Thursday, June 29, 2023

রিমাইন্ডার

 

হঠাৎ এই শহর  শাসন করছে  স্মৃতি

বুকের উপর ধড়ফড় করে উঠে বসছে ১৪৪ ধারা 

সময়ের আড়ালে প্রেমিকার গভীরে ব্যালটে আঙ্গুল রাখতেই ফুটে উঠছে 

" রিমাইন্ডার "

অফিস ফেরত শহরের বাতাসে প্রেমিকার ঠোঁটের স্পর্শ 

সাংবিধানিক পরিচয় ক্রসফায়ার। 

.

সঙ্গমের পরে সুশাসন একটা ইতিহাস জানি 

ফোনের গোপন ওটিপিতে রাখা নির্ভেজাল কিছু মুহূর্ত ,

দেশ যখন অরাজকতার কবলে 

তখন চেঙ্গিসখানের লাশের মতো গুম হয়ে গেছে প্রতিবাদ ,

বাতাসে শুধু সময়ের টান 

নির্দ্বিধায় বলতে পারি বারুদের যোনিতে জন্ম নিচ্ছে পুরোনো আবার ইতিহাস 

সত্তর সংগ্রামের বাংলার ভিটেমাটি আবার জনরোষে ফুটছে। 

.

ক্যাসিনোতে সাজানো বাসর

সুযোগসন্ধানী মুখগুলো ক্রমশ মশগুল নিজেকে প্রমান করায় ,

কচ্ছপ আর মানুষের দৌড় 

কে জিতবে বলে গেছে ঈশপের পাতায় নীতিজ্ঞান। 

মোটিভেশানে আড়ালে ইতিহাস সাক্ষী লাগামছাড়া ঘোড়ার দৌড়  

প্রেমিকার স্তন বৃদ্ধিতে বেড়ে গেছে বাজারমূল্য

আসলে সত্যি হলো প্রেমিক সুখ খেয়েছে ,খাইনি বুলেটের সিসে 

তাই তার জিভে আজও লেগে প্রেমিকার যোনির স্বাদ। 

.

রিমাইন্ডার 

.... ঋষি 

.

ভগ্নস্তূপ

 ভগ্নস্তূপ 

... ঋষি 


তোমার কষ্টের উপর হাত রাখতেই 

ব্রায়ের স্ট্র্যাপ ছিঁড়ে আমার হাতে উঠে এলো মাতৃত্বের মুখ ,

ক্রমশ আমার ছোপ ছোপ অধিকারবোধ 

আগুনের উপর ঘি ছিটিয়ে ছড়িয়ে রাখা একলা শহর,

ময়লা হলো ,হলো ঘিঞ্জির  বস্তির কুপির আলোতে ভেজা 

মৃত নিশ্বাস। 

.

আমার অনুভবে ফুটে উঠলো 

আমি একধারে প্রেমিক এবং খুনি এক স্বার্থ 

যার হাতে হঠাৎ কুড়িয়ে পাওয়া মীরজাফরের ছুরি, 

অনবরত রক্তের ছোপগুলো 

যৌনদশার নিদর্শন হয়ে  ফুটে উঠলো প্রাচীন হরপ্পার গায়ে 

যাকে আমরা আবিস্কার করলাম ভগ্নস্তূপে ,

গৌতম বুদ্ধ হঠাৎ নিরুদ্দেশ হয়ে বলে গেলেন 

মধ্যে পথ

আমরা অথচ দিকশূন্য পথচারী । 


নাগরিক জীবন

 নাগরিক জীবন 

... ঋষি 

.

কষ্টগুলো আবার জন্ম নেবে বলে এদিক ওদিক শহরের গলিপথ 

সুউচ্চ পাহাড় ,চাষের খেত ,গুহার আঁধার ,প্রেমিকার ক্ষত 

সব অধিকার ,সব বোধ নিয়ে আজ প্রতিবাদ 

নাগরিক জীবন। 

বেপর্দা মেয়েমানুষের ঘুড়ির রঙের ইচ্ছায় ,লাটাইয়ের সুতোতে 

ঘুম পাড়িয়ে রাখা অপরাধ বোধ ,

নিরাভরণ কোনো বৃষ্টির জলে ,কবিতার পাতায়

আজ তাই একলা ঘুম। 

.

আমার প্রথম ভুল ,এক জন্ম 

আমার বহুদিনের ইচ্ছা ,মৃত্যুর ঘর 

আমার কবিতার পাতা ,সব শব্দদোষ 

আমার বিশ্বাস ,ভালোবাসা 

আমার অবিশ্বাস ,ক্লিওপেট্রা 

আমার বাঁচা ,তোমার নিশ্বাস 

আমার অধিকার ,একমাত্র তুমি 

আমার প্রতিবাদ ,মিথ্যে মানুষ। 

প্রকাশকদের বাণিজ্যিক উপদেশ , ধর্ম আর দেশ

প্রেম নাকি বেশ। .........সব অনুচ্চারিত ,

অনির্বাচিত কবিতার পাতায় শহরের রাস্তাগুলো নাস্তানাবুদ বেশরম জ্যামে 

প্রতিটা ভালোবাসার মাঝে অজস্র পাপ, ঘুনপোকা।

যদি এই শহর ফুরিয়ে যায় কোনোদিন 

এখানকার জীবনগুলো হয়তো সম্পর্ক নামে আর মিথ্যেবলবে না

বলবে না সংসার শুধু একটা ঋণের খাতা 

কিংবা দায়িত্ব,

আর প্রকাশকের দরজায় দাঁড়াবে না কবিতার শব্দগুলো 

কেউ বলবে না প্রেমিককে  সময়ের কাছে আত্নসমর্পন করে 

বুদ্ধিজীবী নাগরিক সাজতে  ।  

Wednesday, June 28, 2023

তথাস্তু

 তথাস্তু 

... ঋষি 


আকাশের ইতিহাস থেকে অর্ধেকটা কেটে নিলাম 

একটা ফানুস রঙের স্বপ্নের প্যাকেজে তোমাকে পাঠালাম ,

আকাশের  আবর্তন বিবর্তন অনুবর্তনে এতোটাই ভারি হয়ে গেছে যে

স্বপ্নগুলো পৌঁছলো না তোমার কাছে ,

হাজারো ভালোবাসার স্বপ্ন আর জখমের জ্যামিতিক দাগ নিয়ে

ঈশ্বর যখন  জলের ধারে জড় হয়ে বসেন 

খুব সম্ভবত তখন তিনি হাসেন ,শুধুই হাসেন

আর বলেন তথাস্তু। .....অপেক্ষা। 

.

