Sunday, May 29, 2016

বাঘবন্দী খেলা

বাঘবন্দী খেলা
............ ঋষি
============================================
কথা বলতে বলতে খেই হারিয়ে ফেলছি
কাকে দোষ দেবো নিজেকে।
প্রতিটা ক্ষরণের পর আকাশ থেকে নেমে আসে বৃষ্টি
বুকের মাঝে।
তখন বলার কিছু থাকে না
বলাগুলো আনমনে চুপিচুপি বলে যায়।

সত্যি বলতে বলতে
মিথ্যা বলার অভ্যাস করাটা কিছুটা অহংকারের মত।
নিজের বুকের ভিতরে অনবরত সম্ভাবনার সুখ সারি বসে
ওদেরকে কে কেউ  আলাদা করে রাখে না,
আসলে রাখতে চাই না।
তোকে একটা নাম দেব ভাবছি চলন্তিকা
নিজের আগুনের কাছে প্রিয় নারীর কোনো পরিচয় দরকার।
দরকার অনর্গল বয়ে চলা মেঘ ,বৃষ্টির খেলার
আজ বিকেলটা ঠিক তোর মত হোক
ক্লান্ত ,অবসন্ন কোন খেই হারানো খেলা।

কথা বলতে বলতে বারংবার খেই হারানো
উপন্যাসের শেষ পাতাটা খোলা পরে আছে টেবিলের উপর।
প্রতিটা যত্নের একটা দাগ থেকে যায় গভীরে
যাকে মুখে বলা যায় না।
কথা ফুরিয়ে যায় নিজের ভিতর অনবরত ক্ষরণ
সম্ভাবনার মেঘে বাঘবন্দী খেলা। 

Saturday, May 28, 2016

তুমি চলন্তিকা

তুমি চলন্তিকা
............... ঋষি
=========================================
রাত্রি নামার পর কিসের ভয় চলন্তিকা ? আর দ্বিধা।
নতুন কিছু নয় এই রাত।
সকালের নটার সাইরেনে ঘুম ভেঙ্গে আমি ভাবছি কবিতা আসবে
কই এলো না তো এখনো ?
চোখের সামনে তুমি বসে সঞ্চয়িতা হাতে
সূর্যকে তুলে ধরেছো।

রাত থেকে দিন হয়ে গেল চলন্তিকা
কত দূরত্ব ?
সময়ের পরে পৃথিবী ফিরে এল অক্ষরেখায় ,গভীর তোমার শরীরের ভাঁজ
অক্ষরেখায় ওখানে তোমার বাড়ি।
আমি জানি এখন খালি বাড়িতে ভুতের কীর্তন
তুমি নেই আমি নেই তাই।
তুমি আছ সমুদ্রের সাথে পাহাড় ঘেঁষা কন্যাকুমারীতে
দেশের শেষ প্রান্তে।
আর আমি রাত্রে বসে লিখছি তোমার কবিতা
চলন্তিকা আমার মাথাটা একটু টিপে দেবে প্লিস।

রাত্রি নামছে আবার আমার চোখের পাতায় ? কিন্তু ভাবনা
তুমি ভালো আছো চলন্তিকা।
তোমার চোখের কালিতে  কোনো কষ্ট লেখা আছে কি ?
আমি নেই তাই।
জানি না আর জানতে ইচ্ছে করছে না
আর সূর্যের দরকার নেই ,তুমি চলন্তিকা। 

বৃষ্টি ভেজা বালিকা

বৃষ্টি ভেজা বালিকা
................ ঋষি
========================================================
আনন্দকে স্পর্শ করতে অসম্ভব অবধি যেতে পারি
সেতো ক্ষনিকের চলন্তিকা।
অসম্ভব পেরিয়ে হাসপাতাল দূরত্বে শুয়ে থাকা মানুষগুলো মৃত্যুর এত কাছে
এটা তো আনন্দ নয় চলন্তিকা।
সদ্য জন্মানো নতুন কোনো আশার কান্না
আর তার  পৃথিবী সফরের আগে মায়ের মৃত মুখ।

না, না, না চলন্তিকা
এই সব দুঃখকে আমি স্পর্শ করতে চাই না।
আরো দূরে পালাতে চাই ,আরো আনন্দের ,,প্রায় অসম্ভব
আকাশ খুলে বৃষ্টি ফুটপাথে।
স্কুল ফেরত বালিকার চোখে আয় বৃষ্টি ঝেঁপে
আর তার শরীরে নীল শাড়িটা ,,মেয়েটার গতর ফেটে পরছে।
অসম্ভব, সম্ভব  আয় বৃষ্টি ঝেঁপে
এইভাবে ঠিক এই ভাবে আমি পালাতে চাই।
কোনো শৈশবের হাতে মানুষের মনুষত্বকে ছোটো শিশুর মত বলতে চাই
আয় মানুষ ফিরে আয়
আয় মানুষ তোর মানবিকতায়।

আনন্দ স্পর্শ করতে মৃত্যু অবধি যেতে পারি
তারপর চলন্তিকা ,তুমি কি থাকবে আমার সাথে বেঁচে।
সম্ভবত কোনো ম্যাগাজিনে তোমার উরুর জুরুলে জ্বালা ধরবে হৃদয়ে
তুমি কি ভাবো  আমি সম্ভব নয় ,,অসম্ভব।
আনন্দ স্পর্শ করতে তোমাকে আবার জন্ম দেব ভাবছি
যেখানে তুমি হয়ে যাবে সেই বৃষ্টি ভেজা বালিকা।

বৃষ্টি আসছে অভি

বৃষ্টি আসছে অভি
................. ঋষি
====================================================
শোন অভি আমি যদি আকাশের কাছে ফিরে  যাই
তোকে কি মনে পড়বে  আমার ?
শেষ কবে তুই আমার কাছে এসেছিলিস আমার প্রেমিক হয়ে
আমি  শুধু  পাগলীর মত  প্রেম খুঁজেছি জানলার রেলিং চেপে ধরে।
অভি সত্যি লিখছি রে আজকাল লেখা আসছে  না রে
আকাশ, সেই আকাশ এখনো আমার মাথায়।

আচ্ছা প্রেমিক কাকে বলে জানিস অভি ?
আকাশের নীল রঙের একটা  গভীর  রোগ  আছে।
এই রোগটা হলো প্রেম আর বৃষ্টি সে অভিমানী বিকেলে আমার লিপস্টিক।
আর যখন  বুকের ভিতর বিদ্যুত চমকায়
অসময়ের খুঁজতে থাকি আমি আকাশের  পুরুষালি বুক।
আকাশের  সিগারেট পোড়া ঠোঁট ,তামাকের গভীর গন্ধ তার শার্টের কলারে
আমি ঠোঁট চেপে ধরি আকাশের গায়ে।
আমার প্রেম প্রেম পায়
সেটা কি অভি ? এটা কি দ্বিচারিতা।
এই সব তুই বুঝিস নি কোনদিন অভি শুধু দেওয়াল তুলে গেছিস
আজ তুই আছিস কিন্তু আকাশ আমার আরো কাছে
এই দেওয়ালের বাইরে।

শোন অভি তুই তো আমার এত কাছে
কিন্তু সত্যি বলতে লজ্জা নেই " ছুঁতে পারলি না আমাকে কোনদিন " ।
শেষ কবে তুই আমাকে আদর করেছিলি আকাশের মত
আকাশকে দেখ  অদ্ভূত আদরে  দূর থেকে আমার  ঘুম ভাঙায়।
আমার মেয়েলি  হৃদয়ে কেমন একটা স্পর্শের লোভ
বৃষ্টি আসছে ,সারা আকাশে মেঘ ,,দেখ আমার লেখা আসছে। 

Friday, May 27, 2016

দারুণ ভিউপয়েন্ট

দারুণ ভিউপয়েন্ট
................. ঋষি
================================================
কাল বকেছিলাম তাই আজ এসেছো বৃষ্টি দেরী করে
আচ্ছা একবার আমি তোমার সাথে উঁচু পাহাড়ে বেড়াতে যাব।
এই ধর দার্জিলিং কিংবা ধর ম্যাকলিওডগঞ্জ
পাহাড়ি রাস্তায় তুমি থাকবে সাথে।
চারিপাশে কুয়াশার চাদর তখন ঢেকে রেখেছে আমাদের
কোথাও থামবে মাঝে গাড়ি সঙ্গে চা কফি কিংবা মোমো।

যতদূর চোখ যায় সবুজ বনভূমির রহস্যময় ব্যাকগ্রাউন্ড
তার মাঝখানে কোথাও কোথাও উঁকি দিয়ে লুকোচুরি খেলছে হিমালয়।
একটা পুরনো ভূত বাংলোতে থাকবো বুঝলে
পুরনো আসবাবের গন্ধ ,মাতাল করা রাত ,হাতে এক গ্লাস জিন
খোলা আকাশ ,খোলা বারান্দা ,তুমি থাকবে।
তারপর ঘুমিয়ে পরবো তোমার সাথে বৃষ্টি
সকালে তাড়াতাড়ি ডেকো,সকালের সূর্যোদয় দেখে।
বেরিয়ে পড়বো পাহাড়ি রাস্তা বেয়ে কোনো দারুণ ভিউপয়েন্ট
তখনও তুমি থেকো।

দারুণ ভিউপয়েন্টে
সামনে হয়তো দু'হাজার ফুট-এর গভীর খাদ
আর সামনে ছড়িয়ে আছে যেন গোটা পৃথিবী। নিশ্চুপ, নির্জন প্রান্তর।
মাঝে মাঝে কোনো পাহাড়ি পাখি ডেকে উঠছে হঠাৎ।
তুমি আর আমি খুব কাছাকাছি দাঁড়াবো সেই খাদের একদম ধারটায়।
তোমাকে খুব গভীর করে জড়িয়ে ধরব আমি.,তারপর লাফ। 

বৃষ্টির রিনিঝিনি

বৃষ্টির রিনিঝিনি
.......... ঋষি
=========================================================
বৃষ্টির উচ্চারণ আলস্য বিমূর্ত মুহূর্তে
রিনিঝিনি শব্দদের আচরনে কেমন একটা অদ্ভূত ছাপ
মনখারাপ।
তোর আমার দ্রবীভূত দূরত্বের অদ্ভূত রসায়ন
ভিরাক্ত ঘামে ভেজা মেজাজ
মনখারাপ।

ঠিক ধরেছি বল চলন্তিকা আজ তোর মনখারাপ
কিছুক্ষণ আগের বৃষ্টিটা চাপের ছিল।
চাপের ছিল ওই সময়টুকু জানলার বাইরে অকারণে থেমে থাকা নিত্য জীবন
যেটা অসামাজিক মুহুর্তের থেমে থাকা।
আমি জানি শহর থামতে চাই না নিজের আলোরণে
চারিপাশে থেমে যেতে থাকে ক্রমশ ক্লান্তি
একটা রাত।
নিস্তব্ধ আনারিরা পায়রার খোপে ঘুমিয়ে পরে সাধারণ জীবন
আর আমি তুই জেগে।
কারণ মনখারাপ
আজ সারারাত বৃষ্টি নামুক
হৃদয় ভিজুক আকুল ভাবে।

বৃষ্টির উচ্চারণ আলস্য বিমূর্ত মুহূর্তে
আকাশের বুক চিরে চলে যাওয়া আলোর তীরগুলো সময়ের বুকে
আবার নামল নাকি বৃষ্টি চলন্তিকা।
সময় থেমে যায় মুহুর্তের বোঝাপড়া দামী সম্পর্কের আতর
পোশাকি রঙের শাড়িতে মাকড়সার বাস
ভিজতে চাইছে মন ,,আরো বৃষ্টি ,,আরো।

খেলাঘর

খেলাঘর
............... ঋষি
==============================================
আগের চিঠিটা এখনো দি নি তোমাকে
কারণ কাল্পনিক চরিত্রকে লেখা ঠিকানাটা জানা হলেও
সেটা পৃথিবীর নয়
শুধু পৃথিবীর পথে হাঁটতে হাঁটতে চোরা গলিপথে ফিরে
বারংবার মানুষের মনে
খুব কাছে কোনো প্রিয়  আনন্দের দিনে

আজ সপ্তমী
দুবছর আগে সেই সপ্তমীটা তোমার মনে পরে।
আমি তোমার দেওয়া সালোয়ার আর তুমি আমার দেওয়া নীল শার্ট
নীল রংটা মানায় ভালো তোমার ,আকাশের রং।
তারপর অলিগলি বেয়ে চোরা চাহুনিতে
আরো কাছাকাছি।
আদর চোখে তুমি, দুষ্টু হাসিতে আমি
ঢ্যমকুড় কুড় ঢ্যমকুড় কুড় বুকের ভিতর সারা জীবন পাশাপাশি।
সব চরিত্র যেমন কাল্পনিক নয়
তেমনি সব গল্প সমাপ্ত নয়।

আগের চিঠি মত এটা তোলা থাক
কারণ কাল্পনিক চরিত্ররা ঝড়ো হওয়ার মত ছুঁয়ে যায়।
সেটা আসল নয়
আসল হলো পৃথিবীর পথে হাঁটতে হাঁটতে শেখা।
খেলাঘর বাঁধতে লেগেছি আমার মনের ভিতরে
 কত রাত তাই তো জেগেছি বলব কী তোরে।

দুর্গাকে মরতে নেই

দুর্গাকে মরতে নেই
................. ঋষি
=========================================================
কেন যে উপন্যাসের পাতাগুলো সত্যি হয় না
পথের পাঁচালির দূর্গা মরে গেলো।
কিন্তু যদি সেটা অপু হত
না দুর্গারা কখনো মরতে চাই না।
এই শেষ বিকেলের আলোতে কেন তুমি আমাকে ডাকলে
আমি তো দুর্গাকে মারতে চাই নি।

গলার কাছের দলা পাকানো কান্নাটা বৃষ্টি দিনের  ফুরিয়ে যাওয়া বিকেলের মত
ঘোলা হয়ে উঠেছিলো।
 দুর্গা নয়, অপু হলেই ভালো হতো।
মহুয়ার গন্ধে, চাঁদের আলোয় মনপাগল করা ঝরনা, ভুট্টাখেতে হাতির দল
প্রকৃতির সবুজ রঙে  শহরের ধুলোরা জায়গা পায় না।
বিকেলের কনেদেখা আলোয় কেন তুমি আমাকে ডাকলে ?

আজ বিকেলের মরা আলোতে এই মুহুর্তে পথের পাঁচালি আমার হাতে
আমার ভীষণ কাছের বইটা।
অথচ মাঝের  কয়েকটা পাতা বইটার নেই
যেমন জীবন আমাদের কাছের অথচ  কাছে নেই।

কেন যে উপন্যাসের পাতাগুলো সত্যি হয় না
পথের পাঁচালির দূর্গা আর বেঁচে নেই।
কিন্তু আমি যে দুর্গাকে  ভালোবাসি কোনো কারণ ছাড়া
কারণ ভলোবাসা তো কাছে নেই।
এই বিকেলের শেষ আলোতে তুমি না ফুরোলেও পারতে
আমি তো দুর্গাকে মারতে চাই নি। 

শুধু তোমার জন্য

শুধু তোমার জন্য
.................. ঋষি
================================================
আমার কাছে এই মুহুর্তে যদি তুমি থাকতে
হাতের প্রেমিক সিগারেটটা মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে দিতাম,
তোমাকে টেনে নিতাম ঠোঁটে।
দুঃখ  করছি না
শুধু তোমাকে জানাচ্ছি এই ফুটপাতে দাঁড়িয়ে
তোমাকে জড়াতে আমার লজ্জা করতো না।

আমার কাছে এই মুহুর্তে তুমি থাকতে
তোমাকে সামনে বসিয়ে আমি কবিতার মত লিখতাম।
তোমাকে বর্ণনায় রঙিন পাতা আরো রঙিন হতো
না এটাও দুঃখ না,
এটা আমার কবিতা তোমাকে ভেবে লেখা।
এইমুহুর্তে যদি তুমি আমার কাছে থাকতে
আমি তোমাকে কোলে টেনে নিতাম
নিজের মত করে মেপে নিতাম আমার অসমাপ্ত যন্ত্রণা।
না এটাও দুঃখ না
শুধু আমাদের কথা কবিতার ছন্দে লেখা
শুধু তোমার জন্য।

আমার কাছে এই মুহুর্তে যদি তুমি থাকতে
আজ অফিস ফেরত বাড়ি ফিরতাম না
চলে যেতাম শহরের অলিগলি বেয়ে অন্য কোথাও।
দুঃখ  করছি না
শুধু তোমাকে জানানো দরকার তোমাকে আমি
হ্যা তোমাকে আমি ভীষণ মনে করছি। 

বিশু পাগল

বিশু পাগল
................ ঋষি
==================================================
বিশুকে আমরা পাগল বলেই জানি
অকারণে হাসে ,অকারণে কাঁদে ,নিজের সাথে ঝগড়া করা
আবার আমার মত কারো কারো সাথে।
জানতে ইচ্ছে করে বিশু তোর বাড়ি আছে ? আর কে কে আছে ?
বিশু শুধু হাসে আর বলে আমি তো ভালোবেসে পাগল।
জানতে ইচ্ছে  করে বিশু তুই পাগল হলি কি করে ?

তো সেই ভালোবাসার পাগল
যার বাড়িতে ভালবাসা ছাড়া কিছু নেই।
সে আজ পথের ধরে বসে সকাল থেকে কাঁদছে
প্রশ্ন করলাম কাঁদছিস কেন ?
মুখ ভেঙচে ,উঠে প্রায় মারতে আসে,
বলে জানিস না আজ পৃথিবী মরছে ,তুইও মরবি শিগ্রই।
একথা আমার অজানা নয় পৃথিবী মরছে ,মানুষ মরছে
কিন্তু বিশু  জানলো কি করে ?
আমি হাসলাম এগিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম আবার
এবার বিশু হাসছে ,ভয়ংকর সেই হাসি
বলছে আজ জানিস আমার মা মরে গেছিল।

বিশুকে আমরা পাগল বলে জানি
অকারণে আবোলতাবোল বলে ,অকারণে নিজের কাছে প্রশ্ন করে
আবার আমার কাছেও করে মাঝে মাঝে।
জানতে ইচ্ছে করে এই বিশু পাগল আসলো কোথা থেকে ?
বিশু  কাঁদে আর বলে আমি পাগল ,তুই তোর চৌদ্দগুষ্ঠি পাগল।
জানতে ইচ্ছে করে সত্যি ,বিশু পাগল হবে কবে ?

