Wednesday, July 31, 2019

গাছ


গাছ
....... ঋষি
==========================================
নখ ঘসে তুলছি, হাঁটু ভাঁজ করে বসে আছি
হাওয়া নেই, গান নেই
তবু মাঠের ওপাশে শান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এক বিশাল আকাশ।
অবাক সময় ,অবাক সবুজ ইচ্ছার অদূরে ঘ্রান
সকলে যে আমরা আকাশ ধরতে চাই।

আচ্ছা চলন্তিকা আমি যদি ওই আকাশে গাছ হয়ে যাই
ধরো  প্রেমিক গাছ।
আর তুমি সেই জড়িয়ে ধরা আদরের মতো
আমার সবুজ ইচ্ছা।
অদ্ভুত না শুনতে
সুন্দর হাওয়া ,সুন্দর ঈশ্বর ,সুন্দর ভাবনা,সুন্দর কোনো বাড়তে থাকা প্রতীক্ষা।
আসলে প্রেম শব্দটা চিরকাল গাছের মতো
কোনো প্রতীক্ষা।

নখ দিয়ে মাটি তুলছি ,হাঁটু ভাঁজ করে প্রার্থনারত
সময়ের গান ,উপলব্ধি সময়ের
আমি যেন গাছে মতো কোনো একলা দাঁড়ানো আকাঙ্খা তোমার প্রান্তরে।
অপেক্ষা সময় ,অপেক্ষা ছুঁতে চাওয়া
গভীর আকাশের লোভ ,গভীর নীল বেঁচে থাকায়। 

ঘর

ঘর
..... ঋষি
=======================================
আমাদের ঘরগুলো খালি চিরদিন
ছুট দরজার বাইরে আকাশ ধরার লোভ।
যে যেখানে আছি
ঠিক সেখান থেকে আমরা দূরে একফালি   রৌদ্র এসে পরে
সময়ের অন্ধকারে নিঃশ্বাসের প্রতিবেশী ঘর
বাঁচার আশ্বাস।

শহর পেরিয়ে ,কিংবা গ্রাম পেরিয়ে
আমাদের ঘরগুলো সময়ের বাইরে বিভিন্ন গড়নের দেখতে।
এখানে শব্দ কিছু নেই
আছে পাতা ঝরা বিকেল ,হঠাৎ ঝড়,উদ্রেক বিষন্নতা
আর একা থাকা।
আসলে আমাদের একা থাকাগুলো এক একটা উপন্যাস
যার পাতায় পাতায় মুহূর্তগুলো আলাদা
কিন্তু অনুভূতি এক।
অনুভূতি সে যে সেই আকাশের পাখি
হঠাৎ উড়ে  এসে জুড়ে বসা সময়ের মতো
কিংবা
ধোঁয়ার মতো কিছু
ছোঁয়ার উপায় নেই।

আমাদের ঘরগুলো খালি চিরকাল
শুধু লোভ বুকের দেরাজে রাখা কিছু অগোচালো স্বপ্নের
কিংবা সেই নীল রঙের রংমশালের।
রংমশাল হাজারো রঙের বন্যা অনুভূতিদের ঘর
যা শুধু খালি চিরকাল
মুহূর্ত জড়িয়ে।   

Tuesday, July 30, 2019

গন্ধ


গন্ধ
....... ঋষি
==============================================
কবিতা জন্মাচ্ছে
মরে যাচ্ছে শরীর ,শরীরের নিঃশ্বাসে বিষ।
ক্রমশ ম্রিয়মান গ্যালাক্সি ক্রমশ হারিয়ে চলেছে সভ্যতার ভিতর
গ্যালাক্সি থেকে সভ্যতার  গন্ধ।
পুরোনো  মার্বেল কিংবা পুতুলের মায়ায় যেমন  একটা স্বপ্নের গন্ধ 
সুবিশাল মিল্কিপথ থেকে উঠে আসছে তোমার
ঘুমজড়ানো বুকের গন্ধ।

ঘুমোনো সভ্যতা
তোমার শরীর থেকে  উঠে আসছে,  আসন্ন শরতের খুশী মেঘ
 আর কাশফুলের।
সাড়ে চারশো গ্যালাক্সির  পর আমরা যেখানে কেউ নেই
আমাদের সকল ভাষার মৃতদেহ,
তখন তোমার অভিমান শুধু একটা গন্ধ
সময় খুঁজে চলার।

কবিতা জন্মাচ্ছে
তোমার  রাত জাগার গন্ধটা ক্রমশ জড়িয়ে ধরছে আমায়।
মুঠোবন্দি এপ্লিকেশনে যেখানে শরীর ভিজছে কামার্ততায়
সেখানে তোমাকে নিয়মিত খুঁজে পাওয়া ,
ব্যস্ততা
গ্যালাক্সির
 অভ্যেসে।
তুলতুলে স্তন ,আরো গভীরে মৃত বীর্যের যন্ত্রণারা শরীর খুঁজছে
 হৃদপিন্ড থেকে বেরিয়ে আসছে অক্টোপাসের কিলবিলে হাত
তোমাকে জড়াচ্ছে কবিতায় চেনা আঁশটে গন্ধে ।