যদি আবারও তোমার জানালায় বেনারসি রিং টোনে বৃষ্টি ডাকে 

অতীব সাবধানে পুরোনো সময়ের স্টিকারটা পড়ে নিও, 

একটা ক্লান্ত নিয়ম যখন ক্রমশ বাতিল বৃষ্টির মতো ঘ্যানঘ্যানে 

তখন একটা  ওয়াটার প্রুফ ঘড়ি তুমি পড়ে নিও। 

প্রগাঢ় সিঁদুরিক আইডল, কি ই বা লিখবো তোমাকে?

মেহেরবা, দিলরুবা , বেহতরিন ,ভাষা কম পরে 

বুক কাঁপতে থাকে 

ভালোবাসা প্রমানের খাতায় চিরকাল ফেল মার্ক্স্ আনে

সব স্বপ্নগুলো নীল প্রজাপতি উড়ে যায় পাথরের বুকে  

হয়তো তুমি এসে জীবাশ্ম দেখবে কোনোদিন

ঈশ্বর আবারও বলবেন সেদিন তথাস্তু 

শুধু এইটুকু 

এইটুকু অপেক্ষায় ।  

গোলাপ দিয়ে সাজানো


 


সবাই শূন্য শূন্য বলে 

কিন্তু শূন্যের মধ্যেও কিছু একটা থাকে ,

বালিচাপা গোলাপ

ল্যাটিচিউড মিলিয়ে দেখি কবে কোথায় পুঁতে রেখেছিলাম

স্মৃতির বিষণ্ণ হাতে উঠে আসে শূন্যতা বটে 

তবু কিছু একটা   ......

.

গল্প, উপন্যাসের টুকরো,  জীবনের গিঁট বাঁধা নীরবতা  

মুখচোরা রাতের ছটফটানি,

স্মৃতির কিছু মুহূর্তের পারফিউম।

জানি কবির ক্লীব কবিতা দেখে দা ভিঞ্চি হেসে ওঠেন

মোনা লিসার ঠোঁটে ধরা সেই গতকালের হাসি। 

আকাশের মুঠোফোনে ফুটে ওঠে শুক্রাণুর শেষ মৃত্যুটুকু 

জানি সেও বাঁচতে চেয়েছিল 

অথচ নামগোত্রহীন ভালোবাসার কোনো নাম হয় না।

ভালো - বাসা জন্ম নয় ,মৃত্যু নয়, বোধহয় কিছু মুহূর্ত

জানি স্থির - অস্থিরতার মাঝে মৃত্যু নয়, সমস্যা নয়, সমাধান নয়

শুধু ভাষারা মরে যাচ্ছে, 

সময়ের কবিতার জন্য নীরব মানুষের অনুভূতি 

নিহত কবিতার কঙ্কাল। 

.

শুধু গোলাপ দিয়ে সাজানো স্মৃতির চিতার ধোঁয়ায় 

মাঝে মাঝে আজও ভালোবাসার মুহূর্তরা ফিরে আসে।  

.

গোলাপ দিয়ে সাজানো 

... ঋষি 

Sunday, June 25, 2023

 ২৪ সে জুন 

.. ঋষি 

.

সব বলে দিয়েছি 

তবু সব বলা হয় না 

আজ ২৪ জুন যে অধিকার এসে পৌঁছালো 

আমি বুঝলাম তুমি ভালো আছো 

তাই কাঁদছো। 

.

তবুও আমি বুঝলাম না তোমার দরজার বাইরে লোকটা হাসছে কেন 

তবুও আমি বুঝলাম না তোমার শরীরের গন্ধ লোকটার গায়ে কেন 

আজ ২৪ জুন 

একটা টেলিফোনিক বিস্ফোরণে আমাদের খবর পেলাম 

আমাদের এক হওয়ার কথা ছিল 

হলাম দুই। 

.

তবুও ঘরের লোকটা আমার মতো ঠকবাজ নয়

তবুও জানো তোমার ঘরের বাইরের লোকটা জন্মাবার গন্ধ খোঁজে 

আজ ২৪  জুন 

তোমার জানলা দিয়ে  এক গুচ্ছ মেঘ ঢুকে পড়লো 

বাইরের লোকগুলো হাসছে আমি জানি 

তুমি কাঁদবে তাও জানি 

তবুও জানি না ঘরে থেকেও  তুমি ভিজলে কি করে

যদি ঘরের দরজা দেওয়া ছিল।  


এইবার ফিরতে হবে

 এইবার ফিরতে হবে 

... ঋষি 


আমি তো প্রায় হাঁটি 

হাঁটি মেঠোপথ ,রাজপথ ,লাল সুরকির পথ 

কংক্রিট শহরের ফুটপাথে ,

গন্তব্য হতেই পারে বাস স্ট্যান্ড ,মুদির দোকান ,ট্যাক্সির খোঁজ ,

কিন্তু কেন হাঁটছি তার থেকেও গুরুতর 

কার সাথে হাঁটছি ,মনে মনে কাকে নিয়ে হাঁটছি। 

.

তোমাকে আজ ভিক্তোরিয়া দেখাবো 

কিংবা তোমাকে নিয়ে আজ গঙ্গার ধারে নদীতে পা ঝুলিয়ে বসবো ,

জানো তো রাতের  নিমতলা আমার প্রিয় জায়গা 

প্রিয় কারণ ওখানকার গরম চায়ের সাথে আমি ইতিহাস জানতে পারি ,

তুমি আমাকে প্রশ্ন করতেই পারো 

গড়িয়াহাটের বজ্জাত ভিড়ে ধাক্কা খেতে খেতে 

আচ্ছা এটাই কি তোমার শহর ,

আমি ঢোঁক গিলছি বলছি 

     এই শহরে বিদ্যাসাগর ব্রিজ কিংবা বোটানিকাল গার্ডেন আছে।  

.