হৃদয়ের ডায়রি

হৃদয়ের ডায়রি
.................. ঋষি
======================================================
লাল্টুদার  বিয়ে আজ
সকাল থেকে পাড়ায় একটা সাজো সাজো রব।
লাল্টুদা তিনপুরুষের জমিদার বাড়ি
জমিদারি গেলেও উচ্চ বংশের সম্ভ্রান্ত সন্তান
না অনেক কথা বলা যাবে না
শুধু লেখা আছে হৃদয়ের ডায়রিতে

আমি একজন সদ্য কলেজপাশ বেকার যুবতী
আমার মত আরো অনেক আছে এই তল্লাটে অলিতেগলিতে।
আমার মত অনেকে আছে কবির কবিতায় ,আর্টিস্টের ক্যানভাসে
আমার মত অনেক মেয়ে সিনেমার পর্দায় ,উপন্যাসের পাতায়।
খুব সাধারণ কোনো যুবতী
কিন্তু যুবতীর হৃদয়ে জমা থাকে নারী হবার স্বপ্ন।
লাল্টুদা যাকে আমরা জানছেন
সে আমার স্বপ্নের পুরুষ।
শেষ বার খালি বাড়িতে আমাকে বিছানায় চেপে ধরে
ঠোঁটে ঠোঁট রেখে যে বলেছিল " তোকে ছাড়া আমি বাঁচবো না ।
আমি ভুলে গেছিলাম আমি প্রতিবিম্ব একই থাকলেও
বদলে যায়, সময় সময়ের মুখ।  

লাল্টুদার  বিয়ে আজ
বাড়ির সামনে ফুলে সাজানো সাদা এম্বাসেডর গাড়িটা আজ রাজহংসী।
আমার লাল্টুদা আজ রাজহংস
আলোয় সাজানো জমিদার বাড়িটা আজ কেমন ঝলমলে।
শুধু আমি ভুলে গেছিলাম এইসব যুক্তির সৈন্য সাজিয়ে লাভ কি?
এখন তো শুধু কথা বলবে যখন মৌনতা।   

ভাবনায় গাছ

ভাবনায় গাছ
................ ঋষি
==================================================
মাঝে মাঝে আমার কোনো গাছ হতে ইচ্ছে হয়
কারণ গাছেরা মানুষের থেকে উন্নততর প্রাণ।
গাছ হলে অনেক সুযোগ আছে নিজেকে ভাবার
কারণ তাহলে তো আর সকাল সন্ধ্যে পেটের ভাবনা ভাবতে হয় না।
তাহলে তো মানুষকে আলাদা থাকতে হয় না
সম্পর্কের নামে

ঠিক তো গাছেদেরও তো সম্পর্ক থাকে
গাছ একা নয়।
তবে কি ভাবে আবার নতুন গাছ জন্মায়  ফুল ,ফোটে
সবুজ একটা স্বতস্ফুত হাসি হাসতে পারে।
 ‘হ্যাপেনিং লাইফ’-ওয়ালা কেউ বলতেই পারে
 কিছুই না করা মানে বোরিং লাইফ’।
কিন্তু আদৌ কি তাই ?
গাছেরাও সকালের সূর্য দেখে ঝিলমিলিয়ে হেসে ওঠে.
অঝোর ধারায় বৃষ্টি ভেজা উপভোগ করে ।
গ্রীষ্মের দাবদাহে মলিন হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে মন খারাপ করে.
হাওয়া দিলে নেচে নেচে ওঠে তার গোটা শরীর।
প্রেমের ঋতু বসন্ত এলে সেও সেজে ওঠে নানা রঙের ফুলে
 এছাড়াও বছর ভর বারো মাসে তের পার্বণের মত কখনো রঙ্গিন হয়
কখনো সুগন্ধ ছড়ায়।

মাঝে মাঝে মনে হয় পরজন্মে গাছ হবো
কারণ গাছেরা তো কারো ক্ষতি করে না।
মানুষের  মত পিছন দিয়ে ছুরি  মারে না
কিংবা মানুষের মত সম্পর্কের অভিনয় করে না।
শুধু হাসতে জানে ,শুধু বাঁচতে
তাই আমার ভাবনায় হয়তো  আমি কখনো গাছ। 

Coming soon

Coming soon
....... ঋষি
=====================================================
ধেবড়ে যাওয়া কাজল আর কিছু কাগজের টুকরো
একত্রে তাকে চিঠি বলা যেতে পারে।
তোর অপেক্ষা করেছি দিনে রাতে ফব  স্ট্যাটাসটা দেখার পর
Coming soon তোর শহরে  ।
কিন্তু তোকে তো চিনেছি এই কদিন ,ফোনে কথা হয়েছে দুচারবার
তবে অপেক্ষা কিসের ?

আমার এই চিঠি তোকে দেওয়া হবে  কিনা জানি না
হয়তো লুকিয়ে থেকে যাবে আমার সাইডব্যাগে ।
তুই বলেছিস দেখা করবি
বলেছিস পাগলি তোকে নিয়ে সিনেমা  দেখবো নিউআম্পায়েরে কিংবা নন্দনে ।
বলেছিস তুই চকোলেট কিনে দিবি আমাকে
জমিয়ে  একটা  ফুচকা কম্পিটিসন করবি গোলপার্কে।
কিন্তু তোকে বলা হয় নি ,আসলে আমি বলতে পারি নি
জানিস তো আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে  এই শীতে।
জানিস তো তোকে আমার অনেক কিছু বলার ছিল
কিন্তু বলা হবে না বোধহয়।

কাল সারারাত ঘুম হয় নি
আজ তোর সাথে স্প্লানেটে দেখা হবার কথা।
প্রথম দেখা ,ভেবেছি চিঠিটা তোকে দিয়ে দেবো
কিন্তু দিতে পারবো কি ?
কাল্পনিক চরিত্র কে লেখা এই চিঠি এইমুহুর্তে বলতে বাঁধছে
আবার তোকে স্বীকার করার সাহসও তো আমি পাইনা।

ফিরে আয়

ফিরে আয়
.................. ঋষি
=====================================================
ফিরে  আয়
সমস্ত অন্ধকার ছেড়ে নিজের ভিতর।
যেখানে সবুজ ফসলের মাঠ ,দূরে  দিকচক্রবালে আকাশ আর মাটি মিলিত
ফিরে আয় সমস্ত নোংরা ধুঁয়ে।
নিজের ভিতরে যেখানে খোলা আকাশ আর তুই পাখি
নিজের খাঁচায়  .

সবাই তো ফিরতে চায়
কজন পায় সুযোগ ফিরে আসার।
আকাশভরা সূর্য-তারা, বিশ্বভরা প্রাণ
তাহারি মাঝখানে আমি পেয়েছি মোর স্থান,
বিস্ময়ে তাই জাগে আমার গান।
ফিরে আসতে হয়
নিজেকে খুঁজে পেতে  হয় নিজের ভিতরে।
তবে তো বাঁচা
নাহলে শুধু  নামে  মাত্র বেঁচে থাকা।

ফিরে  আয়
অন্ধকার পোশাকের বিশৃঙ্খলা ছেড়ে।
তুই হেঁটে যা নগ্ন পায়ে শিশিরের উপরে
নিজের মত ,নিজের সাথে একটা পৃথিবী তোর বাঁচা।
আর বাকিটুকু ভালোবাসা
যাকে ভালোবাসা যায় বিশ্বাস করে কাছে আসা। 

অপেক্ষা

অপেক্ষা
.............. ঋষি
==================================================
জানি তুই অপেক্ষা করবি
কিন্তু  আমার সমস্ত অবয়বে চলন্তিকা মাখামাখি।
সকালের রোদের পরে আমি, তুই পুড়েছি যন্ত্রণা
তবু পুড়ে  গেছি।
নিজের সাথে সন্ধি করে বারংবার
তোর  অপেক্ষা আমার।

এমন করে রাত ,পেরিয়ে দিন অস্তিত্ব পুড়ে যায়
ফার্নেসের ভিতরে পরে থাকা ছাইগুলো  সব সাক্ষী  বেঁচে থাকার।
আজকাল মানুষ পোড়ার গন্ধ  পাই চলন্তিকা নিজের ভিতর
আজকাল তোকে পোড়াবার বাসনা মনে মনে আগুনের ঘি।
সব কিছু এক আছে
কিছু বদলায় নি।
শুধু আজ সকালে তোর ফোনটা বাজলো না আমার কাছে
ওপাশে কেউ বললো না গুডমর্নিং।
সকাল হলো ,এরপর দুপুর ,তারপর রাত্রি ,আবার একটা গোটাদিন
আমার অপেক্ষাগুলো তোর দরজায় প্রহরী সব।

জানি তুই অপেক্ষা করবি
কিন্তু আমার সমস্ত সত্বায় ভালোবাসা  মাখামাখি।
কথা দিয়েছি ভালো থাকবো
তাইতো  আমাকে বিন্দাস বাঁচতে হয়।
না হলে এই অপেক্ষা আমাকে তিলে তিলে পোড়াতে থাকে 
আর আমি ফার্নেসের পোড়া ছাই।

Thursday, May 26, 2016

কবির প্রতি

কবির প্রতি
............... ঋষি
===================================================
মৃত্যু, বিষাক্ত অন্ধকার ছড়িয়ে থাকা রক্তের দাগ
বিশৃঙ্খলা, বিনাশী ধংসের ছবি শেষ কথা হতে পারে না কবি।
এখনো পৃথিবী ঘুরছে
এখনো মানুষ হয়ত বাঁচতে পারে মৃত্যুর কোল থেকে।
মৃতসঞ্জীবনী নয়
মানুষের লোভের অসুখ সারানো দরকার।

সৃষ্টিছাড়া সময়ের  ক্যনভাসে লাল,সবুজ হাজারো রঙের ফাঁকে
হাজারো হৃদয়ের পঙ্কিলতায় তবুও  ফুল ফুটছে,শিশির পরছে ।
আজও জন্মাচ্ছে কোনো মাতৃক্রোরে সময়ের যীশু
সময়কে জীবিত থাকতে দেও,
 আঁকতে দেও মানুষের বোধকে শ্বেতশুভ্র শান্তির ছবি।
কবির চিতাভস্ম থেকেই উত্তরনের বীজমন্ত্র খুঁজতে হবে কবিকে
নিজের আকুতি থেকে মানুষকে বিজীত করতে হবে।
শান্তির নিপুন ছবি আঁকতে হবে মানুষের মনে।
যেখানে চন্ডাশোকের  বদলে জন্মাবে ধর্মাশক
যেখানে মানুষের  হৃদয়ের মহেন্দ্র আর সংঘমিত্রা করবে হিংসাকে জয়।
মানুষ এই পৃথিবীতে বাঁচবে মানুষের জন্য
মানবিকতার নামে।

মৃত্যু, বিষাক্ত অন্ধকার ছড়িয়ে থাকা রক্তের দাগ
না না সব বিনাশী ইতিহাস আজ লেখা থাকুক প্রাচীন প্রস্তর ফলকে।
রক্তে ভেসে যাওয়া সভ্যতার বুকে
 শান্তির ফুল ফুটুক।
কবি মানুষকে জাগাতে হবে মানুষের কবিতায়
শুধু প্রেম নয় ,মানুষকে বোঝাতে হবে প্রেমের মানে।

কারণ আমরা

কারণ আমরা
................ ঋষি
==================================================
আজ আমার তোর জন্য বারংবার কান্না পাচ্ছে
কিন্তু কেন ?
এই প্রশ্নের উত্তরটা আমার অজানা নয়
কিন্তু কেন ?
এই বিহ্বলতা।শুধু কি  প্রেম ?শুধু কি স্পর্শ ?
নাকি আমি আছি তাই।

আচ্ছা ভাবতো আমি যদি না থাকি কোনদিন
কোনদিন সকালে তুই যদি শুনতে না পাস আমাকে।
কি হবে ?
ভুলে যাবি আমাকে যেমন মুছে যায় ইতিহাস।
ভুলে যাবি আমাকে যেমন কোনো মুছে যাওয়া বৃষ্টি দিন
ভুলে যাবি আমাকে যেমন প্রতিদিন ফুরোনো রাত।
ভুলে যাবি
যেমন জীবন আমাদের না ফোরানো বিশ্বাস।
আমি ঠিক থেকে যাব
আজ থেকে হাজার বছর পর কেউ যদি আমাকে মনে রাখে।
সে তুই
কারণ আমি ঠিক মিশে যাব
আমার তুই।

আজ আমার তোর জন্য বারংবার কান্না পাচ্ছে
কিন্তু কেন ?
এই প্রশ্নটা অজানা না হলেও অভ্যেস নয়
কিন্তু কেন ?
এই  পাগলামী? শুধু কি প্রেম ? শুধু কি তুই
একদম নয় কারণ আমরা।

প্রেমিক

প্রেমিক
............. ঋষি
=======================================================
প্রেমিক হতে চেয়েছি
মনে মনে বিশ্বাস করেছি প্রকৃতির সবুজ রং।
কিন্তু প্রেমিক হতে গেলে  ভয় পেতে হয়
হারাবার ভয়।
আর প্রেমিক হতে হলে প্রেম শব্দটাকে ভালোবাসতে হয়।

প্রেমিক হতে চেয়েছি
শহরের পথে চিত্কার করে বলতে চেয়েছি প্রেমের নাম।
তোমার শীত্কারে বারংবার শুনতে চেয়েছি
পারছি না ,তোকে ছাড়া বাঁচতে পারবো না।
আমার কবিতার চিত্রপটে অসংখ্য মায়াবী ছল
বিশ্বাস করো ,আমাকে বিশ্বাস করো
আমি শুধু তোমায় লিখতে চেয়েছি।
নিজেকে ক্ষতবিক্ষত করে বারংবার তোমার ছলে
তোমাকে কাছে পেতে চেয়েছি।

প্রেমিক হতে চেয়েছি
মনে মনে বিশ্বাস করেছি প্রেমকে মৃত্যুর বেশি।
না আমি মরতে চাই নি কখনো
শুধু অপেক্ষায় থেকেছি
শুনেছি প্রেম নাকি ফোরানো শীতের শুকনো পাতা।

পথ কাকে বলে ?

পথ কাকে বলে ?
.......... ঋষি
=======================================
পথ কাকে বলে ?
ভেবে দেখেছিস কখনো চলন্তিকা।
এতটা রাস্তা একলা হাঁটতে সত্যি কি ক্লান্তি নামে
হাসছিস ,,,,,একলা।
কি বলছিস সম্পর্ক আছে তো জড়ানো
সে তো জড়িয়ে আছি তবুও তো একা।

না এমন করে ভাবে নি কখনো
মুখোমুখি ঈশ্বরও যখন নিজেকে জীবন ভাবে
তখন ক্লান্তি নামে।
ফেলে আসা শৈশব ,,যৌবন তারপর ,তারপর ,,,,,,,, ?
জানি রে
তবু কেন জানি মনে হয় পথ শেষ হয় না।
ঈশ্বরের মত আজীবন এই পথে হেঁটে চলা
সময়ের অভিশাপে ক্রমাগত ভাঙ্গাগড়া
সব তো চলছে।
তাইতো মাঝে মাঝে সময়কে ঈশ্বর মনে হয়।

পথ কাকে বলে ?
সামনে যেটা পরে থাকে না কি যেটা পিছনে ?
আমরা চলতে থাকি
কিন্তু পিছনে যেটা সেটা আমাদের সাথে।
আবার হাসছিস ,কি বলছিস  ?
এখনো পথ চলা বাকি আছে। 

শ্বাশত তোমার প্রেমে(১০)

শ্বাশত তোমার প্রেমে(১০)
.................. ঋষি
=================================================
নোংরা মেয়েছেলে নষ্টামি হচ্ছে
মুখ সামলে কথা বলবে শ্বাশত।
আবার মুখে মুখে কথা শালি মুখ মেরে ভেঙ্গে দেবো
কিসের অপরাধ শ্বাশত ?
তুমি যদি প্রেম বিলোতে পারো তোমার কামার্ত চাহিদায়
তবে আমার শরীর বিলোতে দোষ কি।

নোংরা মেয়েছেলে
এইজন্য তো ঘর করি নি তোর সাথে।
ঘর ,,,শাশ্বত সে তো সামাজিক
আর তুমি সমাজের আড়ালে সবসময় বাইরের ঘরেই থেকেছো।
আবার যদি ছেলেটার সাথে দেখি
এক তোকে খুন করবো না হলে ছেলেটাকে।
তুমি আর কি করতে পারো শ্বাশত
যেদিন তুমি ডিভোর্সের পাতায় অবলীলায় সই করলে।
সেদিনই  তো আমি মরে গেছি
আর মরে গিয়ে তোমার মত হতে শিখেছি।
প্রেম আর সন্ত্রাসের  ফাঁকে
শ্বাশত তোমার প্রেমে আমি ভালোবাসার খেলা শিখে গেছি।

নোংরা মেয়েছেলে তোর লজ্জা করে না
লজ্জা শাশ্বত ,যেদিন তোমাকে প্রথম দেখেছি আমি অন্য নারীতে
সেদিন লজ্জা করেছিল খুব।
আজ আর করে না কারণ আমি বুঝেছি আর বুঝে গেছি
রমণ শুধু রমনীর আর জীবনটা ভোগ্য
আর তুমি খেলুড়ে পুরুষ শুধু  রমণের কিন্তু একার নও। 

তুই নেই তাই

তুই নেই তাই
.............. ঋষি
=-=====================================
তুই নেই তাই
শূণ্য এই শহরের অলিগলি
হাতে ভদকার গ্লাস আর আকাশের দিকে থুথু
তুই নেই তাই আমার
হাঁটা শহরে পায়ে ছেঁড়া জুতো

শহর কখনো রাস্তায় নেমে আসে না
শহর কখনো বদলাতে বদলাতে ভালবাসতে বলে না।
তুই নেই তাই
চেনা ট্রাম রাস্তায়  আজও হেলে থাকা ছায়া।
আমি চুপটি করে বসি
আপনমনে ভাবি
ভালোবাসি না তোর কায়া।
এই তো বেশ ভালো  বেশ  কায়দায়
কতদিন কেটে গেলো।
তুই নেই তাই হৃদয়ের চোরা রাস্তায়
চুরির দোষ হেঁটে গেলো।

তুই নেই তাই
শূন্য শহরের আকাশে অন্ধকার চাঁদ
হাতে আধ পরা সিগারেট
আর এই এই কবিতার রাত
সাথে স্মৃতি এক্কা দোক্কা জীবন আর তোর সংঘাত।  

Wednesday, May 25, 2016

সেই মেয়েটা

সেই মেয়েটা
.............. ঋষি
==========================================
অনেকগুলো প্রেম পেরিয়ে তোর দরজায়
যন্ত্রণা হচ্ছে খুব।
শরীর আর মনের মাঝে  তফাৎ কি ?
নিজেকে প্রশ্ন করেছি বারংবার উত্তরটা অজানা।
শরীর থেকে শরীরে
অসংখ্য প্রলোভনে প্রেম সে তো চোখের জল।

এমনি ভাবছিল মেয়েটা
পরে পাওয়া চৌদ্দ আনার পর বাকিটুকু দু আনা।
সেটাই প্রেম
চৌদ্দ আনা ফাঁকি।
আর চেনা সম্বল
রক্তের ভিতর বীজ বুনতে অনেকটা  আয়োজন দরকার।
সেখানে শরীর ছাই
ভালোবাসতে চাই কোনো স্পর্শ।
কোনো আহত প্রেমিককে রক্তের রঙে সাজিয়ে
এমনি ভেবেছিল মেয়েটা।

অনেকগুলো প্রেম পেরিয়ে তোর দরজায়
চোখ খুলে সমাজ যখন নষ্ট মেয়ে বলে।
মেয়েটা হাসে খুব
পাগলের মত আঁচড়াতে তাকে বাঁচতে চাওয়া।
মেয়েটা মরে যায় প্রতিরাত্রে
নিজের ভিতর অসংখ্য প্রশ্নের ঝড়।

প্রেম কি ?

প্রেম কি ?
.............. ঋষি
=======================================================
হাত কাঁপছে জানিস
সত্যি লিখতে যন্ত্রণা যে কবিতা জন্ম দেয়।
প্রেমিক কি চায়
একটা শরীর,একটু নরম মাংস ,একটু ভালো লাগা শারীরিক ক্ষরণ
একেই কি প্রেম বলে ?

