে বজ্জাত বলতে পারো ,বলতে পারো বেজন্মা
বেজন্মায় আমি।
আমার রক্তে বাস করে  কজনে ও ললনা
আমার রক্তে বাস করে আবর্জনা।
রাস্তায় দাঁড়িয়ে না কমানো দাঁড়িতে হাত  বোলায়
হাত বোলায় মিউনিসিপালিটির আবর্জনার গাড়িতে।
মিনা বৌদি গালাগাল দেয়,আমি হাসি
তুই মরলে কাকপক্ষী কাঁদবে না।  

অনিবার্য কাঁদবে না
কে কবে কেঁদেছে কার জন্য।
গঙ্গার গা ঘেঁষা শহরের আবর্জনা গঙ্গার জলে মিশে যায়
গঙ্গার  গা ঘেঁষা এই শহরটা সাজানো শরীর।
বেজন্মারা জন্মায় কেউ খবর রাখে না
শুধু মিউনিসিপাল সভ্যতা শরীরে হাত বোলায়। 

Friday, August 29, 2014

rishi026@gmail.com

কাল্পনিক
............. ঋষি

অজানায় কিছু ছড়ানো ফুল পথের উপর
মাড়িয়ে যায় সময়ের দরজায় দাঁড়ানো প্রেম।
কখনো হাসে ,কখনো কোলে তুলে নেয়
কখনো দূরে ছুঁড়ে ফেলে দেয় খেয়ালী ধাঁচে।
আমার কবিতারা অনন্য সব
তোমার স্পর্শে দিনে  রাতে।

সকালের আলোয়  রেডিও ম্যাসাজ
আপনার প্রিয় গান আপনার প্রেমিকাকে।
কি গাইবো
দিল হ্যা কে মানতা নেহি।
ভীষণ ন্যাকা প্রেমের স্পর্শ তোমার কাছে
আসবে না ,আসে নি প্রেম এমন গানে।
সে যে অনন্য আমার মত
তোমার স্পর্শে আমার প্রাণে।

অজানায় কিছু ছড়ানো ফুল পথের উপর
মাড়িয়ে যায় সময় জানলার ওপারে লোকানো মুখ।
হাসছে ,অবহেলায় গড়িয়ে যাচ্ছে খুব নিচে
বুকের মাটির ভিতর শিকড়বাকড় ঘর।
আমার কবিতার তুমি নও স্বার্থপর
শুধু কল্পনায় প্রেম তোমার সাথে। 

RISHI026@GMAIL.COM

প্রোটোগনিস্ট
.............. ঋষি

হাতে কিছু টোটকা নিয়ে ছুটে গেছি ভবিষ্যতের কাছে
প্লিস আমাকে মুক্তি দিন।
মুক্তি দিন প্রতিদিনকার  ঠোঁটের উষ্ণতা থেকে
তোমার স্বপ্ন থেকে বেশ্যার মত আমি।
ফুটিয়েছি নিজের যোনিতে অসংখ্য হুল
উর্বর প্রেমের মাটিতে প্রোটোগনিস্ট আমি।

নিজের বুকের উত্তাল মাংসপিন্ডের
খানিকটা নিয়ে যাক নামহীন সেই বজ্জাতগুলো
যাদের জন্মের কথা লেখা কোনো শরীরে।
ব্যবসায়ী আমি ,
অর্থ আর স্বার্থের গোলাম পৃথিবীর মাটিতে।
দুচার ফোঁটা রক্তবিন্দু লেনদেন নিটল চাহিদায়
ক্রোমোজনীয় কোনো অনু থেকে জন্ম নিক আরেকটা শরীর।

হাসছি আমি নেহাত পাগল কোনো কবুতরের প্রেমে
ডানা মেলেছি নীল আকাশে শান্তির দূত।
ধর্ম থেকে তুলে ধরা অধর্মের  শরীরে
চর্বির পাহাড় , আদিমতার জঙ্গল আর অদ্ভুত অহংকার।
সবমিশিয়ে জ্বলন্ত সয়তানের চোয়ালে
শুধু আক্ষেপ ভালো থাকা।

হাতে কিছু টোটকা নিয়ে ছুটে গেছি ভবিষ্যতের কাছে
প্লিস আমায় মুক্তি দিন।
মুক্তি দিন প্রতিদিনকার সাজানো চেতনার থেকে
তোমার স্বপ্নের বৃহন্নলার মত আমি।
নিজেকে দংশিত করেছি বারংবার চেতনার শরীরে
উর্বর প্রেমের মাটিতে অসহায় আমি। 

RISHI026@GMAIL.COM

অচলায়তন কাব্য
............ ঋষি

বন্ধ ড্রয়ারের ভিতর লোকানো
পুজো প্যান্ডেল ,আগত দর্শনার্থীদের কল্পনায়।
আমাদের ছোটো ফটো ফ্রেম
তুমি ,আমি ,আর আমাদের প্রেম  .
সব বন্ধ ওই  ড্রয়ারের  ভিতরে ,মনের ভিতরে
স্মৃতির ভিতরে চাবি ছাড়া ছন্নছাড়া।

আকাশের ডানদিকে আজ কালচে আলোয় তোমার মুখ
শরতের আলো ,বাজলো তোমার আলোর বেনু।
মাতলো যে ভুবন আগমনীর সেই শৃঙ্গারে
হাসছে বাতাস ,হাসছে দেখো সবুজ মাঠ।
বিচ্ছিন্ন নাটকের অগ্রগামী চরিত্র আমি
তোমার হাত ধরে ঘুরছি প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে।
নগ্ন দেবীর নগ্নতা দর্শনে
শীত্কার শুনতে পাচ্ছো খিদে ,খুব খিদে
জ্বলে গিয়ে পুড়ে যাওয়া আমাদের পথে রঙিন পুজো।

বন্ধ ড্রয়ারের ভিতর লোকানো
মাংসের পাঁচিল ,নিরীহ নরখাদকের মতো শাণিত নখ।
আমার সারা বুকে আঁচড়ানো দাগগুলো
তোমার ,আমার পরম সুখে পাওনা কিছু স্মৃতি।
ড্রয়ারের ভিতর,মনের ভিতর সব বন্ধ
কিছুক্ষণের বেঁচে থাকায়। 

rishi026@gmail.com

কবিতার  যন্ত্রণা
................ ঋষি

মনে হচ্ছে বহু দিন কবিতা লিখি নি
যার হাতে হাত রেখে আমার ২৪ ঘন্টার খবর।
আজকাল পুরনো হয়ে গেছে
একঘেয়ে ঘ্যান ঘ্যান ,একঘেয়ে যন্তনা সুখ
একঘেয়ে বেঁচে থাকা ,একঘেয়ে হাসি।

ছোটবেলার খিড়কির জানলায় দাঁড়িয়ে হাত নাড়তাম
পরমপ্রিয় রাত্রিরা  চলে যেত স্বপ্নের দেশে।
সেই রাজকন্যা ,বেঙ্গমা বেঙ্গমী ,পক্ষীরাজ
আজ সমুদ্রে দাঁড়িয়ে দেখি চারিদিকে শুধু রাত্রি।
আকাশের তারায় আটকে আছে প্রেমের রূপ
আমার নিদ্রায় কবিতারা হাসতে থাকে ।
হাসতে থাকে জন্মজন্মান্তরের ক্ষনিকের অধিকারে
আবার আরেকবার যন্ত্রনায়।

আমার এক বান্ধবীর আজ দুবছর হলো ঝুলে আছে কোর্টের দরজায়
ভালোবাসার ছুটি চায় সে।
কিন্তু সত্যি কি ভালবাসার ছুটি হয়
ছুটি থেকে জীবন ছুটে যায় আশায় আশায় ভালোবাসায়।

ছুটি ছুটি ছুটি কোথায় ছুটছো  কবি
প্রশ্ন করেছিল শব্দরা আমাকে।
কতদূর, কোনদেশে ঠিকানা জানো না
আমি বলি নি তাদের।
আসলে কবিরা ছুটে চলে স্বপ্নের আড়ালে পক্ষীরাজে যুগে যুগে
সময় হাসে আর বলে চলন্ত পাগলাগারদ।
কবির কবিতা নতুন দূত আলোর জগতে
যারা বোঝে  কবি হাসছে।

মনে হচ্ছে আর কবিতা আসছে না
আমার হৃদয় নিংড়ে অনেকটা সময় তোমার কাছে।
আসলে সবটা হারিয়ে যাচ্ছে
একঘেয়ে ঘ্যান ঘ্যান ,একঘেয়ে যন্তনা সুখ
একঘেয়ে বেঁচে থাকা ,একঘেয়ে হাসি।

Wednesday, August 27, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

নেশাতুর
.................. ঋষি

চিরাচরিত চেতনার ফুটপাথে
ঝিম ধরা নেশার বোতল আমার হাতে।
হাসছি দৈনন্দিন প্রেমে
লুটিয়ে পরছি বারংবার পরম স্নেহে।
পায়ের কাছে গোটা বিশ্বের স্বয়ংবরে
আমি নিঃস্ব যন্ত্রণার অঙ্গীকারে।