Believe me, I will not live without you

I will never let go of your hand

I love you very much.

চমকে উঠি ,দেখি এক যুবক ,যুবতী হেঁটে যাচ্ছে এই শহরে পথে 

মেয়েটার অতিরিক্ত শর্ট ড্রেস, ছেঁড়া জিন্সে আলোকিত থাই 

সত্যিই অদ্ভুত তুমি মুখের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করতে চাইলে 

 এই শহরে আজও ভালোবাসা আছে ?

দুচ্ছাই, আমার হাঁটাটাই মাটি করে দিয়ে গেলো

আমি ঠোঁট থেকে বিরক্তি মুছতে চাইলাম 

মুছতে চাইলাম তোমার মুখটা 

দেখি তুমি  আশেপাশে নেই

হয়তো এখন গঙ্গার ধরে পা ডুবিয়ে বসে তুমি আমাকে ছাড়া  

আমিও মুচকি হাসলাম 

এইবার ফিরতে হবে। 

ক্রমশ বিপরীতে

 ক্রমশ বিপরীতে 

... ঋষি 


তোমার প্রসাধনী রাখার জায়গায় কবিতাগুচ্ছ 

সারা ঘর ছড়ানো তোমার পুরনো কিছু আফসোস ,

মাথার ক্লিবগুলো ,প্রিয় পোড়ামাটির গলার হারগুলো বড় অবহেলায় 

তুমি আয়নার দিকে তাকাচ্ছো ,

ফুরিয়ে যাচ্ছো 

ক্রমশ তোমার গলার স্বরে কান্নার ছোপ 

অবশিষ্ট জীবন। 

.

ছাদে জল শুকোবার তারে

ভিজে লজ্জা বস্ত্রগুলোকে সেঁটে রেখেছে,

অনবরত রক্তক্ষরণের মতো টিপটিপ করে মাটিতে গড়াচ্ছে 

লজ্জা ,

তুমি চিৎকার করে উঠলে 

তোমার স্বরতন্ত্রের সেই কণ্ঠটা চিনতে পারছি না 

.

সব কেমন গুলিয়ে উঠছে 

আমার সেই প্রথম দেখা দুরন্ত পারফিউম ভেজা গ্রীষ্মের দুপুর ,

সমস্ত অভিধানের হিসেবের বাইরের মেয়েটাকে  

পাচ্ছি না 

দেখতে পাচ্ছি না 

ভাবতে পারছি না ক্রমশ আমার গল্পে কোনো এক অচেনার বাস।

সব কেমন ভেঙে পড়ছে চারপাশে 

হাজারো দুর্গ ভেঙে জিতে যাওয়া জীবন 

আজ স্মৃতির রোমন্থনে ,

সামনে খোলা দরজা দিয়ে দেখতে পাচ্ছি হেঁটে যাচ্ছি আমি 

আমার পাশে সেই মেয়েটা 

কিন্তু ক্রমশ একে ওপরের বিপরীতে 

কষ্ট হচ্ছে 

আটকাতে পারছি না।  


আনলক

 আনলক


খাদ্য - খাদক 


তুমি রাতে  ঘুমিয়ে পড় তারপর,আমি অমনোযোগী

আমি একলা স্যালাডে  স্মৃতি চিবিয়ে খাই 

বিলাস  লিকার, বাঁশির শব্দ ,মোহময় কৃষ্ণভ্রমর চোখ 

কানের হেডফোনে রবিঠাকুর দিনান্তে ,

কখন যেন আমি ভাবনাতে পাখি হয়ে যাই  

তোমার ছড়ানো আঁচলে খুঁটে খায় 

ভাবি অদ্ভুত এই রাত যদি না শেষ হয়। 

 

দ্বিতীয় আমি 


হঠাৎ একটা বিচলিত মৈথুন শরীর ভিজেয়ে যায় 

কবি কেঁপে যাও কেন?

আগুন ছুঁয়ে নতুন ভোরের খোঁজ 

যেন এক জীবনের এপাশে আমি ,ওপাশে রাত্রি 

কি ভাবো কবি ?

শৈশব থেকে চেনা নারী কি করে মা হয় 

কি করে অবহেলিত হয় 

কি করে হয়ে ওঠে গোপন অনুগামী অন্ধকারের সঙ্গী। 


হামরাহী


সহসা যে পুরুষ

নারীর চোখে দেখতে চেয়েছে নারীকে

অমনি সহাস্যে খুলে ফেলে সময়ের সমস্ত নগ্নতা। 

এখন প্রশ্ন হলো নগ্নতা কি নগ্ন ?

নাকি ভাবনায় মানুষ  ,

বেআব্রু স্নানঘর থেকে বেডরুমে, ড্রয়িঙে ডিভান

পিকাসোর আঁকা চিৎকার। 

অকারণে বৃষ্টি নামে রাতভর এক নির্মমতা 

কি যেন একটা এই শহরের রাস্তায় ফেরি নিয়ে ঘোরে। 


Saturday, June 24, 2023

রাষ্ট্র একটা ষড়যন্ত্রের নাম

 রাষ্ট্র একটা ষড়যন্ত্রের নাম 

... ঋষি 

.

মানুষ হয়ে আমি কুকুরের সাথে নিজের মিল পাই 

আমি কখনো মানুষ হতে পারি না 

মানুষ হলে আমার আঙুলের মাঝে সবুজ থাকতো 

আমার ভাবনায় আকাশ থাকতো 

মৃত্যু থাকতো না 

থাকতো না মাথা নিচু করে বাঁচা। 

.

মানুষ হলে আমি কুকুরের মতো পা তুলে আর কি 

না একদম না ,

শুধু দাঁড়াতো না ,শুধু শুনতো না 

মানুষের মতো বাঁচতো ,

কোনো নেতার ভাষণের মঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলতো 

হারামজাদা ভাত দে 

ভয়  পেতো না। 

.