দশ বছরের মেয়েটাকে চেপে ধরেছে বিস্ফোরণ
তার দুপায়ের ফাঁকে ডুবে যাচ্ছে পিসেমশাইয়ের আঙ্গুল।
কি শুনতে পাচ্ছো
ছোটো সেই কিশোরীর আর্তনাদ।
যাকে পড়াশুনার জন্য ভাগ করতে হয়েছে নিজের  মাসতুতো দাদার সাথে
শরীরের অঙ্গ।
বিশ্বাস হচ্ছে না একটা নতুন জন্মানো কুড়ি
এমন করে সামাজিক হচ্ছে।
সেই যুবতীর প্রথম প্রেম ধর্ষিত  হচ্ছে বিছানার চাদরে
সত্যি এই কি সময় ?এই কি নারীর সামাজিক রূপ ?
হা  সমাজ
একেই কি প্রেম বলে ?


হাত কাঁপছে জানিস
তোকে লিখে চলেছি নিজের কলমের রক্তে।
তোর সারা শরীরে অসংখ্য সামাজিক পুরুষের দাগ
আর সকলে তোর প্রমিক।
আর প্রেম কি তবে কোনো নারীর শরীর?

নিশ্চিন্হপুর

নিশ্চিন্হপুর
........... ঋষি
==================================================
জানি কবিতার জন্ম একটা সত্যি
আচ্ছা সত্যি কি চলন্তিকা তুই কোনো নিশ্চিন্হপুরে?
তোর সাময়িক সংবাদ বর্তমান কোনো জানলার গরাদ ধরে দাঁড়িয়ে
মাঝে মাঝে আমি আকাশ দেখতে দেখতে
তোকে দেখতে পায়।
এই দেখাতে কোনো অপরাধ নেই ,অপরাধ হলো ভালো রাখাতে।

আচ্ছা চলন্তিকা ভালোবাসা কাকে বলে ?
প্রতিটা মৃত্যু যেখানে জন্ম ছুঁতে চায় তাকে কি বলে ?
মৃত্যু পেরিয়ে কি ভালোবাসা যায় ?
এই সব প্রশ্ন অবান্তর আজ তোর কাছে।
শৈশব পেরিয়ে যখন কোনো যৌবন সম্পর্কের দিকে তাকায়
তখন চমক থাকে সাময়িক।
কিন্তু তারপর সম্পর্ক সেলাই করা কাপড়ের মত শুধু পোশাকি
আর বাকিটুকু বেঁচে থাকা।
আর সেই বেঁচে থাকা একটা যন্ত্রণার লিফলেট
হাত বদল হয়
আর তারপর
ক্রমশ একটা রোগ মনখারাপ।

জানি কবিতার জন্ম সত্যি
আচ্ছা চলন্তিকা নিশ্চিন্হপুরে কি শান্তি আছে।
কি করছিস একলা দরজার দিকে তাকিয়ে
কি খুঁজছিস ? কাকে খুঁজছিস?
জানি মনখারাপ হয়
কিন্তু ফিরে আসা দরজার বাইরে যে একটা আশ্রম। 

Tuesday, May 24, 2016

উলঙ্গতার উদাহরণ

উলঙ্গতার উদাহরণ
.............. ঋষি
==========================================================
কয়েকটা জীবনকে আমি দেশে বন্দী করলাম
আর দেশ তখন চিত্কার করছে উলঙ্গ ,উলঙ্গ করে।
কবি আমি অনেকবার ভেবে দেখেছি
প্রতিটা মৃত্যু সর্বদা উলঙ্গ হয়।
প্রতিটা জন্ম সেও উলঙ্গ
শুধু আমাদের এই বাঁচতে চাওয়াটা ঢাকাঢুকি একটা নিয়মিত সম্প্রদায়।

নিয়ম সেটা একটা শব্দ ,যেটা নিয়মিত  কবি
সকালে ঘুম থেকে ওঠা ,অফিস যাওয়া ,বাড়ি ফেরা ,, আবার ঘুমোনো সব নিয়ম।
কিন্তু কবি আমি নিয়মিত ভেবে দেখেছি
স্বপ্নের কোনো নিয়ম নেই।
সাত রঙের ইচ্ছারা কিংবা কোনো ভীতি যখন আঁকড়ে ধরে
স্বপ্ন আসতে পারে । কিন্তু সেটা কি নিয়ম ?

আমি কেন বলছি এই সব কবি ?
আমি এখন এই সময়  জন্ম আর মৃত্যুকে একসাথে দেখছি
আর আমিও এখন উলঙ্গ।
একটা ব্যবস্থা যখন বিক্রি হতে হতে বাজারী হয়ে যায়
তাকে নারী হলে বেশ্যা বলি আর জড় হলে বলি পণ্য।
কিন্তু যখন একটা সিস্টেম বিক্রি হয়ে যায়
যখন একটা সমাজ বিক্রি হয়ে  যায়।
তখন নিজেকে উলঙ্গ ভাবতে ক্ষতি কি
ক্ষতি কি নিয়মের অনিয়মিত পথ হাঁটা বাঁচাকে নগ্ন বলতে।

কয়েকটা জীবনকে দেশে বন্দী করে
দেশের দিকে তাকিয়ে দেখি দেশ ক্রমাগত ধর্ষণে আজ মৃতপ্রায়।
মা ,মাসি ,দিদি ,বোনকে কাউকে আলাদা করে চিনতে পারছি না
কারণ কবি তুমি জানো কিনা জানি না ,,,,,
ধর্ষণ যদি অপরাধ হয় তবে আমার মানসিক উলঙ্গতাও অপরাধ ।
আর এই বাঁচতে চাওয়াটা উলঙ্গতার উদাহরণ। 

কবিতার তুমি

কবিতার তুমি
............... ঋষি
===================================================
তোমাকে নিয়ে শেষ কবিতা লিখবো বলে
আমি উঠে গেছি তাজমহলের উপর।
নিজের গৃহস্থালিতে পোষ্য গাইয়ের মত দাঁড়িয়ে আছি
তুমি  দুধ দেবে বলে।
তোমার নিত্য কল্পনায় আমি জেনে গেছি
শরীর আর কবিতার প্রেমের মানে।

তোমার কবিতা লিখবো বলে
পিরামিডের মাথায় দাঁড়িয়ে আমি দেখেছি তোমার কালো হয়ে যাওয়া জল।
তোমার জলে কলম ভিজিয়ে আমি হৃদয় লিখেছি
তৃষ্ণার্ত বালুতটে একটা নদী ,,কালো নদী ,,,হাজার যোগফল।
হিসেব মিলছে না দেখে
আমি সোজা চলে গেছি আলতামিরার গুহার ভিতরে।
আদিম ইচ্ছাতে সবুজ পাতা সরিয়ে আমি খুঁজে চলেছি হাতের ছাপ।
ক্রমশ একটা শব্দ আমার কানের ভিতর
আমার মগজের ভিতর।
আমার হৃদয়ের ভিতর শব্দ করছে
প্রেম তুমি কি জীবিত ?

তোমাকে নিয়ে শেষ কবিতা লিখবো বলে
আমি উঠে গেছি আইফেল টাওয়ারের লোহার কলকব্জায়।
নিজের গৃহস্থালিতে ভিখিরির মত খিদে খুঁজছি ডাস্টবিনে
তুমি খেতে দেবে বলে।
তোমার নিত্য কল্পনায় আমি জেনে গেছি
প্রেম আর কবিতার তুমির মানে।


চেনা অরিগামি

চেনা অরিগামি
.............. ঋষি
=============================================
তোকে আজকাল চেনা লাগে আমার
তোকে বলাহয় নি কাগজের নৌকোর কথা।
কাগজ মুড়ে চেনা অরিগামি
কিন্তু বৃষ্টির দিলে ভাসিয়ে দিলি আমাদের সেই চেনা কথা।
ভেসে চলছে অনতিদূরে কোনো স্বপ্নের বাস
না তোকে ঠিক চিনতে পারছি না।

এই ভাবে কোনো মেঘলা বিকেলে
আমার শহর জুড়ে আগামী বৃষ্টির মত প্রতিক্ষিত রাজপথ।
তোর ফেলে যাওয়া পায়ের ছাপ
তোর হৃদয়ের মাটিতে তখন সদ্য জন্মানো মুকুল।
ফুল ফুটলো ,
ফুল ফুটছে  আজকাল রোজ।
কিন্তু আমি
আমি সেই মাটির উপর পরে তোর চেনা ফুল
অথচ ভীষণ অচেনা।

তোকে আজকাল চেনা লাগে আমার
নদীর উপরে ছড়িয়ে যাওয়া আকাশের রং।
চেনা অরিগামি
বাড়ি বানাচ্ছিস  ,,বানাচ্ছিস  ঘর।
ভেসে যাওয়া খড়কুটো সম্বল ইচ্ছাদের মৃতদেহ
তোর হেঁটে চলা ,,চেনা যাচ্ছে না তোকে।  

তুই আছিস তাই (২)

তুই আছিস তাই (২)
.................. ঋষি
====================================================
ছবিটা চেয়ে আছে আমার দিকে
শেষ কদিন ঠিক করে কথা বলা হয় নি।
কেমন আছিস
আকাশের গায়ে লিখে দেব একটা চিঠি ভালো আছি বলে।
তারপর আমার মুঠোফোন  চুপচাপ
বেশ আছি যেমন থাকা যায়  তোকে ছাড়া।

নিশ্বাসে লেগে থাকা প্রয়োজন বাদে
ভীষণ অপ্রয়োজনীয় আয়োজন এই বেঁচে থাকা।
ভগ্নাংশের নামতা  জুড়ে। .একটা বাড়ি। একটা স্বপ্ন। কিছু ইচ্ছা।
মুখোমুখি প্রতিবাদ শহরের পথে।
বাস উল্টোনো ,বোমাবাজি ,মারামারি,গায়ের জোর এসব  তো লেগেই আছে
তবু জানিস ভালো আছি।
শহরের রাস্তায় একা চেয়ে থাকা পথের দিকে
সন্ধ্যে ফুরিয়ে বাতিস্তম্ভের আলোতে সময়ের ভিড়।
মুহুর্তরা  গলা টিপে ধরে
তারপর কানে কানে বলে কেমন আছিস?
আমি হাসি পাগলের মত ,আর বলি মনে মনে
বেঁচে আছি তুই আছিস তাই।

ছবিটা চেয়ে আছে আমার দিকে
ভেজা ঠোঁটে লেগে আছে মুহুর্তদের ভিড়।
ভালো আছি রে খুব ভালো
সূর্যের নিভে যাওয়া আলোতে লিখে দিলাম প্রেমের আকুতি।
ভালোবাসি তোকে সকালের মত
কাল আবার হয়তো তোকে দেখবো বলে। 

শেষটুকু

শেষটুকু
............... ঋষি
===================================================
কতকিছু তো বলে গেলি তুই
তবু প্রতিটা বিকেল আমার ব্যালকনিতে একটা পাখি।
আমার খাঁচায় বিশ্বাস ছিল না কোনদিন
তাই একটা আকাশ।
আজকাল সিগারেট রিং ছুঁয়ে বারংবার তোকে স্পর্শ করি
কারণ নেশাটা আমার তোর মত নিকোটিন।

নিজেকে ভোলাতে ভোলাতে
আমি ভুলে যায় বারংবার তোকে পাওয়াটা আমার স্বপ্ন।
কেন যেন দেশ ,রাষ্ট্র ,সমাজ ,নীতি পেরিয়ে
তুই বরাবর পাখির  মত।
আমার কাছে বন্দী বুকের খাঁচায়
অথচ তুই আমার স্বপ্নচারিনী খোলা আকাশ।
আকাশের নীল রং তোর পরনে শাড়ি
আকাশের কালো মেঘ তোর অভিমান।
আর আকাশ থেকে বৃষ্টি ঠিক তুই
যেমন করে জড়িয়ে ধরিস আমায়।

কতকিছু বলে গেলি তুই
তবু প্রতিটা সকাল থেকে রাত্রি আমার হাঁটা পথ তুই।
আমি মুহুর্তদের ছুঁয়ে আসি
আমার বুকের স্পন্দনে বাজতে থাকা সিম্ফনি।
আজকাল সিগারেটের শেষ টুকু আমার ঠোঁট পোড়ায় তোর মত
আর আমি বাঁচতে ভুলে যাই।

সেই মেয়েটা

সেই  মেয়েটা
................. ঋষি
========================================================
সেই মেয়েটা অপেক্ষায় আছে
হিমাঙ্কের নিচে কোনো উষ্ণতার বুক চাইছে পরম আগ্রহে।
 মৃত্যু যে  শুধু স্বপ্নের মত ক্ষনস্থায়ী
তার কি মুক্তি নেই।
অথচ মেয়েটা মুক্তি চাইছে চারিদিকে জমে ওঠা যন্ত্রণা
আর নিজের গভীর প্রেমে।

এই ভাবে সে পথ হাঁটতে
শহরের পথে ফ্রক ছেড়ে সময়ের আটপৌরে গৃহস্থলিতে সামাজিক সে।
অথচ মেয়েটা অসামাজিক
চারিদিকে জমজমাট শরীরের বাজারে মেয়েটা প্রেম খুঁজছে।
খোঁজে প্রতিদিন নিজেকে নিজের আয়নায়
একটা শীতল বুক,
আরো গভীর কোনো যাচনায় মেয়েটার কাঁচে আয়না।
তার সিঁথিতে মোটা করে সিঁদুর
কপালে,চোখে কালো টিপ
আর আছে ভোটার কার্ড ,সামজিক পরিচয় ,নিজের ঠিকানা।
কিন্তু মনের ঠিকানা
মেয়েটা একটা ঠিকানা খুঁজছে নিজেকে পাবার।

এই ভাবে শহর ছেড়ে মেয়েটা হাঁটতে হাঁটতে আজ সবুজে
চারিদিকে শিশিরের পায়ে পা মিলিয়ে মেয়েটা পালাচ্ছে।
সামনে খোলা একটা শীতল বুক
তার মুক্তি।
ঘুম ভেঙ্গে যায় মেয়েটার
নিজের তলপেটে একটা সাপ জড়িয়ে ধরেছে। 

চলন্তিকা আর আকাশ

চলন্তিকা আর আকাশ
............. ঋষি
=====================================================
আলো খুঁজছিস চলন্তিকা
সূর্যকে আড়াল করে নিজের ছায়া দেখে
আমাকে প্রশ্ন করছিস।
আকাশের গায়ে ক্রমশ হারিয়ে যাওয়া আলোর খোঁজ
বুঝলাম আকাশের মুখ ভার
দখিন সীমানায় জমে থাকা মেঘগুলো এখন গল্প করছে।

অনেকদিন পর দেখা হলো বল
মেঘ ,বৃষ্টি আর স্বপ্নের ঘর।
ধুস বৃষ্টি এখনো আসে নি শুধু মুখভার
অভিধানে একটা শব্দ দেখছিলাম  অভিমান
আর এখন অভিমানী আকাশ।
শেষ কবে বলতো বৃষ্টি পরে ভিজে গেছিল তোর জমি
শেষ কবে গভীর হালে রক্তকল্পতা।
শেষ কবে তোকে চেপে ধরেছিলাম নিজের বুকের মাঝে
দমবন্ধ পরিস্থিতিতে কোনো বন্য প্রজাতির ফুল আকাশের দিকে দেখেছিল।
তার পর বৃষ্টি
ধুস বৃষ্টি আসে নি এখনো।

বৃষ্টি চাইছিস চলন্তিকা
ভিজে যেতে চাইছিস গভীরতায় তোর ঠোঁটের স্নেহে।
আকাশের দিকে তাকা
হাত বাড়িয়ে ধরতে চাইছিস মেঘ ,কালো মেঘ।
না রে অভিমানী তুই বৃষ্টি হতে পারিস
কিন্তু মেঘ সে যে অনেকদিন অপেক্ষায়  প্রেমে। 

Sunday, May 22, 2016

২২ শে মে


২২ শে মে
................ ঋষি
=======================================================
চিনতে পারছো আমাকে
২২ শে মে  ১৯৮৮ ,গঙ্গার ধারে তখন তুমুল ভিড়।
পুলিশের গাড়ি ,আমবুলেন্স ,মানুষের উপছে  পরা আকাঙ্ক্ষা
একজন গৃহবধুর লাশ পাওয়া গেছে।
পুলিশ বলছে খুন ,বডি যাবে ময়নাতদন্তে
বাড়ির লোকজনকে পুলিশ খুঁজছে।

চিনতে পারে নি সেদিন আমাকে কেউ
আমার স্বামী খবরের কাগজে আমার ছবি দেখে চেনে নি।
আমার শ্বশুর ,শাশুড়ি ,আমার ভাসুর  কেউ চিনতে চাই নি আমায়
কারণ আমার আত্মহত্যা ছিল না ,ছিল খুন।
আমার মা ,বাবা ,ভাই , বোন হয়তো কেঁদেছে খুব
কিন্তু চিনতে চাই নি আমাকে।
গরিবের টানাটানির সংসার আবার তার উপর পুলিশ ছুঁলে  আঠারো ঘা
না চিনতে চাই নি কেউ আমাকে।
আমার লাশটা  চলে গেল পুলিশ কাস্টাডি থেকে মর্গে
তারপর কিছুদিন খবরের পাতা ,নিউস চ্যানেল।
শহরের খবরের ভিড়ে
আমি হারিয়ে গেলাম অন্য এমন হাজারো  মৃত্যুর ভিড়ে।

তারপর আজ ২২  শে মে ১৯১৬,,এতগুলো বছর পর
 স্বামী আমাকে স্বপ্নে দেখলেন ,আবার বিয়ে করা বৌকে জড়িয়ে ভয় পেলেন খুব।
তবু চিনতে চাইলেন না আমাকে
সকাল হতে ছুটে গেলেন কোনো নামী ওঝার কাছে।
অথচ  সেদিন মাঝরাতে অতর্কিত মারধোর আমার উপর
বিয়ের পন এখনো পাই নি তারা।
আমি বলতে পারি নি স্বামীকে যে তিনি দেখে আমাকে বিয়ে করেছেন
আর তার  বিয়ের আগেই আমার কোকে ছিল তার সন্তান।
কিন্তু আমার স্বামী অস্বীকার করেন তাকে ,আমি নাকি নষ্ট
তারপর আমার গলা টিপে ধরলেন আমার স্বামী।
আমার মৃত শরীরটাকে নিয়ে গিয়ে গঙ্গার জলে
যাক অমঙ্গল বিদেয় হলো।

চিনতে পারছো  আমাকে
আমি সেই গৃহবধু কোনো যুবতীর স্বপ্ন।
এটা একটা কবিতা হতে পারতো ,কিন্তু গল্প  হলো
কারণ মেয়েটা কবিতা লিখতো নিজের মনে বেঁচে থাকার ।
সংসার ,স্বামী ,সন্তান ,শ্বশুরবাড়ি আর সমাজ
আজ ২২ শে মে  ১৯১৬ এটা শুধু গল্প হয়ে রইলো। 

চলন্তিকা তোর বুক নেই


চলন্তিকা তোর  বুক নেই
................. ঋষি
=============================================================
চলন্তিকা তোর  বুক নেই আমি জানি
কি করবি গালাগাল দিবি।
আরে আমি জানি কোনো ক্রনিকল অপেরেসানে বুকটা তোর  বাদ গেছে
তবে সত্যি  বলে কি  ? তোর  সেখানে স্পন্দন নেই।
ইট দিয়ে গড়া  বাড়ি আর বাড়ির ভিতর ঘর
সবটাই সত্যি কিন্তু মিথ্যে কোথাও।

স্পর্শ কি ছুঁয়ে থাকা অতীতের যোগফল ?
নাকি জীবনের অনেকটা হাঁটাপথে ক্রমশ বাড়তে থাকা চোখের পাওয়ার।
ধুস এমন কি হয়
এই সময় দাঁড়িয়ে আমি দেশের দিকে তাকাই।
চলন্তিকা বিক্ষিপ্ত
বহিরাগতদের ভিড় ,ধর্মের চাপানুতর আর সার্বিক পূর্ণতায় রাজনৈতিক আলাপন।
শালা সব ভন্ডদের ভিড়
নিজের সাথে জুড়ে থাকা প্রতিটা সুক্ষ তারগুলো
সম্পর্ক ,,পরিচয় ,,পরিচিতি ,,আদবকায়দা ,,পোশাকি হাসা।
সব শালা নকল
সেখানে  তোর বুক নেই বলে দুঃখ কি ?