পায়ের কাছে গোটা বিশ্বের অলংকারে
সোনালী নুপুরে বাঁধা বিড়ালের ঘন্টা।
সবাই জানে ,কিন্তু বাঁধবেটা কে
আমি ,তুমি না সে ঈশ্বর।
ঈশ্বর সে যে নিদ্রিত অবচেতনে
আমার নেশার বোতলে প্রতি প্রেমে
ঝংকার জাকির হোসেনের তবলার।
বাজছে আর বাজাচ্ছে যে সেই চেতনা
আরো অন্ধকার ,গভীর অন্ধকারে।

আরেকটু উঠবো ভাবি বেয়ে পরাশ্রয়ী
কোনো খাদকের সম্পর্ক্যে।
বুকের চিতার ডোরাকাটা লোভ আমার
বড় রক্তাক্ত হয় কোনো নারীর আব্রুতে।
হাত পাতে খিদের শহরে
একলা কোনো রাত্রিতে জাগ্রত সৈনিকের মতো।
আবছা অন্ধকারে দাঁড়ানো অস্তিত্বদের গিলোটিন
আমি দেখি বারংবার উনুনের ভিতর
পুড়তে থাকা আমার হৃদয়ের সুপ্ততায়।

চিরাচরিত চেতনার ফুটপাথে
সামনে দাঁড়িয়ে থাকা দোদুল্যমান লাইটপোস্ট।
আমাকে দেখে হাসতে থাকে প্রেমিকার মতো
জড়িয়ে ধরি ,আশ্রয় খুঁজি ,আসলে বাঁচতে চাই।
বারংবার আমার বুকের খাঁজের অন্ধকারে
ইশ্বর তোমার কৃপায়। 

RISHI026@GMAIL.COM

অন্যমনস্ক
........ ঋষি

প্লিস একবার বল কবে আসছিস তুই
আমি অপেক্ষায়

এ তো স্বপ্ন দেখছি বাইকের চাকায়
তোকে নিয়ে অনেক দুর।
সেই আকাশ জোত্স্নায় অন্য দেশ
আমাদের  স্বদেশ ,একটু জ্যাম।

কি হলো হাসছিস তুই
আমার বাইকের ফোর্থ গিয়ারে।
আমার সাথে ভাসছিস  তুই
আমার শহর কলকাতায় বল
কত তাড়াতাড়ি আসছিস তুই।

কোনো কফি সপ ,ছোটো মাটির উঠোন
দু এক ঠোঁটে উষ্ণতা।
তোর আমার বুকে ,ভালো করে দেখ
ও মা সুন্দর হাসছিস তুই
আমার সাথে ,আমার কলকাতায়।

আসবি তাড়াতাড়ি আয়
আমার হৃদয়ের কবিতায় স্বপ্ন তুই।
আমার হাত ধরে পুরো কলকাতায়
এক রাউন্ড দিনে রাতে বারবার
শতবার তোর স্পর্শে আমার কবিতায়।

এ তো স্বপ্ন দেখছি বাইকের চাকায়
তোকে নিয়ে অনেকদুর।
সেই আকাশ জোত্স্নায় তুই আর আমি
পাশাপাশি ভুলে জীবন যন্ত্রনায়।

প্লিস একবার বল কবে আসছিস তুই
আমি অপেক্ষায়  .....................  

RISHI026@GMAIL.COM

মৃত জীবিত
...................... ঋষি

তোকে বলার ভাষাগুলো
আকাশের নীল মেঘের আড়ালে লোকানো।
কিছুক্ষণের আলাপন চলন্ত ছায়াছবি ফ্লাশব্যাক
কিছুটা স্বপ্ন হেঁটে চলে যায় মৃত ফুটপাথ
তোর সাথে ঈশ্বর আনন্দের হাত ধরে।

আমি নেহাত মানুষ
জনকলোরবে অসংখ্য বর্বরতার মুখোশে।
ক্ষতবিক্ষত কিছুটা বেহায়া
তাতে কি আমি তো মানুষ ,আমি খুশি।
ঈশ্বর হওয়ার বাসনায় আমি ছলনাময়ী নই
নই কোনো ধারালো শাবলের দুরন্ত অভিসার।
অসংখ্য দুর্বলতার মাঝে দুর্বল আঁধারে
আমি ভ্রাম্যমান কোনো একলা প্রেম।
ডুবে যায় ,মরে যায় ,বেঁচে যায়
কি এসে যায় তাতে।
কি আসে যায় তোর মৃত স্বপ্নের সাজানো ফুটপাথে
একলা সরনীর মৃত জীবিত আমি।

তোকে বলার ভাষাগুলো
আকাশের কোনো স্তব্ধতায় আবদ্ধ মুখোসের আড়ালে।
কিছুক্ষণের দাগগুলো  তোর নখের বড় জ্বালাময়
অথচ জানিস আমার ভীষন প্রিয় তুই
যে এখন কোনো মৃত ঈশ্বরের সাথে। 

Tuesday, August 26, 2014

RISHI026@GMAIL.COM


মৃত্যু বালুচরী
............. ঋষি

ছোটো শব্দ আমি একলা বালুচরে দাঁড়িয়ে
স্বপ্নের ফেরি ,হাত বাড়ায় তোর দিকে।
আকাশে চাঁদ ,আকাশেই থাকে
আর আমার বুকে ,
আকাশ মাটি দূরত্বে সাজানো স্বপন
আমি  মৃত্যু বালুচরী।

তোর শরীরে ,তোর হৃদয়কে জড়িয়ে
আমি মৃত্যুমুখী।
অনেকটা সেই সীতার পাতাল প্রবেশ
ঢুকে যায় মাটি ফেটে হৃদয়ের কথা।
খুব গভীরে ,কঠিন অন্ধকার
এক পাও যায় না ,একা থাকা যায় না।

কবে যে বিশাল বালুচরে আমার স্বপ্নের ঘর
উড়ে যায় সোনালী বালুঝড়ে।
তোর মতো,তোর প্রেমে মুগ্ধ আমি
এগিয়ে যায় তোর দিকে একলা মরুভূমি।
বিশাল তৃষ্ণা এই বুকে
আমি মৃত্যু বালুচরী।

আর তুই সেই স্বপ্নের নারী আমাকে জড়িয়ে
এগিয়ে যাস  তোর প্রেমে।
আমি জড়িয়ে থাকি ,আসতে আসতে গড়িয়ে নামি
তুই নগ্ন হোস আমার চোখে ,আমি মুগ্ধ হই।
জ্বলে যায় ,পুড়ে যায়  একলা কোথাও
তোর হৃদয়ের কোনে সাজানো আলমারিতে। 

RISHI026@GMAIL.COM

আমি বেঁচে আছি
........... ঋষি

তোকে ছুঁয়ে  গভীর উষ্ণতায় ব্যস্ততম দিন
শহরের রাস্তায়।
আমি হেঁটে যায় ,চায়ের ভাঁড়ে চুমুক
সেই বিকেলের প্রতিক্ষায় তোর ঠোঁট।
বিকেলের নোনতা কল্পনায়
আমার ফুরিয়ে যাওয়া একটা দিন।

তোর শাড়ির আঁচলে দিগন্তে লোকানো একটা হৃদয়
সূর্য ডুবি শাড়ির ভাঁজে নীল আকাশে।
আবার অন্ধকার রাত্রি
একলা পথ সময়ের সাথে তোর কল্পনায়।
রোজকার আগামী ওঠাপরায়
সোনালী আশা ,এই বেঁচে থাকা।

আবার না হয় বিকেলের ঘামে তোর গন্ধ
অন্ধকারের শেষ আলোটুকু  স্বপ্নময় স্পর্শীল।
আমি বেঁচে আছি এখনো আলো
আমার হৃদয় তোকে জড়িয়ে শান্তিময়।
তারপর সবশেষ সূর্য ডুবি ফুটপাথে দাঁড়িয়ে
আমি একলা অসহায়।

তোকে ছুঁয়ে গভীর উষ্ণতায় ব্যস্ততম দিন
শহরের রাস্তায়।
বিক্রি ফেরি চারিদিকে চিত্কার ,অসংখ্য জীবন্ত প্রাণ
সেদিনের মতো জীবন্ত  কুয়াশায় ঢাকা।
আমি বেঁচে আছি এখনো তোর ঠোঁট চায়ের ভাঁড়
রোজকার  বেঁচে থাকার যাতনায়।  

RISHI026@GMAIL.COM

আজকাল আমার বাঁচতে ইচ্ছে করে
................ ঋষি

আকাশের পথ ধরে সমুদ্রের বুকে
আমি মিশে গেছি কবে।
জানিস মন
তোকে ছুঁয়ে বেঁচে থাকার মিষ্টি রংটা কেমন
আমার আজকাল দেখতে ইচ্ছে করে।

খিড়কির জানলা দিয়ে একটা ছোটো আকাশ
আর আমার বারান্দার ওপারে সমুদ্র।
তার ওপারে এক রঙিন দেশ
জানিস মন
নীলচে আলোয় আমার এখন হাসতে ইচ্ছে করে।

সমুদ্রের সাথে আমাদের ছোটো নদী
দুপাশে ছড়ানো জীবন্ত আগুন।
সেই আগুন চিঁড়ে এগিয়ে যাওয়া সোনালী রৌদ্র
ছোটো ছোটো আশা ,ছোটো স্বপ্নের জীবন
জানিস মন।

