Wednesday, April 29, 2015

শুধু তুই

শুধু তুই
.............. ঋষি
========================================
শুধু তুই বুকে কালবৈশাখিতে তোর হাত ধরে পথে ঘাটে এক কাপ মাটির ভাঁড়ে চুমু খেয়ে তোকে খোঁজা আর কিছু না শুধু তুই বুকের গাছ পাথরে বাড়তে থাকা শেওলার মত

চোখের পাতায় উড়ছে ধুলো ,ভাঙছে জীবন হৃদয় খাতায় আসছে তুফান ,আসছে যে ঝড় 
তোর ছন্দ জুড়ে আমি পাগল খেয়াল খুশির শব্দ ঝরে

আর কিছু না রাত্রি জুড়ে ভীষণ দামাল হৃদয় খাতে বাঁচতে থাকা হৃদয় কাঙ্গাল আসছে জীবন তোকে ছুঁয়ে সকল সময় শান্ত আমি ,হৃদয় কাঙ্গাল তোকে ছুঁয়ে

শুধু তুই বুকের কালবৈশাখিতে তৈরী হওয়া চেতনা মাঝে। হৃদয় ভরা মেঘের দেশে বৃষ্টি আসে তোকে ছুঁয়ে। চোখের পাতায় মেঘলা সময় হৃদয় তোকে জড়িয়ে ধরে ভালোবাসে।

বাংলা বাজারে


(এই কবিতার খারাপটুকু আমার,ভালোটুকু আপনাদের। কবিতার ভাবনাটি নিতান্ত আমার ভাবনার প্রতিফলন। )
বাংলা বাজারে
.............. ঋষি
============================================
একটু একটু করে বোবা হয়ে যাচ্ছে বাংলা
সেই মেয়েটা ,যাকে লিপস্টিক না পরলেও
আমি ভালোবাসো।
তোমরাও বাসো আমি জানি
অথচ মনে মনে আমার বাংলায় আজ বাজারে বসেছে।

খবর ছিল
দালাল গঙ্গারাম সকাল গুলো বিক্রি করে,
কতগুলো রাত্রি  কিনেছে।
আমাদের হৃদয়ের খুপচিতে থাকা  রাত্রিগুলো হিংস্র
চোখের সামনে  বাংলা মেয়েটার নগ্ন শরীর ভেসে উঠলো ।
খুলে গেলো শাড়ি,খুলে গেলো ব্লাউজ,নগ্ন বাংলা বাজারে
বুকের উপর হামলে পড়ল অন্ধকার।
চটকে ,পিষে নিজের ইচ্ছে  মতো অন্ধকার নোংরা করলো
মেয়েটা কাঁদলো  ,খুব কাঁদলো
আসলে বাংলা যে আজও সবুজ রয়েছে অন্তরে।

ফোকলা গঙ্গারাম খুব হাসছে
বাজারের উঁচু বেঞ্চে দাঁড়িয়ে মাইক হাতে দর হাঁকছে।
বাংলা মেয়েটার আবার বিক্রি হবে
চারিদিকে অন্ধকার হাততালি দিচ্ছে প্রতিদিন ,দিন প্রতিদিন।
আমাদের হৃদয়ের খুপচিতে থাকা রাত্রির সামনে মেয়েটা দাঁড়ানো নগ্ন
কেউ ভাবে নি যেদিন মেয়েটা জন্মালো, এমন হবে,
এমন করে ছিঁড়ে খুঁড়ে আমাদের হৃদয়ের অন্ধকার রোজ পিষে খাবে।
মেয়েটা ফোপাচ্ছে ,লজ্জা পাচ্ছে,গলায় স্বর আর শোনা যাচ্ছে না,
মিশে যাচ্ছে সে অন্ধকারের মাঝে
মিশে যাচ্ছে লজ্জায় আমাদের দৈনন্দিন বেঁচে থাকায়।

একটু একটু করে বাংলা নামে সেই সবুজ মেয়েটা হারিয়ে যাচ্ছে
চারিদিকে ভীষণ অন্ধকার আর হিংস্রতা।
আমি লাইনে আছি আপনাদের পাশে
আমার ইচ্ছা করছে ,আপনাদেরও করছে আমি জানি ,
কিন্তু একটু রেহাই দিন , বোবা মেয়েটা ভীষণ ক্লান্ত এখন।


Tuesday, April 28, 2015

বৃষ্টি ছোঁয়া

বৃষ্টি ছোঁয়া
............. ঋষি
============================
বৃষ্টি ফোঁটা গুলো তোকে ছুঁয়ে গেলো
তোর ঠোঁটের লিপস্টিকে অবাঞ্চিত ইচ্ছারা
তোর স্পর্শ জীবিত হয়ে গেলো।

আমি হাসলাম দেখলাম
চুঁয়ে পরা ইচ্ছাগুড়ি তোর শরীর বেয়ে।
নরম আদরে তোর বুকের ভাঁজে
সমস্ত অস্তিত্বের ভিজে স্বপ্নরা তোকে লেপ্টে জড়িয়ে আছে
ঠিক যেন তুই আমার বুকের মাঝে।

আমি হাসছি তখন
তোর চোখের কোনে দু এক ফোঁটা নোনতা জল।
আমার তৃষ্ণারা তোকে ছুঁয়ে বৃষ্টি ফোঁটায় বেয়ে নামছে
তুই হাসছিস পাগলের মত আমাকে জড়িয়ে
তুই কাঁদছিস আমাতে  মিশে যেতে চাইছিস।

বৃষ্টি ফোঁটা গুলো তোকে ছুঁয়ে গেলো
তোর শরীর ছুঁয়ে  শিহরিন আমার হৃদয় ঘরে
চোখ বোঝ দেখ আমি ভিজে যাচ্ছি। 

বদলানো ঠিকানা

বদলানো ঠিকানা
........... ঋষি
========================================
তোকে ছুঁয়ে দিলেই
ঈশ্বরও যুবতী হয়ে ওঠে।
দুপুর একটার পর কলকাতার সমস্ত রাস্তার মত
তুইও  নিয়ম বদলে পাল্টে ফেলেছিস পথ।
দূরে চলে যেতে পারিস ,চাইলেই অনেক দূর
কিন্তু পৃথিবীর পরিধিতে ফিরে আসা রীতি
তুই নিজেকে কষ্ট দিতে পারিস না।

আমার সরল বাহুযুগল তোকে ঘিরে বৃত্তটা সম্পূর্ণ করতে চায়
আর বৃত্তর কোনো শেষ নেই ,নেই শুরু।
শুধু চলতে থাকা সময় জুড়ে অসংখ্য পানপাত্রে বিষ
আর সেই বিষ পান করা।
আমি তোর বাইরে পৃথিবী ধরার ইচ্ছায় জটাধারী শিব
মৃত্য সম্বল গড়িয়ে নামা তৃষ্ণা তোর ঠোঁটের
তুই আমায় কিছুতেই একলা ছাড়তে পারিস না।

তোকে ছুঁয়ে দিলেই
আমার মৃত্যু হয় তোর মত তোর কবরের পাশে আমি।
পাশাপাশি একলা থাকা প্রহসনে ঈশ্বর
তুই বদলাতে পারিস কলকাতার বদলানো পিন বক্সের  ঠিকানা।
কিন্তু আমার ভিতরে ঈশ্বর জানে
দূরত্বের দৌরাত্মের মানে একলা ঠিকানায়।
যেখানে হৃদয়ের বাস

রাতের আকাশ

রাতের আকাশ
................... ঋষি
=========================================
কাঁদছি ,যেভাবে কোনো রাত্রির শহর কাঁদে
ঘুমের মধ্যে থেকে উঠে আসছে ক্ষত।
আর আকাশের চাঁদ যেন জোড়করে কনডম লাগানো অন্ধকারে
দুপাশে শুয়ে থাকা জানলার বাইরের অসংখ্য হাত।
আকাশের দিকে ,চাঁদের দিকে
বন্য অরণ্যের রাত্রিতে অসময়ের চোখের জল।

সাদা পাতায় আমার কবিতার মত ঘুরতে থাকে
তোমাকে ছোঁয়ার ইচ্ছারা।
জ্যাজ্‌ ইম্প্রোভাইজেশনের কথা যদি বল আকাশের নীলে উড়োজাহাজ
আকাশ ছিঁড়ে তোমার দিক থেকে উড়ে আসা মিসাইল।
আমার কি আমি তো ক্ষতবিক্ষত
সেইসময় দুম করে জ্বলে উঠবে ৪৪০ চল্লিশ ভোল্টের বিদ্যুত প্রবাহ।
আমি পুড়বো তুমি পোড়াবে
আমার চুল্লির মুখে আগুন।

কাঁদছি ,যেভাবে কোনো রাত্রির শহর কাঁদে
অবচেতনে উঠে আসা প্রশ্ন চিন্হগুলো দিশাহীন।
আর আকাশের চাঁদে প্রত্যাহিত ব্যান্ডেজ লাগানো সাদা ক্ষত
নতুন কি আর ,সবটাই দৈনন্দিন।
ভাজা ওমলেটের মত আমার চোখের জল নোনতা আর স্বাবাভিক
শুধু শহরের রেস্টুরেন্টে  দুটি চরিত্র স্বাভাবিক। 

আবছা সংকেত

আবছা সংকেত
............... ঋষি
=======================================
সে রকম লিখতে পারি নি কিছু
যাতে খিদে মিটে যায়।
কিংবা ধরো বিদ্যাদেবীর হাতে ধরাতে পারি নি
প্রিমিয়ারের টিকিটের কর্নারের সিট।
যেখান থেকে পৃথিবী দেখা যায়
লোভ ,লালসায় ব্রাতে আটকান মাংসতে।

পড়ন্ত বেলায় সবুজ পৃথিবীর ঘ্রাণে
সোনার গড়ন ধানের খেতে বুনতে চাই স্বপ্ন।
এমন কিছু ঘটে নি
আসন্ন মধ্যরাতে ঘুম থেকে উঠে ভুতের পৃথিবীতে
সাদা পাতায় আঁচড় টানি।
কিংবা সকালের প্রথম কিরণে  মোমের চাদর ছেড়ে
শিশিরে পা জীবন সুন্দর দামী ।
কিছুই বদলায় নি
শুধু মাথার ভিতর ভুতুড়ে সাজে সত্যজিত রায় বলে গেলেন
সোজা পথে থাকা চায় ,সোজা পথে থাকা চায়।

সে রকম লিখতে পারি নি কিছু
যাতে তৃষ্ণা মেতে ঠোঁটে।
বনসাই সভ্যতার যামিনী বারে নেশার পেগে
লালচে আলোয় আমি বিদ্যা দেবীকে দেখতে পাই।
আসলে সবসময় সমস্ত ক্ষণ
একটা আবছা সংকেত ,,,,, সে বুঝি পাতা ছিঁড়ে জন্ম এনে দেয়।   

মনুষত্বের অন্ধত্ব

মনুষত্বের অন্ধত্ব
....................... ঋষি
==========================================
সহজাত প্রবাহের ভিতর বাহিরে
মানুষের  সার্বিক আদালতে  দেবী অন্ধ।
গান্ধারীরী স্বেচ্ছা অন্ধত্বের নকলে মনুষত্ব অন্ধ কোথাও
পুরনো  পৌরানিক সভ্যতা আজ অন্ধত্বে ভুগছে।
অন্ধত্বে ভুগছে প্রত্যাহিত মানুষের বেঁচে ফেরা
আমরা সমাজ বলি ,আরো সহজে দেশ ,
টুকরো টুকরো ভাবনার নোলকে জীবন মরছে।

জন্ম নেওয়া  সদ্য শৈশব
অন্ধত্ব গ্রাস করছে হারিয়ে যাওয়া ছেলেবেলার খেলার মাঠে।
অকালপক্য যৌবনে ভাবনারা শুয়ে থাকে মিডিয়ার বিছানায়
লাল রং ,লাল নেশায় হারিয়ে যাওয়া জৈবিক চাহিদায়।
কোথায় যেন সংসার শব্দটা জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে
লিভ টু গেদার ,সোসাল সাইডের চার্মিং নেটয়ার্কে,
সম্পর্কগুলো যেন  হ য ব র ল হয়ে আছে।
তারপর বার্ধ্যকের নিয়মমাফিক সাদা চুলে দাঁড়িয়ে
জীবন বড় একা এখানে।
জীবন ভীষণ ক্লেদাক্ত এখানে
জীবন বড় অসহজ।