চলন্তিকা তোর  বুক নেই আমি জানি
কিন্তু এও  জানি সেখানে  স্পন্দন আছে বাঁচার আকুতি।
তুই লড়ছিস নিজের সাথে একলা দুর্গ আগলিয়ে
সীমানায়  বারংবার বাঁচার কামানের মুহু মুহু বারুদের  গর্জন।
হুঙ্কার  তোর মর্ডানাইস চশমার ফ্রেমে সময়ের চোখ
ইট ,কাঠ ,,পাথরের ,,,শহরে ,,তোর স্পন্দন।

Saturday, May 21, 2016

আমার মৃত্যুতে

আমার মৃত্যুতে
................. ঋষি
==================================================
উপর থেকে  আমার দিকে তাকাও চলন্তিকা
আমি মাটির তলায় কফিন বন্দী শরীর।
তুমি সবুজের পাশে ,তুমি হৃদয়ের পাশে চিরকালীন প্রকৃতি
আর  আমি  মাটির নিচে কঙ্কাল সর্বস্ব বেঁচে ফেরা।
তোমার কাছে আমি এক লুকোনো কবিতা
 আর কফিনের শেষ পেড়েকে তোমার শান্তি।

তোমার বুকের উপর সবুজ শস্যের দেশ
এঁকেবেঁকে সবুজ মেঘলা নদী আকাশের পথে।
তুমি নদীর মত ইচ্ছামতী
তোমার পথচলাতে গর্ভবতী  হয় মাটির শরীর তোমার মত।
তোমার জন্মমুখে অজস্র জন্ম হাসতে থাকে
আমি মুগ্ধ হয়ে দেখি।
আমার জন্মান্ধ দুর্বলতা
আমি পাগলের মত তোমাকে ভাবতে থাকি।
আমার মৃত্যুর পর একলা তোমার কবিতা
তবু বেঁচে থাকবে তুমি
তোমার সবুজ প্রকৃতি।

উপর থেকে নিচের  দিকে নেমে আসো  তুমি
আমি মাটির গভীরে কোনো গোপন ইচ্ছা।
তোমার শরীর বেয়ে সর্বত্র আকাশের নীল  রং
আমি স্বপ্ন দেখি তোমার চলন্তিকা।
ঠিক আমার বাঁচার স্বপ্ন ,তোমার গায়ে  লাগা সবুজ রং
আমি সকালের  শিশির ,আমার মৃত্যুতে।

এই সময়

এই সময়
............ ঋষি
================================================
চলন্তিকা ছবি আঁকতে বলছো
মন ভালো নেই বুঝলে ,,কি আঁকবো ?
হাসছো ,বলছো  আমার  চারপাশে  যা আছে আঁকতে।
কি আছে ?
ঘর,বাড়ি,আকাশ,বাতাস ,সমুদ্র ,পাহাড় আর মানুষ তার জীবনযাত্রা
পারছি না আঁকতে চলন্তিকা ,,এই সময়।
.
চলন্তিকা  কখনো তুমি পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়ে সমুদ্র দেখেছো ?.
কেমন শীতল চোখ ,কেমন একটা মনখারাপ
আমারও মনখারাপ।
পারছি না আঁকতে  ,,এই সময়
কি আছে  আমার কাছে আঁকার ?
এই নিটল সততা ,আমার বোধ ,আমার স্বপ্ন আর সত্যি।
না আমি আঁকতে পারছি না সত্যি।
চলন্তিকা সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি অন্যদের মত ব্যস্ত থাকি রুজিরোজগার ,
না গো  আমি কিছু বুঝি বাঁচতে চাওয়া ছাড়া
এই সৃষ্টির।
চারিপাশে পরিপার্শিক সমাজ ,,রাজনীতি ,,মানুষের বোধ
না আমি সৃষ্টি করতে পারছি না।
.
চলন্তিকা আমি সত্যি বলতে পারছি না
আমার বুক ফাটা কান্নারা আটকে আছে বুকের কাছে।
চলন্তিকা আমি আঁকতে পারছি না কিছুতেই  "শান্তি "
চারিদিকে মৃত্যুর সোরগোল ,বিষাক্ত অন্ধকার আর রক্তের ছোপ।
আমার তুলিতে এক ফোঁটা  লাল রং
সাদা ক্যানভাসে ছোঁয়ানো মাত্র ছড়িয়ে যাচ্ছে।  

Friday, May 20, 2016

তোমাকে ছোঁয়া

তোমাকে ছোঁয়া
.............. ঋষি
===================================================

বুকের ভিতর দুমড়ে মুচড়ে যন্ত্রণা
জানি না কতটা কাছে গেলে  তোমাকে ছোঁয়া যায় চলন্তিকা।
আমি হিসেব জানি ,জানি সময়ের হিসেব
আমি নিজেকে চিনি না ,কিন্তু সময় চিনি
তবু কেন তোমাকে চিনতে পারি না।

ভালোবাসা
কতটা বাসা হলে আরো ভালো হয়।
আর কতটা ভালো হলে ভালবাসা যায়
না আমি ভীষণ নভিস।
এখনো চিনতে পারি নি তোমার পাঁজরে বন্ধ স্পন্দনটাকে
এখনো ছুঁতে পারি নি আমি আকাশটাকে।
আকাশের সীমানায় তাকিয়ে আমি হারিয়ে যায় বারংবার
কোনো পিশাচসিদ্ধ দিনে আমি কফিন বন্দী থাকি।
আসলে কফিন আমার ঘর
দমবন্ধ বেঁচে থাকা।

বুকের ভিতর দুমড়ে মুচড়ে যন্ত্রণা
জানি না কতটা স্পর্শ করলে জীবিত ভাবা যায়।
আমি মানি ,আমি জীবিত নয়
তবু কোথাও যেন আমার প্রিয় আশ্রয় তোমার বুকে
তবু কেন ছুঁতে পারি না তোমায়।

হারানো শৈশব

হারানো শৈশব
............. ঋষি
=================================================
একমনে প্যাস্টেল ঘষা সময়ের সাথে
রঙিন আমি আর তুমি।
মাঝখানে সময়ের মত কিছু ব্যবধান হয়তো জীবন কুড়ি
সাদা কোনো স্পর্শের মত কাগজ।
ভরে যায় শৈশবের আনাগোনায়
পিছনে ফেলে রাখা রিবন আর হাফ চকলেট।

আমি কতটা তাকিয়েছি তোমার দিকে
তুমি কতটা।
ঠিক কতটা বুঝেছি শৈশব তোমাকে কাছে থেকে
হামাগুড়ি পায়ে হাঁটা জন্ম ,মৃত্যু।
ঠিক কতটা বুঝতে পেরেছি আলাদা করে
নিজের ভিতর বাড়তে থাকা চারাগাছে আমাদের শৈশব।
ফুরিয়ে যায়
যায় হারিয়ে।
আমি তুমি এই সময়
আর থাকে ,,,,, কিছু যন্ত্রণা।

একমনে প্যাস্টেল ঘষা সময়ের সাথে
আকাশের গায়ে নীল আঁকিবুঁকি।
সময়ের মেঘে সরতে থাকে ক্রমাগত আরো পঙ্কিলতায়
আর জীবন সাদা পাতায় ক্রমাগত রঙিন।
হারানো শৈশব ঠিক কতটা তুমি আর আমি
পিছনে পরে থাকা কাগজের প্লেন আর ছবির বাড়ি। 

তুমুল বৃষ্টি

তুমুল বৃষ্টি
............... ঋষি
==============================================
গোটা একটা রাত যেমন কেটে যায়
বাইরে তখন বৃষ্টি।
তুমুল কোনো বৃষ্টি ফোঁটাগুলো অসময়ে আছড়ে পরে
বুকের কান্ডারী জানে সেই সব কথা।
আমি ভিজি ঠিক রোজ রাতে
বাইরে তখন বৃষ্টি।

জানলা ,দরজা কেউ কোত্থাও নেই
আকাশ থেকে স্নেহের মত শীতল বিন্দুগুলো বড় পরিচিত লাগে।
আমার আশেপাশে কেউ কোত্থাও নেই
না ফুরোনো এই রাতের সাথে।
কেউ বোধহয় বারান্দায় এসে  দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকায়
তাকিয়ে থাকে বৃষ্টি ভেজা পথের দিকে।
স্ট্রিট লাইটের আলোগুলো কেমন মায়াময় লাগে
কোথা থেকে ঘোর ভেঙ্গে যায়।
অকারণে কুকুর ডাকে
সামনে শেষ না হওয়া রাত
তুমিও হয়তো আমার মত  জেগে।

গোটা একটা রাত যেন বৃষ্টি ভেজানো সম্বল
বাইরে তখন তুমুল।
অলিন্দের খোপগুলোতে আঁকড়ে থাকা স্পন্দন  প্রথাগত
অথচ বুকে কান্ডারীরা জানে সেই সব কথা।
তবু এই শেষ না হওয়া ভিজে রাত
বাইরে তখন তুমুল বৃষ্টি। 

Thursday, May 19, 2016

সত্যি এই গণতন্ত্র


সত্যি এই গণতন্ত্র
,,,,,,,,,,,,,, ঋষি
==================================================
সত্যি এই গণতন্ত্র
সত্যি আমি একজন খুব সাধারণ মানুষ।
সত্যি আমি একজন মধ্যবিত্ত
খুব সত্যি আমি একজন সাংসারিক প্রাণী।
সত্যি আমি একজন ভীরু
আর খুব সত্যি বিধাতার বিধান।
.
ঢাক  বাজুক আজ চারিপাশে কোনো রাজতন্ত্রের শাসন
ঢাকের শব্দে ঢেকে যাক কোনো মায়ের কান্না।
ঢাকের শব্দে ঘুম ভাঙ্গুক পিশাচ সিদ্ধ বিভীষণের
না না আমি সত্যি বলছি না।
না না আমি সত্যি বলতে পারি না
না না আমার মতন সাধারণের সত্যি বলাটা অপরাধ।
আরো রঙিন হোক উজ্বল সমাজ কোনো যুবতীর ধর্ষণে
আরো খবর হোক সেই গরু চুরির মৃত্যুর।
আরো ভয়ঙ্কর হোক চোখ রাঙানো মানসিকতার গনতন্ত্র
না ঠিক এইভাবে নিজেকে লুকোনো যায় না।
না ঠিক এইভাবে বিচার চাওয়া যায় না অকারণে অপদস্থ শৈশবের
না ঠিক না এইভাবে বলা ,এটা ঠিক প্রতিবাদ না ।
.
সত্যি এই গণতন্ত্র
সত্যি  এই সাধারণ মানুষের বিচার।
সত্যি  এই  জীবিত থাকার অপরাধ
সত্যি আমি  এই দেশের নাগরিক যেখানে আমার ভোট দর্শন।
সত্যি কি এটা মানুষের জয় ?
সত্যি কি আমরা মানুষ ?
.
( আমার মানুষ হিসেবে বাঁচতে চাওয়াটা  আমার অধিকার ,আর কবিতা সে যে মানুষেরি সৃষ্টি ,আমি মানুষ )

Wednesday, May 18, 2016

অসমাপ্ত কবিতা

অসমাপ্ত কবিতা
................ ঋষি
================================================
জীবন সমাপ্তিহীন
বোধহীন কোনো সন্ধ্যার প্রদীপ যেমন ছায়া ফেলে দেওয়ালের গায়ে।
ঠিক তেমনি ছায়া ফেলে জীবনে পর্যায় হৃদয়ের দেওয়ালে
হাওয়া আসে ,দুলতে থাকে।
এই নিভলো বলে
প্রদীপের বুক পোড়ে ,তবু নেভে না প্রদীপের শেষ আলো।

নদী ও ধানক্ষেত
যেমন মিলে  মিশে একাকার হ্যাম সাথ সাথ হ্যায়।
ঠিক তেমন জীবন আর মৃত্যু কোথাও মিলেমিশে বেঁচে থাকে
মৃত সন্তানের মুখে মায়ের স্তন
ঠিক তেমনি ধানক্ষেত পচে মরে অতি বর্ষায়।
হয়তো  ভেসে যায় ,হয়তো  হারিয়ে জীবন
কিন্তু বাঁচার আশায়।

কোনো ভুরিভোজের জন্য মাংস কাটা হলে
পাশে পরে থাকে রক্তাক্ত ছুড়িখানা।
কালো কাক এদিক ওদিক চায় তবে ডাকতে থাকে
জন্মের লোভ লেগে মৃত্যুর গায়ে।
ঠিক যেমন রান্না হবার পর হলুদ ,লঙ্কা সহযোগে ভুরিভোজ
অনেকটা তাই
জীবন বাঁচার আশায়।

জীবন সমাপ্তিহীন
কলমের নিবে পুড়তে থাকা শব্দগুলো বাঁচার মানে।
কবি পুড়ে যায় নিজের ভিতর বারংবার
কিন্তু কবিতা মৃত্যুহীন ,,জীবন নির্ভর।
প্রদীপের শিখার মত কোনো মৃত্যুহীন বাঁচা কবিতার থাকে
আর কবি সে যে পুড়তে থাকা কাঠকয়লা। 

নিয়মিত ষড়যন্ত্র

নিয়মিত ষড়যন্ত্র
................. ঋষি
===================================================
টেবিলের উপর ছোট্ট রেশমি ফ্রকটা পরে
আলতামিরার গুহায় আঁকা হয়ত প্রাচীন কোনো শৈশবের চিন্হ।
স্তব্ধতা যেখানে নীরবতা ভেঙ্গে দেয়
সেখানে বুকের ভিতর কেঁদে ওঠা মনুষত্বরা গাছের প্রাচীন বাকল।
শুকিয়ে যায় শৈশব অকারণে
যখন পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র মাথাচারা দেয়।

আমি শহর থেকে বলছি
ঠিক শুনেছেন আপনারা আমি মানুষের পাপ থেকে বলছি।
দরজা খোলা অন্ধকারে যদি আলো না আসে
তবে সেখানেই হতে পারে মৃত্যু শিক্ষার বর্ণপরিচয়ের।
আমি হীনমন্যতা থেকে বলছি
সেক্সপিয়ারের কলম আমার কাছে ব্যাধির মত কিছু।
আর বৃষ্টি ভেজা ছাতা
সে যে শুকিয়ে যাওয়া শৈশবের  চোখের জল।

আমি হৃদয় থেকে বলছি
যে জন্ম প্রেম বর্জিত অনিয়মিত সঙ্গমের ফল।
সেই বীজ যদি মাটিতে পরে
তবে শুকিয়ে যাবে গাছ ,শুকিয়ে যাবে নদী ,শুকিয়ে যাবে বায়ুমন্ডল।
সৃষ্টি হবে তৃষ্ণা ,সৃষ্টি হবে খিদে আর সৃষ্টি অন্ধকার
আমি সেই অন্ধকার থেকে বলছি
মৃত্যুর কোনো দেশ নেই ,মৃত্যুর কোনো সময় নেই ,
মৃত্যু হলো শুধু ভুলতে চাওয়া মুহূর্ত।

হাসপাতালে উপর শুয়ে আছে সেই রেশমি ফ্রক
যে হাসতে পারতো ,যে হাত বাড়িয়ে আছে হয়তো আগামী কোনো দিনে।
প্লিস আর একটাও মৃত্যু নয় অনিয়মিত মানুষের ইচ্ছের সাথে
আর কোনো মায়ের চোখের জল নয় অশিক্ষায়।
আপনারা একটু  জাগুন ,একটু চোখের পর্দায় লজ্জা আনুন
ভালোবাসার বীজ সে তো শুধু সঙ্গম নয় ,,সৃষ্টি। 

এখন আমি

এখন আমি
................. ঋষি
=====================================================
আসলে কিছুই হয় নি আমার
কিচ্ছু হয়ে ওঠা হলো না।
ছোটবেলার পিছনের পাতায় বাবা ,মাকে দেখে টের পেতাম না
সবচেয়ে বড় শেখাটা " সময় " ।
দিনান্তে অফিস ফেরত বাবার শুকনো মুখ
আর আশার ঝিলিক আমার মুখের দিকে তাকিয়ে।

কেরোসিনের দাম বাড়লো,দাম  বাড়লো বাস ভাড়ার
কিছুই অভাব বুঝি নি।
শুধু দেখেছি মায়ের ক্রমশ মলিন হাসি
আর ক্রমাগত ব্যবহারে প্রায় পুরনো হওয়া শাড়ি।
পাউরুটির উপর বাটারের ভাগ
না কখনই কম হয় নি আমার শুধু সময় বেড়ে গেছে।
তখন ভাবা হয় নি এখন ভাবি
কি খেতো বাবা মা তখন ?কি ভাবে বাঁচতো ?
স্বপ্নে ঠিক জানি স্বপ্নে
আজ অফিস ফেরত ঝুলন্ত বাদুরের মত পাদানিতে দাঁড়িয়ে ভাবি
আমিও তো স্বপ্নে বেঁচে আছি ,আশার কারণে

আসলে  কিচ্ছু হয়ে ওঠা হলো না
কবিতার পাতায় ক্রমশ দানা বাঁধে এক বোধ সত্যি আশার।
বাবা ,মার মত নিজের দৈনন্দিন সম্বল বেঁচে ফেরা
হয়তো প্রাচীন ইতিহাসের অঙ্গ " আশা "।
সেই আশা বুকে নিয়ে সময়ের সাথে সন্ধি করে
আমার ছোটবেলা আর এখন আমি।

এই শহর

এই শহর
...................... ঋষি
==================================================

এই শহরে আমার  ভয় করে
ষড়যন্ত্রের মত বাড়তে থাকা দুষণে।
এই শহরে হাঁটতে আমার ভয় করে
কারণ এখানে ফুটপাত বদল  হয় মধ্যরাত্রে।
এই শহরে ভালোবাসতে আমার ভয় করে
কারণ এই শহরে প্রেম  বদল হয় অন্তর্বাসের মত।

এই শহরে
প্রতি সিগন্যালের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শপিংমল  আমাকে চোখ রাঙায়।
কলেজ ফেরত উড়তি ছোকরা ,শাড়ির পারে লেগে থাকা বিষন্নতা
আমাকে দুঃখ দেয়।
প্রেমিক ,বেকার ,মাতাল ,অফিস কেরানী ,ছাত্র ,কবি
সকলে শহরে দাঁড়িয়ে আঙ্গুল চোষে।
কিন্তু আঙ্গুলের ক্ষয় নেই ,,ক্ষয় হয় স্বপ্নের
এই শহরে স্বপ্ন দেখতে মানা।
একটা অন্ধকার চোরাগলি দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে
তাই আমার আচমকা মনে পরে আমি ,,মধ্যবিত্ত
নেহাত মধ্যবিত্ত

