Friday, September 23, 2016

মেরুদন্ডহীন

মেরুদন্ডহীন
............. ঋষি
==================================================
মশাই ভালো আছেন তো ?
সকলকে ভালো রাখলে নিজেকে ভালো রাখা সম্ভব না।
পাড়ার বস্তির পাঁচ বছরের ছেলেটা স্কুলের বদলে চায়ের দোকানে কাজে যায়
আর তার মা রাস্তার কাগজ কোরানী।
আপনার ছেলে নিশ্চয় কোনো ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ে
আর বৌ নিশ্চয় সুখী হাউস ওয়াফ।

কি এসে যায় আপনার ?
ঠিক তো আপ বাঁচলে বাপের নাম ,কেন ভাববেন?একদম না।
পাশের পাড়ায় কলেজ ফেরত মেয়েটা দিনে দুপুরে রেপ্ড হলো
আপনি গেছিলেন তো যেদিন পুলিশ এলো,
অফিসে বলেছিলেন মেয়েরা এমন ড্রেস পড়লে এমনি হয়।
ঠিক তাই যা দিনকাল
নিজেকে সুরক্ষিত রাখাটাই খুব বিপদজনক ,সেখানে প্রতিবাদ।
না মশাই এই সপ্তাহে ওই মেয়েটার প্রতিবাদ মিছিলে যাবেন না
যুগের হাওয়ায় গা ভাসান ,ওই সব মেরুদন্ড টেরুদন্ড ফালতু।
ভাবুন তো ডাইনোসর পারলো না পরিবর্তিত আবহাওয়ার সাথে মানাতে
কিন্তু গিরগিটি পারলো।
আপনি বরং ছোট গিরগিটি হয়ে যান
আর সময় অনুসারে রং বদলান।

মশাই ভালো আছেন তো ?
নিজেকে স্বার্থপর,বিবেকহীন ,মেরুদন্ডহীন করাটা এই সময়ের দস্তুর।
আপনিও পুরোদমে মেতে যান
এই সব কালোবাজারী ,জুলুমবাজি ,খুন ,রাহাজানি ,দেশ
যা হওয়ার হবে ,আপনার কি ?
আপনি সুস্থ থাকুন ,ভালো থাকুন গিরগিটি  হয়ে।


ঘুম ভেঙে যায়

ঘুম ভেঙে যায়
,,,,,,,,,,,,,, ঋষি
==============================================
একটা দীর্ঘ না পাওয়ার পর
আমি ঘুম ভেঙে চেয়ে দেখি তুমি  একটা নদী।
ক্রমশ গভীর হতে হতে শাখা প্রশাখা জুড়ে অনেকটা আস্ফালন
ক্রমশ বড়ো ঢেউ ,মাতাল করা নেশা।
ভালো করে চোখ রোগড়ে বুঝতে পারি
তুমি একটা নদী নও একটা বিশাল সমুদ্র।

অনেকদিন ঠিক করে করে আদর করি নি তোমায়
আমি নদী পারে বসে থেকে ঘুমিয়ে পড়ি আর তারপর সমুদ্র।
সেখানে আকাশ আর জল মিলে একটা রেখা
ঠিক যেন আবর্তের মতো আমাকে ঘিরে ধরে।
মনে হয়  ওইতো ওইখানে আমি
তোমার বুকে।
মনে হয় এই যে সমুদ্রের ঢেউ ক্রমাগত আছড়াচ্ছে
সেটা প্রয়োজন বাঁচা।
আর আমি কোনো সমুদ্রের মাঝে  বিলীন হয়ে শান্তিতে
অনেকটা এই কবিতার মতো।

একটা দীর্ঘ না পাওয়ার পর
আমি ঘুম ভেঙ্গে শুনতে  পাই বাইরে তখন পাখির কলরব।
চমকে উঠে জানলা খুলে বাইরে দেখি
বিশাল সমুদ্র আর আকাশ নিজেতে মত্ত।
আর আমি নদী পারে বসে তোমায় খুঁজছি পাখিদের মতো
শুধু  ঘুম ভেঙে যায়।

কবিতার বই

কবিতার বই
............... ঋষি
==============================================
বড্ড দেরী হয়ে গেলো চলন্তিকা
শেষ বারোবছরে তুমি আমি দুজনে পৃথিবীর দু প্রান্তে।
তোমার বুকশেলফে রাখা আমার কবিতার বইয়ের পাতাগুলো বিবর্ণ
কিন্তু সেই  বইয়ের কবিতাগুলোই একদিন তোমার কবিতা ছিল।
কিন্তু আজ শুধু কবিতার বই
আর তুমি আমাকে কবি হিসাবে পরিচিতিতে চেনো ।

ভালো করে চেয়ে দেখো
ওই বইয়ের ফাঁকে একটা শুকনো গোলাপ রাখা আছে।
কোনো একদিন আমি তোমাকে ভলোবেসে দিয়েছিলাম
সেদিন সেটা সুগন্ধী ছিল ,আজ শুকনো ,
সেদিন ওর পরিচয় ছিল ভালোবাসা আর আজ ইতিহাস।
আসলে কি জানো চলন্তিকা গোলাপ দিয়ে ভালোবাসা যায় না
গোলাপ দিয়ে ঘর সাজানো যায়।
যেমন সাজিয়েছো তুমি তোমার  নতুন ঘর
আর আমি ক্রমাগত আকাশের শুন্যতায় তোমাকে লিখেছি
তুমি যেগুলোকে পরিচিত প্রিয় কবির কবিতা বলো।

বড্ডো দেরী হয়ে গেলো চলন্তিকা
আমার কবিতার পাতায় পাতায় শুধু আজও তোমার নাম।
তোমার বুকশেলফে আমি জানি আমার মতো আরো অনেকে আছে
কবিতার বই।
কিন্তু চলন্তিকা দেরী হলেও আমি বুঝেছি
কবিতা লিখে কবি পরিচিতি পেলেও ,প্রেমিক হওয়া যায় না। 

পাগলামী

পাগলামী
.............. ঋষি
==================================================
আমি কোন পৃথিবীতে আছি ?
আজকাল খুব ভালো বুঝতে পারি না।
মাঝে মাঝে মনে হয় বেঁচে থাকাটা একটা পাগলামী
যেমন পাগলামী গাছ থেকে পাতা ঝরা ,নতুন জন্ম ,কিংবা অপেক্ষা।
আর মানুষের সবচেয়ে বড়ো পাগলামী নিজেকে খোঁজা
যেমন আমি প্রতি মুহূর্তে তোমাকে খুঁজি।

প্রথিবীর আয়তন বাড়লো ,না কমলো
শুনছি নাকি মেরুপ্রান্তে বরফ গলছে বৈজ্ঞানিক কারণ গ্লোবাল ওয়ার্মিং
কি এসে যায় মানুষের ? তাই বলে কি মানুষ কমছে।
সেদিন ঘুরতে ঘুরতে পার্কের বেঞ্চে বসে আছি
তুমি ছিলে তো পাশে ,জানি এটা পাগলামী
কারণ তুমি থাকলেও তোমাকে ছোঁয়া যায় না চলন্তিকা।
আর পাশের বেঞ্চে এক কপোতকপোতি ,,,,,,,,, কি এটা ?
সকলে  বলে প্রেম ,স্পর্শ ,অধিকার
আমি বলি  পাগলামী।
এই পৃথিবীর কটা মানুষকে আমি চিনি ঠিক মতো
শুধু সবকিছু নিয়মের সুতো
এগুলো কি মানুষের সময়ের পাগলামী  নয় ?

আমি কোন পৃথিবীতে আছি
আজকাল কিছুতেই চিনতে পারি না নিজের আয়নায়।
মনে হয় পাগলের মতো পৃথিবীটা ক্রমশ ফোল্ড করে হাতের মুঠোয়
কিন্তু মানুষ সকলেই নিজেদের থেকে দূরে।
এটা কি পাগলামী নয় চলন্তিকা ?
এত চেষ্টার পরেও তুমি আমার এত কাছে অথচ দূরের। 

Wednesday, September 21, 2016

দরজা

দরজা
............ ঋষি
============================================
চুপচাপ দরজা খুলে বেরিয়ে এলাম
প্রতিদিন এই দরজা খুলে আমি ঢুকি কিছু একটা আশায়
তারপর।   ....

দরজার ভিতরে যে আছে
তিনি একজন নারী হতে পারেন ,হতে পারেন একটা গোটা শরীর।
তিনি একটা দেশ হতে পারেন ,হতে পারেন একটা নিয়মিত সমাজ
কিন্তু আমি যে চেষ্টা করি বারংবার দরজার ভিতরে থাকার।
আমার দমবন্ধ লাগে
আমার নিঃশ্বাসে ঢুকে যেতে থাকে রিপুদের বাঁচতে চাওয়া।
আমি থাকি না মোটেও সেখানে
আমার মতো কেউ বাঁচার চেষ্টা করে।
হেরে যাই ,ফিরে আসি ,ফিরতে চাই  নিজের আরো গভীরে
তাই দরজা খুলি  বাইরে বেড়িয়ে আসে।

প্রতিদিন ,প্রতিমুহূর্ত আমি দরজার বাইরে থাকি
আর দরজার ভিতর অনেকটা নিয়মে বাঁচা আমার দেশ ,
আমি। .....

কাছে দূরে

কাছে দূরে
................ ঋষি
================================================
কাছে আসতে কিছু লাগে না
কোনো পরিচয় ,কোনো অধিকারের সমাজ ,নিয়ম লাগে না।
কোনো মানুষ প্রথমবার অন্য একজন কাছে যায়
তারপর আরো কাছে।
মিশে যেতে থাকে পরিচয় ,ফন্ট ,পদবী ,তারপর রক্ত বিশ্বাস
শেষবারের মতো অস্তিত্ব।

অস্তিত্ব মিশে যেতে চায়
আরো কাছে ,খুব কাছে ,যেখান থেকে কোনো দূরত্ব মাপা যায় না।
সকলে চায় ,প্রত্যেক মানুষ চায়
অন্য একজনের কাছে যেতে ,কারণ বাঁচতে চায়।
তারপর শুরু হয় অন্য একটা গল্প
সকাল বেলা ঘুম ভেঙে উঠে বসে দুজন সামাজিক
কিন্তু একে ,অপরকে চিনতে পারে না এক টেবিলে ব্রেকফাস্টে।
আরো ফাস্ট বদলায় পরিচয়
অপরিচিত মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে বেঁচে থাকায়।
নিজের চারপাশে ,নিজের শহরে ,নিজের অস্তিত্বে
মানুষগুলো অপরিচিত।

কাছে আস্তে কিছু লাগে না
কিন্তু দূরে গেলে ,সরে গেলে ,আরো দূরে ,নিজের ভিতর বুলেটপ্রুফ।
একটার পর একটা সময় ছুঁটে আসে বাঁচতে চায়
আসলে মানুষ চায় বাঁচতে ,তাই আর কাছে আসা হয় না।
দূরত্ব বাড়তে বাড়তে প্রতিদিন হয়ে যায়
আর মানুষ কাছে থেকেও অন্যজনের দূরে বাঁচে।  

ওয়েলপেন্টিং

ওয়েলপেন্টিং
............ ঋষি
=================================================
এসো একবার ভালোবাসি তোমায় চলন্তিকা
ভালোবেসে তোমাকে  এনে দেবো কোনো জ্যোৎস্ন্যা রাত।
কোনো ওয়েলপেন্টিংয়ে জমে থাকা প্রাচীন কোনো বাথ টব
উষ্ণ প্রসবন ,জল ,তৃষ্ণা ,ওয়াইন ,নেশা ,
সাথে ভালোবাসা
এসো নগ্ন দেখি তোমায় বিদেশী পশ্চারে ভিনদেশি।

তোমাকে চিনি না আমি চলন্তিকা
তুমি আমায় কতটা চিনেছো আমি জানি না ,তবু নগ্ন ?
প্রশ্ন করতে পারো নগ্নতা ব্যান্ড এই দেশে
তুমি কি অসামাজিক ?
আমি হাসছি দেখো ? কোন দেশের কথা বলছো তুমি
যে দেশে  নিয়মিত চাপাতি চলবে, রেপ হবে, সারদা হবে।
 'আচ্ছে দিন' হবে, আবার কাশ্মীর হবে,
ওদিকে সব ফুটেজ ওই নাকে-নল-গোঁজা ইরম শর্মিলা নিয়ে বেরিয়ে যাবে।
মেড়ো, খোট্টা, পাঁইয়ারা নিয়ে যাবে বিনিয়োগ
একটা তুমি ছাড়া চলন্তিকা  আমার কাছে কি আছে বলো ?
আর নগ্নতা ? সে যে স্বচ্ছতার ভারবহ।
সেই শান্তি, যা রাখা আছে গভীর দিঘীর তলায়, কৌটোবন্দী
বদলাবদলি করে নিই এসো। একটা গোটা রাত।

এসো একবার ভালোবাসি তোমায় চলন্তিকা
জীবনে একবার না হয় তোমার সাথে পরিবর্তন করি বাঁচার পরিচয়।
রাত আরো গভীর হলে  আমরা আরো  ঘনিষ্ঠ হব
তারপর  এক চরম মুহূর্তে তুমি ঢুকিয়ে দেবে তোমার লোকানো ভোজালিটা।  আমার বুক ,তারপর বাথ টব রক্তে ভেসে যাবে ,ভেসে যাবে জ্যোৎস্ন্যা আমার মুখে
এক চিলতে হাসি ,দেখতে পারছো ওয়েলপেন্টিংটা। 

আদরের মহুর্ত

আদরের মহুর্ত
............. ঋষি
=================================================
জানি না
এইভাবে পথচলা সত্যি কি আদিম।
নিজের ভিতর নিজেকে পোড়ানোটা একটা আর্ট
আর তার ভিতর একলা বাঁচা জীবন।
জানি না
পাকস্থলীতে জমতে সময়ের বিষ সত্যি বেঁচে থাকা।

একটা নেশা ধরে যায়
ঝিম মাথা হাতে গড়িয়ে নামা বরফের নেশার পেগ।
চোখে আদর লেগে যায়
জীবন থেকে কুড়িয়ে পাওয়া আদরের মেঘ।
তারপর সেই দ্রবীভূত দূরত্ব
নিজস্ব আয়নায় খুঁজে পাওয়া নিজেকে ভীষণ নগ্ন।
কলমের নিবে লেগে থাকা রক্ত
কখন যেন অনবরত ছড়িয়ে পরে কবিতার খাতায়।
বাড়তে থাকা সংখ্যারা জানে না
অস্তিত্ব বাড়ছে,চামড়ার ভাঁজে সময়ের কার্বনের কালি।
একটা সত্যি কথা বলবো
একটা নেশা কখন যেন বাঁচতে চাওয়া হয়ে যায়।

জানি না
এই ভাবে পথচলা সত্যি কি নিরালা।
নিজের ভিতর নিজেকে খুঁজতে চাওয়া একটা প্রেম
আর তার ভিতর আয়নার মুখ।
জানি না
নিঃশ্বাসের ব্যবধানে বেঁচে থাকা সত্যি কি আদরের মুহূর্ত। 

দিন বদলায়

দিন বদলায়
............ ঋষি
=====================================================
কই রে এক গ্লাস জল দেখি
নিরীহ গৃহবধূ এগিয়ে দিল তার স্বামীকে এক গ্লাস তৃষ্ণা,
বদলে সপাটে একটা চড়
ঢেমনি মাগি ,জল দেবার সময় চোখটা কি বাপের বাড়ি রেখে এসেছিস
এই সমাজ ,এই ব্যবস্থা ,এই চোখের জল
কে দাম দেবে নারী নিত্যকার যন্ত্রনায়

মেয়েটি মায়ের কাছে গেলো
মা উপায় বাতলালো সহ্য করতে হয় ,আরো বাতলালো যে সয় সে রয়
ঠিক বোলা মা জি আপনে
এর সাথে আগ বাড়িয়ে জুড়ে দিলে আরেকটা সন্তান নে না
এহি ভি ঠিক হ্যা মা জি
মেয়েটি চোখের জলে মুখ ডুবিয়ে দমবন্ধ করে বিছানা দিল
দিল শরীর ,মুখ বন্ধ করে আবার মা হলো
প্রসব যন্ত্রনায় আচ্ছন্ন মেয়েটি শুনলো শ্বাশুড়ির মুখে
আবার মেয়ে
স্বামী বললো বছর বছর মেয়ে জন্ম দিবি
বিয়ে কে দেবে  তোর বাবা।
এটাও সত্যি ?
মেয়েটি চোখে জলে ভাসলো আবার।

এর পর দুই সন্তানের জননী দাঁত চেপে সংসার করলো
নিয়মিত বিছানা ,রান্নাঘর ,স্বামী সুখ প্রসব করলো।
সময় যায় ,আরে সময় কি যুগ বদলায়
দিন কাটে ,আবার অন্য দিন দিনে বদলায়।
মেয়েটি তার বিয়ে হয়ে যাওয়া কন্যাকে বললো
সহ্য কর মা উপায় কি ? যে সয় সে রায়। 

Saturday, September 17, 2016

মেঘবালিকা মনখারাপ

মেঘবালিকা মনখারাপ
................. ঋষি
=====================================================
চুক্তিগুলো গুড়িয়ে দিয়ে মেঘবালিকা
সন্ধ্যে সাঁঝে  আমার ঘরে।
কোনোদিন যদি মিলে যেতো কোনো রুপোলি সাজ
বন্য হরিণীর চোখে এক চিলতে হাসি।
আমার বুকে ভাঁজে জঙ্গলে তখন আগুন
পুড়ে চলেছে সময় সময়ের সাজ।

মেঘবালিকা মন খারাপ
শহর থেকে রাস্তা জুড়ে বৃষ্টি ভেজা সময়ের রৌদ্র।
মনখারাপ আমার
এক আকাশ ঝাঁকড়া মেঘে আদর করা স্থায়িত্ব।
মনখারাপ তোর
একলা দাঁড়ানো ঝিম মারা সময়ের ঢিল ছোঁড়া দূরত্ব।
স্পর্শ মনখারাপ
তারপর সেই সিলিঙের ঘরে চুপচাপ স্বপ্নের নিরালায়।
মনখারাপ আমার ,তোর
এইভাবে যদি সময় কাটে মেঘবালিকা বৃষ্টি ভেজা মনের জ্বর।
মেঘবালিকা মন খারাপ
নিদারুন কোনো বৃষ্টি ভেজা শহরের রাস্তায় ভিজতে থাকা মন।

চুক্তিগুলো গুড়িয়ে দিয়ে মেঘবালিকা
আজ সকাল থেকে বৃষ্টি অকারণে ভিজতে চাওয়া মনখারাপ
কোনোদিন হৃদপিণ্ডের গোপন কুঠুরিতে তোর মুখ
সেই নাক ,গলা ,ঠোঁট বেয়ে বৃষ্টি চিরকাল
আমার বুকের ভিতর লুকোনো দাবানল পুড়ছি আমি ,তুই
আর সময় সে যে অনেকদিনের ছাই

Friday, September 16, 2016

নিয়মিত সভ্যতা

নিয়মিত সভ্যতা
............. ঋষি
=========================================

এখন সকলেই কেমন ওজোন স্তরের দূরত্বে থাকে
নিজেদের মধ্যে লোটাপুটি শরীর করে
আর বলে প্রেম।
নিজেদের আস্তানায় পায়ু চুষে
আমেজ  করে
বলে আরো আরো এই প্রেম।

মানুষের খবর নিতে গিয়ে
বয়স কখন সভ্যতার চামড়ার কামার্ত চিৎকার।
অতি অবশ্য নারী
যন্ত্রনা।
সামাজিকতা
দুর্বলতা।
স্নেহ ,মায়া আর বিকৃত ধর্ষণ
মানুষ আদর করে।
তাপর বড়ো বড়ো খবরের পাতায় নারীবাদ
মোমবাতি সাথে একটা দুটো মিছিল।

ফুটো হয়ে গেলো ওজন স্তর
অসতী সামাজিক প্রথা ,নাকের নোলকের দুর্বলতা।
প্রতিদিন শিশু কন্যাকে বোঝাতে চাওয়া তুমি বড়ো  হচ্ছো
আর যে বোঝাচ্ছে সে ছোটো।
শালা  মা ,মাসি ,এই দেশ ,বারো ,চব্বিশ,চুয়ান্ন
সবটাই প্রথাগত নিয়মিত সভ্যতা। 

বেওয়ারিশ আমি

বেওয়ারিশ আমি
.............. ঋষি
==================================================
বেওয়ারিশ মৃত শরীরের আবার  অস্তিত্ব
নিজস্ব স্নানঘরে দাঁড়িয়ে ঝুলে যাওয়া চামড়ার ভাঁজে নিত্য নতুন ফর্মা।
সভ্যতার বুনোটে সেজে ওঠা অন্যদের মতো
নিত্য সকাল।
ছুঁয়ে নামা ঘাম জানে না আর কতদিন
তারপর এই বেওয়ারিশ সম্বল।

কবিতাকে একদিন আদোরে যত্নে জীবন করেছিলাম
আজ সাদাপাতা জুড়ে অনেকদিনের পদচারণা বিমূর্ত কোনো আয়নার আমি।
অন্তরের রক্ত শহরে বয়ে যাওয়া নিয়মিত আমি
কোনো নিয়মের বাক্সে ক্রমাগত ধুকপুক
বেওয়ারিশ আমি।
আজ বোরো মনে পরে নিজস্ব কালোছোপ জীবন
অমাবস্যার রাতে একলা হারানো পেঁচা।
ব্রেইলে খুঁজে পাওয়া শব্দে বাঁচার কবিতা
জীবিত আমি।

বেওয়ারিশ মৃত শরীরের আবার  অস্তিত্ব
নিজস্ব অবয়বে একলা দিনে লেখা কিছু অন্তর গাঁথা।
হৃদয়ের দেওয়ালে ক্রমাগত ধর্ষণে
অনিচ্ছাকৃত অর্গানিজম চুপচাপ নিজের ধারায়।
নিত্য সকাল তবু
ছুঁয়ে যাওয়া সময়ের আরেকটা দিন। 

চলন্তিকা আকাশ

চলন্তিকা আকাশ
............. ঋষি
=================================================
জীবন দিয়ে শুরু করেছিলাম
চলে যাওয়া শরতের ছোপ নিয়ে তোমার সেই নীলচে রঙের শাড়ি।
উৎসবে মগ্ন শহরে ছড়ানো চলন্তিকা তুমি
পার্লারের ভিড়ে সুন্দরী তন্বী হঠাৎ যদি চুরি হয়ে যায়।
আর তুমি চলন্তিকা  জানো আমি ডাকাত চিরকাল
শুধু আজ শরতের মেঘে মেঘলা মন।

কে কাকে বলেছিলাম ?
কি ,কেন বলেছিলাম আজ এত বছর পরে সবটাই উজ্বল ।
সব সম্বন্ধ চাপা পরে মনের কোনে নাম না জানা উৎসর্গ
বেশ একটা আমেজ ছিল বোলো শরতের রোদ বৃষ্টি খেলায়।
আজ উপচে পড়া শপিং মল চোখে পড়লেই
মনে পরে কতকিছু বলার ছিল তোমায় আর শোনারও অনেককিছু।
দিনগুলো খুব সাধারণ এখন শহরে
উৎসবের আমেজে চলন্তিকা একটা হাহাকার লেগে।
মানুষগুলো বদলে গেছে সময়ের মতো ,অন্য সকলে ,আমি, তুমি
তারপর যদি কখনো মনে পরে।

জীবন দিয়ে চেয়েছিলাম স্বপ্ন
এই শরতের ভাঙা মেঘে মাথা রেখে ফিরে আসছে ছায়াছবি।
চলন্তিকা তোমার স্পর্শ কাশফুলের শিওরে
বেশি কিছু চাই নি সেদিন, আজ চাই  চলন্তিকা ,
কেউ প্রশ্ন করুক কেমন আছি আমি ,কতটা বেঁচে
আঙুলের সাথে আঙ্গুল ছুঁয়ে শরতের আনন্দে চলন্তিকা মেঘলা।  

শেষ অবধি

শেষ অবধি
................ ঋষি
===============================================
ছেলেটা তুলে নিলো মৃত্যুর মানদণ্ড
সেই হাত ,এই সেই হাত
যে হাতে কোনোদিন প্রেমিকাকে ছুঁয়েছিল।
ছুঁচের মতো কিছু সারা মাথা জুড়ে সারা অস্তিত্বে
কিলবিল করছে ইচ্ছাদের অধিকার সেই প্রেয়সীর বুকে
 তার প্রেমিকা যদি জানতো।

কয়েকশো শতাব্দীর পরে সেই ছেলেটা ঈশ্বরের মুখোমুখি
প্রশ্ন করেছিল ঈশ্বরকে কে বড় ? জন্ম না মৃত্যু ?
ঈশ্বর হেসেছেন মুচকে।
 বলেননি কিছু শুধু মৃত্যুর দিকে আঙ্গুল তুলে দেখালেন।
হাঁটছে ছেলেটা নিয়মের অরণ্যে
যেখানে খেপা জন্তুর মতো সভ্যতা তাড়া করছে সময়ের কোলাহলে।
হাঁটছে ছেলেটা আকাশের উদ্দেশ্যে
হঠাৎ সেই প্রেমিকার মুখ আকাশের গায়ে।
চেনা ঈশ্বর হাই
মানুষ ভালোবাসে কিন্তু শেষ অবধি এই টুকু থেকে যায়।

ছেলেটা তুলে নিলো মৃত্যুর মানদণ্ড
এই সেই হাত ,সেই হাত
যে হাতে ঈশ্বর কোনো চেনা অরণ্য দেখেয়েছিল।
সারা সময় ধরে জ্বলতে থাকা প্রেমিকার চোখ আকাশের গায়ে
ছুটে আসা সম্ভবনা যেন তারা খসা
 তার প্রেমিকা যদি জানতো। .

Tuesday, September 13, 2016

তারপর ম্যাডাম

তারপর ম্যাডাম
...................... ঋষি
===============================================
কেউ কি এমন হয়
সত্যি বললাম বলে সরে গিয়ে আরো অন্ধকারে।
ম্যাডাম তোমার চশমার ফাঁক দিয়ে আজকাল বয়স দেখা যায়
লুকিয়ে চুরিয়ে তোমার কবিতায় আজকাল ইচ্ছে পাওয়া যায়।
তোমার বুক নেই তাই
বুকের যন্ত্রনায় আজকাল একটা তাজমহল দেখতে পাই।

চশমার লেন্সে
যে দৃশ্য অদৃশ্য থেকে যায় সেটাই বোধ হয় বেঁচে থাকা।
বাঁচবার লোভে
তোমার ক্লিভেজের ফাঁকে উঁকি দেওয়া আতঙ্ক কখন যেন কবিতা।
এই যে এতটা আন্তরিক স্পর্শ
সেটা কখনো  মুখে বলা নয় ,না ভালোবাসা ,শুধু আশা।
এই ভাবে চলতে চলতে
সব তো পুড়ে যাবে জীবন আদৌ কি জীবিত।
ম্যাডাম তোমার আজকাল ভূমিকম্প হয় দুপুরের রৌদ্রে
তারপর বিকেলে তোমার ঘামের গন্ধে আঁশটে গন্ধ।
তুমি চান করো কি সাবান মাখো ? সেই সব বাদ দিলাম
রাত্রে তুমি ঘুমোও কিনা জানতে ইচ্ছে হয়।

কেউ কি এমন হয়
সত্যি স্পর্শ করলো বলে তুমি বৃষ্টিতে ভিজলে চিরকাল।
মিথ্যে অহংকার আগলে লিখে গেলে বিকেলের কবিতা
কিন্তু তারপর ম্যাডাম  ,
সেই রাত্রের আকাশের একটা দুটো তারা জোড়া
আমার এই কবিতা সাদা পাতায় লেখা হলো। 

বাক্সবন্দী

বাক্সবন্দী
................... ঋষি
===================================================
আমরা প্রত্যেকে বাক্স হাতড়ে চলেছি
চেঙ্গিসের হাড় থেকে
খুঁজে মরছি শান্তি সকলেই নিজের ভিতর।
সামনে বাঁশ বাগানের শাঁকচুন্নি দাঁড়িয়ে ফ্যালফ্যাল করে শরীর চায়
আর পাশের ফ্যাক্টরির  গাছে চুল আঁচড়ায় কোনো ক্ষুধার্ত শ্রমিক
আর সভ্যতা মরে গিয়ে বেঁচে যায়।


কেন এই সব বলছি ?
জানেন দাদা খিদে পেয়েছে ভীষণ খিদে এই সভ্যতার।
বলতেই পারেন খেয়ে দেয়ে কাজকর্ম নেই
কি বলি বলুন তো ? কাজকর্ম চুলোয় গেছে যন্ত্রনায়।
কিসের যন্ত্রনা মশাই ?
 মলম দিন ,ইঞ্জেকশন ,ডাক্তার সবই তো আছে।
পয়সা নেই মশাই ,ভীতু মধ্যবিত্তের আবার  মরতে ভয়
আরো ভয় একলা থাকায় ,আর এতো একটা গোটা সভ্যতা।
শালা সভ্যতা সভ্যতা করছেন। কি বোঝেন এর ?
বুঝি তো দিন আন্তে পান্তা ফুরিয়ে প্রয়োজন বাঁচা আর তাইতো আগুন।
কিছু বদলাবে কি গান্ডু ?
অরে মশাই গালাগাল দিচ্ছে কেন আতে ঘা লাগলো বুঝি ?

আমরা প্রত্যেকে বাক্স হাতড়ে চলেছি
আলাদিনের মাদুর থেকে
স্বপ্ন বিছিয়ে জীবনের  নিজেদের একটা জায়গা খুজঁছি।
মাঝ রাতে গোল গোল করে চিৎকার করলে
পাশে শুয়ে থাকা গৃহস্থ বৌ বলে মরণ ,মাঝরাতে কলম্বাস
শালা সভ্যতার পৃথিবীতে কবেই মরে গেছে।

সাইকেল

সাইকেল
....... ঋষি
=================================================
এমনকরে একদিন সাইকেল চালাতে চালাতে
ছুঁয়ে দেব দূরত্ব।
তোর বাড়ির ঘন্টা ক্রমাগত বাজাবো ক্রিং ক্রিং ,ক্রিং ক্রিং
তারপর প্যাডেল ঠেলে ঢুকে যাবো দরজা ভেঙে।
তুই অবাক হয়ে আমাকে বলি
এবার  তো থাম ,কাল আবার সাইকেল চালাস।

তোর পাশের ঘরে তখন অনেকগুলো সাইকেল
সকলে চালাচ্ছে ,,,,,,,,আর চাইছে নিজেদের দূরত্ব পার করার।
ওপাশ থেকে একজনের সাইকেলের চেইন ছিঁড়ে গেলো
সে কাঁদছে ,আর কাঁদতে কাঁদতে তার  শরীর খারাপ।
আমি তো আর থামতে শিখি নি তাই এবার  তোকে তুলে নিলাম সামনে
সাইকেলের রডে তুই স্বগোত্রীয়।
আমার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করছিস আর কতদূর ?
আমি মিটিমিটি হাসতে ,হাসতে  তোর ঠোঁটে ঠোঁট।
তুই বললি
পড়ে  যাবি যে
আমি বললাম আমি তো একা নই আর।

এমনকরে একদিন সাইকেল চালাতে চালাতে
ছুঁয়ে দেব অস্তিত্ব।
চাঁদের বুড়ির  চরকার চাকায় আমি ছুঁয়ে দেব বারংবার ফিরে আসা
তুই শুনতে পাচ্ছিস সাইকেলে বেল।
 ক্রিং ক্রিং ,ক্রিং ক্রিং
সারা রাস্তায় কাদা সাইকেল চালাবো কি করে ?

চলন্তিকা আদিম কথা

চলন্তিকা আদিম কথা
.............. ঋষি
====================================================
চলন্তিকা পুরুষ তোমাকে আদিম করেছে
এই অভিযোগ বহুমাত্রিক।
আমার মেরুদণ্ডে ভর করে যে সমস্ত অদৃশ্য আখ্যান কৃষ্ণকায়
তাদের একসাথে যদি প্রশ্ন করো।
তবে শরীর পেড়িয়ে প্রেম সে যে অসম্ভব
আর সম্ভবপর যদি কিছু থাকে তা শুধু নিঃশ্বাসে বেঁচে থাকা।

চলন্তিকা তোমার আমার সঙ্গম
সে কোনো ইতিহাস লিপি নয়।
তুমুল কোনো আলিঙ্গনের পর যখন আমি ক্লান্ত ঠোঁট রাখি তোমার বুকে
তারপর শিশুর মতো ঘুমিয়ে পরি।
তখনি কোনো শিল্পী তার ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলে সুন্দর ভালোবাসার ছবি
কিংবা কোনো কবি কল্পনায় লিখে ফেলে ভবিষ্যত প্রেম।
কারণ মানুষ ভালোবাসতে ভালোবাসে
আর বারংবার ফিরে আসতে চাই প্রতি জন্মে ভালোবাসায়।
এই যদি সঙ্গম হয় ,হয় যদি নগ্নতা
তবে প্রতিটা  শিল্প কোনো কালাপাহাড়ের জন্ম দেবো
আর ভালোবাসাকে দেবে মৃত্যুদণ্ড।

চলন্তিকা বারংবার শুনি পুরুষ নাকি মারাত্নক
যদি কোনোদিন তোমাকে প্রশ্ন করি তোমার নারী মুক্তি কি সেই কথা বলে?
যদি পুরুষ ভালো না বাসতে পারে
যদি পুরুষ নিতান্ত তার লিঙ্গ সুখে  বিভোর হয় ,
তবে পৃথিবী কি ঘুরতো ? না কি এই মুহূর্তে তোমার শীৎকারে আমি শুনতাম
ভালোবাসি ,প্লিস আমাকে ছেড়ে যাস না কোনোদিন।

ব্যক্তিগত তুমি

ব্যক্তিগত তুমি
............... ঋষি
================================================
বহুমুদ্রা বলে সমাজ যাকে চেনে
আমি তার থেকে অনেকদূর।
হতে পারে আমি তোমার প্রথম পুরুষ নই
এও সম্ভব তুমি আমার প্রথম প্রেমিকা কিংবা প্রথম নারী নও।
তবু প্রতিটা সিগারেটের ফিল্টারে চুমু লেগে থাকে
যেন এক ব্যক্তিগত তুমি সদা বেঁচে থাকাতে।
.
আকাশ থেকে সূর্য ধরার মতো
একটা ছিপ ফেলা আছে এই পৃথিবীতে।
যার সবটাই শুধু একটা খেলা
কিংবা লুকোচুরির মতো কোনো ছোটবেলা।
ফিরে আসে জীবন
আদিম এক বোধ থেকে সংযত আমি হাতিয়ার ধরা বহুমাত্রিক বেঁচে থাকা।
তুমি আমাকে রমন করতে বলো
আমি রমণীয় হয়ে যায় প্রতিবারে তোমার জঙ্ঘাতে ঠোঁট রেখে।
তুমি আমাকে চুমু খেতে বলো
আমি সিগারেটের রিঙে  আদর্শ খুঁজি  সমাজগোত্রীয়।
তুমি আমাকে জীবিত থাকতে বলো
আমি প্রতিবার সেই মুহূর্তে মৃত্যু খুঁজি সাদা পাতায় ছবির স্বপ্নে।
.
অন্ধকার করে আসে তোমাকে লিখতে লিখতে
বৃষ্টির ছাট আমার কবিতার ক্যানভাস গড়িয়ে নামে।
হতে পারে আমি তোমার প্রথম পুরুষ নই
তবু কেন জানি প্রতিবারে তুমি আমার জীবনে প্রথম নারী।
দুপুরে ঘুম ভাঙাবার জন্য আমি তোমাকে ফোন করি
আর যদি না পাই তবে হারিয়ে যাই তোমার কবিতায় বারংবার ।

Sunday, September 11, 2016

গল্প কবিতা

গল্প কবিতা
............. ঋষি
==================================================
এই কবিতাটি গল্প হতে পারতো
এই শহরের বুকে অনেকগুলো  বেঁচে থাকা নিয়মিত হতে পারতো।
হতে পারতো অনেক কিছু চলন্তিকা
যেমন ধরো আকাশের চাঁদে নিজেদের একটা বাড়ি।
তারপর আরো এগিয়ে সামনে সমুদ্র
তুমি আমি পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আজ এই গল্প কবিতায়।


দূর থেকে একটা জাহাজের মাস্তুল দেখা যাচ্ছে
ভাসতে ভাসতে নিয়মিত গন্তব্যে আমি ,তুমি আর সকলেই এগিয়ে।
হঠাৎ একটা দুর্যোগের রাত
শহরের গভীরে ঢুকে যাচ্ছে সমুদ্রের জল।
অবিরাম জাহাজ ভাঙছে
আর তুমি আমি টাইটানিকের শেষ বেঁচে থাকা হৃদস্পন্দন।
বাঁচতে চাইছি নিজেদের ভিতর
আলাদা একটা শহর।
জীবন যেখানে হাইওয়ে ধরে ক্রমাগত যাওয়া আশা
সেখানে আমরা স্থির শান্তি চাইছি।

এই কবিতাটা গল্প হতে পারতো
তবে একটা মুশকিল কি যেন গল্প তো সত্যি নয়।
চলন্তিকা তুমি আমি দাঁড়িয়ে আছি ঠিক এই শহরে
প্রতিটা অন্ধকার রাতে স্কাইস্ক্যাপার ভেদ করে কষ্ট করে দেখা আকাশ।
রোজ মনে হয় দূষিত হচ্ছে
আর আমরা ভয় পাচ্ছি যদি টাইটানিক আবার ডোবে।

আমার ঈশ্বর


আমার ঈশ্বর
............... ঋষি
================================================
অনেকগুলো জন্ম হয়ে গেলো চলন্তিকা
অনেকটা সময় মানুষের মতো এই শরীরে।
জীবনের দুর্বলতার মুহূর্তে
আমি মানুষ আজ ঈশ্বর হতে চেয়েছি।
তাইতো জীবন গুছিয়ে
পাতায় পাতায় কবিতা লিখছি যেমন তুমি চাও।

কি যেন বলতে আমায়
কবি,
আমার কলম বদলাতে বদলাতে আজ কিবোর্ডের প্যাডে খটর খটর।
জবর খবর ছিল একটা
ইনবক্সের আদরে কে যেন আমাকে ভালোবাসতে চায়।
আচ্ছা কখনো ভেবেছো তুমি
আমিও ভালোবাসতে পারি কলম ছাড়া ,তোমাকে ছাড়া।
চলন্তিকা কখনো কল্পনা করতে পারো
আমি কারো হাত ধরে এই কলকাতার রাস্তায়,কিংবা ঠাসা জীবনে পর্দায়।
অবাক লাগে ভাবতে আমি কিনা প্রেমিক
এই জন্মে হবে না ,
কারণ আজও চলন্তিকা আমি তোমাকে চাই।

অনেকগুলো জন্ম এমন কবিতার পাতায়
অনেকটা সময় মানুষের মতো চাওয়া পাওয়ায়।
একবার ঈশ্বর ছুঁয়ে আমি মানুষ হতে চেয়েছিলাম
আজ তোমার মাঝে আমি চলন্তিকা ঈশ্বরকে পাই।
সন্ধ্যে বাতির সময় হলো
আর কিছুক্ষন তারপর অন্ধকার আমার ঈশ্বর।

Saturday, September 10, 2016

শেষ না হওয়া রাত

শেষ না হওয়া রাত
............... ঋষি
==================================================
রাতবিরেতে এই এক বিপদ
নির্জনতাগুলো টেবিলের রাইডিং ল্যাম্পে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে।
জানলার পর্দা প্রকৃতির স্পর্শে দুলে যায়
আর আমার ইজিচেয়ার আজ দুলছে আমার পূর্বপুরুষ থেকে।
দেরাজ বাইরে  আধপোড়া চুরুটটা আমাকে ডাকে
আর আমি ডাকি সামনে কোনো অন্যদিন।

ঘুম আসছে না
আজকাল ঘুম আসে না রাত্রের ছাদের সিলিঙের চোখে।
পাখাটা  আমার মতো বোধহয় একঘেয়ে  ঘ্যানর ঘ্যানর
বসে থেকে চলে যায় পিছনের হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে।
তোমার মুখ
কোনো মধ্য চল্লিশের পুরুষ মাঝরাতে স্বপ্ন দেখে।
কোনো নারী
চলন্তিকা তোকে কোনোদিন বলা হয় নি চিরসত্যটা।
ভালোবাসা সে যে ঈশ্বরের ফুল
তবে প্রসাদী নয়
পরমযত্নে তুলে রাখা হৃদয়ের থালাতে।

রাতবিরেতে এই এক বিপদ
কোনো আকাশের হাতছানিতে চোখ ঘুরে আসে চাঁদের দেশে।
জানলার পর্দা সহজিয়া কোনো ইচ্ছা
আর আমার ইজিচেয়ার ভাসতে ভাসতে আদরের নৌকা।
চলন্তিকা তুমি আকাশ হতে পারতে
আমি লিখতাম শেষ না হওয়া এই রাত।

ভাবনায় চলন্তিকা

ভাবনায় চলন্তিকা
............ ঋষি
=================================================
ভেবেছি তোকে অনেকটা চলন্তিকা
কোনো ধীর স্রোতোস্বিনী আলুথালু বেশে।
নিজের দিকে তাকিয়ে দেখেছিস
যে চোখে স্বপ্ন দেখা যায় ,সেই চোখেই বেঁচে থাকা।
বিশ্বাস কর তোর পালসেসনের শেষটুকু
আমি জানি ,,,নিস্তব্ধতা।

বিকেলের বারান্দায়  তোর ম্যানিপ্ল্যান্ট গাছটা আজকাল অপেক্ষা করে
অপক্ষা করে তোর দরজায় লুকোনো ঘুলঘুলি।
কিছুটা তৃষ্ণা মরে বেঁচে থাকে
আর কিছুটা বাঁচা তোর গভীরে আমার স্পর্শ চলন্তিকা।
সেই  ধীর স্রোতোস্বিনী
শিরাউপশিরায় মাটি ভিজিয়ে যায়।
তারপর সেই মাটিতে জীবন ,যাপন ,জনপদ ,নির্ভরতা ,আকুলতা
বাঁচা কোনো রোজকার জীবন।
শহর থেকে গ্রাম ,তারপর একটা মানচিত্র ছড়িয়ে যায় স্পর্শ
সকলের বাঁচার জন্য একটু জমি চায়।

ভেবেছি তোকে অনেকটা চলন্তিকা
কোনো ধীর লয়ে বয়ে চলে ভালো লাগা।
কিংবা তুই তো কবির প্রিয় নারী ,প্রেরণা , ভেসে বেড়ানো ভাবনার
ছোট্ট একটা ডিঙি নৌকো।
ক্রমশ হারাতে থাকে আরো গভীরে ,মিশে যায়
ভালোবাসা কোনো সামুদ্রিক ভিড়ে।

তারপর ,,,,

তারপর   ,,,,
.............. ঋষি
==================================================
নিদারুন একটা গল্প শুনছিলাম সেদিন
এফ এম নাইন নিজের মতো করে জকি  বসে।
ছেলেটা বয়স বাইশ  ছিল
আর মেয়েটা সদ্য আঠারো।
ছেলেটার বাড়ি ছিল এই সময়ের অন্য হাজারটার মতো
আর মেয়েটা ছেলেটার বাড়িতে ছিল।

তারপর   ,,,,
সেই সকাল সন্ধ্যে সংগ্রাম।
যৌবন ,প্রেম ,ভালোবাসা ,.বিছানার চাদর ,,,সন্তানের হিসির কাঁথা
মেয়েটা জমে গিয়ে বরফ হয়ে গেলো।
চামড়ার দৈনন্দিন আজকাল ছেঁড়া শাড়িতে ফুটে উঠছিল
আর ছেলেটা।
চোখের তলায় কালি সময়ের সংসারে দিনান্তের  চুন কালি
এটা নাকি জীবন সংগ্রাম।
ছেলে মেয়ে দুটো কখন থেকে শুরু করেছিল
মনে নেই।
 তবে নিয়মে পিতৃত্ব ,মাতৃত্ব সব হাসিখেলা
তারপর ,,,,

নিদারুন কিছু ঘটে গেলো
ঈশ্বর এখানে কমপ্লিট সিস্টেমেটিক জকি হাতে।
রেস্ চলছে সময়
আর দুর্বলতা মানুষের কাছাকাছি ,,ভালো থাকতে।
শেষটা আমি জানি না
তবে শুনেছি ছেলে মেয়ে দুটো পাশাপাশি না খেতে পেয়ে মরেছিল। 

Friday, September 9, 2016

অপেক্ষা

অপেক্ষা
.......... ঋষি
================================================
সংকীর্ণতার  কোনো সামাজিক ভিতে
তোর শহরে আজকাল তেমন যাওয়া হয় না।
আজকাল এমন অনেক কিছু করি না আমি
যাতে কেউ আমাকে প্রেমিক বলে ডাকে।
নিজের ভিতর থেকে নিজেকে  সরিয়ে একটা অন্য আঁধার
যেখানে আমি ,তুই শুধু পরিচিতি ,কিংবা পরিচয়।

কোনো একটা কয়েন টস করে
অতি সহজে জীবনের বর্ণপরিচয় শিখে নেওয়াটা বোঝাপড়া।
কিংবা কোনো খালি  গোলপোস্টের ওপাশে দাঁড়িয়ে
অনবরত গোল করে যাওয়া হলো জীবনে জিততে চাওয়া।
এই সব সাবেকি ভাবনা নিয়ে
নিজেকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে দেওয়াটা সামাজিকতা।
সব শিখেছি
আসলে শিখে নিয়েছে তোর কাছে থেকে একটা বিশেষ প্রয়োজন
অপেক্ষা।

সংকীর্ণতা এই সামাজিক ভিতে
আমার শহরের গ্লোবটা ঘুরিয়ে দেখি এই তো তোর শহর।
এই হাইফাই কমিনিকেশনের দিনে আমি সংযত থাকি
জানিস তোর নাম অবধি উচ্চারণ করি না।
কারণ জীবন ভীষণ সামাজিক
কিন্তু বাঁচতে চাওয়াটা অসামাজিকতার অন্য নাম।  

চিরসত্য

চিরসত্য
....................... ঋষি
=====================================================
ঝুলে  পরা  চামড়া জানে না
আরেকটু ক্ষণ  তারপর সবটাই শূন্য অংকের মতো নিস্তব্ধতা।
তবু সময়ব্যাপী ময়শ্চারাইজড ক্রিম
আর সৌন্দর্যের রিপু।
ভুলতে চাওয়া বয়স ,চোখের আবছা হওয়া জ্যোতি
ফিরিয়ে আনে প্রতি মুহূর্তে প্রতিশ্রুতি।

মানুষের সবচেয়ে বড়ো চাওয়া
ভালো থাকা ,মিশে থাকা ,বিভিন্ন সংস্কারে সামাজিক চুক্তিতে।
আর মানুষের ভুলে থাকা
একা  থাকা।
প্রশ্ন একটা চিরন্তন জগদ্দল পাথরের মতো সত্যি
কেউ একলা থাকতে চায় না।
তবু একলা থাকতে হয় কিংবা একলা করে যায়
বারংবার এই সময় ,অসময় এটা একটা রীতি।
একটা যুগান্তকারী ঈশ্বর
সকলে একলা আসে আর একলা যায়
বাকিটুকু শুধু মাত্র রেশন কার্ড ,পাসপোর্ট কিংবা পরিচয়।

ঝুলে পরা চামড়া জানে না
আর কিছুক্ষন তারপর সেই ছিটকাঠে  তুমি আমি নগ্ন।
চিরকালীন নগ্নতা লুকিয়ে রাখা মানুষের নিয়ম
আর সবচেয়ে বড় অনিয়ম সেই নগ্নতাই সত্যি।
শুধু বয়স আর সময়ের কারচুপিতে জীবনের প্রতিপদে মুহূর্তের ডিঙিয়ে
তুমি আমি সকলেই ভীষণ একা। 

উপন্যাসের পাতা

উপন্যাসের পাতা
.............. ঋষি
===================================================
সকলেই এক
শুধু সৌহার্দ্য আর শুভেচ্ছা আলাদা এমন তো নয়।
সর্বোপরি যে গল্পটা শুরু হতে হতে হঠাৎ আকাশ
তারপর কখন যেন পাখি হয়ে যায়।
সেইভাবে ভাবতে গেলে মানুষ পৃথিবীর অন্যতম রিপু
ভালোবাসা আর ভালোবাসায়।

প্রতিটা ধ্বংসের পিছনে একটা রাবন প্রয়োজন
চৌদ্দবছর ,,,রাবনের কারাগার ,,,,আসলে মৃত্যু সর্বদা সীতার।
এই কথা ভুলে গেলে চলে
কিন্তু জীবিত উপন্যাসের পাতায় রামায়ণ কখনোই না।
রাবন হালফিল এই জগতের শ্রেষ্ট উপশম
আর সীতা সে যে সর্বদা প্রতীক্ষার যাত্রী।
ভালোবাসা ফোরাতে ফোরাতে
যদি সবটাই মাংস হয়ে যায় ,,আয়োজন বাড়ে ঠিক বেঁচে থাকার
কিন্তু জীবনের প্রয়োজন ফুরোয়।

সকলেই এক
শুধু সৌহার্দ্য আর শুভেচ্ছা বার্তা তোর লেখা উপন্যাস নয়।
নিজেকে পোড়াতে পারাটা একটা আর্ট
যেমন ধর মোমবাতির উত্তপ্ত মোম তোর চামড়ায়।
কিন্তু তারপর ফোস্কা পড়াটা খুব স্বাবাভিক
অথচ পোড়ার জ্বালাটা অসামাজিক। 

Thursday, September 8, 2016

অসামাজিক

অসামাজিক
.......... ঋষি
===================================================
নেমে আসছে একের পর এক ছুরি
ফুটপাথেও আজকাল ভিখিরি ঘর করে।
প্রেম করে
চুমু খেয়ে শরীর ছেড়ে দেয় নিয়মবোধ শহর।
তারপর আরো কিছু ছুরি
প্রতিদিন ঢুকে যায় গভীর থেকে আর গভীরে।

অনেকদিন অভুক্ত চোখে
বাসি লিঙ্গ কাটানো ছবি ,ময়লা বসনে খোলা মাই।
অনেকদিন না বদলানো অন্তর্বাসে বসে থাকে হাট করে খোলা পেচ্ছাবের অঙ্গ
সবকিছু বাজারি বেশ্যার দরবারে খোলা পীঠস্থান।
সেখানে হাইজিন
দাগ থেকে যায় ,দাগ পরে যায়।
মায়ের প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডে অসুখ ছিল
দাদা কোনো ছোটবেলায় কোনো মাগীর চক্করে গেলো।
তারপর আমি
খোলা নর্দমায় নোংরা খিদে।

নেমে আসছে একের পর এক ছুরি
সব নোংরা শব্দগুলো কানের কাছে মশার মতো উড়ছে।
তলপেটে  বাড়তে থাকা যোগাযোগ
বাচ্চা শরীর কি শুধু বেশ্যাদের থাকে আর ভদ্র মহলে।
ওটা নিয়মিত সামাজিক
আর আমি অসামাজিক কোনো খোলা পেচ্ছাবের অঙ্গ। 

স্বর্গ আর নরক

স্বর্গ আর নরক
........... ঋষি
==============================================
সমস্ত অবয়ব জুড়ে ইচ্ছাদের স্বর্গবাস
নরক আমি দেখিনি।
তবে নরকের শয়তানগুলো আমাকে বড় জ্বালায়
এই সভ্যতায় যেখানে মানুষ পাওয়া দায়।
সেখানে স্বর্গ, চুপ হৃদয় ,
সে তো মারাত্নক যোগাযোগ।

নিদারুন  কোনো আনন্দের  দিনে কিংবা যেদিন কোনো উৎসবে
মানুষের একা থাকা গুলো খবর হয়ে যায়।
আর সেখানে হৃদয়ের কথা হয়তো বা অভাব
কিংবা কবিতা।
শহরের পরে গ্রাম ছাড়িয়ে প্রন্তিকতায়
যদি কোনো মুলাকাত এই সময় সফিস্টিকেটেড হৃদয় হয়ে যায়।
তবে আমি তুই তো শুধু পাত্র
আর বেঁচে থাকা
সে তো অনেকখানি যন্ত্রণার নামান্তর।

সমস্ত অবয়বজুড়ে এগিয়ে যাওয়া দৃশ্যরা সব নিয়ম
নির্দিষ্ট ভলক্যানো  দূরত্বে অগ্ন্যুপাত স্বাবাভিক।
তবে একটা তফাৎ থেকে যায়
দৃশ্যের মাঝে কিংবা দৃশ্যে বাইরে সবটাই স্বর্গবাস।
আর নরক
সে তো রোজকার পথচলা তুমি আমি জীবন।

পথের সফরে

পথের সফরে
............... ঋষি
=======================================
কবিতা জড়িয়ে লতার মতো সভ্যতা
কবি তুমি জংলী থেকে গেলে।
হাজারো বছরের পর যদি কখনো চলন্তিকা তুমি আসো
তোমার সোনার উষ্ণতায় শস্যের সফরে ধান।
তারপর চাল
কবি তুমি ক্ষুদার্থ রয়ে গেলে।

কোনো সেপ্টিপিন দিয়ে আটকানো অমানুষিক যন্ত্রণাগুলো
আটকানো জামার বোতাম আর পোশাকি।
বুকের উদাত্ত বৃষ্টিগুলো
ভিজে যাওয়া মাটি যোগ্যতা প্রশ্নোত্তরে সবুজ আবরণ।
কোনো বৃষ্টির পুকুরে জলে
ক্রমাগত স্পন্দন ,সবুজ প্রেম দেখা দিয়ে হারানো।
সে তো কোনো কল্পনা নয় কবি
শুধু মাত্র বহুদিন চান না করা ভাবনা।
কিংবা একা বাথরুমে শাওয়ারের জলে আয়নার নগ্নতা
সে তো নগ্নতা নয় সভ্যতার নামান্তর।

কবিতা জড়িয়ে বেড়ে ওঠা পরগাছা
ভাবনারা সব আদিম কোনো বাউলে হৃদয়ের কল্পনা।
কবি তুমি একা থেকে গেলে
যেমন সাদা পাতায় কোনো আকাশ হাতের মুঠোয়।
তারপর আরো হাঁটা
কবি তুমি চিরকালীন পথিক। 

Sunday, September 4, 2016

অনেকগুলো শব্দ

অনেকগুলো শব্দ
................ ঋষি
=============================================
অনেকগুলো শব্দ একসাথে বলতে গিয়ে আটকে গেলো
প্রিয় বান্ধবীর মুখটা একটা বিকেল।
মনে পরে জীবনে প্রতিপাড়ে  কিছু অন্ধকার থাকে
কলেজের বেঞ্চ ,তারপর অনেকটা পিছনে।
পিছোতে পিছোতে কখন যেন জীবন
এগিয়ে গিয়ে আজ হয়ে যায় ,,মনে পরে।

সিগারেটের রিঙে লুকিয়ে থাকা হিরোসিসম
কিংবা সেই পুরোনো গিটার।
নবারুণ তুই সিঙ্গার হতে পারতিস কিংবা হতে পারিটিস আলুকাবলি ওয়ালা
সেই বার ঘুরতে গিয়ে তুই আলুকাবলিওয়ালা
আর রুবি।
না সেই ভাবে ঝাল লাগেনি সেদিন
তুই হাত ধরলি
আজকাল অফিস ফেরত বাসে  লংকার গুঁড়ো।

অনেকগুলো শব্দ একসাথে বলতে গিয়ে ছড়িয়ে পড়ছি
প্রিয় বান্ধবীর কপালে সিঁদুরের দাগ।
সুস্মিতা সেইসময় তোর বিয়ে হয়েছিল বলে তুই পিছিয়ে নোস্
অনেকে বুঝেছিলাম।
কিন্তু আজ এত দিন পর মনে পরে
অনেক কিছু আমাদের অজানা ছিল।

মেমসাহেব


মেমসাহেব
......... ঋষি
=======================================
নতুন করে তোমাকে আদর করবো
বইয়ের পাতাগুলো যত্ন করে প্রেম ছুঁয়ে গেছে।
মেমসাহেব
নিমেষে চোখে ভাষায় ভেসে  গেছে গভীর ক্ষত।
সেখানে এখন পরবাস
আর সুন্দর কিছু স্মৃতি লেপ্টানো আদরের ফ্রেম।
.
এক নিঃশ্বাসে কনফেস  করি দোলা বৌদি
তুমিও ও নারী।
তোমার গভীর হৃদয়ের কোথাও লেপ্টে যাচ্ছে না কোনো আকুলতা
আমার মেমসাহেব।
অনেকগুলো সরোবরকে একসাথে গেঁথে
টুকরো একটা মেঘমালা।
বৃষ্টি হয় এখনো দিল্লীর  সেই শহরের রাস্তায়
পিছিয়ে যাওয়া ভারতবর্ষের কোনো সদ্য ফোটা প্রেম।
হঠাৎ নুইয়ে পরে গাছ
সবশেষ।
.
নতুন করে তোমাকে আদর করবো
বইয়ের শেষ পাতাটা যত্নে ভিজিয়ে দি চোখের নুন।
মেমসাহেব
না এই বইটা আমি পড়তে চাই নি কখনো।
কিংবা এর  লেখকে কে  কখনো আমি ভাবতে চাই নি
কারণ ভালোবাসা আকণ্ঠ তৃষ্ণা তাই বলে মৃত্যু ?
.
( নিমাই ভট্টাচার্যের " মেমসাহেব অবলম্বনে )
.. ঋষি

Saturday, September 3, 2016

জীবিত ও মৃত

জীবিত ও মৃত
............ ঋষি
========================================
একদিন সব ছেড়ে উঠে যাবো
হৃদয়ের  ভাঁজে ভাঁজে  লুকোনো সিঁড়ি বেয়ে।
পরে থাকবে সময় সে শুধু স্মৃতি
আর থাকবে জীবন সে তখন মৃত কোনো কবিতার মতো।
সামনের দেওয়ালে টাঙানো থাকবে একটা ছবি
,,যে শুধু  জীবিত ও মৃত।

হাজারো মাইলফলক পেরোনোর পর
ওপর তলার ঘরে  একটা মাদুর পাতা আর ছড়ানো সাদা পাতা।
আমার মতো কেউ বসে যাবে
শুধু নিজের কলমের নিবে ভেসে যাবে কষ্টের ছোপ।
সব কবিতা সেদিন ঈশ্বরের হবে
সব কবিতা সেদিন খুব স্বাবাভিক ছন্দবদ্ধ পথচলা।
অব্যর্থ কোনো তাবিজের সমাজ আটকে থাকবে আমার বুকে
তবে সেদিন আমি থাকবো না।
আমার মতো কেউ
নিচতলায়।

একদিন সব ছেড়ে উঠে যাবো
হৃদয়ের  ভাঁজে ভাঁজে  লুকোনো স্পর্শ  বেয়ে।
যেমন কোনো স্বপ্ন আকাশের মেঘে চাঁদের মতো হাসে
যেমন কোনো খিদে দরিদ্রের হাঁড়িতে মুখ টিপে হাসে।
ঠিক তেমনি একদিন আমি দেওয়ালে টাঙানো ছবি
খুব নরম্যাল সামাজিক কোনো নিয়ম।

অদ্ভুত রাত

অদ্ভুত রাত
................. ঋষি
=========================================
রাত্রিটা অদ্ভুত
কেউ কেউ মাঝরাতে সুনসান শহর বুকে একলা হাঁটে
অফিস পাড়া,বিবাদীবাগ ,স্ট্যান্ড রোড।
কেউ আবার সোজা মুখ গুঁজে থাকে কুকুরে মতো
কোনো অদৃশ্য আকাঙ্খার কোলে
আবার কেউ কেউ ভালোবেসে কাটিয়ে দেয় সারারাত।

কেউ আকাশের দিকে তাকিয়ে
অতি সহজে কল্পনা করে নিজের প্রেমিকের বুক।
কেউ বা মুহু মুহু সিগারেটের রিং ছোঁড়ে আকাশের গায়ে
অনিদ্রার চাপা কোলে দীর্ঘশ্বাস।
এটাও ঠিক কেউ কেউ ঘুমিয়ে পরে
স্বপ্ন দেখে শিশুর মতো কোনো অচেনা ,অজানা বেলার।
কেউ কেউ আবার মানুষের মতো লড়তে থাকে
আধুনিক কে আরো আধুনিক করবে বলে
কিংবা কেউ শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিজতে থাকে
অচেনা বন্ধুত্বের নামে।

রাত্রিটা অদ্ভুত বড়ো
অন্ধকার চোখে নেশার লাল পেজে কেউ শরীরগামী।
কেউ বা সৃষ্টির আনন্দে মাতোয়ারা
নিয়মের অরিগামি প্রেমের সাগরে ডুব কোনো উপাখ্যান।
আমার কবিতা আজ রাতে  শুধু স্পর্শে ভেজা
আর অন্ধকার আকাশে চুপিচুপি নেভা জ্বলা একাধিক তারা। 

আরোগ্যের পথে

আরোগ্যের পথে
................ ঋষি
==============================================

আরোগ্যের পথে
ক্রমশ টেবিল ঘেঁষে পরে থাকা বাস টার্মিনাস।
আজ কোনো ধর্মঘট হবে ,পুরো শুনশান
চেয়ার ,টেবিল সব যে যেখানে থাকার সকলেই আছে।
শুধু মাত্র আমি আরোগ্যের পথে
খালি শিশি। কৌটো। জলের গ্লাস। ওষুষের ফ্ল্যাপ।

স্বতস্ফূর্ত  আরোগ্য ,,অবর্ণনীয় ঝোড়ো হাওয়া
পালক নামতে নামতে ,ভাসতে ভাসতে কখন যেন মাটিতে মিশে যায়।
তারপর ঝড়ের সাথে ভাসতে ভাসতে
খড়কুঁটো সম্বল সকালের শিশির পায়ে লেগে থাকে
কেমন একটা পরিতৃপ্তি
ভালোবাসা আরো বেশি যন্ত্রনা চায়।
সুনসান সড়কের ওপারে দু একটা প্রয়োজন  নিত্যকার
হোক না ধর্মগত ,তবু বাঁচা যে  নিত্য
অনিত্য তোমাকে শুধু ভালোবেসে ডাকা
আমার আরোগ্য

আরোগ্যের পথে
ক্রমশ টেবিল ঘেঁষে  শিহরণ বেঁচে ওঠা।
আজ কোনো ধর্মঘট হবে দোকান ,বাজার আর নিয়মিত যাপন
তবু তো সে সবকিছু সেই আগের মতোই আছে।
শুধু মাত্র আমি আরোগ্যের পথে
নিয়মিত ঝোড়ো বাতাস আর ভিজে ফেরা মুসাফির। 

অনাহুত আগন্তুক

অনাহুত আগন্তুক
.............. ঋষি
=================================================
যে ভাবে ঘুমের ভিতর
জেগে ওঠে ধীরে ধীরে কোনো ইচ্ছা সকাল।
তারপর উত্তপ্ত রৌদ্রে
খুলে খুলে পরতে থাকে একে একে স্বয়ংসম্পূর্ণ বসবাস।
বুকের ওঠানামায় ক্রমাগত অস্তিত্বের হাতছানি প্রথাগত
বারংবার কোনো অচেনায় আমি  নিয়মিত।

সহবত হারাতে হারাতে
তোমার পিঙ্ক ওড়নার আড়ালে ছুঁয়ে থাকে মৃগনাভির গন্ধ।
আমি মাতাল ভ্রমরের মতো নিমজ্জিত
একবার মৃত্যুকে স্পর্শ করতে চাই।
তারপর লোভ জাগে আচ্ছা যদি মৃত সফরে
তোমাকে পাশে পাওয়া যায়।
মাতাল আমি দিন ,রাত এক করে বন্য কোনো সভ্যতার জঙ্গলে
ঘাস চিবিয়ে জীবিকা পালন করি বেঁচে থাকা।
আর তখনি জ্ঞান  ফিরে আসে
আমি বোধিসত্ব নিজের ভূমিকায় অনাহুত আগন্তুক।

যে ভাবে ঘুমের ভিতর
জেগে ওঠে ধীরে ধীরে কোনো ইচ্ছা সকাল।
তারপর উত্তপ্ত বালিয়াড়ি
পা বাড়িয়ে তোমার ঠোঁটের সীমানায় ভয়ানক প্রতারণা।
লাল লিপস্টিক অসহ্য যন্ত্রণার মতো চুষতে থাকি
বারংবার আমি অচেনা কিন্তু স্বাবাভিক তোমার কাছে। 

ভিজে রাস্তা

ভিজে রাস্তা
............. ঋষি
==============================================
যদি বুকের খোলা জানলায়
হঠাৎ ঝড় ওঠে আমি বুঝি এই তো জীবিত আমি।
যদি পথ চলতি আমার পথ হঠাৎ  তোমাকে টানে
আমি বুঝি এই বুঝি প্রেম।
তারপর গোটা শহর জুড়ে অকারণে বৃষ্টি
আমি লিখে যায় কবিতা পাতায় পাতায় আস্ত একটা শহর।

ঠিক কতদিন পর দেখা হলে
আমার পাগল হওয়া সম্ভব ?
সম্ভবত নিজের পাগলপনা অপ্রকৃতস্থ বালকের মতো একলা দাঁড়িয়ে
আঙ্গুল চোষে ,তারপর কিছু বলে বিড়বিড় করে।
আমি বুঝতে পারি এই তো আমি সেই পাগল
যে শুধু তোমাকে চায়।
তারপর মনে হয় যাক এখন তো ভিজি
তারপর না হয় জ্বর ,সর্দি ,কাশি ,বেঁচে মরা।
আসলে সব ভুলতে চাই
তোমার মতো আমার শহরেও অকারণে আজ বৃষ্টি।

যদি বুকের করিডোরে দাঁড়িয়ে
তুমি মুখ ঘষো পাগলের মতো ,ছাল চামড়া উঠে যাবার জোগাড়।
আমি তাকিয়ে থাকি তোমার চোখে
ঠিক কোনো অজানা আতঙ্কের নাম না জানা ঝড়।
ভীষণ বাড়তে থাকে ,পাতা উড়তে থাকে ,পাতার পর পাতার
আমি লিখে যায় কবিতা যখন ভিজে রাস্তায় একলা আমি। 

উষ্ণতার শিহরণ

উষ্ণতার শিহরণ
................. ঋষি
===================================================
শুধুমাত্র উষ্ণ হবো বলে
বাইরে বৃষ্টির সাথে ভিজতে থাকা শরীরে থার্মোমিটার।
জানলার বাইরে ,এমন কি দৃষ্টির বাইরে
কয়েকশত প্রশ্ন চকচকে কোনো শেষ না  হওয়া নাগরিক রাজপথ ,
আজ ভিজে যাবে সবুজ প্রান্তর
প্রতিবার কথা বলার পর আমি যেন উষ্ণতার শিহরে।

মেঘে মেঘে কথা বলা বাকি
কিংবা, বাকি আজও চৌম্বকীয় তথ্যের ভিজে বিবরণী নকশা।
জল ছুঁয়ে গেলে যেটুকু টানাপোড়েন সে তো তৃষ্ণা
তার সবটাই একটা তরঙ্গের মত আলোড়িত কোনো অন্য দ্রোহে।
ছড়িয়ে পড়ছে ক্রমশ
নিদ্রাহীন সময়ের শেষ না হওয়া যাত্রী।
প্রশ্ন করে ঈশ্বরকে ?
গন্তব্য কই ? কোথাই শান্তি ? কোথাই শেষ ?
শান্তি সে তো ডিকসানারির ভাঁজে ক্লান্ত অপলক চেয়ে থাকা।

শুধুমাত্র উষ্ণ হবো বলে
প্রতি ফোঁটা ঝরে পড়বার পর আমি চাতকের শেষ না প্রার্থনা।
প্রতিদিন আমি তোমার সাথে বাঁচি
জানলার বাইরে অবিরত ঝরতে থাকা ইচ্ছাগুলো সব আদর।
আজ ভিজে যাবো নিজেকে হারানোর অন্তরে
প্রতিবার তোমাকে ছোঁয়ার পর যেন বাঁচার আলোড়ন।

গণেশ পাইন আর তার ছবি

গণেশ পাইন আর তার ছবি
............. ঋষি
=============================================
মাঝে মাঝে বেঁচে উঠতে তাড়াহুড়ো লাগে
আর আমি  তো শুধু পথেই থাকি।
ক্যালেন্ডারের পাতাগুলো চিবিয়ে নির্যাসে একটা মাত্র দিন
বরাদ্দতার সফরে প্রিয় নায়িকা যেন সুচিত্রা সেন।
মধুর কোনো আর্টগ্যালারিতে গণেশ পাইনের আঁকা নারী চোখ
যেন জীবিত খাঁজে বুকের আশ্রয়।

পাখিদের নজর লেগে যেতে পারে
হাওয়ায় ভর করে সাজানো স্বপ্নরা ডানা মেলে আরো দূরে।
কয়েকটা শীতের পরে
মেহেগনি পাতাগুলো আরো মলিন হয়ে ফিরে আসে।
শীত করে ,খুব শীত
খালি বিছানার চাদরে জানলা বেয়ে নেমে আসে নদীর স্রোত।
আমি ঠোঁট রাখি
আরো কিছু সফরের পর গভীর খাত  ,তোর বুক।
আমি মাথা রাখি পরম আশ্রয়ে
হারিয়ে যাওয়া মুহূর্তের শান্তি তাড়াহুড়ো করে বাঁচতে চায়
কিভাবে যেন সময় কেটে যায়।

মাঝে মাঝে বেঁচে উঠতে তাড়াহুড়ো লাগে
পরে থাকে দুটো হাতের ফাঁকে দুস্তর দূরত্ব আর খালি আশ্রয়।
তুমি তাকে আমার বুক বলে ঠোঁট চোবাও
আর আমি যেন কোনো মরুভূমির গাছের দিকে তাকিয়ে থাকি।
চিরসবুজ কোনো পেইন্টিংয়ে গণেশ পাইন আর তার ছবি
প্রিয় নায়িকা সবুজ টিয়ার ঠোঁট। 

নবীন পাকড়াশী

নবীন পাকড়াশী
............... ঋষি
===========================================
কেন এত অভিমান ?
বেনসীবের মন ভোলাতে নবীন পাকড়াশী একলা
হ্যা হেঁটে চলে যায়।
ওহ জীবনানন্দ তুমি খালি হতে হতে প্রতিভা হয়ে গেলে
তারপর আকাশের চাঁদে পোড়া রুটি
আর ভিজে চোখে অভিমানী আকাশলীনা ভীষণ একলা।

সারাদিন কথা নেই কোনও?
ঘড়িরও কি কথা থাকে কিছু নাকি আনকোরা সেই হৃদস্পন্দন।
নবীন পাকড়াশী ক্যারাক্টারটা একটু লুস বটে
তবে বিশ্বাস করো প্রেম  ছিল  পাশাপাশি।
তবে কেন চোখ এত নীচে পড়ে থাকে
অতল খাদের থেকে প্রায় ,
নবীন পাকড়াশী গড়াতে গড়াতে আরো গভীরে ,আরো অতলে।
হারিয়ে যায়
কান পাতে শুনতে পায় মারাত্নক বাজের শব্দ
দৃশ্যের বাইরে নারকেল গাছটা এখন শুধু স্মৃতির মতো অলংকার।

কেন এত অভিমান
হওয়ার দিকভ্রষ্ট হলে সেও পথিক হয়ে যায়
হ্যা হাঁটে নবীন পাকড়াশী।
ওহে জীবনানন্দ চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা
তারপর সেই এই শহর ,ট্রামের লাইন
ইশ আকাশলীনা তুই  সাদা শাড়িতে বেমানান বড়। 

ক্যাবলাকেষ্ট

ক্যাবলাকেষ্ট
................... ঋষি
===============================================
অনেকটা মুলতুবি থাকে
কথারা ন্যাড়া হতে হতে বেলতলায় দাঁড়ায়।
দুপুরের  কোল ছুঁয়ে কল কল করে কোনো স্রোতস্বিনী
মাথার শিরা উপশিরায় চিৎকার।
চুপ থাকে অকপটে অন্ধকার অবয়ব
সবকিছু আলগা হতে হতে জন্মান্তরে পৌঁছে যায়

চুইংগাম চিবোতে চিবোতে
ছিবড়ে আটকে দেব নন্দন  চত্বরে অন্য কোনো দিনে।
কিংবা গড়িয়াহাট ব্রিজের তলায়
বসে থাকা স্বপ্নরা আগামীর চিবোনো চুইংগাম নিজের নিজের কাছে।
আচ্ছা না হয় কাল থেকে আমরা প্রেম প্রেম খেলবো
বাড়িতে বকা খেলে ,আবার স্বপ্ন দেখবো।
আজ এই সন্ধেটুকু এক সিগারেট টানে ভোরে নেবো
নিজের নিজের  মাটির ভিতর।
তারপর যেদিন বাঁচতে কষ্ট হবে
সেদিন ওই মাটিতে স্বপ্ন পুঁতে  দিয়ে গাছ বানিয়ে নেব নিজেদের মত।

অনেকটা মুলতুবি থাকে
কথারা ন্যাড়া হয়ে একলা  বেলতলায় ক্যাবলাকেষ্ট।
দুপুরের কোল ছুঁয়ে অশরীরী আত্মার প্রলোভন
মাথার শিরা উপশিরায় চিৎকার।
চুপ থাকে অকপটে অন্ধকার অবয়ব
সবকিছু আলগা হতে হতে জন্মান্তরে পৌঁছে যায়। 

টগর গাছ

 টগর গাছ
................ ঋষি
============================================
অনেকদিন গেলো কিছু পাওয়া হয় নি তেমন করে
সামনে টগর গাছটা  সাদা হয়ে যায় প্রতিদিন
আবার কেন জানি আগেরমত চুপচাপ।
এই সব নিয়ে একটা গল্পের প্লট ক্রমশ মাথায় নিউরনে
বাসা বাঁধে বাবুই পাখির স্বপ্ন
আর তারপর অন্ধকারে জোনাকির কাঁচের চোখ।

সারা দুনিয়ার অভাবের সংসারে
এই শহরে কিছু অন্ধকার আলোর মতো জ্বলে।
কিছু ফুরিয়ে যাওয়া মিথ্যে হাঁড়িতে ফুঁটতে ফুঁটতে
খিদের সরঞ্জাম হয়।
প্রিয় একথালা ভাতের পাশে ,বাতি ভর্তি তরকারি  ,মাংস ,মাছ
কিন্তু ভুরিভোজ সে যে খানিকটা মানসিক।
অনেকটা  রাস্তা হাঁটার পর
নতুন একটা মোড় তুলে আনি বায়না করে।
আচ্ছা, বাদ যাক এসব...
যেভাবে সর তুলে রাখো গেলাসের ওপর তুমি এই সময়।

অনেকদিন গেলো কিছু পাওয়া হয় নি তেমন করে
না হয় ভুল করে চাদরটা তুলে দিও কোনো রাতে
তারপর এক মাথা সাদা চুল।
বয়স ফুরোতে ফুরোতে ক্রমশ সাদা হয়ে যায়
যেমন আমার বারান্দার সামনে টগর গাছটা
চুপচাপ দাঁড়িয়ে এই সময়। 

আর তারপর

আর তারপর
........... ঋষি
===============================================
কোনো রয়ে থুয়ে হাঁটা নয়
মনের অভীষ্ট কর্নারে প্রেয়সী দাঁড়িয়ে থাকে।
মুখে তার মিষ্টি লিপবাম সং
গান শুনতে ভালো লাগে ,ভীষণ ভালো চুমু
বারংবার লিপস্টিক উঠে গিয়ে যন্ত্রনা ধরা দেই
আরো গভীরে নরম ঠোঁট

আরো একটু প্রকট হয় চলন্তিকা
তোর বুকের আড়ালে যে অন্ধকার স্পটটা সকলেই তিল বলে।
আমি বলি সূর্যগ্রহণ
অথচ যখনি ঠোঁট রাখি সেই ডার্কস্পটে।
মনের সূর্য প্রভাত বালকের মতো খিল খিল করে হাসে
তোকে বলেছি তো চলন্তিকা।
তোকে ছুঁয়ে আমার প্রতিবাদ সকাল আসে
আর তারপর।
এই কবিতা নেমে চলে অসময়ের বৃষ্টির মতো
সময়ের কাঠখড় পেড়িয়ে নিদারুন মুছে যাওয়ায়।

কোনো রয়ে থুয়ে হাঁটা নয়
এবার চলে যাবো চটিতে পা গলিয়ে দরজার বাইরে।
আমি  যতবার না জানিয়ে রেওয়াজ  বাড়িয়েছি চুমুর
ততবার মনের কোনে হারানো পাওয়া গেছে।
ততবার শুধু বাঁচা মেটাতে চলন্তিকার ঠোঁটে
মেকআপ থুপেছে শহরত।

রোমন্থন

রোমন্থন
............... ঋষি
================================================
সহসা ঘোর কেটে  একটা পরিচিত হাত ছুঁয়ে গেলে
নিজেকে বড় অযাচিত কল্পনা মনে হয়।
কোনো কৃত্রিম দরজায় যদি ঠোঁট ছুঁয়ে কল্পনা
চলন্তিকা ছুঁয়ে যায়।
তবে অতীতের অনিদ্রায় ফিরে আসে স্বপ্ন
আকাশ হাতে মুঠোয় ধরা যায় না।

অনেকগুলো সরণি ছড়িয়ে ছিটিয়ে
একটা প্রলাপ ছড়িয়ে পড়ছে ক্রমশ
টাইফুনের মত।
সামনের সিঁড়ি ভাঙা স্মৃতির শহরে  আজও মনুমেন্ট একলা থাকে
খালি হয়ে যায় প্রতিরাত্রে সহবাস।
শহর বদলে যাবে
প্রতিদিনকার  চিৎকারে ভরে যাবে বুকের কোলাহল ময় আরেকটা দিন
মন ভার তবু, কালো কাঁচময়।
আর অন্ধকার চিরকাল ছড়িয়ে বাঁচতে ভালোবাসে
যেমন শহরে লাইটপোস্টের আলো।

সহসা ঘোর কেটে  একটা পরিচিত হাত ছুঁয়ে গেলে
নিজেকে অযাচিত স্মৃতি রোমন্থন মনে হয়।
কোনো এক কবিতা সভায় যখন  নতুন কবি কবিতা বলে
শহর দুমড়ে মুচড়ে একলা রাখে কবিকে।
কারণ আছে ,ছিল আর থাকবে
নতুনকে প্রতি আঘাতে আরো মৃত হতে হয়। 

শহরের দরজায়

শহরের দরজায়
........... ঋষি
==================================================
একটা নাগরিক শহরের দরজায়
চলন্তিকা তুই অপ্রতিম।
খুলে রাখছিস সিল্ক নিজের অন্তর গহ্বরে
ক্রমশ আরো প্রকট হচ্ছে প্রগৈতিহাসিক ম্যামথের দাঁত।
আর খুলে যাচ্ছে শহরের
শহরের প্রকোষ্ঠে একাধিক সামাজিক বাস।

চলন্তিকা আমার দেওয়া অঞ্চলে
তুষার যুগের কোনো কোনো বেঁচে থাকা ইগলু।
তোর শীত শীত করে জানি
তোর ভয় করে আমার শহরের দরজায় জানোয়ারের চিৎকার।
ক্রমশ চিড়িয়াখানা প্রকট
সফিস্টিকেটেড আলোর তলায় স্নিগ্ধতা ম্যানিকুনের সাজে।
আমি জানি তুই একলা দাঁড়িয়ে গভীরে
আমার পাশে অন্ধকারে লেগে যাওয়া পিঠ।
আমার মতো তোর শহরে গতি চিরকাল
তাবু প্রতিটা গতি যে চাকা আবিষ্কারের গল্প ভুলতে থাকা।

একটা নাগরিক শহরের দরজায়
চলন্তিকা প্রতিবাদ মাথা ঠুঁকে কেঁদে মরে।
সারি সারি লাশ আমার তোর মতো পাশাপাশি দাঁড়িয়ে
খোলা আকাশের তুলি ধরে।
ক্রমশ চারদেওয়াল ভাঙতে ভাঙতে সামাজিক থেকে যায়
আর আমি তুই প্রাগৈতিহাসিক স্বপ্ন সভ্যতা। 

Friday, September 2, 2016

পুরুষের চোখে

পুরুষের চোখে
.............. ঋষি
===========================================

ঈশ্বরী তুমি সহজাত
খড়কুটো ,দড়ি বাঁধা ক্রমশ বিশাল তোমার রূপ।
মাটির প্রলেপ ,তারপর আরো
হাসি ,উৎসব ,সহজাত বেঁচে ফেরা সকলের হৃদয়।
তুমিও কি মুক্তি চাও আমাদের মতো ?
তবে কেন দশমীর চোখের নুন আমাদের চোখে।

ক্রমশ আরো প্রকট তোমার রূপ
তেল রং ,উজ্বল বর্ণ ,কোনো শরীরের প্রতি ভাঁজে অসুরের চোখ।
এই শহর মাতবে তোমার সাথে
উৎসবের আলোয় তোমার মতো সেই বারোবছর হাসতে থাকবে।
হাসতে থাকা জীবনের বাঁচতে চাওয়ার চেয়েও সামাজিক
ফিরবে না দশমীর পর।
সব উৎসর্গ ,সেই বারো বছরের  চিৎকার
অসুরের তলোয়ার ঢুকে যাবে তলপেট দিয়ে।
ঈশ্বরী তুমি কি ধর্ষিত এই সামাজিক ছোঁয়ায়
কিংবা মৃত প্রতি ধর্ষণের পর।

ঈশ্বরী তুমি সহজাত
তোমার নিয়মে বাঁধা খড় ,কুটো আর দড়ি সব সামাজিক।
সামাজিক উৎসব আরো অজস্র সময় ধরে
অসুরের বুকে পা রেখে তুমি যে জাগ্রত কোনো নারী।
কিন্তু উৎসব থেমে গেলে ঘুটঘুটে অন্ধকার
তোমার ধর্ষিত শরীর ভাসতে থাকে প্রতিবার পুরুষের চোখে।

কবিতার শোক

লিখতে পারাটা একটা অসুখ  ভীষণ কষ্ট ,ভীষণ আনন্দ ,প্রেম প্রবাহ ,অসংখ্য শোক,শহর ,মানুষ   সব কেমন সাদা পাতায় সংসার বুনতে থাকে  শব্দদের ঘুণপোকার স...