Saturday, July 27, 2019

আদর

আদর
........... ঋষি
=====================================
তোর ঠোঁটে ঠোঁট ঘষে তুলে নেবো
ইচ্ছে রং।
লিপস্টিক লেগে যাক শরীরে ,বুকে ,সময়ে ,সভ্যতায়
হাসুক এক বুক  আদর সময়ের পাতায়।

ঠিক এমনি কিছু লিখতে চেয়েছি
হয়তো ছুঁয়ে যাওয়া আদরের তিলে  কিছু অব্যক্ত লিখতে চেয়েছি।
মানুষ খুঁজছে মানুষ
সভ্যতার আদলে হৃদয় খুঁজছে মৃত্যু।
এটা মৃত্যুর দেশ না
এ সব তত্ব কথা মাথায় ঢোকে না ,ঢোকে না সময়ের মানে।
শুধু কেমন যেন তোর মত কেউ কানে কানে বলে
আমার শরীরে অনেক তিল
একটু ছুঁয়ে দিবি ?
এক বার আদর করে ডাকবি আমায়
আদর বলে।

ইচ্ছে রং ছড়িয়ে পড়ছে আমার কবিতায়
ঠিক যেন লিপস্টিক ঠোঁট।
কাল স্বপ্নে এলোমেলো হেঁটেছি সারা রাত
তুই বলেছিস অপেক্ষা ,আমি আদরে।

Friday, July 26, 2019

কফিন


কফিন
................... ঋষি
===========================================
স্বপ্নরা ছেঁড়া তুলোর মতো যদি কোনোদিন বৃষ্টি হয়ে নামে
যদি কোনদিন ভুল মনে হয়
...........................................বেঁচে থাকা।
কি করবি ?

অজস্র কথন ,অজস্র আকাশ ,পোশাকি নীল রং
সময়ের সন্ধান।
স্বপ্ন ছিঁড়তে ছিঁড়তে কখন যেন সময়ের ডাস্টবিন ভরে ওঠে
ভরে ওঠে উথলে ওঠা সময়ের রং ,
লালচে আকাশ।
যদি বৃষ্টি আসে ভিজবি তো ?

নিজস্বতায় শহর হেঁটে চলে দুপুরের  রোদ মেখে
ঘামের গন্ধে ফুটে ওঠে তোর স্পর্শ।
ঠোঁটের দাগ লেগে আছে ঠোঁটে ,বুকের স্কেলিটনে স্পর্শর
কষ্ট হয় রাত  হলে।
রাত নামলেই আমি  ক্লীবত্ব বুঝতে পারি তার
দেখি কিভাবে একটি হাড়-মাস ভালোবাসা
কফিনের নিচে
ঘুমিয়ে পড়ে ।

স্বপ্নগুলো এইভাবে কখন যেন দেখা যায় তোর চোখের কাজলে
লেপ্টে থাকে অনবরত রোমন্থন,
বেঁচে আছি মনে হয় কি বল ,
এইবার ?

পিরামিড

পিরামিড
........ ঋষি
=================================
গতজন্ম থেকে বোধহয় আমি ঘুমিয়ে আছি
শুধু এই শরীরটা জেগে ,
সেও কতকাল।
.
নিঃশ্বাসের বিষয়ে লেগে থাকা গতজন্মের পাপ
অভুক্ত বিশ্বাস,
কিন্তু আজকাল আবার বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে নিজেকে
কালো জন্মের ফারাওর শরীর ছেড়ে
যদি জেগে উঠি।
.
শহর পেরিয়ে গ্রাম ,অন্ধকারে ক্রমশ ঢাকা একটা সভ্যতা
স্বপ্নে নীলনদের জল স্পর্শ করে ,
ক্লিওপেট্রা খোঁজে।
................ হয়তো খুঁজে নিতে চায়  নীল মৃত্যু
কোনো নীল অর্থের ভিতর থেকে কিছু অদ্ভুত তীর
ছুটে আসে
ছুঁতে আসে বিশ্বাস।
.
চলন্তিকা সব সত্যি ,সব মিথ্যা ,সব অগোছালো এক উন্মাদ
যে ছুটে চলেছে তোমার দিকে
খুঁড়ে চলেছে কবর পিরামিড বুকে।

Wednesday, July 24, 2019

সত্যি


সত্যি
...... ঋষি
=========================================
আবার একটা গল্প হোক
পরশ মাখা নতুন ভোরের ঈশ্বর
সত্যি।

ঘর ছাড়া আনন্দরা নিজের মতো শহর মাতালো
স্পর্শ গড়িয়ে নামুক শরীরে
এইবারে তো বৃষ্টি আসুক নিজস্ব সফরে আসা ,যাওয়া ক্লান্তি।
গোলাপি একবার ঈশ্বর হয়ে দেখ
দেখ একবার সময়ের বুকে আলতা পায়ে ফেলে আসা সময়।
সবটাই সাংঘাতিক
শুধু আমি ,তুই মানুষ ,ভুল করি তাই।
লিখে ফেলি বারংবার সময়ের কবিতায় প্রেম
আর প্রেমের কবিতায় নিজেদের।
ঠিক যেমন করে ঘরের ভিতর ঘর ,সময়ের ভিতর উদ্রেক
বেঁচে আছি ভুলতে চাই।