এই শহরে আমার ভয় করে
আচমকা মাটি খুঁড়ে উঠে আসে কবিদের শব,কবিদের মেরুদন্ড
এই কেউ কোত্থাও নেই ,আমার কেউ নেই
শুধু কবিতা ছাড়া আমার একলা থাকতে ভয়।
এই শহরে আমি কোনো স্পন্দন পাই না সবুজ শিশিরের
তাই আমি কবিতায় স্পন্দন খুঁজি প্রতিদিনের বেঁচে থাকাতে।

সময়ের চাবিকাঠি

সময়ের চাবিকাঠি
................. ঋষি
==============================================
দুরবীন দিয়ে দেখা আলোকে আরো সন্নিকটে
নিভে যাওয়া মোমের ধোঁয়ার গন্ধ বাতাসে বিলীন।
একটু পোড়া দাগ
পরে থাকে চিরতরে প্রতিটা পুড়ে যাওয়ার  ভিতরে।
এ জগতে কারণ মিশ্রিত সম্বল
আর সম্বল  ছাড়া প্রতিবাদ।

বাতসে শেষটুকু অক্সিজেন
শেষবার প্রয়োজনের আগেই যদি সমাপ্তির শেষ শুরু হয়ে।
বাতাসে গুঞ্জন
আর কিছুদিন থেকে যেতে পারতো।
আর কিছুদিন থাকা যেত তবে নিজের শ্বাসপ্রশ্বাসে
নিজের সাথে প্রতিবাদে।
প্রতিটা প্রতিবাদ সময়ের আওয়াজে আরো বেশি প্রতিধ্বনিত হোক
নারীশক্তি ,পুরুষ কে বেশি শক্তিশালী ?
এই প্রশ্ন আরো বেশি অমূলক হোক মিলিত প্রেমে
শুধুমাত্র প্রেমে।
পোড়া দাগ না হয় কোনো এন্টিসেপটিক সময়
সময় সব মিশিয়ে নেয়।

দুরবীন দিয়ে আলোকে আরো সন্নিকটে
নিজের চোখের ফটোজনিক ফ্রেমে আটকানো কাঁচের বিষাদ।
টুকরো টুকরো হয়ে যাক প্রতিফলিত মুহুর্তে
আরো ছড়িয়ে পরুক অবাক বিস্ময়।
হারিয়ে যাওয়া জাতিস্মরের পুনরাবৃতি
কোনো সময়ের চাবিকাঠি।  

সময়ের দাগ

সময়ের দাগ
............... ঋষি
=========================================
যখন ঝড় আসে
উড়িয়ে নিতে চাই তোমার পরিচয় ,তোমার সম্বল।
কি পরিচয় ?
নিজের কাছে লুকিয়ে রাখা সমাজকে না বলা কথা।
নিতান্ত নিজস্ব বিকেলের সঙ্গমে
বালিশের ভিজে নোনা দাগ জানে সময়ের কথা।

যখন ঝড় আসে
জন্মের সুতোলো ক্ষরণে জন্মের ইচ্ছা জেগে যায়।
গভীরে ঘুমন্ত প্রেম
নড়েচড়ে জেগে বসে আর আমন্ত্রণ প্রিয় মুখ।
হাসতে থাকে ,,কাঁদতে থাকে
নিজের চিলেকোঠায় ভিজে অন্ধকার কোনো গলিখুপচি
একলা হেঁটে যাই।
নিজের কাছে বারংবার দাঁড়িয়ে আরো ঝড়ের আকাঙ্খা
কোনো বিষাদমুক্ত  ঝড়বাদলের দিন।
তুমুল বৃষ্টি ,,ভিজতে চাই
আরো ভিজি।

যখন ঝড় আসে
উড়িয়ে নিতে চাই ঘরের চাল ,ঘরের আসবাব ,নিত্য প্রয়োজনীয়।
দূরে একলা চলে যাওয়া রাস্তায়
নিজের দোটানায় ,,ঠান্ডা কোনো হিমেল পরশ।
নিতান্ত নিজস্ব দৈনন্দিন রোমন্থনে
পরে থাকে স্মৃতি ,,,সময়ের দাগ। 

প্রিয় রুপকথা

প্রিয় রুপকথা
...................... ঋষি
==============================================
কিভাবে জানি দেখাগুলো হারিয়ে যায়
শৈশব পেরিয়ে যৌবন ,,তারপর শুকিয়ে যাওয়া স্মৃতি সম্বল।
ঘড়ির কাঁটায় আরো এগোনো জানান দেয়
তোমার গল্প ফুরোলো
আর নটেগাছ মুড়িয়ে  যায় ,
অথচ  স্মৃতি রূপকথার না ফোরানো পক্ষীরাজ ঘোড়া।

একটা শব্দ আছে বেঁচে থাকার
নিজের ভিতরে ধুকধুক শোনা যায়,,, শুনতে পাই।
কিছু সরলরেখা অনুকরণে
আবৃত হেঁটে চলা ,,হেঁটে যাই।
ফিরে আসা মুহুর্তদের আবর্তন ক্রমাগত সঞ্চয়
বেড়ে চলা ,,বেড়ে যাই।
আর পক্ষীরাজ ,,সে যে হিসেব মানে  না
উড়তে থাকা চঞ্চল ,,,উড়ে যাই
সাথে না ফোরানো সম্পর্কের নাম ,,,অনাগত প্রতীক্ষা।

কিভাবে জানি দেখাগুলো হারিয়ে যায়
সমস্ত জীবনের পর্যায় জুড়ে রামধনুর সাতরঙা  রং।
বে নি আ স হ ক লা
ভীষণ পরিচিত সব প্রিয় রং চোখের পাতায়।
গল্প ফুরিয়ে যায় ,,কিন্তু ফুরোতে নয়
পক্ষীরাজ উড়তে থাকে আরো দূরে প্রিয় রূপকথাতে।

ঝরে পরে

ঝরে পরে
.............. ঋষি
===================================================

ঝড় শেষ ,,,গুমোট ভেন্টিলেসন ছাড়া সময়
তোমার নাভি জড়িয়ে কোনো শঙ্খচিল।
শঙ্খ স্তনের পাশে
সময়ের মত আমি ,,সাময়িক।
তারপর হয়তো কয়েকশো যুগ পরে
তোমার দামড়া বুকে ,,ঝুলে থাকা পাথর।


ঝড় শেষ
নিশ্বাসে জমতে থাকা ভিড়েদের আগামী।
আমি হেঁটে যায় ,,আমি হেঁটে চলে যায়
তোমার নাভি দিয়ে আরো গভীরে।
আকাশের শঙ্খচিল ছো মেরে তুলে নেই সময়
পাতাঝরা ভিড়ে ঘুম।
তারপর আবার ভয়ংকর ঝড়
সত্যি ঠিক করেছিলাম একমুহূর্ত ছাড়বো না।
বুকের কিলোমিটার দুরত্বের দুর্বলতা
তোমাকে ছাড়তে ইচ্ছে করছিল না।

ঝড় শেষ ,,এখন সর্বত্র ছড়ানো সময়ের লাশ
আমি ,,তুমি আর সাময়িক।
বিবর্ণ সময়ের ভাঁজে মনের বইয়ের লুকোনো পাতা
অসময়ে মনে পরা  তাকে।
তারপর হয়তো কয়েকশো যুগ পরে
তোমার আমার ঝুলে থাকা চামড়ায় ,,স্মৃতির পাহাড়। 

পায়ের ছাপ

পায়ের ছাপ
................. ঋষি
==========================================================
সমুদ্রে  বালিতে পা দিয়ে হাঁটি
পায়ের ছাপ।
মেসোপটেমিয়া থেকে মহেঞ্জদর ছুঁয়ে বালিকণা
আর পায়ের ছাপ।
আদমের সময় ঘেঁষে সোনালী শব্দরা সুন্দর কোনো আলো
আমি সুন্দরে মরে যেতে চাই ,,আমার পায়ের ছাপ।

হাজার মায়াবী রাতের শেষে কুয়াসা মোড়া তোমাকে দেখেছিলাম
কোনো সোনালী প্রাতে।
সোনালী পোশাক ,সোনালী আলো ,সোনালী ঠোঁটে লিপস্টিক ছুঁয়ে
নির্বাক আমি চেয়েছিলাম  পাগলের মত।
এ কোনো কাব্য নয়
স্মৃতির নোনা জলে তোমার সমুদ্র
জলজ অর্কিড ,,পরজীবী ,,নীল তিমি ,,অক্টোপাসিও সম্বল।
সারা স্পর্শ জুড়ে আবেশ
ভিজে বালির উপর পায়ের ছাপ।

সমুদ্রের বালিতে পা দিয়ে হাঁটি
স্মৃতি রাখা।
সুমেরু থেকে কুমেরু ছুঁয়ে পেঙ্গুইনের দেশে
বরফের পায়ের ছাপ।
ঈশ্বর মুক্তির আগে ক্রমশ রঙিন কোনো সুন্দর দিনে
আমি মৃত্যুর সাথে মিশে যায় ,,,তোমার পায়ের ছাপ। 

চলন্তিকা স্পর্শ

চলন্তিকা স্পর্শ
.................. ঋষি
================================================
রঙিন  কোনো সময়ের মত চলন্তিকা
তুমি ঠিক আগলে আছ বুকের সীমানায় কাঁটা তারে।
দিনগুলো বেশ অদ্ভূত
সীমান্তের লোমহর্ষক বারুদের আগুন ঠুকছে না মাথা কোথাও।
সবটাই রোমান্টিক ,,লাল ফুল
আর রক্ত সে যে প্রবাহিত চিরতরে ভিতরে ও বাহিরে।

যে কটা বছর কাটতে চায় ,,কাটুক
এই সময় শুধু বন্ধ দরজার ভিতরে মিলে ,মিশে একসাথে।
চলন্তিকা প্রসাদের ফুল
হে ভালোবাসা।
তোমাকে দুর্বল করে বিলোনো যায় না
শুধু আঁকড়ানো।
সীমান্তে প্র্যাকটিস ফায়ার হয়
আর কয়েকটা বুলেটের খালি খোল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে।
মৃত্যুর আগে মৃত্যু ছোঁয়া আদর
নিজের ভিতরে।

রঙিন কোনো সময়ের দরজা খুলে যায়
নিয়মিত যাপনের বীজ ভীষণ স্তৈন্য নিজের কাছে।
দিনগুলো কাটছে ঠিক
সীমান্তের অদ্ভূত জীবনের বাঁচা মরা তফাতে।
সবটাই রোমান্টিক ,,,লাল রক্ত
আর সমস্ত অবয়বে স্পন্দন চলন্তিকা স্পর্শ।

নষ্ট মেয়ে

নষ্ট মেয়ে
.................. ঋষি
===============================================
ঠিক কতবার মৃত্যুর পর প্রতিবাদ
ঠিক কতবার মৃত্যুর পর প্রকৃতিতে বৃষ্টি নামে।
চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে মেয়েটা চিত্কার করে
আয় বৃষ্টি ঝেঁপে ,,ধান দেবো।
না  বৃষ্টি আসে নি ,,বৃষ্টি আসবে না  ,,,,,
তুমুল ঝড় আর মেয়েটার জ্যান্ত পোড়া অন্তর।


দূর আকাশের দিকে তাকিয়ে ,,মেয়াটা
লুব্ধক সরতে থাকে ক্রমশ সত্যি থেকে দূরে।
জননীর সর্বত্র জুড়ে ,,,,পিতার পরিচয়ে
কালো কালি।
মেযাটি যোনিজ ,,,নির্বাক
না ফোঁটা ফুল সর্বদা নাস্তিক হয় ,,সমাজ ব্যবহ্রত অথচ বিমুখ।
ঈশ্বর চ্যুত রাতে
প্রকৃতি সামনে দাঁড়ায় রোজকার মত।
ছিন্নমস্তক অবলীলায় ভেসে যায় রক্তাক্ত আঙ্গিনায়
প্রতিদিন ,,প্রতিরাতে ,,,,মারাত্নক খিদে।

ঠিক কতবার শরীর হলে
শরীর নষ্ট হয় ,,,একবার ,,দুবার ,,বারংবার ,,প্রতিবার।
প্রতিবাদ দাঁড়িয়ে থাকে রাস্তায়
না মরা যন্ত্রনার একলা আকাশের বৃষ্টি খোঁজে।
আয় বৃষ্টি ঝেঁপে ,,,জীবন দেবো মেপে
চুপ ,, নষ্ট মেয়ে।

উত্সবের দিন

উত্সবের দিন
................. ঋষি
=========================================

উত্সব শেষ করে
কোনো ছায়া হেঁটে চলে উত্সবের ভিতরে।
কিছুতেই চাই না মন
শেষ উত্সব।

বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখি রেলিং ধরে হেঁটে যায়
গুড়ো গুড়ো রঙিন বাল্ব।
আজ হয়তো কারো সিঁথি ধরে হেঁটে যাবে রক্তের রং
সম্পর্ক।
নির্বিকার দাঁড়িয়ে সামজিক দায়
রঙিন বাসরে কেউ রাতজাগে উত্সব মুখোর  অপেক্ষায়।
পরে থাকে না ছোঁয়া খাবারের রাত
পথের কুকুর মুখ থুবড়ে পরে।
মুখ থুবড়ে কাক
সময় শেষ।

উত্সব অর্জিত ছায়াদের ভিড়
মনের ভিতর অসম উত্থানে অনাগত গলি।
চোরা পথে হেঁটে যাওয়া উত্সবের দিন
মনে থাকে ,মনে পরা অসময়। 

Saturday, May 14, 2016

ভালো থাকা

ভালো থাকা
............ ঋষি
==================================================
তোকে বোঝা আর সময়ের ফাঁকে
হেমলক লেগে আছে।
আমি ঈশ্বরের মত বলতে পারি নি অবাক পৃথিবী
আমি সৃষ্টির আগে ধ্বংস করেছি নিজেকে।
আমার মুখে লেগে সময়ের রক্ত
অসংখ্য মানুষ ,হাজারো যন্ত্রণা আর সময়ের ইতিহাস।

নেহাত মানুষ ভাবছি নিজেকে
জাফরানি বিকেলে নিজেকে সঙ্গী করে ছায়া পথে আমি তোর  কাছে।
ঠিক কত কাছে যাওয়া যায়
নিজের পরিচয়পত্র ,আর রেশনের লাইনে দাঁড়িয়ে
ঠিক কতটা সম্ভব।
তোকে বোঝার আগে নিজে বোঝাটা জরুরী ছিল
একের পর এক স্মাইলি যখন গোটা পরিবেশ বদল করতে থাকে
তখন নিজেকে বোঝানো দরকার ছিল।
তবে আজ থাকতো না আমার মুখে রক্ত
আর তোর বুকে লুকোনো ক্ষত।

তোকে বোঝার ফাঁকে আর সময়ের সাথে
আমি হাঁটতে শুরু করেছি নিজের  ছায়ার কাছে ।
যেখানেই আমি যায় ,যেমনি থাকি না কেন
তোকে কথা দিয়েছি " ভালো থাকবো " ।
সমস্ত বোঝার অন্নপ্রাশনে সই করে আজ আমি আনন্দ
আর তুই আমার মত ছায়া পথে।

বদলেছি

বদলেছি
............. ঋষি
==============================================
তোকে তো ছুঁয়েছে অনেকে
তোকে তো ছুঁতে চেয়েছে আমার মত আরো অনেকে।
তোর চোখের পাতায় কালো মেঘের ভিড়
বৃষ্টি আসছে জানি ,,তুমু ঝড়।
তবু জানিস তোকে ছোঁয়া যায় না
কাউন্টারে পুড়তে থাকা সিগারেট আর শেষ ছাইটুকু।

লাল পাড়ে কালো  শাড়ি
তুই ফিরে যাচ্ছিস আমি দাঁড়িয়ে একের পর এক সিগারেটে।
কি পুড়ে গেল
কেন ?
সামনে পরে থাকা অসংখ্য মৃত স্থুপে
আমি নিজেকে পাই ,,তুই আজকাল সাহসী হয়ে গেছিস।
অবশেষে এগিয়ে এসে চেপে ধরেছিস আমাকে
বুকের সাথে বুক ঠেকিয়ে ,ঠোঁটের সাথে ঠোঁট ,আর সময়
না সে স্থির অপলক এই সময়।

তোকে ভেঙ্গেছে  অনেকে
তোকে তো ভাঙ্গতে চেয়েছে আমার মত আরো অনেকে।
তোর কপালে কালো টিপ
আর আকাশের চাঁদ মুখ লুকিয়ে মুখ টিপে হাসছে।
তুই হাসছিস আর বলছিস ,বদলেছি
তোরা অপারক আমাকে কেউ আগলাতে পারিস নি।

প্রথম আলো

প্রথম আলো
............... ঋষি
=====================================================
একটা সম্পূর্ণ নারীত্বের ভেজা আবদার
নীরবতার বুক ছুঁয়ে অধিকার।
তোকে মনে করাটা কোনো ভাবে আমার অপরাধ না
অপরাধ না তোর চুলে হাত ডুবিয়ে অন্ধকার খোঁজা।
সাহসী কোনো আলিঙ্গনে
তোকে ছোঁয়া ,,এক শিহরণ ,,অবুঝ প্রেম।

অনেক ভেবেছি
তবু কারণ পাওয়া হলো না আমার।
ঠিক কোথাই দাঁড়িয়ে আমি হাজারো বার ভেবেছি ,কেন ?
না কোনো উত্তর নেই।
মাঝে মাঝে মনে হয় হঠাত ওঠা ঝড় আর অকারণে বৃষ্টি দরকার
নিজেকে বদলাবার ,নিজেকে বোঝার।
অনেকটা আকুতি নিয়ে এগিয়ে যাওয়া স্পন্দনটা
বেহিসাবী হলেও ,,হিসেব একটা থেকে যায় নিজের কাছে।
খুব কাছে
সকালে পরে থাকা শিশির ভেজা পবিত্রতা জানে
পুজোর মানে ,,ভোরের প্রথম আলো।

একটা সম্পূর্ণ নারীত্বের ভেজা আবদার
আপ্লুত কোনো স্মৃতিতে ডুবে যাওয়া মুহুর্তদের ভিড়।
একের পর এক বৃষ্টি ফোঁটা যেন
কবিতা পাতা সে কোনো সাহসী আলাপন তোর আমার।
বাঁচার দরকার
ছুঁয়ে থাকা মুহুর্তদের সাথে স্বপ্ন আবেশে নতুন ভোর। 

ম্যাও

ম্যাও
................ ঋষি
=============================================
ইনবক্সে তোকে বিড়াল পাঠালাম
হাত পা নখ দিয়ে কি আপ্রাণ  আঁচড়াবার চেষ্টা।
কে বা কাকে চুমু খেয়েছিল
নাকি মাছের প্রতি বেড়ালে লোভ।
তাজমহল থেকে  নন্দনের দূরত্ব কত
মুহুর্তে বোঝা যায় ,,আবার মুছেও।

