Monday, December 30, 2013

RISHI026@GMAIL.COM


দুরে তুই থাক
............ ঋষি

দুরে তো আছিস ,,ভীষণ দুরে
কিন্তু আমি তোকে ছুঁয়ে দিয়েছি জানিস।
যেমন ছুঁয়ে দেয় আকাশ সমুদ্রকে
আমি আকাশের বালি ,,,তোর চোখের।

দুরে থাক আরো দুরে
যতদুরে স্বপ্নে তুই আসিস।
তোর সোনালী রূপ মনের জানলায়
আর তোর আয়নায় আমি ,,,দিনে রাতে।

তুই পুড়িস ,,সাথে পুড়ি আমি
তোর আয়নায় ,,ভালোবাসি বলি নি।
তবু পুড়ে ছাই  .......

কিছু কথা লুকোনো ছবি
আমি লিখছি কবিতা ,,তোকে নিয়ে তাই।

আমার কবিতায় প্রেম পোড়ে
প্রেমের মায়ায় তুই যে আছিস
আমার থেকে দুরে তুই থাক.

আমার স্বপ্নে বেঁচে তুই থাক
আর কিছু না
যেমন  আছিস আরো দুরে
দুরে তুই থাক।

RISHI026@GMAIL.COM




প্রেম বলে কিছু নেই
............ ঋষি

কেন প্রেম কপালি ?
প্রেম পোড়ালি ,পোড়ালি নিজেকে প্রমের আগুনে।
আগুনে প্রেম ছুঁয়ে দিলি
বিষ ফলটা গিলে নিলি ,,,,,নীল শরীর।
নীল স্বপ্নের শরীরে নেশার চোখ
নেশার আগুন স্পর্শের।
প্রেম তুই ছুঁয়ে দিলি
মাড়িয়ে গেলি আমায়।

 মাড়িয়ে গেল বহু স্পর্শ
দেখিয়ে গেল বহু  আশা।
স্বপ্নের ঘর ,স্বপ্নিল তুই ছুঁয়ে দিলি
প্রেম ,,,প্রেম।
আর কিছু আছে কি
চোখ খুলে দেখ ,ঘুম চোখে স্বপ্ন।
প্রেম হারায়
আসলে প্রেম বলে কিছু নেই।

সে তো স্বপ্নের রং
সে তো নষ্ট ছবি ,জাদুঘরে।
পোর খাওয়া শরীরের অলিক আকর্ষণ
বলতে পারিস প্রেম।
কিন্তু বিষ ফল ,,তুই গিলে নিলি
আজ পোড় ,,,পুড়তে থাক তুই।
আর আমি হাসতে থাকি
আমি প্রেম তোর মনের।

RISHI026@GMAIL.COM


বদলানো প্রেম
........ ঋষি

মুহুর্তের আয়নায় দেখতে পেলাম তোকে
ঝলকে যাওয়া মুখ ,,,একটু সুখ।
ছায়া ছায়া ,ছায়া শরীর
তবু দেখা যায় উন্মুক্ত স্থন,উন্মুক্ত উরু
উন্মুক্ত তুই ,,,,,
অনেকটা সাদা পাতা।
অনেক্ষণ ধরে লিখলাম তোকে
নিজের মত করে।
কিন্তু কি জানিস তুই বদলে গেলি
অন্য হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে তোর মুখটা।
কখন যেন বদল হলো
যেমন মেঘ বৃষ্টি হয়।
যেমন আকাশ রৌদ্র হয়
যেমন প্রথম প্রেম হয় প্রতিবারে।
কিন্তু কখন জানি না সকাল হলো
শ্রাবনের ধারা মত তোর রূপ।
আমি মুগ্ধ হলাম ,,প্রেমিক নয়
প্রেম হয়ে।
আর কি জানিস
,,,,,,,,,,,,,প্রেম যে একবার হয়
আর সে কারোর একার নয়।

rishi026@gmail.com


ও চোখে প্রেম নেই
.......... ঋষি

ও চোখে প্রেম নেই
শুধু জ্বালা রাখা আছে।
আমি তো প্রেম খুঁজেছি বহুবার
আমার মায়া আর কিছু না।
সেই রাতে এ চোখ
ছিঁড়ে ফেলেছিল ফালা ফালা হৃদয়।

আর আমি মায়ায় মায়ায় শুধু প্রেমে ডুবি
পানকৌড়ির মত বড় লোভ আমার।
ও চোখের অতলে এক মুক্ত রাখা আছে
মুক্ত স্বপ্ন ,মুক্ত স্বর্গ ,মুক্ত শান্তি।
আর আমি মুক্ত লোভি জেলে
যে বারবার জাল ফেলে
তুলে আনে জ্বালা
,,,, বড় জ্বালা।

জানো পায় না ,পায় না খুঁজে
একটু শান্তি ও চোখে।
একটুকরো আশ্রয়
.................একটু প্রেম।
শুধু জ্বালা আর জ্বালা
ও চোখে প্রেম নেই।

rishi026@gmail.com


কিন্তু অদ্ভুত
......... ঋষি

তুমি আমাকে ভেজাতেই পারো
চোখের জল করে টলমল।
তুমি আমাকে ডোবাতেই পারো
অস্তিত্ব বড় অদ্ভুত।
সেই সন্ধ্যা বেলার জ্যোত্স্নায় ভিজে তুমি
পায়ে শিশির মাড়িয়ে হৃদয়ে তুমি।
কিন্তু বদলানো সময়ের স্পর্শ
বড় অদ্ভুত তুমি।

"তুমি" এই শব্দটার একটা অদ্ভুত অবয়ব স্বপ্নে
বাড়ানো হাত ঠিক প্রেমের বৃষ্টি।
কিন্তু অদ্ভুত
ভেজাও তুমি কিন্তু স্পর্শ করো না।
চোখের নোনা জলে নৌকা চালিয়ে
প্রেম ফিকিরে ভাসি ,হাসি প্রেমে।
প্রেম আড়ালে থাকে, চোখে জল
বাড়ানো হাত জড়িয়ে ধরতে চাই স্বপ্নে।

Sunday, December 29, 2013

RISHI026@GMAIL.COM


ভালো থাকা
..... লেখক : ঋষি

ভালো থাকার একপ্রস্থ চাদরে
ভাঁজগুলো স্পষ্ট দাগগুলো
ওঠানে যায় না।

যদি চেষ্টা করো ছিঁড়ে যায় ,পচে যায়
নষ্ট হয়ে যাবে সব
তাহলে ঢাকবে কি করে কষ্টগুলো।

একটু যদি এলোমেলো থাকো
একটু সময় আঁকড়ে থাকো
দেখবে বাড়বে কষ্ট।

তাই ছেড়ে দিতে হয় ,চলে যাবে
যাক না চলে
তুমি তো ভালো থাকবে।

RISHI026@GMAIL.COM


 চিরস্হায়ী নয়
....... লেখক : ঋষি

সময়ের সাথে সিমেন্টের ঘরবাড়ি
হৃদয় দিয়ে কংক্রিট আর কংক্রিট।
চোখ তুলে দেখি
শুন্য ঘরবাড়ি কংক্রিট আর কংক্রিট।
আরব্য কাব্যের শেষ পক্ষীরাজ উড়ে যায়
সমুদ্রের ওপাড়ে বালির ঘরে
গুড়িয়ে যায় স্বপ্নের ওপাড়ে।
সমস্ত অনুভূতির সস্তার মানে
পাতায় পাতায় কংক্রিট আর কংক্রিট।
কেটে  যায় হৃদয়ের ঘরে
ইঁদুর দৌড়ের এক একটা দিন।
যার মানে গুলো পরিষ্কার সময়ের সাথে
বয়স বাড়ে ,আবছা চোখ ,নুয়ে পড়া আলোয়
মানুষ গুলো সব কেঁচোর মতো চলে যায়।
কিন্তু কনক্রিটের ঘরবাড়ি থেকে যায়
কিন্তু কিছুই চিরস্হায়ী নয়।