মানুষ হয়ে আমি কুকুরের সাথে নিজের মিল পাই 

ভাত ,বিছানা ,আর সময়ের জন্য মানুষের দরজায় দাঁড়াই 

সময়ের অপেক্ষা করি ,

রাস্তার কুকুরের মতো আমার কোনো বাড়ি নেই 

একটা আস্তানা আছে ,

সেই আস্তানায় পা মুড়ে আমি সময়ের বজ্জাতগুলোর পা চাটি 

ভয় পাই 

যদি মানুষ হতাম চটি খুলে মারতাম মিথ্যের গায়ে 

মাথা নিচু করে 

সত্যিকে মিথ্যে বলে মানতাম না

মানতাম না রাষ্ট্র একটা ষড়যন্ত্রে নাম। 

 


পাথর হয়ে যাবো


 যদি যেতে হয় যাবো 

কিন্তু বিশ্বাস করো একা যাবো না 

গীতবিতানের পাতা ছিঁড়ে কবিতার শব্দে মানবিকতায়

নিশ্চয় যাবো ,

আমার কোনো ঈশ্বর নেই তুমি ছাড়া 

সময় বদলাবে 

নেশাখোর ঝিঁমমারা কবিতার শব্দে সব ফেলে যাবে  

অবশিষ্ট পরে থাকবে  পাথর 

তবে নিশ্চয় আমি পাথর হয়ে যাবো। 


                                                             ... ঋষি 


ফিরে যাওয়ার গান

 ফিরে যাওয়ার গান 

... ঋষি 

.

আমাকে ফিরে আসার কথা বোলো না 

কারণ আমার ভাঙনের গান শুনতে শুনতে আমৃত্যু বিশ্বাস 

ফিরতে সকলকে হয়। 

আমাকে সাথে নেওয়ার কথা বোলো না 

আমি সাথে কি নেবো ?

এই নাগরিক জীবন ,অভিশপ্ত প্রেম ,রমণীর তীক্ষ্ন নখ 

ইটের গুদাম থেকে খুঁজে পাওয়া নিখোঁজ কঙ্কাল 

জালিয়াতি ,না এই নপুংসক রাজনীতি। 

.

সেলফি বন্দি  রবীন্দ্রনাথ 

কিংবা বিদ্যাসাগরের ভেঙে যাওয়া লজ্জার মাথা ,

আমার বাংলা 

কতিপয় মুখস্থ করা সামাজিক জীবন ,সম্পর্ক ,অধিকার 

হিজড়া কিছু কবি ,পা চাটা বুদ্ধিজীবী 

বড় রাজনৈতিক গোল টেবিল মিটিং যেখানে গিলোটিনে মানুষ 

কি নেবো আমি ?

জানি জন্মের ঋণ শোধ করা জরুরী 

তাই ধ্বংস্তূপের শহরে নিজের মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে আমি মুসাফির। 

জানি ফিরতি পথে 

আর ভালোবাসার গান আমার শোনা হবে না 

হবে না ধোপদুরস্ত মুখোশের শহরে বেঁচে থাকা ,

আমাকে ফিরতে হবে ঘাম ,রক্ত আর নিজের অস্থি সম্বলে 

কষ্টের কিছু ইতিহাস আর ব্যর্থ এক নাগরিক ভূমিকায়। 

Friday, June 23, 2023

স্পর্ধা

 স্পর্ধা 

... ঋষি 


জানি শব্দগুলো আমার না 

জানি শুধু ভাবনার দেওয়ালে ইট গেঁথে নক্ষত্র খচিত আকাশ 

তোমার কাছাকাছি থাকার স্পর্ধা আমার 

কুড়িয়ে আনছে সমুদ্র থেকে মুক্ত,

আমি আকাশের গল্পে খুব সাধারণ এক শহরের নাগরিক 

যার ফ্যাকাশে চাঁদ ,অস্থির জ্যোৎস্ন্যা 

নির্ভুল দলা দলা থুথু খুঁজছে পৃথিবী।  

 

দিনগুলো ঠিক দেশলাইবক্সের মাঝে 

ভিজে নিভন্ত আগুন 

তবু স্পর্ধা আমার 

একশোবার বাঁচা আর একশো আটবার বাঁচার তুমি 

নিতান্ত দারিদ্রতায় অবসন্ন উচ্ছিস্ট জীবন। 

তবু এই কুড়ির দশকে রাস্তায় দেখা যুবতীদের কেন যেন আমার ছবি মনে হয় 

কারন আমার কাছে গাছপালা ছাড়া এই কংক্রিটের শহরে 

সবটাই সাজানো ,আনন্দ স্পর্শ করে  না 

শুধু বৃদ্ধ আমি হেঁটে যাই তোমার পাশে প্রতিদিন 

কিন্তু জানি না কেন। 


Tuesday, June 20, 2023

বাসস্ট্যান্ড



বাস ,রিকশা ,অটো ,উবের 

একের পর এক ,ক্রমাগত ,অনবরত 

একটা উপলব্ধি 

একটা বাসস্ট্যান নীরবতা জীবনে  ,ভীষণ দরকারী 

তারপর প্রতিবারই খালি। 

.

হাতের ঠান্ডা বালিটুকু প্রতিমুহূর্ত জানান দেয় শীতল সম্পর্কের 

সব মানুষের ঘরবাড়ি 

দূরে কোথাও ,দূরে দূরে।  

পায়ের নিচের হাঁটু জল ক্রমশ গলা ছাড়িয়ে নাকে 

তারপর নিশ্বাসে  

তারপর বিশ্বাসে  

সমস্ত হত্যার দায় শুধু আরোহীর 

তাই কি ?

তবুও একটা বাসস্ট্যান্ড নীরবতা জীবনে।

.

 বাসস্ট্যান্ড 

... ঋষি 


Saturday, June 17, 2023

কবি ও কবিতা



কবি ও কবিতা 

... ঋষি 

.