জানিস মন
আজকাল আবার আমার বাঁচতে ইচ্ছে করে.
তোর বুকে আমার কবিতায় আগুন
সেই আগুনে নিজেকে পোড়াতে ইচ্ছে করে
একবার তোকে ভালোবেসে।

ছড়ানো ছেটানো দৃষ্টিতে তোর চোখের তলায় কালি
জানিস মন।
ওই কালো ছোপে ধরা আমার হৃদয়ের কালি
চাবুকের দাগ ,আরো গভীর হৃদয়ে
তবুও বুঝি না কেন এই একলা থাকা খালি।

আকাশের পথ ধরে সমুদ্রের বুকে
আমি মিশে গেছি কবে।
জানিস মন
আবার আমি অপেক্ষায় তোর পথে চোখ
আমার যে আজকাল বাঁচতে ইচ্ছে করে। 

RISHI026@GMAIL.COM

চিঠির উত্তর
................. ঋষি

আমি জোত্স্নার হাত ধরে
ঘুরতে গেছি মেঘের হৃদয়ে গভীর নীলে।
নীল খামে ভরা চিঠিটা আকাশলীনা তোমার ঠিকানায়
আজ ,কাল ,পরশুর মধ্যে তোমার কাছে ।
আকাশলীনা তুমি বৃষ্টি দেখনি
শুধু থাকতে চেয়েছো একলা হয়ে
প্লিস একবার আমাকেও একলা থাকতে শেখাও না ।

আমার নীল চিঠির উত্তরে দু চার লাইন
আকাশলীনা একটু লিখে দিও হৃদয় ঠিকানায়।
আমি এখন মেঘের দেশে বৃষ্টির সাথে
আকাশলীনা তুমি বৃষ্টি দেখনি।
তুমি তবে বুঝবে কি করে আমার ঠিকানা
আচ্ছা তোমার খাঁচার টিয়াটা ছেড়ে দিও ,
প্লিস আমাকে একটি উত্তর তুমি পাঠিয়ে দিও।

আকাশলীনা আমি যতোই এখানে থাকি
যতোই ঘুরি না মনের আনন্দে জোত্স্নার সাথে।
তোমার সেই স্পর্শগুলো আমি ভুলিনি কখনো
আজ ,না হোক কাল এক মেঘ নিয়ে বৃষ্টি নিয়ে।
আমি তোমার দরজায় দাঁড়াবো
আমার চিঠিতে সে সব সময় লেখা আছে তারিখ দিয়ে ,
প্লিস আকাশলীনা তুমি দাঁড়িয়ে থেকো অপেক্ষায়।

rishi026@gmail.com

একটা বৃষ্টি দিন
.............. ঋষি

তুই কেমন আছিস বল
এই প্রশ্নের উত্তরে শুধু  বলি আজও বৃষ্টি হচ্ছে।
আকাশের মেঘের মুখ ভার
এমনটাই তো হওয়ার ছিল আমার দৈনন্দিন
আমার অসামপ্ত কবিতার মৃত্যু।

আজ থেকে নয়,চিরকাল
প্রতিটা নিম্নচাপের পর শরীরে অসুস্থি,মস্তিষ্ক বিভ্রম।
তারপর মেঘ ,তারপর বৃষ্টি
দেরাজের খামে তোর সুগন্ধী স্মৃতিগুলো হৃদয়বন্দী।
আজ আর রৌদ্র আসবে না ,অসম্ভব
আসলে প্রতিটা আবর্তনের পর পরিবর্তিত
একটা দিন বৃষ্টি হয়।

শহরের ফুটপাথে প্যাচপ্যাচে  আঠা স্মৃতিরঘরে
সবুজ গাছগুলো  চুপিচুপি কানে কানে বলছে
বৃষ্টি আসছে হৃদয় ,সময় কাঁদছে।
আমি হাসছি,খুব হাসছি মন ভরে ,চোখের পাতায় বৃষ্টি
আজ আমার হারাবার কিছু নেই  .
আজ আমার পাওয়ারও কিছু নেই ,সব শেষ
আজ শুধু বৃষ্টি আমার মেঘলা বেলায়।

তুই কেমন আছিস বল
এই প্রশ্নের উত্তরে শুধু এতটুকু বলি আজও বৃষ্টি হচ্ছে।
আজ মনের খোলা জানলায় মেঘলা আকাশ
এমনটাই তো হওয়ার ছিল তোর প্রেমে তোকে পাওয়ায়
আমার অসমাপ্ত কবিতার মুখে আগুন।   

Sunday, August 24, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

ঝরনার শব্দ
................ ঋষি

উত্তরোত্তর ঝরনার শব্দটা বেড়েই যাচ্ছে
দু চারটে খোলামকুচি পাথর অন্তরঙ্গে উপস্থিতির মতো।
জানো আমি জীবনে ঝরনা দেখি নি
যতটুকু দেখেছি সে শুধু গড়িয়ে নামা।
রোজকার কথনে আমি কখনো একলা হই নি
কিন্তু যখনি এই ঝরনার শব্দ কানে বাজে,
একলা হয়ে যাই।

ঝরনার থিরথিরে জলের নিচে
আমি সবসময়  যুদ্ধ দেখতে পাই।
ক্রমাগত বাজতে থাকে যুদ্ধের ভূমিকা চোখের পাতায়
এ যুদ্ধে স্বপ্ন আসে না ,আসে না প্রেম।
শুধু প্রেম শব্দের ছিন্নভিন্ন দেহটা হাতছানি দেয়
কি জানি আজকাল প্রেম বোধহয় এমনি হয়
শুধু একলা করে যায়।

উত্তরোত্তর বেড়ে যাওয়া ঝরনার শব্দ
কান বন্ধ ,বন্ধ হৃদয়ের ঘরের দরজা ,জানলা।
ফুটিফাটা দিয়ে যতোটুকু আকাশ দেখতে পাই
সেখানে মুক্তি ,নেই জ্বালা একলা থাকার দোটানায়।
কি জানি আজকাল যন্ত্রনাদের মুক্তি হয় না
শুধু আকাশ জুড়ে মেঘ ভিজিয়ে যায় অসময়ে ,
একলা হয়ে যাই। 

Saturday, August 23, 2014

RISHI026@GMAIL.COM


শারীরিক
....................ঋষি
========
ইন্টালেকচুয়াল হাইওয়ে ধরে
স্ট্রবেরির গন্ধ শুয়ে থাকে বিভোর কামে।
বাংলায় নীল রক্তে লেখা হয়
শরীরের গান।
অমৃতের সাথে মিশে ঈশ্বরী তুমি অলংকৃত
অহংকার তোমার মানায় না।

এমন এক সার্বিক কল্যানের উদ্দেশ্যে
গঙ্গার ফেরিতে খুলে যায় তোমার খয়েরি সালোয়ার।
জীবন থেকে দু এক ক্ষণের মুক্তি
কেরোসিনে আগুন লাগা দাউ দাউ প্রেম
জ্বলে যায়, পুড়ে যায় স্মৃতির আঘাতে বিকেলের গঙ্গায়।
হাসছে দেখো জীবন হাসছে
ঈশ্বরী তুমি নেহাত মানুষ রয়ে গেলে।

লেকটাউন ফুটব্রীজের নিচে চলন্ত পিঁপড়েগুলো
মাটি থেকে আকাশে উঠতে চায়।
হা ঈশ্বর তোমার দাঁড়ানো দন্ডে সামিল আমার হাত ওঠেনামে
প্রতিবার ঈশ্বরী তোমার নামে।
শরীরের ঘাম ,রক্তে জ্বলে
আমার এই কবিতা অশ্লীল তোমার কৃপায়।

 



RISHI026@GMAIL.COM

বিসর্জন
............. ঋষি

যেদিন শ্রাবনের সাথে ঝগড়া করে
বয়স বাড়ালাম।
নিজেকে ভেজালাম যত্নে আদর করে
সেদিন ভাবলাম প্রেম আসবে।
আসে নি ,শুধু বাঁধ ভেঙ্গেছে তুমুল বৃষ্টিতে
প্লাবিত চারিধার ,উঠে এসেছে মাটির থেকে।
মায়ের মুখ ,মা জননী তিনি
আমার প্রথম প্রেম মায়ের মুখে।

যেদিন প্রথম জড়িয়ে ধরলাম কোনো নারী
যেদিন প্রথম চুমু তোমার ঠোঁটে।
সেদিন বোধ হয়  প্রেম জন্ম নিল
একখানি ফালি চাঁদ উঁকি দিল অন্ধকার আকাশে।
চারিদিক জ্যোতির্ময়ী কোনো নারী
সোজা নেমে এলো বুকে আলুথালু বেশে
আমি প্রনাম করলাম প্রেম আমার প্রাণে।

যেদিন প্রথম দেখি আকাশের চাঁদ
সোজা হেঁটে চলেছে অফিস পাড়ায়।
অদ্ভুত আবার প্রেমে পড়লাম
কি বুঝলাম জানি না ,কি হলো তাও না।
শুধু জ্বলে গেলাম ,পুড়ে গেলাম
প্রেমের আগুনে জ্বলন্ত খই।
ছিটকে পড়ল আমার শরীরের চারিধারে
আমি পুড়ে ছাই। 

Friday, August 22, 2014

rishi026@gmail.com

চিরকালীন বৃষ্টি
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, ঋষি

আবার মেঘ থেকে বৃষ্টি
রৌদ্র নামক ভদ্রচিন্তকের অলীক রজনী।
সে তো নোনতা ,রক্তের মতো
নেমে আসে বয়ে যায় সারা শরীর।
যেন  ক্লান্ত অজগরের  আপ্লুত বেদনা
এ কবিতা আমার নয়।

আমি পরীক্ষিতের মতো মৃত চেতনা নয়
হতে পারে শ্রাবনের মেঘে রৌদ্র।
হতে পারি ভঙ্গুর কোনো স্বপ্নের মতো
তবুও আমি মৃত্যুগামী নয়।
আমার শহরে শোনা যায় না এম্বুলেন্সের সেন্সর
এখানে শুধু কাঁচি নিয়ে বসে স্বয়ং ইশ্বর।
সর্বলোকের পাপের বেদনা এই হৃদয়ে
ইশ্বরের মতো মৃত্যুশীল  .