দৈনন্দিন প্রবাহের পুরনো সেই দিনের কথা
অনকেটা আয়নায় দেখা পুরনো ডায়রির পাতা।
সুনীল ,শক্তি ,কফি হাউস ,বই পাড়া
হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের মুখ ,নাটক ,সিনেমা ,আলোচনা ,
সবই আছে ধুকছে মানুষের অন্তরের ভাবনারা।
হারিয়ে যাওয়া খেলার মাঠে সদ্য তৈরী আকাশ ছোঁয়া ইমারতে
পায়রার খোপের মত স্কোয়ার ফিটে জীবন।
এসি ,গাড়ি ,বিলাসবহুল স্বপ্নের জীবন
মানুষ দৌড়চ্ছে,দৌড়চ্ছে নেশায় ,আরো পাবার আশায়।
অথচ কেন ,কি খুঁজছে
অথচ ,জীবন,  ......... শান্তি কোথাই সে।

প্রত্যাহিত প্রবাহের ভিতর বাহিরে
মানুষের সহজাত চাহিদারা গুপ্ত কোষে বড় হিংস্র।
মা নেই ,বোন নেই ,নেই সম্পর্ক,নেই সমাজ ,নেই দেশ
প্রত্যেকের ভাবনারা চক্রাকারে ঘুরছে নিজের চারপাশে।
নিজের স্বার্থের আঙ্গিনায় দাঁড়িয়ে মানুষ পশু সম
নগ্নতার রক্তে এনসাইক্লোপিডিয়া  বলছে
মানুষ বড় অন্ধ এখানে। 

Sunday, April 26, 2015

মিস করছি

মিস করছি
................ ঋষি
=================================
মিস করছি
নিজের উপরে দিয়ে চলে যাওয়া সময়টাকে।
তোকে মিস করছি
মেনে চলা সংবিধানিক দূরত্বটাকে।
অদ্ভূত প্রহসন
মন চায়, অথচ মেনে নিতে হয়।

আরেক প্রহসন তুই
সব জানিস ,সব বুঝিস অথচ সাজানো সভ্যতা।
হাসতে থাকি ,কাঁদতে থাকিস
বৃষ্টিতে ভিজিস ,প্রেমে ভিজিস ,
কিছু করতে পারিস না।

মিস করছি
নিজের থেকে বাড়তে থাকা দুরত্বদের বারংবার।
তোকে মিস করছি
একলা সময় এই বৃষ্টি ভেজা বিকেল বেলা।
ক্ষনিকের কথা
মন চায়, অথচ মেনে নিতে হয়। 

ঈশ্বর প্রদত্ত

ঈশ্বর প্রদত্ত
................. ঋষি
==================================
আমি বলি নি তোকে তুই কবিতা
তবে আমি তোকে লিখেছি সাদা পাতায় নিজের মত।
তোর প্রতিটা অংশে আমি ঈশ্বরের দূত
আমার অধিকার।
আমি বলি নি তোকে কখনো ভালোবাসি
শুধু বলেছি তুই আমার কবিতা।

প্রতিটা স্তবকে তোর আমি ছবি আঁকি
কুমোরটুলির মূর্তির শরীরে আমি মাটি লেপি।
ফুটে ওঠে তোর বুক ,তোর ঠোঁট ,তোর কোমড়
নিজের মত তোকে জড়িয়ে ধরি।
প্রশ্ন করে
কেন তুই এত সুন্দরী।
কেন এত তুই আলাদা
কেন ?

উত্তর পাই না কারণ আমি শরীর গড়তে পারি
কিন্তু হৃদয় নয়।
আসলে আমি যে ঈশ্বর সাজতে পারি
কিন্তু আমি যে ঈশ্বর নয়।
আমি তোকে বলতে পারি তোকে ভালোবাসি
অথচ আমি তোকে কাছে পেতে পারি না। 

পাগলাটে প্রেম

পাগলাটে প্রেম
.................. ঋষি
=======================================
আদুরে পাগলামো ছুঁয়ে তোর শরীরে মেটো গন্ধ
ক্ষনিকের অধিকার ছুঁয়ে তোর খোলা বুক
হৃদয় অন্ধ।

কি করি বল
তোকে কাছে পেতে চাই, হৃদয় গভীরে।
আরো গভীরে ,দূরে কোথাও দূরে দূরে
তোকে ছুঁয়ে যেতে চাই।

নিঃশ্বাসে  বিষ লাগে এই বেঁচে ফেরায়
তোর খোলা বুকে মুখ ঘষে নিজেকে খুঁজে পেতে চাই।
অনেকে নেমেছি আরো নিচে
তোর নাভির গন্ধ একটা পৃথিবী আমি গড়ে নিতে চাই
কি করি বল।

স্পর্শের আগুনে জ্বলে যায় বুক
পোড়া সময়ের অমোঘ স্পর্শে আমি পুড়ে যেতে চাই।
প্লিস পোড়া আমায়
তোর বুকের মাঝে ,তোর অস্তিত্বের মাঝে ,তোর সময়ের মাঝে
প্লিস পাগল কর আমায়।

আদুরে পাগলামো ছুঁয়ে তোর  শরীরের গন্ধে এই বিকেলবেলা
ক্ষনিকের অধিকারে আমাকে উজার করে দে
আমাকে আরো কাছে টেনে নে। 

কিছু কথা

কিছু কথা
............. ঋষি
================================
কিছু কথা হবে
কিছু না বলা কথাগুলো চোখ বলে যাবে ,
আদুরে হাওয়ায় শীতল বৃষ্টি।
ভিজে বিছানার চাদরের অন্তরে
কিছু কথা  রয়ে যাবে।

শরীরের অদ্ভূত গন্ধ হৃদয় ছাড়িয়ে ঠিক ছুঁয়ে যাবে
একলা দাঁড়ানো বারান্দায় আকাশের কল্পনায়।
নেশা বুনে যাবে
নেশা জীবন ,নেশা অস্তিত্ব ,নেশা বেঁচে ফেরা,
অদ্ভূত কল্পনায় সময়  চলে যাবে।

কথা হবে
তোর সালোয়ারের অদ্ভূত চাহুনিতে
শরীর বুঝে যাবে।
খুলে যাবে ওই বিধাতার গিট অদ্ভূত প্রহসন
তোর ঠোঁট ছুঁয়ে বৃষ্টি
আমায় ছুঁয়ে যাবে।

কিছু কথা হবে
না বলা অন্তরের ক্ষণিক আগুনে জ্বলে পুড়ে যাবে।
আদুরে নরম তোকে ছুঁয়ে হৃদয় বলে যাবে
কথা হবে কিছু
তবে বাকি কথা লুকিয়ে কথা কবে। 

Saturday, April 25, 2015

মধ্যবর্তী দূরত্ব

মধ্যবর্তী দূরত্ব
....................... ঋষি

মধ্যবত্তি দূরত্ব কমে এলে আমাদের করিডোর আবছা হতে থাকে
দু একটা প্রহসনের মধ্যস্ততায় বাড়তে থাকে দূরত্ব।
আলোকবর্ষের স্পর্শে কমতে থাকা অন্ধকারে
একলা দাঁড়িয়ে থাকে ,একমনে অস্তিত্বতের অন্ধকারগুলো
জীবন মুখোশ পড়ে অযথা নিজস্ব নিয়ন্ত্রণে।

বিমানের ছায়া বাড়তে বাড়তে কখন যেন ঢেকে দেয়
একমনা একলা তিরতিরে নদী।
সকাল আমরা সকলে দেখি দৈনন্দিন করিডোরের বারান্দায়
হাত বাড়াই আকাশের দিকে আকাশ ছুঁতে চাই।
বুকের বরফ গলা মোমবাতি দাহে
অন্ধকার মুছতে থাকে ততক্ষণ
যতক্ষণ আমাদের দূরত্ব দৌরাত্ম থাকে।

সারা রাত যখন নেমে আসে চোখের পাতায় আমাদের প্রশ্ন ভিড়
সিলিঙের মানচিত্রে ধরা দেয় নিজস্ব আপদকালীন দূরত্ব।
সাইরেন বাজতে থাকে মাথার ভিতর অবিরত
ভালো থাকার সুখ ,ভালো রাখার সুখ
আর অজস্র সময় নীল আকাশের পাখি। 

তোমার প্রশ্রয়ে

তোমার প্রশ্রয়ে
........... ঋষি
=============================================
ক্রমে ক্রমে যা  ভেসে উঠছে সেটা মানব জীবন
তুমি জানতে হৃদয়ের নিরিখে বৃষ্টি  ফোঁটা বুলেটের থেকে কঠিন।
ছন্দ নেই নিয়ম নেই
নেই কোনো নিয়ম মাফিক হিরগ্লিফিক স্কেল
অনিয়মিত বেঁচে ফেরা জীবন দৌড়োয় জিততে চাই।
অথচ তুমি জানতে
আমার হেরে যাওয়ার সুখ।

তবুও অভাবিনীয় কার্নিসের তলায় নিজেকে দাঁড় করালাম
তোমার বুকের আর ব্লাউজের দূরত্বের ফাঁকে।
আমার স্পর্শগুলো
কোথাও যেন লেগে যাওয়া আচারের  দাগ সাদা জমায়।
বৃষ্টিতে ভিজে তোমার স্পষ্ট অঙ্গপ্রতঙ্গে
কোথায় যেন আগুন লাগানো ভাবের ঘরে।
তুমি জানতে
তবু আমাকে হারিয়ে তোমার জিতে কি লাভ।

নিজের রান্নাঘর ,আমার পিতৃপুরুষের অদ্ভূত কোলাহল
ক্রমে ক্রমে স্পষ্ট হয়ে ওঠা স্বপ্নরা মৃত্যুগামী।
তোমার অবয়বে ছড়ানো পুজোর ফুলে
আমার বেঁচে ফেরা।
রাস্তা দিয়ে কুড়োনো রোজনামচার অসংখ্য প্রলোভনে
আমি জিতে যেতে পারি,
তবু আমি পরাজিত আজ তোমার প্রশ্রয়ে। 

আনুবীক্ষণিক নিরক্ষণ

আনুবীক্ষণিক নিরক্ষণ
.............. ঋষি
--------------------------------------------------------------------
অণুবীক্ষণে তোর অবয়ব পরিস্ফুট হয়
গোপনীয় ,লোভনীয় স্পর্শগুলো শব্দহীন যখন জটিলতায়।
নিরপেক্ষ পরিচয় পত্রের আড়ালে
নিতান্ত অবহেলায় কেটে যাওয়া সময় জীবিত অপেক্ষায়।

আমাদের ঐক্যান্তিক সাফল্য কামনা করে সময়
জ্বর। জ্বালা।  ব্যাধির আড়ালে লুকোনো দোষ।
জ্যামিতিক শরীরের সন্ধ্যার ডালপালা খুলে যায়
আর একটা অবচেতনা থেকে জীবিত উপেক্ষার।
অকাল শ্রাবনে ভিজে যায় কবিতার পাতা
কবিতার কলমের আঁচড়ে চঞ্চল হৃদয়।
আছড়ে পরে হৃদয়ের পাথরে
আসলে সময় ভালো নয়।

ভয় হয় ,ভীষণ ভয় মুহুর্তদের কারসাজি
লুকিয়ে পরি আবার গভীর সুরঙ্গ ধরে অন্ধকার গুহায়।
নিজস্ব নিরপেক্ষ পরিচয়পত্র সম্বলে
আবারও লীন তাপে  চেতনার হাত ধরে। 

একমাত্র আমি

একমাত্র আমি
............. ঋষি
=======================================
শোয়ানো হলো তাকে
পথে হেঁটে যাওয়া অজস্র সমীকরণরা বুঝলো না।
কেউ কিছু টের পেল না
শুধু আমি দেখলাম রোদ ঝলমলে দুপুরে অদ্ভূত আগ্নেয়গিরি।
জ্বলে গেল ,পুড়ে গেল অস্তিত্ব
কাম ক্রোধ বিস্ময় থেকে তৈরী একটা মুহুর্তের
বেঁচে ফেরা।

বোবা জানোয়ারের মত অজস্র স্পন্দনে
অদ্ভূত আতঙ্কে শোয়ানো মৃত লাশটা।
কেউ জানলো না ,টের পেল না কেউ ,কোনো খবর
শুধু আমি বুঝলাম।
বহুদিন ঘুরে ফিরেছি মর্গের আশেপাশে তোমাকে বুঝবো বলে
অবেলায় বাড়তে থাকা মেদের দরবারে।
নিজেকে সংযত রেখেছি কারণ পুড়তে চাই নি আমি
নিজস্ব দংশনে।

ভাবি যদি এইমুহুর্তে জন্মান্তর ঘটে যায়
স্পর্শ লোভের সাথে যদি ফিরে আসে অস্তিত্বের দিন।
সেই বিকেবেলায় তোমায় দেওয়া গোলাপের আনন্দে
কিন্তু ঘটনাটা সত্যি হলো শেষে।
শোয়ানো হলো তার মৃত লাশটা
আশেপাশে কেউ জানলো না আমি ছাড়া।