কবি চর্চা ,কবিত্বের পাঠ 

প্রিয় ইতিহাস জানে কবিতার জন্য কবি 

কবির নামের জন্য কবিতা নয় ,

প্রিয় শব্দরা জানে ইতিহাসের কবিত্বে শুধু বোধ দরকার

দরকার অনুভূতির সময়ের।  

আমার বাউল হৃদয় 

আমার হৃদয়ের সিলেবাসে একেরপর এক পাগলামী ,

একের পর দক্ষিণ হাওয়া 

তাই আমার কবিতারা অশিক্ষিত বাউল লালন সাঁই। 

.

আমি ষোলো দশক ,সত্তরের দশক ,নব্বইয়ের দশক বুঝি না 

বুঝি কবিতার গায়ে লেগে থাকা সময়ের যন্ত্রনাদের ,

আমি রবীন্দ্রনাথ ,জয়গোস্বামী ,নবারুণ ,সুনীলকে নামে চিনি না 

চিনি তাদের যন্ত্রণার শব্দদের ,

আমি শক্তির শব্দের ফাঁকে নিজিকে মিশিয়ে 

বারংবার আওড়াই

"বুকের ভেতরে কিছু পাথর থাকা ভাল–ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায় "।

.

আমার মনে হয় 

অনবরত সময়ের রক্তক্ষরণে গল্পে 

অনবরত এই শহরে মানুষের চিৎকারের ফাঁকে ,

প্রতিবাদ যেখানে বাচ্চাদের ন্যাপকিনের থেকেও সস্তা 

সেখানে কবিতা মানুষের বুকে আলোর জলছবি আঁকে ,

মানুষকে সত্যি বলতে শেখায় 

আর বাধ্য করে তসলিমাকে দেশ ছাড়তে। 

আমি সেই অশিক্ষিত, গেঁয়ো কবিতার দেশে নাগরিক হয়েই সুখী 

আমি আকাশের গায়ে কবিতা লিখেই সুখী ,

তাই  আমার কবিতার কোনো শৃঙ্খল ,কোনো লজ্জা ,কোনো অপমান নেই 

আছে আগুন 

আর আমি সেই আগুনে নিজেকে পুড়িয়ে সুখী 

সুখী কবিতার রক্তে চান করে বারংবার সময়কে জন্ম দিয়ে

সেকারণে আমার কবিতার নামের কোনো পদবি নেই । 


Wednesday, June 14, 2023

নিখোঁজ

 


নিখোঁজ 

... ঋষি 


সমস্ত প্রশ্নগুলো ধাক্কা খেয়ে পড়লো তোমার চৌকাঠে 

তোমার ছোট্ট ব্যালকনির জড়ানো সভ্যতারা আজ বড় হয়ে ,

বড় হয়ে গেছে তোমার চোখের ঝিলিকে নেশার আদ্রতা 

আর আমি ক্রমশ ছোট হতে হতে 

পারিজাতের গন্ধ খুলে হারিয়ে গেছি 

নিজের ভিতর কখন যেন মরে গেছি। 

.

সত্যিগুলো বলা হলো না 

ভাঙা যৌতুকে পাওয়া অদৃশ্য কাঁচের আড়ালে ঈশ্বর 

একটা মিথ্যে গল্প লিখলো ,

সত্যি হলো জীবন পথ হারায় বারংবার 

যে সাহস আমি করতে পারি নি সেদিন 

শুধুমাত্র হাতের মুঠোর থেকে সময়ে বালি গড়িয়ে দিয়েছি 

আজ বুঝেছি সত্যি বলে কিছু থাকে এই দুনিয়া। 

অনেক কিছু বদলে গেছে 

ইদানিং তোমার  সুখ খুঁজে নেয় নিজের মত সবটুকু আয়োজন 

আজ দুঃখগুলো  নিজেকে আড়াল রাখার ব্যাস্ততা,

আমি মিশিয়ে ফেললাম নিজেকে এই মাটির ভিতর 

একটা মৃত্যুর কবিতায় লিখে দিলাম 

আমার নষ্ট প্রেম 

হয়তো কোনোদিন ফুল ফুটবে না আর 

তবু জানি তুমি আড়াল থেকে খোঁজ নেবে আমার। 

Tuesday, June 13, 2023

ফিনিসিং

 


রোজ একটা রহর্ষগল্প 

তোর মেমোরি স্টোরেজে বোধহয় স্বপ্ন খোঁজে 

তাই তুই লিখতে পারিস  না ,

তোর অনেক কিছু না বলাগুলো এই শহর শুনতে চায় না 

তাই তুই সেটুকুই বলিস 

যতটুকু এই শহরে কোলাহলে শুনতে চায় মানুষ। 

.

দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে 

নিয়মিত তোর লুকোনো কবিতার খাতার যন্ত্রনা পড়ি 

তুই বলিস শোন 

আমি শুনি একটা জীবন কি ভাবে আগুনের শাড়ি পড়ে দাঁড়িয়ে, 

আমার কল্পনায় একটা ছায়া শরীর তখন আগুন পাখি 

একটা গভীর রাত্রে 

একটা রেস্টুরেন্টের টেবিলে পরে থাকে শেষ অভিমানের পাহাড়

একটা বহুমূল্য হৃদয় যেন সূর্যের জ্বলন। 

.

আমি বলি কি এইবার তুই লিখে ফেল 

আমিও একবার মিলিয়ে দেখতে চাই একলা ফুটপাথে দাঁড়ানো ছেলেটা 

শুধু কি  কবিতা লেখে 

শুধু কি ভালোবাসে

কিংবা সিগারেটের নিকোটিনে যন্ত্রনা খোঁজে , 

নাকি তোর মৃত্যুর গল্পে নায়কের ভূমিকায় সে এক রাজপুত্র 

যার পুরোনো পক্ষ্মীরাজে আজও সময় বদলের গল্প 

কিংবা একটা পারফেক্ট হত্যার। 

আমি ঠিক দাঁড়িয়ে থাকবো তোর জ্বলন্ত শরীরে পাশে 

পারিস তো নিজেকে পোড়াস 

আর  পুড়িয়ে ফেলিস আমাকে 

কিন্তু গল্পটা লিখিস 

কারণ কি জানিস এই পৃথিবীতে সত্যি পারফেক্ট বলে কিছু হয় না 

একমাত্র সময় ছাড়া। 

.