আবার মেঘ থেকে বৃষ্টি
রৌদ্র নামক ভদ্রচিন্তক আজ অন্ধকারে।
সে তো আঁধারে,প্রেতের মতো
কোনো অজানা পৃথিবীর দুঃখী আত্মা।
আমার ঘরে
এ মেঘে বৃষ্টিপাত চিরকাল। 

rishi026@gmail.com

সেই ছেলেটা
.............. ঋষি

জন্মান্ধ কোনো বিকেলের রৌদ্রে
আমার ফেলে আসা ইচ্ছাগুলো অশালীন।
বারংবার  c গ্রেডের কোনো ছেলে
একলা দাঁড়িয়ে থাকে আমার বুকের বারান্দায়
নিশ্বাস নেই মৃত্যুর  অছিলায়।
এমনটাই ছিল,এমনটাই হয়
কলিংবেল বাজে আকাশ থেকে নেমে আসে স্বপ্ন
আমার কবিতারা  বাঁচার ঘ্রাণে।

কি আনন্দ ,কি আনন্দ ,কি আনন্দ
এমন কোনো শব্দ নেই বুকের খাঁচায়।
এই ছেলেটা ,বেল বেলেটা পবিত্র শরীর
বুকের উষ্ণতায় রাস্তার ধারে।
রংচং মুখে দাঁড়িয়ে কয়েকটা শরীর
জীবন থেকে জীবিকার মত দ্রুততম।
নেমে আসে আকাশ থেকে গাংচিল
দাদা খিদে পেয়েছে খায়নি কদিন।

কেন প্রশ্নের উত্তরটা সেই c গ্রেডের
আমি আকাশ ছুঁতে চাই ,ছুঁতে চাই স্বপ্ন।
কিন্তু সেই ছেলেটা যে আমার বুকের বারান্দায় দাঁড়িয়ে
সে যে মৃত্যু ছুঁতে চাই ভালোবেসে
ভালোবেসে জড়িয়ে ধরতে চাই তার স্বপ্নের নারীকে।
এমনটাই ছিল,এমনটাই হয়
কলিংবেল বাজে আকাশ থেকে নেমে আসে ঈশ্বর
স্বপ্নে হেঁটে চলে যায়। 

rishi026@gmail.com

অন্তত একবার
............. ঋষি

জীবন থেকে চলে যাবার আগে
তোমার বাড়ির স্টেসনে একবার আসবো।
তোমার দরজায় দাঁড়াবে ট্রেন
বারংবার হর্ন দেবে ,যেমন দিয়ে এসেছে চিরকাল।
কিন্তু একবার তোমার দরজায় পা রাখবো
একবার অন্তত একবার আমি দেখবো তোমায়।

যেদিন সন্ধ্যে নামে নি
আমার শহরের কোনো অখ্যাত গলিতে রিমেক বার।
ঘুমঘোরে চিত্কার চলিকে পিছে কেয়া হ্যা,চলিকে পিছে
আমার হাতে রুপোলি পেগ।
দুচার ঠোঁটের তোমার কবিতায়
আমি একবার তোমাকে স্পর্শ করবো।

আমি হাসবো ঠিক দেবদাসের মতো
নেহাত শরত্চন্দ্র নেই তাই লিখবে না কেউ।
আমার বুকের কোনো গভীর যন্ত্রণা
যন্ত্রণার নদীতে তোমার মুখটা।
আমি দেখবো অন্য কোনো গলিতে, তোমার নেশায়
মাতাল দেবদাস আমি।

জীবন থেকে চলে যাবার আগে
তোমার বাড়ির উঠোনে আমার উদ্দাম প্রেম সোনালী ফসল।
যেমন ফলেছিল আজ থেকে বাইশ বছর আগে
ঠিক এই মাটিতে ,তোমার বুকে।
আমি আবার বুনবো আমার রুপোলি ফসল
তোমার  শরীরে আমার প্রেমের রঙে।

rishi026@gmail.com

ঝরনার কবিতা
.................. ঋষি

পাহাড়ি ঝরনায় তোমার নুপুর
তুমি ঝরনা পরী।
তোমার নাভির থেকে উঠে আসা কবিতায়
তুমি মোহময়ী।
তোমার দুর্বার আকর্ষণ, স্তব্ধ আমার ৩৬৫
প্রতি আবর্তনে লেখা আছে
তোমার স্পর্শের অর্থটি।

তুমি হারিয়েছে নুপুর
তোমার হৃদয়ের দেওয়ালা উইন্ডচার্ম।
দুচার মুহুর্তের আলাপনে
আমার স্বপ্নে তোমার নাম।
আমি তো খুঁজছি আর খুঁজেই চলেছি
কবিতার পাতায় বাড়ানো হাত.
তোমার নুপুরের শব্দ হৃদয়ে
গা ছম ছমে স্বপ্ন রাত।

পাহাড়ি ঝরনায় তোমার নুপুর
তুমি ঝরনা পরী।
তোমার উরুর লোকানো আঁধারে
তুমি মোহময়ী।
তোমার দুর্বার আকর্ষণ ,স্তব্ধ আমি বত্রিশে
প্রতি কবিতায় লেখা আছে জানো
তুমি দাঁড়িয়ে পঁচিশে। 

rishi026@gmail.com

খিদের সভ্যতা
............ ঋষি

ভয়ংকর সভ্যতার বিশ্লেষণে বসে
যেদিকে দেখি শুধু ঝরে পরে খিদে।
খিদে জন্ম ,খিদে মৃত্যু ,খিদে ভালোথাকা
খিদে ভালোবাসা,খিদে বাঁচা ,খিদে স্বপ্ন।
কেন এমন হয় ?

পড়ন্ত বিকেলের আগুনে শুন্য উনুনে
কেউ পেট চাপড়ায়।
অন্ধকার গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে শরীরগুলো
খিদে ভিক্ষা চায়।
সকালের ফুটপাথে দেখি বিষন্ন ছলছলে চোখে
খিদের আকুতি।
দুপুরে রৌদ্রে হেঁটে চলে ক্লান্ত মুখগুলো
বিভত্স্য কোনো খিদের কিনারায়।
কেন এমন হয় ?

সকালের খবরের পাতায় রক্তপাত
কোনো যোনির যন্ত্রনায় উত্সুক যৌনতার গন্ধ।
মাছি ওড়ে ভনভনে সমাজের লজ্জায়
টিভির পর্দায় ঝরতে থাকে রক্ত।
কোনো আদিম পর্বতের কিনারায়
গর্জে ওঠে এ-কে -৪৭ নিরীহ  যন্ত্রনায়।
পাবলিক ইনস্টিস্টিউসানে পাবলিক সার্ভেন্ট
প্রকাশ্যে পয়সা নেয় পাবলিক সার্ভিসে।
কেন এমন হয় ?

ভয়ংকর সভ্যতার গোলকের উপর দাঁড়িয়ে
আমি দেখি মানুষ কাঁদছে অসহায় কেঁচোর মতো।
পেট্রল ,ডিজেল আগুনের জেটে গরুর গাড়ির হর্ন
অদ্ভুত বেমানান খিদের সভ্যতার রং।
কেন এমন হয় ?