লুকোনো কবিতা

লুকোনো কবিতা
......... ঋষি
=====================================
অজস্র স্পন্দনে স্পন্দিত হৃদয়ের দর্পনে
লোকানো একটা মুখ।
আবছা দেখা যায়
তোর আমার রোজ বদলে যাওয়া সময়ের আকাঙ্খায়।
এক আকাশ বুকে নিয়ে নীলের গভীরে
তোকে পাওয়া যায়।

সাদা ক্যানভাসে আঁকা লালচে সূর্যের শেষ বেলায়
গঙ্গার নৌকোর দালানে  মুখোমুখি।
মুক্তির স্বাদে ঘনিয়ে আসা মুহুর্তদের আলাপন
দূরত্বের দুর্বলতার স্পর্শে শিহরণ।
কিছুই থেকে যায় না শুধু স্পর্শগুলো ছাড়া
চোখে চোখে ঘটে যাওয়া চুম্বকীয় তত্বে
বেঁচে ফেরা যায় না।
কিছু রেখে যায় না
শুধু গঙ্গার ঘোলা জলে প্রেমিকার মুখ
তোকে বদলানো যায় না।

অজস্র স্পন্দনে স্পন্দিত হৃদয়ের দর্পনে
লোকানো তোর মুখ।
মাঝে মাঝে স্পষ্ট দেখা যায় যখন তখন
খুলে যাওয়া বুকের গভীরে  অজস্র  দর্পনে।
জানি বদলে যায়
আমার তোকে খুঁজে পাওয়া যায় না। 

Friday, April 24, 2015

নিস্তব্ধ প্রলাপ

নিস্তব্ধ প্রলাপ
.................. ঋষি
========================================
তোমাকে বুঝি নি ঠিক অতোটা
যতটা বোঝা হলে সুমেরু কুমেরুতে জ্বলে ওঠে আলোর প্রদীপ।
আর অন্ধকার নেই
আজকাল অন্ধকার কোনো থিয়েটারের বরফ শরীরে দেখা যায়।
ছিটকে আসে দু চারটে শব্দ আচমকা
যাকে আমরা স্ল্যাং বলি।

কিছু সূত্রের ব্যতিক্রম থেকে তৈরি হয় নতুন সূত্র
এক্সট্রা ম্যারিটাল সম্পর্কের মাঝে আকাশ ছোঁয়া  যায়।
কথাটা ঠিক যতটা, ভুলটা একটু বেশি
নদীর দুকূলে হাহাকার সর্বদা
যারা বোঝে তাদের থেকে না বোঝে বেশি।

যারা কবিতা লেখে তারা কবিতার ঠোঁটে প্রেম খুঁজে পায়
আর লিপস্টিকের ট্রাকে কল্পনায় শরীর।
শরীরের কলার টিউনে চেতনা বাজতে থাকে
আর ছবি ফ্লপ ,বাজার মন্দা
কবিতা লিখে পেট ভরে না।

তোমার চিঠি পাইনি আজ বহুদিন হলো
কথায়  বলে একদিনে বড় হওয়া যায় না এটা ঠিক, তেমনি।
যেমন বেঁচে থাকাটা মৃত্যুসম  তোমায় ছাড়া
এখানে তুমি আছো কিনা কি আসে যায় তাতে ,
সিগারেটের  ধোঁয়া শধু তোমার সাথে।

তোমাকে বুঝি নি ঠিক অতোটা
যতটা বোঝা হলে তোমার চোখে শান্তির দেখা পাই।
আর শান্তি মানে তো আলো
আর আলো খুঁজতে প্রত্যহ আমার শ্মশান যাত্রা একলা পারদে।
পারদ বাড়তে থাকতে চেতনা নামতে থাকে
শ্মশানের সস্তার নেশায় আমার তোমাকে পাওয়া।  

জীবিত ও মৃত

জীবিত ও মৃত
................. ঋষি
==========================================
চুরি হয়ে যাওয়ার সৌজন্যে ঘুম চলে আসে
বেদনার বাগানে লুকোনো শব্দ মহলে কোলাহল।
জবাব দেও ,জবাব চাই
প্রশ্ন আছে ,উত্তর নাই।
হাট্টিমাটিম তারা মাঠে পাড়ে ডিম ,তাদের খাড়া দুটো সিং
না আমি সিং নিয়ে কখনো প্রতিবাদ করি নি।

না সত্যি বলছি
আমি লাইনে দাঁড়িয়েছি সার বেঁধে মানুষের মাঝে
কিন্তু কখনো বদনাম করি নি।
যে সব পুরনো শব্দগুলো শব্দের দরবারে ওপেন লারেলাপ্পা গান করে
সকলে তাল ঠুঁকে মদের গ্লাসে ঠোঁট রাখে ,
কিংবা কোনো অজানা নেশায় মশগুল হয়ে
জীবনটাকে হাতড়াতে থাকে।
আমিও তাদের মাঝে আছি কিন্তু তফাৎ একটাই
সকলের তারা জীবিত ,
অথচ আমি জীবিত ও মৃত।

চুরি হয়ে যাওয়ার সৌজন্যে ঘুম চলে আসে
বেদনার বাগানে লুকোনো শব্দ মহলে কোলাহল।
মুখমন্ডলের তোমার ঠোঁটের পাশের তিলটা
আমার মনে আসে।
ছুঁতে ইচ্ছে হয় হয়তোবা ছুঁয়ে দিতে চাই
কিন্তু কখনো তারজন্য হ্যাংলামো  করি নি।

খোলা খবর

খোলা খবর
................ ঋষি
===========================================
আজ লোকগুলো , আলোটুকু উলটে দিয়ে
শব্দহীন ঘুমিয়ে পড়েছে।
পাশ দিয়ে খুটে খাওয়া বেওয়ারিশ কুকুরগুলো আনন্দে হাততালি
সুসময় আসছে।

লোকগুলোর শীত করছে
কেমন একটা বৃষ্টি ,বৃষ্টি ভাব মনের ভিতর।
অযথা কথা বাড়াবো না বলে একটা ফুলটাইম লাইফে পা বাড়ালাম
প্লিস আমি কুকুর ভেবো না যেন।
জীবন থেকে কুড়িয়ে আনলাম স্বপ্নের বাড়িঘর
শহর বানালাম ,বানালাম দেশ ,ঈশ্বর বানালাম ,বানালাম বিশ্বাস।
খিচুরী হয়ে সবকিছু লেখা রইলো সেই স্বাধীনতার বইটাই
অথচ স্বাধীন কখন হলাম বুঝলাম না অন্যদের মতো.

বুঝলাম না মানুষ আর মনুষত্বের মানে
মানেটা কোনো সায়েনটিফিক  হোমো-স্যাপিয়েন্সের আমি নই।
অথচ আমরা হোমো অর্থের মানে বুঝি
মানে বুঝি লেসবিয়ানের।
কিন্তু প্রবলেম হলো আমরা সকলে স্ট্রেইট সাজি
কিন্তু কেউ যে স্ট্রেইট না।
স্ট্রেইট মেরুদন্ড ধরে সোজা হেঁটে যাও ধর্মতলার মাঠে
ব্যস্ত পৃথিবীর মাঝে কি মনে হয় ?

আজ লোকগুলো , আলোটুকু উলটে দিয়ে
শব্দহীন ঘুমিয়ে পড়েছে।
পাশ দিয়ে চলে যাওয়া সময়ের মানেটা উল্টো ঘড়ির দরজায়
যেখানে কুকুগুলো পা তুলে মুতে যায়।
  

আদম জীবন



আদম জীবন
............... ঋষি
====================================
জন্ম অবধি কিছু সরল ভিত্তিক জীবন
সকলের চোখে দেখা স্বপ্নের সাদা পায়রা সুদূর আকাশে।
ভালোবাসে ,ভালো লাগে
বেঁচে থাকা একটা জীবন তোমার সাথে।
যদি সময় বদলে যায়
যদি আদম জীবন পরিযায়ী  হয়ে যায়।

কিছুই না
স্বপ্নলোকে বিভঙ্গ রোমান দেবীর মত ক্ষুদার্থ কল্পনায়।
চুঁয়ে নামে কামসুত্রের সিঁড়িতে জীবন
আসলে স্পর্শ কি শুধু শরীরে থাকে,
হৃদয়ের চেতনার অবস্থান কোথাই।

জীবনের মুহুর্তদের স্পর্শগুলো এবনরম্যাল কেন
নরম্যাল হৃদয়ের সম্পর্কের ফাঁকে এত ঘুন কেন।
চোখ চলে যায় ,চোখ পুড়ে যায়
নিশি রাতে শহরের দামী পাঁচতারা বারে অনামী শরীরে আগুন
অথচ সস্তা বিছানার চাদরে প্রেম অপূর্ণ কেন।

প্রশ্নগুলো ছোটবেলায় পরীক্ষার খাতায়
খুঁজতে থাকা উত্তরের মতো।
বার্ষিক নতুন ক্লাসে নতুন বইয়ের গন্ধে ছিল মাদকতা নেশা
জীবিত নেশায় বেড়ে ওঠা ভ্যেনটিলেসনে চিতপটাং নিঃশ্বাস।
সবটুকু স্মৃতি মধুর রয়ে গেছে
শুধু  মাথার ওপর আকাশটা দৃশ্যকটু হয়ে গেছে।

Thursday, April 23, 2015

চল ভিজি আজ

চল ভিজি আজ
................. ঋষি
===============================
বৃষ্টি হচ্ছে আজ
ভিজবি আজ মন খালি পায়ে আমার সাথে।
তোর দরজায় দাঁড়ানো মেঘেদের দেশে
অসংখ্য সিম্ফনি।
ছোটো ছোটো আশা আর মুহূর্তরা একসাথে
তোর অপেক্ষায়
চল ভিজি আজ আকাশ বড় ডাকছে।

জীবন্ত এই অতিকায় ম্যারাথনি বেড়াজালে
কিছু মুহুর্তদের কথা।
বাইরে অন্ধকার রাস্তায় কাদা কাদা
বনফুলের গন্ধ ,ফরিঙের ইচ্ছা
মেঘলা আকাশ।
মাটির  মেটো গন্ধতে তোর নিঃশ্বাস
আমার বিশ্বাস
খালি পায়ে পথ চলা তোর সাথে।

বৃষ্টি হচ্ছে আজ ,তুমুল বৃষ্টি
থেমে যাওয়ার পৃথিবীর পর্দায় আটকানো চতনা।
জীবিত সব কিছু  যদি থেমে যায়
হৃদয়ের পথ চলা দূরে সরে যায়।
তবুও আমার হাত ধর মন
আকাশ বড় ডাকছে জীবনের অপেক্ষায়
চল ভিজি আজ।    

বৈজ্ঞানিক সভ্যতা

 বৈজ্ঞানিক সভ্যতা
................. ঋষি
=======================================
ট্রাফিক সিগন্যালে লটকে থাকা সবুজ রংটা জানে না
আমরা সকলে থমকে আছি জেব্রা ক্রসিঙে।
চলন্ত পৃথিবীর আঙ্গিনায় যন্ত্রদের ভিড়ে
আমরা এগোতে এগোতে থেমে গেছি নিজের অজান্তে।
সবুজ পৃথিবীর ঘ্রাণে আটকে থাকা বিজ্ঞান
সালোকসংশ্লেষের বীর্যের ভূমিকায় ছন্দপতন যন্ত্ররা ,
কখন যেন বেমানান বুমেরাং হয়ে গেছে।

এমন একটা দিন আসবে
যেদিন পথে পথে ভালোবাসা বিকোবে নগ্ন স্কেলিটনে।
এমন একটা দিন আসবে
যেদিন মানুষের নখে লেগে থাকবে রক্তের রং।
এমন একটা দিন আসবে
যেদিন সম্পর্কগুলো ফেরি হবে নিশিত রাতে।
এমন একটা দিন আসবে
যেদিন সন্তান জন্মাবে যন্ত্রদের শরীরে।
আর আধুনিক যন্ত্র  জন্মাবে সভ্যতার হাতে
আর যন্ত্রদের  ভিড়ে মানুষ যন্ত্র হয়ে যাবে।

সমস্ত এগিয়ে চলার গতিতে প্রগতিশীল সভ্যতা প্রবাহমান
সমস্ত জীবেদের কল্যানে বিজ্ঞানের ঐক্যান্তিক প্রচেষ্টা।
সবটুকু কে সেলাম করে বলি
আমরা সকলে আসলে নির্ভরশীল হয়ে গেছি।
দৈনন্দিন বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টায় আমার জীবিত মৃত হয়ে গেছি
আসলে যন্ত্রদের ভিড়ে আমরা নিজেদের ভুলে গেছি ,
সভ্যতা বিজ্ঞান তৈরী করে ,বিজ্ঞান সভ্যতা না। 