আবার একটা গল্প হোক
মানুষ মাখুক সময় ,মানুষের কবিতায়
সত্যি। 

Saturday, July 20, 2019

খবর


খবর
................. ঋষি
======================================
তোমার আপডেট খবর আমি
 আর রাখি না ,
রাখি না নিজের বালিশের তলায়
দমবন্ধ করা সার দেওয়া অভিমান।

এ কেমন কথা
সমুদ্র পেরিয়ে মানুষের ভিড়ে তোমার হাসির রং।
তোমার চোখের কালিতে শুকিয়ে থাকা সমুদ্র পাড়
ছবিগুলো সব ফ্রেমবন্দি
নাম না জানা কিছু অচেনা চোখের ভিড়।

তোমার চোখের খবর আমি আর রাখি না
তাকিয়ে থাকি না দূরে বাঁচার লোভে
কারণ আমি মরতে শিখে গেছি।
তোমার ঠোঁটের হাসি ,ভুরু বাঁকানো আলাপন
লোভের শহরে আলাপ করছে শরীর,
আমি আর শরীরের সাথে মিশি না
কারণ আমি মাটিতে মিশতে শিখে গেছি।

শহর ছাড়ার রোগ
মৃত্যু শুয়ে আছে সকলের সময়ের অন্ধকারে।
তাই আমি আর মিথ্যা শহরে হাঁটি না
তোমার আপডেট  খবর আর রাখি না।

অভ্যেস


অভ্যেস
..... ঋষি
=================================
অভ্যেস নিজস্বতা  বদলের আয়না
সময়ের স্কেলিটনে মরচে  পরা দাগ
পুরোনো অভ্যেস।
.
জামা বদলানো ,সময়ের জামায় হাওয়ার আসা যাওয়া কম
হাত গোটানো ,নিকোটিন চুমুতে
পুরোনো অভ্যেস।
.
জানলার পর্দা ,দক্ষিণের হাওয়ায় নিজস্ব ভঙ্গিমায়
নগ্ন হেমলক , অভিসম্পাত জৈবিক  দাগ
পুরোনো অভ্যেস
.
শহরের চূড়ায় একলা দাঁড়িয়ে অন্ধকার আকাশ
চিৎকার খুঁজছে নিজস্বতায় প্রাক্তন নিশ্বাস
পুরোনো অভ্যেস।
.
সবটা সাজানো ,যেমন অভ্যেস
কিছু কথা শুধু কাগজ কুচোনো সারি দেওয়া মুহূর্ত
পুরোনো অভ্যেস 

Saturday, July 13, 2019

মুখভার

মুখভার
.... ঋষি
====================================
কেউ কারো চোখের দিকে তাকাইনি
বহুদিন বৃষ্টিতে ভিজেছি। অথচ নিজেদের ভেজাইনি।

গল্পগুলো এমন হয়
একটা আলোর ভোর কিংবা অন্ধকার রাত
ধুলো-ওড়া দুপুর হারিয়ে গেল সহসা মুখভার আকাশে ,
অথচ আমরা কেউ কারো চোখের দিকে তাকাইনি।

বৃষ্টি হয় নি কাল ,হয় নি আজ
তবু চিরকাল ,
কোনো অযাচিত শহরে নিজের পদক্ষেপে খুঁজতে থাকা ভালো থাকা।
সময়ে ট্রেন ছেড়ে যায় স্টেশন ,কিংবা চেনা বাসস্টপ
অচেনা সময়ে ,অযাচিত বিদায়।

এই গল্পে কোনো নারী নেই ,নেই পুরুষ
শুধু আছে প্রেম।
উপছে  ওঠা নেশার আদলে মন কেমন ,কেমন মুখভার সময়।
লুকোনো প্রেম কখনো তাকিয়ে দেখে না চোখের গভীরে
শুধু মন খোঁজে ভাঙাকাঁচের চূড়ি, সেলোফেন খোসা, পুরোনো লেখা চিঠি
আর প্রেমের একটা প্রকৃত স্পর্শ। 

Friday, July 12, 2019

গোলাপী তোর গল্প

গোলাপী তোর গল্প
.... ঋষি
==================================================
তোকে ভাবলে গোলাপী
কেমন একটা পুরোনো আতরের গন্ধ পাই।
পুরোনো ডাইরিতে লেখা কিছু স্বপ্ন ক্রমশ গলে যাওয়া আইসক্রিম
রসনায় তৃপ্তি  অথচ বাসনায় বিভ্রম।