Thursday, August 21, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

একবার ভালোবেসে দেখতে চাই
................... ঋষি

জীবন থেকে চলে যাওয়া মুহুর্তগুলো
আজকের রঙিন মোড়কে ঢাকা তোর প্রেম।
আমার যন্ত্রণা তুই ,আমার না লেখা কবিতা
আমি আরো পুড়তে চাই।
একবার শুধু একবার ভালোবেসে দেখতে চাই
কি পেলাম আর কি হারালাম।

তোর রুপোলি স্বপ্নে সাঁতার দিয়ে জীবন
আমি একটু বাঁচতে চাই।
তোর কপালে ঠোঁট রেখে করতে চাই স্মরণ
নিজের যাবতীয় যন্ত্রণা।
তোর ঠোঁটের উষ্ণতায় আমি পুড়তে চাই
পাগুলে প্রেমে একটু আশ্রয় তোকে চাই।

আবার না হয় সন্ধ্যা নামুক
আরেকবার বৃষ্টি আসুক চোখের পাতায়।
ক্ষতি কি ,আমি তো সেই জন্মান্তরের
বিশ্বাস করি তোকে হৃদয় দিয়ে।
আমার না বলা কবিতারা বারুদ বুকে
দাঁড়িয়ে শুধু তোর আশায় তোর প্রতীক্ষায়।

আজ না হোক কাল
আবার সকাল আসবে তোর ঠোঁটের হাসি।
আমার সপ্ন আমার কবিতায় তোর মুখ
ভালোবেসে ছবি আঁকবে আগের মতো।
আগের মতো জড়িয়ে ধরে বলবে তোকে
আমার কবিতা ,আরো ভালোবেসে। 

RISHI026@GMAIL.COM

তোর হাসি
............. ঋষি

আজ মেঘলা আকাশে আনমনা তুই
টানাপোড়েন বৃষ্টির ছাট তোর শরীরের গন্ধে।
সদ্য স্নাত আয়নায় মুখ একটু ক্লান্ত
একটু বৃষ্টি হোক।
একটু না হয় রাখ মাথা সময়ের বুকে
দেখ সময় হাসছে।
প্লিস এবার তো তুই হাস
আমার মতো একবুক প্রেম নিয়ে।

একটু তো আয়নায় আসুক হাসি
তোর চুলের গন্ধে মাতোয়ারা হোক পাহাড়ি ক্যাকটাসে।
আমার বুকে হাত রাখ
শুনতে পারিস স্পন্দন তোর ভালো না থাকায়।
আনমনা পৃথিবীর থেমে যাওয়া মুখ
আমি ভালো নেই তোকে ছাড়া।
প্লিস একটু আসুক হাসি
আমার ও ঠোঁটে উষ্ণ নরম ঠোঁট।

জীবন গিয়েছে চলে আমাদের সময়ের হাতে
দুচার মুহুর্তের আলাপন তোর সাথে।
একটু স্পর্শীল আগুন তোর হাসি
আমি বাঁচি, আরেকটু বাঁচতে চাই।
প্লিস আরেকবার সপ্ন দে আমায়
আরেকবার ছুঁয়ে দে আমায়।
খুব গভীর পাহাড়ি ঝরনা
তোর মুখের ওই সুন্দর হাসি।

rishi026@gmail.com

আকাশলীনা (২)
.......... ঋষি

আকাশলীনা তুমি যেও না ওদিকে
একবুক সমুদ্রে দাঁড়িয়ে ব্যস্ত চরাচর।
ছড়ানো কাঁকরগুলো চোখের বালি
ওপথে তুমি হেঁটে যেও না।

আমি তো বলেছি তোমাকে
রৌদ্র মাখা শেষ বিকেলে হৃদয়ের কথা।
সুখ যে সাজানো স্বপন
আমি যে দুঃখের পাখি ,দুঃখের সাথী
দুঃখে হাসি ,দুঃখে বাঁচি ,দুঃখটাকেই ভালোবাসি।
আকাশলীনা তুমি এসো না এদিকে
শুধু দুরে সরে যাও ,আরো দুরে চলে যাও।

আকাশলীনা আজ সকাল থেকে বৃষ্টিপাত
আকাশের গায়ে জমে থাকা অনেক অভিমান।
ঝরে পরছে টিপ টিপ হৃদয়ের রক্তপাত
আকাশলীনা তুমি ভিজো না বৃষ্টিতে।
জ্বর আসবে ,সে যে সিরসিরে শীতলতা
হৃদয়ের গায়ে কালো ছোপ
আকাশলীনা তুমি স্বপ্ন দেখো না।

আকাশলীনা তুমি যেও না ওদিকে
একদন্ড চুপটি করে বসো।
জানো হৃদয়ের কোনো দেশ নেই ,নেই মস্তিষ্ক
সে যে উড়ো পাতা ,তুমি স্পর্শ হয়ে এসো।

rishi026@gmail.com

পুতুল খেলা
............... ঋষি

আমাকে শেষ করার আগে একবার বলিস
আমি বদলে গেছি।
সেই সোনালী সন্ধ্যার আবৃতির  মতো এক শীতল স্পর্শ
আমার ঠোঁট ছুঁয়ে হৃদয়ে চায়ের কাপ।
তোর ঠোঁটের উষ্ণতায় আগুন পোড়া
প্লিস একটু কেরোসিন দিস
আমি যে পুড়ে গেছি আরো পুড়তে চাই।

আমার চিতার হৃদয়ে আজ কৃষ্ণচুড়ার স্পর্শ
তোর হাতে গড়া পুতুলের সেই ছেলেবেলা।
তোর বেনুনীর হৃদয়ে খোলা চিঠি
সব আমি দেখতে পাই ,বুঝতে পারি
তোর সপ্নের পুতুল খেলা।
কিন্তু আমি তো পুতুল নই,আমি তো খেলা নই
আমি হৃদয় ,শুধু তোর জন্য পুড়তে চাই ।

তাইতো বলা ,শেষ করার আগে একবার বলিস
আমি বদলে গেছি।
সেই সোনালী সন্ধ্যায় আমার কবিতা ,আমার স্পর্শ
সব তুই ভুলে গেছিস।
কিন্তু আমি তো পারিনি ,কিছুতেই
তাইতো যাওয়ার আগে একটু  কেরোসিন দিস
আমি পুড়ে গেছি ,বাকিটুকু পোড়াতে চাই। 

Wednesday, August 20, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

আমার এই কবিতা আমার প্রিয়  বিতর্কিত  সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিনের স্মরণে রচিত। আমার কাছে উনি আগে সাহিত্যিক তারপর একজন নারী কিন্তু তার ব্যক্তিগত জীবনকে যদি তার চরিত্র ধরে আমরা অসম্মান করি সেটা সাহিত্যের পক্ষে কাম্য নয়। আমার এই কবিতা সেই প্রতিবাদে রচিত।

কবির যন্ত্রনায়
............. ঋষি

আজ কবির মৃত্যু হলো
বাইরের শব্দ বেশ্যার কান্না সময় জুড়ে।
চারিদিকে চিত্কার ,চারিদিকে ছন্নছাড়া
কর্পোরেসানের সিম্বলিক ড্রেনগুলো জলমগ্ন।
জলমগ্ন আমার শহরের মেঘলা দিন
ফুটপাথে উঠে আসা সময়ের ফিসফিস।
কবির যন্ত্রনায়
আজ কবি পরে আছে কবিতা জড়িয়ে নিদ্রায়।

সত্য বলো না সত্যি বলতে নেই
না হলে নেই প্রবেশ অধিকার কবিতার বইমেলায়।
সত্য বলো না ,সত্যি বলতে নেই
না হলে আসবে মৃত্যু জীবনের পথচলায়।
বন্দী করো কবিতা ভয়ের খাঁচায়
না হলে গালাগাল দেবে সমাজের উচ্চপতি   .
এমনি হয় কবিতাকে গলায় রাখা মিথ্যার পা
মিশে যায় কবির সাথে রোজকার কবিতা।

আজ কবির মৃত্যু হলো
দৈনন্দিন পথচলায় রোজকার আগুনে বর্ষণ।
কবি যে বাস্তবের সে তো স্বপ্নের নয়
কবি যে সাধারণ রোজকার পণ্য নয়।
কবি যে জাগ্রত উদ্ধত তার প্রখর দৃষ্টি
বাজের মত হিংস্র ,শামুকের মতো শান্ত।
কবির যন্ত্রনায়
আজ কবির কলম আটকে গেছে মৃত্যুর সান্তনায়। 

Tuesday, August 19, 2014

rishi026@gmail.com

আমার তুমিতে
........................ ঋষি

এ জন্মের মুক্তিটুকু রোজকার কবিতায়
একটু সময় তোমার সাথে
তোমার কথা বলায়।
কোনো ম্যাগাজিনের অনাবৃত উরু
ছুঁয়ে নামে রুপোলি জোত্স্নায়
তোমার স্পর্শ আমার অছিলায়।

বন্য বন্য এ অরণ্য যেন
সত্যি এক গাদা আগাছা আমার বুকের মাঝে।
গভীরে শিকড় বেয়ে ওঠানামা জীবন
একটু সময় তোমার সাথে।
তোমার কথা বলে
কোনো গভীর মুহুর্তে তোমার বুকে হাত রেখে।
তোমার দেওয়া প্রতিশ্রুতি
আমাকে নাড়িয়ে যায় বুকের ঝড়।
আরেকবার তোমার চোয়াল বেয়ে উষ্ণতা
সোজা আমার কবিতায়।

এ জন্মের  মুক্তিটুকু রোজকার কবিতায়
একটু সময় তোমার সাথে।
তোমার কথা বলায়
কোনো ম্যাগাজিনে অনাবৃত হৃদয়ের স্পর্শ।
ঠিক হয়ে যায় বেমনান হৃদয় মাঝে
তোমার দূরত্ব দুর্বলতার অছিলায়। 

rishi026@gmail.com

তোর আসা
.............. ঋষি

তুই এলি ,আবার এলি
শুধু সুখ নিয়ে চলে গেলি।
কোনো গভীর ক্ষুধার দেহ থেকে অন্য দেহে
বাজে গিলোটিনের শব্দ
নিস্তব্ধ আকাশে কবিতায় তুই হারিয়ে গেলি।

আমি হাসছি দেখ
আকাশ থেকে নেমে আসে সকালের বাসি মুখ।
ভীষণ সস্তা মেকি রংচঙে
তোর কাছে চাইনি আমি সাজানো ছবি।
চেয়েছি নিরভেজাল রক্ত মাংসের শরীর
হৃদয় ছাড়া হয় না।
হতে পারে জীবনের রং ছবি তোকে ছাড়া
ঠিক পাঁচিলের গায়ে ঝরে পরা চুনকামের কালি
আমার মুখে ,তোকে কালো করা যায় না।
.