মাঝে মাঝে

মাঝে মাঝে
............ ঋষি
=====================================
অন্ধকারের কামুক খেয়ালকে
বিদ্ধ করে নাগরিক পৌরুষ বারংবার।
আকাশের বুক ছিঁড়ে অন্ধকার দিকচক্রবালে স্বর্গীয় সকাল
আহ্বান বুকের মাঝে জড়িয়ে রাখার তৃষ্ণা।
মাঝে মাঝে তোকে তৃষ্ণা বলে ডাকতে ইচ্ছে হয়
মনে হয় অসময়ে বৃষ্টি আমার বুকের মাঝে।

তোর বুকের স্তব্ধতায় শুয়ে মুখোমুখি যৌবন আর বেঁচে ফেরা
মাঝে মাঝে তোকে ছিঁড়ে দেখতে ইচ্ছে হয়,
আমার স্পর্শে।

উড়ে যায় অনিদ্রার চোখে অন্ধকার সময়
সোনালী ভোরে স্বপ্নরা সব দিকভ্রান্ত।
এগিয়ে আসা তোর নগ্ন বুকে মুখ ডুবিয়ে
নিজেকে খুঁজতে ইচ্ছে হয় পাগলের মত।
হয়তো পাগল আমি ,তোর স্পর্শে
আমার বেঁচে ফেরা।
তোকে ছুঁয়ে ,আমার কবিতাদের জন্ম দিতে ইচ্ছে হয়
সবুজ পৃথিবীতে।

তোর বুকের পাহাড়ে লুকিয়ে রাখা সূর্যের প্রথম আলো
আমার সমস্ত সত্বায় শিরশিরে বেঁচে ফেরা
তোকে আমার পেতে ইচ্ছে হয় যখন তখন।

কাল রাতে ঘুম হয় নি ভালো
অবচেতনে ছুঁয়ে যাওয়া বুকের বালিতে অজস্র তৃষ্ণা।
আকাশের বুক ছিঁড়ে অজস্র আলোর সাপ হৃদয়ের গভীরে
গম্ভীর শব্দে ঝরে পরা বুকের পলিতে।
আমার তোর নাম লিখতে হয় , বৃষ্টি
তোকে আমার তৃষ্ণা বলে ডাকতে ইচ্ছে হয়।

Wednesday, April 22, 2015

" সত্যমেব জয়তে "

" সত্যমেব জয়তে "
............ ঋষি
===================================
নিরক্ষরেখা ধরে দীর্ঘতম প্লাটফর্মে
অপেক্ষার প্রচেষ্টায় ঘুন ধরা সকালের ভিড়।
নিশ্চিত মৃত্যু থেকে বেঁচে ফেরা আদুরে পুষি
দুধ খাই জীবন।
খোলা স্থনে চুষে খায় রক্ত বিন্দু
ভীষণ সোজা সরল সরলরেখা ধরে।

সত্যি বলতে পারাটা লজ্জাজনক নয়
আমার ভিতরে বাহিরে বাজতে থাকা স্যাক্সফোনের সুরে।
অদ্ভূত নিসঙ্গ বেঁচে ফেরা কবিতারা
নাম না জানা প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে স্বপ্ন খোঁজে।
" সত্যমেব জয়তে "
কোনো নিশ্চিত হৃদয়ে রাখা ঝংকার নয়।
আর কোনো অশ্লীল পর্ণের প্রত্যাবর্তনের অহংকার নয়,
জীবিত জটিলতার প্লাটফর্মে শেষ গাড়ি ছেড়ে যাওয়াটা
আসলে বোকামি।

নিরক্ষরেখা ধরে দীর্ঘতম প্লাটফর্মে
অসংখ্য ট্রেনের হুইসেলে বাজতে থাকা আশা বুকের পাঁজরে।
যন্ত্রণার মত বাজতে থাকে হৃদয়ের দরজায় দাঁড়ানো
শেষ সকাল আবার আসবে বলে।
আদুরে পুষি বারান্দার ইজি চেয়ারে দোল খায় ইচ্ছায়
আর ইচ্ছারা কখনো  লাগাম ছাড়া নয়।

আমার উষ্ণতায়

আমার উষ্ণতায়
......... ঋষি
=============================================
চট করে নেমে এলো সন্ধ্যেটা
সবুজ পাতার মতন জীবনের বিস্মিত উপস্থিতি।
আকাশ করা মেঘ ,বৃষ্টি
তুই নেমে আয় আরো গভীরে আমার।
যেমন স্বপ্নরা হাঁটে অবচেতনে বালিশের মলাটে
দু এক ফোঁটা নোনা জলে।

আকাশ থেকে নেমে আসে তৃষ্ণারা
সারা শরীর জুড়ে ,হৃদয়ের গভীরে প্রাচীন স্তবকে।
শিরশিরে উপাখ্যান
তোর ঠোঁট ছুঁয়ে পারদে বাড়া উষ্ণতারা।
অদ্ভূত প্রেম
আকাশের বুকে জমা মেঘে।
কয়েকশো প্রাচীন উপাখ্যানের গর্ভপাত
অনিশ্চিত সময়ের বুকে একলা দাঁড়িয়ে
চিত্কার তোর নাম ধরে ,
তৃষ্ণার্ত হৃদয়।

চট করে কমে যাওয়া দূরত্বরা
ছোটছোট পায়ে এগিয়ে আসে জন্মাবার ভিজে মাটিতে।
আকাশ থেকে নেমে আসে বৃষ্টি
আমি ভিজে যায় ,হাত বাড়ায় অদ্ভূত প্রশ্নে অবতীর্ণ।
কবিতার পাতায় তোকে ছুঁয়ে কল্পনায়
বৃষ্টি আমার উষ্ণতায়। 

সময় ও জীবন

সময় ও জীবন
.................... ঋষি
=======================================

বাজারী জামার ঘামে ভেজা মাছের গন্ধটা
তুই পেলি না।
আমিও পেলাম না তোর রঙিন ঠোঁটের আড়ালে
লালচে তৃষ্ণার স্পর্শ।
তোকে বলি তুই সময় বলতে কি বুঝিস
বেশ্যার বাজারে অসংখ্য পন্যরা কোথাও যেন বাজারী
ঠিক আমি যেমন হাজার হকার্সের মাঝে বিক্রি স্বপ্ন।

ক্যাফেটেরিয়ার কাঁচ দিয়ে ঢাকা প্যান্টি আর বুকের অদ্ভূত পণ্য
তোকে বলি তোর বুকের সাইজ কত।
ঠিক কত মাপে তুই হেঁটে যাস সমাজের বুকে
আসলে বাজারে সব বিক্রি হয় ,
অথচ হৃদয়ের মাপের কাপড় কোথায়।
কোথায় স্পর্শ সুখে পাগল হৃদয়ে খোলা দরজা
যাকে যত্নে গোপনে রাখা যায় ,
যাকে যত্নে জীবিত বাঁচা যায়।
দরজার পারাপারে মৃত্যুগামী
অদ্ভূত প্রহসন চারিপাশে পন্যদের মাঝে কোথায় যেন ,
আমরা সবাই শরীর হয়ে গেছি।
আর বাকিটুকু মেঘলা দুপুর আর লেপ্টে থাকা ঘাম
তোর গোপন বুকের ভাঁজে।

বাজারী শব্দের ফাঁকে প্রতিটা মুহূর্ত বন্দী হয়ে রইলো
তোর কপাল বেয়ে গড়িয়ে পরা ঘাম।
দুচার মুহুর্তের আলাপনে জ্যাব জ্যাবে জ্যাম
হৃদয়ের গভীরে কোথাও।
দূরে কোথাও বেশ্যা সময়ের মুহুর্তে
রাস্তায় দাঁড়ানো অসংখ্য হকার্সের বেচা কেনা
সময় ও জীবনের সাজানো পণ্য। 

Tuesday, April 21, 2015

আমি আর আমার কবিতা

আমি আর আমার কবিতা
........... ঋষি
==================================
জীবিত ও মৃতের ফাঁকে শুয়ে থাকা
খরগোশের দৌড়ে।
আমি নিরুপায় অনন্য কোনো অধিকারের মত
জীবিত আমার কবিতায়।
বাকিটুকু মৃত তাই
যেমন আমি আর কবিতা।

দারুন প্রশ্ন
পাশাপাশি চিতায় না কফিনে।
নির্ভেজাল বাংলায় বলি কবিতার কোনো জাত নেই
হ্যা অবস্থান থাকতে পারে।
যে আগুনে লোহা পুড়ে  আরো  খাঁটি হয়
সেই একই অধিকারে
আমার কবিতারা কবিতার পাতায়।
পুড়ে যায় আরো পোড়ে আমার হৃদয়
ঠিক পাশাপাশি আমি আর কবিতা।

জীবিত ও মৃতের ফাঁকে শুয়ে থাকা
কচছপের দৌড়ে।
আমি হেরে যায় জীবিত থাকার জীবিকায়
আবার মৃত আমি আমারও কবিতায়।
বাকিটুকু জীবিত তাই
যেমন আমি আর আমার কবিতা। 

হৃদয় ঘরে

হৃদয় ঘরে
............. ঋষি
===============================
প্রাসঙ্গিকতা হারানো শব্দের নুপুরগুলো
কিছু শব্দ বড় বেমানান হৃদয়ের।
রিনিঝিনি  তোর পায়ে বাঁধা অদৃশ্য পদচারণ
কোনো অলৌকিক বজ্রপাত এই সময়ের।
তোর সময়ের হাতঘড়ি আমাকে একলা  করে
তোর হারানো নুপুর আমার হৃদয় ঘরে।

সবটাই ধারাবাহিক হৃদয়ের ভূমিকায়
শুয়ে থাকা বোধগুলো উঠে দাঁড়ায় প্রতিবাদ করে।
মানুষের চিতার সমীরণে সাদা রং
আরো গভীরে কোথাও লাল হয়ে যায়।
আসলে লাল রং
আমাদের হৃদয়ের গভীরে ক্ষতবিক্ষত করে।
ভীষণ প্রিয় কবিতার মত
কিছু না ভোলা শব্দগুলো  বড় অবুঝ বলে ।

প্রাসঙ্গিকতা হারানো শব্দের নুপুরগুলো
তোর হারানো নুপুরের একখানি আমার ডেস্কটপে।
বয়ে  যায় সময় থেকে সামুদ্রিক ঝড়
মুশল ধারা বৃষ্টি চারিধার।
এখন  বৈশাখী রৌদ্র শুকিয়ে যাওয়ার সময়
অথচ তুমুল বৃষ্টি হৃদয় ঘরে। 

আরো গভীরে

আরো গভীরে
............. ঋষি
==========================================
জীবিত আমি তুই জানিস
ওমা সেকি রে মাথা নাড়ছিশ  কেন।
বোবা সমুদ্রের ওপাড়ে  একটা দেশ আছে তুই জানিস
কি বললি জানিস ,যাক তুই কথা বলতে পারিস।
আমি ভাবলাম ঘুমিয়ে পড়ছে সময়
তুই ছাড়া একলা এই সময়।

ভাবতে ইচ্ছে করছে তোকে বুকে টেনে নি
খুব কাছে বুকের ভিতরে।
তোর ধুকপুকটাকে  প্রশ্ন করি
বলতো কোথাই আমি।
তোর ঠোঁটে ঠোঁট ঘষে ,তোর খোলা বুকে জীবিতের গন্ধ
আমার নিজেকে জীবিত ভাবতে ইচ্ছে করছে।
প্রতিদিনকার অসংখ্য কম্পনে
অসংখ্য পরিবর্তন
আমার কেন জানি আজ পরিবর্তন করতে ইচ্ছে করছে।
নিজেকে ,সময়কে
খোলা আকাশের মেঘ বৃষ্টির পরে লুকোনো অভ্যস্ত নিজেকে
আজ তোর সাথে মিশিয়ে নিতে ইচ্ছে করছে।

জীবিত আমি তুই জানিস
ওমা অমন করে মাথা নাড়ে কেউ।
শ্মশানের  ছাইয়ে পড়ে থাকা প্রাগঐতিহাসিক  জীবাশ্ম
বাতাসে ছাই পোড়া চামড়ার গন্ধ।
তবু জানিস আমি বাঁচতে চাই
ভালোবেসে আরো গভীরে তোর একসাথে। 

অন্য ঋষি

অন্য ঋষি
.......... ঋষি
======================================
জীবিত উপেক্ষার চাবিকাঠি সকালের সূর্যে
হেঁটে চলা জীবন
কয়েক পা তোমার সাথে।
ভেবেছিলাম কেটে যাবে জীবন
রোজ যেমন কাটে
কিছুটা ব্যস্ততা শেষে ক্লান্তি প্রতি রাতে।

ভেবেছিলাম চলার পথে কাঁটাদের  অন্তরায়
কিছু মুহূর্ত তোমার আমার।
এক আকাশ স্বপ্ন বুকে দাঁড়িয়ে থাকা
অদ্ভূত নিঃশ্বাসের সহস্র প্রাচীন বিশ্বাস আমাদের দরজায়।
কিছুটা অন্তরায় কপট সূর্য মেঘের আড়ালে
আজকাল আমার হাসি পায়।
যাদের ফুরিয়ে যাওয়ার কথা ছিল
সন্ধ্যেবাতির ধুপের ছাই শ্মশানের গায়ে।
আর আমি হাসতে থাকি
ছাই মাখা অন্য ঋষি শান্তির প্রতীক্ষায়।

