Wednesday, November 30, 2016

অচেনা আমি

অচেনা আমি
........ ঋষি
-=-==-----------------------=-====================
কে আমি ?
জন্মের সময় থেকে আজ অবধি চিনতে পারি নি
পরিচয়ের আদলে সমাজনীতি আমাকে একটা নাম দিয়েছে
তবু আমি চিনতে পারি না নিজেকে
এই সময়
হাজারো মানুষের ভিড়ে এই মহানগর আর আমি

প্রশ্নটা অমূলক নয়
এই নগরে বাস করতে পরিচয় লাগে না  অন্য সবার মতো
তবু পরিচয় লাগে আমার
নিজের কাছে
রাতে যখন বিছানার চাদরে আমি শুয়ে
আমার সাথে শুয়ে থাকা অন্য একটা শরীর
আমি চিনতে পারি না
বহুবার আয়নায় নগ্নরূপে দেখেছি নিজেকে সময়ের সাথে
আমার চেনা লাগে না
যে সময় মানুষের পরিচয় কতগুলো নিয়মবদ্ধ অভিনয়
যে সময় মানুষ সব মুখোশের মিছিল
সেখানে আমি কে ? কোন হরিদাস পাল পরিচয় খুঁজছি

কে আমি ?
নিজের ভোটার কার্ড ,ব্যাংক একাউন্টে একটা নাম আছে শুধু
কিন্তু পরিচয়
না পরিচয় খুঁজে পায় না মানুষ নামক নাগরিক জীবনে। 
এই সময়

হাজারো মানুষের ভিড়ে ভীষণ অচেনা আমি

অনেক কথা

অনেক কথা
.... ঋষি
========================================
সব কথা শেষ হবে একদিন
আমি জানি তুমিও চলে যাবে অন্যদের মতো স্মৃতির পাশে
আমার মৃত্যুর চার হাত জমি
কিংবা শ্মশানের দাউ দাউ চিতায় চিৎকার রয়ে যাবে
তুমি শুনবে ,তোমরা শুনবে সময়
প্রতিটা সমাপ্তি কেন জানি শেষ হয় না কখনো

আমার মৃত্যুর বুকে
শুয়ে থাকবে কষ্টের নাগপাশে সময়ের অর্জুন
যার সাধের গান্ডিবে তখন লক্ষ্যহীন সময়ের কাঁটা
টিক টিক সরবে তবু
তোমার বিনিদ্র রাতে চোখের পাতায় জ্বালা
তোমাদের শরীর জুড়ে তখন স্পর্শের কাঁটা
কিছুই না থাকলেও
কিছু তো থেকে যাবে ফুরোবার পরে নিজের অধিকারে
অনুতপ্ত সময়
আর সময়ের পথ চলা

সব কথা শেষ হবে একদিন
ভোরের শিশিরে চুমু খাবে সকালে প্রথম কিরণ
তুমি অনুভব জ্বেলে রেখো গভীর কোনো প্রদীপ
তোমরা বাসনায় রেখে দিও সময়ের মন্দির
আমি জাগাবো তোমাদের ,আমি জাগাবো তোমাকে

আমার কবিতার স্পর্শে বিনিদ্র রাত

তুমি আসবে তাই

তুমি আসবে তাই
..... ঋষি
===================================================
জন্মের এর পর তোমাকে অনেক খুঁজেছি
নগর ,রাষ্ট্র ,বন্দর ,বাজার ,জানোয়ারের  ধর্ষণের অধিকারে

গল্প ,কবিতায় ,চটির দর্শনে,আরো কতভাবে
উপভোগ করেছি পাশের  বাড়ির সদ্য বিবাহিত নারী  শরীরকে
চেটেপুটে যে  গঙ্গায় আমরা  ঠাকুর বিসর্জন দি
সেখানে ফেলে এসেছি বীর্যের  শেষ ফোঁটা 
তবু খোঁজ শেষ হয় নি
বারংবার পথে ঘাটে,বিছানা ,বালিশে ,হোটেলের কেবিনে
এক খাবলে সরিয়ে ফেলেছি তোমার বুকের আবরণ
তোমার নিমাঙ্গে ঢুকিয়ে দিয়েছি লোহার দরজা
তবু শান্তি হয় নি
সদ্য জন্মানো শিশুর থেকে মৃত্যু মুখী নারী শরীর কিছুই ছাড়ি নি
তবু শান্তি পাই নি

জন্মের পর অনেক খুঁজেছি
মিছিলে,ব্যারিকেড ভাঙার সময় ,বাসের হাতলে ,অফিসের ঘরে
সেই ছেলেটি আজও অপেক্ষা করে তুমি আসবে তাই
যে কি না চোখ বন্ধ করলে দেখে
মায়ের ফুঁপিয়ে কান্না আর ছেঁড়া জামার ফাকে নখে আঁচড়ানো  স্তন
ও বিশ্বাস করে তুমি আসবে
সব কটা জানোয়ারকে গুলি করে মারবে
সেই মেয়েটা আজ অপেক্ষা করে তুমি আসবে
তোমার কাছে ন্যাংটো হয়ে দেখাবে থেতলে যাওয়া যোনি
আর দাঁতের কামড়ে কালসিটে  স্তন
তুমি পারবে না প্রতিকার করতে ?

জন্মের এর পর তোমাকে অনেক খুঁজেছি

নগর ,রাষ্ট্র ,বন্দর ,বাজার ,জানোয়ারের  ধর্ষণের অধিকারে

খুব পরিচিত

খুব পরিচিত
....... ঋষি
=============================================
আমি তোমাকে ঠিক মতো বুঝতে পারি না
আমি তোমাকে ঠিক মতো চিনতে পারি না
তবু যখনি হাত রাখি তোমার স্তনে
আমার দশটা আঙ্গুল ডুবে যায় আরো আহ্লাদে ,আরো কল্পনায়
আমি তখন পিশাচসিদ্ধ কোনো মানুষ
আরো রক্তের আশায়

আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি হৃদয়ের ফানুস
বুকের সবুজ উপত্যকায় তখন সদ্য নামা হাহাকার
গাছগুলো শুকোতে থাকে
গলা শুকোতে থাকে
আমার হাতে লাঠি ,চামড়ায় ভাঁজ
আর মনের পাশে পরে থাকো আস্ত একটি তুমি
আমি এলোমেলো পায়ে আরো এগোতে থাকি
উপত্যকা বেয়ে মৃত্যু খাদে
আমি এলিয়ে পড়ি বারংবার আমার মৃত্যুর খিদে আমাকে তাড়া করে
আমি রক্তচোষা জানোয়ার
আর তুমি কোনো কচি হরিনের হৃদয়

আমি তোমাকে ঠিক চিনতে পারি না
আমার সারা মুখে তখন রক্ত
আমি চেয়েছিল তোমার রক্তে জীবনের মতো বাঁচতে
কিন্তু চেয়ে দেখো আমি এক মরুভূমি
শুকিয়ে যাচ্ছি ,,তৃষ্ণা ,,,মারাত্নক তৃষ্ণা

আর তারপর আদর্শের পরিচয়

আমাকে চিনলে

আমাকে চিনলে
........ ঋষি
=========================================
আমি মেয়েটিকে বললাম
তোমার চোখে আমার হৃদয় ধরা আছে
মেয়েটি বললো ভুল দেখলে
এই হৃদয় তোমার নয় , এই হৃদয় চাহিদার সমাজের , সময়ের ,দেশের
আমি বললাম কেন ?
মেয়েটা বললো আজকাল খুব সস্তায় সব কিছু চাহিদাবদল হয়

আমি হাসলাম
মেয়েটাকে বললাম তোমার রূপে আমি মুগ্ধ
মেয়েটা মিষ্টি হেসে আমাকে এড়িয়ে পা বাড়ালো সময়ের দিকে
আমি চলেছি পাশে
প্রশ্ন করলাম কিছু বোলো
মেয়েটি বললো তোমার মুগ্ধতা আমার রূপে নয়, তোমার চাহিদায়
অদ্ভুত এক প্রশ্ন করলো আমাকে
কি চাও আমার কাছে ?
আমি তখন মেয়েটার চুলের গন্ধে ,শরীরে ভাঁজে অন্তহীন
আমার চাহিদায় কেমন এক বুনো গন্ধ

আরো কিছুটা পথ এগিয়ে গেলাম আমরা
মেয়েটা হঠাৎ একটা অন্ধকার গলির মধ্যে ঢুকে গেলো
মেয়েটা যাওয়ার আগে শেষ বারের মতো বললো যাওয়ার আগে
আমাকে চিনলে ?
এই গলিটা অন্ধকার সমাজের চাহিদার নাম

আর মেয়েটা একটা আস্ত শরীর 

শুকনো পাতা

শুকনো পাতা
..... ঋষি
========================================
চলন্তিকা
কোনো মেঘ হীন দুপুরে রৌদ্রে তুমি নিরাভরণ
আমি উত্তাল ঢেউয়ের মতো গড়িয়ে নামা যন্ত্রনা কবিতায়
আমার উত্তেজনাহীন
স্পর্শহীন
ভালোবাসা তলোয়ারে তুমি আসন্ন আগত শব্দমন্ডলী বর্ণনা

তোমার বুক ছেঁড়া দীর্ঘশ্বাস
আর ক্রমিকের সাজানো আলব্যামের আমি  ছবি হতে পারবোনা
যদি পারো আমাকে মুক্ত করো
জ্যা শূন্য তীরের মতন আমি ছুঁতে চাই 
আমার প্রার্থনায় তোমার বাস

আমার বুকের মশালে অসংখ্য শিহরণ আলোকিত বন্যায়
তুমি বেশী দূর নও
ঢেউয়ের পরে ঢেউ তারপর আবার ,বারংবার
আমি স্পর্শীল
নোনতা ভেজা আদর তোমার চোখে

চলন্তিকা
কোনো বৃষ্টিমুখর বিকেলে শহরের ভেজা রাস্তায় আমি একা
আমার কবিতা ছেঁড়া শব্দগুলো শুকনো পাতা
সময় বদলাচ্ছে খুব দ্রুত
আর শুকনো পাতার মতো হৃদয়

ক্রমশ মাটিতে মিশে যাচ্ছে

জোনাকি

জোনাকি
.......... ঋষি
=====================================
এই অদ্ভুত সমর্পণের যন্ত্রনায়
মৃত্যু লেখা আছে
বিস্তীর্ণ অন্ধকার জনপদের প্রতি অন্তরালে
অসংখ্য জোনাকি ,আশা
আরো উত্তীর্ণ হোক বেঁচে থাকা
সামাজিক বাঁচা আর আহরণ এই মহানাগরিক চাহিদা 

ঘুমের ফাঁকে মৃত্যু আসে বারংবার
বড় জ্বালাতন করে
সময়ের অধিক কিছু যদি থাকে কিংবা আদরে জড়িয়ে তোমায়
ভূমিকম্প আসে পরে অথবা সামাজিক বোধ
এই অদ্ভুত সমর্পনের মায়ায়
মৃত্যু উপত্যকার খুব কাছাকাছি আমি
পাতাঝরা জঙ্গলে পা রেখে নতুন জন্মের খোঁজে
গভীর অন্তরে
যারা বেঁচে আছে তারা ঘোরেফেরে সমাজ ,বাজারে সস্তা কেনা কাটাতে
আমার মতো মৃত্যুমুখী কিছু সময়
বেঁচে থাকে তোর মতো কোনো আদিম সমর্পণে

এই অদ্ভুত সমর্পনের যন্ত্রনা
মৃত্যুকে আজকাল খুব ছোট মনে হয়
দুচারখানা ঘুমের ওষুধে ঘুম আসে কিন্তু হৃদয়
বারংবার আরো কিছু চায়
শয়নে ,জাগরণে এই মহানাগরিক নাগরিক প্রচেষ্টা

আসলে বাঁচতে চায় ,জীবিত জোনাকির আলোর দর্শনে

আর যন্ত্রনা

আর যন্ত্রনা
............ ঋষি
=====================================
আমি ডুবে যাচ্ছি নিজের কাছে অপরাধে
নষ্ট সময়ের দরজায় আজ অধিকার কোনো পরিচয় নয় ৷
কখন যেন নিজেকে অস্তিত্বের কাছে
নিজেকে বড় ছোট মনে হয় ৷
কি লিখবো আমি সময়
এই দেশ ,রাষ্ট্র ,মানচিত্র আর পৃথিবী ৷

নষ্ট  আঁধারে বাঁচার  বাসনায় ঈশ্বর আমাকে খুঁজছে
আর আমি নিজের অধিকারে ঈশ্বর খুঁজি৷
সমস্ত অস্তিত্বের কাছে ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করি
আর কত নাটক ?
আর কত দেশ দেশ খেলা ?
আর কত পৃথিবীকে বোকা বানানো ?
প্রতি দিন ই দুঃস্বপ্নের সাথে আমার সঙ্গম কোনো মৃত্যুর গুহায়
জন্ম নিচ্ছে নিজের ভিতর বিদ্রোহ  ৷
রক্তের দাগ আর অনাহারী হাড়ে চুমু খেয়ে
নকল অস্তিত্বের সাথে সন্ধি ,,আর মানছি না , আর পারছি না
ঈশ্বর তুমি দেখে যাও
মানুষ হয়েও আজ মানুষ কতবড় বদনামের নাম

আমি ডুবে যাচ্ছি নিজের কাছে অপরাধে
নষ্ট সময়ের দরজায় লাগানো বড় বড় শিরোনাম খবর আজকাল
চার বছরের মেয়ে যখন শরীর হয়ে যায়
মায়ের ধর্ষণ ছেলের তখন গা সওয়া
আর কত সময় লিখবো

আর কত মিথ্যা এই বেঁচে থাকা নাটক আর যন্ত্রনা

জন্মদাত্রী

জন্মদাত্রী
...... ঋষি
===========================================
আমার  নাকের নথে
কেমন একটা বন্ধন লেগে আছে
আমার শাড়ির ফাঁকে লুকোনো  আছে কোনো তামাশা
হামেশাই ভিজে যাওয়া আমার  চোখের পাতা
আমার এই শরীর নির্ভর কোনো সামাজিক নথিতে
লেগে থাকা পুরুষের প্রয়োজন

প্রতিটা সামাজিকতার  আড়ালে
এক একটা মাংসাশী শকুন ওত পেতে থাকে ৷
ওদের প্রয়োজন সভ্যতার  ঐতিহাসিক  কংকালের কাছ থেকে
মানুষের  ইতিহাস জেনে  নেওয়ার
যদি ওরা সত্যি সত্যি কোনো মাতৃগর্ভে ভ্রনে বেড়ে  উঠে থাকে
তবে আমরা মা হতে পারি
হতে পারি নিজের ভিতর ঘুমিয়ে থাকা সুখী কোনো প্রজাপতি
আর সাজানো বাগান শুধু পুরুষের প্রয়োজন নয়
মঙ্গল হোক
সমাজের কাছে ,নারী পরিচয়ের কাছে
সর্বোপরি পুরুষের কাছে

আমার নাকের নথে
কেমন একটা দমবন্ধ বাঁচা লেগে আছে
আমার শাড়ির আড়ালে লুকোনো উপত্যকা কোনো লালসা নয়
পুরুষ সাবধান আমি তোমার মা হতে পারি
শুধু যোনি নই ,শুধু স্তন নই ,শুধু মাংস নই,নই প্রয়োজন

আমার পরিচয় এই সমাজে আমি নারী , জন্মদাত্রী মানুষ

বিষফল

বিষফল
........... ঋষি
=================================
আমি কখনো পিছনে ফিরে আসিনি
আমি কোনোদিন পিছনে ফিরতে চাইনি।
তবু আজও আমি পিছনে চলন্তিকা
একটা জলজ্যান্ত জীবন।
যখন জীবনের ভূমিকায় নিদারুন কোনো সেলাইমেশিন
তখন শব্দটা তুমি চিনতে পারো বোধহয়।

বিশ্বযুদ্ধ হয়ে গেছে
হয়তো আবার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে যুদ্ধ ,,দিন ,,প্রতিদিন।
মানুষ যুদ্ধ করতে ভালো বাসে
তাইতো শিশুদের মতো সর্বদা যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা।
ধ্বংস যেখানে মহাকাল
মানুষ সেখানে নিঃস্ব কোনো প্রজাতির নামান্তর।
আর প্রেম
পিছনে পরে থাকা অজস্র সুঁচের সেলাই
এফোঁড় ওফোঁড় হৃদয় ,,,, বেঁচে থাকায়।

আমি কখন পিছনে ফিরে আসিনি
পিছনে ফেরাটা সময়ের কাছে ,প্রত্যেকের নাটকে অভিশাপ।
তবু আজও আমি অন্য মানুষের মতো অভিশাপ কুড়ায়
ফিরে আসি বারংবার।
আদম ,ইভের সেই বিষফল
আমারও খুব প্রিয়। 

অনিয়ম


অনিয়ম
...... ঋষি
==================================================
মৃত্যুর নরম বুকে দগদগে ঘা
বালতি ভর্তি নিজস্ব কামনার সব আকাশের সুখে  
আমাকে চুম্বনে ভরিয়ে দেও
আমার রক্ত মাংসের শরীরে ফোঁটা ফোঁটা বিষ
এই মহানগরী বদলাতে বদলাতে
দীর্ঘশ্বাস অহর্নিশ
.
অনেকটা সময় আগে কোনো বিকেলের বারন্দায় আকাশে দাঁড়িয়ে কবি
বেয়ে নামা যন্ত্রণারা কখন যেন তারাখসা
সোজা নেমে আসে শরীরে ,নগ্নতায় ,বুকের পাঁজরে
নিজের কাছে ভীষণ নগ্ন সকলে
এই মহানগরীতে   রবীন্দ্রনাথ সকলে আওড়ায়
কিন্তু প্রেম বোঝে না
এই মহানগরীর খাঁচার ভিতর অচিন পাখি পোষে
কিন্তু আকাশ  বোঝে না
আর কবি আকাশের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ঘর পোড়া রৌদ্রে গেয়ে ওঠে
. আজি ঝড় ঝড় মুখর বাদল দিনে, জানিনে জানিনে   ………….
.
মৃত্যুর নরম বুকে দগদগে ঘা
বালতি ভর্তি ইচ্ছারা আকাশে টুকরো টুকরো মেঘ
আমাকে চুম্বনে ভিজিয়ে দাও যেন বহুকাল ধরে
অপেক্ষার আকাশে
এই মহানগরীতে হিসেবের বাস
.
কেউ কেউ হয়তো নিয়মের বাইরে

ঈশ্বর লীন

ঈশ্বর লীন
........... ঋষি
======================================
ঈশ্বর খুঁজতে চলেছি
পথ চলতি সময়ের শরিক যেখানে অধিকার
রাস্তার পাশে দাঁড়ানো গাছগুলো ক্রমশ হারাতে হারাতে
ধুলোময়
আর সময়ের গুহায় চিৎকার লেগে
খিদে

খিদে
সময়ের সাথে খুব পরিচিত মানুষ নিজস্ব আয়নায়
নিজের বসনে ,নিজের কামনায় মানুষের খিদে
খিদে শুয়ে থাকা মানুষের মনে সেই সরীসৃপ
যে মাথা তুলতে পারে না
নিজেকে মৃত্যুর কোলে একলা রাখতে পারে না
ভোরের নতুন আলোর আদর
কখন যেন বদলে গিয়ে কর্কশ কাকের চিৎকার হয়ে যায়
পাশের ছাদে শুকোতে দেওয়া অন্তর্বাস
আমি জানি কার
সেও তো খিদের গভীর অধিকার

ঈশ্বর খুঁজতে চলেছি
পথিকের পথ বুকের ভিতর এত ইচ্ছা কেন ?
সকলের গন্তব্য চাই
নিজের অধিকারে ,নিজের প্রিয় চাওয়া ,পাওয়ায়
সবটাই সেই সিঁড়ি ভাঙা নিয়ম

হৃদয় খুব অসহায়

Tuesday, November 29, 2016

নিজস্ব ভূমিকায়

নিজস্ব ভূমিকায়
.......... ঋষি
=====================================
প্রেম ছুঁয়ে যায় সর্বত্র
নিজস্ব ভূমিকায়
সকালের প্রথম আদর সূর্যের নরম ওম ভেঙে
হাই তোলে জীবন সেও কি প্রেম নয়
কিংবা চলন্তিকা সূর্যের প্রথম কিরণে তোর ঠোঁট
দ্রবীভূত আত্মা নিজস্ব ছটায়

খালি রাস্তায় এলোমেলো দুপুর
তোর চশমার ফ্রেমে অজানায় লেগে যাওয়া লাল রং
সময়ের দুর্বলতায়
তোর মৃগনাভি গন্ধ আমি স্পর্শের মাঝে পাই
সেও তো প্রেম
কোনো অজানা ম্যাগাজিনে খুঁজতে থাকা নিজের প্রতিবিম্ব
উচ্চস্বরের নিজের চিৎকারের সাথে জীবন
সেও আমার মতো দাঁড়িয়ে
মৃত্যু উপত্যকায় স্পর্শের দরজায়
হাজারো রূপ
প্রেম তুমি সর্বত্র

মনের জাফরী বসানো জানলায় মাঝে ছুঁয়ে যাওয়া
মিঠি হাওয়া জড়িয়ে ধরে
সকাল থেকে সারা দুপুর লুকোনো আশ্রয়ের  গোপনতা
মনখারাপ
কি বলবে চলন্তিকা

এও প্রেম নয় ,তবে ?

তারা খসা

তারা খসা
........... ঋষি
===========================================
প্রিয়ংবদা আমি কোনো কাল্পনিক তারা
আকাশের মাঝে তোমার চাদরে অদ্ভুত প্রতীক্ষা
ভিজে যাওয়া মেঘে আজ কলরব
যদিও শীতের সময়
তবু বৃষ্টি একলা দাঁড়িয়ে তোমার দরজায়
কোনো ক্লান্ত শরীরে বেঁচে থাকায়

বুকের কাছে জড়ানো বালিশে একগাদা অভিমান
তোর খোলা বুকে আজ আগুনের অভিশাপ
মেঘগুলো সব তোর বারান্দার টবে কোনো অবসন্ন বিকেলের পোট্রেট
একলা লাগছে প্রিয়ংবদা
মন ছুঁতে চায় মেঘের ভেলায় ভেসে বেড়ানো সেই রাজকন্যা
নিদারুন আদরের থালায় সময়ের খিদে
সবটাই জানি প্রিয়ংবদা
একা লাগছে তোমার
তোমার খোলা চুলের রুপোলি উষ্ণতা
আকাশ চাইছে ,তোমার চোখের পাতা জমানো বৃষ্টি
আর হৃদয়ে  কোনো শীতাতুর কম্পন

প্রিয়ংবদা আমি কোনো কাল্পনিক তারা
আমি আকাশ থেকে নেমে এসে তোমার বুকের তিলে চুমু খাই
তুমি আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকো
দেখো এক গভীর বুক তোমার প্রতীক্ষায়
কি ভাবছো তারা খসা

প্রিয়ংবদা তুমি কি জানো না আলোর মাঝে তারা খসে জীবনে

অনুরণন

অনুরণন
.......... ঋষি
====================================
ভাগ্যিস দূরে আছিস
দুই মেরুর মাঝে একটা দ্রবীভূত দুর্বলতা।
নাহলে সেই বৃষ্টিতে
আমি ভিজতে ভালোবাসি বারংবার তৃষ্ণায়।
তোর শহরে আমি ইচ্ছা দেখতে পাই
কোনো ইচ্ছে নদী তার ছলাৎ ছলাৎ উষ্ণতায়।
.
নদীর পারে দাঁড়িয়ে
অসংখ্য জনপদ ,বিস্তীর্ণ জঙ্গল ,শাল ,সেগুন আরো কত।
আমি ক্ষুদ্র বড়,আরো ক্ষুদ্র পরিচয়
শুধু পারে দাঁড়িয়ে দিন বুনি পাখির বাসায়।
শহুরে জীবনে জঙ্গল খুঁজি ,খুঁজি পরিচয় কোনো অজানা যদি
নিজের আয়নায় দুর্বলতা খুঁজি ,আমি বানভাসি।
একবার যদি সত্যি আমি জংলী হয়ে যাই
দোষ দিস না।
প্রকৃতির নদী হৃদয়ের মতো বহবান
যার উৎস আর সঙ্গম সবটাই নিজস্বতায়।

ভাগ্যিস দূরে আছিস
দুই মেরুর মাঝে দূরবীন কোনো অজানা।
সবটা জানা হলো না
নদী চলে যায় আপন মনে নিজের কিনারায় অসংখ্য বেঁচে থাকা।
আমি ক্ষুদ্র পাখি
শুধু স্বপ্ন দেখি নদীর জলের আর চান করি আপন ভূমিকায়। 

Sunday, November 27, 2016

একটা কবিতা, কবি ও চলন্তিকা

একটা কবিতা, কবি ও চলন্তিকা
……….. ঋষি
===================================
কবিতা
.
সকালে ঘুম ভেঙেই বুকের ভিতর হুলুস্থুলু 
চলন্তিকা
আমার কবিতার আঁচড়ে পারফেক্ট একটা পরিচয়
আমার প্রেমিকা
.
প্রেম

.
ভিজে যাওয়া সকালে শিশিরে সূর্যস্নাত দৃষ্টি
গভীরতা
কিংবা বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া একলা সড়ক
তুমি ভিজছো চলন্তিকা
.

প্রেমিকা
.
প্রেমিকা হিসাবে তুমি যতটা সাক্ষর
ঠিক ততটাই অশিক্ষিত আমি
আমার প্রথম প্রেমিকা চলন্তিকা তুমি কাল্পনিক
বাকিসব শুধু যন্ত্রনা
.

প্রেমিক
.
নিজেকে আকৃষ্ট করার মতো
বোতাম খোলা ইচ্ছার জঙ্গলে প্রেমিকার ঠোঁট
উষ্ণ অভ্যর্থনা
তবু হৃদয় মানে না
.

কবি
.
কবিতার জগতে সকলেই স্পষ্ট তোমার প্রেমিকা কে
অথচ প্রেমিকা ভালোবেসে যায় অন্তরে
প্রেমিক কবি বোঝে না
সত্যি সেই যাতনাকে
.

সম্পর্ক
.
একে একে জুড়ে হাজারো শিরা উপশিরা
প্রেমিকা পরিচিত হবে ,ধীরে ধীরে আরো বিখ্যাত
কিন্তু কবি মরে যাবে একদিন

যেদিন চলন্তিকা তোমার সাথে দেখা হবে

আমার আকাশ

আমার আকাশ
......... ঋষি
=====================================================
জানলার রেলিং দিয়ে উঁকি মারছো তুমি
আমার আকাশ
আজকাল বৃষ্টির জল আমার চোখের কার্নিসে তোমাকে আবছা করে দেয়
চোখ মোছা অবধি  আমি দূরত্ব মাপি
কিন্তু মাপতে পারি না
এতটা গভীর। 

অভি তোমাকে বলা হয় নি
আমাকে দেখতে গতকাল কিছু লোক এসেছিল
আমার গড়ন ,আমার গায়ের রং ,আমার চুলের গোছ
হতেই পারে আসছে মাসে আমার বিয়ে
আচ্ছা অভি তুমি তো আমাকে  এইভাবে দেখোনি কোনোদিন 
মাছের বাজারে মাছের মতো
আসলে তুমি তো আমাকে দেখোই নি
শুধু ইনবক্সে মাঝে মাঝে বাকুম বাকুম
শেষ সপ্তাহে তুমি আমার সাথে দেখা করতে চেয়েছিলে
বলেছিলে দেখবে আমার মানচিত্র
আচ্ছা অভি মেয়েরা শুধু কি  মানচিত্র আর উপস্থিতি ?
কিন্তু হৃদয়

জানলার রেলিং বেয়ে বিকেলে শেষ রৌদ্র আমার চোখে
তুমি ঠিক রৌদ্রের মতো
আমার কল্পনায় অভি তুমি আমার প্রেমিক
কিন্তু আমি জানি প্রেম শুধু কল্পনায় আকাশের মতো গভীর
অভি তুমি আমার আকাশ নও

তবে প্রেম ?

আয়ুরেখা

এর পরও অনেক কথা থাকে  গন্তব্য পেরিয়ে ছুটে চলে স্মৃতিপথ ধরে আয়ুরেখা  বিষ বাষ্প ,নিরুপম বেগে অজস্র না বলা , কাদা মাটি ,ধুলোমাটি আঁকড়ে ঠোঁটের স...