কোনো একদিন লিখেছিলাম
শরীর পেরিয়ে প্রেম। দর্শকগণ  জানেন  তফাৎ।
মৃদু বাতাস
সঙ্গমের আগে একটা গভীর চুমু দরকার ছিল।
দরকার ছিল খোলা ক্যানভাসে নীল রং ঢেলে একটা আকাশ ব্যাকগ্রাউন্ডে
কিন্তু হঠাৎ স্বপ্ন ভঙ্গ হয় ,ভাঙে আকাশের ঘর
আর তারপর গোলাপী তোর গল্প।
তুই ভাবিস মিলেমিশে থাকবো আকাশের সাথে
বৃষ্টি হয়ে ঝরবো বুকে ,
ঠোঁটে ,ঠোঁট ঘষে লিখবো কবিতা।
কিন্তু নিশ্বাস
সে যে বিশ্বাসঘাতক ঈশ্বরের ঘরে রাখা কিছু দমবন্ধ বাঁচা।

হাজার ফণা মেলে যে শহরে শরীর  জেগে থাকে দিনরাত
গাঢ় ঘুমে যে সময়  নারী ছুঁয়ে যায় তোর  নাভিতে  মিঠা রসস্রোত।
শীততাপ  হেসে ওঠে, যন্ত্রমানুষেরা চায়ের কাঁপে ঠোঁট
সেখানে গোলাপি তোর ঠোঁট শুধু তৃষ্ণা।
বাকিটা আমার কবিতা
তোর গভীরতা ছুঁয়ে হৃদয়ের শেওলা পথে আমার হেঁটে চলা

Wednesday, July 10, 2019

নি রি বি লি

নি রি বি লি
..... ঋষি
=====================================
অজানা এক সময়ের সাথে হঠাৎ দেখা
মুখোমুখি।

কোনো দুরূহ প্রদেশের সেই নীল আকাশের শহর
যেখানে সবুজ পাহাড়ের গায়ে হঠাৎ বৃষ্টি।
মেঘ ভেজে এখানে
হেঁটে যায় ছাতা হাতে নিয়ে কত সময়ের রূপ ,কত আদল।
আমি এগিয়ে যায় অলিগলি বেয়ে
সবুজের দরজায় ঠকঠকানো ,
নি
রি
বি
লি
পাতা ঝরার স্বপ্ন।

মানুষের ঘুমগুলো সবুজ পাহাড়ের গালিচায় ধোঁয়াশায়
মানুষ ঘুমোতে চায়। 
 দিনের শেষের  সূর্য,
 হঠাৎ পাহাড়ে  গর্জে ওঠে  ক্যালেন্ডারের শহর
ঘুম ভেঙে যায়
তবু সবুজ স্বপ্ন সময়ের  রক্তে, নিঃশ্বাসে।

শেওলা

শেওলা
...... ঋষি
======================================
নেশায় মাতাল
অনির্দিষ্ট কোনো সময়ের সওয়ার জীবন।
এগিয়ে যাচ্ছে যতটা ,ঠিক ততটা পিছিয়ে শুরু হচ্ছে যাত্রা,
অনির্দিষ্ট কোনো সময়ের সাগর
তুমি ,আমি সমুদ্রের শেওলা ,হাজার বছরের প্রতীক্ষা
ঠুকরে খাচ্ছে সময়।
.
সময়ের ভিতর ডুবে যাচ্ছে ডুব সমুদ্র কোনো অসীম ঘুম
সাবলীল জীবনের বাইরে ঘরে ফেরা।
ঘরের ভিতর ঘর ,ছাদহীন কোনো বিশাল পৃথিবী
আমাদের বাড়ি।
তোমার আঙ্গুল গড়িয়ে নামছে ঋতুবদল
এখন বৃষ্টি ,তারপর শীত ,তারপর ...........
.
তোমার ঘামের গন্ধ ,অসম বন্টন
বিলুপ্তপ্রায় প্রেম সে যেন দীর্ঘশ্বাস সমসাময়িক নিরুপায়তায়।
দুর্বলতা যদি থাকে
সে যে শুধু তোমার চোখে বেঁচে ফেরা আমার নেশায়।
বাকিটা ঘুমহীন মাছের দেশে
আমার শেওলা লাগানো হৃদয়।   

বরফকুঁচি

বরফকুঁচি
....... ঋষি
==========================================
অনেকটা হারিয়ে আবার শুরু
পর্বতপ্রাচীন রোগ চুল ছেঁড়া আকুতি হারানো শোক।
দুই পাশে দহন,মাঝখানে বরফকুঁচি
চিরকাল প্রেম শব্দটা একটা বেহায়া ,আহারে  টাইপের।

নতুন  আকাশ
পুরোনো মেঘ ভাবাবেগে রুপোলি গিটার বাজিয়ে চলে ব্যাকগ্রাউন্ডে।
সময়ের ফাটলে আটকে থাকা ধ্রুবতারা
আজ সত্যি দূরে মনে হয়।
বুক ফাটলে আজ অবধি কোনো শব্দ হয় নি
যত শব্দ অমলিন দৈনন্দিন বেঁচে থাকায়।
আমার কাছে প্রেম শব্দটা অমরত্বের
আসলে বাঁচবার কিছু কারণ দরকার বরাবর একলা শহরে,
যেখানে একলা বৃষ্টিতে ভেজা যায়
অথচ কেন জানি একলা বৃষ্টি দেখা যায় না।
অনিত্যের হাতছানি
পিছন ফিরে দেখা অজস্র মুখ ,অথচ বারংবার ভুল
মন বড় একলা সময়ের দরবারে।