জীবিত উপেক্ষার চাবিকাঠি সকালের সূর্যে
প্রভাতী সঙ্গীতে চেতনার সুর।
আলো ,আরো  আলো ,আরো জীবন
যেখানেই থাকো না অনন্য তুমি,
শান্তি
তোমার  অপেক্ষায়। 

Sunday, April 19, 2015

সবটাই কালো

সবটাই কালো
............... ঋষি
=====================================
কিছুটা জিজ্ঞাসা থাক
না হলে ফুরিয়ে যাবে যে সমস্ত উপসংহার।
কথায় বলে শেষ তখন
যখন নিজের মাটিটুকু পুরনো টেরাকোটার মাটি।
কিংবা কোনো অদৃশ্য মেরুদন্ডে চোরা মাটি
আর মিথ্যে হাঁটাহাটি।

সব প্রশ্ন এখনি করবে নাকি
মাঝখানে কেটে যাওয়া আমাদের কুড়িটা বছর।
অদ্ভূত তো তোকে তুই ছেড়ে তুমি বলছি
তোকে জীবিত ভেবে কথা বলছি।
না রে ঠিক এমন নয়
খানিকটা পাক ধরেছে চুলে।

খানিকটা বুড়ো হয়েছি তোকে স্কেচ করতে করতে
বেশ অনেকটা পেন্সিল ঘষেছি হৃদয়ে,
সবটাই কালো।
সবটাই ভালো
একমাত্র ফেলে আসা কুড়ি বছরের সময়টা ছাড়া
সবটুকু ধারালো  ।

অন্য পৃথিবী

অন্য পৃথিবী
............. ঋষি
====================================
গ্রীষ্মের রৌদ্র চাটা দুপুরের পর
দুম করে জমা মেঘ ,মেঘলা আকাশ।
কিছুই থাকে না মন
এই উদাসী শীতল হাওয়া তোর ওড়নার জানলায়।
বদলায় বদলানো এই সুর এই  বিকেলবেলা
কিছুটা হারিয়ে যাওয়া চোখ ,চোখের পাতায়।

কোনো কফি কর্নারে আদ্র কাঁচের ওপাড়ে
অন্য পৃথিবী বৃষ্টির প্রতীক্ষায়।
সেখান থেকে জমা চাতকের বুকে দু এক ফোঁটা শান্তি
আমার কবিতার খাতায়।
আঁচড়াতে থাকে মন আমার বোতাম খোলা জানলায়
তোর ঠোঁটের মিষ্টি হাসি।
পৃথিবীর ওপাড় থেকে সেলোফোন ভেসে আসে
ঈশ্বরের ধ্বনি।
বন্ধু চিরসখা অন্তরের তুই
খুব বৃষ্টি চারিধারে ক্লান্ত চোখে আঁকা ,
অন্য পৃথিবীর।

গ্রীষ্মের চতুস্কোনে রাখা তোর পদচিন্হ
আমার শহরে।
মন তুই আসবি আবার আমি জানি
এও জানি আমি আছি তুই আছিস তাই।
তবু আমার মনের জানলা দিয়ে কফি কাপে ঠোঁট
তোকে ছুঁয়ে আমার কবিতা এই বিকেলবেলা । 

Friday, April 17, 2015

পাতায় পাতায়

পাতায় পাতায়
........... ঋষি
================================
মুহূর্তগুলোকে বাঁধতে চেয়েছিলাম
মোড়ক ,নাটকে, সমগ্র উপন্যাসের শেষ পর্যায়।
সকালের আলোয় মাটির পৃথিবীতে হারিয়ে গেলাম
আবারও আলোকবর্ষের আনন্দ মেটো চোখের পাতায়।
আবাল্য ফেলে আসার শোক
দুচোখের পাতায়।

নাটক ফুরিয়ে যায় ,নাটক বিক্রি হয়
দৈনন্দিন নাটকের ভূমিকায়   কতকিছু বদলায়।
শুধু শবদাহ পারাপার চোখের পর্দায়
বদলায়।
একটা দিন ,প্রতিদিন বাঁচার আঙ্গিনায়
আরেকবার
আশার দিন
আশাহত আবারও দিন প্রতিদিন।

নিহত ইচ্ছারা বিম্বিসারের দেশের শেষের পাতায়
পোড়া আম্রপলি  জানে বদলানো শ্বাসের অর্থ।
প্রতিবাদ কলমের শেষ স্তবকে
মানুষ মৃত্যুগামী জড়া।
অর্থ মানুষ  মেরুদন্ডহীন  বাঁচার বিশ্বাসে আরেকবার
চোখের পাতায় জল।

সমাজ সেবক

সমাজ সেবক
............ ঋষি
=====================================
লোকটির পোশাক নোংরা, চুল-দাড়ি, বিড়ি খায়।
মুখে খারাপ কথা।
বউ পেটায় প্রতি রাত্রে মদের নেশায়
পার্টি অফিসের চারপাশে ঘোরে।
পতাকা ঘাড়ে প্রতি মিছিলে দাঁড়িয়ে নিজেকে বিখ্যাত ভাবে
বড় কথা ,বড় ঘর ,বড় দেশ
সমাজ সেবক।

ভগবানে বিশ্বাস নেই ,টাকার গান্ধীজীকে সে চেনে
চেনে পাড়ার বড়সড়ো  পার্টি লিডারকে।
আর চেনে সেই পদ্মা নামে পদ্ম বারের মাগিটাকে
যার সাথে পার্টির বাবার যোগ।
মাঝে মাঝে নেশার ঘোরে অসাবধানে বন্ধু মহলে বলে ওঠে
ওরে শালা পার্টি রাখ তো।
দু চারটে বোমা ঝাড়লে সব শালা   ........
এমনকি দেশ আর পদ্মা এক লাইনে ,
ভোট ব্যান্ক ভর ,ছাপ আর ছাপ
শালা কিসের চাপ মামা তো গান্ধীর গোলাম।

যত রাগ তার পার্টির উপর নিজের গোপনে ,অবচেতনে
যত রাগ তার বউয়ের উপর ,পদ্মার বুক আর বৌয়ের বুক।
যত রাগ তার নিজের জন্মের উপরে , ভোট বিধাতা আর সে
যত রাগ তার জীবিতের উপরে ,জীবিত অথচ মৃত।
যত রাগ তার দেশের উপরে ,গান্ধী আবার সত্য
যত রাগ তার মেয়েদের উপরে ,মেয়ে অথচ ন্যাংটো।
যত রাগ তার সভ্যতার উপরে ,সভ্যতা আবার বেশ্যা
সস্তার মদ খায় লোকটা ,শুয়ে পরে রাস্তার উপরে।
খুন হয় লোকটা  ভেসে যায় দুর্গন্ধ সমাজের বুকে
অথচ ভোট নাকি মানুষের অধিকার।

লোকটা এখন মৃত কমরেড ,পবিত্র আত্মার স্মৃতি চারণ
পার্টি অফিসে ফুলের মালা।
অথচ খবর এটা লোকটার  বৌয়ের বাজার দর ভালো
পার্টির বাবা যাওয়া আসা লোকটার বাড়িতে।
পতাকা ঘাড়ে এখন বিধবা বউ লাইনে দাঁড়িয়ে
সেই নোংরা লোকটার বউটার কপাল ভালো ,
এই দেশে পার্টি ছিল তাই।

Thursday, April 16, 2015

ঈশ্বর মহান শক্তিবান

ঈশ্বর মহান শক্তিবান
................. ঋষি
============================================
প্রাসাদের বাইরে শুয়ে আছে পাগলী ভিখারিনী
ঘুমভাঙ্গা চোখে ঈশ্বরের চোখে ক্রোধ।
মহান ঈশ্বর ভাবেন
কে তুই ,এমন উজবুক।
কে তুই ,এমন বাড়ানো হাত
এ সভ্যতায় মানুষের  যোগ্যতা বিক্রি হয় ,
অথচ মানুষের যন্ত্রণা নয়।

নতুন কি ?
জীবিত প্রবাহের প্রবাহিত বাতানুকুল গাড়ির।
জানলায় সেই হাত এগোবে না তা হয়
তবে এগোবে না যোগ্য হাতের পয়মন্ত স্পর্শ।
ভিখারিনী দাঁড়িয়ে থাকবে
পাশ দিয়ে চলে যাবে সভ্যতার ঈশ্বরের বাতানুকুল পরিবহন।

ঈশ্বর ফিরছেন মাঝরাতে
আজকে বারে একটু বেশি হয়ে গেছে।
সামনে সেই আলাথালু ভিখারিনী একলা গাছতলায়
লাল চোখে ঈশ্বরের যোগ্যতা নেমে আসে মাটিতে।
ঈশ্বরের কাছে ভিখারিনী জীবিত বাড়ন্ত পুজোর ভোগ
বাতানুকুল গাড়ির দরজায় এগিয়ে যায় পয়মন্ত হাত।

ক্ষনিকের অধিকারে পাগলীনী বোধে ঈশ্বর প্রাপ্তি
ছিন্নভিন্ন শাড়ি আরো ছিন্নভিন্ন হয়  ভিখারিনীর ঈশ্বরের পুজোয়।
খুলে যায় লালচে চোখে ভিখারিনীর পাঁজরের হাড় কটা
ঈশ্বরের প্রাসাদ এখন চামড়ার হাড় কাটা।
ঈশ্বর বিদ্ধ করেন যোগ্যতা অযোগ্য ভিখারিনীর শরীরে
তারপর ভিখারিনী নেমে আসে অযোগ্য পৃথিবীতে।

প্রাসাদের বাইরে শুয়ে আছে সেই ধর্ষিত পাগলী ভিখারিনী
ঘুমভাঙ্গা চোখে ঈশ্বরের চোখে ক্রোধ,
ঈশ্বরের মুখ দেখে ভিখারিনী কাঁদে হাতে তার বাসি কাগজের নোট।
ঈশ্বরের পেয়াদারা ছুটে আসে হাতে লাঠি
হেই তুই কলসে ইহাপরি দরবাজেমে হ্যা, চল ভাগ।
ভিখারিনী কাঁদতে থাকে শরীরে তার ঈশ্বরের স্পর্শ
ভিখারিনী হাসতে থাকে ঈশ্বর মহান শক্তিবান। 

Wednesday, April 15, 2015

এই সময় ,অসময়

এই সময় ,অসময়
............. ঋষি
=======================================
ইচ্ছে থেকে জন্ম নেওয়া খেলনা বাটি
প্রকৃতি আর পৌরুষের মিলিত জলছবি।
সবটুকু মিথ্যা নয়
শহর বলে নি কখনো ফুরিয়ে গিয়ে ফিরে আসা যায়।
কলমের নিবে পরে থাকা রক্তবিন্দু
এই সময় ,অসময়।

কানের কাছে ফিসফিস
একটা জীবন গভীর নীল  মেঘের চোখে অজস্র স্বেদ জমে।
কেটে যাওয়া সময়ের নদী
কিংবা ধরো  সময়ের ঘুড়ি একলা আকাশে।
সবাই হাততালি দেয়
ঘুড়ি কেটে যায় ভোকাট্টা  একটা জীবন।
চার দেওয়ালের ঘুলঘুলি দিয়ে চিলে কোঠার ছাদ
ইশ যদি আরেকবার শৈশবে ফেরা যায়।
হাতের লাটাইয়ের নষ্ট সময়ের দূরত্ব
দুর্বলতা কখনো এই সময়।

ইচ্ছে থেকে জন্ম নেওয়া খেলনা বাটি
মরা বালিশের শব্দহীন অনিদ্রা।
সিলিঙের গায়ে লেগে থাকা টুকরো টুকরো স্বপ্নগুলো
সবটুকু সত্যি নয় ,আসলে হয় না।
শহরের রূপকথায় শহর একাকী নায়কের ভূমিকায়
শুধু দৃশ্যপট  বদলে যায়। 

আমার তুমিতে

আমার তুমিতে
.............. ঋষি
====================================
নিশ্চিত মৃত্যু থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে
বাঁশির সুরে অদ্ভূত তুমি হাসো।
আমি দেখি জীবিত জীবনের আকাঙ্খায়
সবুজ নদী ,পার ভাঙ্গা ঢেউ।
অজস্র সঙ্গমে বেরিয়ে আসা চেতনার জিভ
ভেংচি কাটে জীবন বারংবার।

হাসতে পারো
হাসি তোমায় মানায় আমার চেতনায়।
তোমার খোলা আকাশের খবর ছড়িয়ে পরে শহর ছাড়িয়ে
বিশাল প্রান্তরে তোমার খোলা চুলের কাব্য।
জীবিত জীবনের বিভিন্ন পারে অসংখ্য টানাপোড়েন
ছড়ানো ছেটানো আমার তুমিতে ।