তোকে বৃষ্টি বলে ডেকেছিলাম
সার্পেনটাইন লেন ধরে অলিগলি ক্যাফেটরিয়া।
আজকাল ভাবলে হাসি পায়
জানলার কাঁচে আদর আর  মুখরোচক শীতল  কফি।
আমার ঠোঁটে সিগারেটের পোড়া দাগ
তোর বুক পুড়িয়েছিলাম।
পুড়ে গেছিলাম নিজে আরো একলা হয়ে কোনঠাসা বিড়াল
আর ম্যাও করে লাফ মেরেছিলাম তোর বুকে।
দোষ ,গুণ সব একলা থাক কবিতার পাতা জুড়ে
আবার বৃষ্টি নামুক
আমি ডুবে যাই একি ভাবে তোর কপালের কালো টিপে।

ইনবক্সে বিড়াল পাঠালাম
কিছুক্ষণ পর একটা আলোড়ন এলো " মিষ্টি "।
সত্যি তো দিনগুলো সব মিষ্টি
এগিয়ে যাওয়া দেওয়ালে ঠেকা পিঠ তোর ঘামের গন্ধ।
অকারণে কেঁপে ওঠা  স্পর্শ
সত্যি বিড়ালটাও অদ্ভূত ভাবে ডাকছে ,,ম্যাও। 

Friday, May 13, 2016

টুকরো কাঁচ

টুকরো কাঁচ
................ ঋষি
==============================================
একটা আয়না রেখেছি কাছে
কাজল পরা চোখ ,,হাসতে থাকা জ্যোত্স্নার সাথে।
কবি তুমি স্বাবাভিক নও
ঈশ্বরের কবিতায় লিখে ফেলা যায় অধিকার।
আচ্ছা কাঁচের দেওয়াল আর আয়নার তফাৎ কি
একটা পাঁচিল আর অন্যটা হৃদয়।

হৃদয় হলো কাঁচের টুকরো
ভাঙলে জোড়া যায় অথচ একটা জীর্ণতা লেগে থাকে শেওলার মত।
খুব কাছ  থেকে অনেকটা যন্ত্রণা লেগে
কবি তুমি পাগল হলে ?
অদ্ভূত এই পৃথিবীতে কম বেশি  হৃদয়ে দোলনায়
সময় দুলছে।
দিন বদলাচ্ছে আবার রাত
তারপর সেই আবার একটা দিন শেষ।
ফিরে যাওয়া
আসলে ফিরে যেতে হয় সব্বাইকে নিজের সাথে।

একটা আয়না রেখেছি কাছে
সময়ের অভাব আমার বেঁচে থাকায়  নিজের সত্কারে।
বাইরে দিয়ে দেখা কোনো আয়নার মত
আমি চেয়ে থাকি  দূরে।
আর টুকরো টুকরো কাঁচ জোড়া  তোমার সারা হৃদয় জুড়ে
অনেকটা সেই ছোটো  ঘরের ভুলভুলাইয়ের মত।  

একটা দূরত্ব

একটা দূরত্ব
.................... ঋষি
==============================================

একটা দূরত্ব তো ছিল
আকাশ আর সমুদ্র মিশে গিয়ে ছাই রঙা বিকেলে।
চারিদিকে এত জল
তবু কেন জানি একটা তৃষ্ণা ছিল চিরকালীন।
সত্যি কি এই ভাবে ভালো থাকা যায়
দূরত্বের মাইলস্টোনে লেখা যন্ত্রণা।

কতটা বিক্ষত হলে
জীবনের প্রতিদিন শুধু বোঝাপড়া হয়।
ঠিক কতটা আহত হলে
জীবন কোনো কফিনবন্দী শরীর মনে হয়।
এই সব কথা নাই বা বললাম
যখন জীবনের  সাজো সাজো রবে অসংখ্য বাঘ বন্দী খেলা।
সম্পর্ক কি শুধু সেখানে অধিকার ?
আজকাল জানতে ইচ্ছে  হয়
সমুদ্রের বালির উপর পরে থাকা তোমার পায়ের ছাপ।
সেটা কি শুধু সম্পর্ক
নাকি অন্য কিছু প্রলোভন আছে সেখানে।

একটা দূরত্ব ছিল
বোবা স্রোতের শব্দে মুছতে থাকা স্মৃতিদের ফাঁকে।
কোথাও একটা সদগতি ছিল
কিন্তু জীবন কি শুধু অভ্যাসে পরে পাওয়া চৌদ্দ আনা।
আমি  পুরো ষোলো আনা চাই
নো ডিসকাউন্ট ,নো কোনো নিয়ম সেখানে। 

Thursday, May 12, 2016

বাঁচার আগে

বাঁচার আগে
.............. ঋষি
===========================================
বাঁচার আগে বেশ কয়েকবার  মরা গন্তব্য
তারপর স্মৃতির উঠোনে কিছু প্রশ্ন থাকে।
তবে তো চিত্তির
কোনো মাস ,বছর লাগছে না।
শুধু আশ
তোমার চোখে দেখছিলাম আমার সর্বনাশ।

আচ্ছা অনেকটা জল দিয়ে পেগ বানাও
নেশা চাইছো ,,তৃষ্ণা।
তৃষ্ণা কোনো নদী না ,তৃষ্ণা কোনো শহর না
তৃষ্ণা কোনো লিঙ্গ না ,না তৃষ্ণা কোনো মেয়ে
তৃষ্ণা হলো একটা বড় পথ
যেখানে একলা হাঁটা
আর গন্তব্য জীবনে বেঁচে থাকা

তবে বেঁচে থাকা তৃষ্ণা
না রে বাবা ,তৃষ্ণা হলো  একটা পাখির নাম
যাকে খাঁচায় বন্দী রাখাটা অন্যায়
দরকার নীল আকাশ আর উড়তে থাকা
কিংবা ধর একটা গাছ
যে ক্রমশ আকাশের দিকে হাত বাড়িয়ে সময় ধরতে যায়
আর তারপর সেই গাছ কেটে শহর

বাঁচার আগে বেশ কয়েকবার  মরা গন্তব্য
ফার্নেসের পুরতে থাকা শরীরগুলো জানে না বাঁচার মানে।
অথচ অবাক জীবিতরা জানে কিভাবে বাঁচতে হয়
সত্যি কি তাই ?
প্রতিবাদ
নির্ঘাত মৃত্যুর সাথে সন্ধি করা জীবনে ঘাম।

জ্বলন্ত সিগারেট

জ্বলন্ত সিগারেট
............. ঋষি
===========================================
অনেকটা নেমে গেছি
আরো অনেকটা নামবো আমি তোমার রাতের গভীরে।
আমার মাথার উঁচু বালিশের
তোমাকে দেখতে চাওয়া  মিষ্টি একটা জ্যোত্স্নার রাত।
কি যাতা বলছি
সময় নেই ম্যাডাম ,,আমি ব্যস্ত।

চলন্তিকা
এক আকাশ বুকের উপর ঘর খুঁজছি।
আর বুকের নিচে
নরম আদরের সাথে মিলেমিশের অনেকটা প্রশ্রয়
ইচ্ছাদের বাঁচা।

মাটির উপর ঘর
জানি সভ্যতার তাল তাল মাংসে বেওয়ারিশ যৌবন।
জীবন্ত লাশ পুড়ে গিয়ে হিসেব নিকেশ
সময়ের ঘর আর বর
সভ্যতার লাল সিঁদুর সে তো রক্তের রং।

অনেকটা নেমেছি
আরো অনেকটা নামার ইচ্ছা আমার একলা রাতে।
জানলা বেয়ে স্নিগ্ধ চাঁদ আমার ঠোঁটে ফাঁকে
জ্বলন্ত সিগারেট।
চলন্তিকা মাত্র ৯০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডে আমার চিতা জ্বলবে না
আরো আগুন চায় আমাকে পোড়াতে।

আমরা শরীর গামী

আমরা শরীর গামী
............... ঋষি
============================================
এই যে একটা আমিষের গন্ধ পাচ্ছি
আমার খোলা হাওয়া।
সুদূর পশ্চিম থেকে শরীর  বদল করে এখন ন্যানো স্কার্টে
মা লাল রঙের জাঙ্গিয়াটা দেখা যাচ্ছে।
প্লিস আর পারবো না
না চলন্তিকা আমি আর খুলতে পারছি না।

সকাল বিকেল কনডম পরে
শিশুদের ব্রেনওয়াশে একটা মজা আছে চলন্তিকা।
কনডম দিয়ে বেলুন হয়
হয়ে যায় অবাধ সেক্সের মত মিনি মজা এই দুনিয়ায়।
না চলন্তিকা আমি পারছি না
এই সব বোকা বাক্স আর সেক্সি যুবতীদের শরীরে ক্যাটওয়াক করতে।
সবটাই প্রাচীন বাৎস্যায়ন  নতুন কি ম্যাডাম ?
স্যানিলিওনে হাসছে আর বলছে  ওরে সমাজ এটা বিজনেস
শরীর মন নয় ,শুধু মজা।

এই যে একটা আমিষের গন্ধ পাচ্ছি
বাঁচতে বাঁচতে ক্রমশ একটার পর একটা গুনাহ করছি।
গুহার সামনে পাতা ছড়িয়ে পর্দানসীন
সবটাই যদি পশ্চিম হয়ে যায় তবে কি আমার দেশজ গর্ব।
ভীমসেন ,আল্লারাখা ,রবিঠাকুর ,,সিন্ধু সভ্যতা
আর আমরা শরীরগামী এক মত্ত অন্ধকারে।

অন্ধকার থেকে আলো

অন্ধকার থেকে আলো
................. ঋষি
=============================================
অন্ধকার থেকে আলোর দিকে
দরজা খুলছে , রাজপথ তারপর গ্রুপ ফটো ভেঙ্গে
টুকরো টুকরো কাঁচ।
ছড়িয়ে পরছে স্বদেশ স্বাধীনতার নামে।
আর পাশে কোমল যোনি রজস্বলা আজ
পতাকা তোলার  কি দরকার ?

জন্ম হচ্ছে জন্মান্তরের
আকাশ ভেঙ্গে সবাই স্বপ্ন লুঠতে ব্যস্ত  নিজের ডেরায়।
সকালের সিঁড়িগুলো বিয়ে সেরে ফেলেছে
সকলে ছাদে উঠতে চায়।
তোমাকে ছিঁড়ে। ভেঙ্গে। রাস্তায় ছড়িয়ে চলে যাবে।
আর তোমাকে বাঁচতে হবে।
বাঁচতে বাঁচতে রক্তের নাম মিটিং ,গুলির নাম শাসন।
ব্যাভিচারের নাম খবর ,ধর্ষণের নামে রসগোল্লা তৈরী হবে
তোমাকে খেতে  হবে।
গালের কষ দিয়ে গড়িয়ে নামবে রক্ত
আর হাসবে তুমি ,,কিছু জানো না শুয়োরের বাচ্চা।

অন্ধকার থেকে আলোর দিকে
দরজা ,জানলা সব খুলে ন্যাতাগুলো সব দেওয়াল লিখবে।
ভোট আসবে ,পাঁচবছর ,,,কথা হবে
তার পরের পাঁচ বছর।
দেশ কবে স্বাধীন হবে আমাদের ?
ছি এমন বলতে নেই বাবা গলায় পা তুলে দেব। 

চলন্তিকা আর অপর্ণা

চলন্তিকা আর অপর্ণা
,,,,,,,,,,,,,,,,, ঋষি
========================================

খুলে ফেলো বুকের ব্লাউজ ,শাড়ি সব
কি ভালো লাগছে না।
আচ্ছা অপর্ণার শীত যদি এখুনি এসে পরে কি হবে ?
উফ্ফ্স কি গরম চারিপাশে।
পারদে ভরা মাটিতে ঘামের গন্ধ
চলন্তিকা তুমিও কি অপর্ণার মত অপেক্ষায়।

কি হলো বললাম শুনলে না
কি ফ্রেশ লাগছে তো ?
তোমার গা থেকে ঝরতে থাকা এক্কা দোক্কা গান
আর অলংকার সীতা হার ,মাকড়ি চমত্কার।
কিছুটা ঘাম গড়িয়ে নাভিতে
চলন্তিকা।
জিভ বের করছি ,চেটে খাবো সময়ের সাথে
বৈশাখের রোড কুকুরের স্বভাব
চেটে খাওয়া।
তারপর ,তারপর
বাকিসব।


খুলে ফেলো বুকের ব্লাউজ ,শাড়ি সব
যা সে কি দরজা বন্ধ রেখেছো অবাধ্য মেয়ে।
আচ্ছা অপর্ণা কি এখন ঘরের ভিতর
উফ্ফ্স সারা শরীরে জলের স্রোত বন্য গন্ধ।
মাটি মাখা সময়ের সাথে গল্প
চলন্তিকা তুমিও কি অপর্ণার মত ভয় পাও। 

কিন্তু পৃথিবী

কিন্তু পৃথিবী
.............. ঋষি
==============================================
জঘন্য বিষক্রিয়া বুঝলে
আলোর থেকে সরতে সরতে সিগারেটে টান।
আর আমি তোমাকে ভালোবাসি চলন্তিকা
বলেছি বহুবার আর লিখেছি তার থেকে বেশি।
আলো অন্ধকারে সরে নিজেকে একা করে
আর আমি একা চলন্তিকা আলোর খোঁজে।

বিকেলে ছায়া বাড়তে বাড়তে আয়নার উপর
আর আমার ছায়া ক্রমশ খুব ছোটো আয়নার কাঁচে।
কাঁচ ভাঙলে যেমন বিশৃঙ্খলা
ঠিক তেমনি আমি শৃঙ্খলিত নিজের কাছে।
আমার পায়ের তলায় কাঁচ
চলন্তিকা আমার ঠোঁট জ্বলে যায় তুমি ছুঁলে।
মনে হয় এই মুহুর্তে প্লাবন আসুক
আর আছড়ে পড়ুক আমার বুকে।
তারপর মৃত্যু
তোমাকে ভালোবেসে।

জঘন্য বিষক্রিয়া বুঝলে
সময়ের অভিশাপে অশ্বত্থের ঝুঁড়ি গুলো মাটি স্পর্শ করে।
তারপর ছুঁয়ে নামা স্নেহ সবুজ রং
চলন্তিকা তোমাকে ভাবলে আমি সবুজ।
কিন্তু পৃথিবী
সেই আমায় ঘিরে বৃত্তের সাথে  আমার ঘর। 

গড্ডালিকা প্রবাহ

গড্ডালিকা প্রবাহ
................ ঋষি
====================================================
কালচার জিনিসটা কি সেটা বুঝতে অবশ্যয় আসুন
আমাদের বিমলদার চায়ের দোকানে।
সকাল থেকে হরেক মাল যে এত সস্তা সেটা বোঝা যায়  খুব সহজে
বিমলদার ছাকনি থেকে গণতন্ত্রের কত রূপ বেড়িয়ে আসে।
ঠিক খবর পেয়ে যাবেন পাড়ার কোন মেয়েটা কোথাই থাকে
কিংবা বাড়িতে কে কে আছে ?

গ্লাস ঘুরতে থাকে
বাৎস্যায়ন থেকে ফ্রয়েড,তার পর আলেকজেন্ডার থেকে সম্রাট অশোক।
গ্লাস ঘুরতে থাকে
শম্ভু মিত্র ,উত্পল দত্ত থেকে আজকের ন্যানো কবি শ্রীজাত।
গ্লাস ঘুরতে থাকে
সুনীল থেকে ওয়ার্ডসওয়ার্থ,শেলী থেকে তসলিমা আর কত কেউ।
গ্লাস ঘুরতে ঘুরতে
উত্থান পতন লাল ,নীল পতাকা ,কে কত বছর ,কে আর কতদিন ?
গ্লাসের সাথে
বালাত্কার ,ক্যিডন্যাপিং থেকে ক্যিন্ডারগার্ডেন তারপর আন্ডার।
কিছুই বাদ নেই মশাই
মা থেকে মাসির গল্প ,তারপর মাসির থেকে দেশের ।

কিন্তু গল্প সব ,,কালচার সব
সকাল থেকে সন্ধ্যে বিমলদার পাঁচটাকার চায়ের ভাঁড় আর অন্ধকার।
আমি আমার শৈশব থেকে দেখছি
বদলায় নি কিছু, আমার দেশ ,,আমার অধিকার আর বিমলদার চায়ের দোকান
তার সামনে দেশের মত বিজ্ঞাপন এখানে সুলভে চা আর   আড্ডা
একটা আলাপন শুধু ,,গড্ডালিকা প্রবাহ। 

মৃত্যুকে সামনে রেখে

মৃত্যুকে সামনে রেখে
................. ঋষি
==============================================
যে মৃত্যুকে আমি দেখেছি নিশ্চয়তাই
তাকে আমার প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে।
চোলিকে নিচে ক্যা হ্যায় ?
উত্তরে মৃত্যুর গোপনীয়তায় ঈশ্বর হাসতে থাকেন।
বলেন এক সদ্য যৌবনের লাশ
আর আমজনতার রক্ত।
.
সাক্ষী ছিল অনেকে আরো অনেকে সাক্ষী হবে
মহিষের দলে সিং ভাঙিয়ে মানুষ ঢুকে যাবে।
তারপর গুঁতোগুঁতি
বাদী পক্ষের উকিল পান চিবোতে চিবোতে আদালতে উঠে দাঁড়াবেন
বলবেন মহান ঈশ্বর আমরা মৃত্যু দেখছি বারংবার।
এই মৃত্যুতে কোনো শোক নেই ,নেই কোনো সাক্ষী
সুতরাং কেস ডিসমিস।
এই মৃত্যু স্বাভাবিক
এই গণতন্ত্রের দেশে রাজার রাজতন্ত্রে বারুদের স্থুপ।
সাক্ষী নেই ,নেই সাক্ষী
সদ্য হারানো যুবকের মায়ের কান্নার আকুতি
হা ঈশ্বর  !!!