তুই এলি ,আবার এলি
আবার সঙ্গে নিয়ে পুরনো হৃদয়ের গান।
ছুঁয়ে গেল ,ভেসে গেল শরীরের তারে সমুদ্র
ভিষণ নীল আকাশের সাথে মিশে
কিন্তু আজ আকাশ ভীষণ লাল। 

rishi026@gmail.com

হৃদয়ের কথাকলি
.................. ঋষি

আমাকে ঘিরে ধরছে  রৌদ্র
আমি পুড়ছি আমাকে ঢেকে দে তুই।
তোকে  কবিতায় জড়িয়ে লিখছি মন
আমাকে একটু শান্তি দে তুই।
একটু নিজের করে জড়িয়ে ধর আমায়
তোর হৃদয়ে আমাকে মুক্তি দে।

আজ দুদিন হলো তোকে দেখি নি আমি
আজ দুদিন তোর স্পর্শে নিজেকে পাই নি আমি।
জানি বুঝি ,তবু কেন এই মন বোঝে না
আমি পুড়ছি আমাকে একটু শান্তি দে।
তোর উষ্ণ ঠোঁটের তৃষ্ণাতে
আমাকে একটু ভিজতে দে।
আজ দুদিন হলো আমার চোখে ঘুম নেই
আজ দুদিন হলো আমার হৃদয়ে শান্তি নেই।

কোথায় আছিস তুই ,মিশে যা
মিশে যা আমার গভীরে অলিন্দের স্পন্দনে।
কোথায় আছিস তুই ,কাছে আয়
কাছে আয় তুই আমার জীবিত হৃদয়ের ক্রন্দনে।
আয় তোকে আমি আপন করি
সাজিয়ে দেখি তোকে হৃদয়ের ফুলচন্দনে।

rishi026@gmail.com

বাঁচতে চাওয়া
.............. ঋষি

বারংবার কল্পনায় এক গুচ্ছ গোলাপ
পবিত্র যীশুর শরীরের নোনতা যন্ত্রনায়।
জেরুজালেম থেকে আজকের ফুটপাথ
দুরত্বরা শুধু কল্পনায়।
মিশে গিয়ে ,খাবি খায় বাঁচতে চায়
একটু আনকোরা জীবন যন্ত্রনায়।

ফুটপাথে নগ্ন মাতা ,নগ্ন সমাজের নিদারুন ছবি
পোস্টারে লেগে থাকে গ্লামারাস নায়িকা হাসছে।
আবর্তনের পৃথিবীর পরিবর্তিত সময়ে
মানুষ শুধু কেঁদে যাচ্ছে।
খিদে ভীষণ খিদে ঈশ্বর এই বেঁচে থাকায়
ভালো থাকার সময় সবার শুধু চাহিদা বাড়ছে।

ফুটপাথ থেকে উঠে আসে ঘর্মাক্ত হাত
সমাজের সিঁড়ির নিচে দাঁড়িয়ে বাঁচতে চাওয়া।
ঈশ্বর হৃদয়ের দেওয়ালে হায়
স্বার্থের ছাদের উপর বেঁচে যাওয়া।
বুমেরাং  - এর মনুষত্বের আঘাত
বারংবার  ফিরে পাওয়া।

বারংবার কল্পনার এক গুচ্ছ রজনীগন্ধা
প্রেম থেকে সরে মৃত্যুর কফিনে।
যীশুর মাথায় সমাজের কাঁটা
খুব গভীর থেকে গভীরে নেশার মফিনে।
শুধু পুড়ে যাচ্ছে
মানুষের তিন কাল সামাজিক ধর্ষিত কফিনে । 

Sunday, August 17, 2014

rishi026@gmail.com

বিহ্বল কবিতা
..................... ঋষি

তোকে ভেবে আমার কবিতারা
ভীষণ বিহ্বল আজ।
জেব্রাক্রসিং এর এপারে দাঁড়িয়ে গন্তব্য ওপারের
দূরত্বটা ঠিক বোঝা যায়।
কিন্তু সবুজ প্রকৃতির দরজা না খোলা অবধি
তোর কাছে যাওয়া যায় না।

অনেকটা সেই সিঁড়ি ভাঙ্গা খেলা।
গল্পের শেষের দিকে এসে স্রষ্ঠা ভাবেন
জন্ম না মৃত্যু।
কিন্তু কেন জানি মন টানে মৃত্যুটা
আসলে ভালোটা আর ভাবা যায় না।
তাই মৃত্যুর অকালবোধন সময় সঙ্গমে।

বিকেলে কফিকাপে তেতো হয়ে যাওয়া সময়।
তেতো হয়ে যায় গল্পের গরু গাছে উঠে
আর নিচে নামানো যায় না।
ভালোবেসে জড়িয়ে ধরা যায়
কিন্তু দুরে ঠেলে আর কাছে টানা যায় না।
তাইতো অকাল মৃত্যু প্রেম তোর নামে।

তোকে ভেবে বিহ্বল কবিতারা
আজ আমার হৃদয়ের কফিনটা খুলে ফেলে।
শেষ পেরেক ঢুকে যায় ,কিন্তু শব্দ কোথায়
সময়  শেষ ,সব শেষ ,হাততালি হৃদয়।
আরেকবার কিছু একটা আটকে যায় গলার কাছে
না বলা কথা তোর সাথে। 

Saturday, August 16, 2014

rishi026@gmail.com

দিশেহারা
............. ঋষি

তুই আজ পাগল হবি
আমি পাগল হয়েছি সেদিন।
যেদিন ধরেছি তোর হাত ভালোবেসে
তুই তো আজ ধর্মসংকটে।
আমার হৃদয় সংকটে তোকে জড়ানো
জন্ম মৃত্যু তোর সাথে।

ভাবছিস কি করি
আমাকে প্রশ্ন করলে অবাক হবি।
আমি আজও ছুটে যাব তোর কাছে
একলা বিকেলবেলা তোর চায়ের কাপে।
আমাকে ছুঁয়ে তোর উষ্ণতা পারদ
আমাদের জ্বর একসাথে।

ভাবছিস সব ঠিক হয়ে যাবে
জানিস তো কাঁচ ভাঙলে জোড়া যায়।
কিন্তু দাগটা সেই থেকেই যায় বুকের মাঝে
আর ভালোবেসে আরো পোড়া যায়
কিন্তু  ভাগ করা যায় না
করা যায় না জীবন ভাগ অন্যের সাথে।

তুই তো আজ  দিশেহারা
আমি তো দিশে হারা হয়েছি সেদিন
যেদিন তোর ঠোঁটে আমার ঠোঁট।
তুই তো এখন  শব্দহীন হলি
আমি তো স্থির হয়ে গেছি সেদিন
যেদিন আমার বুকেতে তোর নখ। 

rishi026@gmail.com

তোর কবিতা( ৩)
............ ঋষি

কষ্ট সেটা কেউ পেতে চাই না রে
সবাই তো ভালো থাকতে চায়।
সম্পর্ক জড়িয়ে একটু বাঁচতে চায়
কিন্তু কজন পারে বল
সবাই তো তোর মতো সুখী নয়।

তুই তো পয়ে গেছিস হৃদয়ের ডাক
তুই তো পেয়ে গেছিস সময়ের বিচার।
আমি কি পেলাম বল
শুধু আশ্বাস ,শুধু স্বপ্ন ,শুধু নেশা
তোকে ছাড়া বাঁচতে শেখা।

হাসি পায় জানিস
খুব চিত্কার করতে ইচ্ছা করে তোর নাম ধরে।
খুব কাঁদতে ইচ্ছে করে তোর বুকের উষ্ণতায়
পাগল করবি বলেছিলিস না
দেখ পাগল  হয়ে গেছি তোকে ছাড়া।

আর কি চাস বল তুই  আমার কাছে
আর যা আছে তা তো শুধু স্মৃতি।
আর একটা অবুঝ সকাল একলা বেলা
তোকে ছাড়া ভাবতে পারি না
বল আমি বাঁচবো কি করে।

তোর উত্তর পাবার দরকার ছিল
তুই জমা দিলি সাদা পাতা।
আমার প্রশ্নরা সব আকাশের তারা
আমার কবিতারা ছন্নছাড়া
তোকে ছাড়া বাঁচতে শেখা মাঝরাতে। 

rishi026@gmail.com

তোর  কবিতা ২
.................... ঋষি

তুই হাসছিস জানি
কিন্তু বুঝিস বুক পুড়ে যায় ,বুক পুড়ে যায়।
প্রতি স্তবকে রাখা নির্বাক প্রতিজ্ঞা
তোকে ছুঁয়ে বাঁচতে চাওয়া পুরনো দেওয়াল।
শেউলা ,সাজানো শহরের মতো তুই
আমি হতবাক তোকে আবিষ্কার।