তুমি কাঁদতে পারো
কান্না তোমায় মানায় না আমার ভাবনায়।
তোমার চোখের থেকে ঝরে পরা মুক্ত দানাগুলো
টুকরো টুকরো স্বপ্ন আমার কবিতার পাতায়।
ছড়ানো ছেটানো তোমার আমাকে একটাই প্রশ্ন
আচ্ছা তুমি ভালো আছো তো।

নিশ্চিত মৃত্যু থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে
কিছু স্তিমিত আলোয় ধিকধিকে বোবা তোলায়ার।
ফ্যালা ফ্যালা আমি তোমার ঠোঁটের তৃষ্ণায়
নেমে চলি নিচে ,আরো নিচে।
যেখান থেকে ফিরে আসা যায় না বেঁচে
আসলে আমিও ফিরতে চাই না কখনো। 

উপস্থিত সাক্ষী


উপস্থিত সাক্ষী
.................... ঋষি
=========================================
স্থপতিরা গড়ে গেছে গির্জা ,মন্দির ,মসজিদ
অথচ আজও প্রেম লেখা হয় কষ্টের ছুরিতে।
হৃদয়ের কথা শোনা যায় না
দৈনন্দিন ভাড়ার বক্সে বাজা রিমেকের গানে।
প্রেম বদলায়
বদলানো সময় হৃদয়ের দরজায়।

জানি জীবিত থাকা মানে হেরে গিয়ে ফিরে আসা
জানি জীবিত থাকা মানে নাটকের মঞ্চে দিনান্তের সাজানো লিপি।
অজান্তে বয়ে  যাওয়া ঝড়ো হাওয়া ভাসিয়ে নিয়ে যায়
অজান্তে মনের গোপনে লুকোনো রক্তপাত।
অজস্র প্রশ্ন উত্তরের একলা কান্ডারী দাঁড়িয়ে থাকে
আপন মনে।
এ কোনো কবিতা নয় , যে সৃষ্টি প্রেম
এ হলো গভীর মনের অনুরন, পাগল প্রেম।
কোনো একলা হৃদয়  
কোনো অদ্ভূত উপস্থিতি সাক্ষী  হৃদয়।

স্থপতিরা গড়ে গেছে গির্জা ,মন্দির ,মসজিদ
অথচ আজও প্রেম শুয়ে থাকা একলা সারণী ধরে সস্তা শরীরে।
হৃদয়ের স্পর্শ ছোঁয়া যায় না অনন্ত শিহরণে
শুধু ঈশ্বর চোখ বন্ধ করে।
প্রেম বদলায়
বদলানো কবিতা পাতায় পাতায়।

আমার কল্পপরী

আমার কল্পপরী
............. ঋষি
=====================================
মনখারাপের পাতা ছিঁড়ে কুচিকুচি
কিছু কবিতা তোর ঠোঁটে ,
কিছু কবিতা বানভাসি।
আমার শহর জুড়ে আটকে যাওয়া সেই জানলার কাঁচে
ঘুমন্ত রেলিঙে গঙ্গার ঘাটে।
এক চিলতে সিগারেটের রিঙে
আটকে থাকা তোর মুখ ,আমার সংসার।

হাসছি দেখ আমি ,লজ্জাহীন আমি
শব্দের প্রতিধ্বনি বুড়ো মনসার ঝোঁপে আস্ফালন।
কাটা ছেঁড়া ছুরি হাতে সময়ের শব ঘরে
সব দাঁড়িয়ে থাকে ,
আমি হাসছি ,আমি হাসবো কালও।
আমার রক্তাক্ত দিনলিপি লেখা যাবে না তোর আঁচলে
তোর খোলা বুকে মুখ ঘষে বলা যাবে না।
শুকনো গোলাপের শুকিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা
শুধু সময় চলে যাবে।
যেমন যায় ,দিন ,প্রতিদিন তোর  কল্পনায়
আমার কল্পপরী।

মনখারাপের পাতা ছিঁড়ে কুচিকুচি
আমার কবিতারা আকাশে উড়ছে তোকে জড়িয়ে।
নেমে আসছে সবথেকে উঁচু স্থানে দাঁড়িয়ে আমার শরীর
মাটির বুকে ,তোর বুকে,
হৃদপিন্ডের স্পন্দন।
সিম্ফনি অসংখ্য ধারা খুচরো জলপ্রপাত
আমি ভিজে যাচ্ছি স্বপ্নে আবারও একলা পৃথিবী। 

Tuesday, April 14, 2015

চলন্তিকা ও আমার কলম

চলন্তিকা ও আমার কলম
........... ঋষি
====================================
চলন্তিকা রোজকার দোলনায়
নিত্য অনিত্যের পথে শত শব্দের সম্মোহন।
জীবিত ইচ্ছায় নেমে আসে ছুড়ি মাঝে মাঝে
পথচলায় একলা বিকেলের দোলনায়।
দুলতে থাকে সময়
আমি হাসতে থাকি পাগল প্রেমে।

সরে যাওয়া মুহুর্তদের কিছু অদ্ভূত ঘনঘটা
চলন্তিকা তোর বুকের আগুনে সমস্তকাল দাবানল
জ্বলতে থাকে ,পুড়তে থাকে।
জানলার বাইরে আকাশের লালচে আভা
রোম খাড়া করা আরব্য রজনীর রাজপুত্র
তোকে ছুঁতে চায়।
ঠিক সন্ধ্যায়
তোর ঠাকুরঘরে ঠাকুর নামক যাযাবর কবিতার পাতায়
আমি অস্তিত্বহীন ক্লান্ত বিকেলে পথে ,
হেঁটে চলে যায়।

চলন্তিকা রোজকার দোলনায়
দুলতে থাকা ঘড়ির পেন্ডুলামে ইশ্বরের  পথে।
জীবিত ইচ্ছায় আলোর সব ফুলঝুরি
পথ চলা বিকেল ফুরিয়ে সন্ধ্যের মিষ্টি হাসি।
কিছু কবিতা ঝরে পরে
আর আমার পাগল কলম বাউল প্রেমে। 

যদি এমন হত

যদি এমন হত
.............. ঋষি
=======================================
যদি দূরত্বের গালে টেনে চড় লাগানো যেত
যদি সময়ের হাতছানি।
সময়কে লুকিয়ে রাখা যেত
বেশ হতো।
একটা জীবন না হয় তোর সাথে হাসতে হাসতে
হাসি খেলায় কাটিয়ে দেওয়া যেত।

আমি ভাবনাকে বলি নি
বিশ্বাস করি না।
আমি নিজেকে বলেছি আমার বিশ্বাস নেই
চেতনার পরে গড়িয়ে নামা চোখের জল।
কয়েকশো কদমে লং ড্রাইভে লং জার্নি
শুধু আকাশ পেরিয়ে কলমের গোড়ায় লাগানো জেদ।
সৃষ্টি হবে না কিছু ,শুধু প্রলাপ লিখে যাব
যতই দূরে থাকি ,
তোকে আরো ভালোবেসে যাবো।

যদি দূরত্বের গোড়ায় আটকে থাকে অহংকারী বৃষ্টি
সে যে এসেছে চিরকাল ,ভিজিয়েছে ইচ্ছেমতো।
সবুজ ঘাস ,বোবা পৃথিবীর মাটিতে মেটো গন্ধ
হারিয়ে যাওয়ার রেশ।
সবটাই মিথ্যা হলে ,হতো বেশ
অথচ তুই রয়ে গেলি আমার শিরায় শিরায়। 

নববর্ষের শুভেচ্ছা

নববর্ষের শুভেচ্ছা
............. ঋষি
=====================================
হাম, তুম ওর ওহ
মারুতির সিটগুলোতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে।
ঘুম ভেঙ্গে যায়
দেখি মেয়েটা দাঁড়িয়ে আছে চেনা সুর ,চেনা ভঙ্গিমায়।
হাতে গোলাপ ,স্যিগনালে আটকানো গাড়িদের ভিড়
বাবু ভালোবেসে দিন ভালোবাসা বেড়ে যাবে।
আমি হাত বাড়াই ,ভালোবাসা বাড়াই
এগিয়ে দি চেনা গান্ধীর অচেনা দেশ।

আজ নববর্ষ
সরি শুভ নববর্ষের  শুভেচ্ছা আপনাদের।
বলতে ভুলে গেছি ,মার্জনা করবেন
ভালো খবর এটা আজকের জন্য পদ্ম বারের  পদ্মার ,
আজ রেটটা একটু কম আছে।
আপনারা আসতে পারেন
প্লিস একটা অনুরোধ প্রতি ঘন্টার ফাঁকে ,
পদ্মাকে  একটু সময় দেবেন বাচচাকে দুধ দেবার।
আপনারা সেই সময় না হয় একটু চার্জ হয়ে নেবেন
বারের দারোয়ান বলছিল মালটা খাসা।

হাম, তুম ওর ওহ
চেনা সিটের গাঁথুনিতে এসি থ্রি টায়ারে বুকিং।
ঘুম ভেঙ্গে যায়
অচেনা প্লাটফর্মে গাড়ি দাঁড়িয়েছে।
বাইরে উঁকি মেরে দেখি চেনা শুভেচ্ছা
বাবু দুটো টাকা দেবেন ,সকাল থেকে খাই নি কিছু।
চেনা প্রহসন দুচোখ বেয়ে, হায় আমার দেশ
সেসব থাক আজ শুভ নববর্ষ ,আপনারা ভালো থাকুন।

ক্যানভাসের চাপা কালি

ক্যানভাসের চাপা কালি
............. ঋষি
==========================================
বুকপকেটে ভাঁজ করা চিঠিটা একই আছে
যেমন নিউসপ্রিন্টে ছাপানো অজস্র কথন সভ্যতার কান্না।

কেউ বলে নি রাখতে হিসেব ছন্দহীন ছন্দপতনের
পত্রিকার কলামে বাড়তে থাকা অদ্ভূত ছন্দ।
অথবা প্রগতিশীল সভ্যতার মোড়কে
ক্যানভাসে আঁকা সম্পর্কের দাগ।
এগিয়ে যাওয়া ,
হারিয়ে যাওয়া ,
গুটিয়ে যাওয়া
চামড়ার অজস্র মৃত স্পন্দন।
প্রেম শুকিয়ে বালিশের চাপা কান্না
কারো অস্থির পদচরণ গভীর হৃদয়ে দাগ রেখে যায়।
সময় চিবিয়ে খাওয়া অভ্যাস মানুষের
অপরিবর্তনশীল।
অস্থির
অজান্তে,
হৃদের কান্নার অভ্যেস বসত  নিজস্ব গর্ভে গর্ভপাত।
বৃষ্টিপাত ,হাহাকার ,রক্ত হৃদয়ের সংলাপ
কিছুই মিথ্যা নয়  ব্যস্ত জীবনের পথচলায় ,
লুক্কায়িত সভ্যতার নতুন মোড়কের মেলবন্ধন।

বুকপকেটে ভাঁজ করা চিঠিটা একই আছে
শুধু মার্কার দিয়ে আগুনে আলোতে লেখা নেই ফুলমার্কস।
















































Sunday, April 12, 2015

ইচ্ছে হাওয়া

ইচ্ছে হাওয়া
................ ঋষি
=====================================
মনের প্রতিবিম্ব চুরি হয়ে যাওয়া আকাশটা
মোরাম বিছানো লাল পাথুরে রাস্তায়  একলা দাঁড়িয়ে।

এক ফালি কফি কাপে চুমুক দিয়ে
আবার বিকেল ,,, নেশা।
এক মেয়ফিলে  এক গ্লাস ঠান্ডা বিয়ারে চুমু
কোমড় জড়িয়ে ঠোঁট নিগড়ে
তোমার ফেস ও বুকের আই ডি চাই,
জুড়ে থাকায় আসলে জুড়ে থাকতে চাই
জীবন আর মৃত্যুর ফাঁকে ।

ভাবতে থাকি অনিদ্রা থেকে নিদ্রা শব্দটা এসেছে
না নিদ্রা থেকে অনিদ্রা।
ঘুম কাড়া সকালের কাব্যে কবিতার পাতায়
সময় ঘুমোয় তোমার মত।
অথচ তুমি বদলে যাও
ভেংচি কাটে সময় নিজের আয়নায় ,
যথাযথ আমাদের প্রতিবিম্ব।

জীবিত লজ্জা খসে পরে স্কেলিটন বেয়ে
ইচ্ছে হওয়ার বোতাম খোলা নাম প্রেম তুমি।

নিভৃত আলাপন

নিভৃত আলাপন
.......... ঋষি
=================================
সম্পর্ক যদি বেশি ক্লোজ হয়ে যায়
তখন মন খারাপের আকাশে নতুন দিগন্ত।
পাশের বাড়ির ছাদে কাকলী বৌদি শাড়ি নাড়ে
চুলের আগুনে স্বপ্ন ছুঁয়ে চিরুনী দেয়।
মুচকি হাসে
আসলে সম্পর্ক বিড়ালের মত পা টিপে হাঁটে।