.
যে মৃত্যুকে আমি দেখেছি নিশ্চয়তাই
তাকে সামনে দাঁড় করিয়ে জানতে ইচ্ছে করে আমার।
আচ্ছা যে মার বুক সন্তানহারা হলো ,যে পরিবার আজ শোক স্তব্ধ
তাদের কি হবে ?
ঈশ্বর হাসেন আর বলেন ভুলে যাবে
সাধারণ আমজনতা ভুলতেই অভ্যস্ত।
.
( মোষ চোর সন্দেহে আইটিআই পড়ুয়া কৌশিক পুরকাইতের মৃত্যুর আমি  তীব্র প্রতিবাদ করছি।
এই খবরে আমি শোকস্তব্ধ। ) 

Tuesday, May 10, 2016

নিয়মিত ছোঁয়া

নিয়মিত ছোঁয়া
........... ঋষি.
================================================
তুমি ভালো আছ আমি জানি
আমি আছি আমার মত ,আমার স্রোতের আলাপনে।
শব্দ হচ্ছে  বুকের ভিতর ধুকপুক
তুমি হয়তো হাসছো এখন তোমার নিয়মে।
আর নিয়ম
সবটাই অনিয়ম তোমাকে পাওয়া হিসেবের বাইরে।

আমি যাপন বলতে বুঝি
তোমাকে ভাবা।
আমি বাঁচা বলতে বুঝি
এই জীবনে একলা থাকা।
আর তুমি বলতে বুঝি
রক্তের স্রোত ,এক বাহিত নদী ,তিরতির গতি।
আর আমি গতিপথ
এগিয়ে যাওয়া জীবনে।

তুমি ভালো আছ আমি জানি
আমি আছি আমার মত দুহাত বাড়িয়ে তোমার দিকে
আমার বুকের ভাঁজে এক আদিম জঙ্গল
পুড়ে যাচ্ছে ক্রমশ কাছে আশায়।
আর নিয়ম
সবটাই অনিয়ম তোমাকে নিয়মিত ছোঁয়াতে।  

আমার প্রতিদিন

আমার প্রতিদিন
................. ঋষি
===============================================
তোমার দিকে ভালোবেসে তাকিয়ে থাকা
সময়ের কৃপনতা।
তোমার চোখের কাজলে নিজেকে পাওয়া
এক বেহিসেবী দুর্বলতা।
আর হিসেবের সাথে নামান্তর গ্রাফ,, আকুতি
ফিরে পাওয়া।

কেন চেয়ে আছি তোমার দিকে ?
তোমার মিষ্টি লিপস্টিক ভেজানো লাল রং।
নাকি আকুতি ?
তোমার বুকের মাপের একটা দেশ বানাবার অধিকার।
নাকি অপরাধ ?
জীবন দিয়ে জীবন মাপার এক দাঁড়িপাল্লা।
বাড়ছে কমছে জীবনের মাঠে দাঁড়ানো সেই সময়ের স্পর্শ
আর হারাচ্ছি নিজেকে।
ছুটছি মাঠ দিয়ে খুব দূরে পাওয়ার নেশায়
আর ভালোবাসার।

তোমার নরম স্পর্শে অধিকারে বাঁচা
সময়ের নেশা।
তোমার ভাবনায় মেতে থাকা আদুরে নেশা
আমার রক্তে মেশা।
আর বাকিটুকু উহ্য থাক না বলা দিনের মত
আমার প্রতিদিন। 

এমন করে নয়

এমন করে নয়
................ ঋষি
===============================================

তবে  আর কি দরকার?
মিয়ে যাওয়া মুড়ির মত নিস্তব্ধ বিকেলে কবিতা তো ছিল।
তুমিও ছিলে কোথাও তোমার মত
আমাকে আবিস্কারের লোভে সময়ের সাথে।
নিস্তব্ধ বাড়তে থাকা সূর্যের ছায়াতে দূরত্ব ছিল
আর ছিল হাহাকার।

না এমন করে বলি নি তোমায়
কষ্ট হচ্ছে ?
শেষ মিসকলের জবাবে পাওয়া অসংখ্য আস্তরণ
রঙিন ব্যস্ত জীবনে।
সহজের সাথে আরো সহজ শিশুপাথ
অবাধ্য মন।
ঝড়ের সাথে আছড়ে পড়া ইচ্ছাদের সাথে
ঘুড়ি উড়ছে ,ছেঁড়া ঘুড়ি।
আর আমার হাতে সময়ের লাটাই
একগাদা ইকিরমিকির মাথার ভেতর অসহজ সমাধান।

তবে আর কি দরকার ?
অসংখ্য টানাপড়েনে বাঁধা দুর্বলতা তো ছিল।
ছিল পাঁচিলের পর পাঁচিল পেড়োনোর নেশা আর একাকিত্ব
সে যে আকাশের ভাঙ্গা স্বপ্নের মত।
টুকরো টুকরো মেঘ সরে যাচ্ছে
ঠিক এখনি মনে আসে বিকেল পেড়িয়ে কবিতা আমার। 

তখন মধ্যরাত

তখন মধ্যরাত
.............. ঋষি
=======================================================
মধ্যরাতে ঘুমভাঙ্গা চোখগুলো জানে
নিজস্ব কৌশলে একা ব্ল্যাকবোর্ড পেড়িয়ে হেঁটে যাওয়ার মানে।
তোমাকে খুলে ধরবো চলন্তিকা
একটা মানচিত্রের সাদা ,সবুজ আর নীল ধরে।
একটা বিশ্বরূপ
তোমাকে আমি আরো আদর করবো।

সমাজ ,সংসার আর কায়দায় লোটানো নিয়মের ব্যারিকেট
তোমাকে ব্র্যাকেটে চুমু খেতে হয়।
তোমার লাল ,মেরুন অন্তর্বাসের গন্ধগুলো আমার চেনা
তবু লুকিয়ে রেখে আমাকে ডালপালা মেলতে হয়।
যেমন ডালপালা মেলে ধরে ইমোশন
যেমন সকালের স্তব করে প্রতিটা ভোর।
ঠিক তুমি তখন স্বপ্নে আসো
আমি তখন ব্র্যাকেটে চুমুগুলো পরিবেশন করি  তোমার কাছে।
চলন্তিকা ঘুম ভেঙ্গে যায় বারংবার রাত্রে
আর তুমি সেই  ব্যারিকেটে।

মধ্যরাতে ঘুমভাঙ্গা কল্পনারা জানে
সামনে শুয়ে  থাকা থাকা বিছানা , বালিশ আর আঁকড়ানো যন্ত্রণার মানে।
তোমাকে আদর করব চলন্তিকা
আজ বেশ কিছুদিন আমার পাকতে থাকা জুলফিতে আয়নার দাগ।
সারা শহর জাগছে আমাদের  মত ,তখন মধ্যরাত
আমি তুমি রাস্তায় একা আমাদের মত।   

বাড়তে থাকা অধিকার

বাড়তে থাকা অধিকার
................. ঋষি
==================================================
সুখ আর শোচনার মাঝে তফাত কি ?
নিরুদ্দেশে হাঁটার মত।
কিংবা ধর সাইকেল চালিয়ে ক্রমশ সাইকেলের ঘন্টার শব্দ
যেটা দূরত্ব।
ঠিক একটা দূরত্ব থেকে যায় সুখ আর শোচনার ফাঁকে
বাকিটুকু বাড়তে থাকা দুর্বলতা।

আমি বলি নি পুরুষ মহত্তম
কিংবা আমরা হেঁটে যেতে পারনি চলন্তিকা তোমার  সিঁথির লাল রক্তে।
আসলে আমরা শরীর ধরতে পারি
কিন্তু হৃদয় ,চলন্তিকা চেষ্টা করি শুধু খুঁজতে থাকি পাগলের মত।

অসুখ থেকে দূরে শুয়ে থাকা মনের অসুখে
আজকাল আবোলতাবোল যত হসপিটালের বিছানা মনে পরে।
মনে পরে জন্মকে যেখানে আজন্মের অধিকার
না মা ডাকতে পারি না আজকাল চলন্তিকা।

সুখ আর শোচনার ফাঁকে তফাত কি ?
এক দেওয়াল উচ্চতা।
মাকড়সার মত বাইতে থাকা হৃদয়ের রক্ত কনিকায়
নীল রক্ত ,পচা রক্ত ধাববান ,
চলন্তিকা মনে হচ্ছে আমি হেরে গেছি নিজের কাছে
যেদিন সত্যি হৃদয় ধরতে গেছি।

আমরা বাচ্চা ছেলে

আমরা বাচ্চা  ছেলে
................... ঋষি
============================================================
কেউ যদি  প্রফাইল পিক কালো করে
মনে করে এইভাবে পৃথিবী বদলানো যায় তবে সেটা মারাত্নক ভুল।
নিজেদের অধিকার পেতে হলে
তার যোগ্য হতে  হয়।
নেহাতি বড়মানুষের দেশ আমার এই সবুজ বাংলা
একটা কনফিউসন থেকে যায় বাংলা মানে কি ?
.
এক পদ্মার মিঠে জলে চান করে
কে বুঝবে কোনটা ,কার ? আমার তোমার না তেনাদের।
এপাশে সবুজ ,সাদা ,গেরুয়া আর ওপাশে সবুজ তফাত কি ?
দুটোই আমার এবং আমার গভীরতায়।
কি আমাদের জাত ?
কি আমাদের ধর্ম ? আমরা বাঙালি মাতৃপরিচয়।
কিন্তু আমাদের মা কে ?
হাজার মানুষের ভিড়ে মিলেমিশে আছি এই বাংলা
বাকি সব  হিন্দু ,মুসলমান সব তেনাদের।
যেখানে রাজনীতি আর লোকনীতির মাঝে কোনো তফাত নেই
যেখানে লোকগীতি আর রাজনৈতিক চিত্কার একই নামের তকমা পায়।
সেখানে আমরা কে ? ছাগলের তৃতীয় সন্তান
তার হয়তো প্রথম আর দ্বিতীয় ভারতবর্ষ আর বাংলাদেশ।
.
কেউ যদি দাগ টেনে ক্রমশ প্রকট হতে চাই
তবে গালাগাল দেবে কাকে?নিজেদের ,,শালা শুয়োরের পো।
কি মানসিকতা আমাদের ?  যেখানে ধর্মনিরপেক্ষতা ভোট বানাবার অস্ত্র
সেখানে দাঁড়িয়ে আমরা বিভাজন ঘটায়।
নিজের মাকে পরের মা কিংবা পরের টাকে দখল করে
মায়ের দুধ খাই ,,,আচ্ছা আমরা বাচ্চা ছেলে ?
.
( এই ভাবনা আমার গভীরে কোথাও একটা যন্ত্রণা এবং  এর সাথে কোনো রাজনীতির যোগসূত্র নেই )


জীবন থেকে দূরে

জীবন থেকে দূরে
................. ঋষি
==========================================
নির্লিপ্ততা  চাই আমার
নিজের থেকে দূরে পালিয়ে বাঁচতে চাই।
খালি পায়ে ,খালি হাতে ,অসংখ্য ইচ্ছা বুকে
এক নীল আকাশ আর আমি পাখি।
উড়তে চাই
জীবন থেকে দূরে,বহুদূরে চেতনার মত।

আমার ষড়রিপুরা
আমার সাথে ষড়যন্ত্র করে মুখ তুলে দাঁড়ায়।
আমার স্পর্শরা আমার থেকে দূরে ছড়িয়ে যায়
বাঁচতে চাওয়ায়।
কি বলছি ? কি লিখছি আমি ?
সত্যি জানি না
আমি কি পাগল হয়ে গেলাম ?
প্রশ্ন করেছি বহুবার নিজেকে খুঁজতে খুঁজতে বনবাদাড়ে
আবার খিদে পায়
আমার মানুষের ইচ্ছার আমাকে ফিরিয়ে আনে।

নির্লিপ্ততা চাই আমি
নিজের থেকে ,সময়ের থেকে ,অধিকারের থেকে।
পাখির মত সমস্ত আকাশ জুড়ে বিচরণ
আমার কোনো বাসা চায় না ,চায় না ভালো।
শুধু ভালবাসা চায়
যেটা আকাশের মত গভীর বেঁচে থাকায়। 

কবিতার ভাষা

কবিতার ভাষা
................ ঋষি
===========================================
এসো হে কবি
একটু উজার করি নিজেকে প্রকৃতির স্পর্শে।
একটু বাড়াবাড়ি বটে এই ইট ,কাঠ ,পাথরের আদরে
কবিতা খোঁজা।
কি বললে ? ভাবনা তো আছে খুব গভীরে
কিন্তু সময়?

সকাল থেকে একটা নদী লিখতে
নিজের মাথা দেওয়ালে ঠুকতে ইচ্ছে করছে।
যতই ভাবছি আম ,জাম ,কাঁঠালের সবুজের গন্ধ
ততই পাচ্ছি রক্তের নোনতা গন্ধ।
আচ্ছা কবি শহরে বসে কি কবিতা লেখা যায় না  ?
 এখন এই অসময়ে কবির কলমে বিষাক্ত প্রেম।
আচ্ছা সত্যি কি এখন প্রেম বলে কিছু নেই ?
সময়ের স্পর্শে আমার সারা শরীরে বিষাক্ত ডেও পিঁপড়ে।
বারংবার কামড়ে অসম্ভব জ্বালা এই  বেঁচে  থাকা
প্রতিবাদ দরকার প্রতিটা রক্তের বর্মমালায় কবিতার ভিজে খাতা।
আসলে এখন কবিতা বদলে গেছে
শুধু প্রতিবাদ আসছে কবিতার ভাষায়।

কি হে কবি ?
মুখভার করে কেন চেয়ে আছ আকাশের দিকে।
কি বললে ,,বাঁচার মধ্যে তো এই আকাশ একমাত্র আছে
নাহলে আমি মরে গেছি কবে।
এমা কাঁদছো কেন বাচ্ছাদের মত
কবি প্রতিবাদ আসছে কিন্তু সত্যি বলতে পারছি কই ?

বলতে চাওয়া

বলতে চাওয়া
............. ঋষি
======================================================
অনেক কিছু বলতে চেয়েছিলাম
তার থেকে বেশি হয়তো বলতে চাই চলন্তিকা তোকে।
কিছুতেই না ফোরানো তোর মাতোয়ারা প্রেম
পাতার পর পাতা জুড়ে উন্মোচন ,নতুন গন্ধ।
মাটি খুঁড়ছি আরো গভীরে জলের খোঁজ
আরো গভীরে হয়তো তুই আর আমি।

এইভাবে কতদিন
সামনে বয়ে চলা নদীর মত গতিশীল সময়ের পা।
খুব এগোচ্ছে
পাহাড় ,পর্বত ভেঙ্গে হৃদয় ছাড়িয়ে হৃদয়ে।
ঠিক কোথাই ?

চলন্তিকা এই প্রথম বার না আমি তোকে স্পর্শ করি নি
তোর বুকের স্পন্দনে কান পেতে শুনেছি  আমার অনেকটা পাওয়া বারংবার।
বুকের সদ্য জ্বলতে থাকা প্রদীপে দূরত্ব পুড়িয়ে
তুলে এনেছি ছায়া ,,ইচ্ছেমতো ,,আর অনিচ্ছায়।
বারংবার নিজেকে ভিজিয়েছি তোকে ভিজিয়ে
আরো গভীরে আরো চাওয়াতে।
এই তবে পুড়তে থাকা প্রদীপের তেল ?

অনেক কিছু বলতে চেয়েছিলাম
তার থেকে বেশি হয়তো বলতে চাই চলন্তিকা নিজেকে।
আমার সর্বত্র রাখা সময়ের পরিখায়
জটিল সমীকরণ আর যুদ্ধকালীন তত্পরতায় জীবন।
সেখানে তুই
আমার বাঁচতে চাওয়ার আসল জীবন। 

বর্ণ তার পরিচয়

 বর্ণ  তার পরিচয়
............... ঋষি
============================================
শব্দের সাথে বর্ণের পরিচয় বহুদিনের
অথচ চলন্তিকা দুজনেই কত আলাদা।
একসাথে থাকা বর্ণগুলো কিছুতেই মানতে চায় না
পুরনো সেই কথা ,সেই সংসার ,সেই জীবন।
তারা শুধু একসাথে থাকতে চায়
তোমার মত আমার সাথে অসংখ্য শব্দের ভাঁজে।

আমি বর্ণ গুনি না শব্দ বুনতে
আমিও বর্ণের মত ইতিহাস ভুলে যেতে চাই।
সময়ের কোলে  শুয়ে ভুলে থাকতে চাই
এই জীবনের বিভাজন।
চলন্তিকা তুমি নাকি বর্ণমালা চ থেকে শুরু
তারপর কত বর্ণ ,যুক্তাক্ষর।
কিন্তু চলন্তিকা তুমি কি জানো তোমার নামের বর্নগুলো জুড়ে
যে শব্দ তৈরী হয়  সেটার কারোর নয়
শুধু আমার।
হাসছো সত্যি যদি এমন হয় তোমার নাম
যেটা শুধু আমি বলে ডাকি।

আচ্ছা কখনো ভেবেছো চলন্তিকা বর্ণরা যদি কোনদিন প্রতিবাদ করে
শব্দের মেলামেশায়।
আচ্ছা যদি ধরো শব্দগুলোর থেকে বর্ণরা যদি সরতে থাকে
কি হবে বলোতো।
একের পর এক ধ্বংস তারপর  আবার,,,,,, সবশেষে শূন্য
আমার ভয় করছে চলন্তিকা।


Sunday, May 8, 2016

শুধু কি আজ

শুধু কি আজ
............ ঋষি
===================================================
শুধু কি আজ ,, " রবিঠাকুর "
সকালের কার্নিশের পায়রাগুলো আজ মুগ্ধ।
পাড়ায় পাড়ায় রবিঠাকুর
হাতে তার ভাতৃত্বের লাল নীল স্পর্শ।
মাইকে ভেসে আসে প্রেমের স্পর্শ
কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া. তোমার চরণে দিব হৃদয় খুলিয়া।

শুধু কি আজ
সারা পাড়াময় সন্ধ্যের নাটকের সাজ সাজ রব।
শুধু কি এই জন্য তুমি জন্মেছিলে একদিন
যেদিন শুধু তোমাকে মনে করা।
তারপর আবার সেই কাল ,সেই দেশজ বিচ্ছিনতা
রক্তের হলিতে  ভাসতে থাকা মানুষের নালিশ।
স্বপ্ন দেখে আতকে ওঠা
ভিক্ষের মুখে দাঁড়িয়ে আগামী প্রজন্মের মুখে ভীতি।
দেশভাগ, জাতিভাগ ,সময় ভাগ
নতুন দিন ,নতুন সরকার।
ভোটবাজী,রংবাজী ,,সাজানো রঙের মিছিল লাল নীল ফেস্টুনে
শহর মোড়া তুমি রবীন্দ্রনাথ জোড়াসাকো ঠাকুরবাড়ি।
শুধু মাত্র একদিন
তাইনা।

শুধু কি আজ ,,, " রবিঠাকুর "
কাল থেকে সেই ফুটপাথে দাঁড়িয়ে তুমি তামাশা দেখবে।
মনে মনে ভাববে ,কি লিখেছিলাম ?কার জন্য সৃষ্টি ?
শুধু বইয়ের পাতায় তোমার নোবেল গুমড়ে মরছে।
আর কিছুক্ষণ " রবিঠাকুর "
তারপর শেষ তুমি প্রতিবারের মত,মানুষের হিংসায় । 

Friday, May 6, 2016

স্পন্দিত হৃদয়

স্পন্দিত হৃদয়
................... ঋষি
===============================================
উত্তর দিবি বলে চেয়ে আছি তোর দিকে
কি করছিস ?
অদ্ভূত অহংকার তোর আরো চুপচাপ শব্দহীন আপেক্ষিকতা
আর আমি আরো নিজস্ব হচ্ছি।
আমার বুকের গভীরে দাগ
কিছু নির্বাক ,অভুক্ত কবিতার মত ছায়াময়।

কিছু কথা রয়ে যায়
কিছু কথা বয়ে যায় বিষাক্ত হেলানো সময়।
আরো কাছে আসে
তোর মুখের উপর হাওয়ায় উড়ে আসা চুলগুলো জানে
এই খোলা হাওয়ার মানে।
শুধু বন্যতা কোনো ,কোনো কবিতা না শুধু আলোড়ন
তোর বুকের দুর্বলতাগুলো প্রলেপে কবিতা জড়িয়ে ধরে।
আমি বেঁচে থাকি প্রতিবারে আলোরণে
তোর মুখে হাসি সে ঈশ্বর।

উত্তর দিবি বলে চেয়ে আছি তোর দিকে
কেমন আছিস।
এই এক জেদ তোর নিজের থেকে দামী কোনো প্রিয় কবিতা
যতবার শুনি মন ভরে না ,কিছুতেই।
শুধু সময় বয়ে যায়
তোর বুকের কম্পনে আমার স্পন্দিত হৃদয়। 

তবে মুক্তি

তবে মুক্তি
................ ঋষি
=============================================
উদ্দাত্ত কন্ঠে ভদ্রলোক গেয়ে চলেছেন
সেই ভালো ,সেই ভালো ,আমারে না হয় না জানো।
এক গাল চাপ দাড়ি ,চোখে জ্যোতির্ময় ছাপানো উচ্ছাস
চারিদিকে গুঞ্জন শুনতে পারছো চলন্তিকা।
তোমার প্রেম ,,আমার প্রেম
মনিমুক্ত সমন্নয় ,,,,রবি ঠাকুর

চলন্তিকা তোমার মাথা দুলছে
দুলছে আমার হৃদয়ের গভীরে অজস্র না বলা গুলো।
প্রেমে পরেছি চলন্তিকা
ঠিক তোমাকে বোঝাতে পারবো না।
এই হাজার শৈশবের ভিড়ে ,পরে থাকা যৌবনের শৃঙ্গের ফাঁকে
প্রেম নিজেই সাবলীল কোনো স্পন্দন।
নির্যাসে ঢুকে থাকা রক্তের রেনু
যদি ফুলের মত ফুটতে থাকে
তবে মুক্তি ,
প্রেম সে যে ওপর নাম।

উদ্দাত্ত কন্ঠ ভদ্রলোকের
আমি নির্বাক শ্রোতার মত নিজেকে নিয়ে গেছি সময়ের অন্তরগর্ভে।
সঙ্গে তুমি ,,না ভুলতে পারি নি গো তোমাকে চলন্তিকা
এক দিন ,সক ঘন্টা ,একমুহূর্ত।
আবার একটা নতুন শুরু রেকর্ড প্লেয়ারে সেই কন্ঠ
ভেবেছিনু মনে মনে দূরে দূরে থাকি। ......