অনেকদিনের পরে আবার ফিরে আসা
চেনা দরজায় লাগানো পুরোনো তালাটা বড় বেশি একলা করে।
ওইযে মাঝখানে বরফকুঁচি ,উত্তাপে প্রেম
ফুরিয়ে যায় ,হারিয়ে যায় মানুষের বানানো কারণের কাছে।
  

Sunday, July 7, 2019

জলছবি

জলছবি
..... ঋষি
============================================
বৃষ্টির জলে বাড়ানো হাত আকাশে
সিক্ত হচ্ছে মাটি।
কোনো এক ভরদুপুরে অন্যমনস্কতার গল্প হোক
গল্প হোক শহরের মনখারাপের।
অভিষিক্ত হয়েও ফিকে হয়ে আসে সাম্রাজ্যের দায়ভার
দাবার ঘরের কালোরা আরো অন্ধকার মেঘে।
.
সময় জিতছে না
আলতামিরার ছবিগুলো সব পুরোনো শহরে আমার।
তুমি
কোনো বৃষ্টি ফোঁটায় আমার শরীরের শিহরনে।
মেঘলা মন
একলা

কা

কোনো অজানায় ঈশ্বর ছুঁয়ে যাচ্ছে মুহূর্ত
বৃষ্টিভেজা কোনো আদর।
এই শহরে সব কিছু ভীষণ নিয়মমাফিক ,ভীষণ সামাজিক
শুধু তুমি ছাড়া।
.
বৃষ্টির জলে হাত বাড়ানো
ভিজে চলেছে গভীরতায় উর্বর কোনো সবুজ জমি।
মনখারাপের বেলা
তুমি বোঝো ,আমি জানি মুহূর্তের জলছবি।
কোনো এক ভরদুপুরে অবধারিত মৃত্যু আমার তোমার সাথে
সেদিন আকাশ ছুঁয়েছিল বৃষ্টি ফোঁটায়।  

Saturday, July 6, 2019

গোলাপীর অভিমান


গোলাপীর অভিমান
......  ঋষি
=======================================
খানিকটা অভিমান ,অনেকটা পোড়া দাগ তোর বুকে
গোলাপী সমুদ্রের বুকে শুয়ে তোর আকাশ।
প্রেম ,অপ্রেমে
ছুঁয়ে থাকা বিশ্বাসে কিছু গল্প অজ্ঞাতবাসে।
জানিস তো কাছের মানুষগুলো কখন যেন ভীষণ অচেনা
ভীষণ একলা সময় সময়। 
.
বললি না তো তোর চুমুদের কথা
শুধু জানা হলো না কেন  তোর লুকোনো  কবিতারা এত  অদ্ভুত।
বহুদিন হয়ে গেল সেই ঝাল মুড়িওয়ালা
তোর বাড়ির কাছে আসে নি।
শুধু যুদ্ধ
কতদিন তুই নিয়মের  মাদুলি গলায় ঝুলিয়ে রেখেছিস
কিন্তু স্বর্ণযুগ ফিরে এলো কি ?
জানি তুই হাসছিস
ভাবছিস উপন্যাসের প্রথম পর্বে  এমন করে কেউ নগ্নতা লেখে  ?
আসলে কি জানিস প্রতিটা  মানুষ জামার কলারে সময়ের জঙ্গল থাকে
আর সেই জঙ্গলে লুকোনো থাকে কিছু প্রিয় মুখ।
কবে তুই শেষ হেঁটেছিস তোর প্রেমিকের সাথে
ভেবেছিস কখনো, সেটা কি আদৌ কোন প্রেম ছিল।
.
খানিকটা অভিমান ,খানিকটা পোড়া দাগ তোর গভীরতায়
সিগারেটের জমানো ছাই ,কিছু চিতাভস্ম।
জানিস তো সূর্যের ভিতরে শুয়ে থাকা অভ্যেস প্রত্যেক মানুষের আছে
ঐশ্বরিক জরায়ুর খোঁজে শৈশব মৃত এই সমাজে।
আসলে মানুষ  শুধু কোন প্রজন্মের সময় লেখে
কিন্তু অদ্ভুত আমি লিখছি তোর পুড়ে যাওয়ার কথা। 

Friday, July 5, 2019

True never dies


For a woman he would never know
For a woman he could never have
He should change the world forever ......
Coz true never dies.