আমি যখন স্বপ্ন দেখি কোনো মেয়ের
দেখি মা এসে দাঁড়িয়েছে খোলা জানলার সামনে।
পান্তা ভাতে নুন দিয়ে সংসারের আড়ালে
আমি জীবন দেখি খাঁচার পাখি।
খাঁচার পাখিতে সেই মেয়েটা
যাকে আমি স্বপ্নে প্রেম বলি।
তোমাকে আমার মনে রাখার কথা ভুলি না তখনও
বসন্ত উত্সবের কথা মাথায় আসে।
অদ্ভূত স্পৃহায় ছুটতে থাকি মাথার উপর
ছাদে যায় রং শুকোয় প্রেমের।
আমি সেক্সের কিছুই বুঝি না
তবু পোড়া রাত্রে নাইটি আর নাইটল্যাম্পের তফাৎ খুঁজি।
আবেশের চাঁদ গড়াগড়ি যায় খোলা বিছানায়
আমি জোত্স্নায় ভিজি তোমায় ভালোবাসি।

সম্পর্ক যদি বেশি ক্লোজ হয়ে যায়
তখন মাঝের রাস্তার অস্তিত্ব বড় অসুবিধায় পরে।
পাশের বাড়ির দাদা গলা শুনি অশ্রাব্য গালাগাল
শব্দগুলো আমাকে রক্তাক্ত করে।
হয়তো তখন কাকলী বৌদি কাঁদে গোপনে
কিন্তু আমি কাকলী বৌদিকে মুচকে হাসতেই দেখি। 

Saturday, April 11, 2015

ব্ল্যান্ক ফায়ার

ব্ল্যান্ক ফায়ার
............. ঋষি
=================================
রূপ ,লাবন্য সরে যাওয়ার পর
একটি মিহি সুতো বাঁধা থাকে।
বলা যায় তাঁতের মাকুর মুখে নুন দিয়ে
জীবিত এই প্রেম থাকে।
নির্ভর ,নির্দয় নিশ্চিন্ত ভাত ঘুম জীবনের
জীবন জীবিত জ্বালায় হাসতে থাকে।

কবে বলেছি শেষ তোকে কফি কর্নারে লুকোনো চুমু
একফালি খোলা আকাশে মুহুর্তদের ভিড়।
বিছানার চাদরে যুদ্ধ নেহাত পৌরুষ নয়
পৌরুষ ছুঁয়ে যাওয়া ,ছুঁয়ে থাকা সময় বিশ্বাসে ।
সাময়িক ব্যবধানে
চিতার ছাই উড়তে থাকে।
জীবন কি চাই বুঝতে থাকে সময়ের প্রলাপে
অদ্ভূত দূরত্ব।
বেঁচে থাকার দৌরাত্ম কমতে থাকে
কয়েকশো কবিতার স্পর্শে ভালো থাকা।

রূপ ,লাবন্য সরে যাওয়ার পর
কিছুই কমে না তোর ঠোঁটের কোনে তিল।
সব একই থাকে
বলা যায় জীবিত বাহানায় ছুঁয়ে থাকা সময়ের আলাপন।
নির্ভর আর নির্দয়ের তফাৎ সঞ্চারিত বুকের ম্যাগাজিনে
বুলেটের সময়ে রক্ত ,ঝরতে থাকে।

আর কতক্ষণ

আর কতক্ষণ
............... ঋষি
============================================
এই মুহুর্তে যখন জীবিত পারদ ঘামে জলে নাজেহাল
তখন ব্লটিং পেপারে শুষে নেওয়া ইচ্ছেগুলো।
একসাথে হৃদয়ের গন্ধে
আমার ঘামে ভেজা কবিতায়  ঢুকে যাওয়া এরোপ্লেন মাথার ভিতর।
উড়ে যাচ্ছে রোদ ঝলমলে  উষ্ণতার ভিজে আদরে
আর কতক্ষণ।

একমাত্র সম্বল হাতের সিগারেটের আগুনের তৃষ্ণা
গড়াগড়ি সামনে ফুটপাথ।
হিসেবের ভিড়ে ব্যস্ত সড়ক নিয়মিত গতিশীল
আমি স্থির ,আমার কবিতার হৃদয়ে আকাঙ্খা।
সকল সুস্থ ,স্বাবাভিক মানুষের মতো
এক ঝাঁক রৌদ্র পরিযায়ী পাখি।
মাথার ভিতর বো করে ঘুরে মুক্তি থেকে সোজা নিচে
আমার ভিতর ও বাহিরে মনের আনন্দে
আর কতক্ষণ।

চেনা মুখখানি ,চেনা তিল
মুচকি হাসি , অজস্র ঝরে পরে রক্তবিন্দু গোপনে।
দাঁড়িয়ে আছি
একলা কোথাও দূর থেকে দেখছি এগিয়ে আসা সকালের শিশির।
উড়ে যাচ্ছি শহর পেড়িয়ে বন্দর ,ঘোর ভেঙ্গে গেলো
কি কতক্ষণ এসেছো  তুমি। 

পিনড্রপ স্তব্ধতা

পিনড্রপ স্তব্ধতা
................. ঋষি
==========================================
অ্যাশট্রের ভিতর থেকে দেখা যাচ্ছে স্তব্ধতা
শহরটা ঘুমিয়ে আছে কুন্ডুলি পাঁকানো তৃষ্ণা রাত্রিতে।
শহরের এক কোনে
আমি দাঁড়িয়ে ক্লান্ত ছাদের উপর অনিদ্রা।
শুয়ে পড়েছে শহর মিলিমিশি সভ্যতার ইটের গাঁথুনিতে
প্রাগৈতিহাসিক  সভ্যতায় পিনড্রপ স্তব্ধতা।

শহর ঘুমোচ্ছে
জীবন্ত হাইওয়ের মাথার  উপর ঘুরপাঁক খাচ্ছে নিয়ন্ত্রিত জীবন।
চারদেওয়ালের জীবনের আগন্তুক জোত্স্না সাক্ষী
জীবিত জীবন।
হাতের ফিল্টার উইল্সের গনগনে আগুনে
সভ্যতা পুড়ছে কোথাও এই মুহুর্তে।
পথিবীর আবর্তনের সাথে ঘড়ির কাঁটার তালমেল
মৃত্যূ সাক্ষী হয়ে থাকে ঘুমের বিছানায় চেতনার ওমে
জড়িয়ে জাপটে এই সভ্যতায়।

শহর ঘুমোচ্ছে মেটামরফেসিস আদালতে
অ্যাশট্রেতে জমতে থাকা সৃত্মির পাহাড়ে পিনড্রপ স্তব্ধতা।
শহরের এক কোনে
আমি দাঁড়িয়ে মাথার উপর নীল ছাদের মুক্তি।
শুয়ে  আছে স্তব্ধতা চারদেয়ালের মশারির ভিতরে শান্তি
মিশরীয় মডেলের শরীরগুলো জীবিত জীবন। 

Friday, April 10, 2015

কেমন আছিস

কেমন  আছিস
.............. ঋষি
==================================
তোর ফোনটা কেটে গেল বাজতে বাজতে
হৃদয়ের খাতায় প্রশ্ন গুলো আরো গভীর হয়ে গেল।
মামুলি কিছু সাময়িক প্রশ্ন
কেমন আছিস ,কি করছিস ,কোথায় আছিস।
কিছু না এগুলো
শুধু অস্তিত্ব জানতে চাওয়া তুই ভালো আছিস কিনা।

জীবিত হৃদয়ে বাড়তে থাকা অসংখ্য রিংটোন
ফোনটা বেজে উঠলো আমার ঠিক এখন।
ফোনের ছোটো স্ক্রিনে তোর নাম
হ্যালো শুনতে পারছিস ,হ্যালো।
হ্যা বল
আমি মরি নি এখনো ,জীবিত আছি ,ভালো আছি।
আর কিছু
তোকে দেখিনি অনেকদিন হলো।
ভীষণ ব্যস্ত আছি রে
ফোনটা কেটে গেলো।

তোর ফোনটা কথা বলতে বলতে কেটে গেলো
হৃদয়ের খাতার প্রশ্নগুলো লেখা হলো।
তবে মন ভরলো না কেন
এখন কি করি ,একবার ফোন করবো।
না থাক
শুধু অস্তিত্ব জেনে গেছে তুই ভালো আছিস।

স্বপ্ন চুল্লি

স্বপ্ন চুল্লি
.......... ঋষি
=================================
জানলার শার্সির কাঁচে গড়িয়ে নামে ঠোঁট
কিছু কবিতা তোর লিপস্টিকে লেগে থাকে।
যন্ত্রনাগুলো তোর সবুজ নেলপালিশ
যা আমাকে জীবিত রাখে।

সময় সময় ছুঁয়ে যায় যে হাওয়া
ইনবক্সে জমা দীর্ঘ শ্বাস।
আমাকে পাগল করে যায় সময়
মিথ্যা ভরা তোর আশ্বাস।
মিথ্যা বলি নি ,সময় পালকে ভাসতে থাকে অহংকার
শুকিয়ে যাওয়া গোলাপ জানে না
বৃষ্টি কালিন আশংকা।

জানলার শার্সিতে গড়িয়ে নামে জল
কিছু কবিতা তো মৃত সেজে থাকে।
যন্ত্রনাগুলো নীলচে আকাশ
জানিস স্বপ্ন চুল্লিতে থাকে। 

আমি ভালো আছি মা

আমি ভালো আছি মা
................. ঋষি
==========================================
মা আমি এখানে বেশ ভালো আছি
খাওয়ারপরার কোনো অভাব নেই।
এ বাড়ির লোকেরা বাসি  রুটি ,ওদের খাবারের পরেরটুকু আমাকে দেয়।
এখানে আমার তেমন কাজ নেই
শুধু ঘর মোছা ,বাসন মাজা ,কাপড় কাঁচা এইটুকু,
তবু জানো মা প্রতি রাত্রে আমার গায়ে ব্যাথা হয়।
তুমি জানো মা আমি এখানে একটা বিশাল বাড়িতে থাকি
কত লোকজন ,দারোয়ান,পিয়ানো কতকিছু।

ভয়  কি মা
আমি বুঝি নি কোনদিন ,বুঝতে চাই নি।
কিন্তু রাত্রে আজকাল দুটো শেয়ালের চোখ আমাকে খুঁজতে থাকে
বাবুর বড় ছেলে আমাকে বারংবার নিজের ঘরে ডাকে।
আমাকে কাছে ডাকে ,শরীরে হাত বোলায়
আমার ব্যাথা  লাগে ,আমার চিত্কার করতে লজ্জা করে,
তখন আমার ভয় করে।

আমি তো বড় হয়েছি মা
আমার শরীরে আজকাল কেন যেন বাঁধা যায় না পুরনো কাপড়ে।
তাই আজকাল আমি তোমার দেওয়া হলুদ শাড়িটা পড়ি
জানো মা তোমার দেওয়া হলুদ শাড়িটা পড়লে ,
আমার আর ভয় করে না।
শুধু তোমাদের কথা মনে পড়ে
সবুজ মাঠ ,গাছপালা ,মা,বাবা ,ভাই।

তুমি চিন্তা কোরো না মা ,আমি এমনিতে  বেশ ভালো আছি
তোমরা কেমন আছ সবাই ,ভাই কেমন আছে।
আচ্ছা আমাদের গ্রামের পুকুরটা একি আছে
আচ্ছা মালতি আমাদের গরুটা এ বছর কটা বাচচা দিল।
তোমরা ভালো আছ  তো মা
বাবাকে বলো এ মাসে মাইনে নিতে আসার সময় ভাইকে  নিয়ে আসতে।
অনেকদিন দেখিনি তোমাদের
আমার কথা ভেবো না ,আমি ভালো আছি মা।

Thursday, April 9, 2015

আমার বৃষ্টি

আমার বৃষ্টি
........... ঋষি
=======================================
বিছানার চাদরে উষ্ণতা
তোর শুকনো ঠোঁটে নিঃশ্বাসে দ্রুততা।
বলেছিলাম বৃষ্টি ভেজাস না নিজেকে
বলেছিলাম প্লিস ভেজাস না আমার শহর।
অথচ তুই নির্বিকার সাক্ষী অদ্ভূত শিহরণ
তোর শরীর বেয়ে বিন্দু বিন্দু জল।
মাটির গন্ধ
জানিস আজকে তুই আমার বৃষ্টির জ্বর।