জারজ

জারজ
............. ঋষি
==================================================
দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে
সামনে দাঁড়ানো অনর্গল সময়  চিত্কার করছে।
মেয়েটা পুড়ে যাচ্ছে ,,জল আনো
শোনা যায় মেয়েটার রং কালো ছিল ,ছিল না তার কোনো পরিচয়।
কে ছিল এই মেয়েটা ?
আমারদের কারোর জারজ ,অনাহুত সমাজের  সন্তান।

কত বয়স ছিল তার ,সেই চৌদ্দ কি পনেরো
কানাঘুষায় শোনা যায় মেয়েটা ভালো ছিল না ,মানে আর কি চরিত্র।
আচ্ছা চরিত্র কাকে বলে ?
প্রশ্ন করেছিল মেয়েটা এক বয়স্ক পাড়ার ভদ্রমহিলাকে ।
উনি বলেছিলেন মেয়েদের চরিত্র মাগী সব  তলাতে থাকে
বুঝে পুরুষকে দিতে হয় আর বুঝেও নিতে হয় ।
অদ্ভূত ভাবে তাকিয়েছিল মেয়েটা
তাকে তো প্রায়ই গলি ,খুপ্চিতে যেতে হয় খিদের জ্বালায়।

সেবার তো বলয় কাকাকে বলেছিল মেয়েটা ,কাকু তুমি অসভ্য
জবাবে বলয় কাকা চেপে ধরেছিল তার বাড়তি অহংকার
প্রথমবার তারপর রক্ত ,,ভীষণ।
আরেকবার পাড়ার  বয়স্ক  নীহার  দাদু ডেকেছিল তাকে
তারপর এখানে ,সেখানে সোজা চেপে ধরেছিল বুক।
বলেছিল শান্ত কর মাগী ,,আমি তোকে অনেক দেবো
চেষ্টা করেছিল মেয়েটা পাওয়ার আশায় সাধ্যমত
উত্তরে  পেয়েছিল চুরি বদনাম।

এখন সেই মেয়েটা পুড়ছে,পুড়ছে তার পেটের সন্তানও
বাইরে দাঁড়িয়ে সময় অনর্গল কাঁদছে।
পাড়ার মেয়েলোকেরা বলছে ,,যাক ভালো  হয়েছে
এইটুকু মেয়ে পাড়ার জোয়ান ,বৃদ্ধকে জ্বালিয়ে খেলো ।
আর বলয় কাকা আর নীহার  দাদু স্বস্তির নিশ্বাসে মনে মনে বলছে
খুব বাঁচা বেঁচেছি আবার ,,না হলে মানইজ্জতের .....  

অনাবৃত দেহ

অনাবৃত দেহ
................. ঋষি
====================================================
আমি অনাবৃত দেহে নাড়াচাড়া  করছি কলঙ্ক
আকাশের চাঁদে মুখ থুবড়ে  থাকা আতঙ্ক।
শুনছি নাকি সাতদিন সূর্য উঠবে না আগামী কোনো দিনে
শুনছি আমেরিকার স্পেস উড়ানে  এক নতুন পৃথিবী তৈরী হবে।
আর আমি সেই একই আছি
এই পৃথিবীর দরজায় খালি হাত ,,আর হাতে কালি।

বিশ্বের দরজা ক্রমশ খুলে যাচ্ছে শহরের কাছে
তবু সেই মা আজও যখন সন্তান জন্ম দিতে যায় যন্ত্রনায় কুঁকড়ে থাকে
সেই ষোলো পেড়নো মায়ের বুকের কোয়াগুলো খুবলে খায় সময়।
কেউ নগ্নতা দিয়ে উত্তীর্ণ হয় সমাজের বুকে। .... সেক্সি নায়িকা কন্ডমের সাথে
কেউ কেউ কালো বোরখায় অন্ধকারে থেকে যায় অশিক্ষায়।
সকালে ঘুম থেকে উঠে কেউ বগলবাজায়  নিজের পাঁচ তারার কামরায় বসে
কেউ ট্রেনের কামরায় অনবরত গান গায় কিছু রোজগারের আশায়।
অসম  বন্টন ,,অসম সিস্টেম ,,অসম মানুষ হীনমন্যতায়
আর স্বাধীনতা কেয়ার টেকারের ভূমিকায়

কিংবা পাহাড়ি ধসে যখন  শহরটা তলিয়ে যায়
সেখানে কি বিশ্ব একটা খবর শুধু।
কালমার্ক্স আর ফিরছেন না
গোর্কি আজও  শুধু দেওয়াল রাঙানো মানুষের বিজ্ঞাপন।
চে তাকে তো প্রায় দেখি গেঞ্জির গলায়
আর মানুষের গলায় ,,সভ্যতার অন্ধকার চেইন।
এই সব প্রশ্ন অর্বাচীন আমি জানি বিশ্ব ন্যাতাদের  কাছে
এই কবিতা সকলের টাইম পাশ শুধু।

আমি অনাবৃত লাশগুলো নাড়াচাড়া করছি
নিজের স্কেলিটনে তেল দিয়ে আরো চর্বি বাড়াচ্ছি।.
শালা নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা
আর আমি বাঁকা উঠোনের জনতার প্রতিনিধি।
শুধু নেচে যাচ্ছি
দেশের উত্সব আই ,পি ,এলের  আগামী ম্যাচের প্রস্তুতিতে।

Thursday, May 5, 2016

রজনী মজুমদার

রজনী মজুমদার
................ ঋষি
======================================================
রজনী মজুমদার আমি তোমাকে চিনি
তুমি আমাকে চেনো কি ?
অফিসের কাঁচের ভিতর দিয়ে আমি তোমাকে দেখি আমার প্রিয় নারী
তুমি কি আমাকে দেখেছো কোনদিন ডেইলি স্টাফের বাইরে ?
আমি তোমার অফিসের  অতি প্রয়োজন
আর তুমি রজনী আমার আয়োজন বেঁচে থাকার।

শেষ বিকেলের সখ্যতার সাথে তুমি কেবিন ছেড়ে বেড়িয়ে এলে
এগিয়ে আসছো আমার দিকে ,,আমি কি স্বপ্নে।
ফাইলটা এগিয়ে বললে মিত্র বাবু একটু দেখে রাখুন মিসটেক আছে
আমি হাত বাড়ালাম তোমার দিকে।
তুমি এগিয়ে গেলে চেনা স্টাইলে ,চেনা পারফিউমের সাথে দরজার দিকে
আমি তখনও হাত বাড়িয়ে।

আমি জানি
তুমি এখন বাড়ি ফিরবে না ,যাবে ক্লাবে।
আমি জানি না তুমি আদৌ বাড়ি ফেরো কিনা রোজ
একলা শিক্ষিত মেয়ে ,তোমার আমার অভাব।
লোকে বলে তুমি নাকি বাজে
কিন্তু আমি জানি রজনী রোজ তুমি  একা আমার মত।

রজনী মজুমদার আমি চিনি তোমাকে
আজ শেষ সাত বছর আমি এক চেয়ারে বসে তোমাকে দেখছি।
তুমি আমার দিকে তাকাও আর কয়েকশ অফিস স্টাফের মত
আর আমি তোমার দিকে তাকিয়ে ,অন্য দিকে তাকাতে ভুলে যায়।
জানি সম্ভব নয় তোমার পক্ষে বোঝা
কিন্তু আমি তোমাকে বুঝবো চিরদিন আমার বেঁচে থাকায়।

দু মিনিট ,বাইশ সেকেন্ড

দু মিনিট ,বাইশ সেকেন্ড
.............. ঋষি
==========================================================
দু মিনিট ,বাইশ সেকেন্ড তার কিছু বেশি হবে
লাইনটা কেটে গেলো।
নতুন না ,,আসলে প্রাচীন কোনো ইচ্ছার ধ্বনি
একটু আলাদা রকম স্বত্বায়।
প্রতিবারের মত আমার ঠোঁটে লেগে থাকা নিকোটিন
তেতো হয়ে গেলো।

দু মিনিট ,বাইশ সেকেন্ড
তুমি বলেছিলে অনর্গল ভালবাসার সব অদ্ভূত ছোপ ছাড়া মুহুর্তদের।
আর আমি ক্রমশ রঙিন আকাশের গায়ে ফানুস
তারপর সেই মহুর্ত
আমি ফোন করবো তোকে ঠিক সময় করে।
আর আমি সিগারেটের শেষ টুকরোটা মাটিতে  ফেলে পা দিয়ে ডোলে দিলাম
আজ নতুন না।
দু মিনিট ,বাইশ সেকেন্ড বলে নয় ,প্রায় এমন হয়
আমার নিকোটিনে পোড়া ঠোঁটটা আচমকা নেশায় পায়
আর তারপর আবার পরের সিগারেট।

দু মিনিট ,বাইশ সেকেন্ড তার কিছু বেশি হবে
আমি কথা বললাম তোমার সাথে।
চিরপরিচিত হাসির ছলে ,হয়তো তোমার হাতছানিতে আমি পাগল হলাম
আর তারপর লাইনটা কেটে গেলো।
আমার ঠোঁটে নতুন সিগারেট আর ৯০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড সিগারেটের শেষে
আমি পুড়েও রয়ে গেলাম তোমার সাথে। 

Wednesday, May 4, 2016

সময়ের খোঁজ

সময়ের খোঁজ
............... ঋষি
======================================================
জানলা পাল্লা দিয়ে জ্যোত্স্না এসে দাঁড়ায়
আমি হাসতে থাকি ,,অপেক্ষায়।
রাত্রি কি শুধু এমনি হয় কোথাও সুবাস ছুঁয়ে
কোথাও দুর্বলতা থেকে যায়।
না আমি সঙ্গম বলি নি
আমি বলেছি শেওলা তুলতে প্রাচীন অহমিকায়।

কোনো কৃত্রিমতা নয়
নয় কোনো প্রয়োজনীয় আঙ্গিক বিভাজন শরীরের ঘামে।
কোনো বন্য প্রতিকূলতায়
তোর বুকে  হাত রেখে কাঁপতে থাকি।
যেন কোনো জঙ্গী নদী ফনা তোলা সাপের মত জড়িয়ে ধরে
আমি নেই নদীতে চান করি।
সাঁতার কাটি আর পাড়ে তুমি বসে
বারংবার ছুটে ছুটে তোমার কাছে যায়।
তুমি হাত বুলিয়ে বলো কানে ফিসফিস করে
আরেকটু বাঁচতে চাই।

জানলা পাল্লা খুলে ঠান্ডা হাওয়া দেওয়াল ছুঁয়ে যায়
কোনো শিহরণ কানে কানে বলে ,,,আছি কোথাই ?
সত্যি আমি কোথাই ?
আকাশ দিয়ে শরীর যদি ঢেকে রাখা যায়।
তবে আমি সেই স্পর্শ ভিজে ঠোঁট ,কোনো সময়ের খোঁজ
আরো তোকে ভিজিয়ে যাই। 

প্রয়োজন নেই ভাবনার

প্রয়োজন নেই ভাবনার
................ ঋষি
============================================

অভিমান যদি দরজা খুলে অপেক্ষা করে
বন্ধ করে দে দরজা।
ঘুম ভাঙ্গার পর যদি রাত্রি কাছে ডাকে
তবে চোখ বন্ধ কর।
অপেক্ষার সাথে জীবনকে জীবিত কর নিজের স্বার্থে
আর কোনো প্রয়োজন নেই ভাবার।

এইসব ঐশ্বরিক বাণীর আইসোটোপ বন্দী নিরোধক
না হে সভ্যতা ভুলবে না এতে।
পায়রার খোপে পিঁপড়ে ছেড়ে দিলে সময় মরবে
কিন্তু পায়রা ,,সে যে আকাশ চেনে
উড়ে যাবে।
নিয়ম খাদ্য খাদকের ত্রিভুজে বন্দী অন্যশালা
না বিচার নেই সেখানে
আসলে সব বিচারের শাস্তি নেই।
শাস্তি একটাই ভাবনায়
যদি তোর একা থাকা।

অন্ধকার যদি কাছে ডাকে তবে জানলা খুলে দে
লাইট না জ্বলুক ,,চাঁদ তো আছে।
চোখ বন্ধ করার পর কেউ রাখবে না মনে তাতে কি
সৃষ্টি জীবিত ,স্রষ্টারা আছে।
এমনি চলছে পৃথিবী ,আরো চলবে হয়তো কয়েকশো যুগ
তাতে কি ,,এখনো বাঁচা তো আছে।

সিগারেটে টান

সিগারেটে টান
................. ঋষি
==========================================
স্বপ্নাতীত কোনো ইচ্ছাকে আহ্বান
সিগারেটের গোল রিংগুলো সব স্বপ্নহীন স্বাধীনতা।
কোনো প্রশ্নের সাথে ,উত্তর না দিয়ে
এগিয়ে যাওয়া।
যদিও একলা ,তবু এটা কোনো বিজ্ঞাপন নয়
নয় কোনো অপরাধ।

আমি সিগারেটের রিঙে স্বাধীনতা দেখি
দেখি হীনমন্যতা পিছনের দাঁড়ানো মানুষের।
আর কত ,ঠিক কতদিন
এমনি  হাওয়ায় স্বাধীনতা বারংবার ভেসে চলে যায়।
ফাঁকা আওয়াজ
অবাক সিগারেটে টান।
প্রতিবার পনেরোই আগস্ট দিল্লীতে পতাকা ওঠে ,ফুল বৃষ্টি হয়
তারপর স্বাধীনতা সিগারেটের মত পুড়তে থাকে।
ভিতর থেকে নিঃস্ব সর্বস্ব ,,,ফুরিয়ে যাওয়ার আশ্বাস
আমার দেশ সাক্ষী ,, আমিও যে ফুরোতে চাই।

স্বপ্নাতীত কোনো ইচ্ছাকে আহ্বান
সিগারেটের উনসত্তর মিলিমিটার সাক্ষী এই লাগাম ছাড়া ধোঁয়ার।
কোনো প্রশ্ন করার স্বাধীনতা আমার নেই
আছে শুধু পোড়ার।
তাই সময়ের সাথে সিগারেটে টান প্রতিটা প্যাকেট সাক্ষী
আমার পোড়ার আর দেশের।

ছায়া মানুষ

ছায়া মানুষ
................. ঋষি
==============================================
ছায়া কোনে ভেসে ওঠে কাছের মানুষ
ভীষণ কষ্টে দুমড়ে ওঠে ভাবনা।
ঠিক এমন ,ঠিক এমনতর ,না চাইনি কখনো
ছায়াসঙ্গী ,,,আলাপনে নিয়ম ,,আর নিয়মক সিস্টেমের বাইরে।
ভিজে চোখের পাতায় কথোপকথন
সব সত্যি ,,তবু মিথ্যে ভীষণ সাজানো।

কাকে বলি
নিরুপায় দৈনন্দিন সময় ,বোঝাপড়া জীবনের অসংখ্য দাগ।
মৃত্যুকে দেখেছি বারংবার কাছ দিয়ে
তবু জানিস মরতে আমি চাই না।
বাঁচতে চাই ,ভীষণ ভাবে ফিরে আসতে চাই
একটা জীবন ,নিজের জন্য।
আরো ভালো থাকায়,তোর জন্য ,আমার জন্য
বারংবার এই পৃথিবীর পথে ,,আরো পথ
হেঁটে যেতে চাই।

সত্যি কোনো লজ্জা নেই
লজ্জা বেঁচে থাকা উঠোনের কালো অসংখ্য মুহুর্তের প্রহসনে
আমি তো বাঁচতে চেয়েছি
আর লিখতে
আমার কবিতার সাথে জীবিত স্বত্বার মায়াময় হোক
আর আমি না হই ছায়া মানুষ 

নীরবতা চাইছি

নীরবতা চাইছি 
................ ঋষি
===================================================
নীরবতা চাইছি কিছুক্ষণ 
সাক্ষী এই বিকেলের মুখভার আলোর প্রতারণা। 
ফুরিয়ে যাচ্ছে তাই 
জানি ফুরোবে। 
কিন্তু তোমার সাথে মুহুর্তের মুহুর্তগুলো সব ভাবনা বন্দী 
পিন ড্রপ সাইলেন্ট ,,,নীরবতা বোধ হয়। .

আমি  আকাশ দিয়ে হেঁটেছি অজান্তে 
হাসছো জানি 
কিন্তু সত্যি তুমি জানো না আকাশের গায়ে ছোপ ছোপ মেঘ আমার ইচ্ছারা। 
আমার তুলিতে অজস্র কোলাহল 
বিন্দু বিন্দু রক্ত জমে আমার আমার কবিতার খাতায়।
ভীষণ একটা বোকা ,তাই ভাবছো
বিশ্বাস করো  শহর জুড়ে কোলাহল। 
ভোটের রেজাল্টের কারণে আজ প্রতিবাদ রাস্তা বন্ধ 
হাজারো গোলযোগ। 
যুবতীর জঠরে বাড়তে থাকা কার্বনের ছাপ
স্বয়ং সম্পূর্ণ কোনো আমার কবিতারা। 

নীরবতা চাইছি কিছুক্ষণ 
সাক্ষী দেবীর হাতে অসম বন্টন সুবিধাভোগী মানবিকতা। 
ফুরিয়ে যাচ্ছে তাই
জানি ফুরোবে একদিন। 
কিন্তু তোমার সাথে মুহুর্তগুলো আমার আকাশের গায়ে পা 
আর তোমার বাঁচতে থাকা। 

কবিতার শোক

লিখতে পারাটা একটা অসুখ  ভীষণ কষ্ট ,ভীষণ আনন্দ ,প্রেম প্রবাহ ,অসংখ্য শোক,শহর ,মানুষ   সব কেমন সাদা পাতায় সংসার বুনতে থাকে  শব্দদের ঘুণপোকার স...