তোর খবর রাখি আমি
নিতান্ত আমার প্রয়োজন তোর ভালথাকা।
তুই বুঝিস তোর হাসির এক ঝলকে
আমার বুকের তারে নতুন আশা।
তোর সাথে থাকা ,একটু ভালো থাকা
কিন্তু ভয় করে ,তাইতো পুড়ে যায়।

আসলে কি জানিস ,
তোকে ভাগ করতে পারি না আমি।
আমার দিনে রাতে কাজের ফাঁকে
তোর মুখ আমার হৃদয়ের চাঁদ।
তুই বুঝিস আমার রক্তক্ষরণ তোকে ঘিরে
আর ভেজা বলিস চাই অন্তিম নিঃশ্বাস।

আর কিছু নয় বহু বেঁচেছি
তোকে বলেছিলাম একবার ভালোবেসে দেখবো।
কি পাওয়া যায় ,আমি পেয়েছি
এক বুক রক্তক্ষরণে লুকোনো তোর আশা।
আর বিশাল সমুদ্রে তোর ভালোবাসা
চোরাবালি আমি ডুবতে চায়।

জানিস ভালোবাসতে মুহুর্তের দরকার
মুহূর্ত মুহূর্ত জুড়ে একটা স্বপ্নের আকাশ।
আর সেই স্বপ্নের আকাশ যখন ভেঙ্গে পড়ে
তখন অন্ধকার চারিধার ,আলো ফোটে না।
জীবন হাসে না ,রোজ মৃত্যু আসে
ভালোবেসে গলা জড়িয়ে ধরতে চায়। 

Friday, August 15, 2014

rishi026@gmail.com

অসম্পূর্ণ কবিতা (২)
.............. ঋষি

বারুদ বুকে একটু স্যাতস্যাতে ভাব
আমার পোড়ার দরকার একটু।
আরেকটু না পুড়লে চলছে না
আমার কবিতার পাতায় প্রেমের অপমৃত্যু
না হলে এই কবিতা পূর্ণ হচ্ছে না।

উত্তর নেই কারোর কাছে
কেন এমন হল।
এক বুক স্বপ্ন দেখা পাখি
কেন আকাশের আড়ালে অন্য আকাশ খুঁজে পেলো।
কেন উড়ে গেল রাতের স্বপ্নে কনে দেখা আলো
কেন এমন করে জীবন এতটা বদল হলো ।

তোকে বুকের কবিতা আমি লিখেছি আগে
আজ লিখতে ইচ্ছে করছে
আমাদের প্রেমের কবিতা ।
যেখানে শরীর জুড়ে শুধু শিহরণ
যেখানে শুধু নেশা ভালোথাকা ,আরেকটু বাঁচতে থাকা
কিন্তু আসলে জীবনের পথ যে একা থাকা ।

বারুদের গন্ধে হৃদয় পোড়ে না
দরকার একটু আগুন ,শেষ আগুন।
যার অপেক্ষায় আমার রাতজাগা স্বপ্ন
আমার কবিতার পাতায় প্রেমের অপমৃত্যু
না হলে এই কবিতা পূর্ণ সম্ভব না। 

RISHI026@GMAIL.COM

কবিতার প্রেম
.............. ঋষি.

সাথে থাকা মানে পাশে থাকা নয়
আর পাশে থাকা মানে সাথে থাকা না
এই কথাটা আমি তো বলেছি কতোবার।
সকালের রজনীগন্ধা শুকিয়ে কাঠ
বিকেলের কবিতায় তার কি দরকার।
কবিতা তোকে ভালোবাসি কতোবার।

জড়িয়ে যাওয়ার চাদরের ফাঁকে
কিছু অলংকার তোর উষ্ণতা ছুঁয়ে
সে স্পর্শে প্রেম নেই।
কবিতা তোকে জড়িয়ে থাকে
গভীরে তোকে পয়েছি
তাইতো তোকে লিখেছি কতোবার।

ভয় করে কবিতা তোর
আমি বাঁধন ছাড়া ঘর ছাড়া সমুদ্র।
সে সমুদ্রে মাতাল ঢেউ
দোলা লাগে কোনো বিকেলে কবিতা।
আঁচড়ানো ঢেউ বুকের মাঝে
আমি তোকে ভালোবেসেছি কতোবার।

সাথে থাকা মানে পাশে থাকা না
পাশে থাকা মানে জড়িয়ে থাকা না
এই কথাটা তোকে বলেছি কতোবার।
সকালের মেঘে বৃষ্টি নামে
বিকেলের আলোয় জংধরা প্রেম
তোকে জড়িয়ে আমি কেঁদেছি কতোবার। 

RISHI026@GMAIL.COM

আজ তোমার লজ্জার দিন
............. ঋষি

আজকের স্বাধীনতা স্বাপদের অধীনতা
কি বলি একটা ছুটির দিন।
যদি গালাগাল করি কেটে বাদ
সেন্সরের অধীন।

কালকের কাব্য আজকে রঙিন
নেশার চোখ বাজিমাত।
আজ স্বাধীনতা দিবস
বাঁচো বিন্দাস।

এমনি চলছে সেই স্বাধীনতার পর
রোজ প্রতিদিন সাজানো রঙিন।
নিজেদের দিন
আর স্বাধীনতা কাব্য গ্রন্থ অধীন।

নেতাজী সুভাষ আজ বাঁচবে
কাল মরবে রক্তাক্ত ভারত।
শুধু একটাদিন
আজকের স্বাধীনতা লজ্জার দিন।

পুজোর মার্কেটিং ,ফ্যাসান প্যারেড
আজকের দিন।
নাইটক্লাব ,লাল ফেস্টুন প্রেমের দিন
আজ স্বাধীনতা একটা ছুটির দিন।

টিভিতে বারবার রোজা ,দিল সে
একটা চর্বিতচর্বনের  দিন।
ছোটদের দেশাত্মবোধক অনুষ্ঠান
স্বাধীনতা মানে হারানো একটা দিন।

কোথায় গেল শান্তি ,বর্ণ ,শুভ্রতা
সেই বিবেকের দিন।
গেরুয়া,সবুজ অর্থগুলো  আজ রঙিন
ভারতবর্ষ আজ তোমার লজ্জার দিন।  

Thursday, August 14, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

ফেরারী মন
.......... ঋষি

দূর থেকে দুরে
একটা গভীর চোখ মনের জানলায়।
আঁকড়ে ধরে হৃদয়টাকে নিংড়ে
কিছুটা সময় একলা অছিলায়।
জড়িয়ে যায় ,ছুঁতে চায়
এই মন যে আরো পুড়তে চায়।

মন আমার কবিতারা দৈনন্দিন
যখন তখন স্পর্শ চায়।
একটা উষ্ণতা ,তোর বুকে
কেন যেন আশ্রয় চায়।
এ এক অদ্ভুত খিদে
মন আমার যে আসলে মুক্তি চায়।

স্বপ্নের ডানাদের স্বপ্নিল ঘোর
আমার সিগারেটের ধোঁয়ায় তোর মুখ।
বুকে জমা নিকোটিনে ক্লেদাক্ত ছোপ
কিছুটা অসহায় এক ভিখারীর মতো।
শুধু স্বপ্ন চায়,বাঁচতে চায়
একটা জীবন ভালোবেসে হারাতে চায়।

দূর  থেকে দুরে
একটা গভীর ছাপ তোর নরম বুকে।
আমার আশ্রয় ,তোর প্রশ্রয়
গড়িয়ে যাওয়া পারদে তাপ লেগে থাকে।
মন এই তো বেশ ভালো
আমার মন তোকে পেতে চায়।

RISHI026@GMAIL.COM

ফেরারী মন
.......... ঋষি

দূর থেকে দুরে
একটা গভীর চোখ মনের জানলায়।
আঁকড়ে ধরে হৃদয়টাকে নিংড়ে
কিছুটা সময় একলা অছিলায়।
জড়িয়ে যায় ,ছুঁতে চায়
এই মন যে আরো পুড়তে চায়।

মন আমার কবিতারা দৈনন্দিন
যখন তখন স্পর্শ চায়।
একটা উষ্ণতা ,তোর বুকে
কেন যেন আশ্রয় চায়।
এ এক অদ্ভুত খিদে
মন আমার যে আসলে মুক্তি চায়।

স্বপ্নের ডানাদের স্বপ্নিল ঘোর
আমার সিগারেটের ধোঁয়ায় তোর মুখ।
বুকে জমা নিকোটিনে ক্লেদাক্ত ছোপ
কিছুটা অসহায় এক ভিখারীর মতো।
শুধু স্বপ্ন চায়,বাঁচতে চায়
একটা জীবন ভালোবেসে হারাতে চায়।

দূর  থেকে দুরে
একটা গভীর ছাপ তোর নরম বুকে।
আমার আশ্রয় ,তোর প্রশ্রয়
গড়িয়ে যাওয়া পারদে তাপ লেগে থাকে।
মন এই তো বেশ ভালো
আমার মন তোকে পেতে চায়।