এক আকাশ নীলচে শাড়িতে আরমোড়া ভাঙ্গা সকাল
তুই বিছানায় শুয়ে একাকী।
জানলার বাইরে বৃষ্টি
খোলা  আকাশ একলা দাঁড়িয়ে দুহাত বাড়িয়ে তোর দিকে।
আমার শহরে ভেজা পথঘাট ,আমার বিশ্বাস
শুয়ে তোর সাথে তোর চাদরের নিচে ,
তোকে জড়িয়ে অদ্ভূত মেটো গন্ধে।
বৃষ্টি আজ তোর জ্বর
আর আমার শহর নিস্তব্ধ স্থির তোকে ছাড়া।

বিছানার চাদরে উষ্ণতা
তোর তেতো ঠোঁটে লেগে আছে স্পর্শ ঠোঁট।
বলেছিলাম বৃষ্টি ছাতাটা সাথে রাখিস
বলেছিলাম  প্লিস একটু সাবধানে থাকিস।
অথচ তুই আমার পারদে বাড়তে থাকা উষ্ণতা
তোর শরীর জুড়ে গড়িয়ে নামা অদ্ভূত গন্ধ।
চুপচাপ আমি
জানিস আজকে আমার বৃষ্টির জ্বর। 

তোর নামে

তোর নামে
................. ঋষি
====================================
মন প্রতিদিন বিকেল ফুরিয়ে অন্ধকার হয়
কিন্তু এমন কিছু ঘর আছে যেখানে অন্ধকার চিরকাল।
তোর ফেলে রাখা মুহুর্তদের মিউজিয়ামে
আমি একলা দর্শক।
একলা শাসক
অথচ আমি যে একলা থাকতে পারি না।

অনিদ্রার রোগ নিয়ে
আমি আপতকালীন সাইরেন আমার শহরে।
সর্বত্র ব্ল্যাকআউট
ফুরিয়ে যাওয়া মোমবাতিগুলো নুয়ে পরে।
কনে দেখা আলোয় তোর মুখ
মনে পরে শহরের অনিদ্রার কোনে কফিসপে।
তোর ঠোঁট ছুঁয়ে আমার ঠোঁটে তৃষ্ণা
ঘুম ভেঙ্গে যায় বারংবার ,
আজ আমার কফিশপে ভীষণ বিতৃষ্ণা।

মন সকাল আসে ,বিকেল হয় তারপর অন্ধকার
এই জীবনের সরলরেখা কোথাও থামতে চাই না।
এগিয়ে চলে ঘড়ির কাঁটার খিদে
সর্বত্র ,অনবরত মুহুর্তদের.
রক্তক্ষরণ।
ফেলে আসা সময় তোর নামে।

পুড়ে ভষ্ম

পুড়ে ভষ্ম
............. ঋষি

গা খুলছে অন্ধকার ভষ্ম
একটা প্ল্যানচেটে শহর দরজা খুলে দিল।
উগরে উঠচে গা পাঁক দেওয়া স্যানোটরির কাপড়
শরীরের অংশ লিঙ্গ ,যোনি, নিরুপায় ,চুল্লি
সব জ্বালিয়ে ভষ্ম।

যদি কখনো ফুলের মত তোমার শরীরে আমি স্পর্শ করি
জানি দ্বিতীয় দিন তুমি একলা থাকবে না।
জড়িয়ে যাবে রাত্রের স্ট্যাটাসে দেওয়া তোমার নম্বরে
আসলে তুমি বদলে যাবে।

আজকাল শহরের অলিতে গলিতে ফুলেদের বেচাকেনা হয়
ঘোড়ার মত লম্ফঝম্ফ প্রাচীন মৃগয়ায় শরীর।
নিশ্চিত মৃত্যুর সাথে আলিঙ্গনে
পাশ দিয়ে  কত পথযাত্রী একলা হেঁটে যায়।
একলা সড়কে কেউ দাঁড়ায়
তোমার বিক্রি হয়
নতুন কিছু নয়।

যদি কখনো ফুলের মত তোমার শরীরে আমি স্পর্শ করি
জানি দ্বিতীয় দিন তুমি আমার থাকবে না।
বিদ্রোহী কোরকের ঠোঁটের পাশে রক্ত
তুমিও জড়িয়ে যাবে কয়েক ফোঁটা অবধারিত রক্ত।

গা খুলছে অন্ধকার ভষ্ম
একটা প্ল্যানচেটে শহর দরজা খুলে দিল।
সরে যাচ্ছে বুকের কাপড়ের আড়ালে আঠালো চাঁদ
সবটাই শরীরের অংশ , প্রেম ধরাশায়ী
পুড়ে ভষ্ম।

ঘুমের ভিতর

ঘুমের ভিতর
........... ঋষি
===================================
মাথায় পাথর বেঁধে
হামগুড়ি দিয়ে ঘুম এগিয়ে আসে শেওলা দুপুরে।
বিষাদ তুমি লুকিয়ে থেকো না
এগিয়ে এসো সর্বসম্মতিতে হৃদয়ের কোষে।
বিশ্বাস তুমি লুকিয়ে থাক মিউজিয়ামে মেঘলা দুপুরে
উষ্ণতার সাথে।


বিকেলের রাস্তায় কত ভ্রমন কাহিনী এদিকে ওদিকে
আজ লিপিকায় রাখা পিয়ানোর সুর।
ঠুং ঠাং শব্দে ভেঙ্গে পরে কাঁচ বারংবার
আকাশের নীল পারে এগিয়ে  আসে ঘড়ির কাঁটা
সন্ধ্যে নামলো বলে।
মন্দিরে ঈশ্বর শুয়ে থাকে বেদী ধরে
ঘুম ভাঙ্গে না ,
নো নড়ন চরন ,জাস্ট ঘুমিয়ে থাকে।

বেকসুর চাঁদ যখন শুয়ে থাকে অন্ধকার রাত্রে
মোমের তৈরী স্তনে তুমি ঠোঁট রাখো।
আমি ঘন হয়ে আসা ঠোঁটে ঢেলে দি আমার দূরত্ব
শ্বাস ওঠে নাম তবে ঘুমোয় আবার মাথার ভিতর।
আক্ষেপ করো না বিষাদ তুমি চিতার খাটে
আমার সাথে একলা থাকো।

নির্বাসিত আবরণ

নির্বাসিত আবরণ
................. ঋষি
===============================================
আবরণ যৌনতা সমানুপাতে ভেবে
আমরা সমলোচনা করি।
বাসে উঠে ভদ্রলোক খবরের উপর চেপে বসলেন
পাতা ওলটাচ্ছেন  সভ্যতার শরীরে চোখ।
আরো নিচে নামছেন
বাদিক ,ডানদিকে টার্ন নেওয়া বাসটা খুব দ্রুত ছুটছে।
পাওয়া গেছে
প্যান্টের উপরের কাপড়টা অদ্ভূত ফুলে উঠছে।

যাক গেয়ে সে কথা
ক্যামেরা অন করে অনলাইন করে ফেলি।
আমাদের গভীরে একটা নর্দমা আছে
এসো একটু নোংরা ঘাটি।
সরে যাওয়া আঁচলের আড়ালের লাউয়ের ক্ষেত
নিশ্চিত ,ইশ আরেকটু যদি সরে যায়,
নর্দমার জল সভ্যতার গায়ে।
প্রেম গড়িয়ে যাচ্ছে ,খারাপ খবর রটে যায় ,
ওপারের পদ্মা নাকি রাত্রে লাইনে দাঁড়ায়।

আবরণ যৌনতা লুকোনো বলে
আমরা একটি নাটক করি।
বসে উঠলেন ভদ্রমহিলা পিছন ঠেকিয়ে দাঁড়ালেন
পিছন দেখছে সভ্যতা শরীরে চোখ।
আরো একটু সরে দাঁড়ালেন
বাদিক ,ডানদিকে টার্ন নেওয়া বাসটা আচমকা ব্রেক।
সুযোগ পাওয়া গেছে
বাসের হর্নে সভ্যতা সমলোচিত হলো। 

Wednesday, April 8, 2015

আমার কোনো ভয় নেই


আমার কোনো ভয় নেই 
............ ঋষি
====================================
কবিতার কলমকে সেলাম করতে ভয় লাগে 
হয়তো বুকে ঢুকে যেতে পারে গলন্ত বুলেট। 
আজকাল আমার কবিতা লিখতে ভয় করে 
হয়তো আমাকেও হতে হবে দেশানন্তর।
কিন্তু মেরুদন্ডটা যে সোজা থাকতে চায়
তাই কবিতা থামে না 
আর কলম গর্জায় খোলা  তলোয়ারের  মত। 

কে যেন বলেছিল কবিতার জন্ম নেই
আমি জানি মনে কবিতার জন্ম ,মৃত্যু কিছু নেই। 
সে যে অনন্ত খোলা বিশাল আকাশ
যার কোনো শেষ নেই অপার প্রেমে। 
অপার বিস্ময় 
এক একটা কবিতা এক একটা স্পর্শ হৃদয় কবির। 
আসলে কবির মৃত্যু ভয় নেই 
কি হবে কবির মৃত্যুর পর, তার মৃতদেহে কে দেবে কাঁধ। 
খোলা সড়ক জুড়ে ,উন্মুক্ত সভ্যতার আজব আলোকপাত 
এই সভ্যতায় শরীর বিক্রি হয়। 
কবি জানে 
কিন্তু কবিতা নয়। 

কবিতার কলমকে তাই আমার অগনতি সেলাম 
যদি  চলে যেতে হতে পারে দিপান্তর 
কিংবা  বুকের ভিতর ঢুকে যায় গলন্ত বুলেট আমি রাজী। 
আমার কলমে কোনো লজ্জা নেই ,নেই ভীরুতা 
কারণ এই মেরুদন্ডের ইচ্ছা  মাথা উঁচু করে বাঁচা। 
সত্যি বলা ,লুকোনো নগ্নতাকে উন্মোচন করা 
তাই আমার কবিতার কোনো ভয় নেই। 
 

আমি নারী বলে

আমি নারী বলে
.................... ঋষি
===============================================

প্রশ্নটা নিরন্তর আমার কাছে বুকের কাঁটা
সুদূর নীলের পুরনো রেডিওর গানটা মনে পরে।
পাখিটার বুকে যেন তীর মেরো না ওকে গাইতে দেও
কে আমি।
সমাজের আর পাঁচটা মেয়ের মত
ঠিক আমি একজন নারী।

শৈশবে  খেলতাম স্বপ্নের খেলনাবাতি,ঘরকন্না
যৌবনে দেখতাম একটা পুরুষালি লোমশ বুকের স্বপ্ন।
একটা সুখের নীড়, আশ্রয় গভীর প্রেমে
সবটাই সত্যি এই সমাজে।
আর পাঁচটা মেয়ের মত বেড়ে ওঠা
সবার কাছে শোনা তুই বড় হচ্ছিস শান্ত হ।
তারপর বিয়ে স্বপ্নের রাত্রি রজনীগন্ধা কিছু মুহূর্ত
সবটুকু কেটে যাওয়া চলে যাওয়া বদলানো দিন।
ঠিক আমি একজন নারী
কিন্তু কেন আজ আমি আবারও একলা।

পৌরুষের অহংকার সমাজের শ্রেষ্ঠ জীব
সকল সমাজপতিকে প্রশ্ন।
আজ এগারমাস আমি বাপের বাড়ি আছি
কেস চলছে ,দিনান্তে কোর্টের দরজায় নিজেকে বড় ছোটো লাগে।
লজ্জা করে নিজেকে নারী ভাবতে
আচ্ছা লাথি,কিল ,চড় এগুলো কি নারী হবার উপহার।
আচ্ছা দিনান্তে উপহাস ,অবহেলা এইগুলো  আমার প্রাপ্য
আচ্ছা কেন  প্রতিমুহুর্তে নিজেকে কুঁড়ে খাওয়া একলা দিন।
কেন আমি নারী বলে আমার শরীর ও পুরুষের অধিকার
সকল সমাজকে ধিক্কার আমার এই জীবিত মৃত্যুর।

জানি খুশি হবেন সমাজপতিরা আমি মরে গেলে
জানি আরো খুশি হবে সেই পুরুষটা যাকে দেখেছিলাম টোপর পরে।
কিন্তু আমার মৃত্যু নেই আমি ফিরে আসবো বারংবার মায়ের রূপে
অপেক্ষা করবো সুদিনের,ছিটিয়ে দেব থুথু পুরুষতান্ত্রিক সমাজের  মুখে ।
যতদিন  প্রশ্নটা নিরন্তর আমার বুকের কাঁটা হয়ে থাকবে
কেন আমি নারী বলে।
 


.একটা কবিতা আমি তুমি

আমার কবিতা পেলেই আমি তুমি হয়ে যাই তোমার মতো আটপৌরে শাড়ি পরি, হাতে কলম কোমড়ে আঁচলটা গুঁজে তোমার মতো উনুনে আঁচ দি  হাঁড়িতে পরিমাণ মত শব্দ, জল...