ফিনিসিং 

... ঋষি 

তফাৎ

 তফাৎ 

... ঋষি 

.

ভালো থাকাগুলো একটা অধিকারের মতো রং মাখে 

ভিজে যায় অযথা বৃষ্টির জলে ,

একবার কোলে নিবি আমায় ?

এইবার  তোর বুকে মাথা রেখে নিশ্চিন্তে যেতে চাই ,

তুই বলিস ধুর হতভাগা 

ঘুম আর ঘামের তফাৎটা তুই আজও বুঝিস না। 

.

রোজকার একটা প্রলোভন বাড়তে বাড়তে ঘুড়ি হয়ে যায় 

রোজ নিয়ম করে তোর ঠাকুরঘরে ,তোর রান্নাঘরে ,তোর স্নানের ঘরে 

উঁকি মারে ,

কানের কাছে বলে একটাই জীবন ,

তুই বলিস 

এই জীবনে আর চাওয়ার কিছু নেই 

শধু গুটিয়ে চামড়ায় সুতো বুনতে চাই

আর ঘুড়িটা ভোকাট্টা । 

.

তবু পিছলে যাই প্রতিবারে 

তোকে বলি ,তোকে ছাড়া বাঁচা যায় না 

বলি রবীন্দ্রনাথ শুধু কি এক পুরুষের গল্প ,

প্রতিটা মাটির ঝড় আমাকে আরো কাছে ঠেলে দেয় তোর।  

একটা পুরোনো বাড়ির গায়ে ময়লা জমে 

একটা প্রাচীন স্তূপাকৃত সভ্যতা আর্কিলোজিকাল ধুলো ঝেড়ে উঠে দাঁড়ায়  ,

দেখি দাঁড়িয়ে আছিস তুই 

প্রাচীন এক মূর্তি ,

আমি আমার ঘুম ঢেলে দি তোকে 

আমার ঘাম  দিয়ে চান করিয়ে তোকে পরিষ্কার করি 

তারপর  হঠাৎ তুই হাসিস ,তারপর কাঁদিস 

আমাকে বলিস 

পারবি না ,আর আমাকে বোকা বানাতে পারবি না। 

কবিতা থেকে মানুষ


 কবিতা থেকে মানুষ 
... ঋষি 
.
রাম ,রহিম ,আল্লা 
ক্রিম কেক ,হট কেক ,ব্রাউনি ,বাপুজি কেক 
মাছের ঝোল ,মাংসের ঝোল ,পটলের ঝোল ,আলুপোস্ত ,থোড়বড়ি 
সব আছে 
আগুনের আলিঙ্গনে রোজকার দিনবদল 
স্বামী স্ত্রী ,মা ,বাবা ,সন্তান ,কাকা ,মামা ,মামী সব আছে 
সবার আছে 
তবুও মাঝে মধ্যে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে তোমার কথা ভাবি 
ভাবি এসব যদি না থাকতো 
শুধু আর শুধু মাত্র যদি তুমি থাকতে। 
.
কবিতার পাতার শব্দরা দিনবদলের প্রতিশ্রুতি নিয়ে 
সময় বদলাতে চায় 
বদলে ফেলতে চায় মানুষের গভীরে হানা দেওয়া অপারকতাকে,
সকলেই কবি হতে চায় 
হতে চায় অনর্গল কোনো কবিতার কল্পনায় পাগল ,
কিন্তু সত্যি কজন কবি বলোতো ?
কজন পারে বলোতো সময়ের বিরোধিতায় কবিতা লিখতে 
লিখে ফেলতে মানুষ 
লিখে ফেলতে মানুষের ঘরবাড়ি ,সমুদ্র ,সঙ্গম ,বোধ ,অহর্নিশ সত্যিটাকে 
কজন পারে নিয়মের বিছানার বাইরে একটা স্বপ্নের ঘুম দিতে 
আর বলতে 
আমি কবিতা লিখি নিজের জন্য না 
সময় ,মানুষ,সত্যি আর প্রতিবাদকে বাঁচাতে 
তোমায় বাঁচাতে কিংবা নিজেকে।     

Saturday, June 10, 2023

সাম্রাজ্যবাদ

 সাম্রাজ্যবাদ 

... ঋষি 


সেই গল্পটা লেখা বাকি রয়ে গেলো 

এক যে ছিলরাজা আর ছিল এক রানী 

সেই জীবনটা বাঁচা বাকি রয়ে গেলো 

আর ছিল তার হাতিশালে হাতি ,আস্তাবলে ঘোড়া 

এক রাজার মৃত্যু হলো 

সময় লিখলো এক সাম্রাজ্য অনবরত রক্তক্ষরণে। 

.

কে বুঝলো ?

কি বুঝলো ?

মানুষের ঘর বড্ড সময় নির্ভর ,

আমি দক্ষিণের জানলা খুলে দিলাম 

সামনে বিশাল সাগর ,সাগরের ছোট ছোট নৌকো যেন স্বপ্ন 

দূরে লাইটহাউস 

একটা বাস্তব যেন কবিতার পাতায় জীবন বিক্রি করছে। 

.

সেই গল্পটা আমাদের ছিল না 

কলমের নিবে রক্তফোঁটা অসময়ের বৃষ্টির মতো আমাকে ভাসালো ,

সেই গল্পটার একটা সাম্রাজ্য ছিল এক  ভীতু রাজার 

সেই গল্পটার সাম্রাজ্যে কোনো আগুন ছিল না 

সকলেই ছিল তৃণভোজী ,

হঠাৎ এক আগুন ছুটে এলো দক্ষিণের জানলা দিয়ে 

আছড়ে পড়লো সারা কবিতার খাতায় 

সাম্রাজ্য ধ্বংস হলো 

রাজার মৃত্যু হলো 

আর কবি লিখলেন সময়ের থেকে বড় সাম্রাজ্যবাদী কেউ না

আর সময়ের থেকে মিথ্যে কেউ না। 

Friday, June 9, 2023

জানি বৃষ্টি আসে


 জানি বৃষ্টি আসে 

... ঋষি 


একটা বৃষ্টি মশগুল সন্ধ্যায় 

যখন সময় হেঁটে চলে ছাতার আড়ালে বৃষ্টির জল বাঁচিয়ে 

তখন আমরাও কি ভিজছি না ?

সত্যি কি আমরা গিয়ে দাঁড়াচ্ছি না প্রত্যেকে সেই বাড়িটার সামনে 

কিংবা বড়ো রাস্তাটার চৌরাস্তার মোড়ে 

কিংবা সেই চায়ের দোকানে ,সেই কফি শপে ,সেই স্মৃতিগুলোতে  

যেখান থেকে স্বপ্ন দেখা যায় ,যেখান থেকে ভালো থাকা যায়। 

.

অদ্ভুত এক নীরবতার মধ্যে দিয়ে হাঁটছি আমরা প্রত্যেকে  

অদ্ভুত এক আগুনের ঘরে বাস আমাদের ,

নিয়ম ,জীবন ,বিভিন্নতা 

সব ঋতুকালীন ইতিহাসের এক একটা চ্যাপ্টার, 

অথচ বইয়ের প্রথম পাতায় লিখে রেখেছি আমরা প্রত্যেকে 

আমাদের  প্রিয় নাম। 

.

সব কিছু একলা হয়ে গেলে ,প্রখর রৌদ্রের পরে 

পরম তৃষ্ণায় 

জানি বৃষ্টি আসে ,

বৃষ্টির জল সকল সামাজিক মানুষের ভীষণ প্রিয় 

কারণ সেখান থেকে কষ্টগুলো আর চোখে আসে না। 

শুধু বৃষ্টিতে ভেজাটুকু থাকে 

শুধু স্মৃতিটুকু থাকে  ,

ভালো থাকতে চাওয়ার সবুজ পাতাগুলোতে তখন আনছান

ভালো রাখতে চাওয়ার মজবুত ইশারায় তখন ভিজে মাটি 

একটা সবুজ গাছ আসলে সকলের ভিতরেই বাঁচতে চায় 

কিন্তু আমরা সকলেই বড় নির্ভরশীল 

তাই ভিতরের গাছটা শুকিয়ে যায়

মরে  যায় ,জীবন শব্দটার অবহেলায় ।  

Wednesday, June 7, 2023

ভিতরের ঘরটা ফাঁকা


 ভিতরের ঘরটা ফাঁকা 

... ঋষি 


জঞ্জাল সরাবার প্রস্তুতি আজ বহুদিন নিয়েছে মানুষ 

অথচ বাড়তে থাকা আবর্জনার স্তূপে মানুষগুলো হারাচ্ছে ক্রমশ ,

সর্বাঙ্গ মঙ্গল কখনোই সম্ভব নয় 

সম্ভব নয় এক কাপ চায়ে চিনির বদলে নুন গোলা 

কিন্তু সম্ভব ছিল মানুষের জ্বলে ওঠার 

অথচ মানুষগুলো পুড়ছে ঠিক ,কিন্তু কই জ্বালাতে তো পারছে না ? 

.

মানুষের ক্রোমোজোমে জমে থাকা সার্ভে বলে উপস্থিতি 

আর তার কারণ মেরুদন্ড,

অথচ দেওয়ালে হেলান দিয়ে শব্দমালা কবিত্বে বিকোনোর মতো 

মানুষের অনুভূতিগুলো সব মৃত ডেস্কটপে প্রজাপতি সেজে

হেসে বেড়াচ্ছে 

চড়া মেকাপে সেজে খুশির খেলনায় । 

.

অন্তস্থ দহন সেখানে

ভিতরের ঘরগুলো ফাঁকা থেকে গেলো 

ভিতরের সময়টা একলা জানলায় দাঁড়িয়ে 

অথচ নিখুঁত অভিনয় 

নিখুঁত সাজার প্রচেষ্টায় অনুভূতিগুলি বিক্রি হয়ে গেলো। 

মানুষের আগুন আবিষ্কার যেদিন এক সভ্যতার দরজা খুলেছিল 

সেদিন থেকে মানুষ বুঝে গেছিল জ্বলনের যন্ত্রনা 

অথচ সব বদলালো 

আগুনের রূপের পরিবর্তন হলেও 

মানুষগুলো  আগুন ছিটোতে পারলো না 

সত্যি বলতে পারলো না 

শুধুই নিজের মৃতদেহ সৎকার করে দিন কাটাতে শিখে গেলো। 

  


Saturday, June 3, 2023

সত্যি কি মিথ্যা

সত্যি কি মিথ্যা
..ঋষি 

আমরা কি সহজে নিজেকে মিথ্যা বোঝাই 
পারছি না, আর পারছি না 
ভালো লাগছে না আর
সত্যি কি তাই? 

এই মুহুর্তে একটা বিলাসবহুল মলের আটতলায় দাঁড়িয়ে সেলসে কাজ করা ছেলেটা ভাবছে 
আর পারছি না,ভালো লাগছে না আর,
একজন গৃহস্থ মহিলা প্রতিদিন স্বামীর হাতে মার খেয়ে কিংবা অপমানিত হয়ে ভাবছে
ভালো লাগছে না,
এইবার মরে যাওয়াই ভালো, 
কোনও চাকরী না পাওয়া যুবক তার প্রেমিকাকে হারিয়ে এইমুহুর্তে  ভাবছে
ভালো লাগছে না, 
সত্যি কি তাই? 
.
একটু ভাবুন তো আমরা কি নিজেকে মিথ্যা বলছি না
আমরা কি সকলেই সত্যি পরিস্থিতির সাথে সমঝোতা করছি না
আমরা কি সকলেই সমাজ আর সময়ের কাছে মাথা নিচু করছি না
মেনে নিচ্ছি না বহু পুরাতন আমাদের পুর্বপুরুষের শেখানো সময়ের বুলি।
আমরা ভয়ের কিংবা সময়ের কাছে মাথা নিচু করার বদলে
 " পারছি না"র বদলে ঘুরে দাঁড়িয়ে  বলতেই পারি 
বেশ করেছি,মানছি না
মানবো না
থাকবো না,,,,,,,,,,  এইবার বাঁচবো, 
সত্যি কি আমরা নিজেকে মিথ্যা বলছি না? 






Friday, June 2, 2023

সতী (২)

সতী (২)
.. ঋষি 
মানুষের যে বুকে চলন্তিকা বাস করে
সে বুকে সতী শব্দটা দরজার বাইরে দাঁড়ানো সমাজ
সেখানে আগুনে পুড়তে থাকা মধ্যরাতের কলকাতায় 
কুকুরগুলো ফুটপাতে হঠাৎ চিৎকার করে
ঠিক তখন কোনো  ঘুম ভাঙা  শিশু মাকে আঁকড়ে ধরে
আর স্বপ্ন দেখে ফুটপাতে শুয়ে থাকা মানুষ বাঁচার অধিকারের। 
.
এখন প্রশ্ন থাকতে পারে চলন্তিকা কে ?
জানলার ফাঁক থেকে উঁকি মারা একলা চাঁদ চলন্তিকা হতে পারে
চলন্তিকা হতেই পারে কর্পোরেশনের নলে চান করা বস্তির আর দশটা মেয়ের মতো মেয়েটা 
কিংবা সেই মেয়েটা যে ভীষন কালো বলে তার কোন মানুষ নেই
কিংবা কোন স্বাধীনচেতা ফেস্টুন হাতে নিয়ে মিছিলে হাঁটা সেই মেয়েটা
অথবা ধরুন বিবাহিত কিংবা ডিভোর্সি সেই মেয়েটা
যে বাঁচতে চায়
সুতরাং প্রতিটা প্রতিবাদ ,প্রতিটা সময়ের নারী 
আমার প্রেমিকা 
সেই তো  চলন্তিকা।
.
কিন্তু আমি জানি যে সব মানুষের বুকে চলন্তিকা বাস করে
তারা প্রত্যেকেই প্রেমিক কিংবা কবি,
সামাজিক নিয়ম মোড়া হিসেবের বাইরে সেই মানুষগুলো
সতী শব্দের আড়ালে কখনোই যোনি পর্দা খোঁজে না
খোঁজে কুন্তী কিংবা দ্রোপদীর কষ্ট
পিতামহ ভীষ্মের প্রতিজ্ঞা। 
অনন্ত যাত্রা থেকে যে ধর্ম  যুধিষ্ঠিরের কুকুর সেজে সেদিন স্বর্গের দরজায় 
আমি সেই কুকুরের ধর্ম মেনে বিশ্বাস করি 
সতী কিংবা অসতী সনদগুলো  শুধু সাদা পাতায় কতগুলো সামাজিক নির্বাণ  
এর পিছনে লোকানো গল্পগুলো আসলে 
এক একজন  চলন্তিকা।  




Thursday, June 1, 2023

জতুগৃহ

 


আসলে সত্যি হলো আমি হারিয়ে কিংবা হেরে যেতে পারি না 

আসলে সত্যি হলো আমি কখনোই সম্পূর্ণ হতে পারি না 

কারণ চলন্তিকা সম্পূর্ণ নয় ,

একবার জতুগৃহের আগুনে ধর্ম নামক এক শব্দ পাথর ভেঙেছিল 

কেউ বলেছিল বুকের ভিতর পাথর থাকা ভালো 

অথচ আমি বিশ্বাস করি 

পাথরের ধর্ম চিরকাল অভিশপ্ত। 

.

একটা আবিষ্কারের খোঁজে নক্ষত্ররা পথ হারিয়েছিল বহুদিন 

চলন্তিকা বলেছিল 

যদি নক্ষত্রের অনুতাপে অন্ধকার ঘর আমার সম্বল হয় 

আমি তবে অহল্যা হবো ,

আমি অভিশপ্ত সেই নক্ষত্রের খোঁজে ঘর বেঁধেছি 

সম্বলে রেখেছি চলন্তিকাকে। 

আসলে সত্যি হলো সময়ের বুকে এক নীলকণ্ঠ আজ নির্বাসিত 

আসলে সত্যি হলো আমরা সময়কে বড় অবহেলা করি 

না হলে এই শহর আজ হতো নক্ষত্র ঘর 

আর নিখোঁজ চলন্তিকা হতো সুখী। 

..

জতুগৃহ 

... ঋষি 

সতী


 শরীর আর সহানুভূতি 

আঙ্গিক ঘষা মাজাতে সময় শুধু সতীদের খোঁজে 

কিন্তু অবগহনের মুহূর্তে কোনো বেশ্যার শরীরে সমাজ শান্তি খোঁজে ,

এ যেন এক উচ্চারণ 

হিসেবের বাইরে সাদা পোশাকের দ্বন্দে 

সামাজিক নির্বাসিত ঋতুস্রাব । 

.

আগুন লাগা নষ্ট মেয়ে 

সামাজিক প্রফিটের খাতায় ব্যবসায়ী গদিতে পানের পিক 

মুখগুলো মনে পরে চলন্তিকা,

ভীষণ দৈন্যতায় আমি গিয়ে দাঁড়াই সমাজের মুখোমুখি

তফাৎ খুঁজি বাঁচতে চাওয়া আর বঞ্চিত থাকার 

ভীষণ নিরাপত্তায় আমি গিয়ে দাঁড়াই বিষাক্ততায় 

তফাৎ খুঁজি নষ্ট আর নষ্টামির।

নষ্ট সময় জিতে যায় বারংবার 

সামাজিক প্রকাশগুলো চিরকাল ছবি তোলে  বাঈজীপাড়ায় ,

সতীরা সামাজিক মূর্তিতে দুধ ঢেলে ঈশ্বরী 

আর আর যাদের বুক দুধ শুকিয়েছে 

তারাই তো সামাজিক ডাইনি

তাইনা চলন্তিকা........

..

সতী  

০০০০০০ ঋষি 

অনবদ্য কবিতা

আমরা কেউই অনবদ্য কবিতা নই আমরা সাধারণ যারা তারা শুধু বেঁচে আছি বেঁচে থাকবো বলে, আমাদের কবিতারা আকাশে উড়তে পারে না শুধু ডানা ঝাপটায়, হঠাৎ  অব...