RISHI026@GMAIL.COM

তোর গভীরে
........... ঋষি

দুচোখে  চেয়ে দেখ
তোর বুকের মাঝে আমি জ্বলন্ত সূর্য।
আমাকে স্বপ্নে জড়িয়ে দেখ
তোর শরীরের মাঝে আমি অনন্ত স্পর্শ।

গভীর থেকে গভীরে
কোনো অর্বাচীন গ্রহে আমার হাত ধর।
আমার কল্পনার ঘরে শক্ত বাহুডোরে
তোর চিরে যাওয়া বুকের নোনা দাগ
আমাকে স্পর্শ কর।
মুক্তি পাবি এ জীবনে আর জীবনের পরে
এক আকাশ নীল তরঙ্গে সঙ্গী পাবি।

তোর ঠোঁটের নোনা স্বাদে চোখের জল
আমাকে ভিজিয়ে দে তুই বৃষ্টি হয়ে।
তোর কল্পনায় আমি যে নীল আকাশ
আমাকে লুকিয়ে নে মেঘলা করে।
আমাকে তোর কষ্ট দে
তোর নিলামের সেই ব্যথা গুলো
আমাকে তার স্পর্শ দে।

দুচোখ চেয়ে দেখ
তোর বুকের স্পর্শে আমি জ্বলন্ত আগুন।
নিজেকে পোড়া ,আমাকেও পোড়া
আরো চেতনা আমায় আদর দে। 

RISHI026@GMAIL.COM

কবিতার চিত্কার
............ ঋষি

বুকের গাছ পাথরে প্রাগৈতিহাসিক ইচ্ছা
শব্দবহুল কোনো শহরের এক কোনে আমি।
লিখে চলেছে আমার কবিতার শহর
একঘেয়ে তাঁতে বুনে চলেছি
আমার দৈনন্দিন পথচলা।

অদ্ভুত লাগে নিজেকে
কোনো মুক জানোয়ার অদ্ভুত আকাঙ্খা।
একটা শান্তির শহর ,একটা ভালোবাসার শহর
শহর জুড়ে নেই দৈনতা,নেই অপমান,নেই রক্তক্ষরণ
শুধু শান্তির আহ্বান তোমার আমার বুক জুড়ে।
শুধু প্রেমের শহর
একমুঠো ইচ্ছা একটু ভালো থাকা তোমার সাথে।

এমনটি চেয়েছি
কিন্তু শহরের বুকে দৈনন্দিন রক্তক্ষরণ আমার বুকে
যেন কোনো হিংস্র জানোয়ারের চিত্কার।
আরো চাই অর্থ ,শরীর ,লোভ
আরো আরো কিন্তু ভালবাসা নেই।
সাজানো শহরের নাকে আটকানো ঘোড়ার পদশব্দ
মহিনের ঘোড়ার এ শহরে শান্তি নেই।

বুকের ম্যাগাজিনে আজকাল অসংখ্য বুলেট
ছন্নছাড়া বারুদের গন্ধ আমার নাকে।
ভালোবাসার নগ্ন শবঘরে অসংখ্য লাশ
তোমার আমার শরীর জুড়ে।
আমার কবিতার দৈনন্দিন চিত্কার। 

RISHI026@GMAIL.COM

বদলানো সময়
......... ঋষি

অনেকটা বদলে গেছ তুমি
তোমার রুপোলি শরীরের গভীরে জমা পাঁক।
কিছুটা অবিন্যস্ত এক বিকেবেলা
সাজানো সভ্যতার ঘামের গন্ধ বড্ড কটু।
চৌড়া রাজপথে বিবেকের হর্ন
সাইড চাইছে
আমাকে পিছনে ফেলে যাওয়া শহরে।

আমার শহরে আজকাল দিনরাত সব এক
কেমন এক পেগে ডুব দিয়ে জ্বলন্ত সিগারেট।
আমার শহরে ঘুম ভাঙ্গা দিন
ব্যস্ত ফুটপাথ ,ব্যস্ত সওয়ারীরী মাঝে নগ্ন ছেলেটা
হাত বাড়িয়ে খুঁজতে চাই খিদে।
তুমি আমার শহরের কোনো খাঁজে আটকানো
কোনো বিজ্ঞাপনী মুখ।

হাসছো আর হাসছো
গঙ্গার ঘাটে অবিরত ছলাত  ছলাত শব্দ।
বুকের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আমি
তুমি হেঁটে যাচ্ছো আমায় ছেড়ে আরো আগে।
ফেন্সুইয়ের আড়ালে আগত আনন্দ ছলে
তুমি চলে যাচ্ছো
আমাকে পিছনে ফেলে যাওয়া শহরে। 

RISHI026@GMAIL.COM

তোমার খবর
......................... ঋষি

মেঘ  ,বৃষ্টি,রোদ খবর নেই কেন
আকাশ জুড়ে মেঘ করেছে
একলা বিকেল বৃষ্টি।
মেঘের কোনে রোদ করেছে
কি অদ্ভুত সৃষ্টি
মেঘ ,বৃষ্টি ,রোদ আরে জীবন কোথায় গেলো।

ফোনটা কেটে গেলো
বুকের বাদিকের সেতারে আমজাদ আলী গভীর সুর।
সে যেন এক হাহাকার এক চিত্কার
পৃথিবীর আবর্তনের গতি কমতে কমতে।
আমার পৃথিবী থেমে গেলো
আর তুমি খুঁজছো মেঘ ,বৃষ্টি ,রোদ।

আবার রিং করলাম ,লাইন ব্যস্ত
এ কেমন অদ্ভুত লাইন।
দুধের লাইন ,কেরোসিনের লাইন সবতো ছিল
কিন্তু এখন তো দেখছি বিশাল লাইন।
তোমার খবর নিতে
ধুস মনটা ভেঙ্গে গেলো।

মেঘ  ,বৃষ্টি,রোদ খবর নেই কেন
এখনো জানতে চাও।
একলা বিকেলের সিলিং জুড়ে বৃষ্টি
ছুঁয়ে নামে তোমার গলার স্বর।
কি অদ্ভুত সৃষ্টি
প্রকৃতির সব সময়ের সাথে মনটা ভেঙ্গে গেলো।

RISHI026@GMAIL.COM

তোমার রূপ ধরে
.......... ঋষি

প্রেম সে যে এসেছিল কোনো অবেলায়
তোমার রূপ ধরে।
সাজানো বাগানের অসংখ্য ফুলের ডালি
প্রেম সে তো ফুটেছিল একবার হৃদয় বাগানে
তোমার রূপ ধরে।

সেদিনও ছিল এমন বৃষ্টি বুকের দেওয়ালে
আনন্দের মধুলোভি হৃদয় তোমায় ছুঁয়ে ছিল।
খুব গভীর কল্পনায় মোহময়ী নারী
আমি ক্ষুদ্র কবি,,, তোমার কল্পনায়।
এঁকে  ছিলাম ছবি ,,আমার কবিতায়
এমনি বৃষ্টি ছিল সেদিন আজকের মত।

সেদিনও আমি লিখেছিলাম পাতায় পাতায়
রক্তক্ষরণ প্রেম তুমি কষ্টের।
আজ লিখছি নোনা জলে প্রেম তোমায়
বুকের ভিতরে ,আমার কবিতায়।
আমি প্রেমমুগ্ধ কোনো দিবানিশি
রক্তক্ষরণ প্রেম তুমি কষ্টের।

প্রেম সে যে এসেছিল আমার স্বপ্নে
তোমার রূপ ধরে।
সাজানো জীবনের প্রতি স্তবকের কবিতায়
সুন্দর তুমি প্রেম আমার জীবনে
তোমার রূপ ধরে।

RISHI026@GMAIL.COM

চেতনার ভিড়ে
............ ঋষি

আজ আলোর সমুদ্রে
এক তিমি আয়তনের ঢেউ আছড়ে পড়লো
তলায় আমি দমবন্ধ ,, জীবনের।
এমন হয় মাঝে মাঝে বিশাল সমুদ্রের
কিছু অচেনা ঢেউ দমবন্ধ করা
মারতে চাই হৃদয়ের রক্তক্ষরণ।

কি জানি এক শোক গাঁথা
হৃদয়ের দেওয়ালে লুকোচুরি খেলে।
হাসতে হাসতে হারিয়ে যাওয়ার মানে
সে যে তুমি।
কেন জানি মগজে কাটাকুটি খেলে
বুঝি না ,বুঝে উঠতে পারি না
এ তুমি কেমন তুমি।

আলোর মাঝে দুহাত ছড়িয়ে এগিয়ে আসো
আমার সামুদ্রিক কল্পনার নীল তিমি
যার শরীর জুড়ে হিল্লোল আমাকে ছুঁয়ে।
এমন হয় মাঝে মাঝে মাঝে জীবন সমুদ্রে
কিছু অচেনা মুখ নিজেকে চেনায়
আর তখনি অন্ধকার হয়।

চরিত্রহীন

আমার দুহাতে তোমার স্তন  দুটো হাতবোমা, এই সভ্যতার ধ্বংস চাই  আদমের জারজ আমি  তবুও তোমার সঙ্গমে জন্ম চাই  একটা জীবন, একমাত্র তুমি শুধু কবিতায় ...