.
ফ্রানসেসকো পেত্রাক
নিরিবিলিতে  প্রেম শব্দটা ঘুরে মরে নিজের গভীরে,
শতাব্দী বদলায়
বদলায় রেঁনেসা প্রবাদ প্রতিম ধার্মিক
নিজস্ব লেখনীতে প্রেম সর্বদা আকারহীন।
.
আমি কবিতার শব্দতে পেত্রাক কে স্পর্শ করি
স্পর্শ করি লরাকে ,
শতাব্দীর আগুন বোঝে না ,এই ভাবে হত্যা সম্ভব নয় কিছু না পাওয়া।
পুরাতন ফিরে আসে
মনের জানলা খোলা অতৃপ্তি ঘোরে ,ফেরে শহরের বুকে
সে শুরু
তারপর
ক্র


.
সময় বয়ে যায় যেমন বয়ে চলে প্রেম নিরঙ্কুশ কল্পনায়
কে এসেছিল সেদিন ,কে আসে নি
সমস্ত সাময়িক ,প্লেটোনিক পর্যায়।
তবুও আমরা দাঁড়িয়ে আজো একই প্রতীক্ষায়
অজস্র সুখ শুধু হারাতে চায়।
...
.... ঋষি

Wednesday, July 3, 2019

এবং

এবং
..... ঋষি

এবং সেই অন্ধকারে সবুজ পাখি
আমার জ্বর চোখ।
আমি ভিজতে পারি একলা বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে
হয়তো কাটিয়ে ফেলতে পারি একটা শহর পাগলের চোখে।

এবং পাগলামি এসে বাসা বাঁধে আমার বেঁচে থাকায়
নিরিবিলি শব্দদের সাথে প্রেম।
তোমাকেও ভালোবাসি ভীষণ চলন্তিকা
অথচ ভালোবাসার সময় বড় কম।

এবং সময়ের ঘড়ির টিকটিক শব্দ
তুমি নিঃশব্দে এসে দাঁড়াও আমার অন্তর গহ্বরে।
জলপ্রপার ,জলের শব্দ
মেখে থাকে আমার চারপাশে সব অচেনা।

এবং তুমি কাছে আসো
মিশে যায় শরীর আরো  শারীরিক আমি ক্লান্ত।
তখন জ্বর
অদ্ভুত শহরে ,অনির্দিষ্ট সময় ,আর ভিজে ঠোঁট।

এবং সেই অন্ধকারে সবুজ পাখি
হৃদয়ের ক্যানভাসে কালোর উপর সবুজ ,হাই ওয়ে।
আমি উড়তে পারি নীল আকাশে
কিন্তু আমার পছন্দের সেই অন্ধকার চোখ।

বৃষ্টির শব্দ



বৃষ্টির শব্দ
........... ঋষি
===========================================
সারারাত বৃষ্টি
কাঁচের জানলার উপর হাতের ছাপ তোমার ,আমার।
আমি শব্দদের সাথে প্রেমে মগ্ন
তোমার বালিশ দূরত্বে শুয়ে আছে সামাজিকতা আর সম্পর্ক।
ইতিহাস মরে গেলে শুকনো কাগজের টুকরো
আর শহরের রাস্তায় বাড়তে থাকা আবর্জনা।
.
বৃষ্টির শব্দ
চোখের পাতায় লেগে আছে কিছু ফটোফ্রেম আর স্বপ্ন।
স্বপ্নের মৃত্যু হলে কোনো শব্দ হয় না
শুধু হঠাৎ বৃষ্টি লেগে যায় বেঁচে থাকায়।
বড় অদ্ভুত হলো আমি এখন বৃষ্টির ভাষা বুঝতে পারি
রাত্রিবেলার ভাষাও  বুঝতে পারি ,
শুধু বুঝতে পারি না সামাজিক ভাষা।
রাত্রি আসে নিঃশব্দে ,এগিয়ে নিয়ে যায় আরো অন্ধকারে নিয়ম করে
বাইরে ঝড় ওঠে ,ভিতরে বৃষ্টি ,
আমি বৃষ্টির শব্দে নিজেকে খুঁজতে থাকি
আর কখন যেন ভিজে যাই।

সারারাত বৃষ্টি
কাঁচের জানলার দুইপাড়ে আমরা দাঁড়িয়ে কোনো অধিকার।
অধিকার শব্দটা যতটা সামাজিক ,ততটাই গভীর
কিন্তু আমরা কেউ চিৎকার করতে পারি না সময়ের কাছে।
চিৎকার করি অনুরণনে
বৃষ্টির শব্দ। 

গোলাপীর সাথে কথোপকথন

গোলাপীর সাথে কথোপকথন
..... ঋষি
=========================================
চুলে হালকা সাদা পাক ,মধ্যবয়স্ক
আবার এই সব কথা কেন।
আমার গোলাপি রংটা বেশ লাগে ,বেশ লাগে গোলাপী নামটা
একটু অদ্ভুত না ,
না ,মোটেও না  তুমি লক্ষ্মী মেয়ে নও গোলাপী,
হ্যা গালে একটা সুন্দর টোল পরে বটে ।
.
আচ্ছা তোমার বুকে একটা পোড়া দাগ আছে না
কি মুশকিল ,বাজে প্রশ্ন।
অভিমানের কাগজ কুচোনো ,পুড়েছে মন ,ধোঁয়াশা
ধুস এখন শীতকাল নাকি।
আচ্ছা তোমার শহরে বৃষ্টি হয় ,কিংবা বৃষ্টির ছাট তোমার চোখে
আমি দেখেছি ,
মুন্ডু।
হাসছো কেন,
 জানো আমার কলকাতার ট্রাম ভালো লাগে
ভালো লাগে ফিরে যেতে সাদা কালো ,ষাটের দশকে ,
ধুস বুড়ো একটা।
তুমি জিততে ভালোবাসো ,দাগগুলো কতটা যত্নে তোমার
আবোলতাবোল তাই না গোলাপী।