RISHI026@GMAIL.COM


মৃত্যুর দিন
....লেখক : ঋষি

শোক সভার মিছিলে পিছনের সারিতে তাকাও
কে ওরা ,,,কে ?
সব তো ছিন্নভিন্ন অনির্দিষ্ট সময়ের পারে
এই মিছিল।
ছড়ানো খই,পবিত্র মৃত শব
কিছুক্ষণ পিছনে ফিরে দেখো
কোথায় তারা ,,কোথায় ?
পাবে না ,পাওয়া যায় না
হারিয়ে যাওয়ার পরে মরে যায় সব ,
নির্মম সত্য
মৃত্যু আসে,সন্ধ্যা নামে চোখের পাতায়।
চন্দন তুলসী ,আর নারকীয় গঙ্গা জল
দু এক ফোঁটা চোখের ও  বোধ হয়।
আর কি ,,আর কিছু
দুহাত মাটি বা আগুনের সম্বল।
আর একটা দিন

তোমার আমার মৃত্যুর।

Saturday, December 28, 2013

rishi026@gmail.com


চোরা বালি
লেখক-ঋষি

তোমার সাফল্যে কি দিতে পারি  বলো
এক হাত বালিতে ,নিজেকে ডুবিয়ে
কি করে বলি
ওগো ও চোরা বালি।

অনির্দিষ্টকালীন  সাইরেনের সংকেত
খালি দোকানপাট ,খালি পথ
পথে পরে কিছু মোড়।
সব খালি
ওগো ও চোরা বালি।

চামড়ার ভাঁজে চামড়া জুড়ে
মৃত  চামড়ার বিক্রি খালি
ভালো করে দেখো।
বিকোয় মনুষ্যত্ব ,,,সব খালি
ওগো ও চোরা বালি।

তোমার সাফল্যে কি দিতে পারি  বলো
নিতে পারি তৃপ্ত কৃত্রিম সুরভি।
আমি পারি না বলতে  ,,,, ভালো
ওগো ও চোরা বালি।

Thursday, December 26, 2013

RISHI026@GMAIL.COM


>>>কিছুক্ষণ তোমার সাথে
লেখক : ঋষি

কামসুত্রের পাতায় পাতায় এক নারী
অন্ধকার বিছানার চাদরে তপ্ত মায়াবী রূপ।
আর প্রেম সেতো হাতিয়ার কামের
ঘরে জ্বালানো সুন্দর সুগন্ধী ধুপ।
চলে যাবে ,চলে যাবে ,,,,যেমন যায়
কিছুক্ষণ সময় একলা নিরালায়
তোমার সাথে।
তোমার সাথে মিশে একাকার
এক আত্মা এক রূপ কিছুক্ষণ
তারপর জ্বলন্ত ছাই.
জ্বলছে আর জ্বলবে আরো কিছুক্ষণ
নিভে যাবে মোমবাতির আলো
গলে যাবে সব।
সময়ের সাথে সময়ের পরে
আবার অপেক্ষা অন্য রাতে
তুমি নারী আবার তপ্ত আমার নিঃশ্বাসে।

RISHI026@GMAIL.COM


,,,,আমার মৃত্যু
লেখক : ঋষি

আমার স্বপ্নের শেষ বেলায় মৃত্যু আসে
হামাগুড়ি দিয়ে চারপেয়ে জীবন
হাঁপিয়ে ওঠে।
অন্ধ জীবনের চোরা পথে
কিছু মুখ দেখা দেয় জীবাশ্মের মতো।
কিছু কঙ্কালের মুখে হাসি
কিছু সময়ের ফুল বাসি।
আর আমি ভালোবাসি এই জীবন
আর মরণ সে তো  প্রেমিকার মতো।

ছুঁয়ে থেকে জড়িয়ে থেকে
জীবন নামে অস্তিত্বের মুখে মাছি।
বেঁচে থাকা খবরে পাতায় রক্তের দাগ
নোনা ছাপ ঠোঁটের গোড়ায় জীবন পথে
চাপ চাপ রক্ত কিছু স্মৃতি।
ধ্বংস সম্পর্কের লোকাতে চাওয়া রক্ত
দেখা দেই আনমনে হৃদয়ের গোপন কুঠরিতে
বাস করা স্বপ্ন
আর  এই স্বপ্নের  শেষ বেলায় আমার মৃত্যু।

RISHI026@GMAIL.COM


.........পাপী সভ্যতা
লেখক : ঋষি

............ অগ্নিগর্ভে উত্পন্ন  পৃথিবীর সব পাপ মিশে
শুয়ে আছে এক সর্বগ্রাসী অজগর
যার চেরা জিভে সমস্ত লোভ।
আর আক্রোশ গুলো হিসহিস করছে ভয়ংকর চোখে
আর কিছুদিন।
তারপর লোপাট সভ্যতা পাপিষ্ঠ অজগরের পেটে
আরো লোভ মৃত্যু হয়ে যাবে।
এমনি তো হবে  .......

কিংবা পৃথিবীর মুকুটে শুয়ে থাকা গলন্ত ক্রোধ
গলতে গলতে মিশে যাবে সত্তর শতাংশ শরীরে।
আর বাড়বে কোনো নীল তিমির আত্মা আটলান্টিকের জলে
বাড়বে আরো জঞ্জাল ,বাড়বে আরো পচন জলের মাঝে।
আর উঠে আসবে জমা পাপ
 কোনো অনামী টাইফুন হয়ে।
এমনি তো হবে .....

বাতাসে মেশা কালো রঙের সভ্যতার পাপে
অন্ধকার হবে পৃথিবীর রং।
আরো ধোঁয়া ,আরো ধোঁয়া,ধোঁয়া ধোঁয়া হৃত্পিণ্ড
থেমে যাবে।
থেমে যাবে সব নিশ্বাস,থেমে যাবে জীবন
স্তব্ধ পৃথিবীর প্রাচীনত্বে যুক্ত হবে।
অন্য দিন ,অন্য  কারো হাতে
এক আজব পাপী সভ্যতা।

RISHI026@GMAIL.COM


...... নগ্ন সভ্যতা
লেখক : ঋষি

জন্মান্ধ ছিল মেয়েটা
যার নাভিতে রেখে গেলো ইতর অঙ্গ।
যার শরীরে হাত বুলিয়ে  পেয়ে গেল পাশবিক আনন্দ
ঠিক তারা তিন জন ছিল।
তিনটি দুপেয়ে ইতর এক দুপুরে
ছিঁড়েখুঁড়ে খেল একটা নারী শরীর  .

তারপর তারপর
অলিগলি বেয়ে খবরের পাতায়।
মানুষের অন্তরের রসের পাতায়
একটা শরীর সুরসুরি দিল সবাইকে।
মিয়ে যাওয়া দিনের আলোয়
মিলিয়ে যেতে যেতে দিন কাটছিল
আদালতের দরজায় নগ্ন অন্ধ মেয়েটা।
তবে দিন কাটছিল
দিন কাটতে কাটতে একটা শরীর
হ্যা একটা মেয়ে শরীর পচে যাচ্ছিল।
সমাজের কঠিন আলোচনায় ,চোনায়
ডুবে যাচ্ছিল
মানুষের সৃষ্ট সভ্যতায় ,নগ্ন থেকে নগ্নতায়
মনুষত্ব আর মেয়েটা নামছিল।

কিন্তু আসল খবর হলো সেদিন
যেদিন জেল জামিন  পাওয়া সেই তিনজন।
তুলে নিয়ে গেল অন্ধ শরীরটাকে
সভ্যতা শেখাতে আরেক দুপুরে।
পাওয়া গেল নগ্ন রক্তাক অন্ধ শরীরটাকে
 মৃত সভ্যতার  বাগানে সভ্যতার সাথে।

rishi026@gmail.com


....বাজলো টেলিফোন
লেখক : ঋষি

শতাব্দীর লক্ষ তার ছিঁড়ে হৃদয়ের
বাজলো টেলিফোন।
এ হাত ও হাতে ,সুতো জোড়া সম্পর্ক্য
সুক্ষ তার।
এ হাত ও হাতে
কয়েক লক্ষ বার বেজে গেল সে নিঝুম রাতে।
ছেঁড়া তার জোড়া যায় হৃদয়ের
বেজে যায় ,বেজে যায় ,বেজে যায়
বাজতেই থাকে ভাঙ্গা মুখ ,ভাঙ্গা সুর
সম্পর্ক্য দিনে রাতে।
কয়েক লক্ষ বার শুরুতো প্রথমই থাকে
তার পর শুধু বাজতেই থাকে।
ভাঙ্গা সুর দিনে রাতে
শেষ নেই সীমা নেই স্মৃতি তার বেয়ে
টেলিফোন আসতেই থাকে।

rishi026@gmail.com


...........পুড়ে ছাই
লেখক : ঋষি

দৈর্ঘ্য আর গভীরতা মেনেই চলছে জীবন
কিন্তু আগুন
  ,,,,, এই আগুনে পোড়ার অভ্যাস আমার।

আগুন প্রেমের ,আগুন ঘামের ,আগুন স্মৃতির
সবমিলিয়ে একাকার একটা জীবন ,
পুড়ে ছাই,,,, আরো আছে
,,,,,,আরো চাই

আরো চাই ,আরো চাই ,আরো চাই
জীবনের দৈর্ঘ্য মেনে এক দৌড়ে
রূপকথার জীবন ,,,, পোড়া তাই।
তাইতো
তাইতো পোড়ে সম্পর্ক্য ,পোড়ে রক্ত
শুকিয়ে ঘাম হৃদয় জানলায়
উঁকি মারে আরো আর আরো।

এতো আরোর মাঝে ত্রস্ত জীবন
পুড়ে ছাই
,,,,,,,এই আগুনে পোড়ার অভ্যাস আমার।

rishi026@gmail.com


.......... আরো দুরে
লেখক : ঋষি

দুরে যাও আরো দুরে
সকালের আলোয় ঘুরে ঘুরে
রাত্রি এলো।

মাতাল বাতাসে কোজাগরী চাঁদে নক্সা
নক্সা আঁকা পৃথিবীর বুকে
আরো দুরে যাও।
নক্সিকাঁথার পৃথিবীতে মোরা শীতল বাতাসে
শুষ্ক দিন।
শুষ্ক চোখের পাতায় আশার  আলো
ভুলে যাও।
ভুলে যাও পৃথিবীর পথে
প্রতি দিনে রাতে ভেজা নোনতা রক্তের স্বাদ
চলে যাও।

চলে যাও আরো দুরে
পৃথিবীর গোলক ধাঁধায় ভুলে ভুলে
পৃথিবীর পথে।

Saturday, December 21, 2013

RISHI026@GMAIL.COM


...... মন আর আমি
লেখক : ঋষি

হাত বাড়িয়ে ছুঁয়ে দিও আমায়
ঘুম চুমু দেও চোখের পাতায়।

ঠিক এমনটি তো চেয়েছি
আর মন জানিস ভালোবেসে তোকে পেয়েছি।
পথের পর পথ ,কত পথ চলে
আমার এই ক্লান্ত জীবনে।
তুই তো আছিস ,আমায় ভালোবাসিস
আমার সাথে দিনে রাতে।

রোদ ছোঁয়া মেঘ, ব্যস্ত সকাল
একমুঠো আশা মনের বাসা।
তুই তো আছিস
আমার সাথে ,আরো কাছে।
মিশে যাওয়া বুক ,শুধু ধুকপুক
যদি তুই ছেড়ে যাস আমায়।

হাত বাড়িয়ে জড়িয়ে নিও আমায়
জড়িয়ে রেখো চোখের পাতায়।

RISHI026@GMAIL.COM


....... অন্ধকূপ
লেখক : ঋষি

যদি দিতেই হয় তবে নিও জীবন
দিয়ে যেও জোত্স্না আলোয় আধ খাওয়া চাঁদ।
নক্ষত্রদের ভিড়ে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে
দিও যেও আরো অন্ধকার।
যাকে সরাতে না পারে হৃদয়ের আলো
আমি ডুবতেই চাই হৃদয় আঁধারে।
সব আলোর পৃথিবী মাড়িয়ে
আমি চলে যেতে চাই অন্ধ কূপে।
যেখানে থাকবে স্মৃতি,
থাকবে না মগজের হিসেবকরা ঘরগুলো,
আমি তো সব ভুলেই যেতে চাই।

আলাদা করে বিশাল আকাশে নাই বা দেখলাম
কোজাগরী মুখ।
নাই বা জাগলাম রাত্রে পুড়ে যাওয়া বুকে
জ্বলন্ত ছাই নিয়ে।
আমি ও তো বাঁচতে চাই
হাসতে চাই পাগলের মতো জীবন মোহনায়।
নাই বা হলো আলো
তাতে কি এসে গেল
একটা জীবন তুমি দিও আমায়
যেখানে তুমি বাসবে না আমায় ভালো।

RISHI026@GMAIL.COM


.......... দৈনন্দিন জন্ম আর মৃত্যু
লেখক : ঋষি

কোনটা জীবন ,কোনটা মরণ
কোথায় রাখা বন্দুকের খোলে ভরা বারুদ।
কোথায় আছে সেই সোনালী দিনের আলো
কখন শেষ ফুটপাথে শিশু বলেছিল
আমি ক্ষুদার্থ নয় ,আমি নগ্ন নয়।
আমি মৃত নয় ,আমি জীবিত
,,,,,,,,,,,,,,আমি মৃত্যু নয়।
সবটাই ঝরে পরা
গা ঝাড়া দেওয়া আমাদের পালক।

অদৃশ্য বন্দুকের তাক করা জীবনের
ঝাঁঝরা করা দৈনন্দিন লিপি।
কবে শেষ ভাবা হয়ে ছিল
নারী শরীর নয় ,নারী শক্তি।
নারী ধর্ষিত নয় নারী প্রেম
জীবন জীবিত নারী তুমি জন্ম।

খোলা ম্যানহোলে গড়িয়ে যায় চেতনা
বৃষ্টির জলে মেশে জীবনের নোনা জল।
সম্পর্কের কান্না হাসির দোলায়
নিজেদের তৃপ্ত করার চাহিদায়।
হারিয়ে যায় ঝংকার কুপমন্ডুক খবরে পাতায়
মৃত কবরের ঘনঘটায়।
কিন্তু ফিরে আসে ঠিক সময় অসময়ে
এই শহরের প্রতি ঘরে ,প্রতি দোরে
জীবন পালায় ,মৃত্যু হাসে  দিনে রাতে।

RISHI026@GMAIL.COM


......... মৃত নদী
লেখক : ঋষি

কোনো মানে নেই যার
সেই ঝরে পরা সহস্র দিনলিপিতে ভিক্ষুকের পার্থনায়।
একঘেয়ে সুরতাল লেগে থাকা অন্ধত্বের কুম্ভে
উত্পন্ন নদীর গহীন গাঁথা
এক নদী আমি ।

এক অবুঝ সকালের মুখ ভার করা আলোয়
পরে থাকা নদীপারে চিরচরিত গতিশীল অস্তিত্ব।
যার পার ভাঙ্গে ,লেগে থাকে পাপ চলার পথে
যার রূপ বদলায় প্রতি ঋতুর ত্রস্ত আচরণে।

স্বপ্নের ঘোরে থাকা অলিক ম্যাজিকের কল্পনায়
অনিদ্রিত চোখের পাতায়
যে স্বপ্নের ভিড়।
তার কুল নেই ,নেই তীর
আছে এক পরিবাহিত মৃত চিন্হ
এক মৃত শুকনো নদী।

.প্রেমাতুর


......প্রেমাতুর
লেখক : ঋষি

পশ্চিম আকাশে কনে দেখা আলোয়
আমি দেখিনি তাকে।
আমি খুঁজেছি ,খুঁজে চলেছি
প্রেম মন মাঝারে।
ভাব সাগরে ডুব দিয়ে তুলে আনা অনুজ্বল মুখগুলো
বড় চোখ টাটায় আজকাল।
সবুজ দিগন্তের ডাকে এক চটচটে রৌদ্রে
দিনান্তের পরে থাকা আধুলি কথায়
খুঁজি তাকে।
সন্ধ্যের পর আজকাল আগুনে পুড়তে যায়
সোনালী আলোর জোত্স্নায়।
সব রুপকথা চুপ থাকে
মুক ভবিষ্যতের আলোয় অন্ধকার রাত।
আর সেখানে চুপ করে থাকা
রাতের নক্ষত্ররা  লুকিয়ে হাসতে থাকে।
চেনা মুখগুলো আজকাল ঝাপসা লাগে
আঁকড়ে থাকা চেনা গাছগুলোর গোড়ায়
রক্ত চোষা  চেতনা বসে থাকে।
আর চেতনার মাঝে আমি প্রেম খুঁজি
আর খুঁজি তাকে।

Friday, December 20, 2013

RISHI026@GMAIL.COM


......প্রেমের নাম বৃষ্টি
লেখক : ঋষি

ভালোবেসে বলি ,জড়িয়ে ধরি
সংকোচে বলি ,স্পর্শ করি।

এই কিছুক্ষণ আগে যে এসেছিল
লালচে আকাশে তার ছায়া।
তার স্পর্শে ভেজানো চোখের মাটিতে
জন্মানো সতেজ আশার ফুল।
আমি ছড়িয়ে ছিটিয়ে
পরে আছি মাটিতে।

ইশ কাদা মাটি ,বুকপকেটে রাখা তোমার মুখে
কিছুটা স্তব্ধতা ,নিস্তব্ধ টাপুরটুপুর।
ভিজিয়ে দিল আমায় তোমার সাথে
আকাশ লাল করে উড়ে গেল ,উড়ে গেল
আমার হৃদয়ের চিঠি।
আর ভাঙ্গা শব্দের অভিধানে জন্ম নিল
আরেকটা নাম প্রেম ,,কষ্ট।
আর তোমাকে আমার প্রেমের নাম বৃষ্টি।

RISHI026@GMAIL.COM


.....একলা গাঁথা
লেখক : ঋষি

আমাকে একলা রেখে গেলে
কিন্তু তুমি রয়ে গেলে কাছে।
তোমার হাতের চুড়ির শব্দ এক ঘোর আমার চোখে
তোমার পায়ের নুপুরে রিনঝিন আমার হৃদয়ের সিম্ফনি
তুমি চলে গেলে কিন্তু রয়ে গেছে সব।

আমি স্পষ্ট দেখতে পাই প্রতি রাতে
আকাশের চাঁদে মেটে গন্ধ তোমার গায়ে।
হাত বাড়ায় জোত্স্না ছুঁয়ে দেয়
ঠিক যেন জড়িয়ে ধরি তোমায়।
কিন্তু কিছুই থাকে না কাছে চিরকাল
যেমন তুমি আমার জীবনে।

এক শীতের দিনে তোমায় আমি গেঁথে ছিলাম
ফুল পরীর দেশে ,সাজানো স্বপ্নে
আর এর বদলে তুমি গেঁথেছো আমায়
প্রশ্নে আর প্রশ্নে
আমি কুরুক্ষেত্রে ভীষ্ম একলা জীবনে।


RISHI026@GMAIL.COM


প্রেম কোথায় ?
লেখক : ঋষি

অনিদ্রার চোখে লেগে থাকা জিজ্ঞাসা
চোখের পাতা ছুয়ে আগুনের গোলক
বড্ড ঠান্ডা লাগছে  ,,,  তুমি বলেছিলে।

আমি হীন ,আমার পুরুষত্বের জানলায়
তুমি ঠোঁট রেখে ছুয়ে দিলে
একটা চুমু।

আচ্ছা কামাছন্ন   ও চোখে আমি মৃত্যু দেখেছি
গভীর টান ,গভীর থেকে গভীরে একটা প্রশ্ন।
ও চোখে জিজ্ঞাসা কিসের ?
এমন হয় না কখনো
খোলাবুকে অর্ধবৃত্তাকারে জোড়া চাঁদ
কিন্তু জোত্স্না কোথায় ?

আমার লোমশ বুকের ভিতরে
এক অরণ্য ,সে অরণ্যে মুখ লুকিয়ে
মুখ তুলে চাও তুমি ,,,কিন্তু প্রশ্নটা থেকে যায়।
প্রেম কোথায় ?

Thursday, December 19, 2013

RISHI026@GMAIL.COM


............নষ্ট উপাখ্যান
লেখক : ঋষি

দেখতে দেখতে কেটে যাওয়া
সপ্তরঙা  সুরে আবাহনের গান।
আমি চমকে উঠে প্রশ্ন করি
তুমি তো মন ,তুমি তো
না কি অন্য কেউ।

সেই মোড়কে পুরনো চেনা আলোয়
তুমি হাত বাড়াও, আমিও।
ওকি কিসের দাগ আমাদের হাতে
চাকা চাকা পুড়ে যাওয়া চেনা দাগ।

ঘর পোড়া বারুদের নোনা গন্ধ
নোনা স্বপ্ন আর রক্তে রঙিন ইচ্ছার আকাশে।
কোনো অদৃশ্য হাতের ছেটানো বিষের বৈভব
সিঁদুরে মেঘ।

এই হাত সেই হাত জুড়ে হৃদয়ের তার
মৃত আলিঙ্গনের মৃত ঘরবাড়ি রাজপাট।
পথের ধারে বড় শুন্য আমি
শুন্য ভিখারী বড় শুন্য মন ,
কেটে যাওয়া সময়ের নষ্ট উপাখ্যান।

RISHI026@GMAIL.COM


.........তোমার সাথে
লেখক : ঋষি

তুমি আছো তো সাথে,,,,,, আমার কাছে।
যেদিন চৈত্রের বাতাসে ধুলোমাখা নিঃশ্বাস
আমার ক্লান্ত চোখের পাতায়
তপ্ত বিশ্বাসে তোমার বুক ওঠে নামে।
তোমার বুকে প্রজাপতি ধরা দেই
ধরা দেয় একমুহুর্তের প্রেম।
আমি হাসতে থাকি বাউলে মনে
সরে যেতে থাকি ,,,যেমন স্রোত আছড়ে পরে বুকে
তুমি আছড়ে পরো বুকে ,
আবার সরেও যাও সমুদ্রের নোনা জলে।

তুমি চল যে পথে
সে পথে আমিও চলে আসি তোমার বিশ্বাসে।
তুমি সাহসিনী এগিয়ে যাও পথে
আর আমি পিছনে ,পিছনের
তোমার গন্ধে ,তোমার স্মরণে ,তোমার আশ্বাসে  .
আমি হেঁটে চলি  কোনো ভ্রমণকারী আমি
পাহাড় পর্বত ,অরণ্য ,মরুভূমি পেরিয়ে
তোমার ঠোঁটে তৃপ্তির হাসি।
আর তুমি ব্যস্ত ,তুমি চঞ্চল ,তোমার হাসি
আর ভ্রমনকারী বাউলে হৃদয় আমি।

RISHI026@GMAIL.COM


.........পাশাপাশি
লেখক : ঋষি

বহুসময় ধরে পাশাপাশি আকাশ আর বাতাসে
মেশানো এক সমুদ্র আমি আর তুমি।
কিন্তু যখন সকাল আসে
তখন আর মায়া থাকে না ,থাকে না তোমার ছায়া ,
এক চেনা শরীরে ,অচেনার আত্মার পাশে আমি।

কতকিছু তো করার ছিল
বৃষ্টিভেজা মাটির গন্ধে মাতোয়ারা এই প্রেম।
এক বিশাল আকাশে ঘুড়ির মত ওড়ার ছিল
কিছুক্ষণ সেতু বাঁধা দৃষ্টিতে
তোমায় জড়িয়ে রূপকথায় যাওয়ার ছিল,
তোমাকে বলার ছিল কতকিছু।

জোত্স্নার গন্ধে আমাদের বালিমাখা প্রেম
গড়াগড়ি যায় বিছানার চাদরে।
তোমার চুল ছুঁয়ে যায় চোখের পাতায়
হৃদয় ছুঁয়ে থাকে মায়াবী অস্তিত্ব।
তখন তো সব থাকে নিস্তব্ধ পৃথিবীতে
আমি তুমি পাশাপাশি এক সচ্ছ আঁচল।

কিন্তু আবার সকাল আসে
আজকাল বড় অচেনা লাগে নিজেকে।
তোমার আয়নায় ,চেনা আয়নায়
অচেনা তোমাকে এক সমুদ্র
অচেনা ঢেউয়ের আড়ালে।

Wednesday, December 18, 2013

RISHI026@GMAIL.COM


...... গোপন নদী
লেখক : ঋষি

সন্ধ্যার গড়িয়ে পরা আলোয়
আমার চোখে নেশা লেগে আঠার মতো।
দখিনা হাওয়ায় উড়ে যাওয়া আঁচলের আড়ালে
জড়িয়ে থাকা উষ্ণতায় আমি পাগলপারা তোমার বুকে
এক স্পন্দন , এক গোপন উষ্ণতা।
তোমার খোলা চুলের স্রোতে
যেন কোনো ময়ুরীর নাচ।
ঝরে পরে পেখমের ঠিকরে পরা আগুন
আমার চোখে।
সোনালী সভ্যতার মৃদু আলোকে
এক পরিতৃপ্তি চোখের আলোয় প্রবাহিত।
শিরায় শিরায় স্পন্দিত হৃদয়ের গোপনে
এক বাসনা কাছে থাকার।
স্পর্শ হৃদয়ের ,স্পর্শ কামনার ,স্পর্শ আলিঙ্গনের
প্রবাহিত এক নদী।
হৃদয় সদুর গোপনে তুমি
তোমাকে ছুঁয়ে থাকা তৃপ্তি
প্রতি রক্তক্ষরণে ,জাগরণে আর মরমে।

RISHI026@GMAIL.COM


............ শান্তির আহ্বান
লেখক : ঋষি

একটু স্তব্ধতা ছিল সেখানে
মাটির নিচে পোঁতা হাড়গোড় সভ্যতার মৃত্যু।
হাতে ধরা কলমের গোড়ায় শুকনো রক্তের আঁচর
বোধ হয় গণতন্ত্র ছিল সেখানে।
হাত বাড়িয়ে খোলা আকাশে জীর্ণ অন্ধকার
আর মাটির তলায় পোঁতা সংবিধানের সুসভ্য ধারাগুলো
বোধ হয় গণ কবর ছিল সেখানে।

চোখ খুলে সামনে দেখি নগ্ন কিশোরী ,নগ্ন মাতা ,নগ্ন শিশু
সভ্যতার পতাকায় পোঁতা  বিবেক।
এক গুচ্ছ প্যাপিরাসের ভগ্ন সভ্য লিপি
সব মিলিয়ে অনাহারে থাকা পেটের চাহিদা।
সারা বিশ্বের আকাশে আজ গণকবর
আর অসহায় আমি মাটির নিচে।

মৃত্যুর পরে ,মৃত্যুর আগে এক হাহাকার ধ্বনি
শান্তি দেও ,শান্তি দেও ,শান্তি দেও।
আমার কঙ্কালে জড়ানো ,আমার কবিতা
গণতন্ত্রের চেতনায় জাগানো সোনালী আলো।
একটা দিন ,একটা স্বপ্ন
এক অমর  শান্তির আমার বিশ্ব।

RISHI026@GMAIL.COM


......... পোড়া সময়
লেখক: ঋষি

রোজ সকালে ঘুম ভেঙ্গে দেখি
পোড়া দিনকাল।
সবুজ পাতায় ধুলোময় কঙ্কাল
জানলার রডে চোখ টেনে দেখি।
শুধু পাহাড় আর পাহাড়
আকাশ ঢাকা কনক্রিটের পাহাড়।
আমি কান পেতে শুনি
চেষ্টা করি একটু পাখির শব্দ।
কিন্তু শুন্য আর শুন্য
এমনি সকাল এটা সব শুন্য।

কাজলা দিদির পুকুর পাড়ে
শুধু হাহা করে।
ওরে মন ,ওরে মন ,ওরে মন
নেই সেই জল।
শুধু মন চাই সবুজ পাতা ,সবুজ ঘাস
একটা সবুজ জীবন।
পোড়া মন কাঁদে হায়
বাড়ে বাড়ে ছুটে যায়।
এক সবুজ  সকাল ,ঝিরঝিরে রৌদ্র
মাথা খোঁড়ে প্রকৃতি আর শতাব্দ।

Monday, December 16, 2013

rishi026@gmail.com


সেদিন আর এদিন
লেখক : ঋষি

সেদিন বৃষ্টি এসেছিল তুমুল আকারে
দুকুল ছাপিয়ে নদীকূলে বিস্তীর্ণ জল থৈ থৈ।
কোনো কুল নেই, নেই কিনারা
দুচোখে আবছা পৃথিবীর আলোয়।
আমার শরীরে শীতল স্পর্শ
আমি কাঁদি নে সেদিন বিশ্বাস করো.
শুধু মনের প্রশ্নগুলো বাঁধ মানে নি
ভাসিয়ে দিয়েছিল হৃদয় দুকূল।

আজ বাতসে শুকনো টান
চামড়ায় খড়ি ওঠা  দাগ।
আজ আর বৃষ্টি হয়না বহুদিন দুচোখে
শুধু শুষ্ক মরুভূমি।
আর ফেলে থাকা সার সার কালি
দাগগুলো মোছা যায় নি।
রয়ে গেছে এককোনে অযত্নের ভাঁড়ার ঘরে
শুধু দেখা দেয় কারণ অকারণে।

RISHI026@GMAIL.COM


বিদায়কালীন
লেখক : ঋষি

মন বিদায় কাকে বলে আমি জানি না
তোমার সহাস্য মুখে কোলকাতার কলরব।
লেগে থাকে দিবা রাত্রির কাব্য
আমি ধ্বংস বুঝি না ,বুঝি স্বপ্ন সৃষ্টিতে।
আমি মুগ্ধ হয়ে বসে থাকি শহরের ফুটপাথে
জানো মন আমি দেখতে থাকি তোমায়।

খোলা চিঠির মত তুমি বলো বিদায়ের চিঠি
আর আমি চিঠি আগলে রাখি চোখের পাতায়।
প্রতি পাতায় তোমার স্পর্শ ,তোমার গন্ধ
আমি খুঁজে পায় তোমায় কলকাতার আনাচেকানাচে।
অলিগলি ঘুরে রৌদ্র বৃষ্টিতে তোমায়
চোখের জলে।

আজ কলকাতার মন ভালো নেই
তুমি কেমন আছো  মন।
আজ কেন মৃদু অগরুর গন্ধ কলকাতার আকাশে
আজ চুপ করে কেন মন।
বলো তুমি বলো চলে যাবার কথা
আর দেও আমায় বিদায় ব্যাথা।

RISHI026@GMAIL.COM


কবিতার কাঠগড়া
লেখক : ঋষি

কবিতা লেখার সময়
আমার কি যেন হয় ,আমি আমার বাইরে।
টের পাই জানো, আমার
পায়ের তলায় কাঁচ।
বারুদের গন্ধ চারিদিকের বাতাস।
বিভত্স সব মুখ
করুন মায়া ,অনাহারে শিশু ,ধর্ষিত নারী।
আর ধর্ষিত সময়ের কাঠগড়ায় আমি
এক রক্তচক্ষু দানব।
যার প্রেম নেই ,নেই প্রেম পাত্র
শুন্য থেকে শুন্য বাদ যাবার পরের শুন্যে আমি।
একটা আকাশ বড় একলা সে
চোখের কোনে গড়িয়ে পড়া জল।
সব অর্থহীন বিরক্তির লাল আচঁড়
আছড়ে পরে আমার কবিতার খাতায়।
আমার কবিতা লেখার সময়
মৃত্যু আর সময় থাকে আমার পাশে।

RISHI026@GMAIL.COM


........বাঁচানো পিঠ
লেখক : ঋষি

অবাক কিছু সময়ের পরে
যখন আবার ফাটবে কোনো হিরোশিমার বোমা।
আমার শার্টে থেতলানো বোনের রক্ত
মায়ার শরীরে ছড়ানো ছেটানো তথ্য।
তখন  বোলো  আমি মিশি নি
ও আমার দেশ নয়।

খোলা সংবাদপত্রের পাতার খবর নদীর অন্তরে
আর সমুদ্রে যেমন ঘামে নোনতা জলে।
যদি তুমি ভেজো
তখন বোলো আমি কালো নয়
আমি সাদা
একদম দুধে আলতা সাদা।

এর পিঠ ওর পিঠে
সময়ের রক্ত নরম ছিটে।
বাড়ছে আর ভাঙছে সব
যখন চেতনার আগুন তোমার শরীরে।
তখন  বোলো  না যেন
আমি ওগো আমি নই।

RISHI026@GMAIL.COM


চিরদিনের গল্প
লেখক : ঋষি

যেতে ,যেতে ,যেতে ,যেতে
কেটে গেল বেশ কিছু নিরপেক্ষ সময়।
উদাসীন আলোয় চোখ খুলে দেখি
কতটা কাটল ঝড়ঝঞ্ঝায়।
আজ হোক ,কাল হোক বা পরশু
যতটুকু ছিল সব দিয়েছি।
দিয়েছি মাংস, নোনা রক্ত আর মূল্যবান বিশ্বাস
কিন্তু কতটুকু তোমায় পেয়েছি।
এই তো সেদিন নোনা জলে চোখের পাথরে
আরেকটা পাথর ঘষে দিল হৃদয়ের।
আর এই সেদিনটা অনেকটা
আজ,কাল ,পরশুর গল্প।
শেষ নেই সীমাহীন অনন্ত অন্ধকার
আর আমি যাত্রী তোমার সাথে।

যেতে ,যেতে ,যেতে ,যেতে
কেটে গেল বেশ কিছু অমূল্য সময়।
যখন তোমার চোখে আয়না
আর আয়নার ভিতরে বাইরে আমি।
অনেকটা সাজানো বাগানে
হাত বাড়ানো পাগলাটে ছবি।

RISHI026@GMAIL.COM


>>> অনির্দিষ্ট <<<
লেখক : ঋষি

কিছুটা সুযোগসন্ধানী  আমি
ভুল করেও আমাকে প্রশ্রয় দিও না ,
দিও না আসতে কাছে।
বিদ্যুত  পরিবাহী আশ্রয়ে চুম্বক আকর্ষন
আমি সেই চুম্বক সমমেরু ,বিপরীত হোক
কিছু এসে যায় না।
আমি বিজ্ঞান মানি না ,মানি না শাস্ত্র
আমি ভূত মানি না ,বিশ্বাস নেই দেবতায়।
আমি মানি না সমাজ ,মানি না রাষ্ট্র
আমার কাছে এলে তোমায় গলে যেতেই হবে ,
যেমন গলে মোমবাতি।

ধ্রুপদী বিশ্বাসে যেমন পিপিলিকা মরে
আমি চাই না তোমার সাথেও এমন হোক।
রোজ তো কত কেও আসে আমার ভিতরে
আমি তাদের নিংড়ে চুষে ফেলে দি।

তবু যদি তুমি আসতেই দাও
জেনে রেখো ,তোমাকেও পুড়তে হবে।
পোড়াতে হবে পাঁপড়ির হৃদয়
তখন আর  থাকবে না  সুনির্মল গন্ধ।
শুধু বেঁচে থাকা যন্ত্রণার কাঠপাথর
অমরত্বের অহংকারে।

Thursday, December 12, 2013

RISHI026@GMAIL.COM


প্রয়োজন নেই
>>> ঋষি

তার আসার কথা ছিল
কিন্তু সে এলো না।
পথের উপর হৃদয়ের চাপা ঘাস
সোনালী রৌদ্রে অনন্ত আকাশ।
শুধু একটা প্রশ্ন করে
কেন সে এলো না
আমি ভাবি প্রয়োজন নেই।

প্রয়োজন নেই প্রয়োজেন নেই
শব্দহীন বিশ্বাস,প্রেমের আঘাত।

কি প্রয়োজন
নিস্তব্ধ পৃথিবী ,রক্তাক্ত স্মৃতি।
যে আসে নি ,সে আসে নি
কি আসে যায় প্রয়োজন নেই।

কিছুটা স্বার্থ আর মুখোশ চাই
কিছুটা ব্যর্থ ,আর কষ্ট চাই।
সে হোক
কিন্তু প্রয়োজন নেই তার আসার।

RISHI026@GMAIL.COM


একলা আকাশ
>>> ঋষি

তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে পথের ধারে
এক আলো আমি দেখেছিলাম
জোত্স্না রাতে এক নদী।
কুলকুল শব্দে বয়ে গেছিল হৃদয়ে
কিন্তু কি জানো,
নদী মোহনায় আমি হারিয়ে ফেল্লাম তোমায়
আর এক জোত্স্না রাতে।

সেই মধুর যে বাঁশি বেজেছিল সেদিন
তা কিন্তু আজও বাজে।
করুন এক অন্ধকার মিলনের সুর
তা এখন অন্ধকার আকাশে মুক্তির চাঁদ।
আমায় ডাকে আয় ,আয় ,আয়
আমাকে একটু স্পর্শ করে যা।
এখন আর জোত্স্না আমায় ভেজায় না
ভেজায় চোখের জল ,
এখন আর নদী আমি দেখি না
সকালের আলোয় বৈশাখী আগুন।

তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে পথে ধারে
এক সত্য আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়।
প্রেম যখন হারিয়ে যায় ,
মাতাল জোত্স্না তখন মুখ লুকোয়।
আর নদীগুলো সব মরা বালিচর
নদীর মোহনা ঘেসে হৃদয়ে বাজে করুন সুর
একলা আকাশ কাঁদে স্পর্শ করে যা।

RISHI026@GMAIL.COM


নারী
>>>> ঋষি

বিতর্কের মাঝে কে যেন বলে গেছিল
নারী পরম পবিত্র ,আলোকময় উপস্থিথি।
অনন্ত আঁধারে এক করুনাময়ী আশ্রয়
নারীর জন্য মানুষ ,অহংকার, অনিদ্রা
আর সৃষ্টি।
নারীর জন্য বিষাদ ,কষ্ট ,দুঃখ
গাঁজা ,মদ ,নেশার লাল আকাশ।
নারীর জন্য বাড়ানো হাত ছুঁয়ে আকাঙ্খা
ঈশ্বরের অদ্ভুত সৃষ্টি।
শিশির ভেজা রাতে অহংকারের নীড়
এক আঠালো আশ্রয় পরিতৃপ্তি।
এই নারীর হাতে তুলে দেওয়া গোপন বাসনা
পৃথিবীর সকল সুখ ,দুঃখ,নিরাকার।
অবকাশে ,অনায়াসে মাড়িয়ে যাওয়া ভালোবাসার
প্রথম স্তবকে হৃদয়ে লেখা নাম।
হাতে হাত ,হৃদয়ের আঠা সম্পর্কের
এক অদ্ভুত টানাপোড়েন নারী।
অন্ধকার ক্লান্ত বিছানায় মিলনের রাতে
এক তৃপ্তির আকাশ নারী রহর্ষময়ী এক প্রাণ।
স্পন্দিত কাঁটা তারে রক্তক্ষরণ
নারী মাতা ,নারী কন্যা ,নারী ভার্যা ,নারীরূপী ছায়া
জীবনের আগে জীবনের পরে
কে যেন বলে গেছিল এসব।

Wednesday, December 11, 2013

RISHI026@GMAIL.COM


### " আমি তিলোত্তমা " ###
<<<<<<<< ঋষি

যদি শেষ বারের মত আমায় স্পর্শ করতে চাও
জলে ভেজা বৃষ্টির কোলকাতায় পা ডোবাও।
ভিজতে থাকো প্রশস্ত রাজপথে পথে মাথা উঁচু করে
দেখবে স্পর্শ পাবে আমার তরল স্পর্শের।

যদি আমার শরীরের উষ্ণতা চাও
নিজেকে পোড়াও প্রচন্ড বৈশাখী ধোঁয়ায়।
গলে যাওয়া পিচের ওপর দাঁড়িয়ে
দেখবে জড়িয়ে ধরবে আমার অস্তিত্বকে।

যদি আমার চোখের স্বপ্ন দেখতে চাও
চলে যেও ভিক্টোরিয়ার ছায়ায় জোত্স্নার রাত্রে।
দেখবে আমি মায়ার মত ভাসছি
জড়িয়ে ধরছি তোমায় স্বপ্নিল প্রেমে।

যদি তুমি আমার রাগ দেখতে চাও
চলে যেও জীবন্ত রাজপথে ক্লান্ত মানুষের মুখে
দেখবে আমি লেগে আছি  প্রতি মানুষের
রাগে অভিমানে ,

আমি তিলোত্তমা
আমি আছি আমার নিজের অভিমানে।
আমাকে যদি তুমি পেতে চাও
চলে এসো মানুষের গড়ানো কষ্টঘামে।

RISHI026@GMAIL.COM


### "এই পথে " ###
লেখক : ঋষি

তুমি আমায় ভুলে যাবে ,আমি ভাবতে পারি না
ও পাড়ার গীর্জার ঘড়িতে ,রাত দশটা।
তুমি যে এই সময়টা ভুলে যাবে
ভাবা যায় না ,আমি
এই পথে।

আজ সাতদিন হলো আমি একি পথের মোড়ে
তোমার স্মিত হাসি ,তোমার ঢেউতোলা শরীর
আমি দূর থেকে দেখতে পাই।
আমি দূর থেকে ঠিক চিনে নি
তোমার খোঁপার মালতি লতা গন্ধ।
তোমার চোখের কোলের কাজলে কালো কালি
আমার শরীরে আজ মুখে
এই পথে.

আজ এই পথে যে আসছে
সে আমার ছিল আজ নেই।
সব ভুল সব মিথ্যা
তুমি আসছো লাল নেলপালিস তোমার নখে
আহত প্রেম পরে পথের মোড়ে।
তুমি আসছো আজ অন্য রূপে
আমার প্রেম পোড়ে হৃদয় মোড়ে
এই পথে।

তুমি আমায় ভুলে গেছো , আমি জানি
ও পাড়ার গীর্জার ঘড়িতে রাত দশটা।
বাজবে বারবার, তুমি আসবে অন্য শহর ঘুরে
অন্য কারো হয়ে
এই পথে।

RISHI026@GMAIL.COM


প্রতিশ্রুতির প্রতিশ্রুতি
> >: ঋষি

প্রতিশ্রুতি যদি নিতেই হয়
তবে আকাশের কাছে নিও।
অহংকারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া যায়
প্রতিশ্রুতির অলংকার হয়।
আর যায় হোক
আকাশের রং বদলায়
কিন্তু আকাশ বদল হয়  না।

প্রতিশ্রুতি যদি নিতে হয়
তবে সময়ের কাছে নিও।
প্রতিশ্রুতির বদল হয়
কিন্তু সময় ছাড়া প্রতিশ্রুতি নয়।
সময় সম্পর্ক্য চেনায়
কিন্তু নিজেকে চেনায় না।

প্রতিশ্রুতি যদি নিতে হয়
তবে সম্পর্ক্য দেখে নিও।
অনন্ত প্রতিশ্রুতি শুধু শব্দ নয়
সত্যি যেন হয়।
আর যায় হোক
প্রতিশ্রুতির যদি বদল হয়
হৃদয় মৃত না হয়।

RISHI026@GMAIL.COM


আবছায়া
>>>>> ঋষি

মৃত এ চিন্তার আগেই
আমি মৃত।
জীবন এই ভাবনা ছাড়া
আমি জীবিত।

শব্দহীন আকাশে তারাদের মাঝে
আজ কোলাহল।
আমি ছন্নছাড়া জোত্স্না
যার ঘর নেই ,নেই দোর.
শুধু জড়ানো  মায়া
সব শুকনো ছায়া আর ছায়া।
আকাশের চাঁদ হাত বাড়িয়ে চাই
যখন  সন্ধ্যা নামে।
নিজের আকাশে নিজেকে হারায়
কিসের মায়া।

নিদ্রা আর অনিদ্রার মাঝে
ছন্নছাড়া জোত্স্না আমার আকাশে।
হাত মুঠো করে ,মুঠি খুলি যেই
সব শুন্য এক আবছায়া।

RISHI026@GMAIL.COM


অলিখিত
>> ঋষি

কাল আর চোখের পাতায় স্বপ্ন ছিল না
ছিল মাটির সাথে মিশে যাওয়ার ইচ্ছা।
সকালের পাতা বাহারির হলুদ পাতা গুলো
মাথা রাখতে চাই মাটির বালিশে।
সবটাই প্রয়োজন আর নিয়ন্ত্রণ।

আজ সব আছে শুধু নেই আর নেই
আবার নতুন করে ভালবাসার ইচ্ছা।
যে কাঁচ ভেঙ্গে যায়
যে সময় চলে যায়।
যে স্পর্শ পুড়ে যায়
তা কি আর পাওয়া যায়।
দাগটা থেকে যায় খুব মিহি ,খুব গোপনে
সে কাঁদায় একলা করে অনিদ্রার আগুনে।

কাল আর আজ শুধু কালক্ষন গোনা
অনিদ্রার বালিশে শুধু স্বপ্ন খোঁড়া।
সবটাই শুধু ফাঁকি আর কালের হাসি
আসলে ভালবাসা হলো বালি চোরা।
আর অনিদ্রার চোখে স্বপ্ন গোনা।

RISHI026@GMAIL.COM


শুধু অন্ধকার
>>> ঋষি

অন্ধকার রাত্রে দুটো চোখ জ্বলছে
দুটো চোখ জ্বলছে তোমার নরম বুকে।
হলুদ হিংস্র চোখ ও বুকে
আমি জাগছি স্বপ্ন থেকে।
পুড়ছে সব পুড়ছে
আমি জাগছি নিদ্রা থেকে
জানো এ হৃদয় চিনছে।

ক্যাকটাসের স্পর্শে রক্ত বিন্দু
কয়েক ফোঁটা চোখ জ্বলছে।
অনন্ত অহিংস্র শীতল প্রলেপ
আমার প্রেম পুড়ছে।
হারিয়ে যাওয়া পিছনের জানলায়
কিছু মুখ ভাসছে ,চলে যাচ্ছে
অদৃশ্য নীরবতা হাসছে।

অন্ধকার হাহাকার ধোঁয়া
একটা তার বাঁধা হৃদয় জুড়ে।
চোখ জ্বলছে ,হৃদয় পুড়ছে
কিছুক্ষণ কতক্ষণ অপেক্ষার সকাল।
হারিয়ে যাচ্ছে চারিধার
শুধু অন্ধকার
জানো আমার প্রেম পুড়ছে।

Sunday, December 8, 2013

RISHI026@GMAIL.COM


### " অচেনা নীলাঞ্জনা " ###
লেখক : ঋষি
*******************************
নীলাঞ্জনা এই মাত্র ছুঁয়ে গেল আমায়
বিশ্বাস করো এই হাওয়ায় লেখা তার স্পর্শ।
শ্রাবনের ধারার মত নীলাঞ্জনা
আজ তোর কি হলো ?
এ তোর নতুন সাজ
মর্ডান প্যাটার্নে সাজানো দোকানে ,
তুই শুষ্ক মরুভূমি ,শুকিয়ে কাঠ।
তোর হৃদয়ের চেনা গন্ধ অচেনা সুর
তোর শরীরে বাড়ানো অচেনা সমুদ্র, চেনা রৌদ্র।
এ রূপ আমার অদেখা ,অচেনা
ভালো লাগলো ,চেনা গেল না  নীলাঞ্জনা।

সেই নীলাঞ্জনা যার ডায়রির পাতায় পাতায় স্বপ্ন
যার হৃদয়ে বাস করতো এক অচেনা গন্ধ।
আজ নীলাঞ্জনা আমার শহরে
কিন্তু তুই জানিস তুই আজ নেশায় অন্ধ।
তোর গালের উপর সেই চেনা তিল
কিন্তু শরীরে দাগগুলো পাউডারে ঢাকা।
তোর শরীর ঢাকা সোনালী সাজ
হৃদয় গগনে অচেনা আওয়াজ।
আমি চাই না নীলাঞ্জনা তোর সাজানো রূপ
তুই ভালো থাক আমি চাই
কিন্তু চাই না তুই এত অচেনা হোস।
********************************

Saturday, December 7, 2013

RISHI026@GMAIL,COM


নারী ও প্রেম
লেখক : ঋষি
************************
সমস্ত দ্বিধার বাঁধন কেটে
আজ আমায় বলতেই হলো
তুমি নারী ,,, তুমি প্রেম নও।
প্রেমিকা মাত্র
রুপোলি স্বপ্ন মাত্র।

হৃদয় গহ্বরে যে অগ্নিকুন্ড
সেই অগ্নিকুন্ডের উত্তাপ হতে পারো,
কিন্তু পুড়তে তো আমাকেই হয়।

বৃষ্টির জলে যদি আমি ভিজি
ভেজে আমার চোখের পাতা।
আর প্রেমিকার ভেজে একটা শরীর
আর জানো
শরীর কখনই প্রেম নয়।

যেদিন আমার শহরে শ্মশানের ছাই
সেই ছাই শুধু আমার।
আর প্রেমিকার এক পাত্র অহংকার
প্রেমিকার অভিমানের আবরণ।
প্রেমিকার নেশার পানপাত্র
সব জানি ,সব বুঝি
তবু বলি শোন
তুমি নারী কিন্তু প্রেম নও।
*************************

RISHI026@GMAIL.COM


### " নিস্তব্ধ অহংকার " ###
লেখক : ঋষি
******************************
সকালে চোখ খুলে যা দেখি
তা তুমি।
রাত্রে বন্ধ চোখে যা আসে
সে তুমি।

আকাশে বিকেলের নীল ছিঁড়ে
তাকিয়ে দেখি একটা মুখ
সেও তুমি।

যেদিন বৃষ্টি হয় ,যেদিন হয় না
সকাল থেকে ফোস্কা রৌদ্রে আমি ঘুরি।
একটু তৃষ্ণা ,এক পেয়ালা চা
সিগারেটের হৃদয়  পোড়ানো ধোঁয়ায়।
কি করো তুমি ?

অনিদ্রার বেড়াজালে জড়ানো স্বপ্ন মায়ায়
দুকুল ছাপিয়ে ওঠে হৃদয়ের লাল জল ,
ঘোলা হয় ,শব্দ হয়
আর তখনি ,
সম্পূর্ণ নিস্তব্ধ তুমি।
********************************

RISHI026@GMAIL.COM


জীবন > শুরু আর শেষ
লেখক : ঋষি
*****************************
কয়েক গজ স্বপ্নের দড়ি খেলায়
এপার আর ওপার দুপারেই আমি।
বিব্রত এই পুতুল খেলায়
পুতুল আর খেলুড়ে দুজনেই  আমি.

আকাশের চাঁদ বাতাসের গায়ে
জারিজুরি করে জড়িয়ে ধরে।
সে পূন্যতা না শুন্যতা
উত্তর হারিয়ে ফেলে।

অন্ধকারে পেঁচার ডাক
সময় বলে থমকে যাক।
আমি বলি জীবন তো আছে
আলোর মাঝে হারিয়ে যাক।

কয়েক শত শব্দ পাহাড়
কাগজ কলমে সভ্যতা আড়াল।
হাঁটি হাঁটি পা ,সময় তো যা
যা জীবন তুই কেটে যা।

কয়েক গজ মাটি ,আগুনের সাধ
যেমন খুশি হারিয়ে যাক.
আমার জীবন তৃপ্ত তাতে
বৈরাগী সুর গেয়ে যা।
*****************************

RISHI026@GMAIL.COM


### " অন্ধ রাত্রি " ###
লেখক : ঋষি
*************************
ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো অসময়ে
অন্ধকার রাত্রে শুধু ঘড়ির শব্দ।
আর সারা ঘরে অন্ধকার মাখামাখি
আমি তুমি কাছাকাছি।
কিন্তু কি যেন এক অসময়ের ব্যাথা
লুকোনো কিছু কথা
বমির মত আটকে আছে শরীরে।
বলছি বলছি করেও বলা হয় নি তোমায়
মন তোমায় আমি চেয়েছি বহুবার।
বহুবার তোমার শরীর আমি খুঁড়েছি
শব্দহীন কেঁচোর মত।
রক্তমাংসের শরীরে এক অপরিসীম স্নেহ
আমি জড়িয়ে ধরেছি হাজারোবার।
কিন্তু বলি নি কখনোও
আমার মন তুমি সুন্দরী জোত্স্নার মত।
জানলার রেলিং বেয়ে রুপোলি জোত্স্না
বিছানার চাদরে স্বপ্নিল ভাঁজ
আমি দেখছি তোমায় মন।
আমার মত করে তোমায় সাজিয়ে নিচ্ছি
আমার দুচোখে এক রঙিন মায়া।
এক ম্যাজিক আমার জীবনে
মন তুমি ,আমার তুমি।
***************************

মধ্যবর্তী

একটা বিস্ফোরণ দরকার ছিল  দরকার ছিল একটা সীমা ছাড়ানো চিৎকারের  তোমার বুকের কাপড় সরে গেছে ,আমি রয়ে গেছি মধ্যবর্তী  তোমার নাভির থেকে দাগগুলো যদ...