ঠিক ধরেছি তুমি লক্ষী মেয়ে নও গোলাপী
তবুও তুমি সময় করে জীবনানন্দ পড়ো ,হয়তো বনলতা।
অনেক বছর হলো আমি সমুদ্র দেখি নি
শুধু ইট ,কাঠ পাথরের শহরে অনেকটা অবিশ্বাস।
আবার বাজে কথা হবে, আজ আসি
জানি তুমি কি ভাবছো ,মিথ্যাচার আর মীরের গল্প।

মজার পৃথিবী

মজার পৃথিবী
.... ঋষি
==========================================
অস্থির সময়
আরো অস্থির মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপন।
তবে পৃথিবী আজও জন্ম নিরেপেক্ষ
অসংখ্য বাজে বিভাজন ধর্ম ,মানসিকতা ,হিংস্রতা। 
তবুও পৃথবী আজও মানুষের বাসযোগ্য
স্বর্গেও তো সবসময় লীলাক্ষেত্র নয়। 

ভাবুন তো
সকালের প্রথম আলো ,নতুন সূর্য ,
নতুন জন্মের মুখে সেই স্বচ্ছ হাসিটা।
সমুদ্রের গম্ভীর রূপ ,পাহাড়ের বিশালতা ,মরুভূমির তৃষ্ণার্ততা
জঙ্গলের আদিমতা ,ঋতু বদলের সুখ
'সবমিলিয়ে বেশ একটা জমকালো মজার পৃথিবী।

আপনি উপভোগ করছেন ?
হাজারো উত্তর ,হাজারো জটলা ,হাজারো ভাবনা ,
তবু বাঁচতে তো সকলেই চাই আমরা।
বদলানো পৃথিবীর বিভাজনে গ্লোবালাইজেশন ,সোশালাইজেশন
ফুরিয়ে যাওয়া মোমবাতি ,বিশাল বাতিস্তম্ভ ,
বাড়তে থাকা প্রকৃতির তেজ ,জল কষ্ট ,মন কষ্ট ,নির্যাতন ,
সবই আছে
তবুও কোথাও একটা মজা আছে বেঁচে থাকার। 

মুক্তি

মুক্তি
.... ঋষি
==================================
আমায় তুমি মুক্ত করে দেও
চলন্তিকা আমার আকাশে তুমি এঁকে দেও  স্বপ্ন।
তোমার পায়ের শব্দে  জলতরঙ্গ
আমি সকালের মিষ্টি হাওয়া ,
এসো স্বপ্নে লিখে উড়িয়ে দি মানুষের যত্নে থাকা আদর।

আমাকে একটু আদর করো চলন্তিকা
সমস্ত সামাজিক রীতিনিয়ম ছেড়ে আরেকটু গভীরে মিশে যাও।
যে দেশে সবুজ কুচিয়ে তৈরী হচ্ছে দৈত্য
যেখানে আজ জলের বড়ো অভাব ,
সেখানে চলন্তিকা আমাকে একটু বৃষ্টি।
তোমার শরীরের সোঁদা গন্ধ আমার হোক
আমার হোক তোমার পাগল করা চোখের সবটুকই আগুন।
আমিও যে পুড়তে চাই চলন্তিকা
সকাল ছাড়িয়ে এই পড়ন্ত রৌদ্রে আমিও খুঁজতে চাই
ছায়া
ঠিক তোমার মতো।
কোনো না লেখা কবিতার পাতায়
আমিও আঁকতে পৃথিবীর বুকে স্বপ্ন ,
ঠিক তোমার মতো।

আমায় তুমি মুক্ত করো চলন্তিকা
আমার সারা শরীর জুড়ে সময়ের কালো কালো ছাপ।
তুমি তোমার মাতাল নখে চিরে দেখো আমায়
আমার বুক
যেখানে কিছু স্বপ্ন সময়ের বুকে মানুষ খুঁজতে চায় তোমার আদলে ।

অশরীরী


অশরীরী
..... ঋষি
===================================
আমরা দুজন একই শহরে আছি
খাচ্ছিদাচ্ছি,সময় কাটাচ্ছি হিসেবের গোলমেলে সময়ে।
বেশ কাটছে ,সামনে অনেকটা হাঁটা পথ
উঠছি ,পড়ছি ,হাঁপাচ্ছি ,
কিন্তু হাঁটতে ভুলছি না।

আমরা দুজন একই যুদ্ধ লড়ছি নিজের মতো করে
কাউকে বলার কিছু নেই
কাউকে এই যুদ্ধে প্রয়োজন পরে না।
শুধু রাত্রি জেগে থাকে এই বুকে
প্রতিদিন ,প্রতি মুহূর্তে তিলতিল করে গড়ে ওঠে স্বপ্নরা অশরীরী ।
প্রতিদিন উল্টে যাচ্ছে ক্যালেন্ডারের সময়
তাতে আঁকিবুঁকি টানা অপেক্ষারা প্রহরীর কোনো আদিমতার।
তুমি জানো ,আমি জানি
আমাদের ক্লান্ত হতে নেই ,নেই হাঁপাতে ,
শুধু পথ চলতে
চির

থি

আমরা।

.
আমরা দুজনে একই শহরের পথে
হেঁটে চলেছি কোনো অসীম গন্তব্যের খোঁজে।
শুধু সময় ছেড়ে যাচ্ছে একের পর জীবনের ফলক
কখনো সম্পর্কের নাম ,কখনো স্তব্ধতায়
তবু আমরা জীবিত এখনো। 

সেঁজুতি


সেঁজুতি
.... ঋষি
========================================
হেঁটে চলেছি নিজস্ব পথে
ক্রমশ সম্বলে সেতুর ওপারে দাঁড়িয়ে আমার প্রাণের মানুষ।
যে একগাদা কবিতা লিখে ফেলতে পারে অনায়াসে
যে খুব সহজে জিতে নিতে পারে নারী হৃদয়।
প্রেমিক কবি
দুর্বলতার আকাশে লেখা ছেঁড়া শহরের ইতিকথা।
.
বহুদিন তোমাকে দেখি নি
কোঁচকানো এক গাদা চুল ,খোঁচা দাঁড়ি ,অনির্দিষ্ট বাঘের মতো চোখ
আমার প্রাণের মানুষ।
অদ্ভুত নিয়মকানুন সাজানো তাসের ঘর
হিসেবে বানানো তার দালানে আমি তো সেই আকাশের পাখি
তার  উঠোনে শুধু ভালো লাগা মুহূর্ত ।
অদ্ভুত সমাজ ,আমি বহুদূর কোনো আকাশে অস্থির
বাসার খোঁজ ,খাঁচার খোঁজ
অথচ যতবারই ছুটে গেছি তার কাছে
যতবার একা আসতে চেয়েছি
সে  দেখিয়ে দিয়েছে  নো পার্কিং জোন ।
অথচ সেই তুমি আমাকে নাম দিয়েছো সেঁজুতি
অন্ধকারে আলো।
.
হেঁটে চলেছি নিজের পথে
জানি, দিক্চক্রবালে তোমার মুখটা  আমার প্রাণের মানুষ ।
জানি তোমার  এক গাদা কবিতায় আমি ঘুমিয়ে থাকি
কারণ আমি সেঁজুতি ,অন্ধকারে আলোর দিশা।
কিন্তু কবি
আমি ভীষণ ক্লান্ত ,একা পথ চলতে তোমার শহর ছুঁয়ে।

Tuesday, July 2, 2019

নক্ষত্র

নক্ষত্র
......... ঋষি
=============================================
মানুষের ঈশ্বর জন্ম নিয়ে তুমি আলোচনায়
আর আমি আকাশের  দিকে তাকিয়ে নক্ষত্র।
নক্ষত্র ভাঙার কথা ছিল
শুধু স্বার্থক হয়ে গেলো  চাঁদের দেশে ক্রমশ এগিয়ে  গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ে।
তোমার সীমান্তে যে গ্রামটা
সেখানে তোমার সিঁথিতে লালচে সিঁদুরে ঢাকা ভবিষ্যৎ।
.
আমি ভবিতব্য মানি না
মানি না ঈশ্বর ,ভূত আর হাতের তালুতে আঁকা উল্কাগুলোকে।
শুধু নক্ষত্র
ছুটে চলা নিয়মিত নাগরিক জীবন আমার বুকে।
আমি উল্কা আঁকি আমার বাহুতে
তোমাকে ছুঁয়ে ক্রমশ তোমার নাভিতে ঢালতে থাকি সময়ের বীর্য।
তোমার বুকের তিলটা আমার ভূমিকম্প
আর তোমার কষ্টগুলো মাকড়সার মতো আমার নিউরনে।
চৌম্বকীয় তত্ব
উপর থেকে নিচে খসে পরে নক্ষত্র।
আর আমি নক্ষত্রের মাঝে তোমায় দেখি কালো টিপ্
আর অনেকটা অন্ধকার আকাশ।
.
সভ্যতার প্রজন্মের এগিয়ে চলা ক্লিভেজে বলিরেখা
আর আমরা সময় ঢাকতে ব্যস্ত।
নক্ষত্র যদি থাকে তোমার বুকে
তা শুধু অন্ধকারে ছড়িয়ে পড়ুক আরো অনেকে উপলব্ধিতে।
চলন্তিকা আমি বলি নি তুমি ব্ল্যাকহোল
বলেছি তুমি আকাশের নক্ষত্রে ধ্রবতারা  হতেই পারো।
  

bhabnar shohor

এই পারদের বেলায় প্রস্তাবিত শহরে স্লোগান দিন বদলাবার  যেখানে পিচ গলছে ,মানুষ গলছে ,গলছে রাতের বিছানায় ভাবনা  গড়িয়ে নামছে ঘাম  সব কিছু